সুনানে আবু দাউদ - অধ্যায় "ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়)" হাদিস ৩৪১৬-৩৫৭০
ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়)
অনুচ্ছেদ-৩৭
শিক্ষকের পারিশ্রমিক
সম্পর্কে
৩৪১৬
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ
نُسَىٍّ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ
عَلَّمْتُ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ الْكِتَابَ وَالْقُرْآنَ فَأَهْدَى
إِلَىَّ رَجُلٌ مِنْهُمْ قَوْسًا فَقُلْتُ لَيْسَتْ بِمَالٍ وَأَرْمِي عَنْهَا فِي
سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لآتِيَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَلأَسْأَلَنَّهُ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجُلٌ أَهْدَى
إِلَىَّ قَوْسًا مِمَّنْ كُنْتُ أُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْقُرْآنَ وَلَيْسَتْ
بِمَالٍ وَأَرْمِي عَنْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . قَالَ " إِنْ كُنْتَ
تُحِبُّ أَنْ تُطَوَّقَ طَوْقًا مِنْ نَارٍ فَاقْبَلْهَا " .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি আহলে সুফফার কতিপয় ব্যক্তিকে কুরআন পড়া ও লিখা শিখাতাম। তাদের একজন
আমাকে উপহার হিসেবে একটি ধনুক পাঠালো। আমি বললাম, এটা কোন সম্পদ নয়। আমি এটা দিয়ে
আল্লাহর পথে তীর ছুঁড়বো। কিন্তু আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো। অতঃপর আমি তাঁর নিকট এসে
বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এক লোক আমাকে একটি ধনুক উপহার দিয়েছে। আমি লোকদের সঙ্গে
তাকেও লিখা এবং কুরআন শিখাতাম। ধনুকটা (মূল্যবান) সম্পদ নয়। আমি এটা দিয়ে আল্লাহর
পথে (জিহাদে) তীর ছুঁড়বো। তিনি বলেনঃ তুমি যদি গলায় জাহান্নামের শিকল পরতে
ভালোবাস, তাহলে তা গ্রহণ করো।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২১৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪১৭
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ،
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنِي
عُبَادَةُ بْنُ نُسَىٍّ، عَنْ جُنَادَةَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ عُبَادَةَ
بْنِ الصَّامِتِ، نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ - وَالأَوَّلُ أَتَمُّ - فَقُلْتُ مَا
تَرَى فِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ " جَمْرَةٌ بَيْنَ كَتِفَيْكَ
تَقَلَّدْتَهَا " . أَوْ " تَعَلَّقْتَهَا " .
‘উবাদাহ ইবনুস
সামিত (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ
হাদীস বর্ণিত। তবে প্রথম হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ। এ বর্ণনায় রয়েছেঃ আমি জিজ্ঞেস করি, হে
আল্লাহর রাসূল! এ বিষয়ে আপনি কী বলেন? তিনি বললেনঃ এটাতো জ্বলন্ত অংগার, যা তুমি
তোমার দুই কাঁধে ঝুলিয়েছ।
সহীহঃ পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৮
চিকিৎসকদের
পারিশ্রমিক সম্পর্কে
৩৪১৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي
الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَهْطًا، مِنْ أَصْحَابِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْطَلَقُوا فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا
فَنَزَلُوا بِحَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَأَبَوْا أَنْ
يُضَيِّفُوهُمْ - قَالَ - فَلُدِغَ سَيِّدُ ذَلِكَ الْحَىِّ فَشَفَوْا لَهُ
بِكُلِّ شَىْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ شَىْءٌ . فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ أَتَيْتُمْ
هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا بِكُمْ لَعَلَّ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ
بَعْضِهِمْ شَىْءٌ يَنْفَعُ صَاحِبَكُمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ سَيِّدَنَا
لُدِغَ فَشَفَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَىْءٍ فَلاَ يَنْفَعُهُ شَىْءٌ فَهَلْ عِنْدَ
أَحَدٍ مِنْكُمْ شَىْءٌ يَشْفِي صَاحِبَنَا يَعْنِي رُقْيَةً . فَقَالَ رَجُلٌ
مِنَ الْقَوْمِ إِنِّي لأَرْقِي وَلَكِنِ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَأَبَيْتُمْ أَنْ
تُضَيِّفُونَا مَا أَنَا بِرَاقٍ حَتَّى تَجْعَلُوا لِي جُعْلاً . فَجَعَلُوا
لَهُ قَطِيعًا مِنَ الشَّاءِ فَأَتَاهُ فَقَرَأَ عَلَيْهِ بِأُمِّ الْكِتَابِ
وَيَتْفُلُ حَتَّى بَرِئَ كَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَوْفَاهُمْ
جُعْلَهُمُ الَّذِي صَالَحُوهُ عَلَيْهِ . فَقَالُوا اقْتَسِمُوا فَقَالَ
الَّذِي رَقَى لاَ تَفْعَلُوا حَتَّى نَأْتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَنَسْتَأْمِرَهُ . فَغَدَوْا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَذَكَرُوا لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِنْ
أَيْنَ عَلِمْتُمْ أَنَّهَا رُقْيَةٌ أَحْسَنْتُمْ وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ
بِسَهْمٍ " .
আবূ সাঈদ আল খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে বের হলেন। তারা এক
আরবের একটি জনপদে যাত্রাবিরতি করে সেখানকার লোকদের নিকট মেহমান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ
করেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকৃতি জানালো। বর্ণনাকারী বলেন,
ঘটনাক্রমে এই জনপদের সর্দারকে (বিষাক্ত প্রাণী) দংশন করলো। তারা তাকে আরোগ্য করতে
অনেক কিছুই করলো, কিন্তু কোনই কাজ হলো না। তাদের মধ্যে কেউ বললো, তোমরা যদি এখানে
যাত্রাবিরতিকারী দলের কাছে যেতে! হয়ত তাদের কারো কাছে এমন কিছু থাকতে পারে যা
তোমাদের সর্দারের উপকারে আসতে পারে। তাদের কতিপয় লোক এসে বললো, আমাদের সর্দারকে
(বিষাক্ত প্রাণী) দংশন করেছে। তার আরোগ্যের জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেও কোন ফল
পাইনি। তোমাদের কেউ কি ঝাড়ফুঁক জানে? দলের একজন বললেন, আমি ঝাড়ফুঁক জানি। কিন্তু
আমরা তোমাদের নিকট মেহমানদারী চেয়েছিলাম, তোমরা আমাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছিলে। কাজেই তোমরা আমাকে পারিশ্রমিক দিতে রাজী না হলে আমি ঝাড়ফুঁক করবো না।
তারা তাকে কিছু বকরী পারিশ্রমিক দেয়ার চুক্তি করলো। তিনি রোগীর নিকট উপস্থিত হয়ে
‘উম্মূল কিতাব’ (সূরাহ ফাতিহা) পড়লেন এবং (দংশিত স্থানে) থুথু লাগিয়ে দিলেন। এতেই সে
রোগমুক্ত হলো এমনভাবে যে, সে যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে গেলো। বর্ণনাকারী বলেন, তারা
তাদের চুক্তির শর্ত পূরণার্থে তাকে তার প্রাপ্য প্রদান করলো। সাহাবীগণ বললেন,
এগুলো আমাদের মধ্যে বন্টন করো। ঝাড়ফুঁককারী বললেন, এরূপ করো না, বরং আমরা আগে
রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করে নেই।
পরদিন সকালে তারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট পৌছলেন
এবং তাঁকে ঘটনাটি জানালেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
তোমরা কিভাবে জানলে যে, এটা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা ভালো কাজই করেছো। তোমাদের
সাথে আমারও একটা ভাগ নির্ধারন করো।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২১৫৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪১৯
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ
بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَخِيهِ، مَعْبَدِ بْنِ
سِيرِينَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
بِهَذَا الْحَدِيثِ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত
হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
৩৪২০
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ
الصَّلْتِ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ مَرَّ بِقَوْمٍ فَأَتَوْهُ فَقَالُوا إِنَّكَ
جِئْتَ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ بِخَيْرٍ فَارْقِ لَنَا هَذَا الرَّجُلَ .
فَأَتَوْهُ بِرَجُلٍ مَعْتُوهٍ فِي الْقُيُودِ فَرَقَاهُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ
ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً كُلَّمَا خَتَمَهَا جَمَعَ بُزَاقَهُ
ثُمَّ تَفَلَ فَكَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَعْطُوهُ شَيْئًا فَأَتَى
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَهُ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " كُلْ فَلَعَمْرِي لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ لَقَدْ
أَكَلْتَ بِرُقْيَةٍ حَقٍّ " .
খারিজাহ ইবনুস সাল্ত
(রহঃ) হতে তার চাচার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
একটি জনপদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সেখানকার কিছু লোক তার কাছে এসে বললো, আপনি এই
ব্যক্তির [রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] কাছ থেকে কল্যাণ
নিয়ে এসেছেন। কাজেই আমাদের এই ব্যক্তিকে একটু ঝাড়ফুঁক করে দিন। এ বলে তারা একটি
পাগলকে বাঁধা অবস্থায় তার কাছে আনলো। তিনি তিন দিন সকাল-বিকাল সূরাহ ফাতিহা পড়ে
তাকে ঝাড়ফুঁক করলেন। তিনি যখনই পাঠ শেষ করতেন তখন থুথু জমা করে তার শরীরে নিক্ষেপ
করতেন। অতঃপর লোকটি যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে গেলো। তারা তাকে কিছু বিনিময় দিলো। তিনি
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে ঘটনাটি জানালেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যা পেয়েছো তা খাও। আমার জীবনের শপথ!
কিছু লোক তো বাতিল মন্ত্র দ্বারা উপার্জন করে খায়। আর তুমি উপার্জন করেছো সত্য
মন্ত্র দ্বারা।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২০২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৯
রক্তমোক্ষণকারীর
উপার্জন
৩৪২১
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا أَبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ إِبْرَاهِيمَ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ قَارِظٍ - عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ،
عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" كَسْبُ الْحَجَّامِ خَبِيثٌ وَثَمَنُ الْكَلْبِ خَبِيثٌ وَمَهْرُ
الْبَغِيِّ خَبِيثٌ " .
রাফি‘ ইবনু খাদীজ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রক্তমোক্ষণের উপার্জন নিকৃষ্ট, কুকুর
বিক্রয়মূল্য নিকৃষ্ট এবং যেনাকারিনীর উপার্জনও নিকৃষ্ট।
সহীহঃ তিরমিযী (১২৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪২২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ مُحَيِّصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي إِجَارَةِ الْحَجَّامِ فَنَهَاهُ عَنْهَا فَلَمْ
يَزَلْ يَسْأَلُهُ وَيَسْتَأْذِنُهُ حَتَّى أَمَرَهُ أَنِ اعْلِفْهُ نَاضِحَكَ
وَرَقِيقَكَ .
ইবনু মুহাইয়াদাহ
(রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
একদা
তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে রক্তমোক্ষণের
পারিশ্রমিক গ্রহণ করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে এরূপ করতে নিষেধ করলেন। কিন্তু তিনি
বারবার তাঁর কাছে আবেদন করতে থাকলেন এবং অনুমতি চাইতে থাকলেন। পরে তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ নির্দেশ দিলেনঃ ঐ উপার্জন দিয়ে তোমার
উটের খাদ্য কিনবে এবং তোমার গোলামকে দিবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২১৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪২৩
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ
عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم وَأَعْطَى الْحَجَّامَ أَجْرَهُ وَلَوْ عَلِمَهُ خَبِيثًا لَمْ يُعْطِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তমোক্ষণ করালেন।
তিনি রক্তমোক্ষণকারীকে পারিশ্রমিক দিলেন। তিনি একে নিকৃষ্ট মনে করলে তাকে দান
করতেন না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২১৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪২৪
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ حَجَمَ أَبُو طَيْبَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعٍ مِنْ تَمْرٍ وَأَمَرَ أَهْلَهُ أَنْ يُخَفِّفُوا عَنْهُ
مِنْ خَرَاجِهِ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আবূ ত্বাইবাহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেহে শিংগা
লাগান। তিনি তাকে এক সা‘ খেজুর দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তার মুনিবদের নির্দেশ
দিলেন, তারা যেন তার উপর ধার্যকৃত মুক্তিপণ সহজ করে দেয়।
সহীহঃ তিরমিযী (২৩০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪০
দাসীর উপার্জন
৩৪২৫
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ، سَمِعَ أَبَا
هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كَسْبِ
الإِمَاءِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাসীর উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
সহীহঃ আহাদীসুল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪২৬
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا
عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي طَارِقُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ، قَالَ
جَاءَ رَافِعُ بْنُ رِفَاعَةَ إِلَى مَجْلِسِ الأَنْصَارِ فَقَالَ لَقَدْ نَهَانَا
نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيَوْمَ فَذَكَرَ أَشْيَاءَ وَنَهَانَا عَنْ
كَسْبِ الأَمَةِ إِلاَّ مَا عَمِلَتْ بِيَدِهَا . وَقَالَ هَكَذَا بِأَصَابِعِهِ
نَحْوَ الْخَبْزِ وَالْغَزْلِ وَالنَّفْشِ .
তারিক ইবনু ‘আবদুর রহমান আল-কুরাশী (রাঃ) সূত্র
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাফি‘ ইবনু রিফা‘আহ (রাঃ) আনসারদের এক সমাবেশে গিয়ে বললেন, আল্লাহর নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজ আমাদেরকে (কিছু) নিষেধ করেছেন। এই বলে তিনি
কিছু বিষয়ের উল্লেখ করলেন। তিনি দাসীর (গর্হিত) উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন,
তবে তাদের নিজ হাতের উপার্জন গ্রহনের অনুমতি দিয়েছেন। তিনি তাঁর আঙ্গুল দ্বারা
ইশারা করে দেখালেন, (হাতের কাজ হলো) যেমন রুটি তৈরি করা, সূতা কাটা অথবা তুলা ধুনা
করা ইত্যাদি।
হাসানঃ আহাদীসুল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৩৪২৭
حَدَّثَنِي
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ،
- يَعْنِي ابْنَ هُرَيْرٍ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، رَافِعٍ - هُوَ ابْنُ
خَدِيجٍ - قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كَسْبِ الأَمَةِ
حَتَّى يُعْلَمَ مِنْ أَيْنَ هُوَ .
রাফি‘‘ ইবনু খাদীজ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাসীর উপার্জনের উৎস না
জানা পর্যন্ত তার আয় ভোগ করতে নিষেধ করেছেন।
হাসান : পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪১
গণকের ভেট
৩৪২৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ
نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ الْكَاهِنِ .
আবূ মাসঊদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুরের বিক্রয়মূল্য, যেনাকারিনীর আয় ও গণকের
ভেট গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (২১৫৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ- ৪২
ষাঁড় দ্বারা পাল দিয়ে
তার মজুরি গ্রহণ
৩৪২৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ
الْحَكَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم عَنْ عَسْبِ الْفَحْلِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ পশুর দ্বারা মাদী
পশুকে সঙ্গম করিয়ে তার মজুরী গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
সহীহ : তিরমিযী (১২৯৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৩
স্বর্ণকার সম্পর্কে
৩৪৩০
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي
مَاجِدَةَ، قَالَ قَطَعْتُ مِنْ أُذُنِ غُلاَمٍ - أَوْ قُطِعَ مِنْ أُذُنِي -
فَقَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو بَكْرٍ حَاجًّا فَاجْتَمَعْنَا إِلَيْهِ فَرَفَعَنَا
إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ عُمَرُ إِنَّ هَذَا قَدْ بَلَغَ الْقِصَاصَ
ادْعُوا لِي حَجَّامًا لِيَقْتَصَّ مِنْهُ فَلَمَّا دُعِيَ الْحَجَّامُ قَالَ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنِّي وَهَبْتُ
لِخَالَتِي غُلاَمًا وَأَنَا أَرْجُو أَنْ يُبَارَكَ لَهَا فِيهِ فَقُلْتُ لَهَا
لاَ تُسَلِّمِيهِ حَجَّامًا وَلاَ صَائِغًا وَلاَ قَصَّابًا " . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ رَوَى عَبْدُ الأَعْلَى عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ ابْنُ مَاجِدَةَ
رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَهْمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ .
আল-‘আলা ইবনু
‘আবদুর রহমান (রহঃ) হতে আবূ মাজিদাহ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি এক যুবকের কান কেটে ফেলেছিলাম অথবা কেউ আমার কান কেটে ফেলেছিল। হাজ্জ
উপলক্ষে আবূ বকর (রাঃ) আমাদের এখানে এলে আমরা তার নিকট একত্র হলাম। তিনি আমাদেরকে
‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) কাছে পাঠালেন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, এ অপরাধের জন্য
ক্বিসাস নেয়া যাবে। হাজ্জামকে ডেকে আনো, যাতে ক্বিসাস গ্রহণ করতে পারে। অতঃপর আমার
নিকট একজন হাজ্জামকে ডেকে আনা হলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : আমি আমার খালাকে একটি গোলাম দান করেছিলাম।
আমার আশা ছিল, এতে তাঁর বরকত হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, একে রক্তমোক্ষণকারী,
স্বর্ণকার অথবা কসাইয়ের কাছে সোপর্দ করবেন না।
দুর্বল : আহাদীসুল বুয়ূ‘‘, যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (২০৯৮)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৩১
حَدَّثَنَا
يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا ابْنُ
إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُرَقِيُّ، عَنِ ابْنِ
مَاجِدَةَ السَّهْمِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم نَحْوَهُ .
