মুয়াত্তা ইমাম মালিক অধ্যায় সফরে নামায কসর আদায় করা
পরিচ্ছেদঃ
১
মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে
আদায় করা
৩১৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ
بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي سَفَرِهِ إِلَى تَبُوكَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর
তাবুক সফরকালে যোহর ও আসরের নামায একত্রে আদায় করেছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ)
একক ভাবে বর্ণনা করেছেন, তবে উল্লেখিত সনদে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া কর্তৃক সনদ
মুত্তাসিল নাকি মুরসাল তা নিয়ে ওলামাগণ মতভেদ করেছেন)
৩১৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ أَبِي
الطُّفَيْلِ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ
أَنَّهُمْ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ
تَبُوكَ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْمَعُ بَيْنَ
الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ قَالَ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ
يَوْمًا ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ دَخَلَ ثُمَّ
خَرَجَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا ثُمَّ قَالَ إِنَّكُمْ
سَتَأْتُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللهُ عَيْنَ تَبُوكَ وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا
حَتَّى يَضْحَى النَّهَارُ فَمَنْ جَاءَهَا فَلَا يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا
حَتَّى آتِيَ فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَنَا إِلَيْهَا رَجُلَانِ وَالْعَيْنُ
تَبِضُّ بِشَيْءٍ مِنْ مَاءٍ فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ هَلْ مَسِسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا فَقَالَا نَعَمْ فَسَبَّهُمَا
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللهُ
أَنْ يَقُولَ ثُمَّ غَرَفُوا بِأَيْدِيهِمْ مِنْ الْعَيْنِ قَلِيلًا قَلِيلًا
حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَيْءٍ ثُمَّ غَسَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فِيهِ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَا فَجَرَتْ الْعَيْنُ
بِمَاءٍ كَثِيرٍ فَاسْتَقَى النَّاسُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوشِكُ يَا مُعَاذُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا
هَاهُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا.
আবুত তুফায়েল ‘আমির
ইবনু ওয়াসিলা (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
মু’আয ইবনু জবর (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, তাঁরা
তাবুকের যুদ্ধের বৎসর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফরে বের
হলেন। (সে সফরে) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর, আসর, মাগরিব ও
ইশা একত্রে আদায় করতেন। (মু’আয) বললেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
একদিন নামাযে দেরি করলেন, অতঃপর তিনি আসলেন এবং যোহর ও আসর একত্রে আদায় করলেন।
আবার ভেতরে গেলেন, পুনরায় বের হলেন, তারপর মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলেন। অতঃপর
বললেন, তোমরা আগামীকাল ইনশাআল্লাহ তাবুকের ঝর্ণার কাছে পৌঁছে যাবে। তোমরা দিনের
প্রথমাংশেই সেখানে পৌঁছাবে। যে আগে সে জায়গায় পৌঁছে, আমি না আসা পর্যন্ত সে
ব্যক্তি যেন উহার সামান্যতম পানিও স্পর্শ না করে। অতঃপর আমরা সেখানে পৌঁছালাম।
কিন্তু আমাদের আগেভাগে সেখানে দুজন লোক পৌঁছে গিয়েছিল। আর ঝর্ণা হতে অতি সামান্য
পানি নির্গত হচ্ছিল। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে
জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি এর পানি হতে কিছু স্পর্শ করেছ? তাঁরা দু’জনে হ্যাঁসূচক
উত্তর দিলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে অনেক তিরস্কার
করলেন এবং আল্লাহর যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু তাঁদের সম্পর্কে বললেন। তারপর তাঁরা আঁজলা
ভরে অল্প অল্প করে কিছু পানি কোন এক পাত্রে জমা করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে পানিতে তাঁর উভয় হাত ও মুখমণ্ডল ধুলেন এবং সে
পানি ঝর্ণায় নিক্ষেপ করলেন যদ্দরুন ঝর্ণা হতে ফল্গুধারার মত অনেক পানি উঠতে লাগল।
লোকজন ঝর্ণা হতে পানি পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করলেন। তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে মু’আয, সম্ভবত তুমি দীর্ঘায়ু লাভ করবে এবং তুমি এ
ঝর্ণার পানি দ্বারা এই স্থানের অনেক বাগবাগিচায় পূর্ণভাবে পানি সেচ হতে দেখবে।
(সহীহ, মুসলিম ৭০৬)
৩২০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ، كَانَ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ
يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ.
নাফি’ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন, যদি (কোন
কারণবশত) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্রুত ভ্রমণ করতে হত, তবে
তিনি মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। (বুখারী, ১০৯১, মুসলিম ৭০৩)
৩২১
حَدَّثَنِي
عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ
عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ، صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ
جَمِيعًا فِي غَيْرِ خَوْفٍ وَلَا سَفَرٍ قَالَ مَالِك أُرَى ذَلِكَ كَانَ فِي
مَطَرٍ.
আবদুল্লাহ্ ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ভয় ভীতিজনিত কোন কারণ ছাড়া এবং
সফর ব্যতিরেকে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যোহর ও আসর
একসাথে এবং মাগরিব ও ইশা এক সাথে আদায় করিয়েছেন। (সহীহ, মুসলিম ৭০৫)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, আমার মতে ইহা বৃষ্টির জন্য ছিল।
৩২২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا
جَمَعَ الْأُمَرَاء بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فِي الْمَطَرِ جَمَعَ
مَعَهُمْ.
নাফি’ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমীরগণ বর্ষণকালে মাগরিব ও ইশার নামাযকে একত্রে
আদায় করলে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তাঁদের সাথে (উক্ত দুই ওয়াক্তের) নামায
একত্রে আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩২৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ
اللهِ هَلْ يُجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ نَعَمْ
لَا بَأْسَ بِذَلِكَ أَلَمْ تَرَ إِلَى صَلَاةِ النَّاسِ بِعَرَفَةَ ৭و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ
عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ يَوْمَهُ جَمَعَ بَيْنَ
الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ لَيْلَهُ جَمَعَ بَيْنَ
الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ.
ইবনু শিহাব (র)
থেকে বর্ণিতঃ
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র)-কে
প্রশ্ন করলেন সফরে যোহর ও আসরকে পর্যায়ক্রমে একত্রে আদায় করা যায় কিনা? তিনি
বললেন, হ্যাঁ, এতে কোন সমস্যা নেই, আরাফাতে লোকজনের নামাযের প্রতি (যা এক সাথে
আদায় করা হয়) তুমি কি লক্ষ করনি? (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
আলী ইবনু হুসায়ন (রাঃ) বলতেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে
সফরের ইচ্ছা করলে যোহর ও আসর একযোগে আদায় করতেন। আর রাত্রে সফরের ইচ্ছা করলে
মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। (মুয়াজবিন জাবাল ও ইবনু ওমর সহ অন্যান্য সাহাবী
থেকে সনদ সহ অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে)
পরিচ্ছেদঃ
২
সফরে নামায ‘কসর’ আদায় করা
৩২৪
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ خَالِدِ بْنِ
أَسِيدٍ أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ
الرَّحْمَنِ إِنَّا نَجِدُ صَلَاةَ الْخَوْفِ وَصَلَاةَ الْحَضَرِ فِي الْقُرْآنِ
وَلَا نَجِدُ صَلَاةَ السَّفَرِ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ اللهَ
عَزَّ وَجَلَّ بَعَثَ إِلَيْنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا
نَعْلَمُ شَيْئًا فَإِنَّمَا نَفْعَلُ كَمَا رَأَيْنَاهُ يَفْعَلُ.
খালিদ্ ইবনু আসীদ
(র)- থেকে বর্ণিতঃ
বংশের জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনু উমার
(রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন হে আবূ আবদুর রহমান! আমরা সালাতুল খাওফ (ভয়জনিত অবস্থায়
নামায) ও সালাতুল হাযর (মুকীম অবস্থায় নামায)-এর উল্লেখ কুরআনে পাই, কিন্তু
সালাতুস সফর (সফরের নামাযের কথা তো কুরআনে) পাইনি? আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ)
বললেন, হে আমার ভাতিজা! আল্লাহ তা’আলা আমাদের নিকট যখন মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করেন, তখন আমরা কিছু জানতাম না, ফলে আমরা তাঁকে যেরূপ
করতে দেখেছি সেরূপ করে থাকি। (সহীহ, নাসাঈ ৪৫৭, ইবনু মাজাহ ১০৬৬, আল্লামা আলবানী
হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন সহীহ ওযয়ীফ সুনানে ইবনু মাজাহ। আর ইমাম মালিক (রঃ) কর্তক
উল্লেখিত সনদে একজন সন্দেহ যুক্ত রাবী রয়েছেন।)
৩২৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ
الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَنَّهَا قَالَتْ فُرِضَتْ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ
وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
সফরে এবং হাযরে (মুকীম থাকাকালীন) দুই-দুই
রাক’আতই ফরয করা হয়, অতঃপর সফরের নামায পূর্বাবস্থায় বাকি রাখা হয়, আবাসের নামাযে
বৃদ্ধি করা হয়। (বুখারী ৩৫০, মুসলিম ৬৮৫)
৩২৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ لِسَالِمِ بْنِ
عَبْدِ اللهِ مَا أَشَدَّ مَا رَأَيْتَ أَبَاكَ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ فِي السَّفَرِ
فَقَالَ سَالِمٌ غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَنَحْنُ بِذَاتِ الْجَيْشِ فَصَلَّى
الْمَغْرِبَ بِالْعَقِيقِ.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র)-এর নিকট জিজ্ঞেস
করলেন আপনি আপনার পিতাকে সফরে মাগরিবের নামায সর্বাধিক কতটুকু বিলম্বে আদায় করতে
দেখেছেন? তখন সালিম (র) বললেন, আমরা যখন ‘যাতুল-জায়শ’ নামক স্থানে, তখন সূর্যাস্ত
হয়, তিনি মাগরিবের নামায ‘আকীক’ নামক স্থানে গিয়ে আদায় করেছেন। (দুই স্থানের
দূরত্ব ৭ মাইল) (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৩
কত দূরের সফরে নামায কসর আদায় করা ওয়াজিব হয়
৩২৭
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا
خَرَجَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا قَصَرَ الصَّلَاةَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হজ্জ
অথবা উমরার উদ্দেশ্যে বের হলে ‘যুল-হুলায়ফা’ [১] নামক স্থানে নামায কসর করতেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] যুল-হুলায়ফা মদীনা শরীফ হতে ছয় মাইল দূরবর্তী একটি জায়গার নাম।
৩২৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ
أَبِيهِ أَنَّهُ رَكِبَ إِلَى رِيمٍ فَقَصَرَ الصَّلَاةَ فِي مَسِيرِهِ ذَلِكَ
قَالَ مَالِك وَذَلِكَ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعَةِ بُرُدٍ.
সালিম ইবনু
আবদুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতা সওয়ারীতে আরোহণ করে
‘রীম’ [১] নামক স্থানে যান এবং তিনি এতটুকু পথ ভ্রমণে নামায কসর আদায় করেছেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বলেন মালিক (র) বলেছেন, উক্ত স্থানটির দূরত্ব অন্তত চার বরীদ [২] হবে।
[১] রীম - মদীনা শরীফ হতে উক্ত জায়গাটির দূরত্ব ত্রিশ মাইল।
[২] এক বরীদ অন্তত বার (১২) মাইল দূরের পথ।
৩২৯
حَدَّثَنِي
عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ
عُمَرَ رَكِبَ إِلَى ذَاتِ النُّصُبِ فَقَصَرَ الصَّلَاةَ فِي مَسِيرِهِ ذَلِكَ
قَالَ مَالِك وَبَيْنَ ذَاتِ النُّصُبِ وَالْمَدِينَةِ أَرْبَعَةُ بُرُدٍ.
