জামে' আত-তিরমিজি - অধ্যায় "রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা" হাদিস নং- ৩৬০৫-৩৯৫৬
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা
১. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মর্যাদা
৩৬০৫
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ
بْنُ أَسْلَمَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا
الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، رضى الله
عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ
اصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى مِنْ وَلَدِ
إِسْمَاعِيلَ بَنِي كِنَانَةَ وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي كِنَانَةَ قُرَيْشًا
وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ওয়াসিলাহ্
ইবনুল আসক্বা' (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা ইব্রাহীম ('আঃ)-এর
সন্তানদের মধ্য হতে ইসমাঈল ('আঃ)-কে বেছে নিয়েছেন এবং ইসমাঈল-এর বংশে কিনানাহ্
গোত্রকে বংশ বেছে নিয়েছেন, কিনানাহ্ গোত্র হতে কুরাইশ বংশকে বেছে নিয়েছেন, কুরাইশ
বংশ থেকে হাশিম উপগোত্রকে বেছে নিয়েছেন এবং বানী হাশিম হতে আমাকে বেছে নিয়েছেন।
ইবরাহীম ('আঃ)-এর সন্তানদের মধ্যে হতে ইসমাঈল ('আঃ)-কে বেছে নিয়েছেন” অংশটুকু
ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। সহীহাহ্ (৩০২) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৬০৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ،
حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي وَاثِلَةُ بْنُ الأَسْقَعِ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى
كِنَانَةَ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ كِنَانَةَ
وَاصْطَفَى هَاشِمًا مِنْ قُرَيْشٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ওয়াসিলাহ্
ইবনুল আস্ক্বা' (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা
ইসমাঈল ('আঃ)এর বংশধর হতে কিনানাহ্ গোত্রকে বাছাই করেছেন, কিনানাহ্ গোত্র হতে
কুরাইশকে বাছাই করেছেন, আবার কুরাইশদের মধ্য হতে হাশিমকে বাছাই করেছেন এবং বনূ
হাশিম হতে আমাকে বাছাই করেছেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৩০২), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬০৭
حَدَّثَنَا يُوسُفُ
بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
مُوسَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ،
قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا جَلَسُوا فَتَذَاكَرُوا
أَحْسَابَهُمْ بَيْنَهُمْ فَجَعَلُوا مَثَلَكَ كَمَثَلِ نَخْلَةٍ فِي كَبْوَةٍ
مِنَ الأَرْضِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ
خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِهِمْ مِنْ خَيْرِ فِرَقِهِمْ وَخَيْرِ
الْفَرِيقَيْنِ ثُمَّ تَخَيَّرَ الْقَبَائِلَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِ قَبِيلَةٍ
ثُمَّ تَخَيَّرَ الْبُيُوتَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِ بُيُوتِهِمْ فَأَنَا
خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَخَيْرُهُمْ بَيْتًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ هُوَ ابْنُ نَوْفَلٍ .
আল-আব্বাস
ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কুরাইশগণ
এক সাথে বসে একে অপরে তাদের বংশমর্যাদা প্রসঙ্গে আলোচনা করে এবং মাটিতে আবর্জনার
স্তুপের উপরকার খেজুর গাছের সাথে আপনাকে তুলনা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা সকল জীব সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে তাদের
সব চাইতে ভাল গোত্রে সৃষ্টি করেছেন এবং দুই দলকে তিনি বেছে নেন (ইসহাক ও ইসমাঈল
বংশ), তারপর গোত্র ও বংশগুলোকে তিনি বাছাই করেন এবং আমাকে সবচাইতে ভাল বংশে সৃষ্টি
করেছেন। তারপর তিনি ঘরসমূহ বাছাই করেছেন এবং আমাকে সেই ঘরগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভাল
ঘরে সৃষ্টি করেছেন। অতএব আমি ব্যক্তিসত্তায় তাদের সবচাইতে উত্তম বংশ-খান্দানেও
সবার চাইতে উত্তম।
যঈফ, নাকদুল কাত্তানী (৩১-৩২), যঈফা (৩০৭৩)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস
হলেন ইবনু নাওফাল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬০৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ
بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ
أَبِي وَدَاعَةَ، قَالَ جَاءَ الْعَبَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى
الْمِنْبَرِ فَقَالَ " مَنْ أَنَا " . قَالُوا أَنْتَ رَسُولُ
اللَّهِ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . قَالَ " أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي
خَيْرِهِمْ ثُمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ فِرْقَةً
ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً ثُمَّ
جَعَلَهُمْ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا وَخَيْرِهِمْ نَفْسًا
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرُوِيَ عَنْ
سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ نَحْوُ حَدِيثِ
إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ .
আল-মুত্তালিব
ইবনু আবু ওয়াদাআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ আল-আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকটে
এলেন। মনে হয় তিনি কিছু (কুরাইশদের মন্তব্য) শুনে এসেছেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিয়ারে উঠে দাড়িয়ে বললেনঃ আমি কে? সাহাবীগণ
বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তিনি বললেনঃ আমি
মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল মুত্তালিব। আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি
করেছেন এবং তাদের মধ্যে সবচাইতে ভাল লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তারপর তিনি তার
সৃষ্টিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার উত্তম দল হতে সৃষ্টি
করেছেন। তারপর তিনি তাদেরকে কিছু গোত্রে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার ভাল
গোত্র হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাদেরকে কিছু পরিবারে ভাগ করেছেন এবং আমাকে
তাদের মধ্যকার সবচাইতে ভাল পরিবারে ও ভাল ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন।
যঈফ, যঈফা (৩০৭৩)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬০৯
حَدَّثَنَا أَبُو
هَمَّامٍ الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ،
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ
مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ قَالَ " وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ
وَالْجَسَدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ مَيْسَرَةَ الْفَجْرِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার নবূওয়াত কখন অবধারিত হয়েছে?
তিনি বললেনঃ যখন আদম ('আঃ) তাঁর শরীর ও রুহের মধ্যে ছিল।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৮৫৬), মিশকাত (৫৭৫৮) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। উপর্যুক্ত সনদেই আমরা শুধুমাত্র হাদীসটি অবগত
হয়েছি। মাইসারাহ্ আল-ফাজ্র হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬১০
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ،
عَنْ لَيْثٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا أَوَّلُ النَّاسِ خُرُوجًا
إِذَا بُعِثُوا وَأَنَا خَطِيبُهُمْ إِذَا وَفَدُوا وَأَنَا مُبَشِّرُهُمْ إِذَا
أَيِسُوا لِوَاءُ الْحَمْدِ يَوْمَئِذٍ بِيَدِي وَأَنَا أَكْرَمُ وَلَدِ آدَمَ
عَلَى رَبِّي وَلاَ فَخْرَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দিন লোকদেরকে
উঠানো হবে (কবর হতে কিয়ামাতের মাঠে) সেদিন আমিই সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশকারী হব। যখন
সকল মানুষ আল্লাহ্ তা'আলার আদালতে একত্র হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য
উত্থাপন করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশাগ্রস্ত হবে তখন আমিই তাদের সুখবর প্রদানকারী
হব। সে দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। আমার প্রতিপালকের নিকট আদম-সন্তানদের
মধ্যে আমিই সবচাইতে সম্মানিত, এতে গর্বের কিছু নেই।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৬৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬১১
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ
يَزِيدَ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " أَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ فَأُكْسَى
الْحُلَّةَ مِنْ حُلَلِ الْجَنَّةِ ثُمَّ أَقُومُ عَنْ يَمِينِ الْعَرْشِ لَيْسَ
أَحَدٌ مِنَ الْخَلاَئِقِ يَقُومُ ذَلِكَ الْمَقَامَ غَيْرِي " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আবু
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমিই সর্বপ্রথম
ব্যক্তি যার জন্য যমিন ফাক করা হবে (সবার আগে আমিই কবর হতে উঠবো)। তারপর আমাকে
জান্নাতের (একজোড়া) পোশাক পরানো হবে। তারপর আমি আরশের ডান পাশে গিয়ে দাড়াব। আমি
ছাড়া সৃষ্টিকুলের কেউই সেই জায়গায় দাড়াতে পারবে না।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৬৬)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬১২
حَدَّثَنَا
بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ
لَيْثٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ حَدَّثَنِي كَعْبٌ، حَدَّثَنِي أَبُو
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَلُوا
اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا
الْوَسِيلَةُ قَالَ " أَعْلَى دَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ لاَ يَنَالُهَا
إِلاَّ رَجُلٌ وَاحِدٌ أَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ . وَكَعْبٌ لَيْسَ هُوَ بِمَعْرُوفٍ
وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى عَنْهُ غَيْرَ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার জন্য তোমরা
আল্লাহ তা’আলার কাছে ওয়াসীলাহ্ কামনা কর। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল!
ওয়াসীলাহ্ কি? তিনি বললেনঃ জান্নাতের সবচাইতে উঁচু স্তর। শুধুমাত্র এক লোকই তা
অর্জন করবে। আশা করি আমিই হব সেই ব্যক্তি।
সহীহঃ মিশকাত (৫৭৬৭), মুসলিম (২/৪) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব এবং এর সনদ খুব একটা মাজবুত
নয়। কা'ব সুপরিচিত ব্যক্তি নন। লাইস ইবনু আবী সুলাইম ছাড়া আর কেউ তার হতে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ
مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ
بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَثَلِي فِي النَّبِيِّينَ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا
فَأَحْسَنَهَا وَأَكْمَلَهَا وَأَجْمَلَهَا وَتَرَكَ مِنْهَا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ
فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِالْبِنَاءِ وَيَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَقُولُونَ
لَوْ تَمَّ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ وَأَنَا فِي النَّبِيِّينَ مَوْضِعُ
تِلْكَ اللَّبِنَةِ " .
উবাই
ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (পূর্ববর্তী) নাবীগণের মাঝে আমার উপমা
সেই লোকের মত যে একটি সুরম্য, সম্পূর্ণ ও সুশোভিত প্রাসাদ নির্মাণ করল, কিন্তু
একটি ইটের জায়গা অসম্পূর্ণ রেখে দিল। জনগণ প্রাসাদটি প্রদক্ষিণ করত এবং তাতে অবাক
হয়ে বলত, যদি তার নির্মাণকারী ঐ ইটের জায়গাটি পূর্ণ করত! অতএব আমি নাবীগণের মাঝে
সেই ইটের জায়গার সমতুল্য।
সহীহঃ তাখরীজু ফিক্সিহ সীরাহ্ (১৪১), বুখারী ও মুসলিম জাবিরও আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
একই সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ
ক্বিয়ামতের দিন আমিই হব নাবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপাত্র এবং তাদের
সুপারিশকারী, এতে কোন গর্ব নেই।
হাসানঃ মিশকাত (৫৭৬৮) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৬১৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ،
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، أَخْبَرَنَا كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ، سَمِعَ عَبْدَ
الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، أَنَّهُ
سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا سَمِعْتُمُ
الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ
فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا
ثُمَّ سَلُوا لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ
تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا
هُوَ وَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ عَلَيْهِ الشَّفَاعَةُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ مُحَمَّدٌ عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ هَذَا قُرَشِيٌّ مِصْرِيٌّ مَدَنِيٌّ وَعَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ شَامِيٌّ .
আবদুল্লাহ
ইবনু 'আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা মু'আযযিনের আযান
যখন শুনবে সে সময় তোমরা তার মতো বলবে, তারপর আমার উপর দরূদ পড়বে। কেননা যে লোক
আমার প্রতি একবার দরূদ পড়ে আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি এর বিনিময়ে দশবার দয়া বর্ষণ
করেন। তারপর আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকটে ওয়াসীলাহ্ প্রার্থণা কর। কেননা
ওয়াসীলাহ্ হল জান্নাতের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গা যা আল্লাহ তা’আলার বান্দাদের
মাঝে শুধুমাত্র একজনই অর্জন করবে। আশা করি আমিই হব সেই বান্দা। আমার জন্য যে লোক
উসীলা প্রার্থণা করল তার জন্য (আমার) সুপারিশ অবধারিত হল।
সহীহঃ ইরওয়া (২৪২), তা'লীক্ব 'আলা বিদাইয়াতিস্ সূল (২০/৫২), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমাম মুহাম্মদ
[বুখারী (রহঃ)] বলেন, এই 'আব্দুর রহমান ইবনু জুবাইর হলেন কুরাশী ও মিসররিয্ মাদীনাবাসী
এবং 'আব্দুর রহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর হলেন সিরিয়ার অধিবাসী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬১৫
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ،
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِي لِوَاءُ
الْحَمْدِ وَلاَ فَخْرَ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ يَوْمَئِذٍ آدَمُ فَمَنْ سِوَاهُ
إِلاَّ تَحْتَ لِوَائِي وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ وَلاَ
فَخْرَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ وَهَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ
সা'ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন
আমি আদম-সন্তানদের ইমাম (নেতা) হব, এতে অহংকার নেই। হামদের (আল্লাহ তা’আলার
প্রশংসার) পতাকা আমার হাতেই থাকবে, এতেও গর্ব নেই। সে দিন আল্লাহ তা’আলার নবী আদম
('আঃ) এবং নাবীগণের সকলেই আমার পতাকার নীচে থাকবেন। সর্বপ্রথম আমার জন্য মাটিকে
বিদীর্ণ করা হবে, এতে কোন অহংকার নেই।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৪৩০৮) এর কিছু অংশ মুসলিমেও আছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে। এ হাদীসটি হাসান
সহীহ। এই সানাদে বর্ণিত আছে যে, আবূ নাজরাহ্ ইবনু 'আব্বাস হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬১৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ،
حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ
عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْتَظِرُونَهُ قَالَ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا
مِنْهُمْ سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ فَسَمِعَ حَدِيثَهُمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ
عَجَبًا إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ اتَّخَذَ مِنْ خَلْقِهِ خَلِيلاً اتَّخَذَ
إِبْرَاهِيمَ خَلِيلاً . وَقَالَ آخَرُ مَاذَا بِأَعْجَبَ مِنْ كَلاَمِ مُوسَى
كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا وَقَالَ آخَرُ فَعِيسَى كَلِمَةُ اللَّهِ وَرُوحُهُ .
وَقَالَ آخَرُ آدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ وَقَالَ
" قَدْ سَمِعْتُ كَلاَمَكُمْ وَعَجَبَكُمْ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ
اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ وَمُوسَى نَجِيُّ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ وَعِيسَى رُوحُ
اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ وَهُوَ كَذَلِكَ
أَلاَ وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْحَمْدِ
يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ
يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حِلَقَ
الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُ اللَّهُ لِيَ فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ
الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَكْرَمُ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ وَلاَ
فَخْرَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) কিছু সাহাবী তাঁর প্রতীক্ষায় বসে ছিলেন।
রাবী বলেন, তিনি বের হয়ে তাদের নিকট এসে তাদের কথাবার্তা শুনলেন। তাদের কেউ
বললেন, বিস্ময়ের বিষয়। আল্লাহ তা'আলা তার সৃষ্টিকুলের মধ্য হতে (একজনকে) নিজের
ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়েছেন। তিনি ইবরাহীম (আঃ)-কে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়েছেন।
আরেকজন বললেন, এর চেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলঃ মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে
তাঁর কথাবার্তা। আরেকজন বললেন, ঈসা
আলাইহিস সালাম আল্লাহর কালিমা ("কুন" (হও) দ্বারা সৃষ্ট) এবং তাঁর দেয়া
রূহ। আরেকজন বললেন, আদম আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ তা'আলা পছন্দ করেছেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিকটে বের হয়ে তাদেরকে সালাম করে
বললেনঃ আমি তোমাদের কথাবার্তা ও তোমাদের বিস্ময়ের ব্যাপারটা শুনেছি। নিশ্চয়
ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা'আলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সত্যিই তিনি তাই। মূসা
আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা'আলার সাথে বাক্যালাপকারী, সত্যিই তিনি তাই। ঈসা আলাইহিস
সালাম তার রূহ ও কালিমা, সত্যিই তিনি তাই। আর আদম আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ তা'আলা
পছন্দ করেছেন, সত্যিই তিনিও তাই। কিন্তু আমি আল্লাহ্ তা'আলার হাবীব (প্রিয়
বন্ধু), তাতে কোন গর্ব নেই। কিয়ামাত দিবসে আমিই হব প্রশংসার পতাকা বহনকারী তাতে
কোন গর্ব নেই। কিয়ামাতের দিন আমিই সর্বপ্রথম শাফাআতকারী এবং সর্ব প্রথমে আমার
শাফাআতই ক্ববূল হবে, তাতেও কোন গর্ব নেই। সর্ব প্রথমে আমিই জান্নাতের (দরজার) কড়া
নাড়ব। সুতরাং আল্লাহ তা'আলা আমার জন্য তার দরজা খুলে দিবেন, আমাকেই সর্বপ্রথম
জান্নাতে পাঠাবেন এবং আমার সাথে থাকবে গরীব মু’মিনগণও, এতেও গর্বের কিছু নেই। আমি
আগে ও পরের সকল লোকের মধ্যে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানিত, এতেও গর্বের কিছু
নেই।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৬২)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬১৭
حَدَّثَنَا زَيْدُ
بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ
بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ
بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ مَكْتُوبٌ فِي التَّوْرَاةِ صِفَةُ مُحَمَّدٍ
وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ يُدْفَنُ مَعَهُ . قَالَ فَقَالَ أَبُو مَوْدُودٍ
وَقَدْ بَقِيَ فِي الْبَيْتِ مَوْضِعُ قَبْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . هَكَذَا قَالَ عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ
وَالْمَعْرُوفُ الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ .
মুহাম্মাদ
ইবনু ইউসুফ ইবনি আব্দিল্লাহ ইবনি সালাম তার পিতা হতে তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
(তার
দাদা) বলেছেন তাওরাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ঈসা
আলাইহিস সালাম-এর গুনাবলী লিখা আছে এবং তাকে (ঈসা আলাইহিস সালাম-কে) তার সাথে দাফন
করা হবে। আবু মাওদুদ বলেন (আইশা (রাঃ) ঘরে কবরের জন্য জায়গা অবশিষ্ট আছে।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৭২)
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব। রাবী আবু মাওদূদ
উসমান ইবনু আয-যাহ্হাক এরূপ বলেছেন। অবশ্য তিনি আযযাহহাক ইবনু উসমান আল-মাদীনী হিসেবেই
পরিচিত।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬১৮
حَدَّثَنَا بِشْرُ
بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ
الضُّبَعِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ
الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ
أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ
أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ وَمَا نَفَضْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم الأَيْدِي وَإِنَّا لَفِي دَفْنِهِ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দিন হিজরত করে মাদীনায়
প্রবেশ করেন সেদিন সেখানকার প্রতিটি জিনিস জ্যোতির্ময় হয়ে যায়। তারপর যে দিন তিনি
মৃত্যুবরণ করেন সেদিন আবার সেখানকার প্রত্যেকটি বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।
তাঁর দাফনকার্য আমরা সমাপ্ত করে হাত থেকে ধূলা না ঝাড়তেই আমাদের মনে পরিবর্তন এসে
গেল (ঈমানের জোর কমে গেল) ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৬৩১) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
২. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) জন্ম হওয়া প্রসঙ্গে
৩৬১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي
قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ
وُلِدْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ .
وَسَأَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ أَخَا بَنِي يَعْمُرَ
بْنِ لَيْثٍ أَأَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْبَرُ مِنِّي وَأَنَا أَقْدَمُ مِنْهُ فِي
الْمِيلاَدِ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ وَرَفَعَتْ
بِي أُمِّي عَلَى الْمَوْضِعِ قَالَ وَرَأَيْتُ خَذْقَ الْفِيلِ أَخْضَرَ مُحِيلاً
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .
কাইস
ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হস্তী বছরে (আবরাহার
বাহিনী ধ্বংসের বছর) জন্মগ্রহণ করি। তিনি বলেন, ইয়াসার ইবনু লাইস গোত্রীয় কুবাস
ইবনু আশইয়ামকে উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) প্রশ্ন করেন, আপনি বড় নাকি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার চাইতে অনেক বড়, তবে আমি তাঁর আগে জন্মগ্রহণ করি।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতীর বছর জন্ম গ্রহণ করেছেন।
আমার মা আমাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেলেন যেখানে গিয়ে আমি পাখিগুলোর (হাতিগুলোর)
মলের রং সবুজে বদল হয়ে যেতে দেখেছি।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুহাম্মাদ
ইবনু ইসহাকের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩. অনুচ্ছেদঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের আবির্ভাব
৩৬২০
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ
بْنُ سَهْلٍ أَبُو الْعَبَّاسِ الأَعْرَجُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ أَبُو نُوحٍ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجَ
أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ وَخَرَجَ مَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي
أَشْيَاخٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَشْرَفُوا عَلَى الرَّاهِبِ هَبَطُوا فَحَلُّوا
رِحَالَهُمْ فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الرَّاهِبُ وَكَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَمُرُّونَ
بِهِ فَلاَ يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يَلْتَفِتُ . قَالَ فَهُمْ يَحُلُّونَ
رِحَالَهُمْ فَجَعَلَ يَتَخَلَّلُهُمُ الرَّاهِبُ حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِيَدِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَذَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ هَذَا
رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ يَبْعَثُهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ .
فَقَالَ لَهُ أَشْيَاخٌ مِنْ قُرَيْشٍ مَا عِلْمُكَ فَقَالَ إِنَّكُمْ حِينَ
أَشْرَفْتُمْ مِنَ الْعَقَبَةِ لَمْ يَبْقَ شَجَرٌ وَلاَ حَجَرٌ إِلاَّ خَرَّ
سَاجِدًا وَلاَ يَسْجُدَانِ إِلاَّ لِنَبِيٍّ وَإِنِّي أَعْرِفُهُ بِخَاتَمِ
النُّبُوَّةِ أَسْفَلَ مِنْ غُضْرُوفِ كَتِفِهِ مِثْلَ التُّفَّاحَةِ . ثُمَّ
رَجَعَ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَلَمَّا أَتَاهُمْ بِهِ وَكَانَ هُوَ فِي
رِعْيَةِ الإِبِلِ قَالَ أَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأَقْبَلَ وَعَلَيْهِ غَمَامَةٌ
تُظِلُّهُ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ وَجَدَهُمْ قَدْ سَبَقُوهُ إِلَى فَىْءِ
الشَّجَرَةِ فَلَمَّا جَلَسَ مَالَ فَىْءُ الشَّجَرَةِ عَلَيْهِ فَقَالَ انْظُرُوا
إِلَى فَىْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ . قَالَ فَبَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ
عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُنَاشِدُهُمْ أَنْ لاَ يَذْهَبُوا بِهِ إِلَى الرُّومِ فَإِنَّ
الرُّومَ إِذَا رَأَوْهُ عَرَفُوهُ بِالصِّفَةِ فَيَقْتُلُونَهُ فَالْتَفَتَ
فَإِذَا بِسَبْعَةٍ قَدْ أَقْبَلُوا مِنَ الرُّومِ فَاسْتَقْبَلَهُمْ فَقَالَ مَا
جَاءَ بِكُمْ قَالُوا جِئْنَا أَنَّ هَذَا النَّبِيَّ خَارِجٌ فِي هَذَا الشَّهْرِ
فَلَمْ يَبْقَ طَرِيقٌ إِلاَّ بُعِثَ إِلَيْهِ بِأُنَاسٍ وَإِنَّا قَدْ
أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ بُعِثْنَا إِلَى طَرِيقِكَ هَذَا فَقَالَ هَلْ خَلْفَكُمْ
أَحَدٌ هُوَ خَيْرٌ مِنْكُمْ قَالُوا إِنَّمَا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ بِطَرِيقِكَ
هَذَا . قَالَ أَفَرَأَيْتُمْ أَمْرًا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَقْضِيَهُ هَلْ
يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ رَدَّهُ قَالُوا لاَ . قَالَ فَبَايَعُوهُ
وَأَقَامُوا مَعَهُ قَالَ أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَيُّكُمْ وَلِيُّهُ قَالُوا أَبُو
طَالِبٍ فَلَمْ يَزَلْ يُنَاشِدُهُ حَتَّى رَدَّهُ أَبُو طَالِبٍ وَبَعَثَ مَعَهُ
أَبُو بَكْرٍ بِلاَلاً وَزَوَّدَهُ الرَّاهِبُ مِنَ الْكَعْكِ وَالزَّيْتِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
মূসা আল–আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ
মূসা আল–আশ'আরী (রাঃ) বলেনঃ কিছু প্রবীণ কুরাইশসহ আবূ তালিব (ব্যবসার উদ্দেশ্যে)
সিরিয়ার দিকে রওয়ানা হলে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে রওয়ানা
হন। তারা (বুহাইরাহ্) পাদ্রীর নিকট পৌঁছে তাদের নিজেদের সওয়ারী থেকে মালপত্র
নামাতে থাকে, তখন উক্ত পাদ্রী (গীর্জা থেকে বেরিয়ে) তাদের নিকটে এলেন। অথচ এ
কাফিলা এর আগে অনেকবার এখান দিয়ে চলাচল করেছে কিন্তু তিনি কখনও তাদের নিকট
(গীর্জা) বেরিয়ে আসেননি বা তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করেননি। রাবী বলেন, লোকেরা
তাদের বাহন থেকে সামানপত্র নামাতে ব্যস্ত থাকাবস্থায় উক্ত পাদ্রী তাদের ভেতরে
ঢোকেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত ধরে বলেন, ইনি
“সাইয়্যিদুল 'আলামীন” (বিশ্ববাসীর নেতা), ইনি রাসূল রাব্বিল 'আলামীন (বিশ্ববাসীর
প্রতিপালকের রাসূল) এবং আল্লাহ তা’আলা তাঁকে রহমাতুল্লিল 'আলামীন করে (বিশ্ববাসীর
জন্য করুণা স্বরূপ) পাঠাবেন। তখন কুরাইশদের বৃদ্ধ লোকেরা তাকে প্রশ্ন করে, কে
আপনাকে জানিয়েছে? তিনি বলেন, যখন তোমরা এ উপত্যকা হতে নামছিলে, (তখন আমি লক্ষ্য
করেছি যে,) প্রতিটি গাছ ও পাথর সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে। এই দু'টি নবী ব্যতীত অন্য কোন
সৃষ্টিকে সাজদাহ্ করে না। এতদভিন্ন তাঁর ঘারের নীচে আপেল সদৃশ গোলাকার মোহরে
নবুওয়াতের সাহায্যে আমি তাঁকে চিনেছি। পাদ্রী তার খানকায় ফিরে গিয়ে তাদের জন্য
খাবারের ব্যবস্থা করেন। তিনি খাদ্যদ্রব্যসহ যখন তাদের নিকটে এলেন তখন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটের পাল চরাতে গিয়েছিলেন। পাদ্রী বলেন, তোমরা
তাকে ডেকে আনার ব্যবস্থা কর। অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
ফিরে এলেন, তখন একখন্ড মেঘ তাঁর উপর ছায়া বিস্তার করেছিল এবং কাফিলার লোকেরা যারা
তাঁর পূর্বেই এসেছিল তাদেরকে তিনি গাছে ছায়ায় বসা অবস্থায় পেলেন। তিনি বসলে গাছের
ছায়া তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ে। পাদ্রী বলেন, তোমরা গাছের ছায়ার দিকে লক্ষ্য কর, ছায়াটি
তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। রাবী বলেন, ইত্যবসরে পাদ্রী তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে তাদেরকে
শপথ দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা তাঁকে নিয়ে রোম সাম্রাজ্যে যেও না। কেননা রূমীয়রা যদি
তাঁকে দেখে তাহলে তাঁকে চিহ্নগুলোর দ্বারা সনাক্ত করে ফেলবে এবং তাঁকে মেরে ফেলবে।
এমতাবস্থায় পাদ্রী লক্ষ্য করেন যে, রূমের সাতজন লোক তাদের দিকে আসছে। পাদ্রী তাদের
দিকে অগ্রসর হয়ে প্রশ্ন করেন, তোমরা কেন এসেছ? তারা বলে, এ মাসে আখিরী যামানার
নবীর আগমন ঘটবে। তাই চলাচলের প্রতিটি রাস্তায় লোক পাঠানো হয়েছে, তাই আমাদেরকে আপনাদের
পথে পাঠানো হয়েছে। পাদ্রী রোমীয় নাগরিকদের প্রশ্ন করেন, তোমাদের পেছনে তোমাদের
চেয়েও ভাল কোন ব্যক্তি আছে কি (কোন পাদ্রী তোমাদেরক এই নাবীর সংবাদ দিয়েছে কি)?
তারা বলল, আপনার এ রাস্তায়ই আমাদেরকে ঐ নাবীর আসার খবর দেয়া হয়েছে। পাদ্রী বলেন,
তোমাদের কি মত, আল্লাহ তা’আলা যদি কোন কাজ করার ইচ্ছা করেন তবে কোন মানুষের পক্ষে
তা প্রতিহত করা কি সম্ভব? তারা বলল, না (অর্থাৎ শেষ যামানার নাবীর আগমন ঘটবেই, কোন
মানুষ তা ঠেকাতে পারবে না) । রাবী বলেন, তারপর তারা তাঁর নিকট আনুগত্যের শপথ করে
এবং তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করে। তারপর পাদ্রী (কুরাইশ কাফিলাকে) আল্লাহ্র নামে শপথ
করে প্রশ্ন করেন, তোমাদের মধ্যে কে তাঁর অভিভাবক? লোকেরা বলল, আবূ তালিব। পাদ্রী
আবূ তালিবকে অবিরতভাবে আল্লাহ তা’আলার নামে শপথ করে তাঁকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে
বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আবূ তালিব নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে
(মক্কায়) ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং আবূ বাক্র (রাঃ) বিলাল (রাঃ) কে তাঁর
সাথে দেন। আর পাদ্রী তাঁকে পাথেয় হিসেবে কিছু রুটি ও যাইতূনের তৈল দেন।
সহীহ ফিক্হুস সীরাহ, দিফা 'আনিল হাদীসিন নাবাবী (৬২-৭২), মিশকাত (৫৯১৮), তবে
বিলালের উল্লেখটুকু মুনকার বলে কথিত।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত
সনদসূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৪. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নবুওয়াত লাভ এবং নবুওয়াত লাভকালে তাঁর বয়স কত ছিল?
৩৬২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي
عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
قَالَ أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ
أَرْبَعِينَ فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا
وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর চল্লিশ বছর বয়সে ওয়াহী
অবতীর্ণ হয়। অতঃপর তিনি মাক্কায় তের বছর ও মাদীনায় দশ বছর বসবাস করেন এবং যখন তিনি
মৃত্যুবরণ করেন সে সময় তাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৩১৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ،
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ
خَمْسٍ وَسِتِّينَ وَهَكَذَا حَدَّثَنَا هُوَ يَعْنِي ابْنَ بَشَّارٍ وَرَوَى
عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স
ছিল পঁয়ষট্টি বছর।
শাজ, প্রাগুক্ত
আবূ ঈসা বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার আমাদের নিকট এরূপই
বর্ণনা করেছেন এবং মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী)-ও তার হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃশায
৩৬২৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا
مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ
الْمُتَرَدِّدِ وَلاَ بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ وَلاَ بِالآدَمِ وَلَيْسَ
بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلاَ بِالسَّبِطِ بَعَثَهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ
أَرْبَعِينَ سَنَةً فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ
سِنِينَ وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ
وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক লম্বাও ছিলেন না এবং অতি বেঁটেও ছিলেন
না। তিনি অতিরিক্ত সাদাও ছিলেন না, আবার বেশী তামাটে বর্ণও ছিলেন না। তাঁর মাথার
চুল একেবারে ঘন কুকড়ানো ছিল না এবং একেবারে খাড়াও ছিল না। আল্লাহ তা’আলা চল্লিশ
বছর বয়সে তাঁকে নবূওয়াত দান করেন। তাপর তিনি মাক্কায় দশ বছর ও মাদীনায় দশ বছর
বসবাস করেন। আল্লাহ তা’আলা ষাট বছরের মাথায় তাঁকে মৃত্যু দান করেন। সে সময় তাঁর
মাথা ও দাড়ির বিশটি চুলও সাদা হয়নি।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১) ১৭৫৪ নং হাদীসে এর প্রথমাংশ বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের নিদর্শনাবলী এবং যে বিশেষ গুণে আল্লাহ তা’আলা
তাঁকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন
৩৬২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ
الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُعَاذٍ الضَّبِّيُّ، عَنْ سِمَاكِ
بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِنَّ بِمَكَّةَ حَجَرًا كَانَ يُسَلِّمُ عَلَىَّ لَيَالِيَ
بُعِثْتُ إِنِّي لأَعْرِفُهُ الآنَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ .
জাবির
ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই মাক্কায়
একখানা পাথর আছে যা আমার নবূয়াত অর্জনের রাতগুলোতে আমাকে সালাম করত। আমি এখনও
অবশ্যই পাথরখানাকে চিহ্নিত করতে পারি।
সহীহঃ মুসলিম (৭/৮৫) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ
التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ كُنَّا
مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَتَدَاوَلُ مِنْ قَصْعَةٍ مِنْ غُدْوَةٍ
حَتَّى اللَّيْلِ يَقُومُ عَشَرَةٌ وَيَقْعُدُ عَشَرَةٌ . قُلْنَا فَمَا كَانَتْ
تُمَدُّ قَالَ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ تَعْجَبُ مَا كَانَتْ تُمَدُّ إِلاَّ مِنْ هَا
هُنَا وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى السَّمَاءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو الْعَلاَءِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
الشِّخِّيرِ .
সামুরাহ্
ইবনু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সকাল থেকে
সন্ধ্যা অবধি একটি পাত্র হতে আহার করতাম। দশজন আহার করে চলে যেত এবং আবার দশজন
খেতে বসত। আবুল 'আলা বলেন, আমরা (সামুরাকে) প্রশ্ন করলাম, আপনাদের এ সহযোগিতা কোথা
হতে আসত? সামুরাহ্ (রাঃ) বললেন, কিসে তুমি আশ্চর্য প্রকাশ করছ। এই দিক দিয়েই
সহযোগিতা আসত। এই বলে তিনি আকাশের দিকে হাতের মাধ্যমে ইশারা করেন।
সহীহঃ মিশকাত (৫৯২৮) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবুল 'আলার নাম
ইয়াযীদ ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনুশ শিখখীর।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬২৬
حَدَّثَنَا عَبَّادُ
بْنُ يَعْقُوبَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنِ
السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ،
قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا فِي
بَعْضِ نَوَاحِيهَا فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلاَ شَجَرٌ إِلاَّ وَهُوَ
يَقُولُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
. وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ وَقَالُوا عَنْ
عَبَّادٍ أَبِي يَزِيدَ مِنْهُمْ فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ .
আলী
ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মক্কার কোন এক
প্রান্তের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তিনি যে কোন পাহাড় বা বৃক্ষের নিকট দিয়ে যেতেন তারা
তাঁকে “আস-সালামু আলাইকুম ইয়া রাসূলুল্লাহ” বলে অভিবাদন জানাত।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫৯১৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একাধিক রাবী এ হাদীস ওয়ালীদ
ইবনু আবূ সাওর-আব্বাদ ইবনু আবূ ইয়াযীদ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৬. অনুচ্ছেদঃ
(মহানাবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) যে খুঁটিতে ঠেস দিয়ে খুতবাহ্ দিতেন)
৩৬২৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ،
عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ إِلَى لِزْقِ جِذْعٍ
وَاتَّخَذُوا لَهُ مِنْبَرًا فَخَطَبَ عَلَيْهِ فَحَنَّ الْجِذْعُ حَنِينَ
النَّاقَةِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَمَسَّهُ فَسَكَنَ . قَالَ
أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىٍّ وَجَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ وَسَهْلِ بْنِ
سَعْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَحَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে নাববীতে) একটি খেজুর গাছের কান্ডের
সাথে ঠেস দিয়ে খুত্বাহ্ দিতেন। তারপর তাঁর জন্য লোকেরা একখানা মিম্বার স্থাপন
করলে তিনি মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে খুত্বাহ্ দান করেন। সে সময় খুঁটিটি উষ্ট্রীর
মতো কাঁদতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বার হতে
অবতরণ করে তাকে স্পর্শ করলে তা কান্না বন্ধ করে (শান্ত হয়) ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪১৫) ।
এ অনুচ্ছেদে উবাই ইবনু কা'ব, জাবির ইবনু 'আবদুল্লাহ, ইবনু
'উমার, সাহল ইবনু সা'দ, ইবনু 'আব্বাস ও উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ)-এর এ হাদীস হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ
سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ
إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بِمَ أَعْرِفُ أَنَّكَ نَبِيٌّ
قَالَ " إِنْ دَعَوْتُ هَذَا الْعِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ أَتَشْهَدُ
أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَجَعَلَ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " ارْجِعْ " . فَعَادَ فَأَسْلَمَ
الأَعْرَابِيُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক বেদুঈন এসে বলল,
আমি কিভাবে অবগত হব যে, আপনি নাবী? তিনি বললেনঃ ঐ খেজুর গাছের একটি কাঁদিকে আমি
ডাকলে (তা যদি নেমে আসে) তাহলে তুমি কি সাক্ষ্য দিবে যে, আমি আল্লাহ তা’আলার
রাসূল?রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহাকে ডাকলেন, সে সময় কাঁদি
খেজুর গাছ থেকে নেমে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে এসে গেল।
তারপর তিনি বললেনঃ এবার প্রত্যাবর্তন কর এবং তা স্বস্থানে ফিরে গেল। সে সময়
বেদুঈনটি ইসলাম গ্রহণ করলো।
“বেদুঈন ইসলাম গ্রহণ করল” অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী
(৫৯২৬), সহীহাহ্ (৩৩১৫)
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ
ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا عِلْبَاءُ بْنُ أَحْمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدِ بْنُ
أَخْطَبَ، قَالَ مَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى وَجْهِي
وَدَعَا لِي قَالَ عَزْرَةُ إِنَّهُ عَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً وَلَيْسَ
فِي رَأْسِهِ إِلاَّ شَعَرَاتٌ بِيضٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ . وَأَبُو زَيْدٍ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ أَخْطَبَ .
আবূ
যাইদ ইবনু আখত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাতখানা আমার চেহারায় মর্দন করেন এবং
আমার জন্য দু'আ করেন। বর্ণনাকারী 'আযরাহ (রহঃ) বলেন, ঐ লোকটি (দু'আর বারাকাতে)
একশত বিশ বছর জীবিত ছিলেন অথচ তার মাথার মাত্র কয়েকটি চুল সাদা হয়েছিল।
সহীহঃ তা'লীক্বাতুল হাস্সান (৭১২৮) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ যাইদের নাম
'আম্র ইবনু আখতাব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৩০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ عَرَضْتُ عَلَى مَالِكِ
بْنِ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ
سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لأُمِّ سُلَيْمٍ لَقَدْ
سَمِعْتُ صَوْتَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي ضَعِيفًا -
أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ .
فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ ثُمَّ أَخْرَجَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتِ
الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ دَسَّتْهُ فِي يَدِي وَرَدَّتْنِي بِبَعْضِهِ ثُمَّ
أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ
إِلَيْهِ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ
وَمَعَهُ النَّاسُ قَالَ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " أَرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . قَالَ
" بِطَعَامٍ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم لِمَنْ مَعَهُ " قُومُوا " . قَالَ فَانْطَلَقُوا
فَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ
فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم وَالنَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُطْعِمُهُمْ . قَالَتْ
أُمُّ سُلَيْمٍ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ فَانْطَلَقَ أَبُو
طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو طَلْحَةَ مَعَهُ حَتَّى دَخَلاَ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلُمِّي يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا
عِنْدَكِ " . فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَفُتَّ وَعَصَرَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً لَهَا فَآدَمَتْهُ
ثُمَّ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ
يَقُولَ ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ " . فَأَذِنَ لَهُمْ
فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ
لِعَشَرَةٍ " . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ
خَرَجُوا فَأَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالْقَوْمُ سَبْعُونَ أَوْ
ثَمَانُونَ رَجُلاً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আবূ ত্বালহা আনসারী (রাঃ) তাঁর সহধর্মিণী উম্মু সুলাইম (রাঃ)-কে বললেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুর্বল কন্ঠস্বর শুনে আমি
বুঝতে পারলাম, তিনি অতি ক্ষুধার্ত। তোমার নিকটে কি (খাবার) কিছু আছে? তিনি বললেন,
হ্যাঁ আছে। উম্মু সুলাইম (রাঃ) কয়েকখানা যবের রুটি বের করলেন, তারপর নিজের একটি
ওড়না বের করে তার একাংশে রুটি বাঁধলেন এবং তা আমার হাতে লুকিয়ে দেন এবং আমাকে
ওড়নার অপরাংশ দেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট
আমাকে পাঠান। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি ঐসব নিয়ে তাঁর লক্ষ্যে রাওয়ানা হলাম এবং
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাসজিদে বসা অবস্থায় পেলাম। সে
সময় তাঁর সঙ্গে আরো লোক ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাদের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়ালাম।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেনঃ তোমাকে আবূ ত্বালহা
পাঠিয়েছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আহারের দা'ওয়াত? বর্ণনাকারী বলেন,
হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদের বললেনঃ তোমরা
উঠে দাঁড়াও। আনাস (রাঃ) বলেন, তারা প্রত্যেকে রওয়ানা হলেন। আর আমি তাঁদের সামনে
সামনে চললাম এবং আবূ ত্বালহা (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলাম। আবূ ত্বালহা
(রাঃ) বললেন, হে উম্মু সুলাইম! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো
লোকজন নিয়ে এসে পড়েছেন, কিন্তু তাদের সকলকে আহার করানোর মত খাবার তো আমাদের নিকটে
নেই। উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা ভাল করেই জানেন। আনাস
(রাঃ) বলেন, আবূ ত্বালহা (রাঃ) এগিয়ে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে দেখা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও
আবূ ত্বালহা (রাঃ) একসাথে বাড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে উম্মু সুলাইম! তোমার নিকট খাবার
জিনিস যা কিছু আছে তা এখানে নিয়ে এসো। উম্মু সুলাইম (রাঃ) ঐ রুটিগুলো নিয়ে এলেন।
রুটিগুলোকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) টুকরা টুকরা করার
হুকুম দিলে তা টুকরা টুকরা করা হল। একটি চামড়ার পাত্র হতে উম্মু সুলাইম (রাঃ) তাতে
ঘি ঢেলে দিয়ে তা তরকারীবৎ তৈরী করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছানুযায়ী তাতে কিছু দু'আ-কালাম পাঠ করলেন এবং
বললেনঃ দশজন করে আসতে বল। সুতরাং দশজনকে আহবান করা হল, তারা পেট ভরে আহার করে বের
হয়ে গেলে তিনি পুনরায় বললেনঃ আরো দশজনকে আসতে বল। আবার দশজনকে আহবান করা হল। তারা
পেট ভরে আহার করে বের হয়ে গেলে তিনি পুনরায় বললেনঃ আরো দশজনকে আসতে বল। সুতরাং
আবার দশজনকে আহবান করা হল। এভাবে দলের প্রত্যেকে পেট ভরে আহার করলেন। দলে সর্বমোট
সত্তর কিংবা আশিজন লোক ছিলেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৩১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ،
عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتْ صَلاَةُ
الْعَصْرِ وَالْتَمَسَ النَّاسُ الْوَضُوءَ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَأُتِيَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَدَهُ فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّئُوا مِنْهُ
. قَالَ فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ
حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَزِيَادِ بْنِ
الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ وَحَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি লক্ষ্য করলাম, আসরের
নামাযের ওয়াক্তও হয়ে গেছে এবং লোকেরা উযূর পানি খোঁজ করছে কিন্তু তারা তা পায়নি।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উযূর পানি আনা হল। তিনি
নিজের হাত পানির পাত্রে রাখলেন এবং তা হতে লোকদেরকে উযূ করার হুকুম দিলেন। আনাস
(রাঃ) বলেন, আমি লক্ষ্য করলাম তাঁর আঙ্গুলের নীচ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। তারা সকলে
উযূ করলেন, এমনকি তাদের শেষ লোকটি পর্যন্ত।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে 'ইমরান ইবনু হুসাইন, ইবনু মাস'ঊদ জাবির ও
যিয়াদ ইবনুল হারিস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ) বর্ণিত
হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৩২
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ،
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ أَوَّلُ مَا ابْتُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم مِنَ النُّبُوَّةِ حِينَ أَرَادَ اللَّهُ كَرَامَتَهُ وَرَحْمَةَ
الْعِبَادِ بِهِ أَنْ لاَ يَرَى شَيْئًا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ
فَمَكَثَ عَلَى ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ وَحُبِّبَ إِلَيْهِ
الْخَلْوَةُ فَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَخْلُوَ . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের আবির্ভাব
এভাবে হল যে, আল্লাহ তা’আলা যখন তাঁর বান্দাদের সম্মানিত ও তাদের প্রতি দয়া করতে
চাইলেন, সে সময় এই পরিস্থিতি হল যে, যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা ভোরের আলোর ন্যায়
স্পষ্ট হয়ে উদ্ভাসিত হত। তারপর আল্লাহ তা’আলা যত দিন চাইলেন তাঁর এই অবস্থা
অব্যাহত থাকে। এ সময় তাঁর কাছে নির্জনতা এত পছন্দনীয় ছিল যার চাইতে অন্য কিছুই
তাঁর কাছে বেশী পছন্দনীয় ছিল না।
হাসান সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম এর চেয়ে আরো পূর্ণাঙ্গভাবে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৬৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا
إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ إِنَّكُمْ تَعُدُّونَ الآيَاتِ عَذَابًا وَإِنَّا كُنَّا
نَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَرَكَةً لَقَدْ
كُنَّا نَأْكُلُ الطَّعَامَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَسْمَعُ
تَسْبِيحَ الطَّعَامِ . قَالَ وَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِإِنَاءٍ
فَوَضَعَ يَدَهُ فِيهِ فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " حَىَّ عَلَى الْوَضُوءِ
الْمُبَارَكِ وَالْبَرَكَةِ مِنَ السَّمَاءِ " . حَتَّى تَوَضَّأْنَا
كُلُّنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, তোমরা আল্লাহ তা’আলার রাহমাতের নিদর্শনগুলোকে (অতি প্রাকৃতিক বিষয়াবলীকে)
শাস্তি মনে কর, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলে
আমরা এগুলোকে বারাকাত মনে করতাম। অবশ্যই আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে খাবার খেতাম এবং খাদ্যের তাসবীহ পাঠ শুনতে পেতাম। বর্ণনাকারী
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে একটি পানির
পাত্র আনা হলে তিনি তার মাঝে নিজের হাত রাখলেন এবং তাঁর আঙ্গুলগুলো দিয়ে পানি উপচে
বের হতে থাকে। নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা অতি মুবারাক ও
আকাশের কল্যাণকর পানি দিয়ে উযূ করতে এদিকে এসো। এমনকি সেই পানিতে আমরা সবাই উযূ
করলাম।
সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৭. অনুচ্ছেদঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর উপর কিরূপে ওয়াহী অবতীর্ণ হত
৩৬৩৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكٌ،
عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ
هِشَامٍ، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْىُ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَحْيَانًا يَأْتِينِي فِي
مِثْلِ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّ عَلَىَّ وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِي
الْمَلَكُ رَجُلاً فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ " . قَالَتْ
عَائِشَةُ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْزِلُ
عَلَيْهِ الْوَحْىُ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ
جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল–হারিস
ইবনু হিশাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করেন,
আপনার কাছে ওয়াহী কিরূপে আসে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ কখনও ঘন্টাধ্বনির মতো তা আমার কাছে আসে এবং এটাই আমার জন্য সবচেয়ে
কষ্টসাধ্য ওয়াহী। আবার কখনও ফেরেশতা মানুষের রূপ ধারণ করে আমার কাছে এসে আমার
সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি যা বলেন, আমি তা সঙ্গে সঙ্গেই আয়ত্ত করি। 'আয়িশাহ্ (রাঃ)
বলেন, আমি অতিরিক্ত শীতের দিনেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হতে দেখেছি। তা বন্ধ হওয়ার পরও তাঁর কপাল হতে ঘাম
গড়িয়ে পড়ত।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৮. অনুচ্ছেদ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেহের গঠন
৩৬৩৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ،
عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ
أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ
مَنْكِبَيْهِ بَعِيدٌ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ لَمْ يَكُنْ بِالْقَصِيرِ وَلاَ
بِالطَّوِيلِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ
ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লাল রং-এর পোশাক পরা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর তুলনায় বেশি সুদর্শন আমি আর কোন বাবরি চুলওয়ালা লোক দেখিনি। তার বাবরি
কেশ তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে পর্যন্ত ঝুলন্ত ছিল। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী জায়গা
ছিল দীর্ঘ। তিনি না খর্বাকৃতির ছিলেন আর না দীর্ঘাকৃতির।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। পূর্বে ১৭২৫ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৩৬
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ،
عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ أَكَانَ وَجْهُ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ السَّيْفِ قَالَ لاَ مِثْلَ الْقَمَرِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবূ
ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, এক লোক আল-বারাআ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডল কি তলোয়ারের মতো (চকচকে) ছিল? তিনি বলেন, না, বরং চাঁদের
মতো উজ্জ্বল ছিল।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৯), বুখারী।
আবূ 'ঈসা বলেন: হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ
عُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ
مُطْعِمٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
بِالطَّوِيلِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ شَثْنَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ ضَخْمَ الرَّأْسِ
ضَخْمَ الْكَرَادِيسِ طَوِيلَ الْمَسْرُبَةِ إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ تَكَفُّؤًا
كَأَنَّمَا انْحَطَّ مِنْ صَبَبٍ لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না অতি লম্বা ছিলেন আর না
(অতি) বেঁটে ছিলেন। তাঁর দু’হাত ও দু’পা ছিল মাংসল, মাথা ছিল আকারে বৃহৎ এবং হাড়ের
গ্রন্থিসমূহ ছিল স্থূল ও শক্তিশালী। তাঁর বুক হতে নাভি অবধি প্রলম্বিত ফুরফুরে
পশমের একটি রেখা ছিল। চলার সময় তিনি সম্মুখের দিকে ঝুঁকে হাঁটতেন, যেন তিনি
ঢালবিশিষ্ট জায়গা দিয়ে হেঁটে চলছেন। আমি তাঁর পূর্বে কিংবা তাঁর পরে আর কাউকে তাঁর
মতো দেখিনি।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৪০)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফ্ইয়ান ইবনু ওয়াকী‘-তার
বাবা ওয়াকী‘ হতে, তিনি আল মাস‘ঊদী হতে এই সনদসূত্রে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو
جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ أَبِي حَلِيمَةَ مِنْ قَصْرِ
الأَحْنَفِ وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ
الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالُوا حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى غُفْرَةَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ،
مِنْ وَلَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ كَانَ عَلِيٌّ رضى الله عنه إِذَا
وَصَفَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمْ يَكُنْ بِالطَّوِيلِ
الْمُمَغَّطِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ الْقَوْمِ
وَلَمْ يَكُنْ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلاَ بِالسَّبِطِ كَانَ جَعْدًا رَجِلاً
وَلَمْ يَكُنْ بِالْمُطَهَّمِ وَلاَ بِالْمُكَلْثَمِ وَكَانَ فِي الْوَجْهِ
تَدْوِيرٌ أَبْيَضُ مُشْرَبٌ أَدْعَجُ الْعَيْنَيْنِ أَهْدَبُ الأَشْفَارِ جَلِيلُ
الْمُشَاشِ وَالْكَتِدِ أَجْرَدُ ذُو مَسْرُبَةٍ شَثْنُ الْكَفَّيْنِ
وَالْقَدَمَيْنِ إِذَا مَشَى تَقَلَّعَ كَأَنَّمَا يَمْشِي فِي صَبَبٍ وَإِذَا
الْتَفَتَ الْتَفَتَ مَعًا بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمُ النُّبُوَّةِ وَهُوَ خَاتَمُ
النَّبِيِّينَ أَجْوَدُ النَّاسِ كَفًّا وَأَشْرَحُهُمْ صَدْرًا وَأَصْدَقُ
النَّاسِ لَهْجَةً وَأَلْيَنُهُمْ عَرِيكَةً وَأَكْرَمُهُمْ عِشْرَةً مَنْ رَآهُ
بَدِيهَةً هَابَهُ وَمَنْ خَالَطَهُ مَعْرِفَةً أَحَبَّهُ يَقُولُ نَاعِتُهُ لَمْ
أَرَ قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ سَمِعْتُ
الأَصْمَعِيَّ يَقُولُ فِي تَفْسِيرِهِ صِفَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
الْمُمَغَّطِ الذَّاهِبُ طُولاً . وَسَمِعْتُ أَعْرَابِيًّا يَقُولُ تَمَغَّطَ
فِي نَشَّابَةٍ أَىْ مَدَّهَا مَدًّا شَدِيدًا . وَأَمَّا الْمُتَرَدِّدُ
فَالدَّاخِلُ بَعْضُهُ فِي بَعْضٍ قِصَرًا وَأَمَّا الْقَطَطُ فَالشَّدِيدُ
الْجُعُودَةِ وَالرَّجِلُ الَّذِي فِي شَعَرِهِ حُجُونَةٌ قَلِيلاً وَأَمَّا
الْمُطَهَّمُ فَالْبَادِنُ الْكَثِيرُ اللَّحْمِ وَأَمَّا الْمُكَلْثَمُ
فَالْمُدَوَّرُ الْوَجْهِ . وَأَمَّا الْمُشْرَبُ فَهُوَ الَّذِي فِي بَيَاضِهِ
حُمْرَةٌ وَالأَدْعَجُ الشَّدِيدُ سَوَادِ الْعَيْنِ وَالأَهْدَبُ الطَّوِيلُ
الأَشْفَارِ وَالْكَتِدُ مُجْتَمَعُ الْكَتِفَيْنِ وَهُوَ الْكَاهِلُ
وَالْمَسْرُبَةُ هُوَ الشَّعْرُ الدَّقِيقُ الَّذِي هُوَ كَأَنَّهُ قَضِيبٌ مِنَ
الصَّدْرِ إِلَى السُّرَّةِ . وَالشَّثْنُ الْغَلِيظُ الأَصَابِعِ مِنَ
الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ وَالتَّقَلُّعُ أَنْ يَمْشِيَ بِقُوَّةٍ وَالصَّبَبُ
الْحُدُورُ يَقُولُ انْحَدَرْنَا فِي صَبُوبٍ وَصَبَبٍ وَقَوْلُهُ جَلِيلُ
الْمُشَاشِ يُرِيدُ رُءُوسَ الْمَنَاكِبِ وَالْعَشِيرَةُ الصُّحْبَةُ وَالْعَشِيرُ
الصَّاحِبُ وَالْبَدِيهَةُ الْمُفَاجَأَةُ يُقَالَ بَدَهْتُهُ بِأَمْرٍ أَىْ
فَجَأْتُهُ .
