জামে' আত-তিরমিজি - অধ্যায় "তাকদীর" হাদিস নং- ২১৩৩- ২১৫৭
তাকদীর
১. অনুচ্ছেদঃ
তাকদীর বিষয়ে
তর্ক-বিতর্ক করা নিষেধ
২১৩৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا صَالِحٌ
الْمُرِّيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي الْقَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ حَتَّى
كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وَجْنَتَيْهِ الرُّمَّانُ فَقَالَ " أَبِهَذَا
أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ
حِينَ تَنَازَعُوا فِي هَذَا الأَمْرِ عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَتَنَازَعُوا
فِيهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَائِشَةَ
وَأَنَسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
مِنْ حَدِيثِ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ . وَصَالِحٌ الْمُرِّيُّ لَهُ غَرَائِبُ
يَنْفَرِدُ بِهَا لاَ يُتَابَعُ عَلَيْهَا .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন একসময় আমাদের সামনে এসে
দেখলেন যে, আমরা তাকদীর বিষয়ক তর্কে-বিতর্কে লিপ্ত হয়েছি। তিনি ভীষণ রাগান্বিত
হলেন, এতে তাঁর মুখমন্ডল এমন লালবর্ণ ধারণ করল যেন তাঁর দুই গালে ডালিম নিংড়িয়ে
দেয়া হয়েছে। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা কি এজন্য আদেশপ্রাপ্ত হয়েছ, না আমি তোমাদের
প্রতি এটা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি? এ বিষয়ে তোমাদের পূর্ববর্তী জনগণেরা যখনই বাক-বিতন্ডা
করেছে তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সাথে তোমাদেরকে বলছিঃ তোমরা এ
বিষয়ে কখনো যেন বিতর্কে লিপ্ত না হও।
হাসান, মিশকাত (৯৮,৯৯)।
আবূ ঈসা বলেন, উমার, আইশা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস
বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ বিষয়ে সালিহ আল-মুররীর বর্ণনা ব্যতীত আর কিছু
জানি না। তার আরো কিছু গারীব পর্যায়ভুক্ত একক বর্ণনা আছে।
হাদিসের
মানঃ হাসান হাদিস ২. অনুচ্ছেদঃ
আদম (আঃ) ও মূসা
(আঃ)-এর পারস্পরিক বিতর্ক
২১৩৪
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ،
حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " احْتَجَّ آدَمُ
وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ
وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ أَغْوَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ
الْجَنَّةِ . قَالَ فَقَالَ آدَمُ وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ
بِكَلاَمِهِ أَتَلُومُنِي عَلَى عَمَلٍ عَمِلْتُهُ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَىَّ
قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ قَالَ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى
" . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَجُنْدَبٍ .
وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ
سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنِ الأَعْمَشِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ
الأَعْمَشِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ
عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরাইরা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (রূহ্ জগতে) আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ)
পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হন। মূসা (আঃ) আদম (আঃ)-কে বলেনঃ আপনি তো সেই আদম, যাঁকে
আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাতে বানিয়েছেন এবং আপনার মধ্যে তাঁর রূহ্ সঞ্চার করেছেন। আর
আপনিই মানবজাতির বিপথগামী ও তাদেরকে জান্নাত হতে বহিষ্কারের কারণ হলেন?
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তারপর আদম (আঃ) বললেনঃ
আপনিই তো মূসা, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে কথা বলার জন্য আপনাকে মনোনীত করেছেন। আপনি
এরূপ একটি কাজের জন্য আমাকে অভিযুক্ত করছেন, যা করার সিদ্ধান্তকে আল্লাহ তা‘আলা
আসমান-যামীন সৃষ্টির পূর্বেই আমার জন্য লিখে রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তারপর সেই বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হন।
সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (৮০), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, উমার ও জুনদাব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত
আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ এবং সুলাইমান আত-তাইমী-আমাশের সূত্রে গারীব। আর আমাশের
কিছু শিষ্য-আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর
কিছু বর্ণনাকারী আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর
বরাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৩. অনুচ্ছেদঃ
সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য
২১৩৫
حَدَّثَنَا
بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ،
يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَا
نَعْمَلُ فِيهِ أَمْرٌ مُبْتَدَعٌ أَوْ مُبْتَدَأٌ أَوْ فِيمَا قَدْ فُرِغَ مِنْهُ
فَقَالَ " فِيمَا قَدْ فُرِغَ مِنْهُ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ وَكُلٌّ
مُيَسَّرٌ أَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَإِنَّهُ يَعْمَلُ
لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشَّقَاءِ فَإِنَّهُ يَعْمَلُ
لِلشَّقَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ
وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ وَأَنَسٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . وَهَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, উমার (রাঃ) প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)! আমলের ক্ষেত্রে আপনার অভিমত কি? আমরা যেসব কাজ করি তা কি নতুনভাবে ঘটল
না আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে? তিনি বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! তা আগে থেকেই
নির্ধারিত হয়ে আছে। আর সকলের করণীয় বিষয় সহজ করে রাখা হয়েছে। যারা সৌভাগ্যবানদের
অন্তর্ভুক্ত তারা অবশ্যই সাওয়াবের কাজ সম্পাদন করে আর যারা দুর্ভাগ্যবানদের
অন্তর্ভুক্ত তারা দুর্ভাগ্যজনক কাজই সম্পাদন করে থাকে।
সহীহ, যিলালুল জান্নাহ (১৬১, ১৬৭)।
আবূ ঈসা বলেন, আলী, হুযাইফা ইবনু উসাইদ, আনাস ও ইমরান ইবনু হুসাইন
(রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ২১৩৬
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
نُمَيْرٍ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي
عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَنْكُتُ فِي الأَرْضِ إِذْ رَفَعَ
رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ
قَدْ عُلِمَ وَقَالَ وَكِيعٌ إِلاَّ قَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ
وَمَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ " . قَالُوا أَفَلاَ نَتَّكِلُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ قَالَ " لاَ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, কোন একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে
অবস্থান করছিলাম। তিনি তখন কাঠি দিয়ে মাটির মধ্যে দাগ কাটছিলেন। হঠাৎ আকাশের দিকে
মাথা উঠিয়ে তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার ঠিকানা জাহান্নামে
বা জান্নাতে চিহ্নিত করে বা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়নি। তারা প্রশ্ন করলেন, হে
আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাহলে আমরা কি (সেই লেখার