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সওয়ার
হয়ে ‘যাতুন-নুসুব নামক স্থানের দিকে গমন করলেন। তিনি তাঁর এই পরিমাণ যাত্রায় নামায
‘কসর’ আদায় করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, ‘যাতুন-নুসুব’ ও মদীনার ও মদীনার মধ্যে
ব্যবধান হল চার বরীদ।
৩৩০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُسَافِرُ
إِلَى خَيْبَرَ فَيَقْصُرُ الصَّلَاةَ ১৫و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ
سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقْصُرُ
الصَّلَاةَ فِي مَسِيرِهِ الْيَوْمَ التَّامَّ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)
খায়বরের দিকে সফর করতেন এবং নামায কসর আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক
ভাবে বর্ণনা করেছেন)
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) হতে বর্ণিত; আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) পূর্ণ একদিনের সফরে
কসর আদায় করতেন।
৩৩১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ كَانَ يُسَافِرُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ
الْبَرِيدَ فَلَا يَقْصُرُ الصَّلَاةَ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাথে এক বরীদ সফর
করতেন কিন্তু নামায কসর আদায় করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
৩৩২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ
يَقْصُرُ الصَّلَاةَ فِي مِثْلِ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ وَفِي مِثْلِ مَا
بَيْنَ مَكَّةَ وَعُسْفَانَ وَفِي مِثْلِ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَجُدَّةَ قَالَ
مَالِك وَذَلِكَ أَرْبَعَةُ بُرُدٍ وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا تُقْصَرُ إِلَيَّ فِيهِ
الصَّلَاةُ ৪৯৬قَالَ
مَالِك لَا يَقْصُرُ الَّذِي يُرِيدُ السَّفَرَ الصَّلَاةَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ
بُيُوتِ الْقَرْيَةِ وَلَا يُتِمُّ حَتَّى يَدْخُلَ أَوَّلَ بُيُوتِ الْقَرْيَةِ
أَوْ يُقَارِبَ ذَلِكَ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রাঃ) মক্কা হতে তায়েফ অথবা মক্কা হতে উসফান বা মক্কা হতে
জিদ্দার সমান দূরত্বের স্থানে সফরে বের হলে কসর আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক
(রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বর্ণনা করেন, মালিক (র) বলেছেন, উক্ত পথের দূরত্ব চার বরীদ পরিমাণ।
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি সফরের নিয়ত করে, সে যতক্ষণ নিজের পল্লীর গৃহাদি ছেড়ে না
যাবে, ততক্ষণ নামায কসর আদায় করবে না। অনুরূপ ফেরার পথেও যতক্ষণ নিজ গ্রামের
সর্বপ্রথম গৃহ বা উহার নিকটতম স্থান পর্যন্ত না পৌঁছিব নামায পূর্ণ আদায় করবে না।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৪
কোন স্থানে অবস্থানের নিয়ত না করলে মুসাফির নামায
কত রাক’আত আদায় করবে
৩৩৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ
عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ أُصَلِّي صَلَاةَ الْمُسَافِرِ مَا لَمْ
أُجْمِعْ مُكْثًا وَإِنْ حَبَسَنِي ذَلِكَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً
সালিম ইবনু
আবদুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, আমি যতক্ষণ
অবস্থান করার নিয়ত না করি ততক্ষণ মুসাফিরের মত নামায আদায় করতে থাকি, যদিও বা এই
অবস্থায় বার রাত্রি পর্যন্ত আবদ্ধ থাকি। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
৩৩৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ
لَيَالٍ يَقْصُرُ الصَّلَاةَ إِلَّا أَنْ يُصَلِّيَهَا مَعَ الْإِمَامِ
فَيُصَلِّيهَا بِصَلَاتِهِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
ইবনু উমার (র) মক্কা শরীফে দশ রাত্রি পর্যন্ত
অবস্থান করেছিলেন এবং নামায কসর আদায় করেছিলেন। কেবল ইমামের সাথে নামায আদায় করলে
তখন ইমামের নামাযের মতই আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৫
মুসাফির ইকামতের নিয়ত করলে তখনকার নামায
৩৩৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ
الْمُسَيَّبِ قَالَ مَنْ أَجْمَعَ إِقَامَةً أَرْبَعَ لَيَالٍ وَهُوَ مُسَافِرٌ
أَتَمَّ الصَّلَاةَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ ৫و سُئِلَ مَالِك عَنْ صَلَاةِ الْأَسِيرِ
فَقَالَ مِثْلُ صَلَاةِ الْمُقِيمِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُسَافِرًا.
আতা খোরাসানী (র)
থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-কে বলতে
শুনেছেন যে ব্যক্তি চার রাত্রি পর্যন্ত ইকামতের নিয়ত করবে মুসাফির হওয়া সত্ত্বেও
সে নামায পূর্ণই আদায় করবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেছেন, আমি যা শুনেছি তন্মধ্যে এটা আমার পছন্দনীয় বটে।
মালিক (র)-কে কয়েদীদের নামায সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বললেন, মুকীমের মতই
নামায আদায় করবে, কিন্তু যদি সে মুসাফির হয় (তবে কসর আদায় করবে)।
অনুচ্ছেদ:
৬
মুসাফিরের নামায যখন তিনি ইমাম হন অথবা অন্য ইমামের
পিছনে নামায পড়েন
৩৩৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ
أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ
رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ يَا أَهْلَ مَكَّةَ أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ فَإِنَّا
قَوْمٌ سَفْرٌ ২২و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ
الْخَطَّابِ مِثْلَ ذَلِكَ.
সালিম ইবনু
আবদুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতা আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে
বর্ণনা করেন যে, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) যখন মক্কায় আসতেন তখন তাঁদেরকে দু’রাক’আত
নামায আদায় করাতেন। (নামায শেষে) বলতেন, হে মক্কাবাসীরা! তোমরা তোমাদের নামায
পূর্ণ কর, কেননা আমরা মুসাফির। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
আসলাম তাঁর পিতা হতে, তিনি উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে অনুরূপ রেওয়ায়ত বর্ণনা
করেন।
৩৩৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يُصَلِّي وَرَاءَ الْإِمَامِ بِمِنًى أَرْبَعًا فَإِذَا صَلَّى لِنَفْسِهِ صَلَّى
رَكْعَتَيْنِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) ইমামের ইকতিদা করে
নামায পড়লে মিনাতে চার রাক’আত আদায় করতেন। আর একা আদায় করলে তখন দু’রাক’আতই আদায়
করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৩৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ صَفْوَانَ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَعُودُ عَبْدَ اللهِ بْنَ صَفْوَانَ فَصَلَّى لَنَا
رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُمْنَا فَأَتْمَمْنَا.
ইবনু শিহাব (র)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ)
আবদুল্লাহ্ ইবনু সাফওয়ানকে দেখতে আসলেন যখন তিনি অসুস্থ ছিলেন, তখন আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) আমাদের দুই রাক’আত নামায আদায় করালেন। অতঃপর তিনি প্রস্থান করলেন আর
আমরা নামায পূর্ণ করলাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৭
সওয়ারীর উপর নামায আদায় করা এবং সফরে দিনে ও
রাত্রিতে নফল আদায় করা
৩৩৯
ي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ لَمْ
يَكُنْ يُصَلِّي مَعَ صَلَاةِ الْفَرِيضَةِ فِي السَّفَرِ شَيْئًا قَبْلَهَا وَلَا
بَعْدَهَا إِلَّا مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ كَانَ يُصَلِّي عَلَى الْأَرْضِ
وَعَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সফরে ফরয নামাযের
সাথে অন্য কোন নামায আদায় করতেন না, আগেও না, পরেও না। অবশ্য তিনি মধ্যরাত্রে
মৃত্তিকার উপর নামায আদায় করতেন, আর আদায় করতেন তাঁর উটের হাওদার উপর, উট যে দিকেই
মুখ করে থাকুক না কেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৪০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ
وَعُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَأَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانُوا
يَتَنَفَّلُونَ فِي السَّفَرِ قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَنْ النَّافِلَةِ
فِي السَّفَرِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَقَدْ
بَلَغَنِي أَنَّ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, কাসিম
ইবনু মুহাম্মাদ, উরওয়াহ ইবনু যুবায়র, আবূ বাকর ইবনু আবদুর রহমান (র) তাঁরা সকলেই
সফরে নফল নামায আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে সফরে নফল আদায় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি
বলেছেন, দিনে হোক বা রাত্রে হোক, নফল নামায আদায় করাতে কোন ক্ষতি নেই। তাঁর নিকট
খবর পৌঁছেছে যে, কতিপয় আহলে ইলম সফরে নফল আদায় করতেন।
৩৪১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك قَالَ بَلَغَنِي عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ
عُمَرَ كَانَ يَرَى ابْنَهُ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَتَنَفَّلُ فِي
السَّفَرِ فَلَا يُنْكِرُ عَلَيْهِ.> > quote here
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আমার নিকট নাফি’ (র) হতে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তাঁর ছেলে উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (র)-কে সফরে নফল
আদায় করতে দেখতেন, অথচ তিনি নিষেধ করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে
বর্ণনা করেছেন)
৩৪২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِي
الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ،
رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَهُوَ عَلَى
حِمَارٍ وَهُوَ مُتَوَجِّهٌ إِلَى خَيْبَرَ.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে একটি গাধার উপর নামায আদায় করতে দেখেছি, তখন গাধাটির মুখ ছিল খায়বরের
দিকে। (সহীহ, মুসলিম ৭০০)
৩৪৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي عَلَى
رَاحِلَتِهِ فِي السَّفَرِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ
دِينَارٍ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ ৩و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى
بْنِ سَعِيدٍ قَالَ رَأَيْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ فِي السَّفَرِ وَهُوَ يُصَلِّي
عَلَى حِمَارٍ وَهُوَ مُتَوَجِّهٌ إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ
إِيمَاءً مِنْ غَيْرِ أَنْ يَضَعَ وَجْهَهُ عَلَى شَيْءٍ.
আবদুল্লাহ ইবনু
দীনার (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সফরে তাঁর সওয়ারীর উপর নামায আদায় করতেন সওয়ারী যে দিকেই মুখ করুক না
কেন। (বুখারী ১০৯৬, মুসলিম ৭০০)
আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (র) বলেছেন; আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-ও তা করতেন।
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) বলেছেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে সফরে গাধার পিঠে
নামায আদায় করতে দেখেছি অথচ গাধাটির মুখ কিবলার দিকে ছিল না, তিনি রুকূ সিজদা
করতেন ইশারায়, তাঁর ললাট কোন কিছুর উপর রাখতেন না। (বুখারী ১১০০, মুসলিম ৭০২)
পরিচ্ছেদঃ
৮
সালাতুয যুহা (চাশ্ত ও ইশরাকের নামায)
৩৪৪
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى
عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ
أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى عَامَ
الْفَتْحِ ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ.
