জামে' আত-তিরমিজি - অধ্যায় "অনুমতি প্রার্থনা" হাদিস নং- ২৬৮৮- ২৭৩৫

অনুমতি প্রার্থনা

. অনুচ্ছেদঃ

সালামের প্রসার করা

২৬৮৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى أَمْرٍ إِذَا أَنْتُمْ فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ وَشُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ عَنْ أَبِيهِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالْبَرَاءِ وَأَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না (তোমরা) ঈমানদার হবে, আর ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করবে। আমি কি এমন একটি কাজের কথা তোমাদেরকে বলে দিব না, যখন তোমরা তা করবে, পরস্পর ভালোবাসা স্থাপিত হবে? তোমরা একে অপরের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৬৯২), মুসলিম।

‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম, শুরাইহ ইবনু হানী তার বাবার সূত্রে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর, আল-বারাআ, আনাস ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

সালামের ফাযীলাত সম্পর্কে যা বলা হয়েছে

২৬৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَرِيرِيُّ، بَلْخِيٌّ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيِّ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ‏.‏ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَشْرٌ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عِشْرُونَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ثَلاَثُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একজন লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম।নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দশ (নেকী)। তারপর অন্য এক লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বিশ। অতঃপর আরেক লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ত্রিশ।

সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (৩/২৬৮)

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, তবে এ সূত্রে গারীব। ‘আলী, আবূ সা‘ঈদ ও সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

তিনবার অনুমতি চাইতে হবে

২৬৯০

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ اسْتَأْذَنَ أَبُو مُوسَى عَلَى عُمَرَ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ قَالَ عُمَرُ وَاحِدَةٌ ‏.‏ ثُمَّ سَكَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ قَالَ عُمَرُ ثِنْتَانِ ‏.‏ ثُمَّ سَكَتَ سَاعَةً فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ فَقَالَ عُمَرُ ثَلاَثٌ ‏.‏ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ عُمَرُ لِلْبَوَّابِ مَا صَنَعَ قَالَ رَجَعَ ‏.‏ قَالَ عَلَىَّ بِهِ ‏.‏ فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ مَا هَذَا الَّذِي صَنَعْتَ قَالَ السُّنَّةَ ‏.‏ قَالَ السُّنَّةَ وَاللَّهِ لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِبُرْهَانٍ أَوْ بِبَيِّنَةٍ أَوْ لأَفْعَلَنَّ بِكَ ‏.‏ قَالَ فَأَتَانَا وَنَحْنُ رُفْقَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَلَسْتُمْ أَعْلَمَ النَّاسِ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الاِسْتِئْذَانُ ثَلاَثٌ فَإِنْ أُذِنَ لَكَ وَإِلاَّ فَارْجِعْ ‏"‏ ‏.‏ فَجَعَلَ الْقَوْمُ يُمَازِحُونَهُ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ ثُمَّ رَفَعْتُ رَأْسِي إِلَيْهِ فَقُلْتُ فَمَا أَصَابَكَ فِي هَذَا مِنَ الْعُقُوبَةِ فَأَنَا شَرِيكُكَ ‏.‏ قَالَ فَأَتَى عُمَرَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَقَالَ عُمَرُ مَا كُنْتُ عَلِمْتُ بِهَذَا ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأُمِّ طَارِقٍ مَوْلاَةِ سَعْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَالْجُرَيْرِيُّ اسْمُهُ سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ يُكْنَى أَبَا مَسْعُودٍ وَقَدْ رَوَى هَذَا غَيْرُهُ أَيْضًا عَنْ أَبِي نَضْرَةَ وَأَبُو نَضْرَةَ الْعَبْدِيُّ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ قُطَعَةَ ‏.‏

আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) ‘উমার (রাঃ) এর নিকট অনুমতি চেয়ে বলেন, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি আসতে পারি? ‘উমার (রাঃ) বলেন, এক। আবূ মূসা (রাঃ) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। তিনি আবারও সালাম দিয়ে বলেন, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? ‘উমার (রাঃ) বলেন, দুই। তারপর আবূ মূসা (রাঃ) অল্প সময় নীরবতা অবলম্বন করলেন। তিনি আবার বললেন, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি আসতে পারি? ‘উমার (রাঃ) বললেন, তিন। এবার তিনি চলে যেতে লাগলেন। ‘উমার (রাঃ) প্রহরীকে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি করছেন? প্রহরী বলল, তিনি চলে গেছেন। তিনি বললেন, তাকে আমার নিকট ফিরিয়ে নিয়ে এসো। তারপর তিনি উমারের সামনে এলে তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি এরকম করলেন কেন? তিনি বললেন, আমি সুন্নাত পালন করেছি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, সুন্নাত পালন করেছেন? আল্লাহর কসম! এর স্বপক্ষে আপনাকে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে, তা না হলে আমি আপনার ব্যবস্থা করছি (অর্থাৎ- শাস্তি দিব)। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি (আবূ মূসা) আমাদের নিকট আসলেন। আমরা কয়জন আনসারী বন্ধু একসাথে বসে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস সম্পর্কে কি তোমরা সবার চাইতে বেশি জ্ঞাত নও? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননি যে, তিনবার অনুমতি চাইতে হবে? তারপর তোমাকে অনুমতি দিলে তো দিল, নতুবা ফিরে যাবে। উপস্থিত লোকজন তার সাথে কৌতুক করতে লাগল। আবু সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, এবার আমি মাথা তুলে তার দিকে তাকালাম এবং বললাম, আপনার উপর এ ব্যাপারে কোন শাস্তি হলে আমি আপনার অংশীদার হব। রাবী বলেন, তারপর তিনি উমারের নিকট এসে এ ঘটনা বললেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি এ সম্পর্কে জানতাম না।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

‘আলী (রাঃ) সা‘দ (রাঃ) এর মুক্তদাসী উম্মু তারিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলে, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আল-জুরাইরীর নাম সা‘ঈদ ইবনু ইয়াস, উপনাম আবূ মাস‘উদ। এ হাদীসটি আবূ নাযরা হতে অন্যরাও বর্ণনা করেছেন। আবূ নাযরা আল-‘আবদীর নাম আল-মুনযির ইবনু মালিক ইবনু কুতা‘আহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৬৯১

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ اسْتَأْذَنْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فَأَذِنَ لِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَأَبُو زُمَيْلٍ اسْمُهُ سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ ‏.‏ وَإِنَّمَا أَنْكَرَ عُمَرُ عِنْدَنَا عَلَى أَبِي مُوسَى حَيْثُ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ الاِسْتِئْذَانُ ثَلاَثٌ فَإِنْ أُذِنَ لَكَ وَإِلاَّ فَارْجِعْ ‏"‏ ‏.‏ وَقَدْ كَانَ عُمَرُ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فَأَذِنَ لَهُ وَلَمْ يَكُنْ عَلِمَ هَذَا الَّذِي رَوَاهُ أَبُو مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فَإِنْ أُذِنَ لَكَ وَإِلاَّ فَارْجِعْ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে তিনবার সম্মতি চাইলাম। তিনি আমাদের সম্মতি দিলেন।

