সহীহ বুখারী শরীফ অধ্যায় "সূর্যগ্রহণ" হাদিস নং -১০৬১ থেকে ১০৬৬
সুর্যগ্রহনের খুত্বায় ইমামের “আমমা-বাদু” বলা।
১০৬১
وَقَالَ أَبُو
أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ الْمُنْذِرِ،
عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ
تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ، فَحَمِدَ اللَّهَ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ
" أَمَّا بَعْدُ ".
আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আল্লাহ্র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত
শেষ করলেন আর এদিকে সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি খুত্বা দিলেন। এতে তিনি
প্রথমে আল্লাহ্র যথাযথ প্রশংসা করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ ‘আম্মা বা’দ’।
১৬/১৭. অধ্যায়ঃ
চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১০৬২
حَدَّثَنَا
مَحْمُودٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يُونُسَ،
عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ انْكَسَفَتِ
الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى
رَكْعَتَيْنِ.
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর
সময় সূর্যগ্রহণ হল। তখন তিনি দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
১০৬৩
حَدَّثَنَا
أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ،
عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ
رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى
إِلَى الْمَسْجِدِ، وَثَابَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ،
فَانْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ
مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، وَإِنَّهُمَا لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، وَإِذَا
كَانَ ذَاكَ فَصَلُّوا وَادْعُوا حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِكُمْ ". وَذَاكَ
أَنَّ ابْنًا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاتَ، يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ،
فَقَالَ النَّاسُ فِي ذَاكَ.
আবূ বাক্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর
সময় সূর্যগ্রহণ হল। তিনি বের হয়ে তাঁর চাদর টেনে টেনে মসজিদে পৌঁছলেন এবং লোকজনও
তাঁর নিকট সমবেত হল। অতঃপর তিনি তাদের নিয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। অতঃপর
সূর্যগ্রহণ মুক্ত হলে তিনি বললেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে
দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যুর কারণে এ দু’টোর গ্রহণ হয় না। কাজেই যখন গ্রহণ হবে, তা
মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে এবং দু’আ করতে থাকবে। এ কথা নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কারণেই বলেছেন যে, সেদিন তাঁর পুত্র ইবরাহীম
(রাঃ)-এর ওফাত হয়েছিল এবং লোকেরা সে ব্যাপারে পরস্পর বলাবলি করছিল।
১৬/১৮. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সালাতে প্রথম রাক’আত হবে দীর্ঘতর।
১০৬৪
حَدَّثَنَا
مَحْمُودٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى
الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي
سَجْدَتَيْنِ، الأَوَّلُ الأَوَّلُ أَطْوَلُ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যগ্রহণের সময় লোকদের
নিয়ে দু’রাক’আতে চার রুকূ’ সহ সালাত আদায় করেন। প্রথমটি (দ্বিতীয় রাক’আতের চেয়ে)
দীর্ঘস্থায়ী ছিল।
১৬/১৯. অধ্যায়ঃ
সূর্যগ্রহণের সালাতে শব্দ সহকারে কির’আত পাঠ।
১০৬৫
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ
نَمِرٍ، سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ
جَهَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ بِقِرَاءَتِهِ،
فَإِذَا فَرَغَ مِنْ قِرَاءَتِهِ كَبَّرَ فَرَكَعَ، وَإِذَا رَفَعَ مِنَ
الرَّكْعَةِ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ.
