সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "হজ্জ" হাদিস নং -১৭০১ থেকে ১৭৫০

বকরীর গলায় কিলাদা ঝুলান।

১৭০১

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَهْدَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً غَنَمًا
‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর জন্য বকরী পাঠালেন। (১৭৯৬)
(আঃপ্রঃ ১৫৮৩, ইঃফাঃ ১৫৯০)

১৭০২

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَفْتِلُ الْقَلاَئِدَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيُقَلِّدُ الْغَنَمَ وَيُقِيمُ فِي أَهْلِهِ حَلاَلاً

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর (কুরবানীর পশুর) কিলাদাগুলো পাকিয়ে দিতাম আর তিনি তা বকরীর গলায় পরিয়ে দিতেন। এরপর তিনি নিজ পরিবারে হালাল অবস্থায় থেকে যেতেন। (১৭৯৬)
(আঃপ্রঃ ১৫৮৪, ইঃফাঃ ১৫৯১)

১৭০৩

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَفْتِلُ قَلاَئِدَ الْغَنَمِ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَبْعَثُ بِهَا ثُمَّ يَمْكُثُ حَلاَلاً
‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বকরীর কিলাদা পাকিয়ে দিতাম আর তিনি সেগুলো পাঠিয়ে দিয়ে হালাল অবস্থায় থেকে যেতেন। (১৭৯৬)
(আঃপ্রঃ ১৫৮৫, ইঃফাঃ ১৫৯২)

১৭০৪

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فَتَلْتُ لِهَدْيِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَعْنِي الْقَلاَئِدَ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ
‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি, তাঁর ইহ্‌রাম বাঁধার আগে। (১৭৯৬)
(আঃপ্রঃ ১৫৮৫, ইঃফাঃ ১৫৯৩)

২৫/১১১. অধ্যায়ঃ

পশম বা তুলার কিলাদা (মালা)

১৭০৫

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ فَتَلْتُ قَلاَئِدَهَا مِنْ عِهْنٍ كَانَ عِنْدِي
উম্মুল মুমিনীন [‘আয়েশা (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছে যে পশম ছিল আমি তা দিয়ে কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি।(১৭৯৬)
(আঃপ্রঃ ১৫৮৭, ইঃফাঃ ১৫৯৪)

২৫/১১২. অধ্যায়ঃ

জুতার কিলাদা লটকানো।

১৭০৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً قَالَ ارْكَبْهَا قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ رَاكِبَهَا يُسَايِرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالنَّعْلُ فِي عُنُقِهَا تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে একটি কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিতে দেখে বললেনঃ এর উপর সওয়ার হয়ে যাও। লোকটি বলল, এটি কুরবানীর উট। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর উপর সওয়ার হয়ে যাও। বর্ণনাকারী বলেন, আমি লোকটিকে দেখেছি যে, সে ঐ পশুটির পিঠে চড়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাথে চলছিল আর পশুটির গলায় জুতার মালা ঝুলানো ছিল। মুহাম্মাদ ইব্‌নু বাশ্‌শার (রহঃ) এ বর্ণনার অনুসরণ করেছেন। ‘উসমান ইব্‌নু ‘উমর (রহঃ)… আবূ হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। (১৬৮৯)
(আঃপ্রঃ ১৫৮৮, ইঃফাঃ ১৫৯৫)

২৫/১১৩. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর উটের পিঠে আচ্ছাদন পরানো।
ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) শুধু কুঁজের স্থানের ঝুল ফেড়ে দিতেন। আর তা নহর করার সময় নষ্ট করে দেয়ার আশঙ্কায় ঝুলটি খুলে নিতেন এবং পরে তা সদাকাহ করে দিতেন।

১৭০৭

حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَتَصَدَّقَ بِجِلاَلِ الْبُدْنِ الَّتِي نَحَرْتُ وَبِجُلُودِهَا
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে যবেহকৃত কুরবানীর উটের পৃষ্ঠের আবরণ এবং তার চামড়া সদাকাহ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
( ১৭১৬, ১৭১৭, ১৭১৮, ২২৯৯)(আঃপ্রঃ ১৫৮৯, ইঃফাঃ ১৫৯৬)

২৫/১১৪. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি রাস্তা হতে কুরবানীর জন্তু ক্রয় করে ও তার গলায় কিলাদা বাঁধে।

১৭০৮

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ قَالَ أَرَادَ ابْنُ عُمَرَالْحَجَّ عَامَ حَجَّةِ الْحَرُورِيَّةِ فِي عَهْدِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ وَنَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ فَقَالَ {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} إِذًا أَصْنَعَ كَمَا صَنَعَ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي أَوْجَبْتُ عُمْرَةً حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلاَّ وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ جَمَعْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَةٍ وَأَهْدَى هَدْيًا مُقَلَّدًا اشْتَرَاهُ حَتَّى قَدِمَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَوْمِ النَّحْرِ فَحَلَقَ وَنَحَرَ وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَهُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ بِطَوَافِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ كَذَلِكَ صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইব্‌নু যুবাইরের খিলাফতকালে খারিজীদের হজ্জ আদায়ের বছর ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) হজ্জ পালন করার ইচ্ছা করেন। তখন তাঁকে বলা হল, লোকেদের মাঝে পরস্পর লড়াই সংঘটিত হতে যাচ্ছে, আর তারা আপনাকে বাধা দিতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করি। ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বললেন, (আল্লাহ তা’আলা বলেছেন) “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ”- (আল-আহযাবঃ ২১)। কাজেই আমি সেরূপ করব যেরূপ করেছিলেন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী করে বলছি, আমি আমার উপর ‘উমরাহ ওয়াজিব করে ফেলেছি। এরপর বায়দার উপকণ্ঠে পৌঁছে তিনি বললেন, হজ্জ এবং ‘উমরাহ’র ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী করে বলছি, ‘উমরাহ’র সাথে আমি হজ্জকেও একত্রিত করলাম। এরপর তিনি কিলাদা পরিহিত কুরবানীর জানোয়ার নিয়ে চললেন, যেটি তিনি আসার পথে কিনেছিলেন। অতঃপর তিনি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা’ঈ করলেন। তাছাড়া অতিরিক্ত কিছু করেননি এবং সে সব বিষয় হতে হালাল হননি যেসব বিষয় তাঁর উপর হারাম ছিল- কুরবানীর দিন পর্যন্ত। তখন তিনি মাথা মুড়ালেন এবং কুরবানী করলেন। তাঁর মতে প্রথম তাওয়াফ দ্বারা হজ্জ ও ‘উমরাহ’র তাওয়াফ সম্পন্ন হয়েছে। এ সব করার পর তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করেছেন। (১৬৩৯)
(আঃপ্রঃ ১৫৯০, ইঃফাঃ ১৫৯৭)

