সুনানে আবু দাউদ - অধ্যায় "ভবিষ্যৎ কথন ও কুলক্ষন-সুলক্ষণ" হাদিস ৩৯০৪-৩৯২৫
ভবিষ্যৎ কথন ও কুলক্ষন-সুলক্ষণ
অনুচ্ছেদ-২১
গণক সম্পর্কে
৩৯০৪
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ،
حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حَكِيمٍ الأَثْرَمِ، عَنْ
أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى كَاهِنًا " . قَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِهِ
" فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ " . ثُمَّ اتَّفَقَا " أَوْ
أَتَى امْرَأَةً " . قَالَ مُسَدَّدٌ " امْرَأَتَهُ حَائِضًا أَوْ
أَتَى امْرَأَةً " . قَالَ مُسَدَّدٌ " امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি গণকের নিকট গেলে (বর্ণনাকারী মূসা তার হাদীসে বলেন)
এবং তার কথা বিশ্বাস করলে অথবা স্ত্রীর সাথে ( মুসাদ্দাদের বর্ণনায় রয়েছে)
ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে অথবা স্ত্রীর পশ্চাৎ দ্বারে সহবাস করলে সে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, সে তা
থেকে দায়মুক্ত (অর্থাৎ ইসলামের গণ্ডির বাইরে)।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
অনুচ্ছেদ-২২
জ্যোতির্বিদ্যা
সম্পর্কে
৩৯০৫
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا
يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ
اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর জ্ঞান শিক্ষা করলো সে যাদু বিদ্যার একটা
শাখা শিক্ষা করলো। তা যতো বৃদ্ধি পাবে যাদুবিদ্যাও ততো বাড়বে।
হাদিসের
মানঃহাসান হাদিস
·
৩৯০৬
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُ
قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الصُّبْحِ
بِالْحُدَيْبِيَةِ فِي إِثْرِ سَمَاءٍ كَانَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَلَمَّا انْصَرَفَ
أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ
" . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " قَالَ
أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ فَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا
بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَذَلِكَ مُؤْمِنٌ بِي كَافِرٌ بِالْكَوْكَبِ
وَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا فَذَلِكَ كَافِرٌ بِي
مُؤْمِنٌ بِالْكَوْكَبِ " .
যায়িদ ইবনু খালিদ
আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার সময় এক রাতে সামান্য
বৃষ্টি হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে
ফাজরের সলাত আদায় করলেন। সলাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেনঃ তোমরা কি
জানো, তোমাদের রব কী বলেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি
বলেনঃ আল্লাহ বলেছেন, সকালবেলা আমার বান্দাদের কেউ আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং কেউ
অবিশ্বাসী হয়েছে। যে বলেছে, আল্লাহর দয়া ও রহমাতে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে,
সে আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী। আর যে বলেছে, অমুক অমুক
নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি হয়েছে, সে আমার প্রতি অবিশ্বাসী এবং
নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
অনুচ্ছেদ-২৩
মাটিতে রেখা টেনে এবং
পাখি উড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা
৩৯০৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنَا حَيَّانُ، - قَالَ
غَيْرُ مُسَدَّدٍ حَيَّانُ بْنُ الْعَلاَءِ - حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ قَبِيصَةَ،
عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" الْعِيَافَةُ وَالطِّيَرَةُ وَالطَّرْقُ مِنَ الْجِبْتِ " .
الطَّرْقُ الزَّجْرُ وَالْعِيَافَةُ الْخَطُّ .
কাতান ইবনু কাবীসাহ
(রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ পাখীর সাহায্যে ভাল-মন্দ নির্ণয় করা, কোন
কিছুকে অশুভ লক্ষণ ভাবা এবং মাটিতে রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় কুফুরী।
‘আত-তার্ক্ব’ হচ্ছে কংকর নিক্ষেপ করে অশুভ লক্ষণ নির্ণয় করা। ‘আল-ইয়াফা’ হচ্ছে
মাটিতে দাগ টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করা। [৩৯০৭]
[৩৯০৭]
আহমাদ। সানাদের হাইয়ান ইবনুল ‘আলা সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল।
হাদিসের
মানঃদুর্বল হাদিস
·
৩৯০৮
حَدَّثَنَا
ابْنُ بَشَّارٍ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ عَوْفٌ الْعِيَافَةُ
زَجْرُ الطَّيْرِ وَالطَّرْقُ الْخَطُّ يُخَطُّ فِي الأَرْضِ .
