সহীহ মুসলিম অধ্যায় "পানীয় বস্তু" হাদিস নং -৫১৫১ থেকে ৫২৭৮

৫১৫১

وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " فَإِنَّ فِي السَّنَةِ يَوْمًا يَنْزِلُ فِيهِ وَبَاءٌ " . وَزَادَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ قَالَ اللَّيْثُ فَالأَعَاجِمُ عِنْدَنَا يَتَّقُونَ ذَلِكَ فِي كَانُونَ الأَوَّلِ .

লায়স ইবনু সা‘দ (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

হুবহু বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, ‘কেননা বছরে একটি এমন দিন রয়েছে, যে দিনে মহামারী ধেয়ে আসে।’ বর্ণনাকারী হাদীসের শেষলগ্নে বাড়তি বলেছেন যে, লায়স বলেছেন, আমাদের মাঝে অনারবরা “প্রথম কানুন” [১]মাসে তা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। (ই.ফা.৫০৮৬, ই.সে. ৫০৯৬)

[১]রোমানদের বর্ষ গণনার দ্বিতীয় মাস, যা শুরু হয় খ্রীষ্টীয় ডিসেম্বর মাসের ছয় কিংবা তের তারিখ থেকে।

৫১৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَتْرُكُوا النَّارَ فِي بُيُوتِكُمْ حِينَ تَنَامُونَ " .

সালিম সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঘরে অগ্নি প্রজ্জ্বলন অবস্থায় শায়িত হবে না। (ই.ফা.৫০৮৭, ই.সে. ৫০৯৭)

৫১৫৩

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ وَأَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي عَامِرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ احْتَرَقَ بَيْتٌ عَلَى أَهْلِهِ بِالْمَدِينَةِ مِنَ اللَّيْلِ فَلَمَّا حُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَأْنِهِمْ قَالَ " إِنَّ هَذِهِ النَّارَ إِنَّمَا هِيَ عَدُوٌّ لَكُمْ فَإِذَا نِمْتُمْ فَأَطْفِئُوهَا عَنْكُمْ " .

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার রাতে মাদীনায় ঘরের অধিবাসীসহ একটি বাড়ি পুড়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানানো হলে তিনি বললেনঃ এ আগুন তোমাদের শত্রু। অতএব তোমরা রাতে শোয়ার সময় তা নিভিয়ে ফেলবে। (ই.ফা.৫০৮৮, ই.সে. ৫০৯৮)

১৩. অধ্যায়ঃ

পানাহারের নিয়ম ও বিধান

৫১৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا حَضَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا لَمْ نَضَعْ أَيْدِيَنَا حَتَّى يَبْدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعَ يَدَهُ وَإِنَّا حَضَرْنَا مَعَهُ مَرَّةً طَعَامًا فَجَاءَتْ جَارِيَةٌ كَأَنَّهَا تُدْفَعُ فَذَهَبَتْ لِتَضَعَ يَدَهَا فِي الطَّعَامِ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهَا ثُمَّ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ كَأَنَّمَا يُدْفَعُ فَأَخَذَ بِيَدِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَسْتَحِلُّ الطَّعَامَ أَنْ لاَ يُذْكَرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ جَاءَ بِهَذِهِ الْجَارِيَةِ لِيَسْتَحِلَّ بِهَا فَأَخَذْتُ بِيَدِهَا فَجَاءَ بِهَذَا الأَعْرَابِيِّ لِيَسْتَحِلَّ بِهِ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ يَدَهُ فِي يَدِي مَعَ يَدِهَا " .

হুযাইফাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন খাবার অনুষ্ঠানে যখন আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে উপবিষ্ট হতাম। যতক্ষণ তিনি স্বীয় হাত রেখে আরম্ভ না করতেন ততক্ষণ আমরা আমাদের হাত (আহারে) রাখতাম না। একবার আমরা তাঁর সাথে এক খাবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলাম। এমনি মুহূর্তে একটি মেয়ে এলো। (মনে হচ্ছিল) যেন তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সে খাবারে হাত দিতে গেলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত ধরে নিলেন। অতঃপর একজন বেদুঈন এলো। (মনে হচ্ছিল) যেন তাকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল। তিনি তারও হাত ধরে নিলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করা না হলে শাইতান সে খাদ্যকে হালাল করে ফেলে। আর সে এ মেয়েটিকে নিয়ে এসেছে যাতে করে (এ খাদ্যকে) তার দ্বারা হালাল করতে পারে। অতঃপর আমি তার হাত ধরে ফেললে সে এ বেদুঈনকে নিয়ে এসেছে। যাতে করে (এ খাদ্যকে) তার দ্বারা হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি তারও হাত ধরে ফেলেছি। সে সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন! অবশ্যই তার (শাইতানের) হাত মেয়েটির হাতসহ আমার হাতের মুঠোয়। (ই.ফা.৫০৮৯, ই.সে. ৫০৯৯)

৫১৫৫

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ الأَرْحَبِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ كُنَّا إِذَا دُعِينَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى طَعَامٍ . فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَقَالَ " كَأَنَّمَا يُطْرَدُ " . وَفِي الْجَارِيَةِ " كَأَنَّمَا تُطْرَدُ " . وَقَدَّمَ مَجِيءَ الأَعْرَابِيِّ فِي حَدِيثِهِ قَبْلَ مَجِيءِ الْجَارِيَةِ وَزَادَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ ثُمَّ ذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ وَأَكَلَ .

হুযাইফাহ্‌ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদেরকে যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কোন খাবার উপলক্ষে দা‘ওয়াত করা হতো। অতঃপর বর্ণনাকারী আবূ মু‘আবিয়াহ্‌ (রহঃ)-এর হাদীসের মতই বর্ণনা করেন। তবে তিনি (...আরবি) –এর স্থলে (...আরবি) এবং মেয়ের বেলায় (...আরবি) স্থলে (...আরবি) শব্দ উচ্চারণ করেন। আর এ হাদীসে তিনি মেয়েটির আগমনের পূর্বে বেদুঈনের আসার কথা বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসের শেষে অতিরিক্ত বলেছেন, ‘তারপর তিনি “বিসমিল্লাহ” বলেন এবং খাদ্য গ্রহণ করেন’। (ই.ফা.৫০৯০, ই.সে. ৫১০০)

৫১৫৬

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَدَّمَ مَجِيءَ الْجَارِيَةِ قَبْلَ مَجِيءِ الأَعْرَابِيِّ .

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণিত আছে। তবে তিনি মেয়েটির আসা ও পরে বেদুঈনের আসার কথা উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.৫০৯০, ই.সে. নেই)

৫১৫৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، - يَعْنِي أَبَا عَاصِمٍ - عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لاَ مَبِيتَ لَكُمْ وَلاَ عَشَاءَ . وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ . وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ " .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন যে যখন কোন ব্যাক্তি তার ঘরে প্রবেশের এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করে, তখন শাইতান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে- তোমাদের (এখানে) রাত্রি যাপনও নেই, খাওয়াও নেই। আর যখন সে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ না করে, তখন শাইতান বলে, তোমরা থাকার স্থান পেয়ে গেলে। আর যখন সে খাবারের সময় আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ না করে, তখন সে (শাইতান) বলে, তোমাদের নিশি যাপন ও রাতের খাওয়ার আয়োজন হলো। (ই.ফা. ৫০৯১, ই.সে. ৫১০১)

৫১৫৮

وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ إِنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " وَإِنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عِنْدَ طَعَامِهِ وَإِنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عِنْدَ دُخُولِهِ " .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন। তারপর রাবী আবূ ‘আসিম (রহঃ) –এর হাদীসের মত বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি (আরবি) শব্দের স্থানে (আরবি) এবং (আরবি) এর জায়গায় (আরবি) বলেছেন। (ই.ফা. ৫০৯১, ই.সে. ৫১০২)

৫১৫৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَأْكُلُوا بِالشِّمَالِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِالشِّمَالِ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বাম হাতে আহার করবে না। কারণ, শাইতান বাম হাতে আহার করে। (ই.ফা. ৫০৯২, ই.সে. ৫১০৩)

৫১৬০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، أَبِي عُمَرَ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُبَيْدِ، اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ " .

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ খাদ্য খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন পান করে, সে যেন ডান হাতে পান করে কারণ শাইতান বাম হাতে খায় ও পান করে। (ই.ফা. ৫০৯৩, ই.সে. ৫১০৪)

৫১৬১

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - كِلاَهُمَا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ سُفْيَانَ .

কুতাইবাহ্ ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) হতে, ভিন্ন সূত্রে ইবনু নুমায়র (রহঃ) তার পিতা নুমায়র থেকে, অন্য একটি সূত্রে ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ইয়াহ্ইয়া আল-কাত্তান (রহঃ) হতে, শেষাংশে দু’জন ‘উবাইদুল্লাহ হতে, আর তারা সবাই যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সুফ্ইয়ান (রহঃ)-এর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫০৯৪, ই.সা. ৫১০৫)

৫১৬২

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، - قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ حَدَّثَنَا - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عُمَرَ حَدَّثَهُ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَأْكُلَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ بِشِمَالِهِ وَلاَ يَشْرَبَنَّ بِهَا فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِهَا " . قَالَ وَكَانَ نَافِعٌ يَزِيدُ فِيهَا " وَلاَ يَأْخُذُ بِهَا وَلاَ يُعْطِي بِهَا " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي الطَّاهِرِ " لاَ يَأْكُلَنَّ أَحَدُكُمْ " .

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বাম হাতে পানাহার না করে। কারণ শাইতান বাম হাতে পানাহার করে। রাবী বলেন, নাফি’ (রহঃ) এতে অতিরিক্ত করতেন, বাম হাতে যেন কোন (কিছু) আদান-প্রদানও না করে। আবূ তাহির (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবি) এর জায়গায় (আরবি) শব্দ রয়েছে। (ই.ফা. ৫০৯৫, ই.সে. ৫১০৬)

৫১৬৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً أَكَلَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشِمَالِهِ فَقَالَ " كُلْ بِيَمِينِكَ " . قَالَ لاَ أَسْتَطِيعُ قَالَ " لاَ اسْتَطَعْتَ " . مَا مَنَعَهُ إِلاَّ الْكِبْرُ . قَالَ فَمَا رَفَعَهَا إِلَى فِيهِ .

সালামাহ্‌ ইবনু আক্‌ওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাম হাতে খাদ্য গ্রহণ করছিল। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ডান হাতে খাও। সে বলল, আমি পারবো না। তিনি বললেনঃ তুমি যেন না-ই পার। শুধুমাত্র অহমিকাই তাকে বারণ করছে। সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, সে আর কখনো তার ডান হাত মুখের নিকট উঠাতে পারেনি। (ই.ফা. ৫০৯৬, ই.সে. ৫১০৭)

৫১৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، سَمِعَهُ مِنْ، عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ كُنْتُ فِي حَجْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ يَدِي تَطِيشُ فِي الصَّحْفَةِ فَقَالَ لِي " يَا غُلاَمُ سَمِّ اللَّهَ وَكُلْ بِيَمِينِكَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ " .

‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার বাসনে আমার হাত চারপাশে ঘুরত। তিনি আমাকে বললেনঃ হে বালক! তুমি তোমার ডান হাতে খাও এবং নিজের পাশ হতে খাও। (ই.ফা. ৫০৯৭, ই.সে. ৫১০৮)

৫১৬৫

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي، مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ قَالَ أَكَلْتُ يَوْمًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلْتُ آخُذُ مِنْ لَحْمٍ حَوْلَ الصَّحْفَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلْ مِمَّا يَلِيكَ " .

‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে খাবার খাচ্ছিলাম। আমি বাসনের বিভিন্ন দিকে হতে গোশ্‌ত নিতে লাগলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি নিজের পাশ থেকে ভক্ষণ কর। (ই.ফা. ৫০৯৮, ই.ফা. ৫১০৯)

৫১৬৬

وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ .

আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বর্তনের মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০৯৯, ই.সে. ৫১১০)

৫১৬৭

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ أَنْ يُشْرَبَ مِنْ أَفْوَاهِهَا .

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মশ্‌ক বাকিয়ে এর মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫১০০, ই.সে. ৫১১১)

৫১৬৮

وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَاخْتِنَاثُهَا أَنْ يُقْلَبَ رَأْسُهَا ثُمَّ يُشْرَبَ مِنْهُ .

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তবে রাবী মা’মার বলেছেন, (আরবি) অর্থ মশ্কের মাথা হেলিয়ে তাতে মুখ লাগিয়ে পান করা।(ই.ফা. ৫১০১, ই.সে. ৫১১২)

১৪. অধ্যায়ঃ

দাঁড়িয়ে পান করা মাকরূহ

৫১৬৯

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم زَجَرَ عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পান করা হতে শাসন করেছেন।(ই.ফা. ৫১০২, ই.সে. ৫১১৩)

৫১৭০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى أَنْ يَشْرَبَ الرَّجُلُ قَائِمًا . قَالَ قَتَادَةُ فَقُلْنَا فَالأَكْلُ فَقَالَ ذَاكَ أَشَرُّ أَوْ أَخْبَثُ .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন লোককে দণ্ডায়মান হয়ে পান করতে বারণ করেছেন। কাতাদাহ্‌ বলেন, আমরা বললাম, তবে খাবারের ব্যাপারে (আদেশ কি)? তিনি বললেন, সেটা তো আরো নিকৃষ্ট, আরো জঘন্য। (ই.ফা. ৫১০৩, ই.সে. ৫১১৪)

৫১৭১

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ قَتَادَةَ .

আনাস (রাঃ) –এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। তবে রাবী হিশাম (রহঃ) কাতাদাহ্ (রাঃ) –এর উক্তিটি বর্ণনা করেননি।(ই.ফা. ৫১০৪, ই.সে. ৫১১৫)

৫১৭২

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي عِيسَى الأُسْوَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم زَجَرَ عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا .

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পান করা হতে কঠিনভাবে সাবধান করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৫, ই.সে. ৫১১৬)

৫১৭৩

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ وَابْنِ الْمُثَنَّى - قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي عِيسَى الأُسْوَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا .

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৬, ই.সে.৫১১৭)

৫১৭৪

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي الْفَزَارِيَّ - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ، حَمْزَةَ أَخْبَرَنِي أَبُو غَطَفَانَ الْمُرِّيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَشْرَبَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا فَمَنْ نَسِيَ فَلْيَسْتَقِئْ " .

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কখনো দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে পান করলে সে যেন পরে বমি করে ফেলে। (ই.ফা. ৫১০৭, ই.সে. ৫১১৮)

১৫. অধ্যায়ঃ

যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা প্রসঙ্গে

৫১৭৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ قَالَ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ زَمْزَمَ فَشَرِبَ وَهُوَ قَائِمٌ .

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যমযম হতে পানি পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করলেন। (ই.ফা. ৫১০৮, ই.সে. ৫১১৯)

৫১৭৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ مِنْ دَلْوٍ مِنْهَا وَهُوَ قَائِمٌ .

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যমযম কুয়া হতে ছোট বালতি দ্বারা পানি উঠিয়ে দাঁড়িয়ে পান করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৯, ই.সে. ৫১২০)

৫১৭৭

وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، ح وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ، الدَّوْرَقِيُّ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ - قَالَ إِسْمَاعِيلُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، يَعْقُوبُ حَدَّثَنَا - هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، وَمُغِيرَةُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ وَهُوَ قَائِمٌ .

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে যমযম হতে পানি পান করেছেন। (ই.ফা. ৫১১০, ই.সে. ৫১২১)

৫১৭৮

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، سَمِعَ الشَّعْبِيَّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ زَمْزَمَ فَشَرِبَ قَائِمًا وَاسْتَسْقَى وَهُوَ عِنْدَ الْبَيْتِ .

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যমযম হতে (পানি) পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় পান করেছেন এবং তিনি পানি চেয়ে লোক পাঠালেন, তথন তিনি বাইতুল্লাহর নিকটে ছিলেন। (ই.ফা. ৫১১১, ই.সে. ৫১২২)

৫১৭৯

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِمَا فَأَتَيْتُهُ بِدَلْوٍ .

