মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় "ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত"
পরিচ্ছেদ
১ :
বায়নার বিক্রয়
১২৬৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ الثِّقَةِ عِنْدَهُ
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْعُرْبَانِ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ
فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ
الْوَلِيدَةَ أَوْ يَتَكَارَى الدَّابَّةَ ثُمَّ يَقُولُ لِلَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ
أَوْ تَكَارَى مِنْهُ
أُعْطِيكَ دِينَارًا أَوْ دِرْهَمًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَقَلَّ عَلَى
أَنِّي إِنْ أَخَذْتُ السِّلْعَةَ أَوْ رَكِبْتُ مَا تَكَارَيْتُ مِنْكَ فَالَّذِي
أَعْطَيْتُكَ هُوَ مِنْ ثَمَنِ السِّلْعَةِ أَوْ مِنْ كِرَاءِ الدَّابَّةِ وَإِنْ
تَرَكْتُ ابْتِيَاعَ السِّلْعَةِ أَوْ كِرَاءَ الدَّابَّةِ فَمَا أَعْطَيْتُكَ
لَكَ بَاطِلٌ بِغَيْرِ شَيْءٍ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يَبْتَاعَ
الْعَبْدَ التَّاجِرَ الْفَصِيحَ بِالْأَعْبُدِ مِنْ الْحَبَشَةِ أَوْ مِنْ جِنْسٍ
مِنْ الْأَجْنَاسِ لَيْسُوا مِثْلَهُ فِي الْفَصَاحَةِ وَلَا فِي التِّجَارَةِ
وَالنَّفَاذِ وَالْمَعْرِفَةِ لَا بَأْسَ بِهَذَا أَنْ تَشْتَرِيَ مِنْهُ
الْعَبْدَ بِالْعَبْدَيْنِ أَوْ بِالْأَعْبُدِ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ إِذَا
اخْتَلَفَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا حَتَّى
يَتَقَارَبَ فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ
اخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهُمْ
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْ ذَلِكَ قَبْلَ
أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي
اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ
قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُسْتَثْنَى جَنِينٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ إِذَا
بِيعَتْ لِأَنَّ ذَلِكَ غَرَرٌ لَا يُدْرَى أَذَكَرٌ هُوَ أَمْ أُنْثَى أَحَسَنٌ
أَمْ قَبِيحٌ أَوْ نَاقِصٌ أَوْ تَامٌّ أَوْ حَيٌّ أَوْ مَيْتٌ وَذَلِكَ يَضَعُ
مِنْ ثَمَنِهَا
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ بِمِائَةِ
دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَنْدَمُ الْبَائِعُ فَيَسْأَلُ الْمُبْتَاعَ أَنْ
يُقِيْلَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ
وَيَمْحُو عَنْهُ الْمِائَةَ دِينَارٍ الَّتِي لَهُ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ
بِذَلِكَ وَإِنْ نَدِمَ الْمُبْتَاعُ فَسَأَلَ الْبَائِعَ أَنْ يُقِيلَهُ فِي
الْجَارِيَةِ أَوْ الْعَبْدِ وَيَزِيدَهُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى
أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ الْأَجَلِ الَّذِي اشْتَرَى إِلَيْهِ الْعَبْدَ أَوْ
الْوَلِيدَةَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْبَغِي وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ
الْبَائِعَ كَأَنَّهُ بَاعَ مِنْهُ مِائَةَ دِينَارٍ لَهُ إِلَى سَنَةٍ قَبْلَ
أَنْ تَحِلَّ بِجَارِيَةٍ وَبِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ
أَبْعَدَ مِنْ السَّنَةٍ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ إِلَى
أَجَلٍ
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ بِمِائَةِ
دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَنْدَمُ الْبَائِعُ فَيَسْأَلُ الْمُبْتَاعَ أَنْ
يُقِيْلَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ
وَيَمْحُو عَنْهُ الْمِائَةَ دِينَارٍ الَّتِي لَهُ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ
بِذَلِكَ وَإِنْ نَدِمَ الْمُبْتَاعُ فَسَأَلَ الْبَائِعَ أَنْ يُقِيلَهُ فِي
الْجَارِيَةِ أَوْ الْعَبْدِ وَيَزِيدَهُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى
أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ الْأَجَلِ الَّذِي اشْتَرَى إِلَيْهِ الْعَبْدَ أَوْ
الْوَلِيدَةَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْبَغِي وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ
الْبَائِعَ كَأَنَّهُ بَاعَ مِنْهُ مِائَةَ دِينَارٍ لَهُ إِلَى سَنَةٍ قَبْلَ
أَنْ تَحِلَّ بِجَارِيَةٍ وَبِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ
أَبْعَدَ مِنْ السَّنَةٍ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ إِلَى
أَجَلٍ
আমার ইবন শু’আইব
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম উরবান (বায়না) বিক্রয় হতে নিষেধ করেছেন। [যঈফ, আবূ দাঊদ ৩৫০২, ইবনু
মাজাহ ২১৯২, ২১৯৩, আলবানী হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন (যয়ীফ আল জামে) ৬০৬০]
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞাত) যেমন (বায়না) এই, কোন ব্যক্তি ক্রীতদাস
অথবা ক্রীতদাসী ক্রয় করলে অথবা কোন পশু ভাড়া নিল। অতঃপর ক্রেতা অথবা যার নিকট হইতে
ভাড়া নিল তাকে বলল, আমি আপনাকে এক দীনার অথবা এক দিরহাম কিংবা উহার চাইতে কম বা
বেশি, এই শর্তে দিলাম যে, যদি আমি (ক্রীত) দ্রব্য গ্রহণ করি, কিংবা আপনার নিকট হতে
ভাড়া নেওয়া পশুর উপর আরোহণ করি, তবে যা আমি আপনাকে দিলাম, তা দ্রব্যের মূল্য অথবা
পশুর ভাড়া হতে কর্তন করা হবে। আর যদি আমি দ্রব্য ক্রয় না করি কিংবা ভাড়ায় লওয়া
পশুটি ব্যবহার না করে ফিরিয়ে দেই অর্থাৎ ভাড়া না নেই, তবে যা আমি আপনাকে দিয়েছি তা
কোন বিনিময় ছাড়া আপনার হবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট হুকুম এই, ব্যবসায়ী ও শুদ্ধভাষী গোলামকে হাবশী
কয়েকজন গোলাম অথবা বিভিন্নজাত হতে অন্য কোন জাতের গোলামের বিনিময়ে যারা বাকপটুতায়
ব্যবসায় কার্য সম্পাদনে এবং অভিজ্ঞতায় এর তুল্য নয়। [এইরূপ গোলামের বিনিময়ে]
বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। একজন গোলামকে দুইজনের অথবা কয়েকজন গোলামের বিনিময়ে
নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (বাকী) ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদি [উভয় প্রকার গোলামের
মধ্যে] পার্থক্য থাকে এবং সেই পার্থক্য হয় স্পষ্ট, আর যদি [তাদের মধ্যে] এক গোলাম
অপর গোলামের সদৃশ হয় (এমন কি একে অপরের) কাছাকাছি হয় তবে তা হতে এক গোলামের
বিনিময়ে দুই গোলাম বাকী গ্রহণ করবে না, যদিও বা তাদের জাত ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, তুমি উহা হতে যা ক্রয় করেছ তা কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করাতে
কোন বাধা নেই যদি মূল্য নগদ আদায় কর এবং যার নিকট হতে উহাকে ক্রয় করেছ তাকে ছাড়া
ভিন্ন লোকের নিকট বিক্রয় কর।
মালিক (রহঃ) বলেন, [অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীর] পেটের বাচ্চাকে বাদ দিয়ে [২] মাকে
বিক্রয় করা বৈধ নয়, এটা ধোঁকা হবে, কারণ জানা নাই বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, সুশ্রী না
কুশ্রী, সম্পূর্ণ না অসম্পূর্ণ, জীবিত না মৃত। উপরিউক্ত গুণাবলির পার্থক্যের
দ্বারা মূল্যের তারতম্য হয়ে থাকে।
মালিক (রহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি দাসী অথবা দাসকে বিক্রয় করল একশত দীনারে নির্ধারিত
সময়ে আদায় করার বিনিময়ে, অতঃপর বিক্রেতা লজ্জিত হল এবং ক্রেতাকে অনুরোধ করল দশ
দীনার গ্রহণ করে, যা বিক্রেতা ক্রেতাকে দিবে নগদ অথবা নির্ধারিত সময়ে বিক্রিত
বস্তু ফেরত দিতে। তার নিকট বিক্রেতা (গোলামের মূল্য বাবদ) যে একশত দীনার পাবে তা
সে আর গ্রহণ করল না। মালিক (রাঃ) বলেন- এইরূপ করাতে কোন দোষ নেই। যদি ক্রেতা
লজ্জিত হয় এবং সে দাস-দাসীকে ফেরত নেওয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট অনুরোধ করে এবং যেই
নির্ধারিত সময়ে সে মূল্য পরিশোধ করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া গোলাম বা বাঁদী ক্রয়
করেছিল সে সময়ের অধিক সময়ে পরিশোধ করবে বলে সময় নির্ধারিত করে অথবা নগদ দশ দীনার
বিক্রেতাকে বর্ধিত করে দেয়; তবে তা বৈধ নয়। এটা এজন্য মাকরূহ্ যে, বিক্রেতা যেন
ক্রেতার নিকট এক বৎসর মেয়াদে একশত দীনার বিক্রয় করল ক্রীতদাসী ফেরত লওয়ার পূর্বে
এবং দশ দীনার নগদ অথবা বাকী এক বৎসর হতে দূরবর্তী মেয়াদে লাভ করবে এই শর্তে।
এইভাবে ইহা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ [নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে] ধারে
বিক্রয় করার মতো হল। [যা বৈধ নয়, কাজেই এটাও বৈধ হবে না।]
মালিক (রহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদে একশত দীনার আদায়ের বিনিময়ে অন্য
ব্যক্তির নিকট নিজ ক্রীতদাসী বিক্রয় করল, অতঃপর যে মেয়াদে বিক্রয় করেছিল তার চাইতে
দূরবর্তী মেয়াদে এবং উহার নিকট যে মূল্যে বিক্রয় করেছিল সেই মূল্য হতে অধিক মূল্যে
সেই ক্রীতদাসীকে উহা হতে খরিদ করল।
এটা বৈধ নয়, এটা মাকরূহ্ হওয়ার ব্যাখ্যা হচ্ছে এই, এক ব্যক্তি নিজের দাসীকে বিক্রয়
করল নির্দিষ্ট মেয়াদে [অর্থ আদায় করবে বলে ধার্য্য করে] অতঃপর উহাকে এই মেয়াদ হতে
লম্বা মেয়াদে খরিদ করল। বিক্রয় করেছিল এক মাস মেয়াদে ত্রিশ দীনারের বিনিময়ে, অতঃপর
ক্রয় করল এক বৎসর মেয়াদে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে ষাট দীনার মূল্যে। এটা এইরূপ হল
যেন তার পণ্যদ্রব্য অবিকল তার দিকে প্রত্যাবর্তন করল এবং সে (ক্রেতা) বিক্রেতাকে
দিল ত্রিশ দীনার এক মাসের মেয়াদে। অতঃপর ষাট দীনারের বিনিময়ে ক্রেতা উহাকে পুনরায়
গ্রহণ করল এক বৎসরে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে। এটা বৈধ নয়।
[১] শু’আইবের পিতার নাম মুহাম্মাদ, তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ
(রা), তাঁর পিতার নাম আমার ইবনুল ‘আস (রা)।
[২] অর্থাৎ সন্তান যখন ভূমিষ্ঠ হবে তখন উহাকে পৃথকভাবে বিক্রি করার জন্য রেখে দেওয়া।
পরিচ্ছেদ
২ :
দাসের মাল প্রসঙ্গে
যখন উহাকে বিক্রয় করা হয়
১২৬৭
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ
بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُهُ لِلْبَائِعِ
إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُ الْمُبْتَاعُ، ২২৬৫-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا
أَنَّ الْمُبْتَاعَ إِنْ اشْتَرَطَ مَالَ الْعَبْدِ فَهُوَ لَهُ نَقْدًا كَانَ
أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا يُعْلَمُ أَوْ لَا يُعْلَمُ وَإِنْ كَانَ لِلْعَبْدِ
مِنْ الْمَالِ أَكْثَرُ مِمَّا اشْتَرَى بِهِ كَانَ ثَمَنُهُ نَقْدًا أَوْ دَيْنًا
أَوْ عَرْضًا وَذَلِكَ أَنَّ مَالَ الْعَبْدِ لَيْسَ عَلَى سَيِّدِهِ فِيهِ
زَكَاةٌ وَإِنْ كَانَتْ لِلْعَبْدِ جَارِيَةٌ اسْتَحَلَّ فَرْجَهَا بِمِلْكِهِ
إِيَّاهَا وَإِنْ عَتَقَ الْعَبْدُ أَوْ كَاتَبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ أَفْلَسَ
أَخَذَ الْغُرَمَاءُ مَالَهُ وَلَمْ يُتَّبَعْ سَيِّدُهُ بِشَيْءٍ مِنْ دَيْنِهِ.
‘আবদুল্লাহ্ ইবন
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি দাসকে বিক্রয় করেছে, আর দাসের রয়েছে সম্পদ, তবে তার সম্পদ বিক্রেতার
জন্য হবে। কিন্তু যদি ক্রেতা উহা শর্ত করে থাকে [তবে স্বতন্ত্র কথা-মাল ক্রেতা
পাবে।] (বুখারী ২৩৭৯, মুসলিম ১৫৪৩)
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, ক্রেতা যদি গোলামের মালের
(নিজের জন্য) শর্ত করে থাকে তবে মাল তার হবে, মাল নগদ অর্থ হোক বা ঋণ হোক কিংবা
সামগ্রী হোক, জ্ঞাত হোক বা অজ্ঞাত, যদি তাকে যে মূল্যে খরিদ করেছে উহার চাইতে বেশি
মালও হয়, তার মূল্য নগদ আদায় করা হোক বা ধারে বিক্রয় অথবা আসবাবপত্রের বিনিময়ে।
[সর্বাবস্থায় একই প্রকার হুকুম অর্থাৎ শর্ত করলে মাল ক্রেতা পাবে]। এটা এজন্য যে,
দাসের মালের জন্য কর্তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয় না। আর যদি গোলামের কোন ক্রীতদাসী
থাকে যার সাথে সঙ্গম করেছে, উহার মালিক হওয়ার দরুন। আর যদি দাস কর্তৃক কোন গোলাম
আযাদ করা হয়ে থাকে অথবা কোন গোলামকে মুকাতব করা হয়ে থাকে তবে উহার মাল তার জন্য
থাকবে। আর যদি গোলাম কাঙ্গাল গরীব হয়ে যায় তবে ঋণদাতাগণ তার মাল কব্জা করবে, তার
ঋণের জন্য কর্তাকে দায়ী করবে না।
পরিচ্ছেদ
৩ :
বিক্রিত গোলাম ফেরত
দেওয়ার সময়সীমা
১২৬৮
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّ أَبَانَ بْنَ
عُثْمَانَ وَهِشَامَ بْنَ إِسْمَعِيلَ كَانَا يَذْكُرَانِ فِي خُطْبَتِهِمَا
عُهْدَةَ الرَّقِيقِ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ مِنْ حِينِ يُشْتَرَى الْعَبْدُ
أَوْ الْوَلِيدَةُ وَعُهْدَةَ السَّنَةِ، ২২৬৮-قَالَ مَالِك مَا أَصَابَ الْعَبْدُ أَوْ الْوَلِيدَةُ
فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ مِنْ حِينِ يُشْتَرَيَانِ حَتَّى تَنْقَضِيَ
الْأَيَّامُ الثَّلَاثَةُ فَهُوَ مِنْ الْبَائِعِ وَإِنَّ عُهْدَةَ السَّنَةِ مِنْ
الْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَالْبَرَصِ فَإِذَا مَضَتْ السَّنَةُ فَقَدْ بَرِئَ
الْبَائِعُ مِنْ الْعُهْدَةِ كُلِّهَا.
قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ عَبْدًا أَوْ وَلِيدَةً مِنْ أَهْلِ الْمِيرَاثِ أَوْ
غَيْرِهِمْ بِالْبَرَاءَةِ فَقَدْ بَرِئَ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ وَلَا عُهْدَةَ
عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ فَإِنْ كَانَ عَلِمَ
عَيْبًا فَكَتَمَهُ لَمْ تَنْفَعْهُ الْبَرَاءَةُ وَكَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ
مَرْدُودًا وَلَا عُهْدَةَ عِنْدَنَا إِلَّا فِي الرَّقِيْقِ.
আবান ইবন উসমান
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবান ইবন উসমান (রাঃ) ও হিশাম ইবন
ইসমাঈল (রহঃ) তাঁরা উভয়ে খুতবাতে উল্লেখ করতেন দাস বা দাসীকে ক্রয় করার সময় হতে
তিন দিনের দায়িত্বের কথা। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিতেন এক বৎসরের দায়িত্বের কথা। [১]
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেন, দাস বা দাসীকে ক্রয় করার সময় হতে তিন দিনের ভিতরে দাস বা দাসীর
মধ্যে কোন দোষ পাওয়া গেলে উহা বিক্রেতার দায়িত্বের মধ্যে গণ্য হবে। আর এক বৎসর
কালের দায়িত্ব (যেমন) উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ, ধবলকুষ্ঠ, [ইত্যাদি জটিল রোগ]-এর
ব্যাপারে এক বৎসর অতিবাহিত হয়ে গেলে বিক্রেতা সম্পূর্ণ দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন দাস বা দাসীকে বিক্রয় করল, বিক্রেতা
উত্তরাধিকারী হোক বা অন্য কেউ। বিক্রয়ের সময় দাস-দাসীর দোষের ব্যাপারে
দায়িত্বমুক্ত হওয়ার কথা বিক্রেতা কর্তৃক উল্লেখ করলে তবে বিক্রেতা দাস-দাসীর
যাবতীয় দোষের কথা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও গোপন করে তবে বিক্রয়ের সময় দায়িত্বমুক্ত
হওয়ার শর্ত করলেও এই শর্ত তার উপকারে আসবে না। এই বিক্রয় বাতিল হয়ে যাবে। আর
আমাদের নিকট একমাত্র দাস-দাসীর মধ্যেই বিক্রেতার দায়িত্ব থাকবে।
[১] কোন ব্যক্তি দাস বা দাসীকে ক্রয় করলে এবং বিক্রেতা কর্তৃক
তাদের দোষমুক্ত হওয়ার শর্ত না করলে বিক্রিত দাস-দাসীর মধ্যে তিন দিনের মধ্যে কোন দোষ
পাওয়া গেলে উহার দায়িত্ব বিক্রেতা বহন করবে। আর এক বৎসরের দায়িত্ব হল দাস-দাসীর জটিল
রোগ ইত্যাদির ব্যাপারে। অর্থাৎ বিক্রিত দাস-দাসীর যদি এক বৎসরের মধ্যে কোন জটিল রোগ
প্রকাশ পায় তবে তার দায়িত্ব বিক্রেতা বহন করিবে।
পরিচ্ছেদ
৪ :
ক্রীতদাসের খুঁত
১২৬৯
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ
سَعِيدٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ بَاعَ
غُلَامًا لَهُ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَبَاعَهُ بِالْبَرَاءَةِ فَقَالَ
الَّذِي ابْتَاعَهُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ بِالْغُلَامِ دَاءٌ لَمْ تُسَمِّهِ
لِي فَاخْتَصَمَا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ الرَّجُلُ بَاعَنِي
عَبْدًا وَبِهِ دَاءٌ لَمْ يُسَمِّهِ وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بِعْتُهُ
بِالْبَرَاءَةِ فَقَضَى عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ
أَنْ يَحْلِفَ لَهُ لَقَدْ بَاعَهُ الْعَبْدَ وَمَا بِهِ دَاءٌ يَعْلَمُهُ فَأَبَى
عَبْدُ اللهِ أَنْ يَحْلِفَ وَارْتَجَعَ الْعَبْدَ فَصَحَّ عِنْدَهُ فَبَاعَهُ
عَبْدُ اللهِ بَعْدَ ذَلِكَ بِأَلْفٍ وَخَمْسِ مِائَةِ دِرْهَمٍ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ كُلَّ مَنْ
ابْتَاعَ وَلِيدَةً فَحَمَلَتْ أَوْ عَبْدًا فَأَعْتَقَهُ وَكُلَّ أَمْرٍ دَخَلَهُ
الْفَوْتُ حَتَّى لَا يُسْتَطَاعَ رَدُّهُ فَقَامَتْ الْبَيِّنَةُ إِنَّهُ قَدْ
كَانَ بِهِ عَيْبٌ عِنْدَ الَّذِي بَاعَهُ أَوْ عُلِمَ ذَلِكَ بِاعْتِرَافٍ مِنْ
الْبَائِعِ أَوْ غَيْرِهِ فَإِنَّ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ يُقَوَّمُ وَبِهِ
الْعَيْبُ الَّذِي كَانَ بِهِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ فَيُرَدُّ مِنْ الثَّمَنِ قَدْرُ
مَا بَيْنَ قِيمَتِهِ صَحِيحًا وَقِيمَتِهِ وَبِهِ ذَلِكَ الْعَيْبُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي
الْعَبْدَ ثُمَّ يَظْهَرُ مِنْهُ عَلَى عَيْبٍ يَرُدُّهُ مِنْهُ وَقَدْ حَدَثَ
بِهِ عِنْدَ الْمُشْتَرِي عَيْبٌ آخَرُ إِنَّهُ إِذَا كَانَ الْعَيْبُ الَّذِي
حَدَثَ بِهِ مُفْسِدًا مِثْلُ الْقَطْعِ أَوْ الْعَوَرِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ
مِنْ الْعُيُوبِ الْمُفْسِدَةِ فَإِنَّ الَّذِي اشْتَرَى الْعَبْدَ بِخَيْرِ
النَّظَرَيْنِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يُوضَعَ عَنْهُ مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ بِقَدْرِ
الْعَيْبِ الَّذِي كَانَ بِالْعَبْدِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ وُضِعَ عَنْهُ وَإِنْ
أَحَبَّ أَنْ يَغْرَمَ قَدْرَ مَا أَصَابَ الْعَبْدَ مِنْ الْعَيْبِ عِنْدَهُ
ثُمَّ يَرُدُّ الْعَبْدَ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ مَاتَ الْعَبْدُ عِنْدَ الَّذِي
اشْتَرَاهُ أُقِيمَ الْعَبْدُ وَبِهِ الْعَيْبُ الَّذِي كَانَ بِهِ يَوْمَ
اشْتَرَاهُ فَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُهُ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ الْعَبْدِ يَوْمَ
اشْتَرَاهُ بِغَيْرِ عَيْبٍ مِائَةَ دِينَارٍ وَقِيمَتُهُ يَوْمَ اشْتَرَاهُ
وَبِهِ الْعَيْبُ ثَمَانُونَ دِينَارًا وُضِعَ عَنْ الْمُشْتَرِي مَا بَيْنَ
الْقِيمَتَيْنِ وَإِنَّمَا تَكُونُ الْقِيمَةُ يَوْمَ اشْتُرِيَ الْعَبْدُ২২৭৪-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ
عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ رَدَّ وَلِيدَةً مِنْ عَيْبٍ وَجَدَهُ بِهَا
وَكَانَ قَدْ أَصَابَهَا أَنَّهَا إِنْ كَانَتْ بِكْرًا فَعَلَيْهِ مَا نَقَصَ
مِنْ ثَمَنِهَا وَإِنْ كَانَتْ ثَيِّبًا فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِي إِصَابَتِهِ
إِيَّاهَا شَيْءٌ لِأَنَّهُ كَانَ ضَامِنًا لَهَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ بَاعَ عَبْدًا
أَوْ وَلِيدَةً أَوْ حَيَوَانًا بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَهْلِ الْمِيرَاثِ أَوْ
غَيْرِهِمْ فَقَدْ بَرِئَ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ فِيمَا بَاعَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ
عَلِمَ فِي ذَلِكَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ فَإِنْ كَانَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ
لَمْ تَنْفَعْهُ تَبْرِئَتُهُ وَكَانَ مَا بَاعَ مَرْدُودًا عَلَيْهِ
قَالَ مَالِك فِي الْجَارِيَةِ تُبَاعُ بِالْجَارِيتَيْنِ ثُمَّ يُوجَدُ بِإِحْدَى
الْجَارِيَتَيْنِ عَيْبٌ تُرَدُّ مِنْهُ، قَالَ تُقَامُ الْجَارِيَةُ الَّتِي
كَانَتْ قِيمَةَ الْجَارِيَتَيْنِ فَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُهَا ثُمَّ تُقَامُ
الْجَارِيتَانِ بِغَيْرِ الْعَيْبِ الَّذِي وُجِدَ بِإِحْدَاهُمَا تُقَامَانِ
صَحِيحَتَيْنِ سَالِمَتَيْنِ ثُمَّ يُقْسَمُ ثَمَنُ الْجَارِيَةِ الَّتِي بِيعَتْ
بِالْجَارِيتَيْنِ عَلَيْهِمَا بِقَدْرِ ثَمَنِهِمَا حَتَّى يَقَعَ عَلَى كُلِّ
وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا حِصَّتُهَا مِنْ ذَلِكَ عَلَى الْمُرْتَفِعَةِ بِقَدْرِ
ارْتِفَاعِهَا وَعَلَى الْأُخْرَى بِقَدْرِهَا ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى الَّتِي بِهَا
الْعَيْبُ فَيُرَدُّ بِقَدْرِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا مِنْ تِلْكَ الْحِصَّةِ
إِنْ كَانَتْ كَثِيرَةً أَوْ قَلِيلَةً وَإِنَّمَا تَكُونُ قِيمَةُ
الْجَارِيَتَيْنِ عَلَيْهِ يَوْمَ قَبْضِهِمَا
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْعَبْدَ فَيُؤَاجِرُهُ بِالْإِجَارَةِ
الْعَظِيمَةِ أَوْ الْغَلَّةِ الْقَلِيلَةِ ثُمَّ يَجِدُ بِهِ عَيْبًا يُرَدُّ
مِنْهُ إِنَّهُ يَرُدُّهُ بِذَلِكَ الْعَيْبِ وَتَكُونُ لَهُ إِجَارَتُهُ
وَغَلَّتُهُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي كَانَتْ عَلَيْهِ الْجَمَاعَةُ بِبَلَدِنَا
وَذَلِكَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ عَبْدًا فَبَنَى لَهُ دَارًا قِيمَةُ
بِنَائِهَا ثَمَنُ الْعَبْدِ أَضْعَافًا ثُمَّ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا يُرَدُّ مِنْهُ
رَدَّهُ وَلَا يُحْسَبُ لِلْعَبْدِ عَلَيْهِ إِجَارَةٌ فِيمَا عَمِلَ لَهُ
فَكَذَلِكَ تَكُونُ لَهُ إِجَارَتُهُ إِذَا آجَرَهُ مِنْ غَيْرِهِ لِأَنَّهُ
ضَامِنٌ لَهُ وَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ ابْتَاعَ رَقِيقًا فِي صَفْقَةٍ
وَاحِدَةٍ فَوَجَدَ فِي ذَلِكَ الرَّقِيقِ عَبْدًا مَسْرُوقًا أَوْ وَجَدَ
بِعَبْدٍ مِنْهُمْ عَيْبًا إِنَّهُ يُنْظَرُ فِيمَا وُجِدَ مَسْرُوقًا أَوْ وَجَدَ
بِهِ عَيْبًا فَإِنْ كَانَ هُوَ وَجْهَ ذَلِكَ الرَّقِيقِ أَوْ أَكْثَرَهُ ثَمَنًا
أَوْ مِنْ أَجْلِهِ اشْتَرَى وَهُوَ الَّذِي فِيهِ الْفَضْلُ فِيمَا يَرَى
النَّاسُ كَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ مَرْدُودًا كُلُّهُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي وُجِدَ
مَسْرُوقًا أَوْ وُجِدَ بِهِ الْعَيْبُ مِنْ ذَلِكَ الرَّقِيقِ فِي الشَّيْءِ
الْيَسِيرِ مِنْهُ لَيْسَ هُوَ وَجْهَ ذَلِكَ الرَّقِيقِ وَلَا مِنْ أَجْلِهِ
اشْتُرِيَ وَلَا فِيهِ الْفَضْلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ رُدَّ ذَلِكَ الَّذِي
وُجِدَ بِهِ الْعَيْبُ أَوْ وُجِدَ مَسْرُوقًا بِعَيْنِهِ بِقَدْرِ قِيمَتِهِ مِنْ
الثَّمَنِ الَّذِي اشْتَرَى بِهِ أُولَئِكَ الرَّقِيْقَ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) তাঁর
এক দাস বিক্রয় করলেন বারাআত [১] -এর শর্তে আটশত দিরহাম মূল্যে। অতঃপর ক্রেতা
বললেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-এর গোলামের মধ্যে একটি রোগ রয়েছে, আপনি আমার
নিকট উহা চিহ্নিত করেননি। তারপর তারা উভয়ের বিবাদ নিয়ে উপস্থিত হলেন উসমান ইবন
আফফান (রাঃ)-এর নিকট। ক্রেতা ব্যক্তি বললেন- তিনি আমার নিকট গোলাম বিক্রয় করলেন অথচ
তার রয়েছে একটি রোগ যার কথা তিনি আমার নিকট বলেননি। আবদুল্লাহ্ বললেনঃ আমি গোলাম
বিক্রয় করেছি বারাআত (দায়িত্বমুক্ত থাকা)-এর শর্তে। উসমান (রাঃ) ফয়সালা দিলেন,
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) শপথ করে বলবে- ক্রেতার নিকট তিনি যে গোলাম বিক্রয়
করেছেন তার মধ্যে কোন রোগ আছে বলে তিনি জানতেন না। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) এইরূপ শপথ
করতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং গোলাম তিনি ফেরত গ্রহণ করলেন। অতঃপর উক্ত গোলাম সুস্থ
হয়ে গেল। তারপর আবদুল্লাহ্ (রাঃ) তাকে দেড় হাজার দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করলেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত ফয়সালা হল এই, যে ব্যক্তি কোন দাসী ক্রয়
করল এবং তার দ্বারা উহা অন্তঃসত্ত্বা হল, অথবা দাস ক্রয় করে উহাকে আযাদ করল এবং এই
জাতীয় যে কোন প্রকার ক্ষমতা পরিচালনা [২] বা কার্য সম্পাদন করে যাতে সেই দাসী বা
দাসকে আর ফেরত দেওয়া চলে না। অতঃপর (এই মর্মে) প্রমাণ উপস্থিত হয়েছে যে, বিক্রেতার
কাছে থাকা কালে উহার মধ্যে খুঁত ছিল অথবা খুঁত প্রকাশিত হয়েছে বিক্রেতার
স্বীকারোক্তির দ্বারা কিংবা অন্য কোন উপায়ে, [এইরূপ হয়ে থাকলে] তবে খুঁতসহ
বিক্রয়ের দিন সেই দাস অথবা দাসীর কত মূল্য হতে পারে তা নির্ণয় করা হবে, তারপর
ত্রুটি মুক্তাবস্থায় উহার যা মূল্য হবে এবং খুঁত অবস্থায় যা উহার মূল্য হতে পারে
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধানিক মূল্যের অর্থটি ক্রেতাকে ফেরত দিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে সর্বসম্মত ফয়সালা এই, সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে যে
ব্যক্তি কোন ক্রীতদাস ক্রয় করেছে। অতঃপর উহা হতে এমন কোন খুঁত প্রকাশ পেয়েছে, [যে
খুঁত প্রকাশ পাওয়ার দরুন] যাতে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেয়া যেতে পারে।
কিন্তু ক্রেতার নিকট (থাকাবস্থায়) অন্য নতুন খুঁত সৃষ্টি হয়েছে। যদি নব্যসৃষ্ট
খুঁত যা ক্রেতার নিকট পয়দা হয়েছে উহা নষ্টকারী হয় যেমন (কোন অংশ) কর্তন করা কিংবা
কানা হওয়া অথবা এই জাতীয় নষ্টকারক খুঁতসমূহ হতে অন্য কোন খুঁত। তবে দুই বিষয়ের যে
কোন উত্তম বিষয়কে গ্রহণ করার ইখতিয়ার ক্রেতার থাকবে। যদি দাসের ক্রটিসহ যে দিন
উহাকে ক্রয় করেছে সেই দিন যা মূল্য হতে পারে [এবং নিখুঁতঅবস্থায় উহার মূল্য হয় উভয়ের
মধ্যবর্তী ব্যবধানিক মূল্য] তা হতে বাদ দেওয়াকে তিনি পছন্দ করেন তবে (যেই পরিমাণ)
অর্থ উহা হতে বাদ দেয়া হবে অথবা সে যদি পছন্দ করে তবে ক্রীতদাসের যেই পরিমাণ ক্ষতি
তার কাছে থাকতে হয়েছে উহার খেসারত প্রদান করবে, অতঃপর গোলাম ফেরত দেয়া হবে (তিনি
ইচ্ছা করলে এরূপ করা যাবে)। আর যদি ক্রীতদাস ক্রেতার নিকট মারা যায় তবে খুঁতসহ যেই
দিন উহাকে বিক্রয় করা হয়েছিল সেই দিন উহার মূল্য কত ছিল তা নির্ণয় করা হবে, যদি
ক্রয়ের দিন দোষ মুক্তাবস্থায় উহার মূল্য একশত দীনার থাকে, আর দোষসহ উহার মূল্য
ক্রয়ের দিন আশি দীনার হয়, তবে ক্রেতার উপর হতে উভয় মূল্যের মধ্যে ব্যবধানিক মূল্য
বাদ দেয়া হবে। মূল্য ধার্য করা হবে ক্রয়ের দিনেরই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাসীকে উহাতে খুঁত পাওয়ার কারণে ফেরত দেয় (অথচ)
সে উহার সাথে সহবাস করেছে। তবে দাসী যদি কুমারী হয় তবে (সহবাস করাতে) যতটুকু উহার
মূল্য হতে কমেছে ততটুকু মূল্য তাকে আদায় করতে হবে আর যদি দাসী কুমারী না হয়, তবে
উহার সাথে সঙ্গম করাতে ক্রেতাকে কিছু দিতে হবে না, কারণ সে উহার জামিনস্বরূপ ছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে, যে ব্যক্তি কোন দাস বা
দাসীকে অথবা কোন প্রাণীকে বিক্রয় করেছে বারাআতের শর্তে সে আহলে-মীরাস হোক বা
আহলে-মীরাস ব্যতীত অন্য কেহ হোক, তবে সে বিক্রীত বস্তুতে যেকোন প্রকার দোষ পাওয়া
যায় উহার দায়-দায়িত্ব হতে মুক্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যদি কোন দোষ জ্ঞাত থাকা
সত্ত্বেও গোপন করে থাকে তবে তার দায়িত্ব মুক্তির শর্ত করা কোন কাজে লাগবে না এবং
তার বিক্রীত বস্তু তার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেই দাসীকে দুইজন দাসীর বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছে, অতঃপর
দাসীদ্বয়ের একজনের মধ্যে এমন দোষ পাওয়া গিয়েছে যা সহ মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া চলে।
তবে সেই দাসীর মূল্য নির্ণয় করা হবে যেই ক্রীতদাসীকে দুই দাসীর বিনিময়ে বিক্রয় করা
হয়েছিল। তারপর দেখতে হবে উহার মূল্য কত। অতঃপর দাসীদ্বয়ের মূল্য নির্ণয় করতে হবে
যাদের একজনের মধ্যে দোষ পাওয়া গিয়েছে। উভয়ে সুস্থ ও নিখুঁত থাকলে কি মূল্য
দাসীদ্বয়ের হতে পারে তা নির্ণয় করবে। অতঃপর যেই দাসীকে এতদুভয়ের বিনিময়ে বিক্রি
করা হয়েছিল উহার মূল্যকে উভয় দাসীর মধ্যে উহাদের মূল্য অনুযায়ী বন্টন করে দেবে,
যেন দাসীদ্বয়ের প্রত্যেকের উপর স্ব স্ব হিসসা বর্তিত হয়। নিখুঁত ও উত্তমার অংশে
উহার মূল্য এবং অপর ত্রুটিযুক্ত অংশে তার মূল্য বর্তিত হবে। তারপর লক্ষ্য করা হবে
ত্রুটিযুক্ত দাসীর দিকে এবং যেই পরিমাণ মূল্য উহার অংশে নির্ধারিত হল তা বিক্রেতা
কর্তৃক ক্রেতাকে ফেরত দিতে হবে। যেই দিন ক্রেতা দাসীদ্বয়ের নিজ দখলে এনেছে উভয়ের
সেই দিনের মূল্য নির্ণয় করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দাস ক্রয় করল অতঃপর উহাকে ইজারাতে কাজে লাগাল, বড়
ইজারাতে কিংবা [৩] কর মারফতে। তারপর সেই দাসে খুঁত পাওয়া গেল, যে খুঁতের কারণে
উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া যায়। (এইরূপ অবস্থা হলে) তবে সেই দাসকে খুঁতসহ
ফেরত দিবে, ইজারা (লব্ধ অর্থ) ও কর [মারফত আদায়কৃত বস্তু] তার [ক্রেতার] প্রাপ্য
হবে। অনুরূপ মতই পোষণ করতেন আমাদের (পবিত্র) শহরের (মদীনার) উলামা সম্প্রদায়। ইহা
এইজন্য যে, (যেমন) এক ব্যক্তি একটি দাস খরিদ করল। সে দাস তার (ক্রেতার) উদ্দেশ্যে
একটি গৃহ নির্মাণ করল। যে গৃহের নির্মাণ খরচ গোলামের মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি
হবে, অতঃপর সেই দাসের কোন দোষ পাওয়া গেল যে দোষের কারণে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত
দেওয়া চলে। (এইরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে) তবে উহাকে (বিক্রেতার নিকট) ফেরত দিবে
এবং গোলামের শ্রমের কারণে ক্রেতার উপর কোন মজুরী হিসাব করা হবে না।
অনুরূপ দাসের ইজারালব্ধ অর্থ ক্রেতা পাবে যদি অন্যের নিকট উহাকে ইজারা দিয়ে থাকে
কারণ ক্রেতাই উহার জামিন। মালিক (রহঃ) বলেন, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, এক ব্যক্তি এক দফাতে একসঙ্গে কয়েক জন
দাসকে বিক্রয় করেছে। অতঃপর সেইসব দাসের মধ্যে একজন পাওয়া গিয়েছে চোরাইকৃত দাস
কিংবা উহাদের এক জনের মধ্যে খুঁত পাওয়া গিয়েছে। মালিক (রহঃ) বলেন, এমতাবস্থায়
দেখতে হবে- চোরাইকৃত দাস কিংবা যার মধ্যে খুঁত পাওয়া গিয়েছে সেই দাস যদি বিক্রীত
দাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয় অথবা অধিক মূল্যের হয় এবং ক্রেতা উহার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে
সবাইকে ক্রয় করেছে, উহাতে রয়েছে শ্রেষ্ঠত্ব ও গুণ, সাধারণ লোকের ধারণায়। তবে এইরূপ
বিক্রয় সম্পূর্ণ রদ করে দেয়া হবে। মালিক (রহঃ) বলেন, চোরাইকৃত গোলাম কিংবা যার
মধ্যে দোষ পাওয়া গিয়েছে মামুলী ধরনের [বড় রকমের দোষ নয়], আর দাসদের মধ্যে সেই
গোলাম অতি শ্রেষ্ঠও নয় এবং উহার উদ্দেশ্যে সবাইকে ক্রয়ও করা হয়নি। আর লোক-দৃষ্টিতে
উহার বিশেষ কোন গুণও নাই। তবে ত্রুটিযুক্ত কিংবা চোরাইকৃত সেই ক্রীতদাসকেই
বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া হবে; ক্রীতদাসদেরকে যেই মূল্যে খরিদ করা হয়েছে,
হারাহারিভাবে এই দাসের যা মূল্য হবে সেই মূল্য অনুপাতে (অর্থ বাদ দিয়ে)।
[১] বারাআত অর্থাৎ এই দাসের কোন প্রকার দোষ-ত্রুটির জন্য আমি
দায়ী থাকব না- এই শর্তে বিক্রয় করছি। একে বারাআত বলা হয়।
[২] যেমন দান করে দেয়া, হারিয়ে ফেলা, মুকাতাব, মুদাব্বার করা ইত্যাদি।
[৩] কর, যা শস্য, ফল ও দুগ্ধ ইত্যাদি হতে আদায় করা হয়।
পরিচ্ছেদ
৫ :
ক্রীতদাসীকে বিক্রয়
করা হলে এবং তাতে শর্তারোপ করলে কি করা হবে
১২৭০
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ
بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعَوْدٍ
ابْتَاعَ جَارِيَةً مِنْ امْرَأَتِهِ زَيْنَبَ الثَّقَفِيَّةِ وَاشْتَرَطَتْ
عَلَيْهِ أَنَّكَ إِنْ بِعْتَهَا فَهِيَ لِي بِالثَّمَنِ الَّذِي تَبِيعُهَا بِهِ
فَسَأَلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ عَنْ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَا تَقْرَبْهَا وَفِيهَا شَرْطٌ لِأَحَدٍ.
ইবন শিহাব (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
উবায়দুল্লাহ্
ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উতবা ইবন মাসঊদ (রাঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ্
ইবন মাসঊদ (রাঃ) তদীয় স্ত্রী যায়নাব সাকাফিয়ার নিকট হতে একটি দাসী ক্রয় করলেন এবং
সে (যয়নাব) তার উপর শর্তারোপ করেছে যে, যদি তিনি উহাকে বিক্রয় করেন, তবে যে মূল্যে
বিক্রয় করা হবে সেই মূল্যে উহা তার (যয়নাবের) প্রাপ্য হবে। আবদুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ
(রাঃ) এই বিষয়ে উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করলেন। তিনি (উত্তরে)
বললেন- তুমি উহার কাছে যেও না [অর্থাৎ তার সাথে সঙ্গম করো না] যাতে কারো পক্ষে
শর্তারোপ করা হয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১২৭১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ
يَقُولُ لَا يَطَأُ الرَّجُلُ وَلِيدَةً إِلَّا وَلِيدَةً إِنْ شَاءَ بَاعَهَا
وَإِنْ شَاءَ وَهَبَهَا وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ صَنَعَ بِهَا مَا
شَاءَ ২২৮২-قَالَ
مَالِك فِيمَنْ اشْتَرَى جَارِيَةً عَلَى شَرْطِ أَنْ لَا يَبِيعَهَا وَلَا
يَهَبَهَا أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الشُّرُوطِ فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي
لِلْمُشْتَرِي أَنْ يَطَأَهَا وَذَلِكَ أَنَّهُ لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا
وَلَا أَنْ يَهَبَهَا فَإِنْ كَانَ لَا يَمْلِكُ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَمْ
يَمْلِكْهَا مِلْكًا تَامًّا لِأَنَّهُ قَدْ اسْتُثْنِيَ عَلَيْهِ فِيهَا مَا
مَلَكَهُ بِيَدِ غَيْرِهِ فَإِذَا دَخَلَ هَذَا الشَّرْطُ لَمْ يَصْلُحْ وَكَانَ
بَيْعًا مَكْرُوهًا.
নাফি’ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) বলতেন,
যেই দাসীকে ইচ্ছা করলে বিক্রয় করতে পারে কিংবা ইচ্ছা করলে দান করা যায় অথবা ইচ্ছা
হলে নিজের কাছে রাখা যায় এবং উহার সাথে যা ইচ্ছা তা করা যায় সেইরূপ দাসী ব্যতীত
অন্য কোন দাসীর সাথে কোন ব্যক্তি সঙ্গম করবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাসীকে এই শর্তে ক্রয় করেছে যে, তাকে বিক্রয়
করবে না এবং উহাকে দান করবে না কিংবা একই রকম অন্য কোন শর্তে, তবে সেই ক্রেতার
জন্য উহার সাথে সঙ্গম করা জায়েয হবে না। কারণ তার জন্য উহাকে বিক্রয় করা এবং দান
করা জায়েয নয়। যখন সে ইহা [বিক্রয় ও দান]-এর মালিক নয় তবে সে উহার পূর্ণ কর্তৃত্ব
লাভ করেনি। কেননা (শর্তারোপ করে) ক্রেতার নিকট হতে উহার কর্তৃত্বকে বাদ দেয়া
হয়েছে, যে কর্তৃত্ব রয়েছে অন্যের হাতে। যখন (ক্ষমতা খর্ব করার) এই শর্তারোপ করা হল
তবে ইহার বিক্রয় জায়েয হবে না। এই ধরনের বিক্রয় মাকরূহ হবে।
পরিচ্ছেদ
৬ :
যে ক্রীতদাসীর স্বামী
রয়েছে সে ক্রীতদাসীর সাথে অন্য লোকের সঙ্গম নিষিদ্ধ হওয়া
১২৭২
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَامِرٍ أَهْدَى
لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ جَارِيَةً وَلَهَا زَوْجٌ ابْتَاعَهَا بِالْبَصْرَةِ
فَقَالَ عُثْمَانُ لَا أَقْرَبُهَا حَتَّى يُفَارِقَهَا زَوْجُهَا فَأَرْضَى ابْنُ
عَامِرٍ زَوْجَهَا فَفَارَقَهَا.
ইবন শিহাব (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্
ইবন আমির (রাঃ) একটি দাসী হাদিয়া স্বরূপ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর উদ্দেশ্যে
প্রেরণ করলেন; সেই দাসীর স্বামী (বর্তমান) ছিল, তিনি উহাকে বসরাতে ক্রয় করেছিলেন।
উসমান (রাঃ) বললেনঃ উহার স্বামী উহাকে ত্যাগ না করা পর্যন্ত আমি এর কাছে [সঙ্গম
উদ্দেশ্যে] গমন করব না। অতঃপর ইবন আমির তার স্বামীকে সম্মত করালেন, তার স্বামী
তাকে ত্যাগ করল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১২৭৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ ابْتَاعَ وَلِيدَةً
فَوَجَدَهَا ذَاتَ زَوْجٍ فَرَدَّهَا.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুর
রহমান ইবন আওফ (রাঃ) জনৈক ক্রীতদাসীকে খরিদ করলেন, পরে জানা গেল যে, তার স্বামী
রয়েছে। তাই তিনি উহাকে ফেরত দিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদ
৭ :
খেজুর বৃক্ষের ফল, যার
মূল্য বিক্রয় করা হয়েছে
১২৭৪
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ بَاعَ نَخْلًا قَدْ أُبِّرَتْ
فَثَمَرُهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ.
আবদুল্লাহ্ ইবন
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তা’বীর [১] করা খেজুরের গাছ
বিক্রয় করেছে, উহার ফল বিক্রেতা পাইবে, কিন্তু ক্রেতা যদি শর্ত করে থাকে (তবে ফল
ক্রেতার জন্য হবে)। (বুখারী ২২০৩, ২২০৪, মুসলিম ১৫৪৩)
[১] নরখেজুর গাছের মজ্জা মাদী খেজুর গাছ চিরে তাতে ঢুকিয়ে দেয়া
হয়। এইরূপ করাতে গাছে ভাল ও বেশি খেজুর উৎপন্ন হয়। আরবে এইরূপ করার প্রথা ছিল। এতে
“তাবিরে নখল” অর্থাৎ খেজুর বৃক্ষে জোড়া লাগান বলা হয়। -আওজায
পরিচ্ছেদ
৮ :
পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে
ফল বিক্রয় নিষিদ্ধ
১২৭৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى يَبْدُوَ
صَلَاحُهَا نَهَى الْبَائِعَ وَالْمُشْتَرِيَ.
ইবন উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিক্রেতা, ক্রেতা উভয়কে পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে ফল
বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ২১৯৪, মুসলিম ১৫৩৪)
১২৭৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ
حَتَّى تُزْهِيَ فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا تُزْهِيَ فَقَالَ حِينَ
تَحْمَرُّ وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَأَيْتَ
إِذَا مَنَعَ اللهُ الثَّمَرَةَ فَبِمَ يَأْخُذُ أَحَدُكُمْ مَالَ أَخِيْهِ.
আনাস ইবন মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রঙীন
হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করতে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ
করেছেন। সাহাবীগণ (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্! রঙীন হওয়ার অর্থ কি?
(রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, লাল কিংবা হলুদ রং-এর হওয়া।
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লক্ষ্য করুন। যদি আল্লাহ্
(গাছে) ফল পয়দা না করেন, তবে তোমাদের কেউ আপন ভাইয়ের মাল কিসের বিনিময়ে গ্রহণ
করবে? (বুখারী ২১৯৮, মুসলিম ১৫৫৫)
১২৭৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ حَارِثَةَ عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى
تَنْجُوَ مِنْ الْعَاهَةِ ২২৯২-قَالَ
مَالِك وَبَيْعُ الثِّمَارِ قَبْلَ أَنْ يَبْدُوَ صَلَاحُهَا مِنْ بَيْعِ
الْغَرَرِ.
