সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "দুই ঈদ" হাদিস নং -৯৭৬ থেকে ৯৮৯
‘ঈদের খুতবা দেয়ার সময় মুসল্লীদের প্রতি ইমামের মুখ করে দাঁড়ানো।
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মুসল্লীদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন।
৯৭৬
حَدَّثَنَا
أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنِ
الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
يَوْمَ أَضْحًى إِلَى الْبَقِيعِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا
بِوَجْهِهِ وَقَالَ " إِنَّ أَوَّلَ نُسُكِنَا فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ
نَبْدَأَ بِالصَّلاَةِ، ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ
وَافَقَ سُنَّتَنَا، وَمَنْ ذَبَحَ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّمَا هُوَ شَىْءٌ عَجَّلَهُ
لأَهْلِهِ، لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَىْءٍ ". فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ
يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي ذَبَحْتُ وَعِنْدِي جَذَعَةٌ خَيْرٌ مِنْ
مُسِنَّةٍ. قَالَ " اذْبَحْهَا، وَلاَ تَفِي عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ
".
বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ঈদুল
আযহার দিন বাকী‘তে (নামক কবরস্থানে) যান। অতঃপর তিনি দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করে
আমাদের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন এবং তিনি বললেন, আজকের দিনের প্রথম ‘ইবাদাত হল সালাত
আদায় করা। অতঃপর ফিরে গিয়ে কুরবানী করা। যে ব্যক্তি এরূপ করবে সে আমাদের নীতি
অনুযায়ী কাজ করবে। আর যে এর পূর্বেই যবেহ্ করবে তা হলে তার যবেহ্ হবে এমন একটি
কাজ, যা সে নিজের পরিবারবর্গের জন্যই তাড়াতাড়ি করে ফেলেছে, এর সাথে কুরবানীর কোন
সম্পর্ক নেই। তখন এক ব্যক্তি [আবূ বুরদাহ ইব্নু নিয়ার (রাঃ)] দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস
করলেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমি (পূবেই) যবেহ্ করে ফেলেছি। এখন আমার নিকট এমন একটি
মেষশাবক আছে যা পূর্ণবয়স্ক মেষের চেয়ে উত্তম। (এটা কুরবানী করব কি?) তিনি বললেন,
এটাই যবেহ্ কর। তবে তোমার পর আর কারো জন্য তা যথেষ্ট হবে না।
‘ঈদগাহে চিহ্ন রাখা।
৯৭৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ عَابِسٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قِيلَ لَهُ أَشَهِدْتَ
الْعِيدَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ، وَلَوْلاَ مَكَانِي
مِنَ الصِّغَرِ مَا شَهِدْتُهُ، حَتَّى أَتَى الْعَلَمَ الَّذِي عِنْدَ دَارِ كَثِيرِ
بْنِ الصَّلْتِ فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ، وَمَعَهُ بِلاَلٌ،
فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ، وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ، فَرَأَيْتُهُنَّ
يُهْوِينَ بِأَيْدِيهِنَّ يَقْذِفْنَهُ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ، ثُمَّ انْطَلَقَ هُوَ
وَبِلاَلٌ إِلَى بَيْتِهِ.
