সহীহ মুসলিম অধ্যায় "কুরবানী" হাদিস নং -৪৯৫৮ থেকে ৫০২০
অধ্যায় "কুরবানী" হাদিস নং -৮৯৫৮ থেকে ৫০২০
১. অধ্যায়ঃকুরবানী করার সময় প্রসঙ্গে
৪৯৫৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى، بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، حَدَّثَنِي جُنْدَبُ بْنُ سُفْيَانَ، قَالَ شَهِدْتُ الأَضْحَى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَعْدُ أَنْ صَلَّى وَفَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ سَلَّمَ فَإِذَا هُوَ يَرَى لَحْمَ أَضَاحِيَّ قَدْ ذُبِحَتْ قَبْلَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِهِ فَقَالَ
"
مَنْ كَانَ ذَبَحَ أُضْحِيَّتَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ - أَوْ نُصَلِّيَ - فَلْيَذْبَحْ مَكَانَهَا أُخْرَى وَمَنْ كَانَ لَمْ يَذْبَحْ فَلْيَذْبَحْ بِاسْمِ اللَّهِ " .
জুন্দাব ইবনু সুফ্ইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ঈদুল আয্হায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি অন্য কোন কাজ না করে
সলাত আদায় করলেন। সলাত শেষে সালাম ফিরলেন। অতঃপর তিনি কুরবানীর গোশ্ত দেখতে পেলেন,
যা তাঁর সলাত আদায়ের আগেই যাবাহ করা হয়েছিল। তারপর তিনি বললেন, যে লোক সলাত আদায়ের
আগে তার কুরবানীর পশু যাবাহ করেছে, সে যেন এর জায়গায় অন্য একটি পশু যাবাহ করে। আর যে
ব্যক্তি যাবাহ করেনি সে যেন আল্লাহ্র নাম নিয়ে (বিস্মিল্লা-হ) যাবাহ করে। [১] (ই.ফা.
৪৯০৪, ই.সে. ৪৯০৮)
[১] অর্থাৎ ঈদের দিন মাঠে দু’রাক’আত নামায
আদায়ের পূর্বে কেউ যদি কুরবানীর পশু যাবাহ করে ফেলে তাহলে সেটি কুরবানী হবে না বরং
তা সাধারণ পশু যাবাহের মত হবে।
৪৯৫৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، سَلاَّمُ بْنُ سُلَيْمٍ عَنِ الأَسْوَدِ، بْنِ قَيْسٍ عَنْ جُنْدَبِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَ شَهِدْتُ الأَضْحَى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ بِالنَّاسِ نَظَرَ إِلَى غَنَمٍ قَدْ ذُبِحَتْ فَقَالَ " مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَلْيَذْبَحْ شَاةً مَكَانَهَا وَمَنْ لَمْ يَكُنْ ذَبَحَ فَلْيَذْبَحْ عَلَى اسْمِ اللَّهِ " .
জুন্দাব ইবনু সুফ্ইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ঈদুল আয্হায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি মানুষের সাথে সলাত
শেষ করে একটি বকরী দেখতে পেলেন, যা সলাতের আগেই যাবাহ করা হয়েছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সলাতের আগে যে লোক যাবাহ করেছে, সে যেন এর জায়গায় অন্য
একটি বকরী যাবাহ করে। আর যে যাবাহ করেনি সে যেন এখন আল্লাহ্র নাম নিয়ে যাবাহ করে।
(ই.ফা. ৪৯০৫, ই.সে. ৪৯০৯)
৪৯৬০
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، أَبِي عُمَرَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ عَلَى اسْمِ اللَّهِ . كَحَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ .
আস্ওয়াদ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সূত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
এবং তাঁরা আবুল আহ্ওয়াস (রহঃ)-এর হাদীসের হুবুহু ... বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৯০৬, ই.সে.
৪৯১০)
৪৯৬১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَسْوَدِ، سَمِعَ جُنْدَبًا الْبَجَلِيَّ، قَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى يَوْمَ أَضْحًى ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ " مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيُعِدْ مَكَانَهَا وَمَنْ لَمْ يَكُنْ ذَبَحَ فَلْيَذْبَحْ بِاسْمِ اللَّهِ " .
জুন্দাব বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, যখন তিনি ঈদুল আয্হার সলাত আদায় করছিলেন।
অতঃপর তিনি খুৎবা দিতে গিয়ে বলেন, যে লোক সলাত সম্পন্ন হওয়ার আগে যাবাহ করেছে সে যেন
এর জায়গায় আরেকটি (পশু) যাবাহ করে। আর যে যাবাহ করেনি, সে যেন এখন আল্লাহ্র নামে যাবাহ
করে। (ই.ফা. ৪৯০৭, ই.সে. ৪৯১১)
৪৯৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন।
(ই.ফা. ৪৯০৮, ই.সে. ৪৯১২)
৪৯৬৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ ضَحَّى خَالِي أَبُو بُرْدَةَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تِلْكَ شَاةُ لَحْمٍ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عِنْدِي جَذَعَةً مِنَ الْمَعْزِ فَقَالَ " ضَحِّ بِهَا وَلاَ تَصْلُحُ لِغَيْرِكَ " . ثُمَّ قَالَ " مَنْ ضَحَّى قَبْلَ الصَّلاَةِ فَإِنَّمَا ذَبَحَ لِنَفْسِهِ وَمَنْ ذَبَحَ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَقَدْ تَمَّ نُسُكُهُ وَأَصَابَ سُنَّةَ الْمُسْلِمِينَ " .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার মামা আবূ বুরদাহ্ (রাঃ)
সলাতের আগে কুরবানী করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওটা
গোশ্তের বকরী। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার
কাছে ছয় মাসের একটি বকরীর বাচ্চা রয়েছে। তিনি বললেন, সেটি যাবাহ করো। তুমি ব্যতীত অন্য
কারো জন্য তা ঠিক হবে না। অতঃপর তিনি বললেন, যে লোক সলাতের আগে যাবাহ করল, সে শুধু
নিজের জন্যই যাবাহ করল (অর্থাৎ আল্লাহর জন্য হলো না)। আর যে লোক সলাতের পর যাবাহ করল,
তার কুরবানী পূর্ণ হয়ে গেল এবং সে মুসলিমদের শারী’আত অনুযায়ী কাজ করল। (ই.ফা. ৪৯০৯,
ই.সে. ৪৯১৩)
৪৯৬৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ خَالَهُ أَبَا بُرْدَةَ بْنَ نِيَارٍ، ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ اللَّحْمُ فِيهِ مَكْرُوهٌ وَإِنِّي عَجَّلْتُ نَسِيكَتِي لأُطْعِمَ أَهْلِي وَجِيرَانِي وَأَهْلَ دَارِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعِدْ نُسُكًا " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عِنْدِي عَنَاقَ لَبَنٍ هِيَ خَيْرٌ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ . فَقَالَ " هِيَ خَيْرُ نَسِيكَتَيْكَ وَلاَ تَجْزِي جَذَعَةٌ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ " .
বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর মামা আবু বুরদাহ্ ইবনু নিয়ার (রাঃ)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যাবাহ এর আগে যাবাহ করলেন এবং বললেন, হে
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আজকের দিনে গোশ্ত খোঁজা ভাল নয়।
তাই আমি আমার পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও স্বীয় গৃহের লোকদের খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে
দ্রুত কুরবানী করেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি আবার
কুরবানী করো। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার
কাছে একটি দুধেল বকরী আছে, যেদি গোশ্তের (মাপে) দু’টি বকরীর চেয়েও ভাল। তিনি বললেন,
দু’টির কুরবানীর মধ্যে এটিই তোমার উত্তম কুরবানী হবে। আর তুমি ব্যতীত অন্য কারো জন্য
ছয় মাসের বকরী যথেষ্ট হবে না। ( ই.ফা. ৪৯১০, ই.সে. ৪৯১৪)
৪৯৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ، بْنِ عَازِبٍ قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ فَقَالَ
"
لاَ يَذْبَحَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يُصَلِّيَ " . قَالَ فَقَالَ خَالِي يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ اللَّحْمُ فِيهِ مَكْرُوهٌ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ هُشَيْمٍ .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদা) কুরবানীর দিন রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের লক্ষ্য করে খুৎবা দিলেন এবং বললেনঃ সলাত
আদায়ের আগে কেউ যেন যাবাহ না করে। বারা (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমার মামা বললেনঃ হে আল্লাহর
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আজকের দিনে তো গোশ্ত খোঁজা ভাল নয়। অতঃপর
বর্ণনাকারী হুশায়ম (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের উপরোল্লিখিত বাক্য বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৯১১,
ই.সে. ৪৯১৫)
৪৯৬৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى صَلاَتَنَا وَوَجَّهَ قِبْلَتَنَا وَنَسَكَ نُسُكَنَا فَلاَ يَذْبَحْ حَتَّى يُصَلِّيَ " . فَقَالَ خَالِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ نَسَكْتُ عَنِ ابْنٍ لِي . فَقَالَ " ذَاكَ شَىْءٌ عَجَّلْتَهُ لأَهْلِكَ " . فَقَالَ إِنَّ
عِنْدِي شَاةً خَيْرٌ مِنْ شَاتَيْنِ قَالَ " ضَحِّ بِهَا فَإِنَّهَا خَيْرُ نَسِيكَةٍ " .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আমাদের মতো সলাত আদায় করে, আমাদের কিবলামুখী হয়
এবং আমাদের মতো কুরবানী করে, সে যেন সলাতের পূর্বে যাবাহ না করে। পরে আমার মামা বললেন,
হে আল্লাহ্র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি তো আমার ছেলের পক্ষ থেকে
কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন, সেটা তো এমন জিনিস, যা তুমি তোমার পরিবারের জন্য জলদি
করে (যাবাহ করে) ফেলেছ। তিনি বললেন, আমার কাছে (এমন) একটি বকরি আছে, যা দুটি বকরীর
চেয়ে উত্তম। তিনি বললেন, তুমি সেটা কুরবানী কর। কারন সেটাই তোমার উত্তম কুরবানী হবে।
(ই.ফা. ৪৯১২, ই.সে. ৪৯১৬)
৪৯৬৭
وَحَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ الإِيَامِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا نُصَلِّي ثُمَّ نَرْجِعُ فَنَنْحَرُ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ ذَبَحَ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ قَدَّمَهُ لأَهْلِهِ لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَىْءٍ " . وَكَانَ أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ قَدْ ذَبَحَ فَقَالَ عِنْدِي جَذَعَةٌ خَيْرٌ مِنْ مُسِنَّةٍ فَقَالَ " اذْبَحْهَا وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ " .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আজকের দিনে আমাদের প্রথম কাজ হলো সলাত আদায় করা। তারপর
আমরা ফিরে গিয়ে কুরবানী করব। যে লোক এরূপ করলো সে আমাদের সুন্নাত পালন করলো। আর যে
লোক (সলাতের আগে) যাবাহ করলো, সেটা কেবল গোশ্ত (খাওয়ার জন্য) হলো, যা সে নিজের পরিবারের
জন্য অগ্রিম ব্যবস্থা করলো। সেটা কুরবানীর কিছুই হলো না। আবূ বুরদাহ্ ইবনু নিয়ার
(রাঃ) পূর্বেই কুরবানীর নিয়্যাতে যাবাহ করে ফেলেছিলেন। তাই তিনি বললেন, আমার কাছে একটি
ছয় মাসের বকরীর বাচ্ছা আছে যা এক বছরের বাচ্চার চেয়েও হৃষ্টপুষ্ট। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি সেটিই কুরবানী করো। তোমার পরে আর কারো জন্য এটা যথেষ্ট
হবে না। (ই.ফা. ৪৯১৩, ই.সে. ৪৯১৭)
৪৯৬৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، سَمِعَ الشَّعْبِيَّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৯১৪, ই.সে. ৪৯১৮)
৪৯৬৯
وَحَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ النَّحْرِ بَعْدَ الصَّلاَةِ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন সলাতের পর আমাদের লক্ষ্য করে খুৎবা দিলেন। তারপর
রাবী উল্লেখিত বর্ণনাকারীদের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৯১৫, ই.সে. ৪৯১৯)
৪৯৭০
وَحَدَّثَنِي
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ، بْنُ عَازِبٍ قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ نَحْرٍ فَقَالَ " لاَ يُضَحِّيَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يُصَلِّيَ " . قَالَ رَجُلٌ عِنْدِي عَنَاقُ لَبَنٍ هِيَ خَيْرٌ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ قَالَ " فَضَحِّ بِهَا وَلاَ تَجْزِي جَذَعَةٌ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ " .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরবানীর দিন রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিলেন। তিনি এতে বললেনঃ
সলাতের আগে কেউ যেন কুরবানী না করে। এক লোক বলল, আমার কাছে একটি দুধেল বকরী রয়েছে,
যেটি গোশ্তের (হিসেবে) দু’টি বকরীর চেয়ে উত্তম। তিনি বললেন, ওটা কুরবানী করো। তোমার
পর অন্য কারো জন্য এ রকম ছ’মাসের বাচ্চা (কুরবানী করা) যথেষ্ট হবে না। (ই.ফা. ৪৯১৬,
ই.সে. ৪৯২০)
৪৯৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ ذَبَحَ أَبُو بُرْدَةَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبْدِلْهَا "
. فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيْسَ عِنْدِي إِلاَّ جَذَعَةٌ - قَالَ شُعْبَةُ وَأَظُنُّهُ قَالَ - وَهِيَ خَيْرٌ مِنْ مُسِنَّةٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اجْعَلْهَا مَكَانَهَا وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ " .
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) সলাতের
পূর্বে কুরবানী করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটার পরিবর্তে
অন্য একটি কুরবানী করো। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)!
আমার নিকট শুধু একটি ছ’মাসের বকরীর বাচ্চা আছে। শু’বাহ্ (রহঃ) বলেন, মনে হয় তিনি বলেছেন,
সেটা এক বছরের বাচ্চার চাইতেও উত্তম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ সেটির স্থানে এটি কুরবানী করো। আর তোমার পর অন্য কারো জন্য এটা যথেষ্ট হবে না।
(ই.ফা. ৪৯১৭, ই.সে. ৪৯২১)
৪৯৭২
وَحَدَّثَنَاهُ
ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَلَمْ يَذْكُرِ الشَّكَّ فِي قَوْلِهِ هِيَ خَيْرٌ مِنْ مُسِنَّةٍ .
