মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় "বিভিন্ন প্রকারের মাস‘আলা সম্বলিত"
পরিচ্ছেদঃ
১
মদীনা ও মদীনাবাসীদের
জন্য দু‘আ
১৫৭৬
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْن يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ
عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي
مِكْيَالِهِمْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِي صَاعِهِمْ وَمُدِّهِمْ يَعْنِي أَهْلَ
الْمَدِينَةِ
আনাস ইব্নু মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে আল্লাহ! মদীনাবাসীদের মাপযন্ত্রে বরকত
দান কর। আর তাদের সা’ ও মুদে বরকত দাও। (বুখারী ২১৩০, মুসলিম ১৩৬৮)
১৫৭৭
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّاسُ إِذَا رَأَوْا أَوَّلَ
الثَّمَرِ جَاءُوا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَإِذَا أَخَذَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللهُمَّ
بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَبَارِكْ لَنَا
فِي صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَبْدُكَ
وَخَلِيلُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنِّي عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنَّهُ دَعَاكَ
لِمَكَّةَ وَإِنِّي أَدْعُوكَ لِلْمَدِينَةِ بِمِثْلِ مَا دَعَاكَ بِهِ لِمَكَّةَ
وَمِثْلَهُ مَعَهُ ثُمَّ يَدْعُو أَصْغَرَ وَلِيدٍ يَرَاهُ فَيُعْطِيهِ ذَلِكَ
الثَّمَرَ
আবূ হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিতঃ
যখন
কেউ বাগান হতে প্রথম ফল আনত, তখন তা প্রথমত রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে নিয়ে আসত। তিনি উহা নিয়ে বলতেন, হে আল্লাহ্, আমাদের ফলে বরকত
দান করুন। আমাদের শহরে বরকত দান করুন। হে আল্লাহ্! আপনার বান্দা আপনার বন্ধু ও নবী
ইব্রাহীম (আ) মক্কার জন্য দু’আ করেছিলেন। আমি আপনার বান্দা ও নাবী হিসেবে আপনার
কাছে মদীনার জন্য দু‘আ করছি। দু‘আর শেষে তিনি সকলের চাইতে ছোট যে ছেলেকে তথায়
পেতেন, তাকে ডেকে উহা তাকে দিয়ে দিতেন। (সহীহ, মুসলিম ১৩৭৩)
পরিচ্ছেদঃ
২
মদীনায় অবস্থান এবং
তথা হতে প্রস্থান
১৫৭৮
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ قَطَنِ بْنِ وَهْبِ
بْنِ عُمَيْرِ بْنِ الْأَجْدَعِ أَنَّ يُحَنَّسَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ بْنِ
الْعَوَّامِ أَخْبَرَهُ
أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فِي الْفِتْنَةِ
فَأَتَتْهُ مَوْلَاةٌ لَهُ تُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَقَالَتْ إِنِّي أَرَدْتُ
الْخُرُوجَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ اشْتَدَّ عَلَيْنَا الزَّمَانُ فَقَالَ
لَهَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ اقْعُدِي لُكَعُ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَصْبِرُ عَلَى لَأْوَائِهَا
وَشِدَّتِهَا أَحَدٌ إِلَّا كُنْتُ لَهُ شَفِيعًا أَوْ شَهِيدًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ
যুবাইর ইব্নুল
আওয়াম (রা)-এর মুক্ত দাস ইউহান্নাস থেকে বর্ণিতঃ
ফিতনার
সময়ে আমি আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা)-এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর এক দাসী এসে
সালাম দিয়ে তাকে বলল, হে আবূ আবদুর রহমান, আমি মদীনা ছেড়ে চলে যেতে চাই। কেননা
এইখানে অভাব-অনটনে কষ্ট পাচ্ছি। ইব্নু উমার (রা) তাকে বললেন, হতভাগ্য! বস। আমি
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেছিলেন, যে
ব্যক্তি মদীনার অভাব-অনটন ও কষ্ট সহ্য করবে, আমি কিয়ামতে তার সাক্ষী হব অথবা তার
জন্য সুপারিশ করব। (সহীহ, মুসলিম ১৩৭৭)
১৫৭৯
و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ
أَنَّ أَعْرَابِيًّا بَايَعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى
الْإِسْلَامِ فَأَصَابَ الْأَعْرَابِيَّ وَعْكٌ بِالْمَدِينَةِ فَأَتَى رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَقِلْنِي
بَيْعَتِي فَأَبَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ جَاءَهُ
فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي فَأَبَى ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي
فَأَبَى فَخَرَجَ الْأَعْرَابِيُّ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ إِنَّمَا الْمَدِينَةُ كَالْكِيرِ تَنْفِي خَبَثَهَا وَيَنْصَعُ
طِيبُهَا
জাবির ইব্নু
আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিতঃ
এক
গ্রাম্য ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তার ইসলাম গ্রহণের
বায়‘আত করল, মদীনায় তার জ্বর আসতে লাগল। সে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলতে লাগল, হে আল্লাহ্র নবী! আপনি আমার বায়‘আত ভঙ্গ করে
দিন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা অস্বীকার করলেন। সে পুনরায় এসে
বলল, হে আল্লাহ্র নবী, আমার বায়‘আত ভঙ্গ করে দিন। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম অস্বীকার করা সত্ত্বেও সে মদীনা হতে বের হয়ে পড়ল। তখন রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মদীনা লোহার ভাট্টির [১] মতো, উহা ময়লা
বাহির করে খাঁটি সোনা বানিয়ে দেয়। (বুখারী ১৮৮৩, মুসলিম ১৩৮৩)
[১]
মদীনায় থাকবার বায়‘আত করেছিল। সে যে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল এমন নয়, মদীনাও মন্দ লোকদেরকে
মদীনায় থাকতে দেয় না এবং ভাল লোকদেরকে যেতে দেয় না, সেই জন্য মদীনাকে লোহার ভাট্টির
সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
১৫৮০
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَ
الْحُبَابِ سَعِيدَ بْنَ يَسَارٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أُمِرْتُ
بِقَرْيَةٍ تَأْكُلُ الْقُرَى يَقُولُونَ يَثْرِبُ وَهِيَ الْمَدِينَةُ تَنْفِي
النَّاسَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ
আবূ হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে আমাকে এমন
লোকালয়ে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে যা অন্যান্য লোকালয়কে খেয়ে ফেলবে। লোকে তাকে
ইয়াস্রাব বলে থাকে আর উহা হল মদীনা। উহা মন্দ লোকদের বের করে দেয়, যেমন লোহার
ভাট্টি লোহার ময়লা বের করে দেয়। [১] (বুখারী ১৮৭১, মুসলিম ১৩৮২)
[১]
লোকালয়কে খাওয়া অর্থ বিজয় অর্থাৎ মদীনাবাসীরা অন্য অনেক লোকালয় জয় করে মদীনার অন্তর্ভুক্ত
করে নিবেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায়ই মক্কা, তায়েফ,
ইয়ামান, খায়বর বিজয় হয়েছিল, আর মদীনা তখন রাজধানী ছিল।
১৫৮১
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْرُجُ أَحَدٌ مِنْ الْمَدِينَةِ
رَغْبَةً عَنْهَا إِلَّا أَبْدَلَهَا اللهُ خَيْرًا مِنْهُ
উরওয়া ইব্নু যুবাইর
(র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছন, যদি কোন ব্যক্তি মদীনার প্রতি ঘৃণা করে তথা
হতে বের হয়ে পড়ে, তবে আল্লাহ্ তা‘আলা উহাতে তা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ব্যক্তি দান করে
থাকেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৫৮২
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ
بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ تُفْتَحُ الْيَمَنُ
فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبُسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ
وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ وَتُفْتَحُ الشَّامُ
فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ
وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ وَتُفْتَحُ الْعِرَاقُ
فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ
وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
সুফিয়ান ইব্নু আবূ
যুহায়র (রা) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন ইয়ামান বিজিত হবে। তথা হতে লোক সফর
করে মদীনায় আগমন করবে। তারা নিজেদের বাড়িঘর এবং যা তাদের ইচ্ছা হবে মদীনা হতে নিয়ে
যাবে, অথচ মদীনা তাদের জন্য উত্তম ছিল, যদি তারা তা বুঝতে পারত! শাম বিজিত হবে,
তথা হতে কিছু লোক মদীনায় আগমন করবে এবং নিজেদের বাড়িঘর এবং যারা তাদের কথা মান্য
করব্ তাদেরকে মদীনা হতে নিয়ে যাবে, অথচ মদীনা তাদের জন্য উত্তম ছিল, যদি তারা তা
বুঝতে পারত! ইরাক বিজিত হবে। তথা হতে কিছু সংখ্যক লোক সফর করে মদীনা আগমন করবে এবং
তাদের বাড়িঘর এবং যারা তাদের কথা মান্য করবে তাদেরকে মদীনা হতে নিয়ে যাবে, অথচ
মদীনা তাদের জন্য উত্তম ছিল, যদি তারা জানতে পারত!