সনদ দূর্বল, মতন মুনকার

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। আবূ যুমাইলের নাম সিমাক আল-হানাফী। উমার (রাঃ) নিজেই যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট তিনবার সম্মতি চাওয়ায় তিনি তাকে (বাড়ির ভেতরে যাওয়ার) সম্মতি দেন, সেখানে তিনিই আবার আবূ মূসা (রাঃ)- এর হাদিস প্রত্যাখ্যান করেন। এর কারণ এই যে, তিনি আবূ মূসা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসের “তোমাকে সম্মতি দিলে তো দিল, নতুবা ফিরে যাবে।” অংশটুকু প্রসঙ্গে জানতেন না।

হাদিসের মানঃঅন্যান্য

. অনুচ্ছেদঃ

সালামের জবাব দেয়ার নিয়ম

২৬৯২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَعَلَيْكَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ هَذَا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ فَقَالَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ وَقَالَ ‏"‏ وَعَلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَحَدِيثُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَصَحُّ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে সময়ে মসজিদের এক পাশে বসা ছিলেন। লোকটি নামায আদায় করে এসে তাঁকে সালাম করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াআলাইকা, তুমি ফিরে গিয়ে আবার নামায আদায় কর। তারপর তিনি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করলেন।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৬০), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার হতে, তিনি সা‘ঈদ আল-মাক্ববুরী হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে এই সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ আল-কাত্তান বর্ণনা করেছেন। তবে এ বর্ণনায় “ফা সাল্লামা আলাইহি, ওয়া ক্ব-লা ওয়া আলাইকা” এর উল্লেখ নেই। ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

সালাম পৌঁছানো

২৬৯৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا ‏ "‏ إِنَّ جِبْرِيلَ يُقْرِئُكِ السَّلاَمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي نُمَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ أَيْضًا عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, জিবরীল (আঃ) তোমাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি (‘আয়িশাহ) বললেন, ওয়া ‘আলাইহিস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

এ অনুচ্ছেদে বানী নুমাইরের জনৈক ব্যক্তি তার বাবা হতে, তিনি দাদা হতে এই সূত্রে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি যুহরীও আবূ সালামা হতে, তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

প্রথমে সালাম প্রদানকারী ব্যক্তির ফাযীলাত

২৬৯৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ الأَسَدِيُّ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الرَّهَاوِيِّ، يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلاَنِ يَلْتَقِيَانِ أَيُّهُمَا يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ فَقَالَ ‏ "‏ أَوْلاَهُمَا بِاللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ أَبُو فَرْوَةَ الرَّهَاوِيُّ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ إِلاَّ أَنَّ ابْنَهُ مُحَمَّدَ بْنَ يَزِيدَ يَرْوِي عَنْهُ مَنَاكِيرَ ‏.‏

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! দু’জন লোকের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কে প্রথম সালাম দিবে? তিনি বললেনঃ তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার বেশি নিকটবর্তী।

সহীহঃ মিশকাত (৪৬৪৬), তাখরীজুল কালিমিত তাইয়্যিব (১৯৮)।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ (বুখারী) বলেন, আবূ ফারওয়া আর-রাহাবী বর্ণনাকারী হিসেবে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তার ছেলে মুহাম্মাদ তার সূত্রে বহু মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

হাতে ঈশারা করে সালাম দেয়া মাকরূহ

২৬৯৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَ تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلاَ بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ ‏.‏ وَرَوَى ابْنُ الْمُبَارَكِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ فَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী-নাসারাদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহূদীগণ আঙ্গুলের ইশারায় এবং নাসারাগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়।

হাসানঃ সহীহাহ (২১৯৪)

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটির সনদ যঈফ। এই হাদীসটি ইবনু লাহীআর সূত্রে ইবনু মুবারক বর্ণনা করেছেন কিন্তু তা মারফূ হিসেবে নয়।

হাদিসের মানঃহাসান হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

শিশুদেরকে সালাম দেয়া

২৬৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ، سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارٍ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ فَمَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ ثَابِتٌ كُنْتُ مَعَ أَنَسٍ فَمَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَقَالَ أَنَسٌ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ ثَابِتٍ وَرُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

সাইয়্যার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাবিত আল-বুনানীর সাথে হাঁটছিলাম। তিনি কয়েকজন শিশুর পাশ দিয়ে চলার সময় তাদেরকে সালাম দিলেন এবং বললেন, কোন একদিন আমি আনাস (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। তিনি শিশুদের পাশ দিয়ে চলার সময় তাদেরকে সালাম দিলেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। তিনি শিশুদের পাশ দিয়ে চলার সময় তাদেরকে সালাম দিয়েছেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। এ হাদীসটি সাবিত (রহঃ) হতে একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। অন্য সূত্রেও আনাস (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণিত আছে। কুতাইবা-জা‘ফার ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি সাবিত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

. অনুচ্ছেদঃ

স্ত্রীলোককে সালাম দেয়া

২৬৯৭

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَهْرَامَ، أَنَّهُ سَمِعَ شَهْرَ بْنَ حَوْشَبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَسْمَاءَ بِنْتَ يَزِيدَ، تُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ فِي الْمَسْجِدِ يَوْمًا وَعُصْبَةٌ مِنَ النِّسَاءِ قُعُودٌ فَأَلْوَى بِيَدِهِ بِالتَّسْلِيمِ وَأَشَارَ عَبْدُ الْحَمِيدِ بِيَدِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ بَأْسَ بِحَدِيثِ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَهْرَامَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ ‏.‏ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ شَهْرٌ حَسَنُ الْحَدِيثِ وَقَوَّى أَمْرَهُ وَقَالَ إِنَّمَا تَكَلَّمَ فِيهِ ابْنُ عَوْنٍ ثُمَّ رَوَى عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي زَيْنَبَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ ‏.‏ أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ الْمَصَاحِفِيُّ بَلْخِيٌّ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ عَنِ ابْنِ عَوْنٍ قَالَ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ النَّضْرُ تَرَكُوهُ أَىْ طَعَنُوا فِيهِ وَإِنَّمَا طَعَنُوا فِيهِ لأَنَّهُ وَلِيَ أَمْرَ السُّلْطَانِ ‏.‏

আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে একদল মহিলা বসা ছিল। তিনি হাত উঠিয়ে তাদেরকে সালাম দিলেন। ‘আবদুল হামীদ তার হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন।

“হাতের ইশারা” ব্যতীত হাদীসটি সহীহঃ জিলবাবুল মারআতিল মুসলিমাহ (১৯৪-১৯৬)।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল হামীদ ইবনু বাহরাম-শাহর ইবনু হাওশাব সূত্রে বর্ণিত হাদীসে কোন সমস্যা নেই। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (আল-বুখারী) বলেন, শাহর হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে উত্তম পর্যায়ের এবং তিনি (এ কথা বলে) তার বিষয়টি মজবুত করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ইবনু ‘আওন তার সমালোচনা করেছেন, অতঃপর হিলাল ইবনু আবী যাইনাব-শাহর ইবনু হাওশাব সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ বালখী-আন-নাযর ইবনু শুমাইল হতে, তিনি ইবনু ‘আওন হতে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু ‘আওন বলেন, মুহাদ্দিসগণ শাহরকে বাদ দিয়েছেন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আন-নাযর বলেছেন, “তারা তাকে বাদ দিয়েছেন” অর্থ তারা তাঁকে তিরস্কার বা অভিযুক্ত করেছেন এ কারণে যে, তিনি শাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