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইসহাক্ ইবনু
ইব্রাহীম (রহঃ) শু’বাহ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তবে তিনি এটা ‘এক বছরের বাচ্চার চাইতেও
উত্তম’ এ বাক্যের বর্ণনায় সংশয়ের বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৪৯১৮, ই.সে. ৪৯২২)
৪৯৭৩
وَحَدَّثَنِي
يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ " مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَلْيُعِدْ "
. فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا يَوْمٌ يُشْتَهَى فِيهِ اللَّحْمُ . وَذَكَرَ هَنَةً مِنْ جِيرَانِهِ كَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَدَّقَهُ قَالَ وَعِنْدِي جَذَعَةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ أَفَأَذْبَحُهَا قَالَ فَرَخَّصَ لَهُ فَقَالَ لاَ أَدْرِي أَبَلَغَتْ رُخْصَتُهُ مَنْ سِوَاهُ أَمْ لاَ قَالَ وَانْكَفَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى كَبْشَيْنِ فَذَبَحَهُمَا فَقَامَ النَّاسُ إِلَى غُنَيْمَةٍ فَتَوَزَّعُوهَا . أَوْ قَالَ فَتَجَزَّعُوهَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন বললেনঃ যে ব্যক্তি সলাতের পূর্বে যাবাহ করেছে, সে
যেন আবার যাবাহ করে। এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)! আজকের দিনে তো গোশ্ত খাওয়ার ইচ্ছা হয়ে থাকে! এ সময় সে তার প্রতিবেশীদের
প্রয়োজনের কথাও উল্লেখ করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেন তার
কথাকে সত্য মনে করলেন। সে আরো বলল, আমার কাছে একটি ছ’মাসের বকরীর বাচ্চা রয়েছে, যেটি
গোশ্তের (হিসেবে) অন্য দু’টি বকরীর চাইতেও উত্তম, আমি কি সেটি যাবাহ করব? আনাস (রাঃ)
বলেন, পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন। আমার
জানা নেই যে, ঐ অনুমতি এ লোক ব্যতিত অন্য কারো জন্যে ছিল কি-না। আনাস (রাঃ) আরো বলেন,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি দুম্বার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং
সে দু’টি যাবাহ করলেন, আর লোকজন বকরীগুলোর দিকে (অর্থাৎ ঐ দুম্বাগুলোর দিকে) এগিয়ে
গেল এবং সেগুলো বন্টন করল। অথবা তিনি বলেছেন, তারা পরস্পর ভাগ-বাটোয়ারা করল। (ই.ফা.
৪৯১৯, ই.সে. ৪৯২৩)
৪৯৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَهِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى ثُمَّ خَطَبَ فَأَمَرَ مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ أَنْ يُعِيدَ ذِبْحًا ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সলাত আদায় করলেন, এরপর খুৎবা দিলেন। অতঃপর যে লোক সলাতের আগে কুরবানী করেছে
তাকে আবার কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন। এরপর বর্ণনাকারী ইবনু ‘উলাইয়্যার হাদীসের হুবহু
বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৯২০ ই.সে. ৪৯২৪)
৪৯৭৫
وَحَدَّثَنِي
زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْحَسَّانِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - يَعْنِي ابْنَ وَرْدَانَ - حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أَضْحًى - قَالَ - فَوَجَدَ رِيحَ لَحْمٍ فَنَهَاهُمْ أَنْ يَذْبَحُوا قَالَ " مَنْ كَانَ ضَحَّى فَلْيُعِدْ "
. ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিলেন। তারপর গোশ্তের গন্ধ
পেয়ে (সলাতের আগে) কুরবানী করতে বারণ করলেন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি সলাতের পূর্বে
কুরবানী করেছে, সে যেন আবার কুরবানী করে। তারপর বর্ণনাকারী ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ ও হাম্মাদ
(রহঃ)-এর হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৯২১, ই.সে. ৪৯২৫)
২. অধ্যায়ঃ
কুরবানীর পশুর বয়স
৪৯৭৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا
زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " لاَ تَذْبَحُوا إِلاَّ مُسِنَّةً إِلاَّ أَنْ يَعْسُرَ
عَلَيْكُمْ فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنَ الضَّأْنِ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মুসিন্নাহ্ (দুধ দাঁত পড়ে গেছে এমন পশু) ছাড়া
কুরবানী করবে না। তবে এটা তোমাদের জন্য কষ্টকর মনে হলে তোমরা ছ’মাসের মেষ-শাবক কুরবানী
করতে পার। (ই.ফা. ৪৯২২, ই.সে. ৪৯২৬)
৪৯৭৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ،
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو
الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ بِالْمَدِينَةِ فَتَقَدَّمَ رِجَالٌ فَنَحَرُوا
وَظَنُّوا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ نَحَرَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم مَنْ كَانَ نَحَرَ قَبْلَهُ أَنْ يُعِيدَ بِنَحْرٍ آخَرَ وَلاَ يَنْحَرُوا
حَتَّى يَنْحَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন মাদীনায় আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন। তারপর কিছু লোক এ
মনে করে আগেই কুরবানী করে ফেললো যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্ভবত
কুরবানী করেছেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যারা তাঁর পূর্বে কুরবানী
করেছে, তাদেরকে আবার আর একটি কুরবানী করার আদেশ করেন এবং তিনি নির্দেশ দেন, কেউ যেন
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কুরবানী করার আগে কুরবানী না করে। (ই.ফা.
৪৯২৩, ই.সে. ৪৯২৭)
৪৯৭৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ،
عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَاهُ غَنَمًا يَقْسِمُهَا عَلَى أَصْحَابِهِ
ضَحَايَا فَبَقِيَ عَتُودٌ فَذَكَرَهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ
" ضَحِّ بِهِ أَنْتَ " . قَالَ قُتَيْبَةُ عَلَى صَحَابَتِهِ .
‘উক্বাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর সহাবীগনের মধ্যে কুরবানীর পশু বন্টন করার জন্য তাঁকে কিছু বকরী দিলেন।
একটি বাচ্চা (ছ’মাসের) বাকী রয়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
এ ব্যাপারে জানালে তিনি বললেন, তুমি এটা কুরবানী করো।
কুতাইবাহ্ (রহঃ) ... শব্দের স্থলে
... শব্দটি উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯২৪, ই.সে. ৪৯২৮)
৪৯৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ
أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ بَعْجَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ،
قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِينَا ضَحَايَا فَأَصَابَنِي جَذَعٌ
فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ أَصَابَنِي جَذَعٌ . فَقَالَ " ضَحِّ
بِهِ " .
‘উক্বাহ্ ইবনু ‘আমির আল-জুহানী (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মধ্যে কুরবানীর জন্ত ভাগ করলে আমার ভাগে একটি ছ’মাসের
বাচ্চা ছাগল পড়ে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো ছ’মাসের একটি বাচ্চা (ছাগল) পেয়েছি?
তিনি বললেন তা-ই তুমি কুরবানী করো। (ই.ফা. ৪৯২৫, ই.সে. ৪৯২৯)
৪৯৮০
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ حَسَّانَ - أَخْبَرَنَا
مُعَاوِيَةُ، - وَهُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ - حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي
بَعْجَةُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ أَنَّ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، أَخْبَرَهُ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَسَمَ ضَحَايَا بَيْنَ أَصْحَابِهِ .
بِمِثْلِ مَعْنَاهُ .
