সুনানে আবু দাউদ - অধ্যায় "শিষ্টাচার" হাদিস ৪৭৭৩-৫২৭৪
শিষ্টাচার
অনুচ্ছেদ-১
নবী রাসুলাল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহনশীলতা ও চরিত্র সম্পর্কে
৪৭৭৩
حَدَّثَنَا
مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشَّعِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا
عِكْرِمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ عَمَّارٍ - قَالَ حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، - يَعْنِي
ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ - قَالَ قَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا فَأَرْسَلَنِي يَوْمًا
لِحَاجَةٍ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لاَ أَذْهَبُ . وَفِي نَفْسِي أَنْ أَذْهَبَ لِمَا
أَمَرَنِي بِهِ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَخَرَجْتُ حَتَّى
أَمُرَّ عَلَى صِبْيَانٍ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي السُّوقِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم قَابِضٌ بِقَفَاىَ مِنْ وَرَائِي فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ
يَضْحَكُ فَقَالَ " يَا أُنَيْسُ اذْهَبْ حَيْثُ أَمَرْتُكَ " .
قُلْتُ نَعَمْ أَنَا أَذْهَبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ أَنَسٌ وَاللَّهِ
لَقَدْ خَدَمْتُهُ سَبْعَ سِنِينَ أَوْ تِسْعَ سِنِينَ مَا عَلِمْتُ قَالَ
لِشَىْءٍ صَنَعْتُ لِمَ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا . وَلاَ لِشَىْءٍ تَرَكْتُ
هَلاَّ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) চরিত্রের দিক হতে সর্বোত্তম ব্যক্তি ছিলেন। একদিন তিনি আমাকে কোনো দরকারে
পাঠালেন। আমি বললাম, আল্লাহর কসম ! আমি যাবো না। কিন্তু আমার অন্তরে ছিলো যে, নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে যে প্রয়োজনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
সেখানে যাবো। আনাস (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি রওয়ানা হয়ে বাজারে খেলাধূলারত বালকদের
কাছ দিয়ে যেতে খেলায় লিপ্ত হলাম। হঠাৎ পিছন দিক হতে রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমার ঘাড় ধরলেন। পিছন দিকে ফিরে দেখি তিনি হাসছেন। তিনি
বললেন, হে উনাইস ! আমি তোমাকে যেখানে যেতে বলেছি তুমি সেখানে যাও। আমি বললাম , হে
আল্লাহর রাসূল ! হ্যাঁ , এইতো যাচ্ছি। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম ! আমি সাত বছর
অথবা নয় বছর তাঁর খেদমত করেছি ; কিন্তু আমার মনে পড়ছে না যে , তিনি আমার কোনো
কাজের জন্য আমাকে বলেছেনঃ তুমি এটা কেনো করলে? অথবা কোনো কাজ না করলে তিনি আমার
কৈফিয়ত তালাশ করেননি, এ কাজ কেনো করলে না। [৪৭৭২]
[৪৭৭২]
মুসলিম ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৭৭৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ
الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ خَدَمْتُ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم عَشْرَ سِنِينَ بِالْمَدِينَةِ وَأَنَا غُلاَمٌ لَيْسَ كُلُّ أَمْرِي
كَمَا يَشْتَهِي صَاحِبِي أَنْ أَكُونَ عَلَيْهِ مَا قَالَ لِي فِيهَا أُفٍّ قَطُّ
وَمَا قَالَ لِي لِمَ فَعَلْتَ هَذَا أَوْ أَلاَ فَعَلْتَ هَذَا .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাদীনাহয় আমি দশ বছর যাবৎ নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খেদমত করেছি। তখন আমি বালক ছিলাম। সব কাজ
আমার মালিক যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে করতে পারিনি। সেজন্য তিনি আমার প্রতি কখনো
মনক্ষুন্নতা প্রকাশ করেননি এবং কখনো আমাকে বলেননি, তুমি এটা কেন করলে অথবা এটা কেন
করলে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৭৫
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ هِلاَلٍ، سَمِعَ أَبَاهُ، يُحَدِّثُ قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَهُوَ
يُحَدِّثُنَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجْلِسُ مَعَنَا فِي
الْمَجْلِسِ يُحَدِّثُنَا فَإِذَا قَامَ قُمْنَا قِيَامًا حَتَّى نَرَاهُ قَدْ
دَخَلَ بَعْضَ بُيُوتِ أَزْوَاجِهِ فَحَدَّثَنَا يَوْمًا فَقُمْنَا حِينَ قَامَ
فَنَظَرْنَا إِلَى أَعْرَابِيٍّ قَدْ أَدْرَكَهُ فَجَبَذَهُ بِرِدَائِهِ فَحَمَّرَ
رَقَبَتَهُ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَكَانَ رِدَاءً خَشِنًا فَالْتَفَتَ فَقَالَ
لَهُ الأَعْرَابِيُّ احْمِلْ لِي عَلَى بَعِيرَىَّ هَذَيْنِ فَإِنَّكَ لاَ
تَحْمِلُ لِي مِنْ مَالِكَ وَلاَ مِنْ مَالِ أَبِيكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم " لاَ وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لاَ وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
لاَ وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لاَ أَحْمِلُ لَكَ حَتَّى تُقِيدَنِي مِنْ جَبْذَتِكَ
الَّتِي جَبَذْتَنِي " . فَكُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ لَهُ الأَعْرَابِيُّ
وَاللَّهِ لاَ أَقِيدُكَهَا . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ ثُمَّ دَعَا رَجُلاً
فَقَالَ لَهُ " احْمِلْ لَهُ عَلَى بَعِيرَيْهِ هَذَيْنِ عَلَى بَعِيرٍ
شَعِيرًا وَعَلَى الآخَرِ تَمْرًا " . ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا فَقَالَ
" انْصَرِفُوا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ تَعَالَى " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাদের সঙ্গে মাসজিদে বসে কথাবার্তা বলতেন। অতঃপর তিনি উঠে গেলে আমরাও
দাঁড়াতাম এবং তিনি তাঁর কোন স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ না করা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতাম।
একদিন তিনি আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং তিনি দাঁড়ালে আমরাও তাঁর সঙ্গে
দাঁড়ালাম। দেখলাম যে, জনৈক বেদুঈন তাকে নাগালে পেয়ে তাঁর চাদরটা ধরে এমন টান দিলো
যে, তাঁর ঘাড় লাল হয়ে গেলো। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন তাঁর চাদরটা ছিলো খসখসে। তিনি
ফিরে তাকালেন। বেদুঈন তাকে বললো, এ দুই উটের বোঝা পরিমাণ খাদ্য আমাকে দাও। কারণ
তুমি তো তোমার নিজের সম্পদ হতেও দিচ্ছো না আর তোমার বাবার সম্পদ হতেও দিচ্ছো না।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি ;
না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি ; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তুমি
আমাকে যে জোরে টান দিয়েছো, তুমি তোমার উপর আমাকে তাঁর প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ না
দেয়া পর্যন্ত আমি তোমাকে কিছুই দিবো না। বেদুঈন বারবার বলছিলো, আল্লাহর কসম ! আমি
আপনাকে তাঁর প্রতিশোধ নেবার সুযোগ দিবো না। অতঃপর বর্ণনাকারী এ হাদীস বর্ণনা করেন।
অতঃপর তিনি একটি লোককে ডেকে এনে বললেনঃ তাঁর এ দুই উটের একটিতে যব এবং ওপরটিতে
খেজুর বোঝাই করে দিয়ে দাও। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর কল্যাণ নিয়ে
প্রত্যাবর্তন করো। [৪৭৭৪]
[৪৭৭৪]
নাসায়ী ,সানাদে হিলাল ইবনু হিলাল রয়েছে । ইমাম যাহাবী বলেন: তাকে চেনা যাইনি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-২
আত্নমর্যাদাবোধ
৪৭৭৬
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا قَابُوسُ بْنُ أَبِي ظَبْيَانَ،
أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ نَبِيَّ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْهَدْىَ الصَّالِحَ
وَالسَّمْتَ الصَّالِحَ وَالاِقْتِصَادَ جُزْءٌ مِنْ خَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا
مِنَ النُّبُوَّةِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ উত্তম পথ , গাম্ভীর্যপূর্ণ উত্তম আচরণ এবং পরিমিতিবোধ নবুওয়্যাতের পঁচিশ
ভাগের এক ভাগ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩
যে ব্যাক্তি রাগ
সংবরণ করে
৪৭৭৭
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي
أَيُّوبَ - عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَظَمَ غَيْظًا - وَهُوَ
قَادِرٌ عَلَى أَنْ يُنْفِذَهُ - دَعَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رُءُوسِ
الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ اللَّهُ مِنَ الْحُورِ مَا
شَاءَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ اسْمُ أَبِي مَرْحُومٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ مَيْمُونٍ .
সাহল ইবনু মু’আয
(রাঃ) হতে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি তাঁর রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংযত থাকে,
ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে সকল সৃষ্টিকূলের মধ্য হতে ডেকে নিবেন এবং তাকে হুরদের
মধ্য হতে তাঁর পছন্দমত যে কোন একজনকে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দিবেন। [৪৭৭৬]
[৪৭৭৬]
তিরমিযী ,ইবনু মাজাহ ,আহমাদ ।[৪৭৭৬ নং কোন রেফারীন্স নাই।]
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৭৭৮
حَدَّثَنَا
عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ
مَهْدِيٍّ - عَنْ بِشْرٍ، - يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَجْلاَنَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَبْنَاءِ أَصْحَابِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِيهِ قَالَ - قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ " مَلأَهُ اللَّهُ أَمْنًا وَإِيمَانًا
" . لَمْ يَذْكُرْ قِصَّةَ " دَعَاهُ اللَّهُ " . زَادَ
" وَمَنْ تَرَكَ لُبْسَ ثَوْبِ جَمَالٍ وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَيْهِ "
. قَالَ بِشْرٌ أَحْسِبُهُ قَالَ " تَوَاضُعًا كَسَاهُ اللَّهُ حُلَّةَ
الْكَرَامَةِ وَمَنْ زَوَّجَ لِلَّهِ تَعَالَى تَوَّجَهُ اللَّهُ تَاجَ الْمُلْكِ
" .
নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জনৈক সাহাবীর পুত্র হতে তার পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ---পূর্বোক্ত হাদীসের
অনুরুপ। তারপর আখিরাতে আল্লাহ তাকে ডাকবেন, এর স্হানে বলেন, আল্লাহ তাকে শান্তি ও
ঈমানের দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন। তারপর বলেন যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও
সৌন্দর্যবর্ধক পোশাক পরা হতে বিরত থাকে এবং বর্ণনাকারী বিশর বলেন, আমার ধারণা তিনি
নম্রতা পরিত্যাগের কথা বলেছেন , আল্লাহ তাকে সম্মানের পোশাক পরিধান করাবেন। আর যে
ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিবাহ করবে আল্লাহর তাকে রাজমুকুট পরিধান করাবেন। ৪৭৭৭
দূর্বল। মিশকাত হা / ৫০৮৯।
[৪৭৭৭]
মিশকাত । সানাদে সুওয়াইদ ইবনু ওহাব রয়েছে ।তার অবস্হা অজ্ঞাত । তাছারা কোনো এক সাহাবীর
জনৈক সন্তান রয়েছে ।তার পরিচয় অস্পস্ট ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৭৭৯
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا
تَعُدُّونَ الصُّرَعَةَ فِيكُمْ " . قَالُوا الَّذِي لاَ يَصْرَعُهُ
الرِّجَالُ . قَالَ " لاَ وَلَكِنَّهُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ
الْغَضَبِ " .
আবদুল্লাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন একদা রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের মধ্যকার কোনো ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো?
সাহাবীগণ বললেন, যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না। রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না , বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি যে রাগের সময়
নিজেকে সংযত রাখতে পারে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪
ক্রোধের সময় যা বলতে
হয়
৪৭৮০
حَدَّثَنَا
يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ
مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ اسْتَبَّ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم فَغَضِبَ أَحَدُهُمَا غَضَبًا شَدِيدًا حَتَّى خُيِّلَ إِلَىَّ أَنَّ
أَنْفَهُ يَتَمَزَّعُ مِنْ شِدَّةِ غَضَبِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " إِنِّي لأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا لَذَهَبَ عَنْهُ مَا
يَجِدُهُ مِنَ الْغَضَبِ " . فَقَالَ مَا هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ
" يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
" . قَالَ فَجَعَلَ مُعَاذٌ يَأْمُرُهُ فَأَبَى وَمَحِكَ وَجَعَلَ
يَزْدَادُ غَضَبًا .
মু’আয ইবনু জালাল
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , দুই
ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে পরস্পরকে গালি
দিতে লাগলো। তাদের একজন এতটা রাগাম্বিত হলো যে, মনে হচ্ছিলো, রাগের প্রচন্ডতায়
তার নাক ফেটে যাবে। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি এমন
একটি বাক্য জানি যা বললে রাগের প্রতিক্রিয়া চলে যাবে। তখন মু’আয (রাঃ) বললেন , হে
আল্লাহর রাসুল ! তা কি? তিনি বললেন, “ সে বলবে : হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট
অভিশপ্ত শয়তান হতে আশ্রয় চাইছি।“ আবদুর রহমান বলেন, তখন মু’আয (রাঃ) তাকে তা পড়ার
তাগিদ দিতে থাকলেন। কিন্তু সে তা পড়তে সম্মত হলো না এবং ঝগড়া করতে থাকলো এবং তার
রাগ আরো বৃদ্ধি পেলো।
দূর্বল।
৪৭৭৯ তিরমিযী
, আ্হমাদ , সানাদ মুনকাতি । ’আবদুর রাহমান বিন আবু লাইলাহ হাদীসটি মু’আয বিন জাবাল
(রাঃ) হতে শুনেননি ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৭৮১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدَ، قَالَ
اسْتَبَّ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ أَحَدُهُمَا
تَحْمَرُّ عَيْنَاهُ وَتَنْتَفِخُ أَوْدَاجُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِنِّي لأَعْرِفُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا هَذَا لَذَهَبَ
عَنْهُ الَّذِي يَجِدُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ "
. فَقَالَ الرَّجُلُ هَلْ تَرَى بِي مِنْ جُنُونٍ
সুলাইমান ইবনু
সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , দুই ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগলো। তাদের
একজনের চোখ লাল হতে থাকে ও ঘাড়ের রগ মোটা হতে থাকে। রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি অবশ্যই এমন একটি বাক্য জানি এ ব্যক্তি তা বললে
নিশ্চয়ই তার রাগ চলে যাবে। তা হলো : অভিশপ্ত শয়তান হতে আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয়
চাইছি। লোকটি বললো, আপনি কি আমার পাগল ভাব দেখছেন!
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৮২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ
أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَنَا " إِذَا غَضِبَ
أَحَدُكُمْ وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ فَإِنْ ذَهَبَ عَنْهُ الْغَضَبُ وَإِلاَّ
فَلْيَضْطَجِعْ " .
আবু যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারোর যদি দাঁড়ানো অবস্হায় রাগের উদ্রেক হয় তাহলে সে
যেন বসে পড়ে। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেনো শুয়ে পরে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৮৩
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ بَكْرٍ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا ذَرٍّ بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا أَصَحُّ الْحَدِيثَيْنِ .
বাকর (র) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আবু যার (রাঃ) কে ডেকে পাঠালেন। .... অতঃপর উপরোক্ত হাদীস। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ)
বলেন, দু’টি হাদীসের মধ্যে এটি অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৮৪
حَدَّثَنَا
بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو وَائِلٍ الْقَاصُّ، قَالَ دَخَلْنَا
عَلَى عُرْوَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ السَّعْدِيِّ فَكَلَّمَهُ رَجُلٌ فَأَغْضَبَهُ
فَقَامَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ رَجَعَ وَقَدْ تَوَضَّأَ فَقَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ
جَدِّي عَطِيَّةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ
الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ
وَإِنَّمَا تُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ
فَلْيَتَوَضَّأْ " .
আবু ওয়াইল আল-ক্বাস
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , একদা
আমরা ‘উরওয়াহ ইবনু মুহাম্মাদ আস-সা’দীর নিকট গেলাম। তখন এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা
কাটাকাটি করে তাকে রাগিয়ে দিলো। অতএব তিনি দাঁড়ালেন এবং উযু করলেন। অতঃপর বললেনঃ
আমার পিতা আমার দাদা ‘আত্বিয়্যাহ (র) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাগ হচ্ছে শয়তানী প্রভাবের ফল।
শয়তানকে আগুন হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আগুন পানি দিয়ে নিভানো যায়। অতএব তোমাদের
কারো রাগ হলে সে যেন উযু করে নেয়।৪৭৮৩
দূর্বল।
৪৭৮৩ আ্হমাদ
, সানাদের ‘‘উরওয়াহ ইবনু মুহাম্মাদ সম্পর্কে হাফিয বলেন : মাক্ববুল ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫
ক্ষমা করা ও অপরাধ
উপেক্ষা করা
৪৭৮৫
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ
بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ مَا خُيِّرَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا
مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ
وَمَا انْتَقَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِنَفْسِهِ إِلاَّ أَنْ
تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى فَيَنْتَقِمَ لِلَّهِ بِهَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যখন রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে দু’টি কাজের যে কোন একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দেয়া হতো তখন
তিনি দু’টির মধ্যে সহজতরটি গ্রহণ করতেন, যদি না তা পাপ কাজ হতো। আর যদি তা পাপ কাজ
হতো তবে তিনি তা হতে অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দূরে থাকতেন। রাসুলাল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারে কখনো প্রতিশোধ নেননি।
কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত সীমারেখা বা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর জন্য
অবশ্যই তাঁর প্রতিশোধ নিতেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৮৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها، قَالَتْ مَا ضَرَبَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَادِمًا وَلاَ امْرَأَةً قَطُّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কখনো কোন খাদেমকে এবং কোন মহিলাকে মারধর করেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৮৭
حَدَّثَنَا
يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الطُّفَاوِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، -
يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ - فِي قَوْلِهِ { خُذِ الْعَفْوَ } قَالَ أُمِرَ
نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْخُذَ الْعَفْوَ مِنْ أَخْلاَقِ
النَّاسِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনুয
যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ), মহান আল্লাহ্র
এ বাণী “তুমি ক্ষমার নীতি অবলম্বন করো” (সূরাহ আল-আ‘রাফ : ১৯৯)- সম্পর্কে বলেন,
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মানুষের চারিত্রিক দুর্বলতা ক্ষমা করার
আদেশ দেয়া হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬
লোকজনের সঙ্গে
উত্তমরূপে বসবাস করা
৪৭৮৮
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، - يَعْنِي
الْحِمَّانِيَّ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ
عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا
بَلَغَهُ عَنِ الرَّجُلِ الشَّىْءُ لَمْ يَقُلْ مَا بَالُ فُلاَنٍ يَقُولُ
وَلَكِنْ يَقُولُ " مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَقُولُونَ كَذَا وَكَذَا
" .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে কোন ব্যক্তির কোন বিষয়ে জানানো হলে তিনি এভাবে বলতেন না : তার কি হলো
যে, সে একথা বলে? বরং তিনি বলতেন, লোকজনের কি হলো যে, তারা এই এই বলে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৮৯
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ،
حَدَّثَنَا سَلْمٌ الْعَلَوِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ عَلَى
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ أَثَرُ صُفْرَةٍ - وَكَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَلَّمَا يُوَاجِهُ رَجُلاً فِي وَجْهِهِ بِشَىْءٍ
يَكْرَهُهُ - فَلَمَّا خَرَجَ قَالَ " لَوْ أَمَرْتُمْ هَذَا أَنْ
يَغْسِلَ ذَا عَنْهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَلْمٌ لَيْسَ هُوَ
عَلَوِيًّا كَانَ يُبْصِرُ فِي النُّجُومِ وَشَهِدَ عِنْدَ عَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ
عَلَى رُؤْيَةِ الْهِلاَلِ فَلَمْ يُجِزْ شَهَادَتَهُ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলো, তখন তার শরীরে হলুদ রং-এর আলামত ছিল।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কারো মুখের উপর তার দোষ-ত্রুটি
নির্দেশ করতে সংকোচবোধ করতেন। তাই লোকটি যখন চলে যেতে লাগলো তখন তিনি বললেন, তোমরা
যদি এ ব্যক্তিকে তার চেহারার ঐ রং ধুয়ে ফেলতে বলতে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,
সাল্ম ‘আলী (রাঃ) বংশীয় নন। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা করতেন। তিনি ‘আদী ইবনু
আরত্বাত (রাঃ)-এর সামনে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিলে তিনি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেননি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৭৯০
حَدَّثَنَا
نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ فُرَافِصَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ رَافِعٍ، عَنْ يَحْيَى
بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَفَعَاهُ
جَمِيعًا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمُؤْمِنُ
غِرٌّ كَرِيمٌ وَالْفَاجِرُ خِبٌّ لَئِيمٌ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু'মিন ব্যক্তি সরল ও ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে, কিন্তু
পাপিষ্ঠ ব্যক্তি ধোকাবাজ ও নির্লজ্জ হয়।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৭৯১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتَأْذَنَ رَجُلٌ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ " بِئْسَ ابْنُ الْعَشِيرَةِ " . أَوْ " بِئْسَ
رَجُلُ الْعَشِيرَةِ " . ثُمَّ قَالَ " ائْذَنُوا لَهُ "
. فَلَمَّا دَخَلَ أَلاَنَ لَهُ الْقَوْلَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ أَلَنْتَ لَهُ الْقَوْلَ وَقَدْ قُلْتَ لَهُ مَا قُلْتَ . قَالَ
" إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ
مَنْ وَدَعَهُ - أَوْ تَرَكَهُ - النَّاسُ لاِتِّقَاءِ فُحْشِهِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসার জন্য অনুমতি চাইলে তিনি বললেন, গোত্রের কতই না
খারাপ লোক। অতঃপর তিনি বললেন, আসতে দাও। যখন সে ভিতরে এলো তখন তার সঙ্গে তিনি
নম্রভাবে কথা বললেন। (সে চলে গেলে) ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি
এ ব্যক্তির সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন, অথচ ইতিপূর্বে আপনি তার সম্পর্কে অন্য রকম
মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বললেন, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্র নিকট ঐ ব্যক্তিই সবচেয়ে
খারাপ, যাকে মানুষ তার অশালীন কথার ভয়ে ত্যাগ করেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৯২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو،
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَجُلاً، اسْتَأْذَنَ
عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" بِئْسَ أَخُو الْعَشِيرَةِ " . فَلَمَّا دَخَلَ انْبَسَطَ
إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَلَّمَهُ فَلَمَّا خَرَجَ قُلْتُ
يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمَّا اسْتَأْذَنَ قُلْتَ " بِئْسَ أَخُو
الْعَشِيرَةِ " . فَلَمَّا دَخَلَ انْبَسَطْتَ إِلَيْهِ . فَقَالَ
" يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْفَاحِشَ الْمُتَفَحِّشَ
" .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ) এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! সবচেয়ে খারাপ মানুষ তারাই
যাদেরকে মানুষ তাদের জিহবার অনিষ্ট হতে আত্নরক্ষার জন্য সম্মান করে। [৪৭৯১]
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৭৯৩
حَدَّثَنَا
عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ،
عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَتْ
فَقَالَ تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ إِنَّ
مِنْ شِرَارِ النَّاسِ الَّذِينَ يُكْرَمُونَ اتِّقَاءَ أَلْسِنَتِهِمْ "
.
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট কোন ব্যক্তি এসে কানে কানে কথা বললে সে তার কান না সরানোর পূর্বে
তাঁকে কখনো নিজের কান সরিয়ে নিতে দেখিনি। আর কোন ব্যক্তি তার হাত ধরলে যতক্ষণ সে
হাত না ছাড়তো ততক্ষণ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত সরাতেন না।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৭৯৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، أَخْبَرَنَا مُبَارَكٌ، عَنْ
ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ رَجُلاً الْتَقَمَ أُذُنَ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيُنَحِّي رَأْسَهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ
الَّذِي يُنَحِّي رَأْسَهُ وَمَا رَأَيْتُ رَجُلاً أَخَذَ بِيَدِهِ فَتَرَكَ
يَدَهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ الَّذِي يَدَعُ يَدَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট আসার অনুমতি চাইলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ গোত্রের নিকৃষ্ট ভাই। অতঃপর লোকটি প্রবেশ করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে কথা বললেন। লোকটি চলে গেলে আমি বললাম,
হে আল্লাহ্র রাসূল! লোকটি যখন প্রবেশের জন্য আপনার অনুমতি চেয়েছিল আপনি তখন তার
সম্পর্কে বলেছিলেন, গোত্রের নিকৃষ্ট ভাই; কিন্তু প্রবেশ করলে আপনি তার সঙ্গে
হাসিমুখে কথা বললেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে
‘আয়িশাহ! মহান আল্লাহ্ অশালীন ভাষীকে ভালবাসেন না।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৭
লজ্জাশীলতা
৪৭৯৫
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى
رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُ فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ
" .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসার
গোত্রের এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তার ভাইকে লজ্জাশীলতার কারণে
তিরস্কার করছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একে ছেড়ে
দাও; কেননা লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি অঙ্গ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৯৬
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ سُوَيْدٍ،
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كُنَّا مَعَ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَثَمَّ
بُشَيْرُ بْنُ كَعْبٍ فَحَدَّثَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْحَيَاءُ خَيْرٌ كُلُّهُ " . أَوْ
قَالَ " الْحَيَاءُ كُلُّهُ خَيْرٌ " . فَقَالَ بُشَيْرُ بْنُ
كَعْبٍ إِنَّا نَجِدُ فِي بَعْضِ الْكُتُبِ أَنَّ مِنْهُ سَكِينَةً وَوَقَارًا
وَمِنْهُ ضَعْفًا . فَأَعَادَ عِمْرَانُ الْحَدِيثَ وَأَعَادَ بُشَيْرٌ
الْكَلاَمَ قَالَ فَغَضِبَ عِمْرَانُ حَتَّى احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَقَالَ أَلاَ
أَرَانِي أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتُحَدِّثُنِي
عَنْ كُتُبِكَ . قَالَ قُلْنَا يَا أَبَا نُجَيْدٍ إِيهٍ إِيهٍ .
‘ইমরান ইবনু হুসাইন
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘লজ্জার সবটুকুই কল্যাণকর’। অধঃস্তন বর্ণনাকারী বুশাইর ইবনু কা‘ব
বলেন, আমরা কতিপয় গ্রন্থে দেখতে পাই যে, লজ্জা দ্বারা প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য অর্জন
হয় এবং তাতে দুর্বলতাও সৃষ্টি হয়। ‘ইমরান (রাঃ) হাদীসটি পুনরায় বললেন। বুশাইরও তার
কথার পুনরোক্তি করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এতে ‘ইমরান (রাঃ) রাগান্বিত হলেন, ফলে তার
দুই চোখ লাল হয়ে গেলো। তিনি বলেন, আমি তোমার নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বলছি আর তুমি এর বিপরীতে তোমার কিতাবের কথা উল্লেখ করছো।
আবূ ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, আমরা বললাম, হে আবূ নুজাইদ! থামো থামো। [৪৭৯৪]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৯৭
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِنَّ مِمَّا أَدْرَكَ النَّاسُ مِنْ كَلاَمِ
النُّبُوَّةِ الأُولَى إِذَا لَمْ تَسْتَحِ فَافْعَلْ مَا شِئْتَ " .
আবূ মাস’ঊদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পূর্বযুগের নাবীগণের যে কথাটি মানুষের নিকট পৌঁছেছে তা হলোঃ
যখন তুমি নির্লজ্জ হবে তখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮
উত্তম চরিত্র
সম্পর্কে
৪৭৯৮
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي الإِسْكَنْدَرَانِيَّ -
عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَحِمَهَا اللَّهُ قَالَتْ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْمُؤْمِنَ
لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ الصَّائِمِ الْقَائِمِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই মু’মিন ব্যক্তি তার ভাল চরিত্রের
মাধ্যমে (দিনের) সাওম পালনকারী ও (রাতের) তাহাজ্জুদগুজারীর সমান মর্যাদা লাভ করতে
পারে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৭৯৯
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا ح،
وَحَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ أَبِي
بَزَّةَ، عَنْ عَطَاءٍ الْكَيْخَارَانِيِّ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي
الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ
شَىْءٍ أَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنْ حُسْنِ الْخُلُقِ " . قَالَ أَبُو
الْوَلِيدِ قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً الْكَيْخَارَانِيَّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَهُوَ عَطَاءُ بْنُ يَعْقُوبَ وَهُوَ خَالُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَافِعٍ يُقَالُ
كَيْخَارَانِيٌّ وَكَوْخَارَانِيٌّ .
আবূ দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ মীযানের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কিছুই নেই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮০০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ أَبُو الْجَمَاهِرِ، قَالَ حَدَّثَنَا
أَبُو كَعْبٍ، أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ السَّعْدِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ
بْنُ حَبِيبٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ
لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ
لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ
لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ " .
আবূ উমামাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি
তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার
ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে
ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ
স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮০১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرٍ، وَعُثْمَانُ، ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ،
عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
الْجَوَّاظُ وَلاَ الْجَعْظَرِيُّ " . قَالَ وَالْجَوَّاظُ الْغَلِيظُ
الْفَظُّ .
হারিসাহ ইবনু
ওয়াহ্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাওয়ায ও জা’যারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি বলেন,
জাওয়ায অর্থ অসভ্য।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯
কাজে কর্মে অহংকার
দেখানো অপছন্দনীয়
৪৮০২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ
كَانَتِ الْعَضْبَاءُ لاَ تُسْبَقُ فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى قَعُودٍ لَهُ
فَسَابَقَهَا فَسَبَقَهَا الأَعْرَابِيُّ فَكَأَنَّ ذَلِكَ شَقَّ عَلَى أَصْحَابِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَزَّ
وَجَلَّ أَنْ لاَ يَرْفَعَ شَيْئًا مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ وَضَعَهُ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আদবাকে (নবীজীর উষ্ট্রীকে) পরাজিত
করা যেতো না। একদা এক বেদুঈন তার একটি মাদী উষ্ট্রী নিয়ে এসে দৌড় প্রতিযোগিতায়
অংশগ্রহণ করে তাতে বিজয়ী হলে রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ মনঃক্ষুন্ন হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ কোন কিছুর চরম উন্নতি অর্জনের পর আবার অবনতির দিকে প্রত্যাবর্তিত
করা আল্লাহর চিরন্তন নীতি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮০৩
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، بِهَذِهِ
الْقِصَّةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ حَقًّا
عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لاَ يَرْتَفِعَ شَىْءٌ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ
وَضَعَهُ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন, পৃথিবীর কোন বস্তু উন্নতির শিখরে পৌঁছার পর সেটিকে অবনত করা মহান আল্লাহর
বিধান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০
চাটুকারিতা নিন্দনীয়
৪৮০৪
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ فَأَثْنَى
عَلَى عُثْمَانَ فِي وَجْهِهِ فَأَخَذَ الْمِقْدَادُ بْنُ الأَسْوَدِ تُرَابًا
فَحَثَا فِي وَجْهِهِ وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِذَا لَقِيتُمُ الْمَدَّاحِينَ فَاحْثُوا فِي وُجُوهِهِمُ التُّرَابَ "
.
হাম্মাম (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি এসে ‘উসমান
(রাঃ)-এর সামনে তার প্রশংসা শুরু করলে মিক্বদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ) মাটি তুলে নিয়ে
তার মুখমন্ডলে ছুড়ে মারলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাটুকারদের সাক্ষাৎ পেলে তাদের মুখে মাটি নিক্ষেপ করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮০৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَثْنَى
عَلَى رَجُلٍ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ "
قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ "
إِذَا مَدَحَ أَحَدُكُمْ صَاحِبَهُ لاَ مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ إِنِّي أَحْسِبُهُ
كَمَا يُرِيدُ أَنْ يَقُولَ وَلاَ أُزَكِّيهِ عَلَى اللَّهِ " .
‘আবদুর রহমান ইবনু
আবূ বাকরাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সামনে অন্য এক লোকের প্রশংসা করলে তিনি লোকটিকে তিনবার বলেন, তুমি তো
তোমার সঙ্গীর গলা কেটে দিলে। অতঃপর তিনি বললেন, যদি তোমাদের কেউ একান্তই তার
সঙ্গীর প্রশংসা করতে চায়, তাহলে সে যেন বলে, আমি তাকে এরূপ মনে করি, তবে আল্লাহর
নিকট তাকে নির্দোষ মনে করি না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮০৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ - حَدَّثَنَا أَبُو
مَسْلَمَةَ، سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، قَالَ
قَالَ أَبِي انْطَلَقْتُ فِي وَفْدِ بَنِي عَامِرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَقُلْنَا أَنْتَ سَيِّدُنَا . فَقَالَ " السَّيِّدُ اللَّهُ
تَبَارَكَ وَتَعَالَى " . قُلْنَا وَأَفْضَلُنَا فَضْلاً وَأَعْظَمُنَا
طَوْلاً . فَقَالَ " قُولُوا بِقَوْلِكُمْ أَوْ بَعْضِ قَوْلِكُمْ وَلاَ
يَسْتَجْرِيَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ " .
মুত্বাররিফ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বনী ‘আমরের প্রতিনিধি দলের
সঙ্গে রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গেলাম। আমরা বললাম,
আপনি আমাদের নেতা। তিনি বললেন, প্রকৃত নেতা হলেন বরকতময় মহিয়ান আল্লাহ। আমরা
বললাম, আপনি মর্যাদার দিক হতে আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং দানের বিশালতায় আপনি মহান।
তিনি বললেন, তোমাদের এ কথা তোমরা বলতে পারো, অথবা তোমাদের এরূপ কিছু বলায় কোন
সমস্যা নেই। তবে শয়তান যেন তোমাদেরকে তার প্রতিনিধি না বানায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–১১
বিনয় ও নম্রতা
সম্পর্কে
৪৮০৭
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يُونُسَ، وَحُمَيْدٍ، عَنِ
الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ وَيُعْطِي
عَلَيْهِ مَا لاَ يُعْطِي عَلَى الْعُنْفِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র
স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮০৮
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ
الْبَزَّازُ قَالُوا حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ
أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنِ الْبَدَاوَةِ، فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَبْدُو إِلَى هَذِهِ التِّلاَعِ وَإِنَّهُ أَرَادَ
الْبَدَاوَةَ مَرَّةً فَأَرْسَلَ إِلَىَّ نَاقَةً مُحَرَّمَةً مِنْ إِبِلِ
الصَّدَقَةِ فَقَالَ لِي " يَا عَائِشَةُ ارْفُقِي فَإِنَّ الرِّفْقَ لَمْ
يَكُنْ فِي شَىْءٍ قَطُّ إِلاَّ زَانَهُ وَلاَ نُزِعَ مِنْ شَىْءٍ قَطُّ إِلاَّ
شَانَهُ " . قَالَ ابْنُ الصَّبَّاحِ فِي حَدِيثِهِ مُحَرَّمَةٌ يَعْنِي
لَمْ تُرْكَبْ .
আল-মিক্বদাম ইবনু
শুরাইহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে মরুভূমিতে
বসবাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মরুভূমিতে এ ঝর্ণার দিকে যেতেন। তিনি একদা মরুভূমিতে সফরের সিদ্ধান্ত নেন
এবং আমার নিকট বাহন হিসেবে তখনও অব্যবহৃত যাকাতের একটি উষ্ট্রী পাঠালেন। তিনি
আমাকে বললেন, হে ‘আয়িশাহ! (উষ্ট্রীর সাথে) নম্র আচরণ করো। কারণ কোন কিছুর মধ্যে
নম্রতা বিদ্যমান থাকলে তা সেটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। আর কোন কিছু হতে তা অপসারণ
করা হলে তা সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮০৯
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هِلاَلٍ،
عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
يُحْرَمِ الرِّفْقَ يُحْرَمِ الْخَيْرَ كُلَّهُ " .
জারীর (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে নম্রতা হতে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে সকল প্রকার কল্যাণ
হতে বঞ্চিত করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮১০
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ
الْحَارِثِ، - قَالَ الأَعْمَشُ وَقَدْ سَمِعْتُهُمْ يَذْكُرُونَ، عَنْ مُصْعَبِ
بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ الأَعْمَشُ - وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " التُّؤَدَةُ فِي كُلِّ شَىْءٍ
إِلاَّ فِي عَمَلِ الآخِرَةِ " .
মুস’আর ইবনু সা’দ
(রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
আখিরাতের আমল ছাড়া পার্থিব সকল ব্যাপারেই তাড়াহুড়া পরিহার করতে হবে।৪৮০৮
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২
অনুগ্রহ প্রদর্শনের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
৪৮১১
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" لاَ يَشْكُرُ اللَّهَ مَنْ لاَ يَشْكُرُ النَّاسَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করে না। অথবা যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও
অকৃতজ্ঞ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮১২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ
الْمُهَاجِرِينَ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَتِ الأَنْصَارُ بِالأَجْرِ
كُلِّهِ . قَالَ " لاَ مَا دَعَوْتُمُ اللَّهَ لَهُمْ وَأَثْنَيْتُمْ
عَلَيْهِمْ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা মুহাজিরগণ, হে আল্লাহর রাসূল! আনসারগণ তো
সব নেকী নিলেন। তিনি বললেনঃ না, যতক্ষণ তোমরা আল্লাহর নিকট তাদের জন্য দু’আ করবে ও
তাদের প্রশংসা করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮১৩
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، قَالَ
حَدَّثَنِي رَجُلٌ، مِنْ قَوْمِي عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أُعْطِيَ عَطَاءً فَوَجَدَ
فَلْيَجْزِ بِهِ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُثْنِ بِهِ فَمَنْ أَثْنَى بِهِ فَقَدْ
شَكَرَهُ وَمَنْ كَتَمَهُ فَقَدْ كَفَرَهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ عَنْ شُرَحْبِيلَ
عَنْ جَابِرٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ شُرَحْبِيلُ يَعْنِي رَجُلاً مِنْ
قَوْمِي كَأَنَّهُمْ كَرِهُوهُ فَلَمْ يُسَمُّوهُ .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাউকে কিছু দান করা হলে সে যেন সামর্থ্য থাকলে তার প্রতিদান
দেয়। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে তবে সে যেন তার প্রশংশা করে। সে তার প্রশংসা করলে
তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি তা গোপন রাখলো সে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করলো।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮১৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ أَبْلَى بَلاَءً فَذَكَرَهُ فَقَدْ شَكَرَهُ وَإِنْ كَتَمَهُ فَقَدْ
كَفَرَهُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
যে ব্যক্তি অনুদান পেয়ে দানকারীর প্রশংসা করলো সে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো
আর যে ব্যক্তি অনুদান গোপন করলো সে তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা দেখালো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩
রাস্তার পাশে বসা
সম্পর্কে
৪৮১৫
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ
مُحَمَّدٍ - عَنْ زَيْدٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَسْلَمَ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ،
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ بِالطُّرُقَاتِ " . فَقَالُوا يَا
رَسُولَ اللَّهِ مَا بُدٌّ لَنَا مِنْ مَجَالِسِنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا .
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ أَبَيْتُمْ فَأَعْطُوا
الطَّرِيقَ حَقَّهُ " . قَالُوا وَمَا حَقُّ الطَّرِيقِ يَا رَسُولَ
اللَّهِ قَالَ " غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الأَذَى وَرَدُّ السَّلاَمِ
وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রাস্তার মাঝে বসা সম্পর্কে সতর্ক হও। সাহাবীগণ বললেন, হে
আল্লাহর রাসূল! তাতে না বসে আমাদের উপায় নেই। আমরা তথায় (বসে) আলোচনা করে থাকি।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যদি তোমাদের একান্তেই বসতে
হয় তাহলে তোমরা রাস্তার হক আদায় করবে। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল!
রাস্তার হক কি? তিনি বললেন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকা, সালামের
জবাব দেয়া, সৎকাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎ কাজ নিষেধ করা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮১৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ - حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ "
وَإِرْشَادُ السَّبِيلِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ
প্রসঙ্গে বলেছেন, এবং (রাস্তার হক হলো পথ হারাকে) পথ দেখানো।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৪৮১৭
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عِيسَى النَّيْسَابُورِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ،
أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنِ ابْنِ
حُجَيْرٍ الْعَدَوِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ " وَتُغِيثُوا
الْمَلْهُوفَ وَتَهْدُوا الضَّالَّ " .
জাবির ইবনু হাযেম
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে আরো
বলতে শুনেছি; বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করবে এবং পথহারাকে পথ দেখাবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮১৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ الطَّبَّاعِ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ
حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - قَالَ ابْنُ عِيسَى قَالَ - حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ
أَنَسٍ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً . فَقَالَ لَهَا
" يَا أُمَّ فُلاَنٍ اجْلِسِي فِي أَىِّ نَوَاحِي السِّكَكِ شِئْتِ حَتَّى
أَجْلِسَ إِلَيْكِ " . قَالَ فَجَلَسَتْ فَجَلَسَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم إِلَيْهَا حَتَّى قَضَتْ حَاجَتَهَا . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ عِيسَى
حَتَّى قَضَتْ حَاجَتَهَا . وَقَالَ كَثِيرٌ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার নিকট একটি প্রয়োজনে
এসেছি। তিনি বললেন, হে অমুকের মা! তোমার সুবিধা মতো রাস্তার যে কোন গলিপথে বসো এবং
আমি তোমার নিকট বসে তোমার দরকার পূরণ করবো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর মহিলাটি বসলো
এবং নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও বসে থাকলেন যাবত না তার প্রয়োজন
পূরণ হলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮১৯
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا
حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَ فِي
عَقْلِهَا شَىْءٌ بِمَعْنَاهُ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
এক নারীর বুদ্ধিতে কিছুটা জড়তা ছিল। অতঃপর
পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪
মাজলিসের বসার জায়গা
প্রশস্ত করা
৪৮২০
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِ، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" خَيْرُ الْمَجَالِسِ أَوْسَعُهَا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيُّ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, বসার জন্য উত্তম হলো চওড়া স্থান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫
রোদ ও ছায়ার মাঝামাঝি
বসা সম্পর্কে
৪৮২১
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، وَمَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ،
يَقُولُ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا كَانَ
أَحَدُكُمْ فِي الشَّمْسِ " . وَقَالَ مَخْلَدٌ " فِي الْفَىْءِ
" . " فَقَلَصَ عَنْهُ الظِّلُّ وَصَارَ بَعْضُهُ فِي الشَّمْسِ
وَبَعْضُهُ فِي الظِّلِّ فَلْيَقُمْ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবুল ক্বাসিম (রাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ রোদে
বসা অবস্থায় সেখানে ছায়া এলে তার দেহের কিছু অংশ রোদে এবং কিছু অংশ ছায়ায় পড়ে গেলে
সে যেন সেখান হতে উঠে যায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮২২
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَيْسٌ، عَنْ
أَبِيهِ، أَنَّهُ جَاءَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَامَ
فِي الشَّمْسِ فَأَمَرَ بِهِ فَحُوِّلَ إِلَى الظِّلِّ .
ক্বাইস (রাঃ) হতে
তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর খুত্ববাহ দেয়া অবস্থায় রোদে এসে দাঁড়ালেন। তখন তিনি তাকে আদেশ দিলে
তাকে ছায়ায় আনা হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬
গোল হয়ে বসা সম্পর্কে
৪৮২৩
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ حَدَّثَنِي الْمُسَيَّبُ
بْنُ رَافِعٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ
دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْجِدَ وَهُمْ حِلَقٌ فَقَالَ
" مَا لِي أَرَاكُمْ عِزِينَ " .
জাবির ইবনু সামুরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাহাবীগণ বিক্ষিপ্তভাবে এক এক
স্থানে কয়েকজন করে মাসজিদের মধ্যে গোলাকার হয়ে বসা ছিলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে প্রবেশ করে বললেন, আবার কি হলো, আমি যে
তোমাদেরকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি!
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮২৪
حَدَّثَنَا
وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا
قَالَ كَأَنَّهُ يُحِبُّ الْجَمَاعَةَ .
আ’মাশ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীসের বর্ণনায় তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেন তাঁদের ঐক্যবদ্ধভাবে বসাকে
পছন্দ করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮২৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْوَرْكَانِيُّ، وَهَنَّادٌ، أَنَّ شَرِيكًا،
أَخْبَرَهُمْ عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا
أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَلَسَ أَحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي .
জাবির ইবনু সামুরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যখন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসতাম, তখন আমাদের যে কোন ব্যক্তি সভার প্রান্তের খালি
জায়গায় বসতো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭
বৃত্তের মাঝখানে বসা
৪৮২৬
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ
حَدَّثَنِي أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم لَعَنَ مَنْ جَلَسَ وَسْطَ الْحَلْقَةِ .
হুযাইফাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃত্তের মাঝখানে গিয়ে উপবেশনকারীকে অভিশাপ
দিয়েছেন।৪৮২৪
দুর্বল।
৪৮২৪ তিরমিযী,
আহমাদ, হাকিম। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাসান সহীহ। ইমাম হাকিম ও যাহাবী বলেনঃ মুসলিমের
শর্তে সহীহ। কিন্তু এটা তাদের ধারণা মাত্র। কেননা হাদীসের সানাদে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে।
বর্ণনাকারীর মিজলায ও হুযাইফার মাঝে ইনকিতা হয়েছে। মিজলায হাদীসটি হুযাইফাহ হতে শুনেননি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৮
অন্যকে বসতে দেয়ার
জন্য নিজের স্থান হতে উঠে যাওয়া
৪৮২৭
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ
سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى آلِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ سَعِيدِ
بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، قَالَ جَاءَنَا أَبُو بَكْرَةَ فِي شَهَادَةٍ فَقَامَ لَهُ
رَجُلٌ مِنْ مَجْلِسِهِ فَأَبَى أَنْ يَجْلِسَ فِيهِ وَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ذَا وَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ
يَمْسَحَ الرَّجُلُ يَدَهُ بِثَوْبِ مَنْ لَمْ يَكْسُهُ .
সাঈদ ইবনু আবুল
হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাক্ষী
দেয়ার জন্য আবূ বাকরাহ (রাঃ) আমাদের নিকট আসলেন। তখন তার জন্য জনৈক ব্যক্তি তার
স্থান ছেড়ে দাঁড়ালো। কিন্তু তিনি সেখানে বসতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতে নিষেধ করেছেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন, কোন লোক যেন তার হাত এমন কাপড়ে না মোছে যা
তাকে দেয়া হয়নি।৪৮২৫
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৭০১।
৪৮২৫ আহমাদ।
সানাদে আবূ হুরাইরার মুক্তদাস আবূ ‘আবদুল্লাহ রয়েছে। হাফিয বলেনঃ তিনি মাজহুল (অজ্ঞাত)।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮২৮
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ
شُعْبَةَ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْخَصِيبِ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَقَامَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ مَجْلِسِهِ فَذَهَبَ لِيَجْلِسَ فِيهِ فَنَهَاهُ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو الْخَصِيبِ اسْمُهُ
زِيَادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলে অন্য লোক তার জন্য তার স্থান হতে উঠে দাঁড়ালো।
সে সেখানে বসার জন্য যেতে থাকলে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বারণ
করলেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৯
যার সংস্পর্শে বসা
উচিত
৪৮২৯
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَثَلُ الْمُؤْمِنِ
الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ الأُتْرُجَّةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا
طَيِّبٌ وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ
التَّمْرَةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَلاَ رِيحَ لَهَا وَمَثَلُ الْفَاجِرِ الَّذِي
يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ
وَمَثَلُ الْفَاجِرِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الْحَنْظَلَةِ
طَعْمُهَا مُرٌّ وَلاَ رِيحَ لَهَا وَمَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ كَمَثَلِ
صَاحِبِ الْمِسْكِ إِنْ لَمْ يُصِبْكَ مِنْهُ شَىْءٌ أَصَابَكَ مِنْ رِيحِهِ
وَمَثَلُ جَلِيسِ السُّوءِ كَمَثَلِ صَاحِبِ الْكِيرِ إِنْ لَمْ يُصِبْكَ مِنْ
سَوَادِهِ أَصَابَكَ مِنْ دُخَانِهِ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মু’মিন কুরআন পড়ে তার উদাহরণ হলো কমলা-লেবু, যার ঘ্রাণ
স্নিগ্ধ এবং স্বাদ উত্তম। আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হলো খেজুর, যা সুস্বাদু
কিন্তু ঘ্রাণহীন। আর যে গুনাহগার ব্যক্তি কুরআন পড়ে তার উদাহরণ লতাগুল্ম, যার
ঘ্রাণ স্নিগ্ধ কিন্তু স্বাদ তিক্ত। পক্ষান্তরে, যে গুনাহগার ব্যক্তি কুরআন পড়ে না
তার উদাহরণ হানযালা বৃক্ষের ফল, যার স্বাদ তিক্ত কিন্তু গন্ধ নেই। আর সৎলোকের
সংসর্গ হলো কস্তুরী বিক্রেতার সদৃশ, তুমি কস্তুরী না পেলেও তার সুবাস পাবে এবং অসৎ
লোকের সংসর্গ হলো কামারের সদৃশ। যদিও কালি ও ময়লা না লাগে, তবে ধোঁয়া হতে রক্ষা
পাবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৩০
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - الْمَعْنَى - ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ،
حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي
مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْكَلاَمِ الأَوَّلِ إِلَى
قَوْلِهِ " وَطَعْمُهَا مُرٌّ " . وَزَادَ ابْنُ مُعَاذٍ قَالَ
قَالَ أَنَسٌ وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ مَثَلَ جَلِيسِ الصَّالِحِ وَسَاقَ
بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
সৎ সঙ্গীর দৃষ্টান্ত হলো... অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৩১
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ،
عَنْ شُبَيْلِ بْنِ عَزْرَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " مَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ " . فَذَكَرَ
نَحْوَهُ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
সৎ সঙ্গীর দৃষ্টান্ত হলো... অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৩২
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ
شُرَيْحٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ غَيْلاَنَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي
سَعِيدٍ، أَوْ عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُصَاحِبْ إِلاَّ مُؤْمِنًا وَلاَ يَأْكُلْ
طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِيٌّ " .
আবূ সাঈদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তুমি মু’মিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হবে না এবং তোমার খাদ্য যেন
পরহেযগার লোকে খায়।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৩৩
حَدَّثَنَا
ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَأَبُو دَاوُدَ قَالاَ حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرَّجُلُ عَلَى
دِينِ خَلِيلِهِ فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ مَنْ يُخَالِلُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
মানুষ তার বন্ধুর রীতিনীতির অনুসারী হয়। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ্য করে,
সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৩৪
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
جَعْفَرٌ، - يَعْنِي ابْنَ بُرْقَانَ - عَنْ يَزِيدَ، - يَعْنِي ابْنَ الأَصَمِّ -
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ قَالَ " الأَرْوَاحُ جُنُودٌ
مُجَنَّدَةٌ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ
" .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন, আত্মাসমূহ দলবদ্ধ ছিল। যার সঙ্গে পরিচয় ছিল তার সঙ্গে তার
বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয় এবং যাদের মধ্যে পরিচয় ছিল না তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২০
ঝগড়া করা নিন্দনীয়
৪৮৩৫
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدُ
بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِهِ
فِي بَعْضِ أَمْرِهِ قَالَ " بَشِّرُوا وَلاَ تُنَفِّرُوا وَيَسِّرُوا
وَلاَ تُعَسِّرُوا " .
আবূ মূসা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যখন তাঁর কোন সাহাবীকে কোন কাজে প্রেরণ করতেন তখন তাকে নির্দেশ
দিতেনঃ তোমরা লোকদেরকে সুসংবাদ দিবে, দূরে ঠেলে দিবে না, আর সহজ করবে, কঠিন করবে
না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৩৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ
بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ قَائِدِ السَّائِبِ، عَنِ السَّائِبِ،
قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلُوا يُثْنُونَ عَلَىَّ
وَيَذْكُرُونِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا
أَعْلَمُكُمْ " . يَعْنِي بِهِ . قُلْتُ صَدَقْتَ بِأَبِي أَنْتَ
وَأُمِّي كُنْتَ شَرِيكِي فَنِعْمَ الشَّرِيكُ كُنْتَ لاَ تُدَارِي وَلاَ تُمَارِي
.
আস-সায়িব (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তখন সাহাবীরা আমার প্রশংসা করতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ আমি তার সম্বন্ধে তোমাদের চেয়ে বেশি
জ্ঞাত। আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আপনি সত্য বলেছেন, আপনি আমার
(সফর) সঙ্গী ছিলেন। আপনি কতো উত্তম সঙ্গী! আপনি না আমার বিরোধিতা করছেন; আর না
আমার সঙ্গে ঝগড়া করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২১
কথা বলার আদব-কায়দা
৪৮৩৭
حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، -
يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ
عُتْبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ سَلاَمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
إِذَا جَلَسَ يَتَحَدَّثُ يُكْثِرُ أَنْ يَرْفَعَ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ .
ইউসুফ ইবনু
‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলাপকালে প্রায়ই চোখ তুলে আকাশের
দিকে তাকাতেন। [৪৮৩৫]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৭৬৮।
[৪৮৩৫]
আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এর দোষ হলো সানাদের মুহাম্মাদ বিন ইসহাক্ব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮৩৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ
سَمِعْتُ شَيْخًا، فِي الْمَسْجِدِ يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ،
يَقُولُ كَانَ فِي كَلاَمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرْتِيلٌ أَوْ
تَرْسِيلٌ .
মিস‘আর (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একজন শাইখকে মাসজিদের মধ্যে
বলতে শুনেছি, আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট ও ধীর গতিসম্পন্ন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৩৯
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ
سُفْيَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ،
رَحِمَهَا اللَّهُ قَالَتْ كَانَ كَلاَمُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
كَلاَمًا فَصْلاً يَفْهَمُهُ كُلُّ مَنْ سَمِعَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর বক্তব্য ছিল সুস্পষ্ট, প্রত্যেক শ্রোতাই তাঁর বক্তব্য বুঝতে পারতো
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৪০
حَدَّثَنَا
أَبُو تَوْبَةَ، قَالَ زَعَمَ الْوَلِيدُ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قُرَّةَ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ كَلاَمٍ لاَ يُبْدَأُ فِيهِ بِـ
الْحَمْدُ لِلَّهِ فَهُوَ أَجْذَمُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ
يُونُسُ وَعُقَيْلٌ وَشُعَيْبٌ وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنِ
الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যেসব বক্তব্য আল্লাহর
প্রশংসার সঙ্গে শুরু করা হয় না তা হয় পঙ্গু। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি
ইউনুস...যুহরী (রহঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে মুরসালভাবে
বর্ণনা করেছেন।৪৮৩৮
দুর্বলঃ ইরওয়া হা/২।
৪৮৩৮ নাসায়ীর
‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, আহমাদ, ইবনু হিব্বান। বর্ণনাটি মুরসাল। যেমন ইমাম আবূ
দাউদ বলেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-২২
খুত্ববাহ সম্পর্কে
৪৮৪১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ
زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ خُطْبَةٍ لَيْسَ فِيهَا
تَشَهُّدٌ فَهِيَ كَالْيَدِ الْجَذْمَاءِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
যে বক্তৃতায় আল্লাহর একত্ব ও রিসালাতের সাক্ষ্য থাকে না তা পঙ্গু হাতের ন্যায়।
[৪৮৩৯]
[৪৮৩৯]
তিরমিযি, আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৩
লোকদের সাথে
পদমর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করা
৪৮৪২
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ الْيَمَانِ،
أَخْبَرَهُمْ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ
بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، أَنَّ عَائِشَةَ [رضى الله عنها] مَرَّ بِهَا سَائِلٌ
فَأَعْطَتْهُ كِسْرَةً وَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ عَلَيْهِ ثِيَابٌ وَهَيْئَةٌ
فَأَقْعَدَتْهُ فَأَكَلَ فَقِيلَ لَهَا فِي ذَلِكَ فَقَالَتْ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنْزِلُوا النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ "
. قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ يَحْيَى مُخْتَصَرٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
مَيْمُونٌ لَمْ يُدْرِكْ عَائِشَةَ .
মাইমূন ইবনু আবূ
শাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক ভিক্ষুক
‘আয়িশাহর (রাঃ) নিকট এলে তিনি তাকে এক টুকরা রুটি দিলেন এবং পোষাক পরিহিত সুন্দর
চেহারাবিশিষ্ট আরেক ব্যক্তি এলে তিনি তাকে বসালেন এবং খেতে দিলেন। এ ব্যাপারে
প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা মানুষের সঙ্গে তাদের মর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করো। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ)
বলেন, মাইমূন (রহঃ) ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সাক্ষাৎ পাননি।৪৮৪০
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৮৯৪।
৪৮৪০ আবূ
দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদের মাইমূন হাদীসটি ‘আয়িশাহ হতে শুনেননি। সুতরাং
সানাদ মুনকাতি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮৪৩
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
حُمْرَانَ، أَخْبَرَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ
مِخْرَاقٍ، عَنْ أَبِي كِنَانَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ إِجْلاَلِ اللَّهِ
إِكْرَامَ ذِي الشَّيْبَةِ الْمُسْلِمِ وَحَامِلِ الْقُرْآنِ غَيْرِ الْغَالِي
فِيهِ وَالْجَافِي عَنْهُ وَإِكْرَامَ ذِي السُّلْطَانِ الْمُقْسِطِ " .
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা, কুরআনের ধারক-বাহক ও
ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের
অন্তর্ভুক্ত।৪৮৪১
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-২৪
দুই ব্যক্তির মাঝে
তাদের অনুমতি ছাড়া বসা সম্পর্কে
৪৮৪৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ
حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ،
- قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُجْلَسُ بَيْنَ رَجُلَيْنِ إِلاَّ
بِإِذْنِهِمَا " .
‘আমর ইবনু শু’আইব
(রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা এবং তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ উভয়ের অনুমতি ছাড়া কেউ দু’ব্যক্তির মাঝখানে বসবে না। [৪৮৪২]
[৪৮৪২]
আত-তারগীব ওয়াত তারহীব।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৪৫
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ
إِلاَّ بِإِذْنِهِمَا " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ উভয়ের অনুমতি ছাড়া (একত্রে বসা) দুই ব্যক্তিকে পৃথক করা কারোর জন্য বৈধ নয়
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-২৫
কিভাবে বসা উচিৎ
৪৮৪৬
حَدَّثَنَا
سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ رُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا جَلَسَ احْتَبَى بِيَدِهِ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ شَيْخٌ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ
.
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর হাটুদ্বয় খাড়া করে তা স্বীয় হাত দ্বারা পেঁচিয়ে ধরে বসতেন। ইমাম আবূ
দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইবরাহীম হাদীস শাস্ত্রে প্রত্যাখ্যাত
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৪৭
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَتْنِي جَدَّتَاىَ، صَفِيَّةُ
وَدُحَيْبَةُ ابْنَتَا عُلَيْبَةَ - قَالَ مُوسَى بِنْتُ حَرْمَلَةَ - وَكَانَتَا
رَبِيبَتَىْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ وَكَانَتْ جَدَّةَ أَبِيهِمَا أَنَّهَا
أَخْبَرَتْهُمَا أَنَّهَا، رَأَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَاعِدٌ
الْقُرْفُصَاءَ فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
الْمُخْتَشِعَ - وَقَالَ مُوسَى الْمُتَخَشِّعَ فِي الْجِلْسَةِ - أُرْعِدْتُ مِنَ
الْفَرَقِ .