(ইয়ামেন, শাম ও ইরাক বিজিত হওয়ার পর অনেকে তথাকার সুন্দর আবহাওয়া ও জিনিসপত্র
সস্তা দেখে নিজেদের বাড়িঘর এবং যারা তাদের সহিত যেতে ইচ্ছা করেছিল তাদেরকে মদীনা
হতে নিয়ে গেল এবং তথায় যেয়ে বসতি ঠিক করল। অতঃপর নানা ফিত্না-ফাসাদে আক্রান্ত হল।)
(সহীহ, বুখারী ১৮৭৫, মুসলিম ১৩৮৮)
১৫৮৩
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ حِمَاسٍ عَنْ عَمِّهِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ
لَتُتْرَكَنَّ الْمَدِينَةُ عَلَى أَحْسَنِ مَا كَانَتْ حَتَّى يَدْخُلَ الْكَلْبُ
أَوْ الذِّئْبُ فَيُغَذِّي عَلَى بَعْضِ سَوَارِي الْمَسْجِدِ أَوْ عَلَى
الْمِنْبَرِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ فَلِمَنْ تَكُونُ الثِّمَارُ ذَلِكَ
الزَّمَان قَالَ لِلْعَوَافِي الطَّيْرِ وَالسِّبَاعِ
আবূ হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অতি উত্তম অবস্থায় মদীনাকে ত্যাগ করা হবে,
এমন কি তথায় কুকুর ও ব্যাঘ্র আসবে এবং মসজিদের খুঁটি ও মিম্বরে পেশাব করবে।
সাহাবায়ে কিরাম প্রশ্ন করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! ঐ সময় মদীনার ফলমূল কে ভোগ করবে?
তিনি বললেন, ক্ষুধার্ত জন্তুরা ও পশু পাখিরা। [১] (বুখারী ১৮৭৪, মুসলিম ১৩৮৯)
[১]
এই অবস্থা কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে হবে, যখন ইসলামের নাম-নিশানা থাকবে না, মদীনা উজাড়
হয়ে যাবে।
১৫৮৪
و
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِينَ
خَرَجَ مِنْ الْمَدِينَةِ الْتَفَتَ إِلَيْهَا فَبَكَى ثُمَّ قَالَ يَا مُزَاحِمُ
أَتَخْشَى أَنْ نَكُونَ مِمَّنْ نَفَتْ الْمَدِينَةََََُ
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
উমার
ইব্নু আবদুল আযীয (র) যখন মদীনা হতে যাচ্ছিলেন, তখন মদীনার প্রতি লক্ষ্য করে স্বীয়
দাস মুযাহিমকে বলছিলেন, হয়ত তুমি ও আমি যে সমস্ত লোকের মধ্যে গণ্য হব, যাদেরকে
মদীনা বের করে দিবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৩
মদীনা শরীফের হরম হওয়া
সম্পর্কে বর্ণনা
১৫৮৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرٍو مَوْلَى الْمُطَّلِبِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَعَ لَهُ أُحُدٌ فَقَالَ
هَذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ اللهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ
وَأَنَا أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا
আনাস ইব্নু মালিক
(র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উহুদ পাহাড় তার দৃষ্টিগোচর হল তখন তিনি বললেন,
এই পাহাড় আমাদের ভালবাসে। হে আল্লাহ্! ইব্রাহীম (আ) মক্কাকে হারাম করেছেন, আমি
মদীনার উভয় কঙ্করময়ের মধ্যস্থলকে হারাম করিতেছি। (বুখারী ৩৩৬৭, মুসলিম ১৩৬৫)
১৫৮৬
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ
بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَوْ رَأَيْتُ
الظِّبَاءَ بِالْمَدِينَةِ تَرْتَعُ مَا ذَعَرْتُهَا
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا
حَرَامٌ
আবূ হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলতেন যদি আমি মদীনায় হরিণ চরিতে দেখি, তা হলে উহাকে কখনও তাড়া করব না।
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদীনার উভয় দিকের মধ্যবর্তী
অংশ হেরেম। (বুখারী ১৮৭৩, মুসলিম ১৩৭২)
১৫৮৭
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يُونُسَ بْنِ يُوسُفَ عَنْ
عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ
أَنَّهُ وَجَدَ غِلْمَانًا قَدْ أَلْجَئُوا ثَعْلَبًا إِلَى زَاوِيَةٍ
فَطَرَدَهُمْ عَنْهُ قَالَ مَالِك لَا أَعْلَمُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ أَفِي حَرَمِ
رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْنَعُ هَذَا
আবূ আয়্যূব আনসারী
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি দেখলেন, কয়েকটি ছেলে একটি
শিয়ালকে ঘিরে রেখেছে। তিনি ছেলেদেরকে তাড়িয়ে শিয়ালটিকে ছাড়িয়ে দিলেন। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, আবূ আয়্যূব ইহাও বলেছেন, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
হেরেমেও কি এইরূপ কার্য হচ্ছে ?
