সহীহ মুসলিম অধ্যায় "পানীয় বস্তু" হাদিস নং -৫০২১ থেকে ৫১৫০
পানীয় বস্তু ৫০২১ - ৫২৭৮
১. অধ্যায়ঃ
মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস, কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস ইত্যাদি থেকে তৈরি
পানীয় যা নেশাগ্রস্ত করে সেগুলোর বর্ণনা
৫০২১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ أَصَبْتُ شَارِفًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَغْنَمٍ يَوْمَ بَدْرٍ وَأَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَارِفًا أُخْرَى فَأَنَخْتُهُمَا يَوْمًا عِنْدَ بَابِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَحْمِلَ عَلَيْهِمَا إِذْخِرًا لأَبِيعَهُ وَمَعِيَ صَائِغٌ مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ عَلَى وَلِيمَةِ فَاطِمَةَ وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَشْرَبُ فِي ذَلِكَ الْبَيْتِ مَعَهُ قَيْنَةٌ تُغَنِّيهِ فَقَالَتْ أَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَثَارَ إِلَيْهِمَا حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ فَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا ثُمَّ أَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا . قُلْتُ لاِبْنِ شِهَابٍ وَمِنَ السَّنَامِ قَالَ قَدْ جَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا فَذَهَبَ بِهَا . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ قَالَ عَلِيٌّ فَنَظَرْتُ إِلَى مَنْظَرٍ أَفْظَعَنِي فَأَتَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَخَرَجَ وَمَعَهُ زَيْدٌ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى حَمْزَةَ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ فَرَفَعَ حَمْزَةُ بَصَرَهُ فَقَالَ هَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لآبَائِي فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَهْقِرُ حَتَّى خَرَجَ عَنْهُمْ .
‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বদর
দিবসে আমি গনীমাত (যুদ্ধলব্ধ মাল) হতে একটি বয়স্ক উট পেয়েছিলাম। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আর একটি বয়স্ক উট দিয়েছিলেন। একদিন আমি জনৈক আনসারী ব্যক্তির
দরজার সামনে সে দু’টি বেঁধে রাখলাম। আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল, সে দু’টির পিঠে করে কিছু ইযখির
ঘাস বয়ে আনবো, আর তা বিক্রয় করে ফাতিমাহ্ (রাঃ)-এর ওয়ালীমায় সাহায্য নিব। আমার সঙ্গে
ছিল বানূ কাইনুকা‘ গোত্রের জনৈক স্বর্ণকার। হামযাহ্ ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) সে
বাড়িতেই মদ পান করছিল। তার সাথে ছিল একজন গায়িকা। সে (তার গানের মধ্যে) বললঃ
(............ আরবি) অর্থাৎ- হে হামযাহ্! হৃষ্টপুষ্ট উট দু’টির কাছে যাও এবং মেহমানদের
জন্য তা যাবাহ করো।
তারপর হামযাহ্ ও দু’টির নিকট ছুটে গেল। পরে দু’টিরই কুজ [৩]কেটে ফেললো
এবং তাদের পেট ফেড়ে দিল। তারপর সে এ দু’টির কলিজা বের করে নিল।
আমি ইবনু শিহাবকে বললাম, তিনি কুজ দু’টি কি করলেন? তিনি বললেন, কুজ দু’টি
কেটে সাথে নিয়ে চললেন। ইবনু শিহাব বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, এ মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম। তাঁর নিকট ছিল যায়দ
ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)। এরপর আমি তাঁকে পুরো ঘটনা জানালাম। তিনি যায়দ (রাঃ)-কে সঙ্গে
নিয়ে বের হলেন। আমিও তাঁর সাথে চললাম। হামযাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তিনি তাকে কিছু
কঠিন কথা বললেন। হামযাহ্ (রাঃ) চোখ তুলে বলল, তোমরা তো আমার বাবার ক্রীতদাস ছাড়া কিছু
নও। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিছন দিকে ফিরে আসলেন। এমনকি
তিনি তাদের নিকট থেকে বেরিয়ে চলে এলেন। (ই. ফা. ৬ষ্ঠ খণ্ড-৪৯৬৪, ই. সে. ৪৯৭১)
বিঃ দ্রঃ ৪৯৬৪ নম্বরটি ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ ভুলক্রমে দুইবার দিয়েছে।
[৩]জন্তুর বুক ও ঘাড়ের মাঝামাঝি উপরের অংশে বৃহৎ যে গোশ্তপিণ্ড তাকে কুজ
বলা হয়।
৫০২২
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে হুবহু বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৪৯৬৫, ই. সে. ৪৯৭২)
৫০২৩
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ أَبُو عُثْمَانَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ، بْنِ عَلِيٍّ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ يَرْتَحِلُ مَعِيَ فَنَأْتِي بِإِذْخِرٍ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَىَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ وَشَارِفَاىَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَجَمَعْتُ حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا شَارِفَاىَ قَدِ اجْتُبَّتْ أَسْنِمَتُهُمَا وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَىَّ حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ مِنْهُمَا قُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ غَنَّتْهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابَهُ فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا أَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَقَامَ حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا فَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا قَالَ عَلِيٌّ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ - قَالَ - فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِيَ الَّذِي لَقِيتُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ " قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَىَّ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ - قَالَ - فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ فَارْتَدَاهُ ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتَّى جَاءَ الْبَابَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنُوا لَهُ فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ إِلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ فَقَالَ حَمْزَةُ وَهَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى وَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বাদ্রের দিন আমি গনীমাত থেকে আমার ভাগে একটি বয়স্ক উট পেয়েছিলাম।
আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেদিন ‘এক পঞ্চমাংশ’ থেকে আমাকে
আর একটি উট দিয়েছিলেন। আমি যখন রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তনয়া ফাতিমাহ্-এর
সাথে বাসর যাপনের আকাঙ্ক্ষা করলাম, তখন বানূ কাইনুকা’ গোত্রের জনৈক স্বর্ণকার ও আমি
উভয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হলাম। সে আমার সাথে যাবে আর আমরা (দু’জনে) ইয্খির (ঘাস) নিয়ে আসবো।
আমি ইচ্ছা করলাম, এগুলো স্বর্ণকারদের কাছে বিক্রি করে তা দিয়ে আমার বিয়ের ওয়ালীমার
বিষয়ে সাহায্য নিব। আমি উট দু’টির জন্য বসার গদি, থলে এবং রশি ইত্যাদি জিনিস সংগ্রহ
করছিলাম। আর আমার উট দু’টি একজন আন্সারী লোকের গৃহের পাশে বাঁধা ছিল। আমিও যা সংগ্রহ
করার সংগ্রহ করলাম। এমন সময় অকস্মাৎ লক্ষ্য করি সে দু’টি (উটের) কুজ কেটে ফেলা হয়েছে,
পেটের দিক কেটে ফেলা হয়েছে এবং উভয়ের কলিজা বের করে নেয়া হয়েছে। আমার দু’ নয়ন এ দৃশ্য
সহ্য করতে পারল না। আমি বলে উঠলাম, এ কাজ কোন্ লোক করল? লোকেরা, বলল হামযাহ্ ইবনু
‘আবদুল মুত্তালিব। সে এ বাড়িতে আনসারদের একদল মদ্যপায়ীকারীদের মাঝে আছে। তাকে ও তার
সঙ্গীদেরকে গান শুনাচ্ছিল এক গায়িকা। সে তার গানে বললঃ (.........আরবি) অর্থাৎ- হে
হামযাহ্! তুমি হৃষ্টপুষ্ট উট দু’টির সন্মুখে যাবে কি? পরে হামযাহ্ তরবারি নিয়ে উঠলো,
উট দু’টির কুজ কেটে ফেললো, পশ্চাৎদিক চিড়ে ফেললো। অতঃপর ও দু’টোর কলিজা নিয়ে গেল।
‘আলী (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে গিয়ে উপস্থিত হলাম,
তখন তাঁর কাছে ছিল যায়দ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমার অবয়ব দেখে বুঝতে পারলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ্র কসম, আজকের দিনের মতো
আমি আর কখনও দেখিনি! হামযাহ্ আমার উট দু’টির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উভয়ের কুজ দু’টি কেটে
ফেলেছে, পিছনের দিক কেটে ফেলেছে, এবং কলিজা খুলে নিয়েছে! সে ঐ গৃহে আছে আর তার সাথে
আছে মদ্যপায়ীদের কিছু লোক। তিনি বলেন, তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর চাদর নিয়ে আসতে বললেন। অতঃপর তা পরিধান করে হাঁটতে লাগলেন। আমি এবং যায়দ
ইবনু হারিসাহ্ তাঁর পিছনে পিছনে অনুকরণ করলাম। পরিশেষে তিনি সে ঘরের দরজায় এসে অনুমতি
চাইলেন যে ঘরে হামযাহ্ ছিল। তারা তাঁকে অনুমতি দিল। তিনি প্রবেশ করেই লক্ষ্য করলেন
মদ্যপায়ীর দল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হামযার অপকর্মের জন্য
তাকে শাসন ও নিন্দা করতে লাগলেন। এমতাবস্থায় হামযার চোখ দুটি লাল হয়ে গেল। সে রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। এরপর সে তার হাঁটুর
দিকে তাকালো, তারপর আরো উঁচুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করল তাঁর নাভীর দিকে, এরপর দৃষ্টি উঠালো
তার চেহারার দিকে। এরপর হামযাহ্ বলল, তোমরা তো আমার পিতার গোলাম ছাড়া কিছুই নও। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বুঝতে পারলেন সে নেশাগ্রস্ত, তখন তিনি পিছনে
হেঁটে বের হয়ে পড়লেন। আমরাও তাঁর সাথে বের হলাম। ( ই. ফা. ৪৯৬৬, ই. সে. ৪৯৭৩)
৫০২৪
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
যুহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণিত আছে। (ই. ফা. ৪৯৬৬, ই. সে. ৪৯৭৪)
৫০২৫
حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ سَاقِيَ الْقَوْمِ يَوْمَ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ فِي بَيْتِ أَبِي طَلْحَةَ وَمَا شَرَابُهُمْ إِلاَّ الْفَضِيخُ الْبُسْرُ وَالتَّمْرُ . فَإِذَا مُنَادٍ يُنَادِي فَقَالَ اخْرُجْ فَانْظُرْ فَخَرَجْتُ فَإِذَا مُنَادٍ يُنَادِي أَلاَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ - قَالَ - فَجَرَتْ فِي سِكَكِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ لِي أَبُو طَلْحَةَ اخْرُجْ فَاهْرِقْهَا . فَهَرَقْتُهَا فَقَالُوا أَوْ قَالَ بَعْضُهُمْ قُتِلَ فُلاَنٌ قُتِلَ فُلاَنٌ وَهِيَ فِي بُطُونِهِمْ - قَالَ فَلاَ أَدْرِي هُوَ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ - فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ}
আনাস ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদ হারাম হওয়ার দিন আমি আবূ তালহার ঘরে লোকদের মদ পান করাচ্ছিলাম।
তারা শুকনো ও কাঁচা খেজুরের মদ পান করতো (অর্থাৎ শুকনো ও কাঁচা খেজুর দ্বারা তৈরি ঘন
তৈলাক্ত ও সিরকা পান করতো)। হঠাৎ শুনা গেল জনৈক লোক ঘোষণা দিচ্ছে। তিনি বললেন, বের
হয়ে দেখো। আমি বের হয়ে দেখলাম, এক লোক ঘোষণা দিচ্ছে : শুনে রাখো মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অতঃপর মাদীনার চারপাশে ও অলিগলি দিয়ে মদের ঢল প্রবাহিত বইতে থাকে। আবূ তাল্হাহ্
আমাকে বললেন, বের হও এবং এগুলো ঢেলে দিয়ে আসো। অতঃপর আমি সেগুলো ঢেলে দেই। তারা সবাই
বা তাদের কেউ কেউ বললেন, অমুক নিহত হয়েছে! অমুক নিহত হয়েছে! অথচ তাদের উদরে মদ আছে।
রাবী বলেন, আমি জ্ঞাত নই যে, এ কথাও আনাস (রাঃ)-এর হাদীসের অন্তর্ভুক্ত কি-না। এরপর
আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন: “যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তারা পূর্বে যা খেয়েছে
তাতে তাদের কোন গুনাহ নেই, যদি তারা সতর্ক হয় এবং ঈমান আনে ও সৎকাজ করে”– (সূরা আল-মায়িদাহ্)
৫:৯৩)। (ই.ফা.৪৯৬৭, ই.সে.৪৯৭৫)
৫০২৬
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ سَأَلُوا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الْفَضِيخِ، فَقَالَ مَا كَانَتْ لَنَا خَمْرٌ غَيْرَ فَضِيخِكُمْ هَذَا الَّذِي تُسَمُّونَهُ الْفَضِيخَ إِنِّي لَقَائِمٌ أَسْقِيهَا أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا أَيُّوبَ وَرِجَالاً مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِنَا إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ هَلْ بَلَغَكُمُ الْخَبَرُ قُلْنَا لاَ قَالَ فَإِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ فَقَالَ يَا أَنَسُ أَرِقْ هَذِهِ الْقِلاَلَ قَالَ فَمَا رَاجَعُوهَا وَلاَ سَأَلُوا عَنْهَا بَعْدَ خَبَرِ الرَّجُلِ .