১০. অনুচ্ছেদঃ

নিজের ঘরে প্রবেশকালে সালাম দেয়া

২৬৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ الأَنْصَارِيُّ، مُسْلِمُ بْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَا بُنَىَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلِّمْ يَكُونُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ হে বৎস! তুমি যখন তোমার পরিবার-পরিজনের নিকটে যাও, তখন সালাম দিও। তাতে তোমার ও তোমার পরিবার-পরিজনের কল্যাণ হবে।

হাদীসটির সানাদ দুর্বল।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

১১. অনুচ্ছেদঃ

কথা বলার আগেই সালাম দিতে হবে

২৬৯৯

حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الصَّبَّاحِ، - بَغْدَادِيٌّ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ السَّلاَمُ قَبْلَ الْكَلاَمِ ‏"‏ ‏.‏
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تَدْعُوا أَحَدًا إِلَى الطَّعَامِ حَتَّى يُسَلِّمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ذَاهِبٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ زَاذَانَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কথা-বার্তা বলার আগেই সালাম বিনিময় হবে।

হাসানঃ সহীহাহ (৮১৬)।

এ সানাদেই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সালাম দেয়ার পরই কাউকে খাবারের দাওয়াত দাও। মাওযূ’: যঈফ আল-জামি’ (৩৩৭৪)। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুনকার। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীসটি জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ (বুখারী) কে বলতে শুনেছি, আনবাসা ইবনু ‘আবদুর রহমান হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল এবং অবহেলিত। আর মুহাম্মাদ ইবনু যাযান প্রত্যাখ্যাত বর্ণনাকারী।

হাদিসের মানঃহাসান হাদিস

১২. অনুচ্ছেদঃ

যিম্মীদের (অমুসলিম নাগরিকদের) সালাম দেয়া অপছন্দনীয়

২৭০০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى بِالسَّلاَمِ وَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ فِي الطَّرِيقِ فَاضْطَرُّوهُمْ إِلَى أَضْيَقِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ইয়াহূদী-নাসারাদেরকে প্রথম সালাম করো না। রাস্তায় তাদের মধ্যে কারো সাথে তোমাদের দেখা হলে, পথের সংকীর্ণ পার্শ্ব দিয়ে তাঁকে চলতে বাধ্য কর।

সহীহ।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭০১

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ رَهْطًا مِنَ الْيَهُودِ دَخَلُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ بَلْ عَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ أَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ ‏"‏ قَدْ قُلْتُ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ وَابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُهَنِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন একদিন একদল ইয়াহূদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, আসসামু ‘আলাইকা (আপনার মৃত্যু হোক)। তাদের এ কথার জবাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আলাইকুম (তোমাদেরই তাই হোক)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আলাইকুমুস সাম ওয়াল লা‘নাত (তোমাদের উপর মৃত্যু ও অভিশাপ পতিত হোক)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! আল্লাহ তা‘আলা সকল ব্যাপারেই কোমলতা পছন্দ করেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, তারা কি বলেছে আপনি কি তা শুনেননি? তিনি বললেনঃ আমিও তো বলে দিয়েছি, আলাইকুম।

সহীহঃ রাওযুন নাযীর (৭৬৪), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ বাসরা আল-গিফারী, ইবনু ‘উমার, আনাস ও আবূ ‘আবদুর রহমান আল-জুহানী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

১৩. অনুচ্ছেদঃ

মুসলিম ও অমুসলিমদের একত্র সমাবেশে সালাম প্রদান

২৭০২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِمَجْلِسٍ وَفِيهِ أَخْلاَطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْيَهُودِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উসামাহ ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদী-মুসলিম সম্মিলিত একটি সমাবেশের পাশ দিয়ে চলার সময় তাদেরকে সালাম দিলেন।

সহীহঃ বুখারী (৬২৫৪), মুসলিম (৫/১৮২-১৮৩)।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

১৪. অনুচ্ছেদঃ

সাওয়ারী ব্যক্তি পদচারী ব্যক্তিকে সালাম প্রদান করবে

২৭০৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي وَالْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏"‏ ‏.‏ وَزَادَ ابْنُ الْمُثَنَّى فِي حَدِيثِهِ ‏"‏ وَيُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَقَالَ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ إِنَّ الْحَسَنَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরোহী পদচারীকে, পদচারী বসা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম দিবে। ইবনুল মুসান্না বর্ণিত হাদীসে আরো আছেঃ বয়সে নবীনরা প্রবীণদেরকে সালাম করবে।

সহীহঃ সহীহাহ (১১৪৫), বুখারী ও মুসলিম।

‘আবদুর রহমান ইবনু শিবল, ফাযালাহ ইবনু ‘উবাইদ ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। আইয়ূব সাখতিয়ানী, ইউনুস ইবনু ‘উবাইদ ও ‘আলী ইবনু যাইদ বলেনঃ হাসান আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে হাদীস শ্রবণ করেননি।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭০৪

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অল্প বয়সী বেশী বয়সীদেরকে, পদচারী বসা লোকদেরকে এবং অল্প সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম করবে।

সহীহঃ প্রাগুক্ত (১১৪৯), বুখারী।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭০৫

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ، اسْمُهُ حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْجَنْبِيِّ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يُسَلِّمُ الْفَارِسُ عَلَى الْمَاشِي وَالْمَاشِي عَلَى الْقَائِمِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عَلِيٍّ الْجَنْبِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ مَالِكٍ ‏.‏

ফাযালাহ ইবনু ‘উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অশ্বারোহী পথচারীকে, পথচারী দাঁড়ানো ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম দিবে।

সহীহঃ প্রাগুক্ত (১১৫০)

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ ‘আলী আল-জানবীর নাম ‘আমর ইবনু মালিক।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

১৫. অনুচ্ছেদঃ

উঠতে বসতে সালাম করা

২৭০৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا انْتَهَى أَحَدُكُمْ إِلَى مَجْلِسٍ فَلْيُسَلِّمْ فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يَجْلِسَ فَلْيَجْلِسْ ثُمَّ إِذَا قَامَ فَلْيُسَلِّمْ فَلَيْسَتِ الأُولَى بِأَحَقَّ مِنَ الآخِرَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কোন মাজলিসে উপস্থিত হলে সে যেন সালাম করে, তারপর তার ইচ্ছা হলে বসে পড়বে। তারপর সে যখন উঠে দাঁড়াবে, তখনো যেন সালাম করে। কেননা পরের সালামের চাইতে প্রথম সালাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

হাসান সহীহঃ সহীহাহ (১৮৩), তাখরীজুল কালিম (২০১)।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি ইবনু আজলান-সা‘ঈদ আল-মাকবুরী হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রেও বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃহাসান সহিহ

