সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "সূর্যগ্রহণ" হাদিস নং -১০৫১ থেকে ১০৬০
সূর্যগ্রহণের সালাতে দীর্ঘ সিজদা করা।
১০৫১
حَدَّثَنَا
أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى
عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُودِيَ إِنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ
فَرَكَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ فِي سَجْدَةٍ ثُمَّ قَامَ
فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي سَجْدَةٍ، ثُمَّ جَلَسَ، ثُمَّ جُلِّيَ عَنِ
الشَّمْسِ. قَالَ وَقَالَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ مَا سَجَدْتُ سُجُودًا
قَطُّ كَانَ أَطْوَلَ مِنْهَا.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় যখন
সূর্যগ্রহণ হয় তখন ‘আস্-সালাতু জামিয়াতুন’ বলে ঘোষণা দেয়া হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন এক রাক’আতে দু’বার রুকূ’ করেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়
রাকা’আতেও দু’বার রুকূ’ করেন অতঃপর বসেন আর ততক্ষণে সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে যায়।
বর্ণনাকারী বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, এ সালাত ছাড়া এত লম্বা সিজদা আমি কক্ষণো
করিনি।
সূর্যগ্রহণ-এর সালাত জামা’আতের সঙ্গে আদায় করা।
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) লোকদেরকে নিয়ে যম্যমের সুফ্ফায় সালাত আদায় করেন
এবং আলী ইব্ন আবদুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রাঃ) জামা’আতে সালাত আদায় করেছেন। ইব্ন
উমর (রাঃ) গ্রহণে-এর সালাত আদায় করেছেন।
১০৫২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ
عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ انْخَسَفَتِ
الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَصَلَّى رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَةِ
سُورَةِ الْبَقَرَةِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ
قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً،
وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلاً
وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ
الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ
الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ
الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ، فَقَالَ
صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ
اللَّهِ، لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ
ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ ". قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَأَيْنَاكَ
تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ، ثُمَّ رَأَيْنَاكَ كَعْكَعْتَ. قَالَ صلى
الله عليه وسلم " إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ، فَتَنَاوَلْتُ عُنْقُودًا،
وَلَوْ أَصَبْتُهُ لأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا، وَأُرِيتُ
النَّارَ، فَلَمْ أَرَ مَنْظَرًا كَالْيَوْمِ قَطُّ أَفْظَعَ، وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ
أَهْلِهَا النِّسَاءَ ". قَالُوا بِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ
" بِكُفْرِهِنَّ ". قِيلَ يَكْفُرْنَ بِاللَّهِ قَالَ "
يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ، وَيَكْفُرْنَ الإِحْسَانَ، لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى
إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ كُلَّهُ، ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا
رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ ".
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় সূর্যগ্রহণ
হল। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন সালাত আদায় করেন এবং
তিনি সূরা আল-বাক্বারা পাঠ করতে যত সময় লাগে সে পরিমাণ দীর্ঘ কিয়াম করেন। অতঃপর
দীর্ঘ রুকূ’ করেন। অতঃপর মাথা তুলে পুনরায় দীর্ঘ কিয়াম করেন। তবে তা প্রথম কিয়ামের
চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি দীর্ঘ রুকূ’ করলেন। তবে তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে
অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি সিজদা করেন। আবার দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করলেন। তবে
তা প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর আবার দীর্ঘ রুকূ’ করেন, তবে তা
পূর্বের রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি মাথা তুললেন এবং দীর্ঘ সময়
পর্যন্ত কিয়াম করলেন, তবে তা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা অল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি দীর্ঘ
রুকূ’ করেন, তবে তা প্রথম রুকূ’র অপেক্ষা অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি সিজদা করেন
এবং সালাত শেষ করেন। ততক্ষণে সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তারপর তিনি বললেনঃ
নিঃসন্দেহে সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো
মৃত্যু বা জন্মের কারণে এ দু’টির গ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা গ্রহণ দেখবে তখনই
আল্লাহ্কে স্মরণ করবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা দেখলাম, আপনি
নিজের জায়গা হতে কি যেন ধরেছেন, আবার দেখলাম, আপনি যেন পিছনে সরে এলেন। তিনি
বললেনঃ আমিতো জান্নাত দেখেছিলাম এবং এক গুচ্ছ আঙ্গুরের প্রতি হাত বাড়িয়েছিলাম। আমি