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)- এর সঙ্গে কখনো ‘ঈদে উপস্থিত হয়েছেন? তিনি বললেন হাঁ। যদি তাঁর নিকট আমার
মর্যাদা না থকত তা হলে কম বয়সী হবার কারণে আমি ‘ঈদে উপস্থিত হতে পারতাম না। তিনি
বের হয়ে কাসীর ইব্নু সলাতের গৃহের নিকট স্থাপিত নিশানার নিকট এলেন এবং সালাত আদায়
করলেন। অতঃপর খুতবা দিলেন। অতঃপর তিনি মহিলাগণের নিকট উপস্থিত হলেন। তখন তাঁর
সঙ্গে বিলাল (রাঃ) ছিলেন। তিনি নারীদের উপদেশ দিলেন, নসীহত করলেন এবং দান সদকা
করার জন্য নির্দেশ দিলেন। আমি তখন নারীদেরকে হতে বাড়িয়ে বিলাল (রাঃ)- এর কাপড়ে দান
সামগ্রী ফেলতে দেখলাম। অতঃপর তিনি এবং বিলাল (রাঃ) নিজ বাড়ির দিকে চলে গেলেন।
১৩/১৯. অধ্যায়ঃ
‘ঈদের দিন নারীদের প্রতি ইমামের নসীহত করা।
৯৭৮
حَدَّثَنِي
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَصْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
يَوْمَ الْفِطْرِ، فَصَلَّى فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ ثُمَّ خَطَبَ، فَلَمَّا فَرَغَ
نَزَلَ فَأَتَى النِّسَاءَ، فَذَكَّرَهُنَّ وَهْوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى يَدِ بِلاَلٍ
وَبِلاَلٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ، يُلْقِي فِيهِ النِّسَاءُ الصَّدَقَةَ. قُلْتُ
لِعَطَاءٍ زَكَاةَ يَوْمِ الْفِطْرِ قَالَ لاَ وَلَكِنْ صَدَقَةً يَتَصَدَّقْنَ
حِينَئِذٍ، تُلْقِي فَتَخَهَا وَيُلْقِينَ. قُلْتُ أَتُرَى حَقًّا عَلَى
الإِمَامِ ذَلِكَ وَيُذَكِّرُهُنَّ قَالَ إِنَّهُ لَحَقٌّ عَلَيْهِمْ، وَمَا
لَهُمْ لاَ يَفْعَلُونَهُ
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ঈদুল ফিতরের দিন দাঁড়িয়ে
সালাত আদায় করলেন, পরে খুতবা দিলেন। খুতবা শেষে নেমে নারীদের নিকট আসলেন এবং
তাঁদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাঃ)-এর হাতের উপর ভর দিয়ে ছিলেন এবং বিলাল
(রাঃ) তাঁর কাপড় প্রসারিত করে ধরলেন। এতে নারীগণ দান সামগ্রী ফেলতে লাগলেন আমি
(ইব্নু জুরায়জ) আত্বা (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এ কি ‘ঈদুল ফিতরের সদকা? তিনি
বললেন না, বরং এ সাধারণ সদকা যা তাঁরা ঐ সময় দিচ্ছিলেন। কোন মহিলা তাঁর আংটি দান
করলে অন্যান্য নারীরাও তাঁদের আংটি দান করতে লাগলেন। আমি আতা (রহঃ)-কে (আবার),
জিজ্ঞেস করলাম, মহিলাগণকে উপদেশ দেয়া কি ইমামের জন্য জরুরী? তিনি বললেন, অবশ্যই,
তাদের উপর তা জরুরী। তাঁদের (অর্থাৎ ইমামগণের) কী হয়েছে যে, তাঁরা তা করবেন না?
৯৭৯
قَالَ ابْنُ
جُرَيْجٍ وَأَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ شَهِدْتُ الْفِطْرَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ ـ رضى الله عنهم ـ يُصَلُّونَهَا
قَبْلَ الْخُطْبَةِ، ثُمَّ يُخْطَبُ بَعْدُ، خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حِينَ يُجْلِسُ بِيَدِهِ، ثُمَّ أَقْبَلَ يَشُقُّهُمْ
حَتَّى جَاءَ النِّسَاءَ مَعَهُ بِلاَلٌ فَقَالَ {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا
جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ} الآيَةَ ثُمَّ قَالَ حِينَ فَرَغَ
مِنْهَا " آنْتُنَّ عَلَى ذَلِكَ ". قَالَتِ امْرَأَةٌ وَاحِدَةٌ
مِنْهُنَّ لَمْ يُجِبْهُ غَيْرُهَا نَعَمْ. لاَ يَدْرِي حَسَنٌ مَنْ هِيَ.
قَالَ " فَتَصَدَّقْنَ " فَبَسَطَ بِلاَلٌ ثَوْبَهُ ثُمَّ قَالَ
هَلُمَّ لَكُنَّ فِدَاءٌ أَبِي وَأُمِّي، فَيُلْقِينَ الْفَتَخَ وَالْخَوَاتِيمَ
فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ الْفَتَخُ الْخَوَاتِيمُ
الْعِظَامُ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ.
