সহীহ মুসলিম অধ্যায় "শিকার ও জবেহকৃত জন্তু এবং যেসব পশুর গোশত খাওয়া হালাল" হাদিস নং -৪৮৬৬ থেকে ৪৯৫৭
শিকার ও জবেহকৃত জন্তু এবং যেসব পশুর গোশত খাওয়া হালাল
১. অধ্যায়ঃ
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর দ্বারা শিকার
৪৮৬৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرْسِلُ الْكِلاَبَ الْمُعَلَّمَةَ فَيُمْسِكْنَ عَلَىَّ وَأَذْكُرُ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ فَقَالَ " إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ الْمُعَلَّمَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ فَكُلْ " . قُلْتُ وَإِنْ قَتَلْنَ قَالَ " وَإِنْ قَتَلْنَ مَا لَمْ يَشْرَكْهَا كَلْبٌ لَيْسَ مَعَهَا " . قُلْتُ لَهُ فَإِنِّي أَرْمِي بِالْمِعْرَاضِ الصَّيْدَ فَأُصِيبُ فَقَالَ " إِذَا رَمَيْتَ بِالْمِعْرَاضِ فَخَزَقَ فَكُلْهُ وَإِنْ أَصَابَهُ بِعَرْضِهِ فَلاَ تَأْكُلْهُ " .
'আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)!
আমি শিকারের উদ্দেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ছেড়ে দেই এবং সেগুলো শিকার ধরে আমার জন্য
রেখে দেয়, (নিজেরা খায় না) আমি কুকুরগুলোকে ছাড়ার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে ছাড়ি। তিনি
বললেনঃ যখন তুমি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আল্লাহর নাম নিয়ে ছেড়ে থাকো তাহলে তুমি তা
খেতে পার। আমি বললাম, যদি এরা শিকারকে হত্যা করে? তিনি বললেনঃ যদিও হত্যা করে ফেলে
তবে তার সাথে যদি অন্য কুকুর শারীক না হয়। আমি তাঁকে বললাম, আমি শিকারের উদ্দেশে 'মি'রায'
(কাঠ বা তীক্ষ্ণ ছড়ি) নিক্ষেপ করে থাকি এবং শিকার পেয়েও থাকি? তিনি বললেনঃ তুমি মি'রায
নিক্ষেপ করার পর তাতে শিকারের সম্মুখভাগ প্রবিষ্ট হয়ে শিকার মারা গেলে তবে তুমি তা
খেতে পারো। আর যদি নিক্ষিপ্ত ফলকের চ্যাপ্টা (বিপরীত) দিকের আঘাতে শিকার মারা যায়,
তবে তুমি তা খেও না। (ই.ফা. ৫ম খণ্ড-৪৮১৯, ই.সে. ৬ষ্ঠ খণ্ড -৪৮২০)
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ بَيَانٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ، بْنِ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ إِنَّا قَوْمٌ نَصِيدُ بِهَذِهِ الْكِلاَبِ فَقَالَ " إِذَا أَرْسَلْتَ كِلاَبَكَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ وَإِنْ قَتَلْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْكُلَ الْكَلْبُ فَإِنْ أَكَلَ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا أَمْسَكَ عَلَى نَفْسِهِ وَإِنْ خَالَطَهَا كِلاَبٌ مِنْ غَيْرِهَا فَلاَ تَأْكُلْ " .
'আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা
করলাম, আমরা এমন এক সম্প্রদায় যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা শিকার করে থাকি।
তখন তিনি বললেনঃ তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আল্লাহর নাম নিয়ে ছাড়লে তাদের শিকার
করা পশু খেতে পারো, যদিও তারা তা মেরে ফেলে। তবে কুকুর তার কিছু অংশ খেয়ে ফেললে তা
খাবে না। কেননা আমার আশঙ্কা হচ্ছে,সে হয়তো এ শিকার নিজের জন্যই ধরেছে। আর যদি এ শিকারে
অন্য কুকুর শারীক হয়ে থাকে তাহলে তুমি তা খাবে না। (ই.ফা. ৪৮২০, ই.সে. ৪৮২১)
৪৮৬৮
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي السَّفَرِ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمِعْرَاضِ فَقَالَ " إِذَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْ وَإِذَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَقَتَلَ فَإِنَّهُ وَقِيذٌ فَلاَ تَأْكُلْ " . وَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْكَلْبِ فَقَالَ " إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ فَكُلْ فَإِنْ أَكَلَ مِنْهُ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّهُ إِنَّمَا أَمْسَكَ عَلَى نَفْسِهِ " . قُلْتُ فَإِنْ وَجَدْتُ مَعَ كَلْبِي كَلْبًا آخَرَ فَلاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا أَخَذَهُ قَالَ " فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّمَا سَمَّيْتَ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تُسَمِّ عَلَى غَيْرِهِ " .
'আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন, আমি রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- কে মি'রায
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ এর ধারালো অংশ দ্বারা শিকার মারা গেলে তুমি তা খেতে
পারবে, আর যদি এর পাশের অংশের আঘাতে শিকার মারা যায় তবে তা (কুরআনে বর্ণিত) 'ওয়াকীয'
বা পিটিয়ে নিহত করার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই তুমি তা খাবে না। আমি রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- কে কুকুর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহর নাম নিয়ে
তোমার কুকুর ছেড়ে থাকলে তুমি তা খেতে পারো। যদি কুকুর শিকারের কিছু অংশ খেয়ে ফেলে তবে
তুমি তা খাবে না। কেননা সেটা সে তার নিজের জন্যই ধরেছে। আমি বললাম, যদি আমার কুকুরের
সাথে অন্য কুকুর দেখি এবং কে শিকার ধরেছে তা ঠিক করতে না পারি? তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি
তা খাবে না। কেননা তুমি শুধু তোমার কুকুর ছাড়ার সময় আল্লাহ্র নাম নিয়েছ, অন্যটির উপর
নাওনি। (ই.ফা. ৪৮২১, ই.সে. ৪৮২২)
৪৮৬৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي السَّفَرِ قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمِعْرَاضِ . فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
'আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে মি'রায
সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করলাম। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন। ( ই.ফা. ৪৮২২, ই.সে. ৪৮২৩)
৪৮৭০
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ، أَبِي السَّفَرِ وَعَنْ نَاسٍ، ذَكَرَ شُعْبَةُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمِعْرَاضِ . بِمِثْلِ ذَلِكَ .
'আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- কে মি'রায
সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম...... (অবশিষ্ট অংশ) পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৮২৩, ই.সে.
৪৮২৪)
৪৮৭১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَيْدِ الْمِعْرَاضِ فَقَالَ " مَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْهُ وَمَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَهُوَ وَقِيذٌ " . وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَيْدِ الْكَلْبِ فَقَالَ " مَا أَمْسَكَ عَلَيْكَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ فَكُلْهُ فَإِنَّ ذَكَاتَهُ أَخْذُهُ فَإِنْ وَجَدْتَ عِنْدَهُ كَلْبًا آخَرَ فَخَشِيتَ أَنْ يَكُونَ أَخَذَهُ مَعَهُ وَقَدْ قَتَلَهُ فَلاَ تَأْكُلْ إِنَّمَا ذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تَذْكُرْهُ عَلَى غَيْرِهِ " .
আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে ‘মি’রায’ দ্বারা শিকার সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করি, তখন তিনি বললেনঃ ধারালো অংশ দ্বারা নিহত হলে খেতে পারো। আর যদি তীরের
পার্শ্ব ভাগ লেগে নিহত হয় তাহলে সেটা ‘ওয়াকীয’ শ্রেণীভুক্ত। আমি তাঁকে কুকুরের শিকার সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ সে তোমার জন্য যে শিকার ধরে রাখবে এবং তা থেকে সে না খায়,
তাহলে তুমি তা খেতে পার। কারণ তার শিকার করাই ছিল যাবাহ গণ্য হবে। তবে যদি তুমি তার
পাশে অন্য কুকুর দেখ এবং তোমার আশঙ্কা হয় যে, শিকার ধরায় সেটাও শামিল ছিল এবং সে কুকুরই
হয়তো শিকার হত্যা করেছে, তবে তুমি তা খেও না। কেননা তুমি তো শুধু তোমার কুকুর ছাড়ার
সময় ‘বিস্মিল্লা-হ’ বলেছ, অন্য কুকুরের উপর তা বলনি। (ই.ফা. ৪৮২৪, ই.সে. ৪৮২৫)
৪৮৭২
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي، زَائِدَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ .
যাকারিয়্যা ইবনু আবূ যায়িদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮২৫, ই.সে. ৪৮২৬)
৪৮৭৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ، - وَكَانَ لَنَا جَارًا وَدَخِيلاً وَرَبِيطًا بِالنَّهْرَيْنِ - أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُرْسِلُ كَلْبِي فَأَجِدُ مَعَ كَلْبِي كَلْبًا قَدْ أَخَذَ لاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا أَخَذَ . قَالَ " فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّمَا سَمَّيْتَ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تُسَمِّ عَلَى غَيْرِهِ " .
শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) ছিলেন আমাদের প্রতিবেশী, ব্যবসায়ের অংশীদার
এবং ‘নাহ্রাইন’-এ আমাদের সহকর্মী।
আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে প্রশ্ন করেছিলেন
যে, আমি আমার কুকুরকে (শিকারের উদ্দেশে) ছেড়ে থাকি এবং পরে আমার কুকুরের সাথে অন্য
কুকুরও দেখতে পাই, সেটির সাথে শিকারও দেখতে পাই। আমি অবহিত নই কোন্ কুকুরটি শিকার ধরেছে।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি তা খাবে না। কেননা তুমি
কেবল তোমার কুকুর ছাড়ার সময়ই আল্লাহ্র নাম নিয়েছ; অন্যটির উপরে আল্লাহ্র নাম নাওনি।
(ই.ফা. ৪৮২৬, ই.সে. ৪৮২৭)
৪৮৭৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ .
‘আদী ইবনু হাতিম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আদী ইবনু হাতিম
(রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। (ই.ফা.
৪৮২৭, ই.সে. ৪৮২৮)
৪৮৭৫
حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ السَّكُونِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ فَإِنْ أَمْسَكَ عَلَيْكَ فَأَدْرَكْتَهُ حَيًّا فَاذْبَحْهُ وَإِنْ أَدْرَكْتَهُ قَدْ قَتَلَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ فَكُلْهُ وَإِنْ وَجَدْتَ مَعَ كَلْبِكَ كَلْبًا غَيْرَهُ وَقَدْ قَتَلَ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَيُّهُمَا قَتَلَهُ وَإِنْ رَمَيْتَ سَهْمَكَ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ فَإِنْ غَابَ عَنْكَ يَوْمًا فَلَمْ تَجِدْ فِيهِ إِلاَّ أَثَرَ سَهْمِكَ فَكُلْ إِنْ شِئْتَ وَإِنْ وَجَدْتَهُ غَرِيقًا فِي الْمَاءِ فَلاَ تَأْكُلْ " .