১৬. অনুচ্ছেদঃ

বাড়ির সম্মুখভাগ দিয়ে সম্মতি চাইবে

২৭০৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ كَشَفَ سِتْرًا فَأَدْخَلَ بَصَرَهُ فِي الْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ يُؤْذَنَ لَهُ فَرَأَى عَوْرَةَ أَهْلِهِ فَقَدْ أَتَى حَدًّا لاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَأْتِيَهُ لَوْ أَنَّهُ حِينَ أَدْخَلَ بَصَرَهُ اسْتَقْبَلَهُ رَجُلٌ فَفَقَأَ عَيْنَيْهِ مَا غَيَّرْتُ عَلَيْهِ وَإِنْ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى بَابٍ لاَ سِتْرَ لَهُ غَيْرِ مُغْلَقٍ فَنَظَرَ فَلاَ خَطِيئَةَ عَلَيْهِ إِنَّمَا الْخَطِيئَةُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ وَأَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক পর্দা তুলে কারো ঘরের মধ্যে তাকালো এবং সম্মতি পাওয়ার আগেই ঘরের গোপনীয় বিষয় দেখে ফেললো, সে দন্ডনীয় অপরাধী হয়ে গেলো, যা করা তার পক্ষে বৈধ নয়। সে যখন ঘরের ভেতরে তাকিয়ে ছিলো, তখন কেউ যদি এগিয়ে এসে তার দু’চোখ ফুঁড়ে বা সমূলে উপড়ে ফেলে দিত তবে তাকে আমি অপরাধী সাব্যস্ত করতাম না। আর কেউ যদি উন্মুক্ত দরজার পাশ দিয়ে যায় যার পর্দা নেই , আর সে যদি এদিকে তাকায়, তবে তাতে তার কোন দোষ নেই, বরং দোষ বাড়িওয়ালার (পর্দা ঝুলানো তাদের দায়িত্ব )।

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩৫২৬)

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা ও আবূ উমামা (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে, আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। আমরা ইবনু আবূ লাহীআর রিওয়ায়াত ছাড়া এ রকম হাদিস জানতে পারিনি। আবূ আবদুর রহমান আল–হুবুলীর নাম আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

১৭. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি বাসিন্দাদের বিনা অনুমতিতে তাদের ঘরের ভিতরে উঁকি ঝুঁকি মারে

২৭০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي بَيْتِهِ فَاطَّلَعَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَأَهْوَى إِلَيْهِ بِمِشْقَصٍ فَتَأَخَّرَ الرَّجُلُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে ছিলেন, তখন জনৈক ব্যক্তি তাঁর দিকে উঁকি দিল। তিনি তীরের ফলা তার দিকে তাক করলে সে সরে পড়ল।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭০৯

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، اطَّلَعَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ جُحْرٍ فِي حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِدْرَاةٌ يَحُكُّ بِهَا رَأْسَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ تَنْظُرُ لَطَعَنْتُ بِهَا فِي عَيْنِكَ إِنَّمَا جُعِلَ الاِسْتِئْذَانُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঘরের একটি ছিদ্রপথে তাঁর দিকে উঁকি দিল। তখন তিনি একটি লোহার চিরুনি দিয়ে তাঁর মাথার চুল বিন্যাস করছিলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি যদি জানতাম যে উঁকি দিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে, তাহলে এটা (চিরুনি) তোমার চোখে ঢুকিয়ে দিতাম। দৃষ্টিশক্তির কারণেই তো অনুমতি প্রার্থনায় নিয়ম চালু করা হয়েছে।

সহীহঃ সহীহুত্ তারগীব (৩/২৭৩), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

১৮. অনুচ্ছেদঃ

অনুমতি চাওয়ার পূর্বেই সালাম দিতে হয়

২৭১০

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ كَلَدَةَ بْنَ حَنْبَلٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ بَعَثَهُ بِلَبَنٍ وَلِبَإٍ وَضَغَابِيسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَعْلَى الْوَادِي قَالَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ وَلَمْ أُسَلِّمْ وَلَمْ أَسْتَأْذِنْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ارْجِعْ فَقُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ ‏"‏ ‏.‏ وَذَلِكَ بَعْدَ مَا أَسْلَمَ صَفْوَانُ ‏.‏ قَالَ عَمْرٌو وَأَخْبَرَنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ أُمَيَّةُ بْنُ صَفْوَانَ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعْتُهُ مِنْ كَلَدَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَرَوَاهُ أَبُو عَاصِمٍ أَيْضًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ وَضَغَابِيسُ هُوَ حَشِيشٌ يُؤْكَلُ ‏.‏

কালাদাহ্ ইবনু হাম্বল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) তাকে কিছু দুধ, ছানা ও তরকারীসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট পাঠান। সে সময়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপত্যকার উপরে অবস্থান করছিলেন। তিনি (কালাদাহ্) বলেন, আমি অনুমতিও চাইলাম না, সালামও করলাম না, বরং এমনি তাঁর নিকট চলে গেলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে বল, আস্সালামু আলাইকুম, আমি কি আসতে পারি? (তারপর আমার নিকট এসো)। আর এ ঘটনাটি সাফওয়ানের ইসলাম গ্রহণের পরের।

সহীহঃ সহীহাহ্ (৮১৮)

‘আম্‌র ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান বলেন, উক্ত হাদিসটি আমাকে উমাইয়্যাহ্ ইবনু সাফওয়ান জানিয়েছেন এবং এই সূত্রে তিনি বলেননি যে, ‘আমি এ হাদিসটি কালাদার নিকট শুনেছি’। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদিসটি শুধুমাত্র ইবনু জুরাইজের রিওয়ায়াত হিসেবে জেনেছি। ইবনু জুরাইজের সূত্রে আবূ আসিমও উক্ত হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন। যাগাবীস এক প্রকার উদ্ভিদ যা খাওয়া যায়।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭১১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اسْتَأْذَنْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي دَيْنٍ كَانَ عَلَى أَبِي فَقَالَ ‏"‏ مَنْ هَذَا ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ أَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنَا أَنَا ‏"‏ ‏.‏ كَأَنَّهُ كَرِهَ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার বাবার কিছু ঋণ ছিল। এ ব্যাপারে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট যাওয়ার অনুমতি চাইলাম। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কে? আমি বললাম, আমি। তিনি বলেন, আমি, আমি। মানে হল যেন তিনি এ ধরণের উত্তর অপছন্দ করেছেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

১৯. অনুচ্ছেদঃ

সফরে থেকে ফিরে রাতের বেলায় স্ত্রীর নিকট যাওয়া অপছন্দনীয়

২৭১২

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَاهُمْ أَنْ يَطْرُقُوا النِّسَاءَ لَيْلاً ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ - وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَاهُمْ أَنْ يَطْرُقُوا النِّسَاءَ لَيْلاً قَالَ فَطَرَقَ رَجُلاَنِ بَعْدَ نَهْىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর থেকে ফিরে রাতের বেলায় স্ত্রীর নিকট যেতে তাদেরকে নিষেধ করেছেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আনাস, ‘ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদিসটি হাসান সহীহ। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এ হাদিসটি জাবির (রাঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত , নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলায় সফর থেকে ফিরে এসে তাদেরকে স্ত্রীদের নিকট যেতে নিষেধ করেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এ নিষেধাজ্ঞার পরও দু’জন লোক রাতে তাদের স্ত্রীদের ঘরে ঢুকে তাদের প্রত্যেকের সাথে একজন করে পরপুরুষের দেখতে পেল।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২০. অনুচ্ছেদঃ

লেখার ওপর ধুলা ছিটিয়ে দেওয়া

২৭১৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنْ حَمْزَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَتَبَ أَحَدُكُمْ كِتَابًا فَلْيُتَرِّبْهُ فَإِنَّهُ أَنْجَحُ لِلْحَاجَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لاَ نَعْرِفُهُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ وَحَمْزَةُ هُوَ عِنْدِي ابْنُ عَمْرٍو النَّصِيبِيُّ هُوَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ কিছু লিখলে (শুকানোর জন্য) তার ওপর যেন কিছু ধুলা ছিটিয়ে দেয়। কেননা তা লক্ষ্য পূরণে পরিপূরক।

