সহীহ মুসলিম অধ্যায় "মানত" হাদিস নং -৪১২৭ থেকে ৪১৪৫
১. অধ্যায়ঃ
মানৎ
পূর্ণ করার নির্দেশ
৪১২৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى
التَّمِيمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا
اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ
ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ
أَنَّهُ قَالَ اسْتَفْتَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فِي نَذْرٍ كَانَ عَلَى أُمِّهِ تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ تَقْضِيَهُ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَاقْضِهِ عَنْهَا" .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট সে মানতের কথা জিজ্ঞেস করেন, যা তাঁর মায়ের যিম্মায়
ছিল, কিন্তু তিনি তা পূর্ণ করার আগেই মারা যান। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তাঁর পক্ষ থেকে তা আদায় কর। (ই.ফা. ৪০৮৯, ই.সে. ৪০৮৮)
৪১২৮
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ
عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي
يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ،
قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ
هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ،
. بِإِسْنَادِ اللَّيْثِ وَمَعْنَى حَدِيثِهِ .
‘আব্দ ইবনু হুমায়দ
ও ‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, আবূ বাক্র ইবনু আবূ শাইবাহ, ‘আমর আন্
নাকিদ, ইসহাক্ ইবনু ইবরাহীম, হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহ্ইয়া, ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ ও
‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) সবাই যুহরী (রহঃ)- এর সূত্রে লায়স (রহঃ)- এর বর্ণিত
সানাদের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪০৯০, ই.সে. ৪০৮৯)
২. অধ্যায়ঃ
মানৎ করার
নিষেধাজ্ঞা, আর তা কিছু ফিরিয়ে দেয় না
৪১২৯
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ
حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ،
زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ " إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ
شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক
সময় আমাদেরকে মানৎ করতে বারণ করতেন এবং বলতেন যে, তা (তাকদীরের) কিছুই ফিরিয়ে দেয়
না। তবে এর মাধ্যমে কৃপণের হাত থেকে কিছু বের করা হয়। [২২] (ই.ফা. ৪০৯১, ই.সে.
৪০৯০)
[২২] ইমাম নবাবী (রহঃ) বলেনঃ এতে মুসলিমদের ইজমা
রয়েছে যে, মানৎ করা চলে এবং তা আদায় করা ওয়াজিব। তবে পাপের কাজে মানৎ করা এবং তা পূরণ
করা কোনটি করা যাবে না। সাহাবী সা’দ (রাযিঃ)- এর মায়ের মানৎ- এ ব্যাপারে সাধারণ হুকুমভুক্ত।
(মুখতাসার শারহে মুসলিম-আল্লামা ওয়াহীদুজ্জামান, ৪র্থ খন্ড, ৪৬৫ পৃঃ)
৪১৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ، دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
أَنَّهُ قَالَ " النَّذْرُ لاَ يُقَدِّمُ شَيْئًا وَلاَ يُؤَخِّرُهُ
وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানৎ কোন কিছুকে না
এগিয়ে আনতে পারে, আর না পিছিয়ে দিতে পারে। তবে এর মাধ্যমে কৃপণ থেকে কিছু (মাল)
বের করা হয়। (ই.ফা. ৪০৯২, ই.সে. ৪০৯১)
৪১৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ
أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى -
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
أَنَّهُ نَهَى عَنِ النَّذْرِ وَقَالَ " إِنَّهُ لاَ يَأْتِي بِخَيْرٍ
وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানৎ নিষেধ করেছেন। আর
বলেছেন, তা কোন রকম কল্যাণ বয়ে আনে না। তবে এর মাধ্যমে কৃপণ লোকের থেকে কিছু বের
করা হয়। (ই.ফা. ৪০৯৩, ই.সে. ৪০৯২)
৪১৩২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ
رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، ح وَحَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ، بْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ
حَدِيثِ جَرِيرٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু
রাফি’, মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশ্শার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে জারীরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪০৯৪, ই.সে.
৪০৯৩)
৪১৩৩
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ
سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنِ
الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " لاَ تَنْذُرُوا فَإِنَّ النَّذْرَ لاَ يُغْنِي مِنَ
الْقَدَرِ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মানৎ
করো না। কারণ, মানৎ তাকদীর থেকে কোন উপকার করে না। তার মাধ্যমে কেবল কৃপণের সম্পদই
বের করা হয়। (ই.ফা. ৪০৯৫, ই.সে. ৪০৯৪)
৪১৩৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنِ النَّذْرِ
وَقَالَ " إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ مِنَ الْقَدَرِ وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ
بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ " .
আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানৎ করতে বারণ করেছেন এবং
বলেছেন, তা তাকদীরকে ফিরাতে পারে না। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র কৃপণের থেকে কিছু বের
করা হয়। (ই.ফা. ৪০৯৬, ই.সে. ৪০৯৫)
৪১৩৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ عَمْرٍو، - وَهْوَ ابْنُ أَبِي
عَمْرٍو - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ النَّذْرَ لاَ يُقَرِّبُ مِنِ ابْنِ
آدَمَ شَيْئًا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ قَدَّرَهُ لَهُ وَلَكِنِ النَّذْرُ يُوَافِقُ
الْقَدَرَ فَيُخْرَجُ بِذَلِكَ مِنَ الْبَخِيلِ مَا لَمْ يَكُنِ الْبَخِيلُ
يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَ " .
আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানৎ এমন কোন
জিনিসকে মানুষের নিকটে এনে দেয় না, যা আল্লাহ তার তাকদীরে রাখেননি। কিন্তু মানৎ
যদি তাকদীরের অনুকূলে হয়ে যায় তখন এর দ্বারা কৃপণের সে মাল বের করা হয়, যা বের
করতে সে ইচ্ছুক ছিল না। (ই.ফা. ৪০৯৭, ই.সে. ৪০৯৬)
৪১৩৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ
سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ -
وَعَبْدُ الْعَزِيزِ - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - كِلاَهُمَا عَنْ عَمْرِو بْنِ
أَبِي عَمْرٍو بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
‘আম্র ইবনু আবূ
‘আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আম্র ইবনু আবূ ‘আমর (রহঃ)-এর সূত্রে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা
করেন। (ই.ফা. ৪০৯৮, ই.সে. ৪০৯৭)
৩. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর
অবাধ্যতায় এবং বান্দার সাধ্যাতীত বিষয়ে মানত পূর্ণ করতে হয় না
৪১৩৭
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ
حَرْبٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي
قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كَانَتْ
ثَقِيفُ حُلَفَاءَ لِبَنِي عُقَيْلٍ فَأَسَرَتْ ثَقِيفُ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَسَرَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم رَجُلاً مِنْ بَنِي عُقَيْلٍ وَأَصَابُوا مَعَهُ الْعَضْبَاءَ فَأَتَى
عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي الْوَثَاقِ قَالَ يَا
مُحَمَّدُ . فَأَتَاهُ فَقَالَ " مَا شَأْنُكَ " . فَقَالَ بِمَ
أَخَذْتَنِي وَبِمَ أَخَذْتَ سَابِقَةَ الْحَاجِّ فَقَالَ إِعْظَامًا لِذَلِكَ
" أَخَذْتُكَ بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ ثَقِيفَ " . ثُمَّ
انْصَرَفَ عَنْهُ فَنَادَاهُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ . وَكَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَحِيمًا رَقِيقًا فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَقَالَ
" مَا شَأْنُكَ " . قَالَ إِنِّي مُسْلِمٌ . قَالَ "
لَوْ قُلْتَهَا وَأَنْتَ تَمْلِكُ أَمْرَكَ أَفْلَحْتَ كُلَّ الْفَلاَحِ "
. ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَادَاهُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ .
فَأَتَاهُ فَقَالَ " مَا شَأْنُكَ " . قَالَ إِنِّي جَائِعٌ
فَأَطْعِمْنِي وَظَمْآنُ فَأَسْقِنِي . قَالَ " هَذِهِ حَاجَتُكَ
" . فَفُدِيَ بِالرَّجُلَيْنِ - قَالَ - وَأُسِرَتِ امْرَأَةٌ مِنَ
الأَنْصَارِ وَأُصِيبَتِ الْعَضْبَاءُ فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ فِي الْوَثَاقِ
وَكَانَ الْقَوْمُ يُرِيحُونَ نَعَمَهُمْ بَيْنَ يَدَىْ بُيُوتِهِمْ فَانْفَلَتَتْ
ذَاتَ لَيْلَةٍ مِنَ الْوَثَاقِ فَأَتَتِ الإِبِلَ فَجَعَلَتْ إِذَا دَنَتْ مِنَ
الْبَعِيرِ رَغَا فَتَتْرُكُهُ حَتَّى تَنْتَهِيَ إِلَى الْعَضْبَاءِ فَلَمْ
تَرْغُ قَالَ وَنَاقَةٌ مُنَوَّقَةٌ فَقَعَدَتْ فِي عَجُزِهَا ثُمَّ زَجَرَتْهَا
فَانْطَلَقَتْ وَنَذِرُوا بِهَا فَطَلَبُوهَا فَأَعْجَزَتْهُمْ - قَالَ -
وَنَذَرَتْ لِلَّهِ إِنْ نَجَّاهَا اللَّهُ عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا فَلَمَّا
قَدِمَتِ الْمَدِينَةَ رَآهَا النَّاسُ . فَقَالُوا الْعَضْبَاءُ نَاقَةُ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ إِنَّهَا نَذَرَتْ إِنْ
نَجَّاهَا اللَّهُ عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا . فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ
بِئْسَمَا جَزَتْهَا نَذَرَتْ لِلَّهِ إِنْ نَجَّاهَا اللَّهُ عَلَيْهَا
لَتَنْحَرَنَّهَا لاَ وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةٍ وَلاَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ
الْعَبْدُ " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ حُجْرٍ " لاَ نَذْرَ فِي
مَعْصِيَةِ اللَّهِ " .
ইমরান ইবনু হুসায়ন
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাকীফ
গোত্র ছিল বানূ 'উকায়ল গোত্রের মিত্র। সাকীফ গোত্রের লোকেরা রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর দু’জন সাঃহাবীকে বন্দী করে। আর রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাঃহাবীরা বানূ 'উকায়ল গোত্রের এক
ব্যক্তিকে বন্দী করে এবং তার সাঃথে আযবা নাম্নী উষ্ট্রীকেও আটক করে। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছে আসলেন। তখন সে বাঁধা অবস্থায় ছিল। সে
ডাক দিল, ইয়া মুহাম্মাদ! ইয়া মুহাম্মাদ! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তার নিকট এলেন এবং বললেন, তোমার কী অবস্থা? সে বললো, আমাকে কী কারণে
বন্দী করেছেন? আর কেনই বা হাজীদের অগ্রগামী উষ্ট্রীটিকে আটক করেছেন। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বিরাট অপরাধের কারণে। তোমার মিত্র
সাকীফ গোত্রের অপরাধের জন্য তোমাকে বন্দী করেছি। এরপর তিনি তার কাছ থেকে ফিরে
আসলেন। সে আবার তাঁকে ডেকে বললো, ইয়া মুহাম্মাদ! ইয়া মুহাম্মাদ! আর রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন বড়ই দয়ালু এবং নম্র স্বভাবের। তাই তিনি
তার দিকে আবার এলেন এবং বললেন তোমার কী অবস্থা? সে বললো, আমি একজন মুসলিম।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি যদি এ কথা তখন বলতে,
যখন তোমার ব্যাপারে তোমার অধিকারে ছিল, তবে তুমি পুরোপুরি সফল হতে। এরপর তিনি ফিরে
আসলেন। সে আবারও তাঁকে ডাক দিয়ে বললো, ইয়া মুহাম্মাদ! ইয়া মুহাম্মাদ! তিনি পুনরায়
তার কাছে এসে বললেন, তোমার কী হয়েছে? সে বললো, আমি ক্ষুধার্ত, আমাকে খাবার দিন এবং
পিপাসিত, আমাকে পান করান। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ-ই
তোমার প্রয়োজন? অতঃপর তাকে সেই দু’ব্যক্তির বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হয়।
রাবী বলেন, একবার এক আনসার মহিলা বন্দী হয় এবং আযবা নাম্নী উষ্ট্রী (তাদের হাতে) ধরা
পড়ে। মহিলাটি বাঁধা অবস্থায় ছিল। গোত্রের লোকদের অভ্যাস ছিল তারা তাদের পশু গৃহের
সাঃমনে রাখত। এক রাত্রে রমণীটি বন্ধন মুক্ত হয়ে পলায়ন করে এবং উটের কাছে আসে। সে
যখনই কোন উটের কাছে আসতো, উট আওয়াজ করতো এবং তখন সে তাকে পরিত্যাগ করতো। অবশেষে সে
‘আযবার’ কাছে এসে পৌঁছে। ‘আযবা’ কোন আওয়াজ করলো না। এ উটনী ছিল বড়ই অনুগত। সে তার