‘আদী ইবনু হাতিম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ
তুমি তোমার কুকুর ছাড়ার সময় আল্লাহ্র নাম নেবে। তারপর যদি সে তোমার জন্য শিকার ধরে
রাখে এবং তুমি তা জীবিত পাও, তবে তুমি তাকে যবহ করবে। আর যদি মৃত পাও অথচ সে এর কোন
অংশ খায়নি, তাহলে তুমি তা খেতে পার। আর যদি তোমার কুকুরের সাথে অন্য কুকুর দেখ আর শিকারও
মৃত, তবে তা খাবে না। কেননা তুমি তো অবহিত নও, কোন্ কুকুরটি শিকার হত্যা করেছে। আর
তুমি তীর ছোঁড়ার সময় আল্লাহ্র নাম নিয়েই ছুঁড়বে। অতঃপর শিকার একদিন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ
থাকার পর তা পেলে, তাতে যদি তোমার তীরের ক্ষত আঘাত ব্যতীত অন্য চিহ্ন না দেখ, তবে ইচ্ছে
হলে তা খেতে পারো। তবে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় পেলে তা খেও না। (ই.ফা. ৪৮২৮, ই.সে. ৪৮২৯)
৪৮৭৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّيْدِ قَالَ " إِذَا رَمَيْتَ سَهْمَكَ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ فَإِنْ وَجَدْتَهُ قَدْ قَتَلَ فَكُلْ إِلاَّ أَنْ تَجِدَهُ قَدْ وَقَعَ فِي مَاءٍ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي الْمَاءُ قَتَلَهُ أَوْ سَهْمُكَ " .
‘আদী ইবনু হাতিম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে শিকার
সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বললেনঃ যখন তুমি তোমার তীর নিক্ষেপ করবে তখন ‘বিসমিল্লা-হ’ বলবে। যদি শিকার
মৃত পাও, তবে তা খেতে পার। কিন্তু যদি তা পানিতে পাও তবে খেও না। কারণ তুমি তো অবহিত
নও যে, পানিই তাকে হত্যা করেছে, নাকি তোমার তীর। (ই.ফা. ৪৮২৯, ই.সে. ৪৮৩০)
৪৮৭৭
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَبِيعَةَ بْنَ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيَّ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ، عَائِذُ اللَّهِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ، يَقُولُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا بِأَرْضِ قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ نَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ وَأَرْضِ صَيْدٍ أَصِيدُ بِقَوْسِي وَأَصِيدُ بِكَلْبِيَ الْمُعَلَّمِ أَوْ بِكَلْبِيَ الَّذِي لَيْسَ بِمُعَلَّمٍ فَأَخْبِرْنِي مَا الَّذِي يَحِلُّ لَنَا مِنْ ذَلِكَ قَالَ " أَمَّا مَا ذَكَرْتَ أَنَّكُمْ بِأَرْضِ قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ تَأْكُلُونَ فِي آنِيَتِهِمْ فَإِنْ وَجَدْتُمْ غَيْرَ آنِيَتِهِمْ فَلاَ تَأْكُلُوا فِيهَا وَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَاغْسِلُوهَا ثُمَّ كُلُوا فِيهَا وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ أَنَّكَ بِأَرْضِ صَيْدٍ فَمَا أَصَبْتَ بِقَوْسِكَ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ ثُمَّ كُلْ وَمَا أَصَبْتَ بِكَلْبِكَ الْمُعَلَّمِ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ ثُمَّ كُلْ وَمَا أَصَبْتَ بِكَلْبِكَ الَّذِي لَيْسَ بِمُعَلَّمٍ فَأَدْرَكْتَ ذَكَاتَهُ فَكُلْ " .
আবূ সা’লাবাহ্ খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে
বলি, হে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমরা আহ্লে কিতাবের এলাকায়
থাকি, আমরা তাদের পাত্রে আহার করে থাকি এবং আমরা শিকারের এলাকায় থাকি। আমি আমার ধনুক
ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা শিকার করি, পাশাপাশি অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারাও
শিকার করে থাকি। অতএব আমার জন্য কোন্টি হালাল তা আমাকে বলে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি
যে বললে তোমরা কিতাবধারীদের এলাকায় বাস করো এবং তাদের পাত্রে আহার করো; যদি তাদের পাত্র
ছাড়া অন্য পাত্র পাও তবে তাদের পাত্রে আহার করো না। আর যদি অন্য পাত্র না পাও, তবে
তা ধুয়ে নেয়ার পর খাবে। তুমি যে বললে, তোমরা শিকারের এলাকায় বসবাস করো। এর বিধান হলো,
তোমার ধনুক দ্বারা শিকার হত্যা করার সময় আল্লাহ্র নাম নিয়ে ধনুক ছুঁড়বে, তারপর তা
খাবে। আর তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা যা শিকার করবে তাও প্রেরেণের সময় আল্লাহ্র
নাম নিবে, অতঃপর তা খাবে। আর তোমার অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা শিকার করবে তা যাবাহ
করার সুযোগ পেলে তা খাবে। (ই.ফা. ৪৮৩০, ই.সে. ৪৮৩১)
৪৮৭৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، كِلاَهُمَا عَنْ حَيْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ الْمُبَارَكِ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ وَهْبٍ، لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ صَيْدَ الْقَوْسِ .
হাইওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে এ হাদীসটি ইবনু মুবারাক (রহঃ)– এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইবনু ওয়াহ্ব তার হাদীসে ধনুক দ্বারা শিকারের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৮৩২, ই.সে.)
২. অধ্যায়ঃ
হারিয়ে যাওয়া শিকার পাওয়া গেলে
৪৮৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ الْخَيَّاطُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا رَمَيْتَ بِسَهْمِكَ فَغَابَ عَنْكَ فَأَدْرَكْتَهُ فَكُلْهُ مَا لَمْ يُنْتِنْ " .
আবূ সা’লাবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
তুমি তীর নিক্ষেপের পর শিকার যদি নিরুদ্দেশ হয়ে যায় এবং পরে তা পেয়ে যাও, তাহলে শিকার
দুর্গন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তুমি তা খেতে পারো। (ই.ফা. ৪৮৩২, ই.সে. ৪৮৩৩)
৪৮৮০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي يُدْرِكُ صَيْدَهُ بَعْدَ ثَلاَثٍ " فَكُلْهُ مَا لَمْ يُنْتِنْ " .
আবূ সা’লাবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
যে কেউ তার শিকার তিনদিন পরে পেলে তা দুর্গন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খেতে পারবে। (ই.ফা.
৪৮৩৩, ই.সে. ৪৮৩৪)
৪৮৮১
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَهُ فِي الصَّيْدِ ثُمَّ قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ مُعَاوِيَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ وَأَبِي الزَّاهِرِيَّةِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ . بِمِثْلِ حَدِيثِ الْعَلاَءِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ نُتُونَتَهُ وَقَالَ فِي الْكَلْبِ " كُلْهُ بَعْدَ ثَلاَثٍ إِلاَّ أَنْ يُنْتِنَ فَدَعْهُ " .
আবূ সা’লাবাহ্ খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
তাতে তিনি দুর্গন্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করেননি। আর তিনি কুকুর (এর শিকার) সম্পর্কে বলেছেনঃ
তিন দিন পরেও তা খেতে পারবে- তবে পচে গেলে তা ফেলে দাও। (ই.ফা. ৪৮৩৪, ই.সে. ৪৮৩৫)
৩. অধ্যায়ঃ
হিংস্র পশু ও নখরওয়ালা পাখি খাওয়া হারাম
৪৮৮২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي، ثَعْلَبَةَ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبُعِ . زَادَ إِسْحَاقُ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي حَدِيثِهِمَا قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ نَسْمَعْ بِهَذَا حَتَّى قَدِمْنَا الشَّامَ .
আবূসা’লাবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হিংস্র পশু খেতে নিষেধ
করেছেন। ইসহাক্ এবং ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আরো রয়েছে, যুহ্রী বলেছেন,
আমরা এ হাদীসটি সিরিয়ায় আসার পূর্বে শুনিনি। (ই.ফা. ৪৮৩৫, ই.সে. ৪৮৩৬)
৪৮৮৩
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلَمْ أَسْمَعْ ذَلِكَ مِنْ عُلَمَائِنَا بِالْحِجَازِ حَتَّى حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ وَكَانَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الشَّامِ .
আবূ সা’লাবাহ্ খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সব ধরনের হিংস্র
জন্তু খেতে বারণ করেছেন।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, আমি এ হাদীসটি হিজাযে আমাদের ‘আলিমদের কাছে শুনিনি।
শেষ পর্যন্ত আবূ ইদ্রীস (রহঃ) তা আমার কাছে বর্ণনা করেন। আর তিনি ছিলেন সিরিয়ার ফিকাহ্বিদদের
অন্তর্ভৃক্ত। (ই.ফা. ৪৮৩৬, ই.সে. ৪৮৩৭)
৪৮৮৪
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، أَنَّالله عليه وسلم نَهَى عَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ .
আবূ সা’লাবাহ্ খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সব ধরনের হিংস্র পশু খেতে
নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৩৭, ই.সে. ৪৮৩৮)
৪৮৮৫
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَغَيْرُهُمْ ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ، ح وَحَدَّثَنَا الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ وَعَمْرٍو كُلُّهُمْ ذَكَرَ الأَكْلَ إِلاَّ صَالِحًا وَيُوسُفَ فَإِنَّ حَدِيثَهُمَا نَهَى عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبُعِ .
আবূ তাহির, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’, ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, হুলওয়ানী ও আব্দ
ইবনু হুমায়দ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে ইউনুস ও ‘আমর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সকলেই
খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সালিহ্ ও ইউসুফ-এর বর্ণনায় ‘খাওয়ার’ কথা উল্লেখ নেই।
তাদের বর্ণনায় রয়েছে, ‘তিনি হিংস্র পশু থেকে নিষেধ করেছেন’। (ই.ফা. ৪৮৩৭, ই.সে.
