সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "মক্কা ও মদীনার মসজিদে সালাতের মর্যাদা" হাদিস নং -১১৮৮ থেকে ১১৯৭
মক্কা ও মদীনার মসজিদে
সালাতের মর্যাদা।
১১৮৮
১১৮৯
১১৯০
২০/২. অধ্যায়ঃ
১১৯১
১১৯২
২০/৩. অধ্যায়ঃ
১১৯৩
২০/৪. অধ্যায়ঃ
১১৯৪
২০/৫. অধ্যায়ঃ
১১৯৫
১১৯৬
২০/৬. অধ্যায়ঃ
১১৯৭
১১৮৮
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ
عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ،
عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ أَرْبَعًا قَالَ
سَمِعْتُ مِنَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم وَكَانَ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم ثِنْتَىْ عَشْرَةَ غَزْوَةً ح.
কায‘আ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ)-কে
চারটি (বিষয়) বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হতে শুনেছি। আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১১৮৯
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ
رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُشَدُّ
الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَمَسْجِدِ
الرَّسُولِ صلى الله عليه وسلم وَمَسْجِدِ الأَقْصَى ".
আবূ
হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মসজিদুল হারাম, মসজিদুর রাসূল এবং মসজিদুল আক্সা
(বায়তুল মাক্দিস) তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে (সালাতের) উদ্দেশে হাওদা
বাঁধা যাবে না (অর্থাৎ সফর করা যাবে না)।
১১৯০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ رَبَاحٍ، وَعُبَيْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ
الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ
فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ".
আবূ
হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ মসজিদুল হারাম ব্যতীত আমার এ মসজিদে সালাত আদায় করা অপরাপর
মসজিদে এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম।
২০/২. অধ্যায়ঃ
কুবা মসজিদ। [১]
[১] কুবা মসজিদ : মসজিদে
নববী থেকে প্রায় তিন মাইল দূ্রে অবস্থিত মদীনার প্রথম মসজিদ এবং মদীনায় হিজরত কালে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রথম অবস্থান স্থল।
১১৯১
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ ـ هُوَ الدَّوْرَقِيُّ ـ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا
أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ لاَ
يُصَلِّي مِنَ الضُّحَى إِلاَّ فِي يَوْمَيْنِ يَوْمَ يَقْدَمُ بِمَكَّةَ، فَإِنَّهُ
كَانَ يَقْدَمُهَا ضُحًى، فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ
خَلْفَ الْمَقَامِ، وَيَوْمَ يَأْتِي مَسْجِدَ قُبَاءٍ، فَإِنَّهُ كَانَ يَأْتِيهِ
كُلَّ سَبْتٍ، فَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَرِهَ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهُ حَتَّى
يُصَلِّيَ فِيهِ. قَالَ وَكَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم كَانَ يَزُورُهُ رَاكِبًا وَمَاشِيًا. قَالَ وَكَانَ يَقُولُ إِنَّمَا
أَصْنَعُ كَمَا رَأَيْتُ أَصْحَابِي يَصْنَعُونَ، وَلاَ أَمْنَعُ أَحَدًا أَنْ
يُصَلِّيَ فِي أَىِّ سَاعَةٍ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ، غَيْرَ أَنْ لاَ
تَتَحَرَّوْا طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا.
