মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় নামাযের সময়
০১. মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় নামাযের সময়
পরিচ্ছেদঃ
১
পাঁচ ওয়াক্তের সময়
১
قَالَ
حَدَّثَنِي اللَّيْثِيّ عَنْ مَالِك بْن أَنَس عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ
بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ
بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ
الصَّلَاةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ
الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ: مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ
جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّىٗٗ فَصَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
ثُمَّ صَلَّىٗ فَصَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ
اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ بِهِ يَا عُرْوَةُ أَوَ إِنَّ جِبْرِيلَ هُوَ الَّذِي
أَقَامَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتَ الصَّلَاةِ،
قَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ
يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيْهِ.
ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু আবদুল আযীয (র) একদিন নামায দেরিতে
আদায় করলেন। উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাঁর নিকট এসে খবর দিলেন যে, মুগীরা ইবনু
শু’বা যখন কূফায় ছিলেন তখন তিনি একদিন নামায দেরিতে আদায় করলেন। তারপর আবূ মাসউদ
আনসারী (র) তাঁর নিকট এসে বললেন, মুগীরা! এই দেরি কেন? আপনার জানা নেই কি জিবরাঈল
(আ) অবতরণ করলেন, অতঃপর নামায আদায় করলেন? (তাঁর সাথে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায আদায় করলেন, অতঃপর জিবরাঈল (আ) নামায আদায় করলেন, (তাঁর
সাথে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও নামায আদায় করলেন, তারপর জিবরাঈল
(আ) নামায আদায় করলেন, (তাঁর সাথে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নামায আদায় করলেন। তারপর বললেন, আপনার প্রতি এরই (এভাবে নামায আদায় করার) নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। উমার ইবনু আবদুল আযীয (র) বললেন, উরওয়াহ! তুমি কী বর্ণনা করছ ভেবে
দেখ। জিবরাঈল (আ)-ই কি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নামাযের
সময় ঠিক করেন? উরওয়াহ বললেন, বাশীর ইবনু আবূ মাসঊদ আনসারী তাঁর পিতা হতে এরূপ
হাদীস বর্ণনা করতেন। (বুখারী ৫২২, মুসলিম ৬১১)
২
قَالَ
عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ
يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ.
উরওয়াহ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আসর নামায আদায় করতেন তখনও সূর্যের আলো আয়েশার ঘরে থাকত,
আলো ঘরের মেঝে হতে প্রাচীরে উঠার পূর্বে। (বুখারী ৫২২, ৫৪৫, মুসলিম ৬১১)
৩
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ
يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَالَ فَسَكَتَ عَنْهُ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ الْغَدِ
صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ مِنْ الْغَدِ
بَعْدَ أَنْ أَسْفَرَ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ قَالَ
هَأَنَذَا يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ وَقْتٌ.
আতা ইবনু ইয়াসার
(র) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল এবং ফজর নামাযের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলো। রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রশ্নের উত্তর দানে বিরত থাকলেন। দ্বিতীয় দিন
ফজর (সূবহে সাদিক) হলে তিনি ফজরের নামায আদায় করলেন। তারপরের দিন ফজর আদায় করলেন
(ভোরের আলো) পূর্ণাঙ্গ প্রকাশিত হওয়ার পর। অতঃপর তিনি বললেন, নামাযের সময় সম্পর্কে
প্রশ্নকারী কোথায়? (সেইলোক) বলল, আমিই সেই ব্যক্তি ইয়া রসূলাল্লাহ। তিনি বললেন,
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী মুহূর্তগুলিই ফজর নামাযের সময়। (নাসাঈ, আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত
৬৪২, আলবানী সহীহ বলেছেন। ইমাম মালিক মুরসাল ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৪
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٍ
بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنْ الْغَلَسِ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন
ফজর আদায় করতেন তখন মেয়েলোকেরা নামায আদায়ের পর তাদের চাদর গায়ে দিয়ে (ঘরের দিকে)
ফিরতেন, অন্ধকারের জন্য তাঁদেরকে চেনা যেত না। (বুখারী ৩৭২ মুসলিম ৬৪৫)
৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ
وَعَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ, وعَنِ لأَ عْرَجِ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُونَه, عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ, أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ :
مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصُّبْحِ, قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ
أَدْرَكَ الصُّبْحَ, وَمَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ
تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْعَصْرَ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকাত পেয়েছে সে ফজর নামায পেয়েছে।
আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার আগে আসরের এক রাক‘আত পেয়েছে সে আসর নামায পেয়েছে।
(বুখারী ৫৭৯, মুসলিম ৬০৮)
৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ
عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ إِنَّ أَهَمَّ أَمْرِكُمْ
عِنْدِي الصَّلَاةُ فَمَنْ حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا حَفِظَ دِينَهُ وَمَنْ
ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ ثُمَّ كَتَبَ أَنْ صَلُّوا الظُّهْرَ
إِذَا كَانَ الْفَيْءُ ذِرَاعًا إِلَى أَنْ يَكُونَ ظِلُّ أَحَدِكُمْ مِثْلَهُ
وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ
الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَالْمَغْرِبَ
إِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا غَابَ الشَّفَقُ إِلَى ثُلُثِ
اللَّيْلِ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ
عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ وَالصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ
مُشْتَبِكَةٌ.