উমার ইবনুল খাত্তাব
(রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পুর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৩২
حَدَّثَنَا
الْفَضْلُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُرَقِيُّ، عَنِ
ابْنِ مَاجِدَةَ السَّهْمِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، - رضى الله عنه -
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
উমার ইবনুল খাত্তাব
(রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৪
মালদার গোলাম বিক্রি
করলে তার বিধান
৩৪৩৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ بَاعَ
عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُهُ لِلْبَائِعِ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَهُ
الْمُبْتَاعُ وَمَنْ بَاعَ نَخْلاً مُؤَبَّرًا فَالثَّمَرَةُ لِلْبَائِعِ إِلاَّ
أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ " .
সালিম (রহঃ) তার
পিতা হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন: কেউ গোলাম বিক্রি করলে ঐ গোলামের যদি কোন মাল থাকে তাহলে উক্ত মাল বিক্রেতাই
পাবে। তবে ক্রেতা (মালের) শর্ত করলে সে তা পাবে। আর কেউ খেজুর গাছ তা‘বীর করার পর
বিক্রি করলে ঐ বাগানের বর্তমান ফল বিক্রেতা পাবে, তবে ক্রেতা নিজের জন্য শর্ত করলে
ভিন্ন কথা।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (২২১১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৩৪
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ،
عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِصَّةِ الْعَبْدِ وَعَنْ نَافِعٍ عَنِ
ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِقِصَّةِ النَّخْلِ . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ وَاخْتَلَفَ الزُّهْرِيُّ وَنَافِعٌ فِي أَرْبَعَةِ أَحَادِيثَ
هَذَا أَحَدُهَا .
নাফি‘ (রহঃ) ইবনু
‘উমার (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুধু গোলামের ক্রয়-বিক্রয়ের ঘটনা বর্ণনা
করেছেন। নাফি‘ (রহঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে শুধু খেজুর বাগান সম্পর্কিত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ
(রহঃ) বলেন, যুহ্রী ও নাফি‘ (রহঃ) চারটি হাদীস বর্ণনায় পরস্পর মতভেদ করেছেন। উপরের
হাদীসটি সেগুলোর একটি।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
৩৪৩৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ
كُهَيْلٍ، حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ
فَمَالُهُ لِلْبَائِعِ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ " .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি এমন
গোলাম বিক্রয় করে যার কিছু মাল আছে, তাহলে ঐ মাল বিক্রেতা পাবে। কিন্তু ক্রেতা যদি
নিজের জন্য শর্ত করে তাহলে ভিন্ন কথা।
সহীহ : ইরওয়া (৫/১৫৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৫
(বাজারে পৌঁছার আগেই)
অগ্রগামী হয়ে ব্যবসায়ী কাফেলার সাথে মিলিত হওয়া
৩৪৩৬
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" لاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلاَ تَلَقَّوُا السِّلَعَ
حَتَّى يُهْبَطَ بِهَا الأَسْوَاقَ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন অন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের
সময় নিজের ক্রয়-বিক্রয়ের কথা না বলে। পণ্যদ্রব্য বাজারে উপস্থিত করার আগে তোমরা
অগ্রগামী হয়ে তা কিনতে যাবে না।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (২১৭১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৩৭
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي
ابْنَ عَمْرٍو الرَّقِّيَّ - عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ تَلَقِّي الْجَلَبِ
فَإِنْ تَلَقَّاهُ مُتَلَقٍّ مُشْتَرٍ فَاشْتَرَاهُ فَصَاحِبُ السِّلْعَةِ
بِالْخِيَارِ إِذَا وَرَدَتِ السُّوقَ . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ سَمِعْتُ أَبَا
دَاوُدَ يَقُولُ قَالَ سُفْيَانُ لاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ أَنْ
يَقُولَ إِنَّ عِنْدِي خَيْرًا مِنْهُ بِعَشْرَةٍ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনে অগ্রসর হয়ে বাজারে পণ্যদ্রব্য নিয়ে আসা
ব্যক্তিদের সাথে মিলিত হতে নিষেধ করেছেন। কোন ক্রেতা যদি এগিয়ে গিয়ে তার সাথে মিলিত
হয়ে কিছু কিনে তাহলে বিক্রেতা বাজারে পৌঁছার পর (বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের) সুযোগ
পাবে।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২১৭৮)।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সুফিয়ান (রহঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন এই বলে অপরের
বিক্রয়ের ওপর বিক্রয় না করে যে, আমার কাছে এর চেয়ে ভাল পণ্য মাত্র দশ টাকায়
(অর্থাৎ কম দামে) পাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৬
ধোঁকাপূর্ণ দালালী
নিষেধ
৩৪৩৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم " لاَ تَنَاجَشُوا " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ধোঁকাপূর্ণ
দালালী করো না।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২১৭৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৭
শহরবাসীর জন্য
গ্রাম্য লোকের পণ্য বিক্রি করা নিষেধ
৩৪৩৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ
ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ . فَقُلْتُ مَا يَبِيعُ
حَاضِرٌ لِبَادٍ قَالَ لاَ يَكُونُ لَهُ سِمْسَارًا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শহুরে লোককে গ্রাম্য লোকের
পণ্যদ্রব্য বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, শহুরে লোক গ্রাম্য লোকের
পণ্য বিক্রি না করে দেয়ার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ সে তার দালাল না হওয়া।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২১৭৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৪০
حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ الزِّبْرِقَانَ أَبَا هَمَّامٍ،
حَدَّثَهُمْ - قَالَ زُهَيْرٌ وَكَانَ ثِقَةً - عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ،
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
لاَ يَبِيعُ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ أَوْ أَبَاهُ " .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ حَفْصَ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ حَدَّثَنَا أَبُو
هِلاَلٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ يُقَالُ لاَ
يَبِيعُ حَاضِرٌ لِبَادٍ . وَهِيَ كَلِمَةٌ جَامِعَةٌ لاَ يَبِيعُ لَهُ شَيْئًا
وَلاَ يَبْتَاعُ لَهُ شَيْئًا .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শহরবাসী যেন
গ্রামবাসীর পণ্য বিক্রি না করে, যদিও সে তার ভাই অথবা পিতা হয়। আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) সূত্রে আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ লোকেরা বলে থাকে, “শহরবাসী গ্রামবাসীর পণ্য
বিক্রয় করবে না” এটি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য। অর্থাৎ তার পক্ষ হয়ে কিছু বিক্রিও
করবে না এবং কিনবেও না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৪১
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ،
عَنْ سَالِمٍ الْمَكِّيِّ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، قَدِمَ
بِحَلُوبَةٍ لَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَ عَلَى
طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
نَهَى أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلَكِنِ اذْهَبْ إِلَى السُّوقِ فَانْظُرْ
مَنْ يُبَايِعُكَ فَشَاوِرْنِي حَتَّى آمُرَكَ أَوْ أَنْهَاكَ
সালিম আল-মাক্কী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক বেদুঈন তাকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে তার দুধের উষ্ট্রী নিয়ে ত্বালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ
(রহঃ) এর নিকট অবতরণ করেন। তখন তিনি (তালহা) বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) “শহরবাসীকে গ্রামবাসীর পণ্য বিক্রি করে দিতে নিষেধ করেছেন”। বরং তুমি
বাজারে গিয়ে দেখো, তোমার পণ্য কে কিনতে চায়। তারপর আমার সঙ্গে পরামর্শ করবে, আমি
হয়তো তোমাকে অনুমতি দিব কিংবা নিষেধ করবো।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৪২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا
أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" لاَ يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَذَرُوا النَّاسَ يَرْزُقِ اللَّهُ
بَعْضَهُمْ مِنْ بَعْضٍ " .
জাবির (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শহরবাসী গ্রামবাসীর পক্ষ হয়ে পণ্য
বিক্রি করবে না। তোমরা লোকদেরকে ছেড়ে দাও। মহান আল্লাহ এক দলের মাধ্যমে উপর দলের
রিজিক্বের ব্যবস্থা করেন।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২১৭৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৮
আটকানো দুধে পশুর
পালান ফুলানো দেখে ক্রয়ের পর তা অপছন্দ হলে
৩৪৪৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " لاَ تَلَقَّوُا الرُّكْبَانَ لِلْبَيْعِ وَلاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ
عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلاَ تُصَرُّوا الإِبِلَ وَالْغَنَمَ فَمَنِ ابْتَاعَهَا
بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلِبَهَا فَإِنْ
رَضِيَهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ سَخِطَهَا رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ "
.
আবু হুরা্ইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যারা বাজারে বিক্রিও উদ্দেশ্যে
খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসে, তোমরা তাদের পণ্য ক্রয়ের জন্য এগিয়ে তাদের সাথে মিলিত হবে
না। একজনের পক্ষ হতে ক্রয়-বিক্রয়ের আলাপের সময় অন্যজন তা ক্রয়ের আলোচনা করবে না।
উট-বকরীর স্তনে দুধ জমা করে রাখা যাবে না। এরূপ করার পর কেউ তা কিনলে দুধ দোহনের
পর তার জন্য এখতিয়ার থাকবে। ইচ্ছা হলে সে ক্রয় বহাল রাখবে নতুবা ক্রয় ভঙ্গ করে তা
ফেরত দিবে এবং (দুধপানের বিনিময় বাবদ) এক সা‘ খেজুর দিবে।
সহীহ: নাসায়ী (৪৪৮৭,৪১৭৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৪৪
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ،
وَحَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً
فَهُوَ بِالْخِيَارِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ
طَعَامٍ لاَ سَمْرَاءَ " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
বলেনঃ যে ব্যক্তি স্তন ফুলানো বকরী কিনবে তার জন্য তিন দিন পর্যন্ত অবকাশ থাকবে।
ইচ্ছা করলে সে তা ফেরত দিবে। (ফেরতের সময়) সাথে এক সা‘ খাদ্যদ্রব্যও দিবে, তবে
উন্নত মানের গম দিবে না।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২২৩৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৪৫
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَخْلَدٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ، - يَعْنِي
ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي زِيَادٌ، أَنَّ
ثَابِتًا، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ
أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
مَنِ اشْتَرَى غَنَمًا مُصَرَّاةً احْتَلَبَهَا فَإِنْ رَضِيَهَا أَمْسَكَهَا
وَإِنْ سَخِطَهَا فَفِي حَلْبَتِهَا صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কেউ স্তন ফুলানো বকরী কিনলে তার দুধ
দোহন করে দেখে নিবে। তারপর পছন্দ হলে সে তা রেখে দিবে, আর পছন্দ না হলে ফেরত দিতে
পারবে। তবে দুধ দোহনের বিনিময়ে সাথে এক সা‘ খেজুরও দিতে হবে।
সহীহ: আহাদীসুল বুয়ু‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৪৬
حَدَّثَنَا
أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ
عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ
ابْتَاعَ مُحَفَّلَةً فَهُوَ بِالْخِيَارِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ رَدَّهَا
رَدَّ مَعَهَا مِثْلَ أَوْ مِثْلَىْ لَبَنِهَا قَمْحًا " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্তন
ফুলানো পশু ক্রয় করে তার জন্য তিন দিনের অবকাশ থাকে। সে তা ফেরত দিলে সাথে দোহনকৃত
দুধের পরিমাণ অনুযায়ী অথবা তার দ্বিগুণ গম দিবে।
দুর্বলঃ ইবনু মাযাহ (২২৩৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৯
অসৎ উদ্দেশ্যে
খাদ্যদ্রব্য মজুত রাখা নিষেধ
৩৪৪৭
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ
مَعْمَرِ بْنِ أَبِي مَعْمَرٍ، أَحَدِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحْتَكِرُ إِلاَّ خَاطِئٌ
" . فَقُلْتُ لِسَعِيدٍ فَإِنَّكَ تَحْتَكِرُ قَالَ وَمَعْمَرٌ كَانَ
يَحْتَكِرُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَأَلْتُ أَحْمَدَ مَا الْحُكْرَةُ قَالَ
مَا فِيهِ عَيْشُ النَّاسِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ
الْمُحْتَكِرُ مَنْ يَعْتَرِضُ السُّوقَ .
‘আদী ইবনু
কা’বের(রাঃ) এক পুত্র মা‘মার ইবনু আবু মা‘মার (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জঘন্য অপরাধী ছাড়া
কেউই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি (মূল্য বৃদ্ধির আশায়) গুদামজাত করে না। আমি
(মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর) সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) -কে বলি, আপনি তো গুদামজাত
করেন। তিনি বলেন, মা‘মারও গুদামজাত করতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ
ইবনু হাম্বল (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (কোন বস্তু) গুদামজাত করা নিষেধ? তিনি
বললেন, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আওযাঈ‘ (রহঃ)
বললেন, গুদামজাতকারী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে বাজারজাত করার পথে প্রতিবন্ধক হয়।
সহীহঃ ইবনূ মাজাহ (২১৫৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৪৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَيَّاضٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ
الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْفَيَّاضِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ
قَتَادَةَ، قَالَ لَيْسَ فِي التَّمْرِ حُكْرَةٌ . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى
قَالَ عَنِ الْحَسَنِ فَقُلْنَا لَهُ لاَ تَقُلْ عَنِ الْحَسَنِ . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ هَذَا الْحَدِيثُ عِنْدَنَا بَاطِلٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ
سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ يَحْتَكِرُ النَّوَى وَالْخَبَطَ وَالْبِزْرَ سَمِعْتُ
أَحْمَدَ بْنَ يُونُسَ يَقُولُ سَأَلْتُ سُفْيَانَ عَنْ كَبْسِ الْقَتِّ فَقَالَ
كَانُوا يَكْرَهُونَ الْحُكْرَةَ وَسَأَلْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَيَّاشٍ فَقَالَ
اكْبِسْهُ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ)
সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, খেজুর গুদামজাত করা নিষেধ নয়। ইবনুল মুসান্না (রহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু
ফাইয়্যাদ স্বীয় বর্ণনায় হাসান বাসরীকে যুক্ত করেছেন। আমরা তাকে বললাম, আপনি
হাসানের বরাত দিবেন না (কারণ হাসান এটা বর্ণনা করেননি)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,
এ হাদীস আমাদের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
সানাদ দুর্বল মাক্বতু‘।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) খেজুরের আঁটি, পশুখাদ্য ও
তৈলবীজ গুদামজাত করেতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু ইউনুসের কাছে
শুনেছি ,আমি সুফিয়ানকে পশুখাদ্য গুদামজাত করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
পূর্ববর্তী লোকেরা গুদামজাত করাকে মাকরূহ জানতেন। আমি (আহমাদ) আবূ বকর ইবনুল
‘আয়্যাশকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা গুদামজাত করাতে দোষ নেই।
সহিহ মাক্বতু‘।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৫০
দিরহাম ভাঙ্গা
৩৪৪৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ فَضَاءٍ،
يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ،
قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُكْسَرَ سِكَّةُ
الْمُسْلِمِينَ الْجَائِزَةُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ مِنْ بَأْسٍ .
আলক্বামাহ ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত
মুদ্রা বিশেষ কোন ত্রুটি ছাড়া ভাংতে নিষেধ করেছেন।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২২৬৩), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬০০১)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫১
দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ
করে দেয়া
৩৪৫০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ بِلاَلٍ،
حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَعِّرْ .
فَقَالَ " بَلْ أَدْعُو " . ثُمَّ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ سَعِّرْ فَقَالَ " بَلِ اللَّهُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ
وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللَّهَ وَلَيْسَ لأَحَدٍ عِنْدِي مَظْلَمَةٌ
" .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
একদা
এক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। তিনি
বললেনঃ বরং আমি দু‘আ করবো। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল!
দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করুন। তিনি বললেনঃ বরং আল্লাহই (জিনিসের দাম) কমান-বাড়ান।
আমি আশা করি, আমি যেন আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হই, আমার বিরুদ্ধে কারো
প্রতি জুলুমের কোন অভিযোগ থাকবে না।
সহীহঃ রাওযুন নাযীর (৪০৫)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৫১
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ
سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، وَقَتَادَةُ، وَحُمَيْدٌ، عَنْ
أَنَسٍ، قَالَ قَالَ النَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ غَلاَ السِّعْرُ فَسَعِّرْ
لَنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ
هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّازِقُ وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ
أَلْقَى اللَّهَ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ يُطَالِبُنِي بِمَظْلَمَةٍ فِي دَمٍ
وَلاَ مَالٍ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আপনি আমাদের
জন্য দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহই মূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই তা কমান ও বৃদ্ধি করেন
এবং একমাত্র তিনিই রিযিক্বদাতা। আমি এই আশা করি যে, আমি আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায়
সাক্ষাৎ করবো যেন আমার উপর কারো জীবন বা সম্পদের উপর জুলুম করার কোনরূপ অভিযোগ না
থাকে।
সহীহঃ ইবনূ মাজাহ (২২০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫২
ভেজাল দেয়া নিষেধ
৩৪৫২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ،
عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم مَرَّ بِرَجُلٍ يَبِيعُ طَعَامًا فَسَأَلَهُ " كَيْفَ
تَبِيعُ " . فَأَخْبَرَهُ فَأُوحِيَ إِلَيْهِ أَنْ أَدْخِلْ يَدَكَ فِيهِ
فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهِ فَإِذَا هُوَ مَبْلُولٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ غَشَّ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যে
খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছিল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কিভাবে বিক্রি করছো? তখন সে
তাঁকে এ সম্পর্কে জানালো। ইতিমধ্যে তিনি এ মর্মে ওয়াহী প্রাপ্ত হলেনঃ আপনি আপনার
হাত শস্যের স্তূপের ভেতরে ঢুকান। তিনি স্তূপের ভেতরে তাঁর হাত ঢুকিয়ে অনুভব করলেন
যে , তার ভেতরের অংশ ভিজা। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ যে ব্যক্তি প্রতারণা করে তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (২২২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৫৩
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ كَانَ سُفْيَانُ
يَكْرَهُ هَذَا التَّفْسِيرَ لَيْسَ مِنَّا لَيْسَ مِثْلَنَا .
ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) ‘‘লাইসা মিন্না’ -এর ব্যাখ্যা
‘আমাদের মত নয়’ করাকে অপছন্দ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
অনুচ্ছেদ-৫৩
ক্রেতা- বিক্রেতার
এখতিয়ার সম্পর্কে
৩৪৫৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
الْمُتَبَايِعَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ عَلَى صَاحِبِهِ مَا لَمْ
يَفْتَرِقَا إِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত
ক্রেতা-বিক্রেতার উভয়ের জন্য সুযোগ থাকে। তবে ‘সুযোগ থাকার’ শর্ত রাখা হলে ভিন্ন
কথা।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (২১৮১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৫৫
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ،
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ
" أَوْ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اخْتَرْ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত। তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ অথবা উভয়ের একজন অন্যজনকে এরূপ বলা
হয়ে, বিক্রয় কার্য চূড়ান্ত করূন।
সহীহ : এর পূর্বেরটি দেখূন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৫৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
الْمُتَبَايِعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَفْتَرِقَا إِلاَّ أَنْ تَكُونَ
صَفْقَةَ خِيَارٍ وَلاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُفَارِقَ صَاحِبَهُ خَشْيَةَ أَنْ
يَسْتَقِيلَهُ " .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আস
ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়য়ের জন্য (ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের) অবকাশ থাকে, তবে
পরবর্তীতেও এ অবকাশ বহাল রাখলে ভিন্ন কথা। আর ক্রেতা বা বিক্রেতার একজন অপরজন থেকে
(বিক্রয় প্রত্যাখ্যান হওয়ার আশংকায়) দ্রুত পৃথক হওয়া উচিত নয়।
হাসান : তিরমিযী (১২৭০)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৩৪৫৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي
الْوَضِيءِ، قَالَ غَزَوْنَا غَزْوَةً لَنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَبَاعَ
صَاحِبٌ لَنَا فَرَسًا بِغُلاَمٍ ثُمَّ أَقَامَا بَقِيَّةَ يَوْمِهِمَا
وَلَيْلَتِهِمَا فَلَمَّا أَصْبَحَا مِنَ الْغَدِ حَضَرَ الرَّحِيلُ فَقَامَ إِلَى
فَرَسِهِ يُسْرِجُهُ فَنَدِمَ فَأَتَى الرَّجُلَ وَأَخَذَهُ بِالْبَيْعِ فَأَبَى
الرَّجُلُ أَنْ يَدْفَعَهُ إِلَيْهِ فَقَالَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَبُو بَرْزَةَ
صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيَا أَبَا بَرْزَةَ فِي نَاحِيَةِ
الْعَسْكَرِ فَقَالاَ لَهُ هَذِهِ الْقِصَّةَ . فَقَالَ أَتَرْضَيَانِ أَنْ
أَقْضِيَ بَيْنَكُمَا بِقَضَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا
" . قَالَ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَ جَمِيلٌ أَنَّهُ قَالَ مَا
أُرَاكُمَا افْتَرَقْتُمَا .
আবুল ওয়াদী (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা আমাদের কোন একটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমরা এক জায়গায় যাত্রাবিরতি
করি। তখন আমাদের একজন একটি গোলামের বিনিময়ে একটি ঘোড়া বিক্রি করে। অতঃপর তারা
(ক্রেতা-বিক্রেতা) উভয়ে অবশিষ্ট দিন ও রাত একত্রে অবস্থান করে। অতঃপর পরদিন সকালে
বিদায়ের পালা আসলে ক্রেতা তার ঘোড়ার পিঠে জিন বাঁধতে শুরু করলো। এমন সময় বিক্রেতা
লজ্জিত অবস্থায় ক্রেতার নিকট এসে চুক্তি বাতিল করে ঘোড়া ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ
করলো। কিন্তু ক্রেতা তাকে ঘোড়া ফেরত দিতে অস্বীকার করায় বিক্রেতা বললো, তোমার ও
আমার মধ্যকার বিবাদ নিষ্পত্তি করে দিবেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর সাহাবী আবূ বারযা (রাঃ)। তারা উভয়ে তাকে ঘটনাটি জানালে তিনি তাদেরকে বললেন, আমি
তোমাদেরকে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ফায়সালার
অনুরূপ সিদ্ধান্ত দিবো, তোমরা কি এতে রাজি আছো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের
জন্য অবকাশ থাকে। হিশাম ইবনু হাস্সান (রহঃ) বলেন, জামীল (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, আবূ
বারযা (রাঃ) বললেন, আমি দেখছি তোমরা এখনো বিচ্ছিন্ন হওনি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২১৮২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৫৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْجَرْجَرَائِيُّ، قَالَ مَرْوَانُ الْفَزَارِيُّ
أَخْبَرَنَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، قَالَ كَانَ أَبُو زُرْعَةَ إِذَا
بَايَعَ رَجُلاً خَيَّرَهُ قَالَ ثُمَّ يَقُولُ خَيِّرْنِي وَيَقُولُ سَمِعْتُ
أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
يَفْتَرِقَنَّ اثْنَانِ إِلاَّ عَنْ تَرَاضٍ " .
ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ূব
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আবূ যুর‘আহ (রহঃ) কারো নিকট কিছু বিক্রি করলে তাকে অবকাশ দিতেন। বর্ণনাকারী
বলেন, অতঃপর তিনিও বলতেন, আমাকেও অবকাশ দিবে। তিনি বলতেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)
কে বলতে শুনেছি , রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যেন পরস্পরের সম্মতি ছাড়া একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন না
হয়।
হাসান সহীহঃ তিরমিযী(১২৭১)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
৩৪৫৯
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ
أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ
حِزَامٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْبَيِّعَانِ
بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَفْتَرِقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي
بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا مُحِقَتِ الْبَرَكَةُ مِنْ بَيْعِهِمَا
" . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ
وَحَمَّادٌ وَأَمَّا هَمَّامٌ فَقَالَ " حَتَّى يَتَفَرَّقَا أَوْ
يَخْتَارَ " . ثَلاَثَ مِرَارٍ .
হাকীম ইবনু হিযাম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পরস্পর পৃথক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য (ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের) অবকাশ থাকে। তারা সততার
সাথে ক্রয়-বিক্রয় করলে এবং বিক্রিত মালের দোষ-ত্রুটির প্রকাশ করলে তাদের
ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত হবে। আর যদি তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং বিক্রিত বস্তুর দোষ
গোপন করে তাহলে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত দূর হয়ে যাবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,
সাঈদ ইবনু আবূ ‘আরূবাহ ও হাম্মাদ এ হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন। তবে হাম্মামের
বর্ণনায় রয়েছেঃ পরস্পর পৃথক না হওয়া পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য অবকাশ
থাকে। তিনি কথাটি তিনবার বলেন।
সহীহঃ তিরমিযী(১২৬৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৪
ইক্বালাহ (অনুতাপজনিত
চুক্তি) বাতিল করার ফাযীলাত সম্পর্কে
৩৪৬০
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
مَنْ أَقَالَ مُسْلِمًا أَقَالَهُ اللَّهُ عَثْرَتَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন
মুসলিমের (অনুরোধে তার) সাথে সম্পাদিত ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি বাতিল করবে আল্লাহ তার
গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২১৯৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৫
একই চুক্তিতে দুই
লেনদেন
৩৪৬১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ بَاعَ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍ
فَلَهُ أَوْكَسُهُمَا أَوِ الرِّبَا " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একই
দ্রব্য বিক্রয়ে দুই রকম নিয়ম রাখে তাকে দুই মূল্যের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যই
গ্রহন করতে হবে, নতুবা তা হবে সুদ।
হাসানঃ ইরওয়া (৫/১৪৯-১৫০)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৬
আল-ঈনাহ পদ্ধতির
লেনদেন
৩৪৬২
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي
حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، ح وَحَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ التِّنِّيسِيُّ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى الْبُرُلُّسِيُّ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ
بْنُ شُرَيْحٍ، عَنْ إِسْحَاقَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - قَالَ سُلَيْمَانُ
عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْخُرَاسَانِيِّ، - أَنَّ عَطَاءً
الْخُرَاسَانِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ نَافِعًا حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا
تَبَايَعْتُمْ بِالْعِينَةِ وَأَخَذْتُمْ أَذْنَابَ الْبَقَرِ وَرَضِيتُمْ
بِالزَّرْعِ وَتَرَكْتُمُ الْجِهَادَ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ ذُلاًّ لاَ
يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
الإِخْبَارُ لِجَعْفَرٍ وَهَذَا لَفْظُهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যখন
তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে
এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দিবেন। তোমরা
তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দিবেন
না।[২]
সহীহঃ সহীহাহ (১১)
[২] ঈনাঃ প্রকৃত মূল্যের চেয়ে
ধারে অধিক ক্রয়-বিক্রয় করা। যেমন কেউ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দশ টাকায় কিছু বিক্রি করলো
এবং ঐ সময় শেষ হওয়ার পর তা আট টাকায় কিনে নিলো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৭
অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়
সম্পর্কে
৩৪৬৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ
أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ
يُسْلِفُونَ فِي التَّمْرِ السَّنَةَ وَالسَّنَتَيْنِ وَالثَّلاَثَةَ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَسْلَفَ فِي تَمْرٍ
فَلْيُسْلِفْ فِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ
" .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনাহ্য় আসলেন তখন
সেখানকার লোকেরা এক, দুই অথবা তিন বছরের মেয়াদে খেজুর অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় করতো।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃকেউ খেজুর অগ্রিম
ক্রয়-বিক্রয় করলে তাকে তা নির্দিষ্ট পরিমাপে, নির্দিষ্ট ওজনে এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে
করতে হবে।
সহীহঃ সহীহাহ (১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৬৪
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ،
أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، أَوْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُجَالِدٍ
قَالَ اخْتَلَفَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ وَأَبُو بُرْدَةَ فِي السَّلَفِ
فَبَعَثُونِي إِلَى ابْنِ أَبِي أَوْفَى فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ إِنْ كُنَّا
نُسْلِفُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ
وَعُمَرَ فِي الْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالتَّمْرِ وَالزَّبِيبِ - زَادَ ابْنُ
كَثِيرٍ - إِلَى قَوْمٍ مَا هُوَ عِنْدَهُمْ . ثُمَّ اتَّفَقَا وَسَأَلْتُ ابْنَ
أَبْزَى فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ .
মুহাম্মাদ অথবা
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মুজালিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়ের সম্পর্কে ‘আব্দুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ও আবূ বুরদার (রাঃ)
মতভেদ করেন। তারা আমাকে ইবনু আবূ ‘আওফার (রাঃ) নিকট পাঠালেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস
করলে তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বকর
(রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ) এর যুগে গম, বার্লি, খেজুর এবং কিসমিস অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়
করতাম। ইবনু কাসীরের বর্ণনায় রয়েছেঃ এমন লোকদের নিকট থেকে অগ্রিম ক্রয় করা হতো যাদের
কাছে এগুলো বর্তমান থাকতো না। এরপর তারা (হাফ্স ইবনু ‘উমার ও ইবনু কাসীর) একইরূপ
বর্ণনা করেন। অতঃপর আমি ইবনু আবযাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনিও একই কথা বললেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ(২২৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৬৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَابْنُ، مَهْدِيٍّ قَالاَ
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُجَالِدِ، وَقَالَ
عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ أَبِي الْمُجَالِدِ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ
عِنْدَ قَوْمٍ مَا هُوَ عِنْدَهُمْ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الصَّوَابُ ابْنُ
أَبِي الْمُجَالِدِ وَشُعْبَةُ أَخْطَأَ فِيهِ .
আব্দুল্লাহ ইবনু
মুজালিদ (রহঃ) অথবা ইবনু আবুল মুজালিদ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
(ইবনু আবূ ‘আওফা) বলেন, এমন লোকদের কাছ থেকে অগ্রিম ক্রয় করতাম যাদের কাছে এগুলো
বর্তমান থাকতো না। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সঠিক হল ইবনু আবুল মুজালিদ নামটি।
শু‘বাহ তার বর্ণনায় ভুল করেছেন।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৬৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْمَلِكِ بْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ أَبِي أَوْفَى الأَسْلَمِيِّ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم الشَّامَ فَكَانَ يَأْتِينَا أَنْبَاطٌ مِنْ أَنْبَاطِ الشَّامِ
فَنُسْلِفُهُمْ فِي الْبُرِّ وَالزَّيْتِ سِعْرًا مَعْلُومًا وَأَجَلاً مَعْلُومًا
فَقِيلَ لَهُ مِمَّنْ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَا كُنَّا نَسْأَلُهُمْ .
আব্দুল্লাহ ইবনু
‘আওফা আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সিরিয়ার যুদ্ধে
গিয়েছিলাম। তখন সেখানকার কৃষকরা আমাদের কাছে আসলো। আমরা তাদের থেকে গম এবং যাইতূন
নির্ধারিত দামে ও নির্দিষ্ট মেয়াদে অগ্রিম কিনতাম। তাকে বলা হলো, আপনারা কি এমন
লোকের কাছ থেকে অগ্রিম কিনতেন যার কাছে তা বর্তমান থাকতো? তিনি বলেন, তাদের নিকট ঐ
বস্তু আছে কিনা তা আমরা জিজ্ঞেস করতাম না।
সহীহঃ এর পূর্বেরটির দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৮
বিশেষ কোন ফলের
অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে
৩৪৬৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ
رَجُلٍ، نَجْرَانِيٍّ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، أَسْلَفَ رَجُلاً فِي
نَخْلٍ فَلَمْ تُخْرِجْ تِلْكَ السَّنَةَ شَيْئًا فَاخْتَصَمَا إِلَى النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " بِمَ تَسْتَحِلُّ مَالَهُ ارْدُدْ عَلَيْهِ
مَالَهُ " . ثُمَّ قَالَ " لاَ تُسْلِفُوا فِي النَّخْلِ حَتَّى
يَبْدُوَ صَلاَحُهُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির একটি গাছের খেজুর অগ্রিম কিনলো। কিন্তু ঐ বছর কোন ফল ধরলো
না। তারা উভয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন
করলে তিনি বললেনঃ তুমি কিসের বিনিময়ে তার মাল (নিজের জন্য) বৈধ মনে করলে? তার মাল
তাকে ফেরত দাও। অতপরঃ তিনি বললেনঃ গাছের খেজুর পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তার
ক্রয়-বিক্রয় করবে না।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২২৮৪), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬২২৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৯
অগ্রিম ক্রয়কৃত বস্তু
হস্তগত না হলে তা অন্যের নিকট হস্তান্তর না করা
৩৪৬৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ خَيْثَمَةَ،
عَنْ سَعْدٍ، - يَعْنِي الطَّائِيَّ - عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي
سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
مَنْ أَسْلَفَ فِي شَىْءٍ فَلاَ يَصْرِفْهُ إِلَى غَيْرِهِ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন
বস্তু অগ্রিম কিনেছে, সে যেন ঐ বস্তুকে (হস্তগত করার পূর্বে) অন্যের নিকট
হস্তান্তর না করে।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২২৮৩), ইরওয়া (১৩৭৫), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৪১৪), মিশকাত
(২৮৯১)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬০
প্রাকৃতিক দুর্যোগে
ফল-ফসল বিনষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ
৩৪৬৯
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ أُصِيبَ رَجُلٌ
فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا فَكَثُرَ
دَيْنُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَصَدَّقُوا
عَلَيْهِ " . فَتَصَدَّقَ النَّاسُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ
وَفَاءَ دَيْنِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُذُوا مَا
وَجَدْتُمْ وَلَيْسَ لَكُمْ إِلاَّ ذَلِكَ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে এক ব্যক্তি (বাগানের)
ফল কিনে লোকসানে পড়ে খুব ঋণগ্রস্ত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাকে সদাক্বাহ প্রদান করো। লোকেরা সদাক্বাহ দিলো কিন্তু তা
তার ঋণ পরিশোধের সমপরিমাণ হলো না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ ( হে পাওনাদার) যা পেয়েছো তা নিয়ে নাও, এর অতিরিক্ত আর পাবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৫৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৭০
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ،
قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ
جُرَيْجٍ، - الْمَعْنَى - أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ الْمَكِّيَّ، أَخْبَرَهُ عَنْ
جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِنْ بِعْتَ مِنْ أَخِيكَ تَمْرًا فَأَصَابَتْهَا جَائِحَةٌ فَلاَ يَحِلُّ
لَكَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا بِمَ تَأْخُذُ مَالَ أَخِيكَ بِغَيْرِ حَقٍّ
" .
জাবির ইবনু
‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি যদি তোমার কোন ভাইয়ের কাছে বাগানের
খেজুর বিক্রি করো এবং তা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার কাছ থেকে
কোন মূল্য গ্রহণ তোমার জন্য বৈধ নয়। তুমি কিসের বিনিময়ে তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে
অন্যায়ভাবে মূল্য গ্রহণ করবে?
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২২১৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬১
‘জায়িহাহ’ শব্দের
ব্যাখ্যা
৩৪৭১
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي
عُثْمَانُ بْنُ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ الْجَوَائِحُ
كُلُّ ظَاهِرٍ مُفْسِدٍ مِنْ مَطَرٍ أَوْ بَرْدٍ أَوْ جَرَادٍ أَوْ رِيحٍ أَوْ
حَرِيقٍ .
