রিয়াদুস সালেহীন অধ্যায় "(প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ" হাদীস নং ১৪৭৩-১৫১৮
(প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ
পরিচ্ছেদ - ২৫০
দুআর
গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কতিপয় দুআর নমুনা
১৪৭৩
وَعَنْ النُّعْمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ
الله عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الدُّعَاءُ هُوَ
العِبَادَةُ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“দুআই হল (মূল) ইবাদত।”
(তিরমিযী ৩৩৭২, ২৯৬৯,
৩২৪৭, ইবনু মাজাহ ৩৮২৮)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
১৪৭৪
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا،
قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَسْتَحِبُّ
الجَوَامِعَ مِنَ الدُّعَاءِ، وَيَدَعُ مَا سِوَى ذَلِكَ . رواه أَبُو داود بإسناد
جيدٍ
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম অল্প শব্দে বহুল অর্থবোধক দুআ পছন্দ করতেন এবং তা ছাড়া অন্য দুআ
পরিহার করতেন।’
(আবূ দাউদ ১৪৮২, আহমাদ
২৭৬৫০, ২৭৬৪৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৭৫
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ
أَكثَرُ دُعَاءِ النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم: «اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا
حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» متفقٌ عَلَيْهِ .
زاد مسلم في روايتهِ قَالَ: وَكَانَ أَنَسٌ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ
بِدَعْوَةٍ دَعَا بِهَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدُعَاءٍ دَعَا بِهَا
فِيهِ.
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর অধিকাংশ দুআ এই হত, ‘আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্য়্যা হাসানাহ, অফিল
আ-খিরাতে হাসানাহ, অক্বিনা আযাবান্নার।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকালে
কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও।
(সহীহুল বুখারী ৪৫২২,
৬৩৮৯, মুসলিম ২৬৮৮, তিরমিযী ৩৪৮৩, আবূ দাউদ ১৫১৯, আহমাদ ১১৫৭০, ১১৫৩৮, ১২৭৫১, ১২৭৭৪,
১৩১৬৮, ১৩৫২৪, ১৩৬৫৩)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৭৬
وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه: أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى،
وَالتُّقَى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى» . رواه مسلم
ইবনে
মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুআ
করতেন,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অততুক্বা অলআফা-ফা অলগিনা।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়াত, পরহেযগারী, অশ্লীলতা হতে
পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।
(মুসলিম ২৭২১, তিরমিযী
৩৪৮৯, ইবনু মাজাহ ৩৮৩২, আহমাদ ৩৬৮৪, ৩৮৯৪, ৩৯৪০, ৪১২৪, ৪১৫১, ৪২২১)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৭৭
وَعَنْ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ رضي الله عنه
قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
الصَّلاَةَ ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَؤلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم اغْفِرْ
لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِني، وَعَافِني، وَارْزُقْنِي» . رواه مسلم
وفي روايةٍ له عن طارق: أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَأَتَاهُ
رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، كَيْفَ أَقُولُ حِيْنَ
أَسْأَلُ رَبِّي ؟ قَالَ: «قُلْ: اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِني،
وارْزُقْنِي، فَإِنَّ هَؤُلاَءِ تَجْمَعُ لَكَ دُنْيَاكَ وَآخِرَتَكَ».
ত্বারেক
ইবনে আশ্য়্যাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কেউ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলে নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে নামায শিখাতেন। তারপর তাকে এই দুআ পাঠ করতে
আদেশ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী, অরহামনী, অহদিনী, অ আ-ফিনী, অরযুক্বনী।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে সঠিক পথ দেখাও,
আমাকে নিরাপত্তা দান কর এবং আমাকে জীবিকা দাও।
(মুসলিম ২৬৯৭, ইবনু
মাজাহ ৩৮৪৫, আহমাদ ১৫৪৪৮, ২৫৬৭০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৭৮
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ
العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
صلى الله عليه وسلم : «اَللهم مُصَرِّفَ القُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى
طَاعَتِكَ» . رواه مسلم
আব্দুল্লাহ
ইবনে আম&র ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এ দুআ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ
ক্বুলূবানা আলা ত্বা-আ’তিক।’
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার
আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর।
(মুসলিম ২৬৫৪, আহমাদ
৬৫৩৩, ৬৫৭৩)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৭৯
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَوَّذُوا بِاللهِ مِنْ جَهْدِ
البَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوْءِ القَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ».
متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ قَالَ سُفيَانُ: أَشُكُّ أنِّي زِدْتُ وَاحِدَةً مِنْهَا .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে বল, ‘(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা) মিন জাহদিল
বালা-ই অদারাকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বাযা-ই অশামা-তাতিল আ’দা-’।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য),
দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি।
(সহীহুল বুখারী ৬৩৪৭,
৬৬১৬, মুসলিম ২৭০৭, নাসায়ী ৫৪৯১, ৫৪৯২, ৭৩০৮)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮০
وَعَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى
الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم أَصْلِحْ لِي دِينِيَ الَّذِي
هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتي فِيهَا مَعَاشِي،
وَأَصْلِحْ لِي آخِرتِيَ الَّتي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الحَيَاةَ زِيَادَةً
لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ المَوتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ» . رواه
مسلم
উক্ত
রাবী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এই দুআ পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ইসমাতু আমরী, অ আস্বলিহ লী
দুন্য়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মাআ-শী, অ আস্বলিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মাআ-দী।
অজআলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুল্লি খাইর্। অজআলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুলি
শার্র্।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে শুধরে দাও, যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী।
আমার পার্থিব জীবনকে শুধ্রে দাও, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে শুধ্রে
দাও, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর
এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর।
(মুসলিম ২৭২০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮১
وَعَنْ عَلِيٍّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ
لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «قُلْ: اَللهم
اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي».
وفي رواية: «اَللهم إنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالسَّدَادَ» . رواه مسلم
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মাহদিনী অসাদ্দিদনী।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত কর ও সোজাভাবে রাখ।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা আস্সাদা-দ’ অর্থাৎ, হে
আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়েত ও সরল পথ কামনা করছি।
(মুসলিম ২৭২৫, নাসায়ী
৫২১০, ৫২১২, ৫৩৭৬, আবূ দাউদ ৪২২৫, আহমাদ ৬৬৬, ১১৬৬, ১৩২৩)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮২
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ، وَالكَسَلِ، وَالجُبْنِ، وَالهَرَمِ، وَالبُخْلِ،
وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا
وَالمَمَاتِ» .
وفي رواية: «وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» . رواه مسلم
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এই দুআ পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি
অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা
অল-মামাতি, (অ য্বালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)’
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও
কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে,
আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)
।
অপর বর্ণনায় (যুক্ত)
আছে, ‘অ য্বালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।’ (সহীহুল বুখারী ২৮২৩, ৪৭০৭, ৬৩৬৭, ৬৩৬৯,
৬৩৭১, মুসলিম ২৭০৬, তিরমিযী ৩৪৮৪, ৩৪৮৫, নাসায়ী ৫৪৪৮-৫৪৫২, ৫৪৫৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৬, ৫৪৯৫,
৫৫০৩, আবূ দাউদ ১৫৪০, ৩৯৭২, আহমাদ ১১৭০৩, ১১৭৫৬, ১১৮১৬, ১২৪২২, ১৩৬৬৩, ১২৭২০, ১২৭৬০,
১২৮২১, ১২৮৯১)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৩
وَعَنْ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيق رضي الله
عنه: أَنَّه قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: عَلِّمْنِي دُعَاءً
أَدْعُوْ بِهِ فِي صَلاَتِي، قَالَ: «قُلْ: اَللهم إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي
ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي
مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحِيمُ».
متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ: «وَفِي بَيتِيْ» وَرُوِيَ: «ظُلماً كَثِيراً» وَرُوِي: «كَبِيراً»
بالثاء المثلثة وبالباء الموحدة ؛ فينبغي أنْ يجمع بينهما فيقال: كَثِيراً
كَبِيراً .
