সহিহ মুসলিম অধ্যায় "দুই ঈদের সালাত" হাদিস নং -১৯২৮ থেকে ১৯৫৪
১. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের
দিনে নারীদের ঈদগাহে যাওয়া এবং পুরুষদের থেকে পৃথক থেকে খুত্বায় শারীক হওয়ার
বৈধতা প্রসঙ্গে
১৯২৯
وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ
الرَّزَّاقِ، - قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا
ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ،
عَبَّاسٍ قَالَ شَهِدْتُ صَلاَةَ الْفِطْرِ مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَكُلُّهُمْ يُصَلِّيهَا قَبْلَ
الْخُطْبَةِ ثُمَّ يَخْطُبُ قَالَ فَنَزَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حِينَ يُجَلِّسُ الرِّجَالَ بِيَدِهِ ثُمَّ أَقْبَلَ
يَشُقُّهُمْ حَتَّى جَاءَ النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَقَالَ { يَا أَيُّهَا
النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ
بِاللَّهِ شَيْئًا} فَتَلاَ هَذِهِ الآيَةَ حَتَّى فَرَغَ مِنْهَا ثُمَّ قَالَ
حِينَ فَرَغَ مِنْهَا " أَنْتُنَّ عَلَى ذَلِكِ " فَقَالَتِ
امْرَأَةٌ وَاحِدَةٌ لَمْ يُجِبْهُ غَيْرُهَا مِنْهُنَّ نَعَمْ يَا نَبِيَّ
اللَّهِ لاَ يُدْرَى حِينَئِذٍ مَنْ هِيَ قَالَ " فَتَصَدَّقْنَ "
. فَبَسَطَ بِلاَلٌ ثَوْبَهُ ثُمَّ قَالَ هَلُمَّ فِدًى لَكُنَّ أَبِي وَأُمِّي
. فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ الْفَتَخَ وَالْخَوَاتِمَ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এবং আবূ
বাক্র, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ)-এর সাথে ঈদুল ফিত্বরের সলাতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁরা
সবাই খুত্বার আগে সলাত আদায় করেছেন এবং পরে খুত্বাহ পাঠ করেছেন। তিনি বলেন, এরপর
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মিম্বার থেকে) অবতরণ করলেন। যখন তিনি হাত
দিয়ে ইঙ্গিত করে লোকদের বসিয়ে দিচ্ছিলেন, তা যেন আমি দেখতে পাচ্ছি। অতঃপর তিনি
লোকদের মধ্য দিয়ে সামনে অগ্রসর হয়ে মহিলাদের নিকট আসলেন। এ সময় তাঁর সাথে বিলাল
(রাঃ) ছিলেন। এরপর তিনি এ আয়াতটুকু পাঠ করলেন: (আরবী) “হে নাবী! ঈমানদার মহিলারা
আপনার নিকট আসে, তখন তারা এ কথার ওপর বাইয়াত করবে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন
কিছুকে অংশীদার করবে না”- (সূরাহ্ আল মুম্তাহিনাহ্ ৬০:১২)। এ আয়াত পাঠ সমাপ্ত
করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ তোমরা কি
এ কথার ওপর অটল আছ? তখন মাত্র একজন মহিলাই উত্তর করল, হ্যাঁ। হে আল্লাহর নাবী! সে
ব্যতীত তাদের মধ্যে থেকে আর কেউ প্রতি উত্তর করেননি। অবশ্যই মহিলাটি কে তখন তা
জানা যায়নি। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তারা সদাক্বাহ করতে লাগল আর বিলাল (রাঃ) তাঁর
কাপড় বিছিয়ে দিলেন অতঃপর বললেন, তোমাদের প্রতি আমার মা-বাপ কুরবান হোক! এগিয়ে আসো।
তখন মহিলারা তাদের ছোট-বড় আংটিসমূহ বিলালের কাপড়ের উপর ফেলতে লাগল। (ই.ফা. ১৯১৪,
ই.সে. ১৯২১)
১৯৩০
وَحَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، قَالَ سَمِعْتُ
عَطَاءً، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم لَصَلَّى قَبْلَ الْخُطْبَةِ - قَالَ - ثُمَّ خَطَبَ فَرَأَى
أَنَّهُ لَمْ يُسْمِعِ النِّسَاءَ فَأَتَاهُنَّ فَذَكَّرَهُنَّ وَوَعَظَهُنَّ
وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ وَبِلاَلٌ قَائِلٌ بِثَوْبِهِ فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ
تُلْقِي الْخَاتَمَ وَالْخُرْصَ وَالشَّىْءَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের সলাত
খুত্বার পূর্বেই আদায় করেছেন। সলাতের পর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
খুত্বাহ্ দিয়েছেন। তাই তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের কাছে
এসে তাদেরকে বুঝালেন ও উপদেশ দিলেন এবং তাদেরকে দান সদাক্বার জন্যে আদেশ করলেন।
বিলাল (রাঃ) তাঁর কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মহিলাগণ নিজ নিজ আংটি, বালা অন্যান্য
জিনিস এতে ঢেলে দিতে লাগল। (ই.ফা. ১৯১৫, ই.সে. ১৯২২)
১৯৩১
وَحَدَّثَنِيهِ
أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ
الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ
أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ
আবুর রাবী’ আয্
যাহরানী, ইয়া‘কুব আদ্ দাওরাক্বী (রহঃ) ..... উভয়েই আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৯১৬, ই.সে. ১৯২৩)