আত্বা (রহঃ) সূত্র
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘জায়িহাহ’ বলা হয় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগকে যাতে প্রকাশ্য
ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে। যেমন অতিবৃষ্টি, তুষারপাত, পঙ্গপালের আক্রমন, ঝড়, অগ্নিকান্ড
ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ হাসান মাকতু
৩৪৭২
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ
الْحَكَمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ قَالَ لاَ جَائِحَةَ فِيمَا
أُصِيبَ دُونَ ثُلُثِ رَأْسِ الْمَالِ - قَالَ يَحْيَى - وَذَلِكَ فِي سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ
.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মূলধনের এক-তৃতীয়াংশের কম বিনষ্ট হলে তা প্রাকৃতিক
দুর্যোগ গণ্য নয়। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, এটাই মুসলিমদের প্রচলিত নিয়ম।
হাদিসের মানঃ হাসান মাকতু
অনুচ্ছেদ-৬২
পানির প্রবাহ বন্ধ
করা নিষেধ
৩৪৭৩
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي
صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" لاَ يُمْنَعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُمْنَعَ بِهِ الْكَلأُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতিরিক্ত পানি থেকে
কাউকে বাধা দেয়া যাবে না। কেননা এতে ঘাস (বাঁচিয়ে রাখাকেই) বাধা দেয়া হবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৭৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৭৪
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ،
عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
رَجُلٌ مَنَعَ ابْنَ السَّبِيلِ فَضْلَ مَاءٍ عِنْدَهُ وَرَجُلٌ حَلَفَ عَلَى
سِلْعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ - يَعْنِي كَاذِبًا - وَرَجُلٌ بَايَعَ إِمَامًا فَإِنْ
أَعْطَاهُ وَفَى لَهُ وَإِنْ لَمْ يُعْطِهِ لَمْ يَفِ لَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন
তিন ধরনের লোকের সাথে মহান আল্লাহ কথা বলবেন না-
(১) যে ব্যক্তি তার কাছে রক্ষিত অতিরিক্ত পানি থেকে পথিক ব্যক্তিকে বাঁধা দেয়;
(২) যে ব্যক্তি ‘আসরের পর কোন জিনিসের মূল্য নিয়ে মিথ্যা শপথ করে এবং
(৩) যে ব্যক্তি ইমামের কাছে বাইআত গ্রহণ করে। এরপর ইমাম তাকে পার্থিব স্বার্থ দান
করলে সে তার আনুগত্য করে, আর স্বার্থ হাসিল না হলে আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২২০৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৭৫
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ،
بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ " وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ
أَلِيمٌ " . وَقَالَ فِي السِّلْعَةِ " بِاللَّهِ لَقَدْ أُعْطِيَ
بِهَا كَذَا وَكَذَا فَصَدَّقَهُ الآخَرُ فَأَخَذَهَا " .
আল-আ‘মাশ (রহঃ) হতে
একই সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ
অর্থের হাদীস বর্ণিত। এই আরো রয়েছেঃ (আল্লাহ) তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের
জন্য রয়েছে নির্মম শাস্তি। আর মালের উপর কসম খাওয়ার অর্থ হলো এরূপ বলাঃ আল্লাহর
নামে শপথ করে বলছি, এ মাল এতো এতো দামে কিনতে চেয়েছিল। এ কথা শুনে বর্তমান ক্রেতা
বিশ্বাস করে তার নির্ধারিত মূল্যে তা কিনে নিলো।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৭৬
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ
سَيَّارِ بْنِ مَنْظُورٍ، - رَجُلٍ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ - عَنْ أَبِيهِ، عَنِ
امْرَأَةٍ، يُقَالُ لَهَا بُهَيْسَةُ عَنْ أَبِيهَا، قَالَتِ اسْتَأْذَنَ أَبِي
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قَمِيصِهِ فَجَعَلَ
يُقَبِّلُ وَيَلْتَزِمُ ثُمَّ قَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا الشَّىْءُ الَّذِي
لاَ يَحِلُّ مَنْعُهُ قَالَ " الْمَاءُ " . قَالَ يَا نَبِيَّ
اللَّهِ مَا الشَّىْءُ الَّذِي لاَ يَحِلُّ مَنْعُهُ قَالَ " الْمِلْحُ
" . قَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا الشَّىْءُ الَّذِي لاَ يَحِلُّ
مَنْعُهُ قَالَ " أَنْ تَفْعَلَ الْخَيْرَ خَيْرٌ لَكَ " .
বুহাইসাহ নাম্নী
নামক জনৈক মহিলা হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমার পিতা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অনুমতি চেয়ে তাঁর
শরীরের জামার ভেতর মুখ ঢুকিয়ে তাকে চুমু দিলেন এবং জড়িয়ে ধরলেন। অতঃপর বললেন, হে
আল্লাহর নাবী! কোন জিনিস থেকে বাধা দেয়া হালাল নয়? তিনি বললেনঃ ‘পানি’। তিনি আবার
বললেন, হে আল্লাহর নাবী! কোন জিনিস থেকে বাধা দেয়া হালাল নয়? তিনি বললেনঃ ‘লবণ’।
তিনি আবার বললেন, হে আল্লাহর নাবী! কোন জিনিস দেয়া থেকে নিষেধ করা যায় না? তিনি
বললেনঃ তুমি যত ভালো কাজ করবে তোমার ততোই মঙ্গল হবে।
দুর্বলঃ এটি যাকাত অধ্যায়ের শেষ দিকে গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৭৭
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ اللُّؤْلُؤِيُّ، أَخْبَرَنَا حَرِيزُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ
حَبَّانَ بْنِ زَيْدٍ الشَّرْعَبِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ قَرْنٍ ح وَحَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا حَرِيزُ بْنُ عُثْمَانَ،
حَدَّثَنَا أَبُو خِدَاشٍ، - وَهَذَا لَفْظُ عَلِيٍّ - عَنْ رَجُلٍ، مِنَ
الْمُهَاجِرِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ غَزَوْتُ
مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا أَسْمَعُهُ يَقُولُ "
الْمُسْلِمُونَ شُرَكَاءُ فِي ثَلاَثٍ فِي الْكَلإِ وَالْمَاءِ وَالنَّارِ
" .
আবূ খিদাশ (রহঃ)
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক মুহাজির সাহাবীর কাছ থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তিনবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ
করেছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ মুসলিমরা তিনটি জিনিসে সমানভাবে অংশীদারঃ পানি, ঘাস
ও আগুন।
সহীহঃ ইরওয়া (৬/৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৩
প্রয়োজনের অতিরিক্ত
পানি বিক্রি করা
৩৪৭৮
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ،
عَنْ إِيَاسِ بْنِ عَبْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ
بَيْعِ فَضْلِ الْمَاءِ .
ইয়াস ইবনু ‘আব্দ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি বিক্রি করতে নিষেধ
করেছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৭৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৪
বিড়াল বিক্রয় মূল্য
সম্পর্কে
৩৪৭৯
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ
أَبُو تَوْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عِيسَى، وَقَالَ،
إِبْرَاهِيمُ أَخْبَرَنَا عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ
الْكَلْبِ وَالسِّنَّوْرِ .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর ও বিড়ালের বিক্রয় মূল্য গ্রহণ করতে
নিষিদ্ধ করেছেন।
সহীহঃ আহাদীসুল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ
زَيْدٍ الصَّنْعَانِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْهِرَّةِ .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিড়ালের বিক্রয় মূল্য (গ্রহণ
করতে) নিষিদ্ধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৫
কুকুর বিক্রয় মূল্য
সম্পর্কে
৩৪৮১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي
بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ
الْكَاهِنِ .
আবূ মাস‘ঊদ
আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর বিক্রয় মূল্য, ব্যভিচারের মাধ্যমে
অর্জিত আয় এবং গণকের ভেট নিষিদ্ধ করেছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৫৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮২
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي
ابْنَ عَمْرٍو - عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ حَبْتَرٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ
ثَمَنِ الْكَلْبِ وَإِنْ جَاءَ يَطْلُبُ ثَمَنَ الْكَلْبِ فَامْلأْ كَفَّهُ
تُرَابًا .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুরের
মূল্য নিষিদ্ধ করেছেন। কেউ কুকুরের মূল্য চাইতে এলে মাটি দিয়ে তার হাতের মুষ্টি
ভরে দিবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮৩
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي عَوْنُ بْنُ
أَبِي جُحَيْفَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ .
আওন ইবনু আবূ
জুহাইফাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার পিতা বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কুকুরের মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَعْرُوفُ بْنُ
سُوَيْدٍ الْجُذَامِيُّ، أَنَّ عُلَىَّ بْنَ رَبَاحٍ اللَّخْمِيَّ، حَدَّثَهُ
أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لاَ يَحِلُّ ثَمَنُ الْكَلْبِ وَلاَ حُلْوَانُ الْكَاهِنِ وَلاَ
مَهْرُ الْبَغِيِّ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুকুরের বিক্রয়
মূল্য, গণকের ভেট এবং ব্যভিচারের মাধ্যমে আয় ভক্ষণ করা হালাল নয়।
সহীহঃ নাসায়ী (৪২৯৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৬
মদ ও মৃত জীবের মূল্য
৩৪৮৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا
مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ بُخْتٍ، عَنْ أَبِي
الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ الْخَمْرَ وَثَمَنَهَا
وَحَرَّمَ الْمَيْتَةَ وَثَمَنَهَا وَحَرَّمَ الْخِنْزِيرَ وَثَمَنَهُ " .
. আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ মদ ও মদের মূল্য
হারাম করেছেন, মৃত জন্তু ও এর মূল্য হারাম করেছেন এবং শূকর ও এর মূল্য হারাম
করেছেন।
সহীহঃ আহাদীসুল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ،
عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ
سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ
بِمَكَّةَ " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ
وَالْخِنْزِيرِ وَالأَصْنَامِ " . فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
أَرَأَيْتَ شُحُومَ الْمَيْتَةِ فَإِنَّهُ يُطْلَى بِهَا السُّفُنُ وَيُدْهَنُ
بِهَا الْجُلُودُ وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ فَقَالَ " لاَ هُوَ
حَرَامٌ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ
ذَلِكَ " قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ إِنَّ اللَّهَ لَمَّا حَرَّمَ
عَلَيْهِمْ شُحُومَهَا أَجْمَلُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَهُ "
.
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
মাক্কাহ বিজয়ের বছর সেখানে অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ মদ, মৃত জন্তু, শূকর ও মূর্তির
ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! মৃত জন্তুর চর্বি নৌকায়
লাগানো হয়, চামড়া বস্তুতে ব্যবহার করা হয় এবং লোকজন এর দ্বারা বাতি জ্বালায়। এর
ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? তিনি বলেনঃ না, এগুলো হারাম। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদীদের ধ্বংস করুন! মহান
আল্লাহ যখন তাদের জন্য চর্বি হারাম করলেন, তখন তারা চর্বি গলিয়ে বিক্রি করলো এবং
এর মূল্য ভক্ষণ করলো।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৬৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ
جَعْفَرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ عَطَاءٌ عَنْ
جَابِرٍ، نَحْوَهُ لَمْ يَقُلْ " هُوَ حَرَامٌ " .
ইয়াযীদ ইবনু আবূ
হাবীব (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ‘আত্বা (রহঃ) জাবির (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস আমাকে লিখে
পাঠালেন। তিনি তাতে‘ এটি হারাম’ কথাটুকু উল্লেখ করেননি।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
৩৪৮৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، أَنَّ بِشْرَ بْنَ الْمُفَضَّلِ، وَخَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ،
حَدَّثَاهُمُ - الْمَعْنَى، - عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ بَرَكَةَ، قَالَ
مُسَدَّدٌ فِي حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ بَرَكَةَ أَبِي
الْوَلِيدِ، ثُمَّ اتَّفَقَا - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا عِنْدَ الرُّكْنِ - قَالَ - فَرَفَعَ
بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَضَحِكَ فَقَالَ " لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ
" . ثَلاَثًا " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْهِمُ الشُّحُومَ
فَبَاعُوهَا وَأَكَلُوا أَثْمَانَهَا وَإِنَّ اللَّهَ إِذَا حَرَّمَ عَلَى قَوْمٍ
أَكْلَ شَىْءٍ حَرَّمَ عَلَيْهِمْ ثَمَنَهُ " . وَلَمْ يَقُلْ فِي
حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الطَّحَّانِ " رَأَيْتُ " .
وَقَالَ " قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কা‘বার রুকনের নিকট বসে থাকতে
দেখি। ইবনু ‘আব্বাস বলেন, তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং তিনবার বললেনঃ মহান
আল্লাহ ইয়াহুদীদের অভিশপ্ত করুন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাদের জন্য চর্বি হারাম
করেছিলেন। কিন্ত তারা তা বিক্রি করে এর মূল্য ভক্ষণ করতো। অথচ আল্লাহ যখন কোন
জাতির জন্য কোন বস্তু খাওয়া হারাম করেন তখন তার মূল্যও হারাম করেন। খালিদ ইবনু
‘আবদুল্লাহ বর্ণিত হাদীসে ‘‘আমি তাঁকে দেখেছি’’ কথাটি উল্লেখ নাই। তিনি বর্ণনা
করেছেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদীদের ধ্বংস করুন।
সহীহঃ আহাদীসুল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৮৯
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، وَوَكِيعٌ،
عَنْ طُعْمَةَ بْنِ عَمْرٍو الْجَعْفَرِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ بَيَانٍ
التَّغْلِبِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ
الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ بَاعَ الْخَمْرَ فَلْيُشَقِّصِ الْخَنَازِيرَ " .
মুগীরাহ ইবনু
শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মদ
বিক্রি করলো, সে যেন (খাওয়ার জন্য) শূকরের গোশত প্রস্তুত করলো।
দুর্বলঃ যঈফাহ (৪৫৬৬), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৪৯৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৯০
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي
الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتِ الآيَاتُ
الأَوَاخِرُ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَقَرَأَهُنَّ عَلَيْنَا وَقَالَ " حُرِّمَتِ التِّجَارَةُ فِي الْخَمْرِ
" .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, যখন সূরাহ বাক্বারাহ্’র শেষের দিকের আয়াতগুলো অবতীর্ণ হলো, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেরিয়ে এসে আমাদেরকে তা পড়ে শুনালেন। তিনি
বললেনঃ মদের ব্যবসা হারাম করা হয়েছে।
সহীহঃ আহাদীসুল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯১
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ،
بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ الآيَاتُ الأَوَاخِرُ فِي الرِّبَا .