ইব্নু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাসান ইব্নু মুসলিম (রহঃ) তাউস (রহঃ) এর মাধ্যমে ইব্নু আব্বাস
(রাঃ) হতে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আবূ বক্র, ‘উমর ও উসমান (রাঃ)-এর সঙ্গে ‘ঈদুল ফিতরে আমি উপস্থিত ছিলাম।
তাঁরা খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করতেন, পরে খুতবা দিতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বের হলেন, আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি হাতের ইঙ্গিতে (লোকদের) বসিয়ে
দিচ্ছেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেনঃ
“হে নবী ! যখন ঈমানদার মহিলাগণ আপনার নিকট এ শর্তে বায়‘আত করতে আসেন يَا اَيُّهَا النَّبِيُّ اِذَا جَاءَكَ المُؤمِنَاتَ يُبَايِعنَكَ - الاية (সূরাহ মুমতাহিনাহ ৬০/১২)। এ আয়াত শেষ করে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এ বায়‘আতের উপর আছ? তাঁদের মধ্যে
একজন মহিলা বলল, হাঁ, সে ছাড়া আর কেউ এর জবাব দিল না। হাসান (রহঃ) জানেন না, সে
মহিলা কে? অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা সদকা কর। সে
সময় বিলাল (রাঃ) তাঁর কাপড় প্রসারিত করে বললেন, আমার মা-বাপ আপনাদের জন্য কুরবান
হোক, আসুন, আপনারা দান করুন। তখন নারীগণ তাঁদের ছোট-বড় আংটিগুলো বিলাল (রাঃ)-এর
কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন। আবদুর রাযযাক (রহঃ) বলেন, --- হলো বড় আংটি যা জাহিলী
যুগে ব্যবহৃত হতো।
১৩/২০. অধ্যায়ঃ
‘ঈদের সালাতে যাওয়ার জন্য নারীদের ওড়না না থাকলে।
৯৮০
حَدَّثَنَا
أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ،
عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، قَالَتْ كُنَّا نَمْنَعُ جَوَارِيَنَا أَنْ
يَخْرُجْنَ يَوْمَ الْعِيدِ، فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ فَنَزَلَتْ قَصْرَ بَنِي خَلَفٍ
فَأَتَيْتُهَا فَحَدَّثَتْ أَنَّ زَوْجَ أُخْتِهَا غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم ثِنْتَىْ عَشْرَةَ غَزْوَةً فَكَانَتْ أُخْتُهَا مَعَهُ فِي سِتِّ
غَزَوَاتٍ. فَقَالَتْ فَكُنَّا نَقُومُ عَلَى الْمَرْضَى وَنُدَاوِي الْكَلْمَى،
فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، عَلَى إِحْدَانَا بَأْسٌ إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهَا
جِلْبَابٌ أَنْ لاَ تَخْرُجَ فَقَالَ " لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ
جِلْبَابِهَا فَلْيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُؤْمِنِينَ ". قَالَتْ
حَفْصَةُ فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ أَتَيْتُهَا، فَسَأَلْتُهَا
أَسَمِعْتِ فِي كَذَا وَكَذَا قَالَتْ نَعَمْ، بِأَبِي ـ وَقَلَّمَا ذَكَرَتِ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ قَالَتْ بِأَبِي ـ قَالَ "
لِيَخْرُجِ الْعَوَاتِقُ ذَوَاتُ الْخُدُورِ ـ أَوْ قَالَ الْعَوَاتِقُ وَذَوَاتُ
الْخُدُورِ شَكَّ أَيُّوبُ ـ وَالْحُيَّضُ، وَيَعْتَزِلُ الْحُيَّضُ الْمُصَلَّى،
وَلْيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُؤْمِنِينَ ". قَالَتْ فَقُلْتُ
لَهَا آلْحُيَّضُ قَالَتْ نَعَمْ، أَلَيْسَ الْحَائِضُ تَشْهَدُ عَرَفَاتٍ
وَتَشْهَدُ كَذَا وَتَشْهَدُ كَذَا
হাফসা বিন্ত সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘ঈদের দিন আমাদের যুবতীদের বের হতে নিষেধ করতাম।
একদা জনৈকা মহিলা এলেন এবং বনু খালাফের প্রাসাদে অবস্থান করলেন। আমি তাঁর নিকট
গেলে তিনি বললেন, তাঁর ভগ্নিপতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথে
বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, এর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধে স্বয়ং তাঁর বোনও স্বামীর সাথে
অংশগ্রহণ করেছেন, (মহিলা বলেন) আমার বোন বলেছেন, আমরা রুগ্নদের সেবা করতাম, আহতদের
