মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় "গোলাম আযাদ করা এবং স্বত্বাধিকার"
পরিচ্ছেদঃ
১
যে ব্যক্তি গোলাম বা
বাঁদীর মধ্যে তার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে তার মাসআলা
১৪৬০
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ
شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ
عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ
الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ
الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يُعْتِقُ سَيِّدُهُ مِنْهُ
شِقْصًا ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ نِصْفَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ الْأَسْهُمِ بَعْدَ
مَوْتِهِ أَنَّهُ لَا يَعْتِقُ مِنْهُ إِلَّا مَا أَعْتَقَ سَيِّدُهُ وَسَمَّى
مِنْ ذَلِكَ الشِّقْصِ وَذَلِكَ أَنَّ عَتَاقَةَ ذَلِكَ الشِّقْصِ إِنَّمَا
وَجَبَتْ وَكَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ الْمَيِّتِ وَأَنَّ سَيِّدَهُ كَانَ مُخَيَّرًا
فِي ذَلِكَ مَا عَاشَ فَلَمَّا وَقَعَ الْعِتْقُ لِلْعَبْدِ عَلَى سَيِّدِهِ
الْمُوصِي لَمْ يَكُنْ لِلْمُوصِي إِلَّا مَا أَخَذَ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَعْتِقْ
مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ لِأَنَّ مَالَهُ قَدْ صَارَ لِغَيْرِهِ فَكَيْفَ
يَعْتِقُ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ لَيْسُوا هُمْ
ابْتَدَءُوا الْعَتَاقَةَ وَلَا أَثْبَتُوهَا وَلَا لَهُمْ الْوَلَاءُ وَلَا
يَثْبُتُ لَهُمْ وَإِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ الْمَيِّتُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَ
وَأُثْبِتَ لَهُ الْوَلَاءُ فَلَا يُحْمَلُ ذَلِكَ فِي مَالِ غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ
يُوصِيَ بِأَنْ يَعْتِقَ مَا بَقِيَ مِنْهُ فِي مَالِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ
لِشُرَكَائِهِ وَوَرَثَتِهِ وَلَيْسَ لِشُرَكَائِهِ أَنْ يَأْبَوْا ذَلِكَ
عَلَيْهِ وَهُوَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَرَثَتِهِ
فِي ذَلِكَ ضَرَرٌ.
قَالَ مَالِك وَلَوْ أَعْتَقَ رَجُلٌ ثُلُثَ عَبْدِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ
عِتْقَهُ عَتَقَ عَلَيْهِ كُلُّهُ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ
بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لِأَنَّ الَّذِي
يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لَوْ عَاشَ رَجَعَ فِيهِ وَلَمْ
يَنْفُذْ عِتْقُهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ الَّذِي يَبِتُّ سَيِّدُهُ عِتْقَ ثُلُثِهِ
فِي مَرَضِهِ يَعْتِقُ عَلَيْهِ كُلُّهُ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ عَتَقَ عَلَيْهِ
فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّ أَمْرَ الْمَيِّتِ جَائِزٌ فِي ثُلُثِهِ كَمَا أَنَّ
أَمْرَ الصَّحِيحِ جَائِزٌ فِي مَالِهِ كُلِّهِ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে দেয়
এবং তার রয়েছে মাল (সঙ্গতি) যা গোলামের মূল্য পরিমাণ হবে, তবে তার উদ্দেশ্যে
ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্য নিরুপণ করা হবে, অতঃপর শরীকদেরকে তাদের স্ব-স্ব অংশ দেয়া হবে
এবং তার পক্ষ হতে গোলাম আযাদ হয়ে যাবে। নতুবা [অর্থাৎ গোলামের মূল্য পরিমাণ অর্থ
আযাদকারীর নিকট না থাকলে] যতটুকুর সে স্বত্বাধিকারী তার সেই অংশ আযাদ হয়েছে। (বুখারী
২৫২২, মুসলিম ১০৫১)
মালিক (র) বলেন গোলামের ব্যাপারে আমাদের নিকট যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মত তা
হচ্ছে এই যে, গোলামের কর্তা তার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা
অর্ধেক অংশ হতে যে কোন অংশ আযাদ করেছে তার মৃত্যুর পর [অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় বলেছে
যে তার মৃত্যুর পর গোলামের সেই অংশ আযাদ হবে] তবে কর্তা যতটুকু আযাদ করেছে এবং যেই
পরিমাণ অংশ নির্দিষ্ট করেছে গোলাম-এর সেই পরিমাণ অংশই আযাদ হবে। কারণ এই নির্ধারিত
পরিমাণ বা অংশের আযাদী ওয়াজিব হয়েছে কর্তার মৃত্যুর পর। পক্ষান্তরে তার কর্তা
জীবিত থাকতে এই ব্যাপারে তার ইখতিয়ার ছিল। [অর্থ দ্বারা ক্রয় করে অবশিষ্ট অংশ আযাদ
করার ইখতিয়ারও তার ছিল।] যখন ওসীয়্যতকারী কর্তার ওসীয়্যত অনুসারে গোলাম
মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছে, তবে ওসীয়্যতকারীর অধিকার শুধু সেই অংশে, যেই অংশ তিনি আযাদ
করার জন্য নির্দিষ্ট করেছেন, কারণ এ নির্ধারিত অংশ তাঁর নিজস্ব সম্পদ। কাজেই
গোলামের অবশিষ্ট অংশ আযাদ হয়নি। কারণ তার মালে এখন অন্যের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। তবে অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের পক্ষ হতে কিরূপে আযাদ করা হবে? যারা প্রথম
আযাদ করেনি, যারা তাকে স্বীকৃতি প্রদান করেনি, আর যারা স্বত্বেরও অধিকারী নয় ও
স্বত্ব তাদের জন্য প্রমাণিতও হয়নি। এটা করেছেন মৃত ব্যক্তি- সেই আযাদ করেছে এবং
স্বত্বাধিকার ও তার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। কাজেই অন্য কারো মালের উপর এই (গোলামের
বাকী অংশ আযাদ করার) বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। অবশ্য সে যদি গোলামের অবশিষ্ট অংশ
তার মাল হতে আযাদ করার জন্য ওসীয়্যত করে থাকে, তবে তার শরীক ও ওয়ারীসানদের উপর উহা
জরুরী হবে। শরীকগণ এটা অস্বীকার করতে পারবে না। ইহা প্রযোজ্য হবে মৃত ব্যক্তির
এক-তৃতীয়াংশ মাল হতে। কারণ এতে ওয়ারিসানদের কোন ক্ষতি নেই।
মালিক (র) বলেন যদি কোন ব্যক্তি পীড়িত অবস্থায় তার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করে
এবং সে আযাদ করেছে পরিষ্কারভাবে। তবে সে ক্রীতদাসের সম্পূর্ণ আযাদ হবে তার সম্পদের
এক-তৃতীয়াংশ হতে। কারণ এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো নয়, যে তার মৃত্যুর পর
ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করেছে, কারণ সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের
এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিতেছে, সে জীবিত থাকলে উহা হতে ফিরে যেতে পারে, আযাদী কার্যকর
নাও করতে পারে। [এটা হচ্ছে ওসীয়্যত, ওসীয়্যতে রুজু করার ইখতিয়ার থাকে অর্থাৎ
ওসীয়্যত হতে প্রত্যাবর্তনের স্বাধীনতা থাকে।]
আর যে ক্রীতদাসের কর্তা পীড়িতাবস্থায় উহার এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করেছে পরিষ্কাররূপে,
সে জীবিত থাকলে গোলাম পূর্ণ আযাদী লাভ করবে, আর মৃত্যু হলে তার সম্পদের
এক-তৃতীয়াংশ হতে তাকে আযাদ করা হবে। এর কারণ এই যে, মৃত ব্যক্তির নির্দেশ কার্যকর
হয় তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে, যেমন সুস্থ ব্যক্তির নির্দেশ কার্যকর হবে তার
সম্পূর্ণ সম্পদের মধ্যে।
পরিচ্ছেদঃ
২
আযাদীপ্রদানে শর্তারোপ
১৪৬১
قَالَ مَالِك مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا لَهُ فَبَتَّ
عِتْقَهُ حَتَّى تَجُوزَ شَهَادَتُهُ وَتَتِمَّ حُرِّيَّتُهُ وَيَثْبُتَ
مِيرَاثُهُ فَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا يَشْتَرِطُ
عَلَى عَبْدِهِ مِنْ مَالٍ أَوْ خِدْمَةٍ وَلَا يَحْمِلَ عَلَيْهِ شَيْئًا مِنْ
الرِّقِّ لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ
أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى
شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ.
