জামে' আত-তিরমিজি - অধ্যায় "দু’আ সমূহ" হাদিস নং- ৩৩৭০-৩৬০৪
দু’আ সমূহ
অনুচ্ছেদ-১
দু‘আর ফাযীলাত
৩৩৭০
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ
بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا
أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله
عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَمَ
عَلَى اللَّهِ تَعَالَى مِنَ الدُّعَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ
الْقَطَّانِ وَعِمْرَانُ الْقَطَّانُ هُوَ ابْنُ دَاوَرَ وَيُكْنَى أَبَا
الْعَوَّامِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
مَهْدِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ
তা‘আলার নিকট দু’আর চেয়ে কোন জিনিস বেশি সম্মানিত নয়।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৯)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৩৭১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الدُّعَاءُ
مُخُّ الْعِبَادَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দু’আ
হল ইবাদাতের মূল বা সার।
এই শব্দে হাদীসটি যঈফ, রাওজুন নাযীর(২/২৮৯), মিশকাত(২২৩১), আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত
সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু ইবনু লাহীআর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস
জ়েনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-২
(দু‘আই ‘ইবাদাত)
৩৩৭২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ " . ثُمَّ
قَرَأََ : (وقالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ
يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ ) .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ مَنْصُورٌ وَالأَعْمَشُ
عَنْ ذَرٍّ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ذَرٍّ . هُوَ ذَرُّ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ ثِقَةٌ وَالِدُ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ .
নু‘মান
ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু‘আই হল
‘ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করেন (অনুবাদ): “এবং তোমাদের রব বলেছেন, আমাকে তোমরা
আহ্বান কর, আমি তোমাদের আহ্বানে সাড়া দিব। নিশ্চয় যে সকল লোক আমার ‘ইবাদাত করতে
অহংকার করে (বিরত থাকে), শীঘ্রই তারা ভর্ৎসনার সঙ্গে জাহান্নামে প্রবেশ করবে”-
(সূরা মু’মিন ৬০)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮২৮)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩
(আল্লাহর অসন্তুষ্টি)
৩৩৭৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ
أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللَّهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ
" . قَالَ وَرَوَى وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ هَذَا
الْحَدِيثَ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو الْمَلِيحِ
اسْمُهُ صَبِيحٌ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُهُ وَقَالَ يُقَالُ لَهُ
الْفَارِسِيُّ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে লোক চায় না, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর নাখোশ হন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৭)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪
(জান্নাতের গুপ্তধন)
৩৩৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ
حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ
أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا قَفَلْنَا
أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَكَبَّرَ النَّاسُ تَكْبِيرَةً وَرَفَعُوا بِهَا
أَصْوَاتَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ
رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَصَمَّ وَلَا غَائِبٍ هُوَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رُءُوسِ
رِحَالِكُمْ ثُمَّ قَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَلَا أُعَلِّمُكَ كَنْزًا
مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ
عِيسَى.
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حُمَيْدٍ
أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
আবূ
মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা কোন এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথেই ছিলাম। আমরা যখন ফিরে আসলাম এবং মাদীনার উপকণ্ঠে
উপস্থিত হলাম তখন কিছু লোক উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের পালনকর্তা বধিরও নন এবং
অনুপস্থিতও নন। তিনি তোমাদের মাঝে তোমাদের সৈন্য দলের সাথেই আছেন। তারপর তিনি
বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ক্বাইস আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তঘন শিখিয়ে দিব না?
তা হল “লা- হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৪), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫
যিকিরের ফযীলত প্রসঙ্গে যা
বর্ণিত হয়েছে
৩৩৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، رضى الله عنه أَنَّ
رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ قَدْ كَثُرَتْ
عَلَىَّ فَأَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ أَتَشَبَّثُ بِهِ . قَالَ " لاَ يَزَالُ
لِسَانُكَ رَطْبًا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ্
ইবনু বুস্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ লোক বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার জন্য ইসলামের
শারী‘আতের বিষয়াদি অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটি বিষয় জানান, যা আমি
শক্তভাবে আঁকড়ে থাকতে পারি। তিনি বললেনঃ সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তা‘আলার
যিকিরের দ্বারা সিক্ত থাকে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯৩)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৩৭৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ،
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
سُئِلَ أَىُّ الْعِبَادِ أَفْضَلُ دَرَجَةً عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
قَالَ " الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتُ " .
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمِنَ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ "
لَوْ ضَرَبَ بِسَيْفِهِ فِي الْكُفَّارِ وَالْمُشْرِكِينَ حَتَّى يَنْكَسِرَ
وَيَخْتَضِبَ دَمًا لَكَانَ الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا أَفْضَلَ مِنْهُ
دَرَجَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ دَرَّاجٍ .
আবূ
সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন
করা হল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট বান্দাদের মধ্যে কে মর্যাদায়
সর্বোত্তম হবে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলার অধিক পরিমাণে যিকিরকারীগণ। রাবী বলেনঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আল্লাহ্ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদকারীর চেয়েও অধিক
মর্যাদাশালী? তিনি বললেনঃ যদি কেউ নিজের তলোয়ার দিয়ে কাফির ও মুশরিকদের উপর
এমনভাবে আঘাত হানে যে, তা ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং নিজেও রক্তাক্ত হয়ে
যায়, তবে অধিক পরিমাণে আল্লাহ্ তা‘আলার যিকিরকারী বান্দাগণ মর্যাদায় তার চেয়েও
উত্তম।
যঈফ,তা‘লীকুর রাগীব (২/২২৮), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু দার্রাজের
রিওয়ায়াত হিসেবে তা জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬
(সর্বোত্তম ‘আমাল)
৩৩৭৭
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ زِيَادٍ، مَوْلَى ابْنِ
عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ
أَعْمَالِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ
وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ أَنْ
تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ
" . قَالُوا بَلَى . قَالَ " ذِكْرُ اللَّهِ تَعَالَى "
. فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رضى الله عنه مَا شَيْءٌ أَنْجَى مِنْ عَذَابِ
اللَّهِ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ
هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ مِثْلَ هَذَا بِهَذَا
الإِسْنَادِ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْهُ فَأَرْسَلَهُ .
আবুদ্
দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
আমি তোমাদেরকে কি তোমাদের অধিক উত্তম কাজ প্রসঙ্গে জানাব না, যা তোমাদের মনিবের
নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানের দিক হতে সবচেয়ে উঁচু, স্বর্ণ ও রৌপ্য
দান-খাইরাত করার চেয়েও বেশি ভাল এবং তোমাদের শত্রুর মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদেরকে
তোমাদের সংহার করা ও তোমাদেরকে তাদের সংহার করার চাইতেও ভাল? তারা বললেন, হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলার যিক্র। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার
শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলার যিক্রের তুলনায় অগ্রগণ্য কোন জিনিস
নেই।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯০)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭
যে সকল লোক বসে বসে আল্লাহ
তা‘আলার যিক্র করে তাদের মর্যাদা
৩৩৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّهُ شَهِدَ
عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَا مِنْ قَوْمٍ
يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلاَّ حَفَّتْ بِهِمُ الْمَلاَئِكَةُ وَغَشِيَتْهُمُ
الرَّحْمَةُ وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ
عِنْدَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الأَغَرَّ أَبَا مُسْلِمٍ، قَالَ
أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنهما أَنَّهُمَا
شَهِدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
আবূ
হুরাইরাহ্ ও আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরাইরাহ্ ও আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) প্রত্যেকে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রসঙ্গে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি
বলেছেন : যখনই কোন এক স্থানে কিছু সংখ্যক লোক আল্লাহ তা‘আলার যিক্রে মাশগুল হয়,
তখনই ফেরেশতাগণ তাদের আবৃত করে রাখে, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার রাহমাত ও করুণা ছেয়ে
ফেলে এবং তাদের প্রতি প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাঁর সমীপে
উপস্থিতদের কাছে তাদের আলোচনা করেন।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হা : ৩৭৯১), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৩৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ،
حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَالَ مَا
يُجْلِسُكُمْ قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ قَالَ آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ
إِلاَّ ذَاكَ قَالُوا وَاللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ أَمَا
إِنِّي مَا أَسْتَحْلِفُكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ وَمَا كَانَ أَحَدٌ بِمَنْزِلَتِي
مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَلَّ حَدِيثًا عَنْهُ مِنِّي إِنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى حَلْقَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ
فَقَالَ " مَا يُجْلِسُكُمْ " . قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ
اللَّهَ وَنَحْمَدُهُ لِمَا هَدَانَا لِلإِسْلاَمِ وَمَنَّ عَلَيْنَا بِهِ .
فَقَالَ " آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ " . قَالُوا
آللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ " أَمَا إِنِّي لَمْ
أَسْتَحْلِفْكُمْ لِتُهْمَةٍ لَكُمْ إِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي
أَنَّ اللَّهَ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلاَئِكَةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو
نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى وَأَبُو عُثْمَانَ
النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ .
আবূ
সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) মাসজিদে গেলেন। তিনি (মাসজিদে
কিছুলোক বসা দেখে তাদেরকে) বললেন, তোমাদের কিসে বসিয়ে রেখেছে? তারা বললেন, আমরা
বসে বসে আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করছি। তিনি বললেন, আল্লাহর ক্বসম! তোমাদেরকে আল্লাহ
তা‘আলার যিক্রই কি বসিয়ে রেখেছে? তারা বললেন, আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তা‘আলার যিক্রই
আমাদেরকে বসিয়ে রেখেছে। তিনি বললেন, শোন! তোমাদের মিথ্যা বলার সন্দেহে আমি
তোমাদেরকে শপথ করাইনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমার
চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারীও কেউ নেই। একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর সাথীদের এক দরবারে পৌঁছে বললেনঃ তোমাদেরকে কিসে বসিয়ে রেখেছে? তারা
বলেন, এখানে বসে আমরা আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করছি এবং তাঁর প্রশংসা করছি, কেননা
ইসলামের দিকে তিনিই আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন এবং ইসলামের মাধ্যমে আমাদের প্রতি বিরাট
অনুগ্রহ করেছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এটাই তোমাদেরকে বসিয়ে রেখেছে কি? তারা
বললেন, আল্লাহর শপথ! আমাদেরকে শুধুমাত্র এটাই বসিয়ে রেখেছে। তিনি বললেনঃ তোমাদের
মিথ্যা বলার সন্দেহে আমি তোমাদেরকে ক্বসম দেইনি। জিবরীল (‘আঃ) আমার কাছে এসে আমাকে
জানিয়েছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদের সম্মুখে তোমাদের নিয়ে গর্ব করছেন।
সহীহ : মুসলিম (হাঃ ৮/৭২)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮
যারা মাজলিসে বসে আছে অথচ
আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করে না
৩৩৮০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله
عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا جَلَسَ قَوْمٌ
مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللَّهَ فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ
إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ
لَهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ
رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم وَمَعْنَى قَوْلِهِ تِرَةً يَعْنِي حَسْرَةً وَنَدَامَةً . وَقَالَ بَعْضُ
أَهْلِ الْمَعْرِفَةِ بِالْعَرَبِيَّةِ: التِّرَةُ هُوَ الثَّأْرُ.
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে সমস্ত লোক
কোন দরবারে বসেছে অথচ তারা আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করেনি এবং তাদের নাবীর প্রতি
দরূদও পড়েনি, তারা বিপদগ্রস্ত ও আশাহত হবে। আল্লাহ তা‘আলা চাইলে তাদেরকে শাস্তিও
দিতে পারেন কিংবা মাফও করতে পারেন।
সহীহ : সহীহাহ্ (হাঃ ৭৪)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯
মুসলিম লোকের দু‘আ ক্ববূল হয়
৩৩৮১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ،
قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ
أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ
مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ "
. وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : কোন ব্যক্তি (আল্লাহ তা‘আলার কাছে) কোন কিছু দু‘আ
করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা দান করেন কিংবা তার পরিপ্রেক্ষিতে তার হতে কোন অকল্যান
প্রতিহত করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার বা আত্মীয়তার বন্ধন
ছিন্ন করার জন্য প্রার্থনা না করে।
হাসান : মিশকাত (হা : ২২৩৬)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৩৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ
بْنُ عَطِيَّةَ اللَّيْثِيُّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
سَرَّهُ أَنْ يَسْتَجِيبَ اللَّهُ لَهُ عِنْدَ الشَّدَائِدِ وَالْكُرَبِ
فَلْيُكْثِرِ الدُّعَاءَ فِي الرَّخَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে লোক বিপদাপদ ও সংকটের সময় আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ লাভ করতে চায় সে যেন
সুখ-স্বাচ্ছন্দের সময় বেশি পরিমাণে দু‘আ করে।
হাসান : সহীহাহ্ (হাঃ ৫৯৫)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৩৮৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ
الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ
بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنهما يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " أَفْضَلُ الذِّكْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ الْحَمْدُ لِلَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ
إِبْرَاهِيمَ . وَقَدْ رَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ
مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ هَذَا الْحَدِيثَ .
জাবির
ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ”
অতি উত্তম যিক্র এবং “আলাহামদু লিল্লাহ্” অধিক উত্তম দু‘আ।
হাসান : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮০০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি আমরা শুধু
মূসা ইবনু ইব্রাহীমের সূত্রে অবগত হয়েছি। ‘আলী ইবনুল মাদীনী প্রমুখ মূসা ইবনু ইব্রাহীম
হতে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৩৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ،
عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ وَالْبَهِيُّ اسْمُهُ
عَبْدُ اللَّهِ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাঁর প্রতিটি সময়েই আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করতেন।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩০২), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০
দু‘আকারী নিজের জন্য প্রথমে
দু‘আ করবে
৩৩৮৫
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، عَنْ حَمْزَةَ
الزَّيَّاتِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
كَانَ إِذَا ذَكَرَ أَحَدًا فَدَعَا لَهُ بَدَأَ بِنَفْسِهِ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ وَأَبُو قَطَنٍ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ
الْهَيْثَمِ .
উবাই
ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উল্লেখপূর্বক কারো জন্য দু‘আ করলে প্রথমে তার নিজের জন্য দু‘আ করতেন।
সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ২২৫৮)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১
দু‘আ করার সময় দুই হাত
উত্তোলন
৩৩৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ وَغَيْرُ
وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ عِيسَى الْجُهَنِيُّ، عَنْ حَنْظَلَةَ
بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ لَمْ
يَحُطَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ
الْمُثَنَّى فِي حَدِيثِهِ لَمْ يَرُدَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ عِيسَى . وَقَدْ تَفَرَّدَ بِهِ وَهُوَ قَلِيلُ
الْحَدِيثِ وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ النَّاسُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ
ثِقَةٌ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
উমার
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
দু'আ করার সময় যখন তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, তিনি তা দিয়ে তাঁর মুখমন্ডল মর্দন না করা
পর্যন্ত নামাতেন না।
যঈফ, মিশকাত (২২৪৫), ইরওয়া (৪৩৩), মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় আছেঃ তাঁর
মুখমন্ডলে না মোছা পর্যন্ত হাত দু'খানা তিনি সরিয়ে নিতেন না। আবূ ঈসা বলেনঃ এ
হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হাম্মাদ ইবনু ঈসার সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীস
বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি একাকী। উপরন্তু তিনি অতিঅল্প সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী।
লোকেরা তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হানজালা ইবনু আবূ সুফিয়ান আল-জুমাহী একজন
বিশ্বস্ত রাবী। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২
যে ব্যক্তি দু‘আয় (প্রতিফল
লাভে) তাড়াহুড়া করে
৩৩৮৭
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ
أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ
يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عُبَيْدٍ اسْمُهُ سَعْدٌ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ وَيُقَالُ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ
وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَزْهَرَ هُوَ ابْنُ عَمِّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
عَوْفٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমাদের যে কোন ব্যক্তির দু‘আই ক্ববূল হয়ে থাকে, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে বলতে
থাকে, দু‘আ তো করলাম অথচ আমার দু‘আ ক্ববূল হয়নি।
সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৩৪), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩
সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার দু’আ
৩৩৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، - وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبَانَ بْنِ
عُثْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، رضى الله عنه يَقُولُ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي
صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كُلِّ لَيْلَةٍ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ
يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ
الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَيَضُرُّهُ شَيْءٌ " . وَكَانَ أَبَانُ
قَدْ أَصَابَهُ طَرَفُ فَالَجِ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ
أَبَانُ مَا تَنْظُرُ أَمَا إِنَّ الْحَدِيثَ كَمَا حَدَّثْتُكَ وَلَكِنِّي لَمْ
أَقُلْهُ يَوْمَئِذٍ لِيُمْضِيَ اللَّهُ عَلَىَّ قَدَرَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
উসমান
ইবনু ‘আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন :
প্রতিদিন ভোরে ও প্রতি রাতের সন্ধ্যায় যে কোন বান্দা এ দু‘আটি তিনবার পাঠ করবে কোন
কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না : “বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াযুর্রু মা‘আস্মিহি
শাইয়ূন ফিল আরযি, ওয়ালা ফিস্ সামায়ি ওয়া হুয়াস্ সামীউল ‘আলীম”। (অর্থ : “আল্লাহ
তা‘আলার নামে” যাঁর নামের বারাকাতে আকাশ ও মাটির কোন কিছুই কোন অনিষ্ট করতে পারে
না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।”) আবান (রহঃ)-এর শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত
হয়ে পড়ে। (উক্ত হাদীস রিওয়ায়াতকালে) এক লোক (অধঃস্তন বর্ণনাকারী) তার দিকে তাকাতে
থাকলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কি প্রত্যক্ষ করছো? শোন! আমি তোমার কাছে যে হাদীস
রিওয়ায়াত করেছি তা অবিকল বর্ণনা করেছি। তবে আমি যেদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছি ঐ
দু‘আটি পাঠ করিনি এবং আল্লাহ তা‘আলা ভাগ্যের লিখন আমার উপর কার্যকর করেছেন।
হাসান সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৬৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৩৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، سَعِيدِ
بْنِ الْمَرْزُبَانِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ثَوْبَانَ، رضى الله عنه قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا كَانَ
حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
সাওবান
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সন্ধায় উপনীত হয়ে বলে, 'আল্লাহ তা'আলা আমার রব, ইসলাম আমার
দ্বীন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার রাসূল হওয়ায় আমি
সর্বান্তকরণে পরিতৃপ্ত আছি', তাকে পরিতৃপ্ত করা আল্লাহ তা'আলার করণীয় হয়ে যায়।
যঈফ, নাকদুল কিত্তানী (৩৩/৩৪) আল-কালিমুত-তায়্যিব (২৪), যঈফা (৫০২০), আবূ ঈসা
বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৩৯০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمْسَى قَالَ "
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ أُرَاهُ قَالَ فِيهَا لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ
الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ
اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ اللَّيْلَةِ
وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ وَأَعُوذُ
بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ " . وَإِذَا أَصْبَحَ
قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا " أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ
رَوَاهُ شُعْبَةُ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ لَمْ يَرْفَعْهُ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলতেন : “আমরা রাতে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ তা‘আলার বিশ্বজাহানও রাতে
উপনীত হল। সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই,
তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই”। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা হয় তিনি আরো বলেছেনঃ
“রাজত্ব তাঁরই এবং সকল প্রশংসাও তাঁরই। সর্ববিষয়ে তিনি সর্বশক্তিমান। (হে আল্লাহ)
তোমার নিকট আমি এ রাতের মাঝে নিহিত মঙ্গল এবং এ রাতের পরে নিহিত মঙ্গল কামনা করি।
আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাইছি এ রাতের অমঙ্গল এবং এ রাতের পরে সমস্ত অমঙ্গল হতে।
তোমার কাছে আমি আশ্রয় চাই অলসতা ও বার্ধক্যের অনিষ্ট হতে। আমি তোমার কাছে আরো
আশ্রয় চাই (জাহান্নামের) আগুনের আযাব ও কবরের শাস্তি হতে।” তিনি ভোরে উপনীত হয়েও
একই দু’আ করতেন : “আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ তা‘আলার বিশ্বজাহানও ভোরে
উপনীত হল। সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য......।
সহীহ : মুসলিম (হাঃ ৮/৮২)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৩৯১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا سُهَيْلُ بْنُ
أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُ أَصْحَابَهُ يَقُولُ " إِذَا أَصْبَحَ
أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ
نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ . وَإِذَا أَمْسَى فَلْيَقُلِ
اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ
وَإِلَيْكَ النُّشُورُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাঁর সাহাবীদেরকে শিক্ষা দিয়ে বলতেন : তোমাদের কেউ যখন ভোরে উপনীত হয় তখন সে যেন
বলে, “হে আল্লাহ! তোমার হুকুমে আমরা ভোরে উপনীত হই এবং তোমার নির্দেশেই সন্ধ্যায়
উপনীত হই। তোমার নির্দেশেই আমরা জীবন ধারণ করি এবং তোমার নির্দেশেই মারা যাই।
তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।” আর যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয় তখন যেন বলে : “হে
আল্লাহ! আমরা তোমার হুকুমেই সন্ধ্যায় উপনীত হই, তোমার নির্দেশেই সকালে উপনীত হই,
তোমার নির্দেশেই জীবন ধারণ করি এবং তোমার নির্দেশেই মারা যাই। আবার তোমার কাছেই
পুনরায় জীবিত হয়ে ফিরে যেতে হবে”।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৬৮)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪
(সকালে, সন্ধ্যায় ও শয্যা
গ্রহণকালের দু‘আ)
৩৩৯২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ عَاصِمٍ الثَّقَفِيَّ،
يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا
رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِشَيْءٍ أَقُولُهُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ
قَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ
السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ
إِلاَّ أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ
وَشِرْكِهِ قَالَ قُلْهُ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ
مَضْجَعَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে
এমন কিছুর হুকুম দিন যা আমি সকালে ও বিকেলে উপনীত হয়ে বলতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি
বল, “হে আল্লাহ্! অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাত, আকাশ ও যামীনের সৃষ্টিকর্তা,
প্রতিটি জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক, আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ছাড়া কোন মা‘বূদ
নেই। আমি আমার শরীরের ক্ষতি হতে এবং শাইতানের ক্ষতি ও শির্কি কার্যকালাপ হতে
তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ তুমি এই দু’আ সকালে, বিকেলে ও শয্যা গ্রহণকালে পাঠ করবে।
সহীহ : আল-কালিমুত্ তাইয়্যিব (হাঃ ২২), সহীহাহ্ (হাঃ ২৭৫৩)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫
(সাইয়্যিদুল ইসতিগফার)
৩৩৯৩
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ،
عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ
أَوْسٍ، رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ "
أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى سَيِّدِ الاِسْتِغْفَارِ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ
إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ
مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ وَأَبُوءُ إِلَيْكَ
بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَعْتَرِفُ بِذُنُوبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي إِنَّهُ لاَ
يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . لاَ يَقُولُهَا أَحَدُكُمْ حِينَ يُمْسِي
فَيَأْتِي عَلَيْهِ قَدَرٌ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ
وَلاَ يَقُولُهَا حِينَ يُصْبِحُ فَيَأْتِي عَلَيْهِ قَدَرٌ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ
إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ أَبْزَى وَبُرَيْدَةَ رضى
الله عنهم . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ
أَبِي حَازِمٍ هُوَ ابْنُ أَبِي حَازِمٍ الزَّاهِدِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا
الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ رضى الله عنه
.
শাদ্দাদ
ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ
তোমাকে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দু‘আ) আমি কি বলে
দিব না? তা হল : “হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রভু, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই।
আমাকে তুমিই সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার দাস। যথাসাধ্য তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারে আমি
দৃঢ় থাকব। আমি আমার কার্যকলাপের খারাপ পরিণতি হতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমার
প্রতি তোমার নি‘আমাতের কথা স্বীকার করি। আমি আরও স্বীকার করি আমার গুনাহে্র কথা।
কাজেই আমার গুনাহগুলো তুমি ক্ষমা কর। কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করার আর
কেউ নেই।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ
সন্ধ্যাবেলায় এ কথাগুলো বললে, তারপর ভোর হওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য
জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়। একইভাবে তোমাদের কেউ ভোরবেলায় তা বললে, তারপর সন্ধ্যার
পূর্বেই তার মৃত্যু হলে তার জন্যও জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়।
সহীহ : সহীহাহ্ (হাঃ ১৭৪৭), বুখারী হাদীসটি “আমি কি তোমাকে বলে দিব না” অংশটুকু
ব্যতীত অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬
বিছানাগত হওয়ার সময়কার দু‘আ
৩৩৯৪
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ
الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ لَهُ " أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ تَقُولُهَا إِذَا أَوَيْتَ
إِلَى فِرَاشِكَ فَإِنْ مُتَّ مِنْ لَيْلَتِكَ مُتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ وَإِنْ
أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ وَقَدْ أَصَبْتَ خَيْرًا تَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي
أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي
إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ لاَ
مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي
أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ " . قَالَ الْبَرَاءُ
فَقُلْتُ وَبِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ . قَالَ فَطَعَنَ بِيَدِهِ فِي
صَدْرِي ثُمَّ قَالَ " وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ
وَجْهٍ عَنِ الْبَرَاءِ . وَرَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنْ سَعْدِ
بْنِ عُبَيْدَةَ عَنِ الْبَرَاءِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ
إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ وَأَنْتَ عَلَى وُضُوءٍ .
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ رضى الله عنه .
আল-বারাআ
ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি কি
তোমাকে কিছু দু‘আ শিখিয়ে দিব না যা তুমি বিছানাগত হওয়ার সময় পাঠ করবে? তাহলে ঐ
রাতে তোমার মৃত্যু হলে ফিত্রাতের (ইসলামের) উপরই মৃত্যুবরণ করবে। আর তুমি (জীবিত
থাকলে) ভোরে উপনীত হলে মঙ্গল লাভ করবে। তুমি বল, “হে আল্লাহ! নিজেকে আমি তোমার
কাছে সমর্পণ করলাম, আমি আমার মুখ তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম। আমার সকল বিষয় আমি
তোমার উপর সমর্পণ করলাম, তোমার রাহমাতের আশা ও তোমার শাস্তির ভয় নিয়ে আমার পিঠ
তোমার আশ্রয়ে সমর্পণ করলাম। তোমার হতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার তুমি
ছাড়া আর কোন আশ্রয়স্থল নেই। যে কিতাব তুমি অবতীর্ণ করেছ এবং যে নবী প্রেরণ করেছ
তার উপর আমি ঈমান এনেছি।” আল-বারাআ (রাঃ) বলেন, আমি (বিনাবিয়্যিকা-এর স্থলে)
‘বিরাসূলিকাল্লাযী আরসাল্তা (তুমি যে রাসূল প্রেরণ করেছ) বললাম। সে সময়
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বুকে নিজের হাত দিয়ে খোঁচা
মেরে বললেনঃ ‘ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আর্সাল্তা’ বল।
সহীহ : আল-কালিমুত্ তাইয়্যিব (হাঃ ৪১/২৬), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৩৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ
الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ إِسْحَاقَ
ابْنِ أَخِي، رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، رضى الله عنه أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اضْطَجَعَ أَحَدُكُمْ عَلَى
جَنْبِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ
وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي
إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ أُومِنُ بِكِتَابِكَ
وَبِرُسُلِكَ . فَإِنْ مَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ
حَدِيثِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ رضى الله عنه .
রাফি
ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমাদের কেউ যখন বিছানায় ডান কাতে শুয়ে বলেঃ “হে আল্লাহ! আমি নিজেকে পুরোপুরিভাবে
তোমার নিকট সমর্পণ করলাম, আমার মুখমন্ডল তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমার পিঠ তোমার
আশ্রয়ে সমর্পণ করলাম, আমার সকল বিষয় তোমার উপর ছেড়ে দিলাম, তোমার থেকে আশ্রয় নেয়ার
স্থান তুমি ছাড়া আর কোথাও নেই, আমি তোমার কিতাব ও তোমার রাসূলের উপর ঈমান আনলাম”,
সে ঐ রাতে মারা গেলে জান্নাতে যাবে।
সনদ দুর্বল। “তোমার রাসূলের প্রতি ঈমান আনলাম” হাদীসে বর্ণিত এই অংশটুকু সহীহ
হাদীসের বিরোধী। সহীহ (৩৩৯৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ইবন রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ)-এর
হাদীস হিসাবে উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৩৯৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ
سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَالَ "
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا وَكَمْ
مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُؤْوِيَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন
বিছানাগত হতেন তখন (ঘুমানোর জন্য) বলতেন : “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার যিনি
আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, (সৃষ্টির অনিষ্ট হতে) আমাদের রক্ষা করেছেন
এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন (বিছানায়)। কিন্তু অনেক লোক আছে যাদের কোন রক্ষাকারী
নেই এবং আশ্রয়স্থলও নেই”।
সহীহ : মুসলিম (হাঃ ৮/৭৯)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭
(বিছানাগত হয়ে পড়ার দু'আ)
৩৩৯৭
حَدَّثَنَا صَالِحُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْوَصَّافِيِّ، عَنْ
عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ
إِلَيْهِ . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ غَفَرَ اللَّهُ ذُنُوبَهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ
زَبَدِ الْبَحْرِ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ وَرَقِ الشَّجَرِ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ
رَمْلِ عَالِجٍ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ أَيَّامِ الدُّنْيَا " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الْوَصَّافِيِّ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْوَلِيدِ .
আবূ
সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন
লোক (শোয়ার জন্য) বিছানাগত হয়ে তিনবার বলেঃ “আমি আল্লাহ তা'আলার নিকট মাফের আবেদন
করি, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, এবং তাঁর নিকট তাওবা
করি”, আল্লাহ তা'আলা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির
সমতুল্য হয়ে থাকে, যদিও তা গাছের পাতার মত অসংখ্য হয়, যদিও তা টিলার বালিরাশির
সমান হয়, যদিও তা দুনিয়ার দিনসমূহের সমসংখ্যক হয়।
যঈফ, আল-কালিমুত-তায়্যিব (৩৯), তা'লীকুর রাগীব (১/২১১), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি
হাসান গারীব। আমরা শুধু উবায়দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ আল-ওয়াসসাফীর রিওয়াত হিসেবে
উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৮
বিছানাগত হয়ে পড়ার দু'আ
৩৩৯৮
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ
رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، رضى الله عنهما أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَضَعَ يَدَهُ
تَحْتَ رَأْسِهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ
تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হুযইফাহ
ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমানোর ইচ্ছা
করতেন, সে সময় তিনি নিজের (ডান) হাত মাথার নীচে রেখে বলতেনঃ "হে আল্লাহ!
যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে একত্রিত করবে অথবা পুনজীবিত করবে সেদিন আমাকে তোমার
আযাব হতে হিফাযাতে রেখ।”
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ২৭৫৪), আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৩৭/৩৯)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৩৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، - هُوَ السَّلُولِيُّ عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، رضى الله عنهما
قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَسَّدُ يَمِينَهُ عِنْدَ
الْمَنَامِ ثُمَّ يَقُولُ " رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ
عِبَادَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ . وَرَوَى الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ
عَنِ الْبَرَاءِ لَمْ يَذْكُرْ بَيْنَهُمَا أَحَدًا وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَرَجُلٍ آخَرَ عَنِ الْبَرَاءِ . وَرَوَى
إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ
الْبَرَاءِ وَعَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আল-বারাআ
ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঘুমানোর সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তার ডান হাতের উপর মাথা রাখতেন, তারপর বলতেনঃ “হে আমার প্রভু! যেদিন
তুমি তোমার বান্দাদেরকে উত্থিত করবে, আমাকে সেদিন তোমার শাস্তি হতে নিরাপদে রেখ।’’
সহীহঃ সহীহাহ
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৯
(ঋণমুক্ত হওয়ার দু'আ)
৩৪০০
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا
خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَأْمُرُنَا إِذَا أَخَذَ أَحَدُنَا مَضْجَعَهُ أَنْ يَقُولَ " اللَّهُمَّ
رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَرَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ
وَفَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ
وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ
أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ
شَيْءٌ وَالظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَالْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ
شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এই মর্মে হুকুম করতেন যে, আমাদের কেউ ঘুমানোর জন্য যখন বিছানাগত হয় সে
সময় সে যেন বলে: "হে আল্লাহ! আকাশমণ্ডলীর প্রভু, মাটিসমূহের প্রভু, আমাদের
প্রভু, প্রতিটি বস্তুর প্রভু, শস্যবীজ ও আঁটির অংকুরোদ্গমনকারী এবং তাওরাত, ইনজীল
ও কুরআন অবতীর্ণকারী! আমি প্রত্যেক অনিষ্টকারীর ক্ষতি হতে তোমার কাছে আশ্রয়
প্রার্থনা করি। এগুলো তোমারই আয়ত্তাধীন, তুমিই শুরু, তোমার আগে কিছুই নেই। আর
তুমিই শেষ, তোমার পরে কিছুই নেই। তুমিই প্রকাশিত, তোমার উপরে কিছুই নেই। তুমিই
লুকায়িত, তোমার হতে কিছুই গোপন নয়। সুতরাং তুমি আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে
দাও এবং দরিদ্রতা হতে আমাকে সাবলম্বী করে দাও”।
সহীহঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৪০), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২০
(ঘুমাবার পূর্বে করণীয়)
৩৪০১
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ
سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ عَنْ
فِرَاشِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَلْيَنْفُضْهُ بِصَنِفَةِ إِزَارِهِ ثَلاَثَ
مَرَّاتٍ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ بَعْدَهُ فَإِذَا اضْطَجَعَ
فَلْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ
نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ
عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ . فَإِذَا اسْتَيْقَظَ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ
الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَىَّ رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ
" . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ حَدِيثُ
أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ وَقَالَ
فَلْيَنْفُضْهُ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের
কেউ তার বিছানা হতে উঠার পর আবার বিছানায় প্রত্যাবর্তন করলে সে যেন তার লুঙ্গীর
শেষাংশ দিয়ে বিছানাটি তিনবার পরিষ্কার করে নেয়। কারণ সে জানে না, তার
অনুপস্থিতিতে তাতে কি পতিত হয়েছে (ময়লা বা ক্ষতিকর কিছু)। আর যখন সে শুয়ে পড়ে
সে সময় যেন বলেঃ “হে আমার প্রতিপালক! তোমার নামে আমার পাশ্বদেশ আমি বিছানায়
সোপর্দ করলাম এবং আবার তোমার নামেই তা উঠাব। যদি আমার জান তুমি রেখে দাও (মৃত্যু
দান কর) তবে তার প্রতি দয়া কর, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবে তা সেভাবে প্রতিরক্ষা
কর যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের প্রতিরক্ষা কর"। আর ঘুম হতে
জেগে উঠে সে যেন বলেঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার যিনি আমার দেহকে হিফাযাত করেছেন
এবং আমার জান আবার আমাকে ফেরত দিয়েছেন এবং তাকে স্মরণ করারও অনুমতি (তাওকীক) দান
করেছেন”।
হাসানঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৩৪), বুখারী ও মুসলিম “আর ঘুম থেকে জেগে” অংশ
বাদে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-২১
যে লোক শয়নকালে কুরআনের
কিছু অংশ পাঠ করে
৩৪০২
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ
فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا : ( قلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) وَ : ( قلْ
أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ) وَ : ( قلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ) ثُمَّ
يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ
وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাতে যখন
বিছানায় যেতেন, সে সময় “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ”, “কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক"
ও "কুল আউযু বিরব্বিন নাস" (সূরা তিনটি) পাঠ করে নিজের উভয় হাতের তালু
একসাথে করে তাতে ফুঁ দিতেন, তারপর উভয় হাত যথাসম্ভব সারা শরীরে মলতেন। তিনি মাথা,
চেহারা ও দেহের সম্মুখের অংশ হতে আরম্ভ করতেন। তিনি তিনবার এরূপ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২২
অনুরূপ প্রসঙ্গ
৩৪০৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، رضى الله عنه أَنَّهُ
أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي
شَيْئًا أَقُولُهُ إِذَا أَوَيْتُ إِلَى فِرَاشِي قَالَ " اقْرَأْْ : (
قلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ "
. قَالَ شُعْبَةُ أَحْيَانًا يَقُولُ مَرَّةً وَأَحْيَانًا لاَ يَقُولُهَا .
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ حِزَامٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ
إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ،
أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ
وَهَذَا أَصَحُّ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ
فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ
وَهَذَا أَشْبَهُ وَأَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ . وَقَدِ اضْطَرَبَ أَصْحَابُ
أَبِي إِسْحَاقَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ قَدْ رَوَاهُ عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ أَخُو فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ .
ফরওয়াহ
ইবনু নাওফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে
বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন, যা আমি বিছানাগত হওয়াকালে
বলতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি "কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন" সূরাটি
তিলাওয়াত কর। কারণ তা শিরক হতে মুক্তির ঘোষণা।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ১/২০৯)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪০৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ
بْنُ يُونُسَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي
الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ بِتَنْزِيلَ السَّجْدَةِ وَبِتَبَارَكَ .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ
عَنْ لَيْثٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم نَحْوَهُ . وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ
قَالَ قُلْتُ لَهُ سَمِعْتَهُ مِنْ جَابِرٍ قَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ جَابِرٍ
إِنَّمَا سَمِعْتُهُ مِنْ صَفْوَانَ أَوِ ابْنِ صَفْوَانَ . وَرَوَى شَبَابَةُ
عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ نَحْوَ حَدِيثِ
لَيْثٍ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা
তানযীলুস সাজদা ও তাবারাকা (আল-মুলক) না পাঠ করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ২১৫৫), সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ৫৮৫), রাওযুন নাযীর (হাঃ ২২৭)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪০৫
حَدَّثَنَا صَالِحُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ،
قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ
يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ وَبَنِي إِسْرَائِيلَ . أَخْبَرَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ أَبُو لُبَابَةَ هَذَا اسْمُهُ مَرْوَانُ
مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ وَسَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ سَمِعَ مِنْهُ
حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ .
আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয-যুমার ও বানী
ইসরাঈল সূরাগুলো পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
সহীহঃ ২৯২০ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু ঈসা বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী) বলেছেন,
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদের মুক্তদাস মারওয়ান (রহঃ) শুনেছেন এবং
আবু লুবাবাহ-এর নাম হল মারওয়ান তার নিকট হতে হাম্মাদ ইবনু যাইদ শুনেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪০৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ،
عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بِلاَلٍ، عَنِ
الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، رضى الله عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الْمُسَبِّحَاتِ وَيَقُولُ "
فِيهَا آيَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
.
আল-ইরবায
ইবনু সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসাব্বিহাত
সূরাগুলো পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। তিনি বলতেনঃ এমন একটি আয়াত তাতে আছে যা
হাজার আয়াত হতেও শ্রেষ্ঠ।
হাসানঃ ২৯২১ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৩
কাজে অবিচল থাকার প্রার্থনা
৩৪০৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ
بَنِي حَنْظَلَةَ قَالَ صَحِبْتُ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ رضى الله عنه فِي سَفَرٍ
فَقَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا
أَنْ نَقُولَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ
عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ
وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا
تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ
إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَأْخُذُ مَضْجَعَهُ يَقْرَأُ
سُورَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلاَّ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ مَلَكًا فَلاَ
يَقْرَبُهُ شَيْءٌ يُؤْذِيهِ حَتَّى يَهُبَّ مَتَى هَبَّ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْجُرَيْرِيُّ
هُوَ سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ أَبُو مَسْعُودٍ الْجُرَيْرِيُّ وَأَبُو الْعَلاَءِ
اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ .
বানী
হানযালার কোন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি এক সফরে শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ)-এর সাথী
হলাম। তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেব না যা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলতে শিখাতেন? “হে আল্লাহ! আমি তোমার
নিকট প্রার্থনা করি কাজে অবিচলতা, সৎপথে দৃঢ়তা, তোমার দেয়া নিয়ামাতের কৃতজ্ঞতা ও
নিষ্ঠার সাথে তোমার ইবাদাত করার যোগ্যতা। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি
সত্যবাদী জিহ্বা ও বিশুদ্ধ অন্তর। আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার জানা সকল মন্দ
হতে এবং কামনা করি তোমার জানা সকল কল্যাণ। আমি ক্ষমা চাই তোমার জানা সর্বপ্রকারের
অপকর্ম হতে। অবশ্যই তুমি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞাত।”
যঈফ, মিশকাত (৯৫৫), আল-কালিমুত তায়্যিব (১০৪/৬৫)
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলতেনঃ কোন মুসলিম
ব্যক্তি বিছানাগত হওয়ার সময় আল্লাহ তা'আলার কিতাবের একটি সূরা পাঠ করলে আল্লাহ
তা'আলা তার নিরাপত্তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। ফলে তার ঘুমভঙ্গ হওয়া
পর্যন্ত কোন ক্ষতিকর জিনিস তার নিকট পৌঁছাতে পারবে না।
যঈফ, মিশকাত (২৪০৫), তা'লীকুল রাগীব (১/২১০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি আমরা শুধু উক্ত সনদসূত্রে জেনেছি। জুরাইরীর নাম সাঈদ ইবনু
ইয়াস আবূ মাসউদ আল-জুরাইরী। আবুল আ'লার নাম ইয়াযীদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনুশ শিখখীর।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
অনুচ্ছেদ-২৪
শোয়ার সময় তাসবীহ, তাকবীর
ও তাহমীদ পাঠ করা প্রসঙ্গে
৩৪০৮
حَدَّثَنَا أَبُو
الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ،
عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله
عنه قَالَ شَكَتْ إِلَىَّ فَاطِمَةُ مَجَلَ يَدَيْهَا مِنَ الطَّحِينِ فَقُلْتُ
لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا فَقَالَ " أَلاَ
أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنَ الْخَادِمِ إِذَا أَخَذْتُمَا
مَضْجَعَكُمَا تَقُولاَنِ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَأَرْبَعًا
وَثَلاَثِينَ مِنْ تَحْمِيدٍ وَتَسْبِيحٍ وَتَكْبِيرٍ " . وَفِي
الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ
حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ
عَلِيٍّ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছে ফাতিমাহ (রাঃ) অভিযোগ করে যে, গম
পেষার চাকতি ঘুরানোর ফলে তার প্রত্যেক হাতে ফোস্কা পড়ে গেছে। আমি বললাম, তুমি
তোমার বাবার (রাসূলুল্লাহর) কাছে গিয়ে যদি তাঁর নিকট একটি খাদিম প্রদানের আবেদন
করতে। (ফাতিমাহ আবেদন জানানোর পর) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ আমি তোমাদের দু’জনকে এমন জিনিস কি বলে দিব না যা তোমাদের জন্য দাসের চেয়ে
ভাল? তোমরা শয়নকালে ৩৩ বার "আলহামদু লিল্লাহ", ৩৩ বার
সুবহানাল্লাহ" এবং ৩৪ বার "আল্লাহু আকবার" বলবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। হাদীসে আরও ঘটনা আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪০৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ
مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ
إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَشْكُو مَجَلاً بِيَدَيْهَا فَأَمَرَهَا
بِالتَّسْبِيحِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّحْمِيدِ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে
এসে ফাতিমাহ্ (রাঃ) তার দু’হাতে ফোস্কা পড়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন। তাকে
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আল্লাহু আকবার’
ও ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পাঠ করার হুকুম দেন।
সহীহঃ যঈফ আদাবুল মুফরাদ (হাঃ১০০/৬৩৫), বুখারী ও মুসলমি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৫
(দু'টি অভ্যাস জান্নাতে
যাবার উপায়)
৩৪১০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ
السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، رضى الله عنهما
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَلَّتَانِ لاَ
يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ أَلاَ وَهُمَا يَسِيرٌ
وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ
عَشْرًا وَيَحْمَدُهُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُهُ عَشْرًا " . قَالَ فَأَنَا
رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالَ "
فَتِلْكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي
الْمِيزَانِ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ تُسَبِّحُهُ وَتُكَبِّرُهُ وَتَحْمَدُهُ
مِائَةً فَتِلْكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَأَيُّكُمْ
يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سَيِّئَةٍ
" . قَالُوا وَكَيْفَ لاَ يُحْصِيهَا قَالَ " يَأْتِي أَحَدَكُمُ
الشَّيْطَانُ وَهُوَ فِي صَلاَتِهِ فَيَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا .
حَتَّى يَنْفَتِلَ فَلَعَلَّهُ أَنْ لاَ يَفْعَلَ وَيَأْتِيهِ وَهُوَ فِي
مَضْجَعِهِ فَلاَ يَزَالُ يُنَوِّمُهُ حَتَّى يَنَامَ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ عَطَاءِ
بْنِ السَّائِبِ هَذَا الْحَدِيثَ . وَرَوَى الأَعْمَشُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ
عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ مُخْتَصَرًا . وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ
وَأَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهم .
‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন মুসলমান ব্যক্তি দুইটি অভ্যাসে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হতে পারলে সে নিশ্চয়
জান্নাতে প্রবেশ করবে। জেনে রাখ! উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আয়ত্ত করা সহজ। সে অনুসারে
অনেক অল্প সংখ্যক ব্যক্তিই তা ‘আমল করে থাকে। (এক) প্রতি ওয়াক্তের (ফরয) নামাযের
পর দশবার ‘সুবহানাল্লাহ’, দশবার ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ ও দশবার ‘আল্লাহু আক্বার’
বলবে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
আমি নামাযের পর স্বীয় হস্তে গণনা করতে দেখেছি। তারপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (পাঁচ ওয়াক্তে) মুখের উচ্চারণে একশত পঞ্চাশবার এবং
মীযানে (দাঁড়িপাল্লায়) দেড় হাজার হবে। (দুই) আর (ঘুমাতে) শয্যা গ্রহণকালে তুমি
‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আল্লাহু আক্বার’ ও ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ একশত বার বলবে, ফলে তা
মীযানে এক হাজারে রুপান্তর হবে। তোমাদের মাঝে কে এক দিন ও এক রাতে দু্ই হাজার
পাঁচশত গুনাহে লিপ্ত হয়? (অর্থাৎ এতগুলো পাপও ক্ষমাযোগ্য হবে)। সাহাবীগণ বলেন, কোন
ব্যক্তি সব সময় এরুপ একটি ‘ইবাদাত কেন করবে না! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ নামাযে অবস্থানরত থাকাকালে তার কাছে শাইতান এসে
বলতে থাকে, এটা মনে কর ওটা মনে কর। ফলে সেই নামাযী (শাইতানের ধোঁকাবাজির মাঝেই রত
থাকা অবস্থায়) নামায় শেষ করে। আর উক্ত তাস্বীহ ‘আমল করার সে সুযোগ পায় না। পুনরায়
তোমাদের কেউ শোয়ার জন্য শয্যা গ্রহণ করলে শাইতান তার নিকট এসে তাকে ঘুম পাড়ায় এবং
সে তাসবীহ না পাঠ করেই ঘুমিয়ে পড়ে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৯২৬)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ عَمْرٍو، رضى الله عنهما قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَعْقِدُ التَّسْبِيحَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ
حَدِيثِ الأَعْمَشِ .
আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে আমি গুনে গুনে তাসবীহ পাঠ করতে দেখেছি।
সহীহঃ প্রাগুক্ত
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ الأَحْمَسِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ
بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ الْحَكَمِ
بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ
عُجْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مُعَقِّبَاتٌ لاَ
يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا
وَثَلاَثِينَ وَيَحْمَدُهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُكَبِّرُهُ أَرْبَعًا
وَثَلاَثِينَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَعَمْرُو
بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ ثِقَةٌ حَافِظٌ . وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ
عَنِ الْحَكَمِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَرَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ
عَنِ الْحَكَمِ وَرَفَعَهُ .
কা’ব
ইবনু ‘উজরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নামাযের
পরে তিলাওয়াত করার মত এমন কিছু বিষয় আছে যে, যার তিলাওয়াতকারী কখনো বঞ্চিত হয় না।
প্রতি ওয়াক্তের নামাযের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ এবং
৩৪ বার ‘আল্লাহু আক্বার’ পাঠ করবে।
সহীহঃ সহীহাহ্ (হাঃ ১০২), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪১৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ،
رضى الله عنه قَالَ أُمِرْنَا أَنْ نُسَبِّحَ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا
وَثَلاَثِينَ وَنَحْمَدَهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَنُكَبِّرَهُ أَرْبَعًا
وَثَلاَثِينَ . قَالَ فَرَأَى رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ
أَمَرَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُسَبِّحُوا فِي دُبُرِ كُلِّ
صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدُوا اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ
وَتُكَبِّرُوا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَاجْعَلُوا خَمْسًا
وَعِشْرِينَ وَاجْعَلُوا التَّهْلِيلَ مَعَهُنَّ فَغَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم فَحَدَّثَهُ فَقَالَ " افْعَلُوا " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
যাইদ
ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক নামাযের পরে ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’,
৩৩ বার ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ ও ৩৪ বার ‘আল্লাহু আক্বার’ পাঠ করতে আদিষ্ট হলাম। এক
আনসারী ব্যক্তি স্বপ্নে দেখতে পেলেন যে, কোন এক ব্যক্তি তাকে বলছে তোমাদেরকে
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি প্রতি নামাযের পরে ৩৩ বার
তাসবীহ, ৩৩ বার তাহমীদ ও ৩৪ বার তাকবীর পাঠ করতে আদেশ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
তখন তিনি বললেন, এগুলো তোমরা ২৫ বার করে পাঠ কর। আর তার সাথে ২৫ বার তাহলীল অর্থাৎ
‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ কর। লোকটি সকাল বেলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)–এর কছে গিয়ে তা বর্ণনা করল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেন, আচ্ছা তাই কর।
সহীহঃ ইবনু খুযাইমাহ্ (৭৫২)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৬
রাতে ঘুম ভাঙ্গার সময় পাঠ
করার দু’আ
৩৪১৪
حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ
هَانِئٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، حَدَّثَنِي عُبَادَةُ
بْنُ الصَّامِتِ، رضى الله عنه عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ
لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ
قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ
رَبِّ اغْفِرْ لِي أَوْ قَالَ ثُمَّ دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ عَزَمَ
فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
'উবাদাহ্
ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
রাতে জাগ্রত হয়ে যে লোক বলে, "আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই, তিনি এক,
তাঁর কোন শারীক নেই, সার্বভৌমত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য এবং সমস্ত কিছুর উপর
তিনি সর্বশক্তিমান। আল্লাহ তা’আলা সম্পূর্ণ পবিত্র, আল্লাহ তা'আলাই সকল প্রশংসার
অধিকারী। আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ আ'আলা সুমহান। আল্লাহ তা'আলার
অনুগ্রহ ছাড়া অন্যায় হতে বিরত থাকার কিংবা ন্যায় কাজ করার শক্তি কারো নেই।"
অতঃপর সে বলবে, "হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও।" কিংবা তিনি বলেছেনঃ সে
দু'আ করলে তা ক্ববূল করা হয়। আর যদি সে সাহস করে উযূ করে নামায় আদায় করে তবে তার
নামাযও ক্ববূল করা হয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৭৮)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪১৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ كَانَ عُمَيْرُ بْنُ
هَانِئٍ يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ أَلْفَ سَجْدَةٍ وَيُسَبِّحُ مِائَةَ أَلْفِ تَسْبِيحَةٍ
.
মাসলামা
ইবনু আমর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উমাইর ইবনু হাণী প্রত্যেকদিন এক হাজার রাক'আত
নামায আদায় করতেন এবং এক লক্ষবার তাসবীহ পাঠ করতেন।
সনদ দুর্বল, বিচ্ছিন্ন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৭
(রাত্রিকালে রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর 'আমাল)
৩৪১৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ،
وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ قَالُوا
حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ
أَبِي سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ كَعْبٍ الأَسْلَمِيُّ، قَالَ كُنْتُ
أَبِيتُ عِنْدَ بَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأُعْطِيهِ وَضُوءَهُ
فَأَسْمَعُهُ الْهَوِيَّ مِنَ اللَّيْلِ يَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ
حَمِدَهُ " . وَأَسْمَعُهُ الْهَوِيَّ مِنَ اللَّيْلِ يَقُولُ "
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
রাবী'আহ্
ইবনু কা'ব আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরের দ্বারদেশে
আমি রাত যাপন করতাম এবং তার উযূর পানি সরবরাহ করতাম। রাতে আমি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে
বলতে শুনতাম, সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ (যে আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা করে, তিনি তা
শুনেন)। আমি আরো শুনতে পেলাম যে, দীর্ঘ রাত পর্যন্ত তিনি আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল
আলামীন (সকল প্রশংসা জগতসমুহের প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলারই) বলছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৭৯), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৮
(শয়ন করার দু'আ)
৩৪১৭
حَدَّثَنَا عُمَرُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، رضى
الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ
يَنَامَ قَالَ " اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا " .
وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَا نَفْسِي
بَعْدَ مَا أَمَاتَهَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হুযাইফা্হ
ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিদ্রা
যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বলতেন : "হে আল্লাহ! আমি তোমার নামেই মৃত্যুবরণ করি ও
জীবন লাভ করি"। তিনি ঘুম হতে উঠে বলতেন : "সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ
তা'আলার, যিনি মৃত্যুদানের পর আমার এ দেহকে পুনরায় জীবিত করেছেন এবং তাঁর নিকটই
ফিরে যেতে হবে"।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮০), বুখারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৯
রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায
আদায় করতে উঠে যে দু'আ পাঠ করবে
৩৪১৮
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي
الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ
مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ يَقُولُ " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ
السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ
وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ
حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ
آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ
حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا
أَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবদুল্লাহ
ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন
মাঝরাতে বা গভীর রাতে (তাহাজ্জুদের) নামাযে দাঁড়াতেন সে সময় বলতেনঃ " হে
প্রভু ! সকল প্রশংসা তোমার জন্য, তুমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর আলো এবং সকল প্রশংসার
অধিকারী তুমিই। তুমিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছ। সকল প্রশংসা তোমার। তুমি
আকাশমণ্ডলী, দুনিয়া এবং উভয়ের মাঝখানের সমস্ত কিছুর প্রতিপালক, তুমি সত্য, তোমার
প্রতিশ্রুতি সত্য, (আখিরাতে) তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম
সত্য এবং ক্বিয়ামাত (সংঘটিত হওয়ার প্রসঙ্গটি) সত্য। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি
আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপর ঈমান এনেছি, তোমার উপর তাওয়াককুল (নির্ভর) করেছি,
তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, তোমার জন্যই যুদ্ধ করি এবং তোমাকে বিচারক মানি।
সুতরাং আমার পূর্বের-পরের এবং লুকায়িত ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ তুমি ক্ষমা করে দাও।
তুমিই আমাদের মা'বূদ, তুমি ছাড়া আর কোন মা'বূদ নেই"।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৩৫৫), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩০
রাতে নামায শেষে পাঠ করার
দু'আ
৩৪১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ
أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ دَاوُدَ
بْنِ عَلِيٍّ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
جَدِّهِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ لَيْلَةً حِينَ فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ " اللَّهُمَّ إِنِّي
أَسْأَلُكَ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِكَ تَهْدِي بِهَا قَلْبِي وَتَجْمَعُ بِهَا
أَمْرِي وَتَلُمُّ بِهَا شَعَثِي وَتُصْلِحُ بِهَا غَائِبِي وَتَرْفَعُ بِهَا
شَاهِدِي وَتُزَكِّي بِهَا عَمَلِي وَتُلْهِمُنِي بِهَا رَشَدِي وَتَرُدُّ بِهَا
أُلْفَتِي وَتَعْصِمُنِي بِهَا مِنْ كُلِّ سُوءٍ اللَّهُمَّ أَعْطِنِي إِيمَانًا
وَيَقِينًا لَيْسَ بَعْدَهُ كُفْرٌ وَرَحْمَةً أَنَالُ بِهَا شَرَفَ كَرَامَتِكَ
فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْفَوْزَ فِي
الْعَطَاءِ وَيُرْوَى فِي الْقَضَاءِ وَنُزُلَ الشُّهَدَاءِ وَعَيْشَ السُّعَدَاءِ
وَالنَّصْرَ عَلَى الأَعْدَاءِ اللَّهُمَّ إِنِّي أُنْزِلُ بِكَ حَاجَتِي وَإِنْ
قَصَّرَ رَأْيِي وَضَعُفَ عَمَلِي افْتَقَرْتُ إِلَى رَحْمَتِكَ فَأَسْأَلُكَ يَا
قَاضِيَ الأُمُورِ وَيَا شَافِيَ الصُّدُورِ كَمَا تُجِيرُ بَيْنَ الْبُحُورِ أَنْ
تُجِيرَنِي مِنْ عَذَابِ السَّعِيرِ وَمِنْ دَعْوَةِ الثُّبُورِ وَمِنْ فِتْنَةِ
الْقُبُورِ اللَّهُمَّ مَا قَصَّرَ عَنْهُ رَأْيِي وَلَمْ تَبْلُغْهُ نِيَّتِي
وَلَمْ تَبْلُغْهُ مَسْأَلَتِي مِنْ خَيْرٍ وَعَدْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ
خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيهِ أَحَدًا مِنْ عِبَادِكَ فَإِنِّي أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيهِ
وَأَسْأَلُكَهُ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ ذَا الْحَبْلِ
الشَّدِيدِ وَالأَمْرِ الرَّشِيدِ أَسْأَلُكَ الأَمْنَ يَوْمَ الْوَعِيدِ
وَالْجَنَّةَ يَوْمَ الْخُلُودِ مَعَ الْمُقَرَّبِينَ الشُّهُودِ الرُّكَّعِ
السُّجُودِ الْمُوفِينَ بِالْعُهُودِ إِنَّكَ رَحِيمٌ وَدُودٌ وَأَنْتَ تَفْعَلُ
مَا تُرِيدُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا هَادِينَ مُهْتَدِينَ غَيْرَ ضَالِّينَ وَلاَ
مُضِلِّينَ سِلْمًا لأَوْلِيَائِكَ وَعَدُوًّا لأَعْدَائِكَ نُحِبُّ بِحُبِّكَ
مَنْ أَحَبَّكَ وَنُعَادِي بِعَدَاوَتِكَ مَنْ خَالَفَكَ اللَّهُمَّ هَذَا
الدُّعَاءُ وَعَلَيْكَ الاِسْتِجَابَةُ وَهَذَا الْجَهْدُ وَعَلَيْكَ التُّكْلاَنُ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُورًا فِي قَبْرِي وَنُورًا فِي قَلْبِي وَنُورًا مِنْ
بَيْنِ يَدَىَّ وَنُورًا مِنْ خَلْفِي وَنُورًا عَنْ يَمِينِي وَنُورًا عَنْ
شِمَالِي وَنُورًا مِنْ فَوْقِي وَنُورًا مِنْ تَحْتِي وَنُورًا فِي سَمْعِي
وَنُورًا فِي بَصَرِي وَنُورًا فِي شَعْرِي وَنُورًا فِي بَشَرِي وَنُورًا فِي
لَحْمِي وَنُورًا فِي دَمِي وَنُورًا فِي عِظَامِي اللَّهُمَّ أَعْظِمْ لِي نُورًا
وَأَعْطِنِي نُورًا وَاجْعَلْ لِي نُورًا سُبْحَانَ الَّذِي تَعَطَّفَ الْعِزَّ
وَقَالَ بِهِ سُبْحَانَ الَّذِي لَبِسَ الْمَجْدَ وَتَكَرَّمَ بِهِ سُبْحَانَ
الَّذِي لاَ يَنْبَغِي التَّسْبِيحُ إِلاَّ لَهُ سُبْحَانَ ذِي الْفَضْلِ
وَالنِّعَمِ سُبْحَانَ ذِي الْمَجْدِ وَالْكَرَمِ سُبْحَانَ ذِي الْجَلاَلِ
وَالإِكْرَامِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ
كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضَ هَذَا
الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْهُ بِطُولِهِ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায শেষে বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার
নিকট হতে রাহমাত ও দয়া আশা করি, এর দ্বারা তুমি আমার মনকে হিদায়াত দান কর, আমার
সকল কাজ গুছিয়ে দাও, আমার অগোছাল অবস্থাকে সুশৃঙ্খল করে দাও, আমার অজানা কাজকে
সংশোধন করে দাও, আমার উপস্থিতিকে উন্নত কর, আমার কাজকর্ম পরিচ্ছন্ন করে দাও,
সরল-সঠিক পথ আমাকে শিখিয়ে দাও, তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে বাড়িয়ে দাও এবং
প্রত্যেক প্রকারের খারাপ হতে আমাকে নির্বিঘ্ন রাখ। হে আল্লাহ! আমাকে ঈমান ও দৃঢ়
প্রত্যয় দান কর, যার পরে আর যেন কুফরী অবশিষ্ট না থাকে। আর তুমি আমাকে রাহমাত দান
কর যার দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতে আমি তোমার মহান করুণার অধিকারী হতে পারি। হে
আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দানের ব্যাপারে সাফল্য চাই, আরো আশা করি শহীদদের মত আতিথেয়তা,
সৌভাগ্যবানদের জীবন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য। হে আল্লাহ! আমি আমার প্রয়োজন
তোমার নিকটেই পেশ করলাম। আমার বুদ্ধিমত্তা অক্ষম ও ত্রুটিপূর্ণ এবং আমার
কর্মতৎপরতা দুর্বল হওয়ায় আমি তোমার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী। অতএব আমি তোমার নিকটে
আশা করি, হে সকল কাজকর্ম ফায়সালাকারী, বক্ষসমূহের আরোগ্যকারী! আমাকে জাহান্নামের
শাস্তি হতে এমনভাবে দূরে সরিয়ে রাখ যেমন তুমি দুই সমুদ্রের মিলনকে প্রতিরোধ করে
রাখ। তুমি আমাকে ধ্বংসকারী আহ্বান হতে ও কবরের সংকট হতে বিপদমুক্ত রাখ। হে আল্লাহ!
আমার ধারণায় যে কল্যাণের কথা আসেনি, আমার ইচ্ছায় ও প্রার্থনা যে পর্যন্ত পৌঁছাতে
পারেনি, যে কল্যাণ তুমি তোমার কোন সৃষ্টিকে দান করার শপথ করেছ অথবা তোমার কোন
বান্দাকে যে কল্যাণ তুমি দান করবে, হে বিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণকারী! তোমার দয়ার
উসীলায় আমি সেই কল্যাণ আশা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট মহাভীতির (কিয়ামতের)
দিন নিরাপত্তা আশা করি এবং রুকূ-সিজদাকারী, তোমার নৈকট্য লাভকারী ও তোমার সাথে কৃত
ওয়াদা পূর্ণকারী বান্দাদের সাথে চিরস্থায়ী জান্নাতে যাওয়ার ইচ্ছা করি। নিশ্চয় তুমি
অধিক দয়ালু ও অনুগ্রহপরায়ণ বন্ধু। তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার। হে আল্লাহ! তুমি
আমাদেরকে হিদায়াতকারীদের ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা বিপথগামীও নয়
এবং বিপথগামীকারীও নয়, যারা তোমার প্রিয় বান্দাদের সাথে শান্তি স্থাপনকারী এবং
তোমার শত্রুদের সাথে শত্রুতা পোষণকারী। যে তোমায় ভালোবাসে আমরা তোমার মুহাব্বাতে
তাকে ভালোবাসি এবং শত্রুতা বশতঃ যে তোমার বিরোধিতা করে, আমরা তার সাথে শত্রুতা
রাখি। হে আল্লাহ! এই আমার আরযি এবং এটা ক্ববূল করা তোমার ইচ্ছাধীন। এই আমার
প্রচেষ্টা এবং তোমার উপরই আমার আস্থা। হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে একটি নূর ঢেলে
দাও। আমার কবরে নূর দাও, আমার সম্মুখে নূর, আমার পেছনে নূর, আমার ডানে নূর, আমার
বামে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে
(দৃষ্টিশক্তিতে) নূর, আমার পশমে নূর, আমার চামড়ায় নূর, আমার গোশতে নূর, আমার রক্তে
নূর এবং আমার হাড়ে নূর দান কর। হে আল্লাহ! আমার নূরকে বৃদ্ধি কর, আমাকে নূর দান কর
এবং আমার জন্য স্থায়ী নূরের ব্যবস্থা কর। তিনিই (আল্লাহ) পবিত্র যিনি সম্মান ও
মহত্বের চাদরে আবৃত এবং নিজের জন্য তাকে বিশিষ্ট করে নিয়েছেন। তিনি পবিত্র, যিনি
সম্মানের পোশাক পরিহিত এবং মর্যাদার দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। তিনিই পবিত্র, যিনি
সমস্ত দানের ও নিয়ামাতের অধিকারী, যিনি সুমহান ও মর্যাদাবান। পবিত্র তিনি যিনি
মহিমাময় ও মহাবুভব”।
সনদ দুর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। ইবনু আবূ লাইলার রিওয়ায়াত হিসেবে আমরা
শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস এরকম জেনেছি। শুবা ও সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) সালামা ইবনু
কুহাইল হতে, তিনি কুরাইব হতে, তিনি ইবনু আব্বাস হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উক্ত হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন এবং এত
দীর্ঘাকারে বর্ণনা করেননি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩১
রাতের তাহাজ্জুদ নামায আরম্ভ
করার দু’আ
৩৪২০
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ مُوسَى، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ،
حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ،
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ رضى الله عنها بِأَىِّ
شَيْءٍ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ
مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ
فَقَالَ " اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ
فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَعَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ
بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ
فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ
مُسْتَقِيمٍ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ
সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ)- কে আমি প্রশ্ন করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে যখন (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করতে দন্ডায়মান হতেন তখন
কিসের মাধ্যমে নামায শুরু করতেন (তাকবীরে তাহরীমার পর এবং ফাতিহার আগে কি পাঠ
করতেন)? তিনি বলেন, তিনি রাতে (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করতে দাঁড়িয়ে তা আরম্ভ করে
বলতেনঃ “হে জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা ,
প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য জ্ঞাতা! তোমার বান্দাদের মধ্যে তুমিই মীমাংসাকারী যে
ব্যাপারে তারা মতবিরোধ করছে। সত্যের ব্যাপারে যে মতবিরোধ করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে
তুমি তোমার আদেশবলে আমাকে সঠিক পথের হিদায়াত দান কর, তুমিই যাকে ইচ্ছা তাকে
হিদায়াত দান করে থাক”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৩৫৭), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩২
(রাতের নামাযের বিশেষ দু’আ)
৩৪২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ
الْمَاجِشُونَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ
" وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا
وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي
لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ
الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ
رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي
ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي
لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي
سَيِّئَهَا إِنَّهُ لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ آمَنْتُ بِكَ
تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " .
فَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ
أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي "
. فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ " اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ
مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرَضِينَ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ
مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ
سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ
فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ
الْخَالِقِينَ " . ثُمَّ يَكُونُ آخِرَ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ
وَالسَّلاَمِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ
وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ
الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাযে
দাঁড়াতেন, তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার চেহারা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম
যিনি আকাশমন্ডলী ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা
আন’আম ৭৯)। “আমার নামায, আমার ইবাদাত (কুরবানী ও হাজ্জ), আমার প্রান ও আমার মৃত্যু
জগতসমূহের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার জন্যই। তাঁর কোন শরীক নেই এবং এ (ঘোষণা দেয়ার)
জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি। আমি মুসলমানদের দলভুক্ত”-(সূরা আন’আম ১৬২-৬৩)। হে আল্লাহ!
তুমি রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তুমিই আমার প্রতিপালক এবং আমি তোমার
দাস। আমার নিজের উপর আমি অত্যাচার করেছি, আমার অপরাধ আমি স্বীকার করছি। অতএব তুমি
আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অপরাধ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি
আমাকে ভালো চরিত্রের পথনির্দেশ কর। তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সবচেয়ে ভাল চরিত্রের দিকে
পথনির্দেশ করতে পারেনা। তুমি আমার হতে মন্দ চরিত্র দূর করে দাও। তুমি ছাড়া অন্য
কেউ আমার হতে তা দূর করতে পারে না। তোমার উপর আমি ঈমান এনেছি। তুমি কল্যাণময়,
সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি”। তারপর যখন
রুকূ‘ দিতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান
আনলাম এবং তোমার খুশির জন্যই আত্মসমর্পণ করলাম। আমার কান, আমার চোখ, আমার
মস্তিষ্ক, আমার হাঁড় এবং আমার স্নায়ু তোমার জন্যই ঝুঁকে পড়েছে”। তিনি রুকূ‘ হতে
মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমার প্রভু! আকাশ্মন্ডলী ও সম্পূর্ণ জগৎসমুহ এবং
উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে , সমস্ত কিছু পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা এবং তুমি যা
আকাঙ্ক্ষা কর সেটাও পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা”। তিনি সাজদাহতে বলতেনঃ “হে আল্লাহ!
আমি তোমার জন্যই সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার জন্যই ইসলাম ক্ববূল
করলাম। আমার মুখমন্ডল তাঁর জন্য সাজদাহ্ করল। যিনি আমার চেহারা সৃষ্টি করেছেন,
তারপর তাকে সুন্দর মুখমন্ডল দান করেছেন এবং তা ভেদ করে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন।
সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা কত মহান”। তারপর তাশাহহূদ ও সালামের মাঝখানের
সময়ে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমি পূর্বে ও পরে , লুকায়িত ও প্রকাশ্য এবং আমার
প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে যা কিছু আমি করেছি, তুমি তা ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু
এবং তুমিই শেষ। তুমি ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই”।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত, সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ৭৩৮), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪২২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، وَيُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ،
قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ حَدَّثَنِي عَمِّي، وَقَالَ، يُوسُفُ أَخْبَرَنِي أَبِي،
حَدَّثَنِي الأَعْرَجُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ
بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ
إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ
وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي
وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ
أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ
إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ
بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ
إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ
أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ
لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ
إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ
وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . فَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ
رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي
وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . فَإِذَا رَفَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ
رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا
بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ
قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ
وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ
اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . ثُمَّ يَقُولُ مِنْ آخِرِ مَا
يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا
قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ
وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রাতে
তাহাজ্জুদ) নামাযে দন্ডায়মান হতেন তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার মুখমন্ডল তাঁর
দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি
মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)। “আমার নামায, আমার ইবাদাত (হাজ্জ ও
কুরবানী), আমার প্রান ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার
জন্য।তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”- (সূরা
আন‘আম ১৬২-১৬৩)। “হে আল্লাহ ! তুমিই বাদশাহ, তুমি ব্যতীত আর কোন মা ‘বূদ নেই ,
তুমিই আমার প্রভু, আমি তোমার দাস। আমার আত্মার প্রতি আমি যুলম করেছি এবং আমি আমার
কৃত অন্যায় স্বীকার করেছি। সুতরাং আমার সকল অন্যায় তুমি ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি
ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। তুমি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত
কর। কেননা তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সর্বোত্তম চরিত্রের রাস্তায় পরিচালিত করতে পারে
না। আমাকে অপরাধ হতে তুমি ফিরিয়ে রাখ, কেননা তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমাকে খারাপ পথ হতে
ফিরিয়ে রাখতে পারে না। তোমার সমীপে আমি উপস্থিত, সকল সৌভাগ্য ও মঙ্গল তোমার
আয়ত্তাধীন।আর খারাপের কিছুই তোমার দিকে সম্পর্কিত করা যায় না। আমি তোমার জন্যই এবং
তোমার নিকটেই আমার ফিরে আসা।তুমি মঙ্গলময় ও সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং
তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি”। তিনি রুকূ‘তে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার
জন্য রুকূ‘ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম এবং তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম সুতরাং
আমার কান , আমার চোখ , আমার সকল হাঁড় ও স্নায়ুগুলো তোমার জন্যই অবনমিত”। তিনি
((রুকূ‘ হতে) মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু! তোমার জন্য সকল
প্রশংসা-আকাশ-যমীন ও আ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে এবং তুমি যা চাও এ সকল পূর্ণ
পরিমাণ”।তিনি সাজদাহতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ আমি সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান
আনলাম, আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। আমার চেহারা তাঁর উদ্দেশে সাজদাহ করল, যিনি
তা সৃষ্টি করেছেন, তাকে সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং (তা ভেদ করে) তার কান ও চোখ
ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা বারাকাতময়”। তারপর তাশাহহুদ ও সালামের
মাঝে সবশেষে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমি পূর্বে ও পরে, লুকায়িত ও প্রকাশ্য যে
গুনাহ করেছি, যে উচ্ছৃংখলতা করেছি এবং আমার প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে, যা কিছু আমি
(অন্যায়-অপরাধ) করেছি সে সব তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ। তুমি
ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই।
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪২৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ
الْمَكْتُوبَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ ذَلِكَ أَيْضًا
إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَأَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهَا إِذَا رَفَعَ
رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ
وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنْ سَجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ
فَكَبَّرَ وَيَقُولُ حِينَ يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بَعْدَ التَّكْبِيرِ "
وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا
مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ
رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ
الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ
أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي
فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ
وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ
عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ
وَسَعْدَيْكَ وَأَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ وَلاَ مَلْجَأَ إِلاَّ
إِلَيْكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . ثُمَّ يَقْرَأُ فَإِذَا
رَكَعَ كَانَ كَلاَمُهُ فِي رُكُوعِهِ أَنْ يَقُولَ " اللَّهُمَّ لَكَ
رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي خَشَعَ سَمْعِي
وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ " . فَإِذَا
رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
" . ثُمَّ يُتْبِعُهَا " اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ
مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ "
. وَإِذَا سَجَدَ قَالَ فِي سُجُودِهِ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ
آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ
وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ "
. وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ
لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ
إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ الشَّافِعِيِّ وَبَعْضِ أَصْحَابِنَا
. قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَحْمَدُ لاَ يَرَاهُ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ
مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ يَقُولُ هَذَا فِي صَلاَةِ التَّطَوُّعِ
وَلاَ يَقُولُهُ فِي الْمَكْتُوبَةِ . سَمِعْتُ أَبَا إِسْمَاعِيلَ
التِّرْمِذِيَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يُوسُفَ يَقُولُ سَمِعْتُ
سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ الْهَاشِمِيَّ يَقُولُ وَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ
فَقَالَ هَذَا عِنْدَنَا مِثْلُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ
.
‘আলী
ইবনু আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয
নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাঁর হাত দুইখানি তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। যখন তিনি কিরাআত
সমাপ্ত করতেন (রূকুতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন), তখনও পুনরায় একই রকম করতেন (দুই হাত
কাঁধ বরাবর উঠাতেন), আবার যখন রুকূ‘ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একই রকম করতেন। কিন্তু
বসা অবস্থায় তাঁর নামাযে কোথাও তিনি তাঁর দু’হাত উঠাতেন না। তারপর তিনি দুই সাজদাহ
সেরে (দুই রাক‘আত শেষে) যখন উঠে দাঁড়াতেন তখনও তাকবীর পাঠ করে তাঁর দুই হাত
তুলতেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমার পর নামায আরম্ভ হতেই বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি তাঁর
দিকে আমার চেহারা প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং
আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই” –(সূরা আন‘আম ৭৯)। ‘আমার নামায, আমার ‘ইবাদাত , আমার
প্রান ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশে।তাঁর কোন শারীক
নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”- (সূরা আন‘আম ১৬২-১৬৩)।“হে
আল্লাহ ! তুমিই রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বুদ নেই। তুমি পবিত্র, তুমি আমার
মনিব এবং আমি তোমার দাস। আমার সত্তার উপর আমি যুলম করেছি এবং আমার কৃত অন্যায় আমি
স্বীকার করেছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও। তুমি ছাড়া পাপ
ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত কর। তুমি ব্যতীত আর
কেউ সেই উত্তম পথে পরিচালিত করতে পারে না। তুমি আমার হতে খারাপকে দূরে সরিয়ে দাও।
তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে খারাপকে দূরীভূত করতে পারে না। আমি তোমার সামনে
উপস্থিত আছি। সৌভাগ্য তোমার অধিকারে, তোমার জন্যই আমি এবং তোমার দিকেই আমি ফিরে
আসি। তোমার শাস্তি হতে মুক্তি লাভের সাধ্য কারোর নেই এবং তোমার হতে পালিয়ে থাকার
আশ্রয়ও নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি”। তারপর
তিনি ক্বিরাআত পাঠ করতেন। তিনি যখন রুকূ‘তে যেতেন তখন রুকূতে এই কথা বলতেনঃ হে
আল্লাহ ! তোমার উদ্দেশে আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট
আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিস্ক ও আমার
হাঁড় বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার ভয়ে ভীত”। তিনি রুকূ হতে মাথা তুলে
বলতেনঃ “কেউ আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করলে তিনি তা শুনেন”। এর সঙ্গে তিনি আরো
বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু ! সকল আকাশ ও যামীন পরিপূর্ণ এবং এরপরও তোমার
ইচ্ছানুসারে পরিপূর্ণ প্রশংসা তোমার জন্য”। তিনি সাজদাহতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ
! তোমার উদ্দেশে আমি সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ
করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। সেই মহান সত্তার জন্য আমার চেহারা সাজদাহ করেছে যিনি
তা তৈরী করেছেন এবং তা ভেদ করে তাতে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা
আল্লাহ তা‘আলা কত বারাকাতময়” তিনি নামায শেষ করে বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা
করে দাও আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ এবং আমি যা কিছু লুকায়িত ও প্রকাশ্যে করেছি
তাও। তুমিই আমার মা‘বূদ, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই”।
হাসান সহীহঃ সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ৭২৯)।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৩৩
কুরআনের সাজদাহর আয়াত
তিলাওয়াতের পর সাজদাহতে যা বলতে হবে
৩৪২৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خُنَيْسٍ، حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ قَالَ
لِي ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُنِي اللَّيْلَةَ وَأَنَا نَائِمٌ كَأَنِّي أُصَلِّي
خَلْفَ شَجَرَةٍ فَسَجَدَتِ الشَّجَرَةُ لِسُجُودِي وَسَمِعْتُهَا وَهِيَ تَقُولُ
اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْرًا وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْرًا
وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْرًا وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا
مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ لِي جَدُّكَ قَالَ ابْنُ
عَبَّاسٍ فَقَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَجْدَةً ثُمَّ سَجَدَ . قَالَ
ابْنُ عَبَّاسٍ فَسَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ مِثْلَ مَا أَخْبَرَ الرَّجُلُ عَنْ
قَوْلِ الشَّجَرَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে
এক লোক এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আজ রাতে আমি ঘুমন্ত অবস্থায় (স্বপ্নে) দেখি
যে, আমি যেন একটি গাছের পেছনে নামায আদায় করছি। আমি সাজদাহ করলে আমার সাজদাহর মত
গাছটিও সাজদাহ করে। ঐ গাছটিকে আমি বলতে শুনলাম, “হে আল্লাহ ! এ সাজদাহর বিনিময়ে
আমার জন্য তোমার নিকট পুরস্কার লিপিবদ্ধ কর, এর বিনিময়ে আমার একটি গুনাহ অপসারণ
কর, আমার জন্য এটাকে পুঁজি হিসেবে জমা রাখ এবং এটাকে আমার পক্ষ হতে গ্রহণ কর, যেমন
তুমি তোমার বান্দা দাঊদ (‘আঃ) হতে গ্রহন করেছিলে”। ইবনু জুরাইজ (রহঃ) ‘উবাইদুল্লাহ
ইবনু আবূ ইয়াযীদকে বলেন, আমাকে তোমার দাদা বলেছেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার সাজদাহর আয়াত পাঠ করলেন এবং
সাজদাহ করলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তাঁকে সেই গাছের একই রকম দু‘আ আমি
তিলাওয়াত করতে শুনলাম, যে প্রসঙ্গে আগে লোকটি তাঁকে জানিয়েছিল।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১০৫৩)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৪২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ
الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ " سَجَدَ
وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সাজদাহর আয়াত পাঠ করার পর সাজদাহতে বলতেনঃ “সেই মহান সত্তার উদ্দেশে আমার মুখমন্ডল
সাজদাহ করল যিনি তাকে তৈরী করেছেন এবং নিজের প্রবল ক্ষমতায় তার মাঝে শোনার শক্তি ও
দেখার শক্তি দান করেছেন”।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ১০৩৫), সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১২৭৪)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৪
ঘর হতে বের হওয়ার সময় পাঠ
করার দু ‘আ
৩৪২৬
حَدَّثَنَا سَعِيدُ
بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ
جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
قَالَ - يَعْنِي إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ - بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى
اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . يُقَالُ لَهُ كُفِيتَ وَوُقِيتَ
. وَتَنَحَّى عَنْهُ الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ ঘর হতে কেউ বাইরে রাওয়ানা হওয়াকালে যদি বলে, “আল্লাহ তা‘আলার নামে, আল্লাহ
তা‘আলার উপরই আমি নির্ভর করলাম, আল্লাহ‘তা আলার সাহায্য ব্যতীত বিরত থাকা ও মঙ্গল
লাভ করার শক্তি কারো নেই”, তবে তাকে বলা হয় (আল্লাহ তা‘আলাই) তোমার জন্য যথেষ্ট,
(অনিষ্ট হতে) তুমি হিফাযাত অবলম্বন করেছ। আর তার হতে শাইতান দূরে সরে যায়।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ২৪৪৩), তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৬৪), আল-কালিমুত
তাইয়্যিব (হাঃ ৫৮/৪৯)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৫
(ঘর হতে বের হওয়ার সময় নাবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পঠিত দু ‘আ)
৩৪২৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ قَالَ " بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ
عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ
أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উম্মু
সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর হতে বাইরে
রাওয়ানা হতেন তখন বলতেনঃ “আল্লাহ তা‘আলার নামে, আল্লাহ তা’আলার উপর আমি নির্ভর
করলাম। হে আল্লাহ ! আমরা পদস্থলন হতে কিংবা পথভ্রষ্ঠতা হতে কিংবা যুলম করা হতে
কিংবা অত্যাচারিত হওয়া হতে কিংবা অজ্ঞতাবশত কারো প্রতি মন্দ আচরণ হতে বা আমাদের
প্রতি কারো অজ্ঞতা প্রসূত আচরণ হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮৪)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৬
বাজারে প্রবেশের দু’আ
৩৪২৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ
سِنَانٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَاسِعٍ، قَالَ قَدِمْتُ مَكَّةَ فَلَقِيَنِي
أَخِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ
جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ دَخَلَ
السُّوقَ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكُ لَهُ لَهُ
الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ
الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ
حَسَنَةٍ وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ وَرَفَعَ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ
دَرَجَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ - وَهُوَ قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ عَنْ
سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، هَذَا الْحَدِيثَ نَحْوَهُ.