যঈফ, মিশকাত (৫৬৫৭), যঈফা (১৭৩৮)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি মুনকার। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই আবুয যুবাইর হতে এ হাদিস জেনেছি। আমার মতে হামযা হলেন আমর আন-নাসীবীর পুত্র এবং তিনি হাদিস শাস্ত্রে দূর্বল।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

২১. অনুচ্ছেদঃ

কলম কানের উপর রাখা

২৭১৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ أُمِّ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ يَدَيْهِ كَاتِبٌ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ "‏ ضَعِ الْقَلَمَ عَلَى أُذُنِكَ فَإِنَّهُ أَذْكَرُ لِلْمُمْلِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَهُوَ إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ ‏.‏ وَعَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَمُحَمَّدُ بْنُ زَاذَانَ يُضَعَّفَانِ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে উপস্থিত হলাম। তাঁর সম্মুখে একজন লেখক বসে ছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনলামঃ তোমার কানে কলমটি রেখে দাও, কেননা তা বিষয়বস্তু মনে রাখতে সহায়ক।

মাওযূ, যাঈফা (৮৬৫)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সনদেই এ হাদিস জেনেছি। উহার সনদ দূর্বল। মুহাম্মাদ ইবনু যাযান ও আনবাসা ইবনু আবদুর রহমান উভয়েই হাদিস শাস্ত্রে দূর্বল বলে আখ্যায়িত।

হাদিসের মানঃজাল হাদিস

২২. অনুচ্ছেদঃ

সুফিয়ানী ভাষা শিক্ষা করা

২৭১৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَتَعَلَّمَ لَهُ كَلِمَاتِ كِتَابِ يَهُودَ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ إِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُ يَهُودَ عَلَى كِتَابٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا مَرَّ بِي نِصْفُ شَهْرٍ حَتَّى تَعَلَّمْتُهُ لَهُ قَالَ فَلَمَّا تَعَلَّمْتُهُ كَانَ إِذَا كَتَبَ إِلَى يَهُودَ كَتَبْتُ إِلَيْهِمْ وَإِذَا كَتَبُوا إِلَيْهِ قَرَأْتُ لَهُ كِتَابَهُمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَوَاهُ الأَعْمَشُ عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَتَعَلَّمَ السُّرْيَانِيَّةَ ‏.‏

যাইদ ইবনু সাবিত (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাকে ইয়াহূদীদের কিতাবী ভাষা (হিব্রু) অধ্যয়নের জন্য আদেশ করেন এবং বলেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! আমি আমার পত্রাদির ব্যাপারে ইয়াহূহীদের উপর নিশ্চিন্ত হতে পারি না। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তারপর মাসের অর্ধেক যেতে না যেতেই আমি সুফিয়ানী ভাষা আয়ত্ত করে ফেললাম, এ ভাষা শিক্ষার পর থেকে তিনি ইয়াহূদীদের নিকট কোন কিছু লিখতে চাইলে আমিই তা লিখে দিতাম। আর তারা তাঁর নিকট কোন চিঠি পাঠালে, আমি তাঁকে তা পড়ে শুনাতাম।

হাসান সহীহঃ মিশকাত(৪৬৫৯)

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। এ হাদিসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ভিন্ন সূত্রেও যাইদ ইবনু সাবিত (রা:) হতে বর্ণিত আছে। আ’মাশ – সাবিত ইবনু ‘উবাইদ হতে , তিনি যাইদ ইবনু সাবিত (রা:) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সুরিয়ানী ভাষা শিখতে আদেশ করেন।

হাদিসের মানঃহাসান সহিহ

২৩. অনুচ্ছেদঃ

মুশরিকদের সাথে পত্রবিনিময়

২৭১৬

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَتَبَ قَبْلَ مَوْتِهِ إِلَى كِسْرَى وَإِلَى قَيْصَرَ وَإِلَى النَّجَاشِيِّ وَإِلَى كُلِّ جَبَّارٍ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ وَلَيْسَ بِالنَّجَاشِيِّ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মৃত্যুর পূর্বে কিস্রা,কাইসার ও নাজাশী এবং তখনকার সব পরাক্রান্ত রাজা-বাদশাহ্দের নিকট তাদেরকে আল্লাহ্‌র দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তবে ইনি সেই নাজাশী নন,নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যার জানাযা আদায় করেছিলেন।

সহীহঃ মুসলিম (৫/১৬৬)

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৪. অনুচ্ছেদঃ

মুশরিকদের নিকট চিঠি লেখার নিয়ম

২৭১৭

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ هِرَقْلَ أَرْسَلَ إِلَيْهِ فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ وَكَانُوا تُجَّارًا بِالشَّامِ فَأَتَوْهُ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُرِئَ فَإِذَا فِيهِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ السَّلاَمُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى أَمَّا بَعْدُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو سُفْيَانَ اسْمُهُ صَخْرُ بْنُ حَرْبٍ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ সুফ্ইয়ান ইবনু হার্‌ব (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, তিনি কুরাইশদের একটি ব্যবসায়ী দলে সিরিয়া গিয়েছিলেন। হিরাকল (হিরাক্লিয়াস) তাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি তার নকট গেলেন। তারপর বর্ণনাকারী তার বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর একটি চিঠি নিয়ে আসা হল এবং তা পড়ানো হল। তাঁকে লিখা ছিলঃ বিসমিল্লা-হির-রাহমা-নির রাহীম, আল্লাহ্‌র বান্দা ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদের পক্ষ হতে রোমের রাষ্ট্রপ্রধান হিরাকলের প্রতি। হিদায়তের অনুসারীদের প্রতি সালাম। তারপর এই......।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ, আবূ সুফ্ইয়ান (রা:)-এর নাম সাখর ইবনু হার্‌ব

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৫. অনুচ্ছেদঃ

চিঠির উপর সীলমোহর লাগানো

২৭১৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا أَرَادَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَكْتُبَ إِلَى الْعَجَمِ قِيلَ لَهُ إِنَّ الْعَجَمَ لاَ يَقْبَلُونَ إِلاَّ كِتَابًا عَلَيْهِ خَاتَمٌ فَاصْطَنَعَ خَاتَمًا ‏.‏ قَالَ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِهِ فِي كَفِّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অনাবরদের চিঠি লিখতে চাইলেন, তখন তাঁকে বলা হল, অনাবরগণ সীল লাগানো ব্যাতীত কোন চিঠিপত্র গ্রহণ করে না।
তারপর তিনি একটি আংটি (সীল) বানালেন। তিনি (আনাস) বলেন, এখনও মনে হচ্চে যেন আমি তাঁর হাতে এর শুভ্রতা (আংটির চাকচিক্য ) দেখতে পাচ্ছি।

সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (৭৪) , বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন , হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৬. অনুচ্ছেদঃ