আলী
(রাঃ)-এর নাতি ইব্রাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বৈশিষ্ট
বর্ণনা করতে গিয়ে বলতেনঃ তিনি বেশি লম্বা ছিলেন না এবং অত্যন্ত বেঁটেও ছিলেন না,
বরং লোকদের মাঝে মধ্যম আকৃতির ছিলেন। তাঁর মাথার চুল খুব বেশি কোঁকড়ানোও ছিল না
এবং একেবারে সোজাও ছিল না, বরং কিছুটা ঢেউ খেলানো ছিল। তিনি স্থুলকায় ছিলেন না,
তাঁর মুখাবয়ব সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, বরং কিছুটা গোলাকার ছিল। তিনি ছিলেন
সাদা-লাল মিশ্রিত গৌরবর্ণের এবং লম্বা ভ্রুযুক্ত কালো চোখের অধিকারী। তাঁর হাড়ের
গ্রন্থিগুলো ছিল মজবুত, বাহু ছিল মাংসল। তাঁর দেহে অতিরিক্ত লোম ছিল না, বুক হতে
নাভি পর্যন্ত হালকা লোমের একটি রেখা ছিল। তাঁর হাতের তালু ও পায়ের পাতা ছিল গোশতে
পুরু। তিনি দৃঢ় পদক্ষেপে চলতেন, যেন তিনি ঢালবিশিষ্ট স্থান হতে (নীচ সমতলে)
নামছেন। তিনি কারো দিকে ফিরে তাকালে গোটা দেহ ঘুরিয়ে তাকাতেন। তাঁর দুই কাঁধের
মধ্যবর্তী স্থানে ছিল নাবূওয়াতের মোহর। তিনি ছিলেন খাতামুন নাবিয়্যীন (নবীগণের
মোহর বা তাদের আগমন ধারার পরিসমাপ্তিকারী)। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে প্রশস্ত
হৃদয়ের অধিকারী ও দানশীল, বাক্যালাপে সত্যবাদী, কোমল হৃদয়ের অধিকারী এবং
বন্ধু-বান্ধব ও সহোচরদের সাথে সম্মানের সাথে বসবাসকারী (অথবা সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত
বংশোদ্ভূত)। যে কেউ তাঁকে প্রথম বারের মত দেখেই সে প্রভাবান্বিত হত। যে ব্যাক্তি
তাঁর সাথে মিশত এবং তাঁর প্রসঙ্গে জানতো সে তাঁর প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন হয়ে যেত।
তাঁর বর্ণনা প্রদাঙ্কারী বলতে বাধ্য হত, তাঁর আগে বা পরে আমি আর কাউকে তাঁর এরকম
(সৌন্দর্যময়) দেখিনি।
যঈফ, মুখতাসার শামায়িল, মিশকাত (৫৭৯১)।
আবূ ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসের সনদসূত্র
মুত্তাসিল (অবিছিন্ন) নয়। আবূ জাফর বলেন, আমি আল-আসমাঈকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বৈশিষ্ট্য ও গঠনাকৃতি সম্পর্কিত বর্ণনার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে
বলতে শুনেছি : “মুম্মাগিত” অর্থ অতিরিক্ত লম্বা। আল-আসমাঈ আরো বলেন, আমি এক বিদুঈনকে
কথা প্রসঙ্গে বলতে শুনেছি, “তামাগ্গাতা ফী নুশশাবাতিন” (সে তার তীর খুব টেনেছে)।
“মুতারাদ্দিদ” অর্থ স্থুলতার কারণে বেঁটে দেহের একাংশ অপরাংশের মধ্যে প্রবিষ্ট মনে
হওয়া। “কাতাত” অর্থ কুঞ্চিত ও কোঁকড়ানো। “রাজিল” যে ব্যাক্তির মাথার চুল কোঁকড়ানো সে।
“মুতাহ্হাম” অর্থ স্থুল দেহ, মাংসল দেহ। “মুকালসাম” গোলগাল চেহারা। “মুশরাব” এমন রং
যা সাদা-লালে (দুধে আলতায়) মিশ্রিত, গৌর, এটা সবচেয়ে সুন্দর বর্ণ। “আদআজ” অর্থ চোখ
ঘোর কালো। “আহ্দাব” যার ভ্রু লম্বা। “কাতাদ” দুই কাঁধের সঙ্গমস্থল, একে ‘কাহিল’ও বলা
হয়। “মাসরুবাত” বুকের পশমের সরল রেখা যা বুক হতে নভী পর্যন্ত প্রলম্বিত। “আশ-শাছ্ন”
অর্থ যার হাত ও পায়ের আঙ্গুলিসমূহ এবং হাত ও পায়ের পাতা মাংসবহুল। “আত-তাকাল্লাউ” অর্থ
দৃঢ় পদক্ষেপ পথ অতিক্রম। “সাবাব” অর্থ (উপর হতে নীচে) ঢালু স্থান দিয়ে নেমে আসা। যেমন
আমরা বলি, আমরা উপর হতে নীচে নামছি। “জালীলুল মুশাশ” বড় গ্রন্থিযুক্ত অর্থাৎ বাহুর
অগ্রভাগ, ঊর্ধ্ববাহু। “ইশরাত” অর্থ সাহচর্য, “আশীরু” অর্থ সঙ্গী-সহচর, “বাদীহাতু” অর্থ
দৈবাৎ, হঠাৎ। যেমন আরবরা বলে, বাদাহ্তুহু বিআমরিন’ অর্থাৎ আমি তাকে হঠাৎ কোন বিষয়ে
ভীত-বিহব্বল করে দিয়েছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৯. অনুচ্ছেদ:
নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর কথার ধরন
৩৬৩৯
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ
بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ
زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْرُدُ سَرْدَكُمْ هَذَا وَلَكِنَّهُ كَانَ
يَتَكَلَّمُ بِكَلاَمٍ بَيْنَهُ فَصْلٌ يَحْفَظُهُ مَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
الزُّهْرِيِّ وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ عَنِ الزُّهْرِيِّ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের মতো দ্রুত গতিতে
কথা বলতেন না, বরং তিনি ধীরে সুস্থে প্রতিটি শব্দ পৃথকভাবে উচ্চারণ করে কথা বলতেন,
ফলে তার কাছে বসা লোক খুব সহজেই তা আয়ত্ত করে নিতে পারত।
হাসানঃ আল-মুখতাসার (১৯১), মিশকাত (৫৮২৮), বুখারী ও মুসলিম। “তিনি দ্রুত কথা বলতেন
না” এই অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
যুহ্রীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে অবগত হয়েছি। উক্ত হাদীস ইউনুস ইবনু ইয়াযীদও যুহরী হতে
রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৬৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعِيدُ الْكَلِمَةَ ثَلاَثًا لِتُعْقَلَ
عَنْهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُثَنَّى .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেকটি বাক্য তিন
তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন, যাতে তার কথা বুঝতে পারা যায়।
হাসান সহীহঃ ২৭২৩ নং হাদীস পূর্বেও অনুরূপ উল্লেখ হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা
শুধুমাত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মুসান্নার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
১০. অনুচ্ছেদ:
নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর মুচকি হাসি প্রসঙ্গে
৩৬৪১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ، قَالَ مَا
رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ تَبَسُّمًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনুল হারিস ইবনু জায্য়ি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে বেশী মুচকি হাসি
দিতে আমি আর কাউকে দেখিনি।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৯৪), মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৫৮২৯)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ইয়াযীদ ইবনু আবী
হাবীব হতে, ‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জায্য়ির বরাতে উপরিউক্ত হাদীসের মতোই বর্ণিত
হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৪২
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ
يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ،
مِثْلُ هَذَا . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْخَلاَّلُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّيْلَحَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ
سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ
بْنِ جَزْءٍ، قَالَ مَا كَانَ ضَحِكُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ
تَبَسُّمًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
مِنْ حَدِيثِ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ
ইবনুল হারিস ইবনু জায্য়ি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধুমাত্র মুচকি হাসিই
দিতেন।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৯৫), মিশকাত অনুরূপ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা লাইস
ইবনু সা‘দের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ লিগাইরিহি
১১. অনুচ্ছেদঃ
মোহরে নবূওয়াত
৩৬৪৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْجَعْدِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ ذَهَبَتْ بِي
خَالَتِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ
إِنَّ ابْنَ أُخْتِي وَجِعٌ فَمَسَحَ بِرَأْسِي وَدَعَا لِي بِالْبَرَكَةِ
وَتَوَضَّأَ فَشَرِبْتُ مِنْ وَضُوئِهِ فَقُمْتُ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَنَظَرْتُ إِلَى
الْخَاتَمِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ فَإِذَا هُوَ مِثْلُ زِرِّ الْحَجَلَةِ . قَالَ
أَبُو عِيسَى الزِّرُّ يُقَالُ بَيْضٌ لَهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي
الْبَابِ عَنْ سَلْمَانَ وَقُرَّةَ بْنِ إِيَاسٍ الْمُزَنِيِّ وَجَابِرِ بْنِ
سَمُرَةَ وَأَبِي رِمْثَةَ وَبُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ
سَرْجِسَ وَعَمْرِو بْنِ أَخْطَبَ وَأَبِي سَعِيدٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আস্-সায়িব
ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমার
খালা আমাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলেন এবং বললেন,
হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার এ বোনপুত্র রোগাক্রান্ত। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার মাথায় হাত বুলালেন, আমার জন্য বারাকাত ও কল্যাণের দু‘আ
করলেন এবং তিনি উযূ করলে আমি তাঁর উযূর বাকি পানিটুকু পান করলাম। তারপর আমি তাঁর
পেছনে গিয়ে দাঁড়ালে, তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী জায়গায় মোহরে নবুওয়াত প্রত্যক্ষ
করি। তা ছিল তিতির পাখির ডিমের মতো।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন: যির বলা হয় তিতির পাখির ডিমকে।
এ অনুচ্ছেদে সালমান, কুররা ইবনু ইয়াস আল-মুযানী, জাবির ইবনু সামুরাহ্, আবূ রিমসাহ্,
বুরাইদা আল-আসলামী, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস, ‘আম্র ইবনু আখত্বাব ও আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৪৪
حَدَّثَنَا سَعِيدُ
بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ سِمَاكِ
بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ خَاتَمُ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي الَّذِي بَيْنَ كَتِفَيْهِ غُدَّةً حَمْرَاءَ مِثْلَ
بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুই কাঁধের মাঝামাঝি
স্থানে কবুতরের ডিমের ন্যায় লাল মাংসপিণ্ড আকারে মোহরে নবূওয়াত ছিল।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৫), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
১২. অনুচ্ছেদ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ, চোখ ও পায়ের আকৃতি
৩৬৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ،
هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ،
قَالَ كَانَ فِي سَاقَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُمُوشَةٌ وَكَانَ
لاَ يَضْحَكُ إِلاَّ تَبَسُّمًا وَكُنْتُ إِذَا نَظَرْتُ إِلَيْهِ قُلْتُ أَكْحَلَ
الْعَيْنَيْنِ وَلَيْسَ بِأَكْحَلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির
ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পায়ের জঙ্ঘাদ্বয় ছিল
হাল্কা-পাতলা। তিনি মুচকি হাসিই দিতেন। আমি তাঁর দিকে তাকালে মনে হত তিনি উভয় চোখে
সুরমা লাগিয়েছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চোখে
সুরমা লাগানো থাকত না।
যঈফ, প্রাগুক্ত
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান, এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ
حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
ضَلِيعَ الْفَمِ أَشْكَلَ الْعَيْنَيْنِ مَنْهُوسَ الْعَقِبِ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
ইবনু সামুরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ ছিল বেশ দীর্ঘ, চোখ দু’টি
ছিল লাল এবং পায়ের জঙ্ঘা ছিল শীর্ণকায়।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৭), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ،
قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَلِيعَ الْفَمِ أَشْكَلَ
الْعَيْنَيْنِ مَنْهُوشَ الْعَقِبِ . قَالَ شُعْبَةُ قُلْتُ لِسِمَاكٍ مَا
ضَلِيعُ الْفَمِ قَالَ وَاسِعُ الْفَمِ . قُلْتُ مَا أَشْكَلُ الْعَيْنِ قَالَ
طَوِيلُ شَقِّ الْعَيْنِ . قَالَ قُلْتُ مَا مَنْهُوشُ الْعَقِبِ قَالَ قَلِيلُ
اللَّحْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন দীর্ঘ মুখের অধিকারী,
তাঁর চোখ দু’টি ছিল লাল জঙ্ঘা ছিল শীর্ণকায়। শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি সিমাক
(রহঃ)-কে বললাম, “যালীউল ফাম” অর্থ কি? তিনি বললেন, দীর্ঘ মুখ। আমি পুনরায় বললাম,
“আশকালুল আয়নাইন” অর্থ কি? তিনি বললেন, লম্বা লাল রেখাযুক্ত দু'টি চোখ। আমি পুনরায়
বললাম, “মানহূসুল আক্বিব” অর্থ কি? তিনি বলেন, শীর্ণকায়।
সহীহঃ প্রাগুক্ত (৭), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৪৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم كَأَنَّ الشَّمْسَ تَجْرِي فِي وَجْهِهِ وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا
أَسْرَعَ فِي مَشْيِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنَّمَا
الأَرْضُ تُطْوَى لَهُ إِنَّا لَنُجْهِدُ أَنْفُسَنَا وَإِنَّهُ لَغَيْرُ
مُكْتَرِثٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাইতে বেশি সুন্দর
কোন জিনিষ দেখিনি। যেন সূর্য তাঁর চেহারায় (মুখমণ্ডলে) বিচরণ করছে। আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ দ্রুত চলতেও
আর কোন ব্যাক্তিকে দেখিনি। যেন তাঁর জন্য যমিনকে গুটানো হত। তাঁর সাথে পথ চলতে
আমাদের প্রাণান্তকর অবস্থা হত, আর তিনি অনায়াসে চলে যেতেন।
যঈফ, প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৪৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ،
حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عُرِضَ عَلَىَّ الأَنْبِيَاءُ فَإِذَا
مُوسَى ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ وَرَأَيْتُ
عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِذَا أَقْرَبُ النَّاسِ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا
عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ
بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ نَفْسَهُ وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ
رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ " . هُوَ ابْنُ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيُّ
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মি‘রাজের রাতে) আমার সম্মুখে
নাবীগণকে হাযির করা হয়। সে সময় মূসা (‘আঃ)-কে আমি দেখলাম, তিনি যেন শানুআহ্
গোত্রের একজন পুরুষ। আমি ‘'ঈসা ইবনু মারইয়াম (‘আঃ)-কেও লক্ষ্য করেছি, আমার দেখা
লোকদের মাঝে তিনি ‘উরওয়াহ্ ইবনু মাস‘ঊদ-এর মত। আমি ইবরাহীম (‘আঃ)-কেও লক্ষ্য
করেছি, আমার দেখা লোকের মাঝে তিনি তোমাদের বন্ধুর অর্থাৎ আমার মতো। জিবরাঈল
(‘আঃ)-কেও আমি লক্ষ্য করেছি, তিনি আমার দেখা লোকেদের মাঝে দিহ্য়া ইবনু খালীফাহ্
আল-ক্বালবীর মতো।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১১০০), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
১৩. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর সময়কালীন বয়স
৩৬৫০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، حَدَّثَنِي عَمَّارٌ،
مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ تُوُفِّيَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মারা যান (জন্ম ও মৃত্যুর
বছর দু’টিকে আলাদা দু’টি বছর ধরে)।
শাজ, (৩৪৫৬) নং হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃশায
৩৬৫১
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا
خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، حَدَّثَنَا عَمَّارٌ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَنَا
ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ
خَمْسٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنُ الإِسْنَادِ
صَحِيحٌ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মারা যান।
শাজ, দেখুন পূর্বের হাদীস
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃশায
৩৬৫২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ
إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَكَثَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ - يَعْنِي يُوحَى
إِلَيْهِ وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى
وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَدَغْفَلِ بْنِ حَنْظَلَةَ
وَلاَ يَصِحُّ لِدَغْفَلٍ سَمَاعٌ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ رُؤْيَةٌ
. وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ
دِينَارٍ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবূওয়াত লাভের পর মক্কায়
তের বছর বসবাস করেন এবং তেষট্টি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। ৩৬২১ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্, আনাস ইবনু মালিক ও দাগফাল ইবনু
হানযালাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। তবে দাগফালের প্রত্যক্ষভাবে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখা ও তাঁর নিকট হতে হাদীস শোনার কথাটি যথার্থ
নয়। আবূ 'ঈসা বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান এবং ‘আম্র ইবনু দীনারের
বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُهُ يَخْطُبُ،
يَقُولُ مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ
وَسِتِّينَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَا ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জারীর
ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি মু‘আবিয়াহ্ ইবনু আবী সুফ্ইয়ান (রাঃ)-কে খুত্বাহ্ দানকালে বলতে
শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তেষট্টি বছর বয়সে
মৃত্যুবরণ করেন এবং আবূ বাক্র ও ‘উমার (রাঃ)-ও। আর এখন আমার বয়সও তেষট্টি বছর।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৩১৮), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৫৪
حَدَّثَنَا
الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أُخْبِرْتُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَقَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ
مَهْدِيٍّ، فِي حَدِيثِهِ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ
عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَاتَ وَهُوَ ابْنُ
ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ
عَائِشَةَ مِثْلَ هَذَا .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তেষট্টি
বছর বয়সে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুবরণ করেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত (৩১৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। যুহরীর ভাইয়ের ছেলে-যুহরী
হতে, তিনি ‘উরওয়াহ্ হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে এই সনদে উপর্যুক্ত হাদীসের মতই
বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
১৪. অনুচ্ছেদঃ
আবূ বাক্র সিদ্দীক্ব
(রাঃ)-এর গুণাবলী
৩৬৫৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ
أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبْرَأُ إِلَى كُلِّ خَلِيلٍ مِنْ
خِلِّهِ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ
خَلِيلاً وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي
هُرَيْرَةَ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَابْنِ عَبَّاسٍ .
আবদুল্লাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি প্রত্যেক
বন্ধুর বন্ধুত্ব হতে অব্যাহতি গ্রহন করছি। আমি যদি কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে
গ্রহন করতাম তাহলে আবূ কুহাফার ছেলে আবূ বাক্র সিদ্দীককেই বন্ধু বানাতাম। তোমাদের
এই সাথী আল্লাহ তা‘আলার অন্তরঙ্গ বন্ধু।
সহীহঃ যঈফাহ্ ৩০৩৪ নং হাদীসের অধীনে, মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবূ
সা‘ঈদ, আবূ হুরাইরাহ্, ইবনুয্ যুবাইর ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৫৬
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي
أُوَيْسٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ
سَيِّدُنَا وَخَيْرُنَا وَأَحَبُّنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
উমার
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আবূ বাক্র (রাঃ) আমাদের নেতা, আমাদের মাঝে সবচাইতে উত্তম, আমাদের মাঝে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশী পছন্দনীয় ব্যক্তি।
হাসানঃ মিশকাত (৬০১৮), বুখারী (৩৭৫৪) নং হাদীসে এর প্রথমাংশ উল্লেখ আছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৬৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ
أَىُّ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ قَالَتْ أَبُو بَكْرٍ . قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَتْ عُمَرُ . قُلْتُ
ثُمَّ مَنْ قَالَتْ ثُمَّ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ . قُلْتُ ثُمَّ
مَنْ قَالَ فَسَكَتَتْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশাহ্
(রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সাহাবীদের মাঝে তাঁর কাছে কে সর্বাধিক প্রিয় ছিলেন। তিনি বললেন, আবু বাকর (রাঃ) ।
আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, 'উমর (রাঃ)। আমি আবার প্রশ্ন করলাম,
তারপর কে? তিনি বললেন, আবূ 'উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর
কে?শাক্বীক্ব (রহঃ) বলেন, এবার তিনি চুপ থাকলেন।
সহীহঃ মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৫৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي
حَفْصَةَ، وَالأَعْمَشِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ صُهْبَانَ، وَابْنِ أَبِي لَيْلَى،
وَكَثِيرٍ النَّوَّاءِ، كُلِّهِمْ عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَهْلَ الدَّرَجَاتِ
الْعُلَى لَيَرَاهُمْ مَنْ تَحْتَهُمْ كَمَا تَرَوْنَ النَّجْمَ الطَّالِعَ فِي
أُفُقِ السَّمَاءِ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ مِنْهُمْ وَأَنْعَمَا "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ
عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আবু
সা'ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (জান্নাতে)
সর্বোচ্চ সম্মাননায় আসীন লোকদেরকে অবশ্যই তাদের নীচের মর্যাদার লোকেরা দেখতে
পাবে, যেমন তোমরা আসমানের দিগন্তে উদিত তারকা দেখতে পাও। আবূ বাক্র ও 'উমার
তাদেরই দলভুক্ত, বরং আরো বেশি রহমত ও মর্যাদার অধিকারী।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৬) ।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস আতিয়্যাহ্
হতে আবু সা'ঈদ (রাঃ)-এর বরাতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
১৫. অনুচ্ছেদঃ
(এক বান্দা পার্থিব জীবনের
উপর আল্লাহ তা'আলার সান্নিধ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন)
৩৬৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ
عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي الْمُعَلَّى، عَنْ أَبِيهِ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ " إِنَّ
رَجُلاً خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ أَنْ يَعِيشَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ
يَعِيشَ وَيَأْكُلَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَأْكُلَ وَبَيْنَ لِقَاءِ
رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ " . قَالَ فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ
فَقَالَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَلاَ تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا
الشَّيْخِ إِذْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً صَالِحًا
خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ
رَبِّهِ . قَالَ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بَلْ نَفْدِيكَ بِآبَائِنَا
وَأَمْوَالِنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنَ
النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ إِلَيْنَا فِي صُحْبَتِهِ وَذَاتِ يَدِهِ مِنِ ابْنِ
أَبِي قُحَافَةَ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي
قُحَافَةَ خَلِيلاً وَلَكِنْ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ
مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ " .
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ
عُمَيْرٍ بِإِسْنَادٍ غَيْرِ هَذَا . وَمَعْنَى قَوْلِهِ أَمَنَّ إِلَيْنَا
يَعْنِي أَمَنَّ عَلَيْنَا .
আবুল
মুআল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবা (ভাষণ) দেবার সময় বলেনঃ
আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর এক বান্দাকে এই ইখতিয়ার দেন যে, সে যতদিন ইচ্ছা দুনিয়ার
নিয়ামাতরাজি যথেচ্ছা ভোগ করবে অথবা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে মিলিত হবে। ঐ বান্দা
আল্লাহ্ তা'আলার সাথে মিলিত হওয়াকেই ইখতিয়ার করেছে। রাবী বলেন, (এ কথা শুনে) আবূ
বাক্র (রাঃ) কেঁদে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগন
বলেন, তোমরা কি এ বৃদ্ধের কাণ্ড দেখে অবাক হবে না যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আল্লাহ্ তা’আলার এক পুন্যবান বান্দা প্রসঙ্গে আলোচনা
করলেন, তাকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও আল্লাহ্ তা’আলার সান্নিধ্য অর্জন, এ দু’টির যে
কোন একটি গ্রহনের ইখতিয়ার দিয়েছেন তখন সে বান্দা তাঁর রবের সান্নিধ্য অর্জনকেই
ইখতিয়ার করেছেন (এতে কান্নার কি আছে)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন, তার তাৎপর্য বুঝার ব্যাপারে আবূ বাক্র (রাঃ)-ই
ছিলেন তাদের মধ্যে বেশি জ্ঞানী। আবূ বাক্র (রাঃ) বলেন, বরং আমরা আমাদের পিতা-মাতা
ও আমাদের ধন-সম্পদ আপনার জন্য উৎসর্গ করব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেনঃ লোকদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে নিজের সাহচর্য ও নিজস্ব সম্পদ দিয়ে
ইবনু আবূ কুহাফার চাইতে অধিক আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছে। যদি আমি আল্লাহ্ তা’আলা
ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে ইবনু আবূ কুহাফাকেই
অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু বড় বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব হচ্ছে ঈমানের
(বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব)। এ কথা তিনি দুই অথবা তিনবার বলেন। তোমরা জেনে রাখ!
তোমাদের সাথী (মহানাবী) আল্লাহ্ তা’আলার একনিষ্ঠ বন্ধু।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ
ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ
أَنَسٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ
قَالَ " إِنَّ عَبْدًا خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ أَنْ يُؤْتِيَهُ مِنْ
زَهْرَةِ الدُّنْيَا مَا شَاءَ وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ فَاخْتَارَ مَا عِنْدَهُ
" . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَدَيْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِآبَائِنَا
وَأُمَّهَاتِنَا . قَالَ فَعَجِبْنَا فَقَالَ النَّاسُ انْظُرُوا إِلَى هَذَا
الشَّيْخِ يُخْبِرُ رَسُولُ اللَّهِ عَنْ عَبْدٍ خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ أَنْ
يُؤْتِيَهُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا مَا شَاءَ وَبَيْنَ مَا عِنْدَ اللَّهِ
وَهُوَ يَقُولُ فَدَيْنَاكَ بِآبَائِنَا وَأُمَّهَاتِنَا . قَالَ فَكَانَ
رَسُولُ اللَّهِ هُوَ الْمُخَيَّرَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ أَعْلَمَنَا بِهِ
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَمَنِّ النَّاسِ
عَلَىَّ فِي صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُو بَكْرٍ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً
لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الإِسْلاَمِ لاَ
تَبْقَيَنَّ فِي الْمَسْجِدِ خَوْخَةٌ إِلاَّ خَوْخَةُ أَبِي بَكْرٍ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু
সা'ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে নাববীর) মিম্বারে বসে বললেনঃ আল্লাহ
তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়ার ভোগবিলাস ও আল্লাহ তা'আলার কাছে রক্ষিত ভোগবিলাস এ
দুইয়ের মাঝে যে কোন একটি গ্রহণ করার এখতিয়ার দান করলে ঐ বান্দা আল্লাহ তা'আলার
কাছে রক্ষিত ভোগবিলাসকে এখতিয়ার করেছেন। তখন আবূ বাক্র (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র
রাসূল! আপনার জন্য আমাদের বাবা-মা উৎসর্গিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা (তার
কথায়) বিস্মিত হলাম এবং লোকেরা বলল, এই বৃদ্ধ লোকের প্রতি খেয়াল কর, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক বান্দা প্রসঙ্গে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাকে
আল্লাহ তা'আলা এখতিয়ার দিয়েছেন যে, তিনি ইচ্ছা করলে আল্লাহ তা'আলা তাকে দুনিয়ার
ভোগ সামগ্ৰীও দান করতে পারেন কিংবা তিনি ইচ্ছা করলে আল্লাহ তা'আলার নিকট তাকে
রক্ষিত ভোগসামগ্ৰীও দান করতে পারেন। অথচ এই লোক বলছেন, আপনার জন্য আমাদের
বাবা-মাকে উৎসর্গ করলাম! সেই এখতিয়ারপ্রাপ্ত বান্দা হলেন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) । আর আবু বাক্র (রাঃ) আমাদের মাঝে, তাঁর
প্রসঙ্গে সবচেয়ে অধিক জ্ঞানী। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ লোকদের মাঝে স্বীয় মাল ও সাহচর্য দিয়ে আমার প্রতি সবচাইতে উপকার
(কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ) করেছেন আবু বাক্র। আমি যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে একনিষ্ঠ
বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে আবু বাক্রকেই একনিষ্ঠ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু
ইসলামী ভ্রাতৃত্বই যথেষ্ট। মাসজিদে আবু বাক্রের দ্বার (বা জানালা) ছাড়া আর কোন
দ্বার (বা জানালা) বাকি থাকবে না।
সহীহঃ বুখারী (৩৬৫৪), মুসলিম (৭/১০৮) ।
আবু 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ الْحَسَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ مُحْرِزٍ
الْقَوَارِيرِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الأَوْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا
لأَحَدٍ عِنْدَنَا يَدٌ إِلاَّ وَقَدْ كَافَيْنَاهُ مَا خَلاَ أَبَا بَكْرٍ
فَإِنَّ لَهُ عِنْدَنَا يَدًا يُكَافِئُهُ اللَّهُ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ
وَمَا نَفَعَنِي مَالُ أَحَدٍ قَطُّ مَا نَفَعَنِي مَالُ أَبِي بَكْرٍ وَلَوْ
كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً أَلاَ وَإِنَّ
صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবু
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবু বাক্র ছাড়া আর
কারো যে কোন ধরনের দয়া আমার উপর ছিল আমি তার প্রতিদান দিয়েছি। আমার উপর তার যে
দয়া রয়েছে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা'আলা তাকে তার প্রতিদান দিবেন। আর আমাকে
কারো সম্পদ এতটা উপকৃত করেনি, যতটা আবু বাক্রের সম্পদ আমাকে উপকৃত করেছে। আমি যদি
কাউকে অন্তরঙ্গভাবে গ্রহণ করতাম, তাহলে আবু বাক্রকেই একনিষ্ঠ বন্ধুরূপে গ্রহণ
করতাম। অবগত হও! তোমাদের এই সাখী আল্লাহ তা'আলার অন্তরঙ্গ বন্ধু।
যঈফঃ তবে “কারো সম্পদ আমাকে এতটা উপকার করেনি..." শেষ পর্যন্ত সহীহঃ তাখরীজু
মুশকিলাতিল ফাক্বর (১৩) ।
আবু 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
১৬. অনুচ্ছেদঃ
আবু বাক্র ও 'উমার (রাঃ)-এর
গুণাবলী ।
৩৬৬২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ
زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، هُوَ ابْنُ
حِرَاشٍ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ " .
হুযাইফাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার পরে আবু
বাক্র ও 'উমারের অনুসরণ করবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৭) ।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস সুফ্ইয়ান সাওরী-'আবদুল মালিক ইবনু 'উমাইর
হতে, তিনি রিব'ঈর আযাদকৃত গোলাম হতে তিনি, রিব্'ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে,
তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। আহ্মাদ
ইবনু মানী' প্রমুখ-সুফ্ইয়ান ইবনু 'উয়াইনাহ্ হতে, তিনি 'আবদুল মালিক ইবনু 'উমাইর
(রহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসে সুফ্ইয়ান ইবনু 'উয়াইনাহ
নিজ শাইখের নাম গোপন (তাদলীস) করেছেন। অতএব কখনও তিনি বর্ণনা করেছেন যাইদা-মালিক ইবনু
উমাইর হতে, আবার কখনো যাইদার নাম উল্লেখ করেননি। ইব্রাহীম ইবনু সা'দ এ হাদীস সুফ্ইয়ান
সাওরী হতে, তিনি 'আবদুল মালিক ইবনু 'উমাইর হতে, তিনি রিব্'ঈর মুক্তিপ্রাপ্ত দাস হতে,
তিনি রিব্'ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হতে এই সনদে বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটি সালিম আল-আন্ 'উমী রিব্'ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ
بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي
الْعَلاَءِ الْمُرَادِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ هَرِمٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ
حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، رضى الله عنه قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنِّي لاَ أَدْرِي مَا بَقَائِي فِيكُمْ
فَاقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي " . وَأَشَارَ إِلَى أَبِي
بَكْرٍ وَعُمَرَ .
হুযাইফাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আমরা অবস্থান করছিলাম। তখন
তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে আমি আর কত দিন বেঁচে থাকব তা আমার জানা নেই। অতএব তোমরা
আমার অবর্তমানে দু'জন লোকের অনুসরণ করবে- এ কথা বলে তিনি আবু বাক্র ও 'উমর
(রাঃ)-এর দিকে ইশারা করলেন।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ،
عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم لأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ " هَذَانِ سَيِّدَا كُهُولِ
أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ إِلاَّ النَّبِيِّينَ
وَالْمُرْسَلِينَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বাক্র ও 'উমার (রাঃ)
প্রসঙ্গে বলেছেনঃ এরা দু'জন নাবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্বাপর জন্নাতের সকল বয়স্কদের
নেতা হবেন।
সহীহঃ দেখুন পরবর্তী হাদীস।
আবু 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُوَقَّرِيُّ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ،
قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ طَلَعَ أَبُو بَكْرٍ
وَعُمَرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَانِ سَيِّدَا
كُهُولِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ إِلاَّ النَّبِيِّينَ
وَالْمُرْسَلِينَ يَا عَلِيُّ لاَ تُخْبِرْهُمَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْوَلِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُوَقَّرِيُّ
يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ وَلَمْ يَسْمَعْ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ مِنْ عَلِيِّ
بْنِ أَبِي طَالِبٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَلِيٍّ مِنْ غَيْرِ
هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। সে সময়
আবু বাক্র ও 'উমর (রাঃ) আবির্ভূত হন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরা দু'জন জান্নাতে নাবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্বাপর (সৰ্বকালের)
পূর্ণ বয়স্কদের নেতা হবেন। হে 'আলী! এটা তাদেরকে জানাবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৫) ।
আবু 'ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আল-ওয়ালীদ
ইবনু মুহাম্মাদ আল-মুয়াক্কিরী হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। 'আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) 'আলী
(রাঃ) হতে কিছু শুনেননি। এ হাদীস অবশ্য 'আলী (রাঃ) হতে অন্য সনদেও বর্ণিত হয়েছে। এ
অনুচ্ছেদে আনাস ও ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬৬
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ
ذَكَرَ دَاوُدُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ سَيِّدَا
كُهُولِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ مَا خَلاَ
النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ لاَ تُخْبِرْهُمَا يَا عَلِيُّ " .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবু বাক্র ও 'উমার নাবী-রাসূলগণ
ছাড়া পূর্বাপর সমস্ত বয়স্ক জান্নাতবাসীর নেতা হবেন। হে ‘আলী! তাদের দু'জনকে
জানাইও না।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ
الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ أَبُو
بَكْرٍ أَلَسْتُ أَحَقَّ النَّاسِ بِهَا أَلَسْتُ أَوَّلَ مَنْ أَسْلَمَ أَلَسْتُ
صَاحِبَ كَذَا أَلَسْتُ صَاحِبَ كَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ .
আবু
সা'ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আবু বাক্র (রাঃ) বলেছেন, আমি সেই লোক নই কি যে সর্বাগ্রে ইসলাম কবুল করেছে?
আমি কি এমন কাজের অধিকারী নই?
সহীহঃ আল-আহাদীসুল মুখতারাহ (১৯-২০) ।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস কতিপয় বর্ণনাকারী
শু'বাহ্ হতে, তিনি জুরাইরী হতে, তিনি আবূ নায্রাহ্-এর সনদে উদ্ধৃতি করেছেন এবং তিনি
বলেন, আবু বাক্র (রাঃ) বলেছেন। এটাই বেশি সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-'আবদুর রহমান
ইবনু মাহ্দী হতে, তিনি শু'বাহ্ হতে, তিনি জুরাইরী হতে, তিনি আবু নায্রাহ্ (রাঃ)
হতে, তিনি বলেন, আবু বাক্র (রাঃ) বলেছেন....উক্ত মর্মে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন
এবং এতে তিনি আবু সা'ঈদ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। এটাই অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৬৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَطِيَّةَ،
عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ
يَخْرُجُ عَلَى أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَهُمْ جُلُوسٌ
فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَلاَ يَرْفَعُ إِلَيْهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ بَصَرَهُ
إِلاَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَإِنَّهُمَا كَانَا يَنْظُرَانِ إِلَيْهِ
وَيَنْظُرُ إِلَيْهِمَا وَيَتَبَسَّمَانِ إِلَيْهِ وَيَتَبَسَّمُ إِلَيْهِمَا .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
الْحَكَمِ بْنِ عَطِيَّةَ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُهُمْ فِي الْحَكَمِ بْنِ
عَطِيَّةَ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মুহাজির ও আনসার সাহাবীদের আবূ বাক্র ও
উমারসহ বসা অবস্থায় তাদের নিকট আসতেন। কিন্তু আবূ বাক্র ও উমার (রাঃ) ব্যতীত অন্য
কেউই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে চোখ তুলে তাকাতেন
না। অথচ তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে
তাকাতেন এবং তিনিও তাদের উভয়ের দিকে তাকাতেন। তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেন এবং তিনিও তাদের উভয়ের দিকে
তাকিয়ে মুচকি হাসতেন।
যঈফ, মিশকাত (৬০৫৩)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু হাকাম ইবনু
আতিয়্যার সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। কোন কোন হাদীস বিশারদ হাকাম ইবনু আতিয়্যার সমালোচনা
করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৬৯
حَدَّثَنَا عُمَرُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ
مَسْلَمَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ وَدَخَلَ
الْمَسْجِدَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرُ عَنْ
شِمَالِهِ وَهُوَ آخِذٌ بِأَيْدِيهِمَا وَقَالَ " هَكَذَا نُبْعَثُ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ " . وَسَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ لَيْسَ عِنْدَهُمْ
بِالْقَوِيِّ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا
الْوَجْهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র ও উমার
(রাঃ)-এর হাত ধরা অবস্থায় বেরিয়ে এসে মাসজিদে ঢুকেন। তাদের একজন ছিলেন তাঁর ডান
পাশে এবং অপরজন ছিলেন তাঁর বাম পাশে। তিনি বলেনঃ কিয়ামাতের দিন আমরা এভাবে (হাত
ধরা অবস্থায়) উঠবো।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৯৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। সাঈদ ইবনু মাসলামা হাদীস
বিশেষজ্ঞদের মতে তেমন মজবুত রাবী নন। এ হাদিসটি নাফি হতে ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রেও ভিন্নরূপে
বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৭০
حَدَّثَنَا يُوسُفُ
بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ،
عَنْ مَنْصُورِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنِي كَثِيرٌ أَبُو إِسْمَاعِيلَ،
عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَبِي بَكْرٍ " أَنْتَ صَاحِبِي عَلَى
الْحَوْضِ وَصَاحِبِي فِي الْغَارِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র (রাঃ)-কে বলেনঃ আপনি হাওযে
(কাওসারে) আমার সাথী এবং (হিযরাতকালেও ছাওর পর্বত) গুহায় আপনিই (ছিলেন) আমার সাথী।
যঈফ, মিশকাত (৬০১৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৭১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ
الْمُطَّلِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالَ
" هَذَانِ السَّمْعُ وَالْبَصَرُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَهَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ
حَنْطَبٍ لَمْ يُدْرِكِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
আবদুল্লাহ
ইবনু হান্ত্ত্বাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বাক্র ও 'উমার (রাঃ)-কে প্রত্যক্ষ করে
বলেনঃ এদের উভয়ের কান ও চোখ একই।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৮১৪) ।
এ অনুচ্ছেদে 'আবদুল্লাহ ইবনু 'উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত
আছে। আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুরসাল। কেননা 'আবদুল্লাহ ইবনু হানত্বাব (রহঃ) নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা পাননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৭২
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى، إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنَا مَعْنٌ، هُوَ ابْنُ
عِيسَى حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا
رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ
مِنَ الْبُكَاءِ فَأْمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ . قَالَتْ فَقَالَ
" مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . قَالَتْ
عَائِشَةُ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ
مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ فَأْمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ
بِالنَّاسِ فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ
فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " . فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ
لأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ
عَبَّاسٍ وَسَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আবু বাক্রকে হুকুম দাও তিনি যেন
লোকদের নামায আদায় করান। 'আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আবু বাক্র
আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার কারণে লোকদেরকে কিরাআত শুনাতে পারবেন
না। অতএব আপনি 'উমার (রাঃ)-কে হুকুম দিন তিনি যেন লোকদের নামায আদায় করান।
'আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তিনি পুনরায় বললেনঃ আবু বাক্রকে নির্দেশ দাও তিনি যেন
লোকদের নামায আদায় করান। 'আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এবার আমি হাফ্সাহ্ (রাঃ)-কে
বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলুন, আবু বাক্র
(রাঃ) তাঁর স্থানে দাঁড়ালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার কারণে লোকদেরকে (তার কিরাআত)
শুনাতে পারবেন না। অতএব আপনি 'উমার (রাঃ)-কে বলুন তিনি যেন লোকদের নামায আদায়
করান। হাফসাহ্ (রাঃ) তাই করলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তোমারই তো ইউসুফ ('আঃ)-এর জন্য সমস্যা সৃষ্টিকারী সঙ্গী (যার ফলে
তিনি জেলে যেতে বাধ্য হন)। আবু বাক্রকেই লোকদের নামায আদায় করানোর হুকুম দাও। সে
সময় হাফসাহ্ (রাঃ) 'আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, কখনো আমি তোমার নিকট হতে মঙ্গল
পাইনি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২৩২), বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে 'আবদুল্লাহ
ইবনু মাস'ঊদ, আবু মূসা, ইবনু 'আব্বাস, সালিম ইবনু 'উবাইদ ও 'আবদুল্লাহ ইবনু যাম'আহ্
(রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৭৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ
عِيسَى بْنِ مَيْمُونٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ
عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" لاَ يَنْبَغِي لِقَوْمٍ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَؤُمَّهُمْ غَيْرُهُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আইশা
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন জাতির মধ্যে
আবূ বাক্র হাযির থাকতে তাদের ইমামতি করা অন্য কারো জন্য কাম্য নয়।
অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (৪৮২০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
৩৬৭৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ نُودِيَ فِي الْجَنَّةِ يَا عَبْدَ
اللَّهِ هَذَا خَيْرٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ
الصَّلاَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ
وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ وَمَنْ كَانَ
مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ " . فَقَالَ أَبُو
بَكْرٍ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي مَا عَلَى مَنْ دُعِيَ مِنْ هَذِهِ الأَبْوَابِ
مِنْ ضَرُورَةٍ فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ كُلِّهَا قَالَ
" نَعَمْ وَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক একই মালের এক জোড়া আল্লাহ
তা'আলার রাস্তায় খরচ করে তাকে জান্নাতে ডাকা হবে, হে আল্লাহ তা'আলার বান্দা! এটাই
উত্তম জায়গা। সুতরাং যে লোক নামাযী, তাকে নামাযের দ্বার হতে আহবান করা হবে। যে
লোক মুজাহিদ তাকে জিহাদের দ্বার হতে আহবান করা হবে। যে লোক দানশীল তাকে
দান-খাইরাতের দ্বার হতে আহবান করা হবে। যে লোক রোযাদার তাকে রোযার বিশেষ দ্বার
(রাইয়্যান) হতে আহবান করা হবে। সে সময় আবু বাক্র (রাঃ) বললেন, আমার পিতা-মাতা
আপনার জন্য উৎসর্গ হোক! কোন লোককে সকল দরজা হতে ডাকার তো দরকার নেই। তা সত্ত্বেও
কোন লোককে কি এসবগুলো দরজা হতে আহবান করা হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এবং আমি আশা করি
আপনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৮৭৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৭৫
حَدَّثَنَا هَارُونُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ
دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ
أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ أَمَرَنَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَتَصَدَّقَ فَوَافَقَ ذَلِكَ عِنْدِي مَالاً
فَقُلْتُ الْيَوْمَ أَسْبِقُ أَبَا بَكْرٍ إِنْ سَبَقْتُهُ يَوْمًا قَالَ فَجِئْتُ
بِنِصْفِ مَالِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا
أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ " . قُلْتُ مِثْلَهُ وَأَتَى أَبُو بَكْرٍ بِكُلِّ
مَا عِنْدَهُ فَقَالَ " يَا أَبَا بَكْرٍ مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ
" . قَالَ أَبْقَيْتُ لَهُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قُلْتُ وَاللَّهِ لاَ
أَسْبِقُهُ إِلَى شَيْءٍ أَبَدًا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
যাইদ
ইবনু আসলাম (রহঃ) কর্তৃক তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, 'উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূকের যুদ্ধের প্রাক্কালে) আমাদেরকে দান-খাইরাত করার
হুকুম করেন। সৌভাগ্যক্রমে ঐ সময় আমার সম্পদও ছিল। আমি (মনে মনে) বললাম, যদি আমি
কোন দিন আবু বাক্র (রাঃ)-কে ডিঙ্গাতে পারি তাহলে আজই সেই সুযোগ। 'উমার (রাঃ)
বলেন, আমি আমার অর্ধেক সম্পদ নিয়ে এলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তোমার পরিবার-পরিজনদের জন্য তুমি কি বাকি রেখে এসেছ? আমি বললাম,
এর সমপরিমাণ। আর আবু বাক্র (রাঃ) তার সমস্ত মাল নিয়ে আসলেন। তিনি বললেনঃ হে আবু
বাক্র! তোমার পরিবার-পরিজনদের জন্য তুমি কি বাকি রেখে এসেছ? তিনি বললেন, তাদের
জন্য আল্লাহ ও তার রাসূলকেই রেখে এসেছি। আমি (মনে মনে) বললাম, কখনও আমি কোন
প্রসঙ্গে আবু বাক্র (রাঃ)-কে ডিঙ্গাতে পারব না।
হাসানঃ মিশকাত (৬০২১) ।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
১৭. অনুচ্ছেদঃ
আবু বাক্র (রাঃ)-এর খলীফাহ্
হওয়ার ইঙ্গিত
৩৬৭৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ
حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ
مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَكَلَّمَتْهُ فِي شَيْءٍ وَأَمَرَهَا
بِأَمْرٍ فَقَالَتْ أَرَأَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ أَجِدْكَ قَالَ
" فَإِنْ لَمْ تَجِدِينِي فَأْتِ أَبَا بَكْرٍ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জুবাইর
ইবনু মুত্ব'ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
মহিলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁর সঙ্গে কোন
প্রসঙ্গে কথা বলল। তিনি তাকে কিছু করার ব্যাপারে হুকুম দেন। সে বলল, হে আল্লাহর
রাসূল! আচ্ছা আমি (আবার এসে) আপনাকে যদি না পাই?তিনি বললেনঃ যদি তুমি আমাকে না পাও
তবে আবু বাক্রের কাছে এসো।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৭৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " بَيْنَا رَجُلٌ رَاكِبٌ بَقَرَةً إِذْ قَالَتْ لَمْ
أُخْلَقْ لِهَذَا إِنَّمَا خُلِقْتُ لِلْحَرْثِ " . فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آمَنْتُ بِذَلِكَ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ
وَعُمَرُ " . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَمَا هُمَا فِي الْقَوْمِ يَوْمَئِذٍ
وَاللَّهُ أَعْلَمُ .
আবু
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদিন এক লোক একটি
গরুর পিঠে আরোহিত থাকা অবস্থায় গরুটি বলল, আমাকে এজন্য সৃষ্টি করা হয়নি, আমাকে
সৃষ্টি করা হয়েছে কৃষিকাজের জন্য। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ আমি, আবু বাক্র ও 'উমার (রাঃ) -এই বিষয়টির উপর দৃঢ় আস্থা
স্থাপন করলাম। আবু সালামাহ্ (রহঃ) বলেন, তারা দু'জন সেদিন জনতার মাঝে হাযির ছিলেন
না।
সহীহঃ ইরওয়াহ্ (২৪৭), বুখারী ও মুসলিম।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-মুহাম্মাদ ইবনু জা'ফার হতে, তিনি
শু’বাহ (রহঃ) হতে উপর্যুক্ত সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি
হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ
رَاشِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم أَمَرَ بِسَدِّ الأَبْوَابِ إِلاَّ بَابَ أَبِي بَكْرٍ . هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বাক্রের দ্বার ছাড়া আর সমস্ত দ্বার বন্ধ
করে দেয়ার হুকুম দেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম, দেখুন হাদীস নং ৩৬৬০।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে গারীব। এ অনুচ্ছেদে
আবু সা'ঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৭৯
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ
طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا
بَكْرٍ، دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ "
أَنْتَ عَتِيقُ اللَّهِ مِنَ النَّارِ " . فَيَوْمَئِذٍ سُمِّيَ عَتِيقًا
. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَعْنٍ
وَقَالَ عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আবু বাক্র (রাঃ) প্রবেশ করলে তিনি
বললেনঃ আপনি জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তিপ্রাপ্ত আল্লাহর বান্দা (আত্বীকুল্লাহ) ।
সেদিন হতে তিনি আত্বীক নামে ভূষিত হন।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ৬০২২)
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস কিছু বর্ণনাকারী
মা’আন হতে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি মূসা ইবনু ত্বালহা হতে, তিনি 'আয়িশাহ্ (রাঃ)
হতে এই সনদের উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৮০
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا تَلِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ،
عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ لَهُ وَزِيرَانِ مِنْ
أَهْلِ السَّمَاءِ وَوَزِيرَانِ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ فَأَمَّا وَزِيرَاىَ مِنْ
أَهْلِ السَّمَاءِ فَجِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ وَأَمَّا وَزِيرَاىَ مِنْ أَهْلِ
الأَرْضِ فَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَأَبُو الْجَحَّافِ اسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ . وَيُرْوَى عَنْ
سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ . حَدَّثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ وَكَانَ مَرْضِيًّا
وَتَلِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ يُكْنَى أَبَا إِدْرِيسَ وَهُوَ شِيعِيٌّ .
আবু
সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীরই
আকাশবাসীদের মধ্য হতে দু'জন উযীর এবং যমিনবাসীদের মধ্য হতে দু'জন উযীর ছিল।
আকাশবাসীদের মধ্য হতে আমার দু'জন উযীর হলেন জিবরাঈল ও মীকাঈল আলাইহিস সালাম এবং
যমিনবাসীদের মধ্য হতে আমার দু'জন উযীর হলেন আৰু বাকর ও উমার।
যঈফ, মিশকাত (৬০৫৬)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব। আর আবুল জাহ্হাফের
নাম দাউদ ইবনু আৰু আওফ। সুফিয়ান সাওরী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আবুল জাহ্হাফ
আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তিনি ছিলেন প্রিয় লোক। তালীদ ইবনু সুলাইমানের
ডাক নাম আবু ইদরীস, তিনি শীয়া মতালম্বী।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
১৮. অনুচ্ছেদঃ
'উমার ইবনুল খাত্তাব
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৬৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ
الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا خَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ
نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" اللَّهُمَّ أَعِزَّ الإِسْلاَمَ بِأَحَبِّ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ
إِلَيْكَ بِأَبِي جَهْلٍ أَوْ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ " . قَالَ
وَكَانَ أَحَبَّهُمَا إِلَيْهِ عُمَرُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “হে আল্লাহ! আবু জাহ্ল কিংবা 'উমার
ইবনুল খাত্তাব- এই দু'জনের মাঝে তোমার নিকট যে বেশি প্রিয়, তার মাধ্যমে তুমি
ইসলামকে মজবুত কর ও মর্যাদা দান কর"। ইবনু 'উমার (রাঃ) বলেন, ঐ দু'জনের মাঝে
'উমার (রাঃ)-ই আল্লাহ তা'আলার প্রিয় হিসেবে আবির্ভূত হন।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬০৩৬) ।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং ইবনু 'উমার
(রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا خَارِجَةُ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ الأَنْصَارِيُّ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ جَعَلَ
الْحَقَّ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ وَقَلْبِهِ " . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ مَا
نَزَلَ بِالنَّاسِ أَمْرٌ قَطُّ فَقَالُوا فِيهِ وَقَالَ فِيهِ عُمَرُ أَوْ قَالَ
ابْنُ الْخَطَّابِ فِيهِ شَكَّ خَارِجَةُ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ الْقُرْآنُ عَلَى
نَحْوِ مَا قَالَ عُمَرُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ الْفَضْلِ
بْنِ الْعَبَّاسِ وَأَبِي ذَرٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَخَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
الأَنْصَارِيُّ هُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَهُوَ ثِقَةٌ
.
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা উমার (রাঃ)-এর মুখে ও
হৃদয়ে সত্যকে স্থাপন করেছেন। ইবনু 'উমার (রাঃ) বলেন, জনগণের সম্মুখে কখনো কোন
প্রসঙ্গ আবির্ভূত হলে লোকজনও তা সম্পর্কে মন্তব্য ব্যক্ত করত এবং 'উমার ইবনুল
খাত্তাব (রাঃ)-ও অভিমত ব্যক্ত করতেন। দেখা যেত, 'উমার (রাঃ)-এর অভিমত এর সমর্থনে
কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০৮) ।
এ অনুচ্ছেদে আল-ফাযল ইবনু 'আব্বাস, আবু যার ও আবু হুরাইরাহ্
(রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, উপর্যুক্ত সূত্রে
গারীব। খারিজাহ্ ইবনু 'আবদুল্লাহ আল-আনসারী হলেন ইবনু সুলাইমান ইবনু যাইদ ইবনু সাবিত।
তিনি একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ النَّضْرِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ
عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" اللَّهُمَّ أَعِزَّ الإِسْلاَمَ بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ أَوْ
بِعُمَرَ " . قَالَ فَأَصْبَحَ فَغَدَا عُمَرُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَأَسْلَمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُهُمْ فِي النَّضْرِ أَبِي عُمَرَ
وَهُوَ يَرْوِي مَنَاكِيرَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “হে আল্লাহ! আবু জাহল ইবনু হিশাম অথবা
উমার ইবনুল খাত্তাবের মারফত ইসলামকে শক্তিশালী কর"। রাবী বলেনঃ পরের দিন
সকালে উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির
হয়ে ইসলাম ক্ববূল করেন।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত (৬০৩৬)
আৰু ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। কিছু মুহাদিস
আন-নাযর আবু উমারের সমালোচনা করেছেন। তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
৩৬৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ الْوَاسِطِيُّ أَبُو
مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ابْنُ أَخِي، مُحَمَّدِ بْنِ
الْمُنْكَدِرِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ لأَبِي بَكْرٍ يَا خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ
اللَّهِ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمَا إِنَّكَ إِنْ قُلْتَ ذَاكَ فَلَقَدْ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا طَلَعَتِ
الشَّمْسُ عَلَى رَجُلٍ خَيْرٍ مِنْ عُمَرَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ
بِذَاكَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ .
জাবির
ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ উমার (রাঃ) আবু বাকর (রাঃ)-কে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর পরেই হে সর্বোত্তম মানুষ। আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, আপনি আমার প্রসঙ্গে
এমন মন্তব্য করলেন! অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
অবশ্যই বলতে শুনেছিঃ উমারের চাইতে অধিক ভালো কোন লোকের উপর দিয়ে সূর্য উঠেনি।
মাওযু যঈফা (১৩৫৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু আলোচ্য সূত্রেই
এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীসের সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়। এ অনুচ্ছেদে আবুদ দারদা (রাঃ)
হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
৩৬৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ
زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ مَا أَظُنُّ رَجُلاً
يَنْتَقِصُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ يُحِبُّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
মুহাম্মাদ
ইবনু সীরীন থেকে বর্ণিতঃ
আমি
মনে করি না যে, এমন কোন ব্যক্তি আছেন যিনি নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে ভালবাসেন অথচ আবু বাক্র ও 'উমার (রাঃ)-এর মর্যাদা খাটো করে দেখেন।
সনদ সহীহ মাকতু' ।
আবু 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ মাকতু
৩৬৮৬
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ
بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ بَكْرِ
بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كَانَ بَعْدِي نَبِيٌّ
لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ .
উক্ববাহ্
ইবনু 'আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরবর্তীতে কেউ
নবী হলে অবশ্যই 'উমার ইবনুল খাত্তাবই নবী হত।
হাসানঃ সহীহাহ্ (৩২৭) ।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র
মিশরাহ ইবনু 'আ-হান বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৬৮৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ كَأَنِّي
أُتِيتُ بِقَدَحٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْتُ مِنْهُ فَأَعْطَيْتُ فَضْلِي عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ " . قَالُوا فَمَا أَوَّلْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ
" الْعِلْمَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম
যেন আমার কাছে এক পেয়ালা দুধ আনা হয়েছে, তা হতে আমি পান করলাম এবং বাকি অংশটুকু
‘উমার ইবনুল খাত্তাবকে দিলাম। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এর কি
ব্যাখ্যা করেন? তিনি বললেনঃ “জ্ঞান”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। ২২৮৪ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৮৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَإِذَا
أَنَا بِقَصْرٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِشَابٍّ
مِنْ قُرَيْشٍ فَظَنَنْتُ أَنِّي أَنَا هُوَ فَقُلْتُ وَمَنْ هُوَ فَقَالُوا
عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মি’রাজের রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করে
তাতে একখানা সোনার বালাখানা প্রত্যক্ষ করলাম। আমি প্রশ্ন করলাম, এ বালাখানা কার?
ফেরেশতারা বললেন, কুরাইশের এক যুবকের। আমি ধারণা করলাম, আমিই সেই যুবক। আমি প্রশ্ন
করলামঃ কে সেই যুবক? ফেরেশতারা বললেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৪০৫, ১৪২৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৮৯
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
بُرَيْدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي بُرَيْدَةُ، قَالَ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَدَعَا بِلاَلاً فَقَالَ " يَا بِلاَلُ بِمَ
سَبَقْتَنِي إِلَى الْجَنَّةِ مَا دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَطُّ إِلاَّ سَمِعْتُ
خَشْخَشَتَكَ أَمَامِي دَخَلْتُ الْبَارِحَةَ الْجَنَّةَ فَسَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ
أَمَامِي فَأَتَيْتُ عَلَى قَصْرٍ مُرَبَّعٍ مُشَرَّفٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ
لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ فَقَالُوا لِرَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ فَقُلْتُ أَنَا
عَرَبِيٌّ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ قُلْتُ أَنَا
قُرَشِيٌّ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِرَجُلٍ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ قُلْتُ
أَنَا مُحَمَّدٌ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
" . فَقَالَ بِلاَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَذَّنْتُ قَطُّ إِلاَّ
صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ وَمَا أَصَابَنِي حَدَثٌ قَطُّ إِلاَّ تَوَضَّأْتُ
عِنْدَهَا وَرَأَيْتُ أَنَّ لِلَّهِ عَلَىَّ رَكْعَتَيْنِ . فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بِهِمَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى
وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَمُعَاذٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رَأَيْتُ فِي الْجَنَّةِ قَصْرًا
مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا فَقِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى هَذَا
الْحَدِيثِ أَنِّي دَخَلْتُ الْبَارِحَةَ الْجَنَّةَ يَعْنِي رَأَيْتُ فِي
الْمَنَامِ كَأَنِّي دَخَلْتُ الْجَنَّةَ هَكَذَا رُوِيَ فِي بَعْضِ الْحَدِيثِ
. وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ رُؤْيَا الأَنْبِيَاءِ وَحْىٌ
.
বুরাইদাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
দিন ভোরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে ডেকে
বললেনঃ হে বিলাল! তুমি জান্নাতে কি কারণে আমার আগে আগে থাকছ? যখনই আমি জান্নাতে
প্রবেশ করেছি সে সময়ই আমার আগে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। গত রাতেও আমি
জান্নাতে প্রবেশ করেছি এবং আমার আগে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। আমি
স্বর্ণনির্মিত একটি বর্গাকার সুউচ্চ প্রাসাদের নিকট এসে বললামঃ এ প্রাসাদটি কার?
ফেরেশতারা বললেন, এটা আরবের এক ব্যক্তির। আমি বললাম, আমি একজন আরব। সুতরাং এ
প্রাসাদটি কার? তারা বললেন, কুরাইশ বংশের এক লোকের। আমি বললামঃ আমি কুরাইশ বংশীয়,
অতএব এ প্রাসাদটি কার? তারা বললেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর উম্মাতের এক ব্যক্তির। আমি বললাম, আমিই মুহাম্মাদ, সুতরাং এ প্রাসাদটি
কার? তারা বললেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের। তারপর বিলাল (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর
রাসূল! কখনো আমি আযান দিলেই দুই রাক’আত নামায আদায় করি এবং কখনো আমার উযূ ছুটে
গেলেই আমি উযূ করি এবং মনে করি আল্লাহ তা’আলার নামে দুই রাক’আত নামায আদায় করা
আমার কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ দু’টি
কারণেই (তোমার এ মর্যাদা)।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (১/৯৯)।
এ অনুচ্ছেদে জাবির, মু’আয ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও
হাদীস বর্ণিত আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতের মাঝে
আমি সোনার তৈরী একখানা প্রাসাদ দেখে বললাম, এ প্রাসাদটি কার? বলা হল, ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর বাণীঃ “গত রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি”, এর অর্থ “আমি স্বপ্নে দেখেছি
যেন আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি”। কোন কোন হাদীসে এ রকমই বর্ণিত আছে। ইবনু ‘আব্বাস
(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, নাবীদের স্বপ্নও ওয়াহী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৯০
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ،
حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ
بُرَيْدَةَ، يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ
مَغَازِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ جَاءَتْ جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ
اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ نَذَرْتُ إِنْ رَدَّكَ اللَّهُ سَالِمًا أَنْ أَضْرِبَ
بَيْنَ يَدَيْكَ بِالدُّفِّ وَأَتَغَنَّى . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِنْ كُنْتِ نَذَرْتِ فَاضْرِبِي وَإِلاَّ فَلاَ "
. فَجَعَلَتْ تَضْرِبُ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ
عَلِيٌّ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عُثْمَانُ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ
عُمَرُ فَأَلْقَتِ الدُّفَّ تَحْتَ اسْتِهَا ثُمَّ قَعَدَتْ عَلَيْهِ . فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّيْطَانَ لَيَخَافُ مِنْكَ
يَا عُمَرُ إِنِّي كُنْتُ جَالِسًا وَهِيَ تَضْرِبُ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ وَهِيَ
تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عَلِيٌّ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عُثْمَانُ وَهِيَ
تَضْرِبُ فَلَمَّا دَخَلْتَ أَنْتَ يَا عُمَرُ أَلْقَتِ الدُّفَّ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ
وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَائِشَةَ .
বুরাইদাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক যুদ্ধাভিযানে যান। তিনি ফিরে এলে
এক কৃষ্ণবর্ণা মেয়ে এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি মানত করেছিলাম যে, আপনাকে
আল্লাহ তা’আলা হিফাযাতে (সুস্থাবস্থায়) ফিরিয়ে আনলে আপনার সম্মুখে আমি দফ বাজাব
এবং গান করব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি
সত্যিই যদি মানত করে থাক তবে দফ বাজাও, তা না হলে বাজিও না। সে দফ (এক মুখ খোলা
ঢোল) বাজাতে লাগল। এই অবস্থায় সেখানে আবূ বাক্র (রাঃ) এলেন এবং সে দফ বাজাতে
থাকে, তারপর 'আলী (রাঃ) এলেন এবং সে ওটা বাজাতে থাকে। তারপর 'উসমান (রাঃ) এলেন, সে
সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। তারপর ‘উমার (রাঃ) এসে প্রবেশ করলে সে দফটি তার নিতম্বের
নীচে রেখে তার উপর অবস্থান করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ হে 'উমার! তোমাকে দেখলে শাইতানও ভয় পায়। আমি উপবিষ্ট ছিলাম আর ঐ মেয়েটি দফ
বাজাচ্ছিল। পরে আবূ বাক্র এসে প্রবেশ করলে সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। এরপর 'আলী
প্রবেশ করলে সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। এরপর ‘উসমান এসে প্রবেশ করলে তখনও সে তা
বাজাতে থাকে। অবশেষে তুমি এসে যখন প্রবেশ করলে, হে ‘উমার! সে সময় সে দফটি ফেলে
দিল।
সহীহঃ নাক্বদুল কিত্তানী (৪৭-৪৮), সহিহাহ্ (২২৬১)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং বুরাইদাহ্র
বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। এ অনুচ্ছেদে ‘উমার, সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস ও ‘আয়িশাহ্
(রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৯১
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ صَبَّاحٍ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ
بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم جَالِسًا فَسَمِعْنَا لَغَطًا وَصَوْتَ صِبْيَانٍ فَقَامَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا حَبَشِيَّةٌ تُزْفِنُ وَالصِّبْيَانُ
حَوْلَهَا فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ تَعَالَىْ فَانْظُرِي " .
فَجِئْتُ فَوَضَعْتُ لَحْيَىَّ عَلَى مَنْكِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَجَعَلْتُ أَنْظُرَ إِلَيْهَا مَا بَيْنَ الْمَنْكِبِ إِلَى رَأْسِهِ فَقَالَ لِي
" أَمَا شَبِعْتِ أَمَا شَبِعْتِ " . قَالَتْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ
لاَ لأَنْظُرَ مَنْزِلَتِي عِنْدَهُ إِذْ طَلَعَ عُمَرُ قَالَ فَارْفَضَّ النَّاسُ
عَنْهَا قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَنْظُرُ
إِلَى شَيَاطِينِ الإِنْسِ وَالْجِنِّ قَدْ فَرُّوا مِنْ عُمَرَ " .
قَالَتْ فَرَجَعْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন। সে সময় আমরা
একটা সোরগোল ও শিশুদের হৈচৈ শুনতে পেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) উঠে গিয়ে দেখলেন, এক হাবশী নারী নেচেকুদে খেলা দেখাচ্ছে আর শিশুরা তার
চারিদিকে ভীড় জমিয়েছে। তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! এসো এবং প্রত্যক্ষ কর। অতএব আমি
গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাঁধের উপর আমার
চিবুক রেখে তার খেলা প্রত্যক্ষ করতে লাগলাম। আমার চিবুক ছিল তাঁর মাথা ও কাঁধের
মধ্যবর্তী জায়গায়। (কিছুক্ষণ পর) আমাকে তিনি বললেনঃ তুমি কি তৃপ্ত হওনি, তোমার কি
তৃপ্তি পূর্ণ হয়নি? তিনি বলেন, আমি না, না বলতে থাকলাম। আমার লক্ষ্য ছিল, আমাকে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতটুকু খাতির করেন তা পর্যবেক্ষণ
করা। ইত্যবসরে ‘উমার (রাঃ) আবির্ভূত হন এবং মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত লোক তার কাছ হতে
সটকে পড়ে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ আমি দেখলাম জিন ও মানববেশধারী শাইতানগুলো ‘উমারকে দেখেই সরে
যাচ্ছে। তিনি বলেন, তারপর আমি ফিরে এলাম।
সহীহঃ মিশকাত (৬০৩৯) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৯২
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ
بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، حَدَّثَنَا
عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ
عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا أَوَّلُ
مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ ثُمَّ آتِي
أَهْلَ الْبَقِيعِ فَيُحْشَرُونَ مَعِي ثُمَّ أَنْتَظِرُ أَهْلَ مَكَّةَ حَتَّى
أُحْشَرَ بَيْنَ الْحَرَمَيْنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ لَيْسَ بِالْحَافِظِ عِنْدَ
أَهْلِ الْحَدِيثِ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার জন্যই প্রথমে
(কবর) বিদীর্ণ করা হবে, তারপর আবু বকরের, তারপর উমারের জন্য। তারপর আমি আল-বাকী’র
কবরবাসীদের নিকট আসব এবং তাদেরকে আমার সাথে হাশরের মাঠে সমবেত করা হবে। তারপর আমি
মক্কাবাসীদের জন্য প্রতীক্ষা করব। পরিশেষে হারামাইন শরীফাইন (মক্কা ও মদীনা)-এর
মধ্যবর্তী স্থানে আমাকে উঠানো হবে।
যঈফ, যঈফা (২৯৪৯)
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। (আমার মতে) আসিম
ইবনু উমার ‘হাফেজে হাদীস’ নন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৯৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ
إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ كَانَ يَكُونُ فِي الأُمَمِ
مُحَدَّثُونَ فَإِنْ يَكُ فِي أُمَّتِي أَحَدٌ فَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ حَدَّثَنِي بَعْضُ
أَصْحَابِ سُفْيَانَ قَالَ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ مُحَدَّثُونَ يَعْنِي
مُفَهَّمُونَ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবেক উম্মাতদের
মাঝে ‘মুহাদ্দাস’ (তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও সূক্ষদর্শী লোক) আবির্ভাব হতেন। আমার উম্মাতদের
মাঝে কেউ মুহাদ্দাস হলে তা ‘উমার ইবনুল খাত্তাবই।
হাসান সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। ইবনু ‘উয়াইনার অপর এক
শাগরিদ সুফ্ইয়ান ইবনু উয়াইনার সনদে আমার কাছে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, মুহাদ্দাসুন
অর্থ ‘মুফাহ্হামূন’ (আল্লাহ যাদেরকে ইসলামের পূর্ণ জ্ঞান দান করেন)।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৬৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْقُدُّوسِ،
حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
سَلِمَةَ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَطْلُعُ عَلَيْكُمْ رَجُلٌ
مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَاطَّلَعَ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ قَالَ
" يَطْلُعُ عَلَيْكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ " .
فَاطَّلَعَ عُمَرُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَجَابِرٍ . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের সামনে জান্নাতীদের একজন
আবির্ভূত হবেন। ইত্যবসরে আবু বাকর (রাঃ) আবির্ভূত হন। তিনি আবার বলেনঃ তোমাদের
সামনে জান্নাতীদের একজন আবির্ভূত হবেন। ইত্যবসরে উমর (রাঃ) আবির্ভূত হন।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৫)
এ অনুচ্ছেদে আবু মূসা ও জাবির (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত
আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৯৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ
سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بَيْنَمَا رَجُلٌ يَرْعَى غَنَمًا
لَهُ إِذْ جَاءَ ذِئْبٌ فَأَخَذَ شَاةً فَجَاءَ صَاحِبُهَا فَانْتَزَعَهَا مِنْهُ
فَقَالَ الذِّئْبُ كَيْفَ تَصْنَعُ بِهَا يَوْمَ السَّبُعِ يَوْمَ لاَ رَاعِيَ
لَهَا غَيْرِي " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
فَآمَنْتُ بِذَلِكَ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ " . قَالَ أَبُو
سَلَمَةَ وَمَا هُمَا فِي الْقَوْمِ يَوْمَئِذٍ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদিন এক লোক তার মেষ (বকরী) পাল
চরাচ্ছিল। হঠাৎ একটি নেকড়ে বাঘ এসে একটি বকরী ধরে ফেলে। তার মালিক এসে নেকড়ের কাছ
থেকে বকরীটি ছিনিয়ে নিল। নেকড়ে বলল, হিংস্র জন্তুর দিনে (যেদিন মানুষ মারা যাবে
এবং হিংস্র জন্তুরা বাকি থাকবে) তুমি কি করবে, যেদিন আমি ছাড়া এদের কোন রাখাল
থাকবে না? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি নিজে এবং
আবূ বকর ও ‘উমার এতে (নেকড়ের মন্তব্যে) বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আবূ সালামাহ্ (রাঃ)
বলেন, সেই মজলিসে ঐ দিন তারা দু’জন হাযির ছিলেন না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটি ৩৬৭৭ নং হাদীসের পূর্ণাঙ্গরূপ।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি
শু’বাহ্ হতে, তিনি সা’দ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু 'ঈসা বলেন,
এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
১৯. অনুচ্ছেদঃ
‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান
(রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৬৯৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ
سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَلَى حِرَاءَ هُوَ وَأَبُو
بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ وَعُثْمَانُ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ رضى الله عنهم
فَتَحَرَّكَتِ الصَّخْرَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم "
اهْدَأْ إِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَابْنِ
عَبَّاسٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَبُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ
وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেরা পর্বতে ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবূ
বকর, ‘উমার, ‘উসমান, ‘আলী, ত্বালহা ও আয্-যুবাইর (রাঃ)। (তাদের পদতলের) পাথরটি
নড়াচড়া করলে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্থির হয়ে থাক। কেননা
তোমার উপর একজন নবী কিংবা একজন সিদ্দীক অথবা একজন শহীদ রয়েছেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২/৫৬২), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ‘উসমান,
‘সা’ঈদ ইবনু যাইদ, ইবনু ‘আব্বাস, সাহ্ল ইবনু সা’দ, আনাস ইবনু মালিক ও বুরাইদাহ্ (রাঃ)
হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي
عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم صَعِدَ أُحُدًا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ
بِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اثْبُتْ أُحُدُ
فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ)-সহ উহূদ
পাহাড়ে আরোহণ করেন। তাদেরকে নিয়ে পাহাড় কেঁপে উঠে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পদাঘাত করে) বললেনঃ হে উহুদ! শান্ত হও। তোমার উপরে একজন
নাবী, একজন সিদ্দীক্ব (পরম সত্যবাদী) ও দু’জন শহীদ রয়েছেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৮৭৫), বুখারী।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو
هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنْ شَيْخٍ، مِنْ
بَنِي زُهْرَةَ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ
طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" لِكُلِّ نَبِيٍّ رَفِيقٌ وَرَفِيقِي - يَعْنِي فِي الْجَنَّةِ عُثْمَانُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ
بِالْقَوِيِّ وَهُوَ مُنْقَطِعٌ .
তালহা
ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীর
একজন করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে। জান্নাতে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবেন উসমান (রাঃ)।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১০৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব। এর সনদসূত্র নয় এবং এটি
মুনকাতে হাদীস। তেমন সুদৃঢ় নয় এবং এটি মুনকাতে হাদীস।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৬৯৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ
الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ، هُوَ ابْنُ
أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ
السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا حُصِرَ عُثْمَانُ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ فَوْقَ دَارِهِ
ثُمَّ قَالَ أُذَكِّرُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ حِرَاءَ حِينَ
انْتَفَضَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اثْبُتْ حِرَاءُ
فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ " .
قَالُوا نَعَمْ . قَالَ أُذَكِّرُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ " مَنْ يُنْفِقُ
نَفَقَةً مُتَقَبَّلَةً " . وَالنَّاسُ مُجْهَدُونَ مُعْسِرُونَ
فَجَهَّزْتُ ذَلِكَ الْجَيْشَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ قَالَ أُذَكِّرُكُمْ
بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ بِئْرَ رُومَةَ لَمْ يَكُنْ يَشْرَبُ مِنْهَا
أَحَدٌ إِلاَّ بِثَمَنٍ فَابْتَعْتُهَا فَجَعَلْتُهَا لِلْغَنِيِّ وَالْفَقِيرِ
وَابْنِ السَّبِيلِ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ وَأَشْيَاءُ عَدَّدَهَا . هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَبْدِ
الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عُثْمَانَ .
আবূ
‘আবদুর রহমান আস্-সুলামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, যখন ‘উসমান (রাঃ) বিদ্রোহীদের মাধ্যমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন, সে সময় তিনি তার
ঘরের উপরিতলে (ছাদে) উঠলেন, তারপর বললেন, আজ আল্লাহর ক্বসম করে আমি তোমাদের মনে
করিয়ে দিচ্ছি, তোমরা কি অবহিত আছ যে, হেরা পর্বত কম্পিত হলে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেনঃ হে হেরা! শান্ত হয়ে যাও, কেননা
তোমার উপর রয়েছেন একজন নবী কিংবা একজন সিদ্দীক্ব কিংবা একজন শহীদ? লোকেরা বলল,
হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বললেন, আমি আল্লাহ তা’আলার নামে ক্বসম করে তোমাদেরকে মনে করিয়ে
দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসরা বাহিনীর (তাবূকের
যুদ্ধের) জন্য বলেছিলেনঃ কে এটা পছন্দনীয় বা ক্ববূল হওয়ার যোগ্য (অধিক পরিমাণের)
খরচ দিতে তৈরী আছে? সে সময় লোকেরা চরম আর্থিক সংকট ও কঠিন পরিস্থিতির মুকাবিলা
করছিল। অতএব সেই বাহিনীর প্রয়োজনীয় ব্যয় আমিই বহন করেছি। লোকেরা বলল, হ্যাঁ। আবার
তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা’আলার নামে প্রতিজ্ঞা করে তোমাদেরকে আমি আরও মনে করিয়ে দিতে
চাই, তোমরা কি জ্ঞাত আছ যে, রূমা কূপের পানি কেউই ক্রয় করা ব্যতীত পান করতে পারত
না? সেই কূপ আমি ক্রয় করে আমি ধনী, দরিদ্র ও মুসাফিরদের জন্য ওয়াক্ফ করে দিয়েছি।
লোকেরা বলল, ইয়া আল্লাহ! হ্যাঁ (আমরা জানি)। তিনি তার আরো কিছু (জনহিতকর)
সমাজকল্যাণমূলক কথা মনে করিয়ে দেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০৯)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উপর্যুক্ত সূত্রে
গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا السَّكَنُ بْنُ
الْمُغِيرَةِ، وَيُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ، مَوْلًى لآلِ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ فَرْقَدٍ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ خَبَّابٍ، قَالَ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ
يَحُثُّ عَلَى جَيْشِ الْعُسْرَةِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ عَلَىَّ مِائَةُ بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقْتَابِهَا فِي
سَبِيلِ اللَّهِ . ثُمَّ حَضَّ عَلَى الْجَيْشِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ
فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَىَّ مِائَتَا بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا
وَأَقْتَابِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . ثُمَّ حَضَّ عَلَى الْجَيْشِ فَقَامَ
عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِلَّهِ عَلَىَّ
ثَلاَثُمِائَةِ بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقْتَابِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ .
فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْزِلُ عَنِ الْمِنْبَرِ
وَهُوَ يَقُولُ " مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذِهِ مَا عَلَى
عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
السَّكَنِ بْنِ الْمُغِيرَةِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
سَمُرَةَ .
আবদুর
রহমান ইবনু খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনসাধারণকে জাইশুল
উসরাত অর্থাৎ তাবুকের সামরিক অভিযানে আর্থিক সহায়তা দেবার জন্য উৎসাহিত করছিলেন,
তখন আমি সেখানে হাযির ছিলাম। উসমান (রাঃ) দাড়িঁয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি
সুসজ্জিত এক শত উট (গদি-পালানসহ) আল্লাহ্ তা'আলার রাস্তায় দান করলাম। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার যুদ্ধের (আর্থিক খরচ বহনের উদ্দেশ্যে)
লোকদেরকে উৎসাহিত করলেন। উসমান (রাঃ) দাড়িঁয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল!
গদি-পালানসহ আমি দুই শত উট আল্লাহ্ তা'আলার রাস্তায় দান করলাম। তিনি আবারও
লোকদেরকে যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করেন। উসমান (রাঃ) দাড়িঁয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর
রাসূল! আমি গদি-পালানসহ তিন শত উট আল্লাহ্ তা'আলার রাস্তায় দান করলাম। রাবী আবদুর
রহমান (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বারের
উপর হতে এ কথা বলতে বলতে নামতে দেখছি- আজকের পর হতে উসমান যাই করুক তার জন্য তাকে
কৈফিয়াত দিতে হবে না। আজকের পর হতে উসমান যাই করুক তার জন্য তাকে কৈফিয়ত দিতে
হবে না।
যঈফ, মিশকাত (৬০৬৩)
আবু ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আমরা
শুধুমাত্র আস-সাকান ইবনুল মুগীরাহর সূত্রেই হাদীসটি জানতে পেরেছি। এ অনুচ্ছেদে আবদুর
রহমান ইবনু সামুরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ وَاقِعٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا
ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ كَثِيرٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ إِلَى النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم بِأَلْفِ دِينَارٍ - قَالَ الْحَسَنُ بْنُ وَاقِعٍ وَكَانَ فِي
مَوْضِعٍ آخَرَ مِنْ كِتَابِي فِي كُمِّهِ حِينَ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ
فَنَثَرَهَا فِي حِجْرِهِ . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم يُقَلِّبُهَا فِي حِجْرِهِ وَيَقُولُ " مَا ضَرَّ
عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْمِ " . مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুর
রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ‘উসমান (রাঃ) এক হাজার দীনারসহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হলেন। বর্ননাকারী আল-হাসান ইবনু ওয়াক্বি’ (রহঃ) বলেন, আমার
কিতাবের (পাণ্ডুলিপির) অন্য জায়গায় আছে, তিনি তার জামার হাতার মধ্যে করে সেগুলো
নিয়ে আসেন যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূকের যুদ্ধের
প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মুদ্রাগুলো তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কোলে ঢেলে দেন। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি সেগুলো তাঁর কোলে ওলট-পালট করতে করতে বলতে শুনলামঃ
আজকের পর হতে ‘উসমান যে কার্যকলাপই করুক তা তার কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। তিনি
কথাটি দু’বার বললেন।
হাসানঃ মিশকাত (৬০৬৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭০২
حَدَّثَنَا أَبُو
زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ
الْمَلِكِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا أُمِرَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَيْعَةِ الرِّضْوَانِ كَانَ عُثْمَانُ بْنُ
عَفَّانَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ قَالَ
فَبَايَعَ النَّاسَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِنَّ عُثْمَانَ فِي حَاجَةِ اللَّهِ وَحَاجَةِ رَسُولِهِ " . فَضَرَبَ
بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الأُخْرَى فَكَانَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم لِعُثْمَانَ خَيْرًا مِنْ أَيْدِيهِمْ لأَنْفُسِهِمْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (লোকদেরকে) স্বতস্ফূর্তভাবে
আনুগত্যের শপথ (বাইআতুর রিদওয়ান) করার হুকুম দেন তখন উসমান ইবনু আফ্ফান (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মক্কার
বাসিন্দাদের নিকট গিয়েছিলেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ লোকেরা আনুগত্যের শপথ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উসমান আল্লাহ ও তার রাসূলের
প্রয়োজনীয় কাজে গেছে। তারপর তিনি নিজের এক হাত অপর হাতের উপর রাখেন (উসমানের
বাইআতস্বরূপ)। রাবী বলেনঃ উসমান (রাঃ)-এর জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর হাতখানা লোকদের নিজেদের জন্য তাদের হাতের চাইতে বেশি ভাল ছিল।
যঈফ, মিশকাত (৬০৬৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ،
وَغَيْرُ، وَاحِدٍ الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي
الْحَجَّاجِ الْمِنْقَرِيِّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ ثُمَامَةَ
بْنِ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيِّ قَالَ شَهِدْتُ الدَّارَ حِينَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ
عُثْمَانُ فَقَالَ ائْتُونِي بِصَاحِبَيْكُمُ اللَّذَيْنِ أَلَّبَاكُمْ عَلَىَّ
. قَالَ فَجِيءَ بِهِمَا فَكَأَنَّهُمَا جَمَلاَنِ أَوْ كَأَنَّهُمَا حِمَارَانِ
. قَالَ فَأَشْرَفَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ
وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ
الْمَدِينَةَ وَلَيْسَ بِهَا مَاءٌ يُسْتَعْذَبُ غَيْرَ بِئْرِ رُومَةَ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ " مَنْ يَشْتَرِي بِئْرَ رُومَةَ فَيَجْعَلُ دَلْوَهُ مَعَ
دِلاَءِ الْمُسْلِمِينَ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ " .
فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ تَمْنَعُونِي أَنْ
أَشْرَبَ مِنْهَا حَتَّى أَشْرَبَ مِنْ مَاءِ الْبَحْرِ . قَالُوا اللَّهُمَّ
نَعَمْ . قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ
الْمَسْجِدَ ضَاقَ بِأَهْلِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ يَشْتَرِي بُقْعَةَ آلِ فُلاَنٍ فَيَزِيدُهَا فِي الْمَسْجِدِ
بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ " . فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ
مَالِي فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ تَمْنَعُونِي أَنْ أُصَلِّيَ فِيهَا رَكْعَتَيْنِ .
قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ . قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ
تَعْلَمُونَ أَنِّي جَهَّزْتُ جَيْشَ الْعُسْرَةِ مِنْ مَالِي قَالُوا اللَّهُمَّ
نَعَمْ . ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَلَى ثَبِيرِ مَكَّةَ وَمَعَهُ
أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَا فَتَحَرَّكَ الْجَبَلُ حَتَّى تَسَاقَطَتْ
حِجَارَتُهُ بِالْحَضِيضِ قَالَ فَرَكَضَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ " اسْكُنْ
ثَبِيرُ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ " .
قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ شَهِدُوا لِي وَرَبِّ
الْكَعْبَةِ أَنِّي شَهِيدٌ ثَلاَثًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُثْمَانَ .
সুমামাহ্
ইবনু হায্ন আল-কুশাইরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, যখন ‘উসমান (রাঃ) (তার) ঘরের ছাদে উঠেন (বিদ্রোহীদের শান্ত করার জন্য) সে
সময় আমি সেই গৃহে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের যে দুই সহকর্মী তোমাদেরকে আমার
বিপক্ষে উপস্থিত করেছে আমার সম্মুখে তাদেরকে উপস্থিত কর। বর্ননাকারী বলেন, তাদেরকে
আনা হল, যেন দু’টি উট অথবা দু’টি গাধা (অর্থাৎ মোটাতাজা)। বর্ননাকারী বলেন, উপর
হতে ‘উসমান (রাঃ) তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ ও দ্বীন
ইসলামের ক্বসম দিয়ে প্রশ্ন করছি, তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হিজরাত করে) মাদীনায় এলেন এবং রূমার কূপ ছাড়া এখানে অন্য
কোথায়ও মিষ্টি পানির বন্দোবস্ত ছিল না? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ যে লোক রূমার কূপটি ক্রয় করে মুসলিম সর্বস্তরের জন্য ওয়াক্ফ করে
দিবে সে জান্নাতে তার তুলনায় বেশি উত্তম প্রতিদান পাবে। তারপর আমি আমার মূল
সম্পত্তি দিয়ে তা ক্রয় করি (এবং উৎসর্গ করে দেই)। অথচ আজ আমাকে সেই কূপের পানি পান
করতে তোমরা বাধা দিচ্ছ, এমনকি আজ আমি সাগরের (লোনা) পানি পান করছি। লোকেরা বলল, হে
আল্লাহ! হ্যাঁ, সত্য। তিনি পুনরায় বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ তা’আলা এবং দ্বীন
ইসলামের ক্বসম দিয়ে প্রশ্ন করছি, তোমরা কি জান যে, মাসজিদে নাববী মুসল্লীদের জন্য
একেবারে ক্ষুদ্র ছিল? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে
লোক অমুক গোত্রের জমিখণ্ড ক্রয় করে মাসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, তার প্রতিদানে সে
জান্নাতের মাঝে এর তুলনায় উত্তম প্রতিদান পাবে। আমি আমার মূল সম্পত্তি দিয়ে তা
ক্রয় করে মাসজিদের সাথে সংযুক্ত করেছি আর আজকে তোমরা আমাকে সেখানে দুই রাক’আত
নামায আদায় করতে বাধা দিচ্ছ। তারা বলল, হে আল্লাহ! হ্যাঁ (তা সত্য)। তিনি বললেন, তোমরা
কি জান যে, আমি আমার মূল সম্পত্তি দিয়ে জাইশে উসরাত (তাবুকের যুদ্ধের সৈন্যদের)
যুদ্ধ সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করেছি? লোকেরা বলল, হে আল্লাহ সাক্ষী, হ্যাঁ, সত্য।
তারপর তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ ও দ্বীন ইসলামের শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি,
তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার সাবীর
পর্বতের উপর ছিলেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন আবূ বাক্র, ‘উমার ও আমি? পর্বত (আনন্দে)
কম্পিত হয়, ফলে তা হতে পাথরও খসে নীচে পড়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) পাহাড়কে পদাঘাত করে বললেনঃ হে সাবীর! শান্ত ও স্থির হয়ে যাও। কেননা
তোমার উপর একজন নাবী, একজন সিদ্দীক্ব (পরম সত্যবাদী) ও দু’জন শহীদ অবস্থানরত
রয়েছেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহ! হ্যাঁ, সত্য। বর্ণনাকারী বলেন, ‘উসমান (রাঃ)
তাকবীর ধ্বনি দিয়ে বললেন, কা’বার প্রভুর ক্বসম! তোমরা আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছ।
আমি নিশ্চিত শহীদ। তিনি এ কথাটি তিনবার বলেন।
হাসানঃ ইরওয়াহ্ (১৫৯৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। ‘উসমান (রাঃ) হতে এ হাদীস
অন্যসূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ،
عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، أَنَّ خُطَبَاءَ،
قَامَتْ بِالشَّامِ وَفِيهِمْ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَقَامَ آخِرُهُمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ مُرَّةُ بْنُ كَعْبٍ فَقَالَ
لَوْلاَ حَدِيثٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا قُمْتُ
. وَذَكَرَ الْفِتَنَ فَقَرَّبَهَا فَمَرَّ رَجُلٌ مُقَنَّعٌ فِي ثَوْبٍ فَقَالَ
هَذَا يَوْمَئِذٍ عَلَى الْهُدَى فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ
عَفَّانَ . قَالَ فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ فَقُلْتُ هَذَا قَالَ نَعَمْ
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ
وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ .
আবুল
আশ’আস আস্-সান’আনী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, [উসমান (রাঃ) শহীদ হলে] সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বক্তা (ঐ বিষয়ে) বক্তব্য
রাখেন। তাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কিছু
সাহাবীও ছিলেন। তাদের মাঝে হতে সর্বশেষে মুর্রাহ্ ইবনু কা’ব (রাঃ) বক্তৃতা দিতে
দাঁড়ান। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক একটি
হাদীস না শুনে থাকলে আমি বক্তৃতা দিতে দাঁড়াতাম না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঝগড়া-বিবাদের কথা উল্লেখ করেন এবং শীঘ্রই তা সংঘটিত হবে বলে
ইংগিত করেন। বর্ণনাকারী বলেন, সে সময়ে এক ব্যক্তি কাপড় দিয়ে মূখমণ্ডল আবৃত করে
সেখান দিয়ে অতিক্রম করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাকে
ইঙ্গিত করে) বললেনঃ এ লোকটি ঐ সময় সৎপথে দণ্ডায়মান থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি
উঠে তার নিকটে গিয়ে দেখি, তিনি ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)। তারপর আমি তাকে সহ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে প্রশ্ন করলাম, ইনিই
কি সেই (সৎপথপ্রাপ্ত) লোক? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১১)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনু
‘উমার, ‘আবদুল্লাহ ইবনু হাওয়ালাহ্ ও কা’ব ইবনু উজরাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীসটি বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭০৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ
سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا عُثْمَانُ إِنَّهُ لَعَلَّ
اللَّهَ يُقَمِّصُكَ قَمِيصًا فَإِنْ أَرَادُوكَ عَلَى خَلْعِهِ فَلاَ تَخْلَعْهُ
لَهُمْ " . قَالَ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে 'উসমান! আল্লাহ তা’আলা হয়ত তোমাকে
একটি জামা পরিধান করাবেন (খিলাফত দান করবেন)। তোমার হতে লোকেরা তা খুলে নিতে চাইলে
তুমি তাদের দাবিতে তা ত্যাগ করবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১২)। এ হাদীসে দীর্ঘ ঘটনা আছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭০৬
حَدَّثَنَا صَالِحُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ
فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ مَنْ هَؤُلاَءِ قَالُوا قُرَيْشٌ . قَالَ
فَمَنْ هَذَا الشَّيْخُ قَالُوا ابْنُ عُمَرَ . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي
سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي أَنْشُدُكَ اللَّهَ بِحُرْمَةِ هَذَا
الْبَيْتِ أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ . قَالَ
أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا
قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَمْ
يَشْهَدْ قَالَ نَعَمْ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ
تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ مَا سَأَلْتَ عَنْهُ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ
فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ
يَوْمَ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَهُ - أَوْ تَحْتَهُ - ابْنَةُ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" لَكَ أَجْرُ رَجُلٍ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمُهُ " . وَأَمَرَهُ
أَنْ يَخْلُفَ عَلَيْهَا وَكَانَتْ عَلِيلَةً وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ
الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ
لَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَانَ عُثْمَانَ بَعَثَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ إِلَى مَكَّةَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ
الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى " هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ
" . وَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ " هَذِهِ لِعُثْمَانَ
" . قَالَ لَهُ اذْهَبْ بِهَذَا الآنَ مَعَكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উসমান
ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাওহিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
মিসরবাসী বাইতুল্লাহ্র হাজ্জ আদায় করে। সে একদল লোককে বসা দেখে বলে, এরা কারা?
লোকেরা বলল, এরা কুরাইশ বংশীয়। সে পুনরায় বলে, এই বয়স্ক (শায়খ) লোকটি কে? লোকেরা
বলল, ইবনু ‘উমার (রাঃ)। সে সময় সে তার নিকটে এসে বলল, আপনাকে আমি কয়েকটি বিষয়ে
প্রশ্ন করব। অতএব আপনি আমাকে (তা) বলুন। আমি এ বাইতুল্লাহ্র মর্যাদার শপথ দিয়ে
আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনি কি অবহিত আছেন যে, ‘উসমান (রাঃ) উহূদ যুদ্ধের দিন
(যুদ্ধক্ষেত্র হতে) পলায়ন করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে আবার বলল, আপনি কি জানেন,
তিনি (হুদাইবিয়ায় অনুষ্ঠিত) বাই’আতুর রিযওয়ানে অনুপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন,
হ্যাঁ। সে পুনরায়ও বলল, আপনি কি অবহিত আছেন যে, তিনি বদ্রের যুদ্ধে অনুপস্থিত
ছিলেন এবং তাতে উপস্থিত হননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে বলল, আল্লাহু আকবার। তারপর
ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাকে বললেন, এবার এসো! যেসব বিষয়ে তুমি প্রশ্ন করেছ তা তোমাকে
আমি সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেই। উহূদের দিন তার পলায়নের ঘটনা প্রসঙ্গে আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, তার ঐ ব্যাপারটি ইতোমধ্যেই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন,
সম্পূর্ণভাবে মাফ করেছেন। তারপর বাদ্রের যুদ্ধে তার অনুপস্থিতির কারণ এই যে,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মেয়ে (রুকাইয়াহ্) তার
সহধর্মিণী ছিলেন (এবং সে সময় তিনি মারাত্নক অসুস্থ ছিলেন)। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ যে লোক বদ্রের যুদ্ধে যোগদান
করেছে তার সমপরিমাণ সাওয়াব ও গানীমাত তুমি পাবে। আর তিনি রুকাইয়ার দেখাশুনা করার
জন্য তাকে মাদীনাতে থাকারই নির্দেশ দিলেন। আর বাই’আতে রিদওয়ানে তার অনুপস্থিতির
কারণ এই যে, মাক্কাবাসীদের কাছে ‘উসমান (রাঃ)-এর চাইতে বেশি মর্যাদাবান কোন মুসলিম
লোক (হুদাইবিয়ায়) উপস্থিত থাকলে রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
(তার পরিবর্তে) তাকেই প্রেরণ করতেন। তা না থাকাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উসমান (রাঃ)-কেই (মাক্কায়) প্রেরণ করলেন। আর ‘উসমান
(রাঃ)-এর মক্কার অভিমূখে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর বাই’আতুর রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণনাকারী বলেন, (বাই’আত অনুষ্ঠানকালে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর ডান হাতের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটা ‘উসমানের হাত। তারপর তিনি ঐ
হাতটি তাঁর অন্য হাতের উপর স্থাপন করে বললেনঃ এটি ‘উসমানের (বাই’আত)। তারপর ইবনু
‘উমার (রাঃ) লোকটিকে বললেন, এবার তুমি এ ব্যাখ্যা সঙ্গে নিয়ে যাও।
সহীহঃ বুখারী (৯৬৯৮)।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭০৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ
الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا نَقُولُ وَرَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم حَىٌّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ
وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশাতেই আমরা
আবু বাক্র, 'উমার ও 'উসমান (রাঃ)-কে গণ্যমান্য লোক বলতাম।
সহীহঃ মিশকাত (৬০৭৬), বুখারী (৩৬৯৭) ।
আবু 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব।
এ হাদীস 'উবাইদুল্লাহ ইবনু 'উমারের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গরীব গণ্য হয়েছে। উক্ত হাদীস
ইবনু 'উমার (রাঃ) হতে অন্যসূত্রেও বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭০৮
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا شَاذَانُ الأَسْوَدُ بْنُ
عَامِرٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ هَارُونَ الْبُرْجُمِيِّ، عَنْ كُلَيْبِ بْنِ وَائِلٍ،
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِتْنَةً
فَقَالَ " يُقْتَلُ فِيهَا هَذَا مَظْلُومًا " . لِعُثْمَانَ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ
حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ঝগড়ার কথা উল্লেখ করে
বলেনঃ সে অর্থাৎ 'উসমান ইবনু 'আফ্ফান সেই ঝগড়ায় অন্যায়ভাবে নিহত হবে।
আবু 'ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে ইবনু 'উমার (রাঃ)-এর এ
হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭০৯
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ
بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْبَغْدَادِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ زُفَرَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم بِجَنَازَةِ رَجُلٍ يُصَلِّي عَلَيْهِ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ
فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَأَيْنَاكَ تَرَكْتَ الصَّلاَةَ عَلَى أَحَدٍ
قَبْلَ هَذَا قَالَ " إِنَّهُ كَانَ يَبْغَضُ عُثْمَانَ فَأَبْغَضَهُ
اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ صَاحِبُ مَيْمُونِ بْنِ
مِهْرَانَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ جِدًّا وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ صَاحِبُ أَبِي
هُرَيْرَةَ هُوَ بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ وَيُكْنَى أَبَا الْحَارِثِ وَمُحَمَّدُ بْنُ
زِيَادٍ الأَلْهَانِيُّ صَاحِبُ أَبِي أُمَامَةَ ثِقَةٌ يُكْنَى أَبَا سُفْيَانَ
شَامِيٌّ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ এক লোকের মরদেহ তার জানাযার নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকটে আনা হয়। কিন্তু তিনি তার জানাযার
নামায আদায় করলেন না। তাঁকে বলা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা এই লোকের পূর্বে
আপনাকে আর কারো জানাযা আদায় করা হতে বিরত থাকতে দেখিনি। তিনি বললেনঃ এ লোকটি
উসমানের প্রতি হিংসা পোষণ করত, তাই আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি নারাজ হয়েছেন।
মাওযূ, যঈফা (১৯৬৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই
এ হাদীস জেনেছি। এই মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ হলেন মায়মূন ইবনু মিহরানের শিষ্য এবং তিনি
হাদীস শাস্ত্রে অত্যাধিক দুর্বল। আর মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ, যিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর
শিষ্য, বসরার অধিবাসী, নির্ভরযোগ্য রাবী এবং তার উপনাম আবুল হারিস। আর মুহাম্মাদ ইবনু
যিয়াদ আল-আলহানী হলেন আবূ উমামা (রাঃ)-এর শিষ্য, তিনিও নির্ভরযোগ্য রাবী। তিনি সিরিয়ার
বাসিন্দা এবং তার আরেক নাম আবূ সুফিয়ান।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
৩৭১০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ
أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ
انْطَلَقْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ حَائِطًا لِلأَنْصَارِ
فَقَضَى حَاجَتَهُ فَقَالَ لِي " يَا أَبَا مُوسَى أَمْلِكْ عَلَىَّ الْبَابَ
فَلاَ يَدْخُلَنَّ عَلَىَّ أَحَدٌ إِلاَّ بِإِذْنٍ " . فَجَاءَ رَجُلٌ
يَضْرِبُ الْبَابَ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ . فَقُلْتُ يَا
رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ . قَالَ " ائْذَنْ لَهُ
وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ " . فَدَخَلَ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ
وَجَاءَ رَجُلٌ آخَرُ فَضَرَبَ الْبَابَ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا فَقَالَ عُمَرُ .
فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُمَرُ يَسْتَأْذِنُ . قَالَ "
افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ " . فَفَتَحْتُ الْبَابَ وَدَخَلَ
وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ فَجَاءَ رَجُلٌ آخَرُ فَضَرَبَ الْبَابَ فَقُلْتُ مَنْ
هَذَا قَالَ عُثْمَانُ . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُثْمَانُ
يَسْتَأْذِنُ . قَالَ " افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى
بَلْوَى تُصِيبُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ .
وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ .
আবু
মূসা আল-আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। তিনি এক
আনসারীর বাগিচায় ঢুকে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সাড়েন, তারপর আমাকে বললেনঃ হে আবু
মূসা! দরজায় যাও, যাতে বিনা অনুমতিতে কেউ আমার নিকট প্রবেশ করতে না পারে। এক লোক
এসে দরজায় আঘাত করলে আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি আবু বাক্র। সে সময়
আমি গিয়ে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এই যে আবু বাক্র অনুমতিপ্রার্থী। তিনি
বললেনঃ তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুখবর দাও। অতএব তিনি প্রবেশ করলেন এবং
আমি তাকে জান্নাতের সুখবর জানালাম। তারপর এক লোক এসে দরজায় আঘাত করলে আমি বললাম,
আপনি কে? তিনি বলেন, 'উমার। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এই যে 'উমার আপনার
অনুমতি চায়। তিনি বললেনঃ তাকে দরজা খুলে দাও এবং তাকেও জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
অতএব আমি দরজা খুলে দিলে তিনি প্রবেশ করেন এবং তাকেও আমি জান্নাতের সুসংবাদ দিলাম।
তারপর আরেক লোক এসে দরজায় আঘাত করলে আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, 'উসমান। আমি
বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এই যে 'উসমান অনুমতিপ্রার্থী। তিনি বললেনঃ তাকে দরজা
খুলে দাও এবং তার উপর কঠিন বিপদ আসবে এ কথা বলে তাকেও জান্নাতের সুসংবাদ জানাও।
সহীহঃ সহীহ আদাবুল মুফরাদ, বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস আবু 'উসমান
আন-নাহ্দী হতে একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে জাবির ও ইবনু 'উমার (রাঃ) হতেও
হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭১১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ
أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَهْلَةَ، قَالَ
قَالَ لِي عُثْمَانُ يَوْمَ الدَّارِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَدْ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا فَأَنَا صَابِرٌ عَلَيْهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ .
আবু
সাহ্লাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উসমান
(রাঃ) নিজগৃহে অবরুদ্ধ থাকাকালে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাকে একটি ওয়া'দা (উপদেশ) দিয়েছেন। সুতরাং আমি তাতে ধৈর্য ধারণ করব।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৩)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা
শুধুমাত্র ইসমাঈল ইবনু আবু খালিদের সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
২০. অনুচ্ছেদঃ
'আলী ইবনু আবী ত্বালিব
(রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৭১২
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ يَزِيدَ
الرِّشْكِ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ،
قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا وَاسْتَعْمَلَ
عَلَيْهِمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَمَضَى فِي السَّرِيَّةِ فَأَصَابَ
جَارِيَةً فَأَنْكَرُوا عَلَيْهِ وَتَعَاقَدَ أَرْبَعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِذَا لَقِينَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَخْبَرْنَاهُ بِمَا صَنَعَ عَلِيٌّ وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ إِذَا
رَجَعُوا مِنَ السَّفَرِ بَدَءُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ ثُمَّ انْصَرَفُوا إِلَى رِحَالِهِمْ فَلَمَّا قَدِمَتِ
السَّرِيَّةُ سَلَّمُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ أَحَدُ الأَرْبَعَةِ
فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ تَرَ إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ صَنَعَ
كَذَا وَكَذَا . فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ
قَامَ الثَّانِي فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَامَ
إِلَيْهِ الثَّالِثُ فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَامَ
الرَّابِعُ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالُوا فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَالْغَضَبُ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ " مَا
تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ
إِنَّ عَلِيًّا مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَهُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ .
ইমরান
ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সামরিক বাহিনী পাঠানোর
সময় 'আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)-কে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। তিনি সেনাদলের
একটি খণ্ডাংশের (সারিয়্যা) পরিদর্শনে যান এবং এক যুদ্ধবন্দিনীর সঙ্গে মিলিত হন।
কিন্তু তার সাথীরা তার এ কাজ পছন্দ করলেন না। অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চারজন সাহাবী শপথ করে বললেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা পাব, তাঁকে তখন 'আলীর কার্যকলাপ
প্রসঙ্গে জানাব। মুসলিমদের নিয়ম ছিল যে, তারা কোন সফর বা অভিযান শেষে ফিরে এসে
সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে
তাঁকে সালাম করতেন, তারপর নিজ নিজ গৃহে ফিরে যেতেন। সুতরাং উক্ত সেনাদল ফিরে এসে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাম জানায় এবং চার সাহাবীর
একজন দাঁড়িয়ে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! লক্ষ্য করুন, 'আলী ইবনু আবী ত্বালিব এই এই
করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে
নিলেন। তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পূর্বোক্ত ব্যক্তির মতো বক্তব্য পেশ করেন
এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হতেও মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
এবার তৃতীয়জন দাঁড়িয়ে পূর্বোক্তজনের একই রকম বক্তব্য পেশ করেন এবং রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হতেও মুখ ফিরিয়ে নেন। অবশেষে চতুৰ্থজন
দাঁড়িয়ে পূর্বোক্তদের একই রকম বক্তব্য পেশ করেন। এবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব নিয়ে তাদের দিকে মনোনিবেশ করে
বললেনঃ 'আলী প্রসঙ্গে তোমরা কি বলতে চাও? তোমরা 'আলী প্রসঙ্গে কি বলতে চাও? ‘আলী
প্রসঙ্গে কি বলতে চাও? (বংশ, বৈবাহিক সম্পর্ক, অগ্রগণ্যতা, ভালবাসা ইত্যাদি
প্রসঙ্গে) 'আলী আমার হতে এবং আমি 'আলী (রাঃ) হতে। আমার পরে সে-ই হবে সমস্ত
মু'মিনের সঙ্গী ও পৃষ্ঠপোষক।
আবু 'ঈসা বলেন এহাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
জা'ফার ইবনু সুলাইমানের সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي
سَرِيْحَةَ، أَوْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ شَكَّ شُعْبَةُ - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِيٌّ مَوْلاَهُ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى
شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ
أَرْقَمَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَأَبُو سَرِيحَةَ هُوَ
حُذَيْفَةُ بْنُ أَسِيدٍ الْغِفَارِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবু
সারীহাহ্ অথবা যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যার সাখী বা পৃষ্ঠপোষক, 'আলীও তার
সাখী বা পৃষ্ঠপোষক।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৫০), রাওযুন্ নায়ীর (১৭১), মিশকাত (৬০৮২)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস শু'বাহ্
আবু 'আবদুল্লাহ মাইমূন হতে, তিনি যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। আবু সারীহাহ্ হলেন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী হুযাইফাহ্ ইবনু আসীদ আল-গিফারী (রাঃ)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭১৪
حَدَّثَنَا أَبُو
الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ،
سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو
حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " رَحِمَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ زَوَّجَنِي ابْنَتَهُ
وَحَمَلَنِي إِلَى دَارِ الْهِجْرَةِ وَأَعْتَقَ بِلاَلاً مِنْ مَالِهِ رَحِمَ
اللَّهُ عُمَرَ يَقُولُ الْحَقَّ وَإِنْ كَانَ مُرًّا تَرَكَهُ الْحَقُّ وَمَالَهُ
صَدِيقٌ رَحِمَ اللَّهُ عُثْمَانَ تَسْتَحْيِيهِ الْمَلاَئِكَةُ رَحِمَ اللَّهُ
عَلِيًّا اللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
. وَالْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ شَيْخٌ بَصْرِيٌّ كَثِيرُ الْغَرَائِبِ وَأَبُو
حَيَّانَ التَّيْمِيُّ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدِ بْنِ حَيَّانَ التَّيْمِيُّ
كُوفِيٌّ وَهُوَ ثِقَةٌ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা আবূ
বাকরের মঙ্গল করুন। তিনি তার মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দিয়েছেন, আমাকে দারুল হিজরাতে
(মাদীনাতে) নিয়ে এসেছেন এবং নিজের মাল দিয়ে বিলালকে গোলাম হতে আযাদ করেছেন। আল্লাহ
তা'আলা উমারকে দয়া করুন। অপ্রিয় হলেও তিনি হাক (সত্য) কথা বলেন। তার সত্য ভাষণই
তাকে সঙ্গহীন করেছেন। আল্লাহ তা'আলা উসমানের প্রতি দয়া করুন। সে এত অধিক লাজুক যে,
ফেরেশতারা পর্যন্ত তাকে দেখে লজ্জাবোধ (সম্মান) করেন। আল্লাহ তা'আলা আলীকে দয়া
করুন। হে আল্লাহ! সে যেখানেই থাকুক, সত্যকে তার চিরসাথী করুন।
অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (২০৯৪), মিশকাত (৬১২৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই
এ হাদীস জেনেছি। মুখতার ইবনু নাফি' বাসরার শাইখ, অনেক অপরিচিত বিষয় তিনি বর্ণনা করেন,
আবূ হাইয়্যান আত্-তাইমীর নাম ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ কূফার অধিবাসী নির্ভরযোগ্য রাবী।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭১৫
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ
بْنِ حِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، بِالرَّحَبَةِ قَالَ لَمَّا
كَانَ يَوْمُ الْحُدَيْبِيَةِ خَرَجَ إِلَيْنَا نَاسٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فِيهِمْ
سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَأُنَاسٌ مِنْ رُؤَسَاءِ الْمُشْرِكِينَ فَقَالُوا يَا
رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ إِلَيْكَ نَاسٌ مِنْ أَبْنَائِنَا وَإِخْوَانِنَا وَأَرِقَّائِنَا
وَلَيْسَ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا خَرَجُوا فِرَارًا مِنْ
أَمْوَالِنَا وَضِيَاعِنَا فَارْدُدْهُمْ إِلَيْنَا . " فَإِنْ لَمْ
يَكُنْ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ سَنُفَقِّهُهُمْ " . فَقَالَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ لَتَنْتَهُنَّ أَوْ
لَيَبْعَثَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مَنْ يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ بِالسَّيْفِ عَلَى
الدِّينِ قَدِ امْتَحَنَ اللَّهُ قَلْبَهُ عَلَى الإِيمَانِ " . قَالُوا
مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ وَقَالَ عُمَرُ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هُوَ
خَاصِفُ النَّعْلِ " . وَكَانَ أَعْطَى عَلِيًّا نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا
ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا عَلِيٌّ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ
مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ
وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يَكْذِبْ
رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً . وَأَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ قَالَ سَمِعْتُ
عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ أَثْبَتُ
أَهْلِ الْكُوفَةِ .
