সহিহ মুসলিম অধ্যায় "সালাত" হাদিস নং -৮৫১ থেকে ৯৫০

৮৫১
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ مُسْلِمٍ، جَمِيعًا عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ مُسْلِمٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ الرَّبِيعِ بْنِ مُسْلِمٍ ‏ "‏ أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ وَجْهَهُ وَجْهَ حِمَارٍ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে রাবী' ইবনু মুসলিম-এর বর্ণনায় এ হাদীসের শেষের অংশ নিম্নরূপঃ আল্লাহ তার মুখমণ্ডল গাধার মুখমণ্ডলের মতোই করে দিবেন। (ই.ফা. ৮৪৭, ই.সে. ৮৬০)

২৬. অধ্যায়ঃ

সলাত আদায়ের সময় আকাশের দিকে তাকানো নিষেধ

৮৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ يَرْفَعُونَ أَبْصَارَهُمْ إِلَى السَّمَاءِ فِي الصَّلاَةِ أَوْ لاَ تَرْجِعُ إِلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যেসব লোক সলাতের মধ্যে আকাশের দিকে তাকায় তাদের এমন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায় তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে না। (ই.ফা. ৮৪৮, ই.সে. ৮৬১)

৮৫৩

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ رَفْعِهِمْ أَبْصَارَهُمْ عِنْدَ الدُّعَاءِ فِي الصَّلاَةِ إِلَى السَّمَاءِ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ লোকদের উচিত, তারা যেন সলাতের মধ্যে দু'আর সময় আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ না করে। অন্যথায় তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেয়া হবে। (ই.ফা. ৮৪৯, ই.সে. ৮৬২)

২৭. অধ্যায়ঃ

সলাতরত অবস্থায় শান্ত থাকার নির্দেশ, হাত দিয়ে ইশারা করা এবং সালামের সময় হাত উত্তোলন করা নিষেধ, প্রথম লাইন পূর্ণ করা এবং একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ

৮৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَا لِي أَرَاكُمْ رَافِعِي أَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمْسٍ اسْكُنُوا فِي الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَرَآنَا حَلَقًا فَقَالَ ‏"‏ مَا لِي أَرَاكُمْ عِزِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا قَالَ ‏"‏ يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ ‏"‏ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে বের হয়ে আসলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের হাত উঠাতে দেখি কেন? মনে হয় যেন তা দুষ্ট ঘোড়ার লেজ। ধীরস্থিরভাবে সলাত আদায় করো, নড়াচড়া করো না। রাবী বলেন, তিনি আরেক দিন বের হয়ে আমাদের গোলাকারে দেখে বললেনঃ আমি তোমাদের পরস্পরকে বিচ্ছিন্ন দেখছি কেন? রাবী বলেন, তিনি পুনরায় বের হয়ে এসে বললেনঃ মালায়িকারা (ফেরেশ্‌তারা) যেভাবে তাদের প্রতিপালকের সামনে লাইন বেঁধে দাঁড়ায় তোমরা কি সেভাবে লাইন বাধঁবে না? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! কিভাবে ফেরেশ্‌তারা তাদের রবের সামনে কাতারবন্দী হন? তিনি বললেনঃ তারা প্রথম লাইন (আগে) পূর্ণ করে এবং পরস্পরের সাথে মিলে দাঁড়ায়। (ই.ফা. ৮৫০, ই.সে. ৮৬৩)

৮৫৫

وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏
আ'মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। ( ই.ফা. ৮৫১, ই.সে. ৮৬৪)

৮৫৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ ابْنُ الْقِبْطِيَّةِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْجَانِبَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَلاَمَ تُومِئُونَ بِأَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمُسٍ إِنَّمَا يَكْفِي أَحَدَكُمْ أَنْ يَضَعَ يَدَهُ عَلَى فَخِذِهِ ثُمَّ يُسَلِّمُ عَلَى أَخِيهِ مَنْ عَلَى يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ ‏"‏ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতাম তখন, 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' বলে নামায শেষ করতাম। তিনি (জাবির) হাত দিয়ে উভয় দিকে ইশারা করে দেখালেন। (অর্থাৎ- সালামের সাথে সাথে হাতে ইশারাও করা হত)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা (সালামের সময়) দুষ্ট ঘোড়ার লেজ ঘুরানোর মতো দু'হাত দিয়ে ইশারা করো কেন? তোমরা উরুর উপর হাত রেখে ডানে-বায়ে মুখ ফিরিয়ে তোমাদের ভাইদের সালাম দিবে। এরূপ করাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৮৫২, ই.সে. ৮৬৫) ১০৩
টীকা১০৩ ঃ আমাদের সমাজে এ কথা প্রচলিত রয়েছে, রফউল ইয়াদাঈন করাটা ঘোড়ার লেজ নড়াবার মতো, যা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। কিন্তু উপরোক্ত হাদীস প্রমাণ করে যে, ঘোড়ার লেজের উক্তিটি সালাম ফিরানোর সাথে সম্পৃক্ত, নামাযের ভিতরে রফউল ইয়াদাঈনের সাথে নয়।

৮৫৭

وَحَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ فُرَاتٍ، - يَعْنِي الْقَزَّازَ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكُنَّا إِذَا سَلَّمْنَا قُلْنَا بِأَيْدِينَا السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَنَظَرَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مَا شَأْنُكُمْ تُشِيرُونَ بِأَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمُسٍ إِذَا سَلَّمَ أَحَدُكُمْ فَلْيَلْتَفِتْ إِلَى صَاحِبِهِ وَلاَ يُومِئْ بِيَدِهِ ‏"‏ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করেছি। আমরা যখন সালাম ফিরাতাম হাত দিয়ে ইশারা করে বলতাম, 'আস্‌সালা-মু আলাইকুম, 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম।' রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেনঃ কি ব্যাপার তোমরা হাত দিয়ে ইশারা করছ, মনে হচ্ছে যেন দুষ্ট ঘোড়ার লেজ। তোমাদের কেউ যখন সালাম করে সে যেন তার সাথের লোকের দিকে ফিরে সালাম করে এবং হাত দিয়ে ইশারা না করে। (ই.ফা. ৮৫৩, ই.সে. ৮৬৬)

২৮. অধ্যায়ঃ

সলাতের লাইনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সমান করে সাজানো, প্রথম লাইনের মর্যাদা, প্রথম লাইনে দাঁড়ানোর জন্য ভীড় করে অগ্রগামী হওয়া এবং মর্যাদাসম্পন্ন লোকেদের সামনে যাওয়া ও ইমামের কাছে দাঁড়ানো

৮৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَوَكِيعٌ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِي الصَّلاَةِ وَيَقُولُ ‏ "‏ اسْتَوُوا وَلاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ لِيَلِنِي مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلاَمِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ أَشَدُّ اخْتِلاَفًا ‏.‏
আবূ মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমরা সোজাসুজি দাঁড়াও এবং আগে পিছে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে দাঁড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তর মতভেদে লিপ্ত হয়ে পড়বে। বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। অতঃপর এ গুণে যারা তাদের নিকটবর্তী তারা পর্যায়ক্রমে এদের কাছাকাছি দাঁড়াবে। আবূ মাস'ঊদ (রাঃ) বলেন, কিন্তু আজকাল তোমাদের মধ্যে চরম বিভেদ-বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। (ই.ফা. ৮৫৪, ই.সে. ৮৬৭)

৮৫৯

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏
ইবনু 'উয়াইনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৮৫৫, ই.সে. ৮৬৮)

৮৬০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، وَصَالِحُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ وَرْدَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنِي خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لِيَلِنِي مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلاَمِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ - ثَلاَثًا - وَإِيَّاكُمْ وَهَيْشَاتِ الأَسْوَاقِ ‏"‏ ‏.‏
'আবদুল্লাহ ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বুদ্ধিমান, বিচক্ষন ও জ্ঞানী লোকেরা আমার নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়াবে।অতঃপর পর্যায়ক্রমে তাদের কাছাকাছি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকেরা দাঁড়াবে। তিনি এ কথা তিনবার বলেছেন। সাবধান! তোমরা (মাসজিদে) বাজারের মত শোরগোল করবে না। (ই.ফা. ৮৫৬, ই.সে. ৮৬৯)

৮৬১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصَّفِّ مِنْ تَمَامِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সলাতের লাইনগুলো সোজা কর। কেননা লাইন সোজা করা সলাত পুরোপুরিভাবে আদায় করার অন্তর্ভুক্ত। (ই.ফা. ৮৫৭, ই.সে. ৮৭০)

৮৬২

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، - وَهُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ - عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَتِمُّوا الصُّفُوفَ فَإِنِّي أَرَاكُمْ خَلْفَ ظَهْرِي ‏"‏ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সলাতের লাইন পূর্ণ কর। আমি আমার পিছন দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই। (ই.ফা. ৮৫৮, ই.সে. ৮৭১)

৮৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ ‏ "‏ أَقِيمُوا الصَّفَّ فِي الصَّلاَةِ فَإِنَّ إِقَامَةَ الصَّفِّ مِنْ حُسْنِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) আমাদের কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করলেন। তার মধ্যে একটি হাদীস হলো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সলাতের লাইন সোজা করো। কেননা সঠিকভাবে লাইন সোজা করা সলাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। (ই.ফা. ৮৫৯, ই.সে. ৮৭২)

৮৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ‏"‏ ‏.‏
নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা (সলাতে) নিজেদের লাইনগুলো অবশ্যই সোজা করে (দাঁড়াবে) সাজাবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখ-মণ্ডলকে বিকৃত করে দিবেন। (ই.ফা. ৮৬০, ই.সে. ৮৭৩)

৮৬৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَوِّي صُفُوفَنَا حَتَّى كَأَنَّمَا يُسَوِّي بِهَا الْقِدَاحَ حَتَّى رَأَى أَنَّا قَدْ عَقَلْنَا عَنْهُ ثُمَّ خَرَجَ يَوْمًا فَقَامَ حَتَّى كَادَ يُكَبِّرُ فَرَأَى رَجُلاً بَادِيًا صَدْرُهُ مِنَ الصَّفِّ فَقَالَ ‏ "‏ عِبَادَ اللَّهِ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ‏"‏ ‏.‏
নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের (সলাতের ) লাইনগুলো সোজা করে দিতেন, মনে হত তিনি যেন কামানের কাঠ সোজা করছেন। যতক্ষণ না বুঝতে পারতেন যে, আমরা তার থেকে পুরোপুরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। অতঃপর তিনি স্বস্থানে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহ্‌রীমা বলতে যাবেন, এমন সময় দেখলেন এক ব্যক্তি কাতার থেকে সামনে এগিয়ে আছে, তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর বান্দাগণ তোমাদের লাইন সোজা কর, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখ-মণ্ডল বিকৃত করে দিবেন। (ই.ফা. ৮৬১, ই.সে. ৮৭৪)

৮৬৬

حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏
হাসান ইবনু রাবী' (রহ.) , আবূ বক্‌র ইবনু শাইবাহ (রহ.) ও কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা'ঈদ (রহ.) আবূ 'আওয়ানাহ্‌ (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরের হাদীসের অবিকল বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৮৬২, ই.সে. ৮৭৫)

