সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "কুরআন তিলাওয়াতের সিজদা" হাদিস নং -১০৬৭ থেকে ১০৭৯

কুরআন তিলাওয়াতের সিজদার নিয়ম।
১০৬৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الأَسْوَدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ بِمَكَّةَ فَسَجَدَ فِيهَا، وَسَجَدَ مَنْ مَعَهُ، غَيْرَ شَيْخٍ أَخَذَ كَفًّا مِنْ حَصًى أَوْ تُرَابٍ فَرَفَعَهُ إِلَى جَبْهَتِهِ وَقَالَ يَكْفِينِي هَذَا‏.‏ فَرَأَيْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ قُتِلَ كَافِرًا‏.‏
‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় সূরা আন-নাজ্‌ম তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি সিজদা করেন এবং একজন বৃদ্ধ লোক ছাড়া তাঁর সঙ্গে সবাই সিজদা করেন। বৃদ্ধ লোকটি এক মুঠো কঙ্কর বা মাটি হাতে নিয়ে তার কপাল পর্যন্ত উঠিয়ে বলল আমার জন্য এ যথেষ্ট। আমি পরবর্তীতে দেখেছি যে, সে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছে।
১৭/. অধ্যায়ঃ
সূরা তানযীলুস্‌-সিজদা এর সিজদা।
১০৬৮
قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْجُمُعَةِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ ‏{‏الم * تَنْزِيلُ‏}‏ السَّجْدَةَ وَ‏{‏هَلْ أَتَى عَلَى الإِنْسَانِ‏}‏
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুক্রবার ফজরের সালাতে (আরবি) সুরা আস সিজদা এবং (আরবি) সূরা ইনসান তিলাওয়াত করতেন।
১৭/. অধ্যায়ঃ
সূরা স-দ-এর সিজদা।
১০৬৯
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو النُّعْمَانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ ‏{‏ص‏}‏ لَيْسَ مِنْ عَزَائِمِ السُّجُودِ، وَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِيهَا‏.‏
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সূরা স-দ-এর সিজদা অত্যাবশ্যক সিজদাসমূহের মধ্যে গণ্য নয়। তবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি তিলাওয়াতের পর সিজদা করতে দেখেছি।
১৭/. অধ্যায়ঃ
সূরা আন্‌ নাজ্‌ম-এর সিজদা।
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন
১০৭০
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ سُورَةَ النَّجْمِ فَسَجَدَ بِهَا، فَمَا بَقِيَ أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ إِلاَّ سَجَدَ، فَأَخَذَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ كَفًّا مِنْ حَصًى أَوْ تُرَابٍ، فَرَفَعَهُ إِلَى وَجْهِهِ وَقَالَ يَكْفِينِي هَذَا، فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدُ قُتِلَ كَافِرًا‏.‏
‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা আন্‌ নাজ্‌ম তিলাওয়াত করেন, অতঃপর সিজদা করেন। তখন উপস্থিত লোকদের মধ্যে এমন কেউ বাকী ছিল না, যে তাঁর সঙ্গে সিজদা করেনি। কিন্তু একব্যক্তি এক মুঠো কঙ্কর বা মাটি হাতে নিয়ে মুখমণ্ডল পর্যন্ত তুলে বলল, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। [‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন] পরে আমি এ ব্যক্তিকে দেখেছি যে, সে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছে।
১৭/. অধ্যায়ঃ
মুশ্‌রিকদের সাথে মুসলিমগণের সিজদা করা আর মুশ্‌রিকরা অপবিত্র। তাদের উযূ হয় না।
আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাঃ) বিনা উযূতে তিলাওয়াতের সিজ্‌দা করেছেন [১]
[১] হযরত ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে অপর হাদীসে বর্ণিত আছে যে, তিনি উযূ অবস্থায় সিজ্‌দা করতেন । তাছাড়া কোন ইমামই উযূ ছাড়া তিলাওয়াতের সিজ্‌দা সমর্থন করেননি । --আইনী
১০৭১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَجَدَ بِالنَّجْمِ وَسَجَدَ مَعَهُ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ وَالْجِنُّ وَالإِنْسُ‏.‏ وَرَوَاهُ ابْنُ طَهْمَانَ عَنْ أَيُّوبَ‏.‏
