সহিহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "আযান" হাদিস নং -৭০১ থেকে ৭২৫
৭০১
وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ مُعَاذُ
بْنُ جَبَلٍ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَرْجِعُ
فَيَؤُمُّ قَوْمَهُ، فَصَلَّى الْعِشَاءَ فَقَرَأَ بِالْبَقَرَةِ، فَانْصَرَفَ
الرَّجُلُ، فَكَأَنَّ مُعَاذًا تَنَاوَلَ مِنْهُ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم فَقَالَ " فَتَّانٌ فَتَّانٌ فَتَّانٌ " ثَلاَثَ مِرَارٍ
أَوْ قَالَ " فَاتِنًا فَاتِنًا فَاتِنٌ " وَأَمَرَهُ بِسُورَتَيْنِ
مِنْ أَوْسَطِ الْمُفَصَّلِ. قَالَ عَمْرٌو لاَ أَحْفَظُهُمَا.
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, মু'আয ইব্নু জাবাল (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করার পর ফিরে গিয়ে নিজ গোত্রের সাথে ইমামাত
করতেন। একদা তিনি 'ইশার সালাতে সূরা বাক্বারা পাঠ করেন। এতে এক ব্যক্তি জামা'আত
হতে বেরিয়ে যায়। এজন্য মু'আয (রাঃ) তাঁর সমালোচনা করেন। এ খবর নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে পৌঁছলে তিনি তিনবার 'فَتّاَنُ' (ফিতনাহ সৃষ্টিকারী) অথবা 'فاَتِناً' (বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী) শব্দটি বললেন। এবং তিনি তাকে আওসাতে মুফাস্সালের
দু'টি সূরা পাঠের নির্দেশ দেন। ‘আম্র (রাঃ) বলেন, কোন দু'টি সূরার কথা তিনি বলেছিলেন, তা আমার স্মরণ নেই।
ইমাম কর্তৃক সালাতে কিয়াম সংক্ষিপ্ত করা এবং রুকু' ও সিজদা পূর্ণভাবে
আদায় করা
৭০২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا
زُهَيْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ سَمِعْتُ قَيْسًا، قَالَ
أَخْبَرَنِي أَبُو مَسْعُودٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ
إِنِّي لأَتَأَخَّرُ عَنْ صَلاَةِ الْغَدَاةِ مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ مِمَّا يُطِيلُ
بِنَا. فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَوْعِظَةٍ
أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ يَوْمَئِذٍ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ،
فَأَيُّكُمْ مَا صَلَّى بِالنَّاسِ فَلْيَتَجَوَّزْ، فَإِنَّ فِيهِمُ الضَّعِيفَ
وَالْكَبِيرَ وَذَا الْحَاجَةِ ".
আবূ মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আল্লাহ্র শপথ!
আমি অমূকের কারনে ফজরের সালাতে অনুপস্থিত থাকি। তিনি (জাম’আতে) সালাতকে খুব দীর্ঘ
করেন। আবূ মাস’উদ (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে নসীহাত করতে গিয়ে সে দিনের ন্যায় এতও অধিক রাগান্বিত হতে আর কোনদিন
দেখিনি। তিনি বলেন, তোমাদের মাঝে বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী রয়েছে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ
অন্য লোক দিয়ে সালাত আদায় করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা, তাদের মধ্য দুর্বল,
বৃদ্ধ ও হাজতওয়ালা লোকও থাকে।
১০/৬২. অধ্যায়ঃ
একাকী সালাত আদায় করলে ইচ্ছানুযায়ী দীর্ঘায়িত করতে পারে ।
৭০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا
مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ
لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ، فَإِنَّ مِنْهُمُ الضَّعِيفَ وَالسَّقِيمَ وَالْكَبِيرَ،
وَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِنَفْسِهِ فَلْيُطَوِّلْ مَا شَاءَ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের
কেউ যখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে, তখন যেন সে সংক্ষেপ করে। কেননা, তাদের মাঝে
দুর্বল, অসুস্থ ও বৃর্দ্ধ রয়েছে। আর কেউ যদি একাকী সালাত আদায় করে, তখন ইচ্ছামত
দীর্ঘ করতে পারে।
১০/৬৩. অধ্যায়ঃ
ইমাম সালাত দীর্ঘায়িত করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ।
আবূ উসাইদ (রহঃ) তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, বেটা! তুমি আমাদের সালাত
দীর্ঘায়িত করে ফেলেছ ।
৭০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ
أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لأَتَأَخَّرُ
عَنِ الصَّلاَةِ فِي الْفَجْرِ مِمَّا يُطِيلُ بِنَا فُلاَنٌ فِيهَا. فَغَضِبَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا رَأَيْتُهُ غَضِبَ فِي مَوْضِعٍ كَانَ
أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ يَوْمَئِذٍ ثُمَّ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ
إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ، فَمَنْ أَمَّ النَّاسَ فَلْيَتَجَوَّزْ، فَإِنَّ خَلْفَهُ
الضَّعِيفَ وَالْكَبِيرَ وَذَا الْحَاجَةِ ".
