সহিহ মুসলিম অধ্যায় "মসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহ" হাদিস নং -১১৫১ থেকে ১২৫০
১১৫১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ
مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ بَعْدَ
مَا صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْفَجْرِ . فَأَدْخَلَ
رَأْسَهُ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ فَذَكَرَ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا . قَالَ
مُسْلِمٌ هُوَ شَيْبَةُ بْنُ نَعَامَةَ أَبُو نَعَامَةَ رَوَى عَنْهُ مِسْعَرٌ
وَهُشَيْمٌ وَجَرِيرٌ وَغَيْرُهُمْ مِنَ الْكُوفِيِّينَ .
বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (বুরায়দাহ্) বলেন,
একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের সলাত আদায়ের পর এক গ্রাম্য
আরব এসে মাসজিদের দরজায় তার মাথা প্রবেশ করল। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি
(মুহাম্মাদ ইবনু শায়বাহ) আবূ মিসান ও সাওরী বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বিষয়বস্তু
সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, শায়বাহ ইবনু না’আমাহ আবূ না’আমাহ (রহঃ)। তাঁর থেকে
মিস’আর, হুশায়ম, জারীর সহ অন্যান্য কুফীগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১১৪৪,
ই.সে. ১১৫৩)
১৯. অধ্যায়ঃ
সলাতে ভুল-ত্রুটি হওয়া এবং এর জন্য সাহু
সাজদাহ্ দেয়া
১১৫২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ
قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ يُصَلِّي جَاءَهُ الشَّيْطَانُ
فَلَبَسَ عَلَيْهِ حَتَّى لاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا وَجَدَ ذَلِكَ
أَحَدُكُمْ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ " .
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কেউ যখন সলাতে দাঁড়াও তখন
শাইত্বন তার কাছে এসে তাকে সন্দেহ ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ফেলে দেয়। এমনকি সে
কয় রাকা’আত সলাত আদায় করল তাও স্মরণ করতে পারে না। তোমরা কেউ এরুপ অবস্থা হতে
দেখলে যেন বসে বসেই দু’টি (অতিরিক্ত) সাজদাহ্ করে নেয়। (ই.ফা. ১১৪৫, ই.সে. ১১৫৪)
১১৫৩
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ
بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، - وَهُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ - ح قَالَ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، عَنِ اللَّيْثِ
بْنِ سَعْدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে অনুরূপ হাদীস
বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১১৪৬, ই.সে. ১১৫৫)
১১৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي
كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا
هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِذَا نُودِيَ بِالأَذَانِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ
يَسْمَعَ الأَذَانَ فَإِذَا قُضِيَ الأَذَانُ أَقْبَلَ فَإِذَا ثُوِّبَ بِهَا
أَدْبَرَ فَإِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ يَخْطُرُ بَيْنَ الْمَرْءِ
وَنَفْسِهِ يَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا . لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ
حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا لَمْ يَدْرِ
أَحَدُكُمْ كَمْ صَلَّى فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ " .
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতের আযান শুরু হলে শাইত্বন পিঠ
ফিরে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে থাকে এবং এত দূরে চলে যায় যে, আর আযান শুনতে পায় না।
অতঃপর আযান শেষ হলে সে আবার ফিরে আসে। কিন্তু যে সময় তাকবীর দেয়া হয় তখন পুনরায় পিঠ
ফিরে পালায়। কিন্তু তাকবীর শেষ হলে আবার ফিরে আসে এবং মানুষের (মুসল্লীর) মনে
সন্দেহ ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে বলে অমুক কথা এবং অমুক কথা স্মরণ কর যেসব
কথা কখনো তার স্মরণ করার নয়। অবশেষে সে (মুসল্লী) কত রাকা’আত আদায় করল তা স্মরণ
করতে পারে না। এরূপ অবস্থায় তোমরা যখন কেউ স্মরণ করতে পারবে না কত রাকা’আত আদায়
করেছ তখন বসে বসেই সর্বশেষ দু’টি সাজদাহ্ করবে। (ই.ফা. ১১৪৭, ই.সে. ১১৫৬)
১১৫৫
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى،
حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ،
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا ثُوِّبَ
بِالصَّلاَةِ وَلَّى وَلَهُ ضُرَاطٌ " . فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَزَادَ
" فَهَنَّاهُ وَمَنَّاهُ وَذَكَّرَهُ مِنْ حَاجَاتِهِ مَا لَمْ يَكُنْ
يَذْكُرُ " .
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সময় সলাতের তাকবীর বলা হয় সে সময়
শাইত্বন বায়ু নিঃসরণ করতে করতে দৌড়ে পালায়। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি পূর্ব
বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। তবে এতে এতটুকু কথা অধিক বর্ণনা করলেন
যে, সে (শাইত্বন) তাকে উৎসাহিত করে, আশান্বিত করে এবং যা সে কখনো স্মরণ করত না তা
তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (ই.ফা. ১১৪৮, ই.সে. ১১৫৭)
১১৫৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ
قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ مِنْ بَعْضِ الصَّلَوَاتِ ثُمَّ قَامَ فَلَمْ
يَجْلِسْ فَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ وَنَظَرْنَا
تَسْلِيمَهُ كَبَّرَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ التَّسْلِيمِ
ثُمَّ سَلَّمَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়নাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে দু’ রাকা’আত সলাত আদায়
করলেন। (দ্বিতীয় রাকা’আতে) তিনি না বসে উঠে দাঁড়ালে লোকজন সবাই তার সাথে উঠে
দাঁড়াল। তিনি সলাত শেষ করলে [অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সলাত প্রায় শেষ করলে] আমরা তার সালাম ফিরানোর অপেক্ষায় ছিলাম। এ সময় তিনি
তাকবীর বললেন এবং সালাম ফিরানোর পূর্বেই বসে দু’টি সাজদাহ্ করলেন। এরপর তিনি সালাম
ফিরালেন। (ই.ফা. ১১৪৯, ই.সে. ১১৫৮)
১১৫৭
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ،
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ
الأَسْدِيِّ، حَلِيفِ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَامَ فِي صَلاَةِ الظُّهْرِ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ فَلَمَّا أَتَمَّ
صَلاَتَهُ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ وَهُوَ جَالِسٌ
قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ وَسَجَدَهُمَا النَّاسُ مَعَهُ مَكَانَ مَا نَسِيَ مِنَ
الْجُلُوسِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়নাহ্ আল আসদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাতে (দু’ রাকা’আতের পর)
না বসেই দাঁড়িয়ে গেলেন সলাত শেষ করে, অর্থাৎ- সলাতের শেষ পর্যায়ে তিনি সালাম
ফিরানোর পূর্বে ভুলে যাওয়া বৈঠকের পরিবর্তে বসে বসেই দু’টি সাজদাহ্ করলেন এবং
প্রতিটি সাজদাতেই তাকবীর বললেন। লোকজন সবাই তার সাথে সাথে সাজাদাহ্ দু’টি করলেন।
(ই.ফা. ১১৫০, ই.সে. ১১৫৯)
১১৫৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ
الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ ابْنِ
بُحَيْنَةَ الأَزْدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ فِي الشَّفْعِ
الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يَجْلِسَ فِي صَلاَتِهِ فَمَضَى فِي صَلاَتِهِ فَلَمَّا
كَانَ فِي آخِرِ الصَّلاَةِ سَجَدَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ثُمَّ سَلَّمَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মালিক ইবনু বুহায়নাহ্ আল আযদী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন সলাতরত
অবস্থায় যে দু’রাকা’আত আদায় করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বসার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে পড়লেন। তিনি সলাত আদায় করতে লাগলেন। অবশেষে
সলাতের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাজদাহ্ করলেন। তারপর সালাম
ফিরালেন। (ই.ফা. ১১৫১, ই.সে. ১১৬০)
১১৫৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ
أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ
بِلاَلٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي
سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ
أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ يَسْجُدُ
سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ
صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا
لِلشَّيْطَانِ " .
আবু সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন রাকা’আত আদায় করা হলো না চার
রাকা’আত আদায় করা হলো –সলাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয়
রাকা’আত আদায় করেছে বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকা’আত) সে কয় রাকা’আতকে ভিত্তি ধরে
অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাজদাহ্ করবে। (এখন) সে যদি
পাঁচ রাকা’আত আদায় করে থাকে তাহলে এ দু’ সাজদাহ্ দ্বারা তার সলাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে
যাবে। আর যদি তার সলাত চার রাকা’আত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সাজদাহ্ দু’টি শাইত্বনের
মুখে মাটি নিক্ষেপের শামিল হবে। (ই.ফা. ১১৫২, ই.সে. ১১৬১)
১১৬০
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ،
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي مَعْنَاهُ قَالَ "
يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ السَّلاَمِ " . كَمَا قَالَ سُلَيْمَانُ
بْنُ بِلاَلٍ .
যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে উপরোক্ত
অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর সুলাইমান ইবনু বিলাল-এর মতই বর্ণনা করেছেন
যে, সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাজদাহ্ করবে। (ই.ফা. ১১৫৩, ই.সে. ১১৬২)
১১৬১
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا
أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، - قَالَ
عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ
عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم - قَالَ إِبْرَاهِيمُ زَادَ أَوْ نَقَصَ - فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا
رَسُولَ اللَّهِ أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ " وَمَا ذَاكَ
" . قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا - قَالَ - فَثَنَى رِجْلَيْهِ
وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ أَقْبَلَ
عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ " إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ
أَنْبَأْتُكُمْ بِهِ وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ
فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ
فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ
" .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করলেন। বর্ণনাকারী
ইবরাহীমের বর্ণনা মতে, এ সলাতে তিনি কিছুই কম বা বেশি করে ফেললেন। সালাম ফিরানোর
পর তাঁকে (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে) জিজ্ঞেস করা হলো,
হে আল্লাহর রসূল! সলাতের ব্যাপারে কি নতুন কোন হুকুম দেয়া হয়েছে? এ কথা শুনে তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, নতুন হুকুম আবার কেমন? তখন
সবাই বললঃ আপনি সলাতে এরূপ করেছেন। এ কথা শুনে তিনি পা দু’খানা ভাঁজ করে
ক্বিবলামুখী হয়ে বসলেন এবং দু’টি সিজদা করে তারপর সালাম ফিরালেন। এরপর আমাদের দিকে
ঘুরে বললেনঃ সলাতের ব্যাপারে কোন নতুন হুকুম আসলে আমি তোমাদেরকে জানাতাম। (এটা
তেমনি কিছু নয়) বরং আমি তো মানুষ বৈ কিছুই না। তোমাদের যেমন ভুল হয় আমারও তেমন ভুল
হয়। সুতরাং আমি যদি কোন কিছু ভুলে যাই তাহলে তোমরা আমাকে স্মরণ করে দিও। আর সলাতের
মধ্যে তোমাদের কারো কোন সন্দেহ হলে চিন্তা-ভাবনার ভিত্তিতে যেটি সঠিক বলে মনে হবে
সেটিই করবে এবং এর উপর ভিত্তি করে সলাত শেষ করবে। অতঃপর দু’টি সাজদাহ্ করবে।
(ই.ফা. ১১৫৪, ই.সে. ১১৬৩)
১১৬২
حَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ
بِشْرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ،
كِلاَهُمَا عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي
رِوَايَةِ ابْنِ بِشْرٍ " فَلْيَنْظُرْ أَحْرَى ذَلِكَ لِلصَّوَابِ
" . وَفِي رِوَايَةِ وَكِيعٍ " فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ "
.
মানসুর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন।
তবে ইবনু বিশর-এর বর্ণনায় (আরবি) এবং ওয়াকী‘ এর বর্ণনায় (আরবি) কথাটি উল্লেখিত
আছে। (ই.ফা. ১১৫৫, ই.সে. ১১৬৪)
১১৬৩
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا
وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ مَنْصُورٌ
" فَلْيَنْظُرْ أَحْرَى ذَلِكَ لِلصَّوَابِ " .
মানসুর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। তবে মানসূর বলেছেন, সঠিক হওয়ার ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা সঠিক ধারণাটি
গ্রহন করতে হবে। (ই.ফা. ১১৫৬, ই.সে. ১১৬৫)
১১৬৪
حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ
" .