পিঠের উপর বসে এবং তাকে হাঁকায়, আর সে চলতে থাকে। তখন তারা তার পলায়ন টের পেয়ে গেল
এবং তার খোঁজে ছুটল। কিন্তু ‘আযবা’ তাদেরকে ব্যর্থ করে দেয়। রাবী বলেন, মহিলাও
আল্লাহর নামে মানৎ করে যে, আল্লাহ যদি এ উষ্ট্রীর সাহায্যে তাকে মুক্তি দেন, তবে
সে অবশ্যই তাকে কুরবানী দিবে। তারপর যখন মহিলাটি মদীনায় আসলেন আর লোক সকল তাকে
দেখাদেখি করছেন এবং বলাবলি করছেন। এ আযবা নাম্নী উষ্ট্রী রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর। তারপর তারা রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট এসে ঘটনাটি তাঁকে বললেন। তিনি বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ’ কী মন্দ
প্রতিদান, যা সে তাকে দিয়েছে। সে আল্লাহর নামে মানৎ করেছে যে, যদি আল্লাহ তাকে এ
উষ্ট্রীর উপর রক্ষা করেন তবে সে তাকেই কুরবানী করে দিবে। (জেনে রেখ) পাপের
ব্যাপারে মানৎ করলে সে মানৎ পূরণ করতে নেই। আর সে বস্তুর মানৎও পূরণযোগ্য নয়, যার
মালিক সে ব্যক্তি নয়। ইবনু হুজ্র (রহঃ)- এর বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহর নাফারমানীর
বিষয়ে মানৎ সংঘটিত হয় না। (ই.ফা. ৪০৯৯, ই.সে. ৪০৯৮)
৪১৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ
الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ
الثَّقَفِيِّ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَفِي
حَدِيثِ حَمَّادٍ قَالَ كَانَتِ الْعَضْبَاءُ لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي عُقَيْلٍ
وَكَانَتْ مِنْ سَوَابِقِ الْحَاجِّ وَفِي حَدِيثِهِ أَيْضًا فَأَتَتْ عَلَى
نَاقِةٍ ذَلُولٍ مُجَرَّسَةٍ . وَفِي حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ وَهِيَ نَاقَةٌ
مُدَرَّبَةٌ .
আইয়ূব (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবূ রাবী’ ‘আতাকী, ইসহাক্ ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবূ 'উমার (রহঃ) ...
আইয়ূব (রহঃ)- এর সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর হাম্মাদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে
যে, ‘আযবা’ ছিল ‘উকায়ল গোত্রর কোন এক ব্যক্তির এবং হাজীদের উটের মধ্যে অগ্রগামী।
তার হাদীসে আরও আছে যে, মহিলাটি একটি উষ্ট্রীর নিকট আসে, যা ছিল অনুগত ও সওয়ারীতে
অভ্যস্ত। আর সাকাফীর হাদীসে আছে যে, তা ছিল একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উষ্ট্রী। (ই.ফা.
৪১০০, ই.সে. ৪০৯৯)
৪. অধ্যায়ঃ
যিনি
হেঁটে কা'বায় যাওয়ার মানৎ করেন
৪১৩৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى
التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ،
عَنْ أَنَسٍ، ح. وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ -
حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ،
حَدَّثَنِي ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَىَ
شَيْخًا يُهَادَى بَيْنَ ابْنَيْهِ فَقَالَ " مَا بَالُ هَذَا " .
قَالُوا نَذَرَ أَنْ يَمْشِيَ . قَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَنْ تَعْذِيبِ
هَذَا نَفْسَهُ لَغَنِيٌّ " . وَأَمَرَهُ أَنْ يَرْكَبَ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার এক বৃদ্ধকে দেখলেন যে,
সে তার দু’পুত্রের উপর ভর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেন, এর কী হলো? তারা বললো, সে হেঁটে চলার মানৎ করেছে। তিনি বললেন,
এভাবে নিজেকে শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার কিছু আসে যায় না। অতঃপর তিনি
তাকে সওয়ারিতে আরোহী হতে বলেন। (ই.ফা. ৪১০১, ই.সে. ৪১০০)
৪১৪০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، -
وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ عَمْرٍو، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي عَمْرٍو - عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم أَدْرَكَ شَيْخًا يَمْشِي بَيْنَ ابْنَيْهِ يَتَوَكَّأُ عَلَيْهِمَا
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا شَأْنُ هَذَا " .