‘আবদুল ‘আযীয ইবনু সুহায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মানুষেরা আনাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করল ‘ফাযীখ’ (খেজুরের তৈরি মদ)
সম্পর্কে। তিনি বললেন, তোমরা যাকে ‘ফাযীখ’ বলে সম্বোধন কর, তোমাদের এ ফাযীখ ব্যতীত
আমাদের আর কোন মদ-ই ছিল না। আমি আমাদের ঘরে আবূ তাল্হা, আবূ আইয়ূব (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আরো কতিপয় সাহাবীকে মদপান করাতে মত্ত ছিলাম।
এমন সময় এক লোক এসে বলল, তোমাদের নিকট কি কোন সংবাদ এসেছে? আমরা বললাম, না। সে বলল,
মদ তো সম্পূর্ণরুপে নিষেধ করা হয়েছে। তিনি (আবূ তালহা) বললেন, হে আনাস! এ মদের কলসগুলো
ঢেলে দাও। তিনি বলেন,তারা উক্ত ব্যক্তির সংবাদের পর কোন খোঁজখবরও করেননি। এ সম্পর্কে
কোন জিজ্ঞাসাবাদও করেননি। (ই.ফা. ৪৯৬৮ ই.সে. ৪৯৭৬)
৫০২৭
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي لَقَائِمٌ عَلَى الْحَىِّ عَلَى عُمُومَتِي أَسْقِيهِمْ مِنْ فَضِيخٍ لَهُمْ وَأَنَا أَصْغَرُهُمْ سِنًّا فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّهَا قَدْ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ فَقَالُوا اكْفَأْهَا يَا أَنَسُ . فَكَفَأْتُهَا . قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ مَا هُوَ قَالَ بُسْرٌ وَرُطَبٌ . قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَنَسٍ كَانَتْ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ . قَالَ سُلَيْمَانُ وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আমার চাচাদের
‘ফাযীখ’ পান করাচ্ছিলাম। আর বয়সে আমি তাদের সবার ছোট ছিলাম। এ সময় এক লোক এসে বলল,
মদ তো হারাম করা হয়েছে। তারা সবাই বললেন, হে আনাস! এ হাড়িগুলো উল্টিয়ে দাও। আমি সেগুলো
উপুড় করে ফেলে দিলাম।
সুলাইমান বলেন, আমি আনাসকে বললাম, ফাযীখ কি জিনিস? তিনি বললেন, কাঁচা-পাকা
খেজুর দ্বারা তৈরিকৃত মদ। তিনি বলেন, আবূ বকর ইবনু আনাস বলেছেন, তখন এটাই ছিল তাদের
একমাত্র নেশাজাতীয় দ্রব্য।
সুলাইমান বলেন, আমার নিকটে জনৈক লোক আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত
করেছেন যে, তিনিও (আনাস) এ কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৪৯৬৯, ই.সে. ৪৯৭৭)
৫০২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ كُنْتُ قَائِمًا عَلَى الْحَىِّ أَسْقِيهِمْ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَنَسٍ كَانَ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ . وَأَنَسٌ شَاهِدٌ فَلَمْ يُنْكِرْ أَنَسٌ ذَاكَ . وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ حَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعِي أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ كَانَ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সম্প্রদায়ের মাঝে দাঁড়িয়ে তাদের মদপান করাচ্ছিলাম। এরপর
বর্ণনাকারী ইবনু উলাইয়্যার মতো বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেন, তারপর আবূ বকর ইবনু আনাস
বললেন, সেকালে ওটাই ছিল তাদের মদ। আনাস (রাঃ) তথায় উপস্থিত ছিলেন, তিনি এ কথা অস্বীকার
করেননি।
ইবনু ‘আবদুল আ’লা মু’তামির-এর সূত্রে তাঁর বাবা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেনঃ যারা তাঁর সাথে ছিল তাঁদের একজন আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, তিনি আনাস (রাঃ)-কে
বলতে শুনেছেন, ‘তৎকালীন সময়ে সেটাই ছিল তাদের মদ।’ (ই.ফা. ৪৯৭০, ই.সে. ৪৯৭৮)
৫০২৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ أَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا دُجَانَةَ وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ فِي رَهْطٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَدَخَلَ عَلَيْنَا دَاخِلٌ فَقَالَ حَدَثَ خَبَرٌ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ . فَكَفَأْنَاهَا يَوْمَئِذٍ وَإِنَّهَا لَخَلِيطُ الْبُسْرِ وَالتَّمْرِ . قَالَ قَتَادَةُ وَقَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ لَقَدْ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ وَكَانَتْ عَامَّةُ خُمُورِهِمْ يَوْمَئِذٍ خَلِيطَ الْبُسْرِ وَالتَّمْرِ .
আনাস ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ তাল্হাহ্, আবূ দুজানাহ্ ও মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে
আনসারীদের একদল মানুষের মাঝে মদপান করাচ্ছিলাম। তখন এক লোক আমাদের নিকট এসে বলল, একটি
নতুন ব্যাপার ঘটেছে, মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতঃপর আমরা তখন পাত্রগুলো উপুড় করে ঢেলে
দিয়েছিলাম। সে মদ ছিল কাঁচা-পাকা মিশ্রিত খেজুরের বানানো।
কাতাদাহ্ বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেছেন, মদকে হারাম করা হয়েছে। সেকালে
তাদের সাধারণ মদ ছিল কাঁচা-পাকায় সংমিশ্রিত খেজুরের তৈরী। (ই.ফা. ৪৯৭১, ই.সে. ৪৯৭৯)
৫০৩০
وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا أَخْبَرَنَا مُعَاذُ، بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي لأَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا دُجَانَةَ وَسُهَيْلَ ابْنَ بَيْضَاءَ مِنْ مَزَادَةٍ فِيهَا خَلِيطُ بُسْرٍ وَتَمْرٍ . بِنَحْوِ حَدِيثِ سَعِيدٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এমন একটি মদপাত্র হতে- আবূ তাল্হাহ্, আবূ দুজানাহ্ ও সুহায়ল
ইবনু বাইযা (রাঃ)-কে মদপান করাচ্ছিলাম যার মধ্যে কাঁচা-পাকা খেজুরের মদ ছিল। অতঃপর
বর্ণনাকারী সা’ঈদ (রহঃ)-এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৪৯৭২, ই.সে. ৪৯৮০)
৫০৩১
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ قَتَادَةَ بْنَ دِعَامَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُخْلَطَ التَّمْرُ وَالزَّهْوُ ثُمَّ يُشْرَبَ وَإِنَّ ذَلِكَ كَانَ عَامَّةَ خُمُورِهِمْ يَوْمَ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁচা-পাকা খেজুর
দিয়ে মদ তৈরী করা এবং তা পান করা থেকে বারণ করেছেন। সেদিন তাই ছিল তাদের সাধারণ নেশাজাতীয়
দ্রব্য যেদিন মদ হারাম করা হয়। (ই.ফা. ৪৯৭৩, ই.সে. ৪৯৮১)
৫০৩২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَسْقِي أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَأَبَا طَلْحَةَ وَأُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ شَرَابًا مِنْ فَضِيخٍ وَتَمْرٍ فَأَتَاهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ . فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أَنَسُ قُمْ إِلَى هَذِهِ الْجَرَّةِ فَاكْسِرْهَا . فَقُمْتُ إِلَى مِهْرَاسٍ لَنَا فَضَرَبْتُهَا بِأَسْفَلِهِ حَتَّى تَكَسَّرَتْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনু জার্রাহ্, আবূ তালহাহ্ উবাই ইবনু কা’ব
(রাঃ)-কে মদপান করাচ্ছিলাম, যা কাঁচা ও শুকনো খেজুর দিয়ে তৈরি ছিল। অতঃপর জনৈক আগত
ব্যক্তি এসে বলল, মদ তো হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আবূ তালহাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আনাস!
তুমি সে কলসটির কাছে গিয়ে তা ভেঙ্গে ফেল। আমি আমাদের মিহরাসটির (ছিদ্রযুক্ত পাথর) নিকট
গেলাম এবং কলসের নিম্নাংশে আঘাত কর। যার দরুন সেটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। (ই.ফা.
৪৯৭৪, ই.সে. ৪৯৮২)
৫০৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، - يَعْنِي الْحَنَفِيَّ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ لَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ الآيَةَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ فِيهَا الْخَمْرَ وَمَا بِالْمَدِينَةِ شَرَابٌ يُشْرَبُ إِلاَّ مِنْ تَمْرٍ .
জা’ফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা যে আয়াতে
মদ নিষিদ্ধ করেছেন, সেটি এমন সময় তৈরি করেছেন, যখন মদীনায় শুধুমাত্র খেজুরের তৈরি মদপান
করা হত। (ই.ফা. ৪৯৭৫, ই.সে. ৪৯৮৩)
২. অধ্যায়ঃ
মদ দ্বারা সিরকা তৈরি করা নিষেধ
৫০৩৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ الْخَمْرِ تُتَّخَذُ خَلاًّ فَقَالَ " لاَ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মদ দিয়ে সিরকা তৈরি করা সম্পর্কে
প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, না। (ই.ফা. ৪৯৭৬, ই.সে. ৪৯৮৪)
৩. অধ্যায়ঃ
মদ দিয়ে চিকিৎসা করা হারাম
৫০৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، أَنَّ طَارِقَ بْنَ سُوَيْدٍ الْجُعْفِيَّ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَمْرِ فَنَهَا أَوْ كَرِهَ أَنْ يَصْنَعَهَا فَقَالَ إِنَّمَا أَصْنَعُهَا لِلدَّوَاءِ فَقَالَ " إِنَّهُ لَيْسَ بِدَوَاءٍ وَلَكِنَّهُ دَاءٌ " .
