সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "সালাতে কসর করা" হাদিস নং -১১০১ থেকে ১১১৯
সফরকালে
ফরজ সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।
১১০১
১১০২
১৮/১২. অধ্যায়ঃ
১১০৩
১১০৪
১১০৫
১৮/১৩. অধ্যায়ঃ
১১০৬
১১০৭
১১০৮
১৮/১৪. অধ্যায়ঃ
১১০৯
১১১০
১৮/১৫. অধ্যায়ঃ
১১১১
১৮/১৬. অধ্যায়ঃ
১১১২
১৮/১৭. অধ্যায়ঃ
১১১৩
১১১৪
১১১৫
১৮/১৮. অধ্যায়ঃ
১১১৬
১৮/১৯. অধ্যায়ঃ
১১১৭
১৮/২০. অধ্যায়ঃ
১১১৮
১১১৯
১১০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ،
قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ، حَدَّثَهُ
قَالَ سَافَرَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ فَقَالَ صَحِبْتُ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم فَلَمْ أَرَهُ يُسَبِّحُ فِي السَّفَرِ، وَقَالَ اللَّهُ جَلَّ
ذِكْرُهُ {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ}.
হাফ্স ইব্নু ‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমর (রাঃ) একবার সফর
করেন এবং বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে থেকেছি, সফরে
তাঁকে নফল সালাত আদায় করতে দেখিনি এবং আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ “নিশ্চয়ই
তোমাদের জন্য আল্লাহ্র রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (সূরা আল-আহযাব ৩৩/২২১)
১১০২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عِيسَى بْنِ حَفْصِ
بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ
صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ لاَ يَزِيدُ فِي السَّفَرِ
عَلَى رَكْعَتَيْنِ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَذَلِكَ ـ رضى الله
عنهم.
হাফস ইব্নু ‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘উমর
(রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি সফরে দু’ রাক’আতের অধিক আদায় করতেন না। আবূ বক্র,
‘উমর ও উসমান (রাঃ)-এর এ রীতি ছিল। [১]
[১] অত্র হাদীস দ্বারা
প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে চিরকালই
কস্র করেন, কখনো পূর্ণ সালাত আদায় করেননি। তাই একদল আলিমের মতে সফরে কাসর করতেই হবে।
পূর্ণ পড়লে চলবে না। ইবনু ‘উমর বলেন, সফরের সালাত দু’রাক’আত। যে ব্যক্তি এ সুন্নাত
ত্যাগ করবে সে কুফরী করে- (মুহাল্লা ৪র্থ খণ্ড ২৬৬ পৃষ্ঠা)। ইবনু ‘আব্বাস বলেন, যে
ব্যক্তি সফরে চার রাক’আত পড়ে, সে যেন ঘরে দু’রাক’আত পড়ে। (ঐ ২৭০ পৃষ্ঠা)
ইমাম ইবনু কাইয়ূম বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে ৪ রাক’আত বিশিষ্ট সালাত গুলো ৪ রাক’আতই আদায় করেছেন এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর ‘‘আয়িশা (রাঃ)-এর হাদীসে আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাস্র এবং পূর্ণ দু’রকমই আদায় করেছেন-সে হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম ইবনু তাইমিয়া বলেন, হাদীসটি সহীহ্ নয়, বরং এটা আল্লাহ্র রসূলের উপরে একটা মিথ্যা অপবাদ। (যাদুল মা’আদ ১ম খণ্ড ১২৮ পৃষ্ঠা)
ইমাম ইবনু কাইয়ূম বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে ৪ রাক’আত বিশিষ্ট সালাত গুলো ৪ রাক’আতই আদায় করেছেন এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর ‘‘আয়িশা (রাঃ)-এর হাদীসে আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাস্র এবং পূর্ণ দু’রকমই আদায় করেছেন-সে হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম ইবনু তাইমিয়া বলেন, হাদীসটি সহীহ্ নয়, বরং এটা আল্লাহ্র রসূলের উপরে একটা মিথ্যা অপবাদ। (যাদুল মা’আদ ১ম খণ্ড ১২৮ পৃষ্ঠা)
১৮/১২. অধ্যায়ঃ
সফরে ফরজ সালাতের পূর্বে ও
পরে নফল আদায় করা।
সফরে
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) আদায় করেছেন।
১১০৩
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو،
عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ مَا أَنْبَأَ أَحَدٌ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم صَلَّى الضُّحَى غَيْرُ أُمِّ هَانِئٍ ذَكَرَتْ أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ اغْتَسَلَ فِي بَيْتِهَا،
فَصَلَّى ثَمَانِ رَكَعَاتٍ، فَمَا رَأَيْتُهُ صَلَّى صَلاَةً أَخَفَّ مِنْهَا،
غَيْرَ أَنَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ.