আবূ মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক ব্যক্তির
জন্য আমি ফজরের সালাতে অনুপস্থিত থাকি। কেননা, তিনি আমাদের সালাত খুব দীর্ঘায়িত
করেন। এ শুনে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত হলেন।
আবূ মাস’উদ (রাঃ) বলেন, নসীহাত করতে গিয়ে সে দিন তিনি যেমন রাগান্বিত হয়েছিলেন, সে
দিনের মত রাগান্বিত হতে তাঁকে আর কোন দিন দেখিনি। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে লোকেরা!
তোমাদের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী রয়েছে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদের ইমামাত
করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা, তার পিছনে দুর্বল, বৃদ্ধ ও হাজতওয়ালা লোকেরা
রয়েছে।
৭০৫
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ
عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيَّ، قَالَ أَقْبَلَ رَجُلٌ بِنَاضِحَيْنِ وَقَدْ
جَنَحَ اللَّيْلُ، فَوَافَقَ مُعَاذًا يُصَلِّي، فَتَرَكَ نَاضِحَهُ وَأَقْبَلَ
إِلَى مُعَاذٍ، فَقَرَأَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ أَوِ النِّسَاءِ، فَانْطَلَقَ
الرَّجُلُ، وَبَلَغَهُ أَنَّ مُعَاذًا نَالَ مِنْهُ، فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم فَشَكَا إِلَيْهِ مُعَاذًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" يَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ ـ أَوْ فَاتِنٌ ثَلاَثَ مِرَارٍ ـ
فَلَوْلاَ صَلَّيْتَ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ، وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا،
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى، فَإِنَّهُ يُصَلِّي وَرَاءَكَ الْكَبِيرُ وَالضَّعِيفُ
وَذُو الْحَاجَةِ ". أَحْسِبُ هَذَا فِي الْحَدِيثِ. قَالَ أَبُو
عَبْدِ اللَّهِ وَتَابَعَهُ سَعِيدُ بْنُ مَسْرُوقٍ وَمِسْعَرٌ
وَالشَّيْبَانِيُّ. قَالَ عَمْرٌو وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مِقْسَمٍ وَأَبُو
الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَرَأَ مُعَاذٌ فِي الْعِشَاءِ بِالْبَقَرَةِ.
وَتَابَعَهُ الأَعْمَشُ عَنْ مُحَارِبٍ.
