সহিহ মুসলিম অধ্যায় "ফারায়িয" হাদিস নং -৪০৩২ থেকে ৪০৫৪

. অধায়ঃ

অংশীদারদের নির্ধারিত অংশ তাদেরকে দিয়ে দাও, তারপর যা থাকবে তা নিকটতম পুরুষদের (আসাবা)

৪০৩২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ، حُسَيْنٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يَرِثُ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ وَلاَ يَرِثُ الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ ‏"‏ ‏.‏

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তি কাফিরের ওয়ারিস হবে না এবং কাফিরও কোন মুসলিমের ওয়ারিস হবে না। (ই.ফা. ৫ম খণ্ড-৩৯৯৫, ই.সে. ৩৯৯৪)

৪০৩৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، - وَهُوَ النَّرْسِيُّ - حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অংশীদারদের নির্ধারিত প্রাপ্য অংশ দিয়ে দাও। অতঃপর যা অবশিষ্ট থাকে তা (আসাবা হিসেবে) নিকটতম পুরুষ লোকের প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৯৯৬, ই.সে. ৩৯৯৫)

৪০৩৪

حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا تَرَكَتِ الْفَرَائِضُ فَلأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অংশীদারদের নির্ধারিত অংশ প্রদান কর। তাপর যে অংশ অবশিষ্ট থাকবে তা নিকটতম পুরুষের প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৯৯৭, ই.সে. ৩৯৯৬)

৪০৩৫

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالَ إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اقْسِمُوا الْمَالَ بَيْنَ أَهْلِ الْفَرَائِضِ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ فَمَا تَرَكَتِ الْفَرَائِضُ فَلأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সম্পদ অংশীদারদের মধ্যে আল্লাহর কিতাবের ফায়সালা অনুযায়ী বণ্টন কর। তারপর যে অংশ অবশিষ্ট থাকে তা নিকতম পুরুষের প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৯৯৮, ই.সে. ৩৯৯৭)

৪০৩৬

وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ وُهَيْبٍ وَرَوْحِ بْنِ الْقَاسِمِ ‏.‏

ইবনু তাউস (রহঃ)- এর সূত থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু তাউস (রহঃ)- এর সূত্রে উপর্যুক্ত হাদীস, ওয়াহয়ব ও রাওহ্ ইবনু কাসিমের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৯৯৯, ই.সে. ৩৯৯৮)

. অধ্যায়ঃ

কালালার [২০] উত্তরাধিকার সংক্রান্ত

[২০] সন্তান ও পিতৃমাতৃহীন অবস্থায় মারা গেলে তাকে ‘কালালাহ্‌’ বলা হয়।

৪০৩৭

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بُكَيْرٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَرِضْتُ فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ يَعُودَانِي مَاشِيَيْنِ فَأُغْمِيَ عَلَىَّ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَبَّ عَلَىَّ مِنْ وَضُوئِهِ فَأَفَقْتُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالِي فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ شَيْئًا حَتَّى نَزَلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ ‏{‏ يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلاَلَةِ‏}‏

জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) পায়ে হেঁটে আমাকে দেখতে আসেন। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূ করেন এবং ওযূর অবশিষ্ট পানি আমার উপর ছিটিয়ে দেন। আমি জ্ঞান ফিরে পেলাম, আর বললাম, হে আল্লাহর ‘রসূল! আমি আমার সম্পদ কিরূপে বণ্টন করবো? তিনি আমাকে কোন উত্তর দেননি, মীরাস সংক্রান্ত আয়াত (অর্থাৎ “লোকে আপনার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়, বলুন, পিতামাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্বন্ধে তোমাদেরকে আল্লাহ জানাচ্ছেন...”-(সূরা আন্‌ নিসা ৪:১৭৬) নাযিল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। (ই.ফা. ৪০০০, ই.সে. ৩৯৯৯)