১৯৩২
وَحَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ،
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم قَامَ يَوْمَ الْفِطْرِ فَصَلَّى فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ
الْخُطْبَةِ ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم نَزَلَ وَأَتَى النِّسَاءَ فَذَكَّرَهُنَّ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى يَدِ
بِلاَلٍ وَبِلاَلٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ يُلْقِينَ النِّسَاءُ صَدَقَةً . قُلْتُ
لِعَطَاءٍ زَكَاةَ يَوْمِ الْفِطْرِ قَالَ لاَ وَلَكِنْ صَدَقَةً يَتَصَدَّقْنَ
بِهَا حِينَئِذٍ تُلْقِي الْمَرْأَةُ فَتَخَهَا وَيُلْقِينَ وَيُلْقِينَ .
قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَحَقًّا عَلَى الإِمَامِ الآنَ أَنْ يَأْتِيَ النِّسَاءَ حِينَ
يَفْرُغُ فَيُذَكِّرَهُنَّ قَالَ إِي لَعَمْرِي إِنَّ ذَلِكَ لَحَقٌّ عَلَيْهِمْ
وَمَا لَهُمْ لاَ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ.
আত্বা (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আমি জাবির
ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
ঈদুল ফিত্বরের দিন দাঁড়ালেন, অতঃপর সলাত আদায় করলেন। তিনি খুত্বাহ্ দেয়ার আগে
প্রথমে সলাত আদায় করেছেন, পরে জনতার উদ্দেশে খুত্বাহ্ দিয়েছেন। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্বাহ্ শেষ করে মহিলাদের কাছে এসে উপদেশ
দিলেন। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলালের হাতে ভর দিয়ে
দাঁড়িয়েছিলেন এবং বিলাল তাঁর কাপড় প্রসারিত করে রেখেছিলেন। মহিলারা এতে দান বস্তু
ফেলছিল। আমি (ইবনু জুরায়জ) ‘আত্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, তা কি ঈদুল ফিত্বরের যাকাত
(সদাক্বায়ে ফিতর)? ‘আত্বা বললেন, না বরং তা সাধারণ সদাক্বাই ছিল। মহিলারা তাদের
মূল্যবান আংটি (দানপাত্রে) ফেলছিল এবং সম্ভব সবকিছু বিলিয়ে দিচ্ছিল।
আমি ‘আত্বা (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, বর্তমানে কি ইমামের জন্য খুত্বাহ্ সমাপ্ত
করার পর মহিলাদের কাছে এসে তাদেরকে উপদেশ শুনানোর বিধি সম্মত? ‘আত্বা বললেন,
হ্যাঁ। আমার জীবনের রবের শপথ! এটা ইমামদের ওপর অবশ্য কর্তব্য। তাদের এ কাজ না করার
কি কারণ থাকতে পারে? (ই.ফা. ১৯১৭, ই.সে. ১৯২৪)
১৯৩৩
وَحَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ
يَوْمَ الْعِيدِ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ
إِقَامَةٍ ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلاَلٍ فَأَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ
وَحَثَّ عَلَى طَاعَتِهِ وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ ثُمَّ مَضَى حَتَّى
أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ
أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ فَقَامَتْ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ
سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ فَقَالَتْ لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لِأَنَّكُنَّ
تُكْثِرْنَ الشَّكَاةَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ قَالَ فَجَعَلْنَ يَتَصَدَّقْنَ
مِنْ حُلِيِّهِنَّ يُلْقِينَ فِي ثَوْبِ بِلَالٍ مِنْ أَقْرِطَتِهِنَّ
وَخَوَاتِمِهِنَّ
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ঈদের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি খুত্বার আগে প্রথমে সলাত আদায় করলেন-আযান ইক্বামাত
ছাড়া। অতঃপর তিনি বিলালের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন এবং “আল্লাহ ভীতি” অর্জন করার আদেশ
করলেন ও তাঁর আনুগত্য করার জন্য অনুপ্রাণিত করলেন। তিনি সমবেত জনতাকে উপদেশ দিলেন।
তারপর বললেন, তোমরা সদাক্বাহ্ কর। কেননা তোমাদের বেশীর ভাগ মহিলাই জাহান্নামের জ্বালানী
হবে। (এ কথা শুনে) মহিলাদের মধ্যে থেকে উভয় গালে কালো দাগ বিশিষ্ট একটি মেয়েলোক
দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, কেন আল্লাহর রসূল? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেন, কেননা তোমরা বেশী অজুহাত ও অভিযোগ পেশ করে থাক এবং স্বামীর
অবাধ্যচরণ করে থাক। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর মহিলাগণ তাদের অলঙ্কারাদি দান করতে শুরু
করল। তারা তাদের কানের ঝুমকা, রিং এবং আংটিসমূহ বিলালের কাপড়ে ফেলতে লাগল। (ই.ফা.