২৫/১১৫. অধ্যায়ঃ

স্ত্রীদের পক্ষ হতে তাদের আদেশ ছাড়াই স্বামী কর্তৃক গরু কুরবানী করা।

১৭০৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ لاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ إِذَا طَافَ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَنْ يَحِلَّ قَالَتْ فَدُخِلَ عَلَيْنَا يَوْمَ النَّحْرِ بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقُلْتُ مَا هَذَا قَالَ نَحَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَزْوَاجِهِ قَالَ يَحْيَى فَذَكَرْتُهُ لِلْقَاسِمِ فَقَالَ أَتَتْكَ بِالْحَدِيثِ عَلَى وَجْهِهِ
‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যিল-কা’দাহ মাসের পাঁচ দিন বাকী থাকতে আমরা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হজ্জ আদায় করা ব্যতীত আমাদের অন্য কোন ইচ্ছা ছিল না। যখন আমরা মক্কার কাছাকাছি পৌঁছলাম, তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করলেনঃ যার সাথে কুরবানীর জানোয়ার নেই সে যেন বাইতুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সা’ঈ করে হালাল হয়ে যায়। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, কুরবানীর দিন আমাদের কাছে গরুর গোশ্‌ত আনা হলে আমি বললাম, এ কী? তারা বলল, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে কুরবানী করেছেন। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীসখানা কাসিমের নিকট আলোচনা করলে তিনি বললেন, সঠিকভাবেই তিনি হাদীসটি তোমার কাছে বর্ণনা করেছেন। (২৯৪)
(আঃপ্রঃ ১৫৯১, ইঃফাঃ ১৫৯৮)

২৫/১১৬. অধ্যায়ঃ

মিনাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানী করার জায়গায় কুরবানী করা।

১৭১০

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ سَمِعَ خَالِدَ بْنَ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يَنْحَرُ فِي الْمَنْحَرِ قَالَ عُبَيْدُ اللهِ مَنْحَرِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কুরবানীর স্থানে কুরবানী করতেন। ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, (অর্থাৎ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর স্থানে। (৯৮২)
(আঃপ্রঃ ১৫৯২, ইঃফাঃ ১৫৯৯)

১৭১১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَكَانَ يَبْعَثُ بِهَدْيِهِ مِنْ جَمْعٍ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ حَتَّى يُدْخَلَ بِهِ مَنْحَرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَعَ حُجَّاجٍ فِيهِمْ الْحُرُّ وَالْمَمْلُوكُ
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) মুযদালিফা হতে শেষ রাতের দিকে হাজীদের সাথে, যাদের মধ্যে আযাদ ও ক্রীতদাস থাকত, নিজ কুরবানীর জানোয়ার পাঠিয়ে দিতেন, যাতে তা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর স্থানে পৌঁছে যায়। (৯৮২)
(আঃপ্রঃ ১৫৯৩, ইঃফাঃ ১৬০০)

২৫/১১৭. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি নিজ হস্তে কুরবানী করে।

১৭১২

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسٍ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ وَنَحَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ سَبْعَ بُدْنٍ قِيَامًا وَضَحَّى بِالْمَدِينَةِ كَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ مُخْتَصَرًا
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে সাতটি উট দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কুরবানী করেন এবং মদীনাতেও হৃষ্টপুষ্ট শিং বিশিষ্ট সুন্দর দু’টি দুম্বা তিনি কুরবানী করেছেন। এখানে হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। (১০৮৯)
(আঃপ্রঃ ১৫৯৪, ইঃফাঃ ১৬০১)

২৫/১১৮. অধ্যায়ঃ

বাঁধা অবস্থায় উট কুরবানী করা।

১৭১৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَأَتَى عَلَى رَجُلٍ قَدْ أَنَاخَ بَدَنَتَهُ يَنْحَرُهَا قَالَ ابْعَثْهَا قِيَامًا مُقَيَّدَةً سُنَّةَ مُحَمَّدٍ وَقَالَ شُعْبَةُ عَنْ يُونُسَ أَخْبَرَنِي زِيَادٌ
যিয়াদ ইব্‌নু জুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ)-কে দেখেছি যে, তিনি আসলেন এমন এক ব্যক্তির নিকট, যে তার নিজের উটটিকে নহর করার জন্য বসিয়ে রেখেছিল। ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বললেন, সেটি উঠিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় বেঁধে নাও। (এ) মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন যে,] শু’বাহ্ (রহঃ) ইউনুস সূত্রে যিয়াদ (রহঃ) হতে হাদীসটি (আরবি) শব্দ দিয়ে বর্ণনা করেন।
(আঃপ্রঃ ১৫৯৫, ইঃফাঃ ১৬০২)

২৫/১১৯. অধ্যায়ঃ

উটকে দাঁড় করিয়ে কুরবানী করা।
ইব্‌নু ‘উমর (রহঃ) বলেন, তা-ই মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, (কুরআনের শব্দ) (আরবি) এর অর্থ দাঁড় করিয়ে (কুরবানী করা)।

১৭১৪

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ فَبَاتَ بِهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَجَعَلَ يُهَلِّلُ وَيُسَبِّحُ فَلَمَّا عَلاَ عَلَى الْبَيْدَاءِ لَبَّى بِهِمَا جَمِيعًا فَلَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ أَمَرَهُمْ أَنْ يَحِلُّوا وَنَحَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ سَبْعَ بُدْنٍ قِيَامًا وَضَحَّى بِالْمَدِينَةِ كَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাতে যোহর চার রাক’আত এবং যুল হুলাইফাতে ‘আস্‌র দু’রাক’আত আদায় করলেন এবং এখানেই রাত যাপন করলেন। ভোর হলে তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করে তাহ্‌লীল ও তাসবীহ পাঠ করতে লাগলেন। এরপর বায়দায় যাওয়ার পর তিনি হজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়ের জন্য তালবিয়া পাঠ করেন এবং মক্কায় প্রবেশ করে তিনি সাহাবাদের ইহ্‌রাম খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। আর (সে হজ্জে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতটি উট দাঁড় করিয়ে নিজ হাতে কুরবানী করেন আর মদীনাতে হৃষ্টপুষ্ট শিং বিশিষ্ট সুন্দর দু’টি ভেড়া কুরবানী দেন। (১০৮৫)
(আঃপ্রঃ ১৫৯৬, ইঃফাঃ ১৬০৩)