রিবঈ
ইবনু হিরাশ (রাহ:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ আলী (রাঃ) কূফার মুক্তাঙ্গনে (আর-রাহবায়) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি
বলেনঃ হুদাইবিয়ার দিন মুশরিকদের ক'জন লোক আমাদের নিকটে আসে। তাদের মধ্যে সুহাইল
ইবনু আমরসহ আরো ক'জন গণ্যমান্য মুশরিক ছিল। তারা বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের
সন্তান-সন্তুতি, ভাই ও ক্রীতদাসসহ কিছু সংখ্যক লোক আপনার নিকট এসে পরেছে। ধর্ম
সম্পর্কে তারা মূর্খ এবং তারা আমাদের ভূসম্পত্তি ও ক্ষেত- খামার হতে পালিয়ে এসেছে।
অতএব আপনি তাদেরকে আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিন। যদিও তাদের ধর্মের বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই,
তাই আমরা তাদেরকে বুঝাব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ
হে কুরাইশের লোকেরা! তোমরা এরকম কর্মকাণ্ড হতে বিরত হও। অন্যথায় আল্লাহ তা'আলা
তোমাদের বিরদ্ধে এমন লোকদের পাঠাবেন, যারা তোমাদের ঘাড়ে দ্বীনের তরবারি দিয়ে আঘাত
করবে। আল্লাহ তা'আলা তাদের অন্তরগুলোকে ঈমানের ব্যপারে পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তখন
মুসলমানরা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহ্র রাসূ্ল! কে সেই ব্যক্তি? আবূ বাকর (রাঃ)-ও
বলেন, ইয়া রাসূ্লুল্লাহ! কে সেই ব্যক্তি? উমার (রাঃ)- ও বলেন,হে আল্লাহ্র রাসূ্ল!
কে সেই লোক? তিনি বললেনঃ সে একজন জুতা সেলাইকারী! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে তাঁর জুতাটা সেলাই করতে দিয়েছিলেন। রাবী বলেনঃ
আলী (রাঃ) আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় আমার প্রতি মিথ্যারোপ করল, সে যেন
জাহান্নামে তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করল।
তবে হাদীসের শেষাংশ সহীহ মুতাওয়াতির, দেখুন হাদীস নং
(২৬৪৫) আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব। আমরা শুধু আলী (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত
হিসেবে উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। তিরমিযী জারুদ হতে ওয়াকীর সূত্রে বলেনঃ রিবঈ
ইবনু হিরাশ ইসলামের মধ্যে কোন মিথ্যা কথা বলেননি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আবদুল্লাহ
ইবনু আবীল আসওয়াদ হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ
মানসূর ইবনুল মু'তামির কূফাবাসীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্ত রাবী।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
২১. অনুচ্ছেদঃ
মুনাফিক্বরা ‘আলী (রাঃ)-এর
প্রতি বিদ্বেষী
৩৭১৬
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ إِسْرَائِيلَ، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ
أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ " أَنْتَ مِنِّي وَأَنَا مِنْكَ
" . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ
ইবনু 'আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি আমা হতে, আর আমিও
তোমা হতে। অর্থাৎ আমরা পরস্পরে অভিন্ন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৩/১৭৮), সহীহ আল-জামি' (১৪৮৫)। এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭১৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي هَارُونَ
الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ إِنَّا كُنَّا لَنَعْرِفُ
الْمُنَافِقِينَ نَحْنُ مَعْشَرَ الأَنْصَارِ بِبُغْضِهِمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي
طَالِبٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي
هَارُونَ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي أَبِي هَارُونَ . وَقَدْ رُوِيَ
هَذَا عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আবূ
সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা আনসার সম্প্রদায় মুনাফিকদের নিশ্চয়ই চিনি। তারা আলী (রাঃ)-এর প্রতি
হিংসা পোষণকারী।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র আবূ হারুনের
সূত্রেই হাদীসটি জানতে পেরেছি। শুবা (রাহঃ) আবূ হারূন আল-আবদীর সমালোচনা করেছেন। এ
হাদীস আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে এ সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
আল মুসাবির আল-হিমইয়ারী তার মা এর নিকট থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ আমি উম্মু সালামাহ-এর
নিকট গিয়ে তাঁকে বলতে শুনলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ
একমাত্র মুনাফিকরাই আলী (রাঃ)- কে ভালবাসে না। আর মু'মিনগণ তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ
করে না।
যঈফ,মিশকাত (৬০৯১), এ অনুচ্ছেদে আলী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ঈসা বলেনঃ
এ হাদিসটি এই সূত্রে হাসান গারীব। আবদুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান হতে সুফিয়ান সাওরী হাদীস
বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
৩৭১৮
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ ابْنُ بِنْتِ السُّدِّيِّ، حَدَّثَنَا
شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي بِحُبِّ
أَرْبَعَةٍ وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ يُحِبُّهُمْ " . قِيلَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ سَمِّهِمْ لَنَا . قَالَ " عَلِيٌّ مِنْهُمْ يَقُولُ ذَلِكَ
ثَلاَثًا وَأَبُو ذَرٍّ وَالْمِقْدَادُ وَسَلْمَانُ أَمَرَنِي بِحُبِّهِمْ
وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ يُحِبُّهُمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ .
আবদুল্লাহ
ইবনু বুরাইদা (রাহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চার ব্যক্তিকে
ভালোবাসাতে আল্লাহ তা'আলা আমাকে হুকুম করেছেন এবং তিনি আমাকে এও জানিয়ে দিয়েছেন
যে, তিনিও তাদের ভালোবাসেন। বলা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে তাদের নামগুলো
বলুন। তিনি বললেনঃ আলীও তাদের একজন। এ কথা তিনি তিনবার বললেন। (অবশিষ্ট তিনজন
হলেন) আবূ যার, মিকদাদ ও সালমান (রাঃ)। তাদেরকে ভালোবাসাতে তিনি আমাকে আদেশ করেছেন
এবং তিনি আমাকে এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনিও তাদেরকে ভালোবাসেন।
যঈফ, ইবনু মাজাহ(১৪৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু শারীকের
রিওয়ায়াত হিসেবেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭১৯
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ
حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْ عَلِيٍّ وَلاَ يُؤَدِّي عَنِّي إِلاَّ أَنَا
أَوْ عَلِيٌّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
صَحِيحٌ .
হুবশী
ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ 'আলী আমার হতে এবং
আমি 'আলী হতে। আমার কোন কাজ থাকলে আমি নিজেই সম্পন্ন করি অথবা আমার পক্ষ হতে তা
‘আলীই সম্পন্ন করে।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ্ (১১৯)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭২০
حَدَّثَنَا يُوسُفُ
بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ،
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحِ بْنِ حَىٍّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ
جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ آخَى رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَصْحَابِهِ فَجَاءَ عَلِيٌّ تَدْمَعُ
عَيْنَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ آخَيْتَ بَيْنَ أَصْحَابِكَ وَلَمْ تُؤَاخِ
بَيْنِي وَبَيْنَ أَحَدٍ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أَوْفَى
.
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভায়ের
সম্পর্ক সৃষ্টি করলেন। তারপর আলী (রাঃ) কান্না ভেজা চোখে এসে বললেন, হে আল্লাহর
রাসূল! আপনি আপনার সাহাবীদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন, অথচ আমাকে কারো
সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেননি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাকে বললেনঃ দুনিয়া ও পরকালে তুমি আমারই ভাই।
যঈফ, মিশকাত(৬০৮৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে যাইদ
ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عُمَرَ،
عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم طَيْرٌ فَقَالَ " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ
إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي هَذَا الطَّيْرَ " . فَجَاءَ عَلِيٌّ فَأَكَلَ
مَعَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ
السُّدِّيِّ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ
أَنَسٍ . وَعِيسَى بْنُ عُمَرَ هُوَ كُوفِيٌّ وَالسُّدِّيُّ اسْمُهُ
إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَقَدْ أَدْرَكَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ
وَرَأَى الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ وَثَّقَهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ
وَزَائِدَةُ وَوَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট পাখির ভুনা গোশত
হাযির ছিল। তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তোমার সৃষ্টির মধ্যে তোমার নিকট সবচাইতে প্রিয়
ব্যক্তিকে আমার সাথে এই পাখির গোশত খাওয়ার জন্য হাযির করে দাও। ইত্যবসরে আলী (রাঃ)
এসে হাযির হন এবং তাঁর সাথে খাবার খান।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত
সূত্রে আস-সুদ্দীর রিওয়ায়াত হতে এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীস অন্যভাবেও আনাস (রাঃ) হতে
বর্ণিত হয়েছে। আস-সুদ্দীর নাম ইসমাঈল ইবনু আবদুর রহমান। তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর
দেখা পেয়েছেন এবং হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ)-কে দেখেছেন। শুবা, সুফিয়ান সাওরী, যাইদাহ্
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ আলকাত্তান প্রমুখ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২২
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ
بْنُ أَسْلَمَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا
عَوْفٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ هِنْدٍ الْجَمَلِيِّ، قَالَ قَالَ
عَلِيٌّ كُنْتُ إِذَا سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي
وَإِذَا سَكَتُّ ابْتَدَأَنِي . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ
ইবনু আমর ইবনু হিন্দ আল-জামালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেনঃ আমি যখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
নিকট কিছু চেয়েছি তখনই তিনি আমাকে দিয়েছেন এবং যখন নিশ্চুপ থেকেছি তখনও আমাকেই
প্রথম দিয়েছেন।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং আলোচ্য সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২৩
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الرُّومِيِّ،
حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ،
عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مُنْكَرٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا
الْحَدِيثَ عَنْ شَرِيكٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الصُّنَابِحِيِّ وَلاَ
نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ وَاحِدٍ مِنَ الثِّقَاتِ عَنْ شَرِيكٍ . وَفِي
الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি (জ্ঞানের
ভান্ডার) পাঠশালা এবং আলী তার দরজা।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব মুনকার। কিছু রাবী এ হাদীস
শারীক হতে বর্ণনা করেছেন এবং তারা এর সনদে 'আস-সুনবিহী হতে' উল্লেখ করেননি। অনন্তর
আমরা উক্ত হাদীস শারীক হতে কোন নির্ভরযোগ্য রারীর সূত্রে জানতে পারিনি। এ অনুচ্ছেদে
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ،
عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَّرَ
مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا فَقَالَ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَسُبَّ
أَبَا تُرَابٍ قَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلاَثًا قَالَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَلَنْ أَسُبَّهُ لأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ
إِلَىَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ لِعَلِيٍّ وَخَلَفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ يَا
رَسُولَ اللَّهِ تُخَلِّفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي
بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نُبُوَّةَ بَعْدِي "
. وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ " لأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ
رَجُلاً يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ " .
قَالَ فَتَطَاوَلْنَا لَهَا فَقَالَ " ادْعُ لِي عَلِيًّا " .
فَأَتَاهُ وَبِهِ رَمَدٌ فَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ فَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ
فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ . وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( قلْ
تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ ) الآيَةَ دَعَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ
" اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আমির
ইবনু সা'দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, মু'আবিয়াহ্ ইবনু আবী সুফ্ইয়ান (রাঃ) সা'দ (রাঃ)-কে আমীর নিযুক্ত করে
বললেন, আবু তুরাবকে গালি দিতে তোমায় বাধা দিল কিসে? সা'দ (রাঃ) বললেন, যতক্ষণ
পর্যন্ত আমি তিনটি কথা মনে রাখব, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন, সে সময় পর্যন্ত আমি তাকে গালমন্দ করব না। ঐগুলোর একটি কথাও আমার নিকটে
লাল রংয়ের উট লাভের তুলনায় বেশি প্রিয়। (এক) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে আমি 'আলী (রাঃ)-এর লক্ষ্যে একটি কথা বলতে শুনেছি, যে সময় তিনি
তাকে মাদীনায় তাঁর জায়গায় নিয়োগ করে কোন এক যুদ্ধাভিযানে যান। সে সময় 'আলী
(রাঃ) তাকে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি আমাকে শিশু ও নারীদের সঙ্গে কি রেখে
যাচ্ছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে ‘আলী!
তুমি কি এতে খুশি নও যে, তোমার মর্যাদা আমার নিকট মূসা ('আঃ)-এর নিকট হারূন
('আঃ)-এর মতই? কিন্তু (পার্থক্য এই যে,) আমার পরবর্তীতে কোন নবী নেই। (দুই) আমি
খাইবারের (যুদ্ধাভিযানের) দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
বলতে শুনেছিঃ এমন এক লোকের হাতে আমি (যুদ্ধের) পতাকা অর্পণ করব যে আল্লাহ তা'আলা ও
তাঁর রাসূলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূলও তাকে মুহাব্বাত করেন।
বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যেকে তা লাভের আশায় অপেক্ষা করতে থাকলাম। তিনি বললেনঃ
তোমরা 'আলীকে আমার নিকটে ডেকে আন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাঁর কাছে এসে হাযির হন,
তখন তার চোখ উঠেছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দুই চোখে
স্বীয় মুখ নিঃসৃত লালা লাগিয়ে দেন এবং তার হাতে পতাকা অর্পণ করেন। আল্লাহ তা'আলা
তাকে বিজয়ী করলেন। (তিন) এ আয়াত যখন অবতীর্ণ হল (অনুবাদ): আমরা আহ্বান করি
আমাদের পুত্রদেরকে ও তোমাদের পুত্রদেরকে, আমাদের নারীদেরকে ও তোমাদের
নারীদেরকে....."— (সূরা আ-লি 'ইমরান ৬১)। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'আলী, ফাতিমাহ্, হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে ডাকেন (এবং
তাদেরকে নিয়ে খোলা ময়দানে গিয়ে) বললেনঃ হে আল্লাহ! এরা সকলে আমার পরিবার-পরিজন।
সহীহঃ মুসলিম (হাঃ ৭/১২০)।
আবু 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭২৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ بْنُ جَوَّابٍ أَبُو
الْجَوَّابِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ
الْبَرَاءِ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَيْشَيْنِ وَأَمَّرَ
عَلَى أَحَدِهِمَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَعَلَى الآخَرِ خَالِدَ بْنَ
الْوَلِيدِ وَقَالَ " إِذَا كَانَ الْقِتَالُ فَعَلِيٌّ " . قَالَ
فَافْتَتَحَ عَلِيٌّ حِصْنًا فَأَخَذَ مِنْهُ جَارِيَةً فَكَتَبَ مَعِي خَالِدٌ
كِتَابًا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشِي بِهِ . قَالَ فَقَدِمْتُ
عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ الْكِتَابَ فَتَغَيَّرَ لَوْنُهُ
ثُمَّ قَالَ " مَا تَرَى فِي رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ " . قَالَ قُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ
مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ وَإِنَّمَا أَنَا رَسُولٌ فَسَكَتَ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
আল-বারাআ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু'টি সামরিক বাহিনী প্রেরণ
করলেন এবং একদলের সেনাপতি বানালেন আলী (রাঃ)-কে এবং অপর দলের অধিনায়ক বানালেন
খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রাঃ)-কে। তিনি আরো বলেনঃ যখন যুদ্ধ শুরু হবে তখন আলী হবে
(সমগ্র বাহিনীর) প্রধান সেনাপতি। রাবী বলেন, আলী (রাঃ) একটি দুর্গ জয় করেন এবং
সেখান হতে একটি যুদ্ধবন্দিনী নিয়ে নেন। এ প্রসঙ্গে খালিদ (রাঃ) এক চিঠি লিখে আমার
মাধ্যমে তা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট পাঠান যাতে তিনি
আলী (রাঃ)-এর দোষ চর্চা করেন। রাবী বলেন, আমি চিঠি নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট হাযির হলাম। তিনি চিঠি পড়ার পর তাঁর (মুখমন্ডলের) রং
বিবর্ণ হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি এমন লোক প্রসঙ্গে কি ভাবো যে আল্লাহ
তা'আলা ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূলও যাকে ভালোবাসেন?
রাবী বলেন, তখন আমি বললাম, আমি আল্লাহ্ তা'আলার অসন্তোষ ও তাঁর রাসূলের অসন্তোষ
হতে আল্লাহ তা'আলার আশ্রয় চাই। আমি একজন বার্তাবাহক মাত্র। (এ কথায়) তিনি নীরব হন।
সনদ দূর্বল, ১৬৮৭ নং হাদীসে পূর্বেও বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীস হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত
সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ الْمُنْذِرِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ
الأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا يَوْمَ الطَّائِفِ فَانْتَجَاهُ فَقَالَ النَّاسُ
لَقَدْ طَالَ نَجْوَاهُ مَعَ ابْنِ عَمِّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَا انْتَجَيْتُهُ وَلَكِنَّ اللَّهَ انْتَجَاهُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
حَدِيثِ الأَجْلَحِ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ ابْنِ فُضَيْلٍ أَيْضًا عَنِ الأَجْلَحِ
. وَمَعْنَى قَوْلِهِ " وَلَكِنَّ اللَّهَ انْتَجَاهُ " .
يَقُولُ اللَّهُ أَمَرَنِي أَنْ أَنْتَجِيَ مَعَهُ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ তাইফ অভিযানের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী
(রাঃ)-কে নিকটে ডেকে তার সাথে চুপিচুপি কথাবার্তা বললেন। জনসাধারন বলল, তিনি তাঁর
চাচাত ভাইয়ের সাথে দীর্ঘক্ষন চুপিসারে কথাবার্তা বললেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তার সাথে চুপিসারে কথা বলিনি, বরং আল্লাহ্ তা'আলাই
তার সাথে চুপিসারে কথা বলেছেন।
যঈফ,মিশকাত (৬০৮৮), যঈফ (৩০৮৪),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীস হাসান গারীব। আমরা শুধু আল-আজলাহ-এর
রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস জেনেছি। ইবনুল ফুযাইল ব্যতীত অন্য রাবীও আল-আজলাহ হতে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন। "আল্লাহ্ তা'আলাই চুপিসারে তার সাথে কথা বলেছেন" বাক্যের
মর্মার্থ এই যে, তার সাথে চুপিসারে কথা বলার জন্য আল্লাহ্ তা'আলাই আমাকে হুকুম করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي
حَفْصَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ " يَا عَلِيُّ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ
يُجْنِبَ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ غَيْرِي وَغَيْرَكَ " . قَالَ عَلِيُّ
بْنُ الْمُنْذِرِ قُلْتُ لِضِرَارِ بْنِ صُرَدٍ مَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ
قَالَ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ يَسْتَطْرِقُهُ جُنُبًا غَيْرِي وَغَيْرَكَ . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ وَقَدْ سَمِعَ مِنِّي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هَذَا الْحَدِيثَ
وَاسْتَغْرَبَهُ .
আবূ
সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ হে
আলী! তুমি ও আমি ছাড়া আর কারো জন্য এ মাসজিদে নাপাক হওয়া বৈধ নয়।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৯) যঈফা (৪৯৭৩), আলী ইবনুল মুনযির বলেন, আমি যিরার ইবনু সুরাদকে
প্রশ্ন করলাম, এ হাদীসের মর্মার্থ কি? তিনি বলেন, তুমি ও আমি ছাড়া নাপাক অবস্থায় এ
মসজিদের মধ্য দিয়ে হাটাচলা করা অন্য কারো জন্য জায়িজ নয়।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু আলোচিত
সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (ইমাম বুখারী) এ হাদীস আমার নিকট শুনেছেন
এবং তিনি এটিকে গারীব বলে মত দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২৮
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَابِسٍ، عَنْ مُسْلِمٍ
الْمُلاَئِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بُعِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَصَلَّى عَلِيٌّ يَوْمَ الثُّلاَثَاءِ . قَالَ أَبُو
عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمٍ الأَعْوَرِ . وَمُسْلِمٌ الأَعْوَرُ لَيْسَ
عِنْدَهُمْ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ
حَبَّةَ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَ هَذَا .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাবূওয়াত পেয়েছেন সোমবার
এবং আলী (রাঃ) নামায আদায় করেন মঙ্গলবার।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুসলিম
আল-আওয়ারের সূত্রেই এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। আর মুসলিম আল-আওয়ার হাদীসবিশেষজ্ঞদের
মতে তেমন মজবুত রাবী নন। উক্ত হাদীস মুসলিম হতে, তিনি হাব্বাহ হতে, তিনি আলী (রাঃ)
হতে এ সূত্রেও একই রকম বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭২৯
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ " أَنْتَ
مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَأَبِي
هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ .
আবদুল্লাহ
ইবনু আমর ইবনু হিন্দ আল-জামালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেনঃ আমি যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লামের) নিকট কিছু চেয়েছি তখনই তিনি আমাকে দিয়েছেন এবং যখন নিশ্চুপ থেকেছি তখনও
আমাকেই প্রথম দিয়েছেন।
হাদীসটি ৩৭২২ নং হাদীসেও বর্ণনা করা হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সনদ সূত্রে হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৩৭৩০
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ " أَنْتَ
مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَأَبِي
هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ .
জাবির
ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার নিকটে মর্যাদায়
মুসা (‘আঃ)-এর নিকট হারূনের মর্যাদার মত। তবে আমার পরে কোন নবী নেই।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
এ অনুচ্ছেদে সা’দ যাইদ ইবনু আরক্বাম, আবূ হুরাইরাহ্ ও উম্মু সালমাহ্ (রাঃ) হতে হাদীস
বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৩১
حَدَّثَنَا
الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ
السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ
الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ " أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى
إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم وَيُسْتَغْرَبُ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ
سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ .
সা’দ
ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার কাছে তুমি মর্যাদায়
মুসা (‘আঃ)-এর ক্ষেত্রে হারুন স্থানীয়। তবে আমার পরে নবী নেই।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস সা’দ (রাঃ)-এর
সূত্রে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে।
এ হাদীসকে ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা'ঈদ আল-আনসারীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব বলা হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ
شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِسَدِّ الأَبْوَابِ إِلاَّ
بَابَ عَلِيٍّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ عَنْ شُعْبَةَ
بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে) ‘আলী (রাঃ)-এর দ্বার ছাড়া সকল দ্বার
বন্ধ করার হুকুম দিয়েছেন।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৪৯৩২, ৪৯৫১) নং হাদীসের অধীনে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
শু’বাহ্ হতে উক্ত সনদে এভাবেই জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৩৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ
بْنِ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنِي أَخِي، مُوسَى بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ
أَبِيهِ، جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ
أَبِيهِ، عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَلِيِّ بْنِ
أَبِي طَالِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ حَسَنٍ
وَحُسَيْنٍ فَقَالَ " مَنْ أَحَبَّنِي وَأَحَبَّ هَذَيْنِ وَأَبَاهُمَا
وَأُمَّهُمَا كَانَ مَعِي فِي دَرَجَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ
بْنِ مُحَمَّدٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আলী
ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেনঃ যে ব্যক্তি
আমাকে ভালোবাসে এবং এ দু'জন ও তাদের পিতা-মাতাকে ভালোবাসে, সে কিয়ামতের দিন আমার
সাথে একই মর্যাদায় থাকবে।
যইফ, যইফা (৩১২২), তাখরীজুল মুখতারাহ্ (৩৯২-৩৯৭),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা জাফর ইবনু
মুহাম্মাদ হতে শুধুমাত্র এই সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ
أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَوَّلُ
مَنْ صَلَّى عَلِيٌّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي بَلْجٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
مُحَمَّدِ بْنِ حُمَيْدٍ . وَأَبُو بَلْجٍ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ
. وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ أَوَّلُ مَنْ
أَسْلَمَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ
عَلِيٌّ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ
الرِّجَالِ أَبُو بَكْرٍ وَأَسْلَمَ عَلِيٌّ وَهُوَ غُلاَمٌ ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ
وَأَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ النِّسَاءِ خَدِيجَةُ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, (ইসলাম গ্রহণ করে) ‘আলী (রাঃ)-ই সর্বপ্রথম নামায আদায় করেন।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৪৯৩২) নং হাদীসের অধীনে, মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি গারীব। আমরা
শুধুমাত্র শু'বাহ্ হতে, আবূ বাল্জের সনদে বর্ণিত মুহাম্মাদ ইবনু হুমাইদের হাদীসের
পরিপ্রেক্ষিতে এটি অবগত হয়েছি। আবূ বাল্জের নাম ইয়াহ্ইয়া ইবনু সুলাইম। বিশেষজ্ঞ
'আলিমগণ এ বিষয়ে মতভেদ করেছেন যে, কে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন? কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন,
আবূ বাক্র সিদ্দীক্ব (রাঃ) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন,
‘আলী (রাঃ) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম বলেন, বয়স্ক পুরুষদের
মাঝে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন আবূ বাক্র আস সিদ্দীক্ব (রাঃ)। ‘আলী (রাঃ) আট বছর
বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। আর মহিলাদের মাঝে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন উম্মুল মু’মিনীন
খাদীজাহ্ (রাঃ)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ،
رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، يَقُولُ أَوَّلُ
مَنْ أَسْلَمَ عَلِيٌّ . قَالَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ
لإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ فَأَنْكَرَهُ وَقَالَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ أَبُو
بَكْرٍ الصِّدِّيقُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَأَبُو حَمْزَةَ اسْمُهُ طَلْحَةُ بْنُ زَيْدٍ .
যাইদ
ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, সর্বপ্রথম ‘আলী (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ‘আম্র ইবনু মুর্রাহ্ বলেন, আমি
এ কথাটি ইবরাহীম নাখঈর কাছে উল্লেখ করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, সর্বপ্রথম আবূ
বাক্র (রাঃ)-ই ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৪১৩৯) নং হাদিসের অধীনে, নাখা’ঈর বর্ণানাটি মাকতু’।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ হামযার নাম
ত্বালহা ইবনু ইয়াযীদ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৩৬
حَدَّثَنَا عِيسَى
بْنُ عُثْمَانَ ابْنُ أَخِي، يَحْيَى بْنِ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو عِيسَى
الرَّمْلِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ
حُبَيْشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَقَدْ عَهِدَ إِلَىَّ النَّبِيُّ الأُمِّيُّ صلى
الله عليه وسلم " أَنَّهُ لاَ يُحِبُّكَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَبْغَضُكَ
إِلاَّ مُنَافِقٌ " . قَالَ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ أَنَا مِنَ الْقَرْنِ
الَّذِينَ دَعَا لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, উম্মী নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এ ওসীয়াত করেন যে,
মু’মিনরাই তোমাকে ভালবাসবে এবং মুনাফিক্বরাই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে। আদী
ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে যুগের জন্য
দু’আ করেছেন, আমি সে যুগেরই অন্তর্ভূক্ত।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৪), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ
صُبْحٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ شَرَاحِيلَ، قَالَتْ حَدَّثَتْنِي أُمُّ
عَطِيَّةَ، قَالَتْ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا فِيهِمْ عَلِيٌّ
. قَالَتْ فَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ
يَقُولُ " اللَّهُمَّ لاَ تُمِتْنِي حَتَّى تُرِيَنِي عَلِيًّا "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
উম্মু
আতিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সেনা বাহিনী প্রেরণ করেন, তাদের সঙ্গে
আলী (রাঃ)-ও ছিলেন। রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে তাঁর দুই হাত উপরে তুলে বলতে শুনলামঃ ইয়া আল্লাহ! আলীকে না দেখিয়ে
আমাকে মৃত্যু দান করো না।
যঈফ, মিশকাত (৬০৯০),
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু আলোচ্য
সুত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
২২. অনুচ্ছেদঃ
ত্বালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ،
قَالَ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ دِرْعَانِ
فَنَهَضَ إِلَى صَخْرَةٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ فَأَقْعَدَ تَحْتَهُ طَلْحَةَ فَصَعِدَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى اسْتَوَى عَلَى الصَّخْرَةِ فَقَالَ
سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَوْجَبَ طَلْحَةُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
যুবাইর
ইবনু আও্ওয়াম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহূদের যুদ্ধের দিন দু’টি
লৌহবর্ম পরা ছিলেন। (যুদ্ধে আহত হওয়ার পর) তিনি একটি পাথরের উপরের ঊঠার চেষ্টা
করেন, কিন্তু তিনি (উঠতে) পারলেন না। তিনি ত্বালহা (রাঃ)-কে তাঁর নিচে বসিয়ে তার
কাঁধে চড়ে পাথরের উপর উঠে অবস্থান করেন। বর্ণানাকারী বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ত্বালহা (তার জন্য জান্নাত) অনিবার্য করে
নিয়েছে।
হাসানঃ ১৬৯২ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭৩৯
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مُوسَى الطَّلْحِيُّ، مِنْ وَلَدِ طَلْحَةَ
بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ
قَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى شَهِيدٍ يَمْشِي عَلَى وَجْهِ
الأَرْضِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الصَّلْتِ
. وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ وَفِي
صَالِحِ بْنِ مُوسَى مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِمَا .
জাবির
ইবনু ‘আব্দিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ যদি কেউ পৃথিবীর বুকে
চলাচলরত কোন শহীদ লোককে দেখে খুশি হতে চায়, তবে সে যেন ত্বালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ্
(রাঃ)-এর প্রতি দৃষ্টি দেয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২৫)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
আস-সাল্ত্ব ইবনু দীনানের সনদে অবগত হয়েছি। কিছু হাদীসবিদ আস-সাল্ত্ব ইবনু দীনার এবং
সালিহ ইবনু মূসার সমালোচনা করেছেন এবং উভয়ের স্মৃতিশক্তি দূর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৪০
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مُوسَى الطَّلْحِيُّ، مِنْ وَلَدِ طَلْحَةَ
بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ
قَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى شَهِيدٍ يَمْشِي عَلَى وَجْهِ
الأَرْضِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الصَّلْتِ
. وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ وَفِي
صَالِحِ بْنِ مُوسَى مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِمَا .
মূসা
ইবনু ত্বালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর কাছে প্রবেশ করলে তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে কি সুখবর দিব না?
আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যারা নিজেদের
ওয়া’দা সম্পূর্ণ করেছে ত্বালহা তাদের অন্তর্ভূক্ত।
হাসানঃ এটা ৩২০২ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। কেননা এ হাদীস মু’আবিয়াহ্
(রাঃ) হতে আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সূত্রেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭৪১
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ مَنْصُورٍ
الْعَنَزِيُّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ الْيَشْكُرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ
عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ سَمِعَتْ أُذُنِي، مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ " طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ جَارَاىَ فِي
الْجَنَّةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ
আলী
ইবনু আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ আমার কান রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখে বলতে
শুনেছেঃ তালহা ও যুবাইর দু’জনই জান্নাতে আমার প্রতিবেশী।
যঈফ, মিশকাত (৬১১৪), যঈফা (২৩১১),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে
এ হাদিস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭৪২
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ،
حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ مُوسَى، وَعِيسَى، ابْنَىْ طَلْحَةَ عَنْ
أَبِيهِمَا، طَلْحَةَ أَنَّ أَصْحَابَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالُوا لأَعْرَابِيٍّ جَاهِلٍ سَلْهُ عَمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ مَنْ هُوَ وَكَانُوا
لاَ يَجْتَرِئُونَ عَلَى مَسْأَلَتِهِ يُوَقِّرُونَهُ وَيَهَابُونَهُ فَسَأَلَهُ
الأَعْرَابِيُّ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ
سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ إِنِّي اطَّلَعْتُ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ
وَعَلَىَّ ثِيَابٌ خُضْرٌ فَلَمَّا رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ " . قَالَ الأَعْرَابِيُّ
أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " هَذَا مِمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي كُرَيْبٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ . وَقَدْ
رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ
بِهَذَا الْحَدِيثِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يُحَدِّثُ بِهَذَا
عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ وَوَضَعَهُ فِي كِتَابِ الْفَوَائِدِ .
ত্বালহা
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ এক মূর্খ বেদুঈনকে বলেন, তুমি
আল্লাহ তা’আলার নাবীকে প্রশ্ন কর, তিনি কে যে লোক নিজের ওয়া'দা পূর্ণ করেছেন?
সাহাবীগণ তাঁকে কিছু প্রশ্ন করতে দুঃসাহস করতেন না। তারা তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন এবং
তাঁর মর্যাদাবোধে তারা আকৃষ্ট ছিলেন। অতএব তাঁকে বেদুঈন প্রশ্ন করলে তিনি তার হতে
মুখ ফিরিয়ে নেন। সে পুনরায়ও প্রশ্ন করলে এবারও তিনি তার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নেন।
(ত্বালহা বলেন) তারপর আমি সবুজ পোশাক পরিধান করা অবস্হায় মাসজিদের দরজা দিয়ে
উপস্হিত হলাম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখেই বললেনঃ
“কোন লোক তার ওয়া'দা পূরণ করেছে” এই প্রশ্নকারী কোথায়? বেদুঈন বলল, এই যে আমি, হে
আল্লাহ্র রাসুল! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে ইশারা
করে বললেনঃ যারা নিজেদের ওয়া’দা পূর্ণ করেছে এই লোক তাদের অন্তর্ভূক্ত।
হাসান সহীহঃ এটা ৩২০৩ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
আবূ কুরাইব হতে, ইউনুস ইবনু বুকাইরের সনদেই অবগত হয়েছি। একাধিক শীর্ষস্থানীয় হাদীস
বিশেষজ্ঞ এ হাদীস আবূ কুরাইবের সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীস আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল
বুখারীকে আবূ কুরাইবের সনদে রিওয়ায়াত করতে শুনেছি এবং তিনি তার কিতাবুল ফাওয়াইদ শীর্ষক
গ্রন্থে এ হাদীসটি স্থান দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
২৩. অনুচ্ছেদঃ
আয্-যুবাইর ইবনুল ‘আও্ওয়াম
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৪৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ،
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ يَوْمَ قُرَيْظَةَ فَقَالَ " بِأَبِي
وَأُمِّي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয-যুবাইর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ কুরাইযার যুদ্ধের দিন
আমার লক্ষ্যে একত্রে তাঁর বাবা-মার উল্লেখ করে বলেনঃ আমার পিতা-মাতা তোমার জন্য
উৎসর্গ হোক।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
২৪. অনুচ্ছেদঃ
আমার সাহায্যকারী আয্-যুবাইর
ইবনুল ‘আও্ওয়াম (রাঃ)
৩৭৪৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ
عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيًّا
وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُقَالُ الْحَوَارِيُّ هُوَ النَّاصِرُ . سَمِعْتُ
ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ الْحَوَارِيُّ هُوَ
النَّاصِرُ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীরাই
হাওয়ারী (নিষ্ঠাবান সাহায্যকারী) ছিলেন। আর আমার হাওয়ারী হল আয-যুবাইর ইবনুল 'আও্ওয়াম।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২২)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। 'হাওয়ারী' শব্দের
অর্থ সাহায্যকারী।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
২৫. অনুচ্ছেদঃ
অনুরুপ প্রসঙ্গ
৩৭৪৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ
سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، رضى الله عنه قَالَ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ لِكُلِّ
نَبِيٍّ حَوَارِيًّا وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ "
. وَزَادَ أَبُو نُعَيْمٍ فِيهِ يَوْمَ الأَحْزَابِ قَالَ " مَنْ
يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ " . قَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا . قَالَهَا
ثَلاَثًا قَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ
প্রত্যেক নাবীরাই হাওয়ারী (একনিষ্ঠ সাহায্যকারী) ছিল। আর আমার হাওয়ারী হল
আয-যুবাইর ইবনুল ‘আও্ওয়াম। আবূ নু’আইমের রিওয়ায়াতে আরও আছেঃ (এ কথা তিনি) আহ্যাবের
দিন (খন্দকের যুদ্ধের দিন) বলেন। তিনি বললেনঃ আমাকে কুরাইশদের (কাফিরদের) সংবাদ কে
সংগ্রহ করে দিতে পার ? আয্-যুবাইর (রাঃ) বললেন, আমি। উক্ত কথা রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনবার বললেন এবং আয-যুবাইর (রাঃ)–ও (তিনবারই)
বললেন, আমি।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৪৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ،
عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ أَوْصَى الزُّبَيْرُ إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ
اللَّهِ صَبِيحَةَ الْجَمَلِ فَقَالَ مَا مِنِّي عُضْوٌ إِلاَّ وَقَدْ جُرِحَ مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . حَتَّى انْتَهَى ذَاكَ إِلَى فَرْجِهِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ
زَيْدٍ .
হিশাম
ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আয-যুবাইর (রাঃ) উষ্ট্রীয় যুদ্ধের দিন সকালে নিজ পুত্র ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ)-কে
উদ্দেশ্য করে বলেন, বৎস! আমার শরীরে এমন কোন অঙ্গ নেই, যা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে (জিহাদে) ক্ষত-বিক্ষত হয়নি, এমনকি
আমার লজ্জাস্থানও (ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং হাম্মাদ ইবনু যাইদের
বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
২৬. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ
আয-যুহ্রী (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৪৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبُو بَكْرٍ فِي
الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ وَعُثْمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَعَلِيٌّ فِي
الْجَنَّةِ وَطَلْحَةُ فِي الْجَنَّةِ وَالزُّبَيْرُ فِي الْجَنَّةِ وَعَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِي الْجَنَّةِ وَسَعْدٌ فِي الْجَنَّةِ وَسَعِيدٌ فِي
الْجَنَّةِ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فِي الْجَنَّةِ " .
আবদুর
রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবূ বকর জান্নাতী,
‘উমার জান্নাতী, ‘উসমান জান্নাতী, ‘আলী জান্নাতী, ত্বালহা জান্নাতী, যুবাইর
জান্নাতী, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ জান্নাতী, সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস জান্নাতী,
সা’ঈদ জান্নাতী এবং আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ জান্নাতী।
সহীহঃ মিশকাত (৬১১), তাখরীজ ত্বাহাভীয়াহ্ (৭২৮)।
আবূ মুস’আব-‘আবদুল ‘আযীয ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি ‘আবদুর
রহমান ইবনু হুমাইদ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে, এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এই সনদে ‘আবদুর রহমান ইবনু
‘আওফ (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই। এ হাদীস ‘আবদুর রহমান ইবনু হুমাইদ-তার পিতা হতে, তিনি সা'ঈদ
ইবনু যাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে পূর্বোক্ত
হাদীসের একই রকম বর্ণিত হয়েছে। এ সনদে বর্ণিত হাদীসটি প্রথমোক্ত হাদীসের চাইতে অনেক
বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৪৮
حَدَّثَنَا صَالِحُ
بْنُ مِسْمَارٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ مُوسَى
بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، حَدَّثَهُ فِي، نَفَرٍ أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَشَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ
أَبُو بَكْرٍ فِي الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ
وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَسَعْدُ بْنُ
أَبِي وَقَّاصٍ " . قَالَ فَعَدَّ هَؤُلاَءِ التِّسْعَةَ وَسَكَتَ عَنِ
الْعَاشِرِ فَقَالَ الْقَوْمُ نَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا أَبَا الأَعْوَرِ مَنِ
الْعَاشِرُ قَالَ نَشَدْتُمُونِي بِاللَّهِ أَبُو الأَعْوَرِ فِي الْجَنَّةِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى أَبُو الأَعْوَرِ هُوَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
نُفَيْلٍ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ هُوَ أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ
الأَوَّلِ .
সা’ঈদ
ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
একদল লোকদের মাঝে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ দশজন লোক জান্নাতী। (তারা হলেন) আবূ বকর জান্নাতী, ‘উমার
জান্নাতী এবং ‘আলী, ‘উসমান, যুবাইর, ত্বালহা, ‘আবদুর রহমান, আবূ ‘উবাইদাহ্ এবং
সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি উক্ত নয়জনকে গণনা করেন এবং
দশম লোক প্রসঙ্গে নীরব থাকেন। সে সময় লোকেরা বলল, হে আবুল আও্ওয়ার! আপনাকে আমরা
আল্লাহর নামে ক্বসম দিয়ে বলছি, দশম লোক কে? তিনি বলেন, তোমরা আমাকে আল্লাহ্র নামে
ক্বসম দিয়ে প্রশ্ন করেছ। আবুল আ’ওয়ার জান্নাতী।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৩৩)।
আবূ 'ঈসা বলেন, আবুল আ’ওয়ার হলেন সা'ঈদ ইবনু যাইদ ইবনু
‘আম্র ইবনু নুফাইল (রাঃ)। মুহাম্মাদ (ইমাম বুখারী)-কে আমি বলতে শুনেছি, এ হাদীসটি
পূর্বের হাদীসের চাইতে বেশি বিশুদ্ধ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৪৯
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ صَخْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
كَانَ يَقُولُ " إِنَّ أَمْرَكُنَّ مِمَّا يُهِمُّنِي بَعْدِي وَلَنْ
يَصْبِرَ عَلَيْكُنَّ إِلاَّ الصَّابِرُونَ " . قَالَ ثُمَّ تَقُولُ
عَائِشَةُ فَسَقَى اللَّهُ أَبَاكَ مِنْ سَلْسَبِيلِ الْجَنَّةِ . تُرِيدُ
عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَقَدْ كَانَ وَصَلَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم بِمَالٍ بِيعَتْ بِأَرْبَعِينَ أَلْفًا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাঁর স্ত্রীদের) বলতেনঃ আমার (মৃত্যুর) পরে
তোমাদের পরিস্থিত (ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা) যে কি হবে তা সম্পর্কে আমি চিন্তিত (কারণ
তোমাদের জন্য কোন উত্তরাধিকার স্বত্ব রেখে যাইনি)। ধৈর্য ধারণকারী ও সহিষ্ণুতা
অনুরাগী ব্যাক্তি ছাড়া তোমাদের অধিকারের প্রতি কেউ ভ্রুক্ষেপ করবে না। আবূ
সালামাহ্ (রহঃ) বলেন, পরবর্তী সময়ে ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা যেন তোমার
বাবাকে অর্থাৎ ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-কে জান্নাতের সালসাবীল নামক ঝর্ণার
পানি পান করান। কেননা তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের
জন্য যে সম্পদ নিয়োগের মাধ্যমে তার সম্পত্তি তাদের সেবায় নিয়োজিত করেন পরবর্তীকালে
তা চল্লিশ হাজার (দিনার মূল্যে) বিক্রয় করা হয়।
হাসানঃ মিশকাত (৬১২১,৬১২২)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭৫০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ عُثْمَانَ الْبَصْرِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ
الشَّهِيدِ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا قُرَيْشُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ،
أَوْصَى بِحَدِيقَةٍ لأُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِيعَتْ بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفٍ
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ
সালামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুর
রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) তার একটি বাগিচা উম্মুহাতুল মু’মিনীনদের জন্য উৎসর্গ করেন
তা চার লক্ষ দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
সনদ হাসানঃ পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
২৭. অনুচ্ছেদঃ
সা'দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৫১
حَدَّثَنَا رَجَاءُ
بْنُ مُحَمَّدٍ الْعُذْرِيُّ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ،
عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ
سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ
اسْتَجِبْ لِسَعْدٍ إِذَا دَعَاكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ
هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ اسْتَجِبْ لِسَعْدٍ إِذَا دَعَاكَ " .
وَهَذَا أَصَحُّ .
সা’দ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার নিকট সা’দ দু’আ
করলে তা গ্রহণ করুন”।
সহীহঃ মিশকাত (৬১১৬)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীস ইসমাঈল-এর বরাতে কাইস (রহঃ)-এর
সনদেও বর্ণিত আছে। তাতে আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “হে
আল্লাহ! আপনার নিকট সা’দ দু’আ করলে তা গ্রহণ করুন”। এ রিওয়ায়াতটি অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৫২
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ
مُجَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
أَقْبَلَ سَعْدٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَذَا خَالِي
فَلْيُرِنِي امْرُؤٌ خَالَهُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ . وَكَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ
مِنْ بَنِي زُهْرَةَ وَكَانَتْ أُمُّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي
زُهْرَةَ فَلِذَلِكَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَذَا خَالِي
" .
জাবির
ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, সা’দ (রাঃ) এসে হাযির হলে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইনি
আমার মামা। কেউ আমাকে দেখাক তো তার মামাকে (যে আমার মামার সমপর্যায়ের হতে পারে)!
সহীহঃ মিশকাত (৬১১৮)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র
মুজালিদের হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে এটা অবগত হয়েছি। সা’দ (রাঃ) ছিলেন বনূ যুহ্রার লোক
এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আম্মাও ছিলেন বনূ যুহ্রার সদস্যা।
এজন্যই নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইনি আমার মামা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৫৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ
عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، سَمِعَا سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ،
يَقُولُ قَالَ عَلِيٌّ مَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَاهُ
وَأُمَّهُ لأَحَدٍ إِلاَّ لِسَعْدٍ قَالَ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ " ارْمِ
فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي وَقَالَ لَهُ ارْمِ أَيُّهَا الْغُلاَمُ الْحَزَوَّرُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَى
غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ
الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدٍ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দ (রাঃ) ছাড়া অন্য কারো জন্য নিজের
পিতা-মাতাকে একত্র করেননি। তিনি উহুদের যুদ্ধের দিন তাকে বলেনঃ আমার আব্বা-আম্মা
তোমার জন্য কোরবান হোক। হে নও জোয়ান! (শত্রুর প্রতি) তীর নিক্ষেপ করো।
‘‘হে নও জোয়ান’’ এ শব্দটি মুনকার ২৮২০ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ। বহু রাবী এ হাদীস
ইয়াহইয়া ঈবনু সাঈদ হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাঈয়্যাব হতে, তিনি সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণনা
করেছেন।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৭৫৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ
مُحَمَّدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ
سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَبَوَيْهِ يَوْمَ أُحُدٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
সা’দ
ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, উহূদের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার
লক্ষ্যে তাঁর বাবা-মাকে একত্রে কুরবান করেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম, (২৮৩০) নং হাদীস পূর্বে উল্লেখ হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আবদুল্লাহ ইবনু
শাদ্দাদ ইবনুল হাদ হতে 'আলী(রাঃ)-এর বরাতেও এ হাদীস নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৫৫
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا
الْحَدِيثُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ
أَبِي طَالِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ،
مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ
بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي
طَالِبٍ، قَالَ مَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُفَدِّي أَحَدًا
بِأَبَوَيْهِ إِلاَّ لِسَعْدٍ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ أُحُدٍ
" ارْمِ سَعْدٌ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
صَحِيحٌ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) ছাড়া আর কারো লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর বাবা-মাকে একসাথে কুরবান করতে শুনিনি।
উহূদের যুদ্ধের দিন আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ হে সা’দ! তীর নিক্ষেপ কর। তোমার জন্য
আমার পিতা-মাতা উৎসর্গ হোক।
সহীহঃ বুখারি ও মুসলিম, (২৮২৮) নং হাদীসে পূর্বেও উল্লিখিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৫৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَهِرَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقْدَمَهُ الْمَدِينَةَ لَيْلَةً قَالَ "
لَيْتَ رَجُلاً صَالِحًا يَحْرُسُنِي اللَّيْلَةَ " . قَالَتْ فَبَيْنَا
نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعْنَا خَشْخَشَةَ السِّلاَحِ فَقَالَ " مَنْ
هَذَا " . فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا جَاءَ بِكَ " . فَقَالَ سَعْدٌ
وَقَعَ فِي نَفْسِي خَوْفٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ
أَحْرُسُهُ . فَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَامَ .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আগমন করার পর কেন
যেন রাতে নিদ্রা যাপন করতে পারলেন না। তিনি (মনে মনে) বললেনঃ আহা! যদি কোন
সৎকর্মপরায়ণ লোক আজকের রাতটুকু আমাকে পাহারা দিত। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা এই
চিন্তায় ছিলাম, তখনই অস্ত্রের শব্দ শুনতে পেলাম। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ কে? উত্তর এল,
আমি সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে
বললেনঃ তুমি কি কারণে এসেছ? সা’দ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আমার মনে শংকা জাগ্রত হওয়ায় আমি তাঁকে পাহারা
দিতে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য দু’আ করেন,
তারপর ঘুমিয়ে যান।
সহীহঃ সহীহুল আদাবুল মুফরাদ (৬২২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
২৮. অনুচ্ছেদঃ
সা’ঈদ ইবনু যাইদ ইবনু ‘আম্র
ইবনু নুফাইল ও আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ
يِسَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ الْمَازِنِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ
زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، أَنَّهُ قَالَ أَشْهَدُ عَلَى التِّسْعَةِ
أَنَّهُمْ فِي الْجَنَّةِ وَلَوْ شَهِدْتُ عَلَى الْعَاشِرِ لَمْ آثَمْ . قِيلَ
وَكَيْفَ ذَلِكَ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحِرَاءَ
فَقَالَ " اثْبُتْ حِرَاءُ فَإِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ
صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ " . قِيلَ وَمَنْ هُمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ
وَالزُّبَيْرُ وَسَعْدٌ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ . قِيلَ فَمَنِ
الْعَاشِرُ قَالَ أَنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم .
সা’ঈদ
ইবনু যাইদ ইবনু ‘আম্র ইবনু নুফাইল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, নয়জন লোক প্রসঙ্গে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তারা জান্নাতী। যদি আমি দশম
ব্যাক্তি প্রসঙ্গেও সাক্ষ্য দেই তবে তাতেও আমি পাপী হব না। প্রশ্ন করা হল, তা
কীভাবে? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমরা
হেরা পর্বতের উপর অবস্থানরত ছিলাম। (হেরা কেঁপে উঠলে) তিনি বললেনঃ হেরা! শান্ত হও।
অবশ্যই তোমার উপরে একজন নবী কিংবা একজন সিদ্দীক্ব (পরম সত্যবাদী) অথবা একজন শহীদ
আছেন। বলা হল, তারা কারা? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম), আবূ বাক্র, ‘উমার, ‘উসমান, ‘আলী, ত্বালহা, যুবাইর, সা’দ ও ‘আবদুর রহমান
ইবনু ‘আওফ (রাঃ)। তাকে প্রশ্ন করা হল, দশম লোকটি কে? তিনি বললেন, আমি।
সহীহঃ (৩৭৪৮) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি সা’ঈদ
ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর বরাতে, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সূত্রে
বর্ণিত হয়েছে। আহমাদ ইবনু মানী’-হাজ্জাজ ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি শু’বাহ্ হতে, তিনি
আল-হুর ইবনুস সাব্বাহ হতে, তিনি ‘আবদুর রহমান ইবনুল আখনাস হতে, তিনি সা’ঈদ ইবনু যাইদ
(রাঃ) হতে উক্ত মর্মে নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম বর্ণনা
করেছেন। এ শেষের সনদের হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৫৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ رَبِيعَةَ
بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ،
دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُغْضَبًا وَأَنَا عِنْدَهُ
فَقَالَ " مَا أَغْضَبَكَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا
لَنَا وَلِقُرَيْشٍ إِذَا تَلاَقَوْا بَيْنَهُمْ تَلاَقَوْا بِوُجُوهٍ مُبْشَرَةٍ
وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِغَيْرِ ذَلِكَ . قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ " وَالَّذِي
نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الإِيمَانُ حَتَّى يُحِبَّكُمْ
لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ " . ثُمَّ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ
مَنْ آذَى عَمِّي فَقَدْ آذَانِي فَإِنَّمَا عَمُّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সাহাবীদের মাঝে কে তাঁর সবচাইতে বেশি প্রিয় ছিলেন? তিনি বললেন, আবূ
বকর (রাঃ)। আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, ‘উমার (রাঃ)। আমি
আবারও প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, তারপর আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ্
(রাঃ)। আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? এবার তিনি নিশ্চুপ রইলেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০২)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৫৯
حَدَّثَنَا
الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ
إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْعَبَّاسُ
مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবূ বকর অতি ভালো
লোক, ‘উমার অতি উত্তম লোক এবং ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জার্রাহ্ও অতি চমৎকার লোক।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২/৫৩৪), মিশকাত (হাঃ ৬২২৪), ৩৭৯৫ নং হাদীসে আরো পূর্ণাঙ্গরূপে
বর্ণনা আসবে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা শুধুমাত্র সুহাইলের
হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
২৯. অনুচ্ছেদঃ
আল-‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল
মুত্তালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنِي
أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ الأَعْمَشَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ
أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
لِعُمَرَ فِي الْعَبَّاسِ " إِنَّ عَمَّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ
" . وَكَانَ عُمَرُ كَلَّمَهُ فِي صَدَقَتِهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল-‘আব্বাস (রাঃ) প্রসঙ্গে ‘উমার (রাঃ)-কে
বলেনঃ কোন লোকের চাচা তার পিতৃ সমতুল্য। আল-‘আব্বাস (রাঃ)-এর যাকাত প্রদান
প্রসঙ্গে ‘উমার (রাঃ) কিছু বলেছিলেন।
সহীহঃ ইরওয়া (৩/৩৪৮-৩৫০)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ،
عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْعَبَّاسُ عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ
وَإِنَّ عَمَّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ أَوْ مِنْ صِنْوِ أَبِيهِ " .
