মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় কিবলা
কিবলা
পরিচ্ছেদ
০১.
শৌচকার্যে গমন করলে
তখন কিবলাকে সামনে রাখা নিষেধ
৪৪০
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ
رَافِعِ بْنِ إِسْحَقَ مَوْلًى لِآلِ الشِّفَاءِ وَكَانَ يُقَالُ لَهُ مَوْلَى
أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ صَاحِبَ رَسُولِ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِمِصْرَ يَقُوْلُ، وَاللهِ مَا
أَدْرِي كَيْفَ أَصْنَعُ بِهَذِهِ الْكَرَابِيسِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ الْغَائِطَ أَوْ
الْبَوْلَ فَلَا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا بِفَرْجِهِ.
নাফি’ ইবনু ইসহাক (র) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী আবূ আইয়ূব আনসারী (রা)-কে আমি মিসরে বলতে
শুনেছি আল্লাহর কসম, আমি জানি না এই শৌচাগারগুলি কি করব। অথচ রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি শৌচকার্যের জন্য যায় তবে
কিবলাকে সামনেও করবে না এবং পেছনেও করবে না। (বুখারী ১৪৪, মুসলিম ২৬৪)
৪৪১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ الْأَنْصَارِ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ تُسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةُ
لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ.
আনসারী সাহাবী (রা)
থেকে বর্ণিতঃ
শৌচকার্যের
সময় কিবলাকে সামনে করে বসতে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে
নিষেধ করেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদ
০২.
শৌচকার্যের সময়
কিবলাকে সামনে রাখার ব্যাপারে অনুমতি
৪৪২
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ
حَبَّانَ عَنْ عَمِّهِ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ
أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ، إِنَّ أُنَاسًا يَقُولُونَ إِذَا قَعَدْتَ عَلَى حَاجَتِكَ
فَلَا تَسْتَقْبِلْ الْقِبْلَةَ وَلَا بَيْتَ الْمَقْدِسِ قَالَ عَبْدُ اللهِ
لَقَدْ ارْتَقَيْتُ عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَنَا فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ
لِحَاجَتِهِ، ثُمَّ قَالَ لَعَلَّكَ مِنْ الَّذِينَ يُصَلُّونَ عَلَى
أَوْرَاكِهِمْ قَالَ قُلْتُ لَا أَدْرِي وَاللهِ قَالَ مَالِك يَعْنِي الَّذِي
يَسْجُدُ وَلَا يَرْتَفِعُ عَلَى الْأَرْضِ يَسْجُدُ وَهُوَ لَاصِقٌ بِالْأَرْضِ.
ওয়াসি’ ইবনু
হাব্বান (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রা) বলতেন, কিছুসংখ্যক লোক বলে থাকে তুমি যখন তোমার আবশ্যকের জন্য
(প্রসাব ও পায়খানার জন্য) বস, তখন কিবলা ও বায়তুল মুকাদ্দাসকে সামনে করবে না।
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলেন, (একবার) আমি আমাদের গৃহের ছাদে চড়িলাম, তখন আমি
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (তাঁর আবশ্যকের জন্য) দু’টি ইটের উপর
উপবিষ্ট দেখলাম, বায়তুল মুকাদ্দাসকে সামনে রেখে। অতঃপর তিনি বলেন, সম্ভবত তোমরা
তোমাদের পাছার উপর নামায পড়। রাবী (ওয়াসি’ ইবনু হাব্বান) বলেন, আমি বললামঃ আল্লাহর
কসম, আমি জানি না ইহা দ্বারা কি বুঝিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, অর্থাৎ যে জমির সাথে
পাছা লাগিয়ে সিজদা করে (সে পাছার উপর নামায পড়ে)। (বুখারী ১৪৫, মুসলিম ২৬৬)
পরিচ্ছেদ
০৩.
কিবলার দিকে থুথু
নিক্ষেপ করা নিষেধ
৪৪৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى بُصَاقًا فِي جِدَارِ الْقِبْلَةِ
فَحَكَّهُ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي
فَلَا يَبْصُقْ قِبَلَ وَجْهِهِ فَإِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قِبَلَ
وَجْهِهِ إِذَا صَلَّى.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) কিবলার দিকে দেয়ালে থুথু দেখতে পেয়ে উহাকে
ঘষে তুলে ফেললেন। তারপর তিনি মুখমণ্ডল লোকের দিকে করলেন। অতঃপর তিনি বললেন,
তোমাদের কেউ যখন নামায পড়ে সে যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কারণ যখন নামায পড়ে
তখন অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা তার সামনে থাকেন। (বুখারী ৪০৬, মুসলিম ৫৪৭)
৪৪৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ
زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي جِدَارِ الْقِبْلَةِ بُصَاقًا أَوْ مُخَاطًا
أَوْ نُخَامَةً فَحَكَّهُ.
আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার কিবলার দিকে দেয়ালে থুথু অথবা কাশ বা নাকের
পানি (কোনটি বলেছেন এই বিষয়ে রাবীর সন্দেহ হয়েছে) দেখতে পেলেন, তিনি তা ঘষে
পরিষ্কার করেছিলেন। (বুখারী ৪০৭, মুসলিম ৫৪৯)
পরিচ্ছেদ
০৪.