১৫৮৮
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَجُلٍ قَالَ دَخَلَ عَلَيَّ زَيْدُ بْنُ
ثَابِتٍ وَأَنَا بِالْأَسْوَافِ قَدْ اصْطَدْتُ نُهَسًا فَأَخَذَهُ مِنْ يَدِي
فَأَرْسَلَهُ
এক ব্যক্তি থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমার কাছে যায়দ ইব্নু সাবিত (রা) আগমন করলেন, তখন আমি আসওয়াফে (মদীনার একটি
গ্রাম) একটি পাখি ধরেছিলাম। তিনি আমার হাত হতে উহা নিয়ে ছেড়ে দিলেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৪
মদীনার মহামারী
সম্বন্ধে বর্ণনা
১৫৮৯
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ
عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ
لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وُعِكَ
أَبُو بَكْرٍ وَبِلَالٌ قَالَتْ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ يَا أَبَتِ
كَيْفَ تَجِدُكَ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ قَالَتْ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا
أَخَذَتْهُ الْحُمَّى يَقُولُ كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ
وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ فَيَقُولُ أَلَا
لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً
بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجِنَّةٍ
وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
قَالَتْ عَائِشَةُ فَجِئْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اللهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا
مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا
وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ
উম্মুল মু’মিনীন
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় এলেন, তখন আবূ বাকর ও বেলালের (রা) জ্বর আসতে শুরু করল।
আয়িশা (রা) বলেন, আমি উভয়ের কাছে গেলাম। আমি বললাম, হে আব্বা আপনার অবস্থা কিরূপ ?
হে বেলাল! আপনার অবস্থা কিরূপ ?
আয়িশা (রা) বলেন, আবূ বাক্রের যখন জ্বর আসত, তিনি বলতেন,
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ
أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
“প্রত্যেকে নিজের পরিজনের মধ্যে প্রভাত করে আর মৃত্যু তার জুতার ফিতার চাইতেও তার
অতি নিকটে থাকে”
আর যখন বেলালের জ্বর হত, তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে এই কবিতা পড়তেন,
أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجِنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
হায় যদি আমি জানতে পারতাম যে, কখনও আমি এক রাত্রির জন্যও মক্কার উপত্যকায় রাত্রি
যাপন করতে পারব। আর আমার চতুষ্পার্শ্বে ইয্খির ও জলিল নামক ঘাস থাকবে। আর পুনরায়
কখনও মাজিন্না কুয়ার নিকট যেতে পারব, আর পুনরায় কখনও শামা ও তফীল পাহাড় আমার
দৃষ্টিগোচর হবে।
আয়িশা (রা) বলেন, আমি ইহা শুনে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে
বর্ণনা করলাম। তিনি দু‘আ করলেন,
اللهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا
وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ
হে আল্লাহ্! আমাদের মনে মদীনার মুহব্বত এইরূপ করে দিন, যেরূপ মক্কার মুহব্বত রয়েছে,
বরং উহা হতেও প্রগাঢ় ভালবাসা। আর মদীনাকে স্বাস্থ্যকর করে দিন। উহার সা‘ ও মুদ্দে
বরকত দিন, উহার জ্বর অন্যত্র নিয়ে যান এবং উহার জ্বরকে জুহফাতে সরিয়ে দিন। [১]
[১]
ইয্খির ও জালীল-মক্কার ঘাসের নাম। মাজান্না মক্কার অদূরে এক স্থানের নাম। এখানে জাহিলিয়াতের
যুগে মেলা বসত। শামা ও তফীল মক্কার তিন মাইল দূরে দুইটি পাহাড়। জুহফা মক্কা হতে ৮২
মাইল দূরে একটি লোকালয়ের নাম, তখন তথায় ইহুদীরা বাস করত।
এই জ্বর মদীনা হতে কদাকার একটি স্ত্রীলোকের মতো হয়ে বের হয়ে গিয়েছিল। এক ব্যক্তি উহাকে
রাস্তায় দেখেছে। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর কখনও মদীনায়
জ্বর প্রত্যাবর্তন করিবে না।
১৫৯০
قَالَ
مَالِك و حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ وَكَانَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ يَقُولُ
قَدْ رَأَيْتُ الْمَوْتَ قَبْلَ ذَوْقِهِ إِنَّ الْجَبَانَ حَتْفُهُ مِنْ فَوْقِهِ
আয়িশা (রা) থেকে
বর্ণিতঃ
আমির