‘উক্বাহ্ ‘আমির জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কুরবানীর জন্তু ভাগ করলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী উল্লেখিত
অনুবাদের হুবহু রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৪৯২৬, ই.সে. ৪৯৩০)
৩. অধ্যায়ঃ
কুরবানী করা মুস্তাহাব, আর অপর কে দায়িত্ব
না দিয়ে নিজেই তা যাবাহ করা এবং ‘বিস্মিল্লা-হ’ ও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলাও মুস্তাহাব
৪৯৮১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ ضَحَّى النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ ذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ وَسَمَّى
وَكَبَّرَ وَوَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) দু’ শিং বিশিষ্ট সাদা-কালো ধুসর রংয়ের দু’টি দুম্বা স্বহস্তে যাবাহ করেন।
(যাবাহ করার সময়) তিনি ‘বিস্মিল্লা-হ’ ও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলেন [২] এবং (যাবাহ্কালে)
তাঁর একখানা পা দুম্বা দু’টির ঘাড়ের পাশে রাখেন। (ই.ফা. ৪৯২৭, ই.সে. ৪৯৩১)
[২] যাবাহ করার শুরুতে ......... (বিসমিল্লা-হি
আল্ল-হু আকবার) বলে যাবাহ করা সুন্নাত।
৪৯৮২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا
وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ ضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ قَالَ وَرَأَيْتُهُ يَذْبَحُهُمَا
بِيَدِهِ وَرَأَيْتُهُ وَاضِعًا قَدَمَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا قَالَ وَسَمَّى وَكَبَّرَ
.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’শিং যুক্ত সাদা-কালো বর্ণের দু’টি দুম্বা কুরবানী করেন। তিনি
আরও বলেন, আমি-তাঁকে দুম্বা দু’টি স্বহস্তে যাবাহ করতে দেখেছি। আরও দেখেছি, তিনি ও
দু’টির ঘাড়ের পাশে নিজ পা দিয়ে চেপে রাখেন এবং ‘বিস্মিল্লা-হ’ ও ‘আল্লাহ আকবার’ বলেন।
(ই.ফা. ৪৯২৮, ই.সে. ৪৯৩২)
৪৯৮৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا
خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ،
قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ ضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ
. قَالَ قُلْتُ آنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ أَنَسٍ قَالَ نَعَمْ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কুরবানী করেন। রাবী পরবর্তী অংশ উল্লেখিত হাদীসের মতই রিওয়ায়াত করেন।
শু’বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি কাতাদাহ্কে
বললাম, আপনি কি আনাস (রাঃ) থেকে হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ (শুনেছি)। (ই.ফা.
৪৯২৯, ই.সে. ৪৯৩৩)
৪৯৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَيَقُولُ
" بِاسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘আমি তাঁকে
......... বলতেও শুনেছি। (ই.ফা. ৪৯৩০, ই.সে. ৪৯৩৪)
৪৯৮৫
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ حَيْوَةُ أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ،
عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِكَبْشٍ أَقْرَنَ يَطَأُ فِي سَوَادٍ وَيَبْرُكُ
فِي سَوَادٍ وَيَنْظُرُ فِي سَوَادٍ فَأُتِيَ بِهِ لِيُضَحِّيَ بِهِ فَقَالَ لَهَا
" يَا عَائِشَةُ هَلُمِّي الْمُدْيَةَ " . ثُمَّ قَالَ " اشْحَذِيهَا
بِحَجَرٍ " . فَفَعَلَتْ ثُمَّ أَخَذَهَا وَأَخَذَ الْكَبْشَ فَأَضْجَعَهُ
ثُمَّ ذَبَحَهُ ثُمَّ قَالَ " بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ
وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ " . ثُمَّ ضَحَّى بِهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কুরবানী করার জন্য শিংওয়ালা দুম্বাটি আনতে নির্দেশ দেন- যেটি কালোর মধ্যে
চলাফেরা করতো (অর্থাৎ- পায়ের গোড়া কালো ছিল), কালোর মধ্যে শুইতো (অর্থাৎ- পেটের নিচের
অংশ কালো ছিল) এবং কালো মধ্য দিয়ে দেখতে (অর্থাৎ- চোখের চারদিকে কালো ছিল)। সেটি আনা
হলে তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললেন, ছোরাটি নিয়ে এসো। অতঃপর বলেন, ওটা পাথরে ধার দাও।
তিনি তা ধার দিলেন। পরে তিনি সেটি নিলেন এবং দুম্বাটি ধরে শোয়ালেন। তারপর সেটা যাবাহ
করলেন এবং বললেন- ............ “আল্লাহ্র নামে। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর
পরিবার ও তাঁর উম্মাতের পক্ষ হতে এটা ক্ববূল করে নাও”। তারপর এটা কুরবানী করেন। (ই.ফা.
৪৯৩১, ই.সে. ৪৯৩৫)
৪. অধ্যায়ঃ
যা রক্ত ঝরায় তা দিয়েই যাবাহ করা বৈধ,
তবে দাঁত-নখ ও সকল হাড় ব্যতীত
৪৯৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى
الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي أَبِي،
عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ،
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لاَقُو الْعَدُوِّ غَدًا وَلَيْسَتْ مَعَنَا مُدًى
قَالَ صلى الله عليه وسلم " أَعْجِلْ أَوْ أَرْنِي مَا أَنْهَرَ الدَّمَ وَذُكِرَ
اسْمُ اللَّهِ فَكُلْ لَيْسَ السِّنَّ وَالظُّفُرَ وَسَأُحَدِّثُكَ أَمَّا السِّنُّ
فَعَظْمٌ وَأَمَّا الظُّفُرُ فَمُدَى الْحَبَشَةِ " . قَالَ وَأَصَبْنَا نَهْبَ
إِبِلٍ وَغَنَمٍ فَنَدَّ مِنْهَا بَعِيرٌ فَرَمَاهُ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فَحَبَسَهُ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِهَذِهِ الإِبِلِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ
الْوَحْشِ فَإِذَا غَلَبَكُمْ مِنْهَا شَىْءٌ فَاصْنَعُوا بِهِ هَكَذَا " .
রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা আগামীকাল শত্রুর সঙ্গে মুকাবিলা করবো। অথচ
আমাদের সঙ্গে কোন ছুরি নেই। তিনি বললেন, তাড়াতাড়ি কিংবা ভালভাবে দেখে নিখঁতভাবে যাবাহ
করবে। যা রক্ত প্রবাহিত করে, যার উপর আল্লাহ্র নাম নেয়া হয় তা (দিয়ে যাবাহকৃত জন্তু)
খাও। তবে তা যেন দাঁত ও নখ না হয়। আমি তোমাদের কাছে এর কারণ বর্ণনা করেছি। কেননা দাঁত
হলো হাড় বিশেষ, আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি। রাবী বলেন, আমরা গনীমাতের কিছু উট ও বকরী
পেলাম। সেখান থেকে একটি উট ছুটে গেলে এক লোক তীর মেরে সেটাকে আটকিয়ে ফেললো। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব উটের মধ্যেও বন্য প্রাণীর মতো আচরণ
রয়েছে। অতএব এগুলোর মাঝে কোন একটি যদি নিয়ন্ত্রণ হারা হয়ে যায় তবে তার সঙ্গে এরূপ ব্যবহারই
করবে। (ই.ফা. ৪৯৩২, ই.সে. ৪৯৩৬)
৪৯৮৭
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ،
قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذِي الْحُلَيْفَةِ مِنْ تِهَامَةَ
فَأَصَبْنَا غَنَمًا وَإِبِلاً فَعَجِلَ الْقَوْمُ فَأَغْلَوْا بِهَا الْقُدُورَ فَأَمَرَ
بِهَا فَكُفِئَتْ ثُمَّ عَدَلَ عَشْرًا مِنَ الْغَنَمِ بِجَزُورٍ . وَذَكَرَ بَاقِيَ
الْحَدِيثِ كَنَحْوِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ .
রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা তিহামার অন্তর্গত ‘যুল-হুলাইফাহ্’
নামক জায়গায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। সেখানে
আমরা বকরী ও উট পেলাম। লোকজন তাড়াতাড়ি করে ডেগের মধ্যে এগুলোর গোশ্ত জ্বাল দিতে লাগলো।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিলে ডেগগুলোর পার্শ্বদেশ উল্টিয়ে
দেয়া হলো। তারপর একটি উট দশটি ছাগলের সমান গণ্য করা হলো। রাবী হাদীসের অবশিষ্টাংশ ইয়াহ্ইয়া
ইবনু সা‘ঈদ- এর হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৯৩৩, ই.সে. ৪৯৩৭)
৪৯৮৮
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ،
عَنْ جَدِّهِ، رَافِعٍ ثُمَّ حَدَّثَنِيهِ عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ جَدِّهِ،
قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لاَقُو الْعَدُوِّ غَدًا وَلَيْسَ مَعَنَا
مُدًى فَنُذَكِّي بِاللِّيطِ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ وَقَالَ فَنَدَّ عَلَيْنَا
بَعِيرٌ مِنْهَا فَرَمَيْنَاهُ بِالنَّبْلِ حَتَّى وَهَصْنَاهُ .
রাফি ‘ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা আগামীকাল শত্রুর সঙ্গে মুকাবিলা করবো। অথচ
আমাদের সঙ্গে কোন ছুরি নেই। (ধারালো) বাঁশের খোলস দ্বারা কি যাবাহ করবো? রাবী ইসমা’ঈল
পুরো ঘটনাসহ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি [”রাফি (রাঃ)] আরও বলেন, উক্ত উটগুলোর মধ্য
হতে একটি উট ছুটে গেলে আমরা তীর ছুঁড়ে সেটাকে পাকড়াও। (ই.ফা. ৪৯৩৪, ই.সে. ৪৯৩৮)
৪৯৮৯
وَحَدَّثَنِيهِ الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ،
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، بِهَذَا
الإِسْنَادِ الْحَدِيثَ إِلَى آخِرِهِ بِتَمَامِهِ وَقَالَ فِيهِ وَلَيْسَتْ مَعَنَا
مُدًى أَفَنَذْبَحُ بِالْقَصَبِ
সা‘ঈদ ইবনু মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে হাদীসটি শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গরূপে
বর্ণিত হয়েছে। হাদীসে তিনি ‘আমাদের সঙ্গে ছুরি নেই, আমরা কি বাঁশ দ্বারা যাবাহ করবো’
রাফি‘-এর এ উক্তিটি উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৪৯৩৪, ই.সে. ৪৯৩৯)
৪৯৯০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ
بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ رَافِعِ
بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لاَقُو الْعَدُوِّ غَدًا وَلَيْسَ
مَعَنَا مُدًى وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَلَمْ يَذْكُرْ فَعَجِلَ الْقَوْمُ فَأَغْلَوْا
بِهَا الْقُدُورَ فَأَمَرَ بِهَا فَكُفِئَتْ وَذَكَرَ سَائِرَ الْقِصَّةِ .
রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা আগামীকাল দুশমনের সঙ্গে মুকাবিলা করবো, অথচ আমাদের কাছে
কোন ছুরি নেই। শু‘বাহ্ শেষ পর্যন্ত হাদীসটি উল্লেখ করেন। তবে তিনি এ কথাটি উল্লেখ
করেননি, “কিছু লোক তাড়াতাড়ি করে, পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
আদেশে সেগুলো (ডেগ বা পাতিলগুলো) উল্টিয়ে দেয়া হয়।” তবে (এ অংশটি ব্যতীত) তিনি পুরো
ঘটনাই বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৩৫, ই.সে.৪৯৪০)
৫. অধ্যায়ঃ
ইসলাম সূচনালগ্নে তিনদিনের পরে কুরবানীর
গোশ্ত খাওয়া সম্বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা অর্পিত হয়েছিল তার বর্ণনা এবং তা রহিত হওয়া ও যতদিন
ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত খাওয়া বৈধ হওয়ার বর্ণনা
৪৯৯১
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ شَهِدْتُ
الْعِيدَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ
وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا أَنْ نَأْكُلَ مِنْ لُحُومِ
نُسُكِنَا بَعْدَ ثَلاَثٍ .
আবূ ‘উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আলী ইবনু আবূ তালিব
(রাঃ) এর সাথে ঈদগাহে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবার আগে সলাত আদায় করলেন এবং বললেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তিনদিনের পর কুরবানীর গোশ্ত খেতে বারণ
করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৩৬, ই.সে. ৪৯৪১)
৪৯৯২
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى،
أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي أَبُو
عُبَيْدٍ، مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ أَنَّهُ شَهِدَ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
قَالَ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - قَالَ - فَصَلَّى لَنَا قَبْلَ
الْخُطْبَةِ ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَدْ نَهَاكُمْ أَنْ تَأْكُلُوا لُحُومَ نُسُكِكُمْ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ فَلاَ تَأْكُلُوا
.
আবূ ‘উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে
ঈদগাহে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, (পরবতী সময়) আমি ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-এর সাথে
সলাত আদায় করেছি। তিনি খুতবার আগে আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। তারপর লোকজনের উদ্দেশ্যে
খুত্বাহ্ দেন। (খুতবায়) তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তিনদিনের পর কুরবানীর গোশ্ত আহার করতে তোমাদের বারণ করেছেন। অতএব তোমরা তা খেয়ো না।
(ই.ফা. ৪৯৩৭, ই.সে. ৪৯৪২)
৪৯৯৩
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا
حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي،
عَنْ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ
.