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي
الزِّنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল-‘আব্বাস হলেন
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা। আর চাচা হল পিতৃ
সমতুল্য।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৮০৬), সহীহ আবূ দাঊদ (১৪৩৫), ইরওয়া (৩/৩৪৮-৩৫০)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা
শুধু আবুয্ যিনাদের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে উপর্যুক্তভাবে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৬২
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ
عَطَاءٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْعَبَّاسِ "
إِذَا كَانَ غَدَاةُ الاِثْنَيْنِ فَأْتِنِي أَنْتَ وَوَلَدُكَ حَتَّى أَدْعُوَ
لَهُمْ بِدَعْوَةٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهَا وَوَلَدَكَ " . فَغَدَا
وَغَدَوْنَا مَعَهُ وَأَلْبَسَنَا كِسَاءً ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِلْعَبَّاسِ وَوَلَدِهِ مَغْفِرَةً ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً لاَ تُغَادِرُ
ذَنْبًا اللَّهُمَّ احْفَظْهُ فِي وَلَدِهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল-‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললেনঃ
আগামী সোমবার প্রভাতে আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথে নিয়ে
আসবেন। আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য আমি একটি দু’আ করব, যার পরিপ্রেক্ষিতে
আল্লাহ তা’আলা আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরওে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
বলেন, প্রভাতে তিনি গেলেন এবং তার সঙ্গে আমরাও গেলাম। তিনি আমাদের শরীরে একখানা
চাদর জড়িয়ে দিলেন, তারপর বললেনঃ “হে আল্লাহ! আল-‘আব্বাস ও তার সন্তানদের বাহির ও
ভিতর উভয় দিক এমনভাবে ক্ষমা করে দিন যার পর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে। হে
আল্লাহ! তাকে তার সন্তানদের ব্যাপারে হিফাযাত করুন”।
হাসানঃ মিশকাত (৬১৪৯)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারিব। এ হাদীসটি আমরা
শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩০. অনুচ্ছেদঃ
জা’ফার ইবনু আবী ত্বালিব
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৬৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ جَعْفَرًا يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ
مَعَ الْمَلاَئِكَةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي
هُرَيْرَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ .
وَقَدْ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ
هُوَ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
.
আবু
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি (স্বপ্নে)
জা’ফারকে জান্নাতের মধ্যে ফেরেশতাদের সঙ্গে উড়ে বেড়াতে দেখেছি।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১২২৬), মিশকাত (৬১৫৩)।
আবূ 'ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে
এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফারের সনদে জানতে পেরেছি।
ইয়াহ্ইয়া ইবনু মুঈন প্রমুখ তাকে যঈফ বলেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার হলেন ‘আলী ইবনুল
মাদীনীর বাবা। এ অনুচ্ছেদে ইবনু 'আব্বাস কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ
الْحَذَّاءُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا احْتَذَى
النِّعَالَ وَلاَ انْتَعَلَ وَلاَ رَكِبَ الْمَطَايَا وَلاَ رَكِبَ الْكُورَ
بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْضَلُ مِنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي
طَالِبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
وَالْكُورُ الرَّحْلُ
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর জা’ফার (রাঃ)-এর চেয়ে
উত্তম কোন লোক জুতা পরিধান করেনি, জন্তুযানে আরোহণ করেনি, উটের হাওদায় উঠেনি।
সনদ সহীহ, মাওকূফ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
আল-কাওর অর্থ- হাওদা।
হাদিসের মানঃসহিহ মাওকুফ
৩৭৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ،
عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ لِجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ " أَشْبَهْتَ خَلْقِي
وَخُلُقِي " . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ
ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জা’ফার ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি
দৈহিক গঠনে ও স্বভাব-চরিত্রে আমার মতো। এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফ্ইয়ান ইবনু ওয়াকী’
উবাই হতে, তিনি ইসরাঈল হতে ...... অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو يَحْيَى
التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ أَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ
سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنْ كُنْتُ لأَسْأَلُ
الرَّجُلَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الآيَاتِ مِنَ
الْقُرْآنِ أَنَا أَعْلَمُ بِهَا مِنْهُ مَا أَسْأَلُهُ إِلاَّ لِيُطْعِمَنِي
شَيْئًا فَكُنْتُ إِذَا سَأَلْتُ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ لَمْ يُجِبْنِي
حَتَّى يَذْهَبَ بِي إِلَى مَنْزِلِهِ فَيَقُولُ لاِمْرَأَتِهِ يَا أَسْمَاءُ
أَطْعِمِينَا شَيْئًا . فَإِذَا أَطْعَمَتْنَا أَجَابَنِي وَكَانَ جَعْفَرٌ
يُحِبُّ الْمَسَاكِينَ وَيَجْلِسُ إِلَيْهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ وَيُحَدِّثُونَهُ
فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَكْنِيهِ بِأَبِي الْمَسَاكِينِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ
هُوَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْفَضْلِ الْمَدَنِيُّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ
أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَلَهُ غَرَائِبُ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, অন্যের চেয়ে ভালোভাবে কুরআনের তাৎপর্য আমার জানা থাকা সত্ত্বেও আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যে কোনো সাহাবীর নিকট তার
তাৎপর্য জানতে চাইতাম এ উদ্দেশে যাতে তিনি আমাকে (তার বাড়ীতে নিয়ে) কিছু খাওয়ান।
আমি জাফর ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেই তিনি আমাকে জবাব না দিয়ে তার
বাড়ীতে নিয়ে যেতেন, তারপর তার স্ত্রীকে বলতেন, হে আসমা! আমাদেরকে খানা খাওয়াও। তার
স্ত্রী আমাদের খানা খাওয়ানোর পর তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতেন। জাফর (রাঃ) ছিলেন
দরিদ্র্য বৎসল এবং তিনি তাদের সাথে উঠা-বসা করতেন, তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন
এবং তারাও তাদের সাথে কথাবার্তা বলত। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাকে আবুল মাসাকীন (গরীবদের পিতা) উপনামে আখ্যায়ীত করেন।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত তাহকীক ছাণী (৬১৫২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আবূ ইসহাক আল-মাখযূমী
হলেন ইবরাহীম ইবণূল ফা্যল আল-মাদীণী। কোন কোন হাদিসবিশেষজ্ঞ তার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা
কড়েছেণ। তিনি অনেক গারিব হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
৩৭৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو
أَحْمَدُ، حَاتِمُ بْنُ سِيَاهٍ الْمَرْوَزِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ
أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا نَدْعُو جَعْفَرَ بْنَ أَبِي
طَالِبٍ رضى الله عنه أَبَا الْمَسَاكِينِ فَكُنَّا إِذَا أَتَيْنَاهُ قَرَّبْنَا
إِلَيْهِ مَا حَضَرَ فَأَتَيْنَاهُ يَوْمًا فَلَمْ يَجِدْ عِنْدَهُ شَيْئًا
فَأَخْرَجَ جَرَّةً مِنْ عَسَلٍ فَكَسَرَهَا فَجَعَلْنَا نَلْعَقُ مِنْهَا .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ
হূরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা জা’ফর ইবনু আবী তালিবকে আবুল মাসাকীণ বলে সম্বোধন করতাম, আমরা যখন তার
নিকট আগমন করতাম। উপস্থিত যা থাকতো তাই আমাদের সামনে নিয়ে আসত, একদিন আমরা তার
নিকট আগমন করলে তিনি কিছুই পেলেন না, ফলে তিনি একটি মধুর মটকা নিয়ে এলেন এবং তা
ভেঙ্গে ফেললেন, তারপর আমরা চেটে চেটে খেতে থাকলাম।
যঈফ, যঈফ ইবণূ মাজাহ(৯০১)।
আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ হুরাইরা হতে সালামার সূত্রে বর্ণিত
এ হাদিসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩১. অনুচ্ছেদঃ
আল-হাসান ইবনু 'আলী এবং
আল-হুসাইন ইবনু 'আলী ইবনু আবী ত্বালীব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৬৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ
يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ " .
আবূ
সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল-হাসান ও
আল-হুসাইন (রাঃ) প্রত্যেকেই জান্নাতী যুবকদের সরদার।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৭৯৬)
সুফ্ইয়ান ইবনু ওয়াকী’-জারীর ও মুহাম্মাদ ইবনু ফুযাইল
হতে, তিনি ইয়াযীদ (রহঃ) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবু 'ঈসা বলেন, এই হাদীসটি
হাসান সহীহ। ইবনু আবী নু‘ম হলেন ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবী নু’ম আল-বাজালী, কূফার অধিবাসী।
তার উপনাম আবুল হাকাম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৬৯
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ،
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي
بَكْرِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ
النَّبَّالُ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَخْبَرَنِي
أَبِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ طَرَقْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ
لَيْلَةٍ فِي بَعْضِ الْحَاجَةِ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ
مُشْتَمِلٌ عَلَى شَيْءٍ لاَ أَدْرِي مَا هُوَ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ حَاجَتِي
قُلْتُ مَا هَذَا الَّذِي أَنْتَ مُشْتَمِلٌ عَلَيْهِ قَالَ فَكَشَفَهُ فَإِذَا
حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ عَلَى وَرِكَيْهِ فَقَالَ "
هَذَانِ ابْنَاىَ وَابْنَا ابْنَتِي اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا
فَأَحِبَّهُمَا وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُمَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ .
উসামাহ্
ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
রাতে আমার কোন দরকারে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম। অতএব
নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে, একটা কিছু
তাঁর পিঠে জড়ানো ছিল যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার দরকার সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন
করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কি? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উন্মুক্ত করলে দেখা
গেলো তাঁর দুই কোলে হাসান ও হুসাইন (রাঃ)। তিনি বললেন, এরা দু’জন আমার পুত্র এবং
আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ্! আমি এদের দু’জনকে মুহাব্বাত করি। সুতরাং তুমি
তাদেরকে মুহাব্বাত কর এবং যে ব্যক্তি এদেরকে মুহাব্বাত করবে, তুমি তাদেরকেও
মুহাব্বাত কর।
হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৫৬)
আবূ 'ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭৭০
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ
بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ،
حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ أَبِي نُعْمٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ
عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ انْظُرُوا إِلَى
هَذَا يَسْأَلُ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
إِنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ هُمَا رَيْحَانَتَاىَ مِنَ الدُّنْيَا " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ
وَمَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ . وَقَدْ
رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا
.
আবদুর
রহমান ইবনু আবী নু'ম (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ
এক
ইরাকবাসী মাছির রক্ত কাপড়ে লাগলে তার বিধান প্রসঙ্গে ইবনু 'উমার (রাঃ)–এর কাছে
জানতে চায়। ইবনু 'উমার (রাঃ) বললেন, তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য কর, সে মাছির রক্ত
প্রসঙ্গে প্রশ্ন করছে। অথচ তারাই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর পুত্রকে (নাতি হুসাইন) হত্যা করেছে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন দু’জন এই পৃথিবীতে
আমার দু’টি সুগন্ধময় ফুল।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৫৫), সহীহ (৫৬৪), বুখারী সংক্ষিপ্তভাবে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। শু’বাহ (রহঃ) এ হাদীস
মাহদী ইবনু মাইমূন হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আবী ইয়া‘কূবের সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বরাতেও নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম হাদীস
বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৭১
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا رَزِينٌ،
قَالَ حَدَّثَتْنِي سَلْمَى، قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَهِيَ
تَبْكِي فَقُلْتُ مَا يُبْكِيكِ قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم - تَعْنِي فِي الْمَنَامِ - وَعَلَى رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ التُّرَابُ
فَقُلْتُ مَا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " شَهِدْتُ قَتْلَ
الْحُسَيْنِ آنِفًا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
সালমা
(আল-বাকরিয়া) (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
উম্মূ সালমা (রাঃ)–এর নিকট গিয়েছিলাম, তখন তিনি কাঁদছিলেন। আমি বললাম, কিসে আপনাকে
কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, আমি স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে দেখেছি যে, তাঁর মাথায় ও দাড়িতে ধূলা জড়িয়ে আছে। আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ! আপনার কি হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি এইমাত্র হুসাইনের নিহত
হওয়ার জায়গায় হাযির হয়েছি।
যঈফ, মিশকাত (৬১৫৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭৭২
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سُئِلَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ أَهْلِ بَيْتِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ
" الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ " . وَكَانَ يَقُولُ لِفَاطِمَةَ
" ادْعِي لِي ابْنَىَّ " . فَيَشُمُّهُمَا وَيَضُمُّهُمَا
إِلَيْهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ
أَنَسٍ
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হল, আপনার আহলে বাইত–এর সদস্যগণের মধ্যে কে
আপনার নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেনঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন। তিনি ফাতেমা
(রাঃ)-কে বলতেনঃ আমার দুই সন্তানকে আমার কাছে ডাক। তিনি তাদের ঘ্রাণ নিতেন এবং
নিজের বুকের সাথে লাগাতেন।
যঈফ, মিশকাত (৬১৫৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ আনাস (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি
গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا الأَشْعَثُ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي
بَكْرَةَ، قَالَ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ
" إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ يُصْلِحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ فِئَتَيْنِ
عَظِيمَتَيْنِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . يَعْنِي
الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ .
আবূ
বাক্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে নাববীর) মিম্বারে
উঠে বললেনঃ আমার এ পুত্র (হাসান) নেতা হবে এবং আল্লাহ্ তা‘আলা তার মাধ্যমে
(মুসলমানদের) দু’টি বিবাদমান দলের মাঝে সমঝোতা স্থাপন করাবেন।
সহীহঃ রাওযুন্ নাযীর (৯২৩), ইরওয়া (১৫৯৭), বুখারী।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। “এই পুত্র” দিয়ে
আল-হাসান ইবনু ‘আলি(রাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৭৪
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ،
حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ
أَبِي، : بُرَيْدَةَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَخْطُبُنَا إِذْ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ
عَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فَنَزَلَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمِنْبَرِ فَحَمَلَهُمَا وَوَضَعَهُمَا بَيْنَ
يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " صَدَقَ اللَّهُ : ( إنَّمَا أَمْوَالُكُمْ
وَأَوْلاَدُكُمْ فِتْنَةٌ ) فَنَظَرْتُ إِلَى هَذَيْنِ الصَّبِيَّيْنِ
يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فَلَمْ أَصْبِرْ حَتَّى قَطَعْتُ حَدِيثِي وَرَفَعْتُهُمَا
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ .
আবদুল্লাহ
ইবনু বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
আমার পিতা বুরাইদাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ হাসান ও হুসাইন (রাঃ) লাল
বর্ণের জামা পরিহিত অবস্থায় (শিশু হওয়ার কারণে) আছাড় খেতে খেতে হেঁটে আসেন।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বার হতে নেমে তাদের দু’জনকে
তুলে এনে নিজের সম্মুখে বসান, তারপর বলেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা সত্যই বলেছেন, “তোমাদের
সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি তো পরীক্ষা বিশেষ”-(সুরা তাগাবুন ১৫)। আমি তাকিয়ে
দেখলাম এই শিশু দু’টি আছাড় খেতে খেতে হেঁটে আসছে। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না,
এমনকি আমার বক্তৃতা বন্ধ করে তাদেরকে তুলে নিতে বাধ্য হলাম।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৬০০) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র
আল-হুসাইন ইবনু ওয়াকিদ-এর বর্ণনার প্রেক্ষিতেই এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৭৫
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حُسَيْنٌ مِنِّي
وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبْطٌ
مِنَ الأَسْبَاطِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ
وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ
.
ইয়া‘লা
ইবনু মুর্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুল
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুসাইন আমার হতে এবং আমি হুসাইন হতে।
যে লোক হুসাইনকে মহাব্বত করে, আল্লাহ্ তাকে মুহাব্বাত করেন। নাতিগণের মাঝে একজন
হল হুসাইন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (১৪৪)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উসমান ইবনু খুসাইমের সূত্রেই জেনেছি। একাধিক বর্ণনাকারী এটি ‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘উসমান ইবনু খুসাইম হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ مِنْهُمْ أَحَدٌ أَشْبَهَ بِرَسُولِ
اللَّهِ مِنَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকদের মাঝে দৈহিক কাঠামোয় রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে আল-হাসান ইবনু ‘আলীর তুলনায় বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিল না।
সহীহঃ বুখারী।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عَبَّاسٍ
وَابْنِ الزُّبَيْرِ .
আবূ
জুহাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি দেখেছি। আল-হাসান
ইবনু ‘আলী ছিলেন (দৈহিক কাঠামোয়) তাঁর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। পূর্বে (২৬৭৬) নং হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবু
বাক্র আস-সিদ্দীক্ব, ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনুয যুবাইর (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৭৮
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ
بْنُ أَسْلَمَ أَبُو بَكْرٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ،
أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، قَالَتْ
حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ فَجِيءَ
بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ فَجَعَلَ يَقُولُ بِقَضِيبٍ لَهُ فِي أَنْفِهِ وَيَقُولُ مَا
رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا حُسْنًا لَمْ يُذْكَرْ . قَالَ قُلْتُ أَمَا إِنَّهُ
كَانَ مِنْ أَشْبَهِهِمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
ইবনু যিয়াদের নিকট হাজির ছিলাম। সে সময় আল-হুসাইন (রাঃ)-এর শির (কারবালা হতে) এনে
হাজির করা হল। সে তাঁর নাকে ছড়ি মারতে মারতে (ব্যঙ্গোক্তি করে) বলতে লাগলো, এর
ন্যায় সুশ্রী আমি কাউকে তো দেখিনি! বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় আমি বললাম, সতর্ক হও!
লোকদের মাঝে (দৈহিক কাঠামোয়) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সঙ্গে আল-হুসাইন ইবনু ‘আলীর তুলনায় বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিল না।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৭০), বুখারী।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৭৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ
إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ،
قَالَ الْحَسَنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ
الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ وَالْحُسَيْنُ أَشْبَهُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
.
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) বুক হতে মাথা পর্যন্ত
অংশের সাথে আল-হাসানের শরীরের সাদৃশ্য ছিল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের বুক হতে পা পর্যন্ত নীচের অংশের সাথে আল-হুসাইনের শরীরের সাদৃশ্য
ছিল।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭৮০
حَدَّثَنَا وَاصِلُ
بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
زِيَادٍ وَأَصْحَابِهِ نُضِّدَتْ فِي الْمَسْجِدِ فِي الرَّحَبَةِ فَانْتَهَيْتُ
إِلَيْهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ قَدْ جَاءَتْ قَدْ جَاءَتْ . فَإِذَا حَيَّةٌ قَدْ
جَاءَتْ تَخَلَّلُ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي مَنْخَرَىْ عُبَيْدِ اللَّهِ
بْنِ زِيَادٍ فَمَكَثَتْ هُنَيْهَةً ثُمَّ خَرَجَتْ فَذَهَبَتْ حَتَّى تَغَيَّبَتْ
ثُمَّ قَالُوا قَدْ جَاءَتْ قَدْ جَاءَتْ . فَفَعَلَتْ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ
ثَلاَثًا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উমারাহ
ইবনু ‘উমাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ ও তার সাথীদের ছিন্ন মস্তক এনে কূফার আর-রাহ্বা
নামক জায়গায় মাসজিদে স্তূপীকৃত করা হলে আমি সেখানে গেলাম। সে সময় লোকেরা এসে গেছে,
এসে গেছে বলে চেঁচামিচি করতে লাগলো। দেখা গেলো একটি সাপ এসে ঐসব মাথাসমূহের
অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছিল। এমনকি সাপটি ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদের নাকের ছিদ্রে প্রবেশ
করে কিচ্ছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করল, তারপর বের হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো। লোকেরা আবারও
চিৎকার করে বলতে লাগলো, এসে গেছে, এসে গেছে। এরুপে সাপটি দু’বার অথবা তিনবার এসে
তার নাকের ছিদ্রে ঢুকে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর বের হয়ে যায়।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮১
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ
الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ
سَأَلَتْنِي أُمِّي مَتَى عَهْدُكَ - تَعْنِي - بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
. فَقُلْتُ مَا لِي بِهِ عَهْدٌ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا . فَنَالَتْ مِنِّي
فَقُلْتُ لَهَا دَعِينِي آتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأُصَلِّيَ مَعَهُ
الْمَغْرِبَ وَأَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لِي وَلَكِ . فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم فَصَلَّيْتُ مَعَهُ الْمَغْرِبَ فَصَلَّى حَتَّى صَلَّى
الْعِشَاءَ ثُمَّ انْفَتَلَ فَتَبِعْتُهُ فَسَمِعَ صَوْتِي فَقَالَ " مَنْ
هَذَا حُذَيْفَةُ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " مَا حَاجَتُكَ
غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَلأُمِّكَ " . قَالَ " إِنَّ هَذَا مَلَكٌ
لَمْ يَنْزِلِ الأَرْضَ قَطُّ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ
يُسَلِّمَ عَلَىَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ
الْجَنَّةِ وَأَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ .
হুযাইফাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমার মা আমাকে প্রশ্ন করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট
তুমি কখন যাবে? আমি বললাম, আমি এতদিন হতে তাঁর নিকট উপস্থিত পরিত্যাগ করেছি। এতে
তিনি আমার উপর নারাজ হন। আমি তাকে বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমাকে মাগরিবের নামায আদায় করতে ছেড়ে দিন। তাহলে আমি তাঁর কাছে
আমার ও আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করব। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমি হাযির হয়ে তাঁর সাথে মাগরিবের নামায আদায় করলাম। তারপর
তিনি নফল নামায আদায় করতে থাকলেন, অবশেষে তিনি এশার নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি
বাড়ির দিকে যাত্রা করলেন এবং আমি তাঁর পিছু পিছু গেলাম। তিনি আমার আওয়াজ শুনতে
পেলেন এবং প্রশ্ন করলেন, তুমি কে, হুযাইফাহ্? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ
তোমার কি দরকার, আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাকে এবং তোমার মাকে ক্ষমা করুন। তিনি বললেনঃ
একজন ফেরেশতা যিনি আজকের এ রাতের আগে কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। তিনি আমাকে
সালাম করার জন্য এবং আমার জন্য এ সুখবর বয়ে আনার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে
অনুমতি চেয়েছেনঃ ফাতিমাহ্ জান্নাতের নারীদের নেত্রী এবং হাসান ও হুসাইন জান্নাতের
যুবকদের নেতা।
সহীহঃ তা‘লীকুর রাগীব (২০৫, ২০৬), মিশকাত (২১৬২), সহীহাহ্ (২৭৮৫)।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ইসরাঈলের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতেই জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ
عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
أَبْصَرَ حَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا
فَأَحِبَّهُمَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ
ইবনু ‘আবিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান ও হুসাইনকে দেখে বললেনঃ হে
আল্লাহ্। আমি এ দু’জনকে মুহাব্বাত করি, সুতরাং তুমিও তাদেরকে মুহাব্বাত কর।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৭৮৯)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ رَأَيْتُ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَاضِعًا الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ عَلَى عَاتِقِهِ
وَهُوَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ
الْفُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ
আদী
ইবনু সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি আল-বারাআ ইবনু 'আযিব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আলীর পুত্র হাসানকে তাঁর কাঁধে তুলে নিয়ে আমি বলতে শুনেছিঃ “হে
আল্লাহ্! একে আমি মুহাব্বাত করি, অতএব তাকে তুমিও মুহাব্বাত কর।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৭৮৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটা ফুযাইল ইবনু
মারযূক (রহঃ) বর্ণিত হাদীস অপেক্ষা বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ
صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَامِلَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ
عَلَى عَاتِقِهِ فَقَالَ رَجُلٌ نِعْمَ الْمَرْكَبُ رَكِبْتَ يَا غُلاَمُ .
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَنِعْمَ الرَّاكِبُ هُوَ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ . وَزَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ قَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ
الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আলীর ছেলে হাসানকে
স্বীয় কাঁধে বহণ করছিলেন। এক লোক বলেন, হে বালক! কতই না উত্তম বাহনে তুমি আরোহন
করেছ! (তার মন্তব্য শুনে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
সে কতই না উত্তম আরোহী।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬৩),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু আলোচ্য
সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। হাদীসের কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম যাম্আ ইবনু সালিহ্কে তার স্মৃতিশক্তির
কারণে যঈফ বলেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭৮৫
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ كَثِيرٍ النَّوَّاءِ، عَنْ أَبِي
إِدْرِيسَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ نَجْبَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي
طَالِبٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ كُلَّ نَبِيٍّ أُعْطِيَ
سَبْعَةَ نُجَبَاءَ أَوْ نُقَبَاءَ وَأُعْطِيتُ أَنَا أَرْبَعَةَ عَشَرَ "
. قُلْنَا مَنْ هُمَ قَالَ أَنَا وَابْنَاىَ وَجَعْفَرٌ وَحَمْزَةُ وَأَبُو
بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَبِلاَلٌ وَسَلْمَانُ وَالْمِقْدَادُ
وَأَبُو ذَرٍّ وَعَمَّارٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا
الْحَدِيثُ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا .
আলী
ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীকে সাতজন করে প্রতিনিধি
দান করা হয়েছে এবং আমাকে দান করা হয়েছে চৌদ্দজন। আমরা বললাম, তারা কারা? তিনি
বললেনঃ আমি (আলী), আমার দুই পুত্র (হাসান ও হুসাইন), জাফর, হামযা, আবূ বাক্র,
উমার, মুসআব ইবনু উমাইর, বিলাল, সালমান, আল-মিকদাদ, হুযাইফা, আম্মার ও আবদুল্লাহ
ইবনু মাসঊদ (রাঃ)।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬২৪৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
এ হাদীস আলী (রাঃ) হতে মাওকূফরুপেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩২. অনুচ্ছেদঃ
আহ্লে বাইত-এর মর্যাদা
৩৭৮৬
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحَسَنِ، هُوَ
الأَنْمَاطِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّتِهِ
يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ يَخْطُبُ فَسَمِعْتُهُ
يَقُولُ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ
أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا كِتَابَ اللَّهِ وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي
" . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَزَيْدِ
بْنِ أَرْقَمَ وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَزَيْدُ بْنُ الْحَسَنِ قَدْ رَوَى
عَنْهُ سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ .
জাবির
ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি তাঁর বিদায় হাজ্জে
আরাফার দিন তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্থায় বক্তৃতা দিতে দেখেছি এবং
তাঁকে বলতে শুনেছিঃ হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিষ রেখে গেলাম,
তোমরা তা ধারণ বা অনুসরণ করলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে নাঃ আল্লাহ্ তা‘আলার কিতাব
(আল-কুরআন) এবং আমার ইতরাত অর্থাৎ আমার আহ্লে বাইত।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৪৩)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবূ যার, আবূ সা‘ঈদ, যাইদ
ইবনু আরক্বাম ও হুযাইফাহ্ ইবনু উসাইদ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। উপর্যুক্ত সনদে
এ হাদীসটি হাসান গারীব। যাইদ ইবনুল হাসান হতে সা’ঈদ ইবনু সুলাইমান ও একাধিক বিশেষজ্ঞ
‘আলিম হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ
الأَصْبَهَانِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ،
عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، رَبِيبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَّ : ( إنمَا
يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ
تَطْهِيرًا ) فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
فَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَجَلَّلَهُمْ بِكِسَاءٍ وَعَلِيٌّ خَلْفَ
ظَهْرِهِ فَجَلَّلَهُ بِكِسَاءٍ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ
بَيْتِي فَأَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا " .
قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ "
أَنْتِ عَلَى مَكَانِكِ وَأَنْتِ إِلَى خَيْرٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَأَنَسٍ .
قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পোষ্য 'উমার ইবনু আবী সালামাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে এ আয়াত নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর উপর অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “হে নাবীর পরিবার! আল্লাহ্ তা'আলা তো চান
তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পবিত্র করতে”- (সূরা
আহ্যাব ৩৩)। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমাহ্, হাসান ও
হুসাইন (রাঃ)-কে ডাকেন এবং তাদেরকে একখানা চাদরে আবৃত করেন। তাঁর পেছনে 'আলী (রাঃ)
ছিলেন। তিনি তাঁকেও চাদরে ঢেকে নেন, তারপর বললেনঃ “হে আল্লাহ্! এরা আমার আহলে
বাইত। অতএব তুমি তাদের হতে অপবিত্রতা অপসারণ করে দাও এবং তাদেরকে উত্তমভাবে পবিত্র
কর"। সে সময় উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমিও তাদের
অন্তর্ভুক্ত কি? তিনি বললেনঃ তুমি স্বস্থানে আছ এবং তুমি কল্যাণের মাঝেই আছ।
সহীহঃ ৩২০৫ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ অনুছেদে উম্মু সালামাহ্, মা'কিল ইবনু
ইয়াসার, আবুল হামরা ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ الْمُنْذِرِ، - كُوفِيٌّ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ
حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ
حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي تَارِكٌ
فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ
مِنَ الآخَرِ كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ
وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَىَّ الْحَوْضَ
فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ
যাইদ
ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে আমি
এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তরুপে ধারণ (অনুসরণ) করলে আমার পরে কখনো
পথভ্রষ্ট হবে না। তার একটি অন্যটির তুলনায় বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণঃ আল্লাহ্
তা'আলার কিতাব যা আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত দীর্ঘ এক রশি এবং আমার পরিবার অর্থাৎ
আমার আহ্লে বাইত। এ দু'টি কখনও আলাদা হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সঙ্গে
একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষ্য কর আমার পরে দু'জনের সঙ্গে তোমরা
কিভাবে আচরণ কর।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৪৪), রাওযুন্ নাযীর (৯৭৭, ৯৭৮), সহীহাহ্ (৪/৩৫৬-৩৫৭)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو
دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ،
قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ
النَّوْفَلِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " أَحِبُّوا اللَّهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِهِ وَأَحِبُّونِي
بِحُبِّ اللَّهِ وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
.
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্
তা‘আলাকে মহব্বত কর। কেননা তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিয়ামাতরাজি খাবার খাওয়াচ্ছেন। আর
আল্লাহ্ তা‘আলার মহব্বতে তোমরা আমাকেও মহব্বত এবং আমার মহব্বতে আমার আহ্লে
বাইতকেও মহব্বত কর।
যঈফ, তাখরীজু ফিকহিস্ সারাহ্ (২৩),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত
সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৩. অনুচ্ছেদঃ
মু'আয ইবনু জাবাল, যাইদ ইবনু
সাবিত, উবাই ইবনু কা'ব ও আবু ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৯০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ دَاوُدَ
الْعَطَّارِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْحَمُ أُمَّتِي بِأُمَّتِي
أَبُو بَكْرٍ وَأَشَدُّهُمْ فِي أَمْرِ اللَّهِ عُمَرُ وَأَصْدَقُهُمْ حَيَاءً
عُثْمَانُ وَأَعْلَمُهُمْ بِالْحَلاَلِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ
وَأَفْرَضُهُمْ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَقْرَؤُهُمْ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَلِكُلِّ
أُمَّةٍ أَمِينٌ وَأَمِينُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ
قَتَادَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو قِلاَبَةَ عَنْ
أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَالْمَشْهُورُ حَدِيثُ أَبِي
قِلاَبَةَ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মাঝে
আবূ বাক্র আমার উম্মাতের প্রতি সবচাইতে বেশী দয়ালু। আল্লাহ্ তা'আলার বিধান
প্রয়োগে 'উমার তাদের মাঝে সবচাইতে বেশী কঠোর। তাদের মাঝে 'উসমান ইবনু 'আফ্ফান
সবচাইতে বেশী লাজুক। তাদের মাঝে হালাল ও হারাম প্রসঙ্গে মু'আয ইবনু জাবাল সবচাইতে
বেশী ওয়াকিফহাল। তাদের মাঝে ফারায়িয (উওরাধিকার সম্পর্কিত বিধান) সম্বন্ধে যাইদ
ইবনু সাবিত সবচাইতে বেশী অভিজ্ঞ। তাদের মধ্যে অধিক উত্তমরুপে কুরআন মাজীদ পাঠকারী
উবাই ইবনু কা'ব। আর প্রত্যেক উম্মাতের একজন সবচাইতে বেশী বিশ্বস্ত লোক থাকে। এ
উম্মাতের সর্বাধিক বিশ্বস্ত লোক আবূ 'উবাইদাহ ইবনুল জার্রাহ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
উপর্যুক্ত সনদেই ক্বাতাদাহ্র বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে জেনেছি। এ হাদীস আবু ক্বিলাবাহ্
আনাস (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম
বর্ণনা করেছেন। আবূ ক্বিলাবার হাদীসই বেশী প্রসিদ্ধ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيُّ،
حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْحَمُ أُمَّتِي
بِأُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ وَأَشَدُّهُمْ فِي أَمْرِ اللَّهِ عُمَرُ وَأَصْدَقُهُمْ
حَيَاءً عُثْمَانُ وَأَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ
وَأَفْرَضُهُمْ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَعْلَمُهُمْ بِالْحَلاَلِ وَالْحَرَامِ
مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينًا وَإِنَّ أَمِينَ
هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ " . هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মাঝে
আবূ বাক্র (রাঃ) হলেন আমার উম্মাতের প্রতি সর্বাধিক দয়ালু, তাদের মধ্যে আল্লাহ্র
বিধান প্রয়োগে সর্বাধিক কঠোর হলেন 'উমার, তাদের মাঝে সর্বাধিক লজ্জাশীল হলেন
'উসমান, তাদের মাঝে সর্বাধিক উত্তম কুরআন পাঠকারী হলেন উবাই ইবনু কা'ব, তাদের মাঝে
ফারাইয সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত হলেন যাইদ ইবনু সাবিত এবং তাদের মাঝে হালাল-হারাম
সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত হলেন মু'আয ইবনু জাবাল, সাবধান প্রত্যেক উম্মাতের মাঝে
একজন সর্বাধিক বিশ্বস্ত লোক আছে। আমার উম্মাতের মাঝে সর্বাধিক বিশ্বস্ত লোক হলেন
আবূ 'উবাইদাহ্ ইবনুল জার্রাহ্।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৫৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ
سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ " إِنَّ اللَّهَ
أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ : ( لمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا )
" . قَالَ وَسَمَّانِي قَالَ " نَعَمْ " . فَبَكَى .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُبَىِّ
بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ
.
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই ইবনু কা'ব (রাঃ)-কে
বললেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে হুকুম দিয়েছেন আমি তোমাকে যেন “লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা
কাফারু” সূরাটি পাঠ করে শুনাই। উবাই (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, তিনি কি আমার নামোল্লেখ
করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। এতে উবাই (রাঃ) কেঁদে ফেলেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৯০৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। উবাই ইবনু কা'ব
(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ
...... অতপর অনুরুপ উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৯৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ،
قَالَ سَمِعْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي
أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ " . فَقَرَأَ عَلَيْهِ: ( لمْ يَكُنِ
الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ ) فَقَرَأَ فِيهَا " إِنَّ
ذَاتَ الدِّينِ عِنْدَ اللَّهِ الْحَنِيفِيَّةُ الْمُسْلِمَةُ لاَ الْيَهُودِيَّةُ
وَلاَ النَّصْرَانِيَّةُ مَنْ يَعْمَلْ خَيْرًا فَلَنْ يُكْفَرَهُ " .
وَقَرَأَ عَلَيْهِ " وَلَوْ أَنَّ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيًا مِنْ مَالٍ
لاَبْتَغَى إِلَيْهِ ثَانِيًا وَلَوْ كَانَ لَهُ ثَانِيًا لاَبْتَغَى إِلَيْهِ
ثَالِثًا وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ
عَلَى مَنْ تَابَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ . رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ
أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ " . وَقَدْ رَوَى قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأُبَىٍّ " إِنَّ اللَّهَ
أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ " .
উবাই
ইবনু কা'ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে আপনার
নিকট কুরআন পাঠ করতে আদেশ করেছেন, অতঃপর তিনি পাঠ করলেন, “আহলে কিতাবদের মাঝে
কাফির নয়", আর তাতে পাঠ করলেন, “আল্লাহ্র নিকট দ্বীনদার লোক হলেন একনিষ্ঠ
মুসলিম ব্যক্তি। ইয়াহুদীরাও নয় নাস্রানীরাও নয়। যে ব্যক্তি ভাল 'আমাল করবেন তিনি
তা অস্বীকার করবেন না। তিনি আরও পাঠ করলেন, ইবনু আদামের নিকট যদি এক উপত্যকা সম্পদ
থাকে তাহলে সে দ্বিতীয় উপত্যকা কামনা করবে, আর যদি দ্বিতীয় উপত্যকা থাকে, তাহলে সে
তৃতীয় উপত্যকা কামনা করে। মাটি ব্যতীত আর কিছুতেই ইবনু আদামের পেট ভরবে না। যে
তাওবাহ্ করবে আল্লাহ তার তাওবাহ্ ক্ববূল করবেন।
সহীহঃ বুখারী মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। এটি অন্য সূত্রেও বর্ণিত
আছে।
এটি 'আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আব্যা তার পিতা হতে, তিনি উবাই ইবনু কা'ব হতে
বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই ইবনু কা'বকে
বললেন, আল্লাহ্ আমাকে আদেশ করেছেন যেন আপনার নিকট কুরআন পাঠ করি। ক্বাতাদাহ্ আনাস
(রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই (রাঃ)-কে
বললেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে আপনার নিকট কুরআন পাঠ করতে আদেশ করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَمَعَ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَةٌ كُلُّهُمْ مِنَ الأَنْصَارِ
أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَبُو زَيْدٍ
. قُلْتُ لأَنَسٍ مَنْ أَبُو زَيْدٍ قَالَ أَحَدُ عُمُومَتِي . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যমানায় চারজন ব্যক্তি
কুরআন সংকলন করেন, তাঁরা সকলেই আনসারদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেনঃ উবাই ইবনু কা'ব, মু'আয
ইবনু জাবাল, যাইদ ইবনু সাবিত ও আবূ যাইদ (রাঃ)। আমি (ক্বাতাদাহ্) আনাস (রাঃ)-কে
বললাম, আবূ যাইদ কে? তিনি বললেন, আমার একজন চাচা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৭৯৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو بَكْرٍ نِعْمَ الرَّجُلُ
عُمَرُ نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ نِعْمَ الرَّجُلُ
أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ نِعْمَ الرَّجُلُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ
نِعْمَ الرَّجُلُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ نِعْمَ الرَّجُلُ مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ
الْجَمُوحِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবূ বাক্র কতই না
ভাল, 'উমার কতই না ভাল, আবূ 'উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ্ কতই না ভাল, উসাইদ ইবনু হুযাইর
কতই না ভাল, সাবিত ইবনু ক্বাইস ইবনু শাম্মাস কতই না ভাল, মু'আয ইবনু জাবাল কতই না
ভাল এবং মু'আয ইবনু 'আম্র ইবনুল জামূহ কতই না ভাল।
সহীহঃ হাদীসের প্রথমাংশ (৩৫১২) নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। আমরা শুধুমাত্র সুহাইলের
হাদীস হিসেবে এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৯৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ،
عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ جَاءَ
الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالاَ ابْعَثْ
مَعَنَا أَمِينًا . فَقَالَ " فَإِنِّي سَأَبْعَثُ مَعَكُمْ أَمِينًا
حَقَّ أَمِينٍ " . فَأَشْرَفَ لَهَا النَّاسُ فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ
بْنَ الْجَرَّاحِ رضى الله عنه . قَالَ وَكَانَ أَبُو إِسْحَاقَ إِذَا حَدَّثَ
بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ صِلَةَ قَالَ سَمِعْتُهُ مُنْذُ سِتِّينَ سَنَةً .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ وَأَنَسٍ رضى
الله عنهما عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لِكُلِّ أُمَّةٍ
أَمِينٌ وَأَمِينُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ "
.
হুযাইফাহ্
ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, নাজরানবাসীদের নেতা ও তার নায়েব নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট এসে বলে, আমাদের সঙ্গে আপনার বিশ্বস্ত লোককে প্রেরণ করেন। তিনি বললেনঃ আমি
শীঘ্রই তোমাদের সঙ্গে একজন বিশ্বস্ত লোককে প্রেরণ করব যিনি প্রকৃতই বিশ্বস্ত।
লোকেরা এই সেবা আঞ্জাম দেয়ার আশা করতে থাকে। তিনি আবূ 'উবাইদাহ্ (রাঃ)-কে প্রেরণ
করেন। অধঃস্তন বর্ণনাকারী আবূ ইসহাক্ব যখনই সিলাহ্ হতে উক্ত হাদীস রিওয়ায়াত করতেন
সে সময় বলতেন, আমি এ হাদীস ‘সিলাহ্’ হতে প্রায় ষাট বছর আগে শুনেছি।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১২৩), বুখারী ও মুসলিম, দেখুন সহীহাহ্ (১৯৬৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস ‘উমার ও
আনাস (রাঃ) হতে, তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদেও বর্ণিত
হয়েছে যে, তিনি বলেনঃ “প্রত্যেক উম্মাতেরই একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি থাকে। এ উম্মাতের
বিশ্বস্ত লোক হল ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ"।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার সাল্ম ইবনু কুতাইবাইহ্ ও আবূ দাঊদ হতে, তারা শু'বাহ্ হতে,
তিনি আবূ ইসহাক্ব হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, হুযাইফাহ্ (রাঃ) বলেছেন, সিলাহ্
ইবনু যুফারের হ্নদয় স্বর্ণের মত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪. অনুচ্ছেদঃ
সালমান ফারসী (রাঃ)-এর
মর্যাদা
৩৭৯৭
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي
رَبِيعَةَ الإِيَادِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْجَنَّةَ لَتَشْتَاقُ إِلَى
ثَلاَثَةٍ عَلِيٍّ وَعَمَّارٍ وَسَلْمَانَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাত তিনজন
লোকের জন্য খুবই আগ্রহীঃ আলী, আম্মার ও সালমান (রাঃ)।
যঈফ, যঈফা (২৩২৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু হাসান
ইবনু সালিহ্-এর সূত্রেই জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫. অনুচ্ছেদঃ
'আম্মার ইবনু ইয়াসির
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ
جَاءَ عَمَّارٌ يَسْتَأْذِنُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ
" ائْذَنُوا لَهُ مَرْحَبًا بِالطَّيِّبِ الْمُطَيَّبِ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) এসে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সঙ্গে দেখার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে আসার অনুমতি দাও।
স্বাগতম পবিত্র সত্তা ও পবিত্র স্বভাবের ব্যক্তিকে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৬)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৭৯৯
حَدَّثَنَا
الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى،
عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ، كُوفِيٌّ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ،
عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " مَا خُيِّرَ عَمَّارٌ بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ
أَرْشَدَهُمَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ .
وَهُوَ شَيْخٌ كُوفِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ النَّاسُ لَهُ ابْنٌ يُقَالُ لَهُ
يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَوَى عَنْهُ يَحْيَى بْنُ آدَمَ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখনই আম্মারকে
দু'টি বিষয়ের মাঝে একটি গ্রহণের এখতিয়ার দেয়া হয়েছে সে সময় সে প্রত্যেকটির মাঝে
সর্বোত্তমটিকে (অপেক্ষাকৃত মজবুতটিকে) এখতিয়ার করেছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৮)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কেননা ‘আবদুল
'আযীয ইবনু সিয়াহ্-এর রিওয়ায়াত ছাড়া আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে অবহিত নই। তিনি হলেন কুফার
শাইখ। লোকেরা তার নিকট হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছে। তার এক পুত্র ছিল, যিনি ইয়াযীদ ইবনু
‘আবদুল 'আযীয নামে পরিচিত এবং যিনি সিক্বাহ্ বর্ণনাকারী ছিলেন। ইয়াহ্ইয়া ইবনু আদাম
তার সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
হুযাইফাহ্ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমরা বসা ছিলাম। তিনি বললেনঃ আমার জানা নেই, আর কত দিন
আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকব। সুতরাং তোমরা আমার পরের দু'জন লোকের অনুসরণ কর এবং তিনি
আবূ বাক্র ও 'উমার (রাঃ)-এর দিকে ইশারা করেন। আর তোমরা 'আম্মারের অনুসৃত পন্থা অনুসরণ
কর এবং যে হাদীস ইবনু মাস'ঊদ তোমাদের কাছে রিওয়ায়াত করে তা বিশ্বাস কর।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৭)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস ইবরাহীম ইবনু সা'দ সুফ্ইয়ান সাওরী হতে, তিনি
‘আবদুল মালিক ইবনু 'উমাইর হতে, তিনি রিব'ঈর মুক্তদাস হিলাল হতে, তিনি রিব'ঈ হতে, তিনি
হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই
রকম রিওয়ায়াত করেছেন। সালিম আল-মুরাদী আল-কূফী এ হাদীস ‘আম্র ইবনু হারিম হতে, তিনি
রিব'ঈ ইবনু হিরাশ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮০০
حَدَّثَنَا أَبُو
مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ
الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى
الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبْشِرْ
عَمَّارُ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي
الْيَسَرِ وَحُذَيْفَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ
حَدِيثِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
আবু
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে 'আম্মার! সুখবর
গ্রহণ কর বিদ্রোহী দলটি তোমাকে হত্যা করবে।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৭১০)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে উম্মু সালামাহ্, 'আব্দুল্লাহ
ইবনু ‘আম্র, আবুল ইয়াসার ও হুযাইফাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি
হাসান, সহীহ এবং আ'লা ইবনু 'আব্দুর রহমানের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৬. অনুচ্ছেদঃ
আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)-এর
মর্যাদা
৩৮০১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ
عُمَيْرٍ، هُوَ أَبُو الْيَقْظَانِ عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ
الدِّيلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ وَلاَ أَقَلَّتِ
الْغَبْرَاءُ أَصْدَقَ مِنْ أَبِي ذَرٍّ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ
أَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَبِي ذَرٍّ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু 'আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আবূ
যার হতে বেশি সত্যবাদী কাউকে আকাশ ছায়া দান করেনি এবং মাটি ও তার বুকে বহন করেনি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৬)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবুদ্ দারদা ও আবূ যার (রাঃ)
কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮০২
حَدَّثَنَا
الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا
عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، هُوَ سِمَاكُ بْنُ الْوَلِيدِ
الْحَنَفِيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ
وَلاَ أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ مِنْ ذِي لَهْجَةٍ أَصْدَقَ وَلاَ أَوْفَى مِنْ
أَبِي ذَرٍّ شِبْهِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ " .
فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كَالْحَاسِدِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَنَعْرِفُ
ذَلِكَ لَهُ قَالَ " نَعَمْ فَاعْرِفُوهُ لَهُ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا
الْحَدِيثَ فَقَالَ " أَبُو ذَرٍّ يَمْشِي فِي الأَرْضِ بِزُهْدِ عِيسَى
ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ " .
আবূ
যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ বাচনিক
সত্যবাদিতায় ও সত্য প্রকাশে আবূ যারের তুলনায় উত্তম কাউকে আকাশ ছায়াদান করেনি এবং
দুনিয়া তার বুকে আরোহন করেনি। সে ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম অনুরুপ। উমার
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হিংসুটে লোকের মত বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা কি এটা
তাকে জানাবোনা? (তাকে জানানো হবে?) তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমরা তাকে জানিয়ে দাও।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬২৩০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
কিছু রাবী এ হাদীস এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ “বৈরাগ্য সাধনায় পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী আবূ
যার হলেন ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম অনুরুপ”।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৭. অনুচ্ছেদঃ
'আবদুল্লাহ ইবনু সালাম
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮০৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُحَيَّاةَ، يَحْيَى بْنُ يَعْلَى
بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَخِي عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ لَمَّا أُرِيدَ قَتْلُ عُثْمَانَ جَاءَ عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَا جَاءَ بِكَ قَالَ جِئْتُ فِي
نَصْرِكَ . قَالَ اخْرُجْ إِلَى النَّاسِ فَاطْرُدْهُمْ عَنِّي فَإِنَّكَ
خَارِجًا خَيْرٌ لِي مِنْكَ دَاخِلاً . فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَى النَّاسِ
فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ كَانَ اسْمِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فُلاَنٌ
فَسَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللَّهِ وَنَزَلَتْ فِيَّ
آيَاتٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَنَزَلَتْ فِيَّ : ( وشهد شَاهِدٌ مِنْ بَنِي
إِسْرَائِيلَ عَلَى مِثْلِهِ فَآمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَهْدِي
الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ ) وَنَزَلَتْ فِيَّ : ( قلْ كَفَى بِاللَّهِ
شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِنْدَهُ عِلْمُ الْكِتَابِ ) إِنَّ
لِلَّهِ سَيْفًا مَغْمُودًا عَنْكُمْ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ قَدْ جَاوَرَتْكُمْ
فِي بَلَدِكُمْ هَذَا الَّذِي نَزَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَاللَّهَ اللَّهَ فِي هَذَا الرَّجُلِ أَنْ تَقْتُلُوهُ فَوَاللَّهِ لَئِنْ
قَتَلْتُمُوهُ لَتَطْرُدُنَّ جِيرَانَكُمُ الْمَلاَئِكَةَ وَلَتَسُلُّنَّ سَيْفَ
اللَّهِ الْمَغْمُودَ عَنْكُمْ فَلاَ يُغْمَدُ عَنْكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
. قَالُوا اقْتُلُوا الْيَهُودِيَّ وَاقْتُلُوا عُثْمَانَ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ
بْنِ عُمَيْرٍ . وَقَدْ رَوَى شُعَيْبُ بْنُ صَفْوَانَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ
عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ فَقَالَ عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ .
আবদুল্লাহ
ইবনু সালাম (রাঃ)-এর ভাতিজা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ উসমান (রাঃ)-কে যখন মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয় তখন আবদুল্লাহ ইবনু সালাম
(রাঃ) তাঁর নিকট তার নিরাপত্তার জন্য আসেন। উসমান (রাঃ) তাকে বলেন, আপনি কেন
এসেছেন? তিনি বললেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে এসেছি। উসমান (রাঃ) বললেন, তাহলে
আপনি বাইরে বিদ্রোহীদের নিকট যান এবং তাদেরকে আমার নিকট হতে সরিয়ে দিন। আপনার
বাড়ির ভেতরে থাকার চাইতে বাইরে থাকাই আমার জন্য উপকারী। অতএব আবদুল্লাহ (রাঃ)
বাইরে লোকদের নিকট গিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে লোকেরা! জাহিলী যুগে আমার অমুক
নাম ছিল। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নাম রাখেন
আবদুল্লাহ। আমার সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলার কিতাবে কয়েকটি আয়াতও অবতীর্ণ হয়। আমার
সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়ঃ “এবং বানী ইসরাঈলের একজন এর মতই কিতাব প্রসঙ্গে সাক্ষ্য
দিয়েছে এবং এতে ঈমান এনেছে, অথচ তোমরা অহংকার করছ। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা
যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না” (সূরাঃ আল-আহ্কাফ-১০)। আরও অবতীর্ণ হয়ঃ “আপনি
বলুন, আমার ও তোমাদের মাঝে আল্লাহ্ তা’আলার সাক্ষ্য এবং যার নিকট কিতাবের জ্ঞান
আছে তার সাক্ষ্যই যথেষ্ট” (সূরাঃ রাদ-৪৩)। তোমাদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার একখানা
কোষবদ্ধ তলোয়ার আছে। আর তোমাদের এই যে শহরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) (হিজরাত করে) আসেন, এখানের ফেরেশতারা তোমাদের প্রতিবেশী। অতএব তোমরা এই
ব্যক্তিকে হত্যা করার ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় কর। আল্লাহ্র কসম! যদি তোমরা
তাকে মেরে ফেল, তাহলে অবশ্যই তোমাদের প্রতিবেশী ফেরেশতারা তোমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে
এবং আল্লাহ্ তা’আলার যে তলোয়ার তোমাদের হতে কোষবদ্ধ আছে তা কোষমুক্ত হলে কিয়ামাত
পর্যন্ত আর কোষবদ্ধ হবে না। বিদ্রোহীরা বলল, তোমরা এই ইয়াহূদীকেও হত্যা কর এবং
উসমানকেও হত্যা কর।
সনদ দুর্বল। ৩০৯৮ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। কেননা আমরা শুধু আবদুল
মালিক ইবনু উমাইরের রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। শুআইব ইবনু সাফওয়ান এ
হাদীস আবদুল মালিক ইবনু উমাইর হতে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছনঃ উমার ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু
আবদুল্লাহ ইবনু সালাম-তার দাদা আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) হতে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮০৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ
بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ
عَمِيرَةَ، قَالَ لَمَّا حَضَرَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ الْمَوْتُ قِيلَ لَهُ يَا
أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَوْصِنَا . قَالَ أَجْلِسُونِي . فَقَالَ إِنَّ
الْعِلْمَ وَالإِيمَانَ مَكَانَهُمَا مَنِ ابْتَغَاهُمَا وَجَدَهُمَا يَقُولُ
ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَالْتَمِسُوا الْعِلْمَ عِنْدَ أَرْبَعَةِ رَهْطٍ عِنْدَ
عُوَيْمِرٍ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَعِنْدَ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ وَعِنْدَ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَعِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ الَّذِي كَانَ
يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " إِنَّهُ عَاشِرُ عَشَرَةٍ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَ
وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইয়াযীদ
ইবনু ‘উমাইরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, মু'আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর মৃত্যু উপস্থিত হলে তাকে বলা হল, হে 'আব্দুর
রহমানের বাবা! আমাদেরকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, তোমরা আমাকে বসাও। তিনি বললেন,
‘ইল্ম ও ঈমান নিজস্ব জায়গায়ই বিদ্যামান আছে, যে তা অন্বেষণ করবে সে তা লাভ করবে।
তিনি তিনবার এ কথা বললেন। তোমরা চার লোকের নিকট 'ইল্ম অনুসন্ধান করঃ 'উয়াইমির
আবুদ্ দারদা (রাঃ)-এর নিকট, সালমান ফারসী (রাঃ)-এর নিকট, 'আবদুল্লাহ ইবনু মাস'ঊদ
(রাঃ)-এর নিকট 'আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর নিকট। শেষোক্তজন প্রথমে ইয়াহূদী
ধর্মাবলম্বী ছিলেন, পরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তার প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই 'আবদুল্লাহ ইবনু
সালাম জান্নাতের দশজনের মাঝে দশম লোক।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৩১)।
এ অনুচ্ছেদে সা'দ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ
'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮. অনুচ্ছেদঃ
'আবদুল্লাহ ইবনু মাস'ঊদ
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮০৫
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ،
حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي
الزَّعْرَاءِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي مِنْ أَصْحَابِي أَبِي
بَكْرٍ وَعُمَرَ وَاهْتَدُوا بِهَدْىِ عَمَّارٍ وَتَمَسَّكُوا بِعَهْدِ ابْنِ
مَسْعُودٍ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ
سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ . وَيَحْيَى بْنُ سَلَمَةَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ
وَأَبُو الزَّعْرَاءِ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَانِئٍ وَأَبُو الزَّعْرَاءِ
الَّذِي رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ اسْمُهُ عَمْرُو
بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ ابْنُ أَخِي أَبِي الأَحْوَصِ صَاحِبِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مَسْعُودٍ .
