সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "ঈমান" হাদিস নং -০৮থেকে ৩৫
২/১. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলাম পাঁচটি
স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ ইসলামের
স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করাই হচ্ছে ঈমান এবং তা বৃদ্ধি
পায় ও হ্রাস পায়। [১] আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যাতে তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান
মজবুত করে নেয়-(সূরা ফাত্হ ৪৮/৪); আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে
দিয়েছিলাম- (সূরা কাহাফ ১৮/১৩); এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের অধিক হিদায়াত দান
করেন-(সূরা মারইয়াম ১৯/৭৬); এবং যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের হিদায়াত
বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন- (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭/১৭)। যাতে
মু’মিনদের ঈমান বেড়ে যায়-(সূরা মুদদাস্সির ৭৪/৩১), আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন, এটা
তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বাড়িয়ে দিল? যারা মু’মিন এ তো তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়-(সূরা
আত্-তাওবাহ ৯/১২৪), এবং তাঁর বাণী, “সুতরাং তোমরা তাদের ভয় কর ; একথা তাদের
ঈমানের দৃঢ়তা বাড়িয়ে দিল”- (সূরা আল-ইমরান ৩/১৭৩)। “আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই
বাড়লো” –(সূরা আহ্যাব ৩৩/১৭৩)। “এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্য আরও বৃদ্ধি পেল” –(সূরা
আহ্যাব ৩৩/২২)।
আর আল্লাহর জন্য ভালবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অংশ। ‘উমার ইব্নু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) ‘আদী ইব্নু ‘আদী (রহঃ)-এর নিকট এক পত্রে লিখেছিলেন, ‘ঈমানের কতকগুলো ফর্য, কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে, তার ঈমান পূর্ণ হয়। আর যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ণ হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট ব্যক্ত করব, যাতে তোমরা তার উপর ‘আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখ, তোমাদের সাহচর্যে থাকার জন্য আমি আকাঙ্ক্ষিত নই’।
ইবরাহীম (‘আঃ) বলেন, ‘তবে এ তো কেবল চিত্ত প্রশান্তির জন্য’- (সূরা আল-বাক্বারাহ ২/২৬), মু’আয (রাঃ) বলেন, “এসো আমাদের সঙ্গে বস, কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি”; ইব্নু মাস’উদ (রাঃ) বলেন, ‘ইয়াকীন হল পূর্ণ ঈমান’, ইব্নু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌছতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয়ের সন্দেহের সৃষ্টি করে, তা পরিত্যাগ না করে’; মুজাহিদ (রহঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি আপনাকে এবং নূহকে একই ধর্মের আদেশ করেছি”- (সূরা শূরা ৪২/১৩), ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, “অর্থাৎ পথ ও পন্থা”- (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/৪৮)।
২/২. অধ্যায়ঃ
তোমাদের দু’আ অর্থাৎ তোমাদের ঈমান।
এ মর্মে আল্লাহ তা’আলার বানীঃ “বলে দিন, আমার প্রতিপালক তোমাদের
একটুও পরোয়া করবেন না যদি তোমরা ‘ইবাদাত না কর”- (সূরাহ্ আল-ফুরক্বান ২৫/৭৭) ।
অভিধানে দু’আর অর্থ করা হয়েছেঃ “ঈমান”।
৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ
أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ
الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ
ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ
করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি।
১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।
২. সলাত ক্বায়িম করা।
৩. যাকাত আদায় করা।
৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং
৫. রমযানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।
(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)
১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।
২. সলাত ক্বায়িম করা।
৩. যাকাত আদায় করা।
৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং
৫. রমযানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।
(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)
[১] কোন কোন ফকীহদের নিকট
ঈমান বাড়েও না কমেও না। বরং সমান থাকে। তাদের নিকট একজন নবীর ঈমান ও ইবলিসের ঈমান
এক সমান। তাদের এই ‘আকীদাহ কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। এটা মুরজি’আহ সম্প্রদায়ের
ভ্রান্ত ‘আকীদাহর অন্তর্ভুক্ত।
২/৩. অধ্যায়ঃ
ঈমানের বিষয়সমূহ
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “কোন পুণ্য নেই পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের
মুখ ফেরানোতে ; কিন্তু পুণ্য আছে কেউ ঈমান আনলে আল্লাহর উপর, আখিরাতের উপর,
ফেরেশতাদের উপর, সকল কিতাবের উপর, আর সকল নবী-রসূলদের উপর, এবং অর্থ দান করলে
আল্লাহর মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী এবং দাস
মুক্তির জন্য, সালাত কায়িম করলে, যাকাত দিলে, কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলে আর
অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধ বিভ্রাটে ধৈর্যধারণ করলে। এরাই হল প্রকৃত সত্যপরায়ণ, আর
এরাই মুত্তাকী”- (আল-বাক্বারাহ ২/১৭৭)। “অবশ্যই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ”-(সূরা
মুমিনূন ২৩/১)।
৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ
حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ
بِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً، وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঈমানের ষাটেরও অধিক
শাখা আছে। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের একটি শাখা।
(মুসলিম ১/১২ হাঃ ৩৫, আহমাদ ৯৩৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৮)
(মুসলিম ১/১২ হাঃ ৩৫, আহমাদ ৯৩৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৮)
২/৪. অধ্যায়ঃ
সে-ই প্রকৃত মুসলিম, যার জিহবা ও হাত হতে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।
১০
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، وَإِسْمَاعِيلَ، عَنِ
الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ
الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى
اللَّهُ عَنْهُ ". قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ
حَدَّثَنَا دَاوُدُ عَنْ عَامِرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم. وَقَالَ عَبْدُ الأَعْلَى عَنْ دَاوُدَ عَنْ عَامِرٍ عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, সে-ই
মুসলিম, যার জিহবা ও হাত হতে সকল মুসলিম নিরাপদ এবং সে-ই প্রকৃত মুহাজির, আল্লাহ যা