ইব্নু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু হানী (রাঃ) ব্যতীত
অন্য কেউ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সলাতুয্ যুহা (পূর্বাহ্নের
সালাত) আদায় করতে দেখেছেন বলে আমাদের জানান নি। তিনি [উম্মু হানী (রাঃ)] বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর ঘরে গোসল করার পর আট
রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। আমি তাঁকে এর চেয়ে সংক্ষিপ্তভাবে কোন সালাত আদায় করতে
দেখিনি, তবে তিনি রুকূ’ ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেছিলেন।
১১০৪
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ،
رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى السُّبْحَةَ بِاللَّيْلِ فِي
السَّفَرِ عَلَى ظَهْرِ رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ.
‘আমির ইব্নু রাবী’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে রাতের বেলা সফরে বাহনের পিঠে বাহনের গতিপথ অভিমুখী হয়ে নফল সালাত
আদায় করতে দেখেছেন।
১১০৫
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ
ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُسَبِّحُ
عَلَى ظَهْرِ رَاحِلَتِهِ حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ، يُومِئُ بِرَأْسِهِ، وَكَانَ
ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ.
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সফরে) তাঁর বাহনের পিঠে এর গতিপথ অভিমুখী হয়ে
মাথার দ্বারা ইঙ্গিত করে নফল সালাত আদায় করতেন। আর ইব্নু ‘উমর (রাঃ)ও তা করতেন।
১৮/১৩. অধ্যায়ঃ
সফর অবস্থায় মাগরিব ও ‘ইশা
সালাত জমা’ করা।
১১০৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ إِذَا جَدَّ بِهِ
السَّيْرُ.
সালিম (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন দ্রুত সফর করতেন, তখন মাগরিব ও ‘ইশা
একত্রে আদায় করতেন।
১১০৭
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنِ الْحُسَيْنِ الْمُعَلِّمِ، عَنْ
يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله
عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ بَيْنَ صَلاَةِ
الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ إِذَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ سَيْرٍ، وَيَجْمَعُ بَيْنَ
الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সফরে দ্রুত চলার
সময় আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহ্র ও ‘আসরের সালাত
একত্রে আদায় করতেন আর মাগরিব ‘ইশা একত্রে আদায় করতেন। [১]
[১] অত্র হাদীস দ্বারা দু’ওয়াক্তের সালাত এক ওয়াক্তে
একত্রিত করা চলে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে জমা করতেন এ সম্পর্কে
মু’আয ইবনু জাবালের হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর শুরু করার পূর্বে সূর্য ঢলে যেত তখন তিনি
(যুহরের ওয়াক্তেই) যুহর ও ‘আসর জমা করতেন এবং সূর্য ঢলার পূর্বে যদি তিনি রওয়ানা হতেন