قَالَ مَالِك فَهُوَ إِذَا كَانَ لَهُ الْعَبْدُ خَالِصًا أَحَقُّ بِاسْتِكْمَالِ
عَتَاقَتِهِ وَلَا يَخْلِطُهَا بِشَيْءٍ مِنْ الرِّقِّ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি তার দাসকে আযাদ করেছে
এবং পরিষ্কারভাবে আযাদ করেছে। যেমন সে ক্রীতদাসের সাক্ষ্য বৈধ হয়, তার
স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তার আযাদী পূর্ণতা লাভ করে, তবে গোলামের উপর যেরূপ
শর্তারোপ করা হয় তার কর্তা তার উপর অনুরূপ কোন শর্তারোপ করতে পারবে না এবং উহার
উপর গোলামির কোন কিছু চাপাতেও পারবে না। কারণ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গোলাম হতে তার অংশ আযাদ করেছে তার উপর সেই গোলামের
(অবশিষ্ট অংশের) মূল্য ধার্য করা হবে। তারপর শরীকদেরকে তাদের অংশ প্রদান করা হবে,
এবং তার পক্ষ হতে গোলাম পূর্ণরূপে আযাদ হয়ে যাবে।
মালিক (র) বলেন যদি গোলামে অন্য কারো অংশ না থাকে, তবে আযাদী পূর্ণ করার জন্য তিনি
অধিক হকদার হবে এবং সেই আযাদীতে কোন প্রকার দাসত্ব মিশ্রিত থাকবে না।
পরিচ্ছেদঃ
৩
যে লোক ক্রীতদাস বা
ক্রীতদাসী আযাদ করেছে, উহা ব্যতীত তার অন্য কোন মাল নেই তার বিবরণ
১৪৬২
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ
أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ رَجُلًا فِي
زَمَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ عَبِيدًا لَهُ
سِتَّةً عِنْدَ مَوْتِهِ فَأَسْهَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ ثُلُثَ تِلْكَ الْعَبِيدِ قَالَ مَالِك
وَبَلَغَنِي أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِذَلِكَ الرَّجُلِ مَالٌ غَيْرُهُمْ.
হাসান ইব্নু
আবিল-হাসান বাসরী ও মুহাম্মাদ ইব্নু সীরীন (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক ব্যক্তি মৃত্যুর সময় তার ছয়জন
ক্রীতদাসকে আযাদ করল। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে
(নির্বাচনের উদ্দেশ্যে) লটারির ব্যবস্থা করলেন এবং (লটারির মাধ্যমে) সেই
ক্রীতদাসদের মধ্য হতে এক-তৃতীয়াংশ (অর্থাৎ দুইজন) আযাদ করে দিলেন। (সহীহ, ইমাম
মুসলিম ১৬৬৮, ইমরান বিন হুসাইন (রা) থেকে বর্ণনা করেন তবে ইমাম মালিক কর্তৃক
বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
১৪৬৩
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَجُلًا
فِي إِمَارَةِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ أَعْتَقَ رَقِيقًا لَهُ كُلَّهُمْ جَمِيعًا
وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَأَمَرَ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ بِتِلْكَ
الرَّقِيقِ فَقُسِمَتْ أَثْلَاثًا ثُمَّ أَسْهَمَ عَلَى أَيِّهِمْ يَخْرُجُ سَهْمُ
الْمَيِّتِ فَيَعْتِقُونَ فَوَقَعَ السَّهْمُ عَلَى أَحَدِ الْأَثْلَاثِ فَعَتَقَ
الثُّلُثُ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهِ السَّهْمُ.
রবিয়া ইব্নু আবদির
রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবান
ইব্নু উসমান (র)-এর শাসনকালে এক ব্যক্তি তার সব কয়টি গোলামকে আযাদ করে দিল, তার আর
কোন মাল ছিল না সেই ক্রীতদাসগুলো ছাড়া। আবান ইব্নু উসমানের নির্দেশে সব ক্রীতদাসকে
তিন ভাগে বিভক্ত করা হল। তারপর লটারি দেয়া হল মৃত ব্যক্তির অংশ যেই ভাগে বাহির হবে
সেই ভাগের ক্রীতদাসদেরকে আযাদ করা হবে। তিন অংশের মধ্য হতে এক অংশের উপর লটারি
উঠল, ফলে যেই এক-তৃতীয়াংশের উপর লটারি উঠল সে অংশ আযাদ হল। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৪
ক্রীতদাস আযাদ হলে তার
মাল কার প্রাপ্য হবে তার মাসআলা
১৪৬৪
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ
يَقُولُ مَضَتْ السُّنَّةُ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا أُعْتِقَ تَبِعَهُ مَالُهُ قَالَ
مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا أُعْتِقَ تَبِعَهُ
مَالُهُ أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كُوتِبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ لَمْ
يَشْتَرِطْهُ الْمُكَاتِبُ وَذَلِكَ أَنَّ عَقْدَ الْكِتَابَةِ هُوَ عَقْدُ
الْوَلَاءِ إِذَا تَمَّ ذَلِكَ وَلَيْسَ مَالُ الْعَبْدِ وَالْمُكَاتَبِ
بِمَنْزِلَةِ مَا كَانَ لَهُمَا مِنْ وَلَدٍ إِنَّمَا أَوْلَادُهُمَا بِمَنْزِلَةِ
رِقَابِهِمَا لَيْسُوا بِمَنْزِلَةِ أَمْوَالِهِمَا لِأَنَّ السُّنَّةَ الَّتِي
لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا عَتَقَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ
يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ وَأَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كُوتِبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ
يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ.
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ وَالْمُكَاتَبَ
إِذَا أَفْلَسَا أُخِذَتْ أَمْوَالُهُمَا وَأُمَّهَاتُ أَوْلَادِهِمَا وَلَمْ
تُؤْخَذْ أَوْلَادُهُمَا لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا بِأَمْوَالٍ لَهُمَا.
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا بِيعَ
وَاشْتَرَطَ الَّذِي ابْتَاعَهُ مَالَهُ لَمْ يَدْخُلْ وَلَدُهُ فِي مَالِهِ.
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا جَرَحَ
أُخِذَ هُوَ وَمَالُهُ وَلَمْ يُؤْخَذْ وَلَدُهُ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
শিহাব (র)-কে বলতে শুনেছেন, এটা
প্রচলিত সুন্নাত (নিয়ম) যে, ক্রীতদাস আযাদ হলে মাল তার পশ্চাদগামী হবে। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন আরও স্পষ্ট করে এই দৃষ্টান্তটি বলা যায় যে, ক্রীতদাস আযাদ হলে তার
মালও তার সাথে থাকবে, কারণ মুকাতাব (যাকে মালের বিনিময়ে আযাদী প্রদানের
প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে)-কে (মালের বিনিময়ে) আযাদীর প্রতিশ্রুতি দেয়া হলে তবে শর্ত
না করলেও মাল তারই থাকবে। এটা এই জন্য যে, কিতাবতের কার্য পূর্ণতা লাভ করলে
(অর্থাৎ অর্থ আদায় করলে) উহা হুবহু স্বত্বাধিকার-এর চুক্তির মতো গণ্য হবে, যেমন ক্রীতদাসকে
আযাদ করে দিলে সে স্বত্বাধিকার লাভ করে তদ্রুপ বদলে কিতাবত (আযাদীর জন্য নির্ধারিত
অর্থ) আদায় করলে ক্রীতদাস আযাদ হয়ে যায় এবং তার সম্পদের স্বত্বাধিকারী সে নিজেই
হবে। আর ক্রীতদাস ও মুকাতাব-এর সম্পদ তাদের সন্তান-সন্ততির মতো নয়, কারণ তাদের
সন্তানগণ তাদেরই মতো (কর্তাগণ তাদের মালিক বটে) তারা তাদের সম্পদের মতো নয় অর্থাৎ
সম্পদের মতো ক্রীতদাস ও মুকাতাব দাস সন্তানদের মালিক হবে না। কারণ নিয়ম এই, যেই
নিয়মে কোন দ্বিমত নেই অর্থাৎ ক্রীতদাস আযাদ হলে তার মাল তার পশ্চাদানুসরণ করবে,
কিন্তু সন্তান তার পশ্চাদগামী হবে না। আর মুকাতাব-এর সাথে যখন কিতাবত করা হয়, তখন
তার মালও তার পশ্চাদানুসরণ করবে, কিন্তু তার সন্তান তার পশ্চাদগামী হবে না।
মালিক (র) বলেন যা একে আরও স্পষ্ট করে তা হল, ক্রীতদাস ও মুকাতাব তারা উভয়ে
দেউলিয়া হলে তাদের সম্পদ ও তাদের উম্মে ওয়ালাদগণকে গ্রহণ করা হবে কিন্তু তাদের
সন্তানগণকে বিনিময়ে গ্রহণ করা হবে না। কারণ সন্তান তাদের মাল নয়।
মালিক (র) বলেন আর একটি দৃষ্টান্ত একে স্পষ্ট করে তোলে। তা হল, যদি ক্রীতদাসকে এই
শর্তে বিক্রয় করা হয় যে তার মাল ক্রেতা পাবে, তবে ক্রীতদাসের সন্তান মালের
অন্তর্ভুক্ত হবে না।
মালিক (র) বলেন আরও যে দৃষ্টান্ত একে স্পষ্ট করে তা হল এই যে, ক্রীতদাস কাউকেও জখম
করলে, ক্রীতদাস ও উহার মাল বিনিময়ে নেয়া হবে, কিন্তু (বিনিময়ে) সন্তানকে গ্রহণ করা
হবে না।
পরিচ্ছেদঃ
৫
উম্মাহাতুল-আওলাদ [১]
-এর আযাদী এবং এ সম্পর্কিত বিবিধ হুকুম
[১] যেই সকল ক্রীতদাসী মনিবের সন্তান জন্ম দিয়েছে ঐ
সকল ক্রীতদাসীকে “উম্মুহাতুল-আওলাদ” বলা হয়। তাদের বিক্রি করা অথবা দান করা
নিষিদ্ধ।
১৪৬৫
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
قَالَ أَيُّمَا وَلِيدَةٍ وَلَدَتْ مِنْ سَيِّدِهَا فَإِنَّهُ لَا يَبِيعُهَا
وَلَا يَهَبُهَا وَلَا يُوَرِّثُهَا وَهُوَ يَسْتَمْتِعُ بِهَا فَإِذَا مَاتَ
فَهِيَ حُرَّةٌ.