ক্বাইলাহ বিনতু
মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে তাঁর হাঁটুদ্বয় খাড়া করে তা দুই হাত দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে বসতে দেখেছেন।
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিনীতভাবে বসা
দেখে ভয়ে শিউরে উঠি
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৬
দৃষ্টিকটুভাবে বসা
৪৮৪৮
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ،
عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ
الشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَأَنَا جَالِسٌ هَكَذَا وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ الْيُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي
وَاتَّكَأْتُ عَلَى أَلْيَةِ يَدِي فَقَالَ " أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ
الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ " .
শারীদ ইবনু সুওয়াইদ
(রাঃ) হতে তার পিতা শারিদ ইবনু সুওয়াইদ (রাঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি আমার বাম হাত পিঠে নিয়ে
তার পাতার উপর বসেছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি
তাদের মতো বসছো, যারা অভিশপ্ত। [৪৮৪৬]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৭
ইশার সলাতের পর
আলোচনা সম্পর্কে
৪৮৪৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَوْفٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو
الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَنْهَى عَنِ النَّوْمِ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثِ بَعْدَهَا .
আবূ বারযাহ(রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)ইশার সলাতের পূর্বে ও সলাতের পর কথাবার্তা বলতে বারণ করতেন
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৮
যে ব্যক্তি চার হাঁটু
হয়ে বসে
৪৮৫০
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ
تَرَبَّعَ فِي مَجْلِسِهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسْنَاءَ .
জাবির ইবনু সামুরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)ফজরের সলাত শেষ করে চার জানু হয়ে স্বস্থানে বসে থাকতেন সূর্য
সম্পূর্ণরূপে উদিত হওয়া পর্যন্ত
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৯
কানাঘুষা করা
৪৮৫১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - يَعْنِي ابْنَ
سَلَمَةَ - عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ
يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَنْتَجِي اثْنَانِ دُونَ
الثَّالِثِ فَإِنَّ ذَلِكَ يُحْزِنُهُ " .
আবদুল্লাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুই ব্যক্তি যেন তাদের অপর (তৃতীয়) সঙ্গীকে (একা) রেখে চুপি
চুপি কথা না বলে। কারণ তা তাকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলতে পারে
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৫২
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي
صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو صَالِحٍ فَقُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ فَأَرْبَعَةٌ قَالَ لاَ
يَضُرُّكَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ….উপরের হাদীসের অনূরূপ। আবূ সালিহ (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু
‘উমার (রাঃ) কে বললাম, চার ব্যক্তি হলে? তিনি বললেন, তবে তোমার কোন ক্ষতি নেই
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩০
কেউ স্বীয় বসার স্থান
হতে উঠে গিয়ে পুনরায় ফিরে এলে
৪৮৫৩
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي
صَالِحٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَبِي جَالِسًا وَعِنْدَهُ غُلاَمٌ فَقَامَ ثُمَّ
رَجَعَ فَحَدَّثَ أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " إِذَا قَامَ الرَّجُلُ مِنْ مَجْلِسٍ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ
فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ " .
সুহাইল ইবনু আবূ
সালিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার নিকট বসা ছিলাম, তখন
তার নিকট একটি বালকও ছিল।অতঃপর সে সেখানে হতে চলে গিয়ে আবার ফিরে এলো। আমার পিতা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি বৈঠক হতে চলে যাওয়ার পর প্রত্যাবর্তন করে তাহলে
সে পূর্বের স্থানে বসার অধিক হকদার
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৫৪
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ الْحَلَبِيُّ، عَنْ
تَمَّامِ بْنِ نَجِيحٍ، عَنْ كَعْبٍ الإِيَادِيِّ، قَالَ كُنْتُ أَخْتَلِفُ إِلَى
أَبِي الدَّرْدَاءِ فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم إِذَا جَلَسَ وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ فَقَامَ فَأَرَادَ الرُّجُوعَ نَزَعَ
نَعْلَيْهِ أَوْ بَعْضَ مَا يَكُونُ عَلَيْهِ فَيَعْرِفُ ذَلِكَ أَصْحَابُهُ
فَيَثْبُتُونَ .
কা‘বা আল-ইয়াদী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমারা আবূ
দারদা (রাঃ) এর সাক্ষাতে যেতাম। আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথাও বসতেন এবং আমরাও তাঁর চারপাশে বসতাম।
অতঃপর তিনি বৈঠক হতে উঠে গেলে এবং পুনরায় প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা থাকলে তাঁর জুতা
জোড়া বা অন্য কিছু রেখে যেতেন। এর দ্বারা তাঁর সাহাবীগণ তাঁর ফিরে আসার ইচ্ছা
জানতে পারতেন এবং বৈঠকে বসে অপেক্ষায় থাকতেন।৪৮৫২
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৭০২।
৪৮৫২বায়হাক্বী।
সানাদে মুবাশ্শির বিন ইসমাঈল রয়েছে। তাকে ইবনু মাঈন ও অন্যরা সিকাহ বলেছেন। আর ইমাম
বুখারী ও অন্যরা তাকে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩১
আল্লাহর যিকির না
করেই কারো মাজলিস হতে উঠে যাওয়ার অপছন্দনীয়
৪৮৫৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ
قَوْمٍ يَقُومُونَ مِنْ مَجْلِسٍ لاَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ فِيهِ إِلاَّ قَامُوا
عَنْ مِثْلِ جِيفَةِ حِمَارٍ وَكَانَ لَهُمْ حَسْرَةً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কওমের লোকেরা কোন সমাবেশে একত্রিত হওয়ার পর চলে যাবার
সময় তাতে আল্লাহকে স্মরণ না করেই চলে গেলে তা যেন গাধার শবদেহ। তা তাদের জন্য
পরিতাপের কারণ হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৫৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ
سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَعَدَ مَقْعَدًا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ
فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ تِرَةً وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لاَ
يَذْكُرُ اللَّهَ فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ تِرَةً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন স্থানে বসলো অথচ আল্লাহকে স্মরণ করলো না, তার
জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে লাঞ্ছনা। আর যে ব্যক্তি কোথাও শয়ন করার পর আল্লাহর নাম নিলো
না তার জন্যও আল্লাহর পক্ষ হতে লাঞ্ছনা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩২
মাজলিসের কাফফারাহ
সম্পর্কে
৪৮৫৭
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو،
أَنَّ سَعِيدَ بْنَ أَبِي هِلاَلٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ أَبِي سَعِيدٍ
الْمَقْبُرِيَّ حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ،
أَنَّهُ قَالَ كَلِمَاتٌ لاَ يَتَكَلَّمُ بِهِنَّ أَحَدٌ فِي مَجْلِسِهِ عِنْدَ
قِيَامِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ إِلاَّ كُفِّرَ بِهِنَّ عَنْهُ وَلاَ يَقُولُهُنَّ فِي
مَجْلِسِ خَيْرٍ وَمَجْلِسِ ذِكْرٍ إِلاَّ خُتِمَ لَهُ بِهِنَّ عَلَيْهِ كَمَا
يُخْتَمُ بِالْخَاتَمِ عَلَى الصَّحِيفَةِ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ .
আব্দুল্লাহ ইবনু
আ’মর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কিছু
বাক্য যা কোন ব্যক্তি মাজলিস হতে উঠার সময় তিনবার উচ্চারণ করলে তা তার ঐ মাজলিসের
কাফফারাহ হবে। আর যদি উক্ত বাক্যগুলো কোন উত্তম মাজলিসে ও যিকিরের মাজলিসে পাঠ করে
তাহলে পুস্তিকায় সীল মোহর করার মতই তা তার জন্য স্থায়িত্ব লাভ করে। বাক্যগুলো হলো “সুবাহানকা
আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা”। হে
আল্লাহ! মহিমা আপনার, আমি আপনার প্রশংসা সহকারে শুরু করছি। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ
নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং অনুতপ্ত হয়ে আপনার নিকট ফিরে আসছি।৪৮৫৪
সহীহ। তবে “তিনবার” কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৫৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ عَمْرٌو
وَحَدَّثَنِي بِنَحْوِ، ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو عَنِ
الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
مِثْلَهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৫৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْجَرْجَرَائِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، -
الْمَعْنَى - أَنَّ عَبْدَةَ بْنَ سُلَيْمَانَ، أَخْبَرَهُمْ عَنِ الْحَجَّاجِ
بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ
الأَسْلَمِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
بِأَخَرَةٍ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ " سُبْحَانَكَ
اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ
وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ
لَتَقُولُ قَوْلاً مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا مَضَى . قَالَ "
كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ فِي الْمَجْلِسِ " .
আবূ বারযাহ
আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যখন কোন বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বলতেন “সুবাহানকা
আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু
ইলাইকা”। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এখন আপনি যে বাক্য পাঠ করলেন তা তো
ইতোপূর্বে আপনি পাঠ করেননি? তিনি বললেন, মাজলিসে যা কিছু (ভুলক্রটি) হয়ে থাকে
একথাগুলো তার কাফফারাহ গণ্য হবে।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৩৩
মাজলিসে কারো
বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ
৪৮৬০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ
إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْوَلِيدِ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَنَسَبَهُ لَنَا زُهَيْرُ
بْنُ حَرْبٍ - عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، فِي هَذَا
الْحَدِيثِ - قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي هِشَامٍ - عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدٍ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لاَ يُبَلِّغْنِي أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِي عَنْ أَحَدٍ شَيْئًا
فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْكُمْ وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীগণের কেউ যেন
অপর সাহাবী সম্পর্কে আমার নিকট কোন অভিযোগ না করে। কারণ আমি তোমাদের নিকট প্রশান্ত
অন্তরে আসতে পছন্দ করি।
দুর্বল- মিশকাত হা/৪৮৫।
তিরমিযী।
সহীহ ও যঈফ সুনানে আবু দাউদ ৫ম খন্ড ৫০৯ পৃষ্টা, অনুচ্ছেদ-৩৩ :মাজলিসে কারো বিরুদ্ধে
অভিযোগ পেশ। আল্লামা আলবানী একাডেমী প্রকাসীত।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৪
মানুষ সম্পর্কে
সাবধানতা
৪৮৬১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ
سَيَّارٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِيهِ
ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عِيسَى بْنِ مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو
بْنِ الْفَغْوَاءِ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَرَادَ أَنْ يَبْعَثَنِي بِمَالٍ إِلَى أَبِي
سُفْيَانَ يَقْسِمُهُ فِي قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ بَعْدَ الْفَتْحِ فَقَالَ "
الْتَمِسْ صَاحِبًا " . قَالَ فَجَاءَنِي عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ
الضَّمْرِيُّ فَقَالَ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُرِيدُ الْخُرُوجَ وَتَلْتَمِسُ صَاحِبًا
. قَالَ قُلْتُ أَجَلْ . قَالَ فَأَنَا لَكَ صَاحِبٌ . قَالَ فَجِئْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ قَدْ وَجَدْتُ صَاحِبًا . قَالَ
فَقَالَ " مَنْ " . قُلْتُ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ
. قَالَ " إِذَا هَبَطْتَ بِلاَدَ قَوْمِهِ فَاحْذَرْهُ فَإِنَّهُ قَدْ
قَالَ الْقَائِلُ أَخُوكَ الْبِكْرِيُّ وَلاَ تَأْمَنْهُ " . فَخَرَجْنَا
حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِالأَبْوَاءِ قَالَ إِنِّي أُرِيدُ حَاجَةً إِلَى قَوْمِي
بِوَدَّانَ فَتَلْبَثُ لِي قُلْتُ رَاشِدًا فَلَمَّا وَلَّى ذَكَرْتُ قَوْلَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَدَدْتُ عَلَى بَعِيرِي حَتَّى خَرَجْتُ
أُوضِعُهُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِالأَصَافِرِ إِذَا هُوَ يُعَارِضُنِي فِي رَهْطٍ
قَالَ وَأَوْضَعْتُ فَسَبَقْتُهُ فَلَمَّا رَآنِي قَدْ فُتُّهُ انْصَرَفُوا
وَجَاءَنِي فَقَالَ كَانَتْ لِي إِلَى قَوْمِي حَاجَةٌ . قَالَ قُلْتُ أَجَلْ
وَمَضَيْنَا حَتَّى قَدِمْنَا مَكَّةَ فَدَفَعْتُ الْمَالَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ
.
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর ইবনু ফাগওয়া আল-খুযাঈ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ডাকলেন। তিনি মক্কা বিজয়ের
পর কুরাইশদের মধ্যে কিছু সম্পদ বন্টনের জন্য আমাকে আবূ সুফিয়ানের (রাঃ) নিকট
প্রেরণের ইচ্ছা করলেন। তিনি বললেন, তুমি একজন সঙ্গী যোগাড় করো। বর্ণনাকারী বলেন,
‘আমর ইবনু উমাইয়াহ আদ-দামরী আমার নিকট এসে বললেন, অবগত হলাম, আপনি সফরে যেতে চান
এবং একজন সঙ্গী খুঁজছেন। তিনি বললেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আমিই সঙ্গী।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
নিকট গিয়ে জানালাম, আমি একজন সাথী পেয়েছি তিনি তার পরিচয় জানতে চাইলে আমি বললাম,
আমর ইবনু উমাইমাহ আদ-দামরী। তিনি বললেন, তুমি যখন তার গোত্রের এলাকায় পৌঁছবে তখন
তার ব্যাপারে খুব সাবধানতা অবলম্বন করবে। কেননা প্রবাদ আছে “আপন ভাইকেও নিজের জন্য
নিরাপদ ভেবো না”। অতঃপর আমরা যাত্রা করে আল-আবওয়া নামক স্থানে পৌঁছলে আমর ইবনু
উমাইয়াহ বললো, আমি আমার গোত্রের নিকট এক দরকারে যাচ্ছি। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা
করো। আমি বললাম আপনি যান, কিন্তু যেন রাস্তা ভুলে না যান। তিনি চলে যাবার পর
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাবধানবাণী মনে পড়ে গেলো, তখনই
আমি আমার হাওদা উটের উপর শক্ত করে বেঁধে তাড়াহুড়া করে দ্রুত আল-আসাফ নামক স্থানে
পৌছলে তিনিও দলবল নিয়ে আমার পিছু নিলেন। আমি অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে তাদেরকে পিছনে
ফেলে সামনে এগিয়ে গেলাম। ফলে তারা ফিরে গেলো। আমর ইবনু উমাইয়াহ আমার নিকট এসে
বললো,গোত্রের লোকদের নিকট আমার দরকারী কাজ ছিলো। আমি বললাম হ্যাঁ। এরপর আমরা সামনে
অগ্রসর হয়ে মাক্কাহয় পৌঁছলাম এবং আবূ সুফিয়ানের নিকট মালগুলো হস্তান্তর করলাম। ৪৮৫৯
দুর্বল : যঈফাহ হা/১২০৫
আহমাদ।
সানাদে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন ফাগওয়া খুযাঈ রয়েছে। ইমাম যাহাবী মীযান গ্রন্থে বলেন
তাকে চেনা যায়নি। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন : মাসতূর(লুপ্ত)। সহীহ ও যঈফ সুনানে
আবু দাউদ ৫ম খন্ড ৫১০ পৃষ্টা, অনুচ্ছেদ-৩৪: মানুষ সম্পর্কে সাবধানতা। আল্লামা আলবানী
একাডেমী প্রকাসীত।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮৬২
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ وَاحِدٍ
مَرَّتَيْنِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু‘ আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তি একই গর্তে দুইবার দংশিত হয় না
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৫
হাঁটার নিয়ম
৪৮৬৩
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ
كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَشَى كَأَنَّهُ يَتَوَكَّأُ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) যখন পথ চলতেন তখন মনে হতো তিনি যেন সামনে ঝুঁকে হাঁটছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৬৪
حَدَّثَنَا
حُسَيْنُ بْنُ مُعَاذِ بْنِ خُلَيْفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا
سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ كَيْفَ رَأَيْتَهُ قَالَ كَانَ أَبْيَضَ مَلِيحًا
إِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَهْوِي فِي صَبُوبٍ .
আবুত তুফাইল (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কে আমি দেখেছি। আমি বললাম,কেমন দেখেছেন? তিনি বললেন সাদা রং মিশ্রিত
ও সুদর্শন। আর তিনি যখন হাঁটতেন তখন মনে হতো, তিনি যেন নীচু স্থানে নামছেন।৪৮৬২
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৬
এক পায়ের উপর অপর পা
রাখা
৪৮৬৫
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ
إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَضَعَ - وَقَالَ قُتَيْبَةُ
يَرْفَعَ الرَّجُلُ إِحْدَى - رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى - زَادَ قُتَيْبَةُ -
وَهُوَ مُسْتَلْقٍ عَلَى ظَهْرِهِ .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এক পায়ের উপর অন্য পা রাখতে বারণ করেছেন। কুতাইবাহর (রাঃ) বর্ণনায়
রয়েছে: কোন ব্যক্তি যেন তার এক পায়ের উপর অপর পা না উঠায়। কুতাইবাহর (রাঃ) বর্ণনায়
আরো রয়েছেঃ অর্থাৎ চিৎ হয়ে শোয়া অবস্থায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৬৬
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ
مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ
رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَلْقِيًا - قَالَ الْقَعْنَبِيُّ -
فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى .
আব্বাস ইবনু তামীম
(রহঃ) হতে তার চাচার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে মাসজিদে তাঁর এক পায়ের উপর অপর পা রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৬৭
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ
الْمُسَيَّبِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رضى الله عنه وَعُثْمَانَ بْنَ
عَفَّانَ كَانَا يَفْعَلاَنِ ذَلِكَ .
সাঈদ ইবনুল
মুসাইয়াব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনুল খাত্তাব ও
উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) উভয়েই তা করতেন।
সানাদ সহীহ ‘উসমান সূত্রে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৭
কথাও এক ধরনের আমানত
৪৮৬৮
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا
ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ
بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا حَدَّثَ الرَّجُلُ
بِالْحَدِيثِ ثُمَّ الْتَفَتَ فَهِيَ أَمَانَةٌ " .
জাবির ইবনু
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি কোন কথা বলার পর মুখ ঘুরালে (কেউ শুনেছে কিনা তা
দেখলে) তা আমানতস্বরূপ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৬৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ قَالَ
أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ ابْنِ أَخِي، جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " الْمَجَالِسُ بِالأَمَانَةِ إِلاَّ ثَلاَثَةَ مَجَالِسَ سَفْكُ
دَمٍ حَرَامٍ أَوْ فَرْجٌ حَرَامٌ أَوِ اقْتِطَاعُ مَالٍ بِغَيْرِ حَقٍّ "
.
জাবির ইবনু
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল মাজলিস আমানতস্বরূপ,
তবে তিনটি মাজলিস ব্যতীত (১) অবৈধভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত মাজলিস অথবা
(২) যেনার মাজলিস অথবা (৩) অন্যায়ভাবে সম্পদ আত্মসাত করার মাজলিস।৪৮৬৭
দুর্বল ; যঈফাহ হা/১৯০৯।
সানাদে
জাবিরের ভাতিজার জাহালাতের কারণে এর সানাদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮৭০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، قَالاَ
أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُمَرَ، - قَالَ إِبْرَاهِيمُ هُوَ عُمَرُ بْنُ
حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الأَمَانَةِ عِنْدَ
اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي
إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا " .
আব্দুর রহমান ইবনু
সা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে
বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের
দিন মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বড় আমানত হবে স্বামী স্ত্রীর পরস্পর যৌন সম্ভোগ
সম্পর্কিত বিষয়। যে গোপনীয় বিষয় স্বামী প্রকাশ করে দিলো। ৪৮৬৮
সানাদের
আমর ইবনু হামযাহ সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীর গ্রন্থে বলেন : দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৮
চোগলখোর
৪৮৭১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو
مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ
حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৯
দ্বিমুখী চরিত্রের
লোক সম্পর্কে
৪৮৭২
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِنْ
شَرِّ النَّاسِ ذُو الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ
بِوَجْهٍ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ হলো দ্বিমুখী চরিত্রের লোক। তারা এক দলের নিকট এক
চেহারা নিয়ে এবং অপর দলের নিকট অন্য চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৭৩
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الرُّكَيْنِ بْنِ
الرَّبِيعِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ عَمَّارٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ لَهُ وَجْهَانِ فِي الدُّنْيَا
كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ " .
আম্মার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়াতে দ্বিমুখী স্বভাবের লোকের ক্বিয়ামতের দিন আগুনের
দু’টি জিহ্বা হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪০
গীবত সম্পর্কে
৪৮৭৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، -
يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
أَنَّهُ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْغِيبَةُ قَالَ " ذِكْرُكَ
أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ " . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا
أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ
لَمْ يَكُنْ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدْ بَهَتَّهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) -কে প্রশ্ন করা হলো, গীবত কী? তিনি বললেন, তোমরা ভাইয়ের ব্যাপারে তোমার
এমন কিছু বলা যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হয়। পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলি তা যদি
আমার ভাইয়ের মধ্যে বর্তমান থাকে? তিনি বললেন, তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে থাকে
তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি
তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৭৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ
الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم حَسْبُكَ مِنْ صَفِيَّةَ كَذَا وَكَذَا قَالَ غَيْرُ مُسَدَّدٍ
تَعْنِي قَصِيرَةً . فَقَالَ " لَقَدْ قُلْتِ كَلِمَةً لَوْ مُزِجَتْ
بِمَاءِ الْبَحْرِ لَمَزَجَتْهُ " . قَالَتْ وَحَكَيْتُ لَهُ إِنْسَانًا
فَقَالَ " مَا أُحِبُّ أَنِّي حَكَيْتُ إِنْسَانًا وَأَنَّ لِي كَذَا
وَكَذَا " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) –কে বললাম, সাফিয়্যাহ (রাঃ)-এর ব্যাপারে আপনার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে,
সে এরূপ অর্থাৎ তিনি খাটো। তিনি বললেনঃ তুমি এমন একটি কথা বলেছো, যা সমুদ্রে
মিশিয়ে দিলে তাতে সমুদ্রের রং পাল্টে যাবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে
অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নকল করলাম। তিনি বললেন, আমাকে এতো এতো সম্পদ দেয়া হলেও আমি
কারো অনুকরণ পছন্দ করবো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৭৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي حُسَيْنٍ، حَدَّثَنَا نَوْفَلُ بْنُ
مُسَاحِقٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِنَّ مِنْ أَرْبَى الرِّبَا الاِسْتِطَالَةَ فِي عِرْضِ الْمُسْلِمِ
بِغَيْرِ حَقٍّ " .
সাঈদ ইবনু যায়িদ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
অন্যায়ভাবে কোন মুসলিমের মানসম্মানে হস্তক্ষেপ করা ব্যাপকতর সুদের অন্তর্ভুক্ত
(মহাপাপ)। [আহমাদ]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৭৭
حَدَّثَنَا
جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ
حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ اسْتِطَالَةَ الْمَرْءِ فِي عِرْضِ رَجُلٍ
مُسْلِمٍ بِغَيْرِ حَقٍّ وَمِنَ الْكَبَائِرِ السَّبَّتَانِ بِالسَّبَّةِ "
.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অন্যায়ভাবে কোন মুসলিমের মানসম্মানে আঘাত হানা কবীরাহ
গুনাহের অন্তর্ভুক্ত এবং একবার গালি দেওয়ার পরিবর্তে দুইবার গালি দেয়াও কবীরাহ
গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।৪৮৭৫
৪৮৭৫ আবূ
দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮৭৮
حَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، وَأَبُو الْمُغِيرَةِ، قَالاَ
حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ
أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ
هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ
وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَاهُ
يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بَقِيَّةَ لَيْسَ فِيهِ أَنَسٌ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মি’রাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম
যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আঁচড়
মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল ! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের
গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৭৯
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ أَبِي عِيسَى السَّيْلَحِينِيُّ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، كَمَا
قَالَ ابْنُ الْمُصَفَّى .
আবুল মুগীরাহ (রহঃ)
সূত্রে ইবনুল মুসাফ্ফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুল মুগীরাহ (রহঃ)
সূত্রে ইবনুল মুসাফ্ফা (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত। [৪৮৭৭]
আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।
[৪৮৭৭]
এর পূর্বেরটি দেখুন ।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৪৮৮০
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ
يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا
عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعِ اللَّهُ
عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي بَيْتِهِ "
.
আবূ বারযাহ
আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে
প্রবেশ করেনি ! তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ
যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ
কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৪৮৮১
حَدَّثَنَا
حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ ابْنِ
ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ وَقَّاصِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ
الْمُسْتَوْرِدِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ أَكَلَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ أَكْلَةً فَإِنَّ اللَّهَ يُطْعِمُهُ
مِثْلَهَا مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ كُسِيَ ثَوْبًا بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَإِنَّ
اللَّهَ يَكْسُوهُ مِثْلَهُ مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ قَامَ بِرَجُلٍ مَقَامَ
سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَقُومُ بِهِ مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ
يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
আল-মুসতাওরিদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের গীবত করে এক লোকমা ভক্ষণ করবে আল্লাহ
তাকে এজন্য জাহান্নাম হতে সমপরিমাণ ভক্ষণ করাবেন। আর যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের
দোষত্রুটি বর্ণনার পোশাক পরবে আল্লাহ তাকে অনুরূপ জাহান্নামের পোশাক পরাবেন। আর যে
ব্যক্তি অপর ব্যক্তির (কুৎসা) রটিয়ে খ্যাতি ও প্রদর্শনীর স্তরে পৌঁছবে, মহান
আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তাকে ঐ খ্যাতি ও প্রদর্শনীর জায়গাতেই (জাহান্নামে) স্থান
দিবেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৮২
حَدَّثَنَا
وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ
هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ
الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ مَالُهُ وَعِرْضُهُ وَدَمُهُ حَسْبُ
امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের সম্পদ, সম্মান ও জীবনের
হস্তক্ষেপ করা হারাম। কোন ব্যক্তির নিকৃষ্ট প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে,
সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪১
যে ব্যক্তি তাঁর
ভাইয়ের সম্মান রক্ষার্থে তাঁর পক্ষ নেয়
৪৮৮৩
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ بْنِ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ
الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ،
عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ
أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ " . أُرَاهُ قَالَ
" بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ
جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَىْءٍ يُرِيدُ شَيْنَهُ بِهِ حَبَسَهُ
اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ " .
সাহল ইবনু মু’আয
ইবনু আনাস আল্-জুহানী (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে মুনাফিক হতে রক্ষা করবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ
তার শরীর জাহান্নাম হতে রক্ষার জন্য একজন ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন
মুসলিমকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করবে তাকে মহান আল্লাহ জাহান্নামের
সেতুর উপর প্রতিরোধ ব্যবস্থা করবেন যতক্ষণ না তার কৃতকর্মের ক্ষতিপূরণ হয়।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৮৪
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا
اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ إِسْمَاعِيلَ
بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبَا، طَلْحَةَ
بْنَ سَهْلٍ الأَنْصَارِيَّ يَقُولاَنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَا مِنِ امْرِئٍ يَخْذُلُ امْرَأً مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ تُنْتَهَكُ
فِيهِ حُرْمَتُهُ وَيُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ إِلاَّ خَذَلَهُ اللَّهُ فِي
مَوْطِنٍ يُحِبُّ فِيهِ نُصْرَتَهُ وَمَا مِنِ امْرِئٍ يَنْصُرُ مُسْلِمًا فِي
مَوْضِعٍ يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ
إِلاَّ نَصَرَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ نُصْرَتَهُ " . قَالَ
يَحْيَى وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ
وَعُقْبَةُ بْنُ شَدَّادٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ هَذَا
هُوَ ابْنُ زَيْدٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ
بَشِيرٍ مَوْلَى بَنِي مَغَالَةَ وَقَدْ قِيلَ عُتْبَةُ بْنُ شَدَّادٍ مَوْضِعَ
عُقْبَةَ .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ ও আবূ ত্বালহা ইবনু সাহল আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের মান-ইজ্জত
নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে ত্যাগ করে , আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা হতে বিমূখ
থাকবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের মান-ইজ্জত
নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে
সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে। [৪৮৮২]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯৮৮৩।
[৪৮৮২]
আহমাদ ,ত্বাবারানী । সানাদে ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইম এবং ইসমাঈল বাশীর উভয়ে অজ্ঞাত ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪২
যে ব্যক্তির দোষ
চর্চা গীবত নয়
৪৮৮৫
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، مِنْ
كِتَابِهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ
اللَّهِ الْجُشَمِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا جُنْدُبٌ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ
فَأَنَاخَ رَاحِلَتَهُ ثُمَّ عَقَلَهَا ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى خَلْفَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَتَى رَاحِلَتَهُ فَأَطْلَقَهَا ثُمَّ رَكِبَ ثُمَّ نَادَى اللَّهُمَّ
ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تُشْرِكْ فِي رَحْمَتِنَا أَحَدًا . فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَقُولُونَ هُوَ أَضَلُّ أَمْ
بَعِيرُهُ أَلَمْ تَسْمَعُوا إِلَى مَا قَالَ " . قَالُوا بَلَى .
জুনদুব (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা এক বেদুঈন আসলো
এবং তার উট বসিয়ে তা রশি দিয়ে বেঁধে মাসজিদে প্রবেশ করলো এবং রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করলো। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালে সে তার উটের নিকট এসে তার বাঁধন
খুলে তাতে আরোহণ করলো, অতঃপর উচ্চ আওয়াজে বললো, হে আল্লাহ ! আমাকে ও মুহাম্মাদ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দয়া করুন এবং আমাদের দয়ার সঙ্গে কাউকে শরীক
করবেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বলো দেখি, সে
বেশি মূর্খ নাকি তার উট? সে কি বলেছে তোমরা কি তা শুনোনি? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ,
শুনেছি। [৪৮৮৩]
“ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বলো দেখি, সে বেশি মূর্খ
না তার উট? ...।” এ অংশটি বাদে বর্ণনাটি সহীহ।
অথবা দুর্বল, এ অংশে অতিরিক্ত যোগে : “ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ বলো দেখি, সে বেশি মূর্খ না তার উট? ...।”
[৪৮৮৩]
আহমাদ। বর্ণনাকারী জুরাইরীর শাইখ অজ্ঞাত ।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৪৩
কেউ কাউকে অপবাদ দিলে
সে তার জন্য বৈধ
৪৮৮৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ
قَتَادَةَ، قَالَ أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكُونَ، مِثْلَ أَبِي ضَيْغَمٍ -
أَوْ ضَمْضَمٍ شَكَّ ابْنُ عُبَيْدٍ - كَانَ إِذَا أَصْبَحَ قَالَ اللَّهُمَّ
إِنِّي قَدْ تَصَدَّقْتُ بِعِرْضِي عَلَى عِبَادِكَ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ কি আবূ দায়গাম বা আবূ
দামদাম-এর অনুরূপ হতে অপারগ? তিনি প্রত্যেক দিনের শুরুতে বলতেন : হে আল্লাহ ! আমি
আমার মান-সম্মানকে তোমাদের বান্দাদের জন্য সদাক্বাহ করলাম।
হাদিসের মানঃসহিহ মাকতু
৪৮৮৭
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكُونَ مِثْلَ أَبِي ضَمْضَمٍ " .
قَالُوا وَمَنْ أَبُو ضَمْضَمٍ قَالَ " رَجُلٌ فِيمَنْ كَانَ مِنْ
قَبْلِكُمْ " . بِمَعْنَاهُ قَالَ " عِرْضِي لِمَنْ شَتَمَنِي
" . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَ عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَمِّيِّ عَنْ ثَابِتٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسٌ
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَحَدِيثُ حَمَّادٍ أَصَحُّ .
আবদুর রহমান ইবনু
‘আজলান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কি আবূ
দামদামের অনুরূপ হতে অক্ষম? লোকেরা প্রশ্ন করলো, আবূ দামদাম কে? তিনি বলেন,
তোমাদের আগেকার জাতির এক ব্যক্তি... পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ। সে বললো, যে
ব্যক্তি আমাকে মন্দ করে তার জন্য আমার মান-ইজ্জত উৎসর্গিত।৪৮৮৫
যঈফঃ ইরওয়া হা/২৩৬৬।
৪৮৮৫ আবূ
দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে তাবেঈ ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আজলান এর অবস্থা
অজ্ঞাত। যেমন হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৪
ছিদ্রান্বেষণ নিষেধ
৪৮৮৮
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيُّ، وَابْنُ، عَوْفٍ - وَهَذَا لَفْظُهُ - قَالاَ
حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ
سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " إِنَّكَ إِنِ اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدْتَهُمْ
أَوْ كِدْتَ أَنْ تُفْسِدَهُمْ " . فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةٌ
سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفَعَهُ اللَّهُ
تَعَالَى بِهَا .
মু‘আবিয়াহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ তুমি যদি মানুষের গোপন দোষ তালাশ করো তাহলে
তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বা ক্ষতির সীমানায় পৌঁছে দিবে। অতঃপর আবূ দারদা (রাঃ)
বললেন, একথা মু‘আবিয়াহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হতে
শুনেছেন, মহান আল্লাহ তাকে এর মাধ্যমে লাভবান করুন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৮৯
حَدَّثَنَا
سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ،
حَدَّثَنَا ضَمْضَمُ بْنُ زُرْعَةَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ جُبَيْرِ
بْنِ نُفَيْرٍ، وَكَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، وَعَمْرِو بْنِ الأَسْوَدِ،
وَالْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، وَأَبِي، أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الأَمِيرَ إِذَا ابْتَغَى الرِّيبَةَ فِي
النَّاسِ أَفْسَدَهُمْ " .
জুবাইর ইবনু
নুফাইর, কাসীর ইবনু মুররাহ, ‘আমর ইবনুল আসওয়াদ, আল-মিক্বদাম ইবনু মা’দীকারিব ও আবূ
উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন, শাসক জনগণকে অপরাধী সন্দেহ করলে তাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৮৯০
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ أُتِيَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقِيلَ هَذَا
فُلاَنٌ تَقْطُرُ لِحْيَتُهُ خَمْرًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّا قَدْ نُهِينَا
عَنِ التَّجَسُّسِ وَلَكِنْ إِنْ يَظْهَرْ لَنَا شَىْءٌ نَأْخُذْ بِهِ .
যায়িদ ইবনু ওয়াহব
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাস‘ঊদের
(রাঃ) নিকট এনে বলা হলো, এ সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)
বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোন
অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এজন্য আমরা তাকে ধরবো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৫
মুসলিমদের দোষ গোপন
রাখা
৪৮৯১
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَشِيطٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ،
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
مَنْ رَأَى عَوْرَةً فَسَتَرَهَا كَانَ كَمَنْ أَحْيَا مَوْءُودَةً " .
উক্ববাহ ইবনু ‘আমির
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি (অন্য কারোর) গোপনীয় দোষ দেখতে পেয়েও তা
গোপন করলো সে যেন জীবন্ত কবরস্থ কন্যাকে জীবন দিলো।৪৮৮৯
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১২৬৫।
৪৮৮৯বুখারীর
আদাবুল মুফরাদ, তায়ালিসি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৮৯২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ،
قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَشِيطٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ،
أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الْهَيْثَمِ، يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَ دُخَيْنًا، كَاتِبَ
عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ كَانَ لَنَا جِيرَانٌ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ
فَنَهَيْتُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَقُلْتُ لِعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ إِنَّ
جِيرَانَنَا هَؤُلاَءِ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ وَإِنِّي نَهَيْتُهُمْ فَلَمْ
يَنْتَهُوا فَأَنَا دَاعٍ لَهُمُ الشُّرَطَ . فَقَالَ دَعْهُمْ . ثُمَّ
رَجَعْتُ إِلَى عُقْبَةَ مَرَّةً أُخْرَى فَقُلْتُ إِنَّ جِيرَانَنَا قَدْ أَبَوْا
أَنْ يَنْتَهُوا عَنْ شُرْبِ الْخَمْرِ وَأَنَا دَاعٍ لَهُمُ الشُّرَطَ . قَالَ
وَيْحَكَ دَعْهُمْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ
مَعْنَى حَدِيثِ مُسْلِمٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ
عَنْ لَيْثٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ لاَ تَفْعَلْ وَلَكِنْ عِظْهُمْ
وَتَهَدَّدْهُمْ .
কা‘ব ইবনু
‘আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবুল হাইসাম (রহঃ) কে উল্লেখ করতে শুনেছেন
যে, তিনি ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমিরের (রাঃ) সচিব দুখাইনাকে বলতে শুনেছেন, আমাদের এক
প্রতিবেশী পরিবার মদপান করতো। আমি তাদেরকে বারণ করার পরও তারা বিরত হয়নি। আমি
‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) কে বললাম, আমাদের এক প্রতিবেশী পরিবার মদপান করে। আমি
তাদেরকে নিষেধ করেছি কিন্তু তারা বিরত হয়নি। তাই আমি এখন পুলিশ আনতে যাচ্ছি। তিনি
বললেন, তাদেরকে ছেড়ে দাও। আমি পুনরায় ‘উক্ববাহ (রাঃ) এর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলাম,
আমাদের সেই প্রতিবেশীরা মদপান পরিহারে অস্বীকার করেছে। আমি পুলিশ আনতে যাচ্ছি। তিনি
এবার বললেন, তোমার জন্য দুঃখ! তাদেরকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। কারণ আমি
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছি... অতঃপর মুসলিম
ইবনু ইবরাহীম বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, লাইস বলেন, বরং
তাদেরকে উপদেশ দাও এবং ধমকাও। ৪৮৯০
৪৮৯০ আহমাদ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৬
ভ্রাতৃত্ব
৪৮৯৩
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ
مَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ فَإِنَّ اللَّهَ فِي حَاجَتِهِ وَمَنْ فَرَّجَ
عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ بِهَا كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ
الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
" .
সালিম (রহঃ) হতে
তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। কাজেই সে তার উপর নির্যাতন করবে না এবং তাকে
অসহায় অবস্থায়ও ছেড়ে যাবে না। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন মিটাবে,
আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটাবেন। একইভাবে যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের বিপদ দূর করবে,
আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিনে তার বিপদ দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ
গোপন রাখবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৭
যারা পরস্পরকে গালি
দেয়
৪৮৯৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ
مُحَمَّدٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُسْتَبَّانِ مَا قَالاَ فَعَلَى
الْبَادِي مِنْهُمَا مَا لَمْ يَعْتَدِ الْمَظْلُومُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ পরস্পর তিরস্কারকারীর মধ্যে যে প্রথমে আরম্ভ করে উভয়ের দোষ তার উপর
বর্তাবে, যতক্ষণ না অপরজন সীমালঙ্ঘন করে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৮
বিনয় ও নম্রতা
৪৮৯৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ
طَهْمَانَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَىَّ أَنْ تَوَاضَعُوا حَتَّى لاَ
يَبْغِيَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ وَلاَ يَفْخَرَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ " .
ইয়াদ ইবনু হিমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আমার নিকট (এ মর্মে) ওয়াহী পাঠিয়েছেন যে, তোমরা
বিনয়ী হও, যতক্ষণ না একে অপরের উপর যুলুম করে এবং অহংকার করে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৯
প্রতিশোধ গ্রহণ
৪৮৯৬
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ
بَشِيرِ بْنِ الْمُحَرَّرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ قَالَ
بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ
وَقَعَ رَجُلٌ بِأَبِي بَكْرٍ فَآذَاهُ فَصَمَتَ عنه أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ آذَاهُ
الثَّانِيَةَ فَصَمَتَ عَنْهُ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ آذَاهُ الثَّالِثَةَ فَانْتَصَرَ
مِنْهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْتَصَرَ
أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَوَجَدْتَ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَزَلَ مَلَكٌ مِنَ
السَّمَاءِ يُكَذِّبُهُ بِمَا قَالَ لَكَ فَلَمَّا انْتَصَرْتَ وَقَعَ
الشَّيْطَانُ فَلَمْ أَكُنْ لأَجْلِسَ إِذْ وَقَعَ الشَّيْطَانُ " .
সাঈদ ইবনুল
মুসাইয়াব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়ে বসা ছিলেন। এ সময় এক লোক আবূ বাকর
(রাঃ) কে গালি দিলো এবং কষ্ট দিলো, কিন্তু আবূ বাকর (রাঃ) কোন জবাব না দিয়ে চুপ
করে রইলেন। অতঃপর পুনরায় সে আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি দিলো এবং কষ্ট দিলো, কিন্তু
তিনি কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে রইলেন। তৃতীয়বার সে আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি এবং
কষ্ট দিলে এবার তিনি তার প্রতিশোধ নিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) যখন প্রতিশোধ নিলেন তখন
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে দাঁড়ালেন। আবূ বাকর (রাঃ)
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমার উপর রাগ করেছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আসমান হতে একজন ফেরেশতা নেমে ছিলেন এবং তোমার পক্ষ
হয়ে জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু যখন তুমি তার প্রতিশোধ নিলে তখন শয়তান এখানে উপস্থিত
হয়েছে। শয়তান এখানে উপস্থিত হওয়ায় আমি আর বসতে পারি না। [৪৮৯৪]
[৪৮৯৪]
আহমাদ, ত্বাবারনী।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৯৭
حَدَّثَنَا
عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ،
عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ
يَسُبُّ أَبَا بَكْرٍ وَسَاقَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ
رَوَاهُ صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، كَمَا قَالَ سُفْيَانُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি দিচ্ছিল...
অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৮৯৮
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ
اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، -
الْمَعْنَى وَاحِدٌ - قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ كُنْتُ أَسْأَلُ عَنْ
الاِنْتِصَارِ، { وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَئِكَ مَا
عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ } فَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ
عَنْ أُمِّ مُحَمَّدٍ امْرَأَةِ أَبِيهِ قَالَ ابْنُ عَوْنٍ وَزَعَمُوا أَنَّهَا
كَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ قَالَتْ أُمُّ
الْمُؤْمِنِينَ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَنَا
زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَجَعَلَ يَصْنَعُ شَيْئًا بِيَدِهِ فَقُلْتُ بِيَدِهِ
حَتَّى فَطَنْتُهُ لَهَا فَأَمْسَكَ وَأَقْبَلَتْ زَيْنَبُ تَقْحَمُ لِعَائِشَةَ
رضى الله عنها فَنَهَاهَا فَأَبَتْ أَنْ تَنْتَهِيَ فَقَالَ لِعَائِشَةَ "
سُبِّيهَا " فَسَبَّتْهَا فَغَلَبَتْهَا فَانْطَلَقَتْ زَيْنَبُ إِلَى
عَلِيٍّ رضى الله عنه فَقَالَتْ إِنَّ عَائِشَةَ رضى الله عنها وَقَعَتْ بِكُمْ
وَفَعَلَتْ . فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَقَالَ لَهَا " إِنَّهَا حِبَّةُ
أَبِيكِ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ " . فَانْصَرَفَتْ فَقَالَتْ لَهُمْ إِنِّي
قُلْتُ لَهُ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ لِي كَذَا وَكَذَا . قَالَ وَجَاءَ عَلِيٌّ
رضى الله عنه إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَهُ فِي ذَلِكَ .
ইবনু ‘আওন (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি প্রতিশোধ গ্রহণ ও আল্লাহর বাণী
সম্পর্কে প্রশ্ন করতাম, “তবে নির্যাতিত হওয়ার পর যারা প্রতিশোধ নেয় তাদের বিরুদ্ধে
কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না” (সূরাহ শূরাঃ ৪১)। ‘আলী ইবনু যায়িদ ইবনু জুদ’আন তার
বিমাতা উম্মু মুহাম্মাদ সূত্রে আমার নিকট বর্ণনা করেন, ইবনু ‘আওন বলেন, তাদের
বর্ণনানুযায়ী তার বিমাতা উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট যাতায়াত করতেন।
মুহাম্মাদ বলেন, উম্মুল মু‘মিনীন বলেছেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আসলেন, তখন আমার নিকট যাইনাব বিনতু জাহশ (রাঃ) উপস্থিত
ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত দিয়ে কিছু করতে (আমাকে স্পর্শ
করতে) চাইলেন। আমি হাতের ইশারায় যাইনাবের উপস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে জানালাম।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেমে গেলেন। এরপর যাইনাব (রাঃ)
অগ্রসর হয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে গালি দিতে লাগলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাকে গালি দিতে বারণ করলেন কিন্তু তিনি বিরত হলেন না। রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে বললেন, তুমিও তাকে গালি দাও।
তারপর ‘আয়িশাহ (রাঃ)-ও তাকে গালি দিলেন এবং তাকে পরাভূত করলেন। অতঃপর যাইনাব (রাঃ)
‘আলী (রাঃ) এর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) তোমাদের গালি দিয়েছে এবং
এ কাজ করেছে। অতঃপর ফাত্বিমাহ ফিরে গিয়ে তাদেরকে বললেন, আমি তাঁকে (আব্বাকে) এই এই
কথা বলেছি এবং এর উত্তরে তিনি এই এই কথা বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ‘আলী
(রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে এ বিষয়ে আলোচনা করলেন।
[৪৮৯৬]
[৪৮৯৬]
আহমাদ। সানাদে ‘আলী ইবনু যায়িদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫০
মৃত ব্যক্তিকে গালি
দেয়া নিষেধ
৪৮৯৯
حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ لاَ تَقَعُوا فِيهِ
" .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন সঙ্গী মারা গেলে তাঁকে ছেড়ে দাও এবং তার
সম্পর্কে কটুক্তি করো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯০০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ عِمْرَانَ
بْنِ أَنَسٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اذْكُرُوا مَحَاسِنَ مَوْتَاكُمْ وَكُفُّوا
عَنْ مَسَاوِيهِمْ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত
ব্যক্তিদের ভাল দিকগুলো আলোচনা করো এবং তাদের দোষচর্চা পরিহার করো। [৪৮৯৮]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৬৭৮।
[৪৮৯৮]
তিরমিযী, ইবনু হিব্বানের মাওয়ারিদ, বায়হাক্বী। সানাদে ‘ইমরান ইবনু আনাস সম্পর্কে হাফিয
বলেনঃ দুর্বল।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫১
বিদ্রোহ নিষিদ্ধ
৪৯০১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ،
عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمُ بْنُ جَوْسٍ، قَالَ
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" كَانَ رَجُلاَنِ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ مُتَآخِيَيْنِ فَكَانَ
أَحَدُهُمَا يُذْنِبُ وَالآخَرُ مُجْتَهِدٌ فِي الْعِبَادَةِ فَكَانَ لاَ يَزَالُ
الْمُجْتَهِدُ يَرَى الآخَرَ عَلَى الذَّنْبِ فَيَقُولُ أَقْصِرْ . فَوَجَدَهُ
يَوْمًا عَلَى ذَنْبٍ فَقَالَ لَهُ أَقْصِرْ فَقَالَ خَلِّنِي وَرَبِّي أَبُعِثْتَ
عَلَىَّ رَقِيبًا فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ أَوْ لاَ
يُدْخِلُكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ . فَقُبِضَ أَرْوَاحُهُمَا فَاجْتَمَعَا عِنْدَ
رَبِّ الْعَالَمِينَ فَقَالَ لِهَذَا الْمُجْتَهِدِ أَكُنْتَ بِي عَالِمًا أَوْ كُنْتَ
عَلَى مَا فِي يَدِي قَادِرًا وَقَالَ لِلْمُذْنِبِ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ
بِرَحْمَتِي وَقَالَ لِلآخَرِ اذْهَبُوا بِهِ إِلَى النَّارِ " . قَالَ
أَبُو هُرَيْرَةَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَوْبَقَتْ
دُنْيَاهُ وَآخِرَتَهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ বনী ইসরাইলের মধ্যে দু’ব্যক্তি ছিলো। তাদের
একজন পাপ কাজ করতো এবং অন্যজন সর্বদা ‘ইবাদতে লিপ্ত থাকতো। যখনই ‘ইবাদতে রত
ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে দেখতো তখনই তাকে খারাপ কাজ পরিহার করতে বলতো। একদিন সে তাকে
পাপ কাজে লিপ্ত দেখে বললো, তুমি এমন কাজ হতে বিরত থাকো। সে বললো, আমাকে আমার রবের
উপর ছেড়ে দাও। তোমাকে কি আমার উপর পাহারাদার করে পাঠানো হয়েছে? সে বললো, আল্লাহর
কসম! আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন না অথবা তোমাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না।
অতঃপর দু’জনকেই মৃত্যু দিয়ে আল্লাহর নিকট উপস্থিত করা হলে তিনি ‘ইবাদতগুজারী
ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি আমার সম্পর্কে জানতে? অথবা তুমি কি আমার হাতে যা
আছে তার উপর ক্ষমতাবান ছিলে? এবং পাপীকে বললেন, তুমি চলে যাও এবং আমার রহমতে
জান্নাতে প্রবেশ করো। আর অপর ব্যক্তির ব্যাপারে তিনি বললেন, তোমরা একে জাহান্নামে
নিয়ে যাও। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার জীবন! সে
এমন উক্তি করেছে যার ফলে তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই বরবাদ হয়ে গেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯০২
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عُيَيْنَةَ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ ذَنْبٍ أَجْدَرُ أَنْ يُعَجِّلَ
اللَّهُ تَعَالَى لِصَاحِبِهِ الْعُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا - مَعَ مَا يَدَّخِرُ
لَهُ فِي الآخِرَةِ - مِثْلُ الْبَغْىِ وَقَطِيعَةِ الرَّحِمِ " .
আবূ বাকরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বিদ্রোহী ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর মত
অন্য কাউকে দুনিয়াতে অতি দ্রুত আযাব দেয়ার পরও আখিরাতের আযাবও তার জন্য জমা করে
রাখেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫২
হিংসা-বিদ্বেষ
৪৯০৩
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ صَالِحٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، - يَعْنِي
عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ عَمْرٍو - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي أَسِيدٍ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ فَإِنَّ
الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ " .
أَوْ قَالَ " الْعُشْبَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই হিংসা পরিহার
করবে। কারণ আগুন যেভাবে কাঠকে বা ঘাসকে খেয়ে ফেলে, তেমনি হিংসাও মানুষের নেক আমলকে
খেয়ে ফেলে। [৪৯০১]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৯০২।
[৪৯০১]
বুখারীর ‘আত-তারীক’, ‘আযদ ইবনু হুমাইদ আল-মুনতাখাব মিনাল মুসনাদ, ইবনু ‘আবদুল বার আত-তামহীদ।
ইমাম বুখারী বলেনঃ বর্ণনাটি সহীহ নয়। সানাদে ইবরাহীমের দাদা অজ্ঞাত। কেননা তার নাম
উল্লেখ করা হয়নি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৯০৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي
سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الْعَمْيَاءِ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ
أَبِي أُمَامَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ هُوَ وَأَبُوهُ عَلَى أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ بِالْمَدِينَةِ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ أَمِيرُ
الْمَدِينَةِ فَإِذَا هُوَ يُصَلِّي صَلاَةً خَفِيفَةً دَقِيقَةً كَأَنَّهَا
صَلاَةُ مُسَافِرٍ أَوْ قَرِيبًا مِنْهَا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ أَبِي يَرْحَمُكَ
اللَّهُ أَرَأَيْتَ هَذِهِ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ أَوْ شَىْءٌ تَنَفَّلْتَهُ
قَالَ إِنَّهَا الْمَكْتُوبَةُ وَإِنَّهَا لَصَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم مَا أَخْطَأْتُ إِلاَّ شَيْئًا سَهَوْتُ عَنْهُ - فَقَالَ - إِنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " لاَ تُشَدِّدُوا عَلَى
أَنْفُسِكُمْ فَيُشَدَّدَ عَلَيْكُمْ فَإِنَّ قَوْمًا شَدَّدُوا عَلَى
أَنْفُسِهِمْ فَشَدَّدَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَتِلْكَ بَقَايَاهُمْ فِي
الصَّوَامِعِ وَالدِّيَارِ { رَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا
عَلَيْهِمْ } " . ثُمَّ غَدَا مِنَ الْغَدِ فَقَالَ أَلاَ تَرْكَبُ
لِتَنْظُرَ وَلِتَعْتَبِرَ قَالَ نَعَمْ فَرَكِبُوا جَمِيعًا فَإِذَا هُمْ
بِدِيَارٍ بَادَ أَهْلُهَا وَانْقَضَوْا وَفَنَوْا خَاوِيَةً عَلَى عُرُوشِهَا
فَقَالَ " أَتَعْرِفُ هَذِهِ الدِّيَارَ " . فَقُلْتُ مَا
أَعْرَفَنِي بِهَا وَبِأَهْلِهَا هَذِهِ دِيَارُ قَوْمٍ أَهْلَكَهُمُ الْبَغْىُ
وَالْحَسَدُ إِنَّ الْحَسَدَ يُطْفِئُ نُورَ الْحَسَنَاتِ وَالْبَغْىُ يُصَدِّقُ
ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ وَالْعَيْنُ تَزْنِي وَالْكَفُّ وَالْقَدَمُ وَالْجَسَدُ
وَاللِّسَانُ وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ .
সাহল ইবনু আবূ
উমামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ও তার পিতা
‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীযের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি খুবই সংক্ষেপে সলাত আদায় করলেন,
যেন তা মুসাফিরের সলাত বা প্রায় অনুরূপ। তিনি সালাম ফিরানোর পর আমার পিতা প্রশ্ন
করলেন, আল্লাহ আপনার প্রতি সদয় হোন! আমাকে বলুন, এটা কি ফরয সলাত না নফল সলাত?
তিনি বলেন, এটা ফরয সলাত এবং তা অবশ্যই রসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সলাত। আমি ভুল করিনি, তবে তার যতটুকু বিস্মৃত হয়েছি। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলতেনঃ তোমরা নিজেদের উপর
কঠিন করো না; ফলে তোমাদের উপর কঠোরতা চাপিয়ে দেয়া হবে। অতীতে এক সম্প্রদায় নিজেদের
জন্য কঠোরতা অবলম্বন করেছিল, ফলে আল্লাহও তাদের উপর কঠোর বিধান চাপিয়ে দেন। অতঃপর
তাদের শেষ উত্তরসূরি দৃষ্টিগোচর হয় মাঠে ও নির্জন ঘরে। “কিন্তু সন্ন্যাসবাদ, তারা
নিজেরাই তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অবলম্বন করেছিল। আমি তাদেরকে এ বিধান দেইনি”
(সূরাহ হাদীদঃ ২৭)। পরবর্তী দিন সকালে তিনি গিয়ে বললেন,উপদেশ গ্রহণ করতে পারো?
অতএব তারা সদলবলে সফর করলেন এবং একটি এলাকায় পৌঁছালেন যার অধিবাসীরা ধবংসপ্রাপ্ত
হয়েছে, অতীতের মধ্যে বিলীন হয়েছে এবং বাসস্থানের ছাদসহ ধবংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি এ জনপদ চিনতে পেরেছো? তিনি বলেন, এ হলো সেই জাতির জনপদ
যাদের স্বৈরাচারীতা ও হিংসা-বিদ্বেষ তাদের ধবংস করেছে। নিশ্চয়ই হিংসা নেক কাজের
নূরকে নিভিয়ে দেয় এবং স্বৈরাচার তাকে সত্যে বা মিথ্যায় পরিণত করে। চোখ যেনা করে
এবং হাত-পা, শরীর, জবান ও লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবায়িত করে অথবা ত্যাগ করে। [৪৯০২]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৩৪৬৮।
[৪৯০২]
সানাদের সাঈদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৩
অভিশাপ দেয়া সম্পর্কে
৪৯০৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ
بْنُ رَبَاحٍ، قَالَ سَمِعْتُ نِمْرَانَ، يَذْكُرُ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ،
قَالَتْ سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا لَعَنَ شَيْئًا صَعِدَتِ اللَّعْنَةُ
إِلَى السَّمَاءِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ دُونَهَا ثُمَّ تَهِبْطُ إِلَى
الأَرْضِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُهَا دُونَهَا ثُمَّ تَأْخُذُ يَمِينًا وَشِمَالاً
فَإِذَا لَمْ تَجِدْ مَسَاغًا رَجَعَتْ إِلَى الَّذِي لُعِنَ فَإِنْ كَانَ
لِذَلِكَ أَهْلاً وَإِلاَّ رَجَعَتْ إِلَى قَائِلِهَا " . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ قَالَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ هُوَ رَبَاحُ بْنُ الْوَلِيدِ سَمِعَ
مِنْهُ وَذَكَرَ أَنَّ يَحْيَى بْنَ حَسَّانَ وَهِمَ فِيهِ .
আবূ দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন বান্দা কোন বস্তুকে অভিশাপ দেয় তখন ঐ অভিশাপ আকাশের
দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে উঠার পথকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন তা
পুনরায় দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওয়ানা হয়, কিন্তু দুনিয়াতে আসার পথও বন্ধ করে
দেয়ায় সে ডানে বামে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোন পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ
করা হয়েছে তার নিকট ফিরে আসে। তখন সেই বস্ত যদি ঐ অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার
উপর ঐ অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর উপরই তা পতিত হয়।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯০৬
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ
الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " لاَ تَلاَعَنُوا بِلَعْنَةِ اللَّهِ وَلاَ بِغَضَبِ اللَّهِ وَلاَ
بِالنَّارِ " .
সামুরাহ ইবনু
জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
তোমরা আল্লাহর অভিশাপ, আল্লাহর গযব বা জাহান্নাম দ্বারা অভিশাপ দিও না।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯০৭
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ أُمَّ
الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَكُونُ اللَّعَّانُونَ
شُفَعَاءَ وَلاَ شُهَدَاءَ " .
আবু দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ অভিশম্পাতকারীরা (কিয়ামতে) সুপারিশকারী হতে পারবে না এবং
সাক্ষীদাতাও হতে পারবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯০৮
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، ح وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ
أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ
يَزِيدَ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، - قَالَ
زَيْدٌ - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، لَعَنَ الرِّيحَ - وَقَالَ مُسْلِمٌ
إِنَّ رَجُلاً نَازَعَتْهُ الرِّيحُ رِدَاءَهُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم فَلَعَنَهَا - فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ
تَلْعَنْهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ وَإِنَّهُ مَنْ لَعَنَ شَيْئًا لَيْسَ لَهُ
بِأَهْلٍ رَجَعَتِ اللَّعْنَةُ عَلَيْهِ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বাতাসকে অভিশাপ দিলো। মুসলিমের
বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে এক ব্যক্তির চাদর
বাতাসে ওলটপালট হয়ে গেলে সে বাতাসকে অভিশাপ দিলো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ তুমি বাতাসকে লানত করো না, কেননা সে নির্দেশপ্রাপ্ত। যা
অভিশাপযোগ্য নয় কেউ তাকে অভিশাপ দিলে তা অভিশাপকারীর ওপরই পতিত হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৪
যে ব্যক্তি
অত্যাচারীকে বদদু’আ করে
৪৯০৯
حَدَّثَنَا
ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ
عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ سُرِقَ لَهَا شَىْءٌ فَجَعَلَتْ
تَدْعُو عَلَيْهِ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
تُسَبِّخِي عَنْهُ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তার কিছু জিনিস চুরি হওয়ায় তিনি
চোরকে লানত দিতে থাকলেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে
বললেনঃ তুমি চোরের আযাব কম করো না।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৫
কেউ তার মুসলিম
ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে
৪৯১০
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ
تَبَاغَضُوا وَلاَ تَحَاسَدُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ
إِخْوَانًا وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثِ
لَيَالٍ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরকে ঘৃণা করো না, পরস্পর হিংসা করো না, একে অপরের
গোয়েন্দাগিরি করো না, বরং আল্লাহ্র বান্দারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। যে কোন
মুসলিমের জন্য তার কোন ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা জায়িয নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯১১
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ
بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ
أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا وَيُعْرِضُ
هَذَا وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ " .
আবু আইয়ুব
আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন; কোন মুসলিমের জন্য তার কোন ভাইয়ের সঙ্গে (ঝগড়া করে) তিন দিনের
বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা বৈধ নয়। দু’জন পথিমধ্যে মুখোমুখি হলে একজন এদিকে এবং
অপরজন অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ দু’জনের মধ্যে যে প্রথমে সালাম দেয় সে-ই উত্তম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯১২
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ
السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ هِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ
مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلاَثٍ فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلاَثٌ فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ
عَلَيْهِ فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الأَجْرِ وَإِنْ
لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالإِثْمِ " . زَادَ أَحْمَدُ
" وَخَرَجَ الْمُسَلِّمُ مِنَ الْهِجْرَةِ " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোন ইমানদারের সঙ্গে
তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ের
দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই
সালামের সওয়াব পাবে। তার দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহ্মাদ
(রহঃ) – এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।৪৯১০
দুর্বলঃ গায়াতুল মারাম হা/৪০৫, ইরওয়া হা/২০২৯।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৯১৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُنِيبِ، - يَعْنِي الْمَدَنِيَّ - قَالَ
أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَكُونُ لِمُسْلِمٍ
أَنْ يَهْجُرَ مُسْلِمًا فَوْقَ ثَلاَثَةٍ فَإِذَا لَقِيَهُ سَلَّمَ عَلَيْهِ
ثَلاَثَ مِرَارٍ كُلُّ ذَلِكَ لاَ يَرُدُّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِإِثْمِهِ
" .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন
করে থাকা উচিত নয়। অতঃপর সে তার দেখা পেয়ে তাকে তিনবার সালাম দিলে সে যদি একবারও
উত্তর না দেয় তবে সে তার গুনাহসহ প্রত্যাবর্তন করলো।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯১৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا
سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَمَنْ هَجَرَ فَوْقَ
ثَلاَثٍ فَمَاتَ دَخَلَ النَّارَ " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা
হালাল নয়। অতঃপর যে ব্যক্তি তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছিন্ন থাকা অবস্থায় মারা
গেলো, সে জাহান্নামে প্রবেশ করলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯১৫
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ
الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ أَبِي
خِرَاشٍ السُّلَمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" مَنْ هَجَرَ أَخَاهُ سَنَةً فَهُوَ كَسَفْكِ دَمِهِ " .
আবু খিরাশ আস্-সুলামী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ যে তার ভাইয়ের সাথে এক বছর সম্পর্ক ছিন্ন রাখলো সে যেন
তাকে হত্যা করলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯১৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" تُفْتَحُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ كُلَّ يَوْمِ اثْنَيْنِ وَخَمِيسٍ
فَيُغْفَرُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمَيْنِ لِكُلِّ عَبْدٍ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ
شَيْئًا إِلاَّ مَنْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ أَنْظِرُوا
هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم هَجَرَ بَعْضَ نِسَائِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا وَابْنُ عُمَرَ
هَجَرَ ابْنًا لَهُ إِلَى أَنْ مَاتَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا كَانَتِ
الْهِجْرَةُ لِلَّهِ فَلَيْسَ مِنْ هَذَا بِشَىْءٍ وَإِنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ
الْعَزِيزِ غَطَّى وَجْهَهُ عَنْ رَجُلٍ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয়। অতঃপর ঐদিন
আল্লাহ্র সাথে শির্ককারী ও দুই ভাইয়ে শত্রুতা পোষণকারীরা ছাড়া সকলকেই ক্ষমা করা
হয়। বলা হয়, তোমরা এ দু’জনকে শত্রুতা ত্যাগ করার সুযোগ দাও। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ)
বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চল্লিশ দিন যাবত তাঁর কোন এক
স্ত্রীর হতে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমৃত্যু তাঁর এক পুত্রের সঙ্গে
সম্পর্ক ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, সম্পর্কচ্ছেদ মহান
আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকলে তাতে গুনাহ নেই। ‘উমার ইবনু
‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) এক ব্যক্তি হয়ে তার চেহারা আড়াল করে রেখেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৬
সন্দেহ করা সম্পর্কে
৪৯১৭
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ
وَلاَ تَحَسَّسُوا وَلاَ تَجَسَّسُوا " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা সন্দেহ করা হতে মুক্ত থাকো। কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে সবচেয়ে
বড় মিথ্যাচার। পরস্পরের বিরুদ্ধে তথ্য তালাশ করো না এবং গোয়েন্দাগিরি করো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৭
আন্তরিকতা এবং
নিরাপত্তা সম্পর্কে
৪৯১৮
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ
سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ
الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " الْمُؤْمِنُ مِرْآةُ الْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنُ أَخُو
الْمُؤْمِنِ يَكُفُّ عَلَيْهِ ضَيْعَتَهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ وَرَائِهِ " .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ এক মু’মিন অপর মু’মিনের জন্য আয়নাস্বরূপ এবং এক মু’মিন অপর
মু’মিনের ভাই। তারা একে অপরের ক্ষতি করা হতে রক্ষা করে এবং তার অনুপস্থিতিতে তাকে
রক্ষা করে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৮
পরষ্পরের মধ্যে
মিমাংসা করা সম্পর্কে
৪৯১৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي
الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ
أُخْبِرُكُمْ بِأَفْضَلَ مِنْ دَرَجَةِ الصِّيَامِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّدَقَةِ
" . قَالُوا بَلَى . قَالَ " إِصْلاَحُ ذَاتِ الْبَيْنِ
وَفَسَادُ ذَاتِ الْبَيْنِ الْحَالِقَةُ " .
আবু দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত, সদাকাহ্র চেয়েও ফযিলত পূর্ণ
কাজের কথা বলবো না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বললেনঃ
পরস্পরের মধ্যে মীমাংসা করা। আর পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বাধানো ধ্বংসের কারণ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯২০
حَدَّثَنَا
نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ
شَبُّويَةَ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمْ يَكْذِبْ مَنْ نَمَى بَيْنَ
اثْنَيْنِ لِيُصْلِحَ " . وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَمُسَدَّدٌ
" لَيْسَ بِالْكَاذِبِ مَنْ أَصْلَحَ بَيْنَ النَّاسِ فَقَالَ خَيْرًا أَوْ
نَمَى خَيْرًا " .
হুমাইদ ইবনু
‘আব্দুর রহমান (রহঃ) হতে তার মায়ের থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ সে মিথ্যাবাদী নয় যে দু’জনের মধ্যে মীমাংসার জন্য কিছু কথা
বাড়িয়ে বলে। আহ্মাদ ও মুসানাদ (রহঃ)– এর বর্ণনায় রয়েছেঃ যে ব্যক্তি লোকদের মধ্যে
মীমাংসার জন্য কিছু উত্তম কথা বলে এবং কিছু বাড়িয়ে বলে, সে মিথ্যুক নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯২১
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، عَنْ
نَافِعٍ، - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - عَنِ ابْنِ الْهَادِ، أَنَّ عَبْدَ
الْوَهَّابِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عُقْبَةَ، قَالَتْ مَا
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَخِّصُ فِي شَىْءٍ مِنَ الْكَذِبِ
إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
لاَ أَعُدُّهُ كَاذِبًا الرَّجُلُ يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ يَقُولُ الْقَوْلَ
وَلاَ يُرِيدُ بِهِ إِلاَّ الإِصْلاَحَ وَالرَّجُلُ يَقُولُ فِي الْحَرْبِ
وَالرَّجُلُ يُحَدِّثُ امْرَأَتَهُ وَالْمَرْأَةُ تُحَدِّثُ زَوْجَهَا "
.
. উম্মু কুলসুম
বিনতু ‘উকবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শুধু তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য
কোথাও মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –
কে আমি শুনিনি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ যে ব্যক্তি
সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যেসব কথা বলে থাকে সে কারণে তাকে আমি মিথ্যাবাদী মনে করি
না। অনুরূপভাবে যুদ্ধের সময় কৌশল হিসেবে যেসব কথা বলা হয় এবং স্বামী স্ত্রীকে যা
বলে এবং স্ত্রী স্বামীকে যা বলে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫৯
গান গাওয়া নিষেধ হওয়া
সম্পর্কে
৪৯২২
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنِ الرُّبَيِّعِ
بِنْتِ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ، قَالَتْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَدَخَلَ عَلَىَّ صَبِيحَةَ بُنِيَ بِي فَجَلَسَ عَلَى فِرَاشِي كَمَجْلِسِكَ
مِنِّي فَجَعَلَتْ جُوَيْرِيَاتٌ يَضْرِبْنَ بِدُفٍّ لَهُنَّ وَيَنْدُبْنَ مَنْ
قُتِلَ مِنْ آبَائِي يَوْمَ بَدْرٍ إِلَى أَنْ قَالَتْ إِحْدَاهُنَّ وَفِينَا
نَبِيُّ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ . فَقَالَ " دَعِي هَذِهِ وَقُولِي
الَّذِي كُنْتِ تَقُولِينَ " .
মু’আব্বিয্ ইবনু
‘আফরা (রাঃ) এর কন্যা রুবাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার বাসর রাতে রাসুলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমার বিছানায় এমনভাবে বসলেন, যেমনটি তুমি
(খালিদ) বসে আছো। অতঃপর কয়েকটি বালিকা তাদের দফ বাজিয়ে বদর যুদ্ধে শহীদ আমার পিতা
ও চাচার সুনাম করছিলো। এক পর্যায়ে একটি বালিকা বললো, “আমাদের মাঝে এমন একজন নবী
রয়েছেন, যিনি জানেন আগামীকাল কি হবে”। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা বর্জন করো, বরং আগে যা বলছিলে তাই বলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯২৩
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم الْمَدِينَةَ لَعِبَتِ الْحَبَشَةُ لِقُدُومِهِ فَرَحًا بِذَلِكَ لَعِبُوا
بِحِرَابِهِمْ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যখন মদিনাহ্য় আসলেন তখন আবিসিনীয়রা তাঁর আগমন উল্লাসে বল্লম খেলা
প্রদর্শন করেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬০
সঙ্গীত ও বাঁশি
বাজানো নিন্দনীয়
৪৯২৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغُدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ
مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ
مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ سَمِعَ ابْنُ عُمَرَ، مِزْمَارًا - قَالَ - فَوَضَعَ
أُصْبُعَيْهِ عَلَى أُذُنَيْهِ وَنَأَى عَنِ الطَّرِيقِ وَقَالَ لِي يَا نَافِعُ
هَلْ تَسْمَعُ شَيْئًا قَالَ فَقُلْتُ لاَ . قَالَ فَرَفَعَ أُصْبُعَيْهِ مِنْ
أُذُنَيْهِ وَقَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ مِثْلَ
هَذَا فَصَنَعَ مِثْلَ هَذَا . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ اللُّؤْلُؤِيُّ سَمِعْتُ
أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ .
নাফি’ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ইবনু’ উমার (রাঃ)
বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেয়ে উভয় কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়ে আমাকে
বললেন, হে নাফি’ তুমি কি কিছু শুনতে পাচ্ছো? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, না।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কান থেকে হাত তুলে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি এ ধরনের শব্দ শুনে এরূপ করেছিলেন।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯২৫
حَدَّثَنَا
مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُطْعِمُ بْنُ
الْمِقْدَامِ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعٌ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ ابْنِ عُمَرَ إِذْ
مَرَّ بِرَاعٍ يَزْمُرُ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أُدْخِلَ
بَيْنَ مُطْعِمٍ وَنَافِعٍ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى .
নাফি’ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমি বাহনে ইবনু ‘উমারের (রাঃ) পিছনে ছিলাম।
তিনি এক রাখালকে অতিক্রম করলেন যে বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিল ... অতঃপর পূর্বোক্ত
হাদিসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৪৯২৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ
الرَّقِّيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، عَنْ مَيْمُونٍ، عَنْ نَافِعٍ،
قَالَ كُنَّا مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَسَمِعَ صَوْتَ، زَامِرٍ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا أَنْكَرُهَا .
নাফি (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা ইবনু’ উমার (রাঃ) সঙ্গে
ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেলেন ... অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এটি অধিকতর মুনকার।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯২৭
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، عَنْ
شَيْخٍ، شَهِدَ أَبَا وَائِلٍ فِي وَلِيمَةٍ فَجَعَلُوا يَلْعَبُونَ
يَتَلَعَّبُونَ يُغَنُّونَ فَحَلَّ أَبُو وَائِلٍ حَبْوَتَهُ وَقَالَ سَمِعْتُ
عَبْدَ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" الْغِنَاءُ يُنْبِتُ النِّفَاقَ فِي الْقَلْبِ " .
সাল্লাম ইবনু
মিসকীন (রহঃ) এক শাইখের সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
যিনি আবূ
ওয়াইল(রহঃ)-এর সঙ্গে এক বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।তখন লোকেরা খেলাধূলা ও
আনন্দ আর সঙ্গীতে মত্ত হল।আবূ ওয়াইল (রহঃ) হাত দিয়ে নিজ হাঁটুদ্বয় পেঁচিয়ে ধরে
বললেন, আমি ‘আবদুল্লাহ(রাঃ)-কে বলতে শুনেছি,আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই সঙ্গীত অন্তরে কপটতা সৃষ্টি করে।
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮১০,যঈফাহ হা/২৪৩০।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬১
হিজড়া সম্পর্কে বিধান
৪৯২৮
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ أَبَا
أُسَامَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ مُفَضَّلِ بْنِ يُونُسَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ
أَبِي يَسَارٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِمُخَنَّثٍ قَدْ خَضَبَ يَدَيْهِ
وَرِجْلَيْهِ بِالْحِنَّاءِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا
بَالُ هَذَا " . فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَتَشَبَّهُ بِالنِّسَاءِ
. فَأُمِرَ بِهِ فَنُفِيَ إِلَى النَّقِيعِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ
نَقْتُلُهُ فَقَالَ " إِنِّي نُهِيتُ عَنْ قَتْلِ الْمُصَلِّينَ "
. قَالَ أَبُو أُسَامَةَ وَالنَّقِيعُ نَاحِيَةٌ عَنِ الْمَدِينَةِ وَلَيْسَ
بِالْبَقِيعِ .
আবূ হুরাইরাহ(রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
কোন একদিন এক হিজড়াকে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আনা হলো। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিলো।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর এ অবস্থা কেনো? বলা
হলো, হে আল্লাহ্র রাসূল! সে নারীর বেশ ধরেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাকে আন-নকী নামক স্থানে নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। সাহাবীগণ
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বললেন, সলাত
আদায়কারীদের হত্যা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আবূ-উসামাহ বলেন, আন-নাফী’ হলো
মাদীনাহ্ এর প্রান্তবর্তী একটি জনপদ, এটা বাকী’ নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯২৯
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، - يَعْنِي
ابْنَ عُرْوَةَ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ
سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا
مُخَنَّثٌ وَهُوَ يَقُولُ لِعَبْدِ اللَّهِ أَخِيهَا إِنْ يَفْتَحِ اللَّهُ
الطَّائِفَ غَدًا دَلَلْتُكَ عَلَى امْرَأَةٍ تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ
بِثَمَانٍ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَخْرِجُوهُمْ
مِنْ بُيُوتِكُمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْمَرْأَةُ كَانَ لَهَا
أَرْبَعُ عُكَنٍ فِي بَطْنِهَا .
উম্মু সালামাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম),তখন তার নিকট এক হিজড়া উপস্থিত ছিলো। সে তার ভাই ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে
বলছিলো, আল্লাহ্ আগামীতে তায়েফ বিজয় দান করলে আমি অবশ্যই এমন এক মহিলাকে দেখাবো,
যে চার ভাঁজে সামনে আসে এবং আট ভাঁজে পিছনে যায়।তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এদেরকে তোমাদের ঘর থেকে তাড়িয়ে দাও। ইমাম আবূ
দাঊদ (রহঃ) বলেন, ঐ নারীর পেটে চার ভাঁজ ছিলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৩০
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِكْرِمَةَ،
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْمُخَنَّثِينَ
مِنَ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِ وَقَالَ "
أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ وَأَخْرِجُوا فُلاَنًا وَفُلاَنًا " .
يَعْنِي الْمُخَنَّثِينَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ
দিয়েছেন পুরুষ ও নারী হিজড়াকে যারা পুরুষ সাজে।তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে হতে বের করে দাও এবং অমুক
অমুক হিজড়াকেও বের করো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬২
পুতুল দ্বারা খেলা
করা
৪৯৩১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ فَرُبَّمَا دَخَلَ عَلَىَّ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدِي الْجَوَارِي فَإِذَا دَخَلَ
خَرَجْنَ وَإِذَا خَرَجَ دَخَلْنَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অন্যান্য বালিকাদের সঙ্গে নিয়ে
পুতুল খেলা করতাম। কখনো রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ অবস্থায় আমার
ঘরে আসতেন। তিনি প্রবেশ করলে বালিকারা বেরিয়ে যেতো এবং তিনি চলে গেলে তারা পুনরায়
প্রবেশ করতো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৩২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا
يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، أَنَّ
مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَوْ خَيْبَرَ وَفِي سَهْوَتِهَا سِتْرٌ
فَهَبَّتْ رِيحٌ فَكَشَفَتْ نَاحِيَةَ السِّتْرِ عَنْ بَنَاتٍ لِعَائِشَةَ لُعَبٍ
فَقَالَ " مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ " . قَالَتْ بَنَاتِي .
وَرَأَى بَيْنَهُنَّ فَرَسًا لَهُ جَنَاحَانِ مِنْ رِقَاعٍ فَقَالَ " مَا
هَذَا الَّذِي أَرَى وَسْطَهُنَّ " . قَالَتْ فَرَسٌ . قَالَ "
وَمَا هَذَا الَّذِي عَلَيْهِ " . قَالَتْ جَنَاحَانِ . قَالَ "
فَرَسٌ لَهُ جَنَاحَانِ " . قَالَتْ أَمَا سَمِعْتَ أَنَّ لِسُلَيْمَانَ
خَيْلاً لَهَا أَجْنِحَةٌ قَالَتْ فَضَحِكَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) তাবূক অথবা খায়বারের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তন করলেন। ঘরের তাকের উপর
পর্দা ঝুলানো ছিল। বায়ু প্রবাহের ফলে তার এক পাশ সরে যায় যাতে তার খেলার পুতুলগুলো
দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুতুলগুলো দেখে বললেন,
হে ‘আয়িশাহ! এগুলো কি? উত্তরে তিনি বললেন, এগুলো আমার মেয়ে। আর তিনি এগুলোর মধ্যে
কাপড়ের তৈরী দুই ডানাবিশিষ্ট একটি ঘোড়াও দেখতে পেলেন। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এগুলোর
মধ্যে ওটা কি দেখতে পাচ্ছি? তিনি বললেন, ঘোড়া। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেন, তার উপর আবার ওটা কি? তিনি বললেন, দু’টো পাখা। তিনি বললেন, এ আবার
কেমন ঘোড়া, যার পাখা আছে! আমি বললাম, আপনি কি শুনেননি যে, সুলাইমান (আ)-এর ঘোড়ার
কয়েকটি পাখা ছিল! ‘আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন, যাতে আমি তাঁর সামনের সারির দাঁত দেখতে পেলাম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৩
দোলনা সম্বন্ধে
৪৯৩৩
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ
خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
تَزَوَّجَنِي وَأَنَا بِنْتُ سَبْعِ سِنِينَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ
أَتَيْنَ نِسْوَةٌ - وَقَالَ بِشْرٌ فَأَتَتْنِي أُمُّ رُومَانَ - وَأَنَا عَلَى
أُرْجُوحَةٍ فَذَهَبْنَ بِي وَهَيَّأْنَنِي وَصَنَعْنَنِي فَأُتِيَ بِي رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعٍ فَوَقَفَتْ بِي
عَلَى الْبَابِ فَقُلْتُ هِيهْ هِيهْ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَىْ تَنَفَّسَتْ - فَأُدْخِلْتُ
بَيْتًا فَإِذَا فِيهِ نِسْوَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقُلْنَ عَلَى الْخَيْرِ
وَالْبَرَكَةِ . دَخَلَ حَدِيثُ أَحَدِهِمَا فِي الآخَرِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার ছয় বা সাত বছর বয়সে
(রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)) আমাকে বিয়ে করেন। আমরা মদিনায়
আগমন করলে একদল মহিলা আসলেন। বর্ণনাকারী বিশরের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমার নিকট (আমার
মা) উম্মু রূমান (রাঃ) আসলেন, তখন আমি দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে নিয়ে
গেলেন, আমাকে প্রস্তুত করলেন এবং পোশাক পরিয়ে সাজালেন। অতঃপর আমাকে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করা হলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর
যাপন করলেন, তখন আমার বয়স নয় বছর। মা আমাকে ঘরের দরজায় দাড় করালেন এবং আমি
উচ্চহাসি দিলাম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ আমার মাসিক ঋতু হয়েছে। আমাকে
একটি ঘরে প্রবেশ করানো হলো। তাতে আনসার গোত্রের একদল মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তারা
আমার জন্য কল্যাণ ও বরকত কামনা করলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৩৪
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، مِثْلَهُ قَالَ عَلَى
خَيْرِ طَائِرٍ فَسَلَّمَتْنِي إِلَيْهِنَّ فَغَسَلْنَ رَأْسِي وَأَصْلَحْنَنِي
فَلَمْ يَرُعْنِي إِلاَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضُحًى
فَأَسْلَمْنَنِي إِلَيْهِ .
আবূ উসামাহ (রহঃ)
হতে থেকে বর্ণিতঃ
. আবূ উসামাহ (রহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের
অনুরূপ বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ তারা আমার সৌভাগ্য কামনা করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আনসার মহিলাদের নিকট সোর্পদ করলেন। তারা আমার মাথা ধৌত
করলেন এবং আমাকে পরিপাটি করলেন। পূর্বাহ্নে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত কেউই আমার নিকট আসেনি। অতএব তারা আমাকে তাঁর
নিকট সোর্পদ করলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৩৫
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ
عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها، قَالَتْ فَلَمَّا
قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ جَاءَنِي نِسْوَةٌ وَأَنَا أَلْعَبُ عَلَى أُرْجُوحَةٍ
وَأَنَا مُجَمَّمَةٌ فَذَهَبْنَ بِي فَهَيَّأْنَنِي وَصَنَّعْنَنِي ثُمَّ أَتَيْنَ
بِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعِ
سِنِينَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা মদিনায় আসলাম তখন
মহিলারা আমার নিকট এলো, এ সময় আমি দোলনায় খেলছিলাম। আমার মাথায় ঘন কালো ও লম্বা
চুল ছিলো। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে এলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করেন। তখন আমার
বয়স ছিলো নয় বছর।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৩৬
حَدَّثَنَا
بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ
عُرْوَةَ، بِإِسْنَادِهِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَتْ وَأَنَا عَلَى
الأُرْجُوحَةِ، وَمَعِي، صَوَاحِبَاتِي فَأَدْخَلْنَنِي بَيْتًا فَإِذَا نِسْوَةٌ
مِنَ الأَنْصَارِ فَقُلْنَ عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ .
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) তার সানাদে এ বর্ণনা
করেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি আমার বান্ধবীকে নিয়ে দোলনায় ছিলাম। অতঃপর আমাকে এক
ঘরে প্রবেশ করানো হলো, সেখানে আনসারদের মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর তারা আমাকে
কল্যাণ ও বরকতের শুভেচ্ছা জানালেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৩৭
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، -
يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو - عَنْ يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
حَاطِبٍ - قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ
فَنَزَلْنَا فِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ - قَالَتْ - فَوَاللَّهِ
إِنِّي لَعَلَى أُرْجُوحَةٍ بَيْنَ عَذْقَيْنِ فَجَاءَتْنِي أُمِّي
فَأَنْزَلَتْنِي وَلِي جُمَيْمَةٌ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
ইয়াহ্য়া ইবনু
‘আবদুর রহমান ইবনু হাতিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমরা মদিনায় আগমন করে হারিস
ইবনুল খায়রায গোত্রে আসি। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি দু’টি খেজুর গাছের মধ্যে
দোলনায় উপর ছিলাম, আমার মাথার ঘন ও লম্বা চুল ছিল। তারপর আমার মা এসে আমাকে
নামালেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৬৪
পাশা খেলা নিষেধ
৪৯৩৮
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى
اللَّهَ وَرَسُولَهُ " .
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাশা খেললো সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী
করলো।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯৩৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ،
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيرِ فَكَأَنَّمَا غَمَسَ يَدَهُ
فِي لَحْمِ خِنْزِيرٍ وَدَمِهِ " .
সুলাইমান ইবনু
বুরাইদাহ(রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাশা খেললো সে যেন শূকরের মাংস ও রক্তের মধ্যে হাত ডুবালো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৫
কবুতর নিয়ে খেলা করা
সম্পর্কে
৪৯৪০
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو،
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم رَأَى رَجُلاً يَتْبَعُ حَمَامَةً فَقَالَ " شَيْطَانٌ يَتْبَعُ
شَيْطَانَةً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূসলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে একটি কবুতরের পিছু ধাওয়া করতে দেখে বললেনঃ এক শয়তান আরেক
শয়তানীর অনুসরণ করছে।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৬৬
করুনা সম্পর্কে
৪৯৪১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي قَابُوسَ، مَوْلًى لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم " الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهُمُ الرَّحْمَنُ ارْحَمُوا أَهْلَ
الأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ " . لَمْ يَقُلْ مُسَدَّدٌ
مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
.
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
দয়াশীলদের উপর করুণাময় আল্লাহ্ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি
আসমানে আছেন তিনি তোমাদেরকে দয়া করবেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৪২
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ
أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ مَنْصُورٌ - قَالَ ابْنُ كَثِيرٍ فِي
حَدِيثِهِ وَقَرَأْتُهُ عَلَيْهِ وَقُلْتُ أَقُولُ حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ فَقَالَ
إِذَا قَرَأْتَهُ عَلَىَّ فَقَدْ حَدَّثْتُكَ بِهِ ثُمَّ اتَّفَقَا - عَنْ أَبِي
عُثْمَانَ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ
سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ الصَّادِقَ الْمَصْدُوقَ صلى الله عليه وسلم صَاحِبَ
هَذِهِ الْحُجْرَةِ يَقُولُ " لاَ تُنْزَعُ الرَّحْمَةُ إِلاَّ مِنْ
شَقِيٍّ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে
স্বীকৃত এই হুজরার মালিক আবুল ক্বাসিম (রহঃ) কে বলতে শুনেছিঃ হতভাগা ছাড়া অন্য
কারো থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নেয়া হয় না।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯৪৩
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنِ ابْنِ عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ عَمْرٍو، يَرْوِيهِ - قَالَ ابْنُ السَّرْحِ - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيَعْرِفْ حَقَّ كَبِيرِنَا
فَلَيْسَ مِنَّا " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দেরকে সম্মান করে
না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৭
নসীহত সম্পর্কে
৪৯৪৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي
صَالِحٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ إِنَّ
الدِّينَ النَّصِيحَةُ إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ " . قَالُوا لِمَنْ
يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لِلَّهِ وَكِتَابِهِ وَرَسُولِهِ وَأَئِمَّةِ
الْمُؤْمِنِينَ وَعَامَّتِهِمْ وَأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ
" .
তামীম আদ্-দারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; দ্বীন হলো
কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও
সুপরামর্শ; সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল!কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহ্ ও
তাঁর রাসূল, মু’মিন বা মুসলিম নেতাগণ এবং সর্ব সাধারণের জন্য।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৪৫
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ
بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ
وَأَنْ أَنْصَحَ لِكُلِّ مُسْلِمٍ - قَالَ - وَكَانَ إِذَا بَاعَ الشَّىْءَ أَوِ
اشْتَرَاهُ قَالَ " أَمَا إِنَّ الَّذِي أَخَذْنَا مِنْكَ أَحَبُّ
إِلَيْنَا مِمَّا أَعْطَيْنَاكَ فَاخْتَرْ " .
জারীর (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, শ্রবণ, অনুসরণ ও প্রত্যেক
মুসলিমের কল্যাণ কামনার জন্য বাই‘আত গ্রহণ করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, জারীর (রাঃ)
কোন কিছু বিক্রি করলে বা কিনলে বলতেন, আমি যা আপনার কাছ হতে কিনেছি তা আমার নিকট
আপনাকে যা দিয়েছি তার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়। সুতরাং আপনার স্বাধীনতা থাকলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৮
মুসলিমকে সাহায্য করা
৪৯৪৬
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرٍ، وَعُثْمَانُ، ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ - الْمَعْنَى قَالاَ حَدَّثَنَا
أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ عُثْمَانُ وَجَرِيرٌ الرَّازِيُّ ح وَحَدَّثَنَا وَاصِلُ
بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي
صَالِحٍ، - وَقَالَ وَاصِلٌ قَالَ حُدِّثْتُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ثُمَّ اتَّفَقُوا
- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
نَفَّسَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ
كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ - وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ
يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ عَلَى
مُسْلِمٍ سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللَّهُ فِي
عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ " . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ عُثْمَانُ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ " وَمَنْ يَسَّرَ
عَلَى مُعْسِرٍ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে দুনিয়ার বিপদসমূহের মধ্যকার কোন বিপদ হতে রক্ষা
করবে, এর প্রতিদানে আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিনের বিপদসমূহের কোন বিপদ হতে তাকে
রক্ষা করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন গরীব লোকের সঙ্গে (পাওনা আদায়ে) নম্র ব্যবহার
করবে, আল্লাহ্ তার সঙ্গে দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় স্থানে নম্র ব্যবহার করবেন। যে
ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন করে রাখবে আল্লাহ্ও তার দোষত্রুটি দুনিয়া ও
আখিরাত উভয় স্থানে গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহ্ও
ততক্ষণ তাঁর বান্দার সাহায্য করেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উসমান (রহঃ), আবূ
মু‘আবিয়াহ (রহঃ) সূত্রে “যে ব্যক্তি গরীব ব্যক্তির সঙ্গে নম্র ব্যবহার করবে ...” এ
কথাটুকু উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৪৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ
الأَشْجَعِيِّ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ
نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ " .
হুযাইফাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক ভাল কাজই একটি সদাক্বাহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬৯
নাম পরির্বতন করা
৪৯৪৮
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ
حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي
زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ
وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ " . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ ابْنُ أَبِي زَكَرِيَّاءَ لَمْ يُدْرِكْ أَبَا الدَّرْدَاءِ .
আবূ দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন
তোমাদেরকে, তোমাদের ও তোমাদের পিতাদের নাম ধরে ডাকা হবে। তাই তোমরা তোমাদের সুন্দর
নামকরণ করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী ইবনু আবূ যাকরিয়া (রহঃ) আবূ
দারদার (রাঃ) সাক্ষাৎ পাননি।৪৯৪৬
দুর্বল: মিশকাত হা/৪৭৬৮, যঈফাহ হা/৫৪৬০।
৪৯৪৬দারিমী,
আহমাদ। এর সানাদে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৯৪৯
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ زِيَادٍ، سَبَلاَنُ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " أَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى عَبْدُ
اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ " .
ইবনু উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো ‘আব্দুল্লাহ
এবং ‘আব্দুর রহমান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫০
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعِيدٍ الطَّالْقَانِيُّ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي
عَقِيلُ بْنُ شَبِيبٍ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجُشَمِيِّ، وَكَانَتْ، لَهُ صُحْبَةٌ
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ
الأَنْبِيَاءِ وَأَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ
الرَّحْمَنِ وَأَصْدَقُهَا حَارِثٌ وَهَمَّامٌ وَأَقْبَحُهَا حَرْبٌ وَمُرَّةُ
" .
আবূ ওয়াহব
আল্-জিশামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে
নামকরণ করো। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো ‘আব্দুল্লাহ ও ‘আব্দুর রহমান।
নামের মাঝে হারিস ও হাম্মাম হলো বিশ্বস্ত নাম এবং হারব ও মুররাহ হলো সবচেয়ে
নিকৃষ্ট নাম।
সহীহ, তার এ কথাটি বাদে: “তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে নামকরণ করো”।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫১
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ
أَنَسٍ، قَالَ ذَهَبْتُ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم حِينَ وُلِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي عَبَاءَةٍ
يَهْنَأُ بَعِيرًا لَهُ قَالَ " هَلْ مَعَكَ تَمْرٌ " . قُلْتُ
نَعَمْ - قَالَ - فَنَاوَلْتُهُ تَمَرَاتٍ فَأَلْقَاهُنَّ فِي فِيهِ فَلاَكَهُنَّ
ثُمَّ فَغَرَ فَاهُ فَأَوْجَرَهُنَّ إِيَّاهُ فَجَعَلَ الصَّبِيُّ يَتَلَمَّظُ
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " حِبُّ الأَنْصَارِ التَّمْرُ
" . وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ ত্বালহার (রাঃ) পুত্র
‘আব্দুল্লাহকে তাঁর জন্মগ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে যাই। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি উলের
আলখাল্লা পরা ছিলেন এবং তাঁর উটের গায়ে তৈল মালিশ করছিলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন,
তোমার সঙ্গে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি তাঁকে
কয়েকটি খেজুর দিলাম। তিনি ঐ খেজুরগুলো তাঁর মুখে দিয়ে চিবালেন এং তাঁর মুখ হতে শিশুর
মুখ খুলে তাতে দিলেন। তখন শিশুটি তাঁর মুখ নাড়তে শুরু করে এবং খাওয়ার জন্য চেষ্টা
করতে থাকে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআনসারদের পছন্দনীয়
খাদ্য হলো খেজুর এবং শিশুটির নাম রাখলেন ‘আব্দুল্লাহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭০
মন্দ নাম পরিবর্তন
করা
৪৯৫২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ
اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم غَيَّرَ اسْمَ عَاصِيَةَ وَقَالَ " أَنْتِ جَمِيلَةُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ‘উমার (রাঃ) এর কন্যা আসিয়ার নাম পরিবর্তন করে বলেন, তোমার নাম হলো
জামীলাহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫৩
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ،
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ
زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، سَأَلَتْهُ مَا سَمَّيْتَ ابْنَتَكَ قَالَ
سَمَّيْتُهَا بَرَّةَ فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى
عَنْ هَذَا الاِسْمِ سُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" لاَ تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمُ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ
" . فَقَالَ مَا نُسَمِّيهَا قَالَ " سَمُّوهَا زَيْنَبَ "
.
মুহাম্মদ ইবনু ‘আমর
ইবনু ‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন
করেন, তোমার মেয়ের কি নাম রেখেছো? তিনি বললেন, আমি, তার নাম রেখেছি বাররা
(পুণ্যবতী)। অত:পর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ
ধরনের নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নামও বাররা রাখা হয়েছিলো। নবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই
ভাল জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান”। অত:পর তিনি বললেন, আমি এর কি নাম রাখবো?
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এর নাম রাখো যাইনাব।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৪৯৫৪
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ - قَالَ حَدَّثَنِي
بَشِيرُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ عَمِّهِ، أُسَامَةَ بْنِ أَخْدَرِيٍّ أَنَّ رَجُلاً،
يُقَالُ لَهُ أَصْرَمُ كَانَ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا اسْمُكَ
" . قَالَ أَنَا أَصْرَمُ . قَالَ " بَلْ أَنْتَ زُرْعَةُ
" .
উসামাহ ইবনু আখদারী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক লোকের নাম ছিল আসরাম (কর্কশ)।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেন, তোমার নাম কি? তিনি
বললেন, আমি আসরাম। তিনি বললেনঃনা, এ নাম ঠিক নয়, বরং তুমি যুর’আহ (শস্যদানা)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫৫
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ يَزِيدَ، - يَعْنِي ابْنَ الْمِقْدَامِ بْنِ
شُرَيْحٍ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، شُرَيْحٍ عَنْ أَبِيهِ، هَانِئٍ أَنَّهُ
لَمَّا وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ قَوْمِهِ سَمِعَهُمْ
يَكْنُونَهُ بِأَبِي الْحَكَمِ فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَكَمُ وَإِلَيْهِ الْحُكْمُ فَلِمَ
تُكْنَى أَبَا الْحَكَمِ " . فَقَالَ إِنَّ قَوْمِي إِذَا اخْتَلَفُوا
فِي شَىْءٍ أَتَوْنِي فَحَكَمْتُ بَيْنَهُمْ فَرَضِيَ كِلاَ الْفَرِيقَيْنِ .
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَحْسَنَ هَذَا فَمَا
لَكَ مِنَ الْوَلَدِ " . قَالَ لِي شُرَيْحٌ وَمُسْلِمٌ وَعَبْدُ اللَّهِ
. قَالَ " فَمَنْ أَكْبَرُهُمْ " . قُلْتُ شُرَيْحٌ قَالَ
" فَأَنْتَ أَبُو شُرَيْحٍ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ شُرَيْحٌ
هَذَا هُوَ الَّذِي كَسَرَ السِّلْسِلَةَ وَهُوَ مِمَّنْ دَخَلَ تُسْتَرَ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَبَلَغَنِي أَنَّ شُرَيْحًا كَسَرَ بَابَ تُسْتَرَ وَذَلِكَ
أَنَّهُ دَخَلَ مِنْ سِرْبٍ .
হানী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি যখন তার গোত্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলেন, তখন তিনি
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার গোত্রের লোকদেরকে তাকে আবূল হাকাম উপনামে
ডাকতে শুনে তাকে ডেকে বললেন, আল্লাহই হলেন হাকাম এবং তাঁর নিকটই ন্যায়বিচার ও
নির্দেশ। তোমার উপনাম কি করে আবূল হাকাম হলো? তিনি বললেন, আমার গোত্রের লোকজনের
মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে তারা মীমাংসার জন্য আমার নিকট আসে। আমি যে সিদ্ধান্ত দেই
তাতে তারা উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ এটাতো খুবই উত্তম কাজ! তোমার কি কোন সন্তান আছে? হানী (রাঃ) বললেন, শুরাইহ,
মুসলিম ও আব্দুল্লাহ নামে আমার তিনটি ছেলে আছে। তিনি বললেন, এদের মধ্যে বড় কে? আমি
বললাম, শুরাইহ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি আবূ শুরাইহ। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইনি
হলেন সেই শুরাইহ (রাঃ) যিনি শিকল ভেঙ্গেছিলেন এবং তুসতার (দুর্গে) প্রবেশ
করেছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, শুরাইহ (রাঃ) তুসতার
দুর্গের প্রবেশ পথ ভেঙ্গে ফেলেন এবং একটি সুড়ঙ্গ পথে তাতে প্রবেশ করেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ
الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " مَا اسْمُكَ " .
قَالَ حَزْنٌ . قَالَ " أَنْتَ سَهْلٌ " . قَالَ لاَ السَّهْلُ
يُوطَأُ وَيُمْتَهَنُ . قَالَ سَعِيدٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُصِيبُنَا بَعْدَهُ
حُزُونَةٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَغَيَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اسْمَ
الْعَاصِ وَعَزِيزٍ وَعَتَلَةَ وَشَيْطَانٍ وَالْحَكَمِ وَغُرَابٍ وَحُبَابٍ
وَشِهَابٍ فَسَمَّاهُ هِشَامًا وَسَمَّى حَرْبًا سَلْمًا وَسَمَّى الْمُضْطَجِعَ
الْمُنْبَعِثَ وَأَرْضًا تُسَمَّى عَفِرَةَ سَمَّاهَا خَضِرَةَ وَشِعْبَ
الضَّلاَلَةِ سَمَّاهُ شِعْبَ الْهُدَى وَبَنُو الزِّنْيَةِ سَمَّاهُمْ بَنِي
الرِّشْدَةِ وَسَمَّى بَنِي مُغْوِيَةَ بَنِي رِشْدَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
تَرَكْتُ أَسَانِيدَهَا لِلاِخْتِصَارِ .
সাঈদ ইবনুল
মুসাইয়াব (রহঃ) হতে তার পিতা এবং তার দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বললেন, হাযন (কর্কশ)। তিনি
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমার নাম সাহল (সহজ)। তিনি বললেন, না,
কারণ সহজ-সরলকে পদদলিত করা হয়, অপমান করা হয়। বর্ণনাকারী সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি
ধারণা করলাম যে, অচিরেই আমাদের উপর বিপদ বা কঠোরতা নেমে আসতে পারে। ইমাম আবূ দাউদ
(রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আস (অবাধ্য), আযীয
(পরাক্রমশালী), আতলাহ (কর্কশ), শয়তান, হাকাম (বিচারক), গুরাব (কাক) হুবাব (সাপ) ও
শিহাব (উল্কা) নামকে পরিবর্তন করে রেখেছেন হিশাম (বিধ্বস্তকারী)। তিনি হারব
(যুদ্ধ) এর পরিবর্তে সালাম (শান্তি) মুনবাইস (শয়নকারী) কে মুদতাদি (জাগরিত),
আফিরাহ (অনুর্বর) নামক এলাকাকে খাদিরাহ (সবুজ), আদ-দালালাহ (বিপথ) উপত্যকাকে
আল-হুদা (হিদায়াতের পথ), বনূ যানিয়াহ (জারজ সন্তান) এর নাম বনূর-রিশদাহ (নির্মল
সন্তান) এবং বনু মুগবিয়াহ (বিপথগামী নারীর সন্তান) এর বনূ রিশদা (হিদায়াতপ্রাপ্ত
নারীর সন্তান) নামকরণ করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫৭
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ،
حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ،
عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ لَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
فَقَالَ مَنْ أَنْتَ قُلْتُ مَسْرُوقُ بْنُ الأَجْدَعِ . فَقَالَ عُمَرُ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الأَجْدَعُ
شَيْطَانٌ " .
মাসরূক (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আমি উমার ইবনুল
খাত্তাবের (রাঃ) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, মাসরূক ইবনুল
আজদা’। উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে
বলতে শুনেছি: আল-আজদা হলো একটি শয়তান। [৪৯৫৫]
দুর্বল: মিশকাত হা/৪৭৬৭।
[৪৯৫৫]
ইবনু মাজাহ, আহমাদ, হাকিম। সানাদে মুজালিদ বিন সাঈদ শক্তিশালী নন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৯৫৮
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ،
عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ عُمَيْلَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ
جُنْدُبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
تُسَمِّيَنَّ غُلاَمَكَ يَسَارًا وَلاَ رَبَاحًا وَلاَ نَجِيحًا وَلاَ أَفْلَحَ
فَإِنَّكَ تَقُولُ أَثَمَّ هُوَ فَيَقُولُ لاَ إِنَّمَا هُنَّ أَرْبَعٌ فَلاَ
تَزِيدَنَّ عَلَىَّ " .
সামুরাহ ইবনু
জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমার সন্তানের নাম উয়াসার (সম্পদ), রাবাহ (মুনাফা),
নাজীহ (সফল) বা আফলাহা (কৃতকার্য) রাখবে না। কারণ তুমি যখন প্রশ্ন করবে, সে কি
এখানে আছে, জবাবদাতা বলবে, না। সামুরাহ (রাঃ) বলেন, চারটি নাম উল্লেখ করা হলো।
আমার নিকট এর অতিরিক্ত প্রশ্ন করো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৫৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ الرُّكَيْنَ،
يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَنْ نُسَمِّيَ رَقِيقَنَا أَرْبَعَةَ أَسْمَاءٍ أَفْلَحَ وَيَسَارًا
وَنَافِعًا وَرَبَاحًا .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাদের দাসদের নামকরণের ক্ষেত্রে চারটি নাম রাখতে বারণ করেছেন:
আফলাহ, ইয়াসার, নাফি’ ও রাবাহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৬০
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْهَى أُمَّتِي أَنْ
يُسَمُّوا نَافِعًا وَأَفْلَحَ وَبَرَكَةَ " . قَالَ الأَعْمَشُ وَلاَ
أَدْرِي ذَكَرَ نَافِعًا أَمْ لاَ " فَإِنَّ الرَّجُلَ يَقُولُ إِذَا جَاءَ
أَثَمَّ بَرَكَةٌ فَيَقُولُونَ لاَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى أَبُو
الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ
يَذْكُرْ بَرَكَةَ .
জাবির থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইনশাআল্লাহ যদি আমি জীবিত থাকি তবে আমার উম্মাতকে নাফি,
আফলাহ, বারকাত এরূপ নামকরণ করতে বারণ করবো। আমাশ (রহঃ) বলেন, আমি অবহিত নই যে,
তিনি নাফি নামটি উল্লেখ করেছেন কিনা। কারণ কোন লোক এসে যখন প্রশ্ন করে, বরকত এখানে
আছে কি? লোকে বলে, না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ যুবাইর (রহঃ) জাবির (রাঃ)
হতে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ
বর্ণনা করেন, তবে তাতে বারাকাত নাম উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৬১
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي
الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَخْنَعُ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ
وَتَعَالَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ تَسَمَّى مَلِكَ الأَمْلاَكِ " .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ
بِإِسْنَادِهِ قَالَ " أَخْنَى اسْمٍ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
ক্বিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর নিকট ঐ ব্যক্তির নামই সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে যার নাম
রাখা হয় মালিকুল আমলাক (রাজাধিরাজ)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭১
উপনাম সম্পর্কে
৪৯৬২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عَامِرٍ،
قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو جُبَيْرَةَ بْنُ الضَّحَّاكِ، قَالَ فِينَا نَزَلَتْ
هَذِهِ الآيَةُ فِي بَنِي سَلِمَةَ { وَلاَ تَنَابَزُوا بِالأَلْقَابِ بِئْسَ
الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الإِيمَانِ } قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ مِنَّا رَجُلٌ إِلاَّ وَلَهُ اسْمَانِ أَوْ
ثَلاَثَةٌ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَا فُلاَنُ
" . فَيَقُولُونَ مَهْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَغْضَبُ مِنْ هَذَا
الاِسْمِ فَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ { وَلاَ تَنَابَزُوا بِالأَلْقَابِ }
.
আবূ জুরাইরা ইবনুদ
দাহহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের বনী সালিমাহ সম্পর্কে এ আয়াত
অবতীর্ণ হয়: “তোমরা একে অপরকে মন্দ উপাধিতে ডেকো না। কারণ ঈমানের পর মন্দ নামে
ডাকা পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত” (সূরাহ আল হুজরাত: ১১) বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আমাদের মাঝে আগমন করেন তখন আমাদের
প্রত্যেকেরই দুই-তিনটা করে নাম ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) “হে অমুক” এভাবে ডাকলে তারা বলতেন, হে আল্লাহর রাসূল! থামুন, সে ব্যক্তি
এ নামে ডাকলে অসন্তুষ্ট হবে। অতঃপর এ আয়াত নাযিল হলো: “তোমরা একে অন্যকে মন্দ
উপাধিতে ডেকো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭২
আবূ ঈসা উপনাম রাখা
৪৯৬৩
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ
الْخَطَّابِ، رضى الله عنه ضَرَبَ ابْنًا لَهُ تَكَنَّى أَبَا عِيسَى وَأَنَّ
الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ تَكَنَّى بِأَبِي عِيسَى فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَمَا
يَكْفِيكَ أَنْ تُكَنَّى بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم كَنَّانِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ وَإِنَّا فِي
جَلْجَلَتِنَا فَلَمْ يَزَلْ يُكْنَى بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ حَتَّى هَلَكَ .
যায়িদ ইবনু আসলাম
(রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) তার এক ছেলে আবূ ঈসা উপনাম করায়
তাকে প্রহার করেন। মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ)-এর উপনাম ছিল আবূ ঈসা। উমার (রাঃ)
তাকে বললেন, তোমার উপনাম পাল্টে আবূ আব্দুল্লাহ রাখলে কি যথেষ্ট নয়? তিনি বললেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এ উপনাম দিয়েছেন। উমার
(রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পূর্বাপরের সব
গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। আর আমরা তো উদ্বিগ্ন আছি। এরপর হতে মৃত্যু পর্যন্ত
তার পদবী আবূ ‘আব্দুল্লাহ ছিল। [৪৯৬১]
[৪৯৬১]
বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৭৩
অন্যের পুত্রকে ‘হে
আমার পত্র’ বলা সম্পর্কে
৪৯৬৪
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَمُحَمَّدُ
بْنُ مَحْبُوبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، -
وَسَمَّاهُ ابْنُ مَحْبُوبٍ الْجَعْدَ - عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " يَا بُنَىَّ " .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يُثْنِي عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ
مَحْبُوبٍ وَيَقُولُ كَثِيرُ الْحَدِيثِ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে
‘হে আমার পুত্র’ বলে সম্বোধন করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৪
কারো আবুল ক্বাসিম
উপনাম রাখা সম্পর্কে
৪৯৬৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَسَمَّوْا
بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَكَذَلِكَ رِوَايَةُ
أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ وَسَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ جَابِرٍ
وَسُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرٍ
نَحْوَهُمْ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো কিন্তু আমার উপনামে উপনাম রেখো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৫
কারো একই সঙ্গে নাবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাম ও উপনাম গ্রহণ ঠিক নয়
৪৯৬৬
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ
جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ تَسَمَّى
بِاسْمِي فَلاَ يَكْتَنِي بِكُنْيَتِي وَمَنْ تَكَنَّى بِكُنْيَتِي فَلاَ
يَتَسَمَّى بِاسْمِي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى بِهَذَا الْمَعْنَى
ابْنُ عَجْلاَنَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مُخْتَلِفًا عَلَى الرِّوَايَتَيْنِ وَكَذَلِكَ رِوَايَةُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ اخْتُلِفَ فِيهِ
رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ عَلَى مَا قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ
وَرَوَاهُ مَعْقِلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَلَى مَا قَالَ ابْنُ سِيرِينَ
وَاخْتُلِفَ فِيهِ عَلَى مُوسَى بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَيْضًا عَلَى
الْقَوْلَيْنِ اخْتَلَفَ فِيهِ حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ وَابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার নামানুসারে তার নাম রাখবে সে যেন আমার উপনামে তার উপনাম
না রাখে। আর যে ব্যক্তি আমার উপনামে উপনাম গ্রহণ করবে সে যেন আমার নামে তার নাম না
রাখে।
৪৯৬৪ তিরমিযী,
আহমাদ।
হাদিসের মানঃমুনকার
অনুচ্ছেদ-৭৬
নাম ও উপনাম উভয়টি
একত্রে গ্রহণের অনুমুতি প্রসঙ্গে
৪৯৬৭
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو
أُسَامَةَ، عَنْ فِطْرٍ، عَنْ مُنْذِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ،
قَالَ قَالَ عَلِيٌّ رَحِمَهُ اللَّهُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ وُلِدَ لِي
مِنْ بَعْدِكَ وَلَدٌ أُسَمِّيهِ بِاسْمِكَ وَأُكْنِيهِ بِكُنْيَتِكَ قَالَ
" نَعَمْ " . وَلَمْ يَقُلْ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ قَالَ عَلِيٌّ
عَلَيْهِ السَّلاَمُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মাদ ইবনুল
হানাফিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল। আপনার ইন্তিকালের পরে আমার যদি কোন পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে
তাহলে আমি কি তার নাম ও উপনাম আপনার নাম ও উপনামে রাখবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
বর্ণনাকারী আবূ বাকর (রহঃ)-এর বর্ণনায় ‘আমি বললাম’ কথাটি নেই, রয়েছে আলী (রাঃ) নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৬৮
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ الْحَجَبِيُّ، عَنْ
جَدَّتِهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ
يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ وَلَدْتُ غُلاَمًا فَسَمَّيْتُهُ مُحَمَّدًا
وَكَنَّيْتُهُ أَبَا الْقَاسِمِ فَذُكِرَ لِي أَنَّكَ تَكْرَهُ ذَلِكَ فَقَالَ
" مَا الَّذِي أَحَلَّ اسْمِي وَحَرَّمَ كُنْيَتِي " . أَوْ
" مَا الَّذِي حَرَّمَ كُنْيَتِي وَأَحَلَّ اسْمِي " .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমি একটি পুত্র সন্তান
জন্ম দিয়েছি এবং তার নাম রেখেছি মুহাম্মাদ আর উপনাম রেখেছি আবূল ক্বালিম। আমাকে
বলা হয়েছে, আপনি এরূপ পছন্দ করেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ কোন জিনিস আমার নামে নাম রাখাকে হালাল করবে এবং উপনামকে হারাম
করবে অথবা কোন জিনিস আমার উপনামে উপনাম দেয়াকে হালাল করে এবং আমার নামে নাম রাখাকে
হারাম করবে।
৪৯৬৬ আহমাদ,
বায়হাক্বী, ত্বাবারানী। সানাদের মুহাম্মাদ বিন ইমরান সম্পর্কে হাফিয বলেন : মাসতূর।
ইমাম যাহাবী বলেন: তার মুনকার হাদীস রয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৭
সন্তানহীন ব্যক্তির
উপনাম
৪৯৬৯
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ عَلَيْنَا
وَلِي أَخٌ صَغِيرٌ يُكْنَى أَبَا عُمَيْرٍ وَكَانَ لَهُ نُغَرٌ يَلْعَبُ بِهِ
فَمَاتَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَرَآهُ
حَزِينًا فَقَالَ " مَا شَأْنُهُ " . قَالُوا مَاتَ نُغَرُهُ
فَقَالَ " يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসতেন। আর আমার একটি ছোট ভাই ছিল তার উপনাম ছিল আবূ
উমাইর এবং তার একটি ছোট পাখি (নুগার) ছিল। একে নিয়ে সে খেলতো। নুগার মারা গেলে
একদিন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট এসে তাকে মর্মাহত দেখে
বললেনঃ তার কি হয়েছে? তারা বললেন, তার নুগার (পাখিটি) মারা গেছে। নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওহে আবু উমাইর। কি হয়েছে তোমার নুগাইর?
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৮
নারীদের উপনাম গ্রহণ
৪৯৭০
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا
حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله
عنها أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُلُّ صَوَاحِبِي لَهُنَّ كُنًى .
قَالَ " فَاكْتَنِي بِابْنِكِ عَبْدِ اللَّهِ " . يَعْنِي ابْنَ
أُخْتِهَا قَالَ مُسَدَّدٌ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ فَكَانَتْ
تُكَنَّى بِأُمِّ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا قَالَ
قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ وَمَعْمَرٌ جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ نَحْوَهُ وَرَوَاهُ
أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ حَمْزَةَ وَكَذَلِكَ حَمَّادُ
بْنُ سَلَمَةَ وَمَسْلَمَةُ بْنُ قَعْنَبٍ عَنْ هِشَامٍ كَمَا قَالَ أَبُو
أُسَامَةَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমার প্রত্যেক
বান্ধবীর ডাকনাম আছে। আপনি আমার একটি ডাকনাম ঠিক করে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার
(বোনের) ছেলে ‘আবদুল্লাহর নামানুসারে উপনাম গ্রহণ করো। মুসাদ্দাদ (রহঃ) বলেন,
যুবাইর (রাঃ)-র পুত্র আবদুল্লাহ। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি উম্মু ‘আবদুল্লাহ উপনাম
গ্রহণ করলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৯
পরোক্ষ মিথ্যাচার
৪৯৭১
حَدَّثَنَا
حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيُّ، - إِمَامُ مَسْجِدِ حِمْصٍ - حَدَّثَنَا
بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ ضُبَارَةَ بْنِ مَالِكٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يَقُولُ " كَبُرَتْ خِيَانَةً أَنْ تُحَدِّثَ أَخَاكَ
حَدِيثًا هُوَ لَكَ بِهِ مُصَدِّقٌ وَأَنْتَ لَهُ بِهِ كَاذِبٌ " .
সুফিয়ান ইবনু আসীদ
আল-হাদরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, সবচেয়ে বড়
বিশ্বাঘাতকতা হলো তুমি তোমার কোন ভাইকে কোন কথা বলেছো এবং সে তোমার কথা সত্য বলে
বিশ্বাস করে নিয়েছে, অথচ তুমি যা বলেছো তা ছিলো মিথ্যা। ৪৯৬৯
দুর্বল : যঈফাহ হা/১২৫১।
৪৯৬৯ বুখারী
আদাবুল মুফরাদ, বায়হাক্বী। সানাদে যুবারাহ বিন মালিক রয়েছে। তিনি অজ্ঞাত। যেমন বলেছেন
যাহাবী মীযান গ্রন্থে এবং হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮০
কোন ব্যক্তির
“যা‘আমূ” শব্দ ব্যবহার করা সম্পর্কে
৪৯৭২
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ
يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ لأَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَوْ
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ لأَبِي مَسْعُودٍ مَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يَقُولُ فِي " زَعَمُوا " . قَالَ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " بِئْسَ مَطِيَّةُ الرَّجُلِ
زَعَمُوا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هَذَا حُذَيْفَةُ
.
আবূ ক্বিলাবাহ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আবূ মাস‘উদ (রাঃ) আবূ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে অথবা আবূ ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) আবূ মাস‘উদ (রাঃ)-কে প্রশ্ন
করলেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “যা‘আমূ” শব্দ
সম্পর্কে কী বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ “যা‘আমূ” শব্দটি কোন ব্যক্তির নিকৃষ্ট ভারবাহী পশুর
ন্যায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮১
বক্তব্যে ‘আম্মা বা’দ
শব্দের ব্যবহার
৪৯৭৩
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ
أَبِي حَيَّانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَهُمْ فَقَالَ " أَمَّا بَعْدُ
" .