নিষেধ করেছেন তা যে ত্যাগ করে।
(৬৪৮৪; মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪০, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৯)
(৬৪৮৪; মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪০, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৯)
২/৫. অধ্যায়ঃ
ইসলামে কোন্ জিনিসটি উত্তম?
১১
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ
الْقُرَشِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى ـ
رضى الله عنه ـ قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الإِسْلاَمِ أَفْضَلُ
قَالَ " مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তারা (সাহাবাগণ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! ইসলামে
কোন্ জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেনঃ যার জিহবা ও হাত হতে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।
(মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১০)
(মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১০)
২/৬. অধ্যায়ঃ
খাদ্য খাওয়ানো ইসলামের অন্তর্ভুক্ত।
১২
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو
ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ
الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ " تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ
عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
জিজ্ঞেস করলো, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে ও চেনা
অচেনা সকলকে সালাম দিবে।
(২৮, ৬২৩৬; মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১১)
(২৮, ৬২৩৬; মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১১)
২/৭. অধ্যায়ঃ
নিজের জন্য যা পছন্দ করা হয় সেটা স্বীয় ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করা
ঈমানের অংশ।
১৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ
شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم.
وَعَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
وَعَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত
মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার
নিজের জন্য পছন্দ করে।
(মুসলিম ১/১৭ হাঃ ৪৫, আহমাদ ১২৮০১, ১৩৮৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১২)
(মুসলিম ১/১৭ হাঃ ৪৫, আহমাদ ১২৮০১, ১৩৮৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১২)
২/৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসা ঈমানের
অন্তর্ভুক্ত।
১৪
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ،
قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى
الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَوَالَّذِي
نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ
وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সেই আল্লাহর
শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না
আমি তার নিকট তার পিতা ও সন্তানাদির চেয়ে অধিক ভালবাসার পাত্র হই।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩)
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩)
১৫
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا
ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ
وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ
প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব
মানুষের অপেক্ষা অধিক প্রিয়পাত্র হই।
(মুসলিম ১/১৬ হাঃ ৪৪, আহমাদ ১২৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৪)
(মুসলিম ১/১৬ হাঃ ৪৪, আহমাদ ১২৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৪)
২/৯. অধ্যায়ঃ
ঈমানের সুস্বাদ।
১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي
قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ
وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ
يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا
يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে
আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেঃ
১. আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া;
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা;
৩. কুফ্রীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মত অপছন্দ করা।
(২১, ৬০৪১, ৬৯৪১; মুসলিম ১/১৫ হাঃ ৪৩, আহমাদ ১২০০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৫)
১. আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া;
২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা;
৩. কুফ্রীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মত অপছন্দ করা।
(২১, ৬০৪১, ৬৯৪১; মুসলিম ১/১৫ হাঃ ৪৩, আহমাদ ১২০০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৫)
২/১০. অধ্যায়ঃ
আনসারকে ভালবাসা ঈমানের আলামত
১৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ، قَالَ
سَمِعْتُ أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " آيَةُ
الإِيمَانِ حُبُّ الأَنْصَارِ، وَآيَةُ النِّفَاقِ بُغْضُ الأَنْصَارِ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ ঈমানের আলামত
হলো আনসারকে ভালোবাসা এবং মুনাফিকীর চিহ্ন হলো আনসারের প্রতি শত্রুতা পোষণ করা।
(৩৭৮৪; মুসলিম ১/৩৩ হাঃ ৭৪, আহমাদ ১৩৬০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৬)
(৩৭৮৪; মুসলিম ১/৩৩ হাঃ ৭৪, আহমাদ ১৩৬০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৬)
২/১১. অধ্যায়ঃ
২/১১. অধ্যায়ঃ
১৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ، عَائِذُ اللَّهِ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ ـ رضى الله عنه ـ وَكَانَ شَهِدَ
بَدْرًا، وَهُوَ أَحَدُ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ ـ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَحَوْلَهُ عِصَابَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ
" بَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ
تَسْرِقُوا، وَلاَ تَزْنُوا، وَلاَ تَقْتُلُوا أَوْلاَدَكُمْ، وَلاَ تَأْتُوا
بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ، وَلاَ تَعْصُوا فِي
مَعْرُوفٍ، فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ، وَمَنْ أَصَابَ مِنْ
ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ فِي الدُّنْيَا فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ، وَمَنْ أَصَابَ
مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا ثُمَّ سَتَرَهُ اللَّهُ، فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ
عَفَا عَنْهُ، وَإِنْ شَاءَ عَاقَبَهُ ". فَبَايَعْنَاهُ عَلَى ذَلِكَ.
‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) যিনি বদ্র যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও লায়লাতুল
‘আকাবার একজন নকীব। ‘উবাদাহ ইব্নুস সামিত (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশে একজন সাহাবীর উপস্থিতিতে তিনি বলেনঃ
তোমরা আমার নিকট এই মর্মে বায়’আত গ্রহণ করো যে, আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে অংশীদার
সাব্যস্ত করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে
না, কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করবে না এবং সৎকাজে নাফরমানী করবে না। তোমাদের
মধ্যে যে তা পূর্ণ করবে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট রয়েছে। আর কেউ এর কোন একটিতে
লিপ্ত হলো এবং দুনিয়াতে তার শাস্তি পেয়ে গেলে, তবে তা হবে তার জন্য কাফ্ফারা। আর
কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হয়ে পড়লে এবং আল্লাহ তা অপ্রকাশিত রাখলে, তবে তা আল্লাহর
ইচ্ছাধীন। তিনি যদি চান, তাকে মার্জনা করবেন আর যদি চান, তাকে শাস্তি প্রদান করবেন।
আমরা এর উপর বায়’আত গ্রহণ করলাম।
(৩৮৯২, ৩৮৯৩, ৩৯৯৯, ৪৮৯৪, ৬৭৮৪, ৬৮০১, ৬৮৭৩, ৭০৫৫, ৭১৯৯, ৭২১৩, ৭৪৬৮; মুসলিম ২৯/১০ হাঃ ১৭০৯, আহমাদ ২২৭৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৭)
(৩৮৯২, ৩৮৯৩, ৩৯৯৯, ৪৮৯৪, ৬৭৮৪, ৬৮০১, ৬৮৭৩, ৭০৫৫, ৭১৯৯, ৭২১৩, ৭৪৬৮; মুসলিম ২৯/১০ হাঃ ১৭০৯, আহমাদ ২২৭৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৭)
২/১২. অধ্যায়ঃ
ফিতনা হতে পলায়ন দ্বীনের অংশ ।
১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ،
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُوشِكُ أَنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ
الْمُسْلِمِ غَنَمٌ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ وَمَوَاقِعَ الْقَطْرِ، يَفِرُّ
بِدِينِهِ مِنَ الْفِتَنِ ".
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
সেদিন দূরে নয়, যেদিন মুসলিমের উত্তম সম্পদ হবে কয়েকটি বকরী, যা নিয়ে সে পাহাড়ের
চূড়ায় অথবা বৃষ্টিপাতের স্থানে চলে যাবে। ফিতনা হতে সে তার ধর্ম সহকারে পলায়ন
করবে।
(৩৩০০, ৩৬০০, ৬৪৯৫, ৭০৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮)
(৩৩০০, ৩৬০০, ৬৪৯৫, ৭০৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮)
২/১৩. অধ্যায়ঃ
নবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ “আমি তোমাদের তুলনায়
আল্লাহ সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী । আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস অন্তরের কাজ ।”
যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরের সংকল্পের
জন্য পাকড়াও করবেন ।” (সূরা বাক্কারাহ ২/২২৫)
২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا
عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمَرَهُمْ أَمَرَهُمْ مِنَ الأَعْمَالِ بِمَا
يُطِيقُونَ قَالُوا إِنَّا لَسْنَا كَهَيْئَتِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ
اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ.