৮৬৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আযান দেয়া এবং প্রথম লাইনে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কি মর্যাদা রয়েছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তবে তা পাবার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারী করত। দুপুরের সলাতের যে মর্যাদা রয়েছে তা যদি তারা জানতে পারত, তবে তারা এটা লাভ করার প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। ইশা ও ফাজরের সলাতের মধ্যে (তাদের জন্য) কি মর্যাদা রয়েছে তা যদি জানতে পারত তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এসে সলাতে উপস্থিত হত। (ই. ফা. ৮৬৩, ই. সে. ৮৭৬)

৮৬৮

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِي أَصْحَابِهِ تَأَخُّرًا فَقَالَ لَهُمْ ‏ "‏ تَقَدَّمُوا فَائْتَمُّوا بِي وَلْيَأْتَمَّ بِكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ لاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কতিপয় সহাবাকে প্রায়ই পিছনের লাইনে দাঁড়াতে দেখেন। তিনি তাদের বললেনঃ তোমরা সামনে এগিয়ে এসে আমার পিছনে অনুসরণ কর। তাহলে তোমাদের পূর্ববর্তীরা তোমাদের পিছনে অনুসরণ করবে। একদল লোক সবসময় দেরি করে এসে পিছনে দাঁড়ায়। আল্লাহ তাদেরকে (নিজের রহমাত থেকে) পিছনে রাখবেন। (ই. ফা. ৮৬৪, ই. সে. ৮৭৭)

৮৬৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْمًا فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ ‏.‏ فَذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল লোককে মাসজিদে পিছনের দিকে বসে থাকতে দেখলেন...অবশিষ্টাংশ উপরের হাদীসের অনুরুপ। (ই. ফা. ৮৬৫, ই. সে. ৮৭৮)

৮৭০

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ الْوَاسِطِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلاَسٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لَوْ تَعْلَمُونَ - أَوْ يَعْلَمُونَ - مَا فِي الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ لَكَانَتْ قُرْعَةً ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ حَرْبٍ ‏"‏ الصَّفِّ الأَوَّلِ مَا كَانَتْ إِلاَّ قُرْعَةً ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যদি জানতে অথবা তারা যদি জানত যে, সামনের লাইনে দাঁড়ানো কত কল্যাণকর; তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য লটারী করত। ইবনু হারব্‌-এর বর্ণনায় প্রথম লাইনের উল্লেখ রয়েছে। তাতে আরো আছেঃ তারা এ লাইনে স্থান লাভ করার জন্য লটারী করত। (ই. ফা. ৮৬৬, ই. সে. ৮৭৯)

৮৭১

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষদের জন্য প্রথম লাইন উত্তম এবং শেষের লাইন মন্দ। মহিলাদের জন্য শেষের লাইন উত্তম এবং প্রথম লাইন মন্দ। (ই. ফা. ৮৬৭,ই. সে. ৮৮০) [১০৪]
[১০৪] এ বিষয়টা ঐ মাসজিদের জন্য যে মাসজিদ এককক্ষ বিশিষ্ট এবং ঐ একই কক্ষে পুরুষ ও মহিলাদের সলাতের ব্যবস্থা আছে।

৮৭২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏
সুহায়ল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৮৬৮, ই. সে. ৮৮১)

২৯. অধ্যায়ঃ

পুরুষদের সাথে যেসব মহিলা জামা’আতে শরীক হয়ে সলাত আদায় করে তাদের প্রতি নির্দেশ হলো, পুরুষ মুসল্লীরা সাজদাহ্ থেকে মাথা না উঠানো পর্যন্ত তারা মাথা উঠাবে না।

৮৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ الرِّجَالَ عَاقِدِي أُزُرِهِمْ فِي أَعْنَاقِهِمْ مِثْلَ الصِّبْيَانِ مِنْ ضِيقِ الأُزُرِ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قَائِلٌ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ لاَ تَرْفَعْنَ رُءُوسَكُنَّ حَتَّى يَرْفَعَ الرِّجَالُ ‏.‏
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে পুরুষদেরকে তাদের লুঙ্গি খাটো হওয়ার কারণে বালকদের মতো কাঁধের সাথে গিট দিয়ে তহবন্দ গলায় বেঁধে পরিধান করতে দেখেছি। এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে নারী সমাজ! পুরুষদের মাথা উঠানোর আগে তোমরা মাথা উঠাবে না। (ই. ফা. ৮৬৯, ই. সে. ৮৮২)

৩০. অধ্যায়ঃ

অবাঞ্ছিত কিছু ঘটার সম্ভাবনা না থাকলে মহিলাদের মাসজিদে যাওয়া কিন্তু সুগন্ধি মেখে তারা বের হবে না

৮৭৪

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنِ الزُّهْرِيِّ، سَمِعَ سَالِمًا، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا اسْتَأْذَنَتْ أَحَدَكُمُ امْرَأَتُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَلاَ يَمْنَعْهَا ‏"‏ ‏.‏
সালিম থেকে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো স্ত্রী তার স্বামীর কাছে মাসজিদে যাওয়ার অনুমতি চাইলে সে যেন তাকে নিষেধ না করে। (ই. ফা. ৮৭০, ই. সে. ৮৮৩)

৮৭৫

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ إِذَا اسْتَأْذَنَّكُمْ إِلَيْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ بِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَاللَّهِ لَنَمْنَعُهُنَّ ‏.‏ قَالَ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ فَسَبَّهُ سَبًّا سَيِّئًا مَا سَمِعْتُهُ سَبَّهُ مِثْلَهُ قَطُّ وَقَالَ أُخْبِرُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُولُ وَاللَّهِ لَنَمْنَعُهُنَّ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের স্ত্রীরা মাসজিদে যাওয়ার জন্য তোমাদের কাছে অনুমতি চাইলে তাদের বাধা দিও না।
রাবী (সালিম) বলেন, বিলাল ইবনু ‘আবদুল্লাহ বললেনঃ আল্লাহর শপথ! অবশ্যই আমরা তাদেরকে বাধা দিব। রাবী ( সালিম) বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) তার দিকে ফিরে তাকে অকথ্য ভাষায় তিরস্কার করলেন। আমি তাকে এর আগে কখনো এভাবে গালিগালাজ করতে শুনিনি। তিনি আরো বলেন, আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশ সম্পর্কে অবহিত করছি, আর তুমি বলছঃ আল্লাহর শপথ, অবশ্যই আমরা তাদেরকে বাধা দিব। ( ই. ফা. ৮৭১, ই. সে. ৮৮৪)

৮৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَابْنُ، إِدْرِيسَ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَمْنَعُوا إِمَاءَ اللَّهِ مَسَاجِدَ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর বাঁদীদের আল্লাহর মাসজিদে যেতে বাধা দিও না। (ই. ফা. ৮৭২, ই. সে. ৮৮৫)

৮৭৭

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا اسْتَأْذَنَكُمْ نِسَاؤُكُمْ إِلَى الْمَسَاجِدِ فَأْذَنُوا لَهُنَّ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি : তোমাদের মহিলারা মাসজিদে যাওয়ার জন্য তোমাদের কাছে অনুমতি চাইলে তাদেরকে অনুমতি দিও। (ই.ফা. ৮৭৩, ই.সে. ৮৮৬)

৮৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَمْنَعُوا النِّسَاءَ مِنَ الْخُرُوجِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِاللَّيْلِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ ابْنٌ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ لاَ نَدَعُهُنَّ يَخْرُجْنَ فَيَتَّخِذْنَهُ دَغَلاً ‏.‏ قَالَ فَزَبَرَهُ ابْنُ عُمَرَ وَقَالَ أَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُولُ لاَ نَدَعُهُنَّ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহিলাদেরকে রাতের বেলা মাসজিদে যেতে বাধা দিও না। ‘আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমারের (রাঃ) এক ছেলে (বিলাল) বলল, আমরা তাদেরকে বের হতে দিব না। কেননা লোকেরা এটাকে ফ্যাসাদের রূপ দিবে। রাবী বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাকে ধমক দিয়ে বললেন, আমি বলছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আর তুমি বলছ আমরা তাদেরকে (বাইরে যেতে) ছেড়ে দিব না! (ই.ফা. ৮৭৪, ই.সে. ৮৮৭)

৮৭৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏
আল আ’মাশ (রহঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৮৭৫, ই.সে. ৮৮৮)

৮৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَابْنُ، رَافِعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ائْذَنُوا لِلنِّسَاءِ بِاللَّيْلِ إِلَى الْمَسَاجِدِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ ابْنٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ وَاقِدٌ إِذًا يَتَّخِذْنَهُ دَغَلاً ‏.‏ قَالَ فَضَرَبَ فِي صَدْرِهِ وَقَالَ أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُولُ لاَ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহিলাদেরকে রাতের বেলা মাসজিদে যাওয়ার অনুমতি দিও। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের ছেলে ওয়াকিদ তাকে (পিতাকে) বলল, এ সুযোগকে তারা বিপর্যয়ের কারণে পরিণত করবে।
রাবী বলেন, এ কথা শুনামাত্র তিনি (ইবনু ‘উমার) ওয়াকিদ-এর বুকে আঘাত করলেন এবং বললেন, আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাদীস (নির্দেশ) বলছি, আর তুমি বলছ- না! (ই.ফা. ৮৭৬, ই.সে. ৮৮৯)

৮৮১

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ - حَدَّثَنَا كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَمْنَعُوا النِّسَاءَ حُظُوظَهُنَّ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِذَا اسْتَأْذَنُوكُمْ ‏"‏ فَقَالَ بِلاَلٌ وَاللَّهِ لَنَمْنَعُهُنَّ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ أَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُولُ أَنْتَ لَنَمْنَعُهُنَّ ‏.‏
বিলাল ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (‘আবদুল্লাহ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহিলাদের মাসজিদে যাওয়ার অধিকারে তোমরা বাধা দিও না। তারা যদি তোমাদের নিকট অনুমতি চায়। বিলাল বললেনঃ আল্লাহর শপথ! অবশ্যই আমরা তাদেরকে বাধা দিব। ইবনু ‘উমার উত্তরে বললেনঃ আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নির্দেশ সম্পর্কে অবহিত করছি, আর তুমি বলছ : তাদেরকে অবশ্যই বাধা দিব। (ই.ফা. ৮৭৭, ই.সে. ৮৯০)

৮৮২

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْنَبَ الثَّقَفِيَّةَ، كَانَتْ تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ إِذَا شَهِدَتْ إِحْدَاكُنَّ الْعِشَاءَ فَلاَ تَطَيَّبْ تِلْكَ اللَّيْلَةَ ‏"‏ ‏.‏
সাকীফ গোত্রের যাইনাব আস্ সাকাফিয়্যাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের (মহিলাদের) কেউ যখন ইশার সলাতে শামিল হতে চায়, ঐ রাতে সে যেন সুগন্ধি ব্যবহার না করে। (ই.ফা. ৮৭৮, ই.সে. ৮৯১)

