মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় "জমি (কেয়ারা) ভাড়া দেয়া"

জমি (কেয়ারা) ভাড়া দেয়ার অধ্যায়

পরিচ্ছেদঃ

জমি (কেয়ারা) ভাড়া দেয়া

১৩৮৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ قَيْسٍ الزُّرَقِيِّ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ قَالَ حَنْظَلَةُ فَسَأَلْتُ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ أَمَّا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَلَا بَأْسَ بِهِ.

রাফি‘ ইব্নু খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শস্যক্ষেত্র ভাড়া দিতে নিষেধ করেছেন। হানযালা বলেন, আমি রাফি‘র নিকট জিজ্ঞেস করলাম, যদি স্বর্ণ বা চাঁদির পরিবর্তে নেয়া হয়? তিনি বললেন, “কোন ক্ষতি নেই।“ (সহীহ, বুখারী ২২৮৬)

১৩৮৯

و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ كِرَاءِ الْأَرْضِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِهِ.

বর্ণণাকারী থেকে বর্ণিতঃ

যুহরী (র) সাঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (র)-কে জিজ্ঞেস করলেন, স্বর্ণ ও চাঁদির পরিবর্তে জমি ভাড়া লওয়া বৈধ কি? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, বৈধ, এতে কোন ক্ষতি নেই।“ (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৩৯০

و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِهَا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَقُلْتُ لَهُ أَرَأَيْتَ الْحَدِيثَ الَّذِي يُذْكَرُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فَقَالَ أَكْثَرَ رَافِعٌ وَلَوْ كَانَ لِي مَزْرَعَةٌ أَكْرَيْتُهَا.

বর্ণণাকারী থেকে বর্ণিতঃ

যুহরী (র) সালিম ইব্নু আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা)-কে শস্যক্ষেত্র ভাড়া দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, স্বর্ণ ও চাঁদির বিনিময়ে হলে কোন ক্ষতি নেই। যুহরী (র) বললেন, রাফি‘ ইব্নু খাদীজ (রা) হতে বর্ণিত হাদীস কি আপনার জানা আছে? উত্তরে সালিম (র) বললেন, তিনি অর্থাৎ রাফি‘ অনেক অস্পষ্ট কথা বলেছেন, যদি আমার নিকট শস্যক্ষেত্র হত তবে আমি ভাড়া দিতাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৩৯১

و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ تَكَارَى أَرْضًا فَلَمْ تَزَلْ فِي يَدَيْهِ بِكِرَاءٍ حَتَّى مَاتَ قَالَ ابْنُهُ فَمَا كُنْتُ أُرَاهَا إِلَّا لَنَا مِنْ طُولِ مَا مَكَثَتْ فِي يَدَيْهِ حَتَّى ذَكَرَهَا لَنَا عِنْدَ مَوْتِهِ فَأَمَرَنَا بِقَضَاءِ شَيْءٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنْ كِرَائِهَا ذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবদুর রহমান ইব্নু আউফ (রা) ভাড়ায় একটি জমি নিয়েছিলেন, যা আমৃত্যু তাঁর নিকট ছিল। তাঁর পুত্র বললেন, আমরা এই জমি আমাদের নিজস্ব মনে করতাম, কেননা উহা অনেক দিন আমাদের নিকট ছিল। যখন আবদুর রহমান ইব্নু আউফ (রা)-এর অন্তিমকাল উপস্থিত হল, তিনি বললেন, এটা ভাড়ার জমি, ভাড়া যা বাকী ছিল তা সোনা চাঁদিতে আদায় করতে বললেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

১৩৯২

و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يُكْرِي أَرْضَهُ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ ২৬২৯-و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ أَكْرَى مَزْرَعَتَهُ بِمِائَةِ صَاعٍ مِنْ تَمْرٍ أَوْ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ مِنْ غَيْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا فَكَرِهَ ذَلِكَ.

হিশাম ইব্নু উরওয়া (র) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা যুবায়র নিজের জমি সোনা-চাঁদির বিনিময়ে ভাড়া দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র)-এর নিকট প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি কোন ব্যক্তি স্বীয় জমি এই শর্তে ভাড়া দেয় যে, উৎপাদিত ফসলের এই পরিমাণ (যেমন একশত সা’) নিব এমতাবস্থায় মাসআলা কি? তিনি বললেন, “ইহা মাকরূহ।“

No comments

Powered by Blogger.