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক সাহাবী দু’টি উটের পিঠে পানি নিয়ে আসছিলেন। রাতের
অন্ধকার তখন ঘনীভূত হয়ে এসেছিল। এ সময় তিনি মু’আয (রাঃ) কে সালাত আদায়রত পান, তিনি
তার উট দু’টি বসিয়ে মু’আয (রাঃ)-এর দিকে (সালাত আদায় করতে) এগিয়ে গেলেন। মু’আয
(রাঃ) সূরা বাক্বারা বা সূরা আন-নিসা পড়তে শুরু করেন। এতে তিনি সাহাবী (জামা’আত
ছেড়ে) চলে যান। পরে তিনি জানতে পারেন যে, মু’আয (রাঃ) এ জন্য তার সমালোচনা করেছেন।
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে মু’আয (রাঃ)- এর
বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে
মু’আয! তুমি কি লোকদের ফিত্নায় ফেলতে চাও? বা তিনি বলেছিলেন, তুমি কি ফিত্না
সৃষ্টিকারী? তিনি একথা তিনবার বলেন। অতঃপর তিনি বলেন, তুমি سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ, وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا এবং وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَىٰ (সূরা) দ্বারা সালাত আদায় করলে না কেন? কারণ, তোমার পিছনে দুর্বল,
বৃদ্ধ ও হাজতওয়ালা লোক সালাত আদায় করে থাকে।
[শু’বাহ (রহঃ) বলেন] আমার ধারনা শেষোক্ত বাক্যটিও হাদীসের অংশ। সায়ীদ ইব্নু মাসরূক, মিসওআর এবং শাইবানী (রহঃ) ও অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ‘আমর, ‘উবাইদুল্লাহ্ ইব্নু মিকসাম এবং আবূ যুবাইর (রহঃ) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, মু’আয (রাঃ) ‘ইশার সালাতে সূরা বাকারাহ পাঠ করেছিলেন। আ’মাশ (রহঃ) ও মুহারিব (রহঃ) সূত্রে এরূপই রিওয়ায়াত করেন।
[শু’বাহ (রহঃ) বলেন] আমার ধারনা শেষোক্ত বাক্যটিও হাদীসের অংশ। সায়ীদ ইব্নু মাসরূক, মিসওআর এবং শাইবানী (রহঃ) ও অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ‘আমর, ‘উবাইদুল্লাহ্ ইব্নু মিকসাম এবং আবূ যুবাইর (রহঃ) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, মু’আয (রাঃ) ‘ইশার সালাতে সূরা বাকারাহ পাঠ করেছিলেন। আ’মাশ (রহঃ) ও মুহারিব (রহঃ) সূত্রে এরূপই রিওয়ায়াত করেন।
১০/৬৪. অধ্যায়ঃ
সালাত সংক্ষেপে এবং পূর্ণভাবে আদায় করা ।
৭০৬
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُوجِزُ الصَّلاَةَ وَيُكْمِلُهَا.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত সংক্ষেপে
এবং পূর্ণভাবে আদায় করতেন।
১০/৬৫. অধ্যায়ঃ
শিশুর কান্নাকাটির কারণে সালাত সংক্ষেপ করা ।
৭০৭
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا
الْوَلِيدُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنِّي لأَقُومُ فِي الصَّلاَةِ
أُرِيدُ أَنْ أُطَوِّلَ فِيهَا، فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ، فَأَتَجَوَّزُ فِي
صَلاَتِي كَرَاهِيَةَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمِّهِ ". تَابَعَهُ بِشْرُ
بْنُ بَكْرٍ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَبَقِيَّةُ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ.
আবু ক্বাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি অনেক সময দীর্ঘ
করে সালাত আদায়ের ইচ্ছা নিয়ে দাঁড়াই। পরে শিশুর কান্নাকাটি শুনে সালাত সংক্ষেপ
করি। কারণ শিশুর মাকে কষ্টে ফেলা আমি পছন্দ করি না। বিশ্র ইব্নু বক্র,
বাকিয়্যাহ ও ইব্নু মুবারাক আওযায়ী (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় ওয়ালীদ ইব্নু মুসলিম
(রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
৭০৮
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ إِمَامٍ قَطُّ
أَخَفَّ صَلاَةً وَلاَ أَتَمَّ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، وَإِنْ كَانَ
لَيَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَيُخَفِّفُ مَخَافَةَ أَنْ تُفْتَنَ أُمُّهُ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে সংক্ষিপ্ত এবং
পূর্ণাঙ্গ সালাত আর কোন ইমামের পিছনে আদায় করিনি। আর তা এজন্য যে, তিনি শিশুর
কান্না শুনতে পেতেন এবং তার মায়ের ফিত্নায় পড়ার আশংকায় সংক্ষেপ করতেন।
৭০৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا
يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ،
أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِنِّي لأَدْخُلُ فِي الصَّلاَةِ وَأَنَا أُرِيدُ إِطَالَتَهَا،
فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ، فَأَتَجَوَّزُ فِي صَلاَتِي مِمَّا أَعْلَمُ مِنْ
شِدَّةِ وَجْدِ أُمِّهِ مِنْ بُكَائِهِ ".