আবদুল্লাহ ইব্নু
উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
উমার
ইব্নু খাত্তাব (রা) বলেছেন, যে ক্রীতদাসী তার কর্তার ঔরসে সন্তান জন্মাইয়াছে, সে
কর্তা উহাকে বিক্রয় করতে পারবে না, আর পারবে না উহাকে দান করতে, কেউ উহার স্বত্বাধিকারও
লাভ করবে না, মনিব তাকে উপভোগ করবে যখন মনিবের মৃত্যু হবে ক্রীতদাসী তখন আযাদ হবে।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৪৬৬
و
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَتْهُ
وَلِيدَةٌ قَدْ ضَرَبَهَا سَيِّدُهَا بِنَارٍ أَوْ أَصَابَهَا بِهَا فَأَعْتَقَهَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا تَجُوزُ
عَتَاقَةُ رَجُلٍ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ يُحِيطُ بِمَالِهِ وَأَنَّهُ لَا تَجُوزُ
عَتَاقَةُ الْغُلَامِ حَتَّى يَحْتَلِمَ أَوْ يَبْلُغَ مَبْلَغَ الْمُحْتَلِمِ
وَأَنَّهُ لَا تَجُوزُ عَتَاقَةُ الْمُوَلَّى عَلَيْهِ فِي مَالِهِ وَإِنْ بَلَغَ
الْحُلُمَ حَتَّى يَلِيَ مَالَهُ.
মালিক (র)- থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইব্নু খাত্তাব (রা)-এর নিকট
জনৈকা ক্রীতদাসী এল, যাকে তার মনিব আগুন দ্বারা জখম করেছে অথবা তার শরীরে আগুন
লাগিয়েছে। উমার (রা) উহাকে আযাদ করে দিলেন (অর্থাৎ আযাদ করে দেয়ার জন্য কর্তাকে
নির্দেশ দিলেন)। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত এই যে, যে ব্যক্তির উপর ঋণ আছে
এবং ঋণ তার সমস্ত মাল ঘিরে রেখেছে সে ব্যক্তির পক্ষে (ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসীকে)
আযাদ করা বৈধ নয়। বালক যতক্ষণ বালেগ না হয় অথবা বালেগ পুরুষের সমপর্যায়ে না
পৌঁছে, ততক্ষণ তার পক্ষে গোলাম আযাদ করা বৈধ হবে না, যে ব্যক্তির মালের উপর
মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়েছে (এবং তাকে কার্য পরিচালনা হতে বিরত রাখা হয়েছে) সে
বালিগ (সাবালক) হলেও গোলাম আযাদ করতে পারবে না, যাবত সে নিজ সম্পদের পরিচালক না
হবে।
পরিচ্ছেদঃ
৬
পূর্বে যার উপর
দাসমুক্তি ওয়াজিব হয়েছে তার জন্য কি ধরনের দাস মুক্ত করা জায়েয তার বর্ণনা
১৪৬৭
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ هِلَالِ بْنِ أُسَامَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ
الْحَكَمِ أَنَّهُ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ جَارِيَةً لِي كَانَتْ تَرْعَى غَنَمًا لِي
فَجِئْتُهَا وَقَدْ فُقِدَتْ شَاةٌ مِنْ الْغَنَمِ فَسَأَلْتُهَا عَنْهَا
فَقَالَتْ أَكَلَهَا الذِّئْبُ فَأَسِفْتُ عَلَيْهَا وَكُنْتُ مِنْ بَنِي آدَمَ
فَلَطَمْتُ وَجْهَهَا وَعَلَيَّ رَقَبَةٌ أَفَأُعْتِقُهَا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْنَ اللهُ فَقَالَتْ فِي السَّمَاءِ
فَقَالَ مَنْ أَنَا فَقَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتِقْهَا.
আতা ইব্নু ইয়াসার
(র) উমার ইব্নু হাকাম [১] (রা) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া
রসূলাল্লাহ্! আমার এক ক্রীতদাসী আমার ছাগপাল চরাইতেছিল। একদিন আমি তার নিকট গেলাম
এবং জানতে পারলাম সে একটি বকরী হারিয়ে ফেলেছে। আমি তাকে বকরীর বিষয়ে জিজ্ঞেস
করলাম। সে বলল, উহাকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে। আমি তার জন্য দুঃখিত হলাম, আর আমি আদম
সন্তানের একজন (আমার রাগ হল)। তাই আমি ক্রীতদাসীর মুখের উপর চড় মারলাম। আমার উপর
(পূর্বে) একটি দাস বা দাসী আযাদ করা জরুরী ছিল, এখন আমি উহাকে (ক্রীতদাসীকে) আযাদ
করব কি? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহাকে (ক্রীতদাসীকে) জিজ্ঞেস
করলেন, আল্লাহ্ কোথায়? সে বলল, ঊর্ধ্বলোকে। তিনি (রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম] বললেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রসূল। তারপর রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন একে আযাদ করে দাও। (সহীহ, মুসলিম ৫৩৭)
[১] মালিক (র) বলেছেন, এটা প্রকৃতপক্ষে হবে মুয়াবিয়া ইবনু হাকাম।
১৪৬৮
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ جَاءَ إِلَى رَسُولِ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَارِيَةٍ لَهُ سَوْدَاءَ فَقَالَ يَا
رَسُولَ اللهِ إِنَّ عَلَيَّ رَقَبَةً مُؤْمِنَةً فَإِنْ كُنْتَ تَرَاهَا
مُؤْمِنَةً أُعْتِقُهَا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ أَتَشْهَدِينَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ
أَتَشْهَدِينَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ أَتُوقِنِينَ
بِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ قَالَتْ نَعَمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتِقْهَا
ওবায়দুল্লাহ্ ইব্নু
আবদিল্লাহ্ ইব্নু উতবা ইব্নু মাস‘ঊদ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আনসারদের
মধ্য থেকে এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার একটি
কৃষ্ণ বর্ণের ক্রীতদাসীকে নিয়ে উপস্থিত হল এবং বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ্! আমার উপর
একটি ঈমানদার ক্রীতদাসী আযাদ করা ওয়াজিব হয়েছে, আপনি যদি একে ঈমানদার মনে করেন তবে
আমি তাকে আযাদ করব। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহাকে (উদ্দেশ্য
করে) বললেন, আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা‘বুদ নেই- তুমি কি এর সাক্ষ্য দাও? সে বলল, হ্যাঁ।
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেন মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল-
তুমি এই সাক্ষ্য দাও কি? সে বলল, হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
পুনরায় বললেন (মৃত্যুর পর) পুনরুত্থানে তুমি বিশ্বাস কর কি? সে বলল, হ্যাঁ। অতঃপর
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি একে আযাদ কর। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৪৬৯
و
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ
أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ الرَّجُلِ تَكُونُ عَلَيْهِ رَقَبَةٌ هَلْ يُعْتِقُ فِيهَا
ابْنَ زِنًا فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ ذَلِكَ يُجْزِئُ عَنْهُ.
মাকবুরী (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবূ
হুরায়রা (রা)-কে প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যার উপর দাস বা দাসীর আযাদ
করা ওয়াজিব হয়েছে। প্রশ্নটি হল, সে ব্যক্তি জারজ সন্তান আযাদ করতে পারবে কি? আবূ
হুরায়রা (রা) বললেন, হ্যাঁ, উহা তার জন্য যথেষ্ট হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
১৪৭০
و
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ
وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ
سُئِلَ عَنْ الرَّجُلِ تَكُونُ عَلَيْهِ رَقَبَةٌ هَلْ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يُعْتِقَ
وَلَدَ زِنًا قَالَ نَعَمْ ذَلِكَ يُجْزِئُ عَنْهُ.