নাফি (র) থেকে
বর্ণিতঃ
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাঁর (অধীনস্থ)
কর্মকর্তাদের কাছে লিখেছেন, আমার মতে তোমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে
নামায, অতএব যে এটার রক্ষণাবেক্ষণ করল এবং (নিষ্ঠার সাথে) বরাবর পালন করল সে নিজের
দ্বীনের হিফাজত করল, আর যে নামাযকে নষ্ট করিল, সে নামায ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় দীনি
কাজেরও অধিক নষ্টকারী হবে। তিনি আরও লিখলেন, তোমরা যোহরের নামায আদায় করো যখন ফাই
(সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়ার পর যে ছায়া হয় তা) এক হাত হয়। এই নামাযের সময় তোমাদের
প্রত্যেকের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আর আসরের নামায আদায় করো যখন সূর্য
উর্ধ্বে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে। (সেই সময় হতে) সূর্যাস্তের পূর্বে সওয়ারী
ব্যক্তি দুই বা তিন ফরসখ চলতে পারে এতটুকু সময় পর্যন্ত। আর মাগরিব আদায় করো যখন
সূর্য ডুবে যায়, আর ইশা আদায় করো (শফক) অদৃশ্য হওয়ার পর হতে এক-তৃতীয়াংশ রাত পর্যন্ত।
আর যে (ইশা না আদায় করে) ঘুমাতে যায় তার চোখে যেন ঘুম না আসে, আর যে ঘুমাতে যায়
তার চোখে যেন ঘুম না আসে, আর যে ঘুমাতে যায় তার চক্ষুর যেন ঘুম না আসে। আর ফজর
(আদায় করো) যখন নক্ষত্রসমূহ পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরস্পর খাপিয়া যায়।
(মুনকাতে ইমাঃ বাইহাকী, সুনানে কুবরা ১/৪৪৫, তাহাবী শরহে মানিল আসার ১/১৯৩, তিনি
ইমাম মালেকের সনদে বর্ণনা করেন যা মুনকাতে সনদ)
৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ
بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى أَنْ صَلِّ الظُّهْرَ إِذَا زَاغَتْ
الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَهَا
صُفْرَةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَأَخِّرْ الْعِشَاءَ مَا لَمْ
تَنَمْ وَصَلِّ الصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ وَاقْرَأْ فِيهَا
بِسُورَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ مِنْ الْمُفَصَّلِ.
মালিক ইবনু আসবাহী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আবূ মূসা আশ’আরী
(রাঃ)-এর কাছে (পত্র) লিখেছেন, সূর্য ঢলিয়া পড়লে পর তুমি যোহর আদায় কর, আর আসর
আদায় কর যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে, সেটাতে হলুদ বর্ণ প্রকাশ হওয়ার
পূর্বে। সূর্যাস্তের পর মাগরিব আদায় কর। আর ইশা আদায় কর ঘুমানোর আগে। আর
নক্ষত্রসমূহ যখন (ফজরের আলোতে) উদ্ভাসিত হয় এবং একে অপরের সাথে খাপিয়া যায় তখন ফজর
আদায়। আর ফজর নামাযে মুফাছছল হতে দুইটি দীর্ঘ সূরা পাঠ কর। (নাফি ওমর (রাঃ) হতে
হাদীস শুনেনি, মালিক (রঃ) একই বর্ণনা করেন তবে মুয়াত্তার ব্যাখ্যা গ্রন্থ শরহে
যুরকানীতে ১/৩৬, এর সমর্থনে একাধিক মারফু ও মাওকুফ হাদীস রয়েছে, হাদীসটি ইমাম
মালিক একাই বর্ণনা করেন, এই অধ্যায়ে শাহেদ মারফু ও মাওকুফ- হাদীস রয়েছে)
৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ
بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ أَنْ صَلِّ الْعَصْرَ
وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ ثَلَاثَةَ
فَرَاسِخَ وَأَنْ صَلِّ الْعِشَاءَ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ ثُلُثِ اللَّيْلِ فَإِنْ
أَخَّرْتَ فَإِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ وَلَا تَكُنْ مِنْ الْغَافِلِينَ.
