রিয়াদুস সালেহীন অধ্যায় "নিদ্রার আদব" হাদীস নং ৮১৮-৮৪৮

নিদ্রার আদব

পরিচ্ছদঃ ১২৭

ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়

৮১৮

عَنِ البَراءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ نَامَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ، ثُمَّ قَالَ: اَللهم أسْلَمْتُ نَفسِي إلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أمْرِي إلَيْكَ، وَألْجَأتُ ظَهْرِي إلَيْك، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إلَيْكَ، لاَ مَلْجَأ وَلاَ مَنْجا مِنْكَ إِلاَّ إلَيكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أرْسَلْتَ. رواه البخاري بهذا اللفظ في كتاب الأدب من صحيحه

বারা’ ইবনে ‘আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন এবং এই দো‘আ পড়তেনঃ-
‘আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা অ অজ্জাহতু অজহিয়া ইলাইক, অফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইক, অ আলজা’তু যাহরী ইলাইক, রাগ্‌বাতাঁঊ অরাহবাতান্ ইলাইক্, লা মাল্জাআ অলা মান্‌জা মিনকা ইল্লা ইলাইক, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা অ নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসাল্ত্‌।’
অর্থ - হে আল্লাহ! আমি আমার প্রাণ তোমার প্রতি সমর্পণ করেছি, আমার মুখমন্ডল তোমার প্রতি ফিরিয়েছি, আমার সকল কর্মের দায়িত্ব তোমাকে সোপর্দ করেছি, আমার পিঠকে তোমার দিকে লাগিয়েছি (তোমার উপরেই সকল ভরসা রেখেছি), এসব কিছু তোমার সওয়াবের আশায় ও তোমার আযাবের ভয়ে করেছি। তোমার নিকট ছাড়া তোমার আযাব থেকে বাঁচতে কোন আশ্রয়স্থল নেই। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ তার উপর এবং তুমি যে নবী প্রেরণ করেছ তার উপর ঈমান এনেছি। (বুখারী এই শব্দমালায়, আদব অধ্যায়)

(সহীহুল বুখারী ২৪৭, ৬৩১১, ৬৩১৩, ৬৩২৫, ৭৪৮৮, মুসলিম ২৭১০ ,তিরমিযী ২৩৯৪, ৩৫৭৪, আবূ দাউদ ৫০৪৬, ইবনু মাজাহ ৩৮৭৬, আহমাদ ১৮০৪৪, ১৮০৮৯, ১৮১১৪, ১৮১৪৩, ১৮১৭৭, ১৮২০৫, দারেমী ২৬৮৩)

সহিহ হাদিস৮১৯

وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إِذَا أتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأ وُضُوءَكَ لِلْصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ، وَقُلْ ...» وذَكَرَ نَحْوَهُ، وفيه: «وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ». متفقٌ عَلَيْهِ

উক্ত রাবী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘তুমি যখন তোমার বিছানায় (ঘুমাবার জন্য) আসবে, তখন তুমি নামাযের ওযূর মত ওযূ কর। অতঃপর ডান পার্শ্বে শুয়ে (পূর্বোক্ত দুআটি) দো‘আ পাঠ কর....।’’ অতঃপর বর্ণনাকারী ঐ দো‘আটি উল্লেখ করলেন। আর এ বর্ণনায় আছে যে, ‘‘ওই দো‘আটিকেই সবশেষে পাঠ কর।’’

(সহীহুল বুখারী ২৪৭, ৬৩১১, ৬৩১৩, ৬৩২৫, ৭৪৮৮, মুসলিম ২৭১০ ,তিরমিযী ২৩৯৪, ৩৫৭৪, আবূ দাউদ ৫০৪৬, ইবনু মাজাহ ৩৮৭৬, আহমাদ ১৮০৪৪, ১৮০৮৯, ১৮১১৪, ১৮১৪৩, ১৮১৭৭, ১৮২০৫, দারেমী ২৬৮৩)

সহিহ হাদিস৮২০

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إحْدَى عَشرَةَ رَكْعَةً، فَإِذَا طَلَعَ الفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَجِيءَ الْمُؤَذِّنُ فَيُؤْذِنَهُ . متفقٌ عَلَيْهِ

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এগারো রাকআত নামায পড়তেন। যখন ফজর উদয় হত, তখন তিনি দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত নামায পড়তেন, তারপর তাঁর ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন; শেষ পর্যন্ত মুআয্‌যিন এসে তাঁকে (জামাআতের সময় হওয়ার) খবর জানাত।’