আকীল ইবনু আবি
তালিব (র) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মুহানী বিন্ত আবি তালিব (রাঃ) আবূ মুররার
নিকট বর্ণনা করেন যে, মক্কা বিজয়ের বৎসর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আট রাক’আত নামায আদায় করেছেন। তখন তাঁর পরিধানে (সর্বাঙ্গে জড়ানো অবস্থায়) একটি
মাত্র কাপড় ছিল। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) এককভাবে বর্ণনা করেছেন, তবে হাদীসে
বর্ণিত ঘটনাটি বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)
৩৪৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ
أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ
سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ
وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ قَالَتْ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ
مَنْ هَذِهِ فَقُلْتُ أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ مَرْحَبًا
بِأُمِّ هَانِئٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ
رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ
اللهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي عَلِيٌّ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانُ
بْنُ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ
أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى.
উম্মুহানী বিনতে
আবি তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মক্কা বিজয়ের সালে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে গমন করলাম। আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে গোসল করতে দেখলাম। তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) একটি কাপড় দিয়ে তাঁর জন্য
পর্দা করেছেন। তিনি বললেন, আমি গিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললাম।
তিনি ফরমালেন ইনি কে? আমি বললাম আবূ তালিবের কন্যা উম্মুহানী। তখন তিনি বললেন,
উম্মুহানীর জন্য মারহাবা (খোশ আমদেদ)। তিনি যখন গোসল সমাপ্ত করলেন, একটি মাত্র
কাপড় জড়িয়ে আট রাক’আত নামায আদায় করলেন। নামায হতে প্রত্যাবর্তন করলে আমি বললাম আমার
ভাই আলী (রাঃ) বলেছেন, সে এমন এক ব্যক্তিকে কতল করবে, যাকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। সে
হচ্ছে হুবায়রার সন্তান ‘অমুক’ (তাবরানীর মতে সে হুবাইরার চাচাত ভাই)। রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘উম্মুহানী, তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমিও
তাকে আশ্রয় দিলাম। উম্মুহানী বলেন, সময়টি ছিল চাশতের। (বুখারী ৩৫৭, মুসলিম ৩৩৬)
৩৪৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ
عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ،
مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي سُبْحَةَ
الضُّحَى قَطُّ وَإِنِّي لَأَسْتَحِبُّهَا وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَدَعُ الْعَمَلَ وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَهُ
خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
কখনও চাশতের নামায আদায় করতে দেখিনি, আমি কিন্তু চাশতের নামায আদায় করি। ব্যাপার
হল এই যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক আমলকে পছন্দ করা
সত্ত্বেও বর্জন করতেন এই ভয়ে যে, লোকেরা তাঁর উপর আমল করতে থাকবে, পরে তা ফরয হয়ে
যাবে। (বুখারী ১১২৮, মুসলিম ৭১৮)
৩৪৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا
كَانَتْ تُصَلِّي الضُّحَى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ تَقُولُ لَوْ نُشِرَ لِي
أَبَوَايَ مَا تَرَكْتُهُنَّ.
উম্মুল মু’মিনীন
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি চাশতের নামায আট রাক’আত আদায় করতেন ও
বলতেন, আমার মা-বাবাকে জিন্দা করে পাঠানো হলেও আমি এই আট রাক’আতকে ছাড়ব না।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
৯
চাশতের সময় বিভিন্ন নফল নামাযের বর্ণনা
৩৪৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ
أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ جَدَّتَهُ مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِطَعَامٍ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُومُوا فَلِأُصَلِّيَ لَكُمْ قَالَ أَنَسٌ
فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قَدْ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ فَنَضَحْتُهُ
بِمَاءٍ فَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَصَفَفْتُ أَنَا وَالْيَتِيمُ وَرَاءَهُ وَالْعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا فَصَلَّى
لَنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ.
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুলায়কা (রাঃ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে খাওয়ার দাওয়াত করেছিলেন। তিনি তা হতে খেলেন, তারপর ফরমালেন তোমরা
দাঁড়াও, আমি তোমাদের জন্য (কল্যাণ ও বরকতের উদ্দেশ্যে) নামায আদায় করব। আনাস (রাঃ)
বললেন, আমি আমাদের একটি চাটাই-এর দিকে গেলাম, যা দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে একেবারে
কাল হয়ে গিয়েছিল। আমি তাতে পানি ছিটিয়ে তা পরিষ্কার করলাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন। আমি এবং ইয়াতিম তাঁর পিছনের সারিতে
দাঁড়ালাম। আর বৃদ্ধা (নানী) দাঁড়ালেন আমাদের পিছনের সারিতে। তিনি আমাদের জন্য
(দু’আর উদ্দেশ্যে) দুই রাক’আত নামায আদায় করলেন; অতঃপর আমাদের গৃহ ত্যাগ করলেন।
(বুখারী ৮৬০, মুসলিম ৬৫৮)
৩৪৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ
بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
بِالْهَاجِرَةِ فَوَجَدْتُهُ يُسَبِّحُ فَقُمْتُ وَرَاءَهُ فَقَرَّبَنِي حَتَّى
جَعَلَنِي حِذَاءَهُ عَنْ يَمِينِهِ فَلَمَّا جَاءَ يَرْفَا تَأَخَّرْتُ
فَصَفَفْنَا وَرَاءَهُ.
উবায়দুল্লাহ ইবনু
আবদুল্লাহ ইবনু উতবা ইবনু মাস্উদ (র) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন; আমি উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)-এর
নিকট প্রবেশ করলাম, সময়টা ছিল দুপুর। আমি তখন তাঁকে নফল নামায অবস্থায় পেলাম, তাই
আমি তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম। তারপর তিনি আমাকে কাছে আনলেন এবং তাঁর ডান পার্শ্বে তাঁর
বরাবর আমাকে দাঁড় করালেন। তারপর ইয়ারফা (উমারের খাদেম) আসলে আমি পেছনে সরে আসলাম।
তারপর আমরা দু’জনেই তাঁর পেছনে কাতার করে দাঁড়ালাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক
ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১০
মুসল্লিদের সম্মুখ দিয়ে কারো চলার ব্যাপারে কড়া
নিষেধাজ্ঞা
৩৫০
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلَا يَدَعْ أَحَدًا
يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلْيَدْرَأْهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ
فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ.
আবূ সাঈদ খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ নামায আদায় করে, তবে সে সময় তার সামনে দিয়ে কাউকেও হাঁটতে
দেবে না যথাসাধ্য তাকে বারণ করবে। এতদসত্ত্বেও যদি সে বিরত না হয়, তবে শক্তি
প্রয়োগ করবে। কেননা সে অবশ্যই দুষ্ট লোক। (বুখারী ৫০৯, মুসলিম ৫০৫)
৩৫১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ
عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ أَرْسَلَهُ
إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَيْ الْمُصَلِّي فَقَالَ أَبُو
جُهَيْمٍ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ يَعْلَمُ
الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيْ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ
أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ قَالَ أَبُو
النَّضْرِ لَا أَدْرِي أَقَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً.
বুসর ইবনু সাঈদ (র)
থেকে বর্ণিতঃ
যায়দ ইবনু খালিদ জুহনী (রাঃ) তাঁকে আবূ জুহায়ম
(রাঃ)-এর নিকট এটা জিজ্ঞেস করার উদ্দেশ্যে পাঠালেন যে, তিনি মুসল্লির সামনে দিয়ে
চলাচলকারী সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কি শুনেছেন। আবূ
জুহায়ম (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি
মুসল্লি ব্যক্তির সামনে দিয়ে চলাচলকারী জানত যে, এর জন্য তার কি পরিণাম হবে, তবে
সে নিশ্চিত মনে করত যে, মুসল্লি ব্যক্তির সামনে দিয়া চলাচল করা অপেক্ষা সঠিকভাবে
চল্লিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা অধিক শ্রেয়। আবূন নায্র বলেন, আমি বলতে পারছি না,
তিনি চল্লিশ দিন, না চল্লিশ মাস, না চল্লিশ বৎসর বলেছিলেন। (বুখারী ৫১০, মুসলিম
৫০৭)
৩৫২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ
أَنَّ كَعْبَ الْأَحْبَارِ قَالَ لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيْ
الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يُخْسَفَ بِهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ
يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ.
আতা ইবনু ইয়াসার
(র) থেকে বর্ণিতঃ
কা’ব-এ আহ্বার (র) বলেছেন, মুসল্লির সামনে দিয়ে
চলাচলকারী যদি জানত যে, তার পরিণাম কি, তবে সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার চাইতে মাটিতে
বসে যাওয়া তার পক্ষে উত্তম হত। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৫৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَكْرَهُ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ أَيْدِي النِّسَاءِ وَهُنَّ يُصَلِّينَ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, মেয়েরা যখন
নামায আদায় করে তখন তাদের সামনে দিয়ে চলাকে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) অপছন্দ
করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৫৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا
يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْ أَحَدٍ وَلَا يَدَعُ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) (তিনি নিজে) করো
সামনে দিয়ে চলাচল করতেন না এবং অন্য কাউকে তাঁর সামনে দিয়ে চলতে দিতেন না।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১১
মুসল্লির সামনে দিয়ে চলার অনুমতি
৩৫৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ
بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ،
أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى أَتَانٍ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ قَدْ نَاهَزْتُ
الْاحْتِلَامَ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي
لِلنَّاسِ بِمِنًى فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصَّفِّ فَنَزَلْتُ
فَأَرْسَلْتُ الْأَتَانَ تَرْتَعُ وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ
عَلَيَّ أَحَدٌ.
আবদুল্লাহ্ ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি একটি গাধীর উপর সওয়ার হয়ে আসলাম। আমি সে
সময় সাবালগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে উপনীত হয়েছি। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম যখন মিনাতে লোকদের নামায আদায় করাচ্ছিলেন। আমি কোন একটি কাতারের মাঝ
দিয়ে চললাম, তারপর (সওয়ারী হতে) অবতরণ করে গাধীকে চরাবার জন্য ছেড়ে দিলাম এবং আমি
কাতারে শামিল হলাম। এর জন্য আমাকে কেউ কোন তিরস্কার করেননি। (বুখারী ৭৬, মুসলিম
৫০৪)
৩৫৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ كَانَ
يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصُّفُوفِ وَالصَّلَاةُ قَائِمَةٌ قَالَ مَالِك
وَأَنَا أَرَى ذَلِكَ وَاسِعًا إِذَا أُقِيمَتْ الصَّلَاةُ وَبَعْدَ أَنْ يُحْرِمَ
الْإِمَامُ وَلَمْ يَجِدْ الْمَرْءُ مَدْخَلًا إِلَى الْمَسْجِدِ إِلَّا بَيْنَ
الصُّفُوفِ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
নামায কায়েম আছে, এমন অবস্থায় সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) কোন কোন সময় কাতারের
মাঝ দিয়ে চলাচল করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, যদি নামায আদায় হয়ে যায় এবং ইমাম নিয়ত করে
ফেলেন, তখন কোন ব্যক্তি কাতারের মাঝ দিয়ে ব্যতীত অন্য কোন রাস্তায় মসজিদে প্রবেশ
করতে (নামাযে শামিল হওয়ার জন্য) না পড়লে, তার জন্য এ ব্যাপারে (কাতারের মধ্য দিয়ে
প্রবেশ করার) অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি।
৩৫৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ
لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ شَيْءٌ مِمَّا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْ الْمُصَلِّي ৪৫و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ
شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَقُولُ، لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ شَيْءٌ مِمَّا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْ
الْمُصَلِّي.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
মুসল্লির সম্মুখ দিয়ে যা কিছু চলাচল করে, তা নামায নষ্ট করে না। এইরূপ বলেছেন আলী
ইবনু আবি তালিব (রাঃ)। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) হতে বর্ণিত; আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, মুসল্লির
সামনে দিয়ে যা কিছু চলাচল করে তার কোনটাই নামাযকে নষ্ট করে না। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১২
সফরে মুসল্লি কর্তৃক সুতরা বা আড় ব্যবহার
৩৫৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَسْتَتِرُ بِرَاحِلَتِهِ إِذَا صَلَّى ৪৭و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ
أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يُصَلِّي فِي الصَّحْرَاءِ إِلَى غَيْرِ سُتْرَةٍ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে,
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) উটের পিঠের হাড় দ্বারা সুতরা করতেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
হিশাম ইবনু উরওয়াহ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি সুতরা সামনে না করে
মরুভূমিতে নামায আদায় করতেন। (কারণ সেখানে লোকজনের চলাচল তেমন ছিল না।) (হাদীসটি
ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১৩
নামাযে হাত দিয়ে কাঁকর সরানো
৩৫৯
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْقَارِئِ أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ
عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ إِذَا أَهْوَى لِيَسْجُدَ مَسَحَ الْحَصْبَاءَ
لِمَوْضِعِ جَبْهَتِهِ مَسْحًا خَفِيفًا.