মালিক (র)- থেকে
বর্ণিতঃ
ফুযালা
ইব্নু উবায়দ আনসারী (রা) হতে, তিনি ছিলেন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের একজন। তাঁর নিকট প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যার
উপর রাকাবা (গোলাম বা বাঁদী) আযাদ করা ওয়াজিব, তার পক্ষে জারজ সন্তান আযাদ করা
জায়েয হবে কি? তিনি বললেন হ্যাঁ, উহা তার পক্ষে যথেষ্ট হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৭
আযাদ করা ওয়াজিব এমন
দাস-দাসীকে কি কি কারণে বা শর্তে আযাদ করা বৈধ হয় না
১৪৭১
حَدَّثَنِي
مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ سُئِلَ عَنْ الرَّقَبَةِ
الْوَاجِبَةِ هَلْ تُشْتَرَى بِشَرْطٍ فَقَالَ لَا ২৮৮১-قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي
الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ أَنَّهُ لَا يَشْتَرِيهَا الَّذِي يُعْتِقُهَا فِيمَا
وَجَبَ عَلَيْهِ بِشَرْطٍ عَلَى أَنْ يُعْتِقَهَا لِأَنَّهُ إِذَا فَعَلَ ذَلِكَ
فَلَيْسَتْ بِرَقَبَةٍ تَامَّةٍ لِأَنَّهُ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا لِلَّذِي
يَشْتَرِطُ مِنْ عِتْقِهَا ২৮৮২-قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّقَبَةَ
فِي التَّطَوُّعِ وَيَشْتَرِطَ أَنْ يُعْتِقَهَا.
قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ أَنَّهُ لَا
يَجُوزُ أَنْ يُعْتَقَ فِيهَا نَصْرَانِيٌّ وَلَا يَهُودِيٌّ وَلَا يُعْتَقُ
فِيهَا مُكَاتَبٌ وَلَا مُدَبَّرٌ وَلَا أُمُّ وَلَدٍ وَلَا مُعْتَقٌ إِلَى
سِنِينَ وَلَا أَعْمَى وَلَا بَأْسَ أَنْ يُعْتَقَ النَّصْرَانِيُّ
وَالْيَهُودِيُّ وَالْمَجُوسِيُّ تَطَوُّعًا لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
قَالَ فِي كِتَابِهِ { فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً } فَالْمَنُّ
الْعَتَاقَةُ.
قَالَ مَالِك فَأَمَّا الرِّقَابُ الْوَاجِبَةُ الَّتِي ذَكَرَ اللهُ فِي
الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لَا يُعْتَقُ فِيهَا إِلَّا رَقَبَةٌ مُؤْمِنَةٌ.
قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ فِي إِطْعَامِ الْمَسَاكِينِ فِي الْكَفَّارَاتِ لَا
يَنْبَغِي أَنْ يُطْعَمَ فِيهَا إِلَّا الْمُسْلِمُونَ وَلَا يُطْعَمُ فِيهَا
أَحَدٌ عَلَى غَيْرِ دِينِ الْإِسْلَامِ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
আবদুল্লাহ-ইব্নু উমার (রা)-কে প্রশ্ন করা হল যেই ক্রীতদাসকে আযাদ করা ওয়াজিব হয়েছে
উহাকে (ক্রেতা কর্তৃক আযাদ করার) শর্তে ক্রয় করা যায় কি? তিনি বললেন, না। (হাদীসটি
ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন ‘রাকাবা ওয়াজিব’ [ক্রীতদাস বা দাসীকে কোন ব্যাপারে আযাদ করা ওয়াজিব
হলে উহাকে রাকাবা-ই ‘ওয়াজিবা’ বলা হয়। যেমন মানত এবং কাফফারাতে গোলাম আযাদ করা
ওয়াজিব হয়] সম্বন্ধে যা আমি শুনেছি (তন্মধ্যে) সর্বাপেক্ষা সুন্দরতম (এই যে,)
‘রাকাবা-ই ওয়াজিব’-কে যে আযাদ করবে, সে আযাদী দেয়ার শর্ত করে ক্রয় করবে না। কারণ
এইরূপ শর্ত করলে এ ‘রাকাবা’ পূর্ণ ‘রাকাবা’ হবে না, কেননা যে এইরূপ শর্ত করবে তার
উদ্দেশ্যে বিক্রেতা মূল্য কমিয়ে দিবে (কাজেই রাকাবা অসম্পূর্ণ থাকবে)।
মালিক (র) বলেন নফল নিয়্যত আযাদ করার জন্য গোলাম ক্রয় করতে যেয়ে আযাদ করবে বলে
শর্ত করে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই।
মালিক (র) বলেন ‘রিকাবে-ওয়াজিবা’ সম্পর্কে সবচাইতে সুন্দর যা আমি শুনেছি, (তা হল
এই), উহাতে নাসরানী অথবা ইহুদী গোলাম আযাদ করা যাবে না। মুকাতাব (যে ক্রীতদাসকে
অন্য কিছুর বিনিময়ে আযাদ করবে বলে ঠিক করা হয়েছে) ও মুদাব্বার (কর্তার মৃত্যুর পর
যে ক্রীতদাস আযাদ)-কে অথবা যাকে কয়েক বৎসরের জন্য আযাদ করা হয়েছে উহাকে আযাদ করা
যাবে না (আরও আযাদ করা যাবে না) উম্মু ওয়ালাদকে এবং অন্ধকেও না, তবে নফল রূপে
নাসরানী, ইহুদী ও মজুসীকে আযাদ করাতে কোন দোষ নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কুরআন
মাজীদে বলেছেন:
**فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً.**
এখানে মান্না (مَنًّا) হচ্ছে আযাদ করা।
মালিক (র) বলেন ওয়াজিবরূপে যে ব্যাপারে ক্রীতদাসকে আযাদ করা হয়, যার উল্লেখ
আল্লাহ্ তা‘আলা কুরআন মাজীদে বর্ণনা করেছেন, সেই সকল ব্যাপারে মু‘মিন ‘রাকাবা’-কেই
আযাদ করতে হবে।
মালিক (র) বলেন কাফফারাতে মিসকীনদেরকে ভোজ দেয়াতে মুসলমান মিসকীন ছাড়া অন্য কাউকেও
ভোজ দেয়া ঠিক নয়, এই ব্যাপারে কোন অমুসলিমকে খাওয়াবে না।
পরিচ্ছেদঃ
৮
মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে
জীবিত ব্যক্তির দাসদাসী আযাদ করা
১৪৭২
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ أُمَّهُ أَرَادَتْ أَنْ تُوصِيَ ثُمَّ أَخَّرَتْ
ذَلِكَ إِلَى أَنْ تُصْبِحَ فَهَلَكَتْ وَقَدْ كَانَتْ هَمَّتْ بِأَنْ تُعْتِقَ
فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ لِلْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ
أَيَنْفَعُهَا أَنْ أُعْتِقَ عَنْهَا فَقَالَ الْقَاسِمُ إِنَّ سَعْدَ بْنَ
عُبَادَةَ قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أُمِّي
هَلَكَتْ فَهَلْ يَنْفَعُهَا أَنْ أُعْتِقَ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ.
আবদুর রহমান ইব্নু
আবি আমরাহ্ আনসারী (র) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর
মাতা কিছু ওসীয়্যত করার ইচ্ছা করেছিলেন, পরে ভোর হওয়া পর্যন্ত উহাতে বিলম্ব করলেন,
অতঃপর ওসীয়্যত করার পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হয়, তিনি (গোলাম বা বাঁদী) আযাদ করার
সংকল্প করেছিলেন। আবদুর রহমান বলেন আমি কাসিম ইব্নু মুহাম্মাদ (র)-কে বললাম, তার
পক্ষ হতে আমি আযাদ করলে ইহা তাঁর উপকার করবে কি? কাসিম বললেন সা’দ ইব্নু ‘উবাদা
(রা) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আরয করলেন, আমার মাতার
মৃত্যু হয়েছে, আমি তার পক্ষ হতে গোলাম আযাদ করলে এটা তার উপকার করবে কি?
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৪৭৩
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ تُوُفِّيَ عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي نَوْمٍ نَامَهُ فَأَعْتَقَتْ عَنْهُ عَائِشَةُ
زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِقَابًا كَثِيرَةً قَالَ
مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ.
ইয়াহ্ইয়া ইব্নু
সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুর রহমান ইব্নু আবী বাকর
(র)-এর আকস্মিক ওফাত [১] হয় তাঁর নিদ্রাতে। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
পত্নী আয়িশা (রা) তাঁর পক্ষ হতে অনেকগুলো দাস-দাসী আযাদ করেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক
এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন এই বিষয়ে যা শুনেছি তন্মধ্যে এটা আমার কাছে উত্তম।
[১] তাঁর ওফাত হয় মক্কার রাস্তায় হিজরী ৫৩ সনে।-আওজাস
পরিচ্ছেদঃ
৯
দাস-দাসী আযাদ করার
ফযীলত এবং নিষিদ্ধ যৌন সঙ্গমকারিণী ও জারজ সন্তানকে আযাদ করা
১৪৭৪
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ الرِّقَابِ أَيُّهَا أَفْضَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَغْلَاهَا ثَمَنًا وَأَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا.
নবী করীম
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করা হল, যেসব ব্যাপারে দাস-দাসী আযাদ করা ওয়াজিব উহাতে
কোন প্রকার দাস-দাসী (আযাদ করা) উত্তম?