সালাম বিনিময়ের নিয়ম

২৭১৯

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، قَالَ أَقْبَلْتُ أَنَا وَصَاحِبَانِ، لِي قَدْ ذَهَبَتْ أَسْمَاعُنَا وَأَبْصَارُنَا مِنَ الْجَهْدِ فَجَعَلْنَا نَعْرِضُ أَنْفُسَنَا عَلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَيْسَ أَحَدٌ يَقْبَلُنَا فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَى بِنَا أَهْلَهُ فَإِذَا ثَلاَثَةُ أَعْنُزٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ احْتَلِبُوا هَذَا اللَّبَنَ بَيْنَنَا ‏"‏ ‏.‏ فَكُنَّا نَحْتَلِبُهُ فَيَشْرَبُ كُلُّ إِنْسَانٍ نَصِيبَهُ وَنَرْفَعُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَصِيبَهُ فَيَجِيءُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ فَيُسَلِّمُ عَلَيْنَا تَسْلِيمًا لاَ يُوقِظُ النَّائِمَ وَيُسْمِعُ الْيَقْظَانَ ثُمَّ يَأْتِي الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي ثُمَّ يَأْتِي شَرَابَهُ فَيَشْرَبُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

মিক্বদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার দু’জন সাথী এমন অবস্থায় (মাদীনায়) পৌছালাম যে, আমাদের চোখ-কান ক্ষুধার যন্ত্রণায় অচল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল। তারপর আমরা আমাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীদের নিকট উপস্থাপন করতে লাগলাম; কিন্তু কেউই আমাদেরকে গ্রহণ করলেন না। অবশেষে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট হাযির হলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে তাঁর পরিবারের নিকট গেলেন। সেখানে তিনটি বকরী ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এগুলোর দুধ দোহন কর। তারপর আমরা এগুলো দোহন করে প্রত্যেকেই যার যার অংশের দুধ পান করতাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অংশ উঠিয়ে রেখে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলায় আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যে, ঘুমন্ত লোকেরা জাগ্রত হত না অথচ জাগ্রত লোকেরা তা শুনতে পেত। তারপর তিনি মসজিদে গিয়ে নাময আদায় করতেন, তারপর তাঁর জন্য রাখা দুধ পান করতেন।

সহীহঃ আদাবুয্ যিফা-ফ নতুন সংস্করণ (১৬৭-১৯৬), মুসলিম

আবূ ঈসা বলেন হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭. অনুচ্ছেদঃ

প্রস্রাবরত লোককে সালাম দিয়া মাকরূহ

২৭২০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، سَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبُولُ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ يَعْنِي السَّلاَمَ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ الْفَغْوَاءِ، وَجَابِرٍ، وَالْبَرَاءِ، وَالْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ، ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর প্রস্রাবরত অবস্থায় একজন লোক তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের উত্তর দেননি।

হাসান সহীহঃ ৯০ নং হাদীসের পুনরুক্তি।

মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া আন-নাইশাবূরী –মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ হতে , তিনি সুফ্ইয়ান হতেম তিনি যাহ্হাক ইবনু ‘উসমান (রা:) হতে একই সনদে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত আছে। আলকামা ইবনু ফাগওয়া, জাবির , বারাআ ও মুহাজির ইবনু কুনফুয (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আনূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃহাসান সহিহ

২৮. অনুচ্ছেদঃ

প্রথমেই “আলাইকাস্ সালাম” বলা নিষেধ

২৭২১

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ قَوْمِهِ قَالَ طَلَبْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أَقْدِرْ عَلَيْهِ فَجَلَسْتُ فَإِذَا نَفَرٌ هُوَ فِيهِمْ وَلاَ أَعْرِفُهُ وَهُوَ يُصْلِحُ بَيْنَهُمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ مَعَهُ بَعْضُهُمْ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ قُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ الْمَيِّتِ إِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ الْمَيِّتِ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَىَّ فَقَالَ ‏"‏ إِذَا لَقِيَ الرَّجُلُ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ فَلْيَقُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ رَدَّ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ وَعَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَعَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَعَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏
قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو غِفَارٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي جُرَىٍّ، جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ الْهُجَيْمِيِّ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏ وَأَبُو تَمِيمَةَ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ ‏.

আবূ তামীমা আল-হুজাইমী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে খোঁজ করে না পেয়ে বসে রইলাম। এরই মধ্যে আমি তাঁকে একদল লোকেরা মাঝে দেখতে পেলাম, কিন্তু আমি তাঁকে চিনতাম না। তাদের মাঝে তিনি মীমাংসা করেছিলেন। কাজ শেষে কয়েকজন তাঁর সাথে উঠে দাড়ালো এবং বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল ! আমি ইহা দেখে তাঁকে বললাম, ‘আলাইকাস্ সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেনঃ “আলাইকাস্ সালামু ” হল মৃত ব্যক্তির জন্য সালাম। এ কথাটি তিনি তিন বার বললেন। তারপর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের সময় যেন বলে, “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি”। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সালামের উত্তর দিলেনঃ ওয়া ‘আলাইকা ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ, ওয়া ‘আলাইকা ওয়া ‘আলাইকা ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ।

সহীহঃ সহীহাহ্ (১৪০৩)

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদিসটি আবূ তামীমাহ্ আল-হুজাইমী-আবূ জুরায়্যি জাবির ইবনু সুলাইম আল-হুজাইমীর সূত্রে আবূ গিফার বর্ণনা করেছেন। আবূ জুরায়্যি (রা:) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এলাম... তিনি পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। আবূ তামীমার নাম তারীফ ইবনু মুজালিদ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭২২

حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ أَبِي غِفَارٍ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلاَمُ وَلَكِنْ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ وَذَكَرَ قِصَّةً طَوِيلَةً وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির ইবনু সুলাইম (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, ‘আলাইকাস্ সালাম’। তিনি বললেন, ‘আলাইকাস্ সালাম বল না বরং ‘ আসসালামু ‘আলাইকা’ বল। তারপর তিনি দীর্ঘ ঘটনা বর্ণনা করেন।

সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭২৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَلَّمَ سَلَّمَ ثَلاَثًا وَإِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَعَادَهَا ثَلاَثًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম করার সময় তিনবার সালাম করতেন এবং কোন কথা বলার সময় তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন।

হাসান সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (১৯২), বুখারী।

আবী ‘ঈসা বলেন হাদিসটি গারীব।

হাদিসের মানঃহাসান সহিহ

২৯. অনুচ্ছেদঃ

মাজলিসে খালি জায়গায় বসা

২৭২৪

حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَالنَّاسُ مَعَهُ إِذْ أَقْبَلَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ فَأَقْبَلَ اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَهَبَ وَاحِدٌ فَلَمَّا وَقَفَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَلَّمَا فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَرَأَى فُرْجَةً فِي الْحَلْقَةِ فَجَلَسَ فِيهَا وَأَمَّا الآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ وَأَمَّا الآخَرُ فَأَدْبَرَ ذَاهِبًا فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ عَنِ النَّفَرِ الثَّلاَثَةِ أَمَّا أَحَدُهُمْ فَأَوَى إِلَى اللَّهِ فَآوَاهُ اللَّهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَاسْتَحْيَا فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو وَاقِدٍ اللَّيْثِيُّ اسْمُهُ الْحَارِثُ بْنُ عَوْفٍ وَأَبُو مُرَّةَ مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ وَاسْمُهُ يَزِيدُ وَيُقَالُ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏

আবূ ওয়াকিদ আল-লাইসী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক সময় কয়েকজন লোকসহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে বসা ছিলেন। সে সময় তিনজন লোক এসে হাযির হল। তাদের দু’জন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে আসল এবং একজন চলে গেল। এরা দু’জন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাম করল এবং এদের একজন বৈঠকে খালি জায়গা দেখে বসে পড়ল আর অন্যজন লোকদের পিছনে গিয়ে বসল। এদের তৃতীয়জন তো পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অবসর হলেন , তখন উপস্থিত লোকদেরকে বললেনঃ আমি কি এদের তিনজনের ব্যাপারে তোমাদেরকে জানাবো না? এদের একজন তো আল্লাহ তা’আলার আশ্রয় নিল, ফলে আল্লাহ তাকে আশ্রয় দিয়েছেন; দ্বিতীয়জন লজ্জা পেল, কাজেই আল্লাহ তা’আলা ও তার হতে লজ্জা করেছেন, আর তৃতীয়জন আল্লাহ হতে মুখ ফিরিয়ে নিল, কাজেই আল্লাহ তা’আলাও তার হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। আবূ ওয়াকিদ আল-লাইসীর নাম আল-হারিস ইবনু আওফ। আবূ মুর্রাহ্ হলেন উম্মু হানী (রা:) বিনতু আবী তালিবের মুক্তদাস, মতান্তরে আকীল (রা:) ইবনু আবী তালিবের মুক্তদাস, তার নাম ইয়াজিদ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭২৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَلَسَ أَحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ عَنْ سِمَاكٍ أَيْضًا ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসতাম, তখন যে যেখানেই জায়গা পেতো সে সেখানেই বসে পড়তো।

সহীহঃ সহীহাহ্ (৩৩০), তাখরীজুল ‘ইল্‌ম লি আবী খাইসামহ্ (১০০)।

আবী ‘ঈসা বলেন , এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদিসটি সিমাকের সূত্রে যুহাইর ইবনু মু’আবিয়াহ্ও বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

৩০. অনুচ্ছেদঃ

পথের পার্শ্বে বসা লোকের দায়িত্ব

২৭২৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، وَلَمْ يَسْمَعْهُ مِنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِنَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُمْ جُلُوسٌ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنْ كُنْتُمْ لاَ بُدَّ فَاعِلِينَ فَرُدُّوا السَّلاَمَ وَأَعِينُوا الْمَظْلُومَ وَاهْدُوا السَّبِيلَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাস্তার পাশে বসা কয়েকজন আনসারীর সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাদের বললেনঃ তোমাদের খুব প্রয়োজনে রাস্তায় বসতে হলে তোমরা সালামের জবাব দিবে, মাযলুমদকে সাহায্য করবে এবং লোকদেরকে রাস্তা দেখিয়ে দিবে।

মতন (বক্তব্য) সহীহ।

আবূ হুরাইরাহ্ ও আবূ শুরায়হ্ আল-খুযাঈ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছে্দে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গরীব।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

৩১. অনুচ্ছেদঃ

মুসাফাহার (করমর্দন) বর্ণনা

২৭২৭

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الْبَرَاءِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ وَالأَجْلَحُ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ الْكِنْدِيُّ ‏.‏

বারাআ ইবনু ‘আযিব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দু’জন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করে তাদের আলাদা হবার পূর্বেই তাদের (সগীরা ) গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭০৩)

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান এবং আবূ ইসহাক-বারাআ (রা:)-এর সূত্রে গারীব। বারাআ (রা:) হতে ভিন্ন সূত্রেও এ হাদিসটি বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭২৮

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ مِنَّا يَلْقَى أَخَاهُ أَوْ صَدِيقَهُ أَيَنْحَنِي لَهُ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَفَيَلْتَزِمُهُ وَيُقَبِّلُهُ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَفَيَأْخُذُ بِيَدِهِ وَيُصَافِحُهُ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , কোন একসময় জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল , হে আল্লাহর রাসুল ! আমাদের কোন ব্যক্তি তার ভাই কিংবা বন্ধুর সাথে দেখা করলে সে কি তার সামনে ঝুঁকে (নত) যাবে? তিনি বললেনঃ না। সে আবার প্রশ্ন করন , তাহলে কি সে গলাগলি করে তাকে চুমু খাবে? তিনি বললেনঃ না। সে এবার বলল, তাহলে সে তার হাত ধরে মুসাফাহা (করমর্দন) করবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।

হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭০২)।

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান ।

হাদিসের মানঃহাসান হাদিস

২৭২৯

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ هَلْ كَانَتِ الْمُصَافَحَةُ فِي أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)–কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলাল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের মধ্যে মুসাফাহার প্রচলন ছিল কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

সহীহঃ বুখারী (৬২৬৩)

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭৩০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مِنْ تَمَامِ التَّحِيَّةِ الأَخْذُ بِالْيَدِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْبَرَاءِ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ ‏.‏ قَالَ سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَلَمْ يَعُدَّهُ مَحْفُوظًا وَقَالَ إِنَّمَا أَرَادَ عِنْدِي حَدِيثَ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ خَيْثَمَةَ عَمَّنْ سَمِعَ ابْنَ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ سَمَرَ إِلاَّ لِمُصَلٍّ أَوْ مُسَافِرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَإِنَّمَا يُرْوَى عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مِنْ تَمَامِ التَّحِيَّةِ الأَخْذُ بِالْيَدِ ‏.‏

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সালামের সময় হাত ধরা (মুসাফাহা করা) সালামের পূর্ণতা সম্পাদনকারী।

যঈফ, যঈফা (২৬৯১)

এ অনুচ্ছেদে বারাআ এবং ইবনু উমার হতেও হাদিস বর্নিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সুলাইম হতে সুফিয়ানের সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদিস জেনেছি । আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে এ হাদিস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি এটিকে সংরক্ষিত বলে মনে করেননি এবং বলেছেন, সম্ভবত ইয়াহ্‌ইয়া- আমার মতে সুফিয়ান বর্ণিত হাদিস উদ্দেশ্য করেছিলেন যা মানসূর-খাইসামা হতে যিনি ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন- তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি নামায আদায়ের ইচ্ছা রাখে সে এবং মুসাফির ছাড়া (এশার পর) আলাপ-আলোচনা করার অনুমতি নেই”। মুহাম্মাদ আল-বুখারী আরো বলেন, মানসূর-আবূ ইসহাক হতে তিনি আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ অথবা অপরের সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “মুসাফাহা করলে সালাম পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়”।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

২৭৩১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ تَمَامُ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ أَنْ يَضَعَ أَحَدُكُمْ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ أَوْ قَالَ عَلَى يَدِهِ فَيَسْأَلَهُ كَيْفَ هُوَ وَتَمَامُ تَحِيَّاتِكُمْ بَيْنَكُمُ الْمُصَافَحَةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا إِسْنَادٌ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زَحْرٍ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ ضَعِيفٌ وَالْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُكْنَى أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ ثِقَةٌ وَالْقَاسِمُ شَامِيٌّ ‏.‏

আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রোগীকে সম্পূর্নভাবে সেবা করার পূর্ণতা হল তার কপালে হাত রাখা অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বলেনঃ রোগীর হাতের উপর হাত রেখে প্রশ্ন করা, সে কেমন আছে? আর তোমাদের সালামের পূর্ণতা হল একে অন্যের সঙ্গে মুসাফাহা করা।

