সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "সূর্যগ্রহণ" হাদিস নং -১০৪০ থেকে ১০৫০
১০৪০
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ،
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَانْكَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجُرُّ
رِدَاءَهُ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ، فَدَخَلْنَا فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ،
حَتَّى انْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ
وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا
فَصَلُّوا، وَادْعُوا، حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِكُمْ ".
আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট
ছিলাম, এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন উঠে
দাঁড়ালেন এবং নিজের চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং আমরাও প্রবেশ করলাম।
তিনি আমাদেরকে নিয়ে সূর্য প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কারো মৃত্যুর কারণে কখনো
সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ দেখবে তখন এ অবস্থা দূর না
হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে এবং দু’আ করতে থাকবে।
১০৪১
حَدَّثَنَا
شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ
إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ
يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ، وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ
آيَاتِ اللَّهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَقُومُوا فَصَلُّوا ".
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন
লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহ্র
নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে
দেখবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং সালাত আদায় করবে।
১০৪২
حَدَّثَنَا
أَصْبَغُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ
رضى الله عنهما ـ أَنَّهُ كَانَ يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
" إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ
لِحَيَاتِهِ، وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، فَإِذَا
رَأَيْتُمُوهَا فَصَلُّوا ".
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে,
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। তবে তা আল্লাহ্র
নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কাজেই তোমরা যখনই গ্রহণ হতে দেখবে তখনই সালাত
আদায় করবে।
১০৪৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنِ
الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ كَسَفَتِ
الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ
لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللَّهَ ".
মুগীরা ইব্নু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সময় যে দিন (তাঁর পুত্র) ইবরাহীম (রাঃ) ইন্তিকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল।
লোকেরা তখন বলতে লাগল, ইব্রাহীম (রাঃ) এর মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা
জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমারা যখন তা দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে
এবং আল্লাহ্র নিকট দু’আ করবে।
১৬/২. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সময় দান-খয়রাত করা।
১০৪৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
بِالنَّاسِ، فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ،
ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ
رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ
فَأَطَالَ السُّجُودَ، ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ مَا
فَعَلَ فِي الأُولَى، ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدِ انْجَلَتِ الشَّمْسُ، فَخَطَبَ
النَّاسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ
الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ
أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا اللَّهَ
وَكَبِّرُوا، وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا ". ثُمَّ قَالَ " يَا
أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ أَنْ
يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ، يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ لَوْ
تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا
".
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সময় একবার সূর্যগ্রহণ হল। তখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি দীর্ঘ সময় কিয়াম করেন, অতঃপর দীর্ঘক্ষণ রুকূ’
করেন। অতঃপর পুনরায় (সালাতে) তিনি উঠে দাঁড়ান এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন। অবশ্য তা
প্রথম কিয়াম চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি রুকূ’ করেন এবং এ রুকূ’ও দীর্ঘ করেন।
তবে তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি সিজদা করেন এবং সিজদাও
দীর্ঘক্ষন করেন। অতঃপর তিনি প্রথম রাকা’আতে যা করেছিলেন তার অনুরূপ দ্বিতীয়
রাকা’আতে করেন এবং যখন সূর্য প্রকাশিত হয় তখন সালাত শেষ করেন। অতঃপর তিনি লোকজনের
উদ্দেশে খুত্বা দান করেন। প্রথমে তিনি আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করেন।
অতঃপর তিনি বলেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন।
কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা
দেখবে তখন তোমরা আল্লাহ্র নিকট দু’আ করবে। তাঁর মহত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায়
করবে ও সদকা প্রদান করবে। অতঃপর তিনি আরো বললেনঃ হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ্র
কসম, আল্লাহ্র কোন বান্দা যিনা করলে কিংবা কোন নারী যিনা করলে, আল্লাহ্র চেয়ে
অধিক অপছন্দকারী কেউ নেই। হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ্র কসম, আমি যা জানি তা
যদি তোমরা জানতে তাহলে তোমরা অবশ্যই হাসতে কম এবং বেশী করে কাঁদতে।
১৬/৩. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সালাতে ‘আস্-সালাতু জামিয়াতুন’ বলে ডাকা।
১০৪৫
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ
بْنُ سَلاَّمِ بْنِ أَبِي سَلاَّمٍ الْحَبَشِيُّ الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى
الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نُودِيَ إِنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সময় যখন সূর্যগ্রহণ হলো, তখন ‘আস্-সলাতু জামি’আতুন’ বলে (সালাতে সমবেত হবার জন্য)
আহ্বান জানানো হল।
১৬/৪. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সময় ইমামের খুত্বাহ।
আ’য়িশা ও আসমা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) খুত্বা দিয়েছিলেন।
১০৪৬
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ،
قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ، عَنْ
عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي
حَيَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَصَفَّ
النَّاسُ وَرَاءَهُ، فَكَبَّرَ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قِرَاءَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ قَالَ
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. فَقَامَ وَلَمْ يَسْجُدْ، وَقَرَأَ قِرَاءَةً
طَوِيلَةً، هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى، ثُمَّ كَبَّرَ وَرَكَعَ
رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ قَالَ سَمِعَ
اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ. ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ قَالَ
فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِثْلَ ذَلِكَ، فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي
أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ، وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ، ثُمَّ قَامَ
فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " هُمَا
آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ
لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ ".