মুহাম্মাদ
ইবনু ওয়াসি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মক্কায় পৌঁছালে আমার ভাই সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তার বাবা হতে, তার দাদার সনদে আমার কাছে
হাদীস রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে লোক বাজারে প্রবেশ করে বলে, “আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তিনি এক,
তাঁর কোন অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য, তিনিই প্রাণ
দান করেন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবি, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাঁর হাতেই
মঙ্গল এবং তিনিই সবসময় প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতার অধিকারী”, তার জন্য আল্লাহ
তা‘আলা দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার দশ লক্ষ গুণ
সম্মান বৃদ্ধি করেন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২২৩৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব । এ হাদীস যুবাইর পরিবারের
কোষাধ্যক্ষ ‘আমর ইবনু দীনার সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন
।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৪২৯
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ،
أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ،
وَالْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ،
وَهُوَ قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " مَنْ قَالَ فِي السُّوقِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ
شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ
يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَتَبَ اللَّهُ
لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ وَبَنَى لَهُ
بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ
هَذَا هُوَ شَيْخٌ بَصْرِيٌّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ
وَقَدْ رَوَى عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَحَادِيثَ لاَ
يُتَابَعُ عَلَيْهَا وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
وَرَوَاهُ يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عُمَرَ رضى الله عنه .
সালিম
ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
ব্যক্তি বাজারে গিয়ে বলে, “আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর
কোন অংশীদার নেই, তিনিই সমস্ত কিছুর ক্ষমতার অধিকারী, সকল প্রশংসা তাঁর তিনিই
প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবি, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না,
তাঁর হাতেই কল্যাণ, সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা
তার জন্য দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার জন্য
জান্নাতে একখানা ঘর তৈরি করেন।
হাসানঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৭
পীড়িত ব্যক্তি যে দু আ পাঠ
করবে
৩৪৩০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي
مُسْلِمٍ، قَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُمَا
شَهِدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ . صَدَّقَهُ رَبُّهُ فَقَالَ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَأَنَا أَكْبَرُ . وَإِذَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ وَحْدَهُ . قَالَ يَقُولُ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَأَنَا
وَحْدِي . وَإِذَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ
. قَالَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَحْدِي لاَ شَرِيكَ لِي . وَإِذَا
قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ . قَالَ
اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا لِيَ الْمُلْكُ وَلِيَ الْحَمْدُ . وَإِذَا
قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ .
قَالَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِي .
وَكَانَ يَقُولُ مَنْ قَالَهَا فِي مَرَضِهِ ثُمَّ مَاتَ لَمْ تَطْعَمْهُ النَّارُ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ بِنَحْوِ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ
وَلَمَ يَرْفَعْهُ شُعْبَةُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا .
আবূ
সা‘ঈদ ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক
“লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” বললে সে সময় তার প্রভু তার কথাটি সত্য
বলে অনুমোদন দেন এবং বলেনঃ আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমিই মহান। আর যখন বান্দা বলে,
“লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি
এক), তখন বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি এক। যখন বান্দা বলে, “লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তিনি
এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই,
আমি এক, আমার কোন অংশীদার নেই। যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু লাহুল
মুলকু ওয়ালাহুল হামদু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তাঁরই রাজত্ব, সমস্ত
প্রশংসাও তাঁর), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, রাজত্ব আমারই
এবং সকল প্রশংসা আমার জন্যই। যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা
ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। আল্লাহ তা‘আলা
ব্যতীত কোন অনিষ্ট বা উপকার করার ক্ষমতা কারো নেই), তক্ষনি আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি ছাড়া (আমার সহযোগিতা ব্যতীত) অকল্যাণ দূর করা ও
মঙ্গল লাভ করার সামর্থ্য কারো নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আরো বলতেনঃ যে লোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই বাক্যগুলো পাঠ করল, তারপর
মৃত্যুবরণ করল, জাহান্নামের আগুন তাকে ভক্ষণ করবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯৪)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৮
বিপদ্গ্রস্থ লোককে প্রত্যক্ষ
করে যে দু‘আ পাঠ করবে
৩৪৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ،
عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، مَوْلَى آلِ الزُّبَيْرِ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَأَى صَاحِبَ بَلاَءٍ فَقَالَ الْحَمْدُ
لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ
مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً إِلاَّ عُوفِيَ مِنْ ذَلِكَ الْبَلاَءِ كَائِنًا مَا
كَانَ مَا عَاشَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَفِي
الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَهْرَمَانُ آلِ
الزُّبَيْرِ هُوَ شَيْخٌ بَصْرِيٌ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ .
وَقَدْ تَفَرَّدَ بِأَحَادِيثَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ .
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ إِذَا
رَأَى صَاحِبَ بَلاَءٍ فَتَعَوَّذَ مِنْهُ يَقُولُ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ وَلاَ
يُسْمِعُ صَاحِبَ الْبَلاَءِ .
উমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
লোক কোন বিপদগ্রস্থ লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার জন্য,
তিনি যে বিপদে তোমাকে জড়িত করেছেন তা হতে আমাকে হিফাযাতে রেখেছেন এবং তাঁর অসংখ্য
সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন”, সে তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত
অনিষ্ট হতে হিফাযাতে থাকবে । তা যে কোন বিপদেই হোক না কেন ।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৯২)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৪৩২
حَدَّثَنَا أَبُو
جَعْفَرٍ السِّمْنَانِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ
الْعُمَرِيُّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ رَأَى
مُبْتَلًى فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ
وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً لَمْ يُصِبْهُ ذَلِكَ الْبَلاَءُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন: যে লোক কোন রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, "সকল
প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার, যিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা হতে আমাকে
নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন", সে
উক্ত ব্যাধিতে কক্ষনো আক্রান্ত হবে না।
সহীহ: সহীহ হাদীস সিরিজ (হা: ২৭৩৭)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৯
মজলিস হতে উঠে যাওয়ার দু'আ
৩৪৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو
عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ الْكُوفِيُّ، - وَاسْمُهُ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ
جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ
أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ .
إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ " . وَفِي الْبَابِ
عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক মজলিসে বসে প্রয়োজন ছাড়া অনেক কথা-বার্তা বলেছে, সে উক্ত
মাজলিস হতে উঠে যাওয়ার আগে যদি বলে: "হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং সমস্ত
প্রশংসা তোমার জন্য। আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ব্যতীত আর কোন মা'বূদ নেই, তোমার
কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি’ , তাহলে উক্ত
মজলিসে তার যে অপরাধ হয়েছিলো তা ক্ষমা করে দেয়া হবে।
সহীহ: মিশকাত (হা: ২৪৩৩)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৩৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مَالِكِ
بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ،
قَالَ كَانَ يُعَدُّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَجْلِسِ
الْوَاحِدِ مِائَةُ مَرَّةٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَقُومَ " رَبِّ اغْفِرْ لِي
وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُورُ " .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
سُوقَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু
'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রতিটি মাজলিসে হিসাব করে দেখা গেছে যে,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত মাজলিস হতে উঠে যাওয়ার আগে
এক শতবার বলতেন: "হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার তাওবা গ্রহণ কর।
কারন তুমিই তাওবাহ কবুলকারী, ক্ষমাকারী"।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (হা: ৩৮১৪)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪০
বিপদকালে 'আমাল করার দু'আ
৩৪৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو عِنْدَ الْكَرْبِ " لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ الْعَلِيُّ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ
الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَرَبُّ
الْعَرْشِ الْكَرِيمِ " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ
هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ
. قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু
'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিপদ কালে
এই দু'আ পাঠ করতেন: " আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত কোন মা'বূদ নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু
(মহান) ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু।
আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কোন মা'বূদ নেই, তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর প্রভু এবং মহা
মর্যাদাবান আরশের প্রভু"।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (হা:৩৮৮৩), বুখারী ও মুসলিম ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو
سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ وَغَيْرُ
وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ
الْفَضْلِ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَهَمَّهُ الأَمْرُ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ
فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ " . وَإِذَا اجْتَهَدَ
فِي الدُّعَاءِ قَالَ " يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ভয়াবহ
বিপদে পড়লে আকাশে দিকে নিজ মাথা তুলতেনঃ “মহান আল্লাহ খুবই পবিত্র”। আর যখন তিনি
আকুতি সহকারে দু'আ করতেন তখন বলতেনঃ “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী”।
অত্যন্ত দুর্বল, আলকালিমুত তায়্যিব (১১৯/৭৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান
গারীব।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
অনুচ্ছেদ-৪১
কোন জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে
যে দু’আ পাঠ করবে
৩৪৩৭
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ
الْحَارِثِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ،
عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ
حَكِيمٍ السُّلَمِيَّةِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
مَنْ نَزَلَ مَنْزِلاً ثُمَّ قَالَ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ
شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَلِكَ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى مَالِكُ
بْنُ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ فَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ
عَجْلاَنَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ
وَيَقُولُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ خَوْلَةَ . قَالَ وَحَدِيثُ
اللَّيْثِ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ عَجْلاَنَ .
খাওলা
বিনতুল হাকীম আস-সুলামিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন
লোক যদি কোন জায়গায় অবতরন করে বলে, “ আমি আল্লাহ তা’আলার সম্পূর্ণ বাক্যর দ্বারা
আশ্রয় প্রার্থনা করি তাঁর সকল সৃষ্টির ক্ষতি হতে” , সে উক্ত জায়গা ত্যাগ করা
পর্যন্ত কোন কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৫৪৭), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪২
সফরে যাওয়ার সময় যে দু’আ পাঠ
করতে হয়
৩৪৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ
شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بِشْرٍ الْخَثْعَمِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا
سَافَرَ فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ قَالَ بِأُصْبُعِهِ وَمَدَّ شُعْبَةُ بِأُصْبُعِهِ
قَالَ " اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي
الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا بِنُصْحِكَ وَاقْلِبْنَا بِذِمَّةٍ . اللَّهُمَّ
ازْوِ لَنَا الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْنَا السَّفَرَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ
بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى كُنْتُ لاَ أَعْرِفُ هَذَا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ حَتَّى
حَدَّثَنِي بِهِ سُوَيْدٌ .
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ
مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) সফরে বের হতেন, সে সময় প্রথমে সওয়ারীতে আরোহণ করতেন, তারপর নিজের
আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন। অধঃস্তন বর্ণনাকারী শু’বাহ আঙ্গুল উঁচু করে ইশারা করে
দেখিয়েছেন। তারপর রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ ” হে
প্রভু! সফরে তুমি আমার সঙ্গী এবং আমার (অনুপস্হিতিতে) আমার পরিবার –পরিজনের (আমার)
প্রতিনিধি। হে আল্লাহ ! মঙ্গল সহকারে তুমি আমাদের সঙ্গী হও এবং তোমার জামানতে
আমাদেরকে ফিরাও। হে আল্লাহ! মাটিকে (সফরের দীর্ঘ পথ) আমাদের জন্য সংকুচিত করে দাও
এবং সফর আমাদের জন্য সহজ কর। হে আল্লাহ ! তোমার নিকট আমি সফরের ক্লান্তি হতে এবং
ফিরে আসার দুশ্চিন্তা ও ব্যর্থতা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি “।
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৩৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৩৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ
الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي
السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا
وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ
السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ
دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَيُرْوَى الْحَوْرِ بَعْدَ
الْكَوْرِ أَيْضًا قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ أَوِ
الْكَوْرِ وَكِلاَهُمَا لَهُ وَجْهٌ يُقَالُ إِنَّمَا هُوَ الرُّجُوعُ مِنَ الإِيمَانِ
إِلَى الْكُفْرِ أَوْ مِنَ الطَّاعَةِ إِلَى الْمَعْصِيَةِ إِنَّمَا يَعْنِي
الرُّجُوعَ مِنْ شَيْءٍ إِلَى شَيْءٍ مِنَ الشَّرِّ .
‘আবদুল্লাহ
ইবনুস সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
সফরে রাওয়ানা হতেন , সে সময় বলতেনঃ “ হে আল্লাহ ! তুমি সফরে আমার সঙ্গী এবং আমার
(অনুপস্হিতিতে) আমার পরিবার-পরিজনের তুমিই (আমার) স্হলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ !
আমাদের সফরে তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের পরিবার –পরিজনের জন্য আমাদের
প্রতিনিধি হও। হে আল্লাহ ! তোমার কাছে আমরা সফরের ক্লান্তি , ফিরে আসার ব্যর্থতা ,
প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা , নির্যাতিতের অভিশাপ এবং পরিবার –পরিজন ও মাল-সম্পত্তির
প্রতি কু- দৃষ্টি হতে তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি “।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮৮) ,মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৩
সফর হতে ফিরে এসে যে দু’আ
পাঠ করবে
৩৪৪০
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الرَّبِيعَ بْنَ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، يُحَدِّثُ
عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَدِمَ مِنْ
سَفَرٍ قَالَ " آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى
الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ وَلَمْ
يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ الْبَرَاءِ وَرِوَايَةُ شُعْبَةَ أَصَحُّ .
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
.
আল-বারাআ
ইবনু ‘আযিয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সফর হতে প্রত্যাবর্তন করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ “ আমরা (সফর হতে হিফাযাতে) ফিরে আসা ব্যক্তি , তাওবাহকারী ,’
ইবাদাতকারী , আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী।“
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৩৯)।
আবু ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীস সুফিয়ান
সাওরী আবু ইসহাক হতে , তিনি আল-বারাআ (রাঃ) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন কিন্তু আর-রাবী’
ইবনুল বারাআ এর উল্লেখ করেননি । শু’বাহর বর্ণনাটিই অনেক বেশি বিশুদ্ধ ।এ অনুচ্ছেদে
ইবনু ‘উমর , আনাস ও জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৪১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ فَنَظَرَ
إِلَى جُدُرَاتِ الْمَدِينَةِ أَوْضَعَ رَاحِلَتَهُ وَإِنْ كَانَ عَلَى دَابَّةٍ
حَرَّكَهَا مِنْ حُبِّهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
غَرِيبٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সফর হতে ফিরে এসে
মাদীনার প্রাচীরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন এবং মাদীনার প্রতি মুহাব্বতের কারনে
তাঁর উস্ট্রী দ্রুত হাঁকাতেন , আর অপর কোন পশু হলে তাও তাড়াতাড়ি চালাতেন।
সহীহঃ বুখারী ৮৭৪ নং হাদীসের সংক্ষেপিত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৪
কোন লোককে বিদায় দেয়ার সময়
যে দু’আ পাঠ করতে হয়
৩৪৪২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ السُّلَيْمِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو
قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ يَزِيدَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَدَّعَ رَجُلاً أَخَذَ بِيَدِهِ فَلاَ
يَدَعُهَا حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ يَدَعُ يَدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم وَيَقُولُ " أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَآخِرَ
عَمَلِكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু
‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন কোন লোককে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
বিদায় দেয়ার সময় তাকে নিজের হাতে ধরতেন এবং যতক্ষন পর্যন্ত সে নিজের হাত নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে না ছাড়াতেন সে পর্যন্ত তিনিও তার হাত
ছাড়তেন না। তিনি বলতেনঃ ‘তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ ‘আমলের ব্যাপারে আমি আল্লাহ
তা’আলাকে আমানতদার নিযুক্ত করলাম “।
সহীহঃ সহীহাহ ,(হাঃ ১৬,২৪৮৫) , আল-কালিমুত , তাইয়্যিব তাহক্বিক্ব সানী (হাঃ
১৬৯/১২২)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৪৩
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ خُثَيْمٍ، عَنْ
حَنْظَلَةَ، عَنْ سَالِمٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ لِلرَّجُلِ إِذَا
أَرَادَ سَفَرًا ادْنُ مِنِّي أُوَدِّعْكَ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يُوَدِّعُنَا . فَيَقُولُ " أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ
وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ .
সালিম
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন লোক সফরের উদ্দেশে রাওয়ানা হলে ইবনু ‘উমর (রাঃ) তাকে
বলতেন , আমার কাছে আস। আমি তোমাকে বিদায় সম্ভাষণ জানাব। যেভাবে রাসুলাল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতেন। তিনি বলতেনঃ
‘তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ ‘আমলের জন্য আমি আল্লাহ তা’আলাকে যিম্মাদার করলাম
“।
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৫
অনুরুপ প্রসঙ্গ
৩৪৪৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ
سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ سَفَرًا فَزَوِّدْنِي
. قَالَ " زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى " . قَالَ زِدْنِي .
قَالَ " وَغَفَرَ ذَنْبَكَ " . قَالَ زِدْنِي بِأَبِي أَنْتَ
وَأُمِّي . قَالَ " وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে
এক লোক এসে বলল , হে আলাহর রাসুল ! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। সুতরাং আপনি
আমাকে পাথেয় দিন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাকে তাক্বওয়ার পাথেয় দান করুন। সে
বলল, আরো বেশি দিন। তিনি বললেনঃ তোমার গুনাহ আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করুন। সে বলল ,
আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক ! আমাকে আরো বেশি দান করুন। তিনি বললেনঃ
তিনি (আল্লাহ তা’আলা) তোমার জন্য মঙ্গলকে সহজতর করুন , তুমি যেখানেই থাক।
হাসান সহীহঃ আল-কালিমুত , তাইয়্যিব তাহক্বিক্ব সানী (হাঃ ১৭০)।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৪৬
(সফরকালে দু’আ চাওয়া)
৩৪৪৫
حَدَّثَنَا مُوسَى
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ
حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي
أُرِيدُ أَنْ أُسَافِرَ فَأَوْصِنِي . قَالَ " عَلَيْكَ بِتَقْوَى
اللَّهِ وَالتَّكْبِيرِ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ " . فَلَمَّا أَنْ وَلَّى
الرَّجُلُ قَالَ " اللَّهُمَّ اطْوِ لَهُ الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ
السَّفَرَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বলল, হে আলাহর রাসুল ! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা
পোষণ করেছি, অতএব উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ অবশ্যই তুমি আল্লাহ তা’আলার ভয় (তাক্বওয়া)
অবলম্বন করবে এবং প্রতিতি উচ্চ জায়গায় যাওয়ার সময় তাকবীর ধ্বনি দিবে। যখন লোকটি
চলে যাচ্ছিল সে সময় রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে
আল্লাহ ! তার পথের ব্যবধান কমিয়ে দাও এবং তার জন্য সফর সহজতর করে দাও “।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৭৭১)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৭
যানবাহনে আরোহণের সময় দু’আ
পাঠ করা
৩৪৪৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلِيِّ
بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ شَهِدْتُ عَلِيًّا أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا
وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ ثَلاَثًا فَلَمَّا اسْتَوَى
عَلَى ظَهْرِهَا قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ثُمَّ قَالَ : ( سبْحَانَ الَّذِي
سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا
لَمُنْقَلِبُونَ ) ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلاَثًا وَاللَّهُ أَكْبَرُ
ثَلاَثًا سُبْحَانَكَ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ
يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . ثُمَّ ضَحِكَ . فَقُلْتُ مِنْ أَىِّ
شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم صَنَعَ كَمَا صَنَعْتُ ثُمَّ ضَحِكَ فَقُلْتُ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ
ضَحِكْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّ رَبَّكَ لَيَعْجَبُ مِنْ
عَبْدِهِ إِذَا قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ
غَيْرُكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رضى الله عنهما .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
ইবনু রাবীআহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) এর কাছে আমি উপস্থিত থাকা অবস্থায়
তার নিকট আরোহণের জন্য একটি জন্তু আনা হল। তিনি পা দানীতে তার পা রেখে বললেন, “
বিসমিল্লাহ্ “। তারপর তিনি তার পিঠের উপর ঠিকমত বসার পর বললেন ,” আলহামদু
লিল্লাহ্ “। তারপর বললেন , “ পবিত্র ও মহান তিনি যিনি একে আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন
করেছেন , তা না হলে আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের
পালনকর্তার কাছে ফিরে যাব “ –(সূরা আয-যুখরুখ ১৩—১৪)। এরপর তিনি “ আলহামদু লিল্লাহ
“তিনবার ও “ আল্লাহু আকবর “ তিনবার বললেন এবং আরো বললেনঃ তুমি অত্যন্তঃ পবিত্র
সত্তা , আমার উপর আমি অত্যাচার করেছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ কর , কেননা তুমি ব্যতীত
আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।“ তারপর তিনি হাসলেন। আমি প্রশ্ন করলাম , হে আমীরুল
মু’মিনীন! আপনি কি কারনে হাসলেন? তিনি বললেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কে আমি তা-ই করতে দেখেছি যা আমি করলাম। তারপর তিনি হেসেছিলেন। আমি
প্রশ্ন করেছিলাম , হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি কি কারনে হাসলেন? তিনি বললেনঃ যখন
বান্দা বলে , “হে আল্লাহ ! আমার অপরাধসমুহ ক্ষমা কর। কেননা তুমি ছাড়া অন্য কেউ
অপরাধ ক্ষমা করতে পারে না” , সে সময় আল্লাহ তা’আলা তার এ কথায় খুশি হন।
সহীহঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (১৭২/১২৬) , সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৪২)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৪৭
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ
بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ
بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
الْبَارِقِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ
إِذَا سَافَرَ فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ كَبَّرَ ثَلاَثًا وَيَقُولُ : ( سبْحَانَ
الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى
رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ) ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي
أَسْأَلُكَ فِي سَفَرِي هَذَا مِنَ الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا
تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا الْمَسِيرَ وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَ الأَرْضِ
اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ
اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا " .
وَكَانَ يَقُولُ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ " آيِبُونُ إِنْ شَاءَ
اللَّهُ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সফরে রাওয়ানা
হতেন তখন বাহনে আরোহণ করে তিনবার তাকবীর বলতেন এবং আরো বলতেনঃ “অতি পবিত্র ও মহান
তিনি যিনি একে আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন, তা না হলে আমরা একে নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাব”— (সূরা যুখরুফ
১৩-১৪)। তারপর তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমার এ সফরে আমি তোমার নিকট পুণ্য ও
তাকওয়া এবং তোমার পছন্দনীয় কাজ করার তাওফীক প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমাদের
সফরটি আমাদের জন্য সহজসাধ্য করে দাও এবং আমাদের জন্য পথের ব্যবধান সংকুচিত করে দাও।
হে আল্লাহ! সফরে তুমিই আমাদের সঙ্গী এবং আমাদের পরিবার-পরিজনের প্রতিনিধি। হে
আল্লাহ! আমাদের এ সফরে তুমি আমাদের বন্ধু এবং আমাদের পরিজনের প্রতিনিধি হয়ে
যাও।" তিনি সফর হতে পরিজনের কাছে প্রত্যাবর্তন করে বলতেনঃ “ইনশা আল্লাহ আমরা
প্রত্যাবর্তনকারী এবং তাওবাহকারী ও আমাদের রবের ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী”।
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৩৯), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৮
মুসাফিরের দু'আ প্রসঙ্গে যা
উল্লেখ আছে
৩৪৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ الصَّوَّافُ،
عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثُ
دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٌ دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ
وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ عَلَى وَلَدِهِ " .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ
هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ
نَحْوَهُ . وَزَادَ فِيهِ مُسْتَجَابَاتٌ لاَ شَكَّ فِيهِنَّ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ هَذَا الَّذِي رَوَى
عَنْهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ يُقَالُ لَهُ أَبُو جَعْفَرٍ الْمُؤَذِّنُ
وَقَدْ رَوَى عَنْهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَلاَ نَعْرِفُ
اسْمَهُ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তিন লোকের দুআ কুবুল করা হয়। নির্যাতিতের দুআ, মুসাফিরের দুআ এবং
সন্তানদের উপর পিতার অভিশাপ।
হাসানঃ সহীহাহ (হাঃ ৫৯৮, ১৭৯৭)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৯
প্রচণ্ড বেগে বায়ু প্রবাহের
কালে যে দু'আ পাঠ করবে
৩৪৪৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله
عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى الرِّيحَ قَالَ
" اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا فِيهَا
وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا
وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ
أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رضى الله عنه وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রবল
বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে দেখলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি এ বাতাসের
মঙ্গল, এর মাঝে নিহিত মঙ্গল এবং যে মঙ্গলসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা প্রার্থনা করি।
আর এর ক্ষতিকর দিক, এর মাঝে নিহিত ক্ষতি এবং যে ক্ষতিসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা হতে
তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি”।
সহীহঃ সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ২৭৫৭), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫০
বজ্রধ্বনি শুনে যে দু'আ পাঠ
করতে হবে
৩৪৫০
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ
أَرْطَاةَ، عَنْ أَبِي مَطَرٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،
عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَمِعَ
صَوْتَ الرَّعْدِ وَالصَّوَاعِقِ قَالَ " اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا
بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বজ্রধ্বনি
ও মেঘের গর্জন শুনলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার গযব দিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেলো না,
তোমার শাস্তি দিয়ে আমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করো না, বরং তার আগেই আমাদেরকে মাফ করে
দাও”।
যঈফ, যঈফা (১০৪২), আল কালিমুত তায়্যিব (১৫৮/১১১), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫১
নতুন চাঁদ দেখে যে দু'আ
পড়তে হয়
৩৪৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ
بْنُ سُفْيَانَ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي بِلاَلُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ
عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلاَلَ قَالَ
" اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ وَالسَّلاَمَةِ
وَالإِسْلاَمِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
ত্বালহা
ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নতুন চাঁদ দেখার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাদের জন্য চাঁদটিকে বারাকাতময় (নিরাপদ), ঈমান, নিরাপত্তা ও
শান্তির বাহন করে উদিত করো। হে নতুন চাঁদ আল্লাহ তা'আলা আমারও প্রভু, তোমারও
প্রভু।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ১৮১৬), আল-কালিমুত তাইয়্যিব (১৬১/১১৪)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫২
রাগের আবির্ভাব হলে যে দু'আ
পাঠ করবে
৩৪৫২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ
مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، رضى الله عنه قَالَ اسْتَبَّ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم حَتَّى عُرِفَ الْغَضَبُ فِي وَجْهِ أَحَدِهِمَا فَقَالَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا
لَذَهَبَ غَضَبُهُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ " .
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، بِهَذَا
الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ
قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى لَمْ
يَسْمَعْ مِنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ مَاتَ مُعَاذٌ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ بْنِ
الْخَطَّابِ وَقُتِلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي
لَيْلَى غُلاَمٌ ابْنُ سِتِّ سِنِينَ وَهَكَذَا رَوَى شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
أَبِي لَيْلَى عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَرَآهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
أَبِي لَيْلَى يُكْنَى أَبَا عِيسَى وَأَبُو لَيْلَى اسْمُهُ يَسَارٌ وَرُوِيَ
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ أَدْرَكْتُ عِشْرِينَ وَمِائَةً
مِنَ الأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
মু’আয
ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
সামনে দুই লোক পরস্পরকে গালি গালাজ করে। এমনকি তাদের একজনের মুখমণ্ডলের রাগের ছাপ
স্পষ্ট হয়ে উঠে। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়
আমি এমন একটি বাক্য জানি, এ ব্যক্তিটি যদি তা উচ্চারণ করত তবে অবশ্যই তার ক্রোধ
চলে যেত। তা হলঃ “আমি বিতাড়িত শাইতান হতে আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা
করি।“
সহীহঃ রাওযুন নাযীর (হাঃ ৬৩৫), বুখারী (হাঃ ৬১১৫), মুসলিম (হাঃ ৮/৩০-৩১), সুলাইমান
ইবনু সুরাদ হতে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৩
মন্দ স্বপ্ন দেখলে যে দু’আ
পাঠ করবে
৩৪৫৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ
سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى
أَحَدُكُمُ الرُّؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ
عَلَيْهَا وَلْيُحَدِّثْ بِمَا رَأَى وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ
فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَا وَلاَ
يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ . وَابْنُ الْهَادِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ الْمَدَنِيُّ وَهُوَ ثِقَةٌ رَوَى عَنْهُ مَالِكٌ
وَالنَّاسُ .
আবু
সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তিনি
বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কেউ তার পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে থাকলে তা আল্লাহ তা'আলার
পক্ষ হতে। অতএব সে যেন এজন্য আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা করে এবং যা সে দেখেছে তা
অন্যের নিকট প্রকাশ করে। আর সে এর বিপরীত মন্দ স্বপ্ন দেখলে তা শাইতানের পক্ষ হতে।
অতএব সে যেন এর অনিষ্ট হতে আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং অন্য
কারো নিকট তা ব্যক্ত না করে। তাহলে তাতে তার কোন অনিষ্ট হবে না।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৬২), সহীহ আল-জামি' (হাঃ ৫৪৯, ৫৫০), বুখারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৪
বাগানে নতুন ফল প্রত্যক্ষ
করলে যে দু'আ পাঠ করবে
৩৪৫৪
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، وَأَخْبَرَنَا
قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّاسُ إِذَا رَأَوْا أَوَّلَ
الثَّمَرِ جَاءُوا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا
أَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ
لَنَا فِي ثِمَارِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي
صَاعِنَا وَمُدِّنَا اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَبْدُكَ وَخَلِيلُكَ
وَنَبِيُّكَ وَإِنِّي عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنَّهُ دَعَاكَ لِمَكَّةَ وَأَنَا
أَدْعُوكَ لِلْمَدِينَةِ بِمِثْلِ مَا دَعَاكَ بِهِ لِمَكَّةَ وَمِثْلِهِ مَعَهُ "
. ثُمَّ يَدْعُو أَصْغَرَ وَلِيدٍ يَرَاهُ فَيُعْطِيهِ ذَلِكَ الثَّمَرَ .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাহাবাগণ (তাদের বাগানে) সর্বপ্রথম পাকা ফল
দেখলে তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে (হাদীয়াহ
স্বরূপ) নিয়ে আসত। ফলটি নিজ হাতে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাদের ফলমূলে আমাদেরকে বারাকাত দাও, আমাদের শহরে
আমাদেরকে বারাকাত দাও এবং আমাদের দাড়িপাল্লায় আমাদের বারাকাত দাও। হে আল্লাহ!
ইবরাহীম নিশ্চয়ই তোমার বান্দা, তোমার বন্ধু ও তোমার নবী এবং আমিও তোমার বান্দা ও
তোমার নাবী। তোমার নিকট তিনি মক্কা ভূমির জন্য দু'আ করেছিলেন। তোমার নিকট আমিও
মাদীনার জন্য দু'আ করছি, যেভাবে তিনি মক্কার জন্য তোমার নিকট দু'আ করেছিলেন এবং
আরও সম-পর্যায়ের”। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি কোন বালককে উপস্থিত দেখতে পেলে
ফলটি তাকে দিয়ে দিতেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৩২৯), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৫
খানা খাওয়ার সময় পাঠ করার
দু’আ
৩৪৫৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عُمَرَ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
قَالَ دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَخَالِدُ بْنُ
الْوَلِيدِ عَلَى مَيْمُونَةَ فَجَاءَتْنَا بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عَلَى يَمِينِهِ وَخَالِدٌ عَلَى شِمَالِهِ
فَقَالَ لِي " الشَّرْبَةُ لَكَ فَإِنْ شِئْتَ آثَرْتَ بِهَا خَالِدًا
" . فَقُلْتُ مَا كُنْتُ أُوثِرُ عَلَى سُؤْرِكَ أَحَدًا . ثُمَّ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَطْعَمَهُ اللَّهُ الطَّعَامَ
فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ .
وَمَنْ سَقَاهُ اللَّهُ لَبَنًا فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ
وَزِدْنَا مِنْهُ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" لَيْسَ شَيْءٌ يَجْزِي مَكَانَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ غَيْرُ اللَّبَنِ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا
الْحَدِيثَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ فَقَالَ عَنْ عُمَرَ بْنِ حَرْمَلَةَ .
وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَمْرُو بْنُ حَرْمَلَةَ وَلاَ يَصِحُّ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে মাইমূনাহ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম।
আমাদের জন্য তিনি এক পাত্র দুধ নিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) (তা হতে) পান করলেন। তাঁর ডান পাশে ছিলাম আমি এবং খালিদ ছিলেন তার বাম
পাশে। তিনি আমাকে বললেনঃ এখন তোমার পান করার পালা। তবে তুমি চাইলে তোমার উপর
খালিদকে অগ্রাধিকার দিতে পার। আমি বললাম, আপনার উচ্ছিষ্টে আমি আমার উপর কোন লোককে
অগ্রাধিকার দিব না। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
আল্লাহ তা’আলা যাকে আহার করান সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! আমাদেরকে এ খাদ্যে বারাকাত
দাও এবং আমাদেরকে এর চাইতে উত্তম খাবার আহার করাও।” আর আল্লাহ তা'আলা যাকে দুধ পান
করান সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! এ দুধে আমাদেরকে বারাকাত দাও এবং এর চাইতেও বেশি
আমাদেরকে দান কর।” এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
একই সঙ্গে পান ও আহারের জন্য যথেষ্ট হওয়ার মত দুধের বিকল্প কোন খাবার নেই।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৩২২)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৬
খাবার শেষে যে দু'আ পাঠ করবে
৩৪৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ،
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رُفِعَتِ الْمَائِدَةُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ
يَقُولُ " الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
غَيْرَ مُوَدَّعٍ وَلاَ مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبُّنَا " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু
উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সামনে হতে (খাবার শেষে) দস্তরখান তুলে নেয়া কালে তিনি বলতেনঃ “সকল
প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য, পবিত্র ও বারাকাতময় বিপুল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার
জন্য। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তা কখনো ছাড়তে পারব না এবং তা হতে অমুখাপেক্ষীও
হতে পারব না"।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩২৮৪), বুখারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৫৭
حَدَّثَنَا أَبُو
سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ
عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ عَبِيدَةَ، قَالَ حَفْصٌ عَنِ
ابْنِ أَخِي أَبِي سَعِيدٍ، وَقَالَ أَبُو خَالِدٍ، عَنْ مَوْلًى، لأَبِي سَعِيدٍ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
إِذَا أَكَلَ أَوْ شَرِبَ قَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا
وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ " .
আবূ
সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যখন খেতেন অথবা কিছু পান করতেন, তখন বলতেনঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার জন্য,
যিনি আমাদেরকে খাবার খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন এবং মুসলমানদের অন্তর্গত করেছেন”।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩২৮৩)।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৪৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ،
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ
بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَنْ أَكَلَ طَعَامًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي
أَطْعَمَنِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ .
غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ وَأَبُو مَرْحُومٍ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مَيْمُونٍ .
সাহল
ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে লোক আহার করার পর বলল, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য যিনি আমাকে
এটা আহার করিয়েছেন এবং এটা আমাকে রিযক দিয়েছেন, আমার তা লাভ করার প্রচেষ্টা বা
শক্তি ব্যতীত", তার আগের সকল অপরাধ ক্ষমা করা হয়।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩২৮৫)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৭
গাঁধার চীৎকার শুনে যে দু'আ
পাঠ করবে
৩৪৫৯
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ،
عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيَكَةِ فَاسْأَلُوا
اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا وَإِذَا سَمِعْتُمْ نَهِيقَ
الْحِمَارِ فَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ فَإِنَّهُ رَأَى
شَيْطَانًا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা
মোরগের ডাক শুনতে পেলে সে সময় আল্লাহ তা'আলার কাছে তার অনুগ্রহ প্রার্থনা করবে।
কেননা সে ফেরেশতাকে প্রত্যক্ষ করেছে। আর যখন তোমরা গাধার চীৎকার শুনবে তখন আল্লাহ
তা'আলার নিকট শাইতান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কেননা সে শাইতানকে দেখেছে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৮
সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু
আকবার, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ ও আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করার ফাযীলাত
৩৪৬০
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي
بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا عَلَى الأَرْضِ أَحَدٌ يَقُولُ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ
بِاللَّهِ . إِلاَّ كُفِّرَتْ عَنْهُ خَطَايَاهُ وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ
الْبَحْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى
شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي بَلْجٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَلَمْ
يَرْفَعْهُ وَأَبُو بَلْجٍ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ وَيُقَالُ أَيْضًا
يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ
حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ
وَحَاتِمٌ يُكْنَى أَبَا يُونُسَ الْقُشَيْرِيَّ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ
شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
আবদুল্লাহ
ইবনু 'আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ পৃথিবীর বক্ষে যে লোকই বলে, “আল্লাহু তা'আলা ব্যতীত কোন মা'বূদ নেই,
আল্লাহ সুমহান, খারাপকে রোধ করা এবং কল্যাণকে লাভ করার শক্তি আল্লাহ তা'আলা ছাড়া
অন্য কারো নেই",
তার অপরাধগুলো মাফ করা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির ন্যায় (বেশি) হয়।
হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৪৯)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৪৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ،
حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ،
عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا قَفَلْنَا أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَكَبَّرَ
النَّاسُ تَكْبِيرَةً وَرَفَعُوا بِهَا أَصْوَاتَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَصَمَّ وَلاَ غَائِبٍ هُوَ
بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رُءُوسِ رِحَالِكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " يَا
عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسِ أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَنْزًا مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ مَلٍّ وَأَبُو نَعَامَةَ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى . وَمَعْنَى قَوْلِهِ
بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رُءُوسِ رِحَالِكُمْ يَعْنِي عِلْمَهُ وَقُدْرَتَهُ .
আবু
মূসা আল-আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। ফেরার কালে যখন আমরা মাদীনার উঁচু ভূমি পার
হচ্ছিলাম সে সময় লোকেরা সজোরে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করে। ফলে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমাদের প্রভু বধিরও নন এবং অনুপস্থিতও
নন। তিনি তোমাদের মাঝেই আছেন এবং তোমাদের সওয়ারীর সম্মুখেই আছেন। তারপর তিনি
বললেনঃ হে আবদুল্লাহ ইবনু কাইস (আবু মূসা)। আমি কি তোমাকে জান্নাতের অন্যতম রত্ন
ভাণ্ডার সম্পর্কে জানাব না? তা হল “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ"।
সহীহঃ সহীহ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৪), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৯
(জান্নাতের গাছের নাম)
৩৪৬২
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ
بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقِيتُ إِبْرَاهِيمَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي
فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَقْرِئْ أُمَّتَكَ مِنِّي السَّلاَمَ وَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ
الْجَنَّةَ طَيِّبَةُ التُّرْبَةِ عَذْبَةُ الْمَاءِ وَأَنَّهَا قِيعَانٌ وَأَنَّ
غِرَاسَهَا سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَاللَّهُ أَكْبَرُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ
مَسْعُودٍ .
ইবনু
মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ মি'রাজের রাতে আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বললেনঃ হে
মুহাম্মাদ" আপনার উম্মাতকে আমার সালাম পৌছিয়ে দিন এবং তাদেরকে জানান যে,
জান্নাতের যামীন অতীব সুগন্ধি সমৃদ্ধ এবং সেখানকার পানি অত্যন্ত সুস্বাদু। তা একটি
সমতল ভূমি এবং তার গাছপালা হল "সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামৃদু লিল্লাহ ওয়ালা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার"।
হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৪৫, ২৫৬), আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ১৫/৬), সহীহাহ
(হাঃ ১০৬)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৪৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى الْجُهَنِيُّ،
حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ لِجُلَسَائِهِ " أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكْسِبَ
أَلْفَ حَسَنَةٍ " . فَسَأَلَهُ سَائِلٌ مِنْ جُلَسَائِهِ كَيْفَ
يَكْسِبُ أَحَدُنَا أَلْفَ حَسَنَةٍ قَالَ " يُسَبِّحُ أَحَدُكُمْ مِائَةَ
تَسْبِيحَةٍ تُكْتَبُ لَهُ أَلْفُ حَسَنَةٍ وَتُحَطُّ عَنْهُ أَلْفُ سَيِّئَةٍ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
সা'দ
ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সঙ্গে
উপস্থিত সাহাবীগণকে বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এক হাজার নেকী অর্জন করতে অক্ষম?
উপস্থিতদের একজন প্রশ্ন করলেন, আমাদের একজন কিভাবে এক হাজার নেকী অর্জন করবে? তিনি
বললেনঃ তোমাদের কেউ একশতবার তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পাঠ করলে তার আমালনামায় এক
হাজার নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তার এক হাজার অপরাধ ক্ষমা করা হবে।
সহীহঃ মুসলিম (হাঃ ৮/৭১)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬০
(সুবহানাল্লাহর ফাযীলাত)
৩৪৬৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ
حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
وَبِحَمْدِهِ . غُرِسَتْ لَهُ نَخْلَةٌ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক
(একবার) বলে “সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়াবিহামদিহী”, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর
গাছ লাগানো হয়।
সহীহঃ রাওযুন নাযীর (হাঃ ২৪৩), সহীহাহ (হাঃ ৬৪)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا الْمُؤَمِّلُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي
الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ غُرِسَتْ لَهُ نَخْلَةٌ فِي
الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
জাবির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক বলে
“সুবৃহানাল্লাহিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী” (আমি মহান আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা সহকারে
পবিত্রতা ঘোষণা করছি) জান্নাতে তার জন্য একটি খেজুর গাছ লাগানো হয়।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৬৬
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مَالِكِ
بْنِ أَنَسٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ
وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ
زَبَدِ الْبَحْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
.
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
লোক একশত বার “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী” বলে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়, তা
সাগরের ফেনারাশির সমপর্যায় হলেও।
সহীহঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব তাহকীক সানী, বুখারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৬৭
حَدَّثَنَا يُوسُفُ
بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ
الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ
حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ
الْعَظِيمِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আবু
হুরাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ এমন দুটি বাক্য আছে যা মুখে উচ্চারন করা অতি সহজ, ওজনে খুবই ভারী এবং
করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নিকট অতি প্রিয়ঃ “সুবাহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহি,
সুবাহানাল্লাহিল আযীম (মহা পবিত্র আল্লাহ তাআলা, তিনি মহামহিম, মহা পবিত্র আল্লাহ
তাআলা, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য)।
সহিহঃ বুখারি ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৬৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ
سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ
شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى
كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَهُ عِدْلَ عَشْرِ
رِقَابٍ وَكُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ
وَكَانَ لَهُ حِرْزًا مِنَ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذَلِكَ حَتَّى يُمْسِيَ وَلَمْ
يَأْتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ أَحَدٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْ
ذَلِكَ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ
كَانَتْ أَكْثَرَ مِنْ زَبَدِ الْبَحْرِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ.