১৭১৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ وَعَنْ أَيُّوبَ عَنْ رَجُلٍ عَنْ أَنَسٍ ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ فَصَلَّى الصُّبْحَ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ الْبَيْدَاءَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ
আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাতে যোহর চার রাক’আত এবং যুল-হুলাইফাতে ‘আসর দু’ রাক’আত আদায় করেন। আইয়ূব (রহঃ) এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, এরপর তিনি সেখানে রাত যাপন করেন। ভোর হলে তিনি ফজরের সালাত আদায় করার পর সওয়ারীতে আরোহণ করেন। সওয়ারী বায়দায় পৌঁছে সোজা হয়ে দাঁড়ালে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়ের জন্য তালবিয়া পাঠ করেন। (১০৮৯)
(আঃপ্রঃ ১৫৯৭, ইঃফাঃ ১৬০৪)

২৫/১২০. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর জন্তুর কিছুই কসাইকে দেয়া যাবে না।

১৭১৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ قَالَ بَعَثَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُمْتُ عَلَى الْبُدْنِ فَأَمَرَنِي فَقَسَمْتُ لُحُومَهَا ثُمَّ أَمَرَنِي فَقَسَمْتُ جِلاَلَهَا وَجُلُودَهَا

قَالَ سُفْيَانُ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْكَرِيمِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ قَالَ أَمَرَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقُومَ عَلَى الْبُدْنِ وَلاَ أُعْطِيَ عَلَيْهَا شَيْئًا فِي جِزَارَتِهَا
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে পাঠালেন, আমি কুরবানীর জানোয়ারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম, অতঃপর তিনি আমাকে আদেশ করলেন। আমি ওগুলোর গোশ্‌ত বণ্টন করে দিলাম। এরপর তিনি আমাকে আদেশ করলেন। আমি এর পিঠের আবরণ এবং চামড়াগুলোও বিতরণ করে দিলাম। (১৭০৭) (আঃপ্রঃ ১৫৯৮, ইঃফাঃ ১৬০৫)
------------
১৭১৬ (মীম). ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আদেশ করলেন কুরবানীর জানোয়ারের পাশে দাঁড়াতে এবং এর হতে পারিশ্রমিক হিসেবে কসাইকে কিছু না দিতে। (১৭০৭)
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫৯৮ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৬০৫ শেষাংশ)

২৫/১২১. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর পশুর চামড়া সদাকাহ করা।

১৭১৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ وَعَبْدُ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيُّ أَنَّ مُجَاهِدًا أَخْبَرَهُمَا أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَنْ يَقْسِمَ بُدْنَهُ كُلَّهَا لُحُومَهَا وَجُلُودَهَا وَجِلاَلَهَا وَلاَ يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا شَيْئًا
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিজের কুরবানীর জানোয়ারের পাশে দাঁড়াতে আর এগুলোর সমুদয় গোশ্‌ত, চামড়া এবং পিঠের আবরণসমূহ বিতরণ করতে নির্দেশ দেন এবং তা হতে যেন কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই না দেয়া হয়। (১৭০৭)
(আঃপ্রঃ ১৫৯৯, ইঃফাঃ ১৬০৬)

২৫/১২২. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর পশুর পিঠের আচ্ছাদন সদাকাহ করা।

১৭১৮

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا يَقُولُ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى أَنَّ عَلِيًّا حَدَّثَهُ قَالَ أَهْدَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِائَةَ بَدَنَةٍ فَأَمَرَنِي بِلُحُومِهَا فَقَسَمْتُهَا ثُمَّ أَمَرَنِي بِجِلاَلِهَا فَقَسَمْتُهَا ثُمَّ بِجُلُودِهَا فَقَسَمْتُهَا
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর একশ’ উট পাঠান এবং আমাকে গোশত সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন। আমি তা বণ্টন করে দিলাম। এরপর তিনি তার পিঠের আবরণ সম্বন্ধে আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি তা বণ্টন করে দিলাম। অতঃপর তিনি আমাকে চামড়া সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন, আমি তা বণ্টন করে দিলাম। (১৭০৭) (আঃপ্রঃ ১৬০০, ইঃফাঃ ১৬০৭)

২৫/১২৩. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণী
“যখন আমি ইব্রাহীমকে কা’বা গৃহের স্থান নির্ধারণ করে বলেছিলাম যে, আমার সাথে কোন কিছু শরীক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখ তাওয়াফকারীদের জন্য, সালাতে দণ্ডায়মান লোকেদের জন্য, রুকু’কারী ও সিজদাকারীদের জন্য এবং মানুষের মধ্যে হজ্জের জন্য ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সব ধরনের দুর্বল উটের পিঠে সাওয়ার হয়ে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে। যাতে তারা উপস্থিত হতে পারে তাদের কল্যাণময় স্থানে এবং তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সে সব চতুষ্পদ জন্তু যবহ করার সময় যা তাদেরকে তিনি রিজিক হিসেবে দান করেছেন। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং বিপন্ন, অভাবগ্রস্ত কেও খাওয়াও। তারপর তারা যেন দূর করে ফেলে নিজেদের শরীরের অপরিচ্ছন্নতা এবং নিজেদের মানৎ পূর্ণ করে ও প্রাচীন কা’বাগৃহের তাওয়াফ করে। এটাই বিধান। আর যে কেউ আল্লাহর পবিত্র অনুষ্ঠান সমূহের মর্যাদা রক্ষা করে তার জন্য তা হবে তার রবের কাছে উত্তম। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু। ঐগুলো ছাড়া যা তোমাদেরকে পাঠ করে শুনানো হয়েছে। সুতরাং তোমরা দূরে থাক মূর্তি পূজার অপবিত্রতা হতে এবং দূরে থাক মিথ্যা কথা হতে।” (আল-হাজ্জঃ ২৬-৩০)

২৫/১২৪. অধ্যায়ঃ

কী পরিমাণ কুরবানীর গোশত ভক্ষণ করবে এবং কী পরিমাণ সদাকাহ করবে?
‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ) নাফি’ (রহঃ) সূত্রে ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। শিকারের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ এবং মানতের জন্য যে জানোয়ার যবহ করা হয়, তা খাওয়া যাবে না। এছাড়া অন্যান্য সব কুরবানীর গোশ্‌ত খাওয়া যাবে। ‘আত্বা (রহঃ) বলেন, তামাত্তু’র কুরবানীর গোশত খেতে পারবে এবং (অন্যকেও) খাওয়াতে পারবে।

১৭১৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ حَدَّثَنَا عَطَاءٌ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ كُنَّا لاَ نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلاَثِ مِنًى فَرَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ فَقَالَ كُلُوا وَتَزَوَّدُوا فَأَكَلْنَا وَتَزَوَّدْنَا قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَقَالَ حَتَّى جِئْنَا الْمَدِينَةَ قَالَ لاَ
জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আমাদের কুরবানীর গোশ্‌ত মিনা’র তিন দিনের বেশি খেতাম না। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অনুমতি দিলেন এবং বললেনঃ খাও এবং সঞ্চয় করে রাখ। তাই আমরা খেলাম এবং সঞ্চয়ও করলাম। রাবী বলেন, আমি ‘আত্বা (রহঃ)-কে বললাম, জাবির (রাঃ) কি বলেছেন আমরা মদীনায় আসা পর্যন্ত? তিনি বললেন, না।
(২৯৮০,৫৪২৪,৫৫৬৭, মুসলিম ৩৫/৫, হাঃ১৯৭২, আহমাদ ১৪৪১৯) (আঃপ্রঃ ১৬০১, ইঃফাঃ ১৬০৮)