‘আমরাহ্ বিনত আবদির
রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বিপদমুক্ত হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেছেন, বিপদমুক্তির পূর্বে ফল বিক্রয় করা ধোঁকার বিক্রয়ের
অন্তর্ভুক্ত। (ইবনু আবদুল বার হাদীসটিকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেছেন)
১২৭৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ
ثَابِتٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ كَانَ لَا يَبِيعُ ثِمَارَهُ حَتَّى
تَطْلُعَ الثُّرَيَّا ২২৯৪-قَالَ
مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي بَيْعِ الْبِطِّيخِ وَالْقِثَّاءِ وَالْخِرْبِزِ
وَالْجَزَرِ إِنَّ بَيْعَهُ إِذَا بَدَا صَلَاحُهُ حَلَالٌ جَائِزٌ ثُمَّ يَكُونُ
لِلْمُشْتَرِي مَا يَنْبُتُ حَتَّى يَنْقَطِعَ ثَمَرُهُ وَيَهْلِكَ وَلَيْسَ فِي
ذَلِكَ وَقْتٌ يُؤَقَّتُ وَذَلِكَ أَنَّ وَقْتَهُ مَعْرُوفٌ عِنْدَ النَّاسِ
وَرُبَّمَا دَخَلَتْهُ الْعَاهَةُ فَقَطَعَتْ ثَمَرَتَهُ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ
ذَلِكَ الْوَقْتُ فَإِذَا دَخَلَتْهُ الْعَاهَةُ بِجَائِحَةٍ تَبْلُغُ الثُّلُثَ
فَصَاعِدًا كَانَ ذَلِكَ مَوْضُوعًا عَنْ الَّذِي ابْتَاعَهُ.
যায়দ ইবন সাবিত
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সপ্তর্ষীমণ্ডলস্থ নক্ষত্র
(সুরাইয়া) উদিত হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করতেন না। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেন, তরবুজ, ক্ষিরাই, খরবুজ এবং গাজর বিক্রয়ের বিষয়ে আমাদের নিকট
মাসআলা এইঃ পরিপুষ্ট হওয়ার পর এই সবের বিক্রয় হালাল ও বৈধ, তারপর যাহা উৎপাদিত হইবে
[উৎপাদনকাল হইতে ফসল তোলা] শেষ হওয়া পর্যন্ত উহা ক্রেতার জন্য হইবে। ইহার জন্য কোন
নির্ধারিত সময় নাই। কারণ উহার সময় লোকের নিকট পরিচিত। (তাহারা জানেন) কোন সময় এই
সবের মধ্যে আপদ প্রবেশ করে। তাই সেই সময়ের পূর্বে উহার ফল কাটিয়া ফেলা হয়। যদি
দুর্যোগের কারণে এইসবের মধ্যে কোন আপদ উপস্থিত হয় যাহার পরিমাণ পৌঁছে এক-তৃতীয়াংশ
পর্যন্ত কিংবা উহার অধিক তবে বিক্রেতার নিকট হইতে সেই পরিমাণ কমান হইবে [তারপর উহা
ক্রেতাকে দেওয়া হইবে]।
[১] কারণ উহার উদয়ের পর ফল বিপদমুক্ত হয়।
পরিচ্ছেদ
৯ :
আরিয়্যা [১] বিক্রয়
[১] বাগানের মালিক কয়েকটি খেজুর
বা অন্য ফলের বৃক্ষ কাউকেও দান করলেন। দানগ্রহীতা গাছ দেখাশোনার জন্য বাগানে
যাতায়াত করে থাকেন, এতে বাগানের মালিকের অসুবিধা হলে তিনি শুষ্ক ফলের বিনিময়ে দানগ্রহীতা
হতে সেই বৃক্ষগুলোর ফল নিজের কর্তৃত্বে এনে পূর্ণ বাগানের কর্তৃত্ব নিজে গ্রহণ
করেন। একে আরিয়্যাঃ এর বিক্রয় বলা হয়।
১২৭৯
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ زَيْدِ بْنِ
ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ لِصَاحِبِ
الْعَرِيَّةِ أَنْ يَبِيعَهَا بِخَرْصِهَا.
যায়দ ইবন সাবিত
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরিয়্যা করেছেন এমন ব্যক্তির জন্য উহাকে অনুমান
করে বিক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন। (বুখারী ২১৮৮, মুসলিম ১৫৩৯)
১২৮০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ
مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا فِيمَا
دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ يَشُكُّ دَاوُدُ قَالَ
خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ ২২৯৮-قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا تُبَاعُ الْعَرَايَا
بِخَرْصِهَا مِنْ التَّمْرِ يُتَحَرَّى ذَلِكَ وَيُخْرَصُ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ
وَإِنَّمَا أُرْخِصَ فِيهِ لِأَنَّهُ أُنْزِلَ بِمَنْزِلَةِ التَّوْلِيَةِ
وَالْإِقَالَةِ وَالشِّرْكِ وَلَوْ كَانَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ الْبُيُوعِ
مَا أَشْرَكَ أَحَدٌ أَحَدًا فِي طَعَامِهِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ وَلَا أَقَالَهُ
مِنْهُ وَلَا وَلَّاهُ أَحَدًا حَتَّى يَقْبِضَهُ الْمُبْتَاعُ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আরিয়্যা স্বরূপ দেয়া হয়েছে এরূপ বৃক্ষের খেজুর অনুমান করে বিক্রয়ের
অনুমতি দিয়েছেন পাঁচ ওয়াসকের [১] কম কিংবা (পূর্ণ) পাঁচ ওয়াসকের মধ্যে। দাউদ
(রাবী) সন্দেহ প্রকাশ করেছেন; (তাঁর শায়খ আবূ সূফিয়ান) পাঁচ ওয়াসক বলেছেন না পাঁচ
ওয়াসকের কম বলেছেন। (বুখারী ২১৯০, মুসলিম ২৫৪৯)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আরিয়্যা পন্থায় প্রদত্ত বৃক্ষসমূহের ফল খেজুরের বিনিময়ে আন্দাজ
করে বিক্রয় করা যায়। চিন্তা-ভাবনা করে উহার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে এবং গাছে
থাকতে উহার আন্দাজ করা হবে। উহার জন্য ওজন করার প্রয়োজন নাই। এইরূপ করার অনুমতি এই
জন্য দেয়া হয়েছে যে, ইহা খরিদ দামে বিক্রয়, খরিদ বাতিলকরণ এবং খরিদকৃত বস্তুতে
অন্যকে শরীক নেওয়ার মতো। এটা যদি অন্যান্য বিক্রয়ের মতো হতো তবে খাদ্যদ্রব্যে
অধিকার প্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে কাউকেও শরীক করা জায়েয হত না এবং অধিকার প্রাপ্ত
হওয়ার পূর্বে খরিদ বাতিলকরণও জায়েয হত না এবং অধিকারে আসার পূর্বে খরিদমূল্যে ক্রয়
করাও জায়েয হত না।
[১] ষাট সা’তে এক ওয়াসক হয়।
পরিচ্ছেদ
১০ :
শস্য ও ফলাদির বিক্রয়ে
বিপদাপদ উপস্থিত হওয়ার বিধান
১২৮১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَهَا تَقُولُ:
ابْتَاعَ رَجُلٌ ثَمَرَ حَائِطٍ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَعَالَجَهُ وَقَامَ فِيهِ حَتَّى تَبَيَّنَ لَهُ النُّقْصَانُ فَسَأَلَ
رَبَّ الْحَائِطِ أَنْ يَضَعَ لَهُ أَوْ أَنْ يُقِيلَهُ فَحَلَفَ أَنْ لَا
يَفْعَلَ فَذَهَبَتْ أُمُّ الْمُشْتَرِي إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأَلَّى أَنْ لَا يَفْعَلَ خَيْرًا فَسَمِعَ بِذَلِكَ رَبُّ
الْحَائِطِ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا
رَسُولَ اللهِ هُوَ لَهُ
মুহাম্মদ ইবন আবদির
রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুহাম্মদ ইবন আবদির রহমান (রহঃ)
তাঁর মাতা আ’মরা বিন্ত ‘আবদির রহমান (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন,
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক ব্যক্তি এক বাগানের ফল
ক্রয় করলেন, তিনি তাতে মেহনত করলেন এবং বাগানের সংস্কার সাধনে ব্রতী হলেন। (এতে)
তার লোকসান প্রকাশ পেল, তারপর তিনি বাগান মালিকের নিকট বাগানের দাম কমাবার অথবা
বিক্রয় বাতিল করবার আবেদন জানালেন। কিন্তু বাগানের মালিক এইরূপ না-করার শপথ করলেন।
তারপর ক্রেতার মাতা উপস্থিত হলেন রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
খেদমতে। অতঃপর তিনি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঘটনা
বর্ণনা করলেন। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, সে পুণ্য
কাজ না করার কসম খেয়েছে কি? বাগানের মালিক এটা শুনলেন, তারপর তিনি রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হাজির হয়ে বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্!
[ক্রেতা যা চেয়েছেন] তাঁর জন্য এটা। (বুখারী ২৭০৫, অনুরূপ ইমাম মুসলিম মুত্তাসিল
সনদে বর্ণনা করেন ১৫৫৭)
১২৮২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ
قَضَى بِوَضْعِ الْجَائِحَةِ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
قَالَ مَالِك وَالْجَائِحَةُ الَّتِي تُوضَعُ عَنْ الْمُشْتَرِي الثُّلُثُ
فَصَاعِدًا وَلَا يَكُونُ مَا دُونَ ذَلِكَ جَائِحَةً.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
বলেনঃ উমার ইবন আবদিল আযীয (রহঃ)
দুর্যোগ ঘটলে মূল্য লাঘব করার ফয়সালা দিয়েছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছেও মাসআলা অনুরূপ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুর্যোগঘটিত কারণে, এক-তৃতীয়াংশ কিংবা ততোধিক ফসলের লোকসান
হলেই, তবে ক্রেতা এতে মূল্য লাঘব করা হয়। এর কম হলে লোকসান হয়েছে বলে গণ্য করা হয়
না।
পরিচ্ছেদ
১১ :
কিছু ফল বা ফল-বৃক্ষের
কিছু শাখা বিক্রয় হতে বাদ দিয়ে দেওয়া জায়েয হওয়া
১২৮৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الْقَاسِمَ
بْنَ مُحَمَّدٍ كَانَ يَبِيعُ ثَمَرَ حَائِطِهِ وَيَسْتَثْنِي مِنْهُ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
কাসিম
ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) তাঁর বাগানের ফল বিক্রয় করতেন এবং উহা হতে কিছু বৃক্ষ শাখা
বাদ রেখে দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১২৮৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ جَدَّهُ
مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ بَاعَ ثَمَرَ حَائِطٍ لَهُ يُقَالُ لَهُ
الْأَفْرَقُ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَاسْتَثْنَى مِنْهُ بِثَمَانِ مِائَةِ
دِرْهَمٍ تَمْرًا.
আবদুল্লাহ্ ইবন আবি
বাকর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর
দাদা মুহাম্মাদ ইবন আমার হাযম (রহঃ) আফবাক নামক তার এক বাগানের ফল চার হাজার
দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করলেন এবং উহা হতে আট শত দিরহাম মূল্যের ফলের কিছু শাখা রেখে
দিলেন [নিজের জন্য] । (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১২৮৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ
مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَارِثَةَ أَنَّ أُمَّهُ عَمْرَةَ بِنْتَ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَتْ تَبِيعُ ثِمَارَهَا وَتَسْتَثْنِي مِنْهَا قَالَ
مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا بَاعَ
ثَمَرَ حَائِطِهِ أَنَّ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْ ثَمَرِ حَائِطِهِ مَا
بَيْنَهُ وَبَيْنَ ثُلُثِ الثَّمَرِ لَا يُجَاوِزُ ذَلِكَ وَمَا كَانَ دُونَ الثُّلُثِ
فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ.
قَالَ مَالِك فَأَمَّا الرَّجُلُ يَبِيعُ ثَمَرَ حَائِطِهِ وَيَسْتَثْنِي مِنْ
ثَمَرِ حَائِطِهِ ثَمَرَ نَخْلَةٍ أَوْ نَخَلَاتٍ يَخْتَارُهَا وَيُسَمِّي
عَدَدَهَا فَلَا أَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا لِأَنَّ رَبَّ الْحَائِطِ إِنَّمَا اسْتَثْنَى
شَيْئًا مِنْ ثَمَرِ حَائِطِ نَفْسِهِ وَإِنَّمَا ذَلِكَ شَيْءٌ احْتَبَسَهُ مِنْ
حَائِطِهِ وَأَمْسَكَهُ لَمْ يَبِعْهُ وَبَاعَ مِنْ حَائِطِهِ مَا سِوَى ذَلِكَ.
মুহাম্মাদ ইবন
আবদির রহমান ইবন হারেছা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, তাঁর মাতা আ’মরা বিনত আবদির
রহমান (রহঃ) তাঁর মালিকানার ফল বিক্রয় করতেন এবং উহা হতে ফলের কিছু শাখা নিজের
জন্য রেখে দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই যে, কোন ব্যক্তি বাগানের ফল
বিক্রয় করবে তবে সেই বাগানের ফল হতে তৃতীয়াংশ পরিমাণ (নিজের জন্য) রাখা তার জন্য
জায়েয আছে। উহার সীমা ছাড়িয়ে না যাওয়া চাই, এক-তৃতীয়াংশের কম হলে তাতে ক্ষতি নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তার বাগানের ফল বিক্রয় করল এবং উহা হতে নিজের
পছন্দসই এক বা একাধিক গাছের ফল অবিক্রিত রাখল, উহার সংখ্যাও উল্লেখ করল। আমি এইরূপ
করাতে কোন দোষ মনে করি না। বাগানের মালিক নিজ বাগান হতে কিছু সংখ্যক বৃক্ষের ফল
নিজের জন্য রাখল। আর এটা হচ্ছে এমন যেন কেউ নিজ বাগানের কিছু বৃক্ষ নিজের জন্য
নির্ধারিত রাখল, উহাকে বিক্রয় না করে অবশিষ্ট বৃক্ষ বিক্রয় করে দিল।
পরিচ্ছেদ
১২ :
খেজুর বিক্রির
ক্ষেত্রে যা অপছন্দ করা হয়
১২৮৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّمْرُ
بِالتَّمْرِ مِثْلًا بِمِثْلٍ فَقِيْلَ لَهُ إِنَّ عَامِلَكَ عَلَى خَيْبَرَ
يَأْخُذُ الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ ادْعُوهُ لِي فَدُعِيَ لَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَأْخُذُ الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ
لَا يَبِيعُونَنِي الْجَنِيبَ بِالْجَمْعِ صَاعًا بِصَاعٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعْ الْجَمْعَ بِالدَّرَاهِمِ ثُمَّ
ابْتَعْ بِالدَّرَاهِمِ جَنِيْبًا.
আতা ইবন ইয়াসার
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর [বিক্রয় করলে] সমান সমান (হতে
হবে) । তাঁর নিকট আরজ করা হল, খায়বরে নিযুক্ত আপনার আমিল [কার্য সম্পাদক বা
কালেকটর] দুই সা’-এর বিনিময়ে এক সা’ গ্রহণ করে থাকেন। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এটা শুনে) বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে আন। তাঁরা ডেকে আনলেন।
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি দুই সা’-এর বিনিময়ে
এক সা’ গ্রহণ কর! উত্তরে তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! উহারা নিকৃষ্ট খেজুরের
বিনিময়ে বিশুদ্ধ খেজুর আমার নিকট এক সা’র বিনিময়ে এক সা’ বিক্রয় করে না। (ইমাম
বুখারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ২২০১, মুসলিম ৪১৬৬, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত
হাদীসটি মুরসাল)
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা শুনে বললেন, অপ্রকৃষ্ট বা
মিশ্রিত খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রয় কর, অতঃপর দিরহামের বিনিময়ে বিশুদ্ধ খেজুর
ক্রয় করে নাও।
১২৮৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ سُهَيْلِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ رَجُلًا عَلَى خَيْبَرَ فَجَاءَهُ بِتَمْرٍ جَنِيبٍ فَقَالَ
لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكُلُّ تَمْرِ خَيْبَرَ
هَكَذَا فَقَالَ لَا وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا لَنَأْخُذُ الصَّاعَ مِنْ
هَذَا بِالصَّاعَيْنِ وَالصَّاعَيْنِ بِالثَّلَاثَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَفْعَلْ بِعْ الْجَمْعَ بِالدَّرَاهِمِ ثُمَّ
ابْتَعْ بِالدَّرَاهِمِ جَنِيْبًا.
আবূ সায়ীদ খুদরী ও
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে খায়বরে আ’মিল [কার্য সম্পাদক বা
প্রশাসক] নিযুক্ত করলেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
খেদমতে বিশুদ্ধ খেজুর উপস্থিত করলেন। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, খায়বরের সকল খেজুর এইরূপ হয় কি? তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম,
সকল খেজুর এইরূপ নয় । আমরা এই খেজুরের এক সা’ দুই সা’-এর বিনিময়ে এবং দুই সা’ তিন
সা’-এর বিনিময়ে গ্রহণ করি। (এটা শুনে) রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, এইরূপ করো না; অপ্রকৃষ্ট খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রয় করে
দাও, অতঃপর দিরহাম দ্বারা উৎকৃষ্ট খেজুর ক্রয় করে নাও। (বুখারী ২২০২, মুসলিম ১৫৯৩)
১২৮৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ زَيْدًا أَبَا
عَيَّاشٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَأَلَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ الْبَيْضَاءِ
بِالسُّلْتِ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ أَيَّتُهُمَا أَفْضَلُ قَالَ الْبَيْضَاءُ
فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ سَعْدٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْأَلُ عَنْ اشْتِرَاءِ التَّمْرِ بِالرُّطَبِ فَقَالَ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَنْقُصُ الرُّطَبُ إِذَا يَبِسَ
فَقَالُوا نَعَمْ فَنَهَى عَنْ ذَلِكَ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
যায়দ
আবূ’ আয়্যাশ (রহঃ) সা’দ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করলেন বেশি পেষা হয়
নাই এমন যব (مسلت) [১] -এর বিনিময়ে সাদা বর্ণের যব
বিক্রয় করা প্রসঙ্গে। সা’দ তার নিকট হতে জানতে চাইলেন, উভয়ের মধ্যে কোনটি উত্তম?
তিনি বললেন, সাদা যব উত্তম, সা’দ তাকে এইরূপ করতে নিষেধ করলেন। তিনি বললেন,
খুর্মার বিনিময়ে খেজুর বিক্রয় সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বললেন, খুর্মা শুকালে কমে কি না? তারা বললেন,
হ্যাঁ (কমে)। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন এইরূপ করতে বারণ
করলেন। (সহীহ, আবূ দাঊদ ৩৩৫৯, তিরমিযী ১২২৫, নাসাঈ ৪৫৪৫, ইবনু মাজাহ ২২৬৪, আলবানী
হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [ইরওয়া] ১৩৫২)
[১] কারো মতে, খোসাবিহীন এক প্রকার যব যা হিজাযে উৎপন্ন হয়।
পরিচ্ছেদ
১৩ :
মুযাবানা [১] এবং
মুহাকালা [২]
[১] কারো মতে, খোসাবিহীন এক প্রকার যব যা হিজাযে উৎপন্ন
হয়।মুযাবানা হচ্ছে সুপক্ব খুর্মার বিনিময়ে তাজা খেজুরকে আন্দাজ করে ক্রয় করা।
[২] মুহাকালা হচ্ছে শুষ্ক শস্যের বিনিময়ে ক্ষেতের তাজা শস্য ক্রয় করা।
১২৮৯
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُزَابَنَةِ
وَالْمُزَابَنَةُ بَيْعُ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ كَيْلًا وَبَيْعُ الْكَرْمِ
بِالزَّبِيبِ كَيْلًا.
আবদুল্লাহ্ ইবন
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন মুযাবানা এবং মুহাকালা হতে।
মুযাবানা হচ্ছে তাজা খেজুর (যা বৃক্ষে ঝুলন্ত রয়েছে)-কে অনুমান করে সুপক্ব খেজুরের
বিনিময়ে বিক্রয় করা। এবং তাজা আঙ্গুর ফলকে [লতাতে ঝুলন্তাবস্থায়] আন্দাজ করে শুষ্ক
আঙ্গুর-এর বিনিময়ে বিক্রয় করা। (বুখারী ২১৭১, মুসলিম ১৫৪২)
১২৯০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ
مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُزَابَنَةِ
وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ فِي رُءُوسِ
النَّخْلِ وَالْمُحَاقَلَةُ كِرَاءُ الْأَرْضِ بِالْحِنْطَةِ.
আবূ সায়ীদ খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন মুযাবানা এবং মুহাকালা হতে।
মুযাবানা হচ্ছে সুপক্ব খুর্মার বিনিময়ে তাজা খেজুরকে আন্দাজ করে ক্রয় করা যা
বৃক্ষচূড়ায় (ঝুলন্ত) রয়েছে। আর মুহাকালা হচ্ছে গমের বিনিময়ে ভূমি ভাড়াতে (ভাড়া)
দেওয়া। (বুখারী ২১৮৬, মুসলিম ১৫৪৬)
১২৯১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ
سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
نَهَى عَنْ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ
الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ وَالْمُحَاقَلَةُ اشْتِرَاءُ الزَّرْعِ بِالْحِنْطَةِ
وَاسْتِكْرَاءُ الْأَرْضِ بِالْحِنْطَةِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَسَأَلْتُ سَعِيدَ
بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ اسْتِكْرَاءِ الْأَرْضِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ
لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
قَالَ مَالِك نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ
الْمُزَابَنَةِ وَتَفْسِيرُ الْمُزَابَنَةِ أَنَّ كُلَّ شَيْءٍ مِنْ الْجِزَافِ
الَّذِي لَا يُعْلَمُ كَيْلُهُ وَلَا وَزْنُهُ وَلَا عَدَدُهُ ابْتِيعَ بِشَيْءٍ
مُسَمًّى مِنْ الْكَيْلِ أَوْ الْوَزْنِ أَوْ الْعَدَدِ وَذَلِكَ أَنْ يَقُولَ
الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ الطَّعَامُ الْمُصَبَّرُ الَّذِي لَا يُعْلَمُ
كَيْلُهُ مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ التَّمْرِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ
الْأَطْعِمَةِ أَوْ يَكُونُ لِلرَّجُلِ السِّلْعَةُ مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ
النَّوَى أَوْ الْقَضْبِ أَوْ الْعُصْفُرِ أَوْ الْكُرْسُفِ أَوْ الْكَتَّانِ أَوْ
الْقَزِّ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ السِّلَعِ لَا يُعْلَمُ كَيْلُ شَيْءٍ
مِنْ ذَلِكَ وَلَا وَزْنُهُ وَلَا عَدَدُهُ فَيَقُولُ الرَّجُلُ لِرَبِّ تِلْكَ
السِّلْعَةِ كِلْ سِلْعَتَكَ هَذِهِ أَوْ مُرْ مَنْ يَكِيلُهَا أَوْ زِنْ مِنْ
ذَلِكَ مَا يُوزَنُ أَوْ عُدَّ مِنْ ذَلِكَ مَا كَانَ يُعَدُّ فَمَا نَقَصَ عَنْ
كَيْلِ كَذَا وَكَذَا صَاعًا لِتَسْمِيَةٍ يُسَمِّيهَا أَوْ وَزْنِ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا
أَوْ عَدَدِ كَذَا وَكَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ لَكَ
حَتَّى أُوفِيَكَ تِلْكَ التَّسْمِيَةَ فَمَا زَادَ عَلَى تِلْكَ التَّسْمِيَةِ
فَهُوَ لِي أَضْمَنُ مَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَكُونَ لِي مَا زَادَ
فَلَيْسَ ذَلِكَ بَيْعًا وَلَكِنَّهُ الْمُخَاطَرَةُ وَالْغَرَرُ وَالْقِمَارُ
يَدْخُلُ هَذَا لِأَنَّهُ لَمْ يَشْتَرِ مِنْهُ شَيْئًا بِشَيْءٍ أَخْرَجَهُ
وَلَكِنَّهُ ضَمِنَ لَهُ مَا سُمِّيَ مِنْ ذَلِكَ الْكَيْلِ أَوْ الْوَزْنِ أَوْ
الْعَدَدِ عَلَى أَنْ يَكُونَ لَهُ مَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ فَإِنْ نَقَصَتْ تِلْكَ
السِّلْعَةُ عَنْ تِلْكَ التَّسْمِيَةِ أَخَذَ مِنْ مَالِ صَاحِبِهِ مَا نَقَصَ
بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا هِبَةٍ طَيِّبَةٍ بِهَا نَفْسُهُ فَهَذَا يُشْبِهُ
الْقِمَارَ وَمَا كَانَ مِثْلُ هَذَا مِنْ الْأَشْيَاءِ فَذَلِكَ يَدْخُلُهُ
-قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ
الثَّوْبُ أَضْمَنُ لَكَ مِنْ ثَوْبِكَ هَذَا كَذَا وَكَذَا ظِهَارَةَ
قَلَنْسُوَةٍ قَدْرُ كُلِّ ظِهَارَةٍ كَذَا وَكَذَا لِشَيْءٍ يُسَمِّيهِ فَمَا
نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ حَتَّى أُوفِيَكَ وَمَا زَادَ فَلِي أَوْ
أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ أَضْمَنُ لَكَ مِنْ ثِيَابِكَ هَذِي كَذَا
وَكَذَا قَمِيصًا ذَرْعُ كُلِّ قَمِيصٍ كَذَا وَكَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ
فَعَلَيَّ غُرْمُهُ وَمَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ فَلِي أَوْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ
لِلرَّجُلِ لَهُ الْجُلُودُ مِنْ جُلُودِ الْبَقَرِ أَوْ الْإِبِلِ أُقَطِّعُ
جُلُودَكَ هَذِهِ نِعَالًا عَلَى إِمَامٍ يُرِيهِ إِيَّاهُ فَمَا نَقَصَ مِنْ
مِائَةِ زَوْجٍ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي بِمَا ضَمِنْتُ لَكَ
وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ عِنْدَهُ حَبُّ
الْبَانِ اعْصُرْ حَبَّكَ هَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا
فَعَلَيَّ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ عِنْدَهُ حَبُّ الْبَانِ اعْصُرْ
حَبَّكَ هَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا فَعَلَيَّ أَنْ
أُعْطِيَكَهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي فَهَذَا كُلُّهُ وَمَا أَشْبَهَهُ مِنْ
الْأَشْيَاءِ أَوْ ضَارَعَهُ مِنْ الْمُزَابَنَةِ الَّتِي لَا تَصْلُحُ وَلَا
تَجُوزُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْخَبَطُ أَوْ
النَّوَى أَوْ الْكُرْسُفُ أَوْ الْكَتَّانُ أَوْ الْقَضْبُ أَوْ الْعُصْفُرُ
أَبْتَاعُ مِنْكَ هَذَا الْخَبَطَ بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ خَبَطٍ يُخْبَطُ
مِثْلَ خَبَطِهِ أَوْ هَذَا النَّوَى بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ نَوًى مِثْلِهِ
وَفِي الْعُصْفُرِ وَالْكُرْسُفِ وَالْكَتَّانِ وَالْقَضْبِ مِثْلَ ذَلِكَ فَهَذَا
كُلُّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ الْمُزَابَنَةِ.
সায়ীদ ইবন
মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম মুযাবানা ও মুহাকালা হতে নিষেধ করেছেন। মুযাবানা হচ্ছে সুপক্ব খেজুরের বিনিময়ে
তাজা খেজুর ক্রয় করা। আর মুহাকালা হচ্ছে গমের বিনিময়ে ক্ষেত ক্রয় করা। এবং গমের
বিনিময়ে শস্যক্ষেত্র ভাড়া (ভাগ) নেয়া। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইবন শিহাব (রহঃ) বলেনঃ আমি সায়ীদ ইবন মুসায়্যাবের নিকট প্রশ্ন করলাম স্বর্ণ ও
রৌপ্যের বিনিময়ে ভূমি ভাড়া (ভাগ) গ্রহণ করা সম্পর্কে। তিনি (উত্তরে) বললেনঃ এতে
কোন ক্ষতি নেই (অর্থাৎ জায়েয আছে)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানাকে নিষেধ
করেছেন।
আর মুযাবানার তাফসীর হচ্ছে এই যে, অনুমানের যে কোন বস্তু যার পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা
অজ্ঞাত, উহাকে ক্রয় করা হয়েছে পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা দ্বারা সুনির্দিষ্ট বস্তুর
বিনিময়ে। যেমন এক ব্যক্তির গাদা করা খাদ্যদ্রব্য রয়েছে; গম, খুরমা অথবা ইহার সদৃশ
অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য যেগুলোর পরিমাণ অজ্ঞাত কিংবা এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে
আসবাব-বৃক্ষপত্র ও ঘাস গুটলী [ফলের আঁটি] ডাল-পালা, কুমকুম, তুলা, কাতান বস্ত্র,
কাঁচা রেশম, কিংবা এদের সদৃশ অন্য কোন সামগ্রী যেসবের কোন কিছুরই পরিমাণ, ওজন ও
সংখ্যা জ্ঞাত নয়, (উপরিউক্ত) খাদ্যদ্রব্য কিংবা আসবাবের মালিককে এক ব্যক্তি বলল,
আপনি কোন ব্যক্তিকে আপনার আসবাব পরিমাণ করার নির্দেশ দিন। কিংবা যা ওজন করার যোগ্য
তাকে ওজন করুন, অথবা যা গণনা করার উপযোগী তাকে গণনা করুন। এত এত সা’ হতে [১] যা
নির্ধারিত করা হয় উহা হতে যা কম হবে, কিংবা এত এত রতল [২] (অর্ধসের) ওজন হতে যা
ঘটে যাবে অথবা এত এত [৩] সংখ্যা হতে যত কম হবে উহার ক্ষতিপূরণ আমি করব সেই পরিমাণ
বা ওজন, কিংবা সংখ্যা যা নির্ধারিত হয়েছে তার। সেই পরিমাণ, ওজন কিংবা সংখ্যা পূর্ণ
হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আমার দায়িত্ব থাকবে। আর নির্ধারিত পরিমাণ, ওজন কিংবা
সংখ্যা হতে যা বাড়তি হবে তা হবে আমার প্রাপ্য। যে পরিমাণ কম হবে সে পরিমাণের
ক্ষতিপূরণের আমি জিম্মাদার থাকব এই শর্তে যে, যা বাড়তি হবে তা পরিমাণ কম হবে সে
পরিমাণ ক্ষতিপূরণের আমি জিম্মাদার থাকিব এই শর্তে যে, যাহা বাড়তি হবে তা আমার
প্রাপ্য হবে। এটা কোন বিক্রয় নয়। বরং এতে রয়েছে ঝুঁকি ও প্রতারণা আর জুয়াও এর
অন্তর্ভুক্ত। মুযাবানার মতো এটাও নিষিদ্ধ। কারণ নিজ হতে কোন মূল্য প্রদান করে কোন
বস্তু বিক্রেতা হতে ক্রয় করা হয়নি। কিন্তু সে আসবাবের মালিকের জন্য জামিন হয়েছে।
যে পরিমাণ, ওজন এবং সংখ্যা সে নির্ধারণ করেছে তা হতে বাড়তি হলে উহা সে পাবে, আর
নির্ধারিত পরিমাণ হতে সামান্য ঘাটতি হলে তবে ঘাটতি পূরণার্থে জামিনদারের মাল হতে
ঘাটতি পরিমাণ মাল গ্রহণ করবে। অথচ ইহা মূল্যও নয় এমন দানও নয় যা হৃষ্টচিত্তে দান
করা হয়েছে। তাই এটা জুয়া তুল্য, যেকোন (ক্রয়-বিক্রয় আদান-প্রদান) এইরূপ হবে, উহা
জুয়ার মতো হবে (এবং মুযাবানার মতো নিষিদ্ধ হবে)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুযাবানার অন্তর্গত এটাও- যে ব্যক্তির নিকট কাপড় আছে তাকে আর এক
ব্যক্তি বললঃ আপনার এই কাপড় হতে এত এত [ধরা যাক একশত কিংবা দুইশত] জামার বেষ্টনী ও
টুপী তৈরীর দায়িত্ব নিচ্ছি। প্রতিটি বেষ্টনীর পরিমাণ এত এত হবে যা নির্দিষ্ট রূপে
উল্লেখ করল। [৪] এই সংখ্যা হতে যা কম হবে তার জরিমানা আমার জিম্মায়। আমি উহা
আপনাকে পূর্ণ করে দিব, আর যা বাড়তি হবে তা হবে আমার। কিংবা এক ব্যক্তি অপর
ব্যক্তিকে বলল, আপনার এই কাপড় হতে এত এত কামিজ তৈরির ব্যাপারে আমি জামিন আছি,
প্রতিটি কামিজের আয়তন এত এত হবে, উহা হতে যতটুকু কমতি হবে উহার জরিমানা আমার উপর।
আর যা বাড়তি হবে তা আমার প্রাপ্য হবে। কিংবা যার কাছে গরু অথবা উটের চামড়া রয়েছে
তাকে কেউ বলল, আমি আপনার এইসব চামড়া হতে এই পরিমাণের যা দেখান হয়েছে জুতা তৈয়ার
করব। একশত জোড়ার কম যা হবে তার ক্ষতিপূরণ আমি করব। এই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব গ্রহণের
বিনিময়ে যা বাড়তি হবে উহা আমার হবে।
অনুরূপ এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে হাব্বুল-বানা [এক প্রকারের গাছ যার পাতা নিম গাছের
পাতার মত উহার ফলের বীজ দ্বারা তৈল প্রস্তুত করা হয়।] তাকে আর এক ব্যক্তি বলল,
আপনার এই বীজ আমি নিঙরিয়ে [তৈল বের করে] দিব। এত এত রাতল [অর্ধসের ওজনের একটি
পরিমাপ মাত্র] পরিমাণ হতে যা কমতি হবে উহার ক্ষতিপূরণ আমি আপনাকে আদায় করব। আর যা
অতিরিক্ত হবে তা আমার প্রাপ্য হবে। এই সব (যা উল্লেখ হয়েছে) এবং উহার সদৃশ
বস্তুসমূহ কিংবা যা এই সবের মতন হয় সব মুযাবানার অন্তর্ভুক্ত এবং তা অবৈধ। অনুরূপ
এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে ঘাস-পাতা, ফলের আঁটি, তুলা, কাতান বস্ত্র, ডাল পালা,
কুমকুম ইত্যাদি। অন্য এক ব্যক্তি সেই ব্যক্তিকে বলল, আমি আপনার নিকট এই ঘাসপাতা এত
এত সা’ অনুরূপ ঘাসের বিনিময়ে ক্রয় করলাম, কিংবা এই ফলের আঁটিগুলো এত এত সা’ অনুরূপ
ফলের আঁটির বিনিময়ে ক্রয় করলাম। এইরূপভাবে কুমকুম, তুলা, কাতান এবং ডাল-পালার ব্যাপারেও
বলা হল। এই সবই আমাদের (সাবেক) বর্ণিত মুযাবানার অন্তর্ভুক্ত হবে।
[১] দৃষ্টান্তস্বরূপ পাঁচ সা’ হতে যা কম হবে।
[২] কিংবা দশ রতল হতে যা কম হবে।
[৩] একশত ডিম হতে কম হলে। দুইশত চৌত্রিশ তোলাতে এক সা’ হয়, এহা একটি পরিমাণ পাত্র।
রতল একটি পাত্র বিশেষ, অর্ধসের পরিমাণ ওজনের কম বা অন্যান্য বস্তুর উহাতে গুনজায়েশ
হয়। -লুগাতে-কিশওয়ারী.
