মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় "সালাম সম্পর্কিত"
পরিচ্ছেদ
১:
সালাম প্রসঙ্গ
১৭৩০
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى
الْمَاشِي وَإِذَا سَلَّمَ مِنْ الْقَوْمِ وَاحِدٌ أَجْزَأَ عَنْهُمْ
যায়দ ইব্নু আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, সওয়ার ব্যক্তি পথচারীকে সালাম
করবে। আর যখন দলের কোন এক ব্যক্তি সালাম করে, উহা সকলের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে। [১]
(বুখারী ৬২৩২, মুসলিম ২১৬০, ইমাম মুসলিম অনুরূপ হাদীস আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণনা করেছেন। তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
[১] অত্র হাদীসের মর্ম এই যে, আরোহণকারী পথচারীকে এবং পথচারী
বসা ব্যক্তিকে বরং আরোহণকারী পথচারী এবং বসা ব্যক্তিকে সালাম করবে। অবশ্য এর বিপরীতও
জায়েয আছে অর্থাৎ বসা ব্যক্তি পথচারীকে কিংবা সওয়ারকে এবং পথচারী সওয়ারকে সালাম দিতে
পারে। তবে সালাম দেয়া সুন্নত এবং উহার জওয়াব দেয়া ওয়াজিব। কোন দলের এক ব্যক্তি সালাম
দিলে উহা সকলের পক্ষ হতে হয়ে যায়। অনুরূপভাবে সালামের সওয়াব দলের কোন একজনে দিলেও সকলের
পক্ষ হতে আদায় হয়ে যায়।
১৭৩১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ
عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ
فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ ثُمَّ زَادَ
شَيْئًا مَعَ ذَلِكَ أَيْضًا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ قَدْ ذَهَبَ
بَصَرُهُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا الْيَمَانِي الَّذِي يَغْشَاكَ فَعَرَّفُوهُ
إِيَّاهُ قَالَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ السَّلَامَ انْتَهَى إِلَى الْبَرَكَةِ
قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك هَلْ يُسَلَّمُ عَلَى الْمَرْأَةِ فَقَالَ أَمَّا
الْمُتَجَالَّةُ فَلَا أَكْرَهُ ذَلِكَ وَأَمَّا الشَّابَّةُ فَلَا أُحِبُّ ذَلِكَ
মুহাম্মাদ ইব্নু
আমর ইব্নু আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইব্নু
আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট এসে ছিলাম; এমন সময় ইয়ামানের অধিবাসী এক ব্যক্তি এসে বলল,
“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।” আরও কয়েকটি শব্দ এর সাথে
সংযোজন করল। তখন ইব্নু আব্বাসের দৃষ্টিশক্তি ছিল না। তাই তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ইনি
কে? উপস্থিত সকলে বলল, ইনি সেই ইয়ামানী লোক, যে আপনার কাছে (সর্বদা) আসা-যাওয়া
করে। এই বলে তারা লোকটির পরিচয় করিয়ে দিল। তখন ইব্নু আব্বাস (রাঃ) লোকটিকে চিনতে
পারলেন। অতঃপর ইব্নু আব্বাস লোকটিকে বললেন, “বরকত” পর্যন্ত সালাম শেষ হয়।” [১]
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করা হল যে, পুরুষ স্ত্রীলোককে
(কিংবা স্ত্রীলোক পুরুষকে) সালাম করবে কি? তিনি উত্তর দিলেন যে, বৃদ্ধের জন্য তো
ইহা খারাপ নয়, তবে যুবক (যুবতী)-এর জন্য ভাল নয়। [২]
[১] অর্থাৎ “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহ”
বলাই হল পূর্ণ সালাম। এর অধিক কিছু বলা ঠিক নয়। কমপক্ষে “আসসালামু আলাইকুম” বলবে।
[২] অত্র হাদীসে গাইরে মাহরমের কথা বলা হয়েছে। মাহরম হলে যুবক কিংবা যুবতী উভয়েই পরস্পরকে
সালাম দেয়াতে কোন অসুবিধা নেই।
পরিচ্ছেদ
২:
ইহুদী ও খৃস্টানকে
সালাম দেয়া প্রসঙ্গ
১৭৩২
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدُهُمْ
فَإِنَّمَا يَقُولُ السَّامُ عَلَيْكُمْ فَقُلْ عَلَيْكَ
قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ سَلَّمَ عَلَى الْيَهُودِيِّ أَوْ
النَّصْرَانِيِّ هَلْ يَسْتَقِيلُهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَا
আবদুল্লাহ্ ইব্নু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইহুদীদের কেউ তোমাদেরকে সালাম দিলে তারা বলে “আসসাম
আলাইকুম” (অর্থাৎ তোমার মৃত্যু হোক)। এতদুত্তরে তোমার কেবল “ওয়ালাইকুম” বলবে