আবূ জাফর কারী’ (র)
থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি
সিজদার জন্য যখন নত হতেন, তখন তাঁর কপাল রাখার স্থান হতে খুব হালকাভাবে হাত বুলিয়ে
কাঁকর সরাতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৬০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا
ذَرٍّ كَانَ يَقُولُمَسْحُ الْحَصْبَاءِ مَسْحَةً وَاحِدَةً وَتَرْكُهَا خَيْرٌ
مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবূ যর (রাঃ)
বলতেন, কাঁকর সরাবার জন্য মাত্র একবার হাত বুলানো যায়। তবে উহা হতে বিরত থাকাটা
লাল বর্ণের উট অপেক্ষাও উত্তম। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১৪
সফ্ সোজা রাখা
৩৬১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَأْمُرُ
بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ فَإِذَا جَاءُوهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنْ قَدْ اسْتَوَتْ
كَبَّرَ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) ‘সফ’ (কাতারসমূহ)
বরাবর করার নির্দেশ দিতেন। যখন এই কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁর কাছে আসত এবং
সফসমূহ বরাবর হয়েছে বলে তাঁকে জানাত, তখন তিনি তাকবীর বলতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক
(রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৬২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ
أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَامَتْ الصَّلَاةُ وَأَنَا
أُكَلِّمُهُ فِي أَنْ يَفْرِضَ لِي فَلَمْ أَزَلْ أُكَلِّمُهُ وَهُوَ يُسَوِّي
الْحَصْبَاءَ بِنَعْلَيْهِ حَتَّى جَاءَهُ رِجَالٌ قَدْ كَانَ وَكَلَهُمْ
بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الصُّفُوفَ قَدْ اسْتَوَتْ فَقَالَ
لِي اسْتَوِ فِي الصَّفِّ ثُمَّ كَبَّرَ.
আবূ সুহায়ল ইবনু
মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-এর
সাথে ছিলাম। অতঃপর নামাযের ইকামত শুরু হল, আমি তখন তাঁর সাথে আমার জন্য ভাতা
নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে আলাপ করতেছিলাম। আমি বিরতি ছাড়াই তাঁর সাথে আলাপরত ছিলাম।
তিনি তাঁর উভয় জুতার সাহায্যে কাঁকর (সরিয়ে) জায়গা সমান করছিলেন। এমন সময় কতিপয়
লোক তাঁর কাছে আসলেন, যাদেরকে তিনি ‘সফ’ বরাবর করার কাজে নিযুক্ত করেছিলেন এবং
তাঁকে জানালেন যে, ‘সফ’সমূহ বরাবর হয়েছে। তিনি আমাকে বললেন, কাতারে বরাবর হয়ে
দাঁড়িয়ে যাও। অতঃপর তিনি اللهُ
اَكْبَرُ বললেন। (হাদীসটি
ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১৫
নামাযে এক হাত অপর হাতের উপর রাখা
৩৬৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ الْبَصْرِيِّ
أَنَّهُ قَالَ مِنْ كَلَامِ النُّبُوَّةِ إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَافْعَلْ مَا
شِئْتَ وَوَضْعُ الْيَدَيْنِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فِي الصَّلَاةِ يَضَعُ
الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى وَتَعْجِيلُ الْفِطْرِ وَالِاسْتِينَاءُ
بِالسَّحُورِ.
আবদুল করীম ইবনু
আবুল মুখারিক (র) থেকে বর্ণিতঃ
নবুয়তের কালাম হচ্ছে এই কালাম, যখন তুমি লজ্জা
পরিহার কর, তবে তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পার। নামাযে উভয় হাতের একটিকে অপরটির উপর
রাখা (এইভাবে) যে, ডান হাত বাম হাতের উপর রাখবে, ইফতারে ত্বরা করা ও সাহ্রী
(খাওয়া) তে বিলম্ব করা। (সনদে উল্লেখিত আবদুল কারীম একজন যঈফ রাবী, আর ইমাম বুখারী
প্রথমের মাঝ খানের অংশটুকু মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন)
৩৬৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ
أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُونَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ
الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ قَالَ أَبُو حَازِمٍ لَا
أَعْلَمُ إِلَّا أَنَّهُ يَنْمِي ذَلِكَ.
সাহল ইবনু সা’দ
আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
লোকদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হত
যেন নামাযে প্রত্যেকে তাঁর ডান হাত বাম হাতের যিরার (যিরা বলা হয় হাতের কুনুই হতে
শুরু করে মধ্যমা আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত) উপর রাখে। (সহীহ, বুখারী ৭৪০)
আবূ হাযিম (র) বলেন, আমি জানি যে তিনি এই বাক্যের সনদ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছাতেন।
পরিচ্ছেদঃ
১৬
ফজরে কুনূত পড়া
৩৬৫
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا
يَقْنُتُ فِي شَيْءٍ مِنْ الصَّلَاةِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) কোন নামাযেই কুনূত
পাঠ করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১৭
যে সময় (পায়খানা-প্রশ্রাব ইত্যাদি) আবশ্যক পূরণের
ইচ্ছা করে সে সময় নামায আদায় নিষেধ
৩৬৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ
بْنَ الْأَرْقَمِ كَانَ يَؤُمُّ أَصْحَابَهُ فَحَضَرَتْ الصَّلَاةُ يَوْمًا
فَذَهَبَ لِحَاجَتِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ الْغَائِطَ
فَلْيَبْدَأْ بِهِ قَبْلَ الصَّلَاةِ.
আবদুল্লাহ ইবনু
আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সহচরদের ইমামতি করতেন। একদিন নামায শুরু হল। সে
মুহূর্তে তিনি নিজ প্রয়োজন সারার উদ্দেশ্যে বাহিরে গেলেন। অনন্তর (তথা হতে) ফিরলেন।
তারপর তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফরমাতে শুনেছি
তোমাদের কেউ (পায়খানা-পেশাবের জন্য) ঢালু জায়গায় যাওয়ার মনস্থ করলে তবে নামাযের
পূর্বে তা সেরে নিবে। (সহীহ, আবূ দাঊদ ৮৮, তিরমিযী ১৪২, নাসাঈ ৮৫২, ইবনু মাজাহ
৬১৬, আল্লামা আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন সহীহ এবং যঈফ সুনানে নাসাঈ)
৩৬৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
قَالَ، لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدُكُمْ وَهُوَ ضَامٌّ بَيْنَ وَرِكَيْهِ.
যায়দ ইবনু আসলাম
(র) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ
যেন এমন সময় কখনও নামায না পড়ে, যখন (পায়খানা-প্রসাবের বেগবশত) তার পাছাদ্বয়
মিলিয়ে (চাপ দিয়ে) রাখে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
১৮
নামাযের অপেক্ষা করা এবং নামাযের জন্য গমন করা
৩৬৮
و
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ
الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ الَّذِي
صَلَّى فِيهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ اللهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللهُمَّ ارْحَمْهُ قَالَ
مَالِك لَا أَرَى قَوْلَهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ إِلَّا الْإِحْدَاثَ الَّذِي
يَنْقُضُ الْوُضُوءَ.
আবু হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের যে ব্যক্তি যে মুসল্লায় নামাজ আদায়
করেছে , সে মুসল্লায় যতক্ষণ বসা থাকে এবং ওযূ ছুটে যায় মত কোন কাজ না করে ততক্ষণ
ফেরেশতাগণ এই বলে দোয়া করতে থাকেন, اَللّٰهُمَّ
اغْفِرْ لَهُ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْهُ
"হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দার গুনাহ মাফ করো, হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দার
প্রতি রহমত বর্ষণ করো।" (বুখারি ৪৪৫, মুসলিম ৬৪৯)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, হাদিসে বর্ণিত, مَا لَمْ يُحْدِثْ
(মালাম য়ুহদিস) বাক্যটির অর্থ আমার মতে, (মুসল্লি কতৃক) এমন কোন কাজ করা যাতে ওযূ
ভেঙে যায়, এটা অন্য কিছু নয় ।
৩৬৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا
يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَتْ الصَّلَاةُ تَحْبِسُهُ لَا يَمْنَعُهُ
أَنْ يَنْقَلِبَ إِلَى أَهْلِهِ إِلَّا الصَّلَاةُ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমাদের এক ব্যক্তি, যতক্ষণ নামায তাহাকে আবদ্ধ রাখিবে নামায ছাড়া অন্য
কোন বস্তু নিজ পরিবারবর্গের দিকে ফিরে যেতে তাকে বাধা প্রদান করেনি, ততক্ষণ সে
নামাযে থাকবে। (বুখারী ৬৫৯, মুসলিম ৬৪৯)
৩৭০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ أَنَّ أَبَا بَكْرِ
بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَ يَقُولُ مَنْ غَدَا أَوْ رَاحَ إِلَى الْمَسْجِدِ
لَا يُرِيدُ غَيْرَهُ لِيَتَعَلَّمَ خَيْرًا أَوْ لِيُعَلِّمَهُ ثُمَّ رَجَعَ
إِلَى بَيْتِهِ كَانَ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللهِ رَجَعَ غَانِمًا.
আবূ বাকর ইবনু
আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে মসজিদের দিকে গমন
করে এবং সে মসজিদে কোন ভাল কথা শিক্ষা করার জন্য অথবা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই গমন
করে, সে নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করবে আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের মত (গণ্য) হয়ে,
এমন মুজাহিদ যে গনীমতের মালসহকারে (গৃহে) ফিরেছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক
ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৭১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ أَنَّهُ
سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ ثُمَّ جَلَسَ فِي
مُصَلَّاهُ لَمْ تَزَلْ الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ اللهُمَّ اغْفِرْ لَهُ
اللهُمَّ ارْحَمْهُ فَإِنْ قَامَ مِنْ مُصَلَّاهُ فَجَلَسَ فِي الْمَسْجِدِ
يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ لَمْ يَزَلْ فِي صَلَاةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ.