[৪] যেমন দশ আঙ্গুল বা বিশ আঙ্গুল।
পরিচ্ছেদ
১৪ :
ফল বিক্রয় সম্পর্কীয়
বিবিধ বর্ণনা
১২৯২
قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى ثَمَرًا مِنْ نَخْلٍ
مُسَمَّاةٍ أَوْ حَائِطٍ مُسَمًّى أَوْ لَبَنًا مِنْ غَنَمٍ مُسَمَّاةٍ إِنَّهُ
لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا كَانَ يُؤْخَذُ عَاجِلًا يَشْرَعُ الْمُشْتَرِي فِي
أَخْذِهِ عِنْدَ دَفْعِهِ الثَّمَنَ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ
رَاوِيَةِ زَيْتٍ يَبْتَاعُ مِنْهَا رَجُلٌ بِدِينَارٍ أَوْ دِينَارَيْنِ
وَيُعْطِيهِ ذَهَبَهُ وَيَشْتَرِطُ عَلَيْهِ أَنْ يَكِيلَ لَهُ مِنْهَا فَهَذَا
لَا بَأْسَ بِهِ فَإِنْ انْشَقَّتْ الرَّاوِيَةُ فَذَهَبَ زَيْتُهَا فَلَيْسَ
لِلْمُبْتَاعِ إِلَّا ذَهَبُهُ وَلَا يَكُونُ بَيْنَهُمَا بَيْعٌ وَأَمَّا كُلُّ
شَيْءٍ كَانَ حَاضِرًا يُشْتَرَى عَلَى وَجْهِهِ مِثْلُ اللَّبَنِ إِذَا حُلِبَ
وَالرُّطَبِ يُسْتَجْنَى فَيَأْخُذُ الْمُبْتَاعُ يَوْمًا بِيَوْمٍ فَلَا بَأْسَ
بِهِ فَإِنْ فَنِيَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَ الْمُشْتَرِي مَا اشْتَرَى رَدَّ عَلَيْهِ
الْبَائِعُ مِنْ ذَهَبِهِ بِحِسَابِ مَا بَقِيَ لَهُ أَوْ يَأْخُذُ مِنْهُ
الْمُشْتَرِي سِلْعَةً بِمَا بَقِيَ لَهُ يَتَرَاضَيَانِ عَلَيْهَا وَلَا
يُفَارِقُهُ حَتَّى يَأْخُذَهَا فَإِنْ فَارَقَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ
لِأَنَّهُ يَدْخُلُهُ الدَّيْنُ بِالدَّيْنِ وَقَدْ نُهِيَ عَنْ الْكَالِئِ
بِالْكَالِئِ فَإِنْ وَقَعَ فِي بَيْعِهِمَا أَجَلٌ فَإِنَّهُ مَكْرُوهٌ وَلَا
يَحِلُّ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَلَا نَظِرَةٌ وَلَا يَصْلُحُ إِلَّا بِصِفَةٍ
مَعْلُومَةٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَيَضْمَنُ ذَلِكَ الْبَائِعُ لِلْمُبْتَاعِ
وَلَا يُسَمَّى ذَلِكَ فِي حَائِطٍ بِعَيْنِهِ وَلَا فِي غَنَمٍ بِأَعْيَانِهَا
و سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَشْتَرِي مِنْ الرَّجُلِ الْحَائِطَ فِيهِ
أَلْوَانٌ مِنْ النَّخْلِ مِنْ الْعَجْوَةِ وَالْكَبِيسِ وَالْعَذْقِ وَغَيْرِ
ذَلِكَ مِنْ أَلْوَانِ
التَّمْرِ فَيَسْتَثْنِي مِنْهَا ثَمَرَ النَّخْلَةِ أَوْ النَّخَلَاتِ
يَخْتَارُهَا مِنْ نَخْلِهِ فَقَالَ مَالِك ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ إِذَا
صَنَعَ ذَلِكَ تَرَكَ ثَمَرَ النَّخْلَةِ مِنْ الْعَجْوَةِ وَمَكِيلَةُ ثَمَرِهَا
خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَأَخَذَ مَكَانَهَا ثَمَرَ نَخْلَةٍ مِنْ الْكَبِيسِ
وَمَكِيلَةُ ثَمَرِهَا عَشَرَةُ أَصْوُعٍ أَوْ أَخَذَ الْعَجْوَةَ الَّتِي فِيهَا
خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَتَرَكَ الَّتِي فِيهَا عَشْرَةُ أَصْوُعٍ مِنْ
الْكَبِيسِ فَكَأَنَّهُ اشْتَرَى الْعَجْوَةَ بِالْكَبِيسِ مُتَفَاضِلًا وَذَلِكَ
مِثْلُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ بَيْنَ يَدَيْهِ صُبَرٌ مِنْ التَّمْرِ
قَدْ صَبَّرَ الْعَجْوَةَ فَجَعَلَهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَجَعَلَ صُبْرَةَ
الْكَبِيسِ عَشَرَةَ آصُعٍ وَجَعَلَ صُبْرَةَ الْعَذْقِ اثْنَيْ عَشَرَ صَاعًا فَأَعْطَى
صَاحِبَ التَّمْرِ دِينَارًا عَلَى أَنَّهُ يَخْتَارُ فَيَأْخُذُ أَيَّ تِلْكَ
الصُّبَرِ شَاءَ قَالَ مَالِك فَهَذَا لَا يَصْلُحُ
و سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَشْتَرِي الرُّطَبَ مِنْ صَاحِبِ الْحَائِطِ
فَيُسْلِفُهُ الدِّينَارَ مَاذَا لَهُ إِذَا ذَهَبَ رُطَبُ ذَلِكَ الْحَائِطِ
قَالَ مَالِك يُحَاسِبُ صَاحِبَ الْحَائِطِ ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ لَهُ مِنْ
دِينَارِهِ إِنْ كَانَ أَخَذَ بِثُلُثَيْ دِينَارٍ رُطَبًا أَخَذَ ثُلُثَ
الدِّينَارِ الَّذِي بَقِيَ لَهُ وَإِنْ كَانَ أَخَذَ ثَلَاثَةَ أَرْبَاعِ
دِينَارِهِ رُطَبًا أَخَذَ الرُّبُعَ الَّذِي بَقِيَ لَهُ أَوْ يَتَرَاضَيَانِ
بَيْنَهُمَا فَيَأْخُذُ بِمَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِينَارِهِ عِنْدَ صَاحِبِ
الْحَائِطِ مَا بَدَا لَهُ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ تَمْرًا أَوْ سِلْعَةً
سِوَى التَّمْرِ أَخَذَهَا بِمَا فَضَلَ لَهُ فَإِنْ أَخَذَ تَمْرًا أَوْ سِلْعَةً
أُخْرَى فَلَا يُفَارِقْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ ذَلِكَ مِنْهُ
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا هَذَا بِمَنْزِلَةِ أَنْ يُكْرِيَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ
رَاحِلَةً بِعَيْنِهَا أَوْ يُؤَاجِرَ غُلَامَهُ الْخَيَّاطَ أَوْ النَّجَّارَ أَوْ
الْعَمَّالَ لِغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ الْأَعْمَالِ أَوْ يُكْرِيَ مَسْكَنَهُ
وَيَسْتَلِفَ إِجَارَةَ ذَلِكَ الْغُلَامِ أَوْ كِرَاءَ ذَلِكَ الْمَسْكَنِ أَوْ
تِلْكَ الرَّاحِلَةِ ثُمَّ يَحْدُثُ فِي ذَلِكَ حَدَثٌ بِمَوْتٍ أَوْ غَيْرِ
ذَلِكَ فَيَرُدُّ رَبُّ الرَّاحِلَةِ أَوْ الْعَبْدِ أَوْ الْمَسْكَنِ إِلَى
الَّذِي سَلَّفَهُ مَا بَقِيَ مِنْ كِرَاءِ الرَّاحِلَةِ أَوْ إِجَارَةِ الْعَبْدِ
أَوْ كِرَاءِ الْمَسْكَنِ يُحَاسِبُ صَاحِبَهُ بِمَا اسْتَوْفَى مِنْ ذَلِكَ إِنْ
كَانَ اسْتَوْفَى نِصْفَ حَقِّهِ رَدَّ عَلَيْهِ النِّصْفَ الْبَاقِيَ الَّذِي
لَهُ عِنْدَهُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ
يَرُدُّ إِلَيْهِ مَا بَقِيَ لَهُ
قَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ التَّسْلِيفُ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذَا يُسَلَّفُ فِيهِ
بِعَيْنِهِ إِلَّا أَنْ يَقْبِضَ الْمُسَلِّفُ مَا سَلَّفَ فِيهِ عِنْدَ دَفْعِهِ
الذَّهَبَ إِلَى صَاحِبِهِ يَقْبِضُ الْعَبْدَ أَوْ الرَّاحِلَةَ أَوْ الْمَسْكَنَ
أَوْ يَبْدَأُ فِيمَا اشْتَرَى مِنْ الرُّطَبِ فَيَأْخُذُ مِنْهُ عِنْدَ دَفْعِهِ
الذَّهَبَ إِلَى صَاحِبِهِ لَا يَصْلُحُ أَنْ يَكُونَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ
تَأْخِيرٌ وَلَا أَجَلٌ
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ
لِلرَّجُلِ أُسَلِّفُكَ فِي رَاحِلَتِكَ فُلَانَةَ أَرْكَبُهَا فِي الْحَجِّ
وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَجِّ أَجَلٌ مِنْ الزَّمَانِ أَوْ يَقُولَ مِثْلَ ذَلِكَ
فِي الْعَبْدِ أَوْ الْمَسْكَنِ فَإِنَّهُ إِذَا صَنَعَ ذَلِكَ كَانَ إِنَّمَا
يُسَلِّفُهُ ذَهَبًا عَلَى أَنَّهُ إِنْ وَجَدَ تِلْكَ الرَّاحِلَةَ صَحِيحَةً
لِذَلِكَ الْأَجَلِ الَّذِي سَمَّى لَهُ فَهِيَ لَهُ بِذَلِكَ الْكِرَاءِ وَإِنْ
حَدَثَ بِهَا حَدَثٌ مِنْ مَوْتٍ أَوْ غَيْرِهِ رَدَّ عَلَيْهِ ذَهَبَهُ وَكَانَتْ
عَلَيْهِ عَلَى وَجْهِ السَّلَفِ عِنْدَهُ
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فَرَقَ بَيْنَ ذَلِكَ الْقَبْضُ مَنْ قَبَضَ مَا
اسْتَأْجَرَ أَوْ اسْتَكْرَى فَقَدْ خَرَجَ مِنْ الْغَرَرِ وَالسَّلَفِ الَّذِي
يُكْرَهُ وَأَخَذَ أَمْرًا مَعْلُومًا وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ أَنْ يَشْتَرِيَ
الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَيَقْبِضَهُمَا وَيَنْقُدَ
أَثْمَانَهُمَا فَإِنْ حَدَثَ بِهِمَا حَدَثٌ مِنْ عُهْدَةِ السَّنَةِ أَخَذَ
ذَهَبَهُ مِنْ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَ مِنْهُ فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ
وَبِهَذَا مَضَتْ السُّنَّةُ فِي بَيْعِ الرَّقِيقِ
قَالَ مَالِك وَمَنْ اسْتَأْجَرَ عَبْدًا بِعَيْنِهِ أَوْ تَكَارَى رَاحِلَةً
بِعَيْنِهَا إِلَى أَجَلٍ يَقْبِضُ الْعَبْدَ أَوْ الرَّاحِلَةَ إِلَى ذَلِكَ
الْأَجَلِ فَقَدْ عَمِلَ بِمَا لَا يَصْلُحُ لَا هُوَ قَبَضَ مَا اسْتَكْرَى أَوْ
اسْتَأْجَرَ وَلَا هُوَ سَلَّفَ فِي دَيْنٍ يَكُونُ ضَامِنًا عَلَى صَاحِبِهِ
حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ
أَنْ أُعْطِيَكَهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي فَهَذَا كُلُّهُ وَمَا أَشْبَهَهُ مِنْ
الْأَشْيَاءِ أَوْ ضَارَعَهُ مِنْ الْمُزَابَنَةِ الَّتِي لَا تَصْلُحُ وَلَا
تَجُوزُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْخَبَطُ أَوْ
النَّوَى أَوْ الْكُرْسُفُ أَوْ الْكَتَّانُ أَوْ الْقَضْبُ أَوْ الْعُصْفُرُ
أَبْتَاعُ مِنْكَ هَذَا الْخَبَطَ بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ خَبَطٍ يُخْبَطُ
مِثْلَ خَبَطِهِ أَوْ هَذَا النَّوَى بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ نَوًى مِثْلِهِ
وَفِي الْعُصْفُرِ وَالْكُرْسُفِ وَالْكَتَّانِ وَالْقَضْبِ مِثْلَ ذَلِكَ فَهَذَا
كُلُّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ الْمُزَابَنَةِ
মালিক (রহঃ) বলেনঃ
থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট খেজুর গাছের
খেজুর খরিদ করেছে কিংবা নির্দিষ্ট বাগানের ফল খরিদ করেছে অথবা নির্দিষ্ট বকরীর দুধ
ক্রয় করেছে, নগদ অর্থে গ্রহণ করা হলে এতে কোন নিষেধ নেই। ক্রেতা মূল্য যখন আদায়
করবে তখন অধিকারেও আনবে।
এর সদৃশ (বিষয়) এই, যেমন একটি তৈলপাত্র রয়েছে। উহা হতে এক ব্যক্তি এক দীনার কিংবা
দুই দীনারের তৈল খরিদ করল এবং উহার মূল্য বিক্রেতাকে আদায় করল, তার উপর শর্তারোপ
করল যে, এই তৈলপাত্র হতে ক্রেতাকে তৈল ওজন করে দেবে। এতে কোন নিষেধ নেই। তারপর যদি
তৈলপাত্র ফেটে যায় এবং উহার তৈল নিঃশেষ হয়ে যায়, তবে ক্রেতা শুধু মূল্য ফেরত পাবে।
তাদের উভয়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হবে না। [১]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেকোন উপস্থিত দ্রব্য যাকে উহার রীতি অনুযায়ী ক্রয় করা হয়,
যেমন-দুধ দোহন করার পর, খেজুর পরিপক্ব হওয়ার পর ক্রেতা দৈনিক উহা গ্রহণ করবে। এতে
কোন ক্ষতি নেই। যদি বিক্রিত মাল পুরাপুরি কব্জা করার পূর্বে নিঃশেষ হয়ে যায়, তবে
যেই পরিমাণ অবশিষ্ট রয়েছে হিসাব মতো উহার মূল্য বিক্রেতা ক্রেতাকে ফেরত দিবে,
কিংবা উভয়ের সন্তুষ্টিতে অবশিষ্ট দ্রব্যের মূল্য বাবদ অন্য কোন বস্তু ক্রেতা গ্রহণ
করবে এবং সেই বস্তু কব্জা না করে ক্রেতা পৃথক হবে না। পৃথক হলে মাকরূহ হবে, কারণ
সে এক ঋণের মধ্যে অন্য এক ঋণ প্রবেশ করাল। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ধারের বিনিময়ে ধার বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
উহাদের ক্রয়-বিক্রয়ে যদি সময় দেয়া থাকে তবে উহা মাকরূহ হবে। এতে কোন প্রকার বিলম্ব
জায়েয হবে না এবং সময় দেয়া যাবে না। বিলম্বে বিক্রয়ে সময় এবং দ্রব্য নির্দিষ্ট
হবে। বিক্রেতা সেই নির্দিষ্ট দ্রব্য ক্রেতাকে সোপর্দ করার জন্য দায়ী থাকবে। বিশেষ
বাগান বা বিশেষ বকরী নির্দিষ্ট করা চলবে না। [২]
মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি কোন লোক হতে একটি
বাগান ক্রয় করল যাতে রয়েছে বিভিন্ন জাতের খেজুর বৃক্ষ, ‘আজওয়াহ’ [৩], কবীস [৪]
‘আজক’ [৫] ইত্যাদি নানা রকমের খেজুরের গাছ। বিক্রেতা আপন বাগান হতে একটি কিংবা
কয়েকটি খেজুর গাছ (নিজের জন্য) আলাদা করে রাখল। [এই কয়টি খেজুর বৃক্ষ নিজে রাখবে]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা তার জন্য জায়েয হবে না। কারণ সে যদি এইরূপ করে তবে সে
‘আজওয়াহ’ খেজুর বৃক্ষ ছেড়ে দিল যার খেজুরের পরিমাণ হল পনের সা’ এবং উহার স্থলে
কবীস গ্রহণ করল যার খেজুরের পরিমাণ হল দশ সা’ [৬]। আর যদি ‘আজওয়াহ্ গ্রহণ করল যার
পরিমাণ পনের সা’ এবং যেই বৃক্ষে দশ সা’ কবীস রয়েছে উহা ছেড়ে দিল [ক্রেতার জন্য]।
তবে সে যেন কবীসের বিনিময়ে ‘আজওয়াহ্ ক্রয় করল, এতে পরিমাণে বেশ-কম হয়ে গেল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর দৃষ্টান্ত এইরূপ, যেমন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলল, যার
সম্মুখে কয়েকটি খেজুরের স্তূপ রয়েছে; ‘আজওয়ার স্তূপ করেছে পনের সা’, আর কবীসের
স্তূপ করেছে দশ সা’, ‘আজক-এর স্তূপ করেছে বার সা’-ক্রেতা খেজুরের মালিককে এক দীনার
প্রদান করলেন এবং শর্ত করলেন যে, যেই স্তূপ তার ইচ্ছা সে পছন্দ করে নিবে। মালিক
(রহঃ) বলেন, এটা জায়েয হবে না। [৭]
মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে ব্যক্তি খেজুর ক্রয় করেছে
বাগানের মালিকের নিকট হতে, অতঃপর উহাকে এক দীনার অগ্রিম দিল। যদি সেই বাগানের
খেজুর নষ্ট হয়ে যায়, তবে ক্রেতা (তার দীনারের বিনিময়ে) কি পাবে? মালিক (রহঃ)
উত্তরে বললেন- ক্রেতা বাগানের মালিকের সাথে হিসাব করবে, তারপর দীনার হতে যা
প্রাপ্য থাকে তা বিক্রেতা হতে আদায় করবে। (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রেতা যদি (খেজুর
নষ্ট হওয়ার পূর্বে) দীনারের দুই-তৃতীয়াংশ পরিমাণ খেজুর আদায় করে থাকেন তবে (এখন
নষ্ট হওয়ার পর) দীনারের অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ উশুল করবে। আর যদি দীনারের
তিন-চতুর্থাংশ পরিমাণ খেজুর আদায় করে থাকে তবে অবশিষ্ট এক-চতুর্থাংশ [বিক্রেতা
হতে] উশুল করবে। কিংবা তারা উভয়ে পরস্পরের সন্তুষ্টিতে (বিষয়) নিষ্পত্তি করে নিবে;
ক্রেতা অবশিষ্ট দীনারের বিনিময়ে বাগানের মালিক হতে তার খুশীমত দ্রব্য গ্রহণ করবে;
খেজুর পছন্দ হলে খেজুর গ্রহণ করবে অথবা খেজুর ব্যতীত অন্য কোন দ্রব্য অবশিষ্ট
দীনারের বিনিময়ে উহা গ্রহণ করবে। ক্রেতা যদি খেজুর কিংবা অন্য দ্রব্য গ্রহণ করে
তবে উহা পূর্ণ অধিকারে না আনা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতা হতে পৃথক হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা এইরূপ যেমন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট ভারবাহী বা
যাত্রীবাহী নির্দিষ্ট উট ভাড়াতে দিল অথবা নিজের দর্জি কিংবা ছুতার কিংবা শ্রমিক
ক্রীতদাসকে ভিন্ন কাজের জন্য ভাড়ায় দিল। অথবা নিজের ঘর ভাড়ায় দিল এবং গোলাম
ইজারাতে দেয়ার অর্থ কিংবা ঘরভাড়া কিংবা ভারবাহী বা যাত্রীবাহী সেই উটের ভাড়া
অগ্রিম আদায় করল, তারপর এতে মৃত্যু বা অন্য কোন দুর্যোগ ঘটল। তবে উটের মালিক
কিংবা গোলামের কর্তা অথবা বাড়ীর মালিক, উটের ভাড়া, কিংবা গোলামের ইজারা অথবা বাড়ি
ভাড়ার অবশিষ্ট অর্থ অগ্রিমদাতাকে ফেরত দিবে। ভাড়াদাতা ভাড়া গ্রহীতার সাথে হিসাব
করে দেখবে কি পরিমাণ সে গ্রহণ করেছে; যদি সে তার অর্ধেক হক গ্রহণ করিয়া থাকে তবে
ভাড়াদাতা অবশিষ্ট অর্ধেক ভাড়া গ্রহীতাকে ফেরত দিবে। আর যদি অর্ধেক কিংবা বেশি হয়
তবে সেই হিসাব মত যা অবশিষ্ট রয়েছে উহা ভাড়া গ্রহীতাকে ফেরত দিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরোল্লিখিত এই সবের কোনটিতে অগ্রিম দেয়া জায়েয নয়, নির্দিষ্ট
কোন বস্তুতে অগ্রিম প্রদান করল (এটা জায়েয নয়) কিন্তু যে বস্তুর জন্য অগ্রিম
দিচ্ছে অগ্রিম অর্থ দেয়ার সময় অগ্রিমদাতা যদি সেই বস্তু অধিকার করে থাকে;
ক্রীতদাস, কিংবা ভারবাহী বা যাত্রীবাহী উট কিংবা বাড়ির দখল নেয় অথবা বিক্রেতার
নিকট অর্থ দেয়ার সময় অগ্রিমদাতা যে খেজুর ক্রয় করেছে উহা অধিকার করে। এই সবের
কোনটির ব্যাপারে বিলম্ব করা বা সময় দান করা জায়েয হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ (অগ্রিম প্রদানে) মাকরূহ, এর ব্যাখ্যা হল এই, একজন লোক অন্য
একজনকে বলল, আপনার অমুক সাওয়ারীর উট বাবদ আমি আপনাকে (এত টাকা) অগ্রিম দিচ্ছি
উদ্দেশ্য হচ্ছে হজ্জে যাওয়া। (তখন) হজ্জের সময় অনেক দূরে রয়েছে অথবা অনুরূপ বলল,
ক্রীতদাস কিংবা ঘর সম্পর্কে। এইরূপ করলে সে ব্যক্তি যেন স্বর্ণ (অর্থ) অগ্রিম
দিচ্ছে এই শর্তের উপর যদি সেই সওয়ারীর উট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিখুঁত থাকে তবে
উহা অগ্রিমদাতার হবে সেই ভাড়াতে। আর যদি সেই সওয়ারীর মৃত্যু হয় বা অন্য কোন
দুর্ঘটনা ঘটে, তবে উহার মালিক অগ্রিমদাতার অর্থ ফেরত দিবে। এই অর্থ তার নিকট
নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত ঋণস্বরূপ ছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরিউক্ত অধিকার ও এই অধিকারের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান; তা হল
ইজারায় গৃহীত বস্তু বা ভাড়াকৃত বস্তু (সাথে সাথে) কব্জা করে নেয়, এতে ধোঁকা হতে
এবং অবৈধ ঋণ হতে নিরাপদে থাকা যায় এবং সে একটি নির্দিষ্ট বস্তু গ্রহণ করল। এর
দৃষ্টান্ত এইরূপ- এক ব্যক্তি কোন ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী খরিদ করল এবং উভয়ে দখল
নিল। (সাথে সাথে) উভয়ের মূল্য পরিশোধ করে দিল। (এর পর) যদি উভয়ের মধ্যে বার্ষিক
জিম্মাদারী সংক্রান্ত কোন আপদ দেখা দেয়, তবে বিক্রেতা হতে অর্থ ফেরত নিবে। এতে কোন
দোষ নেই। ক্রীতদাস বিক্রয়ের বিষয়ে এটাই প্রচলিত সুন্নাত (নিয়ম)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট ক্রীতদাস ইজারা নিয়েছে, অথবা কোন পশু
ভাড়াতে গ্রহণ করেছে, কব্জার জন্য সময় নির্ধারিত করেছে, ইহা সে অবৈধ কার্য সম্পাদন
করেছে, কারণ গ্রহীতা ইজারা নেওয়া ক্রীতদাস বা ভাড়া করা পশুকে দখলে আনেনি। আর সে
এমন কোন ঋণও দেয়নি যে ঋণের জন্য ইজারা বা ভাড়াদাতা তাবৎ জামিন থাকে যাবত গ্রহীতা
পূর্ণরূপে উহাকে অধিকারে না আনে।
[১]
এটি এমন যে, বিক্রিত পণ্যদ্রব্যের মূল্য বিক্রেতার জন্য ঋণস্বরূপ রয়েছে। আর বিক্রিত
পণ্যদ্রব্য যাকে ক্রেতা নিজ অধিকারে আনেনি সেটা বিক্রেতার নিকট ঋণস্বরূপ রয়েছে। এটাই
হল এক ঋণের মধ্যে আরেক ঋণ।
[২] কারণ হয়ত সে বাগানের ফল দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বকরীর দুধ নিঃশেষ
হয়ে যেতে পারে।
[৩] মাজমা’-এ বর্ণিত হইয়াছেÑ মদীনার খেজুরের মধ্যে সর্বোত্তম
খেজুর ‘আজওয়াহ্। ইহা জান্নাতী খেজুর। রাসূলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
পবিত্র হস্তে এই জাতের খেজুর বৃক্ষ রোপণ করা হয়। ইহা ঈষৎ কালো বর্ণের হয়।
[৪] এটা উত্তম খেজুরের এক জাত। কেউ কেউ উহাকে ‘আজওয়ার উর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন।
[৫] এটাও খেজুরের এক জাত। ‘আজ্ক কয়েক প্রকারের হয় যেমন- ক. ‘আজ্ক-এ ইবনুল হুবাইক, খ.
‘আজ্ক-এ ইব্ন তাবাত, গ. ‘আজ্ক-এ ইব্ন যায়দ।
[৬] এটি সুদ হল, কারণ সে পরিমাণে বেশ-কম করে ‘আজওয়ার বিনিময়ে কবীস গ্রহণ করেছে।
[৭] পরিমাণে বেশি-কম হওয়ার কারণে।
পরিচ্ছেদ
১৫ :
ফল বিক্রয়
১২৯৩
قَالَ
مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ ابْتَاعَ شَيْئًا
مِنْ الْفَاكِهَةِ مِنْ رَطْبِهَا أَوْ يَابِسِهَا فَإِنَّهُ لَا يَبِيعُهُ حَتَّى
يَسْتَوْفِيَهُ وَلَا يُبَاعُ شَيْءٌ مِنْهَا بَعْضُهُ بِبَعْضٍ إِلَّا يَدًا
بِيَدٍ وَمَا كَانَ مِنْهَا مِمَّا يَيْبَسُ فَيَصِيرُ فَاكِهَةً يَابِسَةً
تُدَّخَرُ وَتُؤْكَلُ فَلَا يُبَاعُ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ إِلَّا يَدًا بِيَدٍ
وَمِثْلًا بِمِثْلٍ إِذَا كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ فَإِنْ كَانَ مِنْ صِنْفَيْنِ
مُخْتَلِفَيْنِ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُبَاعَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا
بِيَدٍ وَلَا يَصْلُحُ إِلَى أَجَلٍ وَمَا كَانَ مِنْهَا مِمَّا لَا يَيْبَسُ
وَلَا يُدَّخَرُ وَإِنَّمَا يُؤْكَلُ رَطْبًا كَهَيْئَةِ الْبِطِّيخِ
وَالْقِثَّاءِ وَالْخِرْبِزِ وَالْجَزَرِ وَالْأُتْرُجِّ وَالْمَوْزِ
وَالرُّمَّانِ وَمَا كَانَ مِثْلَهُ وَإِنْ يَبِسَ لَمْ يَكُنْ فَاكِهَةً بَعْدَ
ذَلِكَ وَلَيْسَ هُوَ مِمَّا يُدَّخَرُ وَيَكُونُ فَاكِهَةً قَالَ فَأَرَاهُ
حَقِيقًا أَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا
بِيَدٍ فَإِذَا لَمْ يَدْخُلْ فِيهِ شَيْءٌ مِنْ الْأَجَلِ فَإِنَّهُ لَا بَأْسَ
بِهِ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এই
বিষয়ে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, যে ব্যক্তি কোন ফল, তাজা হোক বা শুষ্ক
হোক, ক্রয় করে, তবে উহাতে পূর্ণ কব্জা না করা পর্যন্ত উহা বিক্রয় করবে না। আর ফলের
এক অংশকে অপর অংশের বিনিময়ে নগদ ছাড়া বিক্রয় করবে না। আর যেই ফলকে শুকানো হয়,
শুকিয়ে শুষ্ক ফল হিসেবে সঞ্চয় করে রাখা হয় এবং খাওয়া হয়- সেই সব ফলের এক অংশকে অপর
অংশের বিনিময়ে নগদ এবং সমপরিমাণ ছাড়া বিক্রয় করা যাবে না যদি একই জাতের হয়। তবে
যদি পরস্পর ভিন্ন দুই জাতের ফল হয় তা হলে সেই ফলের একটির বিনিময়ে দুটি বিক্রয়
করাতে নগদ হলে এতে কোন দোষ নেই। ধারে বিক্রয় করা জায়েয হবে না। আর যেই সব ফল
শুকানো হয় না এবং সঞ্চয়ও করা হয় না বরং উহা তাজা খাওয়া হয়; যেমন তরমুজ, ক্ষিরাই,
খরবুযা, লেবু, কলা, গাজর, আনার, আরও যা এই জাতীয় ফল আছে। এইসব ফল বেশি পাকলে
(আহারযোগ্য) থাকে না এবং এইসব ফল শুষ্করূপে সঞ্চিতও রাখা হয় না। এই ফলের ব্যাপারে
আমি এক জাতের হইলেও একের বিনিময়ে দুই গ্রহণ করা নগদ বৈধ বলে মনে করি, যদি ধারে না
হয় তবে এতে কোন দোষ নেই।
পরিচ্ছেদ
১৬ :
রৌপ্যের বিনিময়ে
স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হোক, ঢালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হোক
১২৯৪
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ أَمَرَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّعْدَيْنِ أَنْ يَبِيعَا آنِيَةً مِنْ
الْمَغَانِمِ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ فَبَاعَا كُلَّ ثَلَاثَةٍ بِأَرْبَعَةٍ
عَيْنًا أَوْ كُلَّ أَرْبَعَةٍ بِثَلَاثَةٍ عَيْنًا فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَيْتُمَا فَرُدَّا.
ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় সা’দকে [১] গনীমতের স্বর্ণ কিংবা রৌপ্যের
বাসন [২] বিক্রয় করার নির্দেশ দিলেন। তাঁরা উভয়ে তিনটি বাসন চার দীনারের বিনিময়ে
অথবা [রাবী বলেছেন] প্রতি চারটি বাসন তিন দীনারের বিনিময়ে বিক্রয় করলেন।
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, তোমরা সুদের ব্যবসা
করেছ। তাই তোমরা ইহা ফিরিয়ে দাও। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] উভয় সা’দ অর্থে এই স্থলে হযরত সা’দ ইব্নু আবিন ওয়াক্কাস
(রা) এবং সা’দ ইব্নু উবাদা (রা)-কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
[২] খায়বর-এর গনীমতে প্রাপ্ত বাসনসমূহ।
১২৯৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي تَمِيمٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ
سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الدِّينَارُ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمُ بِالدِّرْهَمِ
لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- দীনারের বিনিময়ে দীনার, দিরহামের বিনিময়ে
দিরহাম, এতদুভয়ের মধ্যে বাড়তি ক্রয়-বিক্রয় চলবে না। (সহীহ, মুসলিম ১৫৮৮)
১২৯৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ
بِالذَّهَبِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ
وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا
بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا مِنْهَا شَيْئًا غَائِبًا بِنَاجِزٍ.
আবূ সা’ঈদ খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, স্বর্ণকে স্বর্ণের বিনিময়ে সমান সমান
ছাড়া বিক্রয় করো না এবং স্বর্ণের এক অংশকে অন্য অংশের বিনিময়ে বাড়তি বিক্রয় করো
না। (অনুরূপ) চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করো না এবং উহার এক
অংশকে অপর অংশের বিনিময়ে বাড়তি বিক্রি করো না, আর উহা হতে নগদের বিনিময়ে বাকী
বিক্রয় করো না। (বুখারী ২১৭৭, মুসলিম ১৫৮৪)
১২৯৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ عَنْ مُجَاهِدٍ
أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَجَاءَهُ صَائِغٌ فَقَالَ
لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي أَصُوغُ الذَّهَبَ ثُمَّ أَبِيعُ
الشَّيْءَ مِنْ ذَلِكَ بِأَكْثَرَ مِنْ وَزْنِهِ فَأَسْتَفْضِلُ مِنْ ذَلِكَ
قَدْرَ عَمَلِ يَدِي فَنَهَاهُ عَبْدُ اللهِ عَنْ ذَلِكَ فَجَعَلَ الصَّائِغُ
يُرَدِّدُ عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةَ وَعَبْدُ اللهِ يَنْهَاهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى
بَابِ الْمَسْجِدِ أَوْ إِلَى دَابَّةٍ يُرِيدُ أَنْ يَرْكَبَهَا ثُمَّ قَالَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الدِّينَارُ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمُ بِالدِّرْهَمِ
لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا هَذَا عَهْدُ نَبِيِّنَا إِلَيْنَا وَعَهْدُنَا
إِلَيْكُمْ.
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমি
(একবার) আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। একজন স্বর্ণকার তাঁর কাছে
উপস্থিত হয়ে বলল- হে আবূ আবদির রহমান! আমি স্বর্ণে কারুকার্যের কাজ করি, অতঃপর
উহার ওজনের চাইতে অধিক ওজনে বিক্রয় করি; এতে আমি শ্রম অনুযায়ী বাড়তি গ্রহণ করতে
পারি কি? আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) তাকে নিষেধ করলেন। স্বর্ণকার এই মাসআলা তাঁর
কাছে বারবার পেশ করছিল আর আবদুল্লাহ্ (রাঃ) তাকে নিষেধ করছিলেন। এইভাবে মসজিদের
দ্বারপ্রান্তে কিংবা যে সওয়ারীতে আরোহণ করলেন উহার কাছে উপনীত হলেন। অতঃপর
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) বললেন, দীনার দীনারের বিনিময়ে এবং দীরহাম দীরহামের
বিনিময়ে, এতদুভয়ের মধ্যে বাড়তি (ক্রয়-বিক্রয়) বৈধ নয়। ইহা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওসীয়ত আমাদের প্রতি এবং আমাদের ওসীয়তও (ইহাই) তোমাদের
প্রতি। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১২৯৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ جَدِّهِ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ
أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَبِيعُوا الدِّينَارَ بِالدِّينَارَيْنِ وَلَا
الدِّرْهَمَ بِالدِّرْهَمَيْنِ.
উসমান ইবন আফফান
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তোমরা এক দীনারকে দুই
দীনারের বিনিময়ে এবং এক দিরহামকে দুই দিরহামের বিনিময়ে বিক্রয় করো না। (সহীহ, ইমাম
মুসলিম অন্য মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন ১৫৮৫, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত
সনদটিতে ==== তথা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।)
১২৯৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ
أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ بَاعَ سِقَايَةً مِنْ ذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ
بِأَكْثَرَ مِنْ وَزْنِهَا فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذَا إِلَّا مِثْلًا
بِمِثْلٍ فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ مَا أَرَى بِمِثْلِ هَذَا بَأْسًا فَقَالَ
أَبُو الدَّرْدَاءِ مَنْ يَعْذِرُنِي مِنْ مُعَاوِيَةَ أَنَا أُخْبِرُهُ عَنْ
رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُخْبِرُنِي عَنْ رَأْيِهِ لَا
أُسَاكِنُكَ بِأَرْضٍ أَنْتَ بِهَا ثُمَّ قَدِمَ أَبُو الدَّرْدَاءِ عَلَى عُمَرَ
بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى
مُعَاوِيَةَ أَنْ لَا تَبِيعَ ذَلِكَ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَزْنًا بِوَزْنٍ.
আতা ইবন ইয়াসার
(রহঃ থেকে বর্ণিতঃ
মু’আবিয়া
ইবন আবী সুফিয়ান (রাঃ) স্বর্ণ কিংবা চাঁদির একটি পানপাত্র [সিকায়া] ক্রয় করেছিলেন
উহার চাইতে অধিক ওজনের (স্বর্ণ বা চাঁদির) বিনিময়ে। আবুদ্দর্দা (রাঃ) তাকে
[উদ্দেশ্য করে] বললেন- আমি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এইরূপ
(কার্য) হতে নিষেধ করতে শুনেছি। কিন্তু যদি সমান সমান হয় [তবে উহা বৈধ হবে]
মু’আবিয়া (রাঃ) বললেন- আমি এইরূপ কার্যে কোন দোষ মনে করি না, আবুদ্দর্দা (রাঃ)
বললেন- [মু’আবিয়ার ব্যাপারে] আমাকে কে মদদ করবে? আমি তাঁকে রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসের সংবাদ দিতেছি আর তিনি আমার কাছে তাঁর
মত বর্ণনা করছেন। (হে মু’আবিয়া) তুমি যেই স্থানে বসবাস কর, সেই স্থানে আমি তোমার
সাথে বসবাস করব না। তারপর আবুদ্দর্দা (রাঃ) উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট আগমন
করলেন এবং তার নিকট ঘটনা বর্ণনা করলেন। তারপর উমার (রাঃ) মু’আবিয়ার নিকট লিখলেন-
এইরূপ বিক্রয় করবেন না, কিন্তু যদি সমান সমান হয় এবং একই পরিমাণের হয় (তবে বিক্রয়
করা বৈধ হবে)। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩০০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ
بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلَّا مِثْلًا
بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقِ
بِالْوَرِقِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ
وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقَ بِالذَّهَبِ أَحَدُهُمَا غَائِبٌ وَالْآخَرُ نَاجِزٌ
وَإِنْ اسْتَنْظَرَكَ إِلَى أَنْ يَلِجَ بَيْتَهُ فَلَا تُنْظِرْهُ إِنِّي أَخَافُ
عَلَيْكُمْ الرَّمَاءَ وَالرَّمَاءُ هُوَ الرِّبَا.
আবদুল্লাহ্ ইবন
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন- স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করো না।
এবং একটিকে অপরটির উপর বৃদ্ধি করে বিক্রয় করো না। আর চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি সমান
সমান ছাড়া বিক্রয় করো না। উহার এক অংশকে অপর অংশের উপর বাড়তি করে বিক্রয় করো না আর
স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি বিক্রয় করো না যে দুটির একটি অনুপস্থিত, আর অপরটি বর্তমানে
মজুদ রয়েছে। (কব্জা করার পূর্বে) যদি মহাজন তার গৃহে প্রবেশ করা পর্যন্তের জন্য
সময় চায় তবে সেই সময়ও তাকে দিও না। আমি তোমাদের বেলায় রামা’-এর আশঙ্কা করি। রামা’
হচ্ছে সুদ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩০১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ
إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا
الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى
بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا شَيْئًا مِنْهَا غَائِبًا بِنَاجِزٍ وَإِنْ اسْتَنْظَرَكَ
إِلَى أَنْ يَلِجَ بَيْتَهُ فَلَا تُنْظِرْهُ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ
الرَّمَاءَ وَالرَّمَاءُ هُوَ الرِّبَا.
আবদুল্লাহ্ ইবন
দিনার (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন- স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করো না,
এবং একটিকে অপরটির উপর বৃদ্ধি করে বিক্রয় করো না। আর চাঁদির সমান সমান ছাড়া বিক্রয়
করো না। উহার এক অংশকে অপর অংশের উপর বাড়তি করে বিক্রয় করো না। আর স্বর্ণের
বিনিময়ে চাঁদি বিক্রয় করো না, যে দুটির একটি অনুপস্থিত, আর অপরটি বর্তমানে মওজুদ
রয়েছে। (কব্জা করার পূর্বে) যদি মহাজন তার গৃহে প্রবেশ করা পর্যন্তের জন্য সময় চায়
তবে সেই সময়ও তাকে দিও না। আমি তোমাদের বেলায় রামা-এর আশঙ্কা করি। রামা’ হচ্ছে
সুদ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩০২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ
قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الدِّينَارُ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمُ
بِالدِّرْهَمِ وَالصَّاعُ بِالصَّاعِ وَلَا يُبَاعُ كَالِئٌ بِنَاجِزٍ.
উমার ইবন খাত্তাব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(ক্রয়-বিক্রয়
হবে) দীনার দীনারের বিনিময়ে, দিরহাম দিরহামের বিনিময়ে, সা’ সা’র বিনিময়ে আর নগদকে
ধারের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩০৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ
الْمُسَيَّبِ يَقُولُ لَا رِبًا إِلَّا فِي ذَهَبٍ أَوْ فِي فِضَّةٍ أَوْ مَا
يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ بِمَا يُؤْكَلُ أَوْ يُشْرَبُ.
আবু যিনাদ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ
ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন- সুদ হয় কেবলমাত্র স্বর্ণে, চাঁদিতে অথবা
যেসব দ্রব্য পাত্র দ্বারা পরিমাপ করা হয় কিংবা ওজন করা হয় পানীয় বা খাদ্যদ্রব্য
হতে সেসব দ্রব্যে। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] যে সব দ্রব্যে এরূপ করলে সুদ হয় সে সব দ্রব্যে।
১৩০৪
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ
أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ قَطْعُ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
مِنْ الْفَسَادِ فِي الْأَرْضِ،
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ
وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا إِذَا كَانَ تِبْرًا أَوْ حَلْيًا قَدْ صِيغَ
فَأَمَّا الدَّرَاهِمُ الْمَعْدُودَةُ وَالدَّنَانِيرُ الْمَعْدُودَةُ فَلَا
يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَشْتَرِيَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ.
جِزَافًا حَتَّى يُعْلَمَ وَيُعَدَّ فَإِنْ اشْتُرِيَ ذَلِكَ جِزَافًا فَإِنَّمَا
يُرَادُ بِهِ الْغَرَرُ حِينَ يُتْرَكُ عَدُّهُ وَيُشْتَرَى جِزَافًا وَلَيْسَ
هَذَا مِنْ بُيُوعِ الْمُسْلِمِينَ فَأَمَّا مَا كَانَ يُوزَنُ مِنْ التِّبْرِ
وَالْحَلْيِ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُبَاعَ ذَلِكَ جِزَافًا وَإِنَّمَا ابْتِيَاعُ
ذَلِكَ جِزَافًا كَهَيْئَةِ الْحِنْطَةِ وَالتَّمْرِ وَنَحْوِهِمَا مِنْ
الْأَطْعِمَةِ الَّتِي تُبَاعُ جِزَافًا وَمِثْلُهَا يُكَالُ فَلَيْسَ
بِابْتِيَاعِ ذَلِكَ جِزَافًا بَأْسٌ
قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى مُصْحَفًا أَوْ سَيْفًا أَوْ خَاتَمًا وَفِي شَيْءٍ
مِنْ ذَلِكَ ذَهَبٌ أَوْ فِضَّةٌ بِدَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَإِنَّ مَا
اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ وَفِيهِ الذَّهَبُ بِدَنَانِيرَ فَإِنَّهُ يُنْظَرُ إِلَى
قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ
الذَّهَبِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا
بِيَدٍ وَلَا يَكُونُ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ بِالْوَرِقِ
مِمَّا فِيهِ الْوَرِقُ نُظِرَ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَ قِيمَةُ ذَلِكَ
الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الْوَرِقِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا
بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ
النَّاسِ عِنْدَنَا
ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’ঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে
বলতে শুনেছেন স্বর্ণ এবং চাঁদিকে কর্তন করা ধরাপৃষ্ঠে ফ্যাসাদ সৃষ্টির
অন্তর্ভূক্ত। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ চাঁদির বিনিময়ে স্বর্ণ এবং স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি অনুমান করে
বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই, যদি ঢালাইবিহীন স্বর্ণ বা তৈরি গহনা হয়। অবশ্য
গণনাযোগ্য দিরহাম বা দীনার হলে সেইসবকে অনুমান করে ক্রয় করা কারো পক্ষে বৈধ নয়।
যতক্ষণ যাবত উহার সংখ্যা জানা না যায় এবং উহাকে গণনা করা না হয়। উহাকে অনুমান করে
ক্রয় করলে, উহার লক্ষ্য হবে প্রতারণা যখন গণনা করা হল না এবং অনুমান করে ক্রয় করা
হইল। এটা মুসলমানদের ক্রয়-বিক্রয়ের অন্তভুক্ত নয়। আর ঢালাইবিহীন স্বর্ণ বা চাঁদি
এবং (তৈরি) গহনা যেসব ওজনে বিক্রয় হয় সেই সবকে অনুমান করে বিক্রয় করাতে দোষ নেই।
এইসবকে অনুমানে বিক্রয় করা এইরূপ যেমন গম, খুর্মা এবং উহাদের মতো অন্যান্য
খাদ্যদ্রব্য যাকে কেউ অনুমান করে বিক্রয় করে যদি উহা ওজন করে বিক্রয় করার মতো
দ্রব্য হয়। তাই এইরূপ দ্রব্য অনুমান করে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণখচিত কুরআন অথবা তলোয়ার অথবা আঙ্গুরীয়কে
দীনার, দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করেছে। স্বর্ণখচিত যে বস্তু দীনারের বিনিময়ে ক্রয়
করল সে বস্তুর মূল্যের প্রতি লক্ষ্য করতে হবে, যদি উক্ত বস্তুর মূল্য দুই-তৃতীয়াংশ
(২/৩) হয় এবং উহাতে লাগানো স্বর্ণের মূল্য হয় এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) তবে উহা বৈধ হবে।
এতে কোন দোষ নেই যদি নগদ আদান-প্রদান হয়। আমাদের শহরের লোকের মধ্যে এই নিয়মই
প্রচলিত আছে।
[১]
স্বর্ণ ও চাঁদিকে কর্তন করার অর্থ এই- স্বর্ণ-চাঁদিকে টুকরা করে উহাতে ভেজাল দেয়া,
একে আল্লাহর জমিনে বিশৃঙ্খল! বলে উল্লেখ করা হয়েছে। -আওজাযুল আমালিক
[২] আরবী تبر শব্দের অর্থ হল, এরূপ স্বর্ণ বা চাঁদি, যে স্বর্ণ বা চাঁদিকে
টাকশালে ঢালাই করে প্রচলিত মুদ্রা, দীনার বা দিরহামে রূপান্তরিত করা হয় নি।
পরিচ্ছেদ
১৭ :
স্বর্ণ-চাঁদির
ক্রয়-বিক্রয় যথাক্রমে চাঁদি ও স্বর্ণের বিনিময়ে
১৩০৫
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ
مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيِّ أَنَّهُ الْتَمَسَ صَرْفًا
بِمِائَةِ دِينَارٍ قَالَ فَدَعَانِي طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ فَتَرَاوَضْنَا
حَتَّى اصْطَرَفَ مِنِّي وَأَخَذَ الذَّهَبَ يُقَلِّبُهَا فِي يَدِهِ ثُمَّ قَالَ
حَتَّى يَأْتِيَنِي خَازِنِي مِنْ الْغَابَةِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسْمَعُ
فَقَالَ عُمَرُ وَاللهِ لَا تُفَارِقْهُ حَتَّى تَأْخُذَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الذَّهَبُ بِالْوَرِقِ رِبًا
إِلَّا هَاءَ وَهَاءَ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ رِبًا إِلَّا هَاءَ وَهَاءَ
وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ رِبًا إِلَّا هَاءَ وَهَاءَ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ
رِبًا إِلَّا هَاءَ وَهَاءَ.
قَالَ مَالِك إِذَا اصْطَرَفَ الرَّجُلُ دَرَاهِمَ بِدَنَانِيرَ ثُمَّ وَجَدَ
فِيهَا دِرْهَمًا زَائِفًا فَأَرَادَ رَدَّهُ انْتَقَضَ صَرْفُ الدِّينَارِ
وَرَدَّ إِلَيْهِ وَرِقَهُ وَأَخَذَ إِلَيْهِ دِينَارَهُ وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ
مِنْ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الذَّهَبُ
بِالْوَرِقِ رِبًا إِلَّا هَاءَ وَهَاءَ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَإِنْ
اسْتَنْظَرَكَ إِلَى أَنْ يَلِجَ بَيْتَهُ فَلَا تُنْظِرْهُ وَهُوَ إِذَا رَدَّ
عَلَيْهِ دِرْهَمًا مِنْ صَرْفٍ بَعْدَ أَنْ يُفَارِقَهُ كَانَ بِمَنْزِلَةِ
الدَّيْنِ أَوْ الشَّيْءِ الْمُتَأَخِّرِ فَلِذَلِكَ كُرِهَ ذَلِكَ وَانْتَقَضَ
الصَّرْفُ وَإِنَّمَا أَرَادَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَنْ لَا يُبَاعَ الذَّهَبُ
وَالْوَرِقُ وَالطَّعَامُ كُلُّهُ عَاجِلًا بِآجِلٍ فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ
فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ تَأْخِيرٌ وَلَا نَظِرَةٌ وَإِنْ كَانَ مِنْ صِنْفٍ
وَاحِدٍ أَوْ كَانَ مُخْتَلِفَةً أَصْنَافُهُ.
মালিক ইবন আওস ইবনু
হাদাসান নাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একশত দীনারের পরিবর্তে
দিরহাম সন্ধান করতেন। তিনি বলেনঃ (এটা শুনে) তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) আমাকে
ডাকলেন। আমরা উভয়ে এই বিষয়ে পরস্পর কথাবার্তা বললাম, (এমনকি) তিনি আমার নিকট হতে
দীনার গ্রহণ করলেন, [উহার পরিবর্তে দিরহাম দেওয়ার জন্য] এবং দীনার হাতে নিয়ে উহাকে
উলট-পালট করতে লাগলেন। অতঃপর বললেন- (অপেক্ষা করুন) আমার খাজাঞ্চী গাবা নামক স্থান
হতে আসুক। উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) এটা শুনছিলেন, তিনি বললেন, না, (এইরূপ করো না)
আল্লাহর কসম! তুমি তা [তালহা (রহঃ)] হতে পৃথক হইও না যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর নিকট হতে
দিরহাম গ্রহণ না কর। তারপর বললেন- রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন- চাঁদির বিনিময়ে স্বর্ণ (গ্রহণ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত) অবশ্য যদি উভয়ে নগদ
আদান-প্রদান করে। গমের বিনিময়ে গম (ক্রয়-বিক্রয় সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে) কিন্তু যদি
নগদ আদান-প্রদান করে। খুর্মার পরিবর্তে খুর্মা (ক্রয়-বিক্রয় সুদ হবে) অবশ্য যদি
নগদ আদান-প্রদান করে। যবের বিনিময়ে যব (ক্রয়-বিক্রয় সুদে গণ্য হবে), কিন্তু নগদ
আদান-প্রদান করে। লবণের বিনিময়ে লবণ (ক্রয়-বিক্রয় সুদ হবে)। অবশ্য যদি উভয়ে নগদ
আদান-প্রদান করে (তবে বৈধ হবে)। (বুখারী ২১৭৪, মুসলিম ১৫৮৬)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি দীনারকে বদলাইল দিরহাম দ্বারা, অতঃপর সে উহাতে একটি
দোষযুক্ত দিরহাম পেল, যখন সেই দিরহাম ফেরত দিল তখন দীনারের বদলানোর ব্যাপারটি ভঙ্গ
হয়ে গেল। (এখন তার কর্তব্য হল) সে চাঁদি ফেরত দিবে (চাঁদির মালিককে) এবং তার নিকট
হতে নিজের দীনার ফেরত গ্রহণ করবে। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে এই, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চাঁদির বিনিময়ে স্বর্ণ (গ্রহণ করা) সুদ হবে, অবশ্য
(বৈধ হবে) যদি নগদ আদান-প্রদান করে। উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেনঃ যদি (অপর
পক্ষ) গৃহে প্রবেশ করা পর্যন্ত তোমার নিকট সময় চায়, তবে তুমি তাকে সময় দিও না।
বদলানো দিরহাম হতে দিরহামওয়ালার নিকট হতে আলাদা হওয়ার পর এক দিরহামও যদি রদ করা হয়
তবে ইহা ঋণ বা পরবর্তী বস্তুর মতো হবে। এই জন্যই ইহা অবৈধ হয়েছে এবং বিনিময়ে
ব্যবসা ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) ইচ্ছা করেছেন যে, স্বর্ণ, চাঁদি ও
খাদ্যশস্য এইসবের মধ্যে ধারের বিনিময়ে নগদ যেন বিক্রয় করা না হয়। কারণ এইসবের
মধ্যে বিলম্ব ও সময় দান বৈধ নয়; এক জাতের হোক কিংবা বিভিন্ন জাতের বস্তু হোক।
[১] মালিক ইবনু আওস (রা) সাহাবী কি-না এ বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে।
-আওজাযুল মাসালিক
পরিচ্ছেদ
১৮ :
মুরাতালা’[১]র বিধান
[১] মুরাতালা হচ্ছে ওজন করে
স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ এবং চাঁদির ক্রয়-বিক্রয়।
১৩০৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ
اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ اللَّيْثِيِّ أَنَّهُ رَأَى سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ
يُرَاطِلُ الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ فَيُفْرِغُ ذَهَبَهُ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ
وَيُفْرِغُ صَاحِبُهُ الَّذِي يُرَاطِلُهُ ذَهَبَهُ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ
الْأُخْرَى فَإِذَا اعْتَدَلَ لِسَانُ الْمِيزَانِ أَخَذَ وَأَعْطَـى ২৩৪৯-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي
بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ بِالْوَرِقِ مُرَاطَلَةً أَنَّهُ لَا
بَأْسَ بِذَلِكَ أَنْ يَأْخُذَ أَحَدَ عَشَرَ دِينَارًا بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ
يَدًا بِيَدٍ إِذَا كَانَ وَزْنُ الذَّهَبَيْنِ سَوَاءً عَيْنًا بِعَيْنٍ وَإِنْ
تَفَاضَلَ الْعَدَدُ وَالدَّرَاهِمُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ
الدَّنَانِيْرِ.
قَالَ مَالِك مَنْ رَاطَلَ ذَهَبًا بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقًا بِوَرِقٍ فَكَانَ بَيْنَ
الذَّهَبَيْنِ فَضْلُ مِثْقَالٍ فَأَعْطَى صَاحِبَهُ قِيمَتَهُ مِنْ الْوَرِقِ
أَوْ مِنْ غَيْرِهَا فَلَا يَأْخُذُهُ فَإِنَّ ذَلِكَ قَبِيحٌ وَذَرِيعَةٌ إِلَى
الرِّبَا لِأَنَّهُ إِذَا جَازَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْمِثْقَالَ بِقِيمَتِهِ
حَتَّى كَأَنَّهُ اشْتَرَاهُ عَلَى حِدَتِهِ جَازَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ
الْمِثْقَالَ بِقِيمَتِهِ مِرَارًا لِأَنْ يُجِيزَ ذَلِكَ الْبَيْعَ بَيْنَهُ
وَبَيْنَ صَاحِبِه. قَالَ مَالِك وَلَوْ أَنَّهُ بَاعَهُ ذَلِكَ الْمِثْقَالَ
مُفْرَدًا لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُهُ لَمْ يَأْخُذْهُ بِعُشْرِ الثَّمَنِ الَّذِي
أَخَذَهُ بِهِ لِأَنْ يُجَوِّزَ لَهُ الْبَيْعَ فَذَلِكَ الذَّرِيعَةُ إِلَى
إِحْلَالِ الْحَرَامِ وَالْأَمْرُ الْمَنْهِيُّ عَنْهُ.