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার মূল্য বেশি এবং যারা
কর্তাদের (এবং তাদের পরিজনের) নিকট মনোরম ও আদরণীয়। (বুখারী ২৫১৮, মুসলিম ৮৪)
১৪৭৫
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ أَعْتَقَ
وَلَدَ زِنًا وَأُمَّهُ.
নাফি‘ (র)
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
জারজ সন্তান ও তার মাতাকে আযাদ করেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা
করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১০
যে আযাদ করবে
অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তারই জন্য হবে
১৪৭৬
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ بَرِيرَةُ فَقَالَتْ
إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ
فَأَعِينِينِي فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا لَهُمْ
عَنْكِ عَدَدْتُهَا وَيَكُونَ لِي وَلَاؤُكِ فَعَلْتُ فَذَهَبَتْ بَرِيرَةُ إِلَى
أَهْلِهَا فَقَالَتْ لَهُمْ ذَلِكَ فَأَبَوْا عَلَيْهَا فَجَاءَتْ مِنْ عِنْدِ
أَهْلِهَا وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فَقَالَتْ
لِعَائِشَةَ إِنِّي قَدْ عَرَضْتُ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَأَبَوْا عَلَيَّ إِلَّا
أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ فَسَمِعَ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذِيهَا وَاشْتَرِطِي لَهُمْ الْوَلَاءَ
فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ فَفَعَلَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى
عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ رِجَالٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا
لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللهِ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللهِ
فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ قَضَاءُ اللهِ أَحَقُّ وَشَرْطُ اللهِ
أَوْثَقُ وَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ.
নবী করীম
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ
বারীরা
(রা) (তার কাছে) এসে বললেন আমি আমার কর্তাদের সাথে প্রতি বৎসর এক উকীয়া (এক
উকীয়াতে চল্লিশ দিরহাম হয়- আওজাস) হিসাবে (সর্বমোট) নয় উকীয়ার বিনিময়ে মুকাতাবত
আযাদী লাভের কথা ঠিক) করেছি। আপনি আমাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করুন। আয়িশা (রা)
বললেন যদি তোমার কর্তারা পছন্দ করেন যে, আমি উহার ব্যবস্থা করি তবে উহা (আদায়) করব
আর তোমার অভিভাবকত্ব আমার জন্য হবে। বারীরা তাঁর কর্তাদের নিকট গেলেন এবং এই বিষয়ে
তাদেরকে অবহিত করলেন। তারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। বারীরা তাঁর কর্তাদের নিকট হতে
যখন (ফিরে) এলেন তখন (আয়িশার গৃহে) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা
ছিলেন। বারীরা আয়িশা (রা)-কে বললেন আমি তাদের নিকট সেই কথা পেশ করেছিলাম। তারা ইহা
অস্বীকার করেছে। কিন্তু যদি অভিভাবকত্ব (তাদের জন্য বহাল থাকে তবে তারা রাজী।
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহা শুনলেন। অতঃপর তাঁকে (আয়িশাকে)
জিজ্ঞেস করলেন। আয়িশা ব্যাপারটি তাঁকে জানালেন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম (এটা শুনে) বললেন, তুমি বারীরাকে (মূল্য পরিশোধ করে) গ্রহণ কর এবং তাদের
জন্য (অভিভাবকত্বের) শর্ত মেনে নাও, (কিন্তু উহা যেহেতু অবৈধ তাই স্বত্ব তারা পাবে
না)। অভিভাবকত্ব হবে যে আযাদ করবে তার। তারপর আয়িশা (রা) তাই করলেন অতঃপর
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের (সাহাবীদের) মাঝে কিছু বলার
জন্য দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও গুণ বর্ণনা করলেন, তারপর বললেন লোকদের কি হল?
তারা এমন সব শর্ত আরোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই, আর যেই সকল শর্ত আল্লাহর কিতাবে
নেই, উহা বাতিল বলে গণ্য হবে। যদিও শত শর্তও হয়ে থাকে। আল্লাহর হুকুমই গ্রহণযোগ্য,
আল্লাহর শর্ত অতি দৃঢ়। (জেনে রাখুন) অভিভাবকত্ব তারই হবে যে আযাদ করবে। (বুখারী
২১৬৮, মুসলিম ১৫০৪)
১৪৭৭
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عَائِشَةَ
أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ جَارِيَةً تُعْتِقُهَا فَقَالَ
أَهْلُهَا نَبِيعُكِهَا عَلَى أَنَّ وَلَاءَهَا لَنَا فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَا يَمْنَعَنَّكِ ذَلِكَ
فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ.
আবদুল্লাহ ইব্নু
উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মুল
মু’মিনীন আয়িশা (রা) জনৈকা ক্রীতদাসীকে খরিদ করে আযাদ করার ইচ্ছা করলেন।
ক্রীতদাসীর কর্তারা বলল, আমরা উহাকে আপনার কাছে এই শর্তে বিক্রয় করতে পারি যে,
উহার অভিভাবকত্ব আমাদের জন্য থাকবে। আয়িশা (রা) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ইহা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, এই শর্তারোপ যেন তোমাকে (উহাকে
ক্রয় কয়ে আযাদ করতে) বারণ না করে। অভিভাবকত্ব উহারই হবে, যে আযাদ করবে। (বুখারী
২১৬৯, মুসলিম ১৫০৪)
১৪৭৮
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ
فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَصُبَّ لَهُمْ ثَمَنَكِ صَبَّةً
وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ فَعَلْتُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لِأَهْلِهَا
فَقَالُوا لَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ لَنَا وَلَاؤُكِ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ
فَزَعَمَتْ عَمْرَةُ أَنَّ عَائِشَةَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ.
‘আমরাহ বিনত আবদির
রহমান (রা) থেকে বর্ণিতঃ
বারীরা এলেন উম্মুল মু‘মিনীন
আয়িশা (রা)-এর নিকট সাহায্য চাইতে। আয়িশা (রা) বললেন যদি তোমার কর্তারা পছন্দ করে
যে আমি তাদেরকে একবারে মূল্য পরিশোধ করব এবং তোমাকে আযাদ করে দিব তবে আমি উহা করব।
বারীরা কর্তাদের নিকট এটা পেশ করলেন। তারা বলল, আমরা এতে রাজী নই, তবে যদি তোমার
অভিভাবকত্ব আমাদের জন্য থাকে। (সহীহ, বুখারী ২৫৬৪, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত
হাদীসটি মুরসাল)
মালিক (র) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইব্নু সাঈদ (র) বলেছেন, ‘আমরাহ মনে করে ধারণা করি যে,
আয়িশা (রা) এটা উল্লেখ করেছেন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে।
অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বারীরাকে খরিদ কর
এবং তাকে আযাদ করে দাও, অভিভাবকত্ব অবশ্য তারই জন্য থাকবে যে আযাদ করবে।
১৪৭৯
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ
الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَبْتَاعُ نَفْسَهُ مِنْ
سَيِّدِهِ عَلَى أَنَّهُ يُوَالِي مَنْ شَاءَ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَجُوزُ وَإِنَّمَا
الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَذِنَ لِمَوْلَاهُ أَنْ
يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ مَا جَازَ ذَلِكَ لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَنَهَى رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ فَإِذَا
جَازَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ ذَلِكَ لَهُ وَأَنْ يَأْذَنَ لَهُ أَنْ
يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ فَتِلْكَ الْهِبَةُ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু
উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম অভিভাবকত্ব বিক্রি ও দান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ২৫৩৫, মুসলিম ১৫০৬)
মালিক (র) বলেন যে ক্রীতদাস নিজকে ক্রয় করে নেয় আপন কর্তা হতে এই শর্তে যে, সে
যাকে চায় তাকে অভিভাবকত্ব প্রদান করবে। এটা জায়েয হবে না। অভিভাবকত্ব তার জন্য
হবে, যে আযাদ করবে। আর যদি কোন ব্যক্তি নিজের মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসকে যাকে ইচ্ছা
তাকে অভিভাবকত্ব প্রদানের অনুমতি দিয়েদেয় তবে এটা বৈধ হবে না। কারণ রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন অভিভাবকত্ব তারই হবে যে আযাদ করবে এবং তিনি
স্বত্বাধিকার বিক্রয় ও দান করতে নিষেধ করেছেন। যদি কর্তার পক্ষে ক্রীতদাসের জন্য
এইরূপ শর্ত করা বৈধ হয় অথবা সে ক্রীতদাসকে অনুমতি দেয় যে, সে যাকে ইচ্ছা
অভিভাবকত্ব প্রদান করবে, তবে ইহা দান করা হল।
পরিচ্ছেদঃ
১১
ক্রীতদাস কর্তৃক
অভিভাবকত্ব টেনে নেয় যখন তাকে আযাদ করা হয়
১৪৮০
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ
الرَّحْمَنِ أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ اشْتَرَى عَبْدًا فَأَعْتَقَهُ
وَلِذَلِكَ الْعَبْدِ بَنُونَ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ فَلَمَّا أَعْتَقَهُ
الزُّبَيْرُ قَالَ هُمْ مَوَالِيَّ وَقَالَ مَوَالِي أُمِّهِمْ بَلْ هُمْ
مَوَالِينَا فَاخْتَصَمُوا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَضَى عُثْمَانُ
لِلزُّبَيْرِ بِوَلَائِهِمْ .