১৭২০

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ حَدَّثَتْنِي عَمْرَةُ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ وَلاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى إِذَا دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ يَحِلُّ قَالَتْ عَائِشَةُ فَدُخِلَ عَلَيْنَا يَوْمَ النَّحْرِ بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقِيلَ ذَبَحَ النَّبِيُّ عَنْ أَزْوَاجِهِ قَالَ يَحْيَى فَذَكَرْتُ هَذَا الْحَدِيثَ لِلْقَاسِمِ فَقَالَ أَتَتْكَ بِالْحَدِيثِ عَلَى وَجْهِهِ
‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যুল-কা’দার পাঁচ দিন অবশিষ্ট থাকতে আমরা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হজ্জ ব্যাতীত আমরা অন্য কিছু উদ্দেশ্য করিনি, অবশেষে আমরা যখন মক্কার নিকটে পৌঁছলাম, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করলেনঃ যার সাথে কুবানীর জানোয়ার নেই সে যেন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করে হালাল হয়ে যায়। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, এরপর কুরবানীর দিন আমাদের কাছে গরুর গোশত পাঠানো হল। আমি বললাম, এ কী? বলা হল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের তরফ হতে কুরবানী করেছেন। ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) বলেন, আমি কাসিম (রহঃ)-এর নিকট হাদীসটি উল্লেখ করলে তিনি বললেন, ‘আমরাহ্‌ (রহঃ) হাদীসটি ঠিক ভাবেই তোমার নিকট বর্ণনা করেছেন। (২৯৪)
(আঃপ্রঃ ১৬০২, ইঃফাঃ ১৬০৯)

২৫/১২৫. অধ্যায়ঃ

মাথা মুণ্ডানোর পূর্বে কুরবানী করা।

১৭২১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَوْشَبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا مَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَمَّنْ حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ وَنَحْوِهِ فَقَالَ لاَ حَرَجَ لاَ حَرَجَ
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সে ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল, যে মাথা কামানোর আগে কুরবানী অথবা অনুরূপ কোন কাজ করেছে। তিনি বললেনঃ এতে কোন দোষ নেই, এতে কোন দোষ নেই। (৮৪)
(আঃপ্রঃ ১৬০৩, ইঃফাঃ ১৬১০)

১৭২২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زُرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ لاَ حَرَجَ قَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ لاَ حَرَجَ قَالَ ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ لاَ حَرَجَ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحِيمِ الرَّازِيُّ عَنْ ابْنِ خُثَيْمٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنِي ابْنُ خُثَيْمٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ عَفَّانُ أُرَاهُ عَنْ وُهَيْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ خُثَيْمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ وَقَالَ حَمَّادٌ عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ وَعَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আমি কঙ্কর মারার আগেই তাওয়াফে যিয়ারত করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই। সাহাবী পুনরায় বললেন, আমি যবহ করার আগেই মাথা কামিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই। সাহাবী আবারও বললেন, আমি কঙ্কর মারার আগেই কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই। ‘আবদুর রহীম ইব্‌নু সুলাইমান রাযী, কাসিম ইব্‌নু ইয়াহইয়া ও ‘আফ্‌ফান (রহঃ)....ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন। হাম্মাদ (রহঃ)... জাবির (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন।

(৮৪, মুসলিম ১৫/৫৭, হাঃ ১৩০৭, আহমাদ ২৩৩৮) (আঃপ্রঃ ১৬০৪, ইঃফাঃ ১৬১১)

১৭২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَمَيْتُ بَعْدَ مَا أَمْسَيْتُ فَقَالَ لاَ حَرَجَ قَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ قَالَ لاَ حَرَجَ
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হল, সন্ধ্যার পর আমি কঙ্কর মেরেছি। তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই। সে আবার বলল, কুরবানী করার আগেই আমি মাথা কামিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ এতো কোন দোষ নেই। (৮৪)
(আঃপ্রঃ ১৬০৫, ইঃফাঃ ১৬১২)

১৭২৪

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ أَحَجَجْتَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ بِمَا أَهْلَلْتَ قُلْتُ لَبَّيْكَ بِإِهْلاَلٍ كَإِهْلاَلِ النَّبِيِّ قَالَ أَحْسَنْتَ انْطَلِقْ فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ نِسَاءِ بَنِي قَيْسٍ فَفَلَتْ رَأْسِي ثُمَّ أَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ فَكُنْتُ أُفْتِي بِهِ النَّاسَ حَتَّى خِلاَفَةِ عُمَرَ فَذَكَرْتُهُ لَهُ فَقَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللهِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُنَا بِالتَّمَامِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَحِلَّ حَتَّى بَلَغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বাতহা নামক স্থানে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। তিনি বললেনঃ হজ্জ সমাধা করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ কিসের জন্য ইহ্‌রাম বেঁধেছিলে? আমি বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মত ইহ্‌রাম বেঁধে আমি তালবিয়া পাঠ করেছি। তিনি বললেনঃ ভালই করেছ। যাও বায়তুল্লাহ তাওয়াফ কর এবং সাফা-মারওয়ার সা’য়ী কর। এরপর আমি বনূ কায়স গোত্রের এক মহিলার নিকট এলাম। তিনি আমার মাথার উকুন বেছে দিলেন। অতঃপর আমি হজ্জের ইহ্‌রাম বাঁধলাম। (তখন হতে) ‘উমর (রাঃ)-এর খিলাফতকাল পর্যন্ত এ ভাবেই আমি লোকদের (হজ্জ এবং ‘উমরাহ সম্পর্কে) ফতোয়া দিতাম। অতঃপর তাঁর সঙ্গে আমি এ বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি বললেন, আমরা যদি আল্লাহর কিতাবকে অনুসরণ করি তাহলে তা আমাদের পূর্ণ করার নির্দেশ দেয়। আর যদি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নতের অনুসরণ করি তাহলে তো (দেখি যে), আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর জানোয়ার যথাস্থানে পৌঁছার আগে হালাল হননি।
(১৫৫৯, মুসলিম ১৫/২২, হাঃ ১২২১) (আঃপ্রঃ ১৬০৬, ইঃফাঃ ১৬১৩)