নাফি‘
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) দু’ দিন ছাড়া অন্য সময়ে
চাশ্তের সালাত আদায় করতেন না, যে দিন তিনি মক্কায় আগমন করতেন। তাঁর অভ্যাস ছিল
যে, তিনি চাশ্তের সময় মক্কায় আগমন করতেন। তিনি বাইতুল্লাহ্ ত্বওয়াফ করার পর
মাকামে ইব্রাহীম-এর পিছনে দাঁড়িয়ে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। আর যে দিন তিনি
কুবা মসজিদে গমন করতেন। তিনি প্রতি শনিবার সেখানে গমন করতেন এবং সেখানে সালাত আদায়
না করে বেরিয়ে আসা অপছন্দ করতেন। নাফি‘ (রহঃ) বলেন, তিনি (ইব্নু ‘উমর (রাঃ) হাদীস
বর্ণনা করতেন যে, আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুবা মসজিদ
যিয়ারত করতেন- কখনো সওয়ারীতে, কখনো পদব্রজে।
১১৯২
See previous Hadith
নাফি‘
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি [ইব্নু ‘উমর (রাঃ)] তাঁকে আরো বলতেন,
আমি আমার সাথীদেরকে যেমন করতে দেখেছি তেমন করব। আর কাউকে আমি দিন রাতের কোন সময়ই
সালাত আদায় করতে বাধা দিইনা, তবে তাঁরা যেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় (সালাতের)
ইচ্ছা না করে।
২০/৩. অধ্যায়ঃ
প্রতি শনিবার যিনি কুবা মসজিদে আগমন করেন।
১১৯৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ
إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم يَأْتِي مَسْجِدَ قُبَاءٍ كُلَّ سَبْتٍ مَاشِيًا وَرَاكِبًا. وَكَانَ
عَبْدُ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ يَفْعَلُهُ.
ইব্নু
‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) প্রতি শনিবার কুবা মসজিদে আসতেন, কখনো পদব্রজে, কখনো সওয়ারীতে।
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ)-ও ঐরূপ করতেন।
২০/৪. অধ্যায়ঃ
পদব্রজে কিংবা সওয়ারীতে করে কুবা মসজিদে আগমন করা।
১১৯৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ،
حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ
عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَأْتِي
قُبَاءً رَاكِبًا وَمَاشِيًا. زَادَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ
عَنْ نَافِعٍ فَيُصَلِّي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ.
ইব্নু
‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আরোহণ করে কিংবা পায়ে হেঁটে কুবা মসজিদে আসতেন। ইব্নু নুমায়র (রহঃ)
নাফি‘ (রহঃ) হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সেখানে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন।
২০/৫. অধ্যায়ঃ
কবর ও (মসজিদে নববীর) মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানের ফযীলত।
১১৯৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ
عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الْمَازِنِيِّ ـ رضى الله
عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا بَيْنَ
بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ ".
‘আবদুল্লাহ্
ইব্নু যায়দ-মাযিনী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বার-এর মধ্যবর্তী স্থানটুকু জান্নাতের বাগানগুলোর
একটি বাগান।
১১৯৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ
يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي
رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ، وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي ".
আবূ
হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান আর
আমার মিম্বর অবস্থিত আমার হাউয (কাউসার)-এর উপরে।
২০/৬. অধ্যায়ঃ
বায়তুল মাকদিসের মসজিদ।
১১৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، سَمِعْتُ قَزَعَةَ، مَوْلَى زِيَادٍ
قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ يُحَدِّثُ بِأَرْبَعٍ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي قَالَ "
لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ إِلاَّ مَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو
مَحْرَمٍ. وَلاَ صَوْمَ فِي يَوْمَيْنِ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى، وَلاَ صَلاَةَ
بَعْدَ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ
الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ، وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ
مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الأَقْصَى وَمَسْجِدِي ".
যিয়াদের
আযাদকৃত দাস কাযা‘আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ)-কে
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে চারটি বিষয় বর্ণনা করতে শুনেছি, যা
আমাকে আনন্দিত ও মুগ্ধ করেছে। তিনি বলেছেনঃ নারীগণ স্বামী কিংবা মাহ্রাম [১]
ব্যতীত দু’দিনের দূরত্বের পথে সফর করবে না। ‘ঈদুল ফিত্র ও ‘ঈদুল আযহার দিনগুলোতে
সিয়াম নেই। দু’ (ফরজ) সালাতের পর কোন (নফল ও সুন্নাত) সালাত নেই। ফজরের পর
সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং ‘আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এবং ১. মসজিদুল হারাম ২.
মসজিদুল আক্সা এবং ৩. আমার মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে (যিয়ারতের উদ্দেশে) হাওদা
বাঁধা যাবে না। (সফর করা যাবে না)।
[১] মাহরামঃ স্থায়ীভাবে বিবাহ করা হারাম এমন
সম্পর্কযুক্ত পুরূষ যেমন-দাদা,বাবা,ভাই,ভাতীজা,মামা,চাচা,শুশুর ইত্যাদি।
No comments