শুশ্রূষা করতাম। একবার তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, হে আল্লাহর রসূল ! যদি আমাদের কারো
ওড়না না থাকে, তখন কি সে বের হবে না? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ এ অবস্থায় তার বান্ধবী যেন তাকে নিজ ওড়না পরিধান করতে দেয় এবং এভাবে
মহিলাগণ যেন কল্যাণকর কাজে ও মু‘মিনদের দু’আয় অংশগ্রহণ করেন। হাফসা (রহঃ) বলেন,
যখন উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) এলেন, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আপনি কি এসব
ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, হাফসা (রহঃ) বলেন, আমরা পিতা আল্লাহর
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জন্য উৎসর্গিত হোক এবং তিনি যখনই
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নাম উল্লেখ করতেন, তখনই একথা
বলতেন। তাঁবুতে অবস্থানকারিণী যুবতীরা এবং ঋতুবতী নারীরা যেন বের হন। তবে ঋতুবতী
নারীরা যেন সালাতের স্থান হতে সরে থাকেন। তারা সকলেই যেন কল্যাণকর কাজে ও
মু’মিনদের দু’আয় অংশগ্রহণ করেন। হাফসা (রহঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, ঋতুবতী
নারীরাও? তিনি বললেন, হাঁ, ঋতুবতী নারী কি আরাফাত এবং অন্যান্য স্থানে উপস্থিত হয়
না? (১)
১৩/২১. অধ্যায়ঃ
‘ঈদমাঠে ঋতুবতী নারীদের আলাদা অবস্থান।
৯৮১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ
عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ أُمِرْنَا أَنْ نَخْرُجَ
فَنُخْرِجَ الْحُيَّضَ وَالْعَوَاتِقَ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ. قَالَ ابْنُ عَوْنٍ
أَوِ الْعَوَاتِقَ ذَوَاتِ الْخُدُورِ، فَأَمَّا الْحُيَّضُ فَيَشْهَدْنَ
جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَدَعْوَتَهُمْ، وَيَعْتَزِلْنَ مُصَلاَّهُمْ.
উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (ঈদের দিন) আমাদেরকে বের হবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
তাই আমরা ঋতুবতী, যুবতী এবং তাঁবুতে অবস্থানকারিণী নারীদেরকে নিয়ে বের হতাম। ইব্নু
‘আওন (রহঃ)-এর এক বর্ণনায় রয়েছে, অথবা তাঁবুতে অবস্থানকারিণী যুবতী নারীদেরকে নিয়ে
বের হতাম। অতঃপর ঋতুবতী মহিলাগণ মুসলমানদের জামা‘আত এবং তাদের দু‘আয় অংশগ্রহণ
করতেন। তবে ‘ঈদমাঠে পৃথকভাবে অবস্থান করতেন। (২)
(১)
ও (২) অত্র হাদীস দ্বারা নারীদের ‘ঈদের মাঠে গমনের উপর কী পরিমাণ গুরুত্ব দেয়া
হয়েছে। তা স্পষ্ট প্রমাণিত।
১৩/২২. অধ্যায়ঃ
কুরবানীর দিন ‘ঈদমাঠে নাহর ও যবেহ্।
৯৮২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي
كَثِيرُ بْنُ فَرْقَدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ يَنْحَرُ أَوْ يَذْبَحُ بِالْمُصَلَّى.
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ঈদমাঠে নাহর করতেন কিংবা
যবেহ্ করতেন।
১৩/২৩. অধ্যায়ঃ
‘ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট
কোন কিছু জিজ্ঞেস করা হলে।
৯৮৩
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ
الْمُعْتَمِرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَطَبَنَا
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَقَالَ
" مَنْ صَلَّى صَلاَتَنَا وَنَسَكَ نُسْكَنَا فَقَدْ أَصَابَ النُّسُكَ،
وَمَنْ نَسَكَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَتِلْكَ شَاةُ لَحْمٍ ". فَقَامَ أَبُو
بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ نَسَكْتُ
قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ إِلَى الصَّلاَةِ، وَعَرَفْتُ أَنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ أَكْلٍ
وَشُرْبٍ فَتَعَجَّلْتُ وَأَكَلْتُ وَأَطْعَمْتُ أَهْلِي وَجِيرَانِي. فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تِلْكَ شَاةُ لَحْمٍ ".