ইব্নু ফুহাইরা বলতেন, আমি মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুকে দেখেছি, যারা ভীরু তাদের মৃত্যু
উপর হতে অবতরণ করে। (বুখারী ৩৯২৬, মুসলিম ১৩৭৫, আর ইয়াহইয়াহ কর্তৃক আয়িশা (রা)
থেকে বর্ণিত অংশটুকু, মুনকাতে)
১৫৯১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلَائِكَةٌ لَا يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلَا
الدَّجَّالُ
আবূ হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদীনার দ্বারে ফিরিশতা মোতায়েন রয়েছে।
উহাতে কখনও মহামারী দেখা দিবে না আর দাজ্জালও প্রবেশ করবে না। (বুখারী ১৮৮০,
মুসলিম ১৩৭৯)
পরিচ্ছেদঃ
৫
মদীনা হতে ইহুদীদের
বহিষ্কার
১৫৯২
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي
حَكِيمٍ أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ
كَانَ مِنْ آخِرِ مَا تَكَلَّمَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ أَنْ قَالَ قَاتَلَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ
أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ لَا يَبْقَيَنَّ دِينَانِ بِأَرْضِ الْعَرَبِ
উমার ইব্নু আবদুল
আযীয (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ কথা যা বলেছেন তাতে ছিল,
قَاتَلَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ لَا يَبْقَيَنَّ دِينَانِ بِأَرْضِ الْعَرَبِ
অর্থাৎ আল্লাহ্ তা‘আলা ইহুদী ও নাসারাদেরকে ধ্বংস করুন। তারা নিজেদের নবীদের কবরকে
মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। আরবের মাটিতে দুই ধর্ম একত্র হতে পারবে না। (বুখারী ৪৩৬,
৪৩৭, মুসলিম ৫২৯, ইমাম মুসলিম হাদীসটি মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন তবে ইমাম মালিক
কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
(তারা কবরকে কেবলা বানিয়ে ঐদিকে নামায আদায় করত অর্থাৎ কবরকে সিজদা করত। ইসলামে
এটা হারাম। প্রথম চার খলীফার যুগে আরব হতে সমস্ত কাফিরকে বের করে দেয়া হয়েছিল। আজ
পর্যন্ত তথায় কেবল ইসলাম ধর্মই বিরাজমান)
১৫৯৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَجْتَمِعُ دِينَانِ فِي جَزِيرَةِ الْعَرَبِ قَالَ
مَالِك قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَفَحَصَ عَنْ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ حَتَّى
أَتَاهُ الثَّلْجُ وَالْيَقِينُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَجْتَمِعُ دِينَانِ فِي جَزِيرَةِ الْعَرَبِ فَأَجْلَى
يَهُودَ خَيْبَرَ
ইবনু শিহাব থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদীনায় দুই ধর্ম একত্র হতে পারে না। (বুখারী ৩১৬৮, ইমাম মুসলিম
৫২৯, হাদীসটি মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি
মুরসাল)\
মালিক (র) বলেন, ইব্নু শিহাব (রা) বলেছেন, উমার (রা) এ ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে বুঝতে পেরেছেন যে, ইহা সত্যই রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
বাণী, অতঃপর তিনি তথা ইহুদীদেরকে খায়বর হতে বের করে দিয়েছিলেন।
১৫৯৪
قَالَ
مَالِك وَقَدْ أَجْلَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَهُودَ نَجْرَانَ وَفَدَكَ
فَأَمَّا يَهُودُ خَيْبَرَ فَخَرَجُوا مِنْهَا لَيْسَ لَهُمْ مِنْ الثَّمَرِ وَلَا
مِنْ الْأَرْضِ شَيْءٌ وَأَمَّا يَهُودُ فَدَكَ فَكَانَ لَهُمْ نِصْفُ الثَّمَرِ
وَنِصْفُ الْأَرْضِ لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ
صَالَحَهُمْ عَلَى نِصْفِ الثَّمَرِ وَنِصْفِ الْأَرْضِ فَأَقَامَ لَهُمْ عُمَرُ
نِصْفَ الثَّمَرِ وَنِصْفَ الْأَرْضِ قِيمَةً مِنْ ذَهَبٍ وَوَرِقٍ وَإِبِلٍ
وَحِبَالٍ وَأَقْتَابٍ ثُمَّ أَعْطَاهُمْ الْقِيمَةَ وَأَجْلَاهُمْ مِنْهَا
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
উমার
(রা) ফিদক ও নাজরান হতেও ইহুদী বিতাড়িত করেছিলেন। খায়বরের ইহুদীদের না কোন জায়গা
ছিল, না কোন বাগান ছিল। ফিদকের ইহুদীদের স্থাবর সম্পত্তির অর্ধেক ছিল এবং অর্ধেক
ফল ছিল। কেননা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে এ মর্মে চুক্তি করে
ছিলেন। উমার (রা) অর্ধেক ফল ও স্থাবর সম্পত্তির দাম নির্ধারিত করে উহা তাদেরকে
দিয়ে দেন এবং তাদেরকে তথা হতে বহিষ্কার করেছিলেন।
পরিচ্ছেদঃ
৬
মদীনার ফযীলত
১৫৯৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ
عَنْ أَبِيهِ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَعَ لَهُ أُحُدٌ فَقَالَ
هَذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ
উরওয়া ইব্নু যুবায়র
(রা) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদ পাহাড় দেখে বলেছেন, এই পাহাড় আমাদের এবং আমরা
এই পাহাড়কে ভালবাসি। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৫৯৬
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ أَنَّ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ
الْخَطَّابِ أَخْبَرَهُ
أَنَّهُ زَارَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَيَّاشٍ الْمَخْزُومِيَّ فَرَأَى عِنْدَهُ
نَبِيذًا وَهُوَ بِطَرِيقِ مَكَّةَ فَقَالَ لَهُ أَسْلَمُ إِنَّ هَذَا الشَّرَابَ
يُحِبُّهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَحَمَلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَيَّاشٍ قَدَحًا
عَظِيمًا فَجَاءَ بِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَوَضَعَهُ فِي يَدَيْهِ
فَقَرَّبَهُ عُمَرُ إِلَى فِيهِ
ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ عُمَرُ إِنَّ هَذَا لَشَرَابٌ طَيِّبٌ فَشَرِبَ
مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ رَجُلًا عَنْ يَمِينِهِ فَلَمَّا أَدْبَرَ عَبْدُ اللهِ
نَادَاهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ أَأَنْتَ الْقَائِلُ لَمَكَّةُ خَيْرٌ
مِنْ الْمَدِينَةِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ فَقُلْتُ هِيَ حَرَمُ اللهِ وَأَمْنُهُ
وَفِيهَا بَيْتُهُ فَقَالَ عُمَرُ لَا أَقُولُ فِي بَيْتِ اللهِ وَلَا فِي
حَرَمِهِ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ عُمَرُ أَأَنْتَ الْقَائِلُ لَمَكَّةُ خَيْرٌ مِنْ
الْمَدِينَةِ قَالَ فَقُلْتُ هِيَ حَرَمُ اللهِ وَأَمْنُهُ وَفِيهَا بَيْتُهُ
فَقَالَ عُمَرُ لَا أَقُولُ فِي حَرَمِ اللهِ وَلَا فِي بَيْتِهِ شَيْئًا ثُمَّ
انْصَرَفَ
আবদুর রহমান ইব্নু
কাসিম (র) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
ইব্নু খাত্তাব (রা)-এর মুক্ত দাস আসলাম বলেছেন, তিনি মক্কার রাস্তায় আবদুল্লাহ
ইব্নু আয়াশ আল-মাখযুরীর সহিত সাক্ষাৎ করতে যেয়ে তাঁর সম্মুখে নাবীয দেখতে পেলেন।
আসলাম বললেন, এই পানীয়কে উমার (রা) খুব পছন্দ করেন। অতঃপর আবদুল্লাহ্ ইব্নু আয়াশ
(রা) একটি বড় পেয়ালা ভরে উমার (রা)-এর সম্মুখে রাখলেন। তিনি উহা উঠিয়ে পান করতে
ইচ্ছা করলেন। অতঃপর মাথা তুলে বললেন, ‘এই পানীয় খুব ভাল’ এটা বলে তিনি উহা পান
করলেন। অতঃপর যে তাঁর ডানদিকে ছিল তাকে দান করলেন। যখন আবদুল্লাহ্ ইব্নু আয়াশ
প্রস্থান করতে উদ্যত হলেন তখন উমার (রা) তাঁকে ডেকে বললেন, তুমি কি বল যে, মদীনা
হতে মক্কা ভাল। আবদুল্লাহ্ বললেন, মক্কায় আল্লাহ্র হেরেম এবং উহা শান্তির স্থান
আর সেখানে তাঁর ঘর রয়েছে। উমার (রা) বললেন, আমি আল্লাহ্র ঘর ও হেরেম সম্বন্ধে
কিছু বলিতেছি না। উমার (রা) আবারও আবদুল্লাহকে তদ্রুপ জিজ্ঞেস করলে তিনি ঐ একই
উত্তর দিলেন। উমার (রা) তখন আবার বললেন, আল্লাহ্র ‘হেরেম’ এবং তাঁর গৃহ সম্বন্ধে
কিছুই বলিতেছি না। অতঃপর তিনি চলে গেলেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা
করেছেন)
[১]
মক্কা ও মদীনা এই উভয় শহরের মধ্যে কোন্টা উত্তম এ ব্যাপারে সে যুগের লোকদের মধ্যেও
মতভেদ ছিল। আলিমদের সম্মিলিত মত এই যে, মক্কা উত্তম। আবূ হানীফা, শাফেয়ী ইব্নু আবদুল
বার প্রমুখের মতও এটাই। কিন্তু উমার (রা) ও সাহাবায়ে কিরামের এক দলের মতে ও মালিক
(র)-এর মতে মদীনা উত্তম।
পরিচ্ছেদঃ
৭
মহামারীর বর্ণনা
১৫৯৭
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ
الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ
اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عَبَّاسٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ
حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغَ لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ أَبُو عُبَيْدَةَ
بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ
بِأَرْضِ الشَّامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ادْعُ
لِي الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ فَدَعَاهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ
أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ قَدْ
خَرَجْتَ لِأَمْرٍ وَلَا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَعَكَ
بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَلَا نَرَى أَنْ تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَإِ فَقَالَ عُمَرُ ارْتَفِعُوا
عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي الْأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ
فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلَافِهِمْ فَقَالَ
ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَاهُنَا مِنْ مَشْيَخَةِ
قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ
مِنْهُمُ رَجُلَانِ فَقَالُوا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلَا تُقْدِمَهُمْ
عَلَى هَذَا الْوَبَإِ فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ إِنِّي مُصْبِحٌ عَلَى ظَهْرٍ
فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللهِ
فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ
قَدَرِ اللهِ إِلَى قَدَرِ اللهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ إِبِلٌ فَهَبَطَتْ
وَادِيًا لَهُ عُدْوَتَانِ إِحْدَاهُمَا خَصِبَةٌ وَالْأُخْرَى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ
إِنْ رَعَيْتَ الْخَصِبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللهِ وَإِنْ رَعَيْتَ
الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللهِ
فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَكَانَ غَائِبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ
فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا
عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا
مِنْهُ قَالَ فَحَمِدَ اللهَ عُمَرُ ثُمَّ انْصَرَفَ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইব্নু খাত্তাব (রা) শাম
দেশের দিকে যাত্রা করলেন। যখন তিনি সুরগ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন বড় বড় সেনাপতি
তাঁর সাথে মিলিত হলেন, যেমন আবূ উবায়দা ইব্নুল জাররাহ ও তাঁর সঙ্গিগণ। ঐ সেনাপতিগণ
বললেন, আজকাল শাম দেশে মহামারী বিস্তার লাভ করেছে। ইবনু আব্বাস বললেন, নেতৃস্থানীয়
মুহাজিরদেরকে ডেকে আন, যাঁরা প্রথমে হিজরত করেছেন। তাঁদেরকে ডেকে আনা হল। উমার
(রা) তাঁদের সাথে শাম দেশের মহামারী সম্বন্ধে পরামর্শ করলেন। তাঁদের কেউ মন্তব্য
করলেন, আপনি কাজের জন্য বের হয়েছেন এখন প্রত্যাবর্তন করা সমীচীন হবে না। কেউ
বললেন, আপনার সাথে অন্যান্য লোকও রয়েছে আর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীও রয়েছেন। তাদেরকে এই মহামারীতে নিয়ে যাওয়া যুক্তিযুক্ত হবে
না। উমার (রা) তাঁদেরকে বিদায় দিলেন। অতঃপর বললেন, যাও আনসারদেরকে ডেকে আন! অতঃপর
ইব্নু আব্বাস আনসারদেরকে ডেকে আনলেন। উমার (রা) তাঁদের সহিত পরামর্শ করলেন। তাঁরাও
মুহাজিরদের মতো মত প্রকাশ করলেন। উমার (রা) তাঁদেরকেও বিদায় দিলেন। অতঃপর বললেন,
যাও কুরাইশ সর্দারদেরকে ডেকে আন। যাঁরা মক্কা বিজয়ের পর হিজরত করেছেন, আমি
কুরাইশের বয়োবৃদ্ধদের ডেকে আনলাম। তাঁদের দুইজনের মধ্যেও কোন মতবিরোধ হল না, বরং
সকলেই এক বাক্যে বললেন, আমাদের মতে আপনার ফিরে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে।
লোকদেরকে মহামারীতে নিয়ে যাওয়া সমীচীন মনে হচ্ছে না। অতঃপর উমার (রা) ঘোষণা করে
দিলেন, সকাল বেলায় আমরা ফিরে যাব।
সকাল বেলা সকলেই সওয়ার হয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে এল। সে সময় আবূ উবায়দা (রা)
বললেন, কি হল, আল্লাহ্র তকদীর (নির্ধারিত বিধান) হতে পালিয়ে যাচ্ছেন ? উমার (রা)
বললেন, যদি এই কথা অন্য কেউ বলত। হ্যাঁ, আমরা আল্লাহ্র তকদীর হতে আল্লাহ্র
তকদীরের প্রতি পলায়ন করছি। যদি তোমার নিকট উট থাকে আর তুমি দুই দিক ঘেরাও করা মাঠে
নিয়ে যাও, যার একদিক শস্য শ্যামল থাকে আর অন্যদিক শুষ্ক ও খালি থাকে। যদি তুমি
উটকে শ্যামল দিকে চরাও তখনও তুমি উহা আল্লাহ্র তাকদীরেই উহাকে চরালে আর যদি শুষ্ক
ভূমিতে চরাও তবুও আল্লাহ্র তাকদীরেই চরালে। এই সময়ে আবদুর রহমান ইব্নু আউফ (রা)
এসে পড়লেন। তিনি কোথাও কোন কাজে গিয়েছিলেন। তিনি বললেন, আমার এই ব্যাপারে জানা