উরওয়া ইবনু যুবায়র
(র) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আবূ মূসা আশ’আরী
(রাঃ)-এর কাছ লিখেছেন, তুমি আসর আদায় করো যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে;
আরোহী তিন ফরসখ পথ যেতে পারে সেই পরিমাণ সময় পর্যন্ত। আর ইশা আদায় কর তোমার
সম্মুখে যখন ইশা উপস্থিত হয় সেই সময় হতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত। যদি তুমি আরও
দেরি কর তবে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত কর। তবে তুমি অলসদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (হাদীসটি
ইমাম মালিক (রঃ) এককভাবে বর্ণনা করেন, পূর্বে এর সমর্থনে হাদীস রয়েছে)
৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَافِعٍ
مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ
أَنَا أُخْبِرُكَ صَلِّ الظُّهْرَ إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ وَالْعَصْرَ إِذَا
كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَيْكَ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ
مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ ثُلُثِ اللَّيْلِ وَصَلِّ الصُّبْحَ بِغَبَشٍ يَعْنِي
الْغَلَسَ.
আবদুল্লাহ ইবনু
রাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর কাছে নামাযের সময়
সম্পর্কে জানতে চাইলেন। উত্তরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে নামাযের সময়ের
সংবাদ দিব, যোহর আদায় কর যখন তোমার ছায়া তোমার সমপরিমাণ হয়। আর আসর আদায় কর যখন
তোমার ছায়া তোমার দ্বিগুণ হয়। মাগরিব আদায় কর যখন সূর্য অস্ত যায়। আর ইশা আদায় কর
তোমার সম্মুখ (অর্থাৎ তোমার সামনে উপস্থিত ইশার প্রথম সময়) হতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি
পর্যন্ত আর ফজর আদায় কর গাবস অর্থাৎ গলসে-রাত্রের অন্ধকার কিছুটা বাকি থাকিতে।
(ইমাম মালিক (রঃ) এককভাবে বর্ণনা করেছেন, এ হাদীসের সমর্থনে আরো হাদীস রয়েছে)
১০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ
أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ، كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَخْرُجُ
الْإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ فَيَجِدُهُمْ يُصَلُّونَ الْعَصْرَ.
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আসর সালাত আদায় করতাম, অতঃপর লোকজন বের
হতেন (কুবায় অবস্থিত) বনি ‘আমর ইবনু আউফ-এর বস্তির দিকে, সেখানে তাদেরকে এ অবস্থায়
পেতেন যে, তাঁরা আসরের নামায আদায় করতেছেন। (বুখারী ৫৪৮, মুসলিম, ৬২১)
১১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ
قَالَ، كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى قُبَاءٍ
فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ.
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আসর সালাত আদায় করতাম। অতঃপর গমনকারী
কুবার দিকে গমন করতেন এবং তাঁদের (কুবাবাসীদের) কাছে এসে পৌঁছতেন (এমন সময় যে),
সূর্য তখনও উঁচুতে। (বুখারী ৫৫০, ৫৫১, মুসলিম ৬২১)
১২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ
الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ، مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ إِلَّا وَهُمْ
يُصَلُّونَ الظُّهْرَ بِعَشِيٍّ.
কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
যোহরের নামায লোকদেরকে সূর্য ঢলার বেশ কিছুক্ষণ
পর আদায় করতে আমি পেয়েছি। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২
জুম’আর সময়
১৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ
أَنَّهُ قَالَ، كُنْتُ أَرَى طِنْفِسَةً لِعَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ
الْجُمُعَةِ تُطْرَحُ إِلَى جِدَارِ الْمَسْجِدِ الْغَرْبِيِّ فَإِذَا غَشِيَ
الطِّنْفِسَةَ كُلَّهَا ظِلُّ الْجِدَارِ خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَصَلَّى
الْجُمُعَةَ قَالَ مَالِكٌ ثُمَّ نَرْجِعُ بَعْدَ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ فَنَقِيلُ
قَائِلَةَ الضَّحَاءِ.