তাহলে যুহরকে দেরী করতেন এবং ‘আসরের সময় সাওয়ারী থেকে নেমে যুহর ও ‘আসর জমা করতেন।
আর মাগরিবেও তিনি এরূপ করতেন। অর্থাৎ রওয়ানা হওয়ার পূর্বে যদি সূর্য ডুবে যেত তাহলে
(মাগরিবের ওয়াক্তে) তিনি মাগরিব ও ‘ইশা জমা করতেন এবং সূর্য ডোববার পূর্বে যদি রওয়ানা
হতেন তাহলে মাগরীবকে দেরী করতেন এবং ইশার সময়ে নেমে মাগরিব ও ‘ইশা জমা করতেন (আবূ দাউদ,
তিরমিযী, মিশকাত ১১৮ পৃষ্ঠা)
হানাফিগণ বলেন, সালাত জমা করতে হলে প্রথম ওয়াক্তকে দেরী করে শেষ ওয়াক্তে নিয়ে গিয়ে এবং দ্বিতীয় ওয়াক্তকে একটু আগে টেনে দু’ওয়াক্তের মাঝখানে জমা করতে হবে। অর্থাৎ যুহরের আওয়াল ওয়াক্তে ‘আসর জমা হবে না এবং ‘আসরের আউয়াল ওয়াক্তে যুহর জমা হবে না। বরং যুহরের শেষ ওয়াক্তে যুহর ও ‘আসরকে জমা করতে হবে। আল্লামা রহমানী বলেন, বুখারী; মুসলিম, আবূ দাউদ ও নাসায়ীর রিওয়াতকৃত আনাস, ইবনু ‘উমর ও জাবির কর্তৃক বর্ণিত সহীহ ও স্পষ্ট হাদীসগুলো হানাফিগণের উক্ত মতটিকে বাতিল বলে প্রমাণিত করে এবং এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, দু’ওয়াক্তের মধ্যে যে কোন এক ওয়াক্তে দু‘ওয়াক্তের সালাত জমা হতে পারে- (মিরআত ২/২৬৯)। ইমাম শাফি’ঈ, মালিক ও আহমাদের মতও তাই- (আওনুল মা’বূদ ১/৪৭২)।
হানাফিগণ বলেন, সালাত জমা করতে হলে প্রথম ওয়াক্তকে দেরী করে শেষ ওয়াক্তে নিয়ে গিয়ে এবং দ্বিতীয় ওয়াক্তকে একটু আগে টেনে দু’ওয়াক্তের মাঝখানে জমা করতে হবে। অর্থাৎ যুহরের আওয়াল ওয়াক্তে ‘আসর জমা হবে না এবং ‘আসরের আউয়াল ওয়াক্তে যুহর জমা হবে না। বরং যুহরের শেষ ওয়াক্তে যুহর ও ‘আসরকে জমা করতে হবে। আল্লামা রহমানী বলেন, বুখারী; মুসলিম, আবূ দাউদ ও নাসায়ীর রিওয়াতকৃত আনাস, ইবনু ‘উমর ও জাবির কর্তৃক বর্ণিত সহীহ ও স্পষ্ট হাদীসগুলো হানাফিগণের উক্ত মতটিকে বাতিল বলে প্রমাণিত করে এবং এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, দু’ওয়াক্তের মধ্যে যে কোন এক ওয়াক্তে দু‘ওয়াক্তের সালাত জমা হতে পারে- (মিরআত ২/২৬৯)। ইমাম শাফি’ঈ, মালিক ও আহমাদের মতও তাই- (আওনুল মা’বূদ ১/৪৭২)।
১১০৮
وَعَنْ حُسَيْنٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ
كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ بَيْنَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ
وَالْعِشَاءِ فِي السَّفَرِ. وَتَابَعَهُ عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ وَحَرْبٌ
عَنْ يَحْيَى عَنْ حَفْصٍ عَنْ أَنَسٍ جَمَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর কালে মাগরিব ও ‘ইশার সালাত একত্রে আদায়
করতেন এবং ‘আলী ইব্নু মুবারাক ও হারব (রহঃ)…. আনাস (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনায়
হুসাইন (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একত্রে
আদায় করেছেন।
১৮/১৪. অধ্যায়ঃ
মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায়
করলে আযান দিবে, না ইকামাত?