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُرَاطِلُ الرَّجُلَ وَيُعْطِيهِ الذَّهَبَ الْعُتُقَ
الْجِيَادَ وَيَجْعَلُ مَعَهَا تِبْرًا ذَهَبًا غَيْرَ جَيِّدَةٍ وَيَأْخُذُ مِنْ
صَاحِبِهِ ذَهَبًا كُوفِيَّةً مُقَطَّعَةً وَتِلْكَ الْكُوفِيَّةُ مَكْرُوهَةٌ
عِنْدَ النَّاسِ فَيَتَبَايَعَانِ ذَلِكَ مِثْلًا بِمِثْلٍ إِنَّ ذَلِكَ لَا
يَصْلُحُ
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنَّ صَاحِبَ الذَّهَبِ
الْجِيَادِ أَخَذَ فَضْلَ عُيُونِ ذَهَبِهِ فِي التِّبْرِ الَّذِي طَرَحَ مَعَ
ذَهَبِهِ وَلَوْلَا فَضْلُ ذَهَبِهِ عَلَى ذَهَبِ صَاحِبِهِ لَمْ يُرَاطِلْهُ
صَاحِبُهُ بِتِبْرِهِ ذَلِكَ إِلَى ذَهَبِهِ الْكُوفِيَّةِ فَامْتَنَعَ وَإِنَّمَا
مَثَلُ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَرَادَ أَنْ يَبْتَاعَ ثَلَاثَةَ أَصْوُعٍ مِن
تَمْرٍ عَجْوَةٍ بِصَاعَيْنِ وَمُدٍّ مِنْ تَمْرٍ كَبِيسٍ فَقِيلَ لَهُ هَذَا لَا
يَصْلُحُ فَجَعَلَ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ وَصَاعًا مِنْ حَشَفٍ يُرِيدُ أَنْ
يُجِيزَ بِذَلِكَ بَيْعَهُ فَذَلِكَ لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُ
الْعَجْوَةِ لِيُعْطِيَهُ صَاعًا مِنْ الْعَجْوَةِ بِصَاعٍ مِنْ حَشَفٍ
وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ لِفَضْلِ الْكَبِيسِ أَوْ أَنْ يَقُولَ
الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ بِعْنِي ثَلَاثَةَ أَصْوُعٍ مِنْ الْبَيْضَاءِ بِصَاعَيْنِ
وَنِصْفٍ مِنْ حِنْطَةٍ شَامِيَّةٍ فَيَقُولُ هَذَا لَا يَصْلُحُ إِلَّا مِثْلًا
بِمِثْلٍ فَيَجْعَلُ صَاعَيْنِ مِنْ حِنْطَةٍ شَامِيَّةٍ وَصَاعًا مِنْ شَعِيرٍ
يُرِيدُ أَنْ يُجِيزَ بِذَلِكَ الْبَيْعَ فِيمَا بَيْنَهُمَا فَهَذَا لَا يَصْلُحُ
لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيُعْطِيَهُ بِصَاعٍ مِنْ شَعِيرٍ صَاعًا مِنْ حِنْطَةٍ
بَيْضَاءَ لَوْ كَانَ ذَلِكَ الصَّاعُ مُفْرَدًا وَإِنَّمَا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ
لِفَضْلِ الشَّامِيَّةِ عَلَى الْبَيْضَاءِ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ وَهُوَ مِثْلُ
مَا وَصَفْنَا مِنْ التِّبْرِ
قَالَ مَالِك فَكُلُّ شَيْءٍ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَالطَّعَامِ كُلِّهِ
الَّذِي لَا يَنْبَغِي أَنْ يُبَاعَ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ فَلَا يَنْبَغِي أَنْ
يُجْعَلَ مَعَ الصِّنْفِ الْجَيِّدِ مِنْ الْمَرْغُوبِ فِيهِ الشَّيْءُ الرَّدِيءُ
الْمَسْخُوطُ لِيُجَازَ الْبَيْعُ وَلِيُسْتَحَلَّ بِذَلِكَ مَا نُهِيَ عَنْهُ
مِنْ الْأَمْرِ الَّذِي لَا يَصْلُحُ إِذَا جُعِلَ ذَلِكَ مَعَ
الصِّنْفِ الْمَرْغُوبِ فِيهِ وَإِنَّمَا يُرِيدُ صَاحِبُ ذَلِكَ أَنْ يُدْرِكَ
بِذَلِكَ فَضْلَ جَوْدَةِ مَا يَبِيعُ فَيُعْطِي الشَّيْءَ الَّذِي لَوْ أَعْطَاهُ
وَحْدَهُ لَمْ يَقْبَلْهُ صَاحِبُهُ وَلَمْ يَهْمُمْ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا
يَقْبَلُهُ مِنْ أَجْلِ الَّذِي يَأْخُذُ مَعَهُ لِفَضْلِ سِلْعَةِ صَاحِبِهِ
عَلَى سِلْعَتِهِ فَلَا يَنْبَغِي لِشَيْءٍ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَالطَّعَامِ
أَنْ يَدْخُلَهُ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الصِّفَةِ فَإِنْ أَرَادَ صَاحِبُ الطَّعَامِ
الرَّدِيءِ أَنْ يَبِيعَهُ بِغَيْرِهِ فَلْيَبِعْهُ عَلَى حِدَتِهِ وَلَا يَجْعَلُ
مَعَ ذَلِكَ شَيْئًا فَلَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ كَذَلِكَ ِ
ইয়াযিদ ইবন
আবদিল্লাহ্ ইবন কুসাইত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে
স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণের মুরাতালা করতে দেখেছেন। তিনি দাঁড়িপাল্লার এক হাতে
স্বর্ণ ঢালতেন, তার সাথে মুরাতালাকারী অপর পক্ষ তার স্বর্ণ ঢালতেন পাল্লার অপর
হাতে। পাল্লার কাঁটা বরাবর হলে (পাল্লার এক হাত হতে) তিনি গ্রহণ করতেন এবং (অপর
হাত হতে) সাথীকে দিতেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসাআলা এই, ওজন করে স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ এবং
চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদিও বা নগদ দশ দীনারের বিনিময়ে
এগার দীনার গ্রহণ করা হয়। উভয় স্বর্ণের ওজন সমপরিমাণ হলে। মুদ্রার বিনিময়ে মুদ্রা।
(ওজন করে বিক্রয় করা বৈধ) সংখ্যায় যদিও বাড়তি হয়। এই ব্যাপারে দিরহামও দীনারের
মতো। [২]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণের মুরাতালা করেছে কিংবা
চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির মুরাতালা করেছে, উভয় স্বর্ণের মধ্যে একটিতে এক মিসকাল
(স্বর্ণ) বাড়তি রয়েছে [৩], অতঃপর তার সাথী (যার অংশের স্বর্ণ ওজনে কম) চাঁদি অথবা
অন্য বস্তুর দ্বারা উহার মূল্য আদায় করল। তবে সে (বর্ধিত স্বর্ণের মালিক) এই মূল্য
কবুল করবে না। কারণ এটা ভাল নয় এবং এটা সুদের উসীলা মাত্র। কারণ (অতিরিক্ত) এক
মিসকাল যদি উহার মূল্য আদায় করে গ্রহণ করা তার জন্য জায়েয হয়, তবে সে যেন এই এক
মিসকাল স্বর্ণ পৃথকভাবে (নূতন) খরিদ করল। এইরূপে এক মিসকালকে উহার মূল্য আদায় করে
কয়েকবার গ্রহণ করা হল। এইভাবে সেও তার সাথীর [৪] মধ্যে বিক্রয়কে জায়েয করার জন্য
[এটা করা হল]।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি সেই ব্যক্তি [যে বর্ধিত এক মিসকাল বিক্রয় করল] সেই মিসকাল
[৫] বিক্রয় করে পৃথকভাবে, যার সাথে অন্য কিছু না থাকে তা হলে (ক্রেতা) বিক্রয়কে
হালাল করবার উদ্দেশ্যে যেই মূল্যে সে উহা ক্রয় করেছে সেই মূল্য ব্যতীত অন্য মূল্যে
সে উহা ক্রয় করবে না, এটা হচ্ছে হারামকে হালাল করার একটি পন্থা বটে। আর এটা
নিষিদ্ধ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির সাথে মুরাতালা [৬] করিতেছে এবং
উহাকে খাঁটি ও উন্নতমানের স্বর্ণ দিচ্ছে, তৎসঙ্গে দিচ্ছে কতকটা কৃত্রিম সোনা। এর
বদলে তার সাথী হতে সে নিচ্ছে কুফী মধ্যম মানের সোনা। যে কুফী-স্বর্ণ লোকের নিকট
অপছন্দনীয়। এবং তারা উভয়ে উহা বেচা-কেনা করিতেছে সমান সমান ওজনে। এইরূপ বেচা-কেনা
জায়েয হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা মাকরূহ্ হওয়ার বিশ্লেষণ এই, বিশুদ্ধ স্বর্ণওয়ালা তার
বিশুদ্ধ স্বর্ণের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করেছে যে কতকটা নিম্নমানের স্বর্ণ উহার সাথে
মিশ্রিত করেছে তাতে। তার সাথী [কুফী স্বর্ণ ওয়ালা]-র স্বর্ণের তুলনায় তার স্বর্ণের
মান উচ্চ না হত, তবে তার সাথী কুফী-স্বর্ণের বিনিময়ে তার নিম্নমানের স্বর্ণের সাথে
মুরাতালা করত না। এর দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির মতো যেই ব্যক্তি তিন সা’ আজওয়াহ্
খুর্মা ক্রয় করার ইচ্ছা করল দুই সা’ এবং দুই মুদ্ কাবীস খুর্মার বিনিময়ে। তাকে যখন
বলা হলঃ এটা জায়েয নয়। তখন বিক্রয় বৈধ করার জন্য দুই সা’ কাবীস খুর্মার সাথে এক
সা’ নিকৃষ্ট খুর্মা মিলিয়ে দিল। এটা জায়েয হবে না। কারণ ‘আজওয়াহ্ খুর্মাওয়ালা এক
সা’ নিকৃষ্ট খুর্মার বিনিময়ে এক সা’ আজওয়াহ্ খুর্মা দিতে রাজী হবে না। তবুও তিনি
(এইখানে) কাবীসের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রদান করলেন।
কিংবা এর (দৃষ্টান্ত) এই যে, একজন লোক আর একজন লোককে বলল, আপনি আমার নিকট তিন সা’
গম বিক্রয় করুন আড়াই সা’ শামী গমের [৭] বিনিময়ে। সে লোক বলল, এটা বৈধ নয়। কিন্তু
(বৈধ হবে) যদি (ওজনে) সমান সমান হয়। তখন দুই সা’ শামী (সিরীয়া) গমের সাথে এক সা’
যব মিলানো হল। উদ্দেশ্য এর দ্বারা উভয়ের মধ্যকার বিক্রয় বৈধ করা। এটা জায়েয হবে
না। কারণ এক সা’ যবের বিনিময়ে এক সা’ গম সে উহাকে কখনো দিবে না, যদি পৃথকভাবে এক
সা, বিক্রয় করা হয়।
(এখানে) সে এ জন্য দিয়েছে যে, তা সাধারণ গমের তুলনায় শামী গম শ্রেষ্ঠ। এটা বৈধ নয়।
নিম্নমানের স্বর্ণের বেলায় আমরা যেইরূপ বর্ণনা করেছি, এটাও সেইরূপ বৈধ নয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সর্বপ্রকার স্বর্ণ চাঁদি এবং সব খাদ্যদ্রব্য যেই সব বস্তু বরাবর
ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। সেই সবের উৎকৃষ্ট প্রকারের পছন্দীয় বস্তুর সাথে
অপছন্দীয় রদ্দী [৮] প্রকারের বস্তু মিলিত করা যাতে ক্রয়-বিক্রয় জায়েয করার
উদ্দেশ্যে এবং অবৈধ নিষিদ্ধ ব্যাপারকে হালাল করার মতলবে। যেমন নিকৃষ্ট বস্তুকে
উৎকৃষ্ট বস্তুর সাথে মিশ্রিত করা হল। এর দ্বারা সে [উৎকৃষ্টের সাথে নিকৃষ্ট
মিশ্রয়কারী] যে উৎকৃষ্ট মাল বিক্রয় করছে উহার উৎকৃষ্টতার (অতিরিক্ত) মূল্য উশুল
করে নিচ্ছে। তাই তিনি এমন নিকৃষ্ট বস্তু (অপর পক্ষকে) দিচ্ছে। যদি উহাকে আলাদা
বিক্রয় করে তার অপর পক্ষ উহাকে গ্রহণ করবে না এবং এই দিকে খেয়ালও করবে না। এখন সে
তা গ্রহণ করছে এই (নিকৃষ্ট মানের) মালের সাথে যে (উৎকৃষ্ট মানের) মাল সে পাচ্ছে
উহার আকর্ষণে। কারণ তার মালের তুলনায় তার সাথীর মাল উৎকৃষ্ট, কাজেই স্বর্ণ বা
চাঁদি কিংবা খাদ্যদ্রব্যে কোনটিতেই অন্য কোন (নিকৃষ্ট) বস্তু মিশ্রিত করা জায়েয
হবে না; তবে যদি রদ্দী (খারাপ) খাদ্যদ্রব্যের মালিক উহাকে অন্য (উত্তম)
খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে বিক্রয় করতে চায় তবে পৃথকভাবে তা বিক্রয় করবে। এবং উহার
সাথে (উৎকৃষ্ট) অন্য কোন দ্রব্য মিশ্রিত করবে না, এইরূপ করলে তবে এতে কোন দোষ নেই,
যদি এইরূপ (পৃথকভাবে বিক্রয়) হয়ে থাকে।
[১] ওজন বরাবর হলে সংখ্যার কম-বেশি কোন দোষ নেই।
[২] দিরহামের বিনিময়ে দিরহাম ওজনে বিক্রয় করলে ওজনে সমান হয়েছে কিনা তাই দেখতে হবে।
সংখ্যার কম-বেশির প্রতি লক্ষ্য করা হবে না।
[৩] চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির মুরতালার হুকুমও অনুরূপ।
[৪] বিক্রেতা ও ক্রেতা।
[৫] মিস্কাল-সাড়ে চার মাশা পরিমাণ ওজন।
[৬] পরস্পর স্বর্ণ ওজন করা
[৭] শামী-গম সাধারণ গম হতে উৎকৃষ্ট মানের হয়।
[৮] খারাপ।
পরিচ্ছেদ
১৯ :
ঈনা [১] এবং উহার সদৃশ
[২] অন্যান্য বেচাকেনা এবং খাদ্যদ্রব্যকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করা
[১] ‘ঈনা কোন বস্তু ধারে নির্দিষ্ট মূল্যে বিক্রয় করে পরে
উহাকে কম মূল্যে নগদ ক্রয় করাকে ‘ঈনা বলা হয়।
[২] যেসব বস্তু বিক্রেতার অধিকারে নেই সেইসব বস্তু বিক্রয় করে লাভের সন্ধান করা।
প্রশাসকগণ নাগরিকদের জন্য খাদ্যশস্য কিংবা অন্যান্য দানের জন্য তমসুক লিখে দিতেন।
তাকে আরবীতে صك বলা হয়, صكوك এর বহুবচন। সেই সময় খাদ্যশস্য বিতরণ করা হত জার নামক স্থান হতে।
সেইখানে ছিল খাদ্যভাণ্ডার। জার মদীনা শরীফ হতে একদিন এক রাত্রির দূরত্বে অবস্থিত।
স্থানটি সাগরপাড়ে অবস্থিত।
১৩০৭
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا
يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করেছে, সে
তা কব্জা করার পূর্বে যেন এটা বিক্রয় না করে। (বুখারী ২১২৬, মুসলিম ১৫২৬)
১৩০৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ
طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে থাকে সে তাকে
কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করবে না। (সহীহ, মুসলিম ১৫২৬)
১৩০৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ
قَالَ: كُنَّا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
نَبْتَاعُ الطَّعَامَ فَيَبْعَثُ عَلَيْنَا مَنْ يَأْمُرُنَا بِانْتِقَالِهِ مِنْ
الْمَكَانِ الَّذِي ابْتَعْنَاهُ فِيهِ إِلَى مَكَانٍ سِوَاهُ قَبْلَ أَنْ
نَبِيْعَهُ.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আমরা খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করলে তিনি আমাদের
নিকট লোক পাঠাতেন। প্রেরিত লোক আমাদেরকে ক্রয় স্থল হতে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয়ের
পূর্বে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিতেন। (সহীহ, মুসলিম ১৫২৭)
১৩১০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ ابْتَاعَ
طَعَامًا أَمَرَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِلنَّاسِ فَبَاعَ حَكِيمٌ
الطَّعَامَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَهُ فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
فَرَدَّهُ عَلَيْهِ وَقَالَ لَا تَبِعْ طَعَامًا ابْتَعْتَهُ حَتَّى
تَسْتَوْفِيَهُ.
নাফি’ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
হাকিম
ইবনু হিযাম (রাঃ) খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করলেন। উহা জনসাধারণের নিকট বিক্রয়ার্থে ক্রয়
করার জন্য উমার (রাঃ) হুকুম দিয়েছিলেন। হাকিম ইবনু হিযাম কব্জা করার পূর্বে সে
খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করলেন। উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট সেই সংবাদ পৌঁছলে
তিনি সেই বিক্রয় বাতিল করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তোমার ক্রয়কৃত খাদ্যদ্রব্যকে কব্জা
করার পূর্বে বিক্রয় করো না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩১১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ صُكُوكًا خَرَجَتْ لِلنَّاسِ فِي
زَمَانِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ مِنْ طَعَامِ الْجَارِ فَتَبَايَعَ النَّاسُ
تِلْكَ الصُّكُوكَ بَيْنَهُمْ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفُوهَا فَدَخَلَ زَيْدُ بْنُ
ثَابِتٍ وَرَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَقَالَا أَتُحِلُّ بَيْعَ الرِّبَا يَا مَرْوَانُ
فَقَالَ أَعُوذُ بِاللهِ وَمَا ذَاكَ فَقَالَا هَذِهِ الصُّكُوكُ تَبَايَعَهَا
النَّاسُ ثُمَّ بَاعُوهَا قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفُوهَا فَبَعَثَ مَرْوَانُ
الْحَرَسَ يَتْبَعُونَهَا يَنْزِعُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ وَيَرُدُّونَهَا
إِلَى أَهْلِهَا.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
মারওয়ান ইবনু হাকাম (রাঃ)-এর শাসনকালে লোকের জন্য কিছু খাদ্যচেক ইস্যু করা হল জার
-এর খাদ্য ভাণ্ডার হতে। লোকেরা সেই সকল চেক অন্যদের নিকট বিক্রয় করল খাদ্যশস্য
কব্জা করার পূর্বে। তারপর যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী মারওয়ান ইবনু হাকামের নিকট গেলেন। তাঁরা উভয়ে
বললেন, হে মারওয়ান! আপনি সুদী বিক্রয়কে হালাল জানেন?
মারওয়ান বললেন, আউযুবিল্লাহ্! কি ব্যাপার!
তারা বললেন, এই দলীলগুলো লোকেরা বিক্রয় করছে। অতঃপর (ক্রেতারা) উহা কব্জা করার
পূর্বে বিক্রয় করে দিচ্ছে। অতঃপর মারওয়ান শান্তিরক্ষক প্রেরণ করলেন। তারা সব দলীল
তালাশ করে লোকদের হাত হতে নিয়ে উহার মালিকদের নিকট ফেরত দিলেন। (অনুরূপ হাদীস ইমাম
মুসলিম অন্য মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেছেন ১৫২৮)
১৩১২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا أَرَادَ أَنْ يَبْتَاعَ
طَعَامًا مِنْ رَجُلٍ إِلَى أَجَلٍ فَذَهَبَ بِهِ الرَّجُلُ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ
يَبِيعَهُ الطَّعَامَ إِلَى السُّوقِ فَجَعَلَ يُرِيهِ الصُّبَرَ وَيَقُولُ لَهُ
مِنْ أَيِّهَا تُحِبُّ أَنْ أَبْتَاعَ لَكَ فَقَالَ الْمُبْتَاعُ أَتَبِيعُنِي مَا
لَيْسَ عِنْدَكَ فَأَتَيَا عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَذَكَرَا ذَلِكَ لَهُ
فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ لِلْمُبْتَاعِ لَا تَبْتَعْ مِنْهُ مَا لَيْسَ
عِنْدَهُ وَقَالَ لِلْبَائِعِ لَا تَبِعْ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর
নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, এক ব্যক্তি ইচ্ছা করল অন্য এক ব্যক্তি হতে খাদ্যশস্য
ধারে ক্রয় করতে। যেই ব্যক্তি তার নিকট খাদ্যশস্য বিক্রয় করতে মনস্থ করেছে সে এই
ব্যক্তিকে বাজারে নিয়ে গেল। তারপর তাকে স্তূপ দেখাতে লাগল এবং তাকে বলল, এই
স্তুপসমূহের কোনটি হতে আপনার নিকট বিক্রয় করলে আপনি পছন্দ করবেন? ক্রেতা বলল, যে
বস্তু আপনার নিকট মওজুদ নাই আপনি সেই বস্তু আমার কাছে বিক্রয় করবেন কি? তারপর তারা
উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর নিকট এলেন। তার কাছে উভয়ে ঘটনা ব্যক্ত করলেন। আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রাঃ) ক্রেতাকে বললেন, তুমি উহা হতে তার নিকট মওজুদ নাই এরূপ বস্তু ক্রয়
করো না, আর বিক্রেতাকে বললেন, তোমার নিকট যা মওজুদ নাই উহা বিক্রয় করো না।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩১৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَمِيلَ بْنَ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُؤَذِّنَ يَقُولُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ إِنِّي
رَجُلٌ أَبْتَاعُ مِنْ الْأَرْزَاقِ الَّتِي تُعْطَى النَّاسُ بِالْجَارِ مَا
شَاءَ اللهُ ثُمَّ أُرِيدُ أَنْ أَبِيعَ الطَّعَامَ الْمَضْمُونَ عَلَيَّ إِلَى
أَجَلٍ فَقَالَ لَهُ سَعِيدٌ أَتُرِيدُ أَنْ تُوَفِّيَهُمْ مِنْ تِلْكَ
الْأَرْزَاقِ الَّتِي ابْتَعْتَ فَقَالَ نَعَمْ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ ২৩৬৩-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ
عَلَيْهِ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيْهِ أَنَّهُ مَنْ اشْتَرَى طَعَامًا
بُرًّا أَوْ شَعِيرًا أَوْ سُلْتًا أَوْ ذُرَةً أَوْ دُخْنًا أَوْ شَيْئًا مِنْ
الْحُبُوبِ الْقِطْنِيَّةِ أَوْ شَيْئًا مِمَّا يُشْبِهُ الْقِطْنِيَّةَ مِمَّا
تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ أَوْ شَيْئًا مِنْ الْأُدُمِ كُلِّهَا الزَّيْتِ
وَالسَّمْنِ وَالْعَسَلِ وَالْخَلِّ وَالْجُبْنِ وَالشِّيرِقِ وَاللَّبَنِ وَمَا
أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأُدْمِ فَإِنَّ الْمُبْتَاعَ لَا يَبِيعُ شَيْئًا مِنْ
ذَلِكَ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَيَسْتَوْفِيَهُ.
ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জামিল ইবনু আবদির রহমান আল
মুয়াযযিন (রহঃ)-কে সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রহঃ)-এর নিকট বলতে শুনেছেন, জার নামক
স্থান হতে লোকদের জন্য (চেক মারফত) যেসব রসদ বন্টন করা হয়ে থাকে, (লোকদের নিকট
হতে) আমি সেসব খরিদ করে নেই। যেই পরিমাণ আল্লাহ তৌফিক দেন। অতঃপর যেসব খাদ্যশস্যের
মূল্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা আমার জিম্মায় রয়েছে সেইরূপ খাদ্যশস্য আমি
বিক্রয় করতে প্রয়াস পাই। সা’ঈদ তাকে বললেন- (জার হতে) যে রসদ ক্রয় করেছ তুমি
ক্রেতাদের তা হতে দিতে চাও কি? তিনি বললেন- হ্যাঁ, সা’ঈদ তাকে এটা করতে বারণ
করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যাতে কোন মতানৈক্য নাই তা এই,
যে কোন খাদ্যশস্য খরিদ করে যেমন- গম, যব, সুরত [১], বাজরা, কংগনী [২], অথবা কলাই,
মটর জাতীয় শস্য, কিংবা এগুলোর সদৃশ কোন শস্য যেগুলোর যাকাত দিতে হয়। অথবা ব্যঞ্জন
জাতীয় যাবতীয় দ্রব্য-যেমন-যাইতুন তৈল, ঘি, মধু, সির্কা, পনির, দুধ, তিল, তৈল এবং
এই জাতীয় এই সবের সদৃশ অন্যান্য ব্যঞ্জনা। ক্রেতা এইসব বস্তুকে কব্জা ও পূর্ণ দখলে
আনার পূর্বে বিক্রয় করবে না।
[১] গম ও যবের মাঝামাঝি এক প্রকারের শস্য, কেউ কেউ তাকে মকাই
বলে উল্লেখ করেছেন। কোন স্থানে তাকে “নাবিযব” বলা হয়।
[২] সরু এক প্রকারের ছোট শস্য, হিন্দীতে বলা হয় কংগনী।
পরিচ্ছেদ
২০ :
যে যে অবস্থায়
খাদ্যদ্রব্য ধারে বিক্রয় করা মাকরূহ
১৩১৪
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ
الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ يَنْهَيَانِ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ
حِنْطَةً بِذَهَبٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَشْتَرِيَ بِالذَّهَبِ تَمْرًا قَبْلَ أَنْ
يَقْبِضَ الذَّهَبَ.
আবু যিনাদ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ
ইবনু মুসায়্যাব ও সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, কোন ব্যক্তি
স্বর্ণের (অথবা চাঁদির) বিনিময়ে বাকী মূল্যে গম বিক্রয় করে পরে সেই বাকী মূল্য
হস্তগত হওয়ার পূর্বে তার বিনিময়ে খুর্মা ক্রয় করল। তারা উভয়ে এই ধরনের ক্রয়-বিক্রয়
নিষেধ করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩১৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ كَثِيرِ بْنِ فَرْقَدٍ
أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ
الرَّجُلِ يَبِيعُ الطَّعَامَ مِنْ الرَّجُلِ بِذَهَبٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ
يَشْتَرِي بِالذَّهَبِ تَمْرًا قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ الذَّهَبَ فَكَرِهَ ذَلِكَ
وَنَهَى عَنْهُ.
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ بِمِثْلِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك
وَإِنَّمَا نَهَى سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ وَأَبُو
بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَابْنُ شِهَابٍ عَنْ أَنْ لَا
يَبِيعَ الرَّجُلُ حِنْطَةً بِذَهَبٍ ثُمَّ يَشْتَرِي الرَّجُلُ بِالذَّهَبِ
تَمْرًا قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ الذَّهَبَ مِنْ بَيْعِهِ الَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ
الْحِنْطَةَ فَأَمَّا أَنْ يَشْتَرِيَ بِالذَّهَبِ الَّتِي بَاعَ بِهَا
الْحِنْطَةَ إِلَى أَجَلٍ تَمْرًا مِنْ غَيْرِ بَائِعِهِ الَّذِي بَاعَ مِنْهُ
الْحِنْطَةَ قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ الذَّهَبَ وَيُحِيلَ الَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ
التَّمْرَ عَلَى غَرِيمِهِ الَّذِي بَاعَ مِنْهُ الْحِنْطَةَ بِالذَّهَبِ الَّتِي
لَهُ عَلَيْهِ فِي ثَمَرِ التَّمْرِ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ مَالِك وَقَدْ
سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَلَمْ يَرَوْا بِهِ
بَأْسًا.
কাসীর ইবনু ফারকদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বকর ইবনু মুহাম্মদ ইবনু ‘আমর
ইবনু হাযম (রহঃ)-কে প্রশ্ন করলেন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে জনৈক ব্যক্তির নিকট
খাদ্যদ্রব্য বাকী মূল্যে বিক্রয় করে অতঃপর সেই মূল্য হস্তগত হওয়ার পূর্বে (বাকী)
মূল্যে খুর্মা ক্রয় করছে। তিনি একে মাকরূহ জানালেন এবং এটা করতে নিষেধ করলেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেছেনঃ সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব সুলায়মান ইবনু ইয়াসার, আবূ বাকর ইবনু
মুহাম্মদ ইবুন আমর ইবনু হাযম (রহঃ) এবং ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণিত, কোন ব্যক্তি
গম বিক্রয় করছে বাকী মূল্যে, অতঃপর তার নিকট হতে যে (বাকী মূল্যে) গম ক্রয় করেছে,
সে ব্যক্তি হতে মূল্য হস্তগত করার পূর্বে সে খুর্মা ক্রয় করছে (অনাদায়ী) মূল্যের
বিনিময়ে। তারা সকলে এটা নিষেধ করেছেন।
তবে (বিক্রেতা) বাকী মূল্যে যে গম বিক্রয় করেছে, সে মূল্য দ্বারা উহা হস্তগত করার
পূর্বে যার নিকট গম বিক্রয় করেছিল সে লোক ব্যতীত অন্য বিক্রেতার নিকট হতে খুর্মা
ক্রয় করে এবং সেই খুর্মার মূল্য যার নিকট (পূর্বে) গম বিক্রয় করছিল তার দায়িত্বে
ছাড়িয়ে দেয়, এতে কোন দোষ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি এই বিষয়ে অনেক আলিমকে জিজ্ঞেস করেছি, তারা এতে কোন দোষ
দেখতে পাননি। [অর্থাৎ এটা বৈধ মনে করেন]
পরিচ্ছেদ
২১ :
অগ্রিম টাকা দিয়ে
নির্দিষ্ট মেয়াদে হস্তগত করার শর্তে খাদ্যশস্য ক্রয় করা
১৩১৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ
اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: لَا بَأْسَ بِأَنْ يُسَلِّفَ الرَّجُلُ
الرَّجُلَ فِي الطَّعَامِ الْمَوْصُوفِ بِسِعْرٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجَل مُسَمًّى
مَا لَمْ يَكُنْ فِي زَرْعٍ لَمْ يَبْدُ صَلَاحُهُ أَوْ تَمْرٍ لَمْ يَبْدُ
صَلَاحُهُ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ سَلَّفَ فِي طَعَامٍ بِسِعْرٍ
مَعْلُومٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَحَلَّ الْأَجَلُ فَلَمْ يَجِدْ الْمُبْتَاعُ
عِنْدَ الْبَائِعِ وَفَاءً مِمَّا ابْتَاعَ مِنْهُ فَأَقَالَهُ فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي
لَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُ إِلَّا وَرِقَهُ أَوْ ذَهَبَهُ أَوْ الثَّمَنَ الَّذِي
دَفَعَ إِلَيْهِ بِعَيْنِهِ وَإِنَّهُ لَا يَشْتَرِي مِنْهُ بِذَلِكَ الثَّمَنِ
شَيْئًا حَتَّى يَقْبِضَهُ مِنْهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا أَخَذَ غَيْرَ الثَّمَنِ
الَّذِي دَفَعَ إِلَيْهِ أَوْ صَرَفَهُ فِي سِلْعَةٍ غَيْرِ الطَّعَامِ الَّذِي
ابْتَاعَ مِنْهُ فَهُوَ بَيْعُ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى قَالَ مَالِك
وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ
الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَ
قَالَ مَالِك فَإِنْ نَدِمَ الْمُشْتَرِي فَقَالَ لِلْبَائِعِ أَقِلْنِي
وَأُنْظِرُكَ بِالثَّمَنِ الَّذِي دَفَعْتُ إِلَيْكَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ
وَأَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا حَلَّ الطَّعَامُ
لِلْمُشْتَرِي عَلَى الْبَائِعِ أَخَّرَ عَنْهُ حَقَّهُ عَلَى أَنْ يُقِيلَهُ
فَكَانَ ذَلِكَ بَيْعَ الطَّعَامِ إِلَى أَجَلٍ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّ الْمُشْتَرِيَ حِينَ حَلَّ الْأَجَلُ
وَكَرِهَ الطَّعَامَ أَخَذَ بِهِ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ وَلَيْسَ ذَلِكَ بِالْإِقَالَةِ
وَإِنَّمَا الْإِقَالَةُ مَا لَمْ يَزْدَدْ فِيهِ الْبَائِعُ وَلَا الْمُشْتَرِي
فَإِذَا وَقَعَتْ فِيهِ الزِّيَادَةُ بِنَسِيئَةٍ إِلَى أَجَلٍ أَوْ بِشَيْءٍ
يَزْدَادُهُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ أَوْ بِشَيْءٍ يَنْتَفِعُ بِهِ
أَحَدُهُمَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِالْإِقَالَةِ وَإِنَّمَا تَصِيرُ
الْإِقَالَةُ إِذَا فَعَلَا ذَلِكَ بَيْعًا وَإِنَّمَا أُرْخِصَ فِي الْإِقَالَةِ
وَالشِّرْكِ وَالتَّوْلِيَةِ مَا لَمْ يَدْخُلْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ زِيَادَةٌ
أَوْ نُقْصَانٌ أَوْ نَظِرَةٌ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ زِيَادَةٌ أَوْ نُقْصَانٌ أَوْ
نَظِرَةٌ صَارَ بَيْعًا يُحِلُّهُ مَا يُحِلُّ الْبَيْعَ وَيُحَرِّمُهُ مَا
يُحَرِّمُ الْبَيْعَ
قَالَ مَالِك مَنْ سَلَّفَ فِي حِنْطَةٍ شَامِيَّةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَأْخُذَ
مَحْمُولَةً بَعْدَ مَحِلِّ الْأَجَلِ ىى
قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ مَنْ سَلَّفَ فِي صِنْفٍ مِنْ الْأَصْنَافِ فَلَا بَأْسَ
أَنْ يَأْخُذَ خَيْرًا مِمَّا سَلَّفَ فِيهِ أَوْ أَدْنَى بَعْدَ مَحِلِّ
الْأَجَلِ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ يُسَلِّفَ الرَّجُلُ فِي حِنْطَةٍ مَحْمُولَةٍ
فَلَا بَأْسَ أَنْ يَأْخُذَ شَعِيرًا أَوْ شَامِيَّةً وَإِنْ سَلَّفَ فِي تَمْرٍ
عَجْوَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَأْخُذَ صَيْحَانِيًّا أَوْ جَمْعًا وَإِنْ سَلَّفَ
فِي زَبِيبٍ أَحْمَرَ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَأْخُذَ أَسْوَدَ إِذَا كَانَ ذَلِكَ
كُلُّهُ بَعْدَ مَحِلِّ الْأَجَلِ إِذَا كَانَتْ مَكِيلَةُ ذَلِكَ سَوَاءً
بِمِثْلِ كَيْلِ مَا سَلَّفَ فِيْهِ ىى.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে
(অর্থাৎ ক্রেতা বিক্রেতাকে) নির্দিষ্ট খাদ্যদ্রব্য নির্দিষ্ট মূল্যে ও নির্দিষ্ট
মেয়াদে অগ্রিম মূল্য আদায় করলে কোন দোষ নেই এই শর্তে যে, খেজুর ও শস্য যেন
অপরিপুষ্ট না হয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, যে ব্যক্তি ধার্যকৃত মূল্যে নির্ধারিত
সময়ে খাদ্যশস্যে সলফ [১] করল, তারপর নির্ধারিত সময় উপস্থিত হল। কিন্তু বিক্রেতার
নিকট হতে যা ক্রয় করা হয়েছিল ক্রেতা তার নিকট উহা পূর্ণরূপে পায়নি। তাই সে সলফ
বাতিল করতে মনস্থ করল। (এইরূপ হলে) তার (ক্রেতার) পক্ষে বিক্রেতা হতে চাঁদি বা
স্বর্ণ কিংবা যে মূল্য উহাকে আদায় করেছে অবিকল তা ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করা জায়েয
হবে না।
সে হস্তগত করার পূর্বে সেই মূল্যের বিনিময়ে অন্য কোন দ্রব্য তা হতে ক্রয় করবে না।
কারণ সে যেই মূল্য উহাকে প্রদান করেছে তা ছাড়া যদি অন্য কিছু গ্রহণ করে অথবা
খাদ্যদ্রব্য ছাড়া অন্য কোন বস্তুতে উহা ব্যয় করে, তবে খাদ্যদ্রব্য পূর্ণ হস্তগত
করার পূর্বে বিক্রয় করা হবে (যা বৈধ নয়)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ণরূপে হস্তগত
করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি ক্রেতা (মাল ক্রয় করার পর) লজ্জিত হয় এবং বিক্রেতাকে বলে এই
(সলফ বিক্রয়) বাতিল করে দিন। আমি যে মূল্য আপনাকে দিয়েছি সেই মূল্য আদায়ের
ব্যাপারে সময় প্রদান করব (অর্থাৎ বিলম্বে নিব)- এটা জায়েয হবে না। আলিমগণ এইরূপ
করতে নিষেধ করেন। কারণ এই যে, যখন বিক্রেতার নিকট প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্য ক্রেতাকে
দেওয়ার সময় উপস্থিত হয়েছে, তখন ক্রেতা তার (অগ্রিম দেয়া) হোক (মূল্য আদায় করাকে)
এই শর্তে পিছিয়ে দিল যে বিক্রেতা এই বিক্রয় বাতিল করিয়ে দিবে। টো হল খাদ্যশস্য
পূর্ণরূপে হস্তগত করার পূর্বে উহাকে ধারে বিক্রয় করা (যা অবৈধ)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর ব্যাখ্যা এই, যখন (ক্রয়কৃত শস্য) ক্রেতার নিকট অর্পণ করার
নির্ধারিত সময় উপস্থিত হল, ক্রেতা খাদ্যশস্য অপছন্দ করল। তাই তিনি (বিক্রয় ফেরত
চাইলেন) [সলম বিক্রয়ে যে খাদ্যদ্রব্য দেয়ার কথা ছিল] সেই খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে
দীনার ধারে গ্রহণ করলেন। এটা [আসলে কিন্তু] ইকালা [বিক্রয় ফেরত দেয়া] নয়। ইকালা
তখন হয় যখন ক্রেতা বিক্রেতা কেউ এতে কোন কিছু বৃদ্ধি না করে। যখন উহাতে কিছু
বর্ধিত করা হল, মূল্য আদায়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিলম্ব করার সুযোগ প্রদান করে
কিংবা অন্য কোন (টাকা-পয়সার মতো) বস্তু একে অপরের উপর বর্ধিত করে অথবা অন্য এমন
কোন বস্তু বর্ধিত করে যদ্বারা (ক্রেতা-বিক্রেতা) উভয়ের একজন উপকৃত হয় তবে উহা
ইকালা নয়।
ইকালা হয় (কখন) যখন পূর্বে তারা উভয়ে বিনাশর্তে বেচাকেনা করে থাকে। ইকালা, শরীকানা
এবং তওলিয়ত (খরিদ দামে) বিক্রয়কারী-এর অনুমতি দেয়া হয়েছে যাবত সেইসবে বর্ধন, কমকরণ
কিংবা সময় প্রদান ইত্যাদি প্রবিষ্ট করান না হয়। যদি বর্ধন লোকসানকরণ, মেয়াদ
বর্ধিতকরণ (ইত্যাদি) সেই সবে প্রবিষ্ট হয়, তবে উহা হবে (নূতনভাবে) বেচাকেনা, একে
জায়েয করবে যা ক্রয়-বিক্রয়কে জায়েয করে থাকে এবং একে হারাম করবে যা ক্রয়-বিক্রয়কে
হারাম করে দেয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সলফে সিরীয় গম ক্রয় করেছে (গম গ্রহণ করার) নির্ধারিত
সময় আসার পর (তৎপরিবর্তে) ছোট দানার গম (মাহমুলা) গ্রহণ করতে কোন দোষ নেই। মালিক
(রহঃ) বলেন- অনুরূপ যে ব্যক্তি বিশেষ রকমের বস্তুতে সলফ করেছে, নির্ধারিত মেয়াদ উপস্থিত
হওয়ার পর তার পক্ষে সেই বিশেষ রকমের বস্তু হতে উত্তম কিংবা নিকৃষ্ট বস্তু গ্রহণ
করতে কোন দোষ নেই। এর ব্যাখ্যা এইরূপ যেমন কোন ব্যক্তি মাহমুলা গম সলফে
ক্রয়-করেছে, (উহা হতে নিকৃষ্ট শস্য) সব কিংবা (উৎকৃষ্ট শস্য) সিরীয় গম গ্রহণ করতে
কোন দোষ নেই। আর যদি কেউ সলফ মারফত ‘আজওয়াহ খেজুর ক্রয় করে, তার পক্ষে (উহা হতে
উত্তম খেজুর) সায়হানী কিংবা নিকৃষ্ট খেজুর জমা‘ গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই। আর যদি
লাল কিশমিশ সলফ মারফত ক্রয় করেছে, তবে (উহার পরিবর্তে) কালো কিশমিশ গ্রহণ করাতে
কোন দোষ নেই। যদি এইসব নির্ধারিত মেয়াদ উপস্থিত হওয়ার পর হয়ে থাকে। [সলফ মারফত
ক্রয়কৃত দ্রব্যের পরিবর্তে যে দ্রব্য ক্রেতা গ্রহণ করেছে] যদি তা সলফ মারফত
ক্রয়কৃত দ্রব্যের পরিমাপে সমান হতে হবে।
[১] সলফ: ফসল কাটার পূর্বে অথবা পরে কৃষক বা ফল গাছের বাগানের
মালিককে পঞ্চাশটি টাকা দেওয়া হল। কথা রইল, অমুক মাসের অমুক তারিখে সে ক্রেতাকে এক মণ
মাঝারি ধরনের সাদা গম অথবা এক সা’ ‘আজওয়াহ খেজুর দিবে। এইরূপ বিক্রয় দুরস্ত আছে একে
বলা হয় সলম বিক্রি বা সলফ বিক্রি। যেই দরে সাব্যস্ত হয়েছে সেই দরে যেই মাসের যেই তারিখে
খেজুর বা গম দেয়ার কথা সে মাসের সে তারিখে গম বা খেজুর ক্রেতার নিকট সোপর্দ করতে হবে।
ক. সলফ বিক্রয়ে বিক্রিত দ্রব্যের গুণাগুণের বর্ননা থাকতে হবে। পরিমাপ ঠিক করতে হবে।
মূল্য নগদ মাল বাকী হতে হবে, ক্রেতার নিকট মাল সোপর্দ করার সময় নির্ধারিত হতে হবে।
নির্ধারিত সময়ে সেই মাল মওজুদ থাকতে হবে। - আওজাযুল মাসালিক
পরিচ্ছেদ
২২ :
পরস্পরে বৃদ্ধি বতীত
খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
১৩১৭
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ قَالَ
فَنِيَ عَلَفُ حِمَارِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ لِغُلَامِهِ خُذْ مِنْ
حِنْطَةِ أَهْلِكَ فَابْتَعْ بِهَا شَعِيرًا وَلَا تَأْخُذْ إِلَّا مِثْلَهُ.
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’দ
ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর গাধার খাদ্য নিঃশেষ হয়ে গেলে তিনি স্বীয় খাদেমকে
বললেন- তোমার পরিজনের নিকট হতে গম নাও, তারপর উহার বিনিময়ে যব খরিদ করে আন,
পরিমাপে উহার সমান গ্রহণ করো। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩১৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ
أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ فَنِيَ
عَلَفُ دَابَّتِهِ فَقَالَ لِغُلَامِهِ خُذْ مِنْ حِنْطَةِ أَهْلِكَ طَعَامًا
فَابْتَعْ بِهَا شَعِيرًا وَلَا تَأْخُذْ إِلَّا مِثْلَهُ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুর
রহমান ইবনু আসওয়াদ ইবনু ‘আবদ-ই ইয়াগুস-এর জানোয়ারের খাদ্য ফুরায়ে গেল। তিনি স্বীয়
খাদেমকে বললেন- তোমার পরিজনের গম হতে কিছু গম নাও। তারপর তার বিনিময়ে যব খরিদ কর,
পরিমাপে তার সমান নাও। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩১৯
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ
الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ ابْنِ مُعَيْقِيبٍ الدَّوْسِيِّ مِثْلُ ذَلِكَ
قَالَ مَالِك وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ
عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنْ لَا تُبَاعَ الْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَلَا التَّمْرُ
بِالتَّمْرِ وَلَا الْحِنْطَةُ بِالتَّمْرِ وَلَا التَّمْرُ بِالزَّبِيبِ وَلَا
الْحِنْطَةُ بِالزَّبِيبِ وَلَا شَيْءٌ مِنْ الطَّعَامِ كُلِّهِ إِلَّا يَدًا
بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ الْأَجَلُ لَمْ يَصْلُحْ وَكَانَ
حَرَامًا وَلَا شَيْءَ مِنْ الْأُدْمِ كُلِّهَا إِلَّا يَدًا بِيَدٍ
قَالَ مَالِك وَلَا يُبَاعُ شَيْءٌ مِنْ الطَّعَامِ وَالْأُدْمِ إِذَا كَانَ مِنْ
صِنْفٍ وَاحِدٍ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ فَلَا يُبَاعُ مُدُّ حِنْطَةٍ بِمُدَّيْ
حِنْطَةٍ وَلَا مُدُّ تَمْرٍ بِمُدَّيْ تَمْرٍ وَلَا مُدُّ زَبِيبٍ بِمُدَّيْ
زَبِيبٍ وَلَا مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْأُدْمِ كُلِّهَا إِذَا
كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ وَإِنْ كَانَ يَدًا بِيَدٍ إِنَّمَا ذَلِكَ
بِمَنْزِلَةِ الْوَرِقِ بِالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ بِالذَّهَبِ لَا يَحِلُّ فِي
شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الْفَضْلُ وَلَا يَحِلُّ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ
قَالَ مَالِك وَإِذَا اخْتَلَفَ مَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا يُؤْكَلُ أَوْ
يُشْرَبُ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ
بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ بِصَاعَيْنِ
مِنْ حِنْطَةٍ وَصَاعٌ مِنْ تَمْرٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ زَبِيبٍ وَصَاعٌ مِنْ
حِنْطَةٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ سَمْنٍ فَإِذَا كَانَ الصِّنْفَانِ مِنْ هَذَا
مُخْتَلِفَيْنِ فَلَا بَأْسَ بِاثْنَيْنِ مِنْهُ بِوَاحِدٍ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ
ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ فِي ذَلِكَ الْأَجَلُ فَلَا يَحِلُّ
قَالَ مَالِك وَلَا تَحِلُّ صُبْرَةُ الْحِنْطَةِ بِصُبْرَةِ الْحِنْطَةِ وَلَا
بَأْسَ بِصُبْرَةِ الْحِنْطَةِ بِصُبْرَةِ التَّمْرِ يَدًا بِيَدٍ وَذَلِكَ
أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى الْحِنْطَةُ بِالتَّمْرِ جِزَافًا
قَالَ مَالِك وَكُلُّ مَا اخْتَلَفَ مِنْ الطَّعَامِ وَالْأُدْمِ فَبَان
اخْتِلَافُهُ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى بَعْضُهُ بِبَعْضٍ جِزَافًا يَدًا
بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَهُ الْأَجَلُ فَلَا خَيْرَ فِيهِ وَإِنَّمَا اشْتِرَاءُ
ذَلِكَ جِزَافًا كَاشْتِرَاءِ بَعْضِ ذَلِكَ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ جِزَافًا
قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّكَ تَشْتَرِي الْحِنْطَةَ بِالْوَرِقِ جِزَافًا
وَالتَّمْرَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا فَهَذَا حَلَالٌ لَا بَأْسَ بِهِ
قَالَ مَالِك وَمَنْ صَبَّرَ صُبْرَةَ طَعَامٍ وَقَدْ عَلِمَ كَيْلَهَا ثُمَّ
بَاعَهَا جِزَافًا وَكَتَمَ عَلَى الْمُشْتَرِيَ كَيْلَهَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَا
يَصْلُحُ فَإِنْ أَحَبَّ الْمُشْتَرِي أَنْ يَرُدَّ ذَلِكَ الطَّعَامَ عَلَى
الْبَائِعِ رَدَّهُ بِمَا كَتَمَهُ كَيْلَهُ وَغَرَّهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مَا
عَلِمَ الْبَائِعُ كَيْلَهُ وَعَدَدَهُ مِنْ الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ ثُمَّ بَاعَهُ
جِزَافًا وَلَمْ يَعْلَمْ الْمُشْتَرِي ذَلِكَ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ إِنْ أَحَبَّ
أَنْ يَرُدَّ ذَلِكَ عَلَى الْبَائِعِ رَدَّهُ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ الْعِلْمِ
يَنْهَوْنَ عَنْ ذَلِكَ
قَالَ مَالِك وَلَا خَيْرَ فِي الْخُبْزِ قُرْصٍ بِقُرْصَيْنِ وَلَا عَظِيمٍ
بِصَغِيرٍ إِذَا كَانَ بَعْضُ ذَلِكَ أَكْبَرَ مِنْ بَعْضٍ فَأَمَّا إِذَا كَانَ
يُتَحَرَّى أَنْ يَكُونَ مِثْلًا بِمِثْلٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَإِنْ لَمْ يُوزَنْ
قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ مُدُّ زُبْدٍ وَمُدُّ لَبَنٍ بِمُدَّيْ زُبْدٍ وَهُوَ
مِثْلُ الَّذِي وَصَفْنَا مِنْ التَّمْرِ الَّذِي يُبَاعُ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ
وَصَاعًا مِنْ حَشَفٍ بِثَلَاثَةِ أَصْوُعٍ مِنْ عَجْوَةٍ حِينَ قَالَ لِصَاحِبِهِ
إِنَّ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ بِثَلَاثَةِ أَصْوُعٍ مِنْ الْعَجْوَةِ لَا يَصْلُحُ
فَفَعَلَ ذَلِكَ لِيُجِيزَ بَيْعَهُ وَإِنَّمَا جَعَلَ صَاحِبُ اللَّبَنِ
اللَّبَنَ مَعَ زُبْدِهِ لِيَأْخُذَ فَضْلَ زُبْدِهِ عَلَى زُبْدِ صَاحِبِهِ حِينَ
أَدْخَلَ مَعَهُ اللَّبَنَ
قَالَ مَالِك وَالدَّقِيقُ بِالْحِنْطَةِ مِثْلًا بِمِثْلٍ لَا بَأْسَ بِهِ
وَذَلِكَ لِأَنَّهُ أَخْلَصَ الدَّقِيقَ فَبَاعَهُ بِالْحِنْطَةِ مِثْلًا بِمِثْلٍ
وَلَوْ جَعَلَ نِصْفَ الْمُدِّ مِنْ دَقِيقٍ وَنِصْفَهُ مِنْ حِنْطَةٍ فَبَاعَ
ذَلِكَ بِمُدٍّ مِنْ حِنْطَةٍ كَانَ ذَلِكَ مِثْلَ الَّذِي وَصَفْنَا لَا يَصْلُحُ
لِأَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ فَضْلَ حِنْطَتِهِ الْجَيِّدَةِ حَتَّى
جَعَلَ مَعَهَا الدَّقِيقَ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
কাসেম ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) সূত্রে ইবনু মুয়াইকীব দাওসী (রহঃ) হতেও অনুরূপ রেওয়ায়ত
বর্ণিত হয়েছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকটও হুকুম অনুরূপ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা
করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা হল- গমের বিনিময়ে গম, খুর্মার
বিনিময়ে খুর্মা, খুর্মার বিনিময়ে গম, কিশমিশের বিনিময়ে খুর্মা এবং যাবতীয়
খাদ্যশস্য নগদ ছাড়া বিক্রয় করা বৈধ হবে না, (উল্লেখিত বস্তুর) কোন একটিতে যদি
মেয়াদ প্রবেশ করে অর্থাৎ ধারে বিক্রয় করা হয় তবে এটা বৈধ হবে না (বরং) এটা হারাম
হবে। (অনুরূপ) ব্যঞ্জনে ব্যবহৃত যাবতীয় বস্তুকেও নগদ ছাড়া বিক্রয় করা যাবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ খাদ্যদ্রব্য ব্যঞ্জনসমূহ হতে কোন খাদ্যদ্রব্য কিংবা ব্যঞ্জন যদি
তা এক জাতীয় হয় তবে একের বিনিময়ে দুইটি বিক্রয় করা যাবে না এবং এক মুদ্ গমের
বিনিময়ে দুই মুদ গম বিক্রয় করা যাবে না। (অনুরূপ) এক মুদ খুর্মা বিক্রয় করা যাবে
না দুই মুদ খুর্মার বিনিময়ে, আর এক মুদ কিশমিশকে দুই মুদ কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রয়
করা যাবে না। (উপরে বর্ণিত বস্তুসমূহের) সদৃশ যাবতীয় শস্য ও ব্যঞ্জনাদি যদি এক
জাতীয় হয় (উহাকেও) (অনুরূপ)-বিক্রয় করা যাবে না, নগদ বিক্রি হলেও। কারণ এটা হচ্ছে
চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির, স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় করার মতো, এইসব ব্যাপারে
কমবেশ করা জায়েয নয়, একমাত্র সমান সমান ও নগদ হলেই এটা হালাল হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ পরিমাপ পাত্র দ্বারা মাপা হয় কিংবা ওজন করে দেয়া হয় এরূপ খাদ্য
কিংবা পানীয় দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য পাওয়া গেলে এবং (জাতের) এই পার্থক্য প্রকাশ্য
হলে, তবে নগদ বিক্রয় হলে উহার একটির বিনিময়ে দুইটি গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই। আর
দুই সা’ গমের পরিবর্তে এক সা’ খুর্মা এবং দুই সা’ কিশমিশের বিনিময়ে এক সা’ খুর্মা
এবং দুই সা’ ঘি-এর বিনিময়ে এক সা’ গম নেয়াতে কোন দোষ নেই। এই সবের মধ্য হতে পরস্পর
দুই জাতের দুইটি বস্তু উভয়ে পরস্পর ভিন্ন জাতের হলে তবে সেই জাতীয় বস্তু হতে একের
বিনিময়ে দুই কিংবা ততোধিক নগদ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। কিন্তু ধারে হলে তা বৈধ
হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ গমের স্তূপের বিনিময়ে গমের স্তূপ (ক্রয় করা) হালাল হবে না,
খুর্মার স্তূপের বিনিময়ে গমের স্তূপ নগদ ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। কারণ খেজুরের
বিনিময়ে গম অনুমানে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে কোন খাদ্যদ্রব্য ও ব্যঞ্জনের জাত পরস্পর বিরোধী হলে এবং
পার্থক্য স্পষ্ট হলে তবে (সেইরূপ দ্রব্যের) এক অংশকে আর এক অংশের বিনিময়ে আন্দাজে
(কিন্তু) নগদে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই, যদি উহাতে মেয়াদ (ধারে বিক্রয়) প্রবেশ করে
তবে সেই বিক্রয়ে মঙ্গল নেই। ইহা আন্দাজে ক্রয় করা (এইরূপ) যেমন এহার কিছু অংশকে
চাঁদি বা স্বর্ণের বিনিময়ে অনুমানে বিক্রয় করা।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যশস্যের স্তূপ করেছে এবং উহার পরিমাপ কার্য সম্পাদন
করেছে, অতঃপর উহাকে অনুমানে বিক্রয় করেছে এবং ক্রেতার নিকট উহার পরিমাপ গোপন
করেছে। এটা জাায়েয হবে না। তারপর ক্রেতা যদি ফেরত দিতে ইচ্ছা করে, তবে এই
খাদ্যশস্য বিক্রেতাকে ফেরত দিবে, কেননা, বিক্রেতা তার নিকট উহার পরিমাপ গোপন
করেছে, (এইভাবে) সে ক্রেতাকে ধোঁকা দিয়েছে। অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য হোক বা অন্য কিছু
বিক্রেতা যে বস্তুর পরিমাপ ও সংখ্যা জানে অতঃপর উহাকে (ক্রেতার কাছে) আন্দাজে
বিক্রয় করে, (অথচ) ক্রেতা উহা অবগত নয়, তবে ক্রেতা ইচ্ছা করলে উক্ত বস্তু
বিক্রেতার নিকট ফেরত দিবে। এইরূপ বিক্রয় হতে আহলে ‘ইলম (‘উলামা) সর্বদা নিষেধ
করতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুই রুটির বিনিময়ে এক রুটি, ছোট রুটির বিনিময়ে বড় রুটি, যার
একটি অপরটি হতে বড়, গ্রহণ করা জায়েয নয়। তবে যদি উভয়ে সমান সমান হবে বলে প্রবল
ধারণা হয় তবে ওজন করা না হলেও উহাতে কোন দোষ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুই মুদ পনিরের বিনিময়ে এক মুদ পনির এবং এক মুদ দুধ গ্রহণ করা
জায়েয নয়। এটা এইরূপ যেইরূপ আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছিঃ খেজুরের ব্যাপারে যার তিন
সা’ আজওয়ার বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছে দুই সা’ কাবীস আর এক সা’ রদ্দী খেজুর। যখন
তাদের একজন অপর জনকে বলল তিন সা’ ‘আজওয়ার বিনিময়ে দুই সা’ কাবীস বিক্রয় করা জায়েয
নয় তখন তিনি এটা [আর এক সা’ রদ্দী খেজুর মিশাইবার কাজ] করলেন বিক্রি শুদ্ধ করার
জন্য। দুধওয়ালা পনিরের সঙ্গে দুধ মিশাইয়াছে। এহা এই জন্য যে, তার সাথীর পনিরের
তুলনায় তার পনীরের বাড়তিটুকু উশুল করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ গমের বিনিময়ে আটা সমান সমান হলে কোন দোষ নেই। আর যদি অর্ধ মুদ
আটা এবং অর্ধ মুদ গম একত্র করে উহাকে এক মুদ গমের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয় তবে এটা
যেইরূপ আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি সেইরূপ হবে। ইহা জায়েয হবে না। কারণ সে গমের সাথে
আটা মিশাইয়া উৎকৃষ্ট গমের বাড়তিটুকু [শ্রেষ্ঠত্বের মূল্য] আদায় করল। কাজেই ইহা
জায়েয হবে না।
১৩২০
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ
أَنَّهُ سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ أَبْتَاعُ
الطَّعَامَ يَكُونُ مِنْ الصُّكُوكِ بِالْجَارِ فَرُبَّمَا ابْتَعْتُ مِنْهُ
بِدِينَارٍ وَنِصْفِ دِرْهَمٍ فَأُعْطَى بِالنِّصْفِ طَعَامًا فَقَالَ سَعِيدٌ لَا
وَلَكِنْ أَعْطِ أَنْتَ دِرْهَمًا وَخُذْ بَقِيَّتَهُ طَعَامًا.