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি
দীর্ঘ করার ইচ্ছা নিয়ে সালাত শুরু করি। কিন্তু পরে শিশুর কান্না শুনে আমার সালাত
সংক্ষেপ করে ফেলি। কেননা, শিশু কাঁদলে মায়ের মন যে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তা আমি
জানি।
৭১০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنِّي لأَدْخُلُ فِي
الصَّلاَةِ فَأُرِيدُ إِطَالَتَهَا، فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ، فَأَتَجَوَّزُ
مِمَّا أَعْلَمُ مِنْ شِدَّةِ وَجْدِ أُمِّهِ مِنْ بُكَائِهِ ". وَقَالَ
مُوسَى حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি দীর্ঘ করার
ইচ্ছা নিয়ে সালাত শুরু করি এবং শিশুর কান্না শুনে আমার সালাত সংক্ষেপ করে ফেলি।
কেননা, আমি জানি শিশু কান্না করলে মায়ের মন খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
১০/৬৬. অধ্যায়ঃ
নিজের সালাত আদায় করার পর অন্য লোকের ইমামাত করা।
৭১১
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو النُّعْمَانِ،
قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ مُعَاذٌ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم ثُمَّ يَأْتِي قَوْمَهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ.
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আয (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সাথে সালাত আদায় করে নিজ গোত্রে ফিরে গিয়ে তাদের ইমামাত করতেন।
১০/৬৭ অধ্যায়:
লোকদেরকে ইমামের তাকবীর শোনান ।
৭১২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ،
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَتَاهُ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ
فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ ". قُلْتُ إِنَّ أَبَا
بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ، إِنْ يَقُمْ مَقَامَكَ يَبْكِي فَلاَ يَقْدِرُ عَلَى
الْقِرَاءَةِ. قَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ ".
فَقُلْتُ مِثْلَهُ فَقَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ "
إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ ".
فَصَلَّى وَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ،
كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ يَخُطُّ بِرِجْلَيْهِ الأَرْضَ، فَلَمَّا رَآهُ أَبُو
بَكْرٍ ذَهَبَ يَتَأَخَّرُ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ صَلِّ، فَتَأَخَّرَ أَبُو
بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ وَقَعَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى جَنْبِهِ،
وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ التَّكْبِيرَ. تَابَعَهُ مُحَاضِرٌ عَنِ
الأَعْمَشِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্তিম রোগে
আক্রান্ত থাকাকালে একবার বিলাল (রাঃ) তাঁর নিকট এসে সালাতের (সময় হওয়ার) সংবাদ
দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআবূ বক্রকে বল, যেন লোকদের
নিয়ে সালাত আদায় করে। [‘আয়িশা (রাঃ) বললেন] আমি বললাম, আবূ বকর (রাঃ) কোমল হৃদয়ের
লোক, তিনি আপনার স্থানে দাঁড়ালে কেঁদে ফেলবেন এবং কিরাআত পড়তে পারবেন না। তিনি
আবার বললেনঃআবূ বকরকে বল, সালাত আদায় করতে। আমি আবারও সেকথা বললাম। তখন তৃতীয় বা
চতুর্থবারে তিনি বললেন, তোমরা তো ইউসুফের (আঃ)–সাথী রমণীদেরই মত। আবূ বকর (রাঃ) কে
বল, সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। আবূ বকর (রাঃ) লোকদের নিয়ে সালাত আদায়
করতে লাগলেন, ইতিমধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’জন লোকের কাঁধে
ভর করে বের হলেন। [‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ] আমি যেন এখনও সে দৃশ্য দেখতে পাই, তিনি
দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়িয়ে যান। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে দেখতে পেয়ে পিছনে সরে
আসতে লাগলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইঙ্গিতে তাঁকে সালাত আদায়
করতে বললেন, (তবুও) আবূ বকর (রাঃ) পিছনে সরে আসলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর পাশে বসলেন, আবূ বকর (রাঃ) তাকবীর শুনাতে লাগলেন।
মুহাযির (রহঃ) আমাশ (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু দাউদ (রহঃ) –এর অনুসরণ করেছেন।
মুহাযির (রহঃ) আমাশ (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু দাউদ (রহঃ) –এর অনুসরণ করেছেন।