১১০৯
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى
الله عنهما ـ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَعْجَلَهُ
السَّيْرُ فِي السَّفَرِ يُؤَخِّرُ صَلاَةَ الْمَغْرِبِ، حَتَّى يَجْمَعَ
بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ. قَالَ سَالِمٌ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ
يَفْعَلُهُ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ، وَيُقِيمُ الْمَغْرِبَ فَيُصَلِّيهَا
ثَلاَثًا، ثُمَّ يُسَلِّمُ، ثُمَّ قَلَّمَا يَلْبَثُ حَتَّى يُقِيمَ الْعِشَاءَ،
فَيُصَلِّيهَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يُسَلِّمُ وَلاَ يُسَبِّحُ بَيْنَهَا
بِرَكْعَةٍ، وَلاَ بَعْدَ الْعِشَاءِ بِسَجْدَةٍ حَتَّى يَقُومَ مِنْ جَوْفِ
اللَّيْلِ.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি যখন সফরে তাঁকে দ্রুত পথ অতিক্রম
করতে হত, তখন মাগরিবের সালাত এত বিলম্বিত করতেন যে মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায়
করতেন। সালিম (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) ও দ্রুত সফরকালে ঐ রকমই
করতেন। তখন ইকামাতের পর মাগরিব তিন রাক’আত আদায় করতেন এবং সালাম ফিরাতেন। অতঃপর
অল্প সময় অপেক্ষা করেই ‘ইশা-এর ইকামাত দিয়ে তা দু’রাক’আত আদায় করে সালাম ফিরাতেন।
এ দু’য়ের মাঝখানে কোন নফল সালাত আদায় করতেন না এবং ‘ইশার পরেও না। অতঃপর মধ্যরাতে
(তাহাজ্জুদের জন্য) উঠতেন।
১১১০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَرْبٌ،
حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ،
أَنَّ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ هَاتَيْنِ الصَّلاَتَيْنِ فِي السَّفَرِ. يَعْنِي
الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে এ দু’ সালাত একত্রে আদায় করতেন অর্থাৎ
মাগরিব ও ‘ইশা।
১৮/১৫. অধ্যায়ঃ
সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে
রওয়ানা হলে যুহরের সালাত আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা।
এ
বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আবদুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস
(রাঃ)-এর বর্ণনা রয়েছে।
১১১১
حَدَّثَنَا حَسَّانُ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ
فَضَالَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى
الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ
أَنْ تَزِيغَ الشَّمْسُ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى وَقْتِ الْعَصْرِ، ثُمَّ يَجْمَعُ
بَيْنَهُمَا، وَإِذَا زَاغَتْ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের
ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহর বিলম্বিত করতেন এবং উভয় সালাত একত্রে আদায় করতেন। আর (সফর
শুরুর আগেই) সূর্য ঢলে গেলে যুহ্র আদায় করে নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে উঠতেন।
১৮/১৬. অধ্যায়ঃ
সূর্য ঢলে পড়ার পর সফর আরম্ভ
করলে যুহরের সালাত আদায় করার পর সওয়ারীতে আরোহণ করা।
১১১২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ،
عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ أَنْ تَزِيغَ
الشَّمْسُ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى وَقْتِ الْعَصْرِ، ثُمَّ نَزَلَ فَجَمَعَ
بَيْنَهُمَا، فَإِنْ زَاغَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَرْتَحِلَ صَلَّى الظُّهْرَ
ثُمَّ رَكِبَ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের
ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহরের সালাত বিলম্বিত করতেন। অতঃপর অবতরণ করে দু’ সালাত একসাথে
আদায় করতেন। আর যদি সফর শুরু করার পূর্বেই সূর্য ঢলে পড়তো তাহলে যুহরের আদায় করে
নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে চড়তেন।
১৮/১৭. অধ্যায়ঃ
উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।
১১১৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا قَالَتْ
صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِهِ وَهْوَ شَاكٍ، فَصَلَّى
جَالِسًا وَصَلَّى وَرَاءَهُ قَوْمٌ قِيَامًا، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ
اجْلِسُوا، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ
لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا
".