নুয়ায়ম ইবনু
আবদুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন
তোমাদের একজন যখন নামায আদায় করে, তারপর জায়নামাযে বসে থাকে, তবে ফেরেশতারা তার
জন্য اَللّٰهُمَّ
اغْفِرْ لَهُ (হে আল্লাহ! একে ক্ষমা কর) اَللّٰهُمَّ ارْحَمْهُ (হে আল্লাহ! একে দয়া
কর) বলে দোআ করতে থাকেন। অতঃপর সে যদি জায়নামায হতে দাঁড়িয়ে যায় কিন্তু নামাযের
অপেক্ষায় বসে থাকে, তবে সে যেন নামাযেই রয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে
বর্ণনা করেছেন, এই হাদীসটি বুখারী এবং মুসলিমে মারফু সনদে বর্ণিত হয়েছে)
৩৭২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ
عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا
وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عِنْدَ الْمَكَارِهِ
وَكَثْرَةُ الْخُطَى إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ
الصَّلَاةِ فَذَلِكُمْ الرِّبَاطُ فَذَلِكُمْ الرِّبَاطُ فَذَلِكُمْ الرِّبَاطُ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, আমি কি তোমাদের খবর দিব না ঐ বস্তুর, যে বস্তু দ্বারা আল্লাহ (বান্দার)
গুনাহসমূহ মুছে দেন এবং তা দ্বারা তার অনেক মর্তবা বুলন্দ করে দেন? (তা হচ্ছে এই)
পূর্ণরূপে ওযূ করা কষ্টবোধের সময়, মসজিদের দিকে নামাযের উদ্দেশ্যে গমনাগমন এবং এক
নামাযের পর আর এক নামাযের অপেক্ষায় থাকা। আর এটা (হল) ‘রিবাত’ এটাই রিবাত, এটাই
রিবাত (সীমান্ত প্রহরায় সর্বদা সজাগ ও প্রস্তুত থাকা)। (সহীহ, মুসলিম ২৫১)
৩৭৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ
يُقَالُ لَا يَخْرُجُ أَحَدٌ مِنْ الْمَسْجِدِ بَعْدَ النِّدَاءِ إِلَّا أَحَدٌ
يُرِيدُ الرُّجُوعَ إِلَيْهِ إِلَّا مُنَافِقٌ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) বলেছেন, বলা হয়,
আযানের পর একমাত্র মুনাফিক ব্যতীত কোন ব্যক্তি মসজিদ হতে বের হয় না, অবশ্য যে
ব্যক্তি পুনরায় ফিরে আসার ইচ্ছা রাখে (সে বের হতে পারে)। (হাদীসটি আবূ হুরায়রা
বরাত দিয়ে মারফু সনদে বর্ণনা করা হয়েছে, ইবনু ----- হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)
৩৭৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ
عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ
الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ.
আবূ কাতাদা আনসারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাক’আত নামায আদায়
করে নেয়। (বুখারী ৪৪৪, মুসলিম ৭১৪)
৩৭৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ قَالَ لَهُ أَلَمْ أَرَ
صَاحِبَكَ إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَجْلِسُ قَبْلَ أَنْ يَرْكَعَ قَالَ أَبُو
النَّضْرِ يَعْنِي بِذَلِكَ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ وَيَعِيبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ
أَنْ يَجْلِسَ إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ قَبْلَ أَنْ يَرْكَعَ قَالَ يَحْيَى قَالَ
مَالِك وَذَلِكَ حَسَنٌ وَلَيْسَ بِوَاجِبٍ.
উমার ইবনু
উবায়দুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবুন নাযর বলেন, আবূ সালমা ইবনু
আব্দুর রহমান (র) তাঁকে বলেছেন, আমি তোমার মনিবকে অর্থাৎ আজাদীদাতাকে কখনও দেখিনি
যে, তিনি মসজিদে এসে (বসার পূর্বে) নামায অর্থাৎ (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) না আদায় করে
বসেছেন। আবুন নাযর (র) বলেন, তিনি উমার ইবনু উবায়দুল্লাহ (র)-কে অভিযোগস্বরূপ এটা
বলেছেন, কারণ তিনি মসজিদে প্রবেশ করে নামাযের পূর্বে বসে যেতেন। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, এইরূপ করা ভাল, তবে ওয়াজিব নয়।
পরিচ্ছেদঃ
১৯
সিজদায় হস্তদ্বয় মুখমণ্ডলের পাশাপাশি রাখা
৩৭৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا
سَجَدَ وَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى الَّذِي يَضَعُ عَلَيْهِ جَبْهَتَهُ قَالَ نَافِعٌ
وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْبَرْدِ وَإِنَّهُ لَيُخْرِجُ كَفَّيْهِ
مِنْ تَحْتِ بُرْنُسٍ لَهُ حَتَّى يَضَعَهُمَا عَلَى الْحَصْبَاءِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ)
সিজদায় যে স্থানে তাঁর মুখমণ্ডল রাখতেন, সে স্থানেই (অর্থাৎ তার পার্শ্বে) তাঁর
উভয় হাতের তালু রাখতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
নাফি’ (র) বলেন, আমি তাঁকে দেখেছি, তিনি অতি শীতের সময়ও তাঁর দু’হাত জুব্বা (লম্বা
পোশাক বিশেষ) হতে বের করে কঙ্করময় ভূমিতে রাখতেন।
৩৭৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَقُوْلُ، مَنْ وَضَعَ جَبْهَتَهُ بِالْأَرْضِ فَلْيَضَعْ كَفَّيْهِ عَلَى الَّذِي
يَضَعُ عَلَيْهِ جَبْهَتَهُ ثُمَّ إِذَا رَفَعَ فَلْيَرْفَعْهُمَا فَإِنَّ
الْيَدَيْنِ تَسْجُدَانِ كَمَا يَسْجُدُ الْوَجْهُ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি
তাঁর ললাট যমীনে রাখে, সে যে তার দু’হাত ও সে জায়গায় রাখে, যে জায়গায় ললাট রেখেছে।
অতঃপর যখন (সিজদা হতে) ললাট উঠায় তখন যেন উভয় হাতকে উঠিয়েনেয়। কারণ মুখমণ্ডল যেমন
সিজদা করে, হস্তদয়ও তেমনিভাবে সিজদা করে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে
বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২০
প্রয়োজনবশত নামাযে অন্যদিকে দেখা এবং দস্তক বা তালি
দেয়া
৩৭৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمٍ سَلَمَةَ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ
سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ
إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ وَحَانَتْ الصَّلَاةُ
فَجَاءَ الْمُؤَذِّنُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقَالَ أَتُصَلِّي
لِلنَّاسِ فَأُقِيمَ قَالَ نَعَمْ فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ فِي الصَّلَاةِ فَتَخَلَّصَ حَتَّى
وَقَفَ فِي الصَّفِّ فَصَفَّقَ النَّاسُ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لَا يَلْتَفِتُ فِي
صَلَاتِهِ فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ مِنْ التَّصْفِيقِ الْتَفَتَ أَبُو بَكْرٍ
فَرَأَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ امْكُثْ مَكَانَكَ فَرَفَعَ
أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللهَ عَلَى مَا أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ حَتَّى اسْتَوَى
فِي الصَّفِّ وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى
ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَثْبُتَ إِذْ
أَمَرْتُكَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا كَانَ لِابْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ
يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لِي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرْتُمْ
مِنْ التَّصْفِيحِ مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلَاتِهِ فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ
إِذَا سَبَّحَ الْتُفِتَ إِلَيْهِ وَإِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ.
সাহ্ল ইবনু সা’দ
সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী
‘আমর ইবনু ‘আউফ কাবীলার দিকে তাঁদের একটি বিষয় মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে গমন করেন,
তখন নামাযের সময় উপস্থিত হয়। মুয়াযযিন আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিদমতে এসে বললেন, আপনি
নামাযে লোকের ইমামতি করতে সম্মত আছেন কি? তা হলে আমি ইকামত বলতাম। আবূ বাকর (রাঃ)
আচ্ছা বলে সম্মতি দিলেন। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) নামায আদায় করালেন। লোকজন যখন
নামাযে, তখন হঠাৎ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তশরীফ আনলেন। তিনি
কাতারে ফাঁক করে একেবারে প্রথম কাতারে গিয়ে দাঁড়ালেন। এতে লোকেরা তালি দিতে শুরু
করলেন। আবূ বাকর (রাঃ) (তাঁর অভ্যাস ছিল) নামাযে অন্যদিকে মনোযোগ দিতেন না। কিন্তু
যখন লোকদের তালি দেওয়া বেড়ে গেল, তখন তিনি পেছনের দিকে ফিরে রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতে পেলেন। তারপর আবূ বাকর (রাঃ) পিছনে যেতে
চাইলেন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইঙ্গিতে তাঁকে নির্দেশ দিলেন
আপন জায়গায় স্থির থাক। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইমামতিতে
বহাল থাকার নির্দেশ দিলেন বলে আবূ বাকর (রাঃ) স্বীয় হাতদুটি তুলে আল্লাহর হামদ বা
শুকরিয়া আদায় করলেন। অতঃপর পেছনে সরে সফের বরাবর এসে দাঁড়ালেন। রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে বেড়ে নামায আদায় করালেন। নামায সমাপ্ত করার পর
তিনি বললেন, হে আবূ বকর! তোমাকে যখন আমি নির্দেশ দিলাম, তখন (ইমামতিতে) স্থির
থাকতে তোমাকে কোন জিনিস বাধা প্রদান করল ? (উত্তরে) আবূ বাকর (রাঃ) বললেন,
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে (উপস্থিতিতে) আবূ কোহাফার
সন্তানের জন্য নামাযের ইমামতি করা সাজে না। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদেরকে অনেক হাততালি দিতে দেখে অবাক হয়েছি। কারো নামাযে
কোন বিষয়ে প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন তসবীহ (সুবহানাল্লাহ্) বা (আল্লাহু আকবার)
উচ্চারণ করে। কেননা সে তসবীহ্ উচ্চারণ করলেই তার দিকে মনোযোগ দেয়া হবে। হাততালি
দেয়া অবশ্য নারীর জন্য। (বুখারী ৬৮৪, মুসলিম ৪২১)
৩৭৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ لَمْ يَكُنْ يَلْتَفِتُ
فِي صَلَاتِهِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) নামাযে অন্য দিকে
ফিরে দেখতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৮০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْقَارِئِ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ
أُصَلِّي وَعَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ وَرَائِي وَلَا أَشْعُرُ بِهِ فَالْتَفَتُّ
فَغَمَزَنِي.
আবূ জাফর কারী’ (র)
থেকে বর্ণিতঃ
(এমনও হত) আমি নামায আদায় করেছি, আর আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রাঃ) আমার পশ্চাতে (এসে দাঁড়িয়েছেন), অথচ আমি খবর রাখি না। পরে আমি
ফিরে দেখলে তিনি আমাকে ইশারা করলেন (আমাকে ইঙ্গিতে ফিরে না দেখতে বললেন)। (হাদীসটি
ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২১
ইমামকে রুকূতে পেলে কি করবে
৩৮১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ
حُنَيْفٍ أَنَّهُ قَالَ دَخَلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْمَسْجِدَ فَوَجَدَ النَّاسَ
رُكُوعًا فَرَكَعَ ثُمَّ دَبَّ حَتَّى وَصَلَ الصَّفَّ.
আবূ উমামা ইবনু
হুনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) (একবার) মসজিদে প্রবেশ
করলেন এবং লোকজনকে রুকূতে পেলেন। তিনিও রুকূ করলেন, অতঃপর (সে অবস্থায়ই) আস্তে
আস্তে চলতে চলতে ‘সফ’ বা কাতার পর্যন্ত পৌঁছলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক
ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৮২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ
يَدِبُّ رَاكِعًا .
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবদুল্লাহ ইবনু
মাসউদ (রাঃ) রুকূতে আস্তে আস্তে হাঁটতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে
বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২২
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠ
করা
৩৮৩
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ
أَبِيهِ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو
حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ نُصَلِّي
عَلَيْكَ فَقَالَ قُولُوا اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ
وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ
وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ
حَمِيدٌ مَجِيدٌ.