৮৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْنَبَ، امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَتْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا شَهِدَتْ إِحْدَاكُنَّ الْمَسْجِدَ فَلاَ تَمَسَّ طِيبًا ‏"‏ ‏.‏
‘আবদুল্লাহর স্ত্রী যাইনাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ তোমাদের কোন মহিলা যখন মাসজিদে উপস্থিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে (আসে)। (ই.ফা. ৮৭৯, ই.সে. ৮৯২)

৮৮৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ أَصَابَتْ بَخُورًا فَلاَ تَشْهَدْ مَعَنَا الْعِشَاءَ الآخِرَةَ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন স্ত্রীলোক সুগন্ধি দ্রব্যের ধোঁয়া গ্রহণ করে, সে যেন আমাদের সাথে ‘ইশার সলাতে শামিল না হয়। (ই.ফা. ৮৮০, ই.সে. ৮৯৩)

৮৮৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ لَوْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ الْمَسْجِدَ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لِعَمْرَةَ أَنِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مُنِعْنَ الْمَسْجِدَ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏
‘আবদুর রহমান-এর কন্যা ‘আমরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন। মহিলারা (সাজসজ্জার যেসব) নতুন পন্থা বের করে নিয়েছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগুলো দেখলে বনী ইসরাঈলের মহিলাদের মত তাদেরকেও মাসজিদে আসতে নিষেধ করতেন। ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ বলেনঃ আমি ‘আমরাহ্ কে জিজ্ঞেস করলাম, ইসরাঈল বংশের মহিলাদেরকে কি মাসজিদে আসতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছিল? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। (ই.ফা. ৮৮১, ই.সে. ৮৯৪)

৮৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ يَعْنِي الثَّقَفِيَّ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) –এর উল্লেখিত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৮৮২, ই.সে. ৮৯৫)

৩১. অধ্যায়ঃ

সলাতে মধ্যম আওয়াজে কিরাআত পাঠ করবে, যদি সশব্দে কিরাআত পাঠ করাতে অবাঞ্ছিত কিছু বিপদের সম্ভাবনা থাকে

৮৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ جَمِيعًا عَنْ هُشَيْمٍ، - قَالَ ابْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، - أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا‏}‏ قَالَ نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَوَارٍ بِمَكَّةَ فَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ فَإِذَا سَمِعَ ذَلِكَ الْمُشْرِكُونَ سَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم ‏{‏ وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ‏}‏ فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ قِرَاءَتَكَ ‏{‏ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا‏}‏ عَنْ أَصْحَابِكَ أَسْمِعْهُمُ الْقُرْآنَ وَلاَ تَجْهَرْ ذَلِكَ الْجَهْرَ وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً يَقُولُ بَيْنَ الْجَهْرِ وَالْمُخَافَتَةِ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ তা’আলার বাণী-“নিজেদের সলাত খুব উচ্চৈঃস্বরেও পড়বে না এবং খুব নীচুস্বরেও পড়বে না, (এর মাঝামাঝি আওয়াজে পড়বে) ”- (সূরাহ বনী ইসরাঈল/ইসরা ১৭ : ১১০)। তিনি এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, এ আয়াত এমন এক সময় নাযিল হয় যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় (লোকচক্ষুর অন্তরালে) গোপন জীবন-যাপন করছিলেন। অতঃপর তিনি সহাবাদের নিয়ে যখন সলাত আদায় করতেন উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করতেন। মুশরিকরা যখন তা শুনতে পেত তারা কুরআনের অবতীর্ণকারী এবং এটা নিয়ে আগমনকারীকে গালি দিত। মহান আল্লাহ তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বললেনঃ “তোমার সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করো না।” তাহলে মুশরিকরা তোমার কিরাআত শুনে ফেলবে। “আর নীচুস্বরেও পাঠ করবে না”- তাহলে তোমার সহাবারা তোমার কুরআন পাঠ শুনতে পাবে না। অবশ্য উচ্চৈঃস্বরেও পাঠ করবে না, বরং এ দু’য়ের মাঝামাঝি আওয়াজে পাঠ করবে। অর্থাৎ উচ্চৈঃস্বর ও নিম্নস্বরের মাঝামাঝি স্বরে পাঠ করবে। (ই.ফা. ৮৮৩, ই.সে. ৮৯৬)

৮৮৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا‏}‏ قَالَتْ أُنْزِلَ هَذَا فِي الدُّعَاءِ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মহান আল্লাহর বাণী-“নিজেদের সলাত খুব উচ্চৈঃস্বরেও পড়বে না এবং নীচুস্বরেও পড়বে না”- এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা দু’আ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। (অর্থাৎ-দু’আ খুব উচ্চৈঃস্বরেও করবে না এবং খুব নীচুস্বরেও করবে না)। (ই.ফা. ৮৮৪, ই.সে. ৮৯৭)

৮৮৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَوَكِيعٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏
হিশাম (রহঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৮৮৫, ই.সে. ৮৯৮)

৩২.অধ্যায়ঃ

কিরাআত পাঠ মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে

৮৯০

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كُلُّهُمْ عَنْ جَرِيرٍ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، - عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ‏}‏ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ جِبْرِيلُ بِالْوَحْىِ كَانَ مِمَّا يُحَرِّكُ بِهِ لِسَانَهُ وَشَفَتَيْهِ فَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ فَكَانَ ذَلِكَ يُعْرَفُ مِنْهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏ لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ‏}‏ أَخْذَهُ ‏{‏ إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ‏}‏ إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ نَجْمَعَهُ فِي صَدْرِكَ ‏.‏ وَقُرْآنَهُ فَتَقْرَأُهُ ‏{‏ فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ‏}‏ قَالَ أَنْزَلْنَاهُ فَاسْتَمِعْ لَهُ ‏{‏ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ‏}‏ أَنْ نُبَيِّنَهُ بِلِسَانِكَ فَكَانَ إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيلُ أَطْرَقَ فَإِذَا ذَهَبَ قَرَأَهُ كَمَا وَعَدَهُ اللَّهُ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মহান আল্লাহর বাণী-“তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্য আপনি দ্রুত ওয়াহী আবৃত্তি করবেন না”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ্ ৭৫ : ১৬)। তিনি এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, জিবরীল (‘আঃ) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে ওয়াহী অবতীর্ণ করতেন তিনি তা আয়ত্ত করার জন্য জিহ্বা ও ঠোঁট নাড়তেন। এটা তাঁর জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ত। তাঁর অবস্থা থেকেই এটা বুঝা যেত। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন: “এ ওয়াহী খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার জন্য নিজের জিহ্বা নাড়াবেন না। এটা মুখস্থ করিয়ে দেয়া ও পড়িয়ে দেয়া আমারই দায়িত্ব”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ্ ৭৫ : ১৬-১৭)। অর্থাৎ- এটা তোমার অন্তরে পুঞ্জিভূত করে দেয়া এবং তোমাকে পড়িয়ে দেয়া আমার দায়িত্ব। “অতএব আমি যখন তা পাঠ করতে থাকি তখন তুমি তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকো”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ্ ৭৫ : ১৮)। অর্থাৎ- এ ওয়াহী আমি অবতীর্ণ করছি, তুমি তা মনোযোগ সহকারে শুন। এর তাৎপর্য বুঝিয়ে দেয়া আমাদেরই দায়িত্ব। “তোমার মুখ দিয়ে তা বলানো আমার দায়িত্ব”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ্ ৭৫ : ১৯)। এরপর থেকে যখন জিবরীল (‘আঃ) তাঁর কাছে ওয়াহী নিয়ে আসতেন, তিনি মনোযোগ সহকারে তা শুনতেন। তিনি চলে যাওয়ার পর মহান আল্লাহর ওয়া’দা অনুযায়ী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা পাঠ করতেন। (ই.ফা. ৮৮৬, ই.সে. ৮৯৯)

৮৯১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ ‏{‏ لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ‏}‏ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعَالِجُ مِنَ التَّنْزِيلِ شِدَّةً كَانَ يُحَرِّكُ شَفَتَيْهِ - فَقَالَ لِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَا أُحَرِّكُهُمَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحَرِّكُهُمَا ‏.‏ فَقَالَ سَعِيدٌ أَنَا أُحَرِّكُهُمَا كَمَا كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُحَرِّكُهُمَا ‏.‏ فَحَرَّكَ شَفَتَيْهِ - فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏ لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ * إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ‏}‏ قَالَ جَمْعَهُ فِي صَدْرِكَ ثُمَّ تَقْرَأُهُ ‏{‏ فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ‏}‏ قَالَ فَاسْتَمِعْ وَأَنْصِتْ ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ تَقْرَأَهُ قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيلُ اسْتَمَعَ فَإِذَا انْطَلَقَ جِبْرِيلُ قَرَأَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كَمَا أَقْرَأَهُ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মহান আল্লাহর বাণীঃ “এ ওয়াহী তাড়াহুড়া করে মুখস্থ করার জন্য নিজের জিহ্বা নাড়াবেন না”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ্ ৭৫ : ১৬)। তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, ওয়াহী নাযিল হওয়াকালীন সময়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুব কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতেন। তিনি তা আয়ত্ত করার জন্য নিজের ঠোঁটদ্বয় নাড়তেন। সা’ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেভাবে তাঁর ঠোঁট নাড়তেন- আমি তোমাকে তেমন করে দেখাচ্ছি। অতঃপর তিনি [ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ] তাঁর ঠোঁট নাড়ালেন। সা’ঈদ (রহ্ঃ) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) যেভাবে ঠোঁট নেড়েছেন আমিও তেমন করে দেখাচ্ছি। অতঃপর তিনি [সা‘ঈদ (রাহ্ঃ) ] নিজের ঠোঁট নাড়লেন, মহান আল্লাহ নাযিল করলেন:“এ ওয়াহী তাড়াহুড়া করে মুখস্থ করার জন্য বারবার নিজের জিহ্বা নাড়িও না। এটা মুখস্থ করিয়ে দেয়া ও পড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমার”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ্ ৭৫ : ১৬-১৭)। অর্থাৎ- তোমার অন্তরে তা গেঁথে দেয়া এবং তোমার মুখে তা পাঠ করিয়ে দেয়া আমার দায়িত্ব।- (আল কিয়ামাহ ৭৫ : ১৮)। তুমি তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকো ও চুপচাপ থাকো। এরপর তা তোমার মুখ দিয়ে পড়িয়ে দেয়া আমার দায়িত্ব।” এরপর থেকে জিবরীল (‘আঃ) ওয়াহী নিয়ে আসলে তিনি তা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। জিবরীল (‘আঃ) চলে যাওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পাঠ হুবহু পড়তেন। (ই.ফা. ৮৮৭, ই.সে. ৯০০)

৩৩.অধ্যায়ঃ

ফাজরের সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়া এবং জিনদের সামনে কিরাআত পড়া