قَالَ فَإِنَّ عِنْدِي عَنَاقَ جَذَعَةٍ، هِيَ خَيْرٌ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ، فَهَلْ
تَجْزِي عَنِّي قَالَ " نَعَمْ، وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ
".
বারাআ ইব্নু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরবানীর দিন সালাতের পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে খুতবা দিলেন। খুতবায় তিনি বললেন, যে আমাদের মতো
সালাত আদায় করবে এবং আমাদের কুরবানীর মত কুরবানী করবে, তার কুরবানী যথার্থ বলে
গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি সালাতের পূর্বে কুরবানী করবে তার সে কুরবানী গোশ্ত খাওয়া
ছাড়া আর কিছু হবে না। তখন আবূ বুরদাহ্ ইব্নু নিয়ার (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে
আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম! আমি তো সালাতে বের হবার পূর্বেই কুরবানী করে ফেলেছি।
আমি ভেবেছি যে, আজকের দিনটি তো পানাহারের দিন। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে ফেলেছি। আমি
নিজে খেয়েছি এবং আমার পরিবারবর্গ ও প্রতিবেশীদেরকেও আহার করিয়েছি। তখন আল্লাহর
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওটা গোশ্ত খাবার বকরী ছাড়া আর
কিছু হয়নি। আবূ বুরদাহ (রাঃ) বলেন, তবে আমার নিকট এমন একটি মেষ শাবক আছে যা দুটো
(গোশ্ত খাওয়ার) বকরীর চেয়ে ভাল। এটা কি আমার পক্ষে কুরবানীর জন্য যথেষ্ট হবে?
তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে তোমার পরে অন্য কারো জন্য যথেষ্ট হবে না।
৯৮৪
حَدَّثَنَا
حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ،
أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
صَلَّى يَوْمَ النَّحْرِ، ثُمَّ خَطَبَ فَأَمَرَ مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ
أَنْ يُعِيدَ ذَبْحَهُ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ، جِيرَانٌ لِي ـ إِمَّا قَالَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ، وَإِمَّا قَالَ بِهِمْ
فَقْرٌ ـ وَإِنِّي ذَبَحْتُ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَعِنْدِي عَنَاقٌ لِي أَحَبُّ
إِلَىَّ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ. فَرَخَّصَ لَهُ فِيهَا.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কুরবানীর দিন সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবা দিলেন। অতঃপর নির্দেশ দিলেন, যে
ব্যক্তি সালাতের পূর্বে কুরবানী করেছে সে যেন পুনরায় কুরবানী করে। তখন আনসারদের
মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার প্রতিবেশীরা ছিল উপবাসী
অথবা বলেছেন দরিদ্র। তাই আমি সালাতের পূর্বেই যবেহ্ করে ফেলেছি। তবে আমার নিকট
মেষশাবক আছে যা দু’টি হৃষ্টপুষ্ট বকরির চাইতেও আমার নিকট অধিক পছন্দসই। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে সেটা কুরবানী করার অনুমতি দেন।
৯৮৫
حَدَّثَنَا
مُسْلِمٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ جُنْدَبٍ، قَالَ
صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ خَطَبَ، ثُمَّ
ذَبَحَ فَقَالَ " مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ أُخْرَى
مَكَانَهَا، وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ فَلْيَذْبَحْ بِاسْمِ اللَّهِ ".
জুনদাব ইব্নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন
সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবা দেন। অতঃপর যবেহ্ করেন এবং তিনি বলেনঃ সালাতের
পূর্বে যে ব্যক্তি যবেহ্ করবে তাকে তার স্থলে আর একটি যবেহ্ করতে হবে এবং যে
যবেহ্ করেনি, আল্লাহর নামে তার যবেহ্ করা উচিত।
১৩/২৪. অধ্যায়ঃ
‘ঈদের দিন প্রত্যাবর্তন করার সময় যে ব্যক্তি ভিন্ন পথে আসে।
৯৮৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ عَنْ
فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ
كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ
الطَّرِيقَ. تَابَعَهُ يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ فُلَيْحٍ. وَحَدِيثُ
جَابِرٍ أَصَحُّ.