وَكَانَ يُحَدِّثُ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ ـ
رضى الله عنهما ـ كَانَ يُحَدِّثُ يَوْمَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ بِمِثْلِ حَدِيثِ
عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ. فَقُلْتُ لِعُرْوَةَ إِنَّ أَخَاكَ يَوْمَ خَسَفَتْ
بِالْمَدِينَةِ لَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ مِثْلَ الصُّبْحِ. قَالَ أَجَلْ
لأَنَّهُ أَخْطَأَ السُّنَّةَ.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায়
একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন তিনি মসজিদে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকেরা
তাঁর পিছনে সারিবদ্ধ হলো। তিনি তাক্বীর বললেন। অতঃপর আল্লাহ্র রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীর্ঘ কির’আত পাঠ করলেন। অতঃপর তাক্বীর বললেন
এবং দীর্ঘক্ষণ রুকূ’তে থাকলেন। অতঃপর (আরবি) বলে দাঁড়ালেন এবং সিজদায় না গিয়েই
আবার দীর্ঘক্ষণ কির’আত পাঠ করলেন। তবে তা প্রথম কিরাআতের চেয়ে অল্পস্থয়ী। অতঃপর
তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ বললেন এবং দীর্ঘ রুকূ’ করলেন, তবে তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে
অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি বললেনঃ (আরবি) অতঃপর সিজদায় গেলেন। অতঃপর তিনি পরবর্তী
রাকা’আতেও অনুরূপ করলেন এবং এভাবে চার সিজদার সাথে চার রাক’আত পূর্ণ করলেন। তাঁর
সালাত শেষ করার পূর্বেই সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র
যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন এবং বললেনঃ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহ্র নিদর্শন
সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন মাত্র। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না।
কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখনই ভীত হয়ে সালাতের দিকে গমন করবে।
রাবী বর্ণনা করেন, কাসীর ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে ‘আয়িশা (রাঃ) হতে ‘উরওয়াহ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাই আমি ‘উরওয়াহ্কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার ভাই (‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু যুবায়র) তো মদীনায় যেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, সেদিন ফজরের সালাতের ন্যায় দু’রাক’আত সালাত আদায়ের অতিরিক্ত কিছু করেননি। তিনি বললেন, তা ঠিক, তবে তিনি সুন্নাত অনুসরণ করতে ভুল করেছেন।
রাবী বর্ণনা করেন, কাসীর ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে ‘আয়িশা (রাঃ) হতে ‘উরওয়াহ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাই আমি ‘উরওয়াহ্কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার ভাই (‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু যুবায়র) তো মদীনায় যেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, সেদিন ফজরের সালাতের ন্যায় দু’রাক’আত সালাত আদায়ের অতিরিক্ত কিছু করেননি। তিনি বললেন, তা ঠিক, তবে তিনি সুন্নাত অনুসরণ করতে ভুল করেছেন।
১৬/৫. অধ্যায়ঃ
‘কাসাফাতিশ্ শামসু’ বলবে, না ‘খাসাফাতিশ্ শামসু’ বলবে ?
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন, “আর চন্দ্র নিষ্প্রভ হয়ে পড়বে”। (সূরা
কিয়ামাহ ৭৫/৮)
১০৪৭
حَدَّثَنَا
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ
ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ،
زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ. أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم صَلَّى يَوْمَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ فَكَبَّرَ، فَقَرَأَ
قِرَاءَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ،
فَقَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. وَقَامَ كَمَا هُوَ، ثُمَّ قَرَأَ
قِرَاءَةً طَوِيلَةً، وَهْىَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى، ثُمَّ رَكَعَ
رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْىَ أَدْنَى مِنَ الرَّكْعَةِ الأُولَى، ثُمَّ سَجَدَ
سُجُودًا طَوِيلاً، ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ
سَلَّمَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ فِي كُسُوفِ
الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ " إِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ
يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا
فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ ".