যুহায়র ইবনু হারব, হাসান হুলওয়ানী ও
‘আব্দ ইবনু হুমায়দ, যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(ই.ফা. ৪৯৩৮, ই.সে. ৪৯৪৩)
৪৯৯৪
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ،
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ
" لاَ يَأْكُلْ أَحَدٌ مِنْ لَحْمِ أُضْحِيَّتِهِ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ
" .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ কেউ যেন কুরবানীর গোশ্ত
তিনদিনের পরে না খায়। (ই.ফা. ৪৯৩৯, ই.সে. ৪৯৪৪)
৪৯৯৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ،
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ،
بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، - يَعْنِي
ابْنَ عُثْمَانَ - كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে লায়স (রহঃ) এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৪০, ই.সে. ৪৯৪৫)
৪৯৯৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَعَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا وَقَالَ عَبْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ
الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ تُؤْكَلَ لُحُومُ الأَضَاحِي
بَعْدَ ثَلاَثٍ . قَالَ سَالِمٌ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ لاَ يَأْكُلُ لُحُومَ الأَضَاحِيِّ
فَوْقَ ثَلاَثٍ . وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ بَعْدَ ثَلاَثٍ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তিন দিনের উপরে কুরবানীর গোশ্ত আহার করতে বারণ করেছেন।
সালিম (রহঃ) বলেন, এজন্য ইবনু ‘উমার
(রাঃ) তিনদিনের উপর কুরবানীর গোশ্ত খেতেন না। ইবনু আবূ ‘উমার ‘তিনদিনের পর’ কথাটি
বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৯৪১, ই.সে. ৪৯৪৬)
৪৯৯৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ،
أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاَثٍ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمْرَةَ فَقَالَتْ صَدَقَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ
تَقُولُ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ حِضْرَةَ الأَضْحَى زَمَنَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
ادَّخِرُوا ثَلاَثًا ثُمَّ تَصَدَّقُوا بِمَا بَقِيَ " . فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ
ذَلِكَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ يَتَّخِذُونَ الأَسْقِيَةَ مِنْ
ضَحَايَاهُمْ وَيَحْمِلُونَ مِنْهَا الْوَدَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " وَمَا ذَاكَ " . قَالُوا نَهَيْتَ أَنْ تُؤْكَلَ لُحُومُ الضَّحَايَا
بَعْدَ ثَلاَثٍ . فَقَالَ " إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ مِنْ أَجْلِ الدَّافَّةِ
الَّتِي دَفَّتْ فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ওয়াকিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিন দিনের উপরে কুরবানীর গোশ্ত
খেতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু
আবূ বাক্র (রহঃ) বলেন, আমি বিষয়টি ‘আম্রাহ্ (রাঃ) এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন,
ইবনু ওয়াকিদ সত্যই বলেছেন। আমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যামানায় ‘ঈদুল আযহার সময় বেদুঈনদের কিছু পরিবার শহরে আগমন
করে, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তিনদিনের পরিমাণ
জমা রেখে বাকী গোশ্তগুলো সাদাকাহ্ করে দাও। পরবতী সময়ে লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! মানুষেরা তো কুরবানীর পশুর চামড়া দিয়ে পাত্র প্রস্তুত
করছে এবং তার মাঝে চর্বি গলাচ্ছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
তাতে কি হয়েছে? তারা বলল, আপনিই তো তিনদিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত খাওয়া হতে বারণ
করেছেন। তিনি বললেনঃ আমি তো বেদুঈনদের আগমণের কারণে এ কথা বলেছিলাম। অতঃপর এখন তোমরা
খেতে পার, জমা করে রাখতে পার এবং সাদাকাহ্ করতে পার। (ই.ফা. ৪৯৪২, ই.সে. ৪৯৪৭)
৪৯৯৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ
قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاَثٍ ثُمَّ
قَالَ بَعْدُ " كُلُوا وَتَزَوَّدُوا وَادَّخِرُوا " .
জাবির (রাঃ) কর্তৃক নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তিনদিনের পরেও কুরবানীর গোশ্ত খেতে
বারণ করেছেন। তারপর পরবর্তীকালে তিনি বলেছেন, এখন তোমরা খেতে পার, পাথেয় হিসেবে ব্যবহার
করতে পার এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার। (ই.ফা. ৪৯৪৩, ই.সে. ৪৯৪৮)
৪৯৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا
ابْنُ عُلَيَّةَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ
ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ، عَبْدِ اللَّهِ
يَقُولُ كُنَّا لاَ نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلاَثِ مِنًى فَأَرْخَصَ
لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " كُلُوا وَتَزَوَّدُوا
" . قُلْتُ لِعَطَاءٍ قَالَ جَابِرٌ حَتَّى جِئْنَا الْمَدِينَةَ قَالَ نَعَمْ
.
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মিনায় তিনদিনের বেশি
কুরবানীর গোশ্ত খেতাম না। পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুমতি
দিয়ে বললেনঃ তোমরা খেতে পার এবং অতিরিক্ত হিসেবে জমাও রাখতে পার।
(ইবনু জুরায়জ বলেন) আমি ‘আতাকে বললাম,
জাবির (রাঃ) কি ‘মাদীনায় আগমন করা পর্যন্ত’ কথাটি বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা.
৪৯৪৪, ই.সে. ৪৯৪৯)
৫০০০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ
زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا لاَ نُمْسِكُ لُحُومَ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمَرَنَا
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَتَزَوَّدَ مِنْهَا وَنَأْكُلَ مِنْهَا .
يَعْنِي فَوْقَ ثَلاَثٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা তিনদিনের বেশি কুরবানীর
গোশ্ত জমা করে রাখতাম না। পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনদিনের
পরেও এ থেকে খাওয়ার এবং পথেয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আমাদের অনুমতি দেন। (ই.ফা. ৪৯৪৫,
ই.সে. ৪৯৫০)
৫০০১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ
جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا نَتَزَوَّدُهَا إِلَى الْمَدِينَةِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময় মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত কুরবানীর গোশ্ত পাথেয় হিসেবে নিয়ে
আসতাম। (ই.ফা. ৪৯৪৬, ই.সে. ৪৯৫১)
৫০০২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي
سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي، نَضْرَةَ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ لاَ تَأْكُلُوا لُحُومَ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ
" . وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ . فَشَكَوْا إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ لَهُمْ عِيَالاً وَحَشَمًا وَخَدَمًا فَقَالَ "
كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَاحْبِسُوا أَوِ ادَّخِرُوا " . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى
شَكَّ عَبْدُ الأَعْلَى
আবূ সা“ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে মাদীনার লোকেরা! তোমরা যেন তিন দিনের বেশি কুরবানীর
গোশ্ত না খাও। ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ... (তিনদিন) শব্দ উল্লেখ করেছেন। তারা রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে অভিযোগ (আপত্তি) করলো যে, তাদের পরিবার-পরিজন,
কাজের লোক ও সেবক রয়েছে। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
তাহলে তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং জমা করে রাখো।
ইবনুল মুসান্না (রহঃ) বলেন, “আবদুল আ’লা
(রহঃ) সন্দেহ করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ... শব্দ বলেছেন,
না ... শব্দ। (ই.ফা. ৪৯৪৭, ই.সে. ৪৯৫২)
৫০০৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ،
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، بْنِ
الأَكْوَعِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ ضَحَّى مِنْكُمْ
فَلاَ يُصْبِحَنَّ فِي بَيْتِهِ بَعْدَ ثَالِثَةٍ شَيْئًا " . فَلَمَّا كَانَ
فِي الْعَامِ الْمُقْبِلِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ نَفْعَلُ كَمَا فَعَلْنَا عَامَ
أَوَّلَ فَقَالَ " لاَ إِنَّ ذَاكَ عَامٌ كَانَ النَّاسُ فِيهِ بِجَهْدٍ فَأَرَدْتُ
أَنْ يَفْشُوَ فِيهِمْ " .