‘আওফা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আল-ইয়াফাহ’ হচ্ছে শুভ-অশুভ লক্ষণ
নির্ণয়ের জন্য পাখী উড়ানো, এবং ‘আত-তারক্ব’ হচ্ছে মাটিতে দাগ টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয়
করা।
হাদিসের
মানঃসহিহ মাকতু
·
৩৯০৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْحَجَّاجِ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى
بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ
يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ . قَالَ " كَانَ نَبِيٌّ مِنَ
الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ " .
মু‘আবিয়াহ ইবনুল
হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল!
আমাদের মাঝে কিছু লোক রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করে থাকে। তিনি বলেনঃ নাবীগনের
মধ্যকার একজন নবী রেখা টানতেন। যার রেখা টানা তাঁর রেখার অনুরূপ হবে সে ঠিক আছে।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৪
অশুভ লক্ষণ
৩৯১০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ،
عَنْ عِيسَى بْنِ عَاَصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مَسْعُودٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الطِّيَرَةُ
شِرْكٌ الطِّيَرَةُ شِرْكٌ " . ثَلاَثًا " وَمَا مِنَّا إِلاَّ
وَلَكِنَّ اللَّهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু
মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেনঃ কোন বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা ‘শিরক’, কোন বস্তুকে কুলক্ষন ভাবা
শিরক। একথা তিনি তিনবার বললেন। আমাদের কারো মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক, কিন্তু
আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দিবেন।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯১১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ،
قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ
" . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ مَا بَالُ الإِبِلِ تَكُونُ فِي الرَّمْلِ
كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ فَيُخَالِطُهَا الْبَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيُجْرِبُهَا قَالَ
" فَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ " . قَالَ مَعْمَرٌ قَالَ
الزُّهْرِيُّ فَحَدَّثَنِي رَجُلٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يُورِدَنَّ مُمْرِضٌ عَلَى
مُصِحٍّ " . قَالَ فَرَاجَعَهُ الرَّجُلُ فَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ
حَدَّثْتَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى
وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ " . قَالَ لَمْ أُحَدِّثْكُمُوهُ . قَالَ
الزُّهْرِيُّ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ قَدْ حَدَّثَ بِهِ وَمَا سَمِعْتُ أَبَا
هُرَيْرَةَ نَسِيَ حَدِيثًا قَطُّ غَيْرَهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই, সফর
মাসকেও অশুভ মনে করা যাবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত রয়েছে তাও
অবান্তর। তখন এক বেদুঈন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উটের পাল অনেক সময় মরুভূমির
চারন ভূমিতে থাকে, মনে হয় যেন নাদুস-নুদুস জংলী হরিণ। অতঃপর সেখানে কোন একটি
চর্মরোগ আক্রান্ত উট এসে আমার সুস্থ উটগুলোর সাথে থেকে এদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে
দেয়। তিনি বললেনঃ প্রথম উটটির রোগ সৃষ্টি করলো কে? মা’মার (রহঃ) বলেন, যুহরী (রহঃ)
বলেছেন, অতঃপর এক ব্যক্তি আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ রোগাক্রান্ত উটকে যেন সুস্থ
উটের সাথে একত্রে পানি পানের জায়গায় না আনা হয়।” আবূ হুরায়রার (রাঃ) এ হাদীস শুনে
এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি এ হাদীস বর্ণনা করেননি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই, সফর মাসকে অশুভ মনে করবে না
এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত আছে তা অবান্তর?” তখন আবূ হুরায়রা বলেন, না,
আমি তোমাদের নিকট এরূপ হাদীস বলিনি। যুহরী বলেন, আবূ সালামাহ (রাঃ) বলেছেন, তিনি
অবশ্যই এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে আমি আবূ হুরায়রা্কে এ হাদীস ছাড়া কখনো কোন
হাদীস ভুলে যেতে শুনিনি।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯১২
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنِ
الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " لاَ عَدْوَى وَلاَ هَامَةَ وَلاَ نَوْءَ وَلاَ
صَفَرَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত
তা সঠিক নয়, কোন নক্ষত্রের নির্দিষ্ট তারিখে আকাশের কোন স্থানে অবস্থান করলে
বৃষ্টিপাত হয় এরূপ বিশ্বাসও ঠিক নয় এবং সফর মাসকে অশুভ মনে করবে না।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯১৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ بْنِ الْبَرْقِيِّ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ
الْحَكَمِ، حَدَّثَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي
ابْنُ عَجْلاَنَ، حَدَّثَنِي الْقَعْقَاعُ بْنُ حَكِيمٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
مِقْسَمٍ، وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ غُولَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেনঃ ভূত-প্রেত নেই।
হাদিসের
মানঃহাসান সহিহ
·
৩৯১৪
قَالَ
أَبُو دَاوُدَ قُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ،
أَخْبَرَكُمْ أَشْهَبُ، قَالَ سُئِلَ مَالِكٌ عَنْ قَوْلِهِ " لاَ صَفَرَ
" . قَالَ إِنَّ أَهْلَ الْجَاهِلِيَّةِ كَانُوا يُحِلُّونَ صَفَرَ
يُحِلُّونَهُ عَامًا وَيُحَرِّمُونَهُ عَامًا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " لاَ صَفَرَ " .