আমর ইবনু সুলায়ম
যুরাকী (র) থেকে বর্ণিতঃ
,
আবূ হুমায়দ সাঈদী (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, তাঁরা [রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নিকট] বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমরা আপনার উপর দরূদ কিভাবে পাঠ করব
? তিনি বললেন, তোমরা এইরূপ বলবে-, আবূ হুমায়দ সাঈদী (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, তাঁরা
[রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট] বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্!
আমরা আপনার উপর দরূদ কিভাবে পাঠ করব ? তিনি বললেন, তোমরা এইরূপ বলবে-
اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ
وَأَزْوَاجِهِ
وَذُرِّيَّتِهِ
كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ
وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ
وَذُرِّيَّتِهِ
كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ
إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .
(বুখারী ৩৩৬৯, মুসলিম ৪০৭)
৩৮৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ
الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ،أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فِي مَجْلِسِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فَقَالَ لَهُ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ
أَمَرَنَا اللهُ أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ فَكَيْفَ نُصَلِّي
عَلَيْكَ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى
تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ ثُمَّ قَالَ قُولُوا اللهُمَّ صَلِّ عَلَى
مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ
عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ
فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ وَالسَّلَامُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ.
আবূ মাসউদ আনসারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’দ
ইবনু উবাদা (রাঃ)-এর মজলিসে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের
নিকট শুভাগমন করলেন। বশীর ইবনু সা’দ (রাঃ) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আল্লাহ
আমাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আপনার উপর দরূদ পাঠ করার জন্য। আমরা আপনার প্রতি
কিভাবে দরূদ পাঠ করব ? আবূ মাসউদ আনসারী বলেন, এ প্রশ্ন শোনার পর, রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব রইলেন। এমন কি (তাঁর নীরবতা দেখিয়া) আকাঙ্ক্ষা
করলাম, যদি প্রশ্নকারী প্রশ্ন না-ই করত (তা হলে ভাল হত)। অতঃপর তিনি বললেন, এইরূপ
বল
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ
وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا
صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ
عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا
بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ
فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيْدٌ.
(এটা হচ্ছে ‘সালাত’ বা দরূদ) আর সালাম যেরূপ তোমরা অবগত হয়েছ। (সহীহ, মুসলিম ৪০৫)
৩৮৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ رَأَيْتُ عَبْدَ
اللهِ بْنَ عُمَرَ يَقِفُ عَلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى
أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ.
আবদুল্লাহ ইবনু
দীনার (র) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ)-কে দেখেছি,
তিনি নাবী সাল্লাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের নিকট দাঁড়াতেন,
তারপর তার উপর দরূদ পাঠ করতেন এবং আবূ বাকর ও উমার (রাঃ)-এর জন্য দো’আ করতেন।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২৩
নামাযের বিভিন্ন আমল
৩৮৬
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الظُّهْرِ رَكْعَتَيْنِ
وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَ الْمَغْرِبِ رَكْعَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ
وَبَعْدَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ لَا يُصَلِّي بَعْدَ
الْجُمُعَةِ حَتَّى يَنْصَرِفَ فَيَرْكَعَ رَكْعَتَيْنِ.
ইবনু উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ
গৃহে নামায আদায় করতেন, যোহরের পূর্বে দু’রাক’আত ও পরে দু’রাক’আত এবং মাগরিবের পর
দু’রাক’আত। আর ইশার পর আদায় করতেন দু’রাক’আত। আর জুমআর পর তিনি ঘরে ফিরে না আসা
পর্যন্ত নামায আদায় করতেন না। (ঘরে ফিরলে) অতঃপর দু’রাক’আত আদায় করতেন। (বুখারী
৯৩৭, মুসলিম ৮৮২)
৩৮৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَتَرَوْنَ
قِبْلَتِي هَاهُنَا فَوَاللهِ مَا يَخْفَى عَلَيَّ خُشُوعُكُمْ وَلَا رُكُوعُكُمْ
إِنِّي لَأَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমরা কি ধারণা কর যে, আমার কিবলা শুধু এই স্থানেই (আমি শুধু সামনের দিকেই
দেখি, যেদিকে আমার কিবলা) ? আল্লাহর কসম, তোমাদের একাগ্রতা ও মনোযোগ এবং তোমাদের
রুকূ (কোনটাই) আমার কাছে গোপন নয়। অবশ্যই আমি আমার পশ্চাৎ দিক হতেও তোমাদেরকে
দেখি। (বুখারী ৪১৮, মুসলিম ৪২৪)
৩৮৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْتِي قُبَاءَ رَاكِبًا
وَمَاشِيًا.
আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
পদব্রজে এবং সওয়ার হয়ে কুবা’তে তশরীফ আনতেন। (বুখারী ১১৯৪, মুসলিম ১৩৯৯)
৩৮৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ مُرَّةَ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا تَرَوْنَ فِي
الشَّارِبِ وَالسَّارِقِ وَالزَّانِي وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُنْزَلَ فِيهِمْ
قَالُوا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ هُنَّ فَوَاحِشُ وَفِيهِنَّ عُقُوبَةٌ
وَأَسْوَأُ السَّرِقَةِ الَّذِي يَسْرِقُ صَلَاتَهُ قَالُوا وَكَيْفَ يَسْرِقُ
صَلَاتَهُ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ لَا يُتِمُّ رُكُوعَهَا وَلَا سُجُودَهَا.
নু’মান ইবনু মুররা
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, শারাবী, চোর এবং ব্যভিচারী সম্পর্কে তোমাদের কি মত ? আর এই প্রশ্ন করা হয়
এদের সম্পর্কে কোন হুকুম অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে। তাঁরা উত্তর দিলেন, আল্লাহ ও তাঁর
রসূল অধিক জ্ঞাত। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমালেন এটা ঘৃণা ও
জঘন্য পাপ কাজ, এই সবের সাজা রয়েছে। আর যে ব্যক্তি নিজের নামায চুরি করে, সে চুরি
হচ্ছে সর্বাপেক্ষা বড় চুরি। তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপন নামায চুরি করে কিভাবে ? তিনি বললেন, সে নামাযের রুকূ এবং
সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না। (আবূ হুরায়রা ও আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে সনদ সহ বর্ণনা
করেছেন)
৩৯০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اجْعَلُوا مِنْ صَلَاتِكُمْ فِي
بُيُوتِكُمْ.
উরওয়াহ ইবনুশ
যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমাদের কিছু নামায ঘরে আদায় করো। (বুখারী ৪৩২, ইমাম মুসলিম ইবনু ওমর থেকে
বর্ণনা করেন মুসলিম ৭৭৭, তবে ইমাম মালিক (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
৩৯১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَقُولُ، إِذَا لَمْ يَسْتَطِعْ الْمَرِيضُ السُّجُودَ أَوْمَأَ بِرَأْسِهِ
إِيمَاءً وَلَمْ يَرْفَعْ إِلَى جَبْهَتِهِ شَيْئًا.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
রুগ্ন ব্যক্তি সিজদা করতে না পারলে মাথা দ্বারা
শুধু ইশারা করবে, আর কপালের দিকে কোন বস্তু উত্তোলন করবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক
(রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৯২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ
عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا جَاءَ الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّى النَّاسُ
بَدَأَ بِصَلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ وَلَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا شَيْئًا.
রবী’আ ইবনু আবূ
আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ
লোকজন নামায সমাপ্ত করেন, এই অবস্থায় আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রাঃ) মসজিদে পৌঁছালে তিনি ফরয নামায আদায় আরম্ভ করতেন এবং উহার পূর্বে
অন্য কোন নামায আদায় করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৯৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ مَرَّ عَلَى
رَجُلٍ وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ الرَّجُلُ كَلَامًا فَرَجَعَ
إِلَيْهِ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فَقَالَ لَهُ إِذَا سُلِّمَ عَلَى أَحَدِكُمْ
وَهُوَ يُصَلِّي فَلَا يَتَكَلَّمْ وَلْيُشِرْ بِيَدِهِ.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) একবার এক ব্যক্তির
নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে ব্যক্তি নামায আদায় করছিলো। তিনি সে ব্যক্তিকে সালাম
করলেন। সে ব্যক্তি وَعَلَيْكُمُ
السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ বাক্য দ্বারা সালামের উত্তর দিলেন।
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তাঁর কাছে ফিরে এসে বললেন, নামাযরত অবস্থায় যদি তোমাদের
কাউকেও সালাম করা হয়, তবে সে সালাম করবে না বরং হাতের ইশারায় উত্তর দেবে। (হাদীসটি
ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৯৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ
يَقُولُ، مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلَمْ يَذْكُرْهَا إِلَّا وَهُوَ مَعَ الْإِمَامِ
فَإِذَا سَلَّمَ الْإِمَامُ فَلْيُصَلِّ الصَّلَاةَ الَّتِي نَسِيَ ثُمَّ
لِيُصَلِّ بَعْدَهَا الْأُخْرَى.
নাফি’ (র) থেকে
বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি
কোন নামায ভুলে যায়, তারপর সে নামাযের কথা আর স্মরণ হয়নি, কিন্তু স্মরণ হয়েছে এমন
সময় যখন ইমামের সাথে, তবে ইমাম সালাম ফিরালে পর সে (প্রথমে) যে নামায ভুলেছে তা
আদায় করে নিবে, তারপর অন্য নামায (যা ইমামের সাথে আদায় করেছিলো) আদায় করবে।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৯৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى
بْنِ حَبَّانَ عَنْ عَمِّهِ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ أَنَّهُ قَالَ، كُنْتُ أُصَلِّي
وَعَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى جِدَارِ الْقِبْلَةِ فَلَمَّا
قَضَيْتُ صَلَاتِي انْصَرَفْتُ إِلَيْهِ مِنْ قِبَلِ شِقِّي الْأَيْسَرِ فَقَالَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَنْصَرِفَ عَنْ يَمِينِكَ قَالَ
فَقُلْتُ رَأَيْتُكَ فَانْصَرَفْتُ إِلَيْكَ قَالَ عَبْدُ اللهِ فَإِنَّكَ قَدْ
أَصَبْتَ إِنَّ قَائِلًا يَقُولُ انْصَرِفْ عَنْ يَمِينِكَ فَإِذَا كُنْتَ
تُصَلِّي فَانْصَرِفْ حَيْثُ شِئْتَ إِنْ شِئْتَ عَنْ يَمِينِكَ وَإِنْ شِئْتَ
عَنْ يَسَارِكَ.
ওয়াসি’ ইবনু
হাব্বান (র) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নামায আদায় করতেছিলাম, তখন আবদুল্লাহ ইবনু
উমার (রাঃ) কিবলার প্রাচীরের সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে ছিলেন। আমি নামায সমাপ্ত করার পর
তাঁর কাছে গেলাম, আমার বাম দিকে ফিরে। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (র) বললেন, তোমাকে
ডানদিক হয়ে ফিরতে কিসে বাধা দিল? ওয়াসি’ (র) উত্তরে বললেন, আমি আপনাকে আমার বাম
দিকে বসা দেখে আপনার দিকে ফিরলাম। আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, তুমি ঠিক করেছ। হয়ত এক
ব্যক্তি বলবে তুমি ডান দিক হয়ে ফির। অতঃপর তুমি যখন নামায আদায় কর, যেদিক দিয়ে
তোমার ইচ্ছা হয় সেদিক দিয়ে ফিরো, ডানদিক দিয়ে হোক বা বামদিক দিয়ে। (হাদীসটি ইমাম
মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৩৯৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ مِنْ
الْمُهَاجِرِينَ لَمْ يَرَ بِهِ بَأْسًا أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو
بْنِ الْعَاصِ أَأُصَلِّي فِي عَطَنِ الْإِبِلِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ لَا وَلَكِنْ
صَلِّ فِي مُرَاحِ الْغَنَمِ.