আ‘মাশ (রহঃ) তার
নিজস্ব সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
একই
অর্থের হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, (সূরাহ বাকারাহ্’র) শেষের আয়াতগুলো সূদ
(হারাম) সম্পর্কিত।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৭
হস্তগত করার আগে
খাদ্যশস্য বিক্রয়
৩৪৯২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا
فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ খাদ্যশস্য ক্রয় করলে তা হস্তগত না
করা পর্যন্ত পুনরায় বিক্রি করবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২২২৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
أَنَّهُ قَالَ كُنَّا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبْتَاعُ
الطَّعَامَ فَيَبْعَثُ عَلَيْنَا مَنْ يَأْمُرُنَا بِانْتِقَالِهِ مِنَ الْمَكَانِ
الَّذِي ابْتَعْنَاهُ فِيهِ إِلَى مَكَانٍ سِوَاهُ قَبْلَ أَنْ نَبِيعَهُ -
يَعْنِي - جُزَافًا .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে খাদ্যশস্য কিনতাম।
আমাদের নিকট লোক পাঠানো হতো, যিনি আমাদেরকে আদেশ করতেনঃ পুনরায় বিক্রি করার পূর্বে
যে স্থানে আমরা তা কিনেছি সেখান থেকে তা অন্যত্র সরিয়ে নিবে।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৬০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي
نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانُوا يَتَبَايَعُونَ الطَّعَامَ جُزَافًا
بِأَعْلَى السُّوقِ فَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَبِيعُوهُ
حَتَّى يَنْقُلُوهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকেরা বাজারের একটি উঁচু জায়গায় স্তূপ করে খাদাশস্য কিনতো। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্রয়কৃত বস্তু অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আগে বিক্রি
করতে নিষেধ করেন।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৬০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنِ
الْمُنْذِرِ بْنِ عُبَيْدٍ الْمَدِينِيِّ، أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ،
حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَبِيعَ أَحَدٌ طَعَامًا اشْتَرَاهُ بِكَيْلٍ حَتَّى
يَسْتَوْفِيَهُ .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাপে খাদ্যশস্য
কেনার পর তা হস্তগত করার পূর্বে পুনরায় বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৬০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৬
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرٍ، وَعُثْمَانُ، ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ،
عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ
يَبِعْهُ حَتَّى يَكْتَالَهُ " . زَادَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ قُلْتُ
لاِبْنِ عَبَّاسٍ لِمَ قَالَ أَلاَ تَرَى أَنَّهُمْ يَتَبَايَعُونَ بِالذَّهَبِ
وَالطَّعَامُ مُرَجًّى .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ খাদ্যবস্তু
কিনে তা পরিমাপ করার পূর্বে যেন পুনরায় বিক্রি না করে। বর্ণনাকারী আবূ বাক্রের
বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ তিনি (তাঊসের পিতা) বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস
করলাম, তা কেন? তিনি বলেন, তুমি কি দেখছো না! তারা সোনার (দীনারের) বিনিময়ে
খাদ্যশস্য বিক্রি করতো, অথচ ঐ খাদ্যশস্য বিক্রেতার দখলেই আছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২২২৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح
وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، - وَهَذَا لَفْظُ مُسَدَّدٍ
- عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا اشْتَرَى أَحَدُكُمْ طَعَامًا
فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ " . قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ
" حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ " . زَادَ مُسَدَّدٌ قَالَ وَقَالَ ابْنُ
عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ أَنَّ كُلَّ شَىْءٍ مِثْلُ الطَّعَامِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন
খাদ্যশস্য কিনে তা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রি না করে। মুসাদ্দাদ অতিরিক্ত বর্ণনা
করেন যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আমার মতে প্রত্যেক জিনিসের ক্ষেত্রেই
খাদ্যদ্রব্যের অনুরূপ হুকুম।
সহীহঃ এর পূ্র্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৮
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ النَّاسَ
يُضْرَبُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اشْتَرَوُا
الطَّعَامَ جُزَافًا أَنْ يَبِيعُوهُ حَتَّى يُبْلِغَهُ إِلَى رَحْلِهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, খাদ্যশস্যের স্তুপ ক্রয় করে তা নিজের গন্তব্য স্হানে পৌঁছানোর অগে বিক্রির
অপরাধে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে লোকদেরকে মারধোর করা
হতো।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৬০৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৪৯৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ
الْوَهْبِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ
عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ابْتَعْتُ زَيْتًا فِي السُّوقِ
فَلَمَّا اسْتَوْجَبْتُهُ لِنَفْسِي لَقِيَنِي رَجُلٌ فَأَعْطَانِي بِهِ رِبْحًا
حَسَنًا فَأَرَدْتُ أَنْ أَضْرِبَ عَلَى يَدِهِ فَأَخَذَ رَجُلٌ مِنْ خَلْفِي
بِذِرَاعِي فَالْتَفَتُّ فَإِذَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالَ لاَ تَبِعْهُ حَيْثُ
ابْتَعْتَهُ حَتَّى تَحُوزَهُ إِلَى رَحْلِكَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم نَهَى أَنْ تُبَاعَ السِّلَعُ حَيْثُ تُبْتَاعُ حَتَّى يَحُوزَهَا
التُّجَّارُ إِلَى رِحَالِهِمْ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি বাজারে গিয়ে যাইতূন কিনলাম। তা আমার হস্তগত হলে এক ব্যক্তি এসে আমাকে এর
একটা ভালো মুনাফা দিতে চাইলো। আমি তাকে যাইতূন প্রদানের ইচ্ছা করলে পেছন থেকে এক
ব্যক্তি আমার বাহু ধরলেন। তাকিয়ে দেখি যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ)। তিনি বললেন, যেখান
থেকে কিনেছেন সেখানে বিক্রি করবেন না, আপনার স্থানে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করুন। কারণ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যবসায়ীদেরকে পণ্যদ্রব্য ক্রয়ের
পর নিজের জায়গায় স্থানান্তরিত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।
হাসানঃ পূ্র্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৮
ক্রয় বিক্রয়ের সময় যে
ব্যক্তি বলে, ধোঁকাবাজি করা চলবে না
৩৫০০
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، ذَكَرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَنَّهُ يُخْدَعُ فِي الْبَيْعِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِذَا بَايَعْتَ فَقُلْ لاَ خِلاَبَةَ " . فَكَانَ
الرَّجُلُ إِذَا بَايَعَ يَقُولُ لاَ خِلاَبَةَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
একদা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ লোক অভিযোগ করলো যে, সে
ক্রয়-বিক্রয়ের সময় প্রতারিত হয়। তিনি তাকে বললেনঃ যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে তখন
বলবে, ‘ধোঁকাবাজি করা চলবে না’। অতঃপর লোকটি যখন ক্রয়-বিক্রয় করতো তখন বলতো, ‘যেন
ধোঁকাবাজি না করা হয়’।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৪৮৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫০১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَرُزِّيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ أَبُو
ثَوْرٍ الْكَلْبِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، -
قَالَ مُحَمَّدٌ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ - أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، عَلَى عَهْدِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبْتَاعُ وَفِي عُقْدَتِهِ ضَعْفٌ فَأَتَى
أَهْلُهُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ
احْجُرْ عَلَى فُلاَنٍ فَإِنَّهُ يَبْتَاعُ وَفِي عُقْدَتِهِ ضَعْفٌ فَدَعَاهُ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَهَاهُ عَنِ الْبَيْعِ فَقَالَ يَا نَبِيَّ
اللَّهِ إِنِّي لاَ أَصْبِرُ عَنِ الْبَيْعِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِنْ كُنْتَ غَيْرَ تَارِكٍ الْبَيْعَ فَقُلْ هَاءَ وَهَاءَ
وَلاَ خِلاَبَةَ " . قَالَ أَبُو ثَوْرٍ عَنْ سَعِيدٍ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহর
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে এক ব্যক্তির জ্ঞান-বুদ্ধি কম থাকায়
ক্রয়-বিক্রয়ে ঠকে যেতো। তার পরিবারের লোকেরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর নিকট এসে অভিযোগ করলো, হে আল্লাহর নাবী! অমুককে ক্রয়-বিক্রয় করতে
নিষেধ করে দিন। করণ এ বিষয়ে তার জ্ঞান-বুদ্ধি কম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে এনে ক্রয়-বিক্রয়ে জড়াতে নিষেধ করলেন। সে বললো, হে আল্লাহর
রাসূল! ক্রয়-বিক্রয় থেকে আমি ধৈর্য ধরতে পারবো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ যদি তুমি ক্রয়-বিক্রয় ছাড়তে না পারো তাহলে লেনদেন করার সময় বলবে,
মূল্য দাও, পন্য নাও, খবরদার! ধোঁকাবাজি করা চলবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৫৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৯
‘উরবান (বায়না)
প্রসঙ্গ
৩৫০২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ
أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ،
أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الْعُرْبَانِ
. قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ - فِيمَا نَرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ - أَنْ يَشْتَرِيَ
الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ يَتَكَارَى الدَّابَّةَ ثُمَّ يَقُولُ أُعْطِيكَ
دِينَارًا عَلَى أَنِّي إِنْ تَرَكْتُ السِّلْعَةَ أَوِ الْكِرَاءَ فَمَا
أَعْطَيْتُكَ لَكَ .
আমর ইবনু শু‘আইব
তার পিতা হতে তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
(দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উরবান পদ্ধতিতে
ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, আমার
মতে এ ধরনের পদ্ধতি নিম্নরূপঃ কেউ একটি গোলাম কিনলো অথবা পশু ভাড়া করলো, তারপর
বললো, আমি তোমাকে এই শর্তে একটি দীনার (বায়না) দিলাম যে, যদি আমি গোলাম ক্রয় না
করি অথবা পশু ভাড়া না নেই তাহলে এই দীনার তোমার।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২১৯২), মিশকাত (২৮৬৪), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬০৬০)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭০
কোন ব্যক্তির এমন
বস্তু বিক্রয় করা যা নিজের কাছে নেই
৩৫০৩
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ
مَاهَكَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَأْتِينِي
الرَّجُلُ فَيُرِيدُ مِنِّي الْبَيْعَ لَيْسَ عِنْدِي أَفَأَبْتَاعُهُ لَهُ مِنَ
السُّوقِ فَقَالَ " لاَ تَبِعْ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ "
হাকীম ইবনু হিযাম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি আমার নিকট এসে এমন জিনিস কিনতে চায় যা
আমার কাছে নেই। আমি কি বাজার থেকে তার জন্য ঐ জিনিস কিনে আনবো? তিনি বলেনঃ তোমার
কাছে যা নেই তা বিক্রি করো না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৮৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫০৪
حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي
عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِيهِ، حَتَّى
ذَكَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لاَ يَحِلُّ سَلَفٌ وَبَيْعٌ وَلاَ شَرْطَانِ فِي بَيْعٍ وَلاَ
رِبْحُ مَا لَمْ تَضْمَنْ وَلاَ بَيْعُ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ " .
আবদুল্লাহ্ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিক্রয়ের সাথে ঋণের
শর্ত যোগ করা, একই লেনদেনে দুই রকম শর্ত নির্ধারণ করা, যিম্মাদারী ছাড়া কোন বস্তু
থেকে মুনাফা গ্রহন করা এবং যা তোমার কাছে নেই তা বিক্রি করা জায়িয নয়।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৮৮)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৭১
ক্রয়-বিক্রয়ে
শর্তারোপ
৩৫০৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - عَنْ زَكَرِيَّا،
حَدَّثَنَا عَامِرٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بِعْتُهُ - يَعْنِي
بَعِيرَهُ - مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَرَطْتُ حُمْلاَنَهُ إِلَى
أَهْلِي قَالَ فِي آخِرِهِ " تُرَانِي إِنَّمَا مَاكَسْتُكَ لأَذْهَبَ
بِجَمَلِكَ خُذْ جَمَلَكَ وَثَمَنَهُ فَهُمَا لَكَ " .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমার উট বিক্রি করি এই
শর্তে যে, আমি তাতে আরোহণ করে বাড়ি পৌঁছবো। অতঃপর বর্ণনাকারী অবশিষ্ট ঘটনা বর্ণনা
করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি মনে করছো,
আমি তোমার উটটি কিনতে বিলম্ব করছি, এজন্য যে, তোমার কাছ থেকে তা (কম দামে) নিবো।
যাও! তুমি তোমার উট এবং সাথে এর মূল্যও নিয়ে যাও। তুমি দুটোই নাও।
সহীহঃ আহাদীসূল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭২
গোলাম ক্রয়-বিক্রয়
৩৫০৬
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ،
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" عُهْدَةُ الرَّقِيقِ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ "
উক্ববাহ ইবনু ‘আমির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বিক্রয়ের পর দাস অথবা দাসীর মধ্যে দোষ
পরিলক্ষিত হলে বিক্রেতা তিন দিন পর্যন্ত দায়ী থাকবে।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২২৪৪, ২২৪৫), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৩৮৩২)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৫০৭
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ،
عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ إِنْ وَجَدَ دَاءً فِي
الثَّلاَثِ اللَّيَالِي رُدَّ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ وَإِنْ وَجَدَ دَاءً بَعْدَ
الثَّلاَثِ كُلِّفَ الْبَيِّنَةَ أَنَّهُ اشْتَرَاهُ وَبِهِ هَذَا الدَّاءُ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا التَّفْسِيرُ مِنْ كَلاَمِ قَتَادَةَ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ)
তার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
একই
অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বর্ণনা করেন, ক্রেতা তিন দিনের মধ্যে কোন
দোষ দেখতে পেলে বিনা প্রমাণে ফেরত দিতে পারবে। আর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর
ত্রুটি দেখতে পেলে ক্রেতাকে প্রমাণ দিতে হবে যে, তার ক্রয়ের সময়ই এই দোষ বিদ্যমান
ছিল। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটা ক্বাতাদাহ্র নিজস্ব ব্যাখ্যা।
দুর্বলঃ এর পূর্বেরটি দেখুন। আর ক্বাতাদাহ পর্যন্ত এর সানাদ সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৩
কৃতদাস ক্রয় করে কাজে
নিয়োগের পর তার মধ্যে ত্রুটি পাওয়া গেলে
৩৫০৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مَخْلَدِ بْنِ
خُفَافٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ "
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুনাফা ঝুঁকির
অনুগামী।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (২২৪২)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৩৫০৯
حَدَّثَنَا
مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ كَانَ
بَيْنِي وَبَيْنَ أُنَاسٍ شَرِكَةٌ فِي عَبْدٍ فَاقْتَوَيْتُهُ وَبَعْضُنَا
غَائِبٌ فَأَغَلَّ عَلَىَّ غَلَّةً فَخَاصَمَنِي فِي نَصِيبِهِ إِلَى بَعْضِ
الْقُضَاةِ فَأَمَرَنِي أَنْ أَرُدَّ الْغَلَّةَ فَأَتَيْتُ عُرْوَةَ بْنَ
الزُّبَيْرِ فَحَدَّثْتُهُ فَأَتَاهُ عُرْوَةُ فَحَدَّثَهُ عَنْ عَائِشَةَ -
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ " .
মাখলাদ ইবনু কুফাক
আল-গিফারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি এবং কতিপয় লোকের যৌথ মালিকানায় একটি গোলাম ছিলো। কতিপয় অংশীদারের
অনুপস্থিতিতে আমি তাকে কাজে নিয়োগ করলে সে আমার জন্য কিছু উপার্জন করে আনলো। আমার
এক অংশীদার এই আয়ে তার অংশ দাবি করে কোন এক বিচারকের কাছে মোকদ্দমা দায়ের করলো।
বিচারক আমাকে অংশীদারের অংশ ফেরত দিতে নির্দেশ দিলেন। আমি ‘উরওয়াহ ইবনু যুবাইরের
কাছে এসে বিষয়টি জানালাম। ‘উরওয়াহ বিচারকের কাছে এসে তাকে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সূত্রে
বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ফায়সালা শুনালেনঃ
মুনাফা ঝুঁকির সাথে সম্পৃক্ত।
হাসান: এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৩৫১০
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ
الزَّنْجِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ،
رضى الله عنها أَنَّ رَجُلاً، ابْتَاعَ غُلاَمًا فَأَقَامَ عِنْدَهُ مَا شَاءَ
اللَّهُ أَنْ يُقِيمَ ثُمَّ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا فَخَاصَمَهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم فَرَدَّهُ عَلَيْهِ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدِ
اسْتَغَلَّ غُلاَمِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا إِسْنَادٌ لَيْسَ
بِذَاكَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি একটি ক্রীতদাস কিনলো। আল্লাহ যতদিন চাইলেন গোলামটি তার কাছেই থাকলো। অতঃপর
সে তার মধ্যে দোষ দেখতে পেলো। তখন লোকটি বিক্রেতার বিরুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে অভিযোগ পেশ করলো। তিনি গোলামটি বিক্রেতাকে ফেরত দিলেন।
বিক্রেতা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার গোলাম এতো দিনে যা উপার্জন করেছে (তার কি
হবে)? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মুনাফা ঝুঁকির সাথে
সম্পৃক্ত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীসের সানাদ তেমন নির্ভরযোগ্য নয়।
হাসানঃ এর পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৪
পণ্যে বিদ্যমান
থাকাবস্থায় ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মতভেদ হলে
৩৫১১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ
غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي عُمَيْسٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ قَيْسِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الأَشْعَثِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ
اشْتَرَى الأَشْعَثُ رَقِيقًا مِنْ رَقِيقِ الْخُمُسِ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ
بِعِشْرِينَ أَلْفًا فَأَرْسَلَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَيْهِ فِي ثَمَنِهِمْ فَقَالَ
إِنَّمَا أَخَذْتُهُمْ بِعَشْرَةِ آلاَفٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَاخْتَرْ
رَجُلاً يَكُونُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ . قَالَ الأَشْعَثُ أَنْتَ بَيْنِي وَبَيْنَ
نَفْسِكَ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا
بَيِّنَةٌ فَهُوَ مَا يَقُولُ رَبُّ السِّلْعَةِ أَوْ يَتَتَارَكَانِ "
‘‘আবদুর রহমান ইবনু
ক্বায়িস ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল আশ‘আস (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
(ক্বায়িস) বলেন, আশ‘আস (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) এর কাছ থেকে বিশ হাজার
দিরহামে কয়েকটি গোলাম কিনলেন। এগুলো তিনি পেয়েছিলেন গনীমাতের এক-পঞ্চমাংশ থেকে।
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) তার কাছে দাম চেয়ে পাঠালেন। তিনি বললেন, আমি দশ
হাজার দিরহামে কিনেছি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, তুমি এমন কোন ব্যক্তিকে বেছে নাও,
যিনি আমার ও তোমার মাঝে মধ্যস্থতা করবেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে
মতভেদ হলে যদি এ ব্যাপারে কারো কাছে কোন প্রমাণ না থাকে তাহলে পণ্যের মালিকের কথা
গ্রহণযোগ্য হবে কিংবা উভয়েই চুক্তি বাতিল করবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫১২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا
ابْنُ أَبِي لَيْلَى، أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ،
أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ، بَاعَ مِنَ الأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ رَقِيقًا فَذَكَرَ
مَعْنَاهُ وَالْكَلاَمُ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ .
আল-ক্বাসিম ইবনু
‘আবদুর রহমান (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) আশ‘আস ইবনু ক্বায়িস (রাঃ) এর কাছে কিছু গোলাম বিক্রি করেন।
অতঃপর হাদীসের বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে কিছু কম-বেশী আছে।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৫
শুফ‘আহ
৩৫১৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ
جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " الشُّفْعَةُ فِي كُلِّ شِرْكٍ رَبْعَةٍ أَوْ حَائِطٍ لاَ
يَصْلُحُ أَنْ يَبِيعَ حَتَّى يُؤْذِنَ شَرِيكَهُ فَإِنْ بَاعَ فَهُوَ أَحَقُّ
بِهِ حَتَّى يُؤْذِنَهُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক শরীকানা
সম্পদে শুফ‘আর অধিকার আছে। চাই তা বাড়ি হোক কিংবা বাগান। অন্যান্য শরীকদের না
জানিয়ে তা বিক্রি করা উচিত নয়। কেউ যদি শরীককে না জানিয়ে বিক্রি করে তাহলে অপর
শরীকদার শুফ‘আর অধিকারী হবে। অবশ্য সে বিক্রিতে সম্মতি দিলে ভিন্ন কথা।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৬৪৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫১৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّمَا جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
الشُّفْعَةَ فِي كُلِّ مَالٍ لَمْ يُقْسَمْ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ
وَصُرِفَتِ الطُّرُقُ فَلاَ شُفْعَةَ .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সম্পত্তিতে শুফ‘আর
ব্যবস্থা রেখেছেন যা এখনও বণ্টন করা হয়নি। সীমানা চিহ্নিত হয়ে গেলে এবং পৃথক
রাস্তা করা হয় আর শুফ‘আর অধিকার থাকে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫১৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ،
حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَوْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَوْ
عَنْهُمَا جَمِيعًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِذَا قُسِّمَتِ الأَرْضُ وَحُدَّتْ فَلاَ شُفْعَةَ فِيهَا
"
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন জমীন ভাগ করা
হয়ে যায় এবং সীমানা নির্ধারণ হয়ে যায় তখন আর শুফ‘আর অধিকার থাকে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫১৬
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، سَمِعَ عَمْرَو بْنَ الشَّرِيدِ، سَمِعَ أَبَا
رَافِعٍ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْجَارُ
أَحَقُّ بِسَقَبِهِ " .