১৯১৮, ই.সে. ১৯২৫)
১৯৩৪
وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ
جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالاَ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَلاَ
يَوْمَ الأَضْحَى . ثُمَّ سَأَلْتُهُ بَعْدَ حِينٍ عَنْ ذَلِكَ فَأَخْبَرَنِي
قَالَ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ أن لا أذان للصلاة
يوم الفطر حين يخرج الإمام ولا بعد ما يخرج ولا إقامة ولا نداء ولا شيء لا نداء
يومئذ ولا إقامة
ইবনু ‘আব্বাস ও
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে বলেন, (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সময়) ঈদুল ফিত্বরের দিন এবং ঈদুল আযহার দিন (ঈদের জন্য) আযান দেয়া হত না। ইবনু
জুরায়জ বলেন, কিছু সময় পর আমি ‘আত্বাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বলেন,
আমাকে জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল আনসারী (রাঃ) জানিয়েছেন, ঈদুল ফিত্বরের দিন ঈদের
সলাতের জন্য আযানও নেই ইক্বামাতও নেই। কোন ডাক বা কোন প্রকার ধ্বনিও নেই। ঐ দিন
ঈদের জন্য কোন আযান ও ইক্বামাতের নিয়ম নেই। ইমাম (সলাতের উদ্দেশে) বের হওয়ার সময়
এবং বের হওয়ার পরেও আযানের কোন প্রয়োজন নেই। (ই.ফা. ১৯১৯, ই.সে. ১৯২৬)
১৯৩৫
وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ
جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ
الزُّبَيْرِ أَوَّلَ مَا بُويِعَ لَهُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ لِلصَّلاَةِ
يَوْمَ الْفِطْرِ فَلاَ تُؤَذِّنْ لَهَا - قَالَ - فَلَمْ يُؤَذِّنْ لَهَا ابْنُ
الزُّبَيْرِ يَوْمَهُ وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ إِنَّمَا الْخُطْبَةُ
بَعْدَ الصَّلاَةِ وَإِنَّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يُفْعَلُ - قَالَ - فَصَلَّى ابْنُ
الزُّبَيْرِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ .
আত্বা (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমাকে জানিয়েছেন যে, ইবনু যুবায়র-এর নিকট প্রথমে লোকেরা যখন বাইয়্যাত
নিচ্ছিল- ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁর কাছে এ সংবাদ পাঠালেন যে, ঈদুল ফিত্বরের দিন
ঈদের সলাতের জন্য আযান দেয়া হতো না। অতএব তুমি ঈদের সলাতের জন্য আযানের প্রচলন
করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ) তাঁর সময় আযানের প্রচলন করেননি।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এ কথাটুকু ইবনুয্ যুবায়র-এর নিকট বলে পাঠান যে, খুত্বাহ্
সলাতের পরে হবে, আর এ নিয়ম পালিত হয়ে আসছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতএব ইবনুয্ যুবায়র
(রাঃ) খুত্বার পূর্বে ঈদের সলাত সমাপন করেছেন। (ই.ফা. ১৯২০, ই.সে. ১৯২৭)
১৯৩৬
وَحَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ
الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ،
سَمُرَةَ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِيدَيْنِ
غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ .
জাবির ইবনু
সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একবার
দু’বার নয়, অনেক বার দু’ ঈদেরসলাত আযান ও ইক্বামাত ব্যতীত আদায় করেছি। (ই.ফা.