আবূ সুহায়ল (র)
থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতা মালিক (র) বলেছেন, আমি জুম’আর দিন
আকীল ইবনু আবূ তালিবের একটি ছোট চাটাই (অথবা চাদর) দেখতে পেতাম। এটা মসজিদের
পশ্চিম প্রাচীরের দিকে ফেলে রাখা হত। প্রাচীরের ছায়া যখন চাটাইকে সম্পূর্ণভাবে
ঢেকে ফেলত, তখন উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বের হতেন এবং জুম’আ আদায় করাতেন। জুম’আর
নামায শেষে আমরা ফিরে আসতাম এবং দুপুরের বিশ্রাম নিতাম। (মালিক (রঃ) একাই বর্ণনা
করছেন)
১৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ عَنْ ابْنِ أَبِي
سَلِيطٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ صَلَّى الْجُمُعَةَ بِالْمَدِينَةِ
وَصَلَّى الْعَصْرَ بِمَلَلٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ لِلتَّهْجِيرِ وَسُرْعَةِ
السَّيْرِ.
ইবনু আবী সালিত (র)
থেকে বর্ণিতঃ
উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) জুম’আর সালাত মদীনায়
আদায় করেছেন, আর আসরের সালাত ‘মলালা’ [১] নামক জায়গায়। মালিক (র) বলেন, ইহা তানজীর
(সূর্য পশ্চিমে ঢলার পরপরই জুম’আ আদায় করা) ও দ্রুতগতিতে পথ অতিক্রমের জন্য।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১]
মদীনা এবং মলালা-এর মধ্যকার দূরত্ব বলা হয়েছে। মতান্তরে ২২, ১৮, ১৭ মাইল।
পরিচ্ছেদঃ
৩
যে ব্যক্তি নামাযের এক
রাকআত পায়
১৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ
الصَّلَاةَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন, যে নামাযের এক রাকাত পেয়েছে সে অবশ্য নামায পেয়েছে। (বুখারী ৫৮০,
মুসলিম ৬০৭)
১৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ
الْخَطَّابِ كَانَ يَقُولُ، إِذَا فَاتَتْكَ الرَّكْعَةُ فَقَدْ فَاتَتْكَ
السَّجْدَةُ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, যদি তোমার
রুকূ ফাউত হয়ে গেল (পাওয়া গেল না) তবে তোমার সিজদাও ফাউত হয়ে গেল। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ وَزَيْدَ
بْنَ ثَابِتٍ كَانَا يَقُولَانِ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ
السَّجْدَة.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার ও যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)
তাঁরা দু’জনে বলতেন, যে লোক রুকূ পেয়েছে সে সিজদাও পেয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক
(রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৮
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ
يَقُولُ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَةَ وَمَنْ فَاتَهُ
قِرَاءَةُ أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَدْ فَاتَهُ خَيْرٌ كَثِيرٌ ََََ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
মালিক (র) বলেন, তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে
যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন, যে রুকূ পেয়েছে সে সিজদাও পেয়েছে। আর যাঁহার
উম্মুল-কুরআন ফাউত হয়েছে (সূরা ফাতিহা চলে গেছে) তাঁর অনেক সওয়াব ফাউত হয়েছে।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৪
‘দুলুকুশ শামস ও
গাসাকুল লাইল’-এর বর্ণনা
১৯
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ
دُلُوكُ الشَّمْسِ مَيْلُهَاََََ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, ‘দুলুকুশ
শাম্স’ হচ্ছে (মধ্যাকাশ হতে) সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়া। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ)
একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
২০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ أَخْبَرَنِي مُخْبِرٌ
أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُوْلُ، دُلُوكُ الشَّمْسِ إِذَا فَاءَ
الْفَيْءُ وَغَسَقُ اللَّيْلِ اجْتِمَاعُ اللَّيْلِ وَظُلْمَتُهََََُ.