মুহাম্মদ ইবনু
‘আবদিল্লাহ ইবনু আবি মারিয়াম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’ঈদ
ইবনু মাসায়্যাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করেছেন। তিনি বললেন, (জার নামক স্থান) হতে চেক
(লিখিত দলীল) মারফত যে সব খাদ্যদ্রব্য প্রদান করা হয় আমি সে সব খাদ্যদ্রব্য ক্রয়
করে থাকি। অনেক সময় বিক্রেতা হতে এক দীনার এবং অর্ধ দিরহামের বিনিময়ে
(খাদ্যদ্রব্য) ক্রয় করি। অর্ধ দিরহামের পরিবর্তে আমি খাদ্যশস্য দিতে পারি কি?
সা’ঈদ (রহঃ) বললেন, না, (বরং) তুমি তাকে পূর্ণ দিরহাম দাও এবং অবশিষ্ট দিরহামের
পরিবর্তে খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ কর। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩২১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ
مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ كَانَ يَقُولُ لَا تَبِيعُوا الْحَبَّ فِي سُنْبُلِهِ
حَتَّى يَبْيَضَّ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى طَعَامًا بِسِعْرٍ مَعْلُومٍ إِلَى
أَجَلٍ مُسَمًّى فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ قَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ
لِصَاحِبِهِ لَيْسَ عِنْدِي طَعَامٌ فَبِعْنِي الطَّعَامَ الَّذِي لَكَ عَلَيَّ
إِلَى أَجَلٍ فَيَقُولُ صَاحِبُ الطَّعَامِ هَذَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ قَدْ
نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ
حَتَّى يُسْتَوْفَى فَيَقُولُ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ لِغَرِيمِهِ فَبِعْنِي
طَعَامًا إِلَى أَجَلٍ حَتَّى أَقْضِيَكَهُ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ
إِنَّمَا يُعْطِيهِ طَعَامًا ثُمَّ يَرُدُّهُ إِلَيْهِ فَيَصِيرُ الذَّهَبُ
الَّذِي أَعْطَاهُ ثَمَنَ الطَّعَامِ الَّذِي كَانَ لَهُ عَلَيْهِ وَيَصِيرُ
الطَّعَامُ الَّذِي أَعْطَاهُ مُحَلِّلًا فِيمَا بَيْنَهُمَا وَيَكُونُ ذَلِكَ
إِذَا فَعَلَاهُ بَيْعَ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى.
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ لَهُ عَلَى رَجُلٍ طَعَامٌ ابْتَاعَهُ مِنْهُ
وَلِغَرِيمِهِ عَلَى رَجُلٍ طَعَامٌ مِثْلُ ذَلِكَ الطَّعَامِ فَقَالَ الَّذِي
عَلَيْهِ الطَّعَامُ لِغَرِيمِهِ أُحِيلُكَ عَلَى غَرِيمٍ لِي عَلَيْهِ مِثْلُ
الطَّعَامِ الَّذِي لَكَ عَلَيَّ بِطَعَامِكَ الَّذِي لَكَ عَلَيَّ قَالَ مَالِك
إِنْ كَانَ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ إِنَّمَا هُوَ طَعَامٌ ابْتَاعَهُ
فَأَرَادَ أَنْ يُحِيلَ غَرِيمَهُ بِطَعَامٍ ابْتَاعَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا
يَصْلُحُ وَذَلِكَ بَيْعُ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى فَإِنْ كَانَ
الطَّعَامُ سَلَفًا حَالًّا فَلَا بَأْسَ أَنْ يُحِيلَ بِهِ غَرِيمَهُ لِأَنَّ ذَلِكَ
لَيْسَ بِبَيْعٍ وَلَا يَحِلُّ بَيْعُ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى
لِنَهْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّ
أَهْلَ الْعِلْمِ قَدْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالشِّرْكِ
وَالتَّوْلِيَةِ وَالْإِقَالَةِ فِي الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ
قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ أَنْزَلُوهُ عَلَى وَجْهِ
الْمَعْرُوفِ وَلَمْ يُنْزِلُوهُ عَلَى وَجْهِ الْبَيْعِ وَذَلِكَ مِثْلُ
الرَّجُلِ يُسَلِّفُ الدَّرَاهِمَ النُّقَّصَ فَيُقْضَى دَرَاهِمَ وَازِنَةً
فِيهَا فَضْلٌ فَيَحِلُّ لَهُ ذَلِكَ وَيَجُوزُ وَلَوْ اشْتَرَى مِنْهُ دَرَاهِمَ
نُقَّصًا بِوَازِنَةٍ لَمْ يَحِلَّ ذَلِكَ وَلَوْ اشْتَرَطَ عَلَيْهِ حِينَ
أَسْلَفَهُ وَازِنَةً وَإِنَّمَا أَعْطَاهُ نُقَّصًا لَمْ يَحِلَّ لَهُ ذَلِك.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
মুহাম্মদ ইবনু সীরীন (রহঃ) বলতেন, শস্য উহার শীষে থাকা অবস্থায় বিক্রয় করো না,
যতক্ষণ যাবত উহা পরিপুষ্ট না হয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নির্ধারিত মূল্যে নির্দিষ্ট মেয়াদে কোন খাদ্যশস্য
ক্রয় করেছে, যখন মেয়াদ উপস্থিত হল, খাদ্যশস্য আদায় করা যার জিম্মায় (ওয়াজিব হয়েছে)
সে তার সাথী (ক্রেতা)-কে বলল, আমার কাছে খাদ্যশস্য (মওজুদ) নেই, যে খাদ্যশস্য
আপনাকে দেয়ার দায়িত্ব আমার উপর রয়েছে, সে খাদ্যশস্য আপনি আমার নিকট বিক্রয় করুন
নির্দিষ্ট মেয়াদে, যেন আপনাকে আমি উহা পরিশোধ করি। [১] ইহা জায়েয হবে না। কারণ সে
[প্রথম ক্রেতার] প্রাপ্য ছিল সেই ব্যক্তির [প্রথম বিক্রেতার] খাদ্যশস্য দিতেছে।
তারপর পুনরায় প্রথম বিক্রেতা প্রথম ক্রেতার নিকট তা ফেরত দিতেছে। [২] ফলে ব্যাপার
এই দাঁড়াবে যে, (এই খাদ্যশস্যের) যে মূল্য প্রথম বিক্রেতা প্রথম ক্রেতাকে আদায় করল
খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় দফা যে ক্রয় করল উহার মূল্য বাবদ উহা (প্রকৃতপক্ষে) সেই
খাদ্যশস্যের মূল্য হল।
যে খাদ্যশস্য উহার [প্রথম ক্রেতার প্রাপ্য ছিল সেই ব্যক্তির [প্রথম বিক্রেতার]
জিম্মায়। এই খাদ্যশস্য যা বিক্রি করল তাদের উভয়ের মধ্যে লেন-দেন হালাল করার জন্য
একটি হিল্লা স্বরূপ হল। (উপরিউক্ত ব্যবস্থায়) তারা যা করল তা হতে খাদ্যশস্যকে
হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় করা। [যা হালাল নয়]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির খাদ্যশস্য আর এক ব্যক্তির জিম্মায় ওয়াজিব রয়েছে, যা
সে ক্রয় করেছিল তার নিকট হতে, (অপর দিকে) তার কর্জদারের অপর এক ব্যক্তির নিকট
অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য পাওনা রয়েছে। যে ব্যক্তির জিম্মায় খাদ্যদ্রব্য [আদায় করা
ওয়াজিব] রয়েছে সে ঋণদাতাকে বলল- আমার নিকট আপনার প্রাপ্য খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে
আমি আপনাকে আমার এক ঋণদারের হাওলা করিতেছি, যার নিকট আমি অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য পাওনা
আছি, যেইরূপ খাদ্যদ্রব্য আমার নিকট আপনার পাওনা রয়েছে। [অর্থাৎ খাতকের নিকট হতে
আপনি সেই খাদ্যদ্রব্য আদায় করে নিন]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যার জিম্মায় খাদ্যদ্রব্য [আদায় করা ওয়াজিব] রয়েছে, সে যদি সেই
খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে থাকে এবং তার ঋণদাতাকে উহা হতে খরিদকৃত খাদ্যদ্রব্যের হাওলা
করতে ইচ্ছা করে, তবে এই হাওলা করা জায়েয নয়।
এবং এটা হচ্ছে হস্তগত করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা। [যা বৈধ নয়] আর যদি
উক্ত খাদ্যদ্রব্য সলফরূপে ক্রয় হয়ে থাকে যার আদায় করার সময় উপস্থিত হয়েছে, তবে তার
ঋণদাতাকে তার খাতকের হাওলা করতে কোন দোষ নেই। [অর্থাৎ ইহা জায়েয হবে] কারণ ইহা
[ঋণ], বিক্রয় নয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ হস্তগত করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা হালাল নয়। কারণ
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহা নিষেধ করেছেন। তবে আহলে ‘ইলম
[‘উলামা] এই বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, শরীক করে নেয়া, [৩] তাওলিয়ত [৪] ও ইকালাতে
কোন দোষ নেই। খাদ্যদ্রব্য (হোক বা) অথবা খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত অন্য কিছু হোক।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ [এটা জায়েয এইজন্য যে,] আহলে ‘ইলম [উলামা] এই সবকে অনুগ্রহের
তুল্য বলে মত দিয়েছেন, এহা বেচাকেনার মতো বলে উল্লেখ করেননি। ইহা এইরূপ যেন কোন
ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে নাকিস (অসম্পূর্ণ ও কৃত্রিম) দিরহাম সলফ [ঋণ] প্রদান
করেছে, তারপর ঋণ শোধ করা হল [অর্থাৎ সলফ গ্রহীতা (বিক্রেতা) ঋণদাতা [ক্রেতা]-কে ঋণ
পরিশোধ করল পূর্ণ ওজনের দিরহাম দ্বারা যাতে বাড়তি রয়েছে।
ইহা তার জন্য জায়েয হবে এবং হালাল হবে। পক্ষান্তরে যদি সেই ব্যক্তি পূর্ণ ওজনের
দিরহামের বিনিময়ে নাকিস দিরহাম উহা হতে ক্রয় করে তবে ইহা তার জন্য হালাল [জায়েয]
হবে না। অনুরূপ সলফ বিক্রয়ে যদি (বিক্রেতার নিকট) পূর্ণ ওজনের দিরহামের শর্ত করে
অথচ সে তাকে পরিশোধ করেছে নাকিস দিরহাম, তবে ইহা জায়েয হবে না।
[১] যে খাদ্যশস্য আপনাকে দেয়া আমার জিম্মায় ওয়াজিব রয়েছে, উহা
শোধ করে যেন আমি দায়মুক্ত হতে পারি।
[২] তার উপর যে ঋণ খাদ্যশস্য প্রদানের ছিল সেই ঋণ পরিশোধার্থে ইহা ফেরত দিতেছে প্রথম
ক্রেতার নিকট।
[৩] অর্থাৎ ক্রয়কৃত বস্তুতে আংশিকরূপে কাউকেও শরীক করা।
[৪] এক ব্যক্তি কোন এক বস্তু ক্রয় করল, অন্য এক ব্যক্তি তাকে বলল- আমাকে এই বস্তুটির
মালিক বানিয়ে দিন। ক্রেতা বললেন, তোমাকে মালিক করে দিলাম। এতে উক্ত বস্তুর মূল্যে বাড়ান-কমান
হল না, এইরূপ করাকে তাওলিয়ত বলা হয়।
১৩২২
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَن بَيْعِ الْمُزَابَنَةِ
وَأَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا مِنْ التَّمْرِ وَإِنَّمَا فُرِقَ
بَيْنَ ذَلِكَ أَنَّ بَيْعَ الْمُزَابَنَةِ بَيْعٌ عَلَى وَجْهِ الْمُكَايَسَةِ
وَالتِّجَارَةِ وَأَنَّ بَيْعَ الْعَرَايَا عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ لَا
مُكَايَسَةَ فِيْهِ قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ رَجُلٌ طَعَامًا
بِرُبُعٍ أَوْ ثُلُثٍ أَوْ كِسْرٍ مِنْ دِرْهَمٍ عَلَى أَنْ يُعْطَى بِذَلِكَ
طَعَامًا إِلَى أَجَلٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَبْتَاعَ الرَّجُلُ طَعَامًا بِكِسْرٍ
مِنْ دِرْهَمٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يُعْطَى دِرْهَمًا وَيَأْخُذُ بِمَا بَقِيَ لَهُ
مِنْ دِرْهَمِهِ سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ لِأَنَّهُ أَعْطَى الْكِسْرَ الَّذِي
عَلَيْهِ فِضَّةً وَأَخَذَ بِبَقِيَّةِ دِرْهَمِهِ سِلْعَةً فَهَذَا لَا بَأْسَ بِه
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ عِنْدَ الرَّجُلِ دِرْهَمًا
ثُمَّ يَأْخُذُ مِنْهُ بِرُبُعٍ أَوْ بِثُلُثٍ أَوْ بِكِسْرٍ مَعْلُومٍ سِلْعَةً
مَعْلُومَةً فَإِذَا لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ سِعْرٌ مَعْلُومٌ وَقَالَ الرَّجُلُ
آخُذُ مِنْكَ بِسِعْرِ كُلِّ يَوْمٍ فَهَذَا لَا يَحِلُّ لِأَنَّهُ غَرَرٌ يَقِلُّ
مَرَّةً وَيَكْثُرُ مَرَّةً وَلَمْ يَفْتَرِقَا عَلَى بَيْعٍ مَعْلُوم
قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ طَعَامًا جِزَافًا وَلَمْ يَسْتَثْنِ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ
بَدَا لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَهُ أَنْ
يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئً إِلَّا مَا كَانَ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَهُ
مِنْهُ وَذَلِكَ الثُّلُثُ فَمَا دُونَهُ فَإِنْ زَادَ عَلَى الثُّلُثِ صَارَ
ذَلِكَ إِلَى الْمُزَابَنَةِ وَإِلَى مَا يُكْرَهُ فَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ
يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا مَا كَانَ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ
مِنْهُ وَلَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْهُ إِلَّا الثُّلُثَ فَمَا
دُونَهُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এরই সদৃশ দৃষ্টান্ত হচ্ছে,
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানাকে নিষেধ করেছেন, (অথচ)
আরায়াতে উহার খেজুরের অনুমান করে বিক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন। এই পার্থক্যের কারণ
এই, মুযাবানাতে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে পরস্পর বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ ও ব্যবসা করার
প্রয়াসের ধারায়। আর আরায়ায় বিক্রয় হচ্ছে অনুগ্রহস্বরূপ, এতে পরস্পর বুদ্ধি খাটানোর
কোন প্রতিযোগিতা নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করল দিরহামের এক-চতুর্থাংশ বা
এক-তৃতীয়াংশ কিংবা উহার যেকোন অংশের বিনিময়ে এই শর্তে যে, এই মূল্যের বিনিময়ে
খাদ্যদ্রব্য দেয়া হবে মেয়াদে। [উদাহরণস্বরূপ যেমন-এক মাস পর] ইহা সঙ্গত (জায়েয)
নয়। আর কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করল দিরহামের এক অংশের বিনিময়ে মেয়াদে। তারপর
সে (পূর্ণ) এক দিরহাম প্রদান করল এবং তার দিরহামের যেটুকু অবশিষ্ট রইল উহার বিনিময়ে
সে অন্য কোন সামগ্রী ক্রয় করল, এতে কোন দোষ নেই। কারণ সে দিরহামের অংশ যা তার
জিম্মায় (ওয়াজিব) ছিল তা প্রদান করেছে এবং অবশিষ্ট দিরহামের বিনিময়ে (অন্য)
সামগ্রী ক্রয় করেছ, এতে কোন দোষ নেই [অর্থাৎ ইটা জায়েয আছে]।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তির নিকট একটি দিরহাম রাখল। অতঃপর সেই
ব্যক্তির নিকট হতে দিরহামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ কিংবা নির্দিষ্ট কোন
অংশে নির্দিষ্ট কোন সামগ্রী খরিদ করল, এতে কোন দোষ নেই। পক্ষান্তরে যদি উহাতে
মূল্য জ্ঞাত না থাকে এবং (দিরহামওয়ালা) ব্যক্তি বলল- আমি প্রতিদিনকার যা মূল্য হবে
তার বিনিময়ে ক্রয় করব। এটা জায়েয হবে না। কারণ এটা (এক প্রকার) ধোঁকা, দাম একবার
কমবে, আবার একবার বাড়বে। তারা উভয়ে কোন সুনির্দিষ্ট ক্রয়-বিক্রয় হতে পরস্পর পৃথক
হয়নি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আন্দাজ করে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করেছে এবং উহা হতে
কোন কিছু বাদ বা আলাদা করেনি। অতঃপর [বিক্রিত বস্তু হতে] কিছুটা ক্রেতা হতে খরিদ
করতে সে ইচ্ছা করল, তবে বিক্রিত বস্তু হতে কিছুটা ক্রেতা হতে খরিদ করে রাখা তার
জন্য জায়েয নয়। কিন্তু কেবলমাত্র সেই পরিমাণ ক্রয় করা জায়েয যেই পরিমাণ সেই বস্তু
হতে বাদ করা বা পৃথক করে রাখা তহার জন্য জায়েয রয়েছে। আর সেই পরিমাণ হচ্ছে
এক-তৃতীয়াংশ বা উহা হতে কম, এক-তৃতীয়াংশ হতে বেশি হলে তা মুযাবানার দিকে এবং
মাকরূহ (বেচাকেনা)-এর দিকে যাবে। কাজেই (বিক্রেতার জন্য) উহা হতে কিছুটা ক্রয় করা
সঙ্গত নয় কিন্তু যে পরিমাণ উহা হতে পৃথক করা (বাদ দেয়া) তার জন্য জায়েয আছে সেই
পরিমাণ (ক্রয় করতে পারবে)। আর এক-তৃতীয়াংশ বা উহা হতে কম ছাড়া পৃথক করা তার জন্য
জায়েয নয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য নেই।
পরিচ্ছেদ
২৪ :
মজুতকরা এবং মুনাফার
অপেক্ষায় থাকা
১৩২৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَا
حُكْرَةَ فِي سُوقِنَا لَا يَعْمِدُ رِجَالٌ بِأَيْدِيهِمْ فُضُولٌ مِنْ أَذْهَابٍ
إِلَى رِزْقٍ مِنْ رِزْقِ اللهِ نَزَلَ بِسَاحَتِنَا فَيَحْتَكِرُونَهُ عَلَيْنَا
وَلَكِنْ أَيُّمَا جَالِبٍ جَلَبَ عَلَى عَمُودِ كَبِدِهِ فِي الشِّتَاءِ
وَالصَّيْفِ فَذَلِكَ ضَيْفُ عُمَرَ فَلْيَبِعْ كَيْفَ شَاءَ اللهُ وَلْيُمْسِكْ
كَيْفَ شَاءَ اللهُ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর
নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, আমাদের বাজারে কেউ
ইহতিকার [১] করবে না। যেইসকল লোকের হাতে অতিরিক্ত মুদ্রা রয়েছে সেই সব লোক যেন
আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকাসমূহ; হতে কোন জীবিকা [খাদ্যশস্য] ক্রয় করে আমাদের উপর
মজুতদারী করার ইচ্ছা না করে। আর যে ব্যক্তি শীত মৌসুমে ও গ্রীষ্মকালে নিজের পিঠে
বোঝা বহন করে (খাদ্যশস্য) আনবে সে উমারের মেহমান, সে যেরূপ ইচছা বিক্রয় করুক,
যেরূপ ইচ্ছা মজুত করুক। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] মজুতদারী ইসলামের দৃষ্টিতে একটি সামাজিক অপরাধ, চড়া মূল্যে
বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাল মজুদ করে রাখার নাম ইহতিকার। ইহতিকার নিষিদ্ধ ও হারাম। হাদীসের
দৃষ্টিতে ইহতিকারকারী অপরাধী ও অভিশপ্ত। মূল্য বৃদ্ধির অপেক্ষায় চল্লিশ দিন পর্যন্ত
মাল মজুত রাখলে, সাধারণ্যে সেই মালের তীব্র প্রয়োজন থাকলে ইহতিকার নিষিদ্ধ হবে। রেওয়ায়তে
বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ইহতিকার করবে সে ব্যক্তি হতে আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কমুক্ত,
সেও আল্লাহ হতে সম্পর্ক মুক্ত (অর্থাৎ সে আল্লাহর বান্দা নয়) এবং তার কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য
হবে না। হালুয়া, মধু, তৈল, ব্যঞ্জন ইত্যাদিতে ইহতিকার নিষিদ্ধ নয়, ইহতিকার নিষিদ্ধ
খাদ্যদ্রব্য। সম্পদশালী শহরে যাতে মজুতদারীতে কোন ক্ষতি হয় না এমন ইহতিকার নিষিদ্ধ
নয়। -আওজাযুল মাসালিক
১৩২৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يُونُسَ بْنِ يُوسُفَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مَرَّ بِحَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ وَهُوَ
يَبِيعُ زَبِيبًا لَهُ بِالسُّوقِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِمَّا
أَنْ تَزِيدَ فِي السِّعْرِ وَإِمَّا أَنْ تُرْفَعَ مِنْ سُوقِنَا.
সা’ঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
ইবনু খাত্তাব (রাঃ) [একবার বাজারে] হাতিব ইবনু আমি বালতায়া (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে পথ
অতিক্রম করিতেছিলেন। তিনি [হাতিব (রাঃ)] বাজারে তাঁর কিশমিশ বিক্রয় করিতেছিলেন।
[বাজারদর হতে সস্তা মূল্যে] উমার (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ হয়তো মূল্য বাড়িয়ে বিক্রয়
করুন, নচেৎ আমাদের বাজার হতে পণ্য গুটিয়ে নিন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
[১] এটাই এক সম্প্রদায়ের অভিমত। তাঁরা বলেনঃ বাজারদরের কম মূল্যে
বিক্রয় নিষিদ্ধ, এতে অপরের ক্ষতি জড়িত আছে। ইবনু রুশদ বলেন, এটা ঠিক নয়। কম দামে বিক্রয়
মন্দ কাজ নয়। উহা নিষিদ্ধ হওয়ার কোন যুক্তি নাই। উমার (রা) কর্তৃক হাতিব ইবনু আবি বালতায়া
সাহাবীকে বাজারে অল্পদামে বিক্রয় করা হতে বারণ রাখার নির্দেশ ছিল পরামর্শ স্বরূপ। জরুরী
কোন নির্দেশ নয়। এটাও বর্ণিত আছে যে, উমার (রা) পরে হাতিবের গৃহে গিয়ে তাঁকে গৃহে বা
বাজারে যেখানে ইচ্ছা বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেনঃ আমি শহরবাসীদের মঙ্গলার্থে
এটা বলেছি। এটা জরুরী কোন হুকুম নয়। আপনি যেরূপ ইচ্ছা বিক্রয় করুন। -আওজাযুল মাসালিক
১৩২৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ
يَنْهَى عَنْ الْحُكْرَةِ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
মালিক
(রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) ইহতিকারকে নিষেধ
করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদ
২৫ :
পশুকে পশুর বিনিময়ে
বিক্রয় করা এবং উহাকে ধারে বিক্রয় করা
১৩২৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ حَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ
عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ بَاعَ جَمَلًا لَهُ
يُدْعَى عُصَيْفِيرًا بِعِشْرِينَ بَعِيرًا إِلَى أَجَلٍ.
হাসান ইবনু
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলী তালিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী
ইবনু আবী তালিব (রাঃ) তাঁর একটি উটকে, যাকে বলা হত ‘উসাইফীর’, বিশটি (ছোট) উটের
বিনিময়ে ধারে বিক্রয় করেছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩২৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ اشْتَرَى
رَاحِلَةً بِأَرْبَعَةِ أَبْعِرَةٍ مَضْمُونَةٍ عَلَيْهِ يُوفِيهَا صَاحِبَهَا
بِالرَّبَذَةِ.
নাফি’ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রাঃ) একটি রাহেলা [ভারবাহী বা সাওয়ারীর উট] ক্রয় করেছিলেন চারটি উটের
বিনিময়ে। সে রাহেলা বিক্রেতার দায়িত্বে ও জামানতে ছিল। কথা এই ছিল যে, বিক্রেতা
উহাকে ক্রেতার নিকট হস্তান্তর করবে রাবাযা [১] নামক স্থানে। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] রাবাযা মদীনা শরীফের নিকটবর্তী প্রসিদ্ধ জনপদ।
১৩২৮
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ
عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَقَالَ لَا بَأْسَ
بِذَلِكَ ২৪قَالَ
مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ
بِالْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ يَدًا بِيَدٍ وَلَا
بَأْسَ بِالْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ الْجَمَلُ
بِالْجَمَلِ يَدًا بِيَدٍ وَالدَّرَاهِمُ إِلَى أَجَلٍ قَالَ وَلَا خَيْرَ فِي
الْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ الدَّرَاهِمُ نَقْدًا
وَالْجَمَلُ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ أَخَّرْتَ الْجَمَلَ وَالدَّرَاهِمَ لَا خَيْرَ
فِي ذَلِكَ أَيْضًا
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَبْتَاعَ الْبَعِيرَ النَّجِيبَ بِالْبَعِيرَيْنِ
أَوْ بِالْأَبْعِرَةِ مِنْ الْحَمُولَةِ مِنْ مَاشِيَةِ الْإِبِلِ وَإِنْ كَانَتْ
مِنْ نَعَمٍ وَاحِدَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ
إِلَى أَجَلٍ إِذَا اخْتَلَفَتْ فَبَانَ اخْتِلَافُهَا وَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُهَا
بَعْضًا وَاخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهَا أَوْ لَمْ تَخْتَلِفْ فَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا
اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يُؤْخَذَ الْبَعِيرُ
بِالْبَعِيرَيْنِ لَيْسَ بَيْنَهُمَا تَفَاضُلٌ فِي نَجَابَةٍ وَلَا رِحْلَةٍ
فَإِذَا كَانَ هَذَا عَلَى مَا وَصَفْتُ لَكَ فَلَا يُشْتَرَى مِنْهُ اثْنَانِ
بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْهَا قَبْلَ
أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا انْتَقَدْتَ
ثَمَنَهُ
قَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي شَيْءٍ مِنْ الْحَيَوَانِ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى
فَوَصَفَهُ وَحَلَّاهُ وَنَقَدَ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ جَائِزٌ وَهُوَ لَازِمٌ
لِلْبَائِعِ وَالْمُبْتَاعِ عَلَى مَا وَصَفَا وَحَلَّيَا وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ
مِنْ عَمَلِ النَّاسِ الْجَائِزِ بَيْنَهُمْ وَالَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ
أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
ইবনু শিহাব (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস
করলেন একটি পশুর বিনিময়ে দুটি পশু ধারে বিক্রয় করা সম্বন্ধে। তিনি বললেন, এতে কোন
ক্ষতি নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসয়ালা এই যে, উটকে অনুরূপ উটের বিনিময়ে
অতিরিক্ত কয়েক দিরহামসহ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই নগদ আদান প্রদান হলে। আর উটকে
অনুরূপ উটের বিনিময়ে কয়েক দিরহাম বাড়তিসহ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। উটের বিনিময়ে
উট নগদ এবং দিরহাম ধারে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উট বিক্রয় করা অনুরূপ উটের বিনিময়ে অতিরিক্ত কতিপয় দিরহামসহঃ
দিরহাম নগদ ও উট ধারে [বিক্রয়] এতে কোন মঙ্গল নেই। [অর্থাৎ উহা জায়েয নয়], আর যদি
উট এবং দিরহাম উভয়ে ধারে বিক্রয় হয়, তবে এতেও মঙ্গল নাই। [অর্থাৎ এটাও জায়েয নয়]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ অভিজাত উট ছোট ভার বহনকারী দুই কিংবা কতিপয় উটের বিনিময়ে ক্রয়
করাতে কোন দোষ নেই। যদিও উভয় উট এক দল এক বংশের হয়। এদের দুই উটকে এক উটের বিনিময়ে
ধারে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদি উভয়ে গুণাবলির দিক দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয় এবং
তাদের পার্থক্য স্পষ্টত প্রকাশ পায়। পক্ষান্তরে তাদের একটি আর একটির সদৃশ হয়,
কিন্তু জাত ভিন্ন হোক বা না হোক, তবে তাদের দুইটিকে একটির বিনিময়ে ধারে ক্রয় করা
যাবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মাকরূহ ক্রয়ের দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা এই, দুই উটের বিনিময়ে এক উট
গ্রহণ করা, অথচ এতদুভয়ের [অর্থাৎ দুই বিনিময়কৃত উটের] মধ্যে ভারবহন ক্ষমতা এবং
আভিজাত্যে কোন পার্থক্য নেই। যদি ইহা এইরূপ [সমপর্যায়ের] হয় যেরূপ আমরা বর্ণনা
করেছি তবে উহা হতে দুটিকে একটির বিনিময়ে ধারে ক্রয় করা যাবে না। উহা হতে যা ক্রয়
করা হল তা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রেতা ছাড়া অন্যের হাতে উহাকে বিক্রয় জায়েয আছে।
যদি উহার [ক্রয়কৃত পশুর] মূল্য নগদ পরিশোধ করা হয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন পশুকে মেয়াদে ক্রয় করলে, সেই পশুর গুণাগুণ ও আকৃতি খুলে
বর্ণনা করা হলে এবং মূল্য নগদ পরিশোধ করা হলে তবে ইহা জায়েয হবে। এই বেচাকেনা
বিক্রেতা এবং ক্রেতার পক্ষে তাদের উভয়ের বর্ণনা মুতাবিক [মানিয়া লওয়া] জরুরী হবে।
এইরূপ বেচাকেনা লোকের মধ্যে বৈধ বেচাকেনা রূপে সর্বদা চলে এসেছে। আমাদের শহরের
আহলে ‘ইলম [‘উলামা] সর্বদা এই মতের উপর স্থির রয়েছেন।
পরিচ্ছেদ
২৬ :
পশুর অবৈধ বিক্রয়
১৩২৯
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ
وَكَانَ بَيْعًا يَتَبَايَعُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ الرَّجُلُ يَبْتَاعُ
الْجَزُورَ إِلَى أَنْ تُنْتَجَ النَّاقَةُ ثُمَّ تُنْتَجَ الَّتِي فِي بَطْنِهَا.
আবদুল্লাহ্ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
গর্ভবতী
পশুর গর্ভস্থ বাচ্চা বিক্রয় করতে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নিষেধ করেছেন। ইহা এক প্রকারের বিক্রয় যা জাহিলী যুগের লোকেরা পরস্পর এইরূপ
বেচাকেনা করত; উষ্ট্রী উহার বাচ্চা প্রসব করা অতঃপর সেই বাচ্চা (গর্ভবতী হয়ে) উহার
বাচ্চা প্রসব করা পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করেছে এক ব্যক্তি উট ক্রয় করত। (বুখারী
২১৪৩, মুসলিম ১৫১৪)
১৩৩০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّهُ قَالَ: لَا رِبًا فِي الْحَيَوَانِ وَإِنَّمَا نُهِيَ مِنْ الْحَيَوَانِ
عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ الْمَضَامِينِ وَالْمَلَاقِيحِ وَحَبَلِ الْحَبَلَةِ
وَالْمَضَامِينُ بَيْعُ مَا فِي بُطُونِ إِنَاثِ الْإِبِلِ وَالْمَلَاقِيحُ بَيْعُ
مَا فِي ظُهُورِ الْجِمَالِ. قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ أَحَدٌ
شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ بِعَيْنِهِ إِذَا كَانَ غَائِبًا عَنْهُ وَإِنْ كَانَ
قَدْ رَآهُ وَرَضِيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُدَ ثَمَنَهُ لَا قَرِيبًا وَلَا بَعِيدًا
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ يَنْتَفِعُ بِالثَّمَنِ
وَلَا يُدْرَى هَلْ تُوجَدُ تِلْكَ السِّلْعَةُ عَلَى مَا رَآهَا الْمُبْتَاعُ
أَمْ لَا فَلِذَلِكَ كُرِهَ ذَلِكَ وَلَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ مَضْمُونًا
مَوْصُوفًا.
সা’ঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
পশুতে সুদ নাই। তিন প্রকারের পশু
[-এর ক্রয়-বিক্রয়] হতে নিষেধ করা হয়েছে “মাযামীন, মালাকীহ, হাবালুল হাবালা” [এই
তিন প্রকারের ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ] । উষ্ট্রীদের উদরের বাচ্চারা হচ্ছে মাযামীন। আর
উটদের টিপঠের বীর্য হচ্ছে মালাকী আর “হাবালুল-হাবালা” হচ্ছে জাহিলী যুগের লোকেরা
পরস্পর [উষ্ট্রীর পেটের বাচ্চার] যে বেচাকেনা করত তা।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ নির্দিষ্ট কোন জানোয়ার কারো পক্ষে ক্রয় করা জায়েয নয় যদি উক্ত
পশু তার মওজুদ না থাকে। যদিও ক্রেতা (পূর্বে) উহাকে দেখে থাকে এবং (দেখার সময়) নগদ
মূল্য পরিশোধ করতে রাজী হয়ে থাকে। এই বিক্রয় জায়েয হবে না? বিক্রীত পশুর অনুপস্থিতি
অল্পদিনে হোক কিংবা বেশি দিনের হোক। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা এজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা তার মূল্য দ্বারা উপকৃত হবে। অথচ
সেই নির্দিষ্ট জানোয়ারটিকে ক্রেতা যেই অবস্থায় দেখেছিল সেই অবস্থায় পাওয়া যাবে কি
যাবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই কারণেই এটা মাকরূহ্ হয়েছে। তবে যদি বিক্রীত
বস্তুর (ভালরূপে) গুণাগুণ বিশ্লেষণ করে দেয়া হয় এবং যথাসময়ে ক্রেতার নিকট উহাকে
সোপর্দ করার ব্যাপারে বিক্রেতা দায়ী থাকে, তা হলে এই বিক্রয় জায়েয হবে।
পরিচ্ছেদ
২৭ :
গোশতের বিনিময়ে পশু
বিক্রয়
১৩৩১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ
الْحَيَوَانِ بِاللَّحْمِ.
সাঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোশতের বিনিময়ে পশু বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
(আবূ দাঊদ ১৮২ [মুরসিল])
১৩৩২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ
بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ مِنْ مَيْسِرِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ بَيْعُ
الْحَيَوَانِ بِاللَّحْمِ بِالشَّاةِ وَالشَّاتَيْنِ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
সাঈদ
ইবনু মুসায়্যাব বলতেনঃ গোশতের বিনিময়ে পশু বিক্রয় করা এবং একটি বকরী ও দুটি বকরীর
বিনিময়ে বিক্রয় করা জাহেলিয়্যাত যুগের জুয়া সদৃশ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
১৩৩৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ نُهِيَ عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِاللَّحْمِ قَالَ أَبُو
الزِّنَادِ فَقُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَرَأَيْتَ رَجُلًا اشْتَرَى
شَارِفًا بِعَشَرَةِ شِيَاهٍ فَقَالَ سَعِيدٌ إِنْ كَانَ اشْتَرَاهَا
لِيَنْحَرَهَا فَلَا خَيْرَ فِي ذَلِكَ قَالَ أَبُو الزِّنَادِ وَكُلُّ مَنْ
أَدْرَكْتُ مِنْ النَّاسِ يَنْهَوْنَ عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِاللَّحْمِ قَالَ
أَبُو الزِّنَادِ وَكَانَ ذَلِكَ يُكْتَبُ فِي عُهُودِ الْعُمَّالِ فِي زَمَانِ
أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ وَهِشَامِ بْنِ إِسْمَعِيلَ يَنْهَوْنَ عَنْ ذَلِكَ.
সাঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
গোশতের বিনিময়ে জানোয়ার বিক্রয়
করা হতে নিষেধ করা হয়েছে। আবুয যিনাদ (রহঃ) বলেনঃ আমি সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব
(রহঃ)-কে বললাম, এক ব্যক্তি দশটি বকরীর বিনিময়ে একটি উট ক্রয় করল, উহার হুকুম কি
আমাকে বলুন। সাঈদ বললেন, যদি যবেহ করার জন্য উহাকে ক্রয় করে তবে উহাতে মঙ্গল নেই
[অর্থাৎ ইহা জায়েয নয়] । আবুয যিনাদ বলেন- আমি যেসকল আহলে ইলম [উলামা]-কে পেয়েছি
তারা প্রত্যেকে গোশতের বিনিময়ে জানোয়ার বিক্রয় করা হতে নিষেধ করতেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
আযুব যিনাদ আরও বললেন- বিভিন্ন জিলার শাসনকর্তাদের নিকট আবান ইবনু উসমান ও হিশাম
ইবনু ইসমাঈল-এর শাসনকালে গোশতের বিনিময়ে জানোয়ার বিক্রয় নিষেধ করা হত।
পরিচ্ছেদ
২৮ :
গোশতের বিনিময়ে গোশত
বিক্রয়
১৩৩৪
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا
فِي لَحْمِ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ
الْوُحُوشِ أَنَّهُ لَا يُشْتَرَى بَعْضُهُ بِبَعْضٍ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ
وَزْنًا بِوَزْنٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ بِهِ وَإِنْ لَمْ يُوزَنْ إِذَا
تَحَرَّى أَنْ يَكُونَ مِثْلًا بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ.
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِلَحْمِ الْحِيتَانِ بِلَحْمِ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ
وَالْغَنَمِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْوُحُوشِ كُلِّهَا اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ
وَأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ الْأَجَلُ فَلَا خَيْرَ
فِيْهِ.
قَالَ مَالِك وَأَرَى لُحُومَ الطَّيْرِ كُلَّهَا مُخَالِفَةً لِلُحُومِ
الْأَنْعَامِ وَالْحِيتَانِ فَلَا أَرَى بَأْسًا بِأَنْ يُشْتَرَى بَعْضُ ذَلِكَ
بِبَعْضٍ مُتَفَاضِلًا يَدًا بِيَدٍ وَلَا يُبَاعُ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ إِلَى
أَجَلٍ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
উটের, গরুর ও ছাগলের গোশত এবং এই
জাতীয় কিছু পরিমাণকে বন্য পশুদের গোশত সম্বন্ধে আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই-
উহার কিছু পরিমাণের বিনিময়ে সমান সমান এবং সমওজনের এবং নগদ ছাড়া ক্রয় করা হবে না।
(উহাকে) ওজন করা না হলেও কোন দোষ নেই- যদি অনুমান উহা সমান সমান হয় এবং নগদ বিক্রয়
হয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মাছের গোশতকে উটের, গরুর ও ছাগলের গোশত এবং উহাদের সদৃশ সকল
প্রকার বন্য পশুর গোশতের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। একের বিনিময়ে দুই বা
ততোধিক [বিক্রয় করা] নগদ অর্থে। যদি এতে মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় তবে আর উহাতে মঙ্গল
নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি মনে করি, যাবতীয় পাখির গোশত চতুষ্পদ জন্তু সকলের এবং (সকল
রকম) মাছের গোশত হতে ভিন্ন। উহাদের কোন একটিকে অন্য আর একটির বিনিময়ে, কিছু
বাড়তিতে নগদ ক্রয় করাতে কোন দোষ দেখি না (অর্থাৎ জায়েয আছে), কিন্তু এদের কোন
কিছুকে ধারে বিক্রয় করা যাবে না।
পরিচ্ছেদ
২৯ :
কুকুরের মূল্য
১৩৩৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ
وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ الْكَاهِنِ يَعْنِي بِمَهْرِ الْبَغِيِّ مَا
تُعْطَاهُ الْمَرْأَةُ عَلَى الزِّنَا وَحُلْوَانُ الْكَاهِنِ رَشْوَتُهُ وَمَا
يُعْطَى عَلَى أَنْ يَتَكَهَّنَ قَالَ مَالِك أَكْرَهُ ثَمَنَ الْكَلْبِ الضَّارِي
وَغَيْرِ الضَّارِي لِنَهْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ
ثَمَنِ الْكَلْبِ.
আবূ মাসঊদ আনসারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কুকুরের মূল্য, ব্যভিচারিণীর মাহর এবং ভবিষ্যদ্বক্তার উপার্জন হতে
নিষেধ করেছেন। এর অর্থ এই ব্যভিচারিণীর মাহর যা তাকে ব্যভিচারের বিনিময়ে দেয়া হয়
তা, আর (زبزه) ভবিষ্যদ্বক্তার [১] “হুলওয়ান”
হচ্ছে তার উৎকোচ যা ভাগ্য গণনা করার জন্য তাকে দেয়া হয়। (বুখারী ২২৩৭, মুসলিম ১৫৬৭)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ শিকারী এবং অশিকারী উভয় প্রকারের কুকুরের মূল্য হারাম। কারণ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুরের মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ
করেছেন।
[১]
كاهن-যে ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা এবং অদৃশ্য জগতের খবর বলে তাকে কাহিন
বলা হয়। এ ছাড়াও জাহিলী যুগে অনেক রকমের কাহানত প্রচলিত ছিল, কেউ বলত আমার বাধ্যগত
জিন আছে, যে অনেক গোপন খবর আমার নিকট পৌঁছায়, কেউ দাবি করত- সে তার বুদ্ধি বিচক্ষণতার
দ্বারা অদৃশ্য জগতের অনেক খবর বলে দিতে পারে। কেউ বলত, আলামত দেখে সে অনেক কিছু বলে
দিতে সক্ষম, যেমন কে চুরি করেছে, কে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে ইত্যাদি খবর। এই জাতীয় কাহিনকে
আররাফ বলা হয়। আর কেউ দৈবজ্ঞকেও কাহিন বলে থাকে। হাদীসে বর্ণিত কাহিন শব্দ উপরিউক্ত
সকল প্রকারের কাহানতকে শামিল করেছে অর্থাৎ যাবতীয় কাহানতই হাদীসের শব্দের আওতাভুক্ত
হবে এবং হারাম বলে গণ্য হবে। -আওজাযুল মাসালিক।
পরিচ্ছেদ
৩০ :
সলফ এবং পণ্যাদির
ক্রয়-বিক্রয় একটির বিনিময়ে অপরটির
১৩৩৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعٍ وَسَلَفٍ ২৪২৫-قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ
يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ آخُذُ سِلْعَتَكَ بِكَذَا وَكَذَا عَلَى أَنْ
تُسْلِفَنِي كَذَا وَكَذَا فَإِنْ عَقَدَا بَيْعَهُمَا عَلَى هَذَا الْوَجْهِ
فَهُوَ غَيْرُ جَائِزٍ فَإِنْ تَرَكَ الَّذِي اشْتَرَطَ السَّلَفَ مَا اشْتَرَطَ
مِنْهُ كَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ جَائِزًا.