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
লোক প্রত্যহ একশত বার বলেঃ “আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন মা’বুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন
অংশীদার নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনিই প্রান দান করেন
এবং মৃত্যু দেন। সকল কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”, সে দশটি গোলাম মুক্ত করার
সমপরিমান সওয়াব পায়, একশত সাওয়াব তাঁর আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হয় এবং তার (আমলনামা
হতে) একশত গুনাহ মুছে ফেলা হয়। ঐ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে শয়তান হতে রক্ষা করা হয়
এবং তার চাইতে উত্তম বস্তু নিয়ে আর কেও আসবে না , তবে যে লোক উক্ত দোয়া তার তুলনায়
বেশি সংখ্যায় পাঠ করে তার কথা আলাদা।
“প্রান দান করেন এবং মৃত্যু দেন” এই অংশ ব্যতিত হাদীসটি সাহীহঃ আল – কালিমুত
তাইয়্যিব তাহকীক সানি পৃষ্ঠা (২৬) বুখারি ও মুসলিম ঐ অতিরিক্ত অংশ ব্যতীত।
একই সানাদ সুত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে বর্ণিত আছেঃ “যে লোক একশতবার “সুবাহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহী” বলে তার গুনাহসমুহ ক্ষমা
করা হয় তা সাগরের ফেনারাশির চেয়ে বেশি হলেও। সহীহঃ এটা (৩৪৬৬) নও হাদীসের পুনরুক্তি
। আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬১
(সুবাহানালাহ ওয়া বিহামদিহি
এর ফাযীলাত)
৩৪৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ
بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي
صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِي سُبْحَانَ اللَّهِ
وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَفْضَلَ
مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَيْهِ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবু
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক
সকালে ও বিকালে একশত বার বলেঃ সুবাহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহী”, কিয়ামতের দিন তার
চাইতে উত্তম (আমালকারী) আর কেউ হবে না। তবে যে লোক তার ন্যায় কিংবা তার চাইতে অধিক
পরিমান তা বলে (সে উত্তম ‘আমালকারী বলে গণ্য হবে)।
সহীহঃ তাহ’লীকুর রাগিব (হাঃ ১/২২৬), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৭০
حَدَّثَنَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ الزِّبْرِقَانِ،
عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ لأَصْحَابِهِ " قُولُوا
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ مَنْ قَالَهَا مَرَّةً كُتِبَتْ
لَهُ عَشْرًا وَمَنْ قَالَهَا عَشْرًا كُتِبَتْ لَهُ مِائَةً وَمَنْ قَالَهَا
مِائَةً كُتِبَتْ لَهُ أَلْفًا وَمَنْ زَادَ زَادَهُ اللَّهُ وَمَنِ اسْتَغْفَرَ
غَفَرَ اللَّهُ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণ কে বললেনঃ তোমরা “সুব্হানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহী” এক শত বার
বল। যে ব্যক্তি তা একবার বলে তার জন্য দশটি সাওয়াব লিখা হয়। যে ব্যক্তি তা দশবার
বলে তার এক শত সাওয়াব হয়। আর যে ব্যক্তি তা এক শতবার বলে তার জন্য এক হাজার সাওয়াব
লিখা হয় এবং যে ব্যক্তি তা এর চেয়েও বেশি বলে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে আরও অধিক
সাওয়াব দান করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চান তিনি তাকে মাফ করেন।
অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (৪০৬৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও গারীব।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
অনুচ্ছেদ-৬২
তাসবীহ, তাহ্মীদ, তাহ্লীল
ও তাকবীর বলার ফাযীলাত
৩৪৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو سُفْيَانَ الْحِمْيَرِيُّ، هُوَ
سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الْوَاسِطِيُّ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ حُمْرَةَ، عَنْ عَمْرِو
بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَنْ سَبَّحَ اللَّهَ مِائَةً بِالْغَدَاةِ وَمِائَةً
بِالْعَشِيِّ كَانَ كَمَنْ حَجَّ مِائَةَ مَرَّةٍ وَمَنْ حَمِدَ اللَّهَ مِائَةً
بِالْغَدَاةِ وَمِائَةً بِالْعَشِيِّ كَانَ كَمَنْ حَمَلَ عَلَى مِائَةِ فَرَسٍ
فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ قَالَ غَزَا مِائَةَ غَزْوَةٍ وَمَنْ هَلَّلَ اللَّهَ
مِائَةً بِالْغَدَاةِ وَمِائَةً بِالْعَشِيِّ كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ مِائَةَ
رَقَبَةٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَمَنْ كَبَّرَ اللَّهَ مِائَةً بِالْغَدَاةِ
وَمِائَةً بِالْعَشِيِّ لَمْ يَأْتِ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ أَحَدٌ بِأَكْثَرَ
مِمَّا أَتَى بِهِ إِلاَّ مَنْ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَى مَا قَالَ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আমর
ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও তাঁর দাদা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে এক শতবার এবং সন্ধ্যায় এক শতবার “সুবহানাল্লাহ” বলে সে
এক শতবার হাজ্জ আদায়কারীর অনুরুপ। যে ব্যক্তি সকালে এক শতবার এবং সন্ধ্যায় এক
শতবার “আলহামদুলিল্লাহ” বলে সে আল্লাহ্ তা’আলার পথে (জিহাদে) এক শত ঘোড়া দানকারীর
মত অথবা তিনি বলেছেনঃ এক শত জিহাদে অংশ গ্রহণকারীর মত। যে ব্যক্তি সকালে একশত বার
এবং সন্ধ্যায় এক শতবার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলে যে ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের এক শত
দাস আযাদকারীর মত। আর যে ব্যক্তি সকালে এক শতবার এবং সন্ধ্যায় এক শতবার “আল্লাহু
আকবার” বলে, সেই দিনের মধ্যে তার চেয়ে আর কেউ অধিক কিছু (আমল) উপস্থাপন করতে পারবে
না, তবে যে ব্যক্তি তার অনুরূপ সংখ্যায় পড়েছে অথবা তার চেয়ে অধিক সংখ্যায় পড়েছে সে
ছাড়া।
মুনকার, যঈফা (১৩১৫), মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৩১২), তা’লীকুর রাগীব (১/২২৯), আবূ
ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃমুনকার
৩৪৭২
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ الأَسْوَدِ الْعِجْلِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ آدَمَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
قَالَ تَسْبِيحَةٌ فِي رَمَضَانَ أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ تَسْبِيحَةٍ فِي غَيْرِهِ
.
যুহ্রী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যুহ্রী (রহ:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রামাযান মাসের এক
তাসবীহ অন্য মাসের হাজার তাসবীহ হতেও বেশি ফাযীলাতপূর্ণ।
সনদ দুর্বল, বিচ্ছিন্ন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৩
যে দু’আ পাঠ করলে চল্লিশ লাখ
সাওয়াব হয়
৩৪৭৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ،
عَنِ الأَزْهَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ إِلَهًا وَاحِدًا أَحَدًا
صَمَدًا لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
عَشْرَ مَرَّاتٍ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَرْبَعِينَ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
وَالْخَلِيلُ بْنُ مُرَّةَ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ .
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هُوَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ .
তামীমুদ-দারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে
ব্যক্তি দশবার বলে, “আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ্ তা’আলা ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই,
তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই, তিনি একমাত্র ইলাহ এবং একক সত্তা, তিনি
স্বয়ংসম্পূর্ণ, তিনি গ্রহন করেননি কোন বিবি এবং কোন সন্তান, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই”,
আল্লাহ্ তা’আলা (তার আমলনামায়) চল্লিশ লক্ষ সাওয়াব লিখে দেন।
যঈফ, যঈফা (৩৬১১), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব, এই একটি মাত্র সনদসূত্রেই আমরা
এ হাদীস জেনেছি। আল-খালীল ইবনু মুর্রা হাদীসবেত্তাদের মতে তেমন মজবুত রাবী নন।
মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (আল-বুখারী) (রহঃ) বলেন তিনি পরিত্যক্ত রাবী।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৪৭৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ،
عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ أَبِي
ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ فِي
دُبُرِ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَهُوَ ثَانِي رِجْلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ كُتِبَ لَهُ
عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَمُحِيَ عَنْهُ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ
دَرَجَاتٍ وَكَانَ يَوْمَهُ ذَلِكَ فِي حِرْزٍ مِنْ كُلِّ مَكْرُوهٍ وَحَرْسٍ مِنَ
الشَّيْطَانِ وَلَمْ يَنْبَغِ لِذَنْبٍ أَنْ يُدْرِكَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ
إِلاَّ الشِّرْكَ بِاللَّهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ
.
আবূ
যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে
ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর তার দুই পা ভাজ করা অবস্থায় (তাশাহুদের অবস্থায়) কোন
কথাবার্তা বলার পূর্বে দশবার বলে, “আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক,
তাঁর কোন শারীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, তিনিই জীবন দান করেন
এবং মৃত্যু দান করেন, তিনি সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান”, তার আমলনামায় দশটি সাওয়াব
লেখা হয়, তার দশটি গুনাহ মুছে ফেলা হয় এবং তার সম্মান দশগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। সে ঐ
দিন সব রকমের সংকট হতে নিরাপদ থাকবে এবং শাইতানের ধোঁকা হতে তাকে পাহারা দেয়া হবে
এবং ঐ দিন শিরকীয় গুনাহ ছাড়া অন্য কোন প্রকারের গুনাহ তাকে সংকটাপন্ন করতে পারবে
না।
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (১/১৬৬), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৪
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত বিভিন্ন দু’আর সমষ্টি
৩৪৭৫
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ
بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عِمْرَانَ الثَّعْلَبِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ
بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ
الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً
يَدْعُو وَهُوَ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ
أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ
وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ . قَالَ فَقَالَ "
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ سَأَلَ اللَّهَ بِاسْمِهِ الأَعْظَمِ الَّذِي
إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى " . قَالَ زَيْدٌ
فَذَكَرْتُهُ لِزُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ ذَلِكَ بِسِنِينَ فَقَالَ
حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ . قَالَ زَيْدٌ ثُمَّ
ذَكَرْتُهُ لِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ فَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى شَرِيكٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ
أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ وَإِنَّمَا أَخَذَهُ أَبُو
إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ وَإِنَّمَا دَلَّسَهُ .
وَرَوَى شَرِيكٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ .
‘আবদুল্লাহ
ইবনু বুরাইদাহ্ আল-আসলামী (রাঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এক লোককে তার দু’আ এভাবে বলতে শুনেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি
আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোন মা’বূদ নেই, তুমি
একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি, তার
সমকক্ষ কেউ নেই”। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তখন বললেনঃ সেই মহান সত্তার ক্বসম যাঁর হাতে আমার জীবন! নিঃসন্দেহে এই
লোক আল্লাহ তা’আলার মহান নামের ওয়াসীলায় তার নিকটে প্রার্থনা করেছে, যে নামের
ওয়াসীলায় দু’আ করা হলে তিনি ক্ববূল করেন এবং যে নামের ওয়াসীলায় প্রার্থনা করলে
তিনি দান করেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৫৭)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৫
(দু’আ করার আগে আল্লাহর
তা’আলার প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করবে)
৩৪৭৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي هَانِئٍ
الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْجَنْبِيِّ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ،
قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ
فَصَلَّى فَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي . فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهَ صلى الله عليه وسلم " عَجِلْتَ أَيُّهَا الْمُصَلِّي إِذَا
صَلَّيْتَ فَقَعَدْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَصَلِّ عَلَىَّ
ثُمَّ ادْعُهُ " . قَالَ ثُمَّ صَلَّى رَجُلٌ آخَرُ بَعْدَ ذَلِكَ
فَحَمِدَ اللَّهَ وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَيُّهَا الْمُصَلِّي ادْعُ تُجَبْ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ رَوَاهُ حَيْوَةُ بْنُ
شُرَيْحٍ عَنْ أَبِي هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيِّ وَأَبُو هَانِئٍ اسْمُهُ حُمَيْدُ
بْنُ هَانِئٍ وَأَبُو عَلِيٍّ الْجَنْبِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ مَالِكٍ .
ফাযালাহ্
ইবনু ‘উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) (মাসজিদে) বসা অবস্থায় ছিলেন। সে সময় জনৈক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে নামায
আদায় করল, তারপর বলল, “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার প্রতি দয়া কর”।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে নামাযী! তুমি তো তড়িঘড়ি
করলে। যখন তুমি নামায শেষ করে বসবে সে সময় শুরুতে আল্লাহ তা’আলার যথোপযুক্ত
প্রশংসা করবে এবং আমার উপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ করবে, তারপর আল্লাহ তা’আলার নিকটে
দু’আ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর অপর লোক এসে নামায আদায় করে প্রথমে আল্লাহর
তা’আলার প্রশংসা করল, তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ ও
সালাম পেশ করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, হে নামাযী!
এবার দু’আ কর ক্ববূল করা হবে।
সহীহঃ সিফাতুস্ সালাত, সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৩১)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৭৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا
حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، أَنَّ عَمْرَو
بْنَ مَالِكٍ الْجَنْبِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ،
يَقُولُ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَدْعُو فِي صَلاَتِهِ
فَلَمْ يُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم " عَجِلَ هَذَا " . ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ أَوْ
لِغَيْرِهِ " إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِتَحْمِيدِ اللَّهِ
وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ ثُمَّ لِيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ
لِيَدْعُ بَعْدُ بِمَا شَاءَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ফাযালাহ্
ইবনু ‘উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোককে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর
নামাযের মাঝে দু’আ করতে শুনলেন, কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
উপর সে দরূদ পড়েনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ
ব্যক্তিটি তাড়াহুড়া করেছে। তারপর তিনি তাকে ডাকলেন এবং তাকে বা অপর কাউকে বললেনঃ
তোমাদের কেউ নামায আদায় করলে সে যেন আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও তাঁর গুণগান করে,
তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ পাঠ করে, তারপর
তার মনের কামনা অনুযায়ী দু’আ করে।
সহীহঃ দেখুন পূর্বে বর্ণিত হাদীসটির পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৭৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ خَشْرَمٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي
زِيَادٍ الْقَدَّاحِ، كَذَا قَالَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ
بِنْتِ يَزِيدَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اسْمُ
اللَّهِ الأَعْظَمُ فِي هَاتَيْنِ الآيَتَيْنِِ : ( وإلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ) وَفَاتِحَةِ آلِ عِمْرَانَ
(الم * اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ ) " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আসমা
বিনতু ইয়াযিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ
তা’আলার মহান নাম (ইসমে আযম) এই দুই আয়াতের মাঝে নিহিত আছে (অনুবাদ) : “আর তোমাদের
মা’বূদ একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি দয়াময়, অতিদয়ালু”-
(সূরা বাক্বারাহ্ ১৬৩)। আর সূরা আ-লি ‘ইমরানের প্রারম্ভিক আয়াত (অনুবাদ)
“আলিফ-লাম-মীম। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও
চিরস্থায়ী”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১-২)।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৫৫)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৬
(অমনোযোগীর দু’আ কবূল হয় না)
৩৪৭৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، - وَهُوَ رَجُلٌ صَالِحٌ حَدَّثَنَا
صَالِحٌ الْمُرِّيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
ادْعُوا اللَّهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالإِجَابَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ
لاَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لاَهٍ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
سَمِعْتُ عَبَّاسًا الْعَنْبَرِيَّ يَقُولُ اكْتُبُوا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيِّ فَإِنَّهُ ثِقَةٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা ক্ববূল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহ তা’আলার কাছে দু’আ কর। তোমরা
জেনে রাখ যে, আল্লাহ তা’আলা নিশ্চয় অমনোযোগী ও অসাড় মনের দু’আ ক্ববূল করেন না।
হাসানঃ সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ৫৯৬)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৭
শারীরিক সুস্থতা কামনা করা
৩৪৮০
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، عَنْ
حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي
جَسَدِي وَعَافِنِي فِي بَصَرِي وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ حَبِيبُ بْنُ أَبِي
ثَابِتٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ شَيْئًا وَحَبِيبُ بْنُ
أَبِي ثَابِتٍ هُوَ حَبِيبُ بْنُ قَيْسِ بْنِ دِينَارٍ وَقَدْ أَدْرَكَ عُمَرَ
وَابْنَ عَبَّاسٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ .
আইশা
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! আমাকে দৈহিক সুস্থতা দান কর, আমার দৃষ্টি শক্তির সুস্থতা দান
কর এবং উহাকে আমার উত্তরাধিকার বানিয়ে দাও। আল্লাহ্ ভিন্ন কোন ইলাহ্ নেই। তিনি
অতি সহনশীল ও দয়ালু। মহান আরশের মালিক আল্লাহ্ তা’আলা অতি পবিত্র। বিশ্বের
রক্ষণাবেক্ষণকারী আল্লাহ্ তা’আলার জন্য সকল প্রশংসা”।
সনদ দুর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। তিনি আরও বলেনঃ আমি মুহাম্মাদ
(ইমাম বুখারী)–কে বলতে শুনেছি, হাবীব ইবনু আবূ সাবিত উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রহঃ) হতে
কিছুই শুনেননি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৮
[ফাতিমাহ্ (রাঃ)-কে শিখানো
দু’আ]
৩৪৮১
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
تَسْأَلُهُ خَادِمًا فَقَالَ لَهَا " قُولِي اللَّهُمَّ رَبَّ
السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ
شَيْءٍ مُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ فَالِقَ الْحَبِّ
وَالنَّوَى أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ
أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ
شَيْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ
فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَهَكَذَا رَوَى بَعْضُ
أَصْحَابِ الأَعْمَشِ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَ هَذَا . وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ
الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ مُرْسَلٌ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে
এসে ফাতিমাহ্ (রাঃ) একটি খাদিম চাইলেন। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ, সাত
আকাশের প্রতিপালক এবং মহান আরশের প্রভূ, আমাদের প্রতিপালক এবং প্রতিটি বস্তুর
পালনকর্তা, তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন অবতীর্ণকারী এবং শস্যবীজ ও আঁটির অংকুর
উদগমনকারী! আমি এমন প্রতিটি জিনিসের অনিষ্ট হতে তোমার নিকটে আশ্রয় চাই যার মস্তকের
অগ্রভাগের চুলগুলো তুমি ধরে রেখেছ (অর্থাৎ তোমার নিয়ন্ত্রণাধীন)। তুমিই শুরু,
তোমার আগে কিছুই নেই। তুমিই শেষ, তোমার পরেও কিছুই নেই। তুমিই প্রবল ও বিজয়ী,
তোমার উপর কিছুই নেই। তুমিই লুকানো, তুমি ছাড়া আর কিছুই নেই। অতএব আমার ঋণ তুমি
মিটিয়ে দাও এবং দরিদ্রতা হতে আমাকে স্বাবলম্বী করে দাও”।
সহীহঃ মুসলিম (হাঃ ৮/৭৯)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৯
(চার বস্তু হতে আশ্রয়
প্রার্থনা)
৩৪৮২
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ،
عَنْ زُهَيْرِ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ
بِكَ مِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَدُعَاءٍ لاَ يُسْمَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ
وَمِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَؤُلاَءِ الأَرْبَعِ " .
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ .
قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو
‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি এমন মন হতে যা (তোমার ভয়ে)
ভীত হয় না, এমন দু’আ হতে যা শুনা হয় না (প্রত্যাখ্যান করা হয়), এমন আত্মা হতে যা
পরিতৃপ্ত হয় না এবং এমন জ্ঞান হতে যা কাজে আসে না। তোমার নিকট আমি এ চার জিনিস হতে
আশ্রয় চাই”।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ১/৭৫-৭৬), সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৮৪-১৩৮৫)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭০
উপকারী দু’টি বাক্য
৩৪৮৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنِ
الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم لأَبِي " يَا حُصَيْنُ كَمْ تَعْبُدُ الْيَوْمَ إِلَهًا
" . قَالَ أَبِي سَبْعَةً سِتًّا فِي الأَرْضِ وَوَاحِدًا فِي السَّمَاءِ
. قَالَ " فَأَيُّهُمْ تَعُدُّ لِرَغْبَتِكَ وَرَهْبَتِكَ " .
قَالَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ . قَالَ " يَا حُصَيْنُ أَمَا إِنَّكَ لَوْ
أَسْلَمْتَ عَلَّمْتُكَ كَلِمَتَيْنِ تَنْفَعَانِكَ " . قَالَ فَلَمَّا
أَسْلَمَ حُصَيْنٌ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي الْكَلِمَتَيْنِ
اللَّتَيْنِ وَعَدْتَنِي . فَقَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي
رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ مِنْ
غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
ইমরান
ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমার পিতাকে বললেনঃ হে হুসাইন! তুমি প্রতিদিন কত উপাস্যের পূজা-আর্চনা কর? আমার
পিতা বললেন, সাতজন, ছয়জন এ মাটির দুনিয়াতে এবং একজন আকাশে। এবার রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি এদের মধ্যে কার থেকে আশা ও ভীতি
অনুভব কর? তিনি বললেন, যে আকাশে আছে তার হতে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে হুসাইন, আহা! যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ করতে তাহলে আমি তোমাকে
দু’টি বাক্য শিখিয়ে দিতাম যা তোমার কল্যাণে আসত। রাবী বলেনঃ হুসাইন (রাঃ) ইসলাম
গ্রহণ করার পর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে যে দু’টি বাক্য শিখিয়ে দেয়ার
ওয়াদা করেছিলেন, এখন তা আমাকে শিখিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়াত নসীব কর এবং আমার নাফসের
অনিষ্ট হতে আমাকে বাঁচাও”।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৪৭৬), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। ইমরান
ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে এ হাদীস অন্যসূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭১
(দুশ্চিন্তা হতে আশ্রয়
প্রার্থনা)
৩৪৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ
الْمَدَنِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، مَوْلَى الْمُطَّلِبِ عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، رضى الله عنه قَالَ كَثِيرًا مَا كُنْتُ أَسْمَعُ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم يَدْعُو بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ " اللَّهُمَّ إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْبُخْلِ
وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ أَبِي
عَمْرٍو .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অনেকবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে নিম্নোক্ত বাক্যের মাধ্যমে দু’আ করতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার
কাছে আশ্রয় চাই দুর্ভাবনা ও দুশ্চিন্তা হতে, অক্ষমতা ও অলসতা হতে, কৃপণতা ও ঋণের
বোঝা হতে এবং মানুষের প্রাধান্য থেকে”।
সহীহঃ গাইয়াতুল মারাম (হাঃ ৩৪৭), সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৭৭-১৩৭৮), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৮৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو يَقُولُ " اللَّهُمَّ
إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ
وَفِتْنَةِ الْمَسِيحِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করে বলতেনঃ
“হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি অলসতা, বার্ধক্য, কাপুরূষতা,
কৃপণতা, মাসীহ্ দাজ্জালের পরীক্ষা এবং ক্ববরের শাস্তি হতে”।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৭৭), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭২
হাতের আঙ্গুলে গুনে গুনে
তাসবীহ পাঠ করা
৩৪৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ عَمْرٍو، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُ
التَّسْبِيحَ . وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ
حَدِيثِ الأَعْمَشِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . وَرَوَى شُعْبَةُ
وَالثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ بِطُولِهِ .
وَفِي الْبَابِ عَنْ يُسَيْرَةَ بِنْتِ يَاسِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ
النِّسَاءِ اعْقِدْنَ بِالأَنَامِلِ فَإِنَّهُنَّ مَسْئُولاَتٌ مُسْتَنْطَقَاتٌ
" .
‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি
তাঁর স্বীয় হস্তে গুণে গুণে তাসবীহ পাঠ করতে দেখেছি।
সহীহঃ এটি ৩৪১১ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ
ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم عَادَ رَجُلاً قَدْ جُهِدَ حَتَّى صَارَ مِثْلَ الْفَرْخِ فَقَالَ لَهُ
" أَمَا كُنْتَ تَدْعُو أَمَا كُنْتَ تَسْأَلُ رَبَّكَ الْعَافِيَةَ
" . قَالَ كُنْتُ أَقُولُ اللَّهُمَّ مَا كُنْتَ مُعَاقِبِي بِهِ فِي
الآخِرَةِ فَعَجِّلْهُ لِي فِي الدُّنْيَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّكَ لاَ تُطِيقُهُ - أَوْ لاَ تَسْتَطِيعُهُ
أَفَلاَ كُنْتَ تَقُولُ اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي
الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ
غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রোগাক্রান্ত
লোকের খোঁজ – খবর নিতে গিয়ে দেখেন যে , সে রোগে জর্জরিত হয়ে একেবারে চড়ুই পাখির
বাচ্চার ন্যায় ক্ষীণ হয়ে গেছে। তিনি তাকে বললেনঃ রোগ মুক্তির জন্য তুমি কি আল্লাহ্
তা’আলার নিকট দু’আ করনি, তুমি কি তোমার প্রভুর কাছে শান্তি ও সুস্থতা কামনা করনি?
সে বলল, আমি বলেছিলাম, “হে আল্লাহ্~ আমাকে তুমি আখিরাতে যে শাস্তি দিবে তা এ
দুনিয়াতে আগেভাগেই দিয়ে দাও”। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
সুবাহানাল্লাহ! তা সহ্য করার মত শক্তি –সামর্থ্য তোমার কোনটাই নাই। তুমি এভাবে কি
বলতে পারলে না, “হে আল্লাহ্! দুনিয়াতেও আমাদের মঙ্গল দান কর, আখিরাতেও মঙ্গল দান
কর এবং জাহান্নামের অগ্নি হতে আমাদের হিফাযাত কর?”
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ১৩২৯), মুসলিম, বুখারি শুধুমাত্র দু’আর অংশ বর্ণনা
করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৮৮
حَدَّثَنَا هَارُونُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ هِشَامِ
بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِهِ : ( ربَّنَا آتِنَا فِي
الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً ) قَالَ فِي الدُّنْيَا الْعِلْمَ
وَالْعِبَادَةَ وَفِي الآخِرَةِ الْجَنَّةَ .
হাসান
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আ-খিরাতি
হাসানাহ” এই আয়াতের ব্যাখ্যায় হাসান (রহঃ) বলেনঃ দুনিয়ার কল্যান হল জ্ঞান ও
ইবাদাত, আখিরাতের কল্যাণ হল জান্নাত।
হাসান লিগাইরিহীঃ তাফসীর ত্বাবারী (৪/২০৫)।
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না খালিদ ইবনুল হারিস হতে, তিনি
হুমাইদ হতে, তিনি সাবিত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে এই সূত্রে উপরিউক্ত হাদিসের মতই বর্ণনা
করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান লিগাইরিহি
অনুচ্ছেদ-৭৩
(হিদায়াত কামনা করা)
৩৪৮৯
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الأَحْوَصِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو " اللَّهُمَّ
إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
‘আবদুল্লাহ
ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’আ করতেন, “হে
আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি হিদায়াত, তাকওয়া , চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা
প্রার্থনা করি”।
সহীহঃ ইবনু মা’জাহ (হাঃ ৩৮৩২), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৯০
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ
الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبِيعَةَ الدِّمَشْقِيِّ، حَدَّثَنَا
عَائِذُ اللَّهِ أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَانَ مِنْ دُعَاءِ دَاوُدَ
يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَالْعَمَلَ
الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ
نَفْسِي وَأَهْلِي وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ " . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَكَرَ دَاوُدَ يُحَدِّثُ عَنْهُ قَالَ "
كَانَ أَعْبَدَ الْبَشَرِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবুদ্
দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ দাঊদ (আঃ)-এর দু’আসমূহের একটি হল এই যে, তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি
তোমার নিকট তোমার ভালোবাসা এবং যে তোমাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা প্রার্থনা করি এবং
এমন আমল করার সামর্থ্য চাই যা তোমার ভালোবাসা লাভ করা পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। হে
আল্লাহ! তোমার ভালোবাসাকে আমার নিজের জান-মাল, পরিবার-পরিজন ও ঠান্ডা পানির চেয়েও
বেশি প্রিয় করে দাও।” রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যখনই দাঊদ (আঃ)-এর আলোচনা করতেন তখনই তাঁর প্রসঙ্গে বলতেনঃ তিনি সকল লোকের চাইতে
বেশি ইবাদাতকারী ছিলেন। হাদীসে বর্ণিত, “দাঊদ (আঃ) সমস্তলোকের চাইতে বেশি ইবাদাতকারী
ছিলেন” এই অংশটুকু মুসলিমে ইবনু উমার হতে বর্ণিত আছে।
বাকী অংশ যঈফ, সহীহা (৭০৭), মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৪৯৬), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি
হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৭৪
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু‘আয় যা বলতেন
৩৪৯১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ
أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ " اللَّهُمَّ
ارْزُقْنِي حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يَنْفَعُنِي حُبُّهُ عِنْدَكَ اللَّهُمَّ مَا
رَزَقْتَنِي مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ قُوَّةً لِي فِيمَا تُحِبُّ اللَّهُمَّ
وَمَا زَوَيْتَ عَنِّي مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ لِي فَرَاغًا فِيمَا تُحِبُّ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَأَبُو جَعْفَرٍ
الْخَطْمِيُّ اسْمُهُ عُمَيْرُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خُمَاشَةَ .
আব্দুল্লাহ
ইবনু ইয়াযীদ আল-খাতমী আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু‘আয়
বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাকে তোমার ভালোবাসা দান কর এবং ঐ ব্যক্তির ভালোবাসাও দান কর
যার ভালোবাসা তোমার নিকটে আমার উপকারে আসবে। হে আল্লাহ! আমার প্রিয় জিনিসের মধ্য
হতে যা তুমি আমাকে দান করেছ এটিকে আমার শক্তিতে পরিণত কর, তুমি যা ভালোবাস তা
অর্জনের জন্য। হে আল্লাহ! আমার প্রিয় জিনিসের মধ্য হতে যা তুমি আটকে রেখেছ সেটিকে
তুমি যা ভালোবাস তা অর্জনের জন্য আমার অবকাশ বা সুযোগে পরিণত কর”।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৪৯১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ জাফর আল-খাতমীর
নাম উমাইর, পিতা ইয়াযীদ এবং দাদা খুমাশা।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৫
(আশ্রয় প্রার্থনার দু’আ)
৩৪৯২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ
أَوْسٍ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ يَحْيَى الْعَبْسِيِّ، عَنْ شُتَيْرِ بْنِ شَكَلٍ، عَنْ
أَبِيهِ، شَكَلِ بْنِ حُمَيْدٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي تَعَوُّذًا أَتَعَوَّذُ بِهِ . قَالَ
فَأَخَذَ بِكَتِفِي فَقَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ
شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي
وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي " . يَعْنِي فَرْجَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سَعْدِ
بْنِ أَوْسٍ عَنْ بِلاَلِ بْنِ يَحْيَى .
শাকাল
ইবনু হুমাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর
কাছে এসে বললাম , হে আল্লাহ্র রসূল! আমাকে আশ্রয় প্রার্থনার একটি বাক্য শিখিয়ে
দিন যা দিয়ে আমি (আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে) আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারি। বর্ণনাকারী
বলেন, আমার হাত ধরে তিনি বললেন, তুমি বল, “হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি আশ্রয়
প্রার্থনা করি আমার কানের অনিষ্ট, আমার চোখের (দৃষ্টির) অনিষ্ট, আমার জিহবার
(কথার) অনিষ্ট, আমার মনের অনিষ্ট এবং আমার বীর্য অর্থাৎ লজ্জাস্থানের অনিষ্ট হতে”।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ২৪৭২), সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ১৩৮৭)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৬
(আল্লাহ্ তা’আলার অখুশি হতে
তাঁর খুশির আশ্রয় প্রার্থনা)
৩৪৯৩
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ
سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، أَنَّ عَائِشَةَ،
قَالَتْ كُنْتُ نَائِمَةً إِلَى جَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَفَقَدْتُهُ مِنَ اللَّيْلِ فَلَمَسْتُهُ فَوَقَعَتْ يَدِي عَلَى قَدَمَيْهِ
وَهُوَ سَاجِدٌ وَهُوَ يَقُولُ " أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ
وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا
أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ قَدْ رُوِيَ
مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا
الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . وَزَادَ فِيهِ " وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ
أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ " .
‘আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর পাশেই
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। রাতে আমি তাঁকে (বিছানা হতে) হারিয়ে ফেললাম। তাই
(অন্ধকারে) তাঁকে আমি খুঁজতে থাকলাম। আমার হস্ত তাঁর দু’পায়ের উপরে পড়ল। তখন তিনি
সাজদাহ্রত ছিলেন এবং তিনি বলছিলেনঃ “(হে আল্লাহ্), আমি তোমার অখুশি হতে তোমার
খুশির আশ্রয় চাই , তোমার শাস্তি হতে তোমার ক্ষমার আশ্রয় চাই, তোমার পূর্ণ প্রশংসা
করা আমার সাধ্যাতীত, তুমি তেমন গুনেই গুণান্বিত যেভাবে তুমি নিজের গুন উল্লেখ
করেছ”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৪১) , মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে এ হাদীস
একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কুতাইবাহ – লাইস হতে , তিনি ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)
হতে এ সনদে পূর্বোক্ত হাদিসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে আরো আছেঃ “আমি তোমার
(শাস্তি) হতে তোমার আশ্রয় চাই, তোমার পূর্ণ প্রশংসা করতে আমি অক্ষম।’’
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৭
(যে দু’আটি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনের সূরা শিখানোর ন্যায় গুরুত্ব নিয়ে
শিখাতেন)
৩৪৯৪
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ
الْمَكِّيِّ، عَنْ طَاوُسٍ الْيَمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُعَلِّمُهُمْ هَذَا الدُّعَاءَ
كَمَا يُعَلِّمُهُمُ السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ
بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ
فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا
وَالْمَمَاتِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
[غَرِيبٌ] .
‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , এ দু’আটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে এমন ভাবে শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি কুরআনের কোন সূরা
তাদেরকে শিক্ষা দিতেনঃ “ হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি আশ্রয় চাই জাহান্নামের
শাস্তি হতে, কবরের শাস্তি হতে এবং তোমার নিকট আরো আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিত্না
হতে। তোমার নিকট আমি আরো আশ্রয় চাই জীবন ও মৃত্যুর বিপর্যয় হতে”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৪০) , মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৯৫
حَدَّثَنَا هَارُونُ
بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ
هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ "
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ
الْقَبْرِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى وَمِنْ شَرِّ
فِتْنَةِ الْفَقْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ اللَّهُمَّ
اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَأَنْقِ قَلْبِي مِنَ
الْخَطَايَا كَمَا أَنْقَيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ
بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْمَأْثَمِ
وَالْمَغْرَمِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
‘আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এ সকল বাক্য দিয়ে দু’আ করতেনঃ “হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাইঃ
জাহান্নামের বিপর্যয় ও জাহান্নামের শাস্তি হতে, কবরের পরীক্ষা ও কবরের শাস্তি হতে,
প্রাচুর্যের বিপর্যয়কর অনিষ্ট হতে, দরিদ্রতার বিপর্যয়কর অকল্যাণ হতে এবং মাসীহ
দাজ্জালের অনিষ্ট হতে। হে আল্লাহ্! তুমি আমার গুনাহসমুহ বরফ-শিলা পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেল, আমার মনকে সকল পাপ হতে পরিচ্ছন্ন কর যেমনভাবে পরিচ্ছন্ন করেছ সাদা কাপড়কে
ময়লা থেকে এবং আমার ও আমার গুনাহসমুহের মধ্যে এতটা ব্যবধান সৃষ্টি করে দাও যতটা
ব্যবধান তুমি সৃষ্টি করেছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ্! তোমার নিকট আশ্রয়
চাই অলসতা, বার্ধক্য , গুনাহের প্রলুব্ধকর বস্তু ও ঋণগ্রস্ততা হতে”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৩৮), বুখারি ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৯৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ
بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبَّادِ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عِنْدَ وَفَاتِهِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ
لِي وَارْحَمْنِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الأَعْلَى " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
‘আয়িশাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে আমি তাঁর মৃত্যুবরণ কালে বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! আমাকে মাফ করুন,
আমার প্রতি দয়া করুন এবং সুমহান সঙ্গির সঙ্গে আমাকে মিলিত করুন”।
সহীহঃ বুখারি ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৮
(দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে দু’আ
করা)
৩৪৯৭
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " لاَ يَقُولُ أَحَدُكُمُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ
اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي إِنْ شِئْتَ لِيَعْزِمِ الْمَسْأَلَةَ فَإِنَّهُ لاَ
مُكْرِهَ لَهُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
তোমাদের কেউ যেন এভাবে না বলে, “ হে আল্লাহ্ ! তুমি চাইলে আমাকে মাফ কর। হে
আল্লাহ্! তুমি চাইলে আমার প্রতি দয়া কর”। বরং সে যেন পূর্ণ দৃঢ়তার সঙ্গে কামনা
করে। কেননা আল্লাহ্ তা’আলার উপর জবরদস্তকারী কেউ নাই।
সহীহ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৫৪), বুখারি ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৯
(আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি রাতে
পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন)
৩৪৯৮
حَدَّثَنَا
الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ
أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
يَنْزِلُ رَبُّنَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى
ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ وَمَنْ
يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرُّ اسْمُهُ
سَلْمَانُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ
وَأَبِي سَعِيدٍ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَرِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ وَأَبِي
الدَّرْدَاءِ وَعُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِي .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে আমাদের প্রভু দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন। অতঃপর
তিনি বলেন, “আমার কাছে যে দু’আ করবে তার দু’আ আমি কবুল করব। যে ব্যক্তি আমার নিকট
(কিছু) প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে ব্যক্তি আমার নিকট মাফ চাইবে আমি
তাকে মাফ করে দিব।
সহীহঃ বুখারি ও মুসলিম, ৪৪৬ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৪৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى الثَّقَفِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ
ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ،
قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الدُّعَاءِ أَسْمَعُ قَالَ " جَوْفُ
اللَّيْلِ الآخِرُ وَدُبُرَ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَابْنِ عُمَرَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ
الدُّعَاءُ فِيهِ أَفْضَلُ أَوْ أَرْجَى " . أَوْ نَحْوَ هَذَا .
