সহিহ মুসলিম অধ্যায় "ক্রয়-বিক্রয়" হাদিস নং -৩৬৯৩ থেকে ৩৮৫৩
১. অধ্যায়ঃ
মুলামাসাহ্ [৭] ও মুনাবাযাহ্ [৮] শ্রেণীর
ক্রয়-বিক্রয় বাতিল
[৭] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ মুলামাসাহ্ হলো এমনতর বেচাকেনা যে,
বিক্রেতা ক্রেতাকে বলবে তুমি এটা স্পর্শ করলেই তা তোমার হাতে কেনা সাব্যস্ত হয়ে
যাবে। অথবা তুমি স্পর্শ করলে তোমরা কেনাকাটার ইচ্ছা স্বাধীনতা থাকবে না ইত্যাদি।
[৮] মুনাবাযাহ্ হলো ক্রেতা কোন দ্রব্য সামগ্রীর উপর কাপড় বা কংকর নিক্ষেপ করলেই
তা ক্রয় বলে সাব্যস্ত হয়ে যাবে। তাতে ক্রেতার আর ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা
থাকবেনা। (সহীহ মুসলিম-শারহে নাবাবী, ২য় খন্ড, ২ পৃঃ)
৩৬৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ
عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ، حَبَّانَ عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ
الْمُلاَمَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মুলামাসাহ্ ও মুনাবাযাহ্ শ্রেণীর ক্রয়-বিক্রয় বারণ করেছেন। (ই.ফা.
৩৬৫৯, ই.সে. ৩৬৫৯)
৩৬৯৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সূত্রে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৬৬০, ই.সে.
৩৬৬০)
৩৬৯৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ
نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،
عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদিল্লাহ
ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) সূত থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৬৬১, ই.সে. ৩৬৬১)
৩৬৯৬
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، -
يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ سُهَيْلِ، بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . مِثْلَهُ
.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সূত্রে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৬৬২,
ই.সে. ৩৬৬২)
৩৬৯৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو، بْنُ دِينَارٍ
عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَاءَ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
أَنَّهُ قَالَ نُهِيَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ، الْمُلاَمَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ .
أَمَّا الْمُلاَمَسَةُ فَأَنْ يَلْمِسَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا ثَوْبَ صَاحِبِهِ
بِغَيْرِ تَأَمُّلٍ وَالْمُنَابَذَةُ أَنْ يَنْبِذَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا
ثَوْبَهُ إِلَى الآخَرِ وَلَمْ يَنْظُرْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا إِلَى ثَوْبِ
صَاحِبِهِ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) মুলামাসাহ্ ও মুনাবাযাহ্ এ দু’প্রকার কেনা-বেচা নিষেধ করেছেন।
মুলামাসাহ্’ অর্থ চিন্তা-ভাবনা না করেই ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পরের কাপড় স্পর্শ
করা। আর ‘মুনাবাযাহ্’ অর্থ (ক্রেতা ও বিক্রেতা) উভয়ে একে অন্যের প্রতি কাপড় ছুঁড়ে
দেয়া এবং একজন আরেকজনের কাপড়ের দিকে খেয়াল না করা। (ই.ফা ৩৬৬৩, ই.সে. ৩৬৬৩)
৩৬৯৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، -
وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ - قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي
يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي
وَقَّاصٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، الْخُدْرِيَّ قَالَ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم عَنْ بَيْعَتَيْنِ وَلِبْسَتَيْنِ نَهَى عَنِ الْمُلاَمَسَةِ
وَالْمُنَابَذَةِ فِي الْبَيْعِ . وَالْمُلاَمَسَةُ لَمْسُ الرَّجُلِ ثَوْبَ
الآخَرِ بِيَدِهِ بِاللَّيْلِ أَوْ بِالنَّهَارِ وَلاَ يَقْلِبُهُ إِلاَّ بِذَلِكَ
وَالْمُنَابَذَةُ أَنْ يَنْبِذَ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ بِثَوْبِهِ وَيَنْبِذَ
الآخَرُ إِلَيْهِ ثَوْبَهُ وَيَكُونُ ذَلِكَ بَيْعَهُمَا مِنْ غَيْرِ نَظَرٍ وَلاَ
تَرَاضٍ .
আবূ সাঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দু’প্রকার কেনা-বেচা করতে ও দু’প্রকার বস্ত্র পরিধান
করতে বারণ করেছেন। ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে তিনি ‘মুলামাসাহ্’ ও ‘মুনাবাযাহ্’ বারণ
করেছেন। ‘মুলামাসাহ্’ হল (ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে) রাতে হোক কিংবা দিনে হোক একজন
অপরজনের কাপড় হাতে স্পর্শ করবে। এরূপ করা ছাড়া (মাল) উল্টিয়ে-পাল্টিয়ে দেখা হয় না।
আর ‘মুনাবাযাহ’ হল, পরস্পরের প্রতি কাপড় ছুঁড়ে মারবে এবং এরূপ করলেই উত্তমরূপে
দেখে শুনে সম্মতি ছাড়াই উভয়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে যেত। (ই.ফা. ৩৬৬৪,
ই.সে. ৩৬৬৪)
৩৬৯৯
وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ،
بِهَذَا الإِسْنَادِ .
আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে একই সূত্রে
থেকে বর্ণিতঃ
আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ)
হতে একই সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৬৬৫, ই.সে. ৩৬৬৫)
২. অধ্যায়:
পাথরের টুকরা নিক্ষেপের দ্বারা ক্রয়-বিক্রয় ও
ধোঁকাপূর্ণ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ
৩৭০০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ
الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم عَنْ بَيْعِ الْحَصَاةِ وَعَنْ بَيْعِ الْغَرَرِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: পাথরের টুকরা নিক্ষেপের
মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয়-বিক্রয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৬৬, ই.সে. ৩৬৬৬)
৩. অধ্যায়:
হাবালুল হাবালাহ্ ক্রয়-বিক্রয় হারাম
৩৭০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ
أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ،
عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَنَّهُ نَهَى عَنْ بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ ও
কুতাইবাহ্ ইবনু সা`ঈদ (রহ:) আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি “হাবালুর হাবালা” শর্তে কেনা-বেচা
নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৬৭, ই.সে. ৩৬৬৭)
৩৭০২
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، -
وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ أَهْلُ
الْجَاهِلِيَّةِ يَتَبَايَعُونَ لَحْمَ الْجَزُورِ إِلَى حَبَلِ الْحَبَلَةِ .
وَحَبَلُ الْحَبَلَةِ أَنْ تُنْتَجَ النَّاقَةُ ثُمَّ تَحْمِلَ الَّتِي نُتِجَتْ
فَنَهَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: জাহিলী যুগের লোকেরা
‘হাবালুর হাবালাহ্’ শর্তে উটের গোশত কেনা-বেচা করত। “হাবালুল হাবালাহ” হল উটনীর বাচ্চা
হবে, তারপর ঐ বাচ্চা গর্ভধারন করলে মূল্য পরিশোধ করা হবে। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন।
(ই.ফা.৩৬৬৮, ই.সে. ৩৬৬৮)
৪. অধ্যায়ঃ
কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে
বেশী মূল্য বলা, কেউ কোন বস্তু কেনার জন্য দরাদরি করছে তার উপরে দরাদরি করা, ক্রয়
করার ইচ্ছা ছাড়াই মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দাম বলা এবং বেশী দেখানোর জন্যে ওলানে
দুধ জমা করা হারাম
৩৭০৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" لاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে একে অপরের দামের উপর দাম বাড়িয়ে যেন কোন বস্তু
ক্রয় না করে। (ই.ফা. ৩৬৬৯, ই.সে. ৩৬৬৯)
৩৭০৪
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، -
وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ،
أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " لاَ يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلاَ يَخْطُبْ عَلَى
خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلاَّ أَنْ يَأْذَنَ لَهُ " .
ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কোন লোক যেন তার ভাইয়ের
ক্রয় করার সময় তার উপর বেশী মূল্য বলে ক্রয় না করে এবং কেউ যেন তার অপর ভাইয়ের
বিবাহের প্রস্তাবের উপরে তার অনুমতি ছাড়া প্রস্তাব না পাঠায়। (ই.ফা. ৩৬৭০, ই.সে.
৩৬৭০)
৩৭০৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ،
وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ
الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " لاَ يَسُمِ الْمُسْلِمُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ "
.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: “কোন মুসলিম যেন অন্য মুসলিমের মূল্যের উপর মূল্য না বলে।”
(ই.ফা. ৩৬৭১, ই.সে. ৩৬৭১)
৩৭০৬
وَحَدَّثَنِيهِ أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ،
حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَلاَءِ، وَسُهَيْلٍ
عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح.
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ
بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، - وَهُوَ
ابْنُ ثَابِتٍ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَسْتَامَ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ
. وَفِي رِوَايَةِ الدَّوْرَقِيِّ عَلَى سِيمَةِ أَخِيهِ .
আহমদ ইবনু ইব্রাহীম দাওরাকী, মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না ও
‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
কোন ভাইয়ের দরদাম করার সময় কেউ যেন ঐ
জিনিসের দরদাম না করে। দাওরাকীর রিওয়ায়াতে (আরবী) এর স্থলে (আরবী) বলা হয়েছে।
(ই.ফা. ৩৬৭২ ই.সে. ৩৬৭২)
৩৭০৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُتَلَقَّى الرُّكْبَانُ لِبَيْعٍ
وَلاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلاَ تَنَاجَشُوا وَلاَ يَبِعْ
حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلاَ تُصَرُّوا الإِبِلَ وَالْغَنَمَ فَمَنِ ابْتَاعَهَا بَعْدَ
ذَلِكَ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلُبَهَا فَإِنْ رَضِيَهَا
أَمْسَكَهَا وَإِنْ سَخِطَهَا رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কেনার উদ্দেশে কাফিলার সাথে আগেই গিয়ে সাক্ষাৎ করা যাবে না।
তোমাদের কেউ যেন অপরের দাম বলার উপর দাম না বলে। কেনার উদ্দেশে ছাড়া মালের দাম বলে
বৃদ্ধি করো না। শহরবাসী যেন পল্লীবাসী লোকের থেকে এগিয়ে গিয়ে দ্রব্য নিয়ে বিক্রি
না করে। আর উট ও বকরীর ওলানে দুধ জমা করে না রাখে। এ অবস্থায় কেউ তা খরিদ করলে তার
জন্য দু’পথের এক পথ অবলম্বনের অনুমতি রয়েছে- হয় সে তা রেখে দিবে, না হয় সে তা ফেরত
দিবে এক সা’ খেজুরসহ। [৯] (ই.ফা. ৩৬৭৩, ই.সে. ৩৬৭৩)
[৯] এক সা’ খেজুরসহ ফেরত দেয়ার কারণ এই যে, যেহেতু
ফেরত দেয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত ক্রেতা উক্ত জন্তুর দুধ দ্বারা উপকৃত হয়েছে।
৩৭০৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ،
حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، - وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ -
عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم نَهَى عَنِ التَّلَقِّي لِلرُّكْبَانِ وَأَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَأَنْ
تَسْأَلَ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا وَعَنِ النَّجْشِ وَالتَّصْرِيَةِ وَأَنْ
يَسْتَامَ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) নিষেধ করেছেন- পণ্য দ্রব্য নিয়ে আগমনকারীদের দিকে সামনে অগ্রসর হয়ে খরিদ
করার উদ্দেশে সাক্ষাৎ করতে, শহুরে লোকদের এগিয়ে গিয়ে গ্রাম্য লোকদের থেকে পণ্য
ক্রয় করতে, কোন সতীনকে তার অপর সতীনকে তালাক দিতে (স্বামীর কাছে) বলতে, মূল্য
বৃদ্ধি করার উদ্দেশে দাম বলতে, বিক্রয়ের পূর্বে দোহন না করে ওলানে দুধ জমা করে
রাখতে এবং অপর ভাইয়ের দরদামের উপর দরদাম করতে। (ই.ফা. ৩৬৭৪,ই.সে. ৩৬৭৪)
৩৭০৯
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، ح
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ، بْنُ جَرِيرٍ ح
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالُوا،
جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . فِي حَدِيثِ غُنْدَرٍ
وَوَهْبٍ نُهِيَ . وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نَهَى . بِمِثْلِ حَدِيثِ مُعَاذٍ عَنْ شُعْبَةَ .
আবু বাকর ইবনু নাফি’, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও আবদুল
ওয়ারিস ইবনু ‘আবদুস সামাদ শু‘বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে
গুনদার ও ওয়াহব- এর হাদীসে আছে, “নিষেধ করা হয়েছে।” আর ‘আবদুস সামাদের হাদীসে
আছে-রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। যেমনটি আছে
শু’বাহ থেকে মু‘আয বর্ণিত হাদীসে। (ই.ফা. ৩৬৭৫, ই.সে. ৩৬৭৫)
৩৭১০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى
عَنِ النَّجْشِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া মূল্য বাড়ানোর
উদ্দেশে মূল্য বলতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন।
(ই.ফা. ৩৬৭৬, ই.সে. ৩৬৭৬)
৫. অধ্যায়ঃ
পণ্যদ্রব্য (বাজারে নিয়ে আসার আগেই) এগিয়ে
গিয়ে ক্রয় করা হারাম
৩৭১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى يَعْنِي
ابْنَ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نَهَى أَنْ تُتَلَقَّى السِّلَعُ حَتَّى تَبْلُغَ الأَسْوَاقَ .
وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ نُمَيْرٍ . وَقَالَ الآخَرَانِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم نَهَى عَنِ التَّلَقِّي .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
দ্রব্য বাজারে পৌঁছার আগেই এগিয়ে গিয়ে
খরিদের জন্যে যেতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। এ
হলো ইবনু নুমায়রের বর্ণনা। আর অপর দু’জন বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সামনে এগিয়ে গিয়ে পণ্য বহনকারী কাফিলার সাথে সাক্ষাৎ করতে নিষেধ করেছেন।
(ই.ফা. ৩৬৭৭, ই.সে. ৩৬৭৭)
৩৭১২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ،
جَمِيعًا عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) হতে ইবনু নুমায়রের
বর্ণনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৭৮, ই.সে. ৩৬৭৮)
৩৭১৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ مُبَارَكٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي، عُثْمَانَ عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ تَلَقِّي
الْبُيُوعِ .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি পণ্যদ্রব্য আসার পথে সম্মুখে
অগ্রসর হয়ে ক্রয় করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৭৯, ই.সে. ৩৬৭৯)
৩৭১৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ
هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُتَلَقَّى الْجَلَبُ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পণ্য বহনকারীদের সাথে অগ্রগামী
হয়ে সাক্ষাৎ করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।
(ই.ফা. ৩৬৮০, ই.সে. ৩৬৮০)
৩৭১৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ،
عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامٌ، الْقُرْدُوسِيُّ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ،
قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " لاَ تَلَقَّوُا الْجَلَبَ . فَمَنْ تَلَقَّاهُ فَاشْتَرَى
مِنْهُ فَإِذَا أَتَى سَيِّدُهُ السُّوقَ فَهُوَ بِالْخِيَارِ" .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এগিয়ে গিয়ে পণ্যবাহী কাফিলার সাথে মিলিত হয়ো
না। যদি কেউ এরূপ করে এবং তার থেকে কোন বস্তু ক্রয় করে নেয় তবে বিক্রেতা বাজারে
পৌঁছার পর বিক্রয় বহাল রাখা বা বাতিল করার ব্যাপারে ইখতিয়ার পাবে। (ই.ফা. ৩৬৮১,
ই.সে. ৩৬৮১)
৬. অধ্যায়ঃ
শহরবাসী লোকের জন্যে পল্লীবাসীর দালাল হয়ে
বিক্রি করা হারাম
৩৭১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو
النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ
بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ
" . وَقَالَ زُهَيْرٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى
أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন শহরবাসী
পল্লীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করবে না।
আর যুহায়র বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন শহরবাসীকে পল্লীবাসীর
পক্ষে দালালী করে বিক্রি করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৮২, ই.সে. ৩৬৮২)
৩৭১৭
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ
حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ
ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَنْ تُتَلَقَّى الرُّكْبَانُ وَأَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ
. قَالَ فَقُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ مَا قَوْلُهُ حَاضِرٌ لِبَادٍ قَالَ لاَ
يَكُنْ لَهُ سِمْسَارًا
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগিয়ে
গিয়ে পণ্যবহনকারী কাফিলার সাথে মিলিত হতে এবং শহরবাসীকে পল্লীবাসীর পক্ষ হয়ে
বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।
বর্ণনাকারী (তাউস) বলেনঃ আমি ইবনু ‘আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম, শহরবাসী পলীবাসীর পক্ষ
হয়ে বিক্রি করার মানে কী? তিনি বললেনঃ সে তার দালালী করবে না। (ই.ফা. ৩৬৮৩, ই.সে.
৩৬৮৩)
৩৭১৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو
خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ
يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ
دَعُوا النَّاسَ يَرْزُقِ اللَّهُ بَعْضَهُمْ مِنْ بَعْضٍ" . غَيْرَ
أَنَّ فِي رِوَايَةِ يَحْيَى " يُرْزَقُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শহরের লোক গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে বিক্রয় করতে পারবে
না। লোকদের একজনের দ্বারা অপরজনের রিয্কের যে ব্যবস্থা আল্লাহ করে রেখেছেন সে
ব্যবস্থা চালু থাকতে দাও। (ই.ফা. ৩৬৮৪, ই.সে. ৩৬৮৪)
৩৭১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو
النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي
الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৬৮৫, ই.সে.
৩৬৮৫)
৩৭২০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ
يُونُسَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ قَالَ نُهِينَا أَنْ
يَبِيعَ، حَاضِرٌ لِبَادٍ . وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ أَوْ أَبَاهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমাদেরকে এমনটি নিষেধ করা
হয়েছে, গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে শহরের লোকেরা যেন বিক্রয় না করে, সে ভাই বা পিতাই
হোক না কেন। (ই.ফা. ৩৬৮৬,ই.সে. ৩৬৮৬)
৩৭২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي
عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ،ح . وَحَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ،
قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ نُهِينَا عَنْ أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে
যে, শহরের লোক যেন গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে বিক্রয় না করে। (ই.ফা. ৩৬৮৭, ই.সে.
৩৬৮৭)
৭. অধ্যায়ঃ
কোন জন্তুর ওলান ফুলিয়ে বিক্রির হুকুম
৩৭২২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ،
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ
اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً فَلْيَنْقَلِبْ بِهَا فَلْيَحْلُبْهَا فَإِنْ رَضِيَ
حِلاَبَهَا أَمْسَكَهَا وَإِلاَّ رَدَّهَا وَمَعَهَا صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ "
.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি দুধ দোহন না করে ফুলিয়ে রাখা ওলান
বিশিষ্ট বকরী খরিদ করে, তবে বাড়ী নিয়ে দোহনের পরে সে ইচ্ছা করলে রাখতে পারে আবার
ইচ্ছা করলে ফেরতও দিতে পারে। ফেরত দিতে চাইলে এক সা’ খেজুরও সাথে দিবে। (ই.ফা.
৩৬৮৮, ই.সে. ৩৬৮৮)
৩৭২৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، -
يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
مَنِ ابْتَاعَ شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ فِيهَا بِالْخِيَارِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِنْ
شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ
" .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলান ফুলিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করবে, তিন দিন পর্যন্ত
তার জন্যে ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকবে। ইচ্ছা করলে সেটি রাখতে পারে, আর যদি ফেরত দেয়
তবে সে সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে। (ই.ফা. ৩৬৮৯, ই.সে. ৩৬৮৯)
৩৭২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي
رَوَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، - يَعْنِي الْعَقَدِيَّ - حَدَّثَنَا
قُرَّةُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ بِالْخِيَارِ
ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ رَدَّهَا رَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ طَعَامٍ لاَ
سَمْرَاءَ ".
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলান ফুলানো বকরী ক্রয় করবে, তিন দিন
পর্যন্ত তার জন্য ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকবে। সে যদি উক্ত বকরী ফেরত দেয় তবে তার সাথে
এক সা’ খাদ্য বস্তুও দিবে। এজন্য উৎকৃষ্ট গম দিতে হবে এমনটি নয়। (ই.ফা. ৩৬৯০,
ই.সে. ৩৬৯০)
৩৭২৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ بِخَيْرِ
النَّظَرَيْنِ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ
لاَ سَمْرَاءَ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলানে দুধ ফুলান বকরী কিনবে তার জন্য
ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকবে। ইচ্ছা করলে ক্রয় ঠিক রাখবে আর ইচ্ছা করলে এক সা’ খেজুরসহ
ফেরত দিবে- এজন্য উত্তম গম দেয়া জরুরী নয়। (ই.ফা. ৩৬৯১, ই.সে. ৩৬৯১)
৩৭২৬
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ "
مَنِ اشْتَرَى مِنَ الْغَنَمِ فَهُوَ بِالْخِيَارِ " .
ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) উপরে উল্লিখিত হাদিসটি ‘আবদুল
ওয়াহ্ব থেকে উপরোক্ত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
অবশ্য ‘আবদুল ওয়াহ্ব বর্ণনায় (আরবী) এর
জায়গায় (আরবী) আছে। (ই.ফা. ৩৬৯২, ই.সে. ৩৬৯২)
৩৭২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا
حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ
أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِذَا مَا أَحَدُكُمُ اشْتَرَى لِقْحَةً مُصَرَّاةً أَوْ شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ
بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلُبَهَا إِمَّا هِيَ وَإِلاَّ
فَلْيَرُدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ " .
হুমাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশ কিছু হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করেন
এবং বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ
যদি ওলান ফুলিয়ে রাখা উষ্ট্রী বা বকরী খরিদ করে তবে দুধ দোহনের পরে তার
ইচ্ছা-স্বাধীনতা থাকবে। হয় তা রেখে দিবে অথবা এক সা' খুরমাসহ ফেরত দিবে। (ই.ফা.
৩৬৯৩, ই.সে. ৩৬৯৩)
৮. অধ্যায়ঃ
ক্রয় করা জিনিস আপন আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে
বিক্রি করলে বাতিল হবে
৩৭২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ
زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ
حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ
ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ " . قَالَ ابْنُ
عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَىْءٍ مِثْلَهُ .
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি
কোন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করতে পারবে না।
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি সকল বস্তুর বেলায় এ একই নিয়ম। (ই.ফা. ৩৬৯৪,
ই.সে. ৩৬৯৪)
৩৭২৯
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالاَ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ، أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو
كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، - وَهُوَ الثَّوْرِيُّ -
كِلاَهُمَا عَنْ عَمْرِو، بْنِ دِينَارٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
'আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
'আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে
একই রকম হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৬৯৫, ই.সে. ৩৬৯৫)
৩৭৩০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ
رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ
الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ
طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى
يَقْبِضَهُ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَىْءٍ
بِمَنْزِلَةِ الطَّعَامِ .
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে নিজ আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে তা বিক্রি করতে
পারবে না।
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমার ধারণা খাদ্য দ্রব্যের যে বিধান, অন্যান্য বস্তুর
ক্ষেত্রেও এ একই বিধান প্রযোজ্য। (ই.ফা. ৩৬৯৬, ই.সে. ৩৬৯৬)
৩৭৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ
وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ،
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ
ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَكْتَالَهُ " . فَقُلْتُ
لاِبْنِ عَبَّاسٍ لِمَ فَقَالَ أَلاَ تَرَاهُمْ يَتَبَايَعُونَ بِالذَّهَبِ
وَالطَّعَامُ مُرْجَأٌ وَلَمْ يَقُلْ أَبُو كُرَيْبٍ مُرْجَأٌ .
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি খাদ্য বস্তু ক্রয় করবে, সে তা মাপার আগে বিক্রি করতে পারবে না।
বর্ণনাকারী [তাউস (রহঃ)] বলেন, আমি ইবনু 'আব্বাসের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারণ
কী? তিনি বললেন, তুমি কি দেখনি যে, লোকজন স্বর্ণ ও খাদ্যদ্রব্য বাকীতে ক্রয় করে?
আবূ কুরায়ব 'বাকী' শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৬৯৭, ই.সে. ৩৬৯৭)
৩৭৩২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ،
حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى
مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى
يَسْتَوْفِيَهُ " .
ইবনু 'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করলে তা পূর্ণ করায়ত্ব করার পূর্বে যেন
বিক্রি না করে। (ই.ফা. ৩৬৯৮, ই.সে. ৩৬৯৮)
৩৭৩৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نَبْتَاعُ الطَّعَامَ فَيَبْعَثُ عَلَيْنَا مَنْ يَأْمُرُنَا
بِانْتِقَالِهِ مِنَ الْمَكَانِ الَّذِي ابْتَعْنَاهُ فِيهِ إِلَى مَكَانٍ سِوَاهُ
قَبْلَ أَنْ نَبِيعَهُ .
ইবনু 'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় দ্রব্য ক্রয় করতাম। তখন তিনি এ মর্মে
আদেশ দিয়ে আমাদের নিকট লোক পাঠাতেন যে, এ মাল বিক্রি করার আগেই যেন ক্রয়ের জায়গা
হতে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। (ই.ফা. ৩৬৯৯, ই.সে. ৩৬৯৯)
৩৭৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى
يَسْتَوْفِيَهُ"
ইবনু 'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা পরিপূর্ণ করায়ত্বে নেয়ার
আগে বিক্রি করতে পারবে না। (ই.ফা. ৩৭০০, ই.সে. ৩৭০০)
৩৭৩৫
قَالَ وَكُنَّا نَشْتَرِي الطَّعَامَ مِنَ الرُّكْبَانِ جِزَافًا
فَنَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَبِيعَهُ حَتَّى نَنْقُلَهُ
مِنْ مَكَانِهِ
ইবনু 'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আরো বলেনঃ আমরা কাফিলা থেকে
দ্রব্য খরিদ করতাম। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে
তা স্থানান্তরিত করার পূর্বে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭০০, ই.সে. ৩৭০০)
৩৭৩৬
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ وَيَقْبِضَهُ
" .
আবদুল্লাহ ইবনু 'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে ততক্ষণ পর্যন্ত তা বিক্রি
করতে পারবে না, যতক্ষণ না হস্তগত করে ও তাতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে। (ই.ফা.
৩৭০১, ই.সে. ৩৭০১)
৩৭৩৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ
يَحْيَى أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَقَالَ عَلِيٌّ حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا
فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে সে তা হস্তগত করার
পূর্বে বিক্রি করতে পারবে না। (ই.ফা.৩৭০২, ই.সে. ৩৭০২)
৩৭৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
أَنَّهُمْ كَانُوا يُضْرَبُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
إِذَا اشْتَرَوْا طَعَامًا جِزَافًا أَنْ يَبِيعُوهُ فِي مَكَانِهِ حَتَّى
يُحَوِّلُوهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময়ে আন্দাজ করে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে স্থান বদল করার
পূর্বে বিক্রি করলে লোকদের শাস্তি দেয়া হত। (ই.ফা.৩৭০৩, ই.সে. ৩৭০৩)
৩৭৩৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ،
أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ قَدْ رَأَيْتُ النَّاسَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم إِذَا ابْتَاعُوا الطَّعَامَ جِزَافًا يُضْرَبُونَ فِي أَنْ
يَبِيعُوهُ فِي مَكَانِهِمْ وَذَلِكَ حَتَّى يُئْوُوهُ إِلَى رِحَالِهِمْ .