ওয়ায়িল আল-হায্রামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তারিক ইবনু সুওয়াইদ জু‘ফী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে মদ সস্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তিনি তাকে বারণ করলেন, কিংবা মদ প্রস্তুত
করাকে খুব জঘন্য মনে করলেন। তিনি [তারিক (রাঃ)] বললেন, আমি তো শুধু ঔষধ তৈরি করার জন্য
মদ প্রস্তুত করি। তিনি বললেনঃ এটি তো (ব্যাধি নিরামক) ঔষধ নয়, বরং এটি নিজেই ব্যাধি।
(ই.ফা. ৪৯৭৭, ই.সে. ৪৯৮৫)
৪. অধ্যায়ঃ
খেজুর ও আঙ্গুর হতে যা কিছু পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় তাই মদ নামে পরিচিত
৫০৩৬
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي، عُثْمَانَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، أَنَّ أَبَا كَثِيرٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ النَّخْلَةِ وَالْعِنَبَةِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মদ তৈরি
হয় দু’টি গাছ (এর ফল) হতে, তা হলো- খেজুর ও আঙ্গুর গাছ (এর ফল)।
(ই.ফা. ৪৯৭৮, ই.সে. ৪৯৮৬)
৫০৩৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو كَثِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ النَّخْلَةِ وَالْعِنَبَةِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে
শুনেছি যে, মদ তৈরি হয় ঐ দু’টি গাছ (এর ফল) থেকে, তা হলো- খেজুর ও আঙ্গুর গাছ (এর ফল)।
(ই.ফা. ৪৯৭৯, ই.সে. ৪৯৮৭)
৫০৩৮
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، وَعِكْرِمَةَ، بْنِ عَمَّارٍ وَعُقْبَةَ بْنِ التَّوْأَمِ عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ الْكَرْمَةِ وَالنَّخْلَةِ " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ " الْكَرْمِ وَالنَّخْلِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মদ তৈরি
হয় ঐ দু’টি গাছ (এর ফল) থেকে, তা হলো- আঙ্গুর ও খেজুর গাছ (এর ফল)। আবূ কুরায়ব (রহঃ)-এর
বর্ণনায় আঙ্গুরকে খেজুর বলা হয়েছে।
(ই.ফা. ৪৯৮০, ই.সে. ৪৯৮৮)
৫. অধ্যায়ঃ
শুকনো খেজুর আর কিসমিস একত্র করে নাবীয [১] প্রস্তুত করা মাক্রুহ
৫০৩৯
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُخْلَطَ الزَّبِيبُ وَالتَّمْرُ وَالْبُسْرُ وَالتَّمْرُ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিসমিস ও শুকনো খেজুর এবং কাঁচা-পাকা
খেজুর একসাথে মিশিয়ে নাবীয বানাতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৮১, ই.সে. ৪৯৮৯)
[১]নাবীয বলা হয় কাঁচা বা পাকা খেজুর, খোরমা, কিসমিস যে কোন এক প্রকারের
ফল পরিমাণ মত নিয়ে কাচের পেয়ালাতে পরিমাণ মত পানিতে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর যা
তৈরি হয় সেটাকে চটকিয়ে রস করে প্রয়োজনে ছেঁকে নিয়ে পান করা হয়। তবে তাতে ফেনা উঠে গেলে
খাওয়া নিষিদ্ধ এজন্য যে, সেটা তে নেশার উপকরণ তৈরি হয়ে থাকে।
৫০৪০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى أَنْ يُنْبَذَ التَّمْرُ وَالزَّبِيبُ جَمِيعًا وَنَهَى أَنْ يُنْبَذَ الرُّطَبُ وَالْبُسْرُ جَمِيعًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুকনো খেজুর ও কিসমিস একত্র
করে নাবীজ তৈরি করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও নিষেধ করেছেন কাঁচা-পাকা খেজুর একত্র মিশিয়ে
নাবীয বানানো থেকে। (ই.ফা. ৪৯৮২, ই.সে. ৪৯৯০)
৫০৪১
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ، جُرَيْجٍ قَالَ قَالَ لِي عَطَاءٌ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَجْمَعُوا بَيْنَ الرُّطَبِ وَالْبُسْرِ وَبَيْنَ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ نَبِيذًا " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা
কাঁচা-পাকা খর্জুর এবং কিসমিস ও খোরমা মিশ্রণ করে নাবীয বানিও না। (ই.ফা. ৪৯৮৩, ই.সে.
৪৯৯১)
৫০৪২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ، مَوْلَى حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى أَنْ يُنْبَذَ الزَّبِيبُ وَالتَّمْرُ جَمِيعًا وَنَهَى أَنْ يُنْبَذَ الْبُسْرُ وَالرُّطَبُ جَمِيعًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিসমিস ও খোরমা মিশিয়ে
‘নাবীয’ বানাতে বারণ করেছেন। তিনি একসাথে কাঁচা-পাকা খেজুর দিয়ে ‘নাবীয’ প্রস্তুত করতেও
বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৮৪, ই.সে. ৪৯৯২)
৫০৪৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ التَّمْرِ وَالزَّبِيبِ أَنْ يُخْلَطَ بَيْنَهُمَا وَعَنِ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ أَنْ يُخْلَطَ بَيْنَهُمَا .
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খোরমা ও কিসমিস
একসঙ্গে মিশ্রণ (করে নাবীয তৈরি) করতে বারণ করেছেন এবং কাঁচা-পাকা খেজুর একত্র (করে
নাবীয তৈরি) করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৮৫, ই.সে. ৪৯৯৩)
৫০৪৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ أَبُو مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَخْلِطَ بَيْنَ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَأَنْ نَخْلِطَ الْبُسْرَ وَالتَّمْرَ .
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (নাবীয
তৈরিতে) কিসমিস ও শুকনো খেজুর এবং কাঁচা-পাকা খেজুর একসাথে মিশাতে বারণ করেছেন। (ই.ফা.
৪৯৮৬, ই.সে. ৪৯৯৪)
৫০৪৫
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ - عَنْ أَبِي، مَسْلَمَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
আবূ মাসলামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সনদে একইভাবে বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৪৯৮৭, ই.সে. ৪৯৯৫)
৫০৪৬
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي، الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ شَرِبَ النَّبِيذَ مِنْكُمْ فَلْيَشْرَبْهُ زَبِيبًا فَرْدًا أَوْ تَمْرًا فَرْدًا أَوْ بُسْرًا فَرْدًا " .
আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি
নাবীয (খেজুর বা আঙ্গুর ভেজানো পানি) পান করতে ইচ্ছা পোষণ করে, সে যেন কিসমিস বা শুকনো
খেজুর অথবা কাঁচা খেজুর দ্বারা আলাদাভাবে নাবীয তৈরি করে তা পান করে।
(ই.ফা. ৪৯৮৮, ই.সে. ৪৯৯৬)
৫০৪৭
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ، الْعَبْدِيُّ بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَخْلِطَ بُسْرًا بِتَمْرٍ أَوْ زَبِيبًا بِتَمْرٍ أَوْ زَبِيبًا بِبُسْرٍ . وَقَالَ " مَنْ شَرِبَهُ مِنْكُمْ " . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ وَكِيعٍ .
ইসমা‘ঈল ইবনু মুসলিম ‘আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বারণ
করেছেন, যেন আমরা কাঁচা খেজুর শুকনো খেজুরের সঙ্গে না মেশাই অথবা কিসমিস খোরমার সঙ্গে
না মেশাই অথবা কিসমিস কাঁচা খেজুরের সাথে না মেশাই। তিনি আরও বলেন, তোমাদের মাঝে যে
তা পান করতে আগ্রহী। অতঃপর বর্ণনাকারী ওয়াকী’ (রহঃ)-এর হাদীসের অবকিল বর্ণনা করেন।
(ই.ফা. ৪৯৮৮, ই.সে. ৪৯৯৭)
৫০৪৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَنْتَبِذُوا الزَّهْوَ وَالرُّطَبَ جَمِيعًا وَلاَ تَنْتَبِذُوا الزَّبِيبَ وَالتَّمْرَ جَمِيعًا وَانْتَبِذُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى حِدَتِهِ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদাহ্ সূত্রে তাঁর পিতা আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা
কাঁচা-পাকা খেজুর একসাথে করে নাবীয বানাবে না। কিসমিস ও খোরমা একত্র করেও নাবীয প্রস্তুত
করবে না বরং একেকটি আলাদাভাবে নাবীয বানাবে। (ই.ফা. ৪৯৮৯, ই.সে. ৪৯৯৮)
৫০৪৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي، عُثْمَانَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হুবহু বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৪৯৯০, ই.সে. ৪৯৯৯)
৫০৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا عَلِيٌّ، - وَهُوَ ابْنُ الْمُبَارَكِ - عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَنْتَبِذُوا الزَّهْوَ وَالرُّطَبَ جَمِيعًا وَلاَ تَنْتَبِذُوا الرُّطَبَ وَالزَّبِيبَ جَمِيعًا وَلَكِنِ انْتَبِذُوا كُلَّ وَاحِدٍ عَلَى حِدَتِهِ " . وَزَعَمَ يَحْيَى أَنَّهُ لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَتَادَةَ فَحَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ هَذَا .
আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কাঁচা-পাকা
খেজুর একসাথে মিশিয়ে নাবীয বানাবে না এবং কাঁচা খেজুর ও কিসমিস একত্রে মিশিয়ে নাবীয
বানাবে না বরং একেকটি দ্বারা আলাদাভাবে নাবীয বানাবে।
ইয়াহ্ইয়া ধারণা করেন যে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদার সঙ্গে দেখা করলে
তিনি তাঁর পিতার সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ হাদীস তার
নিকটে রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৯১, ই.সে. ৫০০০)
৫০৫১
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَيْنِ الإِسْنَادَيْنِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " الرُّطَبَ وَالزَّهْوَ وَالتَّمْرَ وَالزَّبِيبَ " .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত দু’টি সূত্রে একই রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি ……. এর স্থলে ……. এবং
…… এর স্থলে ……. শব্দ উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৯১, ই.সে. ৫০০১)
৫০৫২
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ خَلِيطِ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَعَنْ خَلِيطِ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَعَنْ خَلِيطِ الزَّهْوِ وَالرُّطَبِ وَقَالَ " انْتَبِذُوا كُلَّ وَاحِدٍ عَلَى حِدَتِهِ " .
আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁচা ও শুকনো খেজুর একত্রে সংমিশ্রণ
করা হতে এবং কিসমিস ও শুকনো খেজুর সংমিশ্রণ করা থেকে এবং কাঁচা-পাকা খেজুর সংমিশ্রণ
করা হতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকটি দিয়ে আলাদাভাবে নাবীয বানাও। (ই.ফা.
৪৯৯২, ই.সে. ৫০০২)
৫০৫৩
وَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ هَذَا الْحَدِيثِ .
[ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেন,] আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) আবূ কাতাদাহ্
(রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
(ই.ফা. ৪৯৯৩, ই.সে. ৫০০২)
৫০৫৪
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، بْنِ عَمَّارٍ عَنْ أَبِي كَثِيرٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالتَّمْرِ وَقَالَ " يُنْبَذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى حِدَتِهِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিসমিস ও শুকনো
খেজুর (একত্রে মিশিয়ে নাবীয প্রস্তুত করা) হতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকটি
দিয়ে পৃথকভাবে নাবীয বানানো যেতে পারে।(ই.ফা. ৪৯৯৪, ই.সে. ৫০০৩)
৫০৫৫
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أُذَيْنَةَ، - وَهُوَ أَبُو كَثِيرٍ الْغُبَرِيُّ - حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ….. অতঃপর
রাবী অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৪৯৯৪, ই.সে. ৫০০৪)
৫০৫৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُخْلَطَ التَّمْرُ وَالزَّبِيبُ جَمِيعًا وَأَنْ يُخْلَطَ الْبُسْرُ وَالتَّمْرُ جَمِيعًا وَكَتَبَ إِلَى أَهْلِ جُرَشَ يَنْهَاهُمْ عَنْ خَلِيطِ التَّمْرِ وَالزَّبِيبِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুকনো খেজুর ও কিসমিস
সংমিশ্রণে এবং কাঁচা ও শুকনো খেজুর মিশিয়ে নাবীয প্রস্তুত করতে বারণ করেছেন। তিনি জুরাশ
(ইয়ামানের একটি শহর) অধিবাসীদের চিঠি লিখে তাদেরকে শুকনো খেজুর ও কিসমিসের মিশ্রণে
নাবীয প্রস্তুত করতে বারণ করেন। (ই.ফা. ৪৯৯৫, ই.সে. ৫০০৫)
৫০৫৭
وَحَدَّثَنِيهِ وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي الطَّحَّانَ - عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي التَّمْرِ وَالزَّبِيبِ وَلَمْ يَذْكُرِ الْبُسْرَ وَالتَّمْرَ .
ওয়াহ্ব ইবনু বাকিয়্যাহ খালিদ তাহ্হান (রহঃ)-এর সনদে শাইবানী (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে শুকনো খেজুর ও কিসমিসের কথা বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি (ওয়াহ্ব)
কাঁচা ও শুকনো খেজুরের কথা বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৪৯৯৫, ই.সে ৫০০৫)
৫০৫৮
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى، بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ قَدْ نُهِيَ أَنْ يُنْبَذَ الْبُسْرُ وَالرُّطَبُ جَمِيعًا وَالتَّمْرُ وَالزَّبِيبُ جَمِيعًا .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেন, কাঁচা-পাকা খেজুর একসাথে এবং শুকনো খেজুর ও কিসমিস একত্রে মিশিয়ে
নাবীয তৈরি করতে বারণ করা হয়েছে।
(ই.ফা. ৪৯৯৬, ই.সে ৫০০৬)
৫০৫৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ، عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ قَدْ نُهِيَ أَنْ يُنْبَذَ الْبُسْرُ وَالرُّطَبُ جَمِيعًا وَالتَّمْرُ وَالزَّبِيبُ جَمِيعًا .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কাঁচা-পাকা খেজুর মিশিয়ে এবং শুকনো খেজুর ও কিসমিস মিশ্রণে নাবীয
তৈরি করতে বারণ করা হয়েছে।
(ই.ফা. ৪৯৯৭, ই.সে ৫০০৭)
৬. অধ্যায়ঃ
মুযাফ্ফাত, দুব্বা, হানতাম ও নাকীর [৫] ইত্যাদিতে নাবীয তৈরি করার নিষেধাজ্ঞা
(এবং এ হুকুম রহিত হওয়া আর নেশা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এগুলো বৈধ) হওয়ার বর্ণনা
৫০৬০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ أَنْ يُنْبَذَ فِيهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা ও মুযাফ্ফাতে
নাবীয প্রস্তুত করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৯৮, ই.সে ৫০০৮)
[৫] (১) আলকাতরা মাখানো এক প্রকার পাত্র যাতে মদ প্রস্তুত করা হত। (২) লাউয়ের
শুকনো খোলা-এর বাসন যাতে মদ প্রস্তুত করা হত। (৩) সবুজ রং-এর কলসী যাতে মদ প্রস্তুত
করা হতো। (৪) খেজুর বৃক্ষের গোড়ালি দ্বারা প্রস্তুত বিশেষ পাত্র।
৫০৬১
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা ও মুযাফ্ফাতে
নাবীয বানাতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯৯৯, ই.সে ৫০০৮)
৫০৬২
قَالَ وَأَخْبَرَهُ أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَنْتَبِذُوا فِي الدُّبَّاءِ وَلاَ فِي الْمُزَفَّتِ " . ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ وَاجْتَنِبُوا الْحَنَاتِمَ .