(সহীহুল বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১২৩, ১১৩৯, ১১৪০, ১১৬০, ১১৬৫, মুসলিম ৭২৪, ৭৩৬, ৭৩৭, ৭৩৮, তিরমিযী ৪৩৯, ৪৪০, নাসায়ী ৬৮৫, ১৬৯৬, ১৭৪৯, ১৭৬২, আবূ দাউদ ১২৫৪, ১২৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪, ১৩৩৮, ১৩৩৯, ১৩৪০, ইবনু মাজাহ ১১৯৮, ১৩৫৮, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৬৮, ২৩৬৯৭, ২৩৭০৫, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, মুওয়াত্তা মালিক ২৪৩, ২৬৪, দারেমী ১৪৪৭, ১৪৭৩, ১৪৭৪,১৫৮৫)

সহিহ হাদিসহাদিসের মানঃ

৮২১

وَعَنْ حُذَيْفَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ خَدِّهِ، ثُمَّ يَقُولُ: « اَللهم بِاسْمِكَ أمُوتُ وَأحْيَا » وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ: « الْحَمْدُ للهِ الَّذِي أحْيَانَا بَعْدَ مَا أمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُشُورُ ». رواه البخاري

হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিতে যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন তিনি গালের নীচে হাত রেখে এই দো‘আ পড়তেনঃ ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু অ আহয়্যা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মরি ও বাঁচি।
আর যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ ‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহয়্যা-না বা’দা মা আমা-তানা অ ইলাইহিন নুশূর।’ অর্থাৎ সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে মৃত্যু (নিদ্রা) দেওয়ার পর জীবিত করলেন এবং তাঁরই দিকে আমাদের পুনর্জীবন।

(সহীহুল বুখারী ৬৩১২, ৬৩১৪, ৬৩২৪, ৭৩৯৪, তিরমিযী ৩৪১৭, আবূ দাউদ ৫০৪৯, ইবনু মাজাহ ৩৮৮০, আহমাদ ২২৭৩৩, ২২৭৬০, ২২৭৭৫, ২২৮৬০, ২২৮৮২, ২২৯৪৯, দারেমী ২৬৮৬)

সহিহ হাদিস৮২২

وَعَنْ يَعِيشَ بنِ طِخْفَةَ الغِفَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ أَبي: بَينَمَا أَنَا مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي بِرِجلِهِ، فَقَالَ: « إنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللهُ »، قَالَ: فَنظَرْتُ، فَإِذَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

য়্যা‘ঈশ ইবনে ত্বিখফাহ্ গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, একদা আমি মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম, এমতাবস্থায় একটি লোক আমাকে পা দিয়ে নড়িয়ে বলল, ‘‘এ ধরনের শোয়াকে আল্লাহ অপছন্দ করেন।’’ তিনি বলেন, ‘আমি তাকিয়ে দেখলাম তো তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।’

(আবূ দাউদ, সহীহ সনদ) (আবূ দাউদ ৫০৪০, আহমাদ ১৫১১৫, ১৫১১৭, (মু‘আয বিন হিশাম)

সহিহ হাদিস৮২৩

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ قَعَدَ مَقْعَدَاً لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ، كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تَعَالَى تِرَةٌ، وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضجَعاً لاَ يَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهِ، كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ حسن

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন মজলিসে বসে, যেখানে সে আল্লাহর যিকর করে না, (এর জন্য) আল্লাহর তরফ থেকে তার উপর পরিতাপ ও কম আসবে। আর যে ব্যক্তি এমন জায়গায় শয়ন করে, যেখানে সে আল্লাহর যিকির করে না, (এর জন্য) আল্লাহর তরফ থেকে তার উপর পরিতাপ ও কম আসবে।’’ (আবু দাঊদ, হাসান)

(আবূ দাউদ ৪৮৫৫, ৪৮৫৬,তি ৩৩৮০, আহমাদ ৯৩০০, ৯৪৭২, ৯৮৮৪, ৯৯০৭, ১০০৫০, ১০৪৪৪)

হাসান হাদিসপরিচ্ছদঃ ১২৮

গুপ্তাঙ্গ খুলে যাওয়ার আশংকা না থাকলে একটি পায়ের উপর অন্য পা চাপিয়ে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ এবং দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসা ও হাঁটু দু’টিকে বুকে লাগিয়ে কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে বসা বৈধ