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে সালাত আদায় করলেন, তখন তিনি অসুস্থ
ছিলেন। তাই তিনি বসে বসে সালাত আদায় করছিলেন এবং এক দল সাহাবী তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে
সালাত আদায় করতে লাগলেন। তখন তিনি বসে পড়ার জন্য তাদের প্রতি ইঙ্গিত করলেন। অতঃপর
সালাত শেষ করে তিনি বললেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে অনুসরণ করার উদ্দেশে। কাজেই
তিনি রুকূ’ করলে তোমরা রুকূ’ করবে এবং তিনি মাথা তুললে তোমরাও মাথা তুলবে।
১১১৪
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَقَطَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم مِنْ فَرَسٍ فَخُدِشَ ـ أَوْ فَجُحِشَ ـ شِقُّهُ الأَيْمَنُ،
فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ نَعُودُهُ، فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى قَاعِدًا
فَصَلَّيْنَا قُعُودًا وَقَالَ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ
بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا رَفَعَ
فَارْفَعُوا، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. فَقُولُوا رَبَّنَا
وَلَكَ الْحَمْدُ ".
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়া হতে পড়ে গেলেন। এতে আঘাত লেগে তাঁর ডান
পাশের চামড়া ছিলে গেল। আমরা তাঁর রোগের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য তাঁর নিকট গেলাম।
ইতোমধ্যে সালাতের সময় হলে তিনি বসে সালাত আদায় করলেন। আমরাও বসে সালাত আদায় করলাম।
পরে তিনি বললেনঃ ইমাম তো নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্যে। কাজেই তিনি
বললেনঃ ইমাম তাকবীর বললে, তোমরাও তাকবীর বলবে, রুকূ করলে তোমরাও রুকু করবে, তিনি
মাথা তুললে তোমরাও মাথা তুলবে। তিনি যখন ------- বলে তোমরা বলবে --------।
১১১৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ
عُبَادَةَ، أَخْبَرَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ
عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَأَلَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم. أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ
قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ قَالَ
حَدَّثَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ ـ وَكَانَ مَبْسُورًا ـ قَالَ سَأَلْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ قَاعِدًا فَقَالَ
" إِنْ صَلَّى قَائِمًا فَهْوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ
نِصْفُ أَجْرِ الْقَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ
الْقَاعِدِ ".
‘ইমরান ইব্নু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন অর্শ রোগী। তিনি
বলেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাত আদায় করা
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ যদি কেউ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তবে তা-ই
উত্তম। আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করবে, তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর
অর্ধেক সওয়াব আর যে শুয়ে আদায় করবে তার জন্য বসে আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব।
১৮/১৮. অধ্যায়ঃ
উপবিষ্ট ব্যক্তির ইঙ্গিতে
সালাত আদায়।
১১১৬
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، أَنَّ
عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ ـ وَكَانَ رَجُلاً مَبْسُورًا ـ وَقَالَ أَبُو مَعْمَرٍ
مَرَّةً عَنْ عِمْرَانَ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ
صَلاَةِ الرَّجُلِ وَهْوَ قَاعِدٌ فَقَالَ " مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهْوَ
أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى
نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَاعِدِ ". قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ
نَائِمًا عِنْدِي مُضْطَجِعًا هَا هُنَا.