৪০৩৮

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ عَادَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ فِي بَنِي سَلَمَةَ يَمْشِيَانِ فَوَجَدَنِي لاَ أَعْقِلُ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ رَشَّ عَلَىَّ مِنْهُ فَأَفَقْتُ فَقُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ فِي مَالِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَنَزَلَتْ ‏{‏يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنْثَيَيْنِ‏}‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাঃ) পায়ে হেঁটে বানু সালামায় আমাকে দেখতে আসেন। তারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় পান। রাসুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি আনতে বলেন। এরপর তিনি ওযূ করেন, তারপর তা থেকে কিছু পানি আমার উপর ছিটিয়ে দেন। আমি জ্ঞান ফিরে পেলাম, আর বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসুল ! আমি আমার সম্পদ কিভাবে বন্টন করবো? তখন এ আয়াত নাযিল হয় – “ আল্লাহ তোমাদের সন্তানাদি সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক পুত্রের অংশ দু’কন্যার অংশের সমান...............“- ( সূরা আন নিসা ৪:১১)। ( ই.ফা ৪০০১, ই.সে ৪০০০ )

৪০৩৯

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَرِيضٌ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ مَاشِيَيْنِ فَوَجَدَنِي قَدْ أُغْمِيَ عَلَىَّ فَتَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَبَّ عَلَىَّ مِنْ وَضُوئِهِ فَأَفَقْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَصْنَعُ فِي مَالِي فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ شَيْئًا حَتَّى نَزَلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখতে আসেন। আমি রোগাক্রান্ত ছিলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবূ বকর (রাঃ)। তাঁরা উভয়েই পায়ে হেঁটে আসেন। তিনি এসে আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূ করেন এবং অবশিষ্ট পানির কিছু আমার উপর ছিটেয়ে দেন। আমি জ্ঞান ফিরে পেয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে দেখতে পেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আমার সম্পদ কিভাবে বণ্টন করবো? আমাকে তিনি কোন উত্তর দিলেন না, যতক্ষণ না মীরাসের আয়াত নাযিল হয়। (ই.ফা. ৪০০২, ই.সে. ৪০০১)

৪০৪০

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَرِيضٌ لاَ أَعْقِلُ فَتَوَضَّأَ فَصَبُّوا عَلَىَّ مِنْ وَضُوئِهِ فَعَقَلْتُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا يَرِثُنِي كَلاَلَةٌ ‏.‏ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ ‏.‏ فَقُلْتُ لِمُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ‏{‏ يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلاَلَةِ‏}‏ قَالَ هَكَذَا أُنْزِلَتْ.

জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে আগমন করেন। আমি তখন রোগে জ্ঞানহারা হয়ে পড়ি। তারপর তিনি ওযূ করেন। তাঁর ওযূর কিছু অংশ লোকেরা আমার উপর ছিটিয়ে দেন। আমি জ্ঞান ফিরে পেয়ে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কালালাহ্‌ অবস্থায় আমার মীরাস বণ্টন হবে। অতঃপর মীরাসের আয়াত অবতীর্ণ হয়।
আমি মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদিরকে বললাম (আরবী) তিনি বললেন, এমনটিই অবতীর্ণ হয়েছে। (ই.ফা. ৪০০৩, ই.সে. ৪০০২)

৪০৪১

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ فِي حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْفَرَائِضِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ النَّضْرِ وَالْعَقَدِيِّ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْفَرْضِ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي رِوَايَةِ أَحَدٍ مِنْهُمْ قَوْلُ شُعْبَةَ لاِبْنِ الْمُنْكَدِرِ ‏.‏

ইসহাক্ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) নায্র ইবনু শুমায়ল ও আবূ ‘আমির ‘আকাদী (রহঃ) হতে এবং মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ওয়াহ্ব ইবনু জারীর (রহঃ) হতে এবং তারা সকলেই শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন।
ওয়াহ্ব ইবনু জারীর- এর হাদীস আছে ‘ফারায়িয’- এর আয়াত নাযিল হলো। আর নায্র ও ‘আকীদার বর্ণনায় আছে ‘ফারয-এর আয়াত নাযিল হলো’। কিন্ত তাদের কারও বর্ণনায় এ কথা নেই যে, শু‘বাহ্ ইবনু মুনকাদির বলছেন। (ই.ফা. ৪০০৪, ই.সে. ৪০০৩)

৪০৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ، أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ جُمُعَةٍ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي وَقَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏ وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ‏.‏