মানসুর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, চিন্তা-ভাবনা করে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে
হবে। (ই.ফা. ১১৫৬, ই.সে. ১১৬৬)
১১৬৫
حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ،
بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " فَلْيَتَحَرَّ أَقْرَبَ ذَلِكَ إِلَى
الصَّوَابِ " .
মানসুর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। তবে বলেছেন, চিন্তা-ভাবনা করে যেটি সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করবে সেটিই
গ্রহন করবে। (ই.ফা. ১১৫৭, ই.সে. ১১৬৭)
১১৬৬
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى،
أَخْبَرَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ
" فَلْيَتَحَرَّ الَّذِي يُرَى أَنَّهُ الصَّوَابُ " .
মানসুর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, চিন্তা-ভাবনা করে যেটি সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করবে সেটিই
গ্রহন করবে। (ই.ফা. ১১৫৭, ই.সে. ১১৬৮)
১১৬৭
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِإِسْنَادِ هَؤُلاَءِ
وَقَالَ " فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ " .
মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাদের সবার বর্ণিত সানাদ
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মানসূর (রহঃ) বলেছেনঃ চিন্তা-ভাবনা করে তার ভিত্তিতে সঠিক
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। (ই.ফা. ১১৫৭, ই.সে. ১১৬৯)
১১৬৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ
الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ خَمْسًا فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ أَزِيدَ فِي
الصَّلاَةِ قَالَ " وَمَا ذَاكَ " . قَالُوا صَلَّيْتَ خَمْسًا
. فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত পাঁচ রাক‘আত আদায় করলেন। তিনি যখন
সালাম ফিরালেন তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সলাতের সংখ্যা কি বৃদ্ধি করে দেয়া হয়েছে।
এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ আবার কেমন কথা? তখন
সবাই বলল, আপনি তো সলাত পাঁচ রাক‘আত আদায় করলেন। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি সাজদাহ্ করলেন। (ই.ফা. ১১৫৮, ই.সে. ১১৭০)
১১৬৯
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ
إِدْرِيسَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ
عَلْقَمَةَ، أَنَّهُ صَلَّى بِهِمْ خَمْسًا .
‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (‘আলক্বামাহ্)
একদিন তাদের সাথে (যুহরের) পাঁচ রাক‘আত সলাত আদায় করলেন। (ই.ফা. ১১৫৯, ই.সে. ১১৭১)
১১৭০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، -
وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ،
عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا عَلْقَمَةُ الظُّهْرَ
خَمْسًا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ الْقَوْمُ يَا أَبَا شِبْلٍ قَدْ صَلَّيْتَ
خَمْسًا . قَالَ كَلاَّ مَا فَعَلْتُ . قَالُوا بَلَى - قَالَ - وَكُنْتُ فِي
نَاحِيَةِ الْقَوْمِ وَأَنَا غُلاَمٌ فَقُلْتُ بَلَى قَدْ صَلَّيْتَ خَمْسًا .
قَالَ لِي وَأَنْتَ أَيْضًا يَا أَعْوَرُ تَقُولُ ذَاكَ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ .
قَالَ فَانْفَتَلَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَالَ قَالَ عَبْدُ
اللَّهِ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسًا فَلَمَّا
انْفَتَلَ تَوَشْوَشَ الْقَوْمُ بَيْنَهُمْ فَقَالَ " مَا شَأْنُكُمْ
" . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ زِيدَ فِي الصَّلاَةِ قَالَ
" لاَ " . قَالُوا فَإِنَّكَ قَدْ صَلَّيْتَ خَمْسًا .
فَانْفَتَلَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَالَ "
إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ " . وَزَادَ
ابْنُ نُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ " فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْجُدْ
سَجْدَتَيْنِ " .
ইব্রাহীম ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সালাম
ফিরানোর পর লোকজন তাকে বলল, হে আবূ শিব্ল (‘আলক্বামার উপনাম) ! আপনি সলাত পাঁচ
রাক‘আত আদায় করেছেন। তিনি বললেনঃ আমি কখনো এরূপ করিনি। কিন্তু লোকজন সবাই আবারো
বলল, হ্যাঁ, আপনি এরূপ করেছেন। ইব্রাহীম ইবনু সুওয়াইদ বলেছেন, আমি তখন বালক ছিলাম
এবং সবার থেকে দূরে এক কোণে ছিলাম আমিও বললাম হ্যাঁ, আপনি সলাত পাঁচ রাক‘আত আদায়
করেছেন। তিনি তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ ওরে কানা, তুমিও তাই বলছ! আমি বললামঃ হ্যাঁ।
ইব্রাহীম ইবনু সুওয়াইদ বলেন, তখন তিনি ঘুরে দু’টি সাজদাহ্ করলেন এবং সালাম
ফিরানোর পরে বললেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ বর্ণনা করেছেন, একদিন রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সলাত আদায় করতে পাঁচ রাক‘আত আদায়
করলেন। সলাত শেষে তিনি ঘুরলে লোকজন পরস্পর কানাঘুষা করতে থাকল। তিনি তাদেরকে
জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি? সবাই বলল, হে আল্লাহর রসূল! সলাতের রাক‘আত কি বৃদ্ধি
করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ না, তখন সবাই বলল, আপনি তো সলাত পাঁচ রাক‘আত আদায় করেছেন।
এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুরলেন এবং দু’টি
সাজদাহ্ করে তারপর সালাম ফিরালেন। অতঃপর বললেনঃ আমি তোমাদের মতোই মানুষ। আমিও ভুল
করি যেমন তোমরা ভুল করো।
ইবনু নুমায়র তার বর্ণিত হাদীসে এতটুকু কথা অধিক বলেছেন যে, (সলাতের মধ্যে) তোমাদের
কারো ভুল হয়ে গেলে সে যেন দু’টি সজদাহ্ করে। (ই.ফা. ১১৫৯, ই.সে. ১১৭১)
১১৭১
وَحَدَّثَنَاهُ عَوْنُ بْنُ سَلاَّمٍ
الْكُوفِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسًا فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَزِيدَ فِي
الصَّلاَةِ قَالَ " وَمَا ذَاكَ " . قَالُوا صَلَّيْتَ خَمْسًا
. قَالَ " إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ أَذْكُرُ كَمَا تَذْكُرُونَ
وَأَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ " . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সলাত আদায় করতে পাঁচ রাক‘আত
আদায় করলেন। আমরা তাঁকে বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! সলাত (এর রাক‘আত সংখ্যা) কি
বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। (এ কথা শুনে) তিনি বললেনঃ এ আবার কি কথা? তখন সবাই বললঃ আপনি
তো সলাত পাঁচ রাক‘আত আদায় করেছেন, এ কথা শুনে তিনি বললেন আমি তো তোমাদের মতই
মানুষ। আমি স্মরণ রাখি যেমন তোমরা স্মরণ রাখো। আবার আমি ভুলে যাই যেমন তোমরা ভুলে
যাও। এরপর তিনি দু’টি সাহু সাজদাহ্ দিলেন। (ই.ফা. ১১৬০, ই.সে. ১১৭২)
১১৭২
وَحَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ
التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ،
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَزَادَ أَوْ نَقَصَ - قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَالْوَهْمُ مِنِّي - فَقِيلَ
يَا رَسُولَ اللَّهِ أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ فَقَالَ " إِنَّمَا
أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ
فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ " . ثُمَّ تَحَوَّلَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করলেন। কিন্তু তিনি
সলাতে কিছু কম বা কিছু বেশী করে ফেললেন। হাদীসের বর্ণনাকারী ইব্রাহীম বলেছেনঃ
(তিনি কম করলেন না বেশী করলেন) এ সন্দেহটা আমার নিজের। বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল!
সলাতে কি কিছু বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে? এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের মতো মানুষ
বৈ আর কিছুই নই। আমারও তোমাদের মতো ভুল হয়। সুতরাং সলাতে তোমাদের কেউ কিছু ভুলে
গেলে সে যেন বসেই দু’টি সাজদাহ্ করে নেয়। এ কথার পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুরলেন এবং দু’টি সাজদাহ্ করলেন। (ই.ফা. ১১৬১, ই.সে. ১১৭৩)
১১৭৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح قَالَ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلاَمِ
وَالْكَلاَمِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের সাহু সাজদার দু’টি সাজদাহ্ সালাম
ফিরিয়ে কথা বলার পর করেছিলেন |[১] (ই.ফা. ১১৬২, ই.সে. ১১৭৪)
[১] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে সলাতে কথা-বার্তা
নিষিদ্ধ হওয়ায় পূর্বের, অতএব এ ব্যাপারে অধিক বিশুদ্ধ কথা হ’ল, সালাম ফিরানোর পর কথা-বার্তা
ঘটলে আর এদিকে ভুলক্রমে সলাতে কিছু অবশিষ্ট থেকে থাকলে পূর্ব সম্পাদিত সলাতটুকু বাতিল
হয়ে যাবে এবং পুনরায় সম্পূর্ণ সলাত আদায় করতে হবে। (শারহে মুসলিম- ১ম খন্ড ২১৩ পৃষ্ঠা)
১১৭৪
وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ،
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ
سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِمَّا زَادَ أَوْ نَقَصَ -
قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَايْمُ اللَّهِ مَا جَاءَ ذَاكَ إِلاَّ مِنْ قِبَلِي - قَالَ
فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ فَقَالَ "
لاَ " . قَالَ فَقُلْنَا لَهُ الَّذِي صَنَعَ فَقَالَ " إِذَا
زَادَ الرَّجُلُ أَوْ نَقَصَ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ " . قَالَ ثُمَّ
سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন) আমরা
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করলাম। (এ
সলাতে) তিনি কিছু বেশী বা কম করলেন। (হাদীসের বর্ণনাকারী) ইব্রাহীম বলেছেন,
আল্লাহর শপথ, এ সন্দেহ (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে বেশী
করলেন না, কম করলেন) আমার নিজের। তিনি (ইব্রাহীম) বলেছেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! সলাতের ব্যাপারে কি নতুন কোন হুকুম
অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বললেনঃ না। (নতুন কোন হুকুম অবতীর্ণ হয়নি)। তখন (সলাতে) তিনি
যা করেছেন আমরা তাঁকে তা বললাম। তিনি বললেনঃ কোন ব্যক্তি যদি সলাতে কোন কিছু বেশী
বা কম করে ফেলে তাহলে (সাজদাহ্-ই সাহুর) দু’টি সাজদাহ্ করবে। বর্ণনাকারী ইব্রাহীম
বলেনঃ এর (এ কথা বলার) পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি
সাজদাহ্ করলেন। (ই.ফা. ১১৬৩, ই.সে. ১১৭৫)
১১৭৫
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ
بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ
سِيرِينَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ صَلَّى بِنَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى صَلاَتَىِ الْعَشِيِّ إِمَّا الظُّهْرَ
وَإِمَّا الْعَصْرَ فَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَتَى جِذْعًا فِي قِبْلَةِ
الْمَسْجِدِ فَاسْتَنَدَ إِلَيْهَا مُغْضَبًا وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ
وَعُمَرُ فَهَابَا أَنْ يَتَكَلَّمَا وَخَرَجَ سَرَعَانُ النَّاسِ قُصِرَتِ
الصَّلاَةُ فَقَامَ ذُو الْيَدَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقُصِرَتِ
الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ فَنَظَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمِينًا
وَشِمَالاً فَقَالَ " مَا يَقُولُ ذُو الْيَدَيْنِ " . قَالُوا
صَدَقَ لَمْ تُصَلِّ إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ . فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَسَلَّمَ
ثُمَّ كَبَّرَ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَفَعَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ ثُمَّ
كَبَّرَ وَرَفَعَ . قَالَ وَأُخْبِرْتُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّهُ
قَالَ وَسَلَّمَ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে দিবাভাগের দু’ ওয়াক্ত
সলাতের কোন এক ওয়াক্ত সলাতে অর্থাৎ- যুহর কিংবা ‘আস্রের সলাত আদায় করলেন। কিন্তু
দু’ রাক‘আত আদায় করার পরই সালাম ফিরালেন। এরপর তিনি রাগান্বিত মনে মাসজিদের
ক্বিবলার দিকে স্থাপিত এক বৃক্ষ শাখার উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। এ সময় সবার মাঝে আবূ
বকর ও ‘উমারও ছিলেন। কিন্তু তারা উভয়েই (এ পরিস্থিতিতে) কথা বলতে সাহস পেল না। আর
যাদের তাড়াতাড়ি করে যাওয়ার ছিল তারা এই বলে দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে গেল যে, সলাত
কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অতঃপর যুল ইয়াদায়ন উপনামে পরিচিত জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে
আল্লাহর রসূল! সলাত কি কম করে দেয়া হয়েছে- না আপনি ভুলে গিয়েছেন? এ কথা শুনে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন যুল ইয়াদায়ন
যা বলছে তা কি ঠিক? সবাই জবাব দিলো, হ্যাঁ সে যা বলেছে সত্য বলেছে। আপনি তো সলাত
দু’ রাক‘আত মাত্র আদায় করেছেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো
দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। এরপর তাকবীর বলে সাজদাহ্ করলেন এবং
তাকবীর বলে মাথা উঠালেন।
এতটুকু বর্ণনা করার পর মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বললেন, ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন সম্পর্কে
আমাকে বলা হয়েছে যে তিনি বলেছেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সালাম ফিরালেন। (ই.ফা. ১১৬৪, ই.সে. ১১৭৬)
১১৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ،
حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى
صَلاَتَىِ الْعَشِيِّ . بِمَعْنَى حَدِيثِ سُفْيَانَ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে দিবাভাগের দু’ ওয়াক্ত