আবু সালামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবু সালামাহ্ (রহঃ)-ও তাকে অবহিত করেছেন, তিনি আবু হুরায়রা্ (রাঃ)-কে বলতে
শুনেছেন যে, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা দুব্বা
ও মুযাফ্ফাতে নাবীয বানিও না। অতঃপর আবু হুরায়রা্ (রাঃ) বলেন, হান্তাম ব্যবহার করা
থেকেও তোমরা সরে (বেঁচে) থাকো।(ই.ফা. ৪৯৯৯, ই.সে ৫০০৯)
৫০৬৩
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنِ الْمُزَفَّتِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ . قَالَ قِيلَ لأَبِي هُرَيْرَةَ مَا الْحَنْتَمُ قَالَ الْجِرَارُ الْخُضْرُ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাফ্ফাত, হান্তাম ও নাকীর
(ইত্যাদিতে নাবীয প্রস্তুত করা) হতে বারণ করেছেন।
রাবী বলেন, আবু হুরায়রা্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হলো, হান্তাম কি জিনিস? তিনি
বললেন, সবুজ রং-এর কলসী।(ই.ফা. ৫০০০, ই.সে ৫০১০)
৫০৬৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِوَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ " أَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُقَيَّرِ - وَالْحَنْتَمُ الْمَزَادَةُ الْمَجْبُوبَةُ - وَلَكِنِ اشْرَبْ فِي سِقَائِكَ وَأَوْكِهِ " .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দলকে বলেছেন,
আমি তোমাদেরকে দুব্বা, হান্তাম, নাকীর ও মুকাইয়্যার হতে বারণ করছি। হান্তাম হল মাথা
কাটা চামড়ার বাসন হতে। আর তুমি তোমার চামড়ার বানানো মশক হতে নাবীয পান করো এবং এর প্রবেশ
মুখ আটকে রাখো। (ই.ফা. ৫০০১, ই.সে ৫০১১)
৫০৬৫
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ شُعْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنْتَبَذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ . هَذَا حَدِيثُ جَرِيرٍ . وَفِي حَدِيثِ عَبْثَرٍ وَشُعْبَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা ও মুযাফ্ফাতে
নাবীয প্রস্তুত করতে বারণ করেছেন। এ হলো জারীর (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীস।
‘আব্সার ও শু‘বাহ্ (রহঃ)-এর হাদীসে উল্লেখ আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা ও মুযাফ্ফাত হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০০২, ই.সে ৫০১২)
৫০৬৬
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قُلْتُ لِلأَسْوَدِ هَلْ سَأَلْتَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَمَّا يُكْرَهُ أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ قَالَ نَعَمْ . قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَخْبِرِينِي عَمَّا نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ . قَالَتْ نَهَانَا أَهْلَ الْبَيْتِ أَنْ نَنْتَبِذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ . قَالَ قُلْتُ لَهُ أَمَا ذَكَرَتِ الْحَنْتَمَ وَالْجَرَّ قَالَ إِنَّمَا أُحَدِّثُكَ بِمَا سَمِعْتُ أَأُحَدِّثُكَ مَا لَمْ أَسْمَعْ
ইব্রাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আসওয়াদ (রহঃ)-কে বললাম, আপনি কি উম্মুল মু‘মিনীন [‘আয়িশা
(রাঃ)]-কে প্রশ্ন করেছিলেন ¬¬- কোন জিনিসে নাবীয প্রস্তুত করা মাকরূহ?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি তখন বলেছিলাম, হে উম্মুল মু‘মিনীন! আমাকে বলুন, রসুলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন জিনিসে নাবীয প্রস্তুত করতে বারণ করেছেন। তিনি
বললেন, তিনি আমাদের পরিবারের সকলকে বারণ করেছেন, আমরা যেন দুব্বা ও মুযাফ্ফাতে নাবীয
প্রস্তুত না করি।
ইব্বাহীম (রহঃ) বলেন, আমি আসওয়াদকে বললাম, তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] কি হান্তাম
ও কলসীর কথা বর্ণনা করেননি? তিনি বললেন, আমি যা শুনেছি, তাই তোমার কাছে বলেছি। সেটিও
কি তোমার কাছে বলতে হবে যা আমি শুনিনি? (ই.ফা. ৫০০৩, ই.সে ৫০১৩)
৫০৬৭
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা ও মুযাফ্ফাত হতে বারণ করেছেন।
(ই.ফা. ৫০০৪, ই.সে ৫০১৪)
৫০৬৮
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَشُعْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، وَسُلَيْمَانُ، وَحَمَّادٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করা হয়েছে। (ই.ফা.
৫০০৫, ই.সে ৫০১৫)
৫০৬৯
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ - حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ بْنُ، حَزْنٍ الْقُشَيْرِيُّ قَالَ لَقِيتُ عَائِشَةَ فَسَأَلْتُهَا عَنِ النَّبِيذِ، فَحَدَّثَتْنِي أَنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ قَدِمُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيذِ فَنَهَاهُمْ أَنْ يَنْتَبِذُوا فِي الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ وَالْحَنْتَمِ .
সুমামাহ্ ইবনু হায্ন কুশাইরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে তাঁকে নাবীয সম্বন্ধে প্রশ্ন
করলাম। তিনি আমার কাছে উল্লেখ করলেন যে, ‘আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসল এবং তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
নাবীয সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তিনি দুব্বা, নাকীর, মুযাফ্ফাত ও হান্তাম-এ তাদেরকে নাবীয
প্রস্তুত করতে বারণ করলেন। (ই.ফা. ৫০০৬, ই.সে ৫০১৬)
৫০৭০
وَحَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা, হান্তাম,
নাকীর ও মুযাফ্ফাত হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০০৭, ই.সে ৫০১৭)
৫০৭১
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ، سُوَيْدٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ أَنَّهُ جَعَلَ مَكَانَ الْمُزَفَّتِ الْمُقَيَّرِ .
ইসহাক ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘মুযাফ্ফাত’-এর জায়গায়
‘মুকাইয়্যার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।(ই.ফা. ৫০০৮, ই.সে ৫০১৮)
৫০৭২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ح وَحَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُقَيَّرِ " . وَفِي حَدِيثِ حَمَّادٍ جَعَلَ - مَكَانَ الْمُقَيَّرِ - الْمُزَفَّتِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল কায়সের প্রতিনিধি রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলে তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে দুব্বা, হান্তাম, নাকীর এবং
মুকাইয়্যার হতে বারণ করছি। হাম্মাদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে ‘মুকাইয়্যার’ স্থলে ‘মুযাফ্ফাত’
শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে।(ই.ফা. ৫০০৯, ই.সে ৫০১৯)
৫০৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالنَّقِيرِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা, হান্তাম,
মুযাফ্ফাত ও নাকীর হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০১০, ই.সে ৫০২০)
৫০৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالنَّقِيرِ وَأَنْ يُخْلَطَ الْبَلَحُ بِالزَّهْوِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন- দুব্বা,
হান্তাম, মুযাফ্ফাত ও নাকীর থেকে এবং কাঁচা-পাকা খেজুর একসাথে মিশিয়ে নাবীয প্রস্তুত
করা থেকে। (ই.ফা. ৫০১১, ই.সে ৫০২১)
৫০৭৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى الْبَهْرَانِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، عُمَرَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা, নাকীর
ও মুযাফ্ফাত হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০১২, ই.সে ৫০২২)
৫০৭৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ، أَيُّوبَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْجَرِّ أَنْ يُنْبَذَ فِيهِ .
আবু সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কলসীতে নাবীয তৈরি করতে
নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৫০১৩, ই.সে ৫০২৩)
৫০৭৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ .
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা, হানতাম, নাকীর ও মুযাফফাত
(এ নাবীয বানানো) থেকে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৫০১৪, ই.সে. ৫০২৪)
৫০৭৮
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُنْتَبَذَ . فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে বর্ণিত যে, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
নাবীয বানাতে বারণ করেছেন। অতঃপর রাবী উল্লেখিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা.
৫০১৫, ই.সে. ৫০২৫)
৫০৭৯
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الشُّرْبِ فِي الْحَنْتَمَةِ وَالدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ .
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন
হানতাম, দুব্বা ও নাকীরের (বানানো নাবীয) পান করতে। (ই.ফা. ৫০১৬, ই.সে. ৫০২৬)
৫০৮০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَسُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ أَشْهَدُ عَلَى ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُمَا شَهِدَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالنَّقِيرِ .
সা’ঈদ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তাঁরা
দু’জনেই সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা,
হানতাম, মুযাফফাত ও নাকীর (এ নাবীয বানানো) হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০১৭, ই.সে. ৫০২৭)
৫০৮১
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ - حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ، فَقَالَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ . فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ أَلاَ تَسْمَعُ مَا يَقُولُ ابْنُ عُمَرَ قَالَ وَمَا يَقُولُ قُلْتُ قَالَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ . فَقَالَ صَدَقَ ابْنُ عُمَرَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ . فَقُلْتُ وَأَىُّ شَىْءٍ نَبِيذُ الْجَرِّ فَقَالَ كُلُّ شَىْءٍ يُصْنَعُ مِنَ الْمَدَرِ .
সা’ঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কলসীর নাবীয সম্বন্ধে ইবনু উমার (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলে তিনি
বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কলসীর নাবীযকে নিষিদ্ধ করেছেন।
অতঃপর আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, ইবনু উমারের কথা কি আপনি শুনেছেন?
তিনি বললেন, ইবনু উমার যথার্থই বলেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কলসীর নাবীযকে নিষিদ্ধ করেছেন। আমি বললাম, কলসীর নাবীয কি? তিনি বললেন, মাটি দ্বারা
যে পাত্র প্রস্তুত হয় সেটাই। (ই.ফা. ৫০১৮, ই.সে. ৫০২৮)
৫০৮২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَأَقْبَلْتُ نَحْوَهُ فَانْصَرَفَ قَبْلَ أَنْ أَبْلُغَهُ فَسَأَلْتُ مَاذَا قَالَ قَالُوا نَهَى أَنْ يُنْتَبَذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের উদ্দেশ্যে কোন এক
যুদ্ধে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমি সে দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম। তবে
আমি তাঁর কাছে পৌঁছার আগেই তিনি (অন্যদিকে) চলে গেলেন। আমি (লোকেদের) প্রশ্ন করলাম,
তিনি কি বললেন? তারা বললেন, তিনি দুব্বা ও মুযাফফাতে নাবীয তৈরি করতে বারণ করলেন।
(ই.ফা. ৫০১৯, ই.সে. ৫০২৯)
৫০৮৩
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، جَمِيعًا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، عَنِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ يَعْنِي، ابْنَ عُثْمَانَ ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ الأَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ . إِلاَّ مَالِكٌ وَأُسَامَةُ .
উসামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁদের প্রত্যেকেই নাফি (রহঃ)-এর সনদে ইবনু উমার (রাঃ) হতে মালিক (রহঃ)-এর
হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মালিক ও উসামাহ (রহঃ) ভিন্ন অন্য কেউ “কোন এক
যুদ্ধে” কথাটি বর্ণনা করেন নি। (ই.ফা. ৫০২০, ই.সে. ৫০৩০)
৫০৮৪
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ قَالَ فَقَالَ قَدْ زَعَمُوا ذَاكَ . قُلْتُ أَنَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَدْ زَعَمُوا ذَاكَ .
সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কলসীর নাবীয হতে বারণ করেছেন কি? তিনি বললেন, মানুষের তো তাই
ধারণা। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন কি-না?