৮২৪

عَن عَبدِ اللهِ بنِ زَيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّه رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مُسْتَلْقِياً في الْمَسْجِدِ، وَاضِعاً إحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى . متفقٌ عَلَيْهِ

আব্দুল্লাহ ইবনে য়্যাযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মসজিদে এমনভাবে চিৎ হয়ে শোয়া অবস্থায় প্রত্যক্ষ করেছেন যে, তিনি একটি পা অন্য পায়ের উপর চাপিয়ে রেখেছিলেন।

(সহীহুল বুখারী ৪৭৫, ৫৯৬৯, ৬২৮৭, মুসলিম ২১০০, তিরমিযী ২৭৬৫, নাসায়ী ৭২১, আবূ দাউদ ৪৮৬৬, আহমাদ ১৫৯৯৫, ১৬০০৯, মুওয়াত্তা মালিক ৪১৮, দারেমী ২৬৫৬)

সহিহ হাদিস৮২৫

وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الفَجْرَ تَرَبَّعَ فِي مَجْلِسِهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسْنَاءَ . حديث صحيح، رواه أَبُو داود وغيره بأسانيد صحيحة

জাবের ইবনে সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের নামায সমাপ্ত করতেন তখন ভালোভাবে সূর্যোদয় না হওয়া অবধি নামায পড়ার জায়গাতেই দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসে থাকতেন।’ (সহীহ হাদীস, এটি আবূ দাউদ প্রমুখ বিশুদ্ধ সানাদে বর্ণনা করেছেন)

(আবূ দাউদ ৪৮৫০, মুসলিম ৬৭০, আহমাদ ২০৪৪০)

সহিহ হাদিস

৮২৬

وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: رَأَيتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِفِنَاءِ الكَعْبَةِ مُحْتَبِياً بِيَدَيْهِ هَكَذَا، وَوَصَفَ بِيَدَيْهِ الاِحْتِبَاءَ، وَهُوَ القُرْفُصَاءُ . رواه البخاري

ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কা‘বা প্রাঙ্গনে বুকে হাঁটু লাগিয়ে হাত দিয়ে ধরে এভাবে বসে থাকতে দেখেছি।’ আর তিনি নিজের হাত দুখানা ধরে উক্ত (ইহতিবা) বসার ধরন বর্ণনা করলেন। ওটাকেই আরবীতে ‘কুরফুসা’ও বলা হয়।

(সহীহুল বুখারী ৬২৭২)

সহিহ হাদিস

৮২৭

وَعَنْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: رَأَيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَاعِدٌ القُرْفُصَاءَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم المُتَخَشِّعَ فِي الجِلْسَةِ أُرْعِدْتُ مِنَ الفَرَقِ. رواه أَبُو داود والترمذي

ক্বাইলা বিনতে মাখরামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুকে হাঁটু লাগিয়ে হাত দিয়ে দুটোকে জড়িয়ে উঁচু হয়ে বসে থাকতে দেখেছি। যখন তাকে বিনীতভাবে বসে থাকতে দেখলাম, তখন ভয়ে আমি কাঁপতে লাগলাম।’

(আবূ দাউদ ৪৮৪৭)

সহিহ হাদিস

৮২৮

وَعَنْ الشَّريدِ بنِ سُوَيْدٍ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَّ بِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأَنَا جَالِسٌ هَكَذَا، وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ اليُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي، وَاتَّكَأتُ عَلَى أَليَةِ يَدِي، فَقَالَ: « أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ المَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ ؟! » رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

শারীদ ইবনে সুয়াইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আর আমি এভাবে অর্থাৎ বাঁম হাতটিকে পিঠের পিছনে রেখে হাতের চেটোতে ভর দিয়ে বসেছিলাম। তা দেখে তিনি বললেন, ‘‘তুমি কি অভিশপ্ত (ইয়াহুদী)দের বসার মত বসছ?’’