যায়িদ ইবনু আরক্বাম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের
উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং শুরুতে বললেন, আম্ম বা‘দ (অতঃপর)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮২
আঙ্গুরকে কারম বলা
এবং বাকসংযত হওয়া
৪৯৭৪
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ
بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ
يَقُولَنَّ أَحَدُكُمُ الْكَرْمَ فَإِنَّ الْكَرْمَ الرَّجُلُ الْمُسْلِمُ
وَلَكِنْ قُولُوا حَدَائِقَ الأَعْنَابِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন (আঙ্গুরকে) কারাম না বলে। কারণ মুসলিমই হলো
কারাম (সম্ভ্রান্ত)। কিন্তু তোমরা ‘হাদাইকুল আ‘নাব’ (আঙ্গুরের বাগান) বলবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৩
দাস/সেবক তার মালিককে
‘আমার রব’ বলবে না
৪৯৭৫
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَحَبِيبِ بْنِ
الشَّهِيدِ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ عَبْدِي
وَأَمَتِي وَلاَ يَقُولَنَّ الْمَمْلُوكُ رَبِّي وَرَبَّتِي وَلْيَقُلِ الْمَالِكُ
فَتَاىَ وَفَتَاتِي وَلْيَقُلِ الْمَمْلُوكُ سَيِّدِي وَسَيِّدَتِي فَإِنَّكُمُ
الْمَمْلُوكُونَ وَالرَّبُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ "
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ‘আমার দাস ও আমার দাসী’ না বলে এবং অধীনস্থরাও
যেন ‘আমার রব, আমার রাব্বাতী’ না বলে। বরং মনিব তার দাসকে বলবে, ফাতায়া ও ফাতাতী
(আমার যুবক ও আমার যুবতী)। আর অধীনস্থ লোকেরাও বলবে, আমার সাইয়িদ আমার সাইয়িদাহ
(আমার নেতা ও আমার নেত্রী)। কেননা তোমরা সবাই গোলাম। মহান আল্লাহই হলেন একমাত্র
রব।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৭৬
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ
الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي هَذَا
الْخَبَرِ وَلَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
وَلْيَقُلْ سَيِّدِي وَمَوْلاَىَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস ভিন্ন
সানাদে বর্ণিত। বর্ণনাকারী এতে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উল্লেখ
করেননি। এতে রয়েছে : সে যেন বলে, আমার নেতা, আমার নেত্রী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৭৭
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ،
قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ،
عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ
تَقُولُوا لِلْمُنَافِقِ سَيِّدٌ فَإِنَّهُ إِنْ يَكُ سَيِّدًا فَقَدْ
أَسْخَطْتُمْ رَبَّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু
বুরাইদাহ (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মুনাফিককে নেতা বলবে না। কেননা সে যদি নেতা হয় তাহলে
তোমরা তোমাদের মহামহিম আল্লাহকে রাগান্বিত করলে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৪
আমার আত্মা কলুষিত
হয়ে গেছে এরূপ না বলা
৪৯৭৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ
ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِيهِ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَقُولَنَّ
أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي وَلْيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي " .
সাহল ইবনু হুনাইফ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন না বলে “আমার আত্মা কলুষিত’ হয়ে গেছে। বরং বলবেঃ
আমার আত্মা অস্থির হয়ে পড়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৭৯
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ جَاشَتْ نَفْسِي وَلَكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ
نَفْسِي " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
তোমাদের কেউ যেন না বলে, আমার আত্মা বিক্ষুব্ধ হয়ে গেছে। বরং বলবেঃ আমার আত্মা
বিতৃষ্ণ হয়ে গেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৮০
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " لاَ تَقُولُوا مَا شَاءَ اللَّهُ وَشَاءَ فُلاَنٌ وَلَكِنْ
قُولُوا مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ شَاءَ فُلاَنٌ " .
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ তোমরা বলো না যে, আল্লাহ যা চান এবং অমুক লোক যা চায়। সুতরাং তোমরা বলো
আল্লাহ যা চান, অতঃপর অমুকে যা চায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৫
( এই অনুচ্ছেদে কোন
শিরোনাম নেই )
৪৯৮১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ
حَاتِمٍ، أَنَّ خَطِيبًا، خَطَبَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ
مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ وَمَنْ يَعْصِهِمَا . فَقَالَ
" قُمْ " . أَوْ قَالَ " اذْهَبْ فَبِئْسَ الْخَطِيبُ
أَنْتَ " .
আদী ইবনু হাতিম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক বক্তা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর উপস্থিতিতে বক্তৃতা করতে গিয়ে বললোঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের
অনুসরণ করলো সে সঠিক পথ পেলো আর যে তাদের আদেশ অমান্য করলো-এ পর্যন্ত বলার পর তিনি
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ওঠো। অথবা তিনি বললেন, চলে যাও। কারণ
তুমি কতই না খারাপ বক্তা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৮২
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ - عَنْ
خَالِدٍ، - يَعْنِي الْحَذَّاءَ - عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ،
عَنْ رَجُلٍ، قَالَ كُنْتُ رَدِيفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَثَرَتْ
دَابَّتُهُ فَقُلْتُ تَعِسَ الشَّيْطَانُ . فَقَالَ " لاَ تَقُلْ تَعِسَ
الشَّيْطَانُ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ تَعَاظَمَ حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ
الْبَيْتِ وَيَقُولَ بِقُوَّتِي وَلَكِنْ قُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنَّكَ إِذَا
قُلْتَ ذَلِكَ تَصَاغَرَ حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ الذُّبَابِ " .
আবুল মালীহ (রহঃ)
হতে এক ব্যক্তির থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জন্তুযানে নবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে বসা ছিলাম। হঠাৎ তার সাওয়ারী হোঁচট খেলে আমি
বললাম, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। তিনি বললেন, একথা বলো যে, না শয়তান ধ্বংস হয়েছে। কেননা
তুমি একথা বললে সে অহংকারে ঘরের মতো বড় আকৃতির হয়ে যাবে এবং সে বলবে, আমার ক্ষমতায়
হয়েছে। অতএব বলো, আল্লাহর নামে। যখন তুমি আল্লাহ নামে বলবে শয়তান হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে
মাছির মত হয়ে যাবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৮৩
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ،
حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا
سَمِعْتَ " . وَقَالَ مُوسَى " إِذَا قَالَ الرَّجُلُ هَلَكَ
النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَالِكٌ
إِذَا قَالَ ذَلِكَ تَحَزُّنًا لِمَا يَرَى فِي النَّاسِ - يَعْنِي فِي أَمْرِ
دِينِهِمْ - فَلاَ أَرَى بِهِ بَأْسًا وَإِذَا قَالَ ذَلِكَ عُجْبًا بِنَفْسِهِ
وَتَصَاغُرًا لِلنَّاسِ فَهُوَ الْمَكْرُوهُ الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ .
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তুমি কোন ব্যক্তিকে বলতে শুনবে, সকল লোক ধ্বংস হয়েছে, তখন
সে-ই তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ধ্বংসের কবলে পড়বে। অথবা সে যেন তাদেরকে ধ্বংস করলো।
বর্ণনাকারী মূসা (রাঃ) শুনেছিলেন পরিবর্তে বলেছেন উল্লেখ করেছেন। ইমাম আবূ দাউদ
(রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলেছেন, যে যদি ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের অবনতি লক্ষ্য করে
দুঃখে একথা বলে তাহলে আমার মতে তা দূষণীয় নয়। কিন্তু সে আত্মগর্বী হয়ে এবং লোকজনকে
তুচ্ছজ্ঞান করে একথা বললে তা হবে জঘন্য আচরণ, যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৬
আতামার সলাত
৪৯৮৪
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ،
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " لاَ تَغْلِبَنَّكُمُ الأَعْرَابُ عَلَى اسْمِ صَلاَتِكُمْ
أَلاَ وَإِنَّهَا الْعِشَاءُ وَلَكِنَّهُمْ يُعْتِمُونَ بِالإِبِلِ " .
আবূ সালামহ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) কে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি
বলেনঃ বেদুঈনরা যেন সলাতের ওয়াক্তের নামকরণের ক্ষেত্রে তোমাদেরকে পরাভূত করতে না
পারে। জেনে রাখো, সেটি হলো ইশার সলাত। কিন্তু তারা রাতের অন্ধকার আসা পর্যন্ত
অপেক্ষা করে উটের দুধ দোহন করে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৮৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرُ بْنُ كِدَامٍ،
عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ قَالَ
رَجُلٌ - قَالَ مِسْعَرٌ أُرَاهُ مِنْ خُزَاعَةَ - لَيْتَنِي صَلَّيْتُ
فَاسْتَرَحْتُ فَكَأَنَّهُمْ عَابُوا عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَا بِلاَلُ أَقِمِ الصَّلاَةَ
أَرِحْنَا بِهَا " .
সালিম ইবনু আবুল
জা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলেন, মিস‘আর বলেছেন,
আমার ধারণা, সে ব্যক্তি খুযাআ গোত্রীয়, যদি আমি সলাত পড়তাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম।
উপস্থিত লোকজন নারাজ হলো। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল। সলাত ক্বায়িম করো। আমরা এর মাধ্যমে স্বস্তি
লাভ করতে পারবো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৮৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ
الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَأَبِي، إِلَى صِهْرٍ
لَنَا مِنَ الأَنْصَارِ نَعُودُهُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَقَالَ لِبَعْضِ
أَهْلِهِ يَا جَارِيَةُ ائْتُونِي بِوَضُوءٍ لَعَلِّي أُصَلِّي فَأَسْتَرِيحَ -
قَالَ - فَأَنْكَرْنَا ذَلِكَ عَلَيْهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " قُمْ يَا بِلاَلُ أَقِمْ فَأَرِحْنَا بِالصَّلاَةِ
" .
আবদুল্লাহ ইবনু
মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে আমি ও
আমার পিতা আনসার গোত্রীয় আমার শ্বশুরবাড়ি গেলাম। তখন সলাতের ওয়াক্ত হলে তিনি তার
পরিবারের একজনকে ডেকে বললেন, এই যে মেয়ে। উযূর জন্যে পানি আনো, যাতে আমি সলাত পড়ে
প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বর্ণনাকারী বলেন, তার একথায় আমরা নারাজ হলে তিনি বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল।
আযান দাও, আমরা সলাতের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করবো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৮৭
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا
هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها،
قَالَتْ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْسُبُ أَحَدًا إِلاَّ
إِلَى الدِّينِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দ্বীনের সাথে সম্পৃক্ত করা ছাড়া অন্যভাবে কারো পরিচয় দিতে
শুনিনি।৪৯৮৫
৪৯৮৫ আবূ
দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদের যায়িদ বিন আসলাম হাদীসটি ‘আয়িশাহ হতে শুনেননি।
সুতরাং সানাদ মুনকাতি। এছাড়া সানাদে হিশাম ইবনু সাঈদ সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি
তেমন শক্তিশালী নন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৭
পরিচিতির ব্যাপারে
বিকল্প ব্যবস্থা অনুমোদিত
৪৯৮৮
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ،
قَالَ كَانَ فَزَعٌ بِالْمَدِينَةِ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَرَسًا لأَبِي طَلْحَةَ فَقَالَ " مَا رَأَيْنَا شَيْئًا " .
أَوْ " مَا رَأَيْنَا مِنْ فَزَعٍ وَإِنْ وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا "
.
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা মদিনায় লোকেরা ভীতসন্ত্রস্ত
হয়ে পড়লো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ ত্বালহার (রাঃ) এর ঘোড়ায়
চড়ে অনুসন্ধান করে এসে বললেনঃ আমি তো ভীতিজনক কোন কিছুই দেখলাম না। আমি ঘোড়াটিকে
সমুদ্রের ন্যায় (দ্রুতগতির) পেয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৮
মিথ্যাচার সম্পর্কে
কঠোরতা
৪৯৮৯
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، ح
وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا
الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ
يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ
الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ
كَذَّابًا وَعَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ
وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ
وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا " .
আবদুল্লাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মিথ্যাচার বর্জন করো। কেননা মিথ্যা পাপাচারের দিকে
ধাবিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। কোন ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বলতে থাকলে
এবং মিথ্যাচারকে স্বভাবে পরিণত করলে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তার নাম মিথ্যুক
হিসেবেই লেখা হয়। আর তোমরা অবশ্যই সততা অবলম্বন করবে। কেননা সততা নেক কাজের দিকে
পথ দেখায় এবং নেক কাজ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। আর কোন ব্যক্তি সর্বদা সততা বজায়
রাখলে এবং সততাকে নিজের স্বভাবে পরিণত করলে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকটে তার নাম
পরম সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৯০
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ
حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَقُولُ " وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ
الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ " .
বাহয ইবনু হাকীম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা তার পিতার সূত্রে আমাকে
হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মানুষকে হাসানোর জন্য যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তার জন্য
ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯৯১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ
مَوَالِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ الْعَدَوِيِّ حَدَّثَهُ عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ أَنَّهُ قَالَ دَعَتْنِي أُمِّي يَوْمًا وَرَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ فِي بَيْتِنَا فَقَالَتْ هَا تَعَالَ
أُعْطِيكَ . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَمَا
أَرَدْتِ أَنْ تُعْطِيهِ " . قَالَتْ أُعْطِيهِ تَمْرًا . فَقَالَ
لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنَّكِ لَوْ لَمْ
تُعْطِيهِ شَيْئًا كُتِبَتْ عَلَيْكِ كِذْبَةٌ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ঘরে বসা অবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বললেন, এই যে,
এসো! তোমাকে দিবো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন
করলেনঃ তাকে কি দেয়ার ইচ্ছা করেছো? তিনি বললেন, খেজুর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে তাহলে এ কারণে তোমার
আমলনামায় একটি মিথ্যার পাপ লিপিবদ্ধ হতো।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৪৯৯২
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، - قَالَ ابْنُ
حُسَيْنٍ فِي حَدِيثِهِ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا
سَمِعَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرْ حَفْصٌ أَبَا هُرَيْرَةَ
. قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يُسْنِدْهُ إِلاَّ هَذَا الشَّيْخُ يَعْنِي
عَلِيَّ بْنَ حَفْصٍ الْمَدَائِنِيَّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে কোন
কথা শোনামাত্রই (যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৯
সুধারণা পোষণ
৪৯৯৩
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ
عَلِيٍّ، عَنْ مُهَنَّا أَبِي شِبْلٍ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ أَفْهَمْهُ
مِنْهُ جَيِّدًا - عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ وَاسِعٍ،
عَنْ شُتَيْرٍ، - قَالَ نَصْرٌ : ابْنِ نَهَّارٍ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، -
قَالَ نَصْرٌ - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " حُسْنُ
الظَّنِّ مِنْ حُسْنِ الْعِبَادَةِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ مُهَنَّا
ثِقَةٌ بَصْرِيٌّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উত্তম ধারণা পোষণ উত্তম ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।৪৯৯১
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৩১৫০
৪৯৯১ আহমাদ,
ইবনু হিব্বান।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৯৯৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ
صَفِيَّةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا
فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ وَقُمْتُ فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ
مَعِي لِيَقْلِبَنِي - وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ -
فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا
إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ " . قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا
رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ
مَجْرَى الدَّمِ فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا " .
أَوْ قَالَ " شَرًّا " .
উম্মুল মু’মিমীন
সাফিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ই’তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। এক রাতে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে তাঁর নিকট
গেলাম। কথাবার্তা শেষ করে আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালে তিনিও আমাকে এগিয়ে দিতে
দাঁড়ালেন। তার (সাফিয়া (রাঃ)) বসবাসের স্থান ছিল উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ)-এর ঘর
(সংলগ্ন)।এ সময় আনসার গোত্রের দুই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে দ্রুত চলে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা থামো! ইনি (আমার স্ত্রী)
সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই। তারা দু’জনে বললেন, “সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল!
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শয়তান মানুষের মধ্যে
রক্তের মত চলাচল করে। তাই আমার ভয় হচ্ছিল যে, সে তোমাদের দু’জনের মনে মন্দ কিছু
নিক্ষেপ করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯০
ওয়াদা পালন
৪৯৯৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ
بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي النُّعْمَانِ،
عَنْ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " إِذَا وَعَدَ الرَّجُلُ أَخَاهُ - وَمِنْ نِيَّتِهِ أَنْ
يَفِيَ لَهُ - فَلَمْ يَفِ وَلَمْ يَجِئْ لِلْمِيعَادِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ
" .
যায়িদ ইবনু আরক্বাম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের সাথে ওয়াদা পূর্ণ করার নিয়্যাতে অঙ্গীকার
করে এবং কোন কারণে উক্ত অঙ্গীকার পূরণ করতে না পারে এবং ওয়াদা পূরণের নির্দিষ্ট
সময়ও না আসে তাহলে তার পাপ হবে না।৪৯৯৩
৪৯৯৩ তিরমিযী।
ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি গরীব। এর সানাদ মজবুত নয়। সানাদে আবূ নু’মান ও আবূ ওয়াক্কাস
উভয়ে অজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৪৯৯৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ
عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي الْحَمْسَاءِ، قَالَ بَايَعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
بِبَيْعٍ قَبْلَ أَنْ يُبْعَثَ وَبَقِيَتْ لَهُ بَقِيَّةٌ فَوَعَدْتُهُ أَنْ
آتِيَهُ بِهَا فِي مَكَانِهِ فَنَسِيتُ ثُمَّ ذَكَرْتُ بَعْدَ ثَلاَثٍ فَجِئْتُ
فَإِذَا هُوَ فِي مَكَانِهِ فَقَالَ " يَا فَتَى لَقَدْ شَقَقْتَ عَلَىَّ
أَنَا هَا هُنَا مُنْذُ ثَلاَثٍ أَنْتَظِرُكَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى هَذَا عِنْدَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا بَلَغَنِي عَنْ عَلِيِّ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ بَلَغَنِي أَنَّ بِشْرَ بْنَ السَّرِيِّ
رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ
হাম্সাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নবুওয়্যাত লাভের আগের ঘটনা। আমি তাঁর নিকট হতে একটা জিনিস কিনে কিছু
দাম বাকি রেখে এই বলে চলে গেলাম যে, আমি অবশিষ্ট মূল্য নিয়ে এখানে এসে পৌছিয়ে দিব।
পরে আমি অঙ্গীকার ভুলে গেলাম। তিনদিন পর আমার এ ওয়াদার কথা মনে পড়লো। আমি অবশিষ্ট
মূল্য নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম, তিনি সেখানেই আছেন। তিনি বললেন, ওহে
যুবক! তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছ। আমি তিনদিন যাবত এখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।৪৯৯৪
৪৯৯৪ বায়হাক্বী।
ইবনুল জাওযী বলেনঃ বর্ণনাটি সহীহ নয়। সানাদে রয়েছে আবদুল কারীম। আইয়ূব সাখতায়ানী তাকে
মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি কিছুই না। হাফিয বলেনঃ যঈফ। ইমাম
নাসায়ী ও দারাকুতনী বলেনঃ মাতরূক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে
না।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯১
না পেয়েও তৃপ্তির ভান
করা
৪৯৯৭
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي
بَكْرٍ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارَةً -
تَعْنِي ضَرَّةً - هَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ إِنْ تَشَبَّعْتُ لَهَا بِمَا لَمْ يُعْطِ
زَوْجِي قَالَ " الْمُتَشَبِّعُ بِمَا لَمْ يُعْطَ كَلاَبِسِ ثَوْبَىْ
زُورٍ " .
আসমা বিনতু আবূ
বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক মহিলা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার
একজন সতীন আছে। আমি কি তাকে এরূপ বলতে পারি যে, আমার স্বামী আমাকে এই বস্তু
দিয়েছে, অথচ বাস্তবে তা দেয়নি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ না পেয়ে পাওয়ার ভানকারী মিথ্যাচারের দু’টি পোশাক পরিধানকারীর মতই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯২
রসিকতা সম্পর্কে
৪৯৯৮
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ
رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
احْمِلْنِي . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّا حَامِلُوكَ
عَلَى وَلَدِ نَاقَةٍ " . قَالَ وَمَا أَصْنَعُ بِوَلَدِ النَّاقَةِ
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَهَلْ تَلِدُ الإِبِلَ إِلاَّ
النُّوقُ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে একটি আরোহীর ব্যবস্থা করে
দিন। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাকে আরোহণের জন্য একটি
উষ্ট্রীর বাচ্চা দিবো। লোকটি বললো, উষ্ট্রীর বাচ্চা দিয়ে আমি কি করবো? নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উটকে তো উষ্ট্রীই জন্ম দেয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৪৯৯৯
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ
بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَيْزَارِ بْنِ حُرَيْثٍ،
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ اسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ رَحْمَةُ اللَّهِ
عَلَيْهِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ صَوْتَ عَائِشَةَ عَالِيًا
فَلَمَّا دَخَلَ تَنَاوَلَهَا لِيَلْطِمَهَا وَقَالَ لاَ أَرَاكِ تَرْفَعِينَ
صَوْتَكِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم يَحْجُزُهُ وَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مُغْضَبًا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ " كَيْفَ رَأَيْتِنِي
أَنْقَذْتُكِ مِنَ الرَّجُلِ " . قَالَ فَمَكَثَ أَبُو بَكْرٍ أَيَّامًا
ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَهُمَا قَدِ
اصْطَلَحَا فَقَالَ لَهُمَا أَدْخِلاَنِي فِي سِلْمِكُمَا كَمَا أَدْخَلْتُمَانِي
فِي حَرْبِكُمَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " قَدْ
فَعَلْنَا قَدْ فَعَلْنَا " .
নু’মান ইবনু বাশীর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আবূ বকর (রাঃ) নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি
‘আয়িশার (রাঃ) উচ্চ কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন। আবূ বকর (রাঃ) ভেতরে ঢুকে ‘আয়িশাহ
(রাঃ)-কে দুর্বল করার জন্য চড় মারতে প্রস্তুত হলেন এবং বললেন, আমি কি লক্ষ্য করিনি
যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে উচ্চস্বরে কথা
বলছো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-কে বারণ
করলেন। আবূ বকর রাগান্বিত অবস্থায় বেরিয়ে গেলেন। আবূ বকর (রাঃ) চলে যাওয়ার পর নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে (কৌতুকের ছলে) বললেন, দেখলে
তো আমি তোমাকে কিভাবে ঐ লোকটার হাত হতে বাঁচালাম! বর্ণনাকারী বলেন, এরপর কয়েক দিন
আবূ বকর (রাঃ) তাঁর নিকট আসলেন না। অতঃপর একদিন এসে ভেতরে আসার অনুমতি চাইলেন এবং
ভিতরে ঢুকে উভয়কে সন্তুষ্ট অবস্থায় দেখতে পেয়ে বললেন, আমাকেও তোমাদের শান্তির
অংশীদার বানাও যেমনটি তোমরা আমাকে অংশীদার বানিয়েছিলে তোমাদের কলহে। নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমরা তাই করলাম।৪৯৯৭
৪৯৯৭ আহমাদ
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০০০
حَدَّثَنَا
مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ الْعَلاَءِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي
إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ
أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَهُوَ فِي
قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَسَلَّمْتُ فَرَدَّ وَقَالَ " ادْخُلْ " .
فَقُلْتُ أَكُلِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " كُلُّكَ " .
فَدَخَلْتُ .
আওফ ইবনু মালিক
আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের সময় আমি রাসূলুল্লাহ্র
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গেলাম। তখন তিনি চামড়ার তৈরী তাঁবুতে
অবস্থান করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলে তিনি সালামের জবাব দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বললেন।
আমি (কৌতুকের ছলে) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পুরো শরীরসহ? তিনি বললেন, হাঁ,
পুরো শরীরসহ এসো। অতঃপর আমি ঢুকলাম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০০১
حَدَّثَنَا
صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي
الْعَاتِكَةِ، قَالَ إِنَّمَا قَالَ أَدْخُلُ كُلِّي . مِنْ صِغَرِ الْقُبَّةِ
.
‘উসমান ইবনু আবুল
আতিকাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁবুর পরিধি সংকীর্ণ হওয়ায় ‘আওফ (রাঃ) কৌতুক
করে বলেছিলেন, আমার পুরো শরীরসহ প্রবেশ করবো? [৪৯৯৯]
[৪৯৯৯]
বায়হাক্বী। মুনযিরী বলেন, সানাদের ‘উসমান বিন আবুল আতিকাহ সমালোচিত।
হাদিসের মানঃদুর্বল মাকতু
৫০০২
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ،
قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا ذَا
الأُذُنَيْنِ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) (কৌতুক করে) আমাকে বললেন, ওহে দুই কানওয়ালা!
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৩
কেউ ঠাট্টাচ্ছলে কিছু
গ্রহণ করলে
৫০০৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، ح
وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا
شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَأْخُذَنَّ أَحَدُكُمْ مَتَاعَ
أَخِيهِ لاَعِبًا وَلاَ جَادًّا " . وَقَالَ سُلَيْمَانُ "
لَعِبًا وَلاَ جِدًّا " . " وَمَنْ أَخَذَ عَصَا أَخِيهِ
فَلْيَرُدَّهَا " . لَمْ يَقُلِ ابْنُ بَشَّارٍ ابْنِ يَزِيدَ وَقَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ ইবনুস
সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) তার পিতা হতে তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের কোন জিনিস না নেয়,
খেলাচ্ছলেই হোক কিংবা বাস্তবিকই হোক। আর কেউ তার কোন ভাইয়ের লাঠি নিয়ে থাকলে তা
যেন ফিরিয়ে দেয়। [৫০০১]
[৫০০১]
বুখারীর আদাবুল মুফরাদ, তিরমিযী।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫০০৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
أَبِي لَيْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا أَصْحَابُ، مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم
أَنَّهُمْ كَانُوا يَسِيرُونَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَامَ رَجُلٌ
مِنْهُمْ فَانْطَلَقَ بَعْضُهُمْ إِلَى حَبْلٍ مَعَهُ فَأَخَذَهُ فَفَزِعَ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ
يُرَوِّعَ مُسْلِمًا " .
আবদুর রহমান ইবনু
আবূ লাইলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, একদা তারা নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরে ছিলেন। তাদের এক ব্যক্তি ঘুমিয়ে
পড়লে তাদের মধ্যকার কেউ গিয়ে (মজার ছলে) তার সঙ্গের রশি নিয়ে আসলো। তাতে সে ভয়
পেয়ে গেলো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন মুসলিমের জন্য অন্য
মুসলিমকে ভয় দেখানো বৈধ নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৪
বাকপটুতা সম্পর্কে
৫০০৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَكَانَ يَنْزِلُ الْعَوَقَةَ -
حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو - قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
يُبْغِضُ الْبَلِيغَ مِنَ الرِّجَالِ الَّذِي يَتَخَلَّلُ بِلِسَانِهِ تَخَلُّلَ
الْبَاقِرَةِ بِلِسَانِهَا " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ সেসব লোককে ঘৃণা করে যারা বাকপটুত্ব
প্রদর্শনের জন্য জিহবাকে দাঁতের সঙ্গে লাগিয়ে বিকট শব্দ করে, গরু তার জিহবা নেড়ে
যেমন করে থাকে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০০৬
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ
الضَّحَّاكِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَعَلَّمَ صَرْفَ الْكَلاَمِ
لِيَسْبِيَ بِهِ قُلُوبَ الرِّجَالِ أَوِ النَّاسِ لَمْ يَقْبَلِ اللَّهُ مِنْهُ
يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের
অন্তরকে আকৃষ্ট করার জন্য চিত্তাকর্ষক কথাবার্তা শিখে, আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন তার
কোন তাওবাহ ও ফিদইয়া (অথবা ফরয ও নফল ইবাদত) গ্রহণ করবেন না।৫০০৪
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮০২
৫০০৪ মিশকাত।
এর সানাদ মুনকাতি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০০৭
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ قَدِمَ رَجُلاَنِ مِنَ الْمَشْرِقِ
فَخَطَبَا فَعَجِبَ النَّاسُ - يَعْنِي لِبَيَانِهِمَا - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا " . أَوْ
" إِنَّ بَعْضَ الْبَيَانِ لَسِحْرٌ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা প্রাচ্য হতে দু’ব্যক্তি এসে বক্তৃতা করলো
এবং উভয়ের বক্তৃতা শুনে লোকেরা বিস্মিত হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন কোন বক্তৃতায় যাদুর প্রভাব আছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০০৮
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْبَهْرَانِيُّ، أَنَّهُ قَرَأَ فِي أَصْلِ
إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ وَحَدَّثَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ابْنُهُ
قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ
قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو ظَبْيَةَ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ قَالَ يَوْمًا
وَقَامَ رَجُلٌ فَأَكْثَرَ الْقَوْلَ فَقَالَ عَمْرٌو لَوْ قَصَدَ فِي قَوْلِهِ
لَكَانَ خَيْرًا لَهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" لَقَدْ رَأَيْتُ أَوْ أُمِرْتُ أَنْ أَتَجَوَّزَ فِي الْقَوْلِ فَإِنَّ
الْجَوَازَ هُوَ خَيْرٌ " .
‘আমর ইবনুল ‘আস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) একদিন বলেন, এক ব্যক্তি
দাঁড়িয়ে সুদীর্ঘ বক্তৃতা দিল। ‘আমর (রাঃ) বললেন, যদি সে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতো তবে
তার জন্য ভালো হতো। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে
বলতে শুনেছিঃ আমার নিকট উপযুক্ত মনে হয়েছে অথবা আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে ভাষণ
সংক্ষিপ্ত করতে। কেননা সংক্ষিপ্ত আলোচনা উত্তম। [৫০০৬]
[৫০০৬]
বায়হাক্বী। সানাদে মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল তার পিতার সূত্রে বর্ণনায় সমালোচিত।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৫
কবিতা
৫০০৯
حَدَّثَنَا
أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ
يَمْتَلِئَ شِعْرًا " . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ بَلَغَنِي عَنْ أَبِي
عُبَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ وَجْهُهُ أَنْ يَمْتَلِئَ قَلْبُهُ حَتَّى يَشْغَلَهُ عَنِ
الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللَّهِ فَإِذَا كَانَ الْقُرْآنُ وَالْعِلْمُ الْغَالِبُ
فَلَيْسَ جَوْفُ هَذَا عِنْدَنَا مُمْتَلِئًا مِنَ الشِّعْرِ وَإِنَّ مِنَ
الْبَيَانِ لَسِحْرًا . قَالَ كَأَنَّ الْمَعْنَى أَنْ يَبْلُغَ مِنْ بَيَانِهِ
أَنْ يَمْدَحَ الإِنْسَانَ فَيَصْدُقَ فِيهِ حَتَّى يَصْرِفَ الْقُلُوبَ إِلَى
قَوْلِهِ ثُمَّ يَذُمَّهُ فَيَصْدُقَ فِيهِ حَتَّى يَصْرِفَ الْقُلُوبَ إِلَى
قَوْلِهِ الآخَرِ فَكَأَنَّهُ سَحَرَ السَّامِعِينَ بِذَلِكَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে তোমাদের জন্য পুঁজ দিয়ে পেট ভর্তি
করা উত্তম। আবূ ‘আলী (রাঃ) বলেন, আবূ ‘উবাইদ সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি যে, তিনি এ
হাদীসের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, কবিতায় তার কলব ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সে কুরআন
তিলাওয়াত এবং আল্লাহর যিকির হতে বঞ্চিত হবে। কিন্তু কুরআন ও ইলম চর্চার প্রাধান্য
থাকলে আমরা বলবো না যে, তার পেট কবিতায় ভরা। কোন কোন ভাষণে অবশ্যই যাদুর প্রভাব
রয়েছে অর্থাৎ সে কোন মানুষের প্রশংসায় সীমালঙ্ঘন করবে এবং এতো উত্তেজক বক্তব্য রাখবে
যে, মানুষের মন তার ভাষণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। আবার সে তার কুৎসা করলে এমনভাবে
করবে যে, মানুষ তা বিশ্বাস করবে। ফলে তাদের অন্তর তার ভাষণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে
পড়বে। মনে হবে, সে যেন তার ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের উপর যাদু করেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০১০
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حِكْمَةً " .
উবাই ইবনু কা’ব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন কোন কবিতা প্রজ্ঞাপূর্ণ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০১১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
فَجَعَلَ يَتَكَلَّمُ بِكَلاَمٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا "
.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক বেদুঈন এসে কথা বলা শুরু
করলে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন কোন আলোচনা
যাদুর মত হৃদয়গ্রাহী; আর কোন কোন কবিতা হিকমাতপূর্ণ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০১২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ،
حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ النَّحْوِيُّ
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ حَدَّثَنِي صَخْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا وَإِنَّ مِنَ الْعِلْمِ
جَهْلاً وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا وَإِنَّ مِنَ الْقَوْلِ عِيَالاً "
. فَقَالَ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ صَدَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَمَّا قَوْلُهُ " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا " . فَالرَّجُلُ
يَكُونُ عَلَيْهِ الْحَقُّ وَهُوَ أَلْحَنُ بِالْحُجَجِ مِنْ صَاحِبِ الْحَقِّ
فَيَسْحَرُ الْقَوْمَ بِبَيَانِهِ فَيَذْهَبُ بِالْحَقِّ وَأَمَّا قَوْلُهُ
" إِنَّ مِنَ الْعِلْمِ جَهْلاً " . فَيَتَكَلَّفُ الْعَالِمُ
إِلَى عِلْمِهِ مَا لاَ يَعْلَمُ فَيُجَهِّلُهُ ذَلِكَ وَأَمَّا قَوْلُهُ "
إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا " . فَهِيَ هَذِهِ الْمَوَاعِظُ
وَالأَمْثَالُ الَّتِي يَتَّعِظُ بِهَا النَّاسُ وَأَمَّا قَوْلُهُ " إِنَّ
مِنَ الْقَوْلِ عِيَالاً " . فَعَرْضُكَ كَلاَمَكَ وَحَدِيثَكَ عَلَى
مَنْ لَيْسَ مِنْ شَأْنِهِ وَلاَ يُرِيدُهُ .
সাখর ইবনু
‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্র থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কোন কোন বর্ণনা
যাদুর মত হৃদয়গ্রাহী হয়, কোন কোন ইলম অজ্ঞতাপূর্ণ হয়, কোন কোন কবিতা হিকমাতপূর্ণ
হয় এবং কোন কোন কথা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সা‘সাআহ ইবনু সুহান বলেন, আল্লাহর নবী
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঠিক বলেছেন। প্রথমত, রাসূলুল্লাহর
(সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী “কোন কোন বর্ণনা যাদুর মত হৃদয়গ্রাহী
হয়”- প্রায় দেখা যায়, কোন ব্যক্তির নিকট অপরের হক থাকে কিন্তু সে হকদারের সঙ্গে
এমন সুন্দরভাবে যুক্তিপূর্ণ কথা বলে যাতে পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করতে হয় না। আর
‘ইলম অজ্ঞতা হয়ে থাকে’, এর অর্থ হলো, ‘আলিম ব্যক্তি না জেনেও জানার ভান করে, ফলে
এটাই অজ্ঞতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর কবিতাকে হিকমাত বলার কারণ হচ্ছে, কোন কোন কবিতায়
এমন নসিহতপূর্ণ থাকে যা মানুষ গ্রহণ করে থাকে। আর কোন কোন কথা বোঝাস্বরূপ হওয়ার
অর্থ হলো, অনুপযুক্ত ব্যক্তির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা, যা সে তা শুনতে চায় না।
[৫০১০]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮০৪।
[৫০১০]
ইবনু ‘আবদুল বার ‘আত-তামহীদ’। হাফিয ইরাক্বী বলেনঃ এর সানাদে অজ্ঞাত বর্ণনাকারী আছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০১৩
حَدَّثَنَا
ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ مَرَّ عُمَرُ
بِحَسَّانَ وَهُوَ يُنْشِدُ فِي الْمَسْجِدِ فَلَحَظَ إِلَيْهِ فَقَالَ قَدْ
كُنْتُ أُنْشِدُ وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ .
সাঈদ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা হাসসান (রাঃ) মাসজিদে কবিতা
পাঠ করছিলেন এবং ‘উমার (রাঃ) তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) তার দিকে বক্র
দৃষ্টিতে তাকালেন। তিনি বললেন, আমি মাসজিদে তখনও কবিতা পড়েছি যখন সেখানে তোমার
চেয়ে উত্তম ব্যক্তিটি হাজির ছিলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০১৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
بِمَعْنَاهُ زَادَ فَخَشِيَ أَنْ يَرْمِيَهُ، بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَأَجَازَهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত।
তবে এতে রয়েছেঃ ‘উমার (রাঃ) আশঙ্কা করলেন, তিনি যদি হাসসান (রাঃ) কে বারণ করেন তবে
তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ থাকাকে দলীল বানাবেন।
তাই তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। [৫০১২]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০১৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمِصِّيصِيُّ، لُوَيْنٌ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي
الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَهِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ
عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَضَعُ لِحَسَّانَ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ فَيَقُومُ عَلَيْهِ يَهْجُو مَنْ
قَالَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ مَعَ حَسَّانَ مَا نَافَحَ عَنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) হাসসান (রাঃ) এর জন্য মাসজিদে একটি মিম্বার স্থাপন করতেন। তিনি তাতে
দাঁড়িয়ে কাফিরদের মধ্যে যারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)শানে
অবাঞ্চিত কথা বলতো তিনি কবিতায় তার প্রতিবাদ করতেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাসসান (রাঃ) যতোক্ষণ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)পক্ষ হতে প্রতিবাদ করতে থাকে ততক্ষণ জিবরাঈল (আঃ) তার সঙ্গে
থাকেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫০১৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
قَالَ { وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ } فَنَسَخَ مِنْ ذَلِكَ
وَاسْتَثْنَى فَقَالَ { إِلاَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا } .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “পথভ্রষ্ট লোকেরাই কবিদের অনুসরণ
করে।” (সূরাহ শু’আরাঃ২২৪)। এ আয়াতটি আল্লাহ রহিত করেছেন এবং ব্যতিক্রম করেছেন।
অতঃপর তিনি বলেছেনঃ “কিন্তু তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে এবং
আল্লাহকে অধিক স্মরণ রাখে।” (সূরাহ শু’আরাঃ ২২৭)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৬
স্বপ্ন সম্পর্কে
৫০১৭
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ زُفَرَ بْنِ صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا
انْصَرَفَ مِنَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ يَقُولُ " هَلْ رَأَى أَحَدٌ مِنْكُمُ
اللَّيْلَةَ رُؤْيَا وَيَقُولُ " إِنَّهُ لَيْسَ يَبْقَى بَعْدِي مِنَ
النُّبُوَّةِ إِلاَّ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)ফজরের সলাত শেষে (লোকদের দিকে) মুখ করে বলতেনঃ আজ রাতে তোমাদের কেউ কোন
স্বপ্ন দেখেছে কি? অতঃপর তিনি বলতেন, আমার পরে কেবল সত্য স্বপ্ন ছাড়া নবুওয়্যাতের
ধারা অবশিষ্ট থাকবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০১৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ
عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
" .
উবাইদাহ ইবনুস
সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির স্বপ্ন নবুওয়্যাতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
[বুখারি,
মুসলিম]
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৫০১৯
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ
مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ أَنْ
تَكْذِبَ وَأَصْدَقُهُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُهُمْ حَدِيثًا وَالرُّؤْيَا ثَلاَثٌ
فَالرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَالرُّؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ
الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ بِهِ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِذَا رَأَى
أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ
" . قَالَ " وَأُحِبُّ الْقَيْدَ وَأَكْرَهُ الْغُلَّ وَالْقَيْدُ
ثَبَاتٌ فِي الدِّينِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ " إِذَا اقْتَرَبَ
الزَّمَانُ " . يَعْنِي إِذَا اقْتَرَبَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ يَعْنِي
يَسْتَوِيَانِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ সময় যখন কাছাকাছি হবে তখন মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না এবং যে যতো
সত্যবাদী হবে তার স্বপ্নও ততো সত্য হবে। স্বপ্ন তিন প্রকার, (ক) উত্তম স্বপ্ন যা
আল্লাহর পক্ষ হতে সুসংবাদ, (খ) ভীতিপ্রদ স্বপ্ন যা শয়তানের পক্ষ হতে হয়ে থাকে, (গ)
যা মানুষ চিন্তা-ভাবনা ও ধারণা অনুপাতে দেখে থাকে। যে ব্যক্তি কোন খারাপ স্বপ্ন
দেখবে, তার উচিত ঘুম থেকে জেগে সলাত আদায় করা এবং ঐ স্বপ্ন সম্বন্ধে কারো সঙ্গে
আলাপ না করা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি
স্বপ্নে পায়ে শিকল লাগানো দেখতে পাওয়াকে পছন্দ করি তবে গলায় শিকল লাগানো দেখাকে
অপছন্দ করি। স্বপ্নে শিকল দেখার তাৎপর্য হলো, দ্বীনের উপর অবিচল থাকা। ইমাম আবূ
দাউদ (রহঃ) বলেন, “সময় যখন কাছাকাছি হবে” অর্থাৎ যখন রাত ও দিনের দৈর্ঘ্য সমান
হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ،
عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الرُّؤْيَا عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ
تُعَبَّرْ فَإِذَا عُبِّرَتْ وَقَعَتْ " . قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ
" وَلاَ يَقُصُّهَا إِلاَّ عَلَى وَادٍّ أَوْ ذِي رَأْىٍ " .
আবূ রাযীন (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করার পূর্ব পর্যন্ত তা একটি পাখির পায়ের
সঙ্গে ঝুলন্ত থাকে। অতঃপর ব্যাখ্যা করা হলে তা কার্যকর হয়। বর্ণনাকারী বলে, আমার
ধারণা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ “বন্ধু ও
জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে স্বপ্নের কথা বলবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২১
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ زُهَيْرًا، يَقُولُ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ
سَعِيدٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ،
يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ
شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفُثْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ
لْيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ " .
আবূ ক্বাতাদাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ হতে এবং খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ হতে
হয়ে থাকে। তোমাদের কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে তার উচিৎ তার বাম দিকে তিনবার থুথু
মারা। অতঃপর ঐ স্বপ্নের খারাবী হতে আশ্রয় চাওয়া। তাহলে ঐ স্বপ্নে তার কোন ক্ষতি
হবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২২
حَدَّثَنَا
يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ،
قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِذَا رَأَى
أَحَدُكُمُ الرُّؤْيَا يَكْرَهُهَا فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ وَلْيَتَعَوَّذْ
بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ثَلاَثًا وَيَتَحَوَّلْ عَنْ جَنْبِهِ الَّذِي كَانَ
عَلَيْهِ " .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে সে যেন তার বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ
করে, মহান আল্লাহর নিকট শয়তান হতে তিনবার আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং পার্শ্ব
পরিবর্তন করে ঘুমায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي
يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَسَيَرَانِي فِي
الْيَقَظَةِ " . أَوْ " لَكَأَنَّمَا رَآنِي فِي الْيَقَظَةِ
وَلاَ يَتَمَثَّلُ الشَّيْطَانُ بِي " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখলো সে অতি
শীঘ্রই জাগ্রত অবস্থায় আমাকে দেখতে পাবে অথবা সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায়ই দেখলো।
কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২৪
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا
أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم قَالَ " مَنْ صَوَّرَ صُورَةً عَذَّبَهُ اللَّهُ بِهَا يَوْمَ
الْقِيَامَةِ حَتَّى يَنْفُخَ فِيهَا وَلَيْسَ بِنَافِخٍ وَمَنْ تَحَلَّمَ كُلِّفَ
أَنْ يَعْقِدَ شَعِيرَةً وَمَنِ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ يَفِرُّونَ بِهِ
مِنْهُ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন প্রাণীর ছবি আঁকবে ক্বিয়ামাতের দিন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার
না করা পর্যন্ত তার শাস্তি হতে থাকবে। অথচ তার পক্ষে তাতে প্রাণ দেয়া অসম্ভব। আর
যে ব্যক্তি মিথ্যা স্বপ্ন বলবে তাকে যবের দানায় গিঠ দিতে বলা হবে। আর যে ব্যক্তি
এমন কওমের কথা কান লাগিয়ে শুনবে যারা তার থেকে ঐ কথা গোপন রাখতে চায়, ক্বিয়ামাতের
দিন তার কানে উত্তপ্ত সিসা ঢালা হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২৫
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رَأَيْتُ
اللَّيْلَةَ كَأَنَّا فِي دَارِ عُقْبَةَ بْنِ رَافِعٍ وَأُتِينَا بِرُطَبٍ مِنْ
رُطَبِ ابْنِ طَابٍ فَأَوَّلْتُ أَنَّ الرِّفْعَةَ لَنَا فِي الدُّنْيَا
وَالْعَاقِبَةَ فِي الآخِرَةِ وَأَنَّ دِينَنَا قَدْ طَابَ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি রাতে স্বপ্নে দেখেছি, আমরা যেন ‘উক্ববাহ ইবনু রাফি’র (রাঃ)
ঘরে বসে আছি এবং আমাদের সামনে “রুত্বাবে ইবনু ত্বাব” নামক টাটকা খেজুর পরিবেশন করা
হয়েছে। আমি এর ব্যাখ্যা এভাবে করেছি যে, দুনিয়াতে আমাদের বিপুল উন্নতি ও মর্যাদা
লাভ হবে এবং আখিরাতেও কল্যাণ লাভ হবে, আর আমাদের দ্বীনও উত্তম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৭
হাই তোলা
৫০২৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي
سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيُمْسِكْ عَلَى فِيهِ فَإِنَّ
الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তির হাই আসলে সে যেন তাঁর মুখ বন্ধ করে
দেয়। কেননা শয়তান ভিতরে ঢুকে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২৭
حَدَّثَنَا
ابْنُ الْعَلاَءِ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سُهَيْلٍ، نَحْوَهُ قَالَ
" فِي الصَّلاَةِ فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ " .
সুহাইল (রাঃ) সূত্র
থেকে বর্ণিতঃ
সুহাইল (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সলাতরত অবস্থায় হাই উঠলে যথাসাধ্য তা
বন্ধ রাখবে। [৫০২৫]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০২৮
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ
أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ
الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ
مَا اسْتَطَاعَ وَلاَ يَقُلْ هَاهْ هَاهْ فَإِنَّمَا ذَلِكُمْ مِنَ الشَّيْطَانِ
يَضْحَكُ مِنْهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই অপছন্দ করেন। সুতরাং
যখনই তোমাদের কারো হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য তা প্রতিরোধ করে এবং হাহ্ হাহ্ ইত্যাদি
শব্দ না করে। কারণ হাই তোলা শয়তানের কাজ, এতে শয়তান হাসে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৮
হাঁচি দেয়া প্রসঙ্গে
৫০২৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي
صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
إِذَا عَطَسَ وَضَعَ يَدَهُ أَوْ ثَوْبَهُ عَلَى فِيهِ وَخَفَضَ أَوْ غَضَّ بِهَا
صَوْتَهُ . شَكَّ يَحْيَى .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন হাঁচি আসতো তখন তিনি হাত বা কাপড় দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন
এবং হাঁচির শব্দ নীচু করতেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫০৩০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، وَخُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، قَالاَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ
ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " خَمْسٌ تَجِبُ لِلْمُسْلِمِ عَلَى أَخِيهِ رَدُّ السَّلاَمِ
وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ
وَاتِّبَاعُ الْجَنَازَةِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর তার মুসলিম ভাইদের পাচঁটি অবশ্য করণীয়
রয়েছে। সালামের জবাব দেয়া, হাঁচি শুনে জবাব দেয়া, দাওয়াত কবুল করা, অসুস্থ হলে
দেখতে যাওয়া এবং জানাযা ও দাফনে অংশগ্রহণ করা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৯
হাঁচির জবাব দেয়া
৫০৩১
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ
بْنِ يِسَافٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ
الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . فَقَالَ سَالِمٌ وَعَلَيْكَ وَعَلَى
أُمِّكَ . ثُمَّ قَالَ بَعْدُ لَعَلَّكَ وَجَدْتَ مِمَّا قُلْتُ لَكَ قَالَ
لَوَدِدْتُ أَنَّكَ لَمْ تَذْكُرْ أُمِّي بِخَيْرٍ وَلاَ بِشَرٍّ قَالَ إِنَّمَا
قُلْتُ لَكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا بَيْنَا
نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ
الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ " . ثُمَّ قَالَ "
إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ " . قَالَ فَذَكَرَ بَعْضَ
الْمَحَامِدِ " وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ عِنْدَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ
وَلْيَرُدَّ - يَعْنِي عَلَيْهِمْ - يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ " .
হিলাল ইবনু ইয়াসাফ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি সালিম ইবনু ‘উবাইদ
(রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন কওমের এক লোক হাঁচি দিয়ে বললো, ‘আসসালামু ‘আলাইকুম।
সালিম (রাঃ) বললেন, তোমার এবং তোমার মাতার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালিম (রাঃ)
বললেন, মনে হয় তুমি আমার উত্তরে বিব্রতবোধ করছো। লোকটি বললো, ভালো-মন্দ কোন
প্রসঙ্গে আপনি আমার মায়ের উল্লেখ করবেন তা আমি আশা করি না। সালিম (রাঃ) বললেন, আমি
তো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মতই বলেছি। একদা আমরা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। লোকদের
মধ্য হতে এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে বললো, আসসালামু ‘আলাইকুম। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘ওয়া ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা উম্মিকা’। তারপর
বললেনঃ তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে তার উচিৎ “আল্হামদুলিল্লাহ” বলা। অতঃপর তিনি কিছু
হামদ উল্লেখ করলেন, এবং তার নিকট যারা থাকবে তাদের উচিৎ “ইয়ারহামুকাল্লাহ” (আল্লাহ
তোমাকে দয়া করুন) বলা; এবং হাঁচি দানকারীর উচিৎ উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে
‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম’ (আল্লাহ আপনাদেরকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন) বলা।
[৫০২৯]
[৫০২৯]
তিরমিযী, নাসায়ীর আমালুল ইয়াওমি, ইবনু হিব্বানের মাওয়ারিদ, আহমা, হাকিম। হাকিম বলেনঃ
সানাদের হিলাল ইবনু ইয়াসাফ সালিম বিন উবাইদাকে পাননি এবং তাকে দেখেননি। বরং উভয়ের মাঝে
একজন অজ্ঞাত লোক রয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৩২
حَدَّثَنَا
تَمِيمُ بْنُ الْمُنْتَصِرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ يُوسُفَ -
عَنْ أَبِي بِشْرٍ، وَرْقَاءَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ
خَالِدِ بْنِ عَرْفَجَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ الأَشْجَعِيِّ، بِهَذَا
الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সালিম ইবনু ‘উবাইদ
আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [৫০৩০]
[৫০৩০]
আহমাদ। সানাদে খালিদ বিন আরফাজাহ অজ্ঞাত। আবূ হাতিম রাযী বলেনঃ আমি তাকে চিনি না।
তাহক্বিক আলবানীঃ আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৫০৩৩
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا
عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلْيَقُلْ
أَخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَيَقُولُ هُوَ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ
وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যদি কেউ হাঁচি দেয় তাহলে সে বলবেঃ ‘আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’
(সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)। আর তার ভাই অথবা সাথী বলবেঃ
‘ইয়ারহামুকাল্লাহ”। আর হাঁচিদাতা বলবেঃ ‘ইয়াহ্দীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু সালাকুম’
(আল্লাহ তোমাদের সঠিক পথ দেখান এবং তোমাদের সংশোধন করুন)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০০
হাঁচির জবাব কতবার
দিবে?
৫০৩৪
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ
بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ شَمِّتْ أَخَاكَ ثَلاَثًا فَمَا
زَادَ فَهُوَ زُكَامٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমার
ভাইয়ের হাঁচির উত্তর তিনবার দিবে। এরপরও হাঁচি দিতে থাকলে তবে তার মস্তিষ্কে
ঠান্ডা লেগেছে (তাই আর জবাব দিতে হবে না)। [৫০৩২]
হাসান মাওকূফ ও মারফু।
[৫০৩২]
বুখারীর আদাবুল মুফরাদ।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৫০৩৫
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ،
عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَقَالَ لاَ أَعْلَمُهُ
إِلاَّ أَنَّهُ رَفَعَ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ مُوسَى بْنِ
قَيْسٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে
পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। [৫০৩৩]
[৫০৩৩]
ইবনুস সুন্নী।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫০৩৬
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا
عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ
يَحْيَى بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّهِ،
حُمَيْدَةَ أَوْ عُبَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ الزُّرَقِيِّ عَنْ
أَبِيهَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تُشَمِّتُ
الْعَاطِسَ ثَلاَثًا فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُشَمِّتَهُ فَشَمِّتْهُ وَإِنْ شِئْتَ
فَكُفَّ " .
উবাইদ ইবনু রিফা’আহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ হাঁচিদাতার উত্তর তিনবার দাও। এরপরও যদি সে হাঁচি দিতে থাকে তবে তোমার
ইচ্ছা উত্তর দিতেও পারো আবার নাও দিতে পারো।
[৫০৩৪]
তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘এই হাদীসটি গরীব এবং সানাদ মাজহুল।’ এছাড়াও বর্ণনাটি
মুরসাল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৩৭
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ
بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ
رَجُلاً، عَطَسَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ "
يَرْحَمُكَ اللَّهُ " . ثُمَّ عَطَسَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم " الرَّجُلُ مَزْكُومٌ " .
সালামাহ ইবনুল
আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট বসে হাঁচি দিলে তিনি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বললেন। লোকটি আবার হাঁচি
দিলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ লোকটির ঠান্ডা লেগেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০১
যিম্মীর হাঁচির জবাব
কিভাবে দিবে?
৫০৩৮
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
حَكِيمِ بْنِ الدَّيْلَمِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَتِ
الْيَهُودُ تَعَاطَسُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجَاءَ أَنْ يَقُولَ
لَهَا يَرْحَمُكُمُ اللَّهُ فَكَانَ يَقُولُ " يَهْدِيكُمُ اللَّهُ
وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ " .
আবূ বুরদাহ (রাঃ)
হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে এই আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই হাঁচি দিতো যে, তিনি
তাদের হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহু’ বলবেন। কিন্তু তিনি বলতেনঃ ‘ইয়াহ্দিকুমুল্লাহু
ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’। [৫০৩৬]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০২
যে ব্যক্তি হাঁচি
দেয়ার পর আলহাম্দু লিল্লাহ বলে না
৫০৩৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ
التَّيْمِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ عَطَسَ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَتَرَكَ الآخَرَ قَالَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ رَجُلاَنِ عَطَسَا فَشَمَّتَّ أَحَدَهُمَا - قَالَ أَحْمَدُ أَوْ
فَشَمَّتَّ أَحَدَهُمَا - وَتَرَكْتَ الآخَرَ . فَقَالَ " إِنَّ هَذَا
حَمِدَ اللَّهَ وَإِنَّ هَذَا لَمْ يَحْمَدِ اللَّهَ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দুই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে হাঁচি দিলে তিনি এক ব্যক্তির হাঁচির
উত্তর দিলেন এবং অপর ব্যক্তির হাঁচির উত্তর হতে বিরত থাকলেন। বলা হলো, হে আল্লাহর
রাসূল! আপনার সামনে তো দুই ব্যক্তি হাঁচি দিয়েছে। আপনি একজনেরটা উত্তর দিলেন, আর
অন্যজনেরটা উত্তর দানে বিরত থাকলেন? তিনি বললেনঃ এই ব্যক্তি মহান আল্লাহর প্রশংসা
করেছে আর এ ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেনি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৩
উপুড় হয়ে শোয়া
৫০৪০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَحَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي
أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَعِيشَ بْنِ طِخْفَةَ بْنِ قَيْسٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ
كَانَ أَبِي مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " انْطَلِقُوا بِنَا إِلَى بَيْتِ عَائِشَةَ " .
فَانْطَلَقْنَا فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا " .
فَجَاءَتْ بِحَشِيشَةٍ فَأَكَلْنَا ثُمَّ قَالَ " يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا
" . فَجَاءَتْ بِحَيْسَةٍ مِثْلِ الْقَطَاةِ فَأَكَلْنَا ثُمَّ قَالَ
" يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا " . فَجَاءَتْ بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ
فَشَرِبْنَا ثُمَّ قَالَ " يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا " . فَجَاءَتْ
بِقَدَحٍ صَغِيرٍ فَشَرِبْنَا ثُمَّ قَالَ " إِنْ شِئْتُمْ بِتُّمْ وَإِنْ
شِئْتُمُ انْطَلَقْتُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ " . قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا
مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ مِنَ السَّحَرِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ
يُحَرِّكُنِي بِرِجْلِهِ فَقَالَ " إِنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا
اللَّهُ " . قَالَ فَنَظَرْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم .
ইয়াঈশ ইবনু তিখফাহ
ইবনু ক্বাইস আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা
আসহাবে সুফ্ফার সদস্য ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমাদেরকে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর ঘরে যেতে বললেন। আমরা সেখানে গেলে তিনি বললেন, হে
‘আয়িশাহ! আমাদের আহারের ব্যবস্থা করো। তিনি হাশীশা পরিবেশন করলেন এবং আমরা খেলাম।
তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ হে ‘আয়িশাহ! আমাদেরকে আরো
খাবার দাও। এবার তিনি কবুতরের মত সামান্য হায়সা নিয়ে আসলেন এবং আমরা খেয়ে নিলাম।
তারপর তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ! আমাদেরকে পান করাও। অতঃপর তিনি এক গামলা দুধ আনলেন
এবং আমরা পান করলাম। পুনরায় তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট পানীয় চাইলে তিনি ছোট এক
পেয়ালা পরিবেশন করলেন এবং আমরা তা পান করলাম। এবার তিনি বললেনঃ ইচ্ছা করলে তোমরা
এখানে ঘুমাতে পারো নতুবা মসজীদে চলে যাও। আমার পিতা বলেন, আমার বুকের ব্যথার কারণে
আমি মসজীদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর পা দিয়ে নাড়া
দিয়ে বললেন, এভাবে শোয়া আল্লাহ ঘৃণা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি চোখ তুলে দেখলাম
যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। [৫০৩৮]
যঈফ মুযতারিব।
[৫০৩৮]
ইবনু মাজাহ, নাসায়ীর সুনানুল কুবরা, আহমাদ। সানাদের ত্বাখফাকে চেনা যায়নি।
হাদিসের মানঃদুর্বল মুযতারিব
অনুচ্ছেদ- ১০৪
দেয়ালবিহীন ছাদে
ঘুমানো সম্পর্কে
৫০৪১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمٌ، - يَعْنِي ابْنَ نُوحٍ - عَنْ
عُمَرَ بْنِ جَابِرٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ وَعْلَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
وَثَّابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلِيٍّ، - يَعْنِي ابْنَ شَيْبَانَ -
عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
بَاتَ عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَيْسَ لَهُ حِجَارٌ فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ
" .
‘আবদুর রহমান ইবনু
ইয়া’লা ইবনু শাইবান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি দেয়ালবিহীন ছাদে রাত কাটালে তার নিরাপত্তার
দায়িত্ব থাকে না। [৫০৩৯]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৫
পবিত্র অবস্থায়
ঘুমানো সম্পর্কে
৫০৪২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ
بَهْدَلَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي ظَبْيَةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ
جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ
يَبِيتُ عَلَى ذِكْرٍ طَاهِرًا فَيَتَعَارُّ مِنَ اللَّيْلِ فَيَسْأَلُ اللَّهَ
خَيْرًا مِنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ " .
قَالَ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو ظَبْيَةَ فَحَدَّثَنَا
بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ ثَابِتٌ قَالَ فُلاَنٌ لَقَدْ جَهَدْتُ أَنْ أَقُولَهَا حِينَ أَنْبَعِثُ
فَمَا قَدَرْتُ عَلَيْهَا .