তিনি বললেন, মানুষের তো তাই ধারণা। (ই.ফা. ৫০২১, ই.সে. ৫০৩১)
৫০৮৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ لاِبْنِ عُمَرَ أَنَهَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ قَالَ نَعَمْ . ثُمَّ قَالَ طَاوُسٌ وَاللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُهُ مِنْهُ .
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক ইবনু উমার (রাঃ)-কে বলল, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কলসীর নাবীয হতে বারণ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তাউস
বলেন, আল্লাহর কসম! আমি তা তাঁর নিকট হতে শুনেছি। (ই.ফা. ৫০২২, ই.সে. ৫০৩২)
৫০৮৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَهُ فَقَالَ أَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنْبَذَ فِي الْجَرِّ وَالدُّبَّاءِ قَالَ نَعَمْ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক তাঁর নিকট এসে বলল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কি কলসী ও লাউয়ের খোলে নাবীয তৈরি করতে বারণ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা. ৫০২৩,
ই.সে. ৫০৩৩)
৫০৮৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْجَرِّ وَالدُّبَّاءِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাড়ি (কলস) ও দুব্বা (-তে
নাবীয বানানো) হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০২৪, ই.সে. ৫০৩৪)
৫০৮৮
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ وَالدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ قَالَ نَعَمْ
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমনি মুহূর্তে জনৈক
লোক এসে বলল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কলসী, দুব্বা ও মুযাফফাত-এর
(বানানো) নাবীয হতে বারণ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা. ৫০২৫, ই.সে. ৫০৩৫)
৫০৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحَنْتَمِ وَالدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ . قَالَ سَمِعْتُهُ غَيْرَ مَرَّةٍ .
মুহারিব ইবনু দিসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হানতাম, দুব্বা ও মুযাফফাত হতে বারণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর
কাছে কয়েকবার শুনেছি। (ই.ফা. ৫০২৬, ই.সে. ৫০৩৬)
৫০৯০
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ، دِثَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ . قَالَ وَأُرَاهُ قَالَ وَالنَّقِيرِ .
ইবনু উমার (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার ধারণা তিনি ‘ নাকীর’-এর বিষয়েও বলেছেন। (ই.ফা. ৫০২৭, ই.সে.
৫০৩৭)
৫০৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ حُرَيْثٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْجَرِّ وَالدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ وَقَالَ " انْتَبِذُوا فِي الأَسْقِيَةِ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কলসী, দুব্বা
, মুযাফফাত হতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা নাবীয প্রস্তুত করো চামড়া দ্বারা নির্মিত
পাত্রে। (ই.ফা. ৫০২৮, ই.সে. ৫০৩৮)
৫০৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَبَلَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحَنْتَمَةِ . فَقُلْتُ مَا الْحَنْتَمَةُ قَالَ الْجَرَّةُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হানতাম হতে বারণ
করেছেন। সে সময় আমি বললাম, হানতাম কি? তিনি বললেন, কলসী। (ই.ফা. ৫০২৯, ই.সে. ৫০৩৯)
৫০৯৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، حَدَّثَنِي زَاذَانُ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ حَدِّثْنِي بِمَا، نَهَى عَنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَشْرِبَةِ بِلُغَتِكَ وَفَسِّرْهُ لِي بِلُغَتِنَا فَإِنَّ لَكُمْ لُغَةً سِوَى لُغَتِنَا . فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحَنْتَمِ وَهِيَ الْجَرَّةُ وَعَنِ الدُّبَّاءِ وَهِيَ الْقَرْعَةُ وَعَنِ الْمُزَفَّتِ وَهُوَ الْمُقَيَّرُ وَعَنِ النَّقِيرِ وَهْىَ النَّخْلَةُ تُنْسَحُ نَسْحًا وَتُنْقَرُ نَقْرًا وَأَمَرَ أَنْ يُنْتَبَذَ فِي الأَسْقِيَةِ .
যাযান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যে সমস্ত পানীয় হতে বারণ করেছেন সে সম্পর্কে আপনি আপনার ভাষায় আমার কাছে
উল্লেখ করুন এবং আমাদের ভাষায় তা বুঝিয়ে দিন। কারণ আপনাদের ভাষা আমাদের ভাষা থেকে ব্যতিক্রম।
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন হানতাম হতে-
হানতাম হলো কলসী এবং দুব্বা থেকে, তা হলো- কদু (এর খোল)। আর মুযাফফাত হতে, তা হলো-
আলকাতরা মিশ্রিত পাত্র এবং নাকীর থেকে, তা হলো- খেজুর গাছের নিম্নাংশ, যার ভেতরের অংশ
ফেলে দিয়ে পাত্রের মতো করা হয়। আর তিনি চামড়া দ্বারা তৈরি পাত্রে নাবীয প্রস্তুত করার
নির্দেশ দিয়েছেন। (ই.ফা. ৫০৩০, ই.সে. ৫০৪০)
৫০৯৪
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ .
আবূ দাউদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শু’বাহ (রহঃ) উল্লেখিত সূত্রে আমাদের কাছে হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন। (ই.ফা. ৫০৩১, ই.সে. ৫০৪১)
৫০৯৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْخَالِقِ بْنُ، سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ عِنْدَ هَذَا الْمِنْبَرِ - وَأَشَارَ إِلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ عَنِ الأَشْرِبَةِ فَنَهَاهُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْحَنْتَمِ . فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ وَالْمُزَفَّتِ وَظَنَنَّا أَنَّهُ نَسِيَهُ فَقَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ يَوْمَئِذٍ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَقَدْ كَانَ يَكْرَهُ .
সা’ঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে এ মিম্বারের নিকট বলতে শুনেছি বলে তিনি রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিম্বারের প্রতি ইশারা করেন। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি
দল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলো এবং তাঁকে মদ সম্বন্ধে
প্রশ্ন করলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দুব্বা, নাকীর
ও হানতাম হতে বারণ করলেন। আমি বললাম, হে আবূ মুহাম্মাদ! মুযাফফাতের কথা? আমরা মনে করলাম,
তিনি সম্ভবত ভুলে গেছেন। তিনি বললেন, সেদিন আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এ কথা বলেছেন
আমি তা শুনিনি। তবে তিনি সেটাকে পছন্দ করতেন না। (ই.ফা. ৫০৩২, ই.সে. ৫০৪২)
৫০৯৬
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، وَابْنِ، عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ النَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ وَالدُّبَّاءِ .
জাবির ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকীর, মুযাফফাত ও দুব্বা
(-তে নাবীয তৈরি করা) হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০৩৩, ই.সে. ৫০৪৩)
৫০৯৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنِ الْجَرِّ وَالدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কলসী,
দুব্বা এবং মুযাফ্ফাত (ইত্যাদিতে নাবীয তৈরি) হতে বারণ করতে শুনেছি।(ই. ফা. ৫০৩৪,
ই. সে. ৫০৪৪)
৫০৯৮
قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ وَسَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْجَرِّ وَالْمُزَفَّتِ وَالنَّقِيرِ .
আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি জাবির (রাঃ)-কেও বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন কলসী, মুযাফ্ফাত ও নাকীরের (বানানো নাবীয পান করতে)। (ই.
ফা. ৫০৩৪, ই. সে. ৫০৪৪)
৫০৯৯
وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا لَمْ يَجِدْ شَيْئًا يُنْتَبَذُ لَهُ فِيهِ نُبِذَ لَهُ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ .
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য যে নাবীয প্রস্তুত
করার জন্য কোন বাসন না পাওয়া গেলে পাথর নির্মিত বাসনে তাঁর জন্য নাবীয প্রস্তুত করা
হতো। (ই. ফা. ৫০৩৪, ই. সে. ৫০৪৪)
৫১০০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنْبَذُ لَهُ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য পাথর দ্বারা তৈরি পাত্রে
নাবীয বানানো হতো। (ই. ফা. ৫০৩৫, ই. ফা. ৫০৪৫)
৫১০১
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ يُنْتَبَذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِقَاءٍ فَإِذَا لَمْ يَجِدُوا سِقَاءً نُبِذَ لَهُ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ وَأَنَا أَسْمَعُ لأَبِي الزُّبَيْرِ مِنْ بِرَامٍ قَالَ مِنْ بِرَامٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য চর্ম
দ্বারা তৈরি বাসনে নাবীয প্রস্তুত করা হতো। তবে চামড়া নির্মিত বাসন পাওয়া না গেলে পাথর
নির্মিত বাসনে তাঁর জন্য নাবীয প্রস্তুত করা হতো। সে সময় এক লোক আবূ যুবায়র-এর নিকটে
জিজ্ঞেস করল আর আমি তা শুনলাম। তিনি বললেন, পাথরের ডেগ? তিনি (আবূ যুবায়র) বললেন, হ্যাঁ
পাথরের ডেগ। (ই. ফা. ৫০৩৬, ই. ফা. ৫০৪৬)
৫১০২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ عَنْ أَبِي سِنَانٍ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ ضِرَارِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُحَارِبٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ، أَبُو سِنَانٍ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا " .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি
তোমাদেরকে চর্ম নির্মিত পাত্র ব্যতীত অন্য সব পাত্রেই নাবীয প্রস্তুত করা হতে বারণ
করেছিলাম। এখন তোমরা সব ধরণের পাত্রেই নাবীয প্রস্তুত করে পান করতে পারো। কিন্তু, নেশা
জাতীয় নাবীয পান করো না।
[দ্রষ্টব্য হাদীস ২২৬] (ই. ফা. ৫০৩৭, ই. সে. ৫০৪৭)
৫১০৩
وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا ضَحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ، مَرْثَدٍ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَهَيْتُكُمْ عَنِ الظُّرُوفِ وَإِنَّ الظُّرُوفَ - أَوْ ظَرْفًا - لاَ يُحِلُّ شَيْئًا وَلاَ يُحَرِّمُهُ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ " .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে নাবীয
তৈরি করতে সব রকম পাত্র (ব্যবহার করা) হতে বারণ করেছিলাম। পাত্রগুলো অথবা (তিনি বলেছেন,)
কোন পাত্র কোন জিনিসকে হালাল করতে পারে না হারাম করতে পারে না। তবে সব ধরনের নেশা জাতীয়
জিনিসই নিষিদ্ধ। (ই. ফা. ৫০৩৮, ই. সে. ৫০৪৮)
৫১০৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ، بْنِ دِثَارٍ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنِ الأَشْرِبَةِ فِي ظُرُوفِ الأَدَمِ فَاشْرَبُوا فِي كُلِّ وِعَاءٍ غَيْرَ أَنْ لاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا " .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) তিনি তাঁর পিতা হতে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি
তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম চামড়া নির্মিত সব রকম বাসনে (বানানো নাবীয) পান করতে। কিন্তু
এখন তোমরা সর্বপ্রকার বাসনেই পান করতে পার। তবে নেশা জাতীয় কোন প্রকার জিনিসই বানানো
নাবীয পান করো না। (ই. ফা. ৫০৩৯, ই. সে. ৫০৪৯)
৫১০৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي عُمَرَ - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عِيَاضٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ لَمَّا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيذِ فِي الأَوْعِيَةِ قَالُوا لَيْسَ كُلُّ النَّاسِ يَجِدُ فَأَرْخَصَ لَهُمْ فِي الْجَرِّ غَيْرِ الْمُزَفَّتِ .
আবদুল্লাহ ইবনু আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সকল (চামড়ার
ছাড়া) বাসনের নাবীয হতে বারণ করলেন, তখন মানুষেরা বলল, সবাই তো (চামড়ার বাসন) পায় না।
পরে তিনি আলকাতরা মিশ্রিত কলসী ব্যতীত ভিন্ন কলসীর ক্ষেত্রে অনুমতি প্রদান করেন। (ই.
ফা. ৫০৪০, ই. সে. ৫০৫০)
৭. অধ্যায়ঃ
নেশা সৃষ্টিকারী সকল বস্তুই মদ, আর সর্বপ্রকার মদই হারাম
৫১০৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ، عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْبِتْعِ فَقَالَ " كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ " .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিত’ই বিষয়ে
প্রশ্ন করা হলো। তিনি বললেন, নেশাগ্রস্ত করে এমন সকল প্রকার পানীয়ই নিষিদ্ধ। (ই. ফা.
৫০৪১, ই. সে. ৫০৫১)
৫১০৭
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْبِتْعِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ " .
আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে বিত্’ই সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলো। তিনি বললেন, নেশা উদ্রেক করে এমন
সর্বপ্রকার পানীয়ই নিষিদ্ধ। (ই. ফা. ৫০৪২, ই. সে. ৫০৫২)
৫১০৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَعْقُوبَ، بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ وَصَالِحٍ سُئِلَ عَنِ الْبِتْعِ وَهُوَ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ وَفِي حَدِيثِ صَالِحٍ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّ شَرَابٍ مُسْكِرٍ حَرَامٌ " .
মা’মার (রহঃ) হতে, তাঁরা সবাই যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে সুফ্ইয়ান সালিহ্ (রহঃ)- এর হাদীসে
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “বিত্’ই [৬] সম্বন্ধে প্রশ্ন করা
হলো”-কথাটি নেই। কিন্তু মা’মার (রহঃ)-এর কথাটি হাদীসে রয়েছে। আর সালিহ্ (রহঃ)-এর হাদীসে
রয়েছ যে, তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে
শুনেছেন- সকল প্রকার নেশা উদ্রেককারী পানীয়ই নিষিদ্ধ। (ই. ফা. ৫০৪৩, ই. সে. ৫০৫৩)
[৬] (বিত’ই) মদ। মধু কিংবা খেজুর রসের তৈরি করা মদ বা তাড়ি। (মিসবাহ ২৭
পৃঃ)
৫১০৯
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ بَعَثَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ شَرَابًا يُصْنَعُ بِأَرْضِنَا يُقَالُ لَهُ الْمِزْرُ مِنَ الشَّعِيرِ وَشَرَابٌ يُقَالُ لَهُ الْبِتْعُ مِنَ الْعَسَلِ فَقَالَ " كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ " .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এবং মু’আয ইবনু
জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের অঞ্চলে যব
হতে ‘মিয্র’ নামক মদ এবং মধু হতে বিত্’ই নামক মদ প্রস্তুত করা হয়। তিনি বললেন, সকল
প্রকার নেশা উদ্রেককারী জিনিসই নিষিদ্ধ।
[দ্রষ্টব্য হাদীস ৪৫২৬] (ই. ফা. ৫০৪৪, ই. সে. ৫০৫৪)
৫১১০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَهُ مِنْ، سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَهُ وَمُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ لَهُمَا " بَشِّرَا وَيَسِّرَا وَعَلِّمَا وَلاَ تُنَفِّرَا " . وَأُرَاهُ قَالَ " وَتَطَاوَعَا " . قَالَ فَلَمَّا وَلَّى رَجَعَ أَبُو مُوسَى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَهُمْ شَرَابًا مِنَ الْعَسَلِ يُطْبَخُ حَتَّى يَعْقِدَ وَالْمِزْرُ يُصْنَعُ مِنَ الشَّعِيرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مَا أَسْكَرَ عَنِ الصَّلاَةِ فَهُوَ حَرَامٌ " .
সা’ঈদ ইবনু আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) তাঁর পিতা, তিনি দাদা হতে থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে ও মু’আয (রাঃ)-কে ইয়ামানে
প্রেরণ করলেন এবং তাদেরকে বললেনঃ তোমরা (মানুষকে) সুসংবাদ দিবে আর (দীনকে) সহজভাবে
প্রকাশ করবে, (মানুষকে) দ্বীন শিক্ষা দেবে, কাউকে (দীন থেকে) পৃথক করে দিবে না।
আমার ধারণা হয়, তিনি ‘একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে’ কথাটিও বলেছেন। তিনি যাত্রা
করলে আবূ মূসা (রাঃ) ফিরে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তাদের তো মধু থেকে বানানো মদ
আছে যা পাকিয়ে ঘন করা হয় এবং ‘মিয্র’ আছে যা যব দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যা কিছু সলাত হতে বিরত করে তা-ই হারাম।
(ই ফা ৫০৪৫ ই সে ৫০৫৫)
৫১১১
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي خَلَفٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو - عَنْ زَيْدِ بْنِ، أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ " ادْعُوَا النَّاسَ وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا وَيَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا " . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفْتِنَا فِي شَرَابَيْنِ كُنَّا نَصْنَعُهُمَا بِالْيَمَنِ الْبِتْعُ وَهُوَ مِنَ الْعَسَلِ يُنْبَذُ حَتَّى يَشْتَدَّ وَالْمِزْرُ وَهُوَ مِنَ الذُّرَةِ وَالشَّعِيرِ يُنْبَذُ حَتَّى يَشْتَدَّ قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُعْطِيَ جَوَامِعَ الْكَلِمِ بِخَوَاتِمِهِ فَقَالَ " أَنْهَى عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ أَسْكَرَ عَنِ الصَّلاَةِ " .
আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ও মু’আয
(রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করে বললেনঃ তোমরা লোকদেরকে (দ্বীনের) আহ্বান করবে, সুখবর দিবে,
কাউকে তাড়িয়ে দিবে না। সহজ করবে-কঠিন করবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল!
ইয়ামানে আমরা দু’রকমের মদ তৈরি করি, আপনি সে ব্যাপারে আমাদেরকে জানান। (১) আল-বিত’ই,
যা মধু পাকিয়ে ঘন করে প্রস্তুত করা হয়; (২) আল-মিয্র, যা যব পাকিয়ে ঘন করে তৈরি হয়।
বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কিছু শব্দ অথচ
ব্যাপক অর্থবোধক কথা পূর্ণতার সঙ্গে প্রকাশ করার সামর্থ্য দেয়া হয়েছিল। তিনি বললেনঃ
প্রত্যেক নেশাযুক্ত জিনিস যা সলাত হতে গাফিল করে তা (পান করতে) বারণ করছি। (ই. ফা.
৫০৪৬, ই. সে. ৫০৫৬)
৫১১২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ عُمَارَةَ بْنِ، غَزِيَّةَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَدِمَ مِنْ جَيْشَانَ - وَجَيْشَانُ مِنَ الْيَمَنِ - فَسَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَرَابٍ يَشْرَبُونَهُ بِأَرْضِهِمْ مِنَ الذُّرَةِ يُقَالُ لَهُ الْمِزْرُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَوَمُسْكِرٌ هُوَ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ إِنَّ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَهْدًا لِمَنْ يَشْرَبُ الْمُسْكِرَ أَنْ يَسْقِيَهُ مِنْ طِينَةِ الْخَبَالِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا طِينَةُ الْخَبَالِ قَالَ " عَرَقُ أَهْلِ النَّارِ أَوْ عُصَارَةُ أَهْلِ النَّارِ " .
জাবির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘জাইশান’ থেকে জনৈক লোক আসলো। জাইশান ইয়ামানের একটি অঞ্চল। অতঃপর সে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাদের অঞ্চলে তারা শস্য দিয়ে প্রস্তুত ‘মিয্র’
নামক যে মদ পান করে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ এটা কি নেশা তৈরি করে? সে বলল, হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ নেশা উদ্রেক করে এমন সবাই নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা’আলা ওয়া’দা করেছেন, যে
লোক নেশাযুক্ত জিনিস পান করবে তাঁকে তিনি “তীনাতুল খাবাল” পান করিয়ে ছাড়বেন। মানুষেরা
বলল, হে আল্লাহর রসূল! ‘তীনাতুল খাবাল’ কি? তিনি বললেন, জাহান্নামবাসীদের ঘাম বা জাহান্নামবাসীদের
মল-মূত্র। (ই. ফা. ৫০৪৭, ই. সে. ৫০৫৭)
৫১১৩
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا لَمْ يَتُبْ لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الآخِرَةِ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যা কিছু
নেশা তৈরি করে তা-ই মদ। আর যা নেশা উদ্রেক করে তাই নিষিদ্ধ। যে লোক দুনিয়াতে মদ পান
করবে, আবার সব সময় এ কাজ করে তাওবাহ্ না করেই মৃত্যুমুখে পতিত হবে, সে আখিরাতে তা
পান করতে পারবে না। (ই. ফা. ৫০৪৮, ই. সে. ৫০৫৮)
৫১১৪
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ كِلاَهُمَا عَنْ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যা কিছু
নেশাগ্রস্থ করে তা-ই মদ। আর যা নেশা উদ্রেক করে তা-ই নিষিদ্ধ। (ই. ফা. ৫০৪৯, ই. সে.
৫০৫৯)
৫১১৫
وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مِسْمَارٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُطَّلِبِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
মূসা ইবনু উক্বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৫০৫০, ই. সে. ৫০৬০)
৫১১৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সম্ভবত তিনি নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকেই বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, যে জিনিসে নেশা উদ্রেক করে তাই মদ। আর মদ মাত্রই হারাম। (ই. ফা. ৫০৫১, ই.
সে. ৫০৬১)
৮. অধ্যায়ঃ
মদ পানকারী লোক যদি তাওবাহ না করে তবে শাস্তিস্বরূপ আখিরাতে তাকে মদ হতে
বিরত রাখা হবে
৫১১৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا حُرِمَهَا فِي الآخِرَةِ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক পৃথিবীতে
মদ পান করবে, পরকালে তাকে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে।(ই.ফা. ৫০৫২, ই.সে. ৫০৬২)
৫১১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ " مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا فَلَمْ يَتُبْ مِنْهَا حُرِمَهَا فِي الآخِرَةِ فَلَمْ يُسْقَهَا " . قِيلَ لِمَالِكٍ رَفَعَهُ قَالَ نَعَمْ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে লোক দুনিয়াতে মদ পান করবে এবং তাওবাহ্ করবে না পরকালে তাকে
তা থেকে বঞ্চিত করা হবে। তাকে তা পান করতে দেয়া হবে না। মালিক (রহঃ)-কে বলা হলো- হাদীসটি
কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে? তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ।
(ই.ফা. ৫০৫৩, ই.সে. ৫০৬৩)
৫১১৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ أَنْ يَتُوبَ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক পৃথিবীতে
মদ পান করবে, পরকালে সে তা পান করতে পারবে না। তবে যদি তাওবাহ্ করে। (ই.ফা. ৫০৫৪,
ই.সে. ৫০৬৪)
৫১২০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيَّ - عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ .
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু উমর (রাযিঃ) এর সানাদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উবাইদুল্লাহ
(রহঃ) এর হাদীসের হুবহু বর্ণিত রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫০৫৫, ইসলামিক সেন্টার ৫০৬৫)
৯. অধ্যায়ঃ
যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাঢ় হয়নি এবং নেশাগ্রস্ত হয়নি, তা পান করা
বৈধ
৫১২১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، أَبِي عُمَرَ الْبَهْرَانِيِّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَيَشْرَبُهُ إِذَا أَصْبَحَ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَاللَّيْلَةَ الَّتِي تَجِيءُ وَالْغَدَ وَاللَّيْلَةَ الأُخْرَى وَالْغَدَ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ بَقِيَ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ بِهِ فَصُبَّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য রাতের
প্রথম ভাগে নাবীয প্রস্তত করা হতো। তিনি তা পান করতেন, সেদিন সকালে, আগামী রাতে, পরবর্তী
দিনে, এর পরের রাতে এবং পরদিন ‘আস্র পর্যন্ত। তবে যদি কিছু পরিশিষ্ট থেকে যেত, তা
তিনি তাঁর সেবাদানকারীকে পান করাতেন, কিংবা ফেলে দিতে নির্দেশ দিতেন।(ই.ফা. ৫০৫৬, ই.সে.
৫০৬৬)
৫১২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى الْبَهْرَانِيِّ، قَالَ ذَكَرُوا النَّبِيذَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ - قَالَ شُعْبَةُ مِنْ لَيْلَةِ الاِثْنَيْنِ - فَيَشْرَبُهُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالثَّلاَثَاءِ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ فَضَلَ مِنْهُ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ صَبَّهُ .
ইয়াহ্ইয়া বাহরানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মানুষেরা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে নাবীযের ব্যাপারে আলোচনা
করলে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জন্য মশকে নাবীয
প্রস্তত করা হতো। শু‘বাহ্ বলেন, সোমবারের রজনীতে (অর্থাৎ রোববার দিবাগত রাতে) তিনি
তা সোমবার দিন ও মঙ্গলবার ‘আস্র পর্যন্ত পান করতেন। এরপরও কিছু বাকী থাকলে তিনি সেটা
খাদিমকে পান করাতেন বা ফেলে দিতেন।(ই.ফা. ৫০৫৭, ই.সে. ৫০৬৭)
৫১২৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَأَبِي كُرَيْبٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْقَعُ لَهُ الزَّبِيبُ فَيَشْرَبُهُ الْيَوْمَ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ إِلَى مَسَاءِ الثَّالِثَةِ ثُمَّ يَأْمُرُ بِهِ فَيُسْقَى أَوْ يُهَرَاقُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য কিসমিস
পানিতে ডুবিয়ে রাখা হতো। তিনি সেদিন, তার পরের দিন এবং তৃতীয় দিন বিকালে পর্যন্ত তা
পান করতেন। অতঃপর তাঁর নির্দেশে কোন লোককে পান করানো হতো কিংবা ফেলে দেয়া হতো। (ই.ফা.