৪৮৩৯)
৪৮৮৬
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ عَبِيدَةَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ فَأَكْلُهُ حَرَامٌ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ সকল প্রকার হিংস্র জন্তুই
খাওয়া হারাম। (ই.ফা. ৪৮৩৮, ই.সে. ৪৮৪০)
৪৮৮৭
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
আবূ তাহির (রহঃ) মালিক ইবনু আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৩৮, ই.সে. ৪৮৪১)
৪৮৮৮
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مَيْمُونِ، بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَعَنْ كُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সব ধরনের হিংস্র
জন্তু এবং সব ধরনের নখরধারী পাখি খেতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৩৯, ই.সে. ৪৮৪২)
৪৮৮৯
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৪০, ই.সে. নেই)
৪৮৯০
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، وَأَبُو بِشْرٍ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَعَنْ كُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সকল প্রকার হিংস্র জন্তু
এবং নখরধারী শিকারী পাখি (খেতে) নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৪১, ই.সে. নেই)
৪৮৯১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أَبُو بِشْرٍ أَخْبَرَنَا عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى ح
وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিষেধ করেছেন...।
অবশিষ্ট অংশ শু’বাহ হতে হাকাম (রহঃ)-এর
মাধ্যমে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৮৪২, ই.সে. ৪৮৪৩)
৪. অধ্যায়ঃ
সাগরের মৃত হালাল
৪৮৯২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَّرَ عَلَيْنَا أَبَا عُبَيْدَةَ نَتَلَقَّى عِيرًا لِقُرَيْشٍ وَزَوَّدَنَا جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ لَمْ يَجِدْ لَنَا غَيْرَهُ فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ يُعْطِينَا تَمْرَةً تَمْرَةً - قَالَ - فَقُلْتُ كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِهَا قَالَ نَمَصُّهَا كَمَا يَمَصُّ الصَّبِيُّ ثُمَّ نَشْرَبُ عَلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ فَتَكْفِينَا يَوْمَنَا إِلَى اللَّيْلِ وَكُنَّا نَضْرِبُ بِعِصِيِّنَا الْخَبَطَ ثُمَّ نَبُلُّهُ بِالْمَاءِ فَنَأْكُلُهُ قَالَ وَانْطَلَقْنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ فَرُفِعَ لَنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ كَهَيْئَةِ الْكَثِيبِ الضَّخْمِ فَأَتَيْنَاهُ فَإِذَا هِيَ دَابَّةٌ تُدْعَى الْعَنْبَرَ قَالَ قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَيْتَةٌ ثُمَّ قَالَ لاَ بَلْ نَحْنُ رُسُلُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَدِ اضْطُرِرْتُمْ فَكُلُوا قَالَ فَأَقَمْنَا عَلَيْهِ شَهْرًا وَنَحْنُ ثَلاَثُ مِائَةٍ حَتَّى سَمِنَّا قَالَ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا نَغْتَرِفُ مِنْ وَقْبِ عَيْنِهِ بِالْقِلاَلِ الدُّهْنَ وَنَقْتَطِعُ مِنْهُ الْفِدَرَ كَالثَّوْرِ - أَوْ كَقَدْرِ الثَّوْرِ - فَلَقَدْ أَخَذَ مِنَّا أَبُو عُبَيْدَةَ ثَلاَثَةَ عَشَرَ رَجُلاً فَأَقْعَدَهُمْ فِي وَقْبِ عَيْنِهِ وَأَخَذَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِهِ فَأَقَامَهَا ثُمَّ رَحَلَ أَعْظَمَ بَعِيرٍ مَعَنَا فَمَرَّ مِنْ تَحْتِهَا وَتَزَوَّدْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَشَائِقَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " هُوَ رِزْقٌ أَخْرَجَهُ اللَّهُ لَكُمْ فَهَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَىْءٌ فَتُطْعِمُونَا " . قَالَ فَأَرْسَلْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأَكَلَهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ‘উবাইদাহ্কে
আমাদের আমীর বানিয়ে আমাদেরকে একটি অভিযানে পাঠালেন কুরায়শদের একটি কাফিলাকে রোধ করার
জন্য। তিনি আমাদের সাথে এক থলে খেজুর দিয়ে দিলেন। এছাড়া আমাদের অন্য কিছু দেয়ার মত
পেলেন না। আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) আমাদেরকে একটি করে খেজুর দিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি
বললাম, এই একটি মাত্র খেজুর দিয়ে আপনারা কিভাবে কী করতেন? আমি বললাম, আমরা তা চুষতাম-
যেভাবে শিশুরা চুষে থাকে। তারপর পানি পান করতাম, আর এটাই আমাদের দিবারাত্রের জন্য যথেষ্ট
হতো। এছাড়া এমরা আমাদের লাঠি দিয়ে গাছের পাতা পেড়ে পানিতে তা ভিজিয়ে নিয়ে তা খেতাম।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আমরা সাগর উপকূল দিয়ে চলতে লাগলাম। হঠাৎ সমুদ্রোপকূলে উঁচু
ঢিবির মতো কী যেন একটি আমাদের সামনে ভেসে উঠলো। আমরা সেটির কাছে গিয়ে দেখলাম, তা একটি
জন্তু, যাকে ‘আম্বর’ বলে অভিহিত করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) বললেন, এতো
মৃত জন্তু। তারপর বললেন, না, বরং আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর
প্রেরিত দূত এবং আমরা আল্লাহর পথেই আছি। এখন তো তোমরা প্রাণান্তকর অবস্থায় রয়েছ , সুতরাং
তোমরা তা খেতে পারো। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর দীর্ঘ একমাস আমরা তিনশ’ লোক তা খেয়েই কাটালাম
এবং আমরা মোটাতাজা হয়ে উঠলাম। রাবী বলেন, আমি দেখেছি, কিভাবে কলসীর পর কলসী ভরে তৈল
(চর্বি) আমরা তার চক্ষুর কোটর থেকে বের করি এবং তার দেহ থেকে এক একটি ষাঁড় পরিমাণ গোশ্তের
টুকরা কেটে নেই। তারপর আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) আমাদের মধ্যকার তের জনকে ডেকে নিলেন এবং
ঐ জন্তুটির চোখের কোটরে বসিলে দিলেন। তিনি জন্তুটির পাঁজরের একটি অস্থি তুলে দাঁড় করিয়ে
আমাদের সর্বাধিক বড় উটটির উপর হাওদা চড়ালেন আর সে উটটি দিব্যি তার নিচ দিয়ে অতিক্রম
করে গেল। তারপর অবশিষ্ট গোশত আমরা সিদ্ধ করে আমাদের পাথেয় রূপে নিয়ে আসলাম। যখন আমরা
মাদীনায় ফিরে এলাম তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত
হয়ে ঘটনাটি তাঁকে জানালাম। তখন তিনি বরলেন, এটা হচ্ছে রিয্ক যা আল্লাহ তোমাদের জন্যই
বের করেছিলেন। তোমাদের কাছে তার অবিশিষ্ট কিছু গোশ্ত আছে কি আমাকে তা থেকে দিতে পারবে?
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে তার
কিছু অংশ পাঠালাম এবং তিনি তা খেলেন। (ই.ফা. ৪৮৪৩, ই.সে. ৪৮৪৪)
৪৮৯৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعَ عَمْرٌو، جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ ثَلاَثُمِائَةِ رَاكِبٍ وَأَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ نَرْصُدُ عِيرًا لِقُرَيْشٍ فَأَقَمْنَا بِالسَّاحِلِ نِصْفَ شَهْرٍ فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ حَتَّى أَكَلْنَا الْخَبَطَ فَسُمِّيَ جَيْشَ الْخَبَطِ فَأَلْقَى لَنَا الْبَحْرُ دَابَّةً يُقَالُ لَهَا الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا مِنْهَا نِصْفَ شَهْرٍ وَادَّهَنَّا مِنْ وَدَكِهَا حَتَّى ثَابَتْ أَجْسَامُنَا - قَالَ - فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِهِ فَنَصَبَهُ ثُمَّ نَظَرَ إِلَى أَطْوَلِ رَجُلٍ فِي الْجَيْشِ وَأَطْوَلِ جَمَلٍ فَحَمَلَهُ عَلَيْهِ فَمَرَّ تَحْتَهُ قَالَ وَجَلَسَ فِي حَجَاجِ عَيْنِهِ نَفَرٌ قَالَ وَأَخْرَجْنَا مِنْ وَقْبِ عَيْنِهِ كَذَا وَكَذَا قُلَّةَ وَدَكٍ - قَالَ - وَكَانَ مَعَنَا جِرَابٌ مِنْ تَمْرٍ فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ يُعْطِي كُلَّ رَجُلٍ مِنَّا قَبْضَةً قَبْضَةً ثُمَّ أَعْطَانَا تَمْرَةً تَمْرَةً فَلَمَّا فَنِيَ وَجَدْنَا فَقْدَهُ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে একটি অভিযানে পাঠালেন।
আমরা তিনশ’ আরোহী ছিলাম এবং
আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনু জাররাহ্ (রাঃ) ছিলেন আমাদের দলনেতা। আমরা কুরায়শের একটি কাফেলার
জন্য ওৎ পেতে ছিলাম। অর্ধমাস পর্যন্ত আমরা সমুদ্রোপকূলে অবস্থান করলাম। তখন আমরা খুবই
খাদ্যাভাবে পড়লাম এবং আমরা (বাধ্য হয়ে) গাছের পাতা খেলাম। তাই এ বাহিনীর নাম দেয়া হলো
‘জাইশুল খাবাত’ বা লতা-পাতার বাহিনী।
এ সময় সমুদ্রে আমাদের জন্য একটি জন্তু (বিরাট মাছ) নিক্ষেপ করলো- যাকে ‘আম্বর’ বলা হয়। আমরা অর্ধমাস
পর্যন্ত তা খেলাম এবং তার তেল আমাদের গায়ে মালিশ করলাম, তাতে আমাদের দেহ মোটাতাজা হয়ে
উঠলো। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) জন্তুটির পাঁজরের একটি হাড় নিয়ে খাড়া
করলেন, তারপর বাহিনীর সবচেয়ে লম্বা লোকটি এবং উচ্চতর উটটির উপরে তুলে ধরলেন। তারপর
ঐ ব্যক্তিটিকে ঐ উটের উপর চড়িয়ে দিলেন। আর সে অনায়াসে এর নিচ দিয়ে অতিক্রম করে গেল।
ঐ জন্তুটির চোখের কোটরে অনেকগুলো লোক একত্রে বসলেন। রাবী বলেন, আর আমরা তার চোখ থেকে
এত এত কলস ভর্তি চর্বি বের করি। বর্ণনাকারী আরও বলেন, তখন আমাদের নিকট এক বস্তা খেজুর
ছিল। আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) প্রথমে আমাদের প্রত্যেককে এক মুষ্ঠি করে খেজুর দিলেন। তারপর
শেষদিকে তিনি আমাদের জনপ্রতি একটি করে খেজুর দিতেন। যখন তাও শেষ হয়ে গেল তখন আমরা অভাব
অনুভব করলাম। (ই.ফা. ৪৮৪৪, ই.সে. ৪৮৪৫)
৪৮৯৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعَ عَمْرٌو، جَابِرًا يَقُولُ فِي جَيْشِ الْخَبَطِ إِنَّ رَجُلاً نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ ثَلاَثًا ثُمَّ ثَلاَثًا ثُمَّ نَهَاهُ أَبُو عُبَيْدَةَ .