قَالَ ابْنَاهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَانَ عَلَيْهِ نَذْرٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم " ارْكَبْ أَيُّهَا الشَّيْخُ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ
عَنْكَ وَعَنْ نَذْرِكَ " . وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ وَابْنِ حُجْرٍ .
আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক বৃদ্ধকে তার
দু’পুত্রের মাঝে তাদের উপর ভর দিয়ে চলতে দেখেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেন, এ ব্যক্তির কী হলো? তার দু’পুত্র বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! তাঁর
উপর (হেঁটে যাওয়ার) মানৎ ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওহে
বৃদ্ধ! তুমি বাহনে উঠ। কেননা আল্লাহ তোমার ও তোমার মানতের ব্যাপারে অমুখাপেক্ষী। এ
শব্দ হল কুতাইবাহ্ ও ইবনু হুজ্র (রহঃ)- এর। (ই.ফা. ৪১০২, ই.সে. ৪১০১)
৪১৪১
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ
سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ
عَمْرِو، بْنِ أَبِي عَمْرٍو بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
কুতাইবাহ্ ইবনু
সা’ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কুতাইবাহ্ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ... 'আম্র ইবনু আবূ 'আম্র (রহঃ)
সূত্রে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪১০৩, ই.সে. ৪১০২)
৪১৪২
وَحَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ
يَحْيَى بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، - يَعْنِي ابْنَ
فَضَالَةَ - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي
حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ
نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ، إِلَى بَيْتِ اللَّهِ حَافِيَةً فَأَمَرَتْنِي
أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَيْتُهُ
فَقَالَ " لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ " .
উক্বাহ্ ইবনু
'আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার বোন খালি পায়ে হেঁটে বাইতুল্লাহ যাওয়ার মানৎ করে। সে
আমাকে তার জন্যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ফাতওয়া
জানার জন্যে আদেশ করে। আমি তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সে
যেন পায়ে হেঁটে ও আরোহণ করে যায়। (ই.ফা. ৪১০৪, ই.সে. ৪১০৩)
৪১৪৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ
رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا
سَعِيدُ، بْنُ أَبِي أَيُّوبَ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ
أَبَا الْخَيْرِ حَدَّثَهُ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُ
قَالَ نَذَرَتْ أُخْتِي . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ مُفَضَّلٍ وَلَمْ يَذْكُرْ
فِي الْحَدِيثِ حَافِيَةً . وَزَادَ وَكَانَ أَبُو الْخَيْرِ لاَ يُفَارِقُ
عُقْبَةَ
উকবাহ ইবনু 'আমির
জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার বোন একবার মানৎ করে, পরবর্তী অংশ মুফায্যাল বর্ণিত
হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। এ হাদীসে (আরবী) (নগ্ন পায়ে) শব্দটি উল্লেখ করা হয়নি
এবং অতিরিক্ত বলেছেন যে, “আবুল খায়র (রহঃ) ‘উকবাহ (রাঃ) থেকে পৃথক হতেন না।”
(ই.ফা. ৪১০৫, ই.সে. ৪১০৪)
৪১৪৪
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ
حَاتِمٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ،
حَدَّثَنَا ابْنُ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، أَنَّ يَزِيدَ
بْنَ أَبِي حَبِيبٍ، أَخْبَرَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ، . مِثْلَ حَدِيثِ عَبْدِ
الرَّزَّاقِ
ইয়াযীদ ইবনু আবূ
হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে 'আবদুর রায্যাক (রহঃ)- এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
(ই.ফা. ৪১০৬, ই.সে. ৪১০৪/ক)
৫. অধ্যায়ঃ
মানতের
কাফ্ফারাহ্ প্রসঙ্গে
৪১৪৫
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ
سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى،
قَالَ يُونُسُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ،
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ كَعْبِ بْنِ، عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ
الْيَمِينِ " .
উকবাহ ইবনু 'আমির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কসমের কাফ্ফারাই মানতের কাফ্ফারাহ্। (ই.ফা. ৪১০৭, ই.সে. ৪১০৫)
No comments