জনৈক মুহাজির
আবদুল্লাহ ইবনু আমার ইবনু আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এর নিকট প্রশ্ন করলেন, উটের বিশ্রামগারে (যা
সাধারণত পানির কাছে হয়) নামায আদায় করতে পারি কি ? তিনি বললেন, না, তবে ছাগলের
বসার স্থানে নামায আদায় করতে পার। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
৩৯৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
أَنَّهُ قَالَ مَا صَلَاةٌ يُجْلَسُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ مِنْهَا ثُمَّ قَالَ
سَعِيدٌ هِيَ الْمَغْرِبُ إِذَا فَاتَتْكَ مِنْهَا رَكْعَةٌ وَكَذَلِكَ سُنَّةُ
الصَّلَاةِ كُلُّهَا.
ইবনু শিহাব (র)
থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) বলেছেন,
কোন নামায এরূপ যার প্রতি রাক’আতে বসতে হয় ? অতঃপর (উত্তরে) সাঈদ বললেন, সেটা
মাগরিবের নামায, যখন তোমার উহা হতে এক রাক’আত ছুটে যায় অর্থাৎ ইমামের সাথে এক
রাক’আত না পেল তাকে সে রাক’আত আদায় করতে হবে, তখন প্রতি রাক’আতেই বসতে হয়।
(হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, সব নামাযেই এরূপ নিয়ম।
পরিচ্ছেদঃ
২৪
নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহ্কাম
৩৯৮
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ
عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ حَامِلٌ
أُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَلِأَبِي الْعَاصِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا
وَإِذَا قَامَ حَمَلَهَا.
আবূ কাতাদা আনসারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাঁর কন্যা যয়নব (রাঃ)-এর মেয়ে উমামাকে উঠিয়ে নামায আদায় করতেন। উমামার পিতা
হচ্ছেন আবুল আস ইবনু রবিআ ইবনু আবদ শামস। হযরত সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সিজদা করার সময় তাঁকে রেখে দিতেন, আবার উঠার সময় তাঁকে উঠিয়ে নিতেন। (বুখারী ৫১৬,
মুসলিম ৫৪৩)
৩৯৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَتَعَاقَبُونَ
فِيكُمْ مَلَائِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلَائِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُونَ فِي
صَلَاةِ الْعَصْرِ وَصَلَاةِ الْفَجْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ
فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي فَيَقُولُونَ
تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ফেরেশতাগণ পালাবদল করে আসা যাওয়া করেন। একদল ফেরেশতা রাত্রে
এবং আর একদল দিনে, আর আসর ও ফজরের নামাযে তাঁরা একত্র হন। অতঃপর যাঁরা রাত্রে
তোমাদের মধ্যে ছিলেন, তাঁরা ঊর্ধ্বলোকে চলে যান। আল্লাহ তা’আলা আপন বান্দাদের
অবস্থা অধিক জ্ঞাত, তবুও তিনি ফেরেশতাগণকে প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দাগণকে কি
অবস্থায় রেখে এসেছ ? উত্তরে ফেরেশতাগণ বলেন, আমরা তাঁদেরকে নামাযরত অবস্থায় রেখে
এসেছি এবং আমরা যখন তাঁদের কাছে গিয়েছিলাম তখনও তাঁর নামাযেরত ছিলেন। (বুখারী ৫৫৫,
মুসলিম ৬৩২)
৪০০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ
زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ
فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللهِ إِذَا قَامَ فِي
مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ
لِلنَّاسِ قَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ قَالَتْ عَائِشَةُ
فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ
لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ
فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
إِنَّكُنْ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ
لِلنَّاسِ فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ لِأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا.
আয়েশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, আবূ বাকরকে বলে দাও, তিনি যেন লোকের ইমামতি করেন। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন,
ইয়া রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আবূ বাকর আপনার স্থানে দাঁড়ালে
কান্নার জন্য লোকে তাঁর আওয়াযই শুনতে পাবে না। কাজেই আপনি লোকের ইমামতি করার জন্য
উমার (রাঃ)-কে নির্দেশ প্রদান করুন। তিনি বললেন, আবূ বাকরকে বলে দাও তিনি যেন
লোকের ইমামতি করেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি হাফ্সাকে বললাম তুমি রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বল, আবূ বকর (রাঃ) যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন,
কান্নার জন্য লোকে তাঁর আওয়ায শুনতে পাবে না, কাজেই লোকের ইমামতি করার জন্য উমার
(রাঃ)-কে বলুন। হাফসা (রাঃ) উহা করলেন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাঁর উত্তরে বললেন, তোমরা অবশ্যই ইউসুফ (আ)-এর সঙ্গিনী নারীদের মত। আবূ বাকরকেই
বলে দাও তিনি যেন লোকের ইমামতি করেন। (এই উত্তর শুনে) হাফসা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে
উদ্দেশ্য করে বললেন, আমি তোমার নিকট হতে কোন মঙ্গল লাভ করিনি। (সহীহ, বুখারী ৬৭৯)
৪০১
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ
اللَّيْثِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَنَّهُ قَالَ
بَيْنَمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ بَيْنَ
ظَهْرَانَيْ النَّاسِ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَسَارَّهُ فَلَمْ يُدْرَ مَا سَارَّهُ
بِهِ حَتَّى جَهَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا هُوَ
يَسْتَأْذِنُهُ فِي قَتْلِ رَجُلٍ مِنْ الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ جَهَرَ أَلَيْسَ يَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ
إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ فَقَالَ الرَّجُلُ بَلَى وَلَا
شَهَادَةَ لَهُ فَقَالَ أَلَيْسَ يُصَلِّي قَالَ بَلَى وَلَا صَلَاةَ لَهُ فَقَالَ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُولَئِكَ الَّذِينَ نَهَانِي اللهُ عَنْهُمْ.
উবায়দুল্লাহ ইবনু
আদী ইবনু খিয়ার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
লোকের (সাহাবীগণের) মধ্যে বিরাজমান ছিলেন। এমন সময় একজন লোক তাঁর খিদমতে উপস্থিত
হলেন এবং তাঁর সাথে চুপে চুপে কথা বললেন। সে ব্যক্তি চুপে চুপে কি যে বললেন তা
আমরা জানতে পারলাম না। ইতিমধ্যে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটু
উচ্চঃস্বরে আলাপ করতে শুরু করলেন, তখন আমরা জানতে পারলাম যে উক্ত ব্যক্তি
মুনাফিকদের মধ্য হতে জনৈক মুনাফিককে কতল করার অনুমতি প্রার্থনা করছেন। রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটু জোরে কথা বলতে শুরু করলেন এবং আগন্তুককে
প্রশ্ন করলেন সে মুনাফিক ব্যক্তিটি কি এই কথার সাক্ষ্য দেয়নি যে, আল্লাহ ব্যতীত
কোন মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর [প্রেরিত]
রসূল ? সে ব্যক্তি বললেন, হ্যাঁ কিন্তু তার শাহাদত বিশ্বাসযোগ্য নয়। রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমালেন সে কি নামায আদায় করে না ? আগন্তুক বললেন,
হ্যাঁ, তবে তার নামায নির্ভরযোগ্য নয়। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, এরাই সে লোক, যাদের (হত্যা করা) হতে আল্লাহ্ আমাকে বিরত রেখেছেন। (হাদীসটি
ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৪০২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللهُمَّ لَا تَجْعَلْ
قَبْرِي وَثَنًا يُعْبَدُ اشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوا قُبُورَ
أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ.
আতা ইবনু ইয়াসার
(র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, হে আল্লাহ! আমার কবরকে পূজা মূর্তি বানাইও না। সে সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর
ক্ষোভ প্রবল হয়েছে, যে সম্প্রদায় তাদের নবীগণের কবরকে মসজিদ বা সিজদার জায়গা
বানিয়ে নিয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন, তবে এই হাদীসের
অর্থে আরো অনেক বর্ণনা রয়েছে।)
৪০৩
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ
الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ كَانَ يَؤُمُّ قَوْمَهُ وَهُوَ
أَعْمَى وَأَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
إِنَّهَا تَكُونُ الظُّلْمَةُ وَالْمَطَرُ وَالسَّيْلُ وَأَنَا رَجُلٌ ضَرِيرُ
الْبَصَرِ فَصَلِّ يَا رَسُولَ اللهِ فِي بَيْتِي مَكَانًا أَتَّخِذْهُ مُصَلًّى
فَجَاءَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ تُحِبُّ
أَنْ أُصَلِّيَ فَأَشَارَ لَهُ إِلَى مَكَانٍ مِنْ الْبَيْتِ فَصَلَّى فِيهِ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
মাহমুদ ইবনু রাবী
আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উতবান ইবনু মালিক (রাঃ) আপন সম্প্রদায়ের লোকদের
ইমামতি করতেন, তিনি ছিলেন অন্ধ। তিনি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আরজ করলেন আমাকে অনেক সময় আন্ধকার, বৃষ্টি ও স্রোতের সম্মুখীন
হতে হয়, আর আমি হলাম দুর্বল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন লোক, তাই হে আল্লাহর রসূল! আপনি
আমার গৃহের কোন স্থানে নামায আদায় করুন, আমি উহাকে নামাযের স্থান নির্ধারণ করব।
তাঁর আবেদন রক্ষার্থে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গৃহে
পদার্পণ করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, কোন স্থানে নামায আদায় করা তুমি পছন্দ কর ? তিনি
ইশারায় রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একটি নির্দিষ্ট স্থান তাঁর
গৃহ হতে দেখালেন অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে স্থানে নামায
আদায় করলেন। (বুখারী ৬৬৭, মুসলিম ৩৩)
৪০৪
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ
عَمِّهِ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى ৯৪و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ
شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَا يَفْعَلَانِ ذَلِكَ.