২৫/১২৬. অধ্যায়ঃ

ইহরামের সময় মাথায় আঠালো দ্রব্য লাগান ও মাথা মুণ্ডানো।

১৭২৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا بِعُمْرَةٍ وَلَمْ تَحْلِلْ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ
হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! লোকদের কী হল যে, তারা ‘উমরাহ করে হালাল হয়ে গেল অথচ আপনি ‘উমরাহ হতে হালাল হননি! আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তো আমার মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি এবং পশুর গলায় কিলাদা ঝুলিয়েছি। তাই কুরবানী না করে আমি হালাল হতে পারি না। (১৫৬৬)
(আঃপ্রঃ ১৬০৭, ইঃফাঃ ১৬১৪)

২৫/১২৭. অধ্যায়ঃ

হালাল হওয়ার সময় মাথার চুল মুণ্ডন করা ও ছাঁটা।

১৭২৬

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ قَالَ نَافِعٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ حَلَقَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّتِهِ
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বলতেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জের সময় তাঁর মাথা কামিয়েছিলেন।
(৪৪১০, ৪৪১১, মুসলিম ১৫/৫৫, হাঃ ১৩০৪, আহমাদ ৫৬১৮) (আঃপ্রঃ ১৬০৮, ইঃফাঃ ১৬১৫)

১৭২৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْ الْمُحَلِّقِينَ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْ الْمُحَلِّقِينَ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَالْمُقَصِّرِينَ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي نَافِعٌ رَحِمَ اللهُ الْمُحَلِّقِينَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ قَالَ وَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ حَدَّثَنِي نَافِعٌ وَقَالَ فِي الرَّابِعَةِ وَالْمُقَصِّرِينَ
‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহম করুন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা মাথার চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহম করুন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। এবার আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যারা চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। লায়স (রহঃ) বলেন, আমাকে নাফি’ (রফ.) বলেছেন, আল্লাহ মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, এ কথাটি তিনি একবার অথবা দু’বার বলেছেন। রাবী বলেন, ‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ) নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, চতুর্থবার বলেছেনঃ চুল যারা ছোট করেছে তাদের প্রতিও।
(মুসলিম ১৫/৫৫, হাঃ ১৩০২, আহমাদ ৭১৬১) (আঃপ্রঃ ১৬০৯, ইঃফাঃ ১৬১৬)

১৭২৮

حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ قَالُوا وَلِلْمُقَصِّرِينَ قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ قَالُوا وَلِلْمُقَصِّرِينَ قَالَهَا ثَلاَثًا قَالَ وَلِلْمُقَصِّرِينَ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের ক্ষমা করুন। সাহাবীগণ বললেন, যারা চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে ক্ষমা প্রদর্শন করুন। সাহাবীগণ বললেন, যারা চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কথাটি তিনবার বলেন, এরপর বললেনঃ যারা চুল ছোট করেছে তাদের উপরও।
(আঃপ্রঃ ১৬১০, ইঃফাঃ ১৬১৭)

১৭২৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ حَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَطَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَقَصَّرَ بَعْضُهُمْ
'আবদুল্লাহ ইব্‌নু 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা কামালেন এবং সাহাবীদের একদলও। আর অন্য একটি দল চুল ছোট করলেন। (১৬৩৯)
(আঃপ্রঃ ১৬১১. ইঃফাঃ ১৬১৮)

১৭৩০

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ قَصَّرْتُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِمِشْقَصٍ
ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) ও মু'আবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একটি কাঁচি দিয়ে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল ছোট ছোট করে দিয়েছিলাম।
(মুসলিম ১৫/৩৩, হাঃ ১২৪৬) (আঃপ্রঃ ১৬১২, ইঃফাঃ ১৬১৯)

২৫/১২৮. অধ্যায়ঃ

'উমরাহ আদায়ের পর তামাত্তু' হজ্জ সম্পাদনকারীর চুল ছাঁটা।

১৭৩১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَطُوفُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحِلُّوا وَيَحْلِقُوا أَوْ يُقَصِّرُوا
ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় এসে সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন, তারা যেন বাইতুল্লাহ এবং সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ করে। এরপর মাথার চুল মুড়িয়ে বা চুল ছেঁটে হালাল হয়ে যায়। (১৫৪৫) (আঃপ্রঃ ১৬১৩, ইঃফাঃ ১৬২০)

২৫/১২৯. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর দিবসে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পাদন করা।
আবূ যুবাইর (রহঃ) 'আয়েশা (রাঃ) ও ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাওয়াফে যিয়ারত রাত পর্যন্ত বিলম্ব করেছেন। আবূ হাসসান (রহঃ) সূত্রে ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনার দিনগুলোতে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতেন।

১৭৩২

وَقَالَ لَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَأَنَّهُ طَافَ طَوَافًا وَاحِدًا ثُمَّ يَقِيلُ ثُمَّ يَأْتِي مِنًى يَعْنِي يَوْمَ النَّحْرِ وَرَفَعَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ
ইব্‌নু 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একদা তাওয়াফ করলেন, এরপর কায়লুলা করেন এবং অতঃপর মিনায় আসেন অর্থাৎ কুরবানীর দিন। 'আবদুর রাযযাক (রহঃ) এটি মারফূ' হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, আমার নিকট 'উবায়দুল্লাহ (রহঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
(মুসলিম ১৫/৫৮, হাঃ ১৩০৮, আহমাদ ৪৭৯৮) (আঃপ্রঃ অনুচ্ছেদ ১২৮ কিতাবুল হজ্জ ইঃফাঃ ১৬২০)

১৭৩৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ الأَعْرَجِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ حَجَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ فَأَفَضْنَا يَوْمَ النَّحْرِ فَحَاضَتْ صَفِيَّةُ فَأَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا مَا يُرِيدُ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهَا حَائِضٌ قَالَ حَابِسَتُنَا هِيَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَاضَتْ يَوْمَ النَّحْرِ قَالَ اخْرُجُوا وَيُذْكَرُ عَنْ الْقَاسِمِ وَعُرْوَةَ وَالأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ أَفَاضَتْ صَفِيَّةُ يَوْمَ النَّحْرِ
'আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে হজ্জ আদায় করে কুরবানীর দিন তাওয়াফে যিয়ারত করলাম। এ সময় সাফিয়্যাহ (রাঃ)-এর ঋতু দেখা দিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে তা ইচ্ছা করছিলেন যা একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সঙ্গে ইচ্ছা করে থাকে। আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তো ঋতুবতী। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তবে তো সে আমাদের আটকিয়ে ফেলবে। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সাফিয়্যাহ (রাঃ) তো কুরবানীর দিন তাওয়াফে যিয়ারত করে নিয়েছেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তবে রওয়ানা হও। কাসিম, 'উরওয়া ও আসাদ (রহঃ) সূত্রে 'আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, সাফিয়্যা কুরবানীর দিন তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করেছেন।
(২৯৪, মুসলিম ১৫/৬৭, হাঃ ১২১১, আহমাদ ২৪৫৭৯) (আঃপ্রঃ ১৬১৪, ইঃফাঃ ১৬২১)