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তাদের দু’জনের হাদীসে রয়েছে- ‘আমি তাঁর নিকট বালতি নিয়ে আসলাম’। (ই.ফা. ৫১১২, ই.সে. ৫১২৩)

১৬. অধ্যায়ঃ

পান করার সময় পাত্রে নি:শ্বাস ফেলা মাকরূহ এবং পাত্রের বাইরে তিনবার শ্বাস নেয়া মুস্তাহাব

৫১৮০

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُتَنَفَّسَ فِي الإِنَاءِ .

আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানপাত্রের মধ্যে শ্বাস ফেলতে বারণ করেছেন। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৬১৩] (ই.ফা. ৫১১৩, ই.সে. ৫১২৪)

৫১৮১

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَزْرَةَ، بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَنَفَّسُ فِي الإِنَاءِ ثَلاَثًا .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (যখন পান করতেন) তিনবার পাত্রে (পাত্রের বাইরে) শ্বাস নিতেন। (ই.ফা. ৫১১৪, ই.সে. ৫১২৫)

৫১৮২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي عِصَامٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَنَفَّسُ فِي الشَّرَابِ ثَلاَثًا وَيَقُولُ " إِنَّهُ أَرْوَى وَأَبْرَأُ وَأَمْرَأُ " . قَالَ أَنَسٌ فَأَنَا أَتَنَفَّسُ فِي الشَّرَابِ ثَلاَثًا .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পান করার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনবার নিশ্বাস নিতেন এবং বলতেন, এতে করে ভালভাবে প্রশান্তি লাভ হয়, তৃষ্ণার্তের কষ্ট লাঘব হয় এবং খুব আরামে গলধঃকরণ হয়।

আনাস (রাঃ) বলেন, আমিও পান করার সময় তিনবার নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি। (ই.ফা. ৫১১৫, ই.সে. ৫১২৬)

৫১৮৩

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ أَبِي عِصَامٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَقَالَ فِي الإِنَاءِ .

আনাস (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী (আরবি) শব্দের স্থানে (আরবি) বলেছেন। (ই.ফা. ৫১১৬, ই.সে. ৫১২৭)

১৭. অধ্যায়ঃ

পানি, দুধ ইত্যাদি পরিবেশনে ব্যক্তি তার ডান দিক থেকে শুরু করবে

৫১৮৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِلَبَنٍ قَدْ شِيبَ بِمَاءٍ وَعَنْ يَمِينِهِ أَعْرَابِيٌّ وَعَنْ يَسَارِهِ أَبُو بَكْرٍ فَشَرِبَ ثُمَّ أَعْطَى الأَعْرَابِيَّ وَقَالَ " الأَيْمَنَ فَالأَيْمَنَ " .

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পানি মেশানো কিছু দুধ আনা হলো। তাঁর ডান দিকে একজন বেদুঈন ছিল, বামদিকে ছিলেন আবূ বাকর (রাঃ)। তিনি পান করলেন। অত:পর বেদুঈনকে দিয়ে বললেনঃডান থেকে, ডানে হওয়া করণীয়। (ই.ফা. ৫১১৭, ই.সে. ৫১২৮)

৫১৮৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَأَنَا ابْنُ عَشْرٍ وَمَاتَ وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ وَكُنَّ أُمَّهَاتِي يَحْثُثْنَنِي عَلَى خِدْمَتِهِ فَدَخَلَ عَلَيْنَا دَارَنَا فَحَلَبْنَا لَهُ مِنْ شَاةٍ دَاجِنٍ وَشِيبَ لَهُ مِنْ بِئْرٍ فِي الدَّارِ فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ عُمَرُ وَأَبُو بَكْرٍ عَنْ شِمَالِهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِ أَبَا بَكْرٍ . فَأَعْطَاهُ أَعْرَابِيًّا عَنْ يَمِينِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَيْمَنَ فَالأَيْمَنَ " .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাদীনায় আসেন তখন আমার বয়স ছিল দশ বছর। তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন আমার বয়স বিশ বছর। আমার মা-খালাগণ আমাকে তাঁর সেবা করার জন্য প্রেরণা দিতেন। একবার তিনি আমাদের গৃহে আসলেন, আমরা তাঁর জন্য পালিত বকরীর দুধ দোহন করলাম, গৃহের একটি কুয়া থেকে অল্প পানি মেশানো হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করলেন। তাঁর বাম দিকে আবূ বাকর (রাঃ) ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকর (রাঃ)-কে দিন। কিন্তু তিনি তাঁর ডান পাশের বেদুঈনকে দিলেন এবং বললেনঃডান দিক হতে, ডানের হক বেশি। (ই.ফা. ৫১১৮, ই.সে. ৫১২৯)

৫১৮৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ أَبِي طُوَالَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، ح

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي دَارِنَا فَاسْتَسْقَى فَحَلَبْنَا لَهُ شَاةً ثُمَّ شُبْتُهُ مِنْ مَاءِ بِئْرِي هَذِهِ - قَالَ - فَأَعْطَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ عَنْ يَسَارِهِ وَعُمَرُ وُجَاهَهُ وَأَعْرَابِيٌّ عَنْ يَمِينِهِ فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ شُرْبِهِ قَالَ عُمَرُ هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ . يُرِيهِ إِيَّاهُ فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَعْرَابِيَّ وَتَرَكَ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَيْمَنُونَ الأَيْمَنُونَ الأَيْمَنُونَ " . قَالَ أَنَسٌ فَهِيَ سُنَّةٌ فَهِيَ سُنَّةٌ فَهِيَ سُنَّةٌ .

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গৃহে আগমন করে কিছু পান করতে ইচ্ছা করলেন। আমরা তাঁর জন্য একটি ছাগলের দুধ দোহন করলাম। তারপর আমি আমার এ কূপ হতে কিছু পানি দুধের সাথে মেশালাম। তিনি (আনাস) বলেন, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করলেন। আবূ বাকর (রাঃ) তাঁর বাম পাশে ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁর সম্মুখে আর তাঁর ডানদিকে ছিল এক বেদুঈন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পান করা শেষ করলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) আবূ বাকরকে দেখিয়ে তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ তো আবূ বাকর (রাঃ) (তাঁকে দিন)। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকর ও উমার (রাঃ)-কে (আগে) না দিয়ে সে বেদুঈনকে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআগে ডান পাশের মানুষদের। ডান পাশের মানুষদের, ডান পাশের লোকদেরই বেশী হক রয়েছে।

আনাস (রাঃ) বলেন, এতএব এটা সুন্নাত, এটা সুন্নাত, এটা সুন্নাত। (ই.ফা. ৫১১৯, ই.সে. ৫১৩০)

৫১৮৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَ مِنْهُ وَعَنْ يَمِينِهِ غُلاَمٌ وَعَنْ يَسَارِهِ أَشْيَاخٌ فَقَالَ لِلْغُلاَمِ " أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أُعْطِيَ هَؤُلاَءِ " . فَقَالَ الْغُلاَمُ لاَ . وَاللَّهِ لاَ أُوثِرُ بِنَصِيبِي مِنْكَ أَحَدًا " . قَالَ فَتَلَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَدِهِ .

সাহল ইবনু সা’দ সা’ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু পানীয় আনা হলে তিনি সামান্য পান করলেন। তাঁর ডান পাশে ছিল একটি ছেলে আর বাম পাশে কিছু বৃদ্ধ মানুষ। তিনি ছেলেটিকে বললেন, তুমি কি তাদেঁরকে দেয়ার জন্য আমাকে অনুমতি দিবে? ছেলেটি বলল, না। আল্লাহর শপথ! আপনার নিকট হতে যা পাওনা আমার ভাগে (তাতে) আমি অন্য কাউকে প্রাধান্য দিব না।

আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধের বাটি তার হাতেই তুলে দিলেন। (ই.ফা. ৫১২০, ই.সে. ৫১৩১)

৫১৮৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ - كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ، بْنِ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَقُولاَ فَتَلَّهُ . وَلَكِنْ فِي رِوَايَةِ يَعْقُوبَ قَالَ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ .

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তারা দু’জনেই (আরবি) (তার হাতে দিলেন) শব্দটি বর্ণনা করেননি। তবে ইয়াকুব (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবি) এর স্থানে (আরবি) (তাকেই দিলেন) উক্তিটি বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫১২১, ই.সে. ৫১৩২)

১৮. অধ্যায়ঃ

আঙ্গুল ও বাসন চেটে খাওয়া এবং পড়ে যাওয়া খাবারে যে আবর্জনা লেগেছে তা মুছে খাওয়া মুস্তাহাব, আর চেটে খাওয়ার আগে হাত মুছে ফেলা মাকরূহ; (কারণ ঐ বাকী অংশের মধ্যে খাদ্যের বারাকাত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে)

৫১৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا - سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا " .

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন আহার করে, সে যেন তার হাত মুছে না ফেলে যতক্ষণ না সে তা চেটে খায় [৮] বা অপরকে দিয়ে চাটায়। (ই.ফা. ৫১২২, ই.সে. ৫১৩৩)

[৮] এ সুন্নাতটা বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এ বিষয়গুলো পুনরায় চালু করলে খাদ্যে অধিক বারাকাত লাভের সুযোগ রয়েছে।

৫১৯০

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو عَاصِمٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ مِنَ الطَّعَامِ فَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا " .

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ আহার করে, সে যেন স্বীয় হস্ত মুছে না ফেলে যতক্ষণ না সে তা নিজে চেটে খায় কিংবা অপরকে দিয়ে চাটায়। (ই.ফা. ৫১২৩, ই.সে. ৫১৩৪)

৫১৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ، مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَلْعَقُ أَصَابِعَهُ الثَّلاَثَ مِنَ الطَّعَامِ . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ حَاتِمٍ الثَّلاَثَ . وَقَالَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ .

কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর আঙ্গুল তিনটি [৯] হতে খাবার চেটে খেতে দেখেছি। কিন্তু ইবনু হাতিম (রহঃ) (আরবি) (তিন) শব্দটি উল্লেখ করেননি। আর ইবনু আবূ শাইবাহ তাঁর বর্ণনায় ‘আবদুর রহমান ইবনু কা’ব (রহঃ) ‘তাঁর পিতা হতে’ সূত্রটির কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৫১২৪, ই.সে. ৫১৩৫)

[৯] আরবের প্রধান খাদ্য ছিল তখন রুটি বা শুকনো জাতীয় খাবার। ঐগুলো খেতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর (১) বৃদ্ধ (২) শাহাদাত (৩) মধ্যমা আঙ্গুলগুলোই ব্যবহার করতেন। (আমাদেরও ঐ রকম খাদ্যে একই রকমভাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করা দরকার)

৫১৯২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ بِثَلاَثِ أَصَابِعَ وَيَلْعَقُ يَدَهُ قَبْلَ أَنْ يَمْسَحَهَا .

কা’ব ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন আঙ্গুলে খাবার খেতেন এবং হাত মুছার আগে তা চেটে খেতেন। (ই.ফা. ৫১২৫, ই.সে. ৫১৩৬)

৫১৯৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ سَعْدٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، - أَوْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ - أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، كَعْبٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْكُلُ بِثَلاَثِ أَصَابِعَ فَإِذَا فَرَغَ لَعِقَهَا .

কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন আঙ্গুলে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষ করে আঙ্গুলগুলো চেটে খেতেন। (ই.ফা. ৫১২৬, ই.সে. ৫১৩৭)

৫১৯৪

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّحَدَّثَاهُ - أَوْ، أَحَدُهُمَا - عَنْ أَبِيهِ، كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .

কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫১২৭, ই.সে. ৫১৩৮)

৫১৯৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِلَعْقِ الأَصَابِعِ وَالصَّحْفَةِ وَقَالَ " إِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ فِي أَيِّهِ الْبَرَكَةُ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আঙ্গুল ও বাসন চেটে খেতে [১০] নির্দেশ করেছেন। আর তিনি বলেছেন: (খাদ্যের) কোন অংশে বারাকাত আছে তা তোমরা জান না। (ই.ফা. ৫১২৮, ই.সে. ৫১৩৯)

[১০] বাসন চেটে বা পরিষ্কার করে খাওয়া নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। এ সুন্নাতটা আরো অধিক পরিমাণে অবহেলার স্বীকার। এ সুন্নাতটাও আমাদের জীবিত করা দরকার।

৫১৯৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وَقَعَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَأْخُذْهَا فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذًى وَلْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ وَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ بِالْمِنْدِيلِ حَتَّى يَلْعَقَ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَىِّ طَعَامِهِ الْبَرَكَةُ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কারো লোকমা পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে নেয়। তারপর তাতে যে আবর্জনা স্পর্শ করেছে তা যেন দূরীভূত করে এবং খাদ্যটুকু খেয়ে ফেলে। শাইতানের জন্য সেটি যেন ফেলে না রাখে। আর তার আঙ্গুল চেটে না খাওয়া পর্যন্ত সে যেন তার হাত রুমাল দিয়ে মুছে না ফেলে। কেননা সে জানে না খাদ্যের কোন অংশে বারাকাত রয়েছে। (ই.ফা. ৫১২৯, ই.সে. ৫১৪০)

৫১৯৭

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ، رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَفِي حَدِيثِهِمَا " وَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ بِالْمِنْدِيلِ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا " . وَمَا بَعْدَهُ .

সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তাঁদের দু’জনের হাদীসে আছে, ‘সে ব্যক্তি যেন তার হাত রুমাল দিয়ে মুছে না ফেলে, যতক্ষণ না সে তার নিজের হাত চেটে খায় কিংবা অপরকে দিয়ে চাটায়।

... পরবর্তীতে বাকী অংশে উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩০, ই.সে. ৫১৪১)

৫১৯৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَحْضُرُ أَحَدَكُمْ عِنْدَ كُلِّ شَىْءٍ مِنْ شَأْنِهِ حَتَّى يَحْضُرَهُ عِنْدَ طَعَامِهِ فَإِذَا سَقَطَتْ مِنْ أَحَدِكُمُ اللُّقْمَةُ فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذًى ثُمَّ لْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ فَإِذَا فَرَغَ فَلْيَلْعَقْ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَىِّ طَعَامِهِ تَكُونُ الْبَرَكَةُ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, শাইতান তোমাদের সকল কাজ-কর্মে উপস্থিত হয়। এমনকি তোমাদের কারো খাবারের সময়ও সে উপস্থিত হয়। সুতরাং তোমাদের যদি কারো লোকমা মাটিতে পড়ে যায়, সে যেন তাতে লেগে যাওয়া আবর্জনা সরিয়ে তা খেয়ে ফেলে। শাইতানের জন্য জন্য যেন ফেলে না রাখে। খাবার শেষে সে যেন তার আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কেননা সে জানেনা, তার খাদ্যের কোন অংশে বারাকাত (কল্যাণ) রয়েছে। (ই.ফা. ৫১৩১, ই.সে. ৫১৪২)

৫১৯৯

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ " إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ " . إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَوَّلَ الْحَدِيثِ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَحْضُرُ أَحَدَكُمْ " .