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সূর্যগ্রহণের সময় সালাত আদায় করেন। তিনি দাঁড়িয়ে তাক্বীর বললেন। অতঃপর দীর্ঘ
কির’আত পাঠ করেন। অতঃপর তিনি দীর্ঘ রুকূ’ করলেন। অতঃপর মাথা তুললেন, আর [আরবি] বলে
পূর্বের মতই দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ কির’আত পাঠ করলেন। তবে তা পূর্বের কিরাআতের চেয়ে
অল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি দীর্ঘ রুকূ’ করলেন, তবে এ রুকূ’ প্রথম রুকূ’র চেয়ে কম
দীর্ঘ ছিল। অতঃপর তিনি দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর তিনি শেষ রাক’আতে প্রথম রাকা’আতের
অনুরূপ করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল। অতঃপর লোকদের
উদ্দেশে তিনি খুত্বা দিলেন। খুত্বায় তিনি সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে
বললেন, এ হচ্ছে আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু কিংবা
জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন তোমরা ভীত অবস্থায় সালাতের
দিকে গমন করবে।
১৬/৬. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্তিঃ আল্লাহ্ তা’আলা
সূর্যগ্রহণ দিয়ে তাঁর বান্দাদের হুঁশিয়ার করেন।
আবূ মূসা (আশ’আরী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
১০৪৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُونُسَ،
عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ
يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، وَلَكِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُخَوِّفُ بِهَا
عِبَادَهُ ". وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ لَمْ يَذْكُرْ عَبْدُ
الْوَارِثِ وَشُعْبَةُ وَخَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ
عَنْ يُونُسَ " يُخَوِّفُ بِهَا عِبَادَهُ ". وَتَابَعَهُ مُوسَى
عَنْ مُبَارَكٍ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم. " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُخَوِّفُ بِهِمَا
عِبَادَهُ ". وَتَابَعَهُ أَشْعَثُ عَنِ الْحَسَنِ.
আবূ বাকারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল বলেছেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শন
সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যুর কারণে এ দু’টির গ্রহণ হয় না। তবে এ দিয়ে
আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ্
ওয়ারিস, শু’আইব, খালিদ ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্, হাম্মাদ ইব্নু সালাম (রহঃ) ইউনুস
(রহঃ) হতে ‘এ দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন’ বাক্যটি বর্ণনা করেননি;
আর মূসা (রহঃ) মুবারক (রহঃ) স্থলে হাসান (রহঃ) হতে ইউনুস (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
তিনি বলেন, আমাকে আবূ বক্র (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ এ দিয়ে তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন।
১৬/৭. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সময় কবরের আযাব হতে পরিত্রাণ চাওয়া।
১০৪৯
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ
عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم أَنَّ يَهُودِيَّةً جَاءَتْ تَسْأَلُهَا فَقَالَتْ لَهَا أَعَاذَكِ
اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي قُبُورِهِمْ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ مِنْ ذَلِكَ. ثُمَّ
رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا، فَخَسَفَتِ
الشَّمْسُ، فَرَجَعَ ضُحًى، فَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ
ظَهْرَانَىِ الْحُجَرِ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي، وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ،
فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ
قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا
طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ، ثُمَّ قَامَ
فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ
رُكُوعًا طَوِيلاً وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ قَامَ قِيَامًا
طَوِيلاً وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً
وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ وَانْصَرَفَ، فَقَالَ
مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ
عَذَابِ الْقَبْرِ.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
এক ইয়াহুদী মহিলা তাঁর নিকট কিছু জিজ্ঞেস করতে এলো। সে ‘আয়িশা (রাঃ)
কে বলল, আল্লাহ্ তা’আলাও আপনাকে কবর আযাব হতে রক্ষা করুন। অতঃপর ‘আয়িশা (রাঃ)
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করেন, কবরে কি
মানুষকে আযাব দেয়া হবে? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
এত্থেকে আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাই।
১০৫০
ثُمَّ رَكِبَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا، فَخَسَفَتِ
الشَّمْسُ، فَرَجَعَ ضُحًى، فَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ
ظَهْرَانَىِ الْحُجَرِ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي، وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ،
فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ
قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا
طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ، ثُمَّ قَامَ
فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ
رُكُوعًا طَوِيلاً وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ قَامَ قِيَامًا
طَوِيلاً وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً
وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ وَانْصَرَفَ، فَقَالَ
مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ
عَذَابِ الْقَبْرِ.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
পরে কোন এক সকালে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সওয়ারীতে আরোহণ করেন। তখন সূর্যগ্রহণ আরম্ভ হয়। তিনি সূর্যোদয় ও দুপুরের মাঝামাঝি
সময় ফিরে আসেন এবং কামরাগুলোর মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করেন। অতঃপর তিনি সালাতে
দাঁড়ালেন এবং লোকেরা তাঁর পিছনে দাঁড়াল। অতঃপর তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন। অতঃপর আবার
তিনি দীর্ঘ রুকূ’ করেন, পরে মাথা তুলে দীর্ঘ কিয়াম করেন। তবে এ কিয়াম পূর্বের
কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর আবার তিনি দীর্ঘ রুকূ’ করেন, তবে এ রুকূ’
পূর্বের রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি মাথা তুললেন এবং সিজদায় গেলেন।
অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করলেন। তবে তা প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী
ছিল। অতঃপর দীর্ঘ রুকূ’ করলেন। এ রুকূ’ প্রথম রাক’আতের রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী
ছিল। অতঃপর আবার রুকূ’ করলেন এবং তা প্রথম রাক’আতের রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল।
পরে মাথা তুললেন এবং সিজদায় গেলেন। অতঃপর সালাত শেষ করলেন। আল্লাহ্র যা ইচ্ছা
তিনি তা বললেন এবং কবর আযাব হতে পানাহ চাওয়ার জন্য উপস্থিত লোকেদের আদেশ করলেন।
No comments