২৫/১৩০. অধ্যায়ঃ

ভুলবশত বা অজ্ঞতার কারণে কেউ যদি সন্ধ্যার পর কংকর মারে অথবা কুরবানীর পশু যবহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলে।

১৭৩৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قِيلَ لَهُ فِي الذَّبْحِ وَالْحَلْقِ وَالرَّمْيِ وَالتَّقْدِيمِ وَالتَّأْخِيرِ فَقَالَ لاَ حَرَجَ
ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যবহ করা, মাথা কামান ও কঙ্কর মারা এবং (এ কাজগুলো) আগে-পিছে করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই। (৮৪)
(আঃপ্রঃ ১৬১৫, ইঃফাঃ ১৬২২)

১৭৩৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُسْأَلُ يَوْمَ النَّحْرِ بِمِنًى فَيَقُولُ لاَ حَرَجَ فَسَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ اذْبَحْ وَلاَ حَرَجَ وَقَالَ رَمَيْتُ بَعْدَ مَا أَمْسَيْتُ فَقَالَ لاَ حَرَجَ
ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিনাতে কুরবানীর দিন (বিভিন্ন বিষয়ে ) জিজ্ঞেস করা হত, তখন তিনি বলতেনঃ কোন দোষ নেই। তাঁকে এক সাহাবী জিজ্ঞেস করে বললেন, আমি যবহ (কুরবানী) করার আগেই মাথা কামিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ যবহ করে নাও, এতে দোষ নেই। সাহাবী আরো বললেন, আমি সন্ধ্যার পর কঙ্কর মেরেছি। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন দোষ নেই। (৮৪)
(আঃপ্রঃ ১৬১৬, ইঃফাঃ ১৬২৩)

২৫/১৩১. অধ্যায়ঃ

জামারার নিকট সওয়ারীতে আরোহিত অবস্থায় ফতোয়া প্রদান করা।

১৭৩৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَفَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَجَعَلُوا يَسْأَلُونَهُ فَقَالَ رَجُلٌ لَمْ أَشْعُرْ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ اذْبَحْ وَلاَ حَرَجَ فَجَاءَ آخَرُ فَقَالَ لَمْ أَشْعُرْ فَنَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ فَمَا سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ وَلاَ أُخِّرَ إِلاَّ قَالَ افْعَلْ وَلاَ حَرَجَ
'আবদুল্লাহ ইব্‌নু 'আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সাওয়ারীতে) অবস্থান করছিলেন, তখন সাহাবীগণ তাঁকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেনঃ একজন জিজ্ঞেস করলেন, আমি জানতাম না , তাই কুরবানী করার আগেই (মাথা) কামিয়ে ফেলেছি। তিনি ইরশাদ করলেনঃ তুমি কুরবানী করে নাও, কোন দোষ নেই। অতঃপর অপর একজন এসে বললেন , আমি না জেনে কঙ্কর মারার পূর্বেই কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি ইরশাদ করলেনঃ কঙ্কর মেরে নাও, কোন দোষ নেই। সেদিন যে কোন কাজ আগে পিছে করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ করে নাও, কোন দোষ নেই। (৮৩)
(আঃপ্রঃ ১৬১৭, ইঃফাঃ ১৬২৪)

১৭৩৭

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ شَهِدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ يَوْمَ النَّحْرِ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ كُنْتُ أَحْسِبُ أَنَّ كَذَا قَبْلَ كَذَا ثُمَّ قَامَ آخَرُ فَقَالَ كُنْتُ أَحْسِبُ أَنَّ كَذَا قَبْلَ كَذَا حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ نَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ وَأَشْبَاهَ ذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم افْعَلْ وَلاَ حَرَجَ لَهُنَّ كُلِّهِنَّ فَمَا سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَيْءٍ إِلاَّ قَالَ افْعَلْ وَلاَ حَرَجَ
'আবদুল্লাহ 'ইব্‌নু 'আমর ইব্‌নুল 'আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কুরবানীর দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খুতবা দেওয়ার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তখন এক সাহাবী দাঁড়িয়ে বললেন, আমার ধারণা ছিল অমুক কাজের আগে অমুক কাজ। এরপর অপর এক সাহাবী দাঁড়িয়ে বললেন, আমার ধারণা ছিল অমুক কাজের আগে অমুক কাজ , আমি কুরবানী করার আগে মাথা কামিয়ে ফেলেছি। আর কঙ্কর মারার আগে কুরবানী করে ফেলেছি। এরূপ অনেক কথা জিজ্ঞেস করা হয়। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ করে নাও, কোন দোষ নেই। সব কটির জবাবে তিনি এ কথাই বললেন। সেদিন তাঁকে যা-ই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল , উত্তরে তিনি বলেনঃ করে নাও, কোন দোষ নেই। (৮৩)
(আঃপ্রঃ ১৬১৮, ইঃফাঃ ১৬২৫)

১৭৩৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ قَالَ أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَاقَتِهِ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ تَابَعَهُ مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ
'আবদুল্লাহ ইব্‌নু 'আমর ইব্‌নুল 'আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটনীর উপর অবস্থান করছিলেন। অতঃপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন। যুহরী (রহঃ) হতে এ হাদীস বর্ণনায় মা'মার (রহঃ) সালিহ (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। (৮৩)
(আঃপ্রঃ ১৬১৮(ক), ইঃফাঃ ১৬২৬)

২৫/১৩২. অধ্যায়ঃ

মিনার দিবসগুলোতে খুৎবাহ প্রদান করা।

১৭৩৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ غَزْوَانَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ النَّحْرِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَيُّ يَوْمٍ هَذَا قَالُوا يَوْمٌ حَرَامٌ قَالَ فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا قَالُوا بَلَدٌ حَرَامٌ قَالَ فَأَيُّ شَهْرٍ هَذَا قَالُوا شَهْرٌ حَرَامٌ قَالَ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فَأَعَادَهَا مِرَارًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَوَصِيَّتُهُ إِلَى أُمَّتِهِ فَلْيُبْلِغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন লোকদের উদ্দেশে একটি খুৎবাহ দিলেন। তিনি বললেনঃ হে লোক সকল ! আজকের এ দিনটি কোন্ দিন? সকলেই বললেন, সম্মানিত দিন। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ শহরটি কোন শহর? তাঁরা বললেন, সম্মানিত শহর। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ মাসটি কোন মাস? তাঁরা বললেন, সম্মানিত মাস। তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের ইয্যত-সম্মান তোমাদের জন্য তেমনি সম্মানিত , যেমন সম্মানিত তোমাদের এ দিনটি , তোমাদের এ শহরে এবং তোমাদের এ মাস। এ কথাটি তিনি কয়েকবার বললেন। পরে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ ! আমি কি (আপনার পয়গাম) পৌঁছিয়েছি ! হে আল্লাহ ! আমি কি পৌঁছিয়েছি? ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) বলেন, সে সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ , নিশ্চয়ই এ কথাগুলো ছিল তাঁর উম্মতের জন্য অসীয়ত। [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ] উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। আমার পরে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। (৭০৭৯)
(আঃপ্রঃ ১৬১৯, ইঃফাঃ ১৬২৭)

