রাহে বেলায়াত তৃতীয় অধ্যায় - অনুচ্ছেদ- ২৫ এবং ২৬, তৃতীয় প্রকার যিকর : সকাল-বিকাল বা সকাল-সন্ধ্যার যিকর

 তৃতীয় অধ্যায় - অনুচ্ছেদ-২৫ , 

তৃতীয় প্রকার যিকর : সকাল-বিকাল বা সকাল-সন্ধ্যার যিকর

ফজরের সালাতের পরে যে সকল নির্ধারিত মাসনূন যিকর আদায় করতে হবে তন্মধ্যে তৃতীয় প্রকার যিকর যা রাসূলুল্লাহ (সা.) সকালে বিকালে বা সকালে সন্ধ্যায় আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন এই প্রকার যিকর ফজরের ফরয সালাতের আগে সুবহে সাদিকের পরে যে কোনো সময় পালন করা যায় তবে সাধারণত মুমিন এই সময়েই যিকরের জন্য বসেন বলে এখানে উল্লেখ করছি এই পর্যায়ে ১৭টি যিকর উল্লেখ করছি তন্মধ্যে প্রথম যিকরটি, যা অনেকগুলি যিকরের সমষ্টি তা ফজর আসরের পরে আদায় করতে হবে বাকিগুলো ফজর মাগরিবের পরে আদায় করতে হবে

অনুচ্ছেদ-২৬

তৃতীয় প্রকার যিকর: সকাল-বিকাল বা সকাল-সন্ধ্যার যিকর - () যিকর নং ১০০: চারটি মূল তাসবীহ একশতবার করে ৪০০বার

১০০ বারসুবহানাল্লাহ’, ১০০ বারআল-হামদুলিলল্লাহ’, ১০০ বারআল্লাহু আকবার ১০০ বারলা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ১০০ বার (লা ইলাহা ইললল্লাহু)-এর পরিবর্তে ১০০ বারলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কবাদীরপড়া যাবে ফজরের পরে আসরের পরে


আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে বিকালে সূর্যোদয়ের আগে সূর্যাস্তের আগে ১০০ বারসুবহানাল্লাহবলবে সে যেন একশতটি হজ্ব আদায় করল বা একশতটি উট আল্লাহর ওয়াস্তে দান করল। যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বারআল-হামদু লিল্লাহবলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০ টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো, অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০ টি গাযওয়া বা অভিযানে শরীক হলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করেলা- ইলাহা ইল্লাল্লাহপাঠ করলো, সে যেন ইসমাঈল বংশের একশত ব্যক্তিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করেআল্লাহু আকবারবলল, দিনে তার চেয়ে বেশি আমল আর কেউ করতে পারবে না। তবে যদি কেউ তার সমান এই যিকরগুলি পাঠ করে বা তার চেয়ে বেশি পাঠ করে তাহলে ভিন্ন কথা। (তাহলে সেই শুধু তার উপরে উঠতে পারবে।)ইমাম নাসাঈর বর্ণনায়লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’- পরিবর্তেলা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কাদীর১০০ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। ইমাম তিরমিযী অন্যান্য মুহাদ্দিস হাদীসটিকে হাসান বা গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।[1]

[1] সুনানুত তিরমিযী /৫১৩, নং ৩৪৭১, নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা /২০৫, সহীহুত তারগীব /৩৪৩

No comments

Powered by Blogger.