১৯২১, ই.সে. ১৯২৮)
১৯৩৭
وَحَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَأَبُو
أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانُوا يُصَلُّونَ
الْعِيدَيْنِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ .
আবদুল্লাহ ‘উমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার
(রাঃ) ঈদের সলাত খুত্বার আগে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৯২২, ই.সে. ১৯২৮)
১৯৩৮
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ فَيَبْدَأُ
بِالصَّلاَةِ فَإِذَا صَلَّى صَلاَتَهُ وَسَلَّمَ قَامَ فَأَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ
وَهُمْ جُلُوسٌ فِي مُصَلاَّهُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ حَاجَةٌ بِبَعْثٍ ذَكَرَهُ
لِلنَّاسِ أَوْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ بِغَيْرِ ذَلِكَ أَمَرَهُمْ بِهَا وَكَانَ
يَقُولُ " تَصَدَّقُوا تَصَدَّقُوا تَصَدَّقُوا " . وَكَانَ
أَكْثَرَ مَنْ يَتَصَدَّقُ النِّسَاءُ ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ
حَتَّى كَانَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَخَرَجْتُ مُخَاصِرًا مَرْوَانَ حَتَّى
أَتَيْنَا الْمُصَلَّى فَإِذَا كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ قَدْ بَنَى مِنْبَرًا مِنْ
طِينٍ وَلَبِنٍ فَإِذَا مَرْوَانُ يُنَازِعُنِي يَدَهُ كَأَنَّهُ يَجُرُّنِي
نَحْوَ الْمِنْبَرِ وَأَنَا أَجُرُّهُ نَحْوَ الصَّلاَةِ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ
مِنْهُ قُلْتُ أَيْنَ الاِبْتِدَاءُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ لاَ يَا أَبَا سَعِيدٍ
قَدْ تُرِكَ مَا تَعْلَمُ . قُلْتُ كَلاَّ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ
تَأْتُونَ بِخَيْرٍ مِمَّا أَعْلَمُ . ثَلاَثَ مِرَارٍ ثُمَّ انْصَرَفَ .
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল আযহা ও ঈদুল
ফিত্বরের দিন বের হতেন এবং প্রথমে সলাত আদায় করতেন। যখন সলাত সম্পন্ন করে সালাম
ফিরাতেন, লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন। তারা নিজ নিজ সলাতের স্থানে বসে থাকত।
তারপর যদি কোথাও সৈন্য পাঠানোর প্রয়োজন হতো, তবে তা লোকদের নিকট ব্যক্ত করতেন।
অথবা যদি অন্য কোন প্রয়োজন হতো তবে সে সম্পর্কে তাদেরকে নির্দেশ দিতেন এবং তিনি
বলতেন, তোমরা সদাক্বাহ্ কর, সদাক্বাহ্ কর। দানের সবচেয়ে অগ্রগামী ছিল মহিলাগণ।
অতঃপর তিনি ঘরে ফিরতেন। পরবর্তীকালে মারওয়ান যখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হল, তখন একবার
আমি তাঁর হাত ধরে চলতে চলতে ঈদগাহে এসে উপনীত হলাম। এসে দিখি কাসীর ইবনু সাল্ত
শক্ত মাটি ও ইট দিয়ে একটা মিম্বার তৈরি করে রেখেছে। মারওয়ান আমার থেকে এমনভাবে হাত
টেনে ছুটাচ্ছিল যেন আমাকে মিম্বারের দিকে টানা হেঁচড়া করছে আর আমি তাকে সলাতের
দিকে টানা হেঁচড়া করছি। যখন আমি তাঁর এ মনোভাব দেখলাম আমি জিজ্ঞেস করলাম, প্রথমে
সলাত আদায়ের নিয়ম কি হল? মারওয়ান বলল, না হে আবূ সা’ঈদ! তুমি যে নিয়ম সম্পর্কে
অবহিত তা রহিত হয়ে গেছে। আমি বললাম, কখনও না! সে সত্তার ক্বসম যার হাতে আমার
প্রাণ! আমি যে নিয়ম সম্পর্কে অবহিত এর চেয়ে উত্তম কিছু তোমরা কখনও করতে পারবে না।
এ কথা তিনি তিনবার উচ্চারণ করলেন। এরপর তিনি চলে আসলেন। (ই.ফা. ১৯২৩, ই.সে. ১৯৩০)
১৯৩৯
حَدَّثَنِي
أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ،
عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا - تَعْنِي النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم - أَنْ نُخْرِجَ فِي الْعِيدَيْنِ الْعَوَاتِقَ وَذَوَاتِ
الْخُدُورِ وَأَمَرَ الْحُيَّضَ أَنْ يَعْتَزِلْنَ مُصَلَّى الْمُسْلِمِينَ .
উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেছেন, আমরা
যেন পরিণত বয়স্কা মেয়েদেরকে ও পর্দানশীন মেয়ে লোকদেরকে ঈদের সলাতে যাওয়ার জন্য বলি
এবং তিনি ঋতুবতী নারীদেরকে আদেশ করেছেন তারা যেন মুসলিমদের সলাতের স্থান থেকে
কিছুটা পৃথক থাকে। (ই.ফা. ১৯২৪, ই.সে. ১৯৩১)
১৯৪০
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ،
عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ، سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ كُنَّا نُؤْمَرُ
بِالْخُرُوجِ فِي الْعِيدَيْنِ وَالْمُخَبَّأَةُ وَالْبِكْرُ قَالَتِ الْحُيَّضُ
يَخْرُجْنَ فَيَكُنَّ خَلْفَ النَّاسِ يُكَبِّرْنَ مَعَ النَّاسِ .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সময়) ঈদের মাঠে বের হওয়ার আদেশ করা হত এমনকি গৃহবাসিনী পর্দানশীন
মহিলা ও প্রাপ্তবয়স্কা কুমারীকেও অনুমতি দেয়া হতো। উম্মু ‘আতিয়্যাহ্ বলেন, ঋতুবতী
মহিলারাও বের হয়ে আসত এবং সব লোকের সাথে তাকবীর পাঠ করত। (ই.ফা. ১৯২৫, ই.সে. ১৯৩২)
১৯৪১
وَحَدَّثَنَا
عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ
حَفْصَةَ بِنْتِ، سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُخْرِجَهُنَّ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى
الْعَوَاتِقَ وَالْحُيَّضَ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ فَأَمَّا الْحُيَّضُ
فَيَعْتَزِلْنَ الصَّلاَةَ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ .
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِحْدَانَا لاَ يَكُونُ لَهَا جِلْبَابٌ قَالَ
" لِتُلْبِسْهَا أُخْتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا " .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আদেশ করেছেন। আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহাতে বের করে দেই- পরিণত
বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনী সবাইকে। তবে ঋতুবতী মহিলারা সলাত থেকে বিরত থাকবে। বাকী
পুণ্যের কাজে ও মুসলিমদের দু‘আয় শারীক হবে। আমি বললাম : হে আল্লাহর রসূল! আমাদের
কারো কারো চাদর ওড়না নেই। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
তার জন্য বোন তাকে নিজ চাদর বা ওড়না পরিয়ে দিবে। (ই.ফা. ১৯২৬, ই.সে. ১৯৩৩)
২. অধ্যায়ঃ
ঈদের
সলাতের পূর্বে ও পরে ঈদগাহে সুন্নাত সলাত আদায় না করা
১৯৪২
وَحَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمَ أَضْحَى أَوْ فِطْرٍ فَصَلَّى
رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ
وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تُلْقِي
خُرْصَهَا وَتُلْقِي سِخَابَهَا
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার ঈদুল আযহা ও
ঈদুল ফিত্বরের দিন বের হলেন এবং দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করলেন। এর পূর্বে ও পরে কোন
সলাত আদায় করেননি। অতঃপর তিনি মহিলাদের নিকট আসলেন। এ সময় তাঁর সাথে বিলাল (রাঃ)
ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সদাক্বাহ্ করতে
আদেশ করলেন। মহিলারা নিজ নিজ কানের রিং ও গলার হার বিলিয়ে দিতে লাগল। (ই.ফা. ১৯২৭,
ই.সে. ১৯৩৪)
১৯৪৩
وَحَدَّثَنِيهِ
عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ
بْنُ نَافِعٍ، وَمُحَمَّدُ، بْنُ بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ غُنْدَرٍ، كِلاَهُمَا
عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ
‘আম্র আন্
নাক্বিদ, আবূ বাক্র ইবনু নাফি’ ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) ..... তারা
শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৯২৮, ই.সে. ১৯৩৫)
৩. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের
সলাতে কোন্ সূরাহ পাঠ করবে
১৯৪৪
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ
الْمَازِنِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ، سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَضْحَى وَالْفِطْرِ فَقَالَ كَانَ يَقْرَأُ
فِيهِمَا بِـ { ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ} وَ { اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ
وَانْشَقَّ الْقَمَرُ}
উবায়দুল্লাহ ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) আবূ ওয়াক্বিদ আল লায়সী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস
করেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিত্বর ও আযহার সলাতে
কি ক্বিরাআত পাঠ করতেন? আবূ ওয়াক্বিদ (রাঃ) বললেন, তিনি এতে “ক্বাফ, ওয়াল কুরআ-নিল
মাজীদ” (সূরাহ ক্বাফ) এবং “ইক্বতারাবাতিস্ সা-‘আতু ওয়ান্ শাক্বক্বাল ক্বামার”
(সূরাহ্ ক্বামার) পাঠ করতেন। (ই.ফা. ১৯২৯, ই.সে. ১৯৩৬)
১৯৪৫
وَحَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا
فُلَيْحٌ، عَنْ ضَمْرَةَ، بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ سَأَلَنِي عُمَرُ بْنُ
الْخَطَّابِ عَمَّا قَرَأَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ
الْعِيدِ فَقُلْتُ بِـ { اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ} وَ { ق وَالْقُرْآنِ
الْمَجِيدِ}
আবূ ওয়াক্বিদ আল
লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিনে কোন্ সূরাহ্ পড়েছেন?