আবদুল্লাহ ইবনু
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ
দুলুকুশ শাম্স’ যখন ছায়া (পশ্চিম দিকে) ঝুঁকে
আর ‘গাসাকুল লাইল’ হচ্ছে রজনী ও তার অন্ধকার। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে
বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৫
নামাযের সময় সম্পর্কীয়
বিবিধ রেওয়ায়ত
২১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الَّذِي تَفُوتُهُ صَلَاةُ الْعَصْرِ
كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهََََُ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির
আসরের নামায ফাউত হয়েছে তবে যেন তার পরিবার-পরিজন ও সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে
(অর্থাৎ পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ হারালে যেমন ক্ষতি হয় তদ্রুপ ক্ষতি হয়েছে)।
(বুখারী ৫৫২, মুসলিম ৬২৬)
২২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ فَلَقِيَ رَجُلًا لَمْ يَشْهَدْ الْعَصْرَ
فَقَالَ عُمَرُ مَا حَبَسَكَ عَنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ فَذَكَرَ لَهُ الرَّجُلُ
عُذْرًا فَقَالَ عُمَرُ طَفَّفْتَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَيُقَالُ لِكُلِّ
شَيْءٍ وَفَاءٌ وَتَطْفِيفٌََََ
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
আসরের নামায হতে ফেরার পথে উমার
ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর এমন এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হল যিনি আসরের নামাযে হাজির
হন নাই। উমার (রাঃ) বললেন আসরের নামায হতে তোমাকে কোন বস্তু বিরত রাখল? লোকটি তাঁর
(উমারের) নিকট কারণ জানালেন। কারণ শুনে উমার (রা) বললেন, (জামা’আতে হাযির না
হওয়ায়) তোমার সওয়াব কমেছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, বলা হয়ে থাকে “প্রত্যেক বস্তুর পূর্ণতা এবং ক্ষতি বা লোকসান
রয়েছে।”
২৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ، إِنَّ
الْمُصَلِّيَ لَيُصَلِّي الصَّلَاةَ وَمَا فَاتَهُ وَقْتُهَا وَلَمَا فَاتَهُ مِنْ
وَقْتِهَا أَعْظَمُ أَوْ أَفْضَلُ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهََََِ قَالَ يَحْيَى
قَالَ مَالِك مَنْ أَدْرَكَ الْوَقْتَ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ
سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا حَتَّى قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ أَنَّهُ إِنْ كَانَ قَدِمَ
عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ فِي الْوَقْتِ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُقِيمِ وَإِنْ كَانَ
قَدْ قَدِمَ وَقَدْ ذَهَبَ الْوَقْتُ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُسَافِرِ لِأَنَّهُ
إِنَّمَا يَقْضِي مِثْلَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ
هُوَ الَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ وَأَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا و
قَالَ مَالِك الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ الَّتِي فِي الْمَغْرِبِ فَإِذَا ذَهَبَتْ
الْحُمْرَةُ فَقَدْ وَجَبَتْ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَخَرَجْتَ مِنْ وَقْتِ
الْمَغْرِبِ.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
মুসল্লি এমন সময়ে নামায আদায়
করবে, যখন তাঁর নামাযের ওয়াক্ত ফাউত হয় নি, তাই খুবই উত্তম, কিন্তু মুসল্লির
নামাযের যে সময় ফাউত হয়ে গিয়াছে (অর্থাৎ মুস্তাহাব সময় ফাউত হয়ে মাকরূহ ওয়াক্ত
উপস্থিত হয়েছে) তবে সেই (ফাউত হওয়া মুস্তাহাব) সময় তাঁর পরিজন ও মাল অপেক্ষাও খুবই
উত্তম।
মালিক (র) বলেন, সফরকালে (যেই সফরে নামায কসর আদায় করতে হয় সেইরূপ সফর) যে
ব্যক্তির নামাযের সময় উপস্থিত হয়েছে, সে যদি ভুলে অথবা ব্যস্ততাবশত নামায আদায়ে
দেরি করে এবং এই অবস্থায় নিজের কাছে ফিরে আসে, তবে সে যদি নামাযের সময় থাকিতে
পরিজনের কাছে ফিরে আসে সে মুকীমের নামায আদায় করবে, আর যদি নামাযের সময় চলে যাওয়ার
পর ফিরে আসে, সে মুসাফিরের নামায আদায় করবে। কারণ যেরূপ তার উপর ফরয হয়েছিল সেইরূপ
সে কাযা আদায় করবে।
মালিক (র) বলেন, আমাদের নগরীর লোকজন ও আহলে ইলমকে আমি এর উপরই পেয়েছি (অর্থাৎ
তাঁদের আমল ও অভিমতও ঐরূপই ছিল)।
মালিক (র) বলেন, অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় তাই শফক। লালিমা চলে গেলে ইশার নামায
ওয়াজিব হল এবং তুমি মাগরিবের সময় হতে বের হলে। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক
ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১]