আছে। আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যদি তুমি কোন
স্থানে মহামারীর কথা শুনতে পাও তবে তথায় গমন করো না। আর যদি কোন স্থানে মহামারী
ছড়িয়ে পড়ে আর তুমি সেখানে থাক তবে তথা হতে পলাইও না। ইব্নু আব্বাস (রা) বলেন, এটা
শুনে উমার (রা) আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন এবং তথা হতে প্রত্যাবর্তন করলেন। (বুখারী
৫৭২৯, মুসলিম ২২১৯)
১৫৯৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَعَنْ سَالِمٍ أَبِي
النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ
أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَسْأَلُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَا
سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّاعُونِ
فَقَالَ أُسَامَةُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
الطَّاعُونُ رِجْزٌ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ عَلَى
مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوا
عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا
مِنْهُ قَالَ مَالِك قَالَ أَبُو النَّضْرِ لَا يُخْرِجُكُمْ إِلَّا فِرَارٌ
مِنْهُ
সা‘দ ইব্নু আবূ
ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ
উসামা
ইব্নু যায়দের নিকট জিজ্ঞেস করলেন, তুমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে মহামারী সম্বন্ধে কি শুনেছ ? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মহামারী এক প্রকার আযাব, যা বনী ইসরাইলের এক
সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠানো হয়েছিল অথবা তোমাদের পূর্বেকার লোকদের প্রতি পাঠানো
হয়েছিল। যখন তোমরা কোন স্থানে মহামারীর কথা শোন, তথায় যেও না, আর যদি কোথাও
মহামারী সংক্রামিত হয়ে পড়ে আর তথায় থাক, তবে তথা হতে পলায়ন করো না। আবূ নায্র
বলেন, পলায়নের ইচ্ছায় বের হইও না। (বুখারী ৩৪৭৩, মুসলিম ২২২৮)
১৫৯৯
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ
اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى
الشَّامِ فَلَمَّا جَاءَ سَرْغَ بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَأَ
قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ
بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا
فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ فَرَجَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ سَرْغَ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু
‘আমির ইব্নু রবী‘আ (রা) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
(রা) শাম দেশের দিকে রওয়ানা হলেন, যখন সুরগ নামক স্থানে পৌঁছালেন, তখন জানতে
পারলেন, শাম দেশে মহামারী বিস্তার লাভ করেছে। অতঃপর আব্দুর রহমান ইবনু ‘আউফ (রা)
তাঁকে অবহিত করলেন যে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যখন কোন
স্থানে মহামারীর কথা জানবে সেখানে আগমন করবেন না। আর যখন কোন স্থানে অবস্থান কালে
সেখানে মহামারী শুরু হয় তখন তোমরা পলায়ন করার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হবে না।
(বুখারী ৫৭৩০, মুসলিম ২২১৯)
১৬০০
و حَدَّثَنِي
عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ إِنَّمَا رَجَعَ بِالنَّاسِ مِنْ سَرْغَ عَنْ حَدِيثِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ
সালিম ইবনু
আবদুল্লাহ্ থেকে বর্ণিতঃ
উমার
ইবনু খাত্তাব (রা) আবদুর রহমান ইবনু আউফ-এর কথায় সুরগ হতে ফিরে এলেন। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৬০১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
قَالَ لَبَيْتٌ بِرُكْبَةَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ عَشَرَةِ أَبْيَاتٍ بِالشَّامِ
قَالَ مَالِك يُرِيدُ لِطُولِ الْأَعْمَارِ وَالْبَقَاءِ وَلِشِدَّةِ الْوَبَإِ
بِالشَّامِ
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
উমার (রা) বলেছেন, রুক্বার একটি
ঘর আমার নিকট শাম দেশের দশটি ঘর হতে উৎকৃষ্ট। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা
করেছেন)
মালিক (র) বলেন, ইহা এইজন্য যে, রুকবা স্বাস্থ্যকর স্থান ছিল, সেখানে লোকেরা
দীর্ঘায়ু লাভ করত, আর শামে প্রায়ই মহামারী দেখা দিত।
No comments