আবূ কুরায়ব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) দু’জনই আবূ মু’আবিয়াহ (রহঃ) হতে, তিনি আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

“যখন তোমাদের কারো লোকমা পড়ে যায়, ... হাদীসের শেষ পর্যন্ত। তবে আবূ মু’আবিয়াহ (রহঃ) হাদীসের প্রথমাংশ ‘শাইতান তোমাদের প্রতিটি কাজে-কর্মে উপস্থিত হয়’-কথাটি উত্থাপন করেননি। (ই.ফা. ৫১৩২, ই.সে. ৫১৪৩)

৫২০০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، صَالِحٍ وَأَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي ذِكْرِ اللَّعْقِ . وَعَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ اللُّقْمَةَ نَحْوَ حَدِيثِهِمَا .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে চেটে খাওয়ার ব্যাপারে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ সুফইয়ান (রহঃ) জাবির (রাঃ)-এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনিও তাদের উভয়ের হাদীসের ন্যায় লোকমার কথা বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩৩, ই.সে. ৫১৪৪)

৫২০১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ، بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَكَلَ طَعَامًا لَعِقَ أَصَابِعَهُ الثَّلاَثَ . قَالَ وَقَالَ " إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِطْ عَنْهَا الأَذَى وَلْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ " . وَأَمَرَنَا أَنْ نَسْلُتَ الْقَصْعَةَ قَالَ " فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ فِي أَىِّ طَعَامِكُمُ الْبَرَكَةُ " .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন খাদ্য খেতেন তখন তাঁর আঙ্গুল তিনটি চেটে খেতেন এবং তিনি বলেছেন: তোমাদের কারো লোকমা যদি মাটিতে পড়ে যায় তবে সে যেন তা হতে ময়লা দূর করে এবং খাবারটুকু খেয়ে ফেলে, তা যেন শাইতানের জন্য রেখে না দেয়। আর তিনি আমাদের বাসন মুছে খেতে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘কারণ তোমরা জান না, তোমাদের খাবারের কোন অংশে কল্যাণ রয়েছে’। (ই.ফা. ৫১৩৪, ই.সে. ৫১৪৫)

৫২০২

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَلْعَقْ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَيَّتِهِنَّ الْبَرَكَةُ " .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, সে যেন তার আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কারণ সে জানে না খাদ্যের কোন অংশে বারাকাত রয়েছে। (ই.ফা. ৫১৩৫, ই.সে. ৫১৪৬)

৫২০৩

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " وَلْيَسْلُتْ أَحْدُكُمُ الصَّحْفَةَ " . وَقَالَ " فِي أَىِّ طَعَامِكُمُ الْبَرَكَةُ أَوْ يُبَارَكُ لَكُمْ " .

হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত। তবে তিনি বলেছেন, তোমাদের সবাই যেন বাসন চেটে খায়। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জান না তোমাদের কোন খাদ্যে বারাকাত রয়েছে অথবা কোন খাদ্যে বারাকাত দেয়া হয়। (ই.ফা. ৫১৩৫, ই.সে. ৫১৪৭)

১৯. অধ্যায়ঃ

মেযবানের দাওয়াত ছাড়াই যদি কেউ মেহমানের পশ্চাদানুসরণ করে তবে মেহমান কি করবে? পশ্চাদানুসারীদের জন্য মেযবান থেকে অনুমতি নিয়ে নেয়া মুস্তাহাব।

৫২০৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو شُعَيْبٍ وَكَانَ لَهُ غُلاَمٌ لَحَّامٌ فَرَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَرَفَ فِي وَجْهِهِ الْجُوعَ فَقَالَ لِغُلاَمِهِ وَيْحَكَ اصْنَعْ لَنَا طَعَامًا لِخَمْسَةِ نَفَرٍ فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَدْعُوَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَامِسَ خَمْسَةٍ . قَالَ فَصَنَعَ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَاهُ خَامِسَ خَمْسَةٍ وَاتَّبَعَهُمْ رَجُلٌ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ هَذَا اتَّبَعَنَا فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَأْذَنَ لَهُ وَإِنْ شِئْتَ رَجَعَ " . قَالَ لاَ بَلْ آذَنُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ .

আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ শু’আয়ব নামধারী এক আনসারী ব্যক্তি ছিল। তার একজন কসাই দাস ছিল। লোকটি একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে তাঁর অবয়বে ক্ষুধার আভাস অনুভব করলো। পরে তার গোলামকে বলল, তোমার কল্যাণ হোক আমাদের পাঁচজনের জন্য তুমি খাবার তৈরী করো। কেননা আমি পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাওয়াত দিতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। তখন সে খাবার তৈরী করলো। তারপর লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে তাঁকে সহ পাঁচজনকে দাওয়াত দিল। জনৈক লোক তাঁদের পিছু অনুসরণ করলো। দরজা পর্যন্ত পৌঁছলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএ লোকটি আমাদের পিছু পিছু এসেছে। তুমি চাইলে তাকে অনুমতি দিতে পার, আর যদি ইচ্ছা কর তবে সে প্রত্যাবর্তন করবে। লোকটি বলল, না। বরং আমি তাকে অনুমতি দিচ্ছি, হে আল্লাহর রসূল! (ই.ফা. ৫১৩৬, ই.সে. ৫১৪৮)

৫২০৫

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ . قَالَ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ فِي رِوَايَتِهِ لِهَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ، الأَنْصَارِيُّ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .

আবূ মাসউদ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে জারীর (রাঃ)-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু নাসর ইবনু আলী পুরো সানাদ হাদ্দাসানা দিয়ে বর্ণনা করেছেন এবং পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩৭, ই.সে. ৫১৪৯)

৫২০৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوَّابِ، حَدَّثَنَا عَمَّارٌ، - وَهْوَ ابْنُ رُزَيْقٍ - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ভিন্ন সূত্রে সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) ... আবূ মাস’উদ (রাঃ)-এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩৮, ই.সে. ৫১৫০)

৫২০৭

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ جَارًا، لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَارِسِيًّا كَانَ طَيِّبَ الْمَرَقِ فَصَنَعَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَ يَدْعُوهُ فَقَالَ " وَهَذِهِ " . لِعَائِشَةَ فَقَالَ لاَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " فَعَادَ يَدْعُوهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهَذِهِ " . قَالَ لاَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " . ثُمَّ عَادَ يَدْعُوهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهَذِهِ " . قَالَ نَعَمْ . فِي الثَّالِثَةِ . فَقَامَا يَتَدَافَعَانِ حَتَّى أَتَيَا مَنْزِلَهُ .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর একজন ইরানী প্রতিবেশী ভাল সালুন রান্না করতে পারতো। একদা সে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জন্য সামান্য খাবার তৈরী করে তাঁকে দা’ওয়াত করতে আসলো। তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)– এর দিকে ইশারা করে বললেন এই যে, ‘আয়িশাহ্‌ আছেন। সে বলল, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (তাহলে আমিও) না। লোকটি আবার তাঁকে দাওয়াত করল। রাসূলুল্লাহ বললেনঃ ইনিও [‘আয়িশা (রাঃ)]? সে বলল, না রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (আমিও) না। এরপর সে পুনরায় তাঁকে দাওয়াত করতে আসলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইনিও? লোকটি তৃতীয়বার বলল, হ্যাঁ। তারপর তাঁরা উভয়েই দাঁড়ালেন এবং একজনের পিছনে আরেকজন চলে তার গৃহে এসে পৌঁছলেন। (ই ফা. ৫১৩৯, ই সে, ৫১৫১)

২০. অধ্যায়ঃ

মেযবানের সন্তুষ্টি সম্পর্কে নিশ্চিত থাকলে অন্যকে সাথে নিয়ে তার গৃহে উপস্থিত হওয়া জায়িয, আর একত্র থেকে খাওয়া মুস্তাহাব।

৫২০৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ أَوْ لَيْلَةٍ فَإِذَا هُوَ بِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالَ " مَا أَخْرَجَكُمَا مِنْ بُيُوتِكُمَا هَذِهِ السَّاعَةَ " . قَالاَ الْجُوعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَأَنَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَخْرَجَنِي الَّذِي أَخْرَجَكُمَا قُومُوا " . فَقَامُوا مَعَهُ فَأَتَى رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَإِذَا هُوَ لَيْسَ فِي بَيْتِهِ فَلَمَّا رَأَتْهُ الْمَرْأَةُ قَالَتْ مَرْحَبًا وَأَهْلاً . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيْنَ فُلاَنٌ " . قَالَتْ ذَهَبَ يَسْتَعْذِبُ لَنَا مِنَ الْمَاءِ . إِذْ جَاءَ الأَنْصَارِيُّ فَنَظَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَاحِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ مَا أَحَدٌ الْيَوْمَ أَكْرَمَ أَضْيَافًا مِنِّي - قَالَ - فَانْطَلَقَ فَجَاءَهُمْ بِعِذْقٍ فِيهِ بُسْرٌ وَتَمْرٌ وَرُطَبٌ فَقَالَ كُلُوا مِنْ هَذِهِ . وَأَخَذَ الْمُدْيَةَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِيَّاكَ وَالْحَلُوبَ " . فَذَبَحَ لَهُمْ فَأَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَمِنْ ذَلِكَ الْعِذْقِ وَشَرِبُوا فَلَمَّا أَنْ شَبِعُوا وَرَوُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُسْأَلُنَّ عَنْ هَذَا النَّعِيمِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَخْرَجَكُمْ مِنْ بُيُوتِكُمُ الْجُوعُ ثُمَّ لَمْ تَرْجِعُوا حَتَّى أَصَابَكُمْ هَذَا النَّعِيمُ " .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিনে কিংবা রাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তার বাড়ী থেকে) বের হয়ে আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ) –কে দর্শন করলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, এ সময় কিসে তোমাদের গৃহ হতে বের করেছে? তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! উপবাসের যন্ত্রনায়। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,যে মহান আল্লাহ্‌র হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম, যা তোমাদের বের করে এনেছে, আমাকেও তা-ই বের করে এনেছে, চলো। তাঁরা উভয়ে তাঁর সাথে চলতে লাগলেন। তার পর তিনি এক আনসারীর গৃহে এলেন। তখন তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। তাঁর সধর্মিণী তাঁকে [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] দেখে বলল, মারহাবা ওয়া আহলান (আরবী)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, অমুক কোথায়? স্ত্রীলোকটি বলল, তিনি আমাদের জন্য মিষ্ট পানি আনতে গেছেন। তখনই আনসারী ব্যক্তিটি উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর দু’ সাথীকে দেখতে পেয়ে বললেন, আল্লাহ্‌র প্রশংসা, আজ মেহমানের দিক হতে আমার থেকে সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই। তারপর সে গিয়ে একটি খেজুরের ছড়া নিয়ে আসলেন। তাতে কাচা, পাকা ও শুকনা খেজুর ছিল। তিনি বললেন, আপনারা এ ছড়া থেকে খান। এরপর তিনি ছুরি নিলেন (ছাগল যাবাহ করার জন্য) তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, সাবধান, দুধওয়ালা বকরী যাবাহ করবে না। অতঃপর তাদের জন্য (বকরী) যাবাহ করলে তাঁরা বকরীর গোশত ও কাঁদির খেজুর খেলেন এবং (মিঠা) পানি পান করলেন। তাঁরা সকলে ক্ষুদা মিটালেন ও পরিতৃপ্ত হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন আবূ বক্‌র ও ‘উমার (রাঃ) –কে কেন্দ্র করে বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম! কিয়ামতের দিন এ নি’য়ামত সম্বন্ধে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে। ক্ষুধা তোমাদের বাড়ি হতে বের করে এনেছে অথচ তোমরা এ নি’য়ামত লাভ না করে ফেরত যাওনি। (ই.ফা. ৫১৪০, ই.সে. ৫১৫২)

৫২০৯

وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو هِشَامٍ، - يَعْنِي الْمُغِيرَةَ بْنَ سَلَمَةَ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ بَيْنَا أَبُو بَكْرٍ قَاعِدٌ وَعُمَرُ مَعَهُ إِذْ أَتَاهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا أَقْعَدَكُمَا هَا هُنَا " . قَالاَ أَخْرَجَنَا الْجُوعُ مِنْ بُيُوتِنَا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ خَلَفِ بْنِ خَلِيفَةَ .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আবূ বাকর (রাঃ) বসে ছিলেন। তাঁর সাথে ‘উমার (রাঃ) ও ছিলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের পাশে এসে বললেনঃ কোন জিনিস তোমাদের এ স্থানে বসিয়ে রেখেছে? তাঁরা বললেন, সে আল্লাহ্‌র কসম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন। ক্ষুধা আমাদের ঘর থেকে আমাদের বাইরে নিয়ে এসেছে। অতঃপর বর্ণনাকারী খালাফ ইব্‌নে খলীফা (রহঃ) –এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৫১৪১, ই.সে. ৫১৫৩)

৫২১০

حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، مِنْ رُقْعَةٍ عَارَضَ لِي بِهَا ثُمَّ قَرَأَهُ عَلَىَّ قَالَ أَخْبَرَنَاهُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ لَمَّا حُفِرَ الْخَنْدَقُ رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأَتِي فَقُلْتُ لَهَا هَلْ عِنْدَكِ شَىْءٌ فَإِنِّي رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا شَدِيدًا . فَأَخْرَجَتْ لِي جِرَابًا فِيهِ صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ وَلَنَا بُهَيْمَةٌ دَاجِنٌ - قَالَ - فَذَبَحْتُهَا وَطَحَنَتْ فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغِي فَقَطَّعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لاَ تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ مَعَهُ - قَالَ - فَجِئْتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ ذَبَحْنَا بُهَيْمَةً لَنَا وَطَحَنَتْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ كَانَ عِنْدَنَا فَتَعَالَ أَنْتَ فِي نَفَرٍ مَعَكَ . فَصَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " يَا أَهْلَ الْخَنْدَقِ إِنَّ جَابِرًا قَدْ صَنَعَ لَكُمْ سُورًا فَحَيَّهَلاَ بِكُمْ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ وَلاَ تَخْبِزُنَّ عَجِينَتَكُمْ حَتَّى أَجِيءَ " . فَجِئْتُ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْدُمُ النَّاسَ حَتَّى جِئْتُ امْرَأَتِي فَقَالَتْ بِكَ وَبِكَ . فَقُلْتُ قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ لِي . فَأَخْرَجْتُ لَهُ عَجِينَتَنَا فَبَصَقَ فِيهَا وَبَارَكَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنَا فَبَصَقَ فِيهَا وَبَارَكَ ثُمَّ قَالَ " ادْعِي خَابِزَةً فَلْتَخْبِزْ مَعَكِ وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلاَ تُنْزِلُوهَا " . وَهُمْ أَلْفٌ فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لأَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا وَإِنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ وَإِنَّ عَجِينَتَنَا - أَوْ كَمَا قَالَ الضَّحَّاكُ - لَتُخْبَزُ كَمَا هُوَ .

জাবির ইব্‌নে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (খন্দক যুদ্ধের প্রাক্কালে) পরিখা খোড়ার সময় আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর দেহে ক্ষুধার যন্ত্রণা লক্ষ্য করলাম। অতঃপর আমার সহধর্মিণীর নিকট ফিরে এসে তাঁকে বললাম, তোমার কাছে কিছু আছে কি? কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– কে চরম ক্ষুধারত অবস্থায় দেখেছি। অতঃপর সে একটি চামড়ার ব্যাগ বের করলো, যার মধ্যে এক সা’ পরিমাণ যব ছিল। আর আমাদের একটা গৃহপালিত বকরী ছিল। আমি ওটা যাবাহ করলাম, আর স্ত্রী যবগুলো ভালভাবে পিষে নিল। আমার কাজ সম্পাদনের সঙ্গে সঙ্গে সেও তাঁর কাজ শেষ করলো। আমি (রান্নার জন্য) গোশ্‌ত কেটে ডেগচিতে রাখলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর কাছে ফিরে এলাম। (যাওয়ার সময়) আমার স্ত্রী আমাকে বলল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাথীদের দিয়ে তুমি আমাকে লাঞ্ছিত কর না। তিনি বলেন, তারপর আমি তাঁর নিকট এসে চুপি চুপি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা একটি বকরী যাবাহ করেছি আর আমাদের এক সা’ পরিমাণ যব ছিল আমার স্ত্রী তাই পিষে নিয়েছে। সুতরাং আপনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আসুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দরাজ কণ্ঠে বললেন, হে পরিখা খননকারীরা! জাবির তোমাদের জন্য কিছু খাবার তৈরী করেছে। তোমরা সকলে চলো। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাকে বললেনঃ আমি না আসা পর্যন্ত তোমাদের ডেগ (চুলা থেকে) নামাবে না এবং খামীর দ্বারা রুটি প্রস্তত করবে না। আমি আসলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষদের আগে আগে আসলেন। আমি আমার স্ত্রীর নিকট এলে সে আমাকে (তিরস্কার করে) বলল, তোমার ধ্বংস হোক, তোমার ধ্বংস হোক। আমি বললাম, আমি তাই করেছি, তুমি যাই আমাকে বলেছিলে। অতঃপর সে খামিরগুলো বের করলো তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মধ্যে একটু লালা দিলেন এবং বারাকাতের দু’য়া করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, রুটি প্রস্ততকারীনিকে ডাক, যে তোমার সঙ্গে রুটি প্রস্তত করবে। আর তুমি পাতিল হতে পেয়ালা ভরে ভরে নিবে। আর ডেগ (চুল্লি হতে) নামাবে না। তাঁরা ছিলেন মোট এক হাজার মানুষ। আল্লাহ্‌র নামে শপথ করছি! তাঁরা সকলে খাবার খেলেন। পরিশেষে তাঁরা তা রেখে এমনভাবে ফিরে গেলেন যে, আমাদের ডেগ আগের মতো উতলিয়ে পড়ছিল। আর আমাদের খামীর পূর্বের মতো রুটি প্রস্তত করা হচ্ছিল। (ই.ফা. ৫১৪২, ই.সে. ৫১৫৪)