ইমাম মালিক, শাফিয়ী. আহমাদ, আবূ ইউসুফ, মুহাম্মদ (র)-এর মাযহাব অনুরূপ। ইমাম আবূ হানীফা
(র) বলেন, লালিমা অস্ত যাওয়ার পর সাদা বর্ণ দেখা যায়, ওটাই শফক। এটা অদৃশ্য হলে ইশার
নামাযের সময় শুরু হয়। ইশার সময় শুরু না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময় থাকে।
২৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أُغْمِيَ
عَلَيْهِ فَذَهَبَ عَقْلُهُ فَلَمْ يَقْضِ الصَّلَاةَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ
فِيمَا نَرَى وَاللهُ أَعْلَمُ أَنَّ الْوَقْتَ قَدْ ذَهَبَ فَأَمَّا مَنْ أَفَاقَ
فِي الْوَقْتِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) একবার
জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। (হুঁশ ফিরে আসার পর) তিনি আর নামাযের কাযা আদায় করলেন না।
মালিক (র) বলেন, আমাদের মতে এটা এইজন্য যে, নামাযের সময় চলে গিয়েছিল। আর নামাযের
সময় থাকতে যে জ্ঞান ফিরে পায় সে নামায আদায় করবে (আল্লাহ সর্বজ্ঞ)। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৬
নামায হতে নিদ্রায়
থাকা
২৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَفَلَ مِنْ خَيْبَرَ
أَسْرَى حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلَالٍ
اكْلَأْ لَنَا الصُّبْحَ وَنَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَأَصْحَابُهُ وَكَلَأَ بِلَالٌ مَا قُدِّرَ لَهُ ثُمَّ اسْتَنَدَ إِلَى
رَاحِلَتِهِ وَهُوَ مُقَابِلُ الْفَجْرِ فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ فَلَمْ
يَسْتَيْقِظْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا بِلَالٌ وَلَا
أَحَدٌ مِنْ الرَّكْبِ حَتَّى ضَرَبَتْهُمْ الشَّمْسُ فَفَزِعَ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ بِلَالٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَخَذَ
بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ اقْتَادُوا فَبَعَثُوا رَوَاحِلَهُمْ وَاقْتَادُوا شَيْئًا ثُمَّ أَمَرَ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَقَامَ الصَّلَاةَ
فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ ثُمَّ
قَالَ حِينَ قَضَى الصَّلَاةَ مَنْ نَسِيَ الصَّلَاةَ فَلْيُصَلِّهَا إِذَا
ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ { أَقِمْ
الصَّلَاةَ لِذِكْرِي }
সাঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বর হতে ফিরে আসার সময় রাত্রিবেলা পথ চললেন; যখন
রাত্রের শেষ সময় হল তিনি (নিদ্রার জন্য) অবতরণ করলেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বললেন,
‘তুমি প্রত্যুষের প্রতি লক্ষ রাখ (ভোর হলে আমাদেরকে জাগিয়ে দেবে)। রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ ঘুমিয়ে পড়লেন। বিলাল (রাঃ)
যথাসাধ্য লক্ষ রাখতে লাগলেন। অতঃপর উটের হাওদার সাথে ঠেস দিয়ে ভোরের আলোর উদয়ের
স্থানকে সামনে রেখে বসলেন। হঠাৎ তাঁর উপর নিদ্রা ভর করল। এই অবস্থায় রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল এবং কাফিলার অন্য কেউ উঠলেন না যতক্ষণ না
সূর্যকিরণ তাঁদের উপর পতিত হল। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাবড়ে
গেলেন; তারপর বললেন বিলাল! এটা কি? বিলাল বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনাকে যিনি ঘুম
পাড়িয়েছেন তিনি আমাকেও ঘুম পাড়িয়েছেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, তোমরা উট চালিত কর (এবং স্থানান্তরিত হও)। তাঁরা উটগুলিকে উঠালেন এবং
কিছুদূর চললেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে নির্দেশ
দিলেন (ইকামত বলার জন্য)। তিনি ইকামত বললেন, তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে ফজরের নামায আদায় করালেন। নামায সমাপ্ত করার পর তিনি বললেন,
যে নামাযকে ভুলিয়া যায় (অর্থাৎ নামায হতে গাফিল হয় নিদ্রা অথবা ভূলের কারণে)
নামাযের কথা স্মরণ হওয়ার পর সে তা আদায় করে নিবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, أَقِمْ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
“আমার স্বরণার্থে নামায কায়েম কর।” (ছহীহ মুসলিম ৬৮০, আর ইমাম মালিক (রঃ) কর্তৃক
বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
২৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُ قَالَ عَرَّسَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً بِطَرِيقِ مَكَّةَ وَوَكَّلَ
بِلَالًا أَنْ يُوقِظَهُمْ لِلصَّلَاةِ فَرَقَدَ بِلَالٌ وَرَقَدُوا حَتَّى
اسْتَيْقَظُوا وَقَدْ طَلَعَتْ عَلَيْهِمْ الشَّمْسُ فَاسْتَيْقَظَ الْقَوْمُ