সালামাহ্ ইবনু আক্ওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে
যে ব্যক্তি কুরবানী করবে, সে যেন ঈদের তৃতীয় রাতের পর তার বাড়িতে কুরবানীর পশুর কোন
কিছু সঞ্চিত না রাখে। আগামী বছর যখন আগত হলো, তখন লোকজনেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমরা কি গত বছরের মতো করবো? তিনি বললেন, না। সে বছর তো মানুষ
খুব দুর্দশায় ছিল, তাই আমি চেয়েছিলাম যাতে সকলের কাছে কুরবানীর (গোশ্ত) পৌঁছে যায়।
(ই.ফা. ৪৯৪৮, ই.সে. ৪৯৫৩)
৫০০৪
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي، الزَّاهِرِيَّةِ
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ ذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم ضَحِيَّتَهُ ثُمَّ قَالَ " يَا ثَوْبَانُ أَصْلِحْ لَحْمَ هَذِهِ
" . فَلَمْ أَزَلْ أُطْعِمُهُ مِنْهَا حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কুরবানীর জন্তু যাবাহ করলেন। তারপর বললেন, হে সাওবান! এর
গোশ্ত উত্তমভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করো। তারপর থেকে তিনি মাদীনায় আগমন করা পর্যন্ত আমি
তাঁকে উক্ত গোশ্ত হতে খাওয়াতে থাকি। (ই.ফা. ৪৯৪৯, ই.সে. ৪৯৫৪)
৫০০৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ، وَابْنُ، رَافِعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
مَهْدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
মু“আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
(ই.ফা. ৪৯৫০, ই.সে. ৪৯৫৫)
৫০০৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ،
أَخْبَرَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ،
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثَوْبَانَ،
مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ " أَصْلِحْ هَذَا اللَّحْمَ " .
قَالَ فَأَصْلَحْتُهُ فَلَمْ يَزَلْ يَأْكُلُ مِنْهُ حَتَّى بَلَغَ الْمَدِينَةَ .
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জের কালে আমাকে বললেনঃ এ গোশ্ত উত্তমরূপে সংরক্ষণ
কর। আমি তা ভাল করে রেখে দিলাম। তিনি মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত এ গোশ্ত খেতে থাকেন।
(ই.ফা. ৪৯৫১, ই.সে. ৪৯৫৬)
৫০০৭
وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى،
بْنُ حَمْزَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَقُلْ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু হামযাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
তবে তিনি “বিদায় হাজ্জের সময়” কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৯৫১, ই.সে. ৪৯৫৭)
৫০০৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ أَبُو
بَكْرٍ عَنْ أَبِي سِنَانٍ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ ضِرَارِ بْنِ مُرَّةَ،
عَنْ مُحَارِبٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ،
أَبُو سِنَانٍ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ،
عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ
عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ
ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي
سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا "
.
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কবর যিয়ারাত হতে তোমাদের বারণ করেছিলাম, এখন তোমরা
যিয়ারাত করতে পার। আর আমি তোমাদের তিনদিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছিলাম,
এখন তোমরা নিজেদের প্রয়োজন অনুপাতে জমা করে রাখতে পার। আমি আরো তোমাদের নিষেধ করেছিলাম
চর্ম দ্বারা নির্মিত পাত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল পাত্রে তৈরি নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি)
পান করতে, এখন তোমরা যে কোন পাত্র থেকেই পান করতে পারো। তবে যা কিছু নেশা সৃষ্টি করে
তা পান করো না। ( ই.ফা. ৪৯৫২, ই.সে. ৪৯৫৮)
৫০০৯
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ،
حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، بْنِ مَرْثَدٍ
عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ " . فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي سِنَانٍ
.
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদের বারণ করেছিলাম ...। তারপর রাবী আবূ সিনানের হাদীসের অবিকল
অর্থ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৯৫৩, ই.সে. ৪৯৫৯)
৬. অধ্যায়ঃ
ফারা“ ও “আতীরাহ্
৫০১০
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو
النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح
وَحَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ
ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " لاَ فَرَعَ وَلاَ عَتِيرَةَ " . زَادَ ابْنُ رَافِعٍ
فِي رِوَايَتِهِ وَالْفَرَعُ أَوَّلُ النِّتَاجِ كَانَ يُنْتَجُ لَهُمْ فَيَذْبَحُونَهُ
.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে অন্য সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ ও ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা্
(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
ফারা’ ও ‘আতীরাহ্ (রজব মাসের প্রথম দশদিনের যাবাহকৃত পশু) বলতে (ইসলামে) কিছু নেই।
ইবনু রাফি‘ (রহঃ) তার রিওয়ায়াতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন- ফারা’ হলো (পশুর) প্রথম বাচ্চা,
যা তারা যাবাহ করতো। (ই.ফা. ৪৯৫৪, ই.সে. ৪৯৬০)
৭. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশদিনে
প্রবেশ করল এবং কুরবানী দেয়ার ইচ্ছা করল তার জন্য চুল ও নখ কর্তন নিষেধ
৫০১১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ،
بْنِ عَوْفٍ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دَخَلَتِ الْعَشْرُ وَأَرَادَ
أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَمَسَّ مِنْ شَعَرِهِ وَبَشَرِهِ شَيْئًا "
. قِيلَ لِسُفْيَانَ فَإِنَّ بَعْضَهُمْ لاَ يَرْفَعُهُ قَالَ لَكِنِّي أَرْفَعُهُ
.
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সা) বলেছেনঃ যখন (যিলহাজ্জ মাসের)
প্রথম দশদিন উপস্থিত হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল
ও নখের কিছুই স্পর্শ না করে (কর্তন না করে)।
সুফ্ইয়ান (রহঃ) কে বলা হলো, অনেকে তো
হাদীসটিকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উল্লেখ করেন না। তিনি
বললেন, আমি কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকেই উল্লেখ করি।
(ই.ফা. ৪৯৫৫, ই.সে. ৪৯৬১)
৫০১২
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ، عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، تَرْفَعُهُ
قَالَ " إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ وَعِنْدَهُ أُضْحِيَّةٌ يُرِيدُ أَنْ يُضَحِّيَ
فَلاَ يَأْخُذَنَّ شَعْرًا وَلاَ يَقْلِمَنَّ ظُفُرًا " .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন (যিলহাজ্জ মাসের) প্রথম দশদিন উপস্থিত হয় আর কারো নিকট কুরবানীর
পশু উপস্থিত থাকে, যা সে যাবাহ করার নিয়্যাত রাখে, তবে সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।
(ই.ফা. ৪৯৫৬, ই.সে. ৪৯৬২)
৫০১৩
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ،
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ،
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا رَأَيْتُمْ
هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ
وَأَظْفَارِهِ " .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সা) বলেছেনঃ যখন তোমরা যিলহাজ্জ
মাসের (নতুন চাঁদ দেখতে পাও) আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার
চুল না ছাটে ও নখ না কাটে। (ই.ফা. ৪৯৫৭, ই.সে. ৪৯৬৩)
৫০১৪
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ الْحَكَمِ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عُمَرَ، أَوْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ
نَحْوَهُ .
‘উমার কিংবা ‘আমর ইবনু মুসলিম (রহঃ) হতে
এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৫৮, ই.সে.
৪৯৬৪)
৫০১৫
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ
الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو اللَّيْثِيُّ،
عَنْ عُمَرَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ
سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ
لَهُ ذِبْحٌ يَذْبَحُهُ فَإِذَا أُهِلَّ هِلاَلُ ذِي الْحِجَّةِ فَلاَ يَأْخُذَنَّ
مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ شَيْئًا حَتَّى يُضَحِّيَ " .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোকের কাছে কুরবানীর পশু আছে সে যেন যিলহাজ্জের নতুন
চাঁদ দেখার পর ঈদের দিন থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (ই.ফা. ৪৯৫৯,
ই.সে. ৪৯৬৫)
৫০১৬
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ،
حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَمْرُو
بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عَمَّارٍ اللَّيْثِيُّ، قَالَ كُنَّا فِي الْحَمَّامِ قُبَيْلَ
الأَضْحَى فَاطَّلَى فِيهِ نَاسٌ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَمَّامِ إِنَّ سَعِيدَ
بْنَ الْمُسَيَّبِ يَكْرَهُ هَذَا أَوْ يَنْهَى عَنْهُ فَلَقِيتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ
فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي هَذَا حَدِيثٌ قَدْ نُسِيَ وَتُرِكَ
حَدَّثَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ مُعَاذٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو
.
