সহিহ মুসলিম অধ্যায় "সালাত" হাদিস নং -৯৫১ থেকে ১০৪৭

৯৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ، أَنَّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا رَكَعَ رَكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ لَمْ نَزَلْ قِيَامًا حَتَّى نَرَاهُ قَدْ وَضَعَ وَجْهَهُ فِي الأَرْضِ ثُمَّ نَتَّبِعُهُ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মিম্বারে দাঁড়িয়ে বললেন,আমাদেরকে বারা (রাঃ) বলেছেন, তাঁরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সলাত আদায় করতেন। তিনি যখন রুকু‘তে যেতেন, তারাও রুকু‘তে যেতেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু‘ থেকে মাথা তোলার সময় “সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলতেন। আমরা দাঁড়িয়ে থাকতাম, এমনকি যখন দেখতাম তিনি তাঁর কপাল মাটিতে রেখেছেন তখন আমরা তাঁর অনুসরণ করতাম। (ই.ফা. ৯৪৬, ই.সে. ৯৫৭)

৯৫২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ، وَغَيْرُهُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَحْنُو أَحَدٌ مِنَّا ظَهْرَهُ حَتَّى نَرَاهُ قَدْ سَجَدَ ‏.‏ فَقَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنَا الْكُوفِيُّونَ أَبَانٌ وَغَيْرُهُ قَالَ حَتَّى نَرَاهُ يَسْجُدُ ‏.‏
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সলাত আদায় করতাম। আমরা যতক্ষণ তাঁকে সিজদায় পৌছতে না দেখতাম, ততক্ষণ আমাদের কেউ নিজের পিঠ বাঁকা করতাম না।
যুহায়র বলেন, আমাদেরকে সুফইয়ান বলেছেন, ‘এমনকি যখন আমরা তাঁকে সাজদারত অবস্থায় দেখতাম।’ (ই.ফা. ৯৪৭, ই.সে. ৯৫৮)

৯৫৩

حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ عَوْنِ بْنِ أَبِي عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ الأَشْجَعِيُّ أَبُو أَحْمَدَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ سَرِيعٍ، مَوْلَى آلِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْفَجْرَ فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ ‏{‏ فَلاَ أُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ * الْجَوَارِ الْكُنَّسِ‏}‏ وَكَانَ لاَ يَحْنِي رَجُلٌ مِنَّا ظَهْرَهُ حَتَّى يَسْتَتِمَّ سَاجِدًا ‏.‏
‘আমর ইবনু হুরায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে ফাজরের সলাত আদায় করলাম। আমি তাঁকে (আরবী) “আমি শপথ করি পশ্চাদপসরণকারী নাফসের, যা প্রত্যাগমন করে ও দৃশ্য হয়”- (সূরাহ আত-তাকবীর :১৫ :৬) পাঠ করতে শুনলাম। তিনি সম্পূর্ণভাবে সাজদায় না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ নিজের পিঠ বাঁকা করত না। (ই.ফা. ৯৪৮, ই.সে. ৯৫৯)

৪০. অধ্যায়ঃ

রুকু‘ থেকে মাথা তুলে যা বলতে হবে

৯৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ ظَهْرَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু‘ থেকে পিঠ উঠানোর সময় বলতেনঃ
“সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ, আল্লা-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদু মিলআস সামা-ওয়া-তি ওয়ামিল আল আরযি ওয়ামিল্আ মা-শি’তা মিন্ শাইয়িন্ বা‘দু।”
অর্থাৎ, “প্রশংসাকারীর প্রশংসা আল্লাহ শুনেন। হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক সকল প্রশংসা আপনারই জন্য-যা আসমান ও জমিন পরিপূর্ণ এবং পরিপূর্ণতা ছাড়াও যতটুকু আপনি ইচ্ছা পোষণ করেন।” (ই.ফা. ৯৪৯, ই.সে. ৯৬০)

৯৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ ‏ "‏ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ ‏"‏ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রুকু‘ থেকে উঠে) এ দু’আ পড়তেন :
“সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ, আল্লা-হুম্মা রব্বানা-লাকাল্ হামদু মিল্আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়ামিল্ আল আরযি ওয়ামিল্আ মা-শি’তা মিন্ শাইয়িন্ বা‘দু।”
অর্থাৎ, “প্রশংসাকারীর প্রশংসা আল্লাহ্‌ শুনেন। হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক সকল প্রশংসা আপনারই জন্য-যা আসমান ও জমিন পরিপূর্ণ এবং পরিপূর্ণতা ছাড়াও যতটুকু আপনি ইচ্ছা পোষণ করেন।” (ই.ফা. ৯৫০, ই.সে. ৯৬১)

৯৫৬

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَجْزَأَةَ بْنِ زَاهِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ اللَّهُمَّ طَهِّرْنِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ اللَّهُمَّ طَهِّرْنِي مِنَ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الْوَسَخِ ‏"‏ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন : “আল্লা-হুম্মা লাকাল্ হামদু মিল্আস সামা-ওয়া-তি ওয়ামিল্ আল আরযি ওয়ামিল্আ মা-শি’তা মিন্ শাইয়িন বা‘দু , আল্লা-হুম্মা তাহহিরনী বিসসালজি ওয়াল্ বারাদ ওয়াল্ মা-য়িল বা-রিদি আল্লা-হুম্মা তাহহিরনী মিনায্ যুনূবি ওয়াল্ খাতা-য়া-কামা- ইউনাক্কাস্ সাওবুল্ আবইয়াযু মিনাল্ ওয়াসাখ।”
অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! তোমার জন্য ঐ পরিমাণ প্রশংসা-যা আসমান ও জমিনকে পরিপূর্ণ করে দেয়। অতঃপর তুমি যা চাও তা দিয়ে পরিপূর্ণ করো। হে আল্লাহ! আমাকে বরফ, কুয়াশা, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পবিত্র করে দাও। হে আল্লাহ! সাদা কাপড় যেভাবে ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়ে ধবধবে সাদা হয়ে যায়, আমাকেও তদ্রুপ যাবতীয় গুনাহ থেকে পবিত্র করে দাও।” (ই.ফা. ৯৫১, ই.সে. ৯৬২)

৯৫৭

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، قَالَ وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي رِوَايَةِ مُعَاذٍ ‏"‏ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّرَنِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ يَزِيدَ ‏"‏ مِنَ الدَّنَسِ ‏"‏ ‏.‏
শু’বাহ (রহঃ) -এর সুত্রে মু’আয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সুত্রেও উপরের হাদীসের অনুরুপ বর্নিত হয়েছে।

৯৫৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَزْعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ‏ "‏ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ ‏"‏ ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ “রব্বানা- লাকাল্ হামদু মিল্আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়ামিল্আ মা-শি’তা মিন্ শাইয়িন্ বা’দু আহলাস্ সানা-য়ি ওয়াল্ মাজদি আহাক্কু মা- কা-লাল ‘আবদু ওয়া কুল্লুনা- লাকা ‘আবদুন, আল্ল-হুম্মা লা-মা-নি’আ লিমা-আ’তাইতা ওয়ালা-মু’তিয়া লিমা- মানা’তা ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যাল্ জাদ্দি মিনকাল্ জাদ্দ।“
অর্থাৎ “আমাদের প্রতিপালক! তুমি আসমান-জমিন সম পরিপুর্ন প্রশংসার অধিকারী, অতঃপর তুমি যা চাও তাও পুর্ন করে প্রশংসা। তুমি প্রশংসা ও সম্মানের অধিকারী। তোমার প্রশংসায় বান্দা যা কিছু বলে তুমি তার চাইতে বেশি হকদার। আমরা সবাই তোমার বান্দা; হে আল্লাহ! তুমি যা দান করো তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারো নেই এবং তুমি যা দেয়া বন্ধ করো, তা দান করার শক্তি কারো নেই। ধনবানদের ধন তোমার সামনে কোন কাজে আসে না। (ই.ফা. ৯৫৩, ই.সে. ৯৬৪)

৯৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকু‘ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ
“আল্লা-হুম্মা রব্বানা- লাকাল্ হামদু মিল্আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়ামিল্ আল আরযি ওয়ামা- বায়নাহুমা- ওয়ামিল্আ মা-শি’তা মিন্ শাইয়িন্ বা‘দু আহলাস্ সানা-য়ি ওয়াল্ মাজদি লা-মা-নি’আ লিমা-আ’তাইতা ওয়ালা-মু’তিয়া লিমা- মানা’তা ওয়ালা- ইয়ানফা‘উ যাল্ জাদ্দি মিনকাল্ জাদ্দ।”
অর্থাৎ “আমাদের প্রতিপালক। তুমি আসমান-যমিন সম পরিপুর্ন প্রশংসার অধিকারী, অতঃপর তুমি যা চাও তাও পুর্ন করে প্রশংসার অধিকার। তুমি প্রশংসা ও সম্মানের অধিকারী। (হে আল্লাহ!) তুমি যাকে দান করো তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারো নেই এবং তুমি যাকে দেয়া বন্ধ করো, তাকে দান করার শক্তি কারো নেই। চেষ্টা সাধনাকারীর প্রচেষ্টা তোমার সামনে কোন কাজে আসে না”। (ই.ফা. ৯৫৪, ই.সে. ৯৬৫)

৯৬০

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْلِهِ ‏ "‏ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এ হাদীস (আরবী) পর্যন্ত বর্নিত হয়েছে। হাদীসের পরবর্তী অংশ এ সুত্রে বর্নীত হয়নি। (ই.ফা. ৯৫৫, ই.সে. ৯৬৬)