وَقَدْ فَزِعُوا فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ
يَرْكَبُوا حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْ ذَلِكَ الْوَادِي وَقَالَ إِنَّ هَذَا وَادٍ
بِهِ شَيْطَانٌ فَرَكِبُوا حَتَّى خَرَجُوا مِنْ ذَلِكَ الْوَادِي ثُمَّ
أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْزِلُوا وَأَنْ
يَتَوَضَّئُوا وَأَمَرَ بِلَالًا أَنْ يُنَادِيَ بِالصَّلَاةِ أَوْ يُقِيمَ
فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ ثُمَّ
انْصَرَفَ إِلَيْهِمْ وَقَدْ رَأَى مِنْ فَزَعِهِمْ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ
إِنَّ اللهَ قَبَضَ أَرْوَاحَنَا وَلَوْ شَاءَ لَرَدَّهَا إِلَيْنَا فِي حِينٍ
غَيْرِ هَذَا فَإِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنْ الصَّلَاةِ أَوْ نَسِيَهَا ثُمَّ
فَزِعَ إِلَيْهَا فَلْيُصَلِّهَا كَمَا كَانَ يُصَلِّيهَا فِي وَقْتِهَا ثُمَّ
الْتَفَتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ
فَقَالَ إِنَّ الشَّيْطَانَ أَتَى بِلَالًا وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فَأَضْجَعَهُ
فَلَمْ يَزَلْ يُهَدِّئُهُ كَمَا يُهَدَّأُ الصَّبِيُّ حَتَّى نَامَ ثُمَّ دَعَا
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَخْبَرَ بِلَالٌ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ الَّذِي أَخْبَرَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ
أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللهِ.
যায়দ ইবনু আসলাম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মক্কার পথে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম (একবার বিশ্রাম গ্রহণের জন্য) রাত্রিতে অবতরণ করলেন এবং বিলালকে
নামাযের জন্য জাগিয়ে দেয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত করলেন। তারপর বিলাল ঘুমালেন এবং অন্য
সকলেও ঘুমালেন। এমন কি তাঁরা জেগে উঠলেন সূর্য ওঠার পর। হতচকিত অবস্থায় দলের লোকজন
জাগ্রত হলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে সওয়ার হওয়ার এবং
সেই উপত্যকা হতে বাহিরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। আর তিনি বললেন, এই উপত্যকায়
অবশ্যই শয়তান রয়েছে। তারপর তাঁরা সওয়ার হলেন এবং সেই উপত্যকা হতে বের হয়ে গেলেন।
অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে অবতরণ এবং ওযূ করার
নির্দেশ দিলেন। আর বিলালকে নামাযের জন্য আযান অথবা ইকামত বলার হুকুম করলেন। তারপর
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজনকে নামায আদায় করালেন। তারপর
তাঁদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং তাঁদের ঘাবড়ানোর অবস্থা অনুধাবন করলেন। তখন তিনি
বললেন, হে লোকসমাজ! আল্লাহ আমাদের আত্মাসমূহকে কাবু করেছিলেন, আর তিনি যদি ইচ্ছা
করতেন এই সময় ব্যতীত ভিন্ন সময়ে আত্মাসমূহকে আমাদের নিকট ফেরত দিতে পারতেন। যদি
তোমাদের কেউ নামায হতে ঘুমিয়ে পড় অথবা উহাকে ভুলে যাও, অতঃপর হঠাৎ নামাযের কথা
স্মরণ হয়, তবে সেই নামাযকে উহার নির্ধারিত সময়ে যেভাবে আদায় করতে সেভাবে আদায়
করবে। তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রা)-এর দিকে
দৃষ্টি করলেন। তারপর বললেন, বিলাল যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতেছিল তখন তাঁর কাছে
শয়তান আসিল এবং তাঁকে ঠেস দেওয়াইয়া বসাইল এবং শিশুকে যেভাবে (থাপি দিয়া) শান্ত করা
হয় ও ঘুম পাড়ানো হয় সেইভাবে তাঁর সঙ্গে বারবার করতে থাকিল। এমন কি (শেষ পর্যন্ত)
বিলাল ঘুমিয়ে পড়ল। তাঁরপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে
আহ্বান করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাঃ)-কে
যেরূপ বলেছিলেন বিলালও অনুরূপ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট
বর্ণনা করলেন। উহা শুনে আবূ বকর (রা;) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই
আল্লাহর রসূল। (মালিক (রঃ) একাই বর্ণনা করেছেন তবে এই হাদীসকে পূর্বের হাদীস ছাড়াও
অন্যান্য হাদীস এর সমর্থনে পাওয়া যায়)
পরিচ্ছেদঃ
৭
দ্বিপ্রহরে (প্রখর
রৌদ্রতাপে) নামায আদায় নিষেধ
২৭
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ
فَيْحِ جَهَنَّمَ فَإِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلَاةِ وَقَالَ
اشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا فَقَالَتْ يَا رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا
فَأَذِنَ لَهَا بِنَفَسَيْنِ فِي كُلِّ عَامٍ نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٍ فِي
الصَّيْفِ.