৫০৫৮, ই.সে. ৫০৬৮)
৫১২৪
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى أَبِي عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْبَذُ لَهُ الزَّبِيبُ فِي السِّقَاءِ فَيَشْرَبُهُ يَوْمَهُ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ فَإِذَا كَانَ مِسَاءُ الثَّالِثَةِ شَرِبَهُ وَسَقَاهُ فَإِنْ فَضَلَ شَىْءٌ أَهْرَاقَهُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য মশকের
ভিতরে কিসমিসের নাবীয প্রস্তুত করা হতো। তিনি ঐদিন, তার পরবর্তী দিন এবং পরশু দিন পর্যন্ত
তা পান করতেন। তৃতীয় দিনের বিকাল হলে তিনি নিজে তা পান করতেন এবং অপরকে পান করাতেন।
তারপরও যদি কিছু বাকী থাকত তিনি তা ঢেলে দিতেন। (ই.ফা. ৫০৫৯, ই.সে. ৫০৬৯)
৫১২৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى أَبِي عُمَرَ النَّخَعِيِّ، قَالَ سَأَلَ قَوْمٌ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ، وَشِرَائِهَا، وَالتِّجَارَةِ فِيهَا فَقَالَ أَمُسْلِمُونَ أَنْتُمْ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّهُ لاَ يَصْلُحُ بَيْعُهَا وَلاَ شِرَاؤُهَا وَلاَ التِّجَارَةُ فِيهَا . قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنِ النَّبِيذِ فَقَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ ثُمَّ رَجَعَ وَقَدْ نَبَذَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي حَنَاتِمَ وَنَقِيرٍ وَدُبَّاءٍ فَأَمَرَ بِهِ فَأُهْرِيقَ ثُمَّ أَمَرَ بِسِقَاءٍ فَجُعِلَ فِيهِ زَبِيبٌ وَمَاءٌ فَجُعِلَ مِنَ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ فَشَرِبَ مِنْهُ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَلَيْلَتَهُ الْمُسْتَقْبِلَةَ وَمِنَ الْغَدِ حَتَّى أَمْسَى فَشَرِبَ وَسَقَى فَلَمَّا أَصْبَحَ أَمَرَ بِمَا بَقِيَ مِنْهُ فَأُهَرِيقَ .
ইয়াহ্ইয়া নাখ্‘ঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কতিপয় লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে মদ কেনা-বেচা এবং এর ব্যবসা
সম্পর্কে প্রশ্ন করলো। তিনি বললেন, তোমরা কি মুসলিম? তারা বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন,
তাহলে এর কেনা-বেচা ও ব্যবসা জায়িয হবে না। রাবী বলেন, অতঃপর তারা তাঁকে নাবীয সম্বন্ধে
প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার ভ্রমণে
গিয়ে যখন ফিরে আসলেন, তখন তাঁর সাহাবীদের থেকে কতিপয় লোক হানতাম, নাকীর ও দুব্বার মাঝে
নাবীয প্রস্তুত করছিল। তিনি নির্দেশ দিলেন তা ঢেলে ফেলা হয়। অতঃপর তিনি মশ্ক আনতে
নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তার মধ্যে কিসমিস ও পানি দিয়ে সারারাত রাখা হলো। সেদিন সকালে
এবং আগামী রাত ও তার পরবর্তী বিকাল পর্যন্ত তিনি তা হতে পান করেন, আর অন্যদের পান করতে
দেন। রাত পার হলে তিনি বাকী অংশের ব্যাপারে আদেশ দিলে, তা ঢেলে ফেলা হলো। (ই.ফা. ৫০৬০,
ই.সে. ৫০৭০)
৫১২৬
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيَّ - حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ، - يَعْنِي ابْنَ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيَّ - قَالَ لَقِيتُ عَائِشَةَ فَسَأَلْتُهَا عَنِ النَّبِيذِ، فَدَعَتْ عَائِشَةُ جَارِيَةً حَبَشِيَّةً فَقَالَتْ سَلْ هَذِهِ فَإِنَّهَا كَانَتْ تَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ الْحَبَشِيَّةُ كُنْتُ أَنْبِذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ مِنَ اللَّيْلِ وَأُوكِيهِ وَأُعَلِّقُهُ فَإِذَا أَصْبَحَ شَرِبَ مِنْهُ .
সুমামাহ্ ইবনু হায্ন কুশাইরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে নাবীয সম্বন্ধে
প্রশ্ন করলাম। ‘আয়িশা (রাঃ) এক হাবশী ক্রীতদাসীকে ডেকে বললেন, একে প্রশ্ন করো- রসূলুল্লাহ
–এর জন্য সে নাবীয প্রস্তুত করতো। অতঃপর হাবশী মেয়েটি বলল, রাতে আমি তাঁর জন্য মশকের
ভিতরে নাবীয প্রস্তুত করতাম এবং সেটি মুখ বন্ধ করে লটকিয়ে রাখতাম। ভোর হলে তিনি এ থেকে
পান করতেন। (ই.ফা. ৫০৬১, ই.সে. ৫০৭১)
৫১২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِقَاءٍ يُوكَى أَعْلاَهُ وَلَهُ عَزْلاَءُ نَنْبِذُهُ غُدْوَةً فَيَشْرَبُهُ عِشَاءً وَنَنْبِذُهُ عِشَاءً فَيَشْرَبُهُ غُدْوَةً .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জন্য
নাবীয তৈরি করতাম এমন মশকে যার প্রবেশদ্বার উপরের দিকে এবং যেটির (নিচের দিকে) বহু
ছিদ্র ছিল। আমরা ভোরে নাবীয প্রস্তুত করলে রাত্রেই তিনি পান করতেন। পুনরায় রাতে করলে
ভোরেই তিনি পান করতেন। (ই.ফা. ৫০৬২, ই.সে. ৫০৭২)
৫১২৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ - عَنْ أَبِي، حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ دَعَا أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي عُرْسِهِ فَكَانَتِ امْرَأَتُهُ يَوْمَئِذٍ خَادِمَهُمْ وَهِيَ الْعَرُوسُ قَالَ سَهْلٌ تَدْرُونَ مَا سَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْقَعَتْ لَهُ تَمَرَاتٍ مِنَ اللَّيْلِ فِي تَوْرٍ فَلَمَّا أَكَلَ سَقَتْهُ إِيَّاهُ .
সাহ্ল ইবনু সা‘দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ উসায়দ সা‘ইদী (রাঃ) তাঁর বিবাহে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে দা‘ওয়াত করলেন। তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীই সেদিন তাদের সেবায়
নিয়োজিত ছিলেন। সাহ্ল (রাঃ) বললেন, তোমরা কি জান, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কী পান করতে দিয়েছিলেন? তিনি রাতে কিছু খেজুর একটি পাথরের
পাত্রে ভিজিয়ে রেখেছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার শেষ
করলে তিনি তাঁকে তা পান করিয়েছিলেন। (ই.ফা. ৫০৬৩, ই.সে. ৫০৭৩)
৫১২৯
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلاً، يَقُولُ أَتَى أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَقُلْ فَلَمَّا أَكَلَ سَقَتْهُ إِيَّاهُ .
আবূ হাযিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সাহ্ল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবু উসায়দ সা‘ইদী (রাঃ)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দা’ওয়াত করলেন। তারপর রাবী উপরোল্লিখিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা
করেন। তবে তিনি এ কথা বলেননি যে, “খাওয়া শেষ হলে সে নাবীযটুকু তিনি তাঁকে পান করান”।(ই.ফা.
৫০৬৪, ই.সে. ৫০৭৪)
৫১৩০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي أَبَا غَسَّانَ - حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الطَّعَامِ أَمَاثَتْهُ فَسَقَتْهُ تَخُصُّهُ بِذَلِكَ .
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলছেন, ‘পাথর দিয়ে তৈরি বাসনে
(নাবীয বানানো হয়েছিল), এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার
শেষ করলে তিনি তা হালকা করে একমাত্র তাঁকেই পান করতে দিয়েছিলেন। (ই.ফা. ৫০৬৫, ই.সে.
৫০৭৫)
৫১৩১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ - قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا - ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ مُطَرِّفٍ أَبُو غَسَّانَ - أَخْبَرَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مِنَ الْعَرَبِ فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ أَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهَا فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَدِمَتْ فَنَزَلَتْ فِي أُجُمِ بَنِي سَاعِدَةَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَاءَهَا فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَإِذَا امْرَأَةٌ مُنَكِّسَةٌ رَأْسَهَا فَلَمَّا كَلَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ قَالَ " قَدْ أَعَذْتُكِ مِنِّي " . فَقَالُوا لَهَا أَتَدْرِينَ مَنْ هَذَا فَقَالَتْ لاَ . فَقَالُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَكِ لِيَخْطُبَكِ قَالَتْ أَنَا كُنْتُ أَشْقَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ سَهْلٌ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ حَتَّى جَلَسَ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ ثُمَّ قَالَ " اسْقِنَا " . لِسَهْلٍ قَالَ فَأَخْرَجْتُ لَهُمْ هَذَا الْقَدَحَ فَأَسْقَيْتُهُمْ فِيهِ . قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَأَخْرَجَ لَنَا سَهْلٌ ذَلِكَ الْقَدَحَ فَشَرِبْنَا فِيهِ قَالَ ثُمَّ اسْتَوْهَبَهُ بَعْدَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَوَهَبَهُ لَهُ . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ " اسْقِنَا يَا سَهْلُ " .
সাহ্ল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে আরবের
জনৈকা মহিলার ব্যাপারে আলোচনা করা হলে, তিনি আবূ উসায়দ (রাঃ)-কে তার কাছে লোক প্রেরনের
জন্য নির্দেশ দিলেন। তিনি লোক (দুত) পাঠালে উক্ত মহিলা আসলো এবং বানূ সা‘ইদাহ্ সম্প্রাদায়ের
দুর্গে অবস্থান গ্রহণ করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে
তার কাছে আসলেন। তিনি যখন তার কাছে পোঁছলেন,তখন মহিলা মাথা নীচু করে বসেছিল। তিনি তার
সঙ্গে আলাপ করলে সে বলল, আমি আপনার থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই। তিনি বললেন, আমিও
তোমাকে পরিত্রাণ দিলাম। লোকেরা মহিলাকে বলল, তুমি জান ইনি কে? সে বলল, না। তাঁরা বলল,
ইনি তো আল্লাহ্র রসূল। তিনি তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। তখন সে বলল আমি
তো এর অযোগ্য!
সাহ্ল (রাঃ) বলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সেদিন প্রত্যাবর্তন করে তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ বানূ সা‘ইদার সাকীফায় (বাগানে) নিজেকে
উপবেশন করেন। অতঃপর তিনি সাহ্লকে বললেন, আমাদেরকে কিছু পান করাও। সাহ্ল বলেন, পরে
আমি এক পেয়ালাটি বের করে তাদের সকলকেই তা হতে পান করিয়েছিলাম।
আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, সাহ্ল (রাঃ) আমাদের সম্মুখে বাটিটি বের করলে আমরা
তা হতে পান করলাম। অতঃপর ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তা চাইলে, তিনি তাঁকে সেটি
দান করেন। আবূ বক্র ইবনু ইসহাক্ (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতে আছে, তিনি বললেন, হে সাহ্ল!