فَيَغْضَبُ حَتَّى يُعْرَفَ الْغَضَبُ فِي وَجْهِهِ ثُمَّ يَقُولُ " إِنَّ
أَتْقَاكُمْ وَأَعْلَمَكُمْ بِاللَّهِ أَنَا
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সাহাবীদের যখন কোন কাজের নির্দেশ দিতেন, তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী নির্দেশ দিতেন।
একবার তাঁরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল্! আমরা তো আপনার মতো নই। আল্লাহ তা’আলা
আপনার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ তা শুনে তিনি রাগ
করলেন, এমনকি তাঁর চেহারায় রাগের চিহ্ন ফুটে উঠলো। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমাদের চেয়ে
আমিই আল্লাহকে অধিক ভয় করি ও বেশী জানি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৯)
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৯)
২/১৪. অধ্যায়ঃ
কুফরীতে প্রত্যাবর্তন করাকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার ন্যায় অপছন্দ করা
ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।
২১
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ
مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَمَنْ
أَحَبَّ عَبْدًا لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَمَنْ يَكْرَهُ أَنْ يَعُودَ فِي
الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ، كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُلْقَى فِي
النَّارِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে
বিদ্যমান, সে ঈমানের স্বাদ পায়- (১) যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রসূল অন্য সকল বস্তু
হতে অধিক প্রিয় ; (২) যে একমাত্র আল্লাহরই জন্য কোন বান্দাকে ভালোবাসে এবং (৩)
আল্লাহ তা’আলা কুফর হতে মুক্তি প্রদানের পর যে কুফর-এ প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত
হবার মতোই অপছন্দ করে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২০)
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২০)
২/১৫. অধ্যায়ঃ
‘আমলের দিক থেকে ঈমানদারদের শ্রেষ্ঠত্বের স্তরসমূহ ।
২২
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ، وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ، ثُمَّ
يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى أَخْرِجُوا مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ
مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ. فَيُخْرَجُونَ مِنْهَا قَدِ اسْوَدُّوا
فَيُلْقَوْنَ فِي نَهَرِ الْحَيَا ـ أَوِ الْحَيَاةِ، شَكَّ مَالِكٌ ـ
فَيَنْبُتُونَ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي جَانِبِ السَّيْلِ، أَلَمْ تَرَ
أَنَّهَا تَخْرُجُ صَفْرَاءَ مُلْتَوِيَةً ". قَالَ وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا
عَمْرٌو " الْحَيَاةِ ". وَقَالَ " خَرْدَلٍ مِنْ خَيْرٍ
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতবাসীরা
জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা
ফেরেশতাদের বলবেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে, তাকে জাহান্নাম হতে
বের করে আনো। তারপর তাদের জাহান্নাম হতে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে, তারা (পুড়ে)
কালো হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের বৃষ্টিতে বা হায়াতের [বর্ণনাকারী মালিক (রহঃ) শব্দ
দু’টির কোনটি এ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন] নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তারা
সতেজ হয়ে উঠবে, যেমন নদীর তীরে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে। তুমি কি দেখতে পাও না সেগুলো
কেমন হলুদ বর্ণের হয় ও ঘন হয়ে গজায়? উহাইব (রহঃ) বলেন, 'আমর (রহঃ) আমাদের কাছে حيا এর স্থলে حياة এবং خردل من ايمان এর স্থলে خردل من خير বর্ণনা করেছেন।
(৪৫৮১, ৪৯১৯,৬৫৬০,৬৫৭৪,৭৪৩৮,৭৪৩৯; মুসলিম ১/৮২ হাঃ ১৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২১)
(৪৫৮১, ৪৯১৯,৬৫৬০,৬৫৭৪,৭৪৩৮,৭৪৩৯; মুসলিম ১/৮২ হাঃ ১৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২১)
২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ
أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ
رَأَيْتُ النَّاسَ يُعْرَضُونَ عَلَىَّ، وَعَلَيْهِمْ قُمُصٌ مِنْهَا مَا يَبْلُغُ
الثُّدِيَّ، وَمِنْهَا مَا دُونَ ذَلِكَ، وَعُرِضَ عَلَىَّ عُمَرُ بْنُ
الْخَطَّابِ وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ يَجُرُّهُ ". قَالُوا فَمَا أَوَّلْتَ
ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الدِّينَ
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একবার আমি
নিদ্রাবস্থায় (স্বপ্নে) দেখলাম যে, লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। আর তাদের পরণে
রয়েছে জামা। কারো জামা বুক পর্যন্ত আর কারো জামা এর নীচ পর্যন্ত। আর ‘উমার ইব্নুল
খাত্তাব (রাঃ)-কে আমার সামনে আনা হলো এমন অবস্থায় যে, তিনি তাঁর জামা (অধিক লম্বা
হওয়ায়) টেনে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি এর কী
তা’বীর করেছেন? তিনি বললেনঃ (এ জামা অর্থ) দ্বীন।
(৩৬৯১, ৭০০৮, ৭০০৯; মুসলিম ৪৪/২ হাঃ ২৩৯০, আহমাদ ১১৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২২)
(৩৬৯১, ৭০০৮, ৭০০৯; মুসলিম ৪৪/২ হাঃ ২৩৯০, আহমাদ ১১৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২২)
২/১৬. অধ্যায়ঃ