আবূ
বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে
বললেন, ‘আমাকে এমন দুআ শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি আমার নামাযে প্রার্থনা করব।’ তিনি
বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাঁউ অলা
য়্যাগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা অরহামনী, ইন্নাকা
আন্তাল গাফুরুর রাহীম।
(সহীহুল বুখারী ৮৩৪,
৬৩২৬, ৭৩৮৮, মুসলিম ২৭০৫, তিরমিযী ৩৫৩১, নাসায়ী ১৩০২, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৫, আহমাদ ৮, ২৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৪
وَعَنْ أَبي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: أَنَّه كَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ: «اَللهم
اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي، وَإِسرَافِي فِي أَمْرِي، وَمَا أَنْتَ
أَعْلَمُ بِهِ مِنّي، اَللهم اغْفِرْ لِي جِدِّي وَهَزْلِي ؛ وَخَطَئِي وَعَمْدِي
؛ وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي، اَللهم اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ،
وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَنتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ
المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ». متفق
عَلَيْهِ
আবূ
মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুআ
পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মাগফির লী খাত্বীআতী অজাহলী অইসরা-ফী ফী আমরী, অমা আন্তা আ‘লামু বিহী
মিন্নী। আল্লা-হুম্মাগফির লী জিদ্দী অহাযলী অখাত্বাঈ অআম্দী, অকুল্লু যা-লিকা
ইন্দী। আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু
অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখ্খিরু অআন্তা আলা
কুলি শাইয়িন ক্বাদীর।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপ, মুর্খামি, কর্মে সীমালঙ্ঘনকে এবং যা তুমি আমার
চেয়ে অধিক জান, তা আমার জন্য ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ গো! তুমি আমার অযথার্থ ও
যথার্থ, অনিচ্ছাকৃত ও ইচ্ছাকৃত-ভাবে করা পাপসমূহকে মার্জনা করে দাও। আর এই
প্রত্যেকটি পাপ আমার আছে।
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি,
যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা তুমি অধিক জান। তুমিই অগ্র-সরকারী ও
তুমিই পশ্চাদপদকারী এবং তুমি প্রতিটি বস্তুর উপর ক্ষমতাবান।
(সহীহুল বুখারী ৬৩৯৮,
৬৩৯৯, মুসলিম ২৭১৯, আহমাদ ১৯২৩৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৫
وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا:
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: «اَللهم إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ» . رواه
مسلم
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ
দুআতে এই শব্দগুলি বলতেন,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা ‘আমিলতু অ মিন শার্রি মা লাম আ‘মাল।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত
(পুণ্যের) মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (অথবা অপরের কৃত পাপের ব্যাপক শাস্তি
থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
(মুসলিম ২৭১৬, নাসায়ী
১৩০৭, ৫৫২৩, ৫৫২৪ থেকে ৫৫২৮, আবূ দাউদ ১৫৫০, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৯, আহমাদ ২৩৫১৩, ২৪৫৬১,
২৫২৫৬, ২৫৬৭৩, ২৫৮৩৬)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৬
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا،
قَالَ: كَانَ مِن دُعَاءِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «اَللهم إِنِّي
أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ
نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ» . رواه مسلم
ইবনে
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর একটি দুআ ছিল,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন যাওয়া-লি নি’মাতিকা অতাহাউবুলি আ-ফিয়াতিকা
অফুজাআতি নিক্বমাতিকা অজামী-ই সাখাত্বিক।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার
প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(মুসলিম ২৭৩৯, আবূ দাউদ
১৫৪৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৭
وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه،
قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ:
«اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخْلِ وَالهَرَمِ،
وَعَذَابِ القَبْرِ، اَللهم آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّها أَنْتَ خَيْرُ مَنْ
زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا، اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ
عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ؛ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ ؛
وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجابُ لَهَا» .رواه مسلم
যায়েদ
ইবনে আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এই দুআ পাঠ করতেন,
“আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অলকাসালি অলবুখ্লি অলহারামি অ আযা-বিল
ক্বাব্র&। আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা অযাক্কিহা আন্তা খাইরু মান
যাক্কা-হা, আন্তা অলিয়্যুহা অমাউলা-হা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ইলমিল লা
য়্যানফা’, অমিন ক্বালবিল লা য়্যাখশা’, অমিন নাফসিল লা তাশবা’, অমিন দা’ওয়াতিল লা
য়্যুস্তাজা-বু লাহা।”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, স্থবিরতা এবং কবরের
আযাব থেকে পানাহ চাচ্ছি। হে আল্লাহ আমার আত্মায় তোমার ভীতি প্রদান কর এবং তাকে
পবিত্র কর, তুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী। তুমিই তার অভিভাবক ও প্রভু। হে আল্লাহ আমি
তোমার নিকট সেই ইলম থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা কোন উপকারে আসে না। সেই হৃদয় থেকে পানাহ
চাচ্ছি, যা বিনয়ী হয় না। সেই আত্মা থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা তৃপ্ত হয় না এবং সেই দুআ
থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা কবুল হয় না।
(মুসলিম ২৭২২, তিরমিযী
৩৫৭২, নাসায়ী ৫৪৫৮, ৫৫৩৮)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৮
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ
عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ
يَقُولُ: «اَللهم لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ،
وإلَيْكَ أنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وإلَيْكَ حَاكَمْتُ . فَاغْفِرْ لِي مَا
قَدَّمْتُ، وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أعْلَنْتُ، أنتَ
المُقَدِّمُ، وأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لا إِلٰهَ إِلاَّ أنْتَ» . زَادَ بَعْضُ
الرُّوَاةِ: «وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ». متفق عَلَيْهِ
ইবনে
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এই দুআটি পড়তেন,
‘আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু অবিকা আ-মানতু, অ আলাইকা তাওয়াক্কালতু, অ ইলাইকা
আনাবতু, অবিকা খা-স্বামতু অ ইলাইকা হা-কামতু ফাগ্ফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা
আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অআন্তাল মুআখ্খিরু লা
ইলা-হা ইল্লা আন্তা (অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।)’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপরেই ঈমান (বিশ্বাস)
রেখেছি, তোমার উপরেই ভরসা করেছি, তোমার দিকে অভিমুখী হয়েছি, তোমারই সাহায্যে
বিতর্ক করেছি, তোমারই নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছি। অতএব তুমি আমার পূর্বের, পরের,
গুপ্ত ও প্রকাশ্য পাপকে মাফ করে দাও। তুমিই অগ্রসরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী। তুমি
ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। (কোন কোন বর্ণনাকারীর বর্ধিত বর্ণনা) তোমার তওফীক ছাড়া
পাপ থেকে ফিরার ও সৎকাজ করার সাধ্য নেই।
(সহীহুল বুখারী ১১২০,
৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯, মুসলিম ৭৬৯, তিরমিযী ৩৪১৮, নাসায়ী ১৬১৯, আবূ দাউদ ৭৭১, ইবনু
মাজাহ ১৩৫৫, আহমাদ ২৭০৫, ২৭৪৩, ২৮০৮, ৩৩৫৮, ৩৪৪৮, মুওয়াত্তা মালিক ৫০০, দারেমী ১৪৮৬)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৮৯
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا:
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدعُو بِهَؤُلاَءِ الكَلِمَاتِ:
«اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ
شَرِّ الغِنَى وَالفَقْرِ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح ؛
وهذا لفظ أَبي داود .
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই
শব্দাবলী যোগে দুআ করতেন,
‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিন্নারি অআযাবিন্নারি, অমিন শার্রিল গিনা
অলফাক্ব্র।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি জাহান্নামের ফিতনা থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে এবং
ধনবত্তা ও দারিদ্র্যের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী
হাসান সহীহ, এ-শব্দগুলি আবূ দাউদের) (সহীহুল বুখারী ৮৩৩, ২৩৯৭, ৬৩৬৮, ৬৩৭৫, ৬৩৭৬, ৬৩৭৭,
৭১২৯, মুসলিম ৫৮৭, ৫৮৯, নাসায়ী ১৩০৯, ৫৪৫৪, ৫৪৬৬, ৫৪৭২, ৫৪৭৭, ৫৪০৪, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৮,
আহমাদ ২৪০৫৭, ২৪০৬১, ২৫৭৯৫, আবূ দাউদ ১৫৪৩, তিরমিযী ৩৪৮৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৯০
وَعَنْ زِيَادِ بنِ عِلاَقَةَ عَن عَمِّهِ،
وَهُوَ قُطْبَةُ بنُ مالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَان النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأخْلاَقِ،
وَالأعْمَالِ، والأهْواءِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
যিয়াদ
ইবনে ইলাক্বাহ স্বীয় চাচা কুত্ববাহ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে
বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুআ
পড়তেন, “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন মুনকারা-তিল আখলা-ক্বি অলআ’মা-লি
অলআহওয়া-’।”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম ও কু-প্রবৃত্তি
থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
(তিরমিযী হাসান) (তিরমিযী
৩৫৯১)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
· ১৪৯১
وَعَنْ شَكَلِ بنِ حُمَيدٍ رضي الله عنه
قَالَ: قُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، علِّمْنِي دُعَاءً، قَالَ:
«قُلْ: اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي، وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي،
وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي، وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي، وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي». رواه أَبُو
داود والترمذي، وقال: حديث حسن
শাকাল
ইবনে হুমাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ‘হে
আল্লাহর রসূল! আমাকে একটি দুআ শিখিয়ে দিন।’ তিনি বললেন, “বল,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি সাম্য়ী, অমিন শার্রি বাস্বারী, অমিন
শার্রি লিসানী, অমিন শার্রি ক্বালবী, অমিন শার্রি মানিইয়্যী।”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট আমার কর্ণ, চক্ষু, রসনা, অন্তর এবং
বীর্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে শরণ চাচ্ছি।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী,
হাসান) (তিরমিযী ৩৪৯২, নাসায়ী ৫৪৫৫, ৫৪৫৬, আবূ দাউদ ১৫৫১)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
· ১৪৯২
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ
البَرَصِ، وَالجُنُونِ، وَالجُذَامِ، وَسَيِّيءِ الأَسْقَامِ» . رواه أَبُو داود
بإسناد صحيحٍ
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুআ
পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বারাস্বি অলজুনূনি অলজুযা-মি অমিন
সাইয়্যিইল আসক্বা-ম।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার
কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(আবূ দাউদ ১৫৫৪, নাসায়ী
৫৪৯৩, আহমাদ ১২৫৯২)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৯৩
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه
قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ:
«اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُوعِ، فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيعُ، وَأَعُوذُ
بِكَ منَ الخِيَانَةِ، فَإِنَّهَا بِئْسَتِ البِطَانَةُ» . رواه أَبُو داود بإسناد
صحيح
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) এ দুআটি পাঠ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল জূ-’,
ফাইন্নাহু বি’সায্ য্বাজী-’। অ আঊযু বিকা মিনাল খিয়ানাহ, ফাইন্নাহা বি’সাতিল
বিত্বা-নাহ।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে পানাহ চাচ্ছি, কারণ তা নিকৃষ্ট
শয়ন-সাথী। আর আমি খেয়ানত থেকেও পানাহ চাচ্ছি, কারণ তা নিকৃষ্ট সহচর।
(আবূ দাউদ ১৫৪৭, নাসায়ী
৫৪৬৮, ৫৪৬৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৯৪
وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه: أَنَّ
مُكَاتِباً جَاءَهُ فَقَالَ: إِنِّي عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي، قَالَ:
ألاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى
الله عليه وسلم، لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلٍ دَيْناً أَدَّاهُ اللهُ
عَنْكَ؟ قُلْ: «اَللهم اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي
بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
আলী
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন ‘মুকাতিব’ (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কৃতদাস) তাঁর নিকট এসে নিবেদন করল,
‘আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।’ (এ কথা
শুনে) তিনি বললেন, ‘তোমাকে কি এমন দুআ শিখিয়ে দিব না, যা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর পর্বত
সমপরিমাণ ঋণও থাকে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। বল,
‘আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আন হারা-মিক, অআগনিনী বিফায্বলিকা আম্মান সিওয়া-ক।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তোমার হালাল রুযী দিয়ে হারাম রুযী থেকে আমার জন্য যথেষ্ট কর
এবং তুমি ছাড়া অন্য সকল থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী কর।
(তিরমিযী ৩৫৬৩, আহমাদ
১৩২১)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
· ১৪৯৫
وعَنْ عِمْرانَ بنِ الحُصينِ رَضي اللهُ
عنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم علَّم أَباهُ حُصيْناً كَلِمتَيْنِ
يدعُو بهما: «اللَّهُمَّ أَلهِمْني رُشْدِي، وأَعِذني مِن شَرِّ نفسي» . رواهُ
الترمذيُّ وقَالَ: حديثٌ حسنٌ
ইমরান
ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর
(রাবী) পিতা হুসাইন (রাঃ) -কে দু’টি কালিমা শিখিয়েছেন যা দিয়ে তিনি দুআ করতেন: “হে
আল্লাহ! আমার অন্তকরণে হিদায়াত পৌঁছাও, আর হৃদয়ের অনিষ্টতা থেকে আমাকে রক্ষা কর।”
(তিরমিযী হাদিসটিকে
হাসান বলেছেন) (আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী এরূপই বলেছেন। সম্ভবত (এরূপ হাসান
বলাটা) তিরমিযীর কোন কোন কপিতে এসেছে। কিন্তু বূলাক ছাপায় (২/২৬১) তিনি বলেনঃ হাদীসটি
গারীব। অর্থাৎ দুর্বল। এর সনদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এরূপ হওয়াই উচিত। কারণ এর সনদে
বিচ্ছিন্নতা এবং দুর্বলতা রয়েছে। (এর বর্ণনাকারী শাবীবকে হাফিয যাহাবী দুর্বল আখ্যা
দিয়েছেন)। এটিকে ইবনু হিববান (২৪৩১) ও আহমাদ (৪/৪৪৪) অন্য সূত্রে (আরবি) ভাষায় বর্ণনা
করেছেন। এ ভাষার সনদটি শাইখাইনের (বুখারী এবং মুসলিমের) শর্তানুযায়ী সহীহ্। )
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
· ১৪৯৬
وَعَنْ أَبي الفَضلِ العَبَّاسِ بنِ عَبدِ
المُطَّلِبِ رضي الله عنهقَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم
عَلِّمْنِي شَيْئاً أَسْألُهُ اللهَ تَعَالَى، قَالَ: «سَلوا اللهَ العَافِيَةَ»
فَمَكَثْتُ أَيَّاماً، ثُمَّ جِئْتُ فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه
وسلم عَلِّمْنِي شَيْئاً أَسْألُهُ الله تَعَالَى، قَالَ لي: «يَا عَبَّاسُ، يَا
عَمَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، سَلُوا اللهَ العَافِيَةَ في الدُّنيَا
وَالآخِرَةِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
আবূল
ফায্ল আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল!