৫২১১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لأُمِّ سُلَيْمٍ قَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَعِيفًا أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَىْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ . فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ ثُمَّ أَخَذَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتِ الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ دَسَّتْهُ تَحْتَ ثَوْبِي وَرَدَّتْنِي بِبَعْضِهِ ثُمَّ أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ " . قَالَ فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ " أَلِطَعَامٍ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَنْ مَعَهُ " قُومُوا " . قَالَ فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُطْعِمُهُمْ فَقَالَتِ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ - فَانْطَلَقَ أَبُو طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَهُ حَتَّى دَخَلاَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلُمِّي مَا عِنْدَكِ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ " . فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَفُتَّ وَعَصَرَتْ عَلَيْهِ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً لَهَا فَأَدَمَتْهُ ثُمَّ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ " . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ " . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ " . حَتَّى أَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالْقَوْمُ سَبْعُونَ رَجُلاً أَوْ ثَمَانُونَ .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (একদা) আবূ তালহাহ্‌ (রাঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)- কে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুর্বল শব্দ শ্রবণ করে বুঝতে পেরেছি যে, তিনি ক্ষুধার্ত। তাই তোমার কাছে কিছু আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি যবের কয়েক খণ্ড রুটি বের করলেন। তারপর তার ওড়না নিলেন এবং এটির একাংশ দিয়ে রুটিগুলো পেচিয়ে আমার কাপড়ের তলায় গুঁজে দিলেন এবং ওপর অংশ আমার দেহে জড়িয়ে দিলেন। অতঃপর আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে প্রেরণ করলেন। তিনি (আনাস) বলেন, আমি এগুলো নিয়ে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে দেখতে পেলাম তিনি মসজিদে বসে আছেন। তাঁর সাথে আরও মানুষ ছিলেন। আমি তাঁদের নিকট গিয়ে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাকে আবূ তালহাহ প্রেরণ করেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, খাওয়ার ব্যাপারে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদের বললেন, সবাই চলো। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গেলেন। আর আমি তাদের সামনে চলতে লাগলাম। পরিশেষে আমি আবূ তালহাহ (রাঃ)-এর কাছে এসে তাঁকে (ঘটনা) খবর দিলাম তখন আবূ তালহাহ (রাঃ) বললেন, হে উম্মু সুলায়ম (রাঃ)! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো লোকদের নিয়ে আসছেন, অথচ আমাদের কাছে সে পরিমাণ খাদ্য নেই যা দিয়ে তাঁদের আপ্যায়ন করতে পারি। [উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, (তুমি উদ্বিগ্ন হয়ো না) আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর আবূ তালহাহ (রাঃ) যেয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সাথে দেখা করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথে এসে (উভয়ে) ঘরে ঢুকলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) –কে লক্ষ্য করে বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! তোমার কাছে যা আছে নিয়ে আসো। তিনি সে রুটিগুলো তা সাথে করে নিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দান করলেন সেগুলো টুকরা টুকরা করা হলো। আর উম্মু সুলায়ম (রাঃ) চামড়া দ্বারা তৈরী ঘি-এর পাত্রটি চিপে সেটি সালুন হিসেবে দিলেন। আর এর ভিতরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র ইচ্ছানুযায়ী কিছু পড়লেন। অতঃপর বললেন , দশজনকে আসতে বলো। তাদের ডাকা হলে এসে তৃপ্তির সাথে খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আরো দশজনকে আসতে বলো। তাদের ডাকা হলে তারা পেট ভরে খেয়ে চলে গেলেন। পুনরায় তিনি বললেন, দশ জনকে ডাক। এভাবে দলের সকলে পেটপুরে খাবার খেলেন। সত্তর কিংবা আশিজন লোক তাদের দলে ছিল। (ই. ফা. ৫১৪৩, ই.সে. ৫১৫৫)

৫২১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَنِي أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَدْعُوَهُ وَقَدْ جَعَلَ طَعَامًا - قَالَ - فَأَقْبَلْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ النَّاسِ فَنَظَرَ إِلَىَّ فَاسْتَحْيَيْتُ فَقُلْتُ أَجِبْ أَبَا طَلْحَةَ . فَقَالَ لِلنَّاسِ " قُومُوا " . فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا صَنَعْتُ لَكَ شَيْئًا - قَالَ - فَمَسَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدَعَا فِيهَا بِالْبَرَكَةِ ثُمَّ قَالَ " أَدْخِلْ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِي عَشَرَةً " . وَقَالَ " كُلُوا " . وَأَخْرَجَ لَهُمْ شَيْئًا مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا فَخَرَجُوا فَقَالَ " أَدْخِلْ عَشَرَةً " . فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا . فَمَا زَالَ يُدْخِلُ عَشَرَةً وَيُخْرِجُ عَشَرَةً حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلاَّ دَخَلَ فَأَكَلَ حَتَّى شَبِعَ ثُمَّ هَيَّأَهَا فَإِذَا هِيَ مِثْلُهَا حِينَ أَكَلُوا مِنْهَا .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তালহাহ (রাঃ) কিছু খাদ্যের ব্যবস্থা করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দাওয়াত করার জন্য আমাকে প্রেরণ করলেন। আমি তাঁর নিকট গেলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথীদের সাথে ছিলেন। তিনি আমার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। আমি লজ্জার সাথে বললাম, আপনি আবূ তালহার দাওয়াত কবুল করুন। তখন তিনি লোকদের বললেনঃ তোমরা সবাই চলো। আবূ তালহাহ (রাঃ) হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি তো শুধুমাত্র আপনার জন্য সামান্য খাবার ব্যবস্থা করেছি। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবারগুলো ছুঁয়ে দেখলেন এবং এতে বারাকাতের দু’য়া করলেন। অতঃপর বললেন, আমার সাথীদের মধ্য থেকে দশজন করে ঘরে নিয়ে এসো। তিনি তাঁদের বললেন, তোমরা খেতে থাক। তিনি তাঁদের জন্য তাঁর আঙ্গুলের মধ্য থেকে কিছু বের করে দিলেন। তাঁরা সকলে তৃপ্তি সহ খাওয়ার পর বেরিয়ে গেলেন। অতঃপর বললেন, আরো দশজনকে ঘরে নিয়ে এসো। তারাও আহার শেষে বের হয়ে গেলেন। এভাবে দশজন ঘরে প্রবেশ করে এবং দশজন বের হয়ে যায়। এমনকি তাদের মাঝ থেকে একজন বাকী থাকেনি যে ঘরে ঢুকেনি। অতঃপর তিনি পাত্র খুলে দেখলেন, সকলে আহার করার পূর্বে যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনি আছে। [১১] (ই. ফা. ৫১৪৪ ই.সে.৫১৫৬)

[১১] অর্থাৎ পাত্রের খাবার আগের যেমন ছিল সবাই খাওয়ার পর ঠিক তেমনই র‍য়ে গেল । এটা ছিল রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মু’জিযা ।

৫২১৩

وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَنِي أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فِي آخِرِهِ ثُمَّ أَخَذَ مَا بَقِيَ فَجَمَعَهُ ثُمَّ دَعَا فِيهِ بِالْبَرَكَةِ - قَالَ - فَعَادَ كَمَا كَانَ فَقَالَ " دُونَكُمْ هَذَا " .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তালহাহ (রাঃ) আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে প্রেরণ করলেন। রাবী ইব্‌নে নুমায়র (রহঃ) –এর হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। তবে হাদীসটির শেষাংশে তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাকী অংশ জমা করে এতে বারাকাতের প্রার্থনা করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, ফলে তা (পূর্বে) যেমনি ছিল আবার তেমনি হয়ে গেল এবং তিনি বললেনঃ এবার তোমরা নাও। (ই. ফা. ৫১৪৫, ই. সে. ৫১৫৭)

৫২১৪

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَمَرَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ أَنْ تَصْنَعَ، لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا لِنَفْسِهِ خَاصَّةً ثُمَّ أَرْسَلَنِي إِلَيْهِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ فَوَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ وَسَمَّى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ " . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ " كُلُوا وَسَمُّوا اللَّهَ " . فَأَكَلُوا حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ بِثَمَانِينَ رَجُلاً . ثُمَّ أَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ وَأَهْلُ الْبَيْتِ وَتَرَكُوا سُؤْرًا .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একমাত্র নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জন্য খাবার তৈরী করতে আবূ তালহাহ (রাঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)–কে আদেশ করলেন। অতঃপর তিনি আমাকে তাঁর কাছে প্রেরণ করলেন। অতঃপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীস তি রিওয়ায়াত করেন। এ হাদীসে তিনি বলেছেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে হাত-রাখলেন এবং আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করলেন। অতঃপর বললেন, দশজনকে ডাকো। তাদের ডাকলে তারা ঘরে ঢুকলো। তিনি বললেন, তোমরা ‘বিসমিল্লাহ’ (আল্লাহ্‌র নামে) বলে খাওয়া শুরু করো। তারা আহার করলো। এভাবে আশিজনের সাথে এ রকম করলেন। সবশেষে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ঘরের লোকেরা খাবার খেলেন এবং কিয়দংশ রেখে গেলেন। (ই. ফা. ৫১৪৬, ই. সে. ৫১৫৮)

৫২১৫

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، . بِهَذِهِ الْقِصَّةِ فِي طَعَامِ أَبِي طَلْحَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ فِيهِ فَقَامَ أَبُو طَلْحَةَ عَلَى الْبَابِ حَتَّى أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا كَانَ شَىْءٌ يَسِيرٌ . قَالَ " هَلُمَّهُ فَإِنَّ اللَّهَ سَيَجْعَلُ فِيهِ الْبَرَكَةَ " .

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) –এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তালহাহ্ (রাঃ)- এর খাবারের এ বর্ণনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেছেন। এর মধ্যে রাবী বলেছেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আবূ তালহাহ্ (রাঃ) দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর তাঁকে বললেন, হে আল্লহার রাসূল! এতো কিছু মাত্র (অল্প খাবার)। তিনি বললেন, তাই নিয়ে আসো। আল্লাহ অবশ্যই এতে বারাকাত দান করবেন। (ই.ফা ৫১৪৭, ই.সে. ৫১৫৯)

৫২১৬

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَكَلَ أَهْلُ الْبَيْتِ وَأَفْضَلُوا مَا أَبْلَغُوا جِيرَانَهُمْ .

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে বর্ণনাকারী বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার খেলেন। ঘরের অধিকারীরা ও খাবার খেলো এবং তাদের প্রতিবেশীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কিয়দাংশ রাখলেন। (ই.ফা. ৫১৪৮, ই.সে. ৫১৬০)

৫২১৭

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ جَرِيرَ بْنَ زَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَى أَبُو طَلْحَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُضْطَجِعًا فِي الْمَسْجِدِ يَتَقَلَّبُ ظَهْرًا لِبَطْنٍ فَأَتَى أُمَّ سُلَيْمٍ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُضْطَجِعًا فِي الْمَسْجِدِ يَتَقَلَّبُ ظَهْرًا لِبَطْنٍ وَأَظُنُّهُ جَائِعًا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو طَلْحَةَ وَأُمُّ سُلَيْمٍ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَفَضَلَتْ فَضْلَةٌ فَأَهْدَيْنَاهُ لِجِيرَانِنَا .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তালহাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে মাসজিদে শয়ন করে ও পিঠ উপর-নিচ করতে দেখলেন। তখন তিনি উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-এর সন্নিকটে এসে বসলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে মাসজিদে শয়ন করে পেট ও পিঠ উপর-নীচ করতে লক্ষ্য করেছি। আমার ধারণা হল , তিনি ক্ষুধার্ত। তারপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীস টি বর্ণনা করেন। এতে তিনি বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ তালহাহ (রাঃ), উম্মু সুলায়ম (রাঃ) ও আনাস (রাঃ) খাবার খেলেন। সামান্য অবশিষ্ট র‍য়ে গেলে আমরা সেটা প্রতিবেশীরদের কাছে উপটৌকন প্রেরণ করলাম। (ই. ফা. ৫১৪৯, ই . সে. ৫১৬১)

৫২১৮

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، أَنَّحَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا مَعَ أَصْحَابِهِ يُحَدِّثُهُمْ وَقَدْ عَصَّبَ بَطْنَهُ بِعِصَابَةٍ - قَالَ أُسَامَةُ وَأَنَا أَشُكُّ - عَلَى حَجَرٍ فَقُلْتُ لِبَعْضِ أَصْحَابِهِ لِمَ عَصَّبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَطْنَهُ فَقَالُوا مِنَ الْجُوعِ . فَذَهَبْتُ إِلَى أَبِي طَلْحَةَ وَهُوَ زَوْجُ أُمِّ سُلَيْمٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَقُلْتُ يَا أَبَتَاهُ قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَصَّبَ بَطْنَهُ بِعِصَابَةٍ فَسَأَلْتُ بَعْضَ أَصْحَابِهِ فَقَالُوا مِنَ الْجُوعِ . فَدَخَلَ أَبُو طَلْحَةَ عَلَى أُمِّي فَقَالَ هَلْ مِنْ شَىْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ عِنْدِي كِسَرٌ مِنْ خُبْزٍ وَتَمَرَاتٌ فَإِنْ جَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحْدَهُ أَشْبَعْنَاهُ وَإِنْ جَاءَ آخَرُ مَعَهُ قَلَّ عَنْهُمْ . ثُمَّ ذَكَرَ سَائِرَ الْحَدِيثِ بِقِصَّتِهِ .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে এসে তাঁকে দেখলাম, তিনি সাহাবীদের সাথে বসে আলোচনায় রত আছেন এবং এবং তিনি তাঁর পেট একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বর্ণনাকারী উসামাহ্‌ বলেন, পাথর সহ ছিল কি-না এতে আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। আমি তাঁর কোন এক সাহাবীকে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পেট কেন বেধে রেখেছেন? তাঁরা বললেন, ক্ষুধার তাড়নায়। তারপর আমি আবূ তালহাহ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি উম্মু সুলায়ম বিনতে মিলহান (রাঃ) –এর স্বামী ছিলেন। আমি বললাম, আব্বা! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে প্রত্যক্ষ করলাম, তিনি বস্ত্র দ্বারা তাঁর পেট বেঁধে রেখেছেন। আমি তাঁর এক সাহাবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায়। অতঃপর আবূ তালহাহ (রাঃ) আমার মায়ের নিকট গিয়ে বললেন, কিছু আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আমার কাছে কয়েক টুকরা রুটি আর কিছু খেজুর আছে। যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ঘরে একাকী আসেন, তাহলে আমরা তাঁকে তৃপ্তি সহকারে আহার করাতে পারি। আর যদি ভিন্ন কেউ তাঁর সাথে তাহলে তাঁদের সামান্য হবে। অতঃপর বর্ণনাকারী ঘটনা সহ পূর্ব হাদীস টি বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৫১৫০, ই. সে. ৫১৬২)

৫২১৯

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي طَعَامِ أَبِي طَلْحَةَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আবূ তালহার আহারের ব্যাপারে তাঁদের (উপরোল্লিখিত রাবীদের) হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। ( ই. ফা. ৫১৫১, ই. সে. ৫১৬৩)

২১. অধ্যায়ঃ

ঝোল খাওয়া জায়িয এবং লাউ খাওয়া মুস্তাহাব আর মেযবান অপছন্দ না করলে, মেহমান হয়েও একই দস্তরখানে উপবেশনকারীদের একজন অন্যজনকে এগিয়ে দেয়া জায়িয।

৫২২০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنَّ خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَهُ . قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَذَهَبْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى ذَلِكَ الطَّعَامِ فَقَرَّبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُبْزًا مِنْ شَعِيرٍ وَمَرَقًا فِيهِ دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ . قَالَ أَنَسٌ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ مِنْ حَوَالَىِ الصَّحْفَةِ . قَالَ فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ مُنْذُ يَوْمَئِذٍ .