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُمَرَ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يَشْتَرِي الطَّعَامَ جِزَافًا فَيَحْمِلُهُ إِلَى
أَهْلِهِ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ‘আমালে লোকেরা অনুমান করে খাদ্যদ্রব্য খরিদ
করে নিজেদের জায়গায় না নিয়েই ক্রয় স্থলে তা বিক্রি করার কারণে তাদের শাস্তি দেয়া
হত। ইবনু শিহাব (রহঃ) ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা
করেন যে, তাঁর পিতা অনুমান করে খাদ্য বস্তু ক্রয় করত। এরপর তা বাড়ী নিয়ে আসত।
(ই.ফা.৩৭০৪, ই.সে. ৩৭০৪)
৩৭৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ
وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ
عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ
بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَكْتَالَهُ
" . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ " مَنِ ابْتَاعَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি
খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা পরিমাপ করার আগে বিক্রি করতে পারবে না। (ই.ফা.৩৭০৫,
ই.সে. ৩৭০৫)
আবূ বাকরের বর্ণনায় (আরবী) এর স্থলে (আরবী) রয়েছে। (ই. ফা. ৩৭০৫, ই. সে. ৩৭০৫)
৩৭৪১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ
عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ
يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ
الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ
أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ
فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا
مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে
দিয়েছেন? মারওয়ান বললেন, না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস
করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? [১০] অথচ রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি
করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে
দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন
কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (ই.ফা.৩৭০৬, ই.সে. ৩৭০৬)
[১০] গভর্ণর কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদির
রেশন কার্ড বিক্রি করে দেয়া অবৈধ। কারণ মালিক খাদ্যদ্রব্য উত্তেলন না করেই এবং তা নিজের
করজায় না নিয়েই বিক্রি করে দিল। (সহীহ মুসলিম-শারহে নাবাবী, ২য় খন্ড, ৫-৬ পৃষ্ঠা)
৩৭৪২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ،
حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ
بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" إِذَا ابْتَعْتَ طَعَامًا فَلاَ تَبِعْهُ حَتَّى تَسْتَوْفِيَهُ "
.
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ তুমি যখন কোন খাদ্য বস্তু ক্রয় করো, তখন তা
সম্পূর্ণরূপে বুঝে নেয়ার আগে বিক্রি করো না। (ই.ফা.৩৭০৭, ই.সে. ৩৭০৭)
৯.অধ্যায়ঃ
অজ্ঞাত পরিমান খেজুরের স্তুপ নিদিষ্ট পরিমাণ
খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা হারাম
৩৭৪৩
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ
أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ،
أَخْبَرَهُ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الصُّبْرَةِ مِنَ التَّمْرِ لاَ يُعْلَمُ
مَكِيلَتُهَا بِالْكَيْلِ الْمُسَمَّى مِنَ التَّمْرِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অজ্ঞাত পরিমান খেজুরের স্তুপ নিদিষ্ট পরিমাণ খেজুরের বিনিময়ে
বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা.৩৭০৮, ই.সে. ৩৭০৮)
৩৭৪৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ
عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ
سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ مِنَ التَّمْرِ . فِي آخِرِ
الْحَدِيثِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ধরনের বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। তবে বর্ণনাকারী রাওয়া
(রহঃ) হাদীসের শেষ অংশে খেজুরের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.৩৭০৯,ই.সে. ৩৭০৯)
১০. অধ্যায়ঃ
ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্যে খিয়ারে মাজলিস
(ক্রয়-বিক্রয় ভঙ্গে ইচ্ছা-স্বাধীনতা) থাকবে
৩৭৪৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" الْبَيِّعَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ عَلَى صَاحِبِهِ
مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا إِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতার একজনের অপরের উপর (ক্রয়-বিক্রয় ভঙ্গ করার)
ইচ্ছা-স্বাধীনতা থাকবে, যতক্ষণ তারা একে অপর থেকে আলাদা না হয়। তবে ইখতিয়ারের
শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে তা ভিন্ন কথা। (ই.ফা.৩৭১০,ই.সে. ৩৭১০)
৩৭৪৬
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ
أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ
نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ
حَرْبٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا
أَبُو الرَّبِيعِ وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ
زَيْدٍ - جَمِيعًا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي
عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، بْنُ
سَعِيدٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ،
أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যুহায়র ইবনু হারব ও ‘আলী ইবনু হুজর এবং
আবূ রাবী‘ ও আবূ কামিল (রহঃ)…ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে, ইবনুল মুসান্না ও ইবনু আবূ
‘উমার এবং ইবনু রাফি‘ (রহঃ)……. ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে উপরে উল্লেখিত নাফি‘ থেকে মালিক এর বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ
বর্ণনা করেন। (ই.ফা.৩৭১১,ই.সে. ৩৭১১)
৩৭৪৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ "
إِذَا تَبَايَعَ الرَّجُلاَنِ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ مَا لَمْ
يَتَفَرَّقَا وَكَانَا جَمِيعًا أَوْ يُخَيِّرُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ فَإِنْ
خَيَّرَ أَحَدُهُمَا الآخَرَ فَتَبَايَعَا عَلَى ذَلِكَ فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ
وَإِنْ تَفَرَّقَا بَعْدَ أَنْ تَبَايَعَا وَلَمْ يَتْرُكْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا
الْبَيْعَ فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ " .
ইবনু ‘উমার (রা.) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দু’জন লোক পরস্পর কেনাবেচা
করলে যতক্ষণ তারা একে অন্যের থেকে পৃথক না হয় এবং একত্রিত থাকে ততক্ষণ তাদের
প্রত্যেকেরই ক্রয়-বিক্রয় বাতিল করার স্বাধীনতা থাকবে। কিংবা যদি একজন অপরজনকে
ক্রয়-বিক্রয় বাতিল করার ইখ্তিয়ার প্রদান করে এবং এরূপ শর্তে ক্রয়-বিক্রয় সমাধা হয়
তবে এ ক্রয়-বিক্রয় ঠিক থাকবে। আর যদি ক্রয়-বিক্রয়ের পর তারা একজন অন্যজন থেকে পৃথক
হয়ে যায় এবং উভয়ের কোন একজন ক্রয়-বিক্রয় বাতিল না করে তবে তাও ঠিক থাকবে। (ই.ফা.
৩৭১২, ই.সে. ৩৭১২)
৩৭৪৮
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ،
كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ
عُيَيْنَةَ، - عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَمْلَى عَلَىَّ نَافِعٌ سَمِعَ عَبْدَ
اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِذَا تَبَايَعَ الْمُتَبَايِعَانِ بِالْبَيْعِ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ
مِنْ بَيْعِهِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا أَوْ يَكُونُ بَيْعُهُمَا عَنْ خِيَارٍ
فَإِذَا كَانَ بَيْعُهُمَا عَنْ خِيَارٍ فَقَدْ وَجَبَ " . زَادَ ابْنُ
أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ نَافِعٌ فَكَانَ إِذَا بَايَعَ رَجُلاً
فَأَرَادَ أَنْ لاَ يُقِيلَهُ قَامَ فَمَشَى هُنَيَّةً ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
ক্রেতা ও বিক্রেতা যখন ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করে তখন তাদের প্রত্যেকেরই ক্রয়-বিক্রয়
প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে সুযোগ থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা একে অন্যের থেকে পৃথক
না হয়ে যায়। অথবা যদি ক্রয়-বিক্রয় খিয়ারের শর্তে (নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
ক্রয়-বিক্রয় ঠিক রাখা না রাখার শর্ত) হয়ে থাকে তখনও খিয়ার বহাল থাকবে।
ইবনু আবূ ‘উমারের বর্ণনায় আরো রয়েছে- নাফি’ বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যখন কারো সাথে
ক্রয়-বিক্রয় করতেন এবং তিনি তা বহাল রাখতে চাইতেন, তখন উঠে গিয়ে এদিক সেদিক
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতেন, তারপর দ্বিতীয়পক্ষের নিকট আবার প্রত্যাবর্তন করতেন।
(ই.ফা. ৩৭১৩, ই.সে. ৩৭১৩)
৩৭৪৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، و يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ
وَقُتَيْبَةُ وَابْنُ حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ
الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ، عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " كُلُّ بَيِّعَيْنِ لاَ بَيْعَ بَيْنَهُمَا حَتَّى
يَتَفَرَّقَا إِلاَّ بَيْعُ الْخِيَارِ " .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে কেনা-বেচা পুরোপুরি হবে না
তারা পরস্পর আলাদা হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হলে; (পরস্পর
বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও খিয়ার বহাল থাকবে)। (ই.ফা. ৩৭১৪, ই.সে. ৩৭১৪)
১১. অধ্যায়ঃ
ক্রয়-বিক্রয়ে সত্য বলা ও দোষ-ত্রুটি বর্ণনা
করা
৩৭৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ، عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ،
عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا
بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ
بَيْعِهِمَا " .
হাকীম ইবনু হিযাম (রা.) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতার একজন
আরেকজন থেকে পৃথক হওয়া পর্যন্ত খিয়ার থাকবে। উভয়ে যদি সত্য কথা বলে এবং দোষ-ত্রুটি
বর্ণনা করে দেয় তবে তাদের কেনা-বেচায় বরকত হবে। আর যদি তারা কেনা-বেচার মধ্যে
মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে তবে তাতে বরকত থাকবে না। (ই.ফা. ৩৭১৫,
ই.সে. ৩৭১৫)
৩৭৫১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ
عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، يُحَدِّثُ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ . قَالَ مُسْلِمُ بْنُ
الْحَجَّاجِ وُلِدَ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ وَعَاشَ مِائَةً
وَعِشْرِينَ سَنَةً .
হাকীম ইবনু হিযাম (রা.) সূ্ত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) সূ্ত্রে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে এরকম হাদীস বর্ণনা করেন।
মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) কা’বার ভিতরে ভূমিষ্ট হন
ও একশ’ বিশ বছর বেঁচে থাকেন। (ই.ফা. ৩৭১৬, ই.সে. ৩৭১৬)
১২. অধ্যায়ঃ
কেনা-বেচায় প্রতারিত হওয়া
৩৭৫২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ،
وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ
الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ، عُمَرَ يَقُولُ ذَكَرَ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يُخْدَعُ فِي الْبُيُوعِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " مَنْ بَايَعْتَ فَقُلْ لاَ خِلاَبَةَ " .
فَكَانَ إِذَا بَايَعَ يَقُولُ لاَ خِيَابَةَ.
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জানাল যে, ক্রয়-বিক্রয়ে তাকে প্রতারিত
করা হয়। তখন তিনি বললেনঃ তুমি যার সাথে কেনা-বেচা করবে তাকে বলবে, কোন প্রকার
প্রতারণা থাকবে না। এরপর থেকে যখনও সে কিছু খরিদ করত, তখনই বলে দিত কোন প্রকার
প্রতারণা থাকবে না। (ই.ফা. ৩৭১৭, ই.সে. ৩৭১৭)
৩৭৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا فَكَانَ
إِذَا بَايَعَ يَقُولُ لاَ خِيَابَةَ .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না
(রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ ও মুহাম্মাদ
ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) হতে অনুরূপ
বর্ণনা করেন। তবে এদের বর্ণিত হাদীসে এ কথাটি নেই যে, “এরপর থেকে সে যখনই কিছু
ক্রয় করত তখনই বলত কোন প্রকার প্রতারণা থাকবে না।” (ই.ফা. ৩৭১৮, ই.সে. ৩৭১৮)
১৩. অধ্যায়ঃ
ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে বিক্রি করা নিষেধ
৩৭৫৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى
عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا نَهَى الْبَائِعَ
وَالْمُبْتَاعَ
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ফল উপযোগী হওয়ার পূবেৃ বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। নিষেধ করেছেন ক্রেতা ও
বিক্রেতা উভয়কেই। (ই.ফা. ৩৭২০, ই.সে. ৩৭১৯)
৩৭৫৫
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
بِمِثْلِهِ .
ইবনু ‘উমার (রা.)-এর সূ্ত্রে, নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূ্ত্রে, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭২০,
ই.সে. ৩৭২০)
৩৭৫৬
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ
حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ
عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ
حَتَّى يَزْهُوَ وَعَنِ السُّنْبُلِ حَتَّى يَبْيَضَّ وَيَأْمَنَ الْعَاهَةَ نَهَى
الْبَائِعَ وَالْمُشْتَرِيَ .
ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) পাকার আগে খেজুর বিক্রি করতে এবং সাদা হওয়ার আগে ও দুর্যোগ-মুক্ত হওয়ার
পূর্বে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। আর ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই তিনি নিষেধ
করেছেন। (ইফা. ৩৭২১, ই.সে. ৩৭২১)
৩৭৫৭
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى
بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " لاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ
وَتَذْهَبَ عَنْهُ الآفَةُ قَالَ يَبْدُوَ صَلاَحُهُ حُمْرَتُهُ وَصُفْرَتُهُ .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
পরিপক্ক হওয়ার আগে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পূর্বে তোমরা ফল ক্রয় করো না।
বর্ণনাকারী বলেনঃ খাওয়ার যোগ্য হওয়ার অর্থ লাল বর্ণ ও হলদে বর্ণ ধারণ করা। (ই.ফা.