কিবলার বর্ণনা
৪৪৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ إِذْ
جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ
أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ
الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبَلُوهَا وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّامِ
فَاسْتَدَارُوا إِلَى الْكَعْبَةِ.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
লোকজন
কাবাগৃহে ফজরের নামাযে ছিলেন এমন সময় একজন আগন্তুক তাঁদের কাছে এলেন। তিনি (এসে)
বললেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর (গত) রাত্রে কুরআন নাযিল
হয়েছে। তাঁকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে (নামাযে) ‘কাবা’র দিকে মুখমণ্ডল করার জন্য। অতএব
আপনারাও কাবার দিকে মুখ করুন। এটা শুনে তাঁরা ‘কাবা’-র দিকে ঘুরে গেলেন অথবা তাঁদের
মুখ ছিল শামের দিকে। (বুখারী ৪০৩, মুসলিম ৫২৬)
৪৪৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّهُ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَنْ
قَدِمَ الْمَدِينَةَ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ ثُمَّ
حُوِّلَتْ الْقِبْلَةُ قَبْلَ بَدْرٍ بِشَهْرَيْنِ.
সাঈদ ইবনু
মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় শুভাগমন করার পর ষোল মাস যাবত বায়তুল
মুকাদ্দাসের দিকে নামায আদায় করেছেন। অতঃপর বদরের (যুদ্ধের) দুই মাস পূর্বে কিবলা
পরিবর্তন হয়। (মারফু, বুখারী ৪১, মুসলিম ৫২৫)
৪৪৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ، مَا
بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قِبْلَةٌ إِذَا تُوُجِّهَ قِبَلَ الْبَيْتِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
বায়তুল্লাহর
দিকে মুখ করলেই হয়, পূর্বে ও পশ্চিমের মধ্যবর্তী স্থান কিবলা বলে গণ্য করা হয়।
(মদীনা হতে মক্কা দক্ষিণ-পশ্চিমে, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যবর্তী স্থান বলতে এটাই
বুঝানো হয়েছে।) (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদ
০৫.
মসজিদুন-নবী
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফযীলত
৪৪৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ رَبَاحٍ وَعُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي عَبْدِ
اللهِ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ سَلْمَانَ الْأَغَرِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا
خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلَّا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ.
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ
হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত; রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার
এই মসজিদের এক নামায মসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য মসজিদের হাজার নামায অপেক্ষা
উত্তম। (বুখারী ১১৯০, মুসলিম ১৩৯৪)
৪৪৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ
عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا بَيْنَ بَيْتِي
وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي.
আবূ হুরাইরা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ
সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, আমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগিচাসমূহের একটি বাগিচা।
আর আমার মিম্বর হাওযের উপর অবস্থিত। (বুখারী ১১৯৬, মুসলিম ১৩৯১, আবূ হুরাইরা থেকে)
পরিচ্ছেদঃ
৬
মহিলাদের মসজিদে গমন
৪৫১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَمْنَعُوا
إِمَاءَ اللهِ مَسَاجِدَ اللهِ.
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর
দান্দীগণকে তোমরা আল্লাহর মসজিদসমূহ হতে বিরত রেখো না। (বুখারী ৯০০, মুসলিম ৪৪২,
তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুনকাতে)
৪৫২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا شَهِدَتْ إِحْدَاكُنَّ صَلَاةَ
الْعِشَاءِ فَلَا تَمَسَّنَّ طِيبًا.
বুসর ইবনু সাঈদ (র)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের (মহিলাদের) কেউ যদি ইশার নামাযে
হাজির হয়, তবে সে অবশ্য খুশবু স্পর্শ করবে না। (সহীহ, মুসলিম ৪৪৩, ইমাম মালিক
কর্তৃক বর্ণিত সনদে إنقطاع তথা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে)
৪৫৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَاتِكَةَ بِنْتِ زَيْدِ
بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ امْرَأَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهَا كَانَتْ
تَسْتَأْذِنُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَسْكُتُ فَتَقُولُ
وَاللهِ لَأَخْرُجَنَّ إِلَّا أَنْ تَمْنَعَنِي فَلَا يَمْنَعُهَا.
থেকে বর্ণিতঃ
মার
(রা)-এর স্ত্রী আতিকা বিনতে যায়দ ইবনু ‘আমর ইবনু নুফায়ল (রা) মসজিদে যাওয়ার জন্য
উমার (রা)-এর কাছে অনুমতি চাইতেন। তিনি কোন উত্তর দিতেন না। এতে তাঁর স্ত্রী
বলতেন, আল্লাহর কসম, যতদিন আপনি আমাকে নিষেধ না করেন, ততদিন আমি যেতে থাকব। কিন্তু
তিনি (তবুও) নিষেধ করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৪৫৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَنَّهَا قَالَتْ لَوْ أَدْرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ الْمَسَاجِدَ كَمَا مُنِعَهُ نِسَاءُ بَنِي
إِسْرَائِيلَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَقُلْتُ لِعَمْرَةَ أَوَ مُنِعَ نِسَاءُ
بَنِي إِسْرَائِيلَ الْمَسَاجِدَ قَالَتْ نَعَمْ.
আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
মেয়েরা যেসব নূতন (চালচলন ও তরীকা) সৃষ্টি করেছে, যদি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দেখতেন, তবে অবশ্যই তাদেরকে মসজিদ হতে বিরত রাখতেন যেমন বনি ইসরাইলের মেয়েদেরকে বিরত রাখা হয়েছিল। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) বলেন, আমি আয়েশা (রা) হতে বর্ণনাকারিণী ‘আমরা-এর কাছে প্রশ্ন করলাম বনি ইসরাইলের মেয়েদেরকে মসজিদে গমন করতে নিষেধ করা হয়েছিল কি? ‘আমরা (রা) বলেন, হ্যাঁ। (বুখারী ৮৬৯, মুসলিম ৪৪৫)
No comments