আমাকে এমন জিনিস শিক্ষা দান করুন, যা মহান আল্লাহর কাছে চেয়ে নেব।’ তিনি বললেন,
“আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা চাও।” অতঃপর আমি কিছুদিন থেমে থাকার পর পুনরায় এসে বললাম,
‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেব।’ তিনি
আমাকে বললেন, “হে আব্বাস! হে আল্লাহর রসূলের চাচা! আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের
নিরাপত্তা প্রার্থনা কর।’’
(তিরমিযী ৩৫৯৪)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
· ১৪৯৭
وَعَنْ شَهْرِ بنِ حَوشَبٍ، قَالَ: قُلْتُ
لأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، يَا أُمَّ المُؤمِنِينَ، مَا كَانَ أَكثَرُ
دُعَاءِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِذَا كَانَ عِنْدَكِ ؟ قَالَتْ: كَانَ
أَكْثَرُ دُعَائِهِ: «يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» .
رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
শাহ্র
ইবনে হাওশাব হতে (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু
আনহা কে বললাম, হে মুমিন জননী! আল্লাহর রসূল যখন আপনার নিকট অবস্থান করতেন, তখন
কোন্ দুআ তিনি অধিক মাত্রায় পাঠ করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অধিকাংশ এই দুআ পড়তেন, ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি ষাব্বিত
ক্বালবী আলা দীনিক।’ অর্থাৎ, হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার
দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ।
(তিরমিযী ৩৫২২, আহমাদ
২৫৯৮০, ২৬০৩৬, ২৬১৩৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৪৯৮
وَعَنْ أَبِيْ الدَّردَاءِ رضي الله عنه،
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «كَانَ مِنْ
دُعَاءِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَلَام: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ، وَحُبَّ
مَنْ يُّحِبُّكَ، وَالْعَمَلَ الذِّيْ يُبَلِّغُنِيْ حُبَّكَ اَللهم اجْعَلْ
حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِن نَّفْسِيْ، وَأَهْلِيْ، وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ»
روَاهُ الترمذيُّ وَقَالَ: حديثٌ حسنٌ
আবুদ
দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: দাউদ (আঃ)-এর এতটি দুআ ছিল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা
হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাইয়্যুহিব্বুকা ওয়াল ‘আমালাল্লাযী ইউবাল্লিগুনী হুব্বাকা,
আল্লাহুম্মাজআল হুব্বাকা আহাব্বা ইলাইয়্যা মিন নাফসী ওয়া আহলী ওয়া মিনাল মাইল
বারিদ” (হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার ভালবাসা চাচ্ছি এবং সেই লোকের ভালবাসা
চাচ্ছি, যে তোমাকে ভালবাসে, আর এমন আমল চাচ্ছি, যা আমাকে তোমার ভালবাসার নিকট
পৌঁছিয়ে দিবে। হে আল্লাহ! আমার কাছে তোমার ভালবাসাকে আমার জীবন, আমার পরিবার-পরিজন
ও ঠাণ্ডা পানির চেয়ে অধিক প্রিয় কর)।
(তিরমিযী হাদিসটিকে
হাসান বলেছেন) (আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী এরূপই বলেছেন। অথচ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট
বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ হাদীসটির সনদে আব্দুল্লাহ্ ইবনু রাবী‘য়াহ্ দেমাস্কী রয়েছেন।
আর তিনি হচ্ছেন মাজহূল যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন।)
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
· ১৪৯৯
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «أَلِظُّوا بـ ( يَاذا
الجَلاَلِ والإكْرامِ )». رواه الترمذي، ورواه النسائي من رواية ربيعة بن عامِرٍ
الصحابي، قَالَ الحاكم: حديث صحيح الإسناد
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ইয়া যাল জালালি অলইকরাম!’ বাক্যটি আবশ্যিকভাবে বড্ড গুরুত্ব
দাও।” (তিরমিযী, নাসায়ী সাহাবী রাবীআহ বিন আমের থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকেম বলেছেন,
হাদিসটির সনদ সহীহ) ।
(তিরমিযী ৩৫২৪, ৩৫২৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫০০
وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَة رضي الله عنه
قَالَ: دَعَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِدُعَاءٍ
كَثِيْرٍ، لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئاً، قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ دَعَوْتَ
بِدُعَاءٍ كَثِيرٍْ لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئاً، فَقَالَ: «أَلَا أَدُلُّكُمْ
عَلىٰ مَا يَجْمَعُ ذَلِكَ كُلَّهُ ؟ تَقُوْلُ: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ
خَيْرِمَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ، َوأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا
اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحمَّدٌ، وَأَنْتَ المُسْتَعَانُ، وَعَلَيْكَ
الْبَلَاغُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ» رواهُ الترمذيُّ وقَالَ:
حديثٌ حَسَنٌ .
আবূ
উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) অগণিত দুআ করেছিলেন, তার কোনটি আমরা স্মরণ রাখতে পারলাম না। আমরা
বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ! আপনি অধিক সংখ্যক
দুআ করেছেন, তার কিছুই আমরা মনে রাখতে পারিনি। তিনি বললেন: তোমাদেরকে আমি কি এরূপ
একটি দুআ শিখিয়ে দেব না, যা সব দু’আকে সংযুক্ত করবে? তোমরা বল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী
আসআলুকা মিন খাইরি মা সাআলাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মাস্তা‘আযাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া আনতাল মুসতা‘আনু ওয়া আলাইকাল বালাগ, ওয়ালা হাওলা
ওয়ালা কুওওয়াতা, ইল্লা বিল্লাহ” (হে আল্লাহ! তোমার নিকট সেই সকল কল্যাণ কামনা
করছি, যা তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার নিকট
প্রার্থনা করেছেন। আর তোমার নিকট সেই সকল অকল্যাণ হতে আশ্রয় কামনা করছি যে সকল
অকল্যাণ হতে তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা
করেছেন। তুমিই সাহায্যকারী। তোমার নিকট সব পৌঁছে যাবে এবং তোমার সাহায্য ছাড়া
গুনাহ থেকে বিরত থাকার ও পুণ্য করার ক্ষমতা কারো নেই।
(তিরমিযী হাদিসটিকে
হাসান বলেছেন) (এ হাদীসটি দুর্বল। লাইস ইবনু আবী সুলাইমের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটার কারণে।
দেখুন “য‘ঈফা” (৩৩৫৬), “য‘ঈফু তিরমিযী” (৩৫২১) ও “য‘ঈফু আদাবিল মুফরাদ” (৬৭৯)। )
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
· ১৫০১
وَعَنِ ابْنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ:
كَانَ مِنْ دُعَاءِ رَسُوْلِ اللهصلى الله عليه وسلم: اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ
مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ
إِثْمٍ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالفَوْزَ بِالْجَنَّةِ، وَالنَّجَاةَ
مِنَ النَّارِ
আবদুল্লাহ
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি
দু‘আ ছিল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মুজিবাতি রহমাতিকা, ওয়া ‘আযাইমা
মাগফিরাতিকা, ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন ওয়াল গনীমাতা মিন কুল্লি বিররিন,
ওয়াল ফাওযা বিল জান্নাতি ওয়ান নাজাতা মিনান নার” (হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার
রাহমাত নির্ধারণকারী বিষয় প্রার্থনা করছি, তোমার মাগফিরাতের কার্যকারণসমূহ
প্রার্থনা করছি, আর (প্রার্থনা করছি) প্রতিটি গুনাহ হতে দূরে থাকা ও প্রতিটি নেকী
লাভ করা এবং জান্নাতের সাফল্য ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি)
(আমি (আলবানী) বলছিঃ
হাকিম এরূপই বলেছেন অথচ এর সনদের মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছেন যার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।
বিস্তারিত জানতে দেখুন “য‘ঈফা” (২৯০৮)। তিনি “য‘ঈফা” হাদীসটিকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
এর বর্ণনাকারী খালাফ ইবনু খালীফাহ্ হেফযের দিক থেকে বিতর্কিত ব্যক্তি। কেউ কেউ তাকে
মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী করেছেন। হাফিয যাহাবী তাকে “আয্যু‘য়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ
করেছেন। আর ইবনু ওয়াইনাহ্ বলেছেনঃ তিনি মিথ্যা বলেন। হাফিয ইবনু হাজার “আত্তাক্বরীব”
গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। দু‘আটির শুধুমাত্র
প্রথম (আরবি) এ অংশের সাথে মিল রয়েছে অবশিষ্ট অংশের মিল নেই এরূপ সহীহ্ হাদীস বর্ণিত
হয়েছে। দেখুন “সহীহাহ্” (৩২২৮))
হাদিসের মানঃদুর্বল হাদিস
·
পরিচ্ছেদ - ২৫১
কারো
পশ্চাতে তার জন্য দুআর ফযীলত
১৫০২
وَعَنْ أَبي الدرداء رضي الله عنه: أنَّه
سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَا مِنْ
عَبْدٍ مُسْلمٍ يَدْعُو لأَخِيهِ بِظَهْرِ الغَيْبِ إِلاَّ قَالَ المَلَكُ: وَلَكَ
بِمِثْل» . رواه مسلم
আবূ
দার্দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, “যখনই কোন মুসলিম বান্দা তার ভাইয়ের জন্য পশ্চাতে
অদৃশ্যে দুআ করে, তখনই তার (মাথার উপর নিযুক্ত) ফেরেশতা বলেন, ‘আর তোমার জন্যও
অনুরূপ।”
(মুসলিম ২৭৩২, ২৭৩৩,
আবূ দাউদ ১৫৩৪, ইবনু মাজাহ ২৮৯৫, আহমাদ ২১২০০, ২৭০১০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫০৩
وَعَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله
عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُوْلُ: «دَعْوَةُ المَرْءِ المُسْلِمِ
لأَخِيهِ بِظَهْرِ الغَيْبِ مُسْتَجَابَةٌ، عِنْدَ رَأسِهِ مَلَكٌ مُوَكَّلٌ
كُلَّمَا دَعَا لأَخِيهِ بِخَيْرٍ قَالَ المَلَكُ المُوَكَّلُ بِهِ: آمِينَ،
وَلَكَ بِمِثْلٍ». رواه مسلم
উক্ত
রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
বলতেন, কোন মুসলিম তার ভাইয়ের অবর্তমানে তার জন্য নেক দুআ করলে তা কবুল হয়। তার
মাথার নিকট একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য নেক দুআ করে,
তখনই ফেরেশতা বলেন, ‘আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ।”
(মুসলিম ২৭৩২, ২৭৩৩,
আবূ দাউদ ১৫৩৪, ইবনু মাজাহ ২৮৯৫, আহমাদ ২১২০০, ২৭০১০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