১০/৬৮. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তির ইমামের অনুসরণ করা এবং অন্যদের সেই মুক্তাদীর ইক্তিদা
করা।
বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমরা আমার অনুসরণ করবে, তোমাদের পিছনের লোকেরা যেন তোমাদের ইকতিদা করে ।
৭১৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ
بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ
يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا
بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ، وَإِنَّهُ مَتَى مَا يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعُ
النَّاسَ، فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ. فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ
يُصَلِّي بِالنَّاسِ ". فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا
بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ، وَإِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ،
فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ. قَالَ " إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ
يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ". فَلَمَّا
دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفْسِهِ
خِفَّةً، فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، وَرِجْلاَهُ يَخُطَّانِ فِي
الأَرْضِ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ، فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ ذَهَبَ
أَبُو بَكْرٍ يَتَأَخَّرُ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَسَارِ
أَبِي بَكْرٍ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي قَاعِدًا، يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِصَلاَةِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ مُقْتَدُونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ رضى
الله عنه.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন
(রোগে) পীড়িত হয়ে পড়েছিলেন, বিলাল (রাঃ) এসে সালাতের কথা বললেন। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আবূ বক্রকে বল, লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে। আমি
বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আবূ বকর (রাঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি যখন আপনার
স্থানে দাঁড়াবেন, তখন সাহাবীগণকে কিছুই শুনাতে পারবেন না। যদি আপনি ‘উমর (রাঃ)-কে
এ নির্দেশ দেন (তবে ভাল হয়)। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার বললেনঃ
লোকদের নিয়ে আবূ বকর (রাঃ)-কে সালাত আদায় করতে বল। আমি হাফ্সাহ (রাঃ) কে বললাম,
তুমি তাঁকে একটু বল যে, আবূ বকর (রাঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি যখন আপনার
বদলে সে স্থানে দাঁড়াবেন, তখন সাহাবীগণকে কিছুই শোনাতে পারবেন না। যদি আপনি ‘উমর
(রাঃ)-কে এ নির্দেশ দিতেন (তবে ভালো হতো)। এ শুনে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা ইউসুফের সাথী নারীদেরই মতো। আবূ বক্রকে লোকদের
নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। আবূ বকর (রাঃ) লোকদের নিয়ে সালাত শুরু করলেন। তখন
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে একটু সুস্থবোধ করলেন এবং
দু’জন সাহাবীর কাঁধে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে মসজিদে গেলেন। তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে
হেঁচড়ে যাচ্ছিল। আবূ বকর (রাঃ) যখন তাঁর আগমন টের পেলেন, পিছনে সরে যেতে উদ্যত
হলেন। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রতি ইঙ্গিত করলেন
(স্বস্থানে থাকার জন্য)। অতঃপর তিনি এসে আবূ বকর (রাঃ)-এর বামপাশে বসে গেলেন।
অবশেষে আবূ বকর (রাঃ) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আর সাহাবীগণ আবূ বকর (রাঃ) এর
সালাতের অনুসরণ করছিল।
১০/৬৯. অধ্যায়ঃ
ইমামের সন্দেহ হলে মুক্তাদীদের মত গ্রহণ করা ।
৭১৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكِ
بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ أَقَصُرَتِ
الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ ". فَقَالَ النَّاسُ
نَعَمْ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ
أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ
أَطْوَلَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ রাক’আত আদায়
করে সালাত শেষ করে ফেললেন। যূল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল!