ثُمَّ يُعَاوِدُ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ، أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي
رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ. وَقَالَ الأَوْزَاعِيُّ وَغَيْرُهُ سَمِعْتُ
الزُّهْرِيَّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ الشَّمْسَ،
خَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ مُنَادِيًا
بِالصَّلاَةُ جَامِعَةٌ، فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي
رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ. وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
نَمِرٍ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ مِثْلَهُ. قَالَ الزُّهْرِيُّ فَقُلْتُ مَا صَنَعَ
أَخُوكَ ذَلِكَ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مَا صَلَّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ
مِثْلَ الصُّبْحِ إِذْ صَلَّى بِالْمَدِينَةِ. قَالَ أَجَلْ، إِنَّهُ أَخْطَأَ
السُّنَّةَ. تَابَعَهُ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ عَنِ
الزُّهْرِيِّ فِي الْجَهْرِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যগ্রহণের
সালাতে তাঁর কির’আত সশব্দে পাঠ করেন। কির’আত সমাপ্ত করার পর তাক্বীর বলে রুকু’
করেন। যখন রুকু’ হতে মাথা তুললেন, তখন বললেন (আরবি), অতঃপর এ গ্রহণ-এর সালাতেই
তিনি আবার কির’আত পাঠ করেন এবং চার রুকূ’ ও চার সিজদাসহ দু’রাক’আত সালাত আদায়
করেন।
১০৬৬
وَقَالَ
الْأَوْزَاعِيُّ وَغَيْرُهُ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ
رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ الشَّمْسَ خَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى
الله عليه وسلم فَبَعَثَ مُنَادِيًا بُ الصَّلاَةُ جَامِعَةٌ فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى
أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ
وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَمِرٍ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ مِثْلَهُ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَقُلْتُ مَا صَنَعَ أَخُوكَ ذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مَا صَلَّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ مِثْلَ الصُّبْحِ إِذْ صَلَّى بِالْمَدِينَةِ قَالَ أَجَلْ إِنَّهُ أَخْطَأَ السُّنَّةَ تَابَعَهُ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ فِي الْجَهْرِ.
وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَمِرٍ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ مِثْلَهُ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَقُلْتُ مَا صَنَعَ أَخُوكَ ذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مَا صَلَّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ مِثْلَ الصُّبْحِ إِذْ صَلَّى بِالْمَدِينَةِ قَالَ أَجَلْ إِنَّهُ أَخْطَأَ السُّنَّةَ تَابَعَهُ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ فِي الْجَهْرِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে
সূর্যগ্রহণ হলে তিনি একজনকে “আস-সালাতু জামিয়াতুন” বলে ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠান।
অতঃপর তিনি অগ্রসর হন এবং চার রুকূ’ ও চার সিজদাসহ দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন।
ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমাকে আবদুর রহমান ইব্নু নামির আরো বলেন যে, তিনি ইব্নু শিহাব (রহঃ) হতে অনুরূপ শুনেছেন, যুহরী (রহঃ) বলেন যে, আমি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-কে বললাম, তোমার ভাই ‘আবদুল্লাহ ইব্নু যুবায়র (রাঃ) এরূপ করেননি। তিনি যখন মদীনায় গ্রহণ-এর সালাত আদায় করেন, তখন ফজরের সালাতের ন্যায় দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। ‘উরওয়াহ (রহঃ) বললেন, হাঁ, তিনি সুন্নাত অনুসরণে ভুল করেছেন। সুলাইমান ইব্নু কাসীর (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে সশব্দে কিরাআতের ব্যাপারে ইব্নু কাসীর (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমাকে আবদুর রহমান ইব্নু নামির আরো বলেন যে, তিনি ইব্নু শিহাব (রহঃ) হতে অনুরূপ শুনেছেন, যুহরী (রহঃ) বলেন যে, আমি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-কে বললাম, তোমার ভাই ‘আবদুল্লাহ ইব্নু যুবায়র (রাঃ) এরূপ করেননি। তিনি যখন মদীনায় গ্রহণ-এর সালাত আদায় করেন, তখন ফজরের সালাতের ন্যায় দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। ‘উরওয়াহ (রহঃ) বললেন, হাঁ, তিনি সুন্নাত অনুসরণে ভুল করেছেন। সুলাইমান ইব্নু কাসীর (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে সশব্দে কিরাআতের ব্যাপারে ইব্নু কাসীর (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
No comments