রাহে বেলায়াত চতুর্থ অধ্যায় - অনুচ্ছেদ-১১, ঋণ মুক্তির দুআ
চতুর্থ অধ্যায় - অনুচ্ছেদ-১১,
যিকর নং
১৬৯
: ঋণমুক্তির
দু‘আ-১
আলীর (রাঃ) নিকট এক ব্যক্তি ঋণমুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন, আমি তোমাকে তা শিখিয়ে দিচ্ছি। তোমার যদি পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকে তাহলেও আল্লাহ তোমার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণমুক্ত করবেন।
তুমি বলবে:اللَّهُمَّ
اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আ‘গনিনী বিফাদলিকা ‘আম্মান সিওয়াকা।
অর্থঃ “হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালাল প্রদান করে আমাকে হারাম থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার দয়া ও বরকত প্রদান করে আমাকে আপনি ছাড়া অন্য সকলের অনুগ্রহ থেকে বিমুক্ত করে দিন।” হাদীসটি সহীহ।[1]
যিকর নং ১৭০ : ঋণমুক্তির দু‘আ-২
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশি বেশি নিম্নের দু‘আটি বলতেনঃ
اللَّهُمَّ
إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ،
وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল ‘হাযানি ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দিলা‘ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।
অর্থঃ “হে আল্লাহ আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি দুশ্চিন্তা, দুঃখ-বেদনা, মনোকষ্ট, অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের প্রাধান্য বা প্রভাবের অধীনতা থেকে।”[2]
যিকর নং ১৭১ : ঋণমুক্তির দু‘আ-৩
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মু’আযকে (রাঃ) বলেন, যদি তুমি এই দু‘আটি বলে প্রার্থনা কর তাহলে তোমার পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা তোমার পক্ষ থেকে আদায় করে দেবেনঃ
اللَّهُمَّ
مَالِكُ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ
تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرِ
إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ارْحَمْنِي رَحْمَةً
تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা, মা-লিকাল মুলকি, তু’তিল মুলকা মান তাশা-উ ওয়া তানযি‘উল মুলকা মিম্মান তাশা-উ। ওয়াতু‘ইয্যু মান তাশা-উ ওয়া তুযিল্লু মান তাশা-উ বিইয়াদিকাল খাইরু, ইন্নাকা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। রাহমা-নাদ দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া রাহীমাহুমা-, তু‘অ্তিহিমা- মান তাশা-উ ওয়া তামনা‘উ মিনহুমা- মান তাশা-উ। ইর‘হামনী রাহামতান তুগনীনী বিহা- ‘আন রা‘হমাতি মান্ সিওয়া-কা।
অর্থঃ “হে আল্লাহ, রাজাধিরাজ সকল রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব প্রাদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ের উপর শক্তিমান। পার্থিব জগৎ এবং পারলৌকি জগতের মহাকরুণাময় ও অপার দয়াশীল। আপনি যাকে ইচ্ছা এই করুণারাজী প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আপনি আমাকে এমন রহমত প্রদান করুন যে রহমত আমাকে আপনি ছাড়া অন্য কারো করুণা থেকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দেবে।”[3]
[1] সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩, মুসতাদরাক হাকিম ১/৭২১।
[2] সহীহ বুখারী ৩/১০৫৯, ৫/২০৬৯, ২৩৪০, ২৩৪২, নং ২৭৩৬, ৫১০৯, ৬০০২, ৬০০৮।
[3] তাবারানী, আল-মু’জামুস সাগীর ১/৩৩৬, আল-মু’জামুল কাবীর ২০/১৫৪, আত-তারগীব ২/৫৯৮, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৮৬। হাদিসটির সনদ গ্রহণযোগ্য।
No comments