৩৭২২, ই.সে. ৩৭২২)
৩৭৫৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ،
قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ حَتَّى
يَبْدُوَ صَلاَحُهُ لَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ
ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে বর্ণনা
করেন, যতক্ষণ না তা পরিপক্ক হয়। এর পরবর্তী অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৭২৩,
ই.সে. ৩৭২৩)
৩৭৫৯
حَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ،
أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ .
ইবনু ‘উমার (রা.) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল ওয়াহব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ
বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭২৪, ই.সে. ৩৭২৪)
৩৭৬০
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ
مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَعُبَيْدِ اللَّهِ
.
ইবনু ‘উমার (রা.)-এর সূ্ত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
মালিক ও ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বর্ণিত
হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭২৫, ই.সে. ৩৭২৫)
৩৭৬১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ،
وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ
الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " لاَ تَبِيعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ
"
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরিপক্ক হওয়ার আগে তোমরা ফল বিক্রি করো না। (ই.ফা.
৩৭২৬, ই.সে. ৩৭২৬)
৩৭৬২
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ شُعْبَةَ فَقِيلَ لاِبْنِ
عُمَرَ مَا صَلاَحُهُ قَالَ تَذْهَبُ عَاهَتُهُ .
যুহায়র ইবনু হার্ব (রহঃ) সুফ্ইয়ান (রহঃ)-এর সূত্রে এবং
ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ও শু’বাহ্ (রহঃ) সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। অবশ্য
শু’বার বর্ণনায় এতটুকু অতিরিক্ত আছে যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে পরিপক্ক হওয়ার
অর্থ কী, জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ প্রাকৃতিক দূর্যোগ পার হওয়া। (ই.ফা. ৩৭২৭,
ই.সে. ৩৭২৭)
৩৭৬৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ،
حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى -
أَوْ نَهَانَا - رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى
يَطِيبَ .
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন অথবা তিনি বলেন, আমাদের নিষেধ করেছেন ফল
পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে তা বিক্রি করতে। (ই.ফা. ৩৭২৮, ই.সে. ৩৭২৮)
৩৭৬৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا
أَبُو عَاصِمٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ -
حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ
صَلاَحُهُ .
জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন ফল আহারযোগ্য হওয়ার আগেই বিক্রি করতে। (ই.ফা.
৩৭২৯, ই.সে. ৩৭২৯)
৩৭৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ
النَّخْلِ، فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ
النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ مِنْهُ أَوْ يُؤْكَلَ وَحَتَّى يُوزَنَ . قَالَ
فَقُلْتُ مَا يُوزَنُ فَقَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يَحْزَرَ .
আবূল বুখ্তারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর
নিকট গাছে থাকা খেজুর বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলাম। তখন তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গাছের খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন যতক্ষণ
না তা খাওয়া যায় বা খাওয়ার যোগ্য হয় এবং ওজন করা যায়। রাবী বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস
(রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে ওজন করবে? তখন তার পাশেই অবস্থানকারী জনৈক ব্যক্তি
উত্তর দিল- পরিমাণ করবে। (ই.ফা. ৩৭৩০, ই.সে. ৩৭৩০)
৩৭৬৬
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي، نُعْمٍ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
تَبْتَاعُوا الثِّمَارَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফল খাওয়ার উপযোগী হওয়ার আগে তোমরা ক্রয় করবে না।
(ই.ফা. ৩৭৩১, ই.সে. ৩৭৩১)
১৪. অধ্যায়ঃ
শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করা
হারাম কিন্তু ‘আরায়া [১১] হারাম নয়
[১১] ‘আরায়া হলো, বাগানের মালিক কিছু
গাছ কোন গরীবকে প্রদান করল। সে গাছগুলোতে তাজা রসালো খেজুর রয়েছে। এমতাবস্থায় সে
গবীব লোকটির দ্বারা বাগানের মালিক বা অন্য কারো কাছে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা
খেজুর বিক্রি করে দেয়াকে ‘আরায়া’ বলে। এটা জায়েয, তবে ৫ ওয়াকাক বা ১৮ মণ ৩০ কেজির
বেশি হতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম- শারহে নাবাবী, ২য় খণ্ড, ৮ পৃ:।
৩৭৬৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ
عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ وَزُهَيْرُ بْنُ
حَرْبٍ - وَاللَّفْظُ لَهُمَا - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا
الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَعَنْ بَيْعِ
الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ .
য়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, ইবনু নুমায়র ও যুহায়র ইবনু হার্ব
(রহঃ) ভিন্ন সূত্রে ইবনু ‘উমার (রা.) সূ্রেত নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
খাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রি করতে
নিষেধ করেছেন এবং শুক্না খেজুরের বিনিময়ে রসালো তাজা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ
করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৩২, ই.সে. ৩৭৩২)
৩৭৬৮
قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا . زَادَ ابْنُ
نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ أَنْ تُبَاعَ .
ইবনু ‘উমার (রা.) বর্ণনা করেন, যায়দ ইবনু সাবিত (রা.)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আরায়া ধরনের কেনা-বেচার অনুমতি দান করেছেন। ইবনু নুমায়র তাঁর বর্ণনায়
(আরবী) শব্দটি বাড়িয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৩২, ই.সে. ৩৭৩২)
৩৭৬৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، - وَاللَّفْظُ
لِحَرْمَلَةَ - قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَلاَ
تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ بِالتَّمْرِ " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَحَدَّثَنِي
سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
তোমরা ফল ক্রয় করো না খাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে এবং তাজা রসালো খেজুর খরিদ করো না
শুকনো খেজুরের বিনিময়ে।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেনঃ সালিম তাঁর পিতা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূত্রে
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(ই.ফা. ৩৭৩৩, ই.সে. ৩৭৩৩)
৩৭৭০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ
الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ
بَيْعِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ أَنْ يُبَاعَ ثَمَرُ
النَّخْلِ بِالتَّمْرِ وَالْمُحَاقَلَةُ أَنْ يُبَاعَ الزَّرْعُ بِالْقَمْحِ
وَاسْتِكْرَاءُ الأَرْضِ بِالْقَمْحِ . قَالَ وَأَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ
تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَلاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ
بِالتَّمْرِ " . وَقَالَ سَالِمٌ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ
زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رَخَّصَ
بَعْدَ ذَلِكَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ بِالرُّطَبِ أَوْ بِالتَّمْرِ وَلَمْ
يُرَخِّصْ فِي غَيْرِ ذَلِكَ
ইবনুল মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্ ও মুহাকালাহ্
নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্ হল, গাছের খেজুর খুরমার (শুকনো খেজুর) বিনিময়ে
ক্রয়-বিক্রয় করা। আর মুহাকালাহ্ হল, ক্ষেতের শস্য অনুমান করে সংগৃহীত শস্যের
বিনিময়ে বিক্রি করা এবং সংগৃহীত গমের পরিবর্তে জমি বর্গা দেয়া।
ইবনু শিহাব (রহঃ) সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) সূ্ত্রে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফল খাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে ক্রয় করো
না। আর খুরমার বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয় করো না।
সালিম (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাবিত (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, অতঃপর ‘আরায়া’ প্রক্রিয়ার
ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে তাজা অথবা শুকনা খেজুরের ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমতি দান করেছেন। এ
ছাড়া অন্য কোন ফলের ব্যাপারে তিনি এমন অনুমতি দেননি। (ই.ফা. ৩৭৩৪, ই.সে. ৩৭৩৪)
৩৭৭১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ، بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِصَاحِبِ الْعَرِيَّةِ أَنْ يَبِيعَهَا
بِخَرْصِهَا مِنَ التَّمْرِ .
যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আরায়ার মালিককে এ অনুমতি দিয়েছে যে, সে আরায়াকৃত গাছের তাজা খেজুর
অনুমানের ভিত্তিতে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করতে পারবে। (ই.ফা. ৩৭৩৫, ই.সে.
৩৭৩৫)
৩৭৭২
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ
بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ
اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ يَأْخُذُهَا أَهْلُ
الْبَيْتِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا .
যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া পদ্ধতির অনুমতি প্রদান করেছেন। বাড়ীর মালিক আরায়া করা
ফল অনুমান করে খুরমার বদলে রাখতে পারে তাজা রসযুক্ত খেজুর খাওয়ার জন্যে। (ই.ফা.
৩৭৩৬, ই.সে. ৩৭৩৬)
৩৭৭৩
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ،
بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাফি’ (রহঃ) হতে একই সূত্রে এরূপ হাদীস
বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৩৭, ই.সে. ৩৭৩৭)
৩৭৭৪
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ
يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَالْعَرِيَّةُ
النَّخْلَةُ تُجْعَلُ لِلْقَوْمِ فَيَبِيعُونَهَا بِخَرْصِهَا تَمْرًا .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উক্তরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি কিছু
অতিরিক্ত বলেছেন যে, খেজুর গাছের আরায়া হল: নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছ কাউকে দান করা।
এরপর তার ঐ গাছগুলোর খেজুর অনুমান করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।
(ই.ফা. ৩৭৩৮, ই.সে. ৩৭৩৮)
৩৭৭৫
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا
اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُمَرَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا . قَالَ يَحْيَى
الْعَرِيَّةُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ ثَمَرَ النَّخَلاَتِ لِطَعَامِ أَهْلِهِ
رُطَبًا بِخَرْصِهَا تَمْرًا .
যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া
পদ্ধতির ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রির
অনুমতি দিয়েছেন।
ইয়াহ্ইয়া বলেন, আরায়া হলো নিজের পরিবারবর্গকে তাজা রসাল খেজুর খাওয়াবার জন্যে
গাছের ঝুলন্ত খেজুর অনুমান দ্বারা পরিমাণ করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে খরিদ করে
রাখা। (ই.ফা. ৩৭৩৯, ই.সে. ৩৭৩৯)
৩৭৭৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ
ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا أَنْ
تُبَاعَ بِخَرْصِهَا كَيْلاً .
যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) দানকৃত খেজুর অনুমানে পরিমাপ করে বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪০,
ই.সে. ৩৭৪০)
৩৭৭৭
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ أَنْ تُؤْخَذَ
بِخَرْصِهَا .
‘উবাইদুল্লাহর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন, তা
অনুমান করে নিবে। (ই.ফা. ৩৭৪১, ই.সে. ৩৭৪১)
৩৭৭৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا
حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ،
كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا .
রাফি’ (রহঃ) সূত থেকে বর্ণিতঃ
রাফি’ (রহঃ) সূত্রে উক্ত সানাদে বর্ণনা
করেন যে, আরায়া প্রক্রিয়ার ক্রয়-বিক্রয় অনুমানের ভিত্তিতে করতে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুমোদন দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪২, ই.সে. ৩৭৪২)
৩৭৭৯
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ،
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ
سَعِيدٍ - عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ دَارِهِمْ مِنْهُمْ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ
بِالتَّمْرِ وَقَالَ " ذَلِكَ الرِّبَا تِلْكَ الْمُزَابَنَةُ "
. إِلاَّ أَنَّهُ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ النَّخْلَةِ
وَالنَّخْلَتَيْنِ يَأْخُذُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا
يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا .
সাহ্ল ইবনু আবূ হাস্মাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) শুক্না খেজুরের বদলে তাজা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন:
এটাই সুদ, এটাই ‘মুযাবানাহ্’। অবশ্য তিনি ‘আরায়াকৃত দু’ একটা খেজুর গাছের খেজুর
বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছেন। বাড়ীর মালিক এর পরিমাণ অনুমান করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে
রেখে দিবে এবং তাজা ফল খাবে। (ই.ফা. ৩৭৪৩, ই.সে. ৩৭৪৩)
৩৭৮০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح
وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ سَعِيدٍ
عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَصْحَابِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَنَّهُمْ قَالُوا رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْعِ
الْعَرِيَّةِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا .
বাশীর ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-এর সু্ত্রে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরায়াকৃত খেজুর গাছের ফল অনুমান করে খুরমার বিনিময়ে বিক্রির
অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪৪, ই.সে. ৩৭৪৪)
৩৭৮১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِسْحَاقُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ
يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ بَعْضِ،
أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ دَارِهِ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ
بِلاَلٍ عَنْ يَحْيَى غَيْرَ أَنَّ إِسْحَاقَ وَابْنَ الْمُثَنَّى جَعَلاَ مَكَانَ
الرِّبَا الزَّبْنَ وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ الرِّبَا .
বাশীর ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-এর সূত্রে তার মহল্লায়
বসবাসকারী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবী থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) নিষেধ করেছেন-বর্ণনাকারী সাকাফী (রহঃ) সুলাইমান ইবনু বিলাল (রহঃ) বর্ণিত
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য ইসহাক্ ও ইবনু মুসান্না ‘সুদ’-এর
জায়গার ‘মুযাবানা’ বলেছেন। আর ইবনু আবী ‘উমার বলেছেন ‘সুদ’। (ই.ফা. ৩৭৪৫, ই.সে.
৩৭৪৫)
৩৭৮২
وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ
بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
সাহল ইবনু আবূ হাস্মার সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত বর্ণনায় অনুরূপ হাদীস বর্ণনা
করেন। (ই.ফা. ৩৭৪৬, ই.সে. ৩৭৪৬)
৩৭৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَحَسَنٌ
الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ، بْنِ
كَثِيرٍ حَدَّثَنِي بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى بَنِي حَارِثَةَ أَنَّ رَافِعَ
بْنَ خَدِيجٍ، وَسَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ إِلاَّ
أَصْحَابَ الْعَرَايَا فَإِنَّهُ قَدْ أَذِنَ لَهُمْ .