মু’আয ইবনু জাবাল
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে মুসলিম ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ও মহান আল্লাহকে স্মরণ করে রাত কাটায়
(ঘুমায়) এবং রাতে জেগে আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের দু’আ করে,
আল্লাহ তাকে তা দান করেন। সাবিত আল-বুনানী (রাঃ) বলেন, আবূ যাব্ইয়ান (রাঃ) আমাদের
এখানে এসে আমাদের নিকট মু’আয ইবনু জাবাল সূত্রে (রাঃ)- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর এ হাদীস বর্ণনা করেন। সাবিত (রাঃ) বলেন, অমুক ব্যক্তি বলেছেন, আমি ঘুম
থেকে জেগে তা পড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৪৩
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ
سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَقَضَى حَاجَتَهُ فَغَسَلَ
وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ نَامَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي بَالَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) রাতে ঘুম হতে জেগে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে উভয় হাত ও মুখ ধুয়ে
পুনরায় ঘুমালেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ তিনি পেশাব করেছিলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৬
কোন দিকে মুখ করে
ঘুমাবে?
৫০৪৪
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ،
عَنْ بَعْضِ، آلِ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَ كَانَ فِرَاشُ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم نَحْوًا مِمَّا يُوضَعُ الإِنْسَانُ فِي قَبْرِهِ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عِنْدَ
رَأْسِهِ .
উম্মু সালামাহ্র
(রাঃ) কোন আত্মীয় সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাধারণত
মৃত ব্যক্তিকে কবরে যেভাবে রাখা হয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর বিছানা সেই পদ্ধতিতে বিছানো ছিল এবং তাঁর মাথার দিকে মসজিদ ছিল। [৫০৪২]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৭১৭।
[৫০৪২]
সানাদে নাম উল্লেখহীন অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৭
ঘুমের সময় যা বলতে হয়
৫০৪৫
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ مَعْبَدِ
بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَوَاءٍ، عَنْ حَفْصَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْقُدَ
وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى تَحْتَ خَدِّهِ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُمَّ
قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ " . ثَلاَثَ مِرَارٍ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন শয়ন করতেন তখন তাঁর ডান হাত গালের নীচে রেখে তিনবার
বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা ক্বিনী ‘আযাবাকা ইয়াওমা তাব’আসু ইবাদাকা” (অর্থঃ হে আল্লাহ!
আপনি যেদিন আপনার বান্দাদেরকে কবর হতে উঠাবেন, সেদিন আমাকে আপনার ‘আযাব হতে রক্ষা
করবেন)। [৫০৪৩]
সহীহ। তবে “তিনবার” কথাটি বাদে।
[৫০৪৩]
আহমাদ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৪৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورًا، يُحَدِّثُ عَنْ
سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ
لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ
فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ
وَقُلِ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ
وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ
مَنْجَى مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ
وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ " . قَالَ " فَإِنْ مِتَّ مِتَّ
عَلَى الْفِطْرَةِ وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ " . قَالَ
الْبَرَاءُ فَقُلْتُ أَسْتَذْكِرُهُنَّ فَقُلْتُ وَبِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
. قَالَ " لاَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ " .
আল-বারাআ ইবনু
‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ যখন রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিবে তখন সলাতের
উযুর ন্যায় উযু করে ডান কাতে শুয়ে বলবেঃ “হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ
করলাম ও আপনার অনুগত হলাম, আমার কাজ আপনার উপর ন্যস্ত করলাম, আমার পিঠ আপনার নিকট
সোপর্দ করলাম এবং আপনার সাহায্যের প্রতি আমি ভরসা করলাম আপনার প্রতি আগ্রহে ও ভয়ে।
আপনি ছাড়া অন্য কোথাও মুক্তি ও নিরাপত্তার স্থান নেই। আমি আপনার সেই কিতাবে
বিশ্বাস করি যা আপনি আপনার প্রেরিত নাবীর উপর অবতীর্ণ করেছেন।” অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অতঃপর (ঐ রাতে) যদি তোমার মৃত্যু হয় তাহলে তুমি
ইসলামের উপরেই মারা গেলে। এটাই হবে তোমার সর্বশেষ কথা। আল-বারাআ (রাঃ) বলেন, আমি
বললাম। এটি আওরাতে গিয়ে আমার মুখে ‘ওয়া বিরাসূলিকাল্লাযী আরসালতা’ এসে গেলে তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, বরং “ওয়া বিনাবিয়্যিকাল্লাযী
আরসালতা’।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৪৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ
سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ لِي
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ
وَأَنْتَ طَاهِرٌ فَتَوَسَّدْ يَمِينَكَ " . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ .
আল-বারাআ ইবনু
‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ যখন তুমি পবিত্র হয়ে বিছানায় বিশ্রাম নিবে তখন তোমার
ডান হাত মাথার নিচে রাখবে। অতঃপর উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৪৮
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْغَزَّالُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ،
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَمَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ
عُبَيْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
بِهَذَا قَالَ سُفْيَانُ قَالَ أَحَدُهُمَا " إِذَا أَتَيْتَ فِرَاشَكَ
طَاهِرًا " . وَقَالَ الآخَرُ " تَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ
" . وَسَاقَ مَعْنَى مُعْتَمِرٍ .
আল-বারাআ (রাঃ) হতে
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
সুফিয়ান (রাঃ) বলেন, একজন বর্ণনাকারী বলেন,
‘তুমি পবিত্র হয়ে যখন তোমার বিছানায় আসো’। অপর বর্ণনাকারী বলেন, ‘তুমি তোমার
সলাতের উযুর মত উযু করো’। এভাবে হাদীসের বাকি বর্ণনা মু’তামির বর্ণিত হাদীসের
অর্থানুরূপ। [৫০৪৬]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৪৯
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ
عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كَانَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا نَامَ قَالَ " اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ
أَحْيَا وَأَمُوتُ " . وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ " الْحَمْدُ
لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ "
.
হুযাইফাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ঘুমানোর সময় বলতেনঃ “ আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আহ্ইয়া ওয়া আমূতু ” (অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মরি ও বাঁচি)। আবার তিনি যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ“ আল্হামদু
লিল্লাহিল্লাযী আহ্ইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন-নুশূর) (সমস্ত প্রশংসা
আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর পুনারায় জীবিত করবেন)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
عُمَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
إِذَا أَوَى أَحَدُكُمْ إِلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْفُضْ فِرَاشَهُ بِدَاخِلَةِ
إِزَارِهِ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيَضْطَجِعْ عَلَى
شِقِّهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ لْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ
أَرْفَعُهُ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا
فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ তার বিছানায় বিশ্রাম নেয়, সে যেন তার পরিধেয়
বস্ত্রের (লুঙ্গির) ভেতরের দিক দিয়ে বিছানা ঝেঁড়ে নেয়। কেননা সে জানে না তার চলে
যাওয়ার পর বিছানায় কি এসেছে। অতঃপর সে যেন তার ডান কাতে শুয়ে বলেঃ হে রব! আপনার
নামে আমার দেহ রাখলাম এবং আপনার নামে তা উঠাবো। যদি আপনি আমার আত্মাকে রেখে দেন
তবে তার প্রতি দয়া করবেন, আর যদি ফিরিয়ে দেন, তবে তার নিরাপত্তা দিবেন, যেভাবে
আপনি আপনার নেক বান্দাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫১
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، ح وَحَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ
بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، نَحْوَهُ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا
أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ " اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ
وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى مُنَزِّلَ التَّوْرَاةِ
وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ
بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ
فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ
الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ " . زَادَ وَهْبٌ فِي حَدِيثِهِ
" اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বিছানায় বিশ্রাম নেয়ার সময় বলতেনঃ হে আল্লাহ! আসমান-যমীনের তথা প্রত্যেক বস্তুর
রব; শস্যবীজ অঙ্কুরিতকারী, তাওরাত, ইনজিল ও কুরআন অবতীর্ণকারী। হে রব! আমি আপনার
নিকট আপনার অধীনস্থ ও আয়াত্তাধীন সকল অনিষ্টকারীর অনিষ্ট হতে মুক্তি চাই। আপনিই
প্রথম, আপনার পূর্বে কিছুই ছিল না, আপনি অনন্ত, আপনার পরে কেউ থাকবে না, আপনি
প্রকাশ্য এবং আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনি ছাড়া কিছুই নেই। বর্ণনাকারী
ওয়াহ্ব (রহঃ) তার হাদীসের আরো উল্লেখ করেন, আপনি আমার ঋণ পরিশোধ করে দিন এবং অভাব
থেকে মুক্তি দিন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫২
حَدَّثَنَا
الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ، -
يَعْنِي ابْنَ جَوَّابٍ - حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي
إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، وَأَبِي، مَيْسَرَةَ عَنْ عَلِيٍّ، رَحِمَهُ اللَّهُ
عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ عِنْدَ مَضْجَعِهِ
" اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ وَكَلِمَاتِكَ
التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ
تَكْشِفُ الْمَغْرَمَ وَالْمَأْثَمَ اللَّهُمَّ لاَ يُهْزَمُ جُنْدُكَ وَلاَ
يُخْلَفُ وَعْدُكَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ سُبْحَانَكَ
وَبِحَمْدِكَ " .
আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিছানায় শোয়ার সময় বলতেনঃ “হে আল্লাহ!
আমি আপনার মহান সত্ত্বা ও পূর্ণ কালেমার মুক্তি কামনা করছি, যা আপনার অধীনে রয়েছে
তার অকল্যাণ হতে। হে আল্লাহ! আপনিই ঋণ ও পাপের বোঝা দূরীভূত করলেন। হে আল্লাহ!
আপনার সৈন্যবাহিনী বা আপনার দলকে কখনো পরাভূত করা যায় না এবং আপনার ওয়াদার কখনো
ভঙ্গ হয় না। সম্পদশালীর সম্পদ তাকে আপনার হাত হতে রক্ষা করতে পারবে না। আপনার
পবিত্রতা আপনার প্রশংসার সঙ্গে।” [৫০৫০]
দুর্বল : মিশকাত হা/২৪০৩।
[৫০৫০]
নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ত্বাবারানী। সানাদে হারিস আল-আ‘ওয়ার দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৫৩
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا
حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَالَ " الْحَمْدُ
لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا فَكَمْ مِمَّنْ لاَ
كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُئْوِيَ " .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর
বিছানায় বিশ্রাম নেয়ার সময় বলতেনঃ প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা সেই মহান রবের জন্য যিনি
আমাদেরকে খাওয়ালেন, পান করালেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করলেন এবং আমাদের মুক্তি
দিলেন, অথচ এমন বহু লোক আছে যাদের না আছে প্রয়োজন পূর্ণকারী আর না আছে আশ্রয়দাতা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫৪
حَدَّثَنَا
جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ التِّنِّيسِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ،
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ،
عَنْ أَبِي الأَزْهَرِ الأَنْمَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ " بِسْمِ اللَّهِ
وَضَعْتُ جَنْبِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَأَخْسِئْ شَيْطَانِي وَفُكَّ
رِهَانِي وَاجْعَلْنِي فِي النَّدِيِّ الأَعْلَى " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
رَوَاهُ أَبُو هَمَّامٍ الأَهْوَازِيُّ عَنْ ثَوْرٍ قَالَ أَبُو زُهَيْرٍ
الأَنْمَارِيُّ .
আবুল আযহার
আল-আনমারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) রাতে শোয়ার সময় বলতেনঃ আল্লাহর নামে আমার দেহ রাখলাম। হে আল্লাহ! আমার
গুনাহ ক্ষমা করুন, আমার থেকে শয়তানকে তাড়িয়ে দিন, আমার ঘাড়কে মুক্ত করুন এবং আমাকে
উচ্চ মর্যাদাসম্পন্নদের কাতারে স্থান দিন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫৫
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ فَرْوَةَ
بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
لِنَوْفَلٍ " اقْرَأْ { قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ } ثُمَّ نَمْ
عَلَى خَاتِمَتِهَا فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ " .
ফারওয়াহ ইবনু
নাওফাল (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাওফাল
(রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন” সূরাটি পড়ে ঘুমাবে। কেননা তা শিরক
হতে মুক্তকারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫৬
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ،
قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، - يَعْنِيَانِ ابْنَ فَضَالَةَ - عَنْ عُقَيْلٍ،
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ
جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا وَقَرَأَ فِيهِمَا { قُلْ هُوَ اللَّهُ
أَحَدٌ } وَ { قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ } وَ { قُلْ أَعُوذُ
بِرَبِّ النَّاسِ } ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ
يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ
يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি
রাতে শোয়ার জন্য তাঁর বিছানায় এসে দুই হাত একত্র করে ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’, ‘কুল
আ’ঊযুবিরব্বিল ফালাক্ব’ ও ‘কুল আ’ঊযুবি রব্বিন্ নাস’ সূরাহ তিনটি পড়ে (হাতে) ফুঁক
দিতেন, অতঃপর সেই হাত দু’টো দিয়ে যতদূর সম্ভব তাঁর শরীর মাসেহ করতেন এবং মাথা হতে
মাসেহ শুরু করতেন, তারপর মুখমণ্ডল, শরীরের সম্মুখভাগ, অতঃপর শরীরের যেখানে যেখানে
হাত পৌঁছানো সম্ভব। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫৭
حَدَّثَنَا
مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَّرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ،
عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ ابْنِ أَبِي بِلاَلٍ، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ
سَارِيَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ
الْمُسَبِّحَاتِ قَبْلَ أَنْ يَرْقُدَ وَقَالَ " إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً
أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ " .
ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শোয়ার পূর্বে যেসব সূরার শুরুতে ‘সাব্বাহা’ বা
‘ইউসাব্বিহু’ আছে সেগুলো পড়তেন। তিনি বলেছেন, এ সূরাহগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত
রয়েছে যা হাজার আয়াতের চেয়েও উত্তম। [৫০৫৫]
দুর্বল।
[৫০৫৫]
তিরমিযী, নাসায়ী সুনানুল কুবরা, আহমাদ। সানাদে বাক্বিয়্যাহ বিন ওয়ালীদ একজন মুদাল্লিস
এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৫৮
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي،
حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ
حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ إِذَا أَخَذَ
مَضْجَعَهُ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَانِي وَآوَانِي وَأَطْعَمَنِي
وَسَقَانِي وَالَّذِي مَنَّ عَلَىَّ فَأَفْضَلَ وَالَّذِي أَعْطَانِي فَأَجْزَلَ
الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ اللَّهُمَّ رَبَّ كُلِّ شَىْءٍ وَمَلِيكَهُ
وَإِلَهَ كُلِّ شَىْءٍ أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) যখন রাতে শোয়ার জন্য যেতেন তখন বলতেনঃ সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহর
জন্য, যিনি আমার প্রয়োজন পুরা করলেন, আমাকে মুক্তি দিলেন, আমাকে পানাহার করালেন,
যিনি আমার প্রতি অসীম দয়াবান এবং আমাকে দান করলেন। সুতরাং সর্বাবস্থায় আল্লাহর
প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। হে আল্লাহ! প্রত্যেক বস্তুর রব ও অধিকারী এবং প্রত্যেক
জিনিসের ইলাহ্! আমি আপনার নিকট জাহান্নামের শাস্তি হতে আশ্রয় চাই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৫৯
حَدَّثَنَا
حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ
الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم " مَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ تَعَالَى
فِيهِ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِ تِرَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ قَعَدَ مَقْعَدًا
لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِ تِرَةً يَوْمَ
الْقِيَامَةِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করলো না, সে
ক্বিয়ামাতের দিন বঞ্চিত হবে। আর যে ব্যক্তি কোন আসনে বসলো অথচ সেখানে সে
মহিমান্বিত আল্লাহকে স্মরণ করলো না, ক্বিয়ামাতের দিন সে বঞ্চিত হবে।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৮
রাতে ঘুম থেকে সজাগ
হলে যা বলতে হয়
৫০৬০
حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ
قَالَ الأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، قَالَ حَدَّثَنِي
جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ
فَقَالَ حِينَ يَسْتَيْقِظُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ
لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ
اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ دَعَا رَبِّ اغْفِرْ لِي
" . قَالَ الْوَلِيدُ أَوْ قَالَ " دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ
قَامَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ " .
উবাইদাহ ইবনুস
সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে ঘুম হতে জেগে বলেঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ
নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরিক নেই, সার্বভৌমত্ব, প্রভুত্ব, রাজত্ব ও প্রশংসা সবই
তাঁর, তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী; সকল প্রশংসা ও পবিত্রতা
আল্লাহর জন্য, আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমতা ছাড়া কারো কোন উপায় নেই”; অতঃপর এ দু’আ
করেঃ “হে আমার রব আমাকে মাফ করুন; “বর্ণনাকারী ওয়ালীদ বলেনঃ দু’আ করে। অর্থাৎ তার
বর্ণনায় “রব্বিগফিরলী” উল্লেখ নেই এবং এ দু’আ কবুল করা হয়। অতঃপর সে যদি উঠে উযূ
করে সলাত আদায় করে তাহলে তার সলাত কবুল করা হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৬১
حَدَّثَنَا
حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ،
- يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اسْتَيْقَظَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ
" لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ أَسْتَغْفِرُكَ
لِذَنْبِي وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ اللَّهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا وَلاَ تُزِغْ
قَلْبِي بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِي وَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ
أَنْتَ الْوَهَّابُ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে সজাগ হলে বলতেনঃ হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া
কোন ইলাহ নেই, আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার
গুনাহের জন্য ক্ষমা ও রহমত কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমার ইলম বাড়িয়ে দিন এবং
হিদায়াত দানের পর আমার অন্তরকে বাঁকা করবেন না এবং আমার জন্য আপনার পক্ষ থেকে রহমত
দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাদানকারী। [৫০৫৯]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/১২১৪।
[৫০৫৯]
হাকিম, ইবনু হিব্বান আল-মাওয়ারিদ। হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন। কিন্তু সানাদের
‘আবদুল্লাহ বিন ওয়ালীদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ হাদীস বর্ণনায় শিথিল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০৯
ঘুমানোর সময় তাসবীহ
পাঠ সম্পর্কে
৫০৬২
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا
يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، - الْمَعْنَى - عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي
لَيْلَى، - قَالَ مُسَدَّدٌ - قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ شَكَتْ فَاطِمَةُ
إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى
فَأُتِيَ بِسَبْىٍ فَأَتَتْهُ تَسْأَلُهُ فَلَمْ تَرَهُ فَأَخْبَرَتْ بِذَلِكَ
عَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ فَأَتَانَا
وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا لِنَقُومَ فَقَالَ " عَلَى
مَكَانِكُمَا " . فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ
قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ
مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ
وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ
خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ " .
আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে ফাত্বিমাহ
(রাঃ)-এর হাতে ফোসকা পড়ে যাওয়ায় তিনি একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ করেন। কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী থেকে ফাত্বিমাহ (রাঃ) একটি
খাদেম চাওয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন, কিন্তু
তাঁর দেখা না পেয়ে তিনি এ বিষয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জানিয়ে চলে গেলেন। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে আসলে তিনি তাঁকে বিষয়টি জানালেন। তিনি
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সময় আমাদের নিকট উপস্থিত হলেন যখন আমরা
ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। তাঁর আগমনে আমরা বিছানা থেকে উঠতে উদ্যত হলে তিনি বললেনঃ তোমরা
স্বস্থানে থাকো। তিনি এসে আমাদের দু’জনের মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি তাঁর পায়ের
শীতল পরশ আমার বুকে অনুভব করছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের দু’জনকে এমন একটি
উত্তম পথ দেখাবোনা যা তোমাদের পার্থিব জিনিসের চেয়ে উত্তম হবে? তা হলো তোমরা শোয়ার
সময় তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ ও চৌত্রিশবার আল্লাহু
আকবার বলবে। আর এটা তোমাদের উভয়ের জন্য একটি খাদেমের চেয়ে অধিক উত্তম হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৬৩
حَدَّثَنَا
مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ الْيَشْكُرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ بْنِ ثُمَامَةَ، قَالَ
قَالَ عَلِيٌّ لاِبْنِ أَعْبَدَ أَلاَ أُحَدِّثُكَ عَنِّي وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ أَحَبَّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ
وَكَانَتْ عِنْدِي فَجَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ بِيَدِهَا وَاسْتَقَتْ
بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَقَمَّتِ الْبَيْتَ حَتَّى
اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا
وَأَصَابَهَا مِنْ ذَلِكَ ضُرٌّ فَسَمِعْنَا أَنَّ رَقِيقًا أُتِيَ بِهِمْ إِلَى
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ
خَادِمًا يَكْفِيكِ . فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَاسْتَحْيَتْ
فَرَجَعَتْ فَغَدَا عَلَيْنَا وَنَحْنُ فِي لِفَاعِنَا فَجَلَسَ عِنْدَ رَأْسِهَا
فَأَدْخَلَتْ رَأْسَهَا فِي اللِّفَاعِ حَيَاءً مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ "
مَا كَانَ حَاجَتُكِ أَمْسِ إِلَى آلِ مُحَمَّدٍ " . فَسَكَتَتْ
مَرَّتَيْنِ فَقُلْتُ أَنَا وَاللَّهِ أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ
هَذِهِ جَرَّتْ عِنْدِي بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا وَاسْتَقَتْ
بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَكَسَحَتِ الْبَيْتَ حَتَّى
اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا
وَبَلَغَنَا أَنَّهُ قَدْ أَتَاكَ رَقِيقٌ أَوْ خَدَمٌ فَقُلْتُ لَهَا سَلِيهِ
خَادِمًا . فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ الْحَكَمِ وَأَتَمَّ .
আবুল ওয়ারদ ইবনু
সুমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘আলী (রাঃ) ইবনু আ’বাদকে বলেন,
আমি আমার স্ত্রী ও রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কন্যা
ফাত্বিমাহ্র ঘটনা কি তোমাকে বর্ণনা করবো না? তিনি ছিলেন তাঁর নিকট তাঁর পরিবারের
সর্বাধিক প্রিয় এবং আমি তাকে বিয়ে করেছি। যাতা ঘুরাতে ঘুরাতে তার হাতে এবং পানির
মশক বহন করায় তার কাঁধে দাগ পড়ে যায়; ঘর ঝাড়ু দেয়ায় ও রান্নাঘর পরিষ্কার করায় তার
কাপড়ে ময়লা লেগে যায়; এতে ফাত্বিমাহ্র খুব কষ্ট হয়। আমরা শুনতে পেলাম যে,
রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট যুদ্ধবন্দী এসেছে। তাই আমি
তাকে বললাম, তুমি যদি তোমার পিতার নিকট গিয়ে একটি খাদেম চেয়ে আনতে তাহলে তোমার
জন্য যথেষ্ট উপকার হতো। তারপর তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট যান, সেখানে কতক লোক তাঁর সাথে আলোচনারত থাকায় তিনি লজ্জায় না বলে ফিরে আসেন।
পরের দিন ভোরে তিনি আমদের ঘরে আসলেন, এসময় আমরা লেপের ভিতরে ছিলাম। তিনি
ফাত্বিমাহ্র মাথার নিকট বসলেন। ফাত্বিমাহ্ লজ্জায় মাথা লেপের ভিতরে লুকালো। তিনি
প্রশ্ন করলেন : গতকাল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারে
তোমার কি দরকার ছিল? এভাবে তিনি দু’বার প্রশ্ন করলেও তিনি চুপ থাকেন। তখন আমি
বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ কসম! আমি বলছি। সে আমার এখানে যাঁতা ঘুরানোর
কারণে তার হাতে দাগ পড়েছে, পানির মশক টানতে টানতে তার কাঁধে দাগ পড়েছে, ঘর ঝাড়ু
দেয়া ও রান্না করায় তার কাপড়গুলো কালো হয়ে গেছে। আমি খবর পেয়েছিলাম যে, আপনার নিকট
যুদ্ধবন্দী এসেছে। আমি আপনার নিকট একজন খাদেম চাওয়ার জন্য তাকে বলেছিলাম। অতঃপর
হাকাম বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। [৫০৬১]
[৫০৬১]
এটি গত হয়েছে হা/২৯৮৮ ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৬৪
حَدَّثَنَا
عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ شَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ
السَّلاَمُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فِيهِ
قَالَ عَلِيٌّ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم إِلاَّ لَيْلَةَ صِفِّينَ فَإِنِّي ذَكَرْتُهَا مِنْ آخِرِ
اللَّيْلِ فَقُلْتُهَا .
‘আলী (রাঃ) হতে নাবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণনাকারী বলেন, ‘আলী (রাঃ) বললেন, আমি সিফফীন
যুদ্ধের রাত ব্যতীত এ তাসবীহগুলোর পড়া কখনো ছাড়িনি: যখন হতে আমি তা রাসূলুল্লাহর
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট শুনেছি। অবশ্য ঐ রাতের শেষ প্রহরে আমার তা
স্মরণ হলে আমি তাসবীহগুলো আদায় করেছি। [৫০৬২]
[৫০৬২]
নাসায়ী ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ । সানাদ মুনকাতি । ইমাম বুখারী বলেন: মুহাম্মাদ
ইবনু কা‘ব হাদীসটি শাবাস হতে শুনেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৬৫
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لاَ يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ
مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ
يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ
عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي
الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ
وَيَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَذَلِكَ
مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ " . فَلَقَدْ رَأَيْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ
اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ "
يَأْتِي أَحَدَكُمْ - يَعْنِي الشَّيْطَانَ - فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ
أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلاَتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ
يَقُولَهَا " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’টি বিষয় বা দু’টি অভ্যাসের প্রতি যে মুসলিম খেয়াল রাখবে সে
নিশ্চয়ই জান্নাতে যাবে। অভ্যাস দু’টি সহজ কিন্তু তা আমলকারীর সংখ্যা কম। তা হলো
(১) প্রত্যেক সলাতের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আল্হামদু লিল্লাহ ও দশবার
আল্লাহু আকবার বলবে। মুখে (পাঁচ ওয়াক্তে) এর সংখ্যা একশ পঞ্চাশ, কিন্তু মীযানে তা
একহাজার পাঁচশ। (২) যখন শয্যায় যাবে চৌত্রিশ বার আল্লাহু আকবার, তেত্রিশ বার আল্হামদু
লিল্লাহ ও তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ বলবে। তা মুখে একশ কিন্তু মীযানে একহাজার।
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা
হাতের আঙ্গুলে গণনা করতে দেখেছি। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অভ্যাস দু’টি
সহজ হওয়া সত্ত্বেও এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন? তিনি বললেনঃ তোমরা বিছানায় ঘুমাতে
গেলে শয়তান তোমাদের কোন লোককে তা বলার আগেই ঘুম পাড়িয়ে দেয়। আর সলাতের মধ্যে শয়তান
এসে তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং সে ঐগুলো বলার আগেই
প্রয়োজনের দিকে চলে যায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৬৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي
عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ حَسَنٍ الضَّمْرِيِّ،
أَنَّ ابْنَ أُمِّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَىِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ
عَنْ إِحْدَاهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
سَبْيًا فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي وَفَاطِمَةُ بِنْتُ النَّبِيِّ صلى الله عليه
وسلم إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ
وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ " .
ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ التَّسْبِيحِ قَالَ عَلَى أَثَرِ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ
يَذْكُرِ النَّوْمَ .
উম্মুল হাকাম বা
দুবা‘আহ বিনতু যূবাইর (রাঃ) উভয়ের একজন অপরজন থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কিছু যুদ্ধবন্দী পেলেন। আমি, আমার বোন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কন্যা ফাত্বিমাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদেরকে বন্দি থেকে (খাদেম) দেয়ার নির্দেশ
দিতে আবেদন করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের আগে
বদরের যুদ্ধে শহীদদের ইয়াতীম সন্তানরা অগ্রগামী হয়ে গেছে। অতঃপর বর্ণনাকারী তাসবীহ
পাঠের কথা উল্লেখ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যেক সলাতের পর, কিন্তু তিনি ঘুমের
কথা উল্লেখ করেননি। [৫০৬৪]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১০
সকালে ঘুম থেকে উঠে
যা বলতে হয়
৫০৬৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ، رضى الله عنه
قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِكَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ إِذَا أَصْبَحْتُ
وَإِذَا أَمْسَيْتُ . قَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ
وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ رَبَّ كُلِّ شَىْءٍ وَمَلِيكَهُ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَشَرِّ
الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ " . قَالَ " قُلْهَا إِذَا أَصْبَحْتَ
وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বাক্র সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র
রাসূল! আমাকে এমন কিছু কালেমা শিখিয়ে দিন যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলবো।
তিনি বলেনঃ তুমি বলো, “হে আল্লাহ্! আপনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও
অদৃশ্যের জ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর রব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া
আর কোন ইলাহ নেই। আমার মনের কু-প্রবৃত্তি, শয়তানের খারাবী ও তার শির্কী হতে আপনার
নিকট আশ্রয় চাইছি।” তিনি বলেনঃ হে আবূ বাক্র! তুমি এ কথাগুলো ভোরে, সন্ধ্যায় ও
শোয়ার সময় বলবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৬৮
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ
كَانَ يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ " اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ
أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ " .
وَإِذَا أَمْسَى قَالَ " اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا
وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরে
উপনীত হয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! আপনার অনুগ্রহে আমরা ভোরে উপনীত হই, সন্ধ্যায়
উপনীত হই এবং বাঁচি ও মরি। আর আপনার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন”। আর তিনি যখন
সন্ধ্যায় উপনীত হতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! আপনারই সাহায্যে আমরা সন্ধ্যায়
উপনীত হই এবং সকালে উপনীত হই, আপনার নামেই আমরা বাঁচি ও মরি এবং আপনারই দিকে
আমাদের আমাদের প্রত্যাবর্তন”।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৬৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
الْغَازِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ مَكْحُولٍ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ
حِينَ يُصْبِحُ أَوْ يُمْسِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ
حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ
إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ أَعْتَقَ اللَّهُ
رُبْعَهُ مِنَ النَّارِ فَمَنْ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَعْتَقَ اللَّهُ نِصْفَهُ
وَمَنْ قَالَهَا ثَلاَثًا أَعْتَقَ اللَّهُ ثَلاَثَةَ أَرْبَاعِهِ فَإِنْ قَالَهَا
أَرْبَعًا أَعْتَقَهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলবেঃ “হে আল্লাহ্! আমি
সকালে উপনীত হয়েছি এবং সাক্ষী রাখি আপনাকে ও আপনার আরশ বহনকারীদের, আপনার
ফেরেশতাদেরকে, আপনার সমস্ত সৃষ্টিকে, নিশ্চয়ই আপনি একমাত্র আল্লাহ্, আপনি ছাড়া
অন্য কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার বান্দা
ও রাসূল”-আল্লাহ তার এক-চতুর্থাংশ দেহ জাহান্নামের শাস্তি হতে মুক্তি দিবেন। আর যে
ব্যক্তি তা দুইবার বলবে, আল্লাহ তার শরীরের অর্ধেক জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি
দিবেন। আর যে ব্যক্তি তা তিনবার বলবে আল্লাহ তার শরীরের তিন-চতুর্থাংশ এবং চারবার
বললে তার সমস্ত শরীর জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দিবেন। [৫০৬৭]
[৫০৬৭]
সানাদে ‘আবদুর রহমান বিন ‘আবদুল মাজীদ রয়েছে। হাফিয বলেনঃ মাজহুল। ইমাম যাহাবী বলেনঃ
তাকে চেনা যায়নি। এছাড়া মাকহুল দামেস্কী হাদীসটি আনাস হতে শুনার ব্যপারে মতভেদ করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৭০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ
ثَعْلَبَةَ الطَّائِيُّ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ أَوْ حِينَ يُمْسِي
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ
وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا
صَنَعْتُ أَبُوءُ بِنِعْمَتِكَ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّهُ لاَ
يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ أَوْ مِنْ
لَيْلَتِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .
বুরাইদা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলেঃ “হে আল্লাহ্! আপনি আমার রব,
আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনারই বান্দা। আমি
যথাসাধ্য আপনার সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতির উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবো। আমি আমার নিকৃষ্ট
আমল থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই, আপনার যে অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করছি এজন্য কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করছি। আমি আমার কৃত অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
বস্তুত আপনি ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার কেউ নেই” – এ দু’আ পড়ার পর সে যদি ঐ দিন বা
রাতে মারা যায় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৭১
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ
بْنِ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ إِذَا أَمْسَى
" أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لاَ إِلَهَ
إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ " . زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ
وَأَمَّا زُبَيْدٌ كَانَ يَقُولُ كَانَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُوَيْدٍ يَقُولُ
" لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا
فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي
هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ
وَمِنْ سُوءِ الْكِبْرِ أَوِ الْكُفْرِ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي
النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ " . وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ ذَلِكَ
أَيْضًا " أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ " . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ
بْنِ سُوَيْدٍ قَالَ " مِنْ سُوءِ الْكِبْرِ " . وَلَمْ يَذْكُرْ
سُوءَ الْكُفْرِ .
আবদুল্লাহ ইবনু
মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলতেনঃ অর্থ “আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি এবং রাজ্য আল্লাহ্র
উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় প্রবেশ করেছে, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ
নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই”। জারীর (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে : “আল্লাহ্
ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই জন্য সাম্রাজ্য, সকল
প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। হে আমার রব! আমি আপনার নিকট এ
রাতের কল্যাণ চাইছি এবং রাতের পরবর্তী কল্যাণও কামনা করছি। আর এ রাতের সকল প্রকার
অমঙ্গল হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তারপরে যা আছে তার অমঙ্গল হতেও
মুক্তি চাচ্ছি। হে আমার রব! আমি আপনার নিকট অলসতা, গর্ব-অহংকারের অনিষ্ট ও কুফরীর
অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাইছি। হে রব! আমি আপনার নিকট জাহান্নামের শাস্তি ও কবরের শাস্তি
হতে আশ্রয় চাইছি”। আর তিনি ভোরে উপনীত হয়েও এরুপ বলতেনঃ আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং
আল্লাহ্র বাদশাহী সকাল বেলাও আছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, শু’বাহ হাদীসটি
সালামাহ ইবনু কুহাইল হতে ইবরাহীম ইবনু সুয়াইদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি
বলেন, ‘বার্ধক্যের অনিষ্ট হতে’ এবং তিনি ‘কুফরীর অনিষ্ট হতে’ উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৭২
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، عَنْ سَابِقِ بْنِ
نَاجِيَةَ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، أَنَّهُ كَانَ فِي مَسْجِدِ حِمْصٍ فَمَرَّ بِهِ
رَجُلٌ فَقَالُوا هَذَا خَدَمَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ إِلَيْهِ
فَقَالَ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
لَمْ يَتَدَاوَلْهُ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ الرِّجَالُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا
أَمْسَى رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً
إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ " .
আবূ সাল্লাম (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি হিমসের মাসজিদে ছিলেন। তখন এক
ব্যক্তি সেখান দিয়ে অতিক্রম করলে লোকেরা বললো, ইনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর খেদমত করেছিলেন। অতএব আবূ সাল্লাম (রহঃ) তার নিকট গিয়ে বললেন, আপনি
আমাকে একটি হাদীস বলুন যা আপনি অন্য কারো মাধ্যম ছাড়াই রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) মুখে শুনেছেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলেঃ ‘আমি
আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
রাসূল হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছি’, এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তাকে খুশি করবেন।
[৫০৭০]
[৫০৭০]
আহমাদ, হাকিম।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৭৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، وَإِسْمَاعِيلُ، قَالاَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَنْبَسَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
غَنَّامٍ الْبَيَاضِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ
فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ . فَقَدْ
أَدَّى شُكْرَ يَوْمِهِ وَمَنْ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ حِينَ يُمْسِي فَقَدْ أَدَّى
شُكْرَ لَيْلَتِهِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
গান্নাম আল-বায়াদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে বলেনঃ “হে আল্লাহ্!
সকালে আমার প্রতি যে নেয়ামত পৌঁছেছে তা একমাত্র আপনার পক্ষ থেকেই পৌঁছলো, আপনি
একক, আপনার কোন শরীক নেই, সমস্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য’-সে তার ঐ
দিনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এরূপ বললো সে তার ঐ
রাতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলো। [৫০৭১]
[৫০৭১]
নাসায়ী ‘আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ। সানাদের ‘আবদুল্লাহ বিন ‘উতবাহ সম্পর্কে যাহাবী
বলেন: তাকে চেনা যায়নি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৭৪
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ
بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - الْمَعْنَى - حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، قَالاَ
حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ الْفَزَارِيُّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ أَبِي
سُلَيْمَانَ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ
لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَعُ هَؤُلاَءِ الدَّعَوَاتِ
حِينَ يُمْسِي وَحِينَ يُصْبِحُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ
الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ
وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ
عَوْرَتِي " . وَقَالَ عُثْمَانُ " عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي
اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ
شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي
" . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي الْخَسْفَ .
জুবাইর ইবনু আবূ
সুলাইমান, ইবনু জুবাইর ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে
শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত
হয়ে এ দু’আগুলো পড়া ছেড়ে দিতেন না “হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের
নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং আমার দীন, দুনিয়া, পরিবার ও
সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ্! আপনি আমার দোষত্রুটিগুলো ঢেকে রাখুন এবং
ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ হতে আমাকে নিরাপদ রাখুন। হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে হিফাযাত করুন
আমার সম্মুখ হতে, আমার পিছন দিক হতে, আমার ডান দিক হতে, আমার বাম দিক হতে এবং আমার
উপর দিক হতে। হে আল্লাহ্! আমি আপনার মর্যাদার ওয়াসিলায় মাটিতে ধ্বসে যাওয়া হতে
আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি।” [৫০৭২]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৭৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي
عَمْرٌو، أَنَّ سَالِمًا الْفَرَّاءَ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ مَوْلَى
بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أُمَّهُ حَدَّثَتْهُ وَكَانَتْ، تَخْدِمُ بَعْضَ
بَنَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ بِنْتَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه
وسلم حَدَّثَتْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُعَلِّمُهَا
فَيَقُولُ " قُولِي حِينَ تُصْبِحِينَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ لاَ
قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ
أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ
بِكُلِّ شَىْءٍ عِلْمًا فَإِنَّهُ مَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ حَتَّى
يُمْسِيَ وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي حُفِظَ حَتَّى يُصْبِحَ " .
বনু হাশিমের
আযাদকৃত গোলাম ‘আবদুল হামীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার মা নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যাদের কারো একজনের খেদমত করতেন, মা তাকে
বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা তার নিকট বর্ণনা করেছেন,
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বলতেনঃ
তুমি সকালে উঠে বলবেঃ “আল্লাহ্র পবিত্রতা তাঁর প্রশংসার সঙ্গে; কারো কোন শক্তি
নেই আল্লাহ্র শক্তি ব্যতিত; আল্লাহ যা চান তাই হয়, যা চান না তা হয় না। আমি জানি,
আল্লাহ সমস্ত কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আর আল্লাহ্ সকল বস্তুকে জ্ঞানের আওতায় ঘিরে
রেখেছেন।” অতঃপর যে ব্যক্তি সকালে উঠে তা বলবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে।
আর যে সন্ধ্যায় বলবে সে ভোর উপনীত হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। [৫০৭৩]
দুর্বল : মিশকাত হা/২৩৯৩।
[৫০৭৩]
সানাদের উম্মু ‘আব্দুল হামীদ সম্পর্কে মুনযিরী বলেনঃ আমি তাকে চিনি না। হাফীয আত-তাক্ববীর
গ্রন্থে বলেনঃ মাক্ববুল। অর্থাৎ তার অবস্থা অজ্ঞাত (মাঝহুলুল হাল)।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৭৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي
اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ النَّجَّارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، - قَالَ الرَّبِيعُ ابْنُ الْبَيْلَمَانِيِّ -
عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ { فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ
تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ * وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ
وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ } إِلَى { وَكَذَلِكَ تُخْرَجُونَ }
أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي
أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي لَيْلَتِهِ " . قَالَ الرَّبِيعُ عَنِ
اللَّيْثِ .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উঠে (এই আয়াত) বলবেঃ
“সুতরাং তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করো যখন সন্ধ্যায় উপনীত হও এবং যখন সকালে
উপনীত হও, আর আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে সকল প্রশংসা তাঁরই... তোমাদেরকে উত্থিত করা হবে”
(সূরাহ রূমঃ ১৭-১৯) পর্যন্ত। তার ঐ দিনে যেসব (কল্যাণ) ছুটে গেলে, সে তা লাভ করবে।
আর যে তা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে পড়বে সে লাভ করবে ঐ রাতে যেসব (কল্যাণ) তার হাতছাড়া
হয়েছে। [৫০৭৪]
খুবই দুর্বল : মিশকাত হা / ২৩৯৪।
[৫০৭৪]
সানাদের সাঈদ ইবনু বাশীর সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল। এছাড়া সানাদের মুহাম্মাদ বিন
‘আবদুর রহমান দুর্বল।
হাদিসের মানঃখুবই দুর্বল
৫০৭৭
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَوُهَيْبٌ، نَحْوَهُ عَنْ
سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَائِشٍ، - وَقَالَ حَمَّادٌ عَنْ أَبِي
عَيَّاشٍ، - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ
إِذَا أَصْبَحَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ كَانَ لَهُ عِدْلُ رَقَبَةٍ
مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَكُتِبَ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَحُطَّ عَنْهُ عَشْرُ
سَيِّئَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَكَانَ فِي حِرْزٍ مِنَ الشَّيْطَانِ
حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ قَالَهَا إِذَا أَمْسَى كَانَ لَهُ مِثْلُ ذَلِكَ حَتَّى
يُصْبِحَ " . قَالَ فِي حَدِيثِ حَمَّادٍ فَرَأَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرَى النَّائِمُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ
أَبَا عَيَّاشٍ يُحَدِّثُ عَنْكَ بِكَذَا وَكَذَا قَالَ " صَدَقَ أَبُو
عَيَّاشٍ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ
وَمُوسَى الزَّمْعِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ
عَنِ ابْنِ عَائِشٍ .
আবূ আয়্যাশ (রাঃ)
সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে বলেঃ “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই,
তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপর
ক্ষমতাবান”- এটা তার জন্য ইসমাঈল (আঃ) বংশীয় একটি গোলাম আযাদ করার সমান হবে, তার
জন্য দশটি পুণ্য লেখা হবে ও দশটি পাপ মোচন করা হবে এবং তার দশটি মর্যাদা বুলন্দ
করা হবে এবং শয়তান হতে নিরাপদ থাকবে যতক্ষণ না সন্ধ্যা হয়। আর যদি সন্ধ্যায় উপনীত
হয়ে তা বলে, তাহলে ভোর পর্যন্ত অনুরূপ ফাযীলাত পাবে। বর্ণনাকারী হাম্মাদের (রহঃ)
বর্ণনায় রয়েছেঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে
স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আবূ আয়্যাশ (রাঃ) আপনার নামে এই এই
বলেছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আবূ আয়্যাশ সত্যিই বলেছে।
[৫০৭৫]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৭৮
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُسْلِمٍ، - يَعْنِي ابْنَ
زِيَادٍ - قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ
أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ
أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا أَصَابَ فِي
يَوْمِهِ ذَلِكَ مِنْ ذَنْبٍ وَإِنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي غُفِرَ لَهُ مَا
أَصَابَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে বলেঃ “হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি
সকালে উপনীত হয়েছি, আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি এবং সাক্ষী রাখছি আপনার আরশ
বহনকারীগণকে, আপনার ফেরেশতাগণকে এবং আপনার সৃষ্টিকুলকে যে, আপনি একমাত্র আল্লাহ্,
আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আপনি একক, আপনার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার বান্দা ও রাসূল”- তাহলে তার ঐ দিনের কৃত
সমস্ত গুনাহ ক্ষমা হবে। আর সে যদি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে ঐ বাক্যসমূহ বলে তাহলে ঐ
রাতে কৃত তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা হবে। [৫০৭৬]
[৫০৭৬]
তিরমিযী, নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি গরীব। হাদীসের
সানাদে রয়েছে বাক্বিয়্যাহ। তিনি একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা
করেছেন। এছাড়া সানাদের মুসলিম ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইবনু কাত্তান বলেনঃ মাজহুল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৭৯
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو النَّضْرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْفِلَسْطِينِيُّ
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ
أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، مُسْلِمِ بْنِ الْحَارِثِ التَّمِيمِيِّ عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهِ فَقَالَ " إِذَا
انْصَرَفْتَ مِنْ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ فَقُلِ اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ
. سَبْعَ مَرَّاتٍ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ ثُمَّ مِتَّ فِي لَيْلَتِكَ
كُتِبَ لَكَ جِوَارٌ مِنْهَا وَإِذَا صَلَّيْتَ الصُّبْحَ فَقُلْ كَذَلِكَ
فَإِنَّكَ إِنْ مِتَّ فِي يَوْمِكَ كُتِبَ لَكَ جِوَارٌ مِنْهَا " .
أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ عَنِ الْحَارِثِ أَنَّهُ قَالَ أَسَرَّهَا إِلَيْنَا
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَحْنُ نَخُصُّ بِهَا إِخْوَانَنَا .
আল-হারিস ইবনু
মুসলিম আত্-তামীমী (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে
চুপে চুপে বলেন, যখন তুমি মাগরিবের সলাত হতে অবসর হয়ে সাতবার বলবেঃ (আল্লাহুম্মা
আযিরনী মিনান্-নার) “হে আল্লাহ্! আমাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করো। তুমি তা বলার
পর ঐ রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফাজ্রের
সলাত শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে, অতঃপর তুমি যদি ঐ দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য
জাহান্নাম হতে মুক্তি লেখা হবে।” মুহাম্মাদ ইবনু শু’আইব (রহঃ) বলেন, আবূ সাঈদ
(রহঃ) আমাকে আল-হারিস (রাঃ) সূত্রে জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তা চুপে চুপে বলেছেন, যাতে আমি আমার
ভাইদের নিকট তা বিশেষভাবে প্রচার করি। [৫০৭৭]
[৫০৭৭]
আহমাদ, ইবনু হিব্বান।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৮০
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، وَمُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ،
وَعَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ،
قَالُوا حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ
الْكِنَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ
التَّمِيمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَحْوَهُ
إِلَى قَوْلِهِ " جِوَارٌ مِنْهَا " . إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ
فِيهِمَا " قَبْلَ أَنْ تُكَلِّمَ أَحَدًا " . قَالَ عَلِيُّ بْنُ
سَهْلٍ فِيهِ إِنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ وَقَالَ عَلِيٌّ وَابْنُ الْمُصَفَّى
بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَلَمَّا بَلَغْنَا
الْمُغَارَ اسْتَحْثَثْتُ فَرَسِي فَسَبَقْتُ أَصْحَابِي وَتَلَقَّانِي الْحَىُّ
بِالرَّنِينِ فَقُلْتُ لَهُمْ قُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ تُحْرَزُوا
فَقَالُوهَا فَلاَمَنِي أَصْحَابِي وَقَالُوا حَرَمْتَنَا الْغَنِيمَةَ فَلَمَّا
قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرُوهُ بِالَّذِي
صَنَعْتُ فَدَعَانِي فَحَسَّنَ لِي مَا صَنَعْتُ وَقَالَ " أَمَا إِنَّ
اللَّهَ قَدْ كَتَبَ لَكَ مِنْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ كَذَا وَكَذَا "
. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَأَنَا نَسِيتُ الثَّوَابَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنِّي سَأَكْتُبُ لَكَ بِالْوَصَاةِ
بَعْدِي " . قَالَ فَفَعَلَ وَخَتَمَ عَلَيْهِ فَدَفَعَهُ إِلَىَّ
وَقَالَ لِي ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَاهُمْ وَقَالَ ابْنُ الْمُصَفَّى قَالَ سَمِعْتُ
الْحَارِثَ بْنَ مُسْلِمِ بْنِ الْحَارِثِ التَّمِيمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ
.
মুসলিম ইবনুল হারিস
ইবনু মুসলিম আত্-তামীমী (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“জাহান্নাম হতে নিরাপত্তা” পর্যন্ত পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছেঃ
“কারো সঙ্গে তোমার কথা বলার পূর্বে”। এতে ‘আলী ইবনু সাহল বলেন, তার পিতা তার নিকট
হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর ‘আলী ও ইবনুল মুসাফ্ফা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে একটি ক্ষুদ্র অভিযানে প্রেরণ করলেন। আমরা আক্রমণের
স্থানে পৌছলে আমি আমার ঘোড়াকে উত্তেজিত করে আমার সঙ্গীদেরকে পিছনে ফেলে সামনে
অগ্রসর হই। তখন সেখানকার লোকেরা হৈ চৈ করে আমার সঙ্গে দেখা করলো। আমি বললাম, তোমরা
বলোঃ লা ইলাহা ইল্লালাহু, তাহলে নিরাপত্তা লাভ করবে। অতএব তারা কালেমা পড়লো। এতে
আমার সঙ্গীরা আমাকে তিরস্কার করে বললো, তুমি আমাদেরকে গনীমাত থেকে বঞ্চিত করেছো।
তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ফিরে এসে আমি যা
করেছি তা তাঁকে জানালো। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে আমার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানালেন এবং
বললেনঃ জেনে রাখো! তোমার এ কাজের জন্যই মহান আল্লাহ্ তাদের প্রত্যেক ব্যক্তির
বিনিময়ে তোমার জন্য এই এই নেকী নির্ধারণ করেছেন। বর্ণনাকারী ‘আব্দুর রহমান বলেন,
এর বিনিময়ে যে সওয়াবের কথা তিনি বলেছেন তা আমি ভুলে গেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জেনে রাখো! আমি তোমার জন্য একটি
ওয়াসিতনামা লিখে দিবো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাই করেছিলেন এবং তাতে তাঁর সীলমোহর
লাগিয়ে দিয়েছিলেন এবং আমাকে হস্তান্তর করেছিলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী তাদের বর্ণিত
হাদীসের অর্থের অনুরূপ হাদীস আমাকে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুসাফ্ফা (রহঃ) বলেন,
আমি আল-হারিস ইবনু মুসলিম ইবনুল হারিস আত-তামীমী (রহঃ)-কে তার পিতার সূত্রে এ
হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। [৫০৭৮]
[৫০৭৮]
এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৮১
حَدَّثَنَا
يَزِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ
مُسْلِمٍ الدِّمَشْقِيُّ، - وَكَانَ مِنْ ثِقَاتِ الْمُسْلِمِينَ مِنَ
الْمُتَعَبِّدِينَ - قَالَ حَدَّثَنَا مُدْرِكُ بْنُ سَعْدٍ - قَالَ يَزِيدُ
شَيْخٌ ثِقَةٌ - عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ عَنْ أُمِّ
الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رضى الله عنه قَالَ مَنْ قَالَ إِذَا
أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ
تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ سَبْعَ مَرَّاتٍ كَفَاهُ اللَّهُ
مَا أَهَمَّهُ صَادِقًا كَانَ بِهَا أَوْ كَاذِبًا .
আবূ দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে
ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে সাতবার বলেঃ “আল্লাহ্ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি
ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি তাঁর উপর ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের রব’- আল্লাহ্ তার
জন্য যথেষ্ট হবেন যা তাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তার বিরুদ্ধে, চাই যেন
সত্যিকারভাবে অথবা কৃত্রিমভাবে বলুক না কেন। [৫০৭৯]
বানোয়াট : যঈফাহ হা / ৫২৮৬।
[৫০৭৯]
এটি বানোয়াট।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
৫০৮২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي
ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي أَسِيدٍ الْبَرَّادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةِ
مَطَرٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
لِيُصَلِّيَ لَنَا فَأَدْرَكْنَاهُ فَقَالَ " أَصَلَّيْتُمْ " .
فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا فَقَالَ " قُلْ " . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا
ثُمَّ قَالَ " قُلْ " . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ
" قُلْ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَقُولُ قَالَ
" { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي
وَحِينَ تُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ " .
মু’আয ইবনু
‘আবদুল্লাহ ইবনু খুবাইব (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক বর্ষণমুখর খুবই অন্ধকার কালো
রাতে আমাদের সলাত পড়াবার জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে খুঁজছিলাম। আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ বলো। আমি কিছুই বললাম
না। পুনরায় তিনি বললেন, বলো। আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেনঃ বলো। তখন আমি
বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে
তিনবার সূরাহ কুল হুয়াল্লাহু (সূরা ইখলাস), সূরাহ নাস ও ফালাক্ব পড়বে; এতে তুমি
যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে। [৫০৮০]
[৫০৮০]
তিরমিযী, নাসায়ী।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫০৮৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي
أَبِي، - قَالَ ابْنُ عَوْفٍ وَرَأَيْتُهُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ - قَالَ
حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، قَالَ قَالُوا يَا
رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنَا بِكَلِمَةٍ، نَقُولُهَا إِذَا أَصْبَحْنَا
وَأَمْسَيْنَا وَاضْطَجَعْنَا فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَقُولُوا : اللَّهُمَّ فَاطِرَ
السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ رَبُّ كُلِّ
شَىْءٍ وَالْمَلاَئِكَةُ يَشْهَدُونَ أَنَّكَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ فَإِنَّا
نَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ أَنْفُسِنَا وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
وَشِرْكِهِ وَأَنْ نَقْتَرِفَ سُوءًا عَلَى أَنْفُسِنَا أَوْ نَجُرَّهُ إِلَى
مُسْلِمٍ .
আবূ মালিক (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা
সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদেরকে এমন কিছু বলুন যা আমরা
সকাল-সন্ধ্যায় ও শোয়ার সময় পড়বো। তিনি তাদেরকে আদেশ দিলেন তারা যেন বলেঃ “হে
আল্লাহ্, আকাশ-যমীনের সৃষ্টিকারী, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা! আপনি প্রত্যেক বস্তুর
রব। ফেরেশতারা সাক্ষ্য দিচ্ছে, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। অতএব আমরা আমাদের
কু-প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে এবং অভিশপ্ত শয়তানের অনিষ্ট ও শির্ক হতে আপনার কাছে
আশ্রয় চাইছি এবং আমাদের অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়া বা কোন মুসলিমকে অপরাধের দিকে ধাবিত
করা হতে আশ্রয় চাইছি”।[৫০৮১]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৫৬০৬।
[৫০৮১]
আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৮৪
قَالَ
أَبُو دَاوُدَ وَبِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " إِذَا أَصْبَحَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ
الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا
الْيَوْمِ فَتْحَهُ وَنَصْرَهُ وَنُورَهُ وَبَرَكَتَهُ وَهُدَاهُ وَأَعُوذُ بِكَ
مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ ثُمَّ إِذَا أَمْسَى فَلْيَقُلْ مِثْلَ
ذَلِكَ " .
ইমাম আবূ দাঊদ
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সনদে আরো বর্ণিত
হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ
ভোরে উপনীত হলে যেন বলেঃ “আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং জগতসমূহের রব আল্লাহ্র রাজ্যও
ভোরে উপনীত হলো। হে আল্লাহ্! আমি আজকের দিনের কল্যাণ, বিজয়, সাহায্য, আলো, বরকত ও
হিদায়াত কামনা করছি। আর আজকের দিনের অমঙ্গল ও তার পরের অমঙ্গল হতে তোমার নিকট
আশ্রয় চাইছি”। যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে তখনও তাই বলবে।[৫০৮২]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৫৬০৬।
[৫০৮২]
এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৮৫
حَدَّثَنَا
كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ
جُعْثُمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الأَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَرَازِيُّ، قَالَ
حَدَّثَنِي شَرِيقٌ الْهَوْزَنِيُّ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رضى الله عنها
فَسَأَلْتُهَا بِمَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ إِذَا
هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي
عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ عَشْرًا
وَحَمِدَ عَشْرًا وَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ " .
عَشْرًا وَقَالَ " سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ " . عَشْرًا
وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا وَضِيقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
عَشْرًا ثُمَّ يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ .
শারীক আল-হাওযানী
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আমি ‘আয়িশাহ্র (রাঃ) নিকট গিয়ে বলি,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে জেগে সর্বপ্রথম কোন দু’আ
পড়ার মাধ্যমে শুরু করতেন? তিনি বললেন, তুমি আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছো, তোমার
পূর্বে কেউই এ ব্যাপারে আমার নিকট জানতে চায়নি। তিনি যখন রাতে জাগতেন তখন দশবার
আল্লাহ্ আকবার ও দশবার আল্হামদুলিল্লাহ বলতেন। আর সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
দশবার ও সুবহানাল মালিকুল কুদ্দুস দশবার এবং আস্তাগফিরুল্লাহ ও লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ দশবার বলতেন। অতঃপর তিনি বলতেনঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও
আখিরাতের যাবতীয় অভাব, সংকীর্ণতা ও বিপদগ্রস্ততা হতে আশ্রয় চাইছি। এরপর তিনি সলাত
শুরু করতেন।[৫০৮৩]
[৫০৮৩]
নাসায়ী, ইবনু মাজাহ।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫০৮৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي
سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ
فِي سَفَرٍ فَأَسْحَرَ يَقُولُ " سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللَّهِ
وَنِعْمَتِهِ وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا اللَّهُمَّ صَاحِبْنَا فَأَفْضِلْ
عَلَيْنَا " . عَائِذًا بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যখন সফর করতেন তখন ভোর রাতে উপনীত হয়ে বলতেনঃ শ্রবণকারী শ্রবণ করুন,
আল্লাহ্র প্রশংসা করছি আমাদের প্রতি তাঁর নেয়ামতসমূহ ও আশির্বাদসহ। হে আল্লাহ্!
তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করো। আর আমরা আল্লাহ্র নিকট জাহান্নামের
আগুন হতে মুক্তি চাই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৮৭
حَدَّثَنَا
ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنَا
الْقَاسِمُ، قَالَ كَانَ أَبُو ذَرٍّ يَقُولُ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ
اللَّهُمَّ مَا حَلَفْتُ مِنْ حَلِفٍ أَوْ قُلْتُ مِنْ قَوْلٍ أَوْ نَذَرْتُ مِنْ
نَذْرٍ فَمَشِيئَتُكَ بَيْنَ يَدَىْ ذَلِكَ كُلِّهِ مَا شِئْتَ كَانَ وَمَا لَمْ
تَشَأْ لَمْ يَكُنِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَتَجَاوَزْ لِي عَنْهُ اللَّهُمَّ
فَمَنْ صَلَّيْتَ عَلَيْهِ فَعَلَيْهِ صَلاَتِي وَمَنْ لَعَنْتَ فَعَلَيْهِ
لَعْنَتِي كَانَ فِي اسْتِثْنَاءٍ يَوْمَهُ ذَلِكَ أَوْ قَالَ ذَلِكَ الْيَوْمَ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি সকালে ঘুম
থেকে উঠে বলবে: “হে আল্লাহ! আমি যে কসমই করি, যে কথাই বলি, আর যে মান্নতই মানি,
এসব কার্যকর হওয়ার জন্য রয়েছে তোমার ইচ্ছা। তুমি যা চাও তাই হয়, তুমি যা চাও না তা
হয় না। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার এগুলো আগ্রাহ্য করো। হে আল্লাহ!
