সহিহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "খাওফ (ভয় ভীতির সালাত)" হাদিস নং -৯৪৪ থেকে ৯৪৫


খাওফের সালাতে মুসল্লীগণের একাংশ অন্য অংশকে পাহারা দিবে।
৯৪৪
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ، فَكَبَّرَ وَكَبَّرُوا مَعَهُ، وَرَكَعَ وَرَكَعَ نَاسٌ مِنْهُمْ، ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدُوا مَعَهُ، ثُمَّ قَامَ لِلثَّانِيَةِ فَقَامَ الَّذِينَ سَجَدُوا وَحَرَسُوا إِخْوَانَهُمْ، وَأَتَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا مَعَهُ، وَالنَّاسُ كُلُّهُمْ فِي صَلاَةٍ، وَلَكِنْ يَحْرُسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا‏.‏
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতে দাঁড়ালেন এবং সাহাবীগণ তাঁর পিছনে (ইক্তিদা করে) দাঁড়ালেন। তিনি তাক্‌বীর বললেন, তারাও তাক্‌বীর বললেন, তিনি রুকূ’ করলেন, তারাও তাঁর সঙ্গে রুকূ’ করলেন। অতঃপর তিনি সিজদা করলেন এবং তারাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করলেন। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় রাক’আতের জন্য দাঁড়ালেন, তখন যারা তাঁর সংগে সিজদা করছিলেন তারা উঠে দাঁড়ালেন এবং তাদের ভাইদের পাহারা দিতে লাগলেন। তখন অপর দলটি এসে তাঁর সঙ্গে রুকূ’ করলেন। এভাবে সকলেই সালাতে অংশগ্রহণ করলেন। অথচ একদল অপর দলকে পাহারাও দিলেন।

১২/. অধ্যায়ঃ
দূর্গ অবরোধ ও শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় সালাত।
ইমাম আওযায়ী (রহঃ) বলেন, যদি অবস্থা এমন হয় যে, বিজয় আসন্ন কিন্তু শত্রুদের ভয়ে সৈন্যদের (জামা’আতে) সালাত আদায় করা সম্ভব নয়, তাহলে সবাই একাকী ইঙ্গিতে সালাত আদায় করবে। আর যদি ইঙ্গিতে আদায় করতে না পার তবে সালাত বিলম্বিত করবে। যে পর্যন্ত না যুদ্ধ শেষ হয় বা তারা নিরাপদ হয়। অতঃপর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করবে। যদি (দু’ রাক’আত) আদায় করতে সক্ষম না হয় তাহলে একটি রুকূ’ ও দু’টি সিজদা (এক রাক’আত) আদায় করবে। তাও সম্ভব না হলে শুধু তাক্বীর বলে সালাত শেষ করা জায়িয হবে না বরং নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করবে। মাকহুল ও (রহঃ) এ মত পোষণ করতেন। আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, (একটি যুদ্ধে) ভোরবেলা ভুস্তার দুর্গের উপর আক্রমণ চলছিলো এবং যুদ্ধ প্রচন্ডরূপ ধারণ করে, ফলে সৈন্যদের সালাত আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সূর্য উঠার বেশ পরে আমরা সালাত আদায় করেছিলাম। আর আমরা তখন আবূ মূসা (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম, পরে সে দূর্গ আমরা জয় করেছিলাম। আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) বলেন, সে সালাতের বিনিময়ে দুনিয়া ও তার সব কিছুতেও আমাকে খুশী করতে পারবে না।
৯৪৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُبَارَكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ عُمَرُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، فَجَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ وَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا صَلَّيْتُ الْعَصْرَ حَتَّى كَادَتِ الشَّمْسُ أَنْ تَغِيبَ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَأَنَا وَاللَّهِ مَا صَلَّيْتُهَا بَعْدُ ‏"‏‏.‏ قَالَ فَنَزَلَ إِلَى بُطْحَانَ فَتَوَضَّأَ، وَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَ مَا غَابَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ بَعْدَهَا‏.‏
জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধের দিন ‘উমর (রাঃ) কুরাইশ গোত্রের কাফিরদের মন্দ বলতে বলতে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! সূর্য প্রায় ডুবে যাচ্ছে, অথচ ‘আসরের সালাত আদায় করতে পারিনি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! আমিও তা এখনও আদায় করতে পারিনি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মদীনার বুতহান উপত্যকায় নেমে উযূ করলেন এবং সূর্যাস্তের পর ‘আসর সালাত আদায় করলেন, অতঃপর মাগরিবের সালাত আদায় করলেন।

No comments

Powered by Blogger.