·
পরিচ্ছেদ - ২৫২
দুআ
সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়
১৫০৪
وَعَنْ أُسَامَةَ بنِ زَيدٍ رَضِيَ اللهُ
عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم :
«مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ، فَقَالَ لِفاعِلهِ: جَزَاكَ اللهُ خَيراً،
فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثَّنَاءِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
উসামাহ
ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তির জন্য কোন উপকার করা হল এবং সে উপকারকারীকে
‘জাযাকাল্লাহু খায়রা’ (অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দেন) বলে দুআ দিল, সে
নিঃসন্দেহে (উপকারীর) পূর্ণাঙ্গরূপে প্রশংসা করল।”
(তিরমিযী হাসান সহীহ)
(তিরমিযী ২০৩৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫০৫
وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنهقَالَ: قَالَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ تَدْعُوا عَلَى
أَنْفُسِكُمْ ؛ وَلاَ تَدعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ، وَلاَ تَدْعُوا عَلَى
أَموَالِكُمْ، لاَ تُوافِقُوا مِنَ اللهِ سَاعَةً يُسأَلُ فِيهَا عَطَاءً فَيَسْتَجِيبَ
لَكُمْ». رواه مسلم
জাবের
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, নিজেদের সন্তান-সন্ততির বিরুদ্ধে,
নিজেদের ধন-সম্পদের বিরুদ্ধে বদ্দু‘আ করো না (কেননা, হয়তো এমন হতে পারে যে,) তোমরা
আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন একটি সময় পেয়ে বস, যখন আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে,
তোমাদের জন্য তা কবূল ক‘রে নেবেন।”
(কাজেই বদ দুআও কবূল
হয়ে যাবে। অতএব এ থেকে সাবধান) । (মুসলিম ৩০০৯)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫০৬
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ
رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «أَقْرَبُ مَا
يَكُونُ العَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ». رواه
مسلم
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “বান্দা সিজদার অবস্থায় স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়।
অতএব তোমরা অধিক মাত্রায় (ঐ অবস্থায়) দুআ কর।”
(মুসলিম ৪৮২, নাসায়ী
১১৩৭, আবূ দাউদ ৫৭০, আহমাদ ৯১৬৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫০৭
وَعَنْهُ: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله
عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ:
يَقُوْلُ: قَدْ دَعْوتُ رَبِّي، فَلَمْ يَسْتَجِبْ لِي». متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ لمسلمٍ: «لاَ يَزالُ يُسْتَجَابُ لِلعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بإِثْمٍ،
أَوْ قَطيعَةِ رَحِمٍ، مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ». قيل: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله
عليه وسلم مَا الاِسْتِعْجَالُ ؟ قَالَ: «يَقُوْلُ: قَدْ دَعوْتُ، وَقَدْ
دَعَوْتُ، فَلَمْ أرَ يَسْتَجِيبُ لِي، فَيَسْتحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ
الدُّعَاءَ
উক্ত
রাবী থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের কোন ব্যক্তির দুআ গৃহীত হয়; যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো
করে; বলে, ‘আমার প্রভুর নিকট দুআ তো করলাম, কিন্তু তিনি আমার দুআ কবূল করলেন না।”
(সহীহুল বুখারী ৬৩৪০,
মুসলিম ২৭২৯, তিরমিযী ৩৩২৭, আবূ দাউদ ১৪৮৪, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৩, আহমাদ ৮৯০৩, ৯৯২৯, মুওয়াত্তা
মালিক ৪৯৫)
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “বান্দার দুআ ততক্ষণ পর্যন্ত কবূল করা হয়, যতক্ষণ সে গুনাহর
জন্য বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার জন্য দুআ না করে, আর যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে।” জিজ্ঞাসা
করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়ো মানে কি?’ তিনি বললেন, “দুআকারী বলে, ‘দুআ করলাম,
আবার দুআ করলাম, অথচ দেখলাম না যে, তিনি আমার দুআ কবূল করছেন।’ কাজেই সে তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত
হয়ে বসে পড়ে ও দুআ করা ত্যাগ করে দেয়।”
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫০৮
وَعَنْ أَبي أُمَامَة رضي الله عنه قَالَ:
قِيلَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَيُّ الدُّعاءِ أَسْمَعُ ؟ قَالَ:
«جَوْفَ اللَّيْلِ الآخِرِ، وَدُبُرَ الصَّلَواتِ المَكْتُوباتِ» . رواه الترمذي،وقال:
حديث حسن
আবূ
উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘কোন্ দুআ সর্বাধিক শোনা (কবূল করা) হয়?’ তিনি
বললেন, “রাত্রির শেষভাগে এবং ফরয নামাযসমূহের শেষাংশে।”
(তিরমিযী ৩৪৯৯)
হাদিসের মানঃহাসান হাদিস
· ১৫০৯
وَعَنْ عُبَادَةَ بنِ الصَّامِتِ رضي الله
عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَا عَلَى
الأَرْضِ مُسْلِمٌ يَدْعُو الله تَعَالَى بِدَعْوَةٍ إِلاَّ آتَاهُ اللهُ
إيَّاهَا، أَوْ صَرفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا، مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ،
أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ القَومِ: إِذاً نُكْثِرُ قَالَ: اللهُ
أكْثَرُ. رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
وَرَوَاهُ الحَاكِمُ مِنْ رِوَايَةِ أَبِي سَعِيدٍ وَزَادَ فِيهِ: أَوْ يَدَّخِرَ
لَهُ مِن الأَجْرِ مثْلَها
উবাদাহ
ইবনে স্বামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ধরার বুকে যে মুসলিম ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে দুআ করে (তা
ব্যর্থ যায় না); হয় আল্লাহ তা তাকে দেন অথবা অনুরূপ কোন মন্দ তার উপর থেকে অপসারণ
করেন; যতক্ষণ পর্যন্ত সে (দুআকারী) গুনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার দুআ না করবে।”
একটি লোক বলল, ‘তাহলে তো আমরা অধিক মাত্রায় দুআ করব।’ তিনি বললেন, “আল্লাহ
সর্বাধিক অনুগ্রহশীল”
(তিরমিযী ৩৫৭৩, আহমাদ
২২২৭৯ )
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১০
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ
عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُول اللهِ كَانَ يَقُوْلُ عِنْدَ الكَرْبِ: «لاَ إِلٰهَ
إِلاَّ اللهُ العَظِيمُ الحَلِيمُ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ العَرْشِ
العَظيمِ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ، وَرَبُّ الأَرْضِ، وَرَبُّ
العَرْشِ الكَرِيمِ». متفق عَلَيْهِ
ইবনে
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বিপদ ও কষ্টের সময় এই দুআ পড়তেন,
‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাববুল আরশিল
আযীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাববুস সামা-ওয়া-তি অরাব্বুল আরয্বি অরাব্বুল আরশিল
করীম।’
অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা‘বুদ নেই; যিনি সুমহান, সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোন
সত্য উপাস্য নেই; যিনি সুবৃহৎ আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য আরাধ্য নেই;
যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও সম্মানিত আরশের অধিপতি।
(সহীহুল বুখারী ৫৩৪৫,
৬৩৬৬, ৭৪২৬, ৭৪৩১, মুসলিম ২৭৩০, তিরমিযী ৩৪৩৫, ইবনু মাজাহ ৩৮৮৩, আহমাদ ২০১৩, ২২৯৭,
২৩৪০, ২৪০৭, ২৫২৭, ২৫৬৪, ৩১৩৭, ৩৩৪৪)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
·
পরিচ্ছেদ - ২৫৩
আল্লাহর
প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য
১৫১১
وَعَنْ أَبي مُحَمَّدٍ عَبدِ الرَّحْمَانِ
بنِ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفّةِ
كَانُوا أُنَاساً فُقَرَاءَ وَأَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً:
«مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ، فَلْيَذْهَبْ بثَالِثٍ، وَمنْ كَانَ
عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ، فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ» أَوْ كَمَا
قَالَ، وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ رضي الله عنه، جَاءَ بِثَلاَثَةٍ، وَانْطَلَقَ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بعَشَرَةٍ، وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ تَعَشَّى عِنْدَ
النَّبِيّ، ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صَلَّى العِشَاءَ، ثُمَّ رَجَعَ، فَجَاءَ بَعْدَ
مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللهُ . قَالَتِ امْرَأتُهُ: مَا حَبَسَكَ
عَنْ أَضْيَافِكَ ؟ قَالَ: أَوَمَا عَشَّيْتِهمْ ؟ قَالَتْ: أَبَوْا حَتَّى
تَجِيءَ وَقَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ، قَالَ: فَذَهَبتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ،
فَقالَ: يَا غُنْثَرُ، فَجَدَّعَ وَسَبَّ، وَقَالَ: كُلُوا لاَ هَنِيئاً وَاللهِ
لاَ أَطْعَمُهُ أَبَداً، قَالَ: وَايْمُ اللهِ مَا كُنَّا نَأخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ
إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسفَلِهَا أَكْثَرَ مِنهَا حَتَّى شَبِعُوا، وَصَارَتْ أَكْثَرَ
مِمَّا كَانَتْ قَبلَ ذَلِكَ، فَنَظَرَ إِلَيهَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ
لاِمرَأَتِهِ: يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا ؟ قَالَتْ: لاَ وَقُرَّةِ
عَينِيْ لَهِيَ الآنَ أَكثَرُ مِنهَا قَبلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مَرَّاتٍ ! فَأَكَلَ
مِنهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ: إنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيطَانِ، يَعنِيْ:
يَمِينَهُ . ثُمَّ أَكَلَ مِنهَا لُقْمَةً، ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ. وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ،
فَمَضَى الأَجَلُ، فَتَفَرَّقْنَا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً، مَعَ كُلِّ رَجُلٍ
مِنْهُمْ أُنَاسٌ، اللهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ فَأَكَلُوا مِنْهَا
أَجْمَعُونَ .