মা’দান ইবনু তালহাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) এক জুমু’আর দিনে খুত্‌বাহ্‌ প্রদান করেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ)- এর কথা বললেন। তারপর তিনি বললেন, আমি আমার পরে এমন কোন বিষয় রেখে যাব না, যা আমার নিকট ‘কালালা’র চেয়ে বেশী জটিল। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বারবার কোন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করিনি, যেমনটি বারবার জিজ্ঞেস করেছি ’কালালাহ্‌’ সম্পর্কে। আর তিনিও অন্য কোন বিষয়ে এমন কঠোরতা আমাকে দেখাননি যেরূপ কঠোরতা দেখিয়েছেন এ বিষয়ে। এমনকি তিনি তাঁর আঙ্গুল আমার বুকের উপর চেপে ধরে বলেছেন, হে ‘উমার! গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ সূরা নিসার শেষের আয়াত কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আর আমি যদি জীবিত থাকি তবে এ ব্যাপারে এমন ফায়সালা করবো যা দেখে কুরআন পাঠকারী আর যে কুরান পড়ে না উভয়েই ফায়সালা করবে। (ই.ফা. ৪০০৫, ই.সে. ৪০০৪)

৪০৪৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، رَافِعٍ عَنْ شَبَابَةَ بْنِ سَوَّارٍ، عَنْ شُعْبَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

কাতাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

কাতাদার সূত্রে এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪০০৬, ই.সে. ৪০০৫)

. অধ্যায়ঃ

কালালাহ্‌ সম্পর্কিত আয়াতই সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াত

৪০৪৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ آخِرُ آيَةٍ أُنْزِلَتْ مِنَ الْقُرْآنِ ‏{‏ يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلاَلَةِ‏}‏

বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরআনের সর্বশেষ যে আয়াত নাযিল হয় তা হলোঃ (আরবী) তারা আপনার কাছে জানতে চায়, আপনি বলুন, আল্লাহ তা’আলা কালালার ব্যাপারে সমাধান দিচ্ছেন। (ই.ফা. ৪০০৭, ই.সে. ৪০০৬)

৪০৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ آخِرُ آيَةٍ أُنْزِلَتْ آيَةُ الْكَلاَلَةِ وَآخِرُ سُورَةٍ أُنْزِلَتْ بَرَاءَةُ ‏.‏

আবূ ইসহাক্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ)- কে শুনেছি যে, সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াত ‘কালালা’র আয়াত এবং সর্বশেষ নাযিলকৃত ‘সূরা বারাআত। (ই.ফা. ৪০০৮, ই.সে. ৪০০৭)

৪০৪৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، أَنَّ آخِرَ، سُورَةٍ أُنْزِلَتْ تَامَّةً سُورَةُ التَّوْبَةِ وَأَنَّ آخِرَ آيَةٍ أُنْزِلَتْ آيَةُ الْكَلاَلَةِ ‏.‏

বারা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সর্বশেষ অবতীর্ণ পূর্ণাঙ্গ সূরা, সূরা তাওবাহ্‌ আর সর্বশেষ অবতীর্ণ আয়াত ’কালালাহ্‌’ আয়াত। (ই.ফা. ৪০০৯, ই.সে. ৪০০৮)

৪০৪৭

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ آدَمَ - حَدَّثَنَا عَمَّارٌ، - وَهُوَ ابْنُ رُزَيْقٍ - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ آخِرُ سُورَةٍ أُنْزِلَتْ كَامِلَةً ‏.‏

বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বারা (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে অতিরিক্ত এ কথাটি বলেন যে, ‘সর্বশেষ অবতীর্ণ পূর্ণাঙ্গ সূরা’। (ই.ফা. ৪০১০, ই.সে. ৪০০৯)

৪০৪৮

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، عَنْ أَبِي، السَّفَرِ عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ آخِرُ آيَةٍ أُنْزِلَتْ يَسْتَفْتُونَكَ ‏.‏

বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সর্বশেষ অবতীর্ণ আয়াত (আরবী)। (ই.ফা. ৪০১১, ই.সে. ৪০১০)

. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে তা তার ওয়ারিসগণ পাবে

৪০৪৯

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ الأُمَوِيُّ، عَنْ يُونُسَ الأَيْلِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ الْمَيِّتِ عَلَيْهِ الدَّيْنُ فَيَسْأَلُ ‏"‏ هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ مِنْ قَضَاءٍ ‏"‏ ‏.‏ فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهُ تَرَكَ وَفَاءً صَلَّى عَلَيْهِ وَإِلاَّ قَالَ ‏"‏ صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْفُتُوحَ قَالَ ‏"‏ أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَمَنْ تُوُفِّيَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَعَلَىَّ قَضَاؤُهُ وَمَنْ تَرَكَ مَالاً فَهُوَ لِوَرَثَتِهِ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট যদি এমনও মৃত দেহ (জানাযার জন্যে) আসতো যার উপর ঋণ থাকতো, তবে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, সে কি তার ঋণ পরিশোধের জন্যে ঐ পরিমাণ সম্পদ রেখে গেছে, যা দ্বারা ঋণ পরিশোধ হতে পারে? যদি জানান হতো যে, সে ঋণ পূর্ণ করার পরিমাণ সম্পদ রেখে গেছে, তবে তিনি তার জানাযাহ পড়তেন। অন্যথায় বলতেন, তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযাহ্‌ পড়ো। যখন আল্লাহ্‌ তাঁর জন্য সম্পদের সমৃদ্ধির পথ খুলে দেন, তখন তিনি বলেন যে, আমি মুমিনদের জন্যে তাদের নিজেদের অপেক্ষাও বেশি নিকটবর্তী। সুতরাং যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা যাবে, তার সে ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমার উপর। আর যে লোক সম্পদ রেখে যাবে, তা তার উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য। (ই.ফা. ৪০১২, ই.সে. ৪০১১)

৪০৫০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহরী (রহঃ)- এর সূত্রে উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪০১৩, ই.সে. ৪০১২)

৪০৫১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنْ عَلَى الأَرْضِ مِنْ مُؤْمِنٍ إِلاَّ أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِهِ فَأَيُّكُمْ مَا تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيَاعًا فَأَنَا مَوْلاَهُ وَأَيُّكُمْ تَرَكَ مَالاً فَإِلَى الْعَصَبَةِ مَنْ كَانَ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু হুরাইরাহ্ (রাঃ)- এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঐ সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! পৃথিবীর উপর এমন কোন মু’মিন নেই, যার সবচেয়ে নিকটতম (অধিকতর আপন) লোক আমি নই। সুতরাং যে লোক ঋণ অথবা সন্তান রেখে যাবে, আমি হবো তার অভিভাবক। আর তোমাদের কেউ যদি সম্পদ রেখে যায় তবে সে মাল পাবে তার নিকটজনেরা; সে যেই হোক না কেন। (ই.ফা. ৪০১৪, ই.সে. ৪০১৩)

৪০৫২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِالْمُؤْمِنِينَ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَأَيُّكُمْ مَا تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيْعَةً فَادْعُونِي فَأَنَا وَلِيُّهُ وَأَيُّكُمْ مَا تَرَكَ مَالاً فَلْيُؤْثَرْ بِمَالِهِ عَصَبَتُهُ مَنْ كَانَ ‏"‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ)- এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এগুলো আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি কতগুলো হাদীস বর্ণনা করেন। তার মধ্যে একটি এই যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহর কিতাব মুতাবিক অন্য সব লোক অপেক্ষা আমি মু’মিনদের সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঋণ অথবা নিঃসম্বল পরিজন রেখে যায়, তখন আমাকে ডাকিও, আমি তার অভিভাবক। আর তোমাদের মধ্যে যে সম্পদ রেখে যায়, তার সম্পদের অধিকারী হবে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যেই থাকুক। (ই.ফা. ৪০১৫, ই.সে. ৪০১৪)

৪০৫৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ مَنْ تَرَكَ مَالاً فَلِلْوَرَثَةِ وَمَنْ تَرَكَ كَلاًّ فَإِلَيْنَا ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি সম্পদ ছেড়ে যায়, তা তার উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য। আর যে নিঃসম্বল পরিজন রেখে যায়, তার দায়িত্ব আমাদের। (ই.ফা. ৪০১৬, ই.সে. ৪০১৫)

৪০৫৪

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ، الرَّحْمَنِ - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ غُنْدَرٍ ‏ "‏ وَمَنْ تَرَكَ كَلاًّ وَلِيتُهُ ‏"‏ ‏.‏

আবূ বাকর ইবনু নাফি‘ (রহঃ) গুনদার থেকে এবং যুহায়র ইবনু হার্ব (রহঃ) ‘আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রহঃ) হতে উভয়ে শু‘বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরিউক্ত সানাদে বর্ণনা করেন। অবশ্য গুনদার বর্ণিত হাদীসে আছে, আর যে ব্যক্তি নিঃসম্বল পরিজন রেখে যায়, আমি তাদের অভিভাবক হবো। (ই.ফা. ৪০১৭, ই.সে. ৪০১৬)

No comments

Powered by Blogger.