সালাত কি কম করা হয়েছে, না আপনি ভুলে গেছেন? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) (অন্যদের লক্ষ্য করে) বললেনঃ যূল-ইয়াদাইন কি ঠিক বলছে? সাহাবীগণ
বললেন, হ্যাঁ। তখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ালেন
এবং আরও দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন, অতঃপর সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে
স্বাভাবিক সিজদার মতো অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সিজদা করলেন।
৭১৫
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ، فَقِيلَ
صَلَّيْتَ رَكْعَتَيْنِ. فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ
سَجْدَتَيْنِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যুহরের সালাত দু’ রাক’আত আদায় করলেন। তাঁকে বলা হল, আপনি দু’ রাক’আত সালাত আদায়
করেছেন। তখন তিনি আরও দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরানোর পর দু’টি
(সাহু) সিজদা করলেন।
১০/৭০. অধ্যায়ঃ
সালাতে ইমাম কেঁদে ফেললে ।
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) বলেন, আমি পিছনের কাতার হতে ‘উমার
(রাঃ)-এর চাপা কান্নার আওয়ায শুনেছি। তিনি তখন {إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ} ‘(আমি আমার দুঃখ ও বেদনার অভিযোগ একমাত্র
আল্লাহর নিকটই পেশ করছি’’ (সূরাহ্ ইউসুফ ১২/১৮)-এ আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন।
৭১৬
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ
أَنَسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ
الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي مَرَضِهِ
" مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ
قُلْتُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ
الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ. فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ
فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ
إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ
الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ. فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ.
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَهْ، إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ
صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ ".
قَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ لأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا.
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
(অন্তিম) রোগে আক্রান্ত অবস্থায় বললেনঃআবূ বক্রকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে
বল। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে বললাম, আবূ বকর (রাঃ) যখন আপনার স্থালে
দাঁড়াবেন, তখন কান্নার কারণে সাহাবীগণকে কিছুই শুনাতে পারবেন না। কাজেই ‘উমর (রাঃ)
কে লোকদিন নিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আবার বললেনঃ আবূ বক্রকে বল লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে দিতে। ‘আয়িশা
(রাঃ) বলেন, তখন আমি হাফ্সাহ (রাঃ) কে বললাম, তুমি তাকেঁ বল যে, আবূ বকর (রাঃ)
যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন কান্নার কারণে সাহাবীগণকে কিছুই শুনাতে পারবেন না।
কাজেই ‘উমর (রাঃ) কে বলুন তিনি যেন সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। হাফ্সা
(রাঃ) তাই করলেন। তখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
থামো! তোমরা ইউসুফের সাথী মহিলাদেরই মতো। আবূ বক্রকে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করে। এতে হাফসা (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) কে (দুঃখ করে) বললেন, তোমার কাছ হতে
আমি কখনো ভাল কিছু পাইনি।
১০/৭১. অধ্যায়ঃ
ইক্বামাতের সময় এবং এর পরে কাতার সোজা করা ।
৭১৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، هِشَامُ بْنُ عَبْدِ
الْمَلِكِ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ،
قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ
بَشِيرٍ، يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَتُسَوُّنَّ
صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ".
নু’মান ইব্নু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা
অবশ্যই কাতার সোজা করে নিবে, তা না হলে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি
করে দিবেন।
৭১৮
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " أَقِيمُوا الصُّفُوفَ فَإِنِّي أَرَاكُمْ خَلْفَ ظَهْرِي
".
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা কাতার সোজা করে
নিবে। কেননা, আমি আমার পিছনে তোমাদেরকে দেখতে পাই।
১০/৭২. অধ্যায়ঃ
কাতার সোজা করার সময় মুক্তাদীগণের প্রতি ইমামের ফিরে দেখা ।
৭১৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي رَجَاءٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ
حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، قَالَ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ
فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَجْهِهِ فَقَالَ
" أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا، فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ
ظَهْرِي ".