লজ্জা ঈমানের অঙ্গ ।
২৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا
مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ
أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ
الأَنْصَارِ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " دَعْهُ فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ
'আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসারীর
পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি তাঁর ভাইকে তখন (অধিক) লজ্জা ত্যাগের নসীহাত
করছিলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ ওকে ছেড়ে
দাও। কারণ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।
(৬১১৮; মুসলিম ১/১২ হাঃ ৩৬, আহমাদ ৪৫৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৩)
(৬১১৮; মুসলিম ১/১২ হাঃ ৩৬, আহমাদ ৪৫৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৩)
২/১৭. অধ্যায়ঃ
“অতঃপর যদি তারা তাওবাহ করে, সলাত কায়িম করে এবং যাকাত দেয় তবে তাদের
পথ ছেড়ে দাও ” (সূরাহ্ আত-তাওবাহ্ ৯/৫)
২৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُسْنَدِيُّ،
قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو رَوْحٍ الْحَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُمِرْتُ
أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ، وَيُؤْتُوا
الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ
إِلاَّ بِحَقِّ الإِسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি লোকদের
সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য নির্দেশিত হয়েছি, যতক্ষন না তারা সাক্ষ্য দেয় যে,
আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আল্লাহর রসূল, আর সালাত প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত আদায় করে। তারা যদি এগুলো
করে, তবে আমার পক্ষ হতে তাদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা লাভ করলো; অবশ্য
ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি কোন কারণ থাকে, তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর তাদের হিসাবের
ভার আল্লাহর উপর অর্পিত।
(মুসলিম ১/৮ হাঃ ২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪)
(মুসলিম ১/৮ হাঃ ২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪)
২/১৮. অধ্যায়ঃ
যে বলে ‘ঈমানই হচ্ছে ‘আমল’ ।
আল্লাহ তা’আলার এ বাণীর পরিপ্রেক্ষিতেঃ
{وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ}
এটাই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ । (সূরা যুখরুফ ৪৩/৭২)
{فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ}
সুতরাং কসম আপনার রবের। আমি তাদের সবাইকে প্রশ্ন করবই সে বিষয়ে, যা তারা করে (সূরা হিজর ১৫/৯০) ; আল্লাহ তা’আলার বানী সম্পর্কে আলিমদের এক দল বলেন, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ এর স্বীকারোক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ
لِمِثْلِ هَذَا فَلْيَعْمَلِ الْعَامِلُونَ
এরূপ সাফল্যের জন্য ‘আমলকারীদের উচিত ‘আমল করা। (সূরা সাফ্ফাত ৩৭/৬১)
{وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ}
এটাই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ । (সূরা যুখরুফ ৪৩/৭২)
{فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ}
সুতরাং কসম আপনার রবের। আমি তাদের সবাইকে প্রশ্ন করবই সে বিষয়ে, যা তারা করে (সূরা হিজর ১৫/৯০) ; আল্লাহ তা’আলার বানী সম্পর্কে আলিমদের এক দল বলেন, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ এর স্বীকারোক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ
لِمِثْلِ هَذَا فَلْيَعْمَلِ الْعَامِلُونَ
এরূপ সাফল্যের জন্য ‘আমলকারীদের উচিত ‘আমল করা। (সূরা সাফ্ফাত ৩৭/৬১)
২৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَمُوسَى بْنُ
إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ فَقَالَ
" إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ". قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ
" الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ". قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ
" حَجٌّ مَبْرُورٌ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা
হলো, ‘কোন্ ‘আমলটি উত্তম?’ তিনি বললেনঃ ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন
করা।‘ [১] জিজ্ঞেস করা হলো, ‘অতঃপর কোন্টি?’ তিনি বললেনঃ ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
করা।‘ প্রশ্ন করা হলো, ‘অতঃপর কোনটি?’ তিনি বললেনঃ ‘মাকবূল হাজ্জ সম্পাদন
করা।"
(১৫১৯; মুসলিম ১/৩৬ হাঃ ৮৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫)
(১৫১৯; মুসলিম ১/৩৬ হাঃ ৮৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫)
[১] মুরজি’আহদের নিকট শুধু
অন্তরে বিশ্বাসের নাম ঈমান। মুখে স্বীকার করা রুকন বা শর্ত নয় এবং ‘আমল ঈমানের
হাকীকাতের বাইরে। ঈমান আনার পর গুনাহর কাজ ক্ষতিকর নয় এমনকি কবীরা গুনাহ করলেও নয়।
(মিরআত ৩৬ পৃঃ)
২/১৯. অধ্যায়ঃ
ইসলাম গ্রহণ যদি বিশুদ্ধ না হয় বরং বাহ্যিক আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য
বা হত্যার আশংকায় হয়, তবে তার ইসলাম গ্রহণ ।
মহান আল্লাহর এ বাণী অনুযায়ী হবেঃ “আরব মরুবাসীগণ বলে, আমরা ঈমান
আনলাম ; আপনি বলে দিন , “তোমরা ঈমান আন নি ; বরং তোমরা বল, ‘আমরা বাহ্যিক দৃষ্টিতে
মুসলিম হয়েছি। ” (সূরা হুজ্রাত ৪৯/ ১৪)