‘আম্র ইবনু মুসলিম ইবনু ‘আম্মার আল-লাইসী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমরা গোসলখানায় ছিলাম কুরবানীর
ঈদের কিছুদিন আগে। কতিপয় লোক চুন দিয়ে নাভীর নিচের পশম পরিস্কার করল। গোসলখানায় উপস্থিত
লোকদের একজন বললেন, সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রাঃ) এটা অপছন্দ করেন। পরে আমি সা‘ঈদ ইবনু
মুসাইয়্যিব (রাঃ) এর সাথে দেখা করে বিষয়টি তাঁকে জানালাম। তিনি বললেন, হে ভাতিজা! এ
হাদীসটি তো মানুষ ভুলে গেছে এবং ছেড়ে দিয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) আমার কাছে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ......... রাবী মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্র
(রহঃ) হতে মু‘আয (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মতই অর্থবোধক শব্দাবলী উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৪৯৬০,
ই.সে. ৪৯৬৬)
৫০১৭
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى،
وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَخِي ابْنِ وَهْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُمَرَ، بْنِ مُسْلِمٍ الْجُنْدَعِيِّ أَنَّ ابْنَ
الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَتْهُ . وَذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِهِمْ .
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন ...... অন্যান্যদের বর্ণিত হাদীসের সমার্থক। (ই.ফা. ৪৯৬১, ই.সে. ৪৯৬৭)
৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর নামে যাবাহ
করা হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
৫০১৮
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَسُرَيْجُ
بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنْ مَرْوَانَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ
مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا أَبُو
الطُّفَيْلِ، عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُسِرُّ إِلَيْكَ
قَالَ فَغَضِبَ وَقَالَ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُسِرُّ إِلَىَّ شَيْئًا
يَكْتُمُهُ النَّاسَ غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ حَدَّثَنِي بِكَلِمَاتٍ أَرْبَعٍ . قَالَ
فَقَالَ مَا هُنَّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ قَالَ " لَعَنَ اللَّهُ
مَنْ لَعَنَ وَالِدَهُ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللَّهِ وَلَعَنَ اللَّهُ
مَنْ آوَى مُحْدِثًا وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ غَيَّرَ مَنَارَ الأَرْضِ " .
আবূ তুফায়ল ‘আমির ইবনু ওয়াসিলাহ্ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আলী ইবনু আবূ তালিব
(রাঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এক লোক তাঁর নিকট এসে বলল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আপনাকে আড়ালে কি বলেছিলেন? রাবী বলেন, তিনি রেগে গেলেন এবং বললেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের কাছ থেকে গোপন রেখে আমার নিকট একান্তে কিছু
বলেননি। তবে তিনি আমাকে চারটি (বিশেষ শিক্ষণীয়) কথা বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর
লোকটি বলল হে আমীরুল মু’মিনীন! সে চারটি কথা কি? তিনি বললেনঃ ১. যে লোক তার পিতা-মাতাকে
অভিসম্পাত করে, আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করেন, ২. যে লোক আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কারো নামে
যাবাহ করে আল্লাহ তার উপরও অভিসম্পাত করেন, ৩. ঐ ব্যক্তির উপরও আল্লাহ অভিসম্পাত করেন,
যে কোন বিদ‘আতী লোককে আশ্রয় দেয় এবং ৪. যে ব্যক্তি জমিনের (সীমানার) চিহ্নসমূহ অন্যায়ভাবে
পরিবর্তন করে, তার উপরও আল্লাহ অভিসম্পাত করেন। (ই.ফা. ৪৯৬২, ই.সে. ৪৯৬৮)
৫০১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ عَنْ مَنْصُورِ، بْنِ
حَيَّانَ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ قُلْنَا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبِرْنَا
بِشَىْءٍ، أَسَرَّهُ إِلَيْكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا أَسَرَّ
إِلَىَّ شَيْئًا كَتَمَهُ النَّاسَ وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ " لَعَنَ
اللَّهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللَّهِ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ آوَى مُحْدِثًا وَلَعَنَ
اللَّهُ مَنْ لَعَنَ وَالِدَيْهِ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ غَيَّرَ الْمَنَارَ "
.
আবূ তুফায়ল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘আলী (রাঃ) কে বললাম,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে গোপনে যা জানিয়েছেন, সে বিষয়ে
আমাদের কিছু বলুন। তিনি বললেন, মানুষের নিকট গোপন রেখেছেন এমন কিছুই তিনি আমার নিকট
একান্তে বলেননি। তবে আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে
যাবাহ করে, আল্লাহ তাকে লা‘নাত করেন; যে লোক কোন বিদ‘আতীকে ঠাই দেয়, আল্লাহ তাকে লা‘নাত
করেন; যে লোক আপন পিতা-মাতাকে লা‘নাত করে, আল্লাহ তাকে লা‘নাত করেন এবং যে ব্যক্তি
(জমিনের) চিহ্নসমূহ পরিবর্তন করে, আল্লাহ তাকে লা‘নত করেন। (ই.ফা. ৪৯৬৩, ই.সে. ৪৯৬৯)
৫০২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ أَبِي
بَزَّةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ سُئِلَ عَلِيٌّ أَخَصَّكُمْ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَىْءٍ فَقَالَ مَا خَصَّنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم بِشَىْءٍ لَمْ يَعُمَّ بِهِ النَّاسَ كَافَّةً إِلاَّ مَا كَانَ فِي قِرَابِ
سَيْفِي هَذَا - قَالَ - فَأَخْرَجَ صَحِيفَةً مَكْتُوبٌ فِيهَا " لَعَنَ اللَّهُ
مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللَّهِ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ سَرَقَ مَنَارَ الأَرْضِ وَلَعَنَ
اللَّهُ مَنْ لَعَنَ وَالِدَهُ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ آوَى مُحْدِثًا " .
আবূ তুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) কে প্রশ্ন করা
হলো, রসূলুল্লাহ (সা) কি আপনাদের নিকট বিশেষভাবে কিছু বলে গেছেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ
(সা) সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশ করেননি এমন কোন ব্যাপারে আমাদেরকে বিশেষভাবে কিছু বলে
যাননি, তবে একমাত্র আমার তলোয়ারের এ খাপটিতে যা আছে তা ব্যতীত। রাবী বলেন, তারপর তিনি
তার তরবারির খাপ থেকে একটি সহীফাহ্ (লিখিত কাগজ) বের করলেন, যাতে লেখা ছিল- ‘আল্লাহ
অভিসম্পাত করেন সে ব্যক্তিকে, যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে যাবাহ করে, আল্লাহ অভিসম্পাত
করেন সে লোককে, যে জমিনের সীমানা চিহ্নসমূহ চুরি করে, আল্লাহ অভিসম্পাত করেন সে ব্যক্তিকে,
যে তার পিতাকে অভিসম্পাত করে। আল্লাহ অভিসম্পাত করেন সে ব্যক্তিকে, যে কোন বিদ‘আতী
আশ্রয় দেয়।’ (ই.ফা. ৪৯৬৪, ই.সে. ৪৯৭০)
No comments