আতা ইবনু ইয়াসার
(র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেছেন, জাহান্নামের মূল হতেই প্রখর গ্রীষ্মের উৎপত্তি। তাই প্রচণ্ড
গ্রীষ্মের সময় নামায দেরিতে আদায় কর। তিনি আরও বললেন, (জাহান্নামের) অগ্নি তাঁর
নিকট ফরিয়াদ জানিয়ে বলল, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলল। অতঃপর (আল্লাহ
তা’আলা) উহাকে বছরে দু’বার শ্বাস ছাড়ার অনুমতি দিলেন-এক শ্বাস শীতকালে আর অপর
শ্বাস গ্রীষ্মে। (মালিক (রঃ) একাই বর্ণনা করেছেন, এবং এই হাদীসের সমর্থনে
মুয়াত্তা, বুখারী মুসলিম সহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে হাদীস পাওয়া যায়)
২৮
و
حَدَّثَنَا مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ مَوْلَى الْأَسْوَدِ بْنِ
سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنْ
الصَّلَاةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ وَذَكَرَ أَنَّ
النَّارَ اشْتَكَتْ إِلَى رَبِّهَا فَأَذِنَ لَهَا فِي كُلِّ عَامٍ بِنَفَسَيْنِ
نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٍ فِي الصَّيْفِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন, যখন গ্রীষ্ম প্রখর হয় সেই সময় নামায দেরি করে (গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতা
যখন কমে যায় তখন) আদায় কর। কারণ গরমের প্রখরতার উৎপত্তি জাহান্নামের মূল হতেই।
তিনি (আরও) উল্লেখ করলেন জাহান্নাম (উহার আগুন) তার পরওয়ারদিগারের নিকট ফরিয়াদ
জানাল। ফলে আল্লাহ তা’আলা উহার জন্য প্রতি বৎসর দুইটি শ্বাসের অনুমতি দিলেন, একটি
শ্বাস শীতকালে আর একটি গ্রীষ্মকালে। (ছহীহ, মুসলিম ৬১৭)
২৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا
اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنْ الصَّلَاةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ
فَيْحِ جَهَنَّمَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন, যখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায় তখন তোমরা নামায দেরি করে আদায়
কর। কারণ গ্রীষ্মের প্রখরতার উৎপত্তি জাহান্নামের মূল হতেই। (বুখারী ৫৩৪, মুসলিম
৬১৫)
পরিচ্ছেদঃ
৮
নামাযে মুখ ঢেকে রাখা
ও পিয়াজের গন্ধসহ মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ
৩০
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ
الشَّجَرَةِ فَلَا يَقْرُبْ مَسَاجِدَنَا يُؤْذِينَا بِرِيحِ الثُّومِ.
সাঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে এই উদ্ভিদ হতে আহার করে সে আমাদের মসজিদ সমূহের নিকটে
যেন না আসে, পিয়াজের গন্ধ আমাদের কষ্ট দিবে। (সহীহ, মুসলিম ৫৬৩, তবে মালিক (রঃ)-এর
বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
২و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمُجَبَّرِ
أَنَّهُ كَانَ يَرَى سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ إِذَا رَأَى الْإِنْسَانَ يُغَطِّي فَاهُ وَهُوَ يُصَلِّي جَبَذَ الثَّوْبَ عَنْ فِيهِ جَبْذًا شَدِيدًا حَتَّى يَنْزِعَهُ عَنْ فِيهِ.
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) কোন লোককে নামাযে মুখাবৃত দেখলে খুব জোরে কাপড় (মুখ হতে)
টেনে নিতেন। এমন কি মুখ হতে কাপড় ছিনিয়ে নিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে
বর্ণনা করেছেন)
No comments