তুমি আমাদেরকে পান করাও।(ই.ফা. ৫০৬৬, ই.সে. ৫০৭৬)
৫১৩২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ، بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَقَدْ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحِي هَذَا الشَّرَابَ كُلَّهُ الْعَسَلَ وَالنَّبِيذَ وَالْمَاءَ وَاللَّبَنَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার এ পেয়ালাটি দিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে মধু, নাবীয, পানি, দুধ ইত্যাদি সকল প্রকার পানীয় (দ্রব্য) পান করিয়েছি।
(ই.ফা. ৫০৬৭, ই.সে. ৫০৭৭)
১০. অধ্যায়ঃ
দুধ পানের বৈধতা সম্পর্কে
৫১৩৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لَمَّا خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ مَرَرْنَا بِرَاعٍ وَقَدْ عَطِشَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحَلَبْتُ لَهُ كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ) বলেছেন, নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) –এর সাথে যখন আমার মক্কা হতে মাদীনার দিকে রওনা দিলাম। এক সময় আমার এক রাখালের
পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিপাসা
হলে আমি তাঁর জন্য কিছু দুধ দোহন করে নিয়ে আসলাম। তিনি তা পান করলে আমি খুব আনন্দিত
হলাম। (ই.ফা. ৫০৬৮, ই.সে. ৫০৭৮)
৫১৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ لَمَّا أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَتْبَعَهُ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ - قَالَ - فَدَعَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَاخَتْ فَرَسُهُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ لِي وَلاَ أَضُرُّكَ . قَالَ فَدَعَا اللَّهَ - قَالَ - فَعَطِشَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرُّوا بِرَاعِي غَنَمٍ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَأَخَذْتُ قَدَحًا فَحَلَبْتُ فِيهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ فَأَتَيْتُهُ بِهِ فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা থেকে মাদীনার দিকে বের হলেন। তখন সুরাকাহ্ ইবনু মালিক
ইবনু জু‘শুম তাঁর পশ্চাদ্ধাবন করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তার উপর বদদু‘আ করলে তার ঘোড়া জমিনে দেবে গেলো। সে বলল, আমার জন্য দু‘আ করুন, আমি আপনার
কোন ক্ষতি করবো না। তিনি বলেন, রসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু‘আ করলেন।
....... বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিপাসার্ত
হলেন এবং তাঁরা এক বকরীর রাখালের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ)
বলেন, আমি একখানা বাটি নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জন্য
কিছু দুধ দোহন করে আনলাম। তিনি তা পান করলেন। আমি আনন্দিত হলাম। (ই.ফা. ৫০৬৯, ই.সে.
৫০৭৯)
৫১৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ عَبَّادٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ بِإِيلِيَاءَ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا فَأَخَذَ اللَّبَنَ . فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَاكَ لِلْفِطْرَةِ لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মি‘রাজের রাত্রে ঈলিয়া নামক স্থানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কাছে মদ ও দুধের দু’টি পেয়ালা নিয়ে আসা হলে তিনি সে দু‘টির প্রতি দৃষ্টি
নিক্ষেপ করলেন, অতঃপর তিনি দুধ গ্রহন করলেন। জিব্রীল (আঃ) বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র
– যিনি আপনাকে স্বভাবসুলভ রাস্তা গ্রহণের তাওফীক দিয়েছেন। যদি আপনি মদের পেয়ালা গ্রহণ
করতেন তবে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৪২৪] (ই.ফা. ৫০৭০, ই.সে.
৫০৮০)
৫১৩৬
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ بِإِيلِيَاءَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আনা হলো। অতঃপর বর্ণনাকারী উপরোল্লিখিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি ঈলিয়া ব্যাপারটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫০৭১, ই.সে. ৫০৮১)
১১. অধ্যায়ঃ
নাবীয পান করা ও পাত্র ঢেকে রাখা প্রসঙ্গে
৫১৩৭
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ، بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحِ لَبَنٍ مِنَ النَّقِيعِ لَيْسَ مُخَمَّرًا فَقَالَ " أَلاَّ خَمَّرْتَهُ وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ عُودًا " . قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ إِنَّمَا أُمِرَ بِالأَسْقِيَةِ أَنْ تُوكَأَ لَيْلاً وَبِالأَبْوَابِ أَنْ تُغْلَقَ لَيْلاً .
আবূ হুমায়দ সা‘ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাকী‘ নামক জায়গা হতে এক বাটি দুধ নিয়ে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলাম। বাটিটি ছিল ঢাকনাবিহিন। তিনি বললেনঃ তুমি একে ঢাকলে না কেন, এর উপর একটি কাঠি রেখে হলেও?
আবূ হুমায়দ (রাঃ) বলেন, রাতে মশকের মুখ বেঁধে রাখতে ও দরজা আটকানোর নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ৫০৭২, ই.সে. ৫০৮২)
৫১৩৮
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، وَزَكَرِيَّاءُ، بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ، السَّاعِدِيُّ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحِ لَبَنٍ . بِمِثْلِهِ . قَالَ وَلَمْ يَذْكُرْ زَكَرِيَّاءُ قَوْلَ أَبِي حُمَيْدٍ بِاللَّيْلِ .
আবূ হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক পেয়ালা দুধ নিয়ে এলেন। পরবর্তী অংশ উপরোল্লিখিত হাদীসের মতই। রাবী বলেন, রাবী যাকারিয়্যা (রহঃ) আবূ হুমায়দ এর বর্ণনায় উপরোল্লিখিত ‘রাতে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫০৭৩, ই.সে. ৫০৮৩)
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَسْقَى فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَسْقِيكَ نَبِيذًا فَقَالَ " بَلَى " . قَالَ فَخَرَجَ الرَّجُلُ يَسْعَى فَجَاءَ بِقَدَحٍ فِيهِ نَبِيذٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَّ خَمَّرْتَهُ وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ عُودًا " . قَالَ فَشَرِبَ .
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। তিনি কিছু পান করার ইচ্ছা করলে এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসুল! আমরা কি আপনাকে নাবীয পান করতে দিবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর লোকটি তাড়াতাড়ি চলে গেল এবং একটি বাটি নিয়ে আসলো তার মধ্যে নাবীয ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর উপর একটি কাঠি দিয়ে হলেও তুমি এটি ঢেকে আনলে না কেন? আবূ হুমায়দ (রাঃ) বলেন, তারপর তিনি পান করলেন। (ই.ফা. ৫০৭৪, ই.সে. ৫০৮৪)
৫১৪০
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَبِي، صَالِحٍ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو حُمَيْدٍ بِقَدَحٍ مِنْ لَبَنٍ مِنَ النَّقِيعِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَّ خَمَّرْتَهُ وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ عُودًا " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুমায়দ (রাঃ) নামক এক লোক নাকী‘ (নামক জায়গা) থেকে এক বাটি
দুধ নিয়ে এলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃতুমি এটা
আবৃত করে আনলে না কেন, এর উপর একটা কাঠি দিয়ে হলেও? (ই.ফা. ৫০৭৫, ই.সে. ৫০৮৫)১২. অধ্যায়ঃ
পাত্র ঢেকে রাখা, মশকের মুখ বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা ও এ সময়ে আল্লাহ্র
নাম নেয়া, রাতে শোয়ার সময় বাতি বা আগুন নিভানো এবং মাগরিবের পর ছেলেমেয়ে ও গৃহপালিত
পশুগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার আদেশ
৫১৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ وَأَغْلِقُوا الْبَابَ وَأَطْفِئُوا السِّرَاجَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَحُلُّ سِقَاءً وَلاَ يَفْتَحُ بَابًا وَلاَ يَكْشِفُ إِنَاءً فَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدُكُمْ إِلاَّ أَنْ يَعْرُضَ عَلَى إِنَائِهِ عُودًا وَيَذْكُرَ اسْمَ اللَّهِ فَلْيَفْعَلْ فَإِنَّ الْفُوَيْسِقَةَ تُضْرِمُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ بَيْتَهُمْ " . وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ فِي حَدِيثِهِ " وَأَغْلِقُوا الْبَابَ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রাতে) বাসনগুলো
ঢেকে রাখবে, মশ্কগুলোর প্রবেশদ্বার আটকিয়ে রাখবে, ফটকগুলো বন্ধ করবে এবং বাতিগুলো
নিভিয়ে দিবে। কারণ, শাইতান মশ্কের মুখ ও দরজা খুলতে পারে না এবং বাসনও অনাবৃত করতে
পারে না। যদি তোমাদের কেউ তার বাসনের উপর রাখার জন্য কাঠি ছাড়া অন্য কিছু না পায়, তবে
সে যেন তাই রেখে দেয় এবং আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে। কেননা ইঁদুর ঘরের মালিকদের ঘর
তাড়াতাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। কুতাইবাহ্ তাঁর হাদীসে ‘দরজা আটকাও’ কথাটি উল্লেখ করেননি।
(ই.ফা.৫০৭৬, ই.সে. ৫০৮৬)
৫১৪২
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " وَاكْفِئُوا الإِنَاءَ أَوْ خَمِّرُوا الإِنَاءَ " . وَلَمْ يَذْكُرْ تَعْرِيضَ الْعُودِ عَلَى الإِنَاءِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তবে তিনি বলেছেন- তোমরা বাসনগুলো উল্টিয়ে বা কাত করে রাখবে অথবা ঢেকে রাখবে।
আর তিনি বাসনগুলোর উপর কাঠি দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.৫০৭৭, ই.সে.
৫০৮৭)
৫১৪৩
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَغْلِقُوا الْبَابَ " . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " وَخَمِّرُوا الآنِيَةَ " . وَقَالَ " تُضْرِمُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ ثِيَابَهُمْ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা দরজা আটকিয়ে রাখবে। তারপর রাবী লায়স (রহঃ) এর হাদীসের মত হুবহু বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তোমরা বাসনগুলো আবৃত রাখবে। তিনি আরও বলেন, ইঁদুর ঘরের অধিবাসীদের পোশাক পুড়িয়ে ফেলে। (ই.ফা.৫০৭৮, ই.সে. ৫০৮৮)
৫১৪৪
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ وَقَالَ " وَالْفُوَيْسِقَةُ تُضْرِمُ الْبَيْتَ عَلَى أَهْلِهِ " .
জাবির (রাঃ) এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে তাঁদের হাদীসের হুবহু বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, ইঁদুর গৃহবাসীদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়। (ই.ফা.৫০৭৯, ই.সে. ৫০৮৯)
৫১৪৫
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا كَانَ جُنْحُ اللَّيْلِ - أَوْ أَمْسَيْتُمْ - فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ فَخَلُّوهُمْ وَأَغْلِقُوا الأَبْوَابَ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا وَأَوْكُوا قِرَبَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ وَخَمِّرُوا آنِيَتَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ وَلَوْ أَنْ تَعْرُضُوا عَلَيْهَا شَيْئًا وَأَطْفِئُوا مَصَابِيحَكُمْ " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাত্রি যখন ঘনিভূত হবে অথবা বলেছেন, তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হবে তখন তোমরা তোমাদের সন্তানদের দেখে রাখবে। কেননা শাইতান তখন ঘুরাফেরা করে। রাত্রি ঘন্টাখানিক পার হলে তাদের ছেড়ে দাও। আর দরজাগুলো আটকিয়ে রাখবে এবং আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করবে। কেননা শাইতান কোন বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। আর তোমরা তোমাদের মশকসমূহের মুখ বেঁধে রাখবে এবং আল্লাহ্র নাম মনে করবে। আর তোমাদের বাসনগুলো আবৃত রাখবে, যদি তার উপর একটি কাঠিও রেখে হয় এবং আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করবে। আর তোমাদের বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। (ই.ফা.৫০৮০, ই.সে. ৫০৯০)
৫১৪৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَحْوًا مِمَّا أَخْبَرَ عَطَاءٌ، إِلاَّ أَنَّهُ لاَ يَقُولُ " اذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .
তিনি ‘আতা (রহঃ)-এর হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘আল্লাহ্র নাম
স্মরণ করার’ কথা বর্ণনা করেননি। (ই.ফা.৫০৮১, ই.সে. ৫০৯১)
৫১৪৭
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَطَاءٍ، وَعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، كَرِوَايَةِ رَوْحٍ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) ‘আতা ও ‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাওহ্ (রহঃ)-এর সনদের হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.৫০৮২, ই.সে. ৫০৯২)
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُرْسِلُوا فَوَاشِيَكُمْ وَصِبْيَانَكُمْ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ حَتَّى تَذْهَبَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ تَنْبَعِثُ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ حَتَّى تَذْهَبَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ " .
জাবির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের গৃহপালিত জন্তু এবং সন্তানদেরকে সূর্য ডোবার সময় বের হতে দিবে না যতক্ষণ না ‘ইশার কালোর অন্ধকার অতিবাহিত হয়। কারণ সূর্য ডোবার পর থেকে ‘ইশার কালোর অন্ধকার পার হওয়া পর্যন্ত শাইতান ঘুরাফেরা করতে থাকে। (ই.ফা.৫০৮৩, ই.সে. ৫০৯৩)
৫১৪৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ زُهَيْرٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে যুহায়র (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা.৫০৮৪, ই.সে. ৫০৯৪)
৫১৫০
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ اللَّيْثِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ فَإِنَّ فِي السَّنَةِ لَيْلَةً يَنْزِلُ فِيهَا وَبَاءٌ لاَ يَمُرُّ بِإِنَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ غِطَاءٌ أَوْ سِقَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ وِكَاءٌ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ الْوَبَاءِ " .
No comments