উপর) নির্ভর করে থাকবো না? তিনি বললেনঃ না, বরং কাজ সম্পাদন করতে থাক। কেননা, যাকে
যে কাজের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য সেই কাজকে সহজ করে দেয়া হয়।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৭৮), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৪. অনুচ্ছেদঃ
আমল শেষ অবস্থার উপর
নির্ভরশীল
২১৩৭
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ
حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ
" إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ فِي أَرْبَعِينَ
يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ
ذَلِكَ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ إِلَيْهِ الْمَلَكَ فَيَنْفُخُ فِيهِ وَيُؤْمَرُ
بِأَرْبَعٍ يَكْتُبُ رِزْقَهُ وَأَجَلَهُ وَعَمَلَهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ
فَوَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ
الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ ثُمَّ
يَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ
فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا
يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ ثُمَّ يَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ
فَيُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا " . قَالَ
أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا
الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ،
قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنِ
الأَعْمَشِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ
وَأَنَسٍ . وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ
حَنْبَلٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ بِعَيْنِي مِثْلَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ
.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
زَيْدٍ، نَحْوَهُ .
আবদুল্লাহ ইবনু
মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেছেন, আর তিনি
তো সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃতঃ তোমাদের সকলেই তার মায়ের গর্ভে সৃষ্টির
চল্লিশদিন পর্যন্ত (জমাট বাঁধা) শুক্ররূপে সমন্বিত হতে থাকে, তারপর রক্তপিন্ডরূপে
চল্লিশদিন বিদ্যমান থাকে, তারপর অনুরূপ দিনে গোশতপিন্ডের রূপ ধারণ করে। তারপর
আল্লাহ তা‘আলা তার নিকট একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং তার মধ্যে রূহ্ সঞ্চার করেন।
আর চারটি বিষয়ে তাকে আদেশ করা হয়। সুতরাং তার রিযিক, মৃত্যু, তার কার্যক্রম এবং সে
সৌভাগ্যবান না দুর্ভাগ্যবান-এই বিষয়গুলো সেই ফেরেশতা লিখে দেন। সেই সত্তার শপথ,
যিনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই! তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি জান্নাতীদের আমল করতে
থাকে, এমনকি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকে। এমতাবস্থায় তার সেই
ভাগ্যের লেখা তার সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন জাহান্নামীদের আমলের উপর তার
পরিসমাপ্তি ঘটে, ফলে সে জাহান্নামেই চলে যায়। আর তোমাদের কোন ব্যক্তি
জাহান্নামীদের কর্ম সম্পাদন করতে থাকে, এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত
পরিমাণ দূরত্ব থাকে। এমতাবস্থায় তার সামনে ভাগ্যের সেই লেখা এসে হাযির হয় এবং
জান্নাতীদের আমলের উপর তার পরিসমাপ্তি ঘটে, ফলে সে জান্নাতে চলে যায়।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৭৬), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-ইয়াহ্ইয়া
ইবনু সাঈদ হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি যাইদ ইবনু ওয়াহ্ব হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ
(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমাদেরকে বলেছেন . . . . . পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা ও
আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বর্ণনাকারী বলেন, আহ্মাদ ইবনুল হাসানকে
আমি বলতে শুনেছি, আমি আহ্মাদ ইবনু হাম্বলকে বলতে শুনেছিঃ আমি আমার চোখে ইয়াহ্ইয়া ইবনু
সাঈদ আল-কাত্তানের মতো ব্যক্তিত্ব আর দেখিনি। এই সনদসূত্রে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্।
আমাশের সূত্রে শুবা ও সাওরীও একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু আলা ওয়াকী’
হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি যাইদ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৫. অনুচ্ছেদঃ
প্রত্যেক শিশু
প্রকৃতিগত স্বভাবের উপর জন্মগ্রহণ করে
২১৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ
الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رَبِيعَةَ الْبُنَانِيُّ،
حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى
الْمِلَّةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُشَرِّكَانِهِ
" . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ هَلَكَ قَبْلَ ذَلِكَ قَالَ
" اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ بِهِ " .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا
وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَقَالَ " يُولَدُ
عَلَى الْفِطْرَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
. وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُهُ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . وَفِي
الْبَابِ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ سَرِيعٍ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলার
বিধানের অনুগত হিসাবেই প্রত্যেকটি সন্তান জন্ম নেয়। তারপর তার বাবা-মা তাকে
ইয়াহূদী, খৃষ্টান অথবা মুশ্রিক হিসাবে গড়ে তোলে। বলা হলো, হে আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যেসব সন্তান এর আগেই (শিশু থাকাবস্থায়)
মৃত্যুবরণ করে? তিনি বললেনঃ তারা (জীবিত থাকলে) কি ধরনের আমল করত সে বিষয়ে আল্লাহ
তা‘আলা অধিক অবগত।
সহীহ, ইরওয়া (১২২০), বুখারী, মুসলিম।
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে আবূ কুরাইব ও হুসাইন
ইবনু হুরাইস হতে, তাঁরা ওয়াকী হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা
(রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে। আর এই হাদীসে
“ইঊলাদু আলাল-মিল্লাতি”-এর স্থালে “ইঊলাদু আলাল ফিতরাতি” (প্রকৃতিগত স্বভাবের উপর জন্ম
নেয়) বাক্য এসেছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এই হাদীসটি শুবা ও অন্যান্যরা
আ’মাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তাতেও “ইঊলাদু আলাল ফিতরাতি” উল্লেখ আছে।
আসওয়াদ ইবনু সারী হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৬. অনুচ্ছেদঃ
দু’আ ব্যতীত ভাগ্যের
পরিবর্তন হয় না।
২১৩৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالاَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ، عَنْ أَبِي مَوْدُودٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ
التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلاَّ
الدُّعَاءُ وَلاَ يَزِيدُ فِي الْعُمُرِ إِلاَّ الْبِرُّ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
مِنْ حَدِيثِ سَلْمَانَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ
الضُّرَيْسِ . وَأَبُو مَوْدُودٍ اثْنَانِ أَحَدُهُمَا يُقَالُ لَهُ فِضَّةٌ
وَهُوَ الَّذِي رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ اسْمُهُ فِضَّةٌ بَصْرِيٌّ وَالآخَرُ
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ أَحَدُهُمَا بَصْرِيٌّ وَالآخَرُ
مَدَنِيٌّ وَكَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ .
