রাহে বেলায়াত দ্বিতীয় অধ্যায় অনুচ্ছেদ-৩১ এবং ৩২ ছ. যিকরের জন্য আদব - (৭) যিকর রত অবস্থায় বিভিন্ন কর্ম

 অনুচ্ছেদ-৩১  ছ. যিকরের জন্য আদব - () যিকর রত অবস্থায় বিভিন্ন কর্ম

ইমাম নববী, ইমাম ইবনুল জাযারী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, যিকর রত অবস্থায় যদি যাকিরকে কেউ সালাম প্রদান করে, তাহলে তিনি সালামের উত্তর প্রদান করে আবার যিকরে রত হবেন

যদি তাঁর নিকট কেউ হাঁচি দিয়েআল-‘হামদু লিল্লাহবলেন, তাহলে তিনি তার জওয়াবেইয়ারহামু কাল্লাহবলে পুনরায় যিকরে মনোনিবেশ করবেন যাকির যিকর রত অবস্থায় আযান শুরু হলে, তিনি আযানের কথাগুলি বলে মুয়াযযিনের জওয়াব প্রদানের পরে যিকরে রত হবেন যিকর রত অবস্থায় কোনো অন্যায়, ইসলাম বিরোধী বা অনৈতিক কাজ দেখলে তিনি তার প্রতিবাদ করবেন, কোনো ভালো কর্মে নির্দেশনার সুযোগ আসলে তা পালন করবেন, কেউ উপদেশ বা পরামর্শ চাইলে তা প্রদান করবেন, এরপর আবার যিকরে রত হবেন অনুরূপভাবে ঘুম আসলে বা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে আবার যিকর শুরু করবেন[1]

[1] নাবাবী, আল-আযকার, পৃ. ৩৫, ইবনুল জাযারী, শাওকানী, তুহফাতুয যাকিরীন ফী হিসনীল হাসীন পৃ. ৩২-৩৩

 

অনুচ্ছেদ-৩২ ছ. যিকরের জন্য আদব - () উচ্চারণ শ্রবণ

শরীয়ত সম্মত বা মাসনূন যিকর, সালাতের মধ্যে বা সালাতের বাইরে সকল প্রকার যিকরের ক্ষেত্রেই মূলনীতি যে, তা স্পষ্ট জিহ্বা দ্বারা এভাবে উচ্চারণ করতে হবে যে, উচ্চারণকারী কোনো সমস্যা বা অসুবিধা না থাকলে তার নিজের উচ্চারণ শুনতে পাবেন এইভাবে নিজে শুনার মতো করে জিহ্বা দ্বারা উচ্চারণ করা না হলে তা যিকর বলে গণ্য হবে না তবে মনের স্মরণ, তাফাক্কুর বা ফিকিরের কথা ভিন্ন[1]

[1] নাবাবী, আল-আযকার, পৃ. ৩৫, ইবনুল জাযারী, শাওকানী, তুহফাতুয যাকিরীন, হিসন হাসীন পৃ. ৩২-৩৩

No comments

Powered by Blogger.