রাফি’ ইবনু খাদীজ ও সাহল ইবনু আবূ হাস্মাহ্ (রা.) থেকে
বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ‘মুযাবানাহ্’ অর্থাৎ- শুকনা খেজুরের বদলে গাছের কাঁচা খেজুর বিক্রি করতে
নিষেধ করেছেন, কিন্তু আরায়ার মালিকগণ ছাড়া। কেননা তাদেরকে তিনি এর অনুমতি দিয়েছেন।
(ই.ফা. ৩৭৪৭, ই.সে. ৩৭৪৭)
৩৭৮৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ،
حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ -
قَالَ قُلْتُ لِمَالِكٍ حَدَّثَكَ دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي
سُفْيَانَ، - مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا
فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ فِي خَمْسَةِ - يَشُكُّ دَاوُدُ قَالَ
خَمْسَةٌ أَوْ دُونَ خَمْسَةٍ - قَالَ نَعَمْ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আরায়া প্রক্রিয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে ফলের পরিমাণ অনুমানের ভিত্তিতে পাঁচ
ওয়াসাকের চেয়ে স্বল্প বা পাঁচ ওয়াসাকের ভেতরে করার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন।
বর্ণনাকারী দাঊদের এ ব্যাপারে সন্দেহ যে, কথা এভাবে বলেছেন- পাঁচ বা পাঁচের কম।
তখন মালিক বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা. ৩৭৪৮, ই.সে. ৩৭৪৮)
৩৭৮৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ
عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُزَابَنَةُ بَيْعُ الثَّمَرِ
بِالتَّمْرِ كَيْلاً وَبَيْعُ الْكَرْمِ بِالزَّبِيبِ كَيْلاً .
ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মুযাবানাহ থেকে নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্ হলো বৃক্ষের তাজা খেজুর পরিমাপ
করে খুরমার বদলে বিক্রি করা এবং গাছের তাজা আঙ্গুর পরিমাপ করে কিশমিশের বিনিময়ে
বিক্রি করা। (ই.ফা. ৩৭৪৯, ই.সে. ৩৭৪৯)
৩৭৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، بِشْرٍ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ بَيْعِ ثَمَرِ
النَّخْلِ بِالتَّمْرِ كَيْلاً وَبَيْعِ الْعِنَبِ بِالزَّبِيبِ كَيْلاً وَبَيْعِ
الزَّرْعِ بِالْحِنْطَةِ كَيْلاً .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্ করতে নিষেধ করেছেন। আর মুযাবানাহ্ হলো বৃক্ষের তাজা
খেজুর অনুমানে খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা ও কাঁচা আঙ্গুর পরিমাপ নির্ধারণ করে
কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রি করা এবং ক্ষেতের গম অনুমানে পরিমাপ করে সংগৃহীত গমের
বিনিময়ে বিক্রি করা। (ই.ফা. ৩৭৫০, ই.সে. ৩৭৫০)
৩৭৮৭
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا
ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ
‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে উক্ত সানাদে
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৫১, ই.সে. ৩৭৫১)
৩৭৮৮
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ،
وَحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُزَابَنَةُ بَيْعُ ثَمَرِ النَّخْلِ
بِالتَّمْرِ كَيْلاً وَبَيْعُ الزَّبِيبِ بِالْعِنَبِ كَيْلاً وَعَنْ كُلِّ ثَمَرٍ
بِخَرْصِهِ .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্র উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। মুযাবানাহ্ হলো
গাছের খেজুর পরিমাপ করে খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা এং কাঁচা আঙ্গুর পরিমাপ করে
কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রি করা। আর যে কোন ফল অনুমানের বিত্তিতে বিক্রি করতেও তিনি
নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৫২, ই.সে. ৩৭৫২)
৩৭৮৯
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ
حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ - عَنْ
أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُزَابَنَةُ أَنْ يُبَاعَ مَا فِي رُءُوسِ
النَّخْلِ بِتَمْرٍ بِكَيْلٍ مُسَمًّى إِنْ زَادَ فَلِي وَإِنْ نَقَصَ فَعَلَىَّ
.
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মুযাবানাহ্ নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্ হলো গাছের মাথায় যে খেজুর আছে তার
পরিমাণ অনুমান করে নির্ধারিত পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা- এ শর্তের
উপর যে, যদি বেশী হয় তবে তা আমার থাকবে। আর যদি কম হয় তবে সে ক্ষতি আমার উপরই
আসবে। (ই.ফা. ৩৭৫৩, ই.সে. ৩৭৫৩)
৩৭৯০
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ
حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আইয়ূব (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
আইয়ূব (রহঃ)-এর সূত্রে উক্ত সানাদে
অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৫৪, ই.সে. ৩৭৫৪)
৩৭৯১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ
الْمُزَابَنَةِ أَنْ يَبِيعَ ثَمَرَ حَائِطِهِ إِنْ كَانَتْ نَخْلاً بِتَمْرٍ
كَيْلاً وَإِنْ كَانَ كَرْمًا أَنْ يَبِيعَهُ بِزَبِيبٍ كَيْلاً وَإِنْ كَانَ
زَرْعًا أَنْ يَبِيعَهُ بِكَيْلِ طَعَامٍ . نَهَى عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ . وَفِي
رِوَايَةِ قُتَيْبَةَ أَوْ كَانَ زَرْعًا
আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্ নিষেধ করেছেন।
অর্থাৎ- বাগানে যদি খেজুর গাছ থাকে তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপ করে শুকনো খেজুরের
বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা। আর যদি আঙ্গুর থাকে তবে তা পরিমাপ করে কিশমিশের বিনিময়ে
ক্রয়-বিক্রয় করা। আর যদি তা ক্ষেতের ফসল হয় তবে তার পরিমাণ অনুমান করে সে পরিমাণ
খাদ্য ক্রয়-করা-এসব করতে তিনি নিষেধ করেছেন।
কুতাইবার অন্য বর্ণনায় রয়েছে “অথবা যদি তা ক্ষেতের ফসল হয়”। (ই.ফা. ৩৭৫৫, ই.সে.
৩৭৫৫)
৩৭৯২
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي
يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ،
أَخْبَرَنِي الضَّحَّاكُ، ح وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ
نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ
আবূ তাহির, ইবনু রাফি’ ও সুওয়াইদ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ভিন্ন
ভিন্ন সূ্ত্রে নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে হাদীসটি অন্যান্যের অনুরূপ
বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৫৬, ই.সে. ৩৭৫৬)
১৫. অধ্যায়ঃ
ফলবান খেজুর গাছ বিক্রি করা
৩৭৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ بَاعَ نَخْلاً قَدْ أُبِّرَتْ فَثَمَرَتُهَا لِلْبَائِعِ إِلاَّ
أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ "
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি খেজুরের রেণু প্রবিষ্ট করানো খেজুর গাছ বিক্রি করে তবে ঐ
গাছের খেজুর বিক্রেতার পাপ্য। অবশ্য ক্রেতা যদি খেজুর নেয়ার শর্ত করে থাকে তবে তা
তার হবে। (ই.ফা. ৩৭৫৭, ই.সে. ৩৭৫৭)
৩৭৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، جَمِيعًا عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، -
وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " أَيُّمَا نَخْلٍ اشْتُرِيَ أُصُولُهَا وَقَدْ أُبِّرَتْ
فَإِنَّ ثَمَرَهَا لِلَّذِي أَبَّرَهَا إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الَّذِي
اشْتَرَاهَا" .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন তাবিরকৃত খেজুর গাছ যদি মূলসহ ক্রয় করা হয় এবং ক্রেতা যদি ফল
পাওয়ার শর্ত না দিয়ে থাকে, তবে তার ফল তাবিরকারীরই [১২] প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৭৫৮,
ই.সে. ৩৭৫৮)
[১২] তাবীর হলো ‘পরাগায়ন’ অর্থাৎ-
স্ত্রী জাতীয় খেজুর গাছের মুকুলে পুরুষ জাতীয় খেজুর গাছের মুকুলের রেণু প্রবিষ্ট করানো।
(সহীহ মুসলিম- তাহ্কীক : ফু’আদ ‘আবদুল বাকী’, ৩য় খণ্ড, ২৬ পৃ:)
৩৭৯৫
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح
وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ
عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا امْرِئٍ
أَبَّرَ نَخْلاً ثُمَّ بَاعَ أَصْلَهَا فَلِلَّذِي أَبَّرَ ثَمَرُ النَّخْلِ إِلاَّ
أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ " .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: কোন ব্যক্তি খেজুর গাছে তাবির করার পর মূল গাছটি বিক্রি করে দিয়ে
ঐ গাছের খেজুর তাবিরকারী পাবে, যদি ক্রেতা ফল পাওয়ার শর্ত করে না থাকে। (ই.ফা.
৩৭৫৯, ই.সে. ৩৭৫৯)
৩৭৯৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ
حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ
نَحْوَهُ .
নাফি’র সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
নাফি’র সূত্রে এ হাদীস ঐরকমই বর্ণনা
করেন। (ই.ফা. ৩৭৬০, ই.সে. ৩৭৬০)
৩৭৯৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ
أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا
لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " مَنِ ابْتَاعَ نَخْلاً بَعْدَ أَنْ تُؤَبَّرَ فَثَمَرَتُهَا
لِلَّذِي بَاعَهَا إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ وَمَنِ ابْتَاعَ عَبْدًا
فَمَالُهُ لِلَّذِي بَاعَهُ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ " .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি তাবিরকৃত খেজুর
গাছ খরিদ করবে সে উক্ত গাছের ফল পাওয়ার শর্ত না করলে ঐ গাছের ফল বিক্রেতার প্রাপ্য
এবং কেউ যদি গোলাম খরিদ করে এবং উক্ত গোলামের মাল পাওয়ার শর্ত না করে তবে সে মাল
বিক্রেতারই প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৭৬১, ই.সে. ৩৭৬১)
৩৭৯৮
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي
شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ
مِثْلَهُ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যুহরী (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে এ হাদীস
অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৬২, ই.সে. ৩৭৬২)
৩৭৯৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ،
أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ بِمِثْلِهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুরূপ বলতে শুনেছি। (ই.ফা. ৩৭৬৩, ই.সে.