যঈফ, যঈফা (১২৮৮)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটির সনদ খুব একটা মজবুত নয়। মুহাম্মাদ (বুখারী রহঃ) বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনু যাহ্‌র বিশ্বস্ত রাবী এবং আলী ইবনু ইয়াযীদ দূর্বল রাবী। আল-কাসিম হলেন আবদুর রহমানের পুত্র, উপনাম আবূ আবদুর রহমান, তিনি বিশ্বস্ত রাবী । তিনি আবদুর রহমান ইবনু খালিদ ইবনু ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়ার মুক্তদাস। আল-কাসিম সিরিয়ার অধিবাসী।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

৩২. অনুচ্ছেদঃ

মুআনাকা (কোলাকুলি) ও চুম্বন

২৭৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدِمَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ الْمَدِينَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي فَأَتَاهُ فَقَرَعَ الْبَابَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُرْيَانًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُهُ عُرْيَانًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ فَاعْتَنَقَهُ وَقَبَّلَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যাইদ ইবনু হারিসা (রাঃ) যখন (সফর হতে) মদীনায় ফিরে এলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন আমার ঘরে ছিলেন। তিনি এসে দরজা খটখট করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খালি গায়ে কাপড় টানতে টানতে তার নিকটে গেলেন। আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তাঁকে আগে বা পরে কখনো খালি গায়ে দেখিনি। তারপর তিনি যাইদের সাথে কোলাকুলি করলেন এবং তাকে চুমু খেলেন।

যঈফ, মিশকাত (৪৬৮২), রিয়াদুস সালেহীন এর মুকাদ্দামা (ওয়াও/৫) নাকদুল কাত্তানী (১৬)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। যুহ্‌রীর বর্ণনা হিসাবে আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রে এ হাদিস জেনেছি।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

৩৩. অনুচ্ছেদঃ

হাতে ও পায়ে চুমু দেওয়া

২৭৩৩

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ قَالَ يَهُودِيٌّ لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ ‏.‏ فَقَالَ صَاحِبُهُ لاَ تَقُلْ نَبِيٌّ إِنَّهُ لَوْ سَمِعَكَ كَانَ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ ‏.‏ فَأَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ تِسْعِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ‏.‏ فَقَالَ لَهُمْ ‏"‏ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى ذِي سُلْطَانٍ لِيَقْتُلَهُ وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تُوَلُّوا الْفِرَارَ يَوْمَ الزَّحْفِ وَعَلَيْكُمْ خَاصَّةً الْيَهُودَ أَنْ لاَ تَعْتَدُوا فِي السَّبْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَبَّلُوا يَدَهُ وَرِجْلَهُ فَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا يَمْنَعُكُمْ أَنْ تَتَّبِعُونِي ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا إِنَّ دَاوُدَ دَعَا رَبَّهُ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ تَبِعْنَاكَ أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ وَابْنِ عُمَرَ وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহূদী তার এক সঙ্গিকে বলল, আস আমরা এই নবীর নিকট যাই। তার বন্ধু বলল, নবী বলো না, তিনি যদি শুনে ফেলেন তাহলে খুশীতে তাঁর চার চোখ হয়ে যাবে। অতঃপর এরা দু’জন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তিনি তাদের বললেনঃ আল্লাহ্‌র সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না, চুরি করো না, যেনা করো না, আল্লাহ যেসব প্রাণ হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন সঙ্গত কারণ ছাড়া সেগুলো হত্যা করো না, হত্যার উদ্দেশ্যে কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে বিচারালয়ে নিয়ে যেও না, যাদু করো না, সুদ খেয়ো না, সতী-সাধ্বী মহিলাকে যেনার অপবাদ দিও না, যুদ্ধের ময়দান থেকে পিঠ ফিরিয়ে পলায়ন করো না এবং বিশেষ করে তোমরা ইয়াহূদীগণ শনিবারের সীমা লংঘন করো না। রাবী বলেন, এসব স্পষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যা শুনে তারা তাঁর হাতে-পায়ে চুমু দিল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নবী। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তাহলে আমার অনুসরণ করতে তোমাদের বাধা কিসের? রাবী বলেন, তারা বলল, দাঊদ (আঃ) তাঁর রবের নিকটে দু’আ করেছিলেন যে, তাঁর (বংশধরের) সন্তানদের মধ্যেই যেন নবী হন। আমরা আশংকা করছি আমরা যদি আপনার অনুসরণ করি তাহলে ইয়াহূদীগণ আমাদের হত্যা করে ফেলবে।

যঈফ, ইবনু মাযাহ (৩৭০৫)

এ অনুচ্ছেদে ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ, ইবনু উমার ও কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

৩৪. অনুচ্ছেদঃ

মারহাবা (স্বাগতম) বলা

২৭৩৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ، تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ قَالَتْ فَسَلَّمْتُ فَقَالَ ‏"‏ مَنْ هَذِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا أُمُّ هَانِئٍ فَقَالَ ‏"‏ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً طَوِيلَةً هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উম্মু হানী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের বৎসর রাসুলাল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হাযির হলাম। তখন তিনি গোসল করছিলেন। এবং ফাতিমা (রাঃ) একটি কাপড় দ্বারা তাঁকে আড়াল করে রেখেছিলেন। তিনি বলেন , আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি (রাসুল্লাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইই ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেনঃ কে? আমি বললাম , আমি উম্মু হানী। তিনি বললেনঃ উম্মু হানীকে স্বাগতম। তারপর বর্ণনাকারী এ হাদীসের পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করেন।

সহীহঃ বুখারী (৩৫৭) , মুসলিম (২/১৫৮)।

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস

২৭৩৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ أَبُو حُذَيْفَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ جِئْتُهُ ‏ "‏ مَرْحَبًا بِالرَّاكِبِ الْمُهَاجِرِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي جُحَيْفَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ سُفْيَانَ ‏.‏ وَمُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ بَشَّارٍ يَقُولُ مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَكَتَبْتُ كَثِيرًا عَنْ مُوسَى بْنِ مَسْعُودٍ ثُمَّ تَرَكْتُهُ ‏.‏ كَمُلَ كِتَابُ الاِسْتِئْذَانِ وَيَتْلُوهُ كِتَابُ الأَدَبِ

ইকরিমা (রাঃ) ইবনু আবূ জাহল থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যেদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এলাম তখন তিনি বললেনঃ আরোহী মুহাজিরকে খোশআমদেদ।

সনদ দূর্বল

এ অনুচ্ছেদে বুরাইদা, ইবনু আব্বাস ও আবূ জুহাইফা (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটির সনদ সহীহ নয়। মূসা ইবনু মাসঊদী-সুফিয়ান সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এরকম হাদিস জেনেছি। মূসা ইবনু মাসঊদী হাদিস শাস্ত্রে দূর্বল। আবদুর রহমান ইবনু মাহ্‌দী (রহঃ) সুফিয়ান হতে আবূ ইসহাক সূত্রে এ হাদিস মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এতে মুসআব ইবনু সা’দের উল্লেখ করেননি। এটাই সর্বাধিক সহীহ। আমি মুহাম্মাদ ইবনু বাশশারকে বলতে শুনেছি যে, মূসা ইবনু মাসঊদ হাদিস শাস্ত্রে দূর্বল। তিনি আরো বলেন, আমি মূসা ইবনু মাসঊদী হতে বহু সংখ্যক হাদিস লিখেছিলাম পরে তা বাতিল করেছি।

হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস

No comments

Powered by Blogger.