(আবূ দাঊদ সহীহ সানাদ)(আবূ দাউদ ৪৮৪৮, আহমাদ ১৮৯৬০)

হাসান হাদিস

পরিচ্ছদঃ ১২৯

মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

৮২৯

عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « لاَ يُقِيمَنَّ أحَدُكُمْ رَجُلاً مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ، وَلَكِنْ تَوَسَّعُوا وَتَفَسَّحُوا ». وكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا قَامَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ مَجْلِسِهِ لَمْ يَجْلِسْ فِيهِ . متفقٌ عَلَيْهِ

ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোন ব্যক্তি অন্য কাউকে তার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে যেন অবশ্যই না বসে। বরং তোমরা জায়গা প্রশস্ত করে ও নড়ে-সরে জায়গা করে বসো।’’ ইবনে উমারের জন্য মজলিস থেকে কেউ উঠে গেলে সেখানে তিনি বসতেন না।

(সহীহুল বুখারী ৯১১, ৬২৬৯, ৬২৭০, মুসলিম ২১৭৭, তিরমিযী ২৭৪৯, ২৭৫০, আবূ দাউদ ৪৮২৮, আহমাদ ৪৬৪৫, ৪৬৫০, ৪৭২১, ৪৮৫৬, ৫০২৬, ৫৫৪২, ৫৫৯৩, ৫৭৫১, ৫৯৮৮ , ৬০২৬, ৬০৪৯, ৬৩৩৫, দারেমী ২৬৫৩)

সহিহ হাদিস

৮৩০

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَجْلِسٍ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ، فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ ». رواه مسلم

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মজলিস থেকে কেউ উঠে গিয়ে আবার সেখানে ফিরে এলে সেই ঐ জায়গার বেশি হকদার।’’

(মুসলিম ২১৭৯, আবূ দাউদ ৪৮৫৩, মায ৩৭১৭, আহমাদ ৭৫১৪, ৭৭৫১, ৮৩০৪, ৮৮১০, ৯৪৬৩, ৯৪৮২, ৯৮৯৪, ১০৪৪২, ১০৫৫৯, দারেমী ২৬৫৪)

সহিহ হাদিস

৮৩১

وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، جلَسَ أحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي. رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

জাবের ইবনে সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে আসতাম, তখন যেখানে মজলিস শেষ হত সেখানে বসে যেতাম।’

(আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান) (আবূ দাউদ ৪৮২৫, তিরমিযী ২৭২৫, আহমাদ ২০৪২৩, ২০৫৩৫)

হাসান হাদিস

৮৩২

وَعَنْ أَبي عَبدِ اللهِ سَلْمَانَ الفَارِسِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَينِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى ». رواه البخاري

আবূ আব্দুল্লাহ সালমান ফারেসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে, যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরের সুগন্ধি নিয়ে লাগায়। অতঃপর জুমআর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দু’জনের মধ্যে পৃথক করে না। তারপর তার ভাগ্যে যতটা লেখা হয়েছে, ততটা নামায আদায় করে, তারপর যখন ইমাম খুৎবা দেয় তখন সে চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এক জুমআহ থেকে অন্য জুমআহ পর্যন্ত কৃত পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’’

(সহীহুল বুখারী ৮৮৩, ৯১০, নাসায়ী ১৪০৩, আহমাদ ২৩১৯৮, ২৩২০৬, ২৩২১৩, দারেমী ১৫৪১)

সহিহ হাদিস

৮৩৩

وَعَنْ عَمرِو بنِ شُعَيْبٍ، عَن أَبِيهِ، عَن جَدِّهِ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ إِلاَّ بِإِذْنِهِمَا . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
وفي رواية لأبي داود: لاَ يُجْلسُ بَيْنَ رَجُلَيْنِ إِلاَّ بِإذْنِهِمَا

আমর ইবনে শুয়াইব রাদিয়াল্লাহু স্বীয় পিতা থেকে তিনি স্বীয় দাদা থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোন ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে দু’জনের মধ্যে তাদের বিনা অনুমতিতে তফাৎ সৃষ্টি করবে।

(আবূ দাউদ ৪৮৪৪, ৪৮৪৫, তিরমিযী ২৭৫২, আহমাদ ৬৯৬০)

হাসান হাদিস

৮৩৪

وعن حذيفة بن اليمان رضي الله عنه أنَّ رَسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلملَعَنَ مَنْ جَلَسَ وَسَطَ الحَلْقَةَ . رواه أبو داود بإسناد حسن. وروى الترمذي عن أبي مِجْلزٍ أن رَجُلاً قَعَدَ وَسَطَ حَلقْة فقال حُذَيْفَةُ: مُلْعُونٌ عَلٰى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أوْ لَعَنَ الله عَلٰى لِسَانِ محُمَدٍ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَلَسَ وَسَطَ الْحَلْقةِ. قال الترمذي: حديث حسن صحيح .

হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এমন লোককে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ দিয়েছেন, যে লোক মাজলিশের মধ্যখানে গিয়ে বসে পড়ে। হাদীসটি আবূ দাউদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী আবূ মিজলায (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, এক মাজলিসের মাঝখানে বসে পড়লে হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ কাজটির উপর) অভিশাপ বর্ষণ করেছেন অথবা সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ দিয়ে অভিশাপ বর্ষণ করেন যে মাজলিসের মাঝখানে বসে পড়ে। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।

( আমি (আলবানী) বলছিঃ আবূ মিজলায হচ্ছেন লাহেক ইবনু হুমায়েদ। তিনি হুযাইফাহ্ হতে শুনেননি। যেমনটি ইবনু মা‘ঈন প্রমুখ বলেছেন। এছাড়া অন্য সমস্যাও রয়েছে। বিস্তারিত জানতে দেখুন ‘‘য‘ঈফা’’ (৬৩৮)। আবূ দাউদ ৪৮২৬, তিরমিযী ২৭৫৩)

দুর্বল হাদিস

৮৩৫

وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « خَيْرُ المَجَالِسِ أوْسَعُهَا». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح عَلَى شرط البخاري

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে সভা সবচেয়ে বেশি প্রশস্ত সেটা সবচেয়ে উত্তম সভা।’’

(আবূ দাউদ ৪৮২০, আহমাদ ১০৭৫৩, ১১২৬৬)

সহিহ হাদিস

৮৩৬

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ، فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ: سُبْحَانَكَ اَللهم وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إلَيْكَ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ». رواه الترمذي، وقال:حديث حسن صحيح

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন সভায় বসে, যাতে খুব বেশি হৈ-হল্লা হয়, অতঃপর যদি উক্ত সভা ত্যাগ করে চলে যাওয়ার আগে এই দো‘আ পড়ে, ‘‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা অ আতূবু ইলাইক্।’’ (অর্থাৎ তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষি দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।) তাহলে উক্ত মজলিসে কৃত অপরাধ তার জন্য ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

(তিরমিযী ৩৪৩৩, আহমাদ ১০০৪৩)

হাসান হাদিস

৮৩৭

وَعَنْ أَبي بَرْزَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِأَخَرَةٍ إِذَا أرَادَ أنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ: سُبْحَانَكَ اَللهم وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنتَ أسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيكَ . فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنَّكَ لَتَقُولُ قَوْلاً مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا مَضَى ؟ قَالَ: « ذَلِكَ كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ في المَجْلِسِ ». رواه أَبُو داود، ورواه الحاكم أَبُو عبد الله في " المستدرك " من رواية عائشة رَضِيَ اللهُ عَنهَا وقال: «صحيح الإسناد

আবূ বার্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সভা থেকে উঠে চলে যাবার ইচ্ছা করতেন, তখন শেষের বেলায় এই দো‘আ পড়তেন ‘‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা, আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক।’’ অর্থাৎ তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।
একটি লোক নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি যে দো‘আ পড়লেন অতীতে তো তা পড়তেন না।’ তিনি বললেন, ‘‘এই দো‘আটি মজলিসে (সংঘটিত ভুল-ত্রুটি)র কাফ্‌ফারাস্বরূপ।’’ (আবূ দাঊদ, আবূ আব্দুল্লাহ হাকেম আয়েশা রাযি্‌বয়াল্লাহ আনহা হতে তাঁর ‘মুস্তাদরাক’ নামক গ্রন্থে এই হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)

(আবূ দাউদ ৪৮৫৯, দারেমী ২৬৫৮)

সহিহ হাদিস

৮৩৮

وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَلَّمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُومُ مِنْ مَجْلِسٍ حَتَّى يَدْعُوَ بِهَؤُلاَءِ الدَّعَواتِ: « اَللهم اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُولُ بِهِ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ، وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ عَلَيْنَا مَصَائِبَ الدُّنْيَا، اَللهم مَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا، وَأَبْصَارِنَا، وَقُوَّتِنَا مَا أحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا، وَلاَ تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا، وَلاَ تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا، وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا، وَلاَ تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لاَ يَرْحَمُنَا ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

বনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খুব কম মজলিসই এমন হতো, যেখান থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ না পড়ে উঠতেন, (অর্থাৎ অধিকাংশ মজলিস থেকে উঠার আগে এই দো‘আ পড়তেন,)

‘‘আল্লা-হুম্মাক্বসিম লানা মিন খাশয়্যাতিকা মা তাহূলু বিহী বাইনানা অবাইনা মা‘আ-স্বীক, অমিন ত্বা-‘আতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহী জান্নাতাক, অমিনাল য়্যাক্বীনি মা তুহাউবিনু বিহী আলাইনা মাস্বা-ইবাদ দুন্য়্যা। আল্লাহুম্মা মাত্তি‘না বিআসমা-‘ইনা অ আবস্বা-রিনা অ ক্বুউওয়াতিনা মা আহয়্যাইতানা, অজ্‘আলহুল ওয়া-রিসা মিন্না। অজ‘আল সা’রানা আলা মান যালামানা, অনস্বুরনা ‘আলা মান ‘আ-দা-না, অলা তাজ‘আল মুস্বীবাতানা ফী দ্বীনিনা। অলা তাজ‘আলিদ্দুন্য়্যা আকবারা হাম্মিনা অলা মাবলাগা ‘ইলমিনা, অলা তুসাল্লিত্ব ‘আলাইনা মাল লা য়্যারহামুনা।’’

অর্থাৎ আল্লাহ গো! আমাদের জন্য তোমার ভীতি বিতরণ কর, যার দ্বারা তুমি আমাদের ও তোমার অবাধ্যাচরণের মাঝে অন্তরাল সৃষ্টি কর। তোমার আনুগত্য বিতরণ কর, যার দ্বারা তুমি আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছাও। আমাদের জন্য এমন একীন (প্রত্যয়) বিতরণ কর, যার দ্বারা তুমি আমাদের উপর দুনিয়ার বিপদসমূহকে সহজ করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের কর্ণ, চক্ষু ও শক্তি দবারা যতদিন আমাদেরকে জীবিত রাখ, ততদিন আমাদেরকে উপকৃত কর এবং তা আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখ। যারা আমাদের উপর অত্যাচার করেছে, তাদের নিকট আমাদের প্রতিশোধ নাও। যারা আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর। আমাদের দ্বীনে আমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করো না। দুনিয়াকে আমাদের বৃহত্তম চিন্তার বিষয় এবং আমাদের জ্ঞানের শেষ সীমা করো না, আর যারা আমাদের উপর রহম করে না, তাদেরকে আমাদের উপর ক্ষমতাসীন করো না।

[১] তিরমিযী ৩৫০২

হাসান হাদিস

৮৩৯

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَا مِنْ قَوْمٍ يَقُومُونَ مِنْ مَجْلِسٍ لاَ يَذْكُرُونَ الله تَعَالَى فِيهِ، إِلاَّ قَامُوا عَنْ مِثْل جِيفَةِ حِمَارٍ، وَكَانَ لَهُمْ حَسْرَةٌ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে জনগোষ্ঠীই কোন সভা থেকে, তাতে আল্লাহর যিকির না করেই উঠে যায়, আসলে তারা যেন মরা গাধা থেকে উঠে যায়। (অর্থাৎ যেন মৃত গাধার গোশ্ত ভক্ষণান্তে উঠে চলে যায়।) আর তাদের জন্য অনুতাপ হবে।’’ (আবূ দাঊদ বিশুদ্ধ সূত্রে) [১]

[১] আবূ দাউদ ৪৮৫৫, ৪৮৫৬, তিরমিযী ৩৩৮০, আহমাদ ৯৩০০, ৯৪৮২, ৯৮৮৪ , ৯৯০৭, ১০০৫০, ১০০৪৪

সহিহ হাদিস

৮৪০

وَعَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِساً لَمْ يَذْكُرُوا اللهِ تَعَالَى فِيهِ، وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ فِيهِ، إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةٌ ؛ فَإنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ، وَإنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

উক্ত রাবী থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে কোন জনগোষ্ঠী কোন মজলিসে বসে তাতে আল্লাহর যিকির না করে এবং তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরূদ পাঠ না করে, তাদেরই নোকসান (দুর্ভোগ) হবে; আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন তো তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং যদি চান তো তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।