৮৯২

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَا قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْجِنِّ وَمَا رَآهُمُ انْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ عَامِدِينَ إِلَى سُوقِ عُكَاظٍ وَقَدْ حِيلَ بَيْنَ الشَّيَاطِينِ وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ وَأُرْسِلَتْ عَلَيْهِمُ الشُّهُبُ فَرَجَعَتِ الشَّيَاطِينُ إِلَى قَوْمِهِمْ فَقَالُوا مَا لَكُمْ قَالُوا حِيلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ وَأُرْسِلَتْ عَلَيْنَا الشُّهُبُ ‏.‏ قَالُوا مَا ذَاكَ إِلاَّ مِنْ شَىْءٍ حَدَثَ فَاضْرِبُوا مَشَارِقَ الأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا فَانْظُرُوا مَا هَذَا الَّذِي حَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ ‏.‏ فَانْطَلَقُوا يَضْرِبُونَ مَشَارِقَ الأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا فَمَرَّ النَّفَرُ الَّذِينَ أَخَذُوا نَحْوَ تِهَامَةَ - وَهُوَ بِنَخْلٍ - عَامِدِينَ إِلَى سُوقِ عُكَاظٍ وَهُوَ يُصَلِّي بِأَصْحَابِهِ صَلاَةَ الْفَجْرِ فَلَمَّا سَمِعُوا الْقُرْآنَ اسْتَمَعُوا لَهُ وَقَالُوا هَذَا الَّذِي حَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ ‏.‏ فَرَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ فَقَالُوا يَا قَوْمَنَا ‏{‏ إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا * يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا‏}‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَبِيِّهِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏{‏ قُلْ أُوحِيَ إِلَىَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ‏}‏ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিনদের নিকট কুরআন তিলাওয়াত করেননি এবং তিনি তাদের দেখেননি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর একদল সহাবাকে নিয়ে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। এ সময় আকাশমণ্ডলী থেকে তথ্য সংগ্রহকারী শাইতানদের জন্য আকাশমণ্ডলীর সংবাদ শোনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এবং তাদের উপর উল্কা (জ্বলন্ত আগুনের টুকরা) নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। শয়তানেরা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে আসলে তারা জিজ্ঞেস করল, তোমাদের কি হয়েছে? তারা বলল, ঊর্ধ্বলোকের তথ্য ও আমাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং আমাদের উপর উল্কা নিক্ষেপ করা হয়েছে। সম্প্রদায়ের লোকেরা বলল, এর কারণ হচ্ছে- নিশ্চয়ই নতুন কিছু ঘটছে। পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবী বিচরণ করে দেখো তোমাদের মাঝে ও আসমানের খবরাদির মাঝে কোন জিনিস প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দলে দলে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবী ঘুরে এর কারণ উদঘাটন করার জন্য বেরিয়ে পড়ল। এদের মধ্যে একদল তিহামাহ্ প্রদেশের পথ ধরে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে বের হলো। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাখলাহ্ নামক স্থানে তাঁর সহাবাদের নিয়ে ফাজরের সলাত আদায় করছিলেন। তারা যখন কুরআন পড়া শুনতে পেল, খুব মনোযোগ দিয়ে শুনল। অতঃপর তারা বলল, আমাদের ও আসমানের খবরাদির মাঝেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার এটাই একমাত্র কারণ। তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, ‘ হে আমাদের জাতির লোকেরা! “ আমরা এক অতীব আশ্চর্যজনক পাঠ (কুরআন) শুনেছি। তা কল্যাণের পথের দিকে হিদায়াত দান করে। এজন্য আমরা এর উপর ঈমান এনেছি। আমরা আর কখনো আমাদের প্রতিপালকের সাথে কাউকে শারীক করব না”- (সূরাহ জিন ৭২ : ১-২)। এ ঘটনার পর আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ করে বললেনঃ “ বলো আমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে (কুরআন) শুনেছে …..”- (সূরাহ জিন্ ৭২:১) নাযিল করলেন। (ই.ফা. ৮৮৮, ই.সে. ৯০১)

৮৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَلْقَمَةَ هَلْ كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ شَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ قَالَ فَقَالَ عَلْقَمَةُ أَنَا سَأَلْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ فَقُلْتُ هَلْ شَهِدَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ قَالَ لاَ وَلَكِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَفَقَدْنَاهُ فَالْتَمَسْنَاهُ فِي الأَوْدِيَةِ وَالشِّعَابِ فَقُلْنَا اسْتُطِيرَ أَوِ اغْتِيلَ - قَالَ - فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا إِذَا هُوَ جَاءٍ مِنْ قِبَلِ حِرَاءٍ - قَالَ - فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْنَاكَ فَطَلَبْنَاكَ فَلَمْ نَجِدْكَ فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَتَانِي دَاعِي الْجِنِّ فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَانْطَلَقَ بِنَا فَأَرَانَا آثَارَهُمْ وَآثَارَ نِيرَانِهِمْ وَسَأَلُوهُ الزَّادَ فَقَالَ ‏"‏ لَكُمْ كُلُّ عَظْمٍ ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِي أَيْدِيكُمْ أَوْفَرَ مَا يَكُونُ لَحْمًا وَكُلُّ بَعَرَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَلاَ تَسْتَنْجُوا بِهِمَا فَإِنَّهُمَا طَعَامُ إِخْوَانِكُمْ ‏"‏ ‏.‏
‘আমির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘আলকামাকে প্রশ্ন করলাম, জিনদের সাথে সাক্ষাতের রাতে ইবনু মাস’উদ (রাঃ) কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলেন? রাবী বলেন, ‘আলকামাহ (রাঃ) বললেন, আমি ইবনু মাস’উদ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম, জিনদের সাথে সাক্ষাতের রাতে আপনাদের মধ্যে কেউ কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ না, তবে আমরা এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম। আমরা তাঁকে হারিয়ে ফেললাম। আমরা পাহাড়ের উপত্যকায় ও গিরিপথে তাঁকে খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না। আমরা মনে করলাম, হয় জিনেরা তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে অথবা কেউ তাঁকে গোপনে মেরে ফেলেছে। রাবী [ইবনু মাস’উদ (রাঃ) ] বলেন, এ রাতটি আমাদের জন্য এতই দুর্ভাগ্যজনক ছিল যে, মনে হয় কোন জাতির উপর এমন রাত আসেনি। যখন ভোর হলো, আমরা তাঁকে হেরা পর্বতের দিক থেকে আসতে দেখলাম। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমরা আপনাকে হারিয়ে ফেললাম এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আপনার কোন সন্ধান পেলাম না। তাই সারারাত আমরা চরম দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছি।মনে হয় এরূপ দুর্ভাগ্যজনক রাত কোন জাতির উপর আসেনি। তিনি বলেনঃ জিনদের পক্ষ থেকে এক আহ্বানকারী আমাকে নিতে আসে। আমি তার সাথে গেলাম এবং তাদেরকে কুরআন পাঠ করে শুনালাম। রাবী (ইবনু মাস’উদ (রাঃ) ) বলেন, তিনি আমাদেরকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে তাদের বিভিন্ন নিদর্শন ও আগুনের চিহ্ন দেখালেন। তারা তাঁর কাছে খাদ্যের জন্য প্রার্থনা করল। তিনি বললেন, যে জন্তু আল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে তার হাড় তোমাদের খাদ্য। তোমাদের হাতের স্পর্শে তা পুনরায় গোশতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। উটের বিষ্ঠা তোমাদের পশুর খাদ্য।
অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাদের) বললেনঃ এ দু’টো জিনিস দিয়ে শৌচকার্য করো না। কেননা এ দু’টো তোমাদের ভাইদের (জিনদের) খাদ্য। (ই.ফা. ৮৮৯, ই.সে. ৯০২)

৮৯৪

وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ وَآثَارَ نِيرَانِهِمْ ‏.‏
দাউদ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে-“ তাদের আগুনের চিহ্ন” পর্যন্ত। (ই.ফা. ৮৯০, ই.সে. ৯০৩)

৮৯৫

قَالَ الشَّعْبِيُّ وَسَأَلُوهُ الزَّادَ وَكَانُوا مِنْ جِنِّ الْجَزِيرَةِ ‏.‏ إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِ الشَّعْبِيِّ مُفَصَّلاً مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏
শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এরা তাঁর কাছে খাদ্যের জন্য আবেদন করে। এরা জাযীরাতুল আরবের জ্বিন ছিল। শা’বীর এই বর্ণনা পর্যন্ত হাদীস শেষ হয়েছে। ‘আবদুল্লাহর হাদীস থেকে এ সূত্রে বর্ণনা কিছুটা ব্যাপক। (ই.ফা. ৮৯০, ই.সে. ৯০৩)

৮৯৬

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْلِهِ وَآثَارَ نِيرَانِهِمْ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
“ তাদের আগুনের চিহ্ন” বক্তব্য পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে এবং এর পরের অংশ উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৮৯১, ই.সে. ৯০৪)

৮৯৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمْ أَكُنْ لَيْلَةَ الْجِنِّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ مَعَهُ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জিন্‌দের সাথে সাক্ষাতের রাতে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম না। আফসোস! আমি যদি তাঁর সাথে থাকতাম। (ই. ফা. ৮৯২, ই. সে. ৯০৪)

৮৯৮

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ مَعْنٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، سَأَلْتُ مَسْرُوقًا مَنْ آذَنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِالْجِنِّ لَيْلَةَ اسْتَمَعُوا الْقُرْآنَ فَقَالَ حَدَّثَنِي أَبُوكَ - يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ - أَنَّهُ آذَنَتْهُ بِهِمْ شَجَرَةٌ ‏.‏
মা’ন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার কাছে শুনেছি। তিনি বলেন আমি মাসরূককে জিজ্ঞেস করলাম, জিনের রাত, কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানিয়ে দিল যে, তারা এসে তাঁর কুরআন পাঠ শুনছে? মাসরূক বলেছেন, আমাকে তোমার পিতা অর্থাৎ- ইবনে মাস’ঊদ বলেছেন যে, গাছই তাদের সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানিয়ে দিয়েছিলেন। (ই. ফা. ৮৯৩, ই. সে. ৯০৫)

৩৪.অধ্যায়ঃ

যুহ্‌র ও ‘আস্‌র-এর সলাতের কিরাআত

৮৯৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ الْحَجَّاجِ، - يَعْنِي الصَّوَّافَ - عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِنَا فَيَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ أَحْيَانًا وَكَانَ يُطَوِّلُ الرَّكْعَةَ الأُولَى مِنَ الظُّهْرِ وَيُقَصِّرُ الثَّانِيَةَ وَكَذَلِكَ فِي الصُّبْحِ ‏.‏
আবূ কাতাদাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে নিয়ে সলাত আদায় করতেন। তিনি যুহর ও ‘আস্‌রের প্রথম দু’রাক’আতে সূরাহ্‌ আল ফাতিহাহ্‌ এবং এর সাথে আরো দু’টি সুরাহ্‌ পাঠ করতেন। কখনো কখনো তিনি আমাদেরকে শুনিয়ে আয়াত পাঠ করতেন। তিনি যুহরের প্রথম রাক’আত দীর্ঘ করতেন এবং দ্বিতীয় রাক’আত সংক্ষিপ্ত করতেন। ফাজরের সলাতেও তিনি এরূপ করতেন। (ই. ফা. ৮৯৪, ই. সে. ৯০৬)