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ঈদের দিন (বাড়ি
ফেরার পথে) ভিন্ন পথে আসতেন। ইউনুস ইব্নু মুহাম্মদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে
হাদীস বর্ণনায় আবূ তুমাইলা ইয়াহইয়া (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। তবে জাবির (রাঃ) হতে
হাদীসটি অধিকতর বিশুদ্ধ।
১৩/২৫. অধ্যায়ঃ
কারো ঈদের নামায ছুটে গেলে সে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে।
নারীগণ এবং যারা বাড়ী ও পল্লীতে অবস্থান করে তারাও এরুপ করবে। কেননা,
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে মুসলিমগণ! এ হলো আমাদের ‘ঈদ।
আর আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) যাবিয়া নামক স্থানে তাঁর আযাদকৃত গোলাম ইবনু আবূ উতবাকে
এ আদেশ করেছিলেন। তাই তিনি তার পরিবারবর্গ ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে শহরের
অধিবাসীদের ন্যায় তাকবীরসহ সালাত আদায় করেন এবং ইকরিমাহ (রহঃ) বলেছেন, গ্রামের
অধিবাসীরা ঈদের দিন সমবেত হয়ে ইমামের ন্যায় দু’ রাক’আত সালাত আদায় করবে। ‘আতা
(রহঃ) বলেন, যখন কারো ‘ঈদের সালাত ছুটে যায় তখন সে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করবে।
৯৮৭
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ
دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ فِي أَيَّامِ مِنًى تُدَفِّفَانِ
وَتَضْرِبَانِ، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَغَشٍّ بِثَوْبِهِ، فَانْتَهَرَهُمَا
أَبُو بَكْرٍ فَكَشَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ وَجْهِهِ فَقَالَ
" دَعْهُمَا يَا أَبَا بَكْرٍ فَإِنَّهَا أَيَّامُ عِيدٍ ".
وَتِلْكَ الأَيَّامُ أَيَّامُ مِنًى. وَقَالَتْ عَائِشَةُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم يَسْتُرُنِي، وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ وَهُمْ
يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ، فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم " دَعْهُمْ، أَمْنًا بَنِي أَرْفِدَةَ ". يَعْنِي مِنَ
الأَمْنِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবু বক্র (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। এসময় মিনার দিবসগুলোর এক দিবসে তাঁর
নিকট দুটি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চাদর
আবৃত অবস্থায় ছিলেন। তখন আবু বক্র (রাঃ) মেয়ে দু’টিকে ধমক দিলেন। অতঃপর নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখমণ্ডল হতে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আবু
বক্র! ওদের বাধা দিওনা। কেননা, এসব ‘ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিলো মিনার দিন।
৯৮৮
وَقَالَتْ
عَائِشَةُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ يَسْتُرُنِي وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ
وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم دَعْهُمْ أَمْنًا بَنِي أَرْفِدَةَ يَعْنِي مِنَ الْأَمْنِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাবশীরা যখন মসজিদে (এর প্রাঙ্গণে) প্রাঙ্গণে খেলাধূলা করছিল, তখন
আমি তাদের দেখছিলাম এবং আমি দেখেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে
আড়াল করে রেখেছেন। 'উমর (রাঃ) হাবশীদের ধমক দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেন, ওদের ধমক দিওনা। হে বনূ আরফিদা! তোমরা যা করছিলে তা কর।
১৩/২৬. অধ্যায়ঃ
‘ঈদের সালাতের আগে ও পরে সালাত আদায় করা’।
আবু মুয়াল্লা (রহঃ) বলেন, আমি সাঈদ (রহঃ)-কে ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে
বলতে শুনেছি যে, তিনি ‘ঈদের পূর্বে সালাত আদায় করা মাকরুহ মনে করতেন।
৯৮৯
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ
ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمَ الْفِطْرِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ
لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا وَمَعَهُ بِلاَلٌ.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে
‘ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করেন। তিনি এর পূর্বে ও পরে কোন
সালাত আদায় করেননি।
No comments