তিরমিযী ৩৩৮০, আহমাদ ৯৩০০, ৯৪৭২, ৯৫৩৩, ৯৮৮৪, ৯৯০৭, ১০০৫০

হাসান হাদিস

৮৪১

وَعَنْهُ، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « مَنْ قَعَدَ مَقْعَداً لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ، وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعَاً لاَ يَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ ». رواه أَبُو داود

উক্ত রাবী থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন বৈঠকে বসে তাতে আল্লাহর যিকির করল না, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ক্ষতি হবে। আর যে ব্যক্তি কোন শয্যায় শয়ন করে তাতে আল্লাহর যিকির করে না, তাহলে আল্লাহর তরফ থেকে তার ক্ষতি হবে।’’

[১] ৮৩৯ এর মত

সহিহ হাদিসপরিচ্ছদঃ ১৩০

স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

৮৪২

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « لَمْ يَبْقَ مِنَ النُّبوَّةِ إِلاَّ المُبَشِّرَاتِ» قَالُوا: وَمَا المُبَشِّرَاتُ ؟ قَالَ: « الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ ». رواه البخاري

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, ‘‘সুসংবাদ ছাড়া নবুঅতের কিছু বাকি থাকবে না।’’ লোকেরা প্রশ্ন করল, ‘সুসংবাদ কী?’ তিনি বললেন, ‘‘সুস্বপ্ন।’’

(সহীহুল বুখারী ৬৯৮৩, তিরমিযী ২২৭২, ২২৬৪, ইবনু মাজাহ ৩৮৯৩)

সহিহ হাদিস

৮৪৩

وَعَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤيَا المُؤْمِنِ تَكْذِبُ، وَرُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأرْبَعِينَ جُزْءاً مِنَ النُّبُوَّةِ متفقٌ عَلَيْهِ
وفي رواية: أصْدَقُكُمْ رُؤْيَا، أصْدَقُكُمْ حَدِيثاً

উক্ত রাবী থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘(কিয়ামতের) নিকটবর্তী যুগে মু’মিনের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। আর মু’মিনের স্বপ্ন নবুঅতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।’’ (অর্থাৎ মু’মিন স্বপ্ন যোগে ভবিষ্যতের খবর জানতে পারে। যেমন, অহীর দ্বারা নবীদেরকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত করা হত।)

(সহীহুল বুখারী ৭০১৭, ৬৯৮৮, মুসলিম ২২৬৩, তিরমিযী ২২৭০,২২৯১, মায ২৮৯৪, ৩৯১৭, আহমাদ ৭১২৮, ৭১৪৩, ৭৫৮৬, ৮৩০১, ৮৬০১, ১০২১২, ২৭২১৩, ২৭৩১৩, ২৭৩৭৮, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৮১)

সহিহ হাদিস

৮৪৪

وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ رَآنِي فِي المَنَامِ فَسَيَرَانِي فِي اليَقَظَةِ - أَوْ كَأنَّما رَآنِي في اليَقَظَةِ- لاَ يَتَمَثَّلُ الشَّيْطَانُ بِي». متفقٌ عَلَيْهِ

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দর্শন করল, সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দর্শন করবে অথবা সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখল। কেননা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।’’

(সহীহুল বুখারী ১১০, ৬১৯৭, মুসলিম ২২৬৬, তিরমিযী ২২৮০, আবূ দাউদ ৫০২৩, ইবনু মাজাহ ৩৯০১, আহমাদ ৩৭৮৮, ৭১২৮, ৭৫০০, ৮৩০৩, ৯০৬১, ৯০৬৯, ৯২০৪, ৯৬৫০, ৯৭১৩, ৯৭৫৯, ২২১০০)

সহিহ হাদিস

৮৪৫

وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه: أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « إِذَا رَأَى أحَدُكُمْ رُؤيَا يُحِبُّهَا، فَإنَّمَا هِيَ مِنَ اللهِ تَعَالَى، فَلْيَحْمَدِ اللهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا ـ وَفِي رِوَايَةٍ: فَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا إِلاَّ مَنْ يُحِبُّ ـ وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فإنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ ؛ فَإنَّهَا لا تَضُرُّهُ ». متفقٌ عَلَيْهِ

আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘যখন তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি এমন স্বপ্ন দর্শন করে যা তার কাছে প্রীতিকর, তখন তা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে (দেখানো) হয়। সুতরাং সে যেন তার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং সে তা (স্বপ্ন) ব্যক্ত করে।’’ অন্য বর্ণনায় আছে যে, ‘‘সে যেন তা তার প্রিয়জন ছাড়া অন্য কারো কাছে ব্যক্ত না করে। আর যখন তাছাড়া কোন অপ্রীতিকর স্বপ্ন দর্শন করে, তখন তা নিঃসন্দেহে শয়তানের পক্ষ থেকে (দেখানো) হয়। সুতরাং সে যেন তার অনিষ্ট থেকে (আল্লাহর নিকট) আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং কাউকে তা ব্যক্ত না করে। কেননা, (তাহলে) তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’’

(সহীহুল বুখারী ৬৯৮৫, ৭০৪৫, তিরমিযী ৩৪৫৩, আহমাদ ১০৬৭০)

সহিহ হাদিস

৮৪৬

وَعَنْ أَبي قَتَادَة رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ ـ وفي رواية: الرُّؤْيَا الحَسَنَةُ ـ مِنَ اللهِ، وَالحُلُمُ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَمَنْ رَأَى شَيْئاً يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفُثْ عَن شِمَالِهِ ثَلاَثاً، وَلْيَتَعَوَّذْ مِنَ الشَّيْطَانِ ؛ فإنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ . متفقٌ عَلَيْهِ

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সুস্বপ্ন (অন্য এক বর্ণনায় আছে) সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং কুস্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে (দেখানো) হয়। অতএব যে অপ্রীতিকর কিছু দেখবে, সে যেন তার বাম দিকে তিনবার হাল্কাভাবে থুতু মারে ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। তাহলে তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’’

(সহীহুল বুখারী ২৩৯২, ৫৭৪৭, ৬৯৮৪, ৬৯৮৬, ৬৯৯৫, ৬৯৯৬, ৭০০৫, ৭০৪৪, মুসলিম ২২৬১, তিরমিযী ২২৭৭, আবূ দাউদ ৫০২১, মায ৩৯০৯, আহমাদ ২২০১৯, ২২০৫৮, ২২০৭৭, ২২০৭৮, ২২০৯২, ২২১২৯, ২২১৩৮, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৮৪, দারেমী ২১৪১, ২১৪২)

সহিহ হাদিস

৮৪৭

وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إِذَا رَأَى أحَدُكُمْ الرُّؤْيَا يَكْرَهُهَا، فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلاثَاً، وَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ثَلاَثاً، وَلْيَتَحَوَّلْ عَنْ جَنْبِهِ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ . رواه مسلم

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ তার অপছন্দনীয় কোন স্বপ্ন দেখবে, তখন সে যেন তার বাম দিকে তিনবার থুতু মারে এবং শয়তান থেকে তিনবার আশ্রয় প্রার্থনা করে। আর যে পার্শ্বে সে শুয়ে থাকে, সে পার্শ্ব যেন বদল করে নেয়।’’

(মুসলিম ২২৬২, আবূ দাউদ ৫০২২, মায ৩৯০৮, আহমাদ ১৪৩৬৫)

সহিহ হাদিস

৮৪৮

وَعَنْ أَبي الأسقَعِ وَاثِلةَ بنِ الأَسقَعِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إنَّ مِنْ أعْظَمِ الفِرَى أَنْ يَدَّعِيَ الرَّجُلُ إِلَى غَيرِ أَبِيهِ، أَوْ يُرِيَ عَيْنَهُ مَا لَمْ تَرَ، أَوْ يَقُولَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ يَقُلْ ». رواه البخاري

আবুল আসক্বা‘ ওয়াসিলাহ ইবনে আসক্বা‘ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে বড় মিথ্যারোপ হল সেই ব্যক্তির কাজ, যে অপরের বাপকে নিজ বাপ বলে দাবি করে অথবা তার চক্ষুকে তা দেখায় যা সে (বাস্তবে) দেখেনি। (অর্থাৎ স্বপ্ন দেখার মিথ্যা দাবি করে।) অথবা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেননি তা তাঁর প্রতি মিথ্যাভাবে আরোপ করে।’’

(সহীহুল বুখারী ৩৫০৯, আহমাদ ১৫৫৭৮, ১৫৫৮৫, ১৬৫৩২, ১৬৫৩৫)

সহিহ হাদিস

No comments

Powered by Blogger.