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سُئِلَ
عَنْ عَبْدٍ لَهُ وَلَدٌ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ لِمَنْ وَلَاؤُهُمْ فَقَالَ
سَعِيدٌ إِنْ مَاتَ أَبُوهُمْ وَهُوَ عَبْدٌ لَمْ يُعْتَقْ فَوَلَاؤُهُمْ
لِمَوَالِي أُمِّهِمْ
قَالَ مَالِك وَمَثَلُ ذَلِكَ وَلَدُ الْمُلَاعَنَةِ مِنْ الْمَوَالِي يُنْسَبُ
إِلَى مَوَالِي أُمِّهِ فَيَكُونُونَ هُمْ مَوَالِيَهُ إِنْ مَاتَ وَرِثُوهُ
وَإِنْ جَرَّ جَرِيرَةً عَقَلُوا عَنْهُ فَإِنْ اعْتَرَفَ بِهِ أَبُوهُ أُلْحِقَ
بِهِ وَصَارَ وَلَاؤُهُ إِلَى مَوَالِي أَبِيهِ وَكَانَ مِيرَاثُهُ لَهُمْ
وَعَقْلُهُ عَلَيْهِمْ وَيُجْلَدُ أَبُوهُ الْحَدَّ
قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ الْمَرْأَةُ الْمُلَاعِنَةُ مِنْ الْعَرَبِ إِذَا
اعْتَرَفَ زَوْجُهَا الَّذِي لَاعَنَهَا بِوَلَدِهَا صَارَ بِمِثْلِ هَذِهِ
الْمَنْزِلَةِ إِلَّا أَنَّ بَقِيَّةَ مِيرَاثِهِ بَعْدَ مِيرَاثِ أُمِّهِ
وَإِخْوَتِهِ لِأُمِّهِ لِعَامَّةِ الْمُسْلِمِينَ مَا لَمْ يُلْحَقْ بِأَبِيهِ
وَإِنَّمَا وَرَّثَ وَلَدُ الْمُلَاعَنَةِ الْمُوَالَاةَ مَوَالِيَ أُمِّهِ قَبْلَ
أَنْ يَعْتَرِفَ بِهِ أَبُوهُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لَهُ نَسَبٌ وَلَا عَصَبَةٌ
فَلَمَّا ثَبَتَ نَسَبُهُ صَارَ إِلَى عَصَبَتِهِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي وَلَدِ الْعَبْدِ
مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ وَأَبُو الْعَبْدِ حُرٌّ أَنَّ الْجَدَّ أَبَا الْعَبْدِ
يَجُرُّ وَلَاءَ وَلَدِ ابْنِهِ الْأَحْرَارِ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ يَرِثُهُمْ
مَا دَامَ أَبُوهُمْ عَبْدًا فَإِنْ عَتَقَ أَبُوهُمْ رَجَعَ الْوَلَاءُ إِلَى
مَوَالِيهِ وَإِنْ مَاتَ وَهُوَ عَبْدٌ كَانَ الْمِيرَاثُ وَالْوَلَاءُ لِلْجَدِّ
وَإِنْ الْعَبْدُ كَانَ لَهُ ابْنَانِ حُرَّانِ فَمَاتَ أَحَدُهُمَا وَأَبُوهُ
عَبْدٌ جَرَّ الْجَدُّ أَبُو الْأَبِ الْوَلَاءَ وَالْمِيرَاث
قَالَ مَالِك فِي الْأَمَةِ تُعْتَقُ وَهِيَ حَامِلٌ وَزَوْجُهَا مَمْلُوكٌ ثُمَّ
يَعْتِقُ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا أَوْ بَعْدَمَا تَضَعُ إِنَّ
وَلَاءَ مَا كَانَ فِي بَطْنِهَا لِلَّذِي أَعْتَقَ أُمَّهُ لِأَنَّ ذَلِكَ
الْوَلَدَ قَدْ كَانَ أَصَابَهُ الرِّقُّ قَبْلَ أَنْ تُعْتَقَ أُمُّهُ وَلَيْسَ هُوَ
بِمَنْزِلَةِ الَّذِي تَحْمِلُ بِهِ أُمُّهُ بَعْدَ الْعَتَاقَةِ لِأَنَّ الَّذِي
تَحْمِلُ بِهِ أُمُّهُ بَعْدَ الْعَتَاقَةِ إِذَا عَتَقَ أَبُوهُ جَرَّ وَلَاءَهُ
قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَسْتَأْذِنُ سَيِّدَهُ أَنْ يُعْتِقَ عَبْدًا لَهُ
فَيَأْذَنَ لَهُ سَيِّدُهُ إِنَّ وَلَاءَ الْعَبْدِ الْمُعْتَقِ لِسَيِّدِ
الْعَبْدِ لَا يَرْجِعُ وَلَاؤُهُ لِسَيِّدِهِ الَّذِي أَعْتَقَهُ وَإِنْ عَتَقَ.
রবী‘আ ইব্নু আবদির
রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ
যুবাইর ইব্নুল আওয়াম (রা) জনৈক
ক্রীতদাসকে খরিদ করে উহাকে আযাদ করেছিলেন। সেই ক্রীতদাসের কয়েকটি ছেলে ছিল আযাদ
স্ত্রীর ঔরসের। যুবাইর (রা) যখন উহাকে আযাদ করলেন তখন তিনি বললেন, এরা আমার
মাওয়ালী। আযাদী প্রদান সূত্রে এদের উপর আমার অভিভাবকত্ব উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে- তাই এরা এখন আমার অধীনস্থ ও অধিকারভুক্ত। অন্যদিকে এই সন্তানদের জননীকে
যারা আযাদ করেছিলেন। [১] তাঁরা বললেন এরা আমাদের অধিকারভুক্ত। অতঃপর তাঁরা বিবাদ
নিয়ে উসমান ইব্নু আফফান (রা)-এর কাছে গেলেন। উসমান (রা) উহাদের অভিভাবকত্ব-এর
ফয়সালা দিলেন যুবাইরের পক্ষে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (র)-কে প্রশ্ন করা
হল জনৈক ক্রীতদাসী সম্বন্ধে, যার কয়েকটি ছেলে রয়েছে আযাদ স্ত্রীর ঔরসে। তাদের
স্বত্বাধিকার কার জন্য হবে। সাঈদ বললেন, যদি আযাদী না পাওয়া অবস্থায় তাদের পিতার
মৃত্যু হয় তবে তাদের অভিভাবকত্ব হবে তাদের মাতার মাওলাদের (আযাদী দাতার) জন্য।
(হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন তদ্রুপ অনারব মুসলিম লি‘আনকারী স্ত্রীলোকের সন্তান ও তার (সন্তানের
মাতা) মাওলার দিকে সম্পর্কিত হবে। তাই মাতার কর্তারা এই ছেলের মাওলা হবে। যদি সে
মারা যায় তবে তারা উহার মীরাস লাভ করবে। সে কোন অপরাধ করলে তারা উহার পক্ষ হতে
খেসারত বা ক্ষতিপূরণ দিবে। আর উহার পিতা যদি উহার নসব স্বীকার করে নেয় তবে উহাকে
পিতার দিকে সম্পর্কিত করা হবে। এবং উহার স্বত্বাধিকার তার পিতার অভিভাবকত্ব লাভ
করবে। তার মীরাসও তাদের জন্য হবে, আর তার অপরাধের খেসারতও হবে তাদের উপর এবং
(স্বীকারোক্তির পর) ছেলের পিতাকে (অপরাধের শাস্তিতে) বেত্রাঘাত করা হবে।
মালিক (র) বলেন তদ্রুপ আরব লি‘আনকারী স্ত্রীলোকের স্বামী যে স্ত্রীকে সন্তানের
ব্যাপারে অপবাদ দিয়েছে সে যদি উহার ছেলের নসব (জন্মসূত্র) স্বীকার করে তবে সে ছেলে
ঐ রূপ মর্যাদাই লাভ করবে। কিন্তু (পার্থক্য এই থাকবে যে,) এই ছেলের মাতা ও
ভগ্নীদের মীরাস বরাদ্দের পর অবশিষ্ট মীরাস যদি তার পিতার সাথে সে যুক্ত না হয় তবে
সাধারণ মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত হবে।
পক্ষান্তরে লি‘আনকারী স্ত্রীলোকের ছেলের মীরাস তার অর্থাৎ মাতার মাওলারা লাভ করবে
পিতা কর্তৃক ছেলের নসব স্বীকার করার পূর্ব পর্যন্ত। কারণ এই ছেলের নসব (জন্মসূত্র)
নাই, ফলে তার কোন মীরাস লাভ করে এমন কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। আর যদি নসব প্রমাণিত হয়
তবে তার মীরাস আসাবাগণ হবে।
মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট ইজমাঈ সর্বজন গৃহীত সিদ্ধান্ত যাতে কোন ইখতিলাফ নাই-
মাসয়ালা হল এই, ক্রীতদাসের পুত্রগণ আযাদ স্ত্রীর ঔরসের হলেও ক্রীতদাসের পিতা আযাদ
হলে, তবে পুত্রদের বড় বাপ অর্থাৎ দাদা স্বীয় ছেলের এমন পুত্রদের (নাতির) যারা আযাদ
এবং আযাদ মাতার গর্ভে যাদের জন্ম, তাদের মীরাস লাভ করিবে, যতদিন পিতা ক্রীতদাস
থাকে ততদিন। যদি তাদের পিতা আযাদ হয়ে যায় তবে পিতার মাওলাগণ অভিভাবকত্ব লাভ করবে।
আর যদি ক্রীতদাস থাকতেই তার মৃত্যু হয় তবে মীরাস অধিকার দাদার জন্য থাকবে। আর যদি