ইমাম আবূ দাঊদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইমাম মালিক (রহঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী ‘লা সাফারা’ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তৎকালীন
আরবের লোকেরা সফর মাসকে (যুদ্ধের জন্য) বৈধ ঘোষনা করতো। তারা উক্ত মাসকে এক বছর
বৈধ এবং এক বছর নিষিদ্ধ গণ্য করতো। সেজন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেনঃ কোন সফর নেই। [৩৯১৪]
হাদিসের
মানঃসহিহ মাকতু
·
৩৯১৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ قُلْتُ لِمُحَمَّدٍ -
يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ - قَوْلُهُ " هَامَ " . قَالَ كَانَتِ
الْجَاهِلِيَّةُ تَقُولُ لَيْسَ أَحَدٌ يَمُوتُ فَيُدْفَنُ إِلاَّ خَرَجَ مِنْ
قَبْرِهِ هَامَةٌ . قُلْتُ فَقَوْلُهُ صَفَرَ . قَالَ سَمِعْتُ أَنَّ أَهْلَ
الْجَاهِلِيَّةِ يَسْتَشْئِمُونَ بِصَفَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" لاَ صَفَرَ " . قَالَ مُحَمَّدٌ وَقَدْ سَمِعْنَا مَنْ يَقُولُ هُوَ
وَجَعٌ يَأْخُذُ فِي الْبَطْنِ فَكَانُوا يَقُولُونَ هُوَ يُعْدِي فَقَالَ
" لاَ صَفَرَ " .
বাক্বিয়্যাহ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আমি মুহাম্মাদ ইবনু রাশিদ (রহঃ)-কে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী অর্থাৎ পেঁচা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে
তিনি বলেন, জাহিলী যুগে লোকেরা ধারনা করতো কাউকে মৃত্যুর পর দাফন করা হলে ঐ মৃত
ব্যক্তি কবর থেকে পেঁচা হয়ে বেরিয়ে আসে। অতঃপর তাঁর বাণী অর্থাৎ সফর মাস সম্পর্কে
প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমরা শুনেছি, জাহিলী যুগে লোকেরা সফর মাসে কোথাও যাত্রা
করাকে কুলক্ষুনে মনে করতো। তাই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর মাসকে
অশুভ মনে করতে নিষেধ করেন। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সে
যুগে কেউ যদি বলতো, সফর মাসে পেটে ব্যথা হয়। সবাই বলতো, এটা সংক্রামক। তাই তিনি
বলেছেনঃ সফর মাস এরূপ নয় যেরূপ তোমরা ধারনা করে থাকো।
হাদিসের
মানঃসহিহ মাকতু
·
৩৯১৬
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ
وَيُعْجِبُنِي الْفَأْلُ الصَّالِحُ وَالْفَأْلُ الصَّالِحُ الْكَلِمَةُ
الْحَسَنَةُ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ ছোঁয়াচে রোগ নেই, কোন কিছুকে অশুভ মনে করাও ঠিক নয়। ফা’ল আমার
নিকট প্রিয়। ফা’ল হলো অর্থবোধক উত্তম বাক্য।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯১৭
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ كَلِمَةً
فَأَعْجَبَتْهُ فَقَالَ " أَخَذْنَا فَأْلَكَ مِنْ فِيكَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর একটি শব্দ শুনতে পেলেন। যা তাঁর নিকট আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি বললেনঃ
তোমার মুখ হতে নিঃসৃত তোমার ফা’ল গ্রহণ করলাম।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯১৮
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ
عَطَاءٍ، قَالَ يَقُولُ النَّاسُ الصَّفَرُ وَجَعٌ يَأْخُذُ فِي الْبَطْنِ .
قُلْتُ فَمَا الْهَامَةُ قَالَ يَقُولُ النَّاسُ الْهَامَةُ الَّتِي تَصْرُخُ هَامَةُ
النَّاسِ وَلَيْسَتْ بِهَامَةِ الإِنْسَانِ إِنَّمَا هِيَ دَابَّةٌ .