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى الثَّوْبُ مِنْ الْكَتَّانِ أَوْ الشَّطَوِيِّ
أَوْ الْقَصَبِيِّ بِالْأَثْوَابِ مِنَ الْإِتْرِيبِيِّ أَوْ الْقَسِّيِّ أَوْ
الزِّيقَةِ أَوْ الثَّوْبِ الْهَرَوِيِّ أَوْ الْمَرْوِيِّ بِالْمَلَاحِفِ
الْيَمَانِيَّةِ وَالشَّقَائِقِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ الْوَاحِدُ بِالْاثْنَيْنِ
أَوْ الثَّلَاثَةِ يَدًا بِيَدٍ أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ كَانَ مِنْ صِنْفٍ
وَاحِدٍ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ نَسِيئَةٌ فَلَا خَيْرَ فِيْهِ
قَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ حَتَّى يَخْتَلِفَ فَيَبِينَ اخْتِلَافُهُ فَإِذَا
أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَسْمَاؤُهُ فَلَا يَأْخُذْ
مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَذَلِكَ أَنْ يَأْخُذَ الثَّوْبَيْنِ
مِنْ الْهَرَوِيِّ بِالثَّوْبِ مِنْ الْمَرْوِيِّ أَوْ الْقُوهِيِّ إِلَى أَجَلٍ
أَوْ يَأْخُذَ الثَّوْبَيْنِ مِنْ الْفُرْقُبِيِّ بِالثَّوْبِ مِنْ الشَّطَوِيِّ
فَإِذَا كَانَتْ هَذِهِ الْأَجْنَاسُ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ فَلَا يُشْتَرَى
مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ ২৪২৮-قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ
مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ
مِنْهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বিক্রয় এবং ঋণকে যুক্ত করা হতে নিষেধ করেছেন। (সহীহ, আবূ দাঊদ ৩৫০৪,
তিরমিযী ১২৩৪)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর তফসীর (ব্যাখ্যা) এইঃ এক ব্যক্তি বলল অপর ব্যক্তিকে, আমি
আপনার পণ্য ক্রয় করব এত এত (টাকা) মূল্যে এই শর্তে যে, আপনি আমাকে এত এত (টাকা) ঋণ
দিবেন। যদি তাদের উভয়ের বেচাকেনা এর উপর সম্পাদিত হয় তবে এটা নাজায়েয হবে, আর যে
ব্যক্তি ঋণের শর্ত করেছে সে যদি শর্ত পরিহার করে তবে এই বেচাকেনা জায়েয হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন দোষ নাই বস্ত্র ক্রয় করাতে (বিভিন্ন প্রকারের যেমন-) কাতান,
সাতাবী [১] অথবা কাসারী [২] [ইত্যাদি] ইতরিবী [৩] বা কাসসী [৪], অথবা যীকো [৫]
ইত্যাদি বস্ত্রের বিনিময়ে অথবা হারাভী [৬] কিংবা মারভী [৭] বস্ত্র (ক্রয় করা)
ইয়ামনী এবং সাকায়িক [৮] ও এতদুভয়ের সদৃশ অন্য কোন বস্ত্রের বিনিময়ে একটিকে দুইটির
বিনিময়ে অথবা তিনটির বিনিময়ে, নগদ বা বাকী (ক্রয় করতে কোন দোষ নেই), যদিও এক
প্রকারের বস্ত্র হয়। যদি উহাতে [এক জাতের বস্ত্রে] ঋণ ধার প্রবেশ করে [অর্থাৎ ধারে
বিক্রয় করা হয়] তবে তাতে মঙ্গল নেই [অর্থাৎ উহা নাজায়েয] ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ (ক্রীত ও বিক্রীত বস্তুর মধ্যে) জাতগত পার্থক্য না হলে এবং সেই
পার্থক্য স্পষ্ট না হলে ধারে বিক্রয় জায়েয হবে না। আর যদি একটি অপরটির সদৃশ হয় তবে
উহাদের নাম যদিও বিভিন্ন হয় তবুও উহা হতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ
করবে না। এর দৃষ্টান্ত- যেমন হারাবী দুই বস্ত্র ধারে গ্রহণ করা মরবী কিংবা কুহী
[৯] এক বস্ত্রের বিনিময়ে বা সাতাবী এক বস্ত্রের বিনিময়ে ফুরকবী [১০] দুই বস্ত্র
গ্রহণ করা। এই সব রকমের বস্ত্র যদি এইরূপ (অর্থাৎ পরস্পর স্পষ্ট পার্থক্য না থাকে)
হয় তবে উহা হতে একটির বিনিময়ে দুটি বস্ত্র ধারে ক্রয় করা জায়েয হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই জাতীয় বস্ত্র হতে কারো ক্রীত বস্ত্রকে উহা কব্জা করার পূর্বে
যেই লোক হতে ক্রয় করা হয়েছে সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করাতে কোন
দোষ নেই। যদি উহার মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
[১]
এটা কাতান জাতীয় বস্ত্র, মিসরের সাতা নামক জনপদে এই বস্ত্র প্রস্তুত করা হয়। একে شطوى সাতাবী বলা হয়।
[২] উন্নতমানের এক প্রকার কাতান বস্ত্র।
[৩] মিসরের একটি গ্রামের নাম ইতরীব। সেই গ্রামে এই কাপড় প্রস্তুত করা হয় বলে এই বস্ত্রের
নাম ইতবিবী রাখা হয়েছে।
[৪] কাস্সী রেশমী ডোরাদার এক প্রকার বস্ত্র; মিসরের সাগরপাড়ে কাস্ নামক স্থানে এই বস্ত্র
তৈরি হয়, তাই উহাকে কাস্সী বলা হয়।
[৫] নীশাপুরের একটি মহল্লার নাম যীক সেই মহল্লায় তৈরি এই বস্ত্রের নাম যীকা।
[৬] খুরাসানের হারাভ শহরে প্রস্তু বস্ত্র।
[৭] মারভ শহরে প্রস্তুত বস্ত্র।
[৮] ছোট চাদর।
[৯] কুহী: সাদা বস্ত্র।
[১০] ফুরকবী: ফুরকব নামক স্থানে প্রস্তুত বস্ত্র অথবা কাতানের সাদা বস্ত্র।
পরিচ্ছেদ
৩১ :
পণ্যদ্রব্যাদি সলফে
বিক্রয় করা
১৩৩৭
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ
سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ
عَبَّاسٍ وَرَجُلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ رَجُلٍ سَلَّفَ فِي سَبَائِبَ فَأَرَادَ
بَيْعَهَا قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَهَا فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تِلْكَ الْوَرِقُ
بِالْوَرِقِ وَكَرِهَ ذَلِكَ ২৪৩১-قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ
أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ
بِأَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهَا بِهِ وَلَوْ أَنَّهُ بَاعَهَا مِنْ
غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ لَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ بَأْسٌ.
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ سَلَّفَ فِي
رَقِيقٍ أَوْ مَاشِيَةٍ أَوْ عُرُوضٍ فَإِذَا كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ
مَوْصُوفًا فَسَلَّفَ فِيهِ إِلَى أَجَلٍ فَحَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ
لَا يَبِيعُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ مِنْ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ بِأَكْثَرَ مِنْ
الثَّمَنِ الَّذِي سَلَّفَهُ فِيهِ قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ مَا سَلَّفَهُ فِيهِ
وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا فَعَلَهُ فَهُوَ الرِّبَا صَارَ الْمُشْتَرِي إِنْ أَعْطَى
الَّذِي بَاعَهُ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَانْتَفَعَ بِهَا فَلَمَّا حَلَّتْ
عَلَيْهِ السِّلْعَةُ وَلَمْ يَقْبِضْهَا الْمُشْتَرِي بَاعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا
بِأَكْثَرَ مِمَّا سَلَّفَهُ فِيهَا فَصَارَ أَنْ رَدَّ إِلَيْهِ مَا سَلَّفَهُ
وَزَادَهُ مِنْ عِنْدِهِ
قَالَ مَالِك مَنْ سَلَّفَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا فِي حَيَوَانٍ أَوْ عُرُوضٍ إِذَا
كَانَ مَوْصُوفًا إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ حَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا
بَأْسَ أَنْ يَبِيعَ الْمُشْتَرِي تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ الْبَائِعِ قَبْلَ أَنْ
يَحِلَّ الْأَجَلُ أَوْ بَعْدَ مَا يَحِلُّ بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يُعَجِّلُهُ
وَلَا يُؤَخِّرُهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ ذَلِكَ الْعَرْضُ إِلَّا الطَّعَامَ
فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ أَنْ يَبِيعَهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَلِلْمُشْتَرِي أَنْ
يَبِيعَ تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ
بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ أَوْ عَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يَقْبِضُ ذَلِكَ وَلَا
يُؤَخِّرُهُ لِأَنَّهُ إِذَا أَخَّرَ ذَلِكَ قَبُحَ وَدَخَلَهُ مَا يُكْرَهُ مِنْ
الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ وَالْكَالِئُ بِالْكَالِئِ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ
دَيْنًا لَهُ عَلَى رَجُلٍ بِدَيْنٍ عَلَى رَجُلٍ آخَرَ
قَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي سِلْعَةٍ إِلَى أَجَلٍ وَتِلْكَ السِّلْعَةُ
مِمَّا لَا يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ يَبِيعُهَا مِمَّنْ
شَاءَ بِنَقْدٍ أَوْ عَرْضٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَهَا مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهَا
الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ الَّذِي
ابْتَاعَهَا مِنْهُ إِلَّا بِعَرْضٍ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ
قَالَ مَالِك وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ لَمْ تَحِلَّ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ
يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِعَرْضٍ مُخَالِفٍ لَهَا بَيِّنٍ خِلَافُهُ
يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ
قَالَ مَالِك فِيمَنْ سَلَّفَ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فِي أَرْبَعَةِ أَثْوَابٍ
مَوْصُوفَةٍ إِلَى أَجَلٍ فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ تَقَاضَى صَاحِبَهَا فَلَمْ
يَجِدْهَا عِنْدَهُ وَوَجَدَ عِنْدَهُ ثِيَابًا دُونَهَا مِنْ صِنْفِهَا فَقَالَ
لَهُ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَثْوَابُ أُعْطِيكَ بِهَا ثَمَانِيَةَ أَثْوَابٍ مِنْ
ثِيَابِي هَذِهِ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا أَخَذَ تِلْكَ الْأَثْوَابَ
الَّتِي يُعْطِيهِ قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ الْأَجَلُ
فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ فَإِنَّهُ
لَا يَصْلُحُ أَيْضًا إِلَّا أَنْ يَبِيعَهُ ثِيَابًا لَيْسَتْ مِنْ صِنْفِ
الثِّيَابِ الَّتِي سَلَّفَهُ فِيهَا.
কাসিম ইবনু
মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ্ ইবুন আব্বাস
(রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তাঁকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করিতেছে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে
যে ব্যক্তি কতিপয় কাতানের পাগড়ী সলফে ক্রয় করেছে। সে সেগুলোকে কব্জা করার পূর্বে
বিক্রয় করতে ইচ্ছা করল তবে [এটা জায়েয কি?] । ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন- এটা
চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি ক্রয় করার অনুরূপ। তিনি এটাকে মাকরূহ বললেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত আমাদের মতে ক্রেতা যেই মূল্যে তা ক্রয়
করেছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে যার নিকট হতে ক্রয় করেছে তারই নিকট উহা বিক্রি করতে
ইচ্ছা করলে তবে এই বিক্রয় মাকরূহ হবে। আর যদি যে ব্যক্তির নিকট হতে উহা ক্রয় করেছে
সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে তবে এতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই, যে ব্যক্তি সলফে ক্রয় করেছে
দাস অথবা জানোয়ার কিংবা পণ্য দ্রব্য। এদের প্রত্যেকটির সঠিক গুণ বর্ণনা করা হয়েছে,
এইসব বস্তুতে সলফ করা হয়েছে মেয়াদ পর্যন্ত। অতঃপর (সেই) মেয়াদ উপস্থিত হল, তবে যেই
বস্তুতে সলফ করেছে সেই বস্তু কব্জা করার পূর্বে, যে মূল্যে সলফ করা হয়েছে সেই
মূল্যের অধিক মূল্যে সেই বস্তু যার নিকট হতে (পূর্বে) ক্রয় করেছিল তার নিকট ক্রেতা
পুনরায় বিক্রয় করবে না। কারণ যদি এইরূপ করা হয় তবে এটা সুদ [যা হারাম]। এটা যেন
এইরূপ করা হল; যেমন ক্রেতা বিক্রেতাকে দিরহাম বা দীনার দিল, বিক্রেতা উহা দ্বারা
উপকৃতও হল। তারপর যখন পণ্য ক্রেতার নিকট সোপর্দ করার সময় উপস্থিত হয়েছে তখন ক্রেতা
সেই পণ্য কব্জা করল না। বরং সে উহাকে পণ্যের মালিকের নিকট যেই মূল্যে সলফ
নির্ধারিত হয়েছিল সেই মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয় করল। ফল এই দাঁড়াল যে, যে
বস্তুকে সলফে ক্রয় করেছিল সেই বস্তু মালিকের নিকট ফেরত দিল এবং নিজের পক্ষ হতে
(আরও কিছু) অতিরিক্ত প্রদান করল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি পশু কিংবা পণ্যের ব্যাপারে যার গুণাগুণ বর্ণনা করা
হয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বর্ণ কিংবা চাঁদির সলম করেছে। অতঃপর মেয়াদ উপস্থিত
হয়েছে, তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিংবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে ক্রেতার জন্য সেই
সামগ্রীকে যেকোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কিন্তু
সেই পণ্য যেই পরিমাণই হোক না কেন উহা নগদ প্রদান করবে; মূল্য বা বিনিময়ে প্রদানে
বিলম্ব করবে না। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য হলে তবে উহাকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করা
হালাল হবে না। আর সে সামগ্রী [পশু কিংবা অন্য কোন পণ্য]-কে যার নিকট হতে উহা ক্রয়
করেছে সেই লোক ব্যতীত অন্য কারো নিকট স্বর্ণ বা চাঁদির কিংবা অন্য কোন পণ্যের
বিনিময়ে বিক্রয় করা ক্রেতার জন্য জায়েয হবে উহাকে (সেই মুহূর্তে) কব্জা করবে। উহা
কব্জা করতে বিলম্ব করবে না। কারণ বিলম্ব করলে খারাপ হবে এবং উহাতে মাকরূহ হবে। ইহা
হবে যেন ধারকে ধারে বিক্রয় করা। ধারকে ধারে বিক্রয় করার অর্থ হচ্ছে কোন ব্যক্তি
তার ঋণ যা অন্য ব্যক্তির জিম্মায় রয়েছে তা বিক্রয় করিতেছে, যেই ঋণ সে অন্য লোকের
নিকট প্রাপ্য সেই ঋণের বিনিময়ে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন বস্তুতে সলম করেছে, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত আর
সেই বস্তু খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য নয়। তবে ক্রেতা উহাকে যার নিকট ইচ্ছা মুদ্রা
কিংবা পণ্যের বিনিময়ে উহাকে পূর্ণ কব্জা করার পূর্বে যার নিকট হতে উক্ত বস্তু ক্রয়
করেছে সে ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করতে পারবে। কিন্তু যে ব্যক্তির নিকট হতে
ক্রয় করেছে সে ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করা জায়েয হবে না। তবে (যায়েয হবে) এমন পণ্যের
বিনিময়ে (বিক্রয় করা) যাকে (নগদ) কব্জা করবে, উহা কব্জা করতে বিলম্ব করবে না,
(অর্থাৎ) ধারে বিক্রয় করবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি সেই (সলমকৃত) দ্রব্য ক্রেতার কব্জায় দেওয়ার সময় উপস্থিত হয়
নিই, তবে উহাকে মালিক [বিক্রেতা]-এর নিকট ভিন্ন জাতের পণ্য যার পার্থক্য সুস্পষ্ট
এইরূপ পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই, উহাকে [সঙ্গে সঙ্গে] কব্জা করবে।
এতে বিলম্ব করবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দীনার কিংবা দিরহাম দ্বারা চারটি গুণ ও পরিচয় বর্ণিত
বস্ত্রের ব্যাপারে সলম করেছে- নির্দিষ্ট মেয়াদে, যখন মেয়াদ-এর (শেষ) সময় উপস্থিত
হল তখন উহার মালিক [ক্রেতা] উহা তলব করল, তার নিকট সেই বস্ত্র পাওয়া গেল না। বরং
(তদস্থলে) পাওয়া গেল সেই জাতীয় বস্ত্র হতে নিকৃষ্ট রকমের বস্ত্র। বস্ত্র আদায় করা
যার জিম্মায় সে ক্রেতাকে বলল, “আপনাকে চার বস্ত্রের পরিবর্তে আমার এই বস্ত্র হতে
আটটি বস্ত্র প্রদান করব।” এতে কোন দোষ নাই যদি তারা উভয়ে পরস্পর পৃথক হওয়ার পূর্বে
সেই সব বস্ত্র কব্জা করে। মালিক (রহঃ) বলেন, যদি এতে মেয়াদ প্রবেশ করে [অর্থাৎ নগদ
আদান-প্রদান না করে ধারে বিক্রয় হয়] তবে উহা জায়েয হবে না। আর যদি মেয়াদ [-এর শেষ
সময়] আসার পূর্বে এইরূপ (চার বস্ত্রের পরিবর্তে আটটি বস্ত্র গ্রহণ করা]) হয়, তবে
এটাও জায়েয হবে না। কিন্তু যদি যেই বস্ত্রে সলম করা হয়েছে সেই জাতের বস্ত্র হতে
ভিন্ন জাতের বস্ত্র ক্রেতার নিকট বিক্রয় করা হয় [তবে জায়েয হবে] ।
পরিচ্ছেদ
৩২ :
তামা, লোহা এবং
এতদুভয়ের সদৃশ ওজন করা যায় এই জাতীয় দ্রব্যাদি বিক্রয়
১৩৩৮
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا كَانَ مِمَّا
يُوزَنُ مِنْ غَيْرِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مِنْ النُّحَاسِ وَالشَّبَهِ
وَالرَّصَاصِ وَالْآنُكِ وَالْحَدِيدِ وَالْقَضْبِ وَالتِّينِ وَالْكُرْسُفِ وَمَا
أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُوزَنُ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ
اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ رِطْلُ حَدِيدٍ
بِرِطْلَيْ حَدِيدٍ وَرِطْلُ صُفْرٍ بِرِطْلَيْ صُفْرٍ.
قَالَ مَالِك وَلَا خَيْرَ فِيهِ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ إِلَى
أَجَلٍ فَإِذَا اخْتَلَفَ الصِّنْفَانِ مِنْ ذَلِكَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُمَا فَلَا
بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِنْ كَانَ
الصِّنْفُ مِنْهُ يُشْبِهُ الصِّنْفَ الْآخَرَ وَإِنْ اخْتَلَفَا فِي الْاسْمِ
مِثْلُ الرَّصَاصِ وَالْآنُكِ وَالشَّبَهِ وَالصُّفْرِ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ
يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ
قَالَ مَالِك وَمَا اشْتَرَيْتَ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا فَلَا بَأْسَ
أَنْ تَبِيعَهُ قَبْلَ أَنْ تَقْبِضَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي
اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا قَبَضْتَ ثَمَنَهُ إِذَا كُنْتَ اشْتَرَيْتَهُ كَيْلًا
أَوْ وَزْنًا فَإِنْ اشْتَرَيْتَهُ جِزَافًا فَبِعْهُ مِنْ غَيْرِ الَّذِي
اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ بِنَقْدٍ أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَذَلِكَ أَنَّ ضَمَانَهُ مِنْكَ
إِذَا اشْتَرَيْتَهُ جِزَافًا وَلَا يَكُونُ ضَمَانُهُ مِنْكَ إِذَا اشْتَرَيْتَهُ
وَزْنًا حَتَّى تَزِنَهُ وَتَسْتَوْفِيَهُ وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ
فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ كُلِّهَا وَهُوَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَمْرُ
النَّاسِ عِنْدَنَ.
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا لَا
يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ مِثْلُ الْعُصْفُرِ وَالنَّوَى وَالْخَبَطِ وَالْكَتَمِ
وَمَا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ
مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ
مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِنْ اخْتَلَفَ الصِّنْفَانِ فَبَانَ
اخْتِلَافُهُمَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُمَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى
أَجَلٍ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ
يُبَاعَ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى إِذَا قَبَضَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ
الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ ا
قَالَ مَالِك وَكُلُّ شَيْءٍ يَنْتَفِعُ بِهِ النَّاسُ مِنْ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا
وَإِنْ كَانَتْ الْحَصْبَاءَ وَالْقَصَّةَ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِمِثْلَيْهِ
إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ رِبًا وَوَاحِدٌ مِنْهُمَا بِمِثْلِهِ وَزِيَادَةُ شَيْءٍ
مِنْ الْأَشْيَاءِ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ رِبًا ااا اااا
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
যে সব বস্তু ওজন করে ক্রয় বিক্রয়
করা হয় স্বর্ণ ও চাঁদি ব্যতীত (যেমন) তামা, পিতল, রং সীসক, লোহা, কাজাব [১], তীন
[২], তুলা এবং এর সদৃশ বস্তু যা ওজন করা হয়। মালিক (রহঃ) বলেন (এই বিষয়ে) আমাদের
নিকট ফয়সালা এই, এইরূপ এক জাতের দ্রব্য হতে এক বস্তুর বিনিময় নগদ দুই বস্তুর গ্রহণ
করাতে কোন দোষ নেই। এবং এক রতল লোহা দুই রতল লোহার বিনিময়ে আর দুই রতল উৎকৃষ্ট
ধরনের তামার বিনিময়ে এক রতল উৎকৃষ্ট তামা গ্রহণ করাতেও কোন দোষ নেই। আর একই জাতের
দ্রব্যে একটির বিনিময়ে দুটি বস্তু ধারে গ্রহণ করাতে কোন মঙ্গল নেই [অর্থাৎ উহা
নাজায়েয]। আর যদি বস্তুদ্বয় একটি অপরটি হতে ভিন্ন জাতের হয় এবং উহাদের মধ্যে
বিভিন্নতা স্পষ্ট হয়, তবে সেইরূপ বস্তু হতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে
গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই আর যদি একে অপরের সদৃশ হয় যদিও উহাদের নাম বিভিন্ন রয়েছে।
যেমন-রাং, সীসক, ব্রোঞ্জ, উৎকৃষ্ট তামা, এতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে
গ্রহণ করাকে আমি মাকরূহ বলে মনে করি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই সকল দ্রব্য হতে তুমি যা ক্রয় করেছ, উহাকে যার নিকট হতে তুমি
ক্রয় করেছ সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকের কাছে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করলে কোন
দোষ নেই। যদি উহার মূল্য নগদ গ্রহণ করে থাকে এবং যদি উহাকে পরিমাপ পাত্রের দ্বারা
কিংবা ওজন করে ক্রয় করে থাকে। আর যদি আন্দাজে (স্তুপ) ক্রয় করে থাক, তবে উহাকে তুমি
বিক্রয় করতে পার যার নিকট হতে ক্রয় করেছ তাকে ভিন্ন অন্য কারো নিকট, কিংবা ধারে।
কারণ যখন আন্দাজে ক্রয় করেছ তখন উহা তোমার দায়িত্বে এসেছে, [উহার ওজন সম্পর্কে
বিক্রেতার আর কোন দায়-দায়িত্ব রইল না।], পক্ষান্তরে যদিও ওজন করে উহা ক্রয় করেছ।
তবে যাবত ওজন করে উহা নিজ কব্জায় না আনবে তাবত উহার প্রতি তোমার দায়িত্ব থাকবে না।
এই সব দ্রব্য সম্পর্কে যা আমি শুনেছি, তন্মধ্যে এটাই আমার মনঃপুত। আর লোকের আমলও
সর্বদা এর উপর রয়েছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, যে নতুন বস্তু পাত্র দ্বারা মাপা হয়,
অথবা (বাটখারা ইত্যাদির দ্বারা) ওজন করা হয় এবং উহা খাদ্য বা পানীয় দ্রব্যের মধ্যে
না হয়, যেমন-কুসুম [৩], ফলের আঁটি, গাছের পাতা [৪] কাতাম [৫] এবং উহার সাদৃশ
বস্তু। এই সকল দ্রব্যের প্রত্যেক শ্রেণী হতে একটির বিনিময়ে দুটি নগদ গ্রহণ করাতে
কোন দোষ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যাবতীয় শ্রেণির দ্রব্যাদি হতে যে কোন দ্রব্যের দ্বারা লোক উপকৃত
হয়, যদিও ছোট কংকর বা চুন হোক। এই শ্রেণীর দুই দ্রব্য হতে একটিকে দ্বিগুণ দ্রব্যের
বিনিময়ে ধারে গ্রহণ করা সুদ এবং একটিকে একটি এবং তার সাথে অতিরিক্ত কোন বস্তুর
বিনিময়ে ধারে গ্রহণ করলে উহা সুদ বলে গণ্য হবে।
[১] এক প্রকারের ঘাস, যা জানোয়ারের খাদ্য বস্তু। ফার্সীতে উহাকে
ইস্পিস্ত বা এসপাস্ত বলা হয়।-আওজায
[২] তীন-ডুমুরের মতো একটি সুখাদ্য ও বিশেষ উপকারী ফল, উর্দুতে একে বলা হয় আনজীর।
[৩] আসফল লাল বর্ণের পুষ্প বিশেষ, এটা দ্বারা কাপড় রঙানো হয়, হিন্দীতে বলা হয় কড্কা
ফুল।
[৪] বৃক্ষ হতে পশুখাদ্যের জন্য যে পাতা ঝাড়িয়া ফেলা হয় উহাকে খাবাত বলা হয়।
[৫] কাতাম এক প্রকারের তৃণঃ চুলের খিযাবে উহাকে ব্যবহার করা হয়। (আওজাযুল মাসলিক)
পরিচ্ছেদ
৩৩ :
এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয়
ঢুকান নিষিদ্ধ
১৩৩৯
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَة.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
মালিক
(রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এক বিক্রিতে দুই বিক্রি চুকান করতে নিষেধ করেছেন। (সহীহ, তিরমিযী ১২৩১, নাসাঈ
৪৬৩২, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন। [সহীহ আল-জামে] ৬৯৪৩, আর ইমাম মালিক এর নিকট
পৌছেছে মর্মে তিনি বর্ণনা করেছেন)
১৩৪০
و
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَجُلٍ ابْتَعْ لِي
هَذَا الْبَعِيرَ بِنَقْدٍ حَتَّى أَبْتَاعَهُ مِنْكَ إِلَى أَجَلٍ فَسُئِلَ عَنْ
ذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فَكَرِهَهُ وَنَهَى عَنْهُ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে বলল, “তুমি এই উটটি ক্রয় কর নগদ মূল্যে আমার উদ্দেশ্যে,
আমি উহাকে তোমা হতে বাকী ক্রয় করব [অধিক মূল্যে] ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে
এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হল। তিনি উহাকে মাকরূহ বললেন এবং এইরূপ করতে বারণ করলেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩৪১
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ
بْنَ مُحَمَّدٍ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ اشْتَرَى سِلْعَةً بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ
نَقْدًا أَوْ بِخَمْسَةَ عَشَرَ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَـى
عَنْهُا.
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ ابْتَاعَ سِلْعَةً مِنْ رَجُلٍ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ
نَقْدًا أَوْ بِخَمْسَةَ عَشَرَ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ قَدْ وَجَبَتْ
لِلْمُشْتَرِي بِأَحَدِ الثَّمَنَيْنِ إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي ذَلِكَ لِأَنَّهُ
إِنْ أَخَّرَ الْعَشَرَةَ كَانَتْ خَمْسَةَ عَشَرَ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ نَقَدَ
الْعَشَرَةَ كَانَ إِنَّمَا اشْتَرَى بِهَا الْخَمْسَةَ عَشَرَ الَّتِي إِلَى
أَجَلٍ
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى مِنْ رَجُلٍ سِلْعَةً بِدِينَارٍ نَقْدًا أَوْ
بِشَاةٍ مَوْصُوفَةٍ إِلَى أَجَلٍ قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ بِأَحَدِ الثَّمَنَيْنِ
إِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ لَا يَنْبَغِي لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍ وَهَذَا مِنْ
بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍ
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ قَالَ لِرَجُلٍ أَشْتَرِي مِنْكَ هَذِهِ الْعَجْوَةَ
خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا أَوْ الصَّيْحَانِيَّ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ أَوْ الْحِنْطَةَ
الْمَحْمُولَةَ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا أَوْ الشَّامِيَّةَ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ
بِدِينَارٍ قَدْ وَجَبَتْ لِي إِحْدَاهُمَا إِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ لَا يَحِلُّ
وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ أَوْجَبَ لَهُ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ صَيْحَانِيًّا فَهُوَ
يَدَعُهَا وَيَأْخُذُ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا مِنْ الْعَجْوَةِ أَوْ تَجِبُ
عَلَيْهِ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا مِنْ الْحِنْطَةِ الْمَحْمُولَةِ فَيَدَعُهَا
وَيَأْخُذُ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ مِنْ الشَّامِيَّةِ فَهَذَا أَيْضًا مَكْرُوهٌ لَا
يَحِلُّ وَهُوَ أَيْضًا يُشْبِهُ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنْ بَيْعَتَيْنِ فِي
بَيْعَةٍ وَهُوَ أَيْضًا مِمَّا نُهِيَ عَنْهُ أَنْ يُبَاعَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ
مِنْ الطَّعَامِ اثْنَانِ بِوَاحِدٍا.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
কাসিম ইবনু মুহাম্মদকে প্রশ্ন করা
হল এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করল নগদ মূল্যে দশ দীনারের
বিনিময়ে অথবা ধারে পনের দীনারের বিনিময়ে। তিনি উহাকে মাকরূহ মনে করলেন এবং এইরূপ
করতে নিষেধ করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তি হতে পণ্য ক্রয় করেছে নগদ দশ দীনার
মূল্যে কিংবা ধারে পনের দীনার মূল্যে, ক্রেতাকে দুই মূল্যের যেকোন একটি পরিশোধ
করতে হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা জায়েয হবে না। কারণ সে যদি দশ দীনার নগদ আদায় না করে তবে
পনের দীনার ধারে রইল। [১] আর যদি নগদ দশ দীনার আদায় করল তবে সে যেন এই দশ দীনারের
বিনিময়ে ধারে বিক্রয়ের পনর দীনারকে ক্রয় করল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তি হতে সামগ্রী ক্রয় করল নগদ এক দীনার
মূল্যে, অথবা বাকী মূল্যে এক বকরীর বিনিময়ে যার গুণাগুণ খুলে বলা হয়েছে। সে
ব্যক্তির উপর ক্রয় ওয়াজিব হয়েছে উভয় মূল্যের যে কোন এক মূল্যে। এটা মাকরূহ্ জায়েয
নাই। কারণ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয়
ঢুকাতে নিষেধ করেছেন; উহা এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয় ঢুকানোর অন্তর্ভুক্ত। [২]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি সম্বন্ধে যে অপর এক ব্যক্তিকে বলল- আমি আপনার নিকট
হতে এই ‘আজওয়া খেজুরের পনের সা’ কিংবা সায়হানীর দশ সা’ অথবা মাহমূলা’ [৩] গমের
পনের সা’ অথবা সিরীয় গমের দশ সা’ এক দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করলাম। বর্ণিত দুটি [৪]
হতে একটি আমার প্রাপ্য হবে। এটা মাকরূহ, এটা হালাল হবে না। এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয়
ঢুকানো যে নিষিদ্ধ এই বিক্রয় উহারই সদৃশ। ইহা আরও সদৃশ সেই নিষিদ্ধ বেচাকেনার যাতে
একই প্রকারের খাদ্যদ্রব্য একের বিনিময়ে দুটি বিক্রয় করা হয়।
[১] সে যেন পনের দীনারের বিনিময়ে নগদ দশ দীনার ক্রয় করে নিল।
ইহা সুদ।
[২] কাজেই এটা নিষিদ্ধ।
[৩] মাহমূলা’-ধূসর বর্ণের দেশী দানার গম।
[৪] প্রথম দৃষ্টান্তে দুই প্রকারের খেজুরের এক প্রকার খেজুর। অর্থাৎ আজওয়া এবং সায়হানী
খেজুর। দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে শামী গম ও মাহমূলা দুই প্রকারের গম হতে এক প্রকারের গম।
পরিচ্ছেদ
৩৪ :
ধোঁকার বিক্রয়
১৩৪২
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ
دِينَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْغَرَرِ ২৪৫২-قَالَ مَالِك وَمِنْ الْغَرَرِ وَالْمُخَاطَرَةِ أَنْ
يَعْمِدَ الرَّجُلُ قَدْ ضَلَّتْ دَابَّتُهُ أَوْ أَبَقَ غُلَامُهُ وَثَمَنُ
الشَّيْءِ مِنْ ذَلِكَ خَمْسُونَ دِينَارًا فَيَقُولُ رَجُلٌ أَنَا آخُذُهُ مِنْكَ
بِعِشْرِينَ دِينَارًا فَإِنْ وَجَدَهُ الْمُبْتَاعُ ذَهَبَ مِنْ الْبَائِعِ
ثَلَاثُونَ دِينَارًا وَإِنْ لَمْ يَجِدْهُ ذَهَبَ الْبَائِعُ مِنْ الْمُبْتَاعِ
بِعِشْرِينَ دِينَارًا قَالَ مَالِك وَفِي ذَلِكَ عَيْبٌ آخَرُ إِنَّ تِلْكَ
الضَّالَّةَ إِنْ وُجِدَتْ لَمْ يُدْرَ أَزَادَتْ أَمْ نَقَصَتْ أَمْ مَا حَدَثَ
بِهَا مِنْ الْعُيُوبِ فَهَذَا أَعْظَمُ الْمُخَاطَرَة
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مِنْ الْمُخَاطَرَةِ وَالْغَرَرِ
اشْتِرَاءَ مَا فِي بُطُونِ الْإِنَاثِ مِنْ النِّسَاءِ وَالدَّوَابِّ لِأَنَّهُ
لَا يُدْرَى أَيَخْرُجُ أَمْ لَا يَخْرُجُ فَإِنْ خَرَجَ لَمْ يُدْرَ أَيَكُونُ
حَسَنًا أَمْ قَبِيحًا أَمْ تَامًّا أَمْ نَاقِصًا أَمْ ذَكَرًا أَمْ أُنْثَى
وَذَلِكَ كُلُّهُ يَتَفَاضَلُ إِنْ كَانَ عَلَى كَذَا فَقِيمَتُهُ كَذَا وَإِنْ
كَانَ عَلَى كَذَا فَقِيمَتُهُ كَذَا ِ
قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي بَيْعُ الْإِنَاثِ وَاسْتِثْنَاءُ مَا فِي
بُطُونِهَا وَذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ ثَمَنُ شَاتِي
الْغَزِيرَةِ ثَلَاثَةُ دَنَانِيرَ فَهِيَ لَكَ بِدِينَارَيْنِ وَلِي مَا فِي
بَطْنِهَا فَهَذَا مَكْرُوهٌ لِأَنَّهُ غَرَرٌ وَمُخَاطَرَةٌ
قَالَ مَالِك وَلَا يَحِلُّ بَيْعُ الزَّيْتُونِ بِالزَّيْتِ وَلَا الْجُلْجُلَانِ
بِدُهْنِ الْجُلْجُلَانِ وَلَا الزُّبْدِ بِالسَّمْنِ لِأَنَّ الْمُزَابَنَةَ
تَدْخُلُهُ وَلِأَنَّ الَّذِي يَشْتَرِي الْحَبَّ وَمَا أَشْبَهَهُ بِشَيْءٍ
مُسَمًّى مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهُ لَا يَدْرِي أَيَخْرُجُ مِنْهُ أَقَلُّ مِنْ
ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرُ فَهَذَا غَرَرٌ وَمُخَاطَرَةٌ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ
أَيْضًا اشْتِرَاءُ حَبِّ الْبَانِ بِالسَّلِيخَةِ فَذَلِكَ غَرَرٌ لِأَنَّ
الَّذِي يَخْرُجُ مِنْ حَبِّ الْبَانِ هُوَ السَّلِيخَةُ وَلَا بَأْسَ بِحَبِّ
الْبَانِ بِالْبَانِ الْمُطَيَّبِ لِأَنَّ الْبَانَ الْمُطَيَّبَ قَدْ طُيِّبَ
وَنُشَّ وَتَحَوَّلَ عَنْ حَالِ السَّلِيخَةِ
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ بَاعَ سِلْعَةً مِنْ رَجُلٍ عَلَى أَنَّهُ لَا نُقْصَانَ
عَلَى الْمُبْتَاعِ إِنَّ ذَلِكَ بَيْعٌ غَيْرُ جَائِزٍ وَهُوَ مِنْ
الْمُخَاطَرَةِ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ كَأَنَّهُ اسْتَأْجَرَهُ بِرِبْحٍ إِنْ
كَانَ فِي تِلْكَ السِّلْعَةِ وَإِنْ بَاعَ بِرَأْسِ الْمَالِ أَوْ بِنُقْصَانٍ
فَلَا شَيْءَ لَهُ وَذَهَبَ عَنَاؤُهُ بَاطِلًا فَهَذَا لَا يَصْلُحُ
وَلِلْمُبْتَاعِ فِي هَذَا أُجْرَةٌ بِمِقْدَارِ مَا عَالَجَ مِنْ ذَلِكَ وَمَا
كَانَ فِي تِلْكَ السِّلْعَةِ مِنْ نُقْصَانٍ أَوْ رِبْحٍ فَهُوَ لِلْبَائِعِ
وَعَلَيْهِ وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ إِذَا فَاتَتْ السِّلْعَةُ وَبِيعَتْ فَإِنْ
لَمْ تَفُتْ فُسِخَ الْبَيْعُ بَيْنَهُمَا
قَالَ مَالِك فَأَمَّا أَنْ يَبِيعَ رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ سِلْعَةً يَبُتُّ
بَيْعَهَا ثُمَّ يَنْدَمُ الْمُشْتَرِي فَيَقُولُ لِلْبَائِعِ ضَعْ عَنِّي
فَيَأْبَى الْبَائِعُ وَيَقُولُ بِعْ فَلَا نُقْصَانَ عَلَيْكَ فَهَذَا لَا بَأْسَ
بِهِ لِأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْمُخَاطَرَةِ وَإِنَّمَا هُوَ شَيْءٌ وَضَعَهُ لَهُ
وَلَيْسَ عَلَى ذَلِكَ عَقَدَا بَيْعَهُمَا وَذَلِكَ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَمْرُ
عِنْدَنَا
সা’ঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ধোঁকার বিক্রয় নিষেধ করেছেন। (সহীহ, ইমাম মুসলিম অন্য সনদে আবূ
হুরাইরা থেকে বর্ণনা করেছেন ১৫১৩, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত সনদটি মুরসাল)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ধোঁকা ও সংশয়ের বিক্রয় হচ্ছে এইরূপ- যেমন, এক ব্যক্তির জানোয়ার
হারানো গিয়েছে কিংবা তার দাস পালিয়েছে, [সে এই অবস্থাতে উহা বিক্রয় করতে ইচ্ছুক
হল] উহার মূল্য হচ্ছে পঞ্চাশ দীনার। আর এক ব্যক্তি বলল, আমি আপনার নিকট হতে ইহা
ক্রয় করলাম বিশ দীনারের মূল্যে। অতঃপর যদি ক্রেতা উহা পায় তবে ত্রিশ দীনার
বিক্রেতা হতে চলে যাবে। আর না পেলে বিক্রেতা ক্রেতা হতে কুড়ি দীনার (পূর্বেই)
পকেটস্থ করেছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এতে অপর একটি ত্রুটি রয়েছে, তা এই, হারানো জানোয়ার [বা পলাতক
দাস] যদি পাওয়াও যায় (তবুও) জানা যায়নি যে, উহাতে (কিছু) বৃদ্ধি হয়েছে না ঘাটতি
হয়েছে, কিংবা উহাতে কোন দোষ জন্মেছে। এটা বড় রকমের ঝুঁকি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ফায়সালা এই, মাদী জানোয়ার এবং স্ত্রীলোকের পেটের
বাচ্চা ক্রয় করাও ঝুঁকি এবং ধোঁকার মধ্যে গণ্য। কারণ পেটের বাচ্চা বের হবে কি হবে
না জানা নাই। যদি বের হয় তবে জানা নাই যে, উহা সুন্দর হবে না কুশ্রী হবে? পূর্ণ
হবে না অসম্পূর্ণ হবে? নর হবে না নারী হবে? এর প্রত্যেকটিই মূল্যের ব্যাপারে
তারতম্য হওয়ার কারণ হয়। এইরূপ হলে, উহার মূল্য এই হবে, এইরূপ হলে উহার মূল্য
অন্যরূপ হবে। [ইত্যাদি ইত্যাদি]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্ত্রী জাতীয় পশুদেরকে বিক্রয় করে উহাদের গর্ভস্থ বাচ্চাদেরকে
বিক্রয় হতে বাদ রাখা জায়েয নয়, ইহা এইরূপ- যেমন কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলল,
আমার এই দুধাল বকরীর মূল্য হচ্ছে তিন দীনার, কিন্তু দুই দীনার মূল্যে তোমাকে
প্রদান করিতেছি। উহার গর্ভস্থ বাচ্চা আমার জন্য থাকবে, ইহা মাকরূহ। কারণ ইহাতেও
ধোঁকা রয়েছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যাইতুন তৈলের বিনিময়ে যাইতুন ফল বিক্রয় করা এবং তিল নিঃসৃত
তৈলের বিনিময়ে তিল শস্য বিক্রয় করা। ঘি-এর বিনিময়ে পনির বিক্রয় করা জায়েয নয়। কারণ
এতে ‘মুযাবানা’ প্রবেশ করে থাকে, আর এই কারণেও এটা না-জায়েয যে, যে ব্যক্তি শস্য
হতে নিঃসৃত নির্দিষ্ট পরিমাণ বস্তুর বিনিময়ে শস্য ক্রয় করিতেছে এটা জানা নাই যে,
উহা হতে সেই পরিমাণের কম উৎপন্ন হবে না বেশি উৎপন্ন হবে। কাজেই এটাও ধোঁকার
অন্তর্ভুক্ত হল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ হাব্বুল-বান [১] [বান বা বকায়ন বৃক্ষের শস্য]-কে উহা ‘সলীখা’-র
বিনিময়ে ক্রয় করাও নাজায়েয। কারণ এতে ধোঁকা রয়েছে। কারণ ‘সলীখা’ হচ্ছে
হাব্বুল-বান হতে নিঃসৃত তৈল। তবে সুগন্ধ বান তৈলের বিনিময়ে হাব্বুল-বান ক্রয় করাতে
কোন দোষ নেই। কারণ সুগন্ধ বানে অন্য দ্রব্য মিশান হয়েছে, উহাকে সুগন্ধযুক্ত করা
হয়েছে। তাই উহা কেবল মাত্র হাব্বুল-বান নিঃসৃত ‘সলীখা’ রূপে অবশিষ্ট নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির নিকট কোন সামগ্রী বিক্রয় করল এবং বলল
যে, লোকসান সম্পর্কে ক্রেতার কোন দায়িত্ব নেই। [২] এটা জায়েয নয়। এটা ধোঁকার
অন্তর্ভুক্ত, এর ব্যাখ্যা এই, সে যেন এই সামগ্রীতে যে লাভ অর্জিত হয় উহা তাকে
(ক্রেতাকে) বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে দিয়েছে। যদি এই মাল খরিদ মূল্যে বা লোকসানে
বিক্রয় করে তবে সে (ক্রেতা) কিছু পাবে না এবং তার শ্রম বৃথা যাবে। ইহা জায়েয নয়।
(জায়েয তখন হবে যখন) ক্রেতা তার শ্রমের মজুরি পাবে শ্রম পরিমাণ। আর এই বস্তুতে যা
লাভ লোকসান হবে, উহা বিক্রেতার প্রাপ্য হবে। ইহা তখন যখন সেই সামগ্রী বিক্রয় হয়ে
যায় কিংবা ধ্বংস হয়। যদি উহা নষ্ট না হয় তবে উভয়ের মধ্যকার বেচাকেনা বাতিল হয়ে
যাবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট কোন মাল বিক্রয় করল
স্পষ্টরূপে, অতঃপর ক্রেতা লজ্জিত হল অর্থাৎ খরিদ করে লজ্জিত এবং বিক্রেতার নিকট
বলল- কিছু মূল্য কমিয়ে দিন। বিক্রেতা তা স্বীকার করল না এবং বলল- আপনি এই মাল
বিক্রয় করুন, আপনার কোন লোকসান নাই। এটা জায়েয হবে। কারণ ইহা ধোঁকা নয় বরং এটা
তার উপর হতে লাঘব করা হল। বেচাকেনা এই লাঘব করার শর্তের উপর অনুষ্ঠিত হয়নি। এটাই
আমাদের নিকট ফয়সালা।
[১] এক প্রকারের শস্য, এই গাছের পাতা নিম পাতার মতো। -আওজাযুল
মাসালিক
[২] যেমন বকর খালিদের নিকট বস্ত্র বিক্রয় করল পঞ্চাশ দীনার মূল্যে এবং খালিদকে বলল,
আপনি যত দামে পারেন বিক্রয় করুন। লাভ হলে আপনার প্রাপ্য হবে। আর যদি লোকসান হয় তবে
এটা আমি বহন করব।
পরিচ্ছেদ
৩৫ :
মুলামাসা ও মুনাবাযা
১৩৪৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ وَعَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ
الْمُلَامَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ.