ক্রীতদাস পিতার আযাদ দুই পুত্র থাকে এবং উহাদের একজন মারা যায় তাদের পিতা গোলাম
থাকা অবস্থায় তবে পুত্রের বড় বাপ-দাদা মীরাস ও অভিভাবকত্ব দুইটিই লাভ করবে।
মালিক (র) বলেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যে ক্রীতদাসীকে আযাদ করা হল এবং তার স্বামী
তখনও (অন্যের) দাস। অতঃপর সন্তান প্রসবের পূর্বে অথবা পরে তার স্বামীকে আযাদ করা
হয় তবে পেটে যা ছিল উহার অর্থাৎ সন্তানের অভিভাবকত্ব যে তার জননীকে আযাদ করেছে
সে-ই লাভ করবে। কারণ এই সন্তান তার মাতাকে আযাদী দেয়ার পূর্বের, ফলে দাসত্ব তাকে
স্পর্শ করেছে। সে ঐ সন্তানতুল্য মর্যাদার অধিকারী নয় যাকে তার জননী গর্ভে ধারণ
করেছে আযাদী লাভের পরে। কারণ আযাদী লাভের পর জননী সেই সন্তান গর্ভে ধারণ করেছে।
সেই সন্তানের পিতা তার অভিভাবকত্ব প্রাপ্ত হবে, যদি পিতাকে আযাদ করা হয়ে থাকে।
মালিক (র) বলেন যে ক্রীতদাস গোলাম আযাদ করার জন্য তার কর্তার অনুমতি প্রার্থনা
করেছে, কর্তা তাকে অনুমতি দিয়েছে তবে আযাদীপ্রাপ্ত ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব এই
ক্রীতদাসের কর্তা লাভ করবে, এই (আযাদীপ্রাপ্ত) ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব ও
উত্তরাধিকার তার কর্তা যে তাকে আযাদ করেছে সে পাবে না, যদিও সে (পরে) আযাদী লাভ
করে থাকে।
[১] ঐ সন্তানদের মাতাকে আযাদ করেছিলেন রাফি’ ইবনু খাদীজ (রা)।
পরিচ্ছেদঃ
১২
মিত্রতার কারণে মীরাস
লাভ করা
১৪৮১
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
حَزْمٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْعَاصِيَ بْنَ
هِشَامٍ هَلَكَ وَتَرَكَ بَنِينَ لَهُ ثَلَاثَةً اثْنَانِ لِأُمٍّ وَرَجُلٌ
لِعَلَّةٍ فَهَلَكَ أَحَدُ اللَّذَيْنِ لِأُمٍّ وَتَرَكَ مَالًا وَمَوَالِيَ
فَوَرِثَهُ أَخُوهُ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ مَالَهُ وَوَلَاءَهُ مَوَالِيهِ ثُمَّ
هَلَكَ الَّذِي وَرِثَ الْمَالَ وَوَلَاءَ الْمَوَالِي وَتَرَكَ ابْنَهُ وَأَخَاهُ
لِأَبِيهِ فَقَالَ ابْنُهُ قَدْ أَحْرَزْتُ مَا كَانَ أَبِي أَحْرَزَ مِنْ
الْمَالِ وَوَلَاءِ الْمَوَالِي وَقَالَ أَخُوهُ لَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّمَا
أَحْرَزْتَ الْمَالَ وَأَمَّا وَلَاءُ الْمَوَالِي فَلَا أَرَأَيْتَ لَوْ هَلَكَ أَخِي
الْيَوْمَ أَلَسْتُ أَرِثُهُ أَنَا فَاخْتَصَمَا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ
فَقَضَى لِأَخِيهِ بِوَلَاءِ الْمَوَالِي.
আবদুল মালিক ইব্নু
আবী বাকর ইব্নু আবদির রহমান তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
আবদুল মালিক-এর নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আসী ইব্নু হিশাম পরলোকগমন করেন এবং তিনি
রেখে যান তাঁর তিন পুত্র, দুইজন (তাদের মধ্যে) সহোদর ও একজন ছিল বৈমাত্রের ভ্রাতা।
পরে সহোদরদ্বয়ের একজনের মৃত্যু হয়। সে রেখে যায় সম্পদ ও মাওয়ালী। [যে সকল
ক্রীতদাসকে মুক্তি দিয়েছে, সেই সব ক্রীতদাস মুক্তিদাতার মাওয়ালী।] তার সহোদর ভাই
তার সম্পদ ও মাওয়ালীদের অভিভাবকত্বের উত্তরাধিকারী হল। অতঃপর যিনি সম্পদ ও
অভিভাবকত্বের উত্তরাধিকার লাভ করবেন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন এবং রেখে গেলেন তার
পুত্রও বৈমাত্রেয় ভ্রাতা; তার পুত্র বলল আমার পিতা যে সম্পদ ও অভিভাবকত্বের মালিক
হয়েছিলেন (বর্তমানে) আমি সেই সবের উত্তরাধিকারী হয়েছি। তার ভাই (অর্থাৎ পুত্রের
চাচা) বলল, এইরূপ নয়। তুমি সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছ। কিন্তু মাওয়ালীদের
অভিভাবকত্বের উত্তরাধিকারী তুমি নও। তুমি কি ভেবে দেখ না যদি আমার ভাই আজ পরলোকগমন
করত, আমি কি উহার উত্তরাধিকারী হতাম না? অতঃপর তারা উভয়ে বিবাদ নিয়ে উসমান ইব্নু
আফফান (রা)-এর নিকট উপস্থিত হল। তিনি [উসমান (রা)] মাওয়ালীগণের স্বত্বাধিকার তার
ভাইকে প্রদান করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
১৪৮২
و
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ
أَخْبَرَهُ أَبُوهُ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ
فَاخْتَصَمَ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْ جُهَيْنَةَ وَنَفَرٌ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ
الْخَزْرَجِ وَكَانَتْ امْرَأَةٌ مِنْ جُهَيْنَةَ عِنْدَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي
الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ كُلَيْبٍ فَمَاتَتْ
الْمَرْأَةُ وَتَرَكَتْ مَالًا وَمَوَالِيَ فَوَرِثَهَا ابْنُهَا وَزَوْجُهَا
ثُمَّ مَاتَ ابْنُهَا فَقَالَ وَرَثَتُهُ لَنَا وَلَاءُ الْمَوَالِي قَدْ كَانَ ابْنُهَا
أَحْرَزَهُ فَقَالَ الْجُهَنِيُّونَ لَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّمَا هُمْ مَوَالِي
صَاحِبَتِنَا فَإِذَا مَاتَ وَلَدُهَا فَلَنَا وَلَاؤُهُمْ وَنَحْنُ نَرِثُهُمْ
فَقَضَى أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ لِلْجُهَنِيِّينَ بِوَلَاءِ الْمَوَالِي.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু
আবী বাকর ইব্নু হাযম (র) থেকে বর্ণিতঃ
তার
পিতা তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আবান ইব্নু উসমান (রা) [১]-এর নিকট বসা
ছিলেন (এমন সময়) জুহাইনা (গোত্রের) কিছু লোক এবং বনী হারিস ইব্নু খাযরাজ (গোত্রের)
কিছু লোক বিবাদ নিয়ে তাঁর কাছে এল। আর জুহাইনা গোত্রের জনৈকা নারী বনী হারিস ইব্নু
খাযরাজ-এর এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল, তাকে বলা হত ইবরাহীম ইব্নু কুলাইব। (তার)
স্ত্রী মারা যায় এবং রেখে যায় ধন-সম্পদ ও আযাদ করা ক্রীতদাস উহার মীরাস পেল তার
স্বামী ও পুত্র। অতঃপর স্ত্রীলোকটির পুত্রটি মারা গেল। তখন স্বামীটি বলল,
মাওয়ালীগণের স্বত্বাধিকার আমার প্রাপ্য। কারণ তার পুত্র (উত্তরাধিকারসূত্রে) উহার
মালিক হয়েছে। জুহাইনীয়া গোত্রের লোকেরা বলল, এইরূপ নয়। উহারা (আযাদী প্রাপ্ত
ক্রীতদাসগণ) হচ্ছে আমাদের (গোত্রের) স্ত্রীলোকের ক্রীতদাস। [যাদেরকে এই স্ত্রীলোক
আযাদ করেছে।] তার পুত্র যখন মারা গেল তবে এই মাওয়ালীগণের স্বত্বাধিকার আমরাই পাব।
আমরা উহাদের মীরাস লাভ করব। সব শুনে আবান ইব্নু উসমান (র) মাওয়ালীগণের অভিভাবকত্ব