‘আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আমর (রহঃ)-কে ‘জাইশুল
খাবাত’ সম্পর্কে বলতে শুনেছেনঃ
এক ব্যক্তি প্রথমে তিনটি উট যবাহ্ করল, তারপর আরও তিনটি, অতঃপর আরও তিনটি। তারপর আবূ
‘উবাইদাহ্ (রাঃ) তাঁকে এরূপ করতে নিষেধ করেন। (ই.ফা. ৪৮৪৫, ই.সে. ৪৮৪৬)
৪৮৯৫
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - عَنْ هِشَامِ، بْنِ عُرْوَةَ عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَعَثَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ ثَلاَثُمِائَةٍ نَحْمِلُ أَزْوَادَنَا عَلَى رِقَابِنَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা আমাদেরকে একটি অভিযানে
পাঠালেন। বাহিনীতে আমরা ছিলাম তিনশ’ জন। আমরা আমাদের রসদপত্র আমাদের কাঁধে বহন
করেছিলাম। (ই.ফা. ৪৮৪৬, ই.সে. ৪৮৪৭)
৪৮৯৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً ثَلاَثَمِائَةٍ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ فَفَنِيَ زَادُهُمْ فَجَمَعَ أَبُو عُبَيْدَةَ زَادَهُمْ فِي مِزْوَدٍ فَكَانَ يُقَوِّتُنَا حَتَّى كَانَ يُصِيبُنَا كُلَّ يَوْمٍ تَمْرَةٌ .
জাবির ইবন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ‘উবাইদাহ্
ইবনু জাররাহ্ (রাঃ)-কে তাঁদের ‘আমীর নিযুক্ত করে তিনশ’ লোকের একটি বাহিনী
পাঠালেন। তাঁদের পাথেয় প্রায় শেষ হয়ে গেলে আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ) সকলের পাথেয় একই পাত্র
জমা করে আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন খাদ্য সববরাহ করতেন। তখন আমাদের প্রত্যেকের ভাগে
দৈনিক একটি করে খেজুর পড়তো। (ই.ফা. ৪৮৪৭, ই.সে. ৪৮৪৮)
৪৮৯৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ كَثِيرٍ - قَالَ سَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ كَيْسَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً أَنَا فِيهِمْ إِلَى سِيفِ الْبَحْرِ . وَسَاقُوا جَمِيعًا بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ كَنَحْوِ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ وَأَبِي الزُّبَيْرِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ فَأَكَلَ مِنْهَا الْجَيْشُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি বাহিনীকে
সমুদ্রোপকূলে প্রেরণ করেন। আমি সে দলেই ছিলাম। হাদীসের অবশিষ্ট অংশ ‘আম্র ইবনু দীনার
ও আবূ যুবায়র (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে ওয়াহ্ব ইবনু কায়সান (রহঃ) এর
হাদীসে রয়েছে যে, ‘সেনাবাহিনী আঠার দিন পর্যন্ত মাছটি খেয়েছিল’। (ই.ফা. ৪৮৪৮, ই.সে.
৪৮৪৯)
৪৯৯৮
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُنْذِرِ الْقَزَّازُ، كِلاَهُمَا عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْثًا إِلَى أَرْضِ جُهَيْنَةَ وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ رَجُلاً وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি বাহিনীকে
জুহাইনাহ্ গোত্রের এলাকায় পাঠালেন এবং এক লোককে তার সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। অবশিষ্ট
অংশ পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৮৪৯, ই.সে. ৪৮৫০)
৫. অধ্যায়ঃ
গৃহপালিত গাধা খাওয়া হারাম
৪৮৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ وَالْحَسَنِ ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ .
‘আলী ইবনু আবূ তালিব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খাইবার যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মহিলাদের
সাথে মুত’আহ্ বিবাহ করতে
এবং গৃহপালিত গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৩৪৩১] (ই.ফা. ৪৮৫০,
ই.সে. ৪৮৫১)
৪৯০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ وَعَنْ أَكْلِ، لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব, ইবনু নুমায়র
(রহঃ) ভিন্ন সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবূ তাহির, হারমালাহ্, ইসহাক্ ও ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ
(রহঃ)... যুহরী (রহঃ) হতে এ সানাদে বর্ণনা করেছেন। তবে ইউনুস-এর বর্ণনায় রয়েছে, গৃহপালিত
গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৫১, ই.সে. ৪৮৫২)
৪৯০১
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا ثَعْلَبَةَ قَالَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لُحُومَ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ .
আবূ সা’লাবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গৃহপালিত গাধার
গোশ্ত (খাওয়া) হারাম করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৫২, ই.সে. ৪৮৫৩)
৪৯০২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، وَسَالِمٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গৃহপালিত গাধার গোশ্ত খেতে
বারণ করেছেন। [দ্রষ্টব্য হাদীস ১২৪৮] (ই.ফা. ৪৮৫৩, ই.সে. ৪৮৫৪)
৪৯০৩
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ ح
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمَعْنُ بْنُ عِيسَى، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ الْحِمَارِ الأَهْلِيِّ يَوْمَ خَيْبَرَ وَكَانَ النَّاسُ احْتَاجُوا إِلَيْهَا .
‘উমার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খাইবার যুদ্ধের
দিন গৃহপালিত গাধা খেতে নিষেধ করেন অথচ সেদিন লোকদের খাদ্যাভাব ছিল। (ই.ফা. ৪৮৫৪, ই.সে.
৪৮৫৫)
৪৯০৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، فَقَالَ أَصَابَتْنَا مَجَاعَةٌ يَوْمَ خَيْبَرَ وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَصَبْنَا لِلْقَوْمِ حُمُرًا خَارِجَةً مِنَ الْمَدِينَةِ فَنَحَرْنَاهَا فَإِنَّ قُدُورَنَا لَتَغْلِي إِذْ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِ اكْفَئُوا الْقُدُورَ وَلاَ تَطْعَمُوا مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ شَيْئًا فَقُلْتُ حَرَّمَهَا تَحْرِيمَ مَاذَا قَالَ تَحَدَّثْنَا بَيْنَنَا فَقُلْنَا حَرَّمَهَا أَلْبَتَّةَ وَحَرَّمَهَا مِنْ أَجْلِ أَنَّهَا لَمْ تُخَمَّسْ .
‘আলী ইবনু মুসহির
শাইবানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)-কে গৃহপালিত গাধার গোশ্ত
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, খাইবারের দিন আমাদের ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছিল। এখন আমরা
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গেই ছিলাম। শহরের বাইরে আমরা কিছু
গৃহপালিত গাধা পেলাম। সুতরাং আমরা সেগুলো যাবাহ করলাম। আমাদের ডেগ্চীসমূহ যখন টগবগ
করছিল তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ঘোষক ঘোষণা করল, ডেগ্চীগুলো
উল্টিয়ে ফেলে দাও এবগ গাধার গোশ্তের সামান্য অংশও খেয়ো না। আমি বললাম, কোন্ ধরনের
গাধার গোশ্ত হারাম? রাবী বলেন, আমরা নিজেরা এ বিষয়ে আলোচনা করলাম এবং বললাম, একেবারেই
হারাম অথবা গনীমাতের এক পঞ্চমাংশ বাদ না দিয়ে রান্না করার কারণেই তা হারাম করা হয়েছে।
(ই.ফা. ৪৮৫৫, ই.সে. ৪৮৫৬)
৪৯০৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ أَصَابَتْنَا مَجَاعَةٌ لَيَالِيَ خَيْبَرَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ وَقَعْنَا فِي الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ فَانْتَحَرْنَاهَا فَلَمَّا غَلَتْ بِهَا الْقُدُورُ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِ اكْفَئُوا الْقُدُورَ وَلاَ تَأْكُلُوا مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ شَيْئًا - قَالَ - فَقَالَ نَاسٌ إِنَّمَا نَهَى عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَنَّهَا لَمْ تُخَمَّسْ . وَقَالَ آخَرُونَ نَهَى عَنْهَا أَلْبَتَّةَ .
সুলাইমান শাইবানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, খাইবারের রাতগুলোতে
আমরা ভীষণ ক্ষুধার্ত হই। অতঃপর খাইবারের দিন আমরা গৃহপালিত গাধা পেয়ে তাতে ঝাঁপিয়ে
পড়লাম এবং সেগুলো যাবাহ করলাম। যখন এর গোশ্ত ডেগচীতে টগবগ করছিল তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ঘোষক ঘোষণা করল যে, ডেগ্চীগুলো উল্টিয়ে ফেলে দাও এবং গাধাগুলোর
গোশ্ত একটুও খেয়ো না। রাবী বলেন, তখান কিছু লোক বললো, যেহেতু গনীমাতের এক পঞ্চমাংশ
বের করা হয়নি তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা হারাম করেছেন। অন্যরা
বলল, না, তা চিরকালের জন্যই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (ই.ফা. ৪৮৫৬, ই.সে. ৪৮৫৭)
৪৯০৬
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، - وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ - قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولاَنِ أَصَبْنَا حُمُرًا فَطَبَخْنَاهَا فَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اكْفَئُوا الْقُدُورَ .
‘আদী ইবনু সাবিত
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বারা এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমরা কিছু
গৃহপালিত গাধা পেলাম। যখন আমরা তা রান্না করছি তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম)-এর ঘোষক ঘোষণা করলো, তোমাদের ডেগচীগুলো উল্টিয়ে ফেলে দাও। (ই.ফা. ৪৮৫৭,
ই.সে. ৪৮৫৮)
৪৯০৭
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ قَالَ الْبَرَاءُ أَصَبْنَا يَوْمَ خَيْبَرَ حُمُرًا فَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِ اكْفَئُوا الْقُدُورَ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খাইবার যুদ্ধের দিন আমরা কিছু গৃহপালিত গাধা পেলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ঘোষক ঘোষণা করলো, ডেগ্চীগুলো উল্টে ফেলে দাও।
(ই.ফা. ৪৮৫৮, ই.সে. নেই)
৪৯০৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ نُهِينَا عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، .