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা আন্‌-নাজ্‌ম তিলাওয়াতের পর সিজদা করেন এবং তাঁর সাথে সমস্ত মুসলিম, মুশরিক, জ্বিন ও ইনসান সবাই সিজদা করেছিল।
১৭/. অধ্যায়ঃ
যিনি সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করলেন অথচ সিজদা করলেন না।
১০৭২
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو الرَّبِيعِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ، سَأَلَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنه ـ فَزَعَمَ أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏{‏وَالنَّجْمِ‏}‏ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا‏.‏
যায়দ ইব্‌নু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সূরা আন্‌-নাজ্‌ম তিলাওয়াত করা হল কিন্তু তাতে তিনি সিজদা করেননি।
১০৭৩
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏{‏وَالنَّجْمِ‏}‏ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا‏.‏
যায়দ ইব্‌নু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে সূরা ওয়ান্‌-নাজ্‌ম তিলাওয়াত করলাম। এতে তিনি সিজদা করেননি।
১৭/. অধ্যায়ঃ
সূরা ‘ইযাস্‌ সামাউন্‌ শাক্‌কাত’-এর সিজদা।
১০৭৪
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، وَمُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَرَأَ ‏{‏إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ‏}‏ فَسَجَدَ بِهَا فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، أَلَمْ أَرَكَ تَسْجُدُ قَالَ لَوْ لَمْ أَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ لَمْ أَسْجُدْ‏.‏
আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে দেখলাম, তিনি (আরবি) সূরা তিলাওয়াত করলেন এবং সিজদা করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ হুরায়রা! আমি কি আপনাকে সিজদা করতে দেখিনি? তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সিজদা করতে না দেখলে সিজদা করতাম না।
১৭/. অধ্যায় :
তিলাওয়াতকারীর সিজদার কারণে সিজদা করা।
তামীম ইব্‌ন হাযলাম নামক এক বালক সিজ্‌দার আয়া্ত তিলাওয়াত করলে ইব্‌ন মাসঊদ (রাঃ) তাঁকে (সিজদা করতে আদেশ করে) বলেন, এ ব্যাপারে তুমিই আমাদের ইমাম
১০৭৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ عَلَيْنَا السُّورَةَ فِيهَا السَّجْدَةُ، فَيَسْجُدُ وَنَسْجُدُ، حَتَّى مَا يَجِدُ أَحَدُنَا مَوْضِعَ جَبْهَتِهِ
ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার আমাদের সামনে এমন এক সূরা তিলাওয়াত করলেন যাতে সিজদার আয়াত রয়েছে। তাই তিনি সিজদা করলেন এবং আমরাও সিজদা করলাম। ফলে অবস্থা এমন দাঁড়াল যে, আমাদের কেউ কেউ কপাল রাখার জায়গা পাচ্ছিলেন না।
১৭/. অধ্যায় :
ইমাম যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করেন তখন লোকের ভীড়।
১০৭৬
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ السَّجْدَةَ وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَيَسْجُدُ وَنَسْجُدُ مَعَهُ فَنَزْدَحِمُ حَتَّى مَا يَجِدُ أَحَدُنَا لِجَبْهَتِهِ مَوْضِعًا يَسْجُدُ عَلَيْهِ‏.‏
ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করতেন এবং আমরা তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম। এতে এত ভীড় হতো যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সিজদা করার জন্য কপাল রাখার জায়গা পেত না।
১৭/১০. অধ্যায় :
যাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, আল্লাহ তা’আলা তিলাওয়াতের সিজদা আবশ্যক করেননি।