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সালাতের ইক্বামাত হচ্ছে, এমন সময় আল্লাহর রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে মুখ করে তাকালেন এবং বললেনঃ
তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নাও আর মিলে দাঁড়াও। কেননা, আমি আমার পিছনে তোমাদেরকে
দেখতে পাই।
১০/৭৩. অধ্যায়ঃ
প্রথম কাতার ।
৭২০
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ،
عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " الشُّهَدَاءُ الْغَرِقُ وَالْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْهَدْمُ
". وَقَالَ " وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ
لاَسْتَبَقُوا {إِلَيْهِ} وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ
لاَسْتَهَمُوا ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পানিতে
ডুবে, কলেরায়, প্লেগে এবং ভূমিধসে বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ।
৭২১
وَقَالَ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لَاسْتَبَقُوا
وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا
وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ لَاسْتَهَمُوا.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যদি লোকেরা জানত যে, আওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ের কী ফযীলত, তাহলে
তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করে আগেভাগে আসার চেষ্টা করতো। আর ‘ইশা ও ফজরের
জামা’আতের কী ফযীলত যদি তারা জানত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। এবং
সামনের কাতারের কী ফযীলত তা যদি জানত, তাহলে এর জন্য তারা কুর’আ ব্যবহার করতো।
১০/৭৪. অধ্যায়ঃ
কাতার সোজা করা সালাতের পূর্ণতার অঙ্গ।
৭২২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ "
إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَلاَ تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ، فَإِذَا
رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. فَقُولُوا
رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ. وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا
فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ، وَأَقِيمُوا الصَّفَّ فِي الصَّلاَةِ، فَإِنَّ
إِقَامَةَ الصَّفِّ مِنْ حُسْنِ الصَّلاَةِ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অনুসরণ করার জন্যই
ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তার বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি যখন রুকূ’ করেন তখন
তোমরাও রুকু’ করবে। তিনি যখন 'سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه' বলেন , তখন তোমরা 'رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ' বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন তখন তোমরাও সিজদা
করবে। তিনি যখন বসে সালাত আদায় করেন, তখন তোমরাও সবাই বসে সালাত আদায় করবে। আর
তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের
অন্তর্ভুক্ত।
৭২৩
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ مِنْ إِقَامَةِ الصَّلاَةِ
".
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তোমাদের
কাতারগুলো সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
১০/৭৫. অধ্যায়ঃ
কাতার সোজা না করা গুনাহ।[১]
[১] জামা‘আতে দাঁড়াবার সময় পায়ের গিটের সাথে পার্শ্ববর্তী মুসল্লীর
পায়ের গিট মিলিয়ে এবং কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে পার্শ্ববর্তী মুসল্লীর বাহু মিলিয়ে
কাতারবন্দী হয়ে সালাত আদায় করতে হবে। দুই মুসল্লীর মাঝখানে ফাঁক ফাঁক করে দাঁড়ানোর
কথা কোন হাদীসে নাই ।