সালমান (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’আ ব্যতীত অন্য
কোন কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই হায়াত
বাড়াতে পারে না।
হাসান, সহীহাহ (১৫৪)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ উসাইদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত
আছে। এ হাদীসটি হাসান এবং সালমান (রাঃ)-এর বর্ণনা হিসাবে গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র
ইয়াহ্ইয়া ইবনুয যুরাইসের সূত্রে জেনেছি। আবূ মাওদূদ দুই ব্যক্তি। এ দুজনের মধ্যে একজনের
নাম ফিযযাহ, আল-বাসরী যিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অন্যজন হলেন আবদুল আযীয ইবনু আবী
সুলাইমান আল-মাদানী। আর তারা ছিলেন সমসাময়িক।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৭. অনুচ্ছেদঃ
আল্লাহ্ তা‘আলার দুই
আঙ্গুলের মধ্যে সমস্ত অন্তর অবস্থিত
২১৪০
حَدَّثَنَا
هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ،
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ
يَقُولَ " يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
" . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ آمَنَّا بِكَ وَبِمَا جِئْتَ بِهِ
فَهَلْ تَخَافُ عَلَيْنَا قَالَ " نَعَمْ إِنَّ الْقُلُوبَ بَيْنَ
أَصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ يُقَلِّبُهَا كَيْفَ يَشَاءُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَأُمِّ
سَلَمَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ
. وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ أَصَحُّ
.
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দু‘আ অধিক পাঠ করতেনঃ হে
অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো।
আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা ঈমান
এনেছি আপনার উপর এবং আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর। আপনি আমাদের ব্যাপারে কি কোনরকম
আশংকা করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা, আল্লাহ্ তা‘আলার আঙ্গুলসমূহের মধ্যকার দুটি
আঙ্গুলের মাঝে সমস্ত অন্তরই অবস্থিত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তন করেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৮৩৪)।
আবূ ঈসা বলেন, নাওয়াস ইবনু সাম্আন, উম্মু সালামা, আব্দুল্লাহ্
ইবনু আমর ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। আমাশ-আবূ
সুফিয়ান হতে, তিনি আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
কেউ কেউ আমাশ-আবূ সুফিয়ান হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে আবূ সুফিয়ানের
বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ্।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৮. অনুচ্ছেদঃ
জান্নাতী ও
জাহান্নামীদের জন্য একটি করে গ্রন্থ আল্লাহ তা‘আলা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।
২১৪১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ، عَنْ شُفَىِّ
بْنِ مَاتِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي يَدِهِ كِتَابَانِ فَقَالَ "
أَتَدْرُونَ مَا هَذَانِ الْكِتَابَانِ " . فَقُلْنَا لاَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ إِلاَّ أَنْ تُخْبِرَنَا . فَقَالَ لِلَّذِي فِي يَدِهِ الْيُمْنَى
" هَذَا كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ فِيهِ أَسْمَاءُ أَهْلِ
الْجَنَّةِ وَأَسْمَاءُ آبَائِهِمْ وَقَبَائِلِهِمْ ثُمَّ أُجْمِلَ عَلَى
آخِرِهِمْ فَلاَ يُزَادُ فِيهِمْ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْهُمْ أَبَدًا " .