আবূ রাফি‘ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ প্রতিবেশী তার নৈকট্যের
কারণে শুফ‘আর অধিক হকদার।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫১৭
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ
الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
جَارُ الدَّارِ أَحَقُّ بِدَارِ الْجَارِ أَوِ الأَرْضِ " .
মাসুরাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘরের নিকটবর্তী প্রতিবেশী তার
প্রতিবেশীর ঘর ও জমি কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
সহীহঃ তিরমিযী (১৩৯৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫১৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ
عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " الْجَارُ أَحَقُّ بِشُفْعَةِ جَارِهِ يُنْتَظَرُ بِهَا وَإِنْ
كَانَ غَائِبًا إِذَا كَانَ طَرِيقُهُمَا وَاحِدًا " .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিবেশী তার
প্রতিবেশীর শুফ‘আর বেশি হক্বদার। সে অনুপস্থিত থাকলে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে
যদি তাদের উভয়ের যাতায়াতের পথ এক হয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৬
দেউলিয়া সাব্যস্ত
ব্যক্তির নিকট নিজের মাল অক্ষত অবস্থায় পেলে
৩৫১৯
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ،
حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، - الْمَعْنَى - عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي
بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ
الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا رَجُلٍ
أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ الرَّجُلُ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ
غَيْرِهِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যদি কেউ দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে যে
ব্যক্তি তার কাছে নিজের মাল অক্ষত অবস্থায় পাবে সে-ই ঐ মালের অধিক হক্বদার হবে
অন্যান্য পাওনাদারদের তুলনায়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৫৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫২০
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي
بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا رَجُلٍ بَاعَ مَتَاعًا
فَأَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَهُ وَلَمْ يَقْبِضِ الَّذِي بَاعَهُ مِنْ ثَمَنِهِ
شَيْئًا فَوَجَدَ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ وَإِنْ مَاتَ
الْمُشْتَرِي فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ " .
আবূ বাকর ইবনু
‘আবদুর রহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাল বিক্রি করার পর যদি
ক্রেতা দেউলিয়া হয়ে যায় এবং বিক্রেতা তার কাছ থেকে এর মূল্য আদায় করতে না পারে
তাহলে সে তার বিক্রিত পণ্য ক্রেতার নিকট অক্ষত অবস্থায় পেলে সে-ই হবে ঐ মালের অধিক
হক্বদার। ক্রেতা মারা গেলে বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারের মতই একজন পাওনাদার গণ্য
হবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৫৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫২১
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ وَهْبٍ -
أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ زَادَ " وَإِنْ قَضَى مِنْ
ثَمَنِهَا شَيْئًا فَهُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ فِيهَا " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ
হুরায়রা (রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে অনুরূপ হাদীস
বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ক্রেতা পণ্যের
মূল্য কিছু পরিশোধ করে থাকে তাহলে বিক্রেতা তার অবশিষ্ট পাওনার ক্ষেত্রে অন্যান্য
পাওনাদারের মতই একজন পাওনাদার গণ্য হবে। কোন ব্যক্তি যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে,
তার কাছে বিক্রেতার মাল অক্ষত রয়েছে। তাহলে বিক্রেতা তার কাছ থেকে কিছুটা মূল্য
পেয়ে থাকুক বা না থাকুক, উভয় অবস্থায় সে অন্যান্য পাওনাদারের মতই গণ্য হবে।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫২২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ
الْجَبَّارِ، - يَعْنِي الْخَبَائِرِيَّ - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي
ابْنَ عَيَّاشٍ - عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ مُحَمَّدُ
بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو الْهُذَيْلِ الْحِمْصِيُّ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي
بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ " فَإِنْ كَانَ قَضَاهُ مِنْ ثَمَنِهَا شَيْئًا
فَمَا بَقِيَ فَهُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ وَأَيُّمَا امْرِئٍ هَلَكَ وَعِنْدَهُ
مَتَاعُ امْرِئٍ بِعَيْنِهِ اقْتَضَى مِنْهُ شَيْئًا أَوْ لَمْ يَقْتَضِ فَهُوَ
أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ مَالِكٍ أَصَحُّ
.
আবূ বকর ইবনু
‘আবদুর রহমান ইবনুল ইবনু হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অতঃপর মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
এতে আরো আছেঃ সে মূল্যের কিছু অংশ পরিশোধ করে থাকলে বিক্রেতা অপরাপর পাওনাদারের
মতই একজন পাওনাদার গণ্য হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, মালিক বর্ণিত হাদীসটি
অধিকতর সহীহ।
সহীহঃ ইরওয়া (৫/২৬৯-২৭০)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫২৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، هُوَ الطَّيَالِسِيُّ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي الْمُعْتَمِرِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ
خَلْدَةَ، قَالَ أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فِي صَاحِبٍ لَنَا أَفْلَسَ فَقَالَ
لأَقْضِيَنَّ فِيكُمْ بِقَضَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
مَنْ أَفْلَسَ أَوْ مَاتَ فَوَجَدَ رَجُلٌ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ
بِهِ " .
উমার ইবনু খালদাহ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদা আমরা আমাদের এক দেউলিয়া সাথীর মোকদ্দমা নিয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর কাছে
গেলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাদের অবশ্যই রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) অনুরূপ ফায়সালা প্রদান করবো। তা হলোঃ কেউ দেউলিয়া হয়ে গেলে অথবা মারা
গেলে পাওনাদার যদি তার মাল ঐ ব্যক্তির কাছে অক্ষত অবস্থায় পায় তাহলে মালিকই ঐ
মালের অধিক হক্বদার।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২৩৬০), ইরওয়া (১৪৪২), মিশকাত (২৯১৪), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর
(৫৪৬৩)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৭
যে ব্যক্তি অক্ষম
পশুকে সবল করে
৩৫২৪
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى،
حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الْحِمْيَرِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، - قَالَ عَنْ أَبَانَ، أَنَّ عَامِرًا
الشَّعْبِيَّ، - حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ وَجَدَ دَابَّةً قَدْ عَجَزَ عَنْهَا أَهْلُهَا أَنْ يَعْلِفُوهَا
فَسَيَّبُوهَا فَأَخَذَهَا فَأَحْيَاهَا فَهِيَ لَهُ " . قَالَ فِي
حَدِيثِ أَبَانَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَقُلْتُ عَمَّنْ قَالَ عَنْ غَيْرِ
وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَهَذَا حَدِيثُ حَمَّادٍ وَهُوَ أَبْيَنُ وَأَتَمُّ .
আবান (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমির
আশ-শা‘বী (রহঃ) তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে পশুকে মালিক খাওয়াতে অক্ষম হয়ে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিলো।
এখন যে ব্যক্তি পশুটি কুড়িয়ে নিয়ে সেবা-যত্ন করে সুস্থ-সবল করে তুলবে সেই হবে
পশুটির মালিক। আবানের হাদীসে রয়েছেঃ ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) ‘আমির আশ-শা‘বী (রহঃ)-কে
জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এ হাদীস কার থেকে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একাধিক সাহাবীর কাছ থেকে শুনেছি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ)
বলেন, এটি হাম্মাদ বর্ণিত হাদীস এবং এটি অধিক স্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ।
হাসানঃ ইরওয়া (১৫৬২)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
৩৫২৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ حَمَّادٍ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ خَالِدٍ
الْحَذَّاءِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ
الشَّعْبِيِّ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ
قَالَ " مَنْ تَرَكَ دَابَّةً بِمُهْلِكٍ فَأَحْيَاهَا رَجُلٌ فَهِيَ
لِمَنْ أَحْيَاهَا " .
আশ-শা‘বী (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তার কোন পশুকে ধ্বংস
হয়ে যাওয়ার অবস্থায় পরিত্যাগ করলে যে ব্যক্তি এটাকে তুলে নিয়ে সেবা-যত্নের মাধ্যমে
সুস্থ-সবল করে তুলবে সে-ই হবে এর মালিক।
হাসানঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৮
বন্ধক সম্পর্কে
৩৫২৬
حَدَّثَنَا
هَنَّادٌ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَبَنُ
الدَّرِّ يُحْلَبُ بِنَفَقَتِهِ إِذَا كَانَ مَرْهُونًا وَالظَّهْرُ يُرْكَبُ
بِنَفَقَتِهِ إِذَا كَانَ مَرْهُونًا وَعَلَى الَّذِي يَرْكَبُ وَيَحْلِبُ
النَّفَقَةُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ عِنْدَنَا صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দুগ্ধবতী পশু বন্ধক রাখা হলে তাকে খাদ্য
খাওয়ানোর বিনিময়ে তার দুধ দোহন করা যাবে। আরোহণের পশু বন্ধক রাখা হলে তাকে ঘাস
খাওয়ানোর বিনিময়ে তাতে আরোহণ করা যাবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমাদের মতে
হাদীসটি সহীহ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৪০)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫২৭
حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا
جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو
بْنِ جَرِيرٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم " إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ
وَلاَ شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ
تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ . قَالَ " هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ
عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ وَلاَ أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا فَوَاللَّهِ
إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لاَ يَخَافُونَ إِذَا خَافَ
النَّاسُ وَلاَ يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ " . وَقَرَأَ هَذِهِ
الآيَةَ { أَلاَ إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ
يَحْزَنُونَ } .
উমার ইবনুল খাত্তাব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এমন
কিছু লোক আছে যারা নবী নন এবং শহীদও নয়। ক্বিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে
তাদের মর্যাদার কারণে নাবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন। সাহাবীগণ
বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের অবহিত করুন, তারা কারা? তিনি বলেন, তারা ঐসব লোক
যারা আল্লাহর মহানুভবতায় পরস্পরকে ভালবাসে, অথচ তারা পরস্পর আত্মীয়ও নয় এবং
পরস্পরকে সম্পদও দেয়নি। আল্লাহর শপথ! তাদের মুখমণ্ডল যেন নূর এবং তারা নূরের আসনে
উপবেশন করবে। তারা ভীত হবে না, যখন মানুষ ভীত থাকবে। তারা দুশ্চিন্তায় পড়বে না,
যখন মানুষ দুশ্চিন্তায় থাকবে। তিনি এ আয়াত তিলওয়াত করলেনঃ “জেনে রাখো! আল্লাহর
বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবে না” (সূরাহ ইউনুসঃ ৬২)
সহীহঃ তা‘লীকুর রাগীব (৪/৪৭-৪৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৯
পিতা সন্তানের সম্পদ
ভোগ করতে পারে
৩৫২৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَمَّتِهِ، أَنَّهَا سَأَلَتْ
عَائِشَةَ رضى الله عنها فِي حِجْرِي يَتِيمٌ أَفَآكُلُ مِنْ مَالِهِ فَقَالَتْ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَطْيَبِ مَا
أَكَلَ الرَّجُلُ مِنْ كَسْبِهِ وَوَلَدُهُ مِنْ كَسْبِهِ " .
উমারাহ ইবনু উমাইর
(রহঃ) তার ফুফুর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
‘আয়িশাহ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার প্রতিপালনে একটি ইয়াতীম রয়েছে। আমি কি তার
মাল থেকে খেতে পারি? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির নিজ হাতের উপার্জিত খাদ্য সর্বোত্তম খাদ্য। তার সন্তানও তার
উপার্জন বিশেষ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৩৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫২৯
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
- الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ
الْحَكَمِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " وَلَدُ الرَّجُلِ مِنْ
كَسْبِهِ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِهِ فَكُلُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ " . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ زَادَ فِيهِ " إِذَا احْتَجْتُمْ
" . وَهُوَ مُنْكَرٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির সন্তান তার উপার্জনের
অন্তর্ভুক্ত বরং তার সর্বোত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তাদের সম্পদ থেকে ভোগ করতে
পারো।
হাসান সহীহ।
ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ ইবনু আবু সুলায়মানের বর্ণনায় রয়েছেঃ তোমরা
মুখাপেক্ষী হয়ে পড়লে খাবে। এ কথাটুকু প্রত্যাখ্যাত।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
৩৫৩০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا
حَبِيبٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ،
أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
إِنَّ لِي مَالاً وَوَلَدًا وَإِنَّ وَالِدِي يَجْتَاحُ مَالِي . قَالَ
" أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ إِنَّ أَوْلاَدَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ
كَسْبِكُمْ فَكُلُوا مِنْ كَسْبِ أَوْلاَدِكُمْ " .
‘আমর ইবনু শুআইব
(রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে
বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পদও আছে সন্তানও আছে। আমার পিতা আমার সম্পদের
মুখাপেক্ষী। তিনি বলেনঃ তুমি এবং তোমার সম্পদ উভয়ই তোমার পিতার। তোমাদের সন্তান
তোমাদের জন্য সর্বোত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন খাবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৮০
কেউ নিজের (হারানো)
বস্তু অন্যের নিকট অবিকল পেলে
৩৫৩১
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ السَّائِبِ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ وَجَدَ عَيْنَ مَالِهِ عِنْدَ رَجُلٍ
فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ وَيَتَّبِعُ الْبَيِّعُ مَنْ بَاعَهُ " .
সামুরাহ ইবনু
জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্য
কারো কাছে নিজের মাল অক্ষত অবস্থায় পেয়েছে সে তার অধিক হক্বদার। ক্রেতা তো মালের
বিক্রেতাকেই ধরবে।
দুর্বলঃ নাসায়ী (৪৬৮১), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৮৭০), মিশকাত (২৯৪৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮১
নিজের আয়ত্তধীন মাল
থেকে নিজের প্রাপ্য গ্রহন
৩৫৩২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ،
عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ هِنْدًا أُمَّ مُعَاوِيَةَ، جَاءَتْ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ
وَإِنَّهُ لاَ يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَبَنِيَّ فَهَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ أَنْ
آخُذَ مِنْ مَالِهِ شَيْئًا قَالَ " خُذِي مَا يَكْفِيكِ وَبَنِيكِ
بِالْمَعْرُوفِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা
মু‘আবিয়াহ (রহঃ) এর মা হিন্দা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
নিকট এসে বললেন, আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ লোক। তিনি আমার ও আমার সন্তানদের ভরণপোষণের
জন্য প্রয়োজন পরিমাণ খরচ দেন না। আমি তার মাল থেকে খরচের জন্য কিছু নিলে অন্যায়
হবে কি? তিনি বললেন, তোমরা ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয় এরূপ পরিমাণ মাল
ন্যায়সঙ্গতভাবে নিতে পারো।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২২৯৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৩৩
حَدَّثَنَا
خُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ هِنْدٌ إِلَى
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا
سُفْيَانَ رَجُلٌ مُمْسِكٌ فَهَلْ عَلَىَّ مِنْ حَرَجٍ أَنْ أُنْفِقَ عَلَى
عِيَالِهِ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ إِذْنِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" لاَ حَرَجَ عَلَيْكِ أَنْ تُنْفِقِي عَلَيْهِمْ بِالْمَعْرُوفِ "
.
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদা হিন্দা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ লোক। আমি যদি তার বিনা অনুমতিতে
তার মাল থেকে তার সন্তানদের জন্য খরচ করি তাহলে আমার অন্যায় হবে কি? নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাদের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে খরচ
করলে অন্যায় হবে না।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৩৪
حَدَّثَنَا
أَبُو كَامِلٍ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، -
يَعْنِي الطَّوِيلَ - عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ الْمَكِّيِّ، قَالَ كُنْتُ
أَكْتُبُ لِفُلاَنٍ نَفَقَةَ أَيْتَامٍ كَانَ وَلِيَّهُمْ فَغَالَطُوهُ بِأَلْفِ
دِرْهَمٍ فَأَدَّاهَا إِلَيْهِمْ فَأَدْرَكْتُ لَهُمْ مِنْ مَالِهِمْ مِثْلَيْهَا
. قَالَ قُلْتُ أَقْبِضُ الأَلْفَ الَّذِي ذَهَبُوا بِهِ مِنْكَ قَالَ لاَ
حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ
" .
ইউসুফ ইবনু মাহাক
আল-মাক্কি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, এক ব্যক্তির প্রতিপালনে কিছু ইয়াতীম ছিল। সে তাদের ভরণপোষণের খরচ বহন করতো।
আমি এর হিসাব লিখে রাখতাম। একদা ইয়াতিমরা তাকে এক হাজার দিরহামের ভুল হিসাব দিলে
সে তাদের তা প্রদান করলো। কিন্তু পরে আমি হিসাব করে ঐ পরিমাণ মাল ইয়াতীমদের মালের
মধ্যে পেলাম। আমি বললাম, তারা তোমার কাছ থেকে ভুল হিসাব দিয়ে যে এক হাজার দিরহাম
নিয়েছে তা ফেরত নাও। সে বলল, না আমার পিতা আমাকে বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি তোমার কাছে কিছু
আমানত রেখেছে তাকে তা ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার সাথে খিয়ানাত করেছে তুমি তার
সাথে খিয়ানাত করো না।
সহীহঃ তিরমিযী (১২৮৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৩৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَأَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا
طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، عَنْ شَرِيكٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ وَقَيْسٍ - عَنْ
أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ
وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেউ তোমার কাছে
আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সাথে খিয়ানাত করেছে তুমি তার সাথে
খিয়ানাত করো না।
হাসান সহীহঃ তিরমিযী (১২৮৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৮২
হাদিয়া গ্রহণ
৩৫৩৬
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مُطَرِّفٍ الرُّؤَاسِيُّ، قَالاَ
حَدَّثَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ -
عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَيُثِيبُ عَلَيْهَا
.