আবূ দাউদে আছেঃ --------------------- আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের কাতারসমূহের মধ্যে পরস্পর মিলে দাঁড়াও এবং কাতারসমূহের মধ্যে তোমরা পরস্পর নিকটবর্তী হও। এবং তোমাদের ঘাড়সমূহকে সমপর্যায়ে সোজা রাখ। সেই মহান সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! আমি শয়তানকে দেখি সে কাতারের ফাঁকসমূহে প্রবেশ করে যেন কালো কালো ভেড়ার বাচ্চা। (দেখুন বুখারী শরীফ ১০০ পৃষ্ঠা; মুসলিম শরিফ ১৮২ পৃষ্ঠা। আবুদাউদ ৯৭ পৃষ্ঠা, তিরমিযী ৫৩পৃষ্ঠা, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ৭১ পৃষ্ঠা। দারকুৎনী ১ম খণ্ড ২৮৩ পৃষ্ঠা, মেশকাত ৯৮ পৃষ্ঠা, বুখারী শরীফ আযীযুল হক, ১ম খণ্ড হাদীস নং ৪২৭। বুখারী শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড অনুচ্ছেদসহ হাদীস নং ৬৮২, ৬৮৬, ৬৮৭। মুসলিম শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ৮৫১। আবু দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ৬৬২,৬৬৬। তিরমিযী শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ২২৭। মেশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ৩য় খণ্ড ও মেশকাত মাদরাসা পাঠ্য ২য় খণ্ড হাদীস নং ১০১৭, ১০১৮, ১০২০, ১০২৫, ১০৩৩, ১০৩৪। বুলুগুল মারাম ১২৪ পৃষ্ঠা ।)
আবূ দাউদে আছেঃ --------------------- আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের কাতারসমূহের মধ্যে পরস্পর মিলে দাঁড়াও এবং কাতারসমূহের মধ্যে তোমরা পরস্পর নিকটবর্তী হও। এবং তোমাদের ঘাড়সমূহকে সমপর্যায়ে সোজা রাখ। সেই মহান সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! আমি শয়তানকে দেখি সে কাতারের ফাঁকসমূহে প্রবেশ করে যেন কালো কালো ভেড়ার বাচ্চা। (দেখুন বুখারী শরীফ ১০০ পৃষ্ঠা; মুসলিম শরিফ ১৮২ পৃষ্ঠা। আবুদাউদ ৯৭ পৃষ্ঠা, তিরমিযী ৫৩পৃষ্ঠা, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ৭১ পৃষ্ঠা। দারকুৎনী ১ম খণ্ড ২৮৩ পৃষ্ঠা, মেশকাত ৯৮ পৃষ্ঠা, বুখারী শরীফ আযীযুল হক, ১ম খণ্ড হাদীস নং ৪২৭। বুখারী শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড অনুচ্ছেদসহ হাদীস নং ৬৮২, ৬৮৬, ৬৮৭। মুসলিম শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ৮৫১। আবু দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ৬৬২,৬৬৬। তিরমিযী শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ২২৭। মেশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ৩য় খণ্ড ও মেশকাত মাদরাসা পাঠ্য ২য় খণ্ড হাদীস নং ১০১৭, ১০১৮, ১০২০, ১০২৫, ১০৩৩, ১০৩৪। বুলুগুল মারাম ১২৪ পৃষ্ঠা ।)
৭২৪
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا
الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّائِيُّ،
عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ
قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَقِيلَ لَهُ مَا أَنْكَرْتَ مِنَّا مُنْذُ يَوْمِ عَهِدْتَ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا أَنْكَرْتُ شَيْئًا إِلاَّ
أَنَّكُمْ لاَ تُقِيمُونَ الصُّفُوفَ. وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ
بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ قَدِمَ عَلَيْنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ الْمَدِينَةَ
بِهَذَا.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার তিনি (আনাস) মদীনায় আসলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগের তুলনায় আপনি আমাদের সময়ের
অপছন্দনীয় কী দেখতে পাচ্ছেন? তিনি বললেন, অন্য কোন কাজ তেমন অপছন্দনীয় মনে হচ্ছে
না। তবে তোমরা (সালাতে) কাতার ঠিকমত সোজা কর না। ‘উক্বাহ ইব্নু ‘উবাইদ (রহঃ)
বুশাইর ইব্নু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) আমাদের
নিকট মদীনায় এলেন......... বাকী অংশ অনুরূপ।
১০/৭৬. অধ্যায়ঃ
কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো ।
নু’মান ইব্নু বশীর (রহঃ) বলেন, আমাদের কাউকে দেখেছি পার্শ্ববর্তী
ব্যক্তির টাখ্নুর সাথে টাখ্নু মিলাতে ।
৭২৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
زُهَيْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي
". وَكَانَ أَحَدُنَا يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ
وَقَدَمَهُ بِقَدَمِهِ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতার
সোজা করে নাও। কেননা, আমি আমার পিছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই। আনাস (রাঃ) বলেন
আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা
মিলাতাম।
No comments