৯০০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، وَأَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ أَحْيَانًا وَيَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহর ও ‘আস্‌রের দু’রাক’আতে সূরাহ্ আল ফাতিহার সাথে একটি করে সূরাহ্‌ পাঠ করতেন। তিনি কখনো কখনো আমাদেরকে শুনিয়ে আয়াত পাঠ করতেন। আর শেষের দু’রাক’আত তিনি কেবল সূরাহ্‌ ফাতিহাই পাঠ করতেন। (ই. ফা. ৮৯৫, ই. সে. ৯০৭)

৯০১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ جَمِيعًا عَنْ هُشَيْمٍ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، - عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كُنَّا نَحْزِرُ قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ قَدْرَ قِرَاءَةِ الم تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الأُخْرَيَيْنِ قَدْرَ النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى قَدْرِ قِيَامِهِ فِي الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَفِي الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَتِهِ الم تَنْزِيلُ وَقَالَ قَدْرَ ثَلاَثِينَ آيَةً ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যুহর ও ‘আস্‌রের সলাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কিয়ামের (দাঁড়ানোর) পরিমাণ নিরূপণ করার চেষ্টা করতাম। যুহরের প্রথম দু’রাক’আতে তাঁর কিয়ামের পরিমাণ ছিল সূরাহ্‌ “আলিফ, লাম, মীম, তানযীলুল সিজদা” পাঠ করার পরিমাণ সময়। তার পরবর্তী দু’রাক’আত আমরা তাঁর কিয়ামের পরিমাণ নিরূপণ করেছি ঐ সূরার অর্ধেক পাঠ করার পরিমাণ সময়। আমরা ‘আস্‌রের দু’রাক’আতে তাঁর কিয়ামের পরিমাণ নিরূপণ করেছি যুহরের শেষের দু’রাক’আত তাঁর কিয়ামের পরিমাণ সময়। আর ‘আস্‌রের শেষ দু’রাক’আত তাঁর কিয়ামের পরিমাণ ছিল- প্রথম দু’রাক’আতের অর্ধেক পরিমাণ সময়। আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ তাঁর বর্ণনায় সূরাহ্‌ “আলিফ লাম মীম তানযীলের” উল্লেখ করেননি। তিনি কিয়ামের পরিমাণ ত্রিশ আয়াত পাঠের পরিমাণ সময় উল্লেখ করেছেন। (ই. ফা. ৮৯৬, ই. সে. ৯০৮)

৯০২

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْوَلِيدِ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الظُّهْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ قَدْرَ ثَلاَثِينَ آيَةً وَفِي الأُخْرَيَيْنِ قَدْرَ خَمْسَ عَشَرَةَ آيَةً أَوْ قَالَ نِصْفَ ذَلِكَ وَفِي الْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ قَدْرَ قِرَاءَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ آيَةً وَفِي الأُخْرَيَيْنِ قَدْرَ نِصْفِ ذَلِكَ ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের প্রথম দু’রাক’আতে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ পাঠ করতেন এবং শেষের দু’রাক’আতের প্রতি রাক’আতে পনের আয়াত পরিমাণ পাঠ করতেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি (আবূ সা’ঈদ) বলেছেন, এর অর্ধেক পরিমাণ। তিনি ‘আসরের প্রথম দু’রাক’আতের প্রতি রাক’আতে পনের আয়াত পরিমাণ পাঠ করতেন এবং শেষের দু’রাক’আতে এর অর্ধেক পরিমাণ পাঠ করতেন। (ই. ফা. ৮৯৭, ই. সে. ৯০৯)

৯০৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ، شَكَوْا سَعْدًا إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرُوا مِنْ صَلاَتِهِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عُمَرُ فَقَدِمَ عَلَيْهِ فَذَكَرَ لَهُ مَا عَابُوهُ بِهِ مِنْ أَمْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ إِنِّي لأُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَخْرِمُ عَنْهَا إِنِّي لأَرْكُدُ بِهِمْ فِي الأُولَيَيْنِ وَأَحْذِفُ فِي الأُخْرَيَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ أَبَا إِسْحَاقَ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুফার অধিবাসীরা (তাদের গভর্নর) সা’দ (রাঃ) -এর বিরুদ্ধে তার সলাত সম্পর্কে ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) -এর কাছে অভিযোগ করল। ‘উমার (রাঃ) তাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি তার দরবারে উপস্থিত হলেন। ‘উমার (রাঃ) তার সলাত সম্পর্কে উত্থাপিত অভিযোগ তাকে শুনালেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, আমি তাদেরকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অনুরূপ সলাত আদায় করি। এতে কোনরূপ ত্রুটি করি না। আমি প্রথম দু’রাক’আত দীর্ঘ করি এবং শেষের দু’রাক’আত সংক্ষিপ্ত করি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আবূ ইসহাক্‌ (সা’দ) ! এটাই তোমার কাছে আশা করি। (ই. ফা. ৮৯৮, ই. সে. ৯১০)

৯০৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏
কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ ও ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমায়র (রাঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৮৯৯, ই. সে. ৯১১)

৯০৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، قَالَ عُمَرُ لِسَعْدٍ قَدْ شَكَوْكَ فِي كُلِّ شَىْءٍ حَتَّى فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ أَمَّا أَنَا فَأَمُدُّ فِي الأُولَيَيْنِ وَأَحْذِفُ فِي الأُخْرَيَيْنِ وَمَا آلُو مَا اقْتَدَيْتُ بِهِ مِنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ ‏.‏ أَوْ ذَاكَ ظَنِّي بِكَ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু সামুরার কাছে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) সা’দকে বললেন, তারা তোমার বিরুদ্ধে সব ব্যাপারেই অভিযোগ এনেছে; এমনকি সলাতের ব্যাপারেও। সা’দ (রাঃ) বললেন, আমি তো প্রথম দু’রাক’আত লম্বা করে থাকি এবং পরবর্তী দু’রাক’আত সংক্ষেপ করে থাকি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাত আদায়ের নিয়ম অনুসরণ করতে আমি মোটেও ত্রুটি করি না। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমার কাছে এটাই আশা করি। অথবা তিনি বলেছেন, তোমার সম্পর্কে আমার এটাই ধারণা। (ই. ফা. ৯০০, ই. সে. ৯১২)

৯০৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَأَبِي، عَوْنٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، بِمَعْنَى حَدِيثِهِمْ وَزَادَ فَقَالَ تُعَلِّمُنِي الأَعْرَابُ بِالصَّلاَةِ
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) হতে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে আরো আছে, “সা’দ (রাঃ) বললেন, বেদুঈনরা আমাকে সলাত শিখাতে চায়?” (ই. ফা. ৯০১, ই. সে. ৯১৩)

৯০৭

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ - عَنْ سَعِيدٍ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ - عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَزْعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ لَقَدْ كَانَتْ صَلاَةُ الظُّهْرِ تُقَامُ فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقْضِي حَاجَتَهُ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَأْتِي وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مِمَّا يُطَوِّلُهَا ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যুহরের সলাত শুরু হয়ে যেত। অতঃপর কোন ব্যক্তি প্রয়োজন (প্রস্রাব-পায়খানা) পূরণের জন্য বাকী’ নামক স্থানে যেত। সে নিজের প্রয়োজন সেরে ওযূ করে এসে দেখত-রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখনো প্রথম রাক’আতেই আছেন। তিনি সলাত এতটা লম্বা করতেন। (ই. ফা. ৯০২, ই. সে. ৯১৪)

৯০৮

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَزْعَةُ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ مَكْثُورٌ عَلَيْهِ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ قُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْأَلُكَ عَمَّا يَسْأَلُكَ هَؤُلاَءِ عَنْهُ - قُلْتُ - أَسْأَلُكَ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ مَا لَكَ فِي ذَاكَ مِنْ خَيْرٍ ‏.‏ فَأَعَادَهَا عَلَيْهِ فَقَالَ كَانَتْ صَلاَةُ الظُّهْرِ تُقَامُ فَيَنْطَلِقُ أَحَدُنَا إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقْضِي حَاجَتَهُ ثُمَّ يَأْتِي أَهْلَهُ فَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى ‏.‏
কায’আহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ সা’ঈদ আল খুদরীর কাছে আসলাম, এ সময় তার কাছে অনেক লোক উপস্থিত ছিল। তারা তাঁর কাছ থেকে চলে গেলে আমি তাকে বললাম, তারা আপনার কাছে যা জিজ্ঞেস করেছে আমি তা জিজ্ঞেস করব না। আমি বললাম, আমি আপনার কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করব। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বললেন, এটা জানার মধ্যে তোমার কোন কল্যাণ নেই। (কেননা, তুমি তাঁর মতো সলাত পড়তে সক্ষম হবে না)। তিনি পুনর্বার তাই জানতে চাইলেন। তখন আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বললেন, যুহরের সলাত শুরু হয়ে যাওয়ার পর আমাদের কোন ব্যক্তি বাকী’ নামক স্থানে যেত। সে নিজের প্রয়োজন সেরে নিজ বাড়ীতে এসে ওযূ করে পুনরায় মাসজিদে যেত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখনো প্রথম রাক’আতেই থাকতেন। (ই. ফা. ৯০৩, ই. সে. ৯১৫)

৩৫. অধ্যায়ঃ

ফাজরের সলাতের কিরাআত

৯০৯

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ سُفْيَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُسَيَّبِ الْعَابِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ صَلَّى لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ بِمَكَّةَ فَاسْتَفْتَحَ سُورَةَ الْمُؤْمِنِينَ حَتَّى جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى وَهَارُونَ أَوْ ذِكْرُ عِيسَى - مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ يَشُكُّ أَوِ اخْتَلَفُوا عَلَيْهِ - أَخَذَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَعْلَةٌ فَرَكَعَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّائِبِ حَاضِرٌ ذَلِكَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ فَحَذَفَ فَرَكَعَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو ‏.‏ وَلَمْ يَقُلِ ابْنِ الْعَاصِ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে মাক্কায় ভোরের (ফাজরের) সলাত আদায় করলেন। তিনি সূরাহ্‌ আল মু’মিনূন পড়া শুরু করলেন। তিনি তা পড়তে পড়তে মূসা ও হারূন (‘আঃ) অথবা ‘ঈসা (‘আঃ) -এর আলোচনা সম্পর্কিত আয়াতে পৌছে গেলেন। (এ ব্যাপারে মুহাম্মাদ ইবনু ‘আব্বাদ সন্দেহে পড়ে গেছেন অথবা রাবীদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে)। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাশি আসলে তিনি রুকূ’তে চলে গেলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সায়িবও সলাতে উপস্থিত ছিলেন।
‘আবদুর রায্‌যাকের বর্ণনায় রয়েছে, ‘তিনি কিরাআত পাঠ থামিয়ে দিয়ে রুকূ’তে চলে গেলেন।’
তিনি তার বর্ণনায় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌রের নাম উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ইবনুল ‘আস-এর নাম উল্লেখ করেননি। (ই. ফা. ৯০৪, ই. সে. ৯১৬)

৯১০

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ سَرِيعٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْفَجْرِ ‏{‏ وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ‏}‏
‘আমর ইবনু হুরায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ফাজরের সলাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে “ওয়াল্‌ লাইলি ইযা- ‘আস্‌’আসা” অর্থাৎ- “শপথ রাতের যখন সে চলে যেতে থাকে”- (সূরাহ্‌ আত্‌ তাকবীর ৮১ : ১৭) পাঠ করতে শুনেছেন। (ই. ফা. ৯০৫, ই. সে. ৯১৭)