(অর্থাৎ মৃত্যু তোমাদের হোক)। (বুখারী ৬২৫৭, মুসলিম ২১৬৪)
ইয়াহইয়া বলেন, মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কেউ যদি ইয়াহুদী অথবা খ্রীষ্টানকে
সালাম দেয় তা হলে সেও কি ঐরূপ বলবে? মালিক (রহঃ) বললেন, না (ঐরূপ বলবে না)।
পরিচ্ছেদ
৩:
সালাম সম্বন্ধীয়
বিভিন্ন হাদীস
১৭৩৩
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ
بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنْ
أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي
الْمَسْجِدِ وَالنَّاسُ مَعَهُ إِذْ أَقْبَلَ نَفَرٌ ثَلَاثَةٌ فَأَقْبَلَ
اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَهَبَ وَاحِدٌ
فَلَمَّا وَقَفَا عَلَى مَجْلِسِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
سَلَّمَا فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَرَأَى فُرْجَةً فِي الْحَلْقَةِ فَجَلَسَ فِيهَا
وَأَمَّا الْآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ وَأَمَّا الثَّالِثُ فَأَدْبَرَ ذَاهِبًا
فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلَا
أُخْبِرُكُمْ عَنْ النَّفَرِ الثَّلَاثَةِ أَمَّا أَحَدُهُمْ فَأَوَى إِلَى اللهِ
فَآوَاهُ اللهُ وَأَمَّا الْآخَرُ فَاسْتَحْيَا فَاسْتَحْيَا اللهُ مِنْهُ
وَأَمَّا الْآخَرُ فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللهُ عَنْهُ
আবূ ওয়াকিদ লাইসী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে বসে ছিলেন, আরও বহু লোক তাঁর সাথে
ছিলেন। ইত্যবসরে তিন ব্যক্তিবিশিষ্ট একটি দল সেখানে আগমন করল। এদের মধ্যে দুইজন
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে অগ্রসর হল এবং একজন চলে
গেল (প্রত্যাবর্তন করল)। অতঃপর ঐ দুইজন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে সালাম করল। তাদের একজন (সাহাবীগণের) হালকায় ফাঁকা স্থান
পেয়ে সেখানে বসল এবং অপরজন তাঁদের পেছনে বসল। তৃতীয়জন তো আগেই চলে গিয়েছিল। অতঃপর
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা‘লীম হতে ফারিগ হলেন এবং বললেন
আমি তোমাদেরকে এই (আগন্তুক) তিনজনের অবস্থা বলব কি? (অর্থাৎ নিশ্চয়ই বলব)। উহাদের
একজন আল্লাহ্র কাছে আগমন করেছে। আল্লাহও তাকে স্থান দান করেছেন আর একজন লজ্জা
করেছে (এবং মানুষকে কষ্ট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেনি, বরং পিছনে রয়েছে) আল্লাহ্
তা‘আলাও লজ্জা করেছেন (এবং তার প্রতি রহম নাযিল করেছেন)। আর একজন ফিরে গিয়েছে
অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলাও তার দিক হতে ফিরে গিয়েছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
১৭৩৪
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ
اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ
وَسَلَّمَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ ثُمَّ سَأَلَ عُمَرُ
الرَّجُلَ كَيْفَ أَنْتَ فَقَالَ أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللهَ فَقَالَ عُمَرُ ذَلِكَ
الَّذِي أَرَدْتُ مِنْكَ
আনাস ইব্নু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
(রাঃ) হতে শুনেছেন যে, এক ব্যক্তি তাঁকে (উমারকে) সালাম করলে পর তিনি সালামের
জাওয়াব দিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেমন আছ? লোকটি বলল, আল্লাহ্র শোকর (ভাল আছি)।
উমার (রাঃ) বললেন, আমি তোমার কাছে ইহাই কামনা করেছিলাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৭৩৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ
اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ الطُّفَيْلَ بْنَ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَخْبَرَهُ
أَنَّهُ كَانَ يَأْتِي عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَيَغْدُو مَعَهُ إِلَى السُّوقِ
قَالَ فَإِذَا غَدَوْنَا إِلَى السُّوقِ لَمْ يَمُرَّ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ
عَلَى سَقَاطٍ وَلَا صَاحِبِ بِيعَةٍ وَلَا مِسْكِينٍ وَلَا أَحَدٍ إِلَّا سَلَّمَ