৩৭৬৩)
১৬. অধ্যায়ঃ
মুহাকালাহ্, মুযাবানাহ্, মুখাবারাহ্, খাবার
যোগ্য হওয়ার আগেই ফল বিক্রি ও মু’আ-ওয়ামাহ্ অর্থাৎ- কয়েক বছরের জন্যে ক্রয়-বিক্রয়
নিষেধ
৩৮০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا جَمِيعًا
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ
جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ
حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَلاَ يُبَاعُ إِلاَّ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمِ
إِلاَّ الْعَرَايَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্, মুযাবানাহ্, মুখাবারাহ্ ও পরিণত হওয়ার আগে ফল
ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। আর ‘আরায়া প্রক্রিয়া ছাড়া দীনার ও দিরহামের বিনিময়
ব্যতীত ফল বিক্রি করা যাবে না। (ই.ফা. ৩৭৬৪, ই.সে. ৩৭৬৪)
৩৮০১
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ،
أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَأَبِي، الزُّبَيْرِ أَنَّهُمَا
سَمِعَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন- অতঃপর তিনি উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
(ই.ফা. ৩৭৬৫, ই.সে. ৩৭৬৫)
৩৮০২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ،
أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ الْجَزَرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ، جُرَيْجٍ
أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُخَابَرَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ
وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى تُطْعِمَ وَلاَ تُبَاعُ إِلاَّ بِالدَّرَاهِمِ
وَالدَّنَانِيرِ إِلاَّ الْعَرَايَا . قَالَ عَطَاءٌ فَسَّرَ لَنَا جَابِرٌ
قَالَ أَمَّا الْمُخَابَرَةُ فَالأَرْضُ الْبَيْضَاءُ يَدْفَعُهَا الرَّجُلُ إِلَى
الرَّجُلِ فَيُنْفِقُ فِيهَا ثُمَّ يَأْخُذُ مِنَ الثَّمَرِ . وَزَعَمَ أَنَّ
الْمُزَابَنَةَ بَيْعُ الرُّطَبِ فِي النَّخْلِ بِالتَّمْرِ كَيْلاً . وَالْمُحَاقَلَةُ
فِي الزَّرْعِ عَلَى نَحْوِ ذَلِكَ يَبِيعُ الزَّرْعَ الْقَائِمَ بِالْحَبِّ
كَيْلاً .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখাবারাহ্,
মুহাকালাহ্, মুযাবানাহ্ এবং খাওয়ার যোগ্য হওয়ার পূর্বেই ফল বিক্রি করতে নিষেধ
করেছেণ। আর দিরহাম ও দীনারের বিনিময়েই কেবল ফল বিক্রি করা যাবে, কিন্তু ‘আরায়া
প্রক্রিয়াটি স্বতন্ত্র (অর্থাৎ- এতে ফলের বদলে ফল বিক্রয় চলবে)।
‘আতা (রহঃ) বলেনঃ ক্রয়-বিক্রয়ের ঐ ধরণগুলো সম্পর্কে জাবির (রাঃ) আমাদেরকে খুলে
বলেছেন; মুখাবারাহ্ হলো: এক ব্যক্তিকে শস্যহীন শুন্য ক্ষেত প্রদান করা হয়। এরপর
সে তাতে ফসল উৎপন্ন করে তারপর মালিক উৎপন্ন ফসলে অংশগ্রহণ করে। আর মুযাবানাহ্
হলো- গাছের মাথায় থাকা তাজা খেজুর অনুমানে পরিমাপ করে খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা।
আর মুহাকালাহ্ ফসলের মধ্যে অনুরূপ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে অর্থাৎ-ক্ষেতের বিদ্যমান
শস্যকে অনুমানে পরিমাপ করে ঘরে রাখা শস্যের বিনিময়ে বিক্রি করা। (ই.ফা. ৩৭৬৬,
ই.সে. ৩৭৬৬)
৩৮০৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ
أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، كِلاَهُمَا عَنْ زَكَرِيَّاءَ، قَالَ ابْنُ أَبِي
خَلَفٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ
زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الْمَكِّيُّ، وَهُوَ
جَالِسٌ عِنْدَ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ
وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَأَنْ تُشْتَرَى النَّخْلُ حَتَّى تُشْقِهَ -
وَالإِشْقَاهُ أَنْ يَحْمَرَّ أَوْ يَصْفَرَّ أَوْ يُؤْكَلَ مِنْهُ شَىْءٌ -
وَالْمُحَاقَلَةُ أَنْ يُبَاعَ الْحَقْلُ بِكَيْلٍ مِنَ الطَّعَامِ مَعْلُومٍ
وَالْمُزَابَنَةُ أَنْ يُبَاعَ النَّخْلُ بِأَوْسَاقٍ مِنَ التَّمْرِ
وَالْمُخَابَرَةُ الثُّلُثُ وَالرُّبُعُ وَأَشْبَاهُ ذَلِكَ . قَالَ زَيْدٌ
قُلْتُ لِعَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ أَسَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ
يَذْكُرُ هَذَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্,
মুযাবানাহ্, মুখাবানাহ্, মুখাবারাহ্ এবং খেজুর লাল বা হলদে অথবা খাদ্যোপযোগী
হওয়ার পূর্বে খরিদ করতে নিষেধ করেছেন। মুহাকালাহ্ হলো- ক্ষেতের শস্য নির্ধারিত
পরিমাণ খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করা। মুযাবানাহ্ হচ্ছে- গাছের খেজুর কয়েক অসক
খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা। মুখাবারাহ্ বলা হয়- এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা
এরূপ নির্দিষ্ট কোন অংশকে।
যায়দ (রহঃ) বলেনঃ আমি ‘আতা ইবনু আবূ রাবাহ্কে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কি জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহকে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এরূপ বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা. ৩৭৬৭, ই.সে. ৩৭৬৭)
৩৮০৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ،
حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ، مِينَاءَ عَنْ
جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ
حَتَّى تُشْقِحَ . قَالَ قُلْتُ لِسَعِيدٍ مَا تُشْقِحُ قَالَ تَحْمَارُّ
وَتَصْفَارُّ وَيُؤْكَلُ مِنْهَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মুযাবানাহ্, মুহাকালাহ্, মুখাবারাহ্ এবং ফল পাকার আগে বিক্রি করতে নিষেধ
করেছেন।
রাবী বলেন, আমি সা’ঈদকে জিজ্ঞেস করলাম পাকার অর্থ কী? তিনি বললেন, লাল বর্ণ বা
হলুদ বর্ণ ধারণ করা এবং খাওয়ার যোগ্য হওয়া। (ই.ফা. ৩৭৬৮, ই.সে. ৩৭৬৮)
৩৮০৫
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ،
وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، - وَاللَّفْظُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ -
قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي
الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ قَالَ
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ
وَالْمُعَاوَمَةِ وَالْمُخَابَرَةِ - قَالَ أَحَدُهُمَا بَيْعُ السِّنِينَ هِيَ
الْمُعَاوَمَةُ - وَعَنِ الثُّنْيَا وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্, মুযাবানাহ্, মু’আওয়ামাহ্ ও মুখাবারাহ নিষেধ
করেছেন। দু’জনের একজনে বলেন কয়েক বছরের জন্যে বিক্রি করার নাম মু’আওয়ামাহ্। তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন কিছু অংশ বাদ দেয়া হতে [১৩] আর
অনুমতি দিয়েছেন আরায়ার বেলায়। (ই.ফা. ৩৭৬৯, ই.সে. ৩৭৬৯)
[১৩] ‘কিছু অংশ বাদ’ অর্থাৎ বিক্রেতা শস্যস্তুপ
বা বাগানের গাছগুলো থেকে অজ্ঞাত পরিমাণ কিছু বাদ দিয়ে বিক্রি করতে চাইলে সে বেচাকেনা
বাতিল বলে গণ্য হবে। (শারহে মুসলিম, ইমাম নাবাবী, ২য় খণ্ড, ১১ পৃ)
৩৮০৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ
حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - عَنْ
أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَذْكُرُ بَيْعُ السِّنِينَ هِيَ
الْمُعَاوَمَةُ .
জাবির (রা.)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এ
কথাটি উল্লেখ করেননি যে, কয়েক বছরের জন্যে বিক্রি করা হলো মু’আওয়ামাহ্। (ই.ফা.
৩৭৭০, ই.সে. ৩৭৭০)
৩৮০৭
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا رَبَاحُ بْنُ، أَبِي مَعْرُوفٍ قَالَ
سَمِعْتُ عَطَاءً، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ وَعَنْ بَيْعِهَا السِّنِينَ وَعَنْ
بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَطِيبَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে, কয়েক বছরের জন্যে বিক্রি করতে এবং ফল
পরিপক্ক হওয়ার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই-ফা. ৩৭৭১, ই.সে. ৩৭৭১)
১৭. অধ্যায়ঃ
জমি বর্গা [১৪] দেয়া
[১৪] এ অধ্যায়ে বর্ণিত হাদীসের মর্মে
জমি বর্গা দেয়া নিষিদ্ধ বুঝা যায়। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কর্তৃক গৃহীত খাইবারের ভূমি ব্যবস্থা দ্বারা বর্গা দেয়া বৈধ প্রমাণিত।
জমির মালিক জমি চাষাবাদ না করে তা কৃষককে আল্লাহর ওয়াস্তে চাষাবাদ করতে দেয়া উত্তম
বিধায়, বর্গা দেয়া মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ নিষেধ মানে
মাকরূহ তানজিহ্। আর বর্গা দেয়াও জায়িয। তবে এ পরিমাণ ফসল দিতে হবে বা এ অংশেষ ফসল
দিতে হবে- এরূপ শর্ত করে বর্গা দেয়া অবৈধ।
৩৮০৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ،
- يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ
كِرَاءِ الأَرْضِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৭২, ই.সে. ৩৭৭২)
৩৮০৯
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
الْفَضْلِ، - لَقَبُهُ عَارِمٌ وَهُوَ أَبُو النُّعْمَانِ السَّدُوسِيُّ -
حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا مَطَرٌ الْوَرَّاقُ، عَنْ
عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ لَمْ
يَزْرَعْهَا فَلْيُزْرِعْهَا أَخَاهُ " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কাছে জমি আছি সেটি তার চাষাবাদ করা উচিত। যদি সে
নিজে তা না করে তবে যেন তার কোন ভাইকে চাষাবাদ করতে প্রদান করে। (ই.ফা. ৩৭৭৩,
ই.সে. ৩৭৭৩)
৩৮১০
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِقْلٌ، - يَعْنِي
ابْنَ زِيَادٍ - عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ كَانَ لِرِجَالٍ فُضُولُ أَرَضِينَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
كَانَتْ لَهُ فَضْلُ أَرْضٍ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَإِنْ
أَبَى فَلْيُمْسِكْ أَرْضَهُ " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় সাহাবীর প্রয়োজনের চেয়েও বেশী জমি ছিল। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার নিকট প্রয়োজনের বেশী জমি আছে সে
যেন তা চাষাবাদ করে অথবা তার কোন ভাইকে (চাষাবাদ করতে) দেয়। আর যদি সে তা না চায়
তাহলে তার জমি সে আটকে রাখুক। (ই.ফা. ৩৭৭৪, ই.সে. ৩৭৭৪)
৩৮১১
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ
مَنْصُورٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، أَخْبَرَنَا الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ
بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُؤْخَذَ لِلأَرْضِ أَجْرٌ أَوْ
حَظٌّ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শ্রমের উপরে বা ফসলের অংশ দিয়ে জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন।
(ই.ফা. ৩৭৭৫, ই.সে. ৩৭৭৫)
৩৮১২
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ لَمْ
يَسْتَطِعْ أَنْ يَزْرَعَهَا وَعَجَزَ عَنْهَا فَلْيَمْنَحْهَا أَخَاهُ
الْمُسْلِمَ وَلاَ يُؤَاجِرْهَا إِيَّاهُ " .
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার জমি আছে সে যেন তাতে চাষাবাদ করে। তা যদি সে না
পারে অথবা অক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তার অপর কোন মুসলিম ভাইকে (চাষাবাদ করতে) দেয়।
কিন্তু বর্গা দিবে না। (ই.ফা. ৩৭৭৬, ই.সে. ৩৭৭৬)
৩৮১৩
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ
سَأَلَ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَطَاءً فَقَالَ أَحَدَّثَكَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ
أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيُزْرِعْهَا أَخَاهُ وَلاَ يُكْرِهَا " .
قَالَ نَعَمْ .
শাইবান ইবনু ফার্রূখ (রহঃ) হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুলাইমান ইবনু মুসা (রহঃ) ‘আতা-কে
জিজ্ঞেস করলেন আপনার নিকট জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কি এ কথা বর্ণনা করেছেন যে,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার জমি আছে সে যেন তা
চাষাবাদ করে অথবা তার অপর ভাইকে চাষ করার জন্যে দিয়ে দেয়। সেটা বর্গায় দিবে না।
তিনি বললেন, হ্যাঁ, তা-ই। (ই.ফা. ৩৭৭৭, ই.সে. ৩৭৭৭)
৩৮১৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
نَهَى عَنِ الْمُخَابَرَةِ .
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মুখাবারাহ্ নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৭৮, ই.সে. ৩৭৭৮)
৩৮১৫
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ، حَيَّانَ حَدَّثَنَا
سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ
إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَ لَهُ فَضْلُ
أَرْضٍ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيُزْرِعْهَا أَخَاهُ وَلاَ تَبِيعُوهَا "
. فَقُلْتُ لِسَعِيدٍ مَا قَوْلُهُ وَلاَ تَبِيعُوهَا يَعْنِي الْكِرَاءَ .
قَالَ نَعَمْ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার নিকট
অতিরিক্ত জমি আছে তার উচিত সেটি চাষাবাদ করা অথবা আবাদ করার জন্যে তার অপর ভাইকে
দেয়া। তোমরা সেটা বিক্রি করো না।
(রাবী বলেন) আমি সা’ঈদকে জিজ্ঞেস করলাম, বিক্রি করো না-এ কথা কি বর্গা দেয়া? তিনি
বললেন, হ্যাঁ, তা-ই। (ই.ফা. ৩৭৭৯, ই.সে. ৩৭৭৯)
৩৮১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ،
حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا نُخَابِرُ عَلَى عَهْدِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنُصِيبُ مِنَ الْقِصْرِيِّ وَمِنْ كَذَا
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ
فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ فَلْيُحْرِثْهَا أَخَاهُ وَإِلاَّ فَلْيَدَعْهَا" .
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে জমি বর্গায় নিতাম এবং প্রাপ্য হিসেবে
শস্য মাড়াই করার পর ছড়ায় যা অবশিষ্ট থাকত তা এবং এ ধরনের সামান্য কিছু ভাগ পেতাম।
তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার জমি আছে সে সেটা
আবাদ করুক অথবা তার অপর ভাইকে দিয়ে আবাদ করাক অন্যথায় সে নিজেই ধরে রাখুক। (ই.ফা.
৩৭৮০, ই.সে. ৩৭৮০)
৩৮১৭
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، جَمِيعًا
عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، - قَالَ ابْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ،
- حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ الْمَكِّيَّ،
حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا فِي
زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَأْخُذُ الأَرْضَ بِالثُّلُثِ أَوِ
الرُّبُعِ بِالْمَاذِيَانَاتِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي
ذَلِكَ فَقَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ لَمْ
يَزْرَعْهَا فَلْيَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَإِنْ لَمْ يَمْنَحْهَا أَخَاهُ
فَلْيُمْسِكْهَا " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমালে আমরা খালের সন্নিকটবর্তী জমিতে এক তৃতীয়াংশ ও এক
চতুর্থাংশ ফসলের বিনিময়ে জমি বর্গা দিতাম। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তথায় দাঁড়িয়ে বললেন, জামি যার সে-ই তাতে চাষ করবে। আর যদি সে তা না
করে তবে যেন তার ভাইকে আবাদ করতে দেয়। যদি তার ভাইকে তা না দেয়, তবে যেন তা আটকে
রাখে। (ই.ফা. ৩৭৮০, ই.সে. ৩৭৮০)
৩৮১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ
حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو
سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَهَبْهَا أَوْ لِيُعِرْهَا " .
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি- যার জমি আছে সে যেন তা দান করে অথবা সে যেন
তা ধার দেয়। (ই.ফা. ৩৭৮২, ই.সে. ৩৭৮২)
৩৮১৯
وَحَدَّثَنِيهِ حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو
الْجَوَّابِ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا
الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ فَلْيُزْرِعْهَا
رَجُلاً " .
আ’মাশ (রহঃ)-এর সূত থেকে বর্ণিতঃ
আ’মাশ (রহঃ)-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীস
বর্ণনা করেন। অবশ্য তিনি বলেছেন যে, সে যেন তা চাষ করে অথবা অন্য কোন লোককে চাষ
করতে দেয়। (ই.ফা. ৩৭৮৩, ই.সে. ৩৭৮৩)
৩৮২০
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ
وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - أَنَّ بُكَيْرًا،
حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَهُ عَنِ النُّعْمَانِ
بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ . قَالَ بُكَيْرٌ وَحَدَّثَنِي
نَافِعٌ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ كُنَّا نُكْرِي أَرْضَنَا ثُمَّ
تَرَكْنَا ذَلِكَ حِينَ سَمِعْنَا حَدِيثَ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ
করেছেন।
বুকায়র (রহঃ) নাফি’র সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা
আমাদের জমি বর্গায় দিতাম। এরপর রাফি’ ইবনু খাদীজের হাদীস শুনে তা ছেড়ে দেই। (ই.ফা.