আমি উত্তরে বললাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “ইক্বতারাবাতিস্
সা-‘আতু” (সূরাহ্ ক্বামার) এবং “ক্বাফ, ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ” (সূরাহ ক্বাফ) পাঠ
করেছেন। (ই.ফা. ১৯৩০, ই.সে. ১৯৩৭)
৪. অধ্যায়ঃ
ঈদের
দিনগুলোতে আল্লাহর নাফরমানী হয় না এমন ক্রীড়া-কৌতুক করার অবকাশ প্রদান
১৯৪৬
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ أَبُو بَكْرٍ وَعِنْدِي
جَارِيَتَانِ مِنْ جَوَارِي الأَنْصَارِ تُغَنِّيَانِ بِمَا تَقَاوَلَتْ بِهِ
الأَنْصَارُ يَوْمَ بُعَاثٍ قَالَتْ وَلَيْسَتَا بِمُغَنِّيَتَيْنِ . فَقَالَ
أَبُو بَكْرٍ أَبِمُزْمُورِ الشَّيْطَانِ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم وَذَلِكَ فِي يَوْمِ عِيدٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا وَهَذَا عِيدُنَا
" .
আয়িশাহ্ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) আমার নিকট আসলেন। এ সময় আমার কাছে আনসার
সম্প্রদায়ের দু’টি মেয়ে গান গাচ্ছিল। আনসারগণ বু‘আস যুদ্ধের সময় এ গানটি গেয়েছিল।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তারা অবশ্য (পেশাগত) গায়িকা ছিল না। আবূ বাক্র (রাঃ) বললেন,
একি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আবূ বাক্র!
প্রত্যেক জাতির জন্য উৎসবের ব্যবস্থা আছে। আর এটা হচ্ছে আমাদের উৎসবের দিন। (ই.ফা.
১৯৩১, ই.সে. ১৯৩৮)
১৯৪৭
وَحَدَّثَنَاهُ
يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ
هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِيهِ جَارِيَتَانِ تَلْعَبَانِ بِدُفٍّ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু
ইয়াহ্ইয়া ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... উভয়ে হিশাম (রহঃ) একই সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে- দু’টি বালিকা দফ্
বাজিয়ে খেলা করছিল। (ই.ফা. ১৯৩২, ই.সে. ১৯৩৯)
১৯৪৮
حَدَّثَنِي
هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي
عَمْرٌو، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ
أَبَا بَكْرٍ، دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ فِي أَيَّامِ مِنًى
تُغَنِّيَانِ وَتَضْرِبَانِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسَجًّى
بِثَوْبِهِ فَانْتَهَرَهُمَا أَبُو بَكْرٍ فَكَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم عَنْهُ وَقَالَ " دَعْهُمَا يَا أَبَا بَكْرٍ فَإِنَّهَا أَيَّامُ
عِيدٍ " . وَقَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَسْتُرُنِي بِرِدَائِهِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ وَهُمْ يَلْعَبُونَ
وَأَنَا جَارِيَةٌ فَاقْدِرُوا قَدْرَ الْجَارِيَةِ الْعَرِبَةِ الْحَدِيثَةِ
السِّنِّ .