তা পেয়ে গেলে দুনিয়া কায়িম থাকা পর্যন্ত অবশ্য তোমরা তা খেতে পারতে। অতঃপর আমাকে
জাহান্নাম দেখানো হয়, আমি আজকের মত ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি। আর আমি দেখলাম,
জাহান্নামের অধিকাংশ বাসিন্দা নারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্র রসূল! কী
কারণে? তিনি বললেনঃ তাদের কুফরীর কারণে। জিজ্ঞেস করা হল, তারা কি আল্লাহ্র সাথে
কুফরী করে? তিনি জবাব দিলেন, তারা স্বামীর অবাধ্য থাকে এবং ইহ্সান অস্বীকার করে।
তুমি যদি তাদের কারো প্রতি সারা জীবন সদাচরণ কর, অতঃপর সে তোমার হতে (যদি) সামান্য
ত্রুটি পায়, তা হলে বলে ফেলে, তোমার কাছ থেকে কখনো ভাল ব্যবহার পেলাম না।
১৬/১০. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সময় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের সালাত।
১০৫৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنِ امْرَأَتِهِ، فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ
أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّهَا قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله
عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَإِذَا
النَّاسُ قِيَامٌ يُصَلُّونَ، وَإِذَا هِيَ قَائِمَةٌ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا
لِلنَّاسِ فَأَشَارَتْ بِيَدِهَا إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَتْ سُبْحَانَ
اللَّهِ. فَقُلْتُ آيَةٌ فَأَشَارَتْ أَىْ نَعَمْ. قَالَتْ فَقُمْتُ حَتَّى
تَجَلاَّنِي الْغَشْىُ، فَجَعَلْتُ أَصُبُّ فَوْقَ رَأْسِي الْمَاءَ، فَلَمَّا
انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ
ثُمَّ قَالَ " مَا مِنْ شَىْءٍ كُنْتُ لَمْ أَرَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ
فِي مَقَامِي هَذَا حَتَّى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ، وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَىَّ
أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ مِثْلَ ـ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ـ فِتْنَةِ
الدَّجَّالِ ـ لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ ـ يُؤْتَى أَحَدُكُمْ
فَيُقَالُ لَهُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ ـ أَوِ
الْمُوقِنُ لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ ـ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى،
فَأَجَبْنَا وَآمَنَّا وَاتَّبَعْنَا. فَيُقَالُ لَهُ نَمْ صَالِحًا، فَقَدْ
عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُوقِنًا. وَأَمَّا الْمُنَافِقُ ـ أَوِ الْمُرْتَابُ
لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ ـ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي، سَمِعْتُ
النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ ".
আসমা বিন্তে আবূ বক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সূর্যগ্রহের সময় আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন লোকজন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। তখন
‘আয়িশা (রাঃ) ও সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, লোকদের কী হয়েছে? তখন
তিনি হাত দিয়ে আসমানের দিকে ইশারা করলেন এবং ‘সুবহানাল্লাহ্’ বললেন। আমি বললাম, এ
কি কোন নিদর্শন? তখন তিনি ইঙ্গিতে বললেন, হাঁ। আসমা (রাঃ) বলেন, আমিও দাঁড়িয়ে
গেলাম। এমন কি (দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে) আমি প্রায় বেহুঁশ হয়ে পড়লাম এবং
মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম। আল্লাহ্র রসূল (রাঃ) যখন সালাত শেষ করলেন, তখন আল্লাহ্র
হাম্দ ও সানা বর্ণনা করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি এ স্থান হতে দেখতে পেলাম, যা
এর পূর্বে দেখিনি, এমন কি জান্নাত এবং জাহান্নাম। আর আমার নিকট ওয়াহী পাঠান হয়েছে
যে, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কবরের মধ্যে দাজ্জালের ফিত্নার ন্যায় অথবা বলেছেন তার
কাছাকাছি ফিত্নায় লিপ্ত করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, (‘মিস্লা’ ও ‘কারীবান’)
দু’টির মধ্যে কোন্টি আসমা (রাঃ) বলেছিলেন, তা আমার মনে নেই। তোমাদের এক একজনকে
উপস্থিত করা হবে এবং তাকে প্রশ্ন করা হবে, এ ব্যক্তি সম্পর্কে কী জান? তখন মু’মিন
(ঈমানদার) অথবা ‘মুকিন’ (বিশ্বাসী) বলবেন- বর্ণনাকারী বলেন যে, আসমা (রাঃ)
‘মু’মিন’ শব্দ বলেছিলেন, না ‘মুকীন’ তা আমার স্মরণ নেই, তিনি হলেন, আল্লাহ্র রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুস্পষ্ট দলীল ও হিদায়াত নিয়ে আমাদের নিকট
এসেছিলেন এবং আমরা এতে সাড়া দিয়ে ঈমান এনেছি ও তাঁর অনুসরণ করেছি। অতঃপর তাঁকে বলা
হবে, তুমি পুণ্যবান বান্দা হিসেবে ঘুমিয়ে থাক। আমরা অবশ্যই জানতাম যে, নিশ্চিতই
তুমি দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপনকারী ছিলে। আর মুনাফিক কিংবা সন্দেহকারী বর্ণনাকারী বলেন,
আসমা (রাঃ) ‘মুনাফিক’ না ‘সন্দেহকারী’ বলেছিলেন তা আমার মনে নেই, সে শুধু বলবে,
আমি কিছুই জানি না। আমি মানুষকে কিছু বলতে শুনেছি এবং আমিও তাই বলেছি।
১৬/১১. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সময় ক্রীতদাস মুক্ত করা পছন্দনীয়।
১০৫৪
حَدَّثَنَا
رَبِيعُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ،
عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ لَقَدْ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
بِالْعَتَاقَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ.
আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যগ্রহণের সময়
গোলাম আযাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৬/১২. অধ্যায়ঃ
মসজিদে সূর্যগ্রহণের সালাত।
১০৫৫
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ
عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ
يَهُودِيَّةً، جَاءَتْ تَسْأَلُهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ
الْقَبْرِ. فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي قُبُورِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
عَائِذًا بِاللَّهِ مِنْ ذَلِكَ. ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا، فَكَسَفَتِ الشَّمْسُ فَرَجَعَ ضُحًى، فَمَرَّ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ ظَهْرَانَىِ الْحُجَرِ، ثُمَّ قَامَ
فَصَلَّى، وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ، فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَكَعَ
رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ
الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ
الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ سُجُودًا طَوِيلاً ثُمَّ قَامَ فَقَامَ قِيَامًا
طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً،
وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ
الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ
الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ وَهْوَ دُونَ السُّجُودِ الأَوَّلِ، ثُمَّ انْصَرَفَ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ،
ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইয়াহূদী মহিলা তাঁর নিকট কিছু জিজ্ঞেস করতে এল। মহিলাটি বলল,
আল্লাহ্ আপনাকে কবরের ‘আযাব হতে পানাহ্ দিন। অতঃপর ‘আয়িশা (রাঃ) আল্লাহ্র রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করেন, কবরে কি মানুষকে ‘আযাব দেয়া
হবে? তখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি আল্লাহ্র
নিকট পানাহ্ চাই ক্ববরের ‘আযাব হতে।
১০৫৬
ثُمَّ رَكِبَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا، فَكَسَفَتِ
الشَّمْسُ فَرَجَعَ ضُحًى، فَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ
ظَهْرَانَىِ الْحُجَرِ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى، وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ،
فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ
قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا
طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ سُجُودًا
طَوِيلاً ثُمَّ قَامَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ
الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ،
ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ
رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ وَهْوَ دُونَ
السُّجُودِ الأَوَّلِ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ
عَذَابِ الْقَبْرِ
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
পরে একদা সকালে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সওয়ারীতে আরোহণ করেন। তখন সূর্যগ্রহণ আরম্ভ হয়। তিনি ফিরে এলেন, তখন ছিল সূর্যোদয়
ও দুপুরের মাঝামাঝি সময়। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর
হুজরাগুলোর মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করলেন। অতঃপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং লোকেরাও
তাঁর পিছনে দাঁড়াল। তিনি দীর্ঘ কিয়াম করলেন। অতঃপর দীর্ঘ রুকূ’ করলেন। অতঃপর মাথা
তুলে আবার দীর্ঘ কিয়াম করেন। তবে এ কিয়াম প্রথম রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর
তিনি আবার দীর্ঘ রুকূ’ করেন। তবে এ রুকূ’ প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল।
অতঃপর তিনি মাথা তুললেন এবং দীর্ঘ রুকূ’ করেন। তবে এ রুকূ’ প্রথম কিয়ামের চেয়ে
অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি মাথা তুললেন এবং দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর তিনি আবার
দাঁড়িয়ে কিয়াম করেন অবশ্য তা প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি দীর্ঘ
রুকূ’ করলেন, তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি আবার দীর্ঘ কিয়াম
করেন। তবে তা প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর দীর্ঘ রুকূ’ করেন। অবশ্য এ
রুকূ’ প্রথম রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি সিজদা করেন। এ সিজদা প্রথম
সিজদার চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি সালাত শেষ করেন। এরপরে আল্লাহ্র রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র যা ইচ্ছা তাই বললেন। শেষে তিনি
সবাইকে কবরের ‘আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনার আদেশ করলেন।
১৬/১৩. অধ্যায়ঃ
কারো মৃত্যু বা জন্মের জন্যে সূর্যগ্রহণ হয় না।
আবূ বাকরাহ, মুগীরা, আবূ মূসা, ইব্নু ‘আব্বাস ও ইব্নু ‘উমর
(রাঃ)-এর এ বিষয়ে বিবরণ রয়েছে।
১০৫৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي
قَيْسٌ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ
لِحَيَاتِهِ، وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، فَإِذَا
رَأَيْتُمُوهُمَا فَصَلُّوا ".