১৭৪০

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ زَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ بِعَرَفَاتٍ تَابَعَهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو
ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে 'আরাফাত ময়দানে খুতবা দিতে শুনেছি।
(১৮৪১, ১৮৪৩, ৫৮০৪, ৫৮৫৩) (আঃপ্রঃ ১৬২০, ইঃফাঃ ১৬২৮)

১৭৪১

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا قُرَّةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ وَرَجُلٌ أَفْضَلُ فِي نَفْسِي مِنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ خَطَبَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ قَالَ أَتَدْرُونَ أَيُّ يَوْمٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ قُلْنَا بَلَى قَالَ أَيُّ شَهْرٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ فَقَالَ أَلَيْسَ ذُو الْحَجَّةِ قُلْنَا بَلَى قَالَ أَيُّ بَلَدٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَتْ بِالْبَلْدَةِ الْحَرَامِ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا إِلَى يَوْمِ تَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ قَالُوا نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ فَلْيُبَلِّغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরবানীর দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের খুত্‌বা দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা কি জান আজ কোন্ দিন? আমরা বললাম , আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সব চেয়ে বেশি জানেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব হয়ে গেলেন। আমরা ধারণা করলাম সম্ভবতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নাম পাল্টিয়ে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এটি কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম , হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটি কোন্ মাস? আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই সবচেয়ে বেশি জানেন। তিনি নীরব হয়ে গেলেন। আমরা মনে করতে লাগলাম , হয়ত তিনি এর নাম পাল্টিয়ে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এ কি যিলহজ্জের মাস নয়? আমরা বললাম , হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বললেনঃ এটি কোন্ শহর? আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই সবচেয়ে বেশি জানেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব হয়ে গেলেন। ফলে আমরা ভাবতে লাগলাম , হয়ত তিনি এর নাম বদলিয়ে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এ কি সম্মানিত শহর নয়? আমরা বললাম, নিশ্চয়ই। তোমাদের জান এবং তোমাদের মাল তোমাদের জন্য তোমাদের রবের সঙ্গে সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত এমন সম্মানিত যেমন সম্মান রয়েছে তোমাদের এ দিনের, তোমাদের এ মাসের এবং তোমাদের এ শহরের। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেনঃ শোন! আমি কি পৌঁছিয়েছি তোমাদের কাছে? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ (হে আল্লাহর রাসূল)। অতঃপর তিনি বললেনঃ প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার দাওয়াত) পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা, যাদের কাছে পৌঁছানো হবে তাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি এমন থাকে যে, শ্রবণকারীর চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী। তোমরা আমার পরে পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। (৬৭)
(আঃপ্রঃ ১৬২১, ইঃফাঃ ১৬২৯)

১৭৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى أَتَدْرُونَ أَيُّ يَوْمٍ هَذَا قَالُوا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَقَالَ فَإِنَّ هَذَا يَوْمٌ حَرَامٌ أَفَتَدْرُونَ أَيُّ بَلَدٍ هَذَا قَالُوا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ بَلَدٌ حَرَامٌ أَفَتَدْرُونَ أَيُّ شَهْرٍ هَذَا قَالُوا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ شَهْرٌ حَرَامٌ قَالَ فَإِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا وَقَالَ هِشَامُ بْنُ الْغَازِ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَقَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ بَيْنَ الْجَمَرَاتِ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي حَجَّ بِهَذَا وَقَالَ هَذَا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ فَطَفِقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ اللَّهُمَّ اشْهَدْ وَوَدَّعَ النَّاسَ فَقَالُوا هَذِهِ حَجَّةُ الْوَدَاعِ
ইব্‌নু 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় অবস্থানকালে বললেনঃ তোমরা কি জান, এটি কোন্ দিন? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বেশি জানেন। তিনি বললেনঃ এটি সম্মানিত দিন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি জান, এটি কোন্ শহর? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বেশি জানেন। তিনি বললেনঃ এটি সম্মানিত শহর। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি জান, এটি কোন্ মাস? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এটি সম্মানিত মাস। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ মাস, এ শহর , এ দিনটি তোমাদের জন্য যেমন সম্মানিত , তেমনিভাবে আল্লাহ তা'আলা তোমাদের জান, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের ইয্‌যত-আবরুকে তোমাদের পরস্পরের জন্য সম্মানিত করে দিয়েছেন। হিশাম ইব্‌নু গায (রহঃ) নাফি' (রহঃ)-এর মাধ্যমে ইব্‌নু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হজ্জ আদায়কালে কুরবানীর দিন জামারাতের মধ্যবর্তী স্থলে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বলেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, এটি হল হজ্জে আকবারের দিন। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক। এরপর তিনি সাহাবীগণকে বিদায় জানালেন। তখন সাহাবীগণ বললেন, এটি-ই বিদায় হজ্জ।

(৪৪০৩, ৬০৪৩, ৬১৬৬, ৬৭৮৫, ৬৮৬৮, ৭০৭৭) (আঃপ্রঃ ১৬২২, ইঃফাঃ ১৬৩০)

২৫/১৩৩. অধ্যায়ঃ

(হাজীদের) পানি পান করানোর ব্যবস্থাকারী ও অন্যান্যরা মিনার রাত্রিগুলিতে মক্কায় অবস্থান করতে পারে কি?

