রাহে বেলায়াত তৃতীয় অধ্যায় - অনুচ্ছেদ-১১ এবং ১২, প্রথম পর্বঃ সকালের যিকর-ওযীফা - ৮. সালাতই সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর - (ঘ). সাজদার যিকর
অনুচ্ছেদ-১১ প্রথম পর্বঃ সকালের যিকর-ওযীফা - ৮. সালাতই সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর - (ঘ). সাজদার যিকর
ইতোপূর্বে বিভিন্ন হাদীস থেকে আমরা জেনেছি যে, সাজদার মধ্যে আল্লাহর তাসবীহ ও মর্যাদা প্রকাশ এবং বেশি বেশি দু‘আ করা প্রয়োজন।
যিকর নং ৫৬ : সাজদার যিকর
(سبحان ربي الأعلى)
উচ্চারণঃ সুব-হা-না রাব্বিয়াল আ’লা।
অর্থঃ “মহাপবিত্র আমার প্রভু যিনি সর্বোচ্চ।”
অর্থের দিকে খেয়াল রেখে আবেগ ও ভক্তির সাথে এই তাসবীহগুলি বলতে হবে।
এছাড়া বিভিন্ন তাসবীহ ও দু‘আ রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে সাজদার মধ্যে বলতেন ও বলতে শিখিয়েছেন। উপরে রুকুর তাসবীহের মধ্যে উল্লেখ করেছি যে তিনি “সুববূহুন কুদ্দূসুন রাব্বুল মালাইকতি ওয়ার রূহ” রুকু ও সাজাদায় বলতেন। সাজদার আরো দুটি দু‘আ আমি ইতোপূর্বে (২৪ ও ২৫ নং যিকর) উল্লেখ করেছি।
অনুচ্ছেদ-১২ প্রথম পর্বঃ সকালের যিকর-ওযীফা - ৮. সালাতই সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর - (ঙ) দুই সাজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের যিকর
দুই সাজদার মাঝে পরিপূর্ণ স্থির হয়ে অন্তত কয়েক মুহূর্ত বসা ওয়াজিব। পরিপর্ণূ সোজা হয়ে বসার পূর্বেই দ্বিতীয় সাজদায় চলে গেলে সালাত নষ্ট হয়ে যাবে। এই সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন দু’আ করতেন বলে বর্ণিত হয়েছে।
যিকর নং ৫৭ : দুই সাজদার মাঝে বৈঠকের যিকর-১
رب اغفر لي رب اغفر لي
উচ্চারণঃ রাব্বিগ-ফিরলী, রাব্বিগ-ফিরলী।
অর্থ: “হে আমার প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন, হে আমার প্রভু, আমাকে ক্ষমা করুন।”
হুযাইফা (রাঃ) বলেন, “নবীজী (সা.) দুই সাজদার মাঝে বসে এই কথা বলতেন।”[1]
যিকর
নং
৫৮
: দুই সাজদার মাঝে বৈঠকের যিকর-২
رب اغفر لي وارحمني واجبرني واهدني
وارزقني - وارفعني
উচ্চারণ: রাব্বিগ-
ফিরলী,
ওয়ার’হামনী,
ওয়াজবুরনী,
ওয়াহদিনী,
ওয়ারযুকনী
[ওয়ার
ফাঅ্নী]।
অর্থ: “হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, রহমত করুন, আমাকে পূর্ণতা দান করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমাকে রিযিক দান করুন [এবং আমাকে সুউচ্চ করুন]।”
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) দুই সাজাদার মাঝে বসে এই দু’আ বলতেন।”[2]
[1] হাদিসটি
সহীহ।
সুনানি
ইবনি
মাজাহ
১/২৮৯, নং ৮৯৭, সহীহ
সুনানু
ইবনি
মাজাহ
১/২৭০, নং ৭৪০/৯০৬।
[2] হাদিসটি
গ্রহণযোগ্য
বলে গণ্য।
সুনানুত
তিরমিযী
২/৭৬, নং ২৮৪, সুনানু
ইবনি
মাজাহ
১/২৯০, নং ৮৯৮, সহীহ
সুনানু
ইবনি
মাজাহ
১/২৭০, জামিউল
উসূল
৪/২০৩, যাকারিয়া,
আল-ইখবার,
পৃ. ৪৩।
No comments