আবু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আল্লাহ্র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কারো জন্মের ও মৃত্যুর কারণে সুর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। এগুলো
আল্লাহ্র নিদর্শনগুলোর মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন সালাত
আদায় করবে।
১০৫৮
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَهِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى
الله عنها ـ قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ، فَأَطَالَ
الْقِرَاءَةَ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ
فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ، وَهْىَ دُونَ قِرَاءَتِهِ الأُولَى، ثُمَّ رَكَعَ
فَأَطَالَ الرُّكُوعَ دُونَ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ
سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ،
ثُمَّ قَامَ فَقَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ
لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ
يُرِيهِمَا عِبَادَهُ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ
".
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়
সুর্যগ্রহণ হল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন দাঁড়ালেন এবং লোকদের
নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি কির’আত দীর্ঘ করেন। অতঃপর তিনি দীর্ঘ রুকু’ করেন।
অতঃপর তিনি মাথা তুলেন এবং দীর্ঘ কির’আত পড়েন। তবে তা প্রথম কির’আতের চেয়ে
স্বল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি রুকু’ করেন এবং রুকু’ দীর্ঘ করেন। তবে এ রুকু’ প্রথম
রুকু’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি মাথা তুলেন এবং দু’টি সিজদা করেন। অতঃপর
তিনি দাঁড়ালেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরুপ করেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে বললেনঃ
সুর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের কারণে হয় না। আল্লাহ্র
নিদর্শন সমুহের মধ্যে এ হল দু’টি নিদর্শন; যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের দেখিয়ে
থাকেন। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে ভীত অবস্থায় সালাতের দিকে আসবে।
১৬/১৪. অধ্যায়ঃ
সুর্যগ্রহনের সময় আল্লাহ্র যিকর।
এ সম্বন্ধে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা রয়েছে।
১০৫৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ خَسَفَتِ
الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَزِعًا، يَخْشَى أَنْ تَكُونَ
السَّاعَةُ، فَأَتَى الْمَسْجِدَ، فَصَلَّى بِأَطْوَلِ قِيَامٍ وَرُكُوعٍ
وَسُجُودٍ رَأَيْتُهُ قَطُّ يَفْعَلُهُ وَقَالَ " هَذِهِ الآيَاتُ الَّتِي
يُرْسِلُ اللَّهُ لاَ تَكُونُ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، وَلَكِنْ
يُخَوِّفُ اللَّهُ بِهِ عِبَادَهُ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ
فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِهِ وَدُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ ".
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার সুর্যগ্রহণ হল, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ভীত অবস্থায় উঠলেন এবং ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবার ভয় করছিলেন। অতঃপর তিনি মসজিদে
আসেন এবং এর পূর্বে আমি তাঁকে যেমন করতে দেখেছি, তার চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কিয়াম,
রুকু’ এবং সিজদা সহকারে সালাত আদায় করলেন। আর তিনি বললেনঃ এগুলো হল নিদর্শন যা
আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্
তা’আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখতে
পাবে, তখন ভীত অবস্থায় আল্লাহ্র যিকর, দু’আ এবং ইস্তিগ্ফারের দিকে ধাবিত হবে।
১৬/১৫. অধ্যায়ঃ
সুর্যগ্রহনের সময় দু’আ।
এ বিষয়ে আবূ মূসা ও আ’য়িশা (রাঃ) নবী ক্রীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন ।
১০৬০
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ
عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ انْكَسَفَتِ
الشَّمْسُ يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ
إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ
الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ
أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَادْعُوا اللَّهَ وَصَلُّوا
حَتَّى يَنْجَلِيَ ".
মুগীরা ইব্নু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –(এর পুত্র) ইব্রাহীম
(রাঃ) যেদিন ইন্তিকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা বলল ইব্রাহীম (রাঃ)
এর মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। আল্লাহ্র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তখন বললেনঃ নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি
নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে এ দু’টোর গ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা এদের
গ্রহণ হতে দেখবে, তখন তাদের গ্রহণ মুক্ত হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্র নিকট দু’আ করবে
এবং সালাত আদায় করতে থাকবে।
No comments