৯১১

حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ قُطْبَةَ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ صَلَّيْتُ وَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ ‏{‏ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ‏}‏ حَتَّى قَرَأَ ‏{‏ وَالنَّخْلَ بَاسِقَاتٍ‏}‏ قَالَ فَجَعَلْتُ أُرَدِّدُهَا وَلاَ أَدْرِي مَا قَالَ ‏.‏
কুত্‌বাহ্‌ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সলাত আদায় করেছি এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সলাত আদায় করিয়েছেন। তিনি “কাফ, ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ” অর্থাৎ- “কাফ, সম্মানিত কুরআনের শপথ”- (সূরাহ্‌ কাফ ৫০ : ১) পাঠ করলেন। তিনি “ওয়ান্‌ নাখ্‌লা বা-সিকা-তিন” অর্থাৎ- “লম্বা খর্জুর বৃক্ষ...”- (সূরাহ কাফ ৫০ : ১০) পর্যন্ত পাঠ করলেন। রাবী বলেন, আমিও তা পাঠ করলাম কিন্তু এর তাৎপর্য বুঝতে পারতাম না। (ই. ফা. ৯০৬, ই. সে. ৯১৮)

৯১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، وَابْنُ، عُيَيْنَةَ ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ قُطْبَةَ بْنِ مَالِكٍ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْفَجْرِ ‏{‏ وَالنَّخْلَ بَاسِقَاتٍ لَهَا طَلْعٌ نَضِيدٌ‏}‏
কুত্‌বাহ্‌ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ফাজরের সলাতের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে “ওয়ান্‌ নাখ্‌লা বা-সিকা-তিন লাহা- তাল’উন নাযীদ” অর্থাৎ- “লম্বমান খর্জুর বৃক্ষ যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খর্জুর”- (সূরাহ্‌ কাফ ৫০ : ১০) পাঠ করতে শুনেছেন। (ই. ফা. ৯০৭, ই. সে. ৯১৯)

৯১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ فَقَرَأَ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ ‏{‏ وَالنَّخْلَ بَاسِقَاتٍ لَهَا طَلْعٌ نَضِيدٌ‏}‏ وَرُبَّمَا قَالَ ‏{‏ ق‏}‏ ‏.‏
যিয়াদ ইবনু ‘ইলাকাহ্‌ হতে তার চাচার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (চাচা) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ফাজরের সলাত আদায় করলেন। তিনি প্রথম রাক’আতে “ওয়ান্‌ নাখ্‌লা বা-সিকা-তিন লাহা- তাল’উন্‌ নাযীদ”- (সূরাহ্‌ কাফ ৫০ : ১০) পাঠ করলেন। কখনো তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরাহ্‌ ক্বাফ পাঠ করলেন। (ই. ফা. ৯০৮, ই. সে. ৯২০)

৯১৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الْفَجْرِ بِـ ‏{‏ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ‏}‏ وَكَانَ صَلاَتُهُ بَعْدُ تَخْفِيفًا ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের সলাতে “কাফ, ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ”- (সূরাহ্‌ কাফ ৫০:১) পাঠ করতেন। এরপরে তাঁর সলাতগুলো সংক্ষিপ্তাকারের ছিল। (ই. ফা. ৯০৯, ই. সে. ৯২১)

৯১৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ عَنْ صَلاَةِ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ يُخَفِّفُ الصَّلاَةَ وَلاَ يُصَلِّي صَلاَةَ هَؤُلاَءِ ‏.‏ قَالَ وَأَنْبَأَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الْفَجْرِ بـ ‏{‏ ق وَالْقُرْآنِ‏}‏ وَنَحْوِهَا ‏.‏
সিমাক ইবনু হারব (রহঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
আমি জাবির ইবনু সামুরাহ্‌-এর কাছে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাত সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, তিনি হালকাভাবে সলাত আদায় করতেন। ঐসব লোকের মত (বড় বড় সূরাহ্‌ দিয়ে) সলাত আদায় করতেন না।
তিনি আরো বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের সলাতে সূরাহ্‌ কাফ বা এ আকারের সূরাহ্‌ পাঠ করতেন। (ই. ফা. ৯১০, ই. সে. ৯২২)

৯১৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ بِـ ‏{‏ اللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى‏}‏ وَفِي الْعَصْرِ نَحْوَ ذَلِكَ وَفِي الصُّبْحِ أَطْوَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাতে “ওয়াল্‌ লাইলি ইযা- ইয়াগ্‌শা-” (সূরাহ্‌ আল লায়ল ৯২ : ১) পাঠ করতেন এবং ‘আস্‌রের সলাতেও অনুরূপ কোন সূরাহ্‌ পাঠ করতেন। ফাজরের সলাতে তিনি এর চেয়ে দীর্ঘ সূরাহ্‌ পাঠ করতেন। (ই. ফা. ৯১১, ই. সে. ৯২৩)

৯১৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، ‏.‏ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ بِـ ‏{‏ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى‏}‏ وَفِي الصُّبْحِ بِأَطْوَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏
জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাতে “সাব্বিহিস্‌মা রব্বিকাল আ’’লা” অর্থাৎ- “তুমি তোমার সর্বোচ্চ প্রতিপালকের নামের ঘোষনা কর”- (সূরাহ্‌ আ’লা ৮৭:১) পাঠ করতেন এবং ভোরের (ফাজরের ) সলাতে এর চেয়ে লম্বা সূরাহ্‌ পাঠ করতেন। (ই.ফা. ৯১২, ই.সে. ৯২৪)

৯১৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ مِنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ ‏.‏
আবূ বার্‌যাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরের (ফাজরের) সলাতে ষাট থেকে একশ’ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন। (ই.ফা. ৯১৩, ই.সে. ৯২৫)

৯১৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْفَجْرِ مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ آيَةً ‏.‏
আবূ বারযাহ্‌ আল আস্‌লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের সলাতে ষাট থেকে একশ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন। (ই.ফা. ৯১৪, ই.সে. ৯২৬)

৯২০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ سَمِعَتْهُ وَهُوَ، يَقْرَأُ ‏{‏ وَالْمُرْسَلاَتِ عُرْفًا‏}‏ فَقَالَتْ يَا بُنَىَّ لَقَدْ ذَكَّرْتَنِي بِقِرَاءَتِكَ هَذِهِ السُّورَةَ إِنَّهَا لآخِرُ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهَا فِي الْمَغْرِبِ ‏.‏
উম্মুল ফায্‌ল বিনতু হারিস (রাঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -কে “ওয়াল মুরসালা-তি ‘উরফান” (সূরাহ মুরসলাত ) পাঠ করতে শুনলেন। তিনি (উম্মু ফায্‌ল) বললেন, হে বৎস! তুমি এ সূরাহ্‌ পাঠ করে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিলে যে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে সর্বশেষ যে সূরাটি শুনেছি তা ছিল এ সূরাহ্‌ (সূরাহ্‌ মুরসলাত )। তিনি এটা মাগরিবের সলাতে পড়েছিলেন। (ই.ফা. ৯১৫. ই.সে. ৯২৭)

৯২১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَزَادَ فِي حَدِيثِ صَالِحٍ ثُمَّ مَا صَلَّى بَعْدُ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏.‏
যুহরী (রহঃ) হতে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। সালিহ এর বর্ণনায় আরো অতিরিক্ত আছেঃ “এরপর ওফাত পর্যন্ত তিনি সহাবাদের নিয়ে আর সলাত আদায়ের সুযোগ পাননি।” (ই.ফা. ৯১৬, ই.সে. ৯২৮)

৯২২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِالطُّورِ فِي الْمَغْرِبِ ‏.‏
মুহাম্মাদ ইবনু জুবায়র ইবনু মুত‘ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি (জুবায়র) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ-কে মাগরিবের সলাতে সূরাহ্‌ আত্‌ তুর পাঠ করতে শুনেছি। (ই.ফা. ৯১৭, ই.সে. ৯২৯)

৯২৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏
যুহরী (রহঃ) হতে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাসীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৯১৮, ই.সে. ৯৩০)

৩৬. অধ্যায়ঃ

‘ইশার সলাতের কিরাআত

৯২৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ فِي سَفَرٍ فَصَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ فَقَرَأَ فِي إِحْدَى الرَّكْعَتَيْنِ ‏{‏ وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ‏}‏
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সফরে থাকাকালীন ‘ইশার সলাত আদায় করলেন এবং প্রথম দু’রাকআতের এক রাক’আতে “ওয়াত্‌তীনি ওয়ায্‌ যাইতূন”” (সূরাহ্‌ আত্‌ তীন) পাঠ করলেন। (ই.ফা. ৯১৯,ই.সে. ৯৩১)

৯২৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّهُ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ فَقَرَأَ بِالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ ‏.‏
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করলাম। তিনি তাতে সূরাহ্‌ আত্‌ তীন পাঠ করলেন। (ই.ফা. ৯২০, ই.সে. ৯৩২)

৯২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فِي الْعِشَاءِ بِالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ ‏.‏ فَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ صَوْتًا مِنْهُ ‏.‏
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ‘ইশার সলাতে সূরাহ্‌ আত্‌ তীন পাঠ করতে শুনেছি। আমি তাঁর মতো সুললিত কন্ঠস্বর আর কারো কাছে শুনিনি। (ই.ফা. ৯২১, ই.সে. ৯৩৩)

৯২৭

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ مُعَاذٌ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَأْتِي فَيَؤُمُّ قَوْمَهُ فَصَلَّى لَيْلَةً مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ ثُمَّ أَتَى قَوْمَهُ فَأَمَّهُمْ فَافْتَتَحَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فَانْحَرَفَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى وَحْدَهُ وَانْصَرَفَ فَقَالُوا لَهُ أَنَافَقْتَ يَا فُلاَنُ قَالَ لاَ وَاللَّهِ وَلآتِيَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلأُخْبِرَنَّهُ ‏.‏ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أَصْحَابُ نَوَاضِحَ نَعْمَلُ بِالنَّهَارِ وَإِنَّ مُعَاذًا صَلَّى مَعَكَ الْعِشَاءَ ثُمَّ أَتَى فَافْتَتَحَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ ‏.‏ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مُعَاذٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ اقْرَأْ بِكَذَا وَاقْرَأْ بِكَذَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ فَقُلْتُ لِعَمْرٍو إِنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا عَنْ جَابِرٍ أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ اقْرَأْ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا ‏.‏ وَالضُّحَى ‏.‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ‏.‏ وَسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ عَمْرٌو نَحْوَ هَذَا ‏.‏
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আয (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতেন, অতঃপর নিজের সম্প্রদায়ে ফিরে এসে তাদের সলাতে ইমামতি করতেন। এক রাতে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করলেন, অতঃপর নিজের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে এসে তাদের সলাতে ইমাম হলেন। তিনি সূরাহ্‌ আল বাকারাহ্‌ পড়া শুরু করলেন। এক ব্যক্তি এতে বিরক্ত হয়ে পড়ল। সে সালাম ফিরিয়ে একাকি সলাত আদায় করে চলে গেল। লোকেরা তাকে বলল, হে অমুক! তুমি কি মুনাফিক হয়ে গেছ? সে বলল, আল্লাহর শপথ! আমি মুনাফিক হয়ে যাইনি। আমি অবশ্যই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে যাব এবং তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করব। সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমরা উট চালক, দিনের বেলায় কঠোর পরিশ্রম করি। আর মু’আয (রাঃ) আপনার সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করে ফিরে এসে আমাদের ইমামতি করলেন এবং সলাতে সূরাহ্‌ আল বাকারাহ্‌ পড়া শুরু করে দিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’আয-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, হে মু’আয! তুমি কি ফিত্‌নাহ্‌ সৃষ্টিকারী! তুমি এ রকম এ রকম সূরাহ্‌ পাঠ করবে।
সুফ্‌ইয়ান বলেন, আমি ‘আম্‌রকে বললাম, আবূ যুবায়র জাবির-এর সূত্রে আমাদের বলেছেন যে, তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ] বলেছেন, “তুমি সূরাহ্‌ আশ্‌ শামস্‌ সূরাহ্‌ আয্‌ যুহা সূরাহ্‌ আল লায়ল এবং সূরাহ্‌ আল আ’লা পাঠ করবে। ‘আম্‌র বললেন, হ্যাঁ, এ ধরনের সূরাই পাঠ করার কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৯২২,ই.সে. ৯৩৪)