আর ইসলাম গ্রহণ খাঁটি হলে তা হবে আল্লাহ তা’আলার এ বাণী অনুযায়ীঃ
{إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الإِسْلاَمُ}
“নিশ্চয়ই ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন । ” (সূরা আল-ইমরান ৩/১৯) ; “আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন অন্বেষণ করবে তবে তা গৃহীত হবে না।” (সূরা আল-ইমরান ৩/৮৫)
আর ইসলাম গ্রহণ খাঁটি হলে তা হবে আল্লাহ তা’আলার এ বাণী অনুযায়ীঃ
{إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الإِسْلاَمُ}
“নিশ্চয়ই ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন । ” (সূরা আল-ইমরান ৩/১৯) ; “আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন অন্বেষণ করবে তবে তা গৃহীত হবে না।” (সূরা আল-ইমরান ৩/৮৫)
২৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ،
عَنْ سَعْدٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَى
رَهْطًا وَسَعْدٌ جَالِسٌ، فَتَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً
هُوَ أَعْجَبُهُمْ إِلَىَّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ
فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا. فَقَالَ " أَوْ مُسْلِمًا
". فَسَكَتُّ قَلِيلاً، ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ فَعُدْتُ
لِمَقَالَتِي فَقُلْتُ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ
مُؤْمِنًا فَقَالَ " أَوْ مُسْلِمًا ". ثُمَّ غَلَبَنِي مَا
أَعْلَمُ مِنْهُ فَعُدْتُ لِمَقَالَتِي وَعَادَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا سَعْدُ، إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ وَغَيْرُهُ
أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْهُ، خَشْيَةَ أَنْ يَكُبَّهُ اللَّهُ فِي النَّارِ
". وَرَوَاهُ يُونُسُ وَصَالِحٌ وَمَعْمَرٌ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ
عَنِ الزُّهْرِيِّ.
সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল লোককে কিছু
দান করলেন। সা‘দ (রাঃ) সেখানে বসেছিলেন। সা‘দ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের এক ব্যক্তিকে কিছু দিলেন না। সে ব্যক্তি
আমার নিকট তাদের চেয়ে অধিক পছন্দের ছিল। তাই আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রসূল! অমুক
ব্যক্তিকে আপনি বাদ দিলেন কেন? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু’মিন বলেই জানি। তিনি
বললেনঃ না, মুসলিম। তখন আমি কিছুক্ষণ নীরব থাকলাম। অতঃপর আমি তার সম্পর্কে যা
জানি, তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছে হলো। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম, আপনি
অমুককে দান থেকে বাদ রাখলেন? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু‘মিন বলেই জানি। তিনি
বললেনঃ ‘না, মুসলিম?’ তখন আমি কিছুক্ষণ নীরব থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা
জানি তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আবার বললাম, আপনি অমুককে দান হতে
বাদ রাখলেন? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু‘মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ ‘না,
মুসলিম?’ তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি তা (ব্যক্ত
করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম। আল্লাহর রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় সেই একই জবাব দিলেন। তারপর বললেনঃ
‘সা’দ! আমি কখনো ব্যক্তি বিশেষকে দান করি, অথচ অন্যলোক আমার নিকট তার চেয়ে অধিক
প্রিয়। তা এ আশঙ্কায় যে (সে ঈমান থেকে ফিরে যেতে পারে পরিণামে), আল্লাহ তা‘আলা
তাকে অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করবেন।
এ হাদীস ইউনুস, সালিহ, মা‘মার এবং যুহরী (রহঃ)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
(১৪৭৮; মুসলিম ১/৬৮ হাঃ ১৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬)
এ হাদীস ইউনুস, সালিহ, মা‘মার এবং যুহরী (রহঃ)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
(১৪৭৮; মুসলিম ১/৬৮ হাঃ ১৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬)
২/২০. অধ্যায়ঃ
সালামের প্রচলন করা ইসলামের শামিল ।
আম্মার (রাঃ) বলেন, ‘তিনটি গুণ যে আয়াত্ত করে, সে (পূর্ণ) ঈমান লাভ
করেঃ (১) নিজ থেকে ইনসাফ করা, (২) বিশ্বে সালামের প্রচলন, এবং (৩) অভাবগ্রস্ত
অবস্থাতেও দান খয়রাত করা।
২৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ
يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ
الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ " تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ
عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
জিজ্ঞেস করলো, ‘ইসলামের কোন কাজ সবচেয়ে উত্তম?’ তিনি বললেনঃ তুমি লোকদের খাদ্য
খাওয়াবে এবং চেনা অচেনা সকলকে সালাম দিবে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭)
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭)
২/২১. অধ্যায়ঃ
স্বামীর প্রতি না-শুকরি। আর এক কুফ্র অন্য কুফ্র থেকে ছোট।
এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) – এর সুত্রে হাদীস বর্ণিত আছে ।
২৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ،
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أُرِيتُ النَّارَ فَإِذَا
أَكْثَرُ أَهْلِهَا النِّسَاءُ يَكْفُرْنَ ". قِيلَ أَيَكْفُرْنَ