সলাতের এক ওয়াক্ত সলাত আদায় করলেন। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি সুফ্ইয়ান বর্ণিত
হাদীসের অনুরূপ বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করলেন। (ই.ফা. ১১৬৫, ই.সে. ১১৭৭)
১১৭৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ
مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ،
مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ
صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْعَصْرِ فَسَلَّمَ فِي
رَكْعَتَيْنِ فَقَامَ ذُو الْيَدَيْنِ فَقَالَ أَقُصِرَتِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ أَمْ نَسِيتَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ
ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ " . فَقَالَ قَدْ كَانَ بَعْضُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
. فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى النَّاسِ فَقَالَ
" أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ " . فَقَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ
اللَّهِ . فَأَتَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَقِيَ مِنَ
الصَّلاَةِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ التَّسْلِيمِ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আস্রের সলাত আদায়
করালেন। কিন্তু দু’রাক’আত আদায় করার পর সালাম ফিরালেন। যুল ইয়াদায়ন দাঁড়িয়ে বলল,
হে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! সলাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে
না আপনি ভুল করেছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব
কিছুই হয়নি (সলাত কমিয়ে দেয়া বা আমার ভূল করা) কিছুই হয়নি। এ কথা শুনে যুল ইয়াদায়ন
বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! কিছু একটা অবশ্যই হয়েছে। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের দিকে ঘুরে বললেনঃ যুল ইয়াদায়ন-এর কথা কি ঠিক? সবাই
বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সলাতের অবশিষ্ঠ অংশ পূর্ন করলেন এবং সালাম ফিরানোর পর বসে বসেই দু’টি সাজদাহ্ (সাহু
সাজদাহ্) করলেন। (ই.ফা.১১৬৬, ই.সে. ১১৭৮)
১১৭৮
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ،
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْخَزَّازُ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، - وَهُوَ
ابْنُ الْمُبَارَكِ - حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا
أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى رَكْعَتَيْنِ
مِنْ صَلاَةِ الظُّهْرِ ثُمَّ سَلَّمَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ
فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقُصِرَتِ الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ وَسَاقَ
الْحَدِيثَ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত দু’রাক’আত আদায় করে
সালাম ফিরালেন। তখন বানী সুলায়ম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলল, হে
আল্লাহ্র রসূল! সলাত সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে না আপনি ভূল করলেন? এতটুকু বর্ণনা
করার পর আবূ সালামাহ্ হাদীসটি পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ শেষ পর্যন্ত বর্ণনা
করলেন। (ই.ফা.১১৬৭, ই.সে. ১১৭৯)
১১৭৯
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ،
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ
أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الظُّهْرِ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ .
وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে যুহরের সলাত আদায় করেছিলাম। কিন্তু
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’রাক’আত আদায় করেই সালাম ফিরালে
বানী সুলায়ম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। এরপর তিনি (শায়বান) হাদীসটি শেষ
পর্যন্ত বর্ণনা করলেন। (ই.ফা.১১৬৮, ই.সে. ১১৮০)
১১৮০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، - قَالَ
زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي
قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْعَصْرَ فَسَلَّمَ فِي ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ
ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ
وَكَانَ فِي يَدَيْهِ طُولٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَذَكَرَ لَهُ
صَنِيعَهُ . وَخَرَجَ غَضْبَانَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى
النَّاسِ فَقَالَ " أَصَدَقَ هَذَا " . قَالُوا نَعَمْ
فَصَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ .
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন ‘আস্রের সলাত আদায় করতে তিন রাক’আত
আদায় করার পর সালাম ফিরালেন। এরপর তিনি তার বাড়ীর মধ্যে চলে গেলেন। তখন দীর্ঘ হাত
বিশিষ্ট খিরবাক্ব নামক জনৈক ব্যক্তি তাঁর কাছে গিয়ে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! এরপর
সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করেছিলেন তা বর্ণনা করল। এ
কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত মনে চাদর হেঁচড়াতে
হেঁচড়াতে আসলেন এবং লোকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ এ লোকটি কি ঠিক কথা বলছে?
সবাই জবাব দিলো, হ্যাঁ সে ঠিক বলেছে। তখন তিনি আরো এক রাক’আত সলাত আদায় করলেন এবং
সালাম ফিরালেন। এরপর দু’টি সাহু সাজদাহ্ দিয়ে আবার সালাম ফিরালেন। (ই.ফা.১১৬৯,
ই.সে. ১১৮১)
১১৮১
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - وَهُوَ
الْحَذَّاءُ - عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ
بْنِ الْحُصَيْنِ، قَالَ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثِ
رَكَعَاتٍ مِنَ الْعَصْرِ ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ الْحُجْرَةَ فَقَامَ رَجُلٌ
بَسِيطُ الْيَدَيْنِ فَقَالَ أَقُصِرَتِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ .
فَخَرَجَ مُغْضَبًا فَصَلَّى الرَّكْعَةَ الَّتِي كَانَ تَرَكَ ثُمَّ سَلَّمَ
ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ ثُمَّ سَلَّمَ .
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন ‘আস্রের সলাত আদায় করতে তিন রাক’আত
আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং নিজ কামরার মধ্যে প্রবেশ করলেন। তখন লম্বা দু’টি হাত
বিশিষ্ট এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! সলাত কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? এ
কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত হয়ে বেরিয়ে আসলেন,
অতঃপর যে এক রাক’আত সলাত তিনি ছেড়েছিলেন তা আদায় করে সালাম ফিরালেন। এরপর সাহুর
দু’টি সাজদাহ্ করলেন এবং আবার সালাম ফিরালেন। (ই.ফা.১১৭০, ই.সে. ১১৮২)
২০. অধ্যায়ঃ
কুরআন তিলওয়াতের সাজদাহ্
১১৮২
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ
اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى
الْقَطَّانِ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَيَقْرَأُ سُورَةً فِيهَا سَجْدَةٌ
فَيَسْجُدُ وَنَسْجُدُ مَعَهُ حَتَّى مَا يَجِدُ بَعْضُنَا مَوْضِعًا لِمَكَانِ
جَبْهَتِهِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন তিলাওয়াত করতেন। এ সময় তিনি এমন সূরাহ্ও
তিলাওয়াত করতেন যাতে সাজদার আয়াত আছে। তখন তিনি সাজদাহ্ করতেন, আমরাও তার সাথে
সাজদাহ্ করতাম। এমনকি (এ সময়) আমাদের মধ্যে তার কপাল স্থাপনের (সাজদাহ্ করার)
জায়গাটুকু পর্যন্ত পেত না। (ই.ফা.১১৭১, ই.সে. ১১৮৩)
১১৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ
نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رُبَّمَا قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم الْقُرْآنَ فَيَمُرُّ بِالسَّجْدَةِ فَيَسْجُدُ بِنَا حَتَّى ازْدَحَمْنَا
عِنْدَهُ حَتَّى مَا يَجِدُ أَحَدُنَا مَكَانًا لِيَسْجُدَ فِيهِ فِي غَيْرِ
صَلاَةٍ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন সময়
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করলে যখন
তিনি সাজদার আয়াত তিলাওয়াত করতেন তখন আমাদের সাথে নিয়ে সাজদাহ্ করতেন। এ সময় খুব
ভিড় বা জটলা হত। এমনকি আমাদের অনেকেই (কপাল স্থাপন করে) সাজদাহ্ করার মতো
জায়গাটুকু পর্যন্ত পেত না। আর এ অবস্থার সৃষ্টি হত সলাতের বাইরে। (ই.ফা.১১৭২,
ই.সে. ১১৮৪)
১১৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الأَسْوَدَ، يُحَدِّثُ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَرَأَ {
وَالنَّجْمِ} فَسَجَدَ فِيهَا وَسَجَدَ مَنْ كَانَ مَعَهُ غَيْرَ أَنَّ شَيْخًا
أَخَذَ كَفًّا مِنْ حَصًى أَوْ تُرَابٍ فَرَفَعَهُ إِلَى جَبْهَتِهِ وَقَالَ
يَكْفِينِي هَذَا . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدُ قُتِلَ
كَافِرًا .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সময় সূরাহ ‘ওয়ান নাজ্মি’ পাঠ করে সাজদাহ্
(তিলাওয়াতের সজদাহ্) করলেন। তাঁর সঙ্গে অন্য সকলেও সাজদাহ্ করল। শুধু এক বৃদ্ধ
ব্যক্তি (সাজদাহ্ না করে) এক মুঠো কঙ্কর উঠিয়ে বললঃ আমার জন্য এটাই যথেষ্ট।
হাদীসটির বর্ণনাকারী সহাবী ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) বর্ণনা করেছেন যে, আমি ঐ
বৃদ্ধ লোকটিরে পরে কাফির অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি। (ই.ফা.১১৭৩, ই.সে. ১১৮৫)
১১৮৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى
بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ
يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، وَهُوَ ابْنُ
جَعْفَرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ
يَسَارٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ عَنِ
الْقِرَاءَةِ، مَعَ الإِمَامِ فَقَالَ لاَ قِرَاءَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَىْءٍ
. وَزَعَمَ أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم {
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى} فَلَمْ يَسْجُدْ .
‘আত্বা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার যায়দ ইবনু
সাবিতকে সলাতে ইমামের পিছনে কিরাআত তিলাওয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন জবাবে যায়দ
ইবনু সাবিত বলেছিলেনঃ সলাতে ইমামের পিছনে কিরাআতের প্রয়োজন নেই। তিনি এ কথাও
বলেছেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে সূরাহ
“ওয়ান্ নাজ্মী ইযা-হাওয়া-” তিলাওয়াত করলেন। কিন্তু (সূরাটি শুনার পরও)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদাহ্ করলেন না। (ই.ফা.১১৭৪,
ই.সে. ১১৮৬)
১১৮৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ
قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الأَسْوَدِ
بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا
هُرَيْرَةَ، قَرَأَ لَهُمْ { إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ} فَسَجَدَ فِيهَا
فَلَمَّا انْصَرَفَ أَخْبَرَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَجَدَ
فِيهَا .
আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদূর রহ্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(তিনি বলেছেন) আবূ
হুরায়রাহ্ (রাঃ) তাদের সামনে “ইযাস্ সামা-উন্ শাক্বক্বাত্” সূরাটি তিলাওয়াত
করলেন এবং সাজদাহ্ করলেন। সাজদাহ্ শেষে তিনি তাদেরকে বললেন যে, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সূরাটি তিলাওয়াত করে সাজদাহ্ করেছিলেন।
(ই.ফা.১১৭৫, ই.সে. ১১৮৭)
১১৮৭
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى،
أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، كِلاَهُمَا عَنْ
يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসটির অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(ই.ফা.১১৭৬, ই.সে. ১১৮৭)
১১৮৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ،
عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ سَجَدْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي { إِذَا السَّمَاءُ
انْشَقَّتْ} وَ { اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ}
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা “ইযাস্
সামা-উন্ শাক্বক্বাত্” এবং “ইক্বরা বিস্মি রাব্বিকা” এ দুটি সূরাতে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সাজদাহ্ করেছি [ অর্থাৎ- এ দু’টি
সূরাহ তিলাওয়াতকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদাহ্ করেছেন।
আমারাও তাঁর সাথে সাজদাহ্ করেছি ]। (ই.ফা.১১৭৭, ই.সে. ১১৮৯)
১১৮৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ،
أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ
سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، مَوْلَى بَنِي مَخْزُومٍ عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي
{ إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ} وَ { اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ}
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরাহ্ “ইযাস্ সামা-উন্ শাক্কাত্” এবং
“ইক্বরা বিস্মি রাব্বিকা” পাঠকালে সাজদাহ্ করেছেন। (ই.ফা.১১৭৮, ই.সে. ১১৯০)
১১৯০
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى،
حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা
করেছেন। (ই.ফা.১১৭৯, ই.সে. ১১৯১)
১১৯১
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ،
وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ
صَلاَةَ الْعَتَمَةِ فَقَرَأَ { إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ} فَسَجَدَ فِيهَا
. فَقُلْتُ لَهُ مَا هَذِهِ السَّجْدَةُ فَقَالَ سَجَدْتُ بِهَا خَلْفَ أَبِي
الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ أَزَالُ أَسْجُدُ بِهَا حَتَّى أَلْقَاهُ .
وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى فَلاَ أَزَالُ أَسْجُدُهَا .
আবূ রাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ
হুরায়রাহ্ (রাঃ) -এর পিছনে ‘ইশার সলাত আদায় করলাম। (এ সলাতে) তিনি সূরাহ্ ‘ইযাস্
সামা-উন্ শাক্ক্বাত” পাঠ করে সাজদাহ্ (তিলাওয়াতের সিজদাহ) করলেন। (সলাত শেষে)
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কিসের জন্য এ সাজদাহ্? তিনি বললেনঃ আবুল ক্বাসিম
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করাকালে এ সূরায় আমি
সাজদাহ্ করেছি। সুতরাং তাঁর সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত (আমৃত্যু) আমি এ সূরাহ্
তিলাওয়াত করে সাজদাহ্ করতে থাকব। অবশ্য হাদীস বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল
আ’লা তারতম্য সহকারে কিছুটা বর্ণনা করে বলেছেনঃ আমি এ সাজদাহ্ পরিত্যাগ করব না।
(ই.ফা.১১৮০, ই.সে. ১১৯২)
১১৯২
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، -
يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ،
حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ، كُلُّهُمْ عَنِ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا
الإِسْنَادِ . غَيْرَ أَنَّهُمْ لَمْ يَقُولُوا خَلْفَ أَبِي الْقَاسِمِ صلى
الله عليه وسلم .
ইবনু আখযার (রহঃ) থেকে এবং সকলে সুলায়মান আত্ তায়মী থেকে
বর্ণিতঃ
তবে কেউই আবুল ক্বাসিম
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.১১৮১,
ই.সে. ১১৯৩)
১১৯৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ
رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَسْجُدُ فِي { إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ}
فَقُلْتُ تَسْجُدُ فِيهَا فَقَالَ نَعَمْ رَأَيْتُ خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم
يَسْجُدُ فِيهَا فَلاَ أَزَالُ أَسْجُدُ فِيهَا حَتَّى أَلْقَاهُ . قَالَ
شُعْبَةُ قُلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ نَعَمْ .
আবূ রাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ
হুরায়রাহ্ (রাঃ) -কে সূরাহ্ “ইযাস্ সামা-উন শাক্বক্বাত” পড়ে সাজদাহ্ করতে
দেখেছি। তাই আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি এ সূরাহ্ তিলাওয়াত করে সাজদাহ্
করেন? জবাবে তিনি বললেন, আমি আমার প্রিয়তম বন্ধু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে এ সূরাহ্ তিলাওয়াত সাজদাহ্ করতে দেখেছি। সুতরাং তাঁর ( (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর) সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত আমি এ সূরাহ্ তিলাওয়াত করে
সাজদাহ্ করতে থাকব।
হাদীসটি বর্ণনাকারী শু’বাহ্ বলেনঃ আমি ‘আত্বা ইবনু আবূ মায়মূনাকে জিজ্ঞেস করলাম
“আমার প্রিয়তম বন্ধু” বলতে কি আবূ হুরায়রাহ্ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা.১১৮২, ই.সে. ১১৯৪)
২১. অধ্যায়ঃ
সলাতে উপবিষ্ট হওয়া ও উরুদ্বয়ের উপর দু’হাত
স্থাপন করার নিয়ম পদ্ধতি
১১৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرِ بْنِ
رِبْعِيٍّ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ عَبْدِ
الْوَاحِدِ، - وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ،
حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَعَدَ فِي الصَّلاَةِ جَعَلَ
قَدَمَهُ الْيُسْرَى بَيْنَ فَخِذِهِ وَسَاقِهِ وَفَرَشَ قَدَمَهُ الْيُمْنَى
وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ
الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সলাত আদায়ের
সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বৈঠক করতেন তখন বাঁ পা’টি
(ডান পায়ের) উরু ও নলার মধ্যে স্থাপন করতেন, ডান পা’টি বিছিয়ে দিতেন, আর বাঁ হাতটি
বাঁ হাঁটুর উপর এবং ডান হাতটি ডান উরুর উপর স্থাপন করতেন। আর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা
করতেন। (ই.ফা.১১৮৩, ই.সে. ১১৯৫)
১১৯৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ،
عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، -
وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ
عَجْلاَنَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ،
قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَعَدَ يَدْعُو وَضَعَ
يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ
الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ وَوَضَعَ إِبْهَامَهُ عَلَى
إِصْبَعِهِ الْوُسْطَى وَيُلْقِمُ كَفَّهُ الْيُسْرَى رُكْبَتَهُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন দু’আ করার জন্য বসতেন তখন ডান হাতটি ডান
উরুর উপর এবং বাঁ হাতটি বাঁ উরুর উপর রাখতেন। আর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা
করতেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি মধ্যমার সাথে সংযুক্ত করতেন এবং বাঁ হাতের তালু
(বাঁ) হাঁটুর উপর রাখতেন। (ই.ফা.১১৮৪, ই.সে. ১১৯৬)
১১৯৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ
إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلاَةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَفَعَ
إِصْبَعَهُ الْيُمْنَى الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ فَدَعَا بِهَا وَيَدَهُ
الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى بَاسِطُهَا عَلَيْهَا .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায়ের সময় যখন বসতেন (বৈঠক করতেন) তখন
দু’হাত দু’ হাঁটুর উপর রাখতেন। আর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পার্শ্ববর্তী (শাহাদাত)
আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করতেন এবং বাঁ হাত বাঁ হাঁটুর উপর ছড়িয়ে রাখতেন। (ই.ফা.১১৮৫,
ই.সে. ১১৯৭)
১১৯৭
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا
يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ
نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ
إِذَا قَعَدَ فِي التَّشَهُّدِ وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ
الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى وَعَقَدَ
ثَلاَثَةً وَخَمْسِينَ وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের মধ্যে ‘তাশাহ্হুদ’ পড়তে যখন বসতেন তখন
বাঁ হাতটি বাঁ হাঁটুর উপর এবং ডান হাত ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। আর (হাতের তালু ও
আঙ্গুলসমূহ গুটিয়ে আরবী) তিপ্পান্ন সংখ্যার মতো করে শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা
করতেন। [১] (ই,ফা, ১১৮৬, ই,সে, ১১৯৮)
[১]হাদীসের তিপ্পান্ন সংখ্যার উদ্দেশ্য বর্ণনায়
‘আবদুল হাক মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) বলেন, তার পদ্ধতি হলোঃ ডান হাতের মধ্যমা, অনামিকা
ও শেষের কনিষ্ঠাঙ্গুলি- এ তিনটি মুষ্টিবদ্ধ করা হবে; অতঃপর শাহাদাত অঙ্গুলি (তর্জনী)
- কে খুলে রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা শাহাদাত অঙ্গুলির মাঝ বরাবর ধরা হবে। এ চিত্রটা
দেখতে আরবী তিপ্পান্ন (৫৩) - এর মতো হয়। (শারহে মুসলিম- ২১৬ পৃষ্ঠা, পার্শ্বটীকা- ২)
১১৯৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ
قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُعَاوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ رَآنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
عُمَرَ وَأَنَا أَعْبَثُ بِالْحَصَى فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ نَهَانِي
فَقَالَ اصْنَعْ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ .
فَقُلْتُ وَكَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ قَالَ كَانَ
إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلاَةِ وَضَعَ كَفَّهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى
وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ كُلَّهَا وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ
وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى .
‘আলী ইবনু ‘আবদুর রহ্মান আল্ মু’আবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ ‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমাকে দেখলেন যে, আমি সলাতের অবস্থায় ছোট ছোট পাথর টুকরা নিয়ে
অনর্থকভাবে নড়াচড়া করছি। সলাত শেষ করে তিনি আমাকে এরূপ কাজ করতে নিষেধ করে বললেনঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ করতেন তুমিও তাই করবে। আমি
তখন জিজ্ঞেস করলামঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতরত অবস্থায়
কী করতেন? তিনি (‘আলী ইবনু ‘আবদুর রহ্মান আল মু’আবী) বললেনঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে যখন বৈঠক করতেন তখন ডান হাতের তালু ডান উরুর উপর রেখে
আঙ্গুলগুলো গুটিয়ে শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলির পার্শ্ববর্তী (শাহাদাত) আঙ্গুল দ্বারা ইশারা
করতেন। আর বাঁ হাতের তালু বাঁ উরুর উপর স্থাপন করতেন। (ই.ফা. ১১৮৭, ই.সে. ১১৯৯)
১১৯৯
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الْمُعَاوِيِّ، قَالَ صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ ابْنِ عُمَرَ .
فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَزَادَ قَالَ سُفْيَانُ فَكَانَ يَحْيَى بْنُ
سَعِيدٍ حَدَّثَنَا بِهِ عَنْ مُسْلِمٍ ثُمَّ حَدَّثَنِيهِ مُسْلِمٌ .
‘আলী ইবনু ‘আবদুর রহমান আল মু’আবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের পাশে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করছি। এরপর তিনি মালিক বর্ণিত
হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। তবে তার বর্ণনায় এতটুকু কথা অতিরিক্ত আছে যে,
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ মুসলিমের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১১৮৮, ই.সে.
১২০০)
২২. অধ্যায়ঃ
সলাত সমাপনীর সালাম ও তার পদ্ধতি
১২০০
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، وَمَنْصُورٍ، عَنْ
مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، أَنَّ أَمِيرًا، كَانَ بِمَكَّةَ يُسَلِّمُ
تَسْلِيمَتَيْنِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَنَّى عَلِقَهَا قَالَ الْحَكَمُ فِي
حَدِيثِهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُهُ .
আবূ মা’মার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাক্কাতে
একজন আমীর ছিলেন। তিনি সলাতে দু’বার সালাম ফিরাতেন (একবার ডানে এবং একবার বামে)। এ
কথা শুনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ বললেনঃ সে কথা থেকে এ সুন্নাত শিখেছে? হাকাম তার
বর্ণিত হাদীসে বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন।
(ই.ফা. ১১৮৯, ই.সে. ১২০১)
১২০১
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ،
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ،
عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، - قَالَ شُعْبَةُ - رَفَعَهُ مَرَّةً -
أَنَّ أَمِيرًا أَوْ رَجُلاً سَلَّمَ تَسْلِيمَتَيْنِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ
أَنَّى عَلِقَهَا
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক আমির
অথবা কোন এক ব্যক্তি দু’বার সালাম ফিরালেন। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার বললেন,
তুমি কোথা থেকে এটা পেয়েছ। (ই.ফা. ১১৯০, ই.সে. নম্বরহীন)
১২০২
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
جَعْفَرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ
أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَلِّمُ عَنْ
يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ حَتَّى أَرَى بَيَاضَ خَدِّهِ .
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ডানে এবং বামে সালাম ফিরাতে
দেখতাম। এমনকি (তিনি এমনভাবে মুখ ঘুরাতেন যে,) আমি তার গালের শুভ্রতা দেখতে পেতাম।
(ই.ফা. ১১৯১, ই.সে. ১২০২)
২৩. অধ্যায়ঃ
সলাতের পর যিক্র
১২০৩
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ أَخْبَرَنِي بِذَا أَبُو
مَعْبَدٍ، - ثُمَّ أَنْكَرَهُ بَعْدُ - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنَّا
نَعْرِفُ انْقِضَاءَ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالتَّكْبِيرِ
.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা তাকবীর
(আল্ল-হ আকবার) পাঠ দ্বারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত
শেষ হওয়া জানতে পারতাম। অর্থাৎ - সলাত শেষ হলেই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) উচ্চৈঃস্বরে ‘আল্ল-হ আকবর’ বলতেন। তখন আমরা বুঝতে পারতাম। (ই.ফা.