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক দর্জি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জন্য কিছু খাদ্য প্রস্তত করে তাঁকে দাওয়াত করলো। আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) বলেন, সে দা’ওয়াতে আমি ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সম্মুখে যবের রুটি, ঝোল বিশিষ্ট লাউ ও শুকনো গোশত পেশ করা হলো। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে লক্ষ্য করলাম, তিনি থালার চারপাশে থেকে লাউ সন্ধান করেছেন। সেদিন থেকে আমিও লাউ পছন্দ করতে লাগলাম। (ই. ফা. ৫১৫২, ই. সে. ৫১৬৪)

৫২২১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فَجِيءَ بِمَرَقَةٍ فِيهَا دُبَّاءٌ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ مِنْ ذَلِكَ الدُّبَّاءِ وَيُعْجِبُهُ - قَالَ - فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ جَعَلْتُ أُلْقِيهِ إِلَيْهِ وَلاَ أَطْعَمُهُ . قَالَ فَقَالَ أَنَسٌ فَمَا زِلْتُ بَعْدُ يُعْجِبُنِي الدُّبَّاءُ .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দা’ওয়াত করলো। আমি ও তাঁর সাথে গেলাম। তরকারী আনা হলো যাতে লাউ ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে লাউগুলো খেতে লাগলেন। লাউ তাঁর নিকট ভাল লাগছিল। তিনি বলেন, এ অবস্থা দেখে স্বয়ং আমি না খেয়ে এগুলো তাঁর নিকট বাড়িয়ে দিতে লাগলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর থেকে সব সময় লাউ আমার প্রিয় খাবার হয়ে যায়। (ই. ফা. ৫১৫৩, ই. সে. ৫১৬৫)

৫২২২

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، وَعَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَزَادَ قَالَ ثَابِتٌ فَسَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ فَمَا صُنِعَ لِي طَعَامٌ بَعْدُ أَقْدِرُ عَلَى أَنْ يُصْنَعَ فِيهِ دُبَّاءٌ إِلاَّ صُنِعَ .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক দর্জি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে দা’ওয়াত করলো। রাবী অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, সাবিত (রহঃ) বলেছেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, অতঃপর আমার জন্য যদি আহার তৈরী করা হতো এবং এতে আমি লাউ দিতে সমর্থ হলে তাই করা হতো। (ই. ফা. ৫১৫৪, ই. সে. ৫১৬৬)

২২. অধ্যায়ঃ

খেজুরের বিচি খেজুরের বাহিরে ফেলা মুস্তাহাব এবং মেজবানের জন্য মেহমানের দু’আ করা, সৎ মেহমান থেকে দু’আ চাওয়া ও মেহমানের তাতে সাড়া দেয়া মুস্তাহাব।

৫২২৩

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ، بْنِ خُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي - قَالَ - فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا وَوَطْبَةً فَأَكَلَ مِنْهَا ثُمَّ أُتِيَ بِتَمْرٍ فَكَانَ يَأْكُلُهُ وَيُلْقِي النَّوَى بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ وَيَجْمَعُ السَّبَّابَةَ وَالْوُسْطَى - قَالَ شُعْبَةُ هُوَ ظَنِّي وَهُوَ فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ إِلْقَاءُ النَّوَى بَيْنَ الإِصْبَعَيْنِ - ثُمَّ أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ الَّذِي عَنْ يَمِينِهِ - قَالَ - فَقَالَ أَبِي وَأَخَذَ بِلِجَامِ دَابَّتِهِ ادْعُ اللَّهَ لَنَا فَقَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ " .

আব্দুল্লাহ ইব্‌নে বুস্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার আব্বার কাছে আসলেন। আমরা তাঁর সম্মুখে কিছু খাবার ও ওয়াতবাহ (খেজুর চূর্ণ, পনির ও ঘি যোগে তৈরী এক প্রকার খাদ্য) পেশ করলাম। তিনি তা হতে খেলেন। অতঃপর খেজুর নিয়ে আসলে তিনি তা খেতে লাগলেন। আর বিচিগুলো মধ্যমা ও সাহাদাত অঙ্গুলি একত্র করে দু’আঙ্গুলের মাঝখান দিয়ে ফেলতে লাগলেন। শু’বাহ্‌ বলেন, এটা আমার অনুমান। তবে ইন্‌শা আল্লাহ্‌ এতে দু’আঙ্গুলের মাঝখানে দিয়ে বীজ ফেলার কথাটি আছে। অতঃপর তাঁর নিকটে সুপেয় আনা হলে তিনি তা পান করেন। পরে তিনি তাঁর ডান পাশের লোককে দিলেন। ‘আব্দুল্লাহ ইব্‌নে বুস্‌র (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমার আব্বা তাঁর সাওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ্‌র নিকট প্রার্থনা করুন। তখন তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ্‌! তুমি তাঁদের রিযকে বারাকাত দাও, তাঁদের ক্ষমা করো এবং তাঁদের প্রতি দয়া করো। (ই. ফা. ৫১৫৫, ই. সে. ৫১৬৭)

৫২২৪

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَشُكَّا فِي إِلْقَاءِ النَّوَى بَيْنَ الإِصْبَعَيْنِ .

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লেখিত সূত্রে হাদীস টি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা দু’জনেই দু’আঙ্গুলের মধ্য দিয়ে বিচি ফেলে দেয়ার ব্যাপারে শু’বাহর সন্দেহের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫১৫৬, ই.সে.৫১৬৮)

২৩. অধ্যায়ঃ

শশা ও তাজা খেজুরের সংমিশ্রণে আহার করা।

৫২২৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ الْهِلاَلِيُّ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا - إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ الْقُثَّاءَ بِالرُّطَبِ .

আব্দুল্লাহ ইব্‌নে জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে সতেজ খেজুরের সঙ্গে শশা খেতে লক্ষ্য করেছি। (ই. ফা. ৫১৫৭, ই. সে. ৫১৬৯)

২৪. অধ্যায়ঃ

আহারকারীর বিনয়-নম্রতা মুস্তাহাব এবং তার উপবেশনের নিয়ম-কানুন।

৫২২৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ كِلاَهُمَا عَنْ حَفْصٍ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُقْعِيًا يَأْكُلُ تَمْرًا .

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জানুদ্বয় উচ্চে তুলে উপরি বৈঠকে খেজুর খেতে লক্ষ্য করেছি। (ই. ফা. ৫১৫৮, ই.সে. ৫১৭০)

৫২২৭

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَمْرٍ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُهُ وَهُوَ مُحْتَفِزٌ يَأْكُلُ مِنْهُ أَكْلاً ذَرِيعًا . وَفِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ أَكْلاً حَثِيثًا .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট শুকনো খেজুর আনা হলে তিনি তা ভাগ করতে লাগলেন এবং স্বয়ং জানুদ্বয় তুলে উপরি বৈঠক অবস্থায় জলদি এগুলো থেকে আহার করছিলেন। যুহায়র (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবী) শব্দের স্থান (আরবী) শব্দ বর্ণিত হয়েছে। (দু’টি শব্দের একই অর্থ – দ্রুত)। (ই.ফা. ৫১৫৯, ৫১৭১)

২৫. অধ্যায়ঃ

জামা’আতে আহারকারীর জন্য এক লোকমায় দু’টি করে খেজুর ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ, তবে যদি সঙ্গীরা অনুমতি দেয় (তবে জায়িয)।

৫২২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ جَبَلَةَ بْنَ سُحَيْمٍ قَالَ كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَرْزُقُنَا التَّمْرَ - قَالَ - وَقَدْ كَانَ أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَئِذٍ جُهْدٌ وَكُنَّا نَأْكُلُ فَيَمُرُّ عَلَيْنَا ابْنُ عُمَرَ وَنَحْنُ نَأْكُلُ فَيَقُولُ لاَ تُقَارِنُوا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الإِقْرَانِ إِلاَّ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الرَّجُلُ أَخَاهُ . قَالَ شُعْبَةُ لاَ أُرَى هَذِهِ الْكَلِمَةَ إِلاَّ مِنْ كَلِمَةِ ابْنِ عُمَرَ . يَعْنِي الاِسْتِئْذَانَ .

জাবালাহ্‌ ইব্‌নে সুহায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নে যুবায়র (রাঃ) আমাদেরকে খাদ্য হিসেবে খেজুর দিতেন। তৎকালীন সময় লোকেরা অনাহারে পতিত হয়েছিল। আমরা তাই খেয়ে থাকতাম। একবার আমরা খাবার খাচ্ছিলাম। তখন ইব্‌নে ‘উমার (রাঃ) আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা একাধিক খেজুর এক সঙ্গে খেও না। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সাথে একাধিক খেজুর খেতে বারণ করেছেন। তবে যদি কেউ তার (সাথী) ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে নেয় (তাহলে খেতে পারে)।

 

শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা হয়, অনুমতি নেয়ার কথাটা ইব্‌নে ‘উমার (রাঃ)-এরই কথা। (ই. ফা. ৫১৬০, ই.সে. ৫১৭২)

৫২২৯

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ، الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا قَوْلُ شُعْبَةَ وَلاَ قَوْلُهُ وَقَدْ كَانَ أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَئِذٍ جَهْدٌ .

উবাইদুল্লাহ ইব্‌নু মু’য়ায মুহাম্মাদ ইব্‌নু বাশশার শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁদের হাদীসে (অনুমতি সম্পর্কে) শু’বাহ (রহঃ) –এর কথা এবং জাবালাহ (রহঃ) এর এ কথা নেই যে, ‘তখন মানুষ অনাহারে পতিত হয়েছিল’। (ই. ফা. ৫১৬১, ৫১৭৩)

৫২৩০

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ سُحَيْمٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقْرِنَ الرَّجُلُ بَيْنَ التَّمْرَتَيْنِ حَتَّى يَسْتَأْذِنَ أَصْحَابَهُ .

জাবালাহ ইব্‌নে সুহায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) –কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথীদের অনুমতি ব্যতীত কোন লোকের এক সাথে দু’টি করে খেজুর ভক্ষন করা হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫১৬২, ই.সে. ৫১৭৪)

২৬. অধ্যায়ঃ

খেজুর ইত্যাদি খাদ্য পরিবারের লোকজনের জন্য সঞ্চিত রাখা।

৫২৩১

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَجُوعُ أَهْلُ بَيْتٍ عِنْدَهُمُ التَّمْرُ " .

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে পরিবারে লোকদের নিকট খেজুর আছে, তারা অনাহার থাকে না। ( ই. ফা. ৫১৬৩, ই.সে. ৫১৭৫)

৫২৩২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ طَحْلاَءَ، عَنْ أَبِي، الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ بَيْتٌ لاَ تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهُ يَا عَائِشَةُ بَيْتٌ لاَ تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهُ أَوْ جَاعَ أَهْلُهُ " . قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا .

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আয়িশাহ! যে গৃহে খেজুর নেই সে গৃহের মানুষজন ক্ষুধার্ত। এ কথাটি তিনি দু’বার বা তিনবার বলেছিলেন। (ই.ফা. ৫১৬৪, ই.সে. ৫১৭৬)

২৭. অধ্যায়ঃ

মাদীনার খেজুরের মর্যাদা।

৫২৩৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ سَبْعَ تَمَرَاتٍ مِمَّا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا حِينَ يُصْبِحُ لَمْ يَضُرَّهُ سُمٌّ حَتَّى يُمْسِيَ " .

সা’দ ইব্‌নু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে, লোক মাদীনার উভয় সীমান্তের মধ্যে উৎপাদিত খেজুরের সাতটি করে প্রতি সকালে আহার করে সন্ধ্যা অবধি কোন বিষ তাঁর অনিষ্ট করতে পারে না। (ই.ফা. ৫১৬৫, ই. সে. ৫১৭৭)

৫২৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَامِرَ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَعْدًا، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ " .

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া (মদীনার উৎপন্ন এক জাতীয় উৎকৃষ্ট মানের খেজুর) আহার করে, সেদিন তাঁকে কোন বিষ বা যাদু অনিষ্ট করতে পারে না। (ই.ফা. ৫১৬৬, ই.সে.৫১৭৮)

৫২৩৫

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا أَبُو بَدْرٍ، شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ كِلاَهُمَا عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ وَلاَ يَقُولاَنِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .

ইবনে আবূ ‘উমার মারওয়ান আল-ফাযারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ভিন্ন সূত্রে ইসহাক্ ইব্‌নে ইবরাহীম (রহঃ) আবূ বদর শুজা’ ইব্‌নে ওয়ালীদ (রহঃ) হতে, তাঁরা দু’জনেই হাশিম (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তারা উভয়ে ‘আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বলতে শুনেছি’ উক্তিটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫১৬৭, ই.সে. ৫১৭৯)

৫২৩৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ شَرِيكٍ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي نَمِرٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي عَجْوَةِ الْعَالِيَةِ شِفَاءً أَوْ إِنَّهَا تِرْيَاقٌ أَوَّلَ الْبُكْرَةِ " .

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার উঁচু ভূমির ‘আজওয়াহ্‌ খেজুরে শিফা (রোগমুক্তি) রয়েছে। কিংবা তিনি বলেছেন, এগুলো প্রতি সকালে খাবারে বিষমুক্ত ঔষধের কাজ করে। (ই.ফা.৫১৬৮, ই.সে. ৫১৮০)

২৮. অধ্যায়ঃ

কামআহ্ [১] -এর ফাযীলাত ও এর মাধ্যমে চোখের চিকিৎসা

৫২৩৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَعُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو، بْنِ نُفَيْلٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ ইবনু ‘আম্‌র ইবনু নুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, কামআহ্ মান্না জাতীয়। আর এর নিগৃহীত রস চোখের জন্য উপশম। (ই.ফা. ৫১৬৯, ই.সে. ৫১৮১)

৫২৩৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ، عُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, কামআহ্ মান্না জাতীয় এবং এর রস চোখের জন্য উপশম।

(ই.ফা. ৫১৭০, ই.সে. ৫১৮২)

৫২৩৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ شُعْبَةُ لَمَّا حَدَّثَنِي بِهِ الْحَكَمُ لَمْ أُنْكِرْهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অবিকল বর্ণিত রয়েছে।

শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, হাকাম (রহঃ) যখন আমার নিকট হাদীসটি রিওয়ায়াত করলেন, তখন আমি ‘আবদুল মালিক (রহঃ)-এর হাদীসটিকে আর “গারীব” (অর্থাৎ- যে হাদীসের সনদে শুধুমাত্র কোন একজন বর্ণনাকারী থাকে) মনে করলাম না। (ই.ফা. ৫১৭১, ই.সে. ৫১৮৩)

৫২৪০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ ইবনু ‘আম্‌র ইবনু নুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কামআহ্ মান্না জাতীয় (উদ্ভিদ) যা বানী ইস্রাঈলের উপর আল্লাহ নাযিল করেছিলেন এবং এটা হতে নিগৃহীত রস চোখের উপশম। (ই.ফা. ৫১৭২, ই.সে. ৫১৮৪)

৫২৪১

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُوسَى وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

 

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কামআহ্ মান্না জাতীয় (উদ্ভিদ) যা মহান আল্লাহ মূসা (‘আঃ)-এর উপর নাযিল করেছিলেন এবং এর রস চোখের জন্য নিরাময়। (ই.ফা. ৫১৭৩, ই.সে. ৫১৮৫)

৫২৪২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو، بْنَ حُرَيْثٍ يَقُولُ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাম্আহ্ এক প্রকারের মান্না জাতীয় (উদ্ভিদ) যা মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করেছিলেন বানী ইস্রাঈলের উপর। আর এটির রস চোখের জন্য ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

(ই.ফা. ৫১৭৪, ই.সে. ৫১৮৬)

৫২৪৩

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ، شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ فَلَقِيتُ عَبْدَ الْمَلِكِ فَحَدَّثَنِي عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাম্আহ্ মান্না জাতীয় এক প্রকার উদ্ভিদ। এর রস চোখের জন্য এক প্রকার ঔষধ। (ই.ফা. ৫১৭৫, ই.সে. ৫১৮৭)

২৯. অধ্যায়ঃ

কালো কাবাস (পিলু ফল)-এর ফাযীলাত

৫২৪৪

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَرِّ الظَّهْرَانِ وَنَحْنُ نَجْنِي الْكَبَاثَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَيْكُمْ بِالأَسْوَدِ مِنْهُ " . قَالَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّكَ رَعَيْتَ الْغَنَمَ قَالَ " نَعَمْ وَهَلْ مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ رَعَاهَا " . أَوْ نَحْوَ هَذَا مِنَ الْقَوْلِ .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ‘মার্রুয যাহ্রান’ নামক জায়গায় কাবাস (পিলু ফল) সংগ্রহ করেছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাত্থেকে শুধু কালোগুলো সংগ্রহ। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সে সময় বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সম্ভবত বকরী চরিয়েছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। সকল নবীই বকরী চরিয়েছেন (বর্ণনাকারী বলেন) কিংবা তিনি শুধু এ ধরনের কোন কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৫১৭৬, ই.সে. ৫১৮৮)

৩০. অধ্যায়ঃ

সিরকার ফাযীলাত এবং তা সালুন হিসেবে ব্যবহার করা প্রসঙ্গে

৫২৪৫

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نِعْمَ الأُدُمُ - أَوِ الإِدَامُ - الْخَلُّ " .