وَفِي رِوَايةٍ: فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَطْعَمُهُ، فَحَلَفَتِ المَرْأَةُ لاَ
تَطْعَمُهُ، فَحَلَفَ الضَّيْفُ . - أَو الأَضْيَافُ - أَنْ لاَ يَطْعَمُهُ أَوْ
يَطْعَمُوهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ
! فَدَعَا بِالطَّعَامِ فَأكَلَ وَأَكَلُوا، فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً
إِلاَّ رَبَتْ مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا، فَقَالَ: يَا أُخْتَ بَني فِرَاسٍ،
مَا هَذَا ؟ فَقَالَتْ: وَقُرَّةِ عَيْنِي إنَّهَا الآنَ لأَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ
أنْ نَأكُلَ، فَأكَلُوا، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبيِّ، فَذَكَرَ أنَّهُ أكَلَ
مِنْهَا .
وَفِي رِوايَةٍ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَانِ: دُونَكَ
أَضْيَافَكَ، فَإِنِّي مُنْطَلِقٌ إِلَى النَّبيِّ، فَافْرُغْ مِنْ قِرَاهُم
قَبْلَ أَنْ أَجِيءَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمانِ، فَأَتَاهُمْ بِمَا
عِنْدَهُ، فَقَالَ: اِطْعَمُوا ؛ فَقَالُوا: أَينَ رَبُّ مَنْزِلِنا ؟ قَالَ:
اِطْعَمُوا، قَالُوا: مَا نحنُ بِآكِلِينَ حَتَّى يَجِيءَ رَبُّ مَنْزِلِنَا،
قَالَ: اقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ، فَإِنَّهُ إِنْ جَاءَ وَلَمْ تَطْعَمُوا،
لَنَلْقَيَنَّ مِنْهُ فَأبَوْا، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يَجِدُ عَلَيَّ، فَلَمَّا
جَاءَ تَنَحَّيْتُ عَنْهُ، فَقَالَ: مَا صَنَعْتُمْ ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: يَا
عَبْدَ الرَّحمانِ، فَسَكَتُّ: ثُمَّ قَالَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمانِ، فَسَكَتُّ،
فَقَالَ: يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوتِي لَمَا
جِئْتَ ! فَخَرَجْتُ، فَقُلْتُ: سَلْ أَضْيَافَكَ، فَقَالُوا: صَدَقَ، أَتَانَا
بِهِ، فَقَالَ: إِنَّمَا انْتَظَرْتُمُونِي وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ .
فَقَالَ الآخَرُونَ: وَاللهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ فَقَالَ:
وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ لاَ تَقْبَلُونَ عَنَّا قِرَاكُمْ ؟ هَاتِ طَعَامَكَ،
فَجَاءَ بِهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ فَقَالَ: بِسْمِ اللهِ، الأُولَى مِنَ
الشَّيْطَانِ، فَأَكَلَ وَأَكَلُوا. متفق عَلَيْهِ
আবূ
মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে আবূ বাক্র সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আসহাবে সুফ্ফাহ’ (তৎকালীন মসজিদে নববীতে একটি
ছাউনিবিশিষ্ট ঘর ছিল। সেখানে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
তত্ত্বাবধানে কিছু সাহাবা আশ্রয় গ্রহণ করতেন ও বসবাস করতেন। তাঁরা গরীব মানুষ
ছিলেন। একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “যার কাছে
দু’জনের আহার আছে সে যেন (তাদের মধ্য থেকে) তৃতীয় জনকে সাথে নিয়ে যায়। আর যার নিকট
চারজনের আহারের অবস্থা আছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ জনকে সাথে নিয়ে যায়।” আবূ
বাক্র রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দশজনকে সাথে নিয়ে গেলেন। আবূ বাক্র
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু রাসূলুল্লাহর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং এশার নামায পর্যন্ত
সেখানে অবস্থান করেন। এশার নামাযের পর তিনি পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ঘরে ফিরে আসেন এবং আল্লাহর ইচ্ছামত রাতের কিছু সময়
অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, ‘বাইরে কিসে আপনাকে
আটকে রেখেছিল?’ তিনি বললেন, ‘তুমি এখনো তাঁদেরকে খাবার দাওনি?’ স্ত্রী বললেন,
‘আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে রাজি হলেন না। তাঁদের সামনে খাবার দেওয়া হয়েছিল,
তাঁরা তা খাননি।’ আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, (পিতার তিরস্কারের
ভয়ে) আমি লুকিয়ে গেলাম। তিনি (রাগান্বিত হয়ে) বলে উঠলেন, ‘ওরে মূর্খ!’ অতঃপর নাক
কাটা ইত্যাদি বলে গালাগালি করলেন এবং (মেহমানদের উদ্দেশ্যে) বললেন, ‘আপনারা
স্বচ্ছন্দে খান, আল্লাহর কসম! আমি মোটেই খাব না।’
আব্দুর রহমান (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমরা লুকমা (খাদ্য-গ্রাস) উঠিয়ে নিতেই নীচ
থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ‘সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ
পূর্বের চেয়ে বেশি খাবার রয়ে গেল।’ আবূ বাক্র রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু খাবারের
দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে বললেন, ‘হে বনু ফিরাসের বোন! এ কি?’ তিনি বললেন, ‘আমার চোখের
প্রশান্তির কসম! এ তো পূর্বের চেয়ে তিনগুণ বেশি!’ সুতরাং আবূ বাক্র রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, ‘আমার (খাব না বলে) সে কসম শয়তানের
পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’ তারপর তিনি আরও খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবারে নিয়ে গেলেন। ভোর পর্যন্ত সে খাবার তাঁর নিকটেই ছিল।
এদিকে আমাদের এবং অন্য একটি গোত্রের মাঝে যে চুক্তি ছিল তার সময়সীমা পূর্ণ হয়ে
যায়। (এবং তারা মদিনায় আসে।) অতঃপর আমরা তাদেরকে তাদের বারো জনের নেতৃত্বে ভাগ
ক‘রে দিই। প্রত্যেকের সাথেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যেকের সাথে কতজন ছিল তা
আল্লাহই বেশি জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য আহার করে।
অন্য বর্ণনায় আছে, আবূ বাক্র ‘খাবেন না’ বলে কসম করলেন, তা দেখে তাঁর স্ত্রীও
‘খাবেন না’ বলে কসম করলেন। আর তা দেখে মেহমানরাও তিনি সঙ্গে না খেলে ‘খাবেন না’
বলে কসম করলেন! আবূ বাক্র বললেন, ‘এ সব (কসম) শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি
খাবার আনতে বলে নিজে খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। তাঁরা যখনই লুকমা (খাদ্য-গ্রাস)
উঠিয়ে খাচ্ছিলেন, তখনই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। আবূ বাক্র
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু (স্ত্রীকে) বললেন, ‘হে বনু ফিরাসের বোন! এ কি?’ স্ত্রী
বললেন, ‘আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এখন এ তো খেতে শুরু করার আগের চেয়ে অধিক
বেশি!’ সুতরাং সকলেই খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর দরবারে পাঠিয়ে দিলেন। আব্দুর রহমান বলেন, ‘তিনি তা হতে খেলেন।’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আবূ বাক্র আব্দুর রহমানকে বললেন, ‘তোমার মেহমান নাও। (তুমি
তাদের খাতির কর) আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট যাচ্ছি। আমার
ফিরে আসার আগে আগেই তুমি (খাইয়ে) তাঁদের খাতির সম্পন্ন করো।’ সুতরাং আব্দুর রহমান
তাঁর নিকট যে খাবার ছিল, তা নিয়ে তাঁদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আপনারা খান।’
কিন্তু মেহমানরা বললেন, ‘আমাদের বাড়ি-ওয়ালা কোথায়?’ তিনি বললেন, ‘আপনারা খান।’
তাঁরা বললেন, ‘আমাদের বাড়ি-ওয়ালা না আসা পর্যন্ত আমরা খাব না।’ আব্দুর রহমান
বললেন, ‘আপনারা আমাদের তরফ থেকে মেহমান-নেওয়াযী গ্রহণ করুন। কারণ তিনি এসে যদি
দেখেন যে, আপনারা খাননি, তাহলে অবশ্যই আমরা তাঁর নিকট থেকে (বড় ভৎর্সনা) পাব।’
কিন্তু তাঁরা (খেতে) অস্বীকার করলেন।
(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি বুঝে নিলাম যে, তিনি আমার উপর খাপ্পা হবেন। অতঃপর
তিনি এলে আমি তাঁর নিকট থেকে সরে গেলাম। তিনি বললেন, ‘ কি করেছ তোমরা?’ তাঁরা
তাঁকে ব্যাপারটা খুলে বললেন। অতঃপর তিনি ডাক দিলেন, ‘আব্দুর রহমান!’ আব্দুর রহমান
নিরুত্তর থাকলেন। তিনি আবার ডাক দিলেন, ‘আব্দুর রহমান?’ কিন্তু তখনও তিনি নীরব
থাকলেন। তারপর আবার বললেন, ‘এ বেওকুফ! আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, যদি তুমি আমার ডাক
শুনতে পাচ্ছ, তাহলে এসে যাও।’
(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি (বাধ্য হয়ে) বের হয়ে এলাম। বললাম, ‘আপনি আপনার
মেহমানদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, (আমি তাঁদেরকে খেতে দিয়েছিলাম কি না?)’ তাঁরা
বললেন, ‘ও সত্যই বলেছে। ও আমাদের কাছে খাবার নিয়ে এসেছিল। (আমরাই আপনার অপেক্ষায়
খাইনি।)’ আবূ বাক্র রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বললেন, ‘তোমরা আমার অপেক্ষা করে বসে
আছ। কিন্তু আল্লাহর কসম! আজ রাতে আমি আহার করব না।’ তাঁরা বললেন, ‘আল্লাহর কসম!
আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না।’ তিনি বললেন, ‘ধিক্কার তোমাদের প্রতি!
তোমাদের কি হয়েছে যে, আমাদের পক্ষ থেকে মেহমান-নেওয়াযী গ্রহণ করবে না?’ (অতঃপর আব্দুর
রহমানের উদ্দেশ্য বললেন,) ‘নিয়ে এস তোমার খাবার।’ তিনি খাবার নিয়ে এলে আবূ বাক্র
তাতে হাত রেখে বললেন, ‘ বিস্মিল্লাহ। প্রথম (রাগের অবস্থায় কসম) ছিল শয়তানের পক্ষ
থেকে।’ সুতরাং তিনি খেলেন এবং মেহমানরাও আহার করলেন।
(সহীহুল বুখারী ৬০২,
৩৫৮১, ৬১৪০, ৬১৪১, মুসলিম ২০৫৭, আবূ দাউদ ৩২৭০, আহমাদ ১৭০৪)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১২
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ:
قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لَقَدْ كَانَ فِيمَا
قَبْلَكُمْ مِنَ الأُمَمِ نَاسٌ مُحَدَّثُوْنَ، فَإنْ يَكُ فِي أُمَّتِي أَحَدٌ
فَإِنَّهُ عُمَرُ» . رواه البخاري ورواه مسلم من رواية عائشة . وفي روايتهما قَالَ
ابن وهب: «مُحَدَّثُونَ» أَيْ مُلْهَمُونَ .
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির মধ্যে অনেক ‘মুহাদ্দাস’ লোক ছিল।
যদি আমার উম্মতের মধ্যে কেউ ‘মুহাদ্দাস’ থাকে, তাহলে সে হল উমার।”
(বুখারী সহীহুল বুখারী
৩৪৬৯, ৩৬৮৯, মুসলিম ২৩৯৮, তিরমিযী ৩৬৯৩, আহমাদ ২৩৭৬৪, ৮২৬৩)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১৩
وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ
عَنْهُمَا، قَالَ: شَكَا أَهْلُ الكُوفَةِ سَعْداً يَعنِي: ابنَ أَبي وَقَّاصٍ رضي
الله عنه، إِلَى عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه فَعَزَلَهُ، وَاسْتَعْمَلَ
عَلَيْهِمْ عَمَّاراً، فَشَكَوا حَتَّى ذَكَرُوا أَنَّهُ لاَ يُحْسِنُ يُصَلِّي،
فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَبَا إسْحَاقَ، إنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ
أَنَّكَ لاَ تُحْسِنُ تُصَلِّي، فَقَالَ: أَمَّا أَنَا وَاللهِ فَإنِّي كُنْتُ
أُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لاَ أَخْرِمُ عَنْها،
أُصَلِّي صَلاَتَي العِشَاءِ فَأَرْكُدُ فِي الأُولَيَيْنِ، وَأُخِفُّ فِي
الأُخْرَيَيْنِ . قَالَ: ذَلِكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ، وَأَرْسَلَ
مَعَهُ رَجُلاً - أَوْ رِجَالاً - إِلَى الكُوفَةِ يَسْأَلُ عَنْهُ أَهْلَ
الكُوفَةِ، فَلَمْ يَدَعْ مَسْجِداً إِلاَّ سَأَلَ عَنْهُ، وَيُثْنُونَ
مَعْرُوفاً، حَتَّى دَخَلَ مَسْجِداً لِبَنِي عَبْسٍ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ،
يُقَالُ لَهُ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ، يُكَنَّى أَبَا سَعْدَةَ، فَقَالَ: أَمَا
إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّ سَعْداً كَانَ لاَ يَسِيرُ بِالسَّرِيَّةِ وَلاَ
يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ، وَلاَ يَعْدِلُ فِي القَضِيَّةِ . قَالَ سَعْدٌ: أَمَا
وَاللهِ لأَدْعُوَنَّ بِثَلاَثٍ: اَللهم إِنْ كَانَ عَبْدُكَ هَذَا كَاذِباً،
قَامَ رِيَاءً، وَسُمْعَةً، فَأَطِلْ عُمُرَهُ، وَأَطِلْ فَقْرَهُ، وَعَرِّضْهُ
لِلْفِتَنِ . وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا سُئِلَ يَقُوْلُ: شَيْخٌ كَبيرٌ
مَفْتُونٌ، أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعدٍ رضي الله عنه . قَالَ عَبدُ المَلِكِ بنُ
عُمَيْرٍ الرَّاوِي عَن جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ بَعْدُ قَدْ
سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ مِنَ الكِبَرِ، وَإِنَّهُ لَيَتَعَرَّضُ
لِلْجَوارِي فِي الطُّرُقِ فَيَغْمِزُهُنَّ . متفق عَلَيْهِ
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কুফাবাসীরা উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে
সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ক‘রে বলল, ‘সে ভালভাবে নামায
পড়তে জানে না।’ কাজেই তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন এবং (যখন তিনি উমার (রাঃ)-এর কাছে
হাযির হলেন, তখন) তিনি তাঁকে বললেন, ‘হে ইসহাকের পিতা! ওরা বলছে যে, তুমি
উত্তমভাবে নামায আদায় কর না।’ জবাবে তিনি বললেন, ‘যাই হোক, আল্লাহর কসম! আমি তো
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নামাযের মত নামায পড়াই, তা থেকে
(একটুও) কম করি না। যোহর ও আসরের দুই নামাযের প্রথম দু’ রাকআতে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম
করি এবং দ্বিতীয় দু-রাকআতকে সংক্ষিপ্ত করি।’ উমার (রাঃ) (এ কথা শুনে বললেন,)
‘ইসহাকের পিতা! তোমার সম্পর্কে ঐ ধারণাই ছিল।’ পরে তিনি তাঁর সঙ্গে একজন বা কয়েকজন
লোক কূফা নগরীতে প্রেরণ করলেন। যাতে করে কূফা নগরীর প্রতিটি মসজিদে গিয়ে সা’দ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সুতরাং প্রত্যেক মসজিদেই তাঁর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা
করতে লাগল এবং সকলেই তাঁর প্রশংসা করল। শেষ পর্যন্ত যখন তারা বনু আব্সার মসজিদে
উপনীত হল। তখন সেখানে আবূ সা’দাহ উসামাহ ইবনে ক্বাতাদাহ নামক এক ব্যক্তি উঠে
দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, ‘যখন আপনারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসাই করলেন, তখন (প্রকাশ করে দিচ্ছি
শুনুন,) সা’দ সেনা বাহিনীর সঙ্গে (জিহাদে) যান না, নায্যভাবে (কোন জিনিস) বণ্টন
করেন না এবং ইনসাফের সাথে বিচার করেন না।’ সা’দ তখন (জবাবে) বলে উঠলেন, ‘আল্লাহর
কসম! আমি অবশ্যই তিনটি বদ্দুআ করব: হে আল্লাহ! যদি তোমার বান্দা মিথ্যাবাদী হয়,
রিয়া (লোক প্রদর্শন হেতু) ও খ্যাতির জন্য এভাবে দণ্ডায়মান হয়ে থাকে, তাহলে তুমি ওর
আয়ু দীর্ঘ ক‘রে দাও এবং ওর দরিদ্রতা বাড়িয়ে দাও এবং ওকে ফিতনার কবলে ফেল।’ (বাস্তবিক
তার অবস্থা ঐরূপই হয়েছিল।) সুতরাং যখন তাকে (কুশল) জিজ্ঞাসা করা হত, তখন উত্তরে
বলত, ‘অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি এবং ফিত্নায় পতিত হয়েছি; সা’দের বদ্দুআ আমাকে লেগে
গেছে।’
জাবের ইবনে সামুরাহ থেকে বর্ণনাকারী আব্দুল মালেক বিন উমাইর বলেন, ‘আমি পরে তাকে
দেখেছি যে, সে অত্যন্ত বার্ধক্যের কারণে তার চোখের ভ্রূগুলি চোখের উপরে লটকে পড়েছে
আর রাস্তায় রাস্তায় দাসীদেরকে উত্যক্ত করত ও আঙ্গুল বা চোখ দ্বারা তাদেরকে ইশারা
করত।’
(সহীহুল বুখারী ৭৫৫,
৭৫৮, ৭৭০, ৩৭২৮, ৫৪১২, ৬৪৫৩, মুসলিম ৪৫৩, ২৯৬৬, তিরমিযী ২৩৬৫, নাসায়ী ১০০২, ১০০৩, আবূ
দাউদ ৮০৩, ইবনু মাজাহ ১৩১, আহমাদ ১৫১৩, ১৫৫১, ১৫৬০)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১৪
وَعَنْ عُروَةَ بنِ الزُّبَيرِرَضِيَ اللهُ
عَنْه: أَنَّ سَعِيدَ بنَ زَيدِ بنِ عَمرِو بنِ نُفَيلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْه،
خَاصَمَتْهُ أَرْوَى بِنْتُ أَوْسٍ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الحَكَمِ، وَادَّعَتْ
أَنَّهُ أَخَذَ شَيْئاً مِنْ أَرْضِهَا، فَقَالَ سَعِيدٌ: أَنَا كُنْتُ آخُذُ
شَيئاً مِنْ أَرْضِهَا بَعْدَ الَّذِي سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه
وسلم !؟ قَالَ: مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ:
سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَنْ
أَخَذَ شِبْراً مِنَ الأَرْضِ ظُلْماً، طُوِّقَهُ إِلَى سَبْعِ أَرْضِينَ» فَقَالَ
لَهُ مَرْوَانُ: لاَ أَسْألُكَ بَيِّنَةً بَعْدَ هَذَا، فَقَالَ سَعِيدٌ: اَللهم
إنْ كَانَتْ كَاذِبَةً، فَأَعْمِ بَصَرَها، وَاقْتُلْهَا فِي أَرْضِهَا، قَالَ:
فَمَا مَاتَتْ حَتَّى ذَهَبَ بَصَرُهَا، وَبَيْنَمَا هِيَ تَمْشِي فِي أَرْضِهَا
إِذْ وَقَعَتْ فِي حُفْرَةٍ فَماتَتْ . متفق عَلَيْهِ
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ عَن مُحَمَّدِ بنِ زَيدِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ
رضي الله عنه بِمَعْنَاهُ، وَأَنَّهُ رَآهَا عَمْيَاءَ تَلْتَمِسُ الجُدُرَ
تَقُوْلُ: أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعِيدٍ، وَأنَّهَا مَرَّتْ عَلَى بِئرٍ فِي
الدَّارِ الَّتي خَاصَمَتْهُ فِيهَا، فَوَقَعَتْ فِيهَا، وكانتْ قَبْرَها .