৩৭৮৪, ই.সে. ৩৭৮৪)
৩৮২১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم عَنْ بَيْعِ الأَرْضِ الْبَيْضَاءِ سَنَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا .
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খালি জমি দু’ বা তিন বছরের জন্যে বিক্রি করতে
নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৮৫, ই.সে. ৩৭৮৫)
৩৮২২
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ
شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ
عَتِيقٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ
السِّنِينَ . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ سِنِينَ
.
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েক
বছরের জন্য জমি বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।
ইবনু আবূ শাইবার বর্ণনায় আছে-কয়েক বছরের জন্যে ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।
(ই.ফা. ৩৭৮৬, ই.সে. ৩৭৮৬)
৩৮২৩
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو
تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا
أَوْ لِيَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُمْسِكْ أَرْضَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার জমি আছে তার উচিত সে যেন তা চাষ করে অথবা তার
অপর ভাইকে তা আবাদ করতে দেয়। এতে যদি সে রাজী না হয়, তাহলে তার জমি যেন সে আটকে
রাখে। (ই.ফা. ৩৭৮৭, ই.সে. ৩৭৮৭)
৩৮২৪
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو
تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَنَّ
يَزِيدَ بْنَ نُعَيْمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَهُ
أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ
وَالْحُقُولِ . فَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَابَنَةُ الثَّمَرُ
بِالتَّمْرِ . وَالْحُقُولُ كِرَاءُ الأَرْضِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে মুযাবানাহ্ ও হুকূল থেকে নিষেধ করতে শুনেছেন। তখন জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, মুযাবানাহ্ হলো কাঁচা খেজুরের বিনিময়ে শুকনা খেজুর বদল
করা। আর হুকূল হলো জমি বর্গা দেয়া। (ই.ফা. ৩৭৮৮, ই.সে. ৩৭৮৮)
৩৮২৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، -
يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ - عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي
صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ
আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্ [১৫] ও মুযাবানাহ[১৬] থেকে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা.
৩৭৮৯, ই.সে. ৩৭৮৯)
[১৫] ‘মুহাকালাহ্’ ক্ষেত্রে শস্য অনুমান করে সংগৃহীত
শস্যের বিনিময়ে বিক্রি করা।
[১৬] ‘মুযাবানাহ্’ গাছে থাকা খেজুর ঘরের শুকনো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা।
৩৮২৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ،
أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، أَنَّ أَبَا
سُفْيَانَ، مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا
سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ
الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ . وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ الثَّمَرِ فِي
رُءُوسِ النَّخْلِ . وَالْمُحَاقَلَةُ كِرَاءُ الأَرْضِ .
আব সা’ঈদ খুদ্রী (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্ ও মুহাকালাহ্ থেকে নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্
হলো খেজুর গাছের মাথায় ঝুলে থাকা ফল ক্রয় করা, আর মুহাকালাহ্ হলো জমি ইজারা দেয়া।
(ই.ফা. ৩৭৯০, ই.সে. ৩৭৯০)
৩৮২৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ
الْعَتَكِيُّ، قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا
حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ كُنَّا
لاَ نَرَى بِالْخِبْرِ بَأْسًا حَتَّى كَانَ عَامُ أَوَّلَ فَزَعَمَ رَافِعٌ أَنَّ
نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُ .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মুখাবারাহ্ করায় কোন
দোষ মনে করতাম না। এভাবে যখন প্রথম বছর অতিবাহিত হলো, তখন রাফি’ (রাঃ) বললেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন।
৩৮২৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَإِبْرَاهِيمُ، بْنُ دِينَارٍ
قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - عَنْ أَيُّوبَ، ح
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
مِثْلَهُ وَزَادَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ فَتَرَكْنَاهُ مِنْ أَجْلِهِ .
‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে
অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য ইবনু ‘উয়াইনাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত আছে
যে-এরপর এ কারণে আমরা তা ছেড়ে দেই। (ই.ফা. ৩৭৯১, ই.সে. ৩৭৯১)
৩৮২৯
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ
أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ
لَقَدْ مَنَعَنَا رَافِعٌ نَفْعَ أَرْضِنَا .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাফি’ (রহঃ) আমাদেরকে
আমাদের জমি হতে ফায়দা হাসিল করা হতে বাধা দান করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৯৩, ই.সে. ৩৭৯৩)
৩৮৩০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ
زُرَيْعٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكْرِي
مَزَارِعَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي إِمَارَةِ
أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ مُعَاوِيَةَ حَتَّى
بَلَغَهُ فِي آخِرِ خِلاَفَةِ مُعَاوِيَةَ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ يُحَدِّثُ
فِيهَا بِنَهْىٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَأَنَا
مَعَهُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ
كِرَاءِ الْمَزَارِعِ . فَتَرَكَهَا ابْنُ عُمَرَ بَعْدُ . وَكَانَ إِذَا
سُئِلَ عَنْهَا بَعْدُ قَالَ زَعَمَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর জমি ইজারা দিতেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বাক্র, ‘উমার, ‘উসমান ও মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর
খিলাফাত কালের প্রথম যুগ পর্যন্ত। এরপর মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর খিলাফাতের শেষ দিকে
তাঁর কাছে এ সংবাদ গেল যে, রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিষেধমূলক হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর
নিকট উপস্থিত হলেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। এরপর তিনি তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে
চাইলেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি ইজারা
দিতে নিষেধ করতেন। এরপরি ইবনু ‘উমার (রাঃ) তা বাদ দেন।
এরপর হতে যখন তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হত, তিনি বলতেন-ইবনু খাদীজ (রাঃ) বলেছেন:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ থেকে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৯৪,
ই.সে. ৩৭৯৪)
৩৮৩১
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا
حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ،
كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَزَادَ فِي حَدِيثِ
ابْنِ عُلَيَّةَ قَالَ فَتَرَكَهَا ابْنُ عُمَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَكَانَ لاَ
يُكْرِيهَا .
আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আইয়ূব (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে অনুরূপ
বর্ণনা করেন। ইবনু ‘উলাইয়্যার বর্ণনায় আইয়ূব (রহঃ) বাড়তি আরও বলেছেন যে, এরপর ইবনু
‘উমার (রাঃ) তা পরিত্যাগ করেন এবং আর কখনও জমি ইজারা দেননি। (ই.ফা. ৩৭৯৫, ই.সে.
৩৭৯৫)
৩৮৩২
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ ذَهَبْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ إِلَى رَافِعِ
بْنِ خَدِيجٍ حَتَّى أَتَاهُ بِالْبَلاَطِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, একদা আমি ইবনু ‘উমারের
সাথে রাফি’ ইবনু খাদীজের নিকট গেলাম। বালাত নামক স্থানে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হলো।
তিনি তাকে অবহিত করলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি
ইজারা দিতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৯৬, ই.সে. ৩৭৯৬)
৩৮৩৩
وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ،
قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ
أَتَى رَافِعًا فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার রাফি’র নিকট আসেন। এরপর নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৩৭৯৭, ই.সে.
৩৭৯৭)
৩৮৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، -
يَعْنِي ابْنَ حَسَنِ بْنِ يَسَارٍ - حَدَّثَنَا ابْنُ، عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ،
أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَأْجُرُ الأَرْضَ - قَالَ - فَنُبِّئَ حَدِيثًا عَنْ
رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ - قَالَ - فَانْطَلَقَ بِي مَعَهُ إِلَيْهِ - قَالَ -
فَذَكَرَ عَنْ بَعْضِ عُمُومَتِهِ ذَكَرَ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ . قَالَ فَتَرَكَهُ ابْنُ عُمَرَ
فَلَمْ يَأْجُرْهُ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) জমি বর্গা দিতেন।
নাফি’ বলেন, এরপর রাফি’ বর্ণিত একটি হাদীস তাকে জানান হলো। রাবী বলেন, তিনি আমাকে
সাথে নিয়ে তার নিকট গেলেন। তিনি তার কোন চাচার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করলেন। তাতে
উল্লেখ আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ
করেছেন। রাবী বলেন, এরপর থেকে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এ কাজ ত্যাগ করেন এবং আর কোন সময়
জমি বর্গা দেননি। (ই.ফা. ৩৭৯৮, ই.সে. ৩৭৯৮)
৩৮৩৫
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ
هَارُونَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَحَدَّثَهُ عَنْ
بَعْضِ، عُمُومَتِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
‘আওন থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত হাদীস বর্ণিত। রাবী বলেন, এরপর
তিনি তার চাচার সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা
করেন। (ই.ফা. ৩৭৯৯, ই.সে. ৩৭৯৯)
৩৮৩৬
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ
سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ
ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ
عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكْرِي أَرَضِيهِ حَتَّى بَلَغَهُ أَنَّ
رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ الأَنْصَارِيَّ كَانَ يَنْهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ
فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ يَا ابْنَ خَدِيجٍ مَاذَا تُحَدِّثُ عَنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي كِرَاءِ الأَرْضِ قَالَ رَافِعُ بْنُ
خَدِيجٍ لِعَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ عَمَّىَّ - وَكَانَا قَدْ شَهِدَا بَدْرًا -
يُحَدِّثَانِ أَهْلَ الدَّارِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى
عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ فِي
عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الأَرْضَ تُكْرَى ثُمَّ خَشِيَ
عَبْدُ اللَّهِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْدَثَ فِي
ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يَكُنْ عَلِمَهُ فَتَرَكَ كِرَاءَ الأَرْضِ .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার
(রাঃ) নিজের জমি বর্গা দিতেন। পরে তার কাছে এ সংবাদ পৌঁছল যে, রাফি’ ইবনু খাদীজ
আনসারী (রাঃ) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করে থাকেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁর সাথে দেখা
করে জিজ্ঞেস করেন, হে ইবনু খাদীজ! জমি বর্গার ব্যাপারে আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কি হাদীস বর্ণনা করেছেন? রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ)
‘আবদুল্লাহকে বললেন, আমি আমার দু’জন চাচার নিকট শুনেছি- যাঁরা বদরের যুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা পরিবার-পরিজনের নিকট বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। ‘আবদুল্লাহ
(রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে আমি ভাল করেই
জানতাম যে, জমি বর্গা দেয়া যায়। এরপর ‘আবদুল্লাহ ভীত হলো যে, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হয়তো এমন কিছু বলেছেন, যা তিনি জানতে পারেননি।
সুতরাং তিনি জমি বর্গা দেয়া ত্যাগ করেন। (ই.ফা. ৩৮০০, ই.সে. ৩৮০০)
১৮. অধ্যায়ঃ
খাদ্যের বিনিময়ে জমি ইজারা
৩৮৩৭
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - عَنْ
أَيُّوبَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ
رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ كُنَّا نُحَاقِلُ الأَرْضَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنُكْرِيهَا بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَالطَّعَامِ
الْمُسَمَّى فَجَاءَنَا ذَاتَ يَوْمٍ رَجُلٌ مِنْ عُمُومَتِي فَقَالَ نَهَانَا
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَمْرٍ كَانَ لَنَا نَافِعًا
وَطَوَاعِيَةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ أَنْفَعُ لَنَا نَهَانَا أَنْ نُحَاقِلَ
بِالأَرْضِ فَنُكْرِيَهَا عَلَى الثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَالطَّعَامِ الْمُسَمَّى
وَأَمَرَ رَبَّ الأَرْضِ أَنْ يَزْرَعَهَا أَوْ يُزْرِعَهَا وَكَرِهَ كِرَاءَهَا
وَمَا سِوَى ذَلِكَ .
রাফি’ খাদীজ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে জমির মুহাকালাহ্ করতাম এবং এক
তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের বিনিময়ে ইজারা দিতাম। এরপর এক
সময় আমার এক চাচা আমাদের নিকট এসে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাদেরকে এমন একটি বিষয় থেকে নিষেধ করেছেন যা আমাদের জন্যে লাভজনক ছিল।
আর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মেনে চলা আমাদের জন্যে অধিক কল্যাণকর। তিনি আমাদেরকে
জমি মুহকালাহ করতে এবং এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের
বিনিময়ে ইজারা দিতে নিষেধ করেছেন। আর জমির মালিককে নিজে চাষ করতে বা অপরের দ্বারা
চাষ করাতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইজারা বা অন্য কিছু করার বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ
করেছেন। (ই.ফা. ৩৮০১, ই.সে. ৩৮০১)
৩৮৩৮
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ
زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ يَعْلَى بْنُ حَكِيمٍ قَالَ سَمِعْتُ
سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ، يُحَدِّثُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ كُنَّا
نُحَاقِلُ بِالأَرْضِ فَنُكْرِيهَا عَلَى الثُّلُثِ وَالرُّبُعِ . ثُمَّ ذَكَرَ
بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ .
রাফি’ ইবনু খাদীজ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জমির মুহাকালাহ্
করতাম এবং এক তৃতীয়াংশ ও এক চতুর্থাংশের বিনিময়ে ইজারা দিতাম। এরপর ইবনু
‘উলাইয়্যার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৮০২, ই.সে. ৩৮০২)
৩৮৩৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ
الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، ح
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، كُلُّهُمْ عَنِ
ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
مِثْلَهُ .