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সিরকা তো খুব মজাদার সালুন। (ই.ফা. ৫১৭৭, ই.সে. ৫১৮৯)

৫২৪৬

وَحَدَّثَنَاهُ مُوسَى بْنُ قُرَيْشِ بْنِ نَافِعٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ الْوُحَاظِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " نِعْمَ الأُدُمُ " . وَلَمْ يَشُكَّ .

সুলাইমান ইবনু বিলাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। তবে তিনি (... আরবি) বলেছেন (...আরবি) বলে শব্দের মাঝে কোন সংশয় প্রকাশ করেননি। (ই.ফা. ৫১৭৮, ই.সে. ৫১৯০)

৫২৪৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَأَلَ أَهْلَهُ الأُدُمَ فَقَالُوا مَا عِنْدَنَا إِلاَّ خَلٌّ . فَدَعَا بِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ بِهِ وَيَقُولُ " نِعْمَ الأُدُمُ الْخَلُّ نِعْمَ الأُدُمُ الْخَلُّ " .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গৃহের লোকদের নিকট সালুন চাইলে তাঁরা বললো, সিরকা ব্যতীত আমাদের নিকট ভিন্ন কিছু নেই। সে সময় তিনি তাই নিয়ে আসতে বললেন এবং খাওয়ার সময় বললেন, সিরকা কত ভাল তরকারি, সিরকা কত চমৎকার তরকারি! (ই.ফা. ৫১৭৯, ই.সে. ৫১৯১)

৫২৪৮

حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ - عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِي ذَاتَ يَوْمٍ إِلَى مَنْزِلِهِ فَأَخْرَجَ إِلَيْهِ فِلَقًا مِنْ خُبْزٍ فَقَالَ " مَا مِنْ أُدُمٍ " . فَقَالُوا لاَ إِلاَّ شَىْءٌ مِنْ خَلٍّ . قَالَ " فَإِنَّ الْخَلَّ نِعْمَ الأُدُمُ " . قَالَ جَابِرٌ فَمَا زِلْتُ أُحِبُّ الْخَلَّ مُنْذُ سَمِعْتُهَا مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ طَلْحَةُ مَا زِلْتُ أُحِبُّ الْخَلَّ مُنْذُ سَمِعْتُهَا مِنْ جَابِرٍ .

নাফি’ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে স্বীয় ঘরে গেলেন। (খাদেম) এক খণ্ড রুটি তাঁর সম্মুখে পেশ করলে তিনি বললেনঃ কোন তরকারি কি নেই? তারা বলল, না। তবে অল্প কিছু সিরকা রয়েছে। তিনি বললেন, সিরকা তো ভাল তরকারি।

জাবির (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ কথা শুনার পর আমি সিরকা পছন্দ করতে থাকি। তাল্হাহ্ (রহঃ) বলেন, আমিও জাবির (রাঃ)-এর কাছে এ কথা শুনার পর হতে সিরকা পছন্দ করতে লাগলাম। (ই.ফা. ৫১৮০, ই.সে. ৫১৯২)

৫২৪৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ طَلْحَةَ، بْنِ نَافِعٍ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِهِ إِلَى مَنْزِلِهِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ إِلَى قَوْلِهِ " فَنِعْمَ الأُدُمُ الْخَلُّ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একদা) তার হাত ধরে স্বীয় ঘরে গেলেন। অতঃপর রাবী সিরকা কত উত্তম তরকারি- পর্যন্ত ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এর পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫১৮১, ই.সে. ৫১৯৩)

৫২৫০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي، زَيْنَبَ حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ، طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِي دَارِي فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَشَارَ إِلَىَّ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَأَخَذَ بِيَدِي فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَى بَعْضَ حُجَرِ نِسَائِهِ فَدَخَلَ ثُمَّ أَذِنَ لِي فَدَخَلْتُ الْحِجَابَ عَلَيْهَا فَقَالَ " هَلْ مِنْ غَدَاءٍ " . فَقَالُوا نَعَمْ . فَأُتِيَ بِثَلاَثَةِ أَقْرِصَةٍ فَوُضِعْنَ عَلَى نَبِيٍّ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُرْصًا فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَخَذَ قُرْصًا آخَرَ فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَىَّ ثُمَّ أَخَذَ الثَّالِثَ فَكَسَرَهُ بِاثْنَيْنِ فَجَعَلَ نِصْفَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَنِصْفَهُ بَيْنَ يَدَىَّ ثُمَّ قَالَ " هَلْ مِنْ أُدُمٍ " . قَالُوا لاَ . إِلاَّ شَىْءٌ مِنْ خَلٍّ . قَالَ " هَاتُوهُ فَنِعْمَ الأُدُمُ هُوَ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার গৃহে বসা ছিলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে ইঙ্গিত করলে আমি তাঁর নিকট উঠে গেলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর আমরা চললাম। পরিশেষে তিনি তাঁর কোন এক সহধর্মিণীর ঘরে এসে ঢুকলেন। অতঃপর তিনি আমাকে প্রবেশাধিকার দিলে আমি পর্দার ভিতরে ঢুকলাম। তিনি বললেনঃ কিছু খাবার আছে কি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। পরে তিন টুকরো রুটি আনা হলো এবং তা দস্তরখানে রাখা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি টুকরো নিয়ে তাঁর সম্মুখে রাখলেন। অপর একটি নিয়ে আমার সম্মুখে রাখলেন। অতঃপর তৃতীয় টুকরোটি দু’খণ্ড করলেন এবং এটির অর্ধেক তাঁর সামনে অবশিষ্ট অর্ধেক আমার সামনে রাখলেন। এরপর বললেনঃ কোন সালুন আছে কি? তাঁরা বললেনঃ সামান্য পরিমাণ সিরকা আছে। তিনি বললেন, তাই নিয়ে আসো। সেটা তো খুব ভালো তরকারি। (ই.ফা. ৫১৮২, ই.সে. ৫১৯৪)

৩১. অধ্যায়ঃ

রসুন খাওয়া বৈধ এবং যে লোক বড়দের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করে এটা তার জন্য খাওয়া পরিহার করা কর্তব্য, অন্যান্য দুর্গন্ধযুক্ত বস্তুর বিধানও তাই

৫২৫১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ أَكَلَ مِنْهُ وَبَعَثَ بِفَضْلِهِ إِلَىَّ وَإِنَّهُ بَعَثَ إِلَىَّ يَوْمًا بِفَضْلَةٍ لَمْ يَأْكُلْ مِنْهَا لأَنَّ فِيهَا ثُومًا فَسَأَلْتُهُ أَحَرَامٌ هُوَ قَالَ " لاَ وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ مِنْ أَجْلِ رِيحِهِ " . قَالَ فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا كَرِهْتَ .

আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কোন খাদ্য নিয়ে আসলে তিনি সামান্য খেতেন আর বাকীটুকু আমার নিকট প্রেরণ করতেন। একদা তিনি এমন কিছু খাবার প্রেরণ করলেন যা হতে তিনি কিছুই আহার করেনি। কেননা তাতে রসুন ছিল। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম, এটা কি নিষিদ্ধ? তিনি বললেন, না। তবে গন্ধের কারণে ওটা আমার কাছে অপছন্দনীয়।

তিনি বললেন, তাহলে আমিও তা পছন্দ করবো না, যা আপনি পছন্দ করেননি।

(ই.ফা. ৫১৮৩, ই.সে. ৫১৯৫)

৫২৫২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ .

শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৫১৮৪, ই.সে. ৫১৯৬)

৫২৫৩

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ، - وَاللَّفْظُ مِنْهُمَا قَرِيبٌ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، - فِي رِوَايَةِ حَجَّاجِ بْنِ يَزِيدَ أَبُو زَيْدٍ الأَحْوَلُ - حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَفْلَحَ، مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عَلَيْهِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي السُّفْلِ وَأَبُو أَيُّوبَ فِي الْعُلْوِ - قَالَ - فَانْتَبَهَ أَبُو أَيُّوبَ لَيْلَةً فَقَالَ نَمْشِي فَوْقَ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَتَنَحَّوْا فَبَاتُوا فِي جَانِبٍ ثُمَّ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " السُّفْلُ أَرْفَقُ " . فَقَالَ لاَ أَعْلُو سَقِيفَةً أَنْتَ تَحْتَهَا . فَتَحَوَّلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْعُلْوِ وَأَبُو أَيُّوبَ فِي السُّفْلِ فَكَانَ يَصْنَعُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا فَإِذَا جِيءَ بِهِ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِهِ فَيَتَتَبَّعُ مَوْضِعَ أَصَابِعِهِ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فِيهِ ثُومٌ فَلَمَّا رُدَّ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقِيلَ لَهُ لَمْ يَأْكُلْ . فَفَزِعَ وَصَعِدَ إِلَيْهِ فَقَالَ أَحَرَامٌ هُوَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ " . قَالَ فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا تَكْرَهُ أَوْ مَا كَرِهْتَ . قَالَ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى .

আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(হিজরাতের সময়) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গৃহে মেহমান হলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবস্থান করতেন নীচ তলায় এবং আবূ আইয়ূব (রাঃ) অবস্থান করতেন উপর তলায়। একদা রাত্রে আবূ আইয়ূব (রাঃ) জাগ্রত হয়ে বললেন, আমরা তো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার উপর চলাফেরা করি। তখন তিনি সে স্থান হতে দূরে গিয়ে এক কোণে রাত্রি যাপন করলেন। অতঃপর (সকালে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তিনি ব্যাপারটি জানালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, নীচ তলায়েই অনেক সুবিধা। তখন তিনি বললেন, আপনি নীচে থাকবেন এমন ছাদে আমি উঠবো না। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপর তলায় এবং আবূ আইয়ূব (রাঃ) নীচ তলায় জায়গা পরিবর্তন করলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করতেন যখন (অবশিষ্ট) খাদ্য ফেরত আনা হতো, তখন তিনি জানতে চাইতেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন্ জায়গায় তাঁর আঙ্গুল স্পর্শ করেছেন। অতঃপর তাঁর আঙ্গুলের স্থান অনুসরণ করে সেখান থেকে খেতেন। একবার তিনি তাঁর জন্য খানা প্রস্তুত করলেন, যার মধ্যে রসুন ছিল। তাঁর নিকট ফেরত নিয়ে আসলে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আঙ্গুল স্পর্শের স্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তাঁকে বলা হলো, তিনি এগুলো খাননি। তিনি হতভম্ব হয়ে গেলেন এবং তাঁর কাছে গেলেন। তিনি বললেন, তাহলে আপনি যা পছন্দ করেন না, আমিও তা পছন্দ করি না।

তিনি বলেন, নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সে সময় ওয়াহী আসত। (ই.ফা. ৫১৮৫, ই.সে. ৫১৯৭)

৩২. অধ্যায়ঃ

মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফাযীলাত

৫২৫৪

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي مَجْهُودٌ . فَأَرْسَلَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عِنْدِي إِلاَّ مَاءٌ . ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُخْرَى فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى قُلْنَ كُلُّهُنَّ مِثْلَ ذَلِكَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عِنْدِي إِلاَّ مَاءٌ . فَقَالَ " مَنْ يُضِيفُ هَذَا اللَّيْلَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ " . فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ هَلْ عِنْدَكِ شَىْءٌ . قَالَتْ لاَ إِلاَّ قُوتُ صِبْيَانِي . قَالَ فَعَلِّلِيهِمْ بِشَىْءٍ فَإِذَا دَخَلَ ضَيْفُنَا فَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَأَرِيهِ أَنَّا نَأْكُلُ فَإِذَا أَهْوَى لِيَأْكُلَ فَقُومِي إِلَى السِّرَاجِ حَتَّى تُطْفِئِيهِ . قَالَ فَقَعَدُوا وَأَكَلَ الضَّيْفُ . فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " قَدْ عَجِبَ اللَّهُ مِنْ صَنِيعِكُمَا بِضَيْفِكُمَا اللَّيْلَةَ " .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, আমি চরম অনাহারে ভুগছি। তিনি তাঁর কোন এক সহধর্মিণীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনি বললেন, যে স্রষ্টা আপনাকে সঠিক দীনসহ পাঠিয়েছেন তাঁর কসম! আমার নিকট পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তিনি অপর এক স্ত্রীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এভাবে তাঁরা সবাই একই কথা বললেন যে, সে সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার কাছে পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন তিনি বললেন, আজ রাত্রে লোকটির কে অতিথিপরায়ণ হবে? আল্লাহ তার উপর দয়া করুন! তখন এক আন্সারী লোক উঠে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি। অতঃপর লোকটিকে নিয়ে আন্সারী নিজ বাড়িতে গেলেন এবং তাঁর সহধর্মিণীকে বললেন, তোমার নিকট কিছু আছে কি? সে বলল না। তবে সন্তানদের জন্য অল্প কিছু খাবার আছে। তিনি বললেন, তুমি তাদের কিছু একটা দিয়ে ব্যস্ত রাখো। আর যখন অতিথি ঘরে ঢুকবে, তখন তুমি আলোটা নিভিয়ে দেবে। আর তাকে বুঝাবে যে, আমরাও খাবার খাচ্ছি। সে (মেহমান) যখন খাওয়া আরম্ভ করবে তখন তুমি আলোর পাশে যেয়ে সেটা নিভিয়ে দেবে। রাবী বলেন, অতঃপর তারা বসে থাকলেন এবং অতিথি খেতে শুরু করলো। সকালে তিনি (আনসারী) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলে, তিনি বললেনঃআজ রাত্রে অতিথির সঙ্গে তোমাদের উভয়ের ব্যবহারে আল্লাহ খুশী হয়েছেন। (ই.ফা. ৫১৮৬, ই.সে. ৫১৯৮)

৫২৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي، حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، . أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ بَاتَ بِهِ ضَيْفٌ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ إِلاَّ قُوتُهُ وَقُوتُ صِبْيَانِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ نَوِّمِي الصِّبْيَةَ وَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَقَرِّبِي لِلضَّيْفِ مَا عِنْدَكِ - قَالَ - فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ { وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ}

আবূ হুরাইরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক আনসারী লোকের বাড়িতে এক অতিথি রাত কাটালেন। তাঁর কাছে তাঁর ও সন্তানদের জন্য অল্প কিছু খাদ্য ব্যতীত আর কিছু ছিল না। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন, বাচ্চাদের ঘুমিয়ে দাও, আলোটা বন্ধ করে দাও এবং তোমার নিকট যা কিছু আছে তাই অতিথির জন্য পেশ করো। রাবী বলেন, এরপর এ আয়াতটি নাযিল হয় : “তারা তাদের উপর অপরকে প্রাধান্য দেয়, যদিও তারা অনাহারে থাকে”- (সূরা আল হাশ্র ৫৯ : ৯) (ই.ফা. ৫১৮৭, ই.সে. ৫১৯৯)