ثُمَّ قَالَ لِلَّذِي فِي شِمَالِهِ " هَذَا كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ
فِيهِ أَسْمَاءُ أَهْلِ النَّارِ وَأَسْمَاءُ آبَائِهِمْ وَقَبَائِلِهِمْ ثُمَّ
أُجْمِلَ عَلَى آخِرِهِمْ فَلاَ يُزَادُ فِيهِمْ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْهُمْ أَبَدًا
" . فَقَالَ أَصْحَابُهُ فَفِيمَ الْعَمَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ
كَانَ أَمْرٌ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ فَقَالَ " سَدِّدُوا وَقَارِبُوا فَإِنَّ
صَاحِبَ الْجَنَّةِ يُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنْ عَمِلَ أَىَّ
عَمَلٍ وَإِنَّ صَاحِبَ النَّارِ يُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ وَإِنْ
عَمِلَ أَىَّ عَمَلٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
بِيَدَيْهِ فَنَبَذَهُمَا ثُمَّ قَالَ " فَرَغَ رَبُّكُمْ مِنَ الْعِبَادِ
فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ " . حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ عَنْ أَبِي قَبِيلٍ نَحْوَهُ . قَالَ
أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو قَبِيلٍ اسْمُهُ حُيَىُّ بْنُ هَانِئٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু আমর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুটি গ্রন্থ তাঁর দুই হাতে
নিয়ে আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা এই দুটি গ্রন্থের ব্যাপারে কি জান? আমরা বললাম,
না, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তবে যদি আপনি আমাদেরকে
জানিয়ে দিন। তিনি তাঁর ডানহাতের গ্রন্থের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটা রাব্বুল
‘আলামীনের পক্ষ হতে একটি কিতাব। এতে জান্নাতী সকল ব্যক্তির নাম, তাদের বাপ-দাদার
নাম ও তাদের গোত্রের নাম লিখা আছে। আর শেষে এর যোগফল রয়েছে এবং এতে কম-বেশি করা
হবে না। তারপর তিনি তার বামহাতের গ্রন্থের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটাও আল্লাহ
রাব্বুল ‘আলামীনের পক্ষ হতে একটি গ্রন্থ। এতে জাহান্নামী সকল ব্যক্তির নাম, তাদের
বাপ-দাদার নাম ও গোত্রের নাম লিখা আছে। এর শেষেও যোগফল রয়েছে। এতে কখনো
কমানো-বাড়ানো হবে না। তাঁর সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! বিষয়টি এরূপভাবেই চূড়ান্ত হয়ে থাকলে তবে আর আমলের কি
প্রয়োজন? তিনি বললেনঃ তোমরা সঠিক পথে থেকে সঠিকভাবে কাজ করতে থাক এবং আল্লাহ্
তা‘আলার নৈকট্য হাসিলে চেষ্টা কর। কেননা, জান্নাতী লোকের শেষ মুহূর্তের আমল
জান্নাতীদের আমলই হবে, সে পূর্বে যে আমলই করুক না কেন। আবার জাহান্নামীর শেষ
মুহূর্তের কাজ জাহান্নামীদের আমলই হবে, সে পূর্বে যে আমলই করুক না কেন। তারপর
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দুইহাতে ইশারা করেন এবং
কিতাব দুটি ফেলে দিয়ে বলেনঃ তোমাদের প্রভু তাঁর বান্দাহদের আমল চূড়ান্ত করে
ফেলেছেন। একদল জান্নাতে প্রবেশ করবে আর অন্যদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
হাসান, মিশকাত (৯৬), সহীহাহ্ (৮৪৮), আয্যিলা-ল (৩৪৮)।
কুতাইবা-বাক্র ইবনু মুযার হতে, তিনি আবূ কাবীল (রহঃ) হতে এই সূত্রে
উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে
হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব। আর আবূ কাবীলের নাম হুয়াই ইবনু হানী।
হাদিসের
মানঃ হাসান হাদিস ২১৪২
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ
أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرَادَ
اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ " . فَقِيلَ كَيْفَ
يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ
قَبْلَ الْمَوْتِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
.
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা যদি
তাঁর কোন বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন।
প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তিনি
কিভাবে তাকে কাজ করার তাওফিক দেন? তিনি বললেনঃ তিনি সেই বান্দাহকে মারা যাবার আগে
সৎকাজের সুযোগ দান করেন।
সহীহ, আর-রাওযুন নাযীর (২/৮৭), মিশকাত (৫২৮৮), আয্যিলা-ল (৩৯৭-৩৯৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ৯. অনুচ্ছেদঃ
রোগ সংক্রমণ,
প্যাঁচার ডাক বা সফর মাস প্রসঙ্গে অশুভ ধারণা ঠিক নয়
২১৪৩
حَدَّثَنَا
بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرِو بْنِ
جَرِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا صَاحِبٌ، لَنَا عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَامَ
فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ يُعْدِي شَيْءٌ
شَيْئًا " . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْبَعِيرُ
الْجَرِبُ الْحَشَفَةُ نُدْبِنُهُ فَيُجْرِبُ الإِبِلَ كُلَّهَا . فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَمَنْ أَجْرَبَ الأَوَّلَ لاَ
عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ خَلَقَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ وَكَتَبَ حَيَاتَهَا
وَرِزْقَهَا وَمَصَائِبَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ
عَمْرِو بْنِ صَفْوَانَ الثَّقَفِيَّ الْبَصْرِيَّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ
الْمَدِينِيِّ يَقُولُ لَوْ حَلَفْتُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ لَحَلفْتُ
أَنِّي لَمْ أَرَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ .
ইবনু মাসঊদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বললেনঃ
কোন কিছুই অন্য কিছুকে সংক্রমণ করতে পারে না। কোন এক মফস্বলের লোক বলল, হে আল্লাহ্র
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যে উটের লিঙ্গে চর্মরোগ আছে সে তো সব
উটকেই চর্মরোগাক্রান্ত করে ফেলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ তাহলে প্রথম উটটিকে কে চর্মরোগাক্রান্ত করেছিল? ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই
এবং সফর মাসকেও অশুভ বলে ভাবার মতো কিছু নেই। আল্লাহ তা‘আলা সকল প্রাণী সৃষ্টি
করেছেন এবং তার জীবনকাল, রিযিক ও বিপদাপদ সবকিছু লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন।
সহীহ, সহীহাহ্ (১১৫২)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে
হাদীস বর্ণিত আছে। আমি মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু সাফওয়ান আস-সাকাফী আল-বাসরীকে বলতে
শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আলী ইবনুল মাদীনীকে বলতে শুনেছিঃ আমি রুকনে ইয়ামানী ও মাকামে
ইবরাহীমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শপথ করে বলতে পারি যে, আবদুর রাহমান ইবনু মাহ্দী হতে অধিক
বড় আলিম আমি আর দ্বিতীয়জন দেখিনি।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ১০. অনুচ্ছেদঃ
তাক্বদীর ও তার
ভাল-মন্দের উপর ঈমান
২১৪৪
حَدَّثَنَا
أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ حَتَّى يَعْلَمَ
أَنَّ مَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَهُ لَمْ يَكُنْ
لِيُصِيبَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُبَادَةَ
وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَيْمُونٍ . وَعَبْدُ
اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ .
জাবির ইবনু
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন বান্দাহই
মু’মিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে তাক্বদীর ও তার ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনবে।
এমনকি তার নিশ্চিত বিশ্বাস থাকতে হবে যে, যা কিছু ঘটেছে তা কিছুতেই অঘটিত থাকত না
এবং যা কিছু ঘটে নাই তা কখনোও তাকে স্পর্শ করবে না।
সহীহ্, সহীহাহ্ (২৪৩৯)।
আবূ ঈসা বলেন, উবাদা, জাবির ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ
অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আবদুল্লাহ
ইবনু মাইমূনের সূত্রেই জেনেছি। আর হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে আবদুল্লাহ ইবনু মাইমূন মুনকার
(প্রত্যাখ্যাত)।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ২১৪৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو
دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ
حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ وَأَنِّي مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ بَعَثَنِي بِالْحَقِّ وَيُؤْمِنُ
بِالْمَوْتِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَيُؤْمِنُ بِالْقَدَرِ " .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ
شُعْبَةَ، نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ رِبْعِيٌّ عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَلِيٍّ،
. قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ، عِنْدِي أَصَحُّ
مِنْ حَدِيثِ النَّضْرِ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ
رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ . حَدَّثَنَا الْجَارُودُ قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعًا
يَقُولُ بَلَغَنَا أَنَّ رِبْعِيًّا لَمْ يَكْذِبْ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً .
আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোকই ঈমানদার
হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে চারটি বিষয়ের উপর ঈমান আনবেঃ (১) সে এ কথার সাক্ষ্য
দিবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত আর কোন প্রভু নেই এবং আমি মুহাম্মাদ আল্লাহ্র
রাসূল, তিনি আমাকে সত্যসহকারে প্রেরণ করেছেন; (২) মৃত্যুর উপর ঈমান আনবে; (৩)
মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে ঈমান আনবে এবং (৪) তাক্বদীরের উপর ঈমান আনবে।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৮১)।
মাহমূদ ইবনু গাইলান-নাযার ইবনু শুমাইল হতে, তিনি শুবা (রহঃ) হতে
উপরের হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এই সূত্রে রিবঈ জনৈক লোকের সূত্রে আলী
(রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, নাযারের বর্ণিত হাদীসের চাইতে আবূ দাঊদ কর্তৃক
শুবা (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ্। মানসূর-রিবঈ হতে, তিনি আলী
(রাঃ)-এর সূত্রে আরো একাধিক বর্ণানাকারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। জারূদ আমাদেরকে বলেছেন,
আমি ওয়াকীকে বলতে শুনেছিঃ আমি অবগত হয়েছি যে, রিবঈ ইবনু হিরাশ (খিরাশ) তার ইসলামী জীবনে
কখনোও একটি মিথ্যা কথাও বলেননি।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ১১. অনুচ্ছেদঃ
যে স্থানে যার মৃত্যু
অবধারিত, তার সে স্থানেই মৃত্যু হবে।
২১৪৬
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مَطَرِ بْنِ عُكَامِسٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَضَى اللَّهُ لِعَبْدٍ أَنْ
يَمُوتَ بِأَرْضٍ جَعَلَ لَهُ إِلَيْهَا حَاجَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى
وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي عَزَّةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَلاَ
يُعْرَفُ لِمَطَرِ بْنِ عُكَامِسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ
هَذَا الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، وَأَبُو دَاوُدَ
الْحَفَرِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، نَحْوَهُ .
মাতার ইবনু উকামিস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যখন
যে জায়গায় কারো মৃত্যু হওয়ার ফায়সালা করেন, তখন ঐ জায়াগায় গমনের উদ্দেশ্যে তার কোন
প্রয়োজন সৃষ্টি করে দেন।
সহীহ, মিশকাত (১১০), সহীহাহ্(১২২১)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ আয্যা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত
আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মাতার
ইবনু উকামিস (রাঃ)-এর এই হাদীসটি ছাড়া আর কোন হাদীস আছে বলে আমাদের জানা নেই। উপরোক্ত
হাদীসের অনুরূপ হাদীস মাহ্মূদ ইবনু গাইলান মুআম্মাল ও আবূ দাঊদ আল-হুফারী-সুফিয়ান
(রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ২১৪৭
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ
بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي عَزَّةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِذَا قَضَى اللَّهُ لِعَبْدٍ أَنْ يَمُوتَ بِأَرْضٍ جَعَلَ لَهُ
إِلَيْهَا حَاجَةً أَوْ قَالَ بِهَا حَاجَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عَزَّةَ لَهُ صُحْبَةٌ وَاسْمُهُ يَسَارُ بْنُ
عَبْدٍ وَأَبُو الْمَلِيحِ اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ
الْهُذَلِيُّ وَيُقَالُ زَيْدُ بْنُ أُسَامَةَ .