আবূ
উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বলা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল! কোন সময়ের দু’আ
বেশী (শোনা) গ্রহণযোগ্য হয়? তিনি বললেন, শেষ রাতের মাঝ ভাগের এবং ফরয নামায গুলোর
পরবর্তী দু’আ।
হাসানঃ তা’লিকুর রাগীব (হাঃ ২/২৭৬), আল –কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ১১৩/৭০), তাহকিক
সানী।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৫০০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عُمَرَ الْهِلاَلِيُّ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَمِعْتُ دُعَاءَكَ
اللَّيْلَةَ فَكَانَ الَّذِي وَصَلَ إِلَىَّ مِنْهُ أَنَّكَ تَقُولُ " اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَوَسِّعْ لِي فِي رِزْقِي وَبَارِكْ لِي فِيمَا رَزَقْتَنِي
" . قَالَ " فَهَلْ تَرَاهُنَّ تَرَكْنَ شَيْئًا " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو السَّلِيلِ اسْمُهُ ضُرَيْبُ بْنُ
نُفَيْرٍ وَيُقَالُ ابْنُ نُقَيْرٍ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আজ রাতে আমি আপনার দু’আ
শুনেছি। আমি তা হতে যা মনে রাখতে পেরেছি তা এই যে, আপনি বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! আমার
গুনাহ মাফ করে দাও, আমার ঘর প্রশস্ত কর এবং তুমি আমাকে যে রিযিক দিয়েছ তাতে বারকাত
দান কর”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি মনে কর
যে, এ দু‘আ কিছু বাদ দিয়েছে।
যঈফ, দু‘আটি হাসান। রাওযুন নাযীর (১১৬৭), গায়াতুল মারাম (১১২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আবূ সালীমের নাম যুরাইব,
পিতা নুকাইর অথবা নুফাইর।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৫০১
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، وَهُوَ
ابْنُ يَزِيدَ الْحِمْصِيُّ عَنْ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ
زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ اللَّهُمَّ أَصْبَحْنَا
نُشْهِدُكَ وَنُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ
بِأَنَّكَ الله لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ وَأَنَّ
مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ . إِلاَّ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا أَصَابَ فِي
يَوْمِهِ ذَلِكَ وَإِنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا أَصَابَ
فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ مِنْ ذَنْبٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলায় উপনীত হয়ে বলেঃ ‘হে আল্লাহ! আমরা ভোরে উপনীত
হলাম, আমরা তোমাকে সাক্ষী বানালাম, আরও সাক্ষী বানালাম তোমার আরশ বহনকারীদেরকে এবং
তোমার ফেরেশতাগণকে ও তোমার সকল সৃষ্টিকে এই বিষয়ে যে, তুমিই আল্লাহ, তুমি আল্লাহ
ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তুমি এক, তোমার কোন অংশীদার নেই এবং মুহাম্মাদ তোমার বান্দা ও
রাসূল”, আল্লাহ তা‘আলা তার সে দিনে সম্পাদিত সকল গুনাহ মাফ করে দেন। আর সে যদি
সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে ঐ কথা বলে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সেই রাতের কৃত সকল গুনাহ মাফ
করে দেন।
যঈফ, আলকালিমুত তায়্যিব (২৫), মিশকাত তাহকীক ছানী (২৩৯৮), যঈফা (১০৪১), আবূ ঈসা
বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮০
(আল্লাহ্! নির্দয় লোককে
আমাদের শাসক পদে নিয়োগ করো না)
৩৫০২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ،
عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، أَنَّ
ابْنَ عُمَرَ، قَالَ قَلَّمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ
مِنْ مَجْلِسٍ حَتَّى يَدْعُوَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ لأَصْحَابِهِ "
اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ
مَعَاصِيكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ
مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مُصِيبَاتِ الدُّنْيَا وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا
وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا
وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا
وَلاَ تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا وَلاَ تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ
هَمِّنَا وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلاَ تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لاَ
يَرْحَمُنَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ عَنْ
نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নোক্ত
বাক্যে তাঁর সাহাবীগণের জন্য দু’আ না করে হঠাৎ মাজলিস হতে খুব কমই বিদায় হতেনঃ “হে
আল্লাহ্! আমাদের মাঝে তুমি এতো পরিমাণ আল্লাহ্ভীতি ভাগ কর যা আমাদের মাঝে ও
তোমার প্রতি অবাধ্যচারী হওয়ার মাঝে বাধা হতে পারে এবং আমাদের মাঝে তোমার প্রতি
আনুগত্য এতো পরিমাণ প্রদান করো যার দ্বারা তুমি আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছে
দিবে, এতটা দৃঢ় প্রত্যয় প্রদান কর যার মাধ্যমে তুমি পৃথিবীর যে কোন অনিষ্ট আমাদের
জন্য সহজসাধ্য করবে, যতক্ষণ আমাদের তুমি জীবিত রাখ ততক্ষণ আমাদের কর্ণ, আমাদের
চক্ষু ও আমাদের শক্তি –সামর্থ্য দিয়ে আমাদের জীবনোপকরণ দান কর (কিংবা আমাদের চোখ
–কান মৃত্যু পর্যন্ত তাজা ও সুস্থ রাখ), আর তাকে আমাদের উত্তরাধিকার বানিয়ে দাও।
আমাদের উপর যে যুল্ম করে তার প্রতি আমাদের প্রতিশোধ সুনির্ধারিত কর, আমাদের প্রতি
যে দুশমনি করে তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে সহযোগিতা কর, আমাদের ধর্ম পালনে আমাদের
বিপদাক্রান্ত করো না , দুনিয়া অর্জনকে আমাদের ও আমাদের জ্ঞানের উদ্দেশে রুপান্তর
করোনা এবং আমাদের প্রতি যে দয়া করবে না তাকে আমাদের উপর প্রভাবশালী (শাসক নিয়োগ)
করো না”।
হাসানঃ আল-কালিমুত তাইয়িব (হাঃ ২২৫/১৬৯), মিশকাত তাহক্কিক সানী (হাঃ ২৪৯২)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব । এ হাদীসটি কিছু
বর্ণনাকারী খালিদ ইবনু আবী ইমরান হতে, তিনি নাফি’ হতে, তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে এই
সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৫০৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ الشَّحَّامُ،
حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ سَمِعَنِي أَبِي، وَأَنَا أَقُولُ
اللَّهُمَّ، إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْكَسَلِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ
. قَالَ يَا بُنَىَّ مِمَّنْ سَمِعْتَ هَذَا قَالَ قُلْتُ سَمِعْتُكَ
تَقُولُهُنَّ . قَالَ الْزَمْهُنَّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُهُنَّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ [صَحِيحٌ][غَرِيبٌ] .
মুসলিম
ইবনু আবূ বাকারাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমার পিতা আমাকে বলতে শুনলেনঃ “হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি
দুশ্চিন্তা , অলসতা ও কবরের শাস্তি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি”। তিনি বললেন, হে
প্রিয় বৎস! এটা তুমি কার নিকট শুনেছ? আমি বললাম, আমি এ বাক্য গুলো আপনাকেই বলতে
শুনেছি। তিনি বললেন, তোমার জন্য এগুলোকে আবশ্যকীয় করে নাও। কেননা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে আমি এ শব্দগুলো বলতে শুনেছি।
সানাদ সহীহ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮১
আলী (রাঃ)- কে শিখানো দু‘আ
৩৫০৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ
وَاقِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه
قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُعَلِّمُكَ
كَلِمَاتٍ إِذَا قُلْتَهُنَّ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَإِنْ كُنْتَ مَغْفُورًا لَكَ
" . قَالَ " قُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَلِيُّ
الْعَظِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ " .
قَالَ عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ وَأَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ
وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، بِمِثْلِ ذَلِكَ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ فِي آخِرِهَا
" الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ
عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না, যেগুলো তুমি বললে আল্লাহ
তা‘আলা তোমাকে মাফ করবেন, যদিও তুমি ক্ষমতাপ্রাপ্ত। তিনি বললেন, তুমি বলঃ “আল্লাহ
তা‘আলা ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি অতি সম্মান সম্পন্ন, অতি মহান। আল্লাহ তা‘আলা
ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি অতি সহনশীল, অতি দয়ালু। আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন ইলাহ
নেই, তিনি অতি পবিত্র, তিনি মহান আরশের মালিক”। আলী ইবনু খাশরাম (রহঃ) বলেনঃ আলী
ইবনু হুসাইন ওয়াকিদ তাঁর পিতার সূত্রে আমাদের নিকট একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন,
তবে তিনি হাদীসের শেষে বলেছেনঃ ‘আলহামদু লিল্লাহে রব্বিল আলামীন’ (সকল প্রশংসা
আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক)।
যঈফ, রাওযুন নাযীর (৬৭৯-৭১৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু আবূ
ইসহাক-আল-হারিস-আলী (রাঃ) সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮২
(দু’আ ইউনুস)
৩৫০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْوَةُ ذِي
النُّونِ إِذْ دَعَا وَهُوَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ . فَإِنَّهُ لَمْ يَدْعُ بِهَا
رَجُلٌ مُسْلِمٌ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلاَّ اسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ " .
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ مَرَّةً عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، . قَالَ أَبُو عِيسَى
وَقَدْ رَوَى غَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، وَلَمْ
يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَبِيهِ، . وَرَوَى بَعْضُهُمْ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي
إِسْحَاقَ، فَقَالُوا عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، وَكَانَ، يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ رُبَّمَا ذَكَرَ فِي
هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِيهِ، وَرُبَّمَا، لَمْ يَذْكُرْهُ .
সা’দ
ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার নবী যুন- নুন [ইউনুস (আঃ)] মাছের পেটে থাকাকালে যে দু’আ
করেছিলেন তা হল, “ তুমি ব্যতিত কোন মা’বূদ নেই, তুমি অতি পবিত্র। আমি নিশ্চয়ই
যালিমদের দলভুক্ত”- (সূরা আম্বিয়া ৮৭)। যে কোন মুসলিম লোক কোন বিষয়ে কখনো এ দু’আ
করলে অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা তার দু’আ কবুল করেন।
সহীহঃ আল- কালিমুত, তাইয়্যিব (হাঃ ১২২/৭৯), তা’ লিকুর রাগীব (২/২৭৫, ৩/৪৩) ,
মিশকাত তাহক্কিক সানী (হাঃ ২২৯২)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৩
(আল্লাহ্ রব্বুল ‘আলামীনের
নিরানব্বই নাম)
৩৫০৬
حَدَّثَنَا يُوسُفُ
بْنُ حَمَّادٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً
وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً غَيْرَ وَاحِدٍ مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ
" .
قَالَ يُوسُفُ وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ
مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন , আল্লাহ্
তা’আলার নিরানব্বইটি নাম আছে অর্থাৎ এক কম এক শত। যে লোক এই নামসমুহ মুখস্ত করবে
বা পড়বে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্কিক সানী (হাঃ ২২৮৮), বুখারি ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫০৭
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوزَجَانِيُّ، حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ
صَالِحٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي
حَمْزَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلَّهِ تَعَالَى
تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً غَيْرَ وَاحِدَةٍ مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ
الْجَنَّةَ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلاَمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ
الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ الْغَفَّارُ
الْقَهَّارُ الْوَهَّابُ الرَّزَّاقُ الْفَتَّاحُ الْعَلِيمُ الْقَابِضُ
الْبَاسِطُ الْخَافِضُ الرَّافِعُ الْمُعِزُّ الْمُذِلُّ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
الْحَكَمُ الْعَدْلُ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ الْحَلِيمُ الْعَظِيمُ الْغَفُورُ
الشَّكُورُ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ الْحَفِيظُ الْمُقِيتُ الْحَسِيبُ الْجَلِيلُ
الْكَرِيمُ الرَّقِيبُ الْمُجِيبُ الْوَاسِعُ الْحَكِيمُ الْوَدُودُ الْمَجِيدُ
الْبَاعِثُ الشَّهِيدُ الْحَقُّ الْوَكِيلُ الْقَوِيُّ الْمَتِينُ الْوَلِيُّ
الْحَمِيدُ الْمُحْصِي الْمُبْدِئُ الْمُعِيدُ الْمُحْيِي الْمُمِيتُ الْحَىُّ
الْقَيُّومُ الْوَاجِدُ الْمَاجِدُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ الْقَادِرُ الْمُقْتَدِرُ
الْمُقَدِّمُ الْمُؤَخِّرُ الأَوَّلُ الآخِرُ الظَّاهِرُ الْبَاطِنُ الْوَالِي
الْمُتَعَالِي الْبَرُّ التَّوَّابُ الْمُنْتَقِمُ الْعَفُوُّ الرَّءُوفُ مَالِكُ
الْمُلْكِ ذُو الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ الْمُقْسِطُ الْجَامِعُ الْغَنِيُّ
الْمُغْنِي الْمَانِعُ الضَّارُّ النَّافِعُ النُّورُ الْهَادِي الْبَدِيعُ
الْبَاقِي الْوَارِثُ الرَّشِيدُ الصَّبُورُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَدَّثَنَا بِهِ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ صَالِحٍ
. وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ صَفْوَانَ بْنِ صَالِحٍ وَهُوَ ثِقَةٌ
عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَعْلَمُ - فِي
كَبِيرِ شَيْءٍ مِنَ الرِّوَايَاتِ لَهُ إِسْنَادٌ صَحِيحٌ ذِكْرَ الأَسْمَاءِ
إِلاَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . وَقَدْ رَوَى آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ هَذَا
الْحَدِيثَ بِإِسْنَادٍ غَيْرِ هَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم وَذَكَرَ فِيهِ الأَسْمَاءَ وَلَيْسَ لَهُ إِسْنَادٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার নিরানব্বইটি নাম আছে অর্থাৎ এক কম এক শত। যে ব্যক্তি তা
গণনা (মুখস্ত) করবে সে জান্নাতে যাবে। তিনিই আল্লাহ যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্
নেই। তিনি আর-রহমান (মহান দয়ালু), আর-রহীমু (অসীম করুণাময়), আল-মালিকু
(স্বত্বাধিকারী), আল-কুদ্দূসু (মহাপবিত্র), আস-সালামু (অধিক শান্তিদাতা),
আল-মু’মিনু (নিরাপত্তাদানকারী), আল-মুহাইমিনু (চিরসাক্ষী), আল-আযীযু
(মহাপরাক্রমশালী), আল-জাব্বারু (মহাশক্তিধর), আল-মুতাকাব্বিরু (মহাগৌরবান্বিত),
আল-খালিকু (স্রষ্টা), আল-বারিউ (সৃজনকর্তা), আল-মুসাব্বিরু (অবয়বদানকারী), আল-গাফ্ফারু
(ক্ষমাকারী), আল-কাহ্হারু (শাস্তিদাতা), আল-ওয়াহ্হাবু (মহান দাতা), আর-রাযযাকু
(রিযিকদাতা), আল-ফাত্তাহ (মহাবিজয়ী), আল-আলীমু (মহাজ্ঞানী), আল-কাবিযু (হরণকারী),
আল-বাসিতু (সম্প্রসারণকারী), আল-খাফিযু (অবনতকারী), আর-রাফিউ (উন্নতকারী),
আল-মুইয্যু (ইজ্জতদাতা), আল-মুযিল্লু (অপমানকারী), আস-সামিউ ( শ্রবণকারী),
আল-বাছীরু (মহাদ্রষ্টা), আল-হাকামু (মহাবিচারক), আল-আদলু (মহান্যায়পরায়ণ), আল-লাতীফু
(সূক্ষ্ণদর্শী), আল-খাবীরু (মহা সংবাদরক্ষক), আল-হালীমু (মহাসহিষ্ণু), আল-আযীমু
(মহান), আল-গাফূরু (মহাক্ষমাশীল), আশ-শাকূরু (কৃতজ্ঞতাপ্রিয়), আল-আলীয়্যু (মহা
উন্নত), আল-কাবীরু (অতীব মহান), আল-হাফীজু (মহারক্ষক), আল-মুকীতু (মহাশক্তিদাতা),
আল-হাসীবু (হিসাব গ্রহনকারী), আল-জালীলু (মহামহিমান্বিত), আল-কারীমু
(মহাঅনুগ্রহশীল), আর-রাকীবু (মহাপর্যবেক্ষক), আল-মুজীবু (ক্ববূলকারী), আল-ওয়াসিউ
(মহাবিস্তারক), আল-হাকীমু (মহাবিজ্ঞ), আল-ওয়াদূদু (মহত্তম বন্ধু), আল-মাজীদু
(মহাগৌরবান্বিত), আল-বাইছু (পুনরুত্থানকারী), আশ-শাহীদু (সর্বদর্শী), আল-হাক্কু
(মহাসত্য), আল-ওয়াকীলু (মহাপ্রতিনিধি), আল-কাবিয়্যু (মহাশক্তিধর), আল-মাতীনু (দৃঢ়
শক্তির অধিকারী), আল-ওয়ালিয়্যু (মহাঅভিভাবক), আল-হামীদু (মহাপ্রশংসিত),
আল-মুহসিয়্যু (পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব সংরক্ষণকারী), আল-মুবদিও (সৃষ্টির সূচনাকারী),
আল-মুঈদু (পুনরুত্থানকারী), আল-হাইয়্যু (চিরঞ্জীব), আল-কাইয়্যুম (চিরস্থায়ী),
আল-মুহ্য়ী (জীবনদাতা), আল-মুমীতু (মৃত্যুদাতা), আল-ওয়াজিদু (ইচ্ছামাত্র
সম্পাদনকারী), আল-মাজিদু (মহাগৌরবান্বিত), আল-ওয়াহিদু (একক), আস্-সামাদু
(স্বয়ংসম্পূর্ণ), আল-কাদিরু (সর্বশক্তিমান), আল-মুকতাদিরু (মহাক্ষমতাবান),
আল-মুকাদ্দিমু (অগ্রসরকারী), আল-মুআখ্খির (বিলম্বকারী), আল-আওয়ালু (অনাদি),
আল-আখিরু (অনন্ত), আয-যাহিরু (প্রকাশ্য), আল-বাতিনু (লুকায়িত), আল-ওয়ালিউ
(অধিপতি), আল-মুতাআলী (চিরউন্নত), আল-বাররু (কল্যাণদাতা), আত্-তাওওয়াবু (তাওবা
ক্ববূলকারী), আল-মুনতাকিমু (প্রতিশোধ গ্রহণকারী), আল-আফুব্বু (ক্ষমাকারী, উদারতা
প্রদর্শনকারী), আর-রাঊফু (অতিদয়ালু), মালিকুল মুলকি (সার্বভৌমত্বের মালিক),
যুলজালালি ওয়াল ইকরাম (গৌরব ও মহত্বের অধিকারী), আল-মুকসিতু (ন্যায়বান), আল-জামিউ
(সমবেতকারী), আল-গানিয়্যু (ঐশ্বর্যশালী), আল-মুগনিয়্যু (ঐশ্বর্যদাতা), আল-মানিউ
(প্রতিরোধকারী), আয-যাররু (অনিষ্টকারী), আন-নাফিউ (উপকারকারী), আন-নূরু (আলো),
আল-হাদিউ (পথপ্রদর্শক), আল-বাদীউ (সূচনাকারী), আল-বাকিউ (চিরবিরাজমান), আল-ওয়ারিস
(স্বত্বাধিকারী), আর-রাশীদ (সৎপথে চালনাকারী), আস-সাবূরু (মহা ধৈর্যশীল)।
নাম সমূহ উল্লেখে হাদীসটি দুর্বল। প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাসীটি গারীব। একাধিক রাবী এ হাদীস সাফওয়ান
ইবনু সালিহ্-এর সূত্রে আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। আমরা শুধু সাফওয়ান ইবনু সালিহ্-এর
সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। হাদিস বিশারদদের মতে তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী। উক্ত হাদীস আবূ
হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ভিন্নরূপেও
বর্ণিত হয়েছে। আমরা ঐ একটি হাদীস ব্যতীত আল্লাহ্ তা’আলার নামসমূহ প্রসঙ্গে অবগত নই।
অবশ্য আদাম ইবনু আবূ ইয়াস এ হাদীস ভিন্ন সনদসূত্রে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে আল্লাহ্ তা’আলার নামসমূহ
উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তার সনদসূত্র সহীহ নয়।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫০৮
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ
الْجَنَّةَ " . قَالَ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ذِكْرُ الأَسْمَاءِ
. قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . رَوَاهُ أَبُو الْيَمَانِ عَنْ
شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ
الأَسْمَاءَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ্র
নিরানব্বই নাম রয়েছে। যে লোক তা কণ্ঠস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ২২৮৮)। এ হাদীসে সেই নামগুল উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫০৯
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، أَنَّ حُمَيْدًا
الْمَكِّيَّ، مَوْلَى ابْنِ عَلْقَمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ أَبِي
رَبَاحٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِذَا مَرَرْتُمْ بِرِيَاضِ الْجَنَّةِ فَارْتَعُوا "
. قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا رِيَاضُ الْجَنَّةِ قَالَ "
الْمَسَاجِدُ " . قُلْتُ وَمَا الرَّتْعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ
" سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَاللَّهُ أَكْبَرُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
.
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা যখনই জান্নাতের বাগানসমূহ পার হতে যাবে তখনই ওখান হতে পাকা ফল
সংগ্রহ করবে। রাবী বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! জান্নাতের বাগানসমূহ কি?
তিনি বললেনঃ মাসজিদসমূহ। আমি আবার বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! পাকা ফল সংগ্রহ করার
অর্থ কি? তিনি বললেনঃ “সুবহানাল্লাহ্ ওয়ালহামদু লিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াল্লাহু আকবার” (আল্লাহ মহাপবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত
কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান) বলা।
যঈফ, যঈফা (১১৫০), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫১০
حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي
قَالَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ الْبُنَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي،
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " إِذَا مَرَرْتُمْ بِرِيَاضِ الْجَنَّةِ فَارْتَعُوا " .
قَالَ وَمَا رِيَاضُ الْجَنَّةِ قَالَ " حِلَقُ الذِّكْرِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ
حَدِيثِ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
তোমরা যখন জান্নাতের বাগানগুলোর পার্শ্ব দিয়ে যাবে সে সময় সেখান হতে পাকা ফল তুলে
নিবে। লোকজন প্রশ্ন করল, জান্নাতের বাগানগুলো কি? তিনি বললেন, যিকিরের মাজলিস।
হাসান: সহীহ্ (হাঃ ২৫৬২), তা’লীকুল রাগীব (হাঃ ২/৩৩৫)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৪
( বিপদে নিপতিত অবস্থায় পাঠ
করার দু'আ)
৩৫১১
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا
حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ
أُمِّهِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَصَابَ أَحَدَكُمْ مُصِيبَةٌ فَلْيَقُلْ : (
إنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ) اللَّهُمَّ عِنْدَكَ احْتَسَبْتُ
مُصِيبَتِي فَأْجُرْنِي فِيهَا وَأَبْدِلْنِي مِنْهَا خَيْرًا " .
فَلَمَّا احْتُضِرَ أَبُو سَلَمَةَ قَالَ اللَّهُمَّ اخْلُفْ فِي أَهْلِي خَيْرًا
مِنِّي فَلَمَّا قُبِضَ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ : ( إنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا
إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ) عِنْدَ اللَّهِ احْتَسَبْتُ مُصِيبَتِي فَأْجُرْنِي
فِيهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
. وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو سَلَمَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
عَبْدِ الأَسَدِ .
আবূ
সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
তোমাদের কারো উপর কোন বিপদ এলে অবশ্যই সে যেন বলে: নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ তা’আলার
এবং আমাদেরকে অবশ্যই তাঁর দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি আমার
বিপদের প্রতিদান চাই। অতএব তুমি আমাকে এর প্রতিদান দাও এবং এর বিনিময়ে ভালো কিছু
দান কর।’’ তারপর আবূ সালামাহ্ (রাঃ) এর মৃত্যু হাযির হলে তিনি বললেনঃহে আল্লাহ!
আমার অবর্তমানে আমার পরিবারের জন্য আমার চাইতে উত্তম স্থালাভিষিক্ত নিযুক্ত করে
দাও”। তারপর আবূ সালামাহ্ (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, “আমরা
আল্লাহ তা’আলার জন্য এবং আমাদেরকে তাঁর কাছে প্রত্যার্বতন করতে হবে। ‘আমার এই
বিপদের প্রতিদান আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট পাওয়ার আশা করি। অতএব হে আল্লাহ! তুমি
আমাকে প্রতিদান দাও”।
সানাদ সহীহ। উম্মু সালামাহ্ হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৫
(পৃথিবী ও আখিরাতের শান্তি ও
হিফাযত আশা করা)
৩৫১২
حَدَّثَنَا يُوسُفُ
بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ
وَرْدَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ قَالَ
" سَلْ رَبَّكَ الْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
" . ثُمَّ أَتَاهُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
أَىُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ أَتَاهُ فِي
الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ . قَالَ " فَإِذَا
أُعْطِيتَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَأُعْطِيتَهَا فِي الآخِرَةِ فَقَدْ
أَفْلَحْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سَلَمَةَ بْنِ وَرْدَانَ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকটে এসে বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! কোন দু’আ সবচেয়ে ভালো? তিনি
বললেনঃ তুমি তোমার রবের নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা কর।
তারপর সে দ্বিতীয় দিন তাঁর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোন দু’আ সর্বোত্তম?
তিনি তাকে আগের মতই উত্তর দেন। তারপর সে তাঁর নিকট তৃতীয় দিন এলে তিনি আগের মতই
উত্তর দেন এবং বলেনঃ যদি তুমি দুনিয়াতে শান্তি এবং আখিরাতে নিরাপত্তা লাভ করতে পার
তাহলে মনে রেখো তুমি সফলতা লাভ করলে।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৮৪৮), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
আমরা শুধু সালামা ইবনু ওয়ারদানের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫১৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ،
عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ عَلِمْتُ أَىُّ
لَيْلَةٍ لَيْلَةُ الْقَدْرِ مَا أَقُولُ فِيهَا قَالَ " قُولِي
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি “লাইলাতুল
ক্বদর’’ জানতে পারি তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেনঃতুমি বল হে আল্লাহ! তুমি
সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও”।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হা : ৩৮৫০)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫১৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي
زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ
الْمُطَّلِبِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَسْأَلُهُ
اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ . قَالَ " سَلِ اللَّهَ الْعَافِيَةَ " .
فَمَكَثْتُ أَيَّامًا ثُمَّ جِئْتُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي
شَيْئًا أَسْأَلُهُ اللَّهَ . فَقَالَ لِي " يَا عَبَّاسُ يَا عَمَّ
رَسُولِ اللَّهِ سَلِ اللَّهَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ
الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ قَدْ سَمِعَ مِنَ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ
.
আল-আব্বাস
ইবনু ‘আবদিল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এমন কিছু আমাকে
শিখিয়ে দিন, যা আল্লাহ তা’আলার নিকট আমি প্রার্থনা করতে পারি। তিনি বললেনঃআল্লাহ
তা’আলার নিকট আপনি শান্তি ও হিফাযাত কামনা করুন। কিছু দিন যাওয়ার পর আবার গিয়ে আমি
বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এমন কিছু আমাকে শিখিয়ে দিন যা আমি আল্লাহ তা’আলার কাছে
প্রার্থনা করতে পারি। তিনি আমাকে বললেনঃহে আব্বাস, হে আল্লাহ্র রাসূলের চাচা!
আল্লাহ তা’আলার নিকট আপনি পৃথিবী ও আখিরাতের শান্তি ও হিফাযাত প্রার্থনা করুন।
সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক সানী (হাঃ ২৪৯০), সহীহাহ্ (হাঃ ১৫২৩।)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৬
(ভোরে উপনীত হয়ে মানুষ
নিজেকে বিক্রয় করে)
৩৫১৫
حَدَّثَنَا
الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ
الْكُوفِيُّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ،
وَهُوَ الْمُلَيْكِيُّ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ
عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا سُئِلَ
اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يُسْأَلَ الْعَافِيَةَ " .
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনার চাইতে অধিক প্রিয় কিছু তার
কাছে চাওয়া হয় না। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র আব্দুর রহমান
ইবনু আবী বাকার আল-মুলাইকীর সূত্রেই এ হাদীসটি জানতে পেরেছি।
যঈফ, মিশকাত (২২৩৯)।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبِي الْوَزِيرِ،
حَدَّثَنَا زَنْفَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي
مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَمْرًا قَالَ " اللَّهُمَّ خِرْ لِي
وَاخْتَرْ لِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَنْفَلٍ . وَهُوَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ
الْحَدِيثِ وَيُقَالُ لَهُ زَنْفَلٌ الْعَرَفِيُّ وَكَانَ سَكَنَ عَرَفَاتٍ
وَتَفَرَّدَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلاَ يُتَابَعُ عَلَيْهِ .
আবু
বাকর আস-সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন
কাজের ইচ্ছা করতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারণ করুন এবং
আমার কাজে কল্যাণ দান করুন”।
যঈফ, যঈফা (১৫১৫), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু যানফালের রিওয়ায়াত
হতে এ হাদীস জেনেছি। তিনি হাদীসবিদদের মতে যঈফ। তাকে যানফাল ইবনু আব্দুল্লাহ
আল-আরাফীও বলা হয়। কেননা তিনি ‘আরাফাত’ এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি এককভাবে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন এবং এ হাদীস বর্ণনায় তার কোন পক্ষাবলম্বনকারী নেই।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫১৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ
بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، هُوَ
ابْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَنَّ زَيْدَ بْنَ سَلاَّمٍ،
حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلاَّمٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْوُضُوءُ شَطْرُ
الإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلأُ الْمِيزَانَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلآنِ أَوْ تَمْلأُ مَا بَيْنَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ
وَالصَّلاَةُ نُورٌ وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ
حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ
فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
মালিক আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ অযূ ঈমানের অর্ধেক। আলহামদু লিল্লাহ দাঁড়ি পাল্লাকে পূর্ণ করে দেয়।
সুবাহানাল্লাহ্ ও আলহামদু লিল্লাহ একসাথে আকাশমন্ডলী ও যামীনের মধ্যবর্তী জায়গা
ভর্তি করে দেয়। নামায হলো নূর (জ্যোতি), সাদাক্বহ্ (দান-খাইরাত) হলো (মুক্তির)
দলীল এবং ধৈর্য ও সহনশীলতা হলো আলোকবর্তিকা। কুরআন তোমার সপক্ষে অথবা্ বিপক্ষে
সনাদ বা সাক্ষ্যস্বরূপ। ভোরে উপনীত হয়ে প্রতিটি মানুষ নিজেকে বিক্রয় করে। (এর মাধ্যমে)
সে নিজেকে হয় আযাদ করে অথবা ধ্বংস করে।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৮০), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৭
তাসবীহ, তাহলীল, তাহমীদ ও
তাকবীরের ফাযীলাত
৩৫১৮
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
التَّسْبِيحُ نِصْفُ الْمِيزَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ يَمْلَؤُهُ وَلاَ إِلَهَ
إِلاَّ اللَّهُ لَيْسَ لَهَا دُونَ اللَّهِ حِجَابٌ حَتَّى تَخْلُصَ إِلَيْهِ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ . وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ
أَنْعُمٍ هُوَ الإِفْرِيقِيُّ وَقَدْ ضَعَّفَهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَيَحْيَى
بْنُ مَعِينٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ هُوَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الْحُبُلِيُّ .
আব্দুল্লাহ
ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ “তাসবীহ” (সুবহানাল্লাহ) মীযানের (দাঁড়িপাল্লার) অর্ধেক, “আলহামদু
লিল্লাহ” মীযানকে পুরো করে দেয় এবং “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ও আল্লাহ্ তা’আলার
মাঝখানে কোন প্রকারের অন্তরায় বা বাধা নেই, এমনকি তা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট পৌঁছে
যায়।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৩১৩), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত
সূত্রে গারীব। এর সনদসূত্র তেমন শক্তিশালী নয়।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫১৯
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ،
حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ جُرَىٍّ النَّهْدِيِّ،
عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ قَالَ عَدَّهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فِي يَدِي أَوْ فِي يَدِهِ " التَّسْبِيحُ نِصْفُ الْمِيزَانِ
وَالْحَمْدُ يَمْلَؤُهُ وَالتَّكْبِيرُ يَمْلأُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ
وَالصَّوْمُ نِصْفُ الصَّبْرِ وَالطُّهُورُ نِصْفُ الإِيمَانِ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ
الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ .
সুলাইম
গোত্রের এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমার হতে অথবা তাঁর হতে এসব বাক্য গুনে গুনে বলেনঃ “তাসবীহ” (সুবহানাল্লাহ) হল
মীযানের অর্ধেক, “আলহামদু লিল্লাহ” তাকে পূর্ণ করে দেয় এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার)
আকাশ ও যমিনের মধ্যবর্তী জায়গা পরিপূর্ণ করে দেয়। রোযা সবর ও সহিষ্ণুতার অর্ধেক
এবং পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।
যঈফ, মিশকাত (২৯৬), তা’লীকুর রাগীব (২/২৪৬), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। শুবা
ও সুফিয়ান সাওরী এ হাদীস আবূ ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৮
আরাফাতে দুপুরের পর পাঠের
দু’আ
৩৫২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنِي قَيْسُ
بْنُ الرَّبِيعِ، وَكَانَ، مِنْ بَنِي أَسَدٍ عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ،
عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ أَكْثَرُ
مَا دَعَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فِي
الْمَوْقِفِ " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَالَّذِي تَقُولُ وَخَيْرًا
مِمَّا نَقُولُ اللَّهُمَّ لَكَ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي
وَإِلَيْكَ مَآبِي وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ
عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الأَمْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَجِيءُ بِهِ الرِّيحُ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
আলী
ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আরাফাত দিবসে আরাফাতে অবস্থানকালে দুপুরের পর বেশিরভাগ সময় যে দু’আ পাঠ করতেন তা
এই যে, “হে আল্লাহ্! সকল প্রশংসা তোমার যেভাবে তুমি বলেছ এবং আমরা যা বর্ণনা করি
তার চেয়েও বেশি উত্তম। হে আল্লাহ্! আমার নামায, আমার ইবাদাত (হাজ্জ ও কুরবানী),
আমার জীবন ও আমার মরণ তোমার জন্য। পরিশেষে তোমার দিকেই আমার ফিরে আসা এবং আমার
মালিকানা তোমার মালিকানাভুক্ত। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট সহায়তা চাই কবরের
শাস্তি, অন্তরের কুচিন্তা ও কাজ-কর্মের অনিশ্চয়তা হতে। হে আল্লাহ্! আমি তোমার
নিকট আশ্রয় চাই বায়ু বাহিত ক্ষতি হতেও”।
যঈফ, যঈফা (২৯১৮), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি উক্ত সনদসূত্রে গারীব। এর সনদসূত্র
তেমন মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৯
সকল দু’আর সমাহার
৩৫২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ ابْنُ أُخْتِ،
سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم بِدُعَاءٍ كَثِيرٍ لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئًا قُلْنَا يَا
رَسُولَ اللَّهِ دَعَوْتَ بِدُعَاءٍ كَثِيرٍ لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئًا .
فَقَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَجْمَعُ ذَلِكَ كُلَّهُ تَقُولُ
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ
مُحَمَّدٌ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ بِكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ
مُحَمَّدٌ وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ وَعَلَيْكَ الْبَلاَغُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ
قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ .
আবূ
উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
অনেক দু’আই করেছেন কিন্তু আমরা তার কিছুই মনে রাখতে পারিনি। আমরা বললাম, হে
আল্লাহ্র রাসূল! আপনি অনেক দু’আই করেছেন কিন্তু আমরা তার কিছুই মনে রাখতে পারিনি।
তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিব না, যা সেই সকল দু’আর সমষ্টি হবে?
তোমরা বলঃ “হে আল্লাহ্! আমরা তোমার নিকট সেই কল্যাণ আশা করি যা তোমার নবী
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার নিকট আশা করেছেন এবং আমরা
তোমার নিকট সেই অনিষ্ট হতে রক্ষা চাই যে অনিষ্ট হতে তোমার নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশ্রয় চেয়েছেন। তুমিই একমাত্র সাহায্যকারী এবং তুমিই
(কল্যাণ) পৌঁছিয়ে দাও। আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অনিষ্ট রোধ করার এবং কল্যাণ পৌঁছানোর
আর কোন ক্ষমতাবান নেই”।
যঈফ, যঈফা (৩৩৫৬), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯০
(রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশী বেশী যে দু’আ পাঠ করতেন)
৩৫২২
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِي كَعْبٍ،
صَاحِبِ الْحَرِيرِ حَدَّثَنِي شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ، قَالَ قُلْتُ لأُمِّ
سَلَمَةَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَا كَانَ أَكْثَرُ دُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ عِنْدَكِ قَالَتْ كَانَ أَكْثَرُ دُعَائِهِ
" يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ " .
قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لأَكْثَرِ دُعَائِكَ يَا مُقَلِّبَ
الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ قَالَ " يَا أُمَّ سَلَمَةَ
إِنَّهُ لَيْسَ آدَمِيٌّ إِلاَّ وَقَلْبُهُ بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ
اللَّهِ فَمَنْ شَاءَ أَقَامَ وَمَنْ شَاءَ أَزَاغَ " . فَتَلاَ مُعَاذٌ
: ( ربَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا ) قَالَ وَفِي
الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَالنَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ
وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَنُعَيْمِ بْنِ هَمَّارٍ . قَالَ وَهَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ .
শাহর
ইবনু হাওশাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-কে আমি বললাম, হে উম্মুল
মু’মিনীন! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার কাছে অবস্থানকালে
অধিকাংশ সময় কোন দু’আটি পাঠ করতেন? তিনি বললেন, তিনি অধিকাংশ সময় এ দু’আ পাঠ
করতেন: ‘‘হে মনের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর স্থির রাখ’’।
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি অধিকাংশ সময় ‘’হে
মনের পরিবর্তনকারী! আমার মনকে তোমার দ্বীনের উপর স্থির রাখ’’ দু’আটি কেন পাঠ করেন?
তিনি বললেনঃহে উম্মু সালামাহ্! এরূপ কোন মানুষ নেই যার মন আল্লাহ তা’আলার দুই
আঙ্গুলের মধ্যবর্তীতে অবস্থিত নয়। যাকে ইচ্ছা তিনি (দ্বীনের উপর) স্থির রাখেন এবং
যাকে ইচ্ছা (দ্বীন হতে) বিপথগামী করে দেন। তারপর অধ:স্তন বর্ণনাকারী মু’আয (রহঃ)
কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): হে আমাদের রব! আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত
করার পর তুমি আমাদের অন্তরসমূহকে বাঁকা করে দিও না।
সহীহ : যিলালুল জান্নাহ (হা: ২২৩)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ ظُهَيْرٍ، حَدَّثَنَا
عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
شَكَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيُّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَنَامُ اللَّيْلَ مِنَ الأَرَقِ .
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ
فَقُلِ اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظَلَّتْ وَرَبَّ
الأَرَضِينَ وَمَا أَقَلَّتْ وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ كُنْ لِي
جَارًا مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَفْرُطَ عَلَىَّ أَحَدٌ
مِنْهُمْ أَوْ أَنْ يَبْغِيَ عَلَىَّ عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلاَ
إِلَهَ غَيْرُكَ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ . وَالْحَكَمُ بْنُ ظُهَيْرٍ قَدْ تَرَكَ
حَدِيثَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
সুলাইমান
ইবনু বুরাইদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ আল-মাখযূমী (রাঃ)
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ করে বললেন, হে
আল্লাহ্র রাসুল! দুশ্চিন্তা বা স্নায়ুবিক চাপের কারণে রাতে আমি ঘুমাতে পারি না।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যখন তুমি বিছানায় আশ্রয়
গ্রহণ কর তখন বল, “হে আল্লাহ্! সাত আকাশের প্রতিপালক এবং যা কিছুর উপর তা ছায়া
বিস্তার করেছে, সাত যমিনের প্রতিপালক এবং যা কিছু তা উত্থাপন করেছেন, আর শাইতানদের
প্রতিপালক এবং এরা যাদেরকে বিপথগামী করেছে! তুমি আমাকে তোমার সকল সৃষ্টিকুলের
খারাবী হতে রক্ষার জন্য আমার প্রতিবেশী হয়ে যাও, যাতে সেগুলোর কোনটি আমার উপর
বাড়াবাড়ি করতে না পারে অথবা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে না পারে। সম্মানিত তোমার
প্রতিবেশী, সুমহান তোমার প্রশংসা। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তুমি ব্যতীত আর কোন
মাবূদ নেই”।
যঈফ, আল-কালিমুত তায়্যিব (৪৭/৩৩), মিশকাত (২৪১১), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ
তেমন শক্তিশালী নয়। হাকাম ইবনু জুহাইর পরিত্যক্ত রাবী। কিছু হাদীস বিশারদ তার হতে
হাদীস গ্রহণ বাদ দিয়েছেন। এ হাদীসটি ভিন্নসূত্রে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মুরসালরূপেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯২
(কঠিন কাজ হাযির হলে যে দু’আ
পাঠ করবে)
৩৫২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حَاتِمٍ الْمُكْتِبُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنِ
الرُّحَيْلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَخِي زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنِ
الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم إِذَا كَرَبَهُ أَمْرٌ قَالَ " يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ
" .
وَبِإِسْنَادِهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
أَلِظُّوا بِيَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَنَسٍ مِنْ
غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর সম্মুখে কঠিন কাজ হাযির হলে তিনি বলতেন: হে চিরজীবি, হে চিরস্থায়ী! আমি তোমার
রহমাতের ওয়াসীলায় সাহায্য প্রার্থনা করি’’।
হাসান : আল-কালিমুত্ তাইয়্যিব (হাঃ ১১৮/৭৬)।
একই সনদসূত্রে আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা সবসময় “ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম’’ পাঠ করাকে অপরিহার্য করে নাও।
সহীহ : সহীহাহ্ (হাঃ ১৫৩৬)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আনাস (রাঃ) হতে
একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৫২৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْمُؤَمِّلُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ
حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
أَلِظُّوا بِيَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ وَلَيْسَ بِمَحْفُوظٍ . وَإِنَّمَا يُرْوَى هَذَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ
سَلَمَةَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَهَذَا أَصَحُّ وَمُؤَمِّلٌ غَلِطَ فِيهِ فَقَالَ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ حُمَيْدٍ
عَنْ أَنَسٍ وَلاَ يُتَابَعُ فِيهِ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
তোমরা সবসময় “ইয়া যাল-জালালিওয়াল-ইকরাম” (হে গৌরব ও মহত্ত্বের অধিকারী) পাঠ করাকে
অপরিহার্য করে নাও।
সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৩
ঘুম না আসা পর্যন্ত আল্লাহ
তা’আলার যিকির করার ফাযীলত
৩৫২৬
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي
أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " مَنْ أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ طَاهِرًا يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى
يُدْرِكَهُ النُّعَاسُ لَمْ يَنْقَلِبْ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ يَسْأَلُ اللَّهَ
شَيْئًا مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ إِلاَّ أَعْطَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا أَيْضًا
عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَبِي ظَبْيَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ
উমামা আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি ঘুমানোর উদ্দেশ্যে পবিত্র অবস্থায় বিছানায়
যায় এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার যিকির করতে থাকে, সে পার্শ্ব পরিবর্তন
করার আগেই আল্লাহ তা’আলার নিকটে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ হতে যা কিছু প্রার্থনা
করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে নিঃসন্দেহে তা দান করবেন।
যঈফ, ত’লীকুর রাগীব (১/২৭০), মিশকাত (১২৫০), আল-কালিমুত তায়্যিব তাহকীক ছানী
(৪৩/২৯), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস শাহ্র ইবনু হাওশাব হতে,
তিনি আবূ যাবিয়্যা হতে, তিনি আমর ইবনু আবাসার সূত্রেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৪
(ঘুমের মধ্যে আতংকিত হলে যা
পড়বে)
৩৫২৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ،
عَنْ أَبِي الْوَرْدِ، عَنِ اللَّجْلاَجِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ سَمِعَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَدْعُو يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي
أَسْأَلُكَ تَمَامَ النِّعْمَةِ . فَقَالَ " أَىُّ شَيْءٍ تَمَامُ
النِّعْمَةِ " . قَالَ دَعْوَةٌ دَعَوْتُ بِهَا أَرْجُو بِهَا الْخَيْرَ
. قَالَ " فَإِنَّ مِنْ تَمَامِ النِّعْمَةِ دُخُولَ الْجَنَّةِ
وَالْفَوْزَ مِنَ النَّارِ " . وَسَمِعَ رَجُلاً وَهُوَ يَقُولُ يَا ذَا
الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ فَقَالَ " قَدِ اسْتُجِيبَ لَكَ فَسَلْ "
. وَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً وَهُوَ يَقُولُ اللَّهُمَّ
إِنِّي أَسْأَلُكَ الصَّبْرَ . فَقَالَ " سَأَلْتَ اللَّهَ الْبَلاَءَ
فَسَلْهُ الْعَافِيَةَ " .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ .
মুআয
ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি তার দু’আয় বলছে “হে আল্লাহ! আমি তোমার সকল নিআমাত
কামনা করি”। তিনি বলেনঃ সকল নিয়ামত কি? সে বলল, আমি একটি দু’আ করেছি যার উসীলায়
কল্যাণ লাভের কামনা করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ
পূর্ণ নিয়ামাত হচ্ছে জান্নাতে প্রবেশলাভ এবং জাহান্নাম হতে রেহাই। তিনি আরেক
ব্যক্তিকে বলতে শুনেনঃ “হে মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী”। তিনি বলেলেনঃ তোমার দু’আ
ক্ববুল করা হবে, অতএব প্রার্থনা কর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আরেক ব্যক্তিকে বলতে শুনেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সবরের প্রার্থনা
করি”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ তুমি তো আল্লাহ
তা’আলার নিকটে দুরবস্থা প্রার্থনা করেছ, অতএব তাঁর নিকটে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা
কর।
যঈফ, যঈফা (৪৫২০), আহামাদ ইবনু মানী ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম হতে তিনি আল-জুরাইরী
(রহঃ)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি
হাসান।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫২৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ
بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا فَزِعَ أَحَدُكُمْ فِي
النَّوْمِ فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ
وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
. فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ " . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
عَمْرٍو يُلَقِّنُهَا مَنْ بَلَغَ مِنْ وَلَدِهِ وَمَنْ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهُمْ
كَتَبَهَا فِي صَكٍّ ثُمَّ عَلَّقَهَا فِي عُنُقِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আম্র
ইবনু শু’আইব (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও তাঁর দাদা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে সে যেন বলে : আমি আল্লাহ্ তা’আলার পরিপূর্ণ
কালিমার দ্বারা আশ্রয় চাই তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের খারাবী হতে,
শাইতানদের কুমন্ত্রণা হতে এবং আমার নিকট যারা হাযির হয় সেগুলো হতে’’। তাহলে সেগুলো
তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তার সন্তানদের মধ্যে
প্রাপ্ত বয়স্কদের উক্ত দু’আ শিখিয়ে দিতেন এবং উক্ত দু’আ কাগজের টুকরায় লিখে তার
নাবালেগ সন্তানদের গলায় ঝুলিয়ে দিতেন।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার …… ঝুলিয়ে দিতেন” অংশটুকু বাদে হাদীসটি হাসান। আল-কালিমুত্
তাইয়্যিব (৪৮/৩৫)
আবূ ঈসা বলেন : হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৯৫
[আবূ বাক্র (রাঃ) কে শিখানো
দু’আ]
৩৫২৯
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
زِيَادٍ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ
عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي فَقُلْتُ لَهُ حَدِّثْنَا مِمَّا، سَمِعْتَ مِنْ، رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَأَلْقَى إِلَىَّ صَحِيفَةً فَقَالَ هَذَا مَا
كَتَبَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَنَظَرْتُ فِيهَا فَإِذَا
فِيهَا إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رضى الله عنه قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
عَلِّمْنِي مَا أَقُولُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ . فَقَالَ
" يَا أَبَا بَكْرٍ قُلِ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ
عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ
وَمَلِيكَهُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشَرَكِهِ
وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءًا أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
রাশিদ আল-হুবরানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু আম্র ইবনুল আস (রাঃ)-এর কাছে
এসে আমি তাকে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে
যা কিছু শুনেছেন, তা হতে আমাদের কাছে কিছু বর্ণনা করুন। একখানা পান্ডুলিপি আমাকে
দিলেন এবং বললেন, এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে
লিখিয়ে দিয়েছেন। আবূ রাশিদ বলেন, তাতে আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলাম, তাতে লিখা
আছে আবূ বাক্র আস-সিদ্দীক্ব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! এমন কিছু (দু’আ)
আমাকে শিখিয়ে দিন যা আমি সকালে ও বিকালে উপনীত হয়ে বলতে পারি। তিনি বললেনঃ হে আবূ
বাক্র! বলুন, হে আল্লাহ, আকাশসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের
জ্ঞাতা! তুমি ছাড়া আর কোন মা’বূদ নেই, তুমি প্রতিটি বস্তুর পালনকর্তা ও মালিক। আমি
তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিজের অন্তরের অনিষ্ট হতে এবং শাইতানের ক্ষতি
ও তার শির্কী হতে এবং আমি আমার নিজের জন্য ক্ষতিকর কিছু লাভ করা হতে কিংবা উক্ত
অনিষ্টকর জিনিস কোন মুসলিমের কাছে টেনে নিয়ে যাওয়া হতে।
সহীহ : আল-কালিমুত্ তাইয়্যিব (হা: ২২/৯), সহীহাহ্ (হা: ২৭৬৩)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৬
(আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক
আত্মমর্যাদাবোধের অধিকারী)
৩৫৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ
اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قُلْتُ لَهُ أَأَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ نَعَمْ . وَرَفَعَهُ أَنَّهُ قَالَ " لاَ أَحَدَ
أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ وَلِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا
بَطَنَ وَلاَ أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنَ اللَّهِ وَلِذَلِكَ مَدَحَ
نَفْسَهُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
.
আম্র
ইবনু মুর্রাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ ওয়ায়িল (রহঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, আমি
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। আম্র বলেন, আবূ ওয়ায়িলকে আমি
প্রশ্ন করলাম, আপনি কি সত্যিই এ হাদীস আব্দুল্লাহ (রাঃ) এর কাছে শুনেছেন? তিনি
বললেন, হ্যাঁ এবং তিনি তা মারফূ’রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার চেয়ে বেশি আত্নমর্যাদাবোধ সম্পন্ন আর
কেউ নেই। এ কারণেই তিনি প্রকাশ্য ও লুকায়িত সর্বপ্রকার অশ্লীলতাকে হারাম করেছেন।
আল্লাহ তা’আলার চাইতে বেশি প্রশংসাপ্রিয় আর কেউ নেই। এজন্যই নিজের প্রশংসা তিনি
নিজেই করেছেন।
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৭
(নিজের উপর অনেক অত্যাচার
করেছি)
৩৫৩১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي
الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ،
أَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو
بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي
ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي
مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَهُوَ حَدِيثُ لَيْثِ
بْنِ سَعْدٍ وَأَبُو الْخَيْرِ اسْمُهُ مَرْثَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيُّ
.
আবূ
বাক্র আস-সিদ্দীক্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এমন একটি দু’আ আমাকে শিখিয়ে
দিন যা আমি আমার নামাযের মাঝে পাঠ করতে পারি। তিনি বললেনঃতুমি বল, ‘‘হে প্রভু!
আমার সত্তার উপর আমি অনেক যুল্ম করেছি। তুমি ব্যতীত গুনাহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।
অতএব আমাকে তুমি নিজগুনে ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি করুণা কর। নিশ্চয় তুমি
ক্ষমাকারী, অতীব দয়ালু।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হা: ৩৮৩৫), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৩২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلَانَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ
أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي
وَدَاعَةَ قَالَ جَاءَ الْعَبَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ مَنْ أَنَا فَقَالُوا أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ
عَلَيْكَ السَّلَامُ قَالَ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ
الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ فِرْقَةً
ثُمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ فِرْقَةً ثُمَّ
جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ
بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا وَخَيْرِهِمْ نَسَبًا قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
মুত্তালিব
ইবনু আবী ওয়াদাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আব্বাস (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকটে এলেন, মনে হয় তিনি যেন কিছু শুনতে পেয়ে মিম্বারে অরোহন করলেন।
অতঃপর বললেনঃ কোন ব্যক্তি প্রত্যাবর্তন (তাওবা) করেছে? সাহাবাগণ বললেনঃ আপনি
আল্লাহ্র রাসূল, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক। তিনি বললেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু
আব্দিল্লাহ ইবনি আব্দিল মুত্তালিব। আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি কুলকে সৃষ্টি করে আমাকে
উত্তম দলের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি উত্তম দলকে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করে আমাকে
উত্তম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি উত্তম গোত্রকে বিভিন্ন ঘরে বিভক্ত করে
আমাকে উত্তম ঘর ও উত্তম বংশের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
যঈফ, যঈফা (৩০৭৩), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৮
(গুনাহ ঝরে পরা)
৩৫৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الأَعْمَشِ،
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِشَجَرَةٍ
يَابِسَةِ الْوَرَقِ فَضَرَبَهَا بِعَصَاهُ فَتَنَاثَرَ الْوَرَقُ فَقَالَ
" إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَاللَّهُ أَكْبَرُ لَتُسَاقِطُ مِنْ ذُنُوبِ الْعَبْدِ كَمَا تَسَاقَطَ وَرَقُ
هَذِهِ الشَّجَرَةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَلاَ نَعْرِفُ
لِلأَعْمَشِ سَمَاعًا مِنْ أَنَسٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ رَآهُ وَنَظَرَ إِلَيْهِ
.
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি শুকনা
পাতাওয়ালা গাছের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর লাঠি দিয়ে তাতে আঘাত করলে হঠাৎ
পাতাগুলো ঝরে পরে। অতঃপর তিনি বললেন কোন বান্দা “আলহামদুলিল্লাহ “ সুবহানাল্লাহ”
এবং লাইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” (সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার আল্লাহ
তা’আলা অতি পবিত্র এবং আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত সত্য কোন মা’বূদ নেই, তিনি অতি মহান)
বললে তা তার গুনাহ সমূহ এরূপভাবে ঝরিয়ে দেয় যেভাবে এ গাছের পাতাসমূহ ঝরে পড়েছে।
হাদীসটি হাসান : তা’লীকুর রাগীব (হা: ২/২৪৯)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৫৩৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْجُلاَحِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي
عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ شَبِيبٍ السَّبَئِيِّ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ
إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ . عَشْرَ مَرَّاتٍ عَلَى
إِثْرِ الْمَغْرِبِ بَعَثَ اللَّهُ لَهُ مَسْلَحَةً يَحْفَظُونَهُ مِنَ الشَّيْطَانِ
حَتَّى يُصْبِحَ وَكَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ مُوجِبَاتٍ وَمَحَا
عَنْهُ عَشْرَ سَيِّئَاتٍ مُوبِقَاتٍ وَكَانَتْ لَهُ بِعَدْلِ عَشْرِ رِقَابٍ
مُؤْمِنَاتٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ . وَلاَ نَعْرِفُ
لِعُمَارَةَ بْنِ شَبِيبٍ سَمَاعًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
উমারাহ্
ইবনু শাবীব আস্-সাবায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন: মাগরিবের নামাযের পর যে লোক দশবার বলে: আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কোন মা’বূদ
নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সমস্ত কিছুই তাঁর এবং তিনিই সকল প্রশংসার
অধিকারী, তিনিই জীবন দান করেন ও মুত্যু দেন এবং প্রতিটি জিনিসের উপর তিনিই মহা
ক্ষমতাশালী”’ আল্লাহ তা’আলা তার নিরাপত্তার জন্য ফেরেশতা পাঠান যারা তাকে শয়তানের
ক্ষতি হতে ভোর পর্যন্ত নিরাপত্তা দান করেন, তার জন্য (আল্লাহ তা’আলা অনুগ্রহ)
অবশ্যম্ভাবী করার ন্যায় দশটি পূণ্য লিখে দেন, তার দশটি ধ্বংসাত্মক গুনাহ বিলুপ্ত
করে দেন এবং তার জন্য দশটি ঈমানদার দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে।
হাদীসটি হাসান : সহীহ আত্-তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১/১৬০/৪৭২।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৯
তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার
ফাযীলাত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা’আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৫
حَدَّثَنَا ابْنُ
أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ
زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ
أَسْأَلُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ
فَقُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا
لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَطْلُبُ . قُلْتُ إِنَّهُ حَكَّ فِي صَدْرِي
الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُنْتَ امْرَأً
مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَسْأَلُكَ هَلْ
سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إِذَا
كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِيِنَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ
أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ
وَنَوْمٍ . فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ
نَعَمْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَيْنَا نَحْنُ
عِنْدَهُ إِذْ نَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ يَا مُحَمَّدُ .
فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَحْوٍ مِنْ صَوْتِهِ
هَاؤُمُ وَقُلْنَا لَهُ وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَقَالَ وَاللَّهِ
لاَ أَغْضُضُ . قَالَ الأَعْرَابِيُّ الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا
يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ
مَنْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَمَازَالَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى
ذَكَرَ بَابًا مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ مَسِيرَةُ عَرْضِهِ أَوْ يَسِيرُ
الرَّاكِبُ فِي عَرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَامًا قَالَ سُفْيَانُ
قِبَلَ الشَّامِ خَلَقَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ
مَفْتُوحًا يَعْنِي لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
যির
ইবনু হুবাইশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মোজাদ্বয়ের উপর মাসিহ করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার
উদ্দেশে আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাঃ) এর কাছে আগমন করলাম। তিনি বললেন,
হে যির! তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম, জ্ঞানের অন্বেষা! তিনি বললেন, নিশ্চয়
আল্লাহ তা’আলার ফেরেশতাগন জ্ঞানের অন্বেষায় খুশি হয়ে জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য
তাদের পাখা বিছিয়ে দেন। আমি বললাম, আমার মনে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে
মলমূত্র ত্যাগের পর মোজার উপর মাসেহ করা প্রসঙ্গে। আর আপনি হলেন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একজন সাহাবী। তাই আপনাকে আমি প্রশ্ন করতে এসেছি
যে, এ প্রসঙ্গে আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কিছু
আলোচনা করতে শুনেছেন কি? তিনি বললেন হ্যাঁ। আমাদেরকে তিনি নির্দেশ দিতেন যে, আমরা
সফররত অবস্থায় থাকলে এবং নাপাকির গোসলের প্রয়োজন না হলে তিন দিন ও তিন রাত পর্যন্ত
যেন আমাদের মোজাদ্বয় না খুলি। মলমূত্র ত্যাগ এবং ঘুমানোর কারণে তা খোলার দরকার
নেই, বরং শুধু তার উপর মাসেহ্ করলেই চলবে। যির (রহঃ) বলেন, আমি বললাম মহব্বত
(ভালবাসা) প্রসঙ্গে আপনি কি তাকেঁ কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ। এক
সফরে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। একদিন আমরা তাঁর
নিকটেই ছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন উচ্চৈঃস্বরে তাকেঁ ডাক দিয়ে বলে হে, মুহাম্মাদ!
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার ন্যায় একই রকম উচ্চ শব্দে
তার ডাকে জবাব দিলেন : আস। সেই বেদুঈনকে আমরা বললাম, তোমার অমঙ্গল হোক, তোমার
কন্ঠস্বর নীচু কর। কেননা তুমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে
আছ। নাবীর সম্মুখে তোমাকে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে (কুরআনে)। লোকটি
বলল, আল্লাহর শপথ! আমি নীচু স্বরে কথা বলতে পারি না। এবার সে বলল, এক লোক এক
গোত্রকে ভালবাসে, কিন্তু তাদের সঙ্গে সে মিলিত হতে পারেনি। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন লোক যাকে ভালবাসে ক্বিয়ামাতের দিন সে তার সঙ্গেই
থাকবে। তারপর তিনি আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে থাকলেন। অবশেষে তিনি পাশ্চাত্যে
অবস্থিত একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন যা এত দীর্ঘ যে, একটি সাওয়ারীর সেই দরজার এক
প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পার করতে চল্লিশ কিংবা সত্তর বছর সময় লাগবে।
সুফ্ইয়ান (রহঃ)বলেন, পাশ্চাত্যের সেই দরজা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত। যে দিন আল্লাহ
তা’আলা আকাশসমূহ ও যামীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন ঐ দরজাও সৃষ্টি করেছেন। তা তাওবার
জন্য খোলা রয়েছে। পশ্চিম দিকে হতে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত তা রুদ্ধ করা হবে
না।
হাদীসটি হাসান : তা’লীকুর রাগীব (৪/৭৩).৯৬ নং হাদীসে এর অংশ বিশেষ বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৫৩৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ
زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ
فَقَالَ لِي مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ . قَالَ بَلَغَنِي
أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا
يَفْعَلُ . قَالَ قُلْتُ إِنَّهُ حَاكَ أَوْ قَالَ حَكَّ فِي نَفْسِي شَيْءٌ
مِنَ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فِيهِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ
أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ
مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . قَالَ فَقُلْتُ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَادَاهُ رَجُلٌ
كَانَ فِي آخِرِ الْقَوْمِ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ أَعْرَابِيٌّ جِلْفٌ جَافٍ
فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ . فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ مَهْ إِنَّكَ
قَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
نَحْوًا مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ فَقَالَ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا
يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ " . قَالَ زِرٌّ فَمَا بَرِحَ يُحَدِّثُنِي
حَتَّى حَدَّثَنِي أَنَّ اللَّهَ جَعَلَ بِالْمَغْرِبِ بَابًا عَرْضُهُ مَسِيرَةُ
سَبْعِينَ عَامًا لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ
قِبَلِهِ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ : ( يومَ يَأْتِي بَعْضُ
آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
যির
ইবনু হুবাইশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাঃ) এর কাছে
আসলাম। তিনি আমাকে বললেন তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম জ্ঞানের সন্ধানে। তিনি
বললেন, আমি অবগত হয়েছি যে, জ্ঞান অন্বেষণকারীর কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ফেরেশতাগণ
তার জন্য তাদের পাখা বিছিয়ে দেন। যির (রহঃ) বললেন, মলমূত্র ত্যাগের পর মোজাদ্বয়ের
উপর মাসাহ করা প্রসঙ্গে আমার মনে একটা দ্বিধার সঞ্চার হয়েছে। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আপনি এ প্রসঙ্গে কিছু জানেন কি? তিনি
বললেন হ্যাঁ। আমাদেরকে তিনি হুকুম দিয়েছেন যে, আমরা সফররত অবস্থায় নাপাকীর গোসলের
প্রয়োজন না হলে যেন তিন দিন ও তিন রাত পর্যন্ত আমাদের মোজা না খুলি। মলমূত্র ত্যাগ
ও ঘুমানোর কারণেও তা খোলার প্রয়োজন নেই। যির (রহঃ) বললেন, আমি পুনরায় বললাম, আপনি
ভালবাসা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কিছু জানেন
কি? তিনি বললেন হ্যাঁ। কোন এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর সথে ছিলাম। লোকদের একেবারে পেছন হতে এক লোক খুব উচ্চৈঃস্বরে তাঁকে ডাক
দিল। লোকটি নির্বোধ বেদুঈন ও রুক্ষ ছিল। সে বলল, হে মুহাম্মাদ, হে মুহাম্মাদ!
লোকেরা তাকে বলল, থাম! এভাবে আল্লাহ তা’আলার নাবীকে সম্বোধন করতে তোমাকে (কুরআনে)
বারণ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাকে তার ন্যায়
উচ্চৈঃস্বরে উত্তর দিলেন: আস। লোকটি বলল, এক লোক কোন গোত্র কে ভালবাসে, কিন্তু
তাদের সঙ্গে সে মিলিত হতে পারেনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ কোন লোক যাকে ভালবাসে সে তার সাথী হবে। যির (রহঃ) বলেন, আমার সঙ্গে সাফওয়ান
(রাঃ) অবিরত কথা বলে যাচ্ছিলেন। পরিশেষে তিনি আমাকে বললেন, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ
তা’আলা তাওবার জন্য পাশ্চাত্যে একটি দরজা রেখেছেন, যার এক প্রান্ত হতে অন্য
প্রান্তের ব্যবধান সত্তর বছরের। সূর্য সেদিক হতে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সেই দরজা
বন্ধ হবে না। আর সে কথার প্রমাণ প্রাচুর্যময় মহান আল্লাহ তা’আলার বাণী (অনুবাদ):
‘‘এমন একদিন সংঘটিত হবে যে দিন তোমার প্রভুর কিছু নিদর্শন আসবে, সেই দিন কোন লোকের
ঈমান তার কাজে আসবে না যে আগে কখনো ঈমান আনেনি’’।
হাদীসটি সানাদ সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৩৭
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ،
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ
يُغَرْغِرْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ،
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রূহ কন্ঠাগত
না হওয়া (মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা বান্দার তাওবাহ্ ক্ববূল
করেন।
হাদীসটি হাসান : ইবনু মাজাহ হা: ৪২৫৩।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৫৩৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي
الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْ
أَحَدِكُمْ بِضَالَّتِهِ إِذَا وَجَدَهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ
ابْنِ مَسْعُودٍ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ مَكْحُولٍ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার হারানো মাল ফিরে পেলে যতটা আনন্দিত হয়, তোমাদের কারো
তাওবায় (ক্ষমা প্রার্থনায়) আল্লাহ তা’আলা তার চাইতে বেশি আনন্দিত হন।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হা: ৪২৪৭), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৩৯
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، قَاصِّ عُمَرَ
بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي صِرْمَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّهُ قَالَ
حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَدْ كَتَمْتُ عَنْكُمْ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ
رَسُولِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
لَوْلاَ أَنَّكُمْ تُذْنِبُونَ لَخَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا يُذْنِبُونَ وَيَغْفِرُ
لَهُمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غَفْرَةَ عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
نَحْوَهُ .
আবূ
আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় বলেন, তোমাদের হতে আমি একটি বিষয়
লুকিয়ে রেখেছি যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি
শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি:
তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা এমন এক দলের আবির্ভাব করতেন
যারা গুনাহ করত, তারপর আল্লাহ তা’আল তাদেরকে মাফ করতেন।
হাদীসটি সহীহ ; সহীহাহ্ হা: ৯৬৭-৯৭০, ১৯৬৩), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৪০
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ،
حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ فَائِدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ
سَمِعْتُ بَكْرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنَا أَنَسُ
بْنُ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" قَالَ اللَّهُ يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي
غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ لَوْ
بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ
وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ
خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا
مَغْفِرَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ
إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি
বলতে শুনেছি : বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান! যতক্ষণ আমাকে তুমি
ডাকতে থাকবে এবং আমার হতে (ক্ষমা পাওয়ার) আশায় থাকবে, তোমার গুনাহ যত অধিক হোক,
তোমাকে আমি ক্ষমা করব, এত কোন পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ্র পরিমাণ
যদি আসমানের কিনারা বা মেঘমালা পর্যন্তও পৌছে যায়, তারপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা
প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, এতে আমি পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান!
তুমি যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও আমার নিকট আস এবং আমার সঙ্গে কাউকে
অংশীদার না করে থাক, তাহলে তোমার কাছে আমিও পৃথিবী পূর্ণ ক্ষমা নিয়ে হাযির হব।
সহীহ : সহীহাহ্ (হা: ১২৭, ১২৮), রাওযুন নাযীর (হা: ৪৩২), মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী
(হা: ২৩৩৬) তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৬৮)।
আবূ ঈসা বলেন , হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমারা শুধুমাত্র
উপর্যুক্ত সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০০
আল্লাহ তা’আলা একশত রাহমাত
সৃষ্টি করেছেন
৩৫৪১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَلَقَ اللَّهُ مِائَةَ رَحْمَةٍ فَوَضَعَ
رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ خَلْقِهِ يَتَرَاحَمُونَ بِهَا وَعِنْدَ اللَّهِ
تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ رَحْمَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ
عَنْ سَلْمَانَ وَجُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُفْيَانَ الْبَجَلِيِّ
وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
আল্লাহ তা’আলা একশত রহমাত সৃষ্টি করেছেন, তা হতে কেবল একটি রহমাত তাঁর সৃষ্টিকুলের
মাঝে রেখেছেন, তার মধ্যমে তারা একে অপরের প্রতি দয়া ও অনুকম্পা প্রদর্শন করে। আর
বাকি নিরানব্বইটি রহমাত আল্লাহ তা’আলার নিকট রয়েছে।
হাদীসটি সহীহ ইবনু মাজাহ (হা.৪২৯৩, ৪২৯৪), মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৪২
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ مَا عِنْدَ اللَّهِ
مِنَ الْعُقُوبَةِ مَا طَمِعَ فِي الْجَنَّةِ أَحَدٌ وَلَوْ يَعْلَمُ الْكَافِرُ
مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الرَّحْمَةِ مَا قَنَطَ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدٌ "
. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ
الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যদি
মুমিন বান্দা অবগত থাকত যে কি ভীষণ শাস্তি আল্লাহ তা’আলার কাছে তৈরী রয়েছে তাহলে
কেউই জান্নাতে প্রবেশের কামনা করত না। আর যদি কাফির লোক অবগত থাকত যে আল্লাহ্র
কাছে কি অপরিসীম দয়া রয়েছে তাহলে কেউই জান্নাতে প্রবেশে আশাহতে নিরাশ হত না।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৬৩৪), বুখারী ও মুসলিম অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৪৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ
اللَّهَ حِينَ خَلَقَ الْخَلْقَ كَتَبَ بِيَدِهِ عَلَى نَفْسِهِ إِنَّ رَحْمَتِي
تَغْلِبُ غَضَبِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
غَرِيبٌ .
আবূ
হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যখন
আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেন, সে সময় নিজের হাতে নিজের উপর অনিবার্য করে
লিখে নিয়েছেন : আমার রাহমাত আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী থাকবে।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৮৯), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৫৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الثَّلْجِ، - رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ أَبُو
عَبْدِ اللَّهِ صَاحِبُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ
مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَرْبِيٍّ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ،
وَثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَسْجِدَ
وَرَجُلٌ قَدْ صَلَّى وَهُوَ يَدْعُو وَيَقُولُ فِي دُعَائِهِ اللَّهُمَّ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ
وَالإِكْرَامِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تَدْرُونَ
بِمَ دَعَا اللَّهَ دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الأَعْظَمِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ
أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا
الْوَجْهِ عَنْ أَنَسٍ .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে
প্রবেশ করলেন, সে সময় এক লোক নামায আদায় করে দু’আ করছিল এবং সে তার দু’আয় বলছিল হে
আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোন মা’বূদ নেই, তুমি পরম অনুগ্রহকারী, আকাশসমূহ ও পৃথিবীর
সৃষ্টিকর্তা, অসীম ক্ষমতাবান ও মহাসম্মানিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি জানো আল্লাহ তা’আলার নিকট সে কিসের মাধ্যমে দু’আ করেছে?
সে আল্লাহ তা’আলার নিকটে তাঁর মহান নাম এর মাধ্যমে দু’আ করেছে। যে নামে দু’আ করা
হলে তিনি তা ক্ববূল করেন এবং ঐ নামের মাধ্যমে প্রার্থনা করা হলে তিনি দান করেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৫৮)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০১
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী তাঁর নাক ভূলুণ্ঠিত হোক
৩৫৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا رِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ
الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ
عَلَىَّ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ
أَنْ يُغْفَرَ لَهُ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكِبَرَ
فَلَمْ يُدْخِلاَهُ الْجَنَّةَ " . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَظُنُّهُ
قَالَ أَوْ أَحَدُهُمَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَنَسٍ وَهَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
هُوَ أَخُو إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَهُوَ ثِقَةٌ وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ
. وَيُرْوَى عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ عَلَى
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً فِي الْمَجْلِسِ أَجْزَأَ عَنْهُ مَا كَانَ
فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তার নাক ভূলুন্ঠিত হোক যার কাছে আমার নাম উল্লেখিত হল, কিন্ত সে আমার উপর
দরূদ পাঠ করেনি। ভুলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট রমযান মাস এলো অথচ তার গুনাহ্
মাফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তা পার হয়ে গেল। আর ভূলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট তার
বাবা-মা বৃদ্ধে উপনিত হলো, কিন্ত তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করায়নি (সে তাদের
সঙ্গে ভাল আচরণ করে জান্নাত অর্জন করেনি)। আবদুর রহমানের রিওয়াইয়াতে কিংবা ‘‘যে
কোন একজন’’ কথাটুকুও আছে।
হাসান সহীহঃ মিশকাত (৯২৭), তা’লীকুর রাগীব (২/২৮৩), নাবীর উপর দরূদ পাঠের ফযীলাত
(১৬), মুসলিম হাদীসের শেষ অংশ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৩৫৪৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ مُوسَى، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ
الْعَقَدِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ
أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
الْبَخِيلُ الَّذِي مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন: কৃপণ সেই লোক যার কাছে আমার আলোচনা করা হয় অথচ সে আমার উপর দরূদ পড়ে না।
সহীহঃ মিশকাত (৯৩৩), সালাতের ফাযীলাত (১৪/৩১-৩৯) তা’লীকুর রাগীব (২/২৮৪)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০২
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর দু’আ
৩৫৪৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ،
حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ
السَّائِبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ بَرِّدْ قَلْبِي بِالثَّلْجِ
وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ اللَّهُمَّ نَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا
كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবদুল্লাহ
ইবনু আবী আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরকে বরফ, শিশির ও ঠান্ডা পানি দ্বারা শীতল করে
দাও। হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে গুনাহ হতে এমনভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দাও
যেরূপে তুমি সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করেছ”।
সহীহঃ মুসলিম (২/৭৩)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৪৮
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
أَبِي بَكْرٍ الْقُرَشِيِّ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ
نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ فُتِحَ لَهُ مِنْكُمْ بَابُ الدُّعَاءِ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ
الرَّحْمَةِ وَمَا سُئِلَ اللَّهُ شَيْئًا يَعْنِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ
يُسْأَلَ الْعَافِيَةَ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّ الدُّعَاءَ يَنْفَعُ مِمَّا نَزَلَ وَمِمَّا لَمْ يَنْزِلْ
فَعَلَيْكُمْ عِبَادَ اللَّهِ بِالدُّعَاءِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ . لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
بَكْرٍ الْقُرَشِيِّ وَهُوَ الْمَكِّيُّ الْمُلَيْكِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ فِي
الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
وَقَدْ رَوَى إِسْرَائِيلُ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
بَكْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا سُئِلَ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ
إِلَيْهِ مِنَ الْعَافِيَةِ "
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যার জন্য দু’আর দরজা খুলে দেয়া হল, মুলত তার জন্য রাহমাতের
দরজাগুলো খুলে দেওয়া হল। আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে যা কিছু কামনা করা হয়, তার মধ্যে
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করা তাঁর নিকট বেশি প্রিয়।
যঈফ, মিশকাত (২২৩৯), তা’লীকুর রাগীব (২/২৭২)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেনঃ যে বিপদ-আপদ এসেছে আর
যা (এখনও) আসেনি তাতে দু’আয় কল্যাণ হয়। অতএব হে আল্লাহ্র বান্দাগণ! তোমরা দু’আকে
আবশ্যিক করে নাও।
হাসান, মিশকাত (২৫৩৯), তা’লীকুর রাগীব (২/২৭২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। হাদীসটি আমারা শুধু আবদুর
রাহমান ইবনু আবূ বাকর আল-কুরাশীর সূত্রেই জেনেছি। তিনি আল-মাক্কী ও আল-মুলাইকী হিসেবেও
পরিচিত। তিনি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। কতক হাদীসবিদ তাঁর স্মরণশক্তির কারণে তাঁকে দুর্বল
আখ্যায়িত করেছেন। ইসরাঈল এ হাদীস আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর হতে তিনি মূসা ইবনু উকবা
হতে তিনি নাফি হতে তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ .......... “আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে
যা কিছু চাওয়া হয়, তার মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করা তাঁর নিকট বেশি প্রিয়”।
এটি আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন আল-কাসিম ইবনু দীনার আল-কূফী হতে তিনি ইসহাক ইবনু মানসূর
আল-কূফী হতে তিনি ইসরাঈল (রহঃ) সূত্রে।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৫৪৯
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ
الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ
الْكُوفِيُّ عَنْ إِسْرَائِيلَ بِهَذَا .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ
بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ
أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ
الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَإِنَّ قِيَامَ اللَّيْلِ قُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ
وَمَنْهَاةٌ عَنِ الإِثْمِ وَتَكْفِيرٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ
عَنِ الْجَسَدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ بِلاَلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ يَصِحُّ مِنْ
قِبَلِ إِسْنَادِهِ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ
مُحَمَّدٌ الْقُرَشِيُّ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الشَّامِيُّ وَهُوَ ابْنُ
أَبِي قَيْسٍ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ وَقَدْ تُرِكَ حَدِيثُهُ . وَقَدْ
رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ
عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ
فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ
وَمَكْفَرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ بِلاَلٍ .
বিলাল
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদাত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সৎকর্মপরায়ণ
বান্দাদের নিত্য আচরণ ও প্রথা। রাতের ইবাদাত আল্লাহ্ তা’আলার সান্নিধ্য অর্জনের
উপায়, পাপকর্মের প্রতিবন্ধক, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং দেহের রোগ দূরকারী।
যঈফ, ইরওয়া (৪৫২), তা’লীকুর গারীব (২/২১৬), মিশকাত (১২২৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ
হাদীসটি হাসান ও গারীব। কেননা এ হাদীস আমরা শুধু বিলাল (রাঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে
জেনেছি। সনদসূত্রের দিক হতে এটি সহীহ নয়। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল
(আল-বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, মুহাম্মদ আল-কুরাশী হলেন মুহাম্মদ ইবনু সাঈদ আশ-শামী।
ইবনু আবূ কাইস হলেন মুহাম্মাদ ইবনু হাসসান এবং তাঁর হাদীস বাদ দেয়া হয়েছে। মুআবিয়া
ইবনু সালিহ (রহঃ) এ হাদীস রবীআ ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি আবূ ইদরীস আল-খাওলানী হতে
তিনি আবূ উমামা (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদাত করবে। কেননা উহা
তোমাদের পূর্ববর্তী সৎ-কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহ্র সান্নিধ্য অর্জনের উপায়,
গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক” আবূ ঈসা বলেন, এই বর্ণনাটি
ইদরীসের সূত্রে বিললের বর্ণনা হতে অধিকতর সহীহ। হাসান, ইরওয়া (৪৫২), তা’লীকুর
রাগীব (২/২১৬), মিশকাত (১২২৭)
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫৫০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْمَارُ أُمَّتِي مَا بَيْنَ سِتِّينَ
إِلَى سَبْعِينَ وَأَقَلُّهُمْ مَنْ يَجُوزُ ذَلِكَ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ
أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ
مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আমার উম্মাতের স্বাভাবিক বয়স ষাট হতে সত্তর বছরের মাঝে হবে এবং তাদের কম
সংখ্যকই এই বয়সসীমা পার করবে।
হাসানঃ ২৩৩১ নং হাদীস পূর্বে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৩
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি দুআ
৩৫৫১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ
الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ،
عَنْ طُلَيْقِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم يَدْعُو يَقُولُ " رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَىَّ
وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَىَّ وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِي
وَيَسِّرِ الْهُدَى لِي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ بَغَى عَلَىَّ رَبِّ اجْعَلْنِي
لَكَ شَكَّارًا لَكَ ذَكَّارًا لَكَ رَهَّابًا لَكَ مِطْوَاعًا لَكَ مُخْبِتًا
إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُنِيبًا رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي وَاغْسِلْ حَوْبَتِي
وَأَجِبْ دَعْوَتِي وَثَبِّتْ حُجَّتِي وَسَدِّدْ لِسَانِي وَاهْدِ قَلْبِي
وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ صَدْرِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
قَالَ مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ،
عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
দুআ করতেন এবং বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাকে সহযোগিতা কর এবং আমার বিরুদ্ধে (কাউকে)
সহযোগিতা করো না, আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমার
জন্য পরিকল্পনা এঁটে দাও এবং আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা এঁটো না, আমাকে হিদায়াত দান
কর, আমার জন্য হিদায়াতের পথ সহজসাধ্য কর এবং যে লোক আমার উপর যুলম ও সীমালঙ্ঘন করে
তার বিরুদ্ধে আমাকে সহযোগিতা কর। হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জন্য কৃতজ্ঞ বান্দা কর,
তোমার জন্য অধিক যিকরকারী, তোমাকে বেশি ভয়কারী, তোমার অনেক আনুগত্যকারী, তোমার
কাছে অনুনয়-বিনয়কারী ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী কর। হে আমার প্রভু! আমার
তাওবাহ কবূল কর, আমার সকল গুনাহ ধুয়ে-মুছে ফেল, আমার দুআ কবূল কর, আমার
সাক্ষ্য-প্রমাণ বহাল কর, আমার যবানকে দৃঢ় কর, আমার অন্তরে হিদায়াত দান কর এবং আমার
বুক হতে সমস্ত হিংসা দূর কর”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৩০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৫২
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ،
حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ
الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ دَعَا عَلَى مَنْ ظَلَمَهُ فَقَدِ انْتَصَرَ " . قَالَ
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَمْزَةَ .
وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي أَبِي حَمْزَةَ مِنْ قِبَلِ
حِفْظِهِ وَهُوَ مَيْمُونٌ الأَعْوَرُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الرُّؤَاسِيُّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ
نَحْوَهُ .
আইশা
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে লোক তার প্রতি অত্যাচারকারীর বিরুদ্ধে দু‘আ করল সে প্রতিশোধ গ্রহণ করল।
যঈফ, যঈফা (৪৫৯৩), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু আবূ হামযার রিওয়ায়াত
হিসেবে এ হাদীস জেনেছি। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম আবূ হামযার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা
করেছেন। তিনি হলেন মাইমূন আল-আ’ওয়ার। কুতাইবা-হুমাইদ ইবনু আবদুর রহমান আর-রুয়াসী
হতে, তিনি আবুল আহওয়াস হতে, তিনি আবূ হামযা (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে একইরকম হাদীস
বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৪
(একটি দুআ দশবার পাঠ করার
সাওয়াব)
৩৫৫৩
حَدَّثَنَا مُوسَى
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ
حُبَابٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ عَشْرَ مَرَّاتٍ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي
وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ . كَانَتْ لَهُ عِدْلَ أَرْبَعِ
رِقَابٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ " . قَالَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا
الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ مَوْقُوفًا .
আবূ
আইউব আল –আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে লোক দশবার বলে, “আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন
অংশীদার নেই, সার্বভৌমত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দান করেন, তিনি
মৃত্যু দেন এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী”, সে হযরত ইসমাঈল
(আঃ) এর বংশের [অর্থাৎ কুরাইশ বংশের] চারজন দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
সহীহঃ যঈফাহ (৫১২৬) নং হাদীসের অধীনে, বুখারী ও মুসলিম “তিনি জীবিত করেন মৃত্যুদান
করেন” এই অংশ বাদে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا
هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ، مَوْلَى
صَفِيَّةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم وَبَيْنَ يَدَىَّ أَرْبَعَةُ آلاَفِ نَوَاةٍ أُسَبِّحُ بِهَا
فَقُلْتُ لَقَدْ سَبَّحْتُ بِهَذِهِ . فَقَالَ " أَلاَ أُعَلِّمُكِ
بِأَكْثَرَ مِمَّا سَبَّحْتِ بِهِ " . فَقُلْتُ بَلَى عَلِّمْنِي .
فَقَالَ " قُولِي سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمِ بْنِ سَعِيدٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ
إِسْنَادُهُ بِمَعْرُوفٍ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
উম্মুল
মুমিনীন সাফিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকটে
এলেন, তখন আমার নিকট চার হাজার খেজুরের বিচি ছিল, যা দিয়ে আমি তাসবীহ পাঠ করে
থাকি। তিনি বললেনঃ তুমি কি এগুলো দিয়ে তাসবীহ গণনা করেছ? আমি কি তোমাকে এমন তাসবীহ
শিখাব না যা সাওয়াবের দিক হতে এর চেয়ে বেশি হবে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমাকে শিখিয়ে দিন।
তিনি বললেনঃ তুমি বল, “আল্লাহ্ তা”আলা তাঁর সৃষ্টিকুলের সমপরিমাণ পবিত্র”।
মুনকার, আর-রাদ্দু আলাত তা’কীবিল হাসীস (৩৫-৩৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কেননা সাফিয়্যা (রাঃ)-এর
এ হাদীস আমরা শুধু হাশিম ইবনু সাঈদ আল-কূফীর সূত্রে জেনেছি। এর সনদ তেমন সুপরিচিত নয়।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃমুনকার
৩৫৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ كُرَيْبًا، يُحَدِّثُ عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم مَرَّ عَلَيْهَا وَهِيَ فِي مَسْجِدٍ ثُمَّ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم بِهَا قَرِيبًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ فَقَالَ لَهَا " مَا
زِلْتِ عَلَى حَالِكِ " . فَقَالَتْ نَعَمْ . قَالَ " أَلاَ
أُعَلِّمُكِ كَلِمَاتٍ تَقُولِينَهَا سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ
اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ
رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا
نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ
سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمُحَمَّدُ
بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ وَهُوَ شَيْخٌ مَدَنِيٌّ
ثِقَةٌ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ الْمَسْعُودِيُّ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا
الْحَدِيثَ .