৫২৫৬

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُضِيفَهُ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ مَا يُضِيفُهُ فَقَالَ " أَلاَ رَجُلٌ يُضِيفُ هَذَا رَحِمَهُ اللَّهُ " . فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو طَلْحَةَ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَذَكَرَ فِيهِ نُزُولَ الآيَةِ كَمَا ذَكَرَهُ وَكِيعٌ .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মেহমান হয়ে এক লোক তাঁর নিকট এলেন। কিন্তু তাঁর কাছে এমন কিছু ছিল না যা দিয়ে তিনি সে ব্যক্তির আপ্যায়ন করবেন। তখন তিনি বললেন, এর মেহমানদারী করার মতো কেউ কি আছে? আল্লাহ তার উপর দয়া করুক! এ সময় আবূ তাল্হাহ্ নামক এক আনসারী লোক দাঁড়ালেন এবং লোকটিকে আপন গৃহে নিয়ে গেলেন। অতঃপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীসটি জারীর (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। আর তিনি ওয়াকী’ (রহঃ)-এর মতো আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কথাও বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৮৮, ই.সে. ৫২০০)

৫২৫৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِقْدَادِ، قَالَ أَقْبَلْتُ أَنَا وَصَاحِبَانِ، لِي وَقَدْ ذَهَبَتْ أَسْمَاعُنَا وَأَبْصَارُنَا مِنَ الْجَهْدِ فَجَعَلْنَا نَعْرِضُ أَنْفُسَنَا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْهُمْ يَقْبَلُنَا فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقَ بِنَا إِلَى أَهْلِهِ فَإِذَا ثَلاَثَةُ أَعْنُزٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " احْتَلِبُوا هَذَا اللَّبَنَ بَيْنَنَا " . قَالَ فَكُنَّا نَحْتَلِبُ فَيَشْرَبُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنَّا نَصِيبَهُ وَنَرْفَعُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَصِيبَهُ - قَالَ - فَيَجِيءُ مِنَ اللَّيْلِ فَيُسَلِّمُ تَسْلِيمًا لاَ يُوقِظُ نَائِمًا وَيُسْمِعُ الْيَقْظَانَ - قَالَ - ثُمَّ يَأْتِي الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي ثُمَّ يَأْتِي شَرَابَهُ فَيَشْرَبُ فَأَتَانِي الشَّيْطَانُ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَقَدْ شَرِبْتُ نَصِيبِي فَقَالَ مُحَمَّدٌ يَأْتِي الأَنْصَارَ فَيُتْحِفُونَهُ وَيُصِيبُ عِنْدَهُمْ مَا بِهِ حَاجَةٌ إِلَى هَذِهِ الْجُرْعَةِ فَأَتَيْتُهَا فَشَرِبْتُهَا فَلَمَّا أَنْ وَغَلَتْ فِي بَطْنِي وَعَلِمْتُ أَنَّهُ لَيْسَ إِلَيْهَا سَبِيلٌ - قَالَ - نَدَّمَنِي الشَّيْطَانُ فَقَالَ وَيْحَكَ مَا صَنَعْتَ أَشَرِبْتَ شَرَابَ مُحَمَّدٍ فَيَجِيءُ فَلاَ يَجِدُهُ فَيَدْعُو عَلَيْكَ فَتَهْلِكُ فَتَذْهَبُ دُنْيَاكَ وَآخِرَتُكَ . وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ إِذَا وَضَعْتُهَا عَلَى قَدَمَىَّ خَرَجَ رَأْسِي وَإِذَا وَضَعْتُهَا عَلَى رَأْسِي خَرَجَ قَدَمَاىَ وَجَعَلَ لاَ يَجِيئُنِي النَّوْمُ وَأَمَّا صَاحِبَاىَ فَنَامَا وَلَمْ يَصْنَعَا مَا صَنَعْتُ - قَالَ - فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ كَمَا كَانَ يُسَلِّمُ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلَّى ثُمَّ أَتَى شَرَابَهُ فَكَشَفَ عَنْهُ فَلَمْ يَجِدْ فِيهِ شَيْئًا فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ الآنَ يَدْعُو عَلَىَّ فَأَهْلِكُ . فَقَالَ " اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي وَأَسْقِ مَنْ أَسْقَانِي " . قَالَ فَعَمَدْتُ إِلَى الشَّمْلَةِ فَشَدَدْتُهَا عَلَىَّ وَأَخَذْتُ الشَّفْرَةَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الأَعْنُزِ أَيُّهَا أَسْمَنُ فَأَذْبَحُهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هِيَ حَافِلَةٌ وَإِذَا هُنَّ حُفَّلٌ كُلُّهُنَّ فَعَمَدْتُ إِلَى إِنَاءٍ لآلِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مَا كَانُوا يَطْمَعُونَ أَنْ يَحْتَلِبُوا فِيهِ - قَالَ - فَحَلَبْتُ فِيهِ حَتَّى عَلَتْهُ رَغْوَةٌ فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَشَرِبْتُمْ شَرَابَكُمُ اللَّيْلَةَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اشْرَبْ . فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اشْرَبْ . فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَلَمَّا عَرَفْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَوِيَ وَأَصَبْتُ دَعْوَتَهُ ضَحِكْتُ حَتَّى أُلْقِيتُ إِلَى الأَرْضِ - قَالَ - فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِحْدَى سَوْآتِكَ يَا مِقْدَادُ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَانَ مِنْ أَمْرِي كَذَا وَكَذَا وَفَعَلْتُ كَذَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا هَذِهِ إِلاَّ رَحْمَةٌ مِنَ اللَّهِ أَفَلاَ كُنْتَ آذَنْتَنِي فَنُوقِظَ صَاحِبَيْنَا فَيُصِيبَانِ مِنْهَا " . قَالَ فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُبَالِي إِذَا أَصَبْتَهَا وَأَصَبْتُهَا مَعَكَ مَنْ أَصَابَهَا مِنَ النَّاسِ .

মিক্‌দাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রচুর খাদ্য সংকটে আমার ও আমার দু’সাথীর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রুতিশক্তি কমে যায়। অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের নিকটে নিজেদের উত্থাপন করতে লাগলাম। কিন্তু তাঁদের কেউ আমাদের কথা শুনলেন না। সবশেষে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করলে তিনি আমাদের সাথে নিয়ে তার পরিবারের নিকটে গেলেন। সেখানে তিনটি বকরী ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা দুধ দোহন করবে। এ দুধ আমরা বণ্টন করে পান করবো। তিনি বলেন, এরপর থেকে আমরা দুধ দোহন করতাম। আমাদের সবাই যার যার অংশ পান করতো। আর আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য তাঁর অংশ উঠিয়ে রাখতাম। মিকদাদ (রাঃ) বলেন, তিনি রাত্রে এসে এমনভাবে সালাম দিতেন যাতে নিদ্রারত লোক উঠে না যায় এবং জাগ্রত লোক শুনতে পায়। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মাসজিদে এসে সলাত আদায় করতেন। প্রত্যাবর্তন করে দুধ পান করতেন। একদা রাতে আমার নিকটে শাইতান আগমন করলো। আমি তো আমার অংশ পান করে ফেলেছিলাম। সে বলল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারীদের নিকটে গেলে তারা তাঁকে উপঢৌকন দিবে এবং তাদের নিকটে তাঁর এ অল্প দুধের প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে যাবে। অতঃপর আমি এসে সেটুকুও পান করে ফেললাম। দুধ যখন উত্তমভাবে আমার পেটে ঢুকে গেলে আমি বুঝলাম, এ দুধ বের করার আর কোন উপায় নেই তখন শইতান আমার থেকে দূরে সরে গিয়ে বলল, তোমার ধ্বংস হোক, তুমি একি করলে! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুধ পান করে ফেলেছ? তিনি জাগ্রত হয়ে যখন তা পাবেন না, তখন তোমার উপর বদ-দু’আ করবেন এতে তুমি সর্বনাশ হয়ে যাবে এবং তোমার ইহকাল ও পরকাল নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমার শরীরে একটা চাদর ছিল। আমি যদি তা আমার পাদ্বয়ের উপর রাখি তাহলে আমার মাথা বের হয়ে পড়ে, আর যদি আমি তা আমার মাথার উপর রাখি তাহলে আমার পদদ্বয় বেরিয়ে পড়ে। কিছুতেই আমার ঘুম আসছিল না। আমার সাথীদ্বয় তো নিদ্রাচ্ছন্ন ছিল। তারা তো আমার মতো কাজ করেনি। তিনি বলেন অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করে যেভাবে সালাম করতেন সেভাবেই সালাম করলেন। অতঃপর তিনি মাসজিদে এসে সলাত আদায় করলেন। অতঃপর দুধের নিকটে এসে ঢাকনা খুলে সেখানে কিছুই পেলেন না। এরপর তিনি নিজ মাথা আকাশের দিকে তুললেন। আমি তখন (মনে মনে) বললাম, এখনই হয়তো আমার উপর তিনি বদ্দু’আ করবেন, আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাবো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! যে লোক আমার খাবারের ব্যবস্থা করে তুমি তার খাদ্যের ব্যবস্থা কর। আর যে আমাকে পান করায় তাকে তুমি পান করাও। মিকদাদ (রাঃ) বলেন, তখন আমি চাদরটি নিয়ে গায়ে বাঁধলাম এবং একটি ছুরি নিলাম, অতঃপর (এ ভেবে) বকরীগুলোর কাছে গেলাম যে, এদের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি মোটাতাজা আমি সেটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য যাবাহ করবো। সেখানে গিয়ে দেখলাম, সেটি দুধে পরিপূর্ণ এবং অন্যান্য সব বকরীও দুধে স্বয়ংস্পূর্ণ। অতঃপর আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের একটি বাসন নিয়ে এলাম যার মধ্যে তাঁরা দুধ দোহাতেন না। তিনি [মিকদাদ (রাঃ)] বলেন, আমি তার মধ্যেই দুধ দোহন করলাম, এমনকি বাসনের উপরের অংশ ফেনা ফেসে উঠলো। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আগমন করলাম। তিনি বললেন, তোমরা কি রাত্রের দুধ পান করেছো? তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি পান করুন। তিনি পান করে আমাকে দিলেন। আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিতৃপ্ত হয়ে গেছেন এবং আমি তাঁর নেক দু’আ পেয়ে গেছি, তখন আমি খুশীতে হাসতে হাসতে মাটিতে নুয়ে পড়লে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে মিকদাদ! এটা তোমার এক মন্দকাজ? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার এ ঘটনা ঘটে গেছে। কিংবা তিনি বলেছেন, আমার দ্বারা এরূপ কাজ হয়ে গেছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা একমাত্র আল্লাহ্‌র মেহেরবানী! তুমি কেন আমাকে জানালে না? আমরা আমাদের সঙ্গীদ্বয়কে জাগাতাম, তাহলে তারাও এর অংশ পেত। তিনি বলেন, আমি তখন বললাম, যে মহান স্রষ্টা আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন তাঁর কসম! আপনি যখন পেয়েছেন এবং আমি যখন আপনার সঙ্গে ভাগ পেয়েছি, তখন ভিন্ন কোন ব্যক্তি পাওয়া না পাওয়ার আমি তোয়াক্কা করি না। (ই.ফা. ৫১৮৯, ই.সে. ৫২০১)

৫২৫৮

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .

সুলাইমান ইবনু মুগীরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৫১৯০, ই.সে. ৫২০২)

৫২৫৯

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، الأَعْلَى جَمِيعًا عَنِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، - وَحَدَّثَ أَيْضًا، - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثِينَ وَمِائَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ " . فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ فَعُجِنَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبَيْعٌ أَمْ عَطِيَّةٌ - أَوْ قَالَ - أَمْ هِبَةٌ " . فَقَالَ لاَ بَلْ بَيْعٌ . فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً فَصُنِعَتْ وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَوَادِ الْبَطْنِ أَنْ يُشْوَى . قَالَ وَايْمُ اللَّهِ مَا مِنَ الثَّلاَثِينَ وَمِائَةٍ إِلاَّ حَزَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُزَّةً حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهُ وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَأَ لَهُ - قَالَ - وَجَعَلَ قَصْعَتَيْنِ فَأَكَلْنَا مِنْهُمَا أَجْمَعُونَ وَشَبِعْنَا وَفَضَلَ فِي الْقَصْعَتَيْنِ فَحَمَلْتُهُ عَلَى الْبَعِيرِ . أَوْ كَمَا قَالَ .

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা একশ’ ত্রিশ জন ব্যক্তি (এক সফরে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের মাঝে কারো নিকট খাবার আছে কি? দেখা গেল, এক লোকের নিকটে এক সা’ বা সমপরিমাণ খাদ্য রয়েছে। তা (মিশিয়ে) খামীর করা হলো। অতঃপর এলামেলো চুলে দীর্ঘাঙ্গ এক মুশ্রিক লোক কিছু ছাগল হাঁকিয়ে নিয়ে আসলো। নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এগুলো বিক্রি করে দিবে না উপঢৌকন হিসেবে দিবে? কিংবা উপঢৌকন শব্দের স্থলে তিনি দান করবে বলেছিলেন। লোকটি বলল, না; আমি বরং বিক্রি করবো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট থেকে একটি বকরী ক্রয় করলেন। বকরীটা যাবাহ করা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কলিজা ভূনা করতে নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র শপথ! একশ’ ত্রিশজনের মাঝে একজনও এমন ছিলনা যাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এক টুকরো কলিজা দেননি। যারা সমবেত ছিল তাদেরকে তো তখনই দিয়েছেন। আর যারা উপস্থিত ছিল না তাদের জন্য পৃথকভাবে তুলে রেখেছেন।

বর্ণনাকারী বলেন, গোশ্ত দুটি বাসনে বণ্টন করে রাখলেন। আমরা সবাই তৃপ্তি সহকারে খেলাম। তরপরও বাসন দু’টিতে গোশত অতিরিক্ত থাকলো। আমি তা উটের উপর বহন করে নিয়ে গেলাম। কিংবা তিনি (রাবী) যেভাবে রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫১৯১, ই.সে. ৫২০৩)

৫২৬০

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، الْقَيْسِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ الْمُعْتَمِرِ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ، كَانُوا نَاسًا فُقَرَاءَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَلاَثَةٍ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ " . أَوْ كَمَا قَالَ . وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ وَانْطَلَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ وَأَبُو بَكْرٍ بِثَلاَثَةٍ - قَالَ - فَهُوَ وَأَنَا وَأَبِي وَأُمِّي - وَلاَ أَدْرِي هَلْ قَالَ وَامْرَأَتِي وَخَادِمٌ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْتِ أَبِي بَكْرٍ - قَالَ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعِشَاءُ ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى نَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ - أَوْ قَالَتْ - ضَيْفِكَ قَالَ أَوَمَا عَشَّيْتِهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ قَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوهُمْ - قَالَ - فَذَهَبْتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ وَقَالَ يَا غُنْثَرُ . فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ كُلُوا لاَ هَنِيئًا . وَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَدًا - قَالَ - فَايْمُ اللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا - قَالَ - حَتَّى شَبِعْنَا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا هِيَ كَمَا هِيَ أَوْ أَكْثَرُ . قَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا قَالَتْ لاَ وَقُرَّةِ عَيْنِي لَهِيَ الآنَ أَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مِرَارٍ - قَالَ - فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ - يَعْنِي يَمِينَهُ - ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ - قَالَ - وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَقْدٌ فَمَضَى الأَجَلُ فَعَرَّفْنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ إِلاَّ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ . أَوْ كَمَا قَالَ .