৯২৮

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ صَلَّى مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ الأَنْصَارِيُّ لأَصْحَابِهِ الْعِشَاءَ فَطَوَّلَ عَلَيْهِمْ فَانْصَرَفَ رَجُلٌ مِنَّا فَصَلَّى فَأُخْبِرَ مُعَاذٌ عَنْهُ فَقَالَ إِنَّهُ مُنَافِقٌ ‏.‏ فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الرَّجُلَ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ مَا قَالَ مُعَاذٌ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَتُرِيدُ أَنْ تَكُونَ فَتَّانًا يَا مُعَاذُ إِذَا أَمَمْتَ النَّاسَ فَاقْرَأْ بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا ‏.‏ وَسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏.‏ وَاقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ ‏.‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ‏"‏ ‏.‏
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল আল আনসারী (রাঃ) তার গোত্রের লোকেদের নিয়ে ‘ইশার সলাত আদায় করলেন। তিনি কিরাআত দীর্ঘায়িত করলেন। ফলে আমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি (সলাত ছেড়ে দিয়ে) চলে গেল এবং একাকী সলাত আদায় করল। তার সম্পর্কে মু’আযকে অবহিত করা হলে তিনি বললেন, সে তো মুনাফিক। লোকটি যখন এ কথা জানল- সে সরাসরি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে চলে গেল এবং মু’আয (রাঃ) যা বলেছেন তা তাঁকে জানাল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে মু’আয! তুমি কি ফিত্‌নাহ্‌-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী হতে চাও? তুমি যখন লোকেদের ইমামতি করবে তখন সূরাহ্‌ আশ্‌ শাম্‌স, সূরাহ আল আ’লা, সূরাহ ‘আলাক এবং সূরাহ্‌ আল লায়ল পাঠ করবে। ( ই.ফা. ৯২৩, ই.সে ৯৩৫)

৯২৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، كَانَ يُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ الآخِرَةَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى قَوْمِهِ فَيُصَلِّي بِهِمْ تِلْكَ الصَّلاَةَ ‏.‏
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করতেন। অতঃপর নিজের সম্প্রদায়ে ফিরে এসে তাঁদেরকে নিয়ে পুনরায় ঐ সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৯২৪, ই.সে. ৯৩৬)

৯৩০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ مُعَاذٌ يُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ ثُمَّ يَأْتِي مَسْجِدَ قَوْمِهِ فَيُصَلِّي بِهِمْ ‏.‏
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আয (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করতেন। অতঃপর তিনি নিজ গোত্রের মাসজিদে ফিরে এসে তাদেরকে নিয়ে পুনরায় সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৯২৫, ই.সে. ৯৩৭)

৩৭. অধ্যায়ঃ

ইমামদেরকে সংক্ষেপে পূর্ণাঙ্গ সলাত আদায় করানোর নির্দেশ

৯৩১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي لأَتَأَخَّرُ عَنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ مِمَّا يُطِيلُ بِنَا ‏.‏ فَمَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَضِبَ فِي مَوْعِظَةٍ قَطُّ أَشَدَّ مِمَّا غَضِبَ يَوْمَئِذٍ فَقَالَ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ فَأَيُّكُمْ أَمَّ النَّاسَ فَلْيُوجِزْ فَإِنَّ مِنْ وَرَائِهِ الْكَبِيرَ وَالضَّعِيفَ وَذَا الْحَاجَةِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ মাস’উদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এসে বলল, অমুক লোকের কারণে আমি ফাজরের সলাতে দেরীতে উপস্থিত হই। কারণ সে খুব লম্বা কিরাআত পাঠ করে। (রাবী বলেন) আমি সেদিনকার মতো আর কোন দিনের ওয়াজে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এতোটা গোস্‌সা হতে দেখিনি। তিনি বললেন, হে জনগণ! তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা মানুষকে ভাগিয়ে দেয়। তোমাদের যে কেউ ইমামতি করে সে যেন সলাত সংক্ষেপ করে। কেননা তার পিছনে বৃদ্ধ, দুর্বল এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত লোকও রয়েছে। (ই.ফা. ৯২৬, ই.সে . ৯৩৮)

৯৩২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، وَوَكِيعٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ حَدِيثِ هُشَيْمٍ ‏.‏
ইসমা’ঈল (রহঃ) এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

৯৩৩

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ - عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا أَمَّ أَحَدُكُمُ النَّاسَ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمُ الصَّغِيرَ وَالْكَبِيرَ وَالضَّعِيفَ وَالْمَرِيضَ فَإِذَا صَلَّى وَحْدَهُ فَلْيُصَلِّ كَيْفَ شَاءَ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন লোকেদের ইমামতি করে সে যেন সলাত হালকা এবং সংক্ষেপ কর। কেননা তাদের মধ্যে বালক, বৃদ্ধ, দুর্বল এবং রুগ্ন ব্যক্তিরাও রয়েছে। সে যখন একাকি সলাত আদায় করবে, তখন যত ইচ্ছা দীর্ঘ সূরাহ্‌ পড়তে পারে। (ই.ফা. ৯২৮, ই.সে. ৯৪০)

৯৩৪

حَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا مَا قَامَ أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفِ الصَّلاَةَ فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَفِيهِمُ الضَّعِيفَ وَإِذَا قَامَ وَحْدَهُ فَلْيُطِلْ صَلاَتَهُ مَا شَاءَ ‏"‏ ‏.‏
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্হ্ (রাঃ) মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করলেন। এগুলোর মধ্যে একটি হাদীস এই- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি লোকেদের সলাতে ইমামতি করতে দাঁড়ালে সে যেন সলাত সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে যেমন বৃদ্ধরা রয়েছে তেমন দুর্বলরাও রয়েছে। যখন সে একাকি সলাত আদায় করে তখন নিজ ইচ্ছামত তার সলাত দীর্ঘ করতে পারে। (ই.ফা. ৯২৯, ই.সে. ৯৪১)

৯৩৫

وَحَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِي النَّاسِ الضَّعِيفَ وَالسَّقِيمَ وَذَا الْحَاجَةِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করে সে যেন তা সংক্ষিপ্ত করে। কেননা এসব লোকের মধ্যে দুর্বল, রুগ্ন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যস্ত লোকও থাকতে পারে। (ই.ফা. ৯৩০, ই.সে. ৯৪২)

৯৩৬

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ - بَدَلَ السَّقِيمِ - الْكَبِيرَ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ বর্ণনায় রুগ্নের পরিবর্তে বৃদ্ধের উল্লেখ রয়েছে। (ই.ফা. ৯৩১, ই.সে. ৯৪৩)

৯৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ الثَّقَفِيُّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏"‏ أُمَّ قَوْمَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي شَيْئًا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ادْنُهْ ‏"‏ ‏.‏ فَجَلَّسَنِي بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ وَضَعَ كَفَّهُ فِي صَدْرِي بَيْنَ ثَدْيَىَّ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ تَحَوَّلْ ‏"‏ ‏.‏ فَوَضَعَهَا فِي ظَهْرِي بَيْنَ كَتِفَىَّ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أُمَّ قَوْمَكَ فَمَنْ أَمَّ قَوْمًا فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَإِنَّ فِيهِمُ الْمَرِيضَ وَإِنَّ فِيهِمُ الضَّعِيفَ وَإِنَّ فِيهِمْ ذَا الْحَاجَةِ وَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ وَحْدَهُ فَلْيُصَلِّ كَيْفَ شَاءَ ‏"‏ ‏.‏
‘উসমান ইবনু আবূল আস সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমাদের গোত্রের লোকেদের সলাতে ইমামতি কর। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার অন্তরে কিছু একটা অনুভব করি। তিনি আমাকে বললেন, নিকটে আসো। তিনি আমাকে তাঁর সামনে বসালেন। অতঃপর আমার বুকের মাঝখানে তাঁর হাত রাখলেন। তিনি পুনরায় বললেন, ঘুরে বসো। তিনি আমার পিঁছে কাঁধ বরাবর হাত রাখলেন। অতঃপর তিনি বললেন,তুমি তোমার গোত্রের লোকেদের ইমামতি কর। যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের ইমামতি করে সে যেন সলাত সংক্ষিপ্ত করে। কেননা তাদের মধ্যে বৃদ্ধ, অসুস্থ, দূর্বল এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত লোক রয়েছে। তোমাদের কেউ যখন একাকী সলাত আদায় করবে, সে তখন নিজ ইচ্ছামত সলাত আদায় করতে পারে। (ই.ফা. ৯৩২, ই.সে. ৯৪৪)

৯৩৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، قَالَ حَدَّثَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، قَالَ آخِرُ مَا عَهِدَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا أَمَمْتَ قَوْمًا فَأَخِفَّ بِهِمُ الصَّلاَةَ ‏"‏ ‏.‏
‘উসমান ইবনু আবূল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার প্রতি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সর্বশেষ নির্দেশ ছিলঃ তুমি যখন কোন সম্প্রদায়ের ইমামতি করবে তখন তাদের সলাত সংক্ষিপ্ত করবে। (ই.ফা. ৯৩৩, ই.সে. ৯৪৫)

৯৩৯

وَحَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوجِزُ فِي الصَّلاَةِ وَيُتِمُّ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গ সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৯৩৪, ই.সে. ৯৪৬)

৯৪০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ مِنْ أَخَفِّ النَّاسِ صَلاَةً فِي تَمَامٍ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেদের মধ্যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত ছিল সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এবং পূর্ণাঙ্গ। (ই.ফা. ৯৩৫, ই.সে. ৯৪৭)

৯৪১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ إِمَامٍ قَطُّ أَخَفَّ صَلاَةً وَلاَ أَتَمَّ صَلاَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পেছনে যত সংক্ষিপ্ত এবং পূর্ণাঙ্গ সলাত আদায় করেছি-এরূপ সংক্ষিপ্ত এবং পূর্ণাঙ্গ সলাত আর কখনো কোন ইমামের পিছনে আদায় করিনি। (ই.ফা. ৯৩৬, ই.সে. ৯৪৮)

