মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় দুই ঈদ
পরিচ্ছেদ
০১.
উভয় ঈদে গোসল করা এবং
আযান ও ইকামত
৪১৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَائِهِمْ يَقُولُ
لَمْ يَكُنْ فِي عِيدِ الْفِطْرِ وَلَا فِي الْأَضْحَى نِدَاءٌ وَلَا إِقَامَةٌ
مُنْذُ زَمَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَوْمِ
قَالَ مَالِك وَتِلْكَ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا.
মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি অনেক আলিমকে বলতে শুনেছেন যে, ঈদুল ফিতর ও
ঈদুল আযহাতে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগ হতে বর্তমান যুগ
পর্যন্ত আযান ও ইকামত ছিল না। (বুখারী ৯৬০, মুসলিম ৮৮৬, মারফু সনদে ইবনু আব্বাস ও
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন) মালিক (র) বলেন, এটা এমন একটি সুন্নত যাতে আমাদের
মতে কারো দ্বিমত নেই।
৪১৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى الْمُصَلَّى.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন
সকালে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২
উভয় ঈদে খুত্বার
পূর্বে নামায আদায়ের নির্দেশ
৪১৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الْأَضْحَى قَبْلَ
الْخُطْبَةِ.
ইবনু শিহাব (র)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ঈদুল ফিতর ও ‘ঈদুল আযহাতে খুতবার পূর্বে নামায আদায় করতেন। (বুখারী ৯৬৩, মুসলিম
৮৮৮, তিনি ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি
মুরসাল)
৪১৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانَا
يَفْعَلَانِ ذَلِكَ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবূ বাকর এবং উমার (রাঃ) তাঁরা দু’জনেই এরূপ
করতেন। (মারফু, বুখারী ৯৬২, মুসলিম ৮৮৪, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন
তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মাওকুফ এবং মুনকাতে)
৪১৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ
أَزْهَرَ قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَصَلَّى ثُمَّ
انْصَرَفَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ هَذَيْنِ يَوْمَانِ نَهَى رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا يَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ
صِيَامِكُمْ وَالْآخَرُ يَوْمٌ تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ نُسُكِكُمْ قَالَ أَبُو
عُبَيْدٍ ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَجَاءَ فَصَلَّى
ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ وَقَالَ إِنَّهُ قَدْ اجْتَمَعَ لَكُمْ فِي يَوْمِكُمْ
هَذَا عِيدَانِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْ أَهْلِ الْعَالِيَةِ أَنْ يَنْتَظِرَ
الْجُمُعَةَ فَلْيَنْتَظِرْهَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَرْجِعَ فَقَدْ أَذِنْتُ لَهُ
قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فَجَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ.
ইবনু আযহারের মাওলা
আবূ উবায়দ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ঈদের নামাযে উমার ইবনু
খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে শরীক হয়েছি। তিনি ঈদের নামায আদায় করালেন, অতঃপর (মিম্বরে)
প্রত্যাগমন করলেন এবং লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। খুতবায় তিনি বললেন, এ
দুটি [ঈদের] দিবস এমন যে, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় দিবসে
রোযা রাখতে নিষেধ করেন, তোমাদের রোযা খোলার (অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের) দিন আর তোমাদের
কুরবানীর গোশত আহার করার দিন। (বুখারী ১৯৯০, মুসলিম ১১৩৭)
আবূ উবায়দ (র) বলেন, অতঃপর আমি উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-এর সাথেও ঈদে হাযির হয়েছি।
তিনি (ঈদগাহে) আসার পর নামায আদায় করলেন, তারপর (মুসল্লা হতে) ফিরে খুতবা করলেন,
‘আজকের এই দিনে তোমাদের জন্য দুটি ঈদ একত্র হয়েছে (শুক্রবার হওয়ার কারণে।) মদীনার
বাহিরের লোকেরা ইচ্ছা করলে জুম’আর নামাযের জন্য অপেক্ষা করতে পারে অথবা ইচ্ছা করলে
নিজেদের এলাকায় ফিরেও যেতে পারে, আমি তাদেরকে এ অনুমতি দিলাম।
আবূ উবায়দ (র) বলেন, আলী ইবনু আবি তালিব (রাঃ)-এর সঙ্গে আমি উপস্থিত ছিলাম, যখন
উসমান (রাঃ) অবরুদ্ধ ছিলেন। আলী (রাঃ) আসলেন এবং নামায আদায় করলেন, তারপর লোকদের
দিকে মুখ করলেন ও খুতবা দিলেন।
পরিচ্ছেদঃ
৩
প্রভাতে ঈদের পূর্বে
আহার গ্রহণের নির্দেশ
৪১৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ
يَأْكُلُ يَوْمَ عِيدِ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ.
উরওয়াহ ইবনু যুবায়র
(র) থেকে বর্ণিতঃ
ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে
আহার গ্রহণ করতেন। (সহীহ মারফু, বুখারী ৯৫৩, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত)
৪১৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يُؤْمَرُونَ بِالْأَكْلِ يَوْمَ
الْفِطْرِ قَبْلَ الْغُدُوِّ قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ فِي
الْأَضْحَى.
ইবনু শিহাব (র)
থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) তাঁকে
অবগত করেন যে, (তাঁদের যুগে) ঈদুল ফিতরের দিন লোকজন সকালে ঈদে যাওয়ার পূর্বে কিছু
আহার করার জন্য নির্দেশিত হত।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, ঈদুল আযহাতে (কুরবানীর ঈদে) লোকের জন্য আমি
এটা প্রয়োজন মনে করি না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৪
উভয় ঈদের নামাযে
কিরাআত ও তাকবীরের বর্ণনা
৪২০
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ الْمَازِنِيِّ عَنْ عُبَيْدِ
اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ فَقَالَ كَانَ
يَقْرَأُ بِ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ وَاقْتَرَبَتْ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ
الْقَمَرُ.