যার প্রতি তুমি দয়া করো তার প্রতি আমারও দু‘আ। তুমি যাকে অভিশাপ দাও তার প্রতি
আমারও অভিশাপ”-এসব অকল্যাণ হতে ঐ দিনের জন্য তাকে মুক্তি দেয়া হয়।[৫০৮৫]
তাহক্বিক আলবানীঃ সনদ যঈফ মাওকুফ।
[৫০৮৫]
বায়হাক্বী। এর সানাদ মুনকাতি । ক্বাসিম ইবনু ‘আবদুর রহমান হাদীসটি আবূ যার হতে শুনেননি
। যেমন রয়েছে তাহযীব গ্রন্থে ।
হাদিসের মানঃদুর্বল মাওকুফ
৫০৮৮
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَوْدُودٍ، عَمَّنْ سَمِعَ
أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُثْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ عَفَّانَ -
يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ
قَالَ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ
فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ لَمْ تُصِبْهُ
فَجْأَةُ بَلاَءٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ ثَلاَثَ
مَرَّاتٍ لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلاَءٍ حَتَّى يُمْسِيَ " . قَالَ
فَأَصَابَ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ الْفَالِجُ فَجَعَلَ الرَّجُلُ الَّذِي سَمِعَ
مِنْهُ الْحَدِيثَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ مَا لَكَ تَنْظُرُ إِلَىَّ
فَوَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ عَلَى عُثْمَانَ وَلاَ كَذَبَ عُثْمَانُ عَلَى النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم وَلَكِنَّ الْيَوْمَ الَّذِي أَصَابَنِي فِيهِ مَا أَصَابَنِي
غَضِبْتُ فَنَسِيتُ أَنْ أَقُولَهَا .
আবান ইবনু ‘উসমান
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি এবং
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন: যে ব্যক্তি
সন্ধ্যায় তিনবার বলবে: “আল্লাহর নামে যাঁর নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই
ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।” সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি
কোন হঠাৎ বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর কোন হঠাৎ
বিপদ আসবে না। আবান (রাঃ) পক্ষাঘাতগ্রস্থ হলে যে লোকটি তার থেকে হাদীস শুনেছিল,
তার দিকে তাকাচ্ছিল। তখন আবান তাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে! তুমি আমার দিকে
তাকাচ্ছো কেনো? বিশ্বাস করো, আল্লাহর কসম! আমি ‘উসমান (রাঃ)-এর প্রতি মিথ্যা
আরোপ করিনি আর ‘উসমান (রাঃ)-ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি
মিথ্যা আরোপ করেননি। তবে যেদিন আমি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়েছি সেদিন আমি রাগের বশে তা
বলতে ভুলে গিয়েছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৮৯
حَدَّثَنَا
نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ
حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ
عُثْمَانَ، عَنْ عُثْمَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ
يَذْكُرْ قِصَّةَ الْفَالِجِ .
‘উসমান (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সূত্রে
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী এতে পক্ষাঘাতের ঘটনা উল্লেখ
করেননি। [৫০৮৭]
[৫০৮৭]
আহমাদ ।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৫০৯০
حَدَّثَنَا
الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْجَلِيلِ بْنِ
عَطِيَّةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لأَبِيهِ يَا أَبَةِ إِنِّي أَسْمَعُكَ
تَدْعُو كُلَّ غَدَاةٍ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي
سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا
ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي . فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهِنَّ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ
أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ . قَالَ عَبَّاسٌ فِيهِ وَتَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ
عَذَابِ الْقَبْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ
وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي فَتَدْعُو بِهِنَّ فَأُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ
قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعَوَاتُ
الْمَكْرُوبِ اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي
طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
" . وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى صَاحِبِهِ .
‘আবদুর রহমান ইবনু
আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি
আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি: “হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ
রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে
সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই।” তিনি বললেন, আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দু‘আ করতে
শুনেছি। সেজন্য আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায়
রয়েছে তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার নিকট কুফরী ও দরিদ্রতা হতে আশ্রয় চাইছি। হে
আল্লাহ! আমি কবরের আযাব হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাইছি, আপনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ
নেই।” তিনি এ দু‘আ সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিনবার করে বলতেন। তাই আমিও তাঁর নিয়ম
অনুসরণ করতে ভালোবাসি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির দু‘আ হলো : “হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমত
প্রার্থী। কাজেই আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নিজের নিকট সোপর্দ করবেন না এবং আমার
সবকিছু সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করে দিন। আর আপনিই একমাত্র ইলাহ।” [৫০৮৮]
[৫০৮৮]
বুখারীর আদাবুল মুফরাদ ।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫০৯১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ -
حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي
صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
مِائَةَ مَرَّةٍ وَإِذَا أَمْسَى كَذَلِكَ لَمْ يُوَافِ أَحَدٌ مِنَ الْخَلاَئِقِ
بِمِثْلِ مَا وَافَى " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে একশো বার বলবেঃ “সুবাহানাল্লাহিল
‘আযীম ওয়া বিহামদিহি” এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহলে সৃষ্টিকুলের কেউই
তার মত মর্যাদা ও সওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১১
নতুন চাঁদ দেখে যে
দু‘আ পড়তে হয়
৫০৯২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّهُ
بَلَغَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلاَلَ قَالَ
" هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ هِلاَلُ خَيْرٍ
وَرُشْدٍ آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَكَ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ . ثُمَّ
يَقُولُ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ذَهَبَ بِشَهْرِ كَذَا وَجَاءَ
بِشَهْرِ كَذَا " .
ক্বাতাদাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-নতুন
চাঁদ দেখে বলতেনঃ “কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ, কল্যাণ ও
হেদায়াতের চাঁদ। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন আমি তাঁর উপর ঈমান আনলাম”-একথা তিনবার
বলতেন, অতঃপর বলতেনঃ আল্লাহর প্রশংসা যিনি অমুক মাস শেষ করলেন এবং এ মাস এনে
দিলেন। [৫০৯০]
[৫০৯০]
‘আবদুর রাযযাক। এর সানাদ মুনকাতি ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫০৯৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ حُبَابٍ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِي
هِلاَلٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا
رَأَى الْهِلاَلَ صَرَفَ وَجْهَهُ عَنْهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ مُسْنَدٌ صَحِيحٌ .
ক্বাতাদাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-নতুন চাঁদ দেখে তাঁর মুখমন্ডল (চাঁদ) হতে অন্যত্র ঘুরাতেন। ইমাম আবূ
দাঊদ (রহঃ) বলেন, চাঁদের উদয় সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই।
[৫০৯১]
আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১২
ঘর হতে বের হওয়ার সময়
যা বলবে
৫০৯৪
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ
الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ مَا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم مِنْ بَيْتِي قَطُّ إِلاَّ رَفَعَ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ
" اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ أَوْ أَزِلَّ
أَوْ أُزَلَّ أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ
" .
উম্মু সালামাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) যখনই আমার ঘর হতে বের হতেন, তখন আকাশের দিকে মাথা তুলে বলতেনঃ “হে
আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পথভ্রষ্ট হওয়া বা পথভ্রষ্ট করা, গুনাহ করা বা গুনাহের দিকে
ধাবিত করা, উৎপীড়ন করা বা উৎপীড়িত হওয়া, অজ্ঞতা প্রকাশ করা বা অজ্ঞতা প্রকাশের
পাত্র হওয়া হতে আশ্রয় চাইছি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৯৫
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْخَثْعَمِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ،
عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ،
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْتِهِ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى
اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ " . قَالَ "
يُقَالُ حِينَئِذٍ هُدِيتَ وَكُفِيتَ وَوُقِيتَ فَتَتَنَحَّى لَهُ الشَّيَاطِينُ فَيَقُولُ
لَهُ شَيْطَانٌ آخَرُ كَيْفَ لَكَ بِرَجُلٍ قَدْ هُدِيَ وَكُفِيَ وَوُقِيَ
" .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার ঘর হতে বের হওয়ার সময় বলবেঃ “বিসমিল্লাহি
তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ, ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”-তখন তাকে বলা
হয়, তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো। সুতরাং
শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে
পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে!
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৩
কেউ নিজ ঘরে
প্রবেশকালে কি বলবে?
৫০৯৬
حَدَّثَنَا
ابْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، -
قَالَ ابْنُ عَوْفٍ وَرَأَيْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ - قَالَ حَدَّثَنِي
ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وَلَجَ الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ
فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِjنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ
الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ
رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا ثُمَّ لْيُسَلِّمْ عَلَى أَهْلِهِ " .
আবূ মালিক
আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন কেউ নিজ ঘরে প্রবেশ করবে তখন সে যেন বলে: (অর্থ) “হে
আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি
ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি”। অতঃপর সে যেন তার পরিবারের লোকদের
সালাম দেয়।
[৫০৯৪]
আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৪
প্রবলবেগে বায়ু
প্রবাহের সময় যা বলবে
৫০৯৭
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، وَسَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ شَبِيبٍ -
قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
قَالَ حَدَّثَنِي ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الرِّيحُ مِنْ رَوْحِ
اللَّهِ " . قَالَ سَلَمَةُ فَرَوْحُ اللَّهِ تَأْتِي بِالرَّحْمَةِ
وَتَأْتِي بِالْعَذَابِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَلاَ تَسُبُّوهَا وَسَلُوا
اللَّهَ خَيْرَهَا وَاسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَا " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: বায়ু আল্লাহর অন্যতম রহমাত। তা কখনো শান্তি
বয়ে আনে আবার কখনো আযাব নিয়ে আসে। সুতরাং বাতাস প্রবাহিত হতে দেখলে তোমরা তাকে
গালাগালি দিবে না, বরং আল্লাহর নিকট এর কল্যাণ চাইবে এবং তার খারাবী হতে আল্লাহর
নিকট মুক্তি প্রার্থনা করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫০৯৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا
عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ
عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَطُّ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى
مِنْهُ لَهَوَاتِهِ إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّمُ وَكَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ
رِيحًا عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ النَّاسُ إِذَا
رَأَوُا الْغَيْمَ فَرِحُوا رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ فِيهِ الْمَطَرُ وَأَرَاكَ إِذَا
رَأَيْتَهُ عُرِفَتْ فِي وَجْهِكَ الْكَرَاهِيَةُ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ
مَا يُؤَمِّنُنِي أَنْ يَكُونَ فِيهِ عَذَابٌ قَدْ عُذِّبَ قَوْمٌ بِالرِّيحِ
وَقَدْ رَأَى قَوْمٌ الْعَذَابَ فَقَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا " .
নাবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন দিন এরূপ মুখ খুলে হাসতে দেখিনি যাতে তাঁর আলজিভ্
দেখা যায়, বরং তিনি সর্বদাই মুচকি হাসতেন। আর তিনি যখন আকাশে মেঘ বা প্রবল বেগে
বায়ু প্রবাহিত হতে দেখতেন তখন তাঁর চেহারায় এর ভীতি পরিলক্ষিত হতো। আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল! মানুষ সাধারণত আকাশে মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়। আর আপনি
যখন মেঘ দেখেন তখন আপনার চেহারায় আমার নিকট আপনার অসন্তুষ্টির ভাব ধরা পড়ে; এর
কারণ কী? তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তা শাস্তি বয়ে আনছে কিনা এর নিরাপত্তা আমাকে কে
দিবে? এক কওমকে বায়ুর মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে (যেমন আদ ও হূদ) আরেক কওম মেঘ
দেখে বলেছিল, “এটা তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে” (সূরাহ আহ্কাফ: ২৪)। [৫০৯৬]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৯৯
حَدَّثَنَا
ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ
الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ
عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى نَاشِئًا فِي
أُفُقِ السَّمَاءِ تَرَكَ الْعَمَلَ وَإِنْ كَانَ فِي صَلاَةٍ ثُمَّ يَقُولُ
" اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا " . فَإِنْ
مُطِرَ قَالَ " اللَّهُمَّ صَيِّبًا هَنِيئًا " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকাশের
প্রান্তে মেঘ উঠতে দেখলে যাবতীয় (নাফল) ‘ইবাদত ছেড়ে দিতেন, এমনকি তিনি সলাতে
থাকলেও। অতঃপর তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর খারাবী থেকে আশ্রয়
চাইছি”। যদি বর্ষা হতো তাহলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! বরকতপূর্ণ ও সুমিষ্ট পানি দান
করো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৫
বৃষ্টি প্রসঙ্গে
৫১০০
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ
بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَصَابَنَا وَنَحْنُ مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَطَرٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم فَحَسَرَ ثَوْبَهُ عَنْهُ حَتَّى أَصَابَهُ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ
اللَّهِ لِمَ صَنَعْتَ هَذَا قَالَ " لأَنَّهُ حَدِيثُ عَهْدٍ بِرَبِّهِ
" .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্র
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে ছিলাম। আমাদের উপর বৃষ্টি আরম্ভ হলো।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়লেন এবং
শরীর থেকে জামা খুলে ফেললেন, যাতে তাঁর শরীরে বৃষ্টি পৌঁছে। আমরা বললাম, হে
আল্লাহর রাসূল! আপনি এটা করলেন কেনো? তিনি বললেনঃ এ বৃষ্টি তার রবের পক্ষ হতে বর্ষিত
হচ্ছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৬
মোরগ ও চতুস্পদ
প্রাণী সম্বন্ধে
৫১০১
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ
صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُتْبَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " لاَ تَسُبُّوا الدِّيكَ فَإِنَّهُ يُوقِظُ لِلصَّلاَةِ " .
যায়িদ ইবনু খালিদ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা মোরগকে গালি দিও না। কারণ সে সলাতের জন্য জাগায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১০২
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ،
عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " إِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيَكَةِ فَسَلُوا اللَّهَ تَعَالَى
مِنْ فَضْلِهِ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا وَإِذَا سَمِعْتُمْ نَهِيقَ الْحِمَارِ
فَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهَا رَأَتْ شَيْطَانًا "
.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন: যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনতে পাবে তখন আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ চাইবে,
কেননা মোরগ একজন ফেরেশতাকে দেখেছে। আর যখন তোমরা গাধার চিৎকার শুনবে তখন শয়তান
হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে। কেননা সে একটা শয়তানকে দেখেছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১০৩
حَدَّثَنَا
هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا
سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلاَبِ وَنَهِيقَ الْحُمُرِ بِاللَّيْلِ فَتَعَوَّذُوا
بِاللَّهِ فَإِنَّهُنَّ يَرَيْنَ مَا لاَ تَرَوْنَ " .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা রাতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ও গাধার ডাক শুনতে পেলে
“আউযুবিল্লাহ” বলবে। কেননা তারা (কুকুর ও গাধা) যা দেখতে পায় তোমরা তা দেখতে পাও
না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১০৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا
أَبِي، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَغَيْرِهِ،
قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ " أَقِلُّوا الْخُرُوجَ بَعْدَ هَدْأَةِ
الرِّجْلِ فَإِنَّ لِلَّهِ تَعَالَى دَوَابَّ يَبُثُّهُنَّ فِي الأَرْضِ "
. قَالَ ابْنُ مَرْوَانَ " فِي تِلْكَ السَّاعَةِ " . وَقَالَ
" فَإِنَّ لِلَّهِ خَلْقًا " . ثُمَّ ذَكَرَ نُبَاحَ الْكَلْبِ
وَالْحَمِيرَ نَحْوَهُ وَزَادَ فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ الْهَادِ وَحَدَّثَنِي
شُرَحْبِيلُ الْحَاجِبُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
জাবির ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ও ‘আলী ইবনু ‘উমার ইবনু হুসাইন ইবনু ‘আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তোমরা বাইরে কম যাবে। কেননা মহান
আল্লাহর এমন কিছু জীবজন্তু আছে, যাদেরকে এ সময়ে তিনি বিক্ষিপ্তভাবে যমীনে ছেড়ে
দেন। তাতে আরো আছে: কারণ আল্লাহ্র কিছু সৃষ্টি আছে। অতঃপর তিনি গাধা ও কুকুরের
শব্দের অনুরুপ উল্লেখ করেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৭
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার
পর তার কানে আযান দেয়া
৫১০৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ
عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَذَّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ
عَلِيٍّ - حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ - بِالصَّلاَةِ .
উবাইদুল্লাহ ইবনু
আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাত্বিমাহ (রাঃ) যখন ‘আলী (রাঃ)-এর
পুত্র হাসান (রাঃ)-কে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তার কানে সলাতের আযানের ন্যায় আযান দিয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫১০৬
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ح
وَحَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيَدْعُو لَهُمْ
بِالْبَرَكَةِ - زَادَ يُوسُفُ - وَيُحَنِّكُهُمْ وَلَمْ يَذْكُرْ بِالْبَرَكَةِ
.
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাচ্চাদেরকে আনা হলে তিনি তাদের জন্য বরকতের দু‘আ করতেন।
ইউসুফের বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেজুর চিবিয়ে
তাদের মুখে দিতেন। এতে ‘বরকতের জন্য’ কথাটি উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১০৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ،
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ حُمَيْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ رُئِيَ -
أَوْ كَلِمَةً غَيْرَهَا - فِيكُمُ الْمُغَرِّبُونَ " . قُلْتُ وَمَا
الْمُغَرِّبُونَ قَالَ " الَّذِينَ يَشْتَرِكُ فِيهِمُ الْجِنُّ "
.
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাকে প্রশ্ন করলেন : তোমাদের মধ্যে মুগাররিবূন দেখা গেছে কি? আমি
বললাম মুগাররিবূন কারা? তিনি বললেন যাদের মধ্যে জিনের একটি অংশ আছে।
[৫১০৫]
সানাদের উম্মু হুমাইদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তার অবস্থা জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৮
কেউ কারোর (অনিষ্ট)
হতে আশ্রয় প্রার্থনা।
৫১০৮
حَدَّثَنَا
نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْجُشَمِيُّ، قَالاَ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، - قَالَ نَصْرٌ ابْنُ
أَبِي عَرُوبَةَ - عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَهِيكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ اسْتَعَاذَ
بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ وَمَنْ سَأَلَكُمْ بِوَجْهِ اللَّهِ فَأَعْطُوهُ "
. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ " مَنْ سَأَلَكُمْ بِاللَّهِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহর নামে আশ্রয় চায় তোমরা তাকে
আশ্রয় দাও। আর যে তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে কিছু চায় তোমরা তাকে তা দান করো।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫১০৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَسَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - الْمَعْنَى -
عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَنِ اسْتَعَاذَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ وَمَنْ
سَأَلَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعْطُوهُ " . وَقَالَ سَهْلٌ وَعُثْمَانُ
" وَمَنْ دَعَاكُمْ فَأَجِيبُوهُ " . ثُمَّ اتَّفَقُوا "
وَمَنْ آتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ " . قَالَ مُسَدَّدٌ
وَعُثْمَانُ " فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا اللَّهَ لَهُ حَتَّى
تَعْلَمُوا أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে আশ্রয় চাইলে তোমরা তাকে আশ্রয়
দিবে। কেউ আল্লাহর নামে তোমাদের নিকট কিছু চাইলে তোমরা তাকে দাও। বর্ণনাকারী সাহল
ও ‘উসমান আরো বলেন, যে তোমাদেরকে দাওয়াত দেয় তোমরা তাতে সাড়া দাও। অতঃপর
বর্ণনাকারীগণ বলেন, আর যে ব্যক্তি তোমাদের প্রতি উত্তম আচরণ করবে তোমরা তার
প্রতিদান দাও। যদি তাকে দেয়ার মতো কিছু না পাও তবে তার জন্য দু’আ করতে থাকো-যখন
বুঝতে পারো তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১৯
প্ররোচনা প্রতিহত করা
সম্পর্কে
৫১১০
حَدَّثَنَا
عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ،
حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ عَمَّارٍ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو
زُمَيْلٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ مَا شَىْءٌ أَجِدُهُ فِي
صَدْرِي قَالَ مَا هُوَ قُلْتُ وَاللَّهِ مَا أَتَكَلَّمُ بِهِ . قَالَ فَقَالَ
لِي أَشَىْءٌ مِنْ شَكٍّ قَالَ وَضَحِكَ . قَالَ مَا نَجَا مِنْ ذَلِكَ أَحَدٌ -
قَالَ - حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { فَإِنْ كُنْتَ فِي شَكٍّ
مِمَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَءُونَ الْكِتَابَ مِنْ
قَبْلِكَ } الآيَةَ قَالَ فَقَالَ لِي إِذَا وَجَدْتَ فِي نَفْسِكَ شَيْئًا فَقُلْ
{ هُوَ الأَوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ
عَلِيمٌ }
আবূ যুমাইল (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ যুমাইল (রহঃ)
বলেন একদা আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কে বললাম, আমি আমার অন্তরে যেসব বিষয় অনুভব করি
এগুলো কি? তিনি বললেন, তা কি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি সে বিষয়ে মুখ খুলবো না।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমাকে বললেন, সন্দেহমূলক কিছু? বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি
হাসলেন এবং বললেন, এর থেকে কেউই রেহাই পায়নি, এমনকি মহান আল্লাহ নাযিল করেন:
“আমি আপনার উপর যা নাযিল করেছি এ ব্যাপারে আপনি যদি সন্দেহে থাকেন, তাহলে যারা
কিতাব পড়ে তাদেরকে প্রশ্ন করুন….” (সূরাহ ইউনুস: ৯৪)
বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, যখন তুমি মনের মধ্যে এ ধরণের
কিছু উদ্রেক হতে দেখবে, তখন তুমি পাঠ করবে:
“তিনিই আদি তিনিই অনন্ত, তিনিই প্রকাশ্য, তিনি গুপ্ত এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক
অবহিত” (সূরাহ হাদীদ: ৩) [৫১০৮]
[৫১০৮]
আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫১১১
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالُوا يَا
رَسُولَ اللَّهِ نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا الشَّىْءَ نُعْظِمُ أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهِ
أَوِ الْكَلاَمَ بِهِ مَا نُحِبُّ أَنَّ لَنَا وَأَنَّا تَكَلَّمْنَا بِهِ .
قَالَ " أَوَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ " . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ
" ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট তাঁর কতিপয় সাহাবী (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল!
আমরা আমাদের অন্তরে এমন কিছু অনুভব করি যা ব্যক্ত করাকে বা যা মুখে বলাকে আমরা
গুরুতর মনে করি। আমরা এ ধরণের কথা মনে আসা অথবা পরস্পর সমালোচনা করাকে পছন্দ করি
না। তিনি বললেনঃ তোমরা কি এরূপ অনুভব করো? তারা বললেন, হ্যাঁ তিনি বললেনঃ এটা
স্পষ্ট ঈমানের লক্ষণ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১১২
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، قُدَامَةَ بْنِ أَعْيَنَ قَالاَ
حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
شَدَّادٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَحَدَنَا يَجِدُ فِي نَفْسِهِ - يُعَرِّضُ
بِالشَّىْءِ - لأَنْ يَكُونَ حُمَمَةً أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ
بِهِ فَقَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ كَيْدَهُ إِلَى الْوَسْوَسَةِ " . قَالَ
ابْنُ قُدَامَةَ " رَدَّ أَمْرَهُ " . مَكَانَ " رَدَّ
كَيْدَهُ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো মনের মধ্যে
এমন কিছু উদয় হয় যা মুখে ব্যক্ত করার চেয়ে সে জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়াকে উত্তম
মনে করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ
মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি শয়তানের এ ধোঁকাকে কল্পনা
পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুছেদ ১২০
যে দাস নিজ মনিবের
পরিবর্তে অন্যের পরিচয় দেয়।
৫১১৩
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، قَالَ
حَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ
سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ، وَوَعَاهُ، قَلْبِي مِنْ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ
أَنَّهُ قَالَ " مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ
أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ " . قَالَ
فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرَةَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ
وَوَعَاهُ قَلْبِي مِنْ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَاصِمٌ فَقُلْتُ
يَا أَبَا عُثْمَانَ لَقَدْ شَهِدَ عِنْدَكَ رَجُلاَنِ أَيُّمَا رَجُلَيْنِ .
فَقَالَ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَأَوَّلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
أَوْ فِي الإِسْلاَمِ يَعْنِي سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ وَالآخَرُ قَدِمَ مِنَ
الطَّائِفِ فِي بِضْعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلاً عَلَى أَقْدَامِهِمْ فَذَكَرَ
فَضْلاً . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ قَالَ قَالَ
النُّفَيْلِيُّ حَيْثُ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَاللَّهِ إِنَّهُ عِنْدِي
أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ يَعْنِي قَوْلَهُ حَدَّثَنَا وَحَدَّثَنِي قَالَ أَبُو
عَلِيٍّ وَسَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ لَيْسَ
لِحَدِيثِ أَهْلِ الْكُوفَةِ نُورٌ - قَالَ - وَمَا رَأَيْتُ مِثْلَ أَهْلِ
الْبَصْرَةِ كَانُوا تَعَلَّمُوهُ مِنْ شُعْبَةَ .
সা’দ ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি এ হাদীসটি আমার
নিজ কানে শুনেছি স্বয়ং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট হতে
এবং আমার অন্তর তা হিফাযাত করেছে। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি স্বীয় পিতাকে ভিন্ন
বংশের দলে দাবি করলো অথচ সে জানে যে, তার পিতা কে, তার জন্য জান্নাত হারাম।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি আবূ বাক্রাহ (রাঃ) এর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তার নিকট
উত্থাপন করলে তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ
হাদীস আমার কান শুনেছে এবং আমার স্মৃতিশক্তি তা হিফাযাত করেছে। ‘আসিম (রহঃ) বলেন,
আমি বললাম হে আবূ উসমান! আপনার নিকট দু’জন লোক সাক্ষ্য দিয়েছে, তারা কে? তিনি
বলেন, তাদের একজন হলেন, সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) যিনি সর্বপ্রথম আল্লাহর পথে দ্বীন
ইসলামের তীর ছুঁড়েছেন। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন যিনি বিশের অধিক লোকের একটি দলের
সঙ্গে তায়েফ থেকে হেটে এসেছেন। তিনি তার ফযীলতও বর্ণনা করলেন।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আন-নুফাইলী (রহঃ) এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন,
আল্লাহর কসম! এটি আমার নিকট মধুর চেয়েও মিষ্টি অর্থাৎ এর সানাদ। আবূ ‘আলী বলেন,
আমি আবূ দাঊদকে বলতে শুনেছি, আমি আহমাদ(রহঃ) কে বলতে শুনেছি, কূফাবাসীর হাদীসে নূর
নেই। আমি বাসরাহ্বাসীর অনুরূপ দেখিনি, তারা হাদীসটি শু’বাহ (রহঃ) হতে শিখেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১১৪
حَدَّثَنَا
حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو
- حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ تَوَلَّى
قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ
وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَدْلٌ وَلاَ
صَرْفٌ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ মনিব গোত্রের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন গোত্রে পালিয়ে যায়
তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাকূল ও সকল মানুষের পক্ষ হতে লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার
কোন ফরয ও নফল অথবা তাওবাহ ও ফিদইয়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১১৫
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ
عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ
حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، - وَنَحْنُ بِبَيْرُوتَ - عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ
فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ "
.
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি তার পিতার বংশ পরিচয় বাদ দিয়ে
অন্য বংশের হওয়ার দাবি করে অথবা নিজেকে প্রকৃত অভিভাবক পরিবারকে বাদ দিয়ে অন্যের
পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করে তার উপর আল্লাহর পক্ষ হতে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত অবিরাম
অভিশাপ বর্ষিত হতে থাকবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২১
বংশের গৌরব
৫১১৬
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعَافَى، ح وَحَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، - وَهَذَا
حَدِيثُهُ - عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ
الْجَاهِلِيَّةِ وَفَخْرَهَا بِالآبَاءِ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ
أَنْتُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ لَيَدَعَنَّ رِجَالٌ فَخْرَهُمْ
بِأَقْوَامٍ إِنَّمَا هُمْ فَحْمٌ مِنْ فَحْمِ جَهَنَّمَ أَوْ لَيَكُونُنَّ
أَهْوَنَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الْجِعْلاَنِ الَّتِي تَدْفَعُ بِأَنْفِهَا النَّتْنَ
" .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ তোমাদের জাহিলী যুগের মিথ্যা অহংকার ও
পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে গর্ব করার প্রথাকে বিলুপ্ত করেছেন। মু’মিন হলো আল্লাহভীরু আর
পাপী হলো দুর্ভাগা। তোমরা সকলে আদম সন্তান আর আদম (আঃ) মাটির তৈরী। লোকদের উচিৎ
বিশেষ গোত্রের ভুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে অহংকার না করা। এখন তো তারা জাহান্নামের
কয়লায় পরিণত হয়েছে। অন্যথায় তোমরা মহান আল্লাহর নিকট ময়লার সেই কীটের চেয়েও জঘন্য
গণ্য হবে যে তার নাক দিয়ে ময়লা ঠেলে নিয়ে যায়।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২২
দলপ্রীতি বা
পক্ষপাতিত্ব
৫১১৭
حَدَّثَنَا
النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَنْ
نَصَرَ قَوْمَهُ عَلَى غَيْرِ الْحَقِّ فَهُوَ كَالْبَعِيرِ الَّذِي رُدِّيَ
فَهُوَ يُنْزَعُ بِذَنَبِهِ .
‘আব্দুল্লাহ ইবনু
মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি তার কওমের
লোকদেরকে অন্যায়ভাবে সাহায্য করে, সে ঐ উটের মত, যেটিকে গর্তে পড়ার পর তার লেজ ধরে
টানা হচ্ছে। [৫১১৫]
সহীহ মাওকূফ ও মারফু।
[৫১১৫]
তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৫১১৮
حَدَّثَنَا
ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكِ
بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ
فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
‘আবদুর রহমান ইবনু
‘আব্দুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গেলাম, তখন তিনি একটি চামড়ার তাঁবুতে ছিলেন ... অতঃপর বাকী
অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১১৯
حَدَّثَنَا
مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا
سَلَمَةُ بْنُ بِشْرٍ الدِّمَشْقِيُّ، عَنْ بِنْتِ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ،
أَنَّهَا سَمِعَتْ أَبَاهَا، يَقُولُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا
الْعَصَبِيَّةُ قَالَ " أَنْ تُعِينَ قَوْمَكَ عَلَى الظُّلْمِ "
.
ওয়াসিলাহ ইবনু
আক্বকা’ (রাঃ)-র কন্যা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতাকে বলতে
শুনেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আসাবিয়্যাত (পক্ষপাতিত্ব) কি? তিনি বললেনঃ
তুমি তোমার কওমকে অত্যাচার করার জন্য সহযোগিতা করলে। [৫১১৭]
দুর্বল : গায়াতুল মারাম হা/৩০৫।
[৫১১৭]
ইবনু মাজাহ, আহমাদ, বুখারীর আদাবুল মুফরাদ। সানাদে সালমাহ বিন বিশর রয়েছে। হাফিজ বলেনঃ
মাক্ববুল। একই অবস্থা তার মেয়ে ওয়াসিলাহ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১২০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ
أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ عَنْ
سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " خَيْرُكُمُ الْمُدَافِعُ عَنْ
عَشِيرَتِهِ مَا لَمْ يَأْثَمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَيُّوبُ بْنُ
سُوَيْدٍ ضَعِيفٌ .
সুরাক্বাহ ইবনু
মালিক ইবনু জু’শাম আল-মুদলিজী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময়
বলেনঃ যে ব্যক্তি পাপাচারে লিপ্ত না হয়ে তার গোত্রের উপর নির্যাতন হওয়া প্রতিরোধ
করে সে-ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আইয়ূব ইবনু সুয়াইদ
দুর্বল বর্ণনাকারী। [৫১১৮]
দুর্বল : মিশকাত হা/ ৪৯০৬
[৫১১৮]
সানাদে আইয়ূব বিন সুওয়াইদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১২১
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ،
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَكِّيِّ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي
لَبِيبَةَ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ
مُطْعِمٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيْسَ
مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَلَى
عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ مَاتَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ " .
জুবাইর ইবনু
মুত্ব’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন। যে ব্যক্তি আসাবিয়্যাতের দিকে ডাকে বা
গোত্রের দোহাই দিয়ে আহবান করে লোকদেরকে সমবেত করে সে আমার দলভুক্ত নয়। আর ঐ
ব্যক্তিও আমার দলভুক্ত নয় যে আসাবিয়্যাতের ভিত্তিতে যুদ্ধ করে এবং সেও নয় যে
আসাবিয়্যাতের উপর মারা যায়। [৫১১৯]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯০৭, গায়াতুল মারাম হা/ ৩০৪।
[৫১১৯]
ইবনু ‘আদীর কামীল। এর সানাদ মুনকাতি। আব্দুল্লাহ বিন আবূ সালমাহ ও জুবাইর ইবনু মুত্বঈম
এর মাঝে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১২২
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ
زِيَادِ بْنِ مِخْرَاقٍ، عَنْ أَبِي كِنَانَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ
" .
আবূ মূসা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ গোত্রের ভাগনে তাদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১২৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ،
حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ دَاوُدَ
بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي
عُقْبَةَ، - وَكَانَ مَوْلًى مِنْ أَهْلِ فَارِسَ - قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُحُدًا فَضَرَبْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ
فَقُلْتُ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الْفَارِسِيُّ فَالْتَفَتَ إِلَىَّ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " فَهَلاَّ قُلْتَ خُذْهَا
مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الأَنْصَارِيُّ " .
আবূ উক্ববাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
(তিনি ছিলেন পারস্যবাসীর আযাদকৃত গোলাম)। তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সঙ্গে উহুদের যুদ্ধে
অংশগ্রহণ করি। এক মুশরিক ব্যক্তির উপর আঘাত হেনে আমি বললাম, আমার কাছ থেকে এটা
নাও। আমি পারস্যদেশীয় যুবক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
ক্বিয়ামাতের আমার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বললেনঃ তুমি কেন একথা বললে না যে, আমার
পক্ষ হতে এটা গ্রহণ করো, আমি আনসারী যুবক।
[৫১২১]
ইবনু মাজাহ,আহমাদ। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন আন
শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৩
কেউ কারোর ভালো কিছু
দেখে তাকে ভালবাসলে
৫১২৪
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ثَوْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ
عُبَيْدٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، - وَقَدْ كَانَ أَدْرَكَهُ -
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ
أَخَاهُ فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ " .
আল-মিক্বদাম ইবনু
মা’দীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইকে ভালোবাসে, তার উচিৎ তাকে তাঁর ভালোবাসা
সম্পর্কে অবহিত করা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১২৫
حَدَّثَنَا
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْمُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا
ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ عِنْدَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
إِنِّي لأُحِبُّ هَذَا . فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم "
أَعْلَمْتَهُ " . قَالَ لاَ قَالَ " أَعْلِمْهُ " .
قَالَ فَلَحِقَهُ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللَّهِ . فَقَالَ أَحَبَّكَ
الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর নিকট উপস্থিত ছিলো। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো। লোকটি বললো, হে
আল্লাহর রাসূল! আমি অবশ্যই এ ব্যক্তিকে ভালোবাসি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কি তাকে তোমার ভালোবাসার কথা জানিয়েছো? সে বললো, না।
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে জানিয়ে দাও। বর্ণনাকারী
বলেন, সুতরাং সে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য
ভালোবাসি। সে বললো, যাঁর উদ্দেশ্যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন তিনিও আপনাকে ভালোবাসুন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫১২৬
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ قَالَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَعْمَلَ
كَعَمَلِهِمْ . قَالَ " أَنْتَ يَا أَبَا ذَرٍّ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ
" . قَالَ فَإِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . قَالَ "
فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ " . قَالَ فَأَعَادَهَا أَبُو ذَرٍّ
فَأَعَادَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি যদি
কোন সম্প্রদায়কে ভালোবাসে কিন্তু তারা যে ধরণের আমল করে সে অনুরূপ আমল করতে পারে
না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি
যাদেরকে ভালোবাসো তাদের দলভুক্ত হবে। তিনি বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে
ভালোবাসি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি যাদেকে ভালোবাসো
তাদের সাথী হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ যার (রাঃ) একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও একই উত্তর দেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১২৭
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ
ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَرِحُوا بِشَىْءٍ لَمْ أَرَهُمْ فَرِحُوا بِشَىْءٍ أَشَدَّ مِنْهُ
قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُحِبُّ الرَّجُلَ عَلَى الْعَمَلِ
مِنَ الْخَيْرِ يَعْمَلُ بِهِ وَلاَ يَعْمَلُ بِمِثْلِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সাহাবীদেরকে একটি ব্যাপারে এতোটা আনন্দিত দেখতে পেলাম যে, অন্য কোন
ব্যাপারেই এরূপ আনন্দিত হতে দেখিনি। তা হলো, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল!
এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে তার সৎকাজের জন্য ভালোবাসে, কিন্তু সে তার মতো সৎকাজ
করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রত্যেক
ব্যক্তিই যাকে ভালোবাসে সে তার সাথী হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৪
পরামর্শ করা
৫১২৮
حَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا
شَيْبَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরামর্শদাতা একজন আমানতদার।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৫
কল্যাণের দিকে পথ
দেখানো
৫১২৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي
عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ جَاءَ
رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي
أُبْدِعَ بِي فَاحْمِلْنِي . قَالَ " لاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُكَ عَلَيْهِ
وَلَكِنِ ائْتِ فُلاَنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَحْمِلَكَ " . فَأَتَاهُ
فَحَمَلَهُ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ
مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ " .
আবূ মাসা‘উদ
আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কোন বাহন নেই। তাই
আমার জন্য একটি বাহনের ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেনঃআমার নিকট তোমাকে বাহন হিসেবে
দেয়ার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। তবে তুমি অমুকের নিকট যাও, সে হয়তো তোমার সাওয়ারীর
ব্যবস্থা করতে পারবে। অতএব সে তার নিকট গেলে লোকটি তার বাহনের ব্যবস্থা করে দিলো।
ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ ব্যাপারে জানালে
তিনি বললেনঃসে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের পথ দেখায়, সে উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ
সওয়াব পায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৬
অসৎ বাসনা
৫১৩০
حَدَّثَنَا
حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي
مَرْيَمَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي
الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" حُبُّكَ الشَّىْءَ يُعْمِي وَيُصِمُّ " .
আবূ দারদা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন বস্তুর প্রতি তোমার ভালোবাসা
তোমাকে অন্ধ ও বধির করে দিতে পারে। [৫১২৮]
দুর্বল : যঈফাহ হা/১৮৬৮।
[৫১২৮]
আহমাদ। সানাদে আবূ বকর ইবনু আবূ মারইয়াম দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৭
সুপারিশ করা
৫১৩১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" اشْفَعُوا إِلَىَّ لِتُؤْجَرُوا وَلْيَقْضِ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ
نَبِيِّهِ مَا شَاءَ " .
আবূ মূসা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট সুপারিশ করো, তাহলে তোমরা সাওয়াব লাভ করতে
পারবে। আর নাবীর সিদ্ধান্ত তাই হয় যা আল্লাহর ইচ্ছা করেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৩২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالاَ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ وَهْبِ
بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، اشْفَعُوا تُؤْجَرُوا فَإِنِّي
لأُرِيدُ الأَمْرَ فَأُؤَخِّرُهُ كَيْمَا تَشْفَعُوا فَتُؤْجَرُوا فَإِنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اشْفَعُوا تُؤْجَرُوا " .
মু‘আবিয়াহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
। তোমরা সুপারিশ করো, তাহলে সওয়াব লাভ করতে
পারবে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “
তোমরা সুপারিশ করো, সাওয়াব পাবে।” কারণ আমি (মু‘আবিয়াহ) কোন সিদ্ধান্ত নিতে
ইচ্ছাকৃতভাবেই বিলম্ব করি যাতে তোমরা সুপারিশ করে সওয়াব লাভ করতে পারো। কেননা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সুপারিশ করে সওয়াব
অর্জন করো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৩৩
حَدَّثَنَا
أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ
أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আবূ মূসা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [৫১৩১]
[৫১৩১]
এটি গত হয়েছে হা/৫১৩২।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-১২৮
চিঠিপত্রে প্রথমে
নিজের নাম লেখা সম্পর্কে
৫১৩৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ
سِيرِينَ، - قَالَ أَحْمَدُ قَالَ مَرَّةً يَعْنِي هُشَيْمًا - عَنْ بَعْضِ وَلَدِ
الْعَلاَءِ أَنَّ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ كَانَ عَامِلَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم عَلَى الْبَحْرَيْنِ فَكَانَ إِذَا كَتَبَ إِلَيْهِ بَدَأَ
بِنَفْسِهِ .
আল-‘আলা (রা.)-এর
কোন সন্তান থেকে বর্ণিতঃ
আল-‘আলা (রাঃ) বাহরাইনে নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক নিযুক্ত গভর্ণর ছিলেন। তিনি যখন নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট চিঠিপত্র লিখতেন তখন তাতে প্রথমে নিজের নাম লিখতেন।
[৫১৩২]
[৫১৩২]
আহমাদ । সানাদে ‘আলা এর কতিপয় সন্তান মাজহুল ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৩৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ،
أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ
الْعَلاَءِ، عَنِ الْعَلاَءِ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ - أَنَّهُ كَتَبَ
إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَدَأَ بِاسْمِهِ .
আল-‘আলা ইবনুল
হাদরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট চিঠি লিখেছিলেন এবং তাতে প্রথমে নিজের নাম লিখেছিলেন। [৫১৩৩]
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২৯
যিম্মীর নিকট পত্র
লিখার নিয়ম
৫১৩৬
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم كَتَبَ إِلَى هِرَقْلَ " مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى
هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ سَلاَمٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى " .
قَالَ ابْنُ يَحْيَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ أَخْبَرَهُ قَالَ
فَدَخَلْنَا عَلَى هِرَقْلَ فَأَجْلَسَنَا بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا فِيهِ " بِسْمِ اللَّهِ
الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ
الرُّومِ سَلاَمٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى أَمَّا بَعْدُ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী(সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোম সম্রাট হিরাকালের নিকটে চিঠি লিখেছিলেন: “আল্লাহর
প্রেরিত পুরুষ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর পক্ষ হতে রোমের
সম্রাট হিরাকলের নিকট। যে ব্যক্তি হেদায়াতের অনুসারী তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
ইবনু ইয়াহ্য়াহ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তাকে
এ ব্যাপারে জানিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা হিরাকলের দরবারে উপস্থিত হলে তিনি আমাদেরকে তার
সামনে বসালেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চিঠি
নিয়ে ডাকলেন। তাতে লেখা রয়েছে : বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম; আল্লাহর রাসূল
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর পক্ষ হতে মহান রোম সম্রাট
হিরাক্ল–এর প্রতি। যিনি হেদায়েতের অনুসারী তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক; অতঃপর।
আবূ সুফিয়ানের হাদীস সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩০
পিতা-মাতার সঙ্গে
সদ্ব্যবহার করা
৫১৩৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي سُهَيْلُ بْنُ
أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " لاَ يَجْزِي وَلَدٌ وَالِدَهُ إِلاَّ أَنْ يَجِدَهُ
مَمْلُوكًا فَيَشْتَرِيَهُ فَيُعْتِقَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন সন্তান তার পিতার হক আদায় করতে সক্ষম নয়, তবে ক্রীতদাস
পিতাকে ক্রয় করে আযাদ করে দিলে (সামান্য হক আদায় হয়)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৩৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي خَالِي
الْحَارِثُ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
كَانَتْ تَحْتِي امْرَأَةٌ وَكُنْتُ أُحِبُّهَا وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُهَا
فَقَالَ لِي طَلِّقْهَا فَأَبَيْتُ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " طَلِّقْهَا
" .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার এক স্ত্রী ছিলো এবং তাকে আমি
ভালোবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা (‘উমার) তাকে অপছন্দ করতেন। তিনি আমাকে তাকে তালাক
দিতে আদেশ করলে আমি তাতে অসম্মতি জানালাম। ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে এ ব্যাপারে তাঁকে জানালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতাকে তালাক দাও।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৩৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ
" أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ الأَقْرَبَ
فَالأَقْرَبَ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
لاَ يَسْأَلُ رَجُلٌ مَوْلاَهُ مِنْ فَضْلٍ هُوَ عِنْدَهُ فَيَمْنَعُهُ إِيَّاهُ
إِلاَّ دُعِيَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَضْلُهُ الَّذِي مَنَعَهُ شُجَاعًا
أَقْرَعَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الأَقْرَعُ الَّذِي ذَهَبَ شَعْرُ
رَأْسِهِ مِنَ السُّمِّ .
বাহয ইবনু হাকীম
(রাঃ) হতে তার পিতা এবং তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল!
আমার উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা, তারপর তোমার মা,
তারপর তোমার মা, অতঃপর তোমার বাবা, এরপর পর্যায়ক্রমে আত্মীয়তার নৈকট্য অনুসারে
হবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ কোন গোলাম তার মালিকের
নিকট তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে চাইলে এবং সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে
ক্বিয়ামতের দিন ঐ অতিরিক্ত সম্পদ তার জন্য একটি মাথায় টাক পড়া বিষধর সাপে
রূপান্তরিত করা হবে। [৫১৩৭]
[৫১৩৭]
তিরমিযী ।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫১৪০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مُرَّةَ، حَدَّثَنَا كُلَيْبُ
بْنُ مَنْفَعَةَ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ " أُمَّكَ وَأَبَاكَ
وَأُخْتَكَ وَأَخَاكَ وَمَوْلاَكَ الَّذِي يَلِي ذَاكَ حَقٌّ وَاجِبٌ وَرَحِمٌ
مَوْصُولَةٌ " .
কুলাইব ইবনু মান্ফা’আহ
(রহ.) তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কার সঙ্গে অধিক
উত্তম ব্যবহার করবো। তিনি বললেনঃতোমার মা, বোন, ভাই এবং তোমার মুক্তদাস, যা তোমার
আবশ্যকীয় কর্তব্য এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক যা বজায় রাখতে হয়। [৫১৩৮]
দুর্বল : ইরওয়া হা/৮৩৭
[৫১৩৮]
বুখারীর আদাবুল মুফরাদ ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৪১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، وَقَالَ، أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا
عَبَّادُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ
الْكَبَائِرِ أَنْ يَلْعَنَ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ كَيْفَ يَلْعَنُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ قَالَ " يَلْعَنُ أَبَا
الرَّجُلِ فَيَلْعَنُ أَبَاهُ وَيَلْعَنُ أُمَّهُ فَيَلْعَنُ أُمَّهُ " .
আবদুল্লাহ ইবনু আমর
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে মারাত্বক গুনাহ হলো, কোন ব্যক্তির
তার পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল ! মানুষ কিভাবে স্বীয়
পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করতে পারে? তিনি বললেনঃএই ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির পিতাকে অভিশাপ
দেয়, প্রতিউত্তরে সেও তার পিতাকে অভিশাপ দেয়। আবার এই ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মাকে
অভিশাপ দেয়, প্রতিউত্তরে সেও তার মাকে অভিশাপ দেয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৪২
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ
الْعَلاَءِ، - الْمَعْنَى - قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ،
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ
عُبَيْدٍ، مَوْلَى بَنِي سَاعِدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، مَالِكِ
بْنِ رَبِيعَةَ السَّاعِدِيِّ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم إِذَا جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ هَلْ بَقِيَ مِنْ بِرِّ أَبَوَىَّ شَىْءٌ أَبَرُّهُمَا بِهِ بَعْدَ
مَوْتِهِمَا قَالَ " نَعَمِ الصَّلاَةُ عَلَيْهِمَا وَالاِسْتِغْفَارُ
لَهُمَا وَإِنْفَاذُ عَهْدِهِمَا مِنْ بَعْدِهِمَا وَصِلَةُ الرَّحِمِ الَّتِي لاَ
تُوصَلُ إِلاَّ بِهِمَا وَإِكْرَامُ صَدِيقِهِمَا " .
আবূ উসাইদ মালিক ইবনু
রবী‘আহ আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময়
বনী সালিমার এক লোক তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও
কি তাদের প্রতি হক রয়েছে যা আমি পালন করবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদের জন্য দু’আ ও
ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের ওয়াদা পূরণ করা, তাদের উভয়ের মাধ্যমে যে আত্মীয়তার
সম্পর্ক আছে তা রক্ষা করা এবং তাদের বন্ধুদের সম্মান করা।[৫১৪০]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯৩৬।
[৫১৪০]
ইবনু মাজাহ, আহমাদ, ইবনু হিব্বান । সানাদের ‘আলী ইবনু ‘উবাইদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ
মাক্ববূল । ইমাম যাহাবী বলেনঃ তাকে চেনা যায়নি ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৪৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ
سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَبَرَّ الْبِرِّ صِلَةُ الْمَرْءِ أَهْلَ
وُدِّ أَبِيهِ بَعْدَ أَنْ يُوَلِّيَ " .
ইবনু ‘উমার(রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বাধিক পুণ্যের কাজ হলো, কোন ব্যক্তির তার পিতার
ইন্তিকালের পর (অবর্তমানে) তার বন্ধুদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৪৪
حَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ
يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ بْنِ ثَوْبَانَ، أَخْبَرَنَا عُمَارَةُ بْنُ ثَوْبَانَ،
أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ، أَخْبَرَهُ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم يَقْسِمُ لَحْمًا بِالْجِعِرَّانَةِ - قَالَ أَبُو الطُّفَيْلِ وَأَنَا
يَوْمَئِذٍ غُلاَمٌ أَحْمِلُ عَظْمَ الْجَزُورِ - إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ
حَتَّى دَنَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَسَطَ لَهَا رِدَاءَهُ
فَجَلَسَتْ عَلَيْهِ فَقُلْتُ مَنْ هِيَ فَقَالُوا هَذِهِ أُمُّهُ الَّتِي أَرْضَعَتْهُ
.
আবুত তুফাইল (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে আল-জি’ইর্রানা নামক স্থানে গোশত বণ্টন করতে দেখেছি। আবুত তুফাইল
(রাঃ) বলেন, তখন আমি যুবক ছিলাম এবং উটের হাড় বহন করছিলাম। এ সময় এক মহিলা আসলেন।
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এলে তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় চাদর বিছিয়ে দিলেন। তিনি তার উপর বসলেন। আমি বললাম,
ইনি কে? সাহাবীগণ বললেন, ইনি হলেন তাঁর দুধমাতা। [৫১৪২]
[৫১৪২]
হাকিম । সানাদের জা’ফার ইবনু ইয়াহইয়া সম্পর্কে ইবনুল মাদীনী বলেনঃ মাজহুল । ইমাম যাহাবী
বলেনঃ তার চাচা ‘উমরাহ বিন সাওবান শিথিল (লাইয়িন) ।হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ
‘উমরাহ মাসতূর ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৪৫
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ السَّائِبِ، حَدَّثَهُ
أَنَّهُ، بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ جَالِسًا
يَوْمًا فَأَقْبَلَ أَبُوهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ فَوَضَعَ لَهُ بَعْضَ ثَوْبِهِ
فَقَعَدَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَتْ أُمُّهُ فَوَضَعَ لَهَا شِقَّ ثَوْبِهِ مِنْ
جَانِبِهِ الآخَرِ فَجَلَسَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَ أَخُوهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ
فَقَامَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجْلَسَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ
.
উমার ইবনুস সায়িব
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জানতে পেরেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন। এমন সময় তাঁর দুধপিতা এলে তিনি
তাঁর জন্য তাঁর কাপড়ের একাংশ বিছিয়ে দিলেন এবং তিনি তাঁর উপর বসলেন। এরপর তাঁর
দুধমাতা আসলে তিনি তাঁর জন্যও অন্য পাশে তাঁর টুকরা কাপড় বিছিয়ে দিলেন এবং তাতে
তিনি বসলেন। তারপর আসলেন তাঁর দুধভাই। তখন রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর জন্য উঠে দাঁড়ান এবং তাকে তাঁর সামনে বসান। [৫১৪৩]
[৫১৪৩]
সানাদে বর্ণনাকারী ‘উমার ইবনু সায়িব এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
মাঝে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩১
ইয়াতীমদের
প্রতিপালনের ফাযীলাত
৫১৪৬
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ - الْمَعْنَى - قَالاَ
حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنِ ابْنِ
حُدَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ كَانَتْ لَهُ أُنْثَى فَلَمْ يَئِدْهَا وَلَمْ يُهِنْهَا وَلَمْ
يُؤْثِرْ وَلَدَهُ عَلَيْهَا - قَالَ يَعْنِي الذُّكُورَ - أَدْخَلَهُ اللَّهُ
الْجَنَّةَ " . وَلَمْ يَذْكُرْ عُثْمَانُ يَعْنِي الذُّكُورَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ঘরে কন্যা
সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে যদি তাকে জীবন্ত কবর না দেয় এবং তাকে অবজ্ঞা না করে এবং
তার পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রাধান্য না দেয় তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ
করাবেন। বর্ণনাকারী ‘উসমান ‘পুত্র সন্তান’ কথাটি উল্লেখ করেননি।[৫১৪৪]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯৭৯।
[৫১৪৪]
আহমাদ। সানাদে ইবনু জুবাইর রয়েছে। হাফিয বলেনঃ মাসতূর, তার নাম জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৪৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي
صَالِحٍ - عَنْ سَعِيدٍ الأَعْشَى، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُكْمِلٍ الزُّهْرِيُّ - عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ
الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَنْ عَالَ ثَلاَثَ بَنَاتٍ فَأَدَّبَهُنَّ
وَزَوَّجَهُنَّ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ فَلَهُ الْجَنَّةُ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করলো, তাদেরকে
আদব শিক্ষা দিলো, বিয়ে দিলো এবং তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করলো, তার জন্য জান্নাত
রয়েছে। [৫১৪৫]
[৫১৪৫]
তিরমিযী, আহমাদ । সানাদের আইয়ূব ইবনু বাশীর সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৪৮
حَدَّثَنَا
يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ
بِمَعْنَاهُ قَالَ " ثَلاَثُ أَخَوَاتٍ أَوْ ثَلاَثُ بَنَاتٍ أَوْ
بِنْتَانِ أَوْ أُخْتَانِ " .
সুহাইল (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
সুহাইল (রহঃ) সূত্রে
এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেন, ‘তিনটি বোন অথবা তিনটি কন্যা অথবা দু’টি কন্যা অথবা দু’টি বোন’
হলেও ।[৫১৪৬]
দুর্বল।
[৫১৪৬]
এর পুর্বেরটি দেখুন ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৪৯
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا النَّهَّاسُ بْنُ
قَهْمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ
الأَشْجَعِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا
وَامْرَأَةٌ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ كَهَاتَيْنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
وَأَوْمَأَ يَزِيدُ بِالْوُسْطَى وَالسَّبَّابَةِ " امْرَأَةٌ آمَتْ مِنْ
زَوْجِهَا ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ حَبَسَتْ نَفْسَهَا عَلَى يَتَامَاهَا حَتَّى
بَانُوا أَوْ مَاتُوا " .
আওফ ইবনু মালিক আল্-আশজাঈ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ক্বিয়ামাতের দিন আমি এবং
কালো গালবিশিষ্ট মহিলা এভাবে থাকবো। বর্ণনাকারী ইয়াযীদ মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুল
দ্বারা ইশারা করে দেখান। অর্থাৎ যে বংশীয়া, সুন্দরী বিধবা মহিলা তার ইয়াতিম
বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করার জন্য মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে (পুনর্বিবাহ থেকে)
বিরত রেখেছে। [৫১৪৭]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১১২২।
[৫১৪৭]
আহমাদ, বুখারীর আদাবুল মুফরাদ সানাদের নাহহাস সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ দুর্বল ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩২
ইয়াতীমের
লালন-পালনকারীর মর্যাদা
৫১৫০
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، -
يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلٍ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ
كَهَاتَيْنِ فِي الْجَنَّةِ " . وَقَرَنَ بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ الْوُسْطَى
وَالَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ .
সাহল (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আমি ও ইয়াতীমদের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকবো। এ বলে তিনি তার
মধ্যমা ও তর্জনী (আঙ্গুল) একত্র করলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অণুচ্ছেদ-১৩৩
প্রতিবেশীর হক
৫১৫১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ
بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ
حَتَّى قُلْتُ لَيُوَرِّثَنَّهُ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম
) বলেছেনঃ জিব্রীল (আঃ) আমাকে নিয়মিত প্রতিবেশী সম্পর্কে উপদেশ দিতে থাকলেন।
এমনকি আমি ভাবলাম, অচিরেই তিনি প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানাবেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৫২
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَشِيرٍ أَبِي إِسْمَاعِيلَ،
عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ ذَبَحَ شَاةً فَقَالَ
أَهْدَيْتُمْ لِجَارِي الْيَهُودِيِّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى
ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একটি বকরি যাবাহ করলেন, তিনি বললেন, তোমরা
কি আমার প্রতিবেশি ইয়াহুদীকে উপঢৌকন দিয়েছ? কেননা আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ জিবরাঈল (আঃ) অবিরত আমাকে প্রতিবেশীর হক
সম্বন্ধে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। এমনকি আমার ধারনা হল, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে
উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৫৩
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ،
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ
رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشْكُو جَارَهُ فَقَالَ "
اذْهَبْ فَاصْبِرْ " . فَأَتَاهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ
" اذْهَبْ فَاطْرَحْ مَتَاعَكَ فِي الطَّرِيقِ " . فَطَرَحَ
مَتَاعَهُ فِي الطَّرِيقِ فَجَعَلَ النَّاسُ يَسْأَلُونَهُ فَيُخْبِرُهُمْ
خَبَرَهُ فَجَعَلَ النَّاسُ يَلْعَنُونَهُ فَعَلَ اللَّهُ بِهِ وَفَعَلَ وَفَعَلَ
فَجَاءَ إِلَيْهِ جَارُهُ فَقَالَ لَهُ ارْجِعْ لاَ تَرَى مِنِّي شَيْئًا
تَكْرَهُهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনি
বললেন, যাও ধৈর্য ধরো। অতঃপর সে দুই বা তিনবার এভাবে এসে অভিযোগ করলে তিনি বললেনঃ
তুমি গিয়ে তোমার জিনিষপত্র রাস্তায় ফেলে রাখো। অতঃপর সে তার জিনিষপত্র রাস্তায়
ফেলে রাখলে লোকেরা তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে লাগলো এবং সে তাদেরকে তার
প্রতিবেশীর খবর জানাতে থাকলো। লোকেরা তাকে অভিশাপ দিতে লাগলো, আল্লাহ তোমার এরূপ
এরূপ করুন। তার প্রতিবেশী তার নিকট এসে তাকে বললো, তুমি ফিরে যাও। ভবিষ্যতে তুমি
আমার পক্ষ হতে এরূপ কিছুর পুনরাবৃত্তি দেখবে না।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫১৫৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ
يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ
يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِ جَارَهُ - وَمَنْ كَانَ
يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ
" .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে তার উচিৎ তার
মেহমানের সম্মান করা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে তার উচিৎ
প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়া। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন
উত্তম কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৫৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ
عُبَيْدٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ
عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارَيْنِ
بِأَيِّهِمَا أَبْدَأُ قَالَ " بِأَدْنَاهُمَا بَابًا " . قَالَ
أَبُو دَاوُدَ قَالَ شُعْبَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ طَلْحَةُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ
.