৯৪২

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ مَعَ أُمِّهِ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَقْرَأُ بِالسُّورَةِ الْخَفِيفَةِ أَوْ بِالسُّورَةِ الْقَصِيرَةِ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত রত অবস্থায় মায়ের সাথে আসা শিশুর কান্না শুনতে পেলে হালকা বা ছোটখাট সূরাহ্ দিয়ে সলাত শেষ করে দিতেন। (ই.ফা. ৯৩৭, ই.সে. ৯৪৯)

৯৪৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنِّي لأَدْخُلُ الصَّلاَةَ أُرِيدُ إِطَالَتَهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأُخَفِّفُ مِنْ شِدَّةِ وَجْدِ أُمِّهِ بِهِ ‏"‏ ‏.‏
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি সলাত শুরু করে তা দীর্ঘ করার ইচ্ছা করি। এমতাবস্থায় আমি শিশুর কান্না শুনতে পাই। আমি তখন তার মায়ের অস্থিরতার কথা চিন্তা করে সলাত সংক্ষিপ্ত করে দেই। (ই.ফা. ৯৩৮, ই.সে. ৯৫০)

৩৮. অধ্যায়ঃ

সলাতের রুকনগুলো সঠিকভাবে আদায় করা এবং সংক্ষেপে পূর্ণাঙ্গরূপে সলাত আদায় করা

৯৪৪

وَحَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، - قَالَ حَامِدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، - عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ رَمَقْتُ الصَّلاَةَ مَعَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدْتُ قِيَامَهُ فَرَكْعَتَهُ فَاعْتِدَالَهُ بَعْدَ رُكُوعِهِ فَسَجْدَتَهُ فَجَلْسَتَهُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ فَسَجْدَتَهُ فَجَلْسَتَهُ مَا بَيْنَ التَّسْلِيمِ وَالاِنْصِرَافِ قَرِيبًا مِنَ السَّوَاءِ ‏.‏
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে তাঁর সলাত আদায় করার নিয়ম কানুন ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। তাঁর দাঁড়ানো (কিয়াম) , তাঁর রুকু‘ এবং রুকু‘ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো, তাঁর সাজদাহ্ এবং দু’সাজদার মাঝে তাঁর বসা, অতঃপর তাঁর দ্বিতীয় সাজদাহ্, তাঁর সালাম ফিরানো, এবং সালাম ও সলাত শেষ করে চলে যাওয়ার মাঝখানে বসা-এর সবই প্রায় সমান (ব্যবধান) পেয়েছি। (ই.ফা. ৯৩৯, ই.সে. ৯৫১)

৯৪৫

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ غَلَبَ عَلَى الْكُوفَةِ رَجُلٌ - قَدْ سَمَّاهُ - زَمَنَ ابْنِ الأَشْعَثِ فَأَمَرَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَكَانَ يُصَلِّي فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَامَ قَدْرَ مَا أَقُولُ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ ‏.‏ قَالَ الْحَكَمُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى فَقَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرُكُوعُهُ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَسُجُودُهُ وَمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ قَرِيبًا مِنَ السَّوَاءِ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ فَذَكَرْتُهُ لِعَمْرِو بْنِ مُرَّةَ فَقَالَ قَدْ رَأَيْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى فَلَمْ تَكُنْ صَلاَتُهُ هَكَذَا ‏.
হাকাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু আশ’আস-এর সময় এক ব্যক্তি কূফাবাসীদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। হাকাম তার নাম উল্লেখ করেছেন (মাতার ইবনু নাজিয়াহ্)। সে আবূ ‘উবাইদাহ ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (ইবনু মাস’উদ) কে লোকদের সলাতে ইমামতি করার হুকুম দিলেন। তিনি সলাত আদায় করছিলেন। তিনি রুকু‘ থেকে মাথা তুলে একটি দু’আ পড়ার পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন। দু’আটি হচ্ছে :
আল্লা-হুম্মা রব্বানা- লাকাল্ হামদু মিলআস্ সামা-ওয়া-তি ওয়ামিল্ আল আরযি ওয়ামিলআ মা-শি‘তা মিন্ শাইয়িন বা’দু আহলাস্ সানা-য়ি ওয়াল্ মাজদি লা-মা-নি‘আ লিমা-আ‘তাইতা ওয়ালা-মু’তিয়া লিমা-মানা’তা ওয়ালা-ইয়ানফা’উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ।
অর্থাৎ “হে আল্লাহ্‌! আমাদের প্রতিপালক প্রশংসা আপনারই জন্য যা আসমান ও জমীন পরিপূর্ণ এবং পরিপূর্ণতা ছাড়াও যতটুকু আপনি ইচ্ছা পোষণ করেন। হে প্রশংসা ও মর্যাদার অধিকারী! আপনি যা দান করবেন তা রোধ করার কেউ নেই। আর আপনি যা রোধ করবেন তা দান করারও কেউ নেই এবং কোনও সম্পদশালীকেই তার সম্পদ আপনার শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবে না।”
হাকাম বলেন, অতঃপর আমি এটা ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলার কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আমি বারা ইবনু আযিবকে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সলাত ছিল : তিনি রুকু‘তে যেতেন, রুকু‘ থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতেন, সাজদাহ্ করতেন এবং দু’সাজদার মাঝে বিরতি দিতেন- এসবগুলোর সময়ের পরিমাণ প্রায় একই ছিল।
শু’বাহ্ বলেন, আমি এটা ‘আমর ইবনু মুররাকে বললাম। তিনি বললেন, আমি ইবনু আবূ লাইলাকে দেখেছি। কিন্তু তার সলাত তো এরূপ ছিল না। (ই.ফা. ৯৪০, ই.সে. ৯৫২)

৯৪৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، أَنَّ مَطَرَ بْنَ نَاجِيَةَ، لَمَّا ظَهَرَ عَلَى الْكُوفَةِ أَمَرَ أَبَا عُبَيْدَةَ أَنْ يُصَلِّيَ، بِالنَّاسِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏
হাকাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাতার ইবনু নাজিয়াহ্ যখন কূফার উপর নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করল, আবূ ‘উবাইদাকে লোকদের সলাতে ইমামতি করার নির্দেশ দিল। অবশিষ্ট হাদীস পূর্ববৎ। (ই.ফা. ৯৪১, ই.সে. ৯৫২)

৯৪৭

حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ إِنِّي لاَ آلُو أَنْ أُصَلِّيَ بِكُمْ كَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِنَا ‏.‏ قَالَ فَكَانَ أَنَسٌ يَصْنَعُ شَيْئًا لاَ أَرَاكُمْ تَصْنَعُونَهُ كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ انْتَصَبَ قَائِمًا حَتَّى يَقُولَ الْقَائِلُ قَدْ نَسِيَ ‏.‏ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ مَكَثَ حَتَّى يَقُولَ الْقَائِلُ قَدْ نَسِيَ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেভাবে সলাত আদায় করেছেন-আমি তোমাদের নিয়ে অনুরুপভাবে সলাত আদায় করতে মোটেই ত্রুটি করবনা। অধস্তন রাবী বলেন, আনাস (রাঃ) একটি কাজ করতেন যা আমি তোমাদেরকে করতে দেখি না। তিনি রুকু‘ থেকে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। এমনকি কেউ (মনে মনে) বলত, তিনি (সাজদায় যেতে) ভুলে গেছেন। তিনি সাজদাহ্ থেকে মাথা তুলে সোজা হয়ে বসে যেতেন। এমনকি কেউ (মনে মনে) বলত, তিনি (দ্বিতীয় সাজদাহ্ করতে) ভুলে গেছেন। (ই.ফা. ৯৪২, ই.সে. ৯৫৩)

৯৪৮

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَا صَلَّيْتُ خَلْفَ أَحَدٍ أَوْجَزَ صَلاَةً مِنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي تَمَامٍ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَقَارِبَةً وَكَانَتْ صَلاَةُ أَبِي بَكْرٍ مُتَقَارِبَةً فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَدَّ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَامَ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَوْهَمَ ‏.‏ ثُمَّ يَسْجُدُ وَيَقْعُدُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَوْهَمَ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে যেরূপ সংক্ষিপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ সলাত আদায় করেছি অনুরূপ আর কারো পিছনে আদায় করিনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাতের (রুকনগুলোর সময়ের) পরিমাণ প্রায় কাছকাছি ছিল। আবূ বকর (রাঃ) -এর সলাতের (রুকনগুলোও) পরস্পর কাছকাছি ছিল। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব তাঁর সময়ে ফযরের সলাত দীর্ঘ করে দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন “সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে দাঁড়িয়ে যেতেন -এমনকি আমরা (মনে মনে) বলতাম, তিনি (সাজদায় যেতে) ভুলে গেছেন। অতঃপর তিনি সাজদায় যেতেন। দু’সাজদার মাঝখানে তিনি এতক্ষণ বসতেন যে, আমরা (মনে মনে) বলতাম, তিনি (পরবর্তী সিজদায় যেতে) ভুলে গেছেন। (ই.ফা. ৯৪৩, ই.সে. ৯৫৪)

৩৯. অধ্যায়ঃ

ইমামের অনুসরণ করা এবং প্রতিটি কাজ তার পরে করা

৯৪৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ، وَهُوَ غَيْرُ كَذُوبٍ أَنَّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ أَرَ أَحَدًا يَحْنِي ظَهْرَهُ حَتَّى يَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَبْهَتَهُ عَلَى الأَرْضِ ثُمَّ يَخِرُّ مَنْ وَرَاءَهُ سُجَّدًا ‏.‏
আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে বারা (রাঃ) এ হাদীস বলেছেন। তিনি মিথ্যাবাদী নন। তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করতেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু‘ থেকে মাথা তোলার পর আমি কাউকে (সাজদায় যাওয়ার জন্য) পিঠ বাঁকা করতে দেখেনি, যে পর্যন্ত না রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের কপাল মাটিতে রাখতেন। অতঃপর সবাই সাজদায় লুটিয়ে পড়ত। (ই.ফা. ৯৪৪, ই.সে. ৯৫৫)

৯৫০

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ، - وَهُوَ غَيْرُ كَذُوبٍ - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ لَمْ يَحْنِ أَحَدٌ مِنَّا ظَهْرَهُ حَتَّى يَقَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاجِدًا ثُمَّ نَقَعُ سُجُودًا بَعْدَهُ ‏.‏
’আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে বারা (রাঃ) এ হাদীস বলেছেন। তিনি মিথ্যাবাদী নন। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন “সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলতেন- আমাদের কেউই (সাজদায় যাওয়ার জন্য) পিঠ বাঁকা করত না যতক্ষণ পর্যন্ত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদায় না যেতেন। তাঁর পরে আমরা সাজদায় যেতাম। (ই.ফা. ৯৪৫, ই.সে. ৯৫৬)

অধ্যায় "সালাতহাদিস নং -৭২৩ থেকে ৮৫০

অধ্যায় "সালাতহাদিস নং -৯৫১ থেকে ১০৪৭

No comments

Powered by Blogger.