উম্মুল
মুমিনীন জুওয়াইরিয়াহ বিনতুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছ
দিয়ে অতিক্রম করলেন, সে সময় তিনি তার (ঘরে) নামাযের জায়গায় ছিলেন। আবার
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায় দুপুরে তার কাছ দিয়ে গমন
করেন এবং তাকে বললেনঃ তুমি কি তখন হতে এই অবস্থায় আছ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি
বললেন, আমি তোমাকে কি কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যা তুমি বলবে? “আল্লাহ তা’আলা তাঁর
সৃষ্টিকুলের সমপরিমাণ মহাপবিত্র” (৩ বার), “আল্লাহ তা’আলা তাঁর সত্তার সন্তোষ
মোতাবিক মহাপবিত্র” (৩ বার), “আল্লাহ তা’আলা তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ মহাপবিত্র”
(৩ বার), “আল্লাহ তাঁর কালামের সমান মহাপবিত্র” (তিন বার)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮০৮), মুসলিম
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৫
(হাত তুলে দু’আ করলে আল্লাহ
তা’আলা সেই হাত শুন্য ফিরান না)
৩৫৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ
مَيْمُونٍ، صَاحِبُ الأَنْمَاطِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ
سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
إِنَّ اللَّهَ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحِي إِذَا رَفَعَ الرَّجُلُ إِلَيْهِ
يَدَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا خَائِبَتَيْنِ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ وَلَمْ يَرْفَعْهُ
.
সালমান
আল ফারিসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
আল্লাহ তা’আলা অত্যধিক লজ্জাশীল ও দাতা। যখন কোন ব্যক্তি তাঁর দরবারে তার দুই হাত
তুলে (প্রার্থনা করে) তখন তিনি তার হাত দু’খানা শুন্য ও বঞ্চিত ফিরিয়ে দিতে
লজ্জাবোধ করেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৬৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
رَجُلاً، كَانَ يَدْعُو بِأُصْبُعَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " أَحِّدْ أَحِّدْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِذَا أَشَارَ الرَّجُلُ
بِأُصْبُعَيْهِ فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الشَّهَادَةِ لاَ يُشِيرُ إِلاَّ بِأُصْبُعٍ
وَاحِدَةٍ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক দুই আঙ্গুলে (ইঙ্গিত করে) দুআ করছিল। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একটির মাধ্যমে একটির মাধ্যমে।
হাসান সহীহঃ মিশকাত (৯১৩)
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-১০৬
(দুআ প্রসঙ্গে বিভিন্ন
হাদীস)
৩৫৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ،
وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، أَنَّ
مُعَاذَ بْنَ رِفَاعَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ
الصِّدِّيقُ عَلَى الْمِنْبَرِ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم عَامَ الأَوَّلِ عَلَى الْمِنْبَرِ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ "
سَلُوا اللَّهَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فَإِنَّ أَحَدًا لَمْ يُعْطَ بَعْدَ
الْيَقِينِ خَيْرًا مِنَ الْعَافِيَةِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه .
মুআয
ইবনু রিফা’আহ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) মাসজিদে নাববীর মিম্বারে
দাঁড়ালেন, তারপর কেঁদে দিলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) গত বছর এ মিম্বারে দাঁড়িয়ে কাঁদেন, তারপর বলেনঃ আল্লাহ তা’আলার নিকট
তোমরা ক্ষমা, শান্তি ও হিফাযাত প্রার্থণা কর। কেননা ঈমানের পর তোমাদের কাউকে
শান্তি ও হিফাযাতের চাইতে বেশি উত্তম আর কিছুই দেয়া হয়নি।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৪৯)
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-১০৭
যে ক্ষমা প্রার্থনা করল সে
গুনাহ হতে মুক্ত হল
৩৫৫৯
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ
بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِي نُصَيْرَةَ، عَنْ مَوْلًى، لأَبِي بَكْرٍ عَنْ
أَبِي بَكْرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا
أَصَرَّ مَنِ اسْتَغْفَرَ وَلَوْ فَعَلَهُ فِي الْيَوْمِ سَبْعِينَ مَرَّةً
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ
حَدِيثِ أَبِي نُصَيْرَةَ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
আবূ
বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করেছে (গুনাহ হতে) সে গুনাহর উপর অটল থাকেনি,
যদিও সে প্রতিদিন সত্তরবার গুনাহ করে থাকে।
যঈফ, মিশকাত (২৩৪০), যঈফ আবূ দাঊদ (২৬৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা
শুধু আবূ নুসাইরার সুত্রেই হাদীসটি জেনেছি। এ হাদীসের সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৮
নতুন পোশাক পরার দু‘আ
৩৫৬০
حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ مُوسَى، وَسُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا
يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا الأَصْبَغُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو
الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ لَبِسَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله
عنه ثَوْبًا جَدِيدًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي
بِهِ عَوْرَتِي وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي . ثُمَّ عَمَدَ إِلَى الثَّوْبِ
الَّذِي أَخْلَقَ فَتَصَدَّقَ بِهِ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ لَبِسَ ثَوْبًا جَدِيدًا فَقَالَ الْحَمْدُ
لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي
حَيَاتِي ثُمَّ عَمَدَ إِلَى الثَّوْبِ الَّذِي أَخْلَقَ فَتَصَدَّقَ بِهِ كَانَ
فِي كَنَفِ اللَّهِ وَفِي حِفْظِ اللَّهِ وَفِي سَتْرِ اللَّهِ حَيًّا وَمَيِّتًا
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ
أَيُّوبَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ عَنِ
الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ .
আবূ
উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একখানা নতুন পোশাক
পরেন এবং বলেন, “সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য যিনি আমাকে পরিয়েছেন, যা দিয়ে
আমি লজ্জাস্থান ঢেকে রেখেছি এবং আমার জীবনকে সুসজ্জিত করেছি।” তারপর তিনি তাঁর
পুরাতন কাপড়টি দান করে দিলেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নতুন কাপড় (পোশাক) পরে বলে, “সকল প্রশংসা
আল্লাহ্ তা‘আলার যিনি আমাকে পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি আমার লজ্জাস্থান ঢেকে রেখেছি
এবং আমার জীবনকে (দৈহিক সৌষ্ঠব) সুসজ্জিত করেছি”, তারপর নিজের পরার পুরানো বস্ত্র
দান করে, সে জীবনে ও মরণে আল্লাহ্ তা’আলার আশ্রয়ে, আল্লাহ্ তা‘আলার হিফাজাতে এবং
আল্লাহ্ তা’আলার সুরক্ষিত প্রাচীরে থাকে।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৫৫৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। হাদীসটি ইয়াহ্ইয়া ইবনু
আইউব (রহঃ) উবাইদুল্লাহ ইবনু যাহর হতে, তিনি আলী ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি কাসিম হতে,
তিনি আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণনা করছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৯
সর্বোত্তম গানীমাত
৩৫৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، قِرَاءَةً
عَلَيْهِ عَنْ حَمَّادِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ
بَعْثًا قِبَلَ نَجْدٍ فَغَنِمُوا غَنَائِمَ كَثِيرَةً وَأَسْرَعُوا الرَّجْعَةَ
فَقَالَ رَجُلٌ مِمَّنْ لَمْ يَخْرُجْ مَا رَأَيْنَا بَعْثًا أَسْرَعَ رَجْعَةً
وَلاَ أَفْضَلَ غَنِيمَةً مِنْ هَذَا الْبَعْثِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم " أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى قَوْمٍ أَفْضَلُ غَنِيمَةً
وَأَسْرَعُ رَجْعَةً قَوْمٌ شَهِدُوا صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ جَلَسُوا
يَذْكُرُونَ اللَّهَ حَتَّى طَلَعَتْ عَلَيْهِمُ الشَّمْسُ فَأُولَئِكَ أَسْرَعُ
رَجْعَةً وَأَفْضَلُ غَنِيمَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَمَّادُ بْنُ أَبِي
حُمَيْدٍ هُوَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ الأَنْصَارِيُّ الْمُزَنِيُّ وَهُوَ مُحَمَّدُ
بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ الْمَدَنِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ .
উমার
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজদের
দিকে এক অভিযানে একটি সেনাদল পাঠান। তারা প্রচুর গানীমাতের সম্পদ অর্জন করে এবং
তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। তাদের সাথে যায়নি এমন এক লোক বলল, অল্প সময়ের মধ্যে এত পরিমাণে
উত্তম গানীমাত নিয়ে এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি আর কোন সেনাদলকে আমরা ফিরে আসতে দেখিনি।
তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন
এক দলের কথা বলব না যারা এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি উত্তম গানীমাত নিয়ে ফিরে আসে? যারা
ফজরের নামাযের জামা’আতে হাযির হয়, (নামায শেষে) সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহ্
তা’আলার যিকির করতে থাকে, তারাই অল্প সময়ের মধ্যে উত্তম গানীমাতসহ
প্রত্যাবর্তনকারী।
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (১/১৬৬), সহীহা (২৫৩১) নং হাদীসের অধীনে, আবূ ঈসা বলেনঃ এ
হাদীসিটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদসুত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আর হাম্মাদ ইবনু
আবূ হুমাইদ হলেন মুহাম্মদ ইবনু আবূ হুমাইদ এবং তিনি হলেন আবূ ইবরাহীম আল-আনসারী
আল–মাদীনী। তিনি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১০
মুসাফিরের নিকট দু‘আর আবেদন
৩৫৬২
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ
اللَّهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْعُمْرَةِ فَقَالَ " أَىْ أُخَىَّ
أَشْرِكْنَا فِي دُعَائِكَ وَلاَ تَنْسَنَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উমরা করার লক্ষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সম্মতি চান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেনঃ হে স্নেহের ভাই! তোমার দু‘আয় আমাদেরকেও অংশীদার করবে এবং আমাদেরকে ভুলে যেও
না।
যইফ, ইবনু মাজাহ (২৮৯৪), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১১
(ঋণমুক্তির দুআ)
৩৫৬৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا
أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ
أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه أَنَّ مُكَاتَبًا، جَاءَهُ فَقَالَ
إِنِّي قَدْ عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي . قَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ
كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ كَانَ
عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلِ صِيرٍ دَيْنًا أَدَّاهُ اللَّهُ عَنْكَ قَالَ "
قُلِ اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ
عَمَّنْ سِوَاكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
.
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একটি চুক্তিবদ্ধ গোলাম তার নিকটে এসে বলে, আমার চুক্তির
অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি
তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দিব না যা আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর সীর (সাবীর) পর্বত পরিমাণ ঋণও
থাকে তবে আল্লাহ তাআলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেনঃ তুমি
বল, “হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম হতে বিরত রাখ বা দূরে
রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ব্যতীত অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া হতে আমাকে আত্মনির্ভরশীল
কর”।
হাসানঃ তালীকুর রাগীব (২/৪০), আল –কালিমুত তাইয়্যিব (১৪৩/৯৯)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১২
রোগীকে দেখতে গিয়ে যে দু’আ
পাঠ করবে
৩৫৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ
كُنْتُ شَاكِيًا فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَقُولُ
اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَجَلِي قَدْ حَضَرَ فَأَرِحْنِي وَإِنْ كَانَ مُتَأَخِّرًا
فَأَرْفِغْنِي وَإِنْ كَانَ بَلاَءً فَصَبِّرْنِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " كَيْفَ قُلْتَ " . قَالَ فَأَعَادَ عَلَيْهِ مَا
قَالَ قَالَ فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ عَافِهِ أَوِ
اشْفِهِ " . شُعْبَةُ الشَّاكُّ . فَمَا اشْتَكَيْتُ وَجَعِي بَعْدُ
. قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ (রোগাক্রান্ত) ছিলাম। রাসূলূল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকটে এলেন এবং তখন আমি বলছিলামঃ “হে
আল্লাহ! যদি আমার শেষ মুহূর্ত হাযির হয়ে থাকে তবে আমাকে দয়া কর, তাতে যদি দেরী
থাকে তবে আমাকে উঠিয়ে দাও (সুস্থ কর), আর যদি বিপদের পরীক্ষায় ফেল তাহলে সবর দান
কর”। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি কিভাবে বললে?
তিনি তার কথার পুনরাবৃত্তি করে তাঁকে শুনান। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাঁর পা দিয়ে তাকে আঘাত করেন এবং বলেনঃ “হে আল্লাহ! তাকে আরোগ্য দান
কর, অথবা তাকে নিরাময় দান কর”। শুবার সন্দেহ (তার ঊর্দ্ধতন রাবী কোনটি বলেছেন)।
আলী (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি ব্যথা অনুভব করি নাই।
যঈফ, মিশকাত(৬০৯৮), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫৬৫
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم إِذَا عَادَ مَرِيضًا قَالَ " اللَّهُمَّ أَذْهِبِ
الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ فَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ
شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
.
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কোন রোগীকে দেখতে গেলে বলতেনঃ “হে মানুষের প্রভু! তুমি রোগ দূর কর, তুমি সুস্থতা
দান কর, তুমিই সুস্থতা দানকারী। তোমার আরোগ্যদান ব্যতীত কোন আরোগ্য নেই। তুমি
এমনভাবে সুস্থতা দান কর যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম আয়িশাহ (রাঃ) হতে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৩
বিতর নামাযের দু’আ
৩৫৬৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ
سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمْرٍو الْفَزَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي وِتْرِهِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ
بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَأَعُوذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ
بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
" . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ .
আলী
ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিতরের নামাযে
বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার খুশির জন্য তোমার অখুশি হতে আশ্রয় প্রার্থণা করি,
তোমার ক্ষমা ও অনুকম্পার জন্য তোমার শাস্তি হতে আশ্রয় প্রার্থণা করি এবং তোমার
সত্বা হতে তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থণা করি। তোমার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারি
না, তুমি তেমনি যেমন তুমি নিজের প্রশংসা করেছ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৭৯)
আবূ ঈসা বলেন, আলী (রাঃ) এর বর্ণনা হিসেবে এ হাদীসটি হাসান
গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র হাম্মাদ ইবনু সালামার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে উপর্যুক্ত
সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৪
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) প্রতি নামাযের পর যে দু’আ দ্বারা আশ্রয় প্রার্থণা করতেন
৩৫৬৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ،
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، وَعَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ،
قَالَ كَانَ سَعْدٌ يُعَلِّمُ بَنِيهِ هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ كَمَا يُعَلِّمُ
الْمُكْتِبُ الْغِلْمَانَ وَيَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
كَانَ يَتَعَوَّذُ بِهِنَّ دُبُرَ الصَّلاَةِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ
بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَرْذَلِ
الْعُمُرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ "
. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو إِسْحَاقَ
الْهَمْدَانِيُّ مُضْطَرِبٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ
عَنْ عُمَرَ وَيَقُولُ عَنْ غَيْرِهِ وَيَضْطَرِبُ فِيهِ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
মুসআব
ইবনু সাদ ও আমর ইবনু মাইমূন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা প্রত্যেকে বলেন, সাদ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)
নিম্নোক্ত বাক্যগুলো তাঁর সন্তানদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতেন, যেমনভাবে মক্তবে
শিক্ষক শিশুদেরকে শিক্ষা দেন। তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) নামাযের পর এগুলো দ্বারা আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করতেনঃ “হে
আল্লাহ! তোমার কাছে আমি ভীরুতা হতে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে কৃপণতা হতে আশ্রয় চাই,
তোমার কাছে অতি বার্ধক্যে পৌঁছার বয়স হতে আশ্রয় চাই এবং তোমার কাছে দুনিয়ার
ঝগড়া-বিবাদ ও ক্ববরের শাস্তি হতে আশ্রয় চাই”।
সহীহঃ বুখারী (২৮২২, ৬৩৬৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৬৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ
أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ خُزَيْمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي
وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهَا، أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
عَلَى امْرَأَةٍ وَبَيْنَ يَدَيْهَا نَوًى أَوْ قَالَ حَصًى تُسَبِّحُ بِهِ
فَقَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكِ بِمَا هُوَ أَيْسَرُ عَلَيْكِ مِنْ هَذَا أَوْ
أَفْضَلُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي السَّمَاءِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ
عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي الأَرْضِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا بَيْنَ ذَلِكَ
وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا هُوَ خَالِقٌ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِثْلَ ذَلِكَ
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
مِثْلَ ذَلِكَ " . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ
سَعْدٍ .
আইশা
বিনতু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সাথে এক মহিলার ঘরে যান, যার সামনে ছিল খেজুরের অনেকগুলো বিচি অথবা
নুড়ি পাথর, যার সাহায্যে সে তাস্বীহ পাঠ করত। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়েও সহজ ও উত্তম পথ প্রসঙ্গে জানাবো না?
“আল্লাহ মহাপবিত্র আকাশে তাঁর সৃষ্টি জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ মহাপবিত্র দুনিয়াতে
তাঁর সৃষ্ট জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র এতদুভয়ের মধ্যকার সৃষ্টির
সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র তিনি যেসকল প্রাণী সৃষ্টি করবেন তার সমসংখ্যক,
অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ তা’আলা মহান, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা, অনুরূপ
সংখ্যকবার আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কল্যাণ করার বা ক্ষতিসাধনের আর কোন শক্তি নেই”।
মুনকার, আর রাদ্দু আলা আত-তা’কীবিল হাছীস (২৩-৩২), মিশকাত (২৩১১), যঈফা(৮৩), আল
কালিমুত তায়্যিব (১৩/৪), আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং সা’দ (রাঃ)-এর হাদীস
হিসেবে গারীব।
হাদিসের মানঃমুনকার
৩৫৬৯
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ،
عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حُكَيْمٍ،
خَطْمِيٌّ مَوْلَى الزُّبَيْرِ عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ صَبَاحٍ يُصْبِحُ
الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ وَمُنَادٍ يُنَادِي سَبِّحُوا الْمَلِكَ الْقُدُّوسَ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
যুবাইর
ইবনুল আওয়াম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ বান্দা প্রতিদিন ভোরে উপনীত হলে একজন ঘোষক ডেকে বলেন, “সার্বভৌম ক্ষমতার
অধিকারী ত্রুটিমুক্ত আল্লাহ্ তা‘আলা মহাপবিত্র ও মহিমাময়”।
যঈফ, যঈফা, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৫
মুখস্থশক্তি বাড়ানোর দু‘আ
৩৫৭০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ،
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءِ
بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، وَعِكْرِمَةَ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ
جَاءَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي تَفَلَّتَ
هَذَا الْقُرْآنُ مِنْ صَدْرِي فَمَا أَجِدُنِي أَقْدِرُ عَلَيْهِ . فَقَالَ
لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا الْحَسَنِ أَفَلاَ
أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهِنَّ وَيَنْفَعُ بِهِنَّ مَنْ
عَلَّمْتَهُ وَيُثَبِّتُ مَا تَعَلَّمْتَ فِي صَدْرِكَ " . قَالَ أَجَلْ
يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلِّمْنِي . قَالَ " إِذَا كَانَ لَيْلَةُ
الْجُمُعَةِ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَقُومَ فِي ثُلُثِ اللَّيْلِ الآخِرِ
فَإِنَّهَا سَاعَةٌ مَشْهُودَةٌ وَالدُّعَاءُ فِيهَا مُسْتَجَابٌ وَقَدْ قَالَ
أَخِي يَعْقُوبُ لِبَنِيهِ : (سوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ) يَقُولُ
حَتَّى تَأْتِيَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي
وَسَطِهَا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي أَوَّلِهَا فَصَلِّ أَرْبَعَ
رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةِ يس
وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَ( حم ) الدُّخَانَ
وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّالِثَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَالم تَنْزِيلُ
السَّجْدَةَ وَفِي الرَّكْعَةِ الرَّابِعَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَتَبَارَكَ
الْمُفَصَّلَ فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ التَّشَهُّدِ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَأَحْسِنِ الثَّنَاءَ
عَلَى اللَّهِ وَصَلِّ عَلَىَّ وَأَحْسِنْ وَعَلَى سَائِرِ النَّبِيِّينَ
وَاسْتَغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلإِخْوَانِكَ الَّذِينَ
سَبَقُوكَ بِالإِيمَانِ ثُمَّ قُلْ فِي آخِرِ ذَلِكَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي
بِتَرْكِ الْمَعَاصِي أَبَدًا مَا أَبْقَيْتَنِي وَارْحَمْنِي أَنْ أَتَكَلَّفَ
مَا لاَ يَعْنِينِي وَارْزُقْنِي حُسْنَ النَّظَرِ فِيمَا يُرْضِيكَ عَنِّي
اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ
بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُلْزِمَ قَلْبِي حِفْظَ كِتَابِكَ كَمَا
عَلَّمْتَنِي وَارْزُقْنِي أَنْ أَتْلُوَهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي يُرْضِيكَ
عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ
بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُنَوِّرَ بِكِتَابِكَ بَصَرِي وَأَنْ تُطْلِقَ
بِهِ لِسَانِي وَأَنْ تُفَرِّجَ بِهِ عَنْ قَلْبِي وَأَنْ تَشْرَحَ بِهِ صَدْرِي
وَأَنْ تَغْسِلَ بِهِ بَدَنِي لأَنَّهُ لاَ يُعِينُنِي عَلَى الْحَقِّ غَيْرُكَ
وَلاَ يُؤْتِيهِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ يَا أَبَا الْحَسَنِ تَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ جُمَعٍ أَوْ
خَمْسَ أَوْ سَبْعَ تُجَابُ بِإِذْنِ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ مَا
أَخْطَأَ مُؤْمِنًا قَطُّ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ
فَوَاللَّهِ مَا لَبِثَ عَلِيٌّ إِلاَّ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا حَتَّى جَاءَ عَلِيٌّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مِثْلِ ذَلِكَ الْمَجْلِسِ فَقَالَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ فِيمَا خَلاَ لاَ آخُذُ إِلاَّ أَرْبَعَ آيَاتٍ
أَوْ نَحْوَهُنَّ وَإِذَا قَرَأْتُهُنَّ عَلَى نَفْسِي تَفَلَّتْنَ وَأَنَا
أَتَعَلَّمُ الْيَوْمَ أَرْبَعِينَ آيَةً أَوْ نَحْوَهَا وَإِذَا قَرَأْتُهَا
عَلَى نَفْسِي فَكَأَنَّمَا كِتَابُ اللَّهِ بَيْنَ عَيْنَىَّ وَلَقَدْ كُنْتُ
أَسْمَعُ الْحَدِيثَ فَإِذَا رَدَّدْتُهُ تَفَلَّتَ وَأَنَا الْيَوْمَ أَسْمَعُ
الأَحَادِيثَ فَإِذَا تَحَدَّثْتُ بِهَا لَمْ أَخْرِمْ مِنْهَا حَرْفًا .
فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ " مُؤْمِنٌ
وَرَبِّ الْكَعْبَةِ يَا أَبَا الْحَسَنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ
مُسْلِمٍ .
ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় আমরা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ছিলাম। তখন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এসে বলেন, আমার
পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! এই কুরআন আমার হৃদয় হতে বেরিয়ে যায় (মুখস্থ থাকে
না)। আমি তা নিজের মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম নই। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে আবুল হাসান! আমি কি তোমাকে এমন কথা শিখাব না যার
দ্বারা আল্লাহ তা’আলা তোমাকে উপকৃত করবেন, তুমি যাকে তা শিখাবে তাকেও উপকৃত করবেন
এবং যা তুমি শিখবে তাও তোমার হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে থাকবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ, হে
আল্লাহ্র রাসূল! তা আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ জুমু’আর রাত আসার পর তোমার
পক্ষে সম্ভব হলে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে (নামাযে) দাঁড়িয়ে যাও। এ সময় আল্লাহ্ তা’আলার
ফেরেশতা হাযির হয় এবং তখন দু‘আ ক্ববূল হয়। আমার ভাই ইয়াকূব (আঃ) তাঁর সন্তানদের
বলেছিলেনঃ আমি তোমাদের জন্য আমার রবের নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করব। পরিশেষে তিনি
জুমু’আর রাতেই তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদি তুমি (তখন নামায আদায় করতে)
সক্ষম না হও তাহলে মধ্য রাতে দাঁড়াও এবং তখনও সম্ভব না হলে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে
দাঁড়াও এবং চার রাক’আত (নফল) নামায আদায় কর। প্রথম রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর
সূরা ইয়াসীন, দ্বিতীয় রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা হা-মীম আদ-দুখান, তৃতীয়
রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা আলিফ-লাম-মীম তানযীলুস সাজদা এবং চতুর্থ রাক’আতে
সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা তাবারাকা আল-মুফাস্সাল (সূরা আল-মূল্ক) পাঠ করবে। তুমি
তাশাহুদ পাঠ শেষ করে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করবে এবং ভালভাবে তাঁর গুণকীর্তন করবে,
তারপর আমার উপর দরূদ পাঠ করবে এবং সকল নাবী-রাসূলের প্রতি ভালভাবে দুরূদ ও সালাম
পাঠ করবে, তারপর সকল মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদের জন্য এবং তোমার যে সকল ভাই
ঈমানের সাথে অতীতে ইন্তিকাল করেছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সবশেষে তুমি
বলবেঃ “হে আল্লাহ! পাপাচার ছেড়ে দিতে আমাকে অনুগ্রহ কর যাবত তুমি আমাকে বাঁচিয়ে
রাখ, আমার প্রতি দয়া কর যেন আমি নিস্ফল আচরণে জড়িয়ে না পড়ি এবং তোমার পছন্দনীয়
বিষয়ে আমাকে ভালভাবে ভাববার তাওফীক দাও। হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টা,
মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী এবং এমন মর্যাদার অধিকারী যার আকাংখা করা যায় না, আমি
তোমার নিকটে প্রার্থনা করি, হে আল্লাহ, হে রহমান, তোমার অসীম মহত্ব ও চেহারার
নূরের উসীলায় আমি প্রার্থনা করি যে, আমার অন্তরে তোমার কিতাবকে বদ্ধমূল করে দাও
যেমন তুমি আমাকে শিখিয়েছ, যে ভাবে পাঠ করলে তুমি সন্তুষ্ট হও সেইভাবে পাঠ করতে
আমাকে তাওফীক দান কর, হে আল্লাহ, আকাশ ও জমীনের সৃষ্টিকর্তা মর্যাদা ও মহত্বের
অধিকারী যার আকাংখা করা যায় না। হে দয়াময়, তোমার মহত্ব ও নুরের উসীলায় আমি
প্রার্থনা করছি। তুমি তোমার কিতাবের উসীলায় আমার চক্ষুকে উজ্জ্বল করে দাও, তা দিয়ে
আমার যবান (জিহ্বা) খুলে দাও এবং তা দিয়ে আমার অন্তরকে উন্মুক্ত কর, আর তা দিয়ে
আমার বক্ষকে প্রসারিত, আমার দেহটিকে তা দিয়ে ধুয়ে ফেল। সত্যের উপর তুমি ব্যতীত
অন্য কেউই আমার সাহায্য করতে পারে না এবং তুমি ব্যতীত কেউই আমাকে তা দিতে পারে না।
সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ ছাড়া অনিষ্ট রোধ করার এবং কল্যাণ অর্জনের আর কোন শক্তি
নেই। ”
হে আবুল হাসান! তুমি তিন অথবা পাঁচ অথবা সাত জুমু’আ পর্যন্ত এ আমল করতে থাক।
আল্লাহ্ তা’আলার ইচ্ছায় তোমার দু’আ ক্ববূল হবে। সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আমাকে
সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন! কোন মু’মিনই (এ দু’আ পাঠ করে) কখনও বঞ্চিত হবে না। ইবনু
আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার শপথ! আলী (রাঃ) পাঁচ অথবা সাত জুমু’আ পর্যন্ত
এই আমল করে একদিন এরকম এক আসরে এসে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)কে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আগে আমি চার আয়াত পাঠ করতাম আর তা আমার হৃদয়
হতে চলে যেত। আর এখন আমি চল্লিশ আয়াত অথবা এরকম পরিমাণ মুখস্থ করে যখন পাঠ করি তখন
মনে হয় যেন আল্লাহ্ তা’আলার কিতাব আমার চোখের সামনে উন্মুক্ত আছে। একইভাবে আমি
হাদীস শুনতাম এবং পরে তা পুনঃপাঠ করতে গিয়ে দেখতাম যে, তা আমার অন্তর থেকে চলে
গেছে। আর এখন আমি হাদীসসমুহ শুনি এবং পরে তা পুনঃপাঠ করি এবং তা হতে একটি শব্দও
বাদ পড়ে না। তখন রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে
হাসানের পিতা, কা’বার প্রভুর কসম! অবশ্যই তুমি একজন মু’মিন।
মাওযূ. তা’লীকুর রাগীব (২/২১৪), যঈফা(৩৩৭৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। ওয়ালিদ ইবনু মুসলিমের
রিওয়ায়াত হিসেবেই শুধু আমরা এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৬
সুখ-স্বাচ্ছন্দ ইত্যাদির
জন্য অপেক্ষা করা প্রসঙ্গে
৩৫৭১
حَدَّثَنَا بِشْرُ
بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ
إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَلُوا اللَّهَ مِنْ
فَضْلِهِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحِبُّ أَنْ يُسْأَلَ وَأَفْضَلُ
الْعِبَادَةِ انْتِظَارُ الْفَرَجِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى
حَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ وَقَدْ خُولِفَ فِي رِوَايَتِهِ .
وَحَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ هَذَا هُوَ الصَّفَّارُ لَيْسَ بِالْحَافِظِ وَهُوَ
عِنْدَنَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ . وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ
إِسْرَائِيلَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ رَجُلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم مُرْسَلٌ وَحَدِيثُ أَبِي نُعَيْمٍ أَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ أَصَحَّ .
আবদুল্লাহ
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে তাঁর দয়া প্রার্থনা কর। কেননা আল্লাহ তা‘আলা
তাঁর নিকট কিছু পাওয়ার প্রার্থনাকে ভালোবাসেন। আর সর্বোত্তম ইবাদাত হল দু’আ ক্ববূল
হওয়ার অপেক্ষায় থাকা।
যঈফ, যঈফা (৪৯২), আবূ ঈসা বলেনঃ হাম্মাদ ইবনু ও য়াকিদ এভাবেই হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন, তার রিওয়ায়াতে মতভেদ করা হয়েছে। এই হাম্মাদ ইবনু ওয়াকিদ আস-সাফফার তিনি
হাফিজ নন। আমাদের মতে তিনি বাসরার শাইখ।
আবূ নুয়াইম এই হাদীসটি ইসরাঈল হতে, তিনি হাকীম ইবনু জুবাইর হতে, তিনি এক ব্যক্তি
হতে তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, মুর্সাল রূপে
বর্ণনা করেছেন।
আবূ নূরাইমের বর্ণনাটি অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫৭২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ
أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ
الْكَسَلِ وَالْعَجْزِ وَالْبُخْلِ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ
يَتَعَوَّذُ مِنَ الْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
صَحِيحٌ .
যাইদ
ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ
“হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি অলসতা, অক্ষমতা ও কৃপণতা হতে আশ্রয় চাই”। একই
সনদসূত্রে আরও বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “বার্ধক্য ও
ক্ববরের শাস্তি হতেও” আশ্রয় প্রার্থণা করতেন।
সহীহঃ মুসলিম (৮/৮১-৮২)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৭৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
يُوسُفَ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ
نُفَيْرٍ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا عَلَى الأَرْضِ مُسْلِمٌ يَدْعُو اللَّهَ
بِدَعْوَةٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهَا أَوْ صَرَفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ
مِثْلَهَا مَا لَمْ يَدْعُ بِمَأْثَمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ " . فَقَالَ
رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ إِذًا نُكْثِرَ . قَالَ " اللَّهُ أَكْثَرُ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ وَابْنُ ثَوْبَانَ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ
الْعَابِدُ الشَّامِيُّ .
উবাদাহ
ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
পৃথিবীর বক্ষে যে মুসলিম লোকই আল্লাহ তা’আলার নিকটে কোন কিছুর জন্য দুআ করে,
অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন কিংবা তার হতে একই রকম পরিমাণ ক্ষতি সরিয়ে
দেন, যতক্ষণ না সে পাপে জড়িত হওয়ার জন্য অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দু’আ
করে। সমবেত ব্যক্তিদের একজন বলল, তাহলে আমরা অত্যধিক দুআ করতে পারি। তিনি বললেনঃ আল্লাহ
তাআলা তার চাইতেও বেশী ক্ববূলকারী।
হাসান সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৭১-২৭২)
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-১১৭
(রাতে শোয়ার সময় যে দুআ পাঠ
করবে)
৩৫৭৪
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ،
حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
إِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ
عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ ثُمَّ قُلِ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ
وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَهْبَةً وَرَغْبَةً
إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ
الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ . فَإِنْ مُتَّ فِي
لَيْلَتِكَ مُتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ " . قَالَ فَرَدَّدْتُهُنَّ
لأَسْتَذْكِرَهُ فَقُلْتُ آمَنْتُ بِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَقَالَ
" قُلْ آمَنْتُ بِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ " . قَالَ وَهَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْبَرَاءِ
وَلاَ نَعْلَمُ فِي شَيْءٍ مِنَ الرِّوَايَاتِ ذُكِرَ الْوُضُوءُ إِلاَّ فِي هَذَا
الْحَدِيثِ .
আল
–বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যখন তুমি শোয়ার জন্য বিছানায় যেতে চাও সে সময় নামাযের উযূর মত উযূ কর, অতঃপর তোমার
ডান কাতে শয়ন কর, অতঃপর বলঃ “হে আল্লাহ! আমার চেহারা আমি তোমার দিকে সোপর্দ করলাম,
আমার সমস্ত বিষয় তোমার কাছে সমর্পণ করলাম, আশা ও ভয় নিয়ে তোমার দিকে আমার পিঠ সপে
দিলাম, তোমার হতে (পালিয়ে) আশ্রয় নেয়ার এবং রক্ষা পাওয়ার তুমি ব্যতীত আর কোন জায়গা
নেই। আমি ঈমান আনলাম তোমার অবতীর্ণ কিতাবের উপর এবং তোমার পাঠানো নাবীর উপর”।
তারপর যদি ঐ রাতে তুমি মারা যাও, তাহলে দ্বীনের (ইসলামের) উপরই মৃত্যুবরণ করবে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি এ দু’আর বাক্যগুলো পুণরায় বললাম যাতে তা আমার মুখস্থ হয়ে
যায়। আমি তাতে যোগ করলাম, আমি তোমার পাঠানো রাসূলের উপর ঈমান আনলাম। তখন তিনি
বললেনঃ তুমি বল, “আমি তোমার পাঠানো নাবীর উপর ঈমান আনলাম”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম (৩৩৯৪) নং পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৭৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ،
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْبَرَّادِ، عَنْ مُعَاذِ
بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةٍ
مَطِيرَةٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يُصَلِّي لَنَا - قَالَ - فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ " قُلْ " .
فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ " قُلْ " . فَلَمْ أَقُلْ
شَيْئًا . قَالَ " قُلْ " . قُلْتُ مَا أَقُولُ قَالَ "
قُلْ : ( هوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي
وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ " . قَالَ
أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
وَأَبُو سَعِيدٍ الْبَرَّادُ هُوَ أَسِيدُ بْنُ أَبِي أَسِيدٍ مَدَنِيٌّ .
আবদুল্লাহ
ইবনু খুবাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ঘুটঘুটে অন্ধকার ও বৃষ্টিমুখর রাতে আমাদের
নামায আদায় করানোর জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
সন্ধানে বের হলাম। আমি তাঁর দেখা পেলে তিনি বললেনঃ বল। কিন্তু আমি কিছুই বললাম না।
তিনি পুণরায় বললেনঃ বল। এবারও আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, বল। এবার আমি
প্রশ্ন করলাম, আমি কি বলব? তিনি বললেনঃ তুমি প্রতি দিন বিকালে ও সকালে উপনীত হয়ে
তিনবার করে সূরা কুল হুআল্লাহু আহাদ (সূরা আল -ইখলাস) ও আল –মুআওবিযাতাইন (সূরা আল
–ফালাক্ব ও সুলা আন -নাস) পাঠ করবে, আর তা প্রত্যেকটি ব্যাপারে তোমার জন্য যথেষ্ট
হবে।
হাসানঃ তালীকুর রাগীব (১/২২৪), আল –কালিমুত তাইয়্যিব (১৯/৭)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৮
মেহমানের দু’আ করা
৩৫৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ،
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ الشَّامِيِّ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى
أَبِي فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ أُتِيَ بِتَمْرٍ
فَكَانَ يَأْكُلُ وَيُلْقِي النَّوَى بِأُصْبُعَيْهِ جَمَعَ السَّبَّابَةَ
وَالْوُسْطَى قَالَ شُعْبَةُ وَهُوَ ظَنِّي فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَأَلْقَى
النَّوَى بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ ثُمَّ أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ
الَّذِي عَنْ يَمِينِهِ قَالَ فَقَالَ أَبِي وَأَخَذَ بِلِجَامِ دَابَّتِهِ ادْعُ
لَنَا . فَقَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُمْ
وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
. وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
بُسْرٍ .
আবদুল্লাহ
ইবন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমার বাবার নিকটে এলেন। আমরা তাঁর জন্য খাদ্য পরিবেশন করলে তিনি তা আহার করলেন।
তারপর খেজুর আনা হলে তিনি তা খেতে থাকলেন এবং দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে খেজুরের বিচি
ফেলে দিতে লাগলেন মধ্যমা ও তর্জনী একত্র করে। শু’বাহ বলেন, এটা আমার সন্দেহ,
ইনশাআল্লাহ এটাই সঠিক। তারপর পানীয় দ্রব্য আনা হলে তিনি তা পান করলেন, তারপর
পানপাত্র তার ডান পাশের ব্যক্তিকে দিলেন। আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) বলেন, তারপর
আমার বাবা তাঁর সওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আমাদের জন্য দু’আ করুন। তিনি বললেনঃ “হে
আল্লাহ! তাদের যে রিযিক্ব দিয়েছ তাতে বারাকাত দান কর, তাদেরকে ক্ষমা কর এবং তাদের
প্রতি দয়া কর”।
সহীহঃ মুসলিম (৬/১২২)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ
عُمَرَ الشَّنِّيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ
بِلاَلَ بْنَ يَسَارِ بْنِ زَيْدٍ، مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ
هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ . غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرَّ
مِنَ الزَّحْفِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ
نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
যাইদ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে
শুনেছেনঃ যে লোক বলে, “মহান আল্লাহ তাআলার নিকট আমি ক্ষমা চাই যিনি ছাড়া কোন মাবূদ
নেই, যিনি চিরজীবি, চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তাওবাহ করি”, তাকে ক্ষমা করে দেয়া
হয়, যদিও সে রণক্ষেত্র হতে পলায়ন করে থাকে।
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৬৯), সহীহ আবূ দাঊদ (১৩৫৮)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র
উপর্যুক্ত সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৯
(দুআতে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাধ্যমে বানানো)
৩৫৭৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عُثْمَانَ
بْنِ حُنَيْفٍ، أَنَّ رَجُلاً، ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَنِي . قَالَ " إِنْ شِئْتَ
دَعَوْتُ وَإِنْ شِئْتَ صَبَرْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قَالَ فَادْعُهُ
. قَالَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ فَيُحْسِنَ وُضُوءَهُ وَيَدْعُوَ بِهَذَا
الدُّعَاءِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ
بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ إِنِّي تَوَجَّهْتُ بِكَ إِلَى رَبِّي
فِي حَاجَتِي هَذِهِ لِتُقْضَى لِي اللَّهُمَّ فَشَفِّعْهُ فِيَّ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي جَعْفَرٍ وَهُوَ غَيْرُ الْخَطْمِيِّ وَعُثْمَانُ
بْنُ حُنَيْفٍ هُوَ أَخُو سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ .
উসমান
ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক অন্ধ ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর নাবী! আমার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করুন, যেন
আমাকে তিনি আরোগ্য দান করেন। তিনি বললেনঃ তুমি কামনা করলে আমি দুআ করব, আর তুমি
চাইলে ধৈর্য্য ধারণ করতে পার, সেটা হবে তোমার জন্য উত্তম। সে বলল, তাঁর নিকটে দুআ
করুন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে উত্তমভাবে উযূ করার হুকুম করলেন এবং এই দুআ করতে
বললেন, “হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি প্রার্থনা করি এবং তোমার প্রতি মনোনিবেশ করি
তোমার নাবী, দয়ার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (দু’আর)
মাধ্যমে। আমি তোমার দিকে ঝুঁকে পড়লাম, আমার প্রয়োজনের জন্য আমার প্রভুর দিকে ধাবিত
হলাম, যাতে আমার এ প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়া হয়। হে আল্লাহ! আমার প্রসঙ্গে তুমি তাঁর
সুপারিশ ক্ববূল কর”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৩৮৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৭৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي
مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، قَالَ
سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ
عَبَسَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الرَّبُّ مِنَ الْعَبْدِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ الآخِرِ
فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَكُونَ مِمَّنْ يَذْكُرُ اللَّهَ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ
فَكُنْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
আবূ
উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমর ইবনু আবাসাহ (রাঃ) আমার কাছে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তিনি বলতে শুনেছেনঃ আল্লাহ তাআলা শেষ রাতে
তাঁর বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী হন। অতএব যারা এ সময় আল্লাহর যিকর করে (নামায পড়ে ও
দুআ করে), তুমি পারলে তাদের দলভূক্ত হয়ে যাও।
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৭৬), মিশকাত (১২২৯)
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৮০
حَدَّثَنَا أَبُو
الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَكَّارٍ
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عُفَيْرُ بْنُ مَعْدَانَ،
أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا دَوْسٍ الْيَحْصُبِيَّ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَائِذٍ
الْيَحْصُبِيِّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَعْكَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ إِنَّ
عَبْدِي كُلَّ عَبْدِي الَّذِي يَذْكُرُنِي وَهُوَ مُلاَقٍ قِرْنَهُ " .