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপহার গ্রহণ করতেন এবং তিনি এর পরিবর্তে
অন্যকেও (উপহার) দিতেন।
সহীহঃ তিরমিযী (২০৩৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৩৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ
الْفَضْلِ - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي
سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَقْبَلُ بَعْدَ
يَوْمِي هَذَا مِنْ أَحَدٍ هَدِيَّةً إِلاَّ أَنْ يَكُونَ مُهَاجِرًا قُرَشِيًّا
أَوْ أَنْصَارِيًّا أَوْ دَوْسِيًّا أَوْ ثَقَفِيًّا " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আজকের দিনের
পর থেকে আমি কুরাইশ মুহাজির, আনসার এবং দাওস অথবা সাক্বীফ গোত্রের লোক ছাড়া অন্য
কারো উপঢৌকন নিবো না।
সহীহঃ তিরমিযী (৪২২৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৩
দান করে তা পুনরায়
ফেরত নেয়া
৩৫৩৮
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، وَهَمَّامٌ، وَشُعْبَةُ، قَالُوا
حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ
كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ " . قَالَ هَمَّامٌ وَقَالَ قَتَادَةُ وَلاَ
نَعْلَمُ الْقَىْءَ إِلاَّ حَرَامًا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি দান করার পর ফেরত নেয়, তার
উদাহরণ হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি বমি করে তা পুনরায় ভক্ষণ করে। হাম্মাম (রহঃ) বলেন,
ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেছেন, আমরা বমিকে হারাম মনে করি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৩৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ
الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
وَابْنِ، عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ
يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً أَوْ يَهَبَ هِبَةً فَيَرْجِعَ فِيهَا
إِلاَّ الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ وَمَثَلُ الَّذِي يُعْطِي الْعَطِيَّةَ
ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا كَمَثَلِ الْكَلْبِ يَأْكُلُ فَإِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ
عَادَ فِي قَيْئِهِ " .
ইবনু ‘উমার ও ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তির জন্যই (কাউকে কিছু) দেয়ার
বা দান করার পর তা ফেরত নেয়া হালাল নয়। তবে পিতা পুত্রকে কিছু দান করার পর তা ফেরত
নিতে পারবে। যে ব্যক্তি দান করার পর তা ফেরত নেয়, সে এমন কুকুরের মত, যে পেট ভরে
খাওয়ার পর বমি করে পুনরায় তা খায়।
সহিহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৭৭), সংক্ষেপে দেখুন ইরওয়া (৬/৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৪০
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي
أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ شُعَيْبٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَثَلُ الَّذِي يَسْتَرِدُّ مَا وَهَبَ كَمَثَلِ الْكَلْبِ يَقِيءُ
فَيَأْكُلُ قَيْئَهُ فَإِذَا اسْتَرَدَّ الْوَاهِبُ فَلْيُوَقَّفْ فَلْيُعَرَّفْ
بِمَا اسْتَرَدَّ ثُمَّ لِيُدْفَعْ إِلَيْهِ مَا وَهَبَ " .
আব্দুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি নিজের দান করা বস্তু ফেরত
নেয় সে এমন কুকুরের মত, যে বমি করে পুনরায় তা ভক্ষণ করে। দাতা দানকৃত বস্তু ফেরত
চাইলে গ্রহীতা খতিয়ে দেখবে এবং জেনে নিবে, সে কি জন্য তার দানকৃত বস্তু ফেরত
চাইছে। কারণ জানা গেলে তা ফেরত দিবে।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৭৮) অনুরূপ সক্ষেপে, দেখুন মিশকাতুল মাসাবীহ (৩০২০)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৮৪
প্রয়োজন পূরণ করে
দেয়ার জন্য হাদিয়া গ্রহণ
৩৫৪১
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ
مَالِكٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي
عِمْرَانَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ شَفَعَ لأَخِيهِ بِشَفَاعَةٍ فَأَهْدَى لَهُ هَدِيَّةً
عَلَيْهَا فَقَبِلَهَا فَقَدْ أَتَى بَابًا عَظِيمًا مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا
" .
আবূ উমামাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের জন্য কোন
বিষয়ে সুপারিশ করার কারণে যদি সে তাকে কিছু উপহার দেয় এবং সে তা গ্রহণ করে তাহলে
সে সুদের একটি বড় দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো।
হাসানঃ মিশকাত (৩৭৫৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৫
যদি কোন ব্যক্তি নিজ
সন্তানদের মধ্যে কাউকে বেশি দেয়
৩৫৪২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ،
وَأَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ، وَأَخْبَرَنَا دَاوُدُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ،
وَأَنْبَأَنَا مُجَالِدٌ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ
النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ أَنْحَلَنِي أَبِي نُحْلاً - قَالَ إِسْمَاعِيلُ
بْنُ سَالِمٍ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ نِحْلَةً غُلاَمًا لَهُ - قَالَ فَقَالَتْ
لَهُ أُمِّي عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ إِيتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَأَشْهِدْهُ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَشْهَدَهُ فَذَكَرَ ذَلِكَ
لَهُ فَقَالَ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي النُّعْمَانَ نُحْلاً وَإِنَّ عَمْرَةَ
سَأَلَتْنِي أَنْ أُشْهِدَكَ عَلَى ذَلِكَ قَالَ فَقَالَ " أَلَكَ وَلَدٌ
سِوَاهُ " . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَكُلَّهُمْ أَعْطَيْتَ
مِثْلَ مَا أَعْطَيْتَ النُّعْمَانَ " . قَالَ لاَ قَالَ فَقَالَ بَعْضُ
هَؤُلاَءِ الْمُحَدِّثِينَ " هَذَا جَوْرٌ " . وَقَالَ بَعْضُهُمْ
" هَذَا تَلْجِئَةٌ فَأَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي " . قَالَ
مُغِيرَةُ فِي حَدِيثِهِ " أَلَيْسَ يَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا لَكَ فِي
الْبِرِّ وَاللُّطْفِ سَوَاءً " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ "
فَأَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي " . وَذَكَرَ مُجَالِدٌ فِي حَدِيثِهِ
" إِنَّ لَهُمْ عَلَيْكَ مِنَ الْحَقِّ أَنْ تَعْدِلَ بَيْنَهُمْ كَمَا
أَنَّ لَكَ عَلَيْهِمْ مِنَ الْحَقِّ أَنْ يَبَرُّوكَ " . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ قَالَ بَعْضُهُمْ " أَكُلَّ بَنِيكَ
" . وَقَالَ بَعْضُهُمْ " وَلَدِكَ " . وَقَالَ ابْنُ
أَبِي خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ فِيهِ " أَلَكَ بَنُونَ سِوَاهُ "
. وَقَالَ أَبُو الضُّحَى عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ " أَلَكَ
وَلَدٌ غَيْرُهُ " .
নু‘মান ইবনু বাশীর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমার পিতা আমাকে অতিরিক্ত কিছু দিলেন। এ হাদীসের অন্যতম বর্ণনাকারী ইসমাঈল
ইবনু সালিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি তাকে একটি গোলাম দান করেন। বর্ণনাকারী (নু‘মান)
বলেন, আমার মা ‘আমরাহ বিনতু রাওয়াহা (রাঃ) আমার পিতাকে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহর
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গিয়ে তাঁকে এ বিষয়ে সাক্ষী রাখুন। তিনি
(পিতা) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালেন। তিনি
বললেন, আমি আমার ছেলে নু‘মানকে কিছু উপহার দিয়েছি। এ ব্যাপারে আপনাকে সাক্ষী রাখার
জন্য ‘আমরাহ আমাকে অনুরোধ করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, সে ছাড়াও তোমার আরো
সন্তান আছে কি? তিনি বললেন, হাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
তুমি কি তোমার প্রত্যেক সন্তানকে অনুরূপ দিয়েছো, যেমন নু‘মানকে দিয়েছো? তিনি
বললেন, না। কতিপয় মুহাদ্দিসের বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ “এটা অন্যায় কাজ”। আর কতিপয় মুহাদ্দিস বলেন, নবী বলেছেনঃ “এতো
নীতি বিরোধী কাজ”। সুতরাং আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সাক্ষী রাখো। মুগীরাহ (রহঃ)
তার বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেন, “তোমার সব সন্তানই সমান সৌভাগ্যবান হোক, এতে কি
তুমি খুশি হবে না? তিনি বললেন, হাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ “আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে এর সাক্ষী রাখো”। মুজালিদ তার বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ
করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমার উপর তাদের হক্ব রয়েছে
যে, তুমি তাদের সাথে সমান ব্যবহার করবে এবং তাদের প্রতি ইনসাফ করবে। যেমন অধিকার
রয়েছে তাদের উপর তোমার; তারা সবাই তোমার সাথে সদ্ব্যবহার করুক”।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, যুহ্রীর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, কতিপয় বর্ণনাকারী “তোমরা
সন্তান” শব্দ বর্ণনা করেছেন। ইবনু খালিদ (রহঃ) বলেন, শা‘বীর বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ
“সে ছাড়া তোমার আরো সন্তান আছে কি?”। আবুদ্ দুহা (রহঃ) নু‘মান ইবনু বাশীর সূত্রে
হাদীসে বলেন, (সে ব্যতীত তোমার কি আরো সন্তান আছে?”
সহীহঃ তবে মুজালিদের অতিরিক্ত সংযোজন ““...... (আরবি)”” অংশটুকু বাদে। গায়াতুল
মারাম (২৭৩,২৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৪৩
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ،
عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، قَالَ أَعْطَاهُ أَبُوهُ
غُلاَمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا هَذَا
الْغُلاَمُ " . قَالَ غُلاَمِي أَعْطَانِيهِ أَبِي . قَالَ "
فَكُلَّ إِخْوَتِكَ أَعْطَى كَمَا أَعْطَاكَ " . قَالَ لاَ . قَالَ
" فَارْدُدْهُ " .
নু‘মান ইবনু বাশীর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, তার পিতা তাকে একটি গোলাম দান করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) নু‘মানকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এটি কার গোলাম? তিনি বললেন, আমার গোলাম, আমার
পিতা আমাকে দান করেছেন। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ সে তোমার মতো তোমার অন্য
ভাইদেরকেও কি দিয়েছে? নু‘মান বললেন, না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ তুমি এটি ফেরত দাও।
সহীহঃ ইরওয়া (৬/৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৪৪
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حَاجِبِ بْنِ الْمُفَضَّلِ
بْنِ الْمُهَلَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ،
يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اعْدِلُوا بَيْنَ
أَوْلاَدِكُمْ اعْدِلُوا بَيْنَ أَبْنَائِكُمْ " .
নু‘মান ইবনু বশীর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের
সাথে সমান আচরণ করো; তোমাদের সন্তানদের সাথে ইনসাফ করো।
সহীহঃ গায়াতুল মারাম (২৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৪৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَتِ امْرَأَةُ بَشِيرٍ انْحَلِ
ابْنِي غُلاَمَكَ وَأَشْهِدْ لِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَى
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ ابْنَةَ فُلاَنٍ سَأَلَتْنِي
أَنْ أَنْحَلَ ابْنَهَا غُلاَمًا وَقَالَتْ لِي أَشْهِدْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم . فَقَالَ " لَهُ إِخْوَةٌ " . فَقَالَ نَعَمْ .
قَالَ " فَكُلَّهُمْ أَعْطَيْتَ مِثْلَ مَا أَعْطَيْتَهُ " .
قَالَ لاَ . قَالَ " فَلَيْسَ يَصْلُحُ هَذَا وَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ
إِلاَّ عَلَى حَقٍّ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদা বাশীর (রাঃ) এর স্ত্রী তাকে বলেন, আপনার গোলামটি আমার ছেলেকে দিয়ে দিন
এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাক্ষী রাখুন।।
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এসে বললেন, অমুকের
কণ্যা (আমার স্ত্রী) আপনার কাছে আবেদন করেছে, আমি যেন তার ছেলেকে আমার গোলামটি দান
করি। সে আমাকে এটাও বলেছে যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে সাক্ষী রাখুন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার আরো
ভাই আছে কি? বাশীর বললেন, হাঁ। তিনি বললেনঃ তাকে যেরূপ দান করেছো অন্যদেরও কি
সেরূপ দিয়েছো? তিনি বললেন, না। তিনি বললেনঃ এটা উচিত নয়। আমি সত্য ব্যতীত অন্য কিছুর
সাক্ষী হই না।
সহীহঃ ইরওয়া (৬/৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৬
স্বামীর বিনা
অনুমতিতে স্ত্রীর দান
৩৫৪৬
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ،
وَحَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَجُوزُ
لاِمْرَأَةٍ أَمْرٌ فِي مَالِهَا إِذَا مَلَكَ زَوْجُهَا عِصْمَتَهَا " .
আমর ইবনু শু‘আইব
(রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামী যদি স্ত্রীর সতীত্বের
হিফাযাতকারী হয় তাহলে কোন স্ত্রীর পক্ষে (স্বামীর বিনা অনুমতিতে) তার মাল থেকে
ব্যয় করা জায়িয নয়।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৮৮)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
৩৫৪৭
حَدَّثَنَا
أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا
حُسَيْنٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
لاَ يَجُوزُ لاِمْرَأَةٍ عَطِيَّةٌ إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামীর বিনা অনুমতিতে কোন স্ত্রীর
পক্ষে (তার মাল থেকে) কিছু দান করা জায়িয নয়।
হাসান সহীহ: এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৮৭
জীবনস্বত্ব
৩৫৪৮
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ
النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْعُمْرَى جَائِزَةٌ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সারা জীবনের জন্য
কাউকে কিছু দান করা জায়িয।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৪৯
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ
سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
সামুরাহ (রাঃ) হতে
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত
হাদীসের অনূরূপ বর্ণিত।
সহীহ পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫০
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ
" الْعُمْرَى لِمَنْ وُهِبَتْ لَهُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ সারা জীবনের জন্য প্রদত্ত বস্তু তারই
প্রাপ্য যাকে তা দেয়া হয়।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫১
حَدَّثَنَا
مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ،
أَخْبَرَنِي الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ جَابِرٍ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أُعْمِرَ عُمْرَى
فَهِيَ لَهُ وَلِعَقِبِهِ يَرِثُهَا مَنْ يَرِثُهُ مِنْ عَقِبِهِ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাকে সারা জীবনের জন্য কিছু দেয়া হয় তার
মালিক সে-ই। তার অবর্তমানে যারা তার উত্তরাধিকারী হয় তারা এর উত্তরাধিকারী হবে।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৪০-৩৭৪১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَعُرْوَةَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا
رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ
جَابِرٍ .
জাবির (রাঃ) হতে
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরের
হাদীসের অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-৮৮
জীবনস্বত্ব দেয়ার সময়
যদি কেউ বলে, তার ওয়ারিসগণও পাবে
৩৫৫৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، - يَعْنِي ابْنَ أَنَسٍ -
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا رَجُلٍ
أُعْمِرَ عُمْرَى لَهُ وَلِعَقِبِهِ فَإِنَّهَا لِلَّذِي يُعْطَاهَا لاَ تَرْجِعُ
إِلَى الَّذِي أَعْطَاهَا لأَنَّهُ أَعْطَى عَطَاءً وَقَعَتْ فِيهِ الْمَوَارِيثُ
" .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সারা জীবনের জন্য কাউকে কিছু
দান করে বলে, তাকে এবং তার উত্তরাধিকারীকে জীবনস্বত্ব দেয়া হলো। তাহলে এই
জীবনস্বত্ব মালিক সে এবং তার ওয়ারিসরা হবে, যা কখনো গ্রহীতার কাছ থেকে দাতার নিকট
ফিরে আসবে না। কারণ সে এমনভাবে দান করেছে, যাতে উত্তরাধিকারস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৪৫)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫৪
حَدَّثَنَا
حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ
صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عُقَيْلٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ،
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَاخْتُلِفَ، عَلَى الأَوْزَاعِيِّ فِي لَفْظِهِ عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، وَرَوَاهُ، فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ مِثْلَ حَدِيثِ مَالِكٍ .