আয়িশাহ্ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বকর (রাঃ) আইয়্যামে তাশরীকের দিনে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে
দেখেন যে, তাঁর কাছে দুটি বালিকা গান করছে এবং দফ বাজাচ্ছে। আর রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাদর দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় ছিলেন। আবূ বকর
(রাঃ) এটা দেখে বালিকাদ্বয়কে খুব শাসালেন বা ধমক দিলেন। তখন রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে বলেন, হে আবূ
বাক্র! এদেরকে ছেড়ে দাও। এ দিনগুলো হলো ঈদের দিন! ‘আয়িশা (রাঃ) আরও বলেন, আমি
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর চাদর দ্বারা ঢেকে দিচ্ছেন, যখন আমি আবিসিনিয়ার যুবকদের
(কৃষ্ণাঙ্গ) খেলার দৃশ্য অবলোকন করছিলাম। তখন আমি সবেমাত্র বালক। অতএব তোমরা
অল্পবয়স্কা বালিকাদের সখের মূল্যায়ন কর। অল্পবয়স্কা বালিকারা অনেকক্ষণ
আমোদ-ফূর্তিতে মেতে থাকে। (ই.ফা. ১৯৩৩, ই.সে. ১৯৪০)
১৯৪৯
وَحَدَّثَنِي
أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ وَاللَّهِ
لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ عَلَى بَابِ
حُجْرَتِي - وَالْحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَسْتُرُنِي بِرِدَائِهِ لِكَىْ أَنْظُرَ إِلَى
لَعِبِهِمْ ثُمَّ يَقُومُ مِنْ أَجْلِي حَتَّى أَكُونَ أَنَا الَّتِي أَنْصَرِفُ
. فَاقْدُرُوا قَدْرَ الْجَارِيَةِ الْحَدِيثَةِ السِّنِّ حَرِيصَةً عَلَى
اللَّهْوِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে দেখলাম, তিনি আমার হুজরার দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন আর কৃষ্ণাঙ্গ যুবকেরা
তাদের অস্ত্র দ্বারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাসজিদে
নাবাবীতে তাদের যুদ্ধের কলাকৌশল দেখাচ্ছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাকে তাঁর চাদর দ্বারা আড়াল করে দিচ্ছেন যাতে আমি তাদের খেলা দেখতে
পারি। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেন,
যতক্ষণ আমি নিজে ফিরে না আসি। অতএব অল্পবয়স্কা বালিকাদের খেল-তামাশার প্রতি যে লোভ
রয়েছে তার মূল্যায়ন কর (তার সখ পূর্ণ কর)। (ই.ফা. ১৯৩৪, ই.সে. ১৯৪১)
১৯৫০
حَدَّثَنِي
هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، -
وَاللَّفْظُ لِهَارُونَ - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو،
أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَهُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدِي
جَارِيَتَانِ تُغَنِّيَانِ بِغِنَاءِ بُعَاثٍ فَاضْطَجَعَ عَلَى الْفِرَاشِ
وَحَوَّلَ وَجْهَهُ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ فَانْتَهَرَنِي وَقَالَ مِزْمَارُ
الشَّيْطَانِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " دَعْهُمَا " فَلَمَّا
غَفَلَ غَمَزْتُهُمَا فَخَرَجَتَا وَكَانَ يَوْمَ عِيدٍ يَلْعَبُ السُّودَانُ
بِالدَّرَقِ وَالْحِرَابِ فَإِمَّا سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَإِمَّا قَالَ " تَشْتَهِينَ تَنْظُرِينَ " . فَقُلْتُ نَعَمْ
فَأَقَامَنِي وَرَاءَهُ خَدِّي عَلَى خَدِّهِ وَهُوَ يَقُولُ " دُونَكُمْ
يَا بَنِي أَرْفَدَةَ " . حَتَّى إِذَا مَلِلْتُ قَالَ " حَسْبُكِ
" . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَاذْهَبِي " .
আয়িশাহ্ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে
প্রবেশ করে দেখেন, আমার কাছে দু’টি বালিকা জাহিলিয়্যাত যুগে সংঘটিত বু’আস যুদ্ধের
গান গাইছে। তিনি বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিলেন। এমন সময় আবূ
বকর (রাঃ) প্রবেশ করলেন। তিনি (এ দৃশ্য দেখে) আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকটে শাইত্বনের বাদ্য চলছে? (এ কথা শুনে)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দিকে ফিরে বললেন, হে আবূ বাক্র!