আবূ আয্যা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন আল্লাহ তা’আলা
কোন জায়গায় কোন বান্দাহর মৃত্যু হওয়া অবধারিত করেন তখন তার জন্য সেই জায়াগায়
যাওয়ার প্রয়োজন সৃষ্টি করে দেন।
সহীহ , দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ্। আবূ আয্যা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্য পেয়েছেন। তার নাম ইয়াসার ইবনু আব্দ।
আবুল মালিহ-এর নাম আমির ইবনু উসামা ইবনু উমাইর আল-হুযালী। তিনি যাইদ ইবনু উসামা নামেও
পরিচিত।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ১২. অনুচ্ছেদঃ
ঝাড়ফুঁক বা ঔষধ কোন
কিছুই আল্লাহ নির্ধারিত তাকদীর রদ করতে পারে না
২১৪৮
حَدَّثَنَا
سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ
عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي خُزَامَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ
رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
أَرَأَيْتَ رُقًى نَسْتَرْقِيهَا وَدَوَاءً نَتَدَاوَى بِهِ وَتُقَاةً نَتَّقِيهَا
هَلْ تَرُدُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ شَيْئًا فَقَالَ " هِيَ مِنْ قَدَرِ
اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ
مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا عَنْ سُفْيَانَ عَنِ
الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ وَهَذَا أَصَحُّ هَكَذَا قَالَ
غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ .
আবূ খিযামা (রহঃ)
হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে বলেন, আমরা
এই যে ঝাড়ফুঁক করাই বা ঔষধ ব্যবহারে চিকিৎসা গ্রহণ করি বা অন্য কোন উপায়ে
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই এগুলো কি আল্লাহ্ তা’আলা নির্ধারিত ভাগ্যের কিছু বাতিল
করতে পারে বলে আপনি মনে করেন? তিনি বললেনঃতোমাদের এসব চেষ্টা-তদবীরও আল্লাহ তা’আলা
নির্ধারিত ভাগ্যের অন্তর্গত।
যঈফ, (১৯৮৩) নং হাদীস পূর্বে আলোচিত হয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি যুহ্রী
ব্যতীত আরো কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না। অবশ্য একাধিক রাবী এ হাদীসটি
সুফিয়ান (রহঃ)-এর সূত্রে যুহরী হতে তিনি আবূ খিযামা হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণনা
করেছেন। এ বর্ণনাটি অনেক বেশী সহীহ। আর অনেকেই যুহ্রী (রহঃ) হতে তিনি আবূ খিযামা
হতে তার পিতার সূত্রে এরকমই বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের
মানঃ দুর্বল
হাদিস ১৩. অনুচ্ছেদঃ
তাকদীরে অবিশ্বাসী
কাদারিয়াদের প্রসঙ্গে
২১৪৯
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ،
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ حَبِيبٍ، وَعَلِيِّ
بْنِ نِزَارٍ، عَنْ نِزَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صِنْفَانِ مِنْ أُمَّتِي لَيْسَ
لَهُمَا فِي الإِسْلاَمِ نَصِيبٌ الْمُرْجِئَةُ وَالْقَدَرِيَّةُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عُمَرَ وَرَافِعِ بْنِ
خَدِيجٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا
سَلاَّمُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ وَأَخْبَرَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ نِزَارٍ عَنْ نِزَارٍ عَنْ
عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মাতের দুই
ধরনের লোক, যাদের জন্য ইসলামের কোন অংশ নেই: মুরজিআ ও কাদারিয়া।
যঈফ, মিশকাত (১০৫) আয্যিলাল (৩৩৪, ৩৩৫),
আবূ ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে উমার, ইবনু উমার ও রাফি ইবনু খাদীজ
(রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি-মুহাম্মাদ
ইবনু বিশর হতে তিনি সাল্লাম ইবনু আবূ আমরাহ হতে তিনি ইকরিমা হতে তিনি ইবনু আব্বাস
(রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম বর্ণনা
করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু বিশর-আলী ইবনু নিযার হতে তিনি নিযার
হতে তিনি ইকরিমা হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে উপরে বর্ণিত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের
মানঃ দুর্বল
হাদিস ১৪. অনুচ্ছেদঃ
বার্ধক্য ও মৃত্যুর
বিপদ অনতিক্রম্যনীয়
২১৫০
حَدَّثَنَا
أَبُو هُرَيْرَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ فِرَاسٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو
قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَثَلُ ابْنِ آدَمَ وَإِلَى
جَنْبِهِ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ مَنِيَّةً إِنْ أَخْطَأَتْهُ الْمَنَايَا وَقَعَ فِي
الْهَرَمِ حَتَّى يَمُوتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَأَبُو الْعَوَّامِ هُوَ
عِمْرَانُ وَهُوَ ابْنُ دَاوَرَ الْقَطَّانُ .
আব্দুল্লাহ (রহঃ)
হতে তাঁর পিতা শিখ্খীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আদম-সন্তানের রূপক আকৃতির সাথে তার
পাশেই থাকে নিরানব্বই ধরনের মৃত্যু সংঘটিত হওয়ার মতো বিপদ। সে এ সকল বিপদ অতিক্রম
করে যেতে পারলে উপনীত হয় বার্ধক্যে, অবশেষে মারা যায় (বার্ধক্য ও মৃত্যুর বিপদ হতে
আর মুক্তি পায় না)।
হাসান, মিশকাত (১৫৬৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এই সূত্র ব্যতীত হাদীসটি
প্রসঙ্গে আমাদের জানা নেই।
হাদিসের
মানঃ হাসান হাদিস ১৫. অনুচ্ছেদঃ
আল্লাহ্র ফায়সালার
উপর সন্তুষ্ট থাকা
২১৫১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي
حُمَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ وَمِنْ
شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةَ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ
آدَمَ سَخَطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي
حُمَيْدٍ . وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا حَمَّادُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ وَهُوَ أَبُو
إِبْرَاهِيمَ الْمَدَنِيُّ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ
.