সাবিত ইবনু ‘উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বারা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমাদেরকে গৃহপালিত গাধার গোশ্ত
খেতে নিষেধ করা হয়েছে। (ই.ফা. ৪৮৫৯, ই.সে. ৪৮৫৯)
৪৯০৯
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُلْقِيَ لُحُومَ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ نِيئَةً وَنَضِيجَةً ثُمَّ لَمْ يَأْمُرْنَا بِأَكْلِهِ .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে গৃহপালিত
গাধার গোশ্ত কাঁচা বা রান্না করা যাই হোক তা ফেলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর তিনি
কখনো তা খেতে নির্দেশ দেননি। (ই.ফা. ৪৮৬০, ই.সে. ৪৮৬০)
৪৯১০
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ - عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
‘আসিম (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এ সানাদে উক্ত হাদীসে অনুরূপ বর্ণিত। (ই.ফা. ৪৮৬০, ই.সে. ৪৮৬১)
৪৯১১
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لاَ أَدْرِي إِنَّمَا نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ كَانَ حَمُولَةَ النَّاسِ فَكَرِهَ أَنْ تَذْهَبَ حَمُولَتُهُمْ أَوْ حَرَّمَهُ فِي يَوْمِ خَيْبَرَ لُحُومَ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অবহিত নই, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর
নিষেধ করার কারণ কি এটা ছিল কিনা যে, এগুলো লোকের সওয়ারী হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তাই সওয়ারী
নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি এরূপ অপছন্দ করলেন। অথবা খাইবার যুদ্ধের দিন গৃহপালিত
গাধার গোশ্ত তিনি চিরদিনের জন্য হারাম করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৬১, ই.সে. ৪৮৬২)
৪৯১২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى خَيْبَرَ ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ الْيَوْمَ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا هَذِهِ النِّيرَانُ عَلَى أَىِّ شَىْءٍ تُوقِدُونَ " قَالُوا عَلَى لَحْمٍ . قَالَ " عَلَى أَىِّ لَحْمٍ " . قَالُوا عَلَى لَحْمِ حُمُرٍ إِنْسِيَّةٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوْ نُهَرِيقُهَا وَنَغْسِلُهَا قَالَ " أَوْ ذَاكَ " .
সালামাহ্ ইবনু আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে
খাইবার অভিমুখে রওনা হলাম। আল্লাহ তাদেরকে বিজয়ী করলেন। বিজয় দিবসের সন্ধ্যা বেলায়
অনেক (চুলায়) আগুন জ্বালানো হয়। ফলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
প্রশ্ন করলেন, এসব কিসের আগুন? কি রান্না হচ্ছে? কোন জিনেসের উপর তোমরা আগুন জ্বালিয়েছ?
লোকেরা বললো, গোশ্ত রান্না করা হচ্ছে। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কিসের গোশ্ত? জবাবে
লোকেরা বললো, গৃহপালিত গাধার গোশ্ত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
বললেনঃ এগুলো ফেলে দাও এবং হাঁড়ি-পাতিলগুলো ভেঙ্গে ফেল। তখন এক ব্যক্তি বলল, আমরা এগুলো
ফেলে দিয়ে হাঁড়ি-পাতিলগুলো ধুয়ে নিব কি? তিনি বললেন, এটাও করতে পারো। [দ্রষ্টব্য হাদীস
৪৬৬৮] (ই.ফা. ৪৮৬২, ই.সে. ৪৮৬৩)
৪৯১৩
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، وَصَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، كُلُّهُمْ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
ইয়াযীদ ইবনু আবূ ‘উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে (অনুরূপ) হাদীস বর্ণিত। (ই.ফা. ৪৮৬৩, ই.সে. ৪৮৬৪)
৪৯১৪
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ أَصَبْنَا حُمُرًا خَارِجًا مِنَ الْقَرْيَةِ فَطَبَخْنَا مِنْهَا فَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَلاَ إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْهَا فَإِنَّهَا رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ . فَأُكْفِئَتِ الْقُدُورُ بِمَا فِيهَا وَإِنَّهَا لَتَفُورُ بِمَا فِيهَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন খাইবার জয়
করেন তখন আমরা শহরের বাইরে কিছু গাধা পেলাম। আমরা কিছু গাধা (যাবাহ করে) রান্না করছিলাম।
এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ঘোষক ঘোষণা করলোঃ জেনে রাখো,
আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমাদেরকে গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। কেননা তা শাইতানের ঘৃণ্য
কাজ। রাবী বলেন, তারপর ডেগ্চীগুলো গোশ্তসহ উল্টিয়ে ফেলা হলো। (ই.ফা. ৪৮৬৪, ই.সে.
৪৮৬৫)
৪৯১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ جَاءَ جَاءٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُكِلَتِ الْحُمُرُ . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُفْنِيَتِ الْحُمُرُ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا طَلْحَةَ فَنَادَى إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ فَإِنَّهَا رِجْسٌ أَوْ نَجِسٌ . قَالَ فَأُكْفِئَتِ الْقُدُورُ بِمَا فِيهَا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খাইবার বিজয়ের দিন এক আগন্তুক এসে বললোঃ হে আল্লাহর রসূল! গাধাগুলো
যাবাহ করে খাওয়া হচ্ছে। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! গাধাগুলো শেষ
হয়ে যাচ্ছে। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ তালহাহ্ (রাঃ)-কে
নির্দেশ দিলেন তদনুযায়ী তিনি ঘোষণা করলেনঃ ‘আল্লাহ এবং তাঁর রসূল উভয়েই তোমাদেরকে গাধার
গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। কারণ তা ঘৃণ্যবস্তু বা অপবিত্র।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর পাতিলগুলো গোশ্তসহ উল্টে ফেলে দেয়া হল। (ই.ফা. ৪৮৬৫,
ই.সে. ৪৮৬৬)
৬. অধ্যায়ঃ
ঘোড়ার গোশ্ত আহার করা
৪৯১৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ عَلِيٍّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ وَأَذِنَ فِي لُحُومِ الْخَيْلِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খাইবার দিন গৃহপালিত গাধার
গোশ্ত খেতে নিষেধ করেন এবং ঘোড়ার গোশ্ত খাওয়ার অনুমতি দেন। (ই.ফা. ৪৮৬৬, ই.সে. ৪৮৬৭)
৪৯১৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَكَلْنَا زَمَنَ خَيْبَرَ الْخَيْلَ وَحُمُرَ الْوَحْشِ وَنَهَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحِمَارِ الأَهْلِيِّ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খাইবারে আমরা ঘোড়া এবং বন্য গাধার গোশ্ত খেয়েছি। পক্ষান্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে গৃহপালিত গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৬৭,
ই.সে. ৪৮৬৮)
৪৯১৮
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ، عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
আবূ তাহির, ইয়া’কূব দাওরাকী ও আহমাদ ইবনু ‘উসমান নাওফালী (রহঃ) ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। (ই.ফা. ৪৮৬৭, ই.সে. ৪৮৬৮/ক)
৪৯১৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ نَحَرْنَا فَرَسًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلْنَاهُ .
আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে আমরা
ঘোড়া যাবাহ করে খেয়েছি। (ই.ফা. ৪৮৬৮, ই.সে. ৪৮৬৯)
৪৯২০
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
হিশাম (রহঃ) হতে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
(অনুরূপ) হাদীস বর্ণিত। (ই.ফা. ৪৮৬৯, ই.সে. ৪৮৭০)
৭. অধ্যায়ঃ
গুই সাপের গোশ্ত হালাল
৪৯২১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الضَّبِّ فَقَالَ " لَسْتُ بِآكِلِهِ وَلاَ مُحَرِّمِهِ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে গুইসাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা
হলে তিনি বলেনঃ আমি তা খাই না, এবং তা হারামও বলি না। (ই.ফা. ৪৮৭০, ই.সে. ৪৮৭১)
৪৯২২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ الضَّبِّ فَقَالَ " لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে গুইসাপ খাওয়া
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ আমি তা খাই না এবং তা (খাওয়া) হারামও বলি না। (ই.ফা.
৪৮৭১, ই.সে. ৪৮৭২)
৪৯২৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ عَنْ أَكْلِ الضَّبِّ فَقَالَ " لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মিম্বারে
বসা অবস্থায় গুইসাপ খাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি তা খাই না এবং তা
(খাওয়াকে) হারামও বলি না। (ই.ফা. ৪৮৭২, ই.সে. ৪৮৭৩)
৪৯২৪
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِمِثْلِهِ فِي هَذَا الإِسْنَادِ .
‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। (ই.ফা. ৪৮৭৩, ই.সে. ৪৮৭৪)
৪৯২৫
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ عُقْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ، الأَيْلِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الضَّبِّ بِمَعْنَى حَدِيثِ اللَّيْثِ عَنْ نَافِعٍ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ أَيُّوبَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِضَبٍّ فَلَمْ يَأْكُلْهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهُ وَفِي حَدِيثِ أُسَامَةَ قَالَ قَامَ رَجُلٌ فِي الْمَسْجِدِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ .
নাফি’ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নাফি’ (রাঃ) সূত্রে ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) কর্তৃক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
থেকে গুইসাপ সম্পর্কে লায়স কর্তৃক নাফি’র মাধ্যমে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
তবে আইয়ূব বর্ণিত হাদীসে আরো রয়েছে, ‘রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর
কাছে গুইসাপের গোশ্ত নিয়ে আসা হলো। তিনি তা খাননি এবং হারামও বলেননি’। আর উসামাহ্ (রাঃ)-এর
এক হাদীসে রয়েছে, ‘এক লোক মাসজিদে দাঁড়ালো, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মিম্বারে বসা ছিলেন’। (ই.ফা. ৪৮৭৪, ই.সে. ৪৮৭৫)
৪৯২৬
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، سَمِعَ الشَّعْبِيَّ، سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ مَعَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ سَعْدٌ وَأُتُوا بِلَحْمِ ضَبٍّ فَنَادَتِ امْرَأَةٌ مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ لَحْمُ ضَبٍّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُوا فَإِنَّهُ حَلاَلٌ وَلَكِنَّهُ لَيْسَ مِنْ طَعَامِي " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর কতিপয় সাহাবী
ছিলেন। যাদের মধ্যে সা’দ (রাঃ)-ও ছিলেন। তাঁদের সম্মুখে গুইসাপের গোশ্ত আনা হলে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এক স্ত্রী উচ্চৈঃস্বরে বললেন, এটা কিন্তু গুইসাপের গোশ্ত!
তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা খেয়ে নাও, কারণ এটা
হালাল, তবে এটা আমার খাদ্য নয়। (ই.ফা. ৪৮৭৫, ই.সে. ৪৮৭৬)
৪৯২৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، قَالَ قَالَ لِي الشَّعْبِيُّ أَرَأَيْتَ حَدِيثَ الْحَسَنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَاعَدْتُ ابْنَ عُمَرَ قَرِيبًا مِنْ سَنَتَيْنِ أَوْ سَنَةٍ وَنِصْفٍ فَلَمْ أَسْمَعْهُ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ هَذَا قَالَ كَانَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيهِمْ سَعْدٌ بِمِثْلِ حَدِيثِ مُعَاذٍ .
তাওবাহ্ ‘আম্বরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শা’বী (রহঃ) আমাকে বলেছেনঃ আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
হতে বর্ণিত হাসান (রাঃ)-এর হাদীসটি শুনেছেন? আমি তো প্রায় দু’বছর কিংবা দেড় বছর
ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম, কিন্তু তাঁকে এ হাদীসটি ছাড়া নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) থেকে অন্য কিছু বর্ণনা করতে শুনিনি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কতিপয় সাহাবীর মধ্যে সা’দ (রাঃ)-ও ছিলেন, অতঃপর (বাকী অংশ) মু’আয (রাঃ) বর্ণিত
হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৮৭৬, ই.সে. ৪৮৭৭)
৪৯২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتَ مَيْمُونَةَ فَأُتِيَ بِضَبٍّ مَحْنُوذٍ فَأَهْوَى إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ فَقَالَ بَعْضُ النِّسْوَةِ اللاَّتِي فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ أَخْبِرُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَا يُرِيدُ أَنْ يَأْكُلَ . فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ فَقُلْتُ أَحَرَامٌ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لاَ وَلَكِنَّهُ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِ قَوْمِي فَأَجِدُنِي أَعَافُهُ " . قَالَ خَالِدٌ فَاجْتَرَرْتُهُ فَأَكَلْتُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْظُرُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে মাইমূনাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন ভুনা গুইসাপ পরিবেশন
করা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা নেয়ার জন্য হাত বাড়ালেন।
তখন মাইমূনাহ্ (রাঃ)-এর বাড়িতে উপস্থিত জনৈকা মহিলা বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা খেতে চাইছেন সে সম্বন্ধে তোমরা তাঁকে জানাও। তখন রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (খাবার থেকে) তাঁর হাত তুলে নিলেন। আমি বললম, হে
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! এটা কি হারাম? তিনি বললেন,না। যেহেতু
এটা আমাদের এলাকার প্রাণী নয়, তাই আমি তা অপছন্দ করি।
খালিদ (রাঃ) বলেন, এরপর আমি তা টেনে নিয়ে খেলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ দৃশ্য দেখছিলেন। (ই.ফা. ৪৮৭৭, ই.সে. ৪৮৭৮)
৪৯২৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ حَرْمَلَةُ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ سَيْفُ اللَّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ خَالَتُهُ وَخَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ فَوَجَدَ عِنْدَهَا ضَبًّا مَحْنُوذًا قَدِمَتْ بِهِ أُخْتُهَا حُفَيْدَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ مِنْ نَجْدٍ فَقَدَّمَتِ الضَّبَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ قَلَّمَا يُقَدَّمُ إِلَيْهِ طَعَامٌ حَتَّى يُحَدَّثَ بِهِ وَيُسَمَّى لَهُ فَأَهْوَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ إِلَى الضَّبِّ فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ الْحُضُورِ أَخْبِرْنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَا قَدَّمْتُنَّ لَهُ . قُلْنَ هُوَ الضَّبُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ فَقَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ أَحَرَامٌ الضَّبُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لاَ وَلَكِنَّهُ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِ قَوْمِي فَأَجِدُنِي أَعَافُهُ " . قَالَ خَالِدٌ فَاجْتَرَرْتُهُ فَأَكَلْتُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْظُرُ فَلَمْ يَنْهَنِي .
খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)- যাঁকে সাইফুল্লাহ বলা হয় থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রী মাইমূনাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে ঢুকলেন। তিনি ছিলেন তাঁর ও
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর খালা। এ সময় রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিকট
ভূনা গুইসাপ দেখতে পান, যা তাঁর (মাইমূনাহ্র) বোন হুফাইদাহ্ বিনতু হারিস নাজ্দ থেকে
এনেছিল। তিনি গুইসাপটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে পরিবেশন
করলেন। তাঁর অভ্যাস ছিল কোন খাদ্যের বিবরণ ও তার নাম উল্লেখ না করা পর্যন্ত তিনি সে
দিকে কম-ই হাত বাড়াতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গুইসাপটির দিকে
হাত বাড়ালে উপস্থিত জনৈকা মহিলা বললেন, তোমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর
সামনে যা পেশ করছো তাঁকে জানিয়ে দাও। তারা বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম)! এটা কি গুইসাপ। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর
হাত তুলে নিলেন। খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম)! এটা কি হারাম? তিনি বললেন, না। তবে যেহেতু এটা আমার এলাকাতে নেই তাই আমি
এটা পছন্দ করি না।
খালিদ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি ওটা টেনে নিয়ে খাচ্ছিলাম। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা দেখছিলেন। তবে তিনি আমাকে নিষেধ করেননি। (ই.ফা. ৪৮৭৮, ই.সে.
৪৮৭৯)
৪৯৩০
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي، أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ وَهْىَ خَالَتُهُ فَقُدِّمَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَحْمُ ضَبٍّ جَاءَتْ بِهِ أُمُّ حُفَيْدٍ بِنْتُ الْحَارِثِ مِنْ نَجْدٍ وَكَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي جَعْفَرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَأْكُلُ شَيْئًا حَتَّى يَعْلَمَ مَا هُوَ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ وَزَادَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ وَحَدَّثَهُ ابْنُ الأَصَمِّ عَنْ مَيْمُونَةَ وَكَانَ فِي حَجْرِهَا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) তাকে বলেছেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর খালা মাইমূনাহ্ বিন্তু হারিস (রাঃ)- এর ঘরে যান।
তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সামনে গুইসাপের গোশ্ত পরিবেশন
করা হয়, যা উম্মু হুফায়দ বিনতু হারিস নাজ্দ থেকে নিয়ে এনেছিলেন। তিনি ছিলেন বানূ জা’ফার গোত্রের এক ব্যক্তির
সহধর্মিণী। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন বস্তুর বিবরণ না জানা
পর্যন্ত তা খেতের না। বাকী অংশ বর্ণনাকারী ইউনুস (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ। তবে হাদীসের
শেষাংশে তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, ইবনু আসাম মাইমূনাহ্ (রাঃ) সূত্রে তাঁকে বর্ণনা
করেছেন, তিনি (রসূলুল্লাহ) তখন তাঁর ঘরেই ছিলেন। (ই.ফা. ৪৮৭৯, ই.সে. ৪৮৮০)
৪৯৩১
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي، أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ بِضَبَّيْنِ مَشْوِيَّيْنِ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرْ يَزِيدَ بْنَ الأَصَمِّ عَنْ مَيْمُونَةَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মাইমূনাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে ছিলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে দু’টি ভুনা গুইসাপ পেশ করা হলো। বাকী অংশ উক্ত
হাদীসসমূহের অনুরূপ। তবে বর্ণনাকারী (মা’মার) “মাইমূনাহ্ (রাঃ) থেকে ইয়াযীদ ইবনু
আসাম (রহঃ)-এর সূত্র” কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৮৮০, ই.সে. ৪৮৮১)
৪৯৩২
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ، يَزِيدَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، أَنَّ أَبَا أُمَامَةَ بْنَ سَهْلٍ، أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ وَعِنْدَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِلَحْمِ ضَبٍّ . فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাইমূনাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে
থাকা অবস্থায় তাঁর নিকটে গুইসাপের গোশ্ত পরিবেশন করা হয়। তখন খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)
তাঁর সাথেই ছিলেন। ইবনু মুন্কাদির বাকী অংশ যুহ্রী (রহঃ)-এর সমার্থক হাদীস বর্ণনা
করেন। (ই.ফা. ৪৮৮১, ই.সে. ৪৮৮২)
৪৯৩৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ قَالَ ابْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَهْدَتْ خَالَتِي أُمُّ حُفَيْدٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمْنًا وَأَقِطًا وَأَضُبًّا فَأَكَلَ مِنَ السَّمْنِ وَالأَقِطِ وَتَرَكَ الضَّبَّ تَقَذُّرًا وَأُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَوْ كَانَ حَرَامًا مَا أُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার খালা উম্মু হুফায়দ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে কিছু ঘি, পনির এবং কয়েকটি গুইসাপ হাদিয়া স্বরূপ পাঠালেন। তিনি
ঘি ও পনির থেকে কিছু খেলেন এবং গুইসাপ নোংরা হওয়ার দরুন খাওয়া বর্জন করলেন। কিন্তু
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দস্তরখানে তা খাওয়া হয়। তা হারাম
হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দস্তরখানে তা খাওয়া হতো না।
(ই.ফা. ৪৮৮২, ই.সে. ৪৮৮৩)
৪৯৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ، الأَصَمِّ قَالَ دَعَانَا عَرُوسٌ بِالْمَدِينَةِ فَقَرَّبَ إِلَيْنَا ثَلاَثَةَ عَشَرَ ضَبًّا فَآكِلٌ وَتَارِكٌ فَلَقِيتُ ابْنَ عَبَّاسٍ مِنَ الْغَدِ فَأَخْبَرْتُهُ فَأَكْثَرَ الْقَوْمُ حَوْلَهُ حَتَّى قَالَ بَعْضُهُمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ آكُلُهُ وَلاَ أَنْهَى عَنْهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِئْسَ مَا قُلْتُمْ مَا بُعِثَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مُحِلاًّ وَمُحَرِّمًا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ وَعِنْدَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَامْرَأَةٌ أُخْرَى إِذْ قُرِّبَ إِلَيْهِمْ خِوَانٌ عَلَيْهِ لَحْمٌ فَلَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْكُلَ قَالَتْ لَهُ مَيْمُونَةُ إِنَّهُ لَحْمُ ضَبٍّ . فَكَفَّ يَدَهُ وَقَالَ " هَذَا لَحْمٌ لَمْ آكُلْهُ قَطُّ " . وَقَالَ لَهُمْ " كُلُوا " . فَأَكَلَ مِنْهُ الْفَضْلُ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَالْمَرْأَةُ . وَقَالَتْ مَيْمُونَةُ لاَ آكُلُ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ شَىْءٌ يَأْكُلُ مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
ইয়াযীদ ইবনু আসাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাদীনার এক নববিবাহিত ব্যক্তি আমাদেরকে দা’ওয়াত করলো এবং আমাদের
সামনে তেরটি গুইসাপ পরিবেশন করা হলো। কিছু লোক তা খেল আর কিছু লোক তা বর্জন করলো। পরদিন
আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তাঁকে জানালাম। তখন তাঁর পাশের
লোকজন নানা উক্তি করতে লাগলো, এমনকি তাদের একজন বললোঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আমি এটি খাইও না, নিষেধও করি না এবং হারামও বলি না। ইবনু ‘আব্বাস
(রাঃ) বললেন, তোমরা যা বলছ তা সঠিক নয়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে হালাল
ও হারাম নির্ণয় করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
একদা মাইমূনাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে ছিলেন। তাঁর সাথে ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস, খালিদ ইবনু ওয়ালিদ
ও অন্য এক মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তখন তাঁদের কাছে একটি পাত্র পেশ করা হলো। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন খাওয়ার ইচ্ছা করলেন তখন মাইমূনাহ্ (রাঃ) তাঁকে
বললেন, এটা গুইসাপের গোশ্ত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর হাত
গুটিয়ে নিয়ে বললেন, এ গোশ্ত আমি কখনোও খাইনি। তিনি তাঁদের বললেন, তোমরা খেতে পারো।
ফায্ল, খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) এবং ঐ মহিলা তাত্থেকে খেলেন।
মাইমূনাহ্ (রাঃ) বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
যা খান, তাছাড়া অন্য কিছু আমি খাব না। (ই.ফা. ৪৮৮৩, ই.সে. ৪৮৮৪)
৪৯৩৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِضَبٍّ فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهُ وَقَالَ " لاَ أَدْرِي لَعَلَّهُ مِنَ الْقُرُونِ الَّتِي مُسِخَتْ " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট গুইসাপ
আনা হলে তিনি তা খেতে অস্বীকার করে বললেন, জানি না হয়তো এটা ঐসব উম্মাত থেকে হতে পারে,
যাদের বিকৃত করা হয়েছিল। (ই.ফা. ৪৮৮৮, ই.সে. ৪৮৮৫)
৪৯৩৬
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا عَنِ الضَّبِّ، فَقَالَ لاَ تَطْعَمُوهُ . وَقَذِرَهُ وَقَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُحَرِّمْهُ . إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَنْفَعُ بِهِ غَيْرَ وَاحِدٍ فَإِنَّمَا طَعَامُ عَامَّةِ الرِّعَاءِ مِنْهُ وَلَوْ كَانَ عِنْدِي طَعِمْتُهُ .
আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে গুইসাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
এটি তোমরা খেও না। তিনি তা নোংরা হিসেবে অবহিত করলেন। তিনি আরও বলেন, ‘উমার ইবনু খাত্তাব
(রাঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এটিকে হারাম করেননি। মহান আল্লাহ
এর দ্বারা অনেক লোককে উপকৃত করেছেন। কেননা, জনসাধারণের খাদ্য এ থেকে আসে। আমার নিকট
থাকলে আমিও তা খেতাম। (ই.ফা. ৪৮৮৫, ই.সে. ৪৮৮৬)
৪৯৩৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا بِأَرْضٍ مَضَبَّةٍ فَمَا تَأْمُرُنَا أَوْ فَمَا تُفْتِينَا قَالَ " ذُكِرَ لِي أَنَّ أُمَّةً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مُسِخَتْ " . فَلَمْ يَأْمُرْ وَلَمْ يَنْهَ . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَ عُمَرُ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَنْفَعُ بِهِ غَيْرَ وَاحِدٍ وَإِنَّهُ لَطَعَامُ عَامَّةِ هَذِهِ الرِّعَاءِ وَلَوْ كَانَ عِنْدِي لَطَعِمْتُهُ إِنَّمَا عَافَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)!
আমরা এমন এলাকায় থাকি, যেখানে গুইসাপ পাওয়া যায়। সুতরাং এ ব্যাপারে আপনি আমাদের কী
আদেশ করেন? অথবা বললেন, আপনি এ ব্যাপারে আমাদের কী ফাতাওয়া দেন? তিনি বললেনঃ আমাকে
জানানো হয়েছে যে, বানী ইস্রাঈলের একটি সম্প্রদায়কে বিকৃত করে দেয়া হয়েছিল। এরপর তিনি
আদেশও করেননি, নিষেধও করেননি।
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, পরবর্তী সময়ে ‘উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহর দ্বারা অনেক লোককে
উপকৃত করবেন। কারণ এটা এ উম্মাতের অধিকাংশের খাবার। আমার নিকট থাকলে আমি অবশ্যই তা
খেতাম। তবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এটি কেবল অপছন্দ করেছেন।
(ই.ফা. ৪৮৮৬, ই.সে. ৪৮৮৭)
৪৯৩৮
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي فِي غَائِطٍ مَضَبَّةٍ وَإِنَّهُ عَامَّةُ طَعَامِ أَهْلِي - قَالَ - فَلَمْ يُجِبْهُ فَقُلْنَا عَاوِدْهُ . فَعَاوَدَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثَلاَثًا ثُمَّ نَادَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الثَّالِثَةِ فَقَالَ " يَا أَعْرَابِيُّ إِنَّ اللَّهَ لَعَنَ أَوْ غَضِبَ عَلَى سِبْطٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَمَسَخَهُمْ دَوَابَّ يَدِبُّونَ فِي الأَرْضِ فَلاَ أَدْرِي لَعَلَّ هَذَا مِنْهَا فَلَسْتُ آكُلُهَا وَلاَ أَنْهَى عَنْهَا " .
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে
এক বেদূইন এসে বলল, আমি এমন নিম্নাঞ্চলে বাস করি যেখানে প্রচুর গুইসাপ পাওয়া যায়। এটা
আমার পরিবারের সাধারণ খাদ্য। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি কোন জবাব দিলেন না। আমরা তাঁকে
বললাম, আবার জিজ্ঞেস করো। লোকটি আবার জিজ্ঞেস করলে তিনি এবারও কোন জবাব দিলেন না। অতঃপর
তৃতীয়বারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ডেকে বললেনঃ হে বেদূঈন!
মহান আল্লাহ বানী ইসরাঈলের একটি সম্প্রদায়ের প্রতি অভিসম্পাত করেন, অথবা ক্রোধান্বিত
হয়ে তাদের আকৃতি বিকৃত করে স্থলচর প্রাণীতে রূপান্তরিত করে দেন। আমি অবহিত নই যে, এটা
তাদেরই অন্তর্ভূক্ত কিনা। সুতরাং আমি তা খাইও না এবং এ থেকে নিষেধও করি না। (ই.ফা.
৪৮৮৭, ই.সে. ৪৮৮৮)
৮. অধ্যায়ঃ
টিড্ডি খাওয়ার বৈধতা
৪৯৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي أَوْفَى قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَ غَزَوَاتٍ نَأْكُلُ الْجَرَادَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ
আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে
সাতটি যুদ্ধে যোগদান করেছি, তখন আমরা টিড্ডি খেয়েছি। (ই.ফা. ৪৮৮৮,, ই.সে. ৪৮৮৯)
৪৯৪০
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَتِهِ سَبْعَ غَزَوَاتٍ وَقَالَ إِسْحَاقُ سِتَّ وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ سِتَّ أَوْ سَبْعَ .
আবু বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম ও ইবনু আবূ ‘উমার
(রহঃ) সকলেই ইবনু ‘উয়ায়নাহ্ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ইয়া’ফূর (রহঃ) হতে উল্লিখিত সানাদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
আবূ বকর (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় সাতটি যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। ইসহাক্ বলেছেন,
ছয়টি এবং ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) বলেছেন, ছয়টি কিংবা সাতটি। (ই.ফা. ৪৮৮৯,, ই.সে. ৪৮৯০)
৪৯৪১
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ جَعْفَرٍ كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশ্শার (রহঃ) আবূ ইয়া’কূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সাতটি যুদ্ধ। (ই.ফা. ৪৮৯০,
ই.সে. ৪৮৯১)
৯. অধ্যায়ঃ
খরগোশ খাওয়ার বৈধতা
৪৯৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَرَرْنَا فَاسْتَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَوْا عَلَيْهِ فَلَغَبُوا . قَالَ فَسَعَيْتُ حَتَّى أَدْرَكْتُهَا فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا فَبَعَثَ بِوَرِكِهَا وَفَخِذَيْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبِلَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা চলতে চলতে ‘মার্রুয যাহ্রান’ নামক স্থানে পৌঁছলে
সেখানে একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম। লোকজনও সেটাকে ধাওয়া করলো এবং তারা ক্লান্ত হয়ে পড়লো।
তিনি বলেন, অবশেষে আমি ধাওয়া করে ওটা ধরে ফেলি এবং আবূ তালহার কাছে নিয়ে আসি। তিনি
এটাকে যাবাহ করলেন এবং পেছনের অংশ ও উভয় রান রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর
কাছে পাঠালেন। আমি এগুলো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে
এলে তিনি তা গ্রহণ করেন। (ই.ফা. ৪৮৯১, ই.সে. ৪৮৯২)
৪৯৪৩
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ يَحْيَى بِوَرِكِهَا أَوْ فَخِذَيْهَا .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এ সানাদে হাদীসটি বর্ণিত। তবে ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, এর পিছনের
অংশ কিংবা উভয় রান। (ই.ফা. ৪৮৯১, ই.সে. ৪৮৯৩)
১০. অধ্যায়ঃ
যা দ্বারা শিকার করা ও শত্রুর বিরুদ্ধে সহায়তা লাভ করা যায় তার বৈধতা এবং
পাথর নিক্ষেপ নিষিদ্ধ হওয়া
৪৯৪৪
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ رَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغَفَّلِ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِهِ يَخْذِفُ فَقَالَ لَهُ لاَ تَخْذِفْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَكْرَهُ - أَوْ قَالَ - يَنْهَى عَنِ الْخَذْفِ فَإِنَّهُ لاَ يُصْطَادُ بِهِ الصَّيْدُ وَلاَ يُنْكَأُ بِهِ الْعَدُوُّ وَلَكِنَّهُ يَكْسِرُ السِّنَّ وَيَفْقَأُ الْعَيْنَ . ثُمَّ رَآهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَخْذِفُ فَقَالَ لَهُ أُخْبِرُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَكْرَهُ أَوْ يَنْهَى عَنِ الْخَذْفِ ثُمَّ أَرَاكَ تَخْذِفُ لاَ أُكَلِّمُكَ كَلِمَةً كَذَا وَكَذَا .