এদের ছেড়ে দাও। এরপর তিনি যখন অন্যমনস্ক হলেন, আমি বালিকাদ্বয়কে আস্তে খোঁচা
দিলাম। তারা বের হয়ে চলে গেল। এটা ঈদের ঘটনা। কৃষ্ণাঙ্গ যুবকেরা ঢাল-বল্লম দ্বারা
রণকৌশল ও খেল-তামাশা করছিল। তখন হয়ত আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কাছে আবেদন করেছি না হয় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন তুমি কি তা দেখতে
আগ্রহী? আমি বললাম- জি হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর
পিছনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গণ্ডদেশ তাঁর গণ্ডদেশের উপর সংলগ্ন হলো।
এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, হে বানী আরফিদাহ্!
তোমরা তোমাদের খেলা চালিয়ে যাও। অনেকক্ষণ পর আমি যখন একটু বিরক্তবোধ করলাম, তিনি
আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হয়েছে তো? আমি বললাম, জ্বি হ্যাঁ! তিনি বললেন, তাহলে এবার
যাও। (ই.ফা. ১৯৩৫, ই.সে. ১৯৪২)
১৯৫১
حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَ حَبَشٌ يَزْفِنُونَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فِي الْمَسْجِدِ
فَدَعَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعْتُ رَأْسِي عَلَى مَنْكِبِهِ
فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى لَعِبِهِمْ حَتَّى كُنْتُ أَنَا الَّتِي أَنْصَرِفُ
عَنِ النَّظَرِ إِلَيْهِمْ.
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক আবিসিনীয় লোক মাদীনায় পৌঁছে ঈদের দিন মাসজিদে
নাবাবীতে (অস্ত্র নিয়ে) খেলা করছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে
ডাকলেন। আমি তাঁর কাঁধের উপর মাথা রেখে তাদের খেলা দেখতে লাগলাম। অনেকক্ষণ এ দৃশ্য
উপভোগ করে শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই তাদের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলাম। (ই.ফা.
১৯৩৬, ই.সে. ১৯৪৩)
১৯৫২
وَحَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي
زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ،
كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرَا فِي الْمَسْجِدِ
.
ইয়াহ্ইয়া ইবনু
ইয়াহ্ইয়া, ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... উভয়ে হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তাঁরা ‘মাসজিদের’ কথাটি উল্লেখ
করেননি। (ই.ফা. ১৯৩৭, ই.সে. ১৯৪৪)
১৯৫৩
وَحَدَّثَنِي
إِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، وَعَبْدُ بْنُ
حُمَيْدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي، عَاصِمٍ - وَاللَّفْظُ لِعُقْبَةَ - قَالَ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ،
أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ، أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ، أَنَّهَا قَالَتْ
لِلَعَّابِينَ وَدِدْتُ أَنِّي أَرَاهُمْ قَالَتْ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَقُمْتُ عَلَى الْبَابِ أَنْظُرُ بَيْنَ أُذُنَيْهِ وَعَاتِقِهِ
وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ . قَالَ عَطَاءٌ فُرْسٌ أَوْ حَبَشٌ .
قَالَ وَقَالَ لِي ابْنُ عَتِيقٍ بَلْ حَبَشٌ .
উবায়দ ইবনু ‘উমায়র
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাকে ‘আয়িশা (রাঃ)
জানিয়েছেন, তিনি ক্রীড়া প্রদর্শনকারীদের বলে পাঠালেন যে, তিনি তাদেরকে দেখতে
আগ্রহী। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আমি উভয়ে দরজার উপর
দাঁড়ালাম। আমি তাঁর দু’কানের মাঝে ও কাঁধ সংলগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেছিলাম তারা
মাসজিদে (হাতিয়ার নিয়ে) খেলছিল।
‘আত্বা বলেন, তারা পারস্যের অথবা আবিসিনিয়ার অধিবাসী ছিল। আর ইবনু ‘আতীক্ব আমাকে
বলেনঃ বরং তারা আবিসিনিয়ার অধিবাসী ছিল। (ই.ফা. ১৯৩৮, ই.সে. ১৯৪৫)
১৯৫৪
وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا
وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ
بَيْنَمَا الْحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
بِحِرَابِهِمْ إِذْ دَخَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَهْوَى إِلَى الْحَصْبَاءِ
يَحْصِبُهُمْ بِهَا . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
دَعْهُمْ يَا عُمَرُ.
আবূ হুরায়রাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সময় আবিসিনীয় লোকেরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে যুদ্ধাস্ত্রের সাহায্যে খেলাধূলা করছিল। এমন সময় ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) সেখানে আসলেন। তিনি (এ দৃশ্য দেখে) প্রস্তর খণ্ড তুলে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করতে উদ্যত হলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, এদেরকে খেলতে দাও হে উমার! (ই.ফা. ১৯৩৯, ই.সে. ১৯৪৬)
No comments