يَعْنِي عِنْدَ الْقِتَالِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ . - وَلاَ نَعْرِفُ
لِعُمَارَةَ بْنِ زَعْكَرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ هَذَا
الْحَدِيثَ الْوَاحِدَ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ وَهُوَ مُلاَقٍ قِرْنَهُ .
إِنَّمَا يَعْنِي عِنْدَ الْقِتَالِ يَعْنِي أَنْ يَذْكُرَ اللَّهَ فِي تِلْكَ
السَّاعَةِ .
উমারা
ইবনু যা’কারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ আমার পূর্ণ বান্দা সেই ব্যক্তি যে
তার শত্রুর সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় আমাকে মনে করে।
যঈফ, যঈফা (৩১৩৫),আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ
হাদীস জেনেছি। এর সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়। এই হাদীসটি ব্যতীত উমার ইবনু যা’কারার
কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২০
“লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহ” পাঠ করার ফাযীলাত
৩৫৮১
حَدَّثَنَا أَبُو
مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا
أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ زَاذَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ
أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، دَفَعَهُ
إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَخْدُمُهُ . قَالَ فَمَرَّ بِيَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ صَلَّيْتُ فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ
" أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ " .
قُلْتُ بَلَى . قَالَ " لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
ক্বাইস
ইবনু সাদ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার বাবা তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
সেবার জন্য তাঁর কাছে অর্পণ করেন। তিনি বলেন, আমি নামাযরত থাকা অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত
(ইশারা) করে বললেনঃ আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব
না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”
(আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোন শক্তি কারো নেই)।
সহীহঃ সহীহাহ (১৭৪৬)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৮২
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ مَا نَهَضَ
مَلَكٌ مِنَ الأَرْضِ حَتَّى قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ .
সাফওয়ান
ইবনু সুলাইম থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন ফেরেশতাই “লা –হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা
বিল্লাহ” পাঠ না করে ঊর্ধ্বাকাশের দিকে গমন করেন না।
এর সনদ সহীহ মাকতূ।
হাদিসের মানঃসহিহ মাকতু
অনুচ্ছেদ-১২১
তাসবীহ, তাহলীল ও তাক্বদীসের
ফাযীলাত
৩৫৮৩
حَدَّثَنَا مُوسَى
بْنُ حِزَامٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، فَقَالَ سَمِعْتُ هَانِئَ بْنَ عُثْمَانَ، عَنْ أُمِّهِ،
حُمَيْضَةَ بِنْتِ يَاسِرٍ عَنْ جَدَّتِهَا، يُسَيْرَةَ وَكَانَتْ مِنَ
الْمُهَاجِرَاتِ قَالَتْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" عَلَيْكُنَّ بِالتَّسْبِيحِ وَالتَّهْلِيلِ وَالتَّقْدِيسِ وَاعْقِدْنَ
بِالأَنَامِلِ فَإِنَّهُنَّ مَسْئُولاَتٌ مُسْتَنْطَقَاتٌ وَلاَ تَغْفُلْنَ
فَتَنْسَيْنَ الرَّحْمَةَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا
نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ هَانِئِ بْنِ عُثْمَانَ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ
رَبِيعَةَ عَنْ هَانِئِ بْنِ عُثْمَانَ .
ইউসাইরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন হিজরতকারিণী মহিলাদের একজন –তিনি বলেন, আমাদেরকে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই তোমরা তাসবীহ
(সুবহানাল্লাহ), তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ) ও তাক্বদীস (সুব্বুহুন কুদ্দূসুন
রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ অথবা সুবহানালা মালিকিল কুদ্দূস)
আঙ্গুলের গিরায় হিসাব করে পড়বে। কেননা এগুলোকে ক্বিয়ামাতের দিন জিজ্ঞাসা করা হবে
এবং কথা বলতে আদেশ দেয়া হবে। সুতরাং তোমরা রহমাত (অনুগ্রহের কারণ) সম্পর্কে উদাসীন
থেকো না এবং তা ভুলে যেও না।
হাসানঃ সহীহ আবূ দাঊদ (১৩৪৫), মিশকাত (২৩১৬), যঈফার (৮৩) নং হাদীসের অধীনে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২২
যুদ্ধের সময় দু’আ
৩৫৮৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ
بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ،
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا
غَزَا قَالَ " اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي وَأَنْتَ نَصِيرِي وَبِكَ
أُقَاتِلُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَمَعْنَى قَوْلِهِ
عَضُدِي . يَعْنِي عَوْنِي .
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জিহাদ করার সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তুমিই আমার বাহুবল, তুমিই আমার সাহায্যকারী এবং তোমার
সহযোগিতায় আমি যুদ্ধ করি”।
সহীহঃ আল –কালিমুত তাইয়্যিব (১২৫), সহীহ আবূ দাঊদ (২৩৬৬)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৩
আরাফার দিনের দুআ
৩৫৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو
عَمْرٍو، مُسْلِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَذَّاءُ الْمَدِينِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا
وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ
لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ "
. قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَمَّادُ بْنُ
أَبِي حُمَيْدٍ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ وَهُوَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ
الأَنْصَارِيُّ الْمَدَنِيُّ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ
.
‘আমর
ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে
সর্বোত্তম কথাঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই,
সার্বভৌমত্ব তারই এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”।
হাসানঃ মিশকাত (২৫৯৮), তা’লীকুর রাগীব (২/২৪২), সহীহাহ (১৫০৩)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৪
উমার (রাঃ)-কে শিখানো দু‘আ
৩৫৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنِ الْجَرَّاحِ بْنِ الضَّحَّاكِ
الْكِنْدِيِّ، عَنْ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ، عَنْ
عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ اجْعَلْ سَرِيرَتِي خَيْرًا مِنْ عَلاَنِيَتِي
وَاجْعَلْ عَلاَنِيَتِي صَالِحَةً اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ صَالِحِ مَا
تُؤْتِي النَّاسَ مِنَ الْمَالِ وَالأَهْلِ وَالْوَلَدِ غَيْرِ الضَّالِّ وَلاَ
الْمُضِلِّ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ
هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
উমার
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমাকে (দু’আ) শিখিয়ে বলেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ্! আমার বাহিরের অবস্থার চেয়ে আমার
ভিতরের অবস্থাকে বেশি ভাল কর এবং আমার বাহিরের অবস্থাকেও অতি উত্তম কর। হে আল্লাহ্!
তুমি মানুষকে যে ধন-দৌলত, পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্তুতি দিয়ে থাক, তাতে আমাকে
উত্তমগুলোই দাও, যারা বিপথগামী এবং বিপথগামীকারীও নয়। ”
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৫০৪), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু
উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি এবং এর সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৫
হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী
৩৫৮৭
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ
بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُفْيَانَ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَعْدَانَ، أَخْبَرَنِي عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيُّ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَهُوَ يُصَلِّي وَقَدْ وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى
وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ وَبَسَطَ
السَّبَّابَةَ وَهُوَ يَقُولُ " يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي
عَلَى دِينِكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
الْوَجْهِ .
আসিম
ইবনু কুলাইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ
৩৫৮৭. আসিম ইবনু কুলাইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও
দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লামের) নিকট গেলাম, তখন তিনি নামায আদায় করছিলেন। তিনি তার বাম হাত বাম ঊরুর
উপর এবং ডান হাত ডান ঊরুর উপর রাখেন এবং তর্জনী উঠিয়ে অবশিষ্ট আঙ্গুলগুলো
মুষ্টিবদ্ধ করে রেখে বলেনঃ “হে অন্তরসমূহের ওলট-পালটকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার
দ্বীনের উপর অটল রাখ”।
এই বর্ণনায় হাদীসটি মুনকার, দেখুন হাদীস নং (২৯১, ২৯২, ২১২৮, ৩৩৫০), আবূ ঈসা বলেন,
এ হাদীসটি উক্ত সনদূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃমুনকার
অনুচ্ছেদ-১২৬
ব্যথা উপশমের দুআ
৩৫৮৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
سَالِمٍ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، قَالَ قَالَ لِي يَا مُحَمَّدُ إِذَا
اشْتَكَيْتَ فَضَعْ يَدَكَ حَيْثُ تَشْتَكِي وَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ أَعُوذُ
بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ مِنْ وَجَعِي هَذَا ثُمَّ
ارْفَعْ يَدَكَ ثُمَّ أَعِدْ ذَلِكَ وِتْرًا فَإِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ
حَدَّثَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُ بِذَلِكَ .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَمُحَمَّدُ بْنُ
سَالِمٍ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ .
মুহাম্মাদ
ইবনু সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাবিত আল –বুনানী (রহঃ) আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! তোমার
কোন অংশে ব্যথা হলে তুমি ব্যথার জায়গায় তোমার হাত রেখে বলঃ “আল্লাহ তাআলার নামে,
আমি আল্লাহ তাআলার অসীম সম্মান ও তাঁর বিরাট ক্ষমতার নিকট আমার এ ব্যথার অনুভূতি ও
অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থণা করি”। তারপর তোমার হাত তুমি তুলে নাও, পরে পুণরায় ঐ
নিয়মে বেজোড় সংখ্যায় উক্ত দুআ পাঠ কর। কেননা আমাকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেছেন
যে, তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ দু’আ বলে দিয়েছেন।
সহীহঃ সহীহাহ (১২৫৮)
আবূ ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
এই মুহাম্মাদ ইবনু সালিম হলেন বাসরার শাইখ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৭
উম্মু সালামার দু’আ
৩৫৮৯
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ
بْنُ عَلِيِّ بْنِ الأَسْوَدِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ أَبِي
كَثِيرٍ، عَنْ أَبِيهَا أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ عَلَّمَنِي
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قُولِي اللَّهُمَّ هَذَا
اسْتِقْبَالُ لَيْلِكَ وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ وَحُضُورُ
صَلَوَاتِكَ أَسْأَلُكَ أَنْ تَغْفِرَ لِي " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ
غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَفْصَةُ بِنْتُ أَبِي
كَثِيرٍ لاَ نَعْرِفُهَا وَلاَ أَبَاهَا .
উম্মু
সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এই দু‘আটি শিখিয়েছেন এবং বলেছেনঃ তুমি
পাঠ কর “হে আল্লাহ্! এটা তোমার রাত আসার, তোমার দিন চলে যাওয়ার, তোমার দিকে
আহবানকারীর (মুয়াজ্জিনের) আওয়াজ দেয়ার এবং তোমার নামাযে হাযির হওয়ার সময়। আমি
তোমার কাছে প্রার্থনা করি যে, তুমি আমাকে মাফ করে দাও”।
যঈফ, আল-কালিমুত-তায়্যির (৭৬/৩৫), যঈফ আবূ দাঊদ (৮৫), মিশকাত (৬৬৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু উপরোক্ত
সনদে জেনেছি। হাফছা বিনতি আবূ কাসীর ও তার পিতা প্রসঙ্গে আমরা অবহিত নই।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫৯০
حَدَّثَنَا
الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الصُّدَائِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا
الْوَلِيدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ الْوَلِيدِ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ
كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا قَالَ عَبْدٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ
اللَّهُ قَطُّ مُخْلِصًا إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ حَتَّى
تُفْضِيَ إِلَى الْعَرْشِ مَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন বান্দা সততার সাথে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” বললে তার জন্য আকাশের
দ্বারগুলো খোলা হয়। ফলে উক্ত কালিমাহ আরশে আজীম পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যতক্ষণ সে
কবীরাহ গুনাহ ত্যাগ করে”।
হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (২৩১৪), তালীকুর রাগীব (২/২৩৮)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৩৫৯১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ
بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ
مِسْعَرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ
مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ " . قَالَ هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَعَمُّ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ هُوَ قُطْبَةُ بْنُ
مَالِكٍ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
যিয়াদ
ইবনু ইলাক্বাহ (রহঃ) হতে তার চাচা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ
“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে গর্হিত চরিত্র, গর্হিত কাজ ও কু-প্রবৃত্তি হতে আশ্রয়
চাই”।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (২৪৭১)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৯২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ
عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما قَالَ بَيْنَمَا
نَحْنُ نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ قَالَ رَجُلٌ مِنَ
الْقَوْمِ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ
اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنِ الْقَائِلُ كَذَا وَكَذَا " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ
أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " عَجِبْتُ لَهَا فُتِحَتْ لَهَا
أَبْوَابُ السَّمَاءِ " . قَالَ ابْنُ عُمَرَ مَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ
سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَجَّاجُ بْنُ
أَبِي عُثْمَانَ هُوَ حَجَّاجُ بْنُ مَيْسَرَةَ الصَّوَّافُ وَيُكْنَى أَبَا
الصَّلْتِ وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
ইবনু
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল,
“আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তা’আলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা
আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ এই এই কথা কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে
আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এ দু’আয় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর
জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ
করা পরিহার করিনি।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত (৭৪), মুসলিম
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৮
আল্লাহ তা’আলার নিকট কোন
কথাটি বেশি প্রিয়
৩৫৯৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ
بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ،
أَخْبَرَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَسْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم عَادَهُ أَوْ أَنَّ أَبَا ذَرٍّ عَادَ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْكَلاَمِ
أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ " مَا اصْطَفَى اللَّهُ
لِمَلاَئِكَتِهِ سُبْحَانَ رَبِّي وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ رَبِّي وَبِحَمْدِهِ
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে
যান অথবা তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখতে যান। আবূ
যার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আল্লাহ
তা’আলার নিকট কোন কথা বেশি প্রিয়? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদের জন্য যে
বাক্যটি নির্বাচন করেছেনঃ “সুবাহানা রাব্বী ওয়া বিহামদিহী সুবহানা রাব্বী ওয়া
বিহামদিহী” (আমার পালনকর্তা অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমার পালনকর্তা
অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য)
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৪২), সহীহাহ (১৪৯৮), মুসলিম
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৯
ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে
৩৫৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو
هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى
بْنُ الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِي
إِيَاسٍ، مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الدُّعَاءُ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ
وَالإِقَامَةِ " . قَالُوا فَمَاذَا نَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ
" سَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ زَادَ يَحْيَى بْنُ
الْيَمَانِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هَذَا الْحَرْفَ قَالُوا فَمَاذَا نَقُولُ قَالَ
" سَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ " .
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ “আযান ও ইক্বামাতের মাঝের সময়ের দুআ প্রত্যাখ্যাত হয় না”। সাহাবাগণ বললেনঃ
হে আল্লাহর রাসূল! (ঐ সময়ে) আমরা কি বলব? তিনি বললেনঃ “তোমরা আল্লাহর নিকট ইহকাল ও
পরকালের নিরাপত্তা প্রার্থনা কর”।
এই পূর্ণাঙ্গ বর্ণনাটি মুনকারঃ আল–কালিমুত তাইয়্যিব (৪৭/৫১), ‘ইরওয়াহ (১/২৬২),
নাক্বদুত তাজ (৯৫), তা’লীকুর রাগীব (১/১১৫), সহীহ আবূ দাঊদ (৫৩৪)। তবে
“সালুল্লাহা….” বর্ণনাটি অন্য হাদীসে সাব্যস্ত আছে। ৩২৮৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত
রয়েছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। সাহাবাগণ বললেনঃ আমরা
কি বলব….. শেষ পর্যন্ত এই অংশটি ইয়াহইয়া ইবনুল ইয়ামান বর্ধিত করেছেন।
হাদিসের মানঃমুনকার
৩৫৯৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ
بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَأَبُو أَحْمَدَ
وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ
قُرَّةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" الدُّعَاءُ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ هَذَا
الْحَدِيثَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ الْكُوفِيِّ عَنْ أَنَسٍ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا وَهَذَا أَصَحُّ
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
সহীহঃ ২১২ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৯৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُمَرَ
بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَبَقَ
الْمُفْرِدُونَ " . قَالُوا وَمَا الْمُفْرِدُونَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
قَالَ " الْمُسْتَهْتَرُونَ فِي ذِكْرِ اللَّهِ يَضَعُ الذِّكْرُ عَنْهُمْ
أَثْقَالَهُمْ فَيَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِفَافًا " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ হালকা-পাতলা লোকেরা অগ্রগামী হয়ে গেছে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহ্র
রাসূল! হালকা-পাতলা লোক কারা? তিনি বলেনঃ যে সকল লোক আল্লাহ্ তা’আলার স্মরণে
নিমগ্ন থাকে এবং আল্লাহ্র যিকির (স্মরণ) তাদের (পাপের) ভারী বোঝাটি তাদের হতে
সরিয়ে ফেলে। ফলে কিয়ামাতের দিন তারা আল্লাহ্ তা’আলার সম্মুখে হালকা বোঝা নিয়েই
হাযির হবে।
যঈফ, যঈফা (৩৬৯০), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৩৫৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لأَنْ أَقُولَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ
إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ
الشَّمْسُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ “সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদু লিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু
আকবার” (আল্লাহ অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ
নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলা আমার কাছে যে সকল জিনিসের উপর সূর্য উদিত হয় তা হতে
বেশি পছন্দনীয়।
সহীহঃ মুসলিম (৮/৭০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৩৫৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ سَعْدَانَ الْقُبِّيِّ،
عَنْ أَبِي مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مُدِلَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثَةٌ لاَ تُرَدُّ دَعْوَتُهُمُ
الصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ وَالإِمَامُ الْعَادِلُ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا
اللَّهُ فَوْقَ الْغَمَامِ وَيَفْتَحُ لَهَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ وَيَقُولُ
الرَّبُّ وَعِزَّتِي لأَنْصُرَنَّكَ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَسَعْدَانُ الْقُبِّيُّ هُوَ سَعْدَانُ بْنُ بِشْرٍ
. وَقَدْ رَوَى عَنْهُ عِيسَى بْنُ يُونُسَ وَأَبُو عَاصِمٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ
مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَأَبُو مُجَاهِدٍ هُوَ سَعْدٌ الطَّائِيُّ
وَأَبُو مُدِلَّةَ هُوَ مَوْلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَإِنَّمَا
نَعْرِفُهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَيُرْوَى عَنْهُ هَذَا الْحَدِيثُ أَتَمَّ مِنْ
هَذَا وَأَطْوَلَ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তিন ধরনের লোকের দু’আ কখনও ফিরিয়ে দেয়া হয় না। রোযাদার যতক্ষণ ইফতার না
করে, সুবিচারক শাসকের দু’আ এবং মজলুমের (নির্যাতিতের) দু’আ। আল্লাহ্ তা’আলা ঐ
দু’আগুলি মেঘমালার উপরে (আকাশের) তুলে নেন এবং এর জন্য আকাশের দ্বারগুলো খুলে দেয়া
হয়। রব্বুল আলামীন বলেনঃ আমার মর্যাদার শপথ ! আমি নিশ্চয়ই তোমার সাহায্য করব কিছু
দেরি হলেও।
দুর্বল, কিন্তু হাদীসের প্রথম অংশ সহীহ, আর তাতে ন্যায় পরায়ন শাসকের পরিবর্তে
মুসাফির শব্দ আছে। আরেক বর্ণনায় পিতার উল্লেখ আছে। ইবনু মাজাহ (১৭৫২)। আবূ ঈসা
বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। সাদান আল-কুম্মী হলেন সাদান ইবনু বিশর। ঈসা ইবনু ইউনুস,
আবূ আসিম প্রমুখ বয়স্ক হাদীস বিশারদগণ তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ
মুজাহিদ হলেন সা’দ আত-তাঈ এবং আবূ মুদিল্লাহ হলেন উম্মুল মু’মিনীন আইশা (রাঃ)-এর
স্বাধীন গোলাম। আমরা শুধু এ হাদীসের মাধ্যমেই তার পরিচয় পেয়েছি এবং তার হতে এ
হাদীসটি আরো বর্ধিত ও সম্পূর্ণভাবে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৩৫৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ،
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا
عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَزِدْنِي عِلْمًا الْحَمْدُ لِلَّهِ
عَلَى كُلِّ حَالٍ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ حَالِ أَهْلِ النَّارِ " .
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
হে আল্লাহ! আমাকে তুমি যা শিখিয়েছ তা দিয়ে আমাকে উপকৃত কর, আমার জন্য যা উপকারী
হবে তা আমাকে শিখিয়ে দাও এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দাও। সর্বাবস্থায় আল্লাহর
প্রশংসা এবং আমি জাহান্নামীদের অবস্থা থেকে হিফাযাতের জন্য আল্লাহর নিকটে আশ্রয়
প্রার্থণা করি।
হাদীসে বর্ণিত আলহামদুলিল্লাহ ….. অংশ বাদে হাদীসটি সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৫১,
৩৮৩৩)
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩০
যামীনে আল্লাহর পক্ষ হতে
বিচরণকারী ফেরেশতা প্রসঙ্গে
৩৬০০
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالاَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلَّهِ مَلاَئِكَةً
سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ فَضْلاً عَنْ كُتَّابِ النَّاسِ فَإِذَا وَجَدُوا
أَقْوَامًا يَذْكُرُونَ اللَّهَ تَنَادَوْا هَلُمُّوا إِلَى بُغْيَتِكُمْ
فَيَجِيئُونَ فَيَحُفُّونَ بِهِمْ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ اللَّهُ
عَلَى أَىِّ شَيْءٍ تَرَكْتُمْ عِبَادِي يَصْنَعُونَ فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ
يَحْمَدُونَكَ وَيُمَجِّدُونَكَ وَيَذْكُرُونَكَ . قَالَ فَيَقُولُ فَهَلْ
رَأَوْنِي فَيَقُولُونَ لاَ . قَالَ فَيَقُولُ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْنِي قَالَ
فَيَقُولُونَ لَوْ رَأَوْكَ لَكَانُوا أَشَدَّ تَحْمِيدًا وَأَشَدَّ تَمْجِيدًا
وَأَشَدَّ لَكَ ذِكْرًا . قَالَ فَيَقُولُ وَأَىُّ شَيْءٍ يَطْلُبُونَ قَالَ
فَيَقُولُونَ يَطْلُبُونَ الْجَنَّةَ . قَالَ فَيَقُولُ وَهَلْ رَأَوْهَا قَالَ
فَيَقُولُونَ لاَ . قَالَ فَيَقُولُ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْهَا قَالَ فَيَقُولُونَ
لَوْ رَأَوْهَا كَانُوا لَهَا أَشَدَّ طَلَبًا وَأَشَدَّ عَلَيْهَا حِرْصًا .
قَالَ فَيَقُولُ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ يَتَعَوَّذُونَ قَالُوا يَتَعَوَّذُونَ مِنَ
النَّارِ . قَالَ فَيَقُولُ وَهَلْ رَأَوْهَا فَيَقُولُونَ لاَ . فَيَقُولُ
فَكَيْفَ لَوَ رَأَوْهَا فَيَقُولُونَ لَوْ رَأَوْهَا كَانُوا مِنْهَا أَشَدَّ هَرَبًا
وَأَشَدَّ مِنْهَا خَوْفًا وَأَشَدَّ مِنْهَا تَعَوُّذًا . قَالَ فَيَقُولُ
فَإِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ . فَيَقُولُونَ إِنَّ
فِيهِمْ فُلاَنًا الْخَطَّاءَ لَمْ يُرِدْهُمْ إِنَّمَا جَاءَهُمْ لِحَاجَةٍ .
فَيَقُولُ هُمُ الْقَوْمُ لاَ يَشْقَى لَهُمْ جَلِيسٌ " . قَالَ أَبُو
عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ
غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ
হুরাইরাহ্ অথবা আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ মানুষের ‘আমালনামা লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাগণ ছাড়া আল্লাহ তা’আলার আরও কিছু
ফেরেশতা আছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান। তারা আল্লাহ তা’আলার যিকরে রত ব্যক্তিদের
পেয়ে গেলে একে অন্যকে ডেকে বলেন, নিজেদের উদ্দেশ্যে তোমরা এদিকে চলে এসো। অতএব
তারা সেদিকে ছুটে আসেন এবং যিকরে রত লোকদের পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশ পর্যন্ত
পরিবেষ্টন করে রাখেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
আল্লাহ তা’আলা সে সময় (ফেরেশতাদের) বলেন, আমার বান্দাদেরকে তোমরা কি কাজে রত
অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? ফেরেশতারা বলেন, আমরা তাদেরকে আপনার প্রশংসারত, আপনার মর্যাদা
বর্ণনারত এবং আপনার যিকরে রত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা আমাকে দেখেছে কি?
তারা বলেন, না। নবী বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা পুণরায় প্রশ্ন করেন, তারা আমাকে দেখলে কেমন
হত? ফেরেশতারা বলেন, তারা আপনার দর্শন পেলে আপনার অনেক বেশি প্রশংসাকারী, অধিক
মাহাত্ম্য বর্ণনাকারী এবং অধিক যিকরকারী হত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাদের আবারও বলেন, আমার কাছে তারা কি চায়?
ফেরেশতারা বলেন, আপনার নিকট তারা জান্নাত পেতে চায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রশ্ন করেন, তারা তা দেখেছে কি?
ফেরেশতারা বলেন, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ
তা’আলা তাদেরকে প্রশ্ন করেন, তারা তা প্রত্যক্ষ করলে কেমন হত? রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ফেরেশতাগণ বলেন, তারা জান্নাতের দর্শন
পেলে তা পাওয়ার আরও অধিক প্রার্থনা করত, আরো বেশি আকাঙ্ক্ষা করত। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা আবারও প্রশ্ন করেন, তারা
কোন বস্তু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে? ফেরেশতারা বলেন, তারা জাহান্নাম হতে আশ্রয়
প্রার্থণা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ
তা’আলা বলেন, তারা তা দেখেছে কি? ফেরেশতারা বলেন, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা তা প্রত্যক্ষ করলে কেমন হত?
ফেরেশতারা বলেন, তারা তা প্রত্যক্ষ করেলে তা থেকে আরো অধিক পালিয়ে যেত, আরো বেশি
ভয় করত এবং তা থেকে বাঁচার জন্য বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থণা করত। নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমাদেরকে আমি সাক্ষী করছি যে,
আমি তাদেরকে মাফ করে দিলাম। তখন ফেরেশতারা বলেন, তাদের মাঝে এমন এক লোক আছে যে
তাদের সঙ্গে একত্র হওয়ার জন্য আসেনি, বরং ভিন্ন কোন দরকারে এসেছে। সে সময় আল্লাহ
তা’আলা বলেন, তারা এরূপ একদল ব্যক্তি যে, তাদের সাথে উপবেশনকারী-ও বঞ্চিত হয় না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩১
“লা-হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহ” –এর ফাযীলাত
৩৬০১
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَازِ، عَنْ
مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " أَكْثِرْ مِنْ قَوْلِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
فَإِنَّهَا كَنْزٌ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ " . قَالَ مَكْحُولٌ فَمَنْ
قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ وَلاَ مَنْجَا مِنَ اللَّهِ
إِلاَّ إِلَيْهِ . كَشَفَ عَنْهُ سَبْعِينَ بَابًا مِنَ الضُّرِّ أَدْنَاهُنَّ
الْفَقْرُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ
بِمُتَّصِلٍ . مَكْحُولٌ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাকে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
তুমি “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” বেশি বেশি বল। কেননা, তা জান্নাতের
রত্নভান্ডারের অন্তর্ভূক্ত। মাকহূল (রহঃ) বলেন, যে লোক “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহ ওয়ালা মানজায়া মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি” পাঠ করে, আল্লাহ তা’আলা তার
হতে সত্তর প্রকারের অনিষ্ট অপসারণ করেন এবং এগুলোর মাঝে সাধারণ বা ক্ষুদ্র বিপদ হল
দরিদ্রতা।
মাকহুলের উক্তি “ফামান ক্বালা …..” এই অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ কেননা ঐ অংশ
মাক্বতূ সহীহাহ (১০৫, ১৫২৮)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদসূত্র মুত্তাসিল (পরস্পর সংযুক্ত)
নয়। মাকহূল (রহঃ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে হাদীস
রিওয়ায়াত করেননি।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৩৬০২
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ وَإِنِّي اخْتَبَأْتُ دَعْوَتِي شَفَاعَةً
لأُمَّتِي وَهِيَ نَائِلَةٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ لاَ يُشْرِكُ
بِاللَّهِ شَيْئًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
.
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ প্রতিটি নাবীরই একটি দুআ আছে যা ক্ববূল হয়। আমার উক্ত দুআ (ক্বিয়ামাতের
দিন) আমি আমার উম্মাতের শাফা’আতের জন্য সংরক্ষিত রেখেছি। ইনশাআল্লাহ সেই দু’আটি সে
লোক পাবে যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে অন্য কিছুকে অংশীদার করেনি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩২
আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে
সু-ধারণা রাখা
৩৬০৩
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي
وَأَنَا مَعَهُ حِينَ يَذْكُرُنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي
نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ وَإِنِ
اقْتَرَبَ إِلَىَّ شِبْرًا اقْتَرَبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَإِنِ اقْتَرَبَ إِلَىَّ
ذِرَاعًا اقْتَرَبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ
هَرْوَلَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَيُرْوَى عَنِ الأَعْمَشِ فِي تَفْسِيرِ هَذَا الْحَدِيثِ مَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي
شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا يَعْنِي بِالْمَغْفِرَةِ وَالرَّحْمَةِ
وَهَكَذَا فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ . قَالُوا إِنَّمَا
مَعْنَاهُ يَقُولُ إِذَا تَقَرَّبَ إِلَىَّ الْعَبْدُ بِطَاعَتِي وَمَا أَمَرْتُ
أُسْرِعُ إِلَيْهِ بِمَغْفِرَتِي وَرَحْمَتِي .
وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ : (
فاذكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ ) قَالَ اذْكُرُونِي بِطَاعَتِي أَذْكُرْكُمْ
بِمَغْفِرَتِي . حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ
بْنُ مُوسَى وَعَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ الرَّمْلِيُّ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ
عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ بِهَذَا .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমাকে আমার বান্দা যেভাবে ধারণা করে আমি (তার জন্য)
সে রকম। যখন সে আমাকে মনে করে সে সময় আমি তার সঙ্গেই থাকি। সুতরাং সে আমাকে মনে
মনে স্মরণ করলে তাকে আমিও মনে মনে স্মরণ করি। আমাকে সে মাজলিসে স্মরণ করলে আমিও
তাকে তাদের চাইতে ভাল মজলিসে (ফেরেশতাদের মাজলিসে) মনে করি। সে আমার দিকে এক বিঘত
এগিয়ে এলে আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, তবে
তার দিকে আমি এক বাহু এগিয়ে যাই। সে আমার দিকে হেটে অগ্রসর হলে আমি তার দিকে
দৌঁড়িয়ে এগিয়ে যাই।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮২২), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩৩
আশ্রয় প্রার্থনা প্রসঙ্গে
৩৬০৪
حَدَّثَنَا أَبُو
كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ
عَذَابِ الْقَبْرِ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
وَاسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ " .
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا
هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ
حِينَ يُمْسِي ثَلاَثَ مَرَّاتٍ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ
شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ حُمَةٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ " . قَالَ
سُهَيْلٌ فَكَانَ أَهْلُنَا تَعَلَّمُوهَا فَكَانُوا يَقُولُونَهَا كُلَّ لَيْلَةٍ
فَلُدِغَتْ جَارِيَةٌ مِنْهُمْ فَلَمْ تَجِدْ لَهَا وَجَعًا . هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ . وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ
أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ
عَنْ سُهَيْلٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو
فَضَالَةَ الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، أَنَّ
أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ دُعَاءٌ حَفِظْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم لاَ أَدَعُهُ " اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي أُعَظِّمُ شُكْرَكَ وَأُكْثِرُ
ذِكْرَكَ وَأَتَّبِعُ نَصِيحَتَكَ وَأَحْفَظُ وَصِيَّتَكَ " . هَذَا
حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، أَخْبَرَنَا
اللَّيْثُ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو
اللَّهَ بِدُعَاءٍ إِلاَّ اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِمَّا أَنْ يُعَجَّلَ لَهُ فِي
الدُّنْيَا وَإِمَّا أَنْ يُدَّخَرَ لَهُ فِي الآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يُكَفَّرَ
عَنْهُ مِنْ ذُنُوبِهِ بِقَدْرِ مَا دَعَا مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ
قَطِيعَةِ رَحِمٍ أَوْ يَسْتَعْجِلُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ
وَكَيْفَ يَسْتَعْجِلُ قَالَ " يَقُولُ دَعَوْتُ رَبِّي فَمَا اسْتَجَابَ
لِي " . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا
يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ عَبْدٍ يَرْفَعُ يَدَيْهِ
حَتَّى يَبْدُوَ إِبْطُهُ يَسْأَلُ اللَّهَ مَسْأَلَةً إِلاَّ آتَاهَا إِيَّاهُ
مَا لَمْ يَعْجَلْ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ عَجَلَتُهُ
قَالَ " يَقُولُ قَدْ سَأَلْتُ وَسَأَلْتُ وَلَمْ أُعْطَ شَيْئًا "
. وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ
أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ
يُسْتَجَبْ لِي " .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ
بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَاسِعٍ، عَنْ سُمَيْرِ بْنِ نَهَارٍ
الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِنَّ حُسْنَ الظَّنِّ بِاللَّهِ مِنْ حُسْنِ عِبَادَةِ اللَّهِ
" . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا
أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيَنْظُرَنَّ أَحَدُكُمْ مَا
الَّذِي يَتَمَنَّى فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا يُكْتَبُ لَهُ مِنْ أُمْنِيَّتِهِ
" . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا جَابِرُ بْنُ نُوحٍ، قَالَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو فَيَقُولُ "
اللَّهُمَّ مَتِّعْنِي بِسَمْعِي وَبَصَرِي وَاجْعَلْهُمَا الْوَارِثَ مِنِّي
وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ يَظْلِمُنِي وَخُذْ مِنْهُ بِثَأْرِي " . هَذَا
حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ السِّجْزِيُّ حَدَّثَنَا
قَطَنٌ الْبَصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ
أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيَسْأَلْ
أَحَدُكُمْ رَبَّهُ حَاجَتَهُ كُلَّهَا حَتَّى يَسْأَلَ شِسْعَ نَعْلِهِ إِذَا
انْقَطَعَ " . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا
الْحَدِيثَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَنَسٍ .
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ،
عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" لِيَسْأَلْ أَحَدُكُمْ رَبَّهُ حَاجَتَهُ حَتَّى يَسْأَلَهُ الْمِلْحَ
وَحَتَّى يَسْأَلَهُ شِسْعَ نَعْلِهِ إِذَا انْقَطَعَ " . وَهَذَا
أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ قَطَنٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ .
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকটে জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থণা কর,
আল্লাহ তা’আলার নিকট তোমরা ক্ববরের শাস্তি হতে মুক্তি কামনা কর, তোমরা আল্লাহ
তা’আলার কাছে মসীহ দাজ্জালের যুলম হতে মুক্তি চাও, তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট জীবন
ও মুত্যর বিপর্যয় হতে আশ্রয় প্রার্থনা কর।
সনদ সহীহঃ মুসলিম (২/৯৩), তাশাহুদের বর্ণনার সাথে আরেক বর্ণনায় শেষ তাশাহুদে” এই
কথা উল্লেখ আছে। সিফাতুস সালাত (১৬৩)
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
-----------------
৩৬০৪/১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে তিনবার বলে, “আল্লাহ তা’আলার নিকট আমি
তাঁর সম্পূর্ণ কালামের ওয়াসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করি, সে সকল অনিষ্ট হতে, যা তিনি
সৃষ্টি করেছেন”, ঐ রাতে কোন বিষ তার অনিষ্ট করতে পারবে না। সুহাইল (রহঃ) বলেন,
আমার পরিবারের লোকেরা এই দুআ শিখে তা প্রতি রাতে পড়ত। একদিন তাদের একটি মেয়ে দংশিত
হয়, কিন্তু তাতে সে কোন যন্ত্রণা অনুভব করেনি।
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (১/২২৬), মুসলিম সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) এ হাদীস সুহাইল ইবনু আবী
সালিহ্ হতে, তিনি তাঁর বাবা হতে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে, তিনি নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীস
উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার প্রমুখ সুহাইল (রহঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তাতে আবূ
হুরায়রা (রাঃ) এর উল্লেখ করেননি।
-----------------------
৩৬০৪/২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লামের) নিকট হতে একটি দু’আ আয়ত্ত করেছি, যা আমি কখনও বাদ দেই নাঃ “হে আল্লাহ!
তুমি আমাকে বেশি পরিমাণে তোমার প্রতি শুকরিয়া প্রকাশকারী, তোমাকে অধিক স্মরণকারী,
তোমার নাসিহাতের অনুসারী এবং তোমার ওয়াসিয়াত (নির্দেশ) স্মরণকারী বানাও”।
যইফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৪৯৯), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
------------------
অনুচ্ছেদ-১৩৪ সম্পর্ক ছিন্নকারী দু’আ ব্যতীত দু’আ ক্ববূল হওয়া প্রসঙ্গে।
৩৬০৪/৩. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মহানবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কোন দু’আ করলে তার দু’আ
ক্ববূল হয়। হয়তোবা সে দুনিয়াতেই তার ফল পেয়ে যায় অথবা তা তার আখিরাতের পাথেয়
হিসেবে জমা রাখা হয় অথবা তার দু’আর সম-পরিমাণ তার গুনাহ মাফ করা হয়, যতক্ষণ না সে
পাপ কাজের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দুআ করে অথবা দুআ ক্ববূলের জন্য
তাড়াতাড়ি করে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াতাড়ি করে কিভাবে? তিনি বলেনঃ
সে বলে, আমি আমার আল্লাহর নিকটে দু’আ করেছিলাম, কিন্তু আমার দু’আ তিনি ক্ববূল
করেননি।
“হয়তোবা তার দু’আর সমপরিমাণ গুনাহ মাফ করা হয়” এই অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। যঈফাহ
(হাঃ ৪৪৮৩)
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব।
-----------------------
৩৬০৪/৪. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সময় কোন বান্দা তার দুই হাত উপরের দিকে উত্তোলন করে, এমনকি
তার বগল খুলে আল্লাহর নিকটে কিছু প্রার্থনা করে, তখন তিনি অবশ্যই তাকে তা দেন, যদি
সে তাড়াহুড়া না করে। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার তাড়াহুড়া কি? তিনি
বললেনঃ সে বলে, আমি তো প্রার্থনা করছি, আবারও প্রার্থনা করেছি (অধিকবার প্রার্থনা
করছি), কিন্তু আমাকে কিছুই দান করা হয়নি।
“হাত উত্তোলন” অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহঃ প্রাগুক্ত, মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটি যুহরী (রহঃ) ইবনু ‘আযহারের মুক্তদাস আবূ উবাইদ হতে, তিনি আবূ হুরায়রা
(রাঃ) হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের যে কারো দু’আ
ক্ববূল হয়ে থাকে, যতক্ষণ না সে তড়িঘড়ি করে এবং বলে, আমি দু’আ করলাম কিন্তু ক্ববূল
তো হল না। সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
-----------------
অনুচ্ছেদ-১৩৫ আল্লাহ! আমার শ্রবণ শক্তি দ্বারা আমাকে উপকৃত কর।
৩৬০৪/৫. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আলাহ তা’আলা প্রসঙ্গে ভাল উপলব্ধি পোষণও আল্লাহ্র
উত্তম ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত।
যঈফ, যঈফা (৩১৫০), আবূ ঈসা বলেনঃ উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটী গারীব।
-----------------
অনুচ্ছেদ-১৩৬ সকল সময়েই কল্যাণের ইচ্ছা করবে
৩৬০৪/৬. আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের যে কেউ
অবশ্যই লক্ষ্য রাখবে যে, সে কি (পাওয়ার) ইচ্ছা করছে। যেহেতু সে জানেনা যে, তার
চাওয়ার ভিত্তিতে তার জন্য কি লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে (তাই সর্বদা উত্তম ধারণা ও উত্তম
কিছু চাইতে হবে)।
দুর্বল, যঈফা (৪৪০৫), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
-------------------
৩৬০৪/৭. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমার কর্ণ ও চক্ষুর মাধ্যমে আমাকে উপকৃত
কর এবং এ দুটোকে আমার উত্তরাধিকারী কর (মৃত্যু পর্যন্ত অটুট রাখ), যে লোক আমার উপর
অত্যাচার করে তার বিরুদ্ধে আমায় তুমি সহযোগিতা কর এবং তার হতে তুমি আমার প্রতিশোধ
গ্রহণ কর”।
হাসানঃ রাওযুন নাযীর (১৯০)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উক্ত সনদসূত্রে হাসান গারীব।
----------------
৩৬০৪/৮. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন তার প্রতিটি অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে
তার রবের নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে তাও যেন তাঁর
নিকটে চায়।
যঈফ, যঈফা (১৩৬২) আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একাধিক রাবী এ হাদীস জাফর ইবনু
সুলাইমান হতে তিনি সাবিত আল-বুনানী হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতে তারা আনাস (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
-------------------
৩৬০৪/৯. সাবিত আল-বুনানী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের সকলেই যেন তার অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে তার রবের
নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার লবণের জন্যও, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে তার
জন্যও তাঁর নিকটে প্রার্থনা করে।
যঈফ, প্রাগুক্ত আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি কাতান হতে জাফর ইবনু সুলাইমান-এর সূত্রে
বর্ণিত হাদীসের তুলনায় বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
হাদীস কোরআন ইসলামিক টিমের মতে আপনার ওয়েব সাইট টি অনেক তথ্যবহুল একটি সাইট
ReplyDelete