১১৯২, ই.সে. ১২০৩)
১২০৪
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ،
مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يُخْبِرُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ
مَا كُنَّا نَعْرِفُ انْقِضَاءَ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
إِلاَّ بِالتَّكْبِيرِ . قَالَ عَمْرٌو فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي مَعْبَدٍ
فَأَنْكَرَهُ وَقَالَ لَمْ أُحَدِّثْكَ بِهَذَا . قَالَ عَمْرٌو وَقَدْ
أَخْبَرَنِيهِ قَبْلَ ذَلِكَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত শেষ হওয়া তাকবীর পাঠ ছাড়া
আর কিছু দ্বারা জানতে পারতাম না। ‘আমর ইবনু দীনার বলেছেনঃ আমি পরবর্তী সময়ে
(‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস-এর নিকট থেকে হাদীসটির বর্ণনাকারী) আবূ মা’বাদ-এর
হাদীসটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বললেনঃ আমি তোমার কাছে এ
হাদীস বর্ণনা করিনি। অথচ ইতোপূর্বে তিনি আমার নিকট হাদীসটি বর্ণনা করেছিলেন। [১]
(ই.ফা. ১১৯৩, ই.সে. ১২০৪)
[১] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, উর্ধস্তন রাবীর হাদীস
বর্ণনায় বিষয়টি সন্দেহ পতিত হওয়া বা ভুলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে নিম্নস্তর রাবী সিকাহ
বা নির্ভরযোগ্য হলে হাদীস সহীহ হিসেবেই পরিগণিত হবে – এটা জমহুর উলামাগনের অভিমত।
(শারহে মুসলিম- ১ম ২১৭ পৃষ্ঠা)
১২০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح قَالَ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ
دِينَارٍ، أَنَّ أَبَا مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ
عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَفْعَ الصَّوْتِ بِالذِّكْرِ حِينَ يَنْصَرِفُ
النَّاسُ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ كَانَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
. وَأَنَّهُ قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُنْتُ أَعْلَمُ إِذَا انْصَرَفُوا
بِذَلِكَ إِذَا سَمِعْتُهُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে ফরয সলাত শেষে লোকেরা উচ্চৈঃস্বরে
তাকবীর বা অন্য কোন যিক্র পাঠ করত। [১৩]
আবূ মা’বাদ বলেন, ‘আবদূল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস আরো বলেছেনঃ ঐ উচ্চৈঃস্বরে শুনেই আমি
সলাত শেষ হওয়ার কথা বুঝতে পারতাম। (ই.ফা. ১১৯৪, ই.সে. ১২০৫)
[১৩]
ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, কোন কোন সালাফ বা ইবনু হায্ম জাহিরী (রহঃ) -এর মতে সালাম
শেষে উচ্চৈঃস্বরে মাসনূন যিক্র পাঠ মুস্তাহাব। আর ইবনু বাত্ত্বল-এর মতে, অনুসরণীয়
ইমামগনের নিকট যিক্রসমূহ ও তাকবীর নীরবে পঠনীয়। ইমাম শাফি’ঈ (রহঃ) এর বক্তব্য হলোঃ
উচৈস্বরে যিক্র পাঠ সর্বদা ছিল না; তাই ইমাম সাহেব যিক্রসমূহ শিক্ষাদানের জন্য কিছুদিন
সালাম ফিরানোর পর জোরে জোরে শোনাতে পারেন। (শারহে মুসলিম- ১ম ২১৭ পৃষ্ঠা)
উল্লেখ্য যে, প্রচলিত সমবেত মুনাজাতটা পদ্ধতিগত ও এক্ষেত্রে মাসনূন যিক্র নয় এমন ভিন্ন
দু’আ পঠিত হওয়া এসব মিলিয়ে এটা পরিত্যাজ্য বিদ’আত।
২৪. অধ্যায়ঃ
ক্ববরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
মুস্তাহাব
১২০৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ،
وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ هَارُونُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ
أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ،
قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ
عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدِي امْرَأَةٌ مِنَ الْيَهُودِ
وَهْىَ تَقُولُ هَلْ شَعَرْتِ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ قَالَتْ
فَارْتَاعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " إِنَّمَا
تُفْتَنُ يَهُودُ " . قَالَتْ عَائِشَةُ فَلَبِثْنَا لَيَالِيَ ثُمَّ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ شَعَرْتِ أَنَّهُ أُوحِيَ
إِلَىَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ " . قَالَتْ عَائِشَةُ
فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ يَسْتَعِيذُ مِنْ عَذَابِ
الْقَبْرِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে থেকে আমার কাছে আসলেন। তখন
আমার কাছে একজন ইয়াহূদ মহিলা উপস্থিত ছিল। সে আমাকে বলছিলঃ তুমি কি জানো ক্ববরে
তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ ইয়াহূদ মহিলার এ কথা শুনে
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন। তিনি অবশ্য
বললেনঃ পরীক্ষা বা ‘আযাব তো হবে ইয়াহূদদের। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমরা এভাবে কয়েক
রাত কাটালাম। পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি
জানো আমার কাছে এ মর্মে ওয়াহী পাঠানো হয়েছে যে, তোমাদেরকে ক্ববরে পরীক্ষা করা হবে।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ এর পরবর্তীকালে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) - কে ক্ববরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে শুনেছি। (ই.ফা. ১১৯৫,
ই.সে. ১২০৬)
১২০৭
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ،
وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، قَالَ حَرْمَلَةُ
أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ،
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ
يَسْتَعِيذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তারপর থেকে
আমি রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ক্ববরের ‘আযাব থেকে আশ্রয়
প্রার্থনা করতে শুনেছি। (ই.ফা. ১১৯৬, ই সে. ১২০৭)
১২০৮
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ،
عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ
دَخَلَتْ عَلَىَّ عَجُوزَانِ مِنْ عُجُزِ يَهُودِ الْمَدِينَةِ فَقَالَتَا إِنَّ
أَهْلَ الْقُبُورِ يُعَذَّبُونَ فِي قُبُورِهِمْ . قَالَتْ فَكَذَّبْتُهُمَا
وَلَمْ أُنْعِمْ أَنْ أُصَدِّقَهُمَا فَخَرَجَتَا وَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَجُوزَيْنِ
مِنْ عُجُزِ يَهُودِ الْمَدِينَةِ دَخَلَتَا عَلَىَّ فَزَعَمَتَا أَنَّ أَهْلَ
الْقُبُورِ يُعَذَّبُونَ فِي قُبُورِهِمْ فَقَالَ " صَدَقَتَا إِنَّهُمْ
يُعَذَّبُونَ عَذَابًا تَسْمَعُهُ الْبَهَائِمُ " . قَالَتْ فَمَا
رَأَيْتُهُ بَعْدُ فِي صَلاَةٍ إِلاَّ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাদীনার
দু’জন বৃদ্ধা ইয়াহুদিনী আমার কাছে আসলো। তারা বললঃ ক্ববরে মানুষকে ‘আযাব দেয়া হয়ে
থাকে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি তাদের কথা মিথ্যা প্রতিপন্ন করলাম। তাদের কথা সত্য
বলে বিশ্বাস করা আমার ভাল লাগলো না। পরে তারা চলে গেল। অতঃপর রসূলুল্লাহ্
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে আসলে আমি তাঁকে বললামঃ হে আল্লাহর
রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! মাদীনার দু’জন বৃদ্ধা ইয়াহুদিনী আমার
কাছে এসেছিলেন। তারা বলল, ক্ববরে মানুষকে আযাব দেয়া হয় | এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তারা সত্য কথাই বলেছে | কেননা ক্ববরে
মানুষকে এমন ‘আযাব দেয়া হয় যা চতুষ্পদ জীব-জন্তু পর্যন্ত শুনতে পায়। এ কথা বলে
‘আয়িশাহ্ বললেনঃ এরপর আমি সব সময় রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-কে ক্ববরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে দেখেছি। (ই.ফা. ১১৯৭, ই. সে. ১২০৮)
১২০৯
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ،
حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ
عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَفِيهِ قَالَتْ وَمَا صَلَّى صَلاَةً بَعْدَ
ذَلِكَ إِلاَّ سَمِعْتُهُ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
তবে এতে আছে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, “এরপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম যখনই সলাত আদায় করেছেন, তখনই তাকে কবরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে
শুনেছি”। (ই.ফা. ১১৯৮ ই.সে. ১২০৯০)
২৫. অধ্যায়ঃ
সলাতের মধ্যে যে সকল বিষয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা
হয়
১২১০
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ
بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ
حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ
بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَسْتَعِيذُ فِي صَلاَتِهِ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সলাতে দাজ্জালের ফিতনাহ থেকে রক্ষা
পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে শুনেছি। (ই.ফা. ১১৯৯, ই.সে. ১২১০)
১২১১
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ
الْجَهْضَمِيُّ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ
جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - حَدَّثَنَا
الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي
عَائِشَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِذَا تَشَهَّدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنْ أَرْبَعٍ
يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ
الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ
الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কেউ যখন (সলাতে) তাশাহহুদ পড় তখন
চারটি জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করবে। এ বলে দু’আ করবেঃ “আল্লহুম্মা
ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম ওয়ামিন ‘আযা-বিল কবরি ওয়া মিন ফিতনাতিল
মাহইয়া- ওয়াল মামা-তি ওয়ামিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল”- (অর্থাৎ, হে
আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে জাহান্নাম ও কবরের ‘আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ
থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।) (ই.ফা. ১২০০,
ই.সে. ১২১১)
১২১২
حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ،
أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ
أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو
فِي الصَّلاَةِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ
فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ
الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ " . قَالَتْ فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ مَا
أَكْثَرَ مَا تَسْتَعِيذُ مِنَ الْمَغْرَمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ
" إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا غَرِمَ حَدَّثَ فَكَذَبَ وَوَعَدَ فَأَخْلَفَ
" .
নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের মধ্যে এ বলে দু’আ করতেনঃ “আল্ল-হুম্মা
ইন্নী আ’উযুবিকা মিন আযা-বিল ক্বব্রি ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাসীহিদ্
দাজ্জা-ল ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাহ্ইয়া-ওয়াল মামা-তি, আল্ল-হুম্মা ইন্নী
আ’ঊযুবিকা মিনাল মা’সামি ওয়াল মাগ্রম” – (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে
ক্ববরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে মাসীহ দাজ্জালের ফিত্নাহ থেকে
আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে জীবন ও মৃত্যুর ফিত্না থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি তোমার
কাছে গুনাহ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।)।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি বলল - হে আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ! আপনি ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে এত আশ্রয় প্রার্থনা করেন কেন? (এ কথা শুনে)
তিনি (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কেউ যখন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন কথা
বললে মিথ্যা বলে এবং প্রতিশ্রুতি দিলে তা ভঙ্গ করে। (ই.ফা. ১২০১, ই.সে. ১২১২)
১২১৩
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ
عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا
هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا
فَرَغَ أَحَدُكُمْ مِنَ التَّشَهُّدِ الآخِرِ فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْ
أَرْبَعٍ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ
الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ "
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন শেষ তাশাহ্হুদ পাঠ
করবে তখন যেন সে চারটি জিনিস থেকে (আল্লাহ্র কাছে) আশ্রয় চায়। জাহান্নামের ‘আযাব
থেকে, ক্ববরের ‘আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ্ থেকে এবং মাসীহ্ দাজ্জালের
অপকারিতা থেকে। (ই.ফা. ১২০২, ই.সে. ১২১৩)
১২১৪
وَحَدَّثَنِيهِ الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى،
حَدَّثَنَا هِقْلُ بْنُ زِيَادٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ،
أَخْبَرَنَا عِيسَى، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - جَمِيعًا عَنِ الأَوْزَاعِيِّ،
بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " إِذَا فَرَغَ أَحَدُكُمْ مِنَ التَّشَهُّدِ
" . وَلَمْ يَذْكُرِ " الآخِرَ " .