উরওয়াহ
বিন যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আম্র ইবনে নুফাইল
(রাঃ)-এর বিরুদ্ধে আরওয়া বিন্তে আওস নামক এক মহিলা মারওয়ান ইবনে হাকামের দরবারে
মোকাদ্দামা পেশ করল; সে দাবি জানাল যে, ‘সাঈদ আমার কিছু জমি আত্মসাৎ করেছেন।’ সাঈদ
বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে (এ বিষয়ে ধমক)
শোনার পরও কি আমি তার কিছু জমি দাবিয়ে নিতে পারি?’ মারওয়ান বললেন, ‘আপনি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে কি (ধমক) শুনেছেন?’ তিনি
বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে,
“যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি দাবিয়ে নেবে, (কিয়ামতের দিনে) সাত তবক
জমিন তার গলায় লটকে দেওয়া হবে।” এ কথা শুনে মারওয়ান বললেন, ‘এরপর আমি আপনার কাছে
কোন প্রমাণ তলব করব না।’ সুতরাং সাঈদ (বাদী পক্ষীয়) মহিলার প্রতি বদ্দুআ করে
বললেন, ‘হে আল্লাহ! এ মহিলা যদি মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে ওর চক্ষু অন্ধ করে দাও এবং
ওকে ওর জমিতেই মৃত্যু দাও।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘মহিলাটির মৃত্যুর পূর্বে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে গিয়েছিল এবং একবার
সে নিজ জমিতে চলছিল। হঠাৎ একটি গর্তে পড়ে মারা গেল।’
(সহীহুল বুখারী ৩১৯৮,
মুসলিম ১৬১০, তিরমিযী ১৪১৮, আহমাদ ১৬৩১, ১৬৩৬, ১৬৫২, দারেমী ২৬০৬)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১৫
وَعَنْ جَابِرِ بنِ عَبدِ اللهِ رَضِيَ
اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ أُحُدٌ دعَانِي أَبي مِنَ اللَّيلِ
فَقَالَ: مَا أُرَاني إِلاَّ مَقْتُولاً فِي أَوَّلِ مَنْ يُقْتَلُ مِنْ أَصْحَابِ
النَّبِيِّ، وَإِنِّي لاَ أَتْرُكُ بَعْدِي أَعَزَّ عَلَيَّ مِنْكَ غَيْرَ نَفْسِ
رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَإِنَّ عَلَيَّ دَيْناً فَاقْضِ، وَاسْتَوْصِ
بِأَخَوَاتِكَ خَيْراً، فَأَصْبَحْنَا، فَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ، وَدَفَنْتُ
مَعَهُ آخَرَ فِي قَبْرِهِ، ثُمَّ لَمْ تَطِبْ نَفْسِي أَنْ أَتْرُكَهُ مَعَ
آخَرَ، فَاسْتَخْرَجْتُهُ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، فَإِذَا هُوَ كَيَوْمِ
وَضَعْتُهُ غَيْرَ أُذنِهِ، فَجَعَلْتُهُ فِي قَبْرٍ عَلَى حِدَةٍ . رواه البخاري
জাবের
ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উহুদের যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয়। রাতে আমাকে আমার
পিতা ডেকে বললেন, ‘আমার মনে হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
সহচরবৃন্দের মধ্যে যারা সর্বপ্রথম শহীদ হবেন, আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পর, তোমাকে ছাড়া ধরা-পৃষ্ঠে
প্রিয়তম আর কাউকে ছেড়ে যাচ্ছি না। আমার উপর ঋণ আছে, তা পরিশোধ ক‘রে দেবে। তোমার
বোনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে।’ সুতরাং যখন আমরা ভোরে উঠলাম, তখন দেখলাম যে,
সর্বপ্রথম উনিই শাহাদত বরণ করেছেন। আমি তাঁর সাথে আর এক ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করলাম।
তারপর অন্যজনকে তাঁর সঙ্গে একই কবরে দাফন করাতে আমার মনে শান্তি হল না। সুতরাং
ছয়মাস পর আমি তাঁকে কবর হতে বের করলাম। (দেখা গেল) তার কান ব্যতীত (তার দেহ)
সেদিনকার মত অবিকল ছিল, যেদিন তাকে কবরে রাখা হয়েছিল। অতঃপর আমি তাকে একটি আলাদা
কবরে দাফন করলাম।
(সহীহুল বুখারী ১৩৪৩,
১৩৪৫, ১৩৪৬, ১৩৪৮, ১৩৫১, ১৩৫২, ১৩৫৩, তিরমিযী ১০৩৬, নাসায়ী ১৯৫৫, ২০২১, আবূ দাউদ ৩১৩৮,
ইবনু মাজাহ ১৫১৪, আহমাদ ১৩৭৭৭)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১৬
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه:أَنَّ
رَجُلَينِ مِنْ أَصحَابِ النَّبِيِّ، خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ، فِي
لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ وَمَعَهُمَا مِثْلُ المِصْبَاحَيْنِ بَيْنَ أَيْديهِمَا.
فَلَمَّا افْتَرَقَا، صَارَ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَاحِدٌ حَتَّى أَتَى
أَهْلَهُ. رواهُ البُخاري مِنْ طُرُقٍ؛ وفي بَعْضِهَا أنَّ الرَّجُلَيْنِ أُسَيْدُ
بنُ حُضير، وَعَبّادُ بنُ بِشْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا.
আনাস
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
সাহাবীর মধ্য থেকে দু’জন সাহাবী অন্ধকার রাতে তাঁর নিকট হতে বাইরে গমন করেন। আর
তাঁদের আগে আগে প্রদীপের ন্যায় কোন আলো বিদ্যমান ছিল। পরে যখন তাঁরা একে অপর থেকে
আলাদা হয়ে গেলেন, তখনও প্রত্যেকের সঙ্গে আলো ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রত্যেকে নিজ
নিজ গৃহে পৌঁছে গেলেন। (এটিকে বুখারী কয়েকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কোন কোন বর্ণনায়,
ঐ দুই সাহাবীর নাম ছিল, উসাইদ ইবনে হুযাইর ও আববাদ ইবনে বিশ্র। রায্বিয়াল্লাহু
আনহুমা।)
(সহীহুল বুখারী ৪৬৫,
৩৬৩৯, ৩৮০৫, আহমাদ ১১৯৯৬, ১২৫৬৮, ১৩৪৫৮ )
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১৭
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ:
بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَشْرَةَ رَهْطٍ
عَيْناً سَرِيَّة، وَأَمَّرَ عَلَيْهَا عَاصِمَ بنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ،
فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالهَدْأَةِ ؛ بَيْنَ عُسْفَانَ وَمَكَّةَ ؛
ذُكِرُوا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْل يُقالُ لَهُمْ: بَنُو لِحيَانَ، فَنَفَرُوا لَهُمْ
بِقَرِيبٍ مِنْ مِئَةِ رَجُلٍ رَامٍ، فَاقْتَصُّوا آثَارَهُمْ، فَلَمَّا أَحَسَّ
بِهِمْ عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ، لَجَأُوْا إِلَى مَوْضِعٍ، فَأَحَاطَ بِهِمُ
القَوْمُ، فَقَالُوا: انْزِلُوا فَأَعْطُوا بِأَيْدِيكُمْ وَلَكُمُ العَهْدُ
وَالمِيثَاقُ أَنْ لاَ نَقْتُلَ مِنْكُمْ أَحَداً . فَقَالَ عَاصِمُ بنُ ثَابِتٍ
رضي الله عنه: أَيُّهَا القَوْمُ، أَمَّا أَنَا، فَلاَ أَنْزِلُ عَلَى ذِمَّةِ
كَافِرٍ: اَللهم أَخْبِرْ عَنَّا نَبِيَّكَ، فَرَمَوهُمْ بِالنّبْلِ فَقَتلُوا
عَاصِماً، وَنَزَلَ إِلَيْهِمْ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ عَلَى العَهْدِ وَالمِيثاقِ،
مِنْهُمْ خُبَيْبٌ، وَزَيدُ بنُ الدَّثِنَةِ وَرَجُلٌ آخَرُ. فَلَمَّا
اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ أَطْلَقُوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ، فَرَبطُوهُمْ بِهَا .
قَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ: هَذَا أَوَّلُ الغَدْرِ وَاللهِ لاَ أَصْحَبُكُمْ
إنَّ لِي بِهَؤُلاَءِ أُسْوَةً، يُرِيدُ القَتْلَى، فَجَرُّوهُ وعَالَجُوهُ،
فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ، فَقَتَلُوهُ، وَانْطَلَقُوا بِخُبَيبٍ، وَزَيْدِ بنِ
الدَّثِنَةِ، حَتَّى بَاعُوهُمَا بِمَكَّةَ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ ؛ فَابْتَاعَ
بَنُو الحارِثِ بنِ عامِرِ بنِ نَوْفَلِ بنِ عبدِ مَنَافٍ خُبيباً، وَكَانَ
خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الحَارِثَ يَوْمَ بَدْرٍ . فَلِبثَ خُبَيْبٌ عِنْدَهُمْ
أَسِيراً حَتَّى أَجْمَعُوا عَلَى قَتْلِهِ، فاسْتَعَارَ مِنْ بَعْضِ بَنَاتِ
الحَارثِ مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ، فَدَرَجَ بُنَيٌّ لَهَا وَهِيَ
غَافِلَةٌ حَتَّى أَتَاهُ، فَوَجَدَتهُ مُجْلِسَهُ عَلَى فَخْذِهِ وَالمُوسَى
بِيَدِهِ، فَفَزِعَتْ فَزْعَةً عَرَفَهَا خُبَيْبٌ . فَقَالَ: أَتَخَشَيْنَ أَنْ
أَقْتُلَهُ مَا كُنْتُ لأَفْعَلَ ذَلِكَ ! قَالَتْ: وَاللهِ مَا رَأيْتُ أَسِيراً
خَيراً مِنْ خُبَيْبٍ، فَوَاللهِ لَقَدْ وَجَدْتُهُ يَوْماً يَأكُلُ قِطْفاً مِنْ
عِنَبٍ فِي يَدِهِ وَإِنَّهُ لَمُوثَقٌ بِالحَدِيدِ وَمَا بِمَكَّةَ مِنْ
ثَمَرَةٍ، وَكَانَتْ تَقُولُ: إِنَّهُ لَرِزْقٌ رَزَقَهُ اللهُ خُبَيْباً .