بِاللَّهِ قَالَ " يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ، وَيَكْفُرْنَ الإِحْسَانَ، لَوْ
أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا
رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে
জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের বেশির ভাগই নারীজাতি; (কারণ)
তারা কুফরী করে। জিজ্ঞেস করা হল, ‘তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ
‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং অকৃতজ্ঞ হয়।’ তুমি যদি দীর্ঘদিন তাদের কারো প্রতি
ইহসান করতে থাকো, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলে, ‘আমি
কক্ষণো তোমার নিকট হতে ভালো ব্যবহার পাইনি।’
(৪৩১,৭৪৮,১০৫২,৩২০২,৫১৯৭; মুসলিম ৮/১ হাঃ ৮৮৪, আহমাদ ৩০৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮,ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৮)
(৪৩১,৭৪৮,১০৫২,৩২০২,৫১৯৭; মুসলিম ৮/১ হাঃ ৮৮৪, আহমাদ ৩০৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮,ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৮)
২/২২. অধ্যায়ঃ
পাপ কাজ জাহিলী যুগের অভ্যাস। আর শির্ক ব্যতীত অন্য কোন গুনাহ্তে
লিপ্ত হওয়াতে ঐ পাপীকে কাফির বলা যাবে না।
যেহেতু নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) [আবূ যর
(রাঃ)-কে লক্ষ্য করে ] বলেছেনঃ তুমি এমন ব্যাক্তি, তোমার মধ্যে জাহেলী যুগের
স্বভাব রয়েছে। আর আল্লাহর বাণীঃ
{إِنَّ اللَّهَ لاَ يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ}
“আল্লাহ তাঁর শরীক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।” (সূরা আন-নিসা ৪/৪৮)
{إِنَّ اللَّهَ لاَ يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ}
“আল্লাহ তাঁর শরীক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।” (সূরা আন-নিসা ৪/৪৮)
৩০
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ، عَنِ الْمَعْرُورِ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ
بِالرَّبَذَةِ، وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ، وَعَلَى غُلاَمِهِ حُلَّةٌ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ
ذَلِكَ، فَقَالَ إِنِّي سَابَبْتُ رَجُلاً، فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ، فَقَالَ لِيَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا ذَرٍّ أَعَيَّرْتَهُ بِأُمِّهِ
إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ، إِخْوَانُكُمْ خَوَلُكُمْ، جَعَلَهُمُ
اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ، فَمَنْ كَانَ أَخُوهُ تَحْتَ يَدِهِ فَلْيُطْعِمْهُ
مِمَّا يَأْكُلُ، وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ، وَلاَ تُكَلِّفُوهُمْ مَا
يَغْلِبُهُمْ، فَإِنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ
মা‘রূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একবার রাবাযা নামক স্থানে আবূ যর (রাঃ)-এর সঙ্গে দেখা
করলাম। তখন তাঁর পরনে ছিল এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর) আর তাঁর ভৃত্যের পরনেও ছিল
ঠিক একই ধরনের এক জোড়া কাপড়। আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ একবার
আমি জনৈক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম।
তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, আবূ যার! তুমি
তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমি তো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে এখনো অন্ধকার
যুগের স্বভাব বিদ্যমান। জেনে রেখো, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তা‘আলা
তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। তাই যার ভাই তার অধীনে থাকবে, সে যেন নিজে যা
খায় তাকে তা-ই খাওয়ায় এবং নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা-ই পরায়। তাদের উপর এমন কাজ
চাপিয়ে দিও না, যা তাদের জন্য অধিক কষ্টদায়ক। যদি এমন কষ্টকর কাজ করতে দাও, তাহলে
তোমরাও তাদের সে কাজে সহযোগিতা করবে।
(২৫৪৫, ৬০৫০; মুসলিম ২৭/১০ হাঃ ১৬৬১, আহমাদ ২১৪৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩০)
(২৫৪৫, ৬০৫০; মুসলিম ২৭/১০ হাঃ ১৬৬১, আহমাদ ২১৪৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩০)
২/২২.২ অধ্যায়ঃ
‘‘মু’মিনদের দু’দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মাঝে ফায়সালা করে
দেবে।’’ (সূরাহ্ আল-হুজরাত ৪৯/৯)
(সংঘর্ষের পাপে লিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও) তাদের তিনি মু’মিন বলে আখ্যায়িত
করেছেন।
৩১
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ،
حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَيُونُسُ، عَنِ
الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ ذَهَبْتُ لأَنْصُرَ هَذَا
الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أَنْصُرُ
هَذَا الرَّجُلَ. قَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا
فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ " إِنَّهُ كَانَ
حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ
আহনাফ ইব্নু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এক ব্যক্তিকে [আলী (রাঃ)-কে]
সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবূ বাক্রাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বললেনঃ
‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ আমি বললাম, ‘আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি।’ তিনি
বললেনঃ ‘ফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে
বলতে শুনেছি যে, দু’জন মুসলমান তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত
ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! এ হত্যাকারী (তো
অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কী অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সেও তার সাথীকে
হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।’
(৬৮৭৫, ৭০৮৩; মুসলিম ৫২/৪ হাঃ ২৮৮৮, আহমাদ ২০৪৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৯)
(৬৮৭৫, ৭০৮৩; মুসলিম ৫২/৪ হাঃ ২৮৮৮, আহমাদ ২০৪৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৯)
২/২৩. অধ্যায়ঃ
যুল্মের প্রকারসমূহ।
৩২
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
ح. قَالَ وَحَدَّثَنِي بِشْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ
سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
لَمَّا نَزَلَتِ {الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ}
قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّنَا لَمْ يَظْلِمْ
فَأَنْزَلَ اللَّهُ {إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ}.
‘আবদুল্লাহ্ (ইব্নু মাস‘ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে শিরকের সাথে মিশ্রিত করেনি’’-
(সূরা আন্‘আম ৬/৮২); এ আয়াত নাযিল হলে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ বললেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে যুল্ম করেনি?’ তখন
আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ ‘‘নিশ্চয়ই শির্ক হচ্ছে অধিকতর যুল্ম’’-(সূরা
লুকমান ৩১/১৩)
(৩৩৬০ ৩৪২৮, ৩৪২৯, ৪৬২৯, ৪৭৭৬, ৬৯১৮, ৬৯৩৭; মুসলিম ১/৫৬ হাঃ ১২৬, আহমাদ ৪০৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১)
(৩৩৬০ ৩৪২৮, ৩৪২৯, ৪৬২৯, ৪৭৭৬, ৬৯১৮, ৬৯৩৭; মুসলিম ১/৫৬ হাঃ ১২৬, আহমাদ ৪০৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১)
২/২৪. অধ্যায়ঃ
মুনাফিকের চিহ্ন।
৩৩
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ أَبُو الرَّبِيعِ، قَالَ حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِي
عَامِرٍ أَبُو سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ
كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের
চিহ্ন তিনটিঃ
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে;
২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং
৩. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।
(২৬৮২,২৭৪৯,৬০৯৫; মুসলিম ১/২৫ হাঃ ৫৯, আহমাদ ৯১৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩২)
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে;
২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং
৩. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।
(২৬৮২,২৭৪৯,৬০৯৫; মুসলিম ১/২৫ হাঃ ৫৯, আহমাদ ৯১৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩২)
৩৪
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ
فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى
يَدَعَهَا إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ،
وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ ". تَابَعَهُ شُعْبَةُ عَنِ الأَعْمَشِ.
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চারটি স্বভাব যার
মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা
পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়।
১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে;
২. কথা বললে মিথ্যা বলে;
৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং
৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে।
শু‘বা আ‘মাশ (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় সুফিয়ান (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
(২৪৫৯,৩১৭৮; মুসলিম ১/২৫ হাঃ ৫৮, আহমাদ ৬৭৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৩)
১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে;
২. কথা বললে মিথ্যা বলে;
৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং
৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে।
শু‘বা আ‘মাশ (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় সুফিয়ান (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
(২৪৫৯,৩১৭৮; মুসলিম ১/২৫ হাঃ ৫৮, আহমাদ ৬৭৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৩)
২/২৫. অধ্যায়ঃ
লাইলাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রিজাগরণ ঈমানের শামিল।
৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ،
قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ
إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ
করেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে নেকির আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত্রি জাগবে,
তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(৩৭, ৩৮, ১৯০১, ২০০৮, ২০০৯, ২০১৪; মুসলিম ২/২৫ হাঃ ৭৬০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪)
(৩৭, ৩৮, ১৯০১, ২০০৮, ২০০৯, ২০১৪; মুসলিম ২/২৫ হাঃ ৭৬০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪)
No comments