‘ইমরান ইব্নু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি অর্শ রোগী ছিলেন, তিনি
বলেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বসে সালাত
আদায়কারীর ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত
আদায় করল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ান ব্যক্তির অর্ধেক
সওয়াব আর যে শুয়ে আদায় করল, তার জন্যে বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব। আবূ
‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমার মতে এ হাদীসে ------------ (ঘুমন্ত) এর দ্বারা
------------- (শায়িত) অবস্থা বুঝানো হয়েছে।
১৮/১৯. অধ্যায়ঃ
বসে সালাত আদায় করতে না
পারলে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করবে।
আতা
(রহঃ) বলেন, কিব্লার দিকে মুখ করতে অক্ষম ব্যক্তি যে দিকে সম্ভব সে দিকে মুখ করে
সালাত আদায় করবে।
১১১৭
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ
طَهْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحُسَيْنُ الْمُكْتِبُ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ،
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ
فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فَقَالَ "
صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ
فَعَلَى جَنْبٍ ".
ইমরান ইব্নু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার অর্শ রোগ
ছিল। তাই আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে সালাত
সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম, তিনি বললেনঃ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তা না পারলে বসে,
যদি তাও না পার তাহলে শুয়ে।
১৮/২০. অধ্যায়ঃ
বসে সালাত আদায়কারী সুস্থ
হয়ে গেলে কিংবা একটু হাল্কাবোধ করলে, বাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করবে।
হাসান
(রহঃ) বলেছেন, অসুস্হ ব্যক্তি ইচ্ছা করলে দু’রাকাআত সালাত বসে এবং দু’রাকাআত
দাড়িয়ে আদায় করতে পারে।
১১১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ
هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أُمِّ
الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا لَمْ تَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةَ اللَّيْلِ قَاعِدًا قَطُّ حَتَّى أَسَنَّ،
فَكَانَ يَقْرَأُ قَاعِدًا حَتَّى إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ، فَقَرَأَ
نَحْوًا مِنْ ثَلاَثِينَ آيَةً أَوْ أَرْبَعِينَ آيَةً، ثُمَّ رَكَعَ.
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অধিক বয়সে পৌঁছার পূর্বে কখনো রাতের সালাত
বসে আদায় করতে দেখেননি। (বার্ধক্যের) পরে তিনি বসে কির’আত পাঠ করতেন। যখন তিনি
রুকূ’ করার ইচ্ছা করতেন, তখন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং প্রায় ত্রিশ কিংবা চল্লিশ আয়াত
তিলাওয়াত করে রুকূ’ করতেন।
১১১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ
اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ
الْمُؤْمِنِينَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ
يُصَلِّي جَالِسًا فَيَقْرَأُ وَهْوَ جَالِسٌ، فَإِذَا بَقِيَ مِنْ قِرَاءَتِهِ
نَحْوٌ مِنْ ثَلاَثِينَ أَوْ أَرْبَعِينَ آيَةً قَامَ فَقَرَأَهَا وَهْوَ قَائِمٌ،
ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَسْجُدُ، يَفْعَلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ
ذَلِكَ، فَإِذَا قَضَى صَلاَتَهُ نَظَرَ، فَإِنْ كُنْتُ يَقْظَى تَحَدَّثَ مَعِي،
وَإِنْ كُنْتُ نَائِمَةً اضْطَجَعَ.
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে সালাত আদায় করতেন। বসেই তিনি কির’আত পাঠ
করতেন। যখন তাঁর কিরা’আতের প্রায় ত্রিশ বা চল্লিশ আয়াত বাকী থাকত, তখন তিনি
দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দাঁড়িয়ে তা তিলাওয়াত করতেন, অতঃপর রুকূ’ করতেন; পরে সিজদা
করতেন। দ্বিতীয় রাক’আতেও তেমনই করতেন। সালাত শেষ করে তিনি লক্ষ্য করতেন, আমি জেগে
থাকলে আমার সাথে কথা বলতেন আর ঘুমিয়ে থাকলে তিনিও শুয়ে পরতেন।
No comments