ইবনু
মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরে তোমরা
আমার সাহাবীদের মাঝে আবূ বাক্র ও 'উমারের অনুসরণ কর এবং 'আম্মারের অনুসৃত পথ
অবলম্বন কর আর ইবনু মাস'ঊদের ওয়াসীয়াত শক্তভাবে ধারণ কর।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৭)।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে ইবনু মাস'ঊদের হাদীস হিসাবে
এটি হাসান গারীব। কেননা এ হাদীস আমার শুধু ইয়াহ্ইয়া ইবনু সালামাহ্ ইবনু কুহাইলের
রিওয়ায়াত হিসেবে জানতে পেরেছি। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সালামাহ্ হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। আবুয্
যা'রা নামে দুই লোক রয়েছেন। তাদের একজনের নাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানী এবং অন্যজন যার
হতে শু'বাহ্ ও সাওরী হাদীস রিওয়াত করেন। ইবনু 'উয়াইনাহ্র নাম 'আম্র ইবনু 'আম্র।
তিনি ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ)-এর শীষ্য আবুল আহওয়াসের ভাইয়ের ছেলে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮০৬
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ سَمِعَ
أَبَا مُوسَى، يَقُولُ لَقَدْ قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي، مِنَ الْيَمَنِ وَمَا نُرَى
حِينًا إِلاَّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِمَا نَرَى مِنْ دُخُولِهِ وَدُخُولِ أُمِّهِ
عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ
عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ .
আবূ
মূসা আল-আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
ও আমার সহোদর ইয়ামান হতে (মাদীনায়) আসা মাত্র আমরা ধারনা করতাম যে, 'আবদুল্লাহ
ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের একজন
সদস্য। কেননা আমরা তাকে ও তার মাতাকে প্রায়ই নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কাছে আসা-যাওয়া করতে দেখতাম।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি এই সনদ সূত্রে হাসান সহীহ গারীব।
সুফ্ইয়ান সাওরীও হাদীসটি আবূ ইসহাক্বের সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ
أَتَيْنَا عَلَى حُذَيْفَةَ فَقُلْنَا حَدِّثْنَا مَنْ، أَقْرَبُ النَّاسِ مِنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَدْيًا وَدَلاًّ فَنَأْخُذَ عَنْهُ
وَنَسْمَعَ مِنْهُ قَالَ كَانَ أَقْرَبَ النَّاسِ هَدْيًا وَدَلاًّ وَسَمْتًا
بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى يَتَوَارَى مِنَّا
فِي بَيْتِهِ وَلَقَدْ عَلِمَ الْمَحْفُوظُونَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ أَنَّ
ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ هُوَ مِنْ أَقْرَبِهِمْ إِلَى اللَّهِ زُلْفَى . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আব্দুর
রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা হুযাইফা (রাঃ) এর কাছে এসে বললাম, আপনি আমাদেরকে এরুপ এক ব্যাক্তির
সন্ধান দিন, যিনি আচার-আচরনে অপরদের চাইতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর বেশি কাছের, যাতে আমরা তাঁর নিকট দ্বীন শিখতে পারি ও হাদীস শুনতে
পারি। হুযাইফা (রাঃ) বলেন, আচার-আচরন ও চাল-চলনে ব্যাক্তিদের মাঝে রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনেক নিকটবর্তী হলেন ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ)।
তিনি আমাদের মাঝ হতে অন্তরাল হয়ে তাঁর ঘরে অবস্থান করতেন। রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশ্বস্ত সাহাবীগন ভালভাবে অবগত আছেন যে,
ইবনু উম্মু আব্দ ('আবদুল্লাহ ইবনু মাস'ঊদ) তাদের প্রত্যেকের তুলনায় আল্লাহ্
তা'আলার বেশি নৈকট্যলাভকারী।
সহীহঃ তা'লীকাত আল-হাস্সান (৭০২৩), বুখারী সংক্ষিপ্তাকারে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮০৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا صَاعِدٌ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا
زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ
عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ
مُؤَمِّرًا أَحَدًا مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ مِنْهُمْ لأَمَّرْتُ عَلَيْهِمُ ابْنَ
أُمِّ عَبْدٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যদি তাদের
কাউকে পরামর্শ ছাড়া দলনেতা নিযুক্ত করতাম, তাহলে ইবনু উম্মি আব্দকে দলনেতা
নিযুক্ত করতাম।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৩৭),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু হারিস হতে আলী
(রাঃ) সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮০৯
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ مُؤَمِّرًا أَحَدًا مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ
لأَمَّرْتُ ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ " .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি পরামর্শ ছাড়া
কাউকে নেতার পদ দিলে ইবনু উম্মি আব্দকেই নেতার পদ দিতাম।
যঈফ, দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮১০
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ،
حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ
مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " خُذُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنِ ابْنِ مَسْعُودٍ
وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু 'আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চার লোকের
কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা করঃ ইবনু মাস'ঊদ, উবাই ইবনু কা'ব, মু'আয ইবনু জাবাল ও
হুযাইফাহ্র মুক্ত দাস সালিম হতে।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৮২৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮১১
حَدَّثَنَا
الْجَرَّاحُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ،
حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خَيْثَمَةَ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، قَالَ
أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَسَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا
فَيَسَّرَ لِي أَبَا هُرَيْرَةَ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ إِنِّي
سَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَوُفِّقْتَ لِي .
فَقَالَ لِي مِنْ أَيْنَ أَنْتَ قُلْتُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ جِئْتُ أَلْتَمِسُ
الْخَيْرَ وَأَطْلُبُهُ . قَالَ أَلَيْسَ فِيكُمْ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ مُجَابُ الدَّعْوَةِ
وَابْنُ مَسْعُودٍ صَاحِبُ طَهُورِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَنَعْلَيْهِ وَحُذَيْفَةُ صَاحِبُ سِرِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَعَمَّارٌ الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ
وَسَلْمَانُ صَاحِبُ الْكِتَابَيْنِ . قَالَ قَتَادَةُ وَالْكِتَابَانِ
الإِنْجِيلُ وَالْفُرْقَانُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
وَخَيْثَمَةُ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ إِنَّمَا نُسِبَ
إِلَى جَدِّهِ
খাইসামাহ্
ইবনু আবূ সাবরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি মাদীনায় এসে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করলাম যে, তিনি যেন আমাকে
একজন সৎকর্মপরায়ণ সঙ্গী জুটিয়ে দেন। অতএব তিনি আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ)-কে আমার
ভাগ্যে জুটিয়ে দিলেন। তার পাশে বসে আমি তাকে বললাম, আমি আল্লাহ তা'আলার নিকট
প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমাকে একজন সৎকর্মপরায়ন সঙ্গী মিলিয়ে দেন। অতএব
আপনি আমার জন্য সহজলভ্য হয়েছেন। তিনি (আমাকে) প্রশ্ন করেন, তুমি এসেছ কোথা হতে?
আমি বললাম, আমি কূফার অধিবাসী। আমি মঙ্গলের সন্ধানে এসেছি এবং তাই খোঁজ করছি। তিনি
বললেন, তোমাদের মধ্যে কি সা'দ ইবনু মালিক (রাঃ), যার দু'আ ক্ববুল হয়, রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযুর পানি ও জুতা বহনকারী ইবনু মাস'ঊদ
(রাঃ), রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোপন তথ্যের খাজাঞ্চী
হূ্যাইফাহ্ (রাঃ), 'আম্মার (রাঃ) যাকে আল্লাহ তাঁর নাবীর ভাষায় শাইতানের আক্রমণ
হতে নিরাপত্তা দান করেছেন এবং দুই কিতাবধারী সালমান (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগন
বিদ্যমান নেই? ক্বাতদাহ (রাঃ) বলেন, দুই কিতাব হল ইনজীল ও কুরআন।
সহীহঃ বুখারী (৩৭৪২,৩৭৪৩) হুযাইফাহ্ হতে, এ হাদিসদ্বয়ে সালমানের উল্লেখ নেই।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। খাইসামাহ্ হলেন
'আব্দুর রহমান ইবনু আবী সাবরার পুত্র। তাকে তার দাদার সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯. অনুচ্ছেদঃ
হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮১২
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، عَنْ
شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالُوا
يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اسْتَخْلَفْتَ . قَالَ " إِنِ اسْتَخْلَفْتُ
عَلَيْكُمْ فَعَصَيْتُمُوهُ عُذِّبْتُمْ وَلَكِنْ مَا حَدَّثَكُمْ حُذَيْفَةُ فَصَدِّقُوهُ
وَمَا أَقْرَأَكُمْ عَبْدُ اللَّهِ فَاقْرَءُوهُ " . قَالَ عَبْدُ
اللَّهِ فَقُلْتُ لإِسْحَاقَ بْنِ عِيسَى يَقُولُونَ هَذَا عَنْ أَبِي وَائِلٍ .
قَالَ لاَ عَنْ زَاذَانَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
وَهُوَ حَدِيثُ شَرِيكٍ .
হুযাইফা
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! যদি আপনি কাউকে খালীফা (স্থলাভিসিক্ত)
নিযুক্ত করে যেতেন। তিনি বললেনঃ আমি কাউকে তোমাদের খালীফা নিযুক্ত করে গেলে এবং
তোমরা তার অবাধ্যাচারী হলে তোমাদেরকে সাজা দেয়া হবে। সুতরাং হুযাইফা (রাঃ) তোমাদের
নিকট যা বর্ণনা করে তাকে সত্য বলে গ্রহণ কর এবং ইবনু মাসঊদ (রাঃ) তোমাদেরকে যা
কিছু পাঠ করায় তা পাঠ করে নাও।
যঈফ, মিশকাত (৬২৩২), আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান বলেন, আমি ইসহাক ইবনু ঈসাকে
বললাম, লোকেরা বলেন, এ হাদীস আবূ ওয়াইল হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, না, বরং তা
ইনশা আল্লাহ যাযান থেকে।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান। এটি শারীকের বর্ণিত হাদীস।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪০. অনুচ্ছেদঃ
যাইদ ইবনু হারিসাহ্
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮১৩
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ
زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ فَرَضَ لأُسَامَةَ بْنِ
زَيْدٍ فِي ثَلاَثَةِ آلاَفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ وَفَرَضَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُمَرَ فِي ثَلاَثَةِ آلاَفٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لأَبِيهِ لِمَ
فَضَّلْتَ أُسَامَةَ عَلَىَّ فَوَاللَّهِ مَا سَبَقَنِي إِلَى مَشْهَدٍ . قَالَ
لأَنَّ زَيْدًا كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ
أَبِيكَ وَكَانَ أُسَامَةُ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ مِنْكَ فَآثَرْتُ حُبَّ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى حُبِّي . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ .
উমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
উসামা (রাঃ)-এর মাহিনা নির্ধারণ করলেন তিন হাজার পাঁচ শত দিরহাম এবং আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রাঃ)-এর মাহিনা নির্ধারণ করলেন তিন হাজার। সুতরাং আবদুল্লাহ ইবনু উমার
(রাঃ) তার পিতাকে বললেন, আপনি উসামাকে কেন আমার উপর স্থান দিলেন? আল্লাহ্র কসম!
সে কোন যুদ্ধে আমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। উমার (রাঃ) বললেন, তোমার পিতার চাইতে
(তার পিতা) যাইদ (রাঃ) ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) বেশি
প্রিয়পাত্র। আর তোমার চাইতে উসামা ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লামের) বেশি পছন্দনীয় ব্যক্তি। তাই আমি আমার পছন্দনীয় ব্যক্তির উপর
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) পছন্দনীয় ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার
দিয়েছি।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮১৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ
عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا
كُنَّا نَدْعُو زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ إِلاَّ زَيْدَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَتَّى
نَزَلَتْ : ( ادعُوهُمْ لآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ ) .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
সালিম
ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু 'উমার (রাঃ) হতে তাঁর বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা যাইদ (রাঃ)-কে যাইদ ইবনু হারিসাহ্ না বলে বরং যাইদ ইবনু মুহাম্মাদ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে সম্বোধন করতাম। অবশেষে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়
(অনুবাদে): "তোমরা তাদের কে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাকো, এটাই আল্লাহ তা'আলার
দৃষ্টিতে বেশি ন্যায়সঙ্গত"-(সূরা আহ্যাব ৫)।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটি ৩২০৯ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮১৫
حَدَّثَنَا
الْجَرَّاحُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَصْرِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الرُّومِيِّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ
إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ
أَخْبَرَنِي جَبَلَةُ بْنُ حَارِثَةَ، أَخُو زَيْدٍ قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْعَثْ مَعِي أَخِي
زَيْدًا . قَالَ " هُوَ ذَا " . قَالَ " فَإِنِ
انْطَلَقَ مَعَكَ لَمْ أَمْنَعْهُ " . قَالَ زَيْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ
وَاللَّهِ لاَ أَخْتَارُ عَلَيْكَ أَحَدًا . قَالَ فَرَأَيْتُ رَأْىَ أَخِي
أَفْضَلَ مِنْ رَأْيِي . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ الرُّومِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ .
যাইদ
ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)-এর সহোদর জাবালাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাজির হয়ে বললাম, হে
আল্লাহ্র রাসুল! আমার সহোদর যাইদকে আমার সাথে পাঠিয়ে দিন। তিনি বললেন, এইতো সে
হাজির। সে যদি তোমার সঙ্গে চলে যেতে চায়, তাকে আমি বাধা দিবো না। যাইদ (রাঃ)
বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! আল্লাহ্র ক্বসম! আমি আপনাকে ছেড়ে অন্য কাউকে গ্রহণ
করবো না। বর্ণনাকারী (জাবালাহ্) বলেন, আমি দেখলাম আমার সিদ্ধান্তের তুলনায় আমার
ভাইয়ের সিদ্ধান্তই বেশি উত্তম।
হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৬৫)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি আমরা
শুধুমাত্র ইবনুর রূমী হতে 'আলী ইবনূ মুসহির-এর সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৮১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ
أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ
زَيْدٍ فَطَعَنَ النَّاسُ فِي إِمَارَتِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" إِنْ تَطْعَنُوا فِي إِمَارَتِهِ فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي
إِمْرَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلإِمَارَةِ
وَإِنْ كَانَ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَىَّ وَإِنَّ هَذَا مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ
إِلَىَّ بَعْدَهُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন
এক যুদ্ধাভিযানে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সামরিক
বাহিনী পাঠান এবং উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ)-কে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। কিছু
লোক উসামাহ্র নেতৃত্বের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করে। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ যদি আজ তোমরা উসামাহ্র নেতৃত্বের ব্যাপারে বিরূপ
সমালোচনা করে থাকো, তবে ইতোপূর্বে তোমরা তার বাবার নেতৃত্বের প্রসঙ্গেও বিরুপ
সমালোচনা করেছিলে। আল্লাহ্র ক্বসম! নিশ্চয়ই সে নেতৃত্বের ব্যাপারে বেশি যোগ্য ছিল
এবং সমস্ত লোকের মাঝে আমার সবচাইতে বেশি পছন্দনীয় ছিল। আর তার পরে তার ছেলেও আমার
কাছে সবার তুলনায় বেশি প্রিয়।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। 'আলী ইবনু হুজর-ইসমাঈল
উবনু জা'ফার হতে, তিনি 'আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, তিনি ইবনু 'উমার (রাঃ) হতে, তিনি
নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) কর্তৃক
বর্ণিত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪১. অনুচ্ছেদঃ
উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর
মর্যাদা
৩৮১৭
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ
زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
هَبَطْتُ وَهَبَطَ النَّاسُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَقَدْ أُصْمِتَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يَضَعُ يَدَيْهِ عَلَىَّ وَيَرْفَعُهُمَا فَأَعْرِفُ أَنَّهُ
يَدْعُو لِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
মুহাম্মাদ
ইবনু উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে তাঁর বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি ও
আরো কিছু লোক মাদীনায় গেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট আমি প্রবেশ করলাম। তিনি নীরব ছিলেন এবং কোন কথা বলেননি। তাই রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দু’খানা আমার শরীরের উপর রাখতেন এবং
তা উত্তোলন করতেন। তাতে আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি আমার জন্য দু’আ করছেন।
হাসানঃ মিশকাত (৬১৬৬)।
আবূ ‘'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৮১৮
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ
يَحْيَى، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ،
قَالَتْ أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنَحِّيَ مُخَاطَ أُسَامَةَ
قَالَتْ عَائِشَةُ دَعْنِي دَعْنِي حَتَّى أَكُونَ أَنَا الَّذِي أَفْعَلُ .
قَالَ " يَا عَائِشَةُ أَحِبِّيهِ فَإِنِّي أُحِبُّهُ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
উম্মুল
মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসামাহ্র নাকের শ্লেষ্মা
মুছে দেওয়ার ইচ্ছা করলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমাকে অনুমতি দিন আমিই তা মুছে দেই।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! তুমি তাকে
মুহাব্বাত করবে, কেননা আমি তাকে মুহাব্বাত করি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৬৭)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮১৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو
عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ
أَبِيهِ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَ عَلِيٌّ وَالْعَبَّاسُ يَسْتَأْذِنَانِ
فَقَالاَ يَا أُسَامَةُ اسْتَأْذِنْ لَنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِيٌّ وَالْعَبَّاسُ يَسْتَأْذِنَانِ .
فَقَالَ " أَتَدْرِي مَا جَاءَ بِهِمَا " . قُلْتُ لاَ أَدْرِيَ
. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَكِنِّي أَدْرِي "
. فَأَذِنَ لَهُمَا فَدَخَلاَ فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْنَاكَ
نَسْأَلُكَ أَىُّ أَهْلِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ " فَاطِمَةُ بِنْتُ
مُحَمَّدٍ " . فَقَالاَ مَا جِئْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ أَهْلِكَ .
قَالَ " أَحَبُّ أَهْلِي إِلَىَّ مَنْ قَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتُ
عَلَيْهِ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ " . قَالاَ ثُمَّ مَنْ قَالَ "
ثُمَّ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ " . قَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ جَعَلْتَ عَمَّكَ آخِرَهُمْ قَالَ " لأَنَّ عَلِيًّا قَدْ سَبَقَكَ
بِالْهِجْرَةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَكَانَ
شُعْبَةُ يُضَعِّفُ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ .
উসামা
ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসে থাকাকালীন সময়ে আলী ও
আব্বাস (রাঃ) হাযির হয়ে সম্মতি চেয়ে বলেন, হে উসামা! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে আমাদের ঢোকার অনুমতি চাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর
রাসূল! আলী ও আব্বাস (রাঃ) প্রবেশের অনুমতিপ্রার্থী। তিনি বললেন: তুমি কি জান তারা
কেন এসেছে? আমি বললাম, না, আমি জানি না। তিনি বললেন, কিন্তু আমি জানি। তাদেরকে
সম্মতি দিলেন। তারা দুজনে ভেতরে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার
নিকট এ কথা জানতে এসেছি যে, আপনার পরিজনদের মধ্যে কে আপনার বেশি আদরের? তিনি
বললেনঃ ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ। তারা বললেন, আমরা আপনার পরিজন প্রসঙ্গে প্রশ্ন
করতে আসিনি। তিনি বললেন, আমার পরিজনদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আমার বেশি আদরের যার
প্রতি আল্লাহ তা’আলাও দয়া করেছেন এবং আমিও দয়া করেছি অর্থাৎ উসামা ইবনু যাইদ। তারা
আবার প্রশ্ন করেন, তারপর কে? তিনি বললেনঃ তারপর আলী ইবনু আবূ তালিব। আব্বাস (রাঃ)
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আপনার চাচাকে সবার শেষ ভাগে রাখলেন? তিনি বললেন:
হিজরাতের কারণে আলী আপনাকে ছেড়ে গেছে।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪২. অনুচ্ছেদঃ
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ
আল-বাজালী (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا
زَائِدَةُ، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ
أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلاَّ ضَحِكَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
.
জারীর
ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাকে কখনো তাঁর নিকট প্রবেশে বাধা প্রদান করেননি এবং আমাকে যখনই দেখেছেন
তখনই হেসে দিয়েছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮২১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ
إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ مَا حَجَبَنِي
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلاَّ
تَبَسَّمَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
জারীর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাকে তাঁর ঘরে প্রবেশ করতে কখনো বাধা দেননি এবং তিনি যখনই আমাকে দেখেছেন
তখনই মুচকি হেসেছেন।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস। অত্র হাদীসে বর্ণিত শব্দাবলী অধিক প্রণিধানযোগ্য।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৩. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর
মর্যাদা
৩৮২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ،
عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ
رَأَى جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ مَرَّتَيْنِ وَدَعَا لَهُ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ .
وَلاَ نَعْرِفُ لأَبِي جَهْضَمٍ سَمَاعًا مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَقَدْ رُوِيَ
عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
وَأَبُو جَهْضَمٍ اسْمُهُ مُوسَى بْنُ سَالِمٍ
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে দু’বার দেখেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তার জন্য দু’বার দু’আ করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন: এ হাদীসটি মুরসাল। আবূ জাহযাম (রাহঃ) ইবনু
আব্বাস (রাঃ)-এর দেখা পাননি। তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনু আব্বাসের সূত্রে
ইবনু আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন এবং তার নাম মূসা ইবনু সালিম।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حَاتِمٍ الْمُكْتِبُ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ
الْمُزَنِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ دَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ
يُؤْتِيَنِي اللَّهُ الْحِكْمَةَ مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءٍ . وَقَدْ
رَوَاهُ عِكْرِمَةُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমাকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার নিকট দু’বার দু’আ করেছেন।
সহীহঃ রাওযুন্ নাযীর (৩৯৫)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং ‘আতার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে
এই সনদে গারীব। হাদীসটি ইকরিমাহ্ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ خَالِدٍ
الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ضَمَّنِي إِلَيْهِ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ
الْحِكْمَةَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর বুকে চেপে ধরে
বললেনঃ হে আল্লাহ! তাকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করুন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, বুখারী।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৪. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ
نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّمَا فِي يَدِي
قِطْعَةُ إِسْتَبْرَقٍ وَلاَ أُشِيرُ بِهَا إِلَى مَوْضِعٍ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ
طَارَتْ بِي إِلَيْهِ فَقَصَصْتُهَا عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّ أَخَاكِ رَجُلٌ صَالِحٌ
" . أَوْ " إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَجُلٌ صَالِحٌ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি স্বপ্নে দেখি যে, আমার হাতে একখণ্ড রেশমী কাপড়। আমি জান্নাতের যে দিকেই
ইশারা করি সেটি আমাকে সেদিকেই উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমি ঘ্টনাটি হাফসা (রাঃ)-এর কাছে
বর্ণনা করি। হাফসাহ্ (রাঃ) তা নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানান।
তিনি বলেনঃ তোমার ভাই নিশ্চয়ই একজন সৎলোক অথবা বলেছেন, নিশ্চয়ই ‘আবদুল্লাহ একজন
সৎলোক।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৫. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর
(রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِي بَيْتِ الزُّبَيْرِ مِصْبَاحًا فَقَالَ
" يَا عَائِشَةُ مَا أُرَى أَسْمَاءَ إِلاَّ قَدْ نَفِسَتْ فَلاَ تُسَمُّوهُ
حَتَّى أُسَمِّيَهُ " . فَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ وَحَنَّكَهُ
بِتَمْرَةٍ بِيَدِهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইর (রাঃ)-এর ঘরে প্রদীপ জ্বলতে দেখে
বললেনঃ হে 'আয়িশাহ্! আমার মনে হয় আসমা সন্তান প্রসব করেছে। তোমরা তার নাম রেখ না,
আমিই তার নাম রাখব। অতএব তিনি তার নাম রাখলেন ‘আবদুল্লাহ এবং একটি খেজুর চর্বন করে
তা নিজ হাতে তাঁর মুখে দেন।
হাসানঃ বুখারী (৩৯০৯, ৩৯১০)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৬. অনুচ্ছেদঃ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর
মর্যাদা
৩৮২৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي
عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَسَمِعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ صَوْتَهُ فَقَالَتْ بِأَبِي أَنْتَ
وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ أُنَيْسٌ . قَالَ فَدَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم ثَلاَثَ دَعَوَاتٍ قَدْ رَأَيْتُ مِنْهُنَّ اثْنَيْنِ فِي
الدُّنْيَا وَأَنَا أَرْجُو الثَّالِثَةَ فِي الآخِرَةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ
غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাদের এখান দিয়ে)
যাচ্ছিলেন এবং আমার মা উম্মু সুলাইম (রাঃ) তাঁর আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন, হে
আল্লাহ্র রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, এই যে (আমার পুত্র)
উনাইস। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর আমার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তিনটি দু’আ করেন। অবশ্য এর মাঝে দু’টি আমি দুনিয়াতেই লাভ করেছি এবং
তৃতীয়টি আখিরাতে পাওয়ার আশা রাখি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উপর্যুক্ত সনদে
গারীব। অবশ্য এ হাদীস আনাস (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে একাধিক সনদে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮২৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ
الأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رُبَّمَا قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " يَا ذَا الأُذُنَيْنِ " . قَالَ أَبُو أُسَامَةَ يَعْنِي
يُمَازِحُهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায়ই আমাকে বলতেনঃ হে দুই কানের
অধিকারী। আবূ উসামাহ্ বলেন, অর্থাৎ তাঁর সাথে তিনি (এ কথা বলে) রসিকতা করতেন।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ
سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ،
أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسٌ خَادِمُكَ ادْعُ اللَّهَ لَهُ .
قَالَ " اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا
أَعْطَيْتَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উম্মু
সুলাইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আনাস ইবনু মালিক আপনার সেবক, আল্লাহ তা’আলার নিকট তাঁর
জন্য দু’আ করুন। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! আনাসের ধন-মাল ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দাও এবং
তুমি তাকে যা কিছু দিয়েছ তাতে বারাকাত দান কর।
সহিহঃ সহীহাহ্ (২২৪৬), তাখরীজ মুশকিলাতুল ফাক্র (১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৩০
حَدَّثَنَا زَيْدُ
بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ
جَابِرٍ، عَنْ أَبِي نَصْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه قَالَ كَنَّانِي رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَقْلَةٍ كُنْتُ أَجْتَنِيهَا . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ عَنْ
أَبِي نَصْرٍ . وَأَبُو نَصْرٍ هُوَ خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ رَوَى عَنْ أَنَسٍ
أَحَادِيثَ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সবজির নামানুসারে আমার
নামের উপনাম রাখেন, সে সবজি তুলে আনতাম।
আবূ ঈসা বলেন: এ হাদীসটি গারীব। শুধু জাবির আল-জুফী হতে
আবূ নাসর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসেবে আমরা হাদীস জেনেছি। আবূ নাসর হলেন খাইসামা
ইবনু আবূ খাইসামা আল-বাসরী, তিনি আনাস (রাঃ) হতে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৩৮৩১
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا
مَيْمُونٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، قَالَ قَالَ لِي أَنَسُ بْنُ
مَالِكٍ يَا ثَابِتُ خُذْ عَنِّي فَإِنَّكَ لَمْ تَأْخُذْ عَنْ أَحَدٍ أَوْثَقَ
مِنِّي إِنِّي أَخَذْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَهُ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ جِبْرِيلَ وَأَخَذَهُ جِبْرِيلُ عَنِ
اللَّهِ تَعَالَى . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ
مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ .
সাবিত
আল-বুনানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) আমাকে বললেন, হে সাবিত! আমার হতে (হাদীস) সংগ্রহ কর। যেহেতু আমার
তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য কারো নিকট হতে কিছু (হাদীস) সঞ্চয়ন করতে পারবে না। কারণ
আমি তা সঞ্চয়ন করেছি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তা সংগ্রহ করেছেন জিবরাইল আলাইহিস সালাম হতে এবং জিবরাঈল আলাইহিস
সালাম তা সঞ্চয়ন করেছেন আল্লাহ্ তা’আলার নিকট হতে।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু যাইদ
ইবনুল হুবাবের সূত্রেই এই হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৩২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ،
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ
ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَعْقُوبَ وَلَمْ
يَذْكُرْ فِيهِ وَأَخَذَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ جِبْرِيلَ .
আবূ
কুরাইব-যাইদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
মাইমূন আবূ আবদুল্লাহ হতে, তিনি সাবিত হতে, তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে
ইবরাহীম ইবনু ইয়াকূব বর্ণিত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে এ সূত্রে এ কথার
উল্লেখ নেই ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরাঈল আলাইহিস
সালাম হতে তা গ্রহণ করেছেন’।
দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৩৮৩৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَبِي خَلْدَةَ، قَالَ قُلْتُ
لأَبِي الْعَالِيَةِ سَمِعَ أَنَسٌ، مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
خَدَمَهُ عَشْرَ سِنِينَ وَدَعَا لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ لَهُ
بُسْتَانٌ يَحْمِلُ فِي السَّنَةِ الْفَاكِهَةَ مَرَّتَيْنِ وَكَانَ فِيهَا
رَيْحَانٌ يَجِدُ مِنْهُ رِيحَ الْمِسْكِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
وَأَبُو خَلْدَةَ اسْمُهُ خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ
الْحَدِيثِ وَقَدْ أَدْرَكَ أَبُو خَلْدَةَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَرَوَى عَنْهُ
.
আবূ
খাল্দাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুল
‘আলিয়াহ্ (রহঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আনাস (রাঃ) কি নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস শুনেছেন? আবুল ‘আলিয়াহ্ (অবাক হয়ে) বলেন, তিনি তো একাধারে
দশ বছর তাঁর সেবা করেছেন এবং তাঁর জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
দু’আ করেছেন। তাঁর একটি বাগান ছিল যাতে বছরে দু’বার ফল ধরত। ঐ বাগানে একটি ফুলগাছ
ছিল যা হতে কস্তুরির ঘ্রাণ আসত।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২২৪১)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবূ খালদার নাম খালিদ
ইবনু দীনার এবং তিনি হাদীস বিশারদদের মতে নির্ভরযোগ্য। তিনি আনাস ইবনু মালিক(রাঃ)-এর
সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং তাঁর নিকট হতে হাদীসও রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭. অনুচ্ছেদেঃ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ
شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ
أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَسَطْتُ ثَوْبِي عِنْدَهُ ثُمَّ
أَخَذَهُ فَجَمَعَهُ عَلَى قَلْبِي فَمَا نَسِيتُ بَعْدَهُ حَدِيثًا . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁর
সম্মুখে আমার কাপড় (চাদরখানা) বিছিয়ে দিলাম। তারপর কাপড়খানা তুলে জড়ো করে তিনি
আমার বুকের উপড় রাখলেন। এরপর হতে আমি আর কোন কিছুই ভুলিনি।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সূত্রে
গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৮৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا
ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْمَعُ مِنْكَ أَشْيَاءَ فَلاَ أَحْفَظُهَا .
قَالَ " ابْسُطْ رِدَاءَكَ " . فَبَسَطْتُ فَحَدَّثَ حَدِيثًا
كَثِيرًا فَمَا نَسِيتُ شَيْئًا حَدَّثَنِي بِهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার কাছ হতে আমি যা কিছু শ্রবণ করি তা মনে
রাখতে পারি না। তিনি বললেন, তোমার চাদরখানা বিছাও। অতএব আমি তা বিছালাম। তারপর
তিনি বহু হাদীস রিওয়ায়াত করলেন যা আমি কখনো ভুলিনি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি একাধিক
সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৩৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنِ
الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لأَبِي
هُرَيْرَةَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْتَ كُنْتَ أَلْزَمَنَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَأَحْفَظَنَا لِحَدِيثِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ
হুরায়রা্ (রাঃ)-কে তিনি বললেন, হে আবূ হুরায়রা্! আপনি আমাদের চেয়ে বেশি সময়
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছাকাছি কাটিয়েছেন এবং আমাদের
তুলনায় তাঁর বেশি হাদীস মুখস্থ করেছেন।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৩৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ
الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ
أَبِي عَامِرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَ
يَا أَبَا مُحَمَّدٍ أَرَأَيْتَ هَذَا الْيَمَانِيَ يَعْنِي أَبَا هُرَيْرَةَ هُوَ
أَعْلَمُ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْكُمْ نَسْمَعُ مِنْهُ
مَا لاَ نَسْمَعُ مِنْكُمْ أَوْ يَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
مَا لَمْ يَقُلْ . قَالَ أَمَّا أَنْ يَكُونَ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم مَا لَمْ نَسْمَعْ فَلاَ أَشُكُّ إِلاَّ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ نَسْمَعْ وَذَاكَ أَنَّهُ كَانَ
مِسْكِينًا لاَ شَىْءَ لَهُ ضَيْفًا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدُهُ
مَعَ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكُنَّا نَحْنُ أَهْلَ بُيُوتَاتٍ
وَغِنًى وَكُنَّا نَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَفَىِ النَّهَارِ
فَلاَ نَشُكُّ إِلاَّ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا
لَمْ نَسْمَعْ وَلاَ نَجِدُ أَحَدًا فِيهِ خَيْرٌ يَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ يَقُلْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ . وَقَدْ
رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ وَغَيْرُهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .
মালিক
ইবনু আবূ আমির (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, এক লোক তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আবূ মুহাম্মাদ! ঐ
ইয়ামানী লোকটি অর্থাৎ আবূ হুরাইরা (রাঃ) প্রসঙ্গে আপনার কি বক্তব্য? তিনি কি
আপনাদের চাইতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস অনেক বেশি
জানেন? তার নিকট আমরা এমন কিছু হাদীস শুনি যা আপনাদের নিকট শুনতে পাই না। অথবা
তিনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বরাতে এমন কথা বলেন যা
প্রকৃতপক্ষে তিনি বলেননি? তালহা (রাঃ) বললেন, বস্তুত তিনি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস শুনেছেন যা আমরা শুনতে পারিনি।
তার কারণ এই যে, তিনি ছিলেন একজন গরীব লোক, তার কিছুই ছিল না। তিনি ছিলেন
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অতিথি। তার হাত থাকত
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতের সাথে (অর্থাত সব সময়
তাঁর সঙ্গে থাকতেন)। আর আমরা ছিলাম বাড়ি-ঘর ও পরিবার-পরিজনসহ ধনবান। তাই আমরা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমাতে হাযির হওয়ার সুযোগ
পেতাম দিনের দুই ভাগে (সকাল ও সন্ধ্যায়)। তাই নিঃসন্দেহে তিনি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী শুনেছেন, যা আমরা শুনিনি। আর তুমি এমন
একজন সৎ লোকও খুঁজে পাবে না যিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর বরাতে এমন কথা বলবেন, যা সত্যিকার অর্থে তিনি বলেননি।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুহাম্মাদ
ইবনু ইসহাকের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। অবশ্য ইউসুফ ইবনু বুকাইর প্রমুখগণ এ হাদীস মুহাম্মাদ
ইবনু ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৩৮
حَدَّثَنَا بِشْرُ
بْنُ آدَمَ ابْنُ بِنْتِ أَزْهَرَ السَّمَّانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ
عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبُو خَلْدَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم "
مِمَّنْ أَنْتَ " . قَالَ قُلْتُ مِنْ دَوْسٍ . قَالَ " مَا
كُنْتُ أُرَى أَنَّ فِي دَوْسٍ أَحَدًا فِيهِ خَيْرٌ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو خَلْدَةَ اسْمُهُ
خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ وَأَبُو الْعَالِيَةِ اسْمُهُ رُفَيْعٌ .
আবু
হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করেনঃ তুমি
কোন গোত্রের লোক? আমি বললাম, দাওস গোত্রীয়। তিনি বললেনঃ আমি জ্ঞাত ছিলাম না যে,
দাওস গোত্রে কোন উত্তম ব্যাক্তি আছে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (২৯৩৬)। তাইসীরুল ইনতিফা’ মুহাজির ইবনু মাখলাদ হতে।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ খাল্দাহ্র
নাম খালিদ ইবনু দীনার এবং আবূ 'আলিয়্যার নাম রুফাই’।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৩৯
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ
بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا
الْمُهَاجِرُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الرِّيَاحِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِتَمَرَاتٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ فِيهِنَّ بِالْبَرَكَةِ . فَضَمَّهُنَّ ثُمَّ دَعَا لِي
فِيهِنَّ بِالْبَرَكَةِ فَقَالَ لِي " خُذْهُنَّ وَاجْعَلْهُنَّ فِي
مِزْوَدِكَ هَذَا أَوْ فِي هَذَا الْمِزْوَدِ كُلَّمَا أَرَدْتَ أَنْ تَأْخُذَ
مِنْهُ شَيْئًا فَأَدْخِلْ فِيهِ يَدَكَ فَخُذْهُ وَلاَ تَنْثُرْهُ نَثْرًا
" . فَقَدْ حَمَلْتُ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ كَذَا وَكَذَا مِنْ وَسْقٍ
فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَكُنَّا نَأْكُلُ مِنْهُ وَنُطْعِمُ وَكَانَ لاَ يُفَارِقُ
حَقْوِي حَتَّى كَانَ يَوْمُ قَتْلِ عُثْمَانَ فَإِنَّهُ انْقَطَعَ . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ
هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবু
হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি কয়েকটি খেজুরসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে
বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এ খেজুরগুলোতে বারাকাত হওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকট
দু’আ করুন। তিনি খেজুরগুলো জড়ো করলেন, তারপর আমার জন্য খেজুরগুলোয় বারাকাত হওয়ার
দু’আ করলেন, তারপর আমাকে বললেনঃ এগুলো নাও এবং তোমার এই থলেতে রাখ। আর যখনই তা হতে
তুমি কিছু খেজুর নিতে চাও, সে সময় থলের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে বের করে নিবে এবং কখনও
থলেটি ঝেড়ে ফেল না। এরপর আমি উক্ত থলে হতে এত এত ওয়াসাক খেজুর আল্লাহ তা’আলার
রাস্তায় দান করেছি। আর এ হতে আমরা নিজেরাও খেতাম এবং অন্যকেও খাওয়াতাম। থলেটি আমার
কোমড় হতে কখনো আলাদা হয়নি। অবশেষে ‘উসমান (রাঃ) যেদিন শাহাদাত বরণ করেন সেদিন আমার
(কোমড়) হতে থলেটি পড়ে যায়।
আবূ 'ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। হাদীসটি
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে অন্য সনদেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৮৪০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ سَعِيدٍ الْمُرَابِطِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا
أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي
هُرَيْرَةَ لِمَ كُنِّيتَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ أَمَا تَفْرَقُ مِنِّي قُلْتُ
بَلَى وَاللَّهِ إِنِّي لأَهَابُكَ . قَالَ كُنْتُ أَرْعَى غَنَمَ أَهْلِي
فَكَانَتْ لِي هُرَيْرَةٌ صَغِيرَةٌ فَكُنْتُ أَضَعُهَا بِاللَّيْلِ فِي شَجَرَةٍ
فَإِذَا كَانَ النَّهَارُ ذَهَبْتُ بِهَا مَعِي فَلَعِبْتُ بِهَا فَكَنَّوْنِي
أَبَا هُرَيْرَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
আবদুল্লাহ
ইবনে রাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আবূ হুরায়রা্ (বিড়ালের বাপ)
আপনার ডাকনাম হলো কেন? তিনি বললেন, তুমি আমাকে কি ভয় পাও? আমি বললাম, হ্যাঁ
আল্লাহ্র শপথ, অবশ্যই আপনাকে আমি ভয় করি। তিনি বললেন, আমি আমার পরিবারের মেষপাল
চড়াতাম এবং আমার একটি ছোট বিড়াল ছিল। রাতের বেলা আমি এটিকে একটি গাছে বসিয়ে
রাখতাম। আর দিন হলে আমি এটাকে আমার সঙ্গে নিয়ে যেতাম এবং এর সাথে খেলা করতাম। তাই
লোকেরা আমাকে আবূ হুরায়রা্ ডাকনাম দেয়।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৮৪১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ،
عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ لَيْسَ أَحَدٌ أَكْثَرَ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنِّي إِلاَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو فَإِنَّهُ
كَانَ يَكْتُبُ وَكُنْتُ لاَ أَكْتُبُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) ছাড়া আর কেউ আমার চেয়ে অধিক রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস রেওয়ায়েত করেনি। কেননা তিনি (হাদীস)
লিখে রাখতেন কিন্তু আমি লিখতাম না।
সহীহঃ বুখারী (২৬৬৮) নং হাদীস পুর্বে উল্ল্যেখ হয়েছে।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮. অনুচ্ছেদঃ
মু’আবিয়াহ্ ইবনু আবী সুফ্ইয়ান
(রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمِيرَةَ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ
" اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا وَاهْدِ بِهِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবদুর
রহমান ইবনু আবী ‘উমাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী ছিলেন; নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’আবিয়া (রাঃ)-এর জন্য দু’আ করেনঃ “হে
আল্লাহ্! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে)
সৎপথ দেখাও।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৩) সহীহাহ্ (১৯৬৯)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ،
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي
إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ لَمَّا عَزَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عُمَيْرَ
بْنَ سَعِيدٍ عَنْ حِمْصَ، وَلَّى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ النَّاسُ عَزَلَ عُمَيْرًا
وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ . فَقَالَ عُمَيْرٌ لاَ تَذْكُرُوا مُعَاوِيَةَ إِلاَّ
بِخَيْرٍ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
اللَّهُمَّ اهْدِ بِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
قَالَ وَعَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ يُضَعَّفُ .
আবূ
ইদরিস আল-খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) যখন ‘উমাইর ইবনু সা’দ (রাঃ)-কে পদচ্যুত করে সে
পদে মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-কে হিমসের গভর্নর নিযুক্ত করলেন তখন লোকেরা বলল, তিনি
‘উমাইরকে পদচ্যুত করে সে পদে ম’আবিয়াহ্কে শাসক নিযুক্ত করেছেন। ‘উমাইর (রাঃ)
বলেন, তোমরা মু’আবিয়াহ্কে ভালভাবে স্মরণ কর। কেননা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! তুমি তার মাধ্যমে
(লোকদের) পথ দেখাও।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ 'ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব। ‘আমর ইবনু ওয়াক্বীদকে দুর্বল
মনে করা হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯. অনুচ্ছেদঃ
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ)-এর
মর্যাদা।
৩৮৪৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ
عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
أَسْلَمَ النَّاسُ وَآمَنَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِي " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ
مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
উক্কবাহ্
ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা ইসলাম কবূল
করেছে আর ‘আমর ইবনুল ‘আস বিশ্বাস স্থাপন করেছে।
হাসানঃ সহীহাহ্ (১১৫), মিশকাত (৬২৩৬)
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধুমাত্র
ইবনু লাহী’আহ্র বরাতে মিশরাহ্ হতে জানতে পেরেছি। এর সনদসূত্র খুব একটা মাযবুত নয়।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৮৪৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ
الْجُمَحِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ قَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ
اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ
عَمْرَو بْنَ الْعَاصِي مِنْ صَالِحِي قُرَيْشٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ الْجُمَحِيِّ
. وَنَافِعٌ ثِقَةٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ
لَمْ يُدْرِكْ طَلْحَةَ
তালহা
ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আমর ইবনু আস কুরাইশদের
অধিক ভালো ব্যক্তিদের দলভুক্ত।
আবূ ঈসা বলেনঃ আমরা এ হাদিস শুধু নাফি ইবনু উমার আল- জুমাহীর
বর্ণনা হতেই জেনেছি। নাফি একজন নির্ভরযোগ্য রাবী। কিন্তু হাদীসটির সনদসূত্র মুত্তাসিল
(সংষুক্ত) নয়। ইবনু আবূ মুলাইকা (রাহঃ) তালহা (রাঃ)-এর দেখা পাননি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০. অনুচ্ছেদঃ
খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)- এর
মর্যাদা।
৩৮৪৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ
أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَزَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم مَنْزِلاً فَجَعَلَ النَّاسُ يَمُرُّونَ فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " مَنْ هَذَا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . فَأَقُولُ
فُلاَنٌ . فَيَقُولُ " نِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ هَذَا " .
وَيَقُولُ " مَنْ هَذَا " . فَأَقُولُ فُلاَنٌ . فَيَقُولُ
" بِئْسَ عَبْدُ اللَّهِ هَذَا " . حَتَّى مَرَّ خَالِدُ بْنُ
الْوَلِيدِ فَقَالَ " مَنْ هَذَا " . فَقُلْتُ هَذَا خَالِدُ بْنُ
الْوَلِيدِ . فَقَالَ " نِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ
سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُ لِزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ سَمَاعًا مِنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ وَهُوَ عِنْدِي حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي
بَكْرٍ الصِّدِّيقِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমরা এক মানযিলে
যাত্রা বিরতি করলাম। আমাদের সম্মুখ দিয়ে লোকেরা চলাফেরা করতে লাগল। আর রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করতে থাকলেনঃ হে আবূ হুরায়রা্! ইনি
কে? আমি বলতাম, অমুক। তখন তিনি বলতেন, আল্লাহ্ তা’আলার এ বান্দা খুব ভাল লোক।
আবার এক ব্যাক্তি গেলে তিনি প্রশ্ন করতেনঃ ইনি কে? আমি বলতাম, অমুক। তখন তিনি
বলতেন, আল্লাহ্ তা’লার এ বান্দা খুব মন্দ ব্যাক্তি। অবশেষে সেখান দিয়ে খালিদ
ইবনুল ওয়ালীদ অতিক্রম করলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এ লোকটি কে? আমি বললাম, ইনি খালিদ
ইবনু ওয়ালীদ। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার এ বান্দা খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ খুব ভাল
ব্যাক্তি। ইনি আল্লাহ্ তা’আলার তরবারিগুলোর মাঝের একখানা তরবারি।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬২৫৩), সহীহাহ্ (১২৩৭, ১৮২৬) আহকামুল জানায়িয
(১৬৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)
হতে যাইদ ইবনু আসলাম হাদীস শুনেছে বলে আমাদের জানা নেই। আমার মতে এটি মুরসাল হাদীস।
এ অনুচ্ছেদে আবূ বাক্র আস্-সিদ্দীক্ব (রাঃ) কতৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১. অনুচ্ছেদঃ
সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ)-এর
মর্যাদা।
৩৮৪৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ
الْبَرَاءِ، قَالَ أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَوْبٌ حَرِيرٌ
فَجَعَلُوا يَعْجَبُونَ مِنْ لِينِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي
الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِنْ هَذَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ
. قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একখানা রেশমী কাপড় উপহার
দেয়া হয়। সাহাবীগণ তার কোমলতায় বিস্মিত হন। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এটা দেখে অবাক হচ্ছ। অথচ জান্নাতে সা’দ ইবনু মু’আযির
রুমাল-এর তুলনায় আরো অনেক উন্নত মানের হবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ
‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৪৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ،
أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ،
يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَجَنَازَةُ سَعْدِ
بْنِ مُعَاذٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ " اهْتَزَّ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ
" . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ
وَرُمَيْثَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি সা’দ ইবনু মু’আযের লাশ সম্মুখে রেখে
বলতে শুনেছিঃ দয়াময় আল্লাহ্র আরশ তার জন্য নড়ে উঠেছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৮) বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে উসাইদ ইবনু হুযাইর, আবূ সা’ঈদ ও রুমাইসাহ্
(রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৪৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا حُمِلَتْ جَنَازَةُ سَعْدِ
بْنِ مُعَاذٍ قَالَ الْمُنَافِقُونَ مَا أَخَفَّ جَنَازَتَهُ . وَذَلِكَ
لِحُكْمِهِ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ " إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ كَانَتْ تَحْمِلُهُ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, যখন সা’দ ইবনু মু’আযের জানাযা (লাশ) বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সে সময় মুনাফিক্বরা
বলে, কতই না হালকা তার মৃতদেহটি। তাদের এমন মন্তব্যের কারণ ছিল বানূ কুরাইযা
প্রসঙ্গে তার ফাইসালা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ খবর
পৌঁছলে তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই ফেরেশতারা তার জানাযা (লাশ) বহন করতেছিলেন (তাই হালকা
মনে হচ্ছিলো)।
সহীহঃ মিশকাত (৬২২৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২. অনুচ্ছেদঃ
ক্বাইস ইবনু সা’দ ইবনু
'উবাদাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ مَرْزُوقٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ
قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَنْزِلَةِ صَاحِبِ
الشُّرَطِ مِنَ الأَمِيرِ . قَالَ الأَنْصَارِيُّ يَعْنِي مِمَّا يَلِي مِنْ
أُمُورِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الأَنْصَارِيِّ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ক্বাইস ইবনু সা’দ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য
শাসকের দেহরক্ষীর মত ছিলেন। (অধঃস্তন বর্ণনাকারী) মুহাম্মাদ ইবনু আবী ‘আবদিল্লাহ
আল-আনসারী বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনেক
কাজ সমাধা করতেন।
সহীহঃ বুখারী (৭১৫৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধু
আনসারীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া-মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদিল্লাহ্
আল-আনসারীর সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। তবে এই সনদে আনসারীর বক্তব্য উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫৩. অনুচ্ছেদঃ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ
(রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
قَالَ جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بِرَاكِبِ بَغْلٍ وَلاَ
بِرْذَوْنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে এসেছেন খচ্চরে
কিংবা তুর্কী ঘোড়ায় চড়ে নয় (বরং পায়ে হেঁটে)।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (২৯১), বুখারী অনুরূপ অর্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৫২
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ،
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اسْتَغْفَرَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْبَعِيرِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ مَرَّةً . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ لَيْلَةَ الْبَعِيرِ مَا
رُوِيَ عَنْ جَابِرٍ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَاعَ بَعِيرَهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَاشْتَرَطَ ظَهْرَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ يَقُولُ جَابِرٌ لَيْلَةَ بِعْتُ مِنَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْبَعِيرَ اسْتَغْفَرَ لِي خَمْسًا وَعِشْرِينَ
مَرَّةً وَكَانَ جَابِرٌ قَدْ قُتِلَ أَبُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ
حَرَامٍ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ بَنَاتٍ فَكَانَ جَابِرٌ يَعُولُهُنَّ وَيُنْفِقُ عَلَيْهِنَّ
وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَبَرُّ جَابِرًا وَيَرْحَمُهُ لِسَبَبِ
ذَلِكَ هَكَذَا رُوِيَ فِي حَدِيثٍ عَنْ جَابِرٍ نَحْوُ هَذَا .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটের রাতে আমার জন্য পঁচিশবার
ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
যইফ, মিশকাত (৬২৩৮)।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারিব। উটের রাত প্রসঙ্গে
জাবির (রাঃ) হতে কয়েকটি সনদে হাদীস বর্ণিত আছে যে, এক ভ্রমনে তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর সাথে ছিলেন। তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এঁর নিকট এই শর্তে তার উটটি বিক্রয় করেন যে, তিনি এতে আরোহণ করে মদীনায় পৌঁছবেন।
জাবির (রাঃ) প্রায়ই বলতেন, যে রাতে আমি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এঁর নিকট উটটি বিক্রয় করি, সে রাতে তিনি আমার জন্য পঁচিশবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
জাবির (রাঃ)-এর পিতা আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু হারাম (রাঃ) উহুদের দিন শহীদ হন এবং ক’জন
ছোট ছোট কন্যা সন্তান রেখে যান। জাবির তাদের লালন-পালন করতেন এবং তাদের জন্য খরচ করতেন।
এ কারণে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে ভাল আচরণ করতেন এবং
তার প্রতি দয়া দেখাতেন। জাবির (রাঃ)- এর সূত্রে বর্ণিত এক হাদীসে এরকমই বিবৃতি ব্যক্ত
হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫৪. অনুচ্ছেদঃ
মুস’আব ইবনু ‘উমাইর (রাঃ)-এর
মর্যাদা।
৩৮৫৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ خَبَّابٍ، قَالَ هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ فَوَقَعَ أَجْرُنَا عَلَى
اللَّهِ فَمِنَّا مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا وَمِنَّا مَنْ
أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدُبُهَا وَإِنَّ مُصْعَبَ بْنَ عُمَيْرٍ
مَاتَ وَلَمْ يَتْرُكْ إِلاَّ ثَوْبًا كَانُوا إِذَا غَطَّوْا بِهِ رَأْسَهُ
خَرَجَتْ رِجْلاَهُ وَإِذَا غُطِّيَ بِهَا رِجْلاَهُ خَرَجَ رَأْسُهُ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " غَطُّوا رَأْسَهُ وَاجْعَلُوا عَلَى
رِجْلَيْهِ الإِذْخِرَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
খাব্বাব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই আমরা রাসুলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হিজরত করি। সুতরাং এর পুরস্কার
আল্লাহ্ তা’আলার কাছেই আমাদের প্রাপ্য। আমাদের মাঝে কেউ এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ
করেছেন যে, তিনি তার পুরস্কার কিছুই (পৃথিবীতে) ভোগ করতে পারেননি। আবার আমাদের
মাঝে কারো ফল পেকেছে এবং তিনি তা (পৃথিবীতে) ভোগ করেছেন। আর মুস’আব ইবনু ‘উমাইর
(রাঃ) মাত্র একখানা কাপড় ছাড়া আর কোন সম্পদই রেখে যাননি। (তার মৃত্যুর পর) লোকেরা
ঐ কাপড়খানা দিয়ে তার মাথা ঢাকলে তার পা দু’টি বের হয়ে যেত, আবার তা দিয়ে তার পা
দু’টি ঢেকে দিলে তার মাথাটি অনাবৃত হয়ে যেত। সে সময় রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কাপড়টি দিয়ে তার মাথা ঢেকে দাও এবং তার পায়ের
উপর ইয্খির ঘাস বিছিয়ে দাও।
সহীহঃ আহকামুল জানায়িয (৫৭, ৫৮) বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হান্নাদ-ইবনু ইদরীস
হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি আবূ ওয়ায়িল শ্বাক্বীক্ব ইবনু সালামাহ্ হতে, তিনি খাব্বাব
ইবনুল আরাত্তি (রাঃ) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫৫. অনুচ্ছেদঃ
আল-বারাআ ইবনু মালিক
(রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ
سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَمْ مِنْ
أَشْعَثَ أَغْبَرَ ذِي طِمْرَيْنِ لاَ يُؤْبَهُ لَهُ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ
لأَبَرَّهُ مِنْهُمُ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাথায়
উস্কুখুস্কু চুল ও দেহে ধূলিমলিন দু’খানা পুরাতন কাপড় পরিহিত এরূপ অনেক ব্যাক্তি
রয়েছে যার প্রতি লোকেরা দৃষ্টিপাত করেনা। অথচ সে আল্লাহ্র নামে শপথ করে ওয়া’দা
করলে তিনি তা সত্যে পরিণত করেন। আল-বারাআ ইবনু মালিক তাদের দলভুক্ত।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৩৯) তাখরীজুল মুশকিলাহ (১২৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি এ সনদে হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫৬. অনুচ্ছেদঃ
আবূ মুসা আল-আশ’আরী (রাঃ)-এর
মর্যাদা।
৩৮৫৫
حَدَّثَنَا مُوسَى
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ،
عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ،
عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا أَبَا
مُوسَى لَقَدْ أُعْطِيتَ مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ
بُرَيْدَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ .
আবূ
মুসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ মুসা! তোমাকে দাঊদ (‘আঃ)-এর
পরিবারের সুমধুর কণ্ঠস্বরসমূহের মাঝের একটি সুর দান করা হয়েছে।
সহীহঃ বুখারী (৫০৮৪), মুসলিম (২/১৯৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ অনুচ্ছেদে বুরাইদাহ্
ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ،
حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَحْفِرُ الْخَنْدَقَ وَنَحْنُ نَنْقُلُ
التُّرَابَ فَيَمُرُّ بِنَا فَقَالَ " اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ
عَيْشُ الآخِرَةِ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَةِ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَأَبُو حَازِمٍ
اسْمُهُ سَلَمَةُ بْنُ دِينَارٍ الأَعْرَجُ الزَّاهِدُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .
সাহ্ল
ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশে ছিলাম। তিনি
পরিখা খনন করছিলেন, আর আমরা মাটি সরাচ্ছিলাম। আমাদের পাশ দিয়ে তিনি চলাচল করতেন আর
বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! পরকালের ভোগবিলাসই আসল (স্থায়ী)। অতএব তুমি আনসার ও
মুহাজিরদের ক্ষমা করে দাও”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
আবূ হাযিমের নাম সালামাহ্ ইবনু দীনার আল-আ’রাজ আয্-যাহিদ। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ
" اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَةِ فَأَكْرِمِ الأَنْصَارَ
وَالْمُهَاجِرَةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পরিখা খননকালে ছন্দাকারে) বলতেনঃ “হে আল্লাহ!
পরকালের সুখ শান্তিই হচ্ছে প্রকৃত সুখ-শাস্তি। সুতরাং তুমি আনসার ও মুহাজিরদেরকে
মর্যাদা দান কর”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আনাস
(রাঃ) হতে অন্যভাবেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫৭. অনুচ্ছেদঃ
যে লোক রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন এবং তাঁর সাহচর্য লাভ করেছেন তার
মর্যাদা
৩৮৫৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ
الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ
بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " لاَ تَمَسُّ النَّارُ مُسْلِمًا رَآنِي أَوْ رَأَى مَنْ رَآنِي
" . قَالَ طَلْحَةُ فَقَدْ رَأَيْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ .
وَقَالَ مُوسَى وَقَدْ رَأَيْتُ طَلْحَةَ . قَالَ يَحْيَى وَقَالَ لِي مُوسَى
وَقَدْ رَأَيْتَنِي وَنَحْنُ نَرْجُو اللَّهَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ
الأَنْصَارِيِّ . وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ
أَهْلِ الْحَدِيثِ عَنْ مُوسَى هَذَا الْحَدِيثَ .
জাবির
ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ জাহান্নামের আগুন
এমন মুসলিম লোককে ছুঁবে না যে আমাকে দেখেছে অথবা আমার দর্শনলাভকারীকে দেখেছে।
তালহা ইবনু খিরাশ বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দেখেছি। মূসা ইবনু ইবরাহীম
বলেন, তালহা ইবনু খিরাশকে কে দেখেছি। ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব বলেন, মূসা ইবনু ইবরাহীম
আমাকে বলেছেন, ‘তুমি অবশ্যই আমাকে দেখেছ (আমার সান্নিধ্য লাভ করেছ)। সুতরাং আমরা
আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নাজাতের আশা রাখি।
যইফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬০০৪),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব। আমরা শুধু মূসা
ইবনু ইবরাহীম আল-আনসারীর সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। আলী ইবনু মাদীনী প্রমুখ হাদীসবেত্তাগন
মূসা ইবনু ইবরাহীমের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৫৯
حَدَّثَنِي هَنَّادٌ،
حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ
عَبِيدَةَ، هُوَ السَّلْمَانِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ
الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ مِنْ
بَعْدِ ذَلِكَ تَسْبِقُ أَيْمَانُهُمْ شَهَادَاتِهِمْ أَوْ شَهَادَاتُهُمْ
أَيْمَانَهُمْ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعِمْرَانَ بْنِ
حُصَيْنٍ وَبُرَيْدَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার যুগের
ব্যক্তিরাই উত্তম। তারপর তাদের পরবর্তীগণ, তারপর তার পরবর্তীগণ। তারপর এরূপ
ব্যক্তিদের আগমন ঘটবে, যারা সাক্ষী দেবার আগে শপথ করবে অথবা শপথের আগে সাক্ষ্য
দিবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৬২), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে 'উমার, ইমরান ইবনু হুসাইন ও বুরাইদাহ্ (রাঃ)
কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫৮. অনুচ্ছেদঃ
যারা গাছের নীচে বাই’আত
গ্রহণ করেছেন তাদের মর্যাদা
৩৮৬০
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَدْخُلُ النَّارَ أَحَدٌ
مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যেসব ব্যক্তি
(হুদাইবিয়ার প্রান্তরে) গাছের নীচে শপথ গ্রহণ করেছে তাদের কেউই জাহান্নামে যাবে
না।
সহীহঃ যিলালুল জান্নাত (৮৬০), সহীহাহ্ (২১৬০), মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫৯. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের গালি দেয়
৩৮৬১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ
الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ ذَكْوَانَ أَبَا صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ
أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ "
نَصِيفَهُ " يَعْنِي نِصْفَ الْمُدِّ .
আবু
সা'ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীদের
তোমরা গালি দিও না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ সেই সত্তার শপথ! তোমাদের কেউ যদি উহুদ
পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও দান-খাইরাত করে তবে তা তাদের কারো এক মুদ্দ বা অর্ধ মুদ্দ
দান-খাইরাতের সমান মর্যাদা সম্পন্ন হবে না।
সহীহঃ আয্-যিলাল (৯৮৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। 'নাসীফাহু' শব্দের
অর্থ অর্ধ মুদ্দ। আল-হাসান ইবনু 'আলী আল-খাল্লাল- তিনি হাদীস শাস্ত্রে হাফিয ছিলেন-
আবু মু'আবিয়াহ্ হতে, তিনি আ'মাশ হতে, তিনি আবু সালিহ হতে, তিনি আবু সা'ঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম হাদীস
বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا
عَبِيدَةُ بْنُ أَبِي رَائِطَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" اللَّهَ اللَّهَ فِي أَصْحَابِي اللَّهَ اللَّهَ فِي أَصْحَابِي لاَ
تَتَّخِذُوهُمْ غَرَضًا بَعْدِي فَمَنْ أَحَبَّهُمْ فَبِحُبِّي أَحَبَّهُمْ وَمَنْ
أَبْغَضَهُمْ فَبِبُغْضِي أَبْغَضَهُمْ وَمَنْ آذَاهُمْ فَقَدْ آذَانِي وَمَنْ آذَانِي
فَقَدْ آذَى اللَّهَ وَمَنْ آذَى اللَّهَ فَيُوشِكُ أَنْ يَأْخُذَهُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! আমার
সাহাবীদের বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় কর। আমার পরে তোমরা তাদেরকে (গালি ও
বিদ্রূপের) লক্ষ্যবস্তু বানিও না। যেহেতু যে ব্যক্তি তাদের প্রতি ভালবাসা পোষণ
করল, সে আমার প্রতি ভালবাসার খাতিরেই তাদেরকে ভালবাসল। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি
শত্রুতা ও হিংসা পোষণ করল, সে আমার প্রতি শত্রুতা ও হিংসাবশেই তাদের প্রতি শত্রুতা
ও হিংসা পোষণ করল। যে ব্যক্তি তাদেরকে কষ্ট দিল, সে আমাকেই কষ্ট দিল। যে আমাকে
কষ্ট দিল, সে আল্লাহ্ তা’আলাকেই কষ্ট দিল। আর যে আল্লাহ্ তাআলাকে কষ্ট দিল,
শীঘ্রই আল্লাহ্ তা’আলা তাকে পাকড়াও করবেন।
যইফ, তাখরীজুত্ তাহা বিয়া(৪৭১), যইফা (২৯০১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব। আমরা শুধু উপরোক্ত
সূত্রে হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৬৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ،
عَنْ خِدَاشٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ مَنْ بَايَعَ تَحْتَ
الشَّجَرَةِ إِلاَّ صَاحِبَ الْجَمَلِ الأَحْمَرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলূল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে লোক (হুদাইবিয়ায়) বৃক্ষের নীচে
বাইয়াত (রিদওয়ান) করেছে, সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে, লাল বর্ণের উটের মালিক ছাড়া।
যইফ, সহীহা (২১৬০) নং হাদীসের অধীন
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৬৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ
عَبْدًا، لِحَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَشْكُو حَاطِبًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ
النَّارَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَذَبْتَ لاَ
يَدْخُلُهَا فَإِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাতিব
ইবনু আবী বালতা'আহ্ (রাঃ)-এর এক ক্রীতদাস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকটে এসে তার বিরুদ্ধে নালিশ করে বলে, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় সে
জাহান্নামে যাবে। তিনি বললেনঃ তুমি মিথ্যা বলেছ, সে কখনও জাহান্নামে যাবে না।
কেননা সে বাদ্রের যুদ্ধে এবং হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৬৯)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ نَاجِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مُسْلِمٍ أَبِي طَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ
أَصْحَابِي يَمُوتُ بِأَرْضٍ إِلاَّ بُعِثَ قَائِدًا وَنُورًا لَهُمْ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ أَبِي طَيْبَةَ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ وَهُوَ أَصَحُّ .
আবদুল্লাহ
ইবনু আবূ বুরাইদা (রাহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীদের
মধ্যে কেউ যে অঞ্চলেই মারা যাবে কিয়ামতের দিন সেখানকার মানুষের নেতা ও নূর
(জ্যোতি) হয়ে উঠবে।
যইফ, যইফা (৪৪৬৮),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারিব। এ হাদীস আবদুল্লাহ ইবনু
মুসলিম-আবূ তাইবা-ইবনু বুরাইদা হতে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সূত্রে মুরসাল হিসেবেও বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৬০. অনুচ্ছেদঃ
যারা সাহাবীদের গালি দেয়
৩৮৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو
بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا
سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ
عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا
رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَسُبُّونَ أَصْحَابِي فَقُولُوا لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى
شَرِّكُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لاَ نَعْرِفُهُ
مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
وَالنَّضْرُ مَجْهُولٌ وَسَيْفٌ مَجْهُولٌ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা আমার
সাহাবীদের গালি দেয় তাদের দেখলে তোমরা বলবে, তোদের দুষ্কর্মের উপর আল্লাহ্
তা’আআলার অভিসম্পাত।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬০০৮),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার। আমরা এটি উবাইদুল্লাহ
ইবনু উমারের হাদিস হিসাবে এই রিওয়ায়াত ব্যতীত অন্য কোনভাবে জানতে পারিনি। নাযর ইবনু
হাম্মাদ এবং সাইফ ইবনু উমার এই রাবীদ্বয় অপরিচিত।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
৬১. অনুচ্ছেদঃ
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৬৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ
بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ
عَلَى الْمِنْبَرِ " إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ
اسْتَأْذَنُونِي فِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ
فَلاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي
طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّهَا بَضْعَةٌ
مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ عَمْرُو بْنُ
دِينَارٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ نَحْوَ
هَذَا .
আল-মিসওয়ার
ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারের উপর বলতে শুনেছিঃ
হিশাম ইবনুল মুগীরাহ্ গোত্রের লোকেরা 'আলী ইবনু আবী ত্বালিবের নিকট তাদের মেয়ে
বিবাহ দেয়ার প্রসঙ্গে আমার নিকট সম্মতি চেয়েছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিব না, অনুমতি
দিব না, অনুমতি দিব না। তবে 'আলী ইবনু আবী ত্বালিব ইচ্ছা করলে আমার কন্যাকে
ত্বালাক দিয়ে তাদের মেয়ে বিবাহ করতে পারে। ফাতিমাহ্ হচ্ছে আমার শরীরের অংশ। তার
কাছে যা খারাপ লাগে আমার নিকটও তা খারাপ লাগে, যা তার জন্য কষ্টদায়ক, তা আমার
জন্যও কষ্টদায়ক।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৯৯৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। লাইসের হাদীসের
অনুরূপ হাদীস 'আম্র ইবনু দীনার, ইবনু আবী মুলাইকাহ্ হতে, তিনি মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্
হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৬৮
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ،
عَنْ جَعْفَرٍ الأَحْمَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ
بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ أَحَبَّ النِّسَاءِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةُ وَمِنَ الرِّجَالِ عَلِيٌّ . قَالَ إِبْرَاهِيمُ
بْنُ سَعِيدٍ يَعْنِي مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
বুরাইদা
(রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেনঃ নারীদের মধ্যে ফাতিমা (রাঃ) আর পুরুষদের মধ্যে আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট সবচাইতে প্রিয়। ইবরাহীম (রহঃ) বলেন,
অর্থাৎ তাঁর পরিবারস্থ লোকদের মধ্যে।
মুনকার, নাকদুল কাত্তানী (২৯),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত
সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃমুনকার
৩৮৬৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ
ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَلِيًّا،
ذَكَرَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ " إِنَّمَا فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي يُؤْذِينِي مَا آذَاهَا
وَيُنْصِبُنِي مَا أَنْصَبَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ . هَكَذَا قَالَ أَيُّوبُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ ابْنِ
الزُّبَيْرِ وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ
بْنِ مَخْرَمَةَ وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ رَوَى
عَنْهُمَا جَمِيعًا .
আবদুল্লাহ
ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী
(রাঃ) আবূ জাহলের কন্যাকে বিয়ে করার আলোচনা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তা শুনে বললেনঃ প্রকৃতপক্ষে ফাতিমাহ্ আমার শরীরের একটি অংশ। যা তাকে কষ্ট
দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়, যা তাকে ক্লান্ত করে তা আমাকেও ক্লান্ত করে।
সহীহঃ ইরওয়া (৮/২৯৪) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ রকমই বলেছেন আইউব-ইবনু
আবী মুলাইকাহ্ হতে, তিনি ইবনুয্ যুবাইর (রাঃ) হতে। একাধিক বর্ণনাকারী ইবনু আবী মুলাইকাহ্
হতে, তিনি মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত ইবনু আবী মুলাইকাহ্
তাদের উভয়ের (ইবনুয যুবাইর ও মিসওয়ার) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭০
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ
قَادِمٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ السُّدِّيِّ،
عَنْ صُبَيْحٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ وَالْحَسَنِ
وَالْحُسَيْنِ " أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبْتُمْ وَسَلْمٌ لِمَنْ
سَالَمْتُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَصُبَيْحٌ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ لَيْسَ
بِمَعْرُوفٍ .
যাইদ
ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে
উদ্দেশ্য করে বলেনঃ তোমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আমিও তাদের বিপক্ষে লড়াই করব
এবং তোমরা যাদের সাথে শান্তি স্থাপন করবে আমিও তাদের সাথে শান্তি স্থাপন করবো।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৪৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি
শুধুমাত্র আলোচ্য সূত্রেই জেনেছি। উম্মু সালামা (রাঃ)-এর মুক্তদাস সুবাইহ তেমন সুপরিচিত
লোক নন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৭১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم جَلَّلَ عَلَى الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ
كِسَاءً ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ بَيْتِي وَخَاصَّتِي
أَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا " . فَقَالَتْ
أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّكِ
إِلَى خَيْرٍ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ
شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي
سَلَمَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ
وَعَائِشَةَ .
উম্মু
সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান, হুসাইন, 'আলী ও ফাতিমাহ্ (রাঃ)-কে
একখানা চাদরে ঢেকে বললেনঃ "হে আল্লাহ! এরা আমার পরিবার-পরিজন এবং আমার একান্ত
আপনজন। সুতরাং তাদের হতে তুমি অপবিত্রতা দূরে সরিয়ে দাও এবং তাদেরকে উত্তমরূপে
পবিত্র কর"। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমিও
কি তাদের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি মঙ্গলের কাছে আছ।
সহীহঃ পূর্বে বর্ণিত (৩২০৫) নং হাদীসের সহায়তায়।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ অনুচ্ছেদে
বর্ণিত সব হাদীসের মাঝে এটাই সবচেয়ে ভাল। এ অনুচ্ছেদে 'উমার ইবনু আবী সালামাহ্, আনাস
ইবনু মালিক, আবুল হামরা, মা'কিল ইবনু ইয়াসার ও 'আয়িশাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত
আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ
مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ
طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا
أَشْبَهَ سَمْتًا وَدَلاًّ وَهَدْيًا بِرَسُولِ اللَّهِ فِي قِيَامِهَا
وَقُعُودِهَا مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
قَالَتْ وَكَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَامَ
إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ مِنْ مَجْلِسِهَا فَقَبَّلَتْهُ
وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا فَلَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
دَخَلَتْ فَاطِمَةُ فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ فَقَبَّلَتْهُ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا
فَبَكَتْ ثُمَّ أَكَبَّتْ عَلَيْهِ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَضَحِكَتْ فَقُلْتُ
إِنْ كُنْتُ لأَظُنُّ أَنَّ هَذِهِ مِنْ أَعْقَلِ نِسَائِنَا فَإِذَا هِيَ مِنَ
النِّسَاءِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لَهَا
أَرَأَيْتِ حِيْنَ أَكْبَبْتِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَفَعْتِ
رَأْسَكِ فَبَكَيْتِ ثُمَّ أَكْبَبْتِ عَلَيْهِ فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَضَحِكْتِ
مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ قَالَتْ إِنِّي إِذًا لَبَذِرَةٌ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ
مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ
لُحُوقًا بِهِ فَذَاكَ حِينَ ضَحِكْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ
وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ .
উম্মুল
মু'মিনীন 'আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উঠা-বসা, আচার-অভ্যাস ও
চালচলনের সাথে তাঁর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাঃ)-এর অপেক্ষা বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর
কাউকে দেখিনি। 'আয়িশাহ্ (রাঃ) আরও বলেন, ফাতিমাহ্ (রাঃ) যখনই নবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসতেন তিনি তখনই তার নিকট উঠে যেতেন, তাকে চুমু
দিতেন এবং নিজের স্থানে বসাতেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার
ঘরে গেলে তিনিও নিজের জায়গা হতে উঠে তাঁকে (পিতাকে) চুমা দিতেন এবং নিজের জায়গায়
বসাতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মৃত্যুশয্যায়) অসুস্থ হয়ে পড়লে
তাঁর নিকট এসে ফাতিমাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখের
উপর ঝুঁকে পড়েন এবং তাঁকে চুমু দেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদেন। আবার তিনি তাঁর মুখের
উপর ঝুঁকে পড়েন, তারপর মাথা তুলে হাসেন। আমি ('আয়িশাহ্) বললাম, আমি অবশ্যই জানি
যে, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের নারীদের মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমতী, কিন্তু (তার হাসি দেখে
ভাবলাম) অন্যান্য নারীর মত সে একজন নারীই। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ইন্তিকাল করলে তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, কি ব্যাপার! আপনি নবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে
কাঁদলেন, আবার ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে হাসলেন। আপনি কি কারণে এরূপ করলেন?
ফাতিমাহ্ (রাঃ) বললেন, তাঁর জীবদ্দশায় আমি কথাটি গোপন রেখেছি (কারণ তিনি গোপন কথা
প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করতেন না)। আমাকে তিনি জানান যে, এই অসুখেই তিনি ইন্তিকাল
করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, তাঁর পরিবারস্থ লোকদের মাঝে
সবার পূর্বে আমিই তাঁর সঙ্গে একত্রিত হব। তাই আমি হেসেছি।
সহীহঃ নাক্বদুল কিত্তানী (৪৪-৪৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উক্ত সনদে গারীব।
হাদীসটি একাধিক সূত্রে 'আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭৩
أَخْبَرَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ،
قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ،
أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ . قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا
قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ
فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ
مَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
উম্মু
সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মক্কা
বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমাকে ডেকে তার
সাথে চুপিসারে কিছু কথা বলেন। এতে ফাতিমা কেঁদে ফেলেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে
ফাতিমা হাসেন। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের পরে আমি ফাতিমাকে তার হাসি-কান্নার কারণ প্রশ্ন করি। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে অবহিত করেন যে,
অচিরেই তিনি মৃত্যুবরণ করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে অবহিত করেন যে,
মারইয়াম বিনতু ইমরান ব্যতীত আমি জান্নাতের নারীদের নেত্রী হব, তাই আমি হেসেছি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৪), সহীহাহ্ (২/৪৩৯) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সূত্রে
গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭৪
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ
يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي
الْجَحَّافِ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ
عَمَّتِي عَلَى عَائِشَةَ فَسُئِلَتْ أَىُّ النَّاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَاطِمَةُ . فَقِيلَ مِنَ الرِّجَالِ
قَالَتْ زَوْجُهَا إِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا . هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَأَبُو الْجَحَّافِ اسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ
وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ وَكَانَ
مَرْضِيًّا .
জুমায়্যি
ইবনু উমাইর আত-তাইমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমি আমার ফুফুর সাথে আইশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তাকে প্রশ্ন করা হল, কোন
লোকটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচাইতে প্রিয়?
তিনি বলেন, ফাতিমা (রাঃ)। আবার প্রশ্ন করা হল, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন,
তাঁর স্বামী এবং তিনি ছিলেন বেশি পরিমাণে রোযা পালনকারী এবং বেশি পরিমাণে (রাতে)
নামায আদায়কারী।
মুনকার, নাকদুল কাত্তানী (২০ পৃ:)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূল জাহ্হাফের
নাম দাউদ ইবনু আবী আউফ। সুফিয়ান সাওরী আবূল জাহ্হাফের নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
তিনি সন্তষজনক ব্যক্তি ছিলেন।
হাদিসের মানঃমুনকার
৬২. অনুচ্ছেদঃ
খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو
هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ
أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ وَمَا بِي
أَنْ أَكُونَ أَدْرَكْتُهَا وَمَا ذَاكَ إِلاَّ لِكَثْرَةِ ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم لَهَا وَإِنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاةَ فَيَتَتَبَّعُ بِهَا
صَدَائِقَ خَدِيجَةَ فَيُهْدِيهَا لَهُنَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর প্রতি আমার যতটা ঈর্ষা হত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্য কোন সহধর্মিণীর প্রতি আমি ততটা ঈর্ষা পোষণ করতাম না।
অথচ আমি তার দেখাও পাইনি। তা এজন্য যে, প্রায়ই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তার কথা মনে করতেন। আর তিনি বকরী যবাহ করলে খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর বান্ধবীদেরকে
খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের জন্য গোশত উপহার পাঠাতেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৯৯৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭৬
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا حَسَدْتُ أَحَدًا مَا
حَسَدْتُ خَدِيجَةَ وَمَا تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ
بَعْدَ مَا مَاتَتْ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَشَّرَهَا
بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ لاَ صَخَبَ فِيهِ وَلاَ نَصَبَ . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . مِنْ قَصَبٍ قَالَ إِنَّمَا يَعْنِي بِهِ قَصَبَ
اللُّؤْلُؤِ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর প্রতি আমি যতটা ঈর্ষা পোষণ করতাম অপর কোন নারীর প্রতি আমি
ততটা ঈর্ষা পোষণ করিনি। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
খাদীজার মৃত্যুবরণের পরই আমাকে বিয়ে করেছেন। আর ঈর্ষার কারণ এই ছিল যে, তিনি তার
(খাদীজার) জন্য জান্নাতে এমন একটা মনি-মুক্তা খচিত সুরম্য প্রাসাদের সুখবর দিয়েছেন
যাতে না আছে কোন হৈ-হুল্লোড় আর না আছে কোন কষ্টক্লেশ।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মিন কাসাবিন অর্থ-মুক্তার
ইট পাথর।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭৭
حَدَّثَنَا هَارُونُ
بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ
عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " خَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ وَخَيْرُ
نِسَائِهَا مَرْيَمُ ابْنَةُ عِمْرَانَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ
أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ খাদীজাহ্ বিনতু
খুয়াইলিদ হলেন এই উম্মাতের নারীদের মাঝে শ্রেষ্ঠা। আর মারইয়াম বিনতু 'ইমরান
ছিলেন (তৎকালীন উম্মাতের) নারীদের মাঝে শ্রেষ্ঠা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আনাস, ইবনু 'আব্বাস ও 'আয়িশাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও
হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو
بَكْرِ بْنُ زَنْجُويَهْ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " حَسْبُكَ مِنْ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ مَرْيَمُ ابْنَةُ عِمْرَانَ
وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ وَآسِيَةُ امْرَأَةُ
فِرْعَوْنَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সারা বিশ্বের নারীদের মধ্যে মারিয়াম
বিনতু 'ইমরান, খাদীজাহ্ বিনতু খুয়াইলিদ, ফাতিমাহ্ বিনতু মুহাম্মাদ এবং ফিরআউনের
স্ত্রী আসিয়াহ্ তোমার জন্য যথেষ্ট।
সহীহ মিশকাত (৬১৮১) ।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৬৩. অনুচ্ছেদঃ
'আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৭৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ دُرُسْتَ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ
بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ قَالَتْ فَاجْتَمَعَ صَوَاحِبَاتِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ
فَقُلْنَ يَا أُمَّ سَلَمَةَ إِنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ
عَائِشَةَ وَإِنَّا نُرِيدُ الْخَيْرَ كَمَا تُرِيدُ عَائِشَةُ فَقُولِي لِرَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ إِلَيْهِ أَيْنَمَا كَانَ
فَذَكَرَتْ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ فَأَعْرَضَ عَنْهَا ثُمَّ عَادَ إِلَيْهَا
فَأَعَادَتِ الْكَلاَمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ صَوَاحِبَاتِي قَدْ
ذَكَرْنَ أَنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ فَأْمُرِ
النَّاسَ يُهْدُونَ أَيْنَمَا كُنْتَ . فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ قَالَتْ
ذَلِكَ قَالَ " يَا أُمَّ سَلَمَةَ لاَ تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ
فَإِنَّهُ مَا أُنْزِلَ عَلَىَّ الْوَحْىُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ
مِنْكُنَّ غَيْرَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
. وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ
هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً
. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَوْفِ بْنِ
الْحَارِثِ عَنْ رُمَيْثَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ شَيْئًا مِنْ هَذَا . وَهَذَا
حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَلَى رِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ
. وَقَدْ رَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ
أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকেরা তাদের উপটৌকন প্রদানের জন্য 'আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর পালার দিনের
অপেক্ষায় থাকত (যে দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট
থাকেন)। 'আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমার সতীনেরা উন্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কাছে মিলিত
হয়ে বলেন, হে উম্মু সালামাহ্! লোকেরা তাদের উপটৌকন 'আয়িশাহ্র পালার দিনে পেশ
করার অপেক্ষায় থাকে। অথচ আমাদেরও কল্যাণ লাভের আকাংখা আছে, যেমন 'আয়িশাহ্র আছে।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আপনি বলুন, তিনি যেন
লোকদের বলেন যে, তিনি যেখানেই থাকুন তারা যেন তাদের উপটৌকন সেখানে পাঠিয়ে দেয়।
উন্মু সালামাহ্ (রাঃ) বিষয়টি জানালে তিনি কোন ভ্রুক্ষেপ করলেন না। তিনি পুনরায়
আগমন করার পর উম্মু সালামাহ্ বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার
সতীনেরা আলোচনা করেছে যে, লোকেরা তাদের উপটৌকন 'আয়িশাহ্র জন্য নির্দিষ্ট দিনে
আপনার নিকট পাঠিয়ে থাকে। সুতরাং আপনি তাদেরকে হুকুম করুন যে, আপনি যেখানেই থাকুন
তারা যেন তাদের উপটৌকন পাঠাতে থাকে। তিনি প্রসঙ্গটি তৃতীয়বার বললে তিনি বললেনঃ হে
উম্মু সালামাহ্! তুমি 'আয়িশাহ্র বিষয়ে আমাকে ব্যথিত করো না। কেননা 'আয়িশাহ্
ছাড়া তোমাদের মাঝে অপর কারো লেপের নীচে থাকা অবস্থায় আমার নিকট ওয়াহী আসেনি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস কেউ কেউ
হাম্মাদ ইবনু যাইদ হতে, তিনি হিশাম ইবনু 'উরওয়াহ্ হতে, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন।
এ হাদীস হিশাম ইবনু 'উরওয়াহ্ হতে, তিনি 'আওফ ইবনু হারিস হতে তিনি রুমাইসাহ্ হতে,
তিনি উন্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে এই সনদে আংশিক বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি হিশাম ইবনু
'উরওয়াহ্ হতে বর্ণিত হয়েছে এবং তাতে বিভিন্নরূপ মতপার্থক্য আছে। সুলাইমান ইবনু বিলাল
(রহঃ) হিশাম ইবনু 'উরওয়াহ্ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি 'আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে, এই
সূত্রে হাম্মাদ ইবনু যাইদের হাদীসের একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮০
حَدَّثَنَا عَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو
بْنِ عَلْقَمَةَ الْمَكِّيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي
مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ جِبْرِيلَ، جَاءَ بِصُورَتِهَا فِي خِرْقَةِ حَرِيرٍ
خَضْرَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّ هَذِهِ
زَوْجَتُكَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
عَلْقَمَةَ . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ هَذَا الْحَدِيثَ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مُرْسَلاً
وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ وَقَدْ رَوَى أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ
بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
شَيْئًا مِنْ هَذَا .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জিবরীল
('আঃ) একখানা সবুজ রংয়ের রেশমী কাপড়ে তার (‘আয়িশাহ্র) প্রতিচ্ছবি নবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে এসে বলেন, ইনি দুনিয়া ও
আখিরাতে আপনার স্ত্রী।
সহীহঃ বুখারী (৫১২৫, ৭০১১, ৭০১২), মুসলিম (৭/১৩৪), অনুরূপ আখিরাত শব্দ ব্যতীত।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। 'আবদুল্লাহ ইবনু
'আম্র ইবনু 'আলক্বামা'র রিওয়ায়াত ছাড়া অপর কোনভাবে আমরা হাদীসটি প্রসঙ্গে জানি
না। 'আবদুর রহমান ইবনু মাহ্দী এ হাদীস 'আবদুল্লাহ ইবনু 'আম্র ইবনু আলক্বামাহ্ হতে
উক্ত সনদে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাতে 'আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
আবু উসামাহ্-হিশাম ইবনু 'উরওয়াহ্ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি 'আয়িশাহ্ (রাঃ)
হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে উক্ত হাদীসের আংশিক
রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮১
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ
بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ هَذَا
جِبْرِيلُ وَهُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ " . قَالَتْ قُلْتُ
وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ تَرَى مَا لاَ نَرَى .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে 'আয়িশাহ্! এই
যে জিবরীল ('আঃ), তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি বললাম, তার প্রতিও সালাম, আল্লাহ
তা'আলার রাহমাত ও কল্যাণ বর্ষিত হোক। যা আপনি দেখেন আমরা তা দেখতে পাই না।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৫৪৩৩) নং হাদীসের অধীনে, বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮২
حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ،
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا، عَنِ
الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ،
قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ جِبْرِيلَ
يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ " . فَقُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ
وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ জিবরীল ('আঃ)
তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি বললাম, তার উপরও শান্তি ও আল্লাহ তা'আলার রহমাত বর্ষিত
হোক ।
সহীহঃ ২৬৯৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮৩
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ
بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ
سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ
مَا أَشْكَلَ عَلَيْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثٌ
قَطُّ فَسَأَلْنَا عَائِشَةَ إِلاَّ وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবু
মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের- নিকট
কোন হাদীসের অর্থ বুঝা কষ্টসাধ্য হলে 'আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করে তার নিকট এর
সঠিক জ্ঞাত লাভ করেছি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৫)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮৪
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ
بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَائِدَةَ،
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ مَا
رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْصَحَ مِنْ عَائِشَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
غَرِيبٌ .
মূসা
ইবনু ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, 'আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর তুলনায় বেশি বিশুদ্ধভাষী আমি আর কাউকে দেখিনি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৬)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮৫
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَاللَّفْظُ، لاِبْنِ
يَعْقُوبَ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ
بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ
النَّهْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ . قَالَ فَأَتَيْتُهُ
فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ "
عَائِشَةُ " . قُلْتُ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আম্র
ইবনুল 'আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি
নিযুক্ত করেন। 'আম্র (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল!
আপনার নিকট কোন লোক সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, “আয়িশাহ্। আমি বললাম, পুরুষদের
মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার বাবা।
সহীহঃ আত-তা’লীক 'আলা আল-ইহসান (৪৫২৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮৬
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ
الأُمَوِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي
حَازِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ
أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ قَالَ " عَائِشَةُ " . قَالَ مِنَ
الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ .
আম্র
ইবনুল 'আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আপনার নিকট সর্বাধিক
প্রিয় কোন ব্যক্তি? তিনি বললেনঃ 'আয়িশাহ্। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, পুরুষদের
মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার পিতা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসন এবং ইসমাঈল-ক্বাইস হতে
এই সনদে বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى
النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ " . قَالَ
وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَبِي مُوسَى . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ هُوَ أَبُو
طُوَالَةَ الأَنْصَارِيُّ الْمَدَنِيُّ ثِقَةٌ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مَالِكُ بْنُ
أَنَسٍ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাবতীয় খাদ্যের উপর যেরূপ সারীদের
(শোরবাতে ভেজানো রুটি) মর্যাদা, সকল স্ত্রীলোকের উপর তেমন 'আয়িশাহ্র মর্যাদা।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩২৮১), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে 'আয়িশাহ্ ও আবু মূসা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত
আছে। আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। 'আবদুল্লাহ ইবনু 'আবদুর রহমান ইবনু মা'মার
হলেন আবু তুওয়ালা আল-আনসারী, মাদীনার অধিবাসী এবং নির্ভরশীল বর্ণনকারী। মালিক ইবনু
আনাস তার নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ غَالِبٍ، أَنَّ رَجُلاً،
نَالَ مِنْ عَائِشَةَ عِنْدَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ فَقَالَ اغْرُبْ مَقْبُوحًا
مَنْبُوحًا أَتُؤْذِي حَبِيبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আমর
ইবনু গালিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক
লোক আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-এর নিকটে বসে আইশা (রাঃ) প্রসঙ্গে কিছু বিরূপ
মন্তব্য করলে আম্মার (রাঃ) বলেনঃ দূর হও পাপিষ্ঠ এখান থেকে! তুমি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয়তমাকে কষ্ট দিচ্ছ!
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو
بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ
الأَسَدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، يَقُولُ هِيَ زَوْجَتُهُ فِي
الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ . يَعْنِي عَائِشَةَ رضى الله عنها . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ .
আম্মার
ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
('আয়িশাহ্) নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী দুনিয়াতে এবং
আখিরাতেও।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ, দেখুন হাদীস নং (৩৮৮০)
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আলী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে
হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৯০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ
حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ
أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ قَالَ " عَائِشَةُ " . قِيلَ مِنَ
الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, বলা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল! লোকের মাঝে কে আপনার সর্বাধিক প্রিয়? তিনি
বললেন, 'আয়িশাহ্। পুনরায় প্রশ্ন করা হল, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার
পিতা।
সহীহঃ তা’লীক 'আলা আল-ইহসান।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং আনাস (রাঃ)-এর
বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সনদে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৬৪. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা
৩৮৯১
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ
الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ،
حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَكَانَ، ثِقَةً عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ،
عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ قِيلَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ مَاتَتْ
فُلاَنَةُ لِبَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَجَدَ فَقِيلَ
لَهُ أَتَسْجُدُ هَذِهِ السَّاعَةَ فَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَأَيْتُمْ آيَةً فَاسْجُدُوا " .
فَأَىُّ آيَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
ইকরিমাহ্
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ইবনু 'আব্বাস (রাঃ)-কে ফাজ্র নামাযের পর বলা হল যে, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অমুক স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে
তিনি সাজদাহ্য় পড়ে গেলেন। তাকে বলা হল, আপনি এ সময় সাজদাহ্ করলেন? তিনি বললেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননিঃ তোমরা যখন কোন নিদর্শন
দেখ, সে সময় সাজদাহ্ কর? অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
স্ত্রীদের দুনিয়া হতে বিদায়ের চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি আছে?
হাসানঃ সহীহ আবু দাউদ (১০৮১), মিশকাত (১৪৯১)।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র
উপর্যুক্ত সনদসূত্রে হাদীসটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৮৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا
هَاشِمٌ، هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا كِنَانَةُ، قَالَ
حَدَّثَتْنَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم وَقَدْ بَلَغَنِي عَنْ حَفْصَةَ وَعَائِشَةَ كَلاَمٌ
فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " أَلاَ قُلْتِ فَكَيْفَ تَكُونَانِ خَيْرًا
مِنِّي وَزَوْجِي مُحَمَّدٌ وَأَبِي هَارُونُ وَعَمِّي مُوسَى " .
وَكَانَ الَّذِي بَلَغَهَا أَنَّهُمْ قَالُوا نَحْنُ أَكْرَمُ عَلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا . وَقَالُوا نَحْنُ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم وَبَنَاتُ عَمِّهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ .
قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ
حَدِيثِ هَاشِمٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ .
সাফিয়্যা
বিনতু হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন, হাফসা ও
আইশা (রাঃ) হতে আমার সম্পর্কে কিছু কথা আমার নিকট পৌঁছুল। ঐ বিষয়টি আমি তাঁর নিকট
উল্লেখ করলাম, তিনি বললেনঃ তুমি একথা কেন বললেনা যে, তোমরা আমার চেয়ে কিভাবে উত্তম
হতে পার? বাস্তব অবস্থা হল, আমার স্বামী মুহাম্মাদ, পিতা হারুন আর চাচা হল মূসা
আলাইহিস সালাম সাফিয়্যার নিকট পৌঁছেছিল তা এই যে, তারা বলেছিল আমরা তাঁর চেয়ে
সম্মানিত, কেননা আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী আবার
তাঁর চাচাত বোন।
সনদ দুর্বল, দেখুন আর রাদ্দু আলাল হাবাশী, হাদীস নং ৩৩৮৫, পৃঃ (৩৫-৩৮), এ
অনুচ্ছেদে আনার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র হাশিম
আল কূফীর সুত্রেই সুফিয়্যা (রাঃ)-এর হাদীসটি জেনেছি। এর সনদ সুত্র মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৯৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنِي
مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ
اللَّهِ بْنَ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ عَامَ الْفَتْحِ
فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا .
قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ
فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ
مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
উন্মু
সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাক্কা
বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমাহ্কে ডেকে তার
সাথে গোপনে কিছু কথা বললেন। এতে ফাতিমাহ্ কেঁদে ফেললেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে
ফাতিমাহ্ হাসলেন। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, আমি ফাতিমাকে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইনতিকালের পরে তার হাসি-কান্নার কারণ জানতে
চাই। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জানান যে,
খুব তাড়াতাড়ি তিনি মৃত্যুবরণ করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান
যে, মারইয়াম বিনতু 'ইমরান ছাড়া জান্নাতের নারীদের নেত্রী হব, তাই আমি হেসেছি।
সহীহঃ ৩৮৭৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সনদে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৯৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَلَغَ صَفِيَّةَ أَنَّ
حَفْصَةَ، قَالَتْ بِنْتُ يَهُودِيٍّ . فَبَكَتْ فَدَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم وَهِيَ تَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ " .
فَقَالَتْ قَالَتْ لِي حَفْصَةُ إِنِّي بِنْتُ يَهُودِيٍّ . فَقَالَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم " إِنَّكِ لاَبْنَةُ نَبِيٍّ وَإِنَّ عَمَّكِ لَنَبِيٌّ
وَإِنَّكِ لَتَحْتَ نَبِيٍّ فَفِيمَ تَفْخَرُ عَلَيْكِ " . ثُمَّ قَالَ
" اتَّقِي اللَّهَ يَا حَفْصَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, সাফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর কানে পৌঁছে যে, হাফসাহ্ (রাঃ) তাকে ইয়াহূদীর মেয়ে
বলে ঠাট্টা করেছেন। তাই তিনি কাঁদছিলেন। তার ক্ৰন্দনরত অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি বললেনঃ তোমাকে কিসে কাঁদাচ্ছে?
তিনি বললেন, হাফসাহ্ আমাকে ইয়াহূদীর মেয়ে বলে তিরস্কার করেছেন। নবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ অবশ্যই তুমি একজন নাবীর কন্যা, তোমার
চাচা অবশ্যই একজন নবী এবং তুমি একজন নাবীর সহধর্মিণী। অতএব কিভাবে হাফসাহ্ তোমার
উপরে অহংকার করতে পারে? তারপর তিনি বললেনঃ হে হাফসাহ্! আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৩)।
আবু 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا
خَيْرُكُمْ لأَهْلِي وَإِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ مَا
أَقَلَّ مَنْ رَوَاهُ عَنِ الثَّوْرِيِّ . وَرُوِيَ هَذَا عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে সে-ই
ভাল যে তার পরিবারের নিকট ভাল। আর আমি আমার পরিবারের নিকট তোমাদের চাইতে উত্তম। আর
তোমাদের কোন সঙ্গী মৃত্যুবরণ করলে তার সমালোচনা পরিত্যাগ করো।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৮৫)।
আবু 'ঈসা বলেন, সাওরীর হাদীস হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব
সহীহ। খুব কম সংখ্যক লোকই এটি সাওরী হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হিশাম ইবনু 'উরওয়াহ্-তার
পিতা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে মুরসালরূপেও বর্ণিত
হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৮৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ
الْوَلِيدِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ
عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِي شَيْئًا فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْهِمْ
وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَأُتِيَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَالٍ فَقَسَمَهُ فَانْتَهَيْتُ إِلَى رَجُلَيْنِ
جَالِسَيْنِ وَهُمَا يَقُولاَنِ وَاللَّهِ مَا أَرَادَ مُحَمَّدٌ بِقِسْمَتِهِ
الَّتِي قَسَمَهَا وَجْهَ اللَّهِ وَلاَ الدَّارَ الآخِرَةَ . فَتَثَبَّتُّ
حِينَ سَمِعْتُهُمَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَأَخْبَرْتُهُ فَاحْمَرَّ وَجْهُهُ وَقَالَ " دَعْنِي عَنْكَ فَقَدْ
أُوذِيَ مُوسَى بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ زِيدَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ
رَجُلٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মাস্উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীগনের
কেউ যেন তাদের অপরজনের কোন খারাপ কথা আমার নিকট না পৌছায়। যেহেতু আমি তাদের সাথে
পরিষ্কার ও উদার মন নিয়েই দেখা করতে ভালবাসি। আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে কিছু সম্পদ আসলে তিনি
(জনতার মধ্যে) তা বিতরণ করেন। আমি একই সাথে বসে থাকা দুই ব্যক্তির নিকট গেলাম,
তারা বলছিল, আল্লাহ্র শপথ! মুহাম্মাদ এই যে বিলি-বণ্টন করলেন তা আল্লাহ্ তা’আলার
তুষ্টি লাভের ইচ্ছাই তাঁর ছিল না এবং পরকালের বাসস্থান (জান্নাত) অর্জনেরও নয়।
কথাটি শুনে আমি মনে রাখলাম এবং ফিরে এসে তাঁকে জানালাম। এতে তাঁর মুখমণ্ডল রক্তিম
বর্ণ ধারণ করলো এবং তিনি বললেনঃ তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। মূসা (আঃ)-কে এর চেয়েও বেশি
যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ধরেছেন।
আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সুত্রে এ হাদীসটি গারীব। এর সনদে
এক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৮৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَالْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ،
عَنِ السُّدِّيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ
زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ عَنْ
أَحَدٍ شَيْئًا " . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا مِنْ
غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
মুহাম্মাদ
ইবনু ইসমাইল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ-উবাইদুল্লাহ ইবনু মূসা হতে, তিনি হুসাইন ইবনু মুহাম্মাদ
হতে, তিনি ইসরাইল হতে, তিনি সুদ্দী হতে, তিনি ওয়ালীদ ইবনু আবূ হিশাম হতে, তিনি
যাইদ ইবনু যাইদা হতে, তিনি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ কেউ যেন তাদের অপরজনের
খারাপ কথা আমার নিকট না পৌছায়।
যঈফ, মিশকাত (৪৮৫২)।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৬৫. অনুচ্ছেদঃ
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর
মর্যাদা
৩৮৯৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ،
قَالَ سَمِعْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي
أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ " . فَقَرَأَ عَلَيْهِ : ( لمْ
يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا ) وَفِيهَا " إِنَّ ذَاتَ الدِّينِ عِنْدَ
اللَّهِ الْحَنِيفِيَّةُ الْمُسْلِمَةُ لاَ الْيَهُودِيَّةُ وَلاَ
النَّصْرَانِيَّةُ وَلاَ الْمَجُوسِيَّةُ مَنْ يَعْمَلْ خَيْرًا فَلَنْ يُكْفَرَهُ
" . وَقَرَأَ عَلَيْهِ " لَوْ أَنَّ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيًا مِنْ
مَالٍ لاَبْتَغَى إِلَيْهِ ثَانِيًا وَلَوْ كَانَ لَهُ ثَانِيًا لاَبْتَغَى إِلَيْهِ
ثَالِثًا وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ
عَلَى مَنْ تَابَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رضى الله
عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " إِنَّ اللَّهَ
أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ " . وَقَدْ رَوَاهُ
قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ
" إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ " .
উবাই
ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমাকে
হুকুম করেছেন যে, আমি যেন তোমাকে কুরআন পাঠ করে শুনাই। তিনি তাকে “লাম
ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারূ” সূরাটি পাঠ করে শুনান। তাতে তিনি এও পাঠ করেন যে, আল্লাহ
তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণের একনিষ্ঠ ভাবধারাপূর্ণ দীনই গ্রহণযোগ্য, ইয়াহূদীবাদ,
খৃষ্টবাদ বা মাজূসীবাদ (অগ্নি উপাসনা) নয়। কেউ সৎকর্ম করলে তা কখনো প্রত্যাখান করা
হবে না (প্রতিদান দেয়া হবে)। তারপর তিনি তাকে আরো তিলাওয়াত করে শুনানঃ কোন আদম
সন্তান এক উপত্যকাপূর্ণ সম্পদের অধিকারী হয়ে গেলে সে তাঁর কাছে দ্বিতীয় উপত্যকা
ভর্তি সম্পদের আকাঙ্ক্ষা করবে। তার দ্বিতীয় উপত্যকা ভর্তি সম্পদ হয়ে গেলে সে তাঁর
নিকট তৃতীয় উপত্যকা ভর্তি সম্পদ লাভের আকাঙ্ক্ষা করবে। ইবনু আদমের উদর মাটি ব্যতীত
অন্য কিছু দিয়ে ভর্তি হবে না। কেউ তাওবাহ্ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবাহ্ ক্ববূল
করেন।
হাসানঃ তাখরীজুল মুশকিলাহ্ (১৪), সহীহাহ্ (২৯০৮) । লাও আন্না ……… শেষ পর্যন্ত
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। অন্যসূত্রেও
হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা (রহঃ) তার বাবা হতে,
তিনি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-কে বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমাকে
হুকুম দিয়েছেন যেন আমি তোমাকে কুরআন পাঠ করে শুনাই।” কাত্বাদাহ্ (রহঃ) আনাস (রাঃ) হতে
রিওয়ায়াত করেন যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই (রাঃ)-কে বললেনঃ
“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমি তোমাকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনাই”।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৬৬. অনুচ্ছেদঃ
আনসারগণের ও কুরাইশদের
মর্যাদা
৩৮৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ
كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
لَوْلاَ الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الأَنْصَارِ " .
উবাই
ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি দ্বীন ইসলামে হিজরাত না থাকত
তাহলে আমি আনসারদের একজনই হতাম।
হাসান সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৬৮), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৯০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّهُ
سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم فِي الأَنْصَارِ " لاَ يُحِبُّهُمْ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَلاَ
يَبْغَضُهُمْ إِلاَّ مُنَافِقٌ مَنْ أَحَبَّهُمْ فَأَحَبَّهُ اللَّهُ وَمَنْ
أَبْغَضَهُمْ فَأَبْغَضَهُ اللَّهُ " . فَقُلْتُ لَهُ أَأَنْتَ
سَمِعْتَهُ مِنَ الْبَرَاءِ فَقَالَ إِيَّاىَ حَدَّثَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
صَحِيحٌ .
আল-বারাআ
ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন অথবা তিনি বলেছেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের প্রসঙ্গে বলেছেনঃ মু’মিন মাত্রই
তাদেরকে ভালবাসে এবং মুনাফিক্ব মাত্রই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। যে লোক
তাদেরকে ভালবাসে, আল্লাহ তা‘আলাও তাদের ভালবাসেন। আর যে লোক তাদের প্রতি বিদ্বেষ
পোষণ করে, আল্লাহও তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি আদী
ইবনু সাবিতকে প্রশ্ন করলাম, আপনি হাদীসটি
আল-বারাআ (রাঃ) হতে শুনেছেন কি? তিনি বললেন, তিনিই তো আমার কাছে হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৬৩), বুখারী।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। তিনি আরো বলেন, একই সনদে
নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেনঃ যদি আনসরাগণ কোন
গিরিসংকটে বা গিরিখাদে প্রবেশ করে তবে অবশ্য আমিও আনসারদের সাথেই থাকব।
হাসান সহীহঃ প্রাগুক্ত।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ جَمَعَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ "
هَلُمَّ هَلْ فِيكُمْ أَحَدٌ مِنْ غَيْرِكُمْ " . قَالُوا لاَ إِلاَّ
ابْنَ أُخْتٍ لَنَا . فَقَالَ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ ابْنَ أُخْتِ
الْقَوْمِ مِنْهُمْ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ قُرَيْشًا حَدِيثٌ
عَهْدُهُمْ بِجَاهِلِيَّةٍ وَمُصِيبَةٍ وَإِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَجْبُرَهُمْ
وَأَتَأَلَّفَهُمْ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا
وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بُيُوتِكُمْ "
. قَالُوا بَلَى . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ
سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ وَادِيًا أَوْ
شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَهُمْ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের কিছু সংখ্যক লোককে
একত্রিত করে বললেনঃ তোমাদের মাঝে আনসারদের ব্যতীত অপর কেউ আছে কি? তারা বললেন, না,
তবে আমাদের এক ভাগ্নে আছে। তিনি বললেনঃ সম্প্রদায়ের ভাগ্নে তাদের অন্তর্ভূক্ত।
তারপর তিনি বললেনঃ সবেমাত্র কুরাইশরা জাহিলিয়াত ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছে এবং তারা
বিপদে পতিত। তাই তাদের ভগ্নহৃদয়ে আমি কিছুটা সহানুভূতির ছোয়া লাগাতে চাই এবং তাদের
মনজয় করতে চাই (কিছু অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে) । তোমরা কি খুশি নও যে, লোকেরা দুনিয়া
(মাল) নিয়ে বাড়ি ফিরবে আর তোমরা আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবে? তারা বললেন, হ্যাঁ। তারপর রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি লোকেরা কোন গিরিপথ বা গিরিখাদ পার
করে এবং আনসাররা যদি অন্য কোন গিরিসংকট বা গিরিখাদে চলে, তবে আমি আনসারদের
গিরিসংকট বা গিরিখাদেই একসঙ্গে চলব।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৭৬), রাওযুন্ নাযীর (৯৬১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯০২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ
جُدْعَانَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّهُ
كَتَبَ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يُعَزِّيهِ فِيمَنْ أُصِيبَ مِنْ أَهْلِهِ
وَبَنِي عَمِّهِ يَوْمَ الْحَرَّةِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنِّي أُبَشِّرُكَ
بِبُشْرَى مِنَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَلِذَرَارِيِّ الأَنْصَارِ
وَلِذَرَارِيِّ ذَرَارِيِّهِمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
.
যাইদ
ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-হাররার
দিন আনাস (রাঃ)-এর পরিবার ও তার চাচার পরিবার যে নির্যাতনের শিকার হয় তাকে শোক
প্রকাশ করে তিনি (যাইদ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর কাছে একখানা লোকবার্তা লিখে
প্রেরণ করেন। তিনি তাকে লিখেন, আপনাকে আমি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে একটি সুখবর
দিচ্ছি। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে
শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! তুমি আনসারদেরকে ক্ষমা করে দাও, তাদের সন্তানদেরও এবং তাদের
সন্তানদের সন্তানদেরকও”।
সহীহঃ বুখারী (৪৯০৬), মুসলিম মারফূ' অংশ বর্ণনা করেছেন।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ক্বাতাদাহ্ (রহঃ)
হাদীসটি নায্র ইবনু আনাস হতে, তিনি যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯০৩
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ،
وَعَبْدُ الصَّمَدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ الْبُنَانِيُّ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ قَالَ لِي
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَأْ قَوْمَكَ السَّلاَمَ
فَإِنَّهُمْ مَا عَلِمْتُ أَعِفَّةٌ صُبُرٌ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবু
তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি তোমার
জাতির লোকদেরকে আমার সালাম পৌছাও। আমার জানামতে তারা সংযমী ও ধৈর্যশীল।
যঈফ, মিশকাত (৬২৪২), হাদীসটির ২য় অংশ সহীহ
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯০৪
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ زَكَرِيَّا
بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ إِنَّ عَيْبَتِي الَّتِي
آوِي إِلَيْهَا أَهْلُ بَيْتِي وَإِنَّ كَرِشِي الأَنْصَارُ فَاعْفُوا عَنْ
مُسِيئِهِمْ وَاقْبَلُوا مِنْ مُحْسِنِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ .
আবু
সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হুঁশিয়ার! আমার আহলে বাইত হল আমার
আশ্ৰয়স্থল, যেখানে আমি ফিরে আসি। আর আমার গোপনীয়তার রক্ষক হল আনসারগণ। সুতরাং
তোমরা তাদের ভুল-ভ্রান্তি মাফ কর এবং তাদের শিষ্টাচার গ্রহণ কর।
“আহলে বাইত” উল্লিখিত অংশটুকু মুনকার, মিশকাত (৬২৪০)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ)
হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৯০৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " مَنْ يُرِدْ هَوَانَ قُرَيْشٍ أَهَانَهُ اللَّهُ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
মুহাম্মাদ
ইবনু সা‘দ (রহঃ) হতে তাঁর বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কেউ কুরাইশদেরকে
অপদস্ত করার ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তাকে অপদগ্রস্ত করবেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১১৭৮) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ সনদ সূত্রে হাদীসটি গারীব। ‘আব্দ ইবনু
হুমাইদ-ইয়া‘কূব ইবনু ইবরাহীম ইবনু সা’দ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি সালিহ ইবনু কাইসান
হতে, তিনি ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উক্ত সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৯০৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، وَالْمُؤَمَّلُ، قَالاَ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ
جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" لاَ يَبْغَضُ الأَنْصَارَ أَحَدٌ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান
রাখে এরূপ কোন লোক কখনো আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে না।
সহীহঃ সহীহাহ্ (হাঃ ১২৩৪), মুসলিম আবূ হুরাইরা্হ্ ও আবূ সা‘ঈদ হতে বর্ণনা করেছেন।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ
سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَنْصَارُ كَرِشِي وَعَيْبَتِي وَإِنَّ
النَّاسَ سَيَكْثُرُونَ وَيَقِلُّونَ فَاقْبَلُوا مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَتَجَاوَزُوا
عَنْ مُسِيئِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
.
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারগণ আমার
গোপনীয়তার রক্ষক ও আমানতদার। শীঘ্রই জনসংখ্যা বেড়ে যাবে কিন্তু আনসারদের সংখ্যা
কমে যাবে। অতেএব তোমরা তাদের সদাচার গ্রহণ কর এবং তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিত্যাগ
কর।
সহীহঃ বুখারী (৩৮০১), মুসলিম (৭/১৭৪) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯০৮
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ
أَذَقْتَ أَوَّلَ قُرَيْشٍ نَكَالاً فَأَذِقْ آخِرَهُمْ نَوَالاً " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! প্রথমে
আপনি কুরাইশদেরকে শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন; অতএব পরে তাদেরকে দান ও
অনুগ্রহের স্বাদ আস্বাদন করান”।
হাসান সহীহঃ যঈফাহ্ (৩৯৮) নং হাদীসের অধীনে।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। ‘আবদুল ওয়াহ্হাব
আল-ওয়াররাক-ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ আল-উমাবী হতে, তিনি আ‘মাশ (রহঃ) হতে এই সনদে একই রকম
বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৯০৯
حَدَّثَنَا
الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ
جَعْفَرٍ الأَحْمَرِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ
وَلأَبْنَاءِ الأَنْصَارِ وَلأَبْنَاءِ أَبْنَاءِ الأَنْصَارِ وَلِنِسَاءِ
الأَنْصَارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আনসারদের মাফ করে
দাও, আনসারদের সন্তানদেরকেও, আনসারদের সন্তানদের সন্তানদেরকেও এবং আনসারদের
নারীদেরকেও”।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৭৩-১৭৪) ।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৬৭. অনুচ্ছেদঃ
আনসারদের কোন ঘর শ্রেষ্ঠ?
৩৯১০
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ
الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ
الأَنْصَارِ أَوْ بِخَيْرِ الأَنْصَارِ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ
اللَّهِ . قَالَ " بَنُو النَّجَّارِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو
عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ
ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو سَاعِدَةَ " . ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ
فَقَبَضَ أَصَابِعَهُ ثُمَّ بَسَطَهُنَّ كَالرَّامِي بِيَدَيْهِ قَالَ "
وَفِي دُورِ الأَنْصَارِ كُلِّهَا خَيْرٌ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا أَيْضًا عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ
السَّاعِدِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কি আনসারদের ঘরগুলোর
মাঝে শ্রেষ্ঠ ঘর অথবা আনসারদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি প্রসঙ্গে জানাব না?
সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রাসূল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেন, আনসারদের মাঝে শ্রেষ্ঠ হল বানু নাজ্জার , তারপর তাদের নিকটতর
যারা অর্থাৎ ‘আবদুল আশহাল, তারপর তাদের নিকটতম যারা অর্থাৎ বানুল হারিস ইবনুল
খাযরাজ, তারপর তাদের কাছের যারা অর্থাৎ বানু সা’ইদাহ্। এরপর তিনি দুই হাতে ইশারা
করে তাদের আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করলেন, তারপর হাত দু’খানা এমনভাবে প্রসারিত করলেন
যেমন কেউ তার হাত দিয়ে কিছু নিক্ষেপ করলো। অতঃপর তিনি বললেন, আনসারদের সব ঘরই
উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আর এ হাদীস আনাস
(রাঃ) হতে, আবূ উসাইদ আস-সাঈদী (রাঃ)–এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে এই সনদেও বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ
سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ
السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ
دُورِ الأَنْصَارِ دُورُ بَنِي النَّجَّارِ ثُمَّ دُورُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ
ثُمَّ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ بَنِي سَاعِدَةَ وَفِي كُلِّ دُورِ
الأَنْصَارِ خَيْرٌ " . فَقَالَ سَعْدٌ مَا أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم إِلاَّ قَدْ فَضَّلَ عَلَيْنَا . فَقِيلَ قَدْ فَضَّلَكُمْ عَلَى
كَثِيرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو
أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ اسْمُهُ مَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ . وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ
هَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ
مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
.
আবূ
উসাইদ আস-সা’ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারদের ঘরগুলোর
মাঝে ভাল হল বানু নাজ্জারের ঘরগুলো, তারপর বানু ‘আবদুল আশহালের ঘরগুলোর, তারপর
ইবনুল হারিস ইবনুল খাযরাজ, তারপর বানু সা’ইদাহ্। আনসারদের প্রত্যেক পরিবারের
মাঝেই মঙ্গল রয়েছে। সা’দ (রাঃ) বলেন, আমি দেখছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গোত্রের উপর অন্যান্য আনসার পরিবারকে মর্যাদা
দিয়েছেন। সে সময় তাকে বলা হল, তিনি তোমাদেরকে তো অনেকের উপরই মর্যাদা দিয়েছেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ উসাইদ আস-সা’ঈদী
(রাঃ)-এর নাম মালিক ইবনু রাবী'আহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)–এর বরাতেও নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ
বর্ণিত আছে। মা’মার যুহরী হতে তিনি আবূ সালামাহ্ হতে, তিনি ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘উত্বাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হতে এই সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯১২
حَدَّثَنَا أَبُو
السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ،
عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ دِيَارِ الأَنْصَارِ بَنُو
النَّجَّارِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির
ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারদের ঘরগুলোর
মাঝে বানু নাজ্জারই সবচাইতে ভাল।
সহীহঃ পূর্বের হাদীসের সহায়তায়।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯১৩
حَدَّثَنَا أَبُو
السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ
مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ الأَنْصَارِ بَنُو عَبْدِ
الأَشْهَلِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারদের মাঝে বানু
‘আবদুল আশহালই ভাল।
এই হাদীসের পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৬৮. অনুচ্ছেদঃ
মাদীনা মুনাও্ওয়ারার
মর্যাদা
৩৯১৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ
الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ
عُمَرَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كُنَّا بِحَرَّةِ السُّقْيَا الَّتِي كَانَتْ
لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" ائْتُونِي بِوَضُوءٍ " . فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَامَ فَاسْتَقْبَلَ
الْقِبْلَةَ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ عَبْدَكَ
وَخَلِيلَكَ وَدَعَا لأَهْلِ مَكَّةَ بِالْبَرَكَةِ وَأَنَا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ
أَدْعُوكَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ أَنْ تُبَارِكَ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ
مِثْلَىْ مَا بَارَكْتَ لأَهْلِ مَكَّةَ مَعَ الْبَرَكَةِ بَرَكَتَيْنِ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ
وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হলাম।
অবশেষে যখন আমরা সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর বসতি এলাকা ‘হার্রাতুস-সুক্ইয়া’-তে
পৌঁছলাম, সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার জন্য
উযূর পানি নিয়ে এসো। তিনি উযূ করলেন, তারপর ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে বললেনঃ
"হে আল্লাহ্! ইবরাহীম ('আঃ) তোমার বান্দা ও অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন।
মাক্কাবাসীদের জন্য তিনি বারাকাতের দু’আ করেছেন। আর আমিও তোমরা বান্দা ও রাসূল।
আমি মাদীনাবাসীদের জন্য তোমার নিকট দু’আ করছি যে, তুমি মাক্কাবাসীদের জন্য যে
পরিমাণ বারাকাত দান করেছ, মাদীনাবাসীদের মুদ্দ ও সা’-এ তার দ্বিগুন বারাকাত দান কর
এবং এক বারাকাতের সঙ্গে দু'টি বারাকাত দান কর।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/১৪৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্,
‘আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯১৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُبَاتَةَ، يُونُسُ بْنُ يَحْيَى
بْنِ نُبَاتَةَ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ
الْمُعَلَّى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ رضى الله
عنهما قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا بَيْنَ
بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ وَقَدْ رُوِيَ
مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা
প্রত্যেকে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর
ও আমার মিম্বারের মাঝের জায়গা জান্নাতের বাগিচাগুলোর মধ্যকার একটি বাগিচা।
হাসান সহীহঃ যিলালুল জান্নাত (৭৩১), রাওযুন্ নাযীর (১১১৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে ‘আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীস
হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)–এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৯১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ كَامِلٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ
الزَّاهِدُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا بَيْنَ
بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ " .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মাঝের জায়গা
জান্নাতের বাগিচাগুলোর মধ্যকার একটি বাগিচা।
হাসান সহীহঃ যিলালুল জান্নাত (৭৩১), রাওযুন্ নাযীর (১১১৫), বুখারী ও মুসলিম।
একই সনদসূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার এই মাসজিদে এক রাকা'আত নামায মাসজিদুল হারাম ছাড়া আর অন্য
কোন মাসজিদে এক রাকা'আত নামায অপেক্ষা ভাল।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪০৪, ১৪০৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)–এর বরাতে নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৯১৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ
أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَمُوتَ بِالْمَدِينَةِ فَلْيَمُتْ
بِهَا فَإِنِّي أَشْفَعُ لِمَنْ يَمُوتُ بِهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ
عَنْ سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ মাদীনাতে
মৃত্যুবরণ করতে সক্ষম হলে সে যেন সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। কারণ যে ব্যক্তি সেখানে
মৃত্যুবরণ করবে আমি তার জন্য সুপারিশ করব।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩১১২)।
এ অনুচ্ছেদে সুবাই’আহ্ বিনতুল হারিস আল-আসলামিয়্যাহ্
(রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ 'ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ
এবং আইয়ুব আস-সাখতিয়ানীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ
سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى
الله عنهما أَنَّ مَوْلاَةً، لَهُ أَتَتْهُ فَقَالَتِ اشْتَدَّ عَلَىَّ الزَّمَانُ
وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ إِلَى الْعِرَاقِ . قَالَ فَهَلاَّ إِلَى
الشَّأْمِ أَرْضِ الْمَنْشَرِ اصْبِرِي لَكَاعِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ صَبَرَ عَلَى شِدَّتِهَا وَلأْوَائِهَا
كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ وَفِي
الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَسُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ وَسُبَيْعَةَ
الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ
عُبَيْدِ اللَّهِ .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার
এক মুক্ত দাসী এসে তাঁকে বললেন, আমার জন্য দিনাতিপাত কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আমি
ইরাকের দিকে যেতে চাই। তিনি বললেন, তবে তুমি সিরিয়ার দিকে যাবার মনস্থ করলে না
কেন? সেটা টো হাশরের মাঠ। তিনি আরও বললেন, আরে নির্বোধ? ধৈর্যধারণ কর। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ যে লোক মাদীনার
কষ্ট–কাঠিন্য ও দুর্ভিক্ষে ধৈর্যধারণ করে, ক্বিয়ামাতের দিন আমি তার জন্য সাক্ষী হব
এবং সুপারিশকারী হব।
সহীহঃ তাখরিজু ফিক্হিস্ সীরাহ্ (১৮৪), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, সুফ্ইয়ান ইবনু আবী যুহাইর ও সুবাই’আহ্
আল-আসলামিয়্যাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান
সহীহ, 'উবাইদুল্লাহ্র বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯১৯
حَدَّثَنَا أَبُو
السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ أَخْبَرَنَا أَبِي جُنَادَةُ بْنُ سَلْمٍ، عَنْ
هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آخِرُ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى الإِسْلاَمِ
خَرَابًا الْمَدِينَةُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جُنَادَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ . قَالَ
تَعَجَّبَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا .
আবু
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামী শহরগুলোর
মধ্যে সবশেষে জনমানবশূন্য হবে মদীনা।
যঈফ, যঈফা (১৩০০)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব। আমরা শুধু জুনাদা
হতে হিশামের সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯২০
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، وَحَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ
جَابِرٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى
الإِسْلاَمِ فَأَصَابَهُ وَعَكٌ بِالْمَدِينَةِ فَجَاءَ الأَعْرَابِيُّ إِلَى
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي . فَأَبَى
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ الأَعْرَابِيُّ ثُمَّ جَاءَهُ
فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي . فَأَبَى فَخَرَجَ الأَعْرَابِيُّ فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا الْمَدِينَةُ كَالْكِيرِ تَنْفِي
خَبَثَهَا وَتُنَصِّعُ طَيِّبَهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন
এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ইসলামের উপর
বাই'আত হয়। মাদীনার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেই বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলে, আমার বাই'আত প্রত্যাহার করুন। কিন্তু তিনি
অস্বীকার করেন। অতএব সে চলে গেল। বেদুঈন পুনরায় এসে বলল, আমার বাই'আত প্রত্যাহার
করুন। এবারও তিনি অস্বীকার করেন। ফলে বেদুঈন চলে গেল। তারপর রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ মাদীনা হল কামাড়ের হাপড়ের মত, যা তার
ময়লা দূর করে এবং পবিত্রতাকে খাঁটি করে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (২১৭), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত
আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯২১
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ،
عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَوْ رَأَيْتُ الظِّبَاءَ تَرْتَعُ
بِالْمَدِينَةِ مَا ذَعَرْتُهَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا حَرَامٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ
سَعْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَزَيْدِ بْنِ
ثَابِتٍ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ وَجَابِرٍ . قَالَ
حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, মাদীনায় আমি যদি হরিণকে চরে বেড়াতে দেখি, তবে সেটাকে ভয় দেখাব না। কেননা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার দুই কংকরময়
এলাকার মধ্যবর্তী জায়গা হারাম।
সহীহঃ বুখারী (১৮৭৩), মুসলিম (৪/১১৬)।
এ অনুচ্ছেদে সা’দ ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ, আনাস, আবূ আইউব,
যাইদ ইবনু সাবিত, রাফি' ইবনু খাদীজ, জাবির ও সাহ্ল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস
বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯২২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ،
عَنْ مَالِكٍ، وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا
مَالِكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَلَعَ لَهُ أُحُدٌ فَقَالَ " هَذَا
جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ
وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উহূদ
পাহাড় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বললেনঃ
এ পাহাড় আমাদেরকে মুহাব্বাত করে এবং আমরাও তাকে মুহাব্বাত করি। হে আল্লাহ্! ইব্রাহীম
(‘আঃ) নিশ্চয়ই মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন, আর আমি দুই কংকরময় এলাকার মধ্যবর্তী
জায়গাটিকে হারাম ঘোষণা করলাম।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯২৩
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ
عُبَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ
بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَىَّ أَىَّ
هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةِ نَزَلْتَ فَهِيَ دَارُ هِجْرَتِكَ الْمَدِينَةَ أَوِ
الْبَحْرَيْنِ أَوْ قِنَّسْرِينَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو
عَامِرٍ .
জারীর
ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা আমার নিকটে
ওয়াহী পাঠান যে, এ তিনটি জায়গার যেটিতেই তুমি যাবে, সেটিই হবে তোমার হিজরাতের
জায়গাঃ মাদীনা অথবা বাহরাইন অথবা কিন্নাসরীন।
মাওযু, আর-রাদ্দু আলাল কাত্তানী, হাদীস নং (১)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু ফাযল ইবনু মূসার
রিওয়ায়াত হিসেবে এটি জেনেছি। আবু আমির এ হাদীস বর্ণনায় একাকী।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
৩৯২৪
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ
عُرْوَةَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَصْبِرُ عَلَى
لأْوَاءِ الْمَدِينَةِ وَشِدَّتِهَا أَحَدٌ إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ
شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي
سَعِيدٍ وَسُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ وَسُبَيْعَةَ الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ
وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَصَالِحُ بْنُ
أَبِي صَالِحٍ أَخُو سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ মাদীনায় দুর্ভিক্ষ ও কষ্ট-কাঠিন্য
সহ্য করলে ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আমি অবশ্যই সাক্ষী অথবা সুপারিশকারী হব।
সহীহঃ তাখরীজু ফিক্হিস্ সীরাহ্ (১৮৪), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, সুফ্ইয়ান ইবনু আবী যুহাইর ও সুবাই’আহ্
আল-আসলামিয়্যাহ্ (রাঃ) কর্তৃক হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ
হাদীসটি হাসান গারীব। সালিহ ইবনু আবী সালিহ হলেন সুহাইল ইবনু আবী সালিহের ভাই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৬৯. অনুচ্ছেদঃ
মাক্কা মুআজ্জামার মর্যাদা
৩৯২৫
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ حَمْرَاءَ الزُّهْرِيِّ، قَالَ
رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاقِفًا عَلَى الْحَزْوَرَةِ
فَقَالَ " وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ
اللَّهِ إِلَى اللَّهِ وَلَوْلاَ أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ
يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ نَحْوَهُ . وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ
أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
وَحَدِيثُ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ
بْنِ حَمْرَاءَ عِنْدِي أَصَحُّ .
আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আদী ইবনু হাম্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি মাক্কার
একটি ক্ষুদ্র টিলার উপর দণ্ডায়মানরত দেখলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র ক্বসম! তুমি
নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলার সকল ভূমির মাঝে সর্বোত্তম এবং আল্লাহ্ তা’আলার নিকট
তুমিই সবচেয়ে প্রিয়ভূমি। আমাকে যদি তোমর বুক হতে (জোরপূর্বক) বিতাড়িত না করা হত
তবে আমি কখনও (তোমায় ছেড়ে) চলে যেতাম না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩১০৮)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। এ হাদীস ইউনুস
যুহ্রী হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্র (রহঃ) আবূ সালামাহ্ হতে,
তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে
এই সনদে এটি রিওয়ায়াত করেছেন। আমার মতে আবূ সালামার বরাতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু
হামরার সনদে যুহরী হতে বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশী সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَأَبُو
الطُّفَيْلِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم لِمَكَّةَ " مَا أَطْيَبَكِ مِنْ بَلَدٍ وَأَحَبَّكِ إِلَىَّ
وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمِي أَخْرَجُونِي مِنْكِ مَا سَكَنْتُ غَيْرَكِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
.
ইবনু
'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা ভূমিকে উদ্দেশ্য করে
বলেনঃ কতই না পবিত্র ও উত্তম শহর তুমি এবং আমার নিকট কতই না প্রিয়। আমার স্বজাতি
যদি তোমার হতে আমাকে বিতাড়িত না করত তবে আমি তোমাকে ব্যতীত অন্য কোথাও বসবাস করতাম
না।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ২৭২৪)।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৭০. অনুচ্ছেদঃ
আরবদেশের মর্যাদা
৩৯২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا
حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي
ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " يَا سَلْمَانُ لاَ تَبْغَضْنِي فَتُفَارِقَ دِينَكَ
" . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَبْغَضُكَ وَبِكَ هَدَانَا
اللَّهُ قَالَ " تَبْغَضُ الْعَرَبَ فَتَبْغَضُنِي " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَدْرٍ
شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ
أَبُو ظَبْيَانَ لَمْ يُدْرِكْ سَلْمَانَ مَاتَ سَلْمَانُ قَبْلَ عَلِيٍّ .
সালমান
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে সালমান!
আমার প্রতি হিংসা করো না, তাহলে তুমি তোমার দীনকে টুকরো করে ফেলবে। আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার প্রতি কি করে হিংসা পোষণ করতে পারি, অথচ আল্লাহ তা'আলা
আপনার মাধ্যমেই আমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আরবের প্রতি হিংসা পোষণ করাই হচ্ছে আমার প্রতি হিংসা পোষণ।
যঈফ, যঈফা (২০২০), মিশকাত (৫৯৮৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারব। আমরা শুধু আবু বদর
শুজা ইবনুল ওয়ালীদের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ ইসমাঈলকে বলতে শুনেছি
আবু যাবইয়ান সালমানের সাক্ষাৎ পান নাই।
সালমান (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর পূর্বেই ইন্তিকাল করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯২৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عُمَرَ
الأَحْمَسِيِّ، عَنْ مُخَارِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ،
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ غَشَّ الْعَرَبَ لَمْ يَدْخُلْ فِي شَفَاعَتِي وَلَمْ تَنَلْهُ
مَوَدَّتِي " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
حَدِيثِ حُصَيْنِ بْنِ عُمَرَ الأَحْمَسِيِّ عَنْ مُخَارِقٍ . وَلَيْسَ حُصَيْنٌ
عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ بِذَاكَ الْقَوِيِّ .
উসমান
ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আরবদের
সাথে ঠকবাজী করবে সে আমার শাফাআতের সীমায় প্রবেশ করবে না এবং সে আমার ভালোবাসাও
অর্জন করতে পারবে না।
মাওযু, যঈফা (৫৪৫), মিশকাত (৫৯৯০)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হুসাইন-ইবনু
উমার আল-আহমাসী হতে মুখারিক সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। হুসাইন মুহাদিসগণের মতে তেমন মজবুত
রাবী নন।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
৩৯২৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ أَبِي رَزِينٍ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ كَانَتْ أُمُّ الْحَرِيرِ إِذَا مَاتَ
أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ اشْتَدَّ عَلَيْهَا فَقِيلَ لَهَا إِنَّا نَرَاكِ إِذَا
مَاتَ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ اشْتَدَّ عَلَيْكِ . قَالَتْ سَمِعْتُ مَوْلاَىَ
يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِنَ اقْتِرَابِ
السَّاعَةِ هَلاَكُ الْعَرَبِ " . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي رَزِينٍ
وَمَوْلاَهَا طَلْحَةُ بْنُ مَالِكٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ .
মুহাম্মাদ
ইবনু আবু রাযীন (রহঃ) হতে তার মা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন ঃ উন্মুল হারীরের অবস্থা এই ছিল যে, আরবের কোন লোক ইন্তিকাল করলে তিনি তাতে
গভীরভাবে শোকাভিভূত হতেন। তাকে বলা হল, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আরবের কোন লোক
ইন্তিকাল করলে আপনি তাতে গভীরভাবে শোকাভিভূত হন। তিনি বললেন, আমি আমার মনিবকে বলতে
শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরবের লোকদের
মৃত্যু হচ্ছে কিয়ামাত কাছাকাছি হওয়ার লক্ষণ।
যঈফ, যঈফা (৪৫১৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারিব। আমরা শুধু সুলাইমান ইবনু
হারবের রিওয়ায়াত হিসেবে এটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ
جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ
اللَّهِ، يَقُولُ حَدَّثَتْنِي أُمُّ شَرِيكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " لَيَفِرَّنَّ النَّاسُ مِنَ الدَّجَّالِ حَتَّى
يَلْحَقُوا بِالْجِبَالِ " . قَالَتْ أُمُّ شَرِيكٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ
فَأَيْنَ الْعَرَبُ يَوْمَئِذٍ قَالَ " هُمْ قَلِيلٌ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
জাবির
ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
উম্মু শারীক (রাঃ)–কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা দাজ্জালের ভয়ে পলায়ন করবে, অবশেষে তারা পাহাড়-পর্বতে গিয়ে
আশ্রয় নিবে। উম্মু শারীক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! সে সময় আরবরা কোথায়
থাকবে? তিনি বলেন, সে সময় তারা সংখ্যায় অতি নগণ্য হবে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (৩০৭৯), মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৩১
حَدَّثَنَا بِشْرُ
بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ
بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سَامٌ
أَبُو الْعَرَبِ وَيَافِثُ أَبُو الرُّومِ وَحَامٌ أَبُو الْحَبَشِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَيُقَالُ يَافِثُ وَيَافِتُ
وَيَفِثُ .
সামুরা
ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সাম হল আরবদের আদিপিতা, ইয়াফিস হল
রূমীদের (তুর্কীদের) আদিপিতা এবং হাম হল আবিসিনীয়দের আদিপিতা।
যঈফ, যঈফা (৩৬৩৮)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। ইয়াফিস, ইয়াফিত ও ইয়াফাস
ইত্যাদি উচ্চারণও আছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৭১. অনুচ্ছেদঃ
আজমীদের (অনারবদের) মর্যাদা
৩৯৩২
أَخْبَرَنَا
سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ
عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ
قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ ذُكِرَتِ الأَعَاجِمُ عِنْدَ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لأَنَا
بِهِمْ أَوْ بِبَعْضِهِمْ أَوْثَقُ مِنِّي بِكُمْ أَوْ بِبَعْضِكُمْ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ
بْنِ عَيَّاشٍ . وَصَالِحُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ هَذَا يُقَالُ لَهُ صَالِحُ بْنُ
مِهْرَانَ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ .
আবু
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে অনারবদের উল্লেখ করা হল। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তাদেরকে অথবা তাদের কিছুকে
তোমাদের চেয়ে অথবা তোমাদের কিছুর চেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করি।
যঈফ, মিশকাত (৬২৪৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারব। আমরা শুধু আবু বকর ইবনু
আইয়াশের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। সালিহ হলেন মিহরানের পুত্র, আমর ইবনু হুরাইসের আযাদ
গোলাম।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯৩৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ
زَيْدٍ الدِّيلِيُّ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا
عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أُنْزِلَتْ سُورَةُ الْجُمُعَةِ
فَتَلاَهَا فَلَمَّا بَلَغَ : ( وآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ
) قَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ لَمْ
يَلْحَقُوا بِنَا فَلَمْ يُكَلِّمْهُ . قَالَ وَسَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ فِينَا
. قَالَ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى سَلْمَانَ
فَقَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ الإِيمَانُ بِالثُّرَيَّا
لَتَنَاوَلَهُ رِجَالٌ مِنْ هَؤُلاَءِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم . وَأَبُو الْغَيْثِ اسْمُهُ سَالِمٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مُطِيعٍ مَدَنِيٌّ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট আমরা উপস্থিত
ছিলাম। সে সময় সূরা আল-জুমু’আহ্ অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা পাঠ করেন। তিনি ‘ওয়া
আখারীনা মিনহুম লাম্মা ইয়াল্হাকু বিহিমি” (এবং তাদের অন্যেরা যারা এখনও তাদের
সঙ্গে একত্রিত হয়নি) পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্র
রাসুল! এসব লোক কারা, এখনো যারা আমাদের সঙ্গে একত্রিত হয়নি? তিনি তাকে কিছুই বললেন
না। আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেন, সালমান আল-ফারিসী (রাঃ) আমাদের মধ্যে হাযির ছিলেন।
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের
হাতখানা সালমান (রাঃ)-এর উপর রেখে বললেন, সেই সত্তার ক্বসম যাঁর হাতে আমার জীবন!
সুরাইয়্যাহ্ তারকায় ঈমান থাকলেও এদের (অনারবদের) কিছু লোক তা নিয়ে আসবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটা ৩৩১০ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। হাদীসটি একাধিক সূত্রে
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত
হয়েছে। আবূল গাইস এর নাম সালিম, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুত্বী’ এর মুক্তদাস মাদীনার
অধিবাসী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৭২. অনুচ্ছেদঃ
ইয়ামানের মর্যাদা
৩৯৩৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْقَطَوَانِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ،
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، رضى الله عنه أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَظَرَ قِبَلَ الْيَمَنِ فَقَالَ "
اللَّهُمَّ أَقْبِلْ بِقُلُوبِهِمْ وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَمُدِّنَا
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ .
যাইদ
ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামান দেশের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ “হে আল্লাহ্!
তাদের মন (আমাদের দিকে) ফিরিয়ে দিন এবং আমাদের সা ও মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন”।
হাসান সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬২৬৩), ইরওয়া (৪/১৭৬)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং যাইদ ইবনু সাবিত
(রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। আমরা শুধুমাত্র ‘ইমরান আল-কাত্তানের সনদেই হাদীসটি
জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৯৩৫
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَاكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ هُمْ أَضْعَفُ
قُلُوبًا وَأَرَقُّ أَفْئِدَةً الإِيمَانُ يَمَانٍ وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ
" . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ . وَهَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের নিকট
ইয়ামানবাসী এসেছে। তারা খুব নরম মন ও কোমল হৃদয়ের লোক। ঈমান ইয়ামান হতে এসেছে এবং
প্রজ্ঞাও ইয়ামান হতে এসেছে।
সহীহঃ রাওযুন্ নাযীর (১০৩৪), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতেও হাদীস
বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৩৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ
صَالِحٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَرْيَمَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمُلْكُ فِي قُرَيْشٍ
وَالْقَضَاءُ فِي الأَنْصَارِ وَالأَذَانُ فِي الْحَبَشَةِ وَالأَمَانَةُ فِي
الأَزْدِ " . يَعْنِي الْيَمَنَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাজত্ব কুরাইশদের
মাঝে, বিচার–বিধান আনসারদের মধ্যে, (সুমধুর সুরে) আযান হাবশীদের মাঝে এবং
আমানতদারী আয্দ অর্থাৎ ইয়ামানবাসীদের মাঝে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (১০৮৩)।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার–‘আব্দুর রহমান ইবনু মাহ্দী হতে,
তিনি মু’আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ হতে, তিনি আবূ মারইয়াম আল-আনসারী হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) হতে এই সনদে উপর্যুক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন, তবে মারফুরুপে নয়। এ হাদীস
যাইদ ইবনু হুবাবের বর্ণিত হাদীসটির তুলনায় অনেক বেশী সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৩৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنِي عَمِّي، صَالِحُ بْنُ عَبْدِ
الْكَبِيرِ بْنِ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ حَدَّثَنِي عَمِّي عَبْدُ السَّلاَمِ
بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَزْدُ أُسْدُ اللَّهِ فِي
الأَرْضِ يُرِيدُ النَّاسُ أَنْ يَضَعُوهُمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلاَّ أَنْ
يَرْفَعَهُمْ وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَقُولُ الرَّجُلُ يَا
لَيْتَ أَبِي كَانَ أَزْدِيًّا يَا لَيْتَ أُمِّي كَانَتْ أَزْدِيَّةً "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ أَنَسٍ مَوْقُوفٌ وَهُوَ
عِنْدَنَا أَصَحُّ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল আযদ (ইয়ামানীরা)
হল দুনিয়ার বুকে আল্লাহর সহায়তাকারী। লোকেরা তাদেরকে দাবিয়ে রাখতে চাইবে।
কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তা হতে দিবেন না, বরং তিনি তাদেরকে সমুন্নত করবেন। মানুষের
সামনে অবশ্যই এমন এক যামানা আসবে, যখন কোন ব্যক্তি বলবে, হায় যদি আমার পিতা
ইয়ামানী (আযদী) হতেন? হায়, যদি আমার মাতা ইয়ামানী (আযদী) গোত্রীয় হতেন?
যঈফ, যঈফা (২৪৬৭)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই
হাদীসটি প্রসঙ্গে জেনেছি। আনাস (রাঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে হাদীসটি মাওকুফ হিসেবেও বর্ণিত
আছে। আমাদের মতে মাওকুফ বর্ণনাটিই অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯৩৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَطَّارُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ،
حَدَّثَنِي غَيْلاَنُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ
إِنْ لَمْ نَكُنْ مِنَ الأَزْدِ فَلَسْنَا مِنَ النَّاسِ . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
গাইলান
ইবনু জারীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, আমরা আয্দ গোত্রভুক্ত না হলে উত্তম মানুষই
হতাম না।
সনদ সহীহঃ মাওকুফ।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو
بَكْرِ بْنُ زَنْجُويَهْ، - بَغْدَادِيٌّ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ مِينَاءٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ
سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
فَجَاءَ رَجُلٌ أَحْسِبُهُ مِنْ قَيْسٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَنْ
حِمْيَرًا . فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَهُ مِنَ الشَّقِّ الآخَرِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " رَحِمَ اللَّهُ حِمْيَرًا
أَفْوَاهُهُمْ سَلاَمٌ وَأَيْدِيهِمْ طَعَامٌ وَهُمْ أَهْلُ أَمْنٍ وَإِيمَانٍ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ . وَيُرْوَى عَنْ
مِينَاءٍ هَذَا أَحَادِيثُ مَنَاكِيرُ .
আবু
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে হাযির থাকা অবস্থায় তার
নিকতে এক লোক আসে। আমার ধারণা লোকটি কাইস গোত্রীয়। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল!
হিমৃইয়ার গোত্রকে অভিসম্পাত করুন। তিনি তার হতে অন্য দিকে মুখ সরিয়ে নেন। সে অপর
পাশ দিয়ে এলে তিনি এবারও তার হতে মুখ সরিয়ে নেন। আবার সে অপর পাশ দিয়ে এলে তিনি
এবারও তার হতে মুখ সরিয়ে নেন। লোকটি অপর পাশ দিয়ে এলে এবারও তিনি তার হতে মুখ
সরিয়ে নেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
হিমূইয়ার গোত্রের প্রতি আল্লাহ তা'আলা দয়া করুন, তাদের মুখে সালাম (শান্তি),
তাদের হাতে খাদ্যসম্ভার এবং তারা নিরাপত্তা ও ঈমানের ধারক।
মাওষু, যঈফা (৩৪৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারব। আমরা শুধু আবদুর রাযযাকের
সূত্রে উপরোক্তভাবে এ হাদীস জেনেছি। আর মীনাআর কাছ হতে বেশিরভাগ মুনকার হাদীস বর্ণিত
হয়ে থাকে।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
৭৩. অনুচ্ছেদঃ
গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ্ ও
মুযাইনাহ্ গোত্রসমূহ প্রসঙ্গে
৩৯৪০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ
الأَشْجَعِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَنْصَارُ
وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ وَغِفَارُ وَأَشْجَعُ وَمَنْ كَانَ مِنْ بَنِي عَبْدِ
الدَّارِ مَوَالِيَّ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُونَ اللَّهِ وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ
مَوْلاَهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
আইউব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারগণ ও
মুযাইনাহ্, জুহাইনাহ্, আশজা', গিফার গোত্রগুলো ও বানু ‘আবদুদ দার–এর লোকেরা আমার
সঙ্গী ও সাহায্যকারী। আল্লাহ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী সঙ্গী নেই। আল্লাহ ও
তাঁর রাসূলই তাদের সাহায্যকারী সঙ্গী বা সাথী।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৭৮)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৪১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَعُصَيَّةُ
عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আসলাম গোত্রকে আল্লাহ হিফাযাতে রাখুন।
গিফার গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করুন। আর উসাইয়্যাহ্ গোত্র আল্লাহ্ ও তাঁর
রাসূলের অবাধ্যাচরণ করেছে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৭৪. অনুচ্ছেদঃ
বানু সাক্বীফ ও বানু
হানীফাহ্ গোত্র দু'টি প্রসঙ্গে
৩৯৪২
حَدَّثَنَا أَبُو
سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ
جَابِرٍ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْرَقَتْنَا نِبَالُ ثَقِيفٍ
فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ . قَالَ " اللَّهُمَّ اهْدِ ثَقِيفًا
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সাকীফ সম্প্রদায়ের তীরগুলো আমাদেরকে
ছিন্নভিন্ন করেছে। সুতরাং আপনি তাদের বদদু'আ করুন! তিনি বললেন ঃ হে আল্লাহ! সাকীফ
সম্প্রদায়কে হিদায়াত দান করুন।
যঈফ, মিশকাত (৫৯৮৬)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯৪৩
حَدَّثَنَا زَيْدُ
بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ شُعَيْبٍ،
حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ مَاتَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَكْرَهُ ثَلاَثَةَ أَحْيَاءٍ ثَقِيفًا
وَبَنِي حَنِيفَةَ وَبَنِي أُمَيَّةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইমরান
ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি গোত্রের প্রতি মন্দ
মনোভাব রেখে মারা যানঃ বানু সাকীফ, বানু হানীফা ও বানু উমাইয়্যা।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব। আমরা শুধু আলোচ্য সূত্রেই
এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯৪৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عُصْمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ " .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাক্বীফ গোত্রে এক
চরম মিথ্যাবাদী ও এক নরঘাতকের সৃষ্টি হবে।
সহীহঃ মুসলিম (২১২৩) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
‘আব্দুর রহমান ইবনু ওয়াক্বিদ আবূ মুসলিম শারীক (রহঃ)-এর
সনদে উপরের হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু উস্ম–এর উপনাম আবূ ‘উলওয়ান,
তিনি কুফার অধিবাসী।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র শারীকের সনদে অবগত হয়েছি।
শারীক (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আসিম। ইসরাঈলও এই শাইখ হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘ইস্মাহ্। এ অনুচ্ছেদে আসমা বিনতু আবী বাক্র (রাঃ) কর্তৃকও
হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنِي أَيُّوبُ، عَنْ
سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، أَهْدَى
لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَكْرَةً فَعَوَّضَهُ مِنْهَا سِتَّ
بَكَرَاتٍ فَتَسَخَّطَهَا فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ
اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ فُلاَنًا أَهْدَى إِلَىَّ
نَاقَةً فَعَوَّضْتُهُ مِنْهَا سِتَّ بَكَرَاتٍ فَظَلَّ سَاخِطًا وَلَقَدْ
هَمَمْتُ أَنْ لاَ أَقْبَلَ هَدِيَّةً إِلاَّ مِنْ قُرَشِيٍّ أَوْ أَنْصَارِيٍّ
أَوْ ثَقَفِيٍّ أَوْ دَوْسِيٍّ " . قَالَ وَفِي الْحَدِيثِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ
مِنْ هَذَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ يَرْوِي عَنْ أَيُّوبَ أَبِي الْعَلاَءِ
وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ مِسْكِينٍ وَيُقَالُ ابْنُ أَبِي مِسْكِينٍ وَلَعَلَّ هَذَا
الْحَدِيثَ الَّذِي رَوَاهُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ وَهُوَ
أَيُّوبُ أَبُو الْعَلاَءِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এক বেদুঈন একটি জোয়ান উষ্ট্রী উপহার দেয়।
তিনি তার বিনিময়ে তাকে ছয়টি উষ্ট্রী দেন। কিন্তু লোকটি তারপরও অখুশি থাকে। বিষয়টি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতে পারলে তিনি আল্লাহ তা’আলার
প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেনঃ অমুক লোক আমাকে একটি উষ্ট্রী উপঢৌকন দিলে আমি এর
বিনিময়ে তাকে ছয়টি উষ্ট্রী প্রদান করি। তারপরও সে অখুশি। অতএব আমি প্রতিজ্ঞা করলাম
যে, আমি কুরাইশী অথবা আনসারী অথবা সাক্বাফী অথবা দাওসীদের ছাড়া আর কারো নিকট হতে
উপঢৌকন কবুল করব না।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৩০২২), সহিহাহ্ (১৬৮৪)।
এ হাদীসে আরো বেশী বক্তব্য আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি
একাধিক সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। ইয়াযীদ ইবনু হারুন (রহঃ) আইউব-আবূল
আলা হতে বর্ণনা করেন। তিনি হলেন আইউব ইবনু মিসকীন। তিনি ইবনু আবী মিসকীন বলেও পরিচিত।
সম্ভবতঃ এই হাদীস যা আইউব হতে, সা’ঈদ আল-মাকবুরীর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি হলেন আইউব
আবূল আ’লা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَهْدَى رَجُلٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ إِلَى
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَاقَةً مِنْ إِبِلِهِ الَّتِي كَانُوا أَصَابُوا
بِالْغَابَةِ فَعَوَّضَهُ مِنْهَا بَعْضَ الْعِوَضِ فَتَسَخَّطَهُ فَسَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ يَقُولُ "
إِنَّ رِجَالاً مِنَ الْعَرَبِ يُهْدِي أَحَدُهُمُ الْهَدِيَّةَ فَأُعَوِّضُهُ
مِنْهَا بِقَدْرِ مَا عِنْدِي ثُمَّ يَتَسَخَّطُهُ فَيَظَلُّ يَتَسَخَّطُ فِيهِ
عَلَىَّ وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَقْبَلُ بَعْدَ مَقَامِي هَذَا مِنْ رَجُلٍ مِنَ
الْعَرَبِ هَدِيَّةً إِلاَّ مِنْ قُرَشِيٍّ أَوْ أَنْصَارِيٍّ أَوْ ثَقَفِيٍّ أَوْ
دَوْسِيٍّ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ
يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ عَنْ أَيُّوبَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, ফাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি গাবা নামক জায়গায় প্রাপ্ত তার উটপাল হতে একটি
উষ্ট্রী নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উপঢৌকন দেন। তিনি এর বিনিময়ে
তাকে কিছু দান করেন। কিন্তু তাতে সে সন্তুষ্ট হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি মিম্বারের উপর বলতে শুনেছিঃ আরবের কোন
এক লোক আমাকে কিছু উপহার দিলে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে কিছু দান করি।
কিন্তু সে তাতে অখুশি প্রকাশ করে। এমনকি এ ব্যপারে সে আমার উপর অখুশিই হয়ে যায়।
আল্লাহ্র ক্বসম! এরপর হতে আমি আর কুরাইশী কিংবা আনসারী অথবা সাক্বাফী অথবা দাওসী
লোক ছাড়া আরবের আর কোন লোকের উপহার গ্রহণ করব না।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এটা ইয়াযীদ ইবনু হারুনের
বর্ণিত হাদীসের চাইতে অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৪৭
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ
جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَلاَذٍ،
يُحَدِّثُ عَنْ نُمَيْرِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مَسْرُوحٍ، عَنْ عَامِرِ
بْنِ أَبِي عَامِرٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " نِعْمَ الْحَىُّ الأَسْدُ وَالأَشْعَرُونَ لاَ يَفِرُّونَ
فِي الْقِتَالِ وَلاَ يَغُلُّونَ هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ " . قَالَ
فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ لَيْسَ هَكَذَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
قَالَ " هُمْ مِنِّي وَإِلَىَّ " . فَقُلْتُ لَيْسَ هَكَذَا
حَدَّثَنِي أَبِي وَلَكِنَّهُ حَدَّثَنِي قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ " . قَالَ
فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِحَدِيثِ أَبِيكَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ . وَيُقَالُ الأَسْدُ هُمُ
الأَزْدُ .
আমির
ইবনু আবু আমির আল-আশআরী (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আসাদ গোত্র ও
আশআরী গোত্র কত ভাল। তারা যুদ্ধের মাঠ হতে পালায় না এবং গানীমাতের মাল আত্মসাৎ
করে না। কাজেই তারা আমার হতে এবং আমি তাদের হতে। আমির (রহঃ) বলেন, আমি উক্ত হাদীস
মুআবিয়া (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, এইরূপ নয়। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে বলেননি, বরং বলেছেনঃ তারা আমার হতে এবং
আমারই। আমির (রহঃ) বলেন, আমার পিতা আমাকে এরকম বলেননি, বরং তিনি আমাকে বলেছেন, আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি ঃ তারা আমার হতে
এবং আমি তাদের হতে। মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, তুমি তোমার পিতার বর্ণিত হাদীস বেশি জান।
যঈফ, যঈফা (৪৬৯২)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু ওয়াহুব
ইবনু জারীরের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। কথিত আছে যে, আসাদ সম্প্রদায় ও আৰ্যদ সম্প্রদায়
একই।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৯৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ
لَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ
عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَأَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ
رضى الله عنه .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আসলাম গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা হিফাযাতে
রাখুন, গিফার গোত্রকে আল্লাহ মাফ করুন।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ১০০৬, ৩৫১৩, ৩৫১৪), মুসলিম (হাঃ ৭/১৭৭, ১৭৮)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবূ
যার, আবূ বারযা আল-আসলামী, বুরাইদা ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৪৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ دِينَارٍ، نَحْوَ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَزَادَ فِيهِ " وَعُصَيَّةُ
عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
মুহাম্মাদ
ইবনু বাশ্শার, মুওয়াম্মাল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
সুফ্ইয়ান হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, শু’বার হাদীসের মতই বর্ণনা
করেছেন। আর তাতে অতিরিক্ত আছে “উসাইয়্যাহ্ আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হয়েছে”।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৫০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ،
حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَغِفَارُ وَأَسْلَمُ
وَمُزَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ مِنْ جُهَيْنَةَ أَوْ قَالَ جُهَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ
مِنْ مُزَيْنَةَ خَيْرٌ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَسَدٍ وَطَيِّئٍ
وَغَطَفَانَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সেই সত্তার ক্বসম,
যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! গিফার, আসলাম ও মুযাইনাহ্ গোত্র এবং যারা জুহাইনাহ্
গোত্রীয় এবং মুযাইনাহ্ গোত্রীয়, তারা ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলার কাছে অবশ্যই
আসাদ, তাঈ ও গাতাফান গোত্রের তুলনায় ভাল বিবেচিত হবে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (৩২১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ، عَنْ
عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ جَاءَ نَفَرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَبْشِرُوا يَا بَنِي تَمِيمٍ
" . قَالُوا بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا . قَالَ فَتَغَيَّرَ وَجْهُ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَاءَ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ
" اقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ تَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ " .
قَالُوا قَدْ قَبِلْنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইমরান
ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, তামীম গোত্রের প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর মাজলিসে হাযির হলে তিনি বলেনঃ হে বানূ তামীম! সুখবর গ্রহণ কর। তারা
বলল, আপনি আমাদের সুখবর দিয়েছেন, তাই আমাদেরকে কিছু দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন,
এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে যায়।
তারপর ইয়ামান দেশীয় এক প্রতিনিধিদল আগমন করলে তিনি বলেন, তোমরা সুখবর কবূল কর, যা
তামীম গোত্র গ্রহণ করেনি। তারা বলল, অবশ্যই আমরা তা গ্রহণ করলাম।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৩২১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৫২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَسْلَمُ
وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ خَيْرٌ مِنْ تَمِيمٍ وَأَسَدٍ وَغَطَفَانَ وَبَنِي عَامِرِ
بْنِ صَعْصَعَةَ " . يَمُدُّ بِهَا صَوْتَهُ فَقَالَ الْقَوْمُ قَدْ
خَابُوا وَخَسِرُوا . قَالَ " فَهُمْ خَيْرٌ مِنْهُمْ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুর
রহমান ইবনু আবূ বাক্রাহ্ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আসলাম, গিফার ও মুযাইনাহ্ গোত্রসমূহ
তামীম, আসাদ, গাতাকান ও ‘আমির ইবনু সা’সা’আহ্ গোত্রসমূহ হতে ভাল। তিনি উচ্চস্বরে
কথাটি বললেন। লোকেরা বলেনঃ ঐ গোত্রের লোকগুলো তো ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হল। তিনি
বলেনঃ ঐ গোত্রগুলোর ব্যক্তিগুলো এসব গোত্রের লোকদের চেয়ে অধিক ভাল।
সহীহঃ বুখারী (৩৫১৬), ও মুসলিম (৭/১৭৯-১৮০)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৭৫. অনুচ্ছেদঃ
শাম ও ইয়ামানের মর্যাদা।
৩৯৫৩
حَدَّثَنَا بِشْرُ
بْنُ آدَمَ ابْنُ بِنْتِ أَزْهَرَ السَّمَّانِ، حَدَّثَنِي جَدِّي، أَزْهَرُ
السَّمَّانُ عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي
شَأْمِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي يَمَنِنَا " . قَالُوا وَفِي
نَجْدِنَا . قَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَأْمِنَا وَبَارِكْ
لَنَا فِي يَمَنِنَا " . قَالُوا وَفِي نَجْدِنَا . قَالَ "
هُنَاكَ الزَّلاَزِلُ وَالْفِتَنُ وَبِهَا أَوْ قَالَ مِنْهَا يَخْرُجُ قَرْنُ
الشَّيْطَانِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আল্লাহ্! আমাদের শামদেশে বারাকাত
দান করুন, হে আল্লাহ্! আমাদের ইয়ামানদেশে বারাকাত দান করুন। লোকেরা বলল, আমাদের
নাজদের জন্যও (দু’আ করুন)। তিনি পুনরায় বলেনঃ হে আল্লাহ্! আমাদের সিরিয়ায় বারাকাত
দান করুন, আমাদের ইয়ামানদেশে বারাকাত দান করুন। এবারও লোকেরা বলল, আমাদের নাজদের
জন্যও (দু’আ করুন)। তিনি বললেনঃ সেখানে ভূমিকম্প, বিশৃঙ্খলা বা বিপর্যয় রয়েছে অথবা
তিনি বলেছেনঃ সেখান হতেই শাইতানের শিং আবির্ভাব হবে।
সহীহঃ তাখরীজু ফাযায়িলিশ শাম (৮), সহিহাহ্ (২২৪৬)।
আবূ 'ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং
ইবনু ‘আওনের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। হাদীসটি সালিম ইবনু ‘আবদিল্লাহ ইবনু ‘উমার
– তার বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদেও বর্ণিত
হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ
يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ شِمَاسَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُؤَلِّفُ الْقُرْآنَ مِنَ الرِّقَاعِ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " طُوبَى لِلشَّأْمِ " .
فَقُلْنَا لأَىٍّ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لأَنَّ مَلاَئِكَةَ
الرَّحْمَنِ بَاسِطَةٌ أَجْنِحَتَهَا عَلَيْهَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ .
যাইদ
ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে উপস্থিত
হয়ে চামড়ার উপর হতে কুরআন সংকলন করেছিলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সিরিয়ার জন্য মঙ্গল। আমরা বললাম, তা কেন হে আল্লাহ্র
রাসূল! তিনি বললেনঃ কেননা দয়াময় রহমানের ফেরেশতাগণ তার উপর নিজেদের ডানা বিস্তার
করে রেখেছেন।
সহীহঃ ফাযায়িলিশ শাম (১), মিশকাত (৬৬২৪), সহিহাহ্ (৫০২)।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আইউবের সনদে হাদীসটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৯৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ
سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ
يَفْتَخِرُونَ بِآبَائِهِمُ الَّذِينَ مَاتُوا إِنَّمَا هُمْ فَحْمُ جَهَنَّمَ
أَوْ لَيَكُونَنَّ أَهْوَنَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الْجُعَلِ الَّذِي يُدَهْدِهُ
الْخِرَاءَ بِأَنْفِهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ
الْجَاهِلِيَّةِ إِنَّمَا هُوَ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ النَّاسُ
كُلُّهُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ خُلِقَ مِنْ تُرَابٍ " . قَالَ وَفِي
الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সমস্ত সম্প্রদায় তাদের পূর্বপুরুষদের
নিয়ে গর্ব করে, তারা যেন অবশ্যই তা হতে বিরত থাকে। কেননা তারা জাহান্নামের কয়লায়
পরিণত হয়েছে। নতুবা তারা আল্লাহ তা’আলার দরবারে গোবরে পোকার তুলনায় বেশি অপমানিত
হবে, যা নিজের নাক দিয়ে গোবরের ঘুঁটা তৈরী করে। তোমাদের হতে আল্লাহ তা’আলা জাহিলী
যুগের গরব-অহংকার ও পূর্বপুরুষদের নিয়ে আত্মগর্ব প্রকাশ দূরীভূত করেছেন। এখন সে
মু’মিন-মুত্তাক্বী অথবা পাপাত্মা–দুরাচার। সমস্ত মানুষ আদম ('আঃ)–এর সন্তান। আর
আদম ('আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি হতে।
হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (৪/২১, ৩৩, ৩৪), গাইয়াতুল মারাম (৩১২)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কর্তৃকও
হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৯৫৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ
بْنُ مُوسَى بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ الْفَرْوِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي،
عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" قَدْ أَذْهَبَ اللَّهُ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَفَخْرَهَا
بِالآبَاءِ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ وَالنَّاسُ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ
مِنْ تُرَابٍ " . قَالَ وَهَذَا أَصَحُّ عِنْدَنَا مِنَ الْحَدِيثِ
الأَوَّلِ . وَسَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ قَدْ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ وَيَرْوِي
عَنْ أَبِيهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه . وَقَدْ
رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ
بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَامِرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা জাহিলী যুগের
গর্ব-অহংকার ও পূর্বপুরুষদের নিয়ে আভিজাত্যের অহংকার তোমাদের হতে অপসারণ করেছেন।
এখন কোন লোক হয় খোদাভীরু মু’মিন কিংবা বদ-নাসীব পাপী। মানুষ আদমের সন্তান, আর আদম
('আঃ) মাটি হতে সৃষ্টি।
হাসানঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমার দৃষ্টিতে এ হাদীসটি
প্রথমোক্ত হাদীসের চেয়ে বেশী সহীহ। সা’ঈদ আল-মাক্ববুরী (রহঃ) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)
হতে হাদীস শুনেছেন। তিনি তার পিতার সনদে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বহু হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন। এ হাদীস সুফ্ইয়ান সাওরী প্রমুখ হিশাম ইবনু সা’দ হতে, তিনি সা’ঈদ আল-মাক্ববুরী
হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে এই সনদে আবূ আমির হতে হিশামের সনদে বর্ণিত হাদীসের একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
No comments