আওযা’ঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এভাবে বর্ণনা করেছেন যে,
“তোমাদের কেউ যখন তাশাহ্হুদ পাঠ করবে”। তারা ‘আ-খির বা শেষ তাশাহ্হুদ’ শব্দটি
উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১২০৩, ই.সে. ১২১৪)
১২১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
وَعَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَشَرِّ الْمَسِيحِ
الدَّجَّالِ " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন
‘আযা-বিল ক্ববরি ওয়া ‘আযা-বিন্ না-রি ওয়া ফিত্নাতিল মাহ্ইয়া- ওয়াল মামা-তি ওয়া
শার্রিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ববরের ও
জাহান্নামের ‘আযাব থেকে জীবন ও মৃত্যুর ফিত্নাহ্ থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের
অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই |)। (ই.ফা. ১২০৪, ই.সে. ১২১৫)
১২১৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا
هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عُوذُوا
بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ عُوذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ عُوذُوا
بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ عُوذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ
الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে তার ‘আযাব থেকে রক্ষা
পাওয়ার জন্য আশ্রয় চাও। ক্ববরের ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও।
আর জীবন ও মৃত্যুর ফিত্নাহ্ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। (ই.ফা.
১২০৫, ই.সে. ১২১৬)
১২১৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১২০৬, ই.সে. ১২১৭)
১২১৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَأَبُو
بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১২০৭, ই.সে. ১২১৮)
১২১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ جَهَنَّمَ
وَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্ববর ও জাহান্নামের ‘আযাব ও দাজ্জালের ফিত্নাহ্
থেকে আশ্রয় চাইতেন। (ই.ফা. ১২০৮, ই.সে. ১২১৯)
১২২০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ
مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، - فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ - عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ
طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ
يُعَلِّمُهُمْ هَذَا الدُّعَاءَ كَمَا يُعَلِّمُهُمُ السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ
يَقُولُ " قُولُوا اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ
وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ
الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ " .
قَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ بَلَغَنِي أَنَّ طَاوُسًا قَالَ لاِبْنِهِ
أَدَعَوْتَ بِهَا فِي صَلاَتِكَ فَقَالَ لاَ . قَالَ أَعِدْ صَلاَتَكَ لأَنَّ
طَاوُسًا رَوَاهُ عَنْ ثَلاَثَةٍ أَوْ أَرْبَعَةٍ أَوْ كَمَا قَالَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে যেভাবে কুরআন মাজীদের সূরাহ্ শিখাতেন
ঠিক তেমনিভাবে এ দু’আটিও শিখাতেন, দু’আটি হলোঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্না- না’ঊযুবিকা মিন
আযা-বি জাহান্নাম ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বব্রি ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন ফিত্নাতিল
মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল, ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাহ্ইয়া-ওয়াল মামা-ত” (অর্থাৎ-
হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে জাহান্নামের ‘আযাব থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে
মাসীহ দাজ্জালের ফিত্নাহ্ থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি তোমার কাছে জীবন ও মৃত্যুর
ফিত্নাহ্ থেকে আশ্রয় চাই।)।
মুসলিম ইবনু হাজ্জাজা বলেনঃ ত্বাউস (একদিন) তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি সলাত
আদায় করার সময় কি এ দু’আটি পড়েছ? সে বলল, ‘না’। এ কথা শুনে ত্বাউস বললেন, তুমি
পুনরায় সলাত আদায় কর। কারণ ত্বাউস (তোমার পিতা) তিন, চার বা তার বক্তব্য অনুসারে
কম বা বেশী লোকের নিকট থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন অথবা তিনি এরূপ বলেছেন। (ই. ফা.
১২০৯, ই.সে. ১২২০-১২২১)
২৬. অধ্যায়ঃ
সলাতের পর যিকির মুস্তাহাব এবং এর বিবরণ
১২২১
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، - اسْمُهُ شَدَّادُ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ - عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاَثًا
وَقَالَ " اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ
ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " . قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ
لِلأَوْزَاعِيِّ كَيْفَ الاِسْتِغْفَارُ قَالَ تَقُولُ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষ করে তিনবার ইসতিগ্ফার করতেন এবং
বলতেন- “আল্লা-হুম্মা আন্তাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা যাল
জালা-লি ওয়াল ইকর-ম” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিময় এবং তোমার থেকে শান্তি
আসে। তুমি কল্যাণময় এবং সন্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী |)।
হাদীস বর্ণনাকারী ওয়ালীদ বলেন- আমি আওযা’ঈকে জিজ্ঞেস করলাম | তিনি (সল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে ইস্তিগফার করতেন। তিনি বললেন, তিনি (সল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন- ‘আস্তাগ্ফিরুল্ল-হ, আস্তাগ্ফিরুল্ল-হ’ | (ই.ফা.
১২১০, ই.সে. ১২২২)
১২২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم إِذَا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدْ إِلاَّ مِقْدَارَ مَا يَقُولُ
" اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا
الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ نُمَيْرٍ "
يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সলাতে সালাম
ফিরানোর পরে নবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ততটুকু সময় বসতেন-
“আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালাম-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা যাল জালা-লি
ওয়াল ইকর-ম” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিময় এবং তোমার থেকে শান্তি আসে। তুমি
কল্যাণময় এবং সন্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী।) এ দু’আটা পড়তে যতটুকু সময় লাগে।
ইবনু নুমায়র-এর একটি বর্ণনায় (আরবী) -এর স্থলে (আরবী) উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ১২১১,
ই.সেস. ১২২৩)
১২২৩
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا
أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي الأَحْمَرَ - عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ
" يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। তবে এতে তিনি (আরবী) উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১২১২, ই.সে. ১২২৪)
১২২৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ
الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، وَخَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ،
كِلاَهُمَا عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ .
بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ " يَا ذَا الْجَلاَلِ
وَالإِكْرَامِ " .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ বর্ণনাতে এ কথাটুকু
নেই যে, তিনি (আরবী) (হে শান-শওকাতময়, দয়াবান) বলতেন। (ই.ফা. ১২১৩, ই.সে. ১২২৫)
১২২৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ
وَرَّادٍ، مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ كَتَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ
شُعْبَةَ إِلَى مُعَاوِيَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا
فَرَغَ مِنَ الصَّلاَةِ وَسَلَّمَ قَالَ " لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ
شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا
مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ " .
মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) কর্তৃক আযাদকৃত ক্রীতদাস ওয়ার্রাদ
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, মুগীরাহ্
বিন শু’বাহ্ মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) -কে লিখে পাঠান যে, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষে সালাম ফিরিয়ে বলতেন- “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু
ওয়াহ্দাহ্ লা শারীকা লাহু লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি
শাইয়িন্ ক্বদীর, আল্ল-হুম্মা লা-মা-নি’আ লিমা- আ’ত্বয়তা ওয়ালা- মু‘ত্বিয়া লিমা-
মানা‘তা ওয়ালা- ইয়ান্ফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ” (অর্থাৎ - আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত
কোন ইলাহ নেই। তিনি এক ও শারীক বিহীন। সার্ভৌম ক্ষমতা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট। সব
প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দিতে চাও
তাতে বাধা দেয়ার শক্তি কারো নেই। আর যা দিতে না চাও তার দেবার শক্তিও কারো নেই। আর
কোন সম্পদশালীর সম্পদ তোমার নিকট থেকে রক্ষা করতে পারে না।) (ই.ফা. ১২১৪, ই.সে.
১২২৬)
১২২৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو
مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ وَرَّادٍ،
مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم . مِثْلَهُ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ فِي رِوَايَتِهِمَا
قَالَ فَأَمْلاَهَا عَلَىَّ الْمُغِيرَةُ وَكَتَبْتُ بِهَا إِلَى مُعَاوِيَةَ .
মুগীরাহ্ ইবনু শায়বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর একই হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ বকর ও আবূ কুরায়ব তাদের
বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, ওয়ার্রাদ বলেছেনঃ মুগীরাহ্ দু’আটি আমাকে শিখিয়েছেন।
অতঃপর তা আমি মু’আবিয়াকে লিখে পাঠিয়েছি। (ই.ফা. ১২১৫, ই.সে. ১২২৭)
১২২৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ،
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي
عَبْدَةُ بْنُ أَبِي لُبَابَةَ، أَنَّ وَرَّادًا، مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ
شُعْبَةَ قَالَ كَتَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ إِلَى مُعَاوِيَةَ - كَتَبَ
ذَلِكَ الْكِتَابَ لَهُ وَرَّادٌ - إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَقُولُ حِينَ سَلَّمَ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا . إِلاَّ قَوْلَهُ
" وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ " . فَإِنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ
.
মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) কর্তৃক আযাদকৃত ক্রীতদাস
ওয়ার্রাদ থেকে বর্ণিতঃ
মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্
(আমীর) মু’আবিয়ার কাছে ওয়ার্রাদকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে সলাত শেষে সালাম ফিরিয়ে বলতে শুনেছি...।
তবে এ বর্ণনায় (আরবি) বাক্যটির উল্লেখ নেই, কেননা তিনি তা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.
১২১৬, ই.সে. ১২২৮)
১২২৮
وَحَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ
الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ ح قَالَ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي أَزْهَرُ، جَمِيعًا عَنِ
ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ وَرَّادٍ، كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ بْنِ
شُعْبَةَ قَالَ كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمُغِيرَةِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ
مَنْصُورٍ وَالأَعْمَشِ .
মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) - এর কাতিব (সেক্রেটারী)
ওয়ার্রাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, (আমীর)
মু’আবিয়াহ্ মুগীরাহ্ - এর কাছে লিখেছিলেন। ... এরপর তিনি মানসূর ও আ’মাশ বর্ণিত
হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (ই.ফা.১২১৭, ই.সে.১২২৯)
১২২৯
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ أَبِي لُبَابَةَ، وَعَبْدُ
الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، سَمِعَا وَرَّادًا، كَاتِبَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ
يَقُولُ كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمُغِيرَةِ اكْتُبْ إِلَىَّ بِشَىْءٍ
سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا قَضَى الصَّلاَةَ
" لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا
أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ
الْجَدُّ " .
‘আব্দাহ্ ইবনু আবূ লুবাবাহ্ ও ‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমায়র
(উভয়ে) মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) - এর কাতিব (সেক্রেটারী) ওয়ার্রাদ থেকে
বর্ণিতঃ
(আমীর) মু’আবিয়াহ্
মুগীরাহ্ ইবনু শুবাহ্-এর কাছে পত্র লিখলেনঃ তুমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে শুনেছ এমন কিছু লিখে পাঠাও। ওয়ার্রাদ বর্ণনা করেনঃ
এ পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে মুগীরাহ্ ইবনু শুবাহ্ তাকে লিখে জানালেন যে, আমি
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, তিনি সলাত শেষে
(এ দু’আটি) বলতেন, “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুল্ক
ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বদীর, আল্ল-হুম্মা লা- মা-নি’আ
লিমা- আ’ত্বয়তা ওয়ালা- মু’ত্বিয়া লিমা- মানা’তা ওয়ালা- ইয়ান্ফা’উ যাল জাদ্দি
মিনকাল জাদ্দ” (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক ও শারীকবিহীন।
সার্বভৌম ক্ষমতা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট। সব প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সবকিছুর ওপর
ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দিতে চাও তাতে বাধা দেয়ার শক্তি কারো নেই। আর যা
দিতে না চাও তার দেবার শক্তিও কারো নেই। আর কোন সম্পদশালীর সম্পদ তোমার নিকট থেকে
রক্ষা করতে পারে না।) (ই.ফা.১২১৮, ই.সে.১২৩০)
১২৩০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ،
قَالَ كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ حِينَ يُسَلِّمُ
" لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ
إِلاَّ بِاللَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ
النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ " .
وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهَلِّلُ بِهِنَّ دُبُرَ كُلِّ
صَلاَةٍ .