আত্বা (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা বলতো, সফর মাস পেটের ব্যাথায়
মাস। আমি বললাম, ‘হামা’ কি? তিনি বলেন, লোকেরা বলতো, হামা হলো দাফনকৃত লাশের
চিৎকারকারী আত্মা। আসলে এটা মানুষের প্রেতাত্মা নয়, বরং একটি প্রাণী।
হাদিসের
মানঃসহিহ মাকতু
·
৩৯১৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى قَالاَ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ
عُرْوَةَ بْنِ عَامِرٍ، - قَالَ أَحْمَدُ الْقُرَشِيُّ - قَالَ ذُكِرَتِ
الطِّيَرَةُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَحْسَنُهَا
الْفَأْلُ وَلاَ تَرُدُّ مُسْلِمًا فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ
فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ لاَ يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ يَدْفَعُ
السَّيِّئَاتِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِكَ " .
আহমাদ আল-কুরাশী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট শুভ-অশুভ লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলে তিনি বললেনঃ হাঁ, শুভ
লক্ষণ হচ্ছে ফা’ল। এমন অশুভ কিছু নেই যা মুসলিমকে কোন কাজে বা কোথাও যাত্রা হতে
বিরত রাখতে পারে। তবে তোমাদের মাঝে কেউ যদি কোন অসুবিধাজনক কিছু দেখতে পায়, তাহলে
সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! আপনিই তো কল্যাণদাতা এবং আপনিই তো অকল্যাণ দূরকারী। আপনি
ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই, শক্তিও নেই”। [৩৯১৯]
[৩৯১৯]
বায়হাক্বী। সানাদে হাবীব ইবনু আবূ সাবিত রয়েছে। তার ইরসাল ও তাদলীস প্রচুর এবং তিনি
এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের
মানঃদুর্বল হাদিস
·
৩৯২০
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
كَانَ لاَ يَتَطَيَّرُ مِنْ شَىْءٍ وَكَانَ إِذَا بَعَثَ عَامِلاً سَأَلَ عَنِ
اسْمِهِ فَإِذَا أَعْجَبَهُ اسْمُهُ فَرِحَ بِهِ وَرُئِيَ بِشْرُ ذَلِكَ فِي
وَجْهِهِ وَإِنْ كَرِهَ اسْمَهُ رُئِيَ كَرَاهِيَةُ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ وَإِذَا
دَخَلَ قَرْيَةً سَأَلَ عَنِ اسْمِهَا فَإِنْ أَعْجَبَهُ اسْمُهَا فَرِحَ بِهَا
وَرُئِيَ بِشْرُ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ وَإِنْ كَرِهَ اسْمَهَا رُئِيَ كَرَاهِيَةُ
ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু
বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কোন কিছুকেই কুলক্ষণ মনে করতেন না। তিনি কোথাও কোন কর্মচারীকে প্রেরণ
করলে তার নাম জানতে চাইতেন। উক্ত নাম তাঁর পছন্দ হলে তিনি খুশি হতেন এবং তাঁর
মুখমন্ডল উজ্জ্বল দেখাতো। আর উক্ত নাম অপছন্দ হলে তাঁর চেহারায় অসন্তোষের ছাপ ভেসে
উঠতো। তিনি কোন জনপদে প্রবেশ করলে তার নাম জিজ্ঞেস করতেন। সেই নাম তাঁর পছন্দ হলে
তিনি খুশী হতেন এবং তাঁর চেহারা উজ্জ্বল দেখা যেতো। পক্ষান্তরে সেই নাম অপছন্দ হলে
তাঁর চেহারায় অসন্তোষের ছাপ ভেসে উঠতো।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯২১
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، أَنَّ
الْحَضْرَمِيَّ بْنَ لاَحِقٍ، حَدَّثَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ
سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ
" لاَ هَامَةَ وَلاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَإِنْ تَكُنِ الطِّيَرَةُ فِي
شَىْءٍ فَفِي الْفَرَسِ وَالْمَرْأَةِ وَالدَّارِ " .