ইবনু শিহাব থেকে
বর্ণিতঃ
ইবনু
শিহাব তার সানাদ পরম্পরায় উপরের হাদীসে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
৩৫৫৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
إِنَّمَا الْعُمْرَى الَّتِي أَجَازَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ
يَقُولَ هِيَ لَكَ وَلِعَقِبِكَ . فَأَمَّا إِذَا قَالَ هِيَ لَكَ مَا عِشْتَ
. فَإِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى صَاحِبِهَا .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ জীবনস্বত্ব দানের
অনুমতি দিয়েছেন তা হলো, দাতা এরূপ বলবেঃ এটা তোমার জন্য এবং তোমার ওয়ারিসদের জন্য।
কিন্তু সে যদি তা না বলে এটা বলেঃ “যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে ততদিন এটা তোমার জন্য”,
এ অবস্থায় (গ্রহীতার মৃত্যুর পর) ঐ দান দাতার নিকট ফেরত আসবে।
সহীহ : ইরওয়া (১৬১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫৬
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ
عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ
تُرْقِبُوا وَلاَ تُعْمِرُوا فَمَنْ أُرْقِبَ شَيْئًا أَوْ أُعُمِرَهُ فَهُوَ
لِوَرَثَتِهِ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা পুনরায় ফেরত পাবার আশায় এরূপ
(বলে) দান করবে না যে, যদি আমি আগে মরে যাই তবে এটা তোমার; আর যদি তুমি আগে মরে
যাও তবে এটা আমার। অথবা যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে এটা তোমার। যাকে রুক্ববা অথবা
জীবনস্বত্ব দান করা হয় সেটা তার উত্তরাধিকারীদের জন্য হয়ে যায়।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৩১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫৭
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي ثَابِتٍ - عَنْ حُمَيْدٍ
الأَعْرَجِ، عَنْ طَارِقٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ
أَعْطَاهَا ابْنُهَا حَدِيقَةً مِنْ نَخْلٍ فَمَاتَتْ فَقَالَ ابْنُهَا إِنَّمَا
أَعْطَيْتُهَا حَيَاتَهَا . وَلَهُ إِخْوَةٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " هِيَ لَهَا حَيَاتَهَا وَمَوْتَهَا " . قَالَ
كُنْتُ تَصَدَّقْتُ بِهَا عَلَيْهَا . قَالَ " ذَلِكَ أَبْعَدُ لَكَ
" .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক
আনসারী মহিলাকে তার পুত্র কর্তৃক দান করা একটি খেজুর বাগান সম্পর্কে ফায়সালা
দিয়েছিলেন। অতঃপর মহিলাটি মারা গেলে তার ছেলে বললো, আমি তাকে তার জীবিত থাকাকালীন
সময়ের জন্যই দান করেছিলাম। ছেলেটির আরো কয়েকটি ভাই ছিলো। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জীবিত ও মৃত্যু উভয় অবস্থায়ই বাগানটি
তার হয়ে গেছে। ছেলেটি বললো, বাগানটি আমি তাকে সদাক্বাহ স্বরূপ দিয়েছিলাম। তিনি
বললেনঃ তাহলে তো এটা তোমার থেকে দূরে সরে গেছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৯
রুকবা
৩৫৫৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي
الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ صلى الله عليه وسلم "
الْعُمْرَى جَائِزَةٌ لأَهْلِهَا وَالرُّقْبَى جَائِزَةٌ لأَهْلِهَا " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে জীবনস্বত্ব
দেয়া হয় সেটা তারই হয়ে যায়। রুকবা যাকে দেয়া সে-ই হয় এর স্বত্বাধিকারী।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২৩৮৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫৯
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَعْقِلٍ
عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ حُجْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ
ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَعْمَرَ
شَيْئًا فَهُوَ لِمُعْمَرِهِ مَحْيَاهُ وَمَمَاتَهُ وَلاَ تُرْقِبُوا فَمَنْ
أَرْقَبَ شَيئًا فَهُوَ سَبِيلُهُ " .
যায়িদ ইবনু সাবিত
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যদি কেউ কাউকে জীবনস্বত্বরূপে কিছু দান করে তাহলে যাকে তা দান করা হয়েছে সেই হবে
জীবনে মরণে এর স্বত্বাধিকারী। তোমরা রুক্ববা করো না। কেউ রুক্ববা করলে তা গ্রহীতার
মালিকানায় চলে যায়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
৩৫৬০
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ
عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ الْعُمْرَى أَنْ يَقُولَ
الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ هُوَ لَكَ مَا عِشْتَ فَإِذَا قَالَ ذَلِكَ فَهُوَ لَهُ
وَلِوَرَثَتِهِ وَالرُّقْبَى هُوَ أَنْ يَقُولَ الإِنْسَانُ هُوَ لِلآخِرِ مِنِّي
وَمِنْكَ .
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জীবনস্বত্ব হলোঃ কোনো ব্যক্তি কাউকে বললো, যতদিন তুমি
বেঁচে থাকবে এটা তোমার। দাতা এরূপ বললে এটা গ্রহীতার হয়ে যাবে এবং তার মৃত্যুর পর
তার ওয়ারিসরা এর স্বত্বাধিকারী হবে। আর রুক্ববা হলোঃ কোন ব্যক্তির এরূপ বলা, যদি
আমি আগে মারা যাই তবে এটা তোমার, আর যদি তুমি আগে মারা যাও তবে এটা আমার।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
অনুচ্ছেদ-৯০
ধারকৃত বস্তু নষ্ট
হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়া
৩৫৬১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " عَلَى الْيَدِ مَا أَخَذَتْ حَتَّى تُؤَدِّيَ " . ثُمَّ
إِنَّ الْحَسَنَ نَسِيَ فَقَالَ هُوَ أَمِينُكَ لاَ ضَمَانَ عَلَيْهِ .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাত দিয়ে গৃহীত জিনিস (ধার) গ্রহণকারী
তা ফেরত না দেয়া পর্যন্ত তার যামিন থাকবে। বর্ণনাকারী হাসান (রহঃ) পরবর্তীকালে এ
হাদীসটি ভুলে যান। অতঃপর বলেন, ধার গ্রহীতা আমানতদার। সুতরাং তাকে কোন ক্ষতিপূরণ
দিতে হবে না।
দুর্বল: ইবনু মাজাহ (২৪০০), ইরওয়া (১৫১৬), যঈফ তিরমিযী (২১৭/১২৮৯), যঈফ আল-জামি‘উস
সাগীর (৩৭৩৭), মিশকাত (২৯৫০)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
৩৫৬২
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ
بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ
أُمَيَّةَ بْنِ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم اسْتَعَارَ مِنْهُ أَدْرَاعًا يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ
أَغَصْبٌ يَا مُحَمَّدُ فَقَالَ " لاَ بَلْ عَارِيَةٌ مَضْمُونَةٌ
" . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذِهِ رِوَايَةُ يَزِيدَ بِبَغْدَادَ وَفِي
رِوَايَتِهِ بِوَاسِطَ تَغَيُّرٌ عَلَى غَيْرِ هَذَا .
সাফওয়ান ইবনু
উমাইয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুনাইনের
যুদ্ধের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার লৌহবর্মসমূহ ধার হিসেবে
গ্রহণ করলে সাফওয়ান বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি জোরপূর্বক নিলেন? তিনি বললেনঃ না,
বরং ধার হিসেবে, এর কোন ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
সহীহ: সহীহাহ (৬৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৬৩
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ
بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أُنَاسٍ، مِنْ آلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا صَفْوَانُ هَلْ عِنْدَكَ
مِنْ سِلاَحٍ " . قَالَ عَارِيَةً أَمْ غَصْبًا قَالَ " لاَ بَلْ
عَارِيَةً " . فَأَعَارَهُ مَا بَيْنَ الثَّلاَثِينَ إِلَى الأَرْبَعِينَ
دِرْعًا وَغَزَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا فَلَمَّا هُزِمَ
الْمُشْرِكُونَ جُمِعَتْ دُرُوعُ صَفْوَانَ فَفَقَدَ مِنْهَا أَدْرَاعًا فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَفْوَانَ " إِنَّا قَدْ فَقَدْنَا
مِنْ أَدْرَاعِكَ أَدْرَاعًا فَهَلْ نَغْرَمُ لَكَ " . قَالَ لاَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ لأَنَّ فِي قَلْبِي الْيَوْمَ مَا لَمْ يَكُنْ يَوْمَئِذٍ . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ وَكَانَ أَعَارَهُ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ ثُمَّ أَسْلَمَ .
আবদুল্লাহ ইবনু
সাফওয়ান এর পরিবারের কিছু ব্যক্তি সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে সাফওয়ান! তোমার নিকট যুদ্ধাস্ত্র
আছে কি? সে বললো, ধার চাচ্ছেন না জোরপূর্বক নিবেন? তিনি বললেনঃ না, বরং ধার
হিসেবে। সাফওয়ান তাঁকে তিরিশ থেকে চল্লিশটি লৌহবর্ম ধার দিলেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুনাইনের যুদ্ধে এগুলো ব্যবহার করলেন।
মুশরিকরা পরাজিত হলে সাফওয়ানের লৌহবর্মগুলো একত্র করে দেখা গেলো, কয়েকটি বর্ম
হারিয়ে গেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফওয়ানকে বললেনঃ আমরা তোমার
কয়েকটি বর্ম হারিয়ে ফেলেছি। আমরা তোমাকে এর ক্ষতিপূরণ দিবো কি? সে বললো, না, হে
আল্লাহর রাসূল! কারণ তখন আমার মনের অবস্থা যেমন ছিলো আজ তেমন নেই। ইমাম আবূ দাঊদ
(রহঃ) বলেন, তিনি ইসলাম কবুলের আগে এগুলো ধার দিয়েছিলেন, পরে ইসলাম কবুল করেন।
সহীহ: সহীহাহ (৬৩১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৬৪
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ
رُفَيْعٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ نَاسٍ، مِنْ آلِ صَفْوَانَ قَالَ اسْتَعَارَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَاهُ .
সাফওয়ানের পরিবারের
লোকদের সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তারা
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধার হিসেবে ... অতঃপর উপরের হাদীসের
অনুরূপ বর্ণিত।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
৩৫৬৫
حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ
شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، قَالَ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ وَلاَ تُنْفِقُ
الْمَرْأَةُ شَيْئًا مِنْ بَيْتِهَا إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا " .
فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الطَّعَامَ قَالَ " ذَاكَ أَفْضَلُ
أَمْوَالِنَا " . ثُمَّ قَالَ " الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ
وَالْمِنْحَةُ مَرْدُودَةٌ وَالدَّيْنُ مَقْضِيٌّ وَالزَّعِيمُ غَارِمٌ "
.
আবূ উমামাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মহান
আল্লাহ প্রত্যেক হক্বদারকে তার হক্ব প্রদান করেছেন। কাজেই উত্তরাধিকারীদের জন্য
কোন ওয়াসিয়াত নেই। স্বামীর বিনা অনুমতিতে কোন স্ত্রী তার ঘরের কিছু খরচ করবে না।
জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! খাদ্যদ্রব্যও নয়? তিনি বলেন: এটা তো আমাদের
সর্বোত্তম সম্পদ। অতঃপর তিনি বললেনঃ ধারকৃত বস্তু ফেরত দিতে হবে; দুগ্ধবতী পশুর
দুধ পান শেষ হলে তা ফেরত দিতে হবে; ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং জামিনদার দায়বদ্ধ থাকবে।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২৩৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৬৬
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُسْتَمِرِّ الْعُصْفُرِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ
هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ،
عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِذَا أَتَتْكَ رُسُلِي فَأَعْطِهِمْ ثَلاَثِينَ دِرْعًا
وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا " . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ
أَعَارِيَةً مَضْمُونَةً أَوْ عَارِيَةً مُؤَدَّاةً قَالَ " بَلْ
مُؤَدَّاةً " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَبَّانُ خَالُ هِلاَلِ الرَّأْىِ
.
সাফওয়ান ইবনু
ইয়া‘লা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ যখন আমার
বার্তাবাহকরা তোমার নিকট আসবে, তাদেরকে তিরিশটি লৌহবর্ম ও তিরিশটি উট প্রদান করবে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি ক্ষতিপূরণ শর্তে ধার দেয়া
নাকি ফেরত দেয়ার শর্তে ধার? তিনি বলেনঃ বরং ফেরত দেয়ার শর্তে।
সহীহ: সহীহাহ (৬৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৯১
কারো কোন জিনিস নষ্ট
করলে তার অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দিবে
৩৫৬৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم كَانَ عِنْدَ بَعْضِ نِسَائِهِ فَأَرْسَلَتْ إِحْدَى أُمَّهَاتِ
الْمُؤْمِنِينَ مَعَ خَادِمِهَا بِقَصْعَةٍ فِيهَا طَعَامٌ قَالَ فَضَرَبَتْ
بِيَدِهَا فَكَسَرَتِ الْقَصْعَةَ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى - فَأَخَذَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْكِسْرَتَيْنِ فَضَمَّ إِحْدَاهُمَا إِلَى
الأُخْرَى فَجَعَلَ يَجْمَعُ فِيهَا الطَّعَامَ وَيَقُولُ " غَارَتْ
أُمُّكُمْ " . زَادَ ابْنُ الْمُثَنَّى " كُلُوا " .
فَأَكَلُوا حَتَّى جَاءَتْ قَصْعَتُهَا الَّتِي فِي بَيْتِهَا ثُمَّ رَجَعْنَا
إِلَى لَفْظِ حَدِيثِ مُسَدَّدٍ وَقَالَ " كُلُوا " . وَحَبَسَ
الرَّسُولَ وَالْقَصْعَةَ حَتَّى فَرَغُوا فَدَفَعَ الْقَصْعَةَ الصَّحِيحَةَ
إِلَى الرَّسُولِ وَحَبَسَ الْمَكْسُورَةَ فِي بَيْتِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। এ
সময় উম্মাহাতুল মু’মিনীন রাসূলের জনৈক স্ত্রী তার খাদেমকে দিয়ে এক পেয়ালা খাবার
পাঠালেন। বর্ণনাকারী বলেন, [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যার
ঘরে ছিলেন] সেই স্ত্রী (রাগান্বিত হয়ে) পেয়ালাটি হাতের দ্বারা আঘাত করে ভেঙ্গে
ফেলেন। ইবনুল মুসান্না বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাঙ্গা টুকরা
দুটো উঠিয়ে নিয়ে একটিকে অপরটির সাথে জোড়া দিলেন এবং পড়ে যাওয়া খাবারগুলো উঠাতে
লাগলেন এবং বললেনঃ তোমাদের মায়ের আত্মমর্যাদাবোধ জেগেছে (রাগ হয়েছে)। ইবনুল
মুসান্নার বর্ণনায় রয়েছেঃ তোমরা এগুলা খাও। সুতরাং সবাই তা আহার করলো। এমন সময়
স্ত্রী তার ঘর থেকে একটি পেয়ালা আনলেন। মুসাদ্দাদ বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা খাও। তাদের খাওয়া শেষ না হওয়া
পর্যন্ত তিনি খাদেমসহ পেয়ালাটি আটকিয়ে রাখলেন। অতঃপর অক্ষত পেয়ালাটি তিনি খাদেমের
হাতে তুলে দিলেন আর ভাঙ্গা পেয়ালাটি তাঁর ঘরে রেখে দিলেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৩৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৬৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي فُلَيْتٌ
الْعَامِرِيُّ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دِجَاجَةَ، قَالَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى
الله عنها مَا رَأَيْتُ صَانِعًا طَعَامًا مِثْلَ صَفِيَّةَ صَنَعَتْ لِرَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا فَبَعَثَتْ بِهِ فَأَخَذَنِي أَفْكَلٌ
فَكَسَرْتُ الإِنَاءَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَفَّارَةُ مَا صَنَعْتُ
قَالَ " إِنَاءٌ مِثْلُ إِنَاءٍ وَطَعَامٌ مِثْلُ طَعَامٍ " .
জাসরাহ বিনতু
দাজাজাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদা ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, সাফিয়্যাহ্র মতো সুস্বাদু খাবার রান্না করতে
কাউকে আমি দেখিনি। তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্য
খাবার তৈরি করে পাঠালেন। এতে রাগান্বিত হয়ে আমি খাবারের পাত্রটি ভেঙ্গে ফেলি।
অতঃপর আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কৃতকর্মের কাফফারাহ কি? তিনি বলেনঃ অনুরূপ
একটি পাত্র ও খাবারের বিনিময়ে অনুরূপ খাবার।
দুর্বলঃ নাসায়ী (৩৯৫৭)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯২
যদি গবাদি পশু কারো
ফসল নষ্ট করে দেয়
৩৫৬৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَرَامِ بْنِ
مُحَيِّصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ نَاقَةً، لِلْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ دَخَلَتْ
حَائِطَ رَجُلٍ فَأَفْسَدَتْهُ عَلَيْهِمْ فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم عَلَى أَهْلِ الأَمْوَالِ حِفْظَهَا بِالنَّهَارِ وَعَلَى أَهْلِ الْمَوَاشِي
حِفْظَهَا بِاللَّيْلِ .
হারাম ইবনু
মুহ্যাইয়্যাসা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
একদা
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) এর উস্ট্রী জনৈক ব্যক্তির বাগানে ঢুকে এর ফসল নষ্ট করে
দেয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফায়সালা দিলেনঃ দিনের বেলায়
বাগানের মালিক বাগানের হিফাযাত করবে এবং রাতের বেলায় পশুর মালিক পশুর হিফাযাত করবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৩২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩৫৭০
حَدَّثَنَا
مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَرَامِ بْنِ مُحَيِّصَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ
بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كَانَتْ لَهُ نَاقَةٌ ضَارِيَةٌ فَدَخَلَتْ حَائِطًا
فَأَفْسَدَتْ فِيهِ فَكُلِّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقَضَى
أَنَّ حِفْظَ الْحَوَائِطِ بِالنَّهَارِ عَلَى أَهْلِهَا وَأَنَّ حِفْظَ
الْمَاشِيَةِ بِاللَّيْلِ عَلَى أَهْلِهَا وَأَنَّ عَلَى أَهْلِ الْمَاشِيَةِ مَا
أَصَابَتْ مَاشِيَتُهُمْ بِاللَّيْلِ .
আল-বারাআ ইবনু
‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, তার একটি মোটাতাজা উস্ট্রী ছিলো। যা একটি বাগানে প্রবেশ করে এর ক্ষতিসাধন
করে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে দিলেনঃ
বাগানের মালিক দিনের বেলা বাগানের হিফাযাত করবে। আর পশুর মালিক রাতের বেলা পশুর
হিফাযাত করবে। সুতরাং রাতের বেলা পশু কোন ক্ষতিসাধন করলে তার ক্ষতিপূরণ দিবে পশুর
মালিক।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৩২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
No comments