আবুয্ যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ ‘আবদুল্লাহ
ইবনু যুবায়র প্রত্যেক ওয়াক্ত সলাতে সালাম ফিরানোর পর বলতেনঃ “লা-ইলা-হা
ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকা লাহূ লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুওয়া
‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বদীর, লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি লা- ইলা-
হা ইল্লাল্ল-হু ওয়ালা- না’বুদু ইল্লা- ঈয়্যা-হু লাহুন্ নি’মাতু ওয়ালাহুল ফায্লু
ওয়ালাহুস্ সানা-উল হাসানু লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা ওয়ালাও
কারিহাল কা-ফিরূন” (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক ও
শারীকবিহীন। তিনিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সব প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি
সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন আশ্রয় এবং শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া
প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তাঁকে ছাড়া আর কারো ‘ইবাদাত করি না যদিও কাফিরদের তা পছন্দ
নয়।)
আর তিনি (ইবনুয্ যুবায়র) বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
প্রত্যেক ওয়াক্ত সলাতের পরে কথাগুলো বলে আল্লাহর প্রশংসা করতেন। (ই.ফা.১২১৯,
ই.সে.১২৩১)
১২৩১
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، مَوْلًى لَهُمْ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ،
كَانَ يُهَلِّلُ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ
وَقَالَ فِي آخِرِهِ ثُمَّ يَقُولُ ابْنُ الزُّبَيْرِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يُهَلِّلُ بِهِنَّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ .
‘উরওয়াহ্ তাদের আযাদকৃত দাস আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ
ইবনুয্ যুবায়র প্রত্যেক ওয়াক্ত সলাতের শেষে ইবনু নুমায়র - এর বর্ণিত হাদীসের
অনুরূপ তাহলীল (অর্থাৎ- “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই)
বলে আল্লাহর প্রশংসা করতেন। হাদীসটির শেষে তিনি এভাবে বলেছেন, অতঃপর ‘আবদুল্লাহ
ইবনুয্ যুবায়র বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাগুলো
বলে প্রত্যেক ওয়াক্ত সলাতের পর তাহলীল বা আল্লাহর প্রশংসা করতেন। (ই.ফা.১২২০,
ই.সে.১২৩২)
১২৩২
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي
عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ
الزُّبَيْرِ، يَخْطُبُ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا سَلَّمَ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ أَوِ
الصَّلَوَاتِ . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ .
আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি
‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়রকে এ মিম্বারে দাঁড়িয়ে এই বলে খুত্বাহ্ দিতে শুনেছি
যে, সলাতের শেষে সালাম ফিরিয়ে রসূলুল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলতেন...। অতঃপর তিনি হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ বর্ণিত হাদীসটির অনুরূপ হাদীস বর্ণনা
করলেন। (ই.ফা.১২২১, ই.সে.১২৩৩)
১২৩৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ
الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ
الْمَكِّيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَهُوَ
يَقُولُ فِي إِثْرِ الصَّلاَةِ إِذَا سَلَّمَ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا وَقَالَ
فِي آخِرِهِ وَكَانَ يَذْكُرُ ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবুয্ যুবায়র আল মাক্কী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু
যুবায়র (রাঃ) - কে প্রতি ওয়াক্ত সলামে ফিরানোর পর বলতে শুনেছেন - হিশাম ও হাজ্জাজ
বর্ণিত পূর্বের হাদীসে উল্লেখিত দু’আর অনুরূপ দু’আ করতেন। অবশ্য এ হাদীসের শেষে
তিনি এ কথা বলেছেনঃ বিষয়টি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করতেন। (ই.ফা.১২২২, ই.সে.১২৩৪)
১২৩৪
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ
التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح قَالَ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ،
كِلاَهُمَا عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - وَهَذَا
حَدِيثُ قُتَيْبَةَ أَنَّ فُقَرَاءَ، الْمُهَاجِرِينَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَقَالُوا ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالدَّرَجَاتِ الْعُلَى
وَالنَّعِيمِ الْمُقِيمِ . فَقَالَ " وَمَا ذَاكَ " . قَالُوا
يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَيَتَصَدَّقُونَ وَلاَ
نَتَصَدَّقُ وَيُعْتِقُونَ وَلاَ نُعْتِقُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " أَفَلاَ أُعَلِّمُكُمْ شَيْئًا تُدْرِكُونَ بِهِ مَنْ
سَبَقَكُمْ وَتَسْبِقُونَ بِهِ مَنْ بَعْدَكُمْ وَلاَ يَكُونُ أَحَدٌ أَفْضَلَ
مِنْكُمْ إِلاَّ مَنْ صَنَعَ مِثْلَ مَا صَنَعْتُمْ " . قَالُوا بَلَى
يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " تُسَبِّحُونَ وَتُكَبِّرُونَ
وَتَحْمَدُونَ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ مَرَّةً " .
قَالَ أَبُو صَالِحٍ فَرَجَعَ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا سَمِعَ إِخْوَانُنَا أَهْلُ الأَمْوَالِ بِمَا
فَعَلْنَا فَفَعَلُوا مِثْلَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ " . وَزَادَ
غَيْرُ قُتَيْبَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ اللَّيْثِ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ
قَالَ سُمَىٌّ فَحَدَّثْتُ بَعْضَ أَهْلِي هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ وَهِمْتَ
إِنَّمَا قَالَ " تُسَبِّحُ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدُ
اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرُ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ
" . فَرَجَعْتُ إِلَى أَبِي صَالِحٍ فَقُلْتُ لَهُ ذَلِكَ فَأَخَذَ
بِيَدِي فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ
وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ حَتَّى تَبْلُغَ مِنْ
جَمِيعِهِنَّ ثَلاَثَةً وَثَلاَثِينَ . قَالَ ابْنُ عَجْلاَنَ فَحَدَّثْتُ
بِهَذَا الْحَدِيثِ رَجَاءَ بْنَ حَيْوَةَ فَحَدَّثَنِي بِمِثْلِهِ عَنْ أَبِي
صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কুতায়বাহ্ও
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেনঃ একদিন গরীব মুহাজিরগণ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে গিয়ে বললেন, সম্পদশালী
লোকেরা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী নি’আমাতসমূহ লুটে নিচ্ছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কিভাবে? তারা বললেনঃ আমরা সলাত আদায় করি তারাও সলাত
আদায় করে। আমরা সিয়াম পালন করি তারাও সিয়াম পালন করে। কিন্তু তারা দান করে আমরা
দান করতে পারি না। আর তারা দাস মুক্ত করে আমরা দাস মুক্ত করতে পারি না। এ কথা শুনে
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু
শিখিয়ে দিব যা করলে তোমরা তোমাদের চেয়ে অগ্রসর লোকদের সমকক্ষ হতে পারবে? আর যারা
তোমাদের পিছনে পড়ে আছে তাদের পিছনে রেখে এগিয়ে যেতে পারবে? আর তোমাদের মতো কাজ না
করে কেউ তোমাদের মতো উত্তম হতে পারবে না। তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! তা অবশ্যই
বলবেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ প্রত্যেক সলাতের
পর তোমরা তেত্রিশবার করে তাসবীহ (সুবহানা-ল্ল-হ) , তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) ও
তাহমীদ (আলহাম্দু লিল্লা-হ) বলবে। আবূ সালিহ বর্ণনা করেছেন এরপর গরীব মুহাজিরগণ
পুনরায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে এসে বললেনঃ আমরা
যা করেছি আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা তা জেনে ফেলেছে। সুতরাং এখন তারাও এ কাজ করতে
শুরু করেছে। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ
তো আল্লাহর মেহেরবানী। যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। কুতায়বাহ্ ছাড়া এ হাদীসটি
লায়স ও ইবনু আজলান - এর মাধ্যমে সুমাই থেকে বর্ণনা করেছেন তারা এতে এতটুকু কথা
অধিক বলেছেন যে, সুমাই (হাদীসটির এক পর্যায়ের বর্ণনাকারী) বলেছনঃ আমি ভুলে গিয়েছি
হাদীসটি বরং এভাবে বলা হয়েছেঃ তেত্রিশবার তাসবীহ বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার হাম্দ
করবে আর তেত্রিশবার তাকবীর বলবে। সুতরাং (এ কথা শুনে) আমি আবূ সালিহ্-এর কাছে
গিয়ে এ বিষয়টি বললে, তিনি আমার হাত ধরে বললেনঃ বরং তুমি বলবে- “আল্ল-হু আকবার ওয়া
সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হাম্দুলিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল
হামদুলিল্লা-হ” (অর্থাৎ- আল্লাহ মহান। তিনি পবিত্র, সব প্রশংসা তাঁর। আল্লাহ মহান।
তিনি পবিত্র, সব প্রশংসা তাঁর।) এভাবে সবগুলো মোট তেত্রিশবার বলবে। ইবনু ‘আজলান
বলেছেনঃ আমি রাজা ইবনু হাওাহ্-এর কাছে হাদীসটি বর্ণনা করলে তিনিও আমাকে আবূ সালিহ
ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) - এর মাধ্যমে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করে শোনালেন। (ই.ফা.১২২৩, ই.সে.১২৩৫)
১২৩৫
وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ
الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ
سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ
بِالدَّرَجَاتِ الْعُلَى وَالنَّعِيمِ الْمُقِيمِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ قُتَيْبَةَ
عَنِ اللَّيْثِ إِلاَّ أَنَّهُ أَدْرَجَ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ قَوْلَ
أَبِي صَالِحٍ ثُمَّ رَجَعَ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ . إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ
وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ يَقُولُ سُهَيْلٌ إِحْدَى عَشْرَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ
فَجَمِيعُ ذَلِكَ كُلِّهُ ثَلاَثَةٌ وَثَلاَثُونَ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন গরীব
মুহাজিররা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে
আল্লাহর রসূল! সম্পদশালী লোকেরা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী নি’আমাতসমূহ লুটে নিচ্ছে।
অর্থাৎ - এভাবে তিনি লায়স থেকে কুতায়বাহ্ বর্ণিত হাদীসটির অনুরূপ হাদীস বর্ণনা
করলেন। তবে তিনি আবূ হুরায়রা বর্ণিত হাদীসে আবূ সালিহ বর্ণিত হাদীসের “অতঃপর গরীব
মুহাজিররা ফিরে আসলো” কথাটা শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন? আর হাদীসটির মধ্যে তিনি
এতটুকু কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, সুহায়ল বলেন, এগারবার করে সবগুলো মিলিয়ে
মোট তেত্রিশবার পড়তে হবে। (ই.ফা.১২২৪, ই.সে.১২৩৬)
১২৩৬
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عِيسَى،
أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، قَالَ
سَمِعْتُ الْحَكَمَ بْنَ عُتَيْبَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مُعَقِّبَاتٌ لاَ يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ - أَوْ فَاعِلُهُنَّ
- دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ تَسْبِيحَةً وَثَلاَثٌ
وَثَلاَثُونَ تَحْمِيدَةً وَأَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ تَكْبِيرَةً " .
কা’ব ইবনু ‘উজ্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক ফরয সলাতের পরে কিছু দু’আ
আছে, যে ব্যক্তি ঐগুলো পড়ে বা কাজে লাগায় কখনো নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তা
হলোঃ তেত্রিশবার তাসবীহ (আলহাম্দু লিল্লা-হ) পড়া, তেত্রিশবার তাহমীদ (সুবহা-নাল্ল-হ)
পাঠ করা এবং চৌত্রিশবার তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) পাঠ করা। (ই.ফা.১২২৫, ই.সে.১২৩৭)
১২৩৭
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ
الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ،
عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ
عُجْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مُعَقِّبَاتٌ
لاَ يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ - أَوْ فَاعِلُهُنَّ - ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ تَسْبِيحَةً
وَثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ تَحْمِيدَةً وَأَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ تَكْبِيرَةً فِي
دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ " .
কা’ব ইবনু ‘উজ্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিছু দু’আ আছে প্রত্যেক ফরযসলাতের পরে যে ব্যক্তি
ঐগুলো পড়ে বা ‘আমাল করে সে কখনও নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। দু’আগুলো হলোঃ
তেত্রিশবার তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ, অর্থাৎ- আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করা) পড়া,
তেত্রিশবার তাহমীদ (আলহাম্দুলিল্লা-হ, অর্থাৎ- আল্লহর প্রশংসা করা) পড়া এবং
চৌত্রিশবার তাকবীর (আল্ল-হু আকবার, অর্থাৎ- আল্লহর মহত্ব বর্ণনা করা) পড়া।
(ই.ফা.১২২৬, ই.সে.১২৩৮)
১২৩৮
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا
أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ
الْحَكَمِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
হাকাম থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে অনুরুপ হাদীস
বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.১২২৭, ই.সে.১২৩৯)
১২৩৯
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ
الْوَاسِطِيُّ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ
أَبِي عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيِّ، - قَالَ مُسْلِمٌ أَبُو عُبَيْدٍ مَوْلَى
سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
سَبَّحَ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَحَمِدَ اللَّهَ
ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبَّرَ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَتِلْكَ تِسْعَةٌ
وَتِسْعُونَ وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ
شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত সলাতের
শেষে তেত্রিশবার আল্লহর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহর
তামহীদ বা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবীর বা আল্লহর মহত্ব বর্ণনা
করবে আর এভাবে নিরানব্বই বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে-“লা- ইলা-হা
ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুওয়া
‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বদীর” (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক
ও তাঁর কোন অংশীদার নেই। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সম প্রশংসা
তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম-তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো
অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে সেয়া হয়।) (ই.ফা.১২২৮, ই.সে.১২৪০)
১২৪০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ،
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ،
عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এরপর উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ
হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.১২২৯, ই.সে.১২৪০)
২৭. অধ্যায়ঃ
তাকবীরে তাহ্রীমা ও ক্বিরাআতের মধ্যে কি পাঠ
করবে
১২৪১
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَبَّرَ فِي
الصَّلاَةِ سَكَتَ هُنَيَّةً قَبْلَ أَنْ يَقْرَأَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ
بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَرَأَيْتَ سُكُوتَكَ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ
مَا تَقُولُ قَالَ " أَقُولُ اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ
خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اللَّهُمَّ نَقِّنِي
مِنْ خَطَايَاىَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ اللَّهُمَّ
اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَاىَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ "
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শুরু করলে তাকবীরে তাহরীমা বলে ক্বিরাআত
শুরু করার আগে কিছুক্ষণ চুপ থাকতেন। এ দেখে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল!
আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আপনি সলাতের তাকবীরে তাহরীমা ও ক্বিরাআতের
মাঝে যখন চুপ থাকেন তখন কি পড়েন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেন, আমি তখন বলিঃ “আল্ল-হুম্মা বা-‘ইদ বায়নী ওয়াবায়না খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা-
বা-আদতা বায়নাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব, আল্লা-হুম্মা নাক্কিনী মিন খত্বা-ইয়া-ইয়া
কামা-ইউনাক্কাস্ সাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ্ দানাস, আল্ল-হুম্মাগ সিল্নী মিন
খত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্সাল্জি ওয়াল মা-য়ি ওয়াল মা-য়ি ওয়াল বারাদ” (অর্থাৎ- হে
আল্লাহ! আমার ও আমার পাপের মাঝে এতটা দূরত্ব সৃষ্টি করে দাও পশ্চিম ও পূর্বের
মধ্যে তুমি যে পরিমাণ দূরত্ব রেখেছ। হে আল্লাহ! আমাকে আমার পাপ থেকে এমনভাবে
পরিষ্কার করে দাও যেমনভাবে সাদা কাপড় থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! তুমি
আমার পাপসমূহ বরফ, পানি ও তুষারের শুভ্রতা দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও।
(ই.ফা.১২৩০, ই.সে.১২৪২)
১২৪২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو
كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - كِلاَهُمَا
عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ جَرِيرٍ
‘উমরাহ্ ইবনু ক্বা’ক্বা’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে জারীর কর্তৃক
বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.১২৩১, ই.সে.১২৪৩)
১২৪৩
قَالَ مُسْلِمٌ وَحُدِّثْتُ عَنْ يَحْيَى بْنِ
حَسَّانَ، وَيُونُسَ الْمُؤَدِّبِ، و غَيْرِهِمَا قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ،
حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ
اسْتَفْتَحَ الْقِرَاءَةَ بِـ { الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ}
وَلَمْ يَسْكُتْ .
ইমাম মুসলিম থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাস্সান
এবং ইউনুস আল মুআদ্দিব ও অন্যান্য ‘আবদুল ওয়াহিদ ইবনু যিয়াদ ও উমারাহ্ ইবনু
ক্বা’ক্বা’ - এর মাধ্যমে আবূ যুর’আহ্ থেকে আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে। আবূ
যুর’আহ্ বলেছেন, আমি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) - কে বলতে শুনেছিঃ সলাতে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বিতীয় রাক’আত শেষে উঠে দাঁড়িয়ে “আল হাম্দুলিল্লা-হি
রাব্বিল ‘আ-লামীন” বলে শুরু করতেন। চুপ থাকতেন না (অর্থাৎ- দ্বিতীয় রা’আত থেকে উঠা
এবং সূরাহ্ ফা-তিহাহ্ পাঠের মাঝখানে কোন বিরতি থাকত না)। (ই.ফা.১২৩১, ই.সে.১২৪৪)
১২৪৪
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، وَثَابِتٌ، وَحُمَيْدٌ،
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ فَدَخَلَ الصَّفَّ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ
فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ .
فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ "
أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ " . فَأَرَمَّ الْقَوْمُ
فَقَالَ " أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا
" . فَقَالَ رَجُلٌ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا .
فَقَالَ " لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا
أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا " .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি
এসে সলাতের ক্বাতারে ঢুকে পড়ল। তখন সে হাঁপাতে ছিল। এ অবস্থায় সে বলে উঠল- “আল
হাম্দুলিল্লা-হি হামদান্ কাসীরান ত্বইয়্যিবাম্ মুবা-রকান ফীহ” (অর্থাৎ- সব
প্রশংসাই মহান আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। তাঁর অনেক অনেক প্রশংসা যা পবিত্র
কল্যাণময়।) সলাত শেষ করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস
করলেনঃ কথাগুলো কে বলেছ? তখন সবাই চুপ করে রইল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ ঐ
কথাগুলো যে বলেছে সে তো কোন খারাপ কথা বলেনি। তখন জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলঃ আমি এসে
যখন সলাতে শরীক হই তখন আমি হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই আমি এ কথাগুলো বলেছি। এ কথা শুনে
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি দেখলাম, বারোজন
মালায়িকাহ্ ঐ কথাগুলোকে আগে উঠিয়ে নেয়ার জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতা করছে।
(ই.ফা.১২৩২, ই.সে.১২৪৫)
১২৪৫
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنِي الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم إِذْ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً .
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ الْقَائِلُ كَلِمَةَ
كَذَا وَكَذَا " . قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا يَا رَسُولَ
اللَّهِ . قَالَ " عَجِبْتُ لَهَا فُتِحَتْ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ
" . قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সলাত আদায় করেছিলাম। এমন সময়
এক ব্যক্তি বলে উঠলঃ “আল্ল-হু আকবার কাবীরা-ওয়াল হাম্দুলিল্লা-হ কাসীরা-ওয়া
সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতান্ ওয়া আসীলা-” (অর্থাৎ- আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, বড়। সব
প্রশংসা আল্লাহর। আর সকাল ও সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা বর্ণনা করতে হবে।) (সলাত শেষে)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এ কথাগুলো কে বলল?
সবার মধ্যে থেকে জনৈক ব্যক্তি বল্লঃ হে আল্লাহর রসূল আমি ঐ কথাগুলো বলেছি। তখন
রসূল্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কথাগুলো আমার কাছে
বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ কথাগুলোর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল।
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে এ কথাগুলো বলতে শোনার পর থেকে তাঁর ওপর ‘আমাল করা কখনো ছাড়িনি।
(ই.ফা.১২৩৩, ই.সে.১২৪৫)
২৮. অধ্যায়ঃ
সলাতে ধীরে-সুস্থে আসা উত্তম এবং দৌঁড়িয়ে আসা
নিষেধ
১২৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ
عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ،
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، - يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
سَعِيدٍ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم ح قَالَ وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ -
أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ،
قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا
أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ
وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ
فَأَتِمُّوا " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বলতে শুনেছি, সলাত শুরু হয়ে গেলে তোমরা
তাতে শারীক হওয়ার জন্য দৌড়াবে না বা তাড়াহুড়া করবে না। বরং ধীরস্থিরভাবে হেঁটে
হেঁটে যাও। তোমাদেরকে গাম্ভীর্য বজায় রাখতে হবে। এভাবে ইমামের সাথে সলাতের যে অংশ
পাবে তাই আদায় করবে। আর যা পাবে না তা পূর্ণ করে নিবে।[১] (ই.ফা.১২৩৪, ই.সে.১২৪৬)
[১] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, হাদীসে উল্লেখিত “আর
যতটুকু পাবে না তা পূরন করে নিবে” | এর সমব্যাখ্যায় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী জমহুর উলামা
বলেন ,মাসবূক বা পিছনে পড়া ব্যাক্তি ইমামের সাথে যতটুকু পেল তা তার জন্য প্রথম হবে
ছুটে যাওয়াটুকু যা সে সালাম ফিরানোর পর পড়ে নিবে তা তার জন্য পরের অংশ হবে |
১২৪৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ،
وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، -
قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِذَا ثُوِّبَ لِلصَّلاَةِ فَلاَ تَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ
وَأْتُوهَا وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا
فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلاَةِ
فَهُوَ فِي صَلاَةٍ " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতের জন্য ইক্বামত দেয়া হয়ে গেলে
তোমরা দৌড়াদৌড়ি বা তাড়াহুড়া করে সলাতে এসো না। বরং প্রশান্তিসহ গাম্ভীর্য রেখে
সলাতে শারীক হও। অতঃপর ইমামের সাথে যতটা সলাত পাও তা আদায় করো। আর যতটা না পাবে তা
পূরণ করে নাও। কেননা তোমাদের মধ্যে কেউ যখন সলাত আদায়ের সঙ্কল্প করে তখন সে সলাতরত
থাকে বলেই গণ্য হয়। (ই.ফা ১২৩৫, ই.সে. ১২৪৭)
১২৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ
هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِذَا نُودِيَ بِالصَّلاَةِ فَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَمْشُونَ وَعَلَيْكُمُ
السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا "
.
হাম্মাদ ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ
হুরায়রাহ্ (রাঃ) আমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে
কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে একটি হাদীস তিনি এ বলেন বর্ণনা করলেন যে,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন সলাতের জন্য আহবান করা
(আযান দেয়া) হয় তখন তোমরা স্বাভাবিকভাবে হেঁটে গিয়ে সলাতে শারীক হও। এ সময় তোমাদের
উচিত প্রশান্তভাব ও গাম্ভীর্য বজায় রাখা। এভাবে যতটুকু জামা’আতের সাথে পাবে আদায়
করবে। আর যতটুকু পাবে না তা পূরণ করে নিবে। (ই.ফা. ১২৩৬ ই.সে. ১২৪৮)
১২৪৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ، - يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ - عَنْ هِشَامٍ، ح قَالَ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلاَةِ فَلاَ يَسْعَ إِلَيْهَا أَحَدُكُمْ وَلَكِنْ
لِيَمْشِ وَعَلَيْهِ السَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ صَلِّ مَا أَدْرَكْتَ وَاقْضِ مَا
سَبَقَكَ " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতের জন্য ইক্বামত দেয়া হয়ে গেলে
তোমাদের কেউ যেন দৌড়িয়ে না যায়। বরং প্রশান্তভাবে গাম্ভীর্য বজায় রেখে হেঁটে হেঁটে
যেন যায়। জামা’আতে বা ইমামের সাথে যতটুকু পাবে আদায় করবে। আর যা না পাবে তা পূরণ
করে নিবে। (ই.ফা. ১২৩৭ ই.সে. ১২৪৯)
১২৫০
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ الصُّورِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ
بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ نُصَلِّي مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ جَلَبَةً . فَقَالَ " مَا
شَأْنُكُمْ " . قَالُوا اسْتَعْجَلْنَا إِلَى الصَّلاَةِ . قَالَ
" فَلاَ تَفْعَلُوا إِذَا أَتَيْتُمُ الصَّلاَةَ فَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ
فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا سَبَقَكُمْ فَأَتِمُّوا " .
ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সময়ে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সাথে সলাত আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে তিনি শোরগোল ও কোলাহল শুনতে পেয়ে (সলাত শেষে) বললেনঃ কি ব্যাপার! তোমরা এরূপ করলে কেন? সবাই বলল, আমরা সলাতের জন্য তাড়াহুড়া করে আসছিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, এরূপ করবে না। বরং তোমরা সলাতে আসার সময় শান্তভাবে আসবে এভাবে জামা’আতে সলাতের যে অংশ পাবে তা আদায় করে নিবে আর যে অংশ পাবে না তা পরে পূর্ণ করে নিবে। (ই.ফা. ১২৩৮ ই.সে. ১২৫০)
No comments