قَالَ مَالِك وَالْمُلَامَسَةُ أَنْ يَلْمِسَ الرَّجُلُ الثَّوْبَ وَلَا
يَنْشُرُهُ وَلَا يَتَبَيَّنُ مَا فِيهِ أَوْ يَبْتَاعَهُ لَيْلًا وَلَا يَعْلَمُ
مَا فِيهِ وَالْمُنَابَذَةُ أَنْ يَنْبِذَ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ ثَوْبَهُ
وَيَنْبِذَ الْآخَرُ إِلَيْهِ ثَوْبَهُ عَلَى غَيْرِ تَأَمُّلٍ مِنْهُمَا
وَيَقُولُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا هَذَا بِهَذَا فَهَذَا الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ
مِنْ الْمُلَامَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ
قَالَ مَالِك فِي السَّاجِ الْمُدْرَجِ فِي جِرَابِهِ أَوْ الثَّوْبِ الْقُبْطِيِّ
الْمُدْرَجِ فِي طَيِّهِ إِنَّهُ لَا يَجُوزُ بَيْعُهُمَا حَتَّى يُنْشَرَا
وَيُنْظَرَ إِلَى مَا فِي أَجْوَافِهِمَا وَذَلِكَ أَنَّ بَيْعَهُمَا مِنْ بَيْعِ
الْغَرَرِ وَهُوَ مِنْ الْمُلَامَسَةِ
قَالَ مَالِك وَبَيْعُ الْأَعْدَالِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ مُخَالِفٌ لِبَيْعِ
السَّاجِ فِي جِرَابِهِ وَالثَّوْبِ فِي طَيِّهِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ فَرَقَ
بَيْنَ ذَلِكَ الْأَمْرُ الْمَعْمُولُ بِهِ وَمَعْرِفَةُ ذَلِكَ فِي صُدُورِ
النَّاسِ وَمَا مَضَى مِنْ عَمَلِ الْمَاضِينَ فِيهِ وَأَنَّهُ لَمْ يَزَلْ مِنْ
بُيُوعِ النَّاسِ الْجَائِزَةِ وَالتِّجَارَةِ بَيْنَهُمْ الَّتِي لَا يَرَوْنَ
بِهَا بَأْسًا لِأَنَّ بَيْعَ الْأَعْدَالِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ عَلَى غَيْرِ
نَشْرٍ لَا يُرَادُ بِهِ الْغَرَرُ وَلَيْسَ يُشْبِهُ الْمُلَامَسَةَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম মুনাবাযা হতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ২১৪৬, মুসলিম ১৫১১)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুলামাসা হচ্ছে এই, এক ব্যক্তি বস্ত্র স্পর্শ করল সে উহা খুলে
দেখল না এবং তাতে কি দোষ-গুণ রয়েছে তাও বর্ণনা করা হয়নি। কিংবা রাত্রিতে উহা ক্রয়
করল তাতে কি আছে তা সে জ্ঞাত নয়। আর মুনাবাযা হল, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির দিকে
তার বস্ত্র ছুঁড়ে মারল, অপর ব্যক্তিও তার বস্ত্র ইহার দিকে ছুঁড়ে মারল, কোন প্রকার
চিন্তা-ভাবনা না করে (এটা করল) এবং একে অপরকে বলল-ইহা উহার বিনিময়ে (বেচাকেনা
হয়েছে) [১] হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে মুলামাসা ও মুনাবাযা হতে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সাজ [২] যা ঝোলাতে আবদ্ধ রয়েছে কিংবা থানবন্দী কিবতী [৩] বস্ত্র
এতদুভয়কে না খুলে এবং ভিতরে কি রয়েছে না দেখে বিক্রয় করা জায়েয নয়। কারণ [এই
অবস্থায়] এতদুভয়ের বিক্রয় ধোঁকার বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা হচ্ছে নিষিদ্ধ
মুলামাসার একটি রূপ।
মালিক (রহঃ) বলেছেন- বস্তা বা গাঁইটবন্দী মাল ফর্দ সম্বলিত অবস্থায় বিক্রয় করা
ঝোলাতে সাজ বস্ত্র বা থানে কাপড় বা এতদুভয়ের সদৃশ কোন বস্তু বিক্রয় করার মতো নয়।
[এতদুভয়ের মধ্যে] পার্থক্য এই- ব্যবহারে এটার প্রচলন ও পরিচয় রয়েছে। [‘উলামা
শ্রেণির] লোকের সীনাতে এটার অর্থাৎ বিষয়টি তাঁদের জানা আছে। পূর্বের মনীষী ও
‘উলামা এটার মতো কাজ করেছেন এবং লোকের মধ্যে বৈধ বিক্রয় হিসেবে সর্বদা এটা চালু
রয়েছে। অন্যপক্ষে তারা এটাতে কোন দোষ মনে করেন না। কারণ গাঁইট বা বস্তা ফর্দ
সম্বলিত অবস্থায় উহাকে না খুলে বিক্রয় করাতে ধোঁকার কোন ইচ্ছা করা হয় না। ইহা
মুলামাসার অন্তর্ভুক্ত নয়।
[১] অর্থাৎ আমার বস্ত্র আপনার বস্ত্রের বিনিময়ে আর আপনার বস্ত্র
আমার বস্ত্রের বিনিময়ে বেচাকেনা হয়েছে।
[২] সাজ সবুজ বা কাল বর্ণের এক প্রকারের চাদর যা খতীব বা কাযীগণ খুৎবা প্রদানের সময়
বা এজলাশে বসার সময় পরিধান করেন আর কেউ কেউ বলেছেন যে, এটা এক প্রকারের পশমী বস্ত্র।
-আওজাযুল মাসালিক
[৩] মিসরীয় খ্রিস্টানদেরকে বলা হয় কিবত সেইখানের তৈরি বস্ত্র হচ্ছে কিবতী।
পরিচ্ছেদ
৩৬ :
লাভে বিক্রয়
১৩৪৪
حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ
عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْبَزِّ يَشْتَرِيهِ الرَّجُلُ بِبَلَدٍ ثُمَّ يَقْدَمُ
بِهِ بَلَدًا آخَرَ فَيَبِيعُهُ مُرَابَحَةً إِنَّهُ لَا يَحْسِبُ فِيهِ أَجْرَ
السَّمَاسِرَةِ وَلَا أَجْرَ الطَّيِّ وَلَا الشَّدِّ وَلَا النَّفَقَةَ وَلَا
كِرَاءَ بَيْتٍ فَأَمَّا كِرَاءُ الْبَزِّ فِي حُمْلَانِهِ فَإِنَّهُ يُحْسَبُ فِي
أَصْلِ الثَّمَنِ وَلَا يُحْسَبُ فِيهِ رِبْحٌ إِلَّا أَنْ يُعْلِمَ الْبَائِعُ
مَنْ يُسَاوِمُهُ بِذَلِكَ كُلِّهِ فَإِنْ رَبَّحُوهُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ بَعْدَ
الْعِلْمِ بِهِ فَلَا بَأْسَ بِهِ
قَالَ مَالِك فَأَمَّا الْقِصَارَةُ وَالْخِيَاطَةُ وَالصِّبَاغُ وَمَا أَشْبَهَ
ذَلِكَ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْبَزِّ يُحْسَبُ فِيهِ الرِّبْحُ كَمَا يُحْسَبُ فِي
الْبَزِّ فَإِنْ بَاعَ الْبَزَّ وَلَمْ يُبَيِّنْ شَيْئًا مِمَّا سَمَّيْتُ
إِنَّهُ لَا يُحْسَبُ لَهُ فِيهِ رِبْحٌ فَإِنْ فَاتَ الْبَزُّ فَإِنَّ الْكِرَاءَ
يُحْسَبُ وَلَا يُحْسَبُ عَلَيْهِ رِبْحٌ فَإِنْ لَمْ يَفُتْ الْبَزُّ فَالْبَيْعُ
مَفْسُوخٌ بَيْنَهُمَا إِلَّا أَنْ يَتَرَاضَيَا عَلَى شَيْءٍ مِمَّا يَجُوزُ بَيْنَهُمَا
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْمَتَاعَ بِالذَّهَبِ أَوْ بِالْوَرِقِ
وَالصَّرْفُ يَوْمَ اشْتَرَاهُ عَشَرَةُ دَرَاهِمَ بِدِينَارٍ فَيَقْدَمُ بِهِ
بَلَدًا فَيَبِيعُهُ مُرَابَحَةً أَوْ يَبِيعُهُ حَيْثُ اشْتَرَاهُ مُرَابَحَةً
عَلَى صَرْفِ ذَلِكَ الْيَوْمِ الَّذِي بَاعَهُ فِيهِ فَإِنَّهُ إِنْ كَانَ
ابْتَاعَهُ بِدَرَاهِمَ وَبَاعَهُ بِدَنَانِيرَ أَوْ ابْتَاعَهُ بِدَنَانِيرَ
وَبَاعَهُ بِدَرَاهِمَ وَكَانَ الْمَتَاعُ لَمْ يَفُتْ فَالْمُبْتَاعُ
بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَخَذَهُ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَهُ فَإِنْ فَاتَ الْمَتَاعُ
كَانَ لِلْمُشْتَرِي بِالثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهُ بِهِ الْبَائِعُ وَيُحْسَبُ
لِلْبَائِعِ الرِّبْحُ عَلَى مَا اشْتَرَاهُ بِهِ عَلَى مَا رَبَّحَهُ الْمُبْتَاعُ
قَالَ مَالِك وَإِذَا بَاعَ رَجُلٌ سِلْعَةً قَامَتْ عَلَيْهِ بِمِائَةِ دِينَارٍ
لِلْعَشَرَةِ أَحَدَ عَشَرَ ثُمَّ جَاءَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنَّهَا قَامَتْ
عَلَيْهِ بِتِسْعِينَ دِينَارًا وَقَدْ فَاتَتْ السِّلْعَةُ خُيِّرَ الْبَائِعُ
فَإِنْ أَحَبَّ فَلَهُ قِيمَةُ سِلْعَتِهِ يَوْمَ قُبِضَتْ مِنْهُ إِلَّا أَنْ
تَكُونَ الْقِيمَةُ أَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي وَجَبَ لَهُ بِهِ الْبَيْعُ
أَوَّلَ يَوْمٍ فَلَا يَكُونُ لَهُ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ وَذَلِكَ مِائَةُ
دِينَارٍ وَعَشْرَةُ دَنَانِيرَ وَإِنْ أَحَبَّ ضُرِبَ لَهُ الرِّبْحُ عَلَى
التِّسْعِينَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الَّذِي بَلَغَتْ سِلْعَتُهُ مِنْ الثَّمَنِ
أَقَلَّ مِنْ الْقِيمَةِ فَيُخَيَّرُ فِي الَّذِي بَلَغَتْ سِلْعَتُهُ وَفِي
رَأْسِ مَالِهِ وَرِبْحِهِ وَذَلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ دِينَارًا
قَالَ مَالِك وَإِنْ بَاعَ رَجُلٌ سِلْعَةً مُرَابَحَةً فَقَالَ قَامَتْ عَلَيَّ
بِمِائَةِ دِينَارٍ ثُمَّ جَاءَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنَّهَا قَامَتْ بِمِائَةٍ
وَعِشْرِينَ دِينَارًا خُيِّرَ الْمُبْتَاعُ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَى الْبَائِعَ
قِيمَةَ السِّلْعَةِ يَوْمَ قَبَضَهَا وَإِنْ شَاءَ أَعْطَى الثَّمَنَ الَّذِي
ابْتَاعَ بِهِ عَلَى حِسَابِ مَا رَبَّحَهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ إِلَّا أَنْ
يَكُونَ ذَلِكَ أَقَلَّ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ السِّلْعَةَ
فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُنَقِّصَ رَبَّ السِّلْعَةِ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي
ابْتَاعَهَا بِهِ لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ رَضِيَ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا جَاءَ رَبُّ
السِّلْعَةِ يَطْلُبُ الْفَضْلَ فَلَيْسَ لِلْمُبْتَاعِ فِي هَذَا حُجَّةٌ عَلَى
الْبَائِعِ بِأَنْ يَضَعَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ عَلَى
الْبَرْنَامَجِ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
বায [বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জাম]
সম্বন্ধে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, এক ব্যক্তি এ শহর হতে বস্ত্র বা গৃহ
সরঞ্জাম বা গৃহ সরঞ্জাম ক্রয় করল। অতঃপর সেই সব সরঞ্জাম অন্য শহরে নিয়ে গেল। তথায়
সেসব বস্তু লাভে বিক্রয় করল। তবে দ্রব্যমূল্যে দালালের মজুরি, কাপড় ভাঁজ করা,
গাঁইট বাঁধা এবং অন্যান্য ব্যয় হিসেব করা হবে না এবং ঘর ভাড়াও উহাতে হিসেব করা হবে
না। তবে বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জামের পরিবহন মজুরি আসল মূল্যে গণ্য করা হবে। বস্ত্র
বিক্রেতা ক্রেতার নিকট যাবতীয় ভাড়া ও মজুরির বিবরণ জানিয়ে দিবে। এইসব অবগত হওয়ার
পর ক্রেতাগণ যদি বিক্রেতাকে মুনাফা প্রদান করে তবে এতে কোন দোষ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ বস্ত্রের ধোলাই, সেলাই ও রং করার এবং এই জাতীয় আর যে কাজ করা
হয়, সব বস্ত্রের স্থলে গণ্য করা হবে। উহাতে লাভ হিসেব করা হবে যেমন হিসেব করা হবে
আসল বস্ত্রের, যদি বিক্রেতা বস্ত্র বিক্রয় করল (অথচ) আপনি যা (উপরের বর্ণনায়)
শুনলেন তার কোন কিছুই ক্রেতার নিকট সে বর্ণনা করল না তবে সে বিক্রেতার জন্য এটাতে
কোন মুনাফা ধরা হবে না। যদি বস্ত্র বিনষ্ট হয় তবে উহার উপর ভাড়া হিসেব করা হবে
কিন্তু মুনাফা ধরা হবে না। আর যদি বস্ত্র বিনষ্ট না হয় তবে ক্রেতা বিক্রেতার
মধ্যকার বেচাকেনা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তারা উভয়ে জায়েয কিছুর উপর পরস্পর রাজী
হয় [তবে জায়েয হবে]।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণ (দীনার) কিংবা চাঁদি (দিরহাম)-এর বিনিময়ে কোন
পণ্যদ্রব্য ক্রয় করল, আর ক্রয়ের দিন স্বর্ণমুদ্রার বাজারদর ছিল প্রতি দীনার দশ
দিরহাম, অতঃপর ক্রেতা সেই পণ্য অন্য শহরে নিয়ে এল এবং উহাকে মুনাফায় বিক্রয় করতে লাগল
কিংবা যেই শহরে উহা ক্রয় করেছে, সেই শহরেই ক্রয়ের দিনের বাজারদরে উহাকে লাভে
বিক্রয় করতে লাগল। সে যদি উহাকে দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করেছিল এবং বিক্রয় করল
দীনারের বিনিময়ে কিংবা ক্রয় করেছিল দীনারের বিনিময়ে এবং বিক্রয় করল দিরহামের
বিনিময়ে, আর বিক্রীত পণ্য এখনও বিনষ্ট হয়নি, তবে ক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে; ইচ্ছা
করলে উহা গ্রহণ করবে, ইচ্ছা করলে প্রত্যাখ্যান করবে। আর যদি বিক্রীত পণ্য বিনষ্ট
হয়ে যায় তবে বিক্রেতা সেই মূল্যে উহাকে ক্রয় করেছিল সেই মূল্যে পণ্য ক্রেতার
প্রাপ্য হবে, বিক্রেতাকে দেয়া হবে বর্ধিত মুনাফা তার ক্রয় মূল্যের উপর, যে মুনাফা
ক্রেতা তাকে প্রদান করবে [অর্থাৎ উভয়ের মধ্যে যে মুনাফা নির্ধারিত হয়েছে]।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন পণ্য বিক্রয় করেছে যার পড়তা পড়েছে, একশত দীনার,
(বিক্রয় করেছে) প্রতি দশ দীনারে এগার দীনার করে। [১] পরে সে (বিক্রেতা) জানতে পারল
যে, উহা পড়েছে নব্বই দীনার। এইদিকে ক্রেতার নিকট পণ্য বিনষ্ট হয়েছে। [২] তবে
বিক্রেতাকে ইখতিয়ার দেয়া হবে; পছন্দ করলে সে পণ্যের কব্জা করার দিনের মূল্য গ্রহণ
করবে। কিন্তু যদি ক্রেতার নিকট বিক্রয় যেই দিন ধার্য হয়েছে সেই দিন হতে যেই মূল্যে
বিক্রয় ঠিক হয়েছিল উহা প্রথম দিনের মূল্য হতে অধিক হয়, তবে সে এর অধিক পাবে না।
(যেই মূল্যে বিক্রয় ঠিক হয়েছিল) সেই মূল্য হচ্ছে একশত দশ দীনার। কিংবা সে যদি
পছন্দ করে নিরানব্বই-এর উপর তার জন্য (শতকরা দশ দীনার হারে) মুনাফা যোগ করা হবে।
কিন্তু যদি পণ্যের পড়তা হতে কম হয়, তবে তাকে ইখতিয়ার দেয়া হবে। পণ্যের যে পড়তা
পড়েছে সে পড়তা এবং মুনাফাসহ আসল দামের মধ্যে। তার হচ্ছে নিরানব্বই দীনার। যেটি
ইচ্ছা সে গ্রহণ করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি কোন পণ্য বিক্রয় করেছে মুনাফা করে। সে বললঃ আমার
নিকট এর পড়তা পড়েছে একশত দীনার। পরে তার নিকট প্রকাশ হল যে, উক্ত পণ্যের পড়তা
পড়েছে একশত বিশ দীনার করে, (এমতাবস্থায়) ক্রেতাকে ইখতিয়ার দেয়া হবে, যদি সে ইচ্ছা
করে তবে বিক্রেতাকে যেই দিন সে এই পণ্য কব্জা করেছে সেই দিনকার মূল্য আদায় করিবে,
অথবা ইচ্ছা করিলে বিক্রেতা যখন এই পণ্য ক্রয় করেছিল সেই সময়কার মূল্য (নির্ধারিত হারে)
মুনাফা হিসেবে যা দাঁড়ায় তাসহ বিক্রেতার নিকট পরিশোধ করবে। কিন্তু যেই দিন কব্জা
করেছে সেই দিনের মূল্য যদি ক্রেতা যেই দামে পণ্য ক্রয় করেছে সেই দাম হতে কম হয় তবে
যেই দামে ক্রেতা পণ্য ক্রয় করেছে সেই দাম হতে পণ্যের মালিককে কম মূল্য দেয়ার
ইখতিয়ার থাকবে না। কারণ সে (ক্রেতা) এতে (অসত্য মূল্য ও মুনাফাতে) রাজী হয়েছিল
(এবং) পণ্যের মালিক (পূর্বে যে মূল্য বলেছিল উহার উপর) অতিরিক্ত দাবি করিতেছে, তাই
বিল বা ফর্দ-এর উপর যেই মূল্যে উহা ক্রয় করেছে সেই মূল্য হতে কমানোর জন্য
বিক্রেতাকে বাধ্য করার অধিকার ক্রেতার নেই।
[১] অর্থাৎ শতকরা দশ দীনার মুনাফার উপর বিক্রয় করেছে।
[২] বিক্রয় করেছে অথবা নষ্ট করেছে কিংবা উহাতে এমন কোন খুঁত সৃষ্টি করেছে যার দূষ বিক্রেতাকে
দেওয়া যায় না।
পরিচ্ছেদ
৩৭ :
‘বরনামজ’ [১] বা বিলের
উপর বিক্রয় করা
[১] বরনামজ ফার্সীতে বরনামা- এমন
কাগজখণ্ড যাতে বিক্রিত মালের বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে। যাকে ব্যবসার পরিভাষায় বিল বা
ইনভয়েস বলা হয়। কোন কোন স্থানের ভাষায় একে চোতাও বলা হয়।
১৩৪৫
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْقَوْمِ يَشْتَرُونَ
السِّلْعَةَ الْبَزَّ أَوْ الرَّقِيقَ فَيَسْمَعُ بِهِ الرَّجُلُ فَيَقُولُ
لِرَجُلٍ مِنْهُمْ الْبَزُّ الَّذِي اشْتَرَيْتَ مِنْ فُلَانٍ قَدْ بَلَغَتْنِي
صِفَتُهُ وَأَمْرُهُ فَهَلْ لَكَ أَنْ أُرْبِحَكَ فِي نَصِيبِكَ كَذَا وَكَذَا
فَيَقُولُ نَعَمْ فَيُرْبِحُهُ وَيَكُونُ شَرِيكًا لِلْقَوْمِ مَكَانَهُ فَإِذَا
نَظَرَ إِلَيْهِ رَآهُ قَبِيحًا وَاسْتَغْلَاهُ قَالَ مَالِك ذَلِكَ لَازِمٌ لَهُ
وَلَا خِيَارَ لَهُ فِيهِ إِذَا كَانَ ابْتَاعَهُ عَلَى بَرْنَامَجٍ وَصِفَةٍ
مَعْلُومَةٍ
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقْدَمُ لَهُ أَصْنَافٌ مِنْ الْبَزِّ وَيَحْضُرُهُ
السُّوَّامُ وَيَقْرَأُ عَلَيْهِمْ بَرْنَامَجَهُ وَيَقُولُ فِي كُلِّ عِدْلٍ
كَذَا وَكَذَ مِلْحَفَةً بَصْرِيَّةً وَكَذَا وَكَذَا رَيْطَةً سَابِرِيَّةً
ذَرْعُهَا كَذَا وَكَذَا وَيُسَمِّي لَهُمْ أَصْنَافًا مِنْ الْبَزِّ
بِأَجْنَاسِهِ وَيَقُولُ اشْتَرُوا مِنِّي عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ فَيَشْتَرُونَ
الْأَعْدَالَ عَلَى مَا وَصَفَ لَهُمْ ثُمَّ يَفْتَحُونَهَا فَيَسْتَغْلُونَهَا
وَيَنْدَمُونَ قَالَ مَالِك ذَلِكَ لَازِمٌ لَهُمْ إِذَا كَانَ مُوَافِقًا
لِلْبَرْنَامَجِ الَّذِي بَاعَهُمْ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ
الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ النَّاسُ عِنْدَنَا يُجِيزُونَهُ بَيْنَهُمْ إِذَا
كَانَ الْمَتَاعُ مُوَافِقًا لِلْبَرْنَامَجِ وَلَمْ يَكُنْ مُخَالِفًا لَهُ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমাদের নিকট মাসআলা এই- একদল লোক
পণ্য ক্রয় করল- কাপড় অথবা ক্রীতদাস, এই সংবাদ আর এক ব্যক্তি শুনল। সে ক্রেতাদের
একজনকে বলল- আপনি অমুক হতে যে বস্ত্র ক্রয় করেছেন উহার অবস্থা ও গুণাগুণ আমি অবহিত
আছি। আপনার অংশের পণ্যে আমি আপনাকে এত এত মুনাফা দিব, এতে আপনি আগ্রহী আছেন কি? সে
বলল, হ্যাঁ, সে (দ্বিতীয়বারের ক্রেতা) উহাকে (বিক্রেতাকে) লাভ দিল এবং ক্রেতাদের
দলে বিক্রেতার স্থলে শরীক হয়ে গেল, তারপর যখন সে বস্ত্র বা ক্রীতদাস নিরীক্ষা করে
দেখল উহাকে খারাপ পেল এবং উহার মূল্য অতিরিক্ত মনে করল। মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই
বেচাকেনা এবং উহা গ্রহণ (বিল দেখে যে ক্রয় করেছে) তার জন্য জরুরী হবে এবং (উহা রদ
করার) ইখতিয়ার তার থাকবে না। যদি সে নির্দিষ্ট গুণাগুণ জেনে বিল দেখে ক্রয় করে
থাকে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি বিভিন্ন জাতের বস্ত্র আমদানী করেছে। (সে সব বস্ত্র
ক্রয় করার জন্য) তার কাছে ক্রেতাগণ উপস্থিত হতে লাগল। তিনি তাদেরকে বরনামা (বিল)
পাঠ করে শোনালেন। তিনি বললেন, প্রতি গাঁইটে এত এত বসরীয় মিলতাফা রয়েছে এবং এত এত
সারবীয় রাইতা রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণির বস্ত্রের বিভিন্ন প্রকার দর নির্দিষ্ট করলেন।
আরও সে বলল, আপনারা আমার নিকট হতে এই বর্ণিত গুণাগুণের বস্ত্রসমূহ ক্রয় করুন, তারা
বর্ণিত গুণের উপর সেই বস্ত্রের গাঁইটসমূহ ক্রয় করলেন। অতঃপর গাঁইট খোলার পর তারা
বস্ত্রসমূহের দাম অতিরিক্ত হয়েছে বলে মনে করলেন এবং (এই ক্রয়ের উপর) লজ্জিত হলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে বিলের সপক্ষে তাদের নিকট মাল বিক্রয় করা হয়েছে সে বিল
অনুযায়ী গাঁইটে মাল পাওয়া গেল এবং মাল বিলের বিপরীত না হলে তবে ইহা (ক্রয়) তাদের
জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
পরিচ্ছেদ
৩৮ :
যে ক্রয়-বিক্রয়ে
ক্রেতা-বিক্রেতা দু’জনের ইখতিয়ার থাকে (বায়’উল-খিয়ার)
১৩৪৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّا رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُتَبَايِعَانِ كُلُّ وَاحِدٍ
مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ عَلَى صَاحِبِهِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا إِلَّا بَيْعَ
الْخِيَارِ قَالَ مَالِك وَلَيْسَ لِهَذَا عِنْدَنَا حَدٌّ مَعْرُوفٌ وَلَا أَمْرٌ
مَعْمُولٌ بِهِ فِيْهِ.
আবদুল্লাহ্ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে তার অপর পক্ষের উপর,
যতক্ষণ যাবত তারা পৃথক না হয়ে যায়। কিন্তু “বায়-উল-খিয়ার” [১] -এর ব্যাপার
স্বতন্ত্র। (বুখারী ২১১১, মুসলিম ১৫৩১)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই ব্যাপারে আমাদের নিকট কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, এই প্রকার
সময়সীমা নির্ধারণ মদীনার আলিমগণও করেননি।
[১] ক্রয়-বিক্রয় বহাল রাখা কিংবা উহাকে রদ করে দেয়া এতদুভয়ের
মধ্যে যেটি পছন্দনীয় সেটি গ্রহণ করার ইখতিয়ার থাকার নাম “বায়‘উল-খিয়ার”।
১৩৪৭
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ
بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا بَيِّعَيْنِ تَبَايَعَا فَالْقَوْلُ مَا قَالَ
الْبَائِعُ أَوْ يَتَرَادَّانِ. قَالَ مَالِك فِيمَنْ بَاعَ مِنْ رَجُلٍ سِلْعَةً
فَقَالَ الْبَائِعُ عِنْدَ مُوَاجَبَةِ الْبَيْعِ أَبِيعُكَ عَلَى أَنْ
أَسْتَشِيرَ فُلَانًا فَإِنْ رَضِيَ فَقَدْ جَازَ الْبَيْعُ وَإِنْ كَرِهَ فَلَا
بَيْعَ بَيْنَنَا فَيَتَبَايَعَانِ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ يَنْدَمُ الْمُشْتَرِي
قَبْلَ أَنْ يَسْتَشِيرَ الْبَائِعُ فُلَانًا إِنَّ ذَلِكَ الْبَيْعَ لَازِمٌ
لَهُمَا عَلَى مَا وَصَفَا وَلَا خِيَارَ لِلْمُبْتَاعِ وَهُوَ لَازِمٌ لَهُ إِنْ
أَحَبَّ الَّذِي اشْتَرَطَ لَهُ الْبَائِعُ أَنْ يُجِيزَهُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي السِّلْعَةَ مِنْ
الرَّجُلِ فَيَخْتَلِفَانِ فِي الثَّمَنِ فَيَقُولُ الْبَائِعُ بِعْتُكَهَا
بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ وَيَقُولُ الْمُبْتَاعُ ابْتَعْتُهَا مِنْكَ بِخَمْسَةِ
دَنَانِيرَ إِنَّهُ يُقَالُ لِلْبَائِعِ إِنْ شِئْتَ فَأَعْطِهَا لِلْمُشْتَرِي
بِمَا قَالَ وَإِنْ شِئْتَ فَاحْلِفْ بِاللهِ مَا بِعْتَ سِلْعَتَكَ إِلَّا بِمَا
قُلْتَ فَإِنْ حَلَفَ قِيلَ لِلْمُشْتَرِي إِمَّا أَنْ تَأْخُذَ السِّلْعَةَ بِمَا
قَالَ الْبَائِعُ وَإِمَّا أَنْ تَحْلِفَ بِاللهِ مَا اشْتَرَيْتَهَا إِلَّا بِمَا
قُلْتَ فَإِنْ حَلَفَ بَرِئَ مِنْهَا وَذَلِكَ أَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا
مُدَّعٍ عَلَى صَاحِبِهِ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)
হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে
কোন ক্রেতা-বিক্রেতা বেচা-কেনাতে আবদ্ধ হয় (তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে) তবে
বিক্রেতার কথাই গ্রাহ্য হবে অথবা উভয়ে রদ করে দিবে (বিক্রেতা মূল্য ফিরিয়ে দিবে
এবং ক্রেতা বিক্রিত বস্তু ফিরিয়ে দিবে) (সহীহ, তিরমিযী ১২৭০, আলবানী হাদীসটিকে
সহীহ বলেছেন [সহীহ আল-জামে] ২৮৮, আর ইমাম মালিক এর নিকট হাদীসটি পৌছেছে মর্মে
বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট কোন পণ্য বিক্রয় করেছে, বেচাকেনা
সুনিশ্চিত করার সময় বিক্রেতা বললঃ আমি এই পণ্য আপনার নিকট এই শর্তে বিক্রয়
করলাম-আমি অমুক লোকের সঙ্গে (এই বিষয়ে) পরামর্শ করব। আর যদি সে এতে রাজী না থাকে
তাকে আমাদের মধ্যে কোন ক্রয়-বিক্রয় অবশিষ্ট থাকবে না। এই শর্ত মেনে উভয়ে পরস্পর
ক্রয়-বিক্রয় করল। অতঃপর ক্রেতা অনুতপ্ত হল বিক্রেতা কর্তৃক পরামর্শ গ্রহণ করার
পূর্বে। (এমতাবস্থায়) তাদের উভয়ের বর্ণনা মুতাবিক এই ক্রয়-বিক্রয় উভয়ের জন্য
বাধ্যতামূলক হবে এবং ক্রেতার কোন ইখতিয়ার (এই ব্যাপারে) থাকবে না যে ইখতিয়ারের
শর্তারোপ করেছিল নিজের জন্য (অর্থাৎ বিক্রেতা) সে যদি এই ক্রয়-বিক্রয় চালু ও বৈধ
করতে পছন্দ [১] করে তবে ক্রেতার পক্ষে উহা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক হবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই- এক ব্যক্তি আর এক ব্যাক্তি হতে পণ্য
ক্রয় করল তাদের উভয়ের মধ্যে পণ্যের দামের ব্যাপারে মতবিরোধ ঘটল। বিক্রেতা বলিতেছে,
এই বস্তু আমি আপনার নিকট দশ দীনার মূল্যে বিক্রয় করেছি। ক্রেতা বলিতেছে- এই বস্তু
আমি আপনার নিকট হতে পাঁচ দীনার মূল্যে ক্রয় করেছি। তখন বিক্রেতাকে বলা হবে আপনি
ইচ্ছা করলে ক্রেতা যা বলেছে সেই দামে ক্রেতাকে দিয়ে দিন। আর যদি আপনি ইচ্ছা করেন
আল্লাহর নামে হলফ করুন আমি যেই দাম বলেছি সেই দাম ব্যতীত (অন্য দামে) আপনার নিকট
বিক্রয় করিনি। সে (বিক্রেতা) হলফ করলে পর ক্রেতাকে বলা হবে আপনি বিক্রেতা যে দাম
বলেছে সেই দামে হয়ত পণ্য গ্রহণ করুন, নচেৎ আপনিও আল্লাহর নামে হলফ করুন- এই পণ্য
আমি যে দাম বলেছি সেই দামেই ক্রয় করেছি। যদি সে হলফ করে তবে সে পণ্য (গ্রহণ করা)
হতে মুক্তি পেল, ইহা (অর্থাৎ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের হলফ করা) এই জন্য যে, তাদের
প্রত্যেকে অপর পক্ষের উপর দাবিদার রইল বটে।
[১] অর্থাৎ ইখতিয়ার থাকবে এই শর্তে বেচাকেনা হলে সেই বেচাকেনাতে
তারা উভয়ে পৃথক হয়ে গেলেও ইখতিয়ার বহাল থাকবে। -আওজাযুল মাসালিক
পরিচ্ছেদ
৩৯ :
ঋণে সুদ
১৩৪৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ
عُبَيْدٍ أَبِي صَالِحٍ مَوْلَى السَّفَّاحِ أَنَّهُ قَالَ: بِعْتُ بَزًّا لِي
مِنْ أَهْلِ دَارِ نَخْلَةَ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ أَرَدْتُ الْخُرُوجَ إِلَى
الْكُوفَةِ فَعَرَضُوا عَلَيَّ أَنْ أَضَعَ عَنْهُمْ بَعْضَ الثَّمَنِ
وَيَنْقُدُونِي فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَالَ لَا آمُرُكَ
أَنْ تَأْكُلَ هَذَا وَلَا تُوكِلَهُ.
সফফাহ-এর মাওলা
উবাইদ আবী সালিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
কিছু বস্ত্র বিক্রয় করলাম মেয়াদের উপর দার-ই নাখলা [১] -এর বাসিন্দাদের নিকট।
অতঃপর আমি কুফায় যাওয়ার মনস্থ করলাম। তারা আমাকে বলল, আমি তাদেরকে দাম কমিয়ে দিলে
তার মূল্য নগদে আদায় করবে। আমি এই বিষয়ে যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম।
তিনি বললেন- আমি তোমার জন্য এটা (মালের অর্থ) আহার করা জায়েয করব না এবং অন্যকে তা
(আহার) করানোও ইহা জায়েয করব না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] মদীনার একটি মহল্লা। তথায় কাপড় তৈরি করা হয়। কেউ কেউ বলেছেন,
এটা তায়েফ ও মক্কার মধ্যবর্তী কোন জায়গা। -আওজায
১৩৪৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَفْصِ بْنِ خَلْدَةَ عَنْ ابْنِ
شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ
سُئِلَ عَنْ الرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ الدَّيْنُ عَلَى الرَّجُلِ إِلَى أَجَلٍ
فَيَضَعُ عَنْهُ صَاحِبُ الْحَقِّ وَيُعَجِّلُهُ الْآخَرُ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ
اللهِ بْنُ عُمَرَ وَنَهَى عَنْهُ.
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্
ইবনু উমার (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যার মেয়াদী ঋণ রয়েছে অন্য
এক ব্যক্তির উপর, অতঃপর ঋণদাতা (কিছু পরিমাণ ঋণ) গ্রহীতা হতে কমিয়ে দিল এবং
ঋণগ্রহীতা (মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ঋণের অর্থ) ঋণদাতাকে নগদ প্রদান করল।
আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) এটা মাকরূহ মনে করলেন এবং এটা করতে নিষেধ করলেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩৫০
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ الرِّبَا فِي
الْجَاهِلِيَّةِ أَنْ يَكُونَ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ الْحَقُّ إِلَى أَجَلٍ
فَإِذَا حَلَّ الْأَجَلُ قَالَ أَتَقْضِي أَمْ تُرْبِي فَإِنْ قَضَى أَخَذَ
وَإِلَّا زَادَهُ فِي حَقِّهِ وَأَخَّرَ عَنْهُ فِي الْأَجَلِ ২৪৮১-قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمَكْرُوهُ
الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنْ يَكُونَ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ
الدَّيْنُ إِلَى أَجَلٍ فَيَضَعُ عَنْهُ الطَّالِبُ وَيُعَجِّلُهُ الْمَطْلُوبُ
وَذَلِكَ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يُؤَخِّرُ دَيْنَهُ بَعْدَ مَحِلِّهِ
عَنْ غَرِيمِهِ وَيَزِيدُهُ الْغَرِيمُ فِي حَقِّهِ قَالَ فَهَذَا الرِّبَا
بِعَيْنِهِ لَا شَكَّ فِيهِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ عَلَى
الرَّجُلِ مِائَةُ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا حَلَّتْ قَالَ لَهُ الَّذِي
عَلَيْهِ الدَّيْنُ بِعْنِي سِلْعَةً يَكُونُ ثَمَنُهَا مِائَةَ دِينَارٍ نَقْدًا
بِمِائَةٍ وَخَمْسِينَ إِلَى أَجَلٍ هَذَا بَيْعٌ لَا يَصْلُحُ وَلَمْ يَزَلْ
أَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ
لِأَنَّهُ إِنَّمَا يُعْطِيهِ ثَمَنَ مَا بَاعَهُ بِعَيْنِهِ وَيُؤَخِّرُ عَنْهُ
الْمِائَةَ الْأُولَى إِلَى الْأَجَلِ الَّذِي ذَكَرَ لَهُ آخِرَ مَرَّةٍ
وَيَزْدَادُ عَلَيْهِ خَمْسِينَ دِينَارًا فِي تَأْخِيرِهِ عَنْهُ فَهَذَا
مَكْرُوهٌ وَلَا يَصْلُحُ وَهُوَ أَيْضًا يُشْبِهُ حَدِيثَ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ
فِي بَيْعِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا حَلَّتْ دُيُونُهُمْ
قَالُوا لِلَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ إِمَّا أَنْ تَقْضِيَ وَإِمَّا أَنْ تُرْبِيَ
فَإِنْ قَضَى أَخَذُوا وَإِلَّا زَادُوهُمْ فِي حُقُوقِهِمْ وَزَادُوهُمْ فِي
الْأَجَلِ.
যায়দ ইবনু আসলাম
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাহিলি যুগে সুদ ছিল এইরূপ- এক
ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী হক রয়েছে যখন হক আদায় করার মুহূর্ত উপস্থিত হত
তখন ঋণগ্রহীতাকে বলা হত; আমার হক আদায় করবে, না ঋণ বৃদ্ধি করে সময় বাড়িয়ে নিবে?
(এখন) ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ শোধ করে (তবে ভাল কথা), অন্যথায় ঋণের হার বাড়িয়ে দেয়া হত
এবং ঋণদাতা মেয়াদ আরও পিছিয়ে দিত (এটাই ছিল জাহিলিয়ার সুদ) । (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাকরূহ বিষয় যাতে কোন দ্বিমত নেই তা হচ্ছে এই, এক
ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী ঋণ রয়েছে। ঋণদাতা কিছু পরিমাণ ঋণ কমিয়ে দিল,
ঋণগ্রহীতা (মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে) ঋণ পরিশোধ করে দিল। মালিক (রহঃ) বলেন, এটা
আমাদের নিকট এইরূপ যেমন কোন ব্যক্তি ঋণ আদায়ের সময় যখন উপস্থিত হল তখন ঋণগ্রহীতার
জন্য মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিল (এর পরিবর্তে) ঋণগ্রহীতা ঋণদাতার জন্য ঋণ (পরিশোধ করার
সময়) কিছু বাড়িয়ে দিল, এটাই প্রকৃত সুদ যাতে কোন সন্দেহ নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির অপর এক ব্যক্তির উপর একশত দীনার (ঋণ) রয়েছে মেয়াদে
পরিশোধযোগ্য। যখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হল তখন ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে বলল- আমার কাছে একটি
পণ্য বিক্রয় কর, যার নগদ মূল্য একশত দীনার এবং বাকী মূল্য হচ্ছে দেড়শত দীনার।
মালিক (রহঃ) বলেন, এই বিক্রয় জায়েয হবে না আহলে ‘ইলম (উলামা) সর্বদা এটা হতে নিষেধ
করতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা এজন্য মাকরূহ্ যে, সে (ক্রেতা) এটা (বিক্রেতা)-কে বিক্রীত
বস্তুর মূল্য পরিশোধ করিতেছে, বিক্রেতা ক্রেতাকে দ্বিতীয়বার সেই সময় উল্লেখ করেছে
সেই সময় পর্যন্ত ক্রেতার জন্য মেয়াদ পিছিয়ে দিতেছে এবং এই পিছিয়ে দেয়ার জন্য
অতিরিক্ত পঞ্চাশ দীনার তার উপর বৃদ্ধি করল, এটা মাকরূহ, জায়েয নয়। যায়দ ইবনু আসলাম
(রহঃ)-এর হাদীসের বর্ণিত জাহিলি যুগের বেচাকেনার ইহা সদৃশ; তার ঋণ আদায় করার যখন
মেয়াদ উপস্থিত হত তখন তারা ঋণগ্রহীতাকে বলত, হয়ত ঋণ পরিশোধ কর, নচেৎ ঋণে কিছু
বাড়তি দাও অতঃপর যদি (ঋণগ্রহীতা) ঋণ পরিশোধ করে, তারা উহা গ্রহণ করত, আর (যথাসময়ে)
পরিশোধ না করত, তবে তার তাদের প্রাপ্য হকসমূহে কিছু পরিমাণ বৃদ্ধি করে দিত এবং
ঋণগ্রহীতার জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে দিত।
পরিচ্ছেদ
৪০ :
ঋণ এবং হাওল বা
হাওয়ালা [১] -এর বিধান
[১] একজনের ঋণ পরিশোধের দায়-দায়িত্ব জিম্মায় ঋণ
রয়েছে তাকে ব্যতীত অন্য ব্যক্তির হাওয়ালা বা সোপর্দ করা। -আওজায
১৩৫১
حَدَّثَنَا
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَطْلُ
الْغَنِيِّ ظُلْمٌ وَإِذَا أُتْبِعَ أَحَدُكُمْ عَلَى مَلِيءٍ فَلْيَتْبَعْ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন (হক আদায় করতে) সক্ষম ব্যক্তির তালবাহানা
অন্যায় বটে, আর তোমাদের কাউকেও যদি ধনবান ব্যক্তির হওয়ালা করা হয় তবে সেই হাওয়ালা
গ্রহণ করিও। [১] (বুখারী ২২৮৭, মুসলিম ১৫৬৪)
[১] হক ও ঋণ ইত্যাদির ব্যাপারে হাওয়ালা করা হলে উহা কবূল করা
মুস্তাহাব। -আওজায
১৩৫২
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ أَنَّهُ
سَمِعَ رَجُلًا يَسْأَلُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ أَبِيعُ
بِالدَّيْنِ فَقَالَ سَعِيدٌ لَا تَبِعْ إِلَّا مَا آوَيْتَ إِلَى رَحْلِكَ ২৪৮৬-قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَشْتَرِي
السِّلْعَةَ مِنْ الرَّجُلِ عَلَى أَنْ يُوَفِّيَهُ تِلْكَ السِّلْعَةَ إِلَى
أَجَلٍ مُسَمًّى إِمَّا لِسُوقٍ يَرْجُوْ نَفَاقَهَا فِيهِ وَإِمَّا لِحَاجَةٍ فِي
ذَلِكَ الزَّمَانِ الَّذِي اشْتَرَطَ عَلَيْهِ ثُمَّ يُخْلِفُهُ الْبَائِعُ عَنْ
ذَلِكَ الْأَجَلِ فَيُرِيدُ الْمُشْتَرِي رَدَّ تِلْكَ السِّلْعَةِ عَلَى
الْبَائِعِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لِلْمُشْتَرِي وَإِنَّ الْبَيْعَ لَازِمٌ لَهُ
وَإِنَّ الْبَائِعَ لَوْ جَاءَ بِتِلْكَ السِّلْعَةِ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ
لَمْ يُكْرَهْ الْمُشْتَرِي عَلَى أَخْذِهَا.
قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَشْتَرِي الطَّعَامَ فَيَكْتَالُهُ ثُمَّ يَأْتِيهِ
مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنْهُ فَيُخْبِرُ الَّذِي يَأْتِيهِ أَنَّهُ قَدْ اكْتَالَهُ
لِنَفْسِهِ وَاسْتَوْفَاهُ فَيُرِيدُ الْمُبْتَاعُ أَنْ يُصَدِّقَهُ وَيَأْخُذَهُ
بِكَيْلِهِ إِنَّ مَا بِيعَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ بِنَقْدٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ
وَمَا بِيعَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ إِلَى أَجَلٍ فَإِنَّهُ مَكْرُوهٌ حَتَّى
يَكْتَالَهُ الْمُشْتَرِي الْآخَرُ لِنَفْسِهِ وَإِنَّمَا كُرِهَ الَّذِي إِلَى
أَجَلٍ لِأَنَّهُ ذَرِيعَةٌ إِلَى الرِّبَا وَتَخَوُّفٌ أَنْ يُدَارَ ذَلِكَ عَلَى
هَذَا الْوَجْهِ بِغَيْرِ كَيْلٍ وَلَا وَزْنٍ فَإِنْ كَانَ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ
مَكْرُوهٌ وَلَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا.
قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُشْتَرَى دَيْنٌ عَلَى رَجُلٍ غَائِبٍ وَلَا
حَاضِرٍ إِلَّا بِإِقْرَارٍ مِنْ الَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ وَلَا عَلَى مَيِّتٍ
وَإِنْ عَلِمَ الَّذِي تَرَكَ الْمَيِّتُ وَذَلِكَ أَنَّ اشْتِرَاءَ ذَلِكَ غَرَرٌ
لَا يُدْرَى أَيَتِمُّ أَمْ لَا يَتِمُّ قَالَ وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ
أَنَّهُ إِذَا اشْتَرَى دَيْنًا عَلَى غَائِبٍ أَوْ مَيِّتٍ أَنَّهُ لَا يُدْرَى
مَا يَلْحَقُ الْمَيِّتَ مِنْ الدَّيْنِ الَّذِي لَمْ يُعْلَمْ بِهِ فَإِنْ لَحِقَ
الْمَيِّتَ دَيْنٌ ذَهَبَ الثَّمَنُ الَّذِي أَعْطَى الْمُبْتَاعُ بَاطِلًا قَالَ
مَالِك وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا عَيْبٌ آخَرُ أَنَّهُ اشْتَرَى شَيْئًا لَيْسَ
بِمَضْمُونٍ لَهُ وَإِنْ لَمْ يَتِمَّ ذَهَبَ ثَمَنُهُ بَاطِلًا فَهَذَا غَرَرٌ
لَا يَصْلُحُ.
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ أَنْ لَا يَبِيعَ الرَّجُلُ إِلَّا مَا
عِنْدَهُ وَأَنْ يُسَلِّفَ الرَّجُلُ فِي شَيْءٍ لَيْسَ عِنْدَهُ أَصْلُهُ أَنَّ
صَاحِبَ الْعِينَةِ إِنَّمَا يَحْمِلُ ذَهَبَهُ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَبْتَاعَ
بِهَا فَيَقُولُ هَذِهِ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَمَا تُرِيدُ أَنْ أَشْتَرِيَ لَكَ
بِهَا فَكَأَنَّهُ يَبِيعُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا بِخَمْسَةَ عَشَرَ
دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ فَلِهَذَا كُرِهَ هَذَا وَإِنَّمَا تِلْكَ الدُّخْلَةُ
وَالدُّلْسَةُ.
মূসা ইবনু মাইসারা
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তিকে সা’ঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (রহঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছেন। তিনি বললেনঃ আমি ধারে বিক্রয় করে
থাকি (নিজ আয়াত্তে আনার পূর্বে পণ্য বিক্রয় করি)। (উত্তরে) সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব
(রহঃ) বললেন- (পণ্য আয়ত্ত করার পর উহাকে) তোমার গৃহে না আনা পর্যন্ত তুমি উহা
বিক্রয় করো না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তি হতে পণ্য ক্রয় করেছে এই শর্তে-
বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের পর উহা পুরোপুরি ক্রেতার দখলে দিয়ে দিবে। হয়ত (মেয়াদ
নির্দিষ্ট করেছে) বাজার পরিস্থিতির দরুন, (নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মাল তার কাছে
হস্তান্তর করা হলে এবং তারপর মাল বাজারে ছাড়লে সে কিছু লাভ করবে বলে আশাবাদী কীংবা
মেয়াদ পর্যন্ত সে যে শর্ত করেছে এই শর্ত করার প্রয়োজন ক্রেতার রয়েছে। অতঃপর
বিক্রেতা ক্রেতার সাথে সেই মেয়াদের ব্যাপারে (শর্তের) খেলাফ করল (অর্থাৎ) মেয়াদ
পূর্ণ করল না। তাই ক্রেতা সেই পণ্য বিক্রেতার নিকট ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছা করলে, এটা
ক্রেতার পক্ষে জায়েজ হবে না। ক্রয় তার জন্য বাধ্যতামূলক হবে। আর যদি বিক্রেতা
নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে সেই পণ্য ক্রেতার নিকট উপস্থিত করে তবে উহা গ্রহণ করার
জন্য ক্রেতাকে বাধ্য করা যাবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করল, তারপর তাকে ওজন করে নিল।
অতঃপর তার নিকট হতে ক্রয় করার জন্য অন্য একজন এল, যে ক্রয় করতে এসেছে উহাকে সে
জানাল যে, সে এই খাদ্যদ্রব্য নিজের জন্য ওজন করে নিয়েছে এবং পূর্ণরূপে আয়ত্তাধীন
করেছে। এটা শুনে ক্রেতা উহাকে বিশ্বাস করে তারই প্রকাশিত ওজনে উহাকে গ্রহণ করল।
এইরূপে যা নগদ বিক্রয় করা হল এতে কোন দোষ নেই। আর অন্যের ওজনের উপর যদি ধারে
বিক্রয় করা হয় তবে উহা মাকরূহ হবে। যতক্ষণ যাবত দ্বিতীয় ক্রেতা নিজের জন্য উহা ওজন
করে না নেয়, ধারে বিক্রয় এই কারণে মাকরূহ যে, ইহা সুদের ওসীলা হয় এবং আশংকা রয়েছে
সে মাপ ও ওজন ছাড়া এভাবে বারংবার এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তাই ধারে হলে উহা
মাকরূহ্ হবে, এই বিষয়ে আমাদের মতানৈক্য নেই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ অনুপস্থিত ব্যক্তির জিম্মার ঋণ ক্রয় করা জায়েয নয়, উপস্থিত
ব্যক্তির ঋণ ক্রয় করাও জায়েয নয়। তবে যার জিম্মায় ঋণ রয়েছে সে যদি স্বীকার করে।
মৃত ব্যক্তির ঋণ ক্রয় করাও জায়েয নয়। যদিও সে যে সম্পদ রেখে গিয়েছে তা জানা থাকে।
কারণ ইহা ক্রয় করাতে ধোঁকা রয়েছে। বলা যায় না এই বিক্রীত ঋণের অর্থ উশুল হবে, না
উশুল হবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা মাকরূহ হওয়ার ব্যাখ্যা এই, যদি অনুপস্থিত ব্যক্তির কিংবা
মৃত ব্যক্তির জিম্মায় ঋণ ক্রয় করা হয়, তবে সেই মৃত ব্যক্তির জিম্মায় কি পরিমাণ ঋণ
নির্ধারিত হবে তা অজ্ঞাত, যদি মৃত ব্যক্তির জিম্মায় ঋণ নির্ধারিত হয় তবে ক্রেতা যে
মূল্য পরিশোধ করেছে উহা বৃথা যাবে। মালিক (রহঃ) বলেন- এইরূপ ক্রয়ে আরও একটি ত্রুটি
রয়েছে, তা এই ক্রেতা মুর্দা হতে এমন বস্তু ক্রয় করেছে যে বস্তুর প্রতি মুর্দার কোন
দায়িত্ব বা জামানত নাই, যদি সেই বস্তু সে পূর্ণরূপে দখল করতে না পারে তবে তার
মূল্য বৃথা যাবে, এটাই ধোঁকা, এটা না-জায়েয।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে বস্তু কারো আয়ত্তে না থাকে উহা বিক্রয় করা জায়েয নয়।
পক্ষান্তরে যেই বস্তু মূল্য বিক্রেতার আয়ত্তে নেই তার জন্য সলফ বিক্রয় বৈধ,
এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য এই, ‘ঈনা বিক্রয়ের মধ্যে ‘ঈনার মালিক অর্থ বহন করে থাকে।
যেই অর্থ দ্বারা সে ক্রয় করতে ইচ্ছুক, তাই সে যেমন এইরূপ বলিল, এই আমার নিকট দশ
দীনার রয়েছে [‘যেমন খালিদের নিকট]। আপনার [যেমন দবীরের] ইচ্ছা আছে কি আমি আপনার
পক্ষে দশ দীনার ক্রয় করি এবং আপনার পক্ষে উহাকে পনের দীনারের বিনিময়ে বিক্রয় করে।
এভাবে সে [খালিদ] যেন নগদ দশ দীনার বিক্রয় করল বাকী পনের দীনারের বিনিময়ে। এই জন্য
আমি উহাকে মাকরূহ্ বলি। ইহা সুদের ওসীলা এবং এটাও ধোঁকা।
পরিচ্ছেদ
৪১ :
শরীকানা [১] তাওলিয়া
[২] ও ইকালা [৩]
[১]
অধিকার বা ক্ষমতা প্রয়োগে একত্রিত হওয়াকে শিরকাত বা শরীকানা বলা হয়। শিরকাত কয়েক
প্রকারের হয়, যেমন শিরকাতে ‘আনান, শিরকাতে আবদান, শিরকাতে মুফাওয়াযা, শিরকাতে উজূহ।
[২] আসল মূল্যে ক্রয়কৃত বস্তুর কাউকেও মালিক করে দেয়ার নাম তাওলিয়া, যেমন রাসূলে
করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হিজরতের সময় আবূ বাকর সিদ্দীক (রা) তাঁর
খরিদ মূল্যে উট রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বিক্রয় করেছিলেন।
[৩] ক্রয় বিক্রয়ের চুক্তি বাতিল করা।
১৩৫৩
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبِيعُ الْبَزَّ
الْمُصَنَّفَ وَيَسْتَثْنِي ثِيَابً بِرُقُومِهَا إِنَّهُ إِنْ اشْتَرَطَ أَنْ
يَخْتَارَ مِنْ ذَلِكَ الرَّقْمَ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِطْ أَنْ
يَخْتَارَ مِنْهُ حِينَ اسْتَثْنَى فَإِنِّي أَرَاهُ شَرِيكًا فِي عَدَدِ الْبَزِّ
الَّذِي اشْتُرِيَ مِنْهُ وَذَلِكَ أَنَّ الثَّوْبَيْنِ يَكُونُ رَقْمُهُمَا سَوَاءً
وَبَيْنَهُمَا تَفَاوُتٌ فِي الثَّمَنِ.