عَلَيْهِ قَالَ الطُّفَيْلُ فَجِئْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ يَوْمًا
فَاسْتَتْبَعَنِي إِلَى السُّوقِ فَقُلْتُ لَهُ وَمَا تَصْنَعُ فِي السُّوقِ وَأَنْتَ
لَا تَقِفُ عَلَى الْبَيِّعِ وَلَا تَسْأَلُ عَنْ السِّلَعِ وَلَا تَسُومُ بِهَا
وَلَا تَجْلِسُ فِي مَجَالِسِ السُّوقِ قَالَ وَأَقُولُ اجْلِسْ بِنَا هَاهُنَا
نَتَحَدَّثُ
قَالَ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَا أَبَا بَطْنٍ وَكَانَ الطُّفَيْلُ
ذَا بَطْنٍ إِنَّمَا نَغْدُو مِنْ أَجْلِ السَّلَامِ نُسَلِّمُ عَلَى مَنْ
لَقِيَنَا
ইসহাক ইব্নু
আবদুল্লাহ্ ইব্নু আবূ তালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তুফাইল
ইব্নু উবাই ইব্নু কা‘ব (রহঃ) সকালে সকালে আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রাঃ)-এর নিকট
আসতেন এবং তাঁর সঙ্গে বাজারে গমন করতেন। তুফাইল (রাঃ) বলেন, আমরা বাজারে পৌঁছালে
ইব্নু উমার (রাঃ) যে কোন মামুলী জিনিস বিক্রেতাকে যেকোন দোকানদারকে, যেকোন
মিসকীনকে, এমন কি প্রত্যেককে সালাম দিতেন। তুফাইল বলেন, একদা আমি আবদুল্লাহ্ ইব্নু
উমার (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। পরে তিনি আমাকে বাজারে নিয়ে যেতে চাইলেন। আমি বললাম,
আপনি বাজারে যেয়ে কি করবেন? বেচাকেনার নিকটে আপনি যান না, কোন বস্তু সম্বন্ধে কিছু
জিজ্ঞেস করেন না, কোন জিনিসের দামও জিজ্ঞেস করেন না কিংবা বাজারের কোন মজলিসেও
বসেন না। এর চাইতে এখানে বসে থাকুন এবং আমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনা করি। অতঃপর আবদুল্লাহ্
ইব্নু উমার (রাঃ) বললেন হে ভুঁড়িওয়ালা! (তুফাইলের পেট মোটা ছিল বলে এই রকম বললেন)
আমি সালাম করবার জন্যই বাজারে যাই, যার সাথে সাক্ষাৎ হয় তাকে সালাম করি। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৭৩৬
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ
أَنَّ رَجُلًا سَلَّمَ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ السَّلَامُ
عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ وَالْغَادِيَاتُ وَالرَّائِحَاتُ فَقَالَ
لَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ وَعَلَيْكَ أَلْفًا ثُمَّ كَأَنَّهُ كَرِهَ ذَلِكَ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
ব্যক্তি আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমারকে এই বলে সালাম করল, “আসসালামু আলাইকা ওয়া
রাহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়াল গাদিয়াতু ওয়ার রায়িহাতু।” (অর্থাৎ আপনার উপর
শান্তি হোক, আল্লাহ্র রহমত এবং বরকতসমূহ ও সকালে-বিকালে আগত ও বিগত নিয়ামতরাশি)।
এতদুত্তরে আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রাঃ) বললেন, “ওয়া আলাইকা আলফান” (অর্থাৎ তোমার
উপর ইহার এক হাজার গুণ)। তিনি উহাকে (অর্থাৎ সেই ব্যক্তির দেয়া সালামকে) খারাপ মনে
করেছিলেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] অর্থাৎ “বরকাতুহু” পর্যন্ত সালাম শেষ হয়। অতএব উহার উপর
আরও কিছু সংযোজন করা ঠিক নয়। তাই তিনি সংযোজিত শব্দদ্বয়ের কারণে উক্ত রকম জওয়াব দান
করেছিলেন যাতে তাঁর অসন্তুষ্টির লক্ষণ সুস্পষ্ট ছিল।
১৭৩৭
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ إِذَا دُخِلَ
الْبَيْتُ غَيْرُ الْمَسْكُونِ يُقَالُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ
اللهِ الصَّالِحِينَ
বর্ণণাকারী থেকে
বর্ণিতঃ
মালিক
(রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছিয়াছে যে, যদি কেহ কোন খালি ঘরে যায়, তবে “আস্সালামু
আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহি সালিহীন” বলবে অর্থাৎ আমাদের উপর এবং আল্লাহ্র নেক
বান্দাদের উপর সালাম। [১]
[১] আল্লাহ তা‘আলা বলেন, واذا دخلتم بيوتا فسلموا على اهلها “কোন ঘরে তোমরা প্রবেশ করলে সেই ঘরের অধিবাসিগণকে সালাম করবে”। এই হাদীস দিয়ে বোঝা যায়, ঘর খালি হলেও সালাম দিতে হয়, তবে তখন সালাম নিজেকে ও আল্লাহর নেক বান্দাদের দিবে।
No comments