উমার ইবনু খাত্তাব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ওয়াকিদ লায়সী (রাঃ)-কে
জিজ্ঞেস করলেন ঈদুর ফিত্র ও ঈদুল আযহাতে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কোন কোন সূরা পাঠ করতেন? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম পাঠ করতেন
ق وَالْقُرُ اَنِ الْمَجِيْدِ. ةَاقْتَرَبَتِ السَّعَةُ وَالنْشَقَّ الْقَمَرُ.
(সূরা কাফ্ ও ক্বামার), এই দুই সূরা। (সহীহ, মুসলিম ৮৯১)
৪২১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى عَبْدِ
اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ شَهِدْتُ الْأَضْحَى وَالْفِطْرَ مَعَ أَبِي
هُرَيْرَةَ فَكَبَّرَ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى سَبْعَ تَكْبِيرَاتٍ قَبْلَ
الْقِرَاءَةِ وَفِي الْآخِرَةِ خَمْسَ تَكْبِيرَاتٍ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ قَالَ
مَالِك وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا.
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَجَدَ النَّاسَ قَدْ انْصَرَفُوا مِنْ الصَّلَاةِ يَوْمَ
الْعِيدِ إِنَّهُ لَا يَرَى عَلَيْهِ صَلَاةً فِي الْمُصَلَّى وَلَا فِي بَيْتِهِ
وَإِنَّهُ إِنْ صَلَّى فِي الْمُصَلَّى أَوْ فِي بَيْتِهِ لَمْ أَرَ بِذَلِكَ
بَأْسًا وَيُكَبِّرُ سَبْعًا فِي الْأُولَى قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَخَمْسًا فِي
الثَّانِيَةِ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সাথে
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে উপস্থিত হয়েছি। তিনি কিরাআতের পূর্বে প্রথম রাক’আতে
সাতটি তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচটি তাকবীর বলেছেন। (সহীহ মারফু, ইমাম আবূ দাঊদ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন আবূ দাঊদ (১১৪৯), আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে সহীহ
বলেছেন ইরওয়া ৬৩৯)
মালিক (র) বলেন, আমাদের কাছে এটাই হুকুম।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, তাঁর মতে যে ব্যক্তি ঈদের দিন লোকজনকে নামায
আদায় করে ফিরবার কালে পায়, সে ব্যক্তির জন্য ঈদগাহ অথবা স্বগৃহে ঈদের নামায আদায়ের
প্রয়োজন নেই। আর যদি সে ঈদগাহে বা নিজ ঘরে ঈদের নামায আদায় করে তাতেও কোন আপত্তি
নাই। সে প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের
পূর্বে পাঁচ তাকবীর পাঠ করবে।
পরিচ্ছেদঃ
৫
উভয় ঈদের আগে ও পরে
নামায না পড়া
৪২২
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ لَمْ يَكُنْ
يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الصَّلَاةِ وَلَا بَعْدَهَا ১১و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ
أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَغْدُو إِلَى الْمُصَلَّى بَعْدَ أَنْ
يُصَلِّيَ الصُّبْحَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) ঈদুল
ফিতরের দিন নামায আদায় করতেন না, ঈদের পূর্বেও না এবং পরেও না। (মারফু, ইবনু
আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, বুখারী ৯৮৯, ৯৬৪, মুসলিম ৮৮৪)
মালিক (র) বলেন, তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) ফজরের
নামায আদায়ের পর সূর্য উদয়ের পূর্বে প্রত্যুষে ঈদগাহে গমন করতেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৬
উভয় ঈদের পূর্বে ও পরে
নামায আদায়ের অনুমতি
৪২৩
-
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ أَنَّ
أَبَاهُ الْقَاسِمَ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى الْمُصَلَّى
أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ.
আবদুর রহমান ইবনু
কাসিম (র) থেকে বর্ণিতঃ
কাসিম (র) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে চার রাক’আত নামায
আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৪২৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ
يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فِي الْمَسْجِدِ.
উরওয়াহ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
যুবায়র (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাযের
পূর্বে মসজিদে নামায আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৭
ইমামের প্রভাতে ঈদগাহে
গমন করা ও খুতবার জন্য অপেক্ষা করা
৪২৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى قَالَ مَالِك مَضَتْ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا
فِي وَقْتِ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى أَنَّ الْإِمَامَ يَخْرُجُ مِنْ مَنْزِلِهِ
قَدْرَ مَا يَبْلُغُ مُصَلَّاهُ وَقَدْ حَلَّتْ الصَّلَاةُ ৬২৯قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ
صَلَّى مَعَ الْإِمَامِ هَلْ لَهُ أَنْ يَنْصَرِفَ قَبْلَ أَنْ يَسْمَعَ
الْخُطْبَةَ فَقَالَ لَا يَنْصَرِفُ حَتَّى يَنْصَرِفَ الْإِمَامُ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আমাদের মধ্যে এই সুন্নত
প্রচলিত-যাতে দ্বিমত নেই যে, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন ইমাম স্বীয় মনযিল হতে
এমন সময় বের হবেন, যাতে তিনি নামাযের সময় ঈদগাহে পৌঁছাতে পারেন।
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ঈদুল
ফিতরের দিন ইমামের সাথে নামায আদায় করেছে। সে খুতবা শোনার পূর্বে প্রত্যাবর্তন
করতে পারে কি? তিনি বললেন, ‘না। ইমাম প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সে ব্যক্তি
প্রত্যাবর্তন করবে না।
No comments