১৭৪৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَخَّصَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ح
ইব্‌নু 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
['আব্বাস (রাঃ) পানি পান করানোর জন্য মিনার রাতগুলোতে মক্কায় অবস্থানের ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি চাইলে] তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। (১৬৩৪)
(ইঃফাঃ ১৬৩১)

১৭৪৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَذِنَ ح
ইব্‌নু 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। (উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় তবে এ হাদীসে পূর্বোক্ত হাদীসের শব্দ (আরবি) -এর স্থলে (আরবি) শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে)। (১৬৩৪)
(ইঃফাঃ ১৬৩১)

১৭৪৫

و حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَأَنَّ الْعَبَّاسَ اسْتَأْذَنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِيَبِيتَ بِمَكَّةَ لَيَالِيَ مِنًى مِنْ أَجْلِ سِقَايَتِهِ فَأَذِنَ لَهُ
تَابَعَهُ أَبُو أُسَامَةَ وَعُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ وَأَبُو ضَمْرَةَ
ইব্‌নু 'উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
'আব্বাস (রাঃ) পানি পান করানোর জন্য মিনার রাতগুলোতে মক্কায় অবস্থানের ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। (১৬৩৪)
(আঃপ্রঃ ১৬২৩, ইঃফাঃ ১৬৩১)

২৫/১৩৪. অধ্যায়ঃ

কঙ্কর নিক্ষেপ।
জাবির (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন চাশতের সময় এবং পরবর্তী দিনগুলোতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর কঙ্কর নিক্ষেপ করেছেন।

১৭৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ وَبَرَةَ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَمَتَى أَرْمِي الْجِمَارَ قَالَ إِذَا رَمَى إِمَامُكَ فَارْمِهْ فَأَعَدْتُ عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةَ قَالَ كُنَّا نَتَحَيَّنُ فَإِذَا زَالَتْ الشَّمْسُ رَمَيْنَا
ওয়াবারা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , আমি ইব্‌নু 'উমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কখন কঙ্কর নিক্ষেপ করব? তিনি বললেন, তোমার ইমাম যখন কঙ্কর নিক্ষেপ করবে, তখন তুমিও নিক্ষেপ করবে। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, আমরা সময়ের অপেক্ষা করতাম , যখন সূর্য ঢলে যেত তখনই আমরা কঙ্কর নিক্ষেপ করতাম।
(আঃপ্রঃ ১৬২৪, ইঃফাঃ ১৬৩২)

২৫/১৩৫. অধ্যায়ঃ

বাতন ওয়াদী তথা (উপত্যকার নীচুস্থান) হতে কঙ্কর নিক্ষেপ।

১৭৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ رَمَى عَبْدُ اللَّهِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمٰنِ إِنَّ نَاسًا يَرْمُونَهَا مِنْ فَوْقِهَا فَقَالَ وَالَّذِي لاَ إِلٰهَ غَيْرُهُ هَذَا مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ بِهَذَا
আবদুর রহমান ইব্‌নু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ (রাঃ) বাতন ওয়াদী হতে কঙ্কর মারেন। তখন আমি তাকে বললাম, হে আবু ‘আবদুর রহমান! লোকেরা তো এর উচ্চস্থান হতে কঙ্কর মারে। তিনি বললেন, সে সত্তার কসম! যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, এটা সে স্থান, যেখানে সূরা আল-বাকারাহ নাযিল হয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ওয়ালীদ (রহঃ).......আ’মাশ (রহঃ) হতে এরূপ বর্ণনা করেন।
(১৭৪৮,১৭৮৯,১১৭৫০, মুসলিম ১৫/৫০, হাঃ ১২৯৬) (আঃপ্রঃ ১৬২৫, ইঃফাঃ ১৬৩৩)

২৫/১৩৬. অধ্যায়ঃ

জামারায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ।
এ কথাটি ইব্‌নু উমর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন।

১৭৪৮

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى جَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ وَمِنًى عَنْ يَمِينِهِ وَرَمَى بِسَبْعٍ وَقَالَ هَكَذَا رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ صلى الله عليه وسلم
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জামারাতুল কুবরা বা বড় জামারার কাছে গিয়ে বায়তুল্লাহকে বামে ও মিনাকে ডানে রেখে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। আর বলেন, যাঁর প্রতি সূরা আল-বাকারাহ নাযিল হয়েছে তিনিও এরূপ কঙ্কর মেরেছেন। (১৭৪৭)
(আঃপ্রঃ ১৬২৬, ইঃফাঃ১৬৩৪)

২৫/১৩৭. অধ্যায়ঃ

বাইতুল্লাহকে বাম দিকে রেখে জামারায়ে ‘আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ।

১৭৪৯

حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّهُ حَجَّ مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ فَرَآهُ يَرْمِي الْجَمْرَةَ الْكُبْرَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ فَجَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ وَمِنًى عَنْ يَمِينِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ
‘আবদূর রাহমান ইব্‌নু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর সঙ্গে হজ্জ আদায় করলেন। তখন তিনি বায়তুল্লাহকে নিজের বামে রেখে এবং মিনাকে ডানে রেখে জামারাকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে দেখেছেন। এরপর তিনি বললেন, এ তাঁর দাঁড়াবার স্থান যাঁর প্রতি সূরা বাকারা নাযিল হয়েছে। (১৭৪৭)
(আঃপ্রঃ ১৬২৭, ইঃফাঃ১৬৩৫)

২৫/১৩৮. অধ্যায়ঃ

প্রতিটি কঙ্কর এর সঙ্গে তাকবীর পাঠ।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ইব্‌নু উমর (রাঃ) এ কথাটি বর্ণনা করেন।

১৭৫০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ السُّورَةُ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا الْبَقَرَةُ وَالسُّورَةُ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا آلُ عِمْرَانَ وَالسُّورَةُ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا النِّسَاءُ قَالَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ يَزِيدَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ حِينَ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَاسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ حَتَّى إِذَا حَاذَى بِالشَّجَرَةِ اعْتَرَضَهَا فَرَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ قَالَ مِنْ هَا هُنَا وَالَّذِي لاَ إِلٰهَ غَيْرُهُ قَامَ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ صلى الله عليه وسلم
আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজকে মিম্বরের উপর এরূপ বলতে শুনেছি, যে সূরার মধ্যে বাকারাহ’র উল্লেখ রয়েছে, সে সূরার মধ্যে আল-ইমরানের উল্লেখ রয়েছে এবং যে সূরার মধ্যে নিসা-এর উল্লেখ রয়েছে অর্থাৎ সে সূরা আল-বাকারাহ সূরা আল ‘ইমরান ও সূরা আল নিসা বলা পছন্দ করতো না। বর্ণনাকারী আ’মাশ (রহঃ) বলেন, এ ব্যাপারটি আমি ইব্রাহীম (রহঃ)-কে বললাম। তিনি বললেন, আমার কাছে ‘আবদূর রহমান ইব্‌নু ইয়াযীদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, জামারায়ে আকাবাতে কঙ্কর মারার সময় তিনি ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলেন। ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) বাতেন ওয়াদীতে গাছটির বরাবর এসে জামারাকে সামনে রেখে দাঁড়ালেন এবং তাকবীর সহকারে কঙ্কর মারলেন। এরপর বললেন, সে সত্তার কসম যিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, এ স্থানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি, যাঁর উপর নাযিল হয়েছে সূরা বাকারাহ (অর্থাৎ সূরা বাকারাহ বলা বৈধ) (১৭৪৭)
(আঃপ্রঃ ১৬২৮, ইঃফাঃ১৬৩৬)

No comments

Powered by Blogger.