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার
দুই প্রতিবেশী পরিবার। তাদের মধ্যে কোন পরিবারকে আমি আগে (হাদিয়া) পাঠাবো? তিনি
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাদের মধ্যে যে তোমার
দরজার অতি নিকটে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩৪
দাস দাসীর হক
৫১৫৬
حَدَّثَنَا
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، عَنْ عَلِيٍّ،
عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ كَانَ آخِرُ كَلاَمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " الصَّلاَةَ الصَّلاَةَ اتَّقُوا اللَّهَ فِيمَا مَلَكَتْ
أَيْمَانُكُمْ " .
আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর শেষ উপদেশ ছিলঃ সলাত, সলাত এবং দাস-দাসীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয়
করা।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৫৭
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ
الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ وَعَلَيْهِ
بُرْدٌ غَلِيظٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهُ قَالَ فَقَالَ الْقَوْمُ يَا أَبَا
ذَرٍّ لَوْ كُنْتَ أَخَذْتَ الَّذِي عَلَى غُلاَمِكَ فَجَعَلْتَهُ مَعَ هَذَا
فَكَانَتْ حُلَّةً وَكَسَوْتَ غُلاَمَكَ ثَوْبًا غَيْرَهُ . قَالَ فَقَالَ أَبُو
ذَرٍّ إِنِّي كُنْتُ سَابَبْتُ رَجُلاً وَكَانَتْ أُمُّهُ أَعْجَمِيَّةً
فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ فَشَكَانِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ " يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ "
. قَالَ " إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ فَضَّلَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
فَمَنْ لَمْ يُلاَئِمْكُمْ فَبِيعُوهُ وَلاَ تُعَذِّبُوا خَلْقَ اللَّهِ "
.
আল-মা’রূর ইবনু
সুয়াইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আর-রাবাযাহ নামক স্হানে
আবূ যার (রাঃ) কে দেখতে পেলাম। তখন তিনি একটি চাদর পরিহিত ছিলেন এবং তার দাসও
অনুরূপ চাদর পরিহিত ছিল। আল-মা’রুর (রাঃ) বলেন, লোকেরা বললো, হে আবূ যার ! আপনি
যদি আপনার দাস যে কাপড় পরেছে তা নিয়ে নিতেন তাহলে আপনার জোড়া পুরা হতো আর আপনার
দাসকে অন্য পোশাক পরাতেন তাহলে ভাল হতো। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ যার (রাঃ) বললেন,
আমি এক লোককে, (যার মা অনারব ছিলো) গালি দিয়েছিলাম এবং মন্দ ব্যবহার করেছিলাম। এতে
সে আমার বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অভিযোগ
করলে তিনি বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি এমন ব্যক্তি যে, তোমার মধ্যে জাহিলিয়াত রয়েছে।
তিনি আরো বললেনঃ এরা তোমাদের ভাই; আল্লাহ তাদের উপর তোমাদেরকে মর্যাদা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল না লাগে তাকে বিক্রি করে দাও। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে
শাস্তি দিও না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৫৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ
الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ
فَإِذَا عَلَيْهِ بُرْدٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهُ فَقُلْنَا يَا أَبَا ذَرٍّ
لَوْ أَخَذْتَ بُرْدَ غُلاَمِكَ إِلَى بُرْدِكَ فَكَانَتْ حُلَّةً وَكَسَوْتَهُ
ثَوْبًا غَيْرَهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
" إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَمَنْ كَانَ
أَخُوهُ تَحْتَ يَدَيْهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيَكْسُهُ مِمَّا
يَلْبَسُ وَلاَ يُكَلِّفْهُ مَا يَغْلِبُهُ فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ
فَلْيُعِنْهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ عَنِ
الأَعْمَشِ نَحْوَهُ .
আল-মা’রূর ইবনু
সুয়াইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা আর-রাবাযাহ নামক স্হানে
আবূ যার (রাঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। এ সময় তিনি ও তার দাস একই ধরনের চাদর পরিহিত
ছিলেন। আমরা বললাম, আপনি যদি আপনার দাসের চাদরটি নিয়ে নিতেন তাহলে আপনার জোড়া পুরা
হতো। আর তাকে অন্য পোশাক পরাতেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের ভাইয়েরা, আল্লাহ এদেরকে তোমাদের
অধীন করেছেন। সুতরাং যার অধীনে তার ভাই রয়েছে তার উচিৎ সে নিজে যা খায় তাকেও তাই
খেতে দেয়া, নিজে যা পরিধান করে তাকেও তাই পরতে দেয়া এবং তার অসাধ্য কোন কাজ তার
উপর না চাপানো। আর যদি এমন কোন কষ্টসাধ্য কাজের ভার তাকে দেয়া হয় তাহলে সে যেন
তাকে সাহায্য করে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৫৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ،
قَالَ كُنْتُ أَضْرِبُ غُلاَمًا لِي فَسَمِعْتُ مِنْ خَلْفِي صَوْتًا "
اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ " . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى مَرَّتَيْنِ
" لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ " . فَالْتَفَتُّ
فَإِذَا هُوَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هُوَ
حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ . قَالَ " أَمَا إِنَّكَ لَوْ لَمْ تَفْعَلْ
لَلَفَعَتْكَ النَّارُ أَوْ " لَمَسَّتْكَ النَّارُ " .
আবূ মাস’ঊদ
আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমার এক ক্রীতদাসকে প্রহার
করছিলাম। এ সময় আমার পিছন হতে একটি শব্দ শুনতে পেলাম, হে আবূ মা’সঊদ! জেনে রাখো,
আল্লাহ তোমার উপর এর চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান যতটুকু তুমি তার উপর ক্ষমতাবান। আমি পিছন
হতে তার এরূপ ডাক দু’বার শুনতে পেলাম। আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! সে আল্লাহর
সন্তষ্টির জন্য স্বাধীন (আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম)। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি যদি তাকে মুক্ত না করে দিতে তাহলে জাহান্নামের আগুন
তোমাকে গ্রাস করতো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬০
حَدَّثَنَا
أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِهِ
وَمَعْنَاهُ نَحْوَهُ قَالَ كُنْتُ أَضْرِبُ غُلاَمًا لِي أَسْوَدَ بِالسَّوْطِ
وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الْعِتْقِ .
আল-আ’মাশ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আল-আ’মাশ (রাঃ) সূত্রে এ সানাদে পূর্বোক্ত
হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার এক গোলামকে চাবুক দিয়ে প্রহার
করেছিলাম। এতে ‘দাসত্বমুক্ত’ করার কথা উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
مُجَاهِدٍ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " مَنْ لاَءَمَكُمْ مِنْ مَمْلُوكِيكُمْ فَأَطْعِمُوهُ
مِمَّا تَأْكُلُونَ وَاكْسُوهُ مِمَّا تَكْتَسُونَ وَمَنْ لَمْ يُلاَئِمْكُمْ
مِنْهُمْ فَبِيعُوهُ وَلاَ تُعَذِّبُوا خَلْقَ اللَّهِ " .
আবূ যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দাস-দাসীর মধ্যে যারা তোমাদেরকে খুশি করে তাদেরকে
তোমরা যা খাও তা-ই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তাই পরতে দাও। আর যেসব দাস
তোমাদের খুশি করে না তাদেরকে বিক্রি করো। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিজীবকে শাস্তি দিও
না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬২
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ بَعْضِ بَنِي رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، عَنْ
رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، وَكَانَ، مِمَّنْ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " حُسْنُ
الْمَلَكَةِ نَمَاءٌ وَسُوءُ الْخُلُقِ شُؤْمٌ " .
রাফি’ ইবনু মাকীস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হুদায়বিয়ার
সন্ধিতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে
অন্যতম ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (দাস-দাসী বা
চাকর–চাকরানীর সাথে) উত্তম ব্যবহার প্রাচূর্য বয়ে আনে এবং মন্দ আচরণ দুর্ভাগ্য
টেনে আনে।[৫১৬০]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৭৯৬।
[৫১৬০]
আহমাদ । সানাদে কতিপয় বনী রাফে’ রয়েছে । যাদের নাম উল্লেখ হয়নি ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৬৩
حَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ زُفَرَ،
قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، عَنْ عَمِّهِ
الْحَارِثِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، وَكَانَ، رَافِعٌ مِنْ جُهَيْنَةَ قَدْ
شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " حُسْنُ الْمَلَكَةِ نَمَاءٌ وَسُوءُ
الْخُلُقِ شُؤْمٌ " .
আল-হারিস ইবনু
রাফি’ ইবনু মাকীস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাফি’ (রাঃ) ছিলেন জুহাইনাহ গোত্রভুক্ত, তিনি
রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে হুদায়বিয়াতে উপস্থিত
ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উত্তম ব্যবহার
সৌভাগ্য বয়ে আনে, আর মন্দ ব্যবহার দুর্ভাগ্য বয়ে আনে।[৫১৬১]
[৫১৬১]
এর পূর্বেরটি দেখুন। এর দুটি দোষ রয়েছেঃ এক, সানাদের ‘উসমান বিন যুফার জাহালাত । দুই,
সানাদ মুযতারিব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৬৪
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ،
- وَهَذَا حَدِيثُ الْهَمْدَانِيِّ وَهُوَ أَتَمُّ - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ
وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ
جُلَيْدٍ الْحَجْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ
إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمْ نَعْفُو
عَنِ الْخَادِمِ فَصَمَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلاَمَ فَصَمَتَ فَلَمَّا
كَانَ فِي الثَّالِثَةِ قَالَ " اعْفُوا عَنْهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ
سَبْعِينَ مَرَّةً " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কাজের লোককে প্রতিদিন কতবার
মাফ করবো? তিনি চুপ থাকলেন। লোকটি আবার একই প্রশ্ন করলে এবারও তিনি চুপ থাকলেন।
তৃতীয় বার প্রশ্ন করলে তিনি বললেনঃ প্রতিদিন সত্তর বার।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬৫
حَدَّثَنَا
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا
مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا
فُضَيْلٌ، - يَعْنِي ابْنَ غَزْوَانَ - عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الْقَاسِمِ، نَبِيُّ التَّوْبَةِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ وَهُوَ بَرِيءٌ مِمَّا قَالَ
جُلِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَدًّا " . قَالَ مُؤَمَّلٌ حَدَّثَنَا
عِيسَى عَنِ الْفُضَيْلِ يَعْنِي ابْنَ غَزْوَانَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাওবার নবী আবূল ক্বাসিম
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার নির্দোষ গোলামের উপর
মিথ্যা অপবাদ দিবে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে বেত্রাঘাত করা হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ
يِسَافٍ، قَالَ كُنَّا نُزُولاً فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَفِينَا
شَيْخٌ فِيهِ حِدَّةٌ وَمَعَهُ جَارِيَةٌ فَلَطَمَ وَجْهَهَا فَمَا رَأَيْتُ
سُوَيْدًا أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ ذَاكَ الْيَوْمَ قَالَ عَجَزَ عَلَيْكَ إِلاَّ
حُرُّ وَجْهِهَا لَقَدْ رَأَيْتُنَا سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ وَلَدِ مُقَرِّنٍ وَمَا
لَنَا إِلاَّ خَادِمٌ فَلَطَمَ أَصْغَرُنَا وَجْهَهَا فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم بِعِتْقِهَا .
হিলাল ইবনু ইয়াসাফ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা সুয়াইদ ইবনু মুক্বাররিন (রাঃ)
এর বাড়ীতে থাকতাম। আমাদের সঙ্গে একজন মেজাজী বৃদ্ধ ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি দাসী
ছিল। তিনি তার চেহারায় চড় মারলেন। এ কারণে, সুয়াইদ (রাঃ) এতোটা উত্তেজিত হয়েছিলেন
যে, আমরা তাকে এমন উত্তেজিত হতে আর দেখিনি। তিনি বললেন, একে আযাদ করা ব্যতীত তোমার
জন্য অন্য কোন পথ নেই। তুমি দেখছো যে, আমাদের মুক্বাররিনের সাতটি সন্তান। আমাদের
মাত্র একজন খাদেম ছিল। আমাদের কনিষ্ঠজন তার মুখে চড় মেরেছিল বিধায় নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তাকে আযাদ করার নির্দেশ দিলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ
كُهَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، قَالَ
لَطَمْتُ مَوْلًى لَنَا فَدَعَاهُ أَبِي وَدَعَانِي فَقَالَ اقْتَصَّ مِنْهُ
فَإِنَّا مَعْشَرَ بَنِي مُقَرِّنٍ كُنَّا سَبْعَةً عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم وَلَيْسَ لَنَا إِلاَّ خَادِمٌ . فَلَطَمَهَا رَجُلٌ مِنَّا
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْتِقُوهَا " .
قَالُوا إِنَّهُ لَيْسَ لَنَا خَادِمٌ غَيْرَهَا . قَالَ "
فَلْتَخْدُمْهُمْ حَتَّى يَسْتَغْنُوا فَإِذَا اسْتَغْنَوْا فَلْيُعْتِقُوهَا
" .
মু’আবিয়াহ ইবনু
সুয়াইদ ইবনু মুক্বাররিন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমাদের এক দাসকে চড় মারলাম।
আমার পিতা তাকে ও আমাকে ডেকে বললেন, তুমি তার থেকে প্রতিশোধ নাও। আমার নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে মুক্বাররিন গোত্রের সাত ভাই ছিলাম।
আমাদের মাত্র একটি খাদেম ছিল। আমাদের মধ্যকার একজন তাকে চড় মারলে রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একে মুক্ত করে দাও। তারা বললো, এছাড়া
আমাদের কোন খাদেম নেই। তিনি বললেনঃ এরা স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত সে তাদের সেবা
করবে। তারা স্বাবলম্বী হলে তাকে যেন মুক্ত করে দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৬৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ،
عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ذَكْوَانَ عَنْ زَاذَانَ، قَالَ أَتَيْتُ ابْنَ عُمَرَ وَقَدْ
أَعْتَقَ مَمْلُوكًا لَهُ فَأَخَذَ مِنَ الأَرْضِ عُودًا أَوْ شَيْئًا فَقَالَ مَا
لِي فِيهِ مِنَ الأَجْرِ مَا يَسْوَى هَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ لَطَمَ مَمْلُوكَهُ أَوْ ضَرَبَهُ
فَكَفَّارَتُهُ أَنْ يُعْتِقَهُ " .
যাজান (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ইবনু ‘উমারের (রাঃ) নিকট
গেলাম। তিনি তার দাসকে মুক্ত করে দিলেন। অতঃপর তিনি মাটি হতে এক টুকরো কাঠ বা অন্য
কিছু উঠিয়ে বললেন, একে মুক্ত করায় আমার এর সমানও নেকি নেই। আমি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি তার ক্রীতদাসকে চড়
মারবে বা মারধর করবে, এর কাফফারাহ হলো তাকে মুক্ত করে দেয়া।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩৫
কর্তব্যপরায়ণ দাস
সম্পর্কে
৫১৬৯
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا نَصَحَ لِسَيِّدِهِ وَأَحْسَنَ عِبَادَةَ اللَّهِ
فَلَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দাস যথাযথভাবে তার মালিকের প্রতি কর্তব্য আদায় করে এবং
সুন্দরভাবে আল্লাহর ‘ইবাদতও করে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩৬
যে কোন ক্রীতদাসকে
তার মনিবের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়
৫১৭০
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ
رُزَيْقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ
يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ خَبَّبَ زَوْجَةَ امْرِئٍ أَوْ مَمْلُوكَهُ فَلَيْسَ مِنَّا
" .
আবূ হুরাইয়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা
ক্রীতদাসকে তাঁর মনিবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩৭
অনুমতি চাওয়া
সম্পর্কে
৫১৭১
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي
بَكْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، اطَّلَعَ مِنْ بَعْضِ حُجَرِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم بِمِشْقَصٍ أَوْ مَشَاقِصَ - قَالَ - فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْتِلُهُ لِيَطْعُنَهُ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর এক হুজরাতে উঁকি মারলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এক বা একাধিক তীর-ফলক নিয়ে তার দিকে দাঁড়ালেন। বর্ণনাকারী বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকটির চোখ ফুঁড়ে দেয়ার জন্য
যেভাবে তাকে খুঁজছিলেন সে দৃশ্য এখনো যেন আমার চোখের সামনে ভাসছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৭২
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ،
قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم يَقُولُ " مَنِ اطَّلَعَ فِي دَارِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ
فَفَقَأُوا عَيْنَهُ فَقَدْ هَدَرَتْ عَيْنُهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন: কোন ব্যক্তি যদি কোন গোত্রের ঘরে তাদের অনুমতি ছাড়া
উঁকি মারে এবং তারা তার চোখ ফুঁড়ে দেয় তাহলে এর কোন ক্ষতিপূরণ নেই।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৭৩
حَدَّثَنَا
الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ
سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ كَثِيرٍ، عَنْ وَلِيدٍ، عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دَخَلَ
الْبَصَرُ فَلاَ إِذْنَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চোখ প্রবেশ করলে এরপর অনুমতি নেয়ার দরকার থাকলো কই।
[৫১৭১]
দুর্বল: যঈকাহ হা/২৫৮৬
[৫১৭১]
আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৭৪
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ
بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ
هُزَيْلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ - قَالَ عُثْمَانُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ -
فَوَقَفَ عَلَى بَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَأْذِنُ فَقَامَ عَلَى
الْبَابِ - قَالَ عُثْمَانُ مُسْتَقْبِلَ الْبَابِ - فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم " هَكَذَا عَنْكَ أَوْ هَكَذَا فَإِنَّمَا الاِسْتِئْذَانُ
مِنَ النَّظَرِ " .
হুযাইল (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা এক ব্যক্তি অর্থাৎ সা’দ (রাঃ) এসে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরের দরজা বরাবর মুখ করে দাঁড়িয়ে ভেতরে
প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ
দরজার ডান অথবা বাম দিকে সরে দাঁড়াও। কেননা চোখের দৃষ্টির কারণেই অনুমতি নেয়ার
ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৭৫
حَدَّثَنَا
هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ
سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ
سَعْدٍ، نَحْوَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সা’দ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [৫১৭৩]
[৫১৭৩]
বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-১৩৮
অনুমতি চাওয়ার নিয়ম
৫১৭৬
حَدَّثَنَا
ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَبْدِ اللَّهِ
بْنِ صَفْوَانَ، أَخْبَرَهُ عَنْ كَلَدَةَ بْنِ حَنْبَلٍ، أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ
أُمَيَّةَ، بَعَثَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلَبَنٍ
وَجِدَايَةٍ وَضَغَابِيسَ - وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَعْلَى مَكَّةَ -
فَدَخَلْتُ وَلَمْ أُسَلِّمْ فَقَالَ " ارْجِعْ فَقُلِ السَّلاَمُ
عَلَيْكُمْ " . وَذَاكَ بَعْدَ مَا أَسْلَمَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ
. قَالَ عَمْرٌو وَأَخْبَرَنِي ابْنُ صَفْوَانَ بِهَذَا أَجْمَعَ عَنْ كَلَدَةَ
بْنِ حَنْبَلٍ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعْتُهُ مِنْهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ
يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ أُمَيَّةُ بْنُ صَفْوَانَ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعْتُهُ مِنْ
كَلَدَةَ بْنِ حَنْبَلٍ وَقَالَ يَحْيَى أَيْضًا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
صَفْوَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ كَلَدَةَ بْنَ الْحَنْبَلِ أَخْبَرَهُ .
কালাদাহ ইবনু
হাম্বাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যাহ (রাঃ) তাকে কিছু
দুধ, একটি হরিণ ছানা ও কিছু শসাসহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মক্কার উঁচু স্থানে অবস্থান করছিলেন। আমি সালাম না দিয়েই তাঁর নিকট প্রবেশ করলে
তিনি বললেনঃ তুমি ফিরে যাও এবং আসসালামু ‘আলাইকুম বলো। ঘটনাটি ঘটেছিলো সাফওয়ান
ইবনু উমাইয়্যাহ (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পর।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৭৭
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ،
عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ
عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتٍ فَقَالَ أَلِجُ فَقَالَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِخَادِمِهِ " اخْرُجْ إِلَى هَذَا
فَعَلِّمْهُ الاِسْتِئْذَانَ فَقُلْ لَهُ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ
" . فَسَمِعَهُ الرَّجُلُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ
فَأَذِنَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ .
রিবঈ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বনী ‘আমিরের এক লোক আমাকে বলেন,
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘরে অবস্থানকালে তাঁর নিকট অনুমতি
চেয়ে বলেছিলেন, আমি কি আসবো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার খাদেম কে
বললেন, তুমি বের হয়ে তার নিকট গিয়ে তাকে অনুমতি নেয়ার নিয়ম শিখিয়ে দাও। তুমি তাকে
বলো, আস্সালামু ‘আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? লোকটি এ কথা শুনে বললো,
আসসালামু ‘আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন এবং সে ভেতরে প্রবেশ করলো।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৭৮
حَدَّثَنَا
هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ
بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ حُدِّثْتُ أَنَّ رَجُلاً مِنْ بَنِي عَامِرٍ اسْتَأْذَنَ
عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَكَذَلِكَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ
رِبْعِيٍّ وَلَمْ يَقُلْ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ .
রিবঈ ইবনু হিরাশ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, বনী
‘আমিরের এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট প্রবেশের অনুমতি
প্রার্থনা করলো ...... অতঃপর পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,
এভাবেই মুসাদ্দাদ আবূ আওয়ানাহ হতে মানসূর (রহঃ) সূত্রে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা
করেছেন। তাতে ‘আমির গোত্রের এক ব্যক্তির সূত্রে’-কথাটি নেই। [৫১৭৬]
[৫১৭৬]
আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৫১৭৯
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ
عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ فَسَمِعْتُهُ فَقُلْتُ
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ
বনী ‘আমিরর এক
ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
নিকট অনুমতি চাইলো...... অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। বর্ণনাকারী বলেন, আমি
তাঁর কাছ থেকে শুনে বললাম, ‘আস্সালামু ‘আলাইকুম, আসতে পারি কি?’ [৫১৭৭]
[৫১৭৭]
আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-১৩৯
অনুমতি নিতে কতবার
সালাম দিবে?
৫১৮০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ،
عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كُنْتُ
جَالِسًا فِي مَجْلِسٍ مِنْ مَجَالِسِ الأَنْصَارِ فَجَاءَ أَبُو مُوسَى فَزِعًا
فَقُلْنَا لَهُ مَا أَفْزَعَكَ قَالَ أَمَرَنِي عُمَرُ أَنْ آتِيَهُ فَأَتَيْتُهُ
فَاسْتَأْذَنْتُ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي فَرَجَعْتُ فَقَالَ مَا مَنَعَكَ
أَنْ تَأْتِيَنِي قُلْتُ قَدْ جِئْتُ فَاسْتَأْذَنْتُ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ
لِي وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا اسْتَأْذَنَ
أَحَدُكُمْ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَلْيَرْجِعْ " . قَالَ
لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِالْبَيِّنَةِ قَالَ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ لاَ
يَقُومُ مَعَكَ إِلاَّ أَصْغَرُ الْقَوْمِ . قَالَ فَقَامَ أَبُو سَعِيدٍ مَعَهُ
فَشَهِدَ لَهُ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনসারগণের এক সমাবেশে বসা
ছিলাম। এ সময় আবূ মূসা (রাঃ) ভীত অবস্থায় উপস্থিত হলেন। আমরা তাকে বললাম, আপনার
ভীত হওয়ার কারণ কি? তিনি বললেন, ‘উমার (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমি তার নিকট
এসে তিনবার অনুমতি চেয়েও অনুমতি না পেয়ে ফিরে গেলাম। তিনি (‘উমার) আমাকে প্রশ্ন
করলেন, (ভেতরে প্রবেশ করতে) তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে? আমি বললাম, আমি এসে তিনবার
অনুমতি চেয়েছি কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি তিনবার অনুমতি চেয়েও অনুমতি না পায় তবে সে ফিরে যাবে।
‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমাকে অবশ্যই আমাকে এর সাক্ষী পেশ করতে হবে। বর্ণনাকারী
বললেন, অতঃপর আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, আপনার সঙ্গে সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে দলের
সর্বকনিষ্ঠ লোকটিই উঠবে। বর্ণনাকারী বলেন, অতপঃর আবূ সাঈদ (রাঃ) তার সঙ্গে গিয়ে
তার পক্ষে সাক্ষী দিলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৮১
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى،
عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ أَتَى عُمَرَ فَاسْتَأْذَنَ
ثَلاَثًا فَقَالَ يَسْتَأْذِنُ أَبُو مُوسَى يَسْتَأْذِنُ الأَشْعَرِيُّ
يَسْتَأْذِنُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَرَجَعَ فَبَعَثَ
إِلَيْهِ عُمَرُ مَا رَدَّكَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" يَسْتَأْذِنُ أَحَدُكُمْ ثَلاَثًا فَإِنْ أُذِنَ لَهُ وَإِلاَّ
فَلْيَرْجِعْ " . قَالَ ائْتِنِي بِبَيِّنَةٍ عَلَى هَذَا . فَذَهَبَ
ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ هَذَا أُبَىٌّ فَقَالَ أُبَىٌّ يَا عُمَرُ لاَ تَكُنْ
عَذَابًا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ عُمَرُ
لاَ أَكُونُ عَذَابًا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ মূসা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘উমার (রাঃ) এর নিকট এসে তিনবার এভাবে
অনুমতি চাইলেনঃ আবূ মূসা অনুমতি চাচ্ছে; আল-আশ’আরী অনুমতি চাচ্ছে এবং ‘আবদুল্লাহ
ইবনু ক্বাইস অনুমতি চাচ্ছে। কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি না দেয়ায় আবূ মূসা (রাঃ) ফিরে
যেতে লাগলেন। ‘উমার (রাঃ) তাকে ডেকে এনে প্রশ্ন করলেন, কিসে আপনাকে ফিরে যেতে
বাধ্য করলো? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমাদের কেউ অনুমতি চাইবে তিনবার। যদি তাকে অনুমতি দেয়া হয় তো ভালো, অন্যথায় ফিরে
যাবে। ‘উমার (রাঃ) বললেন এর স্বপক্ষে আমাকে প্রমাণ দিন। অতএব তিনি গিয়ে সাক্ষী
নিয়ে এসে বললেন, এই উবাই। উবাই (রাঃ) বললেন, হে ‘উমার! রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণকে শাস্তিদাতা হবেন না। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি কখনো
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণকে শাস্তি দিবো না।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫১৮২
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَنَّ أَبَا مُوسَى،
اسْتَأْذَنَ عَلَى عُمَرَ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ . قَالَ فِيهِ فَانْطَلَقَ
بِأَبِي سَعِيدٍ فَشَهِدَ لَهُ فَقَالَ أَخَفِيَ عَلَىَّ هَذَا مِنْ أَمْرِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَلْهَانِي السَّفْقُ بِالأَسْوَاقِ وَلَكِنْ
سَلِّمْ مَا شِئْتَ وَلاَ تَسْتَأْذِنْ .
উবাইদ ইবনু উমাইর
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ মূসা (রাঃ) ‘উমার
(রাঃ) –এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলেন......অতঃপর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ কিস্সা।
তবে বর্ণনাকারী আরো বলেনঃ তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ)–কে নিয়ে এলেন এবং তিনি তার পক্ষে
সাক্ষ্য দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত এ হাদীস আমার অজানা রয়ে গেলো! বাজারের
বেচাকেনাই আমাকে এ ব্যাপারে অনবহিত রেখেছে। এখন আপনার ইচ্ছেমত আমাকে সালাম দিন এবং
অনুমতির দরকার নেই।
সহীহ। তবে এ কথাটি বাদেঃ “এখন আপনি ইচ্ছেমত আমাকে ......”।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৮৩
حَدَّثَنَا
زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا
هِشَامٌ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى،
عَنْ أَبِيهِ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ لأَبِي مُوسَى إِنِّي
لَمْ أَتَّهِمْكَ وَلَكِنَّ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
شَدِيدٌ .
আবূ বুরদাহ (রহঃ)
হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণনাকারী বলেন, ‘উমার (রাঃ) আবূ মূসা
(রাঃ)-কে বললেন, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে অপবাদ দিচ্ছি না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে হাদীস বর্ণনা করার বিষয়টি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৮৪
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ
الرَّحْمَنِ، عَنْ غَيْرِ، وَاحِدٍ، مِنْ عُلَمَائِهِمْ فِي هَذَا فَقَالَ عُمَرُ
لأَبِي مُوسَى أَمَا إِنِّي لَمْ أَتَّهِمْكَ وَلَكِنْ خَشِيتُ أَنْ يَتَقَوَّلَ
النَّاسُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
রাবী’আহ ইবনু আবূ
‘আবদুর (রহঃ) এবং তাদের একাধিক ‘আলিম থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার (রাঃ) আবূ মূসা (রাঃ)-কে বলেন, জেনে
রাখুন! আমি আপনাকে অপবাদ দিচ্ছি না। কিন্তু আমি ভয় করছি যে, মানুষ হয়ত
দায়িত্বহীনভাবে রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীস বর্ণনা
করবে। [৫১৮২]
[৫১৮২]
এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৮৫
حَدَّثَنَا
هِشَامٌ أَبُو مَرْوَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - الْمَعْنَى - قَالَ
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا
الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، عَنْ قَيْسِ
بْنِ سَعْدٍ، قَالَ زَارَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْزِلِنَا
فَقَالَ " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ " . فَرَدَّ
سَعْدٌ رَدًّا خَفِيًّا . قَالَ قَيْسٌ فَقُلْتُ أَلاَ تَأْذَنُ لِرَسُولِ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ذَرْهُ يُكْثِرْ عَلَيْنَا مِنَ السَّلاَمِ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ
وَرَحْمَةُ اللَّهِ " . فَرَدَّ سَعْدٌ رَدًّا خَفِيًّا ثُمَّ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ
اللَّهِ " . ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَاتَّبَعَهُ سَعْدٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَسْمَعُ
تَسْلِيمَكَ وَأَرُدُّ عَلَيْكَ رَدًّا خَفِيًّا لِتُكْثِرَ عَلَيْنَا مِنَ
السَّلاَمِ . قَالَ فَانْصَرَفَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَأَمَرَ لَهُ سَعْدٌ بِغِسْلٍ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ نَاوَلَهُ مِلْحَفَةً
مَصْبُوغَةً بِزَعْفَرَانٍ أَوْ وَرْسٍ فَاشْتَمَلَ بِهَا ثُمَّ رَفَعَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ
صَلَوَاتِكَ وَرَحْمَتَكَ عَلَى آلِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ " . قَالَ
ثُمَّ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الطَّعَامِ فَلَمَّا
أَرَادَ الاِنْصِرَافَ قَرَّبَ لَهُ سَعْدٌ حِمَارًا قَدْ وَطَّأَ عَلَيْهِ
بِقَطِيفَةٍ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَعْدٌ يَا
قَيْسُ اصْحَبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ قَيْسٌ فَقَالَ لِي
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ارْكَبْ " . فَأَبَيْتُ
ثُمَّ قَالَ " إِمَّا أَنْ تَرْكَبَ وَإِمَّا أَنْ تَنْصَرِفَ " .
قَالَ فَانْصَرَفْتُ . قَالَ هِشَامٌ أَبُو مَرْوَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ
عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَابْنُ سَمَاعَةَ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ مُرْسَلاً
وَلَمْ يَذْكُرَا قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ .
ক্বাইস ইবনু সা’দ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আমাদের বাড়িতে আসলেন। তিনি বললেন, আস্সালামু
‘আলাইকুম ওয়া রহ্মাতুল্লাহ। বর্ণনাকারী বলেন, সা’দ (রাঃ) আস্তে সালামের উত্তর
দিলেন। ক্বাইস (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কে প্রবেশের অনুমতি দিবেন না? তিনি বললেন, থামো, তাঁকে বেশী বেশী
আমাদেরকে সালাম দিতে দাও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সা’দ (রাঃ) এবারেও আস্তে সালামের জবাব
দিলেন। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আস্সালামু
‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। অতঃপর তিনি ফিরে যেতে থাকলেন। সা’দ (রাঃ) তাঁর পিছনে
পিছনে গিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয়ই আমি আপনার
সালাম শুনতে পারছিলাম এবিং চুপে চুপে সালামের জবাব দিচ্ছিলাম, যাতে আপনি বেশী বেশী
সালাম দেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার
সঙ্গে ফিরে আসলেন এবং সা’দ (রাঃ) তাঁর গোসলের জন্য পানি এনে দিতে নির্দেশ দিলেন,
অতঃপর তিনি গোসল করলেন। এরপর তাঁকে জাফরান বা ওয়ার্স দ্বারা রঞ্জিত একটি চাদর
দিলেন। তিনি তা পরিধান করলেন। অতঃপর দু’হাত তুলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! তুমি সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ্র পরিবার-পরিজনের
উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খাবার দেয়া হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যখন রওয়ানা করার জন্য প্রস্তুত হলেন, তখন সা’দ (রাঃ) পিঠে মখমলের চাদর বা গদি
বিছানো একটি সুসজ্জিত গাধা এনে তার নিকটবর্তী করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে আরোহণ করলেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে ক্বাইস! রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যাও। ক্বাইস (রাঃ) বলেন, তখন
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ আরোহণ করো। কিন্তু
আমি সম্মত হলাম না। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আরোহণ
করো নতুবা ফিরে যাও। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ফিরে এলাম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,
‘উমার ইবনু ‘আবদুল ওয়াহিদ ও ইবনু সাম’আহ (রাঃ) আল-আওয়াঈর (রহঃ) হাদীসটি মুরসালরূপে
বর্ণনা করেছেন এবং তারা উভয়ে ক্বাইস ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। [৫১৮৩]
[৫১৮৩]
আহমাদ। সানাদের মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুর রহমান হাদীসটি ক্বাইস হতে শুনেন নি। সুতরাং এটা
মুনতাকি। হাফিয বলেনঃ সঠিক কথা হলো উভয়ের মাঝে আরেকজন ব্যক্তি রয়েছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫১৮৬
حَدَّثَنَا
مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، - فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا
بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
إِذَا أَتَى بَابَ قَوْمٍ لَمْ يَسْتَقْبِلِ الْبَابَ مِنْ تِلْقَاءِ وَجْهِهِ
وَلَكِنْ مِنْ رُكْنِهِ الأَيْمَنِ أَوِ الأَيْسَرِ وَيَقُولُ "
السَّلاَمُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ " . وَذَلِكَ أَنَّ
الدُّورَ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ سُتُورٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু
বুস্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) কোন কওমের দরবারে এলে দরজায়
মুখ করে দাঁড়াতেন না, বরং দরজার বাম বা ডান পাশে সরে দাঁড়িয়ে বলতেনঃ ‘ আস্সালামু
‘আলাইকুম, আস্সালামু ‘আলাইকুম ’। কারণ সে যুগে দরজায় পর্দা টানানো থাকতো না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪০
কেউ প্রবেশের অনুমতি
পাওয়ার জন্য দরজা খটখট করলে
৫১৮৭
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ،
عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي دَيْنِ
أَبِيهِ فَدَقَقْتُ الْبَابَ فَقَالَ " مَنْ هَذَا " . قُلْتُ
أَنَا . قَالَ " أَنَا أَنَا " . كَأَنَّهُ كَرِهَهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
একদা তিনি তার পিতার রেখে যাওয়া ঋণ সম্পর্কে
আলোচনার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট যান। আমি (জাবির)
দরজা খটখট করলে তিনি বললেনঃকে? আমি বললাম, আমি। তিনি বললেনঃআমি! আমি! মনে হলো,
তিনি এরূপ বলা অপছন্দ করেছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৮৮
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، - يَعْنِي الْمَقَابِرِيَّ - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، -
يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي
سَلَمَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى دَخَلْتُ حَائِطًا فَقَالَ لِي "
أَمْسِكِ الْبَابَ " . فَضُرِبَ الْبَابُ فَقُلْتُ " مَنْ هَذَا
" . وَسَاقَ الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي حَدِيثَ أَبِي
مُوسَى الأَشْعَرِيَّ قَالَ فِيهِ فَدَقَّ الْبَابَ .
নাফি‘ ইবনু ‘আবদুল
হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে বের হয়ে এক বাগানে প্রবেশ করলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ
দরজা বন্ধ করে রাখো। পরে দরজায় আঘাত করা হলে আমি বললাম, কে? অতঃপর বাকি অংশ আবূ
মূসা (রাঃ) বর্ণিত হাসীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ আবূ মূসা
আল-আশ‘আরীর (রাঃ) হাদীস। তাতে রয়েছেঃ সে দরজা খটখট করলো।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪১
কাউকে আহবান করা কি
তার জন্য অনুমতি ধর্তব্য ?
৫১৮৯
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حَبِيبٍ، وَهِشَامٍ، عَنْ
مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" رَسُولُ الرَّجُلِ إِلَى الرَّجُلِ إِذْنُهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)বলেছেন: কোন ব্যক্তিকে ডেকে আনার জন্য কোন লোক পাঠালে তা তার অনুমতি
হিসেবে ধর্তব্য।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৯০
حَدَّثَنَا
حُسَيْنُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ
قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ فَجَاءَ
مَعَ الرَّسُولِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَهُ إِذْنٌ " . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ
اللُّؤْلُؤِيُّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ قَتَادَةُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ
أَبِي رَافِعٍ شَيْئًا .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি পানাহারের জন্য আমন্ত্রিত হয় এবং সে
আমন্ত্রনকারীর প্রতিনিধির সঙ্গে আসে, তবে তার জন্য এটাই অনুমতি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪২
তিন সময়ে
প্রবেশানুমতি প্রার্থনা
৫১৯১
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، قَالَ حَدَّثَنَا ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ
سُفْيَانَ، وَابْنُ، عَبْدَةَ - وَهَذَا حَدِيثُهُ - قَالاَ أَخْبَرَنَا
سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ،
يَقُولُ لَمْ يُؤْمَرْ بِهَا أَكْثَرُ النَّاسِ آيَةُ الإِذْنِ وَإِنِّي لآمُرُ
جَارِيَتِي هَذِهِ تَسْتَأْذِنُ عَلَىَّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ
رَوَاهُ عَطَاءٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ يَأْمُرُ بِهِ .
উবাইদুল্লাহ ইবনু
আবূ ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন,
অধিকাংশ লোকই অনুমতি গ্রহণ সম্পর্কিত আয়াতের উপর আমল করে না। আমি তো আমার এই
দাসীকে আমার নিকট আসতে অনুমতি নেয়ার আদেশ দিয়েছি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,
‘আত্বা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে এমনটিই বর্ণনা করেছেন, তিনি অনুমতি নেয়ার আদেশ
দিতেন।
হাদিসের মানঃসহিহ মাওকুফ
৫১৯২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ
مُحَمَّدٍ - عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ نَفَرًا،
مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَالُوا يَا ابْنَ عَبَّاسٍ كَيْفَ تَرَى فِي هَذِهِ
الآيَةِ الَّتِي أُمِرْنَا فِيهَا بِمَا أُمِرْنَا وَلاَ يَعْمَلُ بِهَا أَحَدٌ
قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا
لِيَسْتَأْذِنْكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا
الْحُلُمَ مِنْكُمْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ مِنْ قَبْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَحِينَ
تَضَعُونَ ثِيَابَكُمْ مِنَ الظَّهِيرَةِ وَمِنْ بَعْدِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ
ثَلاَثُ عَوْرَاتٍ لَكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلاَ عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ
طَوَّافُونَ عَلَيْكُمْ } قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ إِلَى { عَلِيمٌ حَكِيمٌ }
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ اللَّهَ حَلِيمٌ رَحِيمٌ بِالْمُؤْمِنِينَ يُحِبُّ
السَّتْرَ وَكَانَ النَّاسُ لَيْسَ لِبُيُوتِهِمْ سُتُورٌ وَلاَ حِجَالٌ فَرُبَّمَا
دَخَلَ الْخَادِمُ أَوِ الْوَلَدُ أَوْ يَتِيمَةُ الرَّجُلِ وَالرَّجُلُ عَلَى
أَهْلِهِ فَأَمَرَهُمُ اللَّهُ بِالاِسْتِئْذَانِ فِي تِلْكَ الْعَوْرَاتِ
فَجَاءَهُمُ اللَّهُ بِالسُّتُورِ وَالْخَيْرِ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَعْمَلُ
بِذَلِكَ بَعْدُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَعَطَاءٍ
يُفْسِدُ هَذَا .
ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইরাকের
অধিবাসী একদল লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নিকট প্রশ্ন করলো, হে ইবনু ‘আব্বাস! এ আয়াত
সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তাতে আমাদেরকে যা নির্দেশ দেয়ার দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেউই
সে মোতাবেক আমল করে না। মহান আল্লাহ বলেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়োপ্রাপ্ত
হয়নি তারা যেন তোমাদের ঘরে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি নেয়, ফাজর সালাতের পূর্বে,
দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং ‘ইশার সালাতের পর- এ তিন সময়
তোমাদের গোপনীয়তা অবলম্বনের সময়। এ তিন সময় ছাড়া অন্য সময়ে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ
করলে তোমাদের জন্য এবং তাদের জন্য কোন দোষ নেই। তোমাদের একজনকে অপরজনের নিকট
যাতায়াত করতে হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের নিকট তাঁর নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন।
আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। তোমাদের সন্তান-সন্তুতি বয়োপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন
তোমাদের বয়োজ্যেষ্ঠাদের মতো অনুমতি গ্রহন করে। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর
নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়” (সূরাহ নূর: ৫৮-৫৯)।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি সহনশীল, পরম দয়ালু। তিনি
গোপনীয়তা ভালোবাসেন। লোকজনের ঘরে কোনোরূপ পর্দার ব্যবস্থা ছিলো না। ফলে কখনো ঘরে
স্বামী-স্ত্রী অবস্থানকালে তার খাদেম বা বালক-বালিকারা ঢুকে পড়তো। এজন্যই আল্লাহ
গোপনীয়তা অবলম্বনে এ সময়গুলোতে অনুমতি চাওয়ার নির্দেশ দেন। অতএব আল্লাহ তাদের
জন্যে গোপনীয়তা অবলম্বন ও কল্যাণকর ব্যবস্থা দিয়েছেন। অথচ আমি কাউকে তদনুসারে আমল
করতে দেখি না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ও ‘আত্বা (রহঃ) কর্তৃক
বর্ণিত হাদীস। এ হাদীসকে দুর্বল করে।
হাদিসের মানঃহাসান মাওকুফ
অনুচ্ছেদ-১৪৩
সালামের প্রসার ঘটানো
৫১৯৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ
أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى
تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَفَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى أَمْرٍ
إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ কসম সেই সত্ত্বার যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা জান্নাতে
প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না মু’মিন হও। আর তোমরা মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ
না পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয় অবহিত করবো না, যা করলে
তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তা হলো, তোমরা পরস্পরের মধ্যে
সালামের প্রসার ঘটাও।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৯৪
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ،
عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ "
تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ
تَعْرِفْ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলো, ইসলামের কোন দিকটি উত্তম? তিনি বললেনঃ তোমার পরিচিত
ও অপরিচিতজনকে তুমি খানা খাওয়াবে এবং সালাম দিবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪৪
সালাম বিনিময়ের
পদ্ধতি
৫১৯৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَوْفٍ،
عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . فَرَدَّ
عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم "
عَشْرٌ " . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ
اللَّهِ . فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ " عِشْرُونَ " .
ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
وَبَرَكَاتُهُ . فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ " ثَلاَثُونَ
" .
ইমরান ইবনু হুসাইন
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম। তিনি তার জবাব দিলেন। লোকটি
বসলো। তিনি বললেনঃ দশ নেকি! এরপর আরেকজন এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া
রহমাতুল্লাহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ জবাব দিলেন। লোকটি
বসলো। তিনি বললেন, বিশ নেকি! অতঃপর আরেকজন এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া
রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারও জবাব
দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃত্রিশ নেকি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৯৬
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ
أَظُنُّ أَنِّي سَمِعْتُ نَافِعَ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو
مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ زَادَ ثُمَّ أَتَى آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ
عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ وَمَغْفِرَتُهُ فَقَالَ "
أَرْبَعُونَ " . قَالَ " هَكَذَا تَكُونُ الْفَضَائِلُ "
.
সাহল ইবনু মু’আয
ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতার
মাধ্যমে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের
সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। এতে আরো রয়েছে : এরপর আরেকজন এসে বললো, আসসালামু
‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু। তিনি (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ চল্লিশ নেকি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)আরো বলেনঃ এভাবে নেকি বৃদ্ধি পেতে থাকে। [৫১৯৪]
[৫১৯৪]
হাফিয ইবনু হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেন: ‘এর সানাদ দুর্বল।’ এর দোষ হচ্ছে সানাদের
ইবনু আবূ মারইয়াম। তিনি দুর্বল। তাছাড়া তিনি নাফি’ হতে হাদীস শুনার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ
প্রকাশ করেছেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪৫
যে প্রথমে সালাম দেয়
তার ফাযীলাত
৫১৯৭
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الذُّهْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ،
عَنْ أَبِي خَالِدٍ، وَهْبٍ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ أَبِي
أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ
أَوْلَى النَّاسِ بِاللَّهِ مَنْ بَدَأَهُمْ بِالسَّلاَمِ " .
আবূ উমামাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে
আগে সালাম দেয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪৬
কে প্রথমে সালাম
দিবে?
৫১৯৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ
وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাম দিবে ছোট বড়কে, পথচারী বসা ব্যক্তিকে এবং কম সংখ্যক
অধিক সংখ্যককে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫১৯৯
حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ
جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا زِيَادٌ، أَنَّ ثَابِتًا، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي
" . ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরোহী ব্যক্তি সালাম দিবে পদব্রজে যাতায়াতকারীকে। অতঃপর
বর্ণনাকারী পুরা হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪৭
পরস্পর আলাদা হওয়ার
পর আবার সাক্ষাত হলে তারা কি সালাম দিবে?
৫২০০
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِذَا لَقِيَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُسَلِّمْ
عَلَيْهِ فَإِنْ حَالَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ أَوْ جِدَارٌ أَوْ حَجَرٌ ثُمَّ
لَقِيَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ أَيْضًا . قَالَ مُعَاوِيَةُ وَحَدَّثَنِي
عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ بُخْتٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের
কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর দু’জনের
মাঝে যদি গাছ, দেয়াল বা পাথর আড়াল হয়ে যায় এবং তারপর আবার সাক্ষাত হয়, তাহলেও যেন
তাকে সালাম দেয়। [৫১৯৮]
সহীহ মাওকূফ ও মারফুভাবে।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৫২০১
حَدَّثَنَا
عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَسَنُ
بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ
جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم وَهُوَ فِي مَشْرُبَةٍ لَهُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَيَدْخُلُ عُمَرُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তাঁর কাঠের মাচানে ছিলেন। ‘উমার
(রাঃ) বললেন, আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ, আস্সালামু ‘আলাইকুম, ‘উমার কি
প্রবেশ করবে?
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪৮
শিশুদেরকে সালাম দেয়া
৫২০২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ
الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم عَلَى غِلْمَانٍ يَلْعَبُونَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ .
সাবিত (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেলাধূলারত একদল বালকের নিকট এসে তাদেরকে
সালাম দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২০৩
حَدَّثَنَا
ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا
حُمَيْدٌ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ انْتَهَى إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم وَأَنَا غُلاَمٌ فِي الْغِلْمَانِ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي
فَأَرْسَلَنِي بِرِسَالَةٍ وَقَعَدَ فِي ظِلِّ جِدَارٍ - أَوْ قَالَ إِلَى جِدَارٍ
- حَتَّى رَجَعْتُ إِلَيْهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের শিশুদের নিকট এসে পৌঁছলেন। আমিও শিশু হিসেবে তাদের
সঙ্গে ছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সালাম দিলেন। এরপর
তিনি আমার হাত ধরে আমাকে একটি চিঠি দিয়ে পাঠালেন। তিনি একটি দেয়ালের পাশে ছায়ায়
বসে থাকলেন, যতক্ষণ না আমি তাঁর নিকট ফিরে আসি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৪৯
মহিলাদেরকে সালাম
দেয়া সম্পর্কে
৫২০৪
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ
ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، سَمِعَهُ مِنْ، شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ يَقُولُ أَخْبَرَتْهُ
أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ، مَرَّ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي
نِسْوَةٍ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا .
আসমা বিনতু ইয়াযীদ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের
একদল মহিলার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সালাম দিয়েছেন। [৫২০২]
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-১৫০
মুসলিম রাষ্ট্রের
অমুসলিম নাগরিককে সালাম দেয়া সম্পর্কে
৫২০৫
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ،
قَالَ خَرَجْتُ مَعَ أَبِي إِلَى الشَّامِ فَجَعَلُوا يَمُرُّونَ بِصَوَامِعَ
فِيهَا نَصَارَى فَيُسَلِّمُونَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ أَبِي لاَ تَبْدَءُوهُمْ
بِالسَّلاَمِ فَإِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " لاَ تَبْدَءُوهُمْ بِالسَّلاَمِ وَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ
فِي الطَّرِيقِ فَاضْطَرُّوهُمْ إِلَى أَضْيَقِ الطَّرِيقِ " .
সুহাইল ইবনু আবূ
সালিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে সিরিয়ার
উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। তারা গির্জাসমূহের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে তাতে অবস্থানরত
খ্রিষ্টানদের সালাম দিলেন। আমার পিতা বললেন, তোমরা আগে তাদেরকে সালাম দিও না। আবূ
হুরায়রা (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আগে তাদেরকে (আহলে কিতাবকে) সালাম দিবে না। রাস্তায়
তাদের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাত হলে তাদের রাস্তার সংকীর্ণ দিকে চলে যেতে বাধ্য করবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২০৬
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ
مُسْلِمٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،
أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ
الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدُهُمْ فَإِنَّمَا يَقُولُ السَّامُ
عَلَيْكُمْ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ
رَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ فِيهِ " وَعَلَيْكُمْ " .
আবদুল্লাহ ইবনু
‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহুদীদের কেউ তোমাদের সালাম দেয়ার সময় বলে যে “আস্সামু
‘আলাইকুম” (অর্থ : তোমাদের মৃত্যু হোক)। জবাবে তোমরা বলবে : ওয়া ‘আলাইকুম (অর্থ :
তোমার উপরও তাই)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু
দীনার সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান সাওরীও ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার সূত্রে
বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (জবাবে তোমরা
বলবে), ওয়া ‘আলাইকুম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২০৭
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ،
أَنَّ أَصْحَابَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم إِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْنَا فَكَيْفَ نَرُدُّ
عَلَيْهِمْ قَالَ " قُولُوا وَعَلَيْكُمْ " . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رِوَايَةُ عَائِشَةَ وَأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُهَنِيِّ
وَأَبِي بَصْرَةَ يَعْنِي الْغِفَارِيَّ .
আনাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
সাহাবীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আহলে কিতাবরা আমাদেরকে
সালাম দেয়। আমরা তার জবাব কিভাবে দিবো? তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে, ওয়া ‘আলাইকুম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫১
মাজলিস হতে বিদায়ের
সময় সালাম দেয়া
৫২০৮
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِيَانِ
ابْنَ الْمُفَضَّلِ - عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، - قَالَ
مُسَدَّدٌ سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا انْتَهَى
أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَجْلِسِ فَلْيُسَلِّمْ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ
فَلْيُسَلِّمْ فَلَيْسَتِ الأُولَى بِأَحَقَّ مِنَ الآخِرَةِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কেউ মাজলিসে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মাজলিস
হতে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালামের চেয়ে জরুরী নয়।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-১৫২
আলাইকাস সালাম বলা
অপছন্দনীয়
৫২০৯
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ
أَبِي غِفَارٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي جُرَىٍّ
الْهُجَيْمِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ عَلَيْكَ
السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ
السَّلاَمُ فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ الْمَوْتَى " .
আবূ জুরায়্যি
আল-হুজাইমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, ‘আলাইকাস্ সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘আলাইকাস্ সালাম বলো না।
কারণ এটা হলো মুর্দার প্রতি সালাম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫৩
দলের পক্ষ হতে একজনের
সালামের উত্তর দান
৫২১০
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
الْجُدِّيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ خَالِدٍ الْخُزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي
رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه - قَالَ أَبُو دَاوُدَ
رَفَعَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ - قَالَ " يُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ،
إِذَا مَرُّوا أَنْ يُسَلِّمَ، أَحَدُهُمْ وَيُجْزِئُ عَنِ الْجُلُوسِ أَنْ
يَرُدَّ أَحَدُهُمْ " .
আলী ইবনু আবূ
ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাসান ইবনু আলী
(রাঃ) এটি মারফুভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেন: পথ অতিক্রমকালে দলের একজন যদি সালাম দেয়, তাহলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট।
এমনিভাবে উপবিষ্টদের একজন তার উত্তর দিলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫৪
মুসাফাহা সম্পর্কে
৫২১১
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ زَيْدٍ أَبِي
الْحَكَمِ الْعَنَزِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ فَتَصَافَحَا
وَحَمِدَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَاسْتَغْفَرَاهُ غُفِرَ لَهُمَا " .
আল-বারাআ ইবনু
‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: দুইজন মুসলিম পরস্পর
মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে, আল্লাহর প্রশংসা করলে এবং ক্ষমা চাইলে আল্লাহ উভয়কে ক্ষমা
করে দেন। [৫২০৯]
দুর্বল: যঈফাহ হা/২৩৪৪।
[৫২০৯]
বায়হাক্বী। হাদীসের সানাদ মুযতারিব। সানাদের আবূ বালজ হলো ইয়াহইয়া ইবনু আবূ সুলাইম।
তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন: তার ব্যাপারে আপত্তি আছে। ইমাম আহমাদ বলেন: তিনি মুনকার
হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনু হিব্বান বলেন: তিনি ভুল করতেন।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫২১২
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ
عَنِ الأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ
فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا " .
আল-বারাআ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: দুইজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে পরস্পর
বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২১৩
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ
بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا جَاءَ أَهْلُ الْيَمَنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " قَدْ جَاءَكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ وَهُمْ أَوَّلُ مَنْ
جَاءَ بِالْمُصَافَحَةِ " .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা
ইয়ামানবাসীরা এসে উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ তোমাদের নিকট ইয়ামানবাসীরা এসেছে। আর এরাই সর্বপ্রথম মুসাফাহা করেছে।
সহীহ। কিন্তু তার বক্তব্য: “এরাই সর্বপ্রথম মুসাফাহা করেছে”-এ কথাটি মুদরাজ, যা
আনাসের উক্তি।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-১৫৫
কোলাকুলি সম্পর্কে
৫২১৪
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ، -
يَعْنِي خَالِدَ بْنَ ذَكْوَانَ - عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بُشَيْرِ بْنِ كَعْبٍ
الْعَدَوِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ عَنَزَةَ أَنَّهُ قَالَ لأَبِي ذَرٍّ حَيْثُ
سُيِّرَ مِنَ الشَّامِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْ حَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ إِذًا أُخْبِرَكَ بِهِ إِلاَّ أَنْ
يَكُونَ سِرًّا . قُلْتُ إِنَّهُ لَيْسَ بِسِرٍّ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يُصَافِحُكُمْ إِذَا لَقِيتُمُوهُ قَالَ مَا لَقِيتُهُ قَطُّ
إِلاَّ صَافَحَنِي وَبَعَثَ إِلَىَّ ذَاتَ يَوْمٍ وَلَمْ أَكُنْ فِي أَهْلِي
فَلَمَّا جِئْتُ أُخْبِرْتُ أَنَّهُ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ عَلَى
سَرِيرِهِ فَالْتَزَمَنِي فَكَانَتْ تِلْكَ أَجْوَدَ وَأَجْوَدَ .
‘আনাযাহ গোত্রের এক
ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ যার
(রাঃ)-কে সিরিয়া ত্যাগের সময় বললেন, আমি আপনার নিকট রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসসমূহের মধ্যকার একটি হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে
আগ্রহী। আবূ যার (রাঃ) বললেন, তা গোপন কোন বিষয় না হলে আমি আপনাকে বলবো। আমি
বললাম, না, তা কোন গোপন বিষয় নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-এর সঙ্গে আপনাদের দেখা হলে তিনি কি আপনাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতেন? তিনি
বললেন, হ্যাঁ যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমার
দেখা হতো তিনি আমার সঙ্গে মুসাফাহা করতেন। একদিন তিনি আমার নিকট লোক পাঠালেন। আমি
তখন বাড়িতে ছিলাম না। আমি ফিরে এলে জানানো হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট লোক পাঠিয়েছিলেন। অতঃপর আমি তাঁর নিকট আসলাম। তখন তিনি
গদির উপর ছিলেন। তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। তা ছিলো খুবই উত্তম ও মনোরম। [৫২১২]
দুর্বল: যঈফাহ হা/৪৬৮৩।
[৫২১২]
আহমাদ। সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে। এছাড়া সানাদের আইয়ূব ইবনু বাশীর সম্পর্কে
হাফিয বলেন: মাসতূর (লুপ্ত)।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫৬
কারো সম্মানার্থে
দাঁড়ানো
৫২১৫
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ
أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ،
أَنَّ أَهْلَ، قُرَيْظَةَ لَمَّا نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ أَرْسَلَ إِلَيْهِ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ عَلَى حِمَارٍ أَقْمَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم " قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ " . أَوْ
" إِلَى خَيْرِكُمْ " . فَجَاءَ حَتَّى قَعَدَ إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সা’দ (রাঃ)-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
বনু কুরাইযার লোকেরা আত্মসমর্পণ করলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তার নিকট লোক পাঠালেন। সা’দ (রাঃ) একটি সাদা বর্ণের গাধায় চড়ে আসলে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তোমাদের নেতা বা তোমাদের মধ্যকার
উত্তম ব্যক্তির আগমনে দাঁড়াও। অতঃপর সা’দ (রাঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২১৬
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ،
بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَلَمَّا كَانَ قَرِيبًا مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ
لِلأَنْصَارِ " قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ " .
শুবাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
শুবাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তিনি
বলেন, যখন তিনি (সা’দ) মাসজিদের নিকটে আসলেন তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আনসারদের বললেনঃ তোমরা তোমাদের নেতার আগমনে দাঁড়াও।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২১৭
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ
عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ
الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّ
الْمُؤْمِنِينَ، عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا
كَانَ أَشْبَهَ سَمْتًا وَهَدْيًا وَدَلاًّ - وَقَالَ الْحَسَنُ حَدِيثًا
وَكَلاَمًا وَلَمْ يَذْكُرِ الْحَسَنُ السَّمْتَ وَالْهَدْىَ وَالدَّلَّ -
بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ فَاطِمَةَ كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهَا
كَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَيْهِ قَامَ إِلَيْهَا فَأَخَذَ بِيَدِهَا وَقَبَّلَهَا
وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ إِلَيْهِ
فَأَخَذَتْ بِيَدِهِ فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا .
উম্মুল মুমিনীন
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র, (বর্ণনাকারী হাসানের মতে)
আলাপচারিতা ও কথাবার্তায় ফাত্বিমাহ্র (রাঃ) চাইতে এতোখানি মিল আর কাউকে আমি
দেখিনি। বর্ণনাকারী হাসান শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ
করেননি। ফাত্বিমাহ্ (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
নিকট আসতেন, তিনি উঠে তার দিকে এগিয়ে যেতেন, তার হাত ধরে চুমু খেতেন এবং তাঁর আসনে
তাকে বসাতেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ফাতিমার নিকট
যেতেন, তথন তিনিও তাঁর জন্য উঠে আসতেন, তাঁর হাতে ধরে চুমু খেতেন এবং তার আসনে
তাঁকে বসাতেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫৭
কোন লোকের নিজ
সন্তানকে চুমু খাওয়া
৫২১৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، أَبْصَرَ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم وَهُوَ يُقَبِّلُ حُسَيْنًا فَقَالَ إِنَّ لِي عَشْرَةً مِنَ الْوَلَدِ
مَا فَعَلْتُ هَذَا بِوَاحِدٍ مِنْهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল-আক্বরা’ ইবনু হাবিস (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখলেন যে, তিনি হুসাইন
(রাঃ)-কে চুমু দিচ্ছেন। আক্বরা’ বললেন, আমাদের দশটি সন্তান আছে, আমি তাদের একজনকেও
চুমু দেইনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে অনুগ্রহ
করে না, তাকেও অনুগ্রহ করা হয় না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২১৯
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ
عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ ثُمَّ قَالَ
تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم " أَبْشِرِي يَا عَائِشَةُ فَإِنَّ
اللَّهَ قَدْ أَنْزَلَ عُذْرَكِ " . وَقَرَأَ عَلَيْهَا الْقُرْآنَ
فَقَالَ أَبَوَاىَ قُومِي فَقَبِّلِي رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
فَقَالَتْ أَحْمَدُ اللَّهَ لاَ إِيَّاكُمَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ হে আয়িশাহ! সুসংবাদ গ্রহণ করো। আল্লাহ তোমার নির্দোষ হওয়া
সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। তিনি কুরআনের আয়াতটি তাকে পড়ে শুনালেন। তখন আমার
পিতা-মাতা (আবূ বাক্র ও উম্মু রুমান) বললেন, ওঠো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথায় চুমু দাও। আমি বললাম, শুকরিয়া আদায় করছি আমি
সম্মানিত মহান আল্লাহর; আপনাদের নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫৮
দুই চোখের মাঝে চুমু
খাওয়া
৫২২০
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ
أَجْلَحَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَلَقَّى
جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَالْتَزَمَهُ وَقَبَّلَ مَا بَيْنَ عَيْنَيْهِ .
আশ-শা’বী (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা হলো জাফার ইবনু আবূ ত্বালিবের সঙ্গে।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তার দু’চোখের
মাঝখানে চুমু দিলেন। [৫২১৮]
দুর্বল: মিশকাত হা/৪৬৮৬
[৫২১৮]
বায়হাক্বী। এর সানাদ মুরসাল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৫৯
গালে চুমু দেওয়া
সম্পর্কে
৫২২১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ
دَغْفَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا نَضْرَةَ قَبَّلَ خَدَّ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ
عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ .
ইয়াস ইবনু দাগফাল
(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ নাদরাহ (রাঃ)-কে হাসান
(রাঃ)-এর গালে চুমু দিতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃসহিহ মাকতু
৫২২২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي
بَكْرٍ أَوَّلَ مَا قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَإِذَا عَائِشَةُ ابْنَتُهُ مُضْطَجِعَةٌ
قَدْ أَصَابَتْهَا حُمَّى فَأَتَاهَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لَهَا كَيْفَ أَنْتِ
يَا بُنَيَّةُ وَقَبَّلَ خَدَّهَا .
আল-বারাআ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সর্বপ্রথম মদিনায় আগমনকারী আবূ
বাকর (রাঃ) এর সঙ্গে আসলাম। এ সময় তার কন্যা ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিছানায় শোয়া
দেখলাম। তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) তাকে দেখতে এসে বললেন, হে
প্রিয় কন্যা! তুমি কেমন আছো? এবং তিনি তার গালে চুমু দিলেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬০
হাতে চুমু দেয়া
সম্পর্কে
৫২২৩
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي
زِيَادٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ
اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ وَذَكَرَ، قِصَّةً قَالَ فَدَنَوْنَا - يَعْنِي -
مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَبَّلْنَا يَدَهُ .
আবদুর রহমান ইবনু
আবূ লাইলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার
নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, আমরা নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁর হাতে চুমু দিলাম। [৫২২১
[৫২২১]
ইবনু মাজাহ। সানাদে ইয়াযীদ ইবনু আবূ যিয়াদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬১
শরীরে চুমু দেয়া
সম্পর্কে
৫২২৪
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ، - رَجُلٍ مِنَ
الأَنْصَارِ - قَالَ بَيْنَمَا هُوَ يُحَدِّثُ الْقَوْمَ وَكَانَ فِيهِ مِزَاحٌ
بَيْنَا يُضْحِكُهُمْ فَطَعَنَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي خَاصِرَتِهِ
بِعُودٍ فَقَالَ أَصْبِرْنِي . فَقَالَ " اصْطَبِرْ " . قَالَ
إِنَّ عَلَيْكَ قَمِيصًا وَلَيْسَ عَلَىَّ قَمِيصٌ . فَرَفَعَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم عَنْ قَمِيصِهِ فَاحْتَضَنَهُ وَجَعَلَ يُقَبِّلُ كَشْحَهُ قَالَ
إِنَّمَا أَرَدْتُ هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ .
উসাইদ ইবনু হুদাইর
(রাঃ) নামক এক আনসারী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং মাঝে
মধ্যে রসিকতা করে লোকদের হাসাচ্ছিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
একটি কাঠের টুকরা দিয়ে তার পেটে খোঁচা দিলেন। উসাইদ (রাঃ) বললেন, আপনি আমাকে এর
বদলা নিতে দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার থেকে
বদলা নাও। উসাইদ বললেন, আপনার গায়ে তো জামা আছে, অথচ আমার গায়ে জামা ছিল না। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গায়ের জামা খুললেন। তখন উসাইদ (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জড়িয়ে ধরে তাঁর এক পাশে চুমু
দিতে লাগলেন, আর বললেনঃ আমার এটাই ইচ্ছা ছিল হে আল্লাহর রাসূল।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬২
পায়ে চুমু দেয়া
সম্পর্কে
৫২২৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ الطَّبَّاعِ، حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الأَعْنَقُ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ أَبَانَ بِنْتُ الْوَازِعِ بْنِ
زَارِعٍ، عَنْ جَدِّهَا، زَارِعٍ وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ
لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا
فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرِجْلَهُ - قَالَ - وَانْتَظَرَ
الْمُنْذِرُ الأَشَجُّ حَتَّى أَتَى عَيْبَتَهُ فَلَبِسَ ثَوْبَيْهِ ثُمَّ أَتَى
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ " إِنَّ فِيكَ خَلَّتَيْنِ
يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ " . قَالَ يَا رَسُولَ
اللَّهِ أَنَا أَتَخَلَّقُ بِهِمَا أَمِ اللَّهُ جَبَلَنِي عَلَيْهِمَا قَالَ
" بَلِ اللَّهُ جَبَلَكَ عَلَيْهِمَا " . قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ
الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ .
উম্তু আবান বিনতু
ওয়াযি’ ইবনু যারি’ (রহঃ) হতে তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (দাদা) ‘আব্দুল
ক্বাইসের প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা মদিনায় এসে আমাদের আরোহী হতে
দ্রুত নেমে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে ও পায়ে
চুমু দিলাম।
হাসান, তবে পায়ে চুমু খাওয়ার কথাটি বাদে।
অন্যদিকে আল-মুন্যির আল-আশাজ্জ তার কাপড়ের বান্ডিল হতে কাপড় বের করে তা পরা
পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন, তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট
আসলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তোমার মধ্যে দুটি
উত্তম স্বভাব রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেন: ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা। তিনি বললেনঃ হে
আল্লাহর রাসূল! আমিই কি এ অভ্যাস গড়ে তুলেছি, না আল্লাহ আমাকে এ দুটি অভ্যাসের উপর
সৃ্ষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহই
তোমাকে এ দুটি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি বললেন, কৃতজ্ঞতা আদায় করছি
সেই আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দু’টি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, যাকে স্বয়ং আল্লাহ
ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।
সহীহ।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
অনুচ্ছেদ-১৬৩
কোন ব্যক্তির এরূপ
বলা যে, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন
৫২২৬
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسْلِمٌ،
حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حَمَّادٍ، - يَعْنِيَانِ ابْنَ أَبِي سُلَيْمَانَ - عَنْ
زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" يَا أَبَا ذَرٍّ " . فَقُلْتُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ يَا
رَسُولَ اللَّهِ وَأَنَا فِدَاؤُكَ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ যার! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত, আমি আপনার
জন্য উৎসর্গিত।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-১৬৪
কোন ব্যক্তির এরূপ
বলা যে, আল্লাহ তোমার চক্ষু শীতল করুন
৫২২৭
حَدَّثَنَا
سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنْ قَتَادَةَ، أَوْ غَيْرِهِ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنَّا
نَقُولُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَنْعَمَ اللَّهُ بِكَ عَيْنًا وَأَنْعِمْ صَبَاحًا
فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ نُهِينَا عَنْ ذَلِكَ . قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ
قَالَ مَعْمَرٌ يُكْرَهُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ أَنْعَمَ اللَّهُ بِكَ عَيْنًا
وَلاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَيْنَكَ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) বা
অন্য কারো থেকে বর্ণিতঃ
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) বলেন, জাহিলী যুগে
আমরা বলতাম, “আল্লাহ তোমাদের চক্ষু শীতল করুন অথবা প্রত্যুষে তুমি আনন্দিত হও।
ইসলামের আবির্ভাবের পর আমাদের এসব বলতে বাধা দেওয়া হয়। ‘আব্দুর রায্যাক (রহঃ)
বলেন, মা’মার বলেন, আল্লাহ তোমার জন্য তোমার চক্ষু শীতল করুন, এরূপ বলা অপছন্দনীয়।
তবে ‘আল্লাহ তোমার চক্ষু শীতল করুন’ – এরূপ বলা দোষনীয় নয়। [৫২২৫]
[৫২২৫]
কাতাদাহ হাদীসটি ‘ইমরান ইবনু হুসাইন হতে শুনেননি। সুতরাং এটি মুনকাতি। আত-তাহযীব গ্রন্থে
রয়েছেঃ তিনি আনাস বিন মালিক ছাড়া কোন সাহাবী হতে হাদীস শুনেননি।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬৫
একজন আরেকজনকে বললো,
আল্লাহ তোমাকে হেফাযাত করুন
৫২২৮
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَعَطِشُوا
فَانْطَلَقَ سَرَعَانُ النَّاسِ فَلَزِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَقَالَ " حَفِظَكَ اللَّهُ بِمَا حَفِظْتَ بِهِ
نَبِيَّهُ " .
আবূ ক্বাতাদাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক
সফরে ছিলেন। পথিমধ্যে লোকেরা পিপাসার্ত হওয়ায় দ্রুত অগ্রসর হয়। আমি ঐ রাতে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গেই ছিলাম। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে হেফাযাত করুন; যেমন তুমি
তাঁর নাবীকে হিফাযাত করেছো (পাহাড়া দিয়ে)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬৬
কেউ কারো সম্মানার্থে
দাঁড়ালে
৫২২৯
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ،
عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ وَابْنِ
عَامِرٍ فَقَامَ ابْنُ عَامِرٍ وَجَلَسَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ
لاِبْنِ عَامِرٍ اجْلِسْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَمْثُلَ لَهُ الرِّجَالُ قِيَامًا
فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " .
আবূ মিজলায (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ (রাঃ) ইবনুয যুবাইর ও
ইবনু ‘আমিরের নিকট আসলেন। ইবনু ‘আমির দাঁড়িয়ে গেলেন, কিন্তু ইবনুয যুবাইর বসে
রইলেন। মু’আবিয়াহ (রাঃ) ইবনু ‘আমিরকে বললেন, বসো। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে লোক নিজের জন্য অন্য লোকের অপেক্ষা করাকে
পছন্দ করে, সে যেন জাহান্নামে তার আসন নির্ধারণ করে নেয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৩০
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ
مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الْعَدَبَّسِ، عَنْ أَبِي
مَرْزُوقٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا فَقُمْنَا إِلَيْهِ
فَقَالَ " لاَ تَقُومُوا كَمَا تَقُومُ الأَعَاجِمُ يُعَظِّمُ بَعْضُهَا
بَعْضًا " .
আবূ উমামাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তাঁর সম্মানে উঠে
দাঁড়ালে তিনি বললেনঃ তোমরা দাঁড়াবে না, যেরুপ অনারবরা একে অপরের সম্মান দেখানোর
জন্য দাঁড়ায়।
[৫২২৮]
ইবনু মাজাহ, আহমাদ । সানাদে ইযতিরাব রয়েছে । এছাড়া সানাদে আবূ ‘আদাব্বাস অজ্ঞাত (মাজহুল)
।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬৭
যে ব্যক্তি বলে, অমুক
আপনাকে সালাম দিয়েছে
৫২৩১
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ غَالِبٍ، قَالَ
إِنَّا لَجُلُوسٌ بِبَابِ الْحَسَنِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ حَدَّثَنِي أَبِي
عَنْ جَدِّي قَالَ بَعَثَنِي أَبِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ ائْتِهِ فَأَقْرِئْهُ السَّلاَمَ . قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ
أَبِي يُقْرِئُكَ السَّلاَمَ . فَقَالَ " عَلَيْكَ وَعَلَى أَبِيكَ
السَّلاَمُ " .
গালিব (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হাসান (রাঃ)–এর বাড়ির দরজায়
বসে ছিলাম। এ সময় এক লোক এসে বলল, আমার পিতা আমার দাদার সূত্রে আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, আমাকে আমার পিতা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর
নিকট পাঠালেন। তিনি বললেন, তাঁর নিকট গিয়ে তাঁকে সালাম জানাবে। তিনি বলেন, আমি
তাঁর নিকট পৌঁছে বললাম, আমার পিতা আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ ‘আলাইকা ওয়া
‘আলা আবীকাস্ সালাম (তোমার এবং তোমার পিতার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫২৩২
حَدَّثَنَا
أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ
سُلَيْمَانَ، عَنْ زَكَرِيَّا، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ
عَائِشَةَ، رضى الله عنها حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
لَهَا " إِنَّ جِبْرِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ " .
فَقَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ .
আবূ সালামাহ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আয়িশাহ (রাঃ) তাঁর নিকট হাদীস
বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেন: জিবরাঈল
(আঃ) তোমাকে সালাম জানিয়েছে। আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ “ওয়া ‘আলাইহিস সালাম ওয়া
রহমাতুল্লাহ” (অর্থ: তাঁর উপরেও শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক!)।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬৮
কারো ডাকের জবাবে
‘লাব্বায়িক’ বলা
৫২৩৩
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ
عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هَمَّامٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ أَبَا عَبْدِ
الرَّحْمَنِ الْفِهْرِيَّ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم حُنَيْنًا فَسِرْنَا فِي يَوْمٍ قَائِظٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَنَزَلْنَا تَحْتَ
ظِلِّ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ لَبِسْتُ لأْمَتِي وَرَكِبْتُ
فَرَسِي فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي فُسْطَاطِهِ
فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
وَبَرَكَاتُهُ قَدْ حَانَ الرَّوَاحُ فَقَالَ " أَجَلْ " . ثُمَّ
قَالَ " يَا بِلاَلُ قُمْ " . فَثَارَ مِنْ تَحْتِ سَمُرَةٍ
كَأَنَّ ظِلَّهُ ظِلُّ طَائِرٍ فَقَالَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَأَنَا فِدَاؤُكَ
. فَقَالَ " أَسْرِجْ لِي الْفَرَسَ " . فَأَخْرَجَ سَرْجًا
دَفَّتَاهُ مِنْ لِيفٍ لَيْسَ فِيهِ أَشَرٌ وَلاَ بَطَرٌ فَرَكِبَ وَرَكِبْنَا .
وَسَاقَ الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الْفِهْرِيُّ لَيْسَ لَهُ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثُ وَهُوَ حَدِيثٌ نَبِيلٌ جَاءَ
بِهِ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ .
আবূ হাম্মাম
‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘আব্দূর রহমান আল-ফিহরী (রাঃ) বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে হুনাইনে উপস্থিত ছিলাম।
আমরা প্রচণ্ড গরমের দিনে সফর করলাম। সূর্য ঢলে পড়লে আমি আমার সামরিক পোশাক পরিধান
করে আমার ঘোড়ায় চড়লাম, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর
নিকট আসলাম। তিনি তখন তাঁর তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। আমি বললাম, আস্সালামু
‘আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহি ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। যাত্রার সময় হয়েছে।
তিনি বললেনঃ ঠিক আছে। তারপর বললেনঃ হে বিলাল! উঠো। বিলাল (রাঃ) একটি বাবলা গাছের
নীচ হতে হন্তদন্ত হয়ে আসলেন। তার ছায়া পাখীর ছায়ার মত ছোট ছিল। বিলাল (রাঃ) বললেন,
আমি আপনার ডাকে সাড়া দিলাম, আমি উপস্থিত আছি, আমি আপনার জন্য উৎসর্গীত।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার ঘোড়ার গদি আঁটো। তিনি
একটি গদি বের করলেন যার উভয় পাশ খেজুর গাছের পাতা ভর্তি ছিল। তাতে আত্মগর্বের
কিছুই ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে আরোহন করলেন
এবং আমরাও সওয়ার হলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী পুরো হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৬৯
একে অপরকে বলা,
আল্লাহ আপনাকে হাসিমুখে রাখুন
৫২৩৪
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبِرَكِيُّ، وَسَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي الْوَلِيدِ
الطَّيَالِسِيِّ، وَأَنَا لِحَدِيثِ، عِيسَى أَضْبَطُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ
الْقَاهِرِ بْنُ السَّرِيِّ، - يَعْنِي السُّلَمِيَّ - حَدَّثَنَا ابْنُ كِنَانَةَ
بْنِ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ ضَحِكَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ أَوْ عُمَرُ أَضْحَكَ
اللَّهُ سِنَّكَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
ইবনু কিনানাহ ইবনু
‘আব্বাস ইবনু মিরদাস (রহঃ) হতে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হাসলেন। তখন আবূ বাকর বা ‘উমার (রাঃ) তাঁকে বললেন, আল্লাহ আপনার মুখে
হাঁসি ফুটিয়ে রাখুন। [৫২৩২]
[৫২৩২]
ইবনু মাজাহ, আহমাদ, বায়হাক্বী । সানাদে ‘আবদুল্লাহ বিন কিননাহ রয়েছে । ইমাম বুখারী
বলেন: তার হাদীস সহীহ নয় । আমি কাউকে তার দোষ-গুন বর্ণনা করতে দেখিনি । হাফিয আত-তাক্বরীব
গ্রন্থে বলেন: তিনি মাজহুল (অজ্ঞাত) ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫২৩৫
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي
السَّفَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُطَيِّنُ حَائِطًا لِي أَنَا وَأُمِّي فَقَالَ
" مَا هَذَا يَا عَبْدَ اللَّهِ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ
شَىْءٌ أُصْلِحُهُ فَقَالَ " الأَمْرُ أَسْرَعُ مِنْ ذَاكَ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি ও
আমার মা তখন আমার একটি দেয়াল মেরামত করছিলাম। তিনি বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! কি
হচ্ছে? আমি বললাম, মেরামত করছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ আমি দেখছি, নির্দেশ (কিয়ামত বা মৃত্যু) এর চেয়েও দ্রুত ধাবমান।
সহীহ ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৩৬
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا
أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا قَالَ مَرَّ عَلَىَّ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نُعَالِجُ خُصًّا لَنَا وَهَى
فَقَالَ " مَا هَذَا " . فَقُلْنَا خُصٌّ لَنَا وَهَى فَنَحْنُ
نُصْلِحُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَرَى
الأَمْرَ إِلاَّ أَعْجَلَ مِنْ ذَلِكَ " .
আল-আ’মাশ (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আল-আ’মাশ (রহঃ) এ
সানাদে উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা তখন আমাদের জীর্ণশীর্ণ ঘরটি
মেরামত করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা কি
হচ্ছে? আমরা বললাম, আমাদের এ জীর্ণশীর্ণ কুঁড়ে ঘরটি মেরামত করছি। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তো দেখছি এ জীর্ণ ঘরের চাইতেও
নির্দেশ দ্রুত ধাবমান।
সহীহ।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭০
বাড়িঘর নির্মাণ
প্রসঙ্গে
৫২৩৭
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ،
قَالَ أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ الْقُرَشِيُّ، عَنْ
أَبِي طَلْحَةَ الأَسَدِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم خَرَجَ فَرَأَى قُبَّةً مُشْرِفَةً فَقَالَ " مَا هَذِهِ
" . قَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ هَذِهِ لِفُلاَنٍ - رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ
- . قَالَ فَسَكَتَ وَحَمَلَهَا فِي نَفْسِهِ حَتَّى إِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَلِّمُ عَلَيْهِ فِي النَّاسِ أَعْرَضَ
عَنْهُ صَنَعَ ذَلِكَ مِرَارًا حَتَّى عَرَفَ الرَّجُلُ الْغَضَبَ فِيهِ
وَالإِعْرَاضَ عَنْهُ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي
لأُنْكِرُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا خَرَجَ فَرَأَى قُبَّتَكَ
. قَالَ فَرَجَعَ الرَّجُلُ إِلَى قُبَّتِهِ فَهَدَمَهَا حَتَّى سَوَّاهَا
بِالأَرْضِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمْ
يَرَهَا قَالَ " مَا فَعَلَتِ الْقُبَّةُ " . قَالُوا شَكَا
إِلَيْنَا صَاحِبُهَا إِعْرَاضَكَ عَنْهُ فَأَخْبَرْنَاهُ فَهَدَمَهَا فَقَالَ
" أَمَا إِنَّ كُلَّ بِنَاءٍ وَبَالٌ عَلَى صَاحِبِهِ إِلاَّ مَا لاَ
إِلاَّ مَا لاَ " . يَعْنِي مَا لاَ بُدَّ مِنْهُ .
আনাস ইবনু মালিক
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে বের হয়ে গম্বুজাকৃতির একটি
উঁচু পাকা ঘর দেখতে পেয়ে বললেনঃ এটা কি? তাঁর সাহাবীগণ বললেন, এটা অমুক আনসারী
ব্যক্তির। তিনি চুপ থাকলেন এবং বিষয়টি স্মরণে রাখলেন। পরে ঐ প্রাসাদের মালিক
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসে লোকদের মধ্যে তাঁকে
সালাম দিলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিক থেকে মুখ
ফিরিয়ে নিলেন। এরূপ কয়েকবার হলো। ফলে লোকটি তার প্রতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাগ হওয়া এবং তাঁর উপেক্ষা সম্পর্কে বুঝতে পারলো। এতে সে
তার সাথীদের নিকট প্রকৃত ঘটনা জানতে চাইলো। সে বললো, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ আচরণ তা আমি বুঝতে পারছি না। লোকেরা
বললো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে বের হয়েছিলেন। তিনি
তোমার গম্বুজ দেখতে পেয়েছেন। অতএব সে তার পাকা বাড়িতে ফিরে এসে তা ধ্বংস করে
একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আরেক দিন বের হলেন। তিনি ঐ প্রাসাদটি দেখতে না পেয়ে বললেন, প্রাসাদটির কি হলো?
লোকেরা বললো, প্রাসাদের মালিক আমাদের নিকট তার প্রতি আপনার অসন্তুষ্টি ও উপেক্ষার
বিষয় জানতে চাইলে আমরা তাকে ঘটনা খুলে বলি, এতে সে তা বিধ্বস্ত করে দেয়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বস্তুত প্রত্যেক উচ্চ পাকা
বাড়ি তার মালিকের জন্য দুর্ভাগ্যর কারণ হবে। তবে যেটি একান্ত জরুরী সেটি ছাড়া।
সহীহঃ সহীহাহ হা/২৮৩০।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭১
উপর তলায় কক্ষ
নির্মাণ সম্পর্কে
৫২৩৮
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَعَطِشُوا
فَانْطَلَقَ سَرَعَانُ النَّاسِ فَلَزِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَقَالَ " حَفِظَكَ اللَّهُ بِمَا حَفِظْتَ بِهِ
نَبِيَّهُ " .
দুকাইন ইবনু সাঈদ
আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এর নিকট এসে খাবার চাইলাম। তিনি বললেনঃ হে ‘উমার! যাও, এদেরকে দাও। অতএব
তিনি আমাদেরকে নিয়ে উপর তলার একটি রুমে উঠলেন, অতঃপর তার রুম হতে চাবি নিয়ে তা
খুললেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭২
কুল গাছ কাটা
সম্পর্কে
৫২৩৯
حَدَّثَنَا
نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ
عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ
بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُبْشِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَطَعَ سِدْرَةً صَوَّبَ اللَّهُ رَأْسَهُ فِي
النَّارِ " . سُئِلَ أَبُو دَاوُدَ عَنْ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ
فَقَالَ هَذَا الْحَدِيثُ مُخْتَصَرٌ يَعْنِي مَنْ قَطَعَ سِدْرَةً فِي فَلاَةٍ
يَسْتَظِلُّ بِهَا ابْنُ السَّبِيلِ وَالْبَهَائِمُ عَبَثًا وَظُلْمًا بِغَيْرِ
حَقٍّ يَكُونُ لَهُ فِيهَا صَوَّبَ اللَّهُ رَأْسَهُ فِي النَّارِ .
আবদুল্লাহ ইবনু
হুবশী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কুল গাছ কাটবেঃ, আল্লাহ তাকে মাথা উপর করে
জাহান্নামে ফেলবেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) কে এ হাদিসের তাৎপর্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা
হলে তিনি বলেন, এটি খুবই সংক্ষিপ্ত। অর্থাৎ খোলা ময়দানের কুল গাছ, যার ছায়ায়
পথচারী ও চতুষ্পদ প্রাণী আশ্রয় নিয়ে থাকে তা কোনো ব্যক্তি নিজ মালিকানাহীন,
অপ্রয়োজনে ও অন্যায়ভাবে কেটে ফেললে আল্লাহ তাকে উপর করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৪০
حَدَّثَنَا
مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَسَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ شَبِيبٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي
سُلَيْمَانَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ ثَقِيفٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، يَرْفَعُ
الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
‘উরওয়াহ ইবনুয
যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাদীসের সানাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত উন্নীত করে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।[৫২৩৮]
[৫২৩৮]
বায়হাক্বী ।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৫২৪১
حَدَّثَنَا
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ،
قَالاَ حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَأَلْتُ هِشَامَ بْنَ
عُرْوَةَ عَنْ قَطْعِ السِّدْرِ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى قَصْرِ عُرْوَةَ فَقَالَ
أَتَرَى هَذِهِ الأَبْوَابَ وَالْمَصَارِيعَ إِنَّمَا هِيَ مِنْ سِدْرِ عُرْوَةَ
كَانَ عُرْوَةُ يَقْطَعُهُ مِنْ أَرْضِهِ وَقَالَ لاَ بَأْسَ بِهِ . زَادَ
حُمَيْدٌ فَقَالَ هِيَ يَا عِرَاقِيُّ جِئْتَنِي بِبِدْعَةٍ قَالَ قُلْتُ إِنَّمَا
الْبِدْعَةُ مِنْ قِبَلِكُمْ سَمِعْتُ مَنْ يَقُولُ بِمَكَّةَ لَعَنَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ قَطَعَ السِّدْرَ . ثُمَّ سَاقَ مَعْنَاهُ .
হাসসান ইবনু
ইবরাহীম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-এর পুত্র হিশাম (রহঃ)-কে কুল
গাছ কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। এ সময় তিনি ‘উরওয়াহ (রাঃ)-এর দালানে হেলান দেয়া
অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, তুমি কি এসব দরজা ও পত্রপল্লব দেখতে পাচ্ছো? এসব দরজার
চৌকাঠ ‘উরওয়াহ (রাঃ) এর কুল গাছ দ্বারা তৈরী। তিনি তার জমি থেকে তা কেটে এনেছিলেন।
তিনি বলেছেন, তাতে কোন অসুবিধা নেই। হুমাইদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি বলেন, হে
ইরাকী! তুমি আমার নিকট একটি বিদ’আত নিয়ে এসেছো! সে বললো, আমি বললাম, বিদ’আত তো
আপনাদের কাছ থেকেই। আমি মক্কায় এ ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি, যে লোক কুল গাছ কাটে তাকে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লানত করেছেন। অতঃপর বর্ণনাকারী
অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণনা করেন। [৫২৩৯]
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ -১৭৩
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক
বস্তু সরানো
৫২৪২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ،
حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ
سَمِعْتُ أَبِي بُرَيْدَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " فِي الإِنْسَانِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ مَفْصِلاً فَعَلَيْهِ
أَنْ يَتَصَدَّقَ عَنْ كُلِّ مَفْصِلٍ مِنْهُ بِصَدَقَةٍ " . قَالُوا
وَمَنْ يُطِيقُ ذَلِكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ " النُّخَاعَةُ فِي
الْمَسْجِدِ تَدْفِنُهَا وَالشَّىْءُ تُنَحِّيهِ عَنِ الطَّرِيقِ فَإِنْ لَمْ
تَجِدْ فَرَكْعَتَا الضُّحَى تُجْزِئُكَ " .
বুরাইদাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) কে বলেতে শুনেছি: মানুষের শরীরে তিনশো ষাটটি গ্রন্থি রয়েছে। তার প্রতিটি
জোড়ার জন্য সদাক্বাহ করা উচিৎ। লোকজন বলল, কেউ কি এতো সদাক্বাহ করতে সক্ষম, হে
আল্লাহর নাবী! তিনি বললেনঃ তুমি মাসজিদের শ্লেষ্মা পুতে দিবে এবং রাস্তা থেকে
কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলবে। তুমি যদি তা নাও পারো তাহলে চাশ্তের সময় দুই রাক’আত
সলাত আদায় করবে, এতেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৪৩
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ
مَنِيعٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ، - وَهَذَا لَفْظُهُ وَهُوَ أَتَمُّ - عَنْ
وَاصِلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي
ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُصْبِحُ عَلَى كُلِّ
سُلاَمَى مِنِ ابْنِ آدَمَ صَدَقَةٌ تَسْلِيمُهُ عَلَى مَنْ لَقِيَ صَدَقَةٌ
وَأَمْرُهُ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْيُهُ عَنِ الْمُنْكَرِ صَدَقَةٌ
وَإِمَاطَتُهُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ صَدَقَةٌ وَبُضْعَتُهُ أَهْلَهُ صَدَقَةٌ "
. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ يَأْتِي شَهْوَتَهُ وَتَكُونُ لَهُ صَدَقَةٌ
قَالَ " أَرَأَيْتَ لَوْ وَضَعَهَا فِي غَيْرِ حَقِّهَا أَكَانَ يَأْثَمُ
" . قَالَ " وَيُجْزِئُ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ رَكْعَتَانِ مِنَ
الضُّحَى " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ حَمَّادٌ الأَمْرَ
وَالنَّهْىَ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেন: প্রতিদিন সকালে আদম সন্তানের দেহের প্রতিটি জোড়ার জন্য সদাক্বাহ ধার্য হয়।
তার সঙ্গে সাক্ষাতকারীকে তার সালাম দেয়া একটি সদাক্বাহ। সৎকাজের আদেশ করা একটি
সদাক্বাহ এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করাও একটি সদাক্বাহ। রাস্তা হতে কষ্টদায়ক জিনিস
সরিয়ে ফেলা একটি সদাক্বাহ। নিজ স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করাও একটি সদাক্বাহ। সাহাবীরা
প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কোনো ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে কামভাব উপভোগ
করলে তাও কি তার জন্য সদাক্বাহ? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
তা অবৈধ পাত্রে রাখা হলে কি সে গুনাহগার হতো না? তিনি আরো বললেনঃ দুপুরের সময় দুই
রাক’আত সলাত আদায় করা এসবের জন্য যথেষ্ট। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ (রাঃ)
‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ কথাটুকু উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৪৪
حَدَّثَنَا
وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ
عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ
أَبِي ذَرٍّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي
وَسْطِهِ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
আবূ যার (রাঃ) সূত্রে
এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণিত। তাতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তাঁর কথাবার্তার মাঝখানে এসবের উল্লেখ করেছেন। [৫২৪২]
আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।
[৫২৪২]
এটি গত হয়েছে, হা/১২৮৬ ।
হাদিসের মানঃনির্ণীত নয়
৫২৪৫
حَدَّثَنَا
عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ،
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " نَزَعَ رَجُلٌ لَمْ
يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ غُصْنَ شَوْكٍ عَنِ الطَّرِيقِ إِمَّا كَانَ فِي شَجَرَةٍ
فَقَطَعَهُ وَأَلْقَاهُ وَإِمَّا كَانَ مَوْضُوعًا فَأَمَاطَهُ فَشَكَرَ اللَّهُ
لَهُ بِهَا فَأَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ এক ব্যক্তি কখনো কোন ভালো কাজ করেনি, শুধু একটি কাঁটাযুক্ত ডাল রাস্তা হতে
সরিয়েছিলো। হয়ত ডালটি গাছেই ছিলো, কেউ তা কেটে ফেলে রেখেছিলো অথবা রাস্তায়ই পরে
ছিলো। আল্লাহ তার একাজ গ্রহণ করলেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-১৭৪
রাতে আগুন নিভিয়ে
রাখা
৫২৪৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،
عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، رِوَايَةً وَقَالَ مَرَّةً يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ
صلى الله عليه وسلم " لاَ تَتْرُكُوا النَّارَ فِي بُيُوتِكُمْ حِينَ
تَنَامُونَ " .
সালিম (রাঃ) হতে
তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
তোমরা ঘুমানোর সময় তোমাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রাখবে না।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৪৭
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّمَّارُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ
طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَتْ فَأْرَةٌ فَأَخَذَتْ تَجُرُّ الْفَتِيلَةَ فَجَاءَتْ
بِهَا فَأَلْقَتْهَا بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى
الْخُمْرَةِ الَّتِي كَانَ قَاعِدًا عَلَيْهَا فَأَحْرَقَتْ مِنْهَا مِثْلَ
مَوْضِعِ الدِّرْهَمِ فَقَالَ " إِذَا نِمْتُمْ فَأَطْفِئُوا سُرُجَكُمْ
فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدُلُّ مِثْلَ هَذِهِ عَلَى هَذَا فَتَحْرِقَكُمْ "
.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একটি ইঁদুর আসে বাতির সলতে টেনে
নিয়ে যেতে যেতে তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে
তাঁর মাদুরের উপর রাখলো। যার উপর তিনি বসা ছিলেন। এতে মাদুরের এক দিরহাম পরিমান
জায়গা পুড়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বললেনঃ যখন
তোমরা ঘুমাবে তখন বাতি নিভিয়ে দিবে। কারণ শয়তান ইঁদুর ইত্যাদির অনুরূপ প্রাণীকে
এরুপ কাজে প্ররোচিত করে এবং তোমাদেরকে পোড়ায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–১৭৫
সাপ মারা সম্পর্কে
৫২৪৮
حَدَّثَنَا
إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَا سَالَمْنَاهُنَّ مُنْذُ حَارَبْنَاهُنَّ وَمَنْ تَرَكَ شَيْئًا
مِنْهُنَّ خِيفَةً فَلَيْسَ مِنَّا " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ যেদিন থেকে সাপের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেদিন
থেকে ঐগুলোর সঙ্গে আমরা শান্তিচুক্তি করিনি। অতএব যে ব্যক্তি ভয়ে সেগুলোকে (হত্যা
না করে) ছেড়ে দিবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫২৪৯
حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ السُّكَّرِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ
شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ كُلَّهُنَّ فَمَنْ خَافَ ثَأْرَهُنَّ فَلَيْسَ
مِنِّي " .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাপ মারবে। যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয় করবে সে
আমার দলভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৫০
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ،
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ
فِيمَا أُرَى إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " مَنْ تَرَكَ الْحَيَّاتِ مَخَافَةَ طَلَبِهِنَّ فَلَيْسَ مِنَّا
مَا سَالَمْنَاهُنَّ مُنْذُ حَارَبْنَاهُنَّ " .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয়ে সাপ (না মেরে) ছেড়ে দিবে, সে
আমার দলভুক্ত নয়। যখন হতে এগুলোর সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকে আমরা
এগুলোকে নিরাপদে ছেড়ে দেইনি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৫১
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ مُوسَى
الطَّحَّانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَابِطٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ
بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
إِنَّا نُرِيدُ أَنْ نَكْنِسَ زَمْزَمَ وَإِنَّ فِيهَا مِنْ هَذِهِ الْجِنَّانِ -
يَعْنِي الْحَيَّاتِ الصِّغَارَ - فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
بِقَتْلِهِنَّ .
আল-‘আব্বাস ইবনু
‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলেন, আমরা যমযম কূপকে পরিষ্কার করতে চাই।
কিন্তু তাতে জিন অর্থাৎ ছোট ছোট অনেক সাপ রয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ঐগুলো মেরে ফেলার আদেশ দিলেন।
সহীহ। যদি ইবনু সাবিত হাদীসটি “আব্বাস হতে শুনে থাকেন”।
হাদিসের মানঃঅন্যান্য
৫২৫২
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ،
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ
وَذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَلْتَمِسَانِ الْبَصَرَ
وَيُسْقِطَانِ الْحَبَلَ " . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقْتُلُ
كُلَّ حَيَّةٍ وَجَدَهَا فَأَبْصَرَهُ أَبُو لُبَابَةَ أَوْ زَيْدُ بْنُ
الْخَطَّابِ وَهُوَ يُطَارِدُ حَيَّةً فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ نُهِيَ عَنْ ذَوَاتِ
الْبُيُوتِ .
সালিম (রহঃ) হতে
তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা সাপ মেরে ফেলবে, বিশেষ করে ডোরাকাটা ও লেজকাটা সাপ। কেননা
এ দু’টি সাপ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) সাপ পেলেই
মেরে ফেলেতেন। আবূ লুবাবাহ অথবা যায়িদ ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একটি সাপের পিছু ধাওয়া
করতে দেখে বললেন, ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৫৩
حَدَّثَنَا
الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي تَكُونُ فِي
الْبُيُوتِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا
يَخْطِفَانِ الْبَصَرَ وَيَطْرَحَانِ مَا فِي بُطُونِ النِّسَاءِ .
আবূ লুবাবাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে বারণ করেছেন, তবে ডোরাবিশিষ্ট এবং
লেজকাটাগুলো নয়। কারণ এগুলো দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং নারীদের গর্ভপাত ঘটায়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৫৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ
نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، وَجَدَ بَعْدَ ذَلِكَ - يَعْنِي بَعْدَ مَا
حَدَّثَهُ أَبُو لُبَابَةَ - حَيَّةً فِي دَارِهِ فَأَمَرَ بِهَا فَأُخْرِجَتْ
يَعْنِي إِلَى الْبَقِيعِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ লুবাবাহ (রাঃ) ইবনু ‘উমর (রাঃ)-
এর নিকট উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করার পর তিনি তার ঘরে একটি সাপ দেখতে পান। তার আদেশে
ঘর হতে সাপটি বের করে বাকী’র দিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৫৫
حَدَّثَنَا
ابْنُ السَّرْحِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا
ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، عَنْ نَافِعٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ
قَالَ نَافِعٌ ثُمَّ رَأَيْتُهَا بَعْدُ فِي بَيْتِهِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি এ হাদীস বর্ণনা করে বলেন, পরে আমি ঐ
সাপটিকে আবার তার ঘরে দেখেতে পেয়েছি।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫২৫৬
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، قَالَ
حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، انْطَلَقَ هُوَ وَصَاحِبٌ لَهُ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ
يَعُودَانِهِ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ فَلَقِينَا صَاحِبًا لَنَا وَهُوَ يُرِيدُ
أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِ فَأَقْبَلْنَا نَحْنُ فَجَلَسْنَا فِي الْمَسْجِدِ فَجَاءَ
فَأَخْبَرَنَا أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْهَوَامَّ مِنَ الْجِنِّ فَمَنْ
رَأَى فِي بَيْتِهِ شَيْئًا فَلْيُحَرِّجْ عَلَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنْ عَادَ
فَلْيَقْتُلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ " .
মুহাম্মাদ ইবনু
ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা
আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ও তার এক সাথী অসুস্থ আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে দেখতে
যান। তিনি বলেন, আমরা তার নিকট হতে বেরিয়ে আসার পর আরেক সঙ্গীর সঙ্গে আমাদের দেখা
হলো। তিনিও তাকে দেখতে এসেছেন। আমরা কিছুটা এগিয়ে গিয়ে মাসজিদে বসলাম। তিনি ফিরে
এসে আমাদের জানালেন, তিনি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ কতক সাপ জিনদের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই
কেউ তার ঘরে এগুলোর কোনটিকে দেখতে পেলে সে যেন তিনবার একে সতর্ক করে। তারপরও ফিরে
আসলে সে যেন একে মেরে ফেলে। কারণ তা শয়তান। [৫২৫৪]
দুর্বলঃ যঈফাহ, হা/৩১৬৩.
[৫২৫৪]
এর সানাদে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে ।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫২৫৭
حَدَّثَنَا
يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ،
عَنْ صَيْفِيٍّ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ، قَالَ
أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ، عِنْدَهُ سَمِعْتُ
تَحْتَ، سَرِيرِهِ تَحْرِيكَ شَىْءٍ فَنَظَرْتُ فَإِذَا حَيَّةٌ فَقُمْتُ فَقَالَ
أَبُو سَعِيدٍ مَا لَكَ فَقُلْتُ حَيَّةٌ هَا هُنَا . قَالَ فَتُرِيدُ مَاذَا
قُلْتُ أَقْتُلُهَا . فَأَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي دَارِهِ تِلْقَاءَ بَيْتِهِ
فَقَالَ إِنَّ ابْنَ عَمٍّ لِي كَانَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ
الأَحْزَابِ اسْتَأْذَنَ إِلَى أَهْلِهِ وَكَانَ حَدِيثَ عَهْدٍ بِعُرْسٍ فَأَذِنَ
لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ بِسِلاَحِهِ
فَأَتَى دَارَهُ فَوَجَدَ امْرَأَتَهُ قَائِمَةً عَلَى بَابِ الْبَيْتِ فَأَشَارَ
إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَقَالَتْ لاَ تَعْجَلْ حَتَّى تَنْظُرَ مَا أَخْرَجَنِي
. فَدَخَلَ الْبَيْتَ فَإِذَا حَيَّةٌ مُنْكَرَةٌ فَطَعَنَهَا بِالرُّمْحِ ثُمَّ
خَرَجَ بِهَا فِي الرُّمْحِ تَرْتَكِضُ قَالَ فَلاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا كَانَ
أَسْرَعَ مَوْتًا الرَّجُلُ أَوِ الْحَيَّةُ فَأَتَى قَوْمُهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم فَقَالُوا ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّ صَاحِبَنَا . فَقَالَ
" اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ
نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ أَسْلَمُوا بِالْمَدِينَةِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ أَحَدًا
مِنْهُمْ فَحَذِّرُوهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ إِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدُ أَنْ
تَقْتُلُوهُ فَاقْتُلُوهُ بَعْدَ الثَّلاَثِ " .
আবুস সায়িব (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরীর (রাঃ)
নিকট আসলাম। আমি তার নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় আমি তার খাটের নিচে নড়াচড়ার শব্দ
শুনতে পেলাম। চেয়ে দেখি একটি সাপ। আমি উঠে দাঁড়ালাম। আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, তোমার
কি হলো? আমি বললাম, ওখানে সাপ। তিনি বললেন তা তুমি কি করতে চাও? আমি বললাম, আমি
এটিকে হত্যা করবো। তিনি তার ঘরের নিজ কক্ষ বরাবর অপর একটি কক্ষের দিকে ইশারা করে
বললেন, আমার এক চাচাত ভাই এই কক্ষে বাস করতো। আহযাবের যুদ্ধের দিন সে নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চাইলো, সে ছিলো
সদ্য বিবাহিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন
এবং সঙ্গে তার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাবার নির্দেশ দিলেন। সে বাড়ি ফিরে এসে দেখলো,
তার স্ত্রী ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। সে বর্শা দ্বারা তার স্ত্রীকে ইশারা করলো আর
স্ত্রী বললো, তুমি তাড়াহুড়া করো না, আগে দেখো কিসে আমাকে বের হতে বাধ্য করেছে। সে
ঘরে প্রবেশ করে দেখলো এক বীভৎস সাপ। সে সেটিকে বর্শাবিদ্ধ করলো। সাপটি তখনো
তড়পাচ্ছিলো। তিনি বললেন, আমার জানা নেই কার মৃত্যু আগে হয়েছে, লোকটির না সাপটির!
তার গোত্রের লোকজন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট
উপস্থিত হয়ে বললো, আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যাতে তিনি আমাদের সঙ্গীকে ফিরিয়ে
দেন। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বললেনঃ
মাদীনাহ্র একদল জিন ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাদের কাউকে যদি তোমরা দেখতে পাও তাহলে
তিনবার তাকে সতর্ক করবে। তারপরও যদি তোমাদের সামনে তা আত্মপ্রকাশ না করে তাহলে
তোমরা তাকে মারতে চাইলে তিনবার বলার পর মারতে পারো।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫২৫৮
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ
مُخْتَصَرًا قَالَ " فَلْيُؤْذِنْهُ ثَلاَثًا فَإِنْ بَدَا لَهُ بَعْدُ
فَلْيَقْتُلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ " .
ইবনু ‘আজলান (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আজলান (রহঃ) হতে এ হাদীস সংক্ষিপ্তভাবে
বর্ণিত হয়েছে। এতে রয়েছেঃ সে এটিকে তিনবার সতর্ক করবে। তারপরও যদি দেখতে পাও, তবে
তাকে মারবে। কারণ তা একটি শয়তান। [৫২৫৬]
[৫২৫৬]
মুসলিম।
হাদিসের মানঃহাসান সহিহ
৫২৫৯
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ صَيْفِيٍّ، مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ قَالَ أَخْبَرَنِي
أَبُو السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي
سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَأَتَمَّ مِنْهُ قَالَ "
فَآذِنُوهُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ
فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ " .
হিশাম ইবনু যাহবার
আযাদকৃত গোলাম আবুস সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ সাঈদ আল-খুদরীর (রাঃ) নিকট গেলেন।
অতঃপর অনুরূপ বরং এর চেয়ে পূর্ণাঙ্গ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ তিনদিন
পর্যন্ত একে সতর্ক করো। তারপরও যদি তোমরা দেখতে পাও, তাহলে সেটিকে হত্যা করো। কারণ
সেটি হচ্ছে একটি শয়তান।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৬০
حَدَّثَنَا
سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي
لَيْلَى، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
لَيْلَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ
حَيَّاتِ الْبُيُوتِ فَقَالَ " إِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُنَّ شَيْئًا فِي
مَسَاكِنِكُمْ فَقُولُوا أَنْشُدُكُنَّ الْعَهْدَ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْكُنَّ
نُوحٌ أَنْشُدُكُنَّ الْعَهْدَ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْكُنَّ سُلَيْمَانُ أَنْ لاَ
تُؤْذُونَا فَإِنْ عُدْنَ فَاقْتُلُوهُنَّ " .
‘আবদুর রহমান ইবনু
আবূ লাইলাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে ঘরে বসবাসকারী সাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ তোমরা তোমাদের
বসবাসের ঘরে এগুলোকে দেখতে পেলে বলবেঃ ‘আমি তোমাদেরকে সেই ওয়াদার কসম দিয়ে বলছি যা
নূহ (আঃ) তোমাদের থেকে গ্রহণ করেছিলেন। অথবা আমি তোমাদেরকে সেই ওয়াদার কসম দিয়ে
বলছি যা সুলায়মান (আঃ) তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন যে, তোমরা আমাদের ক্ষতি করবে
না’। এরপরও তারা ফিরে এলে তোমরা তাদের মেরে ফেলো। [৫২৫৮]
[৫২৫৮]
তিরমিযী, নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান
গরীব।
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
৫২৬১
حَدَّثَنَا
عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ
إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ
كُلَّهَا إِلاَّ الْجَانَّ الأَبْيَضَ الَّذِي كَأَنَّهُ قَضِيبُ فِضَّةٍ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ فَقَالَ لِي إِنْسَانٌ الْجَانُّ لاَ يَنْعَرِجُ فِي
مِشْيَتِهِ فَإِذَا كَانَ هَذَا صَحِيحًا كَانَتْ عَلاَمَةً فِيهِ إِنْ شَاءَ
اللَّهُ .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, তোমরা সব সাপকেই হত্যা করবে, কেবল
সাদা জিন ব্যতীত যা দেখতে রৌপ্য দন্ডের মত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমাকে এক
ব্যক্তি বলেছেন, সাদা সাপ আঁকাবাঁকা হয়ে চলাচল করে না। এটা যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে
আল্লাহর ইচ্ছায় তা এই সাপের একটি নিদর্শন।
হাদিসের মানঃসহিহ মাওকুফ
অনুচ্ছেদ-১৭৬
টিকটিকি হত্যা করা
সম্পর্কে
৫২৬২
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ،
حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ،
قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ الْوَزَغِ وَسَمَّاهُ
فُوَيْسِقًا .
আমির ইবনু সা’দ
(রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) গিরগিটি (টিকটিকি) মারার হুকুম করেছেন। তিনি তার নাম দিয়েছেন
অনিষ্টকারী।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৬৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ وَزَغَةً فِي أَوَّلِ
ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ
الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً أَدْنَى مِنَ الأَوَّلِ وَمَنْ
قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً أَدْنَى مِنَ
الثَّانِيَةِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতে একটি গিরগিটি (টিকটিকি) হত্যা করবে,
তার জন্য এরূপ সওয়াব রয়েছে। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে এটি হত্যা করবে, তার জন্য এরূপ
এরূপ সওয়াব রয়েছে, যা প্রথম আঘাতে মারার তুলনায় কম। আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে তা
হত্যা করবে, তার জন্য এরূপ এরূপ সওয়াব রয়েছে, যা দ্বিতীয় আঘাতে হত্যার চেয়ে কম।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৬৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، أَوْ أُخْتِي عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " فِي
أَوَّلِ ضَرْبَةٍ سَبْعِينَ حَسَنَةً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে মারতে পারলে তার জন্য সত্তর নেকী রয়েছে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭৭
পিঁপড়া মারা সম্পর্কে
৫২৬৫
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
- عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ
تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجَهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ
تَحْتِهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ
نَمْلَةً وَاحِدَةً " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ কোন এক নবী (আঃ) এক গাছের নিচে বসবাস করছিলেন। একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড়
দিলো। তিনি বিছানাপত্র সরানোর নির্দেশ দিলে তা তাঁর নিচ হতে সরানো হলো। তারপর তিনি
আদেশ দিলে সব পিঁপড়া জ্বালিয়ে দেয়া হলো। আল্লাহ তাঁর নিকট ওয়াহী পাঠালেনঃ একটি
মাত্র পিঁপড়া নয় কেন?
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৬৬
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي
يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ،
وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " إِنَّ نَمْلَةً قَرَصَتْ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ
فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فِي أَنْ
قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَهْلَكْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ একদা একটি পিঁপড়া এক নাবীকে কামড় দিলে তাঁর নির্দেশে সব পিঁপড়া
জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ ঐ নাবীর নিকট ওয়াহী পাঠালেনঃ তোমাকে একটি মাত্র পিঁপড়া
কামড় দিয়েছে। অথচ তুমি তাসবীহ পাঠরত একটি উম্মাত ধ্বংস করে দিলে!
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৬৭
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ،
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ
قَتْلِ أَرْبَعٍ مِنَ الدَّوَابِّ النَّمْلَةُ وَالنَّحْلَةُ وَالْهُدْهُدُ
وَالصُّرَدُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) চার প্রকার প্রাণী হত্যা করতে বারণ করেছেনঃ পিঁপড়া, মধুমক্ষিকা, হুদহুদ
পাখি এবং চড়ুই সদৃশ বাজ পাখি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
৫২৬৮
حَدَّثَنَا
أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ،
عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سَعْدٍ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ
وَهُوَ الْحَسَنُ بْنُ سَعْدٍ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ
فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حُمَّرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا
فَرْخَيْهَا فَجَاءَتِ الْحُمَّرَةُ فَجَعَلَتْ تُعَرِّشُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى
الله عليه وسلم فَقَالَ " مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا رُدُّوا
وَلَدَهَا إِلَيْهَا " . وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا
فَقَالَ " مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ " . قُلْنَا نَحْنُ . قَالَ
" إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلاَّ رَبُّ النَّارِ
" .
‘আবদুর রহমান ইবনু
‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য চলে গেলেন। এদিকে আমরা একটি ছোট পাখি দেখতে
পেলাম। তার সঙ্গে ছিলো দু’টি বাচ্চা। আমরা বাচ্চা দু’টিকে ধরে ফেলি। মা পাখিটি এসে
পাখা ঝাপটাতে লাগলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসে বললেনঃ কে
এই পাখিটিকে তার বাচ্চা ধরে এনে ভীত সন্ত্রস্ত করেছে? তোমরা এটির বাচ্চা ফিরিয়ে
দাও। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পুড়িয়ে মারা পিঁপড়ার একটি
বাসস্থানও দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ এগুলো কে পুড়িয়েছে? আমরা বললাম, আমরা। তিনি
বললেনঃ আগুনের রব ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়া কারো পক্ষে সমীচীন নয়।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭৮
ব্যাঙ হত্যা করা
৫২৬৯
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ عُثْمَانَ، أَنَّ طَبِيبًا، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ
ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ
قَتْلِهَا .
আবদুর রহমান ইবনু
‘উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ডাক্তার নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঔষধ তৈরীতে ব্যাঙ ব্যবহার করা বিষয়ে প্রশ্ন করলো। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ব্যাঙ মারতে বারণ করেন।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৭৯
পাথর কুচি নিক্ষেপ
করা
৫২৭০
حَدَّثَنَا
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ
صُهْبَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم عَنِ الْخَذْفِ قَالَ " إِنَّهُ لاَ يَصِيدُ صَيْدًا وَلاَ
يَنْكَأُ عَدُوًّا وَإِنَّمَا يَفْقَأُ الْعَيْنَ وَيَكْسِرُ السِّنَّ "
.
আবদুল্লাহ ইবনু
মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) পাথরকণা নিক্ষেপ করতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ এর দ্বারা শিকারও
ধরা যায় না, শত্রুকেও আঘাত করা যায় না, বরং তা চোখ নষ্ট করে এবং দাঁত ভেঙ্গে ফেলে।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৮০
খাত্না করা সম্পর্কে
৫২৭১
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ
عَبْدِ الرَّحِيمِ الأَشْجَعِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ، - قَالَ عَبْدُ الْوَهَّابِ الْكُوفِيُّ - عَنْ عَبْدِ
الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ، أَنَّ
امْرَأَةً، كَانَتْ تَخْتِنُ بِالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم " لاَ تُنْهِكِي فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ وَأَحَبُّ
إِلَى الْبَعْلِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ
بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بِمَعْنَاهُ وَإِسْنَادِهِ . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ لَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ وَقَدْ رُوِيَ مُرْسَلاً . قَالَ أَبُو
دَاوُدَ وَمُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ مَجْهُولٌ وَهَذَا الْحَدِيثُ ضَعِيفٌ .
উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ
আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাদীনাতে এক মহিলা খাতনা করতো। নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি গভীর করে কাটবে না। কারণ তা
মেয়েলোকের জন্য অধিকতর আরামদায়ক এবং স্বামীর জন্য অতি পছন্দনীয়। ইমাম আবূ দাঊদ
(রহঃ) বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রহঃ) হতে ‘আব্দুল মালিক (রহঃ) সূত্রে একই
অর্থে ও সানাদে এটি বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, দাঊদ (রহঃ) বলেন,
হাদীসটির সানাদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৮১
রাস্তায় পুরুষদের
সাথে নারীদের যাতায়াত সম্পর্কে
৫২৭২
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ
مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَبِي عَمْرِو بْنِ حِمَاسٍ،
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ،
أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ
الْمَسْجِدِ فَاخْتَلَطَ الرِّجَالُ مَعَ النِّسَاءِ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلنِّسَاءِ " اسْتَأْخِرْنَ
فَإِنَّهُ لَيْسَ لَكُنَّ أَنْ تَحْقُقْنَ الطَّرِيقَ عَلَيْكُنَّ بِحَافَاتِ
الطَّرِيقِ " . فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تَلْتَصِقُ بِالْجِدَارِ حَتَّى
إِنَّ ثَوْبَهَا لَيَتَعَلَّقُ بِالْجِدَارِ مِنْ لُصُوقِهَا بِهِ .
হামাযাহ ইবনু আবূ
উসাইদ আল-আনসারী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি মাসজিদ হতে বের হওয়ার সময় দেখেন, রাস্তায়
পুরুষরা মহিলাদের সঙ্গে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের বললেনঃ তোমরা একটু অপেক্ষা করো। কারণ তোমাদের
রাস্তার মাঝ দিয়ে চলাচলের পরিবর্তে পাশ দিয়ে চলাচল করা উচিৎ। সুতরাং মহিলারা
দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করতো, এতে তাদের চাদর দেয়ালের সাথে আটকে যেতো। [৫২৭০]
[৫২৭০]
বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
৫২৭৩
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ
قُتَيْبَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي صَالِحٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَمْشِيَ - يَعْنِي
الرَّجُلَ - بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ লোককে দুই মহিলার মাঝখান দিয়ে চলাচল করতে বারণ করেছেন।
[৫২৭১]
বানোয়াটঃ যঈফাহ হা/৩৭৫।
[৫২৭১]
হাকিম। ইমাম হাকিম বলেনঃ সানাদ সহীহ। কিন্তু ইমাম যাহাবী বলেনঃ সানাদের দাউদ বিন সালিহ
সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি মাওযু ও বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃজাল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৮২
সময়কে গালি দেয়া
সম্পর্কে
৫২৭৪
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيَ الأَمْرُ
أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ " . قَالَ ابْنُ السَّرْحِ عَنِ ابْنِ
الْمُسَيَّبِ مَكَانَ سَعِيدٍ . وَاللَّهُ أَعْلَمُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়। সে যুগকে
(সময়কে) গালি দেয়। অথচ যুগ আমারই নিয়ন্ত্রণে। আমিই রাত ও দিন পরিবর্তন করি।
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
No comments