ইমরান ইব্‌ন হুসাইন (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে ব্যক্তি সিজ্‌দার আয়াত শুনলো কিন্তু এর জন্য সে বসেনি (তার কি সিজ্‌দা করতে হবে?)। তিনি বললেন, তুমি কি মনে কর সে যদি তা শোনার জন্য বসতো (তা হলে কি) তাকে সিজ্‌দা করতে হত? (বুখারী (রহঃ) বলেন,) যেন তিনি তার জন্য সিজ্‌দা ওয়াজিব মনে করেন না। সালমান (ফারিসী) (রাঃ) বলেছেন, আমরা এ জন্য (সিজ্‌দার আয়াত শোনার জন্য) আসিনি। উসমান ইব্‌ন আফ্ফান (রাঃ) বলেছেন, যে মনোযোগসহ সিজ্‌দার আয়াত শোনে শুধু তার উপর সিজ্‌দা ওয়াজিব। যুহরী (রহঃ) বলেছেন, পবিত্র অবস্থা ছাড়া সিজ্‌দা করবে না। যদি তুমি আবাসে থেকে সিজ্‌দা কর, তবে কিব্লামুখী হবে। যদি তুমি সাওয়ার অবস্থায় হও, তবে যে দিকেই তোমার মুখ হোক না কেন, তাতে তোমার কোন দোষ নাই। আর সায়িব ইব্‌ন ইয়াযীদ (রহঃ) বক্তার বক্তৃতায় সিজ্‌দার আয়াত শোনে সিজ্‌দা করতেন না।
১০৭৭
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهُدَيْرِ التَّيْمِيِّ ـ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَبِيعَةُ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ عَمَّا حَضَرَ رَبِيعَةُ مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ قَرَأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ، حَتَّى إِذَا كَانَتِ الْجُمُعَةُ الْقَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ فَمَنْ سَجَدَ فَقَدْ أَصَابَ، وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ‏.‏ وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ ـ رضى الله عنه‏.‏ وَزَادَ نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ السُّجُودَ إِلاَّ أَنْ نَشَاءَ‏.‏
‘উমর ইব্‌নু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এক জুমু’আর দিন মিম্বরে দাঁড়িয়ে সুরা নাহ্‌ল তিলাওয়াত করেন। এতে যখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি মিম্বর হতে নেমে সিজদা করলেন এবং লোকেরাও সিজদা করল। এভাবে যখন পরবর্তী জুমু’আ এল, তখন তিনি সে সূরা পাঠ করেন। এতে যখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমরা যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করি, তখন যে সিজদা করবে সে ঠিকই করবে, যে সিজদা করবে না তার কোন গুনাহ নেই। তার বর্ণনায় (বর্ণনাকারী বলেন) আর ‘উমর (রাঃ) সিজদা করেননি। নাফি’(রহঃ) ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) হতে আরো বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা সিজদা ফরয করেননি, তবে আমরা ইচ্ছা করলে সিজদা করতে পারি।
১৭/১১. অধ্যায় :
সলাতে সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদা করা।
১০৭৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي بَكْرٌ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ الْعَتَمَةَ فَقَرَأَ ‏{‏إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ‏}‏ فَسَجَدَ فَقُلْتُ مَا هَذِهِ قَالَ سَجَدْتُ بِهَا خَلْفَ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ أَزَالُ أَسْجُدُ فِيهَا حَتَّى أَلْقَاهُ‏.‏
আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সাথে ‘ইশার সালাত আদায় করেছিলাম। তিনি সলাতে (আরবী) সূরা তিলাওয়াত করে সিজদা করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কী? তিনি বললেন, এ সূরা তিলাওয়াতের সময় আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে আমি এ সিজদা করেছিলাম। তাই তাঁর সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে আমি সিজদা করতে থাকব।
১৭/১২. অধ্যায় :
ভীড়ের কারণে সিজদা করার স্থান না পেলে।
১০৭৯
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ السُّورَةَ الَّتِي فِيهَا السَّجْدَةُ فَيَسْجُدُ وَنَسْجُدُ حَتَّى مَا يَجِدُ أَحَدُنَا مَكَانًا لِمَوْضِعِ جَبْهَتِهِ‏.‏
ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এমন সূরা তিলাওয়াত করতেন যাতে সিজদা আছে, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম। এমন কি (ভীড়ের কারণে) আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কপাল রাখার জায়গা পেত না।

No comments

Powered by Blogger.