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসহাবে সুফ্ফার মানুষজন দরিদ্র ছিলেন। তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার বললেনঃ যার কাছে দু’জনের খাদ্য আছে সে যেন তৃতীয় এক জনকে নিয়ে যায়। আর যার নিকটে চার জনের খাদ্য রয়েছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। কিংবা রাবী যেভাবে বর্ণনা করেছেন। রাবী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) তিনজনকে সাথে নিয়ে আগমন করলেন। আর আল্লাহ্‌র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশজনকে নিয়ে রওনা হলেন। আমার পরিবারে আমরা ছিলাম তিনজন আমি, আমার আব্বা ও আমার আম্মা। রাবী বলেন, আমি জানি না, তিনি বলেছেন কি-না যে, আমার সহধর্মিণী আমাদের ও আবূ বকরের গৃহে শারীক খাদিম। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাড়িতে রাতের খাবার খেলেন। অতঃপর তিনি প্রতীক্ষা করলেন। পরিশেষে ‘ইশার সলাত আদায় করা হলো। সলাত শেষে ফিরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিদ্রাচ্ছন্ন হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রতীক্ষা করলেন। অতঃপর আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় রাত্রির কিছু অংশ পার হতে তিনি (বাড়িতে) প্রত্যাবর্তন করলেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, অতিথি রেখে দেরী করলেন কেন? তিনি বললেন, কেন? তুমি কি তাঁদের রাত্রের খাবার খাওয়াওনি? তাঁর সহধর্মিণী বললেন, আপনি না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা খাবার খেতে নারাজ। কয়েক বারই খাবার দেয়া হয়েছে কিন্তু মেহমানরা তাঁদের কথা হতে ফিরে আসেনি। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আমি যেয়ে পালিয়ে রইলাম। তিনি বললেন, হে নির্বোধ! অতঃপর তিনি আমাকে বকাঝকা করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, ভাল হলো না। আপনারা খাবার গ্রহণ করুন। তিনি আরও বললেন, আল্লাহ্‌র শপথ! আমি এ খাবার গ্রহণ করবো না। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমরা যে লোকমাই মুখে দিচ্ছিলাম তার নীচে এর থেকে বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে আবূ বকর (রাঃ) খাবারের প্রতি খেয়াল করে দেখলেন, তা যেমন ছিল তেমনি আছে বা তার চেয়েও বেশী হয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, হে উখ্ত (বোন) বানী ফিরাস! একি অবস্থা, তিনি বললেন, কিছু না। আমার চোখের প্রশান্তি এগুলো যা আগে ছিল তার থেকে তিন গুণ বর্ধিত হয়েছে। ‘আবদুর রহমান বলেন, অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) কিছু খেয়ে বললেন, ওটা অর্থাৎ- শপথটা ছিল শাইতানের নিকট থেকে, তারপর আরও এক লোকমা খেলেন। অতঃপর সেগুলো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে চললেন। আমিও তার নিকটে সকাল পর্যন্ত ছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের এবং কোন এক গোত্রের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা ছিল। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আমরা (বারটি দল করে) বার জন ব্যক্তি নিযুক্ত করলাম। প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে অনেক ব্যক্তি ছিল। আল্লাহই ভাল জানেন, প্রত্যেক লোকের সাথে কতজন ব্যক্তি ছিল। তাদের প্রত্যেকের কাছে এ খাদ্য প্রেরণ করা হলো এবং তারা সকলেই সে খাবার খেলেন। কিংবা রাবী যেভাবে বর্ননা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৯২, ই.সে. ৫২০৪)

৫২৬১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ الْعَطَّارُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ نَزَلَ عَلَيْنَا أَضْيَافٌ لَنَا - قَالَ - وَكَانَ أَبِي يَتَحَدَّثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ - قَالَ - فَانْطَلَقَ وَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ افْرُغْ مِنْ أَضْيَافِكَ . قَالَ فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جِئْنَا بِقِرَاهُمْ - قَالَ - فَأَبَوْا فَقَالُوا حَتَّى يَجِيءَ أَبُو مَنْزِلِنَا فَيَطْعَمَ مَعَنَا - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُمْ إِنَّهُ رَجُلٌ حَدِيدٌ وَإِنَّكُمْ إِنْ لَمْ تَفْعَلُوا خِفْتُ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْهُ أَذًى - قَالَ - فَأَبَوْا فَلَمَّا جَاءَ لَمْ يَبْدَأْ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنْهُمْ فَقَالَ أَفَرَغْتُمْ مِنْ أَضْيَافِكُمْ قَالَ قَالُوا لاَ وَاللَّهِ مَا فَرَغْنَا . قَالَ أَلَمْ آمُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ قَالَ وَتَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ . قَالَ فَتَنَحَّيْتُ - قَالَ - فَقَالَ يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوْتِي إِلاَّ جِئْتَ - قَالَ - فَجِئْتُ فَقُلْتُ وَاللَّهِ مَا لِي ذَنْبٌ هَؤُلاَءِ أَضْيَافُكَ فَسَلْهُمْ قَدْ أَتَيْتُهُمْ بِقِرَاهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يَطْعَمُوا حَتَّى تَجِيءَ - قَالَ - فَقَالَ مَا لَكُمْ أَلاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ - قَالَ - فَقَالُوا فَوَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ . قَالَ فَمَا رَأَيْتُ كَالشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ قَطُّ وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ أَنْ لاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ قَالَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الأُولَى فَمِنَ الشَّيْطَانِ هَلُمُّوا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَسَمَّى فَأَكَلَ وَأَكَلُوا - قَالَ - فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَرُّوا وَحَنِثْتُ - قَالَ - فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ " بَلْ أَنْتَ أَبَرُّهُمْ وَأَخْيَرُهُمْ " . قَالَ وَلَمْ تَبْلُغْنِي كَفَّارَةٌ .

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার কিছু অতিথি আমাদের গৃহে আসলেন। (বর্ণনাকারী বলেন)। আমার আব্বা রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কথোপকথন করতেন। তাই তিনি যাওয়ার সময় বললেন, হে ‘আবদুর রহমান! মেহমাদারীর সব কাজ সুন্দরভাবে শেষ করবে। ‘আবদুর রহমান বলেন, রাত হলে আমি অতিথিদের আহার নিয়ে আসলাম। কিন্তু তারা খেতে সম্মত হলেন না। তারা বললেন, যতক্ষণ গৃহের মালিক এসে আমাদের সঙ্গে না খাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা খাবো না। আমি তাঁদের বললাম, তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত লোক। আপনারা যদি খাওয়া-দাওয়া না করেন তাহলে আমার শঙ্কা হচ্ছে তার পক্ষ হতে আমাকে হয়তো বকাঝকা শুনতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা কেউ সম্মত হলোই না। আমার আব্বা এসে শুরুতেই তাঁদের সংবাদ নিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি অতিথিপরায়ণের কাজ শেষ করেছো? তাঁরা বললো, না। আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা সমাপ্ত করিনি। তিনি বললেন, আমি কি ‘আবদুর রহমানকে আদেশ দিয়ে যাইনি? ‘আবদুর রহমান বলেন, আমি তাঁর চোখের পলক হতে আড়ালে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, হে ‘আবদুর রহমান! আমি আরও সরে গেলাম। তিনি আবার বললেন, ওরে নির্বোধ! আমি শপথ করে তোমাকে বলছি যদি তুমি আমার শব্দ শুনে থাকো তাহলে উপস্থিত হও। তিনি বলেন, তখন আমি উপস্থিত হয়ে বললাম, আল্লাহ্‌র শপথ! আমার কোন দোষ নেই। আপনার অতিথিদের প্রশ্ন করে দেখুন। আমি তাঁদের আহার নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু আপনি না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা খেতে রাযী হলেন না। তখন তিনি (অতিথিদের) বললেন, আপনাদের কি হয়েছে? আপনারা কেন আমাদের পরিবেশন কবূল করেননি। ‘আবদুর রহমান বলেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র শপথ! আজ রাতে খাবো না। অতিথিরাও শপথ করে বলল, যতক্ষণ আপনি না খাবেন ততক্ষণ আমরাও খাব না। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আজকের রাত্রের মতো এতো মন্দ রাত আমি আর দেখিনি। আফসোস, তোমরা কেন আমাদের আপ্যায়ন কবূল করবে না? তিনি বললেন, প্রথমে যা হয়েছে তা শাইতানের তরফ হতে হয়েছে। তোমরা খাবার নিয়ে আসো। রাবী বলেন, অতঃপর খাবার নিয়ে আসলে তিনি ‘বিসমিল্লাহ্’ পড়ে খাওয়া শুরু করলেন। তাঁরাও খাওয়া শুরু করলো। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যেয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! তারা তো শপথ পূর্ণ করেছে। কিন্তু আমি শপথ ভেঙ্গে ফেলেছি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বরং তুমি সবচেয়ে বেশী সৎকর্মশীল এবং উত্তম ব্যক্তি। ‘আবদুর রহমান বলেন, কাফ্ফারার কথা আমার নিকটে পৌঁছেনি।

(ই.ফা. ৫১৯৩, ই.সে. ৫২০৫)

৩৩. অধ্যায়ঃ

সামান্য খাদ্য সমানভাবে বণ্টনের ফাযীলাত এবং দু’জনের খাবার তিন জনের জন্য যথেষ্ট হওযা প্রসঙ্গে

৫২৬২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " طَعَامُ الاِثْنَيْنِ كَافِي الثَّلاَثَةِ وَطَعَامُ الثَّلاَثَةِ كَافِي الأَرْبَعَةِ " .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’জনের খাদ্য তিনজনের জন্য এবং তিনজনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৫১৯৪, ই.সে. ৫২০৬)

৫২৬৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِي الاِثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاِثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ وَطَعَامُ الأَرْبَعَةِ يَكْفِي الثَّمَانِيَةَ " . وَفِي رِوَايَةِ إِسْحَاقَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . لَمْ يَذْكُرْ سَمِعْتُ .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, একজনের খাদ্য দু’জনের জন্য পর্যাপ্ত এবং দু’জনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট, এমনিভাবে চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।

ইসহাক্ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনি “আমি শুনেছি” কথাটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫১৯৫, ই.সে. ৫২০৭)

৫২৬৪

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ .

জাবির (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হাদীসের হুবহু বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৫১৯৬, ই.সে. ৫২০৮)

৫২৬৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِي الاِثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاِثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজনের খাদ্য দু’জনের জন্য পর্যাপ্ত এবং দু’জনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৫১৯৭, ই.সে. ৫২০৯)

৫২৬৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " طَعَامُ الرَّجُلِ يَكْفِي رَجُلَيْنِ وَطَعَامُ رَجُلَيْنِ يَكْفِي أَرْبَعَةً وَطَعَامُ أَرْبَعَةٍ يَكْفِي ثَمَانِيَةً " .

জাবির (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ এক লোকের খাবার দু’লোকের জন্য যথেষ্ট। দু’লোকের খাদ্য চার লোকের জন্য যথেষ্ট। আর চারজনের খাদ্য আটজনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। (ই.ফা.৫১৯৮, ই.সে. ৫২১০)

৩৪. অধ্যায়ঃ

ঈমানদার লোক এক আঁতে খায় আর কাফির লোক সাত আঁতে খায়

৫২৬৭

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ وَالْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ " .

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কাফির লোক সাত আঁতে খায় আর মু’মিন খায় এক আঁতে। [১৩] (ই.ফা. ৫১৯৯, ই.সে. ৫২১১)

[১৩]অর্থাৎ মু’মিন আল্লাহর নাম নিয়ে খায়, এতে তার খাবারে বারাকাত হয়এবং অল্প খাবারই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় কিন্তু কাফিরের অবস্থার বিপরীত তার খাবারে বারাকাত হয় না সে অনেক খাবার খায় তাও তার তৃপ্তি হয় না।

৫২৬৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ، حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২০০, ই.সে. ৫২১২)

৫২৬৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ، بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ نَافِعًا، قَالَ رَأَى ابْنُ عُمَرَ مِسْكِينًا فَجَعَلَ يَضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَيَضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ - قَالَ - فَجَعَلَ يَأْكُلُ أَكْلاً كَثِيرًا - قَالَ - فَقَالَ لاَ يُدْخَلَنَّ هَذَا عَلَىَّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْكَافِرَ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " .

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক মিসকীন কে প্রত্যক্ষ করলেন, সে শুধু সম্মুখে হাত মারছে এবং এভাবে সে প্রচুর খাবার শেষ করে ফেলেছে। তিনি (নাফি’) বলেন, তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তুমি এ জাতীয় লোককে আর কখনো আমার নিকটে নিয়ে আসবেনা। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, কাফির লোক সাত আঁতে ভক্ষণ করে। (ই.ফা. ৫২০১, ই.সে. ৫২১৩)

৫২৭০

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، وَابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " .

জাবির ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঈমানদার লোক এক আঁতে ভক্ষণ করে আর কাফির লোক সাত আঁতে ভক্ষণ করে। (ই.ফা. ৫২০২, ই.সে. ৫২১৪)

৫২৭১

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكَرِ ابْنَ عُمَرَ .

জাবির (রাঃ) এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত আছে। এখানে রাবী ‘উমার (রাঃ)-এর কথা বর্ণনা করেন নি। (ই.ফা. ৫২০৩, ই.সে. ৫২১৫)

৫২৭২

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " .

আবূ মূসা (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মু’মিন একআঁতে খায় এবং কাফির সাত আঁতে খায়। (ই.ফা. ৫২০৪, ই.সে. ৫২১৬)

৫২৭৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে তাঁদের সবার হাদীসের হুবহু বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫২০৫, ই.সে. ৫২১৭)

৫২৭৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ، أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَافَهُ ضَيْفٌ وَهُوَ كَافِرٌ فَأَمَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ فَحُلِبَتْ فَشَرِبَ حِلاَبَهَا ثُمَّ أُخْرَى فَشَرِبَهُ ثُمَّ أُخْرَى فَشَرِبَهُ حَتَّى شَرِبَ حِلاَبَ سَبْعِ شِيَاهٍ ثُمَّ إِنَّهُ أَصْبَحَ فَأَسْلَمَ فَأَمَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ فَشَرِبَ حِلاَبَهَا ثُمَّ أَمَرَ بِأُخْرَى فَلَمْ يَسْتَتِمَّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمُؤْمِنُ يَشْرَبُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَشْرَبُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক কাফির লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অতিথি হলো। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বকরীর দুধ দোহন করতে নির্দেশ দিলেন। দুধ দোহন শেষ হলে ব্যক্তিটি সে দুধটুকু পান করলো। এরপর অন্য একটি বকরী দোহন করা হলে সে তাও পান করলো। পুনরায় আরেকটি দোহন করা হলে সে টার দুধও সে পান করলো। এভাবে সে সাতটি বকরীর দুধপান করে ফেলল। পরবর্তী দিন সকালে সেই ইসলাম গ্রহণ করলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় তার জন্য একটি বকরীর দুধ দোহন করার নির্দেশ দিলে তখন সে আর তার পুরো টুকু পান করতে পারল না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মু’মিন একআঁতে পান করে। আর কাফির সাতআঁতে পান করে। (ই.ফা. ৫২০৬, ই.সে. ৫২১৮)

৩৫. অধ্যায়ঃ

খাবারের দোষ-ত্রুটি প্রসঙ্গে

৫২৭৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا عَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا قَطُّ كَانَ إِذَا اشْتَهَى شَيْئًا أَكَلَهُ وَإِنْ كَرِهَهُ تَرَكَهُ .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সময় কোন খাদ্যকে মন্দ বলেননি। কোন খাদ্য প্রিয় হলে খেয়েছেন আর পছন্দ না হলে ছেড়ে দিয়েছেন। [১৪] (ই.ফা. ৫২০৭, ই.সে. ৫২১৯)

[১৪]সকল খাদ্যই আল্লাহর নি’আমাত, কোন খাদ্য একজনের জন্য রুচিসম্মত না হলে ও অপরের জন্য তা পছন্দনীয় হতে পারে। তাই কোন খাদ্য কে মন্দ বলা উচিত নয়, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা অপছন্দ করতেন।

৫২৭৬

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সনদে অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫২০৮, ই.সে. ৫২২০)

৫২৭৭

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .

আ’মাশ হতে উল্লেখিত সনদ থেকে বর্ণিতঃ

হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫২০৯, ই.সে. ৫২২১)

৫২৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَعَمْرٌو النَّاقِدُ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ - قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي يَحْيَى مَوْلَى آلِ جَعْدَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَابَ طَعَامًا قَطُّ كَانَ إِذَا اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَهِهِ سَكَتَ .

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কক্ষনো কোন খাদ্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করতে দেখিনি। তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইচ্ছা জাগলে খেতেন আর অনিচ্ছা হলে চুপ থাকতেন। (ই.ফা. ৫২১০, ই.সে.)

আবূ কুরায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ)……… আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত রয়েছে। (ই.ফা. ৫২১১, ই.সে. ৫২২২-৫২২৩)

No comments

Powered by Blogger.