فَلَمَّا خَرَجُوا بِهِ مِنَ الحَرَمِ لِيَقْتُلُوهُ فِي الحِلِّ، قَالَ لَهُمْ
خُبَيْبٌ: دَعُونِي أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، فَتَرَكُوهُ، فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ
فَقَالَ: وَاللهِ لَوْلاَ أَنْ تَحْسَبُوا أَنَّ مَا بِي جَزَعٌ لَزِدْتُ: اَللهم
أَحْصِهِمْ عَدَداً، وَاقْتُلهُمْ بِدَدَاً، وَلاَ تُبْقِ مِنْهُمْ أَحَداً .
وَقَالَ:
فَلَسْتُ أُبَالِي حِيْنَ أُقْتَلُ مُسْلِماً * عَلَى أيِّ جَنْبٍ كَانَ للهِ
مَصْرَعِي
وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ * يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ
مُمَزَّعِ
وَكَانَ خُبَيبٌ هُوَ سَنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ قُتِلَ صَبْراً الصَّلاَةَ .
وَأَخْبَرَ - يَعنِي: النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - أَصْحَابَهُ يَوْمَ
أُصِيبُوا خَبَرَهُمْ، وَبَعَثَ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى عَاصِمِ بنِ ثَابِتٍ
رضي الله عنه حِيْنَ حُدِّثُوا أَنَّهُ قُتِلَ أَنْ يُؤْتَوا بِشَيءٍ مِنْهُ
يُعْرَفُ، وكَانَ قَتَلَ رَجُلاً مِنْ عُظَمَائِهِمْ، فَبَعَثَ اللهُ لِعَاصِمٍ
مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنَ الدَّبْرِ فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ، فَلَمْ يَقْدِرُوا
أَنْ يَقْطَعُوا مِنْهُ شَيْئاً . رواه البخاري
আবূ
হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম (মুশরিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য) আসেম ইবনে সাবেত আনসারীর
নেতৃত্বে একটি গুপ্তচরের দল কোথাও পাঠালেন। যেতে যেতে তাঁরা উসফান ও মক্কার
মধ্যবর্তী হাদ্আহ নামক স্থানে পৌঁছলে হুযায়ল গোত্রের একটি শাখা বানী লিহইয়ানের
নিকট তাঁদের আগমনের কথা জানিয়ে দেওয়া হল। এ সংবাদ পাওয়ার পর তারা প্রায় একশজন
তীরন্দাজ সমভিব্যাহারে তাঁদের প্রতি ধাওয়া করল। দলটি তাদের (মুসলিম গোয়েন্দা দলের)
পদচিহ্ন অনুসরণ করতে লাগল। আসেম ও তাঁর সাথীগণ বুঝতে পেরে একটি (উঁচু) জায়গায়
(পাহাড়ে) আশ্রয় নিলেন। এবার শত্রুদল তাঁদেরকে ঘিরে ফেলল এবং বলল, ‘নেমে এসে
আত্মসমর্পণ কর, তোমাদের জন্য (নিরাপত্তার) প্রতিশ্রুতি রইল; তোমাদের কাউকে আমরা
হত্যা করব না।’ আস্বেম ইবন সাবেত বললেন, ‘আমি কোন কাফেরের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত
হয়ে এখান থেকে অবতরণ করব না। হে আল্লাহ! আমাদের এ সংবাদ তোমার নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট পৌঁছিয়ে দাও।’ অতঃপর তারা মুসলিম গোয়েন্দা-দলের প্রতি
তীর বর্ষণ করতে শুরু করল। তারা আস্বেমকে শহীদ ক‘রে দিল। আর তাঁদের মধ্যে তিনজন
তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নেমে এলেন। তাঁরা হলেন, খুবাইব, যায়দ ইবন দাসিনাহ ও
অন্য একজন (আব্দুল্লাহ ইবন ত্বারিক) । অতঃপর তারা তাঁদেরকে কাবু ক‘রে ফেলার পর
নিজেদের ধনুকের তার খুলে তার দ্বারা তাঁদেরকে বেঁধে ফেলল। এ দেখে তাঁদের সাথে
তৃতীয় সাহাবী (আব্দুল্লাহ) বললেন, ‘এটা প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর কসম! আমি
তোমাদের সাথে যাব না। ঐ শহীদগণই আমার আদর্শ।’ কিন্তু তারা তাঁকে তাদের সাথে নিয়ে
যাওয়ার জন্য বহু টানা-হেঁচড়া করল এবং বহু চেষ্টা করল। কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে
যেতে অস্বীকার করলেন। অবশেষে কাফেরগণ তাঁকে শহীদ ক‘রে দিল এবং খুবাইব ও যায়দ ইবন
দাসিনাকে বদর যুদ্ধের পরে মক্কার বাজারে গিয়ে বিক্রি করে দিল। বনী হারেস বিন আমের
বিন নাওফাল বিন আব্দে মানাফ গোত্রের লোকেরা খুবাইবকে ক্রয় ক‘রে নিলো। আর খুবাইব
বদর যুদ্ধের দিন হারেসকে হত্যা করেছিলেন। তাই তিনি তাদের নিকট বেশ কিছুদিন বন্দী
অবস্থায় কাটালেন। অবশেষে তারা তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে একমত হল। একদা তিনি নাভির
নীচের লোম পরিষ্কার করার জন্য হারেসের কোন এক কন্যার নিকট থেকে একখানা ক্ষুর
চাইলেন। সে তাঁকে তা দিল। সে অন্যমনস্ক থাকলে তার একটি শিশু বাচ্চা (খেলতে খেলতে)
তাঁর নিকট চলে গেল। অতঃপর সে খুবাইবকে দেখল যে, তিনি বাচ্চাটাকে নিজের উরুর উপর
বসিয়ে রেখেছেন এবং ক্ষুরটি তাঁর হাতে রয়েছে। এতে সে ভীষণভাবে ঘাবড়ে গেল। খুবাইব তা
বুঝতে পেরে বললেন, ‘একে হত্যা করে ফেলব ভেবে তুমি কি ভয় পাচ্ছ? আমি তা করব না।’
(পরবর্তী কালে মুসলিম হওয়ার পর) হারেসের উক্ত কন্যা বর্ণনা করেন যে, ‘আল্লাহর কসম!
আমি খুবাইব অপেক্ষা উত্তম বন্দী আর কখনও দেখিনি। আল্লাহর কসম! আমি তাঁকে একদিন
আঙ্গুরের থোকা থেকে আঙ্গুর খেতে দেখেছি। অথচ তখন মক্কায় কোন ফলই ছিল না। অধিকন্তু
তিনি তখন লোহার শিকলে আবদ্ধ ছিলেন। এ আঙ্গুর তাঁর জন্য আল্লাহর তরফ থেকে প্রদত্ত
রিয্ক ছাড়া আর কিছুই নয়।’
অতঃপর তাঁকে হত্যা করার জন্য যখন হারামের বাইরে নিয়ে গেল, তখন তিনি তাদেরকে বললেন,
‘আমাকে দু’ রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ দাও।’ সুতরাং তারা তাঁকে ছেড়ে দিল এবং
তিনি দু’ রাকআত নামায আদায় করলেন। (নামায শেষে তিনি তাদেরকে) বললেন, ‘আমি মৃত্যুর
ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি, তোমরা যদি এ কথা মনে না করতে, তাহলে আমি (নামাযকে) আরও
দীর্ঘায়িত করতাম।’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ! তাদেরকে এক এক করে গুণে রাখ,
তাদেরকে বিক্ষিপ্তভাবে ধ্বংস কর এবং তাদের মধ্যে কাউকেও বাকী রেখো না।
তারপর তিনি আবৃত্তি করলেন,
‘যেহেতু আমি মুসলিম হিসাবে মৃত্যুবরণ করছি
তাই আমার কোন পরোল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোন পার্শ্বে আমি লুটিয়ে পড়ি।
আমি যেহেতু আল্লাহর পথেই মৃত্যুবরণ করছি,
আর তিনি ইচ্ছা করলে আমার ছিন্নভিন্ন প্রতিটি অঙ্গে বরকত দান করতে পারেন।’
খুবাইবই প্রথম ছিলেন, যিনি প্রত্যেক সেই মুসলিমের জন্য (হত হওয়ার পূর্বে দুই
রাকআত) নামায সুন্নত ক‘রে যান, যাকে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়।
এদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবাবর্গকে সেই দিনই তাঁদের খবর
জানালেন, যেদিন তাঁদেরকে হত্যা করা হয়।
অপর দিকে কুরাইশের কিছু লোক আস্বেম ইবন সাবেতের খুন হওয়া শুনে সে ব্যাপারে নিশ্চিত
হওয়ার জন্য তাঁর মৃতদেহ থেকে পরিচিত কোন অংশ নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠিয়ে দিল। আর
তিনি বদর যুদ্ধের দিন তাদের একজন বড় নেতাকে হত্যা করেছিলেন। তখন আল্লাহ মেঘের মত
এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন; যা তাদের প্রেরিত লোকদের হাত থেকে আস্বেমের লাশকে রক্ষা
করল। সুতরাং তারা তাঁর দেহ থেকে কোন অংশ কেটে নিতে সক্ষম হল না।
(সহীহুল বুখারী ৩০৪৫,
৩৯৮৯, ৩৮০৮৬, ৭৪০২, আবূ দাউদ ২৬৬০, আহমাদ ৭৮৬৯, ৮০৩৫)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
· ১৫১৮
وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا،
قَالَ: مَا سَمِعْتُ عُمَرَ رضي الله عنه يَقُوْلُ لِشَيءٍ قَطُّ: إِنِّي
لأَظُنُّهُ كَذَا، إِلاَّ كَانَ كَمَا يَظُنُّ . رواه البخاري
ইবনে
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “যখনই কোন বিষয়ে আমি উমার (রাঃ)-কে
বলতে শুনতাম, ‘আমার মনে হয়, এটা এই হবে’ তখনই (দেখতাম) বাস্তবে তাই হত; যা তিনি
ধারণা করতেন!”
(সহীহুল বুখারী ৩৮৬৪,
৩৮৬৫, ৩৮৬৬)
হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস
No comments