আব্বাস ইবনু তামীম
(র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে মসজিদে চিৎ হয়ে শায়িত দেখেছিলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এক পা অপর পায়ের উপর রেখেছিলেন। (বুখারী ৪৭৫, মুসলিম ২১০০)
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) বলেন, উমার ইবনু খাত্তাব ও উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) দু’জনে
অনুরূপ করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
৪০৫
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ
مَسْعُودٍ قَالَ لِإِنْسَانٍ إِنَّكَ فِي زَمَانٍ كَثِيرٌ فُقَهَاؤُهُ قَلِيلٌ
قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُدُودُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُرُوفُهُ قَلِيلٌ مَنْ
يَسْأَلُ كَثِيرٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَيَقْصُرُونَ
الْخُطْبَةَ يُبَدُّونَ أَعْمَالَهُمْ قَبْلَ أَهْوَائِهِمْ وَسَيَأْتِي عَلَى
النَّاسِ زَمَانٌ قَلِيلٌ فُقَهَاؤُهُ كَثِيرٌ قُرَّاؤُهُ يُحْفَظُ فِيهِ حُرُوفُ
الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُدُودُهُ كَثِيرٌ مَنْ يَسْأَلُ قَلِيلٌ مَنْ يُعْطِي
يُطِيلُونَ فِيهِ الْخُطْبَةَ وَيَقْصُرُونَ الصَّلَاةَ يُبَدُّونَ فِيهِ
أَهْوَاءَهُمْ قَبْلَ أَعْمَالِهِمْ.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে
সম্বোধন করে বলেছেন, তুমি এমন এক যুগে বাস করছ, যে যুগে ধর্মীয় বিষয়ে বিজ্ঞ অনেক
আলিম রয়েছেন, কারী আছেন কম (অর্থাৎ আমল ও জ্ঞান ছাড়া কেবল কুরআন পাঠকারীদের সংখ্যা
অতি অল্প)। এই যুগে কুরআনের আদেশ নিষেধ প্রভৃতি হিফাযত করা হয়, শব্দের দিকে মনোযোগ
দেয়া হয় কম, ভিক্ষুকের সংখ্যা কম, দাতার সংখ্যা বেশি, নামায আদায় করেন দীর্ঘ আর
খুতবা পাঠ করেন ছোট। সে যুগে প্রবৃত্তি বা খাহেশাতের তাঁবেদারীর পূর্বে তাঁরা আমল
শুরু করে দেন। অদূর ভবিষ্যতে মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, সে যুগে বিজ্ঞ উলামা
হবেন অল্প। কারিগণ হবেন অনেক, কুরআনের শব্দসমূহের হিফাযত করা হবে, অপরদিকে আহকামে
কুরআনকে বরবাদ করা হবে (আমলের প্রতি নযর দেবে কম)। ভিক্ষুক হবে অনেক, দাতার সংখ্যা
হবে অল্প। খুতবা লম্বা প্রদান করবে আর নামায আদায় করবে মুখতাসার, আমলের নয়,
খাহেশাত বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
৪০৬
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ
أَوَّلَ مَا يُنْظَرُ فِيهِ مِنْ عَمَلِ الْعَبْدِ الصَّلَاةُ فَإِنْ قُبِلَتْ
مِنْهُ نُظِرَ فِيمَا بَقِيَ مِنْ عَمَلِهِ وَإِنْ لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ لَمْ
يُنْظَرْ فِي شَيْءٍ مِنْ عَمَلِهِ.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ
(র) থেকে বর্ণিতঃ
আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, বান্দার আমল
হতে সর্বপ্রথম যে আমলেন প্রতি নযর করা হবে, তা হচ্ছে নামায, অতঃপর তার নামায যদি
কবুল করা হয়, তবে অন্যান্য আমলের প্রতি নযর দেয়া হবে। আর যদি নামায তার গ্রহণযোগ্য
না হয়, তবে তার আমলের কোন কিছুর প্রতি নযর দেয়া হবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ)
একক ভাবে বর্ণনা করেছেন, ইমাম আবূ দাঊদ আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন, আবূ দাঊদ
৮৬৪, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন সহীহ ও যঈফ সুনানে আবূ দাঊদ)
৪০৭
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ
زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ
أَحَبُّ الْعَمَلِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي
يَدُومُ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম্-এর
কাছে সে আমল ছিল সর্বাধিক প্রিয়, যে আমল উহার সম্পাদনকারী সর্বদা সম্পাদন করে
থাকে। (সহীহ, বুখারী ৬৪৬২)
৪০৮
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي
وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَجُلَانِ أَخَوَانِ فَهَلَكَ
أَحَدُهُمَا قَبْلَ صَاحِبِهِ بِأَرْبَعِينَ لَيْلَةً فَذُكِرَتْ فَضِيلَةُ
الْأَوَّلِ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَلَمْ
يَكُنْ الْآخَرُ مُسْلِمًا قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ وَكَانَ لَا بَأْسَ
بِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا يُدْرِيكُمْ
مَا بَلَغَتْ بِهِ صَلَاتُهُ إِنَّمَا مَثَلُ الصَّلَاةِ كَمَثَلِ نَهْرٍ غَمْرٍ
عَذْبٍ بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَقْتَحِمُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ فَمَا
تَرَوْنَ ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ فَإِنَّكُمْ لَا تَدْرُونَ مَا بَلَغَتْ
بِهِ صَلَاتُهُ.
সা’দ ইবনু আবি
ওয়াককাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
দু’জন লোক পরস্পর ভাই ভাই, (ঘটনাক্রমে) তাঁদের
মধ্যে এক ভাই মৃত্যুবরণ করেন অপর ভাইয়ের চল্লিশ রাত্রি পূর্বে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমীপে প্রথম (মৃত্যুবরণকারী) ভাইয়ের ফযীলত আলোচিত
হয়। তখন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দ্বিতীয় ভাই কি মুসলমান
ছিলেন না ? (উপস্থিত) সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ (তিনিও মুসলমান ছিলেন), ইয়া
রসূলুল্লাহ্! আর তিনি মন্দলোক ছিলেন না। (এটা শ্রবণ করার পর) রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা জান না, তাঁর নামায তাকে কোন স্তরে
পৌঁছিয়েছে। অবশ্য নামাযের দৃষ্টান্ত হল তোমাদের একজনের দ্বারে অবস্থিত গভীর,
পরিপূর্ণ সুমিষ্ট পানির নহরের মত। উক্ত নহরে দৈনিক পাঁচবার যে অবগাহন করে এতে
তোমার কি ধারণা, তার দেহে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে ? অবশ্য তোমরা জান না যে, তার
নামায তাঁকে মর্যাদার কোন স্তরে নিয়ে পৌঁছিয়েছে। (হাদীসে বর্ণিত ঘটনাটি --------
ইমাম বুখারী বর্ণনা করেন। বুখারী ৫২৮, আর ইমাম মুসলিম, আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণনা করেন মুসলিম ৬৬৭)
৪০৯
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ كَانَ إِذَا
مَرَّ عَلَيْهِ بَعْضُ مَنْ يَبِيعُ فِي الْمَسْجِدِ دَعَاهُ فَسَأَلَهُ مَا
مَعَكَ وَمَا تُرِيدُ فَإِنْ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَبِيعَهُ قَالَ
عَلَيْكَ بِسُوقِ الدُّنْيَا وَإِنَّمَا هَذَا سُوقُ الْآخِرَةِ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, ‘আতা ইবনু
ইয়াসার (র)-এর (অভ্যাস ছিল) মসজিদে ক্রয়-বিক্রয়কারী কেউ তাঁর কাছ দিয়ে যাতায়াত
করলে সে ব্যক্তিকে ডেকে জিজ্ঞেস করতেন তোমার সাথে কি এবং তোমার উদ্দেশ্য কি ? যদি
সে তার নিকট বলত যে, সে এটা বিক্রয় করতে চায়, তবে তিনি বলতেন, তুমি দুনিয়ার বাজারে
গমন কর, কারণ এটি হল আখিরাতের বাজার। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা
করেছেন)
৪১০
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَنَى
رَحْبَةً فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ تُسَمَّى الْبُطَيْحَاءَ وَقَالَ مَنْ كَانَ
يُرِيدُ أَنْ يَلْغَطَ أَوْ يُنْشِدَ شِعْرًا أَوْ يَرْفَعَ صَوْتَهُ فَلْيَخْرُجْ
إِلَى هَذِهِ الرَّحْبَةِ.
মালিক (র) থেকে
বর্ণিতঃ
তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উমার ইবনু
খাত্তাব (রাঃ) মসজিদের পার্শ্বে একটি চত্বর তৈরী করেছিলেন, যাকে বলা হত বুতায়হা
তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি অনর্থক কথা বলতে অথবা কবিতা আবৃত্তি করতে
অথবা উচ্চঃস্বরে কথা বলতে চায়, সে যেন সেই চত্বরে চলে যায়। (হাদীসটি ইমাম মালিক
(রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
পরিচ্ছেদঃ
২৫
নামাযের উৎসাহ প্রদান
৪১১
حَدَّثَنِي
يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ
أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرُ الرَّأْسِ
يُسْمَعُ دَوِيُّ صَوْتِهِ وَلَا نَفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا فَإِذَا هُوَ
يَسْأَلُ عَنْ الْإِسْلَامِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ قَالَ هَلْ عَلَيَّ
غَيْرُهُنَّ قَالَ لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ قَالَ
لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ قَالَ وَذَكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ الزَّكَاةَ فَقَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لَا إِلَّا أَنْ
تَطَّوَّعَ قَالَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللهِ لَا أَزِيدُ عَلَى
هَذَا وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ أَفْلَحَ الرَّجُلُ إِنْ صَدَقَ.
তালহা ইবনু
উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন নযদবাসী লোক এলোমেলো কেশে রসূলুল্লাহ্
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন। আমরা তাঁর স্বরের গুঞ্জন শুনছিলাম।
কিন্তু তিনি কি বলছিলেন তা বুঝা যাচ্ছিল না। আবশেষে তিনি নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর খুব কাছে এলেন। তখন তিনি ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করছিলেন। অতঃপর
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর প্রশ্নের উত্তরে) বললেন,
দিন-রাতে পাঁচবার নামায। সে বলল, এটা ছাড়া আমার উপর আর কোন কিছু (নামায) আছে কি ?
তিনি বললেন, না, অবশ্য তুমি যদি স্বেচ্ছায় (নফল) আদায় কর। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এবং রমযান মাসের রোযা। সে বলল, এটা ছাড়া আমার উপর (আর
কোন রোযা) আছে কি ? তিনি বললেন, না, তুমি যদি স্বেচ্ছায় রাখ। তালহা (রাঃ) বলেন,
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতের উল্লেখ করেন। সে ব্যক্তি বলল,
এটা ছাড়া আমার উপর আর কোন কিছু আছে কি ? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, না, তবে যদি তুমি নফলরূপে দাও। তালহা (রাঃ) বলেন, অতঃপর সে
ব্যক্তি এই বলতে বলতে ফিরে গেল কসম আল্লাহর আমি এর উপর বেশিও করব না এবং এটা হতে
কমও করব না। তারপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই ব্যক্তি
সফলকাম হল, যদি সে সত্য বলে থাকে। (বুখারী ১১৪২, মুসলিম ৭৭৬)
৪১২
و
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَعْقِدُ
الشَّيْطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأْسِ أَحَدِكُمْ إِذَا هُوَ نَامَ ثَلَاثَ عُقَدٍ
يَضْرِبُ مَكَانَ كُلِّ عُقْدَةٍ عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ فَارْقُدْ فَإِنْ
اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَإِنْ تَوَضَّأَ انْحَلَّتْ
عُقْدَةٌ فَإِنْ صَلَّى انْحَلَّتْ عُقَدُهُ فَأَصْبَحَ نَشِيطًا طَيِّبَ
النَّفْسِ وَإِلَّا أَصْبَحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلَانَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের একজন যখন ঘুমায়, তখন শয়তান তার ঘাড়ে তিনটি গিট লাগায়। প্রতিটি গিঁটের স্থলে সে এই বলে মন্ত্রণা দেয় عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ (তোমার জন্য দীর্ঘ রাত্রি রয়েছে, তাই ঘুমাতে থাক।) যদি সে ব্যক্তি জাগ্রত হয় এবং আল্লাহকে স্মরণ করে, তবে একটি গিঁট খুলিয়া যায়, অতঃপর সে যদি ওযূ করে তবে আর একটি গিঁট খুলে যায়, তারপর সে যদি নামায আদায় করে আর একটি গিঁট খুলে যায়, ফলে সে প্রভাত করে উৎফুল্ল ও কলুষমুক্ত আত্মা নিয়ে। অন্যথায় সে প্রভাত করে কলুষিত আত্মা নিয়ে আলসতা সহকারে। (বুখারী ৪৬, মুসলিম ১১)
No comments