সা’দ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আদম-সন্তানের জন্য
আল্লাহ যা ফায়সালা করে রেখেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকাই হল তার সৌভাগ্য। আর আল্লাহ
তা’আলার নিকট কল্যান প্রার্থনা করা ছেড়ে দেয়াই হচ্ছে তার দুর্ভাগ্য এবং আল্লাহ
তা’আলার ফায়সালার উপর নাখোশ হওয়াও তার দুর্ভাগ্য।
যঈফ, যঈফা (১৯০৬), তা’লীকুর রাগীব (১/২৪৪),
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র মুহাম্মাদ ইবনু আবূ
হুমাইদের সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। তাকে হাম্মাদ ইবনু আবূ হুমাইদও বলা হয়। তিনি
হলেন আবূ ইবরাহীম আল-মাদানী। হাদীসবেত্তাদের মতে তিনি তেমন মজবুত রাবী নন।
হাদিসের
মানঃ দুর্বল
হাদিস ১৬. অনুচ্ছেদঃ
ভাগ্য অবিশ্বাসীদের
পরিনতি
২১৫২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ
شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ
عُمَرَ، جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ فُلاَنًا يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلاَمَ .
فَقَالَ لَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ فَإِنْ كَانَ قَدْ أَحْدَثَ
فَلاَ تُقْرِئْهُ مِنِّي السَّلاَمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " يَكُونُ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ أَوْ فِي أُمَّتِي
الشَّكُّ مِنْهُ خَسْفٌ أَوْ مَسْخٌ أَوْ قَذْفٌ فِي أَهْلِ الْقَدَرِ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو صَخْرٍ
اسْمُهُ حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ .
নাফি (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
ইবনু
উমার (রাঃ)-এর নিকট একটি লোক এসে বলল, অমুকে আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি বললেন,
আমি জানতে পারলাম, সে নাকি বিদ’আতী। সে যদি প্রকৃতপক্ষেই তা-ই হয় তাহলে আমার পক্ষ
হতে তাকে সালাম বলবে না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মতের কাদারিয়া তাক্বদীর অস্বীকারকারী আকীদা
পোষনকারীদের মধ্যে ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি ঘটবে।
হাসান, ইবনু মা-জাহ (৪০৬১)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব। আবূ সাখরের নাম হুমাইদ
ইবনু যিয়াদ।
হাদিসের
মানঃ হাসান হাদিস ২১৫৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي صَخْرٍ، حُمَيْدِ بْنِ
زِيَادٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
" يَكُونُ فِي أُمَّتِي خَسْفٌ وَمَسْخٌ وَذَلِكَ فِي الْمُكَذِّبِينَ
بِالْقَدَرِ " .
ইবনু উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে ভাগ্য
অবিশ্বাসীদের উপর ভূমিধস ও চেহারা বিকৃতির বিপদ সংঘটিত হবে।
হাসান, সহীহাহ (৪/৩৯৪)।
হাদিসের
মানঃ হাসান হাদিস ১৭. অনুচ্ছেদঃ
ভাগ্য অবিশ্বাসীদের
উপর আল্লাহ ও নাবীগনের অভিসম্পাত
২১৫৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الْمَوَالِي
الْمُزَنِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ
عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" سِتَّةٌ لَعَنْتُهُمْ لَعَنَهُمُ اللَّهُ وَكُلُّ نَبِيٍّ كَانَ
الزَّائِدُ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَالْمُكَذِّبُ بِقَدَرِ اللَّهِ وَالْمُتَسَلِّطُ
بِالْجَبَرُوتِ لِيُعِزَّ بِذَلِكَ مَنْ أَذَلَّ اللَّهُ وَيُذِلَّ مَنْ أَعَزَّ
اللَّهُ وَالْمُسْتَحِلُّ لِحَرَمِ اللَّهِ وَالْمُسْتَحِلُّ مِنْ عِتْرَتِي مَا
حَرَّمَ اللَّهُ وَالتَّارِكُ لِسُنَّتِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا
رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِي هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَوْهَبٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَحَفْصُ
بْنُ غِيَاثٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ مَوْهَبٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
مُرْسَلاً وَهَذَا أَصَحُّ .
আইশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ছয় শ্রেণীর লোককে
আমি অভিসম্পাত করছি। আল্লাহ তা’আলা এবং সকল নবী (আঃ) এদেরকে অভিসম্পাত করেছেন।
তারা হলঃ আল্লাহ তা’আলার কিতাবের বিকৃতিসাধনকারী, আল্লাহ তা’আলার নির্ধারিত তাকদীর
অস্বীকারকারী, আল্লাহ যাকে অপদস্ত করেছেন তাকে সম্মানিত করার এবং যাকে ইজ্জত
দিয়েছেন তাকে অপমান করার জন্য ক্ষমতা দখলকারী, আল্লাহ তা’আলার হেরেমে (হেরেম
শরীফে) রক্তপাতকারী, আমার বংশধরের রক্তপাত আল্লাহ তা’আলা যা হারাম করেছেন তার
রক্তপাতকারী এবং আমার প্রদর্শিত পথ (সুন্নাত) ত্যাগকারী।
যঈফ, যিলালুল জুন্নাহ্ (৪৪),
আবূ ঈসা বলেন, আবদুর রহমান ইবনু আবুল মাওয়ালী উপরোক্ত হাদীস উবাইদুল্লাহ
ইবনু আবদুর রহমান ইবনু মাওহিব হতে তিনি আমরাহ্ হতে তিনি আইশা (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান সাওরী, হাফ্স
ইবনু গিয়াস প্রমুখ-উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু মাওহিব হতে তিনি আলী ইবনুল হুসাইন
হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস মুরসালরুপে বর্ণনা
করেছেন এবং এই সূত্রটিই বেশী সহীহ।
হাদিসের
মানঃ দুর্বল
হাদিস ২১৫৫
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ سُلَيْمٍ، قَالَ قَدِمْتُ مَكَّةَ فَلَقِيتُ عَطَاءَ بْنَ
أَبِي رَبَاحٍ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ
يَقُولُونَ فِي الْقَدَرِ . قَالَ يَا بُنَىَّ أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ
نَعَمْ . قَالَ فَاقْرَإِ الزُّخْرُفَ . قَالَ فَقَرَأْتُ : (حم*
وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ * إِنَّا جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ
تَعْقِلُونَ * وَإِنَّهُ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَدَيْنَا لَعَلِيٌّ حَكِيمٌ )
فَقَالَ أَتَدْرِي مَا أُمُّ الْكِتَابِ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ .
قَالَ فَإِنَّهُ كِتَابٌ كَتَبَهُ اللَّهُ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ
وَقَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الأَرْضَ فِيهِ إِنَّ فِرْعَوْنَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ وَفِيهِ
: (تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ ) قَالَ عَطَاءٌ فَلَقِيتُ
الْوَلِيدَ بْنَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَسَأَلْتُهُ مَا كَانَ وَصِيَّةُ أَبِيكَ عِنْدَ الْمَوْتِ قَالَ دَعَانِي
أَبِي فَقَالَ لِي يَا بُنَىَّ اتَّقِ اللَّهَ وَاعْلَمْ أَنَّكَ لَنْ تَتَّقِيَ
اللَّهَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ خَيْرِهِ
وَشَرِّهِ فَإِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ إِنِّي سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ
اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ اكْتُبْ . فَقَالَ مَا أَكْتُبُ قَالَ اكْتُبِ
الْقَدَرَ مَا كَانَ وَمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى الأَبَدِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আব্দুল ওয়াহিদ ইবনু
সুলাইম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
মক্কায় যাওয়ার পর আতা ইবনু আবী বাবাহ্র সাথে দেখা করলাম এবং তাকে বললাম, হে আবূ
মুহাম্মদ! বাসরায় বসবাসকারীরা তো ভাগ্য সম্পর্কে এ ধরনের অস্বীকারমূলক কথাবার্তা
বলছে। তিনি বললেন, হে বৎস! তুমি কি কুরআন তিলাওয়াত কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন,
তাহলে সূরা ‘যুখরুফ’ তিলাওয়াত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তখন এ আয়াত পথ করলাম
“হা-মীম। সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ! নিশ্চয়ই আমরা তা অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায়
কুরআনরূপে, যাতে তোমরা তা উপলদ্ধি করতে পার। তা সংরক্ষিত রয়েছে আমার নিকট একটি মূল
কিতাবে, এতো অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন মহান বিজ্ঞানময়” (সুরাঃ যুখরুফ – ১-৪)। তিনি
প্রশ্ন করেন, তুমি জান, মূল কিতাব কি? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো
জানেন। তিনি বললেন, তা একটি মহাগ্রন্থ যা আল্লাহ তা’আলা আসমান-যমীন সৃষ্টির আগেই
লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তাতে এ কথা লিখা আছে যে, ফিরআউন জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।
আর তাতে এ কথাও লিখা আছে যে, আবূ লাহাবের দুটি হাত ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সে নিজেও
ধ্বংস হয়েছে। আতা (রহঃ) বলেন, তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর অন্যতম সাহাবী উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ)-এর ছেলে ওয়ালীদের সাথে দেখা
করে তাকে প্রশ্ন করি, আপনার পিতা তার মৃত্যুকালে আপনাকে কি কি উপদেশ দিয়ে গেছেন?
তিনি বললেন, তিনি আমাকে সামনে ডেকে বললেন, হে বৎস! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর আর জেনে
রাখ, যে পর্যন্ত তুমি আল্লাহ তা’আলার উপর বিশ্বাস না আনবে এবং ভাগ্য ও তার
ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস না আনবে তুমি সে পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার ভয় অর্জন করতে
সক্ষম হবে না। এ বিশ্বাস ব্যতীত তোমার মৃত্যু হলে তুমি জাহান্নামী হবে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ
তা’আলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করে তাকে আদেশ করেনঃ লিখ। কলম বলল, কি লিখব? তিনি
বললেনঃ তাক্বদীর লিখ, যা হয়েছে এবং অনন্তকাল পর্যন্ত যা হবে সবকিছুই।
সহীহ, সহীহাহ্ (১৩৩), তাখরীজুত্ ত্বাহাবীয়াহ (২৩২), মিশকাত (৯৪), আয্যিলাল
(১০২, ১০৫)।
আবূ ঈসা বলেন, উপরোক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ১৮. অনুচ্ছেদঃ
(আসমান-যামীন সৃষ্টির
পঞ্চাশ হাজার বছর আগে ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে )
২১৫৬
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُنْذِرِ الْبَاهِلِيُّ
الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا
حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، أَنَّهُ
سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ
بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" قَدَّرَ اللَّهُ الْمَقَادِيرَ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ
وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আব্দুল্লাহ ইবনু
আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা
আকাশসমূহ ও যামীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগেই মাখলূকাতের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন।
সহীহ, মুসলিম (৮/৫১)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব।
হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস ১৯. অনুচ্ছেদঃ
(তাক্বদীর প্রসঙ্গে)
২১৫৭
حَدَّثَنَا
أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالاَ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ
إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مُشْرِكُو قُرَيْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يُخَاصِمُونَ فِي الْقَدَرِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : (يَوْمَ
يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ * إِنَّا كُلَّ
شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, কুরাইশ মুশরিকগণ কোন একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট আসে। তারা ভাগ্যের ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক করছিল। তখন এই আয়াতগুলো
অবতীর্ণ হয়ঃ “যেদিন তাদেরকে উপুর করে জাহান্নামে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে, (আর বলা
হবে) জাহান্নামের যন্ত্রণার স্বাদ গ্রহণ কর। আমরা প্রতিটি বস্তু নির্ধারিত পরিমাণে
(ভাগ্য) সৃষ্টি করেছি” (সুরাঃ কামার - ৪৮-৪৯ )।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৮৩), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
No comments