ইবনু বুরাইদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) তাঁর সঙ্গীদের একজনকে পাথর
নিক্ষেপ করতে দেখে তাকে বললেন, পাথর মারবে না। কারণ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) পাথর মারা অপছন্দ করতেন। অথবা বলেছেন, নিষেধ করতেন। কারণ এর দ্বারা শিকার
করাও যায় না এবং শত্রুকে ঘায়েল করাও যায় না; বরং এটি দাঁত ভাঙ্গে এবং চক্ষুতে ক্ষত
করে। পরবর্তীতে তাকে আবারো পাথর ছুড়তে দেখে তিনি বললেন, আমি তোমাকে জানালাম রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পাথর নিক্ষেপ পছন্দ করতেন না, অথবা তা নিষেধ করতেন।
তবুও তোমাকে পাথর ছুঁড়তে দেখছি? আমি তোমার সাথে এত এত দিন কথা বলব না। (ই.ফা. ৪৮৯২,
ই.সে. ৪৮৯৪)
৪৯৪৫
حَدَّثَنِي أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ مَعْبَدٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا كَهْمَسٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
‘উসমান ইবনু ‘আমর
বলেন, কাহমাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে আমাদের কাছে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৯৩, ই.সে. ৪৮৯৫)
৪৯৪৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ صُهْبَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَذْفِ . قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ إِنَّهُ لاَ يَنْكَأُ الْعَدُوَّ وَلاَ يَقْتُلُ الصَّيْدَ وَلَكِنَّهُ يَكْسِرُ السِّنَّ وَيَفْقَأُ الْعَيْنَ . وَقَالَ ابْنُ مَهْدِيٍّ إِنَّهَا لاَ تَنْكَأُ الْعَدُوَّ . وَلَمْ يَذْكُرْ تَفْقَأُ الْعَيْنَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছোট ছোট পাথর
ছুঁড়তে বারণ করেছেন।
ইবনু জা’ফার (রহঃ) তাঁর বর্ণনাতে বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আরও বলেছেনঃ এটা শত্রুকে পরাভূত করে না, শিকারও মারতে পারে না বরং এটা দাঁত ভাঙ্গে
এবং চোখে আঘাত করে। ইবনু মাহ্দী (রহঃ) উল্লেখ করেছেন, এটা শত্রুকে আঘাত করে না। তিনি
“চোখে আঘাত করার কথা” উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৮৯৪, ই.সে. ৪৮৯৬)
৪৯৪৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ، بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّ قَرِيبًا، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ خَذَفَ - قَالَ - فَنَهَاهُ وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْخَذْفِ وَقَالَ " إِنَّهَا لاَ تَصِيدُ صَيْدًا وَلاَ تَنْكَأُ عَدُوًّا وَلَكِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ " . قَالَ فَعَادَ . فَقَالَ أُحَدِّثُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُ ثُمَّ تَخْذِفُ لاَ أُكَلِّمُكَ أَبَدًا .
সা’ঈদ ইবনু জুবায়র
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল
(রাঃ)-এর একজন নিজের লোক ছোট ছোট পাথর ছুঁড়লে তিনি তাকে তা করতে বারণ করেন এবং বললেন,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ বারণ করেছেন। তিনি
বলেছেন যে, এটা না শিকার করতে পারে আর না শত্রুকে পরাভূত করতে পারে; বরং এটি দাঁত ভাঙ্গে
আর চোখে আঘাত করে। সা’ঈদ (রহঃ) বলেন, লোকটি যখন পূণরায় এ কাজ করল তখন তিনি বললেন, আমি তোমাকে
হাদীস শোনাচ্ছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে নিষেধ করেছেন,
এরপরও তুমি কঙ্কর নিক্ষেপ করছো? তোমার সঙ্গে আমি কখনো কথা বলবো না। (ই.ফা. ৪৮৯৫,, ই.সে.
৪৮৯৭)
৪৯৪৮
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৯৬, ই.সে. ৪৮৯৮)
১১. অধ্যায়ঃ
যাবাহ ও হত্যায় দয়াশীল হওয়া ও ছুরিধার করার নির্দেশ
৪৯৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ ثِنْتَانِ حَفِظْتُهُمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ الإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذَّبْحَ وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ فَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ " .
শাদ্দাদ ইবনু আওস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে আমি দু’টি কথা মনে রেখেছি,
তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের উপর ‘ইহসান’ অত্যাবশ্যক করেছেন। অতএব তোমরা যখন হত্যা
করবে, দয়ার্দ্রতার সঙ্গে হত্যা করবে; আর যখন যাবাহ করবে তখন দয়ার সঙ্গে যাবাহ করবে।
তোমাদের সবাই যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং তার যাবাহকৃত জন্তুকে কষ্টে না ফেলে। (ই.ফা.
৪৮৯৭, ই.সে. ৪৮৯৯)
৪৯৫০
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، بِإِسْنَادِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَمَعْنَى حَدِيثِهِ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) হুশায়ম, ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম, ‘আবদুল ওয়াহ্হাব
আস্-সাক্বাফী, আবূ বাকর ইবনু নাফি’ গুনদার, শু’বাহ্, ‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আবদুর রহমান দারিমী, মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ সুফ্ইয়ান থেকে, ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম
(রহঃ) জারীর মানসূর থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা সকলে খালিদ হায্যা (রহঃ) হতে ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের
সানাদ ও অর্থের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৯৮,, ই.সে. ৪৯০০)
১২. অধ্যায়ঃ
জীব-জন্তু বেঁধে তীরের লক্ষ্যবস্তু বানানোর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে
৪৯৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ هِشَامَ، بْنَ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ جَدِّي أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ دَارَ الْحَكَمِ بْنِ أَيُّوبَ فَإِذَا قَوْمٌ قَدْ نَصَبُوا دَجَاجَةً يَرْمُونَهَا قَالَ فَقَالَ أَنَسٌ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُصْبَرَ الْبَهَائِمُ .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনু যায়দ ইবনুন আনাস ইবনু মালিক (রহঃ)-এর নিকট শুনেছি।
তিনি বলেন, আমি আমার দাদা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সাথে হাকাম ইবনু আইয়ূব (রহঃ)-এর
গৃহে গেলাম। সেখানে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি একটি মুরগী বেঁধে তার দিকে তীর নিক্ষেপ করছিল।
তিনি বলেন, তখন আনাস (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন
জন্তু বেঁধে সেটিকে তীরের লক্ষ্য বানাতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৯৯, ই.সে. ৪৯০১)
৪৯৫২
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
যুহায়র ইবনু হারব, ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ), আবূ কুরায়ব (রহঃ) প্রমুখ
সকলেই শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮৯৯, ই.সে. ৪৯০২)
৪৯৫৩
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَتَّخِذُوا شَيْئًا فِيهِ الرُّوحُ غَرَضًا " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এমন কোন বস্তুকে
(তীর বা বন্দুকের) লক্ষ্যবস্তু বানিও না যার মধ্যে প্রাণ আছে। (ই.ফা. ৪৯০০, ই.সে. ৪৯০৩)
৪৯৫৪
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার ও ‘আবদুর রহমান ইবনু মাহ্দী উভয়ে শু’বাহ্ থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত ধারাবাহিকতায় উপরের হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. নেই,
ই.সে. ৪৯০৪)
৪৯৫৫
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَأَبُو كَامِلٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ مَرَّ ابْنُ عُمَرَ بِنَفَرٍ قَدْ نَصَبُوا دَجَاجَةً يَتَرَامَوْنَهَا فَلَمَّا رَأَوُا ابْنَ عُمَرَ تَفَرَّقُوا عَنْهَا . فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ مَنْ فَعَلَ هَذَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ مَنْ فَعَلَ هَذَا .
সা’ঈদ ইবনু জুবায়র
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) একদল লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যারা একটি মুরগী
বেঁধে সেটির প্রতি তীর নিক্ষেপ করছিল। তারা ইবনু ‘উমারকে দেখে মুরগীটি ছেড়ে দিয়ে চলে
গেল। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, কে এ কাজ করলো? যে এমন কাজ করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে লা’নাত করেছেন। (ই.ফা. ৪৯০১, ই.সে. ৪৯০৫)
৪৯৫৬
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ مَرَّ ابْنُ عُمَرَ بِفِتْيَانٍ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ نَصَبُوا طَيْرًا وَهُمْ يَرْمُونَهُ وَقَدْ جَعَلُوا لِصَاحِبِ الطَّيْرِ كُلَّ خَاطِئَةٍ مِنْ نَبْلِهِمْ فَلَمَّا رَأَوُا ابْنَ عُمَرَ تَفَرَّقُوا فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ مَنْ فَعَلَ هَذَا لَعَنَ اللَّهُ مَنْ فَعَلَ هَذَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ مَنِ اتَّخَذَ شَيْئًا فِيهِ الرُّوحُ غَرَضًا .
সা’ঈদ ইবনু জুবায়র
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) কতিপয় কুরায়শ যুবকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তারা একটি পাখি বেঁধে সেটির দিকে তীর নিক্ষেপ করছিল। আর প্রত্যেকটি নিশানা ব্যর্থ হওয়ার
কারণে তারা পাখির মালিকের জন্য একটি করে তীর নির্ধারণ করছিল। তারপর তারা ইবনু ‘উমার
(রাঃ)-কে দেখে আলাদা হয়ে গেল। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, কে এ কাজ করলো? যে ব্যক্তি এরূপ
করেছে তার প্রতি আল্লাহর লা’নাত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
লা’নাত করেছেন, যে কোন
জীব-জন্তুকে লক্ষ্যস্থল বানায়। (ই.ফা. ৪৯০২, ই.সে. ৪৯০৬)
৪৯৫৭
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ، بْنُ حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْتَلَ شَىْءٌ مِنَ الدَّوَابِّ صَبْرًا .
মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হতে, ভিন্ন সূত্রে ‘আব্দ
ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হতে, আর একটি সূত্রে হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ)
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ যুবায়র (রহঃ) আমাকে বলেছেন যে, তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন প্রাণীকে বেঁধে হত্যা করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯০৩, ই.সে. ৪৯০৭)
No comments