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالشِّرْكِ وَالتَّوْلِيَةِ
وَالْإِقَالَةِ مِنْهُ فِي الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ قَبَضَ ذَلِكَ أَوْ لَمْ
يَقْبِضْ إِذَا كَانَ ذَلِكَ بِالنَّقْدِ وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ رِبْحٌ وَلَا
وَضِيعَةٌ وَلَا تَأْخِيرٌ لِلثَّمَنِ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ رِبْحٌ أَوْ وَضِيعَةٌ
أَوْ تَأْخِيرٌ مِنْ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَارَ بَيْعًا يُحِلُّهُ مَا يُحِلُّ
الْبَيْعَ وَيُحَرِّمُهُ مَا يُحَرِّمُ الْبَيْعَ وَلَيْسَ بِشِرْكٍ وَلَا
تَوْلِيَةٍ وَلَا إِقَالَة
قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى سِلْعَةً بَزًّا أَوْ رَقِيقًا فَبَتَّ بِهِ ثُمَّ
سَأَلَهُ رَجُلٌ أَنْ يُشَرِّكَهُ فَفَعَلَ وَنَقَدَا الثَّمَنَ صَاحِبَ
السِّلْعَةِ جَمِيعًا ثُمَّ أَدْرَكَ السِّلْعَةَ شَيْءٌ يَنْتَزِعُهَا مِنْ
أَيْدِيهِمَا فَإِنَّ الْمُشَرَّكَ يَأْخُذُ مِنْ الَّذِي أَشْرَكَهُ الثَّمَنَ
وَيَطْلُبُ الَّذِي أَشْرَكَ بَيِّعَهُ الَّذِي بَاعَهُ السِّلْعَةَ بِالثَّمَنِ
كُلِّهِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُشَرِّكُ عَلَى الَّذِي أَشْرَكَ بِحَضْرَةِ
الْبَيْعِ وَعِنْدَ مُبَايَعَةِ الْبَائِعِ الْأَوَّلِ وَقَبْلَ أَنْ يَتَفَاوَتَ
ذَلِكَ أَنَّ عُهْدَتَكَ عَلَى الَّذِي ابْتَعْتُ مِنْهُ وَإِنْ تَفَاوَتَ ذَلِكَ
وَفَاتَ الْبَائِعَ الْأَوَّلَ فَشَرْطُ الْآخَرِ بَاطِلٌ وَعَلَيْهِ الْعُهْدَةُ
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِلرَّجُلِ اشْتَرِ هَذِهِ السِّلْعَةَ
بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَانْقُدْ عَنِّي وَأَنَا أَبِيعُهَا لَكَ إِنَّ ذَلِكَ لَا
يَصْلُحُ حِينَ قَالَ انْقُدْ عَنِّي وَأَنَا أَبِيعُهَا لَكَ وَإِنَّمَا ذَلِكَ
سَلَفٌ يُسْلِفُهُ إِيَّاهُ عَلَى أَنْ يَبِيعَهَا لَهُ وَلَوْ أَنَّ تِلْكَ
السِّلْعَةَ هَلَكَتْ أَوْ فَاتَتْ أَخَذَ ذَلِكَ الرَّجُلُ الَّذِي نَقَدَ
الثَّمَنَ مِنْ شَرِيكِهِ مَا نَقَدَ عَنْهُ فَهَذَا مِنْ السَّلَفِ الَّذِي
يَجُرُّ مَنْفَعَةًااا
قَالَ مَالِك وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ سِلْعَةً فَوَجَبَتْ لَهُ ثُمَّ قَالَ
لَهُ رَجُلٌ أَشْرِكْنِي بِنِصْفِ هَذِهِ السِّلْعَةِ وَأَنَا أَبِيعُهَا لَكَ
جَمِيعًا كَانَ ذَلِكَ حَلَالًا لَا بَأْسَ بِهِ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّ هَذَا
بَيْعٌ جَدِيدٌ بَاعَهُ نِصْفَ السِّلْعَةِ عَلَى أَنْ يَبِيعَ لَهُ النِّصْفَ
الْآخَرَ ا.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বিভিন্ন জাতের বস্ত্র
বিক্রয় করিতেছে, তথা হইতে কয়েকটি বস্ত্র উহাদের চিহ্ন উল্লেখ করে বাদ দিয়ে দিল যদি
সেই বর্ণিত চিহ্নের বস্ত্র অন্যান্য বস্ত্র হতে পছন্দ করার শর্ত করে থাকে তবে
উহাতে কোন দোষ নাই, আর যদি ঐভাবে পছন্দ করে নির্ধারিত বস্ত্র হতে বস্ত্র লওয়ার
বিক্রেতা শর্ত না করে থাকে, ইস্তিস্নার শর্ত করার সময়, তবে আমি মনে করি যে, ক্রেতা
যেই বস্ত্র ক্রয় করেছে উহার সংখ্যাতে বিক্রেতা শরীক থাকবে। কারণ অনেক সময় এইরূপ হয়
যে, দুটি বস্ত্রের (رقم) [১] নিশান বা চিহ্ন এক কিন্তু
উহাদের মূল্যের মধ্যে তফাৎ রয়েছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদিতে শরীকানা, তাওলিয়া ও ইকালাতে আমাদের মতে
কোন দোষ নাই; উহা আয়ত্তে আনুক বা না আনুক। যদি শরীকানার মূলধন নগদ হয় এবং উহাতে
(অতিরিক্ত কিছু না থাকে) পূর্ণ মূল্য হতে কমানো না হয় ও মূল্য পরিশোধে বিলম্ব না
করা হয়। তবে যদি শরীকানাতে মূল্য বৃদ্ধি বা মূল্য কমানো কিংবা বিলম্ব করা বিক্রেতা
বা ক্রেতার পক্ষ হতে যুক্ত হয়, তবে উহা নূতনরূপে বেচাকেনা বলে গণ্য হবে। যেই আহকাম
বেচাকেনাকে হালাল করে ইহাকেও সেই বিধান হালাল করবে, আর যে আহকাম ক্রয়-বিক্রয়কে
হারাম করে সেই বিধান ইহাকেও হারাম করবে। ইহা প্রকৃতপক্ষে অংশীদারিত্ব ও তাওলিয়া
কিংবা ইকালা নয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি (যেমন খালিদ) পণ্য ক্রয় করেঃ (বকর হতে) বস্ত্র বা
ক্রীতদাস (অথবা অন্য কোন পণ্য) এবং নিশ্চিতরূপে ক্রয় করে (কোন শর্ত উহাতে না থাকে)
অতঃপর জনৈক ব্যক্তি (যেমন মাইমুনা) উক্ত পণ্যে তাকে শরীক করার অনুরোধ জানাল।
সে (খালিদ) উহাকে (মায়মুনাকে) অংশীদারিত্ব প্রদান করল এবং তারা উভয়ে পণ্যের
মালিককে মূল্য নগদ পরিশোধ করল। অতঃপর পণ্যে এমন কোন কারণ উদ্ভব হল যাতে উভয়ের
মালিকানা হতে পণ্য বের হয়ে গেল। [২] তবে যে তাকে শরীক করেছিল সেই ব্যক্তি (খালিদ)
হতে যাকে পণ্যে শরীক করা হয়েছিল সে (অর্থাৎ মায়মুনা) মূল্য ফেরত নিবে এবং যে পণ্য
বিক্রয় করেছে তার নিকট (খালিদের নিকট) মূল্য দাবি করবে। তবে যে ব্যক্তি শরীক করেছে
সে (খালিদ) যাকে শরীক করেছে তার নিকট (মায়মুনার নিকট) (প্রথম) বিক্রয়ের সময় এবং
প্রথম বিক্রেতার বেচাকেনার সময়, বেচাকেনার মজলিশ পরিবর্তিত হওয়ার পূর্বে যদি এই
মর্মে শর্তারোপ করে থাকে, “আপনার দায়িত্ব যার নিকট হতে আপনি ক্রয় করলেন তার [৩]
উপর।” পক্ষান্তরে যদি ক্রয়-বিক্রয়ের মজলিশ বদল হয় এবং প্রথম বিক্রেতা (অর্থাৎ বকর)
মৃত্যুবরণ করে, তবে ক্রেতা ব্যক্তির (অর্থাৎ খালিদের) শর্ত বাতিল বলে গণ্য হবে এবং
যাবতীয় দায়িত্ব তার উপরই ন্যস্ত থাকবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলল- আপনি এই পণ্য ক্রয় করুন আপনার ও
আমার মধ্যে শরীকানায়। আর আমার অংশের মূল্য আপনি নগদ পরিশোধ করুন, আমি আপনার অংশেরও
বিক্রয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম, ইহা জায়েয নয়। যখন সে বলল, আমার পক্ষ হতে আপনি নগদ
মূল্য পরিশোধ করুন আমি আপনার অংশের পণ্য বিক্রয় করে দিব। ইহা হচ্ছে ঋণ যা সে উহাকে
সলফস্বরূপ প্রদান করল এই শর্তে যে, সে এই পণ্য তার জন্য বিক্রয় করে দিবে। যদি সেই
পণ্য নষ্ট হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যায় তবে নগদ মূল্য পরিশোধকারী তার শরীক হতে সেই
মূল্য নগদ উশুল করবে, এটাই (অতিরিক্ত) মুনাফা আকর্ষণকারী সলফ বা ঋণ (যা হারাম)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করেছে এবং উক্ত ক্রয় তার জন্য
ওয়াজিব হয়েছে (অর্থাৎ বাধ্যতামূলক হয়েছে) তারপর অন্য এক ব্যক্তি বলল, আমাকে এই
পণ্যের অর্ধেকের মধ্যে শরীক কর। আমি উহা পূর্ণ বিক্রয় করে দিব, উহা হালাল হবে। এতে
কোন দোষ নেই। এর ব্যাখ্যা এই- এটা একটি নূতন ক্রয়-বিক্রয় বিক্রেতা উহার নিকট
অর্ধেক পণ্য এই শর্তে বিক্রয় করেছে যে, ক্রেতা তার অংশের বাকী অর্ধেক পণ্য বিক্রয়
করে দিবে।
[১] কাপড়ের উপর লিখিত মূল্য কিংবা উহার জাত।
[২] দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যেতে পারে, যেমন উক্ত পণ্যের মালিক অন্য কোন ব্যক্তি বলে প্রমাণিত
হল, যাতে পণ্য তাদের মালিকানা ও হাত হতে চলে গেল।
[৩] সেই ব্যক্তি হচ্ছে বকর।
পরিচ্ছেদ
৪২ :
ঋণ গ্রহীতার দরিদ্র
হওয়া
১৩৫৪
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ بَاعَ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الَّذِي
ابْتَاعَهُ مِنْهُ وَلَمْ يَقْبِضْ الَّذِي بَاعَهُ مِنْ ثَمَنِهِ شَيْئًا
فَوَجَدَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ وَإِنْ مَاتَ الَّذِي ابْتَاعَهُ
فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ فِيهِ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ.
আবূ বাকর ইবন আবদির
রহমান ইবন হারিস ইবন হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি (কারো নিকট) কোন পণ্য বিক্রয়
করেছে। অতঃপর তার নিকট হতে যে ক্রয় করেছে সে দরিদ্র হয়ে গিয়েছে। আর বিক্রেতা
ক্রেতার নিকট হতে পণ্যের মূল্যের কিছুই আয়ত্তে আনেনি। সে ব্যক্তি (বিক্রেতা)
পণ্যদ্রব্য ক্রেতার নিকট যদি হুবহু পায় তবে সে-ই উহার হকদার হবে। আর যদি ক্রেতার
মৃত্যু হয় তবে পণ্যের মালিক উক্ত পণ্যে অপর ঋণদাতাদের সমান হকদার হবে। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩৫৫
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ
أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ
الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ
هِشَامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ الرَّجُلُ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ
أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ.
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ بَاعَ مِنْ رَجُلٍ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الْمُبْتَاعُ
فَإِنَّ الْبَائِعَ إِذَا وَجَدَ شَيْئًا مِنْ مَتَاعِهِ بِعَيْنِهِ أَخَذَهُ
وَإِنْ كَانَ الْمُشْتَرِي قَدْ بَاعَ بَعْضَهُ وَفَرَّقَهُ فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ
أَحَقُّ بِهِ مِنْ الْغُرَمَاءِ لَا يَمْنَعُهُ مَا فَرَّقَ الْمُبْتَاعُ مِنْهُ
أَنْ يَأْخُذَ مَا وَجَدَ بِعَيْنِهِ فَإِنْ اقْتَضَى مِنْ ثَمَنِ الْمُبْتَاعِ
شَيْئًا فَأَحَبَّ أَنْ يَرُدَّهُ وَيَقْبِضَ مَا وَجَدَ مِنْ مَتَاعِهِ وَيَكُونَ
فِيمَا لَمْ يَجِدْ أُسْوَةَ الْغُرَمَاءِ فَذَلِكَ لَهُ.
قَالَ مَالِك وَمَنْ اشْتَرَى سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ غَزْلًا أَوْ مَتَاعًا أَوْ
بُقْعَةً مِنْ الْأَرْضِ ثُمَّ أَحْدَثَ فِي ذَلِكَ الْمُشْتَرَى عَمَلًا بَنَى
الْبُقْعَةَ دَارًا أَوْ نَسَجَ الْغَزْلَ ثَوْبًا ثُمَّ أَفْلَسَ الَّذِي
ابْتَاعَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبُّ الْبُقْعَةِ أَنَا آخُذُ الْبُقْعَةَ وَمَا فِيهَا
مِنْ الْبُنْيَانِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لَهُ وَلَكِنْ تُقَوَّمُ الْبُقْعَةُ وَمَا
فِيهَا مِمَّا أَصْلَحَ الْمُشْتَرِي ثُمَّ يُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُ الْبُقْعَةِ
وَكَمْ ثَمَنُ الْبُنْيَانِ مِنْ تِلْكَ الْقِيمَةِ ثُمَّ يَكُونَانِ شَرِيكَيْنِ
فِي ذَلِكَ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ
بِقَدْرِ حِصَّةِ الْبُنْيَانِ
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ قِيمَةُ ذَلِكَ كُلِّهِ أَلْفَ
دِرْهَمٍ وَخَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ فَتَكُونُ قِيمَةُ الْبُقْعَةِ خَمْسَ مِائَةِ
دِرْهَمٍ وَقِيمَةُ الْبُنْيَانِ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَيَكُونُ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ
الثُّلُثُ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ الثُّلُثَانِ
قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ الْغَزْلُ وَغَيْرُهُ مِمَّا أَشْبَهَهُ إِذَا دَخَلَهُ
هَذَا وَلَحِقَ الْمُشْتَرِيَ دَيْنٌ لَا وَفَاءَ لَهُ عِنْدَهُ وَهَذَا الْعَمَلُ
فِيهِ
قَالَ مَالِك فَأَمَّا مَا بِيعَ مِنْ السِّلَعِ الَّتِي لَمْ يُحْدِثْ فِيهَا
الْمُبْتَاعُ شَيْئًا إِلَّا أَنَّ تِلْكَ السِّلْعَةَ نَفَقَتْ وَارْتَفَعَ
ثَمَنُهَا فَصَاحِبُهَا يَرْغَبُ فِيهَا وَالْغُرَمَاءُ يُرِيدُونَ إِمْسَاكَهَا
فَإِنَّ الْغُرَمَاءَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا رَبَّ السِّلْعَةِ
الثَّمَنَ الَّذِي بَاعَهَا بِهِ وَلَا يُنَقِّصُوهُ شَيْئًا وَبَيْنَ أَنْ
يُسَلِّمُوا إِلَيْهِ سِلْعَتَهُ وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ قَدْ نَقَصَ
ثَمَنُهَا فَالَّذِي بَاعَهَا بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ سِلْعَتَهُ
وَلَا تِبَاعَةَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ مَالِ غَرِيمِهِ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ
أَنْ يَكُونَ غَرِيمًا مِنْ الْغُرَمَاءِ يُحَاصُّ بِحَقِّهِ وَلَا يَأْخُذُ
سِلْعَتَهُ فَذَلِكَ لَهُ و قَالَ مَالِك فِيمَنْ اشْتَرَى جَارِيَةً أَوْ
دَابَّةً فَوَلَدَتْ عِنْدَهُ ثُمَّ أَفْلَسَ الْمُشْتَرِي فَإِنَّ الْجَارِيَةَ أَوْ
الدَّابَّةَ وَوَلَدَهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَرْغَبَ الْغُرَمَاءُ فِي
ذَلِكَ فَيُعْطُونَهُ حَقَّهُ كَامِلًا وَيُمْسِكُونَ ذَلِكَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দরিদ্র হয়েছে এবং কোন ব্যক্তি তার মাল হুবহু তার
নিকট পায় তবে সে অন্যের তুলনায় সেই মালের অধিক হকদার হবে। (বুখারী ২৪০২, মুসলিম
১৫৯৯)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির নিকট কোন পণ্য বা খাদ্যদ্রব্য
বিক্রয় করেছে। অতঃপর ক্রেতা দরিদ্র হয়ে গিয়েছে, তবে বিক্রেতা তার পণ্যের হুবহু
কিছু পেলে সে এই পণ্য গ্রহণ করবে। যদি ক্রেতা উহার কিছু অংশ বিক্রয় করে থাকে এবং
উহাকে পৃথক করে দিয়ে থাকে তবে পণ্যের মালিক অন্যান্য ঋণদাতা বা মহাজনদের অপেক্ষা
এই পণ্যের অধিক হকদার হবে। ক্রেতা কর্তৃক উহা হতে কিছু অংশ পৃথক করার কারণে তার
পণ্যের যা হুবহু সে পেয়েছে তা আয়ত্তে আনতে কোন বাধা হবে না। আর যদি বিক্রেতা
পণ্যের মূল্যের কিছু তলব করেছে অতঃপর বিক্রেতা পণ্যের যে মূল্য গ্রহণ করেছে উহা
ফেরত দিতে এবং যে পণ্য পাওয়া গিয়েছে উহা আয়ত্তে আনতে পছন্দ করে এবং যা আদায় হয়নি
তাতে অন্যান্য মহাজনের সমান হয়ে যায় তবে এটা জায়েয আছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কিছু পণ্য খরিদ করল উহা পশম হোক বা অন্য কোন
ব্যবসায়ের মাল বা এক টুকরা জমি। অতঃপর যে খরিদ করেছে সে উহাতে নতুন কোন কাজ করল,
যেমন জমিতে ঘর বানাল বা পশম দ্বারা কাপড় তৈয়ার করল। অতঃপর যে খরিদ করেছিল সে গরীব
হয়ে গেল, জমিওয়ালা তাকে বলল, আমি ঐ জমি এবং উহাতে যা নির্মাণ করা হয়েছে তা সমস্তই
নিয়ে নিব, তবে ইহা তার জন্য বৈধ হবে না বরং ঐ জমি এবং জমিতে যে ঘর ক্রেতা তৈয়ার
করেছিল উহার মূল্য নির্ণয় করতে হবে। অতঃপর দেখতে হবে ঐ জমির মূল্য কত পড়ে এবং ঘরের
মূল্য কত হয়। অতঃপর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে তাতে অংশীদার হবে। জমির মালিকের জন্য হবে
তার জমির অংশ অনুযায়ী এবং ঋণগ্রস্তদের জন্য হবে নির্মিত গৃহাদির অংশ পরিমাণ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর ব্যাখ্যা এই যে, যেমন ঐ জমি ও ঘরের একত্রে মূল্য হবে এক
হাজার পাঁচ শত দিরহাম। এমতাবস্থায় জমির মূল্য হবে পাঁচ শত দিরহাম এবং ঘরের মূল্য
হবে এক হাজার দিরহাম। জমির মালিকের জন্য হবে এক-তৃতীয়াংশ এবং ঋণগ্রস্তদের জন্য হবে
দুই-তৃতীয়াংশ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এইরূপেই পশম ইত্যাদি মূল্য ধরতে হবে যদি খরিদ্দার ঋণগ্রস্ত হয়ে
পড়ে আর মূল্য আদায় করতে অপারগ হয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আর ঐ সমস্ত ব্যবসায়ের মাল যাতে খরিদ্দার কোন কাজ করেনি বরং এমনি
ঐ মালের যোগ্যতা তথা গুণাগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আর উহার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ঐ
মালওয়ালা উহা পেতে ইচ্ছা করিতেছে। কিন্তু খাতক উহা রাখতে চাচ্ছে। এমতাবস্থায়
ঋণদাতাদের ইচ্ছানুযায়ী তারা মালওয়ালাকে উহার মূল্যও দিয়ে দিতে পারে, যে দামে উহা
বিক্রয় হয়েছিল। উহা হতে কমাতে পারবে না বা তাকে তার মালও দিয়ে দিতে পারে। আর যদি ঐ
মালের মূল্য কমে গিয়ে থাকে তবে যে বিক্রয় করেছে সে যদি ইচ্ছা করে তবে তার মাল নিয়ে
নিতে পারে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কোন দাসী বা কোন পশু খরিদ করল এবং উহা তার নিকট
বাচ্চা দিল অতঃপর ক্রেতা গরীব হয়ে গেল, ঐ দাসী বা পশু যে বাচ্চা প্রসব করেছে উহা
বিক্রেতার হবে। যদি খাতকের উহা রাখবার ইচ্ছা হয়, তবে তার পূর্ণ প্রাপ্য দিয়ে উহা
রাখতে পারে।
পরিচ্ছেদ
৪৩ :
‘সালাফ’-এর যা বৈধ
১৩৫৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ
أَبِي رَافِعٍ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ
قَالَ: اسْتَسْلَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكْرًا
فَجَاءَتْهُ إِبِلٌ مِنْ الصَّدَقَةِ قَالَ أَبُو رَافِعٍ فَأَمَرَنِي رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَقْضِيَ الرَّجُلَ بَكْرَهُ فَقُلْتُ
لَمْ أَجِدْ فِي الْإِبِلِ إِلَّا جَمَلًا خِيَارًا رَبَاعِيًا فَقَالَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطِهِ إِيَّاهُ فَإِنَّ خِيَارَ
النَّاسِ أَحْسَنُهُمْ قَضَاءً.
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আযাদকৃত দাস আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট উট নিয়েছিলেন, অতঃপর তার নিকট সাদকার উট
আসে। আবূ রাফি’ বলেন, রসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ঐ
ব্যক্তির উটের বাচ্চা আদায় করে দিতে বললেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! উহাদের মধ্যে তো বাচ্চা উট নাই, সমস্তই বয়স্ক
উট। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উহাই দিয়ে দাও। কেননা ঐ
লোকই উত্তম যে উৎকৃষ্ট বস্তু দ্বারা ঋণ পরিশোধ করে। (সহীহ, মুসলিম ১৬০০)
১৩৫৭
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ
الْمَكِّيِّ عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ اسْتَسْلَفَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ
مِنْ رَجُلٍ دَرَاهِمَ ثُمَّ قَضَاهُ دَرَاهِمَ خَيْرًا مِنْهَا فَقَالَ الرَّجُلُ
يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذِهِ خَيْرٌ مِنْ دَرَاهِمِي الَّتِي أَسْلَفْتُكَ
فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ قَدْ عَلِمْتُ وَلَكِنْ نَفْسِي بِذَلِكَ
طَيِّبَةٌ.
قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِأَنْ يُقْبِضَ مَنْ أُسْلِفَ شَيْئًا مِنْ الذَّهَبِ
أَوْ الْوَرِقِ أَوْ الطَّعَامِ أَوْ الْحَيَوَانِ مِمَّنْ أَسْلَفَهُ ذَلِكَ
أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ مِنْهُمَا أَوْ
عَادَةٍ فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ أَوْ وَأْيٍ أَوْ عَادَةٍ فَذَلِكَ
مَكْرُوهٌ وَلَا خَيْرَ فِيهِ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى جَمَلًا رَبَاعِيًا خِيَارًا مَكَانَ بَكْرٍ
اسْتَسْلَفَهُ وَأَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ اسْتَسْلَفَ دَرَاهِمَ فَقَضَى
خَيْرًا مِنْهَا فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى طِيبِ نَفْسٍ مِنْ الْمُسْتَسْلِفِ
وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ وَلَا وَأْيٍ وَلَا عَادَةٍ كَانَ ذَلِكَ
حَلَالًا لَا بَأْسَ بِهِ.
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন ‘উমার (রাঃ) এক
ব্যক্তির নিকট হতে কিছু দিরহাম কর্জ নিলেন। অতঃপর আদায় করবার সময় যে দিরহাম
ঋণস্বরূপ নিয়েছিলেন উহা হতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিলেন। ঐ ব্যক্তি বলল, হে আবূ আবদুর
রহমান! এই দিরহাম আমার দিরহাম হতে উৎকৃষ্ট যা আমি আপনাকে ধার দিয়েছিলাম।
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার বললেন, আমার তা জানা আছে তবুও আমি খুশী হয়ে উহা দিয়েছি।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কাউকেও স্বর্ণরৌপ্য বা কোন খাদ্যদ্রব্য ধার দেয় তবে
ফেরত নেবার সময় যাকে ধার দিয়েছিল তা হতে উৎকৃষ্ট বস্তু গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই,
যদি এইরূপ কোন শর্ত করে না থাকে বা ইহা নিয়মে পরিণত না হয়; যদি শর্ত করে বা এইরূপ
দেওয়ার নিয়ম থাকে তবে উহা মাকরূহ্।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য যে, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
উটের বাচ্চা ধার নিয়ে বড় বয়স্ক উট দিয়েছিলেন আর আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) দিরহাম
নিয়ে উহা হতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিয়েছিলেন। যদি এটা খাতকের সন্তুষ্ট মনে হয়ে থাকে আর
এটার জন্য কোন শর্ত বা রীতি না থাকে তবে এটা হালাল, এতে কোন ক্ষতি নেই।
পরিচ্ছেদ
৪৪ :
‘সালাফ’ বা ঋণে যা
অবৈধ
১৩৫৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ فِي
رَجُلٍ أَسْلَفَ رَجُلًا طَعَامًا عَلَى أَنْ يُعْطِيَهُ إِيَّاهُ فِي بَلَدٍ
آخَرَ فَكَرِهَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَقَالَ فَأَيْنَ الْحَمْلُ
يَعْنِي حُمْلَانَهُ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি অপর একজনের নিকট কিছু খাদ্যদ্রব্য ধার দিয়েছিল এই শর্তে যে, অন্য শহরে সে
উহা পরিশোধ করবে। উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বললেন, ঐ স্থানে বহন করবার খরচ কে বহন
করবে? তাই উহা অপছন্দ করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩৫৯
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا
أَتَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي
أَسْلَفْتُ رَجُلًا سَلَفًا وَاشْتَرَطْتُ عَلَيْهِ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفْتُهُ
فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فَذَلِكَ الرِّبَا قَالَ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي
يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ السَّلَفُ عَلَى ثَلَاثَةِ
وُجُوهٍ سَلَفٌ تُسْلِفُهُ تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللهِ فَلَكَ وَجْهُ اللهِ
وَسَلَفٌ تُسْلِفُهُ تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ صَاحِبِكَ فَلَكَ وَجْهُ صَاحِبِكَ وَسَلَفٌ
تُسْلِفُهُ لِتَأْخُذَ خَبِيثًا بِطَيِّبٍ فَذَلِكَ الرِّبَا قَالَ فَكَيْفَ
تَأْمُرُنِي يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ
قَالَ أَرَى أَنْ تَشُقَّ الصَّحِيفَةَ فَإِنْ أَعْطَاكَ مِثْلَ الَّذِي
أَسْلَفْتَهُ قَبِلْتَهُ وَإِنْ أَعْطَاكَ دُونَ الَّذِي أَسْلَفْتَهُ فَأَخَذْتَهُ
أُجِرْتَ وَإِنْ أَعْطَاكَ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفْتَهُ طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ
فَذَلِكَ شُكْرٌ شَكَرَهُ لَكَ وَلَكَ أَجْرُ مَا أَنْظَرْتَهُ
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলেন, হে আবূ আবদির রহমান! আমি এক
ব্যক্তিকে কিছু ধার দিয়েছিলাম এবং উহা হতে উৎকৃষ্ট বস্তু দেওয়ার শর্ত করেছিলাম।
আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) বললেন উহা সুদ হবে। ঐ ব্যক্তি বললেন, তবে আমাকে এখন কি
করতে বলেন। তিনি বললেন, ঋণ তিন প্রকারের হয়ে থাকে। এক প্রকারের ঋণ যাতে আল্লাহর
সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য হয়। তাতে আল্লাহর সন্তুষ্টিই অর্জিত হয়ে থাকে। আর এক প্রকারের
ঋণ যাতে গ্রহীতা ব্যক্তির সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাতে ঐ ব্যক্তির সন্তুষ্টি
লাভ হয়ে থাকে। আর এক প্রকার ঋণ যাতে হালালের বিনিময়ে হারাম (সুদ) গ্রহণ উদ্দেশ্য
হয়ে থাকে। সে ব্যক্তি বলল তবে আমাকে এখন কি করতে বলেন? তিনি বললেন, আমার মতে তুমি
তোমার সুদের দলীল ছিড়ে ফেল, যদি তুমি যা ঋণ দিয়েছিলে তোমাকে ঐ পরিমাণ দিয়ে দেয় তবে
তা নিবে, তোমার সওয়াব হবে। আর যদি সে খুশী হয়ে তুমি যা দিয়েছ উহা হতে উৎকৃষ্ট
বস্তু দেয় তবে উহার শোকর করবে। আর তুমি তাকে যে সময় দিয়েছ উহার সওয়াব পাবে।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৩৬০
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ
يَقُوْلُ: مَنْ أَسْلَفَ سَلَفًا فَلَا يَشْتَرِطْ إِلَّا قَضَاءَهُ.
নাফি’ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, যদি কেউ কাউকেও কোন ঋণ দেয় তবে যেন
উহা আদায় করার শর্ত ছাড়া অন্য কোন শর্ত না করে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
১৩৬১
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ
بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَسْلَفَ سَلَفًا فَلَا يَشْتَرِطْ أَفْضَلَ
مِنْهُ وَإِنْ كَانَتْ قَبْضَةً مِنْ عَلَفٍ فَهُوَ رِبًا.
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ اسْتَسْلَفَ
شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ بِصِفَةٍ وَتَحْلِيَةٍ مَعْلُومَةٍ فَإِنَّهُ لَا
بَأْسَ بِذَلِكَ وَعَلَيْهِ أَنْ يَرُدَّ مِثْلَهُ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ
الْوَلَائِدِ فَإِنَّهُ يُخَافُ فِي ذَلِكَ الذَّرِيعَةُ إِلَى إِحْلَالِ مَا لَا
يَحِلُّ فَلَا يَصْلُحُ وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَسْتَسْلِفَ
الرَّجُلُ الْجَارِيَةَ فَيُصِيبُهَا مَا بَدَا لَهُ ثُمَّ يَرُدُّهَا إِلَى
صَاحِبِهَا بِعَيْنِهَا فَذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَلَا يَحِلُّ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ
الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَلَا يُرَخِّصُونَ فِيهِ لِأَحَدٍ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)
বলতেন, যদি কেউ কাউকেও ঋণ দেয় তবে উহা হতে উৎকৃষ্ট বস্তু বা অতিরিক্ত কিছুর শর্ত
করবে না যদিও একমুষ্টি ঘাস হয়। কেননা উহা সুদ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা
করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের নিকট সর্বসম্মত মত এই যে, যদি কেউ কোন পশু
ধার নেয় তাতে কোন অসুবিধা নেই, তবে তাকে ঐরূপ পশুই পরিশোধ করতে হবে। তবে
ক্রীতদাসীদের ব্যাপারে ইহা প্রযোজ্য হবে না, কারণ এতে যা নিষিদ্ধ তা হালাল করার
আশংকা রয়েছে। এর ব্যাখ্যা এই, এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ক্রীতদাসী ধার দিল, সে
উহার সাথে সহবাস করল, অতঃপর মালিকের নিকট উহাকে ফেরত দিল, ইহা বৈধ নয়। আহলে-ইলম
[উলামা] এইরূপ করতে বরাবর নিষেধ করতেন এবং কাউকেও এর অনুমতি দিতেন না।
পরিচ্ছেদ
৪৫ :
ক্রয়-বিক্রয়ে যা
নিষিদ্ধ
১৩৬২
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ
بَعْضٍ.
আবদুল্লাহ্ ইবন
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একে অন্যের বিক্রয়ের উপর বিক্রয় করো না।
[১] (বুখারী ২১৩৯, মুসলিম ১৪১২)
[১] অর্থাৎ ক্রেতাদের একজন যখন কোন পণ্যের দাম করতে থাকে তখন
অন্য বিক্রেতার এইরূপ বলা যে, আমি ঐ পণ্য এই মূল্যের চাইতে কম মূল্য দিব।
১৩৬৩
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ
الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَلَقَّوْا الرُّكْبَانَ لِلْبَيْعِ وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ
عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلَا تَنَاجَشُوا وَلَا يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلَا
تُصَرُّوا الْإِبِلَ وَالْغَنَمَ فَمَنْ ابْتَاعَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ
بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلُبَهَا إِنْ رَضِيَهَا أَمْسَكَهَا
وَإِنْ سَخِطَهَا رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ.
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ لَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ أَنَّهُ
إِنَّمَا نَهَى أَنْ يَسُومَ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ إِذَا رَكَنَ
الْبَائِعُ إِلَى السَّائِمِ وَجَعَلَ يَشْتَرِطُ وَزْنَ الذَّهَبِ وَيَتَبَرَّأُ
مِنْ الْعُيُوبِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُعْرَفُ بِهِ أَنَّ الْبَائِعَ
قَدْ أَرَادَ مُبَايَعَةَ السَّائِمِ فَهَذَا الَّذِي نَهَى عَنْهُ وَاللهُ
أَعْلَمُ.
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِالسَّوْمِ بِالسِّلْعَةِ تُوقَفُ لِلْبَيْعِ
فَيَسُومُ بِهَا غَيْرُ وَاحِدٍ ২৫২قَالَ وَلَوْ تَرَكَ النَّاسُ السَّوْمَ عِنْدَ أَوَّلِ
مَنْ يَسُومُ بِهَا أُخِذَتْ بِشِبْهِ الْبَاطِلِ مِنْ الثَّمَنِ وَدَخَلَ عَلَى
الْبَاعَةِ فِي سِلَعِهِمْ الْمَكْرُوهُ وَلَمْ يَزَلْ الْأَمْرُ عِنْدَنَا عَلَى
هَذَا.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বণিকদের সাথে তাদের পণ্য খরিদ করার জন্য আগে আগে মিলিত হইও না।
[১] আর কেউ যেন একজনের ক্রয়ের উপর ক্রয় না করে, আর একে অন্যের উপর নাজাশ [২] করো
না। আর কোন শহরবাসী যেন কোন গ্রামবাসীর পক্ষ হতে বিক্রয় না করে। আর উট এবং বকরীর
স্তনে দুধ জমা [৩] করে রেখো না যদি কেউ এইরূপ উট ও বকরী ক্রয় করে, যদি পরে উহার
অবস্থা অবগত হয় তবে তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, ইচ্ছা হলে রাখবে আর উহা ফেরত
দেবার অধিকারও তার থাকবে। যদি ফেরত দেয়, তবে যেন দুধের পরিবর্তে এক সা’ [৪] খেজুর
দিয়ে দেয়। (বুখারী ২১৫০, মুসলিম ১৫১৫)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একে
অন্যের ক্রয়ের উপর ক্রয় করো না। উহার ব্যাখ্যা হল, একজন যেন অন্যজনের দাম বলার সময়
দাম না করে। যখন বিক্রেতার ক্রেতার নিকট বিক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ পায় এবং পণ্যের
দাম ঠিক করে পণ্যকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আরম্ভ করে অথবা এমন কোন কাজ করে যাতে মনে
হয় যে, বিক্রেতা প্রথম ক্রেতার নিকট বিক্রয় করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় অন্য কাউকে
দাম করতে নিষেধ করা হয়েছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি বিক্রেতা প্রথম ব্যক্তির দামে বিক্রয় করতে রাযী না হয় বরং
মাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা হয় তবে সকলেই উহার মূল্য বলতে পারে। যদি একজনের দাম
বলার সাথে সাথে অন্যের দাম বলা নিষেধ হত, তবে নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে প্রথম
ক্রেতা উহা গ্রহণ করতে পারত এবং বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে। মদীনায় বর্ধিত মূল্যে
ক্রয় করার বরাবর রেওয়াজ ছিল।
[১] যখন কেউ বাহির হতে খাদ্যদ্রব্য শহরে আনতে থাকে তখন শহরের
বাহিরে গিয়ে তা হতে ক্রয় করা নিষিদ্ধ। এটার দুটি দিক হতে পারেঃ
শহরে দুর্ভিক্ষ। এমতাবস্থায় সে ক্রয় করে শহরে এনে ইচ্ছামত মূল্যে বিক্রয় করবে। যদি
সে ক্রয় না করত তা হলে ঐ খাদ্য বস্তু শহরে আসত আর সর্বসাধারণ উহা সঙ্গত মূল্যে খরিদ
করতে পারত।
শহরে দুর্ভিক্ষ না হলেও যারা উহা বিক্রয় করতে আনতেছিল শহরের বাজারদর তাদের জানা না
থাকায় এই ব্যক্তি ধোঁকা দিয়ে সস্তায় তাদের দ্রব্য ক্রয় করে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে
পারে।
[২] নাজাশ করো নাঃ নাজাশ হচ্ছে নিলামের সময় যে খরিদ করবে না সেও দালালের দলে থেকে অতিরিক্ত
ডাক দিয়ে ঐ বস্তুর দাম বাড়িয়ে দেয়, অন্যকে ধোঁকায় ফেলে।
[৩] দুধ জমা করাঃ উট বকরী বিক্রয় করার সময় অনেকে ২/৩ দিন পূর্ব হতে উহাদের স্তনে দুধ
জমা করে থাকে, যাতে খরিদ্দার তাকে অনেক দুধওয়ালা মনে করে।
[৪] সা’ একটি পরিমাপের পাত্র বিশেষ যা আড়াই কেজীর সমপরিমাণ হয়।
১৩৬৪
قَالَ
مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ النَّجْشِ قَالَ مَالِك وَالنَّجْشُ أَنْ
تُعْطِيَهُ بِسِلْعَتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثَمَنِهَا وَلَيْسَ فِي نَفْسِكَ
اشْتِرَاؤُهَا فَيَقْتَدِي بِكَ غَيْرُكَ.
ইবন উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজাশ করতে নিষেধ করেছেন। নাজাশ বলা হয় মালের
উপযুক্ত দামের চাইতে অধিক দাম বলা অথচ তার ক্রয়ের ইচ্ছা নেই। বরং এই অধিক দাম বলার
উদ্দেশ্য যেন অন্য ব্যক্তি তার অনুসরণ করে ধোঁকায় পড়ে এই দামে উহা ক্রয় করে।
(বুখারী ২১৪২, মুসলিম ১৫১৬)
পরিচ্ছেদ
৪৬ :
ক্রয়-বিক্রয়ের বিভিন্ন
বিধান
১৩৬৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا ذَكَرَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَنَّهُ يُخْدَعُ فِي الْبُيُوعِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ إِذَا بَايَعْتَ فَقُلْ لَا خِلَابَةَ قَالَ فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا
بَايَعَ يَقُولُ لَا خِلَابَةَ.
আবদুল্লাহ্ ইবন
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল,
ক্রয়-বিক্রয়ের সময় তাকে ধোঁকা দেয়া হয়ে থাকে। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় বলে দেবে, যেন ধোঁকা দেওয়া না হয়।
অবশেষে যখন ঐ ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয় করত তখন বাক্যটি বলত। [১] (বুখারী ২১১৭, মুসলিম
১৫৩৩)
[১] দার-এ কুতনী ও বায়হাকীতে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে বলেছেন, যদি তুমি কোন দ্রব্য ক্রয় কর তবে তোমার তিন
দিন পর্যন্ত ইখতিয়ার থাকবে, হয় ঐ মাল রাখবে না হয় ফেরত দিবে। এই ব্যক্তি উসমান (রা)-এর
সময় পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৮০ বৎসর। কেউ কেউ বলেন, এই ইখতিয়ার ঐ ব্যক্তির
জন্যই খাস, অন্য লোকের জন্য নয়। কেউ কেউ বলেন, যখন ঐরূপ ধোঁকা হয় তখন প্রত্যেকের জন্যই
এই ইখতিয়ার আসবে। ঐ ব্যক্তির নাম হিবচক্ষান ইবনরু মুনকিয বা মুনকিয ইবনু আমর ছিল।
১৩৬৬
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ
الْمُسَيَّبِ يَقُولُ إِذَا جِئْتَ أَرْضًا يُوفُونَ الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ
فَأَطِلْ الْمُقَامَ بِهَا وَإِذَا جِئْتَ أَرْضًا يُنَقِّصُونَ الْمِكْيَالَ
وَالْمِيزَانَ فَأَقْلِلْ الْمُقَامَ بِهَا.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রাঃ) [১] -কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলতেন, যখন তুমি এরূপ কোন
শহরে যাবে যেখানকার অধিবাসিগণ পূর্ণরূপে ওজন করে তবে তথায় অনেক দিন থেকো। আর যখন
এরূপ শহরে যাবে যেখানকার অধিবাসিগণ ওজনে ত্রুটি করে, তবে সেখানে অনেক দিন থেকো না।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] কেননা যেখানের লোক ওজনে ত্রুটি করে তথায় আযান নাযিল হওয়ার
আশঙ্কা রয়েছে। উম্মে সালামা (রা) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট
জিজ্ঞেস করলেন, ঐ আযাবের সময় কি আমরা সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ যখন অপকর্ম বেড়ে যাবে।
১৩৬৭
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ
سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ يَقُولُ أَحَبَّ اللهُ عَبْدًا سَمْحًا إِنْ
بَاعَ سَمْحًا إِنْ ابْتَاعَ سَمْحًا إِنْ قَضَى سَمْحًا إِنْ اقْتَضَى ২৫২৬-قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي
الْإِبِلَ أَوْ الْغَنَمَ أَوْ الْبَزَّ أَوْ الرَّقِيقَ أَوْ شَيْئًا مِنْ
الْعُرُوضِ جِزَافًا إِنَّهُ لَا يَكُونُ الْجِزَافُ فِي شَيْءٍ مِمَّا يُعَدُّ
عَدًّا
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُعْطِي الرَّجُلَ السِّلْعَةَ يَبِيعُهَا لَهُ وَقَدْ
قَوَّمَهَا صَاحِبُهَا قِيمَةً فَقَالَ إِنْ بِعْتَهَا بِهَذَا الثَّمَنِ الَّذِي
أَمَرْتُكَ بِهِ فَلَكَ دِينَارٌ أَوْ شَيْءٌ يُسَمِّيهِ لَهُ يَتَرَاضَيَانِ
عَلَيْهِ وَإِنْ لَمْ تَبِعْهَا فَلَيْسَ لَكَ شَيْءٌ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
إِذَا سَمَّى ثَمَنًا يَبِيعُهَا بِهِ وَسَمَّى أَجْرًا مَعْلُومًا إِذَا بَاعَ
أَخَذَهُ وَإِنْ لَمْ يَبِعْ فَلَا شَيْءَ لَهُ
قَالَ مَالِك وَمِثْلُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ إِنْ قَدَرْتَ
عَلَى غُلَامِي الْآبِقِ أَوْ جِئْتَ بِجَمَلِي الشَّارِدِ فَلَكَ كَذَا وَكَذَا
فَهَذَا مِنْ بَابِ الْجُعْلِ وَلَيْسَ مِنْ بَابِ الْإِجَارَةِ وَلَوْ كَانَ مِنْ
بَابِ الْإِجَارَةِ لَمْ يَصْلُحْ
قَالَ مَالِك فَأَمَّا الرَّجُلُ يُعْطَى السِّلْعَةَ فَيُقَالُ لَهُ بِعْهَا
وَلَكَ كَذَا وَكَذَا فِي كُلِّ دِينَارٍ لِشَيْءٍ يُسَمِّيهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا
يَصْلُحُ لِأَنَّهُ كُلَّمَا نَقَصَ دِينَارٌ مِنْ ثَمَنِ السِّلْعَةِ نَقَصَ مِنْ
حَقِّهِ الَّذِي سَمَّى لَهُ فَهَذَا غَرَرٌ لَا يَدْرِي كَمْ جَعَلَ لَهُ.
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মুহাম্মাদ ইবন মুনকাদির
(রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা ঐ ব্যক্তিকে ভালবাসেন, যে ক্রয় করতে,
বিক্রয় করতে, ঋণ আদায় করতে, ঋণ উশুল করতে নরম ব্যবহার করে। [১] (সহীহ মারফু, ইমাম
বুখারী ২০৭৬, তিনি ইবনু মুনকাদির তিনি জাবির (রাঃ) থেকে মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তির উট, বকরী, কাপড়, গোলাম, দাসী ইত্যাদি গণনা না করে এক
দলকে একত্রে খরিদ করে লওয়া ভাল নয়, যে বস্তু গণনা করে বিক্রি হয় উহা গণনা করে খরিদ
করা ভাল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কাউকেও নিজের কোন বস্তু নির্ধারিত মূল্যে এই
শর্তে বিক্রয় করতে দেয় যে, যদি তুমি এই মূল্যে বিক্রয় কর তবে তোমাকে এক দীনার অথবা
অন্য কিছু দেয়া হবে যা নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং উভয়ে তাতে সম্মত হয়েছে তা না হলে
কিছুই পাবে না। তবে এতে কোন ক্ষতি নেই, যদি বিক্রয় মূল্য ও বিক্রয়ের পরের প্রাপ্য
নির্ধারিত হয়ে থাকে। বিক্রয় করলে তা পাবে, না করলে পাবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উহার উদাহরণ এই যে, কোন ব্যক্তি কাউকেও বলল, যদি তুমি আমার যে
গোলাম বা উট পলিয়ে গিয়েছে উহাকে তালাশ করে এনে দাও তবে তোমাকে এত দিব, তবে তা বৈধ।
কারণ এতে পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করে কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। ইহা ইজারা নয়, যদি
ইজারা হত তবে ইহা বৈধ হত না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেউ এক ব্যক্তিকে কিছু মাল দিয়ে বলল, ইহা বিক্রয় করলে প্রতি
দীনারে তোমাকে এত দিব; কত দিব তা উল্লেখ করল। এটাও বৈধ নয়। কেননা উক্ত পণ্যের দাম
কম হলেই তার নির্ধারিত পারিশ্রমিক কমে যাবে। এটাও এক প্রকার ধোঁকা, জানে না সে কত
পাবে।
[১] অর্থাৎ প্রত্যেক কাজেই সহজ ব্যবহার করে কড়াকড়ি করে না।
১৩৬৮
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَأَلَهُ عَنْ الرَّجُلِ يَتَكَارَى
الدَّابَّةَ ثُمَّ يُكْرِيهَا بِأَكْثَرَ مِمَّا تَكَارَاهَا بِهِ فَقَالَ لَا
بَأْسَ بِذَلِكَ.
মালিক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তাকে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যে একটি জন্তু ভাড়ায় নিয়ে উহা আবার অধিক ভাড়ায় অন্যকে দিয়ে দেয়। তিনি বললেন, উহাতে কোন ক্ষতি নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
No comments