সা’দ ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলতেনঃ পেঁচা অশুভ নয়, ছোঁয়াচে রোগ নেই এবং কোন জিনিস অশুভ হওয়া ভিত্তিহীন।
যদি কোন কিছুর মধ্যে অশুভ কিছু থাকতো তহালে ঘোড়া, নারী ও বাড়ী এই তিন জিনিসের
মধ্যে থাকতো।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯২২
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حَمْزَةَ،
وَسَالِمِ، ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الشُّؤْمُ فِي الدَّارِ
وَالْمَرْأَةِ وَالْفَرَسِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قُرِئَ عَلَى
الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكَ ابْنُ الْقَاسِمِ قَالَ
سُئِلَ مَالِكٌ عَنِ الشُّؤْمِ فِي الْفَرَسِ وَالدَّارِ قَالَ كَمْ مِنْ دَارٍ
سَكَنَهَا نَاسٌ فَهَلَكُوا ثُمَّ سَكَنَهَا آخَرُونَ فَهَلَكُوا فَهَذَا
تَفْسِيرُهُ فِيمَا نَرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ
عُمَرُ رضى الله عنه حَصِيرٌ فِي الْبَيْتِ خَيْرٌ مِنَ امْرَأَةٍ لاَ تَلِدُ .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুলক্ষণ যদি কিছুতে থাকতো তবে তা
বাড়ি, নারী ও ঘোড়াতে থাকতো।
শায।
ইমাম মালিক (রহঃ)-কে ঘোড়া ও বাড়ির অশুভ হওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
এমন অনেক বাড়ি আছে, যাতে কোন পরিবার বসবাস করে ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর আরেকটি পরিবার
এসে বসবাস করে, তারাও ধ্বংস হয়ে যায়। আমার মতে এটা এই হাদিসের ব্যাখ্যা, তবে
আল্লাহই অধিক জানেন।
সহীহ মাক্বতূ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, বন্ধ্যা নারীর চেয়ে ঘরের চাটাই বা
মাদুরটি উত্তম। [৩৯২২]
যঈফ মাওকুফ।
হাদিসের
মানঃঅন্যান্য
·
৩৯২৩
حَدَّثَنَا
مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَعَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
بَحِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ فَرْوَةَ بْنَ مُسَيْكٍ، قَالَ قُلْتُ
يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرْضٌ عِنْدَنَا يُقَالُ لَهَا أَرْضُ أَبْيَنَ هِيَ أَرْضُ
رِيفِنَا وَمِيرَتِنَا وَإِنَّهَا وَبِئَةٌ أَوْ قَالَ وَبَاؤُهَا شَدِيدٌ .
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " دَعْهَا عَنْكَ فَإِنَّ مِنَ
الْقَرَفِ التَّلَفَ " .
ফারওয়া ইবনু মুসাইক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! ‘আরদ
আব্য়ান’ নামে আমাদের একটা জমি আছে, যাতে আমরা শস্য উৎপন্ন করে থাকি, কিন্তু তা
খুবই অস্বাস্থ্যকর। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এ জমিটা ত্যাগ
করো, কারণ রোগব্যধির প্রাদুর্ভূত এলাকার ধ্বংস ডেকে আনে। [৩৯২৩]
[৩৯২৩]
আহমাদ। সানাদে ইয়াহইয়া ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও ফারওয়ার মাঝে ইনকিতা হয়েছে।
হাদিসের
মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯২৪
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ
عَمَّارٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي دَارٍ
كَثِيرٌ فِيهَا عَدَدُنَا وَكَثِيرٌ فِيهَا أَمْوَالُنَا فَتَحَوَّلْنَا إِلَى
دَارٍ أُخْرَى فَقَلَّ فِيهَا عَدَدُنَا وَقَلَّتْ فِيهَا أَمْوَالُنَا .
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَرُوهَا ذَمِيمَةً
"
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল!
আমরা এমন একটি বাড়িতে বসবাস করতাম যেখানে আমাদের জনবল ও ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
অতঃপর আমরা স্থানান্তরিত হয়ে অন্য একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকি, এখানে আমাদের জনবল
ও সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা এ বাড়ি
ছেড়ে দাও, স্থানটি নিন্দনীয়।
হাদিসের
মানঃসহিহ হাদিস
·
৩৯২৫
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا
مُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ
بِيَدِ مَجْذُومٍ فَوَضَعَهَا مَعَهُ فِي الْقَصْعَةِ وَقَالَ " كُلْ
ثِقَةً بِاللَّهِ وَتَوَكُّلاً عَلَيْهِ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এক কুষ্ঠ রোগীর হাত ধরে তাঁর সঙ্গে খাবারের পেয়ালায় তা রেখে বললেনঃ
আল্লাহর উপর আস্থা রেখে এবং তাঁর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে খাও।
[৩৯২৫]
তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। সানাদের মুফায্যাল ইবনু ফাযালাহ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ যঈফ। ইমাম
তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি গরীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
No comments