ইয়া’লা ইবনু হাকীম (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়া’লা ইবনু হাকীম (রাঃ)-এর সানাদে
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৮০৩, ই.সে. ৩৮০৩)
৩৮৪০
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ،
أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ، حَكِيمٍ بِهَذَا
الإِسْنَادِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَلَمْ يَقُلْ عَنْ بَعْضِ عُمُومَتِهِ .
রাফি’র সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে বর্ণিতঃ
রাফি’র সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে তার কোন এক চাচার কথা বলেননি।
(ই.ফা. ৩৮০৪, ই.সে. ৩৮০৪)
৩৮৪১
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُسْهِرٍ،
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ
أَبِي النَّجَاشِيِّ، مَوْلَى رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ رَافِعٍ، أَنَّ ظُهَيْرَ
بْنَ رَافِعٍ، - وَهُوَ عَمُّهُ - قَالَ أَتَانِي ظُهَيْرٌ فَقَالَ لَقَدْ نَهَى رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَمْرٍ كَانَ بِنَا رَافِقًا . فَقُلْتُ وَمَا
ذَاكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَهُوَ حَقٌّ . قَالَ
سَأَلَنِي كَيْفَ تَصْنَعُونَ بِمَحَاقِلِكُمْ فَقُلْتُ نُؤَاجِرُهَا يَا رَسُولَ
اللَّهِ عَلَى الرَّبِيعِ أَوِ الأَوْسُقِ مِنَ التَّمْرِ أَوِ الشَّعِيرِ .
قَالَ " فَلاَ تَفْعَلُوا ازْرَعُوهَا أَوْ أَزْرِعُوهَا أَوْ
أَمْسِكُوهَا " .
রাফি’ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
যুহায়র ইবনু রাফি’ (রহঃ) তাঁর চাচা হন।
রাফি’ বলেন, যুহায়র একদা আমার নিকট এসে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এমন একটি বিষয় থেকে নিষেধ করেছেন যা আমাদের জন্যে ছিল
লাভজনক। আমি বললাম, তা কী? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা
বলেছেন তাই যথার্থ। তিনি বললেন, আমার নিকট তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, কিভাবে তোমরা
মুহাকালাহ্ করো? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা খালের সন্নিকটবর্তী জমির ফসলের
শর্তে বিংবা খুরমা বা যবের কয়ের অসক প্রদানের শর্তে জমি বর্গা দিয়ে থাকি। তিনি
বললেন, আর এরূপ করো না। তোমরা নিজেরা চাষ করো অথবা অপরকে দিয়ে চাষ করাও, তা না
হলে এমনি রেখে দাও। (ই.ফা. ৩৮০৫, ই.সে. ৩৮০৪ [ক])
৩৮৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي النَّجَاشِيِّ، عَنْ
رَافِعٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ عَنْ
عَمِّهِ ظُهَيْرٍ
রাফি’ (রা.) সূ্ত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত। কিন্তু এতে তার
চাচা যুহায়রের নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৮০৬, ই.সে. ৩৮০৫)
১৯. অধ্যায়ঃ
স্বর্ণ-রৌপ্যের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেয়া
৩৮৪৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ
عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ قَيْسٍ،
أَنَّهُ سَأَلَ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ، فَقَالَ نَهَى
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ قَالَ فَقُلْتُ أَبِالذَّهَبِ
وَالْوَرِقِ فَقَالَ أَمَّا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَلاَ بَأْسَ بِهِ .
হানযালাহ্ ইবনু কায়স (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাফি’ ইবনু খাদীজের নিকট জমি
বর্গা দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। রাবী বলেন, তখন আমি বললাম : স্বর্ণ ও
রৌপ্যের বিনিময়েও কি নিষেধ? তিনি বললেন, স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে হলে কোন সমস্যা
নেই। (ই.ফা. ৩৮০৭, ই.সে. ৩৮০৬)
৩৮৪৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ،
حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي، عَبْدِ الرَّحْمَنِ
حَدَّثَنِي حَنْظَلَةُ بْنُ قَيْسٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ رَافِعَ بْنَ
خَدِيجٍ عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ، بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ لاَ بَأْسَ بِهِ
إِنَّمَا كَانَ النَّاسُ يُؤَاجِرُونَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
عَلَى الْمَاذِيَانَاتِ وَأَقْبَالِ الْجَدَاوِلِ وَأَشْيَاءَ مِنَ الزَّرْعِ
فَيَهْلِكُ هَذَا وَيَسْلَمُ هَذَا وَيَسْلَمُ هَذَا وَيَهْلِكُ هَذَا فَلَمْ
يَكُنْ لِلنَّاسِ كِرَاءٌ إِلاَّ هَذَا فَلِذَلِكَ زُجِرَ عَنْهُ . فَأَمَّا
شَىْءٌ مَعْلُومٌ مَضْمُونٌ فَلاَ بَأْسَ بِهِ .
হানযালাহ্ ইবনু কায়স আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাফি’ ইবনু খাদীজকে
স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে জমি বর্গা দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন,
এতে কোন সমস্যা নেই। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমালে
লোকেরা পানির ঝর্ণার পাশ্ববর্তী অংশ, খালের অগ্রভাগের ভেজা অংশ ও ক্ষেতের অন্যান্য
সুবিধা নেয়ার শর্তে জমি বর্গা দিত। এতে কখনও এক অংশ বিনষ্ট হত ও অপর অংশ ভাল থাকত।
আবার কখনও এ অংশ ভাল থাকত আর অপর অংশ বিনষ্ট হত। আর এ ধরনের বর্গায় বঞ্চনা ছাড়া আর
কিছুই হত না। এ কারণে তিনি এ থেকে নিষেধ করেন। আর যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের
(স্বর্ণ-রৌপ্যের) বিনিময়ে বর্গা দেয়া হয়, তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। (ই.ফা. ৩৮০৮,
ই.সে. ৩৮০৭)
৩৮৪৫
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ
عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ، الزُّرَقِيِّ أَنَّهُ
سَمِعَ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ، يَقُولُ كُنَّا أَكْثَرَ الأَنْصَارِ حَقْلاً -
قَالَ - كُنَّا نُكْرِي الأَرْضَ عَلَى أَنَّ لَنَا هَذِهِ وَلَهُمْ هَذِهِ
فَرُبَّمَا أَخْرَجَتْ هَذِهِ وَلَمْ تُخْرِجْ هَذِهِ فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ
وَأَمَّا الْوَرِقُ فَلَمْ يَنْهَنَا .
রাফি’ ইবনু খাদীজ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আনসারদের মধ্যে সবচেয়ে
বেশী জমির মালিক ছিলাম। এ শর্তে আমরা জমির ইজারা দিতাম যে, এ অংশ আমাদের আর ঐ অংশ
তাদের। এরপর অনেক সময় এ অংশে ফসল ফলত আর ঐ অংশে কিছুই ফলত না। এরপর নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ থেকে আমাদেরকে নিষেধ করেন। আর রৌপ্যের
বিনিময়ে ইজারা দিতে তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেননি। (ই.ফা. ৩৮০৯, ই.সে. ৩৮০৮)
৩৮৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ
سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে
অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৮১০, ই.সে. ৩৮০৯)
২০. অধ্যায়ঃ
বর্গাচাষ এবং টাকার বিনিময়ে জমি ভাড়া বিষয়
৩৮৪৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ
بْنُ زِيَادٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ السَّائِبِ، قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَعْقِلٍ عَنِ الْمُزَارَعَةِ،
فَقَالَ أَخْبَرَنِي ثَابِتُ بْنُ الضَّحَّاكِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَارَعَةِ . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ
نَهَى عَنْهَا . وَقَالَ سَأَلْتُ ابْنَ مَعْقِلٍ . وَلَمْ يُسَمِّ عَبْدَ
اللَّهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মা’কালের নিকট মুযারা’আ সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করি। তিনি বললেন, সাবিত ইবনু যাহহাক (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযারা’আ থেকে নিষেধ করেছেন। (এ নিষেধাজ্ঞা
জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের শর্তে হলে হবে। তবে খাইবারের ভূমি বর্গাচাষের হাদীস
থেকে বর্গাচাষ বৈধ প্রমাণিত।)
ইবনু আবূ শাইবাহর বর্ণনায় কথাটি এরুপ আছে যে, তিনি তা থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো
বলেছেন-আমি ইবনু মা’কালের নিকট জিজ্ঞেস করেছি। তিনি ‘আবদুল্লাহর নাম বলেনন। (ই ফা
৩৮১১, ই সে ৩৮১০)
৩৮৪৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ
حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، الشَّيْبَانِيِّ عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مَعْقِلٍ فَسَأَلْنَاهُ عَنِ الْمُزَارَعَةِ، فَقَالَ زَعَمَ ثَابِتٌ أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَارَعَةِ وَأَمَرَ
بِالْمُؤَاجَرَةِ وَقَالَ " لاَ بَأْسَ بِهَا " .
আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু
মা’কালের নিকট উপস্থিত হই এবং মুযারা’আ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি জানান, সাবিত
(রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযারা’আহ করতে
নিষেধ করেছেন এবং ইজারা দিতে আদেশ করেছেন আর বলেছেন-এতে কোন সমস্যা নেই। (ই ফা
৩৮১২ ই সে ৩৮১১)
২১. অধ্যায়ঃ
কোন বিনিময় গ্রহণ ব্যতীতই জমি চাষাবাদ করতে
দেয়া
৩৮৪৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ
زَيْدٍ، عَنْ عَمْرٍو، أَنَّ مُجَاهِدًا، قَالَ لِطَاوُسٍ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى
ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فَاسْمَعْ مِنْهُ الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَانْتَهَرَهُ قَالَ إِنِّي وَاللَّهِ
لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُ مَا
فَعَلْتُهُ وَلَكِنْ حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْهُمْ - يَعْنِي ابْنَ
عَبَّاسٍ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لأَنْ
يَمْنَحَ الرَّجُلُ أَخَاهُ أَرْضَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْخُذَ عَلَيْهَا
خَرْجًا مَعْلُومًا " .
আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুজাহিদ তাউসকে বললেনঃ আপনি আমাদের
সাথে ইবনু রাফি’ ইবনু খাদীজের নিকট চলুন এবং তার পিতার সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হাদীসটি শুনুন। রাবী ‘আমর (রাঃ) বলেন, তখন রাবী
(রহঃ) তাঊস (রহঃ) মুজাহিদকে তিরস্কার করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি যদি জানতাম যে,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন- তবে আমি
তা করতাম না। কিন্তু তাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী অর্থাৎ- ইবনু ‘আব্বাস
(রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির পক্ষে তার কোন জমি অপর ভাইকে স্বেচ্চায় চাষাবাদ
করতে দেয়া তার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের চুক্তিতে দেয়া অপেক্ষা ভাল। (ই ফা ৩৮১৩
ই সে ৩৮১২)
৩৮৫০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
عَمْرٍو، وَابْنُ، طَاوُسٍ عَنْ طَاوُسٍ، أَنَّهُ كَانَ يُخَابِرُ قَالَ عَمْرٌو
فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ لَوْ تَرَكْتَ هَذِهِ الْمُخَابَرَةَ
فَإِنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ
الْمُخَابَرَةِ . فَقَالَ أَىْ عَمْرُو أَخْبَرَنِي أَعْلَمُهُمْ بِذَلِكَ
يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَنْهَ عَنْهَا
إِنَّمَا قَالَ " يَمْنَحُ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ
يَأْخُذَ عَلَيْهَا خَرْجًا مَعْلُومًا " .
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মুখাবারাহ করতেন। ‘আমর বলেন, আমি
তাঁকে বললাম, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনি যদি এ মুখাবারাহ করা ছেড়ে দিতেন (তবে তা
সুন্দর হত)। কেননা লোকেরা মনে করে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মুখাবারাহ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বললেন, হে ‘আমর! তাদের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ
জ্ঞানী অর্থাৎ- ইবনু ‘আব্বাস, তিনি আমাকে বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে নিষেধ করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, তোমাদের কোন ভাইকে কোন
বিনিময় গ্রহণ ছাড়াই জমি চাষাবাদ করতে দেয়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের চুক্তিতে দেয়া
অপেক্ষা উত্তম। (ই ফা ৩৮১৪ ই সে ৩৮১৩)
৩৮৫১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ
أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ شُعْبَةَ،
كُلُّهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই ফা ৩৮১৫ ই সে
৩৮১৪)
৩৮৫২
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، -
قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
- أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لأَنْ يَمْنَحَ أَحَدُكُمْ
أَخَاهُ أَرْضَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْخُذَ عَلَيْهَا كَذَا وَكَذَا
" . لِشَىْءٍ مَعْلُومٍ . قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ الْحَقْلُ
وَهُوَ بِلِسَانِ الأَنْصَارِ الْمُحَاقَلَةُ.
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কারো
ভূমি তার অপর ভাইকে নিঃস্বার্থভাবে চাষাবাদ করতে দেয়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের বদলে
দেয়ার চেয়ে উত্তম।
রাবী বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ এটাকেই বলা হয় ‘হাক্ল’, আর আনসারদের
পরিভাষায় বলা হয় ‘মুহাকালাহ’। (ই ফা ৩৮১৬ ই সে ৩৮১৫)
৩৮৫৩
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ أَبِي زَيْدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَإِنَّهُ أَنْ
يَمْنَحَهَا أَخَاهُ خَيْرٌ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যার জমি আছে সে যদি তা অপর ভাইকে নিঃস্বার্থভাবে চাষাবাদ করতে দেয় তবে সেটি তার জন্য উত্তম। (ই ফা ৩৮১৭ ই সে ৩৮১৬)
No comments