প্রদান করলেন জুহাইনীয়দের জন্য। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] আবান ইবনু ‘উসমান (র) তখন মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন। -আওজাযুল
মাসালিক
১৪৮৩
و
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ فِي
رَجُلٍ هَلَكَ وَتَرَكَ بَنِينَ لَهُ ثَلَاثَةً وَتَرَكَ مَوَالِيَ أَعْتَقَهُمْ
هُوَ عَتَاقَةً ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَيْنِ مِنْ بَنِيهِ هَلَكَا وَتَرَكَا
أَوْلَادًا فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ يَرِثُ الْمَوَالِيَ الْبَاقِي مِنْ
الثَّلَاثَةِ فَإِذَا هَلَكَ هُوَ فَوَلَدُهُ وَوَلَدُ إِخْوَتِهِ فِي وَلَاءِ
الْمَوَالِي شَرَعٌ سَوَاءٌ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর
নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (র) বলেছেন সেই ব্যক্তি সম্পর্কে,
যে ব্যক্তি পরলোকগমন করেছে তিন পুত্র রেখে, আর রেখে গিয়েছে কতিপয় মাওয়ালী
(ক্রীতদাস) যাদেরকে সে আযাদ করেছে। তারপর তার দুই পুত্র মারা যায়। তারা উভয়ে রেখে
যায় (তাদের) সন্তান। সাঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (র) বললেন তার তিন পুত্রের মধ্যে জীবিত
পুত্র মাওয়ালীগণের অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার লাভ করবে। সেও পরলোকগমন করলে তখন তার
সন্তান ও তার (মৃত) দুই ভাইয়ের সন্তানগণ মাওয়ালীগণের সম্পদের উত্তরাধিকারের
ব্যাপারে বরাবর হকদার হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্চেদ
১৩
সায়িবা [১]-এর মীরাস
এবং ইহুদী ও নাসরানী ক্রীতদাসকে যে আযাদ করেছে তাহার অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার
[১] জাহিলীয়া যুগে দেব-দেবীদের নামে ভক্তরা পশুকে
মুক্ত অবস্থায় ছেড়ে দিত। সেরূপ পশুকে সায়িবা বলা হত। কারণ এসব পশুর উপর কোন
বাধা-নিষেধ ছিল না। তাই তারা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াত। কেউ যদি তার ক্রীতদাসকে লক্ষ্য
করে বলে, “তুমি অদ্য হতে সায়িবা”-এই উক্তির দ্বারা তার উদ্দেশ্য হয় ক্রীতদাসকে
আযাদ করা, তবে সে ক্রীতদাস আযাদ হবে। ক্রীতদাসের মৃত্যু হলে আযাদী দাতা মীরাস
পাবে।
১৪৮৪
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ
السَّائِبَةِ قَالَ يُوَالِي مَنْ شَاءَ فَإِنْ مَاتَ وَلَمْ يُوَالِي أَحَدًا
فَمِيرَاثُهُ لِلْمُسْلِمِينَ وَعَقْلُهُ عَلَيْهِمْ. قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ
مَا سُمِعَ فِي السَّائِبَةِ أَنَّهُ لَا يُوَالِي أَحَدًا وَأَنَّ مِيرَاثَهُ
لِلْمُسْلِمِينَ وَعَقْلَهُ عَلَيْهِمْ.
قَالَ مَالِك فِي الْيَهُودِيِّ وَالنَّصْرَانِيِّ يُسْلِمُ عَبْدُ أَحَدِهِمَا
فَيُعْتِقُهُ قَبْلَ أَنْ يُبَاعَ عَلَيْهِ إِنَّ وَلَاءَ الْعَبْدِ الْمُعْتَقِ
لِلْمُسْلِمِينَ وَإِنْ أَسْلَمَ الْيَهُودِيُّ أَوْ النَّصْرَانِيُّ بَعْدَ
ذَلِكَ لَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِ الْوَلَاءُ أَبَدًا قَالَ وَلَكِنْ إِذَا أَعْتَقَ
الْيَهُودِيُّ أَوْ النَّصْرَانِيُّ عَبْدًا عَلَى دِينِهِمَا ثُمَّ أَسْلَمَ
الْمُعْتَقُ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ الْيَهُودِيُّ أَوْ النَّصْرَانِيُّ الَّذِي
أَعْتَقَهُ ثُمَّ أَسْلَمَ الَّذِي أَعْتَقَهُ رَجَعَ إِلَيْهِ الْوَلَاءُ
لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ ثَبَتَ لَهُ الْوَلَاءُ يَوْمَ أَعْتَقَهُ.
قَالَ مَالِك وَإِنْ كَانَ لِلْيَهُودِيِّ أَوْ النَّصْرَانِيِّ وَلَدٌ مُسْلِمٌ
وَرِثَ مَوَالِيَ أَبِيهِ الْيَهُودِيِّ أَوْ النَّصْرَانِيِّ إِذَا أَسْلَمَ
الْمَوْلَى الْمُعْتَقُ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ الَّذِي أَعْتَقَهُ وَإِنْ كَانَ
الْمُعْتَقُ حِينَ أُعْتِقَ مُسْلِمًا لَمْ يَكُنْ لِوَلَدِ النَّصْرَانِيِّ أَوْ
الْيَهُودِيِّ الْمُسْلِمَيْنِ مِنْ وَلَاءِ الْعَبْدِ الْمُسْلِمِ شَيْءٌ
لِأَنَّهُ لَيْسَ لِلْيَهُودِيِّ وَلَا لِلنَّصْرَانِيِّ وَلَاءٌ فَوَلَاءُ
الْعَبْدِ الْمُسْلِمِ لِجَمَاعَةِ الْمُسْلِمِيْنَ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
ইব্নু শিহাব (র)-কে প্রশ্ন করেছেন
সায়িবা সম্বন্ধে। তিনি বলেছেন, সে যার সাথে ইচ্ছা মিত্রতার বন্ধন করতে পারে আর যদি
তার মৃত্যু হয় অথচ সে কাউকেও ওয়ালী (অভিভাবক) নিযুক্ত করেনি, তবে তার মীরাস হবে
মুসলমানদের জন্য এবং তার খেসারতও মুসলমানদের উপর হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে
বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন সায়িবা সম্বন্ধে যা শোনা গিয়েছে তা হল সে কারো সাথে মিত্রতার
বন্ধনে আবদ্ধ হবে না এবং তার মীরাস মুসলমানদের জন্য হবে, আর তার খেসারত তাদের উপর
আসবে।
ইহুদী ও নাসরানী সম্বন্ধে মালিক (র) বলেন তাদের একজনের ক্রীতদাস মুসলমান হয়েছে এবং
তার পক্ষ হতে ক্রীতদাস বিক্রি হওয়ার পূর্বে সে উহাকে আযাদ করে দিয়েছে (এইরূপ)
মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব মুসলমানদের জন্য হবে। এর পর যদি ইহুদী ও
নাসরানী মুসলমান হয় স্বত্বাধিকার তাদের দিকে আর ফিরবে না। মালিক (র) বলেন, যদি
ইহুদী অথবা নাসরানী তাদের সহধর্মী কোন ক্রীতদাসকে আযাদ করে, তারপর যে ইহুদী অথবা
নাসরানী একে আযাদ করেছে তার ইসলাম গ্রহণের পূর্বে সেই ক্রীতদাস মুসলমান হয়, তারপর
যে আযাদ করেছে সেও মুসলমান হয় তবে অভিভাবকত্ব তার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। কারণ
যেই দিন আযাদ করেছিল সেই দিন স্বত্বাধিকার তারই প্রাপ্য ছিল।
মালিক (র) বলেন যদি ইহুদী অথবা নাসরানীর মুসলিম সন্তান থাকে, আর সে (কর্তা) তাকে
আযাদ করেছে তার ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যদি আযাদী প্রাপ্ত ক্রীতদাস মুসলমান হয়ে যায়,
তবে সে (সন্তান) ইহুদী অথবা নাসরানী পিতার আযাদী প্রদত্ত ক্রীতদাসদের মীরাসের
অধিকারী হবে। আর যদি আযাদী প্রাপ্তির সময় ক্রীতদাস মুসলমান হয়ে থাকে তবে ইহুদী
অথবা নাসরানীর মুসলিম সন্তানরা মুসলিম ক্রীতদাসের স্বত্বাধিকারের কোন কিছু প্রাপ্য
হবে না। কারণ ইহুদী অথবা নাসরানীর জন্য কোন অভিভাবকত্ব নেই। তাই মুসলিম ক্রীতদাসের
অভিভাবকত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রাপ্য হবে।
No comments