৪১. অধ্যায়ঃ

রুকু‘ ও সাজদায় কুরআনের আয়াত পাঠ করা নিষেধ

৯৬১

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السِّتَارَةَ وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ ‏ "‏ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنْ مُبَشِّرَاتِ النُّبُوَّةِ إِلاَّ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ يَرَاهَا الْمُسْلِمُ أَوْ تُرَى لَهُ أَلاَ وَإِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ الْقُرْآنَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ ‏"‏ ‏.‏
قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ
’আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মৃত্যুশয্যায় থাকাকালিন সময়ে) হুজরার পর্দা তুলে দিলেন। লোকেরা এ সময় আবূ বাকরের পিছনে সলাতের কাতারে দাঁড়ানো ছিল। তিনি বললেন, হে লোক সকল! আর নবুয়তের ধারা অবশিষ্ট থাকবেনা। তবে মুসলিমরা সত্যস্বপ্ন দেখবে অথবা তাদেরকে দেখানো হবে। সাবধান! আমাকে নিষেধ করা হয়েছে আমি যেন রুকু’ বা সাজদারত অবস্থায় কুরআন পাঠ না করি। তোমরা রুকু’ অবস্থায় মহান প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব বর্ননা করবে এবং সাজদারত অবস্থায় অধিক দু’আ পড়ার চেষ্টা করবে, কেননা তোমাদের দু’আ কবুল হওয়ার উপযোগী। হাদীসটি আবূ বাক্‌র (রহঃ) (আরবী) বলে রিয়াওয়াত করেছেন। (ই.ফা. ৯৫৬, ই.সে. ৯৬৭)

৯৬২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السِّتْرَ وَرَأْسُهُ مَعْصُوبٌ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ‏"‏ إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنْ مُبَشِّرَاتِ النُّبُوَّةِ إِلاَّ الرُّؤْيَا يَرَاهَا الْعَبْدُ الصَّالِحُ أَوْ تُرَى لَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ سُفْيَانَ ‏.‏
’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ কক্ষের পর্দা সরিয়ে দিলেন এ সময় তিনি মৃত্যু শয্যায় ছিলেন। তাঁর মাথা (কাপড় দিয়ে) বাঁধা ছিল। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি তোমার বাণী পৌঁছে দিয়েছি? এ কথা তিনি তিনবার বলেলেন। নুবুওয়াতের সুসংবাদ (ধারা) আর অবশিষ্ট থাকবে না। তবে ভাল স্বপ্ন অবশিষ্ট থাকবে। নেক বান্দারা তা দেখবে অথবা তাদেরকে দেখানো হবে। হাদীসের পরবর্তী বর্ননা সুফ্ইয়ানের বর্ননার অনুরুপ। (ই.ফা. ৯৫৭, ই.সে. ৯৬৮)

৯৬৩

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا ‏.‏
’আলি ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকু’ অথবা সাজদায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৯৫৮, ই.সে. ৯৬৯)

৯৬৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ، - يَعْنِي ابْنَ كَثِيرٍ - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَأَنَا رَاكِعٌ أَوْ سَاجِدٌ ‏.‏
’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকু’ ও সাজদারত অবস্থায় কুরআনের আয়াত পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৯৫৯, ই.সে. ৯৭০)

৯৬৫

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَلاَ أَقُولُ نَهَاكُمْ ‏.‏
‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকু’-সাজদায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। আমি বলছি না “তিনি তোমাদের নিষেধ করেছেন” (ই.ফা. ৯৬০, ই.সে. ৯৭১)

৯৬৬

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ نَهَانِي حِبِّي صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا ‏.‏
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার প্রিয়তম (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ) আমাকে রুকু’-সাজদায় কিরাআত পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৯৬১, ই.সে. ৯৭২)

৯৬৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، ح وَحَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو ح قَالَ وَحَدَّثَنِي هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، - إِلاَّ الضَّحَّاكَ وَابْنَ عَجْلاَنَ فَإِنَّهُمَا زَادَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ، - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهُمْ قَالُوا نَهَانِي عَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَأَنَا رَاكِعٌ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِي رِوَايَتِهِمُ النَّهْىَ عَنْهَا فِي السُّجُودِ كَمَا ذَكَرَ الزُّهْرِيُّ وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ وَالْوَلِيدُ بْنُ كَثِيرٍ وَدَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ ‏.‏
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকু’ অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। উল্লেখিত সব রাবীই রুকুর কথা বলেছেন। তারা নিজ নিজ বর্ননায় ‘সাজদার মধ্যে কুরআন পাঠ করা নিষেধ” এরুপ কথা উল্লেখ করেন নি। যেমন, যুহরী, যায়দ ইবনু আসলাম, ওয়ালীদ ইবনু কাসির এবং দাউদ ইবনু কায়স নিজেদের বর্ননায় এ নিষেধাজ্ঞার কথাও উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৯৬২, ই.সে. ৯৭৩)

৯৬৮

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ عَلِيٍّ، وَلَمْ يَذْكُرْ فِي السُّجُودِ ‏.‏
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের অনুরুপ বর্নিত হয়েছে। এ সুত্রে ‘সাজদায় কুরআন পাঠ করা নিষেধ’ এ কথার উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৯৬৩, ই.সে. ৯৭৪)

৯৬৯

وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ، وَأَنَا رَاكِعٌ، ‏.‏ لاَ يَذْكُرُ فِي الإِسْنَادِ عَلِيًّا ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে নিষেধ করা হয়েছে আমি যেন রুকু‘র মধ্যে কুরআন পাঠ না করি। এ সুত্রে ‘আলীর নাম উলেখ নেই। (ই.ফা. ৯৬৪, ই.সে. ৯৭৫)

৪২. অধ্যায়ঃ

রুকু’-সাজদায় যা বলতে হবে

৯৭০

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا صَالِحٍ، ذَكْوَانَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বান্দার সাজদাহরত অবস্থায়ই তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভের সর্বোত্তম অবস্থা (বা মুহুর্ত)। অতএব তোমরা অধিক পরিমানে দু’আ পড়ো। (ই.ফা. ৯৬৫, ই.সে. ৯৭৬)

৯৭১

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي سُجُودِهِ ‏ "‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلاَنِيَتَهُ وَسِرَّهُ ‏"‏ ‏.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদায় গিয়ে বলতেনঃ “আল্লা-হুম্মাগ্ ফিরলি যামবী কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়াজিল্লাহু ওয়া আওওয়ালুহু ওয়া আ-খিরাহু ওয়া ‘আলা-নিয়াতাহু ওয়া সিররাহু”
অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমার সকল প্রকার গুনাহ ক্ষমা করে দিন। কম এবং বেশি, প্রথম এবং শেষ, প্রকাশ্য এবং গোপনীয়। (ই.ফা. ৯৬৬, ই.সে. ৯৭৭)

৯৭২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ ‏ "‏ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ‏"‏ ‏.‏ يَتَأَوَّلُ الْقُرْآنَ ‏.‏
’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু’-সাজদায় এ দু‘আ অধিক পরিমানে পাঠ করতেনঃ “সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা রব্বানা- ওয়াবি হামদিকা আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী।”অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! আমার প্রতিপালক। তোমার প্রশংসার সাথে পবিত্রতা ঘোষনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।“ তিনি কুরআনের উপর ‘আমাল করতেন। (ই.ফা. ৯৬৭, ই.সে. ৯৭৮) ১০৫
১০৫- পবিত্র কুরআনে সুরাহ আন্ নাসর এর ৩ নং (আরবী) আয়াতের উপত ;আমাল করে উক্ত দু’আ তিনি রুকু’ ও সাজদাতে পড়তেন।

৯৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ ‏"‏ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا هَذِهِ الْكَلِمَاتُ الَّتِي أَرَاكَ أَحْدَثْتَهَا تَقُولُهَا قَالَ ‏"‏ جُعِلَتْ لِي عَلاَمَةٌ فِي أُمَّتِي إِذَا رَأَيْتُهَا قُلْتُهَا ‏{‏ إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ‏}‏ ‏"‏ ‏.‏ إِلَى آخِرِ السُّورَةِ ‏.‏
’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ইন্তেকালের পুর্বে এই দু’আটি খুব বেশি মাত্রায় পাঠ করতেনঃ “সুবহা-নাকা ওয়াবি হামদিকা আসতাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলায়ক”। অর্থাৎ, “মহান পবিত্র আল্লাহ, সকল প্রশংসা প্রাপ্য একমাত্র তার, আমি তোমার নিকট সকল পাপের ক্ষমা চাচ্ছি ও তাওবাহ করছি।” রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল! আপনাকে এ সব নতুন বাক্য পড়তে দেখছি- এগুলো কি? তিনি বললেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে আমার একটি নিদর্শন বা চিহ্ন রাখা হয়েছে। যখন আমি তা দেখি তখন এগুলো বলতে থাকি। আমি দেখেছিঃ “ইযা-জা-আ-নাসরুল্ল-হি ওয়াল্ ফাত্হ” সুরার শেষ পর্যন্ত। (ই.ফা. ৯৬৮, ই.সে. ৯৭৯)

৯৭৪

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ نَزَلَ عَلَيْهِ ‏{‏ إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ‏}‏ يُصَلِّي صَلاَةً إِلاَّ دَعَا أَوْ قَالَ فِيهَا ‏"‏ سُبْحَانَكَ رَبِّي وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ‏"‏ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “ইযা-জা-আ নাসরুল্ল-হি ওয়াল্ ফাতহ” (সুরাহ আন্ নাসর) নাযিল হওয়ার পর থেকে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ দু’আ পাঠ করা ব্যতিরেকে কোন সলাত আদায় করতে দেখিনি। অথবা তিনি সেখানে (সলাতে) বলতেনঃ “সুবহা-নাকা রব্বী ওয়াবি হামদিকা আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী”। অর্থাৎ ‘হে আমার প্রতিপালক আপনার জন্যই সকল পবিত্রতা ও প্রশংসা। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। (ই.ফা. ৯৬৯, ই.সে. ৯৮০)

৯৭৫

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ مِنْ قَوْلِ ‏"‏ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَاكَ تُكْثِرُ مِنْ قَوْلِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ خَبَّرَنِي رَبِّي أَنِّي سَأَرَى عَلاَمَةً فِي أُمَّتِي فَإِذَا رَأَيْتُهَا أَكْثَرْتُ مِنْ قَوْلِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ ‏.‏ فَقَدْ رَأَيْتُهَا ‏{‏ إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ‏}‏ فَتْحُ مَكَّةَ ‏{‏ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا * فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا‏}‏ ‏"‏ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক সংখ্যায় এ দু’আ পড়তেনঃ “সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী আসতাগফিরুল্ল-হা ওয়াতুবু ইলাইহি”। অর্থাৎ, “মহান পবিত্র আল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা তার জন্য। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমি তার কাছে তাওবাহ করছি, অনুতপ্ত হচ্ছি।” রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল! আমি আপনাকে অধিক সংখ্যায় এ কথা বলতে দেখেছি “সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী আসতাগফিরুল্ল-হা ওয়াতুবু ইলাইহি”। রাবী বলেন, তিনি বললেনঃ আমার মহান প্রতিপালক আমাকে সুসংবাদ দিয়েছেন যে, আমি অচিরেই আমার উম্মাতের মধ্যে একটি নিদর্শন দেখতে পাব। যখন আমি সে আলামত দেখতে পাই তখন অধিক সংখ্যায় এ দু’আ পাঠ করতে থাকিঃ “সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী আসতাগফিরুল্ল-হা ওয়াতুবু ইলাইহি”। সে নিদর্শন সম্ভবত এই “ইযা-জা-আ নাসরুল্ল-হি ওয়াল ফাতহ...”। অর্থাৎ “ যখন আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং বিজয় লাভ হবে (অর্থাৎ-মাক্কাহ্ বিজয়) , তুমি দেখতে পাবে, দলে দলে লোক আল্লাহর দীনে প্রবেশ করছে; তখন তুমি তোমার প্রভুর প্রশংসা সহকারে তাঁর তাসবীহ করো এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিঃসন্দেহে তিনি খুবই তাওবাহ্ গ্রহনকারী। (সুরাহ আন্- নাসর) (ই.ফা. ৯৭০, ই.সে. ৯৮১)

৯৭৬

وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَيْفَ تَقُولُ أَنْتَ فِي الرُّكُوعِ قَالَ أَمَّا سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتِ افْتَقَدْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَتَحَسَّسْتُ ثُمَّ رَجَعْتُ فَإِذَا هُوَ رَاكِعٌ أَوْ سَاجِدٌ يَقُولُ ‏ "‏ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنِّي لَفِي شَأْنٍ وَإِنَّكَ لَفِي آخَرَ ‏.‏
ইবনু জুরায়য (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আতাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি রুকু’তে কি পড়েন? তিনি বলেন, “সুবহা-নাকা ওয়াবি হামদিকা লা-ইলা-হা ইল্লা- ‘আনতা”। অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! আমরা তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ননা করছি। তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই।” কেননা ইবনু আবূ মুলাইকাহ্ আমাকে ‘আয়িশার সুত্রে অবহিত করেছেন যে, তিনি [‘আয়িশাহ্ রাঃ) ] বলেছেন, একরাতে আমি ঘুম থেকে জেগে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমার কাছে পেলাম না। আমি ধারনা করলাম, তিনি হয়ত তাঁর অপর কোন স্ত্রীর কাছে গেছেন। আমি তাঁর খোঁজে বের হলাম, কিন্তু না পেয়ে ফিরে আসলাম। দেখি, তিনি রুকু’ অথবা (রাবীর সন্দেহ) সাজদায় আছেন এবং বলছেন “সুবহা-নাকা ওয়াবি হামদিকা লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা”। আমি বললাম, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আমি কি ধারনায় নিমজ্জিত হয়েছি, আর আপনি কি কাজে মগ্ন আছেন। (ই.ফা. ৯৭১, ই.সে. ৯৮২)

৯৭৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ الْفِرَاشِ فَالْتَمَسْتُهُ فَوَقَعَتْ يَدِي عَلَى بَطْنِ قَدَمَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ وَهُمَا مَنْصُوبَتَانِ وَهُوَ يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ ‏"‏ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বিসানায় পেলাম না। আমি তাঁকে খোঁজ করতে লাগলাম। হঠাৎ আমার হাত তাঁর উভয় পায়ের তালুতে গিয়ে ঠেকল। তিনি সাজদায় ছিলেন এবং তাঁর পা দু’টো দাঁড় করানো ছিল। এ অবস্তায় তিনি বলেছেনঃ “আল্লাহুম্মা আ’উযু বিরিযা-কা মিন্‌ সাখাতিকা ওয়াবি মু’আ-ফা-তিকা মিন্‌ ‘উকুবাতিকা ওয়া আ’উযুবিকা মিনকা লা-উহ্‌সি সানা-আন্‌ ‘আলাইকা আন্‌তা কামা- আস্‌নাইতা ‘আল- নাফসিকা”।অর্থাৎ “হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার অসন্তুষ্টি থেকে সন্তুষ্টির আশ্রয় চাই। তোমার শাস্তি থেকে তোমার শান্তি ও স্বস্তির আশ্রয় চাই। আমি তোমার নিকট তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। তোমার প্রশংসার হিসাব করা আমার সম্ভব না। তুমি নিজে তোমার যেরূপ প্রশংসা বর্ণনা করেছ, তুমি ঠিক তদ্রূপ” (ই.ফা. ৯৭২, ই সে. ৯৮৩)

৯৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، نَبَّأَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ ‏ "‏ سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلاَئِكَةِ وَالرُّوحِ ‏"‏ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু’ ও সাজদায় এ দু’য়া পড়তেনঃ “সুব্বুহুন কুদ্দূসুন্ রাব্বুল্‌ মালা-ইকাতি ওয়ার্‌ রূহ”। অর্থাৎ “ সমস্ত ফেরেশতা ও জিবরীল (আঃ) –এর প্রতিপালক অত্যন্ত পাক-পবিত্র”। (ই.ফা. ৯৭৩, ই.সে.৯৮৪)

৯৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ، قَالَ سَمِعْتُ مُطَرِّفَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدَّثَنِي هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৯৭৮, ই.সে. ৯৮৫)

৪৩. অধ্যায়ঃ

সাজদার ফাযীলত এবং এর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা

৯৮০

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ الأَوْزَاعِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْخِلُنِي اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ ‏.‏ أَوْ قَالَ قُلْتُ بِأَحَبِّ الأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ ‏.‏ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ لِلَّهِ فَإِنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْكَ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَا قَالَ لِي ثَوْبَانُ ‏.‏
মা’দান ইব্‌নে তালহাহ্‌ আল ইয়া’মারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) -এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। আমি বললাম, আমাকে একটি কাজের কথা বলে দিন যা করলে আল্লাহ্‌ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর প্রিয়তম ও পছন্দনীয় কাজের কথা জিঞ্জেস করলাম। কিন্তু তিনি চুপ থাকলেন। আমি পুনর্বার জিঞ্জেস করলাম। এবারও তিনি নীরব থাকলেন। আমি তৃতীয়বার জিঞ্জেস করলে তিনি বললেন, আমি এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিঞ্জেস করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ তুমি আল্লাহর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি সাজদাহ্ করবে। কেননা তুমি যখন আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ্ করবে, আল্লাহ্‌ তা’আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন।
মা’দান বলেন, অতঃপর আমি আবূ দার্‌দাহ্‌ (রাঃ) -এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিঞ্জেস করলাম। সাওবান (রাঃ) আমাকে যা বলেছেন, তিনিও তাই বললেন। (ই.ফা. ৯৭৫, ই.সে. ৯৮৬)

৯৮১

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا هِقْلُ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ الأَوْزَاعِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ كَعْبٍ الأَسْلَمِيُّ، قَالَ كُنْتُ أَبِيتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ بِوَضُوئِهِ وَحَاجَتِهِ فَقَالَ لِي ‏"‏ سَلْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنَّةِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَوَغَيْرَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ هُوَ ذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ ‏"‏ ‏.‏
রাবী’আহ ইব্‌নে কা’আব আল আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রাত যাপন করছিলাম। আমি তাঁর ওযুর পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দিতাম। তিনি আমাকে বললেনঃ কিছু চাও। আমি বললাম, জান্নাতে আপনার সাহচর্য প্রার্থনা করছি। তিনি বললেনঃ এছাড়া আরো কিছু আছে কি? আমি বললাম, এটাই আমার আবেদন। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি অধিক পরিমাণে সাজদাহ্ করে তোমার নিজের স্বার্থেই আমাকে সাহায্য করো। (ই.ফা. ৯৭৬, ই.সে. ৯৮৭)

৪৪. অধ্যায়ঃ

যেসব অঙ্গের সাহায্যে সাজদাহ্ করতে হবে এবং সলাতে চুল, কাপড় ও মাথার বেণী ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯৮২

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ أَبُو الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُمِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةٍ وَنُهِيَ أَنْ يَكُفَّ شَعْرَهُ وَثِيَابَهُ ‏.‏ هَذَا حَدِيثُ يَحْيَى ‏.‏ وَقَالَ أَبُو الرَّبِيعِ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ وَنُهِيَ أَنْ يَكُفَّ شَعْرَهُ وَثِيَابَهُ الْكَفَّيْنِ وَالرُّكْبَتَيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ وَالْجَبْهَةِ ‏.‏
ইব্‌নে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সাতটি হাড়ের সাহায্যে সাজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং মাথার চুল ও কাপড় ধরে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদীসের এ বর্ণনাটি ইয়াহ্ইয়ার।
আবূ রাবী’ তাঁর বর্ণনায় বলেন, সাতটি হাড়ের সাহায্যে সাজদাহ্ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং চুল ও কাপড় আটকিয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। ( সাতটি হাড় বা অঙ্গ হচ্ছে-) দু’হাতের তালু দু’হাঁটু, দু’পা এবং কপাল। (ই.ফা. ৯৭৭ ই.সে. ৯৮৮)

৯৮৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ وَلاَ أَكُفَّ ثَوْبًا وَلاَ شَعْرًا ‏"‏ ‏.‏
ইব্‌নে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে সাতটি অঙ্গের সাহায্যে সাজদাহ্ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং চুল ও কাপড়গুলোকে ঠেকিয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। (ই.ফা. ৯৭৮, ই.সে. ৯৮৯)

৯৮৪

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أُمِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعٍ وَنُهِيَ أَنْ يَكْفِتَ الشَّعْرَ وَالثِّيَابَ ‏"‏ ‏.‏
ইব্‌নে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে সাতটি অঙ্গের সাহায্যে সাজদাহ্ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং চুল ও কাপড়গুলোকে গুটানো থেকে বারণ করা হয়। (সলাত রত অবস্থায়)। (ই.ফা. ৯৭৯, ই.সে. ৯৯০)

৯৮৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ الْجَبْهَةِ - وَأَشَارَ بِيَدِهِ عَلَى أَنْفِهِ - وَالْيَدَيْنِ وَالرِّجْلَيْنِ وَأَطْرَافِ الْقَدَمَيْنِ وَلاَ نَكْفِتَ الثِّيَابَ وَلاَ الشَّعْرَ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে সাতটি অঙ্গের সাহায্যে সাজদাহ্ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কপাল- এ বলে তিনি হাত দিয়ে নাকের দিকে ইশারা করলেন; দু’হাত দুপা (দু’হাটু) এবং দু’পায়ের পার্শ্বদেশ (পায়ের আঙ্গুল সমূহ )। আমি ( অর্থাৎ- আমরা) যেন (সিজদার সময়) চুল ও কাপড় ধরে না রাখি এ নির্দেশও দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ৯৮০, ই.সে. ৯৯১)

৯৮৬

حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعٍ وَلاَ أَكْفِتَ الشَّعْرَ وَلاَ الثِّيَابَ الْجَبْهَةِ وَالأَنْفِ وَالْيَدَيْنِ وَالرُّكْبَتَيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ ‏"‏ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইব্‌নে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে সাতটি অঙ্গের সাহায্যে সাজদাহ্ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এ সময়ে চুল ও পরিধেয় বস্ত্র গুটাতে নিষেধ করা হয়েছে। অঙ্গগুলো হচ্ছে, কপাল ও নাক, উভয় হাত, উভয় হাঁটু এবং উভয় পায়ের পাতা। (ই.ফা. ৯৮১, ই.সে. ৯৯২)

৯৮৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - وَهُوَ ابْنُ مُضَرَ - عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ مَعَهُ سَبْعَةُ أَطْرَافٍ وَجْهُهُ وَكَفَّاهُ وَرُكْبَتَاهُ وَقَدَمَاهُ ‏"‏ ‏.‏
‘আব্বাস ইব্‌নে ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ বান্দা যখন সাজদাহ্ করে তখন তার সাথে তার সাতটি অঙ্গ সাজদাহ্ করে- তার মুখমণ্ডল, তার দু’হাতের পাতা, তার দু’হাটু এবং দু’পায়ের পাতা। (ই.ফা. নেই, ই.সে. ৯৯২)

৯৮৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ كُرَيْبًا مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ رَأَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ يُصَلِّي وَرَأْسُهُ مَعْقُوصٌ مِنْ وَرَائِهِ فَقَامَ فَجَعَلَ يَحُلُّهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ مَا لَكَ وَرَأْسِي فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّمَا مَثَلُ هَذَا مَثَلُ الَّذِي يُصَلِّي وَهُوَ مَكْتُوفٌ ‏"‏ ‏.‏
’আবদুল্লাহ ইব্‌নে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নে হারিসকে তার মাথার চুল পিছন দিকে বেঁধে রেখে সলাত আদায় করতে দেখলেন। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তা খুলে দিলেন। আবদুল্লাহ ইব্‌নে হারিস (রাঃ) সলাত শেষ করে ইব্‌নে আব্বাসের দিকে ফিরে বললেন, কি ব্যাপার আপনি আমার চুল এরূপ করে দিলেন ! তিনি (ইবনে ‘আব্বাস) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ এ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত হচ্ছে-যে ব্যক্তি পিছন দিকে হাত বাধা অবস্থায় সলাত আদায় করে তার মতো। (ই.ফা. ৯৮২, ই.সে. ৯৯৩)

৪৫. অধ্যায়ঃ

সাজদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা, উভয় হাতের তালু জমিনে রাখা, উভয় কনুই পাঁজর থেকে পৃথক রাখা এবং সাজদায় পেট উরু থেকে উঁচু ও পৃথক রাখা।

৯৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ وَلاَ يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ ‏"‏ ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাজদার মধ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভারসাম্য বজায় রেখে (ঠিকভাবে) সাজদাহ্ করো। তোমাদের কেউ যেন নিজের বাহুদ্বয় কুকুরের মত বিছিয়ে না দেয়। (ই.ফা. ৯৮৩, ই.সে. ৯৯৪)

৯৯০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ ‏ "‏ وَلاَ يَتَبَسَّطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ ‏"‏ ‏.‏
মুহাম্মাদ ইব্‌নে আল মুসান্না ও ইব্‌নে বাশ্‌শার, ইয়াহ্ইয়া ইব্‌নে হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বণিত হয়েছে। ইব্‌নে জা‘ফারের বর্ণনায় রয়েছে। “ তোমাদের কেউ যেন সাজদার সময় তার বাহুদ্বয়কে কুকুরের মতো বিছিয়ে না দেয়। (ই.ফা. ৯৮৪, ই.সে. ৯৯৫)

৯৯১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ إِيَادٍ، عَنْ إِيَادٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا سَجَدْتَ فَضَعْ كَفَّيْكَ وَارْفَعْ مِرْفَقَيْكَ ‏"‏ ‏.‏
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তুমি সাজদাহ্ করো তোমার হাতের তালু মাটিতে রাখো এবং উভয় কনুই উঁচু করে রাখো। (ই.ফা. ৯৮৫, ই.সে. ৯৯৬)

৪৬. অধ্যায়ঃ

সলাতের সামগ্রিক বৈশিষ্ট্য - যা দিয়ে সলাত শুরু এবং শেষ করতে হবে; রুকু’র বৈশিষ্ট এবং এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা; সাজদার বৈশিষ্ট্য ও এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা; চার রাক‘আত বিশিষ্ট সলাতে প্রতি দু’রাক’আত অন্তর তাশাহ্‌হুদ পাঠ; দু’সাজদার মাঝখানে বসা এবং প্রথম বৈঠকের বর্ণনা।

৯৯২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - وَهُوَ ابْنُ مُضَرَ - عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ ابْنِ بُحَيْنَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا صَلَّى فَرَّجَ بَيْنَ يَدَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ بَيَاضُ إِبْطَيْهِ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইব্‌নে মালিক ইবনু বুহাইনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করার সময় দু’হাত (পাঁজর থেকে) এমনভাবে ফাঁকা রাখতেন যে, তাঁর বগলের শুভ্রতা প্রকাশ হয়ে পড়ত। (ই.ফা. ৯৮৬, ই.সে. ৯৯৭)

৯৯৩

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَجَدَ يُجَنِّحُ فِي سُجُودِهِ حَتَّى يُرَى وَضَحُ إِبْطَيْهِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ اللَّيْثِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَجَدَ فَرَّجَ يَدَيْهِ عَنْ إِبْطَيْهِ حَتَّى إِنِّي لأَرَى بَيَاضَ إِبْطَيْهِ ‏.‏
জা’ফার ইব্‌নে রাবী’আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে ‘আম্‌র ইব্‌নে হারিস-এর বর্ণনায় নিম্নরূপঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন, তখন উভয় বাহু প্রসারিত করে রাখতেন। এর ফলে তার বগলের শুভ্রতা প্রকাশ হয়ে পড়ত।
লায়স-এর বর্ণনায় নিম্নরূপঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন, উভয় বাহু পার্শ্বদেশ থেকে পৃথক রাখতেন। এমনকি আমি (‘আবদুল্লাহ ইবনু মালিক ইব্‌নে বুহাইনাহ্‌) তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখতে পেতাম। (ই.ফা. ৯৮৭. ই.সে. ৯৯৮)

৯৯৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ عَمِّهِ، يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ عَنْ مَيْمُونَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَجَدَ لَوْ شَاءَتْ بَهْمَةٌ أَنْ تَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ لَمَرَّتْ ‏.‏
মাইমুনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন, কোন মেষ সাবক ইচ্ছা করলে তাঁর বাহুর ফাঁক দিয়ে চলে যেতে পারত। (ই.ফা. ৯৮৮, ই.সে. ৯৯৯)

৯৯৫

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ مَيْمُونَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَجَدَ خَوَّى بِيَدَيْهِ - يَعْنِي جَنَّحَ - حَتَّى يُرَى وَضَحُ إِبْطَيْهِ مِنْ وَرَائِهِ وَإِذَا قَعَدَ اطْمَأَنَّ عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى ‏.‏
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী মাইমুনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন , দু’বাহু এমনভাবে (পাঁজর থেকে) ফাঁকা রাখতেন যে, তাঁর পিছন থেকে বগলের শুভ্রতা দেখা যেত। তিনি যখন বসতেন, বাম উরুর উপর শান্তভরে বসতেন। (ই.ফা.৯৮৯, ই সে. ১০০০)

৯৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَجَدَ جَافَى حَتَّى يَرَى مَنْ خَلْفَهُ وَضَحَ إِبْطَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي بَيَاضَهُمَا ‏.‏
(উম্মুল মু’মিনিন) মাইমুনাহ্ বিনতু হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন, বাহুদ্বয় (পাঁজর থেকে) ফাঁকা রাখতেন। এমনকি তার পিছনের ব্যক্তিটি তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখতে পেত।
ওয়াকি’ (রহঃ) বলেন, মাইমুনাহ্ (রাঃ) ঔজ্জ্বল্য দ্বারা ‘শুভ্রতা’ বুঝিয়েছেন। (ই.ফা. ৯৯০, ই.সে. ১০০১)

৯৯৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي الأَحْمَرَ - عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِحُ الصَّلاَةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ ‏{‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏}‏ وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلِكَنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ جَالِسًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ وَكَانَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقْبَةِ الشَّيْطَانِ وَيَنْهَى أَنْ يَفْتَرِشَ الرَّجُلُ ذِرَاعَيْهِ افْتِرَاشَ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلاَةَ بِالتَّسْلِيمِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ أَبِي خَالِدٍ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) বলে সলাত শুরু করতেন এবং সূরাহ্‌ আল ফা-তিহাহ্‌ দিয়ে কিরাআত পাঠ শুরু করতেন। তিনি যখন রুকূ’ করতেন, ঘাড় থেকে মাথা নীচুও করতেন না, উপরেও উঁচু করে রাখতেন না বরং একই সমতলে রাখতেন। তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে সাজদাহ্ করতেন না। তিনি (প্রথম) সাজদাহ্ থেকে মাথা তুলে সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত (দ্বিতীয়) সাজদায় যেতেন না। তিনি প্রতি দু’রাক’আত অন্তর “আত্তাহিয়্যাতু” পাঠ করতেন। তিনি বসার সময় বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পা দাঁড় করিয়ে রাখতেন। তিনি শয়তানের বসা থেকে নিষেধ করতেন। তিনি পুরুষ লোকেদেরকে হিংস্র জন্তুর ন্যায় দু’হাত মাটিতে ছড়িয়ে দিতে নিষেধ করতেন। তিনি সালামের মাধ্যমে সলাতের সমাপ্তি ঘোষণা করতেন।
ইবনু নুমায়র থেকে আবূ খালিদ-এর সূত্রে বর্ণিত আছে : তিনি শয়তানের মতো [১০৬] বসতে নিষেধ করতেন। (ই.ফা. ৯৯১, ই.সে. ১০০২)
১০৬ - দু’হাঁটু দাঁড় করিয়ে দু’উরু বুকের সঙ্গে লাগলে পাছার উপর ভর দিয়ে উপবেশন করাকে শয়তানের বৈঠক বলা হয়। সলাত রত অবস্থায় তাশাহ্‌হুদ পাঠকালে এরূপ বসতে নিষেধ করা হয়।

৪৭. অধ্যায়ঃ

সলাত আদায়কারীর সামনে সুত্‌রাহ্‌ (আড়াল) দেয়া

৯৯৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا وَضَعَ أَحَدُكُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ مِثْلَ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُبَالِ مَنْ مَرَّ وَرَاءَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏
মূসা ইবনু তাল্‌হাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি নিজের সামনে হাওদার (উটের পিঠে আসনের পিছভাগে দাঁড় করা) কাঠের ন্যায় কিছু রেখে দিয়ে নিশ্চিন্তে সলাত আদায় করতে পারে। এ সুত্‌রার পিছন দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে সেদিকে তাকে ভ্রুক্ষেপ করতে হবে না। (ই.ফা. ৯৯২, ই.সে. ১০০৩)

৯৯৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيُّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا نُصَلِّي وَالدَّوَابُّ تَمُرُّ بَيْنَ أَيْدِينَا فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مِثْلُ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ تَكُونُ بَيْنَ يَدَىْ أَحَدِكُمْ ثُمَّ لاَ يَضُرُّهُ مَا مَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ‏"‏ فَلاَ يَضُرُّهُ مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏"‏ ‏.‏
মূসা ইবনু তালহাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা সলাত আদায় করতাম আর এমন সময় আমাদের সামনে দিয়ে জীবজন্তু চলাফেরা করত। এ ব্যাপারটি আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে উত্থাপন করলাম। তিনি বললেনঃ তোমাদের কারো সামনে হাওদার পিছনের কাঠের ন্যায় কিছু দাঁড় করানো থাকলে, তার সামনে দিয়ে কোন কিছু যাতায়াত করলে তাতে কোন ক্ষতি নেই।
ইবনু নুমায়র-এর বর্ণনায় আছে : তার সামনে দিয়ে যে লোকই অতিক্রম করুক তাতে কোন ক্ষতি হবে না। (ই.ফা. ৯৯৩, ই.সে. ১০০৪)

১০০০

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ سُتْرَةِ الْمُصَلِّي فَقَالَ ‏ "‏ مِثْلُ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ ‏"‏ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সলাত আদায়কারীর সামনে সুত্‌রাহ্‌ রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেনঃ হাওদার পিছনের খুঁটির মতো। (ই.ফা. ৯৯৪, ই.সে. ১০০৫)

১০০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ عَنْ سُتْرَةِ الْمُصَلِّي فَقَالَ ‏ "‏ كَمُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ ‏"‏ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাবূকের যুদ্ধে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সলাত আদায়কারীর সামনের সুত্‌রাহ্‌ (আড়াল) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেনঃ হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায়। (ই.ফা. ৯৯৫, ই.সে. ১০০৬)

১০০২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ أَمَرَ بِالْحَرْبَةِ فَتُوضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَالنَّاسُ وَرَاءَهُ وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ فَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذَهَا الأُمَرَاءُ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ঈদের সলাত আদায় করতে বের হতেন, একটি বর্শা সাথে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিতেন। এটা তাঁর সামনে দাঁড় করে রাখা হত এবং তিনি এর দিকে ফিরে সলাত আদায় করতেন। উপস্থিত লোকেরা তাঁর পিছনে থাকত। তিনি সফরে থাকাকালীন সময়েও এমন করতেন। তাঁর পরবর্তী সময়ের শাসকগণও এটাকে সুতরাহ্‌ হিসেবে ব্যবহার করতেন। (ই.ফা. ৯৯৬, ই.সে. ১০০৭)

১০০৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَرْكُزُ - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَغْرِزُ - الْعَنَزَةَ وَيُصَلِّي إِلَيْهَا ‏.‏ زَادَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ وَهْىَ الْحَرْبَةُ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনের দিকে ‘আনাযাহ (বর্শা) পুঁতে দিতেন। অধস্তন রাবী আবূ বাক্‌র-এর বর্ণনায় আছে : তিনি বল্লম পুঁতে দিতেন এবং সেদিকে ফিরে সলাত আদায় করতেন।
আবূ শাইবাহ্‌ বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ বলেছেন, এটা ছিল বর্শা। (ই.ফা. ৯৯৭, ই.সে. ১০০৮)

১০০৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْرِضُ رَاحِلَتَهُ وَهُوَ يُصَلِّي إِلَيْهَا ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উট আড়াআড়ি করে বসাতেন। অতঃপর তা সামনে রেখে সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৯৯৮, ই.সে. ১০০৯)

১০০৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِلَى رَاحِلَتِهِ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى إِلَى بَعِيرٍ ‏.
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাহনকে সামনে রেখে সলাত আদায় করতেন। ইবনু নুমায়র-এর বর্ণনায় রয়েছে : নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সফরে থাকাকালীন সময়ে) তাঁর উট সামনে রেখে সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৯৯৯, ই.সে. ১০১০)

১০০৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَهُوَ بِالأَبْطَحِ فِي قُبَّةٍ لَهُ حَمْرَاءَ مِنْ أَدَمٍ - قَالَ - فَخَرَجَ بِلاَلٌ بِوَضُوئِهِ فَمِنْ نَائِلٍ وَنَاضِحٍ - قَالَ - فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ سَاقَيْهِ - قَالَ - فَتَوَضَّأَ وَأَذَّنَ بِلاَلٌ - قَالَ - فَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُ فَاهُ هَا هُنَا وَهَا هُنَا - يَقُولُ يَمِينًا وَشِمَالاً - يَقُولُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ - قَالَ - ثُمَّ رُكِزَتْ لَهُ عَنَزَةٌ فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ يَمُرُّ بَيْنْ يَدَيْهِ الْحِمَارُ وَالْكَلْبُ لاَ يُمْنَعُ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ ‏.‏
‘আওন ইবনু আবূ জুহাইফাহ্‌ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (জুহাইফাহ্‌) বলেন, আমি মাক্কায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আসলাম। তিনি তখন আব্‌তাহ (মুহাসসাব) নামক স্থানে লাল চামড়ার তৈরি একটি তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। রাবী বলেন, বিলাল (রাঃ) তাঁর উযূর পানি নিয়ে আসলেন। কেউ পানি পেল, কেউ পেল না- সে অন্যের কাছ থেকে সামান্য নিয়ে নিল।[১০৭] নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে আসলেন। তাঁর গায়ে লাল রং এর চাদর শোভা পাচ্ছিল। আমি যেন তাঁর পায়ের গোছার শুভ্রতা এখনো দেখতে পাচ্ছি। তিনি ওযূ করলেন এবং বিলাল (রাঃ) আযান দিলেন। আমি তার (বিলালের) অনুসরণ করে এদিকে-ওদিক মুখ ঘুরাতে লাগলাম। সে ডানে বাঁয়ে মুখ ঘুরিয়ে “হাইয়্যা ‘আলাস সলাহ” ও “হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ” বলল। রাবী বলেন, অতঃপর একটি বর্শা দাঁড় করিয়ে পুঁতে দেয়া হলো। তিনি সামনে অগ্রসর হয়ে যুহরের দু’রাক’আত (ফরয) সলাত আদায় করলেন। তাঁর (সুত্‌রার) সামনে দিয়ে গাধা, কুকুর ইত্যাদি যাচ্ছিল কিন্তু তিনি বাধা দিলেন না। অতঃপর তিনি ‘আস্‌রের ফরয সলাত ও দু’রাক’আত পড়লেন। মাদীনা য় ফিরে আসার সময় পর্যন্ত তিনি এভাবে দু’রাক’আত করে সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১০০০, ই.সে. ১০১১)
 [১০৭]নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ওযূর ব্যবহার করা পানি সহাবাগণ বারাকাত স্বরূপ ব্যবহার করতেন। সেটারই প্রতিযোগিতা ছিল এটা।

১০০৭

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ أَبِي جُحَيْفَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قُبَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ أَدَمٍ وَرَأَيْتُ بِلاَلاً أَخْرَجَ وَضُوءًا فَرَأَيْتُ النَّاسَ يَبْتَدِرُونَ ذَلِكَ الْوَضُوءَ فَمَنْ أَصَابَ مِنْهُ شَيْئًا تَمَسَّحَ بِهِ وَمَنْ لَمْ يُصِبْ مِنْهُ أَخَذَ مِنْ بَلَلِ يَدِ صَاحِبِهِ ثُمَّ رَأَيْتُ بِلاَلاً أَخْرَجَ عَنَزَةً فَرَكَزَهَا وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مُشَمِّرًا فَصَلَّى إِلَى الْعَنَزَةِ بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ وَرَأَيْتُ النَّاسَ وَالدَّوَابَّ يَمُرُّونَ بَيْنَ يَدَىِ الْعَنَزَةِ ‏.‏
‘আওন ইবনু আবূ জুহাইফাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে লাল চামড়ার তৈরি তাঁবুর মধ্যে দেখতে পেলেন। আমি (আবূ জুহাইফাহ্‌) বিলালকে তাঁর ওযূর অবশিষ্ট পানি নিয়ে বের হয়ে আসতে দেখলাম। যারা তা পেল তারা নিজেদের শরীরে তা মাখল। আর যারা তা পায়নি তারা নিজেদের সাথীদের ভেজা হাতের স্পর্শ লাভ করল। অতঃপর আমি দেখলাম, বিলাল একটি বর্শা বের করে এনে তা মাটিতে পুঁতে দিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাল এক জোড়া চাদর পরিধান করে তা পায়ের গোছা পর্যন্ত উঁচু করে বের হলেন। অতঃপর তিনি বর্শাটি সামনে রেখে লোকদের নিয়ে দু’রাক’আত ফারয সলাত আদায় করলেন। আমি বর্শার বহিরাংশ দিয়ে মানুষ এবং চতুষ্পদ জন্তু অতিক্রম করতে দেখলাম। (ই.ফা. ১০০১, ই.সে. ১০১২)

১০০৮

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ سُفْيَانَ وَعُمَرَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ يَزِيدُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَفِي حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ فَلَمَّا كَانَ بِالْهَاجِرَةِ خَرَجَ بِلاَلٌ فَنَادَى بِالصَّلاَةِ ‏.‏
‘আওন ইবনু আবূ জুহাইফাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতার সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মালিক ইবনু মিগওয়াল-এর বর্ণনায় আছে : যখন দুপুর হলো, বিলাল (রাঃ) এসে সলাতের জন্য আযান দিল। (ই.ফা. ১০০২, ই.সে. ১০১৩)

১০০৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْهَاجِرَةِ إِلَى الْبَطْحَاءِ فَتَوَضَّأَ فَصَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَزَادَ فِيهِ عَوْنٌ عَنْ أَبِيهِ أَبِي جُحَيْفَةَ وَكَانَ يَمُرُّ مِنْ وَرَائِهَا الْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ ‏.
আবূ জুহাইফাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুপুর বেলা (তাঁবু থেকে বের হয়ে) মাঠের দিকে গেলেন, অতঃপর ওযূ করলেন। অতঃপর তিনি যুহরের সময়ের দু’রাক’আত এবং ‘আস্‌রের সময়েরও দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন। তাঁর সামনে একটি বর্শা ছিল।
শু’বাহ্‌ বলেন, ‘আওন তার পিতা আবূ জুহাইফাহ্‌ (রাঃ) -এর সূত্রে আরো বর্ণনা করেছেন যে, বর্শার অপরদিক দিয়ে মহিলা এবং গাধা অতিক্রম করছিল। (ই.ফা. ১০০৩, ই.সে. ১০১৪)

১০১০

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِالإِسْنَادَيْنِ جَمِيعًا مِثْلَهُ ‏.‏ وَزَادَ فِي حَدِيثِ الْحَكَمِ فَجَعَلَ النَّاسُ يَأْخُذُونَ مِنْ فَضْلِ وَضُوئِهِ ‏.‏
শু’বাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ সূত্রে উপরোল্লিখিত সূত্রদ্বয়ের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। হাকাম-এর বর্ণনায় আরো আছে : লোকেরা তাঁর ওযূর অবশিষ্ট পানি (গায়ে মাখার জন্য বারাকাত স্বরূপ) নিতে লাগল। (ই.ফা. ১০০৪, ই.সে. ১০১৫)

১০১১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى أَتَانٍ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ، قَدْ نَاهَزْتُ الاِحْتِلاَمَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ بِمِنًى فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَىِ الصَّفِّ فَنَزَلْتُ فَأَرْسَلْتُ الأَتَانَ تَرْتَعُ وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَىَّ أَحَدٌ ‏.‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একটি গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে (মিনায়) আসলাম। এ সময় আমি বয়ঃপ্রাপ্তির কাছাকাছি বয়সের ছিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন মিনায় লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করছিলেন। আমি লাইনের সামনে দিয়ে চলে গেলাম। গাধার পিঠ থেকে নেমে এটাকে চরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দিলাম এবং আমি লাইনের মধ্যে ঢুকে পড়লাম।[১০৮] এ ব্যাপারে আমাকে কেউ বাধা দেয়নি। (ই.ফা. ১০০৫, ই.সে. ১০১৬)
[১০৮]জামা’আত চলাকালীন সময়ে ইমামের পিছন দিকের কোন কাতারের সামনে দিয়ে প্রয়োজনে চলাচল করলে নামায কাটা হয় না।

১০১২

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، أَقْبَلَ يَسِيرُ عَلَى حِمَارٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يُصَلِّي بِمِنًى فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ يُصَلِّي بِالنَّاسِ - قَالَ - فَسَارَ الْحِمَارُ بَيْنَ يَدَىْ بَعْضِ الصَّفِّ ثُمَّ نَزَلَ عَنْهُ فَصَفَّ مَعَ النَّاسِ ‏.‏
‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উত্‌বাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি একটি গাধায় সওয়ার হয়ে (মিনায়) আসলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সময় মিনায় লোকেদের নিয়ে সলাতে দণ্ডায়মান ছিলেন। এটা বিদায় হাজ্জের সময়কার ঘটনা। গাধাটি কোন কোন লাইনের সামনে দিয়ে চলাফেরা করছিল। তিনি এর পিঠ থেকে নেমে লাইনে শামিল হয়ে গেলেন। (ই.ফা. ১০০৬, ই.সে. ১০১৭)

১০১৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِعَرَفَةَ ‏.‏
যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরের হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে বলা হয়েছে : নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরাফাতের ময়দানে সলাতে রত ছিলেন। (ই.ফা. ১০০৭, ই.সে. ১০১৮)

১০১৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ مِنًى وَلاَ عَرَفَةَ وَقَالَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَوْ يَوْمَ الْفَتْحِ ‏.‏
যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ সূত্রে মিনা বা ‘আরাফাহ্‌ কোনটিরই নাম উল্লেখ নেই। এতে বলা হয়েছে এ ঘটনাটি বিদায় হাজ্জের সময়কার অথবা মক্কা বিজয়ের সময়কার। (ই.ফা. ১০০৮, ই.সে. ১০১৯)

৪৮. অধ্যায়ঃ

মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ

১০১৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلْيَدْرَأْهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ‏"‏ ‏.‏
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন (একাকি) সলাত আদায় করে সে যেন নিজের সামনে দিয়ে কাউকে চলাচল করতে না দেয়। সে সাধ্যমত তাকে বাধা দিবে। অতিক্রমকারী যদি এ থেকে বিরত হতে না চায় তবে সে (সলাত আদায়কারী) যেন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কেননা সে একটা শাইতান। (ই.ফা. ১০০৯, ই.সে. ১০২০)

১০১৬

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا ابْنُ هِلاَلٍ، - يَعْنِي حُمَيْدًا - قَالَ بَيْنَمَا أَنَا وَصَاحِبٌ، لِي نَتَذَاكَرُ حَدِيثًا إِذْ قَالَ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ أَنَا أُحَدِّثُكَ، مَا سَمِعْتُ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَرَأَيْتُ، مِنْهُ قَالَ بَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَبِي سَعِيدٍ، يُصَلِّي يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ شَابٌّ مِنْ بَنِي أَبِي مُعَيْطٍ أَرَادَ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَدَفَعَ فِي نَحْرِهِ فَنَظَرَ فَلَمْ يَجِدْ مَسَاغًا إِلاَّ بَيْنَ يَدَىْ أَبِي سَعِيدٍ فَعَادَ فَدَفَعَ فِي نَحْرِهِ أَشَدَّ مِنَ الدَّفْعَةِ الأُولَى فَمَثَلَ قَائِمًا فَنَالَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ ثُمَّ زَاحَمَ النَّاسَ فَخَرَجَ فَدَخَلَ عَلَى مَرْوَانَ فَشَكَا إِلَيْهِ مَا لَقِيَ - قَالَ - وَدَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ عَلَى مَرْوَانَ فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ مَا لَكَ وَلاِبْنِ أَخِيكَ جَاءَ يَشْكُوكَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْ فِي نَحْرِهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু হিলাল অর্থাৎ- হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আমার এক সাথী কোন একটি ব্যাপারে আলাপ রত ছিলাম। এমন সময় আবূ সালিহ “আস্‌ সাম্মান” বলে উঠলেন, আমি আবূ সা’ঈদ-এর কাছে যা শুনেছি এবং দেখেছি তা তোমাকে বলছি। এক জুমু’আর দিন আমি আবূ সা’ঈদ-এর সাথে ছিলাম। তিনি একটি জিনিস সামনে রেখে লোকেদের আড়াল করে সলাত আদায় করছিলেন। এমন সময় আবূ মু’আয়ত গোত্রের একটি যুবক সেখানে এসে উপস্থিত হলো। সে আবূ সা’ঈদ-এর সামনে দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করল। তিনি তার গলা ধরে ফিরিয়ে দিলেন। কিন্তু যুবকটি আবূ সা’ঈদ-এর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। সে পুনরায় তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেষ্টা করল। তিনি পূর্বের চেয়ে অধিক জোরে গলা ধাক্কা দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিলেন। সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে গেল। ইতিমধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। সে বের হয়ে সরাসরি মারওয়ানের কাছে উপস্থিত হয়ে (তার বিরুদ্ধে) অভিযোগ দায়ের করল। রাবী বলেন, ইতিমধ্যে আবূ সা’ঈদও মারওয়ানের কাছে এসে উপস্থিত হলেন। মারওয়ান তাকে লক্ষ্য করে বলল, আপনার এবং আপনার ভাতিজার মধ্যে কি ঘটেছে? সে এসে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) উত্তরে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বলতে শুনেছি : তোমাদের কেউ যখন কোন কিছু দিয়ে লোকেদের আড়াল করে সলাত আদায় করে; এমতাবস্থায় কেউ যদি তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চায় সে যেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। যদি সে বিরত হতে অস্বীকার করে তবে সে (সলাত আদায়কারী) যেন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কেননা সে একটা শাইতান। (ই.ফা. ১০১০, ই.সে. ১০২১)

১০১৭

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّ مَعَهُ الْقَرِينَ ‏"‏ ‏.‏
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাত আদায় করে, সে যেন নিজের সামনে দিয়ে কাউকে আতিক্রম করতে না দেয়। যদি সে বিরত না হয়, তবে (সলাত আদায়কারী) তার (অতিক্রমকারীর) বিরুদ্ধে (লড়াই করবে) অস্ত্র ধারণ করবে। কেননা তার সাথে শাইতান রয়েছে। (ই.ফা. ১০১১, ই.সে. ১০২২)

১০১৮

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.‏
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ১০১২, ই.সে. ১০২৩)

১০১৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ، أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي قَالَ أَبُو جُهَيْمٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِي قَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً
বুস্‌র ইবনু সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যায়দ ইবনু খালিদ আল জুহানী তাকে আবূ জুহায়ম-এর কাছে পাঠালেন। উদ্দেশ্য সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী সম্পর্কে তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে যা শুনেছেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা। আবূ জুহায়ম বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে চলাচলকারী যদি জানত সে কত বড় পাপ করছে; তাহলে সে তার সামনে দিয়ে চলাচল করার পরিবর্তে চল্লিশ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা নিজের জন্য ভাল মনে করত। আবূ নায্‌র বলেন, তিনি কি চল্লিশ দিন না চল্লিশ মাস না চল্লিশ বছর বলেছেন- তা আমার জানা নেই। (ই.ফা. ১০১৩, ই.সে. ১০২৪)

১০২০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمِ بْنِ حَيَّانَ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ، أَرْسَلَ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ الأَنْصَارِيِّ مَا سَمِعْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ ‏.‏
জুহায়ম আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ সূত্রেও মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১০১৪, ই.সে. ১০২৫)

৪৯. অধ্যায়ঃ

মুসল্লীর সুত্‌রার কাছাকাছি হওয়া

১০২১

حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ كَانَ بَيْنَ مُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْجِدَارِ مَمَرُّ الشَّاةِ ‏.‏
সাহ্‌ল ইবনু সা‘দ আস্‌ সা‘ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের স্থান এবং (তাঁর সামনের) দেয়ালের মাঝখান একটি ছাগল চলাচল করার পরিমাণ প্রশস্ত ছিল। (অর্থাৎ-তিনি সুত্‌রাহ্‌ এর খুব কাছাকাছি দাঁড়াতেন)। (ই.ফা. ১০১৫, ই.সে. ১০২৬)

১০২২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، - عَنْ يَزِيدَ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي عُبَيْدٍ - عَنْ سَلَمَةَ، - وَهُوَ ابْنُ الأَكْوَعِ أَنَّهُ كَانَ يَتَحَرَّى مَوْضِعَ مَكَانِ الْمُصْحَفِ يُسَبِّحُ فِيهِ ‏.‏ وَذَكَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَحَرَّى ذَلِكَ الْمَكَانَ وَكَانَ بَيْنَ الْمِنْبَرِ وَالْقِبْلَةِ قَدْرُ مَمَرِّ الشَّاةِ ‏.‏
সালামাহ্‌ ইবনু আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “মাসহাফ”-এর নিকটবর্তী স্থানটি খুঁজতেন। তিনি (সালামাহ্‌) উল্লেখ করেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ স্থানটি (সলাতের জন্য) নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলেন। এ স্থানটি ছিল মিম্বার এবং কিবলার মাঝখানে। স্থানটি একটি ছাগল চলাচল করার পরিমাণ প্রশস্ত ছিল। (ই.ফা. ১০১৬, ই.সে. ১০২৭)

১০২৩

حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مَكِّيٌّ، قَالَ يَزِيدُ أَخْبَرَنَا قَالَ كَانَ سَلَمَةُ يَتَحَرَّى الصَّلاَةَ عِنْدَ الأُسْطُوَانَةِ الَّتِي عِنْدَ الْمُصْحَفِ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا مُسْلِمٍ أَرَاكَ تَتَحَرَّى الصَّلاَةَ عِنْدَ هَذِهِ الأُسْطُوَانَةِ ‏.‏ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَحَرَّى الصَّلاَةَ عِنْدَهَا ‏.‏
ইয়াযীদ ইবনু আবূ ‘উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, সালামাহ্‌ ইবনু আকওয়া‘ (রাঃ) “মুসহাফ”-এর নিকটবর্তী স্তম্ভ সংলগ্ন জায়গাটি খুঁজে সেখানে সলাত আদায় করতেন। আমি তাকে বললাম, হে মুসলিমের পিতা; আমি আপনাকে এ খুঁটি সংলগ্ন জায়গাটি খুঁজে সেখানে সলাত আদায় করতে দেখছি। তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ খুঁটির সাথে সংলগ্ন স্থানে সলাত আদায় করতে দেখেছি। (ই.ফা. ১০১৭, ই.সে. ১০২৮)

৫০. অধ্যায়ঃ

সলাত আদায়কারী কতটুকু পরিমাণ স্থান আড়াল (সুত্‌রাহ্‌ নির্ধারণ) করবে

১০২৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَإِنَّهُ يَسْتُرُهُ إِذَا كَانَ بَيْنَ يَدَيْهِ مِثْلُ آخِرَةِ الرَّحْلِ فَإِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ يَدَيْهِ مِثْلُ آخِرَةِ الرَّحْلِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ صَلاَتَهُ الْحِمَارُ وَالْمَرْأَةُ وَالْكَلْبُ الأَسْوَدُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا أَبَا ذَرٍّ مَا بَالُ الْكَلْبِ الأَسْوَدِ مِنَ الْكَلْبِ الأَحْمَرِ مِنَ الْكَلْبِ الأَصْفَرِ قَالَ يَا ابْنَ أَخِي سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا سَأَلْتَنِي فَقَالَ ‏"‏ الْكَلْبُ الأَسْوَدُ شَيْطَانٌ ‏"‏ ‏.‏
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাতে দাঁড়ায়, সে যেন হাওদার খুঁটির ন্যায় একটি কাঠি তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। যদি সে তার সামনে হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায় একটি কাঠি দাঁড় না করায়- এমতাবস্থায় তার সামনে দিয়ে গাধা, মহিলা এবং কালো কুকুর চলাচল করলে তার সলাত নষ্ট হয়ে যাবে।
[‘আবদুল্লাহ ইবনু সামিত (রাঃ) বলেন] : আমি বললাম, হে আবূ যার (রাঃ) ! কালো কুকুরের কি অপরাধ, অথচ লাল ও হলুদ বর্ণের কুকুরও তো রয়েছে? তিনি বললেন, হে ভাতিজা! তুমি আমাকে যে প্রশ্ন করেছ, আমিও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ রকম প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তরে বলেছেনঃ কালো কুকুর হলো একটি শাইতান। (ই.ফা. ১০১৮, ই.সে. ১০২৯)

১০২৫

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَيْضًا أَخْبَرَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ سَلْمَ بْنَ أَبِي الذَّيَّالِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ الْمَعْنِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادٌ الْبَكَّائِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، بِإِسْنَادِ يُونُسَ كَنَحْوِ حَدِيثِهِ ‏.‏
হমায়দ ইবনু হিলাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইউনুস কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ১০১৯, ই.সে. ১০২৯)

১০২৬

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَصَمِّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ وَالْكَلْبُ وَيَقِي ذَلِكَ مِثْلُ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে নারী, গাধা এবং কুকুরের চলাচল সলাত নষ্ট করে দেয়। সলাত আদায়কারীর সামনে হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায় কিছু (সুত্‌রাহ্‌) থাকলে সলাত নষ্ট হয় না। (ই.ফা. ১০২০, ই.সে. ১০৩০)

৫১. অধ্যায়ঃ

সলাত আদায়কারীর সামনে সম্মুখীন হওয়া (অর্থাৎ- আড়াআড়িভাবে, লম্বালম্বি হয়ে শুয়ে থাকার প্রসঙ্গে আলোচনা)

১০২৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ وَأَنَا مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ كَاعْتِرَاضِ الْجِنَازَةِ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত্রি বেলায় সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁর এবং কিবলার মাঝামাঝি জানাযার মত আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। (ই.ফা. ১০২১ , ই.সে. ১০৩১)
১০২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَتَهُ مِنَ اللَّيْلِ كُلَّهَا وَأَنَا مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَيْقَظَنِي فَأَوْتَرْتُ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাত্রে সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁর ও কিবলার মাঝে আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন বিত্‌র সলাত আদায় করার ইচ্ছা পোষণ করতেন, তখন আমাকে জাগাতেন। অতঃপর আমিও বিত্‌র সলাত আদায় করে নিতাম। (ই.ফা. ১০২২ , ই.সে. ১০৩২)

১০২৯

وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ قَالَ فَقُلْنَا الْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ ‏.‏ فَقَالَتْ إِنَّ الْمَرْأَةَ لَدَابَّةُ سَوْءٍ لَقَدْ رَأَيْتُنِي بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَرِضَةً كَاعْتِرَاضِ الْجِنَازَةِ وَهُوَ يُصَلِّي ‏.‏
‘উরওয়াহ্‌ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, কিসে সলাত নষ্ট হয়? রাবী বলেন, আমরা বললাম, স্ত্রীলোক এবং গাধার কারণে সলাত নষ্ট হয়। তিনি বললেন, তাহলে স্ত্রীলোক একটি অশুভ প্রাণী! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে জানাযার মত আড়াআড়ি হয়ে শুয়ে থাকতাম, আর তিনি সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১০২৩, ই.সে. ১০৩৩)

১০৩০

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، ‏.‏ قَالَ الأَعْمَشُ وَحَدَّثَنِي مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، وَذُكِرَ، عِنْدَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْكَلْبُ وَالْحِمَارُ وَالْمَرْأَةُ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَدْ شَبَّهْتُمُونَا بِالْحَمِيرِ وَالْكِلاَبِ ‏.‏ وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَإِنِّي عَلَى السَّرِيرِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ مُضْطَجِعَةً فَتَبْدُو لِي الْحَاجَةُ فَأَكْرَهُ أَنْ أَجْلِسَ فَأُوذِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْسَلُّ مِنْ عِنْدِ رِجْلَيْهِ ‏.‏
আল আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (মাসরূক্‌) বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) -এর সম্মুখে সলাত বিনষ্টকারী জিনিস যেমন কুকুর, গাধা এবং মহিলাদের কথা উল্লেখ করা হলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তোমরা তো আমাদেরকে গাধা ও কুকুরের সমতুল্য করে দিলে। আল্লাহর শপথ! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সলাতরত অবস্থায় দেখেছি। আমি বিছানার উপর তাঁর ও কিবলার মাঝখানে শুয়ে থাকতাম। আমার উঠার প্রয়োজন দেখা দিলে (শোয়া থেকে উঠে) তাঁর সামনে বসে থাকা এবং এভাবে তাঁকে কষ্ট দেয়া আমার কাছে খারাপ লাগত। তাই আমি খাটের পায়ের দিক দিয়ে ঘেসে ঘেসে নেমে বের হয়ে যেতাম। (ই.ফা. ১০২৪, ই.সে. ১০৩৪)

১০৩১

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ عَدَلْتُمُونَا بِالْكِلاَبِ وَالْحُمُرِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي مُضْطَجِعَةً عَلَى السَّرِيرِ فَيَجِيءُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَتَوَسَّطُ السَّرِيرَ فَيُصَلِّي فَأَكْرَهُ أَنْ أَسْنَحَهُ فَأَنْسَلُّ مِنْ قِبَلِ رِجْلَىِ السَّرِيرِ حَتَّى أَنْسَلَّ مِنْ لِحَافِي ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা আমাদেরকে কুকুর ও গাধার সাথে তুলনা করলে। আমি খাটের উপর শুয়ে থাকতাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে খাটের উপর দাঁড়িয়ে যেতেন, অতঃপর সলাত শুরু করে দিতেন। আমার উঠবার প্রয়োজন দেখা দিলে শোয়া থেকে উঠে তাঁর সামনে বসে থেকে তাঁকে কষ্ট দেয়া আমার কাছে খারাপ লাগত। তাই আমি খাটের পায়ের দিকে ঘেসে ঘেসে আসতাম, অতঃপর লেপের মধ্য থেকে বেরিয়ে যেতাম। (ই.ফা. ১০২৫, ই.সে. ১০৩৫)

১০৩২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرِجْلاَىَ فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَىَّ وَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا - قَالَتْ - وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে শুয়ে থাকতাম। আমার পা দু’টি কিবলার দিকে থাকত। তিনি যখন সাজদাহ্ করতেন, আমাকে ইঙ্গিত দিতেন এবং আমি আমার পা গুটিয়ে নিতাম। যখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন, আমি আবার পা বিছিয়ে দিতাম। এ সময় ঘরে বাতি থাকত না। (ই.ফা. ১০২৬, ই.সে. ১০৩৬)

১০৩৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، جَمِيعًا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا حِذَاءَهُ وَأَنَا حَائِضٌ وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ ‏.‏
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী মাইমূনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করতেন, আর আমি তাঁর পাশেই সোজা হয়ে শুয়ে থাকতাম। আমি তখন হায়িয (মাসিক ঋতু) অবস্থায় ছিলাম। কখনো কখনো সাজদাহ্ করার সময় তাঁর কাপড় আমার গায়ে এসে পড়ত। (ই.ফা. ১০২৭ , ই.সে. ১০৩৭)

১০৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ وَأَنَا حَائِضٌ وَعَلَىَّ مِرْطٌ وَعَلَيْهِ بَعْضُهُ إِلَى جَنْبِهِ ‏.‏
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত্রিতে সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁর পাশে শুয়ে থাকতাম। আমি এ সময় ঋতুবতী ছিলাম। আমার গায়ে চাদর ছিল, এর কোন কোন অংশ তাঁর পার্শ্বদেশে ঠেকে যেত। (ই.ফা. ১০২৮ , ই.সে. ১০৩৮)

৫২.অধ্যায়ঃ

একটি মাত্র কাপড় পরিধান করে সলাত আদায় করা এবং তা পরিধান করার নিয়ম বিধান

১০৩৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ‏.‏ أَنَّ سَائِلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ فَقَالَ ‏ "‏ أَوَلِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে একটি মাত্র কাপড় পড়ে সলাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের কাছে কি দু’টো করে কাপড় আছে। (ই.ফা. ১০২৯ , ই.সে. ১০৩৯)

১০৩৬

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১০৩০ , ই.সে. ১০৪০)

১০৩৭

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَادَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَيُصَلِّي أَحَدُنَا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَقَالَ ‏ "‏ أَوَكُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উদ্দেশ্য করে বলল, আমাদের কোন ব্যক্তি একটি মাত্র কাপড় পড়ে সলাত আদায় করতে পারে কি? তিনি উত্তরে বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকে দু’টি করে কাপড় সংগ্রহ করার সামর্থ্য রাখে কি? (ই.ফা. ১০৩১, ই.সে. ১০৪১)

১০৩৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يُصَلِّي أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ لَيْسَ عَلَى عَاتِقَيْهِ مِنْهُ شَىْءٌ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন এক কাপড় পড়ে এমন অবস্থায় সলাত না পড়ে যে, তার কাঁধে ঐ কাপড়ের কোন অংশ নেই। (ই.ফা. ১০৩২, ই.সে. ১০৪২)

১০৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُشْتَمِلاً بِهِ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ وَاضِعًا طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ ‏.‏
‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে একটি কাপড় [১০৯] পড়ে উম্মু সালামার ঘরে সলাত আদায় করতে দেখেছি। কাপড়ের দু’দিক তাঁর কাঁধের উপর রাখা ছিল। (ই.ফা. ১০৩৩, ই.সে. ১০৪৩)
[১০৯] উপরোল্লিখিত হাদীস দ্বারা আমরা অবগত হলাম যে, সলাত সম্পাদন করতে হলে শরীর বস্ত্র দ্বারা আবৃত করা অবশ্য জরুরী। এজন্য এমন পাতলা পোশাক পরিধান করা ঠিক নয় যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয়। এতে পর্দার মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না। পাতলা পাঞ্জাবীর নীচে হাতাওয়ালা গেঞ্জি পরিধান করা উচিত।

১০৪০

حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ وَكِيعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ مُتَوَشِّحًا ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ مُشْتَمِلاً ‏.‏
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার বর্ণনায় (আরবি) শব্দের পরিবর্তে (আরবি) শব্দের উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১০৩৪, ই.সে. ১০৪৪)

১০৪১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فِي ثَوْبٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ ‏.‏
‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উম্মু সালামার ঘরে একটি কাপড় পড়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি এর দু’দিক দু’বিপরীত কাঁধে রেখেছিলেন। (ই.ফা. ১০৩৫, ই.সে. ১০৪৫)

১০৪২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُلْتَحِفًا مُخَالِفًا بَيْنَ طَرَفَيْهِ ‏.‏ زَادَ عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ عَلَى مَنْكِبَيْهِ ‏.‏
‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি মাত্র কাপড় পড়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি। এর দু’কিনারা দু’কাঁধের উপর দিয়ে সামনে টেনে এনে বুকের উপর গিট দেয়েছেন।
‘ঈসা ইবনু হাম্মাদের বর্ণনায় কাঁধের উপর বেঁধেছেন বলে অতিরিক্ত আছে। (ই.ফা. ১০৩৬, ই.সে. ১০৪৬)

১০৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُتَوَشِّحًا بِهِ ‏.‏
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে একটি কাপড় পড়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি কাপড়টির দু’মাথা পিছন দিক থেকে দু’কাঁধের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে এনে বুকের উপর বেঁধেছেন। (ই.ফা. ১০৩৭, ই.সে. ১০৪৭)

১০৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، جَمِيعًا بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏
সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) হতে এ সূত্রেও থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

তবে ইবনু নুমায়র-এর বর্ণনায় আছে : আমি (জাবির) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে প্রবেশ করলাম। (ই.ফা. ১০৩৮, ই.সে. ১০৪৮)

১০৪৫

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ الْمَكِّيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، رَأَى جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ مُتَوَشِّحًا بِهِ وَعِنْدَهُ ثِيَابُهُ ‏.‏ وَقَالَ جَابِرٌ إِنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ ذَلِكَ ‏.‏
আবূ যুবায়র আল মাক্কী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাবির বিন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) -কে একটি কাপড়ে জড়িয়ে সলাত আদায় করতে দেখেছেন। অথচ তার কাছে আরো কাপড় বর্তমান ছিল। জাবির বিন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এমনটি করতে দেখেছেন। (ই.ফা. ১০৩৯, ই.সে. ১০৪৯)

১০৪৬

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالَ حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي عَلَى حَصِيرٍ يَسْجُدُ عَلَيْهِ - قَالَ - وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُتَوَشِّحًا بِهِ ‏.‏
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) বলেছেন, একদিন তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আগমন করলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁকে একটি চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করতে এবং সাজদাহ্ করতে দেখলাম। তিনি আরো বলেন, আমি একটি কাপড় দ্বারা জড়িয়ে সলাত আদায় করতে দেখলাম। (ই.ফা. ১০৪০, ই.সে. ১০৫০)

১০৪৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ وَاضِعًا طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ ‏.‏ وَرِوَايَةُ أَبِي بَكْرٍ وَسُوَيْدٍ مُتَوَشِّحًا بِهِ ‏.‏
আল আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আবূ কুরায়ব-এর বর্ণনায় আছে, কাপড়ের দু’কিনারা দু’কাঁধের উপর ছিল।
আবূ বক্‌র ও সুওয়াইদ-এর বর্ণনায় আছে, তিনি ডান কাঁধের কাপড় বাম হাতের নীচে এবং বাম কাঁধের কাপড় ডান হাতের নীচে দিয়ে নিয়ে পরে একত্র করে বুকের উপর বেঁধেছিলেন। (ই.ফা. ১০৪১, ই.সে. ১০৫১)

অধ্যায় "সালাতহাদিস নং -৭২৩ থেকে ৮৫০

অধ্যায় "